ত্রয়োদশ অধ্যায়
বাংলাদেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা
বিষয়-সংক্ষেপ
গত শতাব্দীতে ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ এবং ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দুটি ভয়াবহ মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে কয়েক লাখ মানুষ নিহত ও আহত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে গঠিত হওয়া জাতিপুঞ্জ বা লীগ অব নেশনসের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট প্রমুখ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর গঠিত হয় আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, জাতিসংঘ। শুরুতে ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩। সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদসহ এর ছয়টি মূল সংস্থাসহ ইউনেস্কো, ফাও ইত্যাদি অঙ্গসংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর বর্তমান মহাসচিব দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বান কি মুন।
১৯৬১ সালে যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট যোশেফ ব্রজ টিটো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও মিশরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসেরের উদ্যোগে গঠিত হয় অসামরিক সংগঠন ন্যাম। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাটো’ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘ওয়ারশ’ সামরিক জোটগুলোর প্রভাবের বাইরে থেকে বিশ্বশক্তির ভারসাম্য রক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা ছিল এর মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সারা পৃথিবীর মুসলমানদের কল্যাণের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে গঠিত হয় ইসলামি সম্মেলন সংস্থা ওআইসি। এর সদস্য সংখ্যা ৫৭। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে এর সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৫৭ সালে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডস নিয়ে গঠিত হয় আঞ্চলিক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২৮। প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
জাতিসংঘ : জাতিসংঘ একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
জাতিসংঘের গঠন : জাতিসংঘ মোট ছয়টি অঙ্গসংগঠন নিয়ে গঠিত। অঙ্গসংগঠনগুলো হলো : সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ, অছি পরিষদ, আন্তর্জাতিক আদালত, জাতিসংঘ সচিবালয়।
ইউনেস্কো : ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি সামাজিক সংস্থা। ১৯৬৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। ইউনেস্কোর প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা : (ঋঅঙ) : সংস্থাটির পুরা নাম ‘দা ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দি ইউনাইটেড নেশনস’। এটি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭টি দেশ এর সদস্য। এর সদর দপ্তর ইতালির রাজধানী রোমে। সংস্থাটি সারাবিশ্বে ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে ফাও-এর প্রধান লক্ষ্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) : সংস্থাটির পুরা নাম ‘দি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল এটি গঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। বিশ্বের সকল অংশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করাই সংস্থাটির লক্ষ্য।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ঘঅগ) : কোনো সামরিক জোটের সদস্য নয় বিশ্বের এমন স্বাধীন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন এটি। ১৯৬১ সালে তখনকার যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট যোশেফ ব্রজ টিটো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও মিসরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসেরের উদ্যোগে এটি গঠিত হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. আন্তর্জাতিক আদালত কোথায় অবস্থিত?
ক জেনেভা নেদারল্যান্ডস গ নিউইয়র্ক ঘ প্যারিস
২. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা আছে বলে তারা-
র. যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে
রর. নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত সিদ্ধান্ত বাতিল বা স্থগিত করতে পারে
ররর. যে কোনো বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ র ও রর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
হানিফ সাহেবের প্রতিবেশী শামীম সাহেবের শিশু সন্তানটি হামে আক্রান্ত হয়। তিনি শিশুটিকে দেখতে গিয়ে জানতে পারেন শামীম সাহেব তার শিশুকে টিকা দেয়নি। হানিফ সাহেব তখন তাকে জানান যে মারাত্মক ৬টি রোগের টিকা বিনামূল্যে শিশুদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য দেওয়া হয়। তিনি সময়মতো টিকা দেওয়ায় তার সন্তানদের এসব রোগ হয়নি।
৩. হানিফ সাহেবের বাচ্চাদের সুস্থ রাখার মূলে যে সংস্থাটি কাজ করছে-
ক ইউনেস্কো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গ ইউনিসেফ ঘ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা
৪. উক্ত সংস্থা কর্তৃক এই প্রকল্প গ্রহণের মূল উদ্দেশ্য কী?
বিশ্বের সকল মানুষের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করা
খ বিশ্বের গ্রামীণ ও দরিদ্র দেশগুলোকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া
গ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা
ঘ উন্নত দেশ কর্তৃক দরিদ্র দেশকে স্বাস্থ্যগত সুবিধা দেওয়া
৫. থেকে জাতিসংঘ জন্ম প্রক্রিয়া শুরু করেছিল?
ক প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়
গ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ঘ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
৬. জাতিসংঘ মোট কতটি মূল শাখা নিয়ে গঠিত?
ক ৪ ৬ গ ৭ ঘ ৮
৭. জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা কত?
ক ১৬৩ খ ১৭৩ গ ১৮৩ ১৯৩
৮. কোন সংস্থার সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পপুলেশন’ সায়েন্স’ বিভাগ চালু হয়েছে?
ইউএনএফপিএ খ ইউএনডিপি
গ ইউনেস্কো ঘ ইউনিসেফ
৯. ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
ক ১৫ ২৮ গ ৫৩ ঘ ৫৭
১০.
? চিহ্নিত স্থানে কোনটি বসবে?
ক আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা খ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা
আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা ঘ আঞ্চলিক উন্নয়ন সংস্থা
১১. কত সালে লীগ অব নেশনস বা জাতিপূঞ্জ গঠিত হয়?
১৯২০ খ ১৯২৫ গ ১৯৩০ ঘ ১৯৪৫
১২. ১৯৬১ সাল মিসরের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন?
ক হোসনি মোবারক গামাল আবদেল নাসের
গ আনোয়ার সাদাত ঘ সুফী আবু তালেব
১৩. গত শতাব্দীতে পৃথিবীতে ১ম বিশ্বযুদ্ধ স্থায়ী ছিলÑ
ক ১৯০১ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত ১৯১৪ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত
গ ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ঘ ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত
১৪. বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করেÑ
ক ১৯৭২ সালে খ ১৯৭৫ সালে ১৯৭৪ সালে ঘ ১৯৭৮ সালে
১৫. বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো সংরক্ষণে আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছেÑ
ওআইসি খ ইউনেস্কো গ ফাও ঘ ইউএনএফপিএ
১৬. আন্তর্জাতিক আদালত কোথায় অবস্থিত?
ক জেনেভায় নেদারল্যান্ডে
গ নিউইয়র্কে ঘ প্যারিসে
১৭. বিশ্বখাদ্য সংস্থার সদরদপ্তর কোথায় অবস্থিত?
রোমে খ প্যারিসে
গ নিউইয়র্কে ঘ লন্ডনে
১৮. আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকের সংখ্যা কত জন?
ক ১ খ ১২ ১৫ ঘ ২০
১৯. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
ক ১৯৭২ খ ১৯৭১ গ ১৯৭৩ ১৯৭৪
২০. লীগ অব নেশনস কেন স্থায়িত্ব লাভ করেনি?
ক শহর-জনপদ ধ্বংস হওয়ার কারণে
খ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে
বিভিন্ন দেশের স্বার্থপরতা
ঘ ওআইসি’র জন্য
২১. ইউএনএফপিএ-এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
ক প্যারিসে খ ব্রাসেলসে নিউইয়র্কে ঘ ফ্রান্সে
২২. বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
ক ১৯৭২ খ ১৯৭৩ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
২৩. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা কত?
ক ৪ ৫ গ ৬ ঘ ৭
২৪. ওয়ারশ-এর নেতৃত্বদানকারী দেশ কোনটি?
সোভিয়েত ইউনিয়ন খ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গ যুক্তরাজ্য ঘ যুগোশ্লাভিয়া
২৫. ওআইসির সদর দপ্তর কোথায়?
ক তেহরানে খ বাগদাদে গ জাকার্তায় জেদ্দায়
২৬. ইউরোপীয় ইউনিয়ন কত সালে গঠিত হয়?
ক ১৯৪৫ খ ১৯৪৭ ১৯৫৭ ঘ ১৯৬১
২৭. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাজ হলোÑ
র. ম্যালেরিয়া দূরীকরণ
রর. বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা
ররর. মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮ ও ২৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহমান সাহেব ক্লাসে বিভিন্ন সংস্থা সম্পর্কে পড়াতে গিয়ে এমন একটি সংস্থার কথা বলেন যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। সদস্য সংখ্যা ৫৭। এর সদরদপ্তর সৌদি আরবে। বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে এ সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে।
২৮. অনুচ্ছেদে ইঙ্গিতকৃত সংস্থাটির নাম কী?
ক ইইউ খ ওএইউ গ ইউএনএফপিএ ওআইসি
২৯. উক্ত সংস্থার লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোরÑ
র. নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
রর. স্বার্থ রক্ষা করা
ররর. সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩০ ও ৩১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“অ” রাষ্ট্র একটি আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থার সদস্য। সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ২৮। সংস্থাটি একক মুদ্রা চালু করেছে।
৩০. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংস্থাটির নাম কী?
ক ওআইসি ইইউ গ ন্যাম ঘ সার্ক
৩১. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় কোথায় অবস্থিত?
ক নেপালে খ ওয়ারশে ব্রাসেলসে ঘ মস্কোতে
পাঠ-১ ও ২ : জাতিসংঘ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩২. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপ্তিকাল কত? (জ্ঞান)
ক ১৯১২-১৯১৮ খ ১৯৩০-১৯৪৫ ১৯১৪-১৯১৮ ঘ ১৯৩৯-১৯৪৫
৩৩. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপ্তিকাল কত? (জ্ঞান)
ক ১৯১৪-১৯১৮ খ ১৯৩৮-১৯৪৫ ১৯৩৯-১৯৪৫ ঘ ১৯৪৫-১৯৪৮
৩৪. কখন লীগ অব নেশনস গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯১৮ সালে ১৯২০ সালে গ ১৯৩৯ সালে ঘ ১৯৪৫ সালে
৩৫. ১৯৪৫ সালের কত তারিখে হিরোশিমায় বোমা ফেলা হয়? (জ্ঞান)
ক ৫ই আগস্ট ৬ই আগস্ট গ ৮ই আগস্ট ঘ ৯ই আগস্ট
৩৬. ১৯৪৫ সালের কোন তারিখে নাগাসাকিতে বোমা ফেলা হয়? (জ্ঞান)
ক ৫ই আগস্ট খ ৭ই আগস্ট গ ৮ই আগস্ট ৯ই আগস্ট
৩৭. হিরোশিমা শহরটি কোথায়? (জ্ঞান)
জাপানে খ আমেরিকায় গ জার্মানিতে ঘ ব্রিটেনে
৩৮. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪০ ১৯৪১ গ ১৯৪৪ ঘ ১৯৪৫
৩৯. ১৯৪৫ সালের কত তারিখে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ২৩শে অক্টোবর ২৪শে অক্টোবর গ ২৫শে অক্টোবর ঘ ২৬শে অক্টোবর
৪০. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কত? (জ্ঞান)
ক ৪০ ৫০ গ ৬০ ঘ ৭০
৪১. জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১৯১ খ ১৯২ ১৯৩ ঘ ১৯৪
৪২. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিবের নাম কী? (জ্ঞান)
ট্রিগভেলি খ বান কি মুন গ উ-থান্ট ঘ কফি আনান
৪৩. বান কি মুন কোন দেশের নাগরিক? (জ্ঞান)
ক মায়ানমার দক্ষিণ কোরিয়া গ নরওয়ে ঘ ব্রিটেন
৪৪. জাতিসংঘের পতাকার রং কী? (জ্ঞান)
ক সাদা হালকা নীল গ লাল ঘ বেগুনি
৪৫. জলপাই পাতা কিসের প্রতীক? (জ্ঞান)
শান্তির খ যুদ্ধের গ নিরাপত্তার ঘ বিজয়ের
৪৬. জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর চাঁদার হার নির্ধারণ করে কোন পরিষদ? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা সাধারণ গ অছি ঘ জাতিসংঘ সচিবালয়
৪৭. জাতিসংঘের মহাসচিব নিয়োগ দেয় কোন সংস্থা? (জ্ঞান)
সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
গ অছি পরিষদ ঘ আন্তর্জাতিক আদালত
৪৮. নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৫ খ১০ গ ১৩ ১৫
৪৯. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী ১০টি সদস্য দেশকে নির্বাচন করে কোন পরিষদ? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ অছি পরিষদ
সাধারণ পরিষদ ঘ সচিবালয়
৫০. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ কোনটি? (জ্ঞান)
ক জার্মানি খ ভারত গ ইতালি ফ্রান্স
৫১. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১৫ ৫৪ গ ১৮৭ ঘ ১৯৩
৫২. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের মেয়াদকাল কত? (জ্ঞান)
ক ১ বছর ২ বছর গ ৩ বছর ঘ ৪ বছর
৫৩. শিশুদের কল্যাণের জন্য কাজ করে কোন সংস্থা? (জ্ঞান)
ইউনিসেফ খ হু গ ফাও ঘ আসিয়ান
৫৪. খাদ্য ও কৃষির উন্নতির জন্য কাজ করে কোনটি? (জ্ঞান)
ক ইউনেস্কো খ আসিয়ান ফাও ঘ হু
৫৫. জাতিসংঘের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতির জন্য কাজ করে কোন সংস্থা? (জ্ঞান)
ক ফাও হু গ আসিয়ান ঘ ইউনেস্কো
৫৬. ইউনেস্কো জাতিসংঘের কিরূপ সংস্থা? (জ্ঞান)
সামাজিক খ সামরিক গ অর্থনৈতিক ঘ প্রশাসনিক
৫৭. ইউনেস্কো কত সালে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ ১৯৪৬ গ ১৯৪৭ ঘ ১৯৫০
৫৮. ইউনেস্কোর সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১৪০ খ ১৮৫ গ ১৮৭ ১৮৯
৫৯. ইউনেস্কোর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক আমেরিকার নিউইয়র্ক খ বেলজিয়ামের ব্রাসেলস
ফ্রান্সের প্যারিস ঘ ইতালির রোম
৬০. ইউনেস্কোর মূল কাজের ক্ষেত্র কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২ খ ৩ ৪ ঘ ৫
৬১. বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের কত তারিখে ইউনেস্কোতে যোগ দেয়? (জ্ঞান)
ক ২৪শে অক্টোবর খ ২৫শে অক্টোবর ২৭শে অক্টোবর ঘ ২৮শে অক্টোবর
৬২. বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশন গঠন করা হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১ খ ১৯৭২ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৪
৬৩. ফাও গঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৪১ খ ১৯৪৬ ১৯৪৫ ঘ ১৯৪০
৬৪. ফাও -এর সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১৮৫ ১৮৭ গ ১৮৯ ঘ ১৯৩
৬৫. ফাও -এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ফ্রান্সের প্যারিস ইতালির রোম
গ আমেরিকার নিউইর্য়ক ঘ বেলজিয়ামের জেনেভা
৬৬. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডবিøউএইচও কখন গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ সালের ৭ই এপ্রিল খ ১৯৪৬ সালের ৭ই এপ্রিল
গ ১৯৪৭ সালের ৭ই এপ্রিল ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল
৬৭. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দফতর কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক বেলজিয়ামের ব্রাসেলস্ গ আমেরিকার নিউইয়র্ক
খ ইতালির রোম সুইজারল্যান্ডের জেনেভা
৬৮. ইউএনএফপিএ-এর সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
১৪০ -এর বেশি খ ১৮৫ -এর বেশি
গ ১৮৭ -এর বেশি ঘ ১৮৯ -এর বেশি
৬৯. শিশুদের ঘাতক রোগ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৪ খ ৫ ৬ ঘ ৭
৭০. কেন স্থায়ী পরিষদের সদস্যরা যে কোনো সিদ্ধান্তকে বাতিল বা স্থগিত করতে পারে? (অনুধাবন)
ক চাঁদা বেশি দেওয়ার কারণে খ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী বলে
ভেটো ক্ষমতার জন্য ঘ সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী বলে
৭১. গত শতাব্দীতে পৃথিবীতে কয়টি মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়? (জ্ঞান)
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৭২. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয় কোন সালে? [বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
ক ১৯১৪ সালে ১৯১৮ সালে গ ১৯২০ সালে ঘ ১৯৪৫ সালে
৭৩. কী কারণে লীগ অব নেশনস বা জাতিপুঞ্জ গঠিত হয়েছিল? (অনুধাবন)
ক বিশ্বকে আত্মনির্ভরশীল করতে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে
গ মুক্তবাজার অর্থনীতি গড়তে ঘ বিশ্বে অবাধে চলাচল নিশ্চিত করতে
৭৪. পৃথিবীতে সর্বশেষ আণবিক বোমার আক্রমণ কোথায় হয়েছিল?
[সেন্ট যোসেফ হাই স্কুল, ঢাকা]
ক আফগানিস্তান খ ইরাকে জাপানে ঘ লিবিয়ায়
৭৫. ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট উইনস্টন চার্চিল
গ উড্রো উইলসন ঘ ভøদিমির পুতিন
৭৬. জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট খ আব্রাহাম লিংকন
গ উড্রো উইলসন ঘ কেনেডি
৭৭. বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কোন সংস্থাটি গড়ে উঠেছে? (জ্ঞান)
ক ওআইসি জাতিসংঘ গ ন্যাম ঘ ইউরোপীয় ইউনিয়ন
৭৮. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হয়? (অনুধাবন)
সাধারণ পরিষদের ভোটে খ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে
গ অছি পরিষদের ভোটে ঘ স্থায়ী সদস্যদের ভোটে
৭৯. জাতিসংঘের কোন সংস্থা জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের অনুন্নত অঞ্চলসমূহের তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব পালন করে? (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদ অছি পরিষদ
গ নিরাপত্তা পরিষদ ঘ জাতিসংঘ সচিবালয়
৮০. বিশ্বের সব মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা কোন সংস্থার উদ্দেশ্য? (জ্ঞান)
ক ন্যাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন গ জাতিসংঘ ঘ সার্ক
৮১. জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন মোট কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৪ খ ৫ ৬ ঘ ৭
৮২. সদরদপ্তর নিউইয়র্ক, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ৫০, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের সদস্য লাভ। এটি কোন সংস্থা? (প্রয়োগ)
ক সার্ক জাতিসংঘ গ আসিয়ান ঘ ওআইসি
৮৩. জাতিসংঘের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদবির নাম কী?
[গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক মহাপরিচালক খ সচিব মহাসচিব ঘ পরিচালক
৮৪. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ট্রিগভেলি কোন দেশের নাগরিক?
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ]
ক আফ্রিকার নরওয়ের গ আমেরিকার ঘ ইতালির
৮৫. জাতিসংঘের পতাকায় জলপাই পাতা ব্যবহার করা হয় কেন?
[উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল]
ক সৌহার্দ্যরে প্রতীক বলে শান্তির প্রতীক বলে
গ ভ্রাতৃত্বের প্রতীক বলে ঘ সহযোগিতার প্রতীক বলে
৮৬. জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র কোন পরিষদের সদস্য? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদের খ সামাজিক পরিষদের
গ অছি পরিষদের সাধারণ পরিষদের
৮৭.
উপরের খালি ঘরে কোনটি বসবে? (প্রয়োগ)
ক কমনওয়েলথ খ সার্ক গ ওআইসি জাতিসংঘ
৮৮. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বছরে কয়বার বসে? (জ্ঞান)
এক খ দুই গ তিন ঘ চার
৮৯. বর্তমান ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করেছে। ফিলিস্তিনকে সদস্য হতে হলে কোন পরিষদের সদস্যপদ অবশ্যই লাভ করতে হবে? (প্রয়োগ)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ সামাজিক পরিষদ
সাধারণ পরিষদ ঘ অছি পরিষদ
৯০. কত বছর অন্তর নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়? (জ্ঞান)
ক এক দুই গ তিন ঘ চার
৯১. জাতিসংঘের কোন শাখার সদস্যপদের মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য রয়েছে? (অনুধাবন)
নিরাপত্তা পরিষদ খ অর্থনৈতিক পরিষদ
গ সাধারণ পরিষদ ঘ অছি পরিষদ
৯২.
‘?’ চিিহ্নত স্থানে কোনটি বসবে? [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক ভারত খ কানাডা চীন ঘ জার্মানি
৯৩. জাতিসংঘের কোন সদস্য দেশটির ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার রয়েছে? (জ্ঞান)
ফ্রান্স খ জাপান গ ব্রাজিল ঘ জার্মানি
৯৪. বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব কোন পরিষদের রয়েছে? (জ্ঞান)
ক সাধারণ পরিষদ নিরাপত্তা পষিদ
গ আন্তর্জাতিক আদালত ঘ অছি পরিষদ
৯৫. রিফাত এক গবেষণার রিপোর্ট থেকে জানতে পারল বর্তমান বিশ্বে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ সমস্যার সমাধানে কাজ করছে কোন পরিষদ? (প্রয়োগ)
ক সাধারণ পরিষদ খ নিরাপত্তা পরিষদ
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ঘ অছি পরিষদ
৯৬. জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক কত জন?
[উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল]
ক ১০ ১৫ গ ২০ ঘ ২৫
৯৭. জাতিসংঘের মহাসচিবের মেয়াদকাল কত বছর?
[যশোর শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুল কলেজ, ঢাকা]
৫ খ ৬ গ ৮ ঘ ১০
৯৮. কোনটি জাতিসংঘের সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে? (জ্ঞান)
ক নিরাপত্তা পরিষদ খ অছি পরিষদ
জাতিসংঘ সচিবালয় ঘ আন্তর্জাতিক আদালত
৯৯. জাতিসংঘের কোন সংস্থাটি বাংলাদেশের সুন্দরবন সংরক্ষণের সহায়তা করছে? (জ্ঞান)
ক ফাও খ ইউএনএফপিএ গ ইউনিসেফ ইউনেস্কো
১০০. কোন সংস্থার সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ চালু হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ফাও খ ইউনেস্কো গ ইউনিসেফ ইউএনএফপিএ
১০১. গত শতকে পৃথিবীতে দুটি মহাযুদ্ধ সংঘটিত হলেও এই শতকে এরূপ যুদ্ধ না হওয়ার পিছনে ভ‚মিকা রয়েছে কোন সংগঠনটির? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ঘঅঞঙ খ ঝঅঅজঈ টঘ ঘ ঋঅঙ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০২. সাধারণ পরিষদের কার্যাবলি হলো- (অনুধাবন)
র. চাঁদা নির্ধারণ রর. অস্থায়ী সদস্য নির্বাচন
ররর. স্থায়ী সদস্য নির্বাচন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৩. নিরাপত্তা পরিষদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য হলো- (অনুধাবন)
র. স্থায়ী সদস্য ৫টি রর. অস্থায়ী সদস্য ১০টি
ররর. স্থায়ী সদস্যরা ভেটো ক্ষমতার অধিকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৪. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কার্যাবলি- (অনুধাবন)
র. শিক্ষার প্রসার রর. বেকার সমস্যা সমাধান
ররর. মানবাধিকার কার্যকর করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৫. অছি পরিষদের কার্যাবলি হলো- (অনুধাবন)
র. অছিভুক্ত অঞ্চলের উন্নতি
রর. এলাকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা রক্ষা
ররর. এলাকার অধিবাসীদের দেশ শাসনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৬. শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি জাতিসংঘের কাজ হলো- (অনুধাবন)
র. ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষতা দূর করা রর. জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ
ররর. নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৭. বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উন্নয়নে ইউনেস্কোর ভ‚মিকা হলো- (অনুূধাবন)
র. ২১শে ফেব্রæয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা
রর. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য
ররর. বাংলাদেশের খাদ্য সংকট দূরীকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৮. জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বা ইউএনএফপিএ- বাংলাদেশকে সহায়তা দান করে- (অনুধাবন)
র. মহিলাদের ক্ষমতায়নে রর. পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে
ররর. জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০৯. প্রত্যেকটি দেশ একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়Ñ (অনুধাবন)
র. সামাজিক দিক দিয়ে রর. সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে
ররর. অর্থনৈতিক দিক দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১০. সকলের সমস্যার সমাধান ও একটি শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৃথিবীতে গড়ে উঠেছে বিভিন্নÑ (অনুধাবন)
র. সামাজিক সংস্থা রর. আন্তর্জাতিক সংস্থা
ররর. আঞ্চলিক সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১১. জাতিসংঘের উদ্দেশ্য হলোÑ (অনুধাবন)
র. শান্তি, শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা
রর. সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা
ররর. সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১২. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অন্যতম কাজ হলোÑ
[মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
র. মহাসচিব নিয়োগ ও নতুন সদস্য গ্রহণ
রর. বাজেট পাস ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদার হার নির্ধারণ
ররর. নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নির্বাচন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১৩. বিশ্বশান্তি রক্ষায় নিরাপত্তা পরিষদ যে সকল পন্থা গ্রহণ করে তা হলোÑ (অনুধাবন)
র. আলাপ-আলোচনা
রর. সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোট গ্রহণ
ররর. সামরিক শক্তি প্রয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৪. জাতিসংঘের একটি শাখার সদস্য সংখ্যা ২৫। বছরে কমপক্ষে দুবার এর অধিবেশন বসে। এ সংস্থা কাজ করেÑ (প্রয়োগ)
র. মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে
রর. শিক্ষার প্রসারে
ররর. আন্তর্জাতিক সংঘাত নিরসনে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৫. ফাও এর প্রধান লক্ষ্য হলোÑ (অনুধাবন)
র. স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি রর. জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি
ররর. কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. কামাল জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানল, এর একটি শাখার সদস্য সংখ্যা ৫৪। বছরে কমপক্ষে দুবার এর অধিবেশন বসে। এ সংস্থা কাজ করেÑ (প্রয়োগ)
র. শিক্ষার প্রসারে রর. বেকার সমস্যার সমাধানে
ররর. আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৭. বাংলাদেশের শিশুরা জাতিসংঘের যে সকল বিশেষ সংগঠন থেকে সেবা পেতে পারে তা হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ইউনিসেফ
রর. ইউনেস্কো
ররর. হু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৮ ও ১১৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল ১৯৭১ সালে। কিন্তু জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে ১৯৭৪ সালে। জাতিসংঘের এ সদস্যপদ লাভে দেরি হয় চীনের অসম্মতির কারণে। অবশ্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য লাভের পূর্বেই এর একটি বিশেষ সংগঠনের সদস্যপদ লাভ করেছিল।
১১৮. বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভে দেরি হওয়ার কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক সাধারণ পরিষদের ভেটো নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো
গ অছি পরিষদের ভেটো ঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের ভেটো
১১৯. জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভে দেরি হয় যে সংস্থাটির কারণে সেটি ভ‚মিকা পালন করেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায়
রর. সামাজিক সমস্যা মোকাবিলায়
ররর. আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ : অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২০. জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন বা ন্যাম কত সালে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৫৫ খ ১৯৬৬ ১৯৬১ ঘ ১৯৪৫
১২১. আমেরিকার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত সামরিক সংগঠন কোনটি? (জ্ঞান)
ন্যাটো খ ওয়ারশ গ ওএইউ ঘ ওআইসি
১২২. সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে গঠিত হয় কোনটি? (জ্ঞান)
ক ন্যাটো ওয়ারশ গ ওএইউ ঘ ইইউ
১২৩. ওআইসি’র সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৫৬ ৫৭ গ ১৮৫ ঘ ১৮৭
১২৪. কত সালে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৫ ১৯৬৯ গ ১৯৭৩ ঘ ১৯৭৪
১২৫. বাংলাদেশ কত সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১ খ ১৯৭২ গ ১৯৭৩ ১৯৭৪
১২৬. ওআইসি’র অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক নারায়ণগঞ্জ গাজীপুর গ কুষ্টিয়া ঘ রাজশাহী
১২৭. কেন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন গঠিত হয়? (অনুধাবন)
বিশ্বশক্তির ভারসাম্য রক্ষার জন্য খ অযাচিত শক্তি প্রয়োগ বন্ধে জন্য
গ বিশ্ব নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ঘ বিরোধ মীমাংসার জন্য
১২৮. ওআইসি কেন গঠিত হয়? (অনুধাবন)
ক মুসলিম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য
খ ইসলাম প্রসারের জন্য
মুসলিম ঐক্য ও সংহতি রক্ষার জন্য
ঘ মুসলিম তৈল বাণিজ্যের স্বার্থে
১২৯. বাংলাদেশ ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এর ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
অর্থনৈতিক উন্নয়ন খ সামাজিক উন্নয়ন
গ রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ঘ ধর্মীয় উন্নয়ন
১৩০. ন্যামের সদস্য হওয়ার শর্ত কোনটি? (জ্ঞান)
ক আঞ্চলিক জোটের সদস্য না হওয়া
সামরিক জোটের সদস্য না হওয়া
গ সার্কের সদস্য হওয়া
ঘ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনা পাঠানো
১৩১. ১৯৬১ সালে তৎকালীন যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক নেতানিয়াহু খ লুথার কিং যোশেফ ব্রজ টিটো ঘ নেদভেদ
১৩২. ওআইসি’র বর্তমান পূর্ণ নাম কী? (জ্ঞান)
ক ইসলামি সম্মেলন সংস্থা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা
গ ইসলামি উন্নয়ন সংস্থা ঘ ইসলামি সহযোগিতা সমিতি
১৩৩. কোন আন্তর্জাতিক সংস্থাটি সারা বিশ্বের মুসলমানদের কল্যাণে কাজ করে? (জ্ঞান)
ক জাতিসংঘ খ ন্যাম ওআইসি ঘ কমনওয়েলথ
১৩৪. মুসলমানদের জন্য সংকটময় এক পরিস্থিতিতে ১৯৬৯ সালে ‘ক’ নামক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্ম হয়। ‘ক’ নামক সংস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ সংস্থা কোনটি? (প্রয়োগ)
ওআইসি খ ইইউ গ ন্যাম ঘ ওএইউ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৫. ন্যাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তারা হলেনÑ (অনুধাবন)
র. জিয়াউর রহমান রর. গামাল আবদেল নাসের
ররর. জওহরলাল নেহেরু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৬. ওআইসির প্রধান লক্ষ্য হলোÑ (অনুধাবন)
র. মুসলিম দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষা রর. মুসলিম দেশগুলোর নিরাপত্তা
ররর. ধর্ম প্রচার করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৭. জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন সম্পর্কে বলা যায়Ñ (অনুধাবন)
র. আফ্রিকান ইউনিয়ন ও এটি একই বছর প্রতিষ্ঠিত
রর. বর্তমানে এটির গুরুত্ব নেই
ররর. বাংলাদেশ এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৮. ওআইসি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছেÑ (অনুধাবন)
র. জনশক্তি রপ্তানিতে
রর. গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি স্থাপন করে
ররর. ব্যাংক স্থাপন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৯ ও ১৪০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৯৬১ সালে গঠিত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সংস্থাটি ব্যাপকভাবে সদস্য দেশগুলোতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব উন্নয়নে এ সংস্থার ভ‚মিকা খাটো করে দেখবার অবকাশ নেই।
১৩৯. নওশীন কোন সংস্থা সম্পর্কে জানতে পারে? (প্রয়োগ)
ক ন্যাম খ ইউনেস্কো ওআইসি ঘ ইউএসএফপি
১৪০. উক্ত সংস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্যসমূহ হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুসলমানদের প্রতি অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করে
রর. খ্রিষ্টানদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করে
ররর. মুসলমানদের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৪ ও ৫ : আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪১. ইইউ’র সদর দপ্তর কোথায়? (জ্ঞান)
ক ইতালির রোম বেলজিয়ামের ব্রাসেলস্
গ ফ্রান্সের প্যারিস ঘ আমেরিকার নিউইয়র্ক
১৪২. ইইউ’র বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ২৫ খ ২৬ গ ২৭ ২৮
১৪৩. ইইউ’র একক মুদ্রার নাম কী? (জ্ঞান)
ইউরো খ শিলিং গ পউন্ড ঘ লিরা
১৪৪. কোনটি সার্বিকভাবে ইইউ-কে প্রতিনিধিত্ব করে? (জ্ঞান)
ক ফাও ইসি গ ওএইউ ঘ ন্যাটো
১৪৫. আফ্রিকান ইউনিয়ন গঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ২০০১ ২০০২ গ ২০০৩ ঘ ২০০৪
১৪৬. ওএইউ’র সদস্য সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
৫৩ খ ৫৬ গ ৫৭ ঘ ৬০
১৪৭. ওএইউ’র সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ফ্রান্সের প্যারিসে খ ইতালির রোমে
গ বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায়
১৪৮.
‘?’ চিিহ্নত স্থানে কোনটি বসবে? (প্রয়োগ)
আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা খ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা
গ আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা ঘ আঞ্চলিক উন্নয়ন সংস্থা
১৪৯. কোন রাষ্ট্রটি ইইউ’র প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য? (জ্ঞান)
ক পোল্যান্ড খ রোমানিয়া গ যুক্তরাজ্য ফ্রান্স
১৫০. আফ্রিকান ইউনিয়নের সংক্ষিপ্ত নাম কী? (জ্ঞান)
ক এ ইউ ওএইউ গ ইউএনও ঘ এইউপি
১৫১. কোন কারণে ইইউ’র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হয়েছে? (অনুধাবন)
ক উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে খ ব্যবসায় ভর্তুকি দেখা যাওয়ায়
একক মুদ্রাব্যবস্থা চালু করায় ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
১৫২. ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগের নাম কী? (জ্ঞান)
ক ইইউ ইসি গ ওএইউ ঘ ইউসি
১৫৩. ইইউ এর প্রধান লক্ষ্য কোনটি? (জ্ঞান)
ক সামাজিক উন্নয়ন খ সামরিক উন্নয়ন
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘ রাজনৈতিক উন্নয়ন
১৫৪. বাংলাদেশের একজন নাগরিক জার্মানি যাওয়ার পর ভিসার আবেদন করল। কিন্তু ফ্রান্সের একজন নাগরিক পর্যটক ভিসা ছাড়াই জার্মানিতে বেড়াতে গেল। এর কারণ কী? (প্রয়োগ)
ফ্রান্স ও জার্মানি ইইউভুক্ত দেশ
খ ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশ
গ ফ্রান্স-জার্মানির মধ্যকার ভিসাবিহীন ভ্রমণ চুক্তি
ঘ দুটিই ইউরোপের দেশ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৫. ইইউ গঠনে ইউরোপীয় দেশগুলোর যেসব সুফল পাচ্ছে তা হলোÑ (অনুধাবন)
র. ইইউভুক্ত দেশগুলোতে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া যাতায়াত
রর. একক মুদ্রা ইউরো ব্যবহার
ররর. দেশগুলোতে লেখাপড়া ও চাকরির সুযোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৫৬. রুশো ফ্রান্সের নাগরিক। সে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশে যাতায়াত করতে পারে। এর ফলে বৃদ্ধি পায় তারÑ (প্রয়োগ)
র. ব্যবসার সুযোগ রর. চাকরির সুযোগ
ররর. লেখাপড়ার সুযোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর র, রর ও ররর
১৫৭. ইসি যে সকল কাজ করে তার মধ্যে অন্যতম হলোÑ (অনুধাবন)
র. সামাজিক চুক্তি সম্পাদন রর. নীতি বাস্তবায়ন
ররর. তহবিল বরাদ্দ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৮. আফ্রিকান ইউনিয়নের ক্ষেত্রে বলা যায়Ñ (অনুধাবন)
র. সদরদপ্তর ইথিওপিয়ায় অবস্থিত রর. বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৩
ররর. প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫৯ ও ১৬০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ক্লাসের ফাঁকে জাহিদ ও শরিফ ধাঁধাঁর মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে মতবিনিময় করছিল। জাহিদ বলল, শরিফ এমন একটি আঞ্চলিক সংস্থার নাম বল যেটি একটি মহাদেশকে কেন্দ্র করে ১৯৫৭ সালে গড়ে উঠেছে। শরিফ উত্তরটি দিল এবং পাল্টা প্রশ্ন করল একবিংশ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত মহাদেশভিত্তিক আঞ্চলিক সংস্থা কোনটি?
১৫৯. অনুচ্ছেদে জাহিদ কোন আঞ্চলিক সংস্থার প্রতি ইঙ্গিত করেছে? (প্রয়োগ)
ক আফ্রিকান ইউনিয়ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন
গ আসিয়ান ঘ আমেরিকান জোট
১৬০. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত উভয় আঞ্চলিক সংস্থার যে সকল কাজের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে তা হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থনৈতিক উন্নয়ন রর. শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা
ররর. জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬১. পৃথিবীতে রয়েছে (অনুধাবন)
র. ১৯৬টি দেশ রর. আন্তর্জাতিক সংস্থা
ররর. আঞ্চলিক সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬২. আঞ্চলিক সংস্থা হলো (অনুধাবন)
র. জাতিসংঘ রর. ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ররর. আফ্রিকান ইউনিয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৩. আন্তর্জাতিক সংস্থার উদাহরণ (অনুধাবন)
র. জাতিসংঘ
রর. জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন
ররর. ইসলামি সহযোগি সংস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৬৪. খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাহায্যের প্রয়োজন
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাতিসংঘের রর. ওআইসির
ররর. আফ্রিকান ইউনিয়নের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সীমান্ত নিয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। ‘ক’ রাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনী নিয়ে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভ‚খণ্ডে আগ্রাসি তৎপরতা চালায়। ‘খ’ রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সাহায্য চাইলে বিবাদমান রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় সংস্থাটি এগিয়ে এসে সমাধান করে দেয়। এই সংস্থাটি বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা নিরসন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ‚মিকা পালন করছে।
ক. ইউনেস্কোর মূল কাজের ক্ষেত্র কয়টি?
খ. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কোনটি? এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের বিবাদ মীমাংসায় কোন সংস্থাটি কাজ করেছেÑ ব্যাখ্যা কর।
ঘ.বিশ্ব শান্তি রক্ষায় উক্ত সংস্থাটি প্রশংসনীয় ভ‚মিকা পালন করছে-এই প্রস্তাবনার পক্ষে যুক্তি দাও।
ল্ফল্প ১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইউনেস্কোর মূল কাজের ক্ষেত্র চারটি।
খ. ২১শে ফেব্রæয়ারি বা শহিদ দিবস হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্র“য়ারি পুলিশের গুলিতে শহিদ হন রফিক, শফিক, জব্বারসহ অনেকে। তাদের এ আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা লাভ করে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। মাতৃভাষার জন্য সংগ্রামের এমন অনন্য ইতিহাসের কারণে ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও সম্মানের চেতনাবোধ জাগ্রত করতে এ দিনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
গ. ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের বিবাদ মীমাংসায় জাতিসংঘ কাজ করেছে ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। জাতিসংঘের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো বিবদমান রাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করে সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা। জাতিসংঘ বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা নিরসন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। ‘ক’ রাষ্ট্র তার সামরিক বাহিনী নিয়ে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভ‚খণ্ডে আগ্রাসি তৎপরতা চালায়। এর প্রেক্ষিতে ‘খ’ রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে সাহায্য চাইলে সংস্থাটি বিবদমান রাষ্ট্রের বিরোধ মীমাংসায় এগিয়ে আসে এবং তা সমাধান করে দেয়। এছাড়া এ সংস্থাটি বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা নিরসন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ‚মিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির কাজের সাথে আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘের কাজের সাদৃশ্য রয়েছে। কাজেই বলা যায়, ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের বিবাদ মীমাংসায় জাতিসংঘ কাজ করেছে।
ঘ. বিশ্বশান্তি রক্ষায় উক্ত সংস্থাটি তথা জাতিসংঘ প্রশংসনীয় ভ‚মিকা পালন করছেÑ এই প্রস্তাবনার পক্ষের যুক্তি নিচে দেওয়া হলো :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা অনুধাবন করে বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলোÑ আন্তর্জাতিক শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনও কখনও যুদ্ধ বন্ধে বা যুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পিয়াল টিভিতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে বাংলায় অনুষ্ঠান স¤প্রচার দেখে বিস্মিত হয়। সে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ২১শে ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত হওয়ায় এই কার্যক্রম চলছে। একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাভাষাকে এই মর্যাদাদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তার স্কুলে ঐ সংস্থার সহযোগিতায় একটি বিজ্ঞান গবেষণাগার স্থাপিত হয়েছে। অতি স¤প্রতি একটি ইন্টারনেট ক্লাবও গঠন করা হয়েছে।
ক. জলপাই পাতা কিসের প্রতীক?
খ. অছিভুক্ত এলাকা বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. পিয়ালের বিদ্যালয়ে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.পিয়ালের বিদ্যালয়ের কার্যাবলির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে উক্ত সংস্থার ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জলপাই পাতা শান্তির প্রতীক।
খ. অছি পরিষদের দায়িত্বের আওতাভুক্ত এলাকাই হলো অছিভুক্ত এলাকা।
অছি পরিষদ জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের অনুন্নত অঞ্চলসমূহের তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব পালন করে। এসব অঞ্চলের উন্নতি এবং এলাকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা রক্ষা ও তাদের দেশ শাসনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা এ পরিষদের দায়িত্ব। আর এসব অঞ্চলই হলো অছিভুক্ত এলাকা।
গ. পিয়ালের বিদ্যালয়ে যে আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা রয়েছে তা হলো ‘ইউনেস্কো’। ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি সামাজিক সংস্থা। পুরো নাম ‘দি ইউনাইটেড নেশন্স এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক এ্যান্ড কালচারাল অরগানাইজেশন’ অর্থাৎ জাতিসংঘ শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা। ১৯৪৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত এবং এর সদরদপ্তর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। ইউনিস্কোর প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বর্তমানে ইউনেস্কোর সদস্য রাষ্ট্র ১৮৯টি। পিয়ালের বিদ্যালয়ে একটি বিজ্ঞান গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা এবং ইন্টারনেট ক্লাব গঠন ইউনেস্কোর শিক্ষা, বিজ্ঞান ও যোগাযোগ এই কাজগুলোর অন্তর্ভুক্ত। এ কারণে এটি নিঃসন্দেহে বোঝা যায় ইউনেস্কোর সহযোগিতায় পিয়ালের বিদ্যালয়ে উক্ত কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে।
ঘ. উক্ত সংস্থাটি হলো ইউনেস্কো, যা বাংলাদেশে শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ইউনেস্কোতে যোগ দেয়ার পর থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে এ সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ২১শে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবসকে এ সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাছাড়া সুন্দরবন, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, ষাটগম্বুজ মসজিদ ইত্যাদি সংরক্ষণে সহায়তার মাধ্যমে এ সংস্থা বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সহযোগিতা করছে।
একইভাবে এ সংস্থা পিয়ালের বিদ্যালয়ে একটি বিজ্ঞান গবেষণাগার স্থাপন করেছে। এর প্রেক্ষিতে ঐ বিদ্যালয়ে গঠিত হয়েছে একটি ইন্টারনেট ক্লাব। এর ফলশ্রæতিতে পিয়ালের বিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের নানা শাখায় প্রভ‚ত উন্নতি লাভ করবে।
সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে একটি কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনেস্কো গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
]
ক. বিশ্বখাদ্য সংস্থা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রের ‘ক’ চিহ্নিত অঙ্গ-সংগঠনটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ‘ক’ অঙ্গ-সংগঠনটি অপেক্ষা ‘খ’ অঙ্গ সংগঠনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’-উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বিশ্বখাদ্য সংস্থা ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
খ. বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। শিশুদের হাম, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, যক্ষা, পোলিও, হুপিং কাশি প্রভৃতি প্রতিরোধে সংস্থাটি অবদান রাখছে। এছাড়া দেশ থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর জন্য কাজ করছে সংস্থাটি। ঘাতক রোগ কলেরা ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অবদান উল্লেখযোগ্য।
গ. চিত্রের ‘ক’ চিহ্নিত সংগঠনটি হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।
‘ক’ অঙ্গটির কাজ হচ্ছে মহাসচিব নিয়োগসহ অন্যান্য কাজ সম্পাদন। এছাড়া সদস্য সংখ্যা ১৯৩ এবং বছরে একবার এটির অধিবেশন বসে যা জাতিসংঘের সাথে সাধারণ পরিষদের সাদৃশ্যপূর্ণ।
জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রেই সাধারণ পরিষদের সদস্য। সাধারণ পরিষদে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটি করে ভোট আছে। সাধারণত বছরে একবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বসে। প্রত্যেক অধিবেশনের শুরুতেই সদস্যদের ভোটে পরিষদের একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এছাড়া মহাসচিব নিয়োগ, নতুন সদস্য গ্রহণ, বাজেট পাশ, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদার হার নির্ধারণ, নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নির্বাচন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ পরিষদ করে থাকে।
ঘ. চিত্রে ‘ক’ জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন সাধারণ পরিষদকে নির্দেশ করে। আর ‘খ’ অঙ্গ সংগঠনটি হচ্ছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ। চিত্রে উল্লিখিত ‘খ’ অঙ্গ সংগঠনটির কাজ তথা শিক্ষার প্রসার, জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি, মানবাধিকার কার্যকর করা সংগঠনটিকে ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ’ হিসেবে সাব্যস্ত করে। আবার এ কাজগুলোই প্রমাণ করে ‘ক’ অঙ্গ সংগঠন তথা সাধারণ পরিষদ অপেক্ষা ‘খ’ অঙ্গ সংগঠন তথা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এ আলোচনা ফলপ্রসূ করতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ বাস্তবমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এ পরিষদের কাজ হলো সদস্য দেশগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান, শিক্ষার প্রসার, মানবাধিকার কার্যকর করা প্রভৃতি। আর এ সমস্ত কার্যক্রম প্রকারান্তে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। এছাড়া বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক বিষয়ে সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ প্রেরণ করারও এ পরিষদের অন্যতম দায়িত্ব। এ প্রেক্ষিতেও বলা যায়, ইউনেস্কো বয়স্ক শিক্ষা দানে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সংস্থার নাম সদস্য সংখ্যা কাজের ধরন
ক ৫৭ নির্দিষ্ট একটি স¤প্রদায়ের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা
খ ১৮৯ বয়স্কদের শিক্ষা দান
ক. শুরুতে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা কত ছিল? ১
খ. অছি-পরিষদ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ছকের ‘ক’ সংস্থাটির মূল লক্ষ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ছকের ‘খ’ সংস্থাটির ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শুরুতে জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০টি।
খ. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে অছি পরিষদ গঠিত।
অছি পরিষদ জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের অনুন্নত অঞ্চলসমূহের তত্ত¡াবধানের দায়িত্ব পালন করে। অছিভুক্ত অঞ্চলের উন্নতি এবং এলাকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা রক্ষা ও তাদের দেশ শাসনের উপযুক্ত করে গড়ে তোলাই হচ্ছে অছি পরিষদের দায়িত্ব।
গ. ছকের ‘ক’ সংস্থা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) যার সদস্য সংখ্যা ৫৭ এবং বিশ্বে মুসলিম স¤প্রদায়ের ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় সংস্থাটি কাজ করে।
মুসলামানদের জন্য সংকটময় এক পরিস্থিতিতে ১৯৬৯ সালে ‘ইসলামি সম্মেলন সংস্থা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর নাম বদলে হয়েছে ‘ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা’। মুসলিম বিশ্বের সমস্যা নিরূপণ এবং তা সমাধানের উপায় বের করা ওআইসির মূল লক্ষ্য। সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার মাধ্যমে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সারা পৃথিবীর মুসলমানদের কল্যাণে কাজ করা এ সংস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
ঘ. ‘খ’ সংস্থাটি হচ্ছে ইউনেস্কো যার সদস্য সংখ্যা ১৮৯ এবং ছকে উল্লিখিত বিশ্বব্যাপী বয়স্কদের শিক্ষাদান তাদের কাজের একটি ধারা বা ধরন।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ‘খ’ সংস্থা তথা ইউনেস্কোর ভ‚মিকা অপরিসীম। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২৭ শে অক্টোবর ইউনেস্কোতে যোগ দেয়। ১৯৭৩ সালে সরকার বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশন গঠন করে। এ কমিশন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করে। ইউনেস্কো বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিশেষ করে বয়স্কদের শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগেই আমাদের ভাষা শহিদ দিবস ২১ শে ফেব্রæয়ারি ‘আন্তর্জাতি মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (যেমন বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও নওগাঁর পাহাড়পুর বা সোমপুর বৌদ্ধবিহার) সংরক্ষণে ইউনেস্কো সহায়তা করছে।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের দৃশ্যকল্পটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা কত? ১
খ. আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো ব্যাখ্যা কর। ২
গ. দৃশ্যকল্পে উল্লিখিত আসিয়ান বিশ্বে কী ভ‚মিকা রাখতে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.সার্কের সাথে ই ইউ এর ভিন্নতা বিশ্লেষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা ২৮।
খ. আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো-
১. আফ্রিকার দেশগুলো ও তাদের জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা।
২. দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করা।
৩. দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
৪. দেশগুলোতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
৫. আফ্রিকা মহাদেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা।
গ. দৃশ্যকল্পে উল্লিখিত আসিয়ান একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা। তাই আসিয়ান অঞ্চলভিত্তিক কার্যক্রমে সফলতার দ্বারা বিশ্বে ভ‚মিকা রাখতে পারে।
পৃথিবীর দেশগুলো বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত। এগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীন ও সার্বভৌম হলেও আজকের দুনিয়ায় কোনো দেশের পক্ষেই অন্যের সহযোগিতা ছাড়া একা চলা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এমন কী রাজনৈতিক দিক দিয়েও দেশগুলো একে অপরের ওপর কমবেশি নির্ভরশীল। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিজেদের উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদের পরস্পরের সহযোগিতা নিতে হয়। বিশ্বের সকল দেশেরই রয়েছে কোনো না কোনো সমস্যা। সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান ও একটি শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৃথিবীতে গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা। এর মধ্যে কতগুলো গড়ে ওঠেছে নির্দিষ্ট অঞ্চলকে ঘিরে, অর্থাৎ ঐ অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে। আসিয়ান এরূপ একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে বিশ্বের আর্থ-সামাজিক সার্বিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছে।
ঘ. সার্ক ও ই ইউ উভয়টি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা হলেও এদের উদ্দেশ্যে ও কার্যক্রমে রয়েছে ব্যাপক ভিন্নতা।
সার্ক অঞ্চল তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রয়েছে হাজারো সমস্যা। সকলের সহযোগিতার মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে গড়ে ওঠেছে সার্ক। অন্যদিকে দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নয়ন ই ইউর প্রধান লক্ষ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশের নাগরিকেরা পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই ইউনিয়নভুক্ত সকল দেশে যাতায়াত করতে পারে। ফলে সহজেই এক দেশের মানুষ অন্যদেশে গিয়ে লেখাপড়া, ব্যবসা ও চাকরির সুযোগ পাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সংস্থা ইইউ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা বা সার্ক থেকে সম্পূর্ণই ভিন্ন এবং কার্যক্রমে অত্যধিক সক্রিয়। যেমন : ইইউর একটি নির্বাহী বিভাগ রয়েছে যার নাম ইউরোপীয় কমিশন (ঊঈ)। এটি ইইউ-এর পক্ষে দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করে। অর্থাৎ নীতি বাস্তবায়ন, তহবিল বরাদ্দ ও ব্যয়ের কাজ করে। ইসি সার্বিকভাবে ইইউকে প্রতিনিধিত্ব করে।
সার্বিক আলোচনার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট যে, সার্ক ও ইইউ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা হওয়া সত্তে¡ও প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রমে সম্পূর্ণই ভিন্ন।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের ছক থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাতিসংঘের দুটি সংস্থা-
সংস্থার নাম প্রতিষ্ঠার সাল সদর দপ্তর
ঢ ১৯৪৬ প্যারিসে
ণ ১৯৪৫ রোমে
ক. শুরুতে কয়টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল? ১
খ. ভেটো ক্ষমতা বলতে কী বোঝ? ২
গ. বাংলাদেশে “ণ” সংস্থাটির ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে “ঢ” সংস্থাটির কার্যক্রম মূল্যায়ন কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শুরুতে ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল।
খ. ‘ভোটো’ ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ হলো ‘আমি ইহা মানি না’। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের প্রত্যেকেই ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। এ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্তকে যেকোনো স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র বাতিল বা স্থগিত করে দিতে পারে। এ ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স ও গণচীন।
গ. “ণ” সংস্থাটি হচ্ছে বিশ্বখাদ্য সংস্থা (ঋঅঙ)। এ সংস্থাটিই ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যার সদর দপ্তর ইতালির রাজধানী রোমে।
বাংলাদেশ ফাও-এর একটি সদস্য রাষ্ট্র। ঢাকাতে এর শাখা অফিস আছে। বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষির উন্নয়নে ফাও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। উপরন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই আমাদের দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ সমস্যার মোকাবেলায় একটি খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ফাও সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়। এছাড়াও ফাও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে সহায়তা ও কৃষির উন্নয়নে পরামর্শ দিয়ে থাকে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করে। ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদে ও প্রান্তিক চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেয় সংস্থাটি।
ঘ. “ঢ” সংস্থাটি হচ্ছে ইউনেস্কো (টঘঊঝঈঙ)। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউনেস্কোর সদর দপ্তর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত। মূলত এটি জাতিসংঘের একটি সামাজিক সংস্থা। পুরা নাম ‘দি ইউনাইটেড নেশন্স এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক এ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন’ অর্থাৎ ‘জাতিসংঘ শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা’। বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে ইউনেস্কোর কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ্বল।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২৭ শে অক্টোবর ইউনেস্কোতে যোগ দেয়। ইউনেস্কো বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিশেষ করে বয়স্কদের শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগেই আমাদের ভাষা শহিদ দিবস ২১ শে ফেব্রæয়ারি ‘আন্তর্জাতি মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেমন বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও নওগাঁর পাহাড়পুর বা সোমপুর বৌদ্ধবিহার সংরক্ষণে ইউনেস্কো সহায়তা করছে।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সংস্থা-১ : প্যারিসে সদর দপ্তর। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ১৮৯টি রাষ্ট্র। সংস্থা-২ : ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল গঠিত হয়। জেনেভা শহরে সদর দপ্তর অবস্থিত।
ক. জাতিসংঘ কত সালে গঠিত হয়? ১
খ. “ভেটো ক্ষমতা” বলতে কী বোঝায়? ২
গ. বাংলাদেশে “সংস্থা-২” এর কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“সংস্থা-১” বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণে ভ‚মিকা রাখে- বিশ্লেষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জাতিসংঘ গঠিত হয় ১৯৪৫ সালে।
খ. ‘ভেটো’ ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ হলো ‘আমি ইহা মানি না’। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের প্রত্যেকেই ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। এ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্তকে যেকোনো স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র বাতিল বা স্থগিত করে দিতে পারে। এ ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্রগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স ও গণচীন।
গ. উদ্দীপকে সংস্থা-২ বলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ) কে বোঝানো হয়েছে। এটি ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল গঠিত হয়, যার সদর দপ্তর জেনেভা শহরে অবস্থিত। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের সকল অংশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করাই সংস্থাটির লক্ষ্য।
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। দেশ থেকে সংক্রামক ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করছে। শিশুদের ৬টি ঘাতক রোগ (হাম, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, য²া, পোলিও, হুপিং কাশি প্রভৃতি) প্রতিরোধেও সংস্থাটি অবদান রাখছে। এছাড়া দেশ থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর জন্যও কাজ করছে সংস্থাটি। ঘাতক রোগ কলেরা ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অবদান উল্লেখযোগ্য।
ঘ. উদ্দীপকের সংস্থা-১ হচ্ছে ইউনেস্কো। যার সদর দপ্তর প্যারিসে অবস্থিত। বর্তমানে এটির সদস্য ১৮৯টি রাষ্ট্র।
ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি সামাজিক সংস্থা। শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এর প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২৭ শে অক্টোবর ইউনেস্কোতে যোগ দেয়। ইউনেস্কো বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিশেষ করে বয়স্কদের শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগেই আমাদের ভাষা শহিদ দিবস ২১ শে ফেব্রæয়ারি ‘আন্তর্জাতি মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (যেমন বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও নওগাঁর পাহাড়পুর বা সোমপুর বৌদ্ধবিহার) সংরক্ষণে ইউনেস্কোর সহায়তা করছে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের ঐতিহ্য সংরক্ষণে ইউনেস্কো গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের চিত্র দুটো দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. জলপাই পাতা কিসের প্রতীক? ১
খ. ভেটো ক্ষমতাÑব্যাখ্যা কর। ২
গ. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অ’ নির্দেশক সংস্থাটির ভ‚মিকা লিখ। ৩
ঘ.বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় রেখাচিত্র ‘খ’ অপেক্ষা রেখাচিত্র ‘ক’ বেশি সক্রিয়Ñ উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
ল্ফল্প ৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. জলপাই পাতা শান্তির প্রতীক।
খ. নিরাপত্তা পরিষদের প্রত্যেক স্থায়ী সদস্য দেশের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স ও গ্রণচীন এ পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ। এরা প্রত্যেকেই ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। এ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্তকে যেকোনো স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র বাতিল বা স্থগিত করে দিতে পারে।
গ. ‘অ’ নির্দেশক সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ।
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোথাও সাফল্য অর্জন করেছে আবার কোথাও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তবে কিছু ব্যর্থতা থাকা সত্তে¡ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের ভ‚মিকা উল্লেখযোগ্য এবং প্রশংসনীয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা অনুধাবন করে বিশ্বব্যাপী শান্তি আনয়নের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো আন্তর্জাতিক শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে।
ঘ. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় রেখাচিত্র ‘খ’ অপেক্ষা রেখাচিত্র ‘ক’ বেশি সক্রিয় বলে আমি মনে করি। কারণ রেখাচিত্র ‘ক’ এ জাতিসংঘের ছয়টি অংগ সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং রেখাচিত্র ‘খ’ এ জাতিসংঘের চারটি বিশেষ সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রেখাচিত্র ‘ক’-এ উল্লিখিত নিরাপত্তা পরিষদ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করে। এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে পরিষদ সামরিক শক্তিও প্রয়োগ করতে পারে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ সদস্য দেশগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান, শিক্ষার প্রসার, মানবাধিকার কার্যকর করা প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ‚মিকা রাখছে। অছি পরিষদ অছিভুক্ত এলাকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। আন্তর্জাতিক আদালন আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসা করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে। সচিবলায় সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে যা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ‚মিকা রাখে। জাতিসংঘের রয়েছে কতকগুলো বিশেষ সংস্থা। যেমন, টঘঊঝঈঙ কাজ করে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য। ঋঅঙ খাদ্য ও কৃষির উন্নতির জন্য। ডঐঙ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এবং টঘঋচঅ জনসংখ্যা সমস্যার সমাধানের জন্য। রেখাচিত্র ‘খ’-এ জাতিসংঘের এ বিশেষ চারটি সংস্থার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং পরিশেষে বলা যায়, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় রেখাচিত্র ‘খ’ অপেক্ষা রেখাচিত্র ‘ক’ বেশি সক্রিয়।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব ফয়েজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সুদানে কর্মরত রয়েছেন। বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষাই তাদের প্রধান কাজ। তার স্ত্রী ডা. নাফিসা জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংগঠনের অধীনে বাংলাদেশের শিশুদের ৬টি ঘাতক ব্যাধি প্রতিরোধে কাজ করছেন।
ক. জাতিসংঘ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রধান লক্ষ্য কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ডা. নাফিসা জাতিসংঘের কোন বিশেষ শাখার অধীনে কাজ করছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“জনাব ফয়েজের কাজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন”Ñ মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
খ. বিশ্ব খাদ্য সংস্থা সারা বিশ্বে ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রধান লক্ষ্য।
গ. উদ্দীপকের ডা. নাফিসা জাতিসংঘের বিশেষ শাখা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে কাজ করছেন। কেননা ডা. নাফিসা জাতিসংঘের একটি বিশেষ সংগঠনের অধীনে বাংলাদেশের শিশুদের ৬টি ঘাতক ব্যাধি প্রতিরোধে কাজ করছেন যা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাজের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ সম্পর্কিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো :
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের সকল অংশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করাই সংস্থাটির লক্ষ্য। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। দেশ থেকে সংক্রামক ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করছে। শিশুদের ৬টি ঘাতক রোগ (হাম, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, য²া, পোলিও , হুপিংকাশি প্রভৃতি) প্রতিরোধেও সংস্থাটি অবদান রাখছে যা উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া দেশ থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর জন্যও কাজ করছে সংস্থাটি। ঘাতক রোগ কলেরা ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অবদান উল্লেখযোগ্য।
ঘ. জনাব ফয়েজের কাজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন। তার কারণ জনাব ফয়েজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সুদানে কর্মরত রয়েছেন। বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষাই তাদের প্রধান কাজ। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষায় কাজ করে আসছে। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। কখনো কখনো যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ তার শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও সংঘাতপূর্ণ এলাকায় পাঠায়। আর এ কাজগুলো করে থাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। নিরাপত্তা পরিষদ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করে। এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে পরিষদ সামরিক শক্তি প্রয়োগও করতে পারে। বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব এ পরিষদের ওপর ন্যস্ত।
সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, জনাব ফয়েজের কাজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের ছকটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাতিসংঘের ২টি সংস্থাÑ
সংস্থার নাম গঠনের সাল সদর দপ্তর
চ ১৯৪৬ প্যারিসে
ছ ১৯৪৮ জেনেভায়
ক. কত সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. জাতিসংঘের ২টি প্রধান উদ্দেশ্য উল্লেখ কর। ২
গ. বাংলাদেশে চ এর ভ‚মিকা বর্ণনা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ছ এর ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়।
খ. কতকগুলো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে দুটি প্রধান উদ্দেশ্য নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. আন্তর্জাতিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা।
গ. ছকে উল্লিখিত জাতিসংঘের চ সংস্থাটি ১৯৪৬ সালে গঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর প্যারিসে অবস্থিত। এ থেকে বোঝা যায় সংস্থাটি হচ্ছে ইউনেস্কো। বাংলাদেশে সংস্থা চ অর্থাৎ ইউনেস্কোর ভ‚মিকা নিচে বর্ণনা করা হলো :
ইউনেস্কো বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিশেষ করে বয়স্কদের শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগেই আমাদের ভাষা শহিদ দিবস ২১শে ফেব্রæয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে সারাবিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সুন্দরবন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য (যেমন বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও নওগাঁর পাহাড়পুর বা সোমপুর বৌদ্ধবিহার) সংরক্ষণেও ইউনেস্কো সহায়তা করছে।
ঘ. ছকে উল্লিখিত জাতিসংঘের সংস্থা দুটির মধ্যে ছ সংস্থাটির সদর দপ্তর জেনেভায় অবস্থিত এবং এটি ১৯৪৮ সালে গঠিত হয়েছে। সংস্থাটির সদর দপ্তরের অবস্থান এবং গঠনের সময়কালের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয় যে, সংস্থাটি হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ছ সংস্থা অর্থাৎ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। সংস্থাটি বাংলাদেশ থেকে সংক্রামক ব্যাধি দূর করতে সাহায্য করছে। শিশুদের ৬টি ঘাতক রোগ (হাম, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, য²া, পোলিও, হুপিংকাশি প্রভৃতি) প্রতিরোধেও সংস্থাটি অবদান রাখছে। এছাড়া দেশ থেকে ম্যালেরিয়া দূরীকরণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর জন্যও কাজ করছে সংস্থাটি। ঘাতক রোগ কলেরা ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণেও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অবদান উল্লেখযোগ্য।
কাজেই উপরিউক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ছ সংস্থার ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মাহমুদ স্যার ক্লাসে বললেন, তোমরা যেমন তোমাদের প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক রাখো, আবার তোমার প্রতিবেশী অন্য প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক রাখে; এভাবে পুরো পাড়া, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ, এমনকি পুরো দেশের মধ্যেই একটি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। তেমনি সমগ্র বিশ্বের দেশগুলোও নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক অটুট রাখতে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেছে।
ক. ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগের নাম কী? ১
খ. ইউএনএফপিএ’র লক্ষ্য কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে যে সংস্থাটির কথা বলা হয়েছে সেটি গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত সংস্থাটি গঠনের পটভ‚মি বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগের নাম ইউরোপীয় কমিশন।
খ. উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের জনসংখ্যা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানই হচ্ছে ইউএনএফপিএ-এর মূল লক্ষ্য। এটি জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে দেশগুলোকে জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
গ. উদ্দীপকে জাতিসংঘের কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘ গঠনের উদ্দেশ্য নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
আন্তর্জাতিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা। আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিশ্বের সব মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা। অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
ঘ. উক্ত সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ গঠনের পটভ‚মি নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধের ভয়াবহতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের ব্যাপকতা দেখে সারা পৃথিবীর চিন্তাশীল মানুষ ও রাষ্ট্রনেতারা বিচলিত হয়ে পড়েন। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধ মীমাংসা এবং তাদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁরা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে গঠিত হয় লীগ অব নেশনস বা জাতিপুঞ্জ। কিন্তু বিভিন্ন দেশের স্বার্থপরতার কারণে এ সংস্থাটি স্থায়িত্ব লাভ করেনি। যুদ্ধের বিপদ থেকেও তা পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারেনি। ফলে সংগঠিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এ যুদ্ধের ভয়াবহতা ছিল আগেরটির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এ অবস্থায় যুদ্ধ চলাকালেই ১৯৪১ সালে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কেউ কেউ একটি নতুন ও অধিকতর শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। যা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারবে। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের সঙ্গে অন্যান্য দেশের নেতৃবৃন্দের দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৫ সালে ২৪শে অক্টোবর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
প্রশ্ন -১২ ল্ফ নিচের ছকটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাতিসংঘের দুটি অঙ্গÑ
সদস্য সংখ্যা অধিবেশন কাজ
ক ১৯৩ বছরে একবার মহাসচিব নিয়োগ
খ ১৫ দুই বছরে একবার শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা
ক. ইউনেস্কোর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? ১
খ. বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ শিক্ষা বিজ্ঞান সংস্কৃতি সংস্থার ভ‚মিকা উল্লেখ কর। ২
গ. ছকে উল্লিখিত জাতিসংঘের ‘ক’ অঙ্গটির ব্যাখ্যা দাও । ৩
ঘ.ছকে উল্লিখিত জাতিসংঘের ‘ক’ অঙ্গটির চেয়ে ‘খ’ অঙ্গটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইউনেস্কো সদরদপ্তর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত।
খ. জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বাংলাদেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণ, বিশেষ করে বয়স্কদের শিক্ষা, বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। ইউনেস্কোর উদ্যোগেই ২১শে ফেব্রæয়ারি ‘আন্তর্জাতিক ভাষা’ দিবসের স্বীকৃতি পায় সারাবিশ্ব।
গ. ছকে উল্লিখিত জাতিসংঘের ‘ক’ অঙ্গটি হলো সাধারণ পরিষদ।
কেননা ‘ক’ অঙ্গটির কাজ হচ্ছে মহাসচিব নিয়োগ দেওয়া। এছাড়া এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩ এবং বছরে একবার এটির অধিবেশন বসে যা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সাধারণ পরিষদের ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো :
জাতিসংঘের সকল সদ্য রাষ্ট্রেই এর সদস্য। সাধারণ পরিষদে প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রের একটি করে ভোট আছে। সাধারণত বছরে একবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বসে। প্রত্যেক অধিবেশনের শুরুতেই সদস্যদের ভোটে পরিষদের একজন সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এছাড়া মহাসচিব নিয়োগ, নতুন সদস্য গ্রহণ, বাজেট পাশ, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদার হার নির্ধারণ, নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নির্বাচন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এ পরিষদ করে থাকে।
ঘ. ছকে উল্লিখিত ‘ক’ অঙ্গটি হচ্ছে সাধারণ পরিষদ আর ‘খ’ অঙ্গটি হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চেয়ে ‘খ’ অঙ্গ অর্থাৎ নিরাপত্তা পরিষদ অঙ্গটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫। এর মধ্যে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। অস্থায়ী সদস্যরা প্রতি দুই বছর অন্তর সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলোÑ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, গণচীন। স্থায়ী সদস্যরা প্রত্যেকে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্তকে তারা একাই বাতিল বা স্থাগিত করে দিতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করে। এ চেষ্টা ব্যর্থ হলে পরিষদ সামরিক শক্তিও প্রয়োগ করতে পারে। বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান দায়িত্ব এ পরিষদের ওপর ন্যস্ত। অন্যদিকে সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে, মহাসচিব নিয়োগ, নতুন সদস্য গ্রহণ, বাজেট পাশ, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাঁদা নির্ধারণ, নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নির্বাচন ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রতিবেশি ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে বিরোধ দেখা দেওয়ায় তা মীমাংসার জন্য উভয় রাষ্ট্রই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি অঙ্গ সংগঠনের কাছে আবেদন জানায় এবং সংস্থাটি তাদের সমস্যা সমাধান করে দেয়। এই সংস্থাটির সদর দপ্তর নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এর মূল সংস্থাটি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
ক. বাংলাদেশ কত সালে ওআইসি’র সদস্য পদ লাভ করে? ১
খ. জাতিসংঘের প্রারম্ভিক মাত্রার অবস্থা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানে কোন অঙ্গ সংগঠনটি কাজ করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বিশ্বশান্তি রক্ষায় মূল সংস্থাটির বিকল্প নেইÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্য পদ লাভ করে।
খ. জাতিসংঘের প্রারম্ভিক যাত্রা শুরু হয়েছিল বিশ্বের ৫০টি দেশ নিয়ে। এর সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছিল নিউইয়র্কে। জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব অর্থাৎ প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন নরওয়ের অধিবাসী ট্রিগভেলি।
গ. ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন আন্তর্জাতিক আদালত কাজ করছে। জাতিসংঘের যে কোনো সদস্য রাষ্ট্র যেকোনো আন্তর্জাতিক বিরোধ মীমাংসার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করতে পারে। আন্তর্জাতিক আদালত নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত। এর মূল সংস্থা জাতিসংঘ। এই সংস্থাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, ক ও খ রাষ্ট্রের মধ্যে সীমান্ত ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে বিরোধ দেখা দেওয়ায় তা মীমাংসার জন্য উভয় রাষ্ট্রই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি অঙ্গ সংগঠনের কাছে আবেদন জানায় এবং সংস্থাটি তাদের সমস্যা সমাধান করে দেয়। সুতরাং বলা যায়, ক ও খ রাষ্ট্রের সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক আদালত কাজ করছে।
ঘ. বিশ্বশান্তি রক্ষায় মূল সংস্থাটির অর্থাৎ জাতিসংঘের বিকল্প নেই।
বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোথাও সাফল্য অর্জন করেছে আবার কোথাও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তবে কিছু ব্যর্থতা থাকা সত্তে¡ও বিশ্বশান্তি রক্ষায় সংস্থাটির অবদান উল্লেখযোগ্য এবং প্রশংসনীয়।
১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতিসংঘ। ৫০টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়েছিল। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলোÑ আন্তর্জাতিক শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিশ্বের সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করা। বিশ্বের কোথাও যুদ্ধ বা সামরিক সংঘাত বাধলে জাতিসংঘ তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এছাড়াও বিশ্ব থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতা দূর করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবেশ দূষণজনিত সমস্যা মোকাবিলা, জনসংখ্যা বিস্ফোরণরোধ, নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমেও জাতিসংঘ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সেনেগালের ডাকারে ২০০৮ সালে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার প্রধানরা যোগ দেয়। এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারলেন না। কারণ ভারত এ সংস্থার সদস্য নয়। পরবর্তী ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। অবশ্য এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার সাথে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু জড়িত ছিলেন।
ক. জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত? ১
খ. জাতিসংঘের পতাকার গঠন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সেনেগালে যে সংস্থার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি সংস্থার সাথেই বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ গভীরÑ বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৩।
খ. জাতিসংঘের একটি নিজস্ব পতাকা রয়েছে। এর রং হালকা নীল। মাঝখানে সাদার ভিতরে রয়েছে বিশ্বের বৃত্তাকার মানচিত্র। এর দুপাশে দুটি জলপাই পাতার ঝাড়।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সেনেগালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কেননা উক্ত সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার প্রধানরা যোগ দেয় যা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে নির্দেশ করে।
বিশ্বের মুসলমান প্রধান দেশগুলোর একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন হলো ওআইসি বা ইসলামি সম্মেলন সংস্থা। এর সদস্য সংখ্যা ৫৭। এর সদরদপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায়। এর প্রধান লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার মাধ্যমে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সারা পৃথিবীর মুসলমানদের কল্যাণে কাজ করা। মুসলমানদের জন্য সংকটময় এক পরিস্থিতিতে ১৯৬৯ সালে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর নাম বদলে হয়েছে ‘ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা।’। মুসলিম বিশ্বের সমস্যা নিরূপণ এবং তা সমাধানের উপায় বের করা ওআইসির প্রধান লক্ষ্য।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি সংস্থা হচ্ছে ওআইসি ও ন্যাম। এ দুটি সংস্থার সাথেই বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ গভীর। এ সম্পর্কিত বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হলো :
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। প্রথম থেকেই ওআইসির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে আসছে। অন্যদিকে বাংলাদেশও ওআইসি ও তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছে। তেলসমৃদ্ধ ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে যা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলো সংরক্ষণেও ওআইসি আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনেরও এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। প্রথম থেকেই বাংলাদেশ এর সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে। ন্যাম-এর মূলনীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি বাংলাদেশ দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ। বদলে যাওয়া এ পৃথিবীতে এখন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্ব আর আগের মতো না থাকলেও এর নীতিমালা বাস্তবায়ন একটি শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভ‚মিকা পালন করবে।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মরিস বিলান বেলজিয়ামের একজন নাগরিক। তিনি পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াই ইউরোপের ২৮টি দেশে যাতায়াত করতে পারেন। ইউরোপের একটি সংস্থা সৃষ্টির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। মরিসের আরেক বন্ধু জেসন। সে স¤প্রতি ইথিওপিয়া থেকে এসেছে। মরিসকে সে জানাল তার দেশেও এ রকম একটি সংস্থা আছে। সংস্থাটি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছে।
ক. বিশ্বের কয়টি দেশ ইউএনএফপিএ’র সদস্য? ১
খ. ইউরো চালু করা হয় কেন? ২
গ. মরিস বিলান ইউরোপে কোন সংস্থার সদস্যভুক্ত নাগরিক? উক্ত সংস্থার কী কী সুবিধা তিনি পেতে পারেন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.জেসনের দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে তার দেশের সংস্থাটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশ ইউএনএফপিএ’র সদস্য।
খ. ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজ করার জন্য ইউরো চালু করা হয়।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠিত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর এ কারণে সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার চলমান ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজ করার লক্ষ্যে গঠিত হয় একক মুদ্রা ইউরো।
গ. মরিস বিলান আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) -এর সদস্যভুক্ত নাগরিক। কারণ বেলজিয়ামের নাগরিক মরিস বিলান পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াই ইউরোপের ২৮টি দেশে যাতায়াত করতে পারেন যা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্দেশ করে। মসির বিলান এ সংস্থা থেকে যে সুবিধাগুলো পেতে পারেন তা হলো :
১. তিনি এ সংস্থার অন্তর্গত যে কোনো দেশে গিয়ে লেখাপড়া, ব্যবসা ও চাকরির সুবিধা নিতে পারেন।
২. ইইউ দেশগুলোর মধ্যে একক মুদ্রা চালু হয়েছে, যার নাম ইউরো’। এ মুদ্রা দিয়ে মরিস বিলান এ সংস্থার অন্তর্গত দেশগুলোতে সহজেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারেন।
৩. মরিস বিলান সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে অবাধে চলাফেরা করতে পারবেন।
ঘ. জেসনের দেশ হচ্ছে ইথিওপিয়া। কাজেই বলা যায় জেসনের দেশের সংস্থাটি হচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (ওএইউ)। কারণ আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তর ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অবস্থিত। জেসনের দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আফ্রিকান ইউনিয়নের গুরুত্ব নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
১. সদস্য দেশগুলোর জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করা;
২. দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করা;
৩. দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা;
৪. দেশগুলোতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং
৫. আফ্রিকা মহাদেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, জেসনের দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আফ্রিকান ইউনিয়নের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন -১৬ ল্ফ নিচের ছকের আলোকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা অঞ্চল সদস্য সংখ্যা সদরদপ্তর
ক ইউরোপ ২৮ ব্রাসেলস
খ আফ্রিকা ৫৩ আদ্দিস আবাবা
[খুলনা জিলা স্কুল]
ক. ইউএনএফপিএ’র পুরো নাম কী? ১
খ. জাতিসংঘ সচিবালয় কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ছকে উল্লিখিত ‘খ’ আঞ্চলিক সংস্থাটির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে। ৩
ঘ. ছকে উল্লিখিত ‘ক’ আঞ্চলিক সংস্থাটির কার্যক্রম বিশ্লেষণ করো। ৪
১৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ইউএনএফপিএ’র পুরো নাম হচ্ছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ফান্ড ফর পপুলেশন অ্যাকটিভিটিজ।’
খ. জাতিসংঘ সচিবালয় হচ্ছে জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংগঠন। জাতিসংঘের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে এটি গঠিত। এর প্রধান কর্মকর্তা হলেন মহাসচিব। তিনি সাধারণ পরিষদ কর্তৃক পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। জাতিসংঘের সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে জাতিসংঘ সচিবালয়। এর কতকগুলো বিভাগ বা শাখা রয়েছে যার মাধ্যমে সচিবালয় তার কাজ করে থাকে।
গ. ছকে উল্লিখিত ‘খ’ আঞ্চলিক সংস্থাটি হচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। কারণ ‘খ’ আঞ্চলিক সংস্থাটির সদস্য সংখ্যা ৫৩ এবং এটির সদর দপ্তর আদ্দিস আবাবায় অবস্থিত। এছাড়া সংস্থাটি আফ্রিকা অঞ্চলভিত্তিক। এ থেকে বোঝা যায় সংস্থাটি হচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।
আফ্রিকান ইউনিয়নের উদ্দেশ্যগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
১. আফ্রিকার দেশগুলো ও তাদের জনগণের মধ্যে ঐক্য সংহতি প্রতিষ্ঠা করা।
২. দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
৩. দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
৪. দেশগুলোতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং
৫. আফ্রিকা মহাদেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা।
ঘ. ছকে উল্লিখিত ‘ক’ আঞ্চলিক সংস্থাটি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
‘ক’ আঞ্চলিক সংস্থাটি ইউরোপভিত্তিক। এর সদস্য সংখ্যা ২৮ এবং এর সদর দপ্তর ব্রাসেলসে অবস্থিত যা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নির্দেশ করে।
নিচে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করা হলো :
সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নয়ন-এর প্রধান লক্ষ্য। এর সদস্যভুক্ত দেশের নাগরিকরা পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই ইউনিয়নভুক্ত সকল দেশে যাতায়াত করতে পারে। ফলে সহজেই এক দেশের মানুষ অন্যদেশে গিয়ে লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরির সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া ইইউ দেশগুলোর মধ্যে একক মুদ্রা চালু হয়েছে যার নাম ‘ইউরো’। এর ফলে দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য সহজ হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী বিভাগের নাম ইউরোপীয় কমিশন (ইসি)। এটি ইইউ’র পক্ষে দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করে। অর্থাৎ নীতি বাস্তবায়ন, তহবিল বরাদ্দ ও ব্যয়ের কাজ করে।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন -১৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আসাদ ও অভির এলাকাসহ পাশের আরও তিন চারটি এলাকার সাথে অন্যান্য এলাকার ২ বার সংঘর্ষ বাধে। এ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আসাদ, অভি ও বিভিন্ন এলাকার প্রধানদের সহযোগিতায় একটি সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে ওইসব এলাকার “ধ্বংসলীলা বন্ধ হয়।
ক. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পুরো নাম কী? ১
খ. জাতিপুঞ্জ বা লীগ অব নেশনস গঠিত হয় কেন? ২
গ. আসাদ ও অভির গঠিত সংঘ প্রতিষ্ঠার সাথে বিশ্বের কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠার মিল পরিলক্ষিত হয়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসলীলা থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় উক্ত সংগঠনের জন্ম হয়”Ñ বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -১৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিশ্বের সমগ্র দেশগুলোর নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক সুন্দর রাখতে এবং বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে ১৯৪৫ সালে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনটি বর্তমান বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
ক. ওআইসি’র সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত? ১
খ. আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল? ২
গ. উদ্দীপকে যে সংস্থাটির কথা বলা হয়েছে সেটি গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উলিখিত সংস্থাটির অন্তর্গত যে কোনো দুটি সংগঠনের কার্যাবলি তুলে ধর। ৪
প্রশ্ন-১৯ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যের ছক।
প্রতিষ্ঠার সময় ১৯৪৫ সাল
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সংখ্যা ৫০টি দেশ
বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৩টি দেশ
পতাকার রং হালকা নীল
অঙ্গসংগঠনের সংখ্যা ৬টি
ক. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য কী? ১
খ. জাতিসংঘ সচিবালয় বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে যে আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটি গঠনের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উক্ত সংস্থার ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন -২০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন বিবাদ ও সংঘর্ষ চলে আসছিল। বিবাদ মীমাংসায় একটি বিশ্বসংস্থা এগিয়ে আসে এবং গণভোটের আয়োজন করে। বিভিন্ন শাসক সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ব সংস্থাটি বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
ক. ন্যাম কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? ১
খ. আন্তর্জাতিক আদালত কেন প্রতিষ্ঠিত হয়? ২
গ. উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিবাদ মীমাংসায় উদ্দীপকে উল্লিখিত বিশ্ব সংস্থাটির কোন শাখা কাজ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সংস্থাটি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভ‚মিকা রেখে যাচ্ছে- বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -২১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কনা তার বান্ধবী জনার সাথে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। কনা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়নসংস্থাগুলো বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের যে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে তা বান্ধবী জনাকে অবহিত করে। তখন জনা জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল আমাদের বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা নিরসনে যে কাজ করতে তা তুলে ধরে।
ক. পৃথিবীতে মোট কতটি দেশ রয়েছে? ১
খ. জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের যেকোনো চারটি কৌশল লিখ। ২
গ. উদ্দীপকে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কোন বেসরকারি সংস্থার কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের জনসংখ্যা মোকাবিলায় জনার আলোচিত সংস্থাটির অবদান মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ২১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পৃথিবীতে মোট ১৯৬টি দেশ রয়েছে।
খ. জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের অনেক কৌশল রয়েছে। এর মধ্যে চারটি হলো :
১. কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা।
২. দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম স¤প্রসারণ।
৩. প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার।
৪. নারীশিক্ষার প্রসার।
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ঘএঙ অর্থাৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কথা বলা হয়েছে।
জনসংখ্যা বাংলাদেশের একটি সামাজিক সমস্যা। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি সংস্থাগুলোও উলেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি সংস্থার ভ‚মিকা নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো :
বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটিভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে পরিবার ছোট রাখার পরামর্শ ও শিক্ষা দেয়।
বেসরকারি সংস্থাগুলো দুই সন্তানের পরিকল্পিত পরিবার গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এক্ষেত্রে তারা পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছে।
দেশে বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বেসরকারি সংস্থাগুলোর বিশেষজ্ঞরা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, টিকা দান ও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে প্রশিক্ষণ দান করছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য সাময়িকী, পোস্টার, ক্যালেন্ডার, ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
ঘ. বাংলাদেশের জনসংখ্যা মোকাবিলায় জনার আলোচিত যে সংস্থাটি কাজ করছে তা হলো ইউএনএফপিএ।
বিভিন্ন তথ্য প্রদান, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবিলায় ইউএনএফপিএ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনের পুরো নাম ইউনাইটেড নেশনস ফান্ড ফর পপুলেশন একটিভিটিজ। বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে এটি তার কাজকর্ম পরিচালনা করে।
জনসংখ্যা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলায় ইউএনএফপিএ পরিবার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি বিষয়ে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সরকারকেও পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছে। এর সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ। এটি দেশ ও বিশ্বের জনসংখ্যা সম্পর্কিত জ্ঞানদানের পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সুতরাং সামগ্রিকভাবে বলা যায় যে, ইউএনএফপিএ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও তার জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে নানাভাবে সহযোগিতা করছে।
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয় কত সালে?
উত্তর : প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয় ১৯১৪ সালে।
প্রশ্ন \ ২ \ কত সালে ২য় মহাযুদ্ধ শুরু হয়?
উত্তর : ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ কত সালে লীগ অব নেশনস গঠিত হয়?
উত্তর : ১৯২০ সালে লীগ অব নেশনস গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ উইনস্টন চার্চিল কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন?
উত্তর : উইনস্টন চার্চিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট কোন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন?
উত্তর : ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ জাতিসংঘের কয়টি অঙ্গসংগঠন রয়েছে?
উত্তর : জাতিসংঘের ৬টি অঙ্গসংগঠন রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে?
উত্তর : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
প্রশ্ন \ ৯ \ নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫।
প্রশ্ন \ ১০ \ কতজন বিচারক নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত গঠিত?
উত্তর : ১৫ জন বিচারক নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালত গঠিত।
প্রশ্ন \ ১১ \ টঘঊঝঈঙ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : টঘঊঝঈঙ ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ বর্তমানে টঘঊঝঈঙ -এর সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : বর্তমানে টঘঊঝঈঙ -এর সদস্য সংখ্যা ১৮৯।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ঋঅঙ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : ঋঅঙ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ডঐঙ কত সালে গঠিত হয়?
উত্তর : ডঐঙ ১৯৪৮ সালে গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর : জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর : জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ বাংলাদেশ কত সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে?
উত্তর : বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ন্যাম গঠনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : ন্যাম গঠনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জহরলাল নেহেরু।
প্রশ্ন \ ২০ \ ওআইসির সদর দপ্তর কোথায়?
উত্তর : ওআইসির সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায়।
প্রশ্ন \ ২১ \ ইইউ’র প্রধান কার্যালয় কোথায়?
উত্তর : ইইউ’র প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে।
প্রশ্ন \ ২২ \ আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তর : আফ্রিকান ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ আসিয়ানের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : আসিয়ানের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০।
অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা।
এর সদস্য সংখ্যা ৫৪। বছরে কমপক্ষে দু’বার নিউইয়র্ক বা জেনেভায় এর অধিবেশন বসে। প্রত্যেক সদস্যের একটি করে ভোট আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে যেকোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ পরিষদের কাজ হলো সদস্য দেশগুলোর মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান, শিক্ষার প্রসার, মানবাধিকার কার্যকর করা প্রভৃতি।
প্রশ্ন \ ২ \ ইউনেস্কো সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দাও।
উত্তর : ইউনেস্কো জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা।
ইউনেস্কোর পুরো নাম ‘দি ইউনাইটেড নেশনস্ এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক এ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন।’ বাংলায় জাতিসংঘ ‘শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা।’ ১৯৪৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসে। এর সদস্য সংখ্যা ১৮৯। মূলত শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও যোগাযোগ এ চারটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে এ সংস্থা কাজ করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বা ফাও সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বা ফাও জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা।
ফাও -এর পুরো নাম দা ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অব দি ইউনাইটেড নেশনস। এটি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদস্য সংখ্যা ১৮৭। ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে ফাও -এর প্রধান লক্ষ্য।
প্রশ্ন \ ৪ \ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøওএইচও) এর প্রতিষ্ঠা ও কার্যাবলি সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডবিøউএইচও জাতিসংঘের একটি অঙ্গ সংস্থা।
হু’র পুরো নাম ‘দি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। ১৯৪৮ সালের ৭ই এপ্রিল এটি গঠিত হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। বিশ্বের সকল অংশের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য।
প্রশ্ন \ ৫ \ জাতিসংঘ সচিবালয় সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : জাতিসংঘ সচিবালয় জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল সংস্থা।
জাতিসংঘের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়ে এটি গঠিত। এর প্রধান কর্মকর্তা হলেন মহাসচিব। তিনি সাধারণ পরিষদ কর্তৃক পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। জাতিসংঘের সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে এর সচিবালয়। কতগুলো বিভাগ বা শাখার মাধ্যমে সবিচালয় তার কাজ করে থাকে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ইসলাম সহযোগিতা সংস্থার প্রধান লক্ষ্য কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিশ্বের মুসলিম প্রধান দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন হলো ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি। এর প্রধান লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার মাধ্যমে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর স্বার্থরক্ষা, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সারা পৃথিবীর মুসলমানদের কল্যাণে কাজ করা। মুসলিম বিশ্বের সমস্যা নিরূপণ এবং তা সমাধানের উপায় বের করাও ওআইসির প্রধান লক্ষ্য।
প্রশ্ন \ ৭ \ ওএইউ গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো লেখ।
উত্তর : ওএইউ’র পুরো নাম ‘অর্গানাইজেশন অব আফ্রিকান ইউনিটি।’এ সংস্থাটি গঠনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো :
১. আফ্রিকার দেশগুলো ও তাদের জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা।
২. দেশগুলোর স্বাধীনতা ও সার্বভৌম রক্ষা করা।
৩. দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
৪. দেশগুলোতে গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
৫. আফ্রিকা মহাদেশে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা।