Uncategorized

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-দশ বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা

অধ্যায়-দশ বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ জাহিদ রক্ষণশীল পরিবারের একমাত্র সন্তান। নাসিমার সাথে জাহিদের বিয়েতে জাহিদের মা বাবা কিছু মূল্যবান উপহারসামগ্রী ও ব্যবসা করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা নিতে চাইলে জাহিদ সেগুলো নিতে রাজি হয় নি। জাহিদ তাদেরকে বুঝিয়ে বললো যে, এগুলো গ্রহণ করা কিংবা এই প্রথাকে সমর্থন করা তার পক্ষে অসম্ভব। জাহিদের বাবা-মা নিজেদের ভুল বুঝতে পারলেন। ক. এথেন্সে বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে কি নিয়ে যেত? ১ খ. কন্যা সন্তানকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ২ গ. জাহিদের বাবা মায়ের প্রস্তাবটি আমাদের দেশের কোন প্রথাটিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উদ্দীপকের উল্লেখিত প্রথার রোধ কল্পে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে? তোমার মতামত দাও। ৪ ক এথেন্সে বিয়ের পর কনে স্বামীর ঘরে অর্থ-সম্পদ নিয়ে যেত। খ কেবল ছেলে সন্তান নয়, কন্যাসন্তানকেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কারণ, কন্যা উচ্চশিক্ষিত হলে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সচেতন হতে পারবে। মেয়েদেরকে উচ্চশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের কর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে। তারা আত্মনির্ভরশীল হলে যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। তাই কন্যা সন্তানকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। গ জাহিদের বাবা-মায়ের প্রস্তাবটি আমাদের দেশের যে প্রথাটিকে ইঙ্গিত করে সেটি হলো ‘যৌতুক প্রথা’। সাধারণত বিয়ের সময় বর বা কনে বিপরীত পক্ষের কাছ থেকে যে অর্থ বা সম্পত্তি দাবি করে ও গ্রহণ করে তাকেই বলা হয় যৌতুক। এটি একটি সামাজিক কুপ্রথা। বাংলাদেশের অনেক সম্পদশালী মানুষ তাদের কন্যার বিয়েতে বিপুল অঙ্কের যৌতুক দেয়। ধনী পিতা-মাতার ধারণা যৌতুকের কারণে তাদের কন্যা স্বামীর ঘরে মাথা উঁচু করে থাকবে। উদ্দীপকে রক্ষণশীল জাহিদের পরিবার নাসিমার পরিবারের নিকট থেকে অর্থ-সম্পদ চেয়েছিল যা যৌতুক প্রথাকে নির্দেশ করে। কিন্তু জাহিদ সেগুলো নিতে অস্বীকার করে। সুতরাং কনের পক্ষে থেকে বিয়ের সময় যে সম্পদ বর পক্ষ গ্রহণ করে তাকে যৌতুক বলে। উদ্দীপকে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথাটি হলো ‘যৌতুক প্রথা’। এটি একটি ঘৃণিত সামাজিক ব্যাধি। তাই এটি প্রতিরোধে নানাধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় বলে আমি মনে করি। পণ্য ক্রয় করার মতোই যৌতুক নিয়ে কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষের মধ্যে দরকষা কষি হয়ে থাকে। স্বচ্ছল পরিবারের জন্য এটি সাধারণ ব্যাপার হলেও দরিদ্র পরিবারের জন্য তা নিদারুণ কষ্টের ও বিড়ম্বনার। আর উদ্দীপকের জাহিদ যৌতুক প্রথার কুপ্রভাব সম্পর্কে অবগত। জাহিদের মতো আমাদেরকেও যৌতুক প্রথান বরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠতে হবে। যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে, যাতে জনগণ এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। যৌতুকের দাবিদার যারা তাদের বিয়েতে অংশগ্রহণ হতে বিরত থাকতে হবে এবং সামাজিকভাবে তাদেরকে বর্জন করতে হবে। সংবিধানে মহিলাদের অধিকার রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন এবং প্রণীত আইনের বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের সর্বত্র যৌতুকবিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে হবে। নারীশিক্ষার বৃদ্ধি ঘটিয়ে তাদেরকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। পরিশেষে বলা যায়, যৌতুক একটি সামাজিক কুপ্রথা। এ ব্যাধি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ দরিদ্র দিনমজুর ফরিদের সাথে পপির বিয়ে হয়েছিল মাস চারেক আগে। দরিদ্র পিতা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের শর্ত অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল জামাইকে। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি জামাই ফরিদ। সে আরও টাকা আনার জন্য পপির ওপর নির্যাতন শুরু করে। অসহ্য নির্যাতনের কারণে শেষ পর্যন্ত পপির বাবা মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং তাকে একটি সেলাই মেশিন কিনে দেন। ক. কোনটিকে যৌতুক প্রথার মূল কারণ বলে মনে করা হয়? ১ খ. যৌতুক প্রথার কুফল থেকে কীভাবে মুক্ত হওয়া সম্ভব? ২ গ. উদ্দীপকে ফরিদ কেন যৌতুক নিয়েছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.“সেলাই মেশিন ক্রয়ের পদক্ষেপটি পপির অসহায় অবস্থার অবসান ঘটাবে”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪ ক দারিদ্র্যকে যৌতুক প্রথার মূল কারণ বলে মনে করা হয়। খ যৌতুক প্রথার কুফল থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে। যৌতুক প্রতিরোধ করার জন্য প্রথমেই সচেতন করতে হবে পারিবারকে। যৌতুক দেয়া ও নেয়া থেকে নিজেদের বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশীকেও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। প্রয়োজন হলে গ্রহণ করতে হবে আইনের আশ্রয়, পরিবারের কন্যা সন্তানসহ সবাইকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা দরকার। এভাবেই যৌতুক প্রথা প্রতিরোধ করা সম্ভব। গ উদ্দীপকের ফরিদ তার দরিদ্র অবস্থা ঘুচাতেই যৌতুক নিয়েছিল। বাংলাদেশে যৌতুক প্রথা একটি মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। তবে দারিদ্র্যের কারণেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। এদেশের অধিকাংশ বিবাহিত নারী সাংসারিক কাজে লিপ্ত থাকায় সে কোনো অর্থ উপার্জনে কোনো ভ‚মিকা রাখতে পারে না। তাই দারিদ্র্য পরিবারের স্বামী অতিরিক্ত ভরণপোষণের জন্য হিমশিম খেতে হয়। তাই সে স্ত্রীর পরিবার থেকে যৌতুক আদায়ের জন্য ক্রমাগত স্ত্রী ও তার পরিবারকে চাপ দেয়। দারিদ্র্যের কারণেই বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছে অর্থ-সম্পদ দাবি করে। কনের পিতার অর্থ-সম্পদ ব্যবহার করেই বর প্রতিষ্ঠা লাভ করতে চায়। উদ্দীপকের দরিদ্র দিনমজুর ফরিদও এ কারণেই যৌতুক নিয়েছিল। ঘ উদ্দীপকের পপি যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হলে কোনো প্রতিকার না পেয়ে পপির বাবা মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং একটি সেলাই মেশিন কিনে দেন। মেয়েকে স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যেই পপির বাবা মেয়েকে সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছেন। সেলাই মেশিনের দ্বারা পোশাক তৈরি করে সে সহজেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। স্বামীর অনুগ্রহ ও নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে পপি পোশাক তৈরি করে পর নির্ভরশীলতা এড়াতে সক্ষম হবে। আন্তরিকতা ও পরিশ্রমী মনোভাবের মাধ্যমে আমাদের দেশে অসহায় অনেক মেয়েই এ ধরনের কাজের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। তাই সেলাই মেশিন ক্রয়ের পদক্ষেপটি পপির অসহায় অবস্থার অবসান ঘটাবে- একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন তাঁর একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে মিতার সাথে প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের ইঞ্জিনিয়ার পুত্র রাজীবের বিয়ে দেন। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই রাজীব ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য নগদ ৫০ লক্ষ টাকা নেয়ার জন্য মিতার উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। আমজাদ সাহেব টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একদিন পারিবারিক কলহের জের ধরে রাজীবের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় মিতা। [ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা] ক. বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ‘যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন’ কত সালে পাশ হয়? ১ খ. বাংলাদেশের অধিকাংশ বিবাহিত নারী কীরূপ জীবনযাপন করে? ২ গ. রাজিবের অপরাধের শাস্তি কোন আইনের আওতায় হতে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.মিতার মতো উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের বাঁচাতে সামাজিক আন্দোলনই ফলপ্রসূ মতামত দাও। ৪ ক বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ‘যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন’ ১৯৮০ সালে পাস হয়। খ বাংলাদেশের অধিকাংশ বিবাহিত নারী কেবল গৃহকর্মেই নিযুক্ত থাকে। ঘরের সব কাজ করলেও তার কোনো অর্থ উপার্জন হয় না। তারা স্বামীর সংসারে পরনির্ভরশীল জীবনযাপন করে। তাই এদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বামীর নিগ্রহ ও নির্যাতন ভোগ করে। গ যৌতুকলোভী রাজিব তার স্ত্রী মিতাকে নির্মমভাবে খুন করে। রাজিবের অপরাধের শাস্তি ১৯৮৩ সালের আইনের আওতায় হতে পারে। ১৯৮৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-দশ বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় নবম অধ্যায় বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার

নবম অধ্যায় বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ স্বামী এবং তিন সন্তান নিয়ে হাফিজার সংসার। স্বামীর একক আয়ে তার সংসার চলে না। সংসারের অভাব পূরণে হাফিজা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেয়। সপ্তাহ শেষে মজুরি গ্রহণের সময় মালিক তাকে দৈনিক ৩০০ টাকা হারে মজুরি দেয়। অথচ একই কাজের জন্য পুরুষ শ্রমিকদের ৪০০ টাকা হারে দৈনিক মজুরি দেয়। সে এর প্রতিবাদ করলে মালিক তাকে কাজে আসতে নিষেধ করে। ক. বেগম রোকেয়া নারী ও পুরুষকে কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন? খ. সংসার-জীবনে নারীর-প্রধান ভ‚মিকা বর্ণনা কর। গ. হাফিজা কোন ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন? ব্যাখা কর। ঘ.হাফিজার মতো নারীদের অধিকার আদায়ে করণীয় বিষয়ে মতামত দাও। ক বেগম রোকেয়া নারী ও পুরুষকে একটি গাড়ির দুটি চাকার সঙ্গে তুলনা করেছেন। খ নারী শুধু মা, বোন, কন্যা, ভাবি, চাচি, ফুফু, খালা, নানি, দাদিরই ভ‚মিকা পালন করেন না; বরং পুরুষের পাশাপাশি সংসার পরিচালনার গুরু দায়িত্বও পালন করেন। এর অতিরিক্ত সন্তান লালন-পালনের নারীকেই পালন করতে হয়। তাই সংসার জীবনে নারীর ভ‚মিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। গ হাফিজা অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এক্ষেত্রে নারীর সমানাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমানাধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপসংক্রান্ত জাতিসংঘ সনদেও নারীর এ সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। সমাজে একজন পুরুষের যে অধিকার রয়েছে, তেমনি নারীরও অধিকার রয়েছে। লেখাপড়া, চাকরি বা কর্মসংস্থান, বেতন বা মজুরি সব ব্যাপারেই নারী ও পুরুষ সমান সুযোগ লাভের অধিকারী। কোনো অবস্থায়ই নারীর প্রতি অর্থনৈতিক বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না। কিন্তু উদ্দীপকের হাফিজা অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন। একই কাজে একজন পুরুষকে ৪০০ টাকা হারে দৈনিক মজুরি দেয়া হলেও হাফিজা নারী বিধায় তাকে দৈনিক ৩০০ টাকা দেয়া হয়। নারীকে দুর্বল ও পুরুষের সমকক্ষ নয় এমন ধরনের হীনমনোভাব থেকেই তার প্রতি এ ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। ঘ হাফিজা আমাদের সমাজে আর দশজন নারীর মতো অবহেলিত ও বৈষ্যমের শিকার। হাফিজার মতো নারীদের অধিকার আদায়ে আমাদের অনেক করণীয় রয়েছে। আমার মতে ১. এ জাতীয় বৈষম্যমূলক আচরণ নীরবে সহ্য করা যাবে না। এজন্য প্রতিবাদী হতে হবে। ২. নারী শিক্ষার বিকল্প নেই। এজন্য হাফিজার মতো মেয়েদেরকে কষ্ট করে হলেও নিরক্ষরতার হাত থেকে বাঁচতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে নারী তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে। ৩. নারীর অধিকার আদায়ে নারী সংগঠনগুলোর সাথে কাজ করতে হবে এবং তাদের গৃহীত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৪. পুরুষ ও নারীর অধিকার সমান এ বক্তব্য সমাজে তুলে ধরতে হবে। ৫. নারীর অধিকার আদায়ে ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার মুক্ত হতে হবে। ৬. বাল্যবিবাহ, যৌতুক এসব কুপ্রথা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের এসব করণীয় হাফিজার মতো নারীদের অধিকার আদায়ে বলিষ্ঠ ভ‚মিকা রাখবে। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ৭০ বছরের ছিদ্দিকা খাতুনের ইচ্ছা করে পুরানো দিনের গল্প করতে কিন্তু তাঁর ছেলে মেয়েদের গল্প শোনার সময় নেই। এমন কি তাঁর নাতনীর বিয়ের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় না। পাশের বাড়ির জোবেদা বেগম ছিদ্দিকা খাতুনের ছেলে মেয়েদের বলেন, তোমাদের উচিত তোমার মায়ের খাবার ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খেয়াল রাখা। তাঁকে মাঝে মাঝে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া। ক. প্রবীণ কারা? খ. বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতির প্রবীণদের ক্ষেত্রে কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর। গ. ছিদ্দিকা খাতুনের সমস্যাটা কোন ধরনের সমস্যা- ব্যাখা কর। ঘ.ছিদ্দিকা খাতুনের ক্ষেত্রে জোবেদা বেগমের পরামর্শ তুমি কী সঠিক বলে মনে কর? তোমার মতামত দাও। ক সাধারণত ষাটোর্ধ্ব বয়সের মানুষদের প্রবীণ বলা হয়। খ বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতি প্রবীণদের জন্য, বহুবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রবীণদের স্বাস্থ্যরক্ষায় এই কল্যাণ সমিতি স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ প্রদান করছে। প্রবীণদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা লাভ নিশ্চত করতে শিক্ষা অনুদান প্রদান করছে। আবার প্রবীণ বয়সে যেন আর্থিক সংকটে না পড়ে সেজন্য সহজ শর্তে ঋণও প্রদান করছে। বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতি প্রবীণদের জন্য উপরিউক্ত কার্যাবলি পরিচালনা করছে। গ ছিদ্দিকা খাতুনের সমস্যাটি প্রবীণদের পারিবারিক সমস্যা। আমাদের দেশে একসময় একান্নবর্তী পরিবার ছিল যখন পরিবারের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিদের কতৃত্ব ও মর্যাদা ছিল। বর্তমান আধুনিক সমাজব্যবস্থায় একান্নবর্তী পরিবারসমূহ ভেঙ্গে ছোট ছোট পরিবারে পরিণত হয়েছে। ফলে ঐ সমস্ত ছোট পরিবারসমূহে বৃদ্ধ মা-বাবা ও শ্বশুর-শাশুড়ির স্থান থাকে না, তাদের সঙ্গ দেওয়ার ও তাদের সাথে গল্পগুজব করার মতো কেউ থাকে না। ছেলে-মেয়েদের কর্মব্যস্ত জীবনযাপনের জন্য তাদের দেখাশুনা ও সেবাযত্বের লোকের অভাব ঘটছে। সংসারের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তাদের ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া সাংসারিক বিভিন্ন কাজকর্মে তাদের লিপ্ত করা হয় যা তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়। উদ্দীপকে ছিদ্দিকা খাতুনের পুরানো দিনের গল্প শোনাতে ইচ্ছে করলে তাঁর গল্প শোনার সময় কারই থাকে না। তাই উপরিউক্ত আলোচনায় বোঝা যায়, ছিদ্দিকা খাতুনের সমস্যাটি প্রবীণদের পারিবারিক সমস্যা। ঘ আমি মনে করি, ছিদ্দিকা খাতুনের ক্ষেত্রে জোবেদা বেগমের পরামর্শ সঠিক। বয়সের পরিক্রমায় পরিবারের কর্মঠ ব্যক্তি একসময় প্রবীণ হয়। সারাজীবন পরিশ্রম করে তারা পরিবারের সদস্যদের ব্যয়ভার বহন করেন। কর্ম থেকে অবসর নিয়ে তারা একসময় ছেলে-মেয়েদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই নির্ভরশীলতার কারণে বেশিরভাগ পরিবারে তারা বোঝা হিসেবে কালযাপন করে। প্রবীণরা নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা বলার জন্য কাউকে পায় না। ছেলে-মেয়েদের কর্মব্যস্ততার কারণে তারা ঠিকমতো সেবা-যতœও পায় না। উপার্জন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় মতামতের ক্ষেত্রে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয় না। উদ্দীপকে ছিদ্দিকা খাতুন এরকম নিগ্রহিতার স্বীকার, তাঁর ছেলেমেয়েরা তাঁর দেখাশুনা ও খোঁজখবর নেয়না, তাই পাশের বাড়ির জোবেদা বেগম তাঁর ছেলেমেয়েদের ছিদ্দিকা খাতুনের খাবার ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর হীনম্মন্যতা ও অসহায়ত্ব দূর করার জন্য মাঝে মাঝে তাঁকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। প্রবীণ বয়সের অসহায়ত্ব ও নিসঙ্গত দূর করার জন্য উক্ত পদক্ষেপগুলোও নেওয়া প্রতিটি সন্তানের কর্তব্য। তাই আলোচনা হতে বলা যায়, ছিদ্দিকা খাতুনের ক্ষেত্রে তার ছেলে-মেয়েদের দেওয়া জোবেদা বেগমের পরামর্শ সঠিক। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ নাম পেশা বয়স জনাব তারিকুল হাকিম জনাব আজিজুল ইসলাম জনাব মামুন সরকার বিচারপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পেশাজীবী ৬৪ বছর ৬৩ বছর ৬১ বছর [ ক. কোন বয়সে মানুষের শারীরিক শক্তি কমে আসে? ১ খ. ‘প্রবীণ দিবস’ কী? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. উদ্দীপকের কোন কোন পেশাজীবী অবসরপ্রাপ্ত? বর্ণনা কর। ৩ ঘ.আমাদের দেশে ছকের সকল ব্যক্তিই প্রবীণ হিসেবে গণ্যÑ ব্যাখ্যা কর। ৪ ক প্রবীণ বয়সে মানুষের শারীরিক শক্তি কমে আসে। খ প্রবীণ দিবস জাতিসংঘ ঘোষিত প্রবীণদের অধিকার সচেতনতা দিবস। জাতিসংঘ প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় কতিপয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এছাড়াও জাতিসংঘ প্রবীণদের অধিকার ও তাদের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে একটি বিশেষ দিনকে ‘প্রবীণ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। গ উদ্দীপকের পেশাজীবীদের মধ্যে কেবল জনাব মামুন সরকার অবসরপ্রাপ্ত। বাংলাদেশে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৯ বছর। বিচারপতিদের জন্য ৬৭ বছর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোনো কোনো পেশাজীবীদের জন্য বয়সের এই সীমা স¤প্রতি ৬৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ বিবেচনায় বিচারপতি জনাব তারিকুল হাকিম যার বয়স ৬৪ বছর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব আজিজুল ইসলাম যার বয়স ৬৩ বছর, তারা অবসরপ্রাপ্ত নন। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় নবম অধ্যায় বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-অষ্টম বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি

অধ্যায়-অষ্টম বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ সারণিটি পড় এবং নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা ১৯৬১ ৫.৫২ কোটি ১৯৭৪ ৭.৬৪ কোটি ১৯৯১ ১১.১৫ কোটি ২০০১ ১২.৯৩ কোটি ২০০৭ ১৪.০৬ কোটি ২০১১ ১৪.৯৭ কোটি ক. বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স কত? খ. বসতি স্থানান্তর কীভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ব্যাখ্যা কর। গ. ১৯৬১ সালের তুলনায় ২০০৭ সালের জনসংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা কর। ঘ.‘১৯৯১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে’Ñ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ক বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর। খ জনসংখ্যা বৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে বসতি স্থানান্তর। দুই দেশের মধ্যে অধিবাসীদের স্থানান্তরকে দেশান্তর বলে। বসতি স্থানান্তর বা দেশান্তর দুই রকমÑ বহিরাগমন ও বহির্গমন। বাইরের দেশ থেকে নিজ দেশে লোকের আগমনকে বহিরাগমন বলে। বহিরাগমনের ফলে জনসংখ্যা বেড়ে যায়। কোনো দেশ থেকে লোকের অন্য দেশে গমনকে বহির্গমন বলে। বহির্গমনের ফলে জনসংখ্যা কমে যায়। কোনো দেশে বহির্গমনের চেয়ে বহিরাগমন বেশি হলে সেদেশের জনসংখ্যা বেড়ে যায়। গ উলি­খিত সারণিটি পড়ে জানা যায় যে, ১৯৬১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৫.৫২ কোটি থেকে ২০০৭ সালে ১৪.০৬ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ জনসংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬১ থেকে ২০০৭ সময়ে এ দেশে জন্মহার ও মৃত্যুহারের ব্যবধান ছিল অত্যধিক। বর্তমানে যত শিশু জন্মগ্রহণ করে তার চেয়ে কম সংখ্যক মারা যায়। এর কারণ হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতি। ফলে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এ সময়ে দেশে বাল্যবিবাহের কারণে শিশু জন্মহার বৃদ্ধি পায়। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। উপরন্তু শিক্ষার অভাবে দেশের জনসাধারণ জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারে না, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখছে। বাংলাদেশে অনেক পিতা-মাতা পরপর কয়েকটি কন্যা সন্তানের পরও পুত্র সন্তানের আশায় আবার সন্তান গ্রহণ করে। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আরো বেড়ে যায়। মূলত এসব কারণেই ১৯৬১ সালের তুলনায় ২০০৭ সালের জনসংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘ সারণিটি লক্ষ করলে দেখা যায় যে, ১৯৯১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। অধিক জনসংখ্যার চাপ আমাদের জীবনযাত্রায় যে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে তা দেশের জনগণ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বর্তমানে জনসংখ্যা যেন দ্রæত বৃদ্ধি না পায় সেজন্য সরকারসহ সকলেই সচেতন। বর্তমান সময়ে সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর দেশের জনগণও তাতে সরকারকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে আজ আমাদের দেশ বিশ্বপরিমণ্ডলে পিছিয়ে পড়েছে এবং এটা সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছে। ফলে সকলের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। এই সচেতনতার ফলেই ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দুই কোটি যা পূর্বের দশকগুলো থেকে বেশ কম। আবার ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যার বৃদ্ধি হয়েছে এক কোটির কিছু বেশি। এভাবে জনসচেতনতার ফলে ১৯৯১ সাল থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ঘটনা-১ : সফল ব্যবসায়ী হিসেবে চৌধুরী পরিবার ও হালদার পরিবার সিলেটের কুলাউড়া এলাকার অনেকের কাছেই পরিচিত। অথচ চৌধুরীদের আদিনিবাস কিশোরগঞ্জে এবং হালদার পরিবারের মূলবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ঘটনা-২ : সৈয়দপুর, সোহাগীসহ পাশাপাশি তিন-চারটি গ্রামের অনেক লোক প্রায় ১৫ বছর যাবৎ মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করছেন। তাদের ছেলেমেয়েদের অনেকেই এখনও পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান দেখেনি। ক. স্থূল জন্মহার কাকে বলে? খ. বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির একটি কারণ ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনা-১ কোন ধরনের স্থানান্তরকে নির্দেশ করে ? ব্যাখ্যা কর। ঘ.‘ঘটনা-২ এ উল্লিখিত স্থানান্তরটি দেশের জনসংখ্যা হ্রাসের মুখ্য কারণ’। বক্তব্যটিকে তুমি কি সমর্থন কর? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও ক প্রতি বছর কোনো অঞ্চল বা দেশে প্রতি হাজার লোকের মধ্যে যে সংখ্যক জীবিত শিশু জন্মগ্রহণ করে তাই হলো সে অঞ্চল বা দেশের স্থূল জন্মহার। খ বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতি। চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নতিতে শিশু মৃতুহার ও মাতৃমৃত্যুর হার অনেক কমেছে। মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্যসচেতন হয়েছে। প্রাণঘাতি রোগ নির্মুল করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ উদ্দীপকে উলি­খিত ঘটনা১ আন্তঃস্থানান্তরকে নির্দেশ করে। দেশের ভিতরে অনেক সময় এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে তখন এটাকে বলে আন্তঃস্থানান্তর। তবে বাজার করা, অফিস ইত্যাদি উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করাকে আন্তঃস্থানান্তর বলা যায় না। আন্তঃস্থানান্তর নানাভাবে ঘটে থাকে। যেমন : আন্তঃআঞ্চলিক স্থানান্তর অর্থাৎ একই অঞ্চলের মধ্যে স্থানান্তর। তাছাড়া গ্রাম থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে গ্রামের এবং শহর থেকে শহরে স্থানান্তর হয়ে থাকে অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেই মূলত আন্তঃস্থানান্তর হয়ে থাকে। উদ্দীপকে চৌধুরী এবং হালদার উভয় পরিবারই মফস্বল শহর থেকে জেলা শহর সিলেটে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তাই বলা যায় চৌধুরী পরিবার ও হালদার পরিবারের এ ধরনের স্থানান্তরমূলত আন্তঃস্থানান্তরকে নির্দেশ করে। ঘ ঘটনাÑ২ Ñএর স্থানান্তরকে বহির্গমন বলা হয়। কেননা এখানে এক দেশের মানুষ অন্য দেশে গিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু ঘটনা-২ এ উল্লিখিত স্থানান্তরটি দেশের জনসংখ্যা হ্রাসের মুখ্য কারণ।’ Ñবক্তব্যটিকে আমি সমর্থন করি। কোনো দেশ থেকে মানুষের অন্য দেশে গমনকে বহির্গমন বলে। ঘটনা-২ থেকে জানা যায় যে সৈয়দপুর, সোহাগীসহ পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের লোক প্রায় ১৫ বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে বসবাস করছেন। এটা বহির্গমনেরই বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের বহির্গমনের কারণে জনসংখ্যা কমে যায়। যেমন : উদ্দীপকে বহির্গমনকারীদের ছেলেমেয়েদের অনেকেই এখনও পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান দেখেনি এবং ভবিষ্যতে দেখার সুযোগ পাবে কিনা তাও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু এভাবে কোনো দেশের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় না। বরং শিক্ষা, সচেতনতা, সামাজিক অবস্থা, নারীদের ব্যাপক কর্মসংস্থান ইত্যাদি জনসংখ্যা হ্রাসে ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। এক্ষেত্রে আমাদের মতো দেশে শিক্ষা ও সচেতনতা জনসংখ্যা হ্রাসে মুখ্য ভ‚মিকা পালন করে। তাই বাস্তবতার নিরিখে আমার মত হচ্ছে, ঘটনা-২ এ উল্লিখিত স্থানান্তর বা বহির্গমনের ফলে জনসংখ্যা হ্রাস পেলেও তা মুখ্য কারণ নয়। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ঝালকাঠির আসমাদের পরিবারের সদস্যসংখ্য গত বছর ছিল সাত জন। বর্তমানে মাত্র তিনজন। আসমার দাদা মারা গিয়েছেন। বড় ভাই কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে গমন করেন। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। সে এখন স্বামী নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে। আরেক ভাই আরমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্র। ক. জনসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির মুখ্য কারণ কোনটি? ১ খ. বাংলাদেশে নানা সময়ে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হতে কত বছর লেগেছে? বর্ণনা কর। ২ গ. আসমার বড় বোন ও ভাই আরমান কী ধরনের স্থানান্তর করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উক্ত স্থানান্তরে এলাকার জনসংখ্যার পরিবর্তন ঘটলেও দেশের জনসংখ্যার পরিবর্তন ঘটে না- কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪ ক জনসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির মুখ্য কারণ হচ্ছে জন্ম ও মৃত্যু। খ ১৯৬১ সালে জনসংখ্যা ৫.৫২ কোটি এবং ১৯৯১ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১১.১৫ কোটিতে। অর্থাৎ, দেশের জনসংখ্যা এই ৩০ বছরে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অতীতে কিন্তু এত দ্রæত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেত না। ১৮৬০ সালে বাংলাদেশ ভ‚খন্ডে জনসংখ্যা ছিল মাত্র ২ কোটি। ১৯৪১ সালে তা হয়েছে ৪.২০ কোটি। অর্থাৎ ৮০ বছরে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তারও আগে দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে প্রায় দুশো বছর। গ আসমার বড় বোন ও

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-অষ্টম বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-সাত বাংলাদেশের জলবায়ু

অধ্যায়-সাত বাংলাদেশের জলবায়ু    সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০১১ এর দৈনিক পত্রিকায় একটি খবর দেখে জারিফ চমকে উঠে। বিশ্বব্যাপী এক ধরনের গ্যাসের অধিক হারে নিঃসরণের জন্য জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মতো সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি উচ্চতার দেশগুলো আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এই বিপর্যয়ের জন্য জারিফ মানবসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ডকে দায়ী করে এক ধরনের উৎকণ্ঠা অনুভব করে। ক. বাংলাদেশ কোন অঞ্চলে অবস্থিত? খ. বাংলাদেশের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশ কী ধরনের হুমকির মুখোমুখি- ব্যাখ্যা কর। ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত বিপর্যয়ের জন্য মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডই দায়ী- তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও। ক বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। খ বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু। সমুদ্রের নিকটবর্তী হওয়ায় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এখানে শীত বা গ্রীষ্ম কোনোটাই খুব তীব্র নয়। বর্ষাকালে বাংলাদেশে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বাতাস প্রবাহিত হয়। একে গ্রীষ্মের মৌসুমি বায়ু বলা হয়। এই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। গ উদ্দীপকে বাংলাদেশ ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হুমকির মুখোমুখি। জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন বাংলাদেশকে এই হুমকির সম্মুখীন করেছে। উদ্দীপকে এ বিষয়টিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জারিফ সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানতে পারে যে, এক ধরনের গ্যাস অধিক নিঃসরণের জন্য জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মতো সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি উচ্চতার দেশগুলো আজ হুমকির মুখে পড়েছে। মূলত এখানে গ্রিনহাউস গ্যাসের কথা বলা হয়েছে, এ গ্যাস অতিরিক্ত মাত্রায় নিঃসরিত হয়ে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরুঅঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। এই বরফ গলে যাওয়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে গেলে বাংলাদেশের সমুদ্র উপক‚লবর্তী এলাকাসমূহ সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়া বাংলাদেশ আরও যেসব হুমকির মধ্যে রয়েছে তা হলো- ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস, বন্যা, নদীভাঙন, খরা, শৈত্যপ্রবাহ, টর্নেডো, কালবৈশাখী প্রভৃতি। ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত বিপর্যয় তথা বাংলাদেশের ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডই দায়ী বলে আমি মনে করি। কারণ মানুষ তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃতভাবে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। অসংখ্য কলকারখানা ও যানবাহন থেকে অনবরত নির্গত হচ্ছে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, সিএফসি প্রভৃতি গ্রিনহাউস গ্যাস। এর ফলে ঘটছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। যার কারণে পৃথিবীতে নানা ধরনের দুর্যোগ আঘাত হানছে। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ যা বর্তমানে সবার বিশেষ চিন্তা এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় তা হচ্ছে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া। আর বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির জন্য মানুষের কাজকর্মই সবচেয়ে বেশি দায়ী। পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট গাছপালা কেটে বানাতে হয়েছে বসতভিটা ও ফসলের জমি। কলকারখানা ও গাড়ির কালোধোঁয়া, বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত জ্বালানির ব্যবহারে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়েছে ওজোনস্তর এবং সূর্যের তেজস্ক্রিয় অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পড়ছে সরাসরি। ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত তাপে গলে যাচ্ছে মেরু অঞ্চলের জমে থাকা বরফ। সমুদ্রের পানি বেড়ে পৃথিবীর উপক‚লীয় অঞ্চলগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত বিপর্যয়ের জন্য মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডই দায়ী। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ আরিক টেলিভিশনে ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেখছিল। প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখানো হয় কীভাবে উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষিজমিগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখানো হয় উপক‚লীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কীভাবে জনজীবন ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ঐ অঞ্চলে অবস্থানগত কারণে প্রায়শই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে। ক. প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়কে কী বলে? খ. কালবৈশাখী কী ? বুঝিয়ে লেখ। গ. প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখানো দুর্যোগ ঘটার কারণ ব্যাখ্যা কর। ঘ.প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখানো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়- ব্যাখ্যা কর ক প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়কে টর্নেডো বলে। খ কোনো স্থানের তাপমাত্রা প্রচুর বেড়ে গেলে সেখানকার বাতাস হালকা হয়ে উপরে যায় তখন পাশের অঞ্চলের অপেক্ষাকৃত শীতল বাতাস প্রবল বেগে এই শূন্যস্থানে ধেয়ে আসে ও ঝড়ের সৃষ্টি করে যা আমাদের দেশে কালবৈশাখী নামে পরিচিত। কালবৈশাখী হলো এক ধরনের ক্ষণস্থায়ী ও স্থানীয়ভাবে সৃষ্ট প্রচণ্ড ঝড়। সাধারণত বৈশাখ মাসেই এ ঝড় বেশি হয় বলে একে কালবৈশাখী ঝড় বলা হয়। কালবৈশাখী ঝড় সাধারণত উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়। গ প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে বাংলাদেশের উপক‚লীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ অঞ্চলে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ¡াস বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত কোনো স্থানের বাতাসের চাপ বৃদ্ধি পেলে সেখানকার বাতাস উপরে উঠে যায়। ফলে ওই অঞ্চলের বাতাসের চাপ কমে যায়। একে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়া বলে। এ সময় আশপাশের অঞ্চল থেকে বাতাস প্রবলবেগে ওই নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ছুটে আসে। ফলে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ¡াসের সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে হয়ে থাকে। সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও ঝড়ের ফলে সমুদ্রের লোনা জল বিশাল উচ্চতা নিয়ে ও তীব্রবেগে উপক‚লে আছড়ে পড়ে এবং স্থলভাগকে প্লাবিত করে। এর ফলে উপক‚লের জনজীবন ও পরিবেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা উদ্দীপকের প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখানো হয়েছে। ঘ প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখানো দুর্যোগটি হলো খরা। উদ্দীপকে প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখানো হয় কীভাবে উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষি জমিগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে যা খরাকে নির্দেশ করে। পাঠ্যবই থেকে আমরা জানতে পারি, উত্তরাঞ্চলে খরার প্রকোপ বেশি এবং খরার কারণে কৃষিজমি শুকিয়ে যায়। খরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরা পুরোপুরি প্রতিরোধ করা খুব সহজ নয়। তবে সচেতন হলে ও সময়মতো ব্যবস্থা নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকখানি কমানো যেতে পারে। এজন্য ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর পরীক্ষা করে মাটির নিচ থেকে পানি উত্তোলন বন্ধ করে খরা মোকাবিলা করা যেতে পারে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি ব্যবহারে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে খরার ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ লতিকা এবং রায়হান দুই বন্ধু। লতিকাদের বাড়ি শ্রীমঙ্গলে। এবার শীতের ছুটিতে রায়হান তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতে চাইল। কিন্তু লতিকা রাজি হলো না। সে বলল, এখন আমাদের ওখানে প্রচণ্ড শীত। গিয়ে ভালো লাগবে না। আমরা এক অদ্ভুত জায়গায় বসবাস করছি। শীতে প্রচণ্ড শীত। সারা বছরই বৃষ্টি হয়। রায়হান লতিকার কথা শুনে বলল, আক্ষেপ করার কিছুই নেই। সব এলাকাতেই প্রকৃতিজনিত কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। এলাকাভিত্তিক পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশে কিন্তু শীত বা গরম কোনোটিই বেশি নয়। [রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জয়পুরহাট] ক. বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয় কখন? ১ খ. বাংলাদেশে শীত বা গরম বেশি না হওয়ার কারণ কী? ২ গ. লতিকা এবং রায়হানের কথায় বাংলাদেশের কোন বিষয়টির প্রকৃতি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.উদ্দীপকে রায়হানের আলোচিত বিষয়টিকে সমভাবাপন্ন বলা যায় কি? বিশ্লেষণ কর। ৪ ক গ্রীষ্মের শুরুতে বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয়। খ বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানাকার জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ। অর্থাৎ এখানে তেমন শীত বা তেমন গরম অনুভ‚ত হয় না। সমুদ্রের নিকটবর্তী হওয়ায় এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে শীত-গ্রীষ্ম কোনোটাই

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-সাত বাংলাদেশের জলবায়ু Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-ষষ্ঠ বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা

অধ্যায়-ষষ্ঠ বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ সপ্তম শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষক জনাব আমজাদ সাহেব ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করার কথা বললে অনেকেই ক্যাপ্টেন হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। শ্রেণিশিক্ষক একটি বাক্স বানিয়ে সকল শিক্ষার্থীকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করেন। ভোট গণনা শেষে ফরিদা ১ম, সাব্বির ২য় এবং নেহাল ৩য় স্থান অধিকার করার ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা করতালি দিয়ে তিন ক্যাপ্টেনকে অভিনন্দন জানায়। এরপর যারা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিল তারা একে অপরকে অভিবাদন জানায়। ক. আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি কী? খ. বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। গ. আমজাদ সাহেবের ক্লাসের নির্বাচন প্রক্রিয়াটির ধরন ব্যাখ্যা কর। ঘ.‘প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের এ ধরনের আচরণ গণতান্ত্রিক ভিতকে মজবুত করে’ বক্তব্যটি মুল্যায়ন কর। ক আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো নির্বাচন। খ আমাদের দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনটি প্রত্যক্ষ নয়, পরোক্ষ পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। দেশের প্রাপ্ত বয়স্ক সকল নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে জাতীয় সংসদের সদস্যরা নির্বাচিত হন। আর জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত এই প্রতিনিধিরাই ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। গ আমজাদ সাহেবের ক্লাসের নির্বাচন প্রক্রিয়াটি প্রত্যক্ষ নির্বাচন। প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। উদ্দীপকে শ্রেণিশিক্ষক আমজাদ সাহেব ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করার কথা বললে অনেকেই ক্যাপ্টেন হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু একটি ক্লাসে ক্যাপ্টেন থাকবে তিনজন। তাই আমজাদ সাহেব একটি বাক্স বানিয়ে সকল শিক্ষার্থীকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ছাত্রছাত্রীরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সরাসরি ভোট দেয়। যেহেতু এখানে ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করেছে, সেহেতু এটি প্রত্যক্ষ নির্বাচন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের আমজাদ সাহেবের ক্লাসের নির্বাচন প্রক্রিয়াটি ছিল প্রত্যক্ষ নির্বাচন। ঘ “প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীদের এ ধরনের আচরণ গণতান্ত্রিক ভিতকে মজবুত করে। প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি যথার্থ। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন মতামত যাচাইয়ের উৎকৃষ্ট মাধ্যম। আর নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয় নির্বাচনে শুধু একপক্ষ থাকে না, থাকে দুইপক্ষ। এজন্য এখানে পরমতসহিষ্ণু হতে হয়। নির্বাচনে যেই জয়লাভ করুক; এ শাসন ব্যবস্থায় বিরোধী শক্তিকে তা সাদরে গ্রহণ করতে হয়। উদ্দীপকের আমজাদ সাহেব তাঁর শ্রেণিতে যে পদ্ধতিতে ক্যাপ্টেন নির্বাচন করেছেন, তার ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাব দেখা দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদেরকে পরাজিত প্রার্থীরা সাদরে বরণ করে নিয়েছে। তারা সকলে শ্রেণির শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একযোগে কাজ করার, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। এটাই হলো গণতন্ত্রের মূল কথা। সুতরাং একবাক্যে বলা যায়, প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের এ ধরনের আচরণ গণতান্ত্রিক ভিতকে মজবুত করে। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ রহিম সাহেব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্যপদে অংশগ্রহণ করলেন। কিন্তু জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে রহিম সাহেবকে নির্বাচিত করলেন, অন্যদিকে করিম সাহেব মোটর সাইকেলের বিরাট মিছিল নিয়ে সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যান। তাঁর পোষ্টারে পোষ্টারে এলাকায় দেওয়াল ছেয়ে গেছে। ক. বাংলাদশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকা কয়টি? খ. জেলা পরিষদের নির্বাচন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। গ. রহিম সাহেবের নির্বাচন পদ্ধতিটি কোন ধরনের ব্যাখ্যা কর। ঘ.“করিম সাহেবের আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থি” বক্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ক বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকা ৩০০টি। খ একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের পাঁচজন সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত হয়। তাঁরা সকলে পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। জেলা পরিষদের অন্তর্গত সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দ্বারা তাঁরা নির্বাচিত হন। জেলা পরিষদের কার্যকাল পাঁচ বছর। গ উদ্দীপকে রহিম সাহেবের নির্বাচন পদ্ধতিটি হলো প্রত্যক্ষ নির্বাচন। নাগরিকরা যখন সরাসরি ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে তখন তাকে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে গ্রামভিত্তিক সরকার কাঠামো। এই পরিষদের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের সর্বনিম্ন স্তরের জাতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। ইউনিয়নের অধিবাসীরা প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে এই পরিষদের বিভিন্ন পদে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করে। উদ্দীপকে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে তাদের পছন্দের লোককে ভোট প্রদান করে নির্বাচিত করেছেন। তাই বলা যায়, তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী রহিম সাহেবকে প্রত্যক্ষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ঘ উদ্দীপকে করিম সাহেবের আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থি। বক্তব্যটি যথার্থ। নির্বাচন কমিশনের একটি অন্যতম কাজ নির্বাচনি আচরণবিধি তৈরি করা। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা স্বার্থে এটি করা হয়। কারণ স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় নাগরিকরা কী ধরনের আচরণ করবে তার একটি নীতিমালা তৈরি করে দেয়। একেই বলা হয় নির্বাচনি আচরণবিধি। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না। তাছাড়া মোটর সাইকেলে বা যানবাহনে মিছিল করা যাবে না। কিন্তু উদ্দীপকে করিম সাহেব নির্বাচনের আচরণবিধি লংঘন করে মোটর সাইকেলে মিছিল ও দেয়ালে পোষ্টার লাগান। সুতরাং পাঠ্যপুস্তকের আলোকে আমরা বলতে পারি যে, করিম সাহেবের আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থি। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ ফাহিমারা একটি ছোট গ্রামে বাস করে। আগামীকাল তাদের গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ফাহিমার বাবা-মা গ্রামের ভোটার। তারা মনস্থ করেছেন খুব সকালেই তারা ভোট প্রদান করবেন। সব নির্বাচনেই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা ভোট প্রদান করতে পারবেন না। ক. নির্বাচন পদ্ধতি কয় ধরনের? ১ খ. প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২ গ. ফাহিমার বাবা-মা কোন নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাহিমার বাবা-মা কেন ভোট দিতে পারবেন না? বিশ্লেষণ কর। ৪ ক নির্বাচন পদ্ধতি দুই ধরনের। খ নাগরিকরা যখন সরাসরি ভোটে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে তখন তাকে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলা হয়। আমাদের দেশে জাতীয় সংসদের সদস্যরা প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার যেমন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের সদস্য ও চেয়ারম্যান, পৌরসভার কমিশনার ও চেয়ারম্যান এবং নগর কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও মেয়র জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। গ ফাহিমার বাবা-মা প্রত্যক্ষ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে গ্রামভিত্তিক সরকার কাঠামো। এই পরিষদের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের সর্বনি¤œ স্তরের জাতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। ইউনিয়নের অধিবাসীরা প্রত্যক্ষ ভোট প্রদানের মাধ্যমে এই পরিষদের বিভিন্ন পদে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচনের সুযোগ পায়। উদ্দীপকে ফাহিমার বাবা-মা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সরাসরি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আর স্থানীয় সরকারের এ অংশটি প্রত্যক্ষ নির্বাচনের অন্যতম উদাহরণ। তাই বলা যায়, তারা প্রত্যক্ষ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ঘ বাংলাদেশের নির্বাচন পদ্ধতি প্রধানত দুই ধরনের- প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও পরোক্ষ নির্বাচন। নাগরিকরা যখন সরাসরি ভোটে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে তখন তাকে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলা হয়। আমাদের দেশে জাতীয় সংসদের সদস্যরা প্রত্যক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের সদস্যদের মতো প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন না। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জনগণ বা ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন পরোক্ষ নির্বাচনে আর তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাহিমার বাবা-মা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-ষষ্ঠ বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-পাঁচ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক

অধ্যায়-পাঁচ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ  প্রশ্ন- ১  সামিহা : লাজিন, কিছু দিন আগে পত্রিকায় রিকশাওয়ালার খবরটি পড়েছিস? লাজিন : হ্যাঁ পড়েছি। তার রিকশায় পড়ে থাকা একজন যাত্রীর এক লক্ষ টাকার একটি ব্যাগ পেয়েও নেয়নি। বরং যাত্রীর ঠিকানা খুঁজে বের করে পুরো টাকাটা যাত্রীকে ফেরত দেয়। সামিহা : ঐ রিকশাওয়ালার মতো মানুষই আমাদের দেশের জন্য দরকার। সত্যিই রিকশাওয়ালার বিচক্ষণতা ও সচেতনতা প্রশংসার দাবীদার। ক. জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে কততম দেশ? খ. সা¤প্রদায়িকতা সুনাগরিকত্ব অর্জনের একটি অন্তরায়, কথাটি ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের রিকশাওয়ালার মাঝে সুনাগরিকের কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ.“সুনাগরিক হতে হলে রিকশাওয়ালার উক্ত গুণটিই যথেষ্ট” তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ক জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম। খ সুনাগরিকত্ব অর্জনের জন্য দেশের সকল নাগরিককে উদার হতে হয়। সা¤প্রদায়িকতার ফলে দেশের বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মধ্যে অনেক সময় বিভেদ ও অশান্তি বিরাজ করে। যেমন : বিভিন্ন ধর্ম ও স¤প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠীর একাংশে নানা কারণে সহিংসতা দেখা দেয়। এতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট হয় এবং সমাজে সা¤প্রদায়িকতার উদ্ভব হয়। তাই সুনাগরিকত্ব অর্জনে সা¤প্রদায়িকতা প্রধান অন্তরায় হিসাবে কাজ করে। গ উদ্দীপকে রিকশাওয়ালার মাঝে সুনাগরিকের যে গুণটি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো আত্মসংযম। একজন সুনাগরিককে তিনটি মৌলিক গুণাবলি সম্পন্ন হতে হয় যার মধ্যে আত্মসংযম অন্যতম। একজন সুনাগরিককে অবশ্যই আত্মসংযমী হতে হয়। আত্মসংযমী মানুষ নিয়ম-কানুন মেনে চলে, লোভ-লালসা পরিহার করে, অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করে এবং রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যাণের জন্য কাজ করে। সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজের স্বার্থকে তুচ্ছ করে একজন সুনাগরিক কাজ করে যায়। একজন আত্মসংযমী নাগরিক বিভিন্ন অসৎ কাজ যেমন : দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা ও পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি থেকে নিজেকে বিরত রেখে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তেমনি উদ্দীপকের রিকশাওয়ালা এক লক্ষ টাকার ব্যাগ পেয়েও সে তার লোভ-লালসাকে পরিহার করে আত্মসংযমী হয়। এরপর সে টাকার ব্যাগটি প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়ে সুনাগরিকতা ও আত্মসংযমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে সুনাগরিকের অন্যতম গুণ আত্মসংযমের প্রকাশ পেয়েছে। ঘ সুনাগরিক হতে হলে আত্মসংযম গুণটিই যথেষ্ট এ ব্যাপারে আমি একমত নই। একজন সুনাগরিকের তিনটি মৌলিক গুণ থাকে তার মধ্যে আত্মসংযম একটি। আত্মসংযম ছাড়াও সুনাগরিকের আরও দুইটি মৌলিক গুণ রয়েছে। যথা : বুদ্ধি ও বিবেক-বিচার। দেশের একজন বুদ্ধিমান নাগরিক দেশ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। একজন বুদ্ধিমান নাগরিক রাষ্ট্রের ও সমাজের যেকোনো সমস্যার বুদ্ধিবৃত্তিক সমাধানের প্রচেষ্টা চালায়। আবার একজন নাগরিককে শুধু বুদ্ধিমান ও আত্মসংযমী হলে চলবে না বরং কোন কাজ ভালো না মন্দ তা বিচারের ক্ষমতা থাকতে হবে এবং নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যের জ্ঞান থাকা জরুরি। অর্থাৎ বিবেক-বিচার সুনাগরিকত্বের অন্যতম মৌলিক গুণাবলি। বিবেক হলো সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি। বিবেককে কাজে লাগিয়ে সে ভালো ও মন্দ কাজের ব্যবধান বুঝে এবং দেশের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয়। উপর্যুক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত আত্মসংযম গুণটি সুনাগরিকতার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রশ্ন- ২  সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু দুই বন্ধু। সোবহান সাহেব একজন বড় সরকারি কর্মকর্তা। তিনি কিছুদিন পূর্বে নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। শেখর বাবু একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এ বছর তিনি শ্রেষ্ঠ করদাতার পুরস্কার পান। তাদের সন্তানদের লেখাপড়ায় উভয়েই অত্যন্ত সচেতন। সোবহান সাহেব ঈদসহ অন্যান্য উৎসবে শেখর বাবুর পরিবারকে দাওয়াত করেন। শেখর বাবুও পূজা-পার্বণে সোবহান সাহেবের পরিবারকে তাঁর বাসায় নিয়ে আসেন। উভয় পরিবারই নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করে। ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কে? খ. সুনাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে নির্লিপ্ততা একটি বাধা। কথাটি ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের উভয় পরিবারই স্বাধীনভাবে নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে নাগরিকের কোন অধিকারটি ভোগ করছে? ব্যাখ্যা কর। ঘ.“সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন” পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ক বুদ্ধিমান নাগরিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। খ কাজের প্রতি নাগরিকদের উদাসীনতাকে বলে নির্লিপ্ততা। নিরক্ষরতা, উপযুক্ত শিক্ষার অভাব, অলসতা, দারিদ্র্য ও কাজের অনীহার কারণে নির্লিপ্ততা তৈরি হয়। নির্লিপ্ততার ফলে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে চায় না। এমনকি নাগরিক হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে না। তাই সুনাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে নির্লিপ্ততা একটি বাধা হিসেবে কাজ করে। গ উদ্দীপকে উভয় পরিবারে স্বাধীনভাবে নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার অধিকার ভোগ করছে। বিশ্বের সব দেশের নাগরিকগণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অধিকার ভোগ করে। দেশের নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য নাগরিকগণ সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করে। এরূপ অধিকারের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিকগণ নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার ও স্বাধীনতা লাভ করবে। অন্য ধর্মের লোকদের তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনে কোনো বাধা দিবে না। নাগরিকগণের ধর্মীয় মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের লোকের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও রীতি-নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে। এক ধর্মের ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়ে অন্য ধর্মের লোকদের যেন কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সর্বোপরি এক ধর্মের লোকেরা অন্য ধর্মের লোকদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে। উদ্দীপকে দেখা যায় সোবহান সাহেব ও শেখরবাবু তাদের নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে এবং একজন অপরজনকে তাদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে উভয় পরিবার নাগরিকের অন্যতম অধিকার স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চা করতে পারে। ঘ উদ্দীপকে সোবহান সাহেব ও শেখর বাবু নাগরিক অধিকার সমূহ ভোগের পাশাপাশি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নাগরিক অধিকার ছাড়া যেমন নাগরিকতার বিকাশ অসম্ভব তেমনি একটি রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য নাগরিকদের রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা ও নিয়মিত কর প্রদান অন্যতম। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকের সোবহান সাহেবও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করে। অন্যদিকে শেখর বাবু একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায় হতে প্রাপ্ত মুনাফার একটি অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কর হিসেবে জমা দেন। একটি দেশের উন্নয়নে জন্য কর রাজস্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা উদ্দীপকের শেখর বাবু প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখে। আলোচনার মাধ্যমে বুঝা যায়, সোবহান সাহেব ও শেখরবাবু রাষ্ট্রকর্তৃক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি রাষ্ট্রের উন্নয়নে বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। প্রশ্ন- ১  দৌলতরামদি ইউনিয়নে প্রায় ৮০% লোক শিক্ষিত। উক্ত ইউনিয়নের নির্বাচনে নাগরিকগণ ‘ক’ ও ‘খ’ ব্যক্তির মধ্যে ‘ক’ ব্যক্তিকে সৎ ও যোগ্য বলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ‘ক’ ব্যক্তি তার এলাকার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তার ভাইয়ের ছেলে প্রার্থী হলেও প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন। ক. কোন ধরনের নাগরিক যেকোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ? ১

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-পাঁচ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-চার বাংলাদেশের অর্থনীতি

অধ্যায়-চার বাংলাদেশের অর্থনীতি  সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ তমিজ উদ্দিন তার তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে তার জমিতে ধান, গম, সরিষা, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করে। তার স্ত্রী ও পুত্রবধূরাও ফসল তোলার কাজে সহায়তা করে। অবসর সময়ে সে বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান চালায়। কিন্তু এসব কাজের জন্য কেউ তাকে কোনো বেতন দেয় না। তাতে সে মনে কষ্ট না পেয়ে বরং গর্ববোধ করে। ক. ঝঅঋঞঅ এর পুরো নাম কী? খ. মাঝারি শিল্প বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। গ. তমিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের কাজ কোন ধরনের অর্থনৈতিক কাজের আওতাভুক্ত তা ব্যাখ্যা কর। ঘ.তমিজ উদ্দিনের মতো মানুষের কাজ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে- মূল্যায়ন কর। ক ঝঅঋঞঅ এর পুরো নাম ঝড়ঁঃয অংরধহ ঋৎবব ঞৎধফব অৎবধ। খ যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে দেড় কোটি টাকার অধিক মূলধন খাটে সেগুলোকে সাধারণত মাঝাারি শিল্প বলে গণ্য করা হয়। যেমন : হাল্কা ইঞ্জিনিয়ারিং, সিল্ক, সিরামিক, কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগার প্রভৃতি। দেশের চাহিদা পূরণ করে ও অনেক লোকের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এ ধরনের শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। গ তমিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের কাজ প্রথাগত বা অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজের আওতাভুক্ত। অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলতে সেগুলোকেই বোঝায়, যেসব কাজের জন্য মজুরি নির্ধারিত নেই, করের আওতায় আনাও কঠিন এবং যেসব অর্থনৈতিক কার্যক্রম সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না। উদ্দীপকের তমিজ উদ্দিন তার তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে জমিতে ধান, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করেন। স্ত্রী ও পুত্রবধূরাও ফসল তোলার কাজে তাকে সহায়তা করে। এসব কাজের জন্য কেউ তমিজ উদ্দিনকে বা তার পরিবারের সদস্যদেরকে কোনো পারিশ্রমিক প্রদান করেন না। এসব কাজ করের আওতায় আনা কঠিন এবং সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না। তাই বলা যায়, তমিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের কাজটি অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কাজের আওতাভুক্ত। ঘ তমিজ উদ্দিনের মতো মানুষের কাজ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক খাত প্রধান ভ‚মিকা পালন করছে। গ্রামের একজন চাষি ও তার পরিবারের সদস্যরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে কাজ করেন। নিজেদের জমিতে কাজ করার জন্য তারা কোনো মজুরি নেন না বা পান না। তমিজ উদ্দিন ও তার পরিবার যে কাজ বা পরিশ্রম করে তাতে কেবল তার পরিবার নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রও উপকৃত হচ্ছে। দেশের মোট খাদ্য চাহিদার বড় অংশ তমিজ উদ্দিনের মতো কৃষকরা উৎপাদন করছেন। এছাড়াও গ্রাম প্রধান বাংলাদেশে তার মতো বেশিরভাগ মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে ও শ্রমে ধান, পাট, রবিশস্য, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন, মাছ ধরা, গরু-ছাগল ও হাঁসমুরগি পালন, কুটিরশিল্প হাটবাজারে বিক্রি করার মাধ্যমে তাদের জীবিকার সংস্থান করছে। এভাবে তারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ভ‚মিকা রাখছে। তাই বলা যায়, তমিজ উদ্দিনের মতো মানুষের কাজ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই প্রশ্নোক্ত এ কথাটি যথার্থ ও সঠিক। প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ জরিনা বেগম গ্রামের একজন গরিব বিধবা মহিলা। সে একদিন বাজার থেকে বাঁশ ও বেত কিনে নিয়ে আসে। দুই মেয়েকে নিয়ে ডালা, কুলা ও ফুলদানি তৈরি করে। তার ছেলে তামজিদ এগুলো বাজারে বিক্রি করে। এতে তাদের যে লাভ হয় তা দিয়ে সংসার চলে। দিনে দিনে তাদের তৈরিকৃত দ্রব্যের চাহিদা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে তামজিদ তার বাবার এক বন্ধুর সহযোগিতায় স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। সে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানা স্থাপন করে। তামজিদ তার কারখানায় খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে প্রচুর লাভ করে। ক. রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী? খ. অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। গ. তামজিদের স্থাপিত কারখানাটি কোন শিল্পের অন্তর্গত তা ব্যাখ্যা কর। ঘ.বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জরিনা বেগমের কাজের অবদান মূল্যায়ন কর। ক রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। খ যেসব কাজের জন্য মজুরি নির্ধারিত নেই, করের আওতায় আনাও কঠিন এবং যেসব অর্থনৈতিক কার্যক্রম সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না, সেগুলোকে অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বলে। যেমন- নিজের জমি, দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ, গৃহস্থালি কর্ম, হকারি, দিনমজুরি প্রভৃতি। গ তামজিদের স্থাপিত কারখানাটি ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্গত। কারণ যেসব শিল্পে দেড় কোটি টাকার কম মূলধন খাটে সেগুলোকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে। চাল কল, ছোট ছোট জুতা বা প্লাস্টিক কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ। উদ্দীপকের তামজিদ তার বাবার এক বন্ধুর সহযোগিতায় স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। সে কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানা স্থাপন করে। আর খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা ক্ষুদ্র শিল্পের আওতাভুক্ত। তাই বলা যায়, তামজিদের প্রতিষ্ঠিত কারখানাটি ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। ঘ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জরিনা বেগমের কুটির শিল্পে কাজের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে স্বনির্ভরতা অর্জনে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে একটি ভালো ও সম্ভাবনাময় খাত হলো কুটিরশিল্প। কুটিরশিল্পে উৎপাদন ও বিপণনের কাজটি মালিক নিজে বা তার পরিবারের সদস্যরাই করে থাকেন। উদ্দীপকে জরিনা বেগম বাজার থেকে বাঁশ ও বেত কিনে নিয়ে আসে এবং মেয়েকে নিয়ে ডালা, কুলা ও ফুলদানি প্রভৃতি জিনিস তৈরি করে। তার ছেলে তামজিদ এগুলো বাজারে বিক্রি করে। এ থেকে প্রাপ্ত আয়ে তার সংসার চলে। এভাবে তিনি কুটিরশিল্প স্থাপন করে স্বনির্ভর হয়েছেন। আর বাংলাদেশের মতো বৃহৎ জনসংখ্যার ও শিল্পে অনগ্রসর একটি দেশে জরিনার প্রতিষ্ঠিত কুটির শিল্প ও অন্যান্য কুটির শিল্প অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতা অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্যবান অবদান রাখছে। প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ নাঈম ও শাহেদ ছোটবেলায় একসাথে লেখাপড়া করেছে। বর্তমানে নাঈম গ্রামে তার জমিতে একটি নার্সারি করেছে। আর শাহেদ শহরে একটি কাপড়ের দোকান দিয়েছে। দুজনই আর্থিক দিক থেকে উন্নতি লাভ করেছে। ক. বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত কী? ১ খ. অর্থনৈতিক খাত বলতে কী বোঝায়? ২ গ. নাঈম ও শাহেদের কাজ অর্থনীতির কোন খাতের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ.বাংলাদেশের গ্রামীণ ও শহুরে অর্থনীতিতে উক্ত খাতের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪ ক বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান খাত হলো কৃষি। খ কোনো দেশের অর্থনীতিতে সংঘটিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সমষ্টিগত অবদানের ভিত্তিকেই অর্থনৈতিক খাত বলা হয়। যেমন : কৃষিখাত, শিল্পখাত ইত্যাদি। অর্থনৈতিক খাত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক দুই ধরনের হয়। গ নাঈম ও শাহেদের কাজ অর্থনীতির অনানুষ্ঠানিক খাতের অন্তর্ভুক্ত। কেননা অনানুষ্ঠানিক কাজ বলতে সেসব কাজকে বোঝায় যেসব কাজের জন্য মজুরি নির্ধারিত নেই, করের আওতায় আনা কঠিন এবং সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না। যেমন : নিজের জমি চাষ, দোকান বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজ, গৃহস্থালি কর্ম, হকারি, দিনমজুরি প্রভৃতি। উদ্দীপকে নাঈম তার নিজ জমিতে একটি নার্সারি করেছে। নার্সারিতে সে যেসব গাছ বা ফুলের চাষ করে তা বিক্রি করে সে মুনাফা লাভ করে। এই মুনাফার পরিমাণ নির্দিষ্ট নয় বলে তার আয়কে করের আওতায় আনা কঠিন। আর শাহেদ শহরে কাপড়ের দোকান দিয়েছে অর্থাৎ সে একজন ব্যবসায়ী। সে কম দামে কাপড় কিনে বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করে। তাই তার আয়ও করের আওতায় আনা কঠিন। নাঈম ও শাহেদের কাজের বৈশিষ্ট্য অনানুষ্ঠানিক কাজের বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। তাই বলা যায়, নাঈম ও

সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-চার বাংলাদেশের অর্থনীতি Read More »

Scroll to Top