You are currently viewing তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ স্বাস্থ্যবিধি

তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ স্বাস্থ্যবিধি

তৃতীয় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ স্বাস্থ্যবিধি পোস্টে এই অধ্যায়ের অনুশীলনীর প্রশ্নউত্তর সহ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত ও কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নউত্তর ও ৩য় শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের শেষে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিচে চোখ রাখুন।

৩য় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ স্বাস্থ্যবিধি

>> অধ্যায়টির মূলভাব জেনে নিই
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষেরই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। কিন্তু চারপাশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য রোগজীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করে আমাদের অসুস্থ করে তোলে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের যতœ নিতে হবে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ঘুম থেকে উঠে হাত, মুখ, চোখ ভালোভাবে ধুতে হবে, নিয়মিত দাঁত মাজতে হবে। ঘরবাড়ির ভেতর ও ঘরের আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। পাশাপাশি নিজের বিদ্যালয়ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্যান্ডেল পায়ে শৌচাগারে যেতে হবে। পচা ও বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। এই নিয়মগুলো মেনে চললে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস ও বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

৩য় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১। শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) শরীরে — প্রবেশ করলে আমরা অসুস্থ হই।
২) স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য — খেতে হবে।
৩) ময়লা আবর্জনা — বা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
৪) শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে আমাদের — হবে।
উত্তর : ১) রোগজীবাণু , ২) সুষম খাদ্য, ৩) ডাস্টবিন, ৪) রোগ।
২। সঠিক উত্তরটিতে (চ) টিক চিহ্ন দাও।
১) রোগ প্রতিরোধের জন্য কোন অভ্যাসটি ভালো?
ক. বেশি খাবার খাওয়া চ খ. নিয়মিত হাত ধোয়া
গ. দেরিতে ঘুমানো ঘ. খোলা খাবার খাওয়া
২) শরীর সুস্থ রাখার জন্য কোনটি ভালো?
চ ক. প্রয়োজন মতো বিশ্রাম ও ঘুম
খ. কঠোর পরিশ্রম
গ. বেশি করে ওষুধ খাওয়া
ঘ. বেশি বেশি খাবার খাওয়া

৩। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
১) টয়লেট ব্যবহার করার পর তোমার কী করা উচিত লেখ।
উত্তর : টয়লেট ব্যবহার করার পর আমাদের পরিষ্কার পানি এবং সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়া উচিত।
২) আমাদের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দুইটি উপায় লেখ।
উত্তর : আমাদের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দুটি উপায় নিচে দেওয়া হলো-
ক) রান্নাঘরের আবর্জনা, কলার খোসা এবং কাগজের টুকরো ডাস্টবিন অথবা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
খ) টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান ও নিরাপদ পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩) কীভাবে হাত ধুতে হয় বর্ণনা কর।
উত্তর : খাবার আগে, খাবার তৈরির আগে এবং টয়লেট ব্যবহার করার পর পরিষ্কার নিরাপদ পানি এবং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। সাবান হাতে লাগিয়ে হাতের তালু ও হাতের উল্টা পিঠে ভালোভাবে ঘষতে হবে এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪) অসুখ থেকে বাঁচার চারটি ভালো অভ্যাস লেখ।
উত্তর : অসুখ থেকে ভালো থাকার চারটি ভালো অভ্যাস হলো-
ক) আমাদের শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
খ) খাবার আগে, খাবার তৈরির আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর আমাদের হাত সাবান এবং নিরাপদ পানি দিয়ে ধুতে হবে।
গ) পান করা, খাদ্য তৈরি এবং গোসলের জন্য পরিষ্কার এবং নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে।
ঘ) রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আমাদের চারপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৫) কোথায় কোথায় রোগজীবাণু থাকে?
উত্তর : সব জায়গায় জীবাণু ছড়িয়ে আছে। যেমনÑ চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, দরজার হাতল, টয়লেটের জিনিসপত্র ইত্যাদিতে রোগজীবাণু থাকে। এছাড়াও মশা, মাছি এবং হাঁচি কাশির মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ায়।
৬) সুস্থ থাকার জন্য কেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশ প্রয়োজন?
উত্তর : অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগজীবাণু ছড়িয়ে থাকে। এ পরিবেশে সুস্থদেহও রোগজীবাণুর আক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবেশ পরিচ্ছন্ন থাকলে রোগজীবাণু সহজে বিস্তার লাভ করতে পারে না। ফলে রোগজীবাণু ছড়ানো বন্ধ থাকায় দেহ সুস্থ থাকে। তাই সুস্থ থাকার জন্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশের বিকল্প নেই।
৪। তীর চিহ্ন দিয়ে চিত্রগুলো যুক্ত করে দেখাও কীভাবে রোগজীবাণু ছড়ায়।

উত্তর :

 

৩য় শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ৮ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

>> সত্য হলে ‘স’ এবং মিথ্যা হলে ‘মি’ লেখ।
১) জীবাণু আমাদের শরীরে রোগ সৃষ্টি করে।
২) স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
৩) হাঁচি কাশির মাধ্যমে রোগজীবাণু ছড়ায়।
৪) রোগ প্রতিরোধের জন্য টয়লেট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত।
৫) দেহের ভেতর জীবাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মানুষ সুস্থ থাকে।
উত্তর : ১) স, ২) স, ৩) স, ৪) স, ৫) মি।
>> বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশের মিল কর :
ক) রোগজীবাণু দেহ সুস্থ রাখে।
খ) আমাদের দেহ রোগজীবাণু ছড়ায়।
গ) সুষম খাদ্য রোগ সৃষ্টি করে।
ঘ) মশা, মাছি সাবান পানিতে হাত ধোয়া উচিত।
ঙ) টয়লেট ব্যবহারের পর জীবাণু ধ্বংস করতে পারে।
উত্তর :
ক) রোগজীবাণু – রোগ সৃষ্টি করে।
খ) আমাদের দেহ – জীবাণু ধ্বংস করতে পারে।
গ) সুষম খাদ্য – দেহ সুস্থ রাখে।
ঘ) মশা, মাছি – রোগজীবাণু ছড়ায়।
ঙ) টয়লেট ব্যবহারের পর – সাবান পানিতে হাত ধোয়া উচিত।
>> শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) — হাত মুখে দিলে জীবাণু দেহে ঢুকতে পারে।
২) — খাদ্য খেলে আমাদের রোগ সারে।
৩) খাওয়ার — দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
৪) — পানি আমাদের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
৫) গোসলের জন্য — পানি ব্যবহার করতে হবে।
উত্তর : ১) অপরিষ্কার, ২) পুষ্টিযুক্ত, ৩) পর , ৪) দূষিত, ৫) নিরাপদ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. রোগ জীবাণু দ্বারা আমাদের কীভাবে রোগ হয়?
উত্তর : দূষিত পানি বা খাবারের মাধ্যমে, ময়লা হাতে চোখ ঘষলে বা অপরিষ্কার হাত মুখে দিলে রোগজীবাণু দেহে ঢুকতে পারে। দেহের ভেতরে রোগ জীবাণু যখন সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় তখন আমাদের রোগ হয়।
২. রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার দুটি উপায় লেখ।
উত্তর : রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার দুটি উপায় হলো Ñ
ক) হাঁচি কাশির মাধ্যমে বাতাসে জীবাণু এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
খ) পোকা মাকড় যেমনÑ মশা, মাছি ইত্যাদিও রোগ জীবাণু ছড়ায়।
৩. শরীরের যতœ নেওয়ার দুটি উপায় লেখ।
উত্তর : শরীরের যতœ নেওয়ার দুটি উপায় হলো Ñ
ক) খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা।
খ) রোজ সাবান দিয়ে পরিষ্কার পানিতে গোসল করা।
৪. আমাদের কখন হাত ধোয়া উচিত?
উত্তর : খাবার আগে, খাবার তৈরির আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পরে পরিষ্কার পানিতে সাবান দিয়ে আমাদের হাত ধোয়া উচিত।
৫. পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার দুটি উপায় লেখ।
উত্তর : পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার দুটি উপায় হলো-
ক) রান্নাঘরের আবর্জনা, কলার খোসা এবং কাগজের টুকরো ডাস্টবিন অথবা কোনো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা।
খ) নিয়মিত টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।

কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

ন্ধ সাধারণ
১. কয়েকটি রোগের নাম লেখ। আমরা কীভাবে অসুস্থ হই?
উত্তর : কয়েকটি রোগের নাম Ñ
ক) উদরাময়, খ) আমাশয়, গ) টাইফয়েড, ঘ) বসন্ত, ঙ) কলেরা, চ) য²া।
আমাদের চারপাশে অসংখ্য অদৃশ্য জীবাণু ছড়িয়ে আছে। কোনো কোনো জীবাণু মানুষের রোগ সৃষ্টি করে। দূষিত পানি পান করলে বা দূষিত খাবার খেলে রোগজীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ময়লা হাতে চোখ ঘষলে বা অপরিষ্কার হাত মুখে দিলেও জীবাণু দেহে ঢুকতে পারে। দেহের ভেতরে জীবাণু যখন সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় তখন আমরা অসুস্থ হই।
২. দেহ সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত?
উত্তর : স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন এবং সুষম খাদ্য দেহ সুস্থ রাখে। পরিমিত ব্যায়াম, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম এবং ঘুম আমাদের দেহের জন্য উপকারী। রোগ হলে ডাক্তার দেখানো, ওষুধ খাওয়া এবং রোগ থেকে সেরে ওঠার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিরাপদ পানি পান এবং বিশ্রাম দেহের জন্য উপকারী।
৩. কোন ক্ষেত্রে এবং কী কারণে আমাদের নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত?
উত্তর : পান করা, খাদ্য তৈরি করা এবং গোসলের জন্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত।
দূষিত পানি আমাদের রোগ সৃষ্টি করে। তাই রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমাদের নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত। নিরাপদ পানি আমাদের দেহকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে, জীবাণু দূর করে এবং আমাদের সুস্থ রাখে। তাই আমাদের নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত।
৪. আমাদের দেহকে সুস্থ রাখার উপায়গুলো লেখ। শরীর সুস্থ রাখতে কীভাবে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে পারি?
উত্তর : আমাদের দেহকে সুস্থ রাখার উপয়গুলো হলোÑ
১) দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করা।
২) সুষম খাদ্য খাওয়া ছাড়াও পরিমিত ব্যায়াম, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম ও ঘুম।
শরীর সুস্থ রাখতে নিচের পদ্ধতিতে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে পারি-
১) খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা এবং রোজ সাবান দিয়ে পরিষ্কার পানিতে গোসল করা।
২) নিয়মিত জামাকাপড় পরিষ্কার করা।
৩) ত্বক, চুল, নখ, চোখ ও কানের যতœ নেওয়া।
ন্ধ যোগ্যতাভিত্তিক
৫. তুমি কীভাবে রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করবে?
উত্তর : আমি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করে রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করবো-
১) সুষম খাবার গ্রহণ করে।
২) পরিমিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে।
৩) নিরাপদ পানি পান করে।
৪) নিজেকে ও চারপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার রেখে।
৫) খাবার আগে, খাবার তৈরির আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর পরিষ্কার পানিতে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে।
৬. নিপা প্রতিটি কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করে না। কোন পানি নিপার দেহে রোগ সৃষ্টি করবে? নিপার কেন নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত? নিরাপদ পানি ব্যবহারে এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টিতে নিপা কী কী করতে পারে?
উত্তর : দূষিত পানি নিপার দেহে রোগ সৃষ্টি করবে।
দেহকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করা, জীবাণু দূর করা এবং সুস্থ রাখার জন্য নিপার নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত।
নিরাপদ পানি ব্যবহারে এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টিতে নিপা যেসব কাজ করতে পারে তা হলোÑ
১) এলাকার লোকজনের মাঝে পোস্টার, লিফলেট ফেস্টুন বিতরণ করা।
২) এলাকায় গণসংযোগ করা।
৩) স্বাস্থ্যকর্মীর সহযোগিতা নেওয়া।
৪) ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, মেম্বারদেরকে নিয়ে এলাকায় প্রচারণা চালানো।
৫) স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, গ্রাম্য মাতব্বরদের সহযোগিতা নেওয়া।

——————

This Post Has One Comment

  1. Setu dey

    ধন্যবাদ স্যার।

Leave a Reply