Uncategorized

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় শ্বসন

চতুর্থ অধ্যায় শ্বসন পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি  সালোকসংশ্লেষণে খাদ্য তৈরি হয় কিন্তু শ্বসনে খাদ্য জারিত হয়। শ্বসন একটি বিপাকীয় প্রক্রিয়া।  প্রতিটি জীবে শ্বসন অপরিহার্য। পত্ররন্ধ্রের রক্ষীকোষগুলো পত্ররন্ধ্রকে খোলা বা বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।  উদ্ভিদ অক্সিজেন গ্রহণ করে পাতায় অবস্থিত এক প্রকার ছিদ্রপথে যার নাম স্টোমেটো।  নিম্ন ও উচ্চ শ্রেণির প্রাণীর দেহে গ্যাসের আদান প্রদান ঘটে বিভিন্ন প্রকার অঙ্গের মাধ্যমে। যেমন : ফুলকা, ফুসফুস।  কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরে কতগুলো এনজাইমের নিয়ন্ত্রণাধীনে খাদ্যের সাথে অক্সিজেনের বিক্রিয়া ঘটে। এভাবে অন্তঃশ্বসন ক্রিয়া ঘটে।  শ্বসন প্রক্রিয়ার অপর নাম বিপাক। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোনটি উদ্ভিদের শ্বসন অঙ্গের নয়?  ত্বক খ লেন্টিসেল গ রক্ষীকোষ ঘ পত্ররন্ধ্র ২. নিম্নশ্রেণির প্রাণীরা শ্বাসকার্য চালায়Ñ র. ফুলকা ও ত্বকের সাহায্যে রর. ত্বক ও ট্রাকিয়ার মাধ্যমে ররর. ফুসফুস ও ফুলকার সাহায্যে নিচের কোনটি সঠিক? ক র  রর গ র ও রর ঘ র ও ররর উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৩, ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. ড চিহ্নিত অংশটির নাম কী? ক অ্যালভিওলাস  ব্রঙ্কাস গ ব্রঙ্কিওল ঘ ট্রাকিয়া ৪. উদ্দীপকের কোন অংশটিতে ঙ২ ও ঈঙ২-এর বিনিময় ঘটে? ক ঠ খ ড  ঢ ঘ ণ ৫. ঠ-এর সংক্রমণে কোন রোগ হয়? ক এ্যাজমা  ব্রংকাইটিস গ নিউমোনিয়া ঘ য²া পাঠ-১ : শ্বসন পদ্ধতি ¡ পৃষ্ঠা : ৩১  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৬. শ্বসন কী? (অনুধাবন) ক স্বকীয় প্রক্রিয়া  বিপাকীয় প্রক্রিয়া গ আলোক প্রক্রিয়া ঘ অন্ধকার প্রক্রিয়া ৭. শ্বসনে জীব কী গ্রহণ করে? (জ্ঞান)  অক্সিজেন খ হাইড্রোজেন গ কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘ নাইট্রোজেন ৮. শ্বসনে কী উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান) ক অক্সিজেন  কার্বন ডাইঅক্সাইড গ হাইড্রোজেন ঘ নাইট্রোজেন ৯. উদ্ভিদে শ্বসন কখন হয়? (জ্ঞান) ক দিনে খ রাতে গ সন্ধ্যায়  সব সময় ১০. শ্বসন প্রক্রিয়া চলাকালে জীব পরিবেশ থেকে কোন উপাদানটি গ্রহণ করে? (জ্ঞান) ক হাইড্রোজেন খ নাইট্রোজেন  অক্সিজেন ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড ১১. শ্বসন প্রক্রিয়া চলাকালে জীব পরিবেশে কোন উপদানটি ত্যাগ করে? (জ্ঞান) ক অক্সিজেন খ হাইড্রোজেন গ নাইট্রোজেন  কার্বন ডাইঅক্সাইড ১২. শ্বসনের উদ্দেশ্য কোনটি? [নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়] ক খাদ্য সঞ্চয় খ বংশবিস্তার গ দৃঢ়তা প্রদান  শক্তি উৎপাদন ১৩. জীবদেহ কোন কাজ করার জন্য শক্তি উৎপন্ন করে? (অনুধাবন) ক জৈবিক খ মানসিক গ কায়িক  শারীরবৃত্তীয় ১৪. প্রতিটি জীব কোনটি গ্রহণ করে? (অনুধাবন) ক বাতাস খ আলো  অক্সিজেন ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড ১৫. নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদ ও প্রাণীর অক্সিজেন ছাড়া শ্বসন ক্রিয়ায় কী উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান) ক অক্সিজেন  কার্বন ডাইঅক্সাইড গ পানি ঘ আলো ১৬. শ্বসন ক্রিয়ায় অক্সিজেন প্রয়োজন কার? (অনুধাবন) ক প্রাণী খ উদ্ভিদ গ মাছ  সকলের ১৭. গøুকোজ জারিত হয় কোন প্রক্রিয়ায়? [নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়] ক দহন খ ফার্মেন্টেশন  শ্বসন ঘ সালোকসংশ্লেষণ ১৮. শ্বসনের একমাত্র উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)  শক্তি উৎপন্ন করা খ কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন করা গ অক্সিজেন উৎপন্ন করা ঘ পানি উৎপন্ন করা ১৯. গøুকোজ তৈরির সময় আর কী উৎপন্ন হয়? (অনুধাবন) ক কার্বন ডাইঅক্সাইড খ ক্লোরোফিল  অক্সিজেন ঘ ক্লোরিন ২০. শ্বসনে কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয় কোনটির ক্ষেত্রে? (উচ্চতর দক্ষতা) ক উদ্ভিদ খ প্রাণী  সকল জীব ঘ অণুজীব  বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২১. শ্বসনে উৎপন্ন হয়Ñ (প্রয়োগ) র. পানি রর. তাপশক্তি ররর. কার্বন ডাইঅক্সাইড নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ২২. জীবের দেহে স্থৈতিক শক্তি রূপান্তরিত হয়Ñ (অনুধাবন) র. গতিশক্তিতে রর. আলোকশক্তিতে ররর. তাপশক্তিতে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৩. জীবকোষের শক্তি সঞ্চিত থাকে- [সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ] র. স্টার্চে রর. শর্করায় ররর. প্রোটিনে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর গ র ও ররর খ রর ও ররর  র, রর ও ররর ২৪. অক্সিজেন ছাড়া শ্বসন ক্রিয়া সম্পন্ন করে- [মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর; কাদিরাবাদ ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল, নাটোর] র. কিছু নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদ রর. জলজ উদ্ভিদ ররর. কিছু নিম্নশ্রেণির প্রাণী নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৫. জীবের প্রতিটি সজীব কোষে শ্বসনকার্য ঘটে- [ফরিদপুর জিলা স্কুল] র. দিনের বেলায় রর. রাতের বেলায় ররর. সবসময় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ২৬. শ্বসনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো- [মাতৃপীঠ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর] র. গতিশক্তি রর. তাপশক্তি ররর. স্থিতিশক্তি নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৭. শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়- [নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়] র. অক্সিজেন রর. অঞচ ররর. কার্বন ডাইঅক্সাইড নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৮. শ্বসন প্রক্রিয়া চলাকালে- [কাদিরাবাদ ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল, নাটোর] র. সকল জীব ঙ২ গ্রহণ করে রর. জীব ঈঙ২ ত্যাগ করে ররর. স্থৈতিক শক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর  অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৯ ও ৩০ নং প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : উদ্ভিদদেহে সংঘটিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ জৈবনিক প্রক্রিয়া হলো সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন। এদের একটিতে গøুকোজ উৎপন্ন হয় এবং অপরটিতে গøুকোজ জারিত হয়। [আদমজী ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল, ঢাকা] ২৯. প্রথম বিক্রিয়াটি কোথায় ঘটে?  ক্লোরোপ্লাস্টে খ মাইটোকন্ড্রিয়ায় গ নিউক্লিয়াসে ঘ রাইবোসোমে ৩০. উদ্দীপকের দ্বিতীয় প্রক্রিয়ায়- র. গøুকোজ জারিত হয় রর. অক্সিজেন গৃহীত হয় ররর. দেহের ওজন কমে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩১ ও ৩২নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : বিশাল বটবৃক্ষ যখন শ্বসন ক্রিয়া সম্পন্ন করে তখন অক্সিজেনের সহায়তা নেয়। অক্সিজেন ছাড়া বটবৃক্ষের শ্বসন প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। ৩১. উদ্দীপকের বৃক্ষ কোন সময় উল্লিখিত ক্রিয়া বন্ধ রাখে? (প্রয়োগ) ক দিনে খ রাতে গ মেঘলা দিনে  কোনো সময়ই না ৩২. উদ্দীপকের বৃক্ষ উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় কোনটি উৎপন্ন করে? (অনুধাবন) ক অক্সিজেন খ নাইট্রোজেন  কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘ পটাসিয়াম পাঠ-২ : জীবজগতে শ্বসন  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৩৩. অন্তঃকোষীয় বিপাক প্রক্রিয়া কোনটি? (অনুধাবন) ক প্রজনন খ ব্যাপন গ রেচন  শ্বসন ৩৪. কাণ্ডের লেন্টিসেল কী কাজ করে? (জ্ঞান)  শ্বসন খ খনিজ আহরণ গ প্রস্বেদন ঘ সালোকসংশ্লেষণ ৩৫. নিম্নশ্রেণির প্রাণীতে শ্বসন অঙ্গ

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় শ্বসন Read More »

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য

তৃতীয় অধ্যায় উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষায়দি  পরজীবী মূলের অপর নাম শোষক মূল।  ঘৃতকুমারীর পাতা খাদ্য সঞ্চয় করে।  শ্বাসমূল বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে ।  রসুনগাছের পাতায় খাদ্য জমা থাকে।  পরজীবী উদ্ভিদে ক্লোরোফিল নেই।  পরাশ্রয়ী বায়বীয় মূল থাকে রাস্নার। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোন উদ্ভিদের মালাকৃতির মূল থাকে? ক ডালিয়া খ আম, আদা গ মিষ্টি আলু হ করলা ২. রাইজোম কাণ্ডের বৈশিষ্ট্য হলোÑ র. সুস্পষ্ট পর্ব ও পর্বমধ্য থাকে রর. পর্ব ও পর্বমধ্যগুলো সংকুচিত ররর. মাটির নিচে সমান্তরালভাবে থাকে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. গ চিহ্নিত অংশটির কাজ হচ্ছেÑ র. খাদ্য জমা রাখা রর. কাক্ষিক মুকুলকে রক্ষা করা ররর. প্রজননে সাহায্য করা নিচের কোনটি সঠিক? হ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৪. উদ্দীপকের কোন অংশগুলো থেকে নতুন চারা সৃষ্টি হয়? ক গ ও ঘ হ ঘ ও ঙ গ ঙ ও চ ঘ গ ও চ পাঠ ১ : প্রধান মূলের রূপান্তর  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. আকৃতিগত দিক থেকে মূল কত প্রকার? (জ্ঞান) ক ২ খ ৩ হ ৪ ঘ ৫ ৬. মুলাকৃতির মূল কোনটি? (জ্ঞান) ক গাজর খ শালগম হ মুলা ঘ সন্ধ্যামালতি ৭. কন্দাকৃতি মূল কোনটি? (জ্ঞান) ক শালগম খ গাজর  সন্ধ্যামালতি ঘ রসুন ৮. মূল রূপান্তরিত হওয়ার কারণ কী? (জ্ঞান) ক কাজ সম্পাদন খ খাদ্য সঞ্চয় গ পানি সঞ্চয়  বিশেষ কাজ সম্পাদন ৯. গাজরের নিচের দিকে কেমন? (অনুধাবন) ক মোটা খ সরু হ ক্রমশ সরু ঘ হঠাৎ করে সরু ১০. কোনটি নিচের দিকে হঠাৎ করে সরু হয়েছে? (অনুধাবন) ক মুলা খ গাজর গ মিষ্টি আলু  শালগম ১১. মুলার কোন অংশ মোটা? (জ্ঞান) ক উপরের দিকে খ নিচের দিকে  মধ্যভাগ ঘ সম্পূর্ণ অংশ ১২. নিচের কোনটি রূপান্তরিত মূল নয়? (অনুধাবন) ক মুলা খ গাজর  আদা ঘ শালগম ১৩. নিচের কোনটির উপরে এবং নিচের অংশ ক্রমশ সরু? (অনুধাবন)  মুলা খ শালগম গ গাজর ঘ সন্ধ্যামালতি ১৪. নিচের কোনটির মূলের নির্দিষ্ট কোনো আকার আকৃতি নেই? (উচ্চতর দক্ষতা) ক মিষ্টি আলু খ শালগম গ গাজর  সন্ধ্যামালতি ১৫. শালগমের ক্ষেত্রে কোন উক্তিটি সত্য? (উচ্চতর দক্ষতা) ক নিচের দিকে ক্রমশ সরু খ উপরের দিকে ক্রমশ মোটা গ সম্পূর্ণ অংশ খাদ্য সঞ্চয় করে  বিশেষ কাজ সম্পন্ন করার জন্য রূপান্তরিত  বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১৬. প্রধান মূল মোটা ও রসালÑ (অনুধাবন) র. শালগমের রর. মুলার ররর. গাজরের নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও রর ১৭. বিশেষ কাজের জন্য মূল রূপান্তরিত হয়Ñ (অনুধাবন) র. মুলার রর. গাজরের ররর. সন্ধ্যামালতির নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও রর ১৮. নির্দিষ্ট কোনো আকার আকৃতি থাকে নাÑ (অনুধাবন) র. শালগমের রর. সন্ধ্যামালতির ররর. হলুদের নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও রর ১৯. রূপান্তরিত মূলে অনুপস্থিত Ñ (অনুধাবন) র. রসাল অংশ রর. গিট ররর. ফুল নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও রর  অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের চিত্রটি লক্ষ কর ২০Ñ২২নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ২০. চিত্রের মূলটির নাম কী? (প্রয়োগ) ক মুলা খ গাজর  শালগম ঘ পাথরকুচি ২১. চিত্রের মূলটির নিচের অংশ কিরূপ? (অনুধাবন) ক ক্রমশ সরু  হঠাৎ করে সরু গ মোটা ঘ অনিয়মিতভাবে মোটা ২২. চিত্রের মূলটির কোন অংশ খাদ্য সঞ্চয় করে? (উচ্চতর দক্ষতা)  উপরের অংশ খ মধ্যভাগ গ নিচের অংশ ঘ সম্পূর্ণ অংশ পাঠ ২Ñ৪ : রূপান্তরিত অস্থানিক মূল  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২৩. আম, আদার মূল কোন ধরনের? (জ্ঞান) ক কন্দাল মূল খ গুচ্ছিত মূল  নডুলুজ মূল ঘ শলাকৃতির মূল ২৪. কোন উদ্ভিদের মালাকৃতির মূল থাকে? (জ্ঞান) ক ডালিয়া খ আম গ মিষ্টি আলু  করলা ২৫. শতমূলী, ডালিয়ার মূল কী ধরনের? (অনুধাবন)  গুচ্ছিত কন্দমূল খ নডুলুজ গ মালা আকৃতি ঘ কন্দাল ২৬. মিষ্টি আলু এক ধরনের? (জ্ঞান)  মূল খ কাণ্ড গ পাতা ঘ রূপান্তরিত কাণ্ড ২৭. বট গাছের অস্থানিক রূপান্তরিত মূল কোনটি? (জ্ঞান)  স্তম্ভমূল খ ঠেসমূল গ আরোহী ঘ বায়বীয় ২৮. নিচের কোনটিতে পরাশ্রয়ী বায়বীয় মূল দেখা যায়? (জ্ঞান)  রাস্না খ বট গ পান ঘ ডালিয়া ২৯. নিচের কোনটিতে ক্লোরোফিল থাকে না? (জ্ঞান)  স্বর্ণলতা খ পান গ রাস্না ঘ মিষ্টি আলু ৩০. কোনটি খাদ্যের জন্য আশ্রয়দাতা উদ্ভিদের দেহে মূল প্রবেশ করে? (জ্ঞান) ক বট খ পান গ রাস্না  স্বর্ণলতা ৩১. সুন্দরী গাছে দেখা যায় কোনটি? (জ্ঞান) ক শোষক মূল  শ্বাসমূল গ জনন মূল ঘ বায়বীয় মূল ৩২. স্বর্ণলতার মূল কেমন? (জ্ঞান)  শোষকমূল খ শ্বাসমূল গ ঠেসমূল ঘ স্তম্ভমূল ৩৩. অস্থানিক মূল রূপান্তরিত হয় কয়টি কারণে? (জ্ঞান) ক ২টি  ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি ৩৪. নডুলুজ মূল কোনটি? (জ্ঞান)  আম, আদা খ আলু গ করলা ঘ পান ৩৫. কেয়ার মূল কী ধরনের? (জ্ঞান) ক গুচ্ছিত কন্দমূল খ নডুলুজ  ঠেসমূল ঘ আরোহী মূল ৩৬. শ্বাসমূল কোনটি? (অনুধাবন) ক শাল খ সেগুন গ গর্জন  গরান ৩৭. পরজীবী মূল কোনটি? (অনুধাবন)  স্বর্ণলতা খ বট গ পান ঘ মানিপ্লান্ট ৩৮. পরজীবী মূলের অপর নাম কী? (জ্ঞান)  শোষক মূল খ শ্বাস মূল গ জনন মূল ঘ আরোহী মূল ৩৯. নিউমাটোফোর অর্থ কী? (জ্ঞান) ক জনন মূল  শ্বাসমূল গ ঠেসমূল ঘ পরজীবী মূল ৪০. সমুদ্র উপক‚লের সাথে সম্পৃক্ত কোনটি? (অনুধাবন) ক শোষক মূল  শ্বাসমূল গ জনন মূল ঘ আরোহী মূল ৪১. বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প গ্রহণ করে কোনটির মূল? (অনুধাবন) ক পানের খ কেয়ার  রাস্নার ঘ স্বর্ণলতার ৪২. মিষ্টি আলুতে কী ধরনের মূল থাকে? (অনুধাবন) ক শ্বাসমূল খ পরাশ্রয়ী মূল  কন্দাল মূল ঘ ঠেসমূল ৪৩. পরজীবী উদ্ভিদে কোনটি নেই? (জ্ঞান)  ক্লোরোফিল খ ক্লোরোপ্লাস্ট গ ক্রোমোফিল ঘ লিউকোপ্লাস্ট ৪৪. বাতাস থেকে জলীয়বাষ্প গ্রহণ করে কোন মূল? (জ্ঞান) ক শ্বাসমূল খ জনন মূল  পরাশ্রয়ী মূল ঘ শোষক মূল  বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৪৫. রূপান্তরিত অস্থানিক মূল হলোÑ (অনুধাবন) র. কন্দাল রর. আম, আদা রর. শতমূলী নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ রর  র ও রর ঘ র, রর ও ররর

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় উদ্ভিদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য Read More »

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন

দ্বিতীয় অধ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি  জীবদেহের গঠনগত ও কার্যগত এককের নাম কোষ।  বিজ্ঞানী রবার্ট হুক প্রথম কোষ আবিষ্কার করেন।  কোষ-মধ্যস্থ সম্পূর্ণ সজীব অংশকে প্রোটোপ্লাজম বলে।  প্লাস্টিড তিন প্রকার। যথা : ক্লোরোপ্লাস্টিড, ক্রোমোপ্লাস্টিড ও লিউকোপ্লাস্টিড।  শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন শক্তি মাইটোকন্ড্রিয়াতে সঞ্চিত থাকে বলে মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তির ঘর বলা হয়।  টিস্যু ২ প্রকার। যথা : ভাজক টিস্যু ও স্থায়ী টিস্যু।  হৃদপেশি এক ধরনের বিশেষ অনৈচ্ছিক পেশি।  রক্ত এক ধরনের যোজক কলা। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. ভাজক কোষে অনুপস্থিত কোনটি? ক কোষপ্রাচীর খ নিউক্লিয়াস  কোষগহŸর ঘ সেলুলোজ ২. কোষগহŸরে বিদ্যমান থাকেÑ র. জৈব এসিড ও লবণ রর. আমিষ ও শর্করা ররর. অজৈব এসিড ও জৈব এসিড নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : চিত্র : অ চিত্র : ই ৩. উদ্দীপকের অ চিহ্নিত অংশটির কাজ হচ্ছেÑ র. দৃঢ়তা প্রদান করা রর. চর্বি জমা রাখা ররর. রক্ত কণিকা তৈরি করা নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৪. অ ও ই এর বৈশিষ্ট্য হলোÑ র. এরা যোজক কলা রর. এরা অক্সিজেন পরিবহন করে ররর. এদের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ ররর গ র ও রর  র, রর ও ররর পাঠ ১-২ : একটি উদ্ভিদকোষের বর্ণনা  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. একটি আদর্শ উদ্ভিদকোষ কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত? (জ্ঞান)  দুইটি খ তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি ৬. কোষপ্রাচীর কী দিয়ে গঠিত? (জ্ঞান) ক কাইটিন  সেলুলোজ গ অ্যামাইলেজ ঘ ট্রিপসিন ৭. প্রাণিকোষের আবরণ কী দ্বারা গঠিত? (জ্ঞান) ক সেলুলোজ  প্লাজমাপর্দা গ প্রোটোপ্লাজম ঘ সাইটোপ্লাজম ৮. প্রোটোপ্লাজম কোষের কী কী অংশ ধারণ করে? (অনুধাবন) ক সাইটোপ্লাজম ও মাইটোকন্ড্রিয়া খ মাইটোকন্ড্রিয়া ও নিউক্লিয়াস গ কোষ প্রাচীর ও ক্লোরোপ্লাস্ট  সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস ৯. সাইটোপ্লাজম কিসের মতো? (জ্ঞান) ক দণ্ডাকৃতি খ বৃত্তাকার গ ঘনাকৃতি  জেলির মতো ১০. প্রোটোপ্লাজমে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ পানি থাকে? (জ্ঞান) ক ৮০% খ ৮২%  ৯০% ঘ ৯৩% ১১. প্রোটোপ্লাজমে সর্বনিম্ন কী পরিমাণ পানি থাকে? (জ্ঞান) ক ৫৫% খ ৫২% হ ৬৭% ঘ ৭০% ১২. প্রাণিকোষে কোনটি অনুপস্থিত? (অনুধাবন) ক মাইটোকন্ড্রিয়া  প্লাস্টিড গ গলগি বডি ঘ রাইবোজোম ১৩. উদ্ভিদকোষের নির্জীব বস্তু কোনটি? (অনুধাবন) ক এসিড  বর্জ্য গ লৌহ ঘ সূ² তার ১৪. কোষরস প্রস্তুত করে কোনটি? (অনুধাবন)  লবণ খ স্নেহ গ ভিটামিন ঘ লৌহ ১৫. কোষের ভেতরে ও বাইরে তরল পদার্থের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করেÑ(প্রয়োগ) ক নিউক্লিয়াস খ সাইটোপ্লাজম  কোষপ্রাচীর ঘ গলগি বডি ১৬. কোষের সাইটোপ্লাজমকে ঘিরে রাখে কোনটি? (প্রয়োগ)  কোষ পর্দা খ কোষপ্রাচীর গ কোষ আবরণী ঘ প্লাজমা আবরণী ১৭. জীবদেহের গঠনের ক্ষেত্রে কোন উক্তিটি সত্য? (উচ্চতর দক্ষতা) ক একটি কোষ দিয়ে গঠিত খ অনেক কোষ দিয়ে গঠিত গ হাজার হাজার কোষ দিয়ে গঠিত  এক বা একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত ১৮. প্রাণিকোষের কোষ গহŸরের ক্ষেত্রে কোন উক্তিটি সত্য? (উচ্চতর দক্ষতা) ক কোষগহŸর বলতে কিছু থাকে না খ কোষগহŸর থাকে গ বড় আকারের কোষগহŸর থাকে  কোষগহŸর থাকলে তা ছোট থাকে ১৯. উদ্ভিদকোষের কোষগহŸরের ক্ষেত্রে কোন উক্তিটি সত্য? (উচ্চতর দক্ষতা) ক কোষগহŸর থাকে না খ ছোট আকারের কোষগহŸর থাকে গ বড় আকারের কোষগহŸর থাকে  বড় আকারের অনেকগুলো কোষগহŸর থাকে ২০. প্রাণী কোষে কোনটি থাকে না? ক গলগি বডি খ রাইবোজোম গ কোষগহŸর  কোষপ্রাচীর  বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২১. সাইটোপ্লাজমের গাত্রে থাকেÑ (অনুধাবন) র. জৈব পদার্থ রর. সজীব অঙ্গাণু ররর. নির্জীব অঙ্গাণু নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২২. আদর্শ কোষের অঙ্গাণুÑ (অনুধাবন) র. প্লাস্টিড রর. সেন্ট্রিওল ররর. ক্রোমাটিন নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৩. উদ্ভিদকোষের কোষগহŸরÑ (অনুধাবন) র. বেশি রর. আকারে বড় ররর. বর্ণময় নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৪. উদ্ভিদকোষের নির্জীব পদার্থসমূহ হলোÑ (অনুধাবন) র. সঞ্চিত পদার্থ রর. বর্জ্য পদার্থ ররর. ক্ষরিত পদার্থ নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ২৫. কোষপ্রাচীরের কাজÑ [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, সিলেট] র. কোষের আকৃতি দান রর. খাদ্য প্রস্তুত করা ররর. দ্রঢ়তা প্রদান করা নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর  অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৬ ও ২৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : তাসনিম পোস্টার কাগজে একটি উদ্ভিদকোষ এঁকে শিক্ষকের সামনে উপস্থাপন করল। শিক্ষক দেখে বললেনÑ খুব সুন্দর হয়েছে। ২৬. তাসনিমের অঙ্কিত কোষের কোন অঙ্গাণুটি প্রাণিকোষে নেই? (উচ্চতর দক্ষতা)  ক্লোরোপ্লাস্ট খ মাইটোকন্ড্রিয়া গ কোষপ্রাচীর ঘ সেন্ট্রিওল ২৭. তাসনিমের অঙ্কিত কোষে এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা কী ধরনের? (অনুধাবন) ক অর্ধতরল  মসৃণ গ অমসৃণ ঘ পাতলা নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮ ও ২৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : জীবদেহ নানা প্রকার কোষের সমন্বয়ে গঠিত। সকল জীবের কোষের গঠন প্রকৃতি এক রকম নয়। কোষের সকল অঙ্গাণু একসাথে এককোষে পাওয়া যায় না। আবার সব জীবদেহের কোষপ্রাচীর থাকে না। ২৮. জীবদেহের গঠনগত ও কার্যগত এককের নাম কী? (অনুধাবন)  কোষ খ কলা গ পেশি ঘ নিউরন ২৯. কোষপ্রাচীরের কাজÑ (অনুধাবন) র. কোষের সজীব অংশকে রক্ষা করে রর. দৃঢ়তা প্রদান করে ররর. কোষের সীমারেখা নির্দেশ করে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর পাঠ ৩Ñ৫ : কোষ অঙ্গাণুগুলোর পরিচয়  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৩০. কোষ অঙ্গাণুসমূহ কী ধরনের? (জ্ঞান) ক খোলসযুক্ত খ অমসৃণ  সজীব ঘ মসৃণ ৩১. প্লাস্টিড কোন কোষে থাকে? (জ্ঞান) ক দেহকোষে খ প্রাণিকোষে  উদ্ভিদকোষে ঘ জননকোষে ৩২. মাইটোকন্ড্রিয়ার একবচন কোনটি? (জ্ঞান) ক মাইটোকন্ড্রিয়া  মাইটোকন্ড্রিয়াম গ মাইটোকন্ড্রিশন ঘ মাইটোকন্ড্রিয়াস ৩৩. সেন্ট্রোসোম কী? (জ্ঞান) ক নির্দিষ্ট স্থান  কোষের অঙ্গাণু গ উদ্ভিদের খাদ্য ঘ পতঙ্গ ৩৪. জীবের কোষের প্রধান অংশ কয়টি? (জ্ঞান)  দুইটি খ তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি ৩৫. প্লাস্টিড কয় ধরনের হয়ে থাকে? (জ্ঞান)  দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ ৩৬. প্লাস্টিডের কয়টি অংশ পরিলক্ষিত হয়? (জ্ঞান) ক দুইটি  তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি ৩৭. মাইটোকন্ড্রিয়ায় কয়টি পর্দা বিদ্যমান?

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন Read More »

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় নিম্ন শ্রেণির জীব

প্রথম অধ্যায় নিম্ন শ্রেণির জীব পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি  গোলাকার ব্যাকটেরিয়াকে কক্কাস বলা হয়।  কলেরা ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ।  অণুজীবদের আদিজীব বলা হয়।  পাউরুটি ফোলাতে ছত্রাক ব্যবহৃত হয়।  শুকনা মাটিতে অ্যামিবা জন্মাতে অক্ষম।  স্পোরের অপর নাম অণুজীব।  এন্টামিবা এককোষী জীব।  গবেষণাগারে জীব প্রকৌশলে ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ। বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টি করে কোন ব্যাকটেরিয়া? ক স্পাইরিলাম খ ব্যাসিলাস  কক্কাস ঘ কমা ২. শৈবাল ব্যবহৃত হয়Ñ র. আইসক্রিম প্রস্তুতকরণে রর. মাছ চাষের ক্ষেত্রে ররর. ঔষধ তৈরি করতে নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও : তারেক আখ খাবার সময় লক্ষ করল আখের গায়ে লাল দাগ পড়েছে। তার বাবা বললেন এটি এক ধরনের পরজীবীর কারণে সৃষ্টি হয়। ৩. উদ্দীপকের পরজীবী জীবটি সৃষ্টি করেÑ র. রেড রাস্ট রর. ট্রাকিয়ার প্রদাহ ররর. মাথার খুসকি নিচের কোনটি সঠিক? ক র খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৪. তারেকের লক্ষ করা রোগটির জন্য কোনটি দায়ী?  ছত্রাক খ শৈবাল গ ব্যাকটেরিয়া ঘ ভাইরাস পাঠ-১, ২ : অণুজীব জগৎ  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. বিজ্ঞানীরা অণুজীব জগৎকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন? (জ্ঞান) ক ২টি  ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি ৬. কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত হলে তাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান) ক বহুকোষী খ আদিকোষী  প্রকৃতকোষী ঘ চাক্ষুষ জীব ৭. মারগুলিসের পঞ্চরাজ্যের প্রথম রাজ্যের নাম কী? (জ্ঞান)  মনেরা খ প্রোটিস্টা গ ফানজাই ঘ ম্যামালিয়া ৮. নিচের কোনটি অকোষীয়? (অনুধাবন)  এক্যারিওটা খ প্রোক্যারিওটা গ ইউক্যারিওটা ঘ প্রোটিস্টা ৯. নিচের কোন রাজ্য প্রকৃতকোষী অণুজীব নিয়ে আলোচনা করে?(অনুধাবন) ক রাজ্য-১ খ রাজ্য-২  রাজ্য-৩ ঘ রাজ্য-৪ ১০. ব্যাকটেরিয়া কোন ধরনের অণুজীব? (অনুধাবন) ক অকোষীয়  আদিকোষী গ এককোষী ঘ প্রকৃতকোষী ১১. রাজ্য-২ এ আলোচনা করে এমন প্রাণী কোনটি? (অনুধাবন) ক ভাইরাস  ব্যাকটেরিয়া গ ছত্রাক ঘ শৈবাল ১২. ইউক্যারিওটা শব্দটির অর্থ কী? (অনুধাবন) ক অকোষীয়  প্রকৃতকোষী গ বহুকোষী ঘ আদিকোষী ১৩. নিচের কোনটিকে আদিজীব বলা হয়? (অনুধাবন)  অণুজীবদের খ ডাইনোসরদের দগ মানুষকে ঘ মৃত জীবদের ১৪. প্রোটোজোয়া কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত? (অনুধাবন) ক রাজ্য-১ খ রাজ্য-২  রাজ্য-৩ ঘ রাজ্য-৪ ১৫. ছত্রাক কোন রাজ্যের অন্তর্গত? (অনুধাবন) ক প্রথম খ দ্বিতীয়  তৃতীয় ঘ চতুর্থ ১৬. কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত না হলে তাকে কী বলে? (অনুধাবন)  প্রোক্যারিওটা খ এক্যারিওটা গ ইউক্যারিওটা ঘ মনেরা ১৭. সুনির্দিষ্ট নিউক্লিয়াসবিহীন আদিকোষী অণুজীবের উদাহরণ কোনটি?(অনুধাবন)  ব্যাকটেরিয়া খ ভাইরাস গ প্রোটোজোয়া ঘ ছত্রাক ১৮. শৈবালের ক্ষেত্রে নিচের কোন উক্তিটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)  এর কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত খ একে রাজ্য-২ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে গ একে আদিকোষী বলা হয় ঘ একে দেখতে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় ১৯. কোন যন্ত্রের সাহায্যে অণুজীবকে দেখা যায়? (জ্ঞান) ক ক্যামেরা খ দূরবীক্ষণ গ নভোবীক্ষণ  অণুবীক্ষণ ২০. নিচের কোনটি একারি‌্যওটা রাজ্যের অন্তর্গত? (জ্ঞান)  ভাইরাস খ ব্যাকটেরিয়া গ ছত্রাক ঘ শৈবাল ২১. প্রোটোজোয়া কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান) ক একারিওটা  ইউক্যারিওটা গ প্রোক্যারিওটা ঘ এককোষীয়  বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২২. পঞ্চরাজ্যের প্রস্তাবকÑ (অনুধাবন) র. মারগুলিস রর. রবার্ট হুক ররর. হুইটেকার নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৩. রাজ্য-১-এর অন্তর্গত জীব- (অনুধাবন) র. এক্যারিওটা রর. আদিকোষী ররর. অকোষীয় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৪. অণুজীবের উদাহরণÑ (অনুধাবন) র. শৈবাল রর. ছত্রাক ররর. হাইড্রা নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৫. ছত্রাকের ক্ষেত্রে সঠিকÑ (উচ্চতর দক্ষতা) র. রাজ্য-৩ এর অন্তর্ভুক্ত রর. ইউক্যারিওটা ররর. এক প্রকার অণুজীব নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর ২৬. নিম্ন শ্রেণির জীব হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা) র. শৈবাল রর. ছত্রাক ররর. আমগাছ নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২৭. ভাইরাসকে এক্যারিওটা রাজ্যে স্থান দেওয়ার কারণ এরাÑ (অনুধাবন) র. অকোষীয় রর. সালোকসংশ্লেষয়ী ররর. প্রাককেন্দ্রিক নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর  অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮ ও ২৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ২৮. ‘?’ চি‎িহ্নত স্থানে কী বসবে? (প্রয়োগ)  অণুজীব জগৎ খ এক্যারিওটা গ প্রোক্যারিওটা ঘ ইউক্যারিওটা ২৯. এ জগতের জীবদেরÑ (উচ্চতর দক্ষতা) র. আদিজীব বলা হয় রর. খালি চোখে দেখা যায় না ররর. তিনটি রাজ্যে ভাগ করা যায় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর  র, রর ও ররর পাঠ-৩, ৪ : ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ¡ পৃষ্ঠা : ২ ও ৩  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৩০. ভাইরাসের দেহ কী ধরনের? (জ্ঞান) ক এককোষী খ আদিকোষী  অকোষীয় ঘ বহুকোষী ৩১. ভাইরাসের দেহ কয়টি অংশে নিয়ে গঠিত? (জ্ঞান)  ২টি খ ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি ৩২. ভাইরাস কী? (অনুধাবন) ক অতিক্ষুদ্র উদ্ভিদ খ অতিক্ষুদ্র প্রাণী গ অতিক্ষুদ্র বস্তু  অতিক্ষুদ্র পরজীবী ৩৩. ব্যাকটেরিয়া কী ধরনের অণুজীব? (জ্ঞান) ক অকোষীয়  এককোষী গ দ্বিকোষী ঘ প্রকৃতকোষী ৩৪. বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক কোন অণুজীব আবিষ্কার করেন?(জ্ঞান)  ব্যাকটেরিয়া খ শৈবাল গ ভাইরাস ঘ ছত্রাক ৩৫. ব্যাকটেরিয়া মাটিতে কী সংরক্ষণ করে? (জ্ঞান) ক পটাসিয়াম খ অ্যালুুমিনিয়াম  নাইট্রোজেন ঘ আয়রন ৩৬. ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া দেখতে কিসের মতো? (জ্ঞান)  লম্বা দণ্ড খ বাঁকা দণ্ড গ গোলাকার ঘ প্যাঁচানো ৩৭. ভাইরাসের রাসায়নিক গঠনে কী কী আছে? (জ্ঞান)  প্রোটিন ও উঘঅ খ প্রোটিন ও শর্করা গ প্রোটিন ও স্নেহ ঘ প্রোটিন ও জঘঅ ৩৮. গোলাকার ব্যাকটেরিয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)  কক্কাস খ ব্যাসিলাস গ কমা ঘ স্পাইরিলাম ৩৯. ভাইরাসের দেহে কোনটি উপস্থিত থাকে? (অনুধাবন) ক নিউক্লিয়াস  প্রোটিন আবরণ গ প্লাজমালেমা ঘ সাইটোপ্লাজম ৪০. কোনটি সরলতম জীব? (অনুধাবন)  ভাইরাস খ ব্যাকটেরিয়া গ ছত্রাক ঘ শৈবাল ৪১. আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত অণুজীব কোনটি? (অনুধাবন) ক ভাইরাস  ব্যাকটেরিয়া গ ছত্রাক ঘ শৈবাল ৪২. কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার আকৃতি প্যাঁচানো? (অনুধাবন) ক কমা  স্পাইরিলাম গ কক্কাস ঘ ব্যাসিলাস ৪৩. ব্যাকটেরিয়া কোনটি প্রস্তুত করতে সাহায্য করে? (অনুধাবন) ক পাউরুটি খ পনির  দই ঘ লাড্ডু ৪৪. গবেষণাগারে জিন প্রকৌশলে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? (অনুধাবন) ক ভাইরাস খ ছত্রাক 

সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় নিম্ন শ্রেণির জীব Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় প্রবন্ধ রচনা

প্রবন্ধ রচনা য় প্রবন্ধ কী : কোনো একটি বিষয়কে ভাব ও চিন্তার মধ্য দিয়ে ভাষায় প্রাণবন্ত করে প্রকাশ করাই হচ্ছে প্রবন্ধ। য় প্রবন্ধের প্রকারভেদ : বিষয়ভেদে প্রবন্ধকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথাÑ ১. বর্ণনামূলক; ২. ঘটনামূলক; ও ৩. চিন্তামূলক। য় প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন : প্রবন্ধ রচনার সময় কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করা প্রয়োজন। তাহলে প্রবন্ধের মান বৃদ্ধি পায় এবং পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেÑ ১. প্রবন্ধের বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। ২. চিন্তাপ্রসূত ভাবগুলো অবশ্যই ধারাবাহিকভাবে সাজাতে হবে। ৩. প্রত্যেকটি ভাব উপস্থাপন করতে হবে পৃথক অনুচ্ছেদে। ৪. একই ভাব, তথ্য বা বক্তব্য বারবার উল্লেখ করা যাবে না। ৫. রচনার ভাষা হতে হবে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল। ৬. উপস্থাপিত তথ্যাবলি অবশ্যই নির্ভুল হতে হবে। ৭. বড় ও জটিল বাক্য যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে। ৮. নির্ভুল বানানে লিখতে হবে। ৯. সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ ঘটানো যাবে না। ১০. উপসংহারে সুচিন্তিত নিজস্ব মতামত উপস্থাপন করতে হবে। [ পাঠ্য বই থেকে ] আমাদের জাতীয় পতাকা ভূমিকা : জাতীয় পতাকা একটি স্বাধীন জাতির সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই প্রতিটি স্বাধীন দেশ ও জাতিরই একটি জাতীয় পতাকা আছে। জাতীয় পতাকা দেশের সব মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। যেকোনো স্বাধীন দেশ বা জাতি তার জাতীয় পতাকাকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। জাতীয় পতাকার আকার ও আকৃতি : বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় ঘন সবুজ রঙের ওপর উদীয়মান সূর্যের রঙের একটি লাল বৃত্ত থাকবে। জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। পতাকার দৈর্ঘ্য যদি ৩০৫ সেন্টিমিটার হয় (১০ ফুট) হয়, প্রস্থ ১৮৩ সেন্টিমিটার (৬ ফুট ) হবে। লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যরে পাঁচ ভাগের এক ভাগ। আমাদের জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেছেন শিল্পী কামরুল হাসান। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতীক : বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশে সকল ধর্মের মানুষের বসবাস রয়েছে। কিন্তু ধর্ম আলাদা হলেও সবার ভেতরে রয়েছে একই জাতিসত্তা। আর তা হলো বাঙালি জাতিসত্তা। বহু ত্যাগের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। লাল-সবুজের পতাকা আমাদের সে স্মৃতিকেই বহন করছে। এ পতাকা আমাদের সংগ্রামের ইতিহাসকে তুলে ধরে সব প্রজন্মের সামনে। জাতীয় পতাকার বিশেষত্ব : আমাদের জাতীয় পতাকার সবুজ রং বাংলাদেশের শ্যামল প্রকৃতির দিকটিকে তুলে ধরেছে। লাল রং তুলে ধরেছে নবজাগরণের কথা। এছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এ দেশের মানুষ যে রক্ত দিয়েছে তার ইঙ্গিতও বহন করে লাল রং। মোটকথা, আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও প্রকৃতিকে ধারণ করে আছে জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকার গুরুত্ব : জাতীয় পতাকা আমাদের সকল বৈষম্য দূর করে দেয়। আমরা এ পতাকার ছায়াতলে একত্রে মিলিত হই। আমরা পরস্পরের মধ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে যাই। এছাড়া আত্মস্বার্থ ত্যাগ করে দেশের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করার প্রেরণাও আমরা জাতীয় পতাকা থেকে পাই। আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অগ্রগতির সঙ্গে জাতীয় পতাকা গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। হিমালয়ের চূড়া থেকে শুরু করে আমাদের যে কোনো অর্জনেই জাতীয় পতাকা সবার আগে আমাদের হাতে উঠে আসে। আমাদের গৌরবময় ইতিহাসের স্মারক জাতীয় পতাকা। শুধু বর্তমানের নয়, ভবিষ্যতের সকল কর্মপ্রেরণার উৎসও আমাদের জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকার সম্মান : জাতীয় পতাকার জন্য আমরা গর্ববোধ করি। তাই একে সম্মান করা আমাদের একান্ত দায়িত্ব। বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য। এছাড়া অন্যান্য স্থানে বা অনুষ্ঠানে যখনই জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হোক না কেন, তখনই দাঁড়িয়ে তার প্রতি আমাদের সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। যে জাতীয় পতাকাকে সম্মান করে না, সে সকলের ঘৃণার পাত্র। তাকে সকলে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে। উপসংহার : জাতীয় পতাকা আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত মর্যাদার ও সম্মানের। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও এর সম্মান রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আমাদের লক্ষ লক্ষ বীর শহিদ এ পতাকার জন্যই তাঁদের জীবনদান করেছেন। যখন নীল আকাশের মাঝে আমাদের এ পতাকা উড়তে থাকে, তখন তা দেখে গর্বে আমাদের বুক ভরে যায়। বাংলাদেশের নদনদী ভূমিকা : কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলাদেশে অসংখ্য নদীর সমাবেশ দেখে একে ‘জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলা’ বলে অভিহিত করেছেন। ছোট-বড় প্রায় সাত শ নদী এ দেশকে ঘিরে রয়েছে। নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এদেশের অনেক জনপদ। মায়ের মতো স্নেহ দিয়ে নদীগুলো এদেশ ঘিরে রেখেছে। তাই এদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদনদী : বাংলাদেশের সব নদীর একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করা বেশ কঠিন কাজ। তবে এদেশের প্রধান কিছু নদীর নাম আমাদের সবারই জানা। সেগুলো হলো : পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলি ও মাতামুহুরী। পদ্মা : বাংলাদেশের প্রধান নদী পদ্মা। হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহু থেকে এর উৎপত্তি। ভারতে এ নদীর নাম গঙ্গা। মূলত গঙ্গা নদীর যে ধারাটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তার নামই পদ্মা। এ নদী রাজশাহী জেলার দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গোয়ালন্দের নিকট যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। পদ্মার প্রধান শাখানদীগুলো হচ্ছে : কুমার, মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, গড়াই, মধুমতী ও আড়িয়াল খাঁ। মহানন্দা পদ্মার প্রধান উপনদী। মেঘনা : মেঘনা নদীর জন্ম আসামের পাহাড়ে। সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মিলিত স্রোত আজমিরিগঞ্জের কাছে এসে ‘কালনী’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। শেষে ময়মনসিংহ জেলার ভৈরববাজারের কাছে এসে এ নদী মেঘনা নাম ধারণ করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও চাঁদপুরের ডাকাতিয়া মেঘনার দুটি প্রধান শাখা নদী। গোমতী, মনু, বাউলাই মেঘনার উপনদী। যমুনা : যমুনার উৎস হিমালয় পর্বতে। যমুনা নদী গোয়ালন্দের কাছে এসে পদ্মানদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ধলেশ্বরী যমুনার প্রধান শাখানদী। ধরলা, তিস্তা, করতোয়া ও আত্রাই যমুনার উপনদী। কর্ণফুলি : কর্ণফুলি নদীর জন্ম আসামের লুসাই পাহাড়ে। রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এ নদী বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার। কর্ণফুলি নদী অত্যন্ত খরস্রোতা। এ নদীর উপর বাঁধ দিয়েই নির্মিত হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ নদীর তীরেই গড়ে উঠেছে কর্ণফুলি কাগজ ও রেশম শিল্প-কারখানা। কর্ণফুলির প্রধান উপনদী হচ্ছে হালদা, বোয়ালখালী ও কাসালং। ব্রহ্মপুত্র : হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের মানস সরোবরে এ নদীর উৎপত্তি। তিব্বতের পূর্ব দিক ও আসামের পশ্চিম দিক দিয়ে এ নদী প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে এ নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বংশী ও শীতলক্ষ্যা ব্রহ্মপুত্রের প্রধান শাখা নদী। ধরলা ও তিস্তা এর উপনদী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নদ-নদীর প্রভাব : নদীর সঙ্গে আমাদের জীবন গভীরভাবে জড়িত। আমাদের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নদীপথ। নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এদেশের অনেক ব্যবসাবাণিজ্যকেন্দ্র। আমাদের কৃষিক্ষেত্র অনেকাংশেই নদীর উপর নির্ভরশীল। এদেশের কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পীরা নদীকে নিয়ে সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য সাহিত্যকর্ম । নদ-নদীর উপকারিতা : বাংলাদেশকে সবুজে-শ্যামলে ভরে তোলার পেছনে নদ-নদীর ভূমিকা অপরিসীম। নদীর পানিতে বয়ে আসা পলি প্রাকৃতিকভাবে আমাদের মাটিকে উর্বর করেছে। আমাদের কৃষির অগ্রগতিতে তাই নদীর বূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিক্ষেত্র ছাড়াও নদীগুলো মিঠা পানির মাছের অন্যতম উৎস। নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে অসংখ্য মানুষ। দেশীয় প্রয়োজন মিটিয়েও মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয়। এছাড়া পরিবহন-সংμান্ত কাজেও নদীকে ব্যবহার করা হয়। একশ্রেণির মানুষ

সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় প্রবন্ধ রচনা Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় চিঠি ও আবেদন পত্র

পত্র রচনা য় চিঠি বা পত্র : চিঠির আভিধানিক অর্থ হলো স্মারক বা চি‎‎‎হ্ন। তবে ব্যবহারিক অর্থে চিঠি বা পত্র লিখন বলতে বোঝায়, একের মনের ভাব বা বক্তব্যকে লিখিতভাবে অন্যের কাছে পৌঁছানোর বিশেষ পদ্ধতিকে। আরও সহজ করে বলা যায়, দূরের কিংবা কাছের কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিজের প্রয়োজনীয় কথাগুলো লিখে জানানোর পদ্ধতিকে চিঠি বা পত্র লিখন বলে। য় চিঠি বা পত্রের বিভিন্ন অংশ : একটি চিঠি বা পত্রে সাধারণত ছয়টি অংশ থাকে। এগুলো হলোÑ ১. যেখান থেকে চিঠি লেখা হচ্ছে সে জায়গার নাম ও তারিখ; ২.সম্বোধন বা সম্ভাষণ; ৩. মূল বক্তব্য; ৪. বিদায় সম্ভাষণ; ৫. প্রেরকের (যে চিঠি পাঠাচ্ছে তার) স্বাক্ষর ও ৬. প্রাপকের (যে চিঠি পাবে তার) নাম ও ঠিকানা। য় চিঠি বা পত্র লেখার নিয়ম : চিঠি বা পত্র লেখার সময় সাধারণ কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়। যেমনÑ ১. সুন্দর ও স্পষ্ট হস্তাক্ষরে লেখা; ২. সহজ, সরল ভাষায় লেখা; ৩. নির্ভুল বানানে লেখা; ৪. চলিত ভাষায় লেখা; ৫. বিরামচি‎েহ্নর যথাযথ ব্যবহার করা; ৬. একই কথার পুনরাবৃত্তি না করা; ৭. পাত্রভেদে সম্মান ও স্নেহসূচক বাক্য ব্যবহার ইত্যাদি। য় চিঠি বা পত্রের প্রকারভেদ : বিষয়বস্তু বিবেচনায় চিঠিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যথাÑ ১. ব্যক্তিগত চিঠি। যেমনÑ মা-বাবা বা বন্ধু-বান্ধবকে ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে লেখা চিঠি। ২. সামাজিক চিঠি। যেমনÑ সামাজিক কোনো সমস্যা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য কিংবা প্রশাসনকে জানানোর জন্য লেখা চিঠি। ৩. ব্যবহারিক চিঠি। যেমনÑ ব্যবহারিক প্রয়োজনে লেখা আবেদনপত্র, ব্যবসাপত্র, নিমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি।  ব্যক্তিগত পত্র : [ পাঠ্য বই থেকে ] ১। তোমার ছাত্রাবাস জীবনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তোমার মাকে পত্র লেখো। শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ ১৪ই জুন ২০১৭ পূজনীয় মা আমার প্রণাম নিও। বাবাকে আমার প্রণাম দিও। তুমি ও বাবা কেমন আছ? তোমাদের জন্য আমার সব সময়ই চিন্তা হয়। নিজেদের শরীরের প্রতি যতœ নিও। আমি এক সপ্তাহ আগে আমার স্কুলের ছাত্রীনিবাসে উঠেছি। ছাত্রীনিবাসের পরিবেশ খুবই ভালো। বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীরা এখানে থাকে। ছাত্রীরা পরস্পরের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। যে কারণে কারো কোনো সমস্যা হয় না। অবসর সময়ে অনেকে একসাথে গল্প করি। আমাদের বাড়িতে সন্ধ্যায় যেমন সবাই একত্রে আড্ডা দিই, অনেকটা সেই রকম। ছাত্রীনিবাসের মধ্যেই একটি ছোট পাঠাগার আছে। এখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানের বই আছে। ওখানে বসে বই পড়া যায় আবার তিন দিনের জন্য কক্ষেও নিয়ে আসা যায়। আমার কক্ষে যে মেয়েটি আছে সেও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। ওর নাম মনি। ও খুলনার মেয়ে। মনি খুবই সুন্দর রবীন্দ্রসংগীত গায়। তোমাদের জন্য মন খারাপ হলে মনি আমাকে গান শোনায়। আমার কক্ষটা চারতলায়। কক্ষের জানালায় দাঁড়ালে সবুজ গাছের উপর দিয়ে সুন্দর আকাশ দেখা যায়। ছাত্রীনিবাসে একটি মিলনায়তন আছে, সেখানে ক্যারাম ও টেবিল টেনিস খেলা যায়, শীতের সময় ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম প্রথম ছাত্রীনিবাসের খাবার খুব ভাল লাগত না, তখন তোমার রান্নার কথা খুব মনে হতো। কিন্তু এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি। প্রতি মাসে দুইবার বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়, তখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে অনেকটা উৎসবের মতো। আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না। আশা করি আমি ভালোই থাকব। স্বচ্ছ কেমন আছে? ওর লেখাপড়ার প্রতি নজর রেখো। পূজার ছুটি হলেই আমি বাড়ি চলে আসব। আমার জন্য আশীর্বাদ করো। ইতি তোমাদের আদরের শুভ্রা গোস্বামী প্রেরক শুভ্রা গোস্বামী শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ ডাকটিকেট প্রাপক মনি গোস্বামী কলেজ রোড, সিরাজগঞ্জ ২। তোমার জীবনের লক্ষ্য কী জানিয়ে বড় ভাইকে চিঠি লেখো। দোহার, ঢাকা ১৩ ই জানুয়ারি ২০১৭ শ্রদ্ধেয় বড় ভাই, আমার সালাম নিবেন। বাড়ির সকলে আমরা ভালো আছি। আমার স্কুলের ক্লাস ভালোভাবে শুরু হয়েছে। আমিও পড়াশোনা শুরু করেছি। আদরের ছোট বোন অত্রিকে ভর্তি করানো হয়েছে। আপনার কথামতো আমরা দু’জনে একসঙ্গে স্কুলে যাই। আপনি চিন্তা করবেন না। আপনি জানতে চেয়েছিলেন আমি বড় হয়ে কী হতে চাই। আমাদের জলীল স্যারকে তো আপনি চিনেন। আমি স্যারকে খুব পছন্দ করি। স্যার আমাদেরকে খুব ভালোভাবে পড়ান। পড়ানোর সময় আমরা কীভাবে বড় হতে পারব, দেশের মানুষের সেবা করতে পারব, পৃথিবীকে আরো সুন্দর করতে পারব এসব বলেন। আমার মনে হয়, আমাদের দেশের জন্য এখনো আদর্শ শিক্ষক অনেক বেশি দরকার। তাই আমি ঠিক করেছি, ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করে আমি শিক্ষক হব। আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন। আমাদের এলাকার সবাই ভালো আছেন। দাদা-দাদি এখন বেশ সুস্থ। আপনি বাড়ি আসার সময় আমার জন্য বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক পত্রিকা নিয়ে আসবেন। ভালো থাকবেন। ইতি আপনার আদরের সুমন রহমান অর্ক [ঠিকানাসহ খাম হবে] ৩। তোমার এলাকার একটি লোকজ উৎসবের বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে পত্র লেখো। প্রিয়াঙ্কা বড়–য়া রাজানগর, চট্টগ্রাম তারিখ : ৮ই মে ২০১৭ প্রিয় পুতুল, আমার প্রীতি ও ভালোবাসা নাও। আজ প্রায় দুই বছর হতে চলল তুমি রাশিয়া চলে গেছ। আমাদের দুজনের জীবন যে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর ছিল তা কিছুতেই ভুলতে পারি না। তুমি তোমার বাবা-মার সঙ্গে রাশিয়া চলে যাওয়ার পর এখনো আমাদের এলাকার নানা অনুষ্ঠান সেই আগের মতোই আমরা উপভোগ করি। তবে আমরা তোমার অভাব বোধ করি। এবার আমাদের এলাকায় বেশ বড় আয়োজনে বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ আমি সেই উৎসবের কথা বলতেই তোমাকে চিঠি লিখছি। তুমি তো জান আমাদের সারা বাংলাদেশেই পহেলা বৈশাখ নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এখন আমাদের রাঙ্গুনিয়াতেও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজনে নানা অনুষ্ঠান হয়। রাজানগরে এবারই প্রথম বৈশাখী উৎসবের অনুষ্ঠান হয়। স্বপন, পুলক, হ্যাপী, চৈতালী, অনিক, দীপা, কুমকুম, নাহার, রাজু, সজল এবং আমি সবাই মিলে সকাল সকাল আমাদের বিদ্যাময়ী স্কুলের মাঠে চলে যাই। প্রথমে ওখান থেকে সকাল সাতটায় শুরু হয় বৈশাখী শোভাযাত্রা। নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন হাতে আমরা র‌্যালিতে অংশ নেই। র‌্যালি শেষ করে স্কুলের মাঠে চলে আসি। ওখানেই বিশাল আকারে মেলা বসেছে। মাঠের উত্তর দিকে চড়কগাছের আয়োজন, তার পাশে বসেছে চুড়ির দোকান। ছোট ছোট বাক্সে নানা ধরনের চুড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছে মহিলারা। তার পাশে চানাচুর ও নিমকি ভাজা ও বিμি চলছে। আমি গরম নিমকি ভাজা আধা কেজি কিনে সবাই মিলে খেয়েছি আর ঘুরে ঘুরে মেলাটা দেখেছি। মাঠের পূর্ব কোণে বাঁশ-বেতের নানা গৃহস্থালি দ্রব্য নিয়ে বসেছে বিμেতারা। ওখানেও বেশ ভিড়। তার পাশেই নানা ধরনের বেলুন, বাঁশির পসরা বসেছে। আমি আমার ছোট বোন প্রিয়ন্তির জন্য বেলুন ও বাঁশি কিনেছি। ওর জন্য রঙিন ফিতাও কিনেছি। দীপা তো যেটা দেখে সেটাই কিনে এমন অবস্থা ওর। হাতে যে কয়টা টাকা ছিল সব টাকায় দীপা ওর ভাই বোনের জন্য নানা জিনিসপত্র কিনেছিল। রাজু, সজল, হ্যাপী, অনিক, স্বপন বাঁশের তৈরি কলমদানি কিনেছিল। আমরা সবাই মিলে চড়কগাছেও উঠলাম। ওখানে উঠে তো চৈতালী ভীষণ ভয় পেয়ে গেল। কিন্তু কি আর করা দশপাক না খেয়ে তো আর নামা যাবে না। চৈতালী বলেছে, ও আর কখনো চড়কগাছে উঠবে না। আজ আর লিখছি না। তুমি ভালো থেকো। জ্যাঠা-জ্যাঠাইমাকে শ্রদ্ধা দিও। তোমার সব খবর জানিয়ে আমাকে লিখো। তোমার জন্য অসীম ভালোবাসা রইল। ইতি প্রিয়াঙ্কা বড়–য়া [ঠিকানাসহ খাম

সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় চিঠি ও আবেদন পত্র Read More »

সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় ভাব-সম্প্রসারণ

ভাব-সম্প্রসারণ কবি-সাহিত্যিকদের লেখায় কখনো কোনো একটি বাক্যে বা কবিতার এক বা একাধিক চরণে গভীর কোনো ভাব নিহিত থাকে। সেই ভাবকে বিস্তারিতভাবে লেখা, বিশ্লেষণ করাকে ভাবস¤প্রসারণ বলে। যে ভাবটি কবিতার চরণে বা বাক্যে প্রচ্ছন্নভাবে থাকে, তাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করতে হয়। সাধারণত সমাজ বা মানবজীবনের মহৎ কোনো আদর্শ বা বৈশিষ্ট্য, নীতি-নৈতিকতা, প্রেরণামূলক কোনো বিষয় যে পাঠে বা বাক্যে বা চরণে থাকে, তার ভাবস¤প্রসারণ করা হয়। ভাবস¤প্রসারণের ক্ষেত্রে রূপকের আড়ালে বা প্রতীকের ভেতর দিয়ে যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়, তাকে যুক্তি, উপমা, উদাহরণ ইত্যাদি সাহায্যে বিশ্লেষণ করতে হয়। ভাবস¤প্রসারণ করার ক্ষেত্রে যেসব দিক বিশেষভাবে খেয়াল রাখা প্রয়োজন : ১. উদ্ধৃত অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। ২. অন্তর্নিহিত ভাবটি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। ৩. অন্তর্নিহিত ভাবটি কোনো উপমা-রূপকের আড়ালে নিহিত আছে কি না, তা চিন্তা করতে হবে। ৪. সহজ-সরলভাবে মূল ভাবটিকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। ৫. মূল বক্তব্যকে প্রকাশরূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। ৬. বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। [ পাঠ্য বই থেকে ] পিতামাতা গুরুজনে দেবতুল্য জানি, যতনে মানিয়া চল তাহাদের বাণী। মূলভাব : বাবা, মা ও অভিভাবকবৃন্দ আমাদের জীবন গঠন ও পরিচালনার জন্য যেসব উপদেশ দেন, সেগুলো মেনে চলা কর্তব্য। সম্প্রসারিত ভাব : পিতা-মাতা আমাদের জীবন দান করেন এবং অনেক কষ্ট করে লালন পালন করেন। পিতা-মাতার সঙ্গে অন্য গুরুজনরাও আমাদের সুস্থ জীবন বিকাশে সহায়তা করেন এবং অনেক কষ্ট স্বীকার করে আমাদের বড় করে তোলেন। এঁরা সবাই বয়সে, জ্ঞানে বুদ্ধিতে প্রজ্ঞায় আমাদের থেকে অনেক বড়। তাঁরা আমাদের স্নেহ করেন, ভালোবাসেন এবং সর্বদাই মঙ্গল কামনা করেন। অভিজ্ঞতার আলোকে তাঁরা জানেন কী করলে আমাদের ভাল হবে। নবীনতা ও অনভিজ্ঞতার কারণে এই কঠিন ও জটিল পৃথিবীর অনেক কিছুই আমাদের অজানা। সে জন্য পিতা-মাতা গুরুজন ও বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের উপদেশ চলার পথে আলোকবর্তিকা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আর তা না করতে পারলে জীবনে সফলতা আসবে না। প্রতি মুহূর্তে আমরা হোঁচট খাব। আমরা জানি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বায়েজিদ বোস্তামি কীভাবে গুরুজনদের আদেশ-উপদেশ পালন করেছেন। আর সে কারণেই তাঁরা আজ সকলের শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হতে পেরেছেন। তাই পিতা-মাতা, গুরুজন আদর্শস্থানীয়, দেবতুল্য এবং আরাধনাযোগ্য। তাঁদের বাণী অনুসরণ করে নিজের জীবন গড়তে হবে এবং দেশ, জাতি তথা সমগ্র বিশ্বকে শাশ্বত কল্যাণের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। সিদ্ধান্ত : পিতা-মাতা, গুরুজন ও বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের উপদেশ মানলে নিজের জীবন সুন্দর ও বিকশিত হবে এবং দেশ ও জাতি উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারবে। আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে। মূলভাব : কাজই মানুষের পরিচয়কে ধারণ করে। মুখে বড় বড় কথা না বলে কাজ করলে সভ্যতার বিকাশ সাধন হবে। সম্প্রসারিত ভাব : আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা অনেক কথা বলতে ভালোবাসে কিন্তু কাজের সময় তারা ফাঁকি দেয়। উপরন্তু কাজ শেষে তারা অন্যের সমালোচনা করে। এসব মানুষ সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তারা সভ্যতার বিকাশে কোনো ভ‚মিকা রাখে না বরং এর অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিন্তু নিজে কাজ করলে এবং অন্যের কাজে সহায়তা করলে আমাদের দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। বিশ্বের শৃঙ্খলাবোধ সব দেশেই শ্রমকে, কর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। মহামানবদের জীবনী পাঠ করলে দেখা যায় তাঁরা কর্ম ও নিষ্ঠা দিয়ে পৃথিবীতে নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করে রেখেছেন। যুগ যুগ ধরে তাঁরা সারা বিশ্বে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এখন থেকে চার দশকেরও অধিক সময় আগে নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও এডউইন অলড্রিন -এই তিনজন মানুষ ঐকান্তিক সাধনা, নিরলস শ্রম ও কঠোর অধ্যবসায়ের ফলে চাঁদে অবতরণ করতে পেরেছিলেন। এই দুঃসাহসী কাজের জন্য তাঁরা আজও মানুষের কাছে বরণীয় হয়ে আছেন। এই কাজের মধ্য দিয়ে তাঁরা বিজ্ঞানকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদেরও উচিত তাঁদের পথকে অনুসরণ করে ভালো ও পুণ্যকর্ম করে নিজের, পরিবারের তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করা। আর যারা কাজ না করে বেশি কথা বলে, তাদেরকে মানুষ বাচাল বলে। আর বাচালের সঙ্গ ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়। সিদ্ধান্ত : আত্মম্ভরিতা পরিত্যাগ করে কাজ ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে হবে। নানান দেশের নানান ভাষা বিনা স্বদেশী ভাষা মিটে কি আশা? মূলভাব : মাতৃভাষার মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃত রসাস্বাদন করতে পারে এবং এই ভাষায়ই তাদের প্রাণের স্ফ‚র্তি ঘটে। সম্প্রসারিত ভাব : পৃথিবীর প্রায় সব জাতিরই নিজস্ব ভাষা আছে এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষা আলাদা। আমরা ভাষার মাধ্যমে শুধু নিজের মনের ভাবই অন্যের কাছে প্রকাশ করি না, মাতৃভাষার সাহায্যে অন্যের মনের কথা, সাহিত্য-শিল্পের বক্তব্যও নিজের মধ্যে অনুভব করি। নিজের ভাষায় কিছু বোঝা যত সহজ, অন্য ভাষায় তা সম্ভব নয়। বিদেশে গেলে নিজের ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা যায় আরও প্রখরভাবে। তখন নিজের ভাষাভাষি মানুষের জন্য ভেতরে ভেতরে মরুভ‚মির মতো তৃষিত হয়ে থাকে মানুষ। আমরা বাঙালি, বাঙলা আমাদের ভাষা। বাংলা ভাষায় আমরা কথা বলি, পড়ালেখা করি, গান গাই, ছবি আঁকি, সাহিত্য রচনা করি, হাসি-খেলি, আনন্দ-বেদনা প্রকাশ করি। অন্য ভাষায় তা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে করা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ এই ভাষায় সাহিত্য রচনা করে যশস্বী হয়েছেন। মাইকেল মধুসূদন দত্ত জীবনের শুরুতে অন্য ভাষায় সাহিত্য রচনা করে পরে আক্ষেপ করেছেন এবং মাতৃভাষায় সাহিত্যচর্চা করে বিশ্বখ্যাতি লাভ করেছেন। মায়ের মুখের বুলি থেকে শিশু তার নিজের ভাষা আয়ত্ত করা শুরু করে এবং এই ভাষাতেই তার স্বপ্নগুলো রূপ দেবার চেষ্টা করে, এই ভাষাতেই লেখাপড়া করে এবং জগৎ ও জীবনকে চিনতে শুরু করে। ভিন্ন ভাষাভাষীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের জন্য, দেশ-বিদেশের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত রাখার জন্য আমাদের অন্য ভাষা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা শিখতে হয়। কিন্তু মাতৃভাষার বুনিয়াদ শক্ত না হলে অন্য ভাষা শেখাও আমাদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। সিদ্ধান্ত : স্বদেশের ভাষাকে ভালোবাসতে হবে, এর বিকাশ ও সমৃদ্ধিকে অবাধ করতে হবে এবং বিকৃতিকে রোধ করতে হবে। সুপেয় জল যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি স্বদেশের ভাষা সুমিষ্ট। লাইব্রেরি জাতির সভ্যতা ও উন্নতির মানদণ্ড মূলভাব : লাইব্রেরি হচ্ছে জ্ঞানের আধার। একটি জাতির রুচির পরিশুদ্ধ, জ্ঞানের গভীরতা ও সভ্যতার অগ্রগমন সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায় ঐ জাতির লাইব্রেরির মাধ্যমে। সম্প্রসারিত ভাব : একটি জাতি বা দেশের সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান, খেলাধুলা-বিনোদন, সভ্যতা-সংস্কৃতির পরিচয়য়কে ধারণ করে সেই জাতির সযতœ তৈরি লাইব্রেরি। কখনো কখনো মানুষের মুখ যেমন ব্যক্তির অন্তর্গত রূপ বা পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে, তেমনি লাইব্রেরি জাতির উন্নতি ও অগ্রগতিকে চিহ্নিত করে। লাইব্রেরি জাতির অতীত ও বর্তমানকে এক সুতোয় বেঁধে রাখে এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দেয়। জ্ঞানান্বেষী ও সত্যসন্ধানী মানুষ লাইব্রেরিতে এসে নিজেকে সমৃদ্ধ করে এবং জাতির সভ্যতার μমোন্নতিতে ভূমিকা রাখে। একটি লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত সাহিত্যগ্রন্থ দেখে সংশি−ষ্ট জাতির সাহিত্যরুচি উপলব্ধি করা যায়, বিজ্ঞানগ্রন্থ দেখে জাতির বিজ্ঞান-চিন্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুভব করা যায়। তাই গ্রন্থাগার হচ্ছে কালের সাক্ষী। জ্ঞান-বিজ্ঞাসংμান্ত যেকোনো প্রয়োজনে লাইব্রেরি পরম বন্ধু এবং অনন্ত উৎস। পৃথিবীতে যত বড় বড় আবিষ্কার হয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকের পেছনে রয়েছে লাইব্রেরির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

সপ্তম শ্রেণির বাংলা ২য় ভাব-সম্প্রসারণ Read More »

Scroll to Top