ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বাচতেদাও

 

বাচতেদাও
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. শামসুর রাহমান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯২০  ১৯২৯
গ ১৯৪০ ঘ ১৯৫০
২. শামসুর রাহমানের জন্ম ও মৃত্যু কোথায়? (জ্ঞান)
ক রাজশাহীতে খ খুলনায়
 ঢাকায় ঘ বরিশালে
৩. শামসুর রাহমান কোন বিষয়ে সিদ্ধহস্ত ছিলেন? (জ্ঞান)
ক কবিতা লেখায় খ সাংবাদিকতায়
 কবিতা অনুবাদে ঘ সম্পাদনায়
৪. শামসুর রাহমান কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন? (জ্ঞান)
ক জনকণ্ঠ খ প্রথম আলো
 দৈনিক বাংলা ঘ দৈনিক আজাদী
৫. শামসুর রাহমানের কবিতার বিষয়বস্তু হিসেবে কোনটি উল্লেখযোগ্য?
 নাগরিক জীবন খ পল্লিজীবন
গ অবহেলিত জীবন ঘ শোষিতের জীবন
৬. কবি শামসুর রাহমান পেশায় কী ছিলেন?
ক শিক্ষক খ উকিল
 সাংবাদিক ঘ ব্যাংকার
৭. ‘এলাটিং বেলাটিং’ বইটি কার লেখা?
ক আল মাহমুদের খ জসীমউদ্দীনের
 শামসুর রাহমানের ঘ রবীন্দ্রনাথের
৮. কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যু সাল কোনটি?
ক ২০০৪ খ ২০০৫  ২০০৬ ঘ ২০০৭
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯. কবি শামসুর রাহমানের কবিতার নানা অনুভ‚তিতে রূপায়িত হয়েছে
[দাউদ পাবলিক স্কুল, যশোর সেনানিবাস]
র. নাগরিক জীবন রর. মুক্তিযুদ্ধ ররর. গণআন্দোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ও ররর গ র ও রর  র, রর ও ররর
১০. কবি শামসুর রাহমান যেখানে সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- (অনুধাবন)
র. মর্নিং নিউজ রর. রেডিও বাংলাদেশ
ররর. দৈনিক গণশক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১. কবি শামসুর রাহমানের প্রাপ্ত পুরস্কার- (অনুধাবন)
র. বাংলা একাডেমি পুরস্কার
রর. একুশে পদক
ররর. মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৭৯
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২. রঙিন ঘুড়ির পেছনে কে ছুটছে? (জ্ঞান)
ক মাঝি খ বৃদ্ধা
গ দস্যি ছেলে  দুরন্ত বালক
১৩. নীল আকাশে কে মেলেছে পাখা? (জ্ঞান)
ক বক খ পানকৌড়ি
 সোনালি চিল ঘ কাক
১৪. মধ্যদিনে নরম ছায়ায় ডাকছেÑ (জ্ঞান)
 ঘুঘু খ শালিক গ কোকিল ঘ হাঁস
১৫. বালির ওপর কত কিছু আঁকছে কে?
ক মাঝি খ কেঁচো গ পাখি  শিশু
১৬. ‘পানকৌড়ি’ কোথায় নাইছে? (জ্ঞান)
ক নদীতে খ পুকুরে
গ দিঘিতে  কাজল বিলে
১৭. ‘সুজন মাঝি’ কোথায় নৌকা বাইছে? (জ্ঞান)
ক পুকুরে  গহিন গাঙে
গ ঝিলের জলে ঘ বিলে
১৮. ‘নরম রোদে’ কে নাচ জুড়েছে? (জ্ঞান)
ক কোকিল খ টুনটুনি
 শ্যামাপাখি ঘ ময়না
১৯. শিশু, পাখি, ফুলের কুঁড়ি – সবাইকে আজÑ (জ্ঞান)
ক জাগিয়ে তোলো  বাঁচতে দাও গ নতুন প্রাণ দাও ঘ আলো দাও
২০. দুরন্ত শিশু কীসের ওপর আঁকাআঁকি করছে? (জ্ঞান)
ক মাটির ওপর  বালির ওপর গ মেঝেতে ঘ সাইনবোর্ডে
২১. সোনালি চিল কোন আকাশে পাখা মেলেছে? (জ্ঞান)
ক পুব আকাশে খ পশ্চিম আকাশে
গ মধ্য দুপুরের আকাশে  নীল আকাশে
২২. কে আলোর খেলা খেলছে রোজই? (জ্ঞান)
 জোনাক পোকা খ কবুতর
গ পানকৌড়ি ঘ বিড়াল
২৩. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় ‘নরম রোদ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

ক প্রখর রোদ খ তীব্র রোদ
 মৃদু রোদ ঘ মেঘাচ্ছন্ন রোদ
২৪. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় ‘নরম ছায়া’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক শুষ্ক ছায়া  শীতল ছায়া
গ গাছের ছায়া ঘ কোমল রোদ
২৫. শামসুর রাহমান ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় সবার কোন অধিকার কামনা করেছেন? (অনুধাবন)
ক হাসার খ নাচার  বাঁচার ঘ খেলার
২৬. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় বালককে ছুটতে দেয়ার দ্বারা কবি কোন স্বাধীনতা বুঝিয়েছেন? (অনুধাবন)
 স্বাধীনচেতা জীবন
খ প্রাণ খুলে বলার স্বাধীনতা
গ পরাধীন জীবন
ঘ দুষ্টুমিকে প্রশ্রয় দেয়া
২৭. ‘রানু রান্না শিখতে চায় কিন্তু তার বাবা নিষেধ করেন’‘বাঁচতে দাও’ কবিতার আলোকে তার বাবার ক্ষেত্রে কোন কথাটি প্রযোজ্য? (প্রয়োগ)
ক রাঁধতে দাও  শিখতে দাও
গ বাঁধতে দাও ঘ নাচতে দাও
২৮. কোন কবিতায় প্রকৃতি সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে? (অনুধাবন)
ক বন্দনা  বাঁচতে দাও
গ ফাগুন মাস ঘ পাখির কাছে ফুলের কাছে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৯. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় যেসব পাখির নাম উল্লেখ আছে (অনুধাবন)
র. ঘুঘু রর. টিয়ে ররর. শ্যামা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩০. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি (অনুধাবন)
র. বালকের ছোটার অধিকার চেয়েছেন
রর. বৃদ্ধের সেবার অধিকার চেয়েছেন
ররর. ঘুঘুর ডাকার অধিকার চেয়েছেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১. কবি বাঁচতে দিয়ে বলেছেন (অনুধাবন)
র. শিশুকে রর. পাখিকে ররর. ফুলের কুড়িকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩২ ও ৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘আমরা ঘাসের ছোট ছোট ফুল
হাওয়াতে দোলাই মাথা,
তুলো না মোদের দোলো না পায়ে
ছিঁড় না নরম পাতা।’
৩২. অনুচ্ছেদের ‘ঘাস ফুলের’ আবেদন নিচের কোন কবিতার কবির আহŸানের প্রতিনিধিত্ব করে? (প্রয়োগ)
 বাঁচতে দাও
খ পাখির কাছে ফুলের কাছে
গ সভা
ঘ মুজিব
৩৩. অনুচ্ছেদ ও উক্ত কবিতার আহŸানটি মূলত (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রকৃতির স্বাভাবিকতা রক্ষা
রর. পরিবেশ সংরক্ষণ করা
ররর. ঘাস ফুলকে যতœ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪ ও ৩৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
লিটন চৌধুরী নিজ বাড়িতে প্রচুর ফলদ, বনজ ও ফুলের গাছ লাগিয়েছেন। তার ছেলে বাবার এসব প্রকৃতিপ্রীতি পছন্দ করে না। সে ফুলের গাছে ফুল ফোটার আগেই কলি নষ্ট করে দেয়। আর বাবার অনুপস্থিতিতে নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করে। গাছে পাখি বসলে বন্দুক দিয়ে শিকার করে।
৩৪. লিটন চৌধুরীর কর্মকাণ্ডে কোন কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়? (প্রয়োগ)
ক মুজিব খ সভা
গ ঝিঙে ফুল  বাঁচতে দাও
৩৫. লিটন চৌধুরীর ছেলের কর্মকাণ্ডের ফলাফল হিসেবে উক্ত কবিতায় কোন বিষয়টির প্রতিফলন ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে
খ দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে
গ প্রকৃতি বিদ্রোহী হয়ে উঠবে
ঘ মানুষের মানবিকতা বোধ বিলুপ্ত হবে
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৬. ‘পানকৌড়ির’ গায়ের রং কেমন? (জ্ঞান)
ক সাদা খ আকাশি গ খয়েরি  কালো
৩৭. ‘গাঙ’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক অতল  নদী গ ঘুড়ি ঘ সমুদ্র
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮. ‘পানকৌড়ি’ বলতে যে পাখিকে বোঝানো হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. হাঁসজাতীয় পাখি রর. মৎস্য শিকারি পাখি ররর. কালো রঙের পাখি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৯. ‘গহিন’ শব্দটি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. গভীর রর. অতল ররর. গহন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় ‘নাইতে’ শব্দটির যে অর্থে প্রয়োগ ঘটেছেÑ (প্রয়োগ)
র. গোসল করতে
রর. স্নান করতে
ররর. সাঁতার কাটতে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৮০
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪১. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় ফুলবাগানে কোন ফুল ফোটে? (জ্ঞান)
 গোলাপ খ শিউলি গ বকুল ঘ চামেলি
৪২. ‘নরম ছায়া’ কোন দিনের? (জ্ঞান)
ক শুরুর দিনের  মধ্যদিনের
গ শেখের দিনের ঘ বৃষ্টির দিনের
৪৩. ‘পাখি, ফুলের কুঁড়ি, সবাইকে আজ বাঁচতে দাও’ শূন্যস্থানে কোন শব্দটি বসবে? (জ্ঞান)
ক হাসি খ ঘুম গ সবুজ  শিশু
৪৪. প্রকৃতি বিপন্ন হলে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে? (জ্ঞান)
ক পাখিরা খ ফুলেরা  মানুষ ঘ খোকারা
৪৫. প্রকৃতির বিপর্যয় ঘটলে কাদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে? (জ্ঞান)
ক বড়দের  শিশুদের গ বৃদ্ধদের ঘ পাখিদের
৪৬. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতাটির মধ্য দিয়ে শামসুর রাহমান কীসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শিশুর বিকাশের ওপর
 পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর
গ পরিবেশ সৃষ্টির ওপর
ঘ পাখিদের বাঁচার ওপর
৪৭. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মূল প্রতিপাদ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 প্রতিক‚লতা জয় করা খ অনুক‚লতা জয় করা
গ প্রকৃতিকে জয় করা ঘ পরিবেশকে জয় করা
৪৮. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবির কাম্য পরিবেশ কোনটি? (জ্ঞান)
 অনুক‚ল পরিবেশ খ প্রতিক‚ল পরিবেশ
গ স্বাভাবিক পরিবেশ ঘ আনন্দময় পরিবেশ
৪৯. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবির সচেতনতা কোন ধরনের? (অনুধাবন)
ক শিশুর জন্য সচেতনতা খ প্রাণের জন্য সচেতনতা
 সামাজিক সচেতনতা ঘ মনের সচেতনতা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. মানুষের বেঁচে থাকার আনন্দই বৃথা হয়ে যাবে পরিবেশের মাঝে যে বিষয়টির অনুপস্থিতিতেÑ (অনুধাবন)
র. সৌন্দর্য
রর. সজীবতা
ররর. স্নিন্ধতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় শিশুর সুস্থ, স্বাভাবিক বিকাশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে বিষয়ের বিকাশকে কবি কাম্য বলেছেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রকৃতির সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশ
রর. পরিবেশের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশ
ররর. প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ প্রতিক‚ল পরিবেশ

তুলি তার বাবার সঙ্গে ঢাকা চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গেল। চিড়িয়াখানার মধ্যে অনেক পশুপাখি দেখল। বাঘ, সিংহকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখে তুলির মধ্যে তাদের সম্পর্কে যে ভয় ছিল তা ভেঙে গেল। পাখিগুলোকে খাঁচায় বন্দি থাকা দেখে তুলির অনেক মজা লাগছিল। সব দেখেশুনে বাবা বলল, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’।
ক. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কবি কে? ১
খ. “নীল আকাশে সোনালি চিল মেলছে পাখা, মেলতে দাও।”কবি এ কথাটি দিয়ে কী বুঝিয়েছেন। ২
গ. উদ্দীপকে পশু পাখির বন্দি অবস্থার সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবির আহŸানের বৈপরীত্য কোথায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.“বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”Ñ ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার আলোকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার রচয়িতা কবি শামসুর রাহমান।
খ ‘নীল আকাশে সোনালি চিল মেলছে পাখা, মেলতে দাও’ এ কথাটি দিয়ে কবি অপার স্বাধীনতার উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন।
‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় আমরা দেখি কবি শামসুর রাহমান প্রকৃতির সব উপাদানকে স্বাভাবিক জায়গায় রাখতে বলেছেন। বাংলার মুক্ত আকাশে সোনালি চিলের বিচরণ খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। ডানায় ভর করে নীল আকাশে উড়ে বেড়ানো এটা চিলের স্বাধীনতা। ঠিক তেমনি শিশু, কিশোরসহ গোটা প্রকৃতি নিজের অবস্থানে স্বাধীনভাবে বাঁচবে ও বেড়ে উঠবে এটিও স্বাভাবিক। এ স্বাধীনতাকে ঠিক রাখতে হবে। এ অপার স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার বিষয়টিই এই কথাটির মধ্য দিয়ে কবি বুঝিয়েছেন।
গ উদ্দীপকের পশুপাখির বন্দি অবস্থার সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কবির আহŸানের বৈপরীত্য রয়েছে।
কবির আহŸান বাগানে গোলাপ ফুটছে, তাকে ফুটতে দাও। নীল আকাশে সোনালি চিল মেলছে পাখা, তাকে মেলতে দাও, জোনাক পোকাকে আলোর খেলা খেলতে দাও, নরম ছায়ায় ঘুঘুকে ডাকতে দাও, পানকৌড়িকে কাজল বিলে নাইতে দাও। এসব আহŸানের দ্বারা কবি প্রতিটি প্রাণীকে তার স্বাভাবিক জায়গায় দেখতে চেয়েছেন। প্রকৃতি সবকিছু তার স্বাভাবিক ক্রিয়া সম্পাদন করলেই জীবের বিকাশ লাভ সম্ভব। আর তাতেই পৃথিবী মানুষের বসবাসের উপযোগী থাকবে।
কিন্তু উদ্দীপকে আমরা বিপরীতচিত্র দেখি, ঢাকা চিড়িয়াখানায় বাঘ, সিংহ, বানার, গণ্ডার, হনুমান, পাখি, খাঁচায় বন্দি অবস্থায় আছে। কবির আহŸান যেখানে প্রতিটি প্রাণীকেই তার স্থানে তার ক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে করতে দিতে হবে, সেখানে বনের পশু সিংহ, বাঘকে চিড়িয়াখানায় বন্দি করে রাখা কবির আহŸানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে পশুপাখির বন্দি অবস্থার সঙ্গে কবির আহŸানের বৈপরীত্য বিদ্যমান।
ঘ “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় শামসুর রাহমান প্রকৃতির প্রতিটি জিনিসকে স্বাভাাবিক বাঁচতে দেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন। প্রকৃতির প্রতিটি অনুষঙ্গই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে। প্রকৃতিতে এসব উপাদান নিজ নিজ অবস্থানেই উপযুক্ত এবং কার্যকরী।
উদ্দীপকেও তুলির বাবা চিড়িয়াখানায় পশুপাখির বন্দি অবস্থা দেখে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন। তুলির বাবার বোধোদয় হয়েছে বাঘ, সিংহ কিংবা পাখির স্বাভাবিক পরিবেশ হচ্ছে বন বা অরণ্য। কিন্তু তাদের খাঁচায় বন্দি রাখা মানে স্বাভাবিক পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা। কবির আহŸান প্রতিটি পশুপাখি ও প্রাণীকে তার স্বাভাবিক অবস্থানেই থাকতে দিতে হবে। উদ্দীপকের তুলির বাবারও একই বোধোদয় ঘটেছে।
তাই বলা যায়, প্রকৃতিকে সংরক্ষণের জন্য প্রাকৃতিক সব উপাদানকে স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হতে দিতে হবে আর এক্ষেত্রে বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে উক্তিটি যথার্থ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা

মানুষের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক নিবিড়। পরিবেশ বলতে পরিবেশে অবস্থিত গাছপালা, প্রাণী, জলবায়ু ইত্যাদিকে বোঝায়। মানুষ জন্মের পর পরিবার থেকে যতটুকু শেখে, তার চেয়ে বেশি শেখে পরিবেশ থেকে। রুক্ষ পরিবেশে জন্মানো শিশুটি কঠোর মনোভাবের হবে; কোমলতা তার হৃদয়ে খেলা করবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যদি জীবন ও মানসিকতার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকতা প্রদান করতে হয়, তবে আগে আমাদের পরিবেশের প্রতি যতœবান হতে হবে। পরিবেশের সঙ্গে আমরা যদি নিষ্ঠুর আচরণ করি, তবে পরিবেশও আমাদের সন্তানদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণই করবে।
ক. ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ কাব্যগ্রন্থটি রচয়িতা কে? ১
খ. ‘শিশু, পাখি, ফুলের কুঁড়ি সবাইকে আজ বাঁচতে দাও।’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য বিন্যাস কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকটি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার সমগ্র ভাবকে মূর্ত করে তোলে।”Ñ উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪

ক ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতা শামসুর রাহমান।
খ ‘শিশু, পাখি, ফুলের কুঁড়ি সবাইকে আজ বাঁচতে দাও।’ বলতে কবি এসবের স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার উপযুক্ত পরিবেশের নিশ্চয়তা দান করাকে বুঝিয়েছেন।
শিশু, পাখি, ফুল এসব প্রকৃতির অমূল্য উপাদান। প্রকৃতি ও পরিবেশ মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান আশ্রয়। কিন্তু মানুষের হাতেই দিন দিন এগুলো নষ্ট হচ্ছে, বিপন্ন হচ্ছে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর জীবন। ফলে শিশু, ফুল, পাখির স্বাভাবিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কবি এদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার আহŸান জানিয়েছেন।
গ ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি পরিবেশের উপাদানসমূহের স্বাভাবিক বিকাশ কামনা করেছেন। আর উদ্দীপকে পরিবেশের সঙ্গে মানব প্রজন্মের সম্পর্ক বিন্যাস করা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য রয়েছে।
‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় আমরা দেখি কবি শিশুর বিকাশের জন্য প্রকৃতির সব উপাদানের সুষ্ঠু বিকাশের পথ উš§ুক্ত করার আহŸান জানিয়েছেন। কারণ পরিবেশের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করেই শিশুর বিকাশ সাধিত হয়। জন্মের পর একটা শিশু পরিবার থেকে যতটুকু শেখে, তার চেয়ে অনেক বেশি শেখে পরিবেশ থেকে। শিশু যদি অস্বাভাবিক কোনো পরিবেশে শৈশব অতিক্রম করে, তবে তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। সুতরাং আগত প্রজন্মকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যদি মেধার স্ফুরণ ঘটাতে হয়, তবে আমাদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কেননা পরিবেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার মাঝেই নব প্রজন্মের সুষ্ঠু বিকাশ সম্ভব।
তাই দেখা যায়, উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ “উদ্দীপকটি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার সমগ্র ভাবকে মূর্ত করে তোলে।” এ মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকে পরিবেশের স্বরূপ আলোচিত হয়েছে। পরিবেশ বলতে চারপাশের গাছপালা, প্রাণিকুল, আবহাওয়া, জলবায়ু ইত্যাদিকে বোঝায়। আর এসব উপাদানের অস্বাভাবিকতা মানেই পরিবেশের অস্বাভাবিকতা। শিশুর বিকাশ সাধন ঘটে পরিবেশের পরিস্থিতি অনুসারে। রুক্ষ পরিবেশে শিশুর আচরণ ক্রমে ক্রমে রুক্ষ হয়ে উঠবে। আর কোমল পরিবেশে শিশুরা কোমল মনের অধিকারী হবেÑ এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং আমাদের নতুন প্রজন্মকে সুস্থ ও স্বাভাবিকরূপে গড়ে তোলার জন্য পরিবেশের প্রতি আমাদেরকেই যতœবান হতে হবে।
‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি পরিবেশের উপাদানসমূহের স্বাভাবিক কর্মপ্রয়াসকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং সমর্থন জানাতে পরিবেশের কাছেও প্রচ্ছন্ন আকুতি জানিয়েছেন। কবির এ আকুতি মূলত মানুষের কাছে। মানুষ ইচ্ছা করলেই গোলাপকে স্বাভাবিকভাবে ফুটতে দিতে পারে, খেয়ালি শিশুর কর্মপ্রয়াসকে সমর্থন দিতে পারে, প্রকৃতির সৌন্দর্য বিকশিত করতে পারে। আর উদ্দীপকে পরিবেশের সঙ্গে শিশুদের বিকাশের সম্পর্ক রচিত হয়েছে, যা ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার সমগ্র ভাব মূর্ত করে তোলে।
উপরের আলোচনায় দেখা যায় যে, উদ্দীপকে যেরূপ পরিবেশের স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করার বিষয় রয়েছে, ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায়ও তা ফুটে উঠেছে। তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ প্রাকৃতিক পরিবেশ

“দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর
লও যত লৌহ, লোষ্ট্র, কাঠ ও প্রস্তর।
হে নব-সভ্যতা, হে নিষ্ঠুর সর্বগ্রাসী,
দাও ফিরে তপোবন, পুণ্যচ্ছায়ারাশি,
গøানিহীন অতীতের দিনগুলো।”
ক. নরম রোদে কে নাচ জুড়েছে? ১
খ. শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশটুকু ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ৩
ঘ.“উদ্দীপকের কবিতাংশের মূলভাব, ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মূলভাবকে পুরোপুরি নির্দেশ করে না।” মন্তব্যটি কবিতা ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক নরম রোদে শ্যামাপাখি নাচ জুড়েছে।
খ পরিবেশ ধ্বংস হলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
শামসুর রাহমান ‘বাঁচতে দাও’- কবিতায় প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের কথা বলেছেন। একটি শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে গেলে, পরিবেশ ধ্বংস হবে। ফলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
গ উদ্দীপকের কবিতাংশটুকু ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় উল্লিখিত মানুষ ও প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য সবুজ পরিবেশের প্রয়োজনীয়তার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকের কবিতাংশে নগর সভ্যতার অভিশাপকে তুলে ধরা হয়েছে। সবুজ আচ্ছাদন নষ্ট করে লোহা এবং কাঠের যে খাঁচা তৈরি হচ্ছে তা থেকে কবি মুক্তি চান। তার চিরচেনা সবুজ বনরাজি পরিবেশে ফিরে যেতে চান।
উদ্দীপকের এ বিষয়টি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। আমাদের চারপাশ যদি সজীব ও সুন্দর না হয় তাহলে বেঁচে থাকার আনন্দই বৃথা। পৃথিবীর ফুল, পাখি, সবুজ ধ্বংসের বিরোধী কবি এগুলোকে বাঁচতে দিতে বলেছেন। উভয় ক্ষেত্রেই সবুজের প্রতি মানুষের সহানুভ‚তির প্রয়োজনীয়তার দিকটির সাথে সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
ঘ উদ্দীপকের কবিতাংশের মূলভাব, ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার মূলভাবকে পুরোপুরি নির্দেশ করে না। মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপকের কবিতাংশে নগর-সভ্যতার রুক্ষতার পরিবর্তে প্রকৃতির শ্যামল ছায়া ফেরত চাওয়া হয়েছে। ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায়ও কবি ফুল, পাখি, শিশুর উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষে তার মত দিয়েছেন। এ বিষয়টি ছাড়া উদ্দীপকের সাথে কবিতার আর বিশেষ মিল নেই। উভয়ের মূলভাবের সাথেও এ পার্থক্যটিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের কথা বলেছেন। একটি শিশুর জন্য তার চারপাশের সুস্থ পরিবেশের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, কবিতায় তা দেখানো হয়েছে। এ বিষয়টি উদ্দীপকে নেই। এ রকম নীল আকাশে সোনালি চিলের পাখা মেলার স্বাধীনতা, জোনাক পোকার আলোর খেলা, ঘুঘুর ডাক, বালির উপর শিশুর আঁকাআঁকি, পানকৌড়ির গোসল ইত্যাদি বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
উদ্দীপকে নগর সভ্যতার বিকাশ থামিয়ে প্রকৃতিকে ফেরত পাওয়া হয়েছে। আর কবিতায় প্রকৃতিকে ঠিক রাখতে বলা হয়েছে। উভয়ক্ষেত্রে অর্থগত মিল থাকলে ভাবগত আমিন লক্ষণীয়। এসব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, উদ্দীপকের কবিতাংশের মূলভাব, কবিতার মূলভাবকে পুরোপুরি নির্দেশ করে না।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ মানব চরিত্রের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য

একঘেয়েমি পড়াশোনা ভালো না লাগায় মীম তার বান্ধবীদের সঙ্গে খেলতে চলে যায়। বাড়িতে ফিরে আসার পর পড়াশোনা না করে খেলাধুলা করায় তার মা তাকে অনেক বকাবকি করে। কিন্তু মীমের বাবা তার মাকে বলে, ওর মতো বয়সে তুমিও খেলাধুলা করতে চাইতে। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। আর মীমের ক্ষেত্রেও এ নিয়মের ব্যতিক্রম করা উচিত নয়।
ক. সোনালি চিল কোথায় পাখা মেলেছে? ১
খ. জীববৈচিত্র্যসহ প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মূল বিষয়টি ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কোন দিকটি ধারণ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মীমের বাবার বক্তব্যে কবির আহŸান ফুটে উঠেছে মন্তব্যটির পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক সোনালি চিল আকাশে পাখা মেলেছে।
খ প্রাণিজগতের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের জন্য জীববৈচিত্র্যসহ প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।
প্রকৃতি কেবল মানুষের বসবাসের জায়গা নয়। গাছপালা, পশুপাখি সকলের আছে প্রকৃতিতে সমানভাবে বাঁচার অধিকার। কিন্তু মানুষের হাতেই দিন দিন এগুলো ধ্বংস হচ্ছে বলে মানুষ ও প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে মানুষের অস্তিত্বেও হুমকির মুখে পড়বে। এ কারণে জীববৈচিত্র্যসহ প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় স্বাধীনভাবে বাঁচার বিষয়টি ব্যাখ্যা কর।
ঘ ‘বাচতে দাও’ কবিতায় মূলভাব বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশের ভারসাম্যের অন্তরায়
পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। এ বাড়তি জনসংখ্যার জন্য প্রতিনিয়ত কমছে আবাদি জমি, বন-জঙ্গল। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়। বিষয়টি উপলব্ধি করে সিরাজ চৌধুরী এবং রাবেয়া খাতুন বৃক্ষমেলা থেকে প্রচুর চারা কিনে এনে এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেন।
ক. কীসের পেছনে বালক ছোটে? ১
খ. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি শিশুদের জন্য কী করতে বলেছেন? ২
গ. উদ্দীপকটিতে ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘বাঁচতে দাও’ কবিতার আলোকে উদ্দীপকের সিরাজ চৌধুরী এবং রাবেয়া খাতুনের উদ্যোগটি মূল্যায়ন কর। ৪

ক ঘুড়ির পেছনে বালক ছোটে।
খ কবি শামসুর রাহমান ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় শিশুদের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির কথা বলেছেন।
এ কবিতায় কবি প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে শিশুমনের ইচ্ছা ফুটিয়ে তুলেছেন। শিশুরা আনন্দপ্রিয়, তারা খেলতে চায়, পড়তে চায়, চায় প্রকৃতির স্পর্শ। এসবকিছু মিলেই তৈরি হয় শিশুর মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্ব। তাই কবি প্রকৃতির স্বাভাবিক বিকাশের মতো শিশুদের স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবনের কথা বলেছেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ চারপাশের প্রকৃতি ও পরিবেশের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর।
ঘ পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব ও প্রাণিকুলের বাঁচার অধিকার মূল্যায়ন কর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ফুলবাগানে কী ফোটে?
উত্তর : ফুলবাগানে গোলাপ ফোটে।
প্রশ্ন \ ২ \ বালক কীসের পেছনে ছোটে?
উত্তর : বালক রঙিন কাটা ঘুড়ির পেছনে ছোটে।
প্রশ্ন \ ৩ \ সোনালি চিল কোথায় পাখা মেলছে?
উত্তর : সোনালি চিল নীল আকাশে পাখা মেলছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ রোজ কে আলোর খেলা খেলে?
উত্তর : জোনাক পোকা রোজ আলোর খেলা খেলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ মধ্যদিনে নরম ছায়ায় কে ডাকে?
উত্তর : মধ্যদিনে নরম ছায়ায় ঘুঘু ডাকে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বালির ওপর কে আঁকে?
উত্তর : বালির ওপর শিশু আঁকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ‘পানকৌড়ি’ কোথায় থাকে?
উত্তর : ‘পানকৌড়ি’ কাজল বিলে থাকে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘সুজন মাঝি’ কোথায় নাও (নৌকা) বায়?
উত্তর : ‘সুজন মাঝি’ গহিন গাঙে নাও বায়।
প্রশ্ন \ ৯ \ নরম রোদে কে নাচ জুড়েছে?
উত্তর : নরম রোদে শ্যামাপাখি নাচ জুড়েছে
প্রশ্ন \ ১০ \ শিশু, পাখি, ফুলের কুঁড়ি সবাইকে কী দিতে হবে?
উত্তর : শিশু, পাখি, ফুলের কুঁড়ি সবাইকে- যার যার অবস্থানে থেকে বাঁচতে দিতে হবে।
প্রশ্ন \ ১১ \ মানুষ ও প্রকৃতি কীসের অংশ?
উত্তর : মানুষ ও প্রকৃতি পরিবেশের অংশ।
প্রশ্ন \ ১২ \ ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কোন ফুলের উল্লেখ আছে?
উত্তর : ‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় গোলাপ ফুলের উল্লেখ আছে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ শামসুর রাহমানের কবিতা কোন চেতনায় দীপ্ত?
উত্তর : শামসুর রাহমানের কবিতা দেশপ্রেম ও সমাজ সচেতনতায় দীপ্ত।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ‘ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘ধান ভানলে কুঁড়ো দেবো’ কবিতাটির রচয়িতা শামসুর রাহমান।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ রঙিন কাটা ঘুড়ির পিছে বালকের ছোটার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শিশুরা দুরন্তপনা পছন্দ করে। ঘুড়ির পিছে দৌড়ে তারা পরম আনন্দ লাভ করে।
বুদ্ধির বিকাশ আর বেড়ে ওঠার সময় হলো শিশুকাল। এ সময়ে শিশুদের ইচ্ছা যদি কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হয়, তবে তাদের মানসিক বুদ্ধি প্রখর হয়। মূলত শিশুসুলভ আনন্দে অবগাহনের জন্যই বালক রঙিন কাটা ঘুড়ির পেছনে ছোটে।
প্রশ্ন \ ২ \ বালির ওপর শিশুর কত্ত কিছু আঁকার কারণ দর্শাও।
উত্তর : শিশুরা সাধারণত কল্পনাপ্রবণ। মূলত কল্পনার বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতেই শিশুরা বালির ওপর কত্ত কিছু আঁকে।
শিশুরা প্রাণবন্ত। নিজের খেয়ালে তারা অনেক কিছু করে। বস্তুত অবচেতন মনে শিশুরা সবসময় সৃষ্টি করতে চায়। এই সৃষ্টি পিপাসার কারণেই শিশুরা বালির ওপর ইচ্ছামতো আঁকাআঁকি করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কবি কেন সুজন মাঝিকে নৌকা বাইতে দিতে বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সুজন মাঝি একা একা গহিন গাঙে নৌকা বায়। তাকে গভীর নদীতে নৌকা চালানোর স্বাধীনতা দিতে এবং অব্যাহত রাখার জন্যই কবি সুজন মাঝিকে গাহিন গাঙে নৌকা বাইতে দিতে বলেছেন।
মাঝিরা যেসব নদীতে নৌকা চালান, সেগুলো আমাদের গ্রাম বাংলার দৃশ্য। মাঝিরা যদি নৌকা না চালায়, তবে বাংলার বুক থেকে অমূল্য দৃশ্য হারিয়ে যাবে। গ্রাম বাংলার সেসব দৃশ্য বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই কবি সুজন মাঝিকে বাইতে দিতে বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ কবি কেন ফুলকে ফুটতে দিতে বলেছেন?
উত্তর : ফুল আমাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে। এ কারণেই কবি ফুলকে ফুটতে দিতে বলেছেন।
বাংলা প্রকৃতি এত সুন্দর হওয়ার পেছনে ফুলের অবদান অনস্বীকার্য। শুধু বাংলা নয়, ফুল না থাকলে যেকোনো প্রকৃতিই মরে যাবে। মূলত প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই কবি ফুলকে ফুটতে দিতে বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘জোনাক পোকা আলোর খেলা খেলছে রোজই’Ñ চরণটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : “জোনাক পোকা আলোর খেলা খেলছে রোজই” চরণটি দ্বারা জোনাকির নিজেকে বিকশিত করার কথা বলা হয়েছে।
‘বাঁচতে দাও’ কবিতায় কবি প্রাণিজগৎ, প্রকৃতি ও পরিবেশের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশের কথা বলেছেন। একটি শিশুর বিকাশে চারপাশের সুস্থ পরিবেশ খুবই প্রয়োজনীয়। সুস্থ পরিবেশ থাকলে জোনাকিরা মনের আনন্দে তাদের নিজস্ব আলো ছড়িয়ে দিতে পারবে। তেমনি সুস্থ পরিবেশে শিশুরাও তাদের নিজেকে জোনাকির আলো ছড়ানোর মতো বিকশিত করতে পারবে।
প্রশ্ন \ ৬ \ পরিবেশ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : মানুুষ ও প্রকৃতির সুষ্ঠু বিকাশে পরিবেশ সংরক্ষণ প্রয়োজন।
মানুষ ও প্রকৃতি পরিবেশের অংশ। মানুষের মতো প্রকৃতির সঠিক বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ দরকার। তাই পরিবেশ ধ্বংস হলে মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষ দিন দিন যেভাবে পরিবেশ ধ্বংস করছে, এভাবে চলতে থাকলে প্রাণিজগৎ একদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ৭ \ ঘুঘুকে কেন কবি ডাকতে দিতে বলেছেন?
উত্তর : ঘুঘুর ডাক বাংলার প্রকৃতিতে ছন্দ সৃষ্টি করে। মূলত পরিবেশের মাধুর্য বৃদ্ধির জন্যই কবি ঘুঘুকে ডাকতে দিতে বলেছেন।
ঘুঘুর ডাক বাংলার বুকে অতি পরিচিত। মধ্যদিনে যখন পৃথিবী ঈষৎ ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তখন ঘুঘুর ডাক এক ধরনের স্নিগ্ধ আবেশ ছড়ায়। ঘুঘুর ডাক বন্ধ হয়ে গেলে বাংলার প্রকৃতি যেন অসম্পূর্ণ হয়ে পড়বে। এ জন্যই কবি ঘুঘুকে ডাকতে দিতে বলেছেন।

 

Leave a Reply