অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের সম্পদ

দ্বাদশ অধ্যায়
বাংলাদেশের সম্পদ
বিষয়-সংক্ষেপ

প্রকৃতির মধ্যে নানা মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া এসব বস্তুকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়। প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর মধ্যে উলে­খযোগ্য হলো- পানি, বায়ু, মাটি, গাছপালা, জীবজন্তু, ফসল, খনিজদ্রব্য, নদনদী, মাছ ইত্যাদি। এসব প্রাকৃতিক সম্পদকে মানুষ নিজেদের চাহিদামতো রূপান্তরিত করে ও কাজে লাগায়। জনসংখ্যার তুলনায় অনেক সম্পদ হয়তো আমাদের দেশে নেই। সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন করা গেলে সীমিত সম্পদ নিয়েই দেশ সমৃদ্ধ হতে পারে।
প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে মধ্যযুগ পর্যন্ত শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করেই মানুষ আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলে। আধুনিককালে মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। একটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলেই কৃষি-শিল্প উন্নত হয় এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। আমাদের সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদও ব্যবহার করতে হবে এ লক্ষ্য সামনে রেখে। সুষম খাদ্যের অভাব পূরণ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সেচ সুবিধা প্রদান, শিল্পের উন্নয়ন ও শিল্পের প্রসার ইত্যাদি দিকগুলোর দিকে নজর রেখে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে। এতে আমাদের সার্বিক আর্থসামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়। মানুষ প্রকৃতি থেকেই এসব সম্পদ আহরণ করে। এর ফলে মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনের অগ্রগতি ঘটে। প্রাকৃতিক সম্পদ পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো যায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ : বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। যেমন : মাটি, নদনদী, খনিজসম্পদ, বনজ সম্পদ, মৎস্যসম্পদ, প্রাণিসম্পদ ও সমুদ্রসম্পদ। এগুলোই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।
বাংলাদেশের উন্নতিতে প্রাকৃতিক সম্পদ : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। অন্যদিকে সম্পদের তুলনায় দেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এজন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে যথাযথ পরিকল্পনা করে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করলে দেশের কৃষিশিল্প যেমন উন্নত হবে তেমনি মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের অবস্থা : বাংলাদেশে একসময় প্রচুর বনজঙ্গল, জীবজন্তু ও পশুপাখি ছিল। নিচু জলাভ‚মিতে ছিল প্রচুর জলচল প্রাণী। দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জলাভ‚মি ভরাট করে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শহর নির্মিত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের ওপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে পানি প্রবাহ ব্যহত হচ্ছে। ফলে জলচর প্রাণী ও মাছের বংশবিস্তারে বাধার সৃষ্টি হয়ে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শিল্প : বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত শিল্প। দেশজ উৎপাদনে এ খাতের অবদান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শিল্পগুলো হলো : পাটশিল্প, বস্ত্রশিল্প, পোশাকশিল্প, চিনিশিল্প, কাগজশল্প, সার শল্প, সিমেন্টশিল্প, ঔষধ শল্প, চামড়াশিল্প ও চাশিল্প।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন : বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় অত্যন্ত দ্রæত শিল্পায়ন ঘটছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের পণ্য-সামগ্রী তৈরি করছে। সেসব পণ্য নিয়ে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। সে কারণে দ্রæত দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন বা উন্নতি ঘটছে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. মংলা একটি-
ক স্থলবন্দর খ নদীবন্দর গ বিমানবন্দর  সমুদ্রবন্দর
২. গ্রামের লোক শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা হ্রাসের উপায় হচ্ছে-
র. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি রর. কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার
ররর. নতুন নতুন পেশার কর্মসংস্থান সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর  রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
হাসান সাহেবের গাজীপুর জেলায় একটি বৃহৎ বাগান বাড়ি আছে। তাতে সেগুন, গজারিসহ নানা প্রজাতির গাছপালা আছে। তিনি মাঝে মাঝে সপরিবারে তার বাগান বাড়িতে বেড়াতে যান। তার ছোট ছেলে লিমন সব ঘুরে ঘুরে দেখে। পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনে সে খুব আনন্দিত হয়। সে বাসার তুলনায় এখানে বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করে।
৩. হাসান সাহেবের বাগানটি কোন প্রাকৃতিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত?
 বনজ সম্পদ খ খনিজ সম্পদ
গ মৎস্য সম্পদ ঘ প্রাণিসম্পদ
৪. আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে উক্ত সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান হচ্ছে-
র. সুষম খাদ্যের অভাব পূরণ
রর. শিল্পের কাঁচামাল যোগান দেওয়া
ররর. প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর  রর ও ররর

৫.

‘ক’ চিহ্নিত স্থানে কোনটি বসবে?
ক কৃত্রিম সম্পদ  প্রাকৃতিক সম্পদ
গ অর্থনৈতিক সম্পদ ঘ প্রাণিসম্পদ
৬. বর্তমানে আমাদের দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প কোনটি?
ক বস্ত্রশিল্প খ চিনিশিল্প গ পোশাকশিল্প  ঔষধশিল্প
৭. শোভা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি কারখানা দেখতে যায়, যার কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। তার দেখা কারখানাটিতে উৎপাদিত পণ্যটি কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত?
 চিনিশিল্প খ সারশিল্প গ কাগজশিল্প ঘ সিমেন্টশিল্প
৮. বাংলাদেশে সমুদ্রবন্দরের সংখ্যা কয়টি?
ক ৫ খ ৪ গ ৩  ২
৯. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে পাটকলের সংখ্যা বেশি?
ক ঢাকা এলাকায়  খুলনা এলাকায়
গ চিটাগাং এলাকায় ঘ রাজশাহী এলাকায়
১০. খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোন শিল্পখাত সবচাইতে বৃহৎ রপ্তানিকারক শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়?
ক পাট খ টেক্সটাইল  গার্মেন্টস ঘ জাহাজ নির্মাণ
১১. বাংলাদেশে কোন শিল্প বর্তমানে সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে?
ক সারশিল্প খ চামড়াশিল্প গ কাগজশিল্প  ঔষধশিল্প
১২. বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টি পাটকল আছে?
 ৭৬ খ ৭৭ গ ৭৮ ঘ ৭৯
১৩. কোন খনিজ সম্পদটি বাংলাদেশে পাওয়া যায়?
ক লোহা খ রূপা গ তামা  সিলিকাবালি
১৪. বাড়িঘর তৈরি এবং আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য আমরা কোন সম্পদ ব্যবহার করি?
ক শক্তিসম্পদ  বনজসম্পদ গ খনিজসম্পদ ঘ পশুসম্পদ
১৫. জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন আমাদের করণীয়Ñ
 জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা খ জলাভ‚মি ভরাট করা
গ বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধ করা ঘ কীটনাশক ব্যবহার না করা
১৬. ২০০৯-১০ অর্থবছরে পাটজাত সামগ্রী বিদেশে বিক্রি করে কত আয় করা হয়?
ক ২৯ কোটি মার্কিন ডলার খ ৩০ কোটি মার্কিন ডলার
গ ৩১ কোটি মার্কিন ডলার  ৩২ কোটি মার্কিন ডলার
১৭. বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প কোনটি?
ক বস্ত্রশিল্প খ পোশাকশিল্প গ চামড়াশিল্প  ঔষধশিল্প
১৮. বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পে কত লক্ষ মানুষ কর্মরত?
ক ৩০ খ ৩৫  ৪০ ঘ ৩৫
১৯. বাংলাদেশের মোট বনভ‚মির পরিমাণ কত বর্গকিলোমিটার?
ক ১৬,৯৩৮  ২৮,৯৩৮ গ ২৮,২০০ ঘ ৩২,৩২০
২০. বাংলাদেশের প্রধান খনিজ দ্রব্য কোনগুলো?
ক কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, লোহা খ প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, বিটুমিনাস
 কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, চুনাপাথর ঘ কয়লা, শ্বেতমৃত্তিকা, বালি
২১. বাংলাদেশের প্রধান খনিজ দ্রব্য কোনটি?
ক তেল  কয়লা গ প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ লৌহ
২২. কোন ধরনের কাজের ওপর ভিত্তি করে সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে?
ক রাজনৈতিক খ সাংস্কৃতিক
গ পরিকল্পনাভিত্তিক ˜ অর্থনৈতিক
২৩. মাছের বংশ বিস্তারে বাধা কোনটি?
ক কৃষি জমিতে অধিক ফসল ফলানো
খ প্রজনন ঋতুতে বৈরী আবহাওয়া
গ জলাধারে ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের চলাচল
 রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার
২৪. ছাতক সিমেন্ট কারখানা কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
 ১৯৪০ খ ১৯৫৩ গ ১৯৬১ ঘ ১৯৭৪
২৫. বর্তমানে আমাদের দেশে কয়টি টিএসপি সার কারখানা চালু আছে?
 ১ খ ২ গ ৩ ঘ ৬
২৬. বাংলাদেশে বর্তমানে সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত কোন শিল্পটি?
ক সার  ঔষধ গ চিনি ঘ চামড়া
২৭. বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে কত লক্ষ মানুষ জড়িত?
ক ২০ খ ৩০  ৪০ ঘ ৫০
২৮. শরিফ যুবউন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষ করছে। তার এ কাজের ফলেÑ
র. সবাই যুব উন্নয়নের কাজে উৎসাহিত হবে
রর. সুষম খাদ্যের ঘটিত পূরণ হবে
ররর. কর্মসংস্থানের সৃস্টি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৯. বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে রয়েছেÑ
র. মৎস্যসম্পদ রর. খনিজসম্পদ
ররর. বনজসম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩০. মানুষের আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছেÑ
র. বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ করে
রর. খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকে কেন্দ্র করে
ররর. বণ্টন ও ভোগকে কেন্দ্র করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১. শিল্প বিকাশে প্রধান ভ‚মিকা পালন করেÑ
র. মানুষের উদ্যোগ রর. মানুষের অভিজ্ঞতা
ররর. মানুষের আন্তরিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩২. সিমেন্টের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়Ñ
র. চুনাপাথর রর. চিনামাটি
ররর. প্রাকৃতিক গ্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩. আমাদের দেশের পাহাড়গুলোতেÑ
র. প্রচুর প্রাণিজ সম্পদ রয়েছে রর. প্রচুর কৃষিজ সম্পদ রয়েছে
ররর. অনেক খনিজ সম্পদ রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪. রোহান বঙ্গোপসাগরের উপক‚লে যেয়ে প্রত্যক্ষ করল
র. লবণ তৈরি রর. মাছ ধরা
ররর. সমুদ্র বন্দর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৫ ও ৩৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তৌকির বাবার সাথে সিলেটের একটি শিল্পকারখানা ঘুরে দেখতে যায়, যার প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস।
৩৫. তৌকির কোন কারখানাটি দেখেছিল? (প্রয়োগ)
ক চন্দ্রঘোনা পেপার মিল খ কেরু এন্ড কোম্পানি
 ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা ঘ ছাতক সিমেন্ট কারখানা
৩৬. উক্ত শিল্পের উৎপাদিত পণ্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দ্বারা বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ
রর. খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধি করে
ররর. ব্যবহারে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ঘটায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ইফতি তার বন্ধুদের সাথে চন্দ্রঘোনায় বেড়াতে গিয়ে বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে।
৩৭. ইফতির দেখা শিল্পটি কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক ১৯৫১  ১৯৫৩ গ ১৯৬১ ঘ ১৯৭৪
৩৮. উক্ত শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হলোÑ
র. স্থানীয় বাঁশ রর. স্থানীয় বেত
ররর. স্থানীয় আখের ছোবড়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পাঠ-১ : বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৯. বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকায় বছরে কতটি ফসল উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
৪০. বাংলাদেশের কতভাগের এক ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা? (জ্ঞান)
ক ৫  ১০ গ ১৫ ঘ ২০
৪১. কোনটি খনিজ সম্পদ? (জ্ঞান)
ক পানি খ গাছপালা  গ্যাস ঘ পশুপাখি
৪২. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলজুড়ে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক উত্তর  দক্ষিণ গ পূর্ব ঘ পশ্চিম
৪৩. আমাদের নদনদীতে বিপুল পরিমাণে রয়েছে- (জ্ঞান)
 মৎস্য সম্পদ খ খনিজ সম্পদ গ সমুদ্র সম্পদ ঘ প্রাণি সম্পদ
৪৪. আমাদের দেশের মোট ভ‚ভাগের কতভাগ বনভ‚মি আছে? (জ্ঞান)
 ১৬ খ ১৮ গ ১৯ ঘ ২০
৪৫. মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার  বহু মানুষের জীবিকার উৎস
গ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ঘ শর্করা খাদ্যের চাহিদা পূরণ
৪৬. কীভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে হবে? (অনুধাবন)
ক ইচ্ছেমতো খ অপরিকল্পিতভাবে
 পরিকল্পিতভাবে ঘ নির্বিচারে
৪৭. (প্রয়োগ)

নিচের কোনটি সঠিক?
ক কৃত্রিম সম্পদ  প্রাকৃতিক সম্পদ গ প্রাণিসম্পদ ঘ অর্থনৈতিক সম্পদ
৪৮. সীমিত সম্পদ দিয়ে দেশ সমৃদ্ধ করতে কী করা প্রয়োজন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন খ সকলে মিলে কাজ করা
গ গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ ঘ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন
৪৯. প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্রীয় সম্পদ খ ব্যক্তিগত সম্পদ
গ আন্তর্জাতিক সম্পদ  প্রাকৃতিক সম্পদ
৫০. বাংলাদেশের সাগর তীরে গড়ে উঠেছে কয়টি সমুদ্র বন্দর? (জ্ঞান)
ক একটি খ তিনটি গ চারটি  দুইটি
৫১. সাগরের পানি থেকে আমরা কী উৎপন্ন করি? (জ্ঞান)
ক পাথর খ বিদ্যুৎ গ গ্যাস  লবণ
৫২. বাংলাদেশে বনজ সম্পদের প্রয়োজন কেন? (অনুধাবন)
ক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য খ প্রাণীর বসবাসের জন্য
˜ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ঘ আসবাবপত্র বানানের জন্য
৫৩. নদীর পানি প্রবাহ থেকে কী উৎপাদন করা যায়? (জ্ঞান)
ক গ্যাস  বিদ্যুৎ গ লবণ ঘ পাথর
৫৪. মানুষ কোথা থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করে? (জ্ঞান)
 প্রকৃতি খ প্রতিবেশী রাষ্ট্র গ বহির্বিশ্ব ঘ শিল্প কারখানা
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৫. এদেশের মাটি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হওয়ার কারণÑ (অনুধাবন)
র. দেশের সমতল ভ‚মি খুবই উর্বর রর. বছরে তিনটি ফসল উৎপন্ন হয়
ররর. বছরে পাঁচটি ফসল উৎপন্ন হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. নদনদীর গুরুত্ব হলোÑ (অনুধাবন)
র. পরিবহন ও যোগাযোগের সহজ মাধ্যম
রর. নদীর পানি প্রবাহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন
ররর. নদীতে আছে প্রচুর মৎস্য সম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৭. বাংলাদেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ হলোÑ (অনুধাবন)
র. গ্যাস রর. চুনাপাথর ররর. চীনাপাথর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৮. বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে রয়েছেÑ [রংপুর জিলা স্কুল]
র. মৎস্য সম্পদ রর. খনিজ সম্পদ ররর. বনজ সম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. বাংলাদেশে সমুদ্রবন্দর রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. চট্টগ্রামে রর. মংলায় ররর. কুয়াকাটায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. বাংলাদেশের প্রাণিজ সম্পদ হলোÑ (অনুধাবন)
র. হাঁস-মুরগি রর. মিঠা পানির মাছ
ররর. নানা প্রজাতির পাখি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬১ ও ৬২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ বাংলাদেশের মূল্যবান সম্পদ। দেশের মোট ভ‚ভাগের ১৬ ভাগ উক্ত সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম।
৬১. অনুচ্ছেদে কোন সম্পদের কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
 বনজ খ মৎস্য গ খনিজ ঘ প্রাণি
৬২. উক্ত সম্পদ ভ‚মিকা রাখেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাড়িঘর তৈরিতে রর. আসবাবপত্র তৈরিতে
ররর. তাপমাত্রা হ্রাসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
পাঠ-২ : আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে প্রাকৃতিক সম্পদের ভ‚মিকা
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৩. প্রাকৃতিক সম্পদকে কীভাবে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছে? (অনুধাবন)
ক সরাসরি  রূপান্তর করে গ স্থানান্তর করে ঘ উত্তোলন করে
৬৪. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কেমন? (জ্ঞান)
ক অসীম খ অশেষ গ অফুরন্ত  সীমিত
৬৫. আমাদের দেশটি কেমন? (জ্ঞান)
ক মৎস্য প্রধান খ খনিজ প্রধান  কৃষি প্রধান ঘ শিল্প প্রধান
৬৬. কখন কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
ক মধ্যযুগে খ ব্রোঞ্জ যুগে  প্রাচীন যুগে ঘ প্রস্তর যুগে
৬৭. বনজ সম্পদ অত্যন্ত প্রয়োজন কেন? (অনুধাবন)
 তাপমাত্রা কমানোর জন্য খ তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য
গ ঘরবাড়ি বাড়ানোর জন্য ঘ চেয়ার-টেবিল বানানোর জন্য
৬৮. কীভাবে মানুষ খনিজ পদার্থ উত্তোলন করতে শিখেছে? (অনুধাবন)
ক কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে  আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে
গ গবাদিপশুর মাধ্যমে ঘ পাথরের হাতিয়ারের মাধ্যমে
৬৯. শুকনো মৌসুমেও কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যায় কীভাবে? (অনুধাবন)
 সেচ সুবিধার মাধ্যমে খ ঋণ সুবিধার মাধ্যমে
গ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঘ কৃষি বনায়নের মাধ্যমে
৭০. সৃষ্টি করা সম্ভব (অনুধাবন)
ক প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করে  উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে
গ রাসায়নিক সার ব্যবহার করে ঘ উচ্চফলনশীল বীজ বপন করে
৭১. বেঁচে থাকার জন্য মানুষের করা নানা রকম কাজ কোনটির অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান)
 অর্থনৈতিক কাজের খ রাজনৈতিক কাজের
গ সামাজিক কাজের ঘ সাংস্কৃতিক কাজের
৭২. প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে কোন যুগ পর্যন্ত মানুষ শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করত? [রংপুর জিলা স্কুল]
 মধ্যযুগ খ পূর্ব মধ্যযুগ গ পশুপালন যুগ ঘ আধুনিক যুগ
৭৩. মানুষ কয়লা, লোহা, গ্যাস ইত্যাদি খনিজ সম্পদ উত্তোলন করতে শিখেছে কোন সময়? (জ্ঞান)
ক বর্তমানকাল খ শিল্পযুগে  আধুনিককালে ঘ পশুপালন যুগে
৭৪. কোনটির ব্যবহার নিশ্চিত করলে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে? [সাতক্ষীরা সরকারি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক মৎস্য সম্পদের ব্যবহার খ পশু সম্পদের ব্যবহার
গ বনজ সম্পদের ব্যবহার  প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার
৭৫. বর্তমানে দেশে কয় ধরনের প্রাণিজ সম্পদের ব্যবহার বেড়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন গ চার ঘ পাঁচ
৭৬. বাড়িঘর তৈরি এবং আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য আমরা কোন সম্পদ ব্যবহার করি? (অনুধাবন)
ক শক্তি সম্পদ খ খনিজ সম্পদ  বনজ সম্পদ ঘ পশু সম্পদ
৭৭. মাজেদ মিয়া কৃষিকাজে আগের মতো অধিক ফসল পান না। উৎপাদন বৃদ্ধি করতে তিনি কী করবেন? (প্রয়োগ)
ক রাসায়নিক সার ব্যবহার খ বেশি কীটনাশক ব্যবহার
 উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার ঘ প্রাকৃতিক সার ব্যবহার
৭৮. কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে গ্রামে কী ঘটবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি খ বয়স্ক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু
গ নারী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ঘ শিল্পায়ন ত্বরান্বিত
৭৯. কোন সময়ে মানুষ বন থেকে ফলমূল সংগ্রহ করত? (জ্ঞান)
 প্রাচীনকালে খ পশুপালন যুগে গ শিল্প যুগে ঘ কৃষিভিত্তিক যুগে
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮০. বনজ সম্পদের গুরুত্ব হলোÑ (অনুধাবন)
র. তাপমাত্রা হ্রাসের ক্ষেত্রে রর. আসবাবপত্র নির্মাণে
ররর. পাকা দালান নির্মাণে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮১. কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উৎপাদন বাড়বে রর. গ্রামে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে
ররর. আমদানি বাড়বে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. বর্তমানে দেশে যে প্রাণিজ সম্পদের ব্যবহার বেড়েছে (অনুধাবন)
র. মৎস্য রর. গবাদি-পশু ররর. হাঁস-মুরগি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮৩. গ্রামের লোক শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা হ্রাসের উপায় হচ্ছেÑ
[সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়]
র. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি রর. কৃষি কাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার
ররর. নতুন নতুন পেশার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৪ ও ৮৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ এক ধরনের সম্পদকে নিজেদের প্রয়োজনে রূপান্তর করে ব্যবহার করে। আধুনিককালে মানুষ উক্ত সম্পদকে আরও দক্ষতার সাথে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় সম্পদটি সীমিত।
৮৪. অনুচ্ছেদে কোন সম্পদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
 প্রাকৃতিক খ কৃত্রিম
গ অর্থনৈতিক ঘ রাষ্ট্রীয়
৮৫. উক্ত সম্পদের ভ‚মিকাÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে রর. সুষম খাদ্যের অভাব পূরণে
ররর. শিল্পের উন্নয়ন ও ব্যবসার প্রসারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
পাঠ-৩ : বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৬. প্রাণীদের কাছ থেকে গাছপালা প্রয়োজনীয় কোনটি পায়? (জ্ঞান)
ক অক্সিজেন  নাইট্রোজেন গ হাইড্রোজেন ঘ কার্বন
৮৭. মানুষ বাতাস থেকে কী গ্রহণ করে? (জ্ঞান)
ক হাইড্রোজেন  অক্সিজেন গ নাইট্রোজেন ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড
৮৮. গ্রামাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক জনসংখ্যা বৃদ্ধি  গাছপালার সংখ্যা হ্রাস
গ নদীনালা ভরাট ঘ কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস
৮৯. পৃথিবীর অনেক প্রাণীরই বিলুপ্তি ঘটার কারণ কোনটি? (অনুধাবন)
ক কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস  জলবায়ু ও তাপমাত্রার পরিবর্তন
গ গাছপালার পরিমাণ হ্রাস ঘ প্রাকৃতির সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার
৯০. ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন গাছপালা ও প্রাণীতে পূর্ণ হয়ে ওঠে কীভাবে? (জ্ঞান)
 প্রাকৃতিক নিয়মে খ কৃত্রিমভাবে
গ সরকারি উদ্যোগে ঘ বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে
৯১. কীভাবে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে? (অনুধাবন)
ক গবাদিপশুর বর্জ্যে  রাসায়নিক বর্জ্যে
গ হাঁস-মুরগির বর্জ্যে ঘ মানুষের বর্জ্যে
৯২. কীভাবে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যায়? (অনুধাবন)
ক জনসংখ্যা বাড়িয়ে  জনসংখ্যা কমিয়ে
গ আন্তঃস্থানান্তর ঘটিয়ে ঘ বহির্গমন ঘটিয়ে
৯৩. বাংলাদেশের কোনটি সর্বোচ্চ হুমকির মুখে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক স্বাস্থ্যসেবা খ জনসংখ্যা  জীববৈচিত্র্য ঘ প্রাকৃতিক সম্পদ
৯৪. বনে জঙ্গলে বিভিন্ন প্রাণী কী করে বেঁচে থাকে? (জ্ঞান)
ক মৌচাকের মধু খেয়ে  একে অন্যকে শিকার করে
গ গাছের বাকল খেয়ে ঘ গাছের পাতা খেয়ে
৯৫. চাষী রিয়াদ তার জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন। তিনি কোন উদ্দেশ্যে এগুলো ব্যবহার করেন? (প্রয়োগ)
ক খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য খ পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য তৈরির জন্য
 বেশি খাদ্য উৎপাদনের জন্য ঘ কম সময়ে উৎপাদনের জন্য
৯৬. সা¤প্রতিক রসুলপুর গ্রামে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। এর কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক জনসংখ্যা হ্রাস খ কৃষিজমি হ্রাস
 গাছপালার হ্রাস ঘ শিল্প-কারখানা হ্রাস
৯৭. রহমান সাহেবের পরিবারের মানুষ বেড়ে যাওয়ায় বসবাসের জন্য তিনি নতুন ঘরবাড়ি ও যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন। এর ফলে কী হয়? (প্রয়োগ)
ক পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায় খ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকে
 পানি প্রবাহ ব্যাহত হয় ঘ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকে
৯৮. বাংলাদেশে প্রথম সিমেন্ট কারখানা স্থাপিত হয় কোথায়?
[সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক নারায়াণগঞ্জ  ছাতক গ চট্টগ্রাম ঘ খুলনা
৯৯. দেশে বর্তমানে কত হাজারেরও অধিক পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে? (জ্ঞান)
ক এক খ দুই  তিন ঘ চার
১০০. দেশে বর্তমানে পোশাক শিল্প ইউনিটগুলোতে প্রায় কত লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ৩০  ৪০ ঘ ৫০
১০১. ২০১২-১৩ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক থেকে কত মার্কিন ডলার আয় করেছে? (জ্ঞান)
 ৮০৯০ খ ৮০৯৫ গ ৮০৯৭ ঘ ৮০৯৮
১০২. ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে কাগজ উৎপাদনের পরিমাণ কত মেট্রিক টন? (জ্ঞান)
ক ৫০.১৬ হাজার খ ৫১.১৬ হাজার
গ ৫২.১৬ হাজার  ৫৩.১৬ হাজার
১০৩. কৃষি প্রধান বাংলাদেশে রাসায়নিক সার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় কেন? (অনুধাবন)
 খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধির জন্য খ জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য
গ মাছের বংশবিস্তারের জন্য ঘ বনজ সম্পদ বৃদ্ধির জন্য
১০৪. ২০১১-১২ অর্থবছরে কত টাকার ঔষধ রপ্তানি হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১০ কোটি  ২০ কোটি গ ৩০ কোটি ঘ ৪০ কোটি
১০৫. ২০১১-১২ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যের উৎপাদন কত বর্গমিটার ছিল? (জ্ঞান)
ক ৫.১৪ মিলিয়ন  ১০.১৪ মিলিয়ন
গ ১৫.১৪ মিলিয়ন ঘ ২০.১৪ মিলিয়ন
১০৬. ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে কত মেট্রিকটন চা উৎপাদিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৬০.০১ হাজার  ৬১.০১ হাজার
গ ৬২.০১ হাজার ঘ ৬৩.০১ হাজার
১০৭. কোথায় চা প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়? (জ্ঞান)
ক রাজশাহীতে খ নাটোরে গ কুমিল্লায়  সিলেটে
১০৮. কোনটি বাংলাদেশের অতি পুরোনো শিল্পের মধ্যে একটি? (জ্ঞান)
ক পোশাক খ ঔষধ গ সার  চা
১০৯. মোট চাহিদার কত পরিমাণ সিমেন্ট দেশে উৎপাদিত হয়? (জ্ঞান)
ক এক তৃতীয়াংশ খ দুই তৃতীয়াংশ গ তিন চতুর্থাংশ  অর্ধেক
১১০. নিচের কোনটি বেসরকারি পর্যায়ের কাগজ শিল্প প্রতিষ্ঠান? (জ্ঞান)
ক খুলনা হার্ডবোর্ড মিল  মাগুরা পেপার মিল
গ খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল ঘ কর্ণফুলী কাগজ কল
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১১. রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. মাছের বংশবিস্তার রর. পাখির বংশবিস্তার
ররর. পোকামাকড়ের বংশবিস্তার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১২. প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে বেঁচে থাকেÑ (অনুধাবন)
র. মানুষ রর. প্রাণী ররর. কীটপতঙ্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৩. জীবজগতের বিভিন্ন প্রাণী ও তরুলতার জন্ম বা মৃত্যু ঘটেÑ (অনুধাবন)
র. জলবায়ুর পরিবর্তনে রর. সমাজ পরিবর্তনে
ররর. তাপমাত্রার পরিবর্তনে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৪. বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর পরিমাণে ছিলÑ (অনুধাবন)
র. বনজঙ্গল রর. কলকারখানা ররর. জীবজন্তু ও পশুপাখি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৫. কৃষি জমির পরিমাণ কমার কারণÑ (অনুধাবন)
র. জলাভ‚মি ভরাট রর. রাস্তাঘাট নির্মাণ
ররর. শহর-গঞ্জ গড়ে ওঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. প্রকৃতিতে ভারসাম্যপূর্ণভাবে ঘটে চলেছে সব প্রাণীরÑ (অনুধাবন)
র. অস্তিত্ব রর. বংশবিস্তার
ররর. বিবর্তন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৭. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উপায় হলোÑ (অনুধাবন)
র. জনসংখ্যা হ্রাস রর. বনজসম্পদ বৃদ্ধি
ররর. রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৮. বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ দিন দিন শহরমুখী হচ্ছে। এতে ঢাকা শহরে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে রর. খাদ্য সরবরাহ কমে গেছে
ররর. পানি সরবরাহ কমে গেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৯. জীববৈচিত্র্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলার ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শহর নির্মাণ রর. পুকুর খনন
ররর. জলাভ‚মি ভরাট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২০. জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিয়ম মেনে চলতে হবেÑ (অনুধাবন)
র. রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে রর. খনিজ পদার্থ ব্যবহারে
ররর. বনজ সম্পদ ব্যবহারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২১ ও ১২২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাসিমার দাদার বাড়ি হাওড় এলাকায়। শীতকালে একসময় এখানে প্রচুর অতিথি পাখি আসত। তার দাদা হাওড় থেকে প্রচুর মাছ নিয়ে আসতেন। এখন সেখানে আগের মতো পাখি আসে না। মাছও কম পাওয়া যায়।
১২১. অনুচ্ছেদে কোন বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
 জীববৈচিত্র্যের ওপর খারাপ প্রভাব
খ মৎস্য সম্পদের ওপর খারাপ প্রভাব
গ পাখি সম্পদের ওপর খারাপ প্রভাব
ঘ জীবজগতের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থার প্রভাব
১২২. উক্ত বিষয়টি রক্ষায় করণীয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সরকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ
রর. বেসরকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ
ররর. সংরক্ষণের বিভিন্ন নীতি অনুসরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
পাঠ-৪ : বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শিল্প
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৩. কত সালে আদমজী পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৫০  ১৯৫১ গ ১৯৫২ ঘ ১৯৫৩
১২৪. বাংলাদেশে একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল কোনটি? (জ্ঞান)
ক ধান  পাট গ গম ঘ তুলা
১২৫. বর্তমানে দেশে কতটি পাটকল আছে? [ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃবিদ্যালয়]
ক ৭২ খ ৭৩ গ ৭৫  ৭৬
১২৬. ২০০৯-১০ অর্থবছরে পাটজাত সামগ্রী থেকে আয় কত? (জ্ঞান)
ক ৩০ কোটি মার্কিন ডলার খ ৩১ কোটি মার্কিন ডলার
 ৩২ কোটি মার্কিন ডলার ঘ ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার
১২৭. ১৯৪৭ সালে এদেশে কতটি বস্ত্রকল ছিল? (জ্ঞান)
ক ৬  ৮ গ ১০ ঘ ১২
১২৮. বাংলাদেশে কয়টি চিনিকল রয়েছে? [সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক ১৫ খ ১৬  ১৭ ঘ ১৮
১২৯. ২০১১-১২ অর্থবছরে চিনি উৎপাদনের পরিমাণ কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ৬৩.৮৪ হাজার মেট্রিক টন খ ৬৭.৮৪ হাজার মেট্রিক টন
গ ৬৮.৩১ হাজার মেট্রিক টন  ৬৯.৩১ হাজার মেট্রিক টন
১৩০. চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী কাগজের কল স্থাপিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৫১ খ ১৯৫২  ১৯৫৩ ঘ ১৯৫৪
১৩১. বর্তমানে দেশে সিমেন্ট কারখানা কতটি? (জ্ঞান)
ক ১০  ১২ গ ১৪ ঘ ১৬
১৩২. ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চামড়া বিক্রি থেকে বাংলাদেশের আয় কত? (জ্ঞান)
ক ১৬ কোটি মার্কিন ডলার খ ১৭ কোটি মার্কিন ডলার
 ১৮ কোটি মার্কিন ডলার ঘ ১৯ কোটি মার্কিন ডলার
১৩৩. সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক সারকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয় কবে? (জ্ঞান)
ক ১৯৫০ খ ১৯৫১ গ ১৯৬০  ১৯৬১
১৩৪. বাংলাদেশে কাগজ শিল্পের যাত্রা শুরু হয় কীভাবে? (জ্ঞান)
ক মাগুরা পেপার মিল স্থাপনের মধ্য দিয়ে
 চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী কাগজ কল স্থাপনের মধ্য দিয়ে
গ খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিল স্থাপনের মধ্য দিয়ে
ঘ বসুন্ধরা পেপার মিল স্থাপনের মধ্য দিয়ে
১৩৫. চা পাতা পানের উপযোগী করা হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক শুকিয়ে গুড়া করার মাধ্যমে খ চিনি মিশ্রিত করার মাধ্যমে
 প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ঘ আগুনে গরম করার মাধ্যমে
১৩৬. ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদেশে জুতা রপ্তানি করে কত মার্কিন ডলার আয় করেছে? (জ্ঞান)
ক প্রায় ১৮ কোটি খ প্রায় ৩২ কোটি
গ প্রায় ৬৭ কোটি ˜ প্রায় ১৯ কোটি মিলিয়ন
১৩৭. প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক সার কারখানা কোনটি? [যশোর জিলা স্কুল]
˜ ফেঞ্চুগঞ্জ খ ঘোড়াশাল গ আশুগঞ্জ ঘ টিএসপি
১৩৮. নাফিজার বাড়ি নাটোরের গোপালপুরে। সেখানে প্রথম কোন শিল্পটি প্রতিষ্ঠিত হয়? (প্রয়োগ)
ক কাগজ  চিনি গ সার ঘ সিমেন্ট
১৩৯. হোসেন মিয়া তার জমিতে অধিক খাদ্যোৎপাদনের জন্য ইউরিয়া সার ব্যবহার করেন। দেশে তার ব্যবহৃত সার কারখানা কয়টি? (প্রয়োগ)
 ৬ খ ৭ গ ৮ ঘ ৯
১৪০. শিল্পায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে কোন শিল্পের প্রাধান্য ছিল? (জ্ঞান)
 বস্ত্র খ চিনি গ কাগজ ঘ সিমেন্ট
১৪১. গত শতকের আশির দশকে কোন শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়? (অনুধাবন)
ক সিমেন্ট খ পাট  তৈরি পোশাক ঘ চিনি
১৪২. বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্প কোনটি? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক বস্ত্র শিল্প  পোশাক শিল্প গ চিনি শিল্প ঘ কাগজ শিল্প
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৩. বাংলাদেশে প্রচুর বস্ত্র ও সুতাকল রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. কুমিল্লা রর. ঢাকা ররর. চট্টগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৪৪. বর্তমানে সিলেট অঞ্চলের পাশাপাশি চায়ের চাষ হচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. পার্বত্য চট্টগ্রামে রর. কুমিল্লায়
ররর. দিনাজপুরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৫. সিমেন্টের প্রয়োজন হয়Ñ (অনুধাবন)
র. পাকা বাড়িঘর তৈরিতে রর. দালানকোঠা ও শহর নির্মাণে
ররর. জাহাজ নির্মাণে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৬. বাংলাদেশের সরকারি পর্যায়ের কাগজ কল হচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. কর্ণফুলী রর. বসুন্ধরা ররর. পাকশী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৭. বাংলাদেশের যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করছে সেগুলো হলোÑ (অনুধাবন)
র. ঔষধ শিল্প রর. চিনি শিল্প ররর. চামড়া শিল্প
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৮. জনাব রোহান একটি সিমেন্ট কারখানায় গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য তিনি পরামর্শ দেনÑ (প্রয়োগ)
র. বালি রর. চুনাপাথর ররর. প্রাকৃতিক গ্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৯. বর্তমানে ঔষধ শিল্প সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে বিবেচিত হওয়ার কারণÑ (অনুধাবন)
র. বিদেশে ঔষধ রপ্তানি হচ্ছে
রর. দেশের ঔষধ চাহিদা পূরণ হচ্ছে
ররর. বিদেশ থেকে ঔষধ আমদানি হচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫০. বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পোশাক রপ্তানি করছেÑ (অনুধাবন)
র. আফ্রিকার দেশগুলোতে রর. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে
ররর. ইউরোপের দেশগুলোতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ : বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিল্প
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫১. কিসের উন্নতি দেশের জনগণের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সহায়তা করে? (জ্ঞান)
ক রাজনৈতিক খ দৃষ্টিভঙ্গির  অর্থনৈতিক ঘ সামাজিক
১৫২. বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় শিল্পায়ন ঘটছে কীভাবে? [সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, বরিশাল]
ক দ্রæত খ ধীরে  অত্যন্ত দ্রæত ঘ অত্যন্ত ধীরে
১৫৩. কার আর্থসামাজিক অবস্থা এখন শিল্পায়নের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে? (জ্ঞান)
ক তাঁতির খ কামারের  কৃষকের ঘ জেলের
১৫৪. বাংলাদেশে জনসংখ্যার চাপ কেমন? (জ্ঞান)
ক কম খ মাঝারি গ অনেক কম  অত্যন্ত বেশি
১৫৫. বাংলাদেশে কোন শিল্পের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক নারী জড়িত? (জ্ঞান)
ক বস্ত্র  গার্মেন্টস গ আবাসন ঘ চামড়া
১৫৬. সকল রাষ্ট্রই দ্রæত শিল্পায়ন ঘটানোর জন্য কী প্রণয়ন করছে? (জ্ঞান)
ক কঠোর আইন খ কঠোর নীতিমালা
 উদার নীতিমালা ঘ উদার আইন
১৫৭. দ্রæত দেশের আর্থসামাজিক পরিবর্তন বা উন্নতি ঘটাতে হলে কোনটির কোনো বিকল্প নেই? (জ্ঞান)
 শিল্প বিকাশের খ কৃষি বিকাশের
গ যন্ত্র বিকাশের ঘ তথ্য বিকাশের
১৫৮. মানুষ শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে আর্থসামাজিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলছে তাকে আমরা সংক্ষেপে কী বলি? (জ্ঞান)
ক তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন খ আর্থসামাজিক অবস্থা
গ প্রচলিত জীবন ব্যবস্থা  আধুনিক জীবন ব্যবস্থা
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৯. বর্তমানে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নারীÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শুধুই সন্তান লালনপালন করছে
রর. দারিদ্র্য ঘোচাতে গার্মেন্টসে যুক্ত হয়েছে
ররর. প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতা অর্জন করছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬০. দ্রæত আর্থসামাজিক উন্নতির ফলে শহরে বৃদ্ধি পাচ্ছেÑ (অনুধাবন)
র. অতি দরিদ্রের সংখ্যা রর. উচ্চবিত্তের সংখ্যা
ররর. নিম্নবিত্তের সংখ্যা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬১. আমরাও উন্নত আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবÑ
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে রর. তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে
ররর. বিজ্ঞানের প্রসার ঘটিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৬২. সকল রাষ্ট্রই দ্রæত শিল্পায়ন ঘটানোর জন্যÑ (অনুধাবন)
র. উদার নীতিমালা প্রণয়ন করছে
রর. কঠোর আইন প্রণয়ন করছে
ররর. শিল্পদ্যোক্তাদের নিজ দেশে শিল্প প্রতিষ্ঠার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৩. শিল্প ও প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে কৃষকÑ
র. অধিক ফসল ফলাচ্ছে রর. নিজের চাহিদা পূরণ করছে
ররর. বাজারে ফসল বিক্রি করছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৬৪. শিল্পের বিকাশে প্রধান ভ‚মিকা পালন করে মানুষেরÑ (অনুধাবন)
র. উদ্যোগ রর. পুঁজি ররর. অভিজ্ঞতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৫ ও ১৬৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পাট রপ্তানিতে সুবিধা করতে না পারায় গত কয়েক বছর ধরে পাট চাষে সমৃদ্ধ সুলতানাবাদ গ্রামের কৃষকরা দরিদ্রতার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে। বর্তমানে সেখানে একটি কারখানা স্থাপন করায় কৃষকদের মধ্যে সচ্ছলতা ফিরে আসছে।
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
১৬৫. অনুচ্ছেদে নিচের কোন জিনিসটির অবদানের ইঙ্গিত রয়েছে?
ক পাটের খ কৃষির  শিল্পের ঘ সম্পদের
১৬৬. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কারখানা স্থাপনের মতো উদ্যোগগুলো অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করেÑ
ক কৃষির উন্নয়নে খ চাহিদা কমাতে
 জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ঘ রোগ নিরাময়ে

১৬৭. সম্পদের মাধ্যমে অগ্রগতি ঘটে মানুষের (অনুধাবন)
র. অর্থনৈতিক জীবনের রর. সামাজিক জীবনের
ররর. রাজনৈতিক জীবনের
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৮. মানুষের আর্থ-সামজিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে (অনুধাবন)
র. খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য উৎপাদনকে কেন্দ্র করে
রর. বণ্টন ও ভোগকে কেন্দ্র করে
ররর. জনসংখ্যা ও বনজসম্পদকে কেন্দ্র করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৯. দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করার ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কৃষিশিল্প উন্নত হবে রর. কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে
ররর. সম্পদ বৃদ্ধি পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭০. দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাপ পড়ছে (অনুধাবন)
র. প্রাণি সম্পদের ওপর
রর. মৎস্য সম্পদের ওপর
ররর. গাছপালার ওপর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রতন তার বন্ধুদের নিয়ে ঘোড়াশালে একটি শিল্প কারখানা দেখতে এসেছে। সে এ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার দেখতে পায়। একইসঙ্গে এ শিল্পের উৎপাদিত পণ্য দেশে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভ‚মিকার কথা জানতে পারে।
ক. কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়?
খ. বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্পটি বর্ণনা কর।
গ. রতনের দেখা শিল্পটির পরিচয় ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘রতনের অভিজ্ঞতায় কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির সাথে শিল্পায়নের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে।’- এর যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. নারায়ণগঞ্জের আদমজী পাটকলের মাধ্যমে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।
খ. বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্পটি হচ্ছে পোশাক শিল্প।
বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশে তিন হাজারেরও অধিক পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে। এতে ৪০ লাখের অধিক শ্রমিক কাজ করছে। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক থেকে ৮০৯০ মার্কিন ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে।
গ. উদ্দীপকের রতনের দেখা শিল্পটি ঘোড়াশালের বিখ্যাত রাসায়নিক সার উৎপাদন কারখানা।
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে খাদ্যোৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যেই রাসায়নিক সার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৬১ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে এখন ৬টি ইউরিয়া ও একটি টিএসপি সার কারখানা চালু আছে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, রতন তার বন্ধুদের নিয়ে ঘোড়াশালে একটি শিল্প-কারখানা দেখতে গিয়েছিল। সে এ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার দেখতে পায় এবং উৎপাদিত পণ্যটি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
ঘ. রতনের অভিজ্ঞতায় কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে শিল্পোন্নয়নের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। উক্তিটি যথার্থ।
বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থাও এখন শিল্পায়নের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। শিল্প ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক এখন অধিক ফসল ফলাচ্ছে। নিজের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত ফসল বাজারে বিক্রি করে অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছে। শিল্প ও প্রযুক্তির ব্যবহারে অর্থাৎ শিল্পায়নের উত্তরোত্তর উন্নতির ফলে বর্তমানে কৃষকের জীবন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছল ও নিরাপদ।
উদ্দীপকে রতনের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণেও আমরা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারি যে, তার দেখা শিল্প-কারখানাটি ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা যা তার অভিজ্ঞতায় উলি­খিত হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্যান্য কারখানার মতো ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানাও বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালনের মাধ্যমে শিল্পায়নের সাথে কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিষয়টিকে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
সুতরাং স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয়, ‘রতনের অভিজ্ঞতায় কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে শিল্পায়নের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে’।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাদিয়া তার বাবার সাথে ভোলা শহরের রাস্তা ধরে হাটছিল। হঠাৎ ভিড় দেখে কাছে গিয়ে দেখল একটি টিউবওয়েল দিয়ে পানি পড়ছে। একটি ছেলে ম্যাচের কাঠিতে আগুন ধরিয়ে টিউবওয়েলের কাছে ধরার সাথে সাথেই সেখানে আগুন জ্বলে ওঠে। নাদিয়ার প্রশ্নের জবাবে বাবা বললেন, মাটির নিচ থেকে এক ধরনের বায়বীয় পদার্থ পানির সাথে মিশেছে বলেই এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বললেন উক্ত বায়বীয় পদার্থটি গৃহস্থালি ও কলকারখানার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ক. বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ কোনটি?
খ. মৎস্য সম্পদের সাথে জীবিকা অর্জনের সম্পর্ক বর্ণনা কর।
গ. নাদিয়ার দেখা সম্পদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উক্ত সম্পদের প্রাচুর্যই দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক, এ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দাও।
ল্ফল্প ২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ মাটি।
খ. বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের সাথে জীবিকা অর্জনের বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
বাংলাদেশে অনেক নদনদী, খালবিল এবং দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। এসব খালবিল, নদনদীতে রয়েছে প্রচুর মিঠা পানির মাছ। এছাড়া সামুদ্রিক মাছও আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। আর মাছ ধরে বাংলাদেশের বহু মানুষ জীবিকা অর্জন করে।
গ. নাদিয়ার দেখা প্রাকৃতিক সম্পদটি হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস।
খনিজ সম্পদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। সাধারণত বাসাবাড়িতে রান্নাবান্না, শিল্প-কারখানায় বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা ধরনের শিল্পোৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে; যেমন: সার শিল্পে, এমনকি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজেও ব্যবহৃত হয় এ গ্যাস যা উদ্দীপকের মধ্যেও আলোচিত হয়েছে। আমাদের দেশের বনাঞ্চলের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বর্তমানে জ্বালানির প্রয়োজনে প্রাকৃতিক গ্যাসের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের জাতীয় জীবনে খনিজ সম্পদ হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভ‚মিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের নাদিয়ার দেখা বায়বীয় পদার্থটি ছিল বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ গ্যাস। এটি গৃহস্থালির কাজে এবং শিল্প-কারখানায় এদেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় বলে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
ঘ. গ্যাস সম্পদের প্রাচুর্যই দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক।
বাংলাদেশের মাটির নিচে রয়েছে নানা মূল্যবান খনিজ সম্পদ। গ্যাস সম্পদ তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে গৃহস্থালিসহ কলকারখানার নানা শিল্প উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই গ্যাস। বিশেষ করে রান্নাবান্না ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে এর ব্যবহার সর্বাপেক্ষা উলে­খযোগ্য। উদ্দীপকে নাদিয়ার বাবার কথায় এর উল্লেখ পাওয়া যায়। আর প্রাকৃতিক গ্যাস হিসেবে প্রধানত মিথেন গ্যাসের ব্যবহার বেশি। তার উলে­খযোগ্য প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশের সার কারখানাগুলো। কেননা সেখানে গ্যাস থেকে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উৎপন্ন হয় ইউরিয়া সার। এই ইউরিয়া সার বর্তমানে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বরং গ্রামীণ সমাজের পরিবর্তনের মূলে এই উৎপাদন ব্যবস্থা কাজ করছে।
সামগ্রিক আলোচনায় একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, উক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করে। কাজেই বাংলাদেশের ভূঅভ্যন্তরে এ সম্পদটির প্রাচুর্য থাকায় আমরা যত বেশি পরিমাণে তা উত্তোলনপূর্বক তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারব, আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নও ততই গতিশীল হবে।
সুতরাং উক্ত সম্পদ তথা গ্যাস সম্পদের প্রাচুর্য দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক।

প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সালেহা বাংলাদেশের এমন একটি শিল্প কারখানায় কাজ করছে যেখানে অধিকাংশ শমিকই নারী। এ শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।
ক. বাংলাদেশের মোট ভ‚ভাগের কতভাগ বনভ‚মি? ১
খ. বর্তমানে ঔষধ শিল্পকে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত শিল্পটি সম্পর্কে বর্ণনা কর। ৩
ঘ.‘উক্ত শিল্পটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে নারী সমাজের ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখছে।’- উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. বাংলাদেশের মোট ভ‚ভাগের ১৬ ভাগ বনভ‚মি রয়েছে।
খ. বাংলাদেশে বর্তমানে ঔষধ শিল্প একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এক সময় আমাদেরকে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিদেশ থেকে ঔষধ আমদানি করতে হতো। এখন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কয়েকটি ঔষধ কোম্পানি তৈরি হয়েছে যারা দেশের ব্যাপক ঔষধ চাহিদার অনেকটাই পূরণ করছে, একই সঙ্গে বিদেশে ঔষধ রপ্তাানিও করছে। ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে ২০ কোটি টাকার ঔষধ রপ্তানি হয়েছে। এসব কারণে বর্তমানে এ শিল্পকে সম্ভাবনাময় শিল্প বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পটি হলো পোশাক শিল্প।
সা¤প্রতিককালে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। গত শতকের আশির দশকে এ শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। অতি অল্প সময়ে এ শিল্পটি দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশে বর্তমানে তিন হাজারেরও অধিক পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে। এতে প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে। এদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক নারী রযেছে যারা নিজেদের দারিদ্র্য ঘোচাতে গার্মেন্টেসে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। ২০১২-১৩ অর্থ বছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক থেকে ৮০৯০ মার্কিন ডলার আয় করেছে।
উদ্দীপকে এ পোশাক শিল্পের কথাই ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে যে, এ শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। যে শিল্পের অধিকাংশ শ্রমিকই নারী।
ঘ. উক্ত শিল্প পোশাক শিল্প বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে নারী সমাজের ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখছে।
বাংলাদেশে একমাত্র গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গেই এখন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ জড়িত আছে। এদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক হলো নারী- যারা নিজেদের দারিদ্র্য ঘোচাতে গার্মেন্টসে যুক্ত হয়েছে। উদ্দীপকে উক্ত শিল্প তথা পোশাক শিল্পটির মাধ্যমে নারীরা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতা অর্জন করায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে সমাজের ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তারা নিজেরাও স্বাবলম্বী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছে। অনেকেই কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া ও প্রশিক্ষণ নিয়ে অধিকতর দক্ষতা অর্জন করছে। নিজেদের সন্তানদের তারা লেখাপড়ার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জামান কয়েকটি শিল্পকারখানা পরিদর্শন করার জন্য নারায়ণগঞ্জ গিয়েছে। একটি কারখানায় সে কার্পেট, ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রী দেখে। অন্য আরেকটি কারখানায় সে অনেকগুলো নারীকে কাজ করতে দেখে। সে জানতে পারে এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ক. ২০১১-২০১২ অর্থবছরে কী পরিমাণ সিমেন্ট উৎপাদন করা হয়? ১
খ. মৎস্য সম্পদের সাথে জীবিকা অর্জনের সম্পর্ক বর্ণনা কর। ২
গ. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পগুলোর ভ‚মিকা আলোচনা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উক্ত শিল্পগুলোই যথেষ্ট? যুক্তি দেখাও। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ৩১৯৭.১১ হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদিত হয়।
খ. বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের সাথে জীবিকা অর্জনের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল-বিলে প্রচুর মিঠা পানির মাছ রয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে রয়েছে সামুদ্রিক মাছ। এসব মাছ ধরা ও বাজারজাতকরণের সাথে এদেশের বহু লোক জড়িত।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পগুলো হলো পাট ও পোশাক শিল্প। এ শিল্প দুটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
পাট শিল্প : ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জে আদমজি পাটকল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ দেশে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ৭৬টি পাটকল আছে। এ পাট শিল্প থেকে বস্তা, কার্পেট, ব্যাগ ও নানা ধরনের পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে পাটজাত সামগ্রী বিক্রি করে ৩২ কোটি মার্কিন ডলার আয় করছে।
পোশাক শিল্প : পোশাক শিল্প দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্প। এ শিল্পে প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে। এ শিল্পের তৈরি পোশাক দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করে বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক থেকে ৮০৯০ মার্কিন ডলার আয় করছে।
ঘ. আমি মনে করি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উক্ত শিল্পগুলো তথা পাট ও পোশাক শিল্প যথেষ্ট নয়। পাট শিল্প ও পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। তবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শুধæ এ দুটি শিল্পই যথেষ্ট নয়। এছাড়াও আমাদের দেশে রয়েছে বস্ত্রশিল্প, চিনিশিল্প, কাগজশিল্প, সারশিল্প, সিমেন্টশিল্প, ঔষধশিল্প, চামড়াশিল্প ও চাশিল্প। যে শিল্পগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নিয়ামক ভ‚মিকা পালন করছে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ শিল্পগুলোর বিকল্প নেই। আমাদের দেশের পূর্ণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে হলে উক্ত শিল্পগুলোর পাশাপাশি কৃষির উন্নয়নও বাধ্যতামূলক। তাই আমরা বলতে পারি শুধু পাট ও পোশাক শিল্প নয়, দেশের সমগ্র শিল্প এবং কৃষির উন্নয়ন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মধুপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি কারখানা পরিদর্শন করে। কারখানাটিতে স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত উপকরণগুলো ব্যবহার করেই উৎপাদন কাজ পরিচালিত হয়।
ক. প্রাকৃতিক সম্পদ কী? ১
খ. জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মধুপুর স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখা কারখানাটি বাংলাদেশের কোন শিল্পকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উক্ত শিল্পের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুই প্রাকৃতিক সম্পদ।
খ. প্রকৃতির মধ্যে সব রকমের জীব যে নিয়মে বেঁচে থাকে তাকেই সংক্ষেপে জীববৈচিত্র্য বলা যায়। সবুজ গাছপালা বাতাসে যে অক্সিজেন ছড়িয়ে দিচ্ছে তা গ্রহণ করে প্রাণীরা বেঁচে থাকে। আবার প্রাণীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন পায় গাছপালা। বনের বিভিন্ন প্রাণী একে অন্যকে শিকার করে বেঁচে থাকে। এভাবে প্রকৃতির বুকে নানা ধরনের জীব একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত থেকে প্রকৃতিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করেছে। আর জীবের এ বৈচিত্র্যই জীববৈচিত্র্য।
গ. উদ্দীপকে মধুপুর স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখা দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কারখানাটি বাংলাদেশের কাগজ শিল্পের প্রতি ইঙ্গিত করেছে।
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ১৯৫৩ সালে চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী কাগজের কল স্থাপিত হওয়ার মধ্যদিয়ে এদেশে কাগজ শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। স্থানীয় বাঁশ ও বেতকে ব্যবহার করে কাগজ উৎপাদন শুরু হয়। দেশে এখন সরকারি ও বেসরকারিখাতে বেশ কয়েকটি কাগজের কল রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে কর্ণফুলী, পাকশী, খুলনা হার্ডবোর্ড ও নিউজপ্রিন্ট মিল ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে বসুন্ধরা ও মাগুরা পেপার মিল উল্লেখযোগ্য কাগজ শিল্প প্রতিষ্ঠান। ২০১১-১২ অর্থবছরে আমাদের কাগজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৫৩.১৬ হাজার মেট্রিক টন।
ঘ. বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাগজ শিল্পের ভ‚মিকা অপরিসীম। একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে শিল্পের ওপর। আর শিল্পের বিকাশে মানুষের উদ্যোগ, পুঁজি এবং গবেষণা ও অভিজ্ঞতাই প্রধান ভ‚মিকা পালন করে। এখন সকল রাষ্ট্রই দ্রæত শিল্পায়ন ঘটানোর জন্যে উদার নীতিমালা প্রণয়ন করছে, দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তাদরে নিজ দেশে পুঁজি বিনিয়োগ ও শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে। অর্থনৈতিক উন্নতিই দেশের জনগণের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সহায়তা করে। সে কারণে দ্রæত দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন বা উন্নতি ঘটাতে হলে কাগজ শিল্পের ভ‚মিকাও কোনো অংশে খাটো করে দেখা যাবে না। বরং এ শিল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ঘটেছে অনেক বেশি। ২০১১-১২ অর্থবছরে আমাদের কাগজ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৫৩.১৬ হাজার মেট্রিক টন।
তাছাড়া এ কাগজ শিল্পের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাগজ ব্যবহার করছে। সুতরাং এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাগজশিল্পের ভ‚মিকা অপরিসীম।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মা ও মেয়ে সুমির কথোপকথন :
সুমি : মা কোন পাখি ডাকছে?
মা : ঘু-ঘু, এ পাখিটার নাম ঘুঘু।
সুমি : আমি এ প্রথম এ পাখির ডাক শুনলাম।
মা : এ পাখি এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। শুধু পাখি না, অনেক পশুও আজ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
সুমি : অথচ আমাদের সচেতনতা ও সক্রিয়তাই পারে তাদের টিকিয়ে রাখতে।
ক. বাংলাদেশের কতভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা? ১
খ. অর্থনৈতিক কাজ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মায়ের ২য় উক্তিটির পিছনের কারণগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.সুমির শেষোক্ত উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. বাংলাদেশের ১০ ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা।
খ. বেঁচে থাকার জন্য মানুষ নানারকম কাজ করে। এসব মানুষের অর্থনৈতিক কাজ। এ অর্থনৈতিক কাজের ওপর ভিত্তি করেই সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে। যেমন মানুষ যখন ফসল ফলাতে শেখে তা ছিল অর্থনৈতিক কাজ যার ওপর ভিত্তি করে কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
গ. উদ্দীপকের মায়ের ২য় উক্তি তথা পশুপাখি বিলুপ্ত হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে।
জলবায়ু ও তাপমাত্রার নানা পরিবর্তনের ফলে জীবজগতের বিভিন্ন প্রাণী ও তরুলতার জন্ম বা মৃত্যু ঘটে। লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর জলবায়ুতে যেসব প্রাণী বেঁচে ছিল তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের মধ্যে অনেক প্রাণীরই বিলুপ্তি ঘটেছে। বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর বনজঙ্গল, জীবজন্তু ও পশুপাখি ছিল। নিচু জলাভ‚মিতে ছিল প্রচুর জলচর প্রাণী। দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জলাভ‚মি ভরাট করে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শহর নির্মিত হচ্ছে। ফলে জলচর প্রাণী ও মাছের বংশবিস্তারে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে গাছপালা, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সম্পদের ওপর চাপ পড়ছে। পাখিসহ নানা ধরনের প্রাণি জীববৈচিত্র্য পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মানুষের বিভিন্ন অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ড, যেমন শিল্পকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ইত্যাদি পশুপাখির বংশবিস্তারে বাধা সৃষ্টি করছে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।
ঘ. সুমির শেষোক্ত উক্তি তথা আমাদের সচেতনতা ও সক্রিয়তাই পারে জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে। বস্তুত জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের সচেতনতা ও সক্রিয়তার বিকল্প নেই। জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে যেসব করণীয় রয়েছে তা হলো-
১. জনসংখ্যা কমিয়ে আনা; ২. কৃষিজমি নষ্ট না করা; ৩. কৃষি উৎপাদনে জীববৈচিত্র্য রক্ষার নীতি অনুসরণ করা; ৪. অপ্রয়োজনে সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করা; ৫. স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ না করা; ৬. জলাধার নির্মাণ ও সংরক্ষণ করা; ৭. রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে নিয়ম মেনে চলা; ৮. খনিজ পদার্থ ব্যবহারে প্রাকৃতিক নিয়ম মানা; ৯. অধিক হারে বনায়ন করা; ১০. পশু ও মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা। এসব করণীয় দায়িত্বসমূহ পালনে তথা জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা ও সক্রিয়তাই যথেষ্ট। অর্থাৎ সুমির শেষোক্ত উক্তিটি যথার্থ ও সঠিক।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাজেদার বিয়ে হয় এক কারখানা শ্রমিকের সাথে। বিয়ের পর পারিবারিক স্বচ্ছলতার জন্য সে নিজেও স্বামীর সাথে কাজে যোগ দেয়। আশির দশকে প্রতিষ্ঠিত কারখানাটির উৎপাদিত পণ্য আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
ক. প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে? ১
খ. জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্পটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে উক্ত শিল্পের অবদান মূল্যায়ন কর। ৪
 ৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুই প্রাকৃতিক সম্পদ।
খ. প্রকৃতির মধ্যে সব রকমের জীব যে নিয়মে বেঁচে থাকে তাকেই সংক্ষেপে জীববৈচিত্র্য বলা যায়। সবুজ গাছপালা বাতাসে যে অক্সিজেন ছড়িয়ে দিচ্ছে তা গ্রহণ করে প্রাণীরা বেঁচে থাকে। আবার প্রাণীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন পায় গাছপালা। বনের বিভিন্ন প্রাণী একে অন্যকে শিকার করে বেঁচে থাকে। এভাবে প্রকৃতির বুকে নানা ধরনের জীব একে অপরের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত থেকে প্রকৃতিকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করেছে। আর জীবের এ বৈচিত্র্যই জীববৈচিত্র্য।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্পটি হলো পোশাক শিল্প। উদ্দীপকের শিল্পটি আশির দশকে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর উৎপাদিত পণ্য আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। অর্থাৎ উদ্দীপকের শিল্পটি পোশাক শিল্প।
গত শতকের আশির দশকে পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। অতি অল্পসময়ে এ শিল্পটি দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমূখী শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশে বর্তমানে তিনহাজারেও অধিক পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে। এতে ৪০ লক্ষের অধিক শ্রমিক কাজ করছে। বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে।
ঘ. বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে উক্ত শিল্প তথা পোশাক শিল্পের অবদান অপরিসীম।
সা¤প্রতিককালে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ শিল্পটি অসংখ্যা মানুষের জীবন জীবিকার সঙেগ ওতপ্রোতভাবে মিশে গেছে। বর্তমানে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ এ শিল্পের সাথে জড়িত। এ শিল্পের ফলে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারীকে জনসম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব হচ্ছে। অসংখ্য নারী নিজেদের দারিদ্র্য ঘোচাতে গার্মেন্টসে যুক্ত হয়েছেন। এতে তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন। অনেকে কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া ও প্রশিক্ষণ নিয়ে অধিকতর দক্ষতা অর্জন করেছে। নিজেদের সন্তানদের তারা লেখাপড়ার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এছাড়াও এ শিল্প উৎপাদিত পণ্য আমরা ইউরোপ আমেরিকায় রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। যা আমাদের জীবনমানকে অনেক উন্নত করে তুলছে।
অতএব একথা বলা যায় যে, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাশেদ চৌধুরী বিশ বছর পর উত্তর কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে কয়েকটি জায়গা ভ্রমণ করে তিনি দেখতে পান যে বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ, বনজ সম্পদ রয়েছে। যেমন : কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, চুনাপাথর, চীনামাটি সিলিকা ইত্যাদি। তার বিশ ত্রিশ একর জমি আছে। এখন তিনি তার গ্রামের কৃষি কাজের উন্নয়নের জন্য সেগুলো চাষাবাদ করতে চান।
ক. প্রাকৃতিক সম্পদ কী? ১
খ. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো কী কী উদাহরণসহ লিখ। ২
গ. রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ দেখেছেন। তার দেখা বন ও মৎস্য সম্পদের ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.রাশেদ চৌধুরী কেন বাংলাদেশের কৃষির উন্নতির জন্য তার জমি ব্যবহার করতে চান? বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুই প্রাকৃতিক সম্পদ।
খ. বাংলাদেশে নানা মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। যেমন মাটি নদনদী খনিজসম্পদ, বনজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, প্রাণী সম্পদ সমুদ্র সম্পদ ইত্যাদি।
গ. রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশের অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ দেখেছেন। তার দেখা বন ও মৎস্য সম্পদের ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো :
বাংলাদেশে মোট বনভ‚মির পরিমাণ ২৪,৯৩৮ বর্গকিলোমিটার। দেশের মোট ভ‚-ভাগের ১৬ ভাগ হচ্ছে বন। বনে রয়েছে মূল্যবান গাছপালা। এগুলো আমাদের ঘরবাড়ি ও আসবাব তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বনে রয়েছে পাখি ও প্রাণিসম্পদ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনের গুরুত্ব অপরিসীম।
বাংলাদেশে অনেক নদনদী, খালবিল ও দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। এ সব খালবিল, নদনদীতে রয়েছে প্রচুর মিঠা পানির মাছ। এছাড়া সামুদ্রিক মাছও আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছে। মাছ ধরে বহু মানুষ জীবিকা অর্জন করে।
ঘ. রাশেদ চৌধুরি বাংলাদেশের কৃষির উন্নতির জন্য তার জমি ব্যবহার করতে চান। কেননা বাংলাদেশের মাটি তথা জমি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এদেশের সমতল ভ‚মি খুবই উর্বর। বেশিরভাগ এলাকায় বছরে তিনটি ফসল উৎপন্ন হয়। আমাদের দেশের এ উর্বর মাটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করলে কৃষি উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে। পাশাপাশি কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও উৎপাদন বাড়বে এবং গ্রামে নতুন নতুন কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হবে। ফলে কাজের জন্য তখন আর গাঁয়ের লোক শহরের দিকে ছুটবে না। এছাড়া কৃষি জমিকে কাজে লাগিয়ে গবাদি পশু, হাঁসমুরগি ও মৎস্য এই তিন ধরনের প্রাণিজ সম্পদ বাড়ানো সম্ভব। এর ফলে সুষম খাদ্যের অভাব পূরণ হবে। অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ খামার সৃষ্টি হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। সর্বোপরি অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। এজন্য রাশেদ চৌধুরী বাংলাদেশের কৃষি উন্নতির জন্য তার জমি ব্যবহার করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
প্রশ্ন -৯  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহিম বরগুনায় তার নানাবাড়ি বেড়াতে যান। তার নানার বিশাল মাছের ঘের রয়েছে। সেখানে অনেক শ্রমিক কাজ করে। সেখান থেকে সে তার মামার সাথে পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কাছেই বিশাল লবণ কারখানা দেখতে যায়।

ক. প্রাকৃতিক সম্পদ কী? ১
খ. “বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প একটি সম্ভাবনাময় শিল্প” ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রহিমের মামার সাথে ঘুরে দেখা স্থানটি বাংলাদেশের কোন প্রাকৃতিক সম্পদের অন্তর্গত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রহিমের মামার ভূমিকা মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
খ. বাংলাদেশে বর্তমানে ঔষধ একটি সম্ভাবনাময় শিল্প হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এক সময় আমাদেরকে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিদেশ থেকে ঔষধ আমদানি করতে হতো। এখন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কয়েকটি ঔষধ কোম্পানি তৈরি হয়েছে যারা দেশের ব্যাপক ঔষধ চাহিদার অনেকটাই পূরণ করছে, একই সঙ্গে বিদেশে ঔষধ রপ্তানিও করছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে ২০ কোটি টাকার ঔষধ রপ্তানী হয়েছে।
গ. রহিমের মামার সাথে ঘুরে দেখা স্থানটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সমুদ্র সম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
সমুদ্র সম্পদ হিসেবে প্রথমেই বলতে হয়, বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। সাগর তীরে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম ও মংলা দুটি সমুদ্র বন্দর। এছাড়া স¤প্রতি নির্মিত হয়েছে পায়রা সমুদ্র বন্দর। রহিম তার মামার সাথে এই পায়রা সমুদ্রবন্দর দেখতে যায়। সেখানে সে বিশাল লবণ কারখানাও দেখতে পায়। এসব কারখানায় সাগরের পানি থেকে আমরা লবণ উৎপন্ন করি। তাছাড়া সাগর থেকে আহরণ করি প্রচুর মাছ।
সুতরাং রহিমের মামার সাথে ঘুরে দেখা স্থানটি প্রাকৃতিক সম্পদ সমুদ্র সম্পদের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ. আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে রহিমের মামা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন।
মূলত মৎস্য চাষের বর্ণিত খাতটি কৃষিজ উৎপাদনের অন্তর্ভুক্ত। রহিমের মামাদের মতো মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির খামার দেশে আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অনেকক্ষেত্রে রপ্তানিমুখী। যেমন : চিংড়ি চাষের ক্ষেত্রে। আবার পরিকল্পিতভাবে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বাড়ানো যায়, সেই সাথে গ্রামে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ে। বর্তমানে দেশে মৎস্য সম্পদের ব্যবহারও বেড়েছে। তাই এ খাতটি অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পাশাপাশি সামাজিক অবস্থারও উন্নতি ঘটায়। গ্রামের লোকজনও এতে শহরমুখী হয় না। উদ্দীপকে রহিমের মামা গ্রামের বাড়িতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এরূপ ভ‚মিকাই রাখছেন।
সুতরাং বলা যায়, গ্রামনির্ভর এ দেশটিতে রহিমের মামার কাজ তথা মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ও উন্নয়ন আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে কত লক্ষ মানুষ জড়িত? ১
খ. সামাজিকভাবে কৃষকদের জীবনব্যবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ছকে ‘ক’ এর বিকাশ কিসের ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.আমাদের জীবন ব্যবস্থায় ‘ক’ এর বিকাশের প্রভাব আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ জড়িত।
খ. কৃষি উৎপাদনে শিল্প ও প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে সামাজিকভাবে কৃষকদের জীবনব্যবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ।
শিল্প ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক এখন অধিক ফসল ফলাচ্ছে। নিজের চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত ফসল বিক্রি করে নিজের অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছে। তাই কৃষকের জীবনব্যবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ।
গ. উদ্দীপকের ছকে ‘ক’ এর বিকাশ শিল্প বিকাশের ইঙ্গিত করে।
বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় অত্যন্ত দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। আর শিল্পায়নের ফলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, মানুষের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে গড়ে উঠেছে আধুনিক জীবনব্যবস্থা।
উদ্দীপকের ছকে আমরা দেখি যে, ‘ক’ এর বিকাশের প্রভাবে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মানুষের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব উন্নয়নের ফলে গড়ে উঠেছে আধুনিক সমাজব্যবস্থা। সুতরাং ‘ক’-এর বিকাশ শিল্প বিকাশের ইঙ্গিত করে।
ঘ. আমাদের আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় ‘ক’ তথা শিল্প বিকাশের প্রভাব নানা দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় অত্যন্ত দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। শিল্প ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষক আগের চেয়ে অধিক ফসল ফলাচ্ছে। চাহিদা পূরণ করেও বাজারে ফসল বিক্রি করে নিজের অন্যান্য চাহিদা পূরণ করতে পারছে। সামাজিকভাবে কৃষকের জীবনব্যবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক নিরাপদ। কল-কারখানায় কাজ করে শ্রমিক কর্মজীবীদের পরিবারের দারিদ্র্য ঘুচানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে শুধু গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গেই প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ জড়িত আছে। এর অধিকাংশই নারী। তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজের সন্তানদের লেখাপড়া করানোর মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারছে। শিল্পায়নের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুযোগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এভাবে শিল্পায়নের ফলে গড়ে উঠছে আধুনিক সমাজব্যবস্থা।
উদ্দীপকে দেখা যায়, ‘ক’ এর বিকাশের প্রভাবে গড়ে উঠেছে আধুনিক সমাজব্যবস্থা। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও শিল্পের উন্নতি ঘটিয়েই আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। আর এভাবেই শিল্পায়ন আধুনিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে।
প্রশ্ন -১১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
স্বল্পশিক্ষিত লতিফ কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকায় এসে স্ত্রীসহ একটি শিল্পকারখানায় কাজ নেন। এ ধরনের কারখানাগুলোর অধিকাংশ শ্রমিকই নারী। বাংলাদেশে এই শিল্প খাতে প্রায় ৩০ লক্ষের অধিক শ্রমিক কাজ করে। লতিফ ও তার স্ত্রী বর্তমানে সন্তানদের শিক্ষিত ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
ক. আদমজী পাটকল কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? ১
খ. জীববৈচিত্র্যের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের কোন শিল্প বিবৃত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উক্ত শিল্পটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কতটুকু ভ‚মিকা রাখছে? মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. আদমজী পাটকল ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
খ. প্রকৃতির পরিবেশের মধ্যে সব রকমের জীব যে নিয়মে বেঁচে থাকে তাকেই সংক্ষেপে জীববৈচিত্র্য বলা যায়। মানুষ, প্রাণী ও কীটপতঙ্গসহ জীবজগৎ প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই বেঁচে থাকে। প্রকৃতির মধ্যে সব প্রাণীর অস্তিত্ব, বংশবিস্তার ও বিবর্তন ভারসাম্যপূর্ণভাবে ঘটে চলেছে। প্রকৃতির বুকে প্রাণী ও গাছপালার তথা জীবকুলের বেঁচে থাকার স্বাভাবিক অবস্থাটিই জীববৈচিত্র্য।
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিবৃত হয়েছে।
সা¤প্রতিককালে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। গত শতকের আশির দশকে এ শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। অতি অল্প সময়ে এ শিল্পটি দেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশে বর্তমানে তিন হাজারেরও অধিক পোশাক শিল্প ইউনিট রয়েছে। এতে প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে। উদ্দীপকে এ তথ্যটিই বিবৃত হয়েছে যে, এই শিল্প খাতে ৩০ লক্ষের অধিক শ্রমিক কাজ করে। এছাড়া উল্লিখিত হয়েছে যে, এ শিল্প কারখানাগুলোর অধিকাংশ শ্রমিকই নারী, যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকেই নির্দেশ করে। বাংলাদেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক থেকে ৮০৯০ ডলার আয় করেছে।
সুতরাং, উদ্দীপকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পই বিবৃত হয়েছে।
ঘ. উক্ত শিল্পটি তথা পোশাক শিল্প বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভ‚মিকা রাখছে।
বাংলাদেশে জনসংখ্যার চাপ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় কল-কারখানায় কাজ করে শ্রমিক কর্মজীবীদের পরিবারের দারিদ্র্য ঘুচানো সম্ভব হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে অসংখ্যা মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গেই এখন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ জড়িত আছে। এদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক হলো নারী-যারা নিজেদের দারিদ্র্য ঘোচাতে গার্মেন্টসে যুক্ত হয়েছে। উদ্দীপকের লতিফ ও তার স্ত্রীর মধ্যেও এই প্রয়াস দেখা যায়।
এভাবে পোশাক শিল্পে এসে তারা যেমন একদিকে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে সামাজিকভাবেও তারা নতুন আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এতে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার দ্রæত পরিবর্তন ঘটছে।
সুতরাং বলা যায়, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে পোশাক শিল্প সর্বাধিক ভ‚মিকা রাখছে।
প্রশ্ন -১২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আনিকা ঢাকার শিল্প এলাকা হাজারিবাগে চাচার বাসায় বেড়াতে যায়। এই এলাকার শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্য যেমন-জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানি করা হয় এবং প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
ক. বাংলাদেশে মোট বনভ‚মির পরিমাণ কত? ১
খ. ‘জীববৈচিত্র্য’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. আনিকার দেখা শিল্প কোনটি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উক্ত শিল্পের অবদান মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ১২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশে মোট বনভ‚মির পরিমাণ ২৪,৯৩৮ বর্গকিলোমিটার।
খ. প্রকৃতিক মধ্যে সব রকমের জীব যে নিয়মে বেঁচে থাকে তাকেই সংক্ষেপে জীববৈচিত্র্য বলা যায়। মানুষ, প্রাণী ও কীটপতঙ্গসহ জীবজগৎ প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই বেঁচে থাকে। জলবায়ু ও তাপমাত্রার নানা পরিবর্তনের ফলে জীবজগতের বিভিন্ন প্রাণী ও তরুলতার জন্ম বা মৃত্যু ঘটে। লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর জলবায়ুতে যে সব প্রণী বেঁচে ছিল তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের মধ্যে অনেক প্রাণীরই বিলুপ্তি ঘটেছে। প্রকৃতির মধ্যে সব প্রাণীর অস্তিত্ব, বংশবিস্তার ও বিবর্তন ভারসাম্যপূর্ণভাবে ঘটে চলেছে। আর ভারসাম্যপূর্ণতার এ নীতিই জীববৈচিত্র্য রক্ষিত হয়।
গ. আনিকার দেখা শিল্পটি চামড়া শিল্প।
বাংলাদেশে প্রচুর গরু, ছাগল ও মহিষ পালন করা হয়। এদেশে বহু আগে থেকেই চামড়া বা ট্যানারি শিল্প গড়ে উঠেছে। উদ্দীপকের আনিকা ঢাকার শিল্প এলাকা হাজারিবাগে চামড়া বা ট্যানারি শিল্পই দেখতে পাবে। জুতা ও ব্যাগ তৈরিতে চামড়া শিল্পের জুড়ি নেই। এখন বাংলাদেশে কিছুসংখ্যক চামড়া শিল্প কারখানা তৈরি হয়েছে যেগুলো দেশের গরু, ছাগল ও মহিষের চামড়া থেকে জুতা, ব্যাগসহ নানা উন্নতমানের জিনিস তৈরি করছে। উদ্দীপকের আনিকা হাজারিবাগে এসব পণ্যের উৎপাদনই দেখতে পায়। কোনো কোনো কোম্পানি বিদেশেও তাদের উৎপাদিত চামড়া পণ্য রপ্তানি করছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদেশে জুতা রপ্তানি করে প্রায় ১৯ কোটি মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। আর ঐ বছর চামড়া বিক্রি করে আমাদের আয় হয়েছে ১৮ কোটি মার্কিন ডলার। উদ্দীপকে বৈদেশিক মুর্দ্রা অর্জনের তথ্যটিও সন্নিবেশিত হয়েছে।
সুতরাং আনিকার দেখা শিল্পটি চামড়া শিল্প।
ঘ. বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উক্ত চামড়া শিল্পের ভ‚মিকা অপরিসীম।
অর্থনৈতিক উন্নতিই দেশের জনগণের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সহায়তা করে। সে কারণে দ্রæত দেশের আর্থসামাজিক পরিবর্তন বা উন্নতি ঘটাতে হলে শিল্প বিকাশের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে চামড়া শিল্পের প্রসার গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে চামড়া শিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কেননা শিল্পের বিকাশে মানুষের উদ্যোগ, পুঁজি এবং গবেষণা ও অভিজ্ঞতাই প্রধান ভ‚মিকা পালন করে। এদেশের চামড়া শিল্পে এর কোনোটিরই অভাব নেই। চামড়া শিল্পে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাবলম্বী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে দরিদ্র শ্রেণির অনেক মানুষ। অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর পাশাপাশি এ শিল্পে জড়িত ব্যক্তিরা সামাজিক অবস্থানকেও সুসংহত করার প্রয়াস পাচ্ছে। এ শিল্পের প্রসারে শহর এলাকায় দরিদ্রের চেয়ে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চামড়া শিল্পে জড়িত থেকে বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন তাই অন্যান্য শিল্পের মতোই সম্ভাবনাময়।

প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাদিম ৩০ একর জমির মালিক। হওয়া সত্তে¡ও তার সংসারে অভাব। কবির নামে গ্রামের এক শিক্ষিত যুবক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাদিমের জমিতে দ্বিগুণ ফসল ফলাতে সাহায্য করল। এতে তার সংসারের অভাব দূর হলো। এভাবে কবিরের মতো অনেকেই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি ও শিল্পদ্রব্য উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করল। কবির বলে, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিল্প বিকাশের প্রভাব অনস্বীকার্য।
ক. বাংলাদেশ কয় ঋতুর দেশ? ১
খ. আমরা আধুনিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলব কীভাবে? ২
গ. কবির নাদিমের পারিবারিক সচ্ছলতা আনয়নে যে পদ্ধতি কাজে লাগাল, তা বর্তমানে আর্থসামাজিক উন্নয়নে যেভাবে কাজে লাগানো যায় তা বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে কবিরের সর্বশেষ উক্তিটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ।
খ. মানুষ শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে আর্থসামাজিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলে তাকে আমরা সংক্ষেপে আধুনিক জীবনব্যবস্থা বলি। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো শিল্পের উন্নতি ঘটিয়েই উন্নত আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তাই শিল্প, তথ্য, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের দ্রুত প্রসার ঘটিয়ে আমরাও আধুনিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলব।
গ. কবির নাদিমের পারিবারিক সচ্ছলতা আনয়নে যে পদ্ধতি কাজে লাগাল তা বর্তমানে আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যায়।
নাদিম ৩০ একর জমির মালিক হয়েও তার সংসারে অভাব ছিল, যা কবিরের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মূল হলো। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে মানুষ অধিক পণ্য তৈরি করছে এবং সেই পণ্য দিয়ে ব্যবসায়-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বাংলাদেশ যেহেতু কৃষিপ্রধান দেশ, তাই কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন করা সম্ভব। কৃষি ও শিল্প খাতে উন্নতি ঘটাতে হলে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। উন্নত যন্ত্রপ্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যাপক উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করে। এর মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। শিল্প ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।
পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমানে শিল্প বিকাশের যুগে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিসহ সকল খাতে গতিশীলতা আনা সম্ভব, যার মাধ্যমে নিশ্চিত হবে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন।
ঘ. উদ্দীপক অনুসারে ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিল্প বিকাশের প্রভাব অনস্বীকার্য’ কবিরের এ উক্তিটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো :
বর্তমানে বাংলাদেশে শিল্প ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে কৃষিসহ অন্যান্য সকল খাতে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার চাপ বেশি। সব মানুষকে একমাত্র কৃষি সচ্ছলতা দিতে সক্ষম নয়। অন্যদিকে কলকারখানায় কাজ করে যে বেতন পাচ্ছে তা দিয়ে কর্মজীবীদের পরিবারের দারিদ্র্য ঘোচানো সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে এখন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ জড়িত আছে। এদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক নারী রয়েছে, যারা নিজেদের দারিদ্র্য ঘোচাতে গার্মেন্টসে যুক্ত হয়েছে। এসব শিল্প-কারখানায় কাজের সযোগ তাদের প্রত্যেকের জীবন-জীবিকার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দিচ্ছে। অনেকেই কাজের পাশাপাশি লেখাপড়া ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও দক্ষতা অর্জন করছে।
শুধু গার্মেন্টস নয়, অন্যান্য খাতেও লক্ষ লক্ষ মানুষ শিল্প ও প্রযুক্তির সংস্পর্শে এসে একদিকে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে সামাজিকভাবেও তারা নতুন আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। এভাবেই বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।
প্রশ্ন -১৪  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ দেশটির ১০ ভাগের এক ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা। এর মোট বনভূমির পরিমাণ ২৪,৯৩৮ বর্গকিলোমিটার। এর মোট ভ‚ভাগের ১৬ ভাগ হচ্ছে বন। দেশটি নানা প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ।
ক. বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় বছরে কয়টি ফসল উৎপন্ন হয়? ১
খ. বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ দেশটি কোন দেশের প্রতি ইঙ্গিত করে ব্যাখ্যা কর? ৩
ঘ.উক্ত দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় বছরে তিনটি ফসল উৎপন্ন হয়।
খ. বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। সাগর তীরে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম ও মংলা দুটি সমুদ্রবন্দর। সাগরের পানি থেকে আমরা লবণ উৎপন্ন করি। তাছাড়া সাগর থেকে আহরণ করা হয় প্রচুর মাছ। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। মূলত এসব অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কারণে বঙ্গোপসাগর আমাদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ দেশটি বাংলাদেশের প্রতি ইঙ্গিত করে।
বাংলাদেশের ১০ ভাগের এক ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা। এর মোট বনভ‚মির পরিমাণ ২৪,৯৩৮ বর্গকিলোমিটার। এর মোট ভূভাগের ১৬ ভাগ হচ্ছে বন। তাছাড়া বাংলাদেশ নানা প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ।
উদ্দীপকেও আমরা দেখি যে, ‘ক’ দেশটিরও ১০ ভাগের এক ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা। এরও বনভূমির পরিমাণ মোট ভূভাগের ১৬ ভাগ, যা বাংলাদেশের সাথে অভিন্ন। তাছাড়া ‘ক’ দেশটিও প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। সুতরাং সন্দেহাতীতভাবে প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকের ‘ক’ দেশটি বাংলাদেশকে ইঙ্গিত করে।
ঘ. উক্ত দেশ তথা বাংলাদেশ নানা প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ।
মাটি বাংলাদেশের অত্যন্ত মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এর বেশিরভাগ এলাকার উর্বর মাটিতে বছরে তিনটি ফসল উৎপন্ন হয়। এদেশে আছে ছোট-বড় অনেক নদী, যা পরিবহন ও যোগাযোগের সহজ মাধ্যম এবং মৎস্য সম্পদ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রয়েছে গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর, চীনামাটি, সিলিকা ইত্যাদি খনিজ সম্পদ। দেশের মোট ২৪,৯৩৮ বর্গকিলোমিটার বনভূমিতে রয়েছে নানা মূল্যবান গাছপালা। প্রাণিসম্পদের মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও নানা প্রজাতির প্রচুর পাখি। দেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত বঙ্গোপসাগর। যার তীরে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম ও মংলা নামক সমুদ্রবন্দর। সাগরের পানি থেকে প্রচুর লবণ উৎপন্ন হয় এবং সাগরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।
এসব বিবেচনায় উদ্দীপকে বলা হয়েছে ‘ক’ দেশ তথা বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে নানা মূল্যবান সম্পদ। যেমন: পানি, মাটি, বায়ু, গাছপালা, জীবজন্তু, ফসল, খনিজ দ্রব্য ইত্যাদি। মানুষ এসব প্রাকৃতিক বস্তুকে মানুষের নিজেদের চাহিদামতো রূপান্তরিত করে ও কাজে লাগায়। সুতরাং বলা যায়, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রশিদপুর গ্রামের বেকার যুবক নাছিম উদ্দীন কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে গড়ে তুলল একটি সমন্বিত মৎস্য-কৃষি খামার। সেখানে একই সঙ্গে পুকুরে মাছ চাষ, পুকুরের উপর মাচা করে হাঁস-মুরগি পালন, পুকুরের পাশের জমিতে ধান চাষ এবং জমির চারপাশে রোপিত হয় নানা রকম বৃক্ষ। গ্রামের বেকারদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তার খামার থেকে উৎপাদিত ডিম, মাছ, ধান, কাঠ প্রভৃতির জন্য শহরের বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গড়ে উঠেছে তার নিবিড় সম্পর্ক। বর্তমানে সে একজন সফল মানুষ।
ক. কিসের উপর ভিত্তি করে সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে? ১
খ. বাংলাদেশে শুকনো মৌসুমেও অধিক কৃষি উৎপাদনের কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. নাছিম উদ্দীনের খামারটি কীভাবে গ্রামের মানুষের শহরমুখী প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে গ্রামের প্রতি আকৃষ্ট করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বাংলাদেশের উন্নতিতে উক্ত খামারের ভ‚মিকা আলোচনা কর। ব্যাখ্যা কর। ৪
ল্ফল্প ১৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. অর্থনৈতিক কাজের উপর ভিত্তি করেই সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
খ. বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এর নদী-খাল-বিল-হাওড়ের পানি দিয়ে আমরা কৃষিজমিতে সেচ দিতে পারি। তাই শুকনো মৌসুমেও কৃষি উৎপাদন অনেক বাড়ানো যায়। মূলত বাংলাদেশের এ নদীমাতৃকতাই শুকনো মৌসুমেও অধিক কৃষি উৎপাদনের কারণ।
গ. উদ্দীপকের নাছিম উদ্দীনের খামার তথা সমন্বিত কৃষি খামারটি নিজের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জনের পাশাপাশি গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামের মানুষের শহরমুখী প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে গ্রামের প্রতি আকৃষ্ট করে।
আমাদের দেশটি কৃষিপ্রধান। এদেশের মাটিও খুব উর্বর। এ উর্বর মাটি যথাযথভাবে ব্যবহার করলে কৃষি উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে। কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করলে উৎপাদন বাড়বে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে গ্রামে। ফলে কাজের জন্য গ্রামের লোক আর শহরের দিকে ছুটবে না।
উদ্দীপকে দেখা যায়, নাছিম উদ্দীনের সমন্বিত কৃষি খামারটিতে বাংলাদেশের নানা প্রাকৃতিক সম্পদের সমন্বিত ও পরিকল্পিত উৎপাদনের মাধ্যমে তার জীবনে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা এসেছে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে গ্রামের অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া শহরের ব্যবসায়ী শ্রেণির সঙ্গে এসব উৎপাদিত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের প্রেক্ষিতে তার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সে কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় তার খামারটিতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। আর তার এ সফল উদ্যোগ নজির সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামের মানুষের শহরমুখী প্রবণতা নিরুৎসাহিত করে গ্রামের প্রতি আকৃষ্ট করেছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
ঘ. বাংলাদেশের উন্নতিতে উদ্দীপকে উলি­খিত সমন্বিত কৃষি খামারটির উৎপাদিত প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর ভ‚মিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশটি কৃষিপ্রধান। এর মাটিও খুব উর্বর। কৃষি কাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। ফলে মানুষের শহরমুখিতা হ্রাস পাচ্ছে। এ ধরনের সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে ওঠার ফলে বর্তমানে গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও মৎস্য এই তিন ধরনের প্রাণিজ সম্পদের উৎপাদন ও ব্যবহার বেড়েছে। এর ফলে সুষম খাদ্যের অভাব পূরণ হচ্ছে। অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ খামার সৃষ্টির ফলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। নদীনালা, খালবিল প্রভৃতির সেচ সুবিধার কারণে শুকনো মৌসুমেও অধিক কৃষি উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।
উদ্দীপকের নাছিম উদ্দীনের সমন্বিত কৃষি খামার থেকে মাছ, মাংস, ডিম, ধান, গাছপালা ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। আর এসব উৎপাদনের মাধ্যমে তার আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ফলে রশিদপুর গ্রামের মানুষের শহরমুখী প্রবণতা হ্রাস পায়। গ্রামভিত্তিক উন্নয়ন সমগ্র বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে পরিচালিত করে।
সুতরাং সামগ্রিক আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, বাংলাদেশের উন্নতিতে উক্ত সমন্বিত কৃষি খামারটির উৎপাদিত প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর ভ‚মিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন -১৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুমন, সোহান ও মুস্তাক তিন বন্ধু মিলে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি নৌকা ভাড়া করল। নৌকায় চড়ার সময় সোহান নদীর কল-কারখানার দূষিত বর্জ্য পদার্থ মিশ্রিত ময়লা পানি দেখে বলল- দোস্ত, মনে হচ্ছে আলকাতরার সাগরে নৌকা ভ্রমণে এসেছি। আচমকা দেশের পরিবেশ দূষণ এবং জীববৈচিত্র্যের উপর তার বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি তাদের ভাবনার গতিপথে আবির্ভুত হলো। পরিবেশ দূষণের ব্যাপকতা নিয়ে নানা আলোচনা পর্যালোচনা শেষে একটি প্রশ্ন তাদের উপলব্ধিতে এলো। আমাদের কী কিছুই করার নেই?
ক. প্রাণীদের কাছ থেকে গাছপালা কী পায়? ১
খ. লক্ষ লক্ষ বছর আগের অনেক প্রাণীর বিলুপ্তির কারণ আলোচনা কর। ২
গ. উদ্দীপকের তিন বন্ধুর আলোচনা-পর্যালোচনা কিসের ইঙ্গিত করে? ৩
ঘ. উক্ত সমস্যা সমাধানে আমাদের করণীয় নির্ধারণ কর। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ১৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. প্রাণীদের কাছ থেকে গাছপালা নাইট্রোজেন পায়।
খ. লক্ষ লক্ষ বছর আগের অনেক প্রাণীর বিলুপ্তির কারণ জলবায়ু ও তাপমাত্রার নানা পরিবর্তন।
মানুষ, প্রাণী ও কীটপতঙ্গসহ জীবজগৎ প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই বেঁচে থাকে। জলবায়ু ও তাপমাত্রার নানা পরিবর্তনের কারণে এ ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে, লক্ষ লক্ষ বছর আগের অনেক প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে।
গ. উদ্দীপকের তিন বন্ধুর আলোচনা-পর্যালোচনা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের অবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে।
বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর বন জঙ্গল, জীবজন্তু ও পশুপাখি ছিল। নিচু জলাভ‚মিতে ছিল প্রচুর জলচর প্রাণী। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শহরগঞ্জ গড়ে ওঠার ফলে দেশে কৃষি জমির পরিমাণ কমে গেছে। যেখানে সেখানে শিল্প-কারখানা তৈরি হওয়ার ফলে কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা। বেশি মানুষের জন্য বেশি খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এর ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছ, পোকা-মাকড় ও পাখির বংশবিস্তার। তাতে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে গাছপালা, প্রাণিসম্পদ ও মৎসসম্পদের উপর চাপ বাড়ছে। শহরে গ্যাস ও পানি সরবরাহ কমে গেছে। গ্রামাঞ্চলেও গাছপালা কমে যাওয়ায় তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উদ্দীপকের তিন বন্ধুর আলোচনার দ্বারা এটাই ফুটে উঠেছে। তাছাড়া উপরের বর্ণনার মতো পরিবেশ দূষণ ও জীববৈচিত্র্যের উপর তার প্রভাব তাদের আলোচনা পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। সুতরাং সামগ্রিক আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, উদ্দীপকের তিন বন্ধুর আলোচনা-পর্যালোচনা বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের প্রতি ইঙ্গিত করে।
ঘ. জীববৈচিত্র্য বা পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণে আমাদের বহুবিধ করণীয় রয়েছে।
জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার পরিণতি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য হবে খুবই ভয়ংকর। তাই এ বিপদ মোকাবিলায় এখনই আমাদের সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। উদ্দীপকে আমাদের এ করণীয় নির্ধারণের কথাই বলা হয়েছে।
যেসব কাজ করলে উক্ত সমস্যা সমাধান হবে তা হলো
জনসংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে; কৃষিজমি নষ্ট করা যাবে না; কৃষি উৎপাদনে জীববৈচিত্র্য রক্ষার নীতি অনুসরণ করতে হবে; অপ্রয়োজনে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না; স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করা যাবেনা; জলাধার নির্মাণ ও সংরক্ষণ করতে হবে; রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে নিয়ম মেনে চলতে হবে; খনিজ পদার্থ ব্যবহারে প্রাকৃতিক নিয়ম মানতে হবে; বনজ সম্পদ বাড়াতে হবে এবং দেশে আরও বন সৃষ্টি করতে হবে; পশু ও মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও বৃদ্ধি করতে হবে; জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে;
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সর্বোচ্চ হুমকির মুখে রয়েছে।
প্রশ্ন -১৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মুশফিক তার বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল ‘ক’ নামক একটি বিখ্যাত শিল্প কারখানা পরিদর্শনে। নানা কারণে চরম অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণে ২০০২ সালে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কয়েক লক্ষ মানুষ বেকার হয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পতিত হয়। এক সময় কারখানাটির উৎপন্ন পণ্যদ্রব্য স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হতো। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জে এর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উক্ত শিল্পটির যাত্রা শুরু হয়।

ক. কবে চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী কাগজ কল স্থাপিত হয়? ১
খ. বিদেশ থেকে চিনি আমদানির কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মুশফিক ও তার বন্ধুদের দেখা ‘ক’ শিল্পকারখানা কিসের? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে উক্ত শিল্পের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণÑ এ মন্তব্যের সার্থকতা বিচার কর। ৪
ল্ফল্প ১৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ১৯৫৩ সালে চন্দ্রঘোনায় কর্ণফুলী কাগজ কল স্থাপিত হয়।
খ. বিদেশ থেকে বাংলাদেশে চিনি আমদানির কারণ হলো চিনির উৎপাদন ঘাটতি। দেশে বর্তমানে মোট ১৭টি চিনিকল থাকলেও তা থেকে আমাদের চাহিদা অনুযায়ী চিনি উৎপাদিত হয় না। তাই বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে প্রচুর চিনি আমদানি করতে হয়।
গ. মুশফিক ও তার বন্ধুদের দেখা ‘ক’ শিল্পকারখানা নারায়ণগঞ্জের আদমজী জুট মিলের প্রতি ইঙ্গিত করে।
আমরা জানি, এক সময় এদেশে পাট ছিল কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের আদমজী পাটকল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে চলমান অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় ২০০২ সালে সরকার এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে। অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে পড়ে এবং চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পতিত হয়।
উদ্দীপকের ‘ক’ শিল্প কারখানার অবস্থান নারায়ণগঞ্জে। ১৯৫১ সালে উক্ত শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ বেকার হয়ে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছে।
সুতরাং বলা যায় ‘ক’ শিল্প কারখানাটি নারায়ণগঞ্জের আদমজী জুট মিল।
ঘ. দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পাট শিল্পের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি নারায়ণগঞ্জের আদমজী পাটকল। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের আদমজী পাটকল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এ দেশে একসময় কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। পাট বিক্রি করে কৃষক তার পরিবারের যাবতীয় চাহিদা পূরণ করত। নানা কারণে উদ্দীপকে উল্লিখিত আদমজী পাটকলটি ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে গেলেও এ রকম ৭৬টি পাটকল বাংলাদেশের পাট শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এক সময় পাটকলগুলো শুধু পাটের বস্তা উৎপাদন করত। এখন পাট দিয়ে নানা পণ্য-সামগ্রী উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতে আরও হবে। বাংলাদেশ ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে পাটজাত সামগ্রী বিক্রি করে ৩২ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে।
এছাড়া উদ্দীপকের ‘ক’ শিল্পকারখানা তথা পাটশিল্প নানাভাবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে তা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। সুতরাং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পাট শিল্পের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন -১৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গৌরীপুর বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা দুদলে বিভক্ত হয়ে শিক্ষাসফরে গেল। প্রথম দলটি উত্তরাঞ্চলের গোপালপুরে একটি কারখানায় যায়। কারখানাটিতে সেখানকার আশপাশের জমি থেকে প্রচুর আখ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় দলটি চট্টগ্রামের একটি কারখানায় যায়। সেখানে তারা প্রচুর মহিলা শ্রমিককে কাজ করতে দেখে। তারা জানতে পারে এ কারখানার উৎপাদিত পণ্যের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ক. প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে? ১
খ. “উদ্ভিদ ও প্রাণী পরস্পর নির্ভরশীল”- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. প্রথম দলটির দেখা শিল্পটি কোন শিল্পকে ইঙ্গিত করছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উলি­খিত শিল্প দুটির মধ্যে কোনটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিক অবদান রাখছে- তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুকেই প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়।
খ. সবুজ গাছপালা বাতাসে যে অক্সিজেন ছড়িয়ে দিচ্ছে তা গ্রহণ করে প্রাণীরা বেঁচে থাকে। আবার প্রাণীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন পায় গাছপালা। এভাবে জীবজগতে ভারসাম্য চলছে এবং এভাবেই উদ্ভিদ ও প্রাণী একে অপরের ওপর নির্ভরশীল।
গ. উদ্দীপকের প্রথম দলটির দেখা শিল্পটি বাংলাদেশের চিনি শিল্পকে ইঙ্গিত করছে। কারণ উদ্দীপকে বলা হয়েছে, কারখানাটিতে সেখানকার আশপাশের জমি থেকে প্রচুর আখ আনা হয়েছে। আর চিনি শিল্পে আখ ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে প্রচুর আখের চাষ হয়। ১৯৩৩ সালে নাটোরের গোপালপুরে প্রথম চিনিকল প্রতিষ্ঠিত হয়। নাটোর উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে গৌরীপুর বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রথম দলটি উত্তরাঞ্চলের যে কারখানাতে গিয়েছিল তা ছিল নাটোরের গোপালপুরে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম চিনিকল। বর্তমানে দেশে ১৭টি চিনিকল আছে। যা থেকে ২০১১-১২ সালে আমাদের দেশে চিনি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬৯.৩১ হাজার মেট্রিক টন।
ঘ. উদ্দীপকের গৌরীপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষাসফরে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথম দলটি গিয়েছিল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা নাটোরের গোপালপুরে অবস্থিত দেশের প্রথম চিনিকল পরিদর্শনে। অপরদিকে দ্বিতীয় দলটি গিয়েছিল চট্টগ্রামের একটি পোশাক শিল্পে যেখানে প্রচুর মহিলা শ্রমিক কাজ করছিল। উলি­খিত শিল্প দুটির মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিক অবদান রাখছে পোশাক শিল্প।
পোশাক শিল্প বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্প। সা¤প্রতিককালে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের উলে­খযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক থেকে ৮০৯০ মার্কিন ডলার আয় করেছে।
অপরদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে ১৭টি চিনিকল থাকলেও আমাদের চাহিদা অনুযায়ী চিনি উৎপাদিত না হওয়ায় প্রতি বছর প্রচুর চিনি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
উপরিউক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকে উলি­খিত শিল্প দুটির মধ্যে পোশাক শিল্পই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিক অবদান রাখছে।
প্রশ্ন -১৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আনসার সাহেব ক্লাসে তার শিক্ষার্থীদের বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প রয়েছে। এটি ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩২ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে। ১৯৫১ সালে এ শিল্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যা এক সময় প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত ছিল।
ক. বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টি সার কারখানা আছে? ১
খ. বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের বর্ণনা দাও। ২
গ. উদ্দীপকে কোন শিল্পের কথা বলা হয়েছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্পটি ছাড়াও বাংলাদেশে যে সকল শিল্প রয়েছে তাদের মধ্যে প্রধান দুইটি শিল্পের বর্ণনা দাও। ৪
ল্ফল্প ১৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বর্তমানে বাংলাদেশে ৬টি ইউরিয়া ও একটি টিএসপি সার কারখানা আছে।
খ. বাংলাদেশে অনেক নদনদী, খালবিল ও দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। এসব খালবিল, নদনদীতে রয়েছে প্রচুর মিঠা পানির মাছ। এছাড়া সামুদ্রিক মাছও আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছে। মাছ ধরে বহু মানুষ জীবিকা অর্জন করে।
গ উদ্দীপকে বাংলাদেশের পাট শিল্পের কথা বলা হয়েছে। আমরা জানি, ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জে আদমজি পাটকল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এদেশে একসময় কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। পাট বিক্রি করে কৃষক তার পরিবারের টাকার চাহিদা পূরণ করত। বর্তমানে দেশে ৭৬টি পাটকল আছে। একসময় পাটকলগুলো শুধু পাটের বস্তা উৎপাদন করত। এখন পাট দিয়ে নানা পণ্য-সামগ্রী উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও হবে। বাংলাদেশ ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে পাটজাত সামগ্রী বিক্রি করে ৩২ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্প ছাড়াও বাংলাদেশে বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যার ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। নিচে এগুলোর মধ্য থেকে চামড়া শিল্প ও চা শিল্পের বর্ণনা উল্লেখ করা হলো :
এদেশে বহু আগে থেকেই চামড়া বা ট্যানারি শিল্প গড়ে উঠেছে। এখন বাংলাদেশে বেশ কিছু চামড়া শিল্প কারখানা তৈরি হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদেশে জুতা রপ্তানি করে প্রায় ১৯ কোটি মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। আর ঐ বছর চামড়া বিক্রি করে আমাদের আয় হয়েছে ১৮ কোটি মার্কিন ডলার।
চা বাংলাদেশের অতি পুরাতন শিল্পের মধ্যে একটি। চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তা পানের উপযোগী করা হয়। বাংলাদেশ নিজেদের চায়ের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করে থাকে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের চা বিদেশে রপ্তানি করেছে।
উপরিউক্ত শিল্প ছাড়া বাংলাদেশে নানা ধরনের ছোট ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। নতুন নতুন শিল্প-কারখানা তৈরি হচ্ছে। ঐসব কারখানা থেকে বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রী তৈরি হচ্ছে যা আমাদের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে।
প্রশ্ন -২০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গত গ্রীষ্মের ছুটিতে রাশেদ তার মামার সাথে বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব এলাকা ভ্রমণ করে। সেখানে সে বিচিত্র রকমের ভূপ্রকৃতি ও মৃত্তিকার গঠন দেখতে পায়। তা দেখে রাশেদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম নেয় এবং মামার কাছে জানতে চায়। মামা বলেন, এক সময় এ অঞ্চলে প্রচুর বনজঙ্গল, জীবজন্তু ও পশুপাখি ছিল। জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তবে যুগে যুগে জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্যে একটি স্বাভাবিক নিয়ম রয়েছে।

ক. বাংলাদেশের মোট বনভূমির পরিমাণ কত? ১
খ. মৎস্য সম্পদের সাথে জীবিকা অর্জনের সম্পর্ক কী? ২
গ. রাশেদের মামার কাছে জানতে পারা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.রাশেদের মামা তাকে জীববৈচিত্র্যের ধ্বংসের কোন কারণ উল্লেখ করেছেন?-উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশের মোট ভ‚ভাগের ১৬ ভাগ হচ্ছে বন।
খ. বাংলাদেশে অনেক নদনদী, খালবিল ও দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। এসব খালবিল, নদনদীতে রয়েছে প্রচুর মিঠা পানির মাছ। এছাড়া সামুদ্রিক মাছও আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছে। মাছ ধরে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। প্রাচীনকাল থেকে এটি আমাদের অন্যতম পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তাই মৎস্য সম্পদের সাথে জীবিকা অর্জনের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়।
গ. প্রকৃতির মধ্যে সব রকমের জীব যে নিয়মে বেঁচে থাকে তাকেই সংক্ষেপে জীববৈচিত্র্য বলা যায়। প্রকৃতিতে যুগে যুগে জীববৈচিত্র্য এক স্বাভাবিক নিয়মে বজায় রয়েছে। উদ্দীপকে রাশেদ মামার কাছে তা জানতে পারে।
মানুষ, প্রাণী ও কীটপতঙ্গসহ জীবজগৎ প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই বেঁচে থাকে। জলবায়ু ও তাপমাত্রার নানা পরিবর্তনের ফলে জীবজগতের বিভিন্ন প্রাণী ও তরুলতার জন্ম বা মৃত্যু ঘটে। লাখ লাখ বছর আগে পৃথিবীর জলবায়ুতে যেসব প্রাণী বেঁচে ছিল তাপামাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের মধ্যে অনেক প্রাণীরই বিলুপ্তি ঘটেছে। প্রকৃতির মধ্যে সব প্রাণীর অস্তিত্ব, বংশবিস্তার ও বিবর্তন ভারসাম্যপূর্ণভাবে ঘটে চলেছে। প্রাণীরা একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। সবুজ গাছপালা বাতাসে যে অক্সিজেন ছড়িয়ে দিচ্ছে তা গ্রহণ করে প্রাণীরা বেঁচে থাকে। আবার প্রাণীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন পায় গাছপালা। বনে বিভিন্ন প্রাণী একে অন্যকে শিকার করে বেঁচে থাকে। প্রাণীদের বংশবিস্তার ঘটে একই নিয়মে। ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের প্রাণী ও গাছপালার ক্ষতি হয়, আবার প্রকৃতির নিয়মেই সুন্দরবন গাছপালা ও প্রাণীতে পূর্ণ হয়ে ওঠে। রাশেদ মামার কাছে প্রকৃতির এ স্বাভাবিক নিয়মটিই জানতে পারে।
ঘ. রাশেদের মামা তাকে জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাবের কথা বলেন। বাংলাদেশে এক সময় প্রচুর বনজঙ্গল, জীবজন্তু ও পশুপাখি ছিল। নিচু জলাভ‚মিতে ছিল প্রচুর জলচর প্রাণী। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জলাভ‚মি ভরাট করে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শহর নির্মিত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্যের ওপর যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে পানি প্রবাহ ব্যহত হচ্ছে। ফলে জলচর প্রাণী ও মাছের বংশবিস্তারে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
বেশি মানুষের জন্য বেশি খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে। এর ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মাছ, পোকামাকড় ও পাখির বংশবিস্তার। তাতেও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। রাশেদের মামা তার কথায় এসব বিষয়েরই ইংগিত করেন।
দেশের জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে গাছপালা, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য সম্পদের ওপর চাপ পড়ছে। শহরে গ্যাস ও পানি সরবরাহ কমে গেছে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়ার পরিণতি আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর হবে। তাই এ বিপদ মোকাবিলায় এখনই আমাদের সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।

সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-২১  রফিক সাহেব একজন পাটকল মালিক। তিনি পাট ছাড়াও বস্ত্র শিল্পেও বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। তার ছোট ভাই আতিক সাহেব একটি সেমিনারে বক্তব্য প্রদানকালে বললেন Ñ পাট, বস্ত্র, কাগজ, সিমেন্ট, চিংড়ি, চা, চামড়া শিল্পসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন শিল্প বিদ্যমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য।
ক. কত সালে কর্ণফুলী কাগজের কল স্থাপিত হয়? ১
খ. বাংলাদেশের সিমেন্ট শিল্প সম্পর্কে যা জান লিখ। ২
গ. রফিক সাহেব কর্তৃক ব্যক্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে যেকোনো একটি শিল্পের বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আতিক সাহেবের বক্তব্যটির তাৎপর্য মূল্যায়ন কর। ৪
প্রশ্ন-২২  রীদিতাদের শহরে খাল, নদী, পুল ভরাট করে রাস্তাঘাট ও বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। রীদিতার শিক্ষক ক্লাসে তাদেরকে বললেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ, কৃষিজ জমির সঠিক ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার রোধ বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার রোধসহ অন্যান্য ব্যাপারে সচেতনতার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যহীন অবস্থার স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব।
ক. সবুজ গাছপালা থেকে আমরা কী পাই? ১
খ. জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রীদিতার শহরে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার যে চিত্র ফুটে উঠেছে তার বর্ণনা কর। ৩
ঘ. রীদিতার শিক্ষকের বক্তব্যের আলোকে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যহীন অবস্থার স্থিতিশীলতা আনয়নে করণীয় কী? বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২৩  শোভন তার বন্ধুদের নিয়ে কাপ্তাই একটি শিল্প কারখানা দেখতে এসেছে। এ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে স্থানীয় বাঁশ ও বেতের ব্যবহার দেখতে পায়।
ক. বাংলাদেশে বর্তমানে কয়টি চিনিকল আছে? ১
খ. বাংলাদেশের সার শিল্পের বর্ণনা দাও। ২
গ. বাংলাদেশের মানচিত্র অংকন করে শোভনের দেখা শিল্পটির অবস্থান চিহ্নিত কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের উন্নয়নে শোভনের দেখা শিল্পটির ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২৪  রিয়াজ সাধারণ পরিবারের সন্তান। দীর্ঘ পনের বছর প্রবাসী জীবন শেষে গোবিন্দগঞ্জে একটি পোশাক তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তার কারখানায় উৎপাদিত পোশাক দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে রিয়াজের কারখানাতে পাঁচ হাজার লোক কর্মরত আছে।
ক. দেশের কতভাগ পাহাড়ি এলাকা? ১
খ. প্রাণী বিলুপ্তির একটি কারণ বর্ণনা কর। ২
গ. কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রিয়াজের প্রচেষ্টা কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আর্থসামাজিক উন্নয়নে রিয়াজের ভ‚মিকা পর্যালোচনা কর। ৪
প্রশ্ন-২৫  আকবর সাহেব একজন সম্পদশালী ব্যক্তি। তার সম্পদ চাহিদা ও বুদ্ধি মোতাবেক ব্যবহার করেন। যার ফলে তার সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়। আকবর সাহেবের মোট সম্পদের অনেকটাই তার সৃষ্ট নয়।
ক. বাংলাদেশের মোট বনভ‚মির পরিমাণ কত? ১
খ. আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে প্রাকৃতিক সম্পদের ভ‚মিকা বর্ণনা কর। ২
গ. আকবর সাহেবের সৃষ্টি নয় এমন তিনটি সম্পদের বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. আকবর সাহেব দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কতটুকু ভ‚মিকা রাখতে পারেন? মূল্যায়ন কর। ৪

প্রশ্ন -২৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রবাসী সেলিমের বিদেশ থেকে পাঠানো টাকায় তার পরিবার বেশ সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করত। হঠাৎ অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে তার চাকরি চলে যায়। তাই সে দেশে চলে আসতে বাধ্য হয়। দেশে এসে সে বসে থাকেনি। গ্রামের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে মৎস্যখামার গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি পতিত জমিতে নানারকম বনজ ও ফলজ গাছও লাগাচ্ছে।
ক. এঘচ-এর পূর্ণরূপ লিখ। ১
খ. মানবসম্পদ উন্নয়ন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সেলিম ও তার বন্ধুদের কাজ আমাদের জাতীয় অর্থনীতির কোন খাতকে ইঙ্গিত করছে? তার অবদান ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘প্রবাসী সেলিমের মত অন্যান্যদের পাঠানো অর্থের কারণেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েনি’ – বিশ্লেষণ কর। ৪
 ২৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. এঘচ -এর পূর্ণরূপ – এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.
খ. যারা শ্রম বা মেধা দিয়ে দেশের কৃষি, শিল্প, সেবাসমূহ যেকোনো খাতে অবদান রাখে যারা শ্রম বা মেধা দিয়ে দেশের কৃষি, শিল্প, সেবাসমূহ যেকোনো খাতে অবদান রাখে তাদেরকে দেশের মানবসম্পদ বলা হয়। অদক্ষ মানুষকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সাহায্যে দক্ষ মানবসম্পদ রূপান্তরিত করা যায়।
গ. সেলিম ও তার বন্ধুদের কাজ আমাদের জাতীয় অর্থনীতির কৃষি খাতকে ইঙ্গিত করছে। খাদ্যশস্য, শাকসবজি, বনজ সম্পদ ও মাছ চাষ এই খাতের অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশে জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি ও বনজ এবং মৎস খাতকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে কৃষি ও বনজ খাতের অবদান ছিল ১, ৩৬, ৯৮৭ কোটি। এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদী ও অন্যান্য জলাশয় এবং সামুদ্রিক উৎস থেকে মাছ আহরণের পরিমাণ ছিল ৩৩.৯০ লক্ষ মেট্রিক টন। এই অর্থবছরে আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে কৃষি ও বনজ খাতের অবদান ১৪.৩৩ শতাংশ এবং দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে মৎস খাতের অবদান ছিল ৪.৩৭ শতাংশ। সুতরাং আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি খাত বিরাট অবদান রাখছে।
ঘ. প্রবাসী সেলিমের মতো অন্যান্যদের পাঠানো অর্থের কারণেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েনি।
বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে পাঠায়। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স থেকে। ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের কাছ থেকে আমাদের প্রাপ্ত রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৯৬৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৮৭২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে ২০০৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্সপ্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম। ২০০৯ সালে তা ৮ম স্থানে উন্নীত হয়। এ সময় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ছিল ২য়। বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি সত্তে¡ও ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে বড় ধরনের কোনো সংকটের মধ্যে পড়ে নি তার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অঙ্কের রেমিটেন্স।

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের মাটি কী?
উত্তর : বাংলাদেশের মাটি মূল্যবান সম্পদ।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশ কয় ঋতুর দেশ।
উত্তর : বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ।
প্রশ্ন \ ৩ \ দেশের কত ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা?
উত্তর : দেশের ১০ ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা।
প্রশ্ন \ ৪ \ বাংলাদেশের মোট বনভূমির পরিমাণ কত?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট বনভূমির পরিমাণ ২৪,৯৩৮ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৫ \ দেশের মোট ভ‚ভাগের কতভাগ বন?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট ভ‚ভাগের ১৬ ভাগ বন।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর কয়টি?
উত্তর : বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ২টি।
প্রশ্ন \ ৭ \ মানুষের ব্যবহৃত একমাত্র সম্পদ হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপ্তিকাল কত?
উত্তর : মানুষের ব্যবহৃত একমাত্র সম্পদ হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যাপ্তিকাল প্রাচীনকাল থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত।
প্রশ্ন \ ৮ \ প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে বাংলাদেশের মাটি মূল্যবান কেন?
উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে বাংলাদেশের মাটি উর্বরতার জন্য মূল্যবান ।
প্রশ্ন \ ৯ \ কোন যুগে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে?
উত্তর : প্রাচীন যুগে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ১০ \ বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে কী ধরনের কাজ করতে হয়?
উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য মানুষকে অর্থনৈতিক কাজ করতে হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে উৎপাদনের পরিমাণ কত?
উত্তর : ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে কাগজ উৎপাদনের পরিমাণ ৫৩.১৬ হাজার মেট্রিক টন।
প্রশ্ন \ ১২ \ জলবায়ু, মানুষ, প্রাণী ও জীবজগৎ বেঁচে থাকে কিসের ভিত্তিতে?
উত্তর : জলবায়ু, মানুষ, প্রাণী ও জীবজগৎ বেঁচে থাকে পারস্পরিক ভারসাম্যের ভিত্তিতে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বাংলাদেশের ভ‚খণ্ড এলাকায় প্রচুর কী ছিল?
উত্তর : বাংলাদেশের ভ‚খণ্ডে প্রচুর বনজঙ্গল, জীবজন্তু ও পশুপাখি ছিল।
প্রশ্ন \ ১৪ \ গ্রামাঞ্চলে কিসের সংখ্যা কমে যাচ্ছে?
উত্তর : গ্রামাঞ্চলে গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ আমাদের কাছ থেকে গাছপালা কোনটি পায়?
উত্তর : আমাদের কাছ থেকে গাছপালা নাইট্রোজেন পায়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ শিল্প-কারখানার কোনটি জমির উর্বরতা নষ্ট করে?
উত্তর : শিল্প-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য জমির উর্বরতা নষ্ট করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ বর্তমানে বেশি খাদ্য উৎপাদনের জন্য জমিতে কী ব্যবহার করতে হচ্ছে?
উত্তর : বর্তমানে বেশি খাদ্য উৎপাদনের জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ বর্তমানে দেশে পাটকল কয়টি?
উত্তর : বর্তমানে দেশে ৭৬টি পাটকল রয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে কয়টি বস্ত্রকল ছিল?
উত্তর : ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে ৮টি বস্ত্রকল ছিল।
প্রশ্ন \ ২০ \ ১৯৪০ সালে স্থাপিত সিমেন্ট কারখানাটির নাম কী?
উত্তর : ১৯৪০ সালে স্থাপিত সিমেন্ট কারখানাটির নাম ছাতক সিমেন্ট কারখানা।
প্রশ্ন \ ২১ \ বর্তমানে বাংলাদেশে কতটি সিমেন্ট কারখানা আছে?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে ১২টি সিমেন্ট কারখানা আছে।
প্রশ্ন \ ২২ \ ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ কত?
উত্তর : ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬১.০১ হাজার মেট্রিক টন চা উৎপাদিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় অত্যন্ত দ্রুত কী ঘটছে?
উত্তর : বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার অত্যন্ত দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ শিল্পের বিকাশে প্রধান ভূমিকা পালন করে কী কী?
উত্তর : শিল্পের বিকাশে মানুষের উদ্যোগ, পুঁজি এবং গবেষণা ও অভিজ্ঞতাই প্রধান ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্ন \ ২৫ \ জনগণের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সহায়তা করে কোনটি?
উত্তর : অর্থনৈতিক উন্নতিই দেশের জনগণের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ কৃষি বা সেবা খাতে উন্নতি করতে হলে কী করতে হবে?
উত্তর : কৃষি বা সেবা খাতে উন্নতি করতে হলে শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।
প্রশ্ন \ ২৭ \ আধুনিক জীবনব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তর : মানুষ শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে আর্থসামাজিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলে তাকে আধুনিক জীবনব্যবস্থা বলে।
প্রশ্ন \ ২৮ \ বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে বর্তমানে কত লোক জড়িত?
উত্তর : বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে ৪০ লক্ষ লোক জড়িত।
 অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ বনজ সম্পদের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নানা কারণে বাংলাদেশের বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। বনে রয়েছে মূল্যবান গাছপালা। এগুলো আমাদের ঘরবাড়ি ও আসবাপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বনে রয়েছে পাখি ও প্রাণিসম্পদ। তাছাড়া প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত এসব কারণে বাংলাদেশের বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন \ ২ \ মানুষের জীবন ও সমাজ কীভাবে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হয়?
উত্তর : প্রকৃতিতে জলবায়ু, গাছপালা, আবহাওয়া প্রভৃতি রয়েছে। মানুষ এসব প্রাকৃতিক বস্তুকে নিজের চাহিদা অনুসারে সম্পদে রূপান্তরিত করে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তোলে। মানুষই গোটা বস্তুগত প্রকৃতিকে মূল্যবান সম্পদে পরিণত করেছে। আবার মানুষের জীবন ও সমাজ এসব সম্পদে সমৃদ্ধ হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। সাগর তীরে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম ও মংলা দুটি সমুদ্রবন্দর। সাগরের পানি থেকে আমরা লবণ উৎপন্ন করি। তাছাড়া সাগর থেকে আহরণ করি প্রচুর মাছ। এসব কারণে বঙ্গোপসাগর গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ৪ \ কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণ বর্ণনা কর।
উত্তর : কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনি সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। এর ফলে গ্রামের মানুষের মধ্যে শহরমুখী প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। মূলত এসব কারণে কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাসের কারণ উল্লেখ কর।
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের দেশে জমির তুলনায় জনসংখ্যা উলে­খযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অতিরিক্ত মানুষের জন্য আবাসন, বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, শহর ইত্যাদি নির্মাণের প্রয়োজনে দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ গ্রামাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ বর্ণনা কর।
উত্তর : গ্রামাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ গাছপালা কমে যাওয়া।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে গ্রামাঞ্চলের অতিরিক্ত মানুষের জন্য ঘরবাড়ি, রান্নার জ্বালানি, বিদ্যালয়, আসবাবপত্র ইত্যাদি নির্মাণের জন্য নির্বিচারে গাছ কাটা পড়ছে। এর ফলে গাছপালা কমে যাওয়ায় গ্রামাঞ্চলে তাপমাত্রাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ও জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। অধিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রকৃতির সকল সম্পদের উপর চাপ বাড়ছে।
নষ্ট হচ্ছে ভারসাম্য। ভ‚মিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, খরা, শীত, বর্ষা, ইত্যাদি প্রকৃতির নিয়তির সম্মুখে পড়তে হচ্ছে জীবকুলকে। তাই বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ও জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের পাটকল ও পাটজাত পণ্য সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জে আদমজী পাটকল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। এদেশে এক সময় কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। পাট বিক্রি করে কৃষক তার পরিবারের অর্থের চাহিদা পূরণ করত। বর্তমানে দেশে ৭৬টি পাটকল আছে। এখন নানা পাটজাত পণ্যের উৎপাদন এবং ব্যবহারের নানা দিক উদ্ভাবন হচ্ছে। ফলে পাট দিয়ে নানা পণ্য সামগ্রী উৎপাদনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ বাংলাদেশে চা শিল্পের বিবরণ দাও।
উত্তর : চা বাংলাদেশের অতি পুরাতন শিল্পের মধ্যে একটি। সিলেট অঞ্চলে প্রচুর চা উৎপাদিত হয়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং দিনাজপুর অঞ্চলেও বর্তমানে চায়ের চাষ হচ্ছে। চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তা পানের উপযোগী করা হয়। বাংলাদেশ নিজেদের চায়ের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করে থাকে। ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬১.০১ হাজার মেট্রিক টন চা উৎপাদিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১০ \ মানবজীবনে শিল্পের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থার শিল্প অত্যন্ত দ্রæত বিকশিত হচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী তৈরি করছে। সেই সব পণ্য দিয়ে ব্যবসায়-বাণিজ্য করছে। জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। শিল্প ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন কৃষক অধিক ফসল ফলাচ্ছে। নিজের চাহিদা পূরণ করে বাজারে ফসল বিক্রি করে কৃষক অন্যান্য চাহিদাও পুরণ করতে পারছে। তাছাড়া শিল্প কারখানায় কাজ করে শ্রমিক কর্মজীবীদের পরিবারের দারিদ্র্য ঘুচানো সম্ভব হচ্ছে। এভাবে নানা দিক দিয়ে শিল্প মানবজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রশ্ন \ ১১ \ কীভাবে আমরা আধুনিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলব?
উত্তর : মানুষ শিল্প ও প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যে আর্থসামাজিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলে তাকে আমরা সংক্ষেপে আধুনিক জীবনব্যবস্থা বলি। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো শিল্পের উন্নতি ঘটিয়েই উন্নত আর্থসামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তাই শিল্প, তথ্য, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের দ্রুত প্রসার ঘটিয়ে আমরাও আধুনিক জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলব।
এক সময় বাংলাদেশে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করা হতো। এখন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু ওষুধ কোম্পানি তৈরি হয়েছে যারা দেশের ওষুধ চাহিদার অনেকটাই পূরণের পাশাপাশি কিছু ওষুধ বিদেশেও রপ্তানি করছে। মূলত এ কারণেই রপ্তানিমুখী শিল্প হিসেবে ওষুধের সম্ভাবনার কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে।

 

Leave a Reply