নবম – দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় চতুর্থ অধ্যায় বাংলাদেশের ভূূ‚প্রকৃতি ও জলবায়ু

চতুর্থ অধ্যায় বাংলাদেশের ভূূ‚প্রকৃতি ও জলবায়ু
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

 ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা : বাংলাদেশ ২০৩র্৪ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬৩র্৮ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮০১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯২৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত।
 আয়তন : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার। বনাঞ্চলের আয়তন ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার।
 বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি : ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়
১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ : হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় পাহাড়সমূহ সৃষ্টি হয়। এটিকে দুইভাগে বিভক্ত করা হয়
ক. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ,
খ. উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ : আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বে প্লাইস্টোসিনকালে এ সোপানসমূহ সৃষ্টি হয়। তিনটি অঞ্চল এর অন্তর্ভুক্তÑ

ক. বরেন্দ্রভ‚মি
খ. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়
গ. লালমাই পাহাড়
৩. সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মি : বাংলাদেশ নদীবিধৌত একটি বিস্তীর্ণ সমভ‚মি। সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
 বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য : বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণত সমভাবাপন্ন। উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং শুষ্ক শীতকাল বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। এদেশের জলবায়ুকে তিনটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। যথা :
১. গ্রীষ্মকাল, ২. বর্ষাকাল ও ৩. শীতকাল।
 ভ‚মিকম্প : প্রাকৃতিক কারণবশত পৃথিবীর কঠিন ভ‚ত্বকের কোনো কোনো অংশ সময়ে সময়ে ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে। এই কম্পনকে ভ‚মিকম্প বলে।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কোন জেলায় অবস্থিত?
ক চট্টগ্রাম খ খাগড়াছড়ি
 বান্দরবান ঘ রাঙ্গামাটি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
রিস্তানা ডিসেম্বর মাসের এক বিকেলে বাবা-মায়ের সাথে মেলায় যায়। হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হলে তারা দ্রুত একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেয়। তবে সামান্য বৃষ্টিপাতের পরেই মেঘ কেটে যায়।
২. রিস্তানার দেখা বৃষ্টিপাতটি কোন বায়ুর প্রভাবে ঘটেছে?
 উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু খ উত্তর- পশ্চিম শীতল বায়ু
গ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঘ দক্ষিণ-পশ্চিম শুষ্ক বায়ু
৩. উক্ত বৃষ্টিপাতটির ফলে কোন ফসল উৎপাদন করা যায়?
ক ভুট্টা  গম গ পাট ঘ তুলা
৪. জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলেÑ
র. মানুষের পেশাগত পরিবর্তন ঘটছে রর. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে
ররর. বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বিপন্ন হচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ এশিয়া মহাদেশের কোনদিকে বাংলাদেশের অবস্থান?
উত্তর : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে বাংলাদেশের অবস্থান।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গকিলোমিটার?
উত্তর : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৩ \ কোনটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ?
উত্তর : বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ।
প্রশ্ন \ ৪ \ ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত ৩টি ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা কত?
উত্তর : বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা ১,২৩১ মিটার।
প্রশ্ন \ ৬ \ উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে কী নামে পরিচিত?
উত্তর : উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত।
প্রশ্ন \ ৭ \ বরেন্দ্রভ‚মির আয়তন কত?
উত্তর : বরেন্দ্রভ‚মির আয়তন ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের কত শতাংশ ভ‚মি নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি?
উত্তর : বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ ভ‚মি নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি।
প্রশ্ন \ ৯ \ বর্তমান বাংলাদেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
উত্তর : বর্তমান বাংলাদেশের প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০১৫ জন।
প্রশ্ন \ ১০ \ জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান কততম?
উত্তর : জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান নবম।
প্রশ্ন \ ১১ \ ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ছিল কত একর?
উত্তর : ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ছিল .২৮ একর।
প্রশ্ন \ ১২ \ বাংলাদেশের শীতলতম মাস কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের শীতলতম মাস জানুয়ারি।
প্রশ্ন \ ১৩ \ গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস?
উত্তর : গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ভারতের জলবায়ু কয়টি ঋতুতে বিভক্ত?
উত্তর : ভারতের জলবায়ু ৪টি ঋতুতে বিভক্ত।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের কতভাগ বর্ষাকালে হয়ে থাকে?
উত্তর : ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের ৭৫ ভাগ বর্ষাকালে হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ গ্রীষ্মকালে মায়ানমারে গড় তাপমাত্রা কত?
উত্তর : গ্রীষ্মকালে মায়ানমারে গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৯০ সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
প্রশ্ন \ ১৭ \ নেপালে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত সেন্টিমিটার?
উত্তর : নেপালে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৪ সেন্টিমিটার।
প্রশ্ন \ ১৮ \ পৃথিবীর ভ‚মিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোকে কয়টি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়?
উত্তর : পৃথিবীর ভ‚মিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোকে ৩টি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ পৃথিবীতে কতগুলো বড় মাপের ভ‚মিকম্প প্রতি বছর হয়ে থাকে?
উত্তর : পৃথিবীতে ২০টি বড় মাপের ভ‚মিকম্প প্রতিবছর হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ২০ \ ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম কত সালে বাংলাদেশের ভ‚মিকম্প বলয় সংবলিত মানচিত্র তৈরি করেন?
উত্তর : ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের ভ‚মিকম্প বলয় সংবলিত মানচিত্র তৈরি করেন।
প্রশ্ন \ ২১ \ কিসের ঝাঁকুনিতে পর্বতগাত্র হতে বৃহৎ বরফখণ্ড হঠাৎ নিচে পতিত হয়?
উত্তর : ভ‚মিকম্পের ঝাঁকুনিতে পর্বতগাত্র হতে বৃহৎ বরফখণ্ড হঠাৎ নিচে পতিত হয়।
প্রশ্ন \ ২২ \ বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কিওক্রাডং।
প্রশ্ন \ ২৩ \ লালমাই পাহাড়ের আয়তন কত?
উত্তর : লালমাই পাহাড়ের আয়তন ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ২৪ \ বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কোন অঞ্চলে জীবিকার সংস্থান কষ্টসাধ্য?
উত্তর : পার্বত্য অঞ্চলে জীবিকার সংস্থান কষ্টসাধ্য।
প্রশ্ন \ ২৬ \ তাজিওডং কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর : তাজিওডং বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ২৭ \ কোন বায়ু দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে?
উত্তর : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
প্রশ্ন \ ২৮ \ কত বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়?
উত্তর : আনুমানিক ২৫০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২৯ \ বাংলাদেশে বর্ষাকালে গড় উষ্ণতা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস?
উত্তর : বাংলাদেশে বর্ষাকালে গড় উষ্ণতা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রশ্ন \ ৩০ \ ভারত কোন অঞ্চলে অবস্থিত?
উত্তর : ভারত মৌসুমি অঞ্চলে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ৩১ \ কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ অকস্মাৎ সংঘটিত হয়?
উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভ‚মিকম্প অকস্মাৎ সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩২ \ জনসংখ্যা বণ্টনের নিয়ামকগুলোকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়?
উত্তর : জনসংখ্যা বণ্টনের নিয়ামকগুলোকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ ভ‚মিকম্পের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছে বাংলাদেশের কত লাখ লোক?
উত্তর : ভ‚মিকম্পের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছে বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ লোক।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ সমভ‚মি থেকে ভাওয়ালের সোপানভ‚মির উচ্চতা কত?
উত্তর : সমভ‚মি থেকে ভাওয়ালের সোপানভ‚মির উচ্চতা ৬ থেকে ৩০ মিটার।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ হিরণ পয়েন্টের উচ্চতা প্রতিবছর গড়ে কত মিলিমিটার হারে বেড়েছে?
উত্তর : হিরণ পয়েন্টের উচ্চতা প্রতিবছর গড়ে ৪-৬ মিলিমিটার হারে বেড়েছে।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ লালমাই পাহাড়ের গড় উচ্চতা কত?
উত্তর : লালমাই পাহাড়ের গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ বর্ষাকালে ঢাকায় কত সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তর : বর্ষাকালে ঢাকায় ১২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতির সাধারণ অবস্থা বর্ণনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ পলল গঠিত একটি আর্দ্র অঞ্চল। উত্তর-পূর্বের সামান্য পাহাড়ি অঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাংশের সীমিত উঁচুভ‚মি ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশ নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি। দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি বড় নদী- গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং মেঘনার অববাহিকায় বাংলাদেশ অবস্থিত। এ দেশের ভ‚প্রকৃতি নিচু ও সমতল।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ ২০.৩৪র্ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬.৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮.০১র্ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা থেকে ৯২.৪র্১ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩.৫র্ ) অতিক্রম করেছে। পূর্ব-পশ্চিমে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি। ৪৪০ কিলোমিটার এবং উত্তর-উত্তর পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৭৬০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম; পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম এবং মায়ানমার; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত। বাংলাদেশের মোট ক্ষেত্রের পরিমাণ ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।
প্রশ্ন \ ৩ \ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার পূর্বাংশ এ অঞ্চলে অন্তর্গত। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাজিওডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার। এটি বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হচ্ছে কিওক্রাডং, যার উচ্চতা ১,২৩০ মিটার। এছাড়া এ অঞ্চলের আরও দুটি উচ্চতর পাহাড়চ‚ড়া হচ্ছে মোদকমুয়াল (১,০০০ মিটার) এবং পিরামিড (৯১৫ মিটার)। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলো বেলে পাথর, কর্দম ও শেল পাথর দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ কীভাবে গঠিত হয়েছিল?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট ভ‚মির প্রায় ৮% এলাকা নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়। এই সময়ের আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এসব চত্বরভ‚মি গঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- বরেন্দ্রভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের জনসংখ্যার বর্ণনা দাও।
উত্তর : জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান নবম। ভ‚খণ্ডের তুলনায় এদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বও খুব বেশি। তাছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও বেশি। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১২.৯৩ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪৮% এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৭৬ জন। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৪.৯৭ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭ এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০১৫ জন (উৎস : আদমশুমারি-২০১১)।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলাদেশের জনবসতির ওপর জলবায়ু এবং সমতলভ‚মির প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের সমতল নদী অববাহিকা অঞ্চল উর্বর পলিমাটি দ্বারা সৃষ্ট। এ অঞ্চলে কৃষি আবাদ অনেকটা সহজসাধ্য। ফলে এসব অঞ্চলে ঘন জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। এসব অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্যতা, সড়কপথ ও রেলপথে যোগাযোগের সুযোগ-সুবিধা জনজীবনকে আকৃষ্ট করে। তাছাড়া জলবায়ুর প্রভাবের কারণেও জনবসতির বণ্টন নিয়ন্ত্রিত হয়। চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর চেয়ে সমভাবাপন্ন জলবায়ুতে মানুষ বসবাস করতে বেশি পছন্দ করে। বাংলাদেশে সব জায়গায় আবহাওয়া প্রায় একই রকম, তবে এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়ায় শীত-গ্রীষ্মের তারতম্য কিছু বেশি উপলব্ধি হয়। কৃষির অনুক‚ল জলবায়ু চাষাবাদ এবং শস্য উৎপাদনের সহায়ক বলে সমভ‚মি মানুষের বসবাসকে আকৃষ্ট করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব এখানে এত অধিক যে, সামগ্রিকভাবে এ জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি নামে পরিচিত।
দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক জলবায়ুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশে বছরে ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের তিনটি ঋতু দেখা যায়- শীত, গ্রীষ্ম এবং বর্ষা। ঋতুভেদে এ জলবায়ুর কিছুটা তারতম্য হয়, কিন্তু কখনো এটি অন্যান্য শীতপ্রধান বা গ্রীষ্মপ্রধান দেশের মতো চরমভাবাপন্ন হয় না। মোটকথা, শুষ্ক ও আরামদায়ক শীতকাল এবং উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের শীতকাল সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : প্রতি বছর নভেম্বর হতে ফেব্র“য়ারি মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে শীতকাল। এ সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে থাকায় বাংলাদেশে এর রশ্মি তীর্যকভাবে পড়ে এবং উত্তাপের পরিমাণ যথেষ্ট কমে যায়। শীতকালীন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিমাণ যথাক্রমে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জানুয়ারি মাস বাংলাদেশের শীতলতম মাস। এ মাসের গড় তাপমাত্রা ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে দক্ষিণে সমুদ্র উপক‚ল হতে উত্তর দিকে তাপমাত্রা ক্রমশ কম হয়ে থাকে। সমতাপ রেখাগুলো অনেকটা সোজা হয়ে পূর্ব-পশ্চিমে অবস্থান করে।
প্রশ্ন \ ৯ \ আশ্বিনা ঝড় সম্পর্কে যা জান লেখ।
উত্তর : অক্টোবর-নভেম্বর দুই মাস ভারতে শরৎ ও হেমন্তকাল। এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হতে থাকে বলে ভারতের কোনো কোনো স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়–, উড়িষ্যা ও মেদিনীপুর উপক‚লে বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ঝড়কে আশ্বিনা ঝড় বলে।
প্রশ্ন \ ১০ \ মায়ানমারে গ্রীষ্মকালের আগমন কীভাবে ঘটে?
উত্তর : মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত মায়ানমারে গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে মায়ানমারের অধিকাংশ স্থান অত্যন্ত উত্তপ্ত এবং গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে। এ সময় সূর্য উত্তর গোলার্ধে অবস্থান করে বিধায় মধ্য এশিয়ায় বিরাট নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং এ অঞ্চলে মৌসুমি বায়ু প্রবাহ শুরু হয়। এ সময়ে ভামোতে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মান্দালয়ে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রেঙ্গুনে প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করে। এভাবে মায়ানমারে গ্রীষ্মকালের আগমন ঘটে।
প্রশ্ন \ ১১ \ বিশ্বের ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর বিবরণ দাও।
উত্তর : ভ‚মিকম্পের প্রকোপ পৃথিবীর সর্বত্র সমান নয়। ভ‚মিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলোকে তিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়। যেমন :
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশ : প্রশান্ত মহাসাগরের বহিঃসীমানা বরাবর সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকম্প হয়। এ অংশের জাপান, ফিলিপাইন, চিলি, অ্যালিসিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, আলাস্কা সবচেয়ে ভ‚মিক¤পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
ভ‚মধ্যসাগরীয়-হিমালয় অংশ : এ অংশ আল্পস পর্বত থেকে শুরু করে ভ‚মধ্যসাগরের উত্তর তীর হয়ে ককেশাস, ইরান, হিমালয়, ইন্দোচীন ও পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ হয়ে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।

মধ্য আটলান্টিক-ভারত মহাসাগরীয় শৈলশিরা অংশ : উত্তর-দক্ষিণ বরাবর মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা এবং ভারত মহাসাগরীয় শৈলশিরা মিশে আফ্রিকার লোহিত মহাসাগর বরাবর ভ‚মধ্যসাগরীয় অংশের সঙ্গে মিলেছে।
এ তিনটি প্রধান বলয় ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে ভ‚পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে এবং মহাসাগরের খাদে কিছু কিছু অংশে ভ‚মিকম্পের প্রকোপ দেখা যায়
প্রশ্ন \ ১২ \ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কী ধরনের পরিবেশগত পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে?
উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গড় তাপমাত্রা দেশের সর্বত্র বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষা মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে আবার বর্ষাকাল দেরিতে আসছে। স্বল্পসময়ে অধিক বৃষ্টিপাত, ভারি বর্ষণের ফলে ভ‚মিধ্বস, বন্যা ও পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে। সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে গেছে। হিরণ পয়েন্ট, চরচংগা ও কক্সবাজারের উচ্চতা প্রতিবছর গড়ে ৪ মিলিমিটার হতে ৬ মিলিমিটার পর্যন্ত বেড়েছে (ঘঅচঅ-২০০৫)।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ভ‚মিকম্প কী? ব্যাখ্যা কর?
উত্তর : কখনো কখনো ভ‚পৃষ্ঠের কতক অংশে হঠাৎ কোনো কারণে কেঁপে ওঠে। এ কম্পন অত্যন্ত মৃদু থেকে প্রচণ্ড হয়ে থাকে, যা মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। ভ‚পৃষ্ঠের এরূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভ‚মিকম্প বলে। ভ‚অভ্যন্তরে যে স্থানে ভ‚মিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র (ঋড়পঁং) বলে। কেন্দ্রের ঠিক সোজাসুজি উপরের ভ‚পৃষ্ঠের নাম উপকেন্দ্র (ঊঢ়রপবহঃবৎ)। কম্পনের বেগ উপকেন্দ্র হতে ধীরে ধীরে চারদিকে কমে যায়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বাংলাদেশে কেন ভ‚মিকম্পের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে?
উত্তর : ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ও ইউরোপিয়ান প্লেটের সীমানার কাছে অবস্থিত। এ কারণে বাংলাদেশ ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ভ‚মিরূপ ও ভ‚অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত কারণে বাংলাদেশে ভ‚আলোড়নজনিত শক্তি কার্যকর এবং এর ফলে এখানে ভ‚মিকম্প হয়। বিভিন্ন মানবীয় ও প্রাকৃতিক কারণে দেশের কিছু অংশ দেবে যাচ্ছে আবার কিছু অংশ উঠে যাচ্ছে। এভাবে ভ‚স্থিতির ফলে ভ‚মিকম্পের সম্ভাবনা বাড়ছে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ভ‚মিকম্পের প্রস্তুতিস্বরূপ একজন ব্যক্তির করণীয় কী?
উত্তর : ভ‚মিকম্পের প্রস্তুতিস্বরূপ একজন ব্যক্তির করণীয় :
বাড়িতে একটি ব্যাটারিচালিত রেডিও এবং টর্চলাইট সবসময় রাখা। প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা। বাড়ির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মেইন সুইচ কোথায় তা জেনে রাখা এবং এগুলো কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা শিখে রাখা। বাড়ির সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানটি চিহ্নিত করা। হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড প্রভৃতির ফোন নাম্বার সাথে রাখা। স্কুলে বাচ্চাদের ভ‚মিকম্প সম্পর্কে ধারণা দেয়া। ভ‚মিকম্পের সময় কী করতে হবে তা শিখিয়ে দেয়া। খেলার মাঠে থাকাকালীন দালানকোঠা থেকে দূরে থাকা।

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  বাংলাদেশের ভ‚-প্রাকৃতিক গঠন

 

ক. বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কোন রেখা অতিক্রম করেছে?
খ. বাংলাদেশের নদীগুলো বঙ্গোপসাগর অভিমুখে প্রবাহিত হয় কেন?
গ. মানচিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত অঞ্চলটির ভ‚-প্রাকৃতিক গঠন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্রের ‘ই’ ও ‘ঈ’ চিহ্নিত অঞ্চলের কোনটিতে অধিক কী পরিলক্ষিত হবে? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

ক বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
খ বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে গেছে অসংখ্য নদনদী। এগুলোর মধ্যে পদ্মা, যমুনা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলী ইত্যাদি প্রধান। বাংলাদেশের ভ‚খণ্ড উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু। ফলে এসব নদনদী, উপনদী ও শাখা নদীগুলো উত্তর দিক হতে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে প্রবাহিত হয়।
গ মানচিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত অঞ্চলটি হচ্ছে প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহ বা চত্বরভ‚মির অন্তর্ভুক্ত বরেন্দ্রভ‚মি। অঞ্চলটির ভ‚-প্রাকৃতিক গঠন ব্যাখ্যা করা হলো ।বাংলাদেশের মোট ভ‚মির প্রায় ৮% এলাকা নিয়ে চত্বর ভ‚মি অঞ্চল গঠিত। আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়। এই সময়ের আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এসব চত্বরভ‚মি গঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-বরেন্দ্রভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়। নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে বরেন্দ্রভ‚মি গঠিত। এর আয়তন ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার। প্লাবন সমভ‚মি থেকে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার। এ স্থানের মাটি ধূসর ও লাল বর্ণের। মানচিত্রে ‘অ’ চি‎িহ্নত স্থানটি এই বরেন্দ্রভ‚মি।
ঘ চিত্রের ‘ই’ চিহ্নিত অঞ্চলটি হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকা এবং ‘ঈ’ চিহ্নিত অঞ্চলটি হচ্ছে সমতল নদী অববাহিকা অঞ্চল। দুটি অঞ্চলের মধ্যে ‘ঈ’ অধিক ঘনবসতিপূর্ণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভ‚প্রকৃতিতে তেমন কোনো পার্থক্য না থাকাতে প্রায় মোটামুটি সব জায়গায় জনবসিত রয়েছে। তবে ‘ই’ চি‎িহ্নত পার্বত্য অঞ্চলে জীবিকা সংস্থান কষ্টসাধ্য। এ অঞ্চলে জনবসতির ঘনত্ব খুবই কম। এ অঞ্চলে ভালো রাস্তাঘাট বা রেল সংযোগ উপযুক্ত পরিমাণে না থাকায় জীবিকার সংস্থানও কষ্টকর। অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও ভ‚প্রকৃতিগত কারণে এ স্থান জনবিরল। অপরদিকে ‘ঈ’ চি‎িহ্নত সমতল নদী অববাহিকা অঞ্চল উর্বর পলিমাটি দ্বারা সৃষ্ট। এ অঞ্চলে কৃষি আবাদ অনেকটা সহজসাধ্য। ফলে এ অঞ্চলে ঘন জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। এসব অঞ্চলের নদীগুলোর নাব্য, সড়কপথ ও রেলপথে যোগাযোগের সুযোগ-সুবিধা জনজীবনকে আকৃষ্ট করে। এছাড়া কৃষির অনুক‚ল জলবায়ু চাষাবাদ ও শস্য উৎপাদনের সহায়ক বলে ‘ঈ’ চি‎িহ্নত সমভ‚মি মানুষের বসবাসকে আকৃষ্ট করেছে। ফলে এখানে জনবসতি অধিক দেখা যায়।

প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ভ‚মিকম্প মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

সাব্বির টেলিভিশনে দুর্যোগ-এর উপর প্রতিবেদন দেখছিলেন। প্রতিবেদনটিতে দেখাচ্ছিল, ফিলিপাইনের একটি শহর হঠাৎ কেঁপে উঠায় শহরটির বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ভেঙে গিয়ে কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগটির ভয়াবহতা দেখে সাব্বির নিজের দেশে এর ভয়াবহতা প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
ক. চিকনাগুল কী?
খ. কালবৈশাখী ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উক্ত প্রতিবেদনটিতে সাব্বিরের দেখা দুর্যোগটি সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সাব্বির দুর্যোগটির ঝুঁকি মোকাবিলায় কী ধরনের পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে ব্যাখ্যা কর।

ক চিকনাগুল হলো বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি পাহাড়।
খ কালবৈশাখী বাংলাদেশে একটি ঝড়ের নাম। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়ে থাকে। একই সময় পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক হতে শুষ্ক ও শীতল বায়ু প্রবাহিত হয়। এ দুই বায়ু মুখোমুখি হলে যে ঝড় সৃষ্টি হয় তাকে কালবৈশাখী বলা হয়।
গ উদ্দীপকে সাব্বির যে প্রতিবেদনটি দেখে তা হলো ভ‚মিকম্পের প্রতিবেদন। ভ‚মিকম্পের কারণ অনুসন্ধানকালে বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেন পৃথিবীর বিশেষ কিছু এলাকায় ভ‚কম্পন বেশি হয়। এসব এলাকায় নবীন পর্বতমালা অবস্থিত। তাদের মতে, ভিত্তিশিলা চ্যুতি বা ফাটল বরাবর আকস্মিক ভ‚আলোড়ন হলে ভ‚মিকম্প হয়। এছাড়া আগ্নেয়গিরির লাভা প্রচণ্ড শক্তিতে ভ‚’অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে আসার সময়ও ভ‚মিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভ‚ত্বক তাপ বিকিরণ করে সঙ্কুচিত হলে ভ‚নি¤œস্থ শিলাস্তরে ভারের সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ফাটল ও ভাঁজের সৃষ্টির ফলে ভ‚কম্পন অনুভ‚ত হয়। ভ‚আলোড়নের ফলে ভ‚ত্বকের কোনো স্থানে শিলা ধসে পড়লে বা শিলাচ্যুতি ঘটলে ভ‚মিকম্প হয়। এছাড়াও পাশাপাশি অবস্থানরত দুটি প্লেটের একটি অপরটির সীমানা বরাবর তলদেশে ঢুকে পড়ে অথবা আনুভ‚মিকভাবে আগেপিছে সরে যায়। এ ধরনের সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয়। বিজ্ঞানীরা এর আবার দুটি কারণ চি‎িহ্নত করেছেন- প্লেটসমূহের সংঘর্ষের ফলে ভ‚ত্বকে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় তা ভ‚মিকম্প ঘটিয়ে থাকে। ভ‚অভ্যন্তরে বা ভ‚ত্বকের নিচে ম্যাগমার সঞ্চারণ অথবা চ্যুতিরেখা বরাবর চাপমুক্ত হওয়ার কারণে ভ‚মিকম্প হয়ে থাকে।
ঘ উদ্দীপকের সাব্বির টেলিভিশন প্রতিবেদনে ভ‚মিকম্পের ভয়াবহতা দেখে আমাদের দেশে ভ‚মিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ভ‚মিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় নানা ধরনের পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। ভ‚মিকম্পের জন্য যেসব প্রস্তুতি নেয়া উচিত তা হলোÑ যারা নতুন বাড়ি তৈরি করবেন তাদেরকে স্ট্রাকচার ও ডিজাইন করার সময় ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে হবে এবং ভালো প্রকৌশলীর তদারকির মাধ্যমে ভালো নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে বাড়ি তৈরি করতে হবে। ইটের তৈরি দেয়াল করলে ৪ তলার উপরে ভবন না করা; ভবন দোতলার বেশি হলে প্রতিটি কোণায় ইটের মাঝখানে খাড়া ইস্পাতের রড ঢোকাতে হবে। গ্রামাঞ্চলের টিনের ঘরগুলোর ভ‚মিকম্পে ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে মাটির দেয়ালের বাড়িঘরের ভ‚মিকম্প প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এজন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কোনাকুনিভাবে বাঁশ বা কাঠের ব্রেসিং ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি কোনো ভবনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তবে ভবনটিকে নির্মাণের পর শক্তিশালী করা যেতে পারে। এজন্য কংক্রিট বিল্ডিং-এর জন্য অতিরিক্ত রড ব্যবহার করে কংক্রিট ঢালাই দিয়ে দুর্বল স্থানগুলোর আয়তন ও আকার বাড়ানো যায়। ফেরো সিমেন্ট দিয়ে ইটের দেয়ালে প্রলেপ দিলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেমিপাকা ঘরগুলোর চারপাশে টানা দিয়ে বেঁধে ফেললে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পরিশেষে বলা যায়, উপরিউক্ত পদক্ষেপগুলো ভ‚মিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করতে সহায়তা করে।
 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশ কতো ডিগ্রি অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত?
উত্তর : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ ২০.৩র্৪ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬.৩র্৮ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮.০র্১ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা থেকে ৯২.৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখার মধ্যে অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের উত্তরের পাহাড়গুলোকে টিলা বলা হয় কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের উত্তরে পাহাড়গুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার। উচ্চতা কম হওয়ার কারণে এগুলো স্থায়ীভাবে টিলা নামে পরিচিত।
প্রশ্ন \ ৩ \ আশ্বিনা ঝড় বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : অক্টোবর-নভেম্বর দুই মাস ভারতে শরৎ ও হেমন্তকাল। এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হতে থাকে বলে ভারতের কোনো কোনো স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়–, উড়িষ্যা ও মেদিনীপুর উপক‚লে বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ঝড়কে আশ্বিনা ঝড় বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ উপকেন্দ্র কী?
উত্তর : ভ‚অভ্যন্তরে যে স্থানে ভ‚মিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র বলে। কেন্দ্রের ঠিক সোজাসুজি উপরের ভ‚পৃষ্ঠের নাম উপকেন্দ্র। কম্পনের বেগ উপকেন্দ্র হতে ধীরে ধীরে চারদিকে কমে যায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘সিসমিক রিস্ক জোন’ কী?
উত্তর : ১৯৮৯ সালে ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের ভ‚মিকম্প বলয় সংবলিত মানচিত্র তৈরি করেন। এতে ৩টি বলয় দেখানো হয়েছে। প্রথম বলয়কে “প্রলয়ঙ্করী”; দ্বিতীয় বলয়কে ‘বিপজ্জনক’ এবং তৃতীয় বলয়কে ‘লঘু’ বলে বর্ণনা করেছেন। এই বলয়সমূহকে বলা হয় ‘সিসমিক রিস্ক জোন।’
 বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ভারতের বিভিন্ন স্থানে জুন হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জুন হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতে বর্ষাকাল থাকে। জুন মাসের শেষে (২১ জুন) সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থান করায় উত্তর ভারতে উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত (৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর উপরে)
বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণে ক্রমশ তাপমাত্রা কমতে কমতে শেষ পর্যন্ত ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়। অতিরিক্ত তাপে উত্তর ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলে একটি প্রবল শক্তিসম্পন্ন নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়। এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে মকরীয় উচ্চচাপবলয় হতে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে প্রবেশ না করে পাঞ্জাবের অধিক শক্তিসম্পন্ন নিম্নচাপের টানে সরাসরি পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হয়। এ বায়ু সমুদ্রের উপর দিয়ে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে বলে এতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে। ফলশ্রæতিতে হিমালয় ও অন্যান্য উচ্চ পর্বতগাত্রে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় ৭৫% ভাগ বৃষ্টিপাত এ ঋতুতেই হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ ভ‚মিকম্পের ক্ষেত্রে ভ‚অভ্যন্তরীণ শক্তি ও প্লেটসমূহের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : ভ‚মিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভ‚মিকম্পের কারণ অনুসন্ধানকালে বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেন পৃথিবীর বিশেষ কিছু এলাকায় ভ‚কম্পন বেশি হয়। এসব এলাকায় নবীন পর্বতমালা অবস্থিত। তাদের মতে, ভিত্তিশিলা চ্যুতি বা ফাটল বরাবর আকস্মিক ভ‚আলোড়ন হলে ভ‚মিকম্প হয়। এছাড়া আগ্নেয়গিরির লাভা প্রচণ্ড শক্তিতে ভ‚অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে আসার সময়ও ভ‚মিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভ‚ত্বক তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হলে ভ‚নিম্নস্থ শিলাস্তরে ভারের সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ফাটল ও ভাঁজের সৃষ্টির ফলে ভ‚মিকম্পন অনুভ‚ত হয়। ভ‚আলোড়নের ফলে ভ‚ত্বকের কোনো স্থানে শিলা ধসে পড়লে বা শিলাচ্যুতি ঘটলে ভ‚মিকম্প হয়। এছাড়াও পাশাপাশি অবস্থানরত দুটি প্লেটের একটি অপরটির সীমানা বরাবর তলদেশে ঢুকে পড়ে অথবা আনুভ‚মিকভাবে আগে পিছে সরে যায়। এ ধরনের সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয়। এসব অবস্থা বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা এর দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেনÑ প্লেটসমূহের সংঘর্ষের ফলে ভ‚ত্বকে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় তা ভ‚কম্পন ঘটিয়ে থাকে। ভ‚অভ্যন্তরে বা ভ‚ত্বকের নিচে ম্যাগমার সঞ্চারণ অথবা চ্যুতিরেখা বরাবর চাপমুক্ত হওয়ার কারণে ভ‚মিকম্প হয়ে থাকে।
সুতরাং বলা যায়, ভ‚মিকম্পের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ শক্তি ও প্লেটসমূহের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. নিচের কোন স্থানে বর্ষাকালে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়?
ক শ্রীমঙ্গল খ কুমিল্লা
গ ঢাকা  পাবনা
২. রাকিব বরিশাল থেকে নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে দেখল সেখানকার মাটির রং ছাই ও লাল বর্ণের এবং বালু ও ছোট ছোট পাথর কণা মিশ্রিত। রাকিবের নানাবাড়ির এলাকা কোন ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
ক টারসিয়ারি যুগের পাহাসমূহ
খ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
 প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহ
ঘ প্লাবন সমভ‚মি
৩. ছাতক কোন ভ‚মিকম্প বলয়ে অবস্থিত?
 ১ম খ ২য় গ ৩য় ঘ ৪র্থ
৪. জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান কততম?
ক ৬ষ্ঠ খ ৭ম গ ৮ম  ৯ম
৫. বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
ক তাজিওডং  কিওক্রাডং
গ পিরামিড ঘ মোদকমুয়াল
৬. বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন?
 সমভাবাপন্ন খ চরমভাবাপন্ন গ নাতিশীতোষ্ণ ঘ শীতল
৭. বাংলাদেশের দক্ষিণে কি অবস্থিত?
ক মিজোরাম  বঙ্গোপসাগর
গ মেঘালয় ঘ ত্রিপুরা
৮. ‘তাজিওডং’ কোথায় অবস্থিত?
ক খাগড়াছড়ি খ কক্সবাজার গ চট্টগ্রাম  বান্দরবান
৯. বর্ষাকালে বাংলাদেশে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত?
ক তিনভাগের দুইভাগ খ চারভাগের একভাগ
 পাঁচভাগের চারভাগ ঘ ছয়ভাগের দুইভাগ
১০. ভ‚মির স্বাভাবিক গতিবিধি কি কারণে বদলে যাচ্ছে?
 খাল-বিল ভরাট খ অধিক বৃষ্টিপাত
গ অতিরিক্ত খরা ঘ বৈরী আবহাওয়া
১১. বাংলাদেশকে কেন ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল বলা হয়?
 বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ও ইউরোপিয়ান প্লেটের সীমানার কাছে অবস্থিত
খ এই এলাকায় নবীন পর্বতমালা অবস্থিত
গ শিল্প ধসে পড়ার কারণে
ঘ প্লেটসমূহের সংঘর্ষের ফলে ভ‚ত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়
১২. নেপালের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত কত সেমি?
ক ১৫১ সেমি খ ১৪৯ সেমি গ ১৪৭ সেমি  ১৪৫ সেমি
১৩. বর্ষাকালের মেয়াদ
 জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত খ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত
গ মার্চ থেকে মে পর্যন্ত ঘ ফেব্রæয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত
১৪. বাংলাদেশে ঋতু ভিন্নতার কারণ কী?
 মৌসুমি জলবায়ু খ অয়ন বায়ু
গ উষ্ণ বায়ু ঘ শীতল বায়ু
১৫. ভ‚মিকম্পের ডেঞ্জার ফল্ট লাইনে বাংলাদেশের কোন জেলা অবস্থান করছে?
ক বগুড়া খ কুমিল্লা গ ঢাকা  সিলেট
১৬. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
ক কিউক্রাডং  তাজিওডং গ গারো পাহাড় ঘ মোদক মুয়াল
১৭. ভাওয়ালের সোপানভ‚মি কোন সময়ে গঠিত?
 প্লাইস্টোসিনকালে খ টারসিয়ারি যুগে
গ মধ্যযুগে ঘ সা¤প্রতিককালে
১৮. গড় হিসেবে বাংলাদেশ উষ্ণতম মাস কোনটি?
 এপ্রিল খ মে গ জুন ঘ জুলাই
১৯. মিম ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। সে শিক্ষা সফরে সিলেট জেলায় যায়। মিম এখন ভ‚মিকম্পের কোন বলয়ে অবস্থিত?
 প্রথম খ দ্বিতীয় গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
২০. পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ কোনটি?
ক শ্রীলংকা খ মায়ানমার গ অস্ট্রেলিয়া  বাংলাদেশ
২১. বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি কেমন?
 নিচু ও সমতল খ উচু ও নিচু
গ পাহাড়ি ও পার্বত্যময় ঘ সমতল ও পার্বত্যময়
২২. ভারতের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য হলো
ক আবহাওয়া সর্বদা উষ্ণ থাকে  শীতকালের বায়ু শুষ্ক ও শীতল
গ বৃষ্টিবহুল বর্ষাকাল ঘ শরৎকালে বেশ ঠাণ্ডা পড়ে
২৩. ‘সিসমিক রিস্ক জোন’ কী?
 ভ‚মিকম্পন প্রবণ এলাকা খ আগ্নেয় প্রবণ এলাকা
গ বন্যা প্রবণ এলাকা ঘ নদী ভাঙন এলাকা
২৪. বাংলাদেশে মোট বৃষ্টিপাতের কতভাগ বর্ষাকালে হয়ে থাকে?
 ৪৫ ভাগ খ ৩৫ ভাগ গ ২৫ ভাগ ঘ ১৫ ভাগ
২৫. বাংলাদেশ কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত?
ক ২০.৩৪র্  ২৬.৩৮র্ খ ২০.৩৪র্  ২৪.৩৮র্
 ৮৮.০১র্  ৯২.৪১র্ ঘ ৮৮.০৫র্  ৯২.৪৫র্
২৬. হাসিব মায়ানমারে যেতে চায়। তাহলে তাকে বাংলাদেশের কোন দিকে যেতে হবে?
ক উত্তর খ দক্ষিণ  পূর্ব ঘ পশ্চিম
২৭. বাংলাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল কী?
 সমভ‚মি খ উঁচু-নিচু গ পাহাড়ি অঞ্চল ঘ উঁচু ভ‚মি
২৮. নিচের কোন দুটি অঞ্চলে জীবিকা সংস্থান কষ্টসাধ্য হওয়ায় জনবসতির ঘনত্ব খুবই কম?
 পার্বত্য এলাকা ও সুন্দরবন খ বালুময় এলাকা ও সুন্দরবন
গ উঁচু এলাকা ও শালবন ঘ নিচু এলাকা ও গজারি বন
২৯. লালখান বাংলাদেশের শীতলতম স্থান। বাংলাদেশের জলবায়ুর ক্ষেত্রে কোন মাসটি লালখানের স্থান দখল করেছে।
ক এপ্রিল খ মার্চ গ ফেব্র“য়ারি  জানুয়ারি
৩০. বর্ষাকালে বাংলাদেশে সূর্য কীভাবে কিরণ দেয়?
ক তির্যক  লম্ব গ আড়াআড়ি ঘ মৃদু
৩১. বর্ষাকালে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড় বৃষ্টিপাত কত?
 ১১৯ সেন্টিমিটার ও ৩৪০ সেন্টিমিটার
খ ১৪০ সেন্টিমিটার ও ১১৯ সেন্টিমিটার
গ ৩২০ সেন্টিমিটার ও ১৩০ সেন্টিমিটার
ঘ ১৪০ সেন্টিমিটার ও ১৮০ সেন্টিমিটার
৩২. মাফুজের দেশে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও হেমন্তকাল আছে। সে কোন দেশের নাগরিক?
ক বাংলাদেশ  ভারত গ মায়ানমার ঘ নেপাল
৩৩. ভারত সীমান্তে কাঁটাতার দেশটির অভ্যন্তরে শত্র“র প্রবেশে বাধা দেয়। শীতকালে ভারতের কোন অঞ্চলটি এমন অবদান রাখে?
ক বঙ্গোপসাগর  হিমালয় পর্বত
গ ভারত মহাসাগর ঘ উপক‚লীয় অঞ্চল
৩৪. বর্ষাকালে আয়নবায়ু পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হয়ে সমুদ্রপথে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে। ফলে এ বায়ুতে কোন বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়?
 প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে খ প্রচুর ধুলা থাকে
গ বায়ু শুষ্ক থাকে ঘ বায়ু হালকা থাকে
৩৫. জাফর মায়ানমারের রাজধানী ইয়াংগুনে থাকে। সেখানে কোন মাসে বৃষ্টিপাত শুরু হয়?
ক জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে খ মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে
 মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে
৩৬. মায়ানমারে শীতকালে সূর্য কোন গোলার্ধে অবস্থান করে?
ক পূর্ব খ পশ্চিম গ উত্তর  দক্ষিণ
৩৭. সেলিম একজন কৃষক। সে কাজের আশায় ঢাকা শহরে আসে। এতে তার পরিবারে কী সৃষ্টি হয়েছে?
ক কলহ  ভাঙন গ শূন্যতা ঘ বিশৃঙ্খলা
৩৮. গত ১২ ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রামে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এক কম্পনে হামজারবাগে একটি দোতলা দালানে ফাটল ধরে। এ কম্পনকে কী বলে?
ক অগ্ন্যুৎপাত  ভ‚মিকম্প
গ আকস্মিক পরিবর্তন ঘ ধীর পরিবর্তন
৩৯. রফিক আমেরিকার দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বাস করে। তার শহরে গত ১০০ বছরে কোনো ভ‚মিকম্প হয়নি। সেখানে ভ‚মিকম্পের সম্ভাবনা কেমন?
ক খুব কম
 খুব বেশি
গ ভ‚মিকম্প হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই
ঘ মাঝামাঝি সম্ভাবনা আছে
৪০. কনসোর্টিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং কোন দেশের?
ক ভারতের  ফ্রান্সের
গ ইংল্যান্ডের ঘ আমেরিকার
৪১. প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রেডিও অন রাখুন। কথাটির তাৎপর্য কী?
ক রেডিওতে বিনোদনের মাধ্যমে দুর্যোগের ভয় কমানো
খ বেতারের মাধ্যমে জনগণ সরকারের সাথে যোগাযোগ করে
 দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য প্রচার শোনা
ঘ দুর্যোগ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা নেওয়ার জন্য
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪২. গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হয়
র. বায়ুর চাপের পরিবর্তনের কারণে
রর. বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে
ররর. হিমালয়ের হিমবাহের কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৩. ভ‚মিকম্পের ফলে যেটি হয়
র. সুনামি
রর. জলোচ্ছ¡াস
ররর. প্লাবন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৪. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহের অন্তর্গতÑ
র. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
রর. উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
ররর. উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৫. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেÑ
র. মানুষের পেশাগত পরিবর্তন ঘটেছে
রর. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে
ররর. বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বিপন্ন হচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৪৬. ১৯৮৯ সালে ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের ভ‚মিকম্প বলয় সংবলিত মানচিত্রে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলকে কোন বলয় হিসেবে দেখানো হয়েছে?
র. প্রলয়ংকরী
রর. বিপদজনক
ররর. লঘু
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৭. ভ‚মিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে?
র. কাঠের আসবাবপত্র তৈরি
রর. বাড়ির সদস্যদের জন্য হেলমেট রাখা
ররর. গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৮. মরক্কোর অধিবাসী বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা তার ভ্রমণকাহিনীতে লিখেছেন, বাংলাদেশে আমাদের মতো শীত নেই আবার গোবীয় মরুভ‚মির মতো গরমও নেই। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন
র. বাংলাদেশের জলবায়ু সমভাবাপন্ন
রর. বাংলাদেশের জলবায়ু আর্দ্র
ররর. বাংলাদেশের জলবায়ু আরামদায়ক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৯. ভারতের জলবায়ু বৈচিত্র্যময় হওয়ার কারণ
র. বিশাল আয়তন
রর. অক্ষাংশ, সমুদ্র দূরত্ব, বায়ুপ্রবাহ
ররর. মৌসুমি জলবায়ু
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫০. নেপালে- [মতিঝিল মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
র. শীত-গ্রীষ্মের তাপমাত্রার পার্থক্য খুব বেশি নয়
রর. বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৪৫ সেন্টিমিটার
ররর. বসন্ত ঋতু আরামদায়ক
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫১. ভ‚মিকম্পের ফলে ঘটতে পারে
র. নদীর গতিপথের পরিবর্তন
রর. উপক‚লীয় এলাকায় জলোচ্ছ¡াস
ররর. পাহাড়-পর্বত দ্বীপের সৃষ্টি ও পরিবর্তন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫২. সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হলো ভ‚মধ্যসাগরীয় হিমালয় অংশের
র. ইরান
রর. হিমালয়
ররর. ইন্দোচীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ৫৩ ও ৫৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিলা ও রাসেল শীতের ছুটিতে বেড়াতে যায়। রাসেল তার মামার সাথে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আর শিলা তার বাবার সাথে কুমিল্লায়।
৫৩. রাসেলের দেখা জায়গাটির সাথে মিল রয়েছে
ক টারসিয়ারি যুগের পাহাড়
খ প্লাবন সমভ‚মি
গ প্লাইস্টোসিনকালের মরুভ‚মি
ঘ মধুপুর ও ভাওয়ালের সোপান ভ‚মি
৫৪. শিলার বেড়ানো জায়াগাটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো
র. লালচে মাটি
রর. মাটি নুড়ি ও বালি মিশ্রিত
ররর. সবুজ প্রকৃতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৫ ও ৫৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাতের খাবার পর আবিদ তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বসে টিভি দেখছিল। এমন সময় হঠাৎ তাদের বিল্ডিংটি বেশ জোরে কেঁপে উঠল। বাবা বললেন ভ‚মিকম্প হচ্ছে। আবিদ তার বাবার কাছ থেকে ভ‚মিকম্প কী তা ভালোভাবে জেনে নিল।
৫৫. ভ‚মিকম্প স্থায়ী হয়Ñ
র. মাত্র কয়েক সেকেন্ড
রর. মাত্র কয়েক মিনিট
ররর. মাত্র কয়েক ঘণ্টা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. ভ‚মিকম্প কোন ধরনের দুর্যোগ?
ক রাষ্ট্রীয়  প্রাকৃতিক গ মানবসৃষ্ট ঘ সামুদ্রিক
নিচের চিত্রটি দেখে ৫৭ ও ৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৫৭. ‘ক’ চিহ্নিত স্থানে কোনটি অবস্থিত?
 মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় খ বরেন্দ্র ভ‚মি
গ লালমাই পাহাড় ঘ ময়নামতি পাহাড়
৫৮. চিত্রে ‘ক’ এবং ‘খ’ চিহ্নিত স্থানের আয়তনের পার্থক্য কত বর্গ কিলোমিটার?
ক ২,১২২ খ ৩,৯২২ গ ৪,৮২৪  ৫,২১৭
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৯ ও ৬০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গত বছর তামিম টাঙ্গাইল জেলায় তার মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে সে বিশেষ এক ধরনের সোপান ভ‚মি দেখতে পায়।
৫৯. তামিমের দেখা সোপান ভ‚মিটির নাম কী?
ক লালমাই পাহাড়  মধুপুর ভাওয়ালের গড়
গ বরেন্দ্রভ‚মি ঘ প্লাবন সমভ‚মি
৬০. উক্ত সোপান ভ‚মিটির বৈশিষ্ট্য হলো
র. এর মাটি লালচে ও ধূসর
রর. সমভ‚মি থেকে এর উচ্চতা ৬-৩০ মিটার
ররর. এটি কুমিল্লা অঞ্চলেও দেখা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি দেখে ৬১ ও ৬২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৬১. চিত্রে অ চিহ্নিত অঞ্চলের আয়তন কত?
ক ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার খ ২,৫০০ বর্গকিলোমিটার
 ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার ঘ ৫,৬০৩ বর্গকিলোমিটার
৬২. চিত্রে ঈ চিহ্নিত অঞ্চলের সাথে কোনটির সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়?
ক বরেন্দ্রভ‚মির খ ভাওয়ালের গড়
গ টারশিয়ারি অঞ্চলের  লালমাই পাহাড়ের
 অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 ভ‚মিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৩. বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি কিরূপ? (জ্ঞান)
 নিচু ও সমতল খ উঁচু ও সমতল
গ বন্ধুর ও নিচু ঘ উঁচু ও নিচু
৬৪. কোন বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে বিভিন্ন ঋতুর আগমন ঘটে? (জ্ঞান)
 মৌসুমি খ সমুদ্র
গ অয়ন ঘ চিনুক
৬৫. কিসের তারতম্যের কারণে আমরা কখনও গরম আবার কখনও শীত অনুভব করি? (জ্ঞান)
ক জলবায়ুর খ আবহাওয়ার
 ঋতুর ঘ বৃষ্টির
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৬. বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যÑ (অনুধাবন)
র. পাহাড়ি অঞ্চল
রর. সীমিত উঁচুভ‚মি
ররর. বিস্তীর্ণ সমভ‚মি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৭. বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করেÑ (অনুধাবন)
র. অতিবৃষ্টি
রর. জলোচ্ছ¡াস
ররর. টর্নেডো
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 পরিচ্ছেদ-৪.১ : বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি
 বাংলাদেশ পলল গঠিত একটি আদ্র অঞ্চল।
 বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি নিচু ও সমতল।
 কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে।
 বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কি.মি. বা ৫৬,৯৭৭ বর্গ মাইল।
 বাংলাদেশের ভ‚খণ্ড ক্রমশ ঢালু উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে।
 ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত ভাগ করা যায় তিনটি শ্রেণিতে।
 বাংলাদেশের মোট ভ‚মির প্রায় ১২% এলাকা নিয়ে গঠিত টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ।
 টারশিয়ারি যুগের পাহাড়গুলোকে ভাগ করা যায় ২ ভাগে।
 আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে বলা হয় প্লাইস্টোসিন কাল।
 বন্যার পানির সঙ্গে পরিবাহিত পলি মাটি সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়েছে প্লাবন সমভ‚মি।
 বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাজিওডং বা বিজয়, যার উচ্চতা ১২৩১ মিটার।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. কোনটি পলল গঠিত একটি আর্দ্র অঞ্চল? (জ্ঞান)
ক ভারত খ নেপাল
 বাংলাদেশ ঘ মায়ানমার
৬৯. বাংলাদেশের কোন অংশে সীমিত উচুঁ ভ‚মি রয়েছে? (জ্ঞান)
ক উত্তর-পূর্বাংশে খ দক্ষিণ-পূর্বাংশে
 উত্তর-পশ্চিমাংশে ঘ দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে
৭০. দক্ষিণ এশিয়ার কয়টি বড় নদী বাংলাদেশে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
৭১. এশিয়া মহাদেশের কোন দিকে বাংলাদেশ অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক উত্তর  দক্ষিণ গ পূর্ব ঘ পশ্চিম
৭২. বাংলাদেশে অক্ষরেখার বিস্তৃতি কত? (জ্ঞান)
 ২০.৩৪র্ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬.৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখা
খ ২০.৩৪র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা থেকে ২৬.৩৮র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা
গ ২৪.৩৪র্ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ৩০.৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখা
ঘ ২৪.৩৪র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা থেকে ৩০.৩৮র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা
৭৩. রাসেল বলে আমাদের দেশের উপর দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক রেখা অতিক্রম করেছে। রাসেল মূলত কোন রেখার কথা বলেছে? (প্রয়োগ)
 কর্কটক্রান্তি খ মকরক্রান্তি
গ নিরক্ষীয় ঘ বিষুব
৭৪. কোন রেখা বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে অতিক্রম করেছে? (জ্ঞান)
ক মকরক্রান্তি  কর্কটক্রান্তি
গ বিষুব ঘ নিরক্ষ
৭৫. পূর্ব-পশ্চিমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিস্তৃতি কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৪২০  ৪৪০ গ ৪৬০ ঘ ৪৮০
৭৬. মেঘালয় বাংলাদেশের কোন দিকে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক পূর্ব খ পশ্চিম  উত্তর ঘ দক্ষিণ
৭৭. বাংলাদেশের তিনদিক দিয়ে কোন দেশটি বেষ্টিত? (জ্ঞান)
ক শ্রীলঙ্কা খ মায়ানমার গ পাকিস্তান  ভারত
৭৮. বাংলাদেশের দক্ষিণে কোনটি অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক আসাম খ মায়ানমার গ পশ্চিমবঙ্গ  বঙ্গোপসাগর
৭৯. কোনটি বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত? (জ্ঞান)
 আসাম খ মিজোরাম গ মায়ানমার ঘ বঙ্গোপসাগর
৮০. বাংলাদেশের আয়তন কত? (জ্ঞান)
 ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার খ ১,৫৭,৩৭০ বর্গমাইল
গ ৫৬,৯৭৭ বর্গকিলোমিটার ঘ ২,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার
৮১. বাংলাদেশের মোট আয়তন কত বর্গমাইল? (জ্ঞান)
ক ১,৪৭,৫৭০  ৫৬,৯৭৭ গ ৪৭,৫৭০ ঘ ১,৪৫,৫৭০
৮২. বাংলাদেশের ভ‚খণ্ড কোন দিকে ক্রমশ ঢালু? (জ্ঞান)
ক পূর্ব হতে পশ্চিমে খ পশ্চিম হতে পূর্বে
গ দক্ষিণ হতে উত্তরে  উত্তর হতে দক্ষিণে
৮৩. বাংলাদেশের ভ‚খণ্ড উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু। এর ফলে নিচের কোনটি পরিলক্ষিত হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পাহাড়সমূহ দক্ষিণে অবস্থিত
 নদনদী উত্তর দিক হতে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে
গ নদনদীগুলো বছরের দীর্ঘসময় স্রোতহীন
ঘ দক্ষিণ দিকে নদীর পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
৮৪. বাংলাদেশের দক্ষিণে কোনটি অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক পশ্চিমবঙ্গ খ আসাম গ মায়ানমার  বঙ্গোপসাগর
৮৫. বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতিকে প্রধানত কয় শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
৮৬. বাংলাদেশের মোট ভ‚মির কত ভাগ এলাকা নিয়ে টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ গঠিত? (জ্ঞান)
ক ৮% খ ১০%  ১২% ঘ ১৪%
৮৭. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে? (অনুধাবন)
 হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময়
খ ভ‚মিকম্পের কারণে নিম্ন ভ‚মি উপরে ওঠে
গ ভ‚মিকম্পের কারণে নিম্ন ভ‚মি উপরে ওঠে
ঘ বন্যার সাথে আসা পলল জমাটবদ্ধ হয়ে
৮৮. হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় কোন ধরনের ভ‚মির সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ক লালমাই পাহাড় খ বরেন্দ্র ভ‚মি
 টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ঘ কুমিল্লার পাহাড়
৮৯. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়গুলোকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
 ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৯০. কোন জেলাটি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের অন্তর্গত? (জ্ঞান)
ক সিলেট খ হবিগঞ্জ গ নেত্রকোনা  রাঙামাটি
৯১. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের গড় উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ৫৭০ মিটার  ৬১০ মিটার গ ৫১০ মিটার ঘ ৬৭০ মিটার
৯২. আবিদ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গে উঠে নিজেকে ধন্য মনে করছে। সে কোন পর্বত শৃঙ্গে আরোহণ করেছিল? (প্রয়োগ)
ক কিওক্রাডং  তাজিওডং (বিজয়)
গ পিরামিড ঘ চিকনাগুল
৯৩. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী? (জ্ঞান)
ক কিওক্রাডং  তাজিওডং (বিজয়)
গ মোদকমুয়াল ঘ পিরামিড
৯৪. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ১১৩১ মিটার  ১২৩১ মিটার
গ ৬১০ মিটার ঘ ৫২০ মিটার
৯৫. বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ১১২০ মিটার খ ১২২০ মিটার
গ ৬১০ মিটার  ১,২৩০ মিটার
৯৬. পিরামিড পাহাড়চ‚ড়ার উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ৬১০ মিটার খ ১০০০ মিটার গ ১২৩০ মিটার  ৯১৫ মিটার
৯৭. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহে কোন বৈশিষ্ট্যটি পরিলক্ষিত হয়? (জ্ঞান)
ক পাহাড়গুলোর উচ্চতা কম
খ মাটির রং ধূসর ও লালচে
 পাহাড়গুলো বেলে পাথর, কর্দম ও শেল পাথর দ্বারা গঠিত
ঘ পাহাড়গুলো মৃদু ঢালবিশিষ্ট
৯৮. হাবিব মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণে কালাপুর থানায় বাস করে। তার জেলাটি কোন ভ‚প্রকৃতির অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের  উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের
গ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উঁচুভ‚মির ঘ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উঁচুভ‚মির
৯৯. বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ৯১৫ মিটার খ ৬১০ মিটার  ২৪৪ মিটার ঘ ১০০০ মিটার
১০০. বাংলাদেশের উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক পাহাড়  টিলা গ উপত্যকা ঘ মালভ‚মি
১০১. চিকনাগুল, খাসিয়া, জয়ন্তিয়া প্রভৃতি কোন সময়কার পাহাড়? (জ্ঞান)
ক আধুনিক কালের  টারশিয়ারি যুগের
গ প্লাইস্টোসিন যুগের ঘ মধ্যযুগের
১০২. বাংলাদেশের মোট ভ‚মির কতভাগ এলাকা নিয়ে চত্বরভ‚মি গঠিত? (জ্ঞান)
ক ৬%  ৮% গ ১০% ঘ ১২%
১০৩. আনুমানিক কত বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৫০০০ খ ২২০০০  ২৫০০০ ঘ ৩০০০০
১০৪. আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এদেশে কী ধরনের ভ‚মিরূপ গঠিত হয়েছে? (অনুধাবন)
 চত্বর ভ‚মি খ প্লাবন সমভ‚মি
গ স্রোতজ সমভ‚মি ঘ ব-দ্বীপ সমভ‚মি
১০৫. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
১০৬. বরেন্দ্রভ‚মির আয়তন কত? (জ্ঞান)
 ৯,৩২০ বর্গ কি.মি. খ ৯,২৩০ বর্গ কি.মি.
গ ৮,২০৩ বর্গ কি.মি. ঘ ৮,৩০২ বর্গ কি.মি.
১০৭. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় ভ‚মির যথার্থ বৈশিষ্ট্য কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
 মাটি ধূসর ও লালচে বর্ণের খ কর্দম ও শেল পাথর দ্বারা গঠিত
গ উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার ঘ আয়তন ৯৩২০ বর্গকিলোমিটার
১০৮. সোপান ভ‚মির আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার  ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার
গ ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার ঘ ৫,৬৪৭০ বর্গকিলোমিটার
১০৯. বরেন্দ্রভ‚মি অঞ্চলের মাটির রং কেমন? (অনুধাবন)
ক ধূসর ও সাদা  ধূসর ও লাল
গ কালো ও সাদা ঘ বাদামি ও কালচে
১১০. লালমাই পাহাড়টি কুমিল­া শহরের কোনদিকে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক পূর্ব  পশ্চিম গ উত্তর ঘ দক্ষিণ
১১১. প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহের মধ্যে কোনটির আয়তন সবচেয়ে কম? (জ্ঞান)
ক বরেন্দ্রভ‚মি খ মধুপুরের গড়
 লালমাই পাহাড় ঘ ভাওয়ালিগড়
১১২. লালমাই পাহাড়ের আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ৩০ বর্গকিলোমিটার খ ৩২ বর্গকিলোমিটার
 ৩৪ বর্গকিলোমিটার ঘ ৩৬ বর্গকিলোমিটার
১১৩. লালমাই পাহাড়ের গড় উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ২০ মিটার  ২১ মিটার গ ২২ মিটার ঘ ২৩ মিটার
১১৪. শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহারিক ক্লাসে দেখল তাদের গৃহীত মাটি নুড়ি, বালি ও কংকর মিশ্রিত। তাদের পরীক্ষিত মাটির সাথে বাংলাদেশের কোন স্থানের মাটির সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
ক বরেন্দ্রভ‚মি খ ভাওয়ালের গড়
 লালমাই পাহাড় ঘ তাজিওডং
১১৫. বাংলাদেশের কত ভাগ ভ‚মি নদীবিধৌত সমভ‚মি? (জ্ঞান)
 ৮০% খ ১০% গ ৯০% ঘ ৭০%
১১৬. সমতল ভ‚মির উপর দিয়ে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হওয়ার কারণে এদেশে বর্ষায় কী পরিলক্ষিত হয়? (জ্ঞান)
ক বৃষ্টি  বন্যা গ ঝড় ঘ জলোচ্ছ¡াস
১১৭. সমগ্র বাংলাদেশ নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি। নদীর সাথে সমভ‚মির কী সম্পর্ক? (উচ্চতর দক্ষতা)
 নদীবাহিত পলিমাটি দিয়ে সমতল ভ‚মি গঠিত হয়েছে
খ নদী ও সমভ‚মি একই জাতীয় ভিত্তিশিলায় গঠিত
গ নদী ভরাট হয়ে সমতল ভ‚মি গঠিত হয়েছে
ঘ দেশের ভ‚মি ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে
১১৮. বাংলাদেশের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন কত? (জ্ঞান)
 ১২৪২৬৬ বর্গকিলোমিটার খ ১৪৭৫৭০ বর্গকিলোমিটার
গ ৫৬৫৭০ বর্গকিলোমিটার ঘ ২২৪২৬৬ বর্গকিলোমিটার
১১৯. ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ঢাকা অঞ্চলের অংশবিশেষ বদ্বীপ সমভ‚মি হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
 নদীবিধৌত পলি সঞ্চয়ন খ মাটির স্তর অগভীর
গ ভ‚মি অনুর্বর ঘ মাটির রং লালচে
১২০. নাসরিন কোন জেলায় বেড়াতে গেলে উপক‚লীয় সমভ‚মি দেখতে পারে?
(প্রয়োগ)
ক চাঁদপুর খ পটুয়াখালী  কক্সবাজার ঘ সিলেট
১২১. বাংলাদেশের স্রোতজ সমভ‚মি অঞ্চলে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে একটি বনভ‚মি গড়ে উঠেছে। এ ধরনের বনভ‚মি বাংলাদেশের কোন জেলায় দেখা যেতে পারে? (প্রয়োগ)
ক দিনাজপুর খ পার্বত্য চট্টগ্রাম
গ রাঙ্গামাটি  খুলনা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২২. বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের (অনুধাবন)
র. পশ্চিমবঙ্গ
রর. মেঘালয়
ররর. মিজোরাম
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৩. সমগ্র দেশটিই নদনদীর পলল দ্বারা গঠিত সমভ‚মি (অনুধাবন)
র. উত্তর-পূর্বের পাহাড়িয়া অংশ ব্যতীত
রর. দক্ষিণ-পূর্বের পাহাড়িয়া অংশ ব্যতীত
ররর. উত্তর-পশ্চিমের পাহাড়িয়া অংশ ব্যতীত
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৪. দক্ষিণ এশিয়ার বড় নদী হলো (অনুধাবন)
র. গঙ্গা
রর. ব্রহ্মপুত্র
ররর. মেঘনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৫. বাংলাদেশের প্রধান নদী হলো (অনুধাবন)
র. পদ্মা
রর. শীতলক্ষ্যা
ররর. কর্ণফুলি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৬. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ হলো (অনুধাবন)
র. বরেন্দ্রভ‚মি
রর. ভাওয়ালের গড়
ররর. লালমাই পাহাড়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৭. বরেন্দ্রভ‚মি বিস্তৃত রয়েছে (অনুধাবন)
র. নওগাঁয়
রর. রাজশাহীতে
ররর. দিনাজপুরে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৮. বাংলাদেশে উত্তর পাহাড়গুলোর মধ্যে প্রধান (অনুধাবন)
র. চিকনাগুল
রর. খাসিয়া
ররর. জয়ন্তিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ র ও ররর  র, রর ও ররর
১২৯. ৩০ মিটার থেকে ৯০ মিটার উচ্চতার পাহাড় দেখা যায় (অনুধাবন)
র. খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে
রর. ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায়
ররর. মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর ˜ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩০. প্লাবন সমভ‚মির অন্তর্গত (অনুধাবন
র. ঢাকা ও টাঙ্গাইল
রর. ময়মনসিংহ ও জামালপুর
ররর. কুমিল্লা ও নোয়াখালী
নিচের কোনটি সঠিক? )
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩১. টারশিয়ারি যুগে (অনুধাবন)
র. মহাসাগরগুলো সৃষ্টি হয়
রর. দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ সৃষ্টি হয়
ররর. হিমালয় পর্বত উত্থিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩২. মধুপুর গড় অবস্থিত (অনুধাবন)
র. টাঙ্গাইল জেলায়
রর. ময়মনসিংহ জেলায়
ররর. গাজীপুর জেলায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৩. বাংলাদেশে বদ্বীপ সৃষ্টির কারণ (অনুধাবন)
র. নদীর উভয় ক‚ল সংলগ্ন পলি অবক্ষেপণ
রর. নদী পরিবাহিত তলানি নদীর মোহনায় সঞ্চয়ন
ররর. নদীর শেষ গতিতে সাগরে পতিত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৪. স্রোতজ সমভ‚মি গঠিত- (প্রয়োগ)
র. খুলনা জেলার কিছু অংশ নিয়ে
রর. পটুয়াখালী জেলার কিছু অংশ নিয়ে
ররর. বরগুনা জেলার কিছু অংশ নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩৫. বাংলাদেশে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়গুলোর গঠন উপাদানÑ (অনুধাবন)
র. বেলে পাথর
রর. কর্দম পাথর
ররর. শেল পাথর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৬ ও ১৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এশিয়া মহাদেশে ‘ক’ দেশের অবস্থান। দেশটির একদিক সাগর দ্বারা এবং অপর তিন দিক ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত।
১৩৬. এশিয়ার কোন অংশে ‘ক’ দেশটির অবস্থান? (প্রয়োগ)
 দক্ষিণাংশে খ উত্তরাংশে গ পশ্চিমাংশে ঘ পূর্বাংশে
১৩৭. দেশটির সীমানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম
রর. পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম
ররর. পশ্চিমে মণিপুর ও নাগাল্যান্ড
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৮ ও ১৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ দেশটি বিশ্ব মানচিত্রে ২০.৩৪র্ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬.৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮.০র্১ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯২.৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত।
১৩৮. কোনটি ‘ক’ দেশ? (প্রয়োগ)
 বাংলাদেশ খ নেপাল গ শ্রীলঙ্কা ঘ মালদ্বীপ
১৩৯. ‘ক’ দেশটির জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা) ‘
র. শীতকাল প্রায় বৃষ্টিহীন
রর. তাপমাত্রার গড় বছরের অধিকাংশ সময় প্রায় একই থাকে
ররর. গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪০ ও ১৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিমি মামাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে গাজীপুর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়িতে এসেছে। সে লক্ষ করল এখানকার মাটির রং লালচে ও ধূসর। তার জেলার মাটির সাথে এখানকার মাটির মিল রয়েছে।
১৪০. রিমি যে এলাকায় এসেছে সেখানকার ভ‚মি কী নামে পরিচিত? (প্রয়োগ)
ক স্রোত সমভ‚মি খ বদ্বীপ সমভ‚মি
গ প্লাবন সমভ‚মি  বরেন্দ্র ভ‚মি
১৪১. রিমির এলাকার বিস্তৃতি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গাজীপুরে
রর. টাঙ্গাইলে
ররর. ময়মনসিংহে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতির গঠন, জনসংখ্যা ও জনবসতি এবং ভ‚মি ব্যবহারে জনবসতি বিস্তারের প্রভাব
 জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান- নবম।
 বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৪.৯৭ কোটি।
 জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭%।
 প্রতি বর্গ কিমি জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০১৫জন।
 চা শিল্পকে কেন্দ্র করে জনবসতি গড়ে উঠেছে সিলেটে।
 সমতল নদী অববাহিকা সৃষ্টি হয়েছে উর্বর পলিমাটি দ্বারা।
 বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম চাষযোগ্য জমির পরিমাণ।
 জনবসতি বৃদ্ধির জন্য বহু আবাদি জমিতে বানানো হচ্ছে ঘরবাড়ি।
 বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু জমির পরিমাণ ০.২৫ একর।
 মানুষের এখন ভ‚মির স্বাভাবিক প্রকৃতি ও ব্যবহারকে বদলে দিয়েছে জনসংখ্যার আধিক্য এবং জনবসতি বিস্তারের প্রয়োজনীয়তায়।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪২. জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান কততম? (জ্ঞান)
ক সপ্তম খ অষ্টম  নবম ঘ দশম
১৪৩. ভ‚খণ্ডের তুলনায় এদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব কেমন? (জ্ঞান)
ক খুব কম  খুব বেশি গ সহনীয় ঘ মাঝামাঝি
১৪৪. ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১০.৯০ কোটি  ১২.৯৩ কোটি
গ ১১.৯৩ কোটি ঘ ১২.১২ কোটি
১৪৫. ২০০১ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ১.৪৬% খ ১.৪৭%  ১.৪৮% ঘ ১.৪৯%
১৪৬. ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত? (জ্ঞান)
 ৮৭৬ জন খ ৯০০ জন গ ৯৯০ জন ঘ ১০০০ জন
১৪৭. ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১২.৯৩ কোটি খ ১৩.৯৭ কোটি
গ ১৪.৯০ কোটি  ১৪.৯৭ কোটি
১৪৮. বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত? (জ্ঞান)
ক ১.৪৮% খ ০.২৫%  ১.৩৭% ঘ ১.০৬%
১৪৯. ২০১১ সালের বাংলাদেশের আদমশুমারিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১০১০  ১০১৫ গ ১০২০ ঘ ১০২৫
১৫০. মূলত কোন কারণে বাংলাদেশে অঞ্চলভেদে জনসংখ্যার পার্থক্য দেখা যায়? (অনুধাবন)
ক মাটির গুণাগুণের খ জলবায়ুর
 ভ‚প্রাকৃতিক গঠনের ঘ উদ্ভিদ বিন্যাসের
১৫১. বাংলাদেশে কোন জায়গায় জনবসতি কম? (জ্ঞান)
ক নিচু ভ‚মিতে  পার্বত্য অঞ্চলে
গ সমতল ভ‚মিতে ঘ প্লাবন ভ‚মিতে
১৫২. সিলেটে কোন শিল্পকে কেন্দ্র করে জনবসতি গড়ে উঠেছে? (জ্ঞান)
 চা খ বস্ত্র গ পোশাক ঘ সাবান
১৫৩. আকরাম সুন্দরবন অঞ্চলে জীবিকা সংস্থান কষ্টসাধ্য হওয়ায় সিলেটে বসতি স্থাপন করল। আকরাম নিচের কোনটির কারণে সিলেটে বসতি স্থাপন করল? (প্রয়োগ)
 চা শিল্পের জন্য খ ওষুধ শিল্পের জন্য
গ পোশাক শিল্পের জন্য ঘ আত্মীয় বাড়ি আছে বলে
১৫৪. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কী বৃদ্ধি পাচ্ছে? (জ্ঞান)
ক রপ্তানি খ কৃষিজমি গ উৎপাদন  জনবসতি
১৫৫. সমতল নদী অববাহিকা অঞ্চলে ঘন জনবসতি গড়ে ওঠার পেছনে যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
 কৃষি আবাদ অনেকটা সহজসাধ্য খ শিল্পকারখানা বেশি বলে
গ অত্যাধুনিকতার জন্য ঘ মাটি উর্বর বলে
১৫৬. সমভ‚মি মানুষের বসবাসকে আকৃষ্ট করে কেন? (অনুধাবন)
ক বসবাস করতে আরামদায়ক বলে
খ সুযোগ-সুবিধা বেশি বলে
 শস্য উৎপাদনে সহায়ক বলে
ঘ সরকারি সুবিধা পাওয়া যায় বলে
১৫৭. কিসের প্রভাব জনবসতির বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করে? (জ্ঞান)
ক জনসংখ্যার  জলবায়ুর গ কৃষির ঘ শিল্পের
১৫৮. আনিস আরামপ্রিয় ছেলে। সে নিচের কোন জলবায়ুতে বসবাস করতে পছন্দ করে? (প্রয়োগ)
ক চরমভাবাপন্ন  সমভাবাপন্ন গ মেরুদেশীয় ঘ ক্রান্তীয়
১৫৯. সমভ‚মি মানুষের বসবাসকে আকৃষ্ট করে কেন? (অনুধাবন)
 জলবায়ু কৃষির অনুক‚লে থাকায় খ ভ‚মি সমতল হওয়ায়
গ রাস্তাঘাট সমতল হওয়ায় ঘ চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায়

 গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  মৌসুমি জলবায়ু

ক. বাংলাদেশের মোট ক্ষেত্রের পরিমাণ কত বর্গমাইল? ১
খ. ভ‚মিকম্পকে কেন ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা হয়? ২
গ. উদ্দীপকের ‘ক’ চিহ্নিত দেশটির জলবায়ুর উপর চিহ্নিত বায়ুটির প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “বাংলাদেশের কৃষি অনেকাংশেই উক্ত বায়ুর উপর নির্ভরশীল”তুমি কি একমত? মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক বাংলাদেশের মোট ক্ষেত্রের পরিমাণ ৫৬,৯৭৭ বর্গ মাইল।
খ ভ‚মিকম্পের ফলে পৃথিবীতে বহু পরিবর্তন ও ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়।
ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚-ত্বকে অসংখ্য ফাটল এবং চ্যুতির সৃষ্টি হয়। ভ‚মিকম্পের ফলে কখনো সমুদ্রতলের অনেক স্থান উপরে ভেসে উঠে। আবার কখনো স্থলভাগের অনেক স্থান সমুদ্রতলে ডুবে যায়। অনেক সময় নদীর গতি পরিবর্তিত বা বন্ধ হয়ে যায়। ভ‚মিকম্পের ঝাঁকুনিতে পর্বতগ্রাত্র হতে বৃহৎ বরফখণ্ড হঠাৎ নিচে পতিত হয় এবং পর্বতের পাদদেশে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। ভ‚মিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুর্ভিক্ষ ও মহামারিতে বহু প্রাণহাণি ঘটে। এজন্য ভ‚মিকম্পকে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা হয়।
গ উদ্দীপকের ‘ক’ চিহ্নিত দেশটি হলো ভারত। আর এ দেশটির উপর চিহ্নিত বায়ু হলো মৌসুমি বায়ু। ভারতের জলবায়ুর উপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ব্যাপক। মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে জলবায়ুর কিছুটা তারতম্য ঘটে। মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক সময় প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে অতিবৃষ্টি, অকালবন্যা দেখা দেয়। শীতকালে ভারতের উপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বায়ু শুষ্ক ও শীতল অনুভ‚ত হয়। অনুরূপভাবে শরৎ ও হেমন্তকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতের কোনো কোনো স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত হয়। মৌসুমি জলবায়ুর এ পরিবর্তনের ফলে দেখা দেয় নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
ঘ আমি মনে করি, বাংলাদেশের কৃষি অনেকাংশেই মৌসুমি বায়ুর উপর নির্ভরশীল। বস্তুত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো মৌসুমি জলবায়ু বাংলাদেশেও কৃষির দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে বর্তমান প্রযুক্তির যুগেও বাংলাদেশের শস্য উৎপাদন মৌসুমি জলবায়ুর দ্বারা বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন : বাংলাদেশে মৌসুমি জলবায়ু সময়মতো এবং পরিমাণমতো না হলে ফসল খরায় আক্রান্ত হয়। এমনকি চাষাবাদও করা যায় না। তাছাড়া বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকার চাষাবাদও এ মৌসুমি বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল। বর্ষার গ্রাম-বাংলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ হয়। আবার নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে মৌসুমি বৃষ্টি বন্যার সৃষ্টি করে, যা বোরো ও আউশ ধানের ক্ষতি করে। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর দেশের কৃষি নির্ভরশীল হওয়ায় তা দেশের অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি প্রধান এলাকাগুলোর পিছনে মৌসুমি জলবায়ুর ভ‚মিকা অগ্রগণ্য ও অপরিসীম।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ ভ‚-প্রকৃতিক অঞ্চলের শ্রেণিবিভাগ ও গঠন

চিত্র : ভ‚প্রকৃতির বিস্তৃতির পরিমাণ
ক. পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম বদ্বীপ কোনটি? ১
খ. ভারতের জলবায়ু বিভিন্ন প্রকার হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘খ’ চিহ্নিত ভ‚মিরূপ কোনটি? বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. ‘গ’ চিহ্নিত ভ‚মিরূপটি কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ।
খ ভারত একটি বিশাল আয়তনের দেশ। আয়তনে বিশাল হওয়ায় ভারতের জলবায়ু বিচিত্র। দেশের নানা স্থানে অক্ষাংশ, সমুদ্র দূরত্ব, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি বিভিন্নতার দরুণ ভারতের জলবায়ু বিভিন্ন প্রকার।
গ উদ্দীপকে ‘খ’ চিহ্নিত ভ‚মিরূপ হচ্ছে টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, চিত্রানুযায়ী যা দেশের প্রায় ১২% আয়তন জুড়ে বিস্তৃত। টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় এ সকল পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা : দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার পূর্বাংশ এ অঞ্চলের অন্তর্গত। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলো গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়গুলো বেলে পাথর, কর্দম ও শেল পাথর দ্বারা গঠিত। অপরদিকে, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণের পাহাড়গুলো নিয়ে উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চল গঠিত। পাহাড়গুলোর উচ্চতা ২৪৪ মিটারের বেশি নয়। উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত। এগুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
ঘ ‘গ’ চিহ্নিত ভ‚মিরূপটি বাংলাদেশের সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মি নির্দেশ করে, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ভ‚মিরূপটি দেশের কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। বাংলাদেশের প্লাবন ভ‚মি নদী বিধৌত এক বিস্তৃীর্ণ সমভ‚মি। সমতল ভ‚মির উপর দিয়ে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এভাবে বন্যার পানির সঙ্গে পরিবাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে এ প্লাবন সমভ‚মি গঠিত হয়েছে। ফলে সমগ্র সমভ‚মির মাটির স্তর খুব গভীর এবং ভ‚মি খুবই উর্বর। বাংলাদেশের এ অঞ্চলগুলোর মাটি খুব উর্বর বলে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে তা উল্লেখযোগ্য। বস্তুত বাংলাদেশের মাটি আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। অত্যন্ত উর্বর এই মাটিতে ফসল ফলাতে বেশি পুঁজির প্রয়োজন পড়ে না। মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমাদের কৃষিজ ফসল, ফুল, বনজ সম্পদের প্রসার ঘটাতে পারি। বাংলাদেশ স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে তিনগুণ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছে। উন্নত প্রযুক্তি, বীজ, চাষাবাদের নিয়ম-কানুন মেনে বাংলাদেশ এই মাটিতে আরও বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারবে। মোদ্দাকথা প্লাবন সমভ‚মির কল্যাণে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন স্বর্ণফলা।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ ভ‚মিকম্পের ধারণা

জিহান এবং সিফাত দু’ভাই-বোন টেবিলের দু’পাশে বসে পড়াশোনা করছিল। হঠাৎ টেবিলটি নড়ে উঠলে একে অপরকে টেবিল নাড়ানোর দোষারোপ করতে থাকে। পরক্ষণে তাদের পুরো ছয়তলা বাড়িটি নড়ে উঠলে, তারা আসল ঘটনাটি উপলব্ধি করে দ্রæত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করল।
ক. মায়ানমারের জলবায়ু কোন ধরনের? ১
খ. ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটিতে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জিহান ও সিফাতের নেয়া পদক্ষেপটি যথোপযুক্ত বলে মনে কর কি? তোমার মতামতটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মায়ানমারের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি ধরনের।
খ ক্রান্তীয় অঞ্চলে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজমান থাকে। এ ধরনের জলবায়ু মোটামুটি উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন। আবার ক্রান্তীয় অঞ্চলের কিছু দেশ যেমন : বাংলাদেশে মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব এত অধিক যে, সামগ্রিকভাবে এ জলবায়ু ‘ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু’ নামে পরিচিত।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটিতে ভ‚মিকম্পের প্রতিফলন ঘটেছে। ভ‚মিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পৃথিবীর বহু দেশেই এবং বহু অঞ্চলেই এই প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সভ্যতার বহু ধ্বংসলীলার কারণ হিসেবে ভ‚মিকম্পকে দায়ী করা হয়। কখনো কখনো ভ‚পৃষ্ঠের কতক অংশ হঠাৎ কোনো কারণে কেঁপে ওঠে। এ কম্পন অত্যন্ত মৃদু থেকে প্রচণ্ড হয়ে থাকে, যা মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। ভ‚পৃষ্ট এরূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভ‚মিকম্প বলে। উদ্দীপকে ভ‚মিকম্পের কারণেই জিহান ও সিফাতদের ছয়তলা বাড়িটি নড়ে উঠেছিল।
ঘ না, উদ্দীপকে জিহান ও সিফাতের ভ‚মিকম্পের সময় নেয়া পদক্ষেপটি যথোপযুক্ত নয় বলে আমি মনে করি। কেননা, ভ‚মিকম্প চলাকালীন করণীয় হচ্ছে নিজেকে ধীরস্থির ও শান্ত রাখা। অথচ উদ্দীপকে জিহান ও সিফাত যখন ভ‚মিকম্প শুরু হয়েছে বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়, এবং ছয়তলা বাড়ি থেকে দ্রæত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে তারা দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিজেদের জন্য বাড়িয়ে তুলেছে। তাদের উচিৎ ছিল টেবিল বা খাটের নিচে ঢুকে যাওয়া এবং কাঁচের জানালা থেকে সতর্কতাবশত দূরে থাকা। প্রয়োজনে তারা ঘরের কোণে বা কলামের গোড়ায় আশ্রয় নিতে পারত। ফলে দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ঝুঁকি কমত। তাই আমি মনে করি বহুতল ভবনে অবস্থানের প্রেক্ষিতে ভ‚মিকম্পের সময় জিহান ও সিফাতের নেয়া পদক্ষেপ তথা সিঁড়ি দিয়ে দ্রæত নিচে নামার চেষ্টা করা যথোপযুক্ত নয়।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ জীবন জীবিকার উপর জলবায়ুর প্রভাব

দৃশ্য১ : অনি তার বাবার সাথে পার্শ্ববর্তী একটি দেশে বেড়াতে গিয়ে লক্ষ করল মে মাস থেকে বর্ষাকাল শুরু এবং এখানকার পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অনেক কম।
দৃশ্য২ : বর্তমানে অনি নিজ দেশে ফিরে লক্ষ করল তার দেশে জুন মাসে বৃষ্টি শুরু হয়ে জুলাই মাসে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে অসময়ে বন্যার কারণে এদেশের মানুষ বিপদগ্রস্ত অবস্থায় দিন পার করছে?
ক. বাংলাদেশের শীতলতম মাস কোনটি? ১
খ. আশ্বিনা ঝড় বলতে কী বোঝায়? ২
গ. দৃশ্য১ এ কোন দেশের বর্ষাকালের প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দৃশ্য২ এ যে পরিবর্তনটি লক্ষ করা যাচ্ছে তা বাংলাদেশের মানুষের জীবন জীবিকার উপর কীরূপ প্রভাব ফেলেছে? বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের শীতলতম মাস জানুয়ারি।
খ অক্টোবর-নভেম্বর দুই মাস ভারতে শরৎ ও হেমন্তকাল। এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হতে থাকে বলে ভারতের কোনো কোনো স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ঝড়কে আশ্বিনা ঝড় বলা হয়।
গ দৃশ্য-১ এ মায়ানমারের বর্ষাকালের প্রতিফলন ঘটেছে। মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মায়ানমারে বর্ষাকাল। এ সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইয়ানগুনে বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং মাসের শেষদিকে এটি সারা দেশে বিস্তার লাভ করে এবং অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলতে থাকে। মায়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আরাকান ও টেনাসেরিম উপক‚লে প্রচুর পরিমাণ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ২০০ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, যখন দেশের সর্ব উত্তরের পাহাড়িয়া অঞ্চলেও মাত্র ৮০ সেমি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, মায়ানমারের বর্ষাকালের প্রতিফলনই ঘটেছে।
সুতরাং স্পষ্টতই দৃশ্য-১ এ মায়ানমারের বর্ষাকালের প্রতিফলন ঘটেছে।
ঘ দৃশ্য-২ এ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবে বর্ষাকাল দেরিতে আসছে। যেমন উদ্দীপকে অনি লক্ষ করে জুন মাসে বৃষ্টি শুরু হয়ে জুলাই মাসে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর উদ্দীপকে নির্দেশিত পরিবর্তনজনিত প্রভাব তথা জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব ব্যাপক এবং তা নেতিবাচক। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবন-জীবিকার নানা পরিবর্তন ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, নদনদীর ভাঙন মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন আনছে। নদীমাতৃক এদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী বাঁচিয়ে রাখে মানুষের জীবন-জীবিকা ও উৎপাদন। পলি জমে বহু নদী হারিয়ে যাচ্ছে। নদীর অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে। এছাড়া নদীর ভাঙনে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে জীবন-জীবিকার টানে শহরে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সাধারণ কৃষক ও দিনমজুর কাজের আশায় শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। এতে পারিবারিক ভাঙন এবং শিশু, বৃদ্ধ ও নারীর নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে।
জলবায়ুর পরিবর্তন এবং পরিবেশের সাথে খাপখাওয়াতে ব্যর্থ হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়েছে অনেক প্রাণী, বিলুপ্ত হয়েছে জীববৈচিত্র্য এতে ক্ষুধা, দারিদ্র্য বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানামুখী দুর্যোগের কারণে তাদের জীবনধারণের ভিত্তি হারিয়ে যাচ্ছে। যা দৃশ্যকল্প-২ এ স্পষ্টভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ ভারত ও মায়নমারের জলবায়ু

গত ২৭ জুলাই, ২০১৪ মি. ফয়সাল রহমান ব্যবসায়িক কাজে একটি দেশে যান। সেখানে তখন বর্ষাকাল। তবে গড় তাপমাত্রা ৩২ সে. এর উপরে। কিন্তু ঐ দেশের পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। মোট বৃষ্টির ৭৫% ভাগ এ ঋতুতেই হয়। এরপর তিনি নভেম্বরের শেষের দিকে আরেকটি দেশে যান। তখন সেখানে শীতের তীব্রতা বেশি না থাকলেও দেশটির উত্তরাঞ্চলের উঁচু পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হচ্ছিল।
ক. ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কত একর ছিল? ১
খ. বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় জনবসতি কম থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মি. ফয়সাল রহমান প্রথমে যে দেশে গিয়েছিলেন তার বর্ষাকাল ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মি. ফয়সাল রহমানের ভ্রমণকৃত দ্বিতীয় দেশটির শীতকালের সাথে বাংলাদেশের শীতকালের কোনো মিল খুঁজে পাও কি? মতামত দাও। ৪

ক ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ০.২৮ একর ছিল।
খ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভ‚প্রকৃতিতে তেমন কোন পার্থক্য না থাকালেও প্রায় মোটামুটি সব জায়গায় জনবসতি রয়েছে। এর মধ্যে পার্বত্য এলাকা ভ‚প্রকৃতিগত দিক থেকে আলাদা। এ অঞ্চলে জীবিকা সংস্থান কষ্টসাধ্য হওয়ায় জনবসতির ঘনত্ব খুবই কম। এ অঞ্চলে ভালো রাস্তাঘাট বা রেল সংযোগ উপযুক্ত পরিমাণে না থাকায় জীবিকার সংস্থান কষ্টকর হয়েছে। অর্থাৎ অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা এবং ভ‚প্রকৃতিগত কারণে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা জনবিরল।
গ মি. ফয়সাল রহমান প্রথমে ভারতে গিয়েছিলেন। জুন হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতে বর্ষাকাল থাকে। মি. ফয়সাল এ সময় ২৭ জুলাই ভারতে যান। জুন মাসের শেষে (২১ জুন) সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর অবস্থান করায় উত্তর ভারতে উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত (৩২ ডিগ্রী সে. এর উপরে) বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণে ক্রমশ তাপমাত্রা কমতে কমতে শেষ পর্যন্ত ২৭ ডিগ্রী সে. এর নিচে নেমে যায়। অতিরিক্ত তাপে উত্তর ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলে একটি প্রবল শক্তিসম্পন্ন নিম্নচাপ বলয়ের সৃষ্টি হয়। এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে মকরীয় উচ্চচাপবলয় হতে দক্ষিণপূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে প্রবেশ না করে পাঞ্জাবের অধিক শক্তিসম্পন্ন নিম্নচাপের টানে সরাসরি পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হয়। এ বায়ু সমুদ্রের উপর দিয়ে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে বলে এতে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। হিমালয় ও অন্যান্য উচ্চ পর্বতগাত্রে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এ বায়ু ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। ফলে ভারতের মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় ৭৫% ভাগ বৃষ্টিপাত এ ঋতুতেই হয়ে থাকে। উদ্দীপকে এ তথ্যগুলোও উল্লিখিত হয়েছে।
ঘ হ্যাঁ, মি. ফয়সাল রহমানের ভ্রমণকৃত দ্বিতীয় দেশটি হচ্ছে মায়ানমার। দেশটির শীতকালের সাথে বাংলাদেশের শীতকালের আমি বেশি মিল খুঁজে পাই। মি. ফয়সাল রহমান নভেম্বরের শেষ দিকে দ্বিতীয় দেশটিতে যান, তখন সেখানে শীতকাল। মায়ানমারে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতকাল। এছাড়া শীতেই মায়ানমারের উঁচু পার্বত্য এলাকায় তুষারপাত হয় এবং তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি চলে যায়। উদ্দীপকে যা উল্লিখিত হয়েছে। বাংলাদেশেও নভেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত শীতকাল। প্রকৃতপক্ষে শীত ঋতুতে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করায় উত্তর গোলার্ধে এশিয়ার মধ্যভাগে এক বিরাট উচ্চচাপের সৃষ্টি হয় এবং সেখান হতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকের সমুদ্রে অপেক্ষাকৃত অধিক তাপযুক্ত অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। উত্তরের এ শীতল বায়ুপ্রবাহের প্রভাবে দক্ষিণের দেশগুলো যেমন : বাংলাদেশ ও মায়ানমারে তখন বেশ শীত হওয়ার কথা থাকলেও উত্তরাংশে পার্বত্য অঞ্চলের উপস্থিতির কারণে শৈত্য তত প্রকট আকার ধারণ করে না। এ বায়ুপ্রবাহ শীতের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ ভ‚মিকম্পের কারণ ও করণীয়

আশিক তার পড়ার টেবিলে বসে লেখাপড়া করছিল। হঠাৎ সে খেয়াল করল, তার চেয়ার, টেবিল, বই, খাতা, কলম একসাথে কাঁপছে। আশিক ভয় পেয়ে চারদিক তাকাতেই শোকেসের উপর রাখা জিনিসপত্র আপনা-আপনি নিচে পড়ে যেতে দেখল।
ক. বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী? ১
খ. জাপান ভ‚কম্পনপ্রবণ অঞ্চল কেন?Ñ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আশিক যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আশিক কোন ধরনের পূর্ব-প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে?Ñব্যাখ্যা কর। ৪

ক বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাজিওডং (বিজয়)।
খ ভ‚মিকম্পের প্রকোপ পৃথিবীর সর্বত্র সমান নয়। পৃথিবীর ভ‚মিকম্প প্রবন এলাকাগুলোকে তিনটি প্রধান অংশে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে অন্যতম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশ। প্রশান্ত মহাসাগরের বহি:সীমানা বরাবর সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকম্প হয়। এ অংশে অবস্থিত জাপান তাই ভ‚মিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
গ উদ্দীপকে আশিক ভ‚মিকম্পের সম্মুখীন হয়। সে পড়ার টেবিলে হঠাৎ কাঁপুনি টের পায় এবং দেখে জিনিসপত্র আপনা-আপনি নিচে পড়ে যাচ্ছে। তার অনুভ‚ত এ ভ‚কম্পনের কারণ সুনির্দিষ্ট নয়। ভ‚মিকম্পের কারণ অনুসন্ধানকালে বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেন পৃথিবীর বিশেষ কিছু এলাকায় ভ‚কম্পন বেশি হয়। এ সমস্ত এলাকায় নবীন পর্বতমালা অবস্থিত। তাদের মতে, ভিত্তিশিলা চ্যুতি বা ফাটল বরাবর আকস্মিক ভ‚আলোড়ন হলে ভ‚মিকম্প হয়। এছাড়া আগ্নেয়গিরির লাভা প্রচণ্ড শক্তিতে ভ‚অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে আসার সময়ও ভ‚মিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভ‚ত্বক তাপ বিকিরণ করে সংঙ্কুচিত হলে ভ‚নিন্মস্থ শিলাস্তরে ভারের সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ফাটল ও ভাঁজের সৃষ্টির ফলে ভ‚কম্পন অনুভ‚ত হয়। ভ‚আলোড়নের ফলে ভ‚ত্বকের কোনো স্থানে শিলা ধসে পড়লে বা শিলাচ্যুতি ঘটলে ভ‚মিকম্প হয়। এছাড়াও পাশাপাশি অবস্থানরত দুটি প্লেটের একটি অপরটির সীমানা বরাবর তলদেশে ঢুকে পড়ে অথবা অনুভ‚মিকভাবে আগে-পিছে সরে যায়। এ ধরনের সংঘাতপূর্ণ পরিবেশে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয়। এ প্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা এর দুটি কারণ চিহ্নিত করেছেন- (র) প্লেটসমূহের সংঘর্ষের ফলে ভ‚ত্বকে যে ফাটলের সৃষ্টি হয় তা ভ‚মিকম্প ঘটিয়ে থাকে। (রর) ভ‚অভ্যন্তরে বা ভ‚ত্বকের নিচে ম্যাগমার সঞ্চারণ অথবা চ্যুতিরেখা বরাবর চাপমুক্ত হওয়ার কারণে ভ‚মিকম্প হয়ে থাকে।
ঘ উক্ত পরিস্থিতি তথা ভ‚মিকম্প পরিস্থিতি মোকাবিলয় আশিক ব্যক্তিগতভাবে পূর্বপ্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। ভ‚মিকম্প খুব অল্প সময়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এটা সামান্য সময় স্থায়ী হয়। এটি অকস্মাৎ ভ‚অভ্যন্তরে ঘটে থাকে। ফলে সরাসরি পর্যবেক্ষণের কোনো সুযোগ নেই। এতদসত্তে¡ও ভ‚বিজ্ঞানীরা বেশকিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন, ভ‚মিকম্প মোকাবিলায় এসব পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও ক্ষয়ক্ষতি বহুলাংশে হ্রাস করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে আশিকের উচিৎ বাড়িতে একটি ব্যাটারিচালিত রেডিও এবং টর্চ বাতি সব সময় রাখা। প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা। বাড়ির গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মেইন সুইচ কোথায় তা জেনে রাখা এবং এগুলো কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা শিখে রাখা। বাড়ির সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানটি চিহ্নিত করা। হাসপাতাল, ফায়ার ব্রিগেড প্রভৃতির ফোন নাম্বার সাথে রাখা। এছাড়া সে স্কুলে বাচ্চাদের ভ‚মিকম্প সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে। ভ‚মিকম্পের সময় কী করতে হবে তা শিখিয়ে দিতে পারে। সে জানিয়ে দেবে, খেলার মাঠে থাকাকালীন সময়ে দালানকোঠা থেকে দূরে থাকতে হবে।এভাবে সচেতন নাগরিক হিসেবে আশিক ভ‚মিকম্প মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ

‘ক’ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিষয় শিক্ষকের সঙ্গে চট্টগ্রামে শিক্ষা সফরে এলো। মীরসরাই পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দারুণ উত্তেজনা দেখা গেল। তারা বিষয় শিক্ষককে বলল, “ম্যাডাম, এটাই কি আমাদের পাঠ্যবইয়ের পড়া পাহাড়ি অঞ্চলের অংশবিশেষ?” ম্যাডাম বললেন, “তোমরা ঠিকই বলেছ। তাহলে এখন বুঝতে পারলে পাঠ্যবইয়ের সাথে বাস্তব মিলে গেলে পড়া কত সহজ হয়ে যায়!”
ক. জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান কততম? ১
খ. ‘সিসমিক রিস্কজোন’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শিক্ষার্থীদের দেখা পাহাড়ি অঞ্চল বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে কোন শ্রেণিতে পড়ে তা শনাক্ত করে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ম্যাডামের শেষোক্ত উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪

ক জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান নবম।
খ ১৯৮৯ সালে ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের ভ‚মিকম্প বলয় সম্বলিত মানচিত্র তৈরি করে। এতে ৩টি বলয় দেখানো হয়েছে। প্রথম বলয়কে “প্রলয়ঙ্করী”; দ্বিতীয় বলয়কে ‘বিপজ্জনক’ এবং তৃতীয় বলয়কে ‘লঘু’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই বলয়সমূহকে বলা হয় ‘সিসমিক রিস্ক জোন।’
গ শিক্ষার্থীদের দেখা পাহাড়ি অঞ্চল বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহের অন্তভর্‚ক্ত। বরং এ শ্রেণির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের অন্তর্গত। বাংলাদেশের মোট ভ‚মির প্রায় ১২% এলাকা নিয়ে টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ গঠিত। টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় এ সকল পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা : দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ : রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও টট্টগ্রাম জেলার পূর্বাংশ এ অঞ্চলের অন্তর্গত। উদ্দীপকে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম শিক্ষা সফরে এ পাহাড়সমূহের অংশবিশেষই দেখতে পায়। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাজিওডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার। এটি বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হচ্ছে কিওক্রাডং, যার উচ্চতা ১,২৩০ মিটার। এছাড়া এ অঞ্চলের আরও দুইটি উচ্চতর পাহাড়চূড়া হচ্ছে মোদকমুয়াল (১,০০০ মিটার) এবং পিরামিড (৯১৫ মিটার)। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলো বেলে পাথর, কর্দম ও শেল পাথর দ্বারা গঠিত।
ঘ ম্যাডামের শেষোক্ত উক্তিটি হচ্ছে ‘পাঠ্যবইয়ের সাথে বাস্তব মিলে গেলে পড়া কত সহজ হয়ে যায়’- উক্তিটি যথার্থ। যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার হাতিয়ার যেমন বই তেমন ভ্রমণ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে এ প্রসঙ্গটি আরও যথার্থ। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জ্ঞান অর্জনে বাস্তব অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। মূলত এ বিষয়টি সমন্বয় করা হয়েছে বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞানের উপর। পাঠ্যবইয়ের পাঠ এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর কৌত‚হল বাড়ায়। তাকে জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কোথায় যেন জানার অতৃপ্তি রয়ে যায়। তাই দেখা যায় এ বিষযে জ্ঞান অর্জনে শিক্ষা সফরের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। উদ্দীপকে যেমনটি দেখা যায় ‘ক’ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে চট্টগ্রাম যায়। সেখানের পাহাড়ি অঞ্চল তাদের বাস্তব জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে, জানার আগ্রহ বাড়ায়। এ অভিজ্ঞতা থেকে তারা পাঠ্যপুস্তকের বিষয় যেমন সহজেই আত্মস্থ করতে পারবে তেমনি তা তাদের জ্ঞানকে করবে নিখুঁত। এভাবে যেকোনো বিষয়েই পাঠ্যপুস্তকের সাথে বাস্তব উদাহরণ যখন শিক্ষার্থীর জীবনে আসে সে আনন্দের সাথে শিক্ষাটাকে গ্রহণ করে; জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয় এবং জটিল বিষয়টিও সহজ হয়ে যায়। এ প্রেক্ষিতেই উদ্দীপকে ম্যাডামের শেষোক্ত উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ সা¤প্রতিক কালের প্লাবন সমভ‚মি

চিত্র : বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি
ক. লালমাই পাহাড়ের আয়তন কত? ১ ১
খ. বাংলাদেশের ভ‚মি ব্যবহারে জনবসতি বিস্তারের প্রভাব কী? ২
গ. মানচিত্রের ‘ই’ চিহ্নিত স্থানের ভ‚মিরূপ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘অ’ চিহ্নিত ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব কতটুকু তোমার মতামত দাও। ৪

ক লালমাই পাহাড়ের আয়তন ৩৪ বর্গকিলোমিটার।
খ বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জনবসতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদেশে প্রয়োজনের তুলনায় চাষযোগ্য জমির পরমাণ অনেক কম। এতে অধিক বসতি বিস্তারের ফলে এর পরিমাণ আরও কমে গিয়ে ভ‚মির উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে। কৃষি জমিগুলো উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টিত হতে হতে খণ্ড খণ্ড হয়ে যাচ্ছে। আর এ খণ্ডিত হওয়াতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেও চাষাবাদ হয় না। জনবসতি বৃদ্ধির জন্য বহু আবাদি জমিতে ঘর-বাড়ি বানানো হচ্ছে। ৩০ বছর পূর্বে যে পরিবারের জমির পরিমাণ ছিল ১০০ বিঘা তার পরিমাণ বর্তমানে দাঁড়িয়েছৈ .২৫ একর। জনসংখ্যার আধিক্য এবং জনবসতি বিস্তারের প্রয়োজনীয়তায় মানুষ এখন ভ‚মির স্বাভাবিক প্রকৃতি ও ব্যবহারকে বদলে দিয়েছে। যেমন খাল-বিল ভরাট করে মানুষ এখন বসতি গড়তে ছুটছে। বনজঙ্গল কেটে বসতি বানাচ্ছে। এভাবে বলতে থাকলে একসময় প্রাকৃতিক বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।
গ মানচিত্রের ‘ই’ চিহ্নিত স্থানের ভ‚মিরূপ সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মির অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের প্রায় ৮০% ভ‚মি নদী বিধৌত এক বিস্তৃর্ণ সমভ‚মি। সমতল ভ‚মির উপর দিয়ে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এভাবে বন্যার পানির সঙ্গে পরিবাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে এ প্লাবন সমভ‚মি গঠিত হয়েছে। এ প্লাবন সমভ‚মির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার। সমগ্র সমভ‚মির মাটির স্তর খুব গভীর এবং ভ‚মি খুবই উর্বর। সা¤প্রতিক কালের প্লাবন সমভ‚মিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে উদ্দীপকের ‘ই’ চিহ্নিত স্থান হচ্ছে অন্যতম। দেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ স্থান জুড়ে এ সমভ‚মি বিস্তৃত। হিমালয় পর্বত থেকে আনীত পলল দ্বারা এ অঞ্চল গঠিত।
ঘ ‘অ’ চিহ্নিত ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চল হচ্ছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ। এ পাহাড়সমূহ টারশিয়ারি যুগের পাহাড়।
বাংলাদেশে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের তথা এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এ অঞ্চলের ভ‚মি ও জলবায়ু বনভ‚মি সৃষ্টির অনুকূল। ফলে এখানে ব্যাপক জীববৈচিত্র্য রয়েছে। সেই সাথে বৃক্ষ সম্পদেও অঞ্চলটি সমৃদ্ধ। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলটির অর্থনৈতিক গুরুত্বও তাই যথেষ্ট। এ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদরাজি হচ্ছে চাপালিশ, ময়না, তেলসুর, মেহগনি, জারুল, সেগুন, গর্জন। এ অঞ্চলে বৃক্ষ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কাগজ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প গড়ে উঠেছে। আসবাবপত্র তৈরিতে এ অঞ্চলের বৃক্ষসমূহ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া প্রচুর বাঁশ ও বেত এখানে পাওয়া যায়। রেলপথের ¯িøপার তৈরি, বিদ্যুতের খুঁটি তৈরিতে উপযুক্ত বৃক্ষের সমারোহ এখানে রয়েছে। এ অঞ্চলের কর্ণফুলি নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সার্বিক বিচারে বলা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যবহ।
প্রশ্ন- ৯ ল্ফল্ফ বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি

অঞ্চল মৃত্তিকা বনজ সম্পদ
অ ধূসর ও লালচে শাল, কড়ই, বহেরা
ই পলি ও কর্দম সুন্দরী, গেওয়া ধুন্দল

ক. কর্কটক্রান্তি রেখার অক্ষাংশ কত? ১ ১
খ. ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু বলতে কী বোঝায়? ২
গ. অ চিহ্নিত অঞ্চলটির সাথে বাংলাদেশের কোন ভ‚-প্রাকৃতিক অঞ্চলের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কি মনে কর, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উভয় অঞ্চলই গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক কর্কটক্রান্তি রেখার অক্ষাংশ ২৩.৫ উত্তর।
খ যেসব স্থানের অবস্থান কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখার কাছাকাছি সেসব স্থানে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব বেশি। সেসব স্থানের জলবায়ু ‘ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু’ নামে পরিচিত। মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাব এসব অঞ্চলে বেশি বলে এসব এলাকা উষ্ণ, আর্দ্র এবং সমভাবাপন্ন। বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু নামে পরিচিত।
গ ‘অ’ চিহ্নিত অঞ্চলে সাথে বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের সোপান অঞ্চলের সাদৃশ্য রয়েছে। কেননা ‘অ’ চিহ্নিত অঞ্চলটির বৈশিষ্ট্যে দেয়া আছে। মৃত্তিকা ধূসর ও লালচে আর বনজ সম্পদ শাল, কড়ই ও বহেরা। যা প্লাইস্টোসিনকালের সোপান ভ‚মির সাথে সাদৃশ্য। বাংলাদেশের মোট ভ‚মির প্রায় ৮% এলাকা নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়। এই সময়ের আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এসব চত্বরভ‚মিকে গঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। আর প্লাইস্টোসিন কাল বলা হয়, এই সময়ের আন্তঃবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে গঠিত চত্বরভ‚মিকে প্লাইস্টোসিন কালের সোপানসমূহকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা- বরে›ভ্রভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়।
ঘ উদ্দীপকের অ ও ই চিহ্নিত অঞ্চল দুটি যথাক্রমে প্লাইস্টোসিন কালের সোপান অঞ্চল এবং ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ভ‚মিরূপ নির্দেশ করেছে। বাংলাদেশের মোট ভ‚মিরূপের প্রায় ১৫-১৬ ভাগ এ দু অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এ অঞ্চলের মধ্যে প্রথমে আসে প্লাইস্টোসিন কালের সোপান অঞ্চল। এটি দেশের মোট ভ‚মিরূপের ৮ ভাগ। এরূপ ভ‚মিরূপে প্রচুর পরিমাণে পাহাড়ি বনভ‚মি আছে। মূল্যবান শাল, গজারি, কড়ই, বহেরাসহ বিভিন্ন বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা হয় যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এছাড়াও এরূপ অঞ্চলে পর্যাপ্ত কৃষিজ দ্রব্যও উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে ‘ই’ অঞ্চল হলো ম্যানগ্রোভ অঞ্চল তথা সুন্দরবন অঞ্চল। সুন্দরবন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের এক আধার। এ বন থেকে মূল্যবান পশুর গেওয়া, সুন্দরি কাঠ ছাড়াও গোলপাতা, মধু এবং প্রচুর মাছ সংগ্রহ করা হয়। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণ এ বনের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। মানুষের জীবিকা ও শিল্পায়নে এসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ দু অঞ্চলই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ১০ ল্ফল্ফ ভ‚মিকম্প

হাসানের এলাকায় নদীর পানির ওপর নির্ভর করে কৃষিকাজ হয়। কিন্তু হঠাৎ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ায় তাদের এলাকার নদীটি বন্ধ হয়ে যায়। জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং সার্বিকভাবে সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুর্যোগের কয়েক মাস পর হাসানের এলাকার লোকজন একটি সাধারণ সভার আয়োজন করে। উক্ত সভায় তারা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করে।
ক. যে স্থানে ভ‚মিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে কী বলে? ১
খ. বাংলাদেশে ভ‚মিকম্পের ঝুঁকি হিসেবে ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে হাসানের এলাকায় যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তার ফলাফল ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগটির ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য হাসানের এলাকার লোকজন যেসব ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করেছিল তা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক যে স্থানে ভ‚মিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে ভ‚মিকম্পের কেন্দ্র (ঋড়পঁং) বলে।
খ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে ভ‚মিকম্প হয়। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ও ইউরোপিয়ান প্লেটের সীমানার কাছে অবস্থিত। এ কারণে বাংলাদেশ ভ‚মিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ভ‚মিরূপ ও ভ‚অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত কারণে বাংলাদেশে ভ‚আলোড়নজনিত শক্তি কার্যকর এবং এর ফলে এখানে ভ‚মিকম্প হয়।
গ উদ্দীপকে হাসানের এলাকায় যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তা হলো ভ‚মিকম্প। ভ‚মিকম্পের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ফল সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো। ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚ত্বকে অসংখ্য ফাটল এবং চ্যুতির সৃষ্টি হয়। ভ‚মিকম্পের ফলে কখনো সমুদ্রতলের অনেক স্থান উপরে ভেসে ওঠে। আবার কখনো স্থলভাগের অনেক স্থান সমুদ্রতলে ডুবে যায়। অনেক সময় নদীর গতি পরিবর্তিত বা বন্ধ হয়ে যায়। ভ‚মিকম্পের ধাক্কায় সমুদ্রের পানি তীর থেকে নিচে নেমে যায় এবং পরক্ষণেই ভীষণ গর্জন সহকারে ১৫-২০ মিটার উঁচু হয়ে ঢেউয়ের আকারে উপক‚লে এসে আছড়ে পড়ে। ভ‚মিকম্পের ফলে কখনো উচ্চভ‚মি সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হয়, আবার কখনো সমুদ্রের তলদেশের কোনো স্থান উঁচু হয়ে সমুদ্রে দ্বীপের সৃষ্টি করে। ভ‚মিকম্পের ফলে রেলপথ, সড়কপথ, পাইপলাইন প্রভৃতি ভেঙে যায়। ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। টেলিফোন লাইন, বিদ্যুৎলাইন প্রভৃতি ছিঁড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঘ উক্ত দুর্যোগটি হচ্ছে ভ‚মিকম্প। ভ‚মিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভ‚মিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য হাসানের এলাকার লোকজন আলোচনা করেছিল। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঠিক পূর্বাভাস ক্ষয়ক্ষতির হার কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে দুর্যোগের উৎপত্তির স্থল, সময়, স্থায়িত্বকাল এবং এর শক্তিমাত্রা ও সম্ভাব্য কবলিত এলাকা সম্পর্কে সঠিক পূর্বাভাস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য দুর্যোগের চেয়ে ভ‚মিকম্পের প্রকৃতি আলাদা। তারপরেও কিছু পদক্ষেপ নিলে ভ‚মিকম্প অনুমানে সহায়ক হবে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, যে সমস্ত অঞ্চলে গত ১০০ বছরে ভ‚মিকম্প হয়নি অথচ সাধারণভাগে ভ‚মিকম্পপ্রবণ

 

Leave a Reply