সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়-পাঁচ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক

অধ্যায়-পাঁচ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ

 প্রশ্ন- ১ 
সামিহা : লাজিন, কিছু দিন আগে পত্রিকায় রিকশাওয়ালার খবরটি পড়েছিস?
লাজিন : হ্যাঁ পড়েছি। তার রিকশায় পড়ে থাকা একজন যাত্রীর এক লক্ষ টাকার একটি ব্যাগ পেয়েও নেয়নি। বরং যাত্রীর ঠিকানা খুঁজে বের করে পুরো টাকাটা যাত্রীকে ফেরত দেয়।
সামিহা : ঐ রিকশাওয়ালার মতো মানুষই আমাদের দেশের জন্য দরকার। সত্যিই রিকশাওয়ালার বিচক্ষণতা ও সচেতনতা প্রশংসার দাবীদার।
ক. জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে কততম দেশ?
খ. সা¤প্রদায়িকতা সুনাগরিকত্ব অর্জনের একটি অন্তরায়, কথাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের রিকশাওয়ালার মাঝে সুনাগরিকের কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“সুনাগরিক হতে হলে রিকশাওয়ালার উক্ত গুণটিই যথেষ্ট” তুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

ক জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম।
খ সুনাগরিকত্ব অর্জনের জন্য দেশের সকল নাগরিককে উদার হতে হয়। সা¤প্রদায়িকতার ফলে দেশের বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মধ্যে অনেক সময় বিভেদ ও অশান্তি বিরাজ করে। যেমন : বিভিন্ন ধর্ম ও স¤প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠীর একাংশে নানা কারণে সহিংসতা দেখা দেয়। এতে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট হয় এবং সমাজে সা¤প্রদায়িকতার উদ্ভব হয়। তাই সুনাগরিকত্ব অর্জনে সা¤প্রদায়িকতা প্রধান অন্তরায় হিসাবে কাজ করে।
গ উদ্দীপকে রিকশাওয়ালার মাঝে সুনাগরিকের যে গুণটি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো আত্মসংযম। একজন সুনাগরিককে তিনটি মৌলিক গুণাবলি সম্পন্ন হতে হয় যার মধ্যে আত্মসংযম অন্যতম। একজন সুনাগরিককে অবশ্যই আত্মসংযমী হতে হয়। আত্মসংযমী মানুষ নিয়ম-কানুন মেনে চলে, লোভ-লালসা পরিহার করে, অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করে এবং রাষ্ট্রের সার্বিক কল্যাণের জন্য কাজ করে। সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজের স্বার্থকে তুচ্ছ করে একজন সুনাগরিক কাজ করে যায়। একজন আত্মসংযমী নাগরিক বিভিন্ন অসৎ কাজ যেমন : দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা ও পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি থেকে নিজেকে বিরত রেখে নিঃস্বার্থভাবে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তেমনি উদ্দীপকের রিকশাওয়ালা এক লক্ষ টাকার ব্যাগ পেয়েও সে তার লোভ-লালসাকে পরিহার করে আত্মসংযমী হয়। এরপর সে টাকার ব্যাগটি প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়ে সুনাগরিকতা ও আত্মসংযমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে সুনাগরিকের অন্যতম গুণ আত্মসংযমের প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ সুনাগরিক হতে হলে আত্মসংযম গুণটিই যথেষ্ট এ ব্যাপারে আমি একমত নই। একজন সুনাগরিকের তিনটি মৌলিক গুণ থাকে তার মধ্যে আত্মসংযম একটি। আত্মসংযম ছাড়াও সুনাগরিকের আরও দুইটি মৌলিক গুণ রয়েছে। যথা : বুদ্ধি ও বিবেক-বিচার। দেশের একজন বুদ্ধিমান নাগরিক দেশ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন উন্নয়ন ও সফলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। একজন বুদ্ধিমান নাগরিক রাষ্ট্রের ও সমাজের যেকোনো সমস্যার বুদ্ধিবৃত্তিক সমাধানের প্রচেষ্টা চালায়। আবার একজন নাগরিককে শুধু বুদ্ধিমান ও আত্মসংযমী হলে চলবে না বরং কোন কাজ ভালো না মন্দ তা বিচারের ক্ষমতা থাকতে হবে এবং নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্যের জ্ঞান থাকা জরুরি। অর্থাৎ বিবেক-বিচার সুনাগরিকত্বের অন্যতম মৌলিক গুণাবলি। বিবেক হলো সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি। বিবেককে কাজে লাগিয়ে সে ভালো ও মন্দ কাজের ব্যবধান বুঝে এবং দেশের প্রতি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হয়। উপর্যুক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত আত্মসংযম গুণটি সুনাগরিকতার জন্য যথেষ্ট নয়।
প্রশ্ন- ২ 
সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু দুই বন্ধু। সোবহান সাহেব একজন বড় সরকারি কর্মকর্তা। তিনি কিছুদিন পূর্বে নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। শেখর বাবু একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এ বছর তিনি শ্রেষ্ঠ করদাতার পুরস্কার পান। তাদের সন্তানদের লেখাপড়ায় উভয়েই অত্যন্ত সচেতন। সোবহান সাহেব ঈদসহ অন্যান্য উৎসবে শেখর বাবুর পরিবারকে দাওয়াত করেন। শেখর বাবুও পূজা-পার্বণে সোবহান সাহেবের পরিবারকে তাঁর বাসায় নিয়ে আসেন। উভয় পরিবারই নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করে।
ক. রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কে?
খ. সুনাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে নির্লিপ্ততা একটি বাধা। কথাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের উভয় পরিবারই স্বাধীনভাবে নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে নাগরিকের কোন অধিকারটি ভোগ করছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.“সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন” পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ক বুদ্ধিমান নাগরিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
খ কাজের প্রতি নাগরিকদের উদাসীনতাকে বলে নির্লিপ্ততা। নিরক্ষরতা, উপযুক্ত শিক্ষার অভাব, অলসতা, দারিদ্র্য ও কাজের অনীহার কারণে নির্লিপ্ততা তৈরি হয়। নির্লিপ্ততার ফলে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে চায় না। এমনকি নাগরিক হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে না। তাই সুনাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে নির্লিপ্ততা একটি বাধা হিসেবে কাজ করে।
গ উদ্দীপকে উভয় পরিবারে স্বাধীনভাবে নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চার অধিকার ভোগ করছে। বিশ্বের সব দেশের নাগরিকগণ রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অধিকার ভোগ করে। দেশের নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য নাগরিকগণ সরকার থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করে। এরূপ অধিকারের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিকগণ নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার ও স্বাধীনতা লাভ করবে। অন্য ধর্মের লোকদের তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালনে কোনো বাধা দিবে না। নাগরিকগণের ধর্মীয় মতামত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের লোকের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও রীতি-নীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে। এক ধর্মের ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়ে অন্য ধর্মের লোকদের যেন কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সর্বোপরি এক ধর্মের লোকেরা অন্য ধর্মের লোকদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে। উদ্দীপকে দেখা যায় সোবহান সাহেব ও শেখরবাবু তাদের নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে এবং একজন অপরজনকে তাদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে উভয় পরিবার নাগরিকের অন্যতম অধিকার স্বাধীনভাবে ধর্ম চর্চা করতে পারে।
ঘ উদ্দীপকে সোবহান সাহেব ও শেখর বাবু নাগরিক অধিকার সমূহ ভোগের পাশাপাশি তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নাগরিক অধিকার ছাড়া যেমন নাগরিকতার বিকাশ অসম্ভব তেমনি একটি রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য নাগরিকদের রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা ও নিয়মিত কর প্রদান অন্যতম। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকের সোবহান সাহেবও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করে। অন্যদিকে শেখর বাবু একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার ব্যবসায় হতে প্রাপ্ত মুনাফার একটি অংশ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কর হিসেবে জমা দেন। একটি দেশের উন্নয়নে জন্য কর রাজস্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা উদ্দীপকের শেখর বাবু প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখে। আলোচনার মাধ্যমে বুঝা যায়, সোবহান সাহেব ও শেখরবাবু রাষ্ট্রকর্তৃক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি রাষ্ট্রের উন্নয়নে বিভিন্ন দায়িত্ব ও কর্তব্য অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন।
প্রশ্ন- ১ 
দৌলতরামদি ইউনিয়নে প্রায় ৮০% লোক শিক্ষিত। উক্ত ইউনিয়নের নির্বাচনে নাগরিকগণ ‘ক’ ও ‘খ’ ব্যক্তির মধ্যে ‘ক’ ব্যক্তিকে সৎ ও যোগ্য বলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ‘ক’ ব্যক্তি তার এলাকার একটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তার ভাইয়ের ছেলে প্রার্থী হলেও প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন।
ক. কোন ধরনের নাগরিক যেকোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ? ১
খ. নাগরিকদের সুনাগরিক হতে হবে কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. দৌলতরামদি ইউনিয়নের নাগরিকদের মধ্যে কোনটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর জনাব ‘ক’ একজন সুনাগরিক মতামত দাও। ৪

ক বুদ্ধিমান নাগরিক যেকোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
খ নাগরিক নাগরিকের সুনাগরিক হওয়া বাঞ্ছনীয়। যদি সুনাগরিক হয় তবে তা দেশের জন্য সম্পদ। আর তা না হলে দেশের উন্নতি রাধাগ্রস্ত হবে। দেশের প্রগতি ও ব্যর্থতা উভয়ই নির্ভর করে নাগরিকের সততা, দক্ষতা এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের উপর। এজন্য নাগরিকদের সুনাগরিক হতে হবে।
গ দৌলতরামদি ইউনিয়নের নাগরিকদের মধ্যে ‘নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ পালনের প্রতিফলন ঘটেছে। বিশ্বের সব দেশের নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অধিকার ভোগ করে। বিনিময়ে নাগরিককেও রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়। এর মধ্যে প্রধান দায়িত্বগুলো হলো : রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, আইন মেনে চলা, ভোটাধিকার প্রয়োগ করা, নিয়মিত কর প্রদান, সরকারি কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা, সন্তানকে শিক্ষাদান করা এবং রাষ্ট্রকে সেবা করা। উদ্দীপকের দৌলতরামদি ইউনিয়নের নাগরিকগণ সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে নির্বাচিত করায় তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব পরিহার করে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন। যা নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনকে নির্দেশ করে।
ঘ হ্যাঁ, আমি মনে করি জনাব ‘ক’ একজন সুনাগরিক। কেননা ‘ক’ এর মধ্যে সুনাগরিকের মৌলিক তিনটি গুণ বুদ্ধি, আত্মসংযম ও বিবেক-বিচার বিদ্যমান। জনাব ‘ক’ বুদ্ধিমান ও বিবেকবোধসম্পন্ন নাগরিক। তিনি এ ধরনের গুণের মাধ্যমে ন্যায়-অন্যায়, সৎ-অসৎ, ভালো-মন্দ অনুধাবন করতে পারেন। তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ায় একদিকে যেমন রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভোগ করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রের প্রতি যথাযথভাবে দায়িত্ব কর্তব্য পালনের বিদ্যালয় স্থাপন করেন এবং তার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছতা অবলম্বন করেন অর্থাৎ ন্যায়ের পক্ষে থাকেন। আবার জনাব ‘ক’ একজন আত্মসংযমী নাগরিক। তিনি নিজেকে সকল ধরনের লোভ-লালসার উর্ধ্বে রেখে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালন করেন; যেমনটি উদ্দীপকে জনাব ‘ক’ এর কার্যক্রমে ফুটে উঠেছে। উপর্যুক্ত আলোচনার প্রতীয়মান হয় যে, জনাব ‘ক’ একজন সুনাগরিক।
প্রশ্ন- ২ 
দৃশ্যপট-১ : জনাব ‘ক’ একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তিনি দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা এবং পক্ষপাতিত্ব থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
দৃশ্যপট-২ : জনাব ‘খ’ যেকোনো কাজ করার আগে কাজটির ভালো-মন্দ যাচাই করে কাজটি সম্পন্ন করেন।
ক. বুদ্ধিমত্তা অর্জনের বড় উপায় কী? ১
খ. ‘দাম্ভিকতা সুনাগরিকতার অন্তরায়’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. দৃশ্যপট-১ এ সুনাগরিকের কোন গুণটি নির্দেশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.দৃশ্যপট-২ পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বুদ্ধিমত্তা অর্জনের বড় উপায় হলো শিক্ষা লাভ করে জ্ঞান অর্জন করা।
খ দাম্ভিকতা একটি নেতিবাচক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এর ফলে ব্যক্তি নিজেকে বড় করে দেখে। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় না। নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। এ ধরনের মানসিকতা সুনাগরিকতার বিরাট বাধা।
গ দৃশ্যপট-১ এ সুনাগরিকের যে গুণটি নির্দেশিত হয়েছে তা হলো আত্মসংযম। আত্মসংযম সুনাগরিকের অন্যতম একটি গুণ। আত্মসংযম দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করতে ও নিয়ম মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করে। আত্মসংযম ছাড়া সুনাগরিক হওয়া সম্ভব নয়। আত্মসংযমী নাগরিক অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করে। এ ধরনের গুণের অধিকারী ব্যক্তি দেশের স্বার্থকে নিজের স্বার্থের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। দলীয় স্বার্থপরতা থেকে বিরত রাখে এবং রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। এটি নাগরিককে অসৎ কাজ যেমন : দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা এবং পক্ষপাতিত্ব থেকে বিরত রাখে; যেমনটি দৃশ্যপট-১ এ উল্লিখিত ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায়। সুতরাং বলা যায়, দৃশ্যপট-১ এ সুনাগরিকের অন্যতম গুণ ‘আত্মসংযম’ এর প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ দৃশ্যপট-২ সুনাগরিকের গুণ বিবেক-বিচার তুলে ধরা হয়েছে। বিবেক বিচার বলতে বোঝায় ভালো-মন্দের জ্ঞান, দায়িত্ব-কর্তব্যের জ্ঞান। একজন নাগরিককে শুধু বুদ্ধিমান ও আত্মসংযমী হলেই চলবে না। যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে হলে তাকে ভাবতে হবে কাজটি ভালো না মন্দ। মন্দ কাজটি পরিহার করে ভালো কাজটি করতে হবে। এছাড়া সমাজ বা রাষ্ট্রের কোনো সমস্যা সমাধান করতে হলে নাগরিককে তার বিবেক দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবেক হলো সুনাগরিক জাগ্রত শক্তি। অতএব নাগরিক নিজে বিবেক-বিচার সম্পন্ন হবে। অন্যদেরও বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন হতে উৎসাহিত করতে হবে। বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এ ধরনের নাগরিক সমাজও রাষ্ট্রের কাক্সিক্ষত উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্ন- ৩ 
জনাব ‘ক’ একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার সন্তানদের যথাযথ শিক্ষা দেন। নির্বাচনে তিনি উপযুক্ত প্রার্থীকে ভোট দেন। তিনি রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ করেন।
ক. নির্লিপ্ততা কী? ১
খ. ‘অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা সুনাগরিকতার অন্তরায়’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে সুনাগরিকের কোন গুণটির প্রতিফলন ঘটেছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর উক্ত গুণটিই সুনাগরিকের একমাত্র গুণ? মতামত দাও। ৪

ক কাজের প্রতি নাগরিকদের উদাসীনতাই হচ্ছে নির্লিপ্ততা।
খ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এদেশের ৫০ ভাগ লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। দারিদ্র্যের কারণে আমাদের দেশে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লোক লিখতে পড়তে পারে না। ফলে তাদের বুদ্ধিমত্তার যথাযথ বিকাশ হয় না। তাদের বিবেকও সঠিকভাবে কাজ করে না। যা সুনাগরিকতা অর্জনের জন্য একটি অন্যতম বাধা।
গ উদ্দীপকে সুনাগরিকের যে গুণটির প্রতিফলন ঘটেছে তা হচ্ছে বুদ্ধি। এটি সুনাগরিকের অন্যতম একটি গুণ। বৃদ্ধিমান নাগরিক যেকোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। বুদ্ধিমত্তা অর্জনের সবচেয়ে বড় উপায় হলো শিক্ষালাভ করে জ্ঞান অর্জন করা। অতএব, নাগরিকদের যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কারণ বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রার্থীকে ভোট দেন। দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সফলতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভ‚মিকা পালন করেন। সন্তানদের যথাযথ শিক্ষা দেন। উদ্দীপকে জনাব ‘ক’ এর মধ্যে উক্ত গুণাবলি গুলো দেখা যায়। সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকে সুনাগরিকের অন্যতম একটি গুণ ‘বুদ্ধি’ তুলে ধরা হয়েছে।
ঘ না, আমি মনে করি উক্ত গুণটি একটি অর্থাৎ বুদ্ধি সুনাগরিকের একমাত্র গুন নয়। বুদ্ধি ছাড়াও সুনাগরিকের আরও দুইটি মৌলিক গুণ রয়েছে। যথা : আত্মসংযম ও বিবেক-বিচার। আত্মসংযম নাগরিককে অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখে। দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করতে ও নিয়ম মেনে চলতে আত্মসংযম অনুপ্রাণিত করে। আত্মসংযম নাগরিক অন্যায় কাজ ও দলীয় স্বার্থপরতা থেকে বিরত থাকে এবং রাষ্ট্রের সার্বিক মঙ্গলের জন্য কাজ করে। একজন নাগরিককে শুধু বুদ্ধিমান ও আত্মসংযমী হলেই চলবে না। যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে হলে তাকে ভাবতে হবে কাজটি ভালো না মন্দ। বিবেক হলো সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি। তাই নাগরিক নিজে বিবেক-বিচার সম্পন্ন হবে। অন্যদেরও বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন হতে উৎসাহিত করবে। উপর্যুক্ত আলোচনার প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত গুণটি অর্থাৎ ‘বুদ্ধি’ সুনাগরিকের একমাত্র গুণ নয়।
প্রশ্ন- ৪ 
জনাব ‘ক’ রাষ্ট্রের কোনো ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করতে চায় না। এমনকি নাগরিক হিসাবে তিনি তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন না। অন্যদিকে তার বন্ধু জনাব ‘খ’ উপযুক্ত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নিজ আত্মীয় বা পরিচিতজনকে চাকরি দেয়। তিনি প্রায়ই স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক অনিয়ম করেন।
ক. একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য কী প্রয়োজন? ১
খ. বিবেক-বিচার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব ‘ক’ এর কাজ সুনাগরিকতার কোন প্রতিবন্ধকতা নির্দেশ করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর জনাব ‘ক’ ও জনাব ‘খ’ এর কাজ সুনাগরিকতার একই ধরনের প্রতিবন্ধকতার প্রতিচ্ছবি? মতামত দাও। ৪

ক একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সুনাগরিকের।
খ বিবেক বিচার বলতে বোঝায় ভালো-মন্দের জ্ঞান, দায়িত্ব-কর্তব্যের জ্ঞান। সমাজ বা রাষ্ট্রের কোনো সমস্যা সমাধান করতে হলে নাগরিককে তার বিবেক দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবেক হলো সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি। নাগরিক নিজে বিবেক-বিচার সম্পন্ন হবে। অন্যদেরও বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন হতে উৎসাহিত করবে।
গ জনাব ‘ক’ এর কাজ সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা নির্লিপ্ততাকে নির্দেশ করছে। সাধারণভাবে কাজের প্রতি নাগরিকদের উদাসীনতাকে নির্লিপ্ততা বলা হয়। বিভিন্ন কারণে নির্লিপ্ততা তৈরি হয়। যেমন : নিরক্ষরতা, উপযুক্ত শিক্ষার অভাব, অলসতা, দারিদ্র্য ও কাজে অনীহা। আমাদের দেশের নাগরিকদের মধ্যে এ জাতীয় নির্লিপ্ততা দেখা যায়। নির্লিপ্ততা সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করা সম্ভব হয় না। নির্লিপ্ততার কারণে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে চায় না। এমনকি নাগরিক হিসাবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে না; যেমনটি উদ্দীপকের জনাব ‘ক’ এর কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ না, আমি মনে করি জনাব ‘ক’ ও জনাব ‘খ’ এর কাজ সুনাগরিকতার একই ধরনের প্রতিবন্ধকতার প্রতিচ্ছবি নয়। কেননা জনাব ‘ক’ এর কাজে সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা নির্লিপ্ততা অন্যদিকে জনাব ‘খ’ এর কাজে সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা ফুটে উঠেছে। ব্যক্তিস্বার্থ পরায়ণতার ফলে ব্যক্তি নিজের স্বার্থকে দেশের স্বার্থের চেয়ে বড় করে দেখে। এর ফলে নাগরিক সহজেই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। এ কারণেই নির্বাচনে অনেক সময় যোগ্য লোককে ভোট না দিয়ে দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থ বিবেচনা করে ভোট দেয়। উপযুক্ত প্রার্থীকে চাকরি না দিয়ে নিজ আত্মীয় বা পরিচিতজনকে চাকরি দেয়; যেমনটি উদ্দীপকের ‘খ’ এর কর্মকাণ্ডে দেখা যায়। এ ধরনের ব্যক্তিগবর্গ স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক অনিয়ম করে। এসব কিছুই সুনাগকিতার প্রতিবন্ধকতা। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উপর্যুক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, জনাব ‘ক’ ও জনাব ‘খ’ এর কর্মকাণ্ড সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিচ্ছবি।
প্রশ্ন- ৫ 
মঞ্জুমিয়া ও চাঁনমিয়া একই গ্রামের অধিবাসী। মঞ্জুমিয়া পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি প্রয়োজনীয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে চাঁনমিয়া দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেন। এছাড়া তিনি ধর্মান্ধ এবং সবসময় নিজের মতামতকে বড় করে দেখেন। নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেন।
ক. বাংলাদেশের কত ভাগ লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে? ১
খ. ‘সা¤প্রদায়িকতা সুনাগরিকতার অন্তরায়’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মঞ্জুমিয়া সুনাগরিকতার কোন প্রতিবন্ধকতার প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মঞ্জুমিয়া ও চাঁনমিয়ার কাজে সুনাগরিকতার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তুলে করে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের ৫০ ভাগ লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে।
খ সা¤প্রদায়িকতা সুনাগরিকতার অন্তরায়। কেননা সা¤প্রদায়িকতার ফলে বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মধ্যে অনেক সময় বিভেদ ও অশান্তি বিরাজ করে। যেমন বিভিন্ন ধর্ম ও স¤প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠীর একাংশে নানা কারণে সহিংসতা দেখা দেয়। এতে স¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট হয় এবং সমাজে সা¤প্রদায়িকতার উদ্ভব হয়।
গ মঞ্জুমিয়া সুনাগরিকতার অজ্ঞতা ও নিরক্ষতার প্রতিচ্ছবি। অজ্ঞতা ও নিরক্ষরতা সুনাগরিকতার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। মূলত সুনাগরিকতা অর্জনের ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা। কেননা সুনাগরিকের গুণগুলো পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। আর এজন্য আমাদের দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা দায়ী। আমাদের দেশে প্রায় এক তৃতীয়াংশ নাগরিক নিরক্ষর। যারা লেখাপড়া জানেন তাদের অনেকেই স্বল্পশিক্ষিত। ফলে তারা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। তাদের উপর রাষ্ট্রের দেয়া দায়িত্ব তারা সঠিকভাবে পালন করতে পারে না। অজ্ঞ ও নিরক্ষর লোক অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারে না। ফলে তারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কোনো ক্ষেত্রেই তাৎপর্যপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে না। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন; যেমনটি উদ্দীপকের মঞ্জুমিয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়।
ঘ মঞ্জুমিয়া ও চাঁনমিয়ার কাজ সুনাগরিকতার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তুলে করে উক্তিটি যথার্থ। মঞ্জুমিয়া পারিবারিক জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না; যা সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা অজ্ঞতা ও নিরক্ষরতাকে তুলে ধরে। অন্যদিকে চাঁনমিয়া দলীয় সিদ্ধান্ত এবং নিজের মতামতকে প্রাধান্য দেন। এছাড়া তিনি ধর্মান্ধ; যা সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা দলীয় মনোভাব, দাম্ভিকতা এবং ধর্মান্ধতাকে নির্দেশ করে। বস্তুত দলীয় মনোভাব অনেক সময় সুনাগরিক হতে সমস্যা তৈরি করে। কেননা দলীয় মনোভাবের কারণে বিরোধী দলের অনেক ভালো কাজকে ও তারা সমালোচনা করে বর্জন করে। দাম্ভিকতা একটি নেতিবাচক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এর ফলে ব্যক্তি নিজেকে বড় করে দেখে। নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। ধর্মান্ধতা সুনাগরিকতার বিকাশের অন্তরায়। এ ধরনের মনোভাব বিভিন্ন ধর্মের লোকের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত সৃষ্টি করে। উদ্দীপকে সুনাগরিকের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। আলোচনার প্রতীয়মান হয় যে, মঞ্জুমিয়া ও চাঁনমিয়ার কাজ সুনাগরিকতার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবন্ধকতার নির্দেশক।
প্রশ্ন- ৬ 

আফসার তরফদার বেথুলি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোক বসবাস করে। কিন্তু তিনি এ ধর্মের মানুষদেরকে মোটেও সহ্য করতে পারে না। আফসার সাহেবের জাতীয় নির্বাচনে আপনি কখন ভোট দিতে যাবেন? জবাবে তিনি বললেন, আমি ঐ সব ভোট টোট দেয় না। আমি আমার মতো চলি। আমার কারোরই দরকার হয় না।
ক. আমাদের দেশের কত শতাংশ লোক নিরক্ষর? ১
খ. আত্মসংযম সুনাগরিকের অন্যতম গুণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে সুনাগরিকের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূরীকরণের উপায় বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আমাদের দেশের এক-তৃতীয়াংশ লোক নিরক্ষর।
খ আত্মসংযম সুনাগরিকের অন্যতম একটি গুণ। কেননা আত্মসংযমী নাগরিক দেশের প্রচলিত নিয়ম-কানুন মেনে চলেন। অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করেন। এ ধরনের গুণের অধিকারী ব্যক্তি সবসময় নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখেন।
গ উদ্দীপকের সুনাগরিকতার তিনটি প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরা হয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নের অন্তরায়। নির্লিপ্ততা সুনাগরিকতার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। এর ফলে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে চায় না। এমনকি নাগরিক হিসাবে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে না। ধর্মান্ধতা সুনাগরিকতার বিকাশে বিরাট অন্তরায়। ধর্মান্ধতা ব্যক্তিকে অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষী করে তোলে। এ ধরনের মনোভাব বিভিন্ন ধর্মের লোকের মধ্যে বিদ্বেষ ও সংঘাত সৃষ্টি করে। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের সংহতি, উন্নতি ও প্রগতিকে বিনষ্ট করে। দাম্ভিকতা একটি নেতিবাচক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এর ফলে ব্যক্তি নিজেকে বড় করে দেখে। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় না। নিজের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। এ ধরনের মানসিকতা সুনাগরিকতার পথে বিরাট বাঁধা। উদ্দীপকে আফসার তরফদার হিন্দু ধর্মবিদ্বেষী, তিনি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয় না এবং নিজেকে বড় মনে করেন। সুনাগরিকতার তিনটি প্রতিবন্ধকতা তার মাঝে প্রতিফলিত হয় না সুনাগরিক হবার পথে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে।
ঘ সুনাগরিকতা অর্জনের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, সুনাগরিকের গুণগুলো পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র দ্বারা প্রভাবিত হয়। আমাদের সমাজে রয়েছে নানা ধরনের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা যা একজন নাগরিকের সুনাগরিক হবার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। কতিপয় উপায় অবলম্বন করে প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করা যায়। যেমন : উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সকল ধরনের নির্লিপ্ততা পরিহার করে দেশ গঠনে অংশগ্রহণ করতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। দলীয় মনোভাব পরিত্যাগ করে সার্বজনীন মনোভাব পোষণ করতে হবে। ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী ইত্যাদি ভেদে মানুষকে পৃথক না করে সকলের প্রতি সমআচরণের মনোভাব জাগ্রত করতে হবে। দাম্ভিকতা পরিহার করে সকলের জন্য কল্যাণকর মতামতের উপর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা দূর করে সকলের জন্য সমমর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। উক্ত পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে গ্রহণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করা সম্ভব হবে।
প্রশ্ন- ৭ 

ক. কোনটি সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি? ১
খ. সুনাগরিকের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দুইটি উপায় উল্লেখ কর। ২
গ. ‘?’ চি‎িহ্নত স্থানে কী হবে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উক্ত ধরনের নাগরিকের গুরুত্ব মূল্যায়ন কর। ৪

ক বিবেক সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি।
খ রাষ্ট্রের কাক্সিক্ষত উন্নয়নে সুনাগরিকের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা অত্যাবশ্যক। সুনাগরিকের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দুইটি উপায়
র. উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
রর. ব্যক্তির চেয়ে দেশকে বড় মনে করে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ পরিত্যাগ করতে হবে।
গ ‘?’ চি‎িহ্নত স্থানে হবে সুনাগরিক। কেননা ছকে প্রতিফলিত গুণগুলো সুনাগরিকের তিনটি মৌলিক গুণ। একজন নাগরিককে সুনাগরিক হতে হলে তার মধ্যে অবশ্যই এ তিনটি গুণ থাকতে হবে। বুদ্ধি সুনাগরিকের অন্যতম একটি গুণ। বুদ্ধিমান নাগরিক যেকোনো রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। সুনাগরিককে আত্মসংযমী হতে হবে। আত্মসংযম ব্যক্তিকে দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করতে ও নিয়ম মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করে। একজন নাগরিককে শুধু বুদ্ধিমান আত্মসংযমী হলেই চলবে না। যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে হলে তাকে ভাবতে হবে কাজটি ভালো না মন্দ। অর্থাৎ নাগরিক নিজে বিবেক-বিচার সম্পন্ন হবে। সুতরাং ছকের তিনটি গুণ বিশ্লেষণ বলা যায় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত তিনটি গুণ একজন সুনাগরিকের মাঝে দেখা যায়, তাই ‘?’ চি‎িহ্নত স্থানে সুনাগরিক হবে।
ঘ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুনাগরিকের গুরুত্ব অপরিসীম একমাত্র সুনাগরিকের পক্ষেই দেশের আর্থসামাজিক সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানে যথাযথ ভ‚মিকা পালন করা সম্ভব। সুনাগরিকেরা রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানের জন্য উপযোগী ও দক্ষ হয়। কেননা, সুনাগরিক সহজেই আর্থসামাজিক সমস্যাগুলো বুঝতে পারে। তাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, বিবেক-বিচারবোধ ইত্যাদির সাহায্যে রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানে প্রত্যাশিত ভ‚মিকা ও দায়িত্ব পালন করতে পারে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুনাগরিকের কোনো বিকল্প নেই। বস্তুত সুনাগরিক দেশের মূল্যবান সম্পদ। সুনাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। তারাই দেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত ও আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। আর এ প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সুনাগরিকের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন- ৮ 

জনাব কবির ‘ক’ রাষ্ট্রের নাগরিক। তিনি রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অধিকার ভোগ করেন। কর্মক্ষেত্রে নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেন।
ক. বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দলিল কোনটি? ১
খ. বুদ্ধি সুনাগরিকের অন্যতম একটি গুণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব কবির রাষ্ট্রের কাছ থেকে কী কী অধিকার ভোগ করেন? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে তুলে ধর। ৩
ঘ.রাষ্ট্রের উন্নয়নে জনাব কবিরের ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪

ক বাংলাদেশের সরকার পরিচালনার দলিল ‘বাংলাদেশের সংবিধান’।
খ বুদ্ধি সুনাগরিকের অন্যতম একটি গুণ। কেননা বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন, দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা, রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সফলতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভ‚মিকা রাখে। বুদ্ধিমত্তা অর্জনের সবচেয়ে বড় উপায় হল শিক্ষা লাভ করে জ্ঞানার্জন করা, নাগরিকদের উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের।
গ জনাব কবির রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অধিকার ভোগ করেন। নাগরিক হিসেবে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ও অর্থনৈতিক অধিকার ভোগ করি। বাংলাদেশের সংবিধানে এসব অধিকার উল্লেখ আছে। সংবিধান অনুযায়ী জনাব কবির যেসব অধিকার ভোগ করেন সেগুলো হলো : ১. জীবনধারণের অধিকার; ২. সম্পত্তির অধিকার; ৩. চলাফেরার অধিকার; ৪. ধর্মচর্চার অধিকার; ৫. চুক্তি করার অধিকার; ৬. চিন্তা ও বিবেকের অধিকার; ৭. সংবাদপত্রের স্বাধীনতা; ৮. সভা-সমিতির অধিকার; ৯. পরিবার গঠনের অধিকার; ১০. সংস্কৃতি ও ভাষায় অধিকার; ১১. কর্ম লাভের অধিকার; ১২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষা লাভ করার অধিকার; ১৩. আইন মেনে চলার অধিকার; ১৪. অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার পাওয়ার অধিকার; ১৫. স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার; ১৬. রাষ্ট্রীয় পরিসরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার ইত্যাদি। উদ্দীপকের জনাব কবির উপরোক্ত অধিকারগুলো ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের অধিকার ভোগ করেন।
ঘ রাষ্ট্রের উন্নয়নে জনাব কবিরের ভ‚মিকা অপরিসীম। বস্তুত নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন অধিকার ভোগের পাশাপাশি নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করবে। বর্তমানে রাষ্ট্রের উন্নয়নে অধিকার ভোগের চেয়ে নাগরিকের কর্তব্য পালনের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এজন্য নাগরিককে নিজের কর্তব্যগুলো ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে হবে। নাগরিক রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা মেনে চলবে। রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকবে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। কর্মক্ষেত্রে নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে। সন্তানকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নে সব ধরনের কাজে সহযোগিতা করবে ও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। যেমনটি উদ্দীপকের জনাব কবিরের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃতপক্ষে নাগরিকের কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আর এ প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকের জনাব কবিরের ভ‚মিকা রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৯ 
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার সকল নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিজিটাল কার্ড তথা “স্মার্ট কার্ড” প্রদান করছে। এই কার্ডের জন্য প্রদত্ত তথ্য দিতে মনুমিয়া পাশের বাড়ির সাদ্দামের নিকট যান। কারণ মনুমিয়া লিখতে ও পড়তে পারেন না। এরকম অনেক কাজ মনুমিয়াকে অন্যের সাহায্য নিয়ে করতে হয়।
ক. একটি রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন হয় কীভাবে? ১
খ. নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে পাঠ্যবইয়ের কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত বিষয়ে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায় বলে তুমি মনে কর? যুক্তি দাও। ৪

ক নাগরিকদের যথাযথ কর্তব্য পালনের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন হয়।
খ একজন নাগরিক জন্মের পর থেকে রাষ্ট্র প্রদত্ত বিভিন্ন অধিকার সে ভোগ করে। এসব অধিকার ছাড়া নাগরিকের যথাযথ মানসিক বিকাশ সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের কাছ থেকে অধিকার ভোগের পাশাপাশি নাগরিক নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করবে। অধিকার ভোগের চেয়ে দায়িত্ব পালন একজন সুনাগরিকের অন্যতম প্রধান কাজ। তাই অধিকার ভোগের চেয়ে নাগরিক কর্তব্য পালন একজন নাগরিকের বেশি গুরুত্ব আরোপ করা দরকার। রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের কর্তব্য পালনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ বাংলাদেশে সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা ব্যাখ্যা কর।
ঘ সুনাগরিকের প্রতিবদ্ধকতা দূরীকরণের উপায় আলোচনা কর।
প্রশ্ন- ১০ 
জনাব রশিদ সাহেব একটি কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি নিজে গাড়ি চালিয়ে অফিসে যান। যাবার পথে তার সন্তানদের স্কুলে নামিয়ে দেন। তার অফিসের প্রয়োজনে দ্রæত যাবার প্রয়োজন হলেও কখন তিনি ট্রাফিক আইন অমান্য করেন না। শুধু তাই নয় তিনি তার অফিসের অন্যতম একজন করদাতা হিসেবে পরিচিত।
ক. একজন নাগরিকের অন্যতম প্রধান কাজ কী? ১
খ. সুনাগরিকের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. একজন নাগরিক হিসেবে রশিদ সাহেবের মধ্যে কোন বিষয়টি লক্ষণীয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অধিকার ভোগের জন্য রশিদ সাহেবের কর্মকাণ্ডকে কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও। ৪

ক রাষ্ট্রপ্রদত্ত বিধি-বিধানসমূহ পালন করা নাগরিকের অন্যতম কাজ।
খ একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য সুনাগরিকের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে গেলে আর্থসামাজিক যেসব সমস্যা রয়েছে তাদের কার্যকর সমাধান করতে হয়। সুনাগরিকেরা রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে উপযোগী ও দক্ষ হয়। কারণ, সুনাগরিক সহজেই আর্থসামাজিক সমস্যাগুলো বুঝতে পারে এবং তাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, বিবেক-বিচারবোধ ইত্যাদির সাহায্যে এসব সমস্যা সমাধানে নাগরিকের প্রত্যাশিত ভ‚মিকা ও দায়িত্ব পালন করতে পারে। তাই একটি উন্নত ও আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনে সুনাগরিকের গুরুত্ব অপরিসীম।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ নাগরিকের দায়িত্ব কর্তব্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ অধিকার ও দায়িত্ব কর্তব্যের সম্পর্ক নিরূপণ কর।
জ্ঞান মূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তরঃ
 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন \ ১ \ একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য কী প্রয়োজন হয়?
উত্তর : একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য সুনাগরিকের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ একজন সুনাগরিকের কয়টি গুণ রয়েছে?
উত্তর : একজন সুনাগরিকের তিনটি গুণ রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ একজন নাগরিকের উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার?
উত্তর : নাগরিকের উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারের।
প্রশ্ন \ ৪ \ কোনটিকে কাজে লাগিয়ে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধান করতে পারে?
উত্তর : বিবেক কাজে লাগিয়ে নাগরিকগণ রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
প্রশ্ন \ ৫ \ একটি দেশের মূল্যবান সম্পদ কারা?
উত্তর : সুনাগরিকগণ একটি দেশের মূল্যবান সম্পদ।
প্রশ্ন \ ৬ \ কী দ্বারা সুনাগরিকের গুণগুলো প্রভাবিত হয়?
উত্তর : পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিবেশ দ্বারা সুনাগরিকের গুণগুলো প্রভাবিত হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ নির্লিপ্ততা কী?
উত্তর : কাজের প্রতি নাগরিকদের উদাসীনতাকে নির্লিপ্ততা বলে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা কী?
উত্তর : যখন ব্যক্তি দেশের স্বার্থের চাইতে নিজের স্বার্থ বড় করে দেখে তখন তাকে ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা বলে।
প্রশ্ন \ ৯ \ দলীয় মনোভাব কাজ করে কোন ধরনের শাসনব্যবস্থায়?
উত্তর : দলীয় মনোভাব কাজ করে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায়।
প্রশ্ন \ ১০ \ কারা রাষ্ট্রের দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে না?
উত্তর : স্বল্পশিক্ষিত লোকেরা রাষ্ট্রের দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে না।
প্রশ্ন \ ১১ \ বিভিন্ন ধর্মের লোকেদের মাঝে বিভেদ ও সংঘাত সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর : ধর্মান্ধতার কারণে লোকদের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ কেন দেশের সকল নাগরিকদের উদার মনোভাবের অধিকারী হতে হবে?
উত্তর : সুনাগরিকত্ব অর্জনের জন্য নাগরিকদের উদার মনোভাবের অধিকারী হতে হবে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সুনাগরিকের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কী প্রয়োজন?
উত্তর : সুশিক্ষা ও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিক প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১৪ \ অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা দূরীকরণে কী করতে হবে?
উত্তর : সমমর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো কোথায় লিপিবদ্ধ থাকে?
উত্তর : নাগরিকের মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ দেশের সকল নাগরিকের জন্য কোনটি প্রয়োজন?
উত্তর : অধিকার ও কর্তব্যগুলো যথাযথভাবে ভোগ ও প্রয়োগ নাগরিকের জন্য প্রয়োজন।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ‘বুদ্ধিমান নাগরিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : একটি রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ঐ দেশের বুদ্ধিমান নাগরিকের অবদান অপরিসীম। সমাজ ও রাষ্ট্রে উদ্ভুত বিভিন্ন সমস্যাবলি একজন বুদ্ধিমান নাগরিক তার মন দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে। একজন নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন, দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা, রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সফলতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়। তাই বুদ্ধিমান শিক্ষিত নাগরিক যেকোনো রাষ্ট্রের জন্য মূল্যবান সম্পদ।
প্রশ্ন \ ২ \ নির্লিপ্ততা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সাধারণভাবে কাজের প্রতি নাগরিকদের উদাসীনতাকে বলে নির্লিপ্ততা। বিভিন্ন কারণে নির্লিপ্ততা তৈরি হয়। যেমন : নিরক্ষরতা, উপযুক্ত শিক্ষার অভাব, অলসতা, দারিদ্র্য ও কাজে অনীহা। আমাদের দেশের নাগরিকদের মধ্যে এ জাতীয় নির্লিপ্ততা লক্ষ করা যায়। এর ফলে তারা রাষ্ট্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে চায় না। এমনকি নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে না।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা সুনাগরিকের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দেশের স্বার্থকে বড় করে না দেখে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থকে বড় করে দেখাকে বলে ব্যক্তিস্বার্থপরায়ণতা। এর ফলে নাগরিক সহজেই দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। এ কারণেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অনেক সময় যোগ্য লোককে ভোট না দিয়ে দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থ বিবেচনা করে ভোট দেয়। উপযুক্ত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে নিজ আত্মীয় বা পরিচিতজনকে চাকরি দেয়। স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক অনিয়ম করে। তাই ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা যা রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ অজ্ঞতা ও নিরক্ষরতা সুনাগরিকতার অন্যতম প্রধান অন্তরায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যাদের অক্ষর জ্ঞান নেই তাদেরকে নিরক্ষর বলে। অজ্ঞ ও নিরক্ষর লোক অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারে না। ফলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। তাদের উপর রাষ্ট্রের দেওয়া দায়িত্ব তারা সঠিকভাবে পালন করতে পারে না। উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে একজন নাগরিকদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যায় যারা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করে। তাই অজ্ঞতা ও নিরক্ষরতা সুনাগরিকতার অন্যতম প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ধর্মান্ধতা কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ধর্মান্ধতা হলো নিজ ধর্মের মৌলিক বিষয়সমূহকে আকড়ে ধরে থাকা এবং তা পালন করার ক্ষেত্রে আগ্রাসি মনোভাব পোষণ করাকে বুঝায়। ধর্মান্ধতা ব্যক্তিকে অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষী করে তোলে। সে নিজ ধর্ম ব্যতিত অন্য ধর্মের মত ও পথকে অসম্মান করে। এ ধরনের মনোভাব বিভিন্ন ধর্মের লোকের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত সৃষ্টি করে। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের সংহতি, উন্নতি ও প্রগতিকে বিনষ্ট করে। একজন নাগরিক সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে ধর্মান্ধতা প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করে।


বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

ন্ধ পাঠ-১ : সুনাগরিকের গুণাবলি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য কোনটি প্রয়োজন? (জ্ঞান)
 সুনাগরিক খ মন্ত্রী গ রাস্তাঘাট ঘ নদী
২. সুনাগরিকে গুণাবলি কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
৩. বুদ্ধিমত্তা অর্জনের সবচেয়ে বড় উপায় কী? (জ্ঞান)
ক গাড়ী চালানো খ স্কুল পালানো
 শিক্ষা গ্রহণ ঘ টেলিভিশন দেখা
৪. তারেক বুদ্ধিমত্তা অর্জনের জন্য কোনটির প্রতি বেশি গুরুত্ব দিবে? (প্রয়োগ)
ক কম্পিউটার খ খেলাধুলা গ ঘুমানো  জ্ঞান অর্জন
৫. দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে কারা? (অনুধাবন)
 বুদ্ধিমান নাগরিক খ নির্লিপ্ত নাগরিক
গ নিরক্ষর লোক ঘ অদক্ষ নাগরিক
৬. নাগরিকদের উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার? (জ্ঞান)
ক কমিশনারের খ মা-বাবার গ ভাই-বোন  সরকারের
৭. সন্তানদের যথাযথ শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব কার? (জ্ঞান)
ক প্রতিবেশির  বাবা-মায়ের গ শিক্ষকের ঘ সরকারের
৮. কোনটি ছাড়া সুনাগরিক হওয়া অসম্ভব? (জ্ঞান)
ক ধর্মান্ধতা খ স্বার্থপরতা  আত্মসংযম ঘ দাম্ভিকতা
৯. কোনটি সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি? (জ্ঞান)
ক বুদ্ধি  বিবেক গ আত্মসংযম ঘ অজ্ঞতা
১০. একজন নাগরিক তার কোন গুণাবলিকে কাজে লাগিয়ে দায়িত্ব-কর্তব্যের জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
 বিবেক খ বুদ্ধি গ সচেতনতা ঘ আত্মসংযম
১১. একটি দেশের মূল্যবান সম্পদ কারা? (জ্ঞান)
ক বৈমানিক খ নিরক্ষর  সুনাগরিক ঘ চালক
১২. কীসের মাধ্যমে আত্মসংযমী হতে হয়? (অনুধাবন)
ক লোভ করে খ স্বজনপ্রীতি করে
গ নির্লিপ্ত হয়ে  দুর্নীতি না করে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩. একজন সুনাগরিকের গুণাবলি হলো (অনুধাবন)
র. ধর্মান্ধতা রর. আত্মসংযম
ররর. বিবেক-বিচার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪. বুদ্ধিমান নাগরিকগণ ভ‚মিকা রাখে (অনুধাবন)
র. উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচনে রর. দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনায়
ররর. নিজের স্বার্থ বড় করে দেখে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫. আত্মসংযমী নাগরিক গুরুত্ব দেয় (অনুধাবন)
র. অন্যের মতামতকে রর. দেশের স্বার্থকে
ররর. নিয়ম-কানুনকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৬. বিবেক-বিচার বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. ভালো-মন্দের জ্ঞান রর. ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা
ররর. দায়িত্ব-কর্তব্যের জ্ঞান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭. সুনাগরিকের অন্যান্য গুণাবলিগুলো হলো (অনুধাবন)
র. অন্যায়ের প্রতিবাদ করা রর. আইনশৃঙ্খলা মেনে চলা
ররর. আত্মবিশ্বাসী ও দৃঢ় মনোভাবের অধিকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮. উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বুদ্ধিমান নাগরিক রর. আত্মসংযমী নাগরিক
ররর. বিবেক-বিচার সম্পন্ন নাগরিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯ ও ২০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
হামদান সাহেব অফিসে আসার সময় রাস্তায় একটি ব্যাগভর্তি টাকা পান। তিনি ব্যাগটি অফিসে নিয়ে আসেন। ব্যাগের মধ্যে ব্যাগটির মালিকের ঠিকানা পান। তিনি ব্যাগের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে ব্যাগটি তাকে বুঝিয়ে দেন। ব্যাগটির মালিক হামদান সাহেবকে ধন্যবাদ দিলেন।
১৯. উদ্দীপকে সুনাগরিকের কোন গুণাবলির ইঙ্গিত পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক বুদ্ধি  আত্মসংযম গ বিবেক ঘ নিঃস্বার্থ
২০. উক্ত গুণাবলির নাগরিক মুক্ত থাকে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুর্নীতি থেকে রর. স্বজনপ্রীতি থেকে
ররর. স্বার্থপরতা থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-২.১ ও ২.২ : বাংলাদেশে সুনাগরিকতার প্রতিবন্ধকতা ও তা দূরীকরণের উপায়
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১. কাজের প্রতি নাগরিকদের উদাসীনতাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক স্বার্থপরতা খ দুর্বলতা  নির্লিপ্ততা ঘ দাম্ভিকতা
২২. নির্লিপ্ততার কারণে নাগরিকগণ কোনটি ঠিকমত পালন করতে পারে না?
(অনুধাবন)
ক ধর্মীয় অনুষ্ঠান খ বিয়ের অনুষ্ঠান
গ নাচ-গান  দায়িত্ব-কর্তব্য
২৩. দেশের স্বার্থের চাইতে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক নির্লিপ্ততা  ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা
গ ধর্মান্ধতা ঘ দাম্ভিকতা
২৪. ক্ষমতার অপব্যবহার করে মজিদ সাহেব তার অযোগ্য ভাগিনাকে চাকরিতে নিয়োগ দেন। তার এই কাজে সুনাগরিকের কোন প্রতিবন্ধকতা প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
 ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতা খ ধর্মান্ধতা
গ দাম্ভিকতা ঘ নিরক্ষরতা
২৫. কোনটি ছাড়া রাজনৈতিক দল চলতে পারে না? (জ্ঞান)
ক সমাজতন্ত্র খ অর্থতত্ত¡  গণতন্ত্র ঘ প্রজাতন্ত্র
২৬. কারা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না? (জ্ঞান)
ক শিক্ষকেরা  নিরক্ষর লোকেরা
গ ডাক্তাররা ঘ আইনজীবিরা
২৭. নাগরিকদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কোনটি প্রয়োজন? (জ্ঞান)
 উপযুক্ত শিক্ষা খ খেলাধুলা গ ধর্মান্ধতা ঘ দাম্ভিকতা
২৮. বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত সৃষ্টি করে কোনটি? (জ্ঞান)
ক স্বার্থপরতা খ বিবেকহীনতা গ নির্লিপ্ততা  ধর্মান্ধতা
২৯. আফজাল সাহেব কর্মক্ষেত্রে নিজের মতামতকে সমুন্নত রাখার চেষ্টা করেন। তার এই আচরণ দ্বারা কোনটি প্রকাশ পায়? (প্রয়োগ)
ক দলীয় মনোভাব খ স্বার্থপরতা
 দাম্ভিকতা ঘ নির্লিপ্ততা
৩০. দেশের বিভিন্ন স¤প্রদায়ের মধ্যে বিবেদ ও অশান্তি বিরাজ করার কারণ কী? (জ্ঞান)
ক বুদ্ধিমত্তা খ দাম্ভিকতা  দলীয় মনোভাব ঘ নির্লিপ্ততা
৩১. সুনাগরিকতা অর্জনের জন্য দেশের সকল নাগরিকগণের কোনটির অধিকারী হতে হবে? (জ্ঞান)
 উদার মনোভাব খ স্বার্থপরতার
গ নেতিবাচক জ্ঞানের ঘ দাম্ভিকতার
৩২. বাংলাদেশের কত ভাগ লোক দারিদ্র্য সীমান নিচে বাস করে? (জ্ঞান)
ক ৪০  ৫০ গ ৬০ ঘ ৭০
৩৩. বাংলাদেশের কত ভাগ লোক লিখতে ও পড়তে পারে না? (জ্ঞান)
ক দুই-তৃতীয়াংশ খ এক-চতুর্থাংশ
 এক-তৃতীয়াংশ ঘ এক-পঞ্চমাংশ
৩৪. উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ কোনটি হতে উদ্বুদ্ধ করে? (জ্ঞান)
 দেশপ্রেমিক খ স্বৈরাচারী গ দুর্নীতিপরায়ণ ঘ স্বার্থপর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৫. নির্লিপ্ততা তৈরির কারণগুলো হলো (অনুধাবন)
র. নিরক্ষরতা রর. উপযুক্ত শিক্ষার অভাব
ররর. দারিদ্র্যতা ও কাজে অনীহা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৬. ব্যক্তি স্বার্থপরায়ণতার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ হলো (অনুধাবন)
র. স্বজনপ্রীতি রর. পক্ষপাতিত্ব
ররর. স্বচ্ছতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. অজ্ঞ ও নিরক্ষর লোক পারে না (অনুধাবন)
র. সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে রর. শিক্ষা নিতে
ররর. দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. ধর্মান্ধতা বিনষ্ট করে একটি দেশের (অনুধাবন)
র. উন্নতি রর. সংহতি
ররর. প্রগতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৯. দাম্ভিকতার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো (অনুধাবন)
র. নিজেকে বড় করে দেখা
রর. নিজের মতামতকে চাপিয়ে দেয়া
ররর. অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. সুনাগরিকের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের উপায় হলো (অনুধাবন)
র. ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার রর. সার্বজনিন মনোভাব পোষণ
ররর. স্বার্থপরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৩ : বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সুনাগরিকের গুরুত্ব º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা-৪৫
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪১. কী প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে? (জ্ঞান)
ক অনিয়ম খ দুর্নীতি  সুশাসন ঘ রক্ষণশীলতা
৪২. কারা রাষ্ট্রীয় সমস্যা সমাধানে উপযোগি ও দক্ষ হয়? (জ্ঞান)
 সুনাগরিকেরা খ দাম্ভিকরা গ নেতিবাচকরা ঘ অদক্ষতা
৪৩. বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা কী? (অনুধাবন)
ক অনুন্নত রাস্তাঘাট  দারিদ্র্যতা
গ সুশাসন ঘ নিরাপত্তা
৪৪. কারা দেশের মূল্যবান সম্পদ? (জ্ঞান)
ক পশু-পাখি খ গাছ-পালা
গ নিরক্ষর জনগোষ্ঠী  সুনাগরিক
৪৫. সমস্ত সমস্যাকে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বিচার ও তার সমাধান করে কারা?
(উচ্চতর দক্ষতা)
 সুনাগরিকেরা খ মাঝিরা
গ রিকশাচালকেরা ঘ দাম্ভিকেরা
৪৬. একজন সুনাগরিকের গুরুত্ব অপরিহার্য কেন? (অনুধাবন)
 আর্থসামাজিক উন্নয়নে খ দেশকে ধ্বংস করতে
গ উৎপাদন বাড়াতে ঘ দেশের অকল্যাণ করতে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭. বাংলাদেশের আর্থসামাজিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো (অনুধাবন)
র. অধিক জনসংখ্যা রর. দারিদ্র্যতা
ররর. সস্তা শ্রমশক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. সুনাগরিক প্রতিষ্ঠা করতে পারে (অনুধাবন)
র. পরনির্ভরশীল দেশ রর. উন্নত দেশ
ররর. আত্মনির্ভরশীল দেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. সুনাগরিকগণ সকল সমস্যার সমাধান করে (অনুধাবন)
র. বুদ্ধিমত্তা দিয়ে রর. দক্ষতা দিয়ে
ররর. বিবেক-বিচারবোধ দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আদনান সাহেব একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি নিয়মিত ক্লাস নেন। ওনার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব উনি যথাযথভাবে পালন করেন। আদনান সাহেবের মত কর্তব্যপরায়ণ মানুষেরাই দেশের সম্পদ।
৫০. উদ্দীপকের আদনান সাহেবের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে তাকে কী বলা যায়? (প্রয়োগ)
ক অশিক্ষিত খ নির্লিপ্ত  সুনাগরিক ঘ বিচারবুদ্ধিহীন
৫১. আদনান সাহেবের মত সুনাগরিকেরা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো (অনুধাবন)
র. আর্থসামাজিক সমস্যা সমাধানে রর. দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে
ররর. সমাজ ও সরকারকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৪ : নাগরিকের অধিকার অর্জন ও দায়িত্ব পালন
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫২. আমরা সবাই কোন দেশের নাগরিক? (জ্ঞান)
 বাংলাদেশের খ ভারতের গ পাকিস্তানের ঘ শ্রীলংকার
৫৩. নাগরিকগণ রাষ্ট্র হতে কী ভোগ করে? (জ্ঞান)
ক অপমান খ অনাগ্রহতা  অধিকার ঘ অভিসম্পাত
৫৪. রফিক বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। সে কোন সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক? (প্রয়োগ)
ক অনুমোদনসূত্রে খ রাজনৈতিকভাবে
গ বসবাসসূত্রে  জন্মসূত্রে
৫৫. জীবনধারণের অধিকার নাগরিকের কোন ধরনের অধিকার? (জ্ঞান)
 মৌলিক খ বাহ্যিক গ অভ্যন্তরিণ ঘ নীতিগত
৫৬. নাগরিকের অধিকারসমূহ কাদের জন্য প্রযোজ্য? (জ্ঞান)
ক মন্ত্রিদের খ সরকারের গ রাষ্ট্রপতির  সকল নাগরিকের
৫৭. কোনটি ছাড়া নাগরিকের যথাযথ মানসিক বিকাশ সম্ভব নয়? (জ্ঞান)
ক দায়িত্ব  অধিকার গ কর্তব্য ঘ বিনোদন
৫৮. অধিকার ভোগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় কোনটিকে? (জ্ঞান)
 কর্তব্য পালনকে খ নির্লিপ্ততাকে
গ স্বার্থপরতাকে ঘ ধর্মান্ধতাকে
৫৯. একজন সুনাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি পালনকৃত প্রধান দায়িত্ব কী?
ক দুর্নীতি করা  রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য
গ কর প্রদান ঘ নিরাপত্তাদান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬০. সরকারের কাছ থেকে আমরা ভোগ করি (অনুধাবন)
র. সামাজিক অধিকার রর. রাজনৈতিক অধিকার
ররর. অর্থনৈতিক অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬১. নাগরিকদের অধিকারসমূহ হলো (অনুধাবন)
র. জীবনধারণের অধিকার রর. আইন মেনে চলা
ররর. চলাফেরার অধিকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. নাগরিকদের কর্তব্যসমূহের অন্তর্ভুক্ত হলো (অনুধাবন)
র. আইন মেনে চলা রর. নিয়মিত কর প্রদান
ররর. রাষ্ট্রের সেবা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৩ ও ৬৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ফখরুল ইসলাম একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তিনি সরকার থেকে বৈধ লাইসেন্স গ্রহণ করে তার ব্যবসাকার্য পরিচালনা করেন। সরকারি সহায়তায় তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক চুক্তি করে বহির্দেশে ব্যবসা করেন। তিনি তার ব্যবসায়িক মুনাফার নির্দিষ্ট অংশ প্রতিবছর সরকারকে কর দেন।
৬৩. ফখরুল ইসলাম রাষ্ট্রের প্রতি কোন দায়িত্ব পালন করে? (প্রয়োগ)
ক ভোটাধিকার প্রয়োগ খ শিক্ষাদান
 কর প্রদান ঘ সভা-সমিতি
৬৪. ফখরুল ইসলাম সুনাগরিতার পরিচয় দেয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাষ্ট্রীয় অধিকার ভোগ করে রর. রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালন করে
ররর. রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 

Leave a Reply