অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

দ্বিতীয় অধ্যায়
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ

বিষয়-সংক্ষেপ

১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর ভিত নাড়িয়ে দিলে তারা ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে ষড়যন্ত্র ও বাঙালি নিধনের নীল নকশা আঁটে। এ প্রেক্ষাপটেই শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের নতুন অধ্যায়Ñ অসহযোগ আন্দোলন। অসহযোগ আন্দোলনের ব্যাপ্তি বাড়তে থাকে। ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষিত হয়। ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রের স্বপ্ন কোটি বাঙালির কাছে বাস্তবরূপে প্রতিভাত হতে থাকে। এদিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকচক্র গণহত্যার প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুতি অনুযায়ী ২৫শে মার্চ রাতে বাঙালিদের নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর থেকে দেশবাসী দেশকে শত্রæমুক্ত করার প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ ‘মুজিবনগর সরকার’। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সংগঠিত হয়ে পাক হানাদারদের বীর বিক্রমে প্রতিহত করতে থাকে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকেও তারা রুখে দেয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে প্রবাসী বাঙালিরাও নিজ অবস্থানে থেকে লড়তে থাকে। বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বাংলাদেশ গঠনের ন্যায্য দাবির পক্ষে বিভিন্ন রাষ্ট্রশক্তি অবস্থান নেয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সর্বাত্মকভাবে পাশে এসে দাঁড়ায়। নভেম্বর থেকে ভারতীয় বাহিনী সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়। অবশেষে যৌথবাহিনীর নিকট ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এভাবে আমাদের মুক্তিবাহিনীর বীরত্বপূর্ণ লড়াই, সমগ্র দেশবাসীর দৃঢ় ঐক্য, মিত্র বাহিনীর সক্রিয় সহায়তা এবং বিশ্ব জনমতের সমর্থনে মাত্র নয় মাসে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সফল সমাপ্তিতে পৌঁছে।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি : ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং নির্বাচনোত্তর ঘটনাবলি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা রেসকোর্স ময়দানে প্রকাশ্যে শপথ গ্রহণ করে। একদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয় আর অন্যদিকে জুলফিকার আলী ভুট্টো তা বানচালের জন্য ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তিনি ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করেন। ভুট্টোর চালে সাড়া দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। ফলে ওই দিন আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ফলে মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি তৈরি হয়।
৭ই মার্চের ভাষণের বৈশিষ্ট্য : বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণ সারাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। এ ভাষণ যেন জাদুর স্পর্শে বাঙালি জাতিকে বীরের জাতিতে রূপান্তরিত করেছে। তাই অনেকেই মনে করেন, এ ভাষণ বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
গণহত্যার প্রস্তুতি : পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে গণহত্যার অভিযান চালিয়েছিল তার নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে এ অপারেশন সংঘটিত হলেও মূলত এর প্রস্তুতি চলতে থাকে মার্চের প্রথম থেকে। ৩রা মার্চ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত অস্ত্র ও রসদ বোঝাই এম.ভি. সোয়াত জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৫ই মার্চ থেকে ২৪শে মার্চ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঙ্গে আলোচনার ভান করে আসলে অভিযানের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেন ও অপারেশন সার্চলাইট চ‚ড়ান্ত করেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা : ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তিনি বলেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। এ ঘোষণা ওয়ারলেসযোগে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। ২৬শে মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান এই বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি প্রচার করেন।
মুজিবনগর সরকার : ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর বা বাংলাদেশ সরকার। ওই দিনই মন্ত্রীসভা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ২৬শে মার্চ ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণা অনুমোদন করে। তবে মুজিবনগর সরকার শপথগ্রহণ করে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল। শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
মুক্তিবাহিনী গঠন ও কার্যক্রম : মুজিবনগর সরকার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এম.এ.জি. ওসমানী। এছাড়া চিফ অব স্টাফ ছিলেন কর্নেল (অব) আবদুর রব। ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ছিলেন গ্রæপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার।
মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর : মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। প্রত্যেক সেক্টর বেশ কয়েকটি সাব-সেক্টরে বিভক্ত ছিল।
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির তৎপরতা ও ভ‚মিকা : এদেশেরই মানুষের খুব ক্ষুদ্র একটি অংশ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও দেশবাসীর স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হয়।
পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার নামে ও ধর্মের দোহাই দিয়ে এই স্বাধীনতা-বিরোধীরা পাকিস্তানি সৈন্যদের সঙ্গে মিলে হত্যা, লুট, অগ্নিকাণ্ড, নারী নির্যাতনসহ সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী বাঙালি ও প্রগতিশীল বাঙালিদের খুঁজে বের করে তাদের তালিকা তারা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। তাদের অত্যাচার কখনো কখনো পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারকেও ছাড়িয়ে যেত।
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ছিল জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, পিডিপি ও মুসলিম লীগ নেতাকর্মী।
প্রবাসী বাঙালিদের ভ‚মিকা : মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালির গণহত্যার প্রতিবাদে ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে একত্রিত হতে থাকে। যুক্তরাজ্যকে কেন্দ্র করে সমগ্র ইউরোপে প্রবাসীদের আন্দোলন চলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সুইডেন, ফ্রান্স, কানাডা ও ইন্দোনেশিয়ার বাঙালিরাও সোচ্চার হয়ে উঠে। গণহত্যার প্রতিবাদে তারা সভা-সমাবেশ আয়োজন করে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহ করে। কেউ কেউ ভারতে গিয়েও যুদ্ধে অংশ নেয়।
মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের ভ‚মিকা : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পৃথিবীর বৃহৎ কয়েকটি দেশ যেমন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন এবং প্রতিবেশী ভারত বিভিন্নভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে। এসব দেশের মধ্যে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সরাসরি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল।
যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে চ‚ড়ান্ত যুদ্ধ : পাকিস্তানি বাহিনীর উপর সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ-কমান্ড গঠন করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়। যুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীকে মিত্রবাহিনী বলা হতো। যৌথ-কমান্ড গঠনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধ দারুণ গতি লাভ করে।
গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ : দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয়মাস জুড়ে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা এর আগে জেনেছি, তারা ২৫শে মার্চ মধ্যরাত থেকে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপরে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করে পরে তারা আটককৃতদের হত্যা করত। হাত-পা বেঁধে গুলি করে, নদী, জলাশয় ও গর্তে ফেলে রাখা ছিল সাধারণ ঘটনা। এছাড়া একটি একটি করে অঙ্গচ্ছেদ করে, তারপর গুলি করে হত্যা করা হতো। চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চ‚র্ণ-বিচ‚র্ণ করা, মুখ থেঁতলে দেওয়া, বেয়নেট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলা, আঙ্গুলে সূঁচ ফুটানো, নখ উপড়ে ফেলা, শরীরের চামড়া কেটে লবণ ও মরিচ দেওয়া ছিল অত্যাচারের নিষ্ঠুর ধরন।
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১। ওইদিন পাকিস্তানি বাহিনী তাদের শোচনীয় পরাজয় মেনে নিয়ে যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্য দিয়ে আমরা লাভ করি আমাদের বর্তমান বাংলাদেশ রাষ্ট্র।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. ১৯৭১ সালের কোন তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়?
ক ২৬ শে মার্চ খ ২৭শে মার্চ গ ১০ই এপ্রিল  ১৭ই এপ্রিল
২. ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিলÑ
র. জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জন করা
রর. ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে আওয়ামী লীগের উদ্যোগ নেয়া
ররর. হরতাল কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশ নেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর খ র ও রর গ র ও ররর ˜ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তার ছবিতে একজন লোক চশমা পরা, কোট পরা, একটি আঙুল উঁচু করে ভাষণ দিচ্ছেন আর উপস্থিত জনতা উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে।
৩. সামিয়ার অঙ্কিত চিত্রে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে?
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
খ আবুল কাশেম ফজলুল হক
গ হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী
ঘ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
৪. অনুচ্ছেদে উক্ত ব্যক্তির ভাষণ প্রধানত কীসের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে?
ক ভাষা আন্দোলনের  স্বাধীনতা আন্দোলনের
গ ছয় দফা বাস্তবায়নের ঘ অসহযোগ আন্দোলনের

৫. বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম সংঘটিত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে কোনটি?
ক ভাষা আন্দোলন  ১৯৭০ সালের নির্বাচন
গ ১৯৫৪ সালের নির্বাচন ঘ গণঅভ্যুত্থান
৬. ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ আওয়ামী লীগ রেসকোর্স ময়দানে কেন জনসভার আয়োজন করেছিল?
ক কোর্ট-কাচারি, অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার জন্য
খ পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য
গ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য
 বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য
৭. ইয়াহিয়া খান আলোচনার ভান করে পর্যবেক্ষণ করেনÑ
ক ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল  অপারেশন সার্চলাইটের কর্মসূচি
গ বঙ্গবন্ধুর গতিবিধি ঘ পূর্ব পাকিস্তানিদের মানসিক অবস্থা
৮. স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের পূর্ব নাম কোনটি?
ক ঢাকা স¤প্রচার কেন্দ্র খ চট্টগ্রাম স¤প্রচার কেন্দ্র
গ আকাশবাণী স¤প্রচার কেন্দ্র  কালুরঘাট স¤প্রচার কেন্দ্র
৯. যৌথবাহিনী ঢাকার বিভিন্ন সামরিক অবস্থানের উপর বিমান হামলা চালায় কত তারিখে?
ক ১৯৭১ সালের ৯ই ডিসেম্বর খ ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর
 ১৯৭১ সালের ১২ই ডিসেম্বর ঘ ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর
১০. ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চের ঘোষণাকে কী বলা হয়?
 বাঙালির মুক্তির সনদ খ গণহত্যার কারণ
গ সার্বভৌমত্ব লাভ ঘ নির্বাচনি প্রচারণা
১১. বঙ্গবন্ধু কখন স্বাধীনতার ঘোষণা করেন?
ক ২৫ শে মার্চ ১৯৭১  ২৬ শে মার্চ ১৯৭১
গ ৭ই এপ্রিল ১৯৭১ ঘ ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১
১২. ‘ক্র্যাকপ্লাটুন’ কী?
ক জাতীয় সংগঠন খ রাজাকার বাহিনী
গ মিত্রবাহিনী  গেরিলা দল
১৩. মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় কখন?
 ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল খ ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল
গ ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল ঘ ১৯৭১ সালের ২৭ এপ্রিল
১৪. পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল কেন?
ক দেশকে জনশূন্য করার জন্য খ যুদ্ধে জয়লাভের জন্য
গ অশিক্ষিতের হার বাড়ানোর জন্য  দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য
১৫. ভ‚মিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালে ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর জন্য এদেশের সংগীত শিল্পীরা কনসার্ট-এর আয়োজন করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অর্থসংগ্রহের জন্য অনুরূপ কনসার্টের সাথে কার নামটি জড়িত?
ক মাইকেল জ্যাকশন  জর্জ হ্যারিসন
গ রুনা লায়লা ঘ লতা মঙ্গেশকর
১৬. জর্জ হ্যারিসন আয়োজিত কনসার্টের নাম কী ছিল?
ক মার্কিন কনসার্ট  বাংলাদেশ কনসার্ট
গ স্বাধীন বাংলা কনসার্ট ঘ পূর্ব বাংলা কনসার্ট
১৭. ২৫শে মার্চ প্রথম আক্রমণের শিকার হয়Ñ
ক পিলখানা খ রাজারবাগ
 ফার্মগেট ঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৮. বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম সংঘটিত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে কোনটি?
ক ভাষা আন্দোলন  ১৯৭০ সালের নির্বাচন
গ ১৯৫৪ সালের নির্বাচন ঘ গণঅভ্যুত্থান
১৯. নিচের উল্লিখিত ফাঁকা ঘরে কোন দেশের নাম বসবে?

ক সোভিয়েত ইউনিয়ন খ ব্রিটেন
গ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  ভারত
২০. বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয় কত তারিখে?
ক ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭০  ২ মার্চ, ১৯৭১
গ ৭ মার্চ, ১৯৭১ ঘ ২৫ মার্চ, ১৯৭১

২১. মুক্তিযুদ্ধে ‘ই’ স্থানটি কত নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
ক ১নং খ ৮নং  ১০নং ঘ ১১নং
২২. নিচের কোন শহরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রথম মিশন স্থাপন করা হয়?
ক নিউইয়র্কে  কলকাতা গ টোকিওতে ঘ রোমে
২৩. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মুক্তিযুদ্ধে কী হিসেবে কাজ করে?
ক স্বাধীন ইচ্ছা  প্রেরণা গ সাহস ঘ দাবি
২৪. বাঙালির মুক্তির সনদ কোনটি?
ক ভাষা আন্দোলন খ স্বাধীনতার ঘোষণা
 বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ঘ আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর
২৫. ঢাকার বাইরে অপারেশন সার্চলাইটের নেতৃত্ব দেন কে?
ক টিক্কা খান  জুলফিকার আলী ভুট্টো
গ ইয়াহিয়া খান ঘ খাদিম হোসেন রাজা
২৬. মুজিব নগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
ক তাজউদ্দিন আহমদ খ এম. মনসুর আলী
 সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এ এইচ এম কামরুজ্জামান
২৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় হেমায়েত বাহিনী কোন এলাকায় গড়ে ওঠে?
ক সিরাজগঞ্জ ও পাবনা খ বরিশাল ও মাগুরা
 বরিশাল ও গোপালগঞ্জ ঘ ভালুকা ও ময়মনসিংহ
২৮. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
 কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানী খ গ্র“প ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার
গ মেজর খালেদ মোশাররফ ঘ মেজর কে. এম. শফিউল¬াহ
২৯. মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর কোন সেক্টরে ছিল?
ক ছয় খ সাত গ আট  নয়
৩০. ‘ক’ ফোর্সÑএর অধিনায়ক কে ছিলেন?
ক মেজর কে.এম. শফিউল¬াহ খ মেজর জিয়াউর রহমান
 মেজর খালেদ মোশাররফ ঘ মেজর ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী
৩১. অপারেশন জ্যাকপট পরিচালনা করেন
ক জিয়া বাহিনী  নৌ-কমান্ডোগণ
গ মুজিব বাহিনী ঘ ক্র্যাক প্ল¬াটুন
৩২. ১৯৭১ সালের কোন তারিখে ভারত সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়?
ক ২২ অক্টোবর খ ৩ ডিসেম্বর  ৬ ডিসেম্বর ঘ ১৬ ডিসেম্বর
৩৩. চরমপত্র পাঠ করে বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত করে তুলতেন কে?
ক এম আর আখতার মুকুল  দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
গ মার্ক টালি ঘ জর্জ হ্যারিসন
৩৪. কোন মহাসাগরে আল বুর্কাক কর্তৃত্ব অধিকার করেছিলেন?
 বঙ্গোপসাগর খ ভারত গ আটলান্টিক ঘ প্রশান্ত
৩৫. ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলন আরও বেগবান হয়-
র. ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে
রর. শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে
ররর. নিয়মিত মিছিল-মিটিংয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর গ র ও ররর খ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৬. গণহত্যার ফলে আমাদের দেশের অগণিত মানুষÑ
র. নিহত হয়েছিল রর. গৃহহারা হয়েছিল
ররর. আপনজন হারিয়েছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৭. জাতীয় পরিষদে যোগদানের পূর্ব শর্ত ছিলÑ
র. সামরিক শাসন প্রত্যাহার
রর. গণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা
ররর. সামরিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। এ সময় তারা বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এ বিভক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৬ নম্বর সেক্টর ছিলÑ
র. রংপুর জেলা রর. দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল
ররর. দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯. ‘ক্র্যাকপ্লাটুন’ নামে গেরিলা দলটি যুদ্ধ করেছিলÑ
র. ‘অ’ চিহ্নিত অঞ্চলে রর. ‘ই’ চিহ্নিত অঞ্চলে
ররর. ‘ঈ’ চিহ্নিত অঞ্চলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত করার ফলে-
র. আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর অনিশ্চিত হয়ে যায়
রর. সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
ররর. ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪১, ৪২ ও ৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
আবদুল জলিল একজন ইতিহাসের শিক্ষক। তিনি তার শ্রেণিকক্ষে মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাষণ থেকেই বাংলার মানুষ যুদ্ধের নিদর্শন ও স্বাধীনতা অর্জনের অনুপ্রেরণা পায়। তারপর থেকেই শুরু হয় শত্রæর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন।
৪১. উল্লিখিত ভাষণ কী নামে পরিচিত?
 ৭ই মার্চের ভাষণ খ ১৬ই ডিসেম্বরের ভাষণ
গ ১২ই এপ্রিলের ভাষণ ঘ ২১শে ফেব্রæয়ারির ভাষণ
৪২. এ ভাষণের ফলাফল হলো-
র. মুক্তির আকাঙ্খা পূর্ণ করা রর. অসহযোগ আন্দোলন করা
ররর. হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করার প্রেরণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৩. এ ভাষণ থেকে প্রাপ্ত তথ্য হলো-
র. শৃঙ্খলা বজায় রাখা রর. আন্দোলনের ডাক
ররর. স্বাধীনতার বাণী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৪ ও ৪৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ এক অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, যে স্থানে ৭ই মার্চের জনসভা হয় সেই স্থানেই পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হয়।
৪৪. অনুচ্ছেদে যে স্থানের কথা বলা হয়েছে, তার বর্তমান নাম কী?
ক পল্টন ময়দান খ বিপ্লব উদ্যান
গ রেসকোর্স ময়দান  সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
৪৫. অনুষ্ঠানে সম্পাদিত দলিলে নেতৃত্ব দেনÑ
র. ক্যাপ্টেন একে খন্দকার রর. লে. জেনারেল নিয়াজী
ররর. লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৬, ৪৭ ও ৪৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৯৭১ সালের ২৫-২৬ মার্চ পাকবাহিনী প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা করে। দেশকে মেধাশূন্য করতে তারা একটি বিশেষ পরিকল্পনাও গ্রহণ করে।
৪৬. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত পরিকল্পনাটি ছিল-
ক ছাত্র সমাজকে হত্যা খ সেনা সদস্যদের হত্যা
গ সাধারণ মানুষকে হত্যা  বৃদ্ধিজীবী সমাজকে হত্যা
৪৭. উক্ত হত্যাযজ্ঞের সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন-
ক মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা  গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান
গ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘ মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
৪৮. উক্ত গণহত্যার সাথে যুক্ত বিষয়গুলো ছিল-
র. গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল ও নিয়ন্ত্রণ
রর. বাঙালি সেনা সদস্যদের নিরস্ত্রকরণ
ররর. বাঙালিদের পাক বাহিনীর পক্ষে নেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের মানচিত্রের তথ্য থেকে ৪৯ ও ৫০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৪৯. মানচিত্রে ‘ক’ চি‎িহ্নত স্থানে কত নম্বর সেক্টরটি অবস্থিত?
 ১ খ ২ গ ১০ ঘ ১১
৫০. উক্ত সেক্টরের অন্তর্গত এলাকাগুলো হচ্ছে-
ক নৌকমান্ড ও সমুদ্র উপক‚লীয় অঞ্চল
খ ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা
 চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ফেনী নদী পর্যন্ত
ঘ ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার কিছু অংশ

পাঠ-১ :মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫১. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৫২  ১৯৭১ গ ১৯৬৯ ঘ ২০০৭
৫২. ১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সদস্যরা কোথায় প্রকাশ্যে শপথ গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ঐতিহাসিক বটতলায় খ রমনায়
 রেসকোর্স ময়দানে ঘ ধানমন্ডিতে
৫৩. ডাকসু কী? (জ্ঞান)
ক ছাত্রলীগের সংগঠন খ ছাত্রদলের সংগঠন
 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
ঘ ঢাকা কলেজের ছাত্র সংসদ
৫৪. ৩রা মার্চ থেকে কী শুরু হয়? (জ্ঞান)
ক হরতাল কর্মসূচি  অসহযোগ আন্দোলন
গ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘ পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি
৫৫. জয়বাংলা বাহিনী কবে বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার দেয়? (জ্ঞান)
 ১৫ই ফেব্রæয়ারি, ১৯৭১ খ ১৫ই ফেব্রæয়ারি, ১৯৭২
গ ২৬শে মার্চ, ১৯৭৩ ঘ ২৬শে মার্চ, ১৯৭৫
৫৬. বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চে কোথায় ভাষণ দিয়েছিলেন? (জ্ঞান)
ক শহিদ মিনারে খ ওসমানি উদ্যানে
 রেসকোর্স ময়দানে ঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
৫৭. বঙ্গবন্ধু-ইয়াহিয়া আলোচনা চলে কত তারিখ পর্যন্ত? (জ্ঞান)
 ২৫ শে মার্চ খ ২৬ শে মার্চ গ ২৭ শে মার্চ ঘ ২৮ শে মার্চ
৫৮. মুক্তি সংগ্রামের সময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন কে? (জ্ঞান)
 ইয়াহিয়া খান খ ইস্কান্দার মির্জা
গ আইয়ুব খান ঘ জুলফিকার আলী ভুট্টো
৫৯. কত তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলন করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১লা ফেব্রæয়ারি, ১৯৭১ খ ১লা জানুয়ারি, ১৯৭২
 ২রা মার্চ, ১৯৭১ ঘ ৪ঠা জুন, ১৯৭২
৬০. কত তারিখে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
 ৭ই মার্চ, ১৯৭১ খ ৭ই জুলাই, ১৯৭১
গ ৫ই ফেব্রæয়ারি, ১৯৭২ ঘ ৬ই এপ্রিল, ১৯৭১
৬১. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক রমনা পার্ক খ বোটানিক্যাল গার্ডেন
 সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘ শিশুপার্ক
৬২. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কোন দল? (জ্ঞান)
ক মুসলিম লীগ খ গণতন্ত্রী দল
গ নেজামে ইসলামী পার্টি  আওয়ামী লীগ
৬৩. ইয়াহিয়া খান কেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের ঘোষণা দেন? (অনুধাবন)
ক জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য
খ প্রেসিডেন্ট অসুস্থ থাকার কারণে
গ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে
 ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে
৬৪. ১৯৭০ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন? (অনুধাবন)
 মুক্তিযুদ্ধের উদ্দীপনায় খ ক্ষমতা গ্রহণ
গ পাকিস্তানের প্রতিহিংসা ঘ প্রাদেশিক পরিষদ গঠন
৬৫. ৩রা মার্চ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে স্বাধীনতা আন্দোলনের গতি কিরূপ ধারণ করে? (অনুধাবন)
ক ব্যাহত হয় খ ধীর হয়
 বেগবান হয় ঘ সাময়িকভাবে থেমে যায়
৬৬. কী কারণে অসহযোগ আন্দোলন হয়েছিল? (অনুধাবন)
 বাংলার স্বাধীনতা আদায়ে খ আওয়ামী লীগের বিরোধিতায়
গ পাকিস্তানি শাসকের চক্রান্তে ঘ আওয়ামী লীগের কঠোরতায়
৬৭. জুলফিকার আলী ভুট্টো কীভাবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করেছিলেন? (প্রয়োগ)
ক ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডেকে
 ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে
গ ঢাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে
ঘ ঢাকা থেকে সেনাবাহিনী তুলে নিয়ে
৬৮. ভুট্টোর চালে সাড়া দিয়ে ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করলে কী প্রভাব দেখা দেয়? (প্রয়োগ)
ক আওয়ামী লীগের ভিতর দলীয় কোন্দল বেড়ে যায়
 আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর বাধাগ্রস্ত হয়
গ আওয়ামী লীগ ভেঙে পড়ে
ঘ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়
৬৯. আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির বৈঠকে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করলে কী প্রভাব পড়ে? (প্রয়োগ)
ক মুক্তিযুদ্ধ বেধে যায় খ মুক্তিবাহিনী গড়ে ওঠে
 অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় ঘ রাজাকার বাহিনী গড়ে ওঠে
৭০. ১৯৭০ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছিল খ বাংলার মানুষের প্রথম ভোট দান
 বাংলার স্বাধীনতার প্রথম পদক্ষেপ ঘ বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন
৭১. ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করার যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জনতার শক্তি প্রদর্শনের জন্য  আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার জন্য
গ পার্লামেন্ট বর্জনের জন্য ঘ স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য
৭২. ইয়াহিয়া খান কর্তৃক ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বর্জনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের কোন মনোভাব প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতা খ গণতন্ত্রকে নস্যাৎকরণ
 বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ঘ দেশের প্রতি ভালোবাসা
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৩. ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশ নেয়Ñ (অনুধাবন)
র. ছাত্ররা রর. পেশাজীবী সংগঠন ররর. শিক্ষক সমিতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭৪. ২রা মার্চ মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেÑ (অনুধাবন)
র. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ রর. ডাকসু নেতৃবৃন্দ
ররর. শিক্ষক সমিতি
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৫. দেশের মানচিত্র খচিত স্বাধীন পতাকাÑ (অনুধাবন)
র. ২রা মার্চ সকাল ১১টায় উত্তোলন করা হয়
রর. মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে
ররর. বঙ্গবন্ধু উত্তোলন করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. তিতুমীর ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিতুমীরের সঙ্গে মিল রয়েছেÑ (প্রয়োগ)
র. এ.কে ফজলুল হকের রর. নাজিমউদ্দীনের
ররর. শেখ মুজিবুর রহমানের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৭ ও ৭৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মিনাকে তার নানা মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা সাহেব বলেন, ৭০-এর নির্বাচনের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঢাক বাজতে শুরু করে।
৭৭. মিনার নানা কোন সালে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন? (প্রয়োগ)
ক ১৯৭০  ১৯৭১ গ ১৯৭২ ঘ ১৯৭৩
৭৮. উক্ত নির্বাচনে কোন দল জয়ী হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মুসলিম লীগ  আওয়ামী লীগ
গ পাকিস্তান পিপলস পার্টি ঘ মুসলিম ব্রাদারহুড
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাইমের দাদা বিবিসির খবর শুনছিলেন। খবরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশ করে। দাদু সাইমকে বললেন, ১৯৭০ সালে আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও বিবিসি এ রকম খবর প্রচার করেছিল।
৭৯. আমাদের ভ‚খণ্ডের নির্বাচনে বিবিসি কোন দলকে বিজয়ী দল হিসেবে প্রচার করে? (প্রয়োগ)
ক পিপিপি খ জামায়াতে ইসলামী
 আওয়ামী লীগ ঘ মুসলিম লীগ
৮০. উক্ত নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিজয়ী দল সরকার গঠন করতে পারেনি
রর. আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল
ররর. আইয়ুব খান এ সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২ : ৭ই মার্চের ভাষণের বৈশিষ্ট্য
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮১. বঙ্গবন্ধু কোথায় ৭ই মার্চের ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
 রেসকোর্স ময়দানে খ রমনা পার্কে
গ টিএসসিতে ঘ শিশু পার্কে
৮২. বাংলাদেশের নামকরণ করেন কে? (জ্ঞান)
ক ইয়াহিয়া খান খ টিক্কা খান
 শেখ মুজিবুর রহমান ঘ খাজা নাজিমউদ্দীন
৮৩. ১৫ই মার্চ ইয়াহিয়া খান কেন ঢাকায় আসেন? (জ্ঞান)
 আলোচনা করতে খ যুদ্ধ করতে
গ সমস্যার সৃষ্টি করতে ঘ ব্যক্তিগত কারণে
৮৪. ৭ই মার্চের বক্তৃতায় উপস্থিত লোকের সংখ্যা কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ১০ হাজার  ১০ লক্ষ গ ৫০ হাজার ঘ ১ লক্ষ
৮৫. ভুট্টো-ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করেন কোন তারিখে? (জ্ঞান)
 ২৫শে মার্চ খ ২৩ শে মার্চ গ ২৪ শে এপ্রিল ঘ ২২ শে এপ্রিল
৮৬. ১৯৭১ সালে ইয়াহিয়া-বঙ্গবন্ধু আলোচনা শুরু হয় কোন তারিখে? (জ্ঞান)
ক ৭ই মার্চ খ ২২শে মার্চ  ১৬ই মার্চ ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
৮৭. ইয়াহিয়া, ভুট্টো ও মুজিবের আলোচনা চলে কোন তারিখ পর্যন্ত? (জ্ঞান)
 ২৫ শে মার্চ খ ২৬ শে মার্চ গ ২৭ শে মার্চ ঘ ২৮ শে মার্চ
৮৮. ১৫ই মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কে আলোচনার ভান করে? (জ্ঞান)
ক আইয়ুব খান  ইয়াহিয়া খান
গ খাজা নাজিমুদ্দিন ঘ রাও ফরমান আলী
৮৯. যার যা কিছু আছে তা দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করার আহŸান কে জানিয়েছেন? (জ্ঞান)
ক টিক্কাখান খ ইয়াহিয়া খান  বঙ্গবন্ধু ঘ জিয়াউর রহমান
৯০. ২৫শে মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু কয়টি পূর্বশর্ত দিয়েছিলেন? [অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া]
ক ১১ খ ১০  ৪ ঘ ১৫
৯১. ১৯৭১এর মার্চ মাসে আওয়ামী লীগের সম্পাদক ছিলেনÑ (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম  তাজউদ্দীন আহমেদ
গ খন্দকার মোশতাক আহমেদ ঘ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
৯২. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে কোর্ট-কাচারি, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন কেন? (অনুধাবন)
ক পাকিস্তান সরকারের সহযোগিতার জন্য
 পাকিস্তান সরকারের অসহযোগিতার জন্য
গ বাঙালিকে কষ্ট দেয়ার জন্য
ঘ আওয়ামী লীগের প্রভাব বুঝতে
৯৩. বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ থেকে ইয়াহিয়া ও তার সহযোগী ভুট্টোর কর্মকাণ্ড দেখে কী বুঝেছিলেন? (অনুধাবন)
 ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না খ সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করবে
গ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করবে ঘ পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করবে
৯৪. বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক মহল­ায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে বললেন কেন? (অনুধাবন)
ক জনগণের আশ্রয়ের জন্য খ পাকিস্তানিদের আটক করার জন্য
গ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য  যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য
৯৫. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম বলে কিসের ডাক দেন? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধের  স্বাধীনতার গ ক্ষমতা গ্রহণের ঘ সার্বভৌমত্বের
৯৬. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঘোষণাকে কী বলে বিবেচনা করা হয়? (অনুধাবন)
ক বাঙালির জাতীয় দলিল খ পাকিস্তানের পতনের সনদ
 বাঙালির মুক্তি সনদ ঘ বাঙালির উন্নয়নের কাণ্ডারি
৯৭. কী কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল? (অনুধাবন)
ক ক্ষমতা লাভের জন্য  পরাধীনতা থেকে মুক্তি পেতে
গ ভারত সরকারকে খুশি করতে ঘ আন্তর্জাতিক চাপ সামলাতে
৯৮. ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক বক্তৃতা দেয়ার জন্য  আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার জন্য
গ সভা করার জন্য ঘ একত্রিত হওয়ার জন্য
৯৯. বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণে নির্বাচিত দল হিসেবে কার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন? (অনুধাবন)
ক যুবকদের খ ছাত্রদের গ বুদ্ধিজীবীদের  আওয়ামী লীগের
১০০. বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন কেন? (অনুধাবন)
 শর্ত না মানার কারণে খ তাকে গ্রেফতারের কারণে
গ গণহত্যার কারণে ঘ বৈঠকে না বসার কারণে
১০১. কোন ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্পষ্টভাবেই স্বাধীনতার ডাক দেন? (অনুধাবন)
 এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম বলে
খ দুর্গ গড়ে তোল বলে
গ খাজনা বন্ধ করে দেওয়া হলো বলে
ঘ সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল বলে
১০২. পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক দাবিগুলো মেনে না নেয়ায় আন্দোলনে কী প্রভাব পড়ে? (অনুধাবন)
ক বাঙালির আন্দোলন স্তব্ধ হয় খ বাঙালির আন্দোলন ব্যর্থ হয়
গ বাঙালির আন্দোলন ব্যাহত হয়  বাঙালির আন্দোলন বেগবান হয়
১০৩. ১৯৭১ সালের ২২শে মার্চ আলোচনার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আগমন করেন কে? (জ্ঞান)
 জুলফিকার আলী ভুট্টো খ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
গ আইয়ুব খান ঘ ইয়াহিয়া খান
১০৪. বঙ্গবন্ধুর কোন কথায় বাংলাদেশকে মুক্ত করার প্রকাশ্য নির্দেশ পাওয়া যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ‘তোমরা আমার ভাই’
 তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবিলা করতে হবে
গ আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি
ঘ ২৮ তারিখ এসে বেতন নিয়ে যাবেন
১০৫. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল।’ Ñ কথাটির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 গেরিলা যুদ্ধের পূর্বাভাস খ গৃহযুদ্ধের পূর্বাভাস
গ সা¤প্রদায়িক যুদ্ধের পূর্বাভাস ঘ আন্তর্জাতিক পূর্বাভাস
১০৬. বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার মূল প্রত্যয় কোনটি বলে তুমি মনে কর? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
 এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম
গ তোমরা আমার ভাই
ঘ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল
১০৭. বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করার ব্যাপারে ৪টি পূর্বশর্ত দেন। এর কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ উন্মুক্ত করতে
খ সামরিক শাসন প্রত্যাহার করা
গ গণহত্যা বন্ধ করা
ঘ সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে আনা
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৮. বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিকে প্রস্তুত করেনÑ (অনুধাবন)
র. যুদ্ধ ও মুক্তির জন্য রর. ক্ষমতায় নেয়ার জন্য
ররর. স্বাধীনতার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯. বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে সংগ্রামকে বলেছেন- (অনুধাবন)
র. মুক্তির সংগ্রাম রর. ক্ষমতা আদায়ের সংগ্রাম
ররর. স্বাধীনতার সংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির মুক্তির সনদ Ñ (প্রয়োগ)
র. সারাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে
রর. সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে
ররর. মানুষকে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১১. ২৫শে মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর পূর্বশর্ত ছিলÑ (অনুধাবন)
র. সামরিক শাসন প্রত্যাহার রর. সেনাবাহিনীর গণহত্যার তদন্ত
ররর. গণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১১২. বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে বাঙালিকে তিনিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেন রর. মুক্তির জন্য প্রস্তুত করেন
ররর. স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১১৩. ৭ই মার্চের ভাষণ সারাদেশের মানুষকে Ñ (অনুধাবন)
র. স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে রর. ঐক্যবদ্ধ করে
ররর. সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১১৪. বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মক অসহযোগিতার জন্য অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেনÑ (অনুধাবন)
র. কোর্ট-কাচারি রর. অফিস
ররর. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১১৫. এলাকার সন্ত্রাস দমনের জন্য সজীব সাহেব এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহŸান জানান। এ ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে  (প্রয়োগ)
র. স্বাধীনতার ডাক রর. ৭ই মার্চের ভাষণ
ররর. অসহযোগ আন্দোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবিলা করতে হবে।”এ উক্তিটির সঙ্গে জড়িত (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ৭ই মার্চের ভাষণ রর. গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশ
ররর. জাতীয়তাবাদী চেতনা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৭. “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” বঙ্গবন্ধুর এ উক্তিটির তাৎপর্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাঙালির মুক্তি রর. বাংলার স্বাধীনতার ডাক
ররর. পাকিস্তানি শাসনের অবসান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১৮ ও ১১৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ছোট ছেলে সুমন সকালে বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত জাতির জনকের ভাষণ শুনে তার মাকে জিজ্ঞেস করল, একথা কে বলছেন, কেন বলছেন? তার মা তার প্রশ্নের উত্তর সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
১১৮. সুমনের বেতারে শোনা ভাষণটি কত তারিখে প্রদত্ত? (প্রয়োগ)
ক ৩রা মার্চ  ৭ই মার্চ গ ২৬ শে মার্চ ঘ১০ই ফেব্রুয়ারি
১১৯. উক্ত ভাষণের মূল পাতিপাদ্য বিষয় হলোÑ
র. ঐক্যবদ্ধ করা রর. সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করা
ররর. স্বাধীনতা মন্ত্রে উজ্জীবিত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
পাঠ-৩ : গণহত্যার প্রস্তুতি
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২০. অপারেশন সার্চলাইট কী? (জ্ঞান)
ক ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ  ৭১-এর গণহত্যার অভিযান
গ ৭১-এর মিছিল ঘ ৭১-এর বৈঠক
১২১. অপারেশন সার্চলাইট পরিচালিত হয়েছিল কত তারিখে? (জ্ঞান)
 ২৫শে মার্চ, ১৯৭১ খ ৩রা মার্চ, ১৯৭১
গ ২২শে আগস্ট, ২০০৭ ঘ ২১শে নভেম্বর, ২০০৮
১২২. অপারেশন সার্চলাইট অনুযায়ী ঢাকা শহরে গণহত্যার মূল দায়িত্ব দেয়া হয় কাকে? (জ্ঞান)
ক আইয়ুব খানকে খ ইয়াহিয়া খানকে
গ খাজা নাজিমুদ্দিনকে  রাও ফরমান আলীকে
১২৩. সার্বিকভাবে অপারেশন সার্চলাইটের তত্ত¡াবধান করেন কে? (জ্ঞান)
ক ইয়াহিয়া খান খ খাদিম হোসেন রাজা
গ রাও ফরমান আলী  টিক্কা খান
১২৪. মার্চের গণহত্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষককে হত্যা করা হয়? (জ্ঞান)
 ১০ খ ২০ গ ১০০ ঘ ৩০০
১২৫. মার্চের গণহত্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন ছাত্র ও কর্মচারীকে হত্যা করা হয়? [ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
 ৩০০ খ ৫০০ গ ৬০০ ঘ ৭০০
১২৬. শুধু ২৫শে মার্চ রাতেই ঢাকায় কত লোক নিহত হয়? (জ্ঞান)
ক ২-৩ হাজার খ ৪-৫ হাজার গ ৬-৭ হাজার ˜ ৭-৮ হাজার
১২৭. অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ২৫ মার্চ সকালে  ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে
গ ২৮ মার্চ দুপুরে ঘ ৫ এপ্রিল সকালে
১২৮. বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় কোথা থেকে? (জ্ঞান)
ক টুঙ্গিপাড়া থেকে খ পিলখানা থেকে
 ধানমন্ডি থেকে ঘ ইপিআর থেকে
১২৯. বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ৭ই মার্চ  ২৬শে মার্চ গ ২৭শে মার্চ ঘ ২৯শে মার্চ
১৩০. এমভি সোয়াত কী? (জ্ঞান)
ক যুদ্ধাস্ত্র খ ট্যাঙ্ক
 রসদ ও অস্ত্র বোঝাই জাহাজ ঘ যুদ্ধবিমানের নাম
১৩১. কত তারিখে এমভি সোয়াত চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে? (জ্ঞান)
˜ ৩রা মার্চ খ ২৪শে মার্চ গ ২৫শে মার্চ ঘ ২৬শে মার্চ
১৩২. অপারেশন সার্চলাইট চলাকালে ঢাকা শহরে কিসের স্রোত বয়ে যায়? (জ্ঞান)
ক সাগরের  রক্তের
গ নদীর ঘ পানির
১৩৩. ১৯৭১ সালে কত তারিখে পাকিস্তানি বাহিনী এদেশের নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালায়? (জ্ঞান)
ক ২৩শে মার্চ খ ২৪শে মার্চ  ২৫শে মার্চ ঘ ২৬শে মার্চ
১৩৪. এমভি সোয়াত ১৯৭১ সালে ৩রা মার্চ কোথায় পৌঁছায়? (জ্ঞান)
ক ঢাকায়  চট্টগ্রামে গ ভোলায় ঘ নোয়াখালীতে
১৩৫. অপারেশন সার্চলাইট বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
 ২৫শে মার্চের গণহত্যা খ অসহযোগ আন্দোলন
গ পিলখানা দখল ঘ জাহাজ ধ্বংস
১৩৬. ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে কেন সেনানিবাস ও ইপিআর ঘাঁটিতে আক্রমণ করে? (অনুধাবন)
ক সাধারণ জনগণকে হত্যা করার জন্য
খ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার জন্য
 ঘাঁটিগুলোর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য
ঘ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য
১৩৭. ইকবাল হলের বর্তমান নাম কী? (অনুধাবন)
ক স্যার এ.এফ. রহমান হল খ সূর্যসেন হল
 জহুরুল হক হল ঘ মুহসীন হল
১৩৮. কেন ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন? (অনুধাবন)
 অপারেশন সার্চলাইটের পর্যবেক্ষণের জন্য
খ রাজনৈতিক বৈঠকের জন্য
গ ক্ষমতা অর্পণ করতে
ঘ শান্তি আলোচনার জন্য
১৩৯. ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী কোথায় প্রথম আক্রমণ করে? (অনুধাবন)
ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ রাজারবাগে
 সেনানিবাস ও ইপিআর ঘাঁটিতে ঘ গাজীপুরে
১৪০. ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি এখন একটি জাদুঘর। এটি বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ছিল। এ বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনী কেন এসেছিল? (অনুধাবন)
ক আহারের জন্য ˜ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করতে
গ আলোচনার জন্য ঘ বাড়িটি ঘুরে দেখতে
১৪১. ১৯৭১ সালের ২২শে মার্চ আলোচনার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আগমন করেন কোন নেতা? (জ্ঞান)
ক আইয়ুব খান খ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
 জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘ ইয়াহিয়া খান
১৪২. ২৫শে মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালানোর যৌক্তিক কারণ কী ছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
 বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করা
খ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা ঘাঁটি নির্মাণ
গ বাংলাদেশের নেতৃত্বকে দুর্বল করা
ঘ বাংলার আন্দোলনকে সমূলে বিনাশ করা
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৩. আলাপ আলোচনা ব্যর্থ হয়Ñ (প্রয়োগ)
র. ইয়াহিয়া ও মুজিবের
রর. মুজিব ও ভুট্টোর
ররর. ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১৪৪. অপারেশন সার্চলাইটের আওতাভুক্ত অঞ্চল ছিল (অনুধাবন)
র. রাজশাহী
রর. যশোর
ররর. খুলনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১৪৫. সাইদ রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ঘুরতে এসে জানতে পারে ১৯৭১ সালে এখানেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহিদ হন অসংখ্য পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত (প্রয়োগ)
র. ২৫শে মার্চ গভীর রাত
রর. অপারেশন সার্চলাইট
ররর. অপারেশন ক্লিনহার্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ১৪৬ ও ১৪৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১৪৬. উপরের চিত্রে প্রদর্শিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িয়ে আছে (প্রয়োগ)
র. ইকবাল হল
রর. শহীদুল্লাহ হল
ররর. রোকেয়া হল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১৪৭. পাক বাহিনী উক্ত হত্যাকাণ্ডের রাতে Ñ (অনুধাবন)
র. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যা করে
রর. অমর একুশে হলে আক্রমন চালায়
ররর. রাজারবাগে হত্যাযজ্ঞ চালায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৪ : বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৮. আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনÑকথাটি কে বলেছিলেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান  শেখ মুজিবুর রহমান
গ জেনারেল এরশাদ ঘ আবদুল হান্নান
১৪৯. যার যা কিছু আছে তা দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করার আহŸান কে জানিয়েছেন? (জ্ঞান)
ক টিক্কাখান খ ইয়াহিয়া খান  বঙ্গবন্ধু ঘ জিয়াউর রহমান
১৫০. ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রচার করেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ মেজর জলিল
গ সিপাহি হামিদুর রহমান  আবদুল হান্নান
১৫১. বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ২২শে মার্চ, ১৯৭১ খ ৭ই মার্চ, ১৯৭১
 ২৬শে মার্চ, ১৯৭১ ঘ ১৭ই মার্চ, ১৯৭১
১৫২. ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন আওয়ামী লীগের কোন নেতা? (জ্ঞান)
 আব্দুল হান্নান খ এম এ মান্নান
গ তাজউদ্দিন আহমেদ ঘ মেজর জিয়া
১৫৩. ২৭শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে কে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন? (জ্ঞান)
 মেজর জিয়াউর রহমান খ এম এ জলিল
গ আবদুল হান্নান ঘ হামিদুর রহমান
১৫৪. কিসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার বার্তাটি প্রেরণ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ফ্যাক্সের মাধ্যমে খ টেলিফোনের মাধ্যমে
 ওয়ারলেসের মাধ্যমে ঘ টেলিগ্রামের মাধ্যমে
১৫৫. কতদিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু দেশবাসীকে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন? [নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ডিসেম্বর পর্যন্ত খ পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত
 চ‚ড়ান্ত বিজয় না আসা পর্যন্ত ঘ ৩ মাস পর্যন্ত
১৫৬. কোন বেতার কেন্দ্র স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়? (জ্ঞান)
ক খুলনা বেতার কেন্দ্র খ রংপুর বেতার কেন্দ্র
 কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ঘ ঢাকা বেতার কেন্দ্র
১৫৭. স্বাধীনতার ডাক দেন কে? (জ্ঞান)
 শেখ মুজিবুর রহমান খ এ. কে ফজলুল হক
গ ইয়াহিয়া খান ঘ জেনারেল টিক্কা খান
১৫৮. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো (অনুধাবন)
ক জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পত্রটি পাঠ
খ ছাত্রদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ
 বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা
ঘ আব্দুল হান্নানের স্বাধীনতা ঘোষণা পত্রটি পাঠ
১৫৯. মুক্তিযুদ্ধ বাস্তব রূপ লাভ করে কখন? (অনুধাবন)
 ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর
খ ৭ই মার্চের ভাষণের পর
গ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পর
ঘ মুজিবনগর সরকার গঠনের পর
১৬০. ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ কী রূপ লাভ করে? (অনুধাবন)
ক স্বীকৃতি  বাস্তব গ পথ ঘ সমাপ্তি
১৬১. বঙ্গবন্ধু তার ঘোষণায় যে বার্তাটি দিয়েছিলেন সেটিকে তিনি কী মনে করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক স্বাধীনতার দলিল খ গণহত্যার বার্তা
 শেষ বার্তা ঘ আনন্দ মিছিলের বার্তা
১৬২. বেতারে প্রচারিত স্বাধীনতার ঘোষণা সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে কী প্রভাব ফেলে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মন ভেঙে দেয় খ হতাশ করে
 আশা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করে ঘ সচেতন করে
১৬৩. মাকছুদের দাদু বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণার বার্তাটি শুনতে পান। বেতার কেন্দ্রটির নাম কী ছিল? (প্রয়োগ)
 কালুরঘাট স¤প্রচার কেন্দ্র খ আকাশ বাণী স¤প্রচার কেন্দ্র
গ ঢাকা স¤প্রচার কেন্দ্র ঘ খুলনা স¤প্রচার কেন্দ্র
১৬৪. বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচারে কারা এগিয়ে আসেন? (প্রয়োগ)
ক মুক্তি বাহিনীর সদস্যরা  চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ
গ সাহসী ছাত্ররা ঘ আওয়ামী লীগ সমর্থকবৃন্দ
১৬৫. বঙ্গবন্ধু তার স্বাধীনতা ঘোষণায় কী বলেছিলেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন খ প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল
গ আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ঘ কঠোর হস্তে শত্রæর মোকাবিলা কর
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৬. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল [রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. সর্বস্তরের মানুষ রর. সেনাবাহিনী
ররর. পুলিশ ও আনসার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১৬৭. বঙ্গবন্ধুুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেছিলেন (অনুধাবন)
র. মেজর জিয়াউর রহমান রর. এম. এ হান্নান
ররর. তাজউদ্দিন আহমেদ
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রস্তুতি বিক্ষিপ্তভাবে শুরু হলেও ক্রমান্বয়ে এটি একটি  (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গণযুদ্ধে রূপ নেয় রর. মহাযুদ্ধে রূপ নেয়
ররর. সংগঠিত রূপ লাভ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৯ ও ১৭০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তিনি বলেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে আছেন, আপনাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবিলা করার জন্য আমি আহŸান জানাচ্ছি।”
১৬৯. অনুচ্ছেদে বর্ণিত বক্তব্যটি কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের? (প্রয়োগ)
ক আবুল কাশেম ফজলুল হক খ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
১৭০. উপরিউক্ত ঘোষণার ফলে Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুক্তিযুদ্ধ একটি বাস্তবরূপ লাভ করে
রর. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়
ররর. বিজয় অর্জিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ : মুজিবনগর সরকার
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭১. মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোন নামে বেশি পরিচিত ছিল? (জ্ঞান)
ক অস্থায়ী সরকার খ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার
 মুজিবনগর সরকার ঘ আওয়ামী লীগ সরকার
১৭২. মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
 ১০ই এপ্রিল খ ২৬ শে মার্চ গ ৫ ই জুন ঘ ১৫ই জুন
১৭৩. মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কত তারিখ অনুমোদন করে? (জ্ঞান)
ক ৫ই এপ্রিল  ১০ই এপ্রিল গ ৩রা জুন ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
১৭৪. মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ১০ই এপ্রিল  ১৭ই এপ্রিল গ ৫ই জুন ঘ ২৬শে জুন
১৭৫. মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম খ জিয়াউর রহমান
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ এ এইচএম কামরুজ্জামান
১৭৬. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কতটি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়? (জ্ঞান)
ক ৭ খ ১০  ১১ ঘ ১৯
১৭৭. ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের শপথবাক্য পাঠ করান কে? (জ্ঞান)
ক এম মনসুর আলী  অধ্যাপক ইউসুফ আলী
গ তাজউদ্দীন আহমেদ ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৭৮. কাকে চেয়ারম্যান করে মুজিবনগর সরকারের পরিকল্পনা কমিশন গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক তাজউদ্দীন আহমেদ খ হান্নান শাহ
গ জিয়াউর রহমান  মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী
১৭৯. মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কে? (জ্ঞান)
ক এম মনসুর আলী খ খন্দকার ইউসুফ আলী
˜ তাজউদ্দিন আহমেদ ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
১৮০. মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রমকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
 ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৮১. মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক এএইচএম কামরুজ্জামান খ তাজউদ্দীন আহমদ
 সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ এম মনসুর আলী
১৮২. প্রত্যেক দেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থাকে কেন? (অনুধাবন)
ক বহুকেন্দ্রিক করতে খ মন্ত্রি নির্বাচিত করতে
 শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করতে ঘ বিকেন্দ্রীকরণ ঘটাতে
১৮৩. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কিসের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছিল? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধ পরিচালনা করতে খ দেশ ভাগ করতে
গ সরকার গঠন করতে  জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে
১৮৪. কখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়? (অনুধাবন)
 ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ খ ৭ই মার্চ, ১৯৭১
গ ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১ ঘ ২১শে নভেম্বর, ১৯৭১
১৮৫. কোন সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শত্রæমুক্ত হয়? (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খ আওয়ামী লীগ
 মুজিবনগর সরকার ঘ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি
১৮৬. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে নিচে কাদের নামের মিল রয়েছে? (অনুধাবন)
 এএইচএম কামরুজ্জামান ও খন্দকার মোশতাক আহমদ
খ এমএজি ওসমানী, মওলানা ভাসানী
গ মণি সিংহ ও মোজাফফর আহমদ
ঘ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মেজর জিয়াউর রহমান
১৮৭. অধ্যাপক ইউসুফ আলীর সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্ক কী? (প্রয়োগ)
ক ক‚টনৈতিক আলোচনা  শপথ বাক্য পাঠ করানো
গ সরকার পরিচালনা ঘ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা
১৮৮. কোনটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বিদেশিদের নিমন্ত্রণপত্র প্রদান খ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
 বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ ঘ বিদেশি নিমন্ত্রণপত্র গ্রহণ
১৮৯. মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রমকে দুভাগে ভাগ করা যায়। এ ক্ষেত্রে নিচের কোনটি গ্রহণযোগ্য? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সামরিক ও পররাষ্ট্র  সামরিক ও বেসামরিক
গ বেসামরিক ও পররাষ্ট্র ঘ পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯০. মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন- (অনুধাবন)
র. মওলানা ভাসানী ও মণিসিংহ
রর. শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিন আহমেদ
ররর. মোজাফফর আহমদ ও মনোরঞ্জন ধর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯১. প্রত্যেক দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রর. বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে
ররর. রাজনীতির মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯২. মুজিবনগর সরকারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেনÑ (অনুধাবন)
র. সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রর. স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
ররর. অবিসংবাদিত নেতা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯৩ ও ১৯৪নং প্রশ্নের উত্তর
রনি ও জনি ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিলে গঠিত সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছিল। রনি জনিকে বলে, এ সরকারের কার্যাবলির মাধ্যমেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৩. উক্ত তারিখে গঠিত সরকারকে বলে  (প্রয়োগ)
র. মুজিবনগর সরকার রর. অস্থায়ী সরকার
ররর. প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১৯৪. এ সরকারব্যবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ছিলেন কে? (অনুধাবন)
ক খন্দকার মোশতাক খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
 শেখ মুজিবুর রহমান ঘ তাজউদ্দিন আহমেদ
পাঠ-৬ : মুক্তিবাহিনী গঠন ও কার্যক্রম
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯৫. চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ফেনী নদী পর্যন্ত এলাকা নিয়ে গঠিত ছিল কোন সেক্টর? (জ্ঞান)
 ১নং খ ২নং গ ৩নং ঘ ১০নং
১৯৬. মুক্তিযুদ্ধে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা কোন সেক্টরের অধীনে ছিল? (জ্ঞান)
ক ৭  ৯ গ ১০ ঘ ১১
১৯৭. কোন সেক্টরে ছিল নৌ কমান্ডো ও সমুদ্র উপক‚লীয় অঞ্চল? (জ্ঞান)
ক ৮ খ ৯ ˜ ১০ ঘ ১১
১৯৮. মেজর কে এম শফিউল­াহ কোন ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন? (জ্ঞান)
ক জেড ফোর্স  এস ফোর্স গ কে ফোর্স ঘ জি ফোর্স
১৯৯. মুক্তিবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন কে? (জ্ঞান)
ক কর্নেল তাহের খ তাজউদ্দিন আহমেদ
 কর্নেল (অব.) আব্দুর রব ঘ কে. এম শফিউল্লাহ
২০০. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ৭ খ ৮ গ ১০  ১১
২০১. মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা কোন সেক্টরের অধীনে ছিল? (জ্ঞান)
 ২নং খ ৩নং গ ৪নং ঘ ৮নং
২০২. মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর কোন সেক্টরের অধীনে ছিল? (জ্ঞান)
ক ৫নং খ ৬নং  ৮নং ঘ ৯নং
২০৩. জেড ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক খালেদ মোশাররফ ˜ জিয়াউর রহমান
গ কে এম শফিউল্ল্যাহ ঘ মুনসুর আলী
২০৪. মুক্তিযুদ্ধে কয়টি ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়েছিল? (জ্ঞান)
 ৩ খ ৪ গ ৫ ঘ ৬
২০৫. মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকায় কোন বাহিনী গেরিলা তৎপরতা চালিয়েছিল? (জ্ঞান)
ক বিশেষ বাহিনী খ বøাক ক্যাট  ক্র্যাক বাহিনী ঘ জ্যাকপট
২০৬. জিয়া বাহিনী কোন অঞ্চলের ছিল? (জ্ঞান)
ক নাটোরের খ গাইবান্ধার  সুন্দরবনের ঘ মাগুরার
২০৭. নিয়মিত বাহিনী বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
 সৈনিকদের নিয়ে গঠিত বাহিনী খ ছাত্রদের নিয়ে গঠিত বাহিনী
গ কৃষকদের নিয়ে গঠিত বাহিনী ঘ যুবকদের নিয়ে গঠিত বাহিনী
২০৮. গণবাহিনী বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক সৈনিকদের নিয়ে গঠিত বাহিনী খ রাজাকারদের নিয়ে গঠিত বাহিনী
গ বিদেশিদের নিয়ে গঠিত বাহিনী  গণমানুষকে নিয়ে গঠিত বাহিনী
২০৯. কাদেরকে নিয়ে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়? (অনুধাবন)
ক ছাত্রলীগের কর্মীদের  ছাত্রলীগের বাছাইকৃত কর্মীদের
গ ন্যাপ সদস্যদের ঘ ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদের
২১০. মুক্তিফৌজ কোন ধরনের বাহিনী ছিল? (অনুধাবন)
 নিয়মিত বাহিনী খ গেরিলা বাহিনী
গ বিশেষ বাহিনী ঘ অনিয়মিত বাহিনী
২১১. কোন সেক্টরটি ব্যতিক্রমী ছিল? (অনুধাবন)
ক ৭নং খ ৮নং গ ৯নং  ১০নং
২১২. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় কেন? (অনুধাবন)
 যুদ্ধ পরিচালনার জন্য খ যুদ্ধ বেগবান করার জন্য
গ রাজাকার দমনের জন্য ঘ সৈন্য রিক্রুটের জন্য
২১৩. কাদেরিয়া বাহিনী, আফসার ব্যাটালিয়ন, বাতেন বাহিনী নিচের কোনটিকে সমর্থন করে? (জ্ঞান)
ক নিয়মিত বাহিনী খ অনিয়মিত বাহিনী
 আঞ্চলিক বাহিনী ঘ বিশেষ বাহিনী
২১৪. মিজানের বাড়ি রাজশাহীতে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাড়িটি কত নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল? (প্রয়োগ)
ক ৬নং  ৭নং গ ৫নং ঘ ৮নং
২১৫. মুজিবনগর সরকারের কোন পদক্ষেপের ফলে একাত্তরের মে মাস থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা রণাঙ্গনে সাহসের সঙ্গে পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবিলা শুরু করে? (প্রয়োগ)
ক ব্রিগেড ফোর্স গঠন করার ফলে  সেক্টরভিত্তিক যুদ্ধ পরিচালনার ফলে
গ কেবিনেট গঠনের ফলে ঘ দুর্নীতি দমনের ফলে
২১৬. কোন বাহিনীকে গণবাহিনী নাম দেয়া হয়? (জ্ঞান)
ক হেমায়েত বাহিনী খ কাদেরিয়া বাহিনী
গ নিয়মিত বাহিনী  অনিয়মিত বাহিনী
২১৭. মুক্তিযুদ্ধে কোন দল ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত ছিল? (জ্ঞান)
ক বরিশালের হেমায়েত বাহিনী  ঢাকার গেরিলা দল
গ টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনী ঘ মাগুরার আকবর বাহিনী
২১৮. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মুক্তিযুদ্ধের কৌশল  সুষ্ঠু পরিকল্পনা
গ বিশ্বব্যাপী সুনাম ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের অদক্ষতা
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৯. মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল (অনুধাবন)
র. চট্টগ্রাম রর. পার্বত্য চট্টগ্রাম
ররর. খুলনা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২০. মুক্তিযুদ্ধের ছয় নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল (অনুধাবন)
র. রংপুর রর. দিনাজপুর ররর. ঠাকুরগাঁও মহকুমা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২১. মুক্তিবাহিনী সরকারি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল- (অনুধাবন)
র. নিয়মিত বাহিনী রর. অনিয়মিত বাহিনী
ররর. বিভাগীয় বাহিনী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর খ র  র ও রর ঘ র ও ররর
২২২. নিয়মিত বাহিনী গড়ে উঠেছিল (অনুধাবন)
র. সেনাবাহিনী নিয়ে রর. বিমানবাহিনী নিয়ে
ররর. নৌবাহিনী নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৩. অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়- (অনুধাবন)
র. ছাত্রদের নিয়ে রর. শ্রমিকদের নিয়ে
ররর. কৃষকদের নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
২২৪. সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে গড়ে ওঠে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. হেমায়েত বাহিনী রর. কাদেরিয়া বাহিনী
ররর. বাতেন বাহিনী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
২২৫. মুক্তিযোদ্ধা নৌকমান্ডোগণ ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে পরিচালিত অভিযানে একদিনে ধ্বংস করে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. চট্টগ্রাম বন্দরে ১০টি জাহাজ রর. চট্টগ্রাম বন্দরে ২২টি জাহাজ
ররর. মংলা বন্দরে ৫০টি জাহাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২২৬, ২২৭ ও ২২৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শফিকের বাড়ি রংপুর জেলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল জানতে পেরে সে দাদুর কাছে জানতে চায় তাদের বাড়ি কোন সেক্টরে ছিল?
২২৬. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত এ বিভক্তির ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত তথ্য হলো (প্রয়োগ)
র. রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা নিয়ে ৬নং সেক্টর
রর. চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ফেনী নদী পর্যন্ত ১নং সেক্টর
ররর. কিশোরগঞ্জ ১১নং সেক্টর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২২৭. স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শফিকের বাড়িটি কত নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল? (অনুধাবন)
 ৬নং সেক্টরের অধীনে খ ৮নং সেক্টরের অধীনে
গ ৭নং সেক্টরের অধীনে ঘ ৫নং সেক্টরের অধীনে
২২৮. অনুচ্ছেদ উল্লিখিত এ বিভক্তির তাৎপর্য ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরকারের ব্যর্থতার পরিচয় রর. বিজয় নিশ্চিত করা
ররর. পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৭ : মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির তৎপরতা ও ভ‚মিকা
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২৯. মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শান্তি কমিটি গঠিত হয় কবে? (জ্ঞান)
ক ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১ খ ২৬শে মার্চ, ১৯৭১
 ৯ই এপ্রিল, ১৯৭১ ঘ ২২শে মার্চ, ১৯৭১
২৩০. মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার বাহিনী সর্বপ্রথম গঠিত হয় কোথায়? (জ্ঞান)
ক বরিশাল  খুলনায় গ চট্টগ্রাম ঘ বরিশাল
২৩১. আলশামস বাহিনী কোন সংগঠন গঠন করে? (জ্ঞান)
ক রাজাকার বাহিনী খ শান্তি কমিটি
 মুসলিম লীগ ঘ আলবদর
২৩২. মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল কত? (জ্ঞান)
ক ৬ কোটি ˜ ৭ কোটি গ ৮ কোটি ঘ ৯ কোটি
২৩৩. ‘ঢাকা নাগরিক শান্তি কমিটির’ সদস্য সংখ্যা ছিল কতজন? (জ্ঞান)
˜ ১৪০ খ ১৫০ গ ২০০ ঘ ২৫০
২৩৪. মাওলানা এ.কে.এম ইউসুফ মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন বাহিনী গঠন করেছিল? (জ্ঞান)
ক শান্তি বাহিনী  রাজাকার গ মুক্তি বাহিনী ঘ বিশেষ ফোর্স
২৩৫. সাক্ষাৎ যমদূত কাদের বলা হতো? (জ্ঞান)
 আলবদর বাহিনীকে খ রাজাকারদেরকে
গ আলশামসদের ঘ শান্তি কমিটির সদস্যদের
২৩৬. ডা. মালিক মন্ত্রিসভা গঠিত হয় কখন? (জ্ঞান)
 ১৭ই সেপ্টেম্বর খ ২৮শে সেপ্টেম্বর
গ ১৫ই নভেম্বর ঘ ২৭শে ডিসেম্বর
২৩৭. ডা. মালিক মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা কতজন ছিল? (জ্ঞান)
 ১০ খ ১২ গ ১৪ ঘ ১৮
২৩৮. কখন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ডা. মালিক মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করে? (জ্ঞান)
ক ৬ই নভেম্বর খ ৮ই নভেম্বর  ১৪ই ডিসেম্বর ঘ ১৬ই ডিসেম্বর
২৩৯. ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে কোন বাহিনী? (জ্ঞান)
ক শান্তি কমিটি খ রাজাকার গ আলশামস  আলবদর
২৪০. মুক্তিযুদ্ধে কাদের অত্যাচার পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচার ছাড়িয়ে যেত? (অনুধাবন)
ক মুক্তিকামীদের  রাজাকারদের গ প্রবাসীদের ঘ ব্রিটিশদের
২৪১. রাজাকার বলতে কী বোঝ? (অনুধাবন)
ক রাজার কর্মচারী  মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র
গ ইসলামি দল ঘ নকশাল বাহিনী
২৪২. মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী বাঙালি ও প্রগতিশীল বাঙালিদের খুঁজে বের করে তাদের তালিকা কারা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়? (অনুধাবন)
ক মার্কিনিরা খ সাংবাদিকরা
 রাজাকাররা ঘ অশিক্ষিত লোকেরা
২৪৩. ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার জন্য পরিকল্পনা করলে তা বাস্তবায়ন করে কারা? (অনুধাবন)
ক পাক বাহিনীরা খ আলশামসরা  আলবদররা ঘ গোয়েন্দারা
২৪৪. মুক্তিযুদ্ধের সময়ের হিসেবে বাংলাদেশের প্রায় কত কোটি লোক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল? (অনুধাবন)
ক ৩০ লক্ষ খ ১ কোটি ৩০ লক্ষ
 ৭ কোটি ৫০ লক্ষ ঘ ১২ কোটি
২৪৫. মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনী গড়ে ওঠার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 উগ্র ধর্মান্ধতা খ রাজনৈতিক সুবিধা গ্রহণ
গ ধর্মীয় অপব্যবহার ঘ লুটতরাজ করার জন্য
২৪৬. পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকার আলবদরের ভয়ে দেশের অভ্যন্তরে অবরুদ্ধ মানুষ পুরো নয় মাস কীভাবে জীবন কাটিয়েছেন? (অনুধাবন)
ক ছদ্ম বেশে  আত্মগোপন করে
গ অবাধ চলাফেরা করে ঘ শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়ে
২৪৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিক থেকে কোন মন্ত্রিসভার কার্যাবলি ব্যতিক্রম? (অনুধাবন)
 ডা. মালিক মন্ত্রিসভা খ ফজলুল হক মন্ত্রিসভা
গ গণপরিষদ মন্ত্রিসভা ঘ শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রিসভা
২৪৮. কোন দাবিতে দেশের ক্ষুদ্র একটি অংশ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ও দেশবাসীর স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 অখণ্ড পাকিস্তানের দাবিতে খ ধর্ম বাস্তবায়নের দাবিতে
গ স্বাধীনতার দাবিতে ঘ নতুন দেশের দাবিতে
২৪৯. নিচের কোনটি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী সংগঠন ছিল না? (উচ্চতর দক্ষতা)
 মুক্তি কমিটি খ রাজাকার গ আলবদর ঘ আলশামস
২৫০. পাকিস্তান সরকার কী কারণে সামরিক গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানকে সরিয়ে তার জায়গায় বেসামরিক ব্যক্তি ডা. মালিককে গভর্নর নিযুক্ত করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সরকারকে বেসামরিক করতে  বহির্বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে
গ নতুন সরকার গঠন করতে ঘ সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করতে
২৫১. পূর্ব পাকিস্তানের তাঁবেদার সরকারের গভর্নর ডা. মালিক পদত্যাগ করেন কী কারণে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অসুস্থতার খ বয়স বৃদ্ধির
 ভয়ের ঘ দুর্নীতির
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫২. বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি Ñ (অনুধাবন)
র. রাজাকার বাহিনী রর. আলশামস বাহিনী
ররর. শান্তি কমিটি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
২৫৩. স্বাধীনতা বিরোধীরা পাক হানাদারদের হাতে তুলে দেয় (অনুধাবন)
র. পাকিস্তানের পতাকা রর. মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজখবর
ররর. প্রগতিশীল বাঙালিদের তালিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৫৪. শান্তি কমিটি গঠিত হয় যেসব দল নিয়েÑ (অনুধাবন)
র. নেজামে ইসলামী রর. জামায়াতে ইসলামী
ররর. মুসলিম লীগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
২৫৫. মুক্তিযুদ্ধকালীন শান্তি কমিটির কাজ ছিল (অনুধাবন)
র. যুদ্ধ করা রর. লুটপাট ররর. নারী নির্যাতন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৫৬ ও ২৫৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
টেলিভিশনে প্রচারিত মানবতাবিরোধীদের বিচার সম্পর্কিত সংবাদ শুনে রেজা তার বাবাকে বলল, এরা কারা? তার বাবা বললেন, এরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অখণ্ডতার নামে ধর্মের দোহাই দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।
২৫৬. রেজার বাবা কাদের কথা বলছিলেন? (প্রয়োগ)
ক কৃষক খ প্রজা  রাজাকার ঘ গেরিলা
২৫৭. রেজার টেলিভিশনে দেখা মানবতাবিরোধীরা পাকিস্তানিদের সাহায্য করেছিলÑ (অনুধাবন)
র. ধর্মান্ধতার কারণে রর. অখণ্ড পাকিস্তানের দাবিতে
ররর. দেশের স্বার্থের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে ২৫৮ ও ২৫৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স্বাধীনতা যুদ্ধে এদেশের মুসলিম লীগ প‎‎ন্থী একটি গোষ্ঠী পাকিস্তানিদের সহায়তা করে। এরা রাজাকার বাহিনী গঠন করে। [যশোর জিলা স্কুল]
২৫৮. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বাহিনী প্রথম কে গঠন করেন?
 মওলানা এ কে এম ইউসুফ খ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
গ অধ্যাপক গোলাম আযম ঘ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
২৫৯. উক্ত সংগঠনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উগ্র ধর্মভিত্তিক দল রর. শান্তিকামী সংগঠন
ররর. দাগি আসামিদের সংগঠন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৮ : প্রবাসী বাঙালিদের ভ‚মিকা
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৬০. মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে ছিলেন? (জ্ঞান)
 বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী খ স্যার এ.এফ. রহমান
গ পি.জে. হার্ট ঘ শেখ মুজিবুর রহমান
২৬১. বাংলাদেশ মিশন সর্বপ্রথম স্থাপিত হয় কোথায়? (জ্ঞান)
ক যশোর  কলকাতা গ যুক্তরাজ্য ঘ ঢাকা
২৬২. বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে জাতিসংঘের কতটি দেশের প্রতিনিধি? (জ্ঞান)
˜ ৪৭ খ ৫০ গ ৫৭ ঘ ৬০
২৬৩. ইউরোপের প্রবাসী বাঙালিরা আন্দোলন করেন কোন দেশকে কেন্দ্রে রেখে? (জ্ঞান)
ক জার্মানি খ যুক্তরাষ্ট্র গ বেলজিয়াম  যুক্তরাজ্য
২৬৪. এশিয়ার কোন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা একাত্তরের গণহত্যার বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ করে? (জ্ঞান)
ক মালয়েশিয়া খ ভিয়েতনাম  জাপান ঘ থাইল্যান্ড
২৬৫. মুজিবনগর সরকার কোন দেশে মিশন স্থাপন করেছিল? (জ্ঞান)
ক জাপান  যুক্তরাজ্য গ মিশর ঘ চীন
২৬৬. মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বে মিশন প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য কী ছিল? (অনুধাবন)
ক পাকবাহিনীদের হটিয়ে দেয়া খ পাকিস্তানিদের সাহায্য করা
 বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন আদায় ঘ তহবিল সংগ্রহ করা
২৬৭. কাকে বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিশেষ দূত নিয়োগ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ড. আকবর আলি খান  বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
গ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ ফজলে হাসান আবেদ
২৬৮. বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়ে বিশেষ দূত নিয়োগ করে কোন সরকার? (জ্ঞান)
ক সুইডিশ সরকার খ ভারত সরকার
 মুজিবনগর সরকার ঘ চীন সরকার
২৬৯. কোন দূতাবাসের কর্মকর্তারা জীবন ও চাকরির মায়া ত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেন? (জ্ঞান)
ক চীন খ রাশিয়া  যুক্তরাষ্ট্র ঘ ইরান
২৭০. পাকিস্তান সরকার কেন বঙ্গবন্ধুুর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিল? (অনুধাবন)
ক অপরাধ নগণ্য বলে
খ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে
 জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের বিরোধিতায়
ঘ সহানুভ‚তি প্রকাশ করতে
২৭১. মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাঙালিদের কর্মতৎপরতা কী ছিল? (প্রয়োগ)
ক হত্যা ও লুটতরাজ খ নৈরাজ্য সৃষ্টি
 মিছিল, সমাবেশ ঘ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
২৭২. মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদত্যাগ করে। এটা কোন বিষয়কে সমর্থন করে? (প্রয়োগ)
 গণহত্যার প্রতিবাদ খ নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য
গ লোক দেখানো ঘ বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে
২৭৩. রাজাকার বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পাক বাহিনীকে হত্যা করা  পাক সেনাদের সাহায্য করা
গ মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা ঘ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা
২৭৪. মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে অর্থ সংগ্রহ করত কিসের জন্য? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নিজে খাওয়ার জন্য খ ফান্ড গঠন করার জন্য
 মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ঘ হাসপাতাল তৈরির জন্য
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭৫. প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছিলÑ (অনুধাবন)
র. জনমত গঠন করে রর. অর্থ সংগ্রহ করে
ররর. আন্দোলন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
২৭৬. মুজিবনগর সরকারের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আবু সাঈদ চৌধুরী প্রচেষ্টা চালান  (প্রয়োগ)
র. বিদেশে জনমত গঠনে রর. বিদেশে বাংলাদেশ মিশন স্থাপন করতে
ররর. বিদেশের সমর্থন আদায়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭৭. মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকেই মুজিবনগর সরকার মিশন স্থাপন করে  (অনুধাবন)
র. কলকাতায় রর. লাহোরে
ররর. দিল্লিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৭৮. মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকার বহির্বিশ্বের যেসব দেশে মিশন প্রতিষ্ঠা করে তা হলো (অনুধাবন)
র. নিউইয়র্ক ও লন্ডন রর. দিল্লি ও কলকাতা
ররর. ওয়াশিংটন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
২৭৯. মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশে মিশন স্থাপনের ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি সমর্থন আদায় হয়
রর. মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়
ররর. পাকিস্তানের প্রতি চাপ সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮০ ও ২৮১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হতে থাকেন। মুজিবনগর সরকারের বিশেষ দূত তাদের অনুপ্রেরণা ছিল।
২৮০. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত বিশেষ দূত কে ছিলেন? (প্রয়োগ)
 বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী খ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
গ রেহমান সোবহান ঘ ড. কামাল হোসেন
২৮১. অনুচ্ছেদের প্রবাসী বাঙালিরা একত্রিত হতে থাকেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহ করার জন্য
রর. মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য
ররর. গণহত্যার প্রতিবাদে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৯ : মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের ভ‚মিকা
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৮২. নিচের কোন দেশটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল না? (জ্ঞান)
ক ভারত খ সোভিয়েত ইউনিয়ন
 যুক্তরাষ্ট্র ঘ জাপান
২৮৩. পাকিস্তানকে সমর্থন করে ভারত মহাসাগরে সপ্তম নৌবহর পাঠায় কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক রাশিয়া খ পাকিস্তান  যুক্তরাষ্ট্র ঘ চীন
২৮৪. ঈড়হপবৎঃ ভড়ৎ ইধহমষধফবংয-এর আয়োজন করেন কে? (জ্ঞান)
ক ভ‚পেন হাজারিকা খ রবি শঙ্কর
 জর্জ হ্যারিসন ঘ সাবিনা ইয়াসমিন
২৮৫. পাকিস্তান কত তারিখে ভারতের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়? (জ্ঞান)
ক ৭ই ডিসেম্বর খ ১৬ই ডিসেম্বর  ৩রা ডিসেম্বর ঘ ৫ই ডিসেম্বর
২৮৬. জর্জ হ্যারিসন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন? (জ্ঞান)
ক চীন  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ ভারত ঘ যুক্তরাজ্য
২৮৭. কতসংখ্যক শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়? (জ্ঞান)
ক প্রায় দশ লক্ষ  প্রায় এক কোটি গ প্রায় দুই লক্ষ ঘ প্রায় দুই কোটি
২৮৮. মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কে? (জ্ঞান)
 ইন্দিরা গান্ধী খ জওহর লাল নেহেরু
গ মহাত্মা গান্ধী ঘ লাল বাহাদুর শাস্ত্রী
২৮৯. সাইমন ড্রিং কী ছিলেন? (জ্ঞান)
 সাংবাদিক খ সংগীত শিল্পী গ ব্যবসায়ী ঘ সাহিত্যিক
২৯০. মার্ক টালি কোন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক ছিলেন? (জ্ঞান)
 বিবিসি খ এনা গ সিএনএন ঘ রয়টার্স
২৯১. মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে কোথায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়? (জ্ঞান)
 কলকাতায় খ লন্ডনে গ দিল্লিতে ঘ বেইজিংয়ে
২৯২. শরণার্থী কর আরোপ করে বিশ্বের কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক যুক্তরাষ্ট্র  ভারত গ উগান্ডা ঘ ব্রাজিল
২৯৩. মুক্তিযুদ্ধে নিচের কোন দেশটি বাংলাদেশের পক্ষে ছিল? (জ্ঞান)
ক পেরু খ কানাডা
গ ডেনমার্ক  সোভিয়েত ইউনিয়ন
২৯৪. কোন ভারতীয় শিল্পী বাংলাদেশ কনসার্টে যোগদান করেন? (জ্ঞান)
ক জর্জ হ্যারিসন খ মার্ক টালি
 রবি শঙ্কর ঘ ভ‚পেন হাজারিকা
২৯৫. ‘সংবাদ পরিক্রমা’ প্রচার করত কোন রেডিও স্টেশন? (জ্ঞান)
ক বিবিসি  আকাশবাণী গ সিএনএন ঘ ভিওএ
২৯৬. ভারত সরকার শরণার্থী কর আরোপ করেছিল কেন? (অনুধাবন)
 শরণার্থীদের ব্যয় নির্বাহের জন্য
খ শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য
গ যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতে
ঘ মুক্তিবাহিনী গঠন করতে
২৯৭. যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর কাজে লাগায়নি কেন? (অনুধাবন)
ক বিকল হয়ে পড়ায়
 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কারণে
গ পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞার কারণে
ঘ বাংলাদেশের পক্ষ লাভের কারণে
২৯৮. পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় কীভাবে বহির্বিশ্বকে বিভ্রান্ত করেছিল? (অনুধাবন)
 মিডিয়ার মাধ্যমে খ গভর্নর নিযুক্ত করে
গ যোগাযোগ রক্ষা করে ঘ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে
২৯৯. মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মানুষকে উজ্জীবিত করেন? (অনুধাবন)
ক সুচিত্রা সেন  রবি শঙ্কর গ উত্তম কুমার ঘ সুপ্রিয় দেবী
৩০০. ঈড়হপবৎঃ ভড়ৎ ইধহমষধফবংয-এর আয়োজন করা হয়েছিল কেন? (অনুধাবন)
ক মুক্তিযুদ্ধ বন্ধ করার জন্য খ যুদ্ধ বানচাল করার জন্য
 মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করার জন্য ঘ উৎসব করার জন্য
৩০১. মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত অন্যতম ভ‚মিকা নেয়Ñ (প্রয়োগ)
ক সেনা মোতায়েন করে  শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে
গ শরণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ঘ পাকিস্তানে আক্রমণ চালিয়ে
৩০২. ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন? (প্রয়োগ)
ক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে খ ত্রাণ দিয়ে
 বিশ্ব জনমত গঠন করে ঘ সরকার গঠন করে
৩০৩. যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল? (প্রয়োগ)
 যুদ্ধবিরতি ঘটিয়ে খ নৌ হামলা চালিয়ে
গ সেনা মোতায়েন করে ঘ অনাস্থা প্রস্তাব করে
৩০৪. জর্জ হ্যারিসন কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক চিত্র প্রদর্শনী করে  কনসার্ট করে
গ কবিতা লিখে ঘ যুদ্ধে অংশ নিয়ে
৩০৫. খ্যাতিমান শিল্পী রবি শঙ্কর কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছিলেন? (অনুধাবন)
ক কনসার্ট করে খ চিত্র প্রদর্শনী করে
 মানুষকে উজ্জীবিত করে ঘ কবিতা লিখে
৩০৬. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘বজ্রকণ্ঠ’ ও ‘চরমপত্র’সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান শ্রোতাদের মধ্যে কী প্রভাব ফেলে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দুঃখিত করে খ ভীত করে  উদ্বুদ্ধ করে ঘ শঙ্কাহীন করে
৩০৭. যুক্তরাষ্ট্র কেন মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
 পাকিস্তান-ঘেঁষা নীতির কারণে
খ ভারত-ঘেঁষা নীতির কারণে
গ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে
ঘ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র দেশ বলে
৩০৮. আকাশবাণী ছাড়াও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালায়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তাস খ এনা  বিবিসি ঘ সিএনএন
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩০৯. মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করে (অনুধাবন)
র. শিল্পী মাইকেল জ্যাকসন রর. শিল্পী জর্জ হ্যারিসন
ররর. শিল্পী রবি শঙ্কর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১০. আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলÑ (অনুধাবন)
র. আকাশবাণী রর. বিবিসি ররর. ভোয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১১. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিলÑ (অনুধাবন)
র. চরমপত্র রর. বজ্রকণ্ঠ ররর. সংবাদ পরিক্রমা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১২. ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পাকিস্তানঘেঁষা রর. রাশিয়াঘেঁষা
ররর. ভারতবিরোধী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৩. মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ নেয় (অনুধাবন)
র. চীন রর. কানাডা ররর. যুক্তরাষ্ট্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩১৪ ও ৩১৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
যুদ্ধের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও নারকীয় তাণ্ডবলীলা দেখে অসংখ্য মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নেয়। সেখানে অন্য শরণার্থীদের নিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।
৩১৪. অনুচ্ছেদের দেশটি ভারত হলে যুদ্ধটি কী ছিল? (প্রয়োগ)
ক পলাশীর যুদ্ধ খ বিশ্বযুদ্ধ  মুক্তিযুদ্ধ ঘ উপসাগরীয় যুদ্ধ
৩১৫. প্রায় এক কোটি শরণার্থী প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নয়মাস ব্যাপী রর. ভারত সরকারের সহযোগিতায়
ররর. স্থায়ী হওয়ার আশায়
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১০ : যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে চ‚ড়ান্ত যুদ্ধ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩১৬. কাদেরকে মিত্রবাহিনী বলা হতো? (জ্ঞান)
 ভারতীয় সৈন্যদের খ কাদেরিয়া বাহিনীকে
গ প্রবাসী বাঙালিদের ঘ সপ্তম নৌবহরকে
৩১৭. পাকিস্তানি বিমানবাহিনী কত তারিখে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে আক্রমণ করে? (জ্ঞান)
ক ২২শে মার্চ, ১৯৭১ খ ৭ই মার্চ, ১৯৭১
 ৩রা ডিসেম্বর, ১৯৭১ ঘ ৮ই ডিসেম্বর, ১৯৭১
৩১৮. কত তারিখে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ কমান্ড গঠন করে? (জ্ঞান)
 ২১শে নভেম্বর খ ২৬শে মার্চ গ ১৬ই ডিসেম্বর ঘ ৭ই মার্চ
৩১৯. বাংলাদেশের কোন জেলাটি সর্বপ্রথম শত্রæমুক্ত হয়? (জ্ঞান)
ক বরিশাল খ খুলনা গ নোয়াখালী  যশোর
৩২০. মুক্তিযোদ্ধারা কোন মাস থেকে পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে? (জ্ঞান)
ক মার্চ মাস খ এপ্রিল মাস গ ডিসেম্বর  মে মাস
৩২১. রূপসী বাংলা হোটেলের নাম মুক্তিযুদ্ধের সময় কী ছিল? (জ্ঞান)
 হোটেল কন্টিনেন্টাল খ সোনারগাঁও
গ সোনার বাংলা ঘ স্কাইভিউ
৩২২. কোন মাস থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলা যোদ্ধারা দেশের ভিতরে প্রবেশ করে? (জ্ঞান)
 জুন খ জানুয়ারি গ মে ঘ জুলাই
৩২৩. কোনটির পতনের পর যৌথবাহিনী যশোর শহরে প্রবেশ করে? (জ্ঞান)
 যশোর বিমানবন্দর খ যশোর স্থলবন্দর
গ যশোর সেনানিবাস ঘ যশোর ইপিআর ঘাঁটি
৩২৪. তাঁবেদার সরকারের গভর্নর কেন ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় নেয়? (অনুধাবন)
ক বিশ্রামের জন্য খ যুদ্ধে জয়ী হয়ে
 যৌথবাহিনীর তৎপরতায় ঘ আলোচনা করার জন্য
৩২৫. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে কীভাবে? (অনুধাবন)
 পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে খ বহির্বিশ্বের সাহায্যে
গ ভারতীয়দের সহায়তায় ঘ রাশিয়ার সহায়তায়
৩২৬. মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ক‚টনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল কোথায়? (অনুধাবন)
ক বঙ্গভবনে খ কার্জন হলে
 রূপসী বাংলা হোটেলে ঘ র‌্যাডিসন হোটেলে
৩২৭. জুন মাস থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাঙালি গেরিলা যোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালালে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর কী প্রভাব পড়ে? (প্রয়োগ)
ক মূলোৎপাটি হয়  দিশেহারা হয়ে যায়
গ পালিয়ে যায় ঘ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়
৩২৮. কনার একজন ভারতীয় বন্ধু সঞ্জিব। সঞ্জিব তাকে গর্বের সাথে জানায়, যেদিন আমাদের দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ওইদিন আমি জন্মগ্রহণ করি। সঞ্জিবের জন্ম তারিখ কত? (প্রয়োগ)
ক ৪ঠা ডিসেম্বর, ১৯৭১ খ ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১
 ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ ঘ ২৮শে ডিসেম্বর, ১৯৭১
৩২৯. ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তানি বিমানবাহিনী ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালালে কী শুরু হয়? (প্রয়োগ)
ক বোমা হামলা খ আলোচনা-পর্যালোচনা
গ সমালোচনা  সর্বাত্মক যুদ্ধ
৩৩০. পাকবাহিনীর কোন কাজের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে? (প্রয়োগ)
ক ফিরে যাওয়ার  আত্মসমর্পণের
গ আলোচনার ঘ ভুল বুঝতে পারার
৩৩১. পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা কী লাভ করি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ধন সম্পদ খ ঐশ্বর্য
গ টাকা পয়সা  স্বাধীন বাংলাদেশ
৩৩২. যৌথ কমান্ড গঠনের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধ কী পরিণতি লাভ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অচলাবস্থা খ ধীরগতি  দারুণ গতি ঘ সাফল্য
৩৩৩. যৌথবাহিনী ঢাকার চারিদিক ঘেরাও করে ফেলার ফলে পাকবাহিনীর মনে কিসের সঞ্চার হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সাহসের খ আনন্দের গ আত্মবিশ্বাসের  ভীতির
৩৩৪. মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনীকে কোন অবস্থায় দেখা গেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক যুদ্ধরত  আত্মসমর্পণের
গ পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের ঘ পুনর্গঠনের
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৩৫. ২৫শে মার্চের মধ্য রাতে পাকবাহিনী হামলা চালায়- (অনুধাবন)
র. আনসার ব্যারাকে রর. ইপিআর দপ্তরে
ররর. যশোর সেনানিবাসে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৬. কামাল সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়ার পর প্রয়োজনবোধ করেন (অনুধাবন)
র. টাকা-পয়সার রর. অস্ত্রশস্ত্রের
ররর. প্রশিক্ষণের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৭. পাকবাহিনী জ্বালিয়ে দেয় (অনুধাবন)
র. বাঙালিদের ঘরবাড়ি রর. পুলিশ লাইন কার্যালয়
ররর. পাড়া ও গ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৮. বাঙালিরা দেশের ভেতরে আত্মগোপন করে ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে রর. রাজাকারদের ভয়ে
ররর. পাকিস্তানি বাহিনীর ভয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩৯. পাকবাহিনী ও তাদের সহযোগীরা এ দেশে বধ্যভ‚মি তৈরি করে [রংপুর জিলা স্কুল]
র. চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে রর. খুলনায়
ররর. ঢাকার রায়েরবাজারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪০. ১১ থেকে ১২ই ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে শত্রæমুক্ত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. শেরপুর রর. হিলি ররর. রংপুর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪১. ৯ই ডিসেম্বর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আশ্রয় দেয়া হয়Ñ (অনুধাবন)
র. পাকিস্তানি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রর. বিদেশি নাগরিকদের
ররর. ঢাকার কূটনীতিকদের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪২. ৮ ও ৯ই ডিসেম্বরের মধ্যে মিত্র বাহিনীর দখলে আসেÑ (অনুধাবন)
র. কুমিল্লা রর. নোয়াখালী
ররর. গাইবান্ধা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪৩. বাংলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধ চলাকালীন পাক-ভারত সম্পর্ক ছিল (অনুধাবন)
র. বন্ধুভাবাপন্ন রর. শত্রæভাবাপন্ন
ররর. বিরোধপূর্ণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৪৪ ও ৩৪৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১২ই ডিসেম্বর ঢাকায় সামরিক অবস্থানের ওপর যৌথবাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত থাকলে পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ শুরু করে।
৩৪৪. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সামরিক অবস্থানে হামলাকারী বাহিনী গঠিত হয়- (প্রয়োগ)
র. মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে রর. আলশামস বাহিনীর সমন্বয়ে
ররর. মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪৫. উক্ত বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ভারতীয় সেনা সদস্য
রর. পাকিস্তানি সেনা সদস্য
ররর. বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১১ : গণহত্যা ও যুদ্ধপরাধ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৪৬. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারায় কত লোক? (জ্ঞান)
ক ৩০ হাজার  ৩০ লক্ষ গ ৪০ লক্ষ ঘ ৫০ লক্ষ
৩৪৭. পাকিস্তানি বাহিনী কবে থেকে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপরে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ঢাকায়? (জ্ঞান)
ক ৩রা মার্চ খ ২৪শে মার্চ  ২৫শে মার্চ ঘ ২১শে নভেম্বর
৩৪৮. কত মাস ব্যাপী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্থায়ী হয়েছিল? (জ্ঞান)
ক ৪ মাস খ ৫ মাস গ ৬ মাস ˜ ৯ মাস
৩৪৯. কত সংখ্যক লোক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়? (জ্ঞান)
˜ প্রায় এক কোটি খ প্রায় দুই কোটি
গ প্রায় তিন কোটি ঘ প্রায় চার কোটি
৩৫০. রায়ের বাজার বধ্যভ‚মি কোথায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
 ঢাকায় খ চট্টগ্রামে গ খুলনায় ঘ পটুয়াখালীতে
৩৫১. বধ্যভ‚মিকে কিসের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়? (অনুধাবন)
ক পাকিস্তানের ক্যাম্প  গণহত্যা ও বর্বরতার
গ পুলিশ ও আনসার ক্যাম্প ঘ সামরিক প্রশিক্ষণের কেন্দ্র
৩৫২. মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন শ্রেণির মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়? (অনুধাবন)
ক যুবক খ সৈনিক গ কৃষক  নারী ও শিশু
৩৫৩. মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ কোটি শরণার্থী কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল? (জ্ঞান)
 ভারতে খ মিয়ানমারে গ পাকিস্তানে ঘ আফগানিস্তানে
৩৫৪. ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, ডা. ফজলে রাব্বী ছিলেনÑ (অনুধাবন)
ক ডা. মালিক মন্ত্রিসভার সদস্য  শহীদ বুদ্ধিজীবী
গ সেক্টর কমান্ডার ঘ প্রবাসী সরকারের সদস্য
৩৫৫. দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য পাকবাহিনী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে? (জ্ঞান)
ক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে খ কলেজ বন্ধ করে
 বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ঘ মেধাবীদের আটক করে
৩৫৬. পাক সেনাদের নারকীয় গণহত্যার প্রমাণ বহন করে (অনুধাবন)
ক চট্টগ্রামের পতেঙ্গা খ নরসিংদীর বেলাবো
গ কুমিল্লার ময়নামতি  চট্টগ্রামের পাহাড়তলী
৩৫৭. গোলাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। নিচের কোনজন তাদের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক ধীরেন দত্ত খ ড. আনিস  মুনীর চৌধুরী ঘ মশিউর রহমান
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৫৮. বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এ সংগ্রাম বাংলাদেশকে মুক্ত করে
রর. এ সংগ্রাম বাঙালিকে পাকিস্তানিদের শোষণ থেকে রক্ষা করে
ররর. এ যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি শহিদ হন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৫৯. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা প্রদর্শন করেছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিষ্ঠুরতা রর. অমানবিকতা ররর. নির্মমতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৬০. মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারান (অনুধাবন)
র. গোবিন্দচন্দ্র দেব রর. মুনীর চৌধুরী
ররর. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৬১. পাকিস্তানি বাহিনীর পরিকল্পিত গণহত্যায় প্রাণ হারিয়েছেন (অনুধাবন)
র. শহীদুল্লাহ কায়সার রর. মুনীর চৌধুরী
ররর. গোলাম আযম
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬২. পাকিস্তানি সেনাদের অত্যাচারের ধরন ছিল (অনুধাবন)
র. আর্থিক জরিমানা রর. চোখ উপড়ে ফেলা
ররর. আঙুলে সূঁচ ফুটানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৩. রাসেল তার বাবার কাছে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের অত্যাচারের কথা জানতে পারেÑ (অনুধাবন)
র. বন্দিশালার রর. কারাগারের ররর. বধ্যভ‚মির
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৪. পাক বাহিনী জ্বালিয়ে দেয়Ñ (প্রয়োগ)
র. পুলিশ লাইন কার্যালয় রর. পাড়া ও গ্রাম
ররর. বাঙালিদের ঘরবাড়ি ও দোকান পাট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৫. শহীদ বুদ্ধিজীবী হলেন (অনুধাবন)
র. ডা. আলিম চৌধুরী রর. গোলাম আজম
ররর. গোবিন্দ চন্দ্র দেব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৬. ২৫শে মার্চ মধ্যরাত পাকবাহিনী হামলা চালায় Ñ (অনুধাবন)
র. ইপিআর দপ্তরে রর. আনসার ব্যারাকে
ররর. যশোর সেনানিবাসে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৭. পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা এদেশে বধ্যভ‚মি তৈরি করে (অনুধাবন)
র. সিলেটের শমসের নগরে রর. খুলনার খালিশপুরে
ররর. চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৬৮ ও ৩৬৯নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কাজল এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে ঢাকায় তার মামার বাসায় বেড়াতে আসে। একদিন তার মামা আসিফ তাকে নিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের দিকে ঘুরতে যায়। মামা কাজলকে বলল, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা এখানে গণহত্যার তাণ্ডবলীলা চালায়।
৩৬৮. অনুচ্ছেদে মামার উল্লিখিত তাণ্ডবলীলা চালানোর কারণ ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পাকিস্তানিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা
রর. বাংলার সব আন্দোলনকে নস্যাৎ করা
ররর. বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬৯. উক্ত তাণ্ডবলীলা সংঘটিত হয় কোন সময়ে? (প্রয়োগ)
 ২৫শে মার্চ ১৯৭১ সালে খ ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে
গ ১৬ই মার্চ ১৯৭১ সালে ঘ ৩রা মার্চ ১৯৭১ সালে
পাঠ-১২ : পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৭০. কখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে? (জ্ঞান)
ক ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭০ সাল খ ২১শে ফেব্রæয়ারি ১৯৭১ সাল
গ ২৬শে মার্চ ১৯৭১ সাল  ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল
৩৭১. আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয় কোথায়? (জ্ঞান)
ক চন্দ্রিমা উদ্যানে  রেসকোর্স ময়দানে
গ ওসমানী উদ্যানে ঘ রমনা পার্কে
৩৭২. আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন কে? (জ্ঞান)
ক মেজর জিয়াউর রহমান খ জেনারেল এম.এ.জি ওসমানী
গ খন্দকার মোশতাক  গ্রæপ ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকার
৩৭৩. ভারতীয় বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন কে? (জ্ঞান)
ক জেনারেল ইয়াহিয়া  জেনারেল জ্যাকব
গ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ঘ খন্দকার মোশতাক
৩৭৪. যৌথবাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন কে? (জ্ঞান)
 লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা খ জেনারেল পারভেজ
গ লে. জেনারেল ইউসুফ আলী ঘ লে. জেনারেল মুহিত
৩৭৫. কতজন পাকিস্তানি সৈন্য যৌথবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে? (জ্ঞান)
ক ৯০ হাজার ৫০০ খ ৯০ হাজার ৭৭৪
 ৯১ হাজার ৬৩৪ ঘ ৯৫ হাজার ৮৮০
৩৭৬. বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন কে? (জ্ঞান)
 স্যাম মানেকশ খ মেজর জিয়াউর রহমান
গ জগজিৎ সিং অরোরা ঘ জ্যাকব
৩৭৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কত মাস চলেছিল? (জ্ঞান)
ক ৭ মাস খ ৮ মাস  ৯ মাস ঘ ১০ মাস
৩৭৮. রিভলভারের সঙ্গে সঙ্গে নিয়াজী পূর্ব পাকিস্তানও তুলে দিলেন উক্তিটি কে করেছিলেন? (জ্ঞান)
ক রাও ফরমান আলী খ খাদিম হোসেন রাজা
 সিদ্দিক সালিক ঘ টিক্কা খান
৩৭৯. আত্মসমর্পণের পর পাক-সেনাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক বিমানবন্দরে  সেনানিবাসে গ রাজার বাগে ঘ মিরপুরে
৩৮০. আত্মসমর্পণের নিয়মানুযায়ী লে. জে. নিয়াজী রিভলভার বের করেছেন কোথা থেকে? (অনুধাবন)
 কোমরের বেল্ট থেকে খ পকেট থেকে
গ বুটের ভেতর থেকে ঘ ব্যাগ থেকে
৩৮১. কোন বাহিনী যুদ্ধে আত্মসমর্পণের সব নিয়ম অনুসরণ করে? (অনুধাবন)
ক যৌথবাহিনী খ বাংলাদেশ বাহিনী
গ ভারতীয় বাহিনী  পাকিস্তানি বাহিনী
৩৮২. যৌথবাহিনীর বিভাগীয় কমান্ডার ছিলেন কে? (জ্ঞান)
 নাগরা খ কে.এম শফিউদ্দিন
গ মীর শওকত ঘ জগজিৎ সিং অরোরা
৩৮৩. আত্মসমর্পণকারী পাক সেনাদের যুদ্ধবন্দি হিসেবে দ্রæত সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয় কেন? (অনুধাবন)
ক আদর আপ্যায়নের জন্য খ হত্যা করার জন্য
গ রাষ্ট্রীয় পদক দেয়ার জন্য  নিরাপত্তার স্বার্থে
৩৮৪. ১৯৭১ সালে কেন বাঙালি জাতি পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে? (অনুধাবন)
ক ক্ষমতা লাভের জন্য খ কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রের জন্য
 স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য ঘ দুর্নীতি দমনের জন্য
৩৮৫. পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাঙালিদের মধ্যে কোন বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়েছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
 বীরত্ব ভাব খ বিরক্তভাব
গ লজ্জাভাব ঘ কাঁদোকাঁদো ভাব
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৮৬. আত্মসমর্পণের নিয়মানুযায়ী লে. জে. নিয়াজী খুলে দেন (অনুধাবন)
র. ইউনিফর্ম রর. ব্যাজ ররর. বেল্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮৭. বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে
র. মিত্রবাহিনীর সক্রিয় সহায়তায় রর. বিশ্ব জনমতের সমর্থনে
ররর. বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৮৮. পাকিস্তান বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ হয় ১৬ই ডিসেম্বর। ওই দিন বিকাল পাঁচটায় একসঙ্গে ছিলেন (প্রয়োগ)
র. লে. জেনারেল নিয়াজী
রর. লে. জগজিৎ সিং অরোরা
ররর. এমএজি ওসমানী
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮৯. মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ে রর. আত্মসমর্পণে
ররর. মৃত্যুতে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯০. নিয়মিত বাহিনীর অধীনে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকে সফল রূপ দিতে কাজ করেছিল
র. জেড ফোর্স রর. এস ফোর্স ররর. কে ফোর্স
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রর খ ররর গ র ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৯১ ও ৩৯২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পুরো ’৭১ জুড়ে বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধার একটি ¯েøাগানেই উজ্জীবিত হতেন। ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের পর সেই ¯েøাগানেই মুখরিত হয় ঢাকার আকাশ। [বরগুনা জিলা স্কুল]
৩৯১. অনুচ্ছেদের সেøাগান কোনটি?
ক জয় বঙ্গবন্ধু  জয় বাংলা গ জয় অরোরা ঘ জয় ইন্দিরা
৩৯২. ১৬ই ডিসেম্বর উক্ত সেøাগানের প্রেক্ষাপটে যে দলিল ছিল তাতে স্বাক্ষর করেন
র. নিয়াজী রর. ইয়াহিয়া ররর. অরোরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৩৯৩. অসহযোগ আন্দোলন আরও বেগবান হয় (প্রয়োগ)
র. নিয়মিত মিছিল মিটিংয়ে রর. ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনে
ররর. শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯৪. বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য জাতিকে প্রস্তুত হতে বলেনÑ (অনুধাবন)
র. সংগ্রামের মাধ্যমে রর. ত্যাগের মাধ্যমে
ররর. আলোচনার মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯৫. ২৫শে মার্চের কালরাতে বাংলার বুকে ঘটেছিল  (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বহু বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়
রর. পাক সেনাদের অতর্কিত হামলা হয়
ররর. ঘর বাড়িতে আগুন লাগানো হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৩৯৬. প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আলোচনার ভান করে পর্যবেক্ষণ করেন (প্রয়োগ)
র. বঙ্গবন্ধুর গতিবিধি
রর. গণহত্যা অভিযানের প্রস্তুতি
ররর. অপারেশন সার্চলাইটের কর্মসূচি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯৭. মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনী বিশেষ কিছু মানুষের ওপর অত্যধিক নির্যাতন করে। তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো (অনুধাবন)
র. বাংলাদেশের হিন্দুরা রর. বাংলাদেশের শান্তি কমিটির লোকেরা
ররর. আওয়ামী লীগের কর্মীরা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯৮. হেলিকপ্টার থেকে তেজগাঁও বিমানবন্দরে নেমে জিপে করে সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে যান (অনুধাবন)
র. এ.কে. খন্দকার রর. লে. জে. অরোরা
ররর. মেজর জিয়াউর রহমান
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৯৯ ও ৪০০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ রাষ্ট্রের প্রতি ‘খ’ রাষ্ট্রের শোষণ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে, ‘ক’ রাষ্ট্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়। এতে ‘ক’ রাষ্ট্রের এক নেতা নেতৃত্ব দেন দেশ স্বাধীন করতে পারে।
৩৯৯. ‘ক’ রাষ্ট্র বাংলাদেশ হলে আন্দোলনটি কিরূপ ছিল? (প্রয়োগ)
 অধিকার আদায়ের আন্দোলন খ অভিনব আন্দোলন
গ আত্মস্বার্থের আন্দোলন ঘ নিঃস্বার্থ আন্দোলন
৪০০. অনুচ্ছেদ উল্লিখিত হয়েছেÑ (প্রয়োগ)
র. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কথা রর. বঙ্গবন্ধুর কথা
ররর. পাকিস্তান রাষ্ট্রের কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১  মানচিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
মানচিত্রে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা সংক্রান্ত বিশেষ স্থান চিহ্নিত করা হলো :

ক. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
খ. অপারেশন সার্চলাইট বলতে কী বোঝায়?
গ. মানচিত্রে ‘ঈ’ চিহ্নিত স্থানে মুক্তিযুদ্ধের কোন সেক্টরটি ছিল? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘ই’ চিহ্নিত স্থানই ছিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার প্রাণকেন্দ্র- মতামত দাও।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এমএজি ওসমানী।
খ. পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে যে গণহত্যার অভিযান চালিয়েছিল তার নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন সার্চলাইট’। মূলত এটা ছিল গণহত্যা ও বাঙালি নিধনের অভিযান। বাংলার মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে ধূলিস্যাৎ করার অভিযান। এ অপারেশনে শুধু ঢাকাতে ৭ থেকে ৮ হাজার লোক নিহত হয়।
গ. উদ্দীপকের মানচিত্রে ‘ঈ’ চিহ্নিত স্থান মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টর ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। প্রত্যেক সেক্টর বেশ কয়েকটি সাব সেক্টরে বিভক্ত ছিল। এটি ছিল সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গৃহীত ব্যাপক পরিকল্পনারই অংশ। এর মধ্যে ২নং সেক্টরে ছিল নোয়াখালী, আখাউড়া, ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত কুমিল­া জেলা, হবিগঞ্জ, ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার কিছু অংশ। উদ্দীপকের মানচিত্রে ‘ঈ’ চি‎িহ্নত স্থান তাই মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরটি নির্দেশ করে।
ঘ. উদ্দীপকের মানচিত্রে ‘ই’ চিহ্নিত স্থান মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টরকে ইঙ্গিত করে। এ সেক্টরটি গঠিত হয় কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুরের অধিকাংশ এবং খুলনা জেলার দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত এলাকা নিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধ সঠিকভাবে এবং পরিকল্পিতভাবে পরিচালনার জন্য সারাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলো ৮নং সেক্টর। এ সেক্টরটিকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সেক্টরের প্রধান হিসেবে মেজর আবু ওসমান চৌধুরী (আগস্ট পর্যন্ত) এবং মেজর এম এ মঞ্জুর (শেষ পর্যন্ত) মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ অঞ্চলের সদর দফতর ছিল যশোরের বেনাপোলে। মুক্তিযোদ্ধারা এখানে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। উপরন্তু এ সেক্টরের অধীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় এই মুজিবনগর সরকারই দায়িত্ব পালন করে।
এ বিচারে আমিও এ মত প্রকাশ করি যে ৮ নম্বর সেক্টরই মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্র ছিল।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুমন তার বন্ধু রায়হানকে নিয়ে জাদুঘর পরিদর্শনে গেল। সেখানে তারা যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ প্রত্যক্ষ করে। তারা আরও প্রত্যক্ষ করে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপরে হত্যাযজ্ঞ, বাড়িঘর, দোকানপাট লুণ্ঠন ও পোড়ানো এবং চোখ বাঁধা অবস্থায় নির্যাতনের ছবি। জাদুঘরে এসব দৃশ্য দেখে তাদের শরীর শিউরে উঠে। কিন্তু দলিল স্বাক্ষরের একটি দৃশ্যের ছবি দেখে তাদের মন আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে।
ক. কোন তারিখে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়?
খ. যৌথ কমান্ড গঠন করা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতি কোন যুদ্ধকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.জাদুঘরে রক্ষিত দলিল স্বাক্ষরের দৃশ্যের ছবি দেখে সুমন ও রায়হান কেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ৬ই ডিসেম্বর ভারত সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
খ. মুক্তিযুদ্ধকে সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা, পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাঙালি এবং বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য যৌথ কমান্ড গঠিত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয় যৌথ কমান্ড।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ইঙ্গিত করে। এ যুদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ, বাড়িঘর, দোকানপাট লুণ্ঠন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদে প্রাণ হারিয়েছিল লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী বাঙালি। সুমন ও তার বন্ধু জাদুঘরে এরূপ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদই প্রত্যক্ষ করে। অপারেশন সার্চলাইট নামে পাকিস্তানি হায়েনারা ২৫শে মার্চ রাতেই শুধু ঢাকায় ৭ থেকে ৮ হাজার লোককে হত্যা করে। দীর্ঘ নয় মাস পর্যন্ত পাকবাহিনী এ দেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় কাপুরুষের মতো নিরস্ত্র বাঙালি হত্যা করে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়, লুণ্ঠন, নির্যাতন চালায়। জাদুঘর পরিদর্শনে সুমন ও রায়হান তা প্রত্যক্ষ করে শিউরে ওঠে। অর্থাৎ উদ্দীপকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কথাই বলা হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের সুমন ও তার বন্ধু রায়হান জাদুঘর পরির্দশনে গেলে তারা পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরের দৃশ্য দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পশ্চিম পাকিস্তানের নরপিশাচদের অত্যাচার এবং সর্বপ্রকার বৈষম্যের শিকার থেকে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ চ‚ড়ান্তভাবে মুক্ত হয়। তাই জাদুঘরে রক্ষিত দলিল স্বাক্ষরের দৃশ্যের ছবি দেখে সুমন ও রায়হান বাঙালি হিসেবে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে।
জাদুঘরে রক্ষিত দলিল স্বাক্ষরের দৃশ্যের ছবি পাকবাহিনীর শোচনীয় পরাজয়ের ইঙ্গিত বহন করে। অত্যাচারী পাকিস্তানি হায়েনা গোষ্ঠীর অত্যাচার-নিপীড়নের অধ্যায় শেষ হয় বাঙালি গেরিলা বাহিনীর কাছে পরাজয়ের মাধ্যমে। এ পরাজয়ে তারা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়। জাদুঘরে এই আত্মসমর্পণ দলিলের স্বাক্ষরিত দৃশ্যের ছবি বাঙালির বীরত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এতে আনন্দে আত্মহারা হয় সুমন ও রায়হানের মতো সকল বাঙালি।

প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একটি সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সাঈদা বেগম স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলে। তাঁর এইচসসি পড়–য়া ছোট ভাই পলাশ এ দেশের মুক্তির জন্য নিজ জেলা বগুড়ায় জীবন উৎসর্গ করেছিল। সাঈদা নিজেও পাশের একটি দেশে গিয়ে নিজেকে যুদ্ধ সৈনিক হিসেবে তৈরি করেছিল।
ক. নৌপথে পরিচালিত অভিযানটির নাম কী? ১
খ. গণহত্যা ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. পলাশ কোন বাহিনীর হয়ে এ দেশের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.এদেশবাসীর মুক্তির ক্ষেত্রে উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দেশটির ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. নৌপথে পরিচালিত অভিযানটির নাম ‘অপারেশন জ্যাকপট’।
খ. গণহত্যা বলতে কোনো দেশ বা অঞ্চলে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ বুঝায়। ১৯৭১-এ দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯মাস জুড়ে পরিকল্পিতভাবে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায় ছিল তাদের নির্বিচার হত্যার প্রধান শিকার। এছাড়া সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সমাজ ছিল তাদের বিশেষ টার্গেট। এ পরিকল্পিত গণহত্যা চালাতে গিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা এদেশে অনেকগুলো বধ্যভ‚মি তৈরি করেছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার নির্যাতন করে পরে তারা আটককৃতদের হত্যা করত।
গ. পলাশ অনিয়মিত বাহিনীর হয়ে এদেশের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিল।
ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষক ও সকল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর সরকারি নামকরণ ছিল ‘গণবাহিনী’ বা এফ. এফ. (ফ্রিডম ফাইটার বা মুক্তিযোদ্ধা)। তাদের নিজ নিজ এলাকায় গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করা হতো।
উদ্দীপকের সাঈদা বেগমের এইচএসসি পড়–য়া ছোট ভাই পলাশ এ অনিয়মিত বাহিনীর সদস্য হয়ে যুদ্ধ করে জীবন উৎসর্গ করেছিল।
ঘ. এদেশবাসীর মুক্তির ক্ষেত্রে উদ্দীপকের ইঙ্গিতকৃত দেশ তথা ভারতের ভ‚মিকা অপরিসীম।
ভারত সরকার ২৫শে মার্চ থেকে সংঘটিত পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার নিন্দা করে। গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দেয় এবং তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়। ভারতের মাটিতে এপ্রিলের শেষ দিকে বাঙালি যুবকদের সশস্ত্র ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়।
উদ্দীপকের সাঈদা নিজেও পাশের দেশ তথা ভারতে বাঙালি যুবকদের ন্যায় সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে এদেশের মুক্তির জন্য যুদ্ধ করে। এভাবে ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সেদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্ত সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে। সরকারের পাশাপাশি ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বেসরকারি সংগঠন, লেখক-শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী স¤প্রদায় সকলেই এ সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। বাঙালি শরণার্থীদের ব্যয় নির্বাহের জন্য ভারত সরকার এ সময় ‘শরণার্থী কর’ নাম নতুন একটি কর আরোপ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে চার হাজার ভারতীয় অফিসার ও জোয়ান প্রাণ দেন।
সুতরাং উপরিউক্ত পর্যালোচনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, এদেশবাসীর মুক্তির ক্ষেত্রে উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত দেশ তথা ভারতের ভ‚মিকা অপরিসীম।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. মুক্তি বাহিনীকে সরকারি পর্যায়ে কত ভাগে ভাগ করা হয়েছিল? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. অ এবং ঘ চিহ্নিত দেশ দুটির কার্যক্রম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কিরূপ প্রভাব ফেলেছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১ চিহ্নিত দেশটির ভ‚মিকা ছিল অপরিসীম” – উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. মুক্তি বাহিনীকে সরকারি পর্যায়ে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল।
খ. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। সাইমন ড্রিং, এন্থনি ম্যাসকারেনহাস, মার্ক টালি প্রমুখ বিদেশি সাংবাদিকরা পাকিস্তানিদের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের তথ্য সংগ্রহ করে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। অন্যদিকে, শহিদ নিজামউদ্দিন, নাজমুল হক প্রভৃতি বাঙালি সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়ে বিদেশে খবর পাঠিয়েছেন। এছাড়া আকাশবাণী, বিবিসি, ভোয়া প্রভৃতি বেতারকেন্দ্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিল।
গ. অ এবং ঘ চিহ্নিত দেশ দুটি যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের কার্যক্রম ইতিবাচক প্রভাব রাখলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম ছিল অনেকক্ষেত্রেই বিরূপ প্রভাব বিস্তারকারী।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এপ্রিলের শুরুতেই সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট পদগর্নি বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে চিঠি দেন। ৩রা ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উদ্দেশ্য ছিল যেন যৌথ বাহিনী সামরিক বিজয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ও সুযোগ পায়। এ বাহিনী ঢাকা দখল করার পুর্বমুহ‚র্ত পর্যন্ত যেকোনো প্রকারে যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপকে ঠেকিয়ে রাখাই নিরাপত্তা পরিষদে সোভিয়েতের ভেটো দানের উদ্দেশ্য ছিল। তাদের এ উদ্দেশ্য সফল হয়। এভাবে ঘ দেশ তথা সোভিয়েত ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত বিজয়ে দারুণ প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান ঘেঁষা নীতির কারণে অ দেশটি বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। প্রথমদিকে অস্ত্র এবং সমর্থন দিয়ে মার্কিন সরকার পাকিস্তানকে সহায়তা করে। তবে নিজ দেশের বিরোধী দলের চাপে মার্কিন সরকার ভারতে অবস্থানরত বাঙালি শরণার্থীদেরও আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সমর্থনে ভারত মহাসাগরে তাদের সপ্তম নৌবহর পাঠায়। তবে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া লক্ষ্য করে শেষ পর্যন্ত তারা সে নৌবহরকে কাজে লাগায়নি। পাকিস্তানের পরাজয়ের মুখে যুদ্ধ বিরতি ঘটিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ভন্ডুল করতেও জাতিসংঘে ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন জনগণ, আইনসভার অনেক সদস্য, বিভিন্ন পেশাজীবীরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভ‚মিকা নেয়। ফলে দেশটি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিপক্ষে দৃঢ় অবস্থানে যেতে পারেনি।
ঘ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ও চিহ্নিত দেশ তথা ভারতের ভ‚মিকা ছিল অপরিসীম।
ভারত সরকার ২৫শে মার্চ থেকে সংঘটিত পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার নিন্দা করে। গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দেয় এবং তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়। ভারতের মাটিতে এপ্রিলের শেষ দিকে বাঙালি যুবকদের সশস্ত্র ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয়।
এভাবে ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সেদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্ত সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে। সরকারের পাশাপাশি ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বেসরকারি সংগঠন, লেখক-শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী স¤প্রদায় সকলেই এ সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। বাঙালি শরণার্থীদের ব্যয় নির্বাহের জন্য ভারত সরকার এ সময় ‘শরণার্থী কর’ নাম নতুন একটি কর আরোপ করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে চার হাজার ভারতীয় অফিসার ও জোয়ান প্রাণ দেন।
সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে উদ্দীপকে ১ চিহ্নিত দেশ তথা ভারতের ভ‚মিকা অপরিসীম।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ গ্রামের দুই অংশের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতবিরোধ ছিল। তারই ফলশ্রæতিতে উক্ত গ্রামের উত্তর অংশের ঘুমন্ত মানুষদের উপর দক্ষিণ অংশের লাঠিয়াল বাহিনী হঠাৎ এক রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে। কোনো কোনো জায়গায় আগুনও লাগিয়ে দেয়। এরপর হানাদার লাঠিয়ালরা নিরস্ত্র নারী- পুরুষদের প্রতিনিধিকে বন্দী করে তাদের দক্ষিণ অংশে নিয়ে যায়।
ক. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়? ১
খ. যৌথ বাহিনী বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উক্ত ঘটনার চ‚ড়ান্ত পরিণতি হলো স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।” – উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
খ. সম্মিলিত প্রতিহতকরণ ও যুদ্ধে গতি আনার জন্যই যৌথ কমাণ্ড গঠন করা হয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আরও সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথ কমাণ্ড গঠন করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়। যৌথ বাহিনী গঠনের ফলে যুদ্ধ দারুণ গতি লাভ করে।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসের ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালোরাত্রির অপারেশন মার্চ লাইটের ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পাকিস্তানি সৈন্যরা ২৫শে মার্চ রাত ১১.৩০ টায় ঢাকা সেনানিবাস থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। এ সময় তাদের প্রথম আক্রমণের শিকার হয় ঢাকার ফার্মগেইট এলাকায় রাস্তায় মিছিলরত মুক্তিকামী বাঙালিরা। একই সাথে আক্রমণ চালানো হয় পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গভীর রাতে আক্রমণ পরিচালিত হয়। ইকবাল হল (জহুরুল হক হল) ও জগন্নাথ হলে ঢুকে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে অনেক ঘুমন্ত ছাত্রকে হত্যা করে। জহুরুল হক হল সংলগ্ন রেলওয়ে বস্তিতে সেনাবাহিনী আগুন দিলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়। শুধু ২৫ শে মার্চ রাতেই ঢাকায় ৭ থেকে ৮ হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়। রাত দেড়টায় বঙ্গবন্ধুকে তার ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়, ‘ক’ গ্রামের উত্তর অংশের মানুষদের ওপর দক্ষিণ অংশের লাঠিয়াল বাহিনী হঠাৎ এক রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে নারী পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে। যা ২৫ শে মার্চ কালো রাত্রিকে প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যদিকে লাঠিয়াল বাহিনী উত্তর অংশের প্রতিনিধি তুলে নিয়ে যায়, যা বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের সাথে পুরোপুরি সাদৃশ্যপূর্ণ।
সুতরাং বলা যায় উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসের ২৫ শে মার্চ কালো রাতের অপারেশন সার্চ লাইটের ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. উক্ত ঘটনা তথা ২৫ শে মার্চ কালোরাত্রির চ‚ড়ান্ত পরিণতি হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
অপারেশন সার্চ লাইট অনুযায়ী ২৫শে মার্চ দেড়টায় (২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) বঙ্গবন্ধুকে তার ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাসা থেকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশবাসীকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানান। এ ঘোষণায় তিনি বলেন, এটা হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন, বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে আছেন, আপনাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য আহŸান জানাচ্ছি। তার এ ঘোষণার পর বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। দেশের প্রত্যেকটি জনগণ কোনো না কোনোভাবে এ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলা বাহিনী পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়ে যায়। অবশেষে ৩০ লক্ষ শহিদ ও দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, ২৫ শে মার্চ কালো রাত্রির যে শুরু পাকিস্তানি বাহিনী করেছিল বাঙালিরা সেটিকে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়ে চ‚ড়ান্ত রূপ দিয়েছে।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব সামাদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অধীনে চাকুরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পক্ষত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। কিন্তু তার ছোটভাই কলেজে পড়া অবস্থায় প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
ক. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন? ১
খ. যৌথ কমাণ্ড গঠন করা হয়েছিল কেন? ২
গ. জনাব সামাদের ছোট ভাইয়ের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ কোন পর্যায়ের বাহিনীতে পড়ে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উক্ত বাহিনীগুলো ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে আরো অনেকের অবদান ছিল।” বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. মুক্তি বাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এমএজি. ওসমানী।
খ. পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আরও সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য ২১শে নভেম্বর বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ-কমান্ড গঠন করে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে এটি গঠিত হয়। যুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীকে মিত্রবাহিনী বলা হতো। যৌথ কমান্ড গঠনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধ দারুণ গতি লাভ করে।
গ. জনাব সামাদের ছোট ভাইয়ের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ অনিয়মিত বাহিনীতে পড়ে।
ছাত্র, যুবক, কৃষক ও সকল পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সেক্টরের অধীনে অনিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়। এই বাহিনীর সরকারি নামকরণ ছিল ‘গণবাহিনী’ বা এফ.এফ. (ফ্রিডম ফাইটার বা মুক্তিযোদ্ধা)। তাদের নিজ নিজ এলাকায় গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করা হতো।
উদ্দীপকের জনাব সামাদের ছোট ভাই কলেজের ছাত্র ছিল এবং প্রশিক্ষণ শেষে সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। সুতরাং বলা যায় সে অনিয়মিত বাহিনীর হয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
ঘ. উক্ত বাহিনীগুলো ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে আরো অনেকের অবদান ছিল।” উক্তিটি সঠিক। কারণ অনিয়মিত বাহিনী ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে নিয়মিত বাহিনী, আঞ্চলিক বাহিনী, নৌবাহিনীসহ মুজিববাহিনী ছিল। সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে যেসব বাহিনী গড়ে উঠে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- কাদেরিয়া বাহিনী আফসার ব্যাটালিয়ন, বাতেন বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, হালিম বাহিনী, আকবর বাহিনী, লতি মীর্জা বাহিনী ও জিয়া বাহিনী, এছাড়াও ছিল ঢাকার গেরিলা দল, যা ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত। বরং এসব বাহিনী ছাড়াও রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাধারণ পেশাজীবী, গণমাধ্যম, সাংবাদিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সর্বোপরি সর্বস্তরের জনগণ নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে এবং বিভিন্ন বাহিনীগুলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্রহাতে কোনো বাহিনীর অংশ না হয়েও এসব মানুষেরা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তাদের যার যার ক্ষেত্র থেকে জীবন বাজি রেখে অবদানের কারণেই আমরা মাত্র নয় মাসে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনি।
সুতরাং অনিয়মিত বাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনীগুলো ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে আরো অনেকের অবদান ছিল- উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রতনপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় পশ্চিমাংশ থেকে। এরপর থেকে পশ্চিমাংশ পুর্বাংশের উপর নানাভাবে শোষণ করতে থাকে। পূর্বাংশের লোকজনকে অধিকার বঞ্চিত করে। এমতাবস্থায় পূর্বাংশের এক সাহসী নেতা জনাব ‘ক’ এর আহŸানে তারা পশ্চিমাংশ থেকে আলাদা হয়ে যায়।
ক. ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কোন তারিখে গঠিত হয়? ১
খ. অপারেশন জ্যাকপট বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব ‘ক’ এর কার্যক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উক্ত ঘটনার চ‚ড়ান্ত পরিণতি আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ- বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ৩ রা মার্চ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
খ. ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে নৌপথে হানাদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হতো। এ অভিযানে একদিনে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০টি এবং মংলা বন্দরে ৫০টি জাহাজ ধ্বংস করে মুক্তিযোদ্ধা নৌকমান্ডোগণ সারা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং পাক হানাদার বাহিনীর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল।
গ. উদ্দীপকের জনাব “ক” এর কার্যক্রম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাকে মনে করিয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। তারপর ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বঙ্গবন্ধু তার সেই স্বাধীনতার ঘোষণায় বলেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে আছেন, আপনাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে দখলদার বাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য আমি আহŸান জানাচ্ছি। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে উৎখাত করে চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।” এই ঘোষনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উদ্দীপকে জনাব ‘ক’ এর কার্যক্রমে আমাদের তাই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার কথা মনে পড়ে যায়।
ঘ. উক্ত ঘটনা তথা স্বাধীনতার ঘোষণার চুড়ান্ত পরিণতি আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ।
অপারেশন সার্চলাইট অনুযায়ী ২৫ শে মার্চ রাত দেড়টায় (২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে) বঙ্গবন্ধুকে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাসা থেকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেফতার করে। তবে গ্রেফতারের আগে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে দেশবাসীকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানান। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।” তাঁর এ ঘোষণার পর সমগ্র বাঙালি পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর বা বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। অতঃপর এ সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব নিয়মিত বাহিনী, গেরিলা বাহিনী ও সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে ওঠে। প্রতিবেশি দেশ ভারত আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
তাই আমরা বলতে পারি উক্ত ঘটনা তথা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার চ‚ড়ান্ত পরিণত আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ-উক্তিটি যথার্থ ও সঠিক।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘ক’ রাষ্ট্রটি এদেশের জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য “শরণার্থী কর” নামে একটি কর চালু করে। অন্যদিকে আমাদের বিজয় নিশ্চিতকরণে ‘খ’ রাষ্ট্রটি জাতিসংঘে তার ভেটো ক্ষমতাটি প্রয়োগ করে।
ক. মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় কত তারিখে? ১
খ. ৭ই মার্চের ভাষণকে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয় কেন? ২
গ. ‘ক’ রাষ্ট্রের নাম উল্লেখপূর্বক মুক্তিযুদ্ধে এর ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে করে ‘খ’ রাষ্ট্রের ভ‚মিকা আমাদের চ‚ড়ান্ত বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে? মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
 ৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. মুজিব নগর সরকার গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল।
খ. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয়। কারণ এ ভাষণ সারাদেশের মানুষকে স্বাধীন তার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। এ ভাষণ যেন জাদুর স্পর্শে বাঙালি জাতিকে বীরের জাতিতে পরিণত করেছে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেয় এবং মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অতঃপর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।
গ. ‘ক’ রাষ্ট্রটি হলো ভারত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার ‘শরণার্থী কর’ নামে একটি কর চালু করে।
ভারত সরকার ২৫শে মার্চ থেকে সংঘটিত পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার নিন্দা করে। গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে সীমান্ত পেরিয়ে আসা প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দেয় এবং তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়। ভারতের মাটিতে এপ্রিলের শেষ দিকে বাঙালি যুবকদের সশস্ত্র ট্রেনিং দেওয়া শুরু হয় যা নভেম্বর মাস পর্যন্ত চলে। পাশাপাশি কলকাতায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার পরিচালনা ও ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ নামে এই সরকারের বেতার কেন্দ্র স্থাপনে ভারত সহায়তা করে। এছাড়া ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী, নেতা ও কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনে ভ‚মিকা রাখেন। ৬ই ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ইতোমধ্যে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হয় যৌথ কমান্ড।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সেদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফ‚র্ত সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে। সরকারের পাশাপাশি ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বেসরকারি সংগঠন, লেখক-শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী স¤প্রদায় সকলেই এ সময় আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে চার হাজার ভারতীয় অফিসার ও জোয়ান প্রাণ দেয়।
ঘ. আমি মনে করি, ‘খ’ রাষ্ট্র তথা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ‚মিকা আমাদের চ‚ড়ান্ত বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ‚মিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলঅদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভ‚মিকা রেখেছিল। এপ্রিলের শুরুতেই সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট পদগর্নি বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে চিঠি দেন। ৩রা ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতি বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উদ্দেশ্য ছিল যেন যৌথ বাহিনী সামরিক বিজয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সময় পায়। এই বাহিনী ঢাকা দখল করার পূর্ব মুহ‚র্ত পর্যন্ত যে কোনো প্রকারে যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপকে ঠেকিয়ে রাখাই নিরাপত্তা পরিষদে সোভিয়েতের ভেটো দানের উদ্দেশ্য ছিল। তাদের এ উদ্দেশ্য সফল হয়।
তৎকালীন বিশ্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) বিশ্বের ক্ষমতাধর পরাশক্তি। বিশ্ব রাজনীতিতে দেশটির ভ‚মিকা ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অন্য আরেকটি পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র যখন আমাদের স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী ছিল তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের পাশে ছিল। বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার ব্যাপারে দেশটি অনবদ্য ভ‚মিকা পালন করেছে। তাই আমি মনে করি সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ‚মিকা আমাদের চ‚ড়ান্ত বিজয়কে ত্বরান্তি করেছে- কথাটি যথার্থ ও সঠিক।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ দেখার জন্য বাতেন সাহেব তাঁর আট বছর বয়সের ছেলেকে নিয়ে স্টেডিয়ামে যান। তখন মাইকে বজ্রকণ্ঠে একটি ভাষণ চলছিল। যার কথাগুলো ছিল, “.. এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম….।”
ক. কত তারিখে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন? ১
খ. মুজিবনগর সরকার বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ভাষণটির প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর উক্ত ভাষণটি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নিয়ামকÐ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৯নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন।
খ. মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। মেহেরপুরের মুজিবনগরে এ সরকার গঠিত হয় বলে একে মুজিবনগর সরকার নামে ডাকা হয়। দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় এ সরকার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেয়। অস্থায়ীভাবে গঠিত হয় বলে একে আবার অস্থায়ী সরকারও বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ভাষণটি হলো ৭ই মার্চের ভাষণ। উদ্দীপকে স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাজানো হচ্ছিল যেখানে তিনি ঘোষণা করেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
৩রা মার্চ থেকে শুরু হয় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন। এদিন গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। এতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের উপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এই পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে ইয়াহিয়া খান ৬ই মার্চ এক বেতার ভাষণে ২৫শে মার্চ ঢাকায় পুনরাং জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহŸান করেন। বাঙালির অবিসং বাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সে ঘোষণায় সন্তুষ্ট হতে পারেন নি। ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার জন্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয়। অতঃপর ঐ জনসভায় বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান করেন।
ঘ. আমি মনে করি, উক্ত ভাষণটি তথা ৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নিয়ামক।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঘোষণা ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণ সারাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশের মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। উদ্দীপকের এ ভাষণ যেন জাদুর স্পর্শে বাঙালি জাতিকে বীরের জাতিতে রূপান্তরিত করেছে। তাই অনেকেই মনে করেন, এ ভাষণ বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এ ভাষণের পর নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ জনগণ অসহযোগ আন্দোনে অংশ নেয় এবং মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তাই আমরা বলতে পরি ৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নিয়ামক কথাটি যথার্থ ও সঠিক।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দৃশ্যকল্প-১ : ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা এবং ২৫ শে মার্চ পুনরায় অর্ধিবেশন আহŸান।
দৃশ্যকল্প-২ : “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
ক. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন? ১
খ. প্রবাসী সরকার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. দৃশ্যকল্প-২ কোন ঐতিহাসিক ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দৃশ্যকল্প-১ এবং দৃশ্যকল্প-২ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।”-বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এমএজি ওসামানী।
খ. প্রবাসী সরকার হচ্ছে মুজিবনগর সরকার।
মুক্তিযুদ্ধে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। একে কখনো অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার, আবার কখনো প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারও বলা হয়।
গ. দৃশ্যকল্প-২ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ই মার্চের ভাষণে নির্বাচিত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন। তিনি চ‚ড়ান্ত ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য জাতিকে প্রস্তুত হতে আহŸান জানান। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সরাসরি স্বাধীনতার কথা না বললেও বাঙালিকে তিনি যুদ্ধ, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। বক্তৃতার শেষ লাইনে “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ঘোষণা দিয়ে তিনি স্পষ্টভাবেই স্বাধীনতার ডাক দেন। উদ্দীপক দৃশ্যকল্প-২ -এ স্বাধীনতার এ ডাকই উল্লিখিত হয়েছে।
ঘ. দৃশ্যকল্প-১ -এ মুক্তিযুদ্ধের পটভ‚মি বর্ণিত হয়েছে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয় আর অন্যদিকে জুলফিকার আলী ভুট্টো তা বানচালের জন্য ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ভুট্টোর চালে সাড়া দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। ফলে ওইদিন আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এ পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে ইয়াহিয়া খান ৬ই মার্চ এক বেতার ভাষণে ২৫শে মার্চ ঢাকায় পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহŸান করেন। ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণের শেষ লাইনে বলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
তাই এটি বলা খুবই যুক্তিযুক্ত যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দৃশ্যকল্প-১ এবং দৃশ্যকল্প-২ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. কত তারিখে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়? ১
খ. ৭-ই মার্চের ভাষণের ১টি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন সরকারের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় উদ্দীপকের সরকারের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ২রা মার্চ, ১৯৭১ তারিখে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
খ. ৭ই মার্চের ভাষণের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে। স্বাধীনতার কথা না থাকলেও বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন।
গ. উদ্দীপকে মুজিবনগর সরকারের কথা বলা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিলে গঠিত মুজিবনগর সরকার বা বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে ৭ দিন পর অর্থাৎ ১৭ই এপ্রিল তারিখে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। উদ্দীপকের ছকে এ তথ্যগুলো সন্নিবেশিত হয়েছে। এছাড়া এ সরকারে অন্য তিনজন মন্ত্রী ছিলেন, অর্থমন্ত্রী এম. মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এএইচএম কামরুজ্জামান, পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ। মুজিবনগর সরকারের দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনার জন্য অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও এর অধীনে ছিল। অর্থাৎ উদ্দীপকের ছকে মুজিবনগর সরকারের কথাই বলা হয়েছে যা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার।
ঘ. মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় উদ্দীপকের সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের ভ‚মিকা ছিল মুখ্য। মুজিবনগর সরকার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এমএজি ওসমানী। চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত করেন কর্নেল (অব.) আব্দুর রবকে। ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ছিলেন গ্রæপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার। যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে ১১ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করে। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকার নিয়মিত বাহিনী হিসেবে সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনী ও গড়ে তোলে। অনিয়মিত বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গেরিলা যুদ্ধের জন্য নিজ নিজ এলাকায় প্রেরণ করে। এভাবে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধকে সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পরিচালনায় সমর্থ হয়। ফলে মাত্র নয় মাসে আমরা পাক হানাদারদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে সক্ষম হই এবং বিজয় ছিনিয়ে আনি।
প্রশ্ন -১২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাসে ইতিহাসের শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের একটি সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি বলেন ঐ সরকারের শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী। এই সরকার গঠনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলন আরও জোরদার হয়েছিল।
ক. কত তারিখে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল? ১
খ. ‘মুক্তিফৌজ’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি ইতিহাসের কোন সরকারকে ইংগিত করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে আলোচিত শিক্ষকের শেষোক্ত উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ৩রা মার্চ, ১৯৭১-এ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
খ. মুক্তিবাহিনী সরকারি পর্যায়ে দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। নিয়মিত বাহিনী গঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে। সরকারিভাবে এদের নামকরণ করা হয় এম এফ বা মুক্তিফৌজ।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, মুজিবনগর সরকারকে ইঙ্গিত করছে।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। ১৭ই এপ্রিল এই সরকার শপথ গ্রহণ করে। শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী। উদ্দীপকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক যুক্তিযুদ্ধকালীন একটি সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। উপরন্তু মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলন আরও জোরদার হয়েছিল। সুতরাং উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনাটি মুজিবনগর সরকারকেই ইঙ্গিত করছে।
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত শিক্ষকের শেষোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
মূলত মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং বাংলাদেশ শত্রæমুক্ত হয়। এ সরকার গঠিত হওয়ার পর তারা বৈধ পন্থায় সামরিক কার্যক্রম পরিচালনায় অগ্রসর হন। মুজিবনগর সরকার সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন কর্নেল এমএজি ওসমানী। এছাড়া ১১টি সেক্টর ও তার অধীন অনেকগুলো সাব-সেক্টর ছাড়াও রণাঙ্গনকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে বিভক্ত করা হয়। সরকারি পর্যায়ে মুক্তিবাহিনীকে দুই পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়। নিয়মিত বাহিনী বা মুক্তিফৌজ এবং অনিয়মিত বাহিনী বা মুক্তিযোদ্ধা। এই বাহিনীগুলো সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন রণাঙ্গনে বিভিন্ন ফোর্সের অধীন নিয়মতান্ত্রিকভাবে যুদ্ধ করে মাত্র নয় মাসে বিজয় ছিনিয়ে আনে। তাই বলা যায় শিক্ষকের শেষোক্ত উক্তিটি যথার্থ অর্থাৎ, মুজিবনগর সরকার গঠনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলন আরও জোরদার হয়েছিল।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. ক্র্যাক প্লাটুন কী? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে ‘অপারেশন জ্যাকপটের’ ভ‚মিকা লিখ। ২
গ. রেখাচিত্র-১ এ নির্দেশিত ১ম ধাপের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“রেখাচিত্র-১ এর ৩য় ধাপ হলো ১ম ধাপ ও ২য় ধাপের চুড়ান্ত ফলাফল।” তোমার মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার গেরিলা দল ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত ছিল।
খ. মুক্তিযুদ্ধে নৌপথে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ পরিচালিত হয়। নৌকমান্ডোগণ সাহসিকতার সাথে এ অপারেশন চালিয়ে শুধু একদিনে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০টি এবং মংলা বন্দরে ৫০টি জাহাজ ধ্বংস করে।
গ. রেখাচিত্র-১ এ নির্দেশিত ১ম ধাপটি হচ্ছে ৭ই মার্চের ভাষণ। এ ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। এটি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। তিনি বলেন, “প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়, আওয়ামী লীগের সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক।” এ বক্তৃতায় ১০ লক্ষ লোকের উপস্থিতিতে ‘বাংলাদেশ’ শব্দ ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু নতুন রাষ্ট্রের নামকরণ চ‚ড়ান্ত করেন। বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতার কথা না বললেও বাঙালিকে তিনি যুদ্ধ, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন বক্তৃতার শেষ লাইনে, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” ঘোষণা দিয়ে তিনি স্পষ্টভাবেই স্বাধীনতার ডাক দেন। চ‚ড়ান্ত স্বাধীনতার লক্ষ্যে মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল ১ম ধাপ। এ প্রেক্ষিতেই রেখা চিত্র-১ এ নির্দেশিত ১ম ধাপের গুরুত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্যে নিহিত।
ঘ. রেখাচিত্র-১ এর ৩য় ধাপ হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের দিন। প্রথম ধাপে বঙ্গন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং দ্বিতীয় ধাপ স্বাধীন বা বাংলাদেশ সরকার গঠনের দিন। আমি মনে করি এ দুটি দিনের তাৎপর্যময় ঘটনার ফলাফল হচ্ছে রেখাচিত্রের ৩য় ধাপ বা চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জন। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণে নির্দেশ দেন। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার প্রথম লগ্নে তার এই ঘোষণা স্বাধীনতা যুদ্ধকে বাস্তব রূপ দেয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে চ‚ড়ান্ত সাফল্যজনক পরিণতিতে নিয়ে যেতে প্রয়োজন ছিল সুষ্ঠু পরিকল্পনার এবং রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার। তাই রেখাচিত্র-১ এর ২য় ধাপ তথা মুজিবনগর সরকার গঠন জরুরি হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ এই ধাপটি অতিক্রম করার পর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত রূপ পায়, আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করে এবং দ্রæত দেশ চ‚ড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায়। রেখাচিত্রের ৩য় ধাপ তথা ১৬-১২-১৯৭১ইং তারিখে অবশেষে চ‚ড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সুতরাং আমিও উল্লিখিত যুক্তির বিচারে একমত যে, “রেখাচিত্র-১ এর ৩য় ধাপ হলো ১ম ধাপ ও ২য় ধাপের চ‚ড়ান্ত ফলাফল।”
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাতুল : দাদু, তুমি মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় যুদ্ধ করেছিলে?
দাদা : ভারত থেকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে সোজা ঠাকুরগাঁয়ে। এছাড়া রংপুরেও যুদ্ধ করেছি।
রাতুল : শুনলাম তোমরা নাকি গেরিলা যুদ্ধ করেছ?
দাদু : হ্যাঁ দাদুভাই। আমরা ছাড়া আরও গেরিলা দল ছিল। এছাড়া নিয়মিত বাহিনীরাও যুদ্ধ করেছিলেন।
ক. মুজিবনগর সরকারের শপথবাক্য পাঠ করান কে? ১
খ. ২৫ মার্চ, ১৯৭১ রাতে ঢাকায় কী ঘটেছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের রাতুলের দাদা কত নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর কেবলমাত্র উদ্দীপকে উলি­খিত বাহিনীরাই মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মুজিবনগর সরকারের শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
খ. ২৫ মার্চ, ১৯৭১ রাতে ঢাকায় অপারেশন সার্চ লাইটের আওতায় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সৈন্যরা মিছিলরত বাঙালিদের ওপর, পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকা ও হলগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে ১০ জন শিক্ষকসহ ৩০০ ছাত্র ও কর্মচারীকে হত্যা করে। শুধু ঢাকায় ঐ রাতে ৭ থেকে ৮ হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়।
গ. উদ্দীপকের রাতুলের দাদা ছয় নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে ছয় নম্বর সেক্টরে ছিল রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলা। রাতুলের দাদা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে প্রথম ঠাকুরগাঁওয়ে যুদ্ধ করেছেন। পরে তিনি রংপুরেও যুদ্ধ করেছেন। ঠাকুরগাঁও এবং রংপুর উভয় জেলাই মুক্তিযুদ্ধে ছয় নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সুতরাং রাতুলের দাদা মুক্তিযুদ্ধে ছয় নম্বর সেক্টরে যুদ্ধরত ছিলেন।
ঘ. আমি মনে করি, উদ্দীপকে উল্লিখিত বাহিনী ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল এমন অন্যান্য বাহিনী রয়েছে। যেমন : আঞ্চলিক বাহিনী। উদ্দীপকের রাতুলের দাদা গেরিলা যুদ্ধ করেছেন। অর্থাৎ তিনি অনিয়মিত বাহিনীর সদস্য ছিলেন। অনিয়মিত বাহিনীর সরকারি নামকরণ ছিল গণবাহিনী এফএফ অর্থাৎ ফ্রিডম ফাইটার বা মুক্তিযোদ্ধা। উদ্দীপকে রাতুলের দাদা নিয়মিত বাহিনীর কথাও উল্লেখ করেছেন, যা গঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইউনিটগুলোর বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে। কিন্তু এ দুই সরকারি বাহিনী ছাড়াও সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে কিছু বাহিনী গড়ে ওঠে। যেমন : কাদেরিয়া বাহিনী, আফসার ব্যাটালিয়ন, বাতেন বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, হালিম বাহিনী, আকবর বাহিনী, লতিফ মীর্জা বাহিনী, জিয়া বাহিনী, ক্র্যাক প্লাটুন। এসব আঞ্চলিক বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। সুতরাং আমি মনে করি না, কেবলমাত্র উদ্দীপকে উল্লিখিত বাহিনীরাই মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কাকন বিবি ১৯৭১ সালে সুনামগঞ্জের উলুরা সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত তার ভাই রিপন সরকার পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যার প্রতিবাদে সভা-সমাবেশের আয়োজন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন ও অর্থ সংগ্রহ করেন।
ক. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন? ১
খ. কোন ঘোষণাটিকে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. কাঁকন বিবি যে সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন মানচিত্রে চি‎িহ্নত করে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.মুক্তিযুদ্ধে রিপন সরকারের মতো লোকদের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল এমএজি ওসমানী।
খ. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণের ঘোষণা সারাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।
গ. কাঁকন বিবি ১৯৭১ সালে সুনামগঞ্জের উলুরা সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। অর্থাৎ কাঁকন বিবি পাঁচ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। মুক্তিযুদ্ধে পরিচালনার সুবিধার্থে বাংলাদেশকে যে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়, তার মধ্যে পাঁচ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিলÑ সিলেট জেলার পশ্চিমাঞ্চল, সিলেট ডাউকি সড়ক থেকে সুনামগঞ্জ ময়মনসিংহ সড়ক পর্যন্ত এলাকা। মানচিত্রে পাঁচ নম্বর সেক্টর চিহ্নিত করে দেখানো হলো :

ঘ. মুক্তিযুদ্ধে রিপন সরকারের মতো প্রবাসী বাঙালিদের ভ‚মিকা ছিল অপরিসীম। প্রবাসী এসব বাঙালিদের প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ দ্রæত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি ও সাহায্য আদায় করে নেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালিরা গণহত্যার প্রতিবাদে ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে একত্রিত হতে থাকে। যুক্তরাজ্যকে কেন্দ্র করে সমগ্র ইউরোপে প্রবাসীদের আন্দোলন চলে। গণহত্যার প্রতিবাদে তারা সভা-সমাবেশ আয়োজন করে। যেমন : উদ্দীপকে দেখা যায় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত রিপন সরকার গণহত্যার প্রতিবাদে সভা সমাবেশের আয়োজন করেন। রিপন সরকারও এতে জড়িত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সুইডেন, ফ্রান্স, কানাডা ও ইন্দোনেশিয়ার বাঙালিরাও সোচ্চার হয়ে ওঠে। কেউ কেউ ভারতে গিয়ে যুদ্ধেও অংশ নেয়। এভাবে রিপন সরকারের মতো প্রবাসী বাঙালিদের অবদানে মাত্র নয় মাসের মধ্যেই চ‚ড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনতে সমর্থ হয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

প্রশ্ন -১৬ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. ১৬ই ডিসেম্বর কোন ¯েøাগানে ঢাকা মুখরিত ছিল? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধের হেমায়েত বাহিনীর বর্ণনা দাও। ২
গ. চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যে অংশের প্রতিচ্ছবি, তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.চিত্রের ঘটনাটির কারণ পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ১৬ই ডিসেম্বর জয় বাংলা ¯েøাগানে ঢাকা মুখরিত ছিল।
খ. দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার হেমায়েত উদ্দিন ১৯৭১-এর ২৯ মে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার বাটরা বাজারে তার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ বাহিনী অভ্যন্তরীণভাবে গড়ে উঠেছিল। এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৫,০৪৫ জন। পাকবাহিনীর কাছ থেকে কেড়ে নেয়া অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এরা চরম সাহসিকতায় যুদ্ধ করে।
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানেরই একটি অংশের প্রতিচ্ছবি।
১৬ই ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় আত্মসমর্পণ দলিল স্বাক্ষরিত হলেও এর আনুষ্ঠানিকতা ওই দিন দুপুর থেকেই শুরু হয়। মেজর জেনারেল অরোরা ও এ. কে. খন্দকার সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যান। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে হাজার হাজার বাঙালি রেসকোর্সে উপস্থিত হয়েছে। যুদ্ধে আত্মসমর্পণের সকল নিয়ম পাকবাহিনী অনুসরণ করে। বিকেল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে খোলা আকাশের নিচে একটি টেবিলে বসে লে. জেনারেল নিয়াজি ও লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন। এর মাধ্যমে পাকবাহিনী পরাজয় মেনে নেয়। আত্মসমর্পণের নিয়মানুযায়ী লে. জেনারেল নিয়াজি তার কোমরের বেল্ট থেকে রিভলবার ও ইউনিফর্মের ব্যাজ খুলে লে. জেনারেল অরোরাকে দেন। এ সময় নিয়াজির জনসংযোগ অফিসার মেজর সিদ্দিক সালিকের প্রতিক্রিয়া ছিল এ রকম ‘রিভলবারের সাথে সাথে নিয়াজি পূর্ব পাকিস্তানও তুলে দিলেন।’ আর এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই শুরু হলো স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।
ঘ. চিত্রে মুক্তিযুদ্ধে যৌথ বাহিনী কমান্ডারের নিকট বিপর্যস্ত পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ দেখানো হয়েছে।
পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের দূরত্ব অনেক, মাঝখানে বিশাল রাষ্ট্র ভারত। পাকিস্তান তিনদিকে শত্রæভাবাপন্ন ভারতীয় রাষ্ট্র দ্বারা পরিবেষ্টিত। এ রকম বৈরী ভৌগোলিক অবস্থা তাদের পরাজয়কে ত্বরান্বিত করে। গেরিলা মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের নৈতিক মনোবল ও কায়িক শক্তির ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে, হানাদার বাহিনী দীর্ঘদিন যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় এবং পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থাকায় নৈতিক মনোবল হারিয়ে ফেলে। বিদেশি রাষ্ট্র ও দাতারা পাকিস্তানকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়। সামরিক উপকরণ ও অর্থসংকট পাকবাহিনীর পরাজয়কে আরও ত্বরান্বিত করে। ৩ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত যুদ্ধের আগেই বাংলাদেশ ও ভারত বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী গড়ে তোলে, যৌথ বাহিনী বিভিন্ন রণাঙ্গনে সফল হয়। যৌথ বাহিনীর হাতেই পাকবাহিনী পরাজিত হয়।
সুতরাং আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, যৌথ বাহিনীর গঠন ও যুদ্ধে সফলতা বাঙালির জয়ের কারণ এবং অবশেষে এ যৌথ বাহিনীর কাছেই পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। আর চিত্রে আত্মসর্ম্পণের এ চিত্রই পতিফলিত।
প্রশ্ন -১৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জামি একটি প্রামাণ্য চিত্রে দেখল একটি শহরের ঘুমন্ত জনগোষ্ঠীর ওপর অন্য দেশের সেনাবাহিনী হঠাৎ আক্রমণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে তারা হত্যা করে অনেক ছাত্র ও শিক্ষককে। হঠাৎ আক্রমণে মারা যায় সাধারণ জনগণসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাজার হাজার মানুষ।
ক. কতজন পাকিস্তানি সৈন্য যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল? ১
খ. বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঘোষণাকে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি বাংলাদেশের কোন ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা তুমি কি বক্তব্যটির সাথে একমত? যুক্তিসহ উত্তর দাও। ৪
ল্ফল্প ১৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ৯১, ৬৩৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।
খ. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এ ভাষণ সারাদেশের সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে বীরের জাতিতে রূপান্তরিত করে। এ ভাষণের পর মহান নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ মুক্তিকামী জনগণ অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেয় এবং মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ চ‚ড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। তাই ৭ই মার্চের ঘোষণাকে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি বাংলাদেশের অপারেশন সার্চলাইটের গণহত্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে গণহত্যার অভিযান চালিয়েছিল তার নাম দিয়েছিল অপারেশন সার্চলাইট। পাকিস্তানি সেনারা ২৫ মার্চ রাতে হঠাৎ ঘুমন্ত বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করে। পিলখানা ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আক্রমণ চালিয়ে তারা নির্মমভাবে হত্যা করে অনেক বাঙালি সৈনিকদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে তারা গুলি করে অনেক ঘুমন্ত ছাত্রকে হত্যা করে। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় ঢুকেও তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। মার্চের এই গণহত্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষকসহ ৩০০ ছাত্র ও কর্মচারী নিহত হয়। শুধু ২৫ মার্চ রাতেই ঢাকায় ৭ থেকে ৮ হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়। ঢাকার বাইরে সারাদেশে সেনানিবাস, ইপিআর, ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি সেনারা বেশ কিছু সংখ্যক বাঙালি সেনাকে হত্যা করে। উদ্দীপকের অনুরূপ ঘটনার সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
ঘ. উক্ত ঘটনা তথা অপারেশন সার্চলাইটের প্রেক্ষিতেই ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আমি এ বক্তব্যটির সাথে একমত।
অপারেশন সার্চলাইট অনুযায়ী, ২৫ মার্চ রাত দেড়টায় (২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে) বঙ্গবন্ধুকে তার ৩২ নম্বর ধানমণ্ডির বাসা থেকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগেই তিনি স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে দেশবাসীকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানান। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তার এ ঘোষণা ওয়ারলেসযোগে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তা প্রচারে এগিয়ে আসেন। এদিকে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েকজন উৎসাহী দেশপ্রেমিক কর্মী বেতারের কালুরঘাট স¤প্রচার কেন্দ্রকে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেন। ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রামে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান এই বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন। একই কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। বেতারে প্রচারিত এই ঘোষণা সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড আশা ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করে। সকলেই স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। সুতরাং অপারেশন সার্চলাইটের প্রেক্ষিতেই ঘোষিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা -এ বক্তব্যের সাথে আমি একমত।
প্রশ্ন -১৮  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

‘ক’ স্তর ‘খ’ স্তর
ক. সর্বজনীন অনুষ্ঠিত পাকিস্তান ভিত্তিক প্রথম নির্বাচন ছিল কোনটি? ১
খ. আওয়ামী লীগের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর বাঞ্ছনীয় ছিল কেন? ২
গ. বাঙালি জাতি ‘ক’ থেকে ‘খ’ স্তরে কীভাবে পৌঁছায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘ক’ স্তরটি বাঙালির ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ছিল সর্বজনীন অনুষ্ঠিত পাকিস্তানভিত্তিক প্রথম নির্বাচন।
খ. ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ জয়ী হয়। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে সরকার গঠন বাঞ্ছনীয় ছিল।
গ. বাঙালি জাতি দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ‘ক’ থেকে ‘খ’ স্তরে পৌঁছায়।
‘ক’ স্তরটি ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ‘খ’ স্তরটি স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করলেও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। ফলে বাঙালি জাতি আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের নেতৃত্বে পশ্চিম পাকিস্তানের হায়েনা বাহিনীর বিরুদ্ধে চরম আন্দোলন গড়ে তোলে। এ সময় দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ সর্বাত্মক সংগ্রামে লিপ্ত হয়।
সুতরাং বলা যায় জীবন বাজি রেখে বাঙালিরা চরম সংগ্রামের মাধ্যমে ‘খ’ স্তরে পৌঁছায় তথা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।
ঘ. ‘ক’ স্তর তথা ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন বাঙালির ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পশ্চিম পাকিস্তান আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা দেয়নি। ফলে শুরু হয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন। আর এতেই পাকিস্তানের মৃত্যু হয়। গঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। উদ্দীপকে ‘খ’ স্তরে তার ইঙ্গিত রয়েছে।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমেই পূর্ব পাকিস্তানিরা মুক্তির চেতনা লাভ করে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিদের অবিসংবাদিত নেতারূপে প্রমাণিত হন।
সর্বোপরি ইতিহাস সাক্ষী ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পথ ধরেই বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতার বিজয় আনতে সক্ষম হয়।
সুতরাং সুস্পষ্ট যে বাঙালির ইতিহাসে ‘ক’ স্তর তথা ’৭০ সালের নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন -১৯  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইমন তার ভাই জাহিদের কাছে বেড়াতে আসলে জাহিদ ইমনকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসে। কলাভবনের সামনে আসতেই ইমন দেখতে পেল জাতীয় পতাকা দিবসের অনুষ্ঠান চলছে। ইমন এ দিবস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানের আলোচকের কণ্ঠে ইমন তখন শুনতে পায় পতাকা উত্তোলন এবং অসহযোগ আন্দোলনের বর্ণনা।
ক. বাংলাদেশে প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয় কত তারিখে? ১
খ. অসহযোগ আন্দোলনের তীব্রতা কেমন ছিল? ২
গ. উদ্দীপকের ইমনের শুনতে পাওয়া আন্দোলনের স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
খ. ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে অসহযোগ আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যায়, অফিস-আদালতের কাজ অচল হয়ে পড়ে। দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।
গ. উদ্দীপকের ইমন ’৭১ সালের মার্চের উত্তাল দিনগুলোর অসহযোগ আন্দোলনের বর্ণনা শুনতে পায়। ’৭০-এর নির্বাচনের পর পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক আকস্মিকভাবে এবং সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায় পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। উদ্দীপকে ইমন ও জাহিদ এ পতাকা দিবসের অনুষ্ঠানই শুনতে পায়।
ঘ. উক্ত অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ’৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্যে প্রোথিত।
জেনারেল ইয়াহিয়া ঘোষণা করেন যে, ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ৩রা মার্চের অনুষ্ঠিতব্য ঢাকার অধিবেশনে যোগ দিতে অস্বীকার করে পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতি অধিবেশন বর্জনের আহŸান জানান। জেনারেল ইয়াহিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের এ নেতার কথায় ৩রা মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখেন। এতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যেই ২রা মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড্ডীন করা হয়। অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটও রচিত হয়ে যায়। উদ্দীপকে এ পতাকা দিবসের ইঙ্গিত রয়েছে।
অবস্থা বেগতিক দেখে জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চের পরিবর্তে ১০ই মার্চ এক বৈঠকে মিলিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানালে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ প্রেক্ষাপটে তার নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।
প্রশ্ন -২০  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ………বঙ্গবন্ধু।
ক. বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চে কোথায় ভাষণ দেন? ১
খ. আওয়ামী লীগ ৭ই মার্চের ভাষণের আয়োজন করে কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত ঘোষণা সংবলিত ভাষণের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেন রেসকোর্স ময়দানে; বর্তমানে যা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নামে পরিচিত।
খ. ৭ই মার্চের ভাষণের আয়োজন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের গতিধারা আরও বেশি জোরদার করার আহŸান জানাতে এবং আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নির্ধারণ ও ঘোষণা করতে তারা এ ভাষণের আয়োজন করে।
গ. উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম। বাঙালির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এক গৌরবময় অধ্যায়। দীর্ঘ ২৪ বছরের অত্যাচার ও শোষণের অধ্যায় মুছে ফেলার প্রক্রিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান। এ ভাষণ স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত করেছিল।
বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের যে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাই পরবর্তীকালে বাঙালির স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত করে জয় ছিনিয়ে আনে। সুতরাং সর্বোতভাবে তাঁর উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘোষণাটি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যময়।
ঘ. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশেষ বৈশিষ্ট্য সংবলিত।এ ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে নির্বাচিত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তান সরকারকে সর্বাত্মক অসযোগিতা করার পরামর্শ দেন। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে চ‚ড়ান্ত সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য জাতিকে প্রস্তুত হতে আহŸান জানান। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে ২৫শে মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করার ব্যাপারে চারটি পূর্বশর্ত ঘোষণা দিয়ে বলেনÑ সামরিক শাসন প্রত্যাহার, গণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। সেনাবাহিনীর গণহত্যার তদন্ত এবং সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
কিন্তু এ দাবিগুলো মেনে না নেয়ায় বাঙালির আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে। ফলশ্রæতিতে বাঙালির স্বাধীনতার দ্বার উন্মোচিত হয়। আর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষিতে ভাষণটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
প্রশ্ন -২১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ দেশের প্রশাসকগণ নির্বাচনে হেরে বিজয়ী দলকে ক্ষমতা না দিয়ে প্রহসনের আলোচনায় বসেন। অবশেষে তারা আলোচনাকে ভণ্ডুল করে দিয়ে সামরিক শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস চালান।
ক. মুজিবÑইয়াহিয়া বৈঠক হয় কত দিনের? ১
খ. অপারেশন সার্চলাইট বলতে কী বোঝ? ২
গ. ‘ক’ দেশের প্রশাসকদের সামরিক হস্তক্ষেপের সাথে পাকিস্তানের কোন সামরিক আগ্রাসনের মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ক’ দেশের প্রশাসকদের অনুরূপ কালক্ষেপণের বৈঠক হয়েছিল একাত্তরের মার্চে Ñ যথার্থতা তুলে ধর। ৪
ল্ফল্প ২১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ১৯৭১ সালের মুজিবÑইয়াহিয়া বৈঠক ছিল ১৬ই মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত মোট ৯ দিনের ।
খ. পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে গণহত্যার অভিযান চালিয়েছিল তার নাম অপারেশন সার্চলাইট।
গ. ক’ দেশের সামরিক হস্তক্ষেপের সাথে পাকিস্তানের সামরিক আগ্রাসন অপারেশন সার্চলাইট-এর মিল রয়েছে। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ ছিল মূলত পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার অভিযানের নাম। ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে এক নারকীয় গণহত্যা চালায়।
উদ্দীপকেও তদ্রæপ নির্বাচনে পরাজিত ‘ক’ রাষ্ট্রের প্রশাসকদের সামরিক শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার প্রয়াস দেখা যায়। পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ তথা সমগ্র বাঙালি জাতিকে দমন করতে যে নিষ্ঠুর, অমানবিক সামরিক আগ্রাসন চালায় তার নাম দিয়েছিল তারা ‘পরারেশন সার্চলাইট’। সুতরাং বলা যায়, ‘ক’ দেশের প্রশাসকদের সাথে পাকিস্তানের সামরিক আগ্রাসন ‘অপারেশন সার্টলাইট-এর মিল রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ দেশের প্রশাসকগণ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের নামে কালক্ষেপণ করে। অনুরূপ কালক্ষেপণ আমরা দেখতে পাই ’৭০ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানে। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী আওয়ামী লীগের নিকট তৎকালীন সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক অচলাবস্থার। ১৯৭১ সালের ১৫ই মার্চ রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে কতিপয় নেতৃবৃন্দসহ ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ঢাকায় আসেন। ১৬ই মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক শুরু হয়। আলোচনা চলে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত। জুলফিকার আলী ভুট্টো বৈঠকের শেষ পর্যায়ে যোগ দেন। মূলত আপাতদৃষ্টিতে তারা অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আলোচনার ভাব দেখালেও তার মূল উদ্দেশ্য ছিল কালক্ষেপেণ করা। আর এর সুযোগ নিয়ে তারা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনী ও সামরিক সরঞ্জাম গোপনে আনার কাজটি সম্পন্ন করেন। শেষ পর্যন্ত দেখা যায় তারা বাঙালি নিধনে মেতে ওঠে, গণহত্যা চালায়। অর্থাৎ ‘ক’ দেশের মতোই ছিল পাকিস্তানিদের বৈঠক।
প্রশ্ন -২২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইমন সংবাদপত্রে দেখতে পেল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ইমন তার বড় ভাই নাহিদের কাছে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের কথা জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, এসব পাষণ্ডরা এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
ক. কাদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধী বলা হয়েছে? ১
খ. মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার ট্রাইব্যুনাল বলতে কী বোঝ? ২
গ. নাহিদের বর্ণিত পাষণ্ডরা কীভাবে এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.ইমনের সংবাদপত্রে দেখতে পাওয়া অপরাধীদের মুক্তিযুদ্ধে ভ‚মিকা উপস্থাপন কর। ৪
ল্ফল্প ২২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. রাজাকারদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধী বলা হয়েছে।
খ. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেসব শক্তি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তৎপরতা চালিয়েছে তারাই হলো মানবতাবিরোধী অপরাধী। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করার কারণে তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে। আর তাদের বিচারের লক্ষ্যে গঠিত বিচারালয় হলো মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার ট্রাইব্যুনাল।
গ. নাহিদের বর্ণিত পাষণ্ডরা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী তথা দেশবিরোধী অপশক্তি। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সময় পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার নামে এসব অপরাধীরা এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। উদ্দীপকে নাহিদ ইমনের কথার জবাবে তাই বর্ণনা করে বলে দেশবিরোধী এ অপশক্তি পাক হানাদারদের সঙ্গে মিশে হত্যা, লুট, অগ্নিকাণ্ড, নারী নির্যাতনসহ সারাদেশে ব্যাপক অত্যাচার চালায়। তারা মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিকামী বাঙালি ও প্রগতিশীল বাঙালিদের খুঁজে বের করে তাদের তালিকা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে হত্যা করতে প্রলুব্ধ করে। তাদের অত্যাচার কখনো কখনো পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারকেও ছাড়িয়ে যেত। এককথায় বলা যায়, পাক হানাদারদের সহায়তায় তারা এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ছিল।
ঘ. ইমন সংবাদপত্রে মুক্তিযুদ্ধের মানবতাবিরোধী শক্তির বিচারের কথা জানতে পারে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল। কিন্তু একটি ক্ষুদ্র অংশ এর বিরোধিতা করে। তারা দেশবাসীর স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেদেরকে মানবতাবিরোধী শক্তিতে পরিণত করে। স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের বিচার আজ সংবাদপত্রের গৌরবময় সংবাদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী শক্তির ভূমিকা ছিল হৃদয়বিদারক। মানবতাবিরোধী অপরাধীরা এদেশে ত্রাসের সৃষ্টি করে। তারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিলে হত্যা, লুট, অগ্নিকাণ্ড, নারী নির্যাতন শুরু করেছিল, যা সারাদেশে ত্রাস সৃষ্টি করে। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে পথ চিনিয়ে দিতে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের নিয়ে যেতে গঠন করে ১৪০ সদস্যবিশিষ্ট ‘ঢাকা নাগরিক শান্তি কমিটি’। মানবতাবিরোধী অপরাধীরা মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনী বাঙালি ও প্রগতিশীল বাঙালিদের খুঁজে তাদের তালিকা করে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। প্রায় চল্লিশ বছর পর তারা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সংবাদে উঠে এসেছে। তাদের বিচার বাংলার ইতিহাসের রক্তের ঋণ শোধ না করলেও কিছুটা প্রশান্তি দিবে।
প্রশ্ন -২৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হাবিব সাহেব মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসে ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি প্রবাসে থেকেও বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন। এতে তার তিনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হলেও দমে যাননি। ঐ দেশে বাংলাদেশ মিশনের কার্যক্রম ও হাবীব সাহেবের মতো প্রবাসীদের সমর্থন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
ক. কোন দেশকে কেন্দ্র করে ইউরোপে প্রবাসী বাঙালিরা আন্দোলন করে? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী কী ভ‚মিকা রাখেন? ২
গ. মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সরকারের মিশন কীভাবে ভ‚মিকা পালন করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘হাবিব সাহেবের মতো প্রবাসীদের সমর্থন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে’ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. যুক্তরাজ্যকে কেন্দ্র করে সমগ্র ইউরোপে প্রবাসী বাঙালিরা আন্দোলন করে।
খ. বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য মুজিবনগর সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত নিয়োগ করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে সমর্থন আদায় ও জনমত গঠনের চেষ্টা করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় জাতিসংঘ ৪৭টি দেশের প্রতিনিধি বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
গ. মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সরকারের মিশন বিভিন্নভাবে অবদান রাখে।
কঠোর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। একটি সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করে বিজয় অর্জন সহজ কাজ ছিল না। সে কারণে বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মিশন স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকেই মুজিবনগর সরকার দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দুটি মিশন স্থাপন করে। কলকাতাতেই বাংলাদেশের প্রথম মিশন স্থাপিত হয়। এছাড়াও ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে বাংলাদেশ মিশন স্থাপিত হয়। উদ্দীপকেও তাই দেখা যায় যে, হাবিব সাহেব প্রবাসে বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন। তিনি এরূপ কোনো এক দেশেই অবস্থান করে বিভিন্নভাবে জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ মিশনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। মিশনগুলোর জন্যই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থনসহ অন্যান্য সহযোগিতা জোরদার হয়।
ঘ. ১৯৭১-এ হাবিব সাহেবের মতো প্রবাসী বাংলাদেশীদের মুুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি ভিন্নমাত্রা যোগ করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালিরা গণহত্যার প্রতিবাদে ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে একত্রিত হতে থাকে। যুক্তরাজ্যকে কেন্দ্র করে সমগ্র ইউরোপে প্রবাসী বাঙালিদের আন্দোলন জোরদার হয়।
উদ্দীপকের হাবিব সাহেবের মতো বহির্বিশ্বে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে জীবন ও চাকরির মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশি সমর্থন আদায় ও অর্থ সংগ্রহ করে।
কেউ কেউ ভারতে গিয়েও যুদ্ধে অংশ নেয়। দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন আদায় ও জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনেকে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। তাদের এ অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না।
প্রশ্ন -২৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশ ও ভারত নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ দুই দেশের সহযোগিতা বিদ্যমান। দুটি দেশই বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবেও দেশ দুটি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। যদিও একাত্তরে জাতিসংঘের ভ‚মিকা ছিল বিতর্কিত।
ক. মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ছিল কোন দেশ? ১
খ. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল? ২
গ. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে উদ্দীপকে উল্লিখিত অপর রাষ্ট্রটি কীভাবে সহায়তা করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মুক্তিযুদ্ধে উদ্দীপকে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক সংস্থার ভ‚মিকা পর্যালোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ২৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ছিল ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)।
খ. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল ভারতবিরোধী। এজন্য ভারত বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র স্বভাবতই বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়। পাকিস্তান-ঘেঁষা নীতি অবলম্বন করায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশ ও তার নিকট প্রতিবেশী ভারত রাষ্ট্রের কথা বর্ণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে ভারত। এদেশের বিভিন্ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত সর্বদাই অগ্রণী ভ‚মিকা রয়েছে। উদ্দীপকে যা বর্ণিত হয়েছে বাংলাদেশের জš§কালীন ভারত নানাভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করে।
গণহত্যার নিন্দা, শরণার্থীদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার পরিচালনা, বিশ্ব জনমত গঠন ছাড়াও ভারতের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বেসামরিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবী প্রভৃতি স¤প্রদায়ের ওপর এ সময় বাংলাদেশের শরণার্থীদের ব্যয়ভার বহনের জন্য ভারত সরকার শরণার্থী কর আরোপ করে। এভাবে উল্লিখিত অপর রাষ্ট্র তথা ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করে।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আন্তর্জাতিক সংস্থাটি হচ্ছে জাতিসংঘ। পৃথিবী থেকে যুদ্ধের ধ্বংসলীলার ভয়াবহতা দূর করে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, বিশ্ব মানবাধিকার এবং মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অবশ্য উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে একাত্তরে জাতিসংঘের ভ‚মিকা ছিল বিতর্কিত। অনিয়মতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা কুক্ষিগত রেখে বাঙালি জনগণের ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে পাকিস্তান কর্তৃক নির্বিচার গণহত্যা চালিয়ে যাওয়াকে জাতিসংঘ সেদিন প্রতিবাদ বা ধিক্কার জানায়নি।
তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জাতিসংঘে বক্তৃতা দেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলেও যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানের সংকটকালে যুদ্ধ বন্ধের জন্য নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল। যদিও সোভিয়েত রাশিয়ার প্রদত্ত ভেটোর ফলে এ প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। সুতরাং বিশ্বমানবতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পতাকাবাহী জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্যাতিত অধিকারহারা জনগণের বিপক্ষে দুঃখজনক ভূমিকা পালন করেছিল- একথা বলা ভুল হবে না।
প্রশ্ন -২৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মলি ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ নামক একটি বই পড়ছিল। সেখানে লেখা ছিল সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকার একটি যৌথ কমান্ড গঠন করে।
ক. যৌথ কমান্ড কত তারিখে গঠিত হয়? ১
খ. যৌথ কমান্ড কেন গঠন করা হয়? ২
গ. উদ্দীপকের যৌথ কমান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত যৌথ কমান্ডের ফলে গঠিত বাহিনীর শেষ যুদ্ধ আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ২৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. যৌথ কমান্ড গঠিত হয় ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর।
খ. ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ড গঠিত হয়।
পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীকে সম্মুখ যুদ্ধে কার্যকর সহায়তা দিতে। পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আরও সুদৃঢ় আক্রমণের জন্য।
গ. মলি ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের’ ইতিহাস নামক বইয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারের যৌথ কমান্ড সম্পর্কে জানতে পারে। এ যৌথ কমান্ড গঠনের ফলে যৌথ বাহিনীর আক্রমণে মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়।
১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তানি বিমানবাহিনী বিভিন্ন ভারতীয় বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। আর তখনই শুরু হয় পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধ। যৌথ কমান্ড একই সময় বাংলাদেশের সীমান্তে আক্রমণ চালায়। এবং পাক হানাদারদের ব্যাপকভাবে দমন করে।
এরপর যৌথবাহিনী চারদিক থেকে ঢাকা অভিমুখে রওনা হলে দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রণাঙ্গনে পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। আর এভাবেই যৌথ কমান্ড বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক সাফল্যজনক প্রভাব বিস্তার করে।
ঘ. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের শেষের অংশে যৌথবাহিনী যে যুদ্ধ চালায় তা হলো ১২ই ডিসেম্বরের যুদ্ধ। সেদিন ঢাকায় বিভিন্ন সামরিক অবস্থানের ওপর যৌথবাহিনী বিমান হামলা চালায়। যৌথবাহিনী তখন চারদিক থেকে ঢাকার অভিমুখে রওনা হলে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে থাকে।
১৪ই ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা ছাড়া দেশের অন্যত্র অনেক বড় শহর ও সেনানিবাসে পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। ওই দিনই পাকবাহিনীর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
এ সময় ঢাকা শহরের চারদিকে যৌথবাহিনী ঘেরাও করে রাখে এবং সর্বোপরি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চ‚ড়ান্ত বিজয়। অর্থাৎ যৌথ বাহিনীর শেষ যুদ্ধই ছিল মুক্তিযুদ্ধের শেষ ধাপ।
প্রশ্ন – ২৬ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী কয় মাস নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে? ১
খ. পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান শিকার কারা ছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে দিকটির প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.পাক হানাদাররা বাঙালিদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে চিত্রের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী দীর্ঘ নয় মাস নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
খ. পাকিস্তানি বাহিনীর প্রধান শিকার ছিল এদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায়। ধর্মের নামে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের শাসকরা মনে করত সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায় দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রধান বাধা। এজন্য তারা হিন্দুদের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।
গ. উদ্দীপকের চিত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী যে নিষ্ঠুর ও অমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালায় তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ঢাকা শহর গণহত্যার শিকার হয়। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, ইপিআর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ২৫-২৬শে মার্চ রাতে ৭ থেকে ৮ হাজার লোককে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, মিরপুর, রায়েরবাজার বধ্যভ‚মিতে হাজার হাজার লোককে এনে হত্যা করা হয়। গণহত্যার শিকার এ বাঙালিদের গণকবর দেওয়া হয়। উদ্দীপকে তেমনি একটি চিত্র দেখা যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনী যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়উদ্দীপকে তারই চিত্র ফুটে উঠেছে।
ঘ. দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। চিত্রে তা ফুটে উঠেছে। তাদের নির্যাতনের ধরন ছিল খুবই ভয়াবহ। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করে পরে তাদের হত্যা করত। হাত পা বেঁধে, গুলি করে, নদী, জলাশয় ও গর্তে ফেলে রাখা ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। চিত্রে যেমন দেখা যাচ্ছে ছিন্ন ভিন্ন লাশ খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা, মুখ থেঁতলে দেয়া, বেয়নেট ও ধারাল অস্ত্র দ্বারা হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলা, আঙুলে সূঁচ ফোটানো, নখ উপড়ে ফেলা, শরীরের চামড়া কেটে লবণ ও মরিচ দেয়া ছিল অত্যাচারের অন্যান্য নিষ্ঠুর ধরন। বন্দিশালা ও বধ্যভ‚মি থেকে বেঁচে আসা অনেকের কাছ থেকে পাওয়া বিবরণ আরও ভয়াবহ, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, পাকহানাদাররা বাঙালিদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-২৭  সাহারা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তার একটি ছবিতে গণহত্যার অমানবিক দৃশ্য ফুটে ওঠে ও আরেকটি ছবিতে দেখা যায় একজন চশমাপরা, কোটপরা এক লোক একটি আঙুল উঁচু করে ভাষণ দিচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এ ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তার এ ভাষণে উপস্থিত জনতা উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে।
ক. স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয় কত তারিখে? ১
খ. অপারেশন সার্চলাইট বলতে কী বুঝ? ২
গ. সাহারার আঁকা প্রথম ছবিটির বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সাহারার আঁকা দ্বিতীয় ছবিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ? তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে এর যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-২৮  মুক্তিযুদ্ধের সময় গড়ে উঠেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি সহযোগী সংগঠন। মূলত এরাই পাকিস্তানি বাহিনীকে পথ চিনিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যায় ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে।
ক. মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শান্তি কমিটি গঠিত হয় কবে? ১
খ. মুক্তিযুদ্ধে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের বিপক্ষ শক্তি হিসেবে কাদের উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পাকিস্তান বাহিনীর সাথে উক্ত বিপক্ষ শক্তির সম্পর্ক মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-২৯  সানজারের দাদুবাড়ি মেহেরপুরে। এবার গরমের ছুটিতে সানজার দাদুবাড়ি বেড়াতে যায়। ছোট চাচার সঙ্গে মেহেরপুরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে একটি আমবাগানের মধ্যে এসে চাচা বললেন, এটি বৈদ্যনাথতলা গ্রাম।
ক. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে কখন? ১
খ. ব্রিগেড ফোর্স বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের স্থানটির এদেশের ইতিহাসে গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, সানজারের দাদার বাড়ির এলাকাটিকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
প্রশ্ন-৩০  ইতি তার ফুফু বীথির সাথে রায়ের বাজারে একটি বধ্যভ‚মি পরিদর্শনে যায়। ইতি জানতে পারে, দেশে এরকম আরও অনেক বধ্যভ‚মি রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা এসব বধ্যভ‚মি গড়ে তুলেছিল। পরাজয় বুঝতে পেরে পাকিস্তানিরা এরকম ঘৃণ্য গণহত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
ক. কত তারিখে নিয়াজী আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন? ১
খ. পাকিস্তানিরা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল কেন? ২
গ. ইতি ও বীথি দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বুদ্ধিজীবীদের কোন ভ‚মিকাকে স্মরণ করবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ইতির পরিদর্শনকৃত বধ্যভ‚মি নির্মমতার নিদর্শন বহন করে। বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-৩১  ১৯৭১ এর মার্চ মাসের প্রতিটি দিন ছিল অগ্নিঝরা। সে ইতিহাস পড়ে মিনু এখনও উদ্দীপ্ত হয়। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ধরা পড়ে তাতে সে দেশপ্রেমের অনুরণ অনুভব করে।
ক. ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১৯৭১ সালের কত তারিখে? ১
খ. ‘অসহযোগ আন্দোলন’ কী? ২
গ. অগ্নিঝরা দিনগুলোতে ছাত্রদের ভ‚মিকা কিরূপ ছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মিনুর অনুভ‚তিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার যে পরিচয় তুমি খুঁজে পাও তা বিশ্লেষণ কর। ৪

প্রশ্ন -৩২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দৃশ্যকল্প-১ : ১৭৬৫ সালে ভিনদেশী একটি বাণিজ্যিক কোম্পানির ক্ষমতা এত বৃদ্ধি পায় যে, তারা একসময় সমগ্র দেশটাই দখল করে নেয়। ক্ষমতা লাভ করে দেশটির সামাজিক অবস্থার উন্নতিও করেছিল।
দৃশ্যকল্প-২ : ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা এবং ২৫শে মার্চ পুনরায় অধিবেশন আহŸান করেও তা ভণ্ডুল হলে দেশ যুদ্ধের দিকে যেতে থাকে। [১ম ও ২য় অধ্যায়]
ক. কাদের হাতে বাংলার পতন হয়? ১
খ. অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কিরূপ ভ‚মিকা ছিল? ২
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ কোন ঐতিহাসিক ঘটনার ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর? ৩
ঘ.দৃশ্যকল্প-২ এর আলোকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বর্ণনা দাও। ৪
ল্ফল্প ৩২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইংরেজদের হাতে বাংলার পতন হয়।
খ. ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কারণে অসহযোগ আন্দোলন বেগবান হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটির সাথে ইংরেজদের ‘দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া’ কোম্পানির বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করার ঘটনার সাদৃশ্য রয়েছে।
ধূর্ত রবার্ট ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর বাংলার রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা ইংরেজদের হাতে চলে যায়। প্রশাসনেও তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লাইভ বাংলায় কিছুকাল দ্বৈতশাসন চালিয়ে যান। দ্বৈতশাসন ব্যবস্থায় রাজস্ব আদায়, সামরিক ব্যবস্থা এবং প্রশাসন পরিচালনার ক্ষমতা ইংরেজ কোম্পানির হাতে থাকে। এভাবেই নবাব ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। অন্যদিকে কোম্পানির শাসকরা ক্ষমতাবান হন এবং এ সময় সমগ্র ভারতবর্ষ দখল করেন। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও দেখা যায়, জনাব ‘ক’ একটি ভিনদেশি বাণিজ্যিক কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। তারই ধূর্ততায় ১৭৬৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি এক বিশেষ ক্ষমতা লাভ করে। এই ক্ষমতার কারণে স্থানীয় শাসকরা ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। পক্ষান্তরে প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতা এতই বৃদ্ধি পায় যে তারা এক সময় সমগ্র দেশটাই দখল করে নেয়।
ঘ. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয় আর অন্যদিকে জুলফিকার আলী ভুট্টো তা বানচালের জন্য ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ভুট্টোর চালে সাড়া দিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। ফলে ওইদিন আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এ পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে ইয়াহিয়া খান ৬ই মার্চ এক বেতার ভাষণে ২৫শে মার্চ ঢাকায় পুনরায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহŸান করেন। ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণের শেষ লাইনে বলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে কোন দল বিজয় লাভ করে?
উত্তর : ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।
প্রশ্ন \ ২ \ মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম কবে উত্তোলন করা হয়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ সকাল ১১টায় প্রথম মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব নাম কী?
উত্তর : বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব নাম ছিল রেসকোর্স ময়দান।
প্রশ্ন \ ৪ \ ইয়াহিয়া খান কবে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে?
উত্তর : ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তর : পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দেন কোথায়?
উত্তর : বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ দেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ অপারেশন সার্চলাইট কবে হয়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইট সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কবে?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত দেড়টায় বা ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ ঢাকা শহরে গণহত্যার মূল দায়িত্ব দেয়া হয় কাকে?
উত্তর : মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীকে ঢাকা শহরে গণহত্যার মূল দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ ঢাকার বাইরে গণহত্যার দায়িত্ব কাকে দেয়া হয়?
উত্তর : ঢাকার বাইরে গণহত্যার দায়িত্ব দেয়া হয় মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজাকে।
প্রশ্ন \ ১১ \ অপারেশন সার্চ লাইট-সার্বিকভাবে তত্ত¡াবধান করেন কে?
উত্তর : অপারেশন সার্চলাইট সার্বিকভাবে তত্ত¡াবধান করেন গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান।
প্রশ্ন \ ১২ \ স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম কে বেতারে প্রচার করেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম বেতারে প্রচার করেন চট্টগ্রাম জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান।
প্রশ্ন \ ১৩ \ কত তারিখে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন?
উত্তর : ২৭শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
প্রশ্ন \ ১৪ \ মুজিবনগর সরকারের শপথ বাক্য পাঠ করান কে?
উত্তর : অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ বাক্য পাঠ করান।
প্রশ্ন \ ১৫ \ মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে কবে?
উত্তর : মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল।
প্রশ্ন \ ১৬ \ মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
উত্তর : কর্নেল এম এজি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ছিলেন।
প্রশ্ন \ ১৭ \ মুক্তিযুদ্ধের চিফ অব স্টাফ কে ছিলেন?
উত্তর : কর্নেল (অব.) আবদুর রব মুক্তিযুদ্ধের চিফ অব স্টাফ ছিলেন।
প্রশ্ন \ ১৮ \ কোন সেক্টরে নির্দিষ্ট কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিল না?
উত্তর : ১০ নম্বর সেক্টরে নির্দিষ্ট কোনো সেক্টর কমান্ডার ছিল না।
প্রশ্ন \ ১৯ \ মুক্তিবাহিনী সরকারি পর্যায়ে কয়ভাগে বিভক্ত ছিল?
উত্তর : মুক্তিবাহিনী সরকারি পর্যায়ে ২ ভাগে বিভক্ত ছিল?
প্রশ্ন \ ২০ \ মুক্তিযুদ্ধের সময় কে ফোর্সের অধিনায়ক কে ছিলেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর খালেদ মোশাররফ কে ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন।
প্রশ্ন \ ২১ \ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে মুজিবনগর সরকার কোথায় দুটি মিশন স্থাপন করে?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে মুজিবনগর সরকার দিল্লি ও কলকাতায় দুটি মিশন স্থাপন করে।
প্রশ্ন \ ২২ \ বিশ্বের কোন ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের বিপক্ষে ছিল?
উত্তর : বিশ্বের ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের বিপক্ষে ছিল।
প্রশ্ন \ ২৩ \ মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে কোন দেশ মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করে?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারত মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে কোন দেশ?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রশ্ন \ ২৫ \ জর্জ হ্যারিসন কোন দেশের নাগরিক ছিলেন?
উত্তর : জর্জ হ্যারিসন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন।
প্রশ্ন \ ২৬ \ কত তারিখে ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
উত্তর : ১৯৭১ এর ৬ই ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রশ্ন \ ২৭ \ মিত্র বাহিনী কী?
উত্তর : যুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর সহায়তাকারী ভারতীয় বাহিনীকে মিত্র বাহিনী বলা হতো।
প্রশ্ন \ ২৮ \ মুক্তিযুদ্ধের যৌথবাহিনীর সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
উত্তর : জেনারেল শ্যাম মানেকশ মুক্তিযুদ্ধের যৌথবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
প্রশ্ন \ ২৯ \ চট্টগ্রামে কতটি বধ্যভ‚মি ছিল?
উত্তর : চট্টগ্রাম শহরে ২০টি বধ্যভ‚মি ছিল।
প্রশ্ন \ ৩০ \ কত লাখের অধিক নারী পাকিস্তানিদের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়?
উত্তর : প্রায় ২ লাখের অধিক নারী পাকিস্তানিদের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়।
প্রশ্ন \ ৩১ \ কোথায় আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর : রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩২ \ যৌথবাহিনীর বিভাগীয় কমান্ডার কে ছিলেন?
উত্তর : মেজর জেনারেল নাগরা যৌথবাহিনীর বিভাগীয় কমান্ডার ছিলেন।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ ১৬ই ডিসেম্বর কোন ¯েøাগানে ঢাকা মুখরিত ছিল?
উত্তর : ১৬ই ডিসেম্বর জয় বাংলা ¯েøাগানে ঢাকা মুখরিত ছিল।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের দূরত্ব কত ছিল?
উত্তর : পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানের দূরত্ব ছিল প্রায় ১০০০ মাইল।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ কতজন পাকিস্তানি সৈন্য যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল?
উত্তর : ৯১,৬৩৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ ১৬ই ডিসেম্বর কয়টার সময় আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তর : ১৬ই ডিসেম্বর ৫টার সময় আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ কারা পাকিস্তানকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়?
উত্তর : বিদেশি রাষ্ট্র ও দাতারা পাকিস্তানকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়।
 অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কিরূপ ভ‚মিকা ছিল?
উত্তর : ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কারণে অসহযোগ আন্দোলন বেগবান হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।
প্রশ্ন \ ২ \ স্বাধীনতা ঘোষণার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৭১ সালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার ঘোষণা সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ একটি বাস্তব রূপ লাভ করে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও শীর্ষ নেতারা বঙ্গবন্ধুুর ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। তারা ভেবেছিল গণহত্যার মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করলেই বাঙালিকে দমন করা যাবে। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণার পর বাঙালিকে দমিয়ে রাখা যায়নি। সমগ্র জাতি তখন স্বাধীনতার মন্ত্রে দারুণ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ৩ \ মুজিবনগর সরকার গঠনের তৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : ১৯৭১ সালে ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর বা বাংলাদেশ সরকার। এ সরকারের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং বাংলাদেশ শত্রæমুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক পরিচালনার ভার গ্রহণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্যেই এ সরকার গঠনের তাৎপর্য নিহিত।
প্রশ্ন \ ৪ \ মুক্তিযুদ্ধের হেমায়েত বাহিনীর বর্ণনা দাও।
উত্তর : দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার হেমায়েত উদ্দিন ১৯৭১-এর ২৯ মে বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার বাটরা বাজারে তার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ বাহিনী অভ্যন্তরীণভাবে গড়ে উঠেছিল। এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৫,০৪৫ জন। পাকবাহিনীর কাছ থেকে কেড়ে নেয়া অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এরা চরম সাহসিকতায় যুদ্ধ করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ কাদেরিয়া বাহিনীর পরিচয় দাও?
উত্তর : টাঙ্গাইল অঞ্চলে কাদের সিদ্দিকী এক দুর্ধর্ষ বাহিনী গড়ে তোলেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থেকে এ বাহিনী তাদের নিজস্ব নিয়মে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ বাহিনী প্রায় তিনশ’র বেশি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং সহস্রাধিক পাকসেনা হত্যা করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ মুক্তিযুদ্ধে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ এর কিরূপ ভ‚মিকা ছিল?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ দ্বারা নৌপথে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হতো। এ অভিযানে ১ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০টি এবং মংলা বন্দরে ৫০টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করে মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডারগণ সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং পাক হানাদার বাহিনীর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৭ \ ডা. মালিক মন্ত্রিসভা কখন এবং কেন গঠিত হয়েছিল?
উত্তর : ডা. মালিক মন্ত্রিসভা ১৭ই সেপ্টেম্বর গঠিত হয়। পাকিস্তান সরকার বহির্বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে সামরিক গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানকে সরিয়ে তার জায়গায় বেসামরিক ব্যক্তি ডা. আব্দুল মোত্তালিব মালিককে গভর্নর নিযুক্ত করে। আর তার নেতৃত্বেই ১০ সদস্যবিশিষ্ট ডা. মালিক মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ মুক্তিযুদ্ধের সময় বহির্বিশ্বে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক স্থাপিত মিশন সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকেই মুজিবনগর সরকার দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দুটি মিশন স্থাপন করে। এছাড়াও মুজিবনগর সরকার ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে বাংলাদেশের মিশন স্থাপন করে। এসব
মিশন বাংলাদেশের পক্ষে মিছিল, সমাবেশ অনুষ্ঠান, পার্লামেন্ট সদস্যদের সমর্থন আদায়, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনমত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখে।
প্রশ্ন \ ৯ \ পাকবাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে কেন?
উত্তর : ভারতে অবস্থানকারী বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে অবদান রাখেন। দেশে অবস্থানকারী অন্যান্য শ্রেণি ও পেশার লোকের সাথে বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন। এ বুদ্ধিজীবীরা দেশের সম্পদ। কেননা, বুদ্ধিজীবীরাই দেশকে বিপদের হাত থেকে মুক্ত করতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। যে কারণে পাকবাহিনী বহু বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এছাড়া বাঙালিদের মেধাশূন্য করতে তারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ বধ্যভ‚মি কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় দখলদার পাক হানাদার বাহিনী নয় মাসব্যাপী নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ এ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়। এ পরিকল্পিত গণহত্যা চালাতে গিয়ে পাকুসেনারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক লোককে জড়ো করে হত্যা করে এক সঙ্গে ফেলে রাখত। এ ধরনের মানবনিধন অভিযানের স্থানকেই বলা হয় বধ্যভ‚মি। বড় বড় কয়েকটি বধ্যভ‚মি হলো ঢাকার রায়েরবাজার, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, সিলেটের শমশের নগর ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১১ \ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর অত্যাচারের ধরন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পাক সেনারা বিভিন্নভাবে নির্যাতন করার পর আটককৃতদের হত্যা করত। হাত, পা বেঁধে গুলি করে, চোখ উপড়ে জলাশয়, নদীতে ও গর্তে মেরে ফেলে দিত। এছাড়া অঙ্গচ্ছেদ করা, গুলি করা, চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা, মুখ থেঁতলে মেরে ফেলা অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃৎপিণ্ড উপড়ে ফেলা হতো। এমনকি আঙুলে সূঁচ ফোটানো, নখ উপড়ে ফেলা ছাড়াও শরীরের চামড়া কেটে লবণ দিয়ে তারা অমানসিক অত্যাচার করত।
প্রশ্ন \ ১২ \ জীবন ও চাকরির মায়া ত্যাগ করে কোন কোন দেশের বাঙালি কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।
উত্তর : জীবন ও চাকরির মায়া ত্যাগ করে সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইরাক, ফিলিপাইন, আর্জেন্টিনা, ভারত ও হংকং দূতাবাসের বাঙালি কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ১৯৭০ সালের নির্বাচনোত্তর শপথ গ্রহণ ঘটনা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৭০ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনের পর থেকেই ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আওয়ামী লীগ বারবার জোর দাবি জানায়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান তাতে সাড়া না দিলে ১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রকাশ্যে শপথ গ্রহণ করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের সফল পরিণতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ আন্দোলনে মুখর হয়ে ওঠে। ৩ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফলে বিজয়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সামরিক সরকারের অনীহা ছিল অসহযোগ আন্দোলনের প্রধান কারণ। অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। আন্দোলনের সাফল্যজনক পরিণতিতে বাঙালি জাতি যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে নির্বাচিত দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন। বাঙালিকে তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। বক্তৃতার এক জায়গায় তিনি বলেন, “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা আছে তাই নিয়ে শত্রæর মোকাবিলা করতে হবে।” এ কথায় গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মুক্ত করার প্রকাশ্য নির্দেশ পাওয়া যায়। বক্তৃতার শেষ লাইনে- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ঘোষণা দিয়ে স্পষ্টভাবে তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঘোষণাকে বাঙালির মুক্তির সনদ বলা হয় কেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এ ভাষণ সারাদেশের সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। এ ভাষণ বাঙালি জাতিকে বীরের জাতিতে রূপান্তরিত করে। এ ভাষণের পর মহান নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ মুক্তিকামী জনগণ অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেয় এবং মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ চ‚ড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনে। তাই ৭ই মার্চের ঘোষণাকে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ।

Leave a Reply