hsc

দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়।

আমরা অনেকেই দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চিনতে ভূল করি। আজাকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সকল কৌশল জানবো।  আমরা ৫টি নিয়মের মাধ্যমে শক্তিশালী এসিডের ক্রম জানবো। নিয়ম-১ঃ দুর্বল এসিড জলীয় দ্রবনে আংশিক আয়নিত হয় অপরপক্ষে শক্তিশালী এসিড জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়। যেমনঃ i) HCl একটি শক্তিশালী এসিড। কারণ HCl জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণ আয়নিত হয়।      HCl  (জলীয়) → H⁺ + Cl⁻ (১০০% আয়নিত হয়) ii) H₂CO₃ (কার্বনিক এসিড) একটি দুর্বল এসিড, কারণ এটি জলীয় দ্রবনে আংশিক আয়নিত হয়।     H₂CO₃ (জলীয়) → 2H⁺  + CO₃²⁻ (আংশিক আয়নিত হয়) নিয়ম-২ঃ হ্যালোজেন এসিডের তীব্রতা নির্ভর করে, হ্যালোজেনের আকারের উপর। যে হ্যালোজেন এসিডের ক্ষেত্রে, হ্যালোজেনের (ঋণাত্মক আয়ন) আকার যত বড় হবে,সে হ্যালোজেন এসিড তত শক্তিশালী হবে। বিশ্লেষণঃ HI, HBr, HCl, ও HF এর মধ্যে কোনটি শক্তিশালী এসিড ও কোনটি দুর্বল এসিড? আমরা জানি, F, Cl, Br, ও I  প্রভৃতি হ্যালোজেন গুলোর মধ্যে I  এর আকার সবচেয়ে বড় এবং F আকার সবচেয়ে ছোট।  অর্থাৎ এদের তীব্রতার ক্রম হলো I > Br > Cl > F সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী I (আয়োডিন) এর আকার বড় হওয়ায় HI  এসিড সবচেয়ে শক্তিশালী এসিড হবে। অপরপক্ষে F এর আকার সবচেয়ে ছোট হওয়ায় HF  এসিড সবাচেয়ে দুর্বল এসিড হবে। সুতরাং হ্যালোজেন এসিডের তীব্রতার ক্রম হবে নিম্নরুপঃ     HI > HBr > HCl > HF মনে রেখো ঃ F, Cl, Br, I কে হ্যালোজেন মৌল বলে। নিয়ম-৩ঃ অক্সো এসিডের কেন্দ্রিয় পরমানুর ধনাত্মক জারন সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে এসিডটি তত শক্তিশালী হবে। যে সব এসিড অক্সিজেন পরমাণু (O) দিয়ে গঠিত হয় তাদেরকে অক্সো  এসিড বলে। বিশ্লেষণঃ HClO₄, H₂SO₄, HNO₃,  H₂SO₃, HClO এসিডগুলির মধ্যে কোনটি শক্তিশালী এবং কোনটি দুর্বল এসিড দেখা যাক। HClO₄ এসিডে কেন্দ্রিয় পরমানুটি হলো =  Cl এখানে Cl এর জারন সংখ্যা বের করা যাক মনেকরি Cl এর জারনসংখ্যা = x  ∴ নিয়ম অনুযায়ী –      +1 + x + (-2×4) = 0     বা, x = +8-1     ∴ x = +7 ∴ Cl এর জারন মান = +7 অনুরুপভাবে,      H₂SO₄ এর কেন্দ্রিয় পরমানু S এর জারনসংখ্য = +6     HNO₃ এর কেন্দ্রিয় পরমানু N এর জারনসংখ্য = +5     H₂SO₃ এর কেন্দ্রিয় পরমানু S এর জারনসংখ্য = +4     HClO  এর কেন্দ্রিয় পরমানু Cl এর জারনসংখ্য = +1 আমরা দেখতে পাচ্ছি HClO₄ এর কেন্দ্রিয় পরমানু  Cl এর ধনাত্মক জারনমান সবচেয়ে বেশী অর্থাৎ +7 সুতারাং HClO₄ (পারক্লোরিক এসিড) হবে সবচেয়ে শক্তিশাল  এসিড। অপরপক্ষে HClO এর কেন্দ্রিয় পরমানু Cl এর জারন মান সবচেয়ে কম অর্থাৎ +1 হওয়ায় HClO  (হাইপোক্লোরাস এসিড) হবে সবচেয়ে দুর্বল এসিড। পরিশেষে আমার এসিডগুলির তীব্রতার ক্রম নিম্নরুপে লিখতে পারি। নিয়ম -৪ঃ অক্সো এসিড সমূহের কেন্দ্রিয় পরমানুর ধনাত্মক জারন মান যদি একই হয়, তখন যে অক্সোএসিডে কেন্দ্রিয় পরমানুর আকার ছোট হবে সে অক্সোএসিডটি শক্তিশালী হবে। বিশ্লেষণ ঃ HNO₃ ও H₃PO₄ এসিড দুটির মধ্যে কোনটি তীব্র এসিড লেখা যাক। এখানে HNO₃ এর কেন্দ্রিয় পরমানু N এর জারনমান = +5         H₃PO₄ এর কেন্দ্রিয় পরমানু P এর জারনমান = +5 দেখা যাচ্ছে দুটি এসিডের কেন্দ্রিয় পরমানুর ধনাত্মক জারন মান সমান। কিন্তু আমরা জানি, N পরমানুর আকার P পরমানুর চেয়ে ছোট     সুতারাং HNO₃ এসিড তীব্রতার এসিড হবে।     অর্থাৎ HNO₃ > H₃PO₄  নিয়ম-৫ঃ i)  জলীয় দ্রবনে যে এসিডের বিয়োজন ধ্রুবক (ka) এর মান যত বেশী, সে এসিড তত বেশী শক্তিশালী হবে। ii) আবার যে এসিডের বিয়োজন ধ্রুবক Pka এর মান যত বেশী ঋনাত্মক হবে, সে এসিড তত বেশী শক্তিশালী হবে। iii)  যে এসিডের বন্ধন বিয়োজন এনথালপি যত কম হবে, সে এসিডটি তত বেশী শক্তিশালী হবে। বিশ্লেষণঃ HI, HBr, HCl, ও HF এর তীব্রতা দেখা যাকঃ   HF HCl HBr HI বন্ধন বিয়োজন এনথালপি +560 +430 +370 +300 বিয়োজন ধ্রুবক Pka 3.25 -7.5 -9.5 -10 বিয়োজন ধ্রুবক ka 5.6×10⁻⁴ 2.5×10⁷  3.2×10⁹  1.0×10¹º  উপরের তথ্যের প্রেক্ষিতে আমরা এসিডগুলির তীব্রতার ক্রম লিখতে পারিঃ HI > HBr > HCl > HF আরো পড়ুনঃ তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। এই পোস্টটি যে সম্পর্কেঃ দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়। সবচেয়ে শক্তিশালী এসিড কোনটি। সবল এসিড চেনার উপায়। একটি তীব্র এসিড এর নাম। তীব্র এসিড কাকে বলে ও উদাহরণ। 

দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়। Read More »

অন্বয় কাকে বলে? অন্বয় নির্ণয়

অন্বয় কাকে বলে? অন্বয় নির্ণয় অন্বয়ঃ যদি A ও B দুইটি সেট হয় তবে সেটদ্বয়ের কার্তেসীয় গুণজ A×B সেটের অন্তর্গত ক্রমজোড়গুলোর অশূন্য উপসেট R কে A সেট হতে B সেটের একটি অন্বয় বা সম্পর্ক বলা হয়।এখানে R  সেট  A×B সেটের একটি উপসেট অর্থাৎ R⊆ A×B উদাহরণঃ মনে করি A = {3.5} এবং B = {2,4} ∴ A×B = {3.5}×{2,4}         = {(3.2), (3,4), (5,2), (5,4)} ∴  অন্বয় R ⊆ {(3.2), (3,4), (5,2), (5,4)} অনেক ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া থাকে। শর্ত দেওয়া থাকলে অন্বয় নির্ণয় কেমন হবে তা নিচে একটি উদহরণ থেকে দেখা যাক। উদাহরণঃ যদি A = {1,2,3), B = {0,2,4} এবং A ও B এর উপাদানগুলোর মধ্যে x = y-1 সম্পর্কে বিবেচনায় থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট অন্বয় বর্ণনা কর। সমাধান: দেওয়া আছে, A = {1,2,3), B = {0,2,4} প্রশ্নানুসারে অন্বয় R = {(x,y) : x∈A, y∈B এবং x = y-1} এখানে,  A×B = {(1,0), (1,2), (1,4), (2,0), (2,2), (2,4), (3,0), (3,2), (3,4)} ∴  অন্বয় R = {(1,2), (3,4)} জামরা জানি, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লী এবং থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। এখানে দেশের সাথে রাজধানীর একটি অন্বয় বা সম্পর্ক আছে। এ সম্পর্ক হচ্ছে দেশ-রাজধানী অনয়। উত্তু সক্পর্ককে সেট আকারে নিন্নরূপে দেখালো যায়: অর্থাৎ দেশ-রাজধানীর অন্বয় – ((বোংলাদেশ, ঢাকা), (ভারত, নতুন দিল্লী ), থাইল্যান্ড, ব্যাংকক)) পোস্টটি যে বিষয়েঃঅন্বয় meaning অন্বয় নামের অর্থ অন্বয় অর্থ কি অন্বয় কাকে বলে বাংলা অন্বয় ও ফাংশন কাকে বলে অন্বয় ও ফাংশন কি অন্বয় in english অন্বয়ের সঙ্গে অর্থ

অন্বয় কাকে বলে? অন্বয় নির্ণয় Read More »

এসিড কাকে বলে? এসিড চেনার সহজ উপায় কী? এসিড কোনগুলো?

এসিড কাকে বলে? এসিড চেনার সহজ উপায় কী? এসিড কোনগুলো? আমাদের সামনে অনেকগুলো যৌগের সংকেত লিখে দিলে তার মেধ্যে থেকে যদি এসিডগুলোকে বেছে নিতে বলা হয় তবে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দে পড়ে যায়। তাই সংকেত দেখে এডিস চিনতে পারা খুবই জরুরি। এখানে এসিড কাকে বলে, এসিড চেনার সহজ উপায় বা কোনগুলো এসিড তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এসিড চেনার উপায়ঃ i) এসিড যৌগের প্রথমে অবশ্যই H পরমাণু থাকবে অর্থাৎ এসিডে প্রতিস্থাপনীয় H  থাকবে। যেমনঃ         HCl        H₂SO₄         ↑            ↑         H━━⤴ ii) এসিড জলীয় দ্রবণে অবশ্যই প্রোটন (H⁺) উৎপন্ন করে বা দান করে। যেমনঃ HCl(aq) → H⁺ + Cl⁻ iii) এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে। iv) এসিডের pᵸ এর মান 7  এর কম হবে।  v) এটি টক স্বাদ যুক্ত। vi)  এসিড, ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। যেমনঃ HCl +NaOH → NaCl + H₂O উপরের আলোচনা থেকে খুব সহজেই “এসিড কাকে বলে?” এর উত্তরটি দেওয়া যায়। প্রশ্নঃ এসিড কাকে বলে? উত্তরঃ যে সকল পদার্থ জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) দান করে তাদের কে এসিড বলে।  আরো দেখুনঃ এসিডের  একটি বিশাল তালিকা দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়। tag এসিড কাকে বলে? অ্যাসিড কাকে বলে? এসিড চেনার সহজ উপায় কী? এসিড কোনগুলো? এসিড কী অম্ল কাকে বলে?

এসিড কাকে বলে? এসিড চেনার সহজ উপায় কী? এসিড কোনগুলো? Read More »

তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়।

  তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। ক্ষারক রসায়ন বিজ্ঞানের মূল বিষয়গুলোর একটি। তাই তীব্র ক্ষারক ও দুর্বল ক্ষারক চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দুই ধরনের ক্ষারক দুই ধরনের বিক্রিয়া দেয়। তিনটা নিয়ম বা বিষয়ের মাধ্যমে আমার খুব সহজে তীব্র ও দুর্বল ক্ষারক চিনবো। যথা:-         আকার অনুয়ায়ী         বিয়োজন অনুযায়ী         বিয়োজন ধ্রুবকের (kь) অনুযায়ী তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপাগুলো: i) ধাতুর আকার যত বড় হবে উক্ত ধাতু দ্বারা গঠিত ক্ষারক তত তীব্র হবে। যেমনঃ KOH ও CsOH এর মধ্যে CsOH তীব্র ক্ষারক । কারণ K ধাতুর চেয়ে  Cs (সিজিয়াম) ধাতুর আকার বড়।         এখানে K এর পারমাণবিক সংখ্যা = 19         এবং Cs এর পারমাণবিক সংখ্যা = 55 নিচের ক্ষারকগুলোর তীব্রতা লক্ষ্য করি:- LiOH দুর্বল ক্ষারক NaOH  শক্তিশালী ক্ষারক KOH  তীব্র শক্তিশালী ক্ষারক CsOH  সবচেয়ে তীব্র শক্তিশালী ক্ষারক মনে রাখিঃ যে ধাতুর ইলেকট্রন বিন্যাসে কক্ষপথের সংখ্যা যত বেশি হবে সে ধাতুর আকার তত বড়ে হবে। যেমনঃ     Li(3) → 1s², 2s¹ (কক্ষপথ ২টি)         Na(11) → 1s², 2s², 2p⁶, 3s¹ (কক্ষপথ ৩টি) সুতরাং Li অপেক্ষা Na এর আকার বড় হবে। ii) তীব্র ক্ষারক পানিতে বা জলীয় দ্রবনে সম্পূর্ণরুপে বিয়োজত  হয়ে OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে। অপরপক্ষে দুর্বল ক্ষারক জলীয় দ্রবণে আংশিক বিয়োজিত হয়ে OH⁻ আয়ন উৎপন্ন করে। যেমনঃ NaOH একটি তীব্র ক্ষারক         NaOH (জলীয়) → Na⁺ + OH⁻ (100% বিয়োজিত হয়েছে) অপরপক্ষে LiOH  একটি দুর্বল ক্ষারক         LiOH (জলীয়) → Li⁺ + OH⁻ (আংশিক বিয়োজিত হয়েছে) iii) যে ক্ষারকের বিয়োজন ধ্রুবকের (kь) মান যত বেশি হবে সে ক্ষারক তত বেশি তীব্র হবে। এবং (kь) এর মান যত কত হবে সে ক্ষারক তত দুর্বল হবে। আরো পড়ুন ঃ ক্ষারক চেনার সহজ উপায় দুর্বল এসিড ও শক্তিশালী এসিড চেনার সহজ উপায়।  tag: তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। অম্ল ও ক্ষার কাকে বলে, তীব্র ক্ষারের নাম, এসিড ও ক্ষার চেনার উপায়, এসিড ও ক্ষারের বৈশিষ্ট্য, ক্ষারের উদাহরণ, ক্ষারের স্বাদ কেমন।

তীব্র ক্ষারক এবং দুর্বল ক্ষারক চেনার উপায়। Read More »

লবণ চেনার সহজ উপায় Easy way to recognize salt

লবণ চেনার সহজ উপায় রসায়ন অধ্যায়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের লবণ নিয়ে পড়ালেখা করা লাগে। এই লবণ গুলোকে চিনতে অনেকের সমস্যার সৃষ্টি হয়। আজ আমরা এই লবণ চিনবো সহজ উপায়ে। আশা করা যায় এই অনুচ্ছেদটি পড়ার পর আমাদের লবণ চিনতে আর সমস্যা হবেনা।  (H⁺) বাদে যে কোনো ধনাত্নক আয়ন বা মূলক + (OH⁻) বাদে যে কোনো ঋণাত্মক আয়ন বা মূলক = লবণ । যেমনঃ     Na⁺ + Cl⁻ = NaCl     Na⁺ + F⁻ = NaF     NH₄⁺ + Cl⁻ = NH₄Cl     K⁺ + NO₃⁻ = KNO₃    Na⁺ + CH₃COO⁻ = CH₃COONa আসুন দেখে নেওয়া যাক লবণ গঠনকারী কিছু ধনাত্বক আয়ন(ক্যাটায়ন) এবং ঋণাত্বক আয়ন (অ্যানায়ন) ক্যাটায়ন অ্যানায়ন  C₅H₅NH⁺  CO₃²⁻  Fe²⁺ /Fe³⁺  Cl⁻  Ca²⁺  NO₂⁻  NH₄⁺  NO₃⁻  Mg²⁺  F⁻  NR₄⁺  C≡H⁻  Na⁺  PO₄³⁻  K⁺  SO₄²⁻  Cr³⁺  (CH₂COO⁻)₂ লবণ চেনার সহজ উপায় Easy way to recognize salt খনিজ লবণের নাম অম্লীয় লবণ কাকে বলে। লবণ কাকে বলে।

লবণ চেনার সহজ উপায় Easy way to recognize salt Read More »

এসিড ও ক্ষারক চেনার সহজ উপায়

এসিড ও ক্ষারক চেনার সহজ উপায় শিক্ষার্থীদের এসিড ও ক্ষারক চিনতে খুবই সমস্যা দেখা দেয়। আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে ইন শাহ আল্লাহ আর কোন সমস্যা থাকবেনা আশা করা যায়।  এসিড উদাহরণ ক্ষারক উদাহরণ অধাতু+ H/O/OH⁻ HBr, HCl, HF, CO₃, HClO, HBrO, HIO, ধাতু+ H/O/OH⁻ NaH, MgH₂, KH, CaH₂, Na₂O, MgO, K₂O, CaO, NaOH, Mg(OH)₂, KOH, Ca(OH)₂ ঋণাত্বক যৌগমূলক+ H⁺ HNO₃, HNO₂, H₃PO₄, H₂SO₄  ধণাত্বক যৌগমূলক+ OH⁻ NH₄OH, PH₄OH আরো দেখুনঃ লবণ চেনার সহজ উপায়

এসিড ও ক্ষারক চেনার সহজ উপায় Read More »

অ্যামোনিয়া তে অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন?

অ্যামোনিয়া তে অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন? যদিও NH₃ যৌগে O²⁻ বা OH⁻ নেই, তবুও ইহাকে ক্ষারক বলা হয়।  কারণ হলো:- i) NH₃ যৌগ পানিতে OH⁻ আয়ন তৈরি করে। যেমন: NH₃ + H₂O → NH₄OH         NH₄OH → NH₄⁺+ OH⁻ বি.দ্র: এখানে NH₃ ক্ষারক হলেও উৎপন্ন NH₄OH কিন্তু ক্ষার। ii) আমরা জানি, যে সব যৌগে মুক্ত জোড় ইলেকট্রন থাকে, সে সব যৌগ ক্ষারক হিসেবে আচরণ করে। সে মোতাবেক NH₃ একটি ক্ষারক পদার্থ কারণ NH₃ তে একটি মুক্ত জোড় ইলেকট্রন আছে। NH₃ এর গঠন নিম্নরুপ: iii) ব্রনস্টেট লাউরির মতে যে সব যৌগ প্রোটন (H⁺) গ্রহণ করতে পারে সে সব যৌগ ক্ষারক হিসেবে ক্রিয়া করে। যেমন:              NH₃ +H⁺ → NH₄⁺ অতএব উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম অ্যামোনিয়া (NH₃) তে অক্সাইড(O²⁻) বা হাইড্রোক্সাইড (OH⁻) মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন। 

অ্যামোনিয়া তে অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড মুলক নাই তবুও অ্যামোনিয়া কে ক্ষারক বলা হয় কেন? Read More »

Scroll to Top