রসায়ন

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ)

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১১তম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর   1. প্রাকৃতিক গ্যাসে শতকরা কত ভাগ ইথেন থাকে? ক 3 ভাগ খ 4 ভাগ গ 6 ভাগ √ 7 ভাগ 2. নিচের কোন যৌগটি ব্রোমিন দ্রবণের লাল বর্ণকে বর্ণহীন করতে পারে? ক C3H8 খ C3H8O গ C3H6O √ C3H4 বিক্রিয়া : CH3 – C ≡ CH Br2→ X Br2→ ণ উপরের বিক্রিয়া থেকে 3 ও 4 নং প্রশ্নের উত্তর দাও : 3. ণ যৌগটির নাম কী? ক 1, 1-ডাইব্রোমো প্রোপেন খ 1, 2-ডাইব্রোমো প্রোপেন √ 1, 1, 2, 2-টেট্রাব্রোমো প্রোপেন ঘ 1, 2-ড্রাইব্রোমোপ্রোপিন 4. উদ্দীপকের ‘ঢ’ যৌগটি- i. সংযোজন বিক্রিয়া দেয় ii. প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয় iii. ণ অপেক্ষা কম সক্রিয় নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ ii ও iii গ i ও iii ঘ i, ii ও iii 5. নিচের কোন যৌগটি পানিতে দ্রবণীয়? ক C6H6 খ CH3 – O – CH3 গ CCl4 √ KOH 6. C4H10 এর গলনাঙ্ক কত? ক -19০0C খ – 1830C √ -1380C ঘ 13০0C 7. কোনটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন? ক C2H6 √ C3H6 গ C3H8 ঘ C4H10 8. কোনটি কৃত্রিম পলিমার? √ পলিস্টার খ পাট গ তুলা ঘ চুল 9. কোনটি এস্টারের কার্যকরী মূলক? ক -OH খ -COOH √ -COOR ঘ -CHO 1০. প্রাকৃতিক গ্যাসে সাধারণত কত শতাংশ প্রোপেন পাওয়া যায়? ক 3% খ 5% √ 6% ঘ 7% 11. ডাইমিথাইল ইথারের স্ফুটনাঙ্ক কত? ক 780C খ 240C √ -240C ঘ -780C 12. অপরিশোধিত তেলকে কত তাপমাত্রায় আংশিক পাতন করলে কেরোসিন পাওয়া যায়? ক 7০0C খ 12০0C √ 17০0C ঘ 27০0C 13. C3H6 যৌগটি শনাক্তকরণে নিচের কোন দ্রবণ ব্যবহার করা যায়? i. ব্রোমিন দ্রবণ ii. K2Cr2O7 দ্রবণ iii. KMnO4 দ্রবণ নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii নিচের উদ্দীপকের আলোকে 14 ও 15 নং প্রশ্নের উত্তর দাও : CH3 – CH = CH2(g) KMnO4→H2O ণ 14. উপরিউক্ত বিক্রিয়ার বিক্রিয়কের কার্বনের শতকরা সংযুতি কত? ক 14.29% খ 25.০% গ 75% √ 85.71% 15. উদ্দীপকের ণ যৌগটি- i. হচ্ছে প্রোপিলিন গøাইকল ii. হচ্ছে 1, 2-ডাই হাইড্রোক্সি প্রোপেন iii. জলীয় KMnO4 এর গোলাপি বর্ণকে বর্ণহীন করে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii নবম দশম রসায়ন ১১তম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (পাঠ্যাংশ অনুযায়ী) 11.1 জীবাশ্ম জ্বালানি * জেনে রাখ ⇒ কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ। ⇒ উচ্চ তাপ ও চাপে বায়ুর অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ হাজার হাজার বছরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হয়। ⇒ প্রায় সকল জ্বালানির মূল উপাদান কার্বন ও কার্বন যৌগ। ⇒ হাইড্রোকার্বন হলো কার্বন ও হাইড্রোজেনের যৌগ। ⇒ প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন 8০%। ⇒ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাওয়া প্রাকৃতিক গ্যাসের 99.99% মিথেন। » সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 16. কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি? (অনুধাবন) √ খনিজ তেল খ গোবর গ পাটকাঠি ঘ শুকনো পাতা 17. ভ‚গর্ভে শিলাস্তরে খনিজ তেলের উপরে উচ্চচাপে বিভিন্ন হাইড্রোকার্বনের যে মিশ্রণ পাওয়া যায়, তাকে কী বলে? (অনুধাবন) ক পেট্রোলিয়াম √ প্রাকৃতিক গ্যাস গ কোল ঘ আলকাতরা 18. প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদানের নাম কী? (জ্ঞান) ক ইথেন খ প্রোপেন গ বিউটেন √ মিথেন 19. পচা জৈব পদার্থ থেকে কী নির্গত হয়? (জ্ঞান) √ মিথেন খ বিউটেন গ অকটেন ঘ প্রোপেন 2০. কোন উপাদানের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানিকে পোড়ানো যায়? (অনুধাবন) √ C ও H-এর জন্য খ C ও N-এর জন্য গ C, H ও O-এর জন্য ঘ C, H, O ও N-এর জন্য 21. জীবাশ্ম জ্বালানি মূলত কিসের যৌগ? (অনুধাবন) ক সালফারের √ কার্বনের গ হাইড্রোজেনের ঘ নাইট্রোজেনের 22. প্রাকৃতিক গ্যাসের মধ্যে মিথেনের পরিমাণ কত? (জ্ঞান) ক 6০% খ 7০% √ 8০% ঘ 9০% 23. উদ্ভিদদেহ মাটির নিচে পরিবর্তিত হয়ে কিসে রূপান্তরিত হয়? (জ্ঞান) ক পচা আবর্জনা খ ইথেন গ তেল √ কয়লা 24. জ্বালানিকে দহন করলে কী উৎপন্ন হয়? (অনুধাবন) √ তাপশক্তি খ সৌরশক্তি গ শব্দশক্তি ঘ রাসায়নিক শক্তি 25. পেট্রোলিয়াম প্রধানত কিসের মিশ্রণ? (জ্ঞান) √ হাইড্রোকার্বন খ হ্যালোজেন গ অ্যালকোহল ঘ জৈব এসিড 26. প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্ণ কিরূপ? (জ্ঞান) ক কালো খ বাদামি গ সবুজ √ বর্ণহীন 27. সব জ্বালানির মূল উপাদান কী? (জ্ঞান) √ C খ S গ O ঘ N 28. কোক সৃষ্টি হয় কোনটি থেকে? (অনুধাবন) √ কয়লা খ প্রাকৃতিক গ্যাস গ তেল ঘ মিথেন 29. কোনটি থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি তৈরি হয়? (অনুধাবন) ক ক্যালসিয়াম কার্বনেট খনিজ থেকে খ সমুদ্রের তলার মাটি থেকে √ মৃত গাছপালা ও প্রাণিদেহ থেকে ঘ ভ‚গর্ভের কঠিন শিলাখণ্ড থেকে 3০. খনিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে আর কী পাওয়া যায়? (অনুধাবন) ক ইথেন √ খনিজ তেল গ প্রোপেন ঘ বিউটেন 31. প্রাকৃতিক গ্যাসে কোনগুলোর উপস্থিতি নেই? (অনুধাবন) ক মিথেন ও ইথেন খ প্রোপেন ও বিউটেন গ আইসো বিউটেন ও পেনটেন √ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন 32. উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হতে কোন শর্তটি অবশ্যই দরকার? (উচ্চতর দক্ষতা) ক বায়ুর উপস্থিতি √ বায়ুর অনুপস্থিতি গ গাঁজন ঘ সংশ্লেষণ ও বিযোজন 33. প্রাণিদেহ মাটির নিচে পরিবর্তিত হয়ে কিসে রূপান্তরিত হয়? (জ্ঞান) ক বিটুমিনে খ ন্যাপথায় গ কয়লায় √ পেট্রোলিয়ামে 34. মিথেন বা ইথেন গ্যাসকে বায়ুতে পোড়ালে একটি গ্যাস নির্গত হয় যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে ভ‚মিকা রাখে। এ গ্যাসটি কী? (উচ্চতর দক্ষতা) ক কার্বন মনোঅক্সাইড √ কার্বন ডাইঅক্সাইড গ অক্সিজেন ঘ নাইট্রাস অক্সাইড 35. কয়লার প্রধান উপাদান কী? (জ্ঞান) ক হাইড্রোজেন √ কার্বন গ বিউটেন ঘ ইথেন 36. কয়লা থেকে গ্যাস নির্গত হওয়ার পর প্রাপ্ত অবশেষকে কী বলে? (প্রয়োগ) ক ন্যাপথা খ বিটুমিন √ কোক ঘ আলকাতরা 37. জ্বালানির দহনে প্রাপ্ত শক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। এ শক্তির কাজের সাথে কোনটি অমিল প্রকাশ করে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক বিদ্যুৎ উৎপাদন খ মোটর ইঞ্জিন চালানো গ রান্নার কাজ √ নৌকা চালানো » বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 38. জ্বালানির দহন থেকে প্রাপ্ত শক্তি ব্যবহৃত হয়- (অনুধাবন) i. মোটর ইঞ্জিন চালাতে ii. বিমান চালাতে iii. বায়োগ্যাস উৎপাদনে নিচের কোনটি সঠিক? ক র √ i ও ii গ i ও iii ঘ i, ii ও iii 39. কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ালে তার মধ্যে সঞ্চিত শক্তি বের হয়- (অনুধাবন) i. আলোকশক্তি রূপে ii. তড়িৎশক্তি রূপে iii. তাপশক্তি হিসেবে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii √ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii »» অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ) Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন একাদশ অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১১ অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম একাদশ অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ জীবাশ্ম জ্বালানি : শক্তির অতি পরিচিত উৎস হলো কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। কোটি কোটি বছর পূর্বে এ পৃথিবীতে বিশাল বিশাল বনভ‚মি ছিল। বনভ‚মিতে যেসব গাছপালা, জীবজন্তু ছিল প্রচণ্ড ভ‚মিকম্প বা কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বা অন্য কোনো কারণে মাটির নিচে চাপা পড়ে এবং ক্রমান্বয়ে জমতে থাকে। এদেরই দেহাবশেষ জীবাশ্ম। ভ‚অভ্যন্তরভাগে প্রচণ্ড চাপে ও তাপে বায়ুর অনুপস্থিতিতে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে এদের ধ্বংসাবশেষ ক্রমশ কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসে পরিণত হয়। এ জীবাশ্ম কঠিন, তরল বা বায়বীয় আকারে খনি থেকে তুলে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হয়। তাই এদেরকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলা হয়। ⇒ পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল : শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল। খনি থেকে যে তেল আহরিত হয় তা অপরিশোধিত তেল যা মূলত হাইড্রোকার্বন ও অন্যান্য কিছু জৈব যৌগের মিশ্রণ। অপরিশোধিত তেলকে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য এর বিভিন্ন অংশকে আংশিক পাতন পদ্ধতিতে পৃথক করা হয়। পেট্রোলিয়ামে বিদ্যমান উপাদানের স্ফুটনাংকের ওপর ভিত্তি করে তেল পরিশোধনাগারে পৃথকীকৃত বিভিন্ন অংশের নাম পর্যায়ক্রমে পেট্রোলিয়াম গ্যাস, পেট্রোল (গ্যাসোলিন), ন্যাপথা, কেরোসিন, ডিজেল তেল, লুব্রিকেটিং তেল ও বিটুমিন। পেট্রোলের বিভিন্ন অংশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রের জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়। ⇒ প্রাকৃতিক গ্যাস : খনিতে পেট্রোলিয়াম যে প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় প্রাকৃতিক গ্যাসের সৃষ্টির প্রক্রিয়াও একই রকম। সাধারণত খনির উপরের অংশে গ্যাস আর নিচের দিকে খনিজ তেল থাকে। খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উভয়ই জৈব পদার্থ। এগুলো কার্বন ও হাইড্রোজেনের বিভিন্ন অনুপাতে মিশ্রণের ফলে গঠিত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন (8০%)। এছাড়াও প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকে ইথেন (7%), প্রোপেন (6%), বিউটেন ও আইসো বিউটেন (4%), পেনটেন (3%)। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের হার 99.99%। প্রাকৃতিক গ্যাসকে বায়ুতে পোড়ালে তাপশক্তি পাওয়া যায়। ⇒ হাইড্রোকার্বন : কার্বন এবং হাইড্রোজেন পরমাণু দ্বারা গঠিত যৌগসমূহকে হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন : CH4, C2H6, C6H6, C6H12 প্রভৃতি। আণবিক গঠন অনুযায়ী হাইড্রোকার্বন প্রধানত দুই প্রকার। যথা : অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বন ও অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন। অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনকে দুইভাগে ভাগ করা হয়। মুক্ত শিকল ও বদ্ধ শিকল হাইড্রোকার্বন। মুক্ত শিকল হাইড্রোকার্বনসমূহ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা : সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন ও অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। যেসব হাইড্রোকার্বনে কার্বন-কার্বন একক বন্ধন থাকে তাদের সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন : ইথেন, প্রোপেন। যেসব হাইড্রোকার্বনে কার্বন-কার্বন পরমাণুর মধ্যে কমপক্ষে একটি দ্বিবন্ধন বা একটি ত্রিবন্ধন থাকে তাদের অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে। যেমন : ইথিন, ইথাইন ইত্যাদি। ⇒ অ্যালকেন : সকল সম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনকে অ্যালকেন বলা হয়। এদের সাধারণ আণবিক সংকেত CnH2n+2 (n = 1, 2, 3 ………)। এ শ্রেণির প্রথম (n = 1) সদস্যের নাম মিথেন CH4 এবং দ্বিতীয় সদস্য (n = 2) হচ্ছে ইথেন C2H6। প্রতিটি অ্যালকেনের নামের শেষে এন (ane) থাকবে। অ্যালকেনের C – C এবং C – H বন্ধনসমূহ শক্তিশালী হওয়ায় এরা রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়। এরা সাধারণ অবস্থায় তীব্র এসিড, ক্ষারক ও জারক বা বিজারক পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না। এজন্য এদের ‘প্যারাফিন’ বা আসক্তিহীন বলা হয়। তবে বায়ু বা অক্সিজেন এবং ক্লোরিনের সাথে বিক্রিয়া করে। ⇒ অ্যালকিন : যেসব অসম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনের মধ্যে কমপক্ষে দুটি কার্বন পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে দ্বিবন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে তাদের অ্যালকিন বলে। এদের সাধারণ আণবিক সংকেত CnH2n। এ শ্রেণির প্রথম সদস্যের নাম ইথিলিন (C2H4)। প্রতিটি অ্যালকিনের নামের শেষে ইন (ene) থাকবে। অ্যালকিনসমূহের রাসায়নিক ধর্ম কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ দ্বিবন্ধনের কারণে এরা অনেক সংযোজন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, তখন এ দ্বিবন্ধন ভেঙে যায় এবং একক বন্ধনের সৃষ্টি হয়। ⇒ অ্যালকাইন : যেসব অসম্পৃক্ত অ্যালিফেটিক হাইড্রোকার্বনের মধ্যে কমপক্ষে দুটি কার্বন পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে ত্রিবন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে তাদের অ্যালকাইন বলে। এদের সাধারণ আণবিক সংকেত CnH2n-2। এ শ্রেণির প্রথম সদস্যের নাম অ্যাসিটিলিন (CH – CH)। মূল হাইড্রোকার্বনের নামের শেষে এন (ane) বাদ দিয়ে সেখানে আইন (-yne) যোগ করলে অ্যালকাইনের নাম পাওয়া যায়। ⇒ অ্যালকোহল : সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের অণু থেকে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু হাইড্রক্সিল (- OH) গ্রুপ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে যে যৌগসমূহ গঠিত হয়, তাদের অ্যালকোহল বলা হয়। অ্যালকেন থেকে উদ্ভূত অ্যালকোহলসমূহের সাধারণ সংকেত CnH2n+1OH। এ শ্রেণির প্রথম সদস্য হচ্ছে মিথানল বা মিথাইল অ্যালকোহল CH3OH, দ্বিতীয় সদস্য হচ্ছে ইথাইল অ্যালকোহল বা ইথানল CH3CH2OH। অ্যালকোহলের বিক্রিয়া প্রধানত -OH গ্রুপের বিক্রিয়া। ⇒ অ্যালডিহাইড : সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বনের অণু থেকে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু -CHO গ্রুপ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে যে যৌগসমূহ গঠিত হয়, তাদের অ্যালডিহাইড বলা হয়। অ্যালকেন থেকে উদ্ভূত অ্যালডিহাইডের সাধারণ সংকেত CnH2n+1, CHO। এ শ্রেণির প্রথম সদস্য হচ্ছে ফরম্যালডিহাইড (HCHO)। ⇒ জৈব এসিড : একটি কার্বক্সিলমূলক বিশিষ্ট অ্যালিফেটিক জৈব যৌগসমূহকে জৈব এসিড বা ফ্যাটি এসিড বলা হয়। এদের সাধারণ সংকেত RCOOH। প্রথম ফ্যাটি এসিডের নাম মিথানয়িক এসিড (HCOOH)। দ্বিতীয় ফ্যাটি এসিডের নাম ইথানয়িক এসিড (CH3COOH)। ফ্যাটি এসিডসমূহের কার্যকরী মূলক হচ্ছে -COOH। প্রায় সব বিক্রিয়ায় এ মূলক অংশগ্রহণ করে। ⇒ পলিমার : একই পদার্থের অসংখ্য অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে যে বৃহৎ অণু গঠন করে তাকে পলিমার বলে। মেলামাইনের থালা-বাসন, বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড, কার্পেট, পিভিসি পাইপ, পলিথিনের ব্যাগ, সিল্কের বা উলের কাপড়, নাইলনের সুতা, রাবার সবই পলিমার। দুই ধরনের পলিমার আছে- প্রাকৃতিক পলিমার ও কৃত্রিম পলিমার। ⇒ প্রাকৃতিক পলিমার : প্রাকৃতিকভাবে অনেক পলিমার উৎপন্ন হয়। যেমন : উদ্ভিদের সেলুলোজ ও স্টার্চ দুটোই পলিমার যা বহুসংখ্যক গøুকোজ অণুযুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে। প্রোটিন অ্যামাইনো এসিডের পলিমার। ইনসুলিন নামক পলিমারে দুটি অ্যামাইনো এসিড থাকে। রাবার নামক গাছের কষ একটি প্রাকৃতিক পলিমার। ⇒ কৃত্রিম পলিমার বা প্লাস্টিক : সকল প্লাস্টিক দ্রব্য কৃত্রিম পলিমার। প্লাস্টিক শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ চষধংঃরশড়ং থেকে যার অর্থ গলানো সম্ভব। যেসব প্লাস্টিক গলিয়ে ছাঁচে ঢেলে যে কোনো আকার দেওয়া যায়, সেগুলো কৃত্রিম পলিমার। রাসায়নিক পদার্থ বিশেষত দ্বিবন্ধন বিশিষ্ট অ্যালকিন, অ্যালডিহাইড, অ্যালকোহল, অ্যামিন, জৈব এসিডের পলিমারকরণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্লাস্টিক প্রস্তুত করা হয়। ⇒ পলিমারকরণ : উচ্চতাপ (2০০0C) ও উচ্চচাপে (1০০০ বায়ুচাপে) অসংখ্য অ্যালকিন অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে বৃহৎ আকৃতির অণু গঠন করে। এ বিক্রিয়ায় উৎপন্ন বৃহৎ অণুকে পলিমার এবং বিক্রিয়াকে পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে। যে অসংখ্য বিক্রিয়ক অণু যুক্ত হয় তাদের প্রত্যেকটি অণুকে মনোমার বলে। ⇒ জৈব ও অজৈব যৌগের পার্থক্য : কার্বন ও হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগসমূহকে জৈব যৌগ বলে। অর্থাৎ সকল হাইড্রোকার্বনই জৈব যৌগ। জৈব যৌগসমূহ সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে এবং অজৈব যৌগসমূহ আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত হয়। কিছু সমযোজী যৌগ থাকে যারা আয়নিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করে এবং কিছু আয়নিক যৌগ থাকে যারা সমযোজী বৈশিষ্ট্য অর্জন করে। নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন \ 1 \ রিফাইনিং কী? উত্তর :

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১১তম অধ্যায় খনিজ সম্পদ-জীবাশ্ম জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। সেই সাথে ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক্যালামাইনের তাপজারণে উৎপন্ন ZnS কে চিত্রের ন্যায় রিটর্টে নিয়ে জিংক ধাতু আহরণ করা হয়। উৎপন্ন ধাতুকে তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে আরেও বিশুদ্ধ করা হয়। ক. ক্যালামাইনের রাসায়নিক সংকেত লিখ। খ. তাপজারণের ব্যাখ্যা দাও। গ. রিটর্টে সংঘটিত মূল বিক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের ধাতু কেবল তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিষ্কাশন না করে তিন ধাপে করার কারণ মূল্যায়ন কর। ⇔ ১নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. ক্যালামাইনের রাসায়নিক সংকেত ZnCO3। খ. তাপজারণ হলো আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশনের একটি ধাপ। ঘনীকৃত আকরিককে অক্সাইডে রূপান্তরের সময় যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় সেগুলোর মধ্যে তাপজারণ একটি। সাধারণত সালফাইড আকরিকের তাপজারণ করা হয়। সালফাইড আকরিককে বায়ু প্রবাহের উপস্থিতিতে গলনাঙ্ক তাপমাত্রার নিম্ন তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয়। খনিজমল যেমন : সালফার, আর্সেনিক, ফসফরাস ইত্যাদি উদ্বায়ী অক্সাইডরূপে দূরীভূত হয়। ২ZnS (জিংক বেøন্ড) + ৩O2 –→ ২ZnS + ২SO2 ২PbS (গ্যালেনা) + ৩O2 –→ ২PbO + ২SO2 গ. রিটর্টে সংঘটিত মূল বিক্রিয়াটি হলো কার্বন বিজারণ বিক্রিয়া। রিটর্টের মধ্যে রাখা রাসায়নিক পদার্থসমূহ হচ্ছে জিঙ্ক অক্সাইড (ZnS) এবং কোক তথা কার্বন (ঈ)। রিটর্টের মধ্যে নিম্নরূপ বিক্রিয়া সংঘটিত হয় : ZnO(s) + C(s) -→ Zn(s) + CO(g) এই বিক্রিয়ায় কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতুর অক্সাইডের সাথে কোক যোগ করে বিজারণের মাধ্যমে ধাতুকে মুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ZnS কার্বন দ্বারা বিজারিত হয়ে Zn ধাতুর বাষ্প এবং কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়। সুতরাং, রিটর্টে সংঘটিত মূল বিক্রিয়াটি হলো কার্বন বিজারণ বিক্রিয়া। ঘ. Zn মধ্যম সক্রিয় ধাতু বলে কেবল তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ধাতু নিষ্কাশন না করে তিন ধাপে করা হয়। উচ্চ সক্রিয় ধাতুসমূহকে তড়িৎ বিশ্লেষণ দ্বারা মুক্ত করা হয়। সক্রিয়তা সিরিজে ক থেকে Al পর্যন্ত ধাতুগুলো অত্যন্ত সক্রিয় বলে এদের প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না এবং এদের তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মুক্ত করা হয়। অপরদিকে, Mn, Zn, Cr, Fe মধ্যম সক্রিয় ধাতু। এদের কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে মুক্ত করা হয়। যেহেতু, Zn একটি মধ্যম সক্রিয় ধাতু, তাই নিম্নোক্ত তিন ধাপে Zn ধাতু নিষ্কাশন করা হয়। i. ঘনীকৃত আকরিককে অক্সাইডে রূপান্তর ii. ধাতব অক্সাইডকে মুক্ত ধাতুতে রূপান্তর iii. ধাতু বিশোধন বিক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ- ২ZnS(s) + ৩O2(g) -→ ২ZnS(s) + ২SO2(g) [তাপজারণ] ZnO(s) + C(s) -→ Zn (s) + CO (g) [কার্বন বিজারণ] প্রশ্ন -২ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : একটি খনিতে বক্সাইট ও ক্যালামাইন মিশ্রিত কিছু খনিজের অস্তিত্ব পাওয়া গেল। ড. টমাসের নেতৃত্বে একদল রসায়নবিদ উক্ত খনিজ থেকে দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশন করলেন। ক. খনিজ কাকে বলে? খ. “সকল খনিজই আকরিক নয়” ব্যাখ্যা কর। গ. দ্বিতীয় আকরিকটির বিযোজনে প্রাপ্ত অক্সাইডদ্বয়ের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। ঘ. ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশনের কারণ যুক্তিসহ লিখ। ⇔ ২নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. ভ‚পৃষ্ঠে বা ভ‚গর্ভে কোনো কোনো শিলাস্তূপে প্রচুর পরিমাণ যৌগ অথবা মুক্ত মৌল হিসেবে যেসব মূল্যবান ধাতু বা অধাতু পাওয়া যায়, সেগুলোকে খনিজ বলে। খ. ভ‚পৃষ্ঠে বা ভ‚গর্ভের কোনো কোনো শিলাস্তূপে জমাকৃত যৌগ বা মুক্ত মৌলই হলো সংশ্লিষ্ট যৌগ বা মৌলের খনিজ। অন্যদিকে, আকরিক বলতে বোঝায় যেগুলো থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়। অর্থাৎ একটি মৌলের বা যৌগের সকল খনিজ আকরিক নাও হতে পারে। কেবল লাভজনক হলেই আকরিক বলা হয়। তাই বলা যায় সকল খনিজই আকরিক নয়। গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দ্বিতীয় আকরিকটি হচ্ছে ক্যালামাইন। ক্যালামাইন হলো Zn-এর একটি আকরিক যার রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে ZnCO3। ZnCO3 উত্তাপে নিম্নোক্তরূপে বিযোজিত হয় : ZnCO3(s) ZnS(s) + CO2(g) উপর্যুক্ত সমীকরণ থেকে দেখা যায় যে, ক্যালামাইনের বিযোজনে যে দুটি অক্সাইড পাওয়া যায় তা হলো জিঙ্ক অক্সাইড (ZnS) এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)। জিঙ্ক অক্সাইড সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ। অন্যদিকে, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস। ZnS উভধর্মী এবং CO2 অম্লধর্মী। কারণ, জিংক অক্সাইড এসিড ও ক্ষারক উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি তৈরি করে। ZnS + ২HCl = ZnCl২ + H2O ZnS + ২NaOH = Na২ZnS২ + H2O সোডিয়াম জিংকেট কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) পানির সাথে বিক্রিয়া করে কার্বনিক এসিড (H2CO3) উৎপন্ন করে। CO2 + H2O -→ H2CO3 সুতরাং, দ্বিতীয় আকরিকটির বিযোজনে প্রাপ্ত জিংক অক্সাইড (ZnS) উভধর্মী এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) অম্লধর্মী অক্সাইড। ঘ. ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশনের কারণ হলো ধাতু দুটির সক্রিয়তার ভিন্নতা। ধাতু নিষ্কাশনের দুটি ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। যথা : (র) কার্বন বিজারণ ও (রর) তড়িৎ বিশ্লেষণ। কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে ধাতব অক্সাইডের সাথে কোক তথা কার্বন (ঈ) মিশিয়ে উত্তপ্ত করার মাধ্যমে ধাতুকে মুক্ত করা হয়। সাধারণত মধ্যম সক্রিয় ধাতু যেমন : Mn, Zn, Cr, Fe প্রভৃতি ধাতুর বেলায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। আবার, তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট আকরিকের গলিত দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করে ধাতুকে মুক্ত করা হয়। সাধারণত অধিক সক্রিয় ধাতুসমূহের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। উদ্দীপকে উল্লিখিত খনিজ দুটি হলো বক্সাইট ও ক্যালামাইন। এরা যথাক্রমে অ্যালুমিনিয়াম (Al) এবং জিঙ্ক (Zn) এর খনিজ। Zn হলো মধ্যম সক্রিয় ধাতু। তাই কার্বন বিজারণ পদ্ধতিতে ক্যালামাইন থেকে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে Zn ধাতু নিষ্কাশন করা হয় : ZnCO3 –→ ZnS + CO2 ২ZnS + C -→ ২Zn + CO2 অন্যদিকে Al একটি সক্রিয় ধাতু, তাই তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিম্নোক্তভাবে বক্সাইট থেকে Al ধাতু নিষ্কাশন করা হয়- Al২O3(aq) -→ ২Al৩+(aq) + ৩O2- ক্যাথোডে : অ্যালুমিনিয়াম আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যালুমিনিয়ামে বিজারিত হয়। Al৩+ + ৩e- -→ Al অ্যানোডে : অক্সাইড আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে অক্সিজেনে পরিণত হয়। O2- -→ O + ২e- O + O-→ O2 সুতরাং, উপরের আলোPbা তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ধাতুদ্বয়ের সক্রিয়তার ভিন্নতার কারণেই ভিন্ন পদ্ধতিতে ধাতু দুটি নিষ্কাশনের মূল কারণ। প্রশ্ন -৩ : নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. ব্রাস কী? ১ খ. Al ধাতু প্রকৃতিতে যৌগ হিসেবে থাকে কেন? ২ গ. চুল্লিতে সংঘটিত বিক্রিয়াসমূহ লেখ। ৩ ঘ. বিক্রিয়ার উৎপাদ, আর কারো সাথে বিক্রিয়া করতে পারে কিনা? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪ ⇔ ৩নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. ব্রাস হলো ৩৫% Cu এবং ৬৫% Zn এর সংকর। খ. Al ধাতু রাসায়নিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয় এবং তীব্র তড়িৎ ধনাত্মক মৌল। সহজেই অন্য মৌল বা যৌগের সাথে বিক্রিয়া করে। প্রকৃতিতে কখনো মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এজন্য Al ধাতু প্রকৃতিতে যৌগ হিসেবে অবস্থান করে। গ. চুল্লিতে সংঘটিত বিক্রিয়াসমূহ হলো : হেমাটাইট + কার্বন মনোঅক্সাইড = ম্যাগনেটাইট + কার্বন ডাইঅক্সাইড ৩Fe২O3 + CO = ২Fe৩O4 + CO2 ম্যাগনেটাইট + কার্বন মনোঅক্সাইড = ফেরাস অক্সাইড + কার্বন ডাইঅক্সাইড Fe৩O4 + CO = ৩FeO + CO2 ফেরাস অক্সাইড + কার্বন মনোঅক্সাইড = আয়রন + কার্বন

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ)

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় ধাতু ও অধাতু এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ) নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর নবম দশম রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী ১. টেবিলের কোন রেকর্ডটি সাধারণত ধাতুর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে? গলনাঙ্ক স্ফুটনাঙ্ক ঘনত্ব √ ১৫৩৯ ২৮৮৭ ৭.৮৬ খ -২১৯ ১৮৩ .০০২ গ -১১৩ ৪৫ ০.৭৯ ঘ ১১৭ ৪৪৪ ১.৯৬ উদ্দীপক থেকে ২ ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : একদল শিক্ষার্থী মরিচার অনুসন্ধান করছিল। তারা বাম থেকে ক্রমান্বয়ে চারটি টেস্টটিউবে চারটি লোহার পেরেক রাখল এবং নিচের চিত্রানুযায়ী ব্যবস্থা নিল। ২. কোন টেস্টটিউবটিতে সবচেয়ে বেশি মরিচা ধরবে? ক প্রথম খ দ্বিতীয় গ তৃতীয় √ চতুর্থ ৩. পরীক্ষাটির ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা যায়- i. মরিচা ধরার জন্য অক্সিজেন আবশ্যক ii. লবণ প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে iii. কেবল অক্সিজেন উপস্থিত থাকলেই মরিচা ধরে না নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ ii ও iii √ i ও iii ঘ i, ii ও iii ৪. গিনি সোনার কোন নমুনাটি সর্বোচ্চ দৃঢ়? ক ১৮ ক্যারেট খ ২১ ক্যারেট √ ২২ ক্যারেট ঘ ২৪ ক্যারেট ৫. লঘুকরণে পানিতে ফোঁটায় ফোঁটায় সালফিউরিক এসিড যোগ করার কারণ সালফিউরিক এসিড- i. এর হাইড্রেশন তাপ অত্যধিক ii. একটি দ্বিক্ষারকীয় এসিড iii. ক্ষয়কারক পদার্থ নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ i ও ii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ৬. SO3 কে ৯৮% সালফিউরিক এসিডে শোষণ করে পানি যোগে প্রয়োজনমতো লঘু করা হয়, কারণ সালফিউরিক এসিড- i. জলীয়বাষ্পের সাথে ঘন কুয়াশা সৃষ্টি করে ii. পানি যোগে প্রচুর তাপ নির্গত করে iii. একটি নিরুদক পদার্থ নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ i ও ii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ৭. পিতল তৈরিতে নিচের কোন দুটি ধাতু ব্যবহৃত হয়? √ কপার ও জিংক খ লোহা ও কপার গ টিন ও কপার ঘ ক্রোমিয়াম ও কপার ৮. নিচের কোনটি খনিজ মল? ক Al২O3 খ ZnS √ SiO2 ঘ PbS ৯. অলঙ্কার তৈরিতে কোনটি ব্যবহৃত হয়? ক ব্রোঞ্জ খ স্টিল গ ডুরালমিন √ পিতল ১০. সিন্নাবার কোন ধাতুর আকরিক? √ মার্কারি খ কপার গ জিংক ঘ লেড ১১. অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের গলনাঙ্ক কত? √ ২০৫০0C খ ২০০০0C গ ১০০০0C ঘ ৯৫০0C ১২. ২১ ক্যারেট স্বর্ণে শতকরা কতভাগ স্বর্ণ থাকে? ক ৮.৩৩ খ ১২.৫০ √ ৮৭.৫০ ঘ ৯১.৬৭ ১৩. কাঁসাতে টিনের পরিমাণ কত? ক ৯০% খ ৬৫% গ ৩৫% √ ১০% ১৪. নিচের কোনটি সক্রিয়তা বেশি? ক Cu √ Zn গ Fe ঘ Pb ১৫. ধূমায়মান H2SO4 এ কত % সালফিউরিক এসিড থাকে? ক ৯৬% √ ৯৮% গ ৯৯% ঘ ১০০% ১৬. অ = 1s2 2s2 2p6 3s2 3p4 অ মৌলটি- i. অক্সিজেনের সাথে একই গ্রুপে অবস্থান করে ii. যে অক্সাইড তৈরি করে তা Ag্লধর্মী iii. অলিয়াম তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii নিচের বিক্রিয়া দুইটির আলোকে ১৭ ও ১৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও : (i) S + O2 ¾® X (ii) X + H2O ¾® Y ১৭. Y এর শতকরা সংযুক্তি; হাইড্রোজেন, সালফার এবং অক্সিজেন যথাক্রমে- ক ১.১২%, ৩৫.৯৫%, ৬২.৯২% খ ২.০৪%, ৩২.৬৫%, ৬৫.৩০% √ ২.৪৩%,৩৯.০২%, ৫৮.৫৩% ঘ ৩.৪৪%, ৫৫.১৭%, ৪১.৩৭% ১৮. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায়- i. X ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত বিষাক্ত গ্যাস ii. Y এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে iii. Y পানির সাথে যুক্ত হয়ে অলিয়াম তৈরি করে নিচের কোনটি সঠিক? ক রর √ i ও ii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী পাঠ্যাংশ ভিত্তিক ১০.১ খনিজ সম্পদ  ভূত্বকে উপস্থিত গুরুত্বপূর্ণ মৌলসমূহ হলো অক্সিজেন (৪৬%), সিলিকন (২৭%), অ্যালুমিনিয়াম (৮%), আয়রন (৫%), ক্যালসিয়াম (৪%), পটাসিয়াম (৩%), সোডিয়াম (৩%) ও ম্যাগনেসিয়াম (২%)।  সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর ১৯. সাদা মাটির পাহাড় কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান) ক দুর্গাপুর √ বিজয়পুর গ সোমপুর ঘ বিজয়নগর ২০. পৃথিবীর উপরিভাগের মাটির আবরণকে কী বলা হয়? (জ্ঞান) √ ভূত্বক খ খনিজ গ শিলা ঘ ভ‚পৃষ্ঠ ২১. ভূত্বকের প্রধান উপাদান দুটি কী কী? (জ্ঞান) ক অ্যালুমিনিয়াম ও আয়রন √ অক্সিজেন ও সিলিকন গ ক্যালসিয়াম ও পটাসিয়াম ঘ সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ২২. ভূত্বকের প্রধান দুটি উপাদান কোন ধরনের পদার্থ? (জ্ঞান) ক ধাতু খ উপধাতু √ অধাতু ঘ নিষ্ক্রিয় ধাতু ২৩. ভূত্বকে প্রাপ্ত প্রধান প্রধান উপাদানের সঠিক ধারাক্রম? (উচ্চতর দক্ষতা) ক সিলিকন > অ্যালুমিনিয়াম > আয়রন > অক্সিজেন খ অ্যালুমিনিয়াম > আয়রন > অক্সিজেন > সিলিকন গ আয়রন > অ্যালুমিনিয়াম > সিলিকন > অক্সিজেন √ অক্সিজেন > সিলিকন > অ্যালুমিনিয়াম > আয়রন ২৪. কোন ধাতু ভূত্বকে সবচেয়ে বেশি আছে? (অনুধাবন) √ অ্যালুমিনিয়াম খ আয়রন গ ক্যালসিয়াম ঘ পটাসিয়াম ২৫. প্রকৃতিতে মুক্ত মৌল হিসেবে পাওয়া যায় কোনটি? (অনুধাবন) ক Mg খ Zn গ Ag √ Au ২৬. কোনটির গলনাঙ্ক বেশি? (অনুধাবন) ক ফসফরাস খ অক্সিজেন √ সোডিয়াম ঘ হাইড্রোজেন ২৭. ভূত্বকে অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ কত? (জ্ঞান) ক ২৭% √ ৮% গ ৫% ঘ ৪% ২৮. ভূত্বকে অক্সিজেনের পরিমাণ কত? (জ্ঞান) √ ৪৬% খ ২৭% গ ৮% ঘ ৫% ২৯. ভূত্বকে উপস্থিত মৌলসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে কোনটি? (জ্ঞান) ক আয়রন খ অ্যালুমিনিয়াম গ সিলিকন √ অক্সিজেন ৩০. ভূত্বকে কী পরিমাণ সিলিকন আছে? (জ্ঞান) ক ২৯% খ ২৬% √ ২৭% ঘ ৮% ৩১. কোন সোডিয়াম যৌগ প্রকৃতিতে প্রচুর পাওয়া যায়? (অনুধাবন) ক বালি √ খাবার লবণ গ চুনাপাথর ঘ বক্সাইট ৩২. কোন ক্যালসিয়াম যৌগ প্রকৃতিতে প্রচুর পাওয়া যায়? (অনুধাবন) ক বালি খ খাবার লবণ √ চুনাপাথর ঘ বক্সাইট ৩৩. সিলিকন মৌল প্রকৃতিতে কী আকারে থাকে? (জ্ঞান) ক খাবার লবণ খ চুনাপাথর গ হেমাটাইট √ বালি ৩৪. বালির সংকেত কোনটি? (জ্ঞান) √ SiO2 খ NaSiO3 গ NiS ঘ FeSiO3 ৩৫. প্রকৃতিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় কী? (অনুধাবন) ক কম সক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ √ সক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ গ নিষ্ক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ ঘ মধ্যম সক্রিয় ধাতুসমূহের যৌগ ৩৬. প্রকৃতিতে কোন সক্রিয় ধাতুর যৌগ অধিক আছে? (অনুধাবন) √ Al খ Fe গ Ca ঘ Na ৩৭. কোনটি অধিক সক্রিয় মৌল? (অনুধাবন) ক জিঙ্ক খ কপার গ আয়রন √ ক্যালসিয়াম ৩৮. কোনটিকে বিরল ধাতু বলা হয়? (জ্ঞান) √ Au খ Ag গ Sn ঘ Na ৩৯. স্বর্ণ অত্যন্ত মূল্যবান কেন? (উচ্চতর দক্ষতা) ক পারমাণবিক সংখ্যা বেশি বলে √ প্রকৃতিতে অতি অল্প আছে বলে গ বিশেষ ধাতব দ্যুতি আছে বলে ঘ আলোক বিচ্ছুরণ ক্ষমতা আছে বলে ৪০. আবিষ্কৃত মৌলের মধ্যে প্রকৃতিতে কতটি পাওয়া যায়? (জ্ঞান) ক ৭২ খ ১০৮ √ ৯৮ ঘ ৮৪ ৪১. Al দিয়ে থালা, বাটি, ডেসকি অনেক

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ) Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন 1০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন 1০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ ভূত্বকের উপাদান : পৃথিবীর উপরিভাগের মাটির আবরণ হলো ভূত্বক। ভূত্বক নানা প্রকার খনিজ উপাদানে গঠিত। অক্সিজেন 46%, সিলিকন 27%, অ্যালুমিনিয়াম 8%, আয়রন 5%, ক্যালসিয়াম 4%, পটাসিয়াম 3%, সোডিয়াম 3%, ম্যাগনেসিয়াম 2% এ উপাদানগুলো দ্বারা ভূত্বক গঠিত। ⇒ ধাতু : যেসব মৌলিক পদার্থ (1) উজ্জ্বল ও চকচকে, (2) সাধারণ অবস্থায় কঠিন, (3) ওজনে ভারী, (4) আঘাত করলে ধাতব শব্দ উৎপন্ন হয়, (5) তাপ ও বিদ্যুতের পরিবাহী সেসব মৌলিক পদার্থকে ধাতু বলে। যেমন : ক্যালসিয়াম, সোনা, রুপা, তামা ইত্যাদি। প্রায় সব ধাতুই সাধারণ অবস্থায় কঠিন থাকে। তবে পারদ ধাতু হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় তরল। ⇒ অধাতু : যেসব মৌলিক পদার্থ (1) সাধারণ অবস্থায় কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়, (2) ওজনে হালকা, (3) উজ্জ্বল বা চকচকে নয়, (4) সহজে ভেঙে যায়, (5) আঘাত করলে ধাতব শব্দ উৎপন্ন হয় না, (6) তাপ ও বিদ্যুতের অপরিবাহী সেসব মৌলিক পদার্থকে অধাতু বলে। যেমন : হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, সালফার, কার্বন ইত্যাদি। কার্বন এবং সালফার অধাতু হলেও কঠিন। কার্বন আবার তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। আয়োডিন অধাতু হলেও চকচকে। ⇒ শিলা : শিলা মূলত যৌগিক পদার্থ। পৃথিবী যখন উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল তখন পৃথিবীর মৌলিক পদার্থগুলো আলাদা ছিল। পৃথিবী ধীরে ধীরে শীতল হওয়ায় এ মৌলিক পদার্থগুলো মিলেমিশে দানা বেঁধে নানা রকম যৌগিক পদার্থ তৈরি করে। এসব দানাকে কেলাস বলে। এসব দানা চাপ বেঁধে শিলা গঠন করেছে। ⇒ আগ্নেয় শিলা : উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণের ফলে শীতল ও কঠিন হওয়ার সময়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। আগ্নেয় শিলা কেলাসিত এবং এ শিলার স্ফটিক দেখা যায়। এ শিলা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। ⇒ পাললিক শিলা : সমুদ্র, নদী বা হ্রদের তলদেশে স্তরে স্তরে পলি সঞ্চিত হয়ে জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। এ শিলায় স্ফটিক থাকে না। হালকা ও সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। স্তরের মধ্যে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবাশ্ম পাওয়া যায়। ⇒ খনিজ : বিভিন্ন প্রকার শিলার গঠন উপাদানই খনিজ। খনিজ হচ্ছে একটি যৌগিক পদার্থ যার সৃষ্টি হয়েছে ভূত্বকে প্রাপ্ত দুই বা ততোধিক স্বাভাবিক মৌলিক উপাদানের রাসায়নিক সংযোগে। তবে এমন খনিজও আছে যা একটি মাত্র মৌলিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। যেমন : হীরা, সোনা, গন্ধক, তামা ইত্যাদি। প্রকৃতিতে হীরা ও সোনা মৌলিক অবস্থাতেই পাওয়া যায়। সালফার, তামা ইত্যাদি মৌলিক ও যৌগিক উভয় অবস্থাতেই পাওয়া যায়। ⇒ সক্রিয়তাক্রম : সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ধনাত্মক ধাতুগুলো উপরে এবং তা অপেক্ষা কম সক্রিয় ধাতুকে নিচে বসিয়ে ধাতুর একটি সংখ্যাক্রম পাওয়া যায়। একে ধাতুসমূহের সক্রিয়তাক্রম বলা হয়। সক্রিয়তাক্রমের উপরের দিকের ধাতু পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি তীব্র তড়িৎ ধনাত্মক এবং অধিক সক্রিয়। এ ধাতুগুলো প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় না। এদের যৌগ থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণ দ্বারা মুক্ত করা হয়। ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম ও আয়রন ধাতুসমূহ মধ্যম সক্রিয়। প্রকৃতিতে এরা অক্সাইড, কার্বনেট বা সালফাইড হিসেবে থাকে। এসব ধাতুকে কোক কয়লা বা কার্বন মনোক্সাইড দ্বারা বিজারিত করে নিষ্কাশন করা হয়। হাইড্রোজেনের নিচের ধাতুসমূহ যেমন কপার ও সিলভার কম সক্রিয় বলে প্রকৃতিতে তাদের মৌল অবস্থায় পাওয়া যায়। এগুলোর নিষ্কাশন সহজসাধ্য। ⇒ আকরিক : যেসব খনিজ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় তাকে আকরিক বলে। যেমন : অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক বক্সাইট (Al2O3, 2H2O), দস্তার আকরিক জিংক ব্লেন্ড (ZnS)। ⇒ ধাতু নিষ্কাশন : আকরিক থেকে মুক্ত ধাতু উৎপন্ন করার পদ্ধতিকে ধাতু নিষ্কাশন বলা হয়। ধাতু নিষ্কাশন প্রকৃতপক্ষে একটি বিজারণ প্রক্রিয়া। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে ধাতু নিষ্কাশন : যে প্রক্রিয়ায় গলিত অথবা দ্রবীভ‚ত অবস্থায় কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে তড়িৎ চালনা করলে পদার্থটির রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলা হয়। সবচেয়ে বেশি তড়িৎ ধনাত্মক ধাতু যেমন : পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে নিষ্কাশন করা হয়। এ পদ্ধতিতে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের অণুগুলো ভেঙে পজেটিভ এবং নেগেটিভ আয়নে পরিণত হয়। পজেটিভ আয়নকে ক্যাটায়ন এবং নেগেটিভ আয়নকে অ্যানায়ন বলা হয়। ক্যাটায়ন তড়িৎ রাসায়নিক কোষের ক্যাথোডের সংস্পর্শে এসে ইলেকট্রন গ্রহণ করে তড়িৎ নিরপেক্ষ পরমাণু বা মূলকে পরিণত হয়। অ্যানায়ন তড়িৎ রাসায়নিক কোষের অ্যানোডের সংস্পর্শে এসে ইলেকট্রন বর্জন করে তড়িৎ নিরপেক্ষ পরমাণু বা মূলকে পরিণত হয়। ⇒ কার্বন বিজারণের সাহায্যে ধাতু নিষ্কাশন : কার্বন বিজারণের সাহায্যে মধ্যম সক্রিয় ধাতু ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ক্রোমিয়াম ও আয়রন নিষ্কাশন করা হয়। সাধারণত ধাতুসমূহ প্রকৃতিতে অক্সাইড বা লবণ হিসেবে থাকে। এসব অক্সাইড বা লবণ আয়নিক যৌগ, যার মধ্যে ধাতু ক্যাটায়ন হিসেবে থাকে। অক্সাইড বা লবণ হতে ধাতু নিষ্কাশনের সময় ধাতু প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তড়িৎ নিরপেক্ষ পরমাণুতে রূপান্তরিত হয়। আমরা জানি, ইলেকট্রন গ্রহণ হচ্ছে বিজারণ; কোনো বিজারক ইলেকট্রন প্রদান করে। যেমন : জিংক প্রকৃতিতে জিংক সালফাইড ZnS বা Zn2+S2-, জিংক কার্বনেট ZnCO3 বা Zn2+CO32-এবং জিংক অক্সাইড ZnS বা Zn2+O2- হিসেবে থাকে। নিষ্কাশনের প্রথম দিকের ধাপসমূহে তাদের জিংক অক্সাইডে রূপান্তরিত করা হয়। অতঃপর, কার্বন দ্বারা বিজারণ করে জিংক ধাতু মুক্ত করা হয়। ⇒ ধাতুসমূহের প্রধান আকরিক: ধাতু আকরিকের নাম Na খাবার লবণ (NaCl), সল্টপিটার (NaNO3), সাজিমাটি (Na2CO3) Al বক্সাইট (Al2O3.2H2O), ডায়াস্পোর (Al2O3.H2O), কেওলিন (Al2O3. 2SiO2. 2H2O), ফেলস্পার (K2O2. Al2O3. 6SiO2) Zn জিংক বেøন্ড (ZnS), ক্যালামাইন (ZnCO3), জিংকাইট (ZnS), ফ্রাঙ্কলিনাইট (ZnS. Fe2O3) Ca চুনাপাথর (CaCO3), জিপসাম (CaSO4. 2H2O), ফসফোরাইট Ca3(PO4)2 Mg ডলোমাইট (MgCO3. CaCO3), ম্যাগনেসাইট (MgCO3), কাইসেরাইট (MgSO4.H2O) Pb গ্যালেনা (PbS), আংলেসাইট (PbSO4), লেড ওকার (PbO) Fe ম্যাগনেটাইট (Fe3O4), হেমাটাইট (Fe2O3), লিমোনাইট (Fe2O3.3H2O) Cu চালকোসাইট (Cu2S), কপার পাইরাইটস (CuFeS2), কিউপ্রাইট (Cu2O), চেলকোসাইট (Cu2S) ⇒ সংকর ধাতু : দুই বা ততোধিক ধাতু সমসত্ত¡ বা অসমসত্ত¡ মিশ্রণে যে কঠিন পদার্থ তৈরি হয় তাকে সংকর ধাতু বলে। সংকর ধাতু তার উপাদান মৌলগুলো থেকে বেশি নমনীয়, ঘাতসহ এবং ক্ষয় কম হয়। ধাতু অপেক্ষা ধাতু সংকর অনেক বেশি ব্যবহার উপযোগী।   ⇒ কয়েকটি সংকর ধাতুর নাম, উপাদান এবং ব্যবহার সংকর ধাতু উপাদান ও শতকরা পরিমাণ ব্যবহার পিতল বা ব্রাস Cu – 65%, Zn – 35% বাসনপত্র, মূর্তি, নল ইত্যাদি তৈরিতে কাঁসা বা ব্রোঞ্জ Cu – 90%, Sn – 10% বাসনপত্র, মুদ্রা, মূর্তি প্রভৃতি প্রস্তুত করতে স্টিল Fe – 99%, C – 1% ছুরি, কাঁচি, যানবাহন, জাহাজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, ইঞ্জিন ইত্যাদি তৈরিতে ডুরালামিন Al – 95%, Cu – 4% Mg, Mn I Fe – 1% বিমান ও মোটর গাড়ির বিভিন্ন অংশ এবং যন্ত্রাংশ তৈরিতে স্টেইনলেস স্টিল Fe-74%, Cr-18%, Ni-8% রুপার মতো চকচকে এ ধাতু সংকর বাসনপত্র, ছুরি, কাঁচি প্রভৃতি তৈরিতে নাইক্রোম Ni Ni – 60%, Fe – 25%, Cr – 15% বৈদ্যুতিক

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় খনিজ সম্পদ ধাতু অধাতু Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ এসিড : হাইড্রোজেনযুক্ত যেসব যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) উৎপন্ন করে সেগুলোকে এসিড বলে। ⇒ এসিডের ব্যবহার : সফ্ট ড্রিংকসের কার্বনিক এসিড, লেবু বা কমলার সাইট্রিক এসিড, তেঁতুলের টারটারিক এসিড, ভিনেগারের ইথানয়িক এসিড ইত্যাদি আমরা খাই, রান্নায় ব্যবহার করি। এদের স্বাদ টক। এগুলো খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। পাকস্থলীর দেওয়াল হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন করে। এর পরিমিত পরিমাণ খাদ্য পরিপাকের জন্য আবশ্যক। অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে পাকস্থলী ও গলায় প্রদাহ হয়। যেসব খাদ্য খেলে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হয় সবসময় তা পরিহার করে চলা উচিত। ⇒ ল্যাবরেটরিতে পাওয়া এসিডের প্রকারভেদ : ল্যাবরেটরিতে পাওয়া যায় এসব এসিডের মধ্যে অন্যতম হলো : হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), সালফিউরিক এসিড (H2SO৪) এবং নাইট্রিক এসিড (HNO3)। হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণ হলো হাইড্রোক্লোরিক এসিড। বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিড বর্ণহীন তরল পদার্থ। গাঢ় এসিডে সামান্য পরিমাণে পানি উপস্থিত থাকে। অপরদিকে, লঘু এসিডে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে পানি থাকে। ল্যাবরেটরিতে অতিরিক্ত পানিতে এই এসিডগুলোর দ্রবণ প্রস্তুত করে ব্যবহার করা হয়। ⇒ এসিডের ধর্ম : এসিড নির্দেশকের বর্ণ পরিবর্তন করে। এর জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে। এসিড সক্রিয় ধাতু যেমন : Mg, Zn, Fe, Al প্রভৃতির সাথে বিক্রিয়া করে লবণ গঠন করে এবং হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। ধাতব হাইড্রোজেন কার্বনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। ক্ষার বা ক্ষারকের সাথে অর্থাৎ ধাতব অক্সাইড এবং হাইড্রক্সাইডের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং পানি উৎপন্ন হয়। সকল লঘু এসিড তড়িৎ পরিবাহী। ⇒ ক্ষারক ও ক্ষার : ক্ষারক হলো সেই সকল রাসায়নিক বস্তু যাদের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে হাইড্রক্সিল আয়ন (OH–) বা হাইড্রক্সাইড তৈরি করে। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদের বলে ক্ষার। NaOH, KOH, Ca(OH)২, NH৪OH এরা সবাই ক্ষার। এদের কিন্তু ক্ষারকও বলা হয়। কোনো ক্ষারক একটি এসিডকে প্রশমন করলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। ⇒ ক্ষারের ব্যবহার : বাসাবাড়িতে পরিচ্ছন্নতা কাজে ক্ষারজাতীয় পদার্থের বেশ ব্যবহার আছে। যেমন : NaOH টয়লেট ক্লিনার হিসেবে, NH৪OH কাচ পরিষ্কারক হিসেবে, Ca(OH)২ দেওয়াল চুনকাম করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ⇒ ল্যাবরেটরিতে পাওয়া ক্ষারের প্রকারভেদ : ল্যাবরেটরিতে পাওয়া যায় এমন ক্ষারের মধ্যে অন্যতম হলো : পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড, KOH; সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড, NaOH; ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড, Ca (OH)২ এবং অ্যামোনিয়া দ্রবণ, NH৩। ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন কাজে এগুলো ব্যবহার হয়। ⇒ ক্ষারের ধর্ম : সকল ক্ষার দ্রবণ কটু স্বাদ ও গন্ধযুক্ত। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ স্পর্শ করলে সাবানের মতো পিচ্ছিল মনে হয়। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে। ক্ষার সাধারণত ধাতব লবণের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব হাইড্রক্সাইড উৎপন্ন করে। ক্ষার এসিডের সাথে তীব্রভাবে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে। অ্যামোনিয়াম যৌগের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া গ্যাস বিমুক্ত হয়। গাঢ় এসিড অত্যন্ত বিপদজনক কারণ এগুলো অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ। এগুলো ধাতু, ত্বক এবং কাপড় ক্ষয় করতে পারে। এসিডের মতো গাঢ় ক্ষারও ক্ষয়কারী এবং বিপদজনক। সোডিয়াম হাইড্রক্সাইডকে প্রায়শই কস্টিক সোডা (কস্টিক মানে পোড়ানো) বলা হয়। এসিডের তুলনায় ক্ষার ত্বক ও চোখের বেশি ক্ষতি করে। ⇒ সবল ও দুর্বল এসিড ও ক্ষার : যেসব এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তারা দুর্বল এসিড। একইভাবে, যেসব ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তারা দুর্বল ক্ষার। সবল এসিড ও সবল ক্ষার জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়। অর্থাৎ দুর্বল এসিডের দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ সবল এসিডের তুলনায় কম থাকে।একইভাবে দুর্বল ক্ষারের দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়নের পরিমাণ সবল ক্ষারের তুলনায় কম থাকে। ⇒ pH : আভিধানিক অর্থে pH মানে হলো হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ক্ষমতা। কোনো দ্রবণে pH মান ০ থেকে ১৪ এর মধ্যে হবে। দ্রবণের pH মান এর কম হলে দ্রবণটি অম্লীয় আবার ৭-এর বেশি হলে দ্রবণটি ক্ষারীয়। কোনো দ্রবণের pH মান ৭ হলে দ্রবণটি প্রশম। ⇒ ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর : বিভিন্ন এসিড ক্ষার ইন্ডিকেটর বা নির্দেশকের মিশ্রণ হলো ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর। ভিন্ন ভিন্ন pH মানের জন্য ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ ধারণ করে। অজানা কোনো দ্রবণের pH মানের জন্য দ্রবণে কয়েক ফোঁটা ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর যোগ করা হয়। অতঃপর, উৎপন্ন বর্ণকে স্ট্যান্ডার্ড কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে pH মান নির্ধারণ করা হয়। ⇒ pH পেপার : অজানা কোনো দ্রবণের pH মান জানতে pH পেপার ব্যবহার করা হয়। এজন্য দ্রবণে এক টুকরো pH পেপার যোগ করা হয়। অতঃপর উৎপন্ন বর্ণকে স্ট্যান্ডার্ড কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে দ্রবণের pH মান নির্ধারণ করা হয়। ⇒ pH মিটার : অজানা দ্রবণের pH মান জানার জন্য pH মিটার ব্যবহার করা হয়। pH মিটারের ইলেকট্রোডকে অজানা দ্রবণে ডুবিয়ে মিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে থেকে সরাসরি pH মান জানা যায়। ⇒ pH–এর গুরুত্ব : কোনো কিছুর মানদণ্ড নির্ভর করে pH এর ওপর। কৃষিকাজ, স্বাস্থ্যরক্ষা, সৌন্দর্যরক্ষায় pH এর মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট ফসলের জন্য মাটির নির্ধারিত pH মান বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনকে হজম করার জন্য পাকস্থলীর pH এর মান ২ অর্থাৎ এসিডিক অবস্থা প্রয়োজন। এছাড়া ক্ষুদ্রান্ত্র, রক্ত, দেহত্বক, চুল ইত্যাদির আদর্শ pH মান রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশের pH এর মান আদর্শ সীমার চেয়ে কম বা বেশি হলে শরীরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং সুস্থতা ও সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। তাই কতকগুলো রোগ শনাক্ত করার জন্য pH মান নির্ণয় আবশ্যক। ⇒ প্রশমন বিক্রিয়া : এসিড ও ক্ষারের মধ্যে যে বিক্রিয়ার ফলে এসিড বা ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণভাবে লোপ পেয়ে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয় সেই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। এ বিক্রিয়ায় এসিড থেকে উৎপন্ন H+ আয়ন ক্ষার থেকে উৎপন্ন OH– আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে অবিয়োজিত পানির অণু গঠন করে। ⇒ প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব : pH এর মান নিয়ন্ত্রণ-এর নির্দিষ্ট পরিমাপ বজায় রাখার জন্য প্রশমন বিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেসব ক্ষেত্রে pH এর মান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্ষারীয় অবস্থা প্রদর্শন করে সেসব ক্ষেত্রে এসিড যোগ করে প্রশমন করা হয়। আবার, যেসব ক্ষেত্রে pH এর মান স্বাভাবিকের চেয়ে কম ক্ষারীয় বা বেশি এসিডীয় অবস্থা প্রদর্শন করে সেসব ক্ষেত্রে ক্ষার যোগ করে প্রশমন করা হয়। যেমন : পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড কমাতে সেবনযোগ্য ক্ষার খাওয়া, মানুষের মুখের ও দাঁতের অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করা, কেক তৈরিতে এসিড ও ক্ষারের মিশ্রণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করা, মাটির এসিডিটি হ্রাস করতে চুন ও ক্ষারত্ব হ্রাস করতে অ্যামোনিয়াম সালফেট যোগ করা ইত্যাদি উপায়ে প্রশমন ঘটানো হয়। ⇒ লবণ : এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। লবণের একটি অংশ এসিড থেকে এবং অপর অংশ ক্ষার থেকে আসে। এ জন্য প্রতিটি লবণে একটি অম্লীয় মূলক ও একটি ক্ষারীয় মূলক থাকে। সাধারণত লবণসমূহ প্রশম বা নিরপেক্ষ। সমান তীব্রতার এসিড

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন নবম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -1 : নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. NO2 গ্যাসের বর্ণ কী? খ. চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা কর। গ. ‘ঢ’ গ্যাসটির জলীয় দ্রবণের একটি রাসায়নিক ধর্ম ব্যাখ্যা কর। ঘ. আয়রন লবণের জলীয় দ্রবণের মধ্যে ‘ঢ’ গ্যাস চালনা করলে কী ঘটবে? সমীকরণসহ লিখ। ⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. NO2 গ্যাসের বর্ণ বাদামি। খ. চুনের পানির pH এর মান 7 থেকে কম নয় বেশি হবে। যেসব দ্রবণ অম্লীয় তাদের pH-এর মান 7 অপেক্ষা কম এবং যেসব দ্রবণ ক্ষারীয় তাদের pH-এর মান 7 অপেক্ষা বেশি। চুন তথা ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সাথে পানি মেশালে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড উৎপন্ন হয়। CaO(s) + H2O(l) → Ca(OH)2(aq) যেহেতু ধাতুর হাইড্রক্সাইডসমূহ ক্ষার, সুতরাং চুনের পানি ক্ষারীয় হবে। তাই চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি হবে। গ. ঢ গ্যাসটির জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয়। উদ্দীপক হতে দেখা যায় যে, NH4Cl এবং CaO এর বিক্রিয়ায় ঢ গ্যাসটি উৎপন্ন হয়। NH4Cl এবং CaO এর বিক্রিয়ার সমীকরণটি নিম্নরূপ : 2NH4Cl(aq) + CaO(s) → CaCl2(aq) + NH3(g) + H2O(l) সুতরাং, ঢ দ্বারা NH3 গ্যাসকে বোঝানো হয়েছে। NH3 পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভ‚ত হয়। অর্থাৎ, এ গ্যাসের জলীয় দ্রবণ একটি ক্ষার। NH3 গ্যাসের জলীয় দ্রবণে ঘH+4 আয়ন এবং OH– আয়ন বিদ্যমান। NH3 গ্যাসের জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী হওয়ায় অম্লের সাথে বিক্রিয়া করে এটি লবণ (NH4Cl) এবং (H2O) উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপে দেখানো যেতে পারে : ঘH+4(aq) + OH–(aq) + HCl(aq) → NH4Cl(aq) + H2O(l) ঘ. ‘গ’ থেকে জানা যায় ঢ দ্বারা NH3 গ্যাসকে প্রকাশ করা হয়েছে এবং NH3 গ্যাসটি একটি ক্ষারীয় গ্যাস। আয়রন লবণ যেমন : FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ ঢ গ্যাসে তথা অ্যামোনিয়া গ্যাস (NH3) এর সাথে বিক্রিয়া করে, NH4Cl লবণ ও Fe(OH)2 এর লালচে বাদামি অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। কেননা জলীয় দ্রবণের সংস্পর্শে অ্যামোনিয়া গ্যাস অ্যামোনিয়াম আয়ন (ঘH+4) এবং OH– আয়ন তৈরি করে। লঘু ক্ষারের সাথে ধাতব আয়নের বিক্রিয়ায় অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। অতিরিক্ত ক্ষার দ্রবণ যোগ করলে উক্ত অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নোক্ত সমীকরণের সাহায্যে দেখানো যেতে পারে : FeCl3 + NH3(g) + জলীয় দ্রবণ (H+ + OH–) → NH4Cl(aq) + Fe(OH)3(s) লালচে বাদামি অধঃক্ষেপ। প্রশ্ন -2 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্প, রং ও সালফিউরিক এসিডযুক্ত বর্জ্য সরাসরি নিকটস্থ জলাশয়ে ফেলছে। ফলে ঐ সকল জলাশয় জলজ প্রাণীর বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। ক. তেঁতুলে কোন এসিড থাকে? খ. উদ্দীপকের জলাশয়ের pH মান সম্পর্কে তোমার ধারণা ব্যক্ত কর। গ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে যৌক্তিক পরামর্শ দাও। ঘ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশে এসিডবৃষ্টির সম্ভাবনা বিক্রিয়াসহ বিশ্লেষণ কর। ⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. তেঁতুলে টারটারিক এসিড থাকে। খ. উদ্দীপকে উলি­খিত জলাশয়ের pH মান 7 থেকে কম হবে। কোনো জলাশয়ের pH-এর মান নির্ভর করে এতে দ্রবীভূত এসিড বা ক্ষারের পরিমাণের ওপর। দ্রবীভূত এসিডের পরিমাণ বেশি হলে উক্ত জলাশয়ের পানি অম্লীয় হয়। ফলে এর pH- মান 7 অপেক্ষা কম হয়। উদ্দীপকের জলাশয়ে যেহেতু টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্প হতে রং ও সালফিউরিক এসিডমিশ্রিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, তাই এর pH- মান 7 অপেক্ষা কম হবে। গ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন জনসচেতনতা এবং সামগ্রিকভাবে প্রশাসনিক উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা। টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্প হতে যেসব বর্জ্য ও রং সরাসরি জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে তা মূলত H2SO4 মিশ্রিত। এই এসিড দ্বারা সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের পানি দূষণ একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিচে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরা হলো : 1. প্রতিটি টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের জন্য নিজস্ব বর্জ্য শোধনাগার তৈরি করতে হবে। 2. প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবেশ উপযোগী না করে শিল্প বর্জ্যসমূহ সরাসরি জলাশয়ে ফেলা বন্ধ করতে হবে। 3. প্রত্যেক শিল্প-কারখানার জন্য বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে। 4. এসিড দূষণ সম্পর্কে সংগঠিত জনসচেতনতা ও সংঘবদ্ধ জনমত গড়ে তুলতে হবে। অতএব, টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঘ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশে এসিডবৃষ্টির সম্ভাবনা অনেক বেশি।টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশের বায়ুতে সালফার ডাইঅক্সাইড বা নাইট্রিক অক্সাইড বিমুক্ত হয়। বিমুক্ত অক্সাইডসমূহ এসিডবৃষ্টির জন্য দায়ী। সালফার ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন ও ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে সালফার ট্রাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে। সালফার ট্রাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলের পানির সাথে বিক্রিয়ায় সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে। SO2(g) + H2O(l) → H2SO3(aq) SO3(g) + H2O(l) → H2SO4(aq) আবার, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বাতাসে উপস্থিত পানির সাথে বিক্রিয়ায় নাইট্রাস এসিড ও নাইট্রিক এসিড উৎপন্ন করে। 2NO2(g) + H2O(l) → HNO2 + HNO3(aq) উৎপন্ন HNO2 অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এটি বাতাসের অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয়ে HNO3-তে পরিণত হয়। উপরিউক্ত এসিডগুলো (H2SO4 ও NHO3) বৃষ্টির পানির সাথে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। ফলে এসিডবৃষ্টির সৃষ্টি হতে পারে। প্রশ্ন-3  পর্যায় সারণির গ্রæপ-16 এর একটি মৌলকে বায়ুতে পোড়ালে একটি অক্সাইড অ পাওয়া যায়। অক্সাইডটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস। লা-শাতেলীয়ে নীতি প্রয়োগ করে শিল্পক্ষেত্রে অ থেকে একটি এসিড ই তৈরি করা যায়। ক. আকরিক কাকে বলে? 1 খ. অ অক্সাইডটি অম্লধর্মী- ব্যাখ্যা কর। 2 গ. উদ্দীপকের নীতিতে ই এসিডটি তৈরি করার প্রক্রিয়া বর্ণনা কর। 3 ঘ. উদ্দীপকের ই এসিডটির গাঢ়ত্বের উপর জারণ ধর্ম নির্ভর করে- যুক্তি দ্বারা প্রমাণ কর। 4 ⇔ 3নং প্রশ্নের সমাধান ⇔ ক যেসকল খনিজ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদেরকে আকরিক বলে। খ. উদ্দীপকের অ অক্সাইডটি হলো সালফার ডাইঅক্সাইড। সালফার ডাইঅক্সাইড অত্যন্ত সুস্থিত যৌগ, যেটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস। সালফার ডাইঅক্সাইড পানির সাথে যুক্ত হয়ে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে। সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ। এটি একটি প্রধান বায়ু দূষক পদার্থ। পানির সংস্পর্শে এসে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে বিধায় সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) তথা উদ্দীপকের অ-এর অক্সাইডটিকে অম্লধর্মী বলা হয়। সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ : SO2(g) + H2O(l) → H2SO3(aq) গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ই এসিডটি হলো সালফিউরিক এসিড। সালফিউরিক এসিড সকল রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হয়। সাধারণ অবস্থায় SO2, বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয় না। স্পর্শ চেম্বারে 400-4500C তাপমাত্রায় প্লাটিনাম চ‚র্ণ প্রভাবকের উপস্থিতিতে অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে সালফার ট্রাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে। সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ- 2SO2(g) + O2(g) (440 – 5000C Pt/V2O5)→ 2SO3(g) ; ΔH = – 197 kJ mol-1 বিক্রিয়াটি উভমুখী প্রকৃতির। লা শাতেলিয়ার নীতি ব্যবহার করে এই বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় SO3 এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। সম্মুখমুখী বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী। সুতরাং, বিক্রিয়া তাপ বেশি হলে উৎপাদ বেশি

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

Scroll to Top