ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা অমর একুশে

অমর একুশে
রফিকুল ইসলাম
 লেখক পরিচিতি
নাম রফিকুল ইসলাম।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১লা জানুয়ারি, ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) থানার কলাকান্দা গ্রাম; পিতা : জুলফিকার আলি; মাতা : জান্নাতুন্নেছা।
পেশা/কর্মজীবন অধ্যাপনা : দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি।
সাহিত্য সাধনা গ্রন্থ : নজরুল নির্দেশিকা, নজরুল জীবনী, বীরের এ রক্তস্রোত মাতার এ অশ্র“ধারা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন ও শহীদ মিনার, ঢাকার কথা, বাংলা ভাষা আন্দোলন, কিশোর কবি নজরুল।
পুরস্কার ও সম্মাননা নজরুল একাডেমি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নজরুল ইনস্টিটিউট পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 

ন্ধ লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. রফিকুল ইসলামের জন্ম কত খ্রিষ্টাব্দে?
[সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ; নোয়াখালী জিলা স্কুল]
ক ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে  ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে
২. রফিকুল ইসলাম কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
 চাঁদপুরে খ কুমিল­ায় গ ঢাকায় ঘ বরিশালে
৩. রফিকুল ইসলামের পরিচিতি মূলত কী হিসেবে? (জ্ঞান)
ক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখক হিসেবে
 নজরুল গবেষক হিসেবে
গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে
ঘ ঢাকা কলেজের অধ্যাপক হিসেবে
৪. ‘কিশোর কবি নজরুল’ গ্রন্থটি কার লেখা? (জ্ঞান)
 রফিকুল ইসলামের খ রফিক আজাদের
গ হুমায়ূন আহমেদের ঘ বুদ্ধদেব বসুর
৫. রফিকুল ইসলাম কোন পুরস্কার লাভ করেন? (জ্ঞান)
 একুশে পদক খ রবীন্দ্র পুরস্কার
গ আদমজী পুরস্কার ঘ কুন্তলীন পুরস্কার
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬. লেখক রফিকুল ইসলাম যে বিষয় নিয়ে প্রচুর বই লিখেছেন (অনুধাবন)
র. ভাষা আন্দোলন রর. বাংলার প্রকৃতি
ররর. মুক্তিযুদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭. যে বিষয়ে অবদানের জন্য লেখক বিভিন্ন পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন (অনুধাবন)
র. গবেষণা
রর. প্রবন্ধ সাহিত্য
ররর. নাটক
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮. ভাষা আন্দোলন হয় কত সালে? [সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ১৯৪৮ সালে  ১৯৫২ সালে গ ১৯৫৪ সালে ঘ ১৯৭১ সালে
৯. প্রথম দফা গুলিতে কে বা কারা শহিদ হন? [সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ]
ক রফিক উদ্দিন খ আবুল বরকত
গ জব্বার ও সালাম  রফিকউদ্দিন ও জব্বার
১০. ২১শে ফেব্রæয়ারি সকালে কোথায় ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়?
ক বটতলায় খ জামতলায়  আমতলায় ঘ বকুলতলায়
১১. ২১শে ফেব্রæয়ারির দ্বিতীয় দফা গুলিতে নিহত হন
 আবুল বরকত খ রফিক উদ্দীন
গ শফিউর রহমান ঘ কিশোর অহিউল্লাহ
১২. শহিদমিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ কোনটি? [স্কলারস হোম, সিলেট]
 ২৬শে ফেব্রæয়ারি খ ২১শে ফেব্রæয়ারি
গ ২৪শে ফেব্রæয়ারি ঘ ২৫শে ফেব্রæয়ারি
১৩. প্রথম ছাত্র ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২০শে জানুয়ারি খ ২১শে জানুয়ারি
 ৩০শে জানুয়ারি ঘ ২১শে ফেব্র“য়ারি
১৪. কে ১৪৪ ধারা জারি করেন? (জ্ঞান)
 নূরুল আমিন সরকার খ খাজা নাজিমউদ্দিন
গ আবুল হাশিম ঘ নূরুল আহাদ
১৫. ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’ কে বলেছেন?
ক নূরুল আমিন খ ইয়াহিয়া
 খাজা নাজিমউদ্দিন ঘ আতাউর রহমান
১৬. খাজা নাজিমউদ্দিন কবে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করেন? (জ্ঞান)
 ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি
খ ১৯৫১ সালের ২৩শে জানুয়ারি
গ ১৯৫১ সালের ২২শে আগস্ট
ঘ ১৯৫২ সালের ২০শে জানুয়ারি
১৭. খাজা নাজিমউদ্দিনের রাষ্ট্রভাষা উর্দুর ঘোষণায় কারা প্রতিবাদে ফেটে পড়ে? (জ্ঞান)
ক জনতা  ছাত্রসমাজ
গ শ্রমিক ঘ সর্বস্তরের জনগণ
১৮. শেখ মুজিব অনশন শুরু করেন (জ্ঞান)
ক ১১ই ফেব্রæয়ারি থেকে খ ১৩ই ফেব্রæয়ারি থেকে
 ১৬ই ফেব্রæয়ারি থেকে ঘ ১৮ই ফেব্রæয়ারি থেকে
১৯. কত তারিখে ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯শে ফেব্রæয়ারি খ ১৩ই ফেব্রæয়ারি
গ ১৮ই ফেব্রæয়ারি  ২০শে ফেব্রæয়ারি
২০. ২১শে ফেব্রæয়ারি সকালে কার সভাপতিত্বে ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
 গাজিউল হকের খ অলি আহাদের
গ আতাউর রহমানের ঘ আবুল হাশিমের
২১. ‘মর্নিং নিউজ’ ও ‘সংগ্রাম’ প্রেস ছিল (জ্ঞান)
ক পাকিস্তান সরকারের মুখপত্র
খ আওয়ামী লীগের মুখপত্র
গ বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদের মুখপত্র
 মুসলিম লীগের মুখপত্র
২২. প্রথম শহিদ মিনারটি পুলিশ কখন ধ্বংস করে দেয়?
ক ২৩শে ফেব্রæয়ারি সকালে
খ ২৪শে ফেব্রæয়ারি বিকালে
গ ২৫শে ফেব্রæয়ারি দুপুরে
 ২৬শে ফেব্রæয়ারি অপরাহ্ণে
২৩. ২১শে ফেব্র“য়ারিতে কোথায় সভা বসে? (জ্ঞান)
ক কন্ট্রোল রুমে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায়
গ হলের ছাদে ঘ টিএসসিতে
২৪. কোথায় শহিদ মিনার তৈরি করা হয়? (জ্ঞান)
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে
খ মেডিকেলের সামনে
গ এফ রহমান হলের পেছনে
 বরকত যেখানে গুলিবিদ্ধ হন
২৫. প্রথম শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন
ক শেখ মুজিবুর রহমান খ জব্বারের পিতা
গ মওলানা ভাসানী  শহিদ শফিউর রহমানের পিতা
২৬. ২১শে ফেব্র“য়ারিতে পুলিশ কয় দফা গুলি চালায়? (জ্ঞান)
ক এক দফা  দুই দফা
গ চার দফা ঘ বহু দফা
২৭. ২১শে ফেব্রæয়ারি কখন কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়? (জ্ঞান)
 সকালে খ সন্ধ্যায়
গ বিকালে ঘ রাতে
২৮. শহিদ শফিউর রহমান কত তারিখে শহিদ হন? (জ্ঞান)
ক ২১শে ফেব্র“য়ারি  ২২শে ফেব্র“য়ারি
গ ২৩শে ফেব্র“য়ারি ঘ ২৪শে ফেব্র“য়ারি
২৯. ঢাকায় ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে কেন? (অনুধাবন)
ক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণায়
 উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণায়
গ পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তান থেকে বাদ দেয়ায়
ঘ ছাত্রদের বেদম প্রহার করায়
৩০. ১৯৫২ সালের ৩০শে জানুয়ারি ছাত্ররা ধর্মঘট পালন করে কেন? (অনুধাবন)
 উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদে
খ শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করতে
গ অত্যাচারের প্রতিবাদে
ঘ রাজনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদে
৩১. শেখ মুজিবুর রহমান ‘সর্বদলীয় কর্মপরিষদ’-এ উপস্থিত ছিলেন না কেন? (অনুধাবন)
ক অসুস্থ থাকার কারণে
খ ইতালি গিয়েছিলেন বলে
 কারাগারে আটক ছিলেন বলে
ঘ আমেরিকায় ছিলেন বলে
৩২. ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে রূপান্তরিত করে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক মিছিল বের করে  ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে
গ মিটিং আহŸান করে ঘ সভায় বক্তৃতা করে
৩৩. কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের পক্ষে শামসুল হকের সিদ্ধান্ত কারা মানতে পারে না? (জ্ঞান)
 সংগ্রামী ছাত্ররা খ হিন্দু ছাত্ররা
গ মুসলিম ছাত্ররা ঘ রাজনীতিবিদরা
৩৪. ছাত্ররা দশ জনের দলে বিভক্ত হয় কী কারণে? (অনুধাবন)
 ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে খ মুক্তিযুদ্ধ করতে
গ বৈঠক করতে ঘ মিছিল করতে
৩৫. নূরুল আমিন সরকার নারায়ণগঞ্জে পুলিশ হত্যা ও আনসার আহত করায় কেন? (অনুধাবন)
ক ভাষা আন্দোলনকারীদের সুবিধার্থে
 হত্যার দায় ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর চাপাতে
গ পুলিশ ও আনসার অন্যায় করায়
ঘ ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর অত্যাচার করায়
৩৬. ‘দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 দ্রæত ছড়িয়ে পড়া খ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়া
গ নলের মতো ছড়িয়ে পড়া ঘ আস্তে ছড়িয়ে পড়া
৩৭. ‘কালো পতাকা’ উত্তোলন করা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক আনন্দ প্রকাশে খ ব্যথা প্রকাশে
 শোক প্রকাশে ঘ হতাশা প্রকাশে
৩৮. ‘ত্রাসের রাজত্ব’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
 ভীতিকর পরিবেশ খ থমথমে পরিবেশ
গ ভয়ের রাজত্ব ঘ আতঙ্কের রাজত্ব
৩৯. উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রতিবাদে ছাত্রসমাজ কোন কর্মসূচি গ্রহণ করে? (প্রয়োগ)
 ছাত্র ধর্মঘট পালন খ মিছিলে বোমা নিক্ষেপ
গ কাঁদুনে গ্যাস ছোড়া ঘ শহরবাসীকে মারধর করা
৪০. সর্বদলীয় কর্মপরিষদের আহŸায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন কে?
ক শামছুল হক খ অলি আহাদ
 কাজী গোলাম মাহবুব ঘ খালেক নেওয়াজ খান
৪১. সর্বদলীয় কর্মপরিষদে সভ্য ছিলেন নাÑ
ক আবুল হাশিম খ আতাউর রহমান খান
গ কামরুদ্দীন আহমদ  শেখ মুজিবুর রহমান
৪২. আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে রূপান্তরিত করতে বদ্ধপরিকর ছিলÑ (জ্ঞান)
ক সর্বদলীয় কর্মপরিষদ  বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ
গ খিলাফতে রাব্বানী পার্টি ঘ ছাত্রলীগ
৪৩. ২২শে ফেব্রæয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক শহিদদের মৃত্যুর আনন্দে
 শহিদদের মৃত্যুর শোক পালন করতে
গ শহিদদের গর্বে
ঘ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধায়
৪৪. “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা” খাজা নাজিমউদ্দিনের এ বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
 অগণতান্ত্রিক মনোভাব
খ স্বৈরাচারী মনোভাব
গ জুলুম
ঘ অত্যাচারী মনোভাব
৪৫. “১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে রূপান্তরিত করতে ছাত্রসমাজ বদ্ধপরিকর ছিল”Ñএখানে প্রকাশিত হয়েছে ছাত্রসমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সমাঝোতার প্রবণতা
 আপসহীন মনোভাব
গ দুর্বলতা
ঘ স্থির থাকার মনোভাব
৪৬. পুলিশের শহিদ মিনার ধ্বংস করার উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ভালো করে নির্মিত হয়নি
 ভাষা শহিদদের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে না দেয়া
গ ছাত্রদের পরাজিত করা
ঘ ছাত্রদের ভয় দেখানো
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭. রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে জেলে থেকে একটানা অনশন শুরু করেন
[বি এ এফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
র. শেখ মুজিবুর রহমান রর. মহিউদ্দীন আহমদ
ররর. কাজী গোলাম মাহবুব
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. ভাষা আন্দোলনে আবদুস সামাদের প্রস্তাব ছিল (অনুধাবন)
র. দশ জন করে অসংখ্য দলে বিভক্ত হওয়া
রর. ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা
ররর. পুলিশকে নির্বিচারে হত্যা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. ২১শে ফেব্রæয়ারি পুলিশ কলাভবনে প্রবেশ করে (অনুধাবন)
র. কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে রর. লাঠিচার্জ করে
ররর. গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে মনোবল বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়
[বগুড়া ক্যান্ট.পাবলিক স্কুল ও কলেজ]
র. ¯েøাগান রর. ফেস্টুন ররর. প্লাকার্ড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা ঘোষণায় ছাত্র সমাজে যে প্রতিক্রিয়া হয়
র. প্রতিবাদে ফেটে পড়ে রর. ধর্মঘট পালন করে
ররর. আন্দোলনের ডাক দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫১. নূরুল আমীন সরকার দমননীতির স্টিম রোলার চালাতে যা করে (অনুধাবন)
র. গুলি চালানো হয় রর. একজন আনসারকে আহত করে
ররর. একজন পুলিশকে হত্যা করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫২. ভাষা আন্দোলনকে স্তিমিত করতে যে পদক্ষেপ নেয়া হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গুলি চালানো হয়
রর. আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ হত্যার দোষ চাপানো হয়
ররর. গণগ্রেফতার করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৩. ২২শে ফেব্র“য়ারির ভাষাশহিদরা হলেনÑ (অনুধাবন)
র. শফিউর রহমান
রর. আবদুল আউয়াল
ররর. আবুল বরকত
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. সর্বদলীয় কর্মপরিষদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন (অনুধাবন)
র. খেলাফতে রাব্বানী পার্টির প্রতিনিধি
রর. আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিনিধি
ররর. কৃষক শ্রমিক
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৬ ও ৫৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সেই যে কবে কয়েকজন খোকা / ফুল ফোটানো রক্ত থোকা থোকা
গাছের ডালে পথের বুকে ঘরে / ফাগুন মাসে তাদেরই মনে পড়ে।
৫৫. অনুচ্ছেদ ‘সেই যে কবে’ বলতে ‘অমর একুশে’ রচনায় কোন সময়ের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে? (প্রয়োগ)
 ২১শে ফেব্রæয়ারি ১৯৫২ সাল
খ ২২শে ফেব্রæয়ারি ১৯৫২ সাল
গ ২১শে ফেব্রæয়ারি ১৯৭১ সাল
ঘ ২২শে ফেব্রæয়ারি ১৯৭১ সাল
৫৬. অনুচ্ছেদের কয়েকজন খোকা ‘অমর একুশে’ রচনার যাদের প্রতিনিধিত্ব করছে? (অনুধাবন)
ক রাষ্ট্রনায়কদের খ নূরুল আমীন সরকারের
 ভাষাশহিদদের ঘ পুলিশ বাহিনীর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৮ ও ৫৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সোনাডাঙ্গা গ্রামের চেয়ারম্যান এলাকার খালগুলো ভরাট করে কারখানা গড়ে তোলার চিন্তা করে। এলাকাবাসী এতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
৫৭. চেয়ারম্যানের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ রচনার কোন চরিত্রের সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
ক গাজিউল হক খ আবদুস সামাদ
 খাজা নাজিমউদ্দিন ঘ নূরুল আমিন সরকার
৫৮. অনুচ্ছেদ ও রচনায় আন্দোলন দানাবাঁধার মূল কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশি রর. মুখের ভাষা ররর. মাতৃভাষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬০ ও ৬১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সিরাজ হোসেন এলাকার উন্নয়নের জন্য সারাজীবন চেষ্টা করেছেন। তিনি অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপস করেননি। আকস্মিক সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী তার সম্মানার্থে তার নামে একটি সড়কের নামকরণ করে।
৫৯. সিরাজ হোসেন চরিত্রের নিঃস্বার্থ মানসিকতার সঙ্গে ‘অমর একুশে’ রচনার কাদের সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
 ভাষা শহিদদের খ খাজা নাজিমউদ্দিনের
গ আবুল হাশিমের ঘ নূরুল আমিন সরকারের
৬০. উক্ত সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব
রর. শান্ত মনোভাব
ররর. বিক্ষুব্ধ মনোভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। গর্বের ভাষা। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য ১৯৫২ সালে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা জীবন উৎসর্গ করেছে।
৬১. বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা কেন জীবন উৎসর্গ করে?
 অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য খ স্বাধিকার লাভের জন্য
গ স্বাধীনতার জন্য ঘ রাজনীতির জন্য
৬২. যুগযুগ ধরে আমরা বাংলা ভাষায়
র. স্বপ্ন দেখেছি রর. কল্পনায় বিভোর হয়েছি
ররর. সমৃদ্ধ হয়েছি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ২৮
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৩. ‘তর্কবাগীশ’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
 তর্কে বা যুক্তিতে পারদর্শী খ অস্ত্র চালনায় পারদর্শী
গ অঙ্কে পারদর্শী ঘ মল্লযুদ্ধে পারদর্শী
৬৪. ‘স্তিমিত’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 কমে যাওয়া খ প্রসারিত হওয়া
গ বৃদ্ধি পাওয়া ঘ বিস্তার লাভ করা
৬৫. ‘নিখিল’ শব্দের অর্থ কী? [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল; নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 সমগ্র খ নম্র
গ শোভা ঘ অর্ধেক
৬৬. ‘সভ্য’ শব্দের অর্থ কী?
[সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নওগাঁ; নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বন্ধু খ সহযোগী
 সদস্য ঘ ব্যক্তি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৭. ‘অপরা‎হœ’ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. বিকেল রর. সকাল
ররর. দিনের শেষ ভাগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. ‘নিখিল’ বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. সকাল রর. পুরো
ররর. সমুদয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ২৮
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৯. ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধটি পাঠ্যভুক্ত করার উদ্দেশ্য কী? (অনুধাবন)
˜ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানানো
খ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানো
গ উনসত্তরের গণআন্দোলন সম্পর্কে জানানো
ঘ স্বৈরাচারী শাসন সম্পর্কে জানানো
৭০. ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে কোন রচনাটিতে? (অনুধাবন)
ক একাত্তরের ডায়েরি  অমর একুশে
গ একুশে ফেব্রæয়ারি ঘ একাত্তরের দিনগুলো
৭১. ‘অমর একুশে’ রচনাটিতে ছাত্র-জনতার কোন রূপটি ফুটে উঠেছে?
(উচ্চতর দক্ষতা)
 ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের রূপ খ দেশপ্রেমে অনীহা
গ মিছিলে পারদর্শিতা ঘ আন্দোলনে অনীহা
৭২. রফিকুল ইসলাম ‘অমর একুশে’ রচনায় গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেনÑ (অনুধাবন)
ক পাকিস্তান সরকারের কথা
 ভাষা আন্দোলনকারীদের ভ‚মিকা
গ পুলিশের ভ‚মিকা
ঘ শিক্ষকদের ভ‚মিকা
৭৩. ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে কোন বিষয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে? (অনুধাবন)
ক মুক্তিযুদ্ধ  ভাষা আন্দোলন
গ ছয় দফা আন্দোলন ঘ গণঅভ্যুত্থান
৭৪. ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলা ভাষা মর্যাদা পায় (অনুধাবন)
ক বাংলা ভাষা দাফতরিক ভাষার মর্যাদা পায়
 বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা পায়
গ বাংলা ভাষা আঞ্চলিক ভাষার মর্যাদা পায়
ঘ বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মর্যাদা পায়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৫. ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধটি পাঠের মাধ্যমে (অনুধাবন)
র. ভাষা-শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয়
রর. ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়
ররর. মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ফলাফল
র. বহু ছাত্রছাত্রী ও জনতা আহত হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
রর. বহু ছাত্রছাত্রী ও জনতা গ্রেফতার হয়
ররর. জব্বার ও আবুল বরকত শহিদ হন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শহিদ নূর হোসেন এই বাংলাদেশেরই এক গর্বিত সন্তান। স্বৈরাচার উৎখাত ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে ঢাকার রাজপথে। এদেশের সাধারণ মানুষের ওপর স্বৈরাচারী সরকার এক অপশাসন চাপিয়ে দিয়েছিল। কেড়ে নিয়েছিল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সাধারণ মানুষের স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য নূর হোসেন রাজপথে নেমেছিল। নিজের শরীরে অঙ্কন করেছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’- এ ¯েøাগানটি। কিন্তু সেদিন স্বৈরাচার সমর্থিত পুলিশ সদস্যরা নূর হোসেনের বুকে গুলি চালায়। নূর হোসেন নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করলেন গণতন্ত্রকে। নূর হোসেনের রক্তে ধুয়ে মুছে গেল স্বৈরাচারী অপশাসন। প্রতিষ্ঠিত হলো গণতন্ত্র।
ক. কখন থেকে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়? ১
খ. বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগ্রাম পরিষদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের নূর হোসেনের মধ্যে ভাষা শহিদদের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘নূর হোসেনের রক্তে ধুয়ে মুছে গেল স্বৈরাচারী অপশাসন’Ñ উক্তিটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ১৯৪৮ সাল থেকে প্রকৃতপক্ষে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।
খ ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করাই ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ প্রতিষ্ঠা করার একমাত্র কারণ।
১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি খাজা নাজিমউদ্দিন ঢাকায় নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে ঘোষণা করলেন যে, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ তখন ঢাকার ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। প্রতিবাদস্বরূপ ৩০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। তাই সব ছাত্রকে ঐক্যবদ্ধ করে ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ।
গ উদ্দীপকের নূর হোসেনের মধ্যে ভাষা শহিদদের প্রতিবাদী দিকটি ফুটে উঠেছে।
ভাষা শহিদরা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। জীবনের বিনিময়ে হলেও মাতৃভাষার অধিকার ফিরে পেতে চায় ভোতাপ্রেমিরা। নূর হোসেন গণতন্ত্রের সৈনিক। স্বৈরাচারী অপশাসনের হাত থেকে সে মুক্তি চায়। নূর হোসেনের মধ্যে ভাষাশহিদের মতো অধিকার আদায়ে সংগ্রামশীল মনোভাব লক্ষণীয়।
উদ্দীপকের নূর হোসেন যেমন গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছিল, তেমনি ভাষাশহিদরাও মায়ের ভাষা রক্ষা করার জন্য বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছিল। নূর হোসেন যেন ভাষা শহিদের চেতনারই প্রতিরূপ।
ঘ “নূর হোসেনের রক্তে ধুয়ে মুছে গেল স্বৈরাচারী অপশাসন” উক্তিটি প্রাসঙ্গিক।
ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। কারণ খাজা নাজিমউদ্দিন যখন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করল তখন ঢাকার ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ল। ২১শে ফেব্রæয়ারি ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করলে ছাত্রসমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালালে বহু ছাত্র হতাহত হয়। সেদিন পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারায় রফিক, জব্বার, সালাম ও বরকত। ভাষাশহিদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম মায়ের ভাষা।
উদ্দীপকের শহিদ নূর হোসেন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও এদেশের সাধারণ মানুষকে স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নূর হোসেন রাজপথে নেমেছিল। বুকে ও পিঠে অঙ্কন করেছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’- এই স্লোগানটি। সেদিন পুলিশের গুলিতে রাজপথে লুটিয়ে পড়ে নূর হোসেন। নূর হোসেনের রক্তপিচ্ছিল পথ ধরে আসে গণতন্ত্রের শাসন। নূর হোসেনের রক্তের বিনিময়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।
তাই বলা যায় যে, ‘নূর হোসেনের রক্তে ধুয়ে মুছে গেল স্বৈরাচারী অপশাসন’ উক্তিটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের ভাষাশহিদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
কেতুপুর গ্রামের মানুষ পদ্মার চরে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। মাঠের ফসল ঘরে এলেই কেতুপুর গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফোটে। কিন্তু জোতদার রহমত ব্যাপারি ও তার দল কৃষকদের পাকা ধানের ভাগ পেতে চায়। তারা কেড়ে নিতে চায় কৃষকদের মাঠের ধান। কৃষকদের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা তাদের উদর পূর্তি করতে চায়। জোতদারদের লাঠিয়াল বাহিনী কেতুপুরের কৃষকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু কেতুপুরের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করে। তারা বলে, ‘জান দিমু, তবু ধান দিমু না।’
ক. ছাত্ররা কত জনের দলে ভাগ হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি নিল? ১
খ. ছাত্ররা দলে দলে বিভক্ত হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের রহমত ব্যাপারির মধ্যে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে কাদের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘জান দিমু, তবু ধান দিমু না।’Ñএ যেন ভাষাপ্রেমিকদেরই দাবি।-‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির বিচার কর। ৪

ক ছাত্ররা দশ জনের দলে ভাগ হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি নিল।
খ পুলিশ যাতে রুখে দিতে না পারে তাই আন্দোলনের কৌশল হিসাবে ছাত্ররা দলে দলে বিভক্ত হয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি নেয়।
২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ১৪৪ ধারা রক্ষায় পুলিশ বাহিনী তৎপর ছিল এবং সংখ্যায় তারা অনেক বেশি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যদি একত্রিত হয়ে কোনো মিছিল বের করত, তবে পুলিশ সমবেত হয়ে তা সহজেই প্রতিহত করতে পারত। কিন্তু ১০ জনের দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন দিকে বিশৃঙ্খলাভাবে বিভিন্ন দিকে মিছিল করলে পুলিশ বিশেষ কিছু বুঝে উঠতে পারবে না। ফলে সহজেই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ হবে। এ কারণেই ১০ জনের দলে বিভক্ত হয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ করল।
গ উদ্দীপকের রহমত ব্যাপারির মধ্যে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
হিংস্র, নরপশু, বিশ্বাসঘাতক পাকিস্তানিরা বাঙালির মাতৃভাষা কেড়ে নিতে চায়। রহমত ব্যাপারিও স্বার্থপর জুলুমবাজ। সাধারণ মানুষের কষ্টের ফসল কেড়ে নিতে চায়। রহমত ব্যাপারি যেন বর্বর পাকিস্তানিদেরই প্রেতাত্মা।
উদ্দীপকের রহমত ব্যাপারির মধ্যেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মতো জুলুমবাজ মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। রহমত ব্যাপারি জোতদার মহাজন। তাই সে এলাকার নিরীহ কৃষকদের ওপর জুলুম করে। রহমত ব্যাপারির নির্দেশে তার লাঠিয়াল বাহিনী কেতুপুরের কৃষকদের ওপর আক্রমণ চালায়। কিন্তু কেতুপুরের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে লাঠিয়াল বাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করে। এতে গাঁয়ের অনেক কৃষক হতাহত হয়। তাই বলা যায় উদ্দীপকের রহমত ব্যাপারির মধ্যে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
ঘ ‘জান দিমু, তবু ধান দিমু না’Ñএ যেন ভাষাপ্রেমিকদেরই দাবি উক্তিটি যথার্থ।
উদ্দীপকের কৃষকরা যেমন জীবনের বিনিময়ে হলেও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় ঠিক তেমনি ভাষাপ্রেমিকরাও তাদের জীবনের বিনিময়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছে। তাই কৃষকদের এ দাবি যেন ভাষাপ্রেমিকদেরই দাবি।
১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি খাজা নাজিমউদ্দিন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার পর থেকে এদেশের ছাত্রযুবসমাজের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় বইতে থাকে। বিশেষ করে ঢাকার ছাত্রসমাজ এ ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তারা ২১শে ফেব্র“য়ারিকে রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ২১শে ফেব্র“য়ারির দিন ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করলে শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। ফলে রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। রক্তের বিনিময়ে হলেও ভাষাপ্রেমিক ছাত্রযুবারা মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষা করবে। জীবন দেবে তবু তারা মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে দেবে না।
উদ্দীপকের কেতুপুর গ্রামের কৃষকরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কঠোর সংগ্রাম করেছে। জুলুমবাজ রহমত ব্যাপারির হিংস্র থাবা থেকে নিজেদের ফসল রক্ষা করার জন্য কেতুপুর গ্রামের কৃষকরা মরণপণ লড়াই করেছে। তারা তাদের জীবন দিতে প্রস্তুত; তারপরও তাদের অধিকার কেড়ে নিতে দেবে না। তাদের একটাই কথা, ‘জান দিমু, তবু ধান দিমু না।’
তাই বলা যায়, প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়েই চলতে থাকে মিছিলটা। মিছিলে অংশগ্রহণকারী সবাই উত্তেজিত, গলা ফাটিয়ে ¯েøাগান দিচ্ছে। আকাশে বাতাসে সে চিৎকার মিশে যাচ্ছে। তমালও ¯েøাগান দিচ্ছে। সে একজন মুটে। সকালে কাজের সন্ধানে বেরিয়েছিল। মিছিল দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। কারণ মিছিলের দিনে বেশি রোজগার করা যায় না। হঠাৎ করেই বুঝতে পারল কীসের মিছিল। সঙ্গে সঙ্গে সে থমকে দাঁড়াল। তারপর মিছিলের সঙ্গে গলা মেলাল। খানিক বাদেই গোলাগুলি শুরু হলো। উড়ে এলো কাঁদানে গ্যাসের শেল। ঘুরে দৌড় দিল কলেজের গেটের দিকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। তমাল লুটিয়ে পড়ল পিচঢালা রাজপথে।
ক. ছাত্রছাত্রীরা কত জন মিলে দল গঠন করেছিল? ১
খ. নূরুল আমিন সরকারের পুলিশ হত্যার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ.‘উদ্দীপকটি তাৎপর্যগত দিক থেকে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে।’ উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর। ৪

ক ছাত্রছাত্রীরা দশ জন মিলে দল গঠন করেছিল।
খ নূরুল আমিন সরকারের পুলিশ হত্যার কারণ ছিল ভাষা আন্দোলনকে স্তিমিত করা।
‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’- খাজা নাজিমউদ্দিনের এই ঘোষণার পর থেকে ঢাকার ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ৪ঠা ফেব্রæয়ারির ছাত্র ধর্মঘটে সিদ্ধান্ত হয় ২১শে ফেব্র“য়ারিকে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। সরকার ঐদিন ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। পুলিশ মিছিলে গুলি চালিয়ে বহু ছাত্র হত্যা করে। তারপরও ভাষা আন্দোলনকে দমানো যাচ্ছে না। তারপর নূরুল আমিন সরকার ভাষা আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জে একজন পুলিশ হত্যা ও একজন আনসার আহত করিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর দোষ চাপাতে চায়।
গ ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে ২১শে ফেব্রæয়ারিতে ছাত্র-জনতার সামগ্রিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। আর উদ্দীপকে মিছিলে অংশগ্রহণরত তমালের কথা বলা হয়েছে, যা ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সঙ্গে বৈসাদৃশ্য সৃষ্টি করে।
উদ্দীপকের তমাল একজন মুটে। কিন্তু এই চরম দৈন্যও তমালের ভাষাপ্রেমকে আটকে রাখতে পারেনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়ে মিছিলটা যাচ্ছিল, কাজের খোঁজে বের হওয়া তমাল প্রথমে বুঝতে পারেনি। কিন্তু মিছিলের কারণ যখন তার কাছে স্পষ্ট হলো, তখন সে সচেতন হয়ে গেল। ভাষার প্রতি আন্তরিক দরদ থাকায় সেও পা বাড়াল মিছিলে। ঝাঁঝাল গলায় ¯েøাগান দিতে লাগল। খানিক বাদেই মিছিলে পুলিশ আক্রমণ চালাল। এলোপাতাড়ি গোলাগুলি চলল। সে গুলির একটা বুলেট তমালের প্রাণ কেড়ে নিল। ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় ছাত্রজনতার আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড ফুটে উঠেছে। উদ্দীপকে কেবল তমালের অংশগ্রহণ তথা ত্যাগের চিত্র ফুটে উঠেছে।
উদ্দীপকের তমালের আত্মাহুতি ভাষা আন্দোলনের মূল চেতনাকে ধারণ করলেও ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে না। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ “উদ্দীপকটি তাৎপর্যগত দিক থেকে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে” মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক।
‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে ভাষা আন্দোলনের স্বরূপ প্রতিফলিত হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি পাকিস্তান মুসলিম লীগের অধিবেশনে খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা দেন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। এ খবর শুনেই ছাত্রদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ২১শে ফেব্রæয়ারি থেকে ২৩শে ফেব্রæয়ারি ঢাকায় বিরামহীন আন্দোলন চলে। এতে বহু মানুষ শহিদ হয়। তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় প্রিয় মাতৃভাষার অধিকার।
উদ্দীপকে তমাল একজন সামান্য মুটে। একদিন কাজের খোঁজে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মোড়ে আসতেই সে মিছিল দেখল। যখন সে বুঝল যে, এ আন্দোলন ভাষা রক্ষার আন্দোলন, তখন তার মধ্যে ভাষার প্রতি মমত্ববোধ জাগ্রত হয়। সে চেতনায় তমাল মিছিলে যোগ দেয়। কিন্তু হঠাৎ করেই পুলিশ মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আর পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারায় তমাল।
স্বচ্ছ দৃষ্টিতে আমরা তমালকে দেখলে প্রাথমিক অবস্থায় তার মধ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে লক্ষ করা যায় না। কিন্তু মিছিলে অংশগ্রহণ করে তার মধ্যে ভাষা আন্দোলনের চেতনা জাগ্রত হয়েছে। তাই তাৎপর্যগত দিক থেকে তমাল ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে এরূপ মন্তব্য প্রাসঙ্গিক।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
বিধবা আম্বিয়া সারাক্ষণই তাকিয়ে থাকে রেললাইনের দিকে। মানুষকে দেখলেই প্রশ্ন করে তার খোকাকে তারা দেখেছে কিনা। খোকা তার বাড়ি আসবে এই রেললাইন দিয়ে। ট্রেন এলে ছুটে যায় ট্রেনের কাছে। আধাপাগল এ মহিলাটি জানে না যে, তার ছেলে আর বাড়ি ফিরবে না। ছেলের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্যহীন আম্বিয়া এখন উন্মাদ। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারি পুলিশের গুলিতে শহিদ হয় খোকা। শহিদের রক্ত আর ছেলেহারা মায়ের অশ্র“তে সিক্ত হয় রাজপথ।
ক. কে ১৪৪ ধারা জারি করে? ১
খ. ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে মনোবল গড়ে তোলা হয় কীভাবে? ২
গ. উদ্দীপকের খোকা চরিত্রটি দ্বারা ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে কাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছেÑ বর্ণনা কর। ৩
ঘ.“শহিদের রক্ত আর ছেলেহারা মায়ের অশ্র“তে সিক্ত হয় রাজপথ”- ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪

ক নূরুল আমিন সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে।
খ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে মনোবল গড়ে তোলার জন্য বহু প্লাকার্ড, ফেস্টুন তৈরিসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোতে।
ছাত্ররা ২১শে ফেব্র“য়ারি ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে সব সভা, মিছিল বন্ধ ঘোষণা করে। ভাষাপ্রেমিক ছাত্ররা মাতৃভাষা রক্ষার জন্য ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার পক্ষে মনোবল গড়ে তোলার জন্য বহু প্লাকার্ড, ফেস্টুন তৈরি করে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান খচিত প্লাকার্ড হাতে ছাত্ররা রাজপথে মিছিল করে।
গ উদ্দীপকের খোকা চরিত্রটি দ্বারা ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের ভাষা আন্দোলনের ভাষাশহিদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
‘অমর একুশে’ প্রবন্ধটিতে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভ‚মি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি খাজা নাজিমউদ্দিন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর এদেশের মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ২১শে ফেব্রæয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিপ্লবী ছাত্র জনতা মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশ মিছিলের ওপর গুলি চালায়। মুহ‚র্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েÑ রফিক, বরকত, জব্বারসহ অনেকে। বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হলো রাজপথ।
উদ্দীপকের খোকা চরিত্রটি দ্বারা ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের ভাষাশহিদদের প্রতিচ্ছবি বোঝানো হয়েছে। খোকা মাতৃভাষা রক্ষা করার জন্য মায়ের কোল খালি করে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের ভাষাশহিদরাও মাতৃভাষা রক্ষার জন্য বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দেয়। উদ্দীপকের খোকা এবং আলোচ্য প্রবন্ধের ভাষাশহিদরা সবাই একই চেতনার সতীর্থ। সুতরাং খোকা চরিত্র দ্বারা ভাষাশহিদদেরই বোঝানো হয়েছে।
ঘ ‘শহিদের রক্ত আর ছেলেহারা মায়ের অশ্র“তে সিক্ত হয় রাজপথ’Ñ উক্তিটি যথার্থ।
প্রবন্ধটি ১৯৫২ সালের ইতিহাস, বাঙালির মাতৃভাষা রক্ষা করার এক বিষাদময় ইতিহাস। খাজা নাজিমউদ্দিনের উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার পর এদেশের ছাত্র-জনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৩০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। ২১শে ফেব্র“য়ারি ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটে পুলিশ বেপরোয়া গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে শহিদ হনÑ রফিক, জব্বার ও আবুল বরকত। তারা আর কোনোদিন মায়ের কোলে ফিরবে না। মায়ের ভাষাকে মর্যাদা দিতে গিয়ে বুকের তাজা রক্তে তারা লাল করল ঢাকার রাজপথ।
উদ্দীপকে ছেলেহারা মায়ের অশ্র“তে মুছে যায় রক্তের লাল দাগ। সন্তানকে হারিয়ে মায়েরা হয় পাগলপারা। দিশাহারা হয়ে ঘুরতে থাকে দিগি¦দিক। সন্তানহারা মায়ের হাহাকার আর তাদের বুকের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি মাতৃভাষা।
শহিদের তাজা রক্ত আর সন্তানহারা মায়ের চোখের জলের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রিয় মাতৃভাষা। তাই বলা যায় প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
ভাষা শহিদ জাকির হোসেন। তিনি ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলার জন্য আন্দোলন করেছেন। কারণ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশের ছাপান্ন ভাগ মানুষের মুখের ভাষার পরিবর্তে উর্দুকে পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু জাকির হোসেনের মতো বাংলার অনেক দামাল ছেলে তাদের অন্যায় দাবি মেনে না নিয়ে রাজপথে আন্দোলন শুরু করে। তাঁরা তাদের রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলার দাবি সুপ্রতিষ্ঠিত করে।
ক. ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য প্রতি দলে কত জন ছাত্রছাত্রী ছিল? ১
খ. ‘এতবড় শোভাযাত্রা ঢাকায় তখন পর্যন্ত আর কোনোদিন হয়নি’- এ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘অমর একুশে’ রচনার কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের জাকির হোসেনের মতো ভাষাশহিদদের স্মৃতি অর্পণ করা হয়েছে ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ১৪৪ ধারা ভঙ্গের জন্য প্রতি দলে ১০ জন ছাত্রছাত্রী ছিল।
খ উদ্ধৃত উক্তিটি দ্বারা ২২শে ফেব্রæয়ারি শহিদদের জানাজা শেষে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল তার কথা বলা হয়েছে।
২১শে ফেব্রæয়ারিতে যাঁরা শহিদ হন, তাঁদের জন্য হাজার হাজার ছাত্র-জনতা একটি গায়েবি জানাজায় সামিল হন। জানাজা শেষে একটি শোক-শোভাযাত্রা বের হয়, যার কথা উদ্ধৃত উক্তিটিতে বলা হয়েছে।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরে উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ আলোচনা করতে হবে।
ঘ ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের সকল ক্ষেত্রে ভাষা শহিদদের প্রতি স্মৃতি অর্পণ করা হয়েছে উদ্দীপকের সাথে এ বিষয়েও তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
‘জ্ঞানী গুণী এই ভাষাতে লেখন লেখেন দিনে রাতে
ভাবের মানিক রতন দিয়ে ভরান ভাষার ডেরা
ও ভাই-মাতৃভাষা বাংলা আমার সকল ভাষার সেরা।’
ক. কে বাঙালির নির্মিত শহিদ মিনার ধ্বংস করে? ১
খ. মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতারাতি শহিদ মিনার নির্মাণ করেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অমর একুশে’ রচনার সাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে মাতৃভাষার প্রতি যে মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে ‘অমর একুশে’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পাকিস্তানি পুলিশ শহিদ মিনারটি ধ্বংস করে।
খ ভাষা-শহিদদের স্মৃতিরক্ষার্থে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাতারাতি শহিদ মিনার নির্মাণ করেন।
১৯৫২ সালের ২১শে এবং ২২শে ফেব্রæয়ারি ভাষা-আন্দোলনের ছাত্র-ছাত্রী-জনতার অনেকে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন। তাঁদের এ আত্মত্যাগের স্মৃতি ধরে রাখতেই শিক্ষার্থীরা রাতারাতি শহিদ মিনার তৈরি করেন।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ উদ্দীপক ও ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে মাতৃভাষার শ্রেষ্ঠত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।
ঘ মাতৃভাষা রক্ষার প্রতি ভাষা শহিদদের যে মমতা ফুটে উঠেছে তা উদ্দীপক ও ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ

ক. বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি কাদের? ১
খ. নুরুল আমিন কীভাবে পূর্ব বাংলায় দমন নীতির স্টিমরোলার চালায়? ২
গ. ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ ও ‘বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা’। এই সেøাগানগুলো অমর একুশে প্রবন্ধের কোন দিক তুলে ধরে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্রটি ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধের মূলভাব ধারণ করে কি- মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পূর্ব পাকিস্তানের সকল জনগণের।
খ নুরুল আমিন পূর্ব বাংলার মানুষদের নানারকম মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে দমন নীতির স্টিমরোলার চালায়।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে ভাষা-আন্দোলনকারীদের নানা মিথ্যে নামে আখ্যা দেওয়া হয়। তাদের ওপর মিথ্যে হত্যার দোষ চাপিয়ে নুরুল আমিন দমননীতি চালায়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়টি তুলে ধরে উদ্দীপকের চিত্রের সাথে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করতে হবে।
ঘ চিত্রটি অমর একুশে ফেব্রæয়ারির আংশিক মূলভাব ধারণ করে তা তুলে ধরতে হবে।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ রফিকুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : রফিকুল ইসলাম ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে কীসের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তর : ‘অমর একুশে’ প্রবন্ধে মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কত তারিখে সর্বদলীয় কর্মপরিষদ গঠিত হয়?
উত্তর : ৩০শে জানুয়ারি সর্বদলীয় কর্মপরিষদ গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ কারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে?
উত্তর : ‘বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ’ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ খাজা নাজিমউদ্দিনের ঘোষণাটি কী ছিল?
উত্তর : খাজা নাজিমউদ্দিনের ঘোষণাটি ছিলÑ “উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।”
প্রশ্ন \ ৬ \ কারা শহিদমিনার ধ্বংস করে?
উত্তর : পুলিশ শহিদ মিনার ধ্বংস করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ শহিদ মিনার কখন নির্মিত হয়?
উত্তর : শহিদের স্মরণে ২৩শে ফেব্র“য়ারি শহিদ মিনার নির্মিত হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ ২১শে ফেব্র“য়ারি সকালে কোথায় সভা অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ২১শে ফেব্র“য়ারি সকালে বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ কত তারিখে ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়?
উত্তর : ১৬ই ফেব্র“য়ারি ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় অনশন শুরু করেন?
উত্তর : বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানায় অনশন শুরু করেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে শেখ মুজিবুর রহমান কত তারিখ থেকে অনশন ঘোষণা করেন?
উত্তর : ১৬ ফেব্রæয়ারি থেকে।
প্রশ্ন \ ১২ \ নূরুল আমিন সরকার ভাষা আন্দোলনকারীদের কী বলে সম্বোধন করে?
উত্তর : নূরুল আমিন সরকার ভাষা আন্দোলনকারীদের ‘ভারতের চর’, ‘হিন্দু’, ‘কমিউনিস্ট’ ইত্যাদি বলে সম্বোধন করে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ নূরুল আমিন সরকার কোথায় পুলিশ হত্যা করে?
উত্তর : নূরুল আমিন সরকার নারায়ণগঞ্জে পুলিশ হত্যা করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ২২শে ফেব্রæয়ারি কারা ‘মর্নিং নিউজ’ ও ‘সংগ্রাম’ প্রেস জ্বালিয়ে দেয়?
উত্তর : ২২শে ফেব্র“য়ারি উত্তেজিত ছাত্রজনতা ‘মর্নিং নিউজ’ ও ‘সংগ্রাম’ প্রেস জ্বালিয়ে দেয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কার গুলিবিদ্ধ স্থানে সর্বপ্রথম শহিদমিনার নির্মাণ করা হয়?
উত্তর : আবুল বরকতের গুলিবিদ্ধ স্থানে সর্বপ্রথম শহিদমিনার নির্মাণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ নূরুল আমিন কখন ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে?
উত্তর : নূরুল আমিন ২০শে ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন।
প্রশ্ন \ ১৭ \ প্রথম তৈরি শহিদ মিনারটি পুলিশ ভেঙে দেয় কখন?
উত্তর : ১৯৫২ সালের ২৬শে ফেব্রæয়ারি প্রথম তৈরি শহিদ মিনারটি পুলিশ ভেঙে দেয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ ১৯৫২ সালের কত তারিখে সর্বত্র কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : ১৯৫২ সালের ২২শে ফেব্রæয়ারি সর্বত্র কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ৩০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র-ধর্মঘট পালিত হয় কেন?
উত্তর : রাষ্ট্রভাষা উর্দু ঘোষণার প্রতিবাদে ৩০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র-ধর্মঘট পালিত হয়।
১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের অধিবেশনে ঘোষণা করেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণায় ঢাকার ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। প্রতিবাদস্বরূপ ৩০শে জানুয়ারি ঢাকায় ছাত্র-ধর্মঘট পালিত হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ শেখ মুুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমদের অনশনের কারণ কী?
উত্তর : ভাষা আন্দোলনকে সমর্থন দিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমদ অনশন শুরু করেন।
বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে যখন এদেশের ভাষাপ্রেমিক মানুষ আন্দোলন করছে তখন শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন আহমদ নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকতে পারেননি। তারাও সংগ্রামী জনতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলখানায় বসে অনশন শুরু করেন। এর অনশনব্রত পালনের মধ্য দিয়ে তারাও ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ সর্বদলীয় কর্মপরিষদ কেন গঠন করা হয়?
উত্তর : ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য সর্বদলীয় কর্মপরিষদ গঠন করা হয়।
আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী মুসলিম লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিশ্ববিদ্যালয় সংগ্রাম পরিষদ, খেলাফতে রাব্বানি পার্টির প্রতিনিধিদের সমন¦য়ে ‘সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। কাজী গোলাম মাহবুব এ কর্মপরিষদের আহŸায়ক নির্বাচিত হন। কর্মপরিষদের কাজ ছিল সব রাজনৈতিক দলের সমন¦য়ে একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি তৈরি করে ভাষা আন্দোলনকে আরো বেগবান করা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে সর্বদলীয় কর্মপরিষদের ভ‚মিকা উলে­খযোগ্য।
প্রশ্ন \ ৪ \ নূরুল আমিন সরকারের পুলিশ হত্যার কারণ কী?
উত্তর : নূরুল আমিন সরকার এদেশের ভাষা আন্দোলনকারী ছাত্রদের অভিযুক্ত করার উদ্দেশ্যে পুলিশ হত্যা করে।
ছাত্ররা ভাষা রক্ষার দাবিতে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিলে তাদের ঠেকাতে নূরুল আমিন সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করলে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়Ñ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো নাম না জানা অনেকে। তারপরও ছাত্র-জনতা রাজপথ ছাড়েনি। সরকার আন্দোলনকে থামানোর জন্য আন্দোলনকারীদের ‘ভারতের দালাল’, ‘হিন্দু’, ‘কমিউনিস্ট’ বলে আখ্যা দেয়। এতেও ক্ষান্ত না হলে নূরুল আমিন সরকার নারায়ণগঞ্জে একজন পুলিশকে হত্যা ও একজন আনসারকে আহত করে ভাষা আন্দোলনকারীদের ওপর দোষ চাপাতে চায়। যাতে করে ভাষা আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ ২২শে ফেব্র“য়ারি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় কেন?
উত্তর : ভাষা শহিদদের জন্য শোক পালন করতে গিয়ে ২২শে ফেব্র“য়ারি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’Ñ এ ঘোষণার পর বাঙালিরা ভাষা রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করে। পুলিশ আন্দোলন থামাতে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। ২১শে ফেব্র“য়ারিতে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে পুলিশের গুলিতে সেদিন শহিদ হনÑ রফিক, জব্বার ও আবুল বরকত। এ বর্বর হত্যাকাণ্ডের খবর মুহ‚র্তের মধ্যেই সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ২২শে ফেব্র“য়ারিতে ভাষা শহিদদের জন্য শোক পালন করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এবং সর্বত্র কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ ভাষা আন্দোলনে নেতৃস্থানীয়দের পুলিশ গ্রেফতার করে কেন?
উত্তর : ২৬শে ফেব্র“য়ারি ভাষা আন্দোলনে নেতৃস্থানীয়দের পুলিশ গ্রেফতার করে আন্দোলন দমন করার জন্য।
২৩শে ফেব্র“য়ারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহিদদের স্মরণে একটি শহিদ মিনার নির্মাণ করে। ২৪শে ফেব্র“য়ারি শহিদ শফিউর রহমানের পিতা শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন। কিন্তু ২৬শে ফেব্র“য়ারি অপরাহ্ণে পুলিশ শহিদ মিনারটি ধ্বংস করে। সেদিন পুলিশ নিরাপত্তা আইনে মওলানা ভাসানী, আবুল হাশিম, মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক অজিতকুমার গুহ, অধ্যাপক মুজফফর আহমদ চৌধুরী, অধ্যাপক পুলিন দে, মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ, অলি আহাদ প্রমুখকে গ্রেফতার করে। নূরুল আমিন সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভাষা আন্দোলনের উত্তাল গতিকে স্তিমিত করা।
প্রশ্ন \ ৭ \ ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে কেন?
উত্তর : অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চেতনায় ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে।
১৯৫২ সালে পাকিস্তানি স্বার্থান্বেষী শাসকেরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়। তাদের এ বিশ্বাসঘাতকতায় বাঙালিরা তীব্রভাবে প্রতিবাদ করে। পাকিস্তান সরকারের নির্দেশে পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে অনেক ভাষাসৈনিক নিহত হয়। এতে বাঙালিদের প্রতিবাদমুখরতায় ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৮ \ মাতৃভাষার জন্য বাঙালিরা আত্মোৎসর্গ করেছিল কেন?
উত্তর : পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য বাঙালিরা আত্মোৎসর্গ করেছিল।
পাকিস্তান সরকার নিজেদের স্বার্থের জন্য উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেয়। মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য তারা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করে।
প্রশ্ন \ ৯ \ ভাষাশহিদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি কেন?
উত্তর : মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় মহান আত্মত্যাগের জন্য ভাষাশহিদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রæয়ারি বাঙালির সাহসী তরুণরা মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের এক বিরল ইতিহাস রচনা করেছে এবং জাতীয় চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করে তারা বাঙালিকে অধিকার আদায় করতে শিখিয়েছে। তাই ভাষাশহিদদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।

 

Share to help others:

Leave a Reply