৪. পত্র রচনা
য় চিঠি বা পত্র :
চিঠির আভিধানিক অর্থ হলো স্মারক বা চিহ্ন। তবে ব্যবহারিক অর্থে চিঠি বা পত্র লিখন বলতে বোঝায়, একের মনের ভাব বা বক্তব্যকে লিখিতভাবে অন্যের কাছে পৌঁছানোর বিশেষ পদ্ধতিকে। আরও সহজ করে বলা যায়, দূরের কিংবা কাছের কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিজের প্রয়োজনীয় কথাগুলো লিখে জানানোর পদ্ধতিকে চিঠি বা পত্র লিখন বলে।
য় চিঠি বা পত্রের বিভিন্ন অংশ :
একটি চিঠি বা পত্রে সাধারণত ছয়টি অংশ থাকে। এগুলো হলোÑ ১. যেখান থেকে চিঠি লেখা হচ্ছে সে জায়গার নাম ও তারিখ; ২.সম্বোধন বা সম্ভাষণ; ৩. মূল বক্তব্য; ৪. বিদায় সম্ভাষণ; ৫. প্রেরকের (যে চিঠি পাঠাচ্ছে তার) স্বাক্ষর ও ৬. প্রাপকের (যে চিঠি পাবে তার) নাম ও ঠিকানা।
য় চিঠি বা পত্র লেখার নিয়ম :
চিঠি বা পত্র লেখার সময় সাধারণ কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়। যেমনÑ ১. সুন্দর ও স্পষ্ট হস্তাক্ষরে লেখা; ২. সহজ, সরল ভাষায় লেখা; ৩. নির্ভুল বানানে লেখা; ৪. চলিত ভাষায় লেখা; ৫. বিরামচিেহ্নর যথাযথ ব্যবহার করা; ৬. একই কথার পুনরাবৃত্তি না করা; ৭. পাত্রভেদে সম্মান ও স্নেহসূচক বাক্য ব্যবহার ইত্যাদি।
য় চিঠি বা পত্রের প্রকারভেদ :
বিষয়বস্তু বিবেচনায় চিঠিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যথাÑ
১. ব্যক্তিগত চিঠি। যেমনÑ মা-বাবা বা বন্ধু-বান্ধবকে ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে লেখা চিঠি।
২. সামাজিক চিঠি। যেমনÑ সামাজিক কোনো সমস্যা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য কিংবা প্রশাসনকে জানানোর জন্য লেখা চিঠি।
৩. ব্যবহারিক চিঠি। যেমনÑ ব্যবহারিক প্রয়োজনে লেখা আবেদনপত্র, ব্যবসাপত্র, নিমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি।
ব্যক্তিগত পত্র :
[ পাঠ্য বই থেকে ]
১. মনে করো, তোমার নাম নিবিড়। তোমার বন্ধুর নাম রাহুল। সে খুলনায় থাকে। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ।
পল্লবী ঢাকা
১৩.০৭.২০১৬
প্রিয় রাহুল,
আমার শুভেচ্ছা নিও। অনেক দিন হলো তোমার কোনো খবর পাই না। আশা করি ভালো আছ। গতদিন আমাদের স্কুলে ‘বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ে একটি সেমিনার হয়ে গেল। সেই সেমিনারেই বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক ভালো ভালো কথা শুনলাম। তোমাকে সেগুলো জানাতেই এ চিঠি লিখতে বসেছি।
তুমি তো জানো, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ করি, কার্বন-ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে নেয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে প্রচুর গাছ কাটছে। বন উজাড় হচ্ছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। তুমি হয়তো জানো না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূ-খণ্ডের কমপক্ষে পঁচিশ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। বরং যা আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায় যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ। কমছে বাতাসের ওজোন স্তর। সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউজ ইফেক্ট। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা রোগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তাছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশিরভাগ পূরণ হয় বৃক্ষের মাধ্যমে। কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলে আমরা বাঁচব।
আজ এই পর্যন্তই। তোমার মা-বাবাকে আমার শ্রদ্ধা জানিও। চিঠি দিও।
ইতিÑ
তোমার বন্ধু
নিবিড়।
ডাক টিকিট
প্রেরক:
নিবিড় সেতু
পল্লবী, মিরপুর,
ঢাকা। প্রাপক:
মো. রাহুল
সোনারতরী
৩৩ স্যার ইকবাল রোড, খুলনা।
২. তোমার বন্ধু মুমতাহিনার মা হঠাৎ মারা গেছেন। তাকে সান্ত্বনা জানিয়ে একটি চিঠি লেখ।
ল²ীবাজার, ঢাকা।
২৫.০৬.২০১৬
সুপ্রিয় মুমতাহিনা,
কিছুক্ষণ আগে তোমার চিঠি পেয়েছি। চিঠি পড়ে আমি স্তম্ভিত। তুমি লিখেছ তোমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যুর কথা। আমার কাছে এখনো সব অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো! আমি খুবই মর্মাহত। তোমাকে সান্ত্বনা দেবার মতো ভাষা আমার নেই। শুধু জেনো, তোমার এ মর্মবেদনার আমিও সমান অংশীদার।
ছোটবেলায় আমি মাকে হারিয়েছিলাম। মায়ের আদর-ভালোবাসা কাকে বলে জানতাম না। তোমার মা আমার সেই অনুভূতি জাগিয়েছিলেন। তাই তাঁকে আমি মা বলে ডেকেছি। আজ আমি আবার মা-হারা হলাম। মানুষ মরণশীলÑ এই নির্মম সত্যটা আমাদের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। কাজেই দুঃখ না করে মায়ের আত্মার শান্তির জন্য তিনি যেমনটি ভেবেছিলেন ভবিষ্যতে আমাদের সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে। পড়াশোনায় আত্মনিয়োগ করো। বাবা ও ছোট ভাইয়ের প্রতি খেয়াল রেখ। কয়েক দিন পরে তোমার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা। নিজের পড়ার কাজে ডুবে থাকলে এ বেদনা হয়তো আস্তে আস্তে প্রশমিত হবে।
পরীক্ষার কারণে আমি তোমার এই দুঃসময়ে কাছে থাকতে পারলাম না, এটাও আমার জন্য খুব কষ্টকর। কায়মনোবাক্যে কামনা করি, তুমি এই প্রতিক‚লতা যেন কাটিয়ে উঠতে পারো। আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আল্লাহ তোমার সহায় হোন।
তোমার বাবাকে সালাম জানিও। ছোট ভাই সিয়ামের প্রতি রইল আমার অসীম স্নেহ।
ইতিÑ
তোমার বন্ধু
সুমনা।
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
৩. মনে করো, তোমার ছোট ভাই মুগ্ধ ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তাকে ‘পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ব্যক্তি তথা জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ’ এই মর্মে একটি পত্র পাঠাও।
সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ
১৭.০৭. ২০১৬
স্নেহের মুগ্ধ,
আমার আদর নিও। গতকাল তোমার চিঠি পেয়েছি। তুমি ও বাড়ির সবাই ভালো আছ জেনে খুশি হয়েছি।
চিঠিতে জানতে পারলাম আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তোমার পরীক্ষা শুরু হবে। তোমার পড়াশোনা নিশ্চয়ই ভালোভাবে চলছে? মনোযোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ো এবং বারবার লেখো। নিজের ভুলগুলো নিজেই সংশোধন করো। এতে তোমার হাতের লেখা যেমন সুন্দর হবে, তেমনি লেখায় বানান ভুলও কমে যাবে। ফলে পরীক্ষার খাতায় বেশি নম্বর পাবে।
আজকাল অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাসে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকদের কথা শোনে না। বাড়িতেও ঠিকমতো পড়ালেখা করে না। তারা পরীক্ষার হলে গিয়ে নকল করে। কেউ কেউ নকল করে ভালোভাবে পাসও করে যায়। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা তাদের হয় না। ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আগামীতে তারাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। তাই পরিশ্রম ও সাধনার মাধ্যমে তাদের নিজেকে সব দিক দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। পরীক্ষায় নকল করা একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। নকলের মতো দুর্নীতি বা পাপের ওপর ভিত্তি করে জীবনে কখনোই সাফল্য লাভ করা যায় না। আশা করি, তুমি শিক্ষকদের উপদেশ মতো পড়াশোনার প্রতি গভীর মনঃসংযোগ করবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে আমাদের পরিবার ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তোমার কৃতিত্ব ও গৌরব কামনা করি। ভালো থেকো। বাবা ও মাকে আমার সালাম জানিও।
ইতিÑ
বাঁধন ভাইয়া ।
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
৪. কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব বর্ণনা করে তোমার ছোট বোন বনানীকে একটি চিঠি লেখ।
আহসান রোড, খুলনা।
১৭.০৭.২০১৬
প্রিয় বনানী,
আমার স্নেহাশিস নিও। অনেক দিন পর তোমার চিঠি পেলাম। তুমি ক্লাসে প্রথম হয়েছ জেনে খুব আনন্দিত হয়েছি। আমি আরো খুশি হয়েছি তুমি ক্লাসের পড়াশোনার বাইরে কম্পিউটার শিখছ বলে।
বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। আর প্রযুক্তির এ যুগে সর্বোচ্চ স্থান দখল করে আছে কম্পিউটার। কম্পিউটার ছাড়া আধুনিক জীবন-যাপন কল্পনা করা যায় না। শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, ব্যবসাবাণিজ্য, অফিস-আদালত, চিকিৎসা, বিনোদনÑ সব ক্ষেত্রেই কম্পিউটারের ব্যবহার আজ অপরিহার্য। তাই কর্মক্ষেত্রেও এখন কম্পিউটার জানা লোকদের অগ্রাধিকার। কম্পিউটার-অভিজ্ঞ লোক বেকার বসে থাকে না। তাই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমাদের প্রত্যেকেরও উচিত অন্যান্য বিষয়ের সাথে কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। তুমি ক্লাসের পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার ভালোভাবে আয়ত্ত করবে, আমার এই শুভ কামনা রইল।
আজ আর না। মা ও বাবাকে আমার সালাম দিও। তুমি ভালো থেকো।
ইতিÑ
তোমার ভাইয়া
রনি
ডাক টিকিট
প্রেরক:
রনি
১০৪, আসহান রোড
বগুড়া।
প্রাপক:
ব্রততী বনানী
গ্রাম : শ্রীপুর
ডাকঘর : বকসিগঞ্জ
জেলা : জামালপুর।
[ অতিরিক্ত অংশ ]
৫. মনে করো, তুমি কাজল। তোমার জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে জানিয়ে বাবার কাছে একটি পত্র লেখো।
বাজিতপুর
ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
শ্রদ্ধেয় বাবা,
সালাম নিন। আশা করি ভালো আছেন। গতকাল আপনার চিঠি পেলাম। আপনার আসতে দেরি হবে জেনে মনটা বেশ খারাপ হলো।
আজ আমার জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমার ফল জেনে আপনি নিশ্চয়ই খুশি হবেন। আমি অ+ পেয়েছি। দোয়া করবেন, আমি যেন ভবিষ্যতে আপনার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।
আপনাকে অনেক দিন দেখিনি। আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। ছুটি নিয়ে এক দিনের জন্য হলেও আমাদের সঙ্গে দেখা করে যান। আমরা আপনার অপেক্ষায় রইলাম।
বাড়ির সবাই ভালো আছে। আপনি শরীরের প্রতি যতœ নেবেন। ভালো থাকবেন।
ইতি
আপনার স্নেহের
কাজল।
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
৬. মনে করো, তোমার নাম খসরু। তোমার বড় বোনের বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছে। তোমার প্রিয় বন্ধু হামিদকে এ উপলক্ষ্যে একটি চিঠি লেখো।
পূর্ব ঘোপাল, ফেনী
২৫শে মার্চ, ২০১৬
প্রিয় হামিদ,
শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। আগামী ১০ই এপ্রিল আমার বড় আপার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছে। তুমি অবশ্যই আসবে। মা, আপা সবাই তোমাকে আসতে বলেছেন। তুমি কিন্তু ৭ তারিখের মধ্যেই চলে আসবে, কেমন? অনেক কাজ করতে হবে। আমাদের সব বন্ধুরাই আসছে। খুব মজা হবে।
আজকের মতো বিদায়। সাবধানে এসো।
ইতি
তোমার বন্ধু
খসরু
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
৭. মনে করো, তুমি ফরহাদ। গ্রীষ্মের ছুটি কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে তোমার বন্ধু শফিককে একটি চিঠি লেখো।
বয়রা, খুলনা
১০/০৪/২০১৬
প্রিয় শফিক,
ভালোবাসা নিও। তোমার চিঠি পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছি।
তোমাকে একটা খুশির খবর দিই, এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে আমাদের বিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হবে। এবারের ছুটিতে মা-বাবার সাথে আমি সোনারগাঁও ও পাহাড়পুর যাব। এ দুটিই আমাদের দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। স্থানগুলোতে গেলে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। তুমিও চলো না আমাদের সাথে। খুব মজা হবে।
ভালো থেকো। তোমার মতামত জানিও।
ইতি
তোমার শুভার্থী
ফরহাদ
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
৮. মনে করো, তোমার নাম অহনা/অহন। তোমার কলকাতা প্রবাসী এক বন্ধুর নাম বাদল/বৃষ্টি। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে তুমি যা জান তা তোমার বন্ধুকে জানিয়ে একটি চিঠি লেখো। ধরো, তোমার বন্ধুকে লেখার ঠিকানা- ৩৬, সল্ট লেক, কলকাতা, ভারত।
মহিষাকান্দি, নরসিংদী।
২২শে ফেব্রæয়ারি, ২০১৬
প্রিয় বাদল,
কেমন আছ? আমি ভালোই আছি। কাল ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ তোমাকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানিয়ে লিখছি।
১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা দেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাংলার ছাত্র সমাজ। ২১শে ফেব্রæয়ারিকে সংস্কৃতিক সংগঠনগুলো রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ২০শে ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় ১৪৪ দ্বারা জারি করা হয়। ২১শে ফেব্রæয়ারির দিন ¯েøাগানে ¯েøাগানে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারার পরোয়া না করেই এগিয়ে গেল ছাত্র-জনতা। পুলিশের গুলিতে রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে শহিদ হলেন। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলল। রাস্তায় নেমে এলো লাখো জনতা। অবশেষে ভাষাশহিদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পেলাম মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার।
তোমার বাবা-মাকে আমার সালাম জানিও। আজ বিদায় নিচ্ছি।
ইতি
তোমার বন্ধু
অহনা
৯. মনে করো, তোমার নাম বিকাশ/বৈশাখী। তোমার বন্ধুর নাম রহিম/শশী। তোমার প্রিয় বই সম্পর্কে জানিয়ে বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখো।
উত্তরা, ঢাকা।
১৮/০৭/২০১৬
প্রিয় শশী,
কেমন আছ? আমি ভালো আছি। আজ আমি তোমাকে আমার প্রিয় বইয়ের কথা জানাব।
আমার সবচেয়ে প্রিয় বই হচ্ছে ‘কাকের নাম সাবানি’। বইটির লেখক আনিসুল হক। সাবানি নামের একটি কাকের মজার সব কাণ্ড নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। সাবানির খুব ইচ্ছা সে শিল্পী হবে। যে উদ্দেশ্যে সে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। তারপর কত রকমের অভিজ্ঞতা যে তার হয়! সেগুলো পড়ে কখনও হেসে উঠি। কখনো আবার মন খারাপ হয়ে যায়। একবার বইটা নিয়ে বসলে শেষ না করে ওঠার উপায় নেই। আর বইটাতে আছে শেখার মতন অনেক কিছু।
আজ এখানেই শেষ করছি। নতুন কী বই পড়লে জানিও।
ইতি
তোমার বন্ধু
বৈশাখী
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
১০. মনে করো, তোমার নাম পল্লব/পলি। জন্মভ‚মির প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে তোমার আমেরিকা প্রবাসী বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো। ধরো, তোমার বন্ধুর নাম ড্যানিয়েল/ডোরি। তার ঠিকানা- ২৪ ডাউনিং স্ট্রীট, নিউইয়র্ক, আমেরিকা।
বাঘা, রাজশাহী
১২/০৪/২০১৬
প্রিয় ড্যানিয়েল,
কেমন আছ বন্ধু? গত চিঠিতে তুমি জন্মভ‚মি সম্পর্কে আমার অনুভ‚তির কথা জানতে চেয়েছ। আজ সে কথা জানিয়ে তোমাকে লিখছি।
আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর। মন ভোলানো এর প্রকৃতি। সারা দেশে সবুজের ছড়াছড়ি। নদী, পাহাড়, সমুদ্র সবই আছে এদেশে। আর আছে নানা ধর্ম, পেশা ও সংস্কৃতির মানুষ। সকলেই এদেশে মিলেমিশে বসবাস করে। এই সবকিছুই আমাকে প্রচণ্ডভাবে আকর্ষণ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ত্রিশ লক্ষ মানুষ সে যুদ্ধে শহিদ হয়েছে। এদেশকে নিয়ে তাই আমাদের অহংকারের শেষ নেই। বাংলাদেশে জন্ম নিতে পেরে আমি গর্বিত। দেশকে আমি আমার মায়ের মতোই ভালোবাসি।
আজ আর নয়। তোমার দেশের কথা জানিয়ে আমাকে চিঠি দিও।
ইতি
তোমার বন্ধু
পল্লব
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
১১. মনে করো, তোমার নাম সাকিব/সালমা। তোমার বন্ধুর নাম অয়ন/আয়না। স¤প্রতি তুমি একটি স্থান থেকে বেড়িয়ে এসেছ। সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তোমার বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।
মালিবাগ, ঢাকা।
প্রিয় অয়ন, ১৭/০২/২০১৬
শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ।
গত সপ্তাহে বাবা-মা’র সাথে সেন্টমার্টিন থেকে ঘুরে এসেছি। দারুন মজা হয়েছে। ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে প্রথমে গিয়েছি চট্টগ্রাম। সেখান থেকে বাসে করে টেকনাফ। তারপর জাহাজে সেন্টমার্টিন পৌঁছেছি। সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য বলে বোঝানোর মতো না। সাগরের স্বচ্ছ নীল পানি, রাতের আকাশে হাজার তারার মেলা, সৈকতে ঘুরে বেড়ানো নানা রঙের কাঁকড়া, সূর্যোদয়ের দৃশ্য ইত্যাদি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। অনেক রকমের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিয়েছি। আর খেয়েছি সেন্টমার্টিনের সুমিষ্ট ডাবের পানি। সেন্টমার্টিনের অদূরেই আছে ছেঁড়াদ্বীপ। নৌকায় চড়ে সেখানেও গিয়েছি। সেন্টমার্টিনে আমরা দুই দিন ছিলাম। ফেরার পথে টেকনাফ এসে বাসে চড়ে সরাসরি ঢাকায় ফিরেছি। সব মিলিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের স্মৃতি ভোলার মতো নয়।
আজ বিদায় নিচ্ছি। তোমার ময়না পাখিটার কী খবর? ভালো থেকো।
ইতি
তোমার বন্ধু
সাকিব
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
১২. মনে করো, তোমার নাম হাসনা/সেলিম। তোমার ছোট ভাইয়ের নাম আকাশ। স্বাধীনতা দিবস কীভাবে উদ্যাপন করেছ সে সম্পর্কে জানিয়ে তাকে একটি পত্র লেখো।
সাভার, ঢাকা।
২৯/০৩/২০১৬
আদরের আকাশ,
কেমন আছ? বাড়ির সবাই ভালো তো? তোমার বিড়ালটা কত বড় হলো?
২৬ তারিখ ছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। নানা রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের সবাই মিলে এ দিবসটি উদ্যাপন করেছি। দিনটি উপলক্ষ্যে আমরা পুরো বিদ্যালয় কাগজের পতাকা দিয়ে সাজিয়েছিলাম। দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। সকাল বেলা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে আমরা ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। দুপুর থেকে বিদ্যালয়ে আরম্ভ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তি, গান, নাচ, ছোট নাটিকা ইত্যাদি উপস্থাপন করে। আমিও একটি কবিতা আবৃত্তি করি। বিকেলে অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায় দেখানো হয় ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রটি। দেখে খুব ভালো লাগল। সব মিলিয়ে খুব আনন্দময় একটি দিন কেটেছে।
আজ আর নয়, গরমের ছুটিতে বাড়ি আসছি।
ইতি
তোমার বড় বোন
হাসনা
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
১৩. মনে করো, তোমার নাম মানিক। তোমার বন্ধুর নাম রিয়াজ। স¤প্রতি তোমার এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি সড়ক দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।
যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
১৪ই মার্চ, ২০১৬
প্রিয় রিয়াজ,
শুভেচ্ছা নিও। কেমন আছ? কয়েকদিন আগে আমার চোখের সামনে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে গেল। সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তোমাকে লিখছি।
তখন বিকেল প্রায় চারটা। স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছি। একটি অল্পবয়সী ছেলে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। কাছেই ফুট-ওভারব্রিজ থাকলেও ছেলেটি তা ব্যবহার করছিল না। হঠাৎ তাড়াহুড়ায় রাস্তা পার হওয়ার সময় উল্টোদিক থেকে একটি বাস এসে তাকে চাপা দিয়ে চলে গেল। ঘটনাস্থলেই ছেলেটির মৃত্যু হলো। রক্তে রাজপথ ভেসে যাচ্ছিল। ছেলেটিকে দেখে চেনার কোনো উপায় ছিল না। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে আমার মাথা ঘুরে গেল। দ্রæত বাড়ি ফিরে এলাম।
ভালো থেকো। রাস্তা পারাপারে সব সময় সাবধান থাকবে। চাচা-চাচিকে আমার সালাম জানিও।
ইতি
তোমার বন্ধু
মানিক
[ঠিকানাসহ খাম হবে]
আবেদন পত্র :
[ পাঠ্য বই থেকে ]
১. মনে করো তোমার নাম প্রত্যয়। অষ্টম শ্রেণিতে তোমার রোল নম্বর ০১। হঠাৎ করে তোমার বাবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তোমার লেখাপড়া বন্ধ হতে বসেছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে সাহায্য চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানি আবেদন পত্র লেখো।
১৮/০৭/২০১৬
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
শ্রীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা।
বিষয় : বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার জন্য আবেদন।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। বিগত তিন বছর যাবৎ আমি এ বিদ্যাপীঠে পড়ালেখা করছি। পরীক্ষায় সব সময়ই আমি প্রথম হয়ে এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। অষ্টম শ্রেণিতেও আমার রোল নম্বর ০১। আমার বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। পরিবারের ভরণপোষণ ছাড়াও আমাদের তিন ভাইবোনের লেখাপড়ার খরচ চালাতে তিনি হিমশিম খান। তবুও তিনি এ যাবৎ বিদ্যালয়ের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে আমাদের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে আসছিলেন। স¤প্রতি তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাবার উপμম হয়েছে। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ করে আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাবার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
অতএব মহোদয়, আমার আবেদন মানবিকভাবে বিবেচনা করে আমাকে ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যদানে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
প্রত্যয়
রোল নংÑ ০১, অষ্টম শ্রেণি
শ্রীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা।
২. শিক্ষাসফরের গুরুত্ব উল্লেখ করে তোমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট শিক্ষসফরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন পত্র লেখো।
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি, শেরপুর।
বিষয় : শিক্ষাসফরে প্রেরণের জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রতি বছর এই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিক্ষাসফরে গিয়ে থাকে। কিন্তু এবছর এখনো তার কোনো উদ্যোগ গৃহীত হয়নি। আমরা শিক্ষাসফরে যেতে চাই। ছাত্রজীবনে শিক্ষাসফরের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। শিক্ষাসফরের ফলে ব্যবহারিক শিক্ষার সঙ্গে বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ হয়। যেকোনো ভ্রমণেই দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোভাবে জানার সুযোগ হয়।
আমরা এবার শিক্ষাসফরে ময়মনসিংহে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছি। ময়মনসিংহ প্রাচীন শহর। এর মুক্তাগাছা থানা শিক্ষা-সংস্কৃতিতে খুব অগ্রগামী ছিল। সেখানে প্রাচীন জমিদার বাড়ি আছে। ময়মনসিংহ শহরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসেছিলেন। সে স্মৃতিচিহ্নও দেখা যাবে। তাছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যায়, আনন্দমোহন কলেজ, জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা ইত্যাদিও আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে। এসব স্থান ও স্থাপনা দর্শন করে আমরা বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হব।
একদিনের এই সফরের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমরা বহন করব। আমাদের সঙ্গে দুজন সিনিয়র শিক্ষক যেতে রাজি হয়েছেন। আপনার সম্মতি পেলে শিক্ষাসফরে যাওয়ার দিন ধার্য করে আমরা আমাদের অভিভাবকদের অনুমতি গ্রহণ করব।
অতএব, মহোদয়ের কাছে বিনীত আবেদন, আমাদের শিক্ষাসফরে যাওয়ার সদয় অনুমতি দিয়ে এবং ময়মনসিংহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা লাভের প্রয়োজনীয় ব্যব¯থা করে বাধিত করবেন।
বিনীতÑ
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে
সাইফুল ইসলাম
সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি, শেরপুর।
তারিখ : ১১. ০৮. ২০১৬
৩. মনে করো, তোমার বাবা একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। স¤প্রতি তোমার বাবার বদলি হয়েছে। তাই তোমাকেও তাঁর সাথে চলে যেতে হবে। এজন্য তোমার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করো।
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
রাঙামাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
রাঙামাটি।
বিষয় : বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য আবেদন।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্র। আমার বাবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। স¤প্রতি তাঁকে কক্সবাজার জেলা শহরে বদলি করা হয়েছে। তাই পরিবারের সবার সঙ্গে আমাকেও কক্সবাজার যেতে হচ্ছে। সেখানে নতুন করে ভর্তির জন্য এই বিদ্যালয়ের ছাড়পত্র প্রয়োজন।
অতএব, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে বিদ্যালয় ত্যাগের ছাড়পত্র দিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক,
তাহসিন আহমেদ
রোল নং Ñ ১২, ৮ম শ্রেণি
রাঙামাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাঙামাটি।
তারিখ : ১৪. ০৬. ২০১৬
৪. ধরো, তুমি এ.কে. উচ্চ বিদ্যালয়, দনিয়া, ঢাকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তোমাদের স্কুলে একটি ‘বিজ্ঞান ক্লাব’ গঠনের অনুমতি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একখানা আবেদন পত্র রচনা করো।
১৮/০৭/২০১৬
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
এ.কে. উচ্চ বিদ্যালয়, দনিয়া, ঢাকা।
বিষয় : ‘বিজ্ঞান ক্লাব’ গঠনের অনুমতির জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। বেশ কিছুদিন থেকে আমরা স্কুলে বিজ্ঞানচর্চার জন্য একটি বিজ্ঞান ক্লাবের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই চরম উৎকর্ষের যুগে বিজ্ঞানচর্চা ছাড়া শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না। আর বিজ্ঞান ক্লাব গঠন করা হলে বিজ্ঞান বিষয়ে আলোচনা, তথ্য আদান-প্রদান, পত্র-পত্রিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করে আমরা নতুন নতুন বিজ্ঞান প্রজেক্ট তৈরিতেও দ্রুত সফলতা অর্জন করব।
অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা, আমাদের বিদ্যালয়ে একটি ‘বিজ্ঞান ক্লাব’ গঠনের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে বাধিত করবেন।
নিবেদকÑ
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পক্ষে
আবদুস সালাম
এ.কে. উচ্চ বিদ্যালয়, দনিয়া, ঢাকা।
[ অতিরিক্ত অংশ ]
৫. মনে করো, তোমার নাম সেলিম চৌধুরী। তোমার বিদ্যালয়ের নাম জয়পুর সরোজিনী উচ্চ বিদ্যালয়। অসুস্থতার জন্য তুমি তিন দিন বিদ্যালয়ে যেতে পারনি। অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুরের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।
২৪/০৪/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জয়পুর সরোজিনী উচ্চ বিদ্যালয়
ছাগলনাইয়া, ফেনী।
বিষয় : অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুরের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমি গত ২১/০৪/২০১৬ থেকে ২৩/০৪/২০১৬ এ তিন দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারিনি।
অতএব, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে উক্ত তিন দিনের ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
সেলিম চৌধুরী
শ্রেণিÑ ৮ম, রোলÑ ৭
৬. মনে করো, তুমি রোকাইয়া শশী। আগামী ২৫শে জুন তোমার বড় বোনের বিয়ে। এ উপলক্ষ্যে চার দিনের অগ্রিম ছুটি চেয়ে তোমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।
২১/০৬/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
ছয়সূতী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।
বিষয় : অগ্রিম ছুটির জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আগামী ২৫শে জুন আমার বড় বোনের শুভ বিবাহ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমাকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। তাই আমার ২২শে জুন থেকে ২৫শে জুন পর্যন্ত মোট ৪ দিনের ছুটি অত্যন্ত প্রয়োজন।
অতএব, অনুগ্রহপূর্বক আমাকে উক্ত ৪ দিনের ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
আপনার অনুগত ছাত্রী
রোকাইয়া শশী
৮ম শ্রেণি, শাখাÑক
রোলÑ০১
৭. মনে করো, তোমার নাম সিরাজ আহমেদ। তোমার বিদ্যালয়ের নাম গাজীরখামার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।
০২/ ০৩/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
গাজীরখামার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
গাজীরখামার, শেরপুর।
বিষয় : বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ‘খ’ শাখার একজন নিয়মিত ছাত্র। প্রথম শ্রেণি হতেই আমি আমি আপনার বিদ্যালয়ে পড়ছি এবং বরাবরই প্রথম হয়ে আসছি। আমার ছোট বোনও এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। আমার বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাবার সামান্য আয়ে আমাদের যাবতীয় খরচ চালানো খুবই কষ্টকর। এ অবস্থায় তাঁর পক্ষে আমাদের দুই ভাইবোনের লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, আমাকে আপনার বিদ্যালয়ে বিনা বেতনে অধ্যয়ন করার সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
সিরাজ আহমেদ
৮ম শ্রেণি, শাখাÑখ
রোলÑ০১
৮. মনে করো, তুমি মুহম্মদনগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। বিদ্যালয়ে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছ। এ অবস্থায় তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখ। তোমার নাম মো. হাসান।
১৭/০৫/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
মুহম্মদনগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
মুহম্মদনগর, সিলেট।
বিষয় : তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটির জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আজ বিদ্যালয়ে আসার পর থেকে আমার প্রচন্ড পেটব্যথা হচ্ছে। এ কারণে আমি ক্লাসগুলোতে মনোযোগ দিতে পারছি না।
অতএব, দয়া করে আমাকে তৃতীয় ঘণ্টার পর ছুটি দিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত
মো. হাসান
৮ম শ্রেণি, শাখাÑ ক
রোলÑ১০
৯. মনে করো, তোমার নাম আবেদ মেহেদী। জরুরি প্রয়োজনে গত মাসে তোমার বাবা খুলনা গিয়েছিলেন। যে কারণে তুমি যথাসময়ে বেতন ও পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে পার নি। এ অবস্থায় বিলম্বে বেতন ও ফি প্রদানের ক্ষেত্রে জরিমানা মওকুফের জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো।
০৯/০৮/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
মাছিমপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
বাগহাটা, নরসিংদী।
বিষয় : জরিমানা মওকুফের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমার বাবা জরুরি প্রয়োজনে গত মাসে খুলনা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরতে তাঁর প্রায় এক সপ্তাহ সময় লেগেছিল। যে কারণে আমি যথাসময়ে বিদ্যালয়ের মাসিক বেতন ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে পারিনি।
অতএব, বিনীত আবেদন, জরিমানা মওকুফ করে আমাকে বকেয়া বেতন ও ফি পরিশোধের সুযোগ দিতে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত
আবেদ মেহেদী
৮ম শ্রেণি
শাখাÑক
রোলÑ০৬
১০. মনে করো, তোমার নাম আবীর রায়হান। তুমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়। বিদ্যালয়ে একটি নলক‚প স্থাপনের আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখো।
তারিখ : ১৪/০৬/২০১৬
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
আলমনগর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
আলমনগর, নাটোর।
বিষয় : নলক‚প স্থাপনের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। অথচ বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের কোনো ব্যবস্থা নেই। একমাত্র নলক‚পটিও অনেক দিন থেকে নষ্ট। অনেকেই বাধ্য হয়ে কলের অনিরাপদ জল পান করছে। এর ফলে তারা ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডসহ নানা রকম অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
অতএব, বিনীত নিবেদন, বিদ্যালয়ে অতি শিঘ্রই অন্তত একটি নলক‚প স্থাপনের ব্যবস্থা করে আমাদের বাধিত করবেন।
নিবেদক
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে
আবীর রায়হান
অষ্টম শ্রেণি
রোল নম্বর ৭
১১. মনে করো, তোমার নাম ইকবাল হাসান। ফুটবল খেলা দেখার জন্য ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি আবেদনপত্র লেখো।
তারিখ : ১২ই মার্চ, ২০১৬
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
লালবাগ, ঢাকা।
বিষয় : ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য সাময়িক ছুটির আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আগামীকাল সুজানগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতা দিবস ফুটবল কাপের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। খেলাটিতে আমাদের স্কুল সুজানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে। আমরা সবাই খেলাটি দেখতে অত্যন্ত আগ্রহী।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা, আগামীকাল দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ পিরিয়ড পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রেখে আমাদের খেলাটি দেখার সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
নিবেদক
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে
ইকবাল হাসান
শ্রেণি : ৮ম; শাখা- ক
রোল নং ০২।
১২. ধরো, তোমার নাম ইশতিয়াক। তোমার এলাকায় পাঠাগার স্থাপনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট আবেদনপত্র লেখো।
বরাবর
উপজেলা চেয়ারম্যান
পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ
গাইবান্ধা।
বিষয় : পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমাদের পলাশাবড়ি উপজেলাটি একটি জনবহুল এলাকা। হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ এখানকার জনসংখ্যা প্রায় দুই হাজারের ওপরে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এখানে কোনো পাঠাগার নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানচর্চা, মানসগঠন ও সৃজনশীল চেতনা বিকাশে একটি পাঠাগার খুবই জরুরি। এ ছাড়া এলাকায় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা পড়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি পাঠাগার হলে তরুণরা তাদের অলস সময়কে জ্ঞানচর্চার মতো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করতে পারবে।
অতএব, পলাশবাড়ি উপজেলার সব বয়সের জনসাধারণের উপকারের কথা বিবেচনা করে অতিসত্বর এখানে একটি পাঠাগার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক
পলাশবাড়ি উপজেলার জনসাধারণের পক্ষে
ইশতিয়াক আহমেদ
তারিখ : ২রা জুন ২০১৬।
নিমন্ত্রণ পত্র
[ পাঠ্য বই থেকে ]
১. তোমার স্কুলে ‘নজরুল জন্মজয়ন্তী’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে একটি আমন্ত্রণ পত্র রচনা করো।
সুধী,
আগামী ১১ই ভাদ্র, ১৪২৩ / ২৯শে আগস্ট, ২০১৬, শনিবার বিকাল চারটায় বিদ্রোহী ও আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শিয়ালি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। সভাপতিত্ব করবেন প্রধান শিক্ষক সরোজ কুমার চμবর্তী। অনুষ্ঠানে আপনার উপস্থিতি একান্তভাবে কামনা করি।
বিনীতÑ
তারিখ : ২৫.০৮.২০১৬ ফরিদ আহমদ সলিল
আহŸায়ক
নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন পরিষদ
শিয়ালি উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা।
অনুষ্ঠানসূচি
০৪. ০৫ : অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণ
০৪. ২০ : পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ
০৪. ৩০ : বিশেষ আলোচনা
০৫. ০০ : সভাপতির ভাষণ
০৫. ৩০ : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
২. তোমার পাড়ায় “আঞ্চলিক মৈত্রী সংঘ” নামে একটি ক্লাব আছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি নিমন্ত্রণ পত্র রচনা কর।
প্রিয় সুধী,
শুভ ‘নববর্ষ’ উদ্যাপন উপলক্ষে আগামী ১লা বৈশাখ, ১৪২৩/১৪ই এপ্রিল, ২০১৬, মঙ্গলবার সকাল ০৭টায় আঞ্চলিক মৈত্রী সংঘের পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আপনি সবান্ধব আমন্ত্রিত।
বিনীতÑ
তারিখ : ১০.০৪.২০১৬ অরিন্দম খালেক
সাংস্কৃতিক সম্পাদক
আঞ্চলিক মৈত্রী সংঘ, সিলেট।
অনুষ্ঠানসূচি
০৬.৩০ : মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি
০৭.৩০ : সংঘ-প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা
০৯.০০ : প্রীতিভোজ
১০.০০ : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
১২.০০ : সমাপ্তি।