চতুর্দশ অধ্যায় পরিবেশের ভারসাম্য এবং আমাদের জীবন
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন : বনজঙ্গলের পরিবেশ, পাহাড় পর্বতের পরিবেশ, নদীর পরিবেশ ইত্যাদি রয়েছে।
পরিবেশে শক্তির মূল উৎস সূর্য।
রাতের আকাশের চাঁদ ও অজস্র তারা প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্তর্গত।
উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজের খাদ্য প্রস্তুত করে।
বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এমনভাবে করতে হবে যেন জীব এবং সম্পদের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ পাঠ-১ : প্রাকৃতিক পরিবেশ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. আমাদের চারপাশের সব কিছু নিয়ে কী গঠিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক প্রকৃতি খ বাসস্থান গ সংস্কৃতি পরিবেশ
২. কী নিয়ে একটি স্থানের পরিবেশ গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক উদ্ভিদ ও প্রাণী খ মানুষ ও প্রকৃতি
জড় ও জীব ঘ বায়ু ও পানি
৩. নিচের কোনটি মানুষ তৈরি করছে? (অনুধাবন)
ক পানি নৌকা গ মাছ ঘ কীটপতঙ্গ
৪. প্রাকৃতিকভাবে কোনটি সৃষ্টি হয়েছে? (অনুধাবন)
ক সেতু খ টেলিভিশন মাটি ঘ কলম
৫. মানুষের তৈরি পরিবেশের উপাদান কোনটি? (জ্ঞান)
ঘর-বাড়ি খ পাহাড় গ নদী ঘ গাছপালা
৬. প্রাকৃতিক পরিবেশকে কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৭. কোনটি প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান? (অনুধাবন)
ক পোশাক খ খেলাধুলা গ খাদ্য গাছপালা
৮. পাহাড়-পর্বতের পরিবেশকে কী বলা হয়? [বগুড়া জিলা স্কুল]
প্রাকৃতিক পরিবেশ খ সামাজিক পরিবেশ
গ ভৌগোলিক পরিবেশ ঘ কৃত্রিম পরিবেশ
৯. পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশ কেমন? (অনুধাবন)
ক একই ভিন্ন গ সমান ঘ সমপ্রকৃতির
১০. রাতের আকাশের চাঁদ ও অজস্র তারা কোন পরিবেশের অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক মনুষ্যসৃষ্ট পরিবেশ খ সামাজিক পরিবেশ
প্রাকৃতিক পরিবেশ ঘ আকাশের পরিবেশ
১১. নিচের কোনটি প্রকৃতির তৈরি? (অনুধাবন)
ক মসজিদ খ দালানকোঠা গ রাস্তাঘাট পাখি
১২. কোনটি মানুষের তৈরি পরিবেশের অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক চাঁদ, সমুদ্র রাস্তাঘাট, সেতু
গ তারা, বন জঙ্গল ঘ নদী, পাহাড়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩. প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্তর্গতÑ (প্রয়োগ)
র. বন জঙ্গল রর. পাহাড়-পর্বত
ররর. পুকুর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-২ : পরিবেশের উপাদান º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা : ১২৫ ও ১২৬
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪. জড় পরিবেশের মূল উপাদান কয়টি? [আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান স্কুল এণ্ড কলেজ, বগুড়া]
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৫. পরিবেশের প্রাণহীন উপাদান কোনটি? (অনুধাবন)
জড় খ জীব গ সজীব ঘ গাছপালা
১৬. তুমি মাটির ওপর বাস করছ। এ মাটি কি পরিবেশের অন্তর্গত? (অনুধাবন)
ক জীব খ মনুষ্য জড় ঘ সজীব
১৭. উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়ে কী গঠিত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক প্রাকৃতিক পরিবেশ খ অজীব পরিবেশ
গ জড় পরিবেশ জীব পরিবেশ
১৮. কোনটি জড় উপাদানের উদাহরণ? (অনুধাবন)
ক কীটপতঙ্গ খ গাছপালা ঘর-বাড়ি ঘ মানুষ
১৯. পরিবেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
২০. পরিবেশে জীব উপাদান কাদের বলা হয়? (অনুধাবন)
ক যাদের জীবন নেই যাদের জীবন আছে
গ যাদের জীবন সংক্ষিপ্ত ঘ যাদের জীবন দীর্ঘ
২১. পরিবেশে জীব উপাদানকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
২২. পরিবেশের প্রাণহীন সব উপাদান নিয়ে কী গড়ে উঠেছে? (জ্ঞান)
ক জীব পরিবেশ খ সজীব পরিবেশ
গ মনুষ্য সৃষ্ট পরিবেশ জড় পরিবেশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩. পরিবেশে জড় বস্তুরÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্বসন হয় রর. অনুভ‚তি নেই
ররর. জীবনচক্র পরিলক্ষিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ ররর ঘ রর ও ররর
২৪. পরিবেশের সজীব উপাদানেরÑ [নোয়াখালী জিলা স্কুল]
র. জীবন আছে রর. মৃত্যু আছে
ররর. অনুভ‚তি নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৩-৪ : পরিবেশের জড় ও জীব উপাদান
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫. জীব ও জড় নিয়ে পঠিত কোনটি?
ক পরিবার পরিবেশ গ ঘর ঘ উদ্ভিদ
২৬. ভ‚মি কোন পরিবেশের অন্তর্গত?
ক সামাজিক জড় গ মানুষের তৈরি ঘ জীব
২৭. উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য কোন উপাদানটি অপ্রয়োজনীয়? (অনুধাবন)
ক পানি বাসস্থান
গ সূর্যের আলো ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড
২৮. কোনগুলো জড় পরিবেশের মূল উপাদান? (অনুধাবন)
ক ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানি
মাটি, পানি ও বায়ু
গ মাঠঘাট ও নদীনালা
ঘ অক্সিজেন, পানি ও বৃক্ষ
২৯. মাটি, পানি, বায়ু ও খনিজ লবণ পরিবেশের কেমন উপাদান?(প্রয়োগ)
অজৈব খ রাসায়নিক গ জৈব ঘ ভৌত
৩০. জীব উপাদান কোন উপাদানের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান)
অজীব খ জীব গ সজীব ঘ মাটি
৩১. কোনটি অজীব উপাদান?
ক অ্যামিবা খ শামুক গ পিঁপড়া পানি
৩২. পরিবেশের কোন উপাদান জীবের স্বভাব ও বিস্তৃতিতে সাহায্য করে?
আলো খ স্কুল-কলেজ
গ হাসপাতাল ঘ বাড়িঘর
৩৩. কারা শত্র“ থেকে নিজেদের রক্ষা করে চলে? (জ্ঞান)
ক উদ্ভিদ খ অণুজীব প্রাণী ঘ মাছ
৩৪. বেঁচে থাকার সবরকম উপাদান আমরা কোথা থেকে পাই? (জ্ঞান)
ক মাটি খ পানি গ বায়ু পরিবেশ
৩৫. পরিবেশের উপাদান দুটি কী কী?
ক মাটি ও অক্সিজেন খ নাইট্রোজেন ও সূর্যালোক
গ প্রাণী ও উদ্ভিদ জীব ও জড়
৩৬. পরিবেশে শক্তির মূল উৎস কোনটি? (জ্ঞান)
ক উদ্ভিদ খ পানি সূর্য ঘ মাটি
৩৭. পরিবেশের প্রতিটি জীবের স্বভাব এবং বিস্তৃতিকে প্রভাবিত করে কোনটি? (অনুধাবন)
ক জীব উপাদান খ সজীব উপাদান
অজীব উপাদান ঘ পরিবেশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮. প্রতিটি জীবের স্বভাব ও বিস্তৃতিকে প্রভাবিত করে
র. মাটি, বায়ু রর. আলো, তাপমাত্রা
ররর. আর্দ্রতা, জলবায়ু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৯. পরিবেশের অজীব উপাদানসমূহ হলোÑ (প্রয়োগ)
র. মাটি, পানি ও বায়ু রর. আলো, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা
ররর. ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৫-৬ : পরিবেশের ভারসাম্য
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪০. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের জন্য দায়ী কে? (অনুধাবন)
ক কলকারখানা মানুষ
গ যানবাহন ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড
৪১. পরিবেশ ধ্বংসের কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণী কী হারাচ্ছে? (অনুধাবন)
ক সক্রিয়তা খ ব্যক্তিত্ব গ প্রিয়জন আবাসস্থল
৪২. পরিবেশ দূষিত হলে আমাদের বসবাসের পরিবেশ কেমন হয়? (অনুধাবন)
ক স্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর
গ সুন্দর ঘ নির্মল
৪৩. মাটির ক্ষয়রোধ করতে হলে আমাদের করণীয় কী?
ক অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে
খ মাটির যথেচ্ছ ব্যবহার করতে হবে
গ বনজঙ্গল কাটতে হবে
অধিক বৃক্ষ রোপণ করতে হবে
৪৪. প্রকৃতিতে কে ভারসাম্য বজায় রেখে চলে? (জ্ঞান)
ক কার্বন ডাইঅক্সাইড খ অক্সিজেন
পরিবেশ ঘ পানি
৪৫. জীব কার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে? (জ্ঞান)
ক প্রাণী পরিবেশ গ শ্বসন ঘ উদ্ভিদ
৪৬. ডাইনোসররা কখন পৃথিবীতে বাস করত? (জ্ঞান)
ক কয়েক যুগ আগে খ একশ বছর আগে
গ এক লক্ষ বছর আগে লক্ষ লক্ষ বছর আগে
৪৭. নিচের কোনটি ডিম সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়?
ডাইনোসর খ কোয়েল
গ মরুগি ঘ উটপাখি
৪৮. কাদের দ্বারা প্রধানত পরিবেশ দূষিত হয়? (অনুধাবন)
ক পশুপাখির মানুষের গ জীবজন্তুর ঘ গাছপালার
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৯. জীব ও জড় পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়ার কারণÑ (প্রয়োগ)
র. নদী থেকে শুধু এক প্রজাতির মাছ আহরণ
রর. ফসলের মাঠে অত্যধিক সার প্রয়োগ
ররর. শিল্প-কারখানার গরম পানি নদীতে ফেলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারণ (প্রয়োগ)
র. হঠাৎ পৃথিবীর ঠাণ্ডা হওয়া
রর. অন্য প্রাণীদের আবির্ভাব
ররর. হঠাৎ পৃথিবীর উত্তপ্ত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ ররর ঘ রর ও ররর
ন্ধ পাঠ ৭-৮ : পরিবেশের উপাদানের আন্তঃসম্পর্ক এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. উদ্ভিদ কোন প্রক্রিয়ার সাহায্যে নিজের খাদ্য প্রস্তুত করে? (জ্ঞান)
ক শ্বসন সালোকসংশ্লেষণ
গ প্রস্বেদন ঘ গ্যাস বিনিময়
৫২. উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে তা কোথা থেকে পায়? (অনুধাবন)
ক প্রাণীর বর্জ্য নিঃসরণ খ প্রাণীর বিয়োজন
প্রাণীর শ্বসন প্রক্রিয়া ঘ মাটি
৫৩. কোনটির জন্য প্রাণী উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল? (অনুধাবন)
ক আলো খ পানি গ বীজ খাদ্য
৫৪. পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম জীব কী? (জ্ঞান)
ক ফার্ন খ শৈবাল গ ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া
৫৫. মৌমাছি ফুলে ফুলে বিচরণ করলে কোনটি ঘটে?
ক সালোকসংশ্লেষণ খ শ্বসন
পরাগায়ন ঘ ব্যাপন
৫৬. কীটপতঙ্গ উদ্ভিদকে কিসে সাহায্য করে? [অনুধাবন]
ক খাদ্য তৈরিতে বংশবৃদ্ধিতে
গ সালোকসংশ্লেষণে ঘ প্রস্বেদনে
৫৭. মৌমাছির মাধ্যমে ফুলে ফুলে কী ঘটে? [
ক মধু বিতরণ ঘটে পরাগায়ন ঘটে
গ নিষেক ঘটে ঘ অংকুরোদগম ঘটে
৫৮. মরুভ‚মি অঞ্চলের উদ্ভিদ কোনটি? [
ফণিমনসা খ আম গ নারিকেল ঘ কাঁঠাল
৫৯. পৃথিবীর বৃহত্তম জীব কোনটি?
ক হাতি তিমি গ হাঙর ঘ অজগর
৬০. জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব কার ওপর পড়ছে? (জ্ঞান)
পরিবেশের খ মাটির
গ খাদ্যের ঘ বায়ুমণ্ডলের
৬১. সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কে খাদ্য প্রস্তুত করে? (জ্ঞান)
উদ্ভিদ খ প্রাণী
গ পোকামাকড় ঘ জীবজন্তু
৬২. দিনরাত সর্বক্ষণ উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহে কোন প্রক্রিয়া সংঘটিত হতে থাকে? (অনুধাবন)
ক সালোকসংশ্লেষণ খ অভিস্রবণ
গ ব্যাপন শ্বসন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৩. পরিবেশের বিভিন্ন অজীব ও জীবের পারস্পরিক সম্পর্কের উপায়Ñ
[বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
র. সালোকসংশ্লেষণ রর. শ্বসন
ররর. প্রস্বেদন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ র ও ররর ঘ রর ও ররর
ন্ধ পাঠ-৯-১০ : পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান সংরক্ষণের কৌশল
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য- [
ক রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে হবে
খ বনজঙ্গল কেটে ফেলতে হবে
গ বিল্ডিং বানাতে হবে
উদ্ভিদ ও প্রাণিকুলকে রক্ষা করতে হবে
৬৫. সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের কী করতে হবে? (জ্ঞান)
ক বায়ু দূষণ বন্ধ করতে হবে
খ পানিকে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে
পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে
ঘ মাটিতে সার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে
৬৬. কী নিধন বন্ধ করতে হবে? (জ্ঞান)
ক মশামাছি খ কীটপতঙ্গ
গ মাছ পশুপাখি
৬৭. পরিবেশ দূষণ বন্ধ করার প্রধান উপায় কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
উদ্ভিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা
খ কলকারখানা বন্ধ করা
গ যানবাহন চলাচল কমানো
ঘ ইটের ভাটা বন্ধ করা
৬৮. পরিবেশে আবর্জনা পোড়ালে কী হয়? (প্রয়োগ)
ক পানি দূষণ খ মাটি দূষণ
বায়ু দূষণ ঘ শব্দ দূষণ
৬৯. মানুষের কোন কাজটি পরিবেশ দূষণকে প্রতিহত করতে পারে?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক অতিরিক্ত পানিসেচ
খ অতিমাত্রায় কৃষিকাজ
গ বন ও গাছপালার ধ্বংস সাধন
বেশি করে গাছপালা লাগানো
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭০. পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য
রর. পরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য
ররর. উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর র ও ররর ঘ রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ উদ্ভিদ ও প্রাণীর পারস্পরিক নির্ভরশীলতা
ক. পরিবেশকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে? ১
খ. জনসংখ্যা বাড়লে পরিবেশের উপর কী কী প্রতিক্রিয়া হয়? ২
গ. চিত্রের ঘটনায় মৌমাছি ও উদ্ভিদ কীভাবে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্রের উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদ প্রাণীর নির্ভরশীলতা উদাহরণসহ বর্ণনা কর। ৪
ক পরিবেশকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
খ জনসংখ্যা বাড়লে পরিবেশের ওপর যেসব প্রতিক্রিয়া হয় সেগুলো হলো :
১. মাটি, বায়ু, গাছপালা ও পানির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
২. পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।
৩. যানবাহন ও কলকারখানা অধিক হারে বেড়ে যায় ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণও বাড়তে থাকে।
৪. অবাধে ও অপরিকল্পিতভাবে বন উজাড় হয়।
গ উদ্দীপকের চিত্রে একটি ফুলসহ গাছ ও মৌমাছি দেখানো হয়েছে। মৌমাছি ফুলের উপর বিচরণ করে। এটি আমাদের পরিবেশের একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
মৌমাছি মধু পান করে বেঁচে থাকে। এজন্য এরা ফুলে ফুলে বিচরণ করে। কারণ ফুলে মধু থাকে। এভাবে মৌমাছি খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। নিষেক ছাড়া ফল এবং পরাগায়ন ছাড়া নিষেক হয় না। উদ্ভিদের পরাগায়ন ঘটে পতঙ্গের মাধ্যমে। উদ্দীপকের চিত্রে মৌমাছি এক ফুল থেকে অন্য ফুলে উড়ে গিয়ে বসে। ফলে প্রথম ফুলটি থেকে পরাগরেণু এর শরীরে লেগে যায় এবং তা দ্বিতীয় ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে। এভাবে পরাগধানী থেকে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে পড়লে পরাগায়ন ঘটে। এভাবে উদ্ভিদটি এর বংশবিস্তারের জন্য মৌমাছির ওপর নির্ভরশীল।
ঘ জীব পরিবেশের প্রধান উপাদান হলো উদ্ভিদ ও প্রাণী। বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে এরা একে অপর থেকে ভিন্ন। কিন্তু জীবন ধারণের জন্য মৌমাছি যখন ফুলে ফুলে বিচরণ করে, তখনই পরাগায়ন ঘটে। আবার বিভিন্ন প্রাণী পশুপাখি ইত্যাদির মাধ্যমেও উদ্ভিদের বংশবিস্তার হয়। আবার অনেক উদ্ভিদ আছে যারা বিভিন্ন প্রাণীর আশ্রয়স্থল।
প্রাণী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদ থেকে খাদ্য পায়। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরির সময় প্রয়োজনীয় কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রাণী থেকে পায়। প্রাণী শ্বসন প্রক্রিয়ায় তা ত্যাগ করে। আর এ প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উদ্ভিদ থেকে পায়। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় তা ত্যাগ করে। অতএব, উদ্ভিদ ও প্রাণী পরস্পর নানাভাবে নির্ভরশীল। উদ্দীপকের চিত্রটি এ নির্ভরশীলতার একটি উদাহরণ মাত্র।
প্রশ্ন- ২ পরিবেশের উপাদান
ক. পরিবেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? ১
খ. পরিবেশে কাদের জীব বলা হয়? ২
গ. চিত্রের অ ও ই উপাদানের বেঁচে থাকার জন্য কী কী প্রয়োজন? আলোচনা কর। ৩
ঘ. পৃথিবীর সকল অঞ্চলের পরিবেশ কি একই রকম? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পরিবেশকে প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়।
খ পরিবেশে প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয়কে একত্রে জীব বলা হয়। প্রতিটি জীব কোষ দ্বারা গঠিত। এটিই জীবের মূল ভিত্তি। জীবের মধ্যে বিপাক, বৃদ্ধি, উত্তেজনা এবং জীবনচক্র চলে। সুতরাং পরিবেশের যেসব বস্তুর মধ্যে এই লক্ষণগুলো বর্তমান তাদের জীব বলা হয়।
গ উদ্দীপকে চিত্রের অ হলো পাখি যা প্রাণী ও ই হলো উদ্ভিদ। পরিবেশের সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য কিছু মৌলিক উপাদান প্রয়োজন।
বেঁচে থাকার জন্য উদ্ভিদের প্রয়োজন পানি, বায়ু, মাটি, সূর্যের আলো ইত্যাদি। শত্রæ থেকে এদের আত্মরক্ষাও প্রয়োজন হয়। প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন পানি, বায়ু, খাদ্য, তাপমাত্রা এবং বাসস্থান। প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য শত্রæ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, বেঁচে থাকার জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর যেসব উপাদান প্রয়োজন তা তারা প্রকৃতি থেকেই পেয়ে থাকে।
ঘ উদ্দীপকের চিত্রে পাহাড় পর্বত, গাছপালা, পাখি ইত্যাদি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত একটি সুন্দর মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর সকল অঞ্চলের পরিবেশ একই রকম নয়। কিন্তু সকল পরিবেশের উদ্ভিদ ও প্রাণী এক রকমের নয়। সমতল ভ‚মি থেকে আরম্ভ করে পাহাড়, মাটির নিচে, বনজঙ্গল, খাল-বিল, পুকুর, নদী, সমুদ্র, মরুভ‚মি ইত্যাদি সকল স্থানেই বিভিন্ন উদ্ভিদ জšে§ ও প্রাণী বাস করে। জলবায়ু, মাটি, পানি, আলো ও অন্যান্য উপাদানের ভিন্নতার কারণে এ সকল অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণী বৈচিত্র্যও ভিন্ন।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, পৃথিবীর সব অঞ্চলের পরিবেশ একই রকম নয়।
প্রশ্ন- ৩ ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য
লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে ডাইনোসর ছিল যা আজ আর নেই। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য এভাবে নষ্ট হতে থাকলে আরও অনেক প্রাণীই ভবিষ্যতে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
[বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ]
ক. মানুষ কোন পরিবেশের অন্তর্গত? ১
খ. বিভিন্ন অঞ্চলের জীব বিভিন্ন হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রাণীটির বিলুপ্তির কারণ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি রোধ বা বন্ধের উপায় আলোচনা কর। ৪
ক মানুষ জীব পরিবেশের অন্তর্গত।
খ মাটি, পানি, বায়ু, আলো, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, জলবায়ু ইত্যাদি বিভিন্ন অজীব উপাদান বিভিন্নভাবে পরিবেশের প্রতিটি জীবের স্বভাব এবং বিস্তৃতিকে প্রভাবিত করে। এসব উপাদানের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন অঞ্চলের জীব বিভিন্ন হয়।
গ উদ্দীপকের প্রাণীটি হলো ডাইনোসর যা পরিবেশের পরিবর্তনের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা, ডাইনোসর যখন পৃথিবীতে ছিল তখন পৃথিবী অনেক গরম ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই পৃথিবীর অনেক ঠাণ্ডা হয়ে যায়। ঠাণ্ডা সইতে না পেরে তারা সবাই মারা যায়। আবার কারো কারো মতে, যখন পৃথিবীতে অন্য প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটে, তখন তারা খাদ্য হিসেবে ডাইনোসরের ডিম খাওয়া শুরু করে। ডাইনোসর তাদের ডিম সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়।
আবার অনেক বিজ্ঞানী বলেন, পৃথিবীর পরিবেশে তখন এমন পরিবর্তন ঘটে, যার সাথে ডাইনোসররা খাপ খাওয়াতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে পরে। উপরিউক্ত পরিবর্তনগুলোর কারণে উদ্দীপকের প্রাণীটির বিলুপ্তি ঘটেছে।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি হলো একটি প্রাণীর বিলুপ্তি যা রোধ বা বন্ধের উপায় হলো আমাদের তথা মানুষের চেষ্টা ও সচেতনতা।
প্রাকৃতিকভাবে পরিবেশের পরিবর্তন বা মানুষের কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে যদি পরিবেশের পরিবর্তন ঘটে, তখন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে জীব পরিবেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের কারণেই ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছিল। শুধু ডাইনোসরই নয়, এর পরের বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী ধ্বংস হয়ে নানা প্রাকৃতিক ও বিলুপ্তি লাভ করেছে মনুষ্য সৃষ্ট ঘটনার কারণে।
সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। সেই সাথে পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, মানুষের চেষ্টা ও সাধনাই পারে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া বন্ধ করতে।
প্রশ্ন- ৪ পরিবেশের উপাদানের আন্তঃসম্পর্ক এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতা
নিচের বিক্রিয়াদ্বয় লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অ. পানি + কার্বন ডাইঅক্সাইড সূর্যের আলোক্লোরোফিল গ্লুকোজ + অক্সিজেন
ই. গ্লুকোজ + অক্সিজেন কার্বন ডাইঅক্সাইড + তাপশক্তি
ক. অজীব ও জীবের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রধান উপায় কয়টি? ১
খ. উদ্ভিদ ও প্রাণী কীভাবে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল? ২
গ. ‘ই’ নং বিক্রিয়াটি প্রাণীর শ্বাসকার্যে কীভাবে সহায়তা করে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বিক্রিয়া দুটির ভূমিকা আলোচনা কর। ৪
ক অজীব ও জীবের পারস্পরিক সম্পর্কের প্রধান উপায় দুইটি।
খ উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনধারণের জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।
বিভিন্ন প্রাণী যেমন: কীটপতঙ্গ, পশু, পাখি ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশবিস্তার হয়। আবার অনেক উদ্ভিদ আছে যারা বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর আশ্রয়স্থল। উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ থেকে প্রাণী খাদ্য ও অক্সিজেন পায় আবার প্রাণীর শ্বসন থেকে উদ্ভিদ কার্বন ডাইঅক্সাইড পায়। এভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণী বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলেও জীবনধারণের জন্য পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল।
গ উদ্দীপকে ‘ই’ নং বিক্রিয়াটি জীবের (উদ্ভিদ ও প্রাণী) শ্বসনের বিক্রিয়া। শ্বসন প্রাণীদেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। শ্বসন প্রক্রিয়ায় জীবদেহের কোষস্থ খাদ্য থেকে শক্তি উৎপন্ন হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণী দেহের কোষে খাদ্যের (গ্লুকোজ) সাথে বায়ুর অক্সিজেন মিলিত হয়ে এ বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং খাদ্যস্থ রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তি হিসেবে নির্গত হয়। ‘ই’নং এর বিক্রিয়াটিতে গ্লুকোজ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে জারিত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং শক্তি উৎপন্ন করে প্রাণীর কোষীয় শ্বাসকার্যে সহায়তা করে।
ঘ উদ্দীপকের বিক্রিয়া ‘অ’ সালোকসংশ্লেষণের এবং বিক্রিয়া ‘ই’ হলো শ্বসনের যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং পরিবেশ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। সমগ্র প্রাণিকুল শ্বসন কাজের জন্য পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে। ফলে সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসনের মাধ্যমে পরিবেশ অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড-এর পরিমাণের সমতা লাভ করে। অতএব, এই প্রক্রিয়া দুটি পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড এর ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে।
প্রশ্ন- ৫ পরিবেশ দূষণ এবং স্বাভাবিক পরিবেশ
ক. পরিবেশ দূষণ কী? ১
খ. পরিবেশে সুস্থভাবে বাঁচতে হলে কী করতে হবে? ২
গ. ই চিত্রে কী দেখা যাচ্ছে? এর উৎস ও কারণসমূহ আলোচনা কর। ৩
ঘ. অ ও ই চিত্রের মধ্যে কোন পরিবেশটিকে তুমি জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বলে মনে কর? এ ধরনের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কী করণীয় তা যুক্তিসহ উপস্থাপন কর। ৪
ক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের ক্ষতিকর পরিবর্তনকে পরিবেশ দূষণ বলে।
খ উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। সকল জীব বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের ওপর নির্ভরশীল। পরিবেশের উপাদানসমূহের মধ্যে যদি কোনো কারণে কোনো পরিবর্তন ঘটে, তবে জীবের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হবে। পরিবেশে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে পরিবেশকে নষ্ট না করে একে সংরক্ষণের চেষ্টা করতে হবে।
গ ই চিত্রে চরমপর্যায়ে পরিবেশ দূষণ দেখা যাচ্ছে। নিচে একটি তালিকায় পরিবেশ দূষণের কারণ ও উৎসসমূহ চিহ্নিত করা হলোÑ
বিভিন্ন প্রকার দূষণ কারণ ও উৎসসমূহ
বায়ু দূষণ শিল্পকারখানা ও যানবাহনের কালো ধোঁয়া, ইট ভাটার ধোঁয়া, কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস, এয়ার কন্ডিশনার ও ফ্রিজের সিএফসি গ্যাস, রান্নার সময় চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া ইত্যাদি।
পানি দূষণ নর্দমা ও পয়ঃপ্রণালির আবর্জনা ও বর্জ্য, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক, গবাদি পশুর গোসল, কাপড় ধৌত করা, শিল্প-কারখানার বর্জ্য ইত্যাদি।
মাটি দূষণ বাড়িঘরের আবর্জনা ও বর্জ্য, পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহার, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক, কলকারখানা ও হাসপাতালের বর্জ্য ইত্যাদি।
শব্দ দূষণ যানবাহন ও মাইকের আওয়াজ, কারখানার শব্দ, প্লেনের বিকট গর্জন, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রের শব্দ, রেডিও টেলিভিশনের তীব্র আওয়াজ।
ঘ উদ্দীপকের অ ও ই চিত্রের মধ্যে আমি অ পরিবেশটিকে জীবনযাপনের জন্য উপযুক্ত মনে করি।
অ চিত্রের মতোই মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজন পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ। পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে সকলের সচেতন থাকতে হবে। পরিবেশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত :
১. পরিবেশ ধ্বংস বা দূষণের কারণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
২. গাছপালা ও পশুপাখির যতœ নিতে হবে।
৩. বসতবাড়ি ও বিদ্যালয়ের আঙিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
৪. গাছপালা কাটা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
অতএব, পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে আমাদের সকলের মিলেমিশে উলিখিত কাজগুলো করতে হবে এবং অ চিত্রের মতো পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
প্রশ্ন- ৬ পরিবেশের ভারসাম্য
জীব জড়ের ওপর নির্ভরশীল। আবার একটি জীব অপর একটি জীবের ওপর নির্ভরশীল। পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে অভি দেখল দুই শ্রেণির জীব ঢ ও ণ পরস্পর নির্ভরশীল। এর উপর পরিবেশের ভারসাম্য নির্ভর করে।
ক. পৃথিবীতে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম জীব কী? ১
খ. অজীব উপাদান জীবের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণÑ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের মৌলিক উপাদান কীভাবে ভ‚মিকা রাখে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ঢ ও ণ এর নির্ভরশীলতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম জীব হলো ব্যাকটেরিয়া।
খ মাটি, পানি, বায়ু, আলো, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, জলবায়ু ইত্যাদি বিভিন্ন অজীব উপাদান বিভিন্নভাবে পরিবেশের প্রতিটি জীবের স্বভাব এবং বিস্তৃতিকে প্রভাবিত করে। এসব উপাদানের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে পরিবেশের একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোন ধরনের জীব উপাদান থাকবে। সুতরাং অজীব উপাদান জীবের বেঁচে থাকার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
গ উদ্দীপকে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের মৌলিক উপাদান যেমন পানি, বায়ু, খাদ্য, তাপমাত্রা এবং বাসস্থান প্রয়োজন।
মানুষ সরাসরি নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না, খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ পানি, সূর্যের আলো ও বায়ুর ঈঙ২ এর উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাবার তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ার সময় উদ্ভিদ ঙ২ নির্গত করে, যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক। তাপমাত্রাও অন্যান্য মৌলিক উপাদানের সাথে সম্পৃক্ত। বায়ু ও পানি এই দুটি উপাদান পরিবেশের তাপমাত্রা এবং আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা এবং পরিবেশের তাপমাত্রা প্রতিক‚ল হলে অর্থাৎ অত্যধিক কম বা বেশি হলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
তাই বলা যায়, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের মৌলিক উপাদান বিভিন্নভাবে ভ‚মিকা রাখে।
ঘ উদ্দীপকে পরিবেশের ‘ঢ’ উপাদানটি হলো প্রাণী এবং ‘ণ’ উপাদানটি হলো উদ্ভিদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ঢ ও ণ পরস্পর নির্ভরশীল।
সালোকসংশ্লেষণ এবং শ্বসন পদ্ধতি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ঢ ও ণ এর নির্ভরশীলতার দুটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় জড় উপাদান সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বায়ুর ঈঙ২ এবং পানি ব্যবহার করে গøুকোজ ও অক্সিজেন তৈরি করে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন অক্সিজেন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন অক্সিজেন উদ্ভিদ এবং প্রাণীর শ্বসন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের কাজে লাগে। প্রাণীর শ্বসন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ঈঙ২ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। আবার কিছু উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটে কীটপতঙ্গের মাধ্যমে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর নির্ভরশীলতা গুরুত্বপূর্ণ।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৭ পরিবেশের উপাদানের সাথে মানুষের আন্তঃসম্পর্ক এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবার কারণ
বাড়তি মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ ব্যবহার করা ও ধ্বংস করা হচ্ছে। যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণ।
ক. প্রাকৃতিক পরিবেশ বলতে কী বোঝ? ১
খ. ডাইনোসর বিলুপ্তির কারণ লেখ। ২
গ. প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে মানুষের আন্তঃসম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পরিবেশের ভারসাম্য কীভাবে নষ্ট হচ্ছে তা উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪
ক আমাদের চারপাশে গাছপালা, নদীনালা, জীবজন্তু, আলো, বায়ু, মাটি, পানি এসব কিছুকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে।
খ উদ্দীপকের প্রাণীটি হলো ডাইনোসর যা পরিবেশের পরিবর্তনের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা, ডাইনোসর যখন পৃথিবীতে ছিল তখন পৃথিবী অনেক গরম ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই পৃথিবীর অনেক ঠাণ্ডা হয়ে যায়। ঠাণ্ডা সইতে না পেরে তারা সবাই মারা যায়। আবার কারো কারো মতে, যখন পৃথিবীতে অন্য প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটে, তখন তারা খাদ্য হিসেবে ডাইনোসরের ডিম খাওয়া শুরু করে। ডাইনোসর তাদের ডিম সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ পরিবেশের উপাদানের সাথে মানুষের আন্তঃসম্পর্ক আলোচনা কর।
ঘ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণ আলোচনা কর।
প্রশ্ন- ৮ সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন এবং প্রাণী ও উদ্ভিদের আন্তঃসম্পর্ক
ক. উদ্ভিদের দেহে খাদ্য উৎপাদন হয় কোন প্রক্রিয়ায়? ১
খ. সালোকসংশ্লেষণ বলতে কী বুঝ? ২
গ. উদ্দীপকে থেকে সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসনের পার্থক্য লেখ। ৩
ঘ. উদ্দীপকের প্রেক্ষিতে পরিবেশ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যকার প্রক্রিয়া অতি সাধারণ ও জটিল বিশ্লেষণ কর। ৪
ক উদ্ভিদ দেহে খাদ্য উৎপাদন হয় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায়।
খ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি ব্যবহার করে গøুকোজ এবং অক্সিজেন উৎপন্ন করে তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।
ঢ-পষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে
গ সালোক সংশ্লেষণ ও শ্বসনের পার্থক্য আলোচনা কর।
ঘ পরিবেশের উপাদানের ভেতর প্রাণী ও উদ্ভিদের আন্তঃসম্পর্ক।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ জড় বস্তু কাকে বলে?
উত্তর : যাদের প্রাণ বা জীবন নেই তারা জড় বস্তু।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তর : আমাদের চারপাশে গাছপালা, নদীনালা, জীবজন্তু, আলো, বায়ু, মাটি, পানি এসব কিছুকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কী নিয়ে জীব পরিবেশ গঠিত?
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণী নিয়ে জীব পরিবেশ গঠিত।
প্রশ্ন \ ৪ \ পরিবেশের উপাদান কয়টি?
উত্তর : পরিবেশের উপাদান দুটি ।
প্রশ্ন \ ৫ \ বেঁচে থাকার জন্য উদ্ভিদের কী মৌলিক উপাদান প্রয়োজন?
উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য উদ্ভিদের পানি, বায়ু, খাদ্য, সূর্যের আলো এসব মৌলিক উপাদান প্রয়োজন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ পরিবেশের ওপর জীবের নির্ভরশীলতার দুটো উদাহরণ দাও।
উত্তর : জীব পরিবেশের মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদি উপাদানের ওপর নানাভাবে নির্ভরশীল। যেমন :
১. পরিবেশের বায়ু থেকে সকল প্রাণী শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে অক্সিজেন নেয়। এই অক্সিজেন গ্রহণ ব্যতীত কোনো প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না।
২. পানি না থাকলে কোনো জীব বাঁচতে পারে না। আর এই পানি পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
প্রশ্ন \ ২ \ পরিবেশের ভারসাম্য কখন নষ্ট হয়?
উত্তর : প্রাকৃতিকভাবে পরিবেশের পরিবর্তন বা মানুষের কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে যদি পরিবেশের পরিবর্তন ঘটে, তখন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ পরিবেশে সুস্থভাবে বাঁচতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : পরিবেশে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে পরিবেশকে নষ্ট না করে একে সংরক্ষণের চেষ্টা করতে হবে।
উদ্ভিদ ও প্রাণী বেঁচে থাকার জন্য একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এরা আবার জড় পরিবেশের ওপরও নির্ভরশীল। সকল জীব বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের ওপর নির্ভরশীল। পরিবেশের উপাদানসমূহের মধ্যে যদি কোনো কারণে কোনো পরিবর্তন ঘটে, তবে জীবের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হবে।
প্রশ্ন \ ৪ \ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায় কেন?
উত্তর : জলবায়ু, মাটি, পানি, আলো ও অন্যান্য উপাদানের ভিন্নতার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়।
পৃথিবীর সকল পরিবেশের উদ্ভিদ ও প্রাণী এক রকমের নয়। সমতল ভ‚মি থেকে আরম্ভ করে পাহাড়, মাটির নিচে, বনজঙ্গল, খালবিল, পুকুর, নদী, সমুদ্র, মরুভ‚মি ইত্যাদি সকল স্থানেই বিভিন্ন উদ্ভিদ জন্মে ও প্রাণী বাস করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ জনসংখ্যা বাড়লে পরিবেশের ওপর কী কী প্রতিক্রিয়া হয়?
উত্তর \ জনসংখ্যা বাড়লে পরিবেশের ওপর যেসব প্রতিক্রিয়া হয় সেগুলো নিম্নরূপ :
১. মাটি, বায়ু, গাছপালা ও পানির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
২. পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।
৩. যানবাহন ও কলকারখানা অধিক হারে বেড়ে যায় ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণও বাড়তে থাকে।
৪. অবাধে ও অপরিকল্পিতভাবে বন উজাড় হয়।