সততার পুরস্কার
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
লেখক পরিচিতি
নাম মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রাম।
শিক্ষাজীবন ১৯০৪-এ হাওড়া জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস। ১৯০৬-এ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ পাস। ১৯০৯-১৯১০ এ কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যয়ন ও সংস্কৃতে অনার্সসহ বিএ পাস। ১৯১২-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্তে¡ এমএ পাস। ১৯১৪-তে বিএল পাস। ১৯২৬-১৯২৮ পর্যন্ত প্যারিসের সোরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈদিক ভাষা, প্রাচীন পার্সি, তিব্বতি ও বিভিন্ন আধুনিক ভারতীয় ভাষা অধ্যয়ন ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ।
কর্মজীবন/পেশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা।
সাহিত্য সাধনা রচনাকর্ম- গবেষণা : সিদ্ধা কানুপার গীত ও দোহা (১৯২৬), বাংলা সাহিত্যের কথা (১ম খণ্ড ১৯৫৩, ২য় খণ্ড ১৯৬৫,
ভাষাতত্ত¡ : ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১), বাংলা ব্যাকরণ (১৯৫৮), বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৬৫)। প্রবন্ধ পুস্তক : ইকবাল (১৯৪৫), আমাদের সমস্যা (১৯৪৯), বাংলা আদব কি তারিখ (১৯৫৭)। গল্পগ্রন্থ : রকমারি (১৯৩১)। শিশুতোষ গ্রন্থ : শেষ নবীর সন্ধানে, ছোটদের রসুলুল্লাহ (১৯৬২), সেকালের রূপকথা (১৯৬৫)। অনুবাদ গ্রন্থ : দীওয়ানে হাফিজ (১৯৩৮), অমিয়শতক (১৯৪০), রুবাইয়াত-ই-ওমর খ্যায়াম (১৯৪২), কুরআন প্রসঙ্গ (১৯৬২), মহররম শরীফ (১৯৬২), অমর কাব্য (১৯৬৩), ইসলাম প্রসঙ্গ (১৯৬৩)। সংকলন ও সম্পাদনা : পদ্মাবতী (১৯৫০), প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে শেষ নবী (১৯৫২), গল্প সংকলন (১৯৫৩), দুই খণ্ডে প্রকাশিত আঞ্চলিক ভাষার অভিধান। ‘আঙুর’ (শিশু পত্রিকা, ১৯২০), ইংরেজি মাসিক ‘দি পিস’ (১৯২৩), মাসিক সাহিত্যপত্রিকা ‘বঙ্গভ‚মি’ (১৯৩৭) পাক্ষিক পত্রিকা ‘তকবীর’ (১৯৪৭) সম্পাদনা।
পুরস্কার ও সম্মাননা পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অব পারফরমেন্স, ফরাসি সরকার কর্তৃক নাইট অব দি অর্ডার অব আর্টস।
জীবনাবসান ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। সমাধিস্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হল প্রাঙ্গণে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ লেখক পরিচিতি º
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের লেখকের নাম কী? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ শামসুল হক খ শওকত ওসমান
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঘ শামসুর রাহমান
২. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
১৮৮৫ খ ১৮৮০
গ ১৮৯৩ ঘ ১৯০৫
৩. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মস্থান কোথায়? (জ্ঞান)
ক চট্টগ্রামে খ রাজশাহীতে
গ খুলনায় চব্বিশ পরগনা
৪. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর খ্যাতির কারণ কী? (জ্ঞান)
ক তিনি প্রাবন্ধিক তিনি বহুভাষাবিদ
গ তিনি গবেষক ঘ তিনি সাহিত্যের সমালোচক
৫. কত সালে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সংস্কৃতে বিএ অনার্স পাস করেন? (জ্ঞান)
১৯১০ খ ১৯২০ গ ১৯২২ ঘ ১৯১৫
৬. কোন কলেজ থেকে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বিএ অনার্স পাস করেন?(জ্ঞান)
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা সিটি কলেজ ঘ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
৭. কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এমএ পাস করেন?(জ্ঞান)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গ আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় ঘ করাচি বিশ্ববিদ্যালয়
৮. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কত সালে এমএ পাস করেন? (জ্ঞান)
১৯১২ খ ১৯১৬ গ ১৯২০ ঘ ১৯১৮
৯. কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত¡ বিভাগের প্রথম ছাত্র ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
গ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ঘ প্রথম চৌধুরী
১০. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ‘ডক্টর অব লিটারেচার’ ডিগ্রি লাভ করেন? (জ্ঞান)
ক লন্ডনের অক্সফোর্ড বিদ্যালয়
খহাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্যারির সোরবন বিশ্ববিদ্যালয়
১১. ‘গল্প মঞ্জুরী’ কার লেখা? (জ্ঞান)
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ হুমায়ূন আহমেদ
গ হুমায়ুন আজাদ ঘ বুদ্ধদেব গুহ
১২. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত শিশুপত্রিকার নাম কী? (জ্ঞান)
ক ফুলকুঁড়ি আঙুর গ প্রজাপতি ঘ লাটাই
১৩. ‘বাংলা ভাষার আঞ্চলিক অভিধান’ গ্রন্থটি কে সম্পাদনা করেন? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ আলী আহসান খ হুমায়ুন আজাদ
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঘ মুহম্মদ আব্দুল হাই
১৪. মৃত্যুর পর শহীদুল্লাহকে কোথায় সমাহিত করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে
খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হল প্রাঙ্গণে
ঘ ঢাকা মেডিকেল প্রাঙ্গণে
১৫. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
১৯৬৯ খ ১৯৫৯
গ ১৯৪৯ ঘ ১৯৩৯
১৬. ‘শেষ নবীর সন্ধানে’ কে লিখেছেন? (জ্ঞান)
ক শহীদ কাদরী খ শহীদুল্লাহ কায়সার
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঘ শহীদুল জহির
১৭. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকার বাহিরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন?(অনুধাবন)
ক চট্টগ্রাম খ সিলেট গ ময়মনসিংহ রাজশাহী
১৮. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন মূলত- (জ্ঞান))
ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক
খ কবি ও প্রাবন্ধিক
গ অনুবাদক ও গীতিকার
ঘ উপন্যাসিক ও গল্পকার
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন- (অনুধাবন)
র. ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে
রর. ভারতের চব্বিশ পরগনায়
ররর. পেয়ারা গ্রামে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর র, রর ও ররর
২০. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ খ্যাত- (অনুধাবন)
র. বহুভাষাবিদ
রর. পণ্ডিত হিসেবে
ররর. ন্যায়রতœ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২১. ছোটদের জন্য মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচনা করেন- (অনুধাবন)
র. শেষ নবীর সন্ধানে
রর. গল্প মঞ্জুরী
ররর. সেকালের রূপকথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১-২
২২. পরীক্ষা করার করার জন্য কোন বংশের তিনটি লোকের কাছে ফেরেশতা পাঠানো হয়েছিল? (জ্ঞান)
ইহুদি বংশ খ খ্রিষ্টান বংশ
গ কুরাইশ বংশ ঘ শেখ বংশ
২৩. ফেরেশতা কার দূত? (জ্ঞান)
ক রসুলের (স.) দূত আল্লাহর দূত
গ খলিফার দূত ঘ ইমামের দূত
২৪. ফেরেশতা কীসের তৈরি? (অনুধাবন)
ক মাটির তৈরি খ পাথরের তৈরি
নূরের তৈরি ঘ আগুনের তৈরি
২৫. তিন লোকের কাছে আল্লাহ কেন ফেরেশতা পাঠালেন?(অনুধাবন)
ক শিক্ষার জন্য খ ভ্রমণের জন্য
গ বাণীর জন্য পরীক্ষার জন্য
২৬. মানুষের রূপ ধরে ফেরেশতা প্রথমে কার কাছে গেল? (জ্ঞান)
ক অন্ধ ব্যক্তির নিকট খ টাকওয়ালার নিকট
ধবলরোগীর নিকট ঘ খলিফার নিকট
২৭. ‘সততার পুরস্কার’ রচনায় কোন বিষয় ফুটে উঠেছে? (জ্ঞান)
নৈতিক মূল্যবোধের পরিচয়
খ মানুষের প্রতি মমত্ত¡বোধের পরিচয়
গ স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসার পরিচয়
ঘ অন্যের প্রতি সহানুভ‚তির পরিচয়
২৮. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে কাকে সবাই ঘৃণা করে? (জ্ঞান)
ধবল রোগীকে খ টাকওয়ালাকে
গ অন্ধ ব্যক্তিকে ঘ ইহুদিদের
২৯. স্বর্গীয় দূতের কাছে ধবলরোগী কী চেয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ছাগল উট গ গাড়ি ঘ ভেড়া
৩০. স্বর্গীয় দূতের কাছে টাকওয়ালা কী চেয়েছিল? (জ্ঞান)
গাই খ উট গ ছাগল ঘ ঘোড়া
৩১. স্বর্গীয় দূত অন্ধ ব্যক্তিকে কী দিলেন? (জ্ঞান)
ক উট খ গাই গ ঘোড়া ছাগল
৩২. ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে ছাগল চাইলে সে কী বলেছিল?(জ্ঞান)
তুমি যাহা চাও লও
খ কিছুই দিতে পারিব না
গ দেওয়ার মতো ছাগল নাই
ঘ অন্য কাহারো কাছে যাও
৩৩. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহ কার ওপর খুশি হয়েছেন? (জ্ঞান)
ক ফেরেশতার ওপর যিনি অন্ধ ছিলেন
গ ধবলরোগীর ওপর ঘ টাকওয়ালার ওপর
৩৪. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহ কাদের ওপর বেজার হয়েছেন? (জ্ঞান)
ধবলরোগী ও টাকওয়ালার ওপর
খ ধবলরোগী ও অন্ধ ব্যক্তির ওপর
গ টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তির ওপর
ঘ ইহুদিদের ওপর
৩৫. আজগর আলি কঠিন অসুখে পতিত হলে বিপুল তাকে সাহায্য করেছিল। আজগর আলিও বিপুলের বিপদে সহযোগিতা করেছে। এখানে আজগর আলির সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
অন্ধ ব্যক্তির খ ফেরেশতার
গ ধবলরোগীর ঘ মাথায় টাক ব্যক্তির
৩৬. আল্লাহর দূত টাক মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন কেন? (অনুধাবন)
ক সততার জন্য চুল গজানোর জন্য
গ কুষ্ঠরোগ সারার জন্য ঘ কৃতজ্ঞতার জন্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৭. ‘আমি গরিব ছিলাম, তিনি আমাকে আমির করিয়াছেন’; অন্ধব্যক্তির এ কথার মধ্য দিয়ে যে মানসিকতা ফুটে উঠেছে-(উচ্চতর দক্ষতা)
র. সততা
রর. পরোপকারিতা
ররর. কর্তব্যনিষ্ঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. স্বর্গীয় দূত অন্ধ ব্যক্তিকে পরীক্ষা করার জন্য- (অনুধাবন)
র. আল্লাহর দোহাই দিয়ে ছাগল চেয়েছিল
রর. ছাগল বেঁচা টাকা দিয়ে দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিল
ররর. ছাগল বেঁচা টাকা দরিদ্র্যের মধ্য বিলিয়ে দিতে চেয়েছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯. আল্লাহর কসম, আল্লাহর উদ্দেশ্যে যে জিনিস লইতে তোমার মন চায়- তাহা যদি না লও-এ কথাটির মাধ্যমে অনধ ব্যক্তির যে চেতনা প্রকাশ পায়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সততা রর. মানবতা
ররর. ঋণ পরিশোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. ফেরেশতা ধবলরোগীকে দিয়েছিল- (অনুধাবন)
র. গায়ের রং রর. ছাগল ররর. উট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১. ধবলরোগীকে স্বর্গীয় দূত বলিয়াছিলেন- (অনুধাবন)
র. আল্লাহ তোমার ধন-দৌলত দিয়াছেন
রর. আল্লাহ তোমার একটি গাভিন গাই দিয়াছেন
ররর. সকলে তোমাকে ঘৃণা করিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪২. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে যে তিনটি লোক ছিল- (অনুধাবন)
র. একজন অন্ধ
রর. একজন টাকওয়ালা
ররর. একজন ধবলরোগী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৩. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল বাণী হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. আল্লাহ্ মানুষকে পরীক্ষা করেন
রর. সৎলোককে যথার্থ পুরস্কার দেন
ররর. অকৃতজ্ঞদের উপযুক্ত শাস্তি দেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৪. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে অকৃতজ্ঞদের ওপর আল্লাহ্- (অনুধাবন)
র. গজব নাজিল করলেন
রর. নাখোশ হলেন
ররর. পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিলেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪৫ ও ৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আবুল হোসেন তার মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করে দোকানদারকে টাকা না দিয়েই বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে এসে যখন তার মনে পড়ল তখনই আবুল হোসেন ছুটে গেলেন বাজারে দোকানদারের টাকা দিতে। দোকানদারের কাছে তিনি নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
৪৫. অনুচ্ছেদটি তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন গল্পের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?(প্রয়োগ)
ক আয়না খ জাদুকর
গ ঋণ পরিশোধ সততার পুরস্কার
৪৬. উক্ত গল্পের যে দিকগুলো আবুল হোসেন চরিত্রে ফুটে উঠেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সততা রর. কর্তব্যনিষ্ঠা
ররর. নৈতিক মূল্যবোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪৭ ও ৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রমজান সারাদিন কাজ করে। কিন্তু ভালো ফসল ফলাতে পারে না। একদিন এক পীর সাহেব তাকে বললেন, তুমি আল্লাহর নামে গরিবদের সদকা দাও। রমজান বলল, আমার সম্পদ আমি অর্জন করেছি। তা অন্যকে দেব কেন?
৪৭. রমজানের বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র.দাম্ভিকতা রর. কৃতজ্ঞতা
ররর. স্রষ্টার প্রতি অনীহা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. রমজানের আচরণ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কার মতো? (প্রয়োগ)
ক ফেরেশতা খ অন্ধ
ধবলরোগী ঘ টাকওয়ালা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪৯ ও ৫০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহিম সাহেব প্রতিবছর যাকাত দেন। তিনি অনেক গরিব ছিলেন। পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করেছেন। তবু তিনি ভাবেন, তার সম্পদ সব আল্লাহর দান। যিনি দিয়েছেন তিনি কেড়েও নিতে পারেন। সংসার আল্লাহর পরীক্ষাক্ষেত্র।
৪৯. অনুচ্ছেদটির ভাবের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন দিকটির মিল আছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শুধু চরিত্রগত খ শুধু কাহিনির
সৎ লোকের ঘ অসৎ লোকের কর্মফল সম্পর্কে
৫০. উদ্দীপকের রহিম- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অন্ধের প্রতিরূপ
রর. অন্ধের বিপরীত
ররর. অন্ধের থেকে ছোট
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ২-৩
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. ‘ধবল’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বক সাদা গ মেটে ঘ ধূসর
৫২. ‘বেজার হওয়া’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক রেগে যাওয়া খ হেরে যাওয়া
গ চলে যাওয়া অখুশি হওয়া
৫৩. ‘সর্বাঙ্গ’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি? (জ্ঞান)
সর্ব + অঙ্গ খ সর্বা + অঙ্গ
গ সর্বঃ + অঙ্গ ঘ সর্বে + অঙ্গ
৫৪. ‘নূর’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
আলো খ অন্ধকার গ ধনী ঘ গরিব
৫৫. ‘দোহাই’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বেরাজ খ জ্যোতি গ পুঁজি কসম
৫৬. ‘ইহুদি’ কারা? (জ্ঞান))
ক হযরত ঈশার (আ.) এর অনুসারী খ হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর অনুসারী
গ হযরত দাউদ (আ.) এর অনুসারী হযরত মুসা (আ.) এর অনুসারী
৫৭. ‘আমির’- অর্থ কী? (জ্ঞান))
ধনবান খ ধনহীন গ ধনরতœ ঘ মানুষের নাম
৫৮. ‘কসম’ হচ্ছে- (জ্ঞান))
ক কথা খ বার্তা গ শখ শপথ
৫৯. ‘পুঁজি’ দিয়ে বোঝায়- (জ্ঞান))
ক যা ব্যয় করা হয় খ যা জমানো হয়
মূলধন ঘ যা ক্ষতির ধন
৬০. ‘গাভিন গাই’ অর্থ কী? (জ্ঞান))
ক যে গাভি বাচ্চা দিয়েছে যে গাভি বাচ্চা দেবে
গ যে গাভি দুধ দেয় ঘ যে গাভি কখনো বাচ্চা দেয় না
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. ‘আমির’ শব্দের অর্থ- (অনুধাবন)
র. সম্ভ্রান্ত লোক
রর. ধনী লোক
ররর. জ্ঞানী লোক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. ‘স্বর্গীয় দূত’ বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. আল্লাহর বার্তা বাহক
রর. সংবাদ বাহক
ররর. পত্রবাহক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. ‘সম্বল’ শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. পাথেয়
রর. মূলধন
ররর. পুঁজি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহ কাদের ওপর নাখোশ হলেন? (জ্ঞান)
প্রথম দুই জনের ওপর খ অন্ধের ওপর
গ শুধু টাকওয়ালার ওপর ঘ দুধ বিক্রেতার ওপর
৬৫. ‘ফেরেশতা কোন ছদ্মবেশে তিনজনের কাছে হাজির হলেন? (জ্ঞান)
ক পরিব্রাজক খ গরিব ব্যবসায়ী
গরিব বিদেশি ঘ গরিব কর্মচারী
৬৬. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহ কার ওপর খুশি হলেন? (জ্ঞান)
ক টাকওয়ালার ওপর অন্ধ ব্যক্তির ওপর
গ ধবল রোগীর ওপর ঘ ফেরেশতার ওপর
৬৭. কারা স্বীয় কাজের উপযুক্ত ফল পেল? (জ্ঞান)
ক অন্ধ ব্যক্তি খ টাকওয়ালা
প্রথম দুইজন ঘ বিদেশি ব্যক্তিদ্বয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. ফেরেশতার অনুগ্রহে শারীরিক ত্রæটি দূর হলো-
র. অন্ধ ব্যক্তির
রর. টাকওয়ালার
ররর. ধবলরোগী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর র, রর ও ররর
৬৯. ফেরেশতাকে খালি হাতে ফেরত দিলেন-
র. অন্ধ ব্যক্তি
রর. টাকওয়ালা
ররর. ধবলরোগী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১
একবার কাঁটা ফুটল বাঘের গলায়। এ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় পড়ল বাঘ। উপায়ান্তর না পেয়ে শরণাপন্ন হলো বকের। বড় বকশিশ পাবে এই আশায় বক কাঁটা বের করতে রাজি হলো। কথামতো বক তার লম্বা ঠোঁট বাঘের গলায় ঢুকিয়ে কাঁটা বের করে নিয়ে এলো। স্বস্তি পেল বাঘ। বক এবার তার বকশিশ চাইলে বাঘ বলল “তুই আমার মুখে গলা ঢুকিয়েছিলি তখন যে চিবিয়ে খাইনি তাইতো বেশি।”
ক. কে বহুভাষাবিদ পণ্ডিত ছিলেন? ১
খ. এক ফেরেশতা কী জন্য ইহুদি বংশের তিন লোকের কাছে গিয়েছিলেন? ২
গ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘সততার পুরস্কার’ গল্পের তিন ব্যক্তি এবং উদ্দীপকের বাঘটির ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর
ক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন বহুভাষাবিদ পণ্ডিত।
খ আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা ইহুদি বংশের তিন লোকের কাছে গিয়েছিল তাদের পরীক্ষা করার জন্য।
আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তির কাছে গেল। পূর্বে রোগমুক্তির পাশাপাশি তারা উট, গাভি, ছাগল ইত্যাদি লাভ করেছিল। যা পরবর্তীতে বহুগুণে বর্ধিত হয়। এবার ফেরেশতা তাদের কাছে একটি উট, গাভি ও ছাগল চাইলে অন্ধ ব্যক্তিটি ছাড়া বাকি দুজন তা দিতে অস্বীকার করল। অন্ধ ব্যক্তি তার সততার পুরস্কার পেলেও অন্য দুজন সম্পদ হারিয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে গেল।
গ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হচ্ছে ধবলরোগী, টাকওয়ালা এবং বাঘ সকলেই ছিল চরমভাবে অকৃতজ্ঞ।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা ধবলরোগী টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তির রোগমুক্তি দান করে এবং তাদের অতিরিক্ত দান হিসেবে উট, গাভি ও ছাগল প্রদান করে। যা পরবর্তীতে বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। কিছুদিন পর ঐ ফেরেশতা তাদের কাছে একটি উট, একটি গাভি ও একটি ছাগল চাইলে প্রথম দুজন তা প্রদান করতে অস্বীকার করে। কিন্তু অন্ধ ব্যক্তি তার পূর্বের অবস্থা স্মরণ করল এবং মানুষরূপী ফেরেশতাকে যা খুশি তা ইচ্ছেমতো নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। উদ্দীপকের বাঘ তার গলায় কাঁটা ফুটে যাওয়ার কারণে মহাবিপদের সম্মুখীন হলো এবং লম্বা ঠোঁটওয়ালা বককে অনুরোধ করে তার কাঁটা বের করে দেওয়ার জন্য। এ কাজ করার বিনিময়ে বকশিশ প্রদানের ওয়াদাও করে বাঘ। বক কাঁটা বের করে দেয়ার পর বকশিশ চাইলে, বাঘ রুদ্রমূর্তি ধারণ করে। ক্ষুদ্র একটি বকের পক্ষে করার কিছুই ছিল না।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পের প্রথম দু’ব্যক্তি রোগমুক্ত হয়ে সচ্ছল জীবনযাপন শুরু করলেও তারা ভুলে যায় তাদের অতীত। এর ঠিক বিপরীত আচরণ করে অন্ধ ব্যক্তিটি। যে তার অতীতকে মনে রেখেছে। উদ্দীপকের বাঘটি বকের প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়েছে। সে তার ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। বাঘের ভ‚মিকা ন্যক্কারজনক। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের দুজন ব্যক্তির অকৃতজ্ঞতার দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ উদ্দীপকের বক একটি অকৃতজ্ঞ চরিত্র যাকে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির বিপরীত চরিত্র হিসেবে গণ্য করা যায়।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির নিকট তার কি চাই জিজ্ঞাসা করলেন। অন্ধ ব্যক্তি বললেন, ‘আমার চোখ ভালো করিয়া দিন।’। স্বর্গীয় দূত তার চোখে হাত বুলিয়ে দিলে তার চোখ ভালো হয়ে গেল। দূত তাঁর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য একটি গাভিন ছাগলও প্রদান করলেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বস্ততা ও সততা পরীক্ষার জন্য ঐ ফেরেশতা কিছুদিন পর আবার তার কাছে এলেন। ফেরেশতা তার সাহায্য হিসেবে একটি ছাগল চাইলে সন্তুষ্টচিত্তে তা প্রদানে সম্মত হলেন। সৃষ্টিকর্তা তার সততা ও কৃতজ্ঞতাবোধে সন্তুষ্ট হলেন।
উদ্দীপকের বাঘ হিংস্র প্রাণী হলেও গলায় কাঁটা ফুটলে সে শরণাপন্ন হয় লম্বা গলাবিশিষ্ট বকের। বককে বকশিশ দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়। বাঘের কথায় রাজি হয়ে বক বাঘের গলা থেকে কাঁটা বের করে দেয়। বক তার প্রাপ্য বকশিশ চাইলে বাঘ তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। তাকে গলার ভেতর পেয়েও যে বাঘ তাকে চিবিয়ে খায়নি তা স্মরণ করিয়ে দেয়।
উদ্দীপকের বাঘ ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির চরিত্র মূল্যায়ন করলে আমরা পাই বাঘ চরম অকৃতজ্ঞ ও স্বার্থপর একটি চরিত্র আর অন্ধ ব্যক্তি সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও বিশ্বস্ততার প্রতীক। সে তার পূর্বের দুরাবস্থার কথা মনে রেখেছে তাই অন্যের বিপদে সাহায্যের জন্য সে সদাপ্রস্তুত। তাই ফেরেশতা তার নিকট একটি ছাগল চাইলে সে যা চায় তাই নিতে অনুরোধ করেছে। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় উদ্দীপকের বাঘের চরিত্রটি অন্ধ ব্যক্তির বিপরীত ও একটি অকৃতজ্ঞ চরিত্র।
প্রশ্ন- ২
“মসজিদে কাল শিরনি আছিল,- অঢেল গোস্ত রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটি কুটি,
এমন সময় এলো মুসাফির গায় আজারির চিন
বলে, ‘বাবা, আমি ভুখা ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা-ভ্যালা হলো দেখি লেঠা,
‘ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে নমাজ পড়িস বেটা?”
ক. ফেরেশতা কীসের তৈরি? ১
খ. তিন ব্যক্তির কীভাবে রোগমুক্ত হয়েছিল? ২
গ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন বিষয়টি উদ্দীপকের সাথে সংগতিপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবকে ধারণ করে কি- বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ফেরেশতা নূরের তৈরি।
খ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতার মাধ্যমে রোগমুক্ত হয়েছিল।
তিন ব্যক্তি ছিল ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধ। ফেরেশতা গায়ে হাত ঝুলিয়ে দিলে ধবলরোগী, মাথায় হাত বুলিয়ে দিলে টাকওয়ালা ও চোখে হাত বুলিয়ে দিলে অন্ধব্যক্তি রোগমুক্ত ও সুস্থ হয়ে যায়।
গ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে প্রকাশিত কোনো সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য না করার অমানবিক দিকটি উদ্দীপকের সাথে সংগতিপূর্ণ।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা ধবল রোগ ও টাক সমস্যা থেকে মুক্ত করেন দুই ব্যক্তিকে। রোগমুক্ত হওয়ার পর ঐ দু ব্যক্তিকে সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য গাভিন উট ও গাভিন গাই প্রদান করা হয়। আল্লাহর কৃপায় তারা সচ্ছল হয়ে ওঠে। তাদের মনুষ্যত্ব ও মনের অবস্থা পরীক্ষার জন্য কিছুদিন পর পুনরায় ফেরেশতা পাঠানো হয়। ফেরেশতা মানুষের বেশে তাঁর বিপদ দূর করার জন্য একটি উট ও একটি গাভি চাইলে তারা তা দিতে অস্বীকার করে। এমনকি তারা তাদের পূর্বের অসহায় অবস্থার কথাও অস্বীকার করে।
উদ্দীপকে ক্ষুধার্ত ভিখারি মোল্লা সাহেবের কাছে কিছু খাবার প্রার্থনা করেছিল। অঢেল গোস্ত রুটি থাকা সত্তে¡ও মোল্লা সাহেব সাতদিনের অনাহারি ভিখারিকে নামাজ না পড়ার অজুহাতে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ঔদ্ধত্ববশত তাকে গো-ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলেছে। মুসাফিরের করুণ আহাজারিতে মোল্লা সাহেবের হৃদয় এতটুকু বিগলিত হয়নি। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ধবলরোগী ও টাকওয়ালা তেমনি স্বার্থপর ব্যক্তি। তারা শুধু নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত ছিল। অন্যের দুঃখকষ্ট তাদের হৃদয় স্পর্শ করেনি। সম্পদের লোভে তারা অন্ধ হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সাহায্য প্রার্থীকে সাহায্য না করার ঘৃণ্য মানসিকতার বিষয়টি আমরা উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে দারুণভাবে লক্ষ করি।
ঘ উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবকে নয় বরং আংশিকভাবকে ধারণ করে।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি আল্লাহর নির্দেশিত ফেরেশতার কাছে ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধব্যক্তি তাদের রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করে। ফেরেশতা তাদের রোগমুক্ত করেন এবং আল্লাহর নির্দেশে তাদের গাভিন উট, গাভিন গাই ও ছাগল প্রদান করেন। যা পেয়ে তারা অত্যন্ত সচ্ছল হয়ে ওঠে। তারা আল্লাহর প্রতি অনুগত কৃতজ্ঞতাবোধসম্পন্ন কি না তা পরীক্ষা করার জন্য ফেরেশতা আবার মানুষের বেশে তাদের কাছে আসেন। ফেরেশতা তাঁর অসহায়ত্বের কথা বলে তাদের কাছে একটি উট, গাভি ও ছাগল চাইলে প্রথম দু ব্যক্তি তা দিতে অস্বীকার করে অবশ্য অন্ধ ব্যক্তি তার পূর্বের কথা স্মরণ করে এবং বিনীতভাবে ফেরেশতাকে তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হন।
উদ্দীপকে মসজিদে অঢেল গোস্ত রুটি বেচে যাওয়ায় মোল্লা সাহেব খুশিতে আটখানা। ঠিক তখনই সাতদিনের অনাহারি এক মুসাফির তার কাছে খাবার প্রার্থনা করলে তাকে বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয়। নামাজ না পড়ার অজুহাত দেখিয়ে তাকে খাবার থেকে বঞ্চিত করে। ক্ষুধায় তার পেট জ্বলেপুড়ে গেলেও প্রতি তার কোনোরূপ মমত্ববোধ সৃষ্টি হয়নি। অত্যন্ত নির্দয়ভাবে মোল্লা সাহেব অনাহারিকে গো-ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলেছে।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি দুজন ব্যক্তি স্বার্থের মোহে অন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার প্রতিফল হিসেবে তারা তাদের পূর্বের দরিদ্রদশায় পতিত হয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তির মধ্যে সততা ও বিচার বুদ্ধি থাকায় সে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে দান পেয়েছিল তা সে স্থায়ীভাবে পেল। কিন্তু উদ্দীপকে শুধু প্রথম দুই ব্যক্তির আচরণের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। অর্থাৎ সাহায্যপ্রার্থীকে কোনোরূপ সহায়তা না দেয়ার কথাই বলা হয়েছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকটি ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবকে ধারণ করে না বরং আংশিক ভাবকে ধারণ করে।
প্রশ্ন- ৩
‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী-’পরে।
সকলের তরে সকলে আমরা,
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’
ক. আল্লাহর দূতের কাছে ধবলরোগী কি চেয়েছিল? ১
খ. অন্ধ ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ খুশি হয়েছেন কেন? ২
গ. ‘উদ্দীপকের মূলভাব ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ’- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সমগ্রভাব উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে’ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আল্লাহর দূত ফেরেশতার কাছে ধবলরোগী একটি উট চেয়েছিল।
খ অন্ধ ব্যক্তির সততা ও কৃতজ্ঞতাবোধের কারণে আল্লাহ তার প্রতি খুশি হয়েছেন।
অন্ধ ব্যক্তিকে তার প্রার্থনা অনুযায়ী তার অন্ধত্ব দূর করা হয়েছিল। সচ্ছলতার জন্য তাকে দেয়া হয়েছিল একটি গাভিন ছাগল। সে গরিব থেকে আমিরে পরিণত হয়েছিল। তার কাছে যখন ছদ্মবেশি ফেরেশতা একটি ছাগল চাইল তখন সে তা প্রদানের জন্য সম্মত হলো। তার এই কৃতজ্ঞতাবোধের কারণে আল্লাহর তার প্রতি খুশি হলেন।
গ মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধের দিক থেকে উদ্দীপকের মূলভাবের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থতা দান করা হয়। তাদের দরিদ্রদশা থেকে সচ্ছল ও ধনাঢ্য করা হয়। তারা সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনুগত কি না মানুষের বিপদে সাহায্য করে কি না তার পরীক্ষা নেওয়া হয়। অন্ধ ব্যক্তি এতে সফলকাম হলেও দু’ব্যক্তি পরীক্ষা-উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়। কারণ তারা অপরের দুঃখকষ্টের সাথি হতে পারেনি, তারা শুধু নিজেদের নিয়েই শুধু ব্যস্ত ছিল।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, মানুষ শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্যই পৃথিবীতে আসেনি। মানুষ মানুষের জন্য। তারা একে অপরের বিপদে আপদে এগিয়ে আসবে এটাই মনুষ্যত্বের ধর্ম। মানুষ যখন মানুষের উপকারের জন্য অগ্রগামী হয় তখনই সে সত্যিকার মানুষ হয়ে ওঠে। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মানুষরূপী ফেরেশতার সাহায্যে এগিয়ে আসেনি বলে ধবল রোগী ও টাকওয়ালার জীবন ব্যর্থতার পর্যবসিত হয়েছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকের মূলভাবের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূলভাব সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ বিষয়বস্তু বিবেচনায় ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সমগ্রভাবই উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ইহুদি ব্যক্তিকে আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা তাদের রোগমুক্ত করে দেন। তাদের ধবল রোগ, টাক সমস্যা ও অন্ধত্ব দূর হওয়ার পর তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য তাদের গাভিন উট, গাভি ও ছাগল প্রদান করা হয়। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই তারা সচ্ছল ও ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়। তাদের সততা, সত্যবাদিতা ও মনুষ্যত্ববোধ পরীক্ষা করার জন্য ঐ ফেরেশতা মানুষরূপে এসে তাদের কাছে সাহায্য চাইলে ধবলরোগী ও টাকওয়ালা সাহায্য না করে ফিরিয়ে দেয়। তৃতীয় অর্থাৎ অন্ধ ব্যক্তি সন্তুষ্টচিত্তে ছাগল প্রদানে সম্মত হয়। অকৃতজ্ঞতার ফলস্বরূপ দুই ব্যক্তিতে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অন্ধ ব্যক্তি তার সততার পুরস্কার লাভ করে।
উদ্দীপকে কবিতাংশটুকু ভাব ও বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে কবি বলেছেন পৃথিবীতে মানুষ শুধু নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আসেনি। তার আগমনের প্রধানতম উদ্দেশ্য মানবতার কল্যাণসাধন করা। অর্থাৎ একে অন্যের বিপদে আপদে এগিয়ে আসা। সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা। মানুষ শুধু মানুষের কল্যাণেই কাজ করবে। প্রত্যেকে যদি পরের জন্য কাজ করে তবে পৃথিবীতেই স্বর্গ নেমে আসবে।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি অন্ধ ব্যক্তি তার সততার জন্য পুরস্কার লাভ করেছেন। আর উদ্দীপকের বিষয়বস্তুও অপরের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করা। মানুষ মানুষের জন্য সে শিক্ষাই দেওয়া হয়েছে। কাজেই উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্প বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় উদ্দীপকটিতে গল্পের সমগ্রভাবই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৪
নবম শ্রেণির ছাত্র জুনায়েদ। স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে সে একটি মানিব্যাগ খুঁজে পায়। খুলে দেখে অনেক টাকা। মানিব্যাগে মোবাইল নম্বর খুঁজে পেয়ে এর মালিককে ফোন দেয়। মানিব্যাগের মালিক টাকা ফেরত পেয়ে জুনায়েদের সততায় মুগ্ধ হয়।
ক. স্বর্গীয় দূতের কাছে ধবলরোগী কী চেয়েছিল? ১
খ. ধবলরোগী ও টাকওয়ালার প্রতি আল্লাহ বেজার হলেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের জুনায়েদের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের কোন চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’ উক্তিটি উদ্দীপক ও সততার পুরস্কার গল্পের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪
ক স্বর্গীয় দূতের কাছে ধবলরোগী একটি উট চেয়েছিল।
খ ধবলরোগী ও টাকাওয়ালার কৃতজ্ঞতা বোধ না থাকায় আল্লাহ তাদের প্রতি বেজার হলেন।
ধবলরোগী ও টাকওয়ালা আল্লাহর করুণায় রোগমুক্তি ও সচ্ছলতা লাভের পরও তারা ফেরেশতার কাছে অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেছে। তাই আল্লাহ তাদের প্রতি বেজার হয়েছিলেন।
গ উদ্দীপকের জুনায়েদের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তি চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে অন্ধ ব্যক্তি চরিত্রটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর নির্দেশে এক ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির নিকট গমন করেন এবং তার প্রার্থনা অনুযায়ী তার অন্ধত্ব দূর করে দেন। তার আর্থিক সচ্ছলতার জন্য তাকে একটি গাভিন ছাগল প্রদান করা হয়। যা পরে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় এবং পূর্বে অন্ধ থাকা ব্যক্তিটি ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়। তাকে পরীক্ষার জন্য যখন দ্বিতীয় বার ঐ ফেরেশতা মানুষরূপে এসে তার কাছে সাহায্য প্রার্থী হলো তখন তিনি তাকে যা খুশি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ফেরেশতা তার কাছ থেকে কিছুই গ্রহণ না করে বলেন তোমাকে পরীক্ষা করা হলো। আল্লাহ তোমার ওপর খুশি হয়েছেন।
উদ্দীপকের জুনায়েদ একজন স্কুল ছাত্র। সে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া মানিব্যাগে অনেক টাকা পেয়েও তার ভেতর লোভ জেগে ওঠেনি। সে মালিককে তা পৌঁছে দেয়াটা দায়িত্ব মনে করছে। তাই সে মালিককে ফোন করে মানিব্যাগটা পৌঁছে দিয়েছে। তার এই সাধুতা ও সত্যবাদিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে অন্ধ ব্যক্তির চরিত্র। উদ্দীপকের জুনায়েদ ও গল্পের অন্ধব্যক্তি উভয়েই ন্যায়পরায়ণ মানুষ। তাদের সাধুতা ও সত্যবাদিতা প্রশ্নাতীত। তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে তাদের মধ্যে যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ ‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’ এই উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে চরমভাবে সত্য হয়ে উঠেছে।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আমরা দেখি তিন ইহুদি ব্যক্তিকে পরীক্ষার জন্য আল্লাহ তাদের কাছে ফেরেশতা পাঠান। ফেরেশতা প্রথম মানুষরূপে ঐ তিন ব্যক্তি ধবলরোগী, টাকওয়ালা ও অন্ধ ব্যক্তির কাছে গিয়ে প্রার্থনা অনুযায়ী তাদের রোগমুক্ত করেন এবং সচ্ছলতার জন্য উট, গাই ও ছাগল প্রদান করেন। তিনজনের অবস্থাই তখন ভালো হয়ে যায়। কিছুদিন পর তাদের পরীক্ষার জন্য ঐ ফেরেশতা সাহায্যপ্রার্থী হয়ে তাদের কাছে সাহায্য চান কিন্তু শুধু অন্ধব্যক্তিটি তাকে স্বাচ্ছন্দে সাহায্য করতে সম্মত হন। এই ঘটনায় আল্লাহ অন্ধ ব্যক্তির ওপর খুশি হন এবং ধবলরোগী ও টাকওয়ালার ওপর বেজার হয়ে তাদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেন।
উদ্দীপকে স্কুল ছাত্র প্রচুর টাকা সমেত মানিব্যাগ পাওয়ার পরও সে তার চারিত্রিক বলিষ্ঠতার কারণে সে ফোন করে মানিব্যাগের টাকাসহ মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে। টাকা আত্মসাৎ করে সে তার নিজের মনে কালিমা লেপন করতে চায়নি। সে লোভের বশবর্তী না হয়ে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকেই সমুন্নত রেখেছে। পাশাপাশি অন্ধ ব্যক্তিও লোভের বশবর্তী হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করেনি। সে আরো বিনয়ী ও কৃতজ্ঞ হয়েছে। সে সততার সাথে ফেরেশতার কাছে পূর্বের সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছে। তার ‘সততার পুরস্কার’ সে সাথে সাথেই পেয়েছে। তাই দেখা যায় ‘সততাই যে সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’ সেই আদর্শই উদ্দীপক ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মুখ্য হয়ে উঠেছে।
প্রশ্ন- ৫
‘দিয়ে ধন
দেখে মন
কেড়ে নিতে
কতক্ষণ।’
ক. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের লেখকের নাম কী? ১
খ. অন্ধ ব্যক্তির দেওয়া ছাগল ফেরেশতা গ্রহণ করলেন না কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ঘটনাপ্রবাহের মাঝে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘সততার পুরস্কার’ গল্পের আলোকে উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের লেখকের নাম মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
খ অন্ধ ব্যক্তি তার ওপর কৃত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বিধায় তার দেওয়া ছাগল ফেরেশতা গ্রহণ করেননি।
উপরন্তু ফেরেশতা বলেছেন, ‘তোমার জিনিস তোমারই থাক। তোমার পরীক্ষা নেওয়া হলো। আল্লাহ তোমার ওপর খুশি হয়েছেন।
গ উদ্দীপকের বক্তব্যের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের ঘটনাপ্রবাহের সাথে যথার্থ সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে তিন ইহুদি ব্যক্তিকে রোগমুক্ত করা হয়েছে। আবার তার সাথে সচ্ছলতার জন্য উট, গাই ও ছাগল প্রদান করা হয়েছে। আবার তাদের পরীক্ষা করার জন্য সাহায্যপ্রার্থী হিসেবে মানুষরূপী হয়ে ফেরেশতা তাদের দ্বারে উপস্থিত হয়েছেন। আল্লাহর এত অনুগ্রহ লাভের পরও প্রথম দু’ব্যক্তি সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে তৃতীয় ব্যক্তি যিনি অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে, বহু সম্পদের মালিক হওয়ার পরও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থেকেছে। তাই সাহায্যপ্রার্থীকে ফিরিয়ে না দিয়ে যা খুশি তাই নিয়ে যেতে বলেছেন। এ ঘটনায় প্রথম দু’ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ বিরাগভাজন হয়েছেন এবং শেষ ব্যক্তির ওপর খুশি হয়েছেন। শেষ ব্যক্তির ওপর দান অনুদান বহাল থেকেছে আর প্রথম দুজনের দান ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উদ্দীপকে সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা ও শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার কাছে সম্পদের অভাব নেই। তিনি যখন যাকে ইচ্ছে দান করতে পারেন। তিনি মানুষকে সম্পদ দিয়েও পরীক্ষা করেন, না দিয়েও পরীক্ষা করেন। মানুষ তাঁর প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত থাকে কি না তাই যাচাই করেন। মানুষকে সম্পদ দিয়ে তিনি যেকোনো সময় তা কেড়ে নিতে পারেন। ‘সততার পুরস্কার’ গল্পেও তাই আমরা দেখি আল্লাহ ধবলরোগী ও টাকওয়ালার অভাব দূর করার পর তারা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ না হওয়ায় তিনি তাদের দেয়া অনুগ্রহ প্রত্যাহার করে নেন। ফলে তারা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। যা উদ্দীপকের মূল বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে যথার্থভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
‘সততার পুরস্কার’ গল্পে ধবলরোগী ও টাকওয়ালা আল্লাহর অনুগ্রহ ও দানে কৃতজ্ঞ না হয়ে অকৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেছে। তাই আল্লাহ তাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং তাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছিলেন তা তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। অন্যদিকে অন্ধব্যক্তি তাঁর প্রতি অনুগত ও কৃতজ্ঞ থাকার কারণে তার প্রতি খুশি হয়েছেন এবং অনুগ্রহ দানে তাকে ধন্য করেছেন।
উদ্দীপকের মূলবক্তব্য হচ্ছে মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বিভিন্ন ধনসম্পদ দিয়ে তাদের মন পরীক্ষা করেন। ধনসম্পদের মালিক হয়ে সে অহঙ্কারী কিংবা ধরাকে সরাজ্ঞান করে কি না। সেক্ষেত্রে আল্লাহ ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে তাকে নিঃস্ব করে দিতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা এসব মুহ‚র্তের মধ্যেই করতে পারেন।
উদ্দীপক ও গল্পের বিষয়বস্তু মূল্যায়ন করলে আমরা বুঝতে পারি সৃষ্টিকর্তার একচ্ছত্র ক্ষমতা উভয় ক্ষেত্রে সত্য হয়ে উঠেছে। আল্লাহর দানের প্রতি কৃতজ্ঞ হলে ধবলরোগী ও টাকওয়ালা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। তারাও অন্ধ ব্যক্তির মতো সৃষ্টিকর্তার করুণা লাভে ধন্য হতো।
সৃষ্টিকর্তা ক্ষমতার কাছে মানুষের ক্ষমতা খুবই নগণ্য। ধবলরোগী ও টাকওয়ালার মন পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ লাভের জন্য সঠিক ব্যক্তি ছিল না। তাই তারা বঞ্চিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকের বক্তব্য অত্যন্ত যৌক্তিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
সাদেক ও রনি দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শিক্ষাজীবনের পাঠ চুকিয়ে দুই বন্ধু অনেক ঘোরাঘুরি করেও কোনো চাকরি জোটাতে পারল না। দুই জনে স্থির করল ব্যবসা করবে। কিন্তু টাকা কোথায়। এগিয়ে এলেন ধনী ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান। তিনি সাদেক ও রনিকে কোনো শর্ত ছাড়াই ব্যবসা করার জন্য পুঁজি দিলেন, তবে শর্ত হিসেবে একটি শর্ত দিলেন আর তা হচ্ছে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হলে গরিব দুঃখীদের যথাসাধ্য সাহায্য করতে হবে। সাদেক ও রনি বেশ উদ্যমের সাথে ব্যবসায় শুরু করলেও অল্প কিছুকাল পরই লোকসান দিয়ে দিয়ে ঋণে জর্জরিত হয় ব্যবসায় ইস্তফা দিল।
ক. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? ১
খ. ‘তোমার জিনিস তোমারই থাক’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সাথে উদ্দীপকের বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর। ৩
ঘ. “‘সততার পুরস্কার’ গল্পে আল্লাহর কৃপা থাকলেও উদ্দীপকে ঘটেছে তার উল্টো চিত্র” উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
খ ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তিকে আল্লাহর নির্দেশে পরীক্ষা নেওয়া শেষে এ উক্তিটি করেছিলেন।
ফেরেশতা টাকওয়ালা ও ধবলরোগীর কাছে উট ও গাই চেয়ে ব্যর্থ হন। তারপর অন্ধ ব্যক্তির কাছে ছাগল চাইলে তিনি তা দিতে সম্মত হন। পূর্বের দুইজন ফেরেশতাকে কিছু না দিয়ে তারা সকল কিছু হারায়। অন্যদিকে অন্ধ ব্যক্তির কৃতজ্ঞতাবোধে ফেরেশতা খুশি হয়ে তাকে বলেন- তোমার জিনিস, তোমারই থাক।
গ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির কৃতজ্ঞতাকে ও অন্য দুই জনের অকৃতজ্ঞতা এবং উদ্দীপকের দুই বন্ধুর ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরতে হবে।
ঘ উদ্দীপকে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়টি আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
চুরির অভিযোগে কিছু লোক জনৈক ব্যক্তিকে চেয়ারম্যানের ইউনিয়ন পরিষদে হাজির করল। ঘটনার বিবরণ শুনে তিনি চৌকিদার আমজাদকে ডেকে নির্দেশ দিলেন বন্দিকে তার বাড়িতে রাখতে। ঘটনাক্রমে আমজাদ জানতে পারল বন্দি ব্যক্তি আর কেউ নয়, সে দশ বছর আগে আমজাদের সন্তানকে সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়েছিল, নিজ গৃহে নিয়ে গিয়ে আহত সন্তানের সেবা করেছিল। আমজাদ তখন তাকে বাঁচানোর সংকল্প করল এবং বন্দির কাছ থেকে জেনে নিল যে চুরিতে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না। যখন সে জানতে পারল চুরিতে দোষীসাব্যস্ত করা ব্যক্তির কোনো হাত নেই তখন সে যুক্তি প্রমাণ সংগ্রহ করতে লাগল দোষীব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য।
ক. ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল বাণী কী? ১
খ. অন্ধ ব্যক্তির সম্পদ তার নিজের কাছে রয়ে গেল কেন? ২
গ. আমাদের সাথে ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধ ব্যক্তির কীরূপ সাদৃশ্য রয়েছে বুঝিয়ে বল। ৩
ঘ. “উদ্দীপক এবং ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের উভয় ক্ষেত্রে কৃতজ্ঞতাবোধের পরিচয় পাওয়া যায়”- উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের মূল বাণী হচ্ছে আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন এবং সৎলোককে যথাযথ পুরস্কার দেন।
খ আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের জন্য অন্ধ ব্যক্তির সম্পদ তার নিজের কাছে রয়ে গেল।
ফেরেশতা যখন অন্ধ ব্যক্তিকে পরীক্ষা করার জন্য আল্লাহ দোহাই দিয়ে তার কাছে ছাগল চাইল। তখন শুধু অন্ধ ব্যক্তিই ছাগল দিতে সম্মত হয়েছিল। কারণ ছাগল দেওয়ার সময়ও সে উচ্চারণ করেছিল আমি অন্ধ ছিলাম আল্লাহর কৃপায় সুস্থ হয়েছি। আল্লাহর প্রতি এরূপ কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করায় চিরতরে অন্ধ ব্যক্তির সম্পদ তার কাছে রয়ে গেল।
গ অন্ধ ব্যক্তির আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আমজাদের দোষীসাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতার সাদৃশ্য তুলে ধরতে হবে।
ঘ উদ্দীপকের আমজাদ ও ‘সততার পুরস্কার’ গল্পের অন্ধব্যক্তি দুজনেই কৃতজ্ঞতার উপযুক্ত পরিচয় দিয়েছেন। সে বিষয়টি যথাযথভাবে আলোচনা করতে হবে।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সোরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি লাভ করেন।
প্রশ্ন \ ২ \ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত শিশু পত্রিকার নাম কী?
উত্তর : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত শিশু পত্রিকার নাম ‘আঙুর’।
প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলা ব্যাকরণ রচনায় কে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন?
উত্তর : বাংলা ব্যাকরণ রচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
প্রশ্ন \ ৪ \ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কত সালে বিএ অনার্স পাস করেন?
উত্তর : মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯১০ সালে বিএ অনার্স পাস করেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ কোন বংশের লোককে পরীক্ষার জন্য আল্লাহ ফেরেশতা পাঠান?
উত্তর : ইহুদি বংশের তিন লোককে পরীক্ষার জন্য আল্লাহ ফেরেশতা পাঠান।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত কোন কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছেন?
উত্তর : ‘সততার পুরস্কার’ গল্পে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত হাদিসের কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ কার অনুগ্রহে তিনজনের শারীরিক ত্রæটি দূর হয়েছে?
উত্তর : ফেরেশতার অনুগ্রহে তিনজনের শারীরিক ত্রæটি দূর হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ অন্ধ ব্যক্তিকে ফেরেশতা কী প্রদান করেছিলেন?
উত্তর : অন্ধ ব্যক্তিকে ফেরেশতা ছাগল প্রদান করেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ ফেরেশতা কোন ছদ্মবেশে তিন জনের কাছে হাজির হলেন?
উত্তর : ফেরেশতা গরিব বিদেশির ছদ্মবেশে তিন জনের কাছে হাজির হলেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ কারা নিজেদের পূর্বের অবস্থা অস্বীকার করল?
উত্তর : প্রথম দুজন নিজেদের পূর্বের অবস্থা অস্বীকার করল।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘ফেরেশতা হইলেন আল্লাহর দূত’- কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ফেরেশতা হচ্ছেন আল্লাহর দূত। ‘দূত’ অর্থ বার্তাবাহক।
ফেরেশতা আল্লাহ্র আদেশ নির্দেশ মানুষের কাছে অর্থাৎ আল্লাহ্র বান্দার কাছে পৌঁছে দেয়। আল্লাহর নির্দেশে কাজ করেন। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যা বলেন বা নির্দেশ দেন তা পালন করাই তাঁদের একমাত্র কাজ।
প্রশ্ন \ ২ \ ধবলরোগীকে গাভিন গাই কেন দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর : ধবলরোগীকে তার দারিদ্র্য দশা হতে মুক্তির জন্য গাভীন গাই দেওয়া হয়েছিল।
ধবলরোগী রোগশোকে জর্জরিত ছিল। কাজ করতে পারত না। সমাজে তার মর্যাদা ছিল না। তার সততা ও কৃতজ্ঞতা পরীক্ষা করতে তাকে গাভিন গাই দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৩ \ অন্ধ ব্যক্তির চোখ কীভাবে ভালো হলো?
উত্তর : আল্লাহ্র নির্দেশে ফেরেশতা অন্ধ ব্যক্তির কাছে তার সমস্যা জানতে চাইলেন। অন্ধ ব্যক্তি বললেন তিনি রোগ থেকে মুক্তি চান। ফেরেশতা তার চোখে হাত বুলিয়ে দিলে তার চোখ রাব্বুল আলামিনের রহমতে ভালো হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ অন্ধ ব্যক্তি ছাগল চেয়েছিল কেন?
উত্তর : অন্ধ ব্যক্তি গরিব ছিল। সে যখন ফেরেশতার মাধ্যমে সুস্থ হলো তখন ফেরেশতা তাকে আবার জিজ্ঞাস করে- তুমি আর কী চাও? তখন সে বলল, সে ছাগল চায়। অন্ধ ব্যক্তি ভাগ্য ফেরানোর জন্য তাকে ছাগল দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৫ \ ফেরেশতা দ্বিতীয়বার ধবলরোগীর কাছে গিয়ে কী বলেছিল?
উত্তর : আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা মানুষের বেশে ধবলরোগী পরীক্ষা করার জন্য দ্বিতীয় বার তার কাছে যায় এবং বলে আমি বিদেশি। আমি অসহায়। আমাকে সাহায্য করার জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে একটি উট দাও। আল্লাহ তো তোমাকে সবকিছু দিয়েছেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ ফেরেশতা উট চাইলে ধবল রোগী কী জবাব দিয়েছিল?
উত্তর : মানুষরূপী ফেরেশতা উট চাইলে ধবলরোগী বলেছিল- উটের অনেক দাম। দামি জিনিস তোমাকে কীভাবে দিই। ধবলরোগী আল্লাহর দান ভুলে গিয়ে অকৃতজ্ঞের মতো বলল, এসব তার আগে থেকেই ছিল।
প্রশ্ন \ ৭ \ কেন তিন ইহুদির পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল?
উত্তর : তিন ইহুদির সমস্যা দূর করে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কারণ আল্লাহ দেখতে চাইলেন মানুষ তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কি না। তাছাড়া সৎ মানুষকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘সততার পুরস্কার’ রচনাটির বৈশিষ্ট্য কেমন?
উত্তর : সততার পুরস্কার একটি আদর্শিক রচনা।
এ রচনার মাধ্যমে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষ তার প্রভুকে ভুলে যায় কি না। কৃতজ্ঞ মানুষ তাদের প্রভুর কাছে যোগ্য সম্মান ও মর্যাদা পায়। এ বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করাও এই রচনার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।