ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা আসমানি

আসমানি
জসীমউদ্দীন
 কবি পরিচিতি

নাম জসীমউদ্দীন।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি। জন্মস্থান : ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়।
পিতৃভ‚মি : গোবিন্দপুর গ্রাম।
পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : মৌলবি আনসার উদ্দীন মোল্লা। মাতার নাম : আমেনা খাতুন।
শিক্ষা জীবন মাধ্যমিক : এসএসসি, ফরিদপুর জিলা স্কুল। উচ্চ মাধ্যমিক : ফরিদপুর।
উচ্চতর শিক্ষা : বিএ(পাস), রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর। এমএ (বাংলা), ১৯৩১ সাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশা/কর্মজীবন ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাদেশিক সরকারের পাবলিসিটি অফিসার নিযুক্ত হন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি আমৃত্যু সাহিত্য সাধনায় নিমগ্ন ছিলেন।
সাহিত্য সাধনা কাহিনি কাব্য : নক্সী কাঁথার মাঠ, সোজন বাদিয়ার ঘাট, সখিনা, মা যে জননী কান্দে ইত্যাদি। খণ্ডকাব্য : রাখালী, বালুচর, ধানখেত, রূপবতী, মাটির কান্না ইত্যাদি। গদ্যগ্রন্থ : যাদের দেখেছি, জীবন কথা, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, বোবা কাহিনী ইত্যাদি। শিশুতোষ রচনা : হাসু, এক পয়সার বাঁশি, ডালিম কুমার, বাঙালির হাসির গল্প ইত্যাদি। নাটক : পদ্মাপার, বেদের মেয়ে, মধুমালা, বাঁশের বাঁশি, পল্লিবধূ ইত্যাদি। গানের বই : রঙ্গিলা নায়ের মাঝি, গাঙ্গের পাড় ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা একুশে পদক (১৯৭৬), বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি লাভ করেন।
জীবনাবসান ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ই মার্চ।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 

ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. পল্লিকবি জসীমউদ্দীনের কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?(জ্ঞান)
ক ১৯০২  ১৯০৩ গ ১৯০৪ ঘ ১৯০৫
২. কবি জসীমউদ্দীন কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 ফরিদপুর খ যশোর গ কুষ্টিয়া ঘ মাগুরা
৩. পল্লিকবি জসীমউদ্দীন কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক অম্বখানা খ আটখান
 তাম্বুলখানা ঘ চৌদ্দগ্রাম
৪. কবি জসীমউদ্দীন কখন থেকে কবিতা লেখা শুরু করেন?(জ্ঞান)
ক শৈশবকালে  ছাত্রজীবনে
গ সংসার জীবনে ঘ শেষ জীবনে
৫. কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় কবি জসীমউদ্দীন কবর’ কবিতা লেখন? (জ্ঞান)
 কলকাতা খ ঢাকা
গ জগন্নাথ ঘ রাজশাহী
৬. ‘কবর’ কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার পর কোন শ্রেণির বাংলা সংকলনে স্থান পায়? (জ্ঞান)
 প্রবেশিকা খ এইচএসসি
গ বিএ ঘ এমএ
৭. ‘বালুচর’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক রোকনুজ্জামান খান খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
 জসীমউদ্দীন ঘ কাজী নজরুল ইসলাম
৮. ‘সুচয়নী’ কাব্যগ্রন্থের কবির নাম কী? (জ্ঞান)
ক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খ জীবনানন্দ দাশ
 জসীমউদ্দীন ঘ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৯. জসীমউদ্দীন শিশুদের জন্য অনবদ্য রচনা করেন কোনটি?(জ্ঞান)
ক বাঁশি খ স্মৃতিকথা
গ ভ্রমণকাহিনি  ডালিম কুমার
১০. জসীমউদ্দীন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন? (জ্ঞান)
ক কলকাতা  ঢাকা
গ রাজশাহী ঘ কুষ্টিয়া
১১. পল্লিকবি জসীমউদ্দীন কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?(জ্ঞান)
ক ১৯৭১ খ ১৯৭২
গ ১৯৭৫  ১৯৭৬
১২. জসীমউদ্দীন কোথায় মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
 ঢাকা খ কলকাতা
গ ফরিদপুর ঘ নোয়াখালী
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩. জসীমউদ্দীনের প্রধান কাব্যগ্রন্থের মধ্য রয়েছে- (অনুধাবন)
র. নক্সী কাঁথার মাঠ রর. সোজন বাদিয়ার ঘাট
ররর. রাখালী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৪. পল্লি কবি জসীমউদ্দীনের কবিতার- (অনুধাবন)
র. ভাষা সহজ সরল রর. অলঙ্কারবহুল ররর. ছন্দ সাবলীল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫. পল্লিকবি জসীমউদ্দীন রচনা করেছেন- (অনুধাবন)
র. প্রবন্ধ রর. নাটক ররর. স্মৃতিকথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৭১
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬. আসমানিদের ঘর দেখতে কেমন? (জ্ঞান)
 পাখির বাসার মতো খ ত্রিভুজের মতো
গ গোয়াল ঘরের মতো ঘ ব্যাঙের ছাতার মতো
১৭. আসমানিদের অনাহারে থাকায় সাক্ষী দেয় কী? (জ্ঞান)
 বুকের কখান হাড় খ পায়ের দুখান হাড়
গ বাহুর দুখান হাড় ঘ চোয়ালের দুখান হাড়
১৮. কাদের চোখে রাশি রাশি অশ্রæ গড়িয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক গারোদের খ নিগ্রোদের ৎ
 আসমানিদের ঘ পশুদের
১৯. রহিমদ্দির ছোট বাড়ি কোথায়? (জ্ঞান)
ক জামালপুরে খ হরিরামপুরে
গ রহিমপুরে  রসুলপুরে
২০. ‘আসমানি’ কবিতায় রহিমদ্দিনের বাড়ি কীসের পাতার ছাউনি ছিল?(জ্ঞান)
ক গোলপাতার খ তালের পাতার
 ভেন্নাপাতার ঘ নারিকেল পাতার
২১. একটুখানি বৃষ্টি হলে আসমানিদের কোথায় পানি পড়ে? (জ্ঞান)
 ঘরে খ বারান্দায়
গ চালায় ঘ বৈঠক খানায়
২২. ‘আসমানি’ কবিতায় একটুখানি হাওয়া দিলে আসমানিদের ঘর কেমন করে? (অনুধাবন)
ক শব্দ করে  নড়বড় করে
গ ভেঙে পড়ে ঘ হেলে পড়ে
২৩. ‘আসমানি’ কবিতায় পেটটি ভরে কারা খেতে পায় না? (জ্ঞান)
ক শিশুরা  আসমানিরা
গ মহিলারা ঘ রোগীরা
২৪. শিমুল মিরপুর বস্তিতে গিয়ে দেখতে পেল খাবারের অভাবে বস্তির শিশুদের বুকের হাড় গোনা যাচ্ছে। মিরপুর বস্তির শিশুদের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
 আসমানি খ ঝিঙেফুল
গ বাঁচতে দাও ঘ পাখির কাছে ফুলের কাছে
২৫. আসমানিরা সারা বছর কোথায় থাকে? (জ্ঞান)
ক শালপাতা দিয়ে ছাওয়া ঘরে
খ গোলপাতা দিয়ে ছাওয়া ঘরে
 ভেন্নাপাতা দিয়ে ছাওয়া ঘরে
ঘ তালপাতা দিয়ে ছাওয়া ঘরে
২৬. ‘সাক্ষী দেছে অনাহারে কদিন গেছে তার’ -এ চরণটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছে? (অনুধাবন)
ক আসমানিদের অসুস্থতার কথা
খ আসমানিদের পেটের সমস্যার কথা
 আসমানিদের অভুক্ত অবস্থার কথা
ঘ আসমানিদের সামাজিক অবস্থার কথা
২৭. ‘আসমানি’ কবিতায় লেখকের কোন মনোভাব ফুটে উঠেছে?(উচ্চতর দক্ষতা)
 সমাজের অবহেলিত মানুষের প্রতি মমতাময় অনুভ‚তি
খ সমাজের সা¤প্রদায়িক অনুভ‚তি
গ সামাজিক জীবনাচরণের অনুভ‚তি
ঘ সমাজের রাজনৈতিক অনুভ‚তি
২৮. ‘থাপড়েতে নিবিয়ে গেছে দারুণ অভাব আসি।’ -এ চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
 চেহারার মলিন দিকটি খ চেহারার উগ্র রূপটি
গ চেহারার রুগ্ণ রূপটি ঘ চেহারার ফ্যাকাশে দিকটি
২৯. আসমানিদের গায়ের বরন কেন উপহাস করছে? (অনুধাবন)
ক নোংরা ময়লাযুক্ত কাপড় থাকায়
খ উগ্র পোশাক থাকায়
 শত ছেঁড়া ও তালিযুক্ত কাপড় থাকায়
ঘ কাপড়ের রং কালো থাকায়
৩০. আসমানিদের বাঁশির মতো সুরের গলাটি কী কারণে ক্ষয় হয়?(জ্ঞান)
ক ঠান্ডা পানি খেয়ে  কেঁদে
গ হেসে ঘ গান গেয়ে
৩১. আসমানিদের রান্না খাওয়া চলে কোন পানিতে? (জ্ঞান)
 ম্যালেরিয়া মশকযুক্ত খ ডায়রিয়া বিষযুক্ত
গ কলেরা বিষযুক্ত ঘ জন্ডিস বিষযুক্ত
৩২. আসমানির ঘর কী দিয়ে ছাওয়া? (জ্ঞান)
ক তালপাতা খ গোলপাতা
গ খড়কুটো  ভেন্নাপাতা
৩৩. আসমানি গলার সুর কীসের মতো? (জ্ঞান)
ক গানের মতো খ ভেঁপুর মতো
 বাঁশির মতো ঘ বাদ্যযন্ত্রের মতো
৩৪. অনাহারে থাকার সাক্ষী দিচ্ছে কে? (জ্ঞান)
 বুকের হাড় খ চোখ
গ মুখের রং ঘ মাথার চুল
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৫. কবি জসীমউদ্দীনের ‘আসমানি’ কবিতায় ফুটে উঠেছে-(উচ্চতর দক্ষতা)
র. গ্রামবাংলার জীবনচিত্র রর. প্রকৃতির ছবি
ররর. শহরের জীবনচিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬. ‘বৈদ্য’ শব্দটির অর্থ- (অনুধাবন)
র. গ্রাম্য শিক্ষক রর. কবিরাজ ররর. গ্রাম্য চিকিৎসক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. ‘আসমানি’ কবিতা পাঠের উদ্দেশ্য- (অনুধাবন)
র. মানুষের প্রতি ভালোবাসার অনুভ‚তি রর. ধনী, গরিবের দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ
ররর. অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের পরিচয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. আসমানিদের চোখে যা নেই- (অনুধাবন)
র. পানি রর. হাসি ররর. কৌতুক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯. আসমানিদের বাড়ির ধারে পদ্মপুকুরে কিল-বিল বিল করে- (অনুধাবন)
র. ব্যাঙের ছানা রর. হাঁসের ছানা ররর. শ্যাওলাপানা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. হাসির প্রদীপ রাশি- দ্বারা বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. হাসি মুখকে উজ্জ্বল করে রর. আনন্দময় অনুভ‚তি প্রকাশ করে
ররর. হাসিতে মুখ লাল করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪১ ও ৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স্বর্ণা বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ফরিদপুর নানু বাড়ি বেড়াতে যায়। নানু বাড়ির পাশের বাড়ির একটি সমবয়সি মেয়ে তার নাম রোকসানা। তার গায়ের রং সোনালি বর্ণের কিন্তু পরনের জামা ছেঁড়া ও তালি দেওয়া। তার চেহারা মলিন। রোকসানার এ অবস্থা দেখে স্বর্ণা তার একটি জামা দিয়ে দিল।
৪১. অনুচ্ছেদটিতে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতার ইঙ্গিত পাওয়া যায়?(প্রয়োগ)
 আসমানি খ ঝিঙে ফুল
গ জন্মভ‚মি ঘ বাঁচতে দাও
৪২. অনুচ্ছেদে উক্ত কবিতার প্রতিফলিত বিষয়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সাধারণ মানুষের প্রতি ভালোবাসা রর. অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ
ররর. সামাজিক দায়িত্ববোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪৩ ও ৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ছলিম উদ্দিন গরিব চাষি। তার বিরাট সংসার। বাড়ির লোকজন খাবার পায় না ঠিকমতো। ফলে তারা নিয়মিত অনাহারে থাকে। অসুখ বিসুখে চিকিৎসা হয় না। এমনকি বিশুদ্ধ পানিও তারা পান করতে পারে না।
৪৩. অনুচ্ছেদের বিষয় ‘আসমানি’ কবিতার সাথে সংগতিপূর্ণ- (প্রয়োগ)
র. দারিদ্র্যের চিত্ররূপ রর. অসহায়ত্ব
ররর. সমসমাজ চিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৪. অনুচ্ছেদের ছলিমউদ্দিন কার প্রতিরূপ? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আসমানির  রহিমদ্দির
গ কবির ঘ সমাজের
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. আসমানি কবিতার কবি কে? (জ্ঞান)
 জসীমউদ্দীন খ শামসুর রাহমান
গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ রফিক আজাদ
৪৬. দুঃখ-কষ্টময় জীবনের প্রতি মমতাময় অনুভ‚তির প্রকাশ ঘটেছে তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন কবিতায়? (প্রয়োগ)
ক জন্মভ‚মি খ মিনু গ ঝিঙেফুল  আসমানি
৪৭. কাদের মুখে হাসি নেই, কণ্ঠে গান নেই? (জ্ঞান)
 আসমানিদের খ রাখালদের
গ কৃষানদের ঘ বালিকাদের
৪৮. আসমানিদের বাড়ির আশপাশের অবস্থা কেন? (অনুধাবন)
ক পরিষ্কার  নোংরা
গ অস্বাস্থ্যকর ঘ স্যাঁতসেঁতে
৪৯. আসমানি কবিতাটির শিক্ষণীয় বিষয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 মানুষের প্রতি গভীর মমতাবোধের অনুভ‚তি
খ মানুষের সামাজিক চেতনাবোধের অনুভ‚তি
গ মানুষের মনস্তাত্তি¡ক চেতনবোধের
ঘ মানুষের পারিবারিক অনুভ‚তি চেতনাবোধের অনুভ‚তি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. ‘আসমানি’ কবিতায় কবি জসীমউদ্দীন আসমানিদের জীবনের যে চিত্র এঁকেছেন, তা আমাদের- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সহানুভ‚তিকে জাগিয়ে তোলে
রর. সামাজিক দায়বোধ জাগ্রত করে
ররর. অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫১. আসমানিদের- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুখে হাসি নেই রর. কণ্ঠে গান নেই
ররর. শরীরে অসুখ নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫২. ‘সাক্ষী’ শব্দের অর্থ কোনটি? (জ্ঞান)
 প্রত্যক্ষদর্শী খ নিরপেক্ষদর্শী
গ দর্শনার্থী ঘ প্রত্যক্ষ উক্তি
৫৩. ‘বাস’ শব্দের অর্থ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক গাছ খ ঘর গ আলয়  জামা
৫৪. ‘বরনের’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক গ্রহণের  রঙের গ সূর্যের ঘ আলোর
৫৫. ‘নিতুই’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
 কাব্যিক পদ খ রসিক পদ
গ সংগীত পদ ঘ আধ্যাত্মিক পদ
৫৬. ‘দিয়েছে’ শব্দটির আঞ্চলিক রূপ কোনটি? (জ্ঞান)
ক দিছে খ দিয়েছে গ দিচ্ছে  দেছে
৫৭. বরুনের জন্ডিস হয়ে পাকস্থলীর বাম পাশের একটি অঙ্গ ফুলে উঠেছে। বরুনের শরীরের কোন অঙ্গটি রোগাক্রান্ত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক যকৃত খ অগ্নাশয়  প্লীহা ঘ ফুসফুস
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৮. ‘হাসির প্রদীপ রাশি’ শব্দটি দ্বারা কবি বুঝিয়েছন? (অনুধাবন)
র. আনন্দময় অনুভ‚তি রর. হাসিতে মুখমণ্ডলের উজ্জ্বলতা
ররর. অতীতের স্মৃতিচারণ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. ‘নিতুই’ শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. প্রতিদিন রর. নিত্য ররর. রোজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  আক্ষেপ প্রকাশ

হে সূর্য, তুমি তো জানো,
আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব!
সাধারণত খড়কুটো জ্বালিয়ে,
এক-টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে
কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!
ক. আসমানি কে? ১
খ. আসমানিদের বাড়িকে পাখির বাসা বলা হয়েছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘আসমানি’ কবিতার সাদৃশ্য আছে কী- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব।’ উদ্দীপকের এই পঙ্ক্তিতে যে অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয়েছে ‘আসমানি’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক রসুলপুর গ্রামের রহিমুদ্দির মেয়ে আসমানি।
খ পাখির বাসার মতো নড়বড়ে বলে আসমানিদের বাড়িকে পাখির বাসার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
যে বাড়ি বা ঘরের চাল ভেন্নাপাতা দিয়ে ছাওয়া, সামান্য বাতাসেই নড়বড় করে, একটু বৃষ্টি হলেই পানি গড়িয়ে পড়ে। এমন জীর্ণশীর্ণ ঘরকে কবি জসীমউদ্দীন পাখির বাসার সাথে তুলনা করেছেন।
গ বিষয়বস্তুর দিক থেকে আসমানি কবিতার সাথে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাদৃশ্য রয়েছে।
পল্লিকবি জসীমউদ্দীন ‘আসমানি’ কবিতার দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের এক করুণ চিত্র বর্ণনা করেছেন। জীর্ণশীর্ণ, নড়বড়ে ঘরে আসমানিদের বসবাস। বুকের ক’খান হাড় দেখলে বোঝা যায় কদিন ধরে অনাহারে আছে। অভাব তার সুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। পরনের ছেঁড়া কাপড় যেন তাকে উপহাস করে। বাড়ির ধারের পদ্মপুকুর যেখানে ম্যালেরিয়ার মশক অনবরত বিষ বা জীবাণু ছড়ায়, সেই জলেই তাদের রান্নাবান্না চলে। জ্বর অসুখ লেগেই আছে নিত্যদিন কিন্তু বৈদ্য ডেকে ওষুধ করার পয়সা তার নেই। এমনই অসহায় অবস্থায় দিন কাটে আসমানিদের।
উদ্দীপকে শীতার্ত মানুষ একটু উত্তাপের জন্য সূর্যের কাছে প্রার্থনা জানায়। অসহায় মানুষ সূর্যের কাছে মিনতি জানায়, তাদের গরম কাপড়ের কত অভাব। তারা সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে একটুকরো কাপড়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। গরম কাপড়ের অভাবে তারা শীতে ঠক্ ঠক্ করে কাঁপতে থাকে। তাদের এই কষ্টের কথা সূর্যকে বলা ছাড়া যেন কোনো উপায় নেই। উদ্দীপকের এই অসহায় মানুষের গভীর আর্তির সাথে ‘আসমানি’ কবিতার যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। দারিদ্র্যদশা থেকে এদের যেন মুক্তি নেই।
ঘ ‘আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব’ উদ্দীপকের এই পঙ্ক্তির মধ্য দিয়ে অসহায় মানুষের এক করুণ অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে।
‘আসমানি’ কবিতাটি পল্লিকবির এক অনবদ্য সৃষ্টি। কবি এক অপরিসীম দক্ষতায় দুর্দশাগ্রস্ত, অনাহারক্লিষ্ট মানুষের দিনলিপি তুলে ধরেছেন। শতেক তালি ছেঁড়া পরনের কাপড়। অভাব তার জীবনের হাসিটুকু নির্বাপিত করে দিয়ে গেছে। নিদারুণ কষ্টে চোখের জল গড়িয়ে পড়ে। রোগ-শোক ব্যাধির সাথে তার বসবাস। ডাক্তার কিংবা বৈদ্য ডেকে ওষুধ খাওয়ার পয়সা নেই। এমন দুঃখ ভরা জীবন দিনের পর দিন বেদনায় নীল হয়ে উঠছে আসমানিদের।
উদ্দীপকে তেমনি অসহায় মানুষের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যারা তীব্র শীতে গরম কাপড়ে জড়িয়ে শীত নিবারণ করতেও পারে না। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে। বস্ত্রহীন মানুষের এমন করে শীত আটকাবার চেষ্টা যে কত কষ্টের, কত বেদনার তা উদ্দীপকের কয়েকটি লাইনে প্রকাশিত হয়েছে।
অন্নবস্ত্র, বাসস্থান চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার হলেও বহু মানুষ আছে যারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তারা প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে। ‘আসমানি’ কবিতার যেমন অসহায় জীবনের করুণ অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকেও তেমনি বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের গভীর আর্তি ফুটে উঠেছে। আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব! এ আর্তিটি একেবারে ভেতরগত। চরম অসহায়ত্বের এই উক্তি আমাদের বোধ ও চেতনা জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট।
প্রশ্ন- ২  সুখের প্রত্যাশা

নাই কি রে সুখ? নাই কি রে সুখ?
এ ধরা কি শুধু বিষাদময়?
যাতনে জ্বলিয়া, কাঁদিয়া মরিতে
কেবলি কি নর জনম লয়?
ক. আসমানির গায়ের বরণ কী? ১
খ. ‘আসমানির পরনে, শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস’-এ চরণটি- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘আসমানি’ কবিতার কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘এ ধরা কি শুধু বিষাদময়?’ উক্তিটির এই পঙ্ক্তিতে যে অভিব্যক্তি প্রকাশিত হয়েছে ‘আসমানি’ কবিতার আলোকে তা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আসমানির গায়ের বরণ সোনালি।
খ আসমানির পরনে, শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস এ চরণটি দ্বারা নতুন কোনো কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই- তাই আসমানির পরনে শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস। আসমানিকর আর্থিক দৈন্যতা এতটাই যে সে পেটপুরে খেতে পায় না। সেখানে পরনের বস্ত্র কেনার অবকাশ তাদের নেই।
গ দুঃখ ভারাক্রান্ত মানুষের করুণ অভিব্যক্তি প্রকাশের দিক দিয়ে উদ্দীপক ও ‘আসমানি’ কবিতার ভাববস্তুর সাদৃশ্য বিদ্যমান।
কবি জসীমউদ্দীন গভীর মমতার সৃষ্টি করেছেন আসমানি চরিত্র। মানুষের জীবন যে এতটা নিরস, প্রাণহীন ও বেদনাবিধুর হতে পারে তিনি তা আসমানি চরিত্রের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন। আসমানি বসবাস করে ভেন্নাপাতার ছাউনি দিয়ে গড়া জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে। ঠিকমতো দুমুঠো আহার জোটে না। সে ধীরে ধীরে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। চোখের জলে তার বুক ভাসে। চরম অভাবে এক দুর্বিষহ জীবন সে বয়ে বেড়াচ্ছে।
মানবজীবনের এক কঠিন সত্যকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উদ্দীপকের কবি। কবির প্রশ্ন কোথাও কী সুখ নেই? এই পৃথিবীটা কী শুধুই বিষাদময়? জীবনের এতো জ্বালাযন্ত্রণা সহ্য করে কেঁদে মরার জন্য কী মানুষের জন্ম হয়? জীবনে যদি সুখ-আনন্দ নাই থাকল তবে এ জীবনের অর্থ কী? প্রশ্নগুলো খুবই সঙ্গত। উদ্দীপকের এই কবিতাংশের মধ্য দিয়ে ব্যথা ভারাক্রান্ত হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস প্রকাশিত হয়েছে। ‘আসমানি’ কবিতায় আসমানি চরিত্রের মধ্য দিয়ে সেই সত্যটি তুলে ধরা হয়েছে। জীবনে আসমানিরা শুধু কষ্টই ভোগ করে। আসমানিদের দুঃখকষ্ট যেন শেষই হয় না। দুঃখকষ্ট তাদের জীবনসঙ্গী। তাই বলা যায় উদ্দীপকের সাথে ‘আসমানি’ কবিতার ভাববস্তুর সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ এ ধরা কি শুধু বিষাদময়? উক্তিটি দ্বারা মানুষের জীবনের গভীর আকুতির প্রকাশ ঘটেছে।
আলোচ্য ‘আসমানি’ কবিতায় আসমানির দুঃখভরা জীবনের ইতিবৃত্ত বর্ণনা করা হয়েছে। আসমানি গরিব। ভাঙাঘরে থাকে, পেটপুরে খেতে পায় না। চরম দুঃখ কষ্টে তার জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। আর্থিক দৈন্য সহ্য করতে না পেরে কেঁদে কেঁদে সে বুক ভাষায়। জীবনের দুঃখভার বইবার শক্তি সে হারিয়ে ফেলেছে। গøানিময় এ জীবনের ভার সে সহ্য করতে পারছে না।
উদ্দীপকে ব্যথা-বেদনাময় জীবনের কথা বলা হয়েছে। বহু মানুষ আছে বিভিন্ন কারণে তাদের জীবনে দুঃখ কষ্টটাই প্রধান হয়ে উঠেছে। সুন্দর পৃথিবীতে মানুষ হেসে খেলে জীবনযাপন করতে চায়। কিন্তু নানা সমস্যা বিপদাপদ ও দুর্বিপাকে পড়ে মানুষের জীবন দুঃখময় হয়ে ওঠে তাই কবি বলতে চেয়েছেন। পৃথিবীতে কি কোনো সুখ নেই, এটি কি কেবলই বিষাদময়?
‘আসমানি’ কবিতা ও উদ্দীপক বিবেচনা করলে আমরা পাই, এসব পঙ্ক্তির মধ্য দিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মানুষের একান্ত মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে। দুঃখ ছাড়া সুখ লাভ হয় না। কিন্তু কারো কারো জীবন কেবলি দুঃখময়। সুখ তাদের কাছে ধরা দেয় না। তাদের চোখে কেবলি অশ্রæ ঝরে। তাদের চোখ মোছাবার কেউ নেই। এ ধরা কি শুধু বিষাদময়? এ পঙ্ক্তির দ্বারা না বলা অনেক কথাই করুণ রাগিণীতে বেজে উঠেছে।
প্রশ্ন- ৩  গ্রাম্য সচ্ছল পরিবারের চিত্র

ধনধান্যে পরিপূর্ণ একটি সচ্ছল পরিবার
ক. আসমানির ভ্রমর-কালো চোখ দুটিতে কী নেই? ১
খ. আসমানির চোখ দিয়ে কেন রাশি রাশি অশ্রæ গড়িয়ে পড়ে? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে আসমানির ছোট বাড়ির বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘আসমানির জীবন কুয়াশাচ্ছন্ন হলেও উদ্দীপকের নারীর জীবন স্বপ্নময়’- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আসমানির ভ্রমর-কালো চোখের দৃষ্টিতে কৌতুক-হাসি নেই।
খ মনের দুঃখ ও গভীর বেদনায় আসমানির চোখ দিয়ে রাশি রাশি অশ্রæ গড়িয়ে পড়ে।
দারিদ্র্যের কষাঘাতে আসমানি জর্জরিত। অনাহারে অর্ধাহারে তার প্রাণ ওষ্ঠগিত। তাই দুঃখ সইতে না পেরে তার চোখ দিয়ে রাশি রাশি অশ্রæ গড়িয়ে পড়ে।
গ অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের সাথে আসমানির ছোট বাড়ির বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।
‘আসমানি’ কবিতায় আসমানির ছোট্ট বাড়ির উল্লেখ রয়েছে। যে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে ভেন্না পাতার ছাউনি দিয়ে। বৃষ্টি হলেই তার ভেতরে পানি পড়ে। একটুখানি বাতাস এলেই ঘর নড়বড় করে। আসমানিরা এমনই একটি জরাজীর্ণ ঘরে বাস করে।
উদ্দীপকের বাড়িটির ঘরগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ঘরের বেড়া ও চালা টিনের তৈরি। সুন্দর সাজানো গোছানো। শক্ত মজবুত। কোথাও এতটুকু জরাজীর্ণতার চি‎হ্নমাত্র নেই। কারণ এটি একটি সচ্ছল পরিবারের ঘর। অন্যদিকে আসমানির ঘর কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে। নামমাত্র ঘর বলে এটি ঘরের চাহিদা পূরণ করে না। ঘর সাধারণত রোদ বৃষ্টি ঝড় থেকে মানুষকে রক্ষা করে কিন্তু আসমানিদের ঘর তা করতে পারে না। তাই উদ্দীপকের সাথে আসমানির ছোট বাড়ির ব্যাপক বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ আসমানির জীবন কুয়াশাচ্ছন্ন হলেও উদ্দীপকের নারীর জীবন স্বপ্নময়- উক্তিটি যথার্থ।
‘আসমানি’ কবিতায় আসমানি এক অসহায় গ্রাম্য কিশোরীর প্রতিচ্ছবি। সোনালি গায়ের বর্ণের এই কিশোরীর বাঁশির মতো গলার সুর ছিল। অন্য দশটি মেয়ের মতো তারও হাসি খুশি জীবনযাপন করার স্বপ্ন ছিল কিন্তু দারিদ্র্য তার জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিয়েছে। দুঃখকষ্টে ভারাক্রান্ত আসমানির চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে রাশি রাশি অশ্রæ। তার মলিন মুখে আর কোনোদিন হাসির রেখা ফুটে উঠবে কি না তা কেউ বলতে পারে না।
উদ্দীপকের চিত্রটি একটি সচ্ছল পরিবারের। সেখানে একজন নারী তার কর্মব্যস্ততা দিয়ে একটি সংসারকে সাজিয়ে তুলেছে। যেখানে ক্ষুধা দারিদ্র্য কখনো প্রকট হয়ে ওঠেনি। মনের আনন্দে ও পরম যতেœ গৃহিণী তার শস্য ঘরে তুলছেন। গৃহপালিত পশুপাখিরা খড় বিচালি কিংবা শস্যকণা খেয়ে চলছে। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ছোট নদীর স্বচ্ছ জল। সীমাহীন মায়া-মমতা দিয়ে নারীটি সংসারটিকে আগলে রেখেছে। তার খাওয়া পড়ার কোনো অভাব নেই।
‘আসমানি’ কবিতার আসমানির দারিদ্র্যপীড়িত জীবন আমাদের বেদনাহত করে। আর জীবনটা যেন শুধু দুঃখেই গড়া। দমকা হাওয়া যেমন একটি বাতিকে নিভিয়ে দেয়- অভাব তার হাসির প্রদীপ তেমনি নিভিয়ে দিয়ে গেছে। দুঃখকষ্টের ভার যেন আর বইতে পারছে না। তার সামনে কোনো আলো নেই। তার জীবন হয়ে উঠেছে কুয়াশাচ্ছন্ন ও চরমভাবে অনিশ্চিত। অন্যদিকে উদ্দীপকে নারী একজন প্রাণোচ্ছল গৃহিণী। তার সাজানো সংসারে সে মধ্যমণি। তার জীবন শুধুই স্বপ্নময়।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ নিদারুণ দারিদ্র্য

কাঙালী পুকুর হইতে আঁচাইয়া আসিয়া দেখিল তাহার পাতের ভুক্তাবশেষ মা একটি মাটির পাত্রে ঢাকিয়া রাখিয়াছে, আশ্চর্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, তুই খেলি নে মা?
বেলা গড়িয়ে গেছে বাবা, এখন আর ক্ষিদে নেই। ছেলে বিশ্বাস করিল না, বলিল, না ক্ষিদে নেই বৈকি! কৈ, দেখি তোর হাঁড়ি?
ক. ‘বাস’ শব্দটির অর্থ কী? ১
খ. ‘সাক্ষী দেছে অনাহারে কদিন গেছে তার।’-এ চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটিতে ‘আসমানি’ কবিতার কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আসমানি’ কবিতার মূল বিষয়টিকে ধারণ করে কি? তোমার মতামত দাও। ৪

ক ‘বাস’ শব্দটির অর্থ- পোশাক।
খ মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে গেছে দারুণ অভাবে আসি।
চরণ দুটি দ্বারা দারিদ্র্যের কষাঘাতে আসমানির মিষ্টি মুখের হাসিটি নিভে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভাব আর দুঃখ কষ্টে জর্জরিত আসমানির মুখে আর হাসি নেই। প্রদীপের মতোই তা নিভে গেছে। চেহারায় মলিনতা তার হৃদয়ে গভীর বেদনা নিয়েই সে বেঁচে আছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘আসমানি’ কবিতার দারিদ্র্যের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘আসমানি’ কবিতার মূল বক্তব্য লেখ।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ে

প্রচণ্ড শীতের রাত্রে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখলাম কিছু অসহায় ছিন্নমূল শিশু প্লাটফর্মের উপরে জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে। ছিন্নবস্ত্র গায়ে দিয়ে তারা শীত নিবারণের বৃথা চেষ্টা করছে।
ক. কবি জসীমউদ্দীন দীর্ঘদিন সরকারের কোন বিভাগে চাকরি করেন? ১
খ. ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক হাসি- এ চরণটি দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটিতে বর্ণিত দৃশ্যটি ‘আসমানি’ কবিতার যে দিকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের সামগ্রিক বক্তব্য কি ‘আসমানি’ কবিতার অনুরূপ? যুক্তিসহ আলোচনা কর। ৪

ক কবি জসীমউদ্দীন দীর্ঘদিন সরকারের প্রচার বিভাগে চাকরি করেন।
খ উক্ত চরণটি দ্বারা কবি বোঝাতে আসমানিদের দারিদ্র্যের অবস্থা।
আসমানি কবিতার আসমানিরা ঠিকমতো খেতে না পারায় অসুখে ভোগে তাদের কণ্ঠে গান নেই। মুখে হাসি নেই, জীবনে আনন্দ নেই। চরণটি দ্বারা কবি আসমানিদের অনাহারের বিষয়টিকে বোঝাতে চেয়েছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকটিতে ‘আসমানি কবিতার মানবেতর জীবনযাপনের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘আসমানি’ কবিতার সারসংক্ষেপ বিশ্লেষণ কর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ‘নিতুই’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘নিতুই’ শব্দটির অর্থ প্রতিদিন।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘উপহাস’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘উপহাস’ শব্দটির অর্থ ঠাট্টা।
প্রশ্ন \ ৩ \ রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি কোথায়?
উত্তর : রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে।
প্রশ্ন \ ৪ \ আসমানিদের পোশাক কেমন?
উত্তর : আসমানিদের পোশাক ছেঁড়া।
প্রশ্ন \ ৫ \ কবি জসীমউদ্দীন কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : কবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জসীমউদ্দীনের কর্মজীবন শুরু হয়?
উত্তর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জসীমউদ্দীনের কর্মজীবন শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ কবি জসীমউদ্দীনের শিশুদের জন্য অনবদ্য রচনা কোনটি?
উত্তর : কবি জসীমউদ্দীনের শিশুদের জন্য অনবদ্য রচনা ডালিমকুমার।
প্রশ্ন \ ৮ \ একটুখানি হাওয়া দিলেই আসমানিদের কী নড়বড় করে?
উত্তর : একটুখানি হাওয়া দিলেই আসমানিদের ঘর নড়বড় করে।
প্রশ্ন \ ৯ \ আসমানিদের ভোমর কালো চোখ দুটিতে কী নাই?
উত্তর : আসমানিদের ভোমর কালো চোখ দুটিতে কৌতুক হাসি নেই।
প্রশ্ন \ ১০ \ ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কী করে?
উত্তর : ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল-বিল করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ আসমানির গায়ের বরণ কেমন?
উত্তর : আসমানির গায়ের বরণ সোনালি।
প্রশ্ন \ ১২ \ কেমন জলে আসমানিদের রান্না খাওয়া চলে?
উত্তর : ম্যালেরিয়া মশক যে জলে বিষ ঢালে সে জলে আসমানিদের রান্না খাওয়া চলে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ আসমানিদের জীবনে কী নেই?
উত্তর : আসমানিদের জীবনে আনন্দ নেই।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কবি জসীমউদ্দীন ছাত্রজীবন থেকেই কী লেখা শুরু করেন?
উত্তর : কবি জসীমউদ্দীন ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন।
প্রশ্ন \ ১৫ \ আসমানিদের বাড়ির আশপাশের অবস্থা কেমন?
উত্তর : আসমানিদের বাড়ির আশপাশের অবস্থা অস্বাস্থ্যকর।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কত খ্রিষ্টাব্দে কবি জসীমউদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : ১৯৭৬ সালে কবি জসীমউদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন \ ১৭ \ কবি জসীমউদ্দীন কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : কবি জসীমউদ্দীন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘আসমানি’ কবিতায় কবি জসীমউদ্দীন আসমানি নামের অসহায় মেয়েটির করুণ জীবন চিত্র ফুটে তুলেছেন। তার বাড়ি ঘর খুবই নড়বড়ে। একটুখানি বৃষ্টি এলে পানি গড়িয়ে পড়ে। সামান্য হাওয়া হলেই সেটা পড়ে যেতে পারে, পাখির বাসার মতো জীর্ণশীর্ণ। মানুষের মৌলিক চাহিদার সামান্যতমও যে পূরণ হয়নি সেটাই প্রকাশিত হয়েছে উক্ত চরণটির মধ্য দিয়ে।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হলো তাই কেঁদে।’ এ চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে। ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তার কেঁদে’- এ চরণটি দ্বারা আসমানিদের দারিদ্র্যের করুণ অবস্থা বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তার শরীরের সৌন্দর্য ও প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতা অবহেলায়, সুযোগের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আসমানির গলার সুর বাঁশির মতো মধুর। কিন্তু কখনো গান শেখার সুযোগ হয়নি তার। বরং খাদ্য বস্ত্রের জন্য কেঁদে কেঁদে জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ যেন প্রকৃতির দারুণ উপহাস।
প্রশ্ন \ ৩ \ ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল-বিল করে কেন?
উত্তর : আসমানি দারিদ্র্যের কারণে পুকুরের যতœ নিতে না পারায় সেখানে শ্যাওলা ও পোকা কিল-বিল করে।
‘আসমানি’ কবিতার দরিদ্র মেয়ে আসমানিদের বাড়ি পদ্মপুকুরের ধারে। পদ্মপুকুর সৌন্দর্যের আধার। পদ্মপুকুরে ভাসমান পদ্মফুল সৌন্দর্য প্রকাশ করে। কিন্তু নিদারুণ দারিদ্র্য ও অসীম অসহায়ত্ব তাদের সেই পুকুরটাকে সুন্দর রাখতে পারেনি। পরিষ্কার করার অভাবে সেখানে শ্যাওলা জন্মেছে। কীট ও জীবাণু সেখানে কিল-বিল করে। এটা আসমানিদের অসহায়ত্বের প্রকাশ।
প্রশ্ন \ ৪ \ আসমানির পেট ফুলেছে কেন?
উত্তর : প্লিহা রোগে আক্রান্ত হয়ে আসমানির পেট ফুলেছে।
আসমানি সমাজের অতি দরিদ্র্য একটা মেয়ের প্রতিচিত্র। তার সামর্থ্য খুবই নগণ্য। নিজের দারিদ্র্য আর অভাব তাকে কোনোমতেই সুস্থ রাখেনি। ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু ভর্তি পুকুরের নোংরা পানি পান করে তার শরীর অসুস্থ। তখন তার প্রতিদিন জ্বর আসে। প্লিহায় তার পেটটি ফুলে গেছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর’ চরণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অর্থাভাবে চিকিৎসকের সেবা না নিতে পারায় বিষয়টি উপযুক্ত চরণে প্রকাশিত হয়েছে।
আসমানি দরিদ্র ও অসুস্থ একটি মেয়ে। কবিতায় তার অসীম দারিদ্র্যের কথা প্রকাশিত হয়েছে। অনাহার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস আর জীবাণুযুক্ত পানি পানে সে অসুস্থ। নিজের অসুস্থ শরীরটানে সুস্থ করতে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য যাবে সে সামর্থ্যও তার নেই। সমাজের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ব্যবস্থায় প্রতিফলন আসমানি।

 

Share to help others:

Leave a Reply