১০ম শ্রেণি

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড ক্ষার সমতার গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ) নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর রসায়ন  ৯ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর ১. চুনাপাথরের উপর লঘু সালফিউরিক এসিড যোগ করলে নিচের কোন যৌগটি উৎপন্ন হবে? √ CO২ খ H2 গ O2 ঘ SO২ ২. নিচের কোনটি ক্ষার? ক কোমল পানীয় খ লেবুর রস গ সিরকা √ কাপড়কাচা সোডা ৩. নিচের কোনটির উপস্থিতির জন্য অ্যামোনিয়া গ্যাসের জলীয় দ্রবণ ক্ষার? ক NH৪+ আয়ন √ OH- আয়ন গ NH৩ ঘ H2O ৪. একটি অজানা ধাতুর সাথে নাইট্রিক এসিডের বিক্রিয়ায় বর্ণহীন দ্রবণ উৎপন্ন হয়। উৎপন্ন দ্রবণটিতে সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করলে সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয় কিন্তু অধিক পরিমাণ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করলে তা-ও দ্রবীভ‚ত হয়ে যায়। ধাতুটি- ক কপার খ আয়রন গ লেড √ জিংক ৫. একটি ইথানয়িক এসিড দ্রবণের pH -এর মান ৪, pH -এর মান বৃদ্ধি করার জন্য এতে যোগ করতে হবে- i. অ্যামোনিয়া দ্রবণ ii. ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড iii. কঠিন ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii √ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii ৬. pH এর কোন মানের জন্য দ্রবণ নিরপেক্ষ হয়? ক ৬ √ ৭ গ ৮ ঘ ৯ ৭. মৌমাছির কামড়ে ক্ষতস্থানে জ্বালাপোড়া করে নিচের কোনটির কারণে? √ এসিড খ ক্ষার গ অ্যালকোহল ঘ লবণ ৮. NH৪Cl + CaO → ‘A’ + CaCl২ + H2O উদ্দীপকের অ এর দ্রবণে নিচের কোনটির দ্রবণ যোগ করলে সাদা অধঃক্ষেপ পড়বে? ক FeCl২ খ CuCl২ গ FeCl৩ √ ZnCl২ ৯. নিচের কোনটি লাল লিটমাসকে নীল করে? ক CH৪ খ H2O √ NH৩ ঘ HCl ১০. আর্সেনিকের গ্রহণযোগ্য মাত্রা কত? ক ০.১০ মি.গ্রা/লিটার √ ০.০১ মি.গ্রা/লিটার গ ০.০০১ মি.গ্রা/লিটার ঘ ০.০০২ মি.গ্রা/লিটার ১১. Fe(OH)৩ এর বর্ণ কিরূপ? ক হলুদাভ সাদা খ হালকা নীল গ সাদা √ লালচে বাদামি নিচের বিক্রিয়াদ্বয়ের আলোকে ১২ ও ১৩ প্রশ্নের উত্তর দাও : i. AlCl৩(aq) + NH৪OH(aq) → Al(OH)৩↓ + অ ii. A + NaOH → B+ NaCl + H2O ১২. i. নং বিক্রিয়ায় উৎপন্ন অধঃক্ষেপটির বর্ণ কিরূপ? ক হালকা নীল খ লালচে বাদামি গ সবুজ √ সাদা ১৩. উদ্দীপকে উৎপন্ন ই গ্যাসটি কোন ধর্মী? ক অম্লধর্মী খ নিরপেক্ষধর্মী গ উভধর্মী √ ক্ষারধর্মী নবম দশম রসায়ন ৯ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (পাঠ্যাংশ অনুযায়ী) ৯.১ এসিড  সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর ১৪. লেবুতে কোন এসিড বিদ্যমান? (অনুধাবন) ক নাইট্রিক এসিড খ ফরমিক এসিড √ সাইট্রিক এসিড ঘ কার্বনিক এসিড ১৫. ভিনেগারের রাসায়নিক নাম কী? (জ্ঞান) ক মিথেন √ ইথানয়িক এসিড গ অক্সালিক এসিড ঘ সাইট্রিক এসিড ১৬. CH3COOH-কে কী এসিড বলা হয়? (অনুধাবন) ক অক্সালিক এসিড খ ট্যানিক এসিড √ ইথানয়িক এসিড ঘ টারটারিক এসিড ১৭. মানুষের পাকস্থলীতে কী এসিড উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান) √ HCl খ HNO3 গ CH3COOH ঘ H2CO৩ ১৮. আমরা ভিটামিন ‘সি’ হিসেবে যে এসকরবিক এসিড খাই তা কী এসিড? (প্রয়োগ) √ জৈব এসিড খ অজৈব এসিড গ মৃদু এসিড ঘ খনিজ এসিড ১৯. আমরা সচরাচর যেসব পানীয় ও ফলের রস পান করে থাকি সেগুলো- (অনুধাবন) ক ক্ষারীয় পদার্থ √ অম্লীয় পদার্থ গ লবণাক্ত পদার্থ ঘ নিরপেক্ষ পদার্থ ২০. কোন এসিড খাওয়া যায়? (অনুধাবন) ক HNO3 খ HCl গ H2SO৪ √ CH3COOH ২১. আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্যদ্রব্য হজম করতে কোন এসিড অত্যাবশ্যকীয়? (জ্ঞান) ক CH3COOH খ NaHCO3 √ HCl ঘ H2CO৩ ২২. কখন আমাদের বদহজম হয়? (অনুধাবন) ক আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে খ খাওয়ার আগে অধিক পানি পানে গ সময় মেনে খাবার গ্রহণ না করা হলে √ পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ২৩. আমেরিকান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ ও অন্যান্য অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, চকোলেট আমাদের পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বাড়ায়। এখানে কোন এসিডের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ) ক HNO3 খ H2SO৪ √ HCl ঘ H2CO৩ ২৪. অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে তুমি পাকস্থলীতে সমস্যা অনুভব করছ। এর জন্য দায়ী কে? (জ্ঞান) √ HCl খ CH3COOH গ H2CO৩ ঘ HNO3 ২৫. তুমি বিয়ে বাড়িতে খাবার শেষে দধি খেয়েছ। এতে কী এসিড আছে? (প্রয়োগ) ক এসিটিক এসিড খ ম্যালিক এসিড গ টারটারিক এসিড √ ল্যাকটিক এসিড ২৬. তেঁতুলে কোন এসিড থাকে? (জ্ঞান) ক ইথানয়িক এসিড √ টারটারিক এসিড গ কার্বনিক এসিড ঘ সাইট্রিক এসিড ২৭. আমরা পাকস্থলী ও গলায় কখন প্রদাহ অনুভব করি? (অনুধাবন) ক পেটে অতিরিক্ত ক্ষার উৎপন্ন হলে খ পেটে অতিরিক্ত ক্ষারক উৎপন্ন হলে √ পেটে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে ঘ পেটে অতিরিক্ত লবণ উৎপন্ন হলে ২৮. যেসব খাদ্য খেলে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হয় আমাদের উচিত সেগুলো- (অনুধাবন) √ পরিহার করা খ বেশি খাওয়া গ শুকিয়ে খাওয়া ঘ সুসিদ্ধ করে খাওয়া ২৯. ল্যাবরেটরিতে প্রাপ্ত এসিডগুলো কী জাতীয় এসিড? (অনুধাবন) ক জৈব √ অজৈব গ মৃদু ঘ উদ্ভিজ্জ ৩০. হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণকে কী বলা হয়- (জ্ঞান) ক কার্বনিক এসিড খ ইথানয়িক এসিড √ হাইড্রোক্লোরিক এসিড ঘ টারটারিক এসিড ৩১. বিশুদ্ধ HCl, H2SO৪ ও HNO3 কী? (অনুধাবন) ক লাল বর্ণের তরল পদার্থ খ রঙিন তরল পদার্থ গ নীল বর্ণের তরল পদার্থ √ বর্ণহীন তরল পদার্থ ৯.২ লঘু এসিডের ধর্ম  সাধারণ বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর ৩৮. বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিডের বর্ণ কেমন? (অনুধাবন) ক লাল খ হলুদাভ √ বর্ণহীন ঘ সাদা ৩৯. ভিনেগার/সিরকা কোনটি? (জ্ঞান) ক COOH √ CH3COOH গ CH3CH2OH গ CH3CH2COOH ৪০. টক স্বাদযুক্ত সব বস্তুর মধ্যে কী থাকে? (জ্ঞান) ক ক্ষার খ ক্ষারক গ লবণ √ এসিড ৪১. যেসব রাসায়নিক পদার্থ নীল লিটমাস কাগজকে লাল করে তাদের কী বলা হয়? (জ্ঞান) ক লবণ খ নির্দেশক √ এসিড ঘ ক্ষারক ৪২. সফ্ট ড্রিংকস বিকারে নিয়ে নীল বা লাল লিটমাস কাগজ ডুবিয়ে বর্ণ পরিবর্তন দেখা গেল এ থেকে কী বোঝা গেল? (উচ্চতর দক্ষতা) ক সফট ড্রিংকস ক্ষারীয় পদার্থ √ সফট ড্রিংকস অম্লীয় পদার্থ গ সফট ড্রিংকস নিরপেক্ষ পদার্থ ঘ সফট ড্রিংকস অম্লীয় বা ক্ষারীয় পদার্থ ৪৩. একটি টেস্টটিউবে ৪/৫ ফোঁটা লেবুর রস নিয়ে তাতে নীল লিটমাস কাগজ ডুবালে দেখা যাবে এটি লাল বর্ণ ধারণ করেছে। তাহলে লেবুর রস কী? (প্রয়োগ) √ এসিড খ ক্ষার গ ক্ষারক ঘ লবণ ৪৪. নীল বর্ণের লিটমাস কাগজ লালবর্ণ ধারণ করে কখন? (অনুধাবন) ক K2CO৩ বা NH৩ যোগ করলে খ NaOH বা CaO যোগ করলে √ H2SO৪ বা HCl যোগ করলে ঘ Na২SO৪ বা CO২ যোগ করলে ৪৫. সক্রিয় ধাতুর সাথে লঘু এসিডের বিক্রিয়ায় একটি বর্ণহীন, স্বাদহীন এবং গন্ধহীন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই গ্যাসটি হলো- (প্রয়োগ) ক অক্সিজেন √ হাইড্রোজেন গ নাইট্রোজেন ঘ অ্যামোনিয়া ৪৬. ল্যাবরেটরিতে নিচের কোন সক্রিয় ধাতুর সাথে লঘু এসিডের

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর (MCQ Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ এসিড : হাইড্রোজেনযুক্ত যেসব যৌগ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) উৎপন্ন করে সেগুলোকে এসিড বলে। ⇒ এসিডের ব্যবহার : সফ্ট ড্রিংকসের কার্বনিক এসিড, লেবু বা কমলার সাইট্রিক এসিড, তেঁতুলের টারটারিক এসিড, ভিনেগারের ইথানয়িক এসিড ইত্যাদি আমরা খাই, রান্নায় ব্যবহার করি। এদের স্বাদ টক। এগুলো খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। পাকস্থলীর দেওয়াল হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন করে। এর পরিমিত পরিমাণ খাদ্য পরিপাকের জন্য আবশ্যক। অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হলে পাকস্থলী ও গলায় প্রদাহ হয়। যেসব খাদ্য খেলে অতিরিক্ত এসিড উৎপন্ন হয় সবসময় তা পরিহার করে চলা উচিত। ⇒ ল্যাবরেটরিতে পাওয়া এসিডের প্রকারভেদ : ল্যাবরেটরিতে পাওয়া যায় এসব এসিডের মধ্যে অন্যতম হলো : হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), সালফিউরিক এসিড (H2SO৪) এবং নাইট্রিক এসিড (HNO3)। হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাসের জলীয় দ্রবণ হলো হাইড্রোক্লোরিক এসিড। বিশুদ্ধ হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড ও নাইট্রিক এসিড বর্ণহীন তরল পদার্থ। গাঢ় এসিডে সামান্য পরিমাণে পানি উপস্থিত থাকে। অপরদিকে, লঘু এসিডে তুলনামূলকভাবে বেশি পরিমাণে পানি থাকে। ল্যাবরেটরিতে অতিরিক্ত পানিতে এই এসিডগুলোর দ্রবণ প্রস্তুত করে ব্যবহার করা হয়। ⇒ এসিডের ধর্ম : এসিড নির্দেশকের বর্ণ পরিবর্তন করে। এর জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে। এসিড সক্রিয় ধাতু যেমন : Mg, Zn, Fe, Al প্রভৃতির সাথে বিক্রিয়া করে লবণ গঠন করে এবং হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। ধাতব হাইড্রোজেন কার্বনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। ক্ষার বা ক্ষারকের সাথে অর্থাৎ ধাতব অক্সাইড এবং হাইড্রক্সাইডের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং পানি উৎপন্ন হয়। সকল লঘু এসিড তড়িৎ পরিবাহী। ⇒ ক্ষারক ও ক্ষার : ক্ষারক হলো সেই সকল রাসায়নিক বস্তু যাদের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে হাইড্রক্সিল আয়ন (OH–) বা হাইড্রক্সাইড তৈরি করে। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদের বলে ক্ষার। NaOH, KOH, Ca(OH)২, NH৪OH এরা সবাই ক্ষার। এদের কিন্তু ক্ষারকও বলা হয়। কোনো ক্ষারক একটি এসিডকে প্রশমন করলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। ⇒ ক্ষারের ব্যবহার : বাসাবাড়িতে পরিচ্ছন্নতা কাজে ক্ষারজাতীয় পদার্থের বেশ ব্যবহার আছে। যেমন : NaOH টয়লেট ক্লিনার হিসেবে, NH৪OH কাচ পরিষ্কারক হিসেবে, Ca(OH)২ দেওয়াল চুনকাম করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ⇒ ল্যাবরেটরিতে পাওয়া ক্ষারের প্রকারভেদ : ল্যাবরেটরিতে পাওয়া যায় এমন ক্ষারের মধ্যে অন্যতম হলো : পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড, KOH; সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড, NaOH; ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড, Ca (OH)২ এবং অ্যামোনিয়া দ্রবণ, NH৩। ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন কাজে এগুলো ব্যবহার হয়। ⇒ ক্ষারের ধর্ম : সকল ক্ষার দ্রবণ কটু স্বাদ ও গন্ধযুক্ত। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ স্পর্শ করলে সাবানের মতো পিচ্ছিল মনে হয়। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে। ক্ষার সাধারণত ধাতব লবণের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব হাইড্রক্সাইড উৎপন্ন করে। ক্ষার এসিডের সাথে তীব্রভাবে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে। অ্যামোনিয়াম যৌগের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া গ্যাস বিমুক্ত হয়। গাঢ় এসিড অত্যন্ত বিপদজনক কারণ এগুলো অত্যন্ত ক্ষয়কারক পদার্থ। এগুলো ধাতু, ত্বক এবং কাপড় ক্ষয় করতে পারে। এসিডের মতো গাঢ় ক্ষারও ক্ষয়কারী এবং বিপদজনক। সোডিয়াম হাইড্রক্সাইডকে প্রায়শই কস্টিক সোডা (কস্টিক মানে পোড়ানো) বলা হয়। এসিডের তুলনায় ক্ষার ত্বক ও চোখের বেশি ক্ষতি করে। ⇒ সবল ও দুর্বল এসিড ও ক্ষার : যেসব এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তারা দুর্বল এসিড। একইভাবে, যেসব ক্ষার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তারা দুর্বল ক্ষার। সবল এসিড ও সবল ক্ষার জলীয় দ্রবণে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়। অর্থাৎ দুর্বল এসিডের দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণ সবল এসিডের তুলনায় কম থাকে।একইভাবে দুর্বল ক্ষারের দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়নের পরিমাণ সবল ক্ষারের তুলনায় কম থাকে। ⇒ pH : আভিধানিক অর্থে pH মানে হলো হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ক্ষমতা। কোনো দ্রবণে pH মান ০ থেকে ১৪ এর মধ্যে হবে। দ্রবণের pH মান এর কম হলে দ্রবণটি অম্লীয় আবার ৭-এর বেশি হলে দ্রবণটি ক্ষারীয়। কোনো দ্রবণের pH মান ৭ হলে দ্রবণটি প্রশম। ⇒ ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর : বিভিন্ন এসিড ক্ষার ইন্ডিকেটর বা নির্দেশকের মিশ্রণ হলো ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর। ভিন্ন ভিন্ন pH মানের জন্য ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর ভিন্ন ভিন্ন বর্ণ ধারণ করে। অজানা কোনো দ্রবণের pH মানের জন্য দ্রবণে কয়েক ফোঁটা ইউনির্ভাসাল ইন্ডিকেটর যোগ করা হয়। অতঃপর, উৎপন্ন বর্ণকে স্ট্যান্ডার্ড কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে pH মান নির্ধারণ করা হয়। ⇒ pH পেপার : অজানা কোনো দ্রবণের pH মান জানতে pH পেপার ব্যবহার করা হয়। এজন্য দ্রবণে এক টুকরো pH পেপার যোগ করা হয়। অতঃপর উৎপন্ন বর্ণকে স্ট্যান্ডার্ড কালার চার্টের সাথে মিলিয়ে দ্রবণের pH মান নির্ধারণ করা হয়। ⇒ pH মিটার : অজানা দ্রবণের pH মান জানার জন্য pH মিটার ব্যবহার করা হয়। pH মিটারের ইলেকট্রোডকে অজানা দ্রবণে ডুবিয়ে মিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে থেকে সরাসরি pH মান জানা যায়। ⇒ pH–এর গুরুত্ব : কোনো কিছুর মানদণ্ড নির্ভর করে pH এর ওপর। কৃষিকাজ, স্বাস্থ্যরক্ষা, সৌন্দর্যরক্ষায় pH এর মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট ফসলের জন্য মাটির নির্ধারিত pH মান বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনকে হজম করার জন্য পাকস্থলীর pH এর মান ২ অর্থাৎ এসিডিক অবস্থা প্রয়োজন। এছাড়া ক্ষুদ্রান্ত্র, রক্ত, দেহত্বক, চুল ইত্যাদির আদর্শ pH মান রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশের pH এর মান আদর্শ সীমার চেয়ে কম বা বেশি হলে শরীরের বিভিন্ন রোগ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং সুস্থতা ও সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। তাই কতকগুলো রোগ শনাক্ত করার জন্য pH মান নির্ণয় আবশ্যক। ⇒ প্রশমন বিক্রিয়া : এসিড ও ক্ষারের মধ্যে যে বিক্রিয়ার ফলে এসিড বা ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণভাবে লোপ পেয়ে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয় সেই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। এ বিক্রিয়ায় এসিড থেকে উৎপন্ন H+ আয়ন ক্ষার থেকে উৎপন্ন OH– আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে অবিয়োজিত পানির অণু গঠন করে। ⇒ প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব : pH এর মান নিয়ন্ত্রণ-এর নির্দিষ্ট পরিমাপ বজায় রাখার জন্য প্রশমন বিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেসব ক্ষেত্রে pH এর মান প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ক্ষারীয় অবস্থা প্রদর্শন করে সেসব ক্ষেত্রে এসিড যোগ করে প্রশমন করা হয়। আবার, যেসব ক্ষেত্রে pH এর মান স্বাভাবিকের চেয়ে কম ক্ষারীয় বা বেশি এসিডীয় অবস্থা প্রদর্শন করে সেসব ক্ষেত্রে ক্ষার যোগ করে প্রশমন করা হয়। যেমন : পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড কমাতে সেবনযোগ্য ক্ষার খাওয়া, মানুষের মুখের ও দাঁতের অতিরিক্ত এসিড প্রশমিত করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করা, কেক তৈরিতে এসিড ও ক্ষারের মিশ্রণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করা, মাটির এসিডিটি হ্রাস করতে চুন ও ক্ষারত্ব হ্রাস করতে অ্যামোনিয়াম সালফেট যোগ করা ইত্যাদি উপায়ে প্রশমন ঘটানো হয়। ⇒ লবণ : এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। লবণের একটি অংশ এসিড থেকে এবং অপর অংশ ক্ষার থেকে আসে। এ জন্য প্রতিটি লবণে একটি অম্লীয় মূলক ও একটি ক্ষারীয় মূলক থাকে। সাধারণত লবণসমূহ প্রশম বা নিরপেক্ষ। সমান তীব্রতার এসিড

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন নবম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -1 : নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. NO2 গ্যাসের বর্ণ কী? খ. চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা কর। গ. ‘ঢ’ গ্যাসটির জলীয় দ্রবণের একটি রাসায়নিক ধর্ম ব্যাখ্যা কর। ঘ. আয়রন লবণের জলীয় দ্রবণের মধ্যে ‘ঢ’ গ্যাস চালনা করলে কী ঘটবে? সমীকরণসহ লিখ। ⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. NO2 গ্যাসের বর্ণ বাদামি। খ. চুনের পানির pH এর মান 7 থেকে কম নয় বেশি হবে। যেসব দ্রবণ অম্লীয় তাদের pH-এর মান 7 অপেক্ষা কম এবং যেসব দ্রবণ ক্ষারীয় তাদের pH-এর মান 7 অপেক্ষা বেশি। চুন তথা ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সাথে পানি মেশালে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড উৎপন্ন হয়। CaO(s) + H2O(l) → Ca(OH)2(aq) যেহেতু ধাতুর হাইড্রক্সাইডসমূহ ক্ষার, সুতরাং চুনের পানি ক্ষারীয় হবে। তাই চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি হবে। গ. ঢ গ্যাসটির জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয়। উদ্দীপক হতে দেখা যায় যে, NH4Cl এবং CaO এর বিক্রিয়ায় ঢ গ্যাসটি উৎপন্ন হয়। NH4Cl এবং CaO এর বিক্রিয়ার সমীকরণটি নিম্নরূপ : 2NH4Cl(aq) + CaO(s) → CaCl2(aq) + NH3(g) + H2O(l) সুতরাং, ঢ দ্বারা NH3 গ্যাসকে বোঝানো হয়েছে। NH3 পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভ‚ত হয়। অর্থাৎ, এ গ্যাসের জলীয় দ্রবণ একটি ক্ষার। NH3 গ্যাসের জলীয় দ্রবণে ঘH+4 আয়ন এবং OH– আয়ন বিদ্যমান। NH3 গ্যাসের জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী হওয়ায় অম্লের সাথে বিক্রিয়া করে এটি লবণ (NH4Cl) এবং (H2O) উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপে দেখানো যেতে পারে : ঘH+4(aq) + OH–(aq) + HCl(aq) → NH4Cl(aq) + H2O(l) ঘ. ‘গ’ থেকে জানা যায় ঢ দ্বারা NH3 গ্যাসকে প্রকাশ করা হয়েছে এবং NH3 গ্যাসটি একটি ক্ষারীয় গ্যাস। আয়রন লবণ যেমন : FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ ঢ গ্যাসে তথা অ্যামোনিয়া গ্যাস (NH3) এর সাথে বিক্রিয়া করে, NH4Cl লবণ ও Fe(OH)2 এর লালচে বাদামি অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। কেননা জলীয় দ্রবণের সংস্পর্শে অ্যামোনিয়া গ্যাস অ্যামোনিয়াম আয়ন (ঘH+4) এবং OH– আয়ন তৈরি করে। লঘু ক্ষারের সাথে ধাতব আয়নের বিক্রিয়ায় অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। অতিরিক্ত ক্ষার দ্রবণ যোগ করলে উক্ত অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নোক্ত সমীকরণের সাহায্যে দেখানো যেতে পারে : FeCl3 + NH3(g) + জলীয় দ্রবণ (H+ + OH–) → NH4Cl(aq) + Fe(OH)3(s) লালচে বাদামি অধঃক্ষেপ। প্রশ্ন -2 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্প, রং ও সালফিউরিক এসিডযুক্ত বর্জ্য সরাসরি নিকটস্থ জলাশয়ে ফেলছে। ফলে ঐ সকল জলাশয় জলজ প্রাণীর বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। ক. তেঁতুলে কোন এসিড থাকে? খ. উদ্দীপকের জলাশয়ের pH মান সম্পর্কে তোমার ধারণা ব্যক্ত কর। গ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে যৌক্তিক পরামর্শ দাও। ঘ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশে এসিডবৃষ্টির সম্ভাবনা বিক্রিয়াসহ বিশ্লেষণ কর। ⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. তেঁতুলে টারটারিক এসিড থাকে। খ. উদ্দীপকে উলি­খিত জলাশয়ের pH মান 7 থেকে কম হবে। কোনো জলাশয়ের pH-এর মান নির্ভর করে এতে দ্রবীভূত এসিড বা ক্ষারের পরিমাণের ওপর। দ্রবীভূত এসিডের পরিমাণ বেশি হলে উক্ত জলাশয়ের পানি অম্লীয় হয়। ফলে এর pH- মান 7 অপেক্ষা কম হয়। উদ্দীপকের জলাশয়ে যেহেতু টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্প হতে রং ও সালফিউরিক এসিডমিশ্রিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, তাই এর pH- মান 7 অপেক্ষা কম হবে। গ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন জনসচেতনতা এবং সামগ্রিকভাবে প্রশাসনিক উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা। টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্প হতে যেসব বর্জ্য ও রং সরাসরি জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে তা মূলত H2SO4 মিশ্রিত। এই এসিড দ্বারা সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের পানি দূষণ একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিচে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরা হলো : 1. প্রতিটি টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের জন্য নিজস্ব বর্জ্য শোধনাগার তৈরি করতে হবে। 2. প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবেশ উপযোগী না করে শিল্প বর্জ্যসমূহ সরাসরি জলাশয়ে ফেলা বন্ধ করতে হবে। 3. প্রত্যেক শিল্প-কারখানার জন্য বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে। 4. এসিড দূষণ সম্পর্কে সংগঠিত জনসচেতনতা ও সংঘবদ্ধ জনমত গড়ে তুলতে হবে। অতএব, টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ঘ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশে এসিডবৃষ্টির সম্ভাবনা অনেক বেশি।টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশের বায়ুতে সালফার ডাইঅক্সাইড বা নাইট্রিক অক্সাইড বিমুক্ত হয়। বিমুক্ত অক্সাইডসমূহ এসিডবৃষ্টির জন্য দায়ী। সালফার ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন ও ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে সালফার ট্রাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে। সালফার ট্রাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলের পানির সাথে বিক্রিয়ায় সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে। SO2(g) + H2O(l) → H2SO3(aq) SO3(g) + H2O(l) → H2SO4(aq) আবার, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বাতাসে উপস্থিত পানির সাথে বিক্রিয়ায় নাইট্রাস এসিড ও নাইট্রিক এসিড উৎপন্ন করে। 2NO2(g) + H2O(l) → HNO2 + HNO3(aq) উৎপন্ন HNO2 অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এটি বাতাসের অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয়ে HNO3-তে পরিণত হয়। উপরিউক্ত এসিডগুলো (H2SO4 ও NHO3) বৃষ্টির পানির সাথে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। ফলে এসিডবৃষ্টির সৃষ্টি হতে পারে। প্রশ্ন-3  পর্যায় সারণির গ্রæপ-16 এর একটি মৌলকে বায়ুতে পোড়ালে একটি অক্সাইড অ পাওয়া যায়। অক্সাইডটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস। লা-শাতেলীয়ে নীতি প্রয়োগ করে শিল্পক্ষেত্রে অ থেকে একটি এসিড ই তৈরি করা যায়। ক. আকরিক কাকে বলে? 1 খ. অ অক্সাইডটি অম্লধর্মী- ব্যাখ্যা কর। 2 গ. উদ্দীপকের নীতিতে ই এসিডটি তৈরি করার প্রক্রিয়া বর্ণনা কর। 3 ঘ. উদ্দীপকের ই এসিডটির গাঢ়ত্বের উপর জারণ ধর্ম নির্ভর করে- যুক্তি দ্বারা প্রমাণ কর। 4 ⇔ 3নং প্রশ্নের সমাধান ⇔ ক যেসকল খনিজ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদেরকে আকরিক বলে। খ. উদ্দীপকের অ অক্সাইডটি হলো সালফার ডাইঅক্সাইড। সালফার ডাইঅক্সাইড অত্যন্ত সুস্থিত যৌগ, যেটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস। সালফার ডাইঅক্সাইড পানির সাথে যুক্ত হয়ে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে। সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ। এটি একটি প্রধান বায়ু দূষক পদার্থ। পানির সংস্পর্শে এসে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে বিধায় সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) তথা উদ্দীপকের অ-এর অক্সাইডটিকে অম্লধর্মী বলা হয়। সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ : SO2(g) + H2O(l) → H2SO3(aq) গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ই এসিডটি হলো সালফিউরিক এসিড। সালফিউরিক এসিড সকল রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হয়। সাধারণ অবস্থায় SO2, বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয় না। স্পর্শ চেম্বারে 400-4500C তাপমাত্রায় প্লাটিনাম চ‚র্ণ প্রভাবকের উপস্থিতিতে অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে সালফার ট্রাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে। সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ- 2SO2(g) + O2(g) (440 – 5000C Pt/V2O5)→ 2SO3(g) ; ΔH = – 197 kJ mol-1 বিক্রিয়াটি উভমুখী প্রকৃতির। লা শাতেলিয়ার নীতি ব্যবহার করে এই বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় SO3 এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। সম্মুখমুখী বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী। সুতরাং, বিক্রিয়া তাপ বেশি হলে উৎপাদ বেশি

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্ন রসায়ন অষ্টম অধ্যায় উত্তর সহ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন প্রশ্ন -1 : নিচের বিক্রিয়াসমূহ দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : i. পেট্রোলিয়াম + O2 → CO2 + H2O + শক্তি ii. 238U + On1 → 56Ba + 36Kr + 3On1 + শক্তি iii. Zn + CuCl2 → ZnCl2 + Cu + শক্তি ক. ইলেকট্রোপ্লেটিং কী? খ. তড়িৎরাসায়নিক কোষে লবণসেতু ব্যবহার করা হয় কেন? গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়-ব্যাখ্যা কর। ঘ. শক্তি উৎপাদনে (র) ও (ররর) এর বিক্রিয়া তুলনা কর। ⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. তড়িৎবিশ্লেষণের সাহায্যে কোনো সক্রিয় ধাতুর তৈরি জিনিসপত্রের উপর অন্য একটি কম সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ সৃষ্টি করাকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে। খ. তড়িৎ রাসায়নিক কোষে প্রধানত দুটি কারণে লবণ সেতু ব্যবহার করা হয়। i. অর্ধকোষদ্বয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার জন্য। ii. দুই পাত্রের মধ্যে আয়নের সমতা বজায় রাখার জন্য। গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় বিক্রিয়ায় নতুন মৌল সৃষ্টি হয় বলে এটি নিউক্লিয়ার শিকল বিক্রিয়া, রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়। রর নং বিক্রিয়ায় ইউরেনিয়াম-238 কে উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে ফিসন বিক্রিয়ার ফলে 56Ba ও 36Kr তৈরি হয় ও তিনটি উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রন নির্গত হয়। উৎপন্ন নিউট্রন তিনটি নতুন করে ইউরেনিয়াম-238 বা 56Ba ও 36Kr কে আঘাত করে অনুরূপভাবে নতুন পরমাণু ও নিউট্রন তৈরি করে। এভাবে শিকলের ন্যায় নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া চলতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে ছোট পরমাণু হওয়ার মতো পরমাণু অবশিষ্ট থাকে। একে নিউক্লিয়ার শিকল বিক্রিয়া বলে। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো নতুন পরমাণু গঠিত হয় না। পরমাণুগুলো সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের পরিবর্তনের মাধ্যম সংযুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে। রর নং বিক্রিয়ায় দেখা যায় এতে ইলেকট্রনের বিষয়টি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এখানে বিক্রিয়ার ফলে নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়। সুতরাং, দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়। ঘ. উদ্দীপকের র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পুড়িয়ে ও ররর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎরাসায়নিক কোষের সাহায্যে শক্তি উৎপাদন করা হয়। র নং ও ররর নং উভয় তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পোড়ালে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস, পানি ও তাপ উৎপন্ন হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎ রাসায়নিক কোষের মাধ্যমে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এতে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়। র নং ও ররর নং উভয় বিক্রিয়াতে রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তিতে পরিণত করা হয়। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম দহনের ফলে উৎপন্ন পদার্থের অভ্যন্তরীণ শক্তি জ্বালানির অণুর মধ্যে স্থিত রাসায়নিক শক্তির তুলনায় কম। ফলে অতিরিক্ত শক্তি তড়িৎ-চুম্বকীয় রশ্মি হিসেবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎ রাসায়নিক কোষে ইলেকট্রন আদান প্রদানের দ্বারা তাপশক্তি উৎপাদন করা হয়। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পোড়ানোর ফলে উদ্ভূত তাপশক্তিকে ব্যবহার করে তাপ ইঞ্জিনের টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় সরাসরি রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে নিম্নোক্ত জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া সংঘটিত হয় : অ্যানোড বিক্রিয়া : Zn(ঝ) → Zn2+(aq) + 2e¯ ক্যাথোড বিক্রিয়া : Cu2+(aq) + 2e¯→ Cu(s) Zn(s) + Cu2+(aq) → Zn2+(aq)+Cu(s) র নং বিক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের সাথে সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় শুধু বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন হয়। সুতরাং, শক্তি উৎপাদনে র নং ও ররর নং উভয় ভ‚মিকা রাখলেও দুটি বিক্রিয়ায় তুলনামূলক কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রশ্ন -2 : নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. ধাতব পরিবাহী কী? খ. এসিড মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. উপরের কোষে অ্যানোডে সংঘটিত বিক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকে সংঘটিত বিক্রিয়ায় তড়িৎপ্রবাহের প্রয়োজনীয়তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাও। ⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔ ক. যে সকল পরিবাহী ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে তাদেরকে ধাতব বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে। খ. এসিড মিশ্রিত পানি হাইড্রোজেন আয়ন পরিবহনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে বলে একে তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে। বিদ্যুৎ প্রবাহ যদি পরিবাহীর আয়ন দ্বারা সাধিত হয় তাহলে ওইসব পরিবাহীকে তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে। যেমন : গলিত লবণ, এসিড, ক্ষার ও লবণের দ্রবণে ধাতব প্লাটিনাম (Pt) পাতের অ্যানোড ও ক্যাথোড ব্যবহার করে এসিড মিশ্রিত পানির মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে তা বিশ্লেষিত হয়ে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। গ. বিগলিত MgCl2 আয়নিত অবস্থায় থাকে এবং তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। বিগলিত MgCl2, Mg2+ ও Cl¯ আয়ন উৎপন্ন করে যা নিম্নরূপে দেখানো যায়- MgCl2(aq) → Mg2+(aq) + 2Cl¯(aq) অ্যানোড ও ক্যাথোডের সাথে ব্যাটারির দুই প্রান্ত সংযুক্ত করা হলে অ্যানোডে জারণ সংঘটিত হয় এবং ক্লোরাইড আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্লোরিন পরমাণুতে পরিণত হয়। এরূপ দুটি ক্লোরিন পরমাণু একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে। অ্যানোড বিক্রিয়া : 2Cl-(aq) – 2e- →2Cl (জারণ) 2Cl→Cl2(g) অ্যানোডে দান করা ইলেকট্রনগুলো ক্যাথোডে যায় এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়নকে বিজারিত করে ম্যাগনেসিয়াম ধাতু উৎপন্ন করে। ক্যাথোড বিক্রিয়া : Mg2+ + 2e- → Mg (বিজারণ) ঘ. উপরের কোষটি একটি তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষ। এই কোষে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে নিম্নোক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। অ্যানোড বিক্রিয়া : 2Cl–2e- → Cl2 ক্যাথোড বিক্রিয়া : Mg2+ + 2e- → Mg বিগলিত MgCl2 থেকে ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ধাতু নিষ্কাশন করতে তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষের প্রয়োজন হয়। আর তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষের অন্যতম শর্ত হলো তড়িৎ প্রবাহ। কারণ তড়িৎ প্রবাহের ফলে ক্যাথোড ঋণাত্মক (-াব) চার্জে ও অ্যানোড ধনাত্মক (+াব) চার্জে চার্জিত হয়। ফলে বিগলিত MgCl2 থেকে আয়ন Mg2+ ক্যাথোডে ইলেকট্রন গ্রহণ করে জমা হয় অপরদিকে অ্যানোডে ক্লোরাইড (Cl-) আয়ন ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে। যদি বিদ্যুৎ প্রবাহ না দেয়া হতো তাহলে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হতো না। অর্থাৎ বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত Mg ও Cl2 পাওয়ার জন্যই বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রশ্ন-3 : ক. COD কী? 1 খ. ক্ষার মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয় কেন? 2 গ. উক্ত কোষ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো যায়- ব্যাখ্যা কর। 3 ঘ. চিত্রে NH4+ ও NO3-এর গতির দিক বিপরীত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। 4 ⇔ 3নং প্রশ্নের সমাধান ⇔ ক COD বলতে রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদাকে বোঝায় যেটি পানিতে মোট কতটুকু রাসায়নিক দ্রব্য আছে তা বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। খ. ক্ষার মিশ্রিত পানিতে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে তা বিভিন্ন আয়নে বিশ্লিষ্ট হয় বলে একে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয়। ক্ষারের জলীয় দ্রবণে হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH-) উপস্থিত থাকে। কঠিন অবস্থায় ক্ষারের আয়ন মুক্ত অবস্থায় থাকে না। এদের দ্রবীভ‚ত করার সাথে সাথেই সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়ে মুক্ত হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH-) উৎপন্ন করে। অর্থাৎ তড়িৎ চালনা করলে ক্ষার মিশ্রিত পানি নিম্নরূপে বিশ্লেষিত হয়। KOH(s) + H2O → ক+ + OH- NaOH(s) + H2O → Na+ + OH- অতএব, হাইড্রক্সাইড আয়নের জন্যই ক্ষারমিশ্রিত পানি বিদ্যুৎ পরিবহন করে। তাই একে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয়। গ. উদ্দীপকের চিত্রের শেষে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত হয়। এ ধরনের কোষে তড়িৎদ্বার

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী MCQ

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী MCQ নিচে দেওয়া হলো। যা এসএসসি রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন হিসেবে গণ্য হবে। এসএসসি রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী ১. বিদ্যুৎ পরিবহনের কৌশলের উপর ভিত্তি করে পরিবাহী কত প্রকার? ক এক √ দুই গ তিন ঘ চার উপরের চিত্রের আলোকে ২ ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ২. উদ্দীপকের প্রক্রিয়া লোহার- ক পরিমাণ বৃদ্ধি করে √ ক্ষয়রোধ করে গ দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে ঘ বিশুদ্ধতা বৃদ্ধি করে ৩. উপরের চিত্রে- i. Ni ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ii. Fe অ্যানোড তড়িৎদ্বার হিসেবে কাজ করে iii. ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ ii ও iii √ i ও iii ঘ i, ii ও iii ৪. ড্রাইসেলে নিচের কোনটি জারক হিসেবে কাজ করে? ক Zn দণ্ড √ MnO2 গ কার্বন দণ্ড ঘ NH4+ নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি MCQ ৫. গ্লুকোজ সেন্সরে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোনটি? ক ধাতুর পাতলা আবরণ খ গ্লুকোজ √ রক্ত ঘ হাতের চামড়া ৬. Cl – Cl বন্ধন ভাঙতে কত কিলোজুল শক্তি লাগে? √ ২৪৪ খ ৩২৬ গ ৪১৪ ঘ ৪৩১ ৭. সূর্যের মধ্যে কোন ধরনের বিক্রিয়া ঘটে? ক নিউক্লিয়ার ফিসন √ নিউক্লিয়ার ফিউসন গ জারণ-বিজারণ ঘ পারমাণবিক পুনর্বিন্যাস ৮. নিচের কোনটি জৈব জ্বালানি? √ ইথানল খ কেরোসিন গ সিএজি ঘ পেট্রোল ৯. ড্রাইসেলে নিচের কোনটি জারক হিসাবে কাজ করে? √ Zn দণ্ড খ MnO2 গ কার্বন দণ্ড ঘ NH4+ ১০. ১ মোল মিথেন গ্যাস পোড়ালে কী পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়? √ ৮৯১০০০ জুল খ ১৮৯১০০ জুল গ ৮৯০১০০ জুল ঘ ৮৯১০০ জুল ১১. Cr দ্বারা Fe এর উপরে ইলেকট্রোপ্লেটিং করার সময় শেষ পাত্রে কোন যৌগটি থাকবে? ক CuSO4 খ FeSO4 √ Cr২(SO4)২ ঘ NiSO4 ১২. পানির তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় তড়িৎ পরিবাহিতা বাড়ানোর জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়? ক MgCO2 খ Na২CO৩ √ H2SO4 ঘ MnO4 ১৩. ব্রিডার চুল্লি- i. একটি পারমাণবিক চুল্লি ii. এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় iii. এতে ফিসন বিক্রিয়া ঘটে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ১৪. 238U স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ভেঙে গিয়ে উৎপন্ন হয়- i. ২৩৪Th ii. ৪২He২+ iii. ২০৬Pb নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii উপরের চিত্রানুসারে ১৫ ও ১৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ১৫. উদ্দীপকের কোষের অ্যানোড কর্তৃক আকৃষ্ট হয়- i. H+ ii. SO4২- iii. OH- নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii √ ii ও iii গ i ও iii ঘ i, ii ও iii ১৬. কোষে লঘু H2SO4 এর পরিবর্তে লঘু HCl নিলে ক্যাথোডে কোন বিক্রিয়া সংঘটিত হবে? ক ২Cl- – 2e- → Cl২ খ ৪০H- – 4e- → ২H2O + O2 √ ২H+ + 2e- → H2 ঘ O2- – 2e- → O2 এসএসসি রসায়ন অষ্টম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি MCQ পাঠ্যাংশ অনুযায়ী ৮.১ রাসায়নিক শক্তি ১৭. যে আসক্তির বলে মৌলসমূহ একে অপরের সাথে যুক্ত থাকে তাকে কী বলে? (জ্ঞান) √ রাসায়নিক বন্ধন খ অষ্টক সূত্র গ মৌলের যোজ্যতা ঘ আন্তঃআণবিক শক্তি ১৮. আন্তঃআণবিক শক্তি কী? (অনুধাবন) ক পরমাণুসমূহের পরস্পর আকর্ষণ √ অণুসমূহের পরস্পর আকর্ষণ গ পরমাণুসমূহের পরস্পর বিকর্ষণ ঘ অণুসমূহের পরস্পর বিকর্ষণ ১৯. কোনটির আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি? (অনুধাবন) ক কেরোসিন √ সাধারণ লবণ গ পানি ঘ নাইট্রোজেন ২০. আন্তঃআণবিক শক্তির ক্রমানুযায়ী কোনটি সঠিক? (অনুধাবন) √ বরফ > জলীয় বাষ্প > পানি খ বরফ < পানি < জলীয় বাষ্প গ জলীয় বাষ্প < পানি < বরফ ঘ পানি < বরফ < জলীয় বাষ্প ২১. কোন পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম? (অনুধাবন) √ নাইট্রোজেন খ পানি গ সাধারণ লবণ ঘ কেরোসিন তেল ২২. পানি থেকে তাপ বের করে নিলে কী পাওয়া যায়? (উচ্চতর দক্ষতা) √ বরফ খ পানি গ বাষ্প ঘ বায়ু ২৩. কোন পদার্থটির আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম? (অনুধাবন) ক পাথর খ পেট্রোল গ লোহা √ কার্বন ডাইঅক্সাইড ২৪. অণুসমূহের মধ্যকার আকর্ষণকে কী বলে? (জ্ঞান) ক মাধ্যাকর্ষণ খ অভিকর্ষ √ আন্তঃআণবিক শক্তি ঘ পারমাণবিক শক্তি ২৫. পদার্থের তিন অবস্থায় রূপান্তরের কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা) √ তাপের প্রভাব খ অণুর বিন্যাস গ পরমাণুর বিন্যাস ঘ রাসায়নিক পরিবর্তন ২৬. আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম কোন পদার্থের? (অনুধাবন) ক কঠিন √ গ্যাসীয় গ তরল ঘ মৌলিক ২৭. যদি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগের মোট শক্তি বিক্রিয়কসমূহের মোট শক্তির চেয়ে কম হয় তাহলে কী ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক শক্তির শোষণ ঘটবে খ শক্তির পরিবর্তন ঘটবে √ শক্তির উদ্ভব ঘটবে ঘ শক্তির রূপান্তর ঘটবে ২৮. যদি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগের মোট শক্তি বিক্রিয়কসমূহের মোট শক্তির চেয়ে বেশি হয় তাহলে কী ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক শক্তির উদ্ভব ঘটবে খ শক্তির রূপান্তর ঘটবে গ শক্তির পরিবর্তন ঘটবে √ শক্তির শোষণ ঘটবে ২৯. তাপের পরিবর্তনের ভিত্তিতে রাসায়নিক বিক্রিয়াকে কত ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান) √ দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ ৩০. কোনটি পানিতে রাখলে পানি গরম হয়? (অনুধাবন) ক CaCO৩ খ CaCl২ গ Ca(OH)২ √ CaO ৩১. CH3CH3(g) + Cl২(g) → CH3CH2Cl(g) + HCl(g) এ বিক্রিয়ায় C–H, H–H, C–Cl, O–H, Cl–Cl, O = O ও H–Cl এর বন্ধন শক্তি যথাক্রমে ৪১৪, ৪৩৫, ৩২৬, ৪৬৪, ২৪৪, ৪৯৮ ও ৪৩১ kJ/mole। এখানে ΔH এর মান কত হবে? (প্রয়োগ) ক ৩১৫ kJ খ – ৪২৫kJ গ –৭৫ kJ √ –৯৯kJ ৩২. Cl২ অণুতে Cl – Cl বন্ধন শক্তির মান কত কিলোজুল প্রতি মোল? (জ্ঞান) ক ৪১৪ খ ৩২৬ √ ২৪৪ ঘ ৪৩১ ৩৩. ১ মোল H–H বন্ধন ভাঙতে ৪৩৫kJ শক্তি শোষিত হয়, ১ মোল O–O বন্ধন ভাঙতে ৪৯৮kJ শক্তি শোষিত হলে H2 + ১/২ O2 → H2O এই বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক? (প্রয়োগ) ক ৪৬৯ kJ তাপ উৎপন্ন হবে খ ৪৬৯ kJ তাপ শোষিত হবে √ ২৪৪ kJ তাপ উৎপন্ন হবে ঘ ২৪৪ kJ তাপ শোষিত হবে ৩৪. ১ম পানির তাপমাত্রা ১0C বাড়াতে প্রয়োজনীয় তাপশক্তিকে কী বলা হয়? (জ্ঞান) ক এক জুল √ এক ক্যালরি গ এক কিলোজুল ঘ এক কিলোক্যালরি ৩৫. তাপ রাসায়নিক সমীকরণে প্রমাণ তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান) ক ১০C ঈ খ ২৭৩ K √ ২৯৮ K ঘ ২৮৮ K ৩৬. কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার তাপ পরিবর্তনকে কী দ্বারা প্রকাশ করা হয়? (জ্ঞান) ক ΔA √ ΔH গ ΔQ ঘ ΔT ৩৭. এক মোল H – H বন্ধনে কত কিলোজুল শক্তি শোষিত হয়? (জ্ঞান) ক ৩২৬ kJ খ ২৪৪ kJ √ ৪৩৫ kJ ঘ ৪৩১ kJ ৩৮. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তি পরিবর্তনের কারণ কী?

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী MCQ Read More »

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন অষ্টম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন অষ্টম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি রসায়ন ও শক্তি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি ⇒ রাসায়নিক বন্ধন : যে আকর্ষণী বল দ্বারা অণুতে পরমাণুগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলা হয়। যৌগে বিভিন্ন মৌলের পরমাণু মোটামুটি দৃঢ়ভাবে যুক্ত থাকে। ⇒ আন্তঃআণবিক শক্তি : প্রত্যেক পদার্থের অণুসমূহ পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ শক্তিকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলা হয়। কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি। তরল পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি কঠিন পদার্থের তুলনায় কিছুটা কম। বায়বীয় পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে কম। ⇒ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন বা শোষিত হয়। কয়লা পোড়ালে তাপ পাওয়া যায়। চুনকে পানিতে রাখলে পানি গরম হয়ে ওঠে। এসব বিক্রিয়ায় তাপ উৎপাদিত হয়। আবার অক্সিজেন গ্যাসের নিঃশব্দ বিদ্যুৎ ক্ষরণে যে ওজোন গ্যাস উৎপন্ন হয় তাতে তাপ শোষিত হয়। বাতাসের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের সংযোগে নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপ শোষিত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির এরূপ পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলা হয়। ⇒ বিক্রিয়া তাপ : কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরিবর্তিত তাপকে বিক্রিয়া তাপ বলে। ⇒ দহন তাপ : ১atm চাপে কোনো যৌগিক বা মৌলিক পদার্থের ১ mole সম্পূর্ণরূপে অক্সিজেনে দহনকালে তাপশক্তির যে পরিবর্তন হয় তাকে ওই পদার্থের দহন তাপ বলা হয়। দহনের সময় পদার্থের অণুর বন্ধনসমূহ ভাঙে। এ কারণেই দহনে সর্বদা শক্তি নির্গত হয়। যেমন- ১ mole অর্থাৎ ১৬ম মিথেনকে অক্সিজেনে পোড়ালে ৮৯০ kJ তাপ নির্গত হয়। সুতরাং, মিথেনের দহন তাপ হচ্ছে ৮৯০ kJ/mole। CH4(g) + ২O2 (g) → CO2(g) + ২H2O (g) ; ΔH = – ৮৯০kJ ⇒ দ্রবণ তাপ : কোনো পদার্থের এক মোলকে যথেষ্ট পরিমাণ দ্রাবকে দ্রবীভ‚ত করলে তাপের যে পরিবর্তন হয় তাকে সে পদার্থের দ্রবণ তাপ বলা হয়। দ্রাবকের পরিমাণের ওপর দ্রবণ তাপ কিছুটা নির্ভর করে। সাধারণত দ্রাবকের পরিমাণ এতটা বেশি রাখা হয় যেন দ্রবণকে খুব লঘু বলে ধরা যায়। ⇒ বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তন : বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তনকে ΔH সংকেত দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ΔH চিহ্ন দ্বারা বিক্রিয়া তাপোৎপাদী না তাপহারী তা বোঝা যায়। আধুনিক রীতি অনুযায়ী যদি বিক্রিয়ায় তাপ উৎপাদিত হয় তবে ΔH ঋণাত্মক। বিক্রিয়ায় তাপ শোষিত হলে ΔH ধনাত্মক। ΔH এর একক kJ ধরা হয়। ΔH এর মান পদার্থের অবস্থা, তাপমাত্রা ও চাপের ওপর নির্ভরশীল। বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তন মাপার জন্য প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রমাণ তাপমাত্রা ২৫0C বা ২৯৮K এবং প্রমাণ চাপ ১ atm। ⇒ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তনের কারণ : যেকোনো বস্তুর অণুতে বিভিন্ন পরমাণু বা আয়নের মধ্যে রাসায়নিক বন্ধন বিদ্যমান। এ সকল বন্ধন শক্তির আধার। এ শক্তিকে রাসায়নিক শক্তি বলা হয়। একটি বন্ধন ভাঙতে শক্তি যোগান দিতে হয়। আবার ঐ বন্ধন সৃষ্টি হলে সেই শক্তি নির্গত হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। তাদের মধ্যকার বন্ধন ভাঙে এবং নতুন বন্ধন গড়ে। এ বন্ধন ভাঙা ও গড়ায় সর্বমোট যে শক্তির পরিবর্তন হয় সেটাই বিক্রিয়ায় তাপ ও অন্যান্য শক্তির পরিবর্তন হিসেবে দেখা যায়। যদি বন্ধন ভাঙতে কম পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় এবং নতুন বন্ধন সৃষ্টিতে অধিক পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তাহলে বিক্রিয়ায় এ দুই শক্তির পার্থক্যের সমপরিমাণ শক্তি নির্গত হবে। অপরদিকে, বন্ধন ভাঙতে যদি অধিক পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তবে বিক্রিয়ায় দুই শক্তির পার্থক্যের সমান পরিমাণ শক্তি শোষিত হবে। বন্ধন ভাঙার প্রয়োজনীয় শক্তি > বন্ধন সৃষ্টিতে নির্গত শক্তি ⇒ তাপহারী বিক্রিয়া বন্ধন ভাঙার প্রয়োজনীয় শক্তি < বন্ধন সৃষ্টিতে নির্গত শক্তি ⇒ তাপোৎপাদী বিক্রিয়া ⇒ জীবাশ্ম জ্বালানি : অতীত যুগের জীবের দেহাবশেষ জীবাশ্মে পরিণত হয় এবং সৃষ্ট জীবাশ্ম কঠিন বা তরল আকারে খনি থেকে তুলে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হয়। এই জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বা খনিজ জ্বালানি বলে। কয়লা, পেট্রোল, কেরোসিন, ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি কয়েকটি জীবাশ্ম জ্বালানির নাম। ⇒ বিদ্যুৎ পরিবাহী : যেসব পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবহনে সক্ষম বা যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তাদের বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ বলে। যেমন : তামা, সোনা, রুপা, অ্যালুমিনিয়াম, গ্রাফাইট, গ্যাস কার্বন ইত্যাদি। বিদ্যুৎ পরিবাহী দুই প্রকারের- ধাতব পরিবাহী ও তড়িৎ বিশ্লেষ্য। ⇒ ধাতব পরিবাহী : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনের সময় কোনোরূপ রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না তাদেরকে ধাতব পরিবাহী বলে। তামা, রুপা, অ্যালুমিনিয়ামসহ সকল ধাতু ও গ্রাফাইট এ ধরনের পরিবাহী। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষ্য : কতকগুলো পদার্থ গলিত বা পানিতে দ্রবীভ‚ত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং বিদ্যুৎ পরিবহনকালে পদার্থগুলো বিশ্লিষ্ট হয়ে নতুন পদার্থ উৎপন্ন করে। এ জাতীয় পদার্থকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। এসিড, ক্ষার ও লবণের জলীয় দ্রবণ উত্তম তড়িৎ বিশ্লেষ্যের উদাহরণ। যেমন : H2SO4, HCl, NaOH, KOH, NaCl, CuSO4, AgNO3 ইত্যাদি। ⇒ তড়িৎ অবিশ্লেষ্য : যেসব যৌগ জলীয় দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে না তাদের তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। বিশুদ্ধ পানি, চিনির জলীয় দ্রবণ, গিøসারিন, অ্যালকোহল, বেনজিন, কেরোসিন প্রভৃতি বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তাই এরা তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ। ⇒ বিদ্যুৎ অপরিবাহী : যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় না সেগুলোকে বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ বলে। যেমন : কাঠ, কাচ, মোম, কয়লা, গন্ধক, চিনি, রবার, অ্যাবোনাইট ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে না। তাই এগুলো বিদ্যুৎ অপরিবাহী। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষণ : যে প্রক্রিয়ায় গলিত বা দ্রবীভ‚ত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করে পদার্থটির রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন পদার্থ উৎপন্ন করা হয় তাকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। যেমন : NaCl একটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। দ্রবীভ‚ত অবস্থায় এর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করলে এতে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে এবং Na+ ক্যাটায়ন এবং Cl- অ্যানায়ন উৎপন্ন হয়। ⇒ তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ : কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করতে হলে পদার্থটিকে গলিত বা পানিতে দ্রবীভ‚ত অবস্থায় একটি পাত্রের মধ্যে নেয়া হয়। সাধারণভাবে এ ধরনের পাত্রকে তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ বা ভোল্টামিটার বলা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। ⇒ তড়িৎদ্বার : তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষে বা ভোল্টামিটারে তড়িৎ বিশ্লেষ্য দ্রবণের মধ্যে দুটি সুপরিবাহী ধাতব পাত বা দণ্ড (যেমন : প্লাটিনাম বা কপার) ডুবিয়ে রাখা হয়। এ তড়িৎ পরিবাহী পাত বা দণ্ড দুটিকে তড়িৎদ্বার বলে। এ পাত বা দণ্ড দুটির একটি ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সঙ্গে এবং অপরটি ঋণাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তড়িৎদ্বার হিসেবে প্লাটিনাম এবং কপারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া আয়রন, নিকেল, গ্রাফাইট ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। ⇒ অ্যানোড : যে তড়িৎদ্বারটি ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ ব্যাটারি থেকে তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্যে প্রবেশ করে তাকে অ্যানোড বলে। ⇒ ক্যাথোড : যে তড়িৎদ্বারটি ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহ তড়িৎ বিশ্লেষ্য থেকে পুনরায় ব্যাটারিতে

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যারা নবম দশম/ এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর খুজছো তাদের জন্য আজকের পোস্ট। এখানে তোমরা এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্ন ব্যাংক পেয়ে যাবে। এসএসসি রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন -1 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : অপু ও সেতু উভয়ের বাসায় রান্নার কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। অপুর বাসার পাত্রের নিচে কালো দাগ পড়লেও সেতুর বাসার পাত্রের নিচে কোনো দাগ নেই। ক. একমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে? খ. রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলতে কী বোঝায়? গ. রান্নার সময় তাদের বাসায় সম্পন্ন বিক্রিয়াটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের কোন বাসায় রান্নার কাজে গ্যাসের অপচয় হয় বলে তুমি মনে কর? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। — 1নং প্রশ্নের উত্তর — ক. যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থ বা পদার্থসমূহ শুধু উৎপাদে পরিণত হয় এবং বিপরীত বিক্রিয়া করে উৎপাদ আর বিক্রিয়কে পরিণত হতে পারে না তাকে একমুখী বিক্রিয়া বলে। খ. যে অবস্থায় কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার সম্মুখ বিক্রিয়ার গতিবেগ বিপরীতমুখী বিক্রিয়ার গতিবেগের সমান হয় সে অবস্থাকে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা বলে। বিক্রিয়ার উভমুখিতার ফলে সাম্যাবস্থার উদ্ভব ঘটে। একটি উভমুখী বিক্রিয়ার শুরুতে সম্মুখ বিক্রিয়ার বেগ সবচেয়ে বেশি থাকে এবং বিপরীত বিক্রিয়ার বেগ কম থাকে। সময়ের সঙ্গে বিক্রিয়কের পরিমাণ কমতে থাকে ও উৎপাদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এক সময় সম্মুখ ও বিপরীত বিক্রিয়ার বেগ সমান হয়। এ অবস্থাকে বলে রাসায়নিক সাম্যাবস্থা। গ. রান্নার সময় তাদের বাসার সম্পন্ন বিক্রিয়াটি হলো দহন বিক্রিয়া। অপু ও সেতুর বাসায় গ্যাসের চুলায় প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ প্রাকৃতিক গ্যাস জ্বালিয়ে বা পুড়িয়ে যে তাপশক্তি পাওয়া যায় তা দিয়ে রান্নার কাজ করা হয়। রান্নার সময় প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থাৎ মিথেনের দহন ঘটে, যা নিম্নোক্ত সমীকরণের সাহায্যে দেখানো যেতে পারে- CH4(g) + O2(g) → CO2(g) + H2O(g) + তাপ যেহেতু বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয় তাই এটি একটি তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। এই বিক্রিয়ায় বায়ুর অক্সিজেনের উপস্থিতিতে মিথেনকে পুড়িয়ে তাপ পাওয়া যায় বলে একে দহন বিক্রিয়া বলে। ঘ. অপুর বাসায় রান্নার কাজে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (CH4)। মিথেনকে পুড়িয়ে বা দহন করে প্রচুর তাপ পাওয়া যায়, যা রান্নাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে নিম্নরূপ বিক্রিয়া ঘটে : CH4(g) + 2O2(g) → CO2(g) + 2H2O(g) + তাপ এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস তথা মিথেনের পূর্ণদহন ঘটে। কিন্তু অক্সিজেনের সরবরাহ কম হলে মিথেনের আংশিক দহনের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিবর্তে কার্বন এবং কম তাপ উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে, নিম্নরূপ বিক্রিয়া ঘটে : CH4(g) + O2(g) → ঈ(s) + 2H2O(g) + শক্তি প্রাকৃতিক গ্যাস তথা মিথেনের অসম্পূর্ণ দহনের ফলে, উৎপন্ন কার্বন পাত্রের নিচে কালো দাগ হিসেবে জমা হয়। এ দাগ প্রাকৃতিক গ্যাসের অসম্পূর্ণ দহনকে নির্দেশ করে, যার ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় ঘটে। উদ্দীপক থেকে দেখা যায় যে, অপুর বাসায় পাত্রের নিচে কালো দাগ পড়লেও সেতুর বাসায় পাত্রের নিচে কোনো দাগ পড়ে না। কালো দাগ পড়ার মূল কারণ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস বা মিথেনের অসম্পূর্ণ দহন। তাই বলা যায় যে, অপুর বাসায় রান্নার কাজে গ্যাসের অপচয় হয়। প্রশ্ন -2 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : Pb (NO3)2 + 2KI-→ উপরের বিক্রিয়ার আলোকে নিচের ছকটি পূরণ করা হলো [K = 39, I= 127] : ক. তাপোৎপাদী বিক্রিয়া কাকে বলে? খ. যোজনী ও জারণ সংখ্যা এক নয় কেন? ব্যাখ্যা কর। গ. সারণিতে ব্যবহৃত মোট KI এর পরিমাণ কত গ্রাম? নির্ণয় করে দেখাও। ঘ. কোন পাত্রের দ্রবণটি অধিক হলুদ হবে বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর। — 2নং প্রশ্নের উত্তর — ক. যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপশক্তি উৎপন্ন হয় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে। খ. কোনো মৌলের যোজনী বলতে অন্য মৌলের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে বোঝায়। আর জারণ সংখ্যা হলো ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জনের ফলে সৃষ্ট তড়িৎচার্জের সংখ্যা। যোজনী একটি বিশুদ্ধ সংখ্যা হলেও জারণ সংখ্যা ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে। জারণ সংখ্যা কখনো কখনো শূন্য হলেও যোজনী কখনোই শূন্য হয় না। আবার, জারণ সংখ্যা ভগ্নাংশ হতে পারে কিন্তু যোজনী সবসময়ই পূর্ণ সংখ্যা। এসব কারণেই জারণ সংখ্যা ও যোজনী এক নয়। গ. সারণি থেকে দেখা যায়, ব্যবহৃত KI এর মোট আয়তন = 4 mL KI এর ঘনমাত্রা = ০.5M KI এর আণবিক ভর = (39 + 127) gm = 166 gm = 1০০০ mL = 1 M KI এর ভর ∴ 1০০০ mL 1M KI এর ভর = 166 gm 4 mL ০.5 M KI এর ভর = (166 × 4 × ০.5gm)÷1০০০ = ০.332gm ∴ সারণিতে ব্যবহৃত KI এর মোট পরিমাণ = ০.332gm ঘ. উদ্দীপকে সংঘটিত বিক্রিয়ার সমীকরণটি নিম্নরূপ : Pb(NO3)2 + 2KI → 2KNO3 + PbI2 (হলুদ অধঃক্ষেপ) সুতরাং, যে পাত্রে অধিক PbI2 উৎপন্ন হবে সেই পাত্রের দ্রবণ অধিক হলুদ হবে। সারণি থেকে দেখা যায় যে, চারটি পাত্রের প্রত্যেকটিতে ০.5M 1 mL KI দ্রবণ নেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ পাত্রে যথাক্রমে 1mL, 2mL, 3mL ও 4mL ০.2M Pb(NO3)2 দ্রবণ নেয়া হয়েছে। Pb(NO3)2 এর আণবিক ভর = 2০8 + (1৪ + 16 × 3) × 2 = 332 KI এর আণবিক ভর = (39 + 127) = 166 ∴ ০.5 গ ষ mL KI দ্রবণে KI থাকে = (০.5×1×166)÷1০০০ গ্রাম = ০.০83 গ্রাম 1ম পাত্রে, ০.2গ ষ mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 1 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.০664 গ্রাম 2য় পাত্রে, ০.2গ 2mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 2 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.1৩28 গ্রাম 3য় পাত্রে, ০.2গ 3mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 3 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.1992 গ্রাম 4র্থ পাত্রে, ০.2গ 4mL Pb(NO3)2 দ্রবণে Pb(NO3)2 থাকে = ০.2 × 4 × 332)÷1০০০ গ্রাম = ০.2656 গ্রাম যেহেতু, চতুর্থ পাত্রে Pb(NO3)2 এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তাই চতুর্থ পাত্রের দ্রবণটি অধিক হলুদ হবে। প্রশ্ন -3 : নিচের বিক্রিয়াগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : (i) 2SO2(g) + O2(g) –→ 2SO3(g) ; ΔH = -197kJ/mole; (ii) Zn + H2SO4 = ZnSO4 + H2 ক. মুদ্রা ধাতু কী? 1 খ. মোম এর দহন কোন ধরনের পরিবর্তন- ব্যাখ্যা কর। 2 গ. উদ্দীপকের (ii) নং বিক্রিয়াটি একটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। 3 ঘ. (i) নং বিক্রিয়ায় লা-শাতেলিয়ারের নীতির প্রয়োগ ব্যাখ্যা কর। 4 — 3নং প্রশ্নের উত্তর — ক. পর্যায় সারণির গ্রুপ 11 তে অবস্থিত মৌল তামা (Cu), রুপা (Ag) ও সোনা (Au) কে মুদ্রা ধাতু বলা হয়। খ. মোমের দহনে ভৌত ও রাসায়নিক উভয় পরিবর্তন সংঘটিত হয়। মোমের প্রধান উপাদান বিভিন্ন হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ। মোম জ্বালালে তার কিছু অংশ শুধু ভৌত পরিবর্তনের মাধ্যমে গলে কঠিন অবস্থা থেকে

নবম দশম শ্রেণির রসায়ন সপ্তম অধ্যায় রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top