নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় তৃতীয় অধ্যায় সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল

তৃতীয় অধ্যায় সৌরজগৎ ও ভূমন্ডল

অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

 সৌরজগৎ : সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয় সৌরজগৎ। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র হলো সূর্য। সৌরজগতের ৮টি গ্রহ, ৪৯টি উপগ্রহ, হাজার হাজার গ্রহাণুপুঞ্জ ও লক্ষ লক্ষ ধূমকেতু রয়েছে।
 সূর্য : সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য। সূর্য একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র।
 গ্রহ : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে; এদের গ্রহ বলা হয়। সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা ৮টি। বুধ (গঁৎপঁৎু), শুক্র (ঠবহঁং), পৃথিবী (ঊধৎঃয), মঙ্গল (গধৎং), বৃহস্পতি (ঔঁঢ়রঃবৎ), শনি (ঝধঃঁৎহ), ইউরেনাস (টৎধহঁং), নেপচুন (ঘবঢ়ঃঁহব)।
 গুরুমণ্ডল : অশ্মমণ্ডলের নিচে প্রায় ২,৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মূলত ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে গঠিত পুরুমণ্ডলকে গুরুমণ্ডল বলে।
 কেন্দ্রমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের নিচ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত মণ্ডলটিকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে। এ স্তর প্রায় ৩,৪৮৬ কিলোমিটার পুরু।
 অক্ষাংশ : পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ (অীরং) বা মেরুরেখা বলে। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এ রেখাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। ২৩.৫ উত্তর অক্ষাংশকে বলা হয় কর্কটক্রান্তি। ২৩.৫ দক্ষিণ অক্ষাংশকে বলা হয় মকরক্রান্তি। বিষুবরেখাকে বলা হয় মহাবৃত্ত।
 দ্রাঘিমারেখা : নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর ওপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমারেখা বলে। দ্রাঘিমারেখাকে মধ্যরেখাও বলা হয়।
 মূল মধ্যরেখা : যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ মান মন্দিরের ওপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে। এই রেখার মান ০ ধরা হয়েছে।
 সমাক্ষরেখা : পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ ৩৬০। এই কোণকে ডিগ্রী (), মিনিট () ও সেকেন্ডে () বিভক্ত করা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০। এই কোণকে ডিগ্রী ও মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমাক্ষরেখা বলে।
 স্থানীয় সময় : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন ঐ স্থানে মধ্যা‎‎হ্ন এবং ঐ স্থানের ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যা‎‎হ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়।
 প্রমাণ সময় : প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে।
 প্রতিপাদ স্থান : ভ‚পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর ঠিক বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।
 আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা : জলভাগের ওপর মানচিত্রে ১৮০ দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
 আ‎িহ্নক গতি : পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আ‎িহ্নক গতির বেগ সবচেয়ে বেশি। এখানে পৃথিবীর আ‎ি‎হ্নক গতি ঘণ্টায় ১,৬১০ কিলোমিটারেরও বেশি। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে এ গতিবেগ শূন্যের কাছাকাছি।
 বার্ষিক গতি : পৃথিবী সৌরজগতের অন্যতম গ্রহ বলে পৃথিবীও প্রতিনিয়ত উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এ পরিভ্রমণকে পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতি বলে।
 জোয়ার-ভাটার কারণ : প্রধানত দুটি কারণে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয় যথা :
১. চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির প্রভাব।
২. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে উৎপন্ন কেন্দ্রাতিগ শক্তি।
 জোয়ার-ভাটার প্রভাব : মানবজীবনে জোয়ার-ভাটার অনেক প্রভাব দেখা যায়। জোয়ার-ভাটার প্রভাবে নদীর মোহনা পরিষ্কার থাকে, জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যায়, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হয় ইত্যাদি।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. ইউরেনাসের উপগ্রহ কোনটি?
ক ক্যাপিটাস  এরিয়েল
গ নেরাইড ঘ গ্যানিমেড
২. শনির বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসগুলোর মিশ্রণ রয়েছে?
ক নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম  হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম
গ কার্বন ডাই অক্সাইড ও হিলিয়াম ঘ অক্সিজেন ও হিলিয়াম
৩. পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে পরিক্রমণ করার কারণেÑ
র. বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব হয়
রর. মাধ্যাকর্ষণ শক্তির হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে
ররর. দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যরে তারতম্য ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর  র ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
অর্পিতা প্রতিদিন খুব ভোরে পড়তে বসে। একদিন সে লক্ষ করে, পূর্বদিকের আকাশে ভোরবেলাতেও একটি তারা দেখা যাচ্ছে। অর্পিতা বুঝতে পারে যে সে একটি গ্রহ দেখেছে।
৪. অর্পিতার দেখা গ্রহটির নাম কী?
 শুক্র খ শনি গ মঙ্গল ঘ নেপচুন
৫. পৃথিবীর সাথে উক্ত গ্রহের কোন বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হবে?
 গ্রহটির উপগ্রহ নেই
খ গ্রহটিতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে
গ গ্রহটির চারদিকে বলয় আছে
ঘ গ্রহটি নীলাভ বর্ণের

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ কোনটি একটি উজ্জ¦ল নক্ষত্র?
উত্তর : সূর্য একটি উজ্জ¦ল নক্ষত্র।
প্রশ্ন \ ২ \ সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা কত লক্ষ গুণ বড়?
উত্তর : সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা ১৩ লক্ষ গুণ বড়।
প্রশ্ন \ ৩ \ সূর্য কত দিনে নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তন করে?
উত্তর : সূর্য ২৫ দিনে নিজ অক্ষের উপর একবার আবর্তন করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ কোনটি সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ?
উত্তর : বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ।
প্রশ্ন \ ৫ \ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের কত দিন সময় লাগে?
উত্তর : সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের ৮৮ দিন সময় লাগে।
প্রশ্ন \ ৬ \ পৃথিবীর আয়তন কত বর্গকিলোমিটার?
উত্তর : পৃথিবীর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৭ \ সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত?
উত্তর : সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৮ \ ইউরেনাসের কয়টি উপগ্রহ আছে?
উত্তর : ইউরেনাসের ৫টি উপগ্রহ আছে ।
প্রশ্ন \ ৯ \ শনি গ্রহ পৃথিবী থেকে কত গুণ বড়?
উত্তর : শনি গ্রহ পৃথিবী থেকে নয় গুণ বড়।
প্রশ্ন \ ১০ \ মঙ্গল গ্রহের কয়টি উপগ্রহ আছে?
উত্তর : মঙ্গল গ্রহের ২টি উপগ্রহ আছে ।
প্রশ্ন \ ১১ \ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি?
উত্তর : পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চন্দ্র।
প্রশ্ন \ ১২ \ নেপচুনের উপগ্রহ কয়টি?
উত্তর : নেপচুনের উপগ্রহ দুইটি।

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ গ্রহ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে; এদের গ্রহ বলা হয়। যথা : বুধ (গঁৎপঁৎু), শুক্র (ঠবহঁং), পৃথিবী (ঊধৎঃয), মঙ্গল (গধৎং), বৃহস্পতি (ঔঁঢ়রঃবৎ), শনি (ঝধঃঁৎহ), ইউরেনাস (টৎধহঁং), নেপচুন (ঘবঢ়ঃঁহব)। গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহ হচ্ছে বৃহস্পতি এবং সবচেয়ে ছোট গ্রহ বুধ।
প্রশ্ন \ ২ \ বৃহস্পতি গ্রহ সম্পর্কে বর্ণনা কর।
উত্তর : সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি। সূর্য থেকে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান পঞ্চম স্থানে। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে এবং ৯ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে। এই গ্রহটিতে পৃথিবীর একদিনে দু’বার সূর্য ওঠে ও দু’বার অস্ত যায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ ইউরেনাস গ্রহ সম্পর্কে কী জান লেখ।
উত্তর : ইউরেনাস তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২৮৭ কোটি কিলোমিটার। ৮৪ বছরে এটি সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এর গড় ব্যাস প্রায় ৪৯,০০০ কিলোমিটার। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ৬৪ গুণ, ওজন পৃথিবীর মাত্র ১৫ গুণ। গ্রহটির আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক। এর ৫টি উপগ্রহ রয়েছে। ইউরেনাসেরও শনির মতো বলয় আবিষ্কৃত হয়েছে। মিরিন্ডা, এরিয়েল, ওবেরন, আম্ব্রিয়েল, টাইটানিয়া প্রভৃতি ইউরেনাসের উপগ্রহ।
প্রশ্ন \ ৪ \ ভ‚ত্বক বলতে কী বোঝ?
উত্তর : পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার সময় বাষ্পীয় অবস্থায় ছিল। কোটি কোটি বছরের ঘূর্ণনের মধ্য দিয়ে তাপ বিকিরণ করতে করতে পৃথিবী শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়েছে। এভাবে পৃথিবীর উপরিভাগে কঠিন আবরণের সৃষ্টি হয়। এ কঠিন আবরণই ভ‚ত্বক। পৃথিবীর উপরিভাগ কঠিন হলেও অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে। উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হলে সংকুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত সংকুচিত হওয়ার ফলে উপরের পাতলা আবরণের উপরিভাগ কুচকে উঁচু-নিচু বিভিন্ন ভ‚মিরূপের সৃষ্টি হয়েছে। ভ‚পৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সাগর ও মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে। আর ভ‚পৃষ্ঠের এ বহিরাবরণই ভ‚ত্বক।
প্রশ্ন \ ৫ \ জোয়ার-ভাটার ব্যবধান ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পৃথিবী যেমন নিজ মেরুদণ্ডের উপর পশ্চিম হতে পূর্বদিকে আবর্তন করছে চন্দ্রও তেমনি পশ্চিম হতে পূর্বদিকে পৃথিবীর চারদিকে পরিক্রমণ করে। চন্দ্র নিজ কক্ষপথে ২৭ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। ফলে পৃথিবীর একবার আবর্তনকালে অর্থাৎ প্রায় ২৪ ঘণ্টায় চন্দ্র (৩৬০  ২৭) বা ১৩ পথ অতিক্রম করে। পৃথিবী ও চন্দ্র উভয়ই যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘুরছে তাই পৃথিবী উক্ত ১৩ পথ আরও (১৩  ৪) = ৫২ মিনিটে অগ্রসর হয়। তাই কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট একটি সময়ে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘণ্টা ২৬ মিনিট পরে সেখানে গৌণ জোয়ার হয় এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। তাই প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা হয়ে থাকে।

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  সময় নির্ণয়ে কাল্পনিক রেখার ভ‚মিকা

স্থান অক্ষরেখা দ্রাঘিমা রেখা তারিখ সময়
অ ৩০০ উত্তর ১০৫০ পশ্চিম ২২ জুন ৭টা (সকাল)
ই ৫০০ দক্ষিণ ৫৬০ পশ্চিম ২২ জুন ?

ক. মেরুরেখা কাকে বলে?
খ. সৌরকলঙ্ক কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. ছকের অ চিহ্নিত স্থানটির স্থানীয় সময় সকাল ৬:১৫টা হলে ই চিহ্নিত স্থানটির স্থানীয় সময় কতো হবে?
ঘ. উক্ত তারিখে দুটি স্থানে দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্য কী একইরূপ হবে? তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

ক পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরুরেখা বলে।
খ সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছু অংশের উত্তাপ অন্যান্য অংশের চেয়ে কম থাকে। ফলে সে অংশে কালো কালো দাগ দেখা যায়। আর সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে সৌরকলঙ্ক (ঝঁহ ংঢ়ড়ঃ) বলে।
গ অÑএর দ্রাঘিমা ১০৫০ পশ্চিম।
ইÑএর দ্রাঘিমা ৫৬০ পশ্চিম।
অ ও ই-এর দ্রাঘিমার পার্থক্য (১০৫০Ñ ৫৬০ ) বা, ৪৯০।
১০ দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
 ৪৯০ দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য (৪৯  ৪) মিনিট
বা, ১৯৬ মিনিট
বা, ৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিট
প্রশ্নানুযায়ী ‘অ’ চিহ্নিত স্থানটির স্থানীয় সময় সকাল ৬.১৫ মিনিট হলে ‘ই’ স্থানীয়টির সময় হবে সকাল ৯টা ৩১ মিনিট।
সুতরাং, ই চিহ্নিত স্থানে স্থানীয় সময় হবে (৭ + ৩ ঘণ্টা ১৬ মিনিট)
বা, ১০টা ১৬ মিনিট (সকাল)
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত তারিখ অর্থাৎ ২২ জুন উভয় গোলার্ধে দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্য একই রূপ হবে না।
ছকে উল্লিখিত অ স্থানটি ৩০০ উত্তর অক্ষরেখা অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। অন্যদিকে ই স্থানটি ৫০০ দক্ষিণ অক্ষরেখা অর্থাৎ দক্ষিণ গোলার্ধের অন্তর্ভুক্ত। ২২ জুন উত্তর গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট হয়। আর দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ছোট এবং রাত বড় হয়।
যেহেতু অ স্থানটি উত্তর গোলার্ধে এবং ই স্থানটি দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত, তাই ২২ জুন অ এবং ই স্থানে দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্য একই রূপ হবে না।

প্রশ্ন- ২  স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময়

মাইশা সুইডেনে (৬৬.৫০ উত্তর অক্ষরেখা ও ১৫০ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা) বসবাস করে। ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি সুইডেনের স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ক্যানবেরায় (৩৫০ দক্ষিণ অক্ষরেখা ও ১৫০০ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা) বসবাসরত ছোট বোন মালিহাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। মালিহা কথা প্রসঙ্গে তাকে জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর তারিখে সে সুইডেনে বেড়াতে যাবে।
ক. সৌরদিন কাকে বলে?
খ. অধিবর্ষ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. ক্যানবেরার স্থানীয় সময় কয়টায় মাইশা টেলিফোন করেছিল।
ঘ. মালিহার বেড়াতে যাওয়ার তারিখে দুটি স্থানে কী একই ধরনের ঋতু বিরাজ করবে? উদ্দীপকের আলোকে যুক্তি দাও।

ক পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে।
খ সূর্যকে পরিক্রমণ করতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। কিন্তু ৩৬৫ দিনে এক বছর অর্থাৎ সৌর বছর গণনা করা হয়। তাই প্রতিদিনের থেকে যাওয়া সময়ের সামঞ্জস্য বিধানের জন্য প্রতি চার বছরে একদিন বাড়িয়ে ইংরেজি চতুর্থ বছর ৩৬৬ দিনে বছর গণনা করা হয়। সে বছর ফেব্রæয়ারি মাস ২৮ দিনের পরিবর্তে ২৯ দিনে হয়। এরূপ বছরকে অধিবর্ষ বলে।
গ মাইশা সুইডেনের স্থানীয় সময় ভোর ৬টায় ক্যানবেরা টেলিফোন করে। সুইডেনের দ্রাঘিমা ১৫০ পূর্ব এবং ক্যানবেরার দ্রাঘিমা ১৫০০ পূর্ব।
 দ্রাঘিমার পার্থক্য (১৫০০-১৫০) বা, ১৩৫০।
১০ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট।
 ১৩৫ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য = ১৩৫  ৪ মিনিট
= ৫৪০ মিনিট
= ৯ ঘণ্টা
যেহেতু ক্যানবেরা সুইডেনের পূর্বে অবস্থিত সেহেতু ক্যানবেরার সময় সুইডেন থেকে বেশি হবে।
অতএব, সুইডেনের সময় ভোর ৬টা হলে
ক্যানবেরায় স্থানীয় সময় হবে ভোর ৬টা + ৯ ঘণ্টা = ১৫ ঘণ্টা বা বিকেল ৩টা
অর্থাৎ, মাইশা ক্যানবেরার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় টেলিফোন করেছিল।
ঘ মালিহার বেড়াতে যাওয়ার তারিখে দুটি স্থানে একই ঋতু বিরাজ করবে না। সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে ২২ ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছোট হয়। এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গোলার্ধে বিপরীত কারণে শীতকাল থাকে। সুতরাং ২৮ ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল আর উত্তর গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা অর্থাৎ শীতকাল বিরাজ করবে। উদ্দীপকে দেখা যায় মালিহা ২৮ ডিসেম্বর ক্যানবেরা থেকে সুইডেনে বেড়াতে যাবে। উদ্দীপকে এটিও উল্লিখিত হয়েছে যে, ক্যানবেরা ৩৫ দক্ষিণ অক্ষরেখা তথা দক্ষিণ গোলার্ধে এবং সুইডেন ৬৬.৫ উত্তর অক্ষরেখা তথা উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর সুইডেনে যখন শীতকাল, ক্যানবেরায় তখন গ্রীষ্মকাল। সুতরাং মালিহার বেড়াতে যাওয়ার তারিখে দুটি স্থানে একই ধরনের ঋতু বিরাজ করবে না।

প্রশ্ন- ৩  জোয়ার ভাটার প্রভাব

সিনথিয়া বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার বেড়াতে যায়। সন্ধ্যাবেলা পূর্ণিমার আলোয় সমুদ্রের শান্ত রূপ দেখে তারা মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষণ পরে তারা লক্ষ করে, সমুদ্রের পানি ফুলে উঠছে এবং তীরে প্রচণ্ড বেগে আছড়ে পড়ছে। বাবা তাকে ভীত হতে নিষেধ করেন এবং বলেন, সমুদ্রে এরূপ অবস্থা নিয়মিত ঘটে।
ক. ভাগীরথী কী?
খ. কেন্দ্রাতিগ শক্তি কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. সমুদ্রের পানিতে উক্ত সময়ে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সিনথিয়ার দেখা ঘটনাটির প্রভাব আছে কি? বিশ্লেষণ কর।

ক ভাগীরথী একটি নদী।
খ পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর থেকে চারিদিকে দ্রæত বেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চতুর্দিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। একেই কেন্দ্রাতিগ শক্তি (ঈবহঃৎরভঁমধষ ঋড়ৎপব) বলে। পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভ‚পৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির ওপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব অধিক হয়।
গ সমুদ্রের পানিতে উক্ত সময়ে জোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর ওপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়।
পৃথিবীর সকল পদার্থের আকর্ষণ আছে এবং একটি অপরটিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষণ শক্তি বলে। এই মহাকর্ষণের ফলে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। যে যত বড় তার আকর্ষণ শক্তি তত বেশি। কিন্তু দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে আকর্ষণ শক্তি কমে যায়। সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২.৬০ কোটি গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্ব থেকে অনেক বেশি বলে পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ। তাই চন্দ্রের আকর্ষণেই জোয়ার-ভাটা হয়। এছাড়া পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষিপ্ত হয় এবং তরল জলরাশির কঠিন ভ‚ভাগ হতে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। এমনিভাবে কেন্দ্রাতিগ শক্তি জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে সহায়তা করে। উদ্দীপকে দেখা যায় যে, সিনথিয়া বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়ে সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠছে দেখতে পায় এবং সমুদ্র তীরে প্রচণ্ড বেগে আছড়ে পড়তে দেখে ভীত হয়। বাবা তাকে ভয় পেতে নিষেধ করে এবং উপরোল্লিখিত কারণটি বলে তা বুঝিয়ে দেয়।
ঘ মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সিনথিয়ার দেখা ঘটনা তথা জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। পৃথিবী তথা স্থলভাগ, পানিরাশি ও মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। দৈনিক দু’বার করে জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে নদীর আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে পানি নির্মল হয় এবং নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়, ফলে নদীর মুখ বন্ধ হতে পারে না। জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীখাত গভীর হয়। অনেক নদীর পাশে খাল খনন করে জোয়ারের পানি আটকে জমিতে সেচ দেয়া হয়। পৃথিবীর বহু নদীতে ভাটার স্রোতকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। যেমন : ফ্রান্সের লার‌্যান্স বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের বান্ডালা বন্দরেও এরূপ একটি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। জোয়ার-ভাটায় সমুদ্রের লবণাক্ত পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে শীতপ্রধান দেশে নদীর পানি চলাচলে অনুকুলে থাকে। জোয়ারের সময় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রগামী বড় বড় জাহাজ অনায়াসেই নদীতে প্রবেশ করে, আবার ভাটার টানে সমুদ্রে চলে আসে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। জোয়ারের প্রবল বানে কখনো কখনো নেতিবাচক প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘিœত করে। অসাবধানতাবশত কখনো কখনো এই বানে নৌকা, স্টিমার, জাহাজসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রভাব ব্যাপক।

প্রশ্ন- ৪  দিবা-রাত্রির হ্রাস বৃদ্ধি

স্থান অক্ষরেখা দ্রাঘিমারেখা তারিখ সময়
মেক্সিকো ৩০০ উত্তর ১০৫০ পশ্চিম ২২ জুন ?
উইলিং দ্বীপপুঞ্জ ৫০০ দক্ষিণ ৭৫০ পশ্চিম ২২ জুন ৭টা (সকাল)

ক. প্রতিপাদ স্থান কাকে বলে?
খ. নেপচুন গ্রহ শীতল হওয়ার কারণ কী?
গ. ছকে উল্লেখিত উইলিং দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সময়ের সাথে মেক্সিকোর স্থানীয় সময়ের পার্থক্য কতো হবে? নির্ণয় কর।
ঘ. উক্ত তারিখে স্থান দুটির দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্যরে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।

ক ভ‚পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।
খ নেপচুনের গড় ব্যাস ৪৮,৪০০ কিলোমিটার এবং সূর্য থেকে দূরত্ব ৪৫০ কোটি কিলোমিটার। সূর্য হতে অধিক দূরত্বের কারণে গ্রহটি শীতল।
গ মেক্সিকোর দ্রাঘিমা ১০৫০ পশ্চিম।
উইলিং দ্বীপপুঞ্জের দ্রাঘিমা ৭৫ পশ্চিম।
সুতরাং মেক্সিকো ও উইলিং দ্বীপপুঞ্জের দ্রাঘিমার পার্থক্য (১০৫০-৭৫০) বা, ৩০।
১ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট।
 ৩০ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য (৩০  ৪) মিনিট
বা, ১২০ মিনিট।
 উইলিং দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সময়ের সাথে মেক্সিকোর স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হবে ২ ঘণ্টা।
ঘ উদ্দীপকে ২২ জুন তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণকালে ২১ জুন কক্ষপথে এমন এক অবস্থানে পৌঁছে যেখানে উত্তর মেরু সূর্যের দিকে সর্বাপেক্ষা বেশি (২৩.৫০) ঝুঁকে থাকে এবং দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সর্বাপেক্ষা দূরে সরে পড়ে। এ দিন মধ্যাহ্নে ২৩.৫০ উত্তর অক্ষাংশে সূর্যকিরণ লম্বভাবে (৯০০ কোণে) পড়ে। এই তারিখে উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে। উদ্দীপকে উল্লিখিত স্থান মেক্সিকো ৩০ উত্তর অক্ষরেখা তথা উত্তর গোলার্ধে এবং উইলিং দ্বীপপুঞ্জ ৫০ দক্ষিণ তথা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত। সুতরাং এ দুটি স্থানে উক্ত তারিখ তথা ২২ জুন দিবা-রাত্রির দৈর্ঘ্যরে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা বিরাজ করবে। এক কথায় বলা যায়, ২২ জুন তারিখে মেক্সিকোতে দিনের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি থাকে এবং রাতের দৈর্ঘ্য কম থাকে। অপরদিকে উইলিং দ্বীপপুঞ্জে এ সময় দিনের দৈর্ঘ্য ছোট এবং রাতের দৈর্ঘ্য বেশি থাকে।
 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর : পৃথিবীর মতো শুক্রের একটি বায়ুমণ্ডল রয়েছে কিন্তু এতে অক্সিজেন নেই। এতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ প্রায় শতকরা ৯৬ ভাগ। গ্রহটিতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের ঘন মেঘ রয়েছে। এ কারণে শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির অধিক সময় প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর : বৃহস্পতি গ্রহের ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দƒরে। তাই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির অধিক সময় লাগে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ট্রপোপস দিয়ে বিমান চলাচল করার কারণ কী?
উত্তর : ট্রপোমণ্ডল ভ‚পৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর বা বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। ট্রপোমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমাকে ট্রপোপস বলে। ট্রপোপসের গভীরতা সরু। এখানে বায়ু স্থির এবং ঝড়বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব না থাকায় বিমান এ স্তরে চলাচল করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ওজোনস্তরের তাপমাত্রা অধিক হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের একটি স্তর আছে, যা ওজোনস্তর নামে পরিচিত। এর গভীরতা প্রায় ১২-১৬ কিলোমিটার। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করার কারণে এ স্তরের তাপমাত্রা অধিক।
 বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রমকালে বার ও তারিখের পরিবর্তন হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমরা জানি, ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমান্তরে ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়। সুতরাং ১৫ ডিগ্রি দ্রাঘিমান্তরে সময়ের ব্যবধান হবে ১ ঘণ্টা। এভাবে মূল মধ্যরেখা থেকে (গ্রিনিচের দ্রাঘিমা) পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে থাকলে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ১২ ঘণ্টা সময় বেশি হয় এবং পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ১২ ঘণ্টা সময় কম হয়। সুতরাং মূল মধ্যরেখায় যখন সোমবার সকাল ১০টা তখন ১৮০ ডিগ্রি
পূর্ব দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০টা। এভাবে আবার ঠিক পশ্চিম দিক দিয়ে দ্রাঘিমা গণনা করলে ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময় হবে তার পূর্ব দিন অর্থাৎ রবিবার রাত ১০টা। কিন্তু ১৮০ ডিগ্রি পূর্ব ও ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা মূলত একই রেখা। সুতরাং, দেখা যায় একই দ্রাঘিমায় স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা বা একদিন।
একই স্থানে কোথাও রোববার কোথাও সোমবার। কিন্তু একই দ্রাঘিমারেখায় একই সঙ্গে রোববার রাত ১০টা ও সোমবার রাত ১০টা হতে পারে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরের জলভাগের উপর মানচিত্রে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা। এ রেখা অতিক্রম করলে দিন এবং তারিখের পরিবর্তন হয় বলে এ রেখাটিকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ কোনো স্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কোন কাল্পনিক রেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : কোনো স্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ ৩৬০ এই কোণকে ডিগ্রি (০), মিনিটে (র্ ) ও সেকেন্ডে (র্ র্ ) বিভক্ত করা হয়। নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০০। এই কোণকে ডিগ্রি ও মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমান্তারাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমাক্ষরেখা বলে। নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ওই স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়। আবার নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমা রেখা বলে। ০ দ্রাঘিমারেখা বা মধ্য রেখাকে মূল রেখা ধরে অন্যান্য মধ্যরেখার কৌণিক দূরত্ব মাপা হয়। কোনো স্থানের অবস্থান জানার জন্য স্থানটি নিরক্ষরেখার কত উত্তরে বা দক্ষিণে এবং মূল মধ্যরেখার কত পূর্বে বা পশ্চিমে তা জানা থাকা প্রয়োজন।

গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. জোয়ার-ভাটার কারণ কোনটি?
ক পৃথিবীর বার্ষিক গতি  পৃথিবীর আহ্নিক গতি
গ অক্ষরেখার অসম দৈর্ঘ্য ঘ পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ
২. ‘ক’ দেশটির অবস্থান ৬০ পূর্ব দ্রাঘিমায়। এর প্রতিপাদ স্থান কোনটি?
ক ৬০ পশ্চিম খ ৯০ পশ্চিম গ ১২০ পূর্ব  ১২০ পশ্চিম
৩. ‘টাইটান’ হলো
ক গ্রহ  উপগ্রহ গ নক্ষত্র ঘ ধূমকেতু
৪. কোন গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়?
ক শুক্র খ মঙ্গল  বৃহস্পতি ঘ শনি
৫. অমাবস্যা তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাথে কীভাবে অবস্থান করে?
ক সমকোণে  একই পার্শ্বে গ সমসূত্রে ঘ দুই পার্শ্বে
৬. পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা কতগুণ?
 ২ গুণ খ ৩ গুণ গ ৪ গুণ ঘ ৫ গুণ
৭. ঢাকা হতে পঞ্চগড়ের সময়ের পার্থক্য ৮ মিনিট। ঢাকায় দ্রাঘিমা ৯০ পূর্ব হলে পঞ্চগড়ের দ্রাঘিমা কত?
ক ৮২ খ ৮৮  ৯২ ঘ ৯৮
৮. কোনো স্থানের সময় সকাল ১১ টা হলে ঐ স্থান হতে ২ পূর্বে কোনো স্থানের সময় কী হবে?
ক ১০টা ৫২ মিনিট খ ১০টা ৫৮ মিনিট
গ ১১টা ২ মিনিট  ১১টা ৮ মিনিট
৯. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি?
ক বুধ  বৃহস্পতি গ শুক্র ঘ মঙ্গল
১০. সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা কতটি?
ক ৬টি খ ৭টি  ৮টি ঘ ৯টি
১১. নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব
ক ৬০ খ ৭০ গ ৮০  ৯০
১২. নিচের কোনটি ইউরেনাসের উপগ্রহ?
ক নেরাইড  মিরিন্ডা গ হুয়া ঘ ইউরোপা
১৩. সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ দিনটি কত তারিখ?
 ২২ ডিসেম্বর খ ২১ জুন
গ ২৩ সেপ্টেম্বর ঘ ২১ মার্চ
১৪. কী কারণে বায়ুমণ্ডল বেশি উত্তপ্ত হয়?
 দিনের পরিমাণ বেশি হলে
খ সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পতিত হলে
গ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হলে
ঘ শীতল অঞ্চল থেকে বায়ু প্রবাহিত হলে
১৫. সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সর্বদা সমান না থাকার কারণ কোনটি?
ক সূর্যরশ্মি অধিক স্থানব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে বলে
খ সূর্য পৃথিবীর সর্বত্র লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে
গ সূর্যরশ্মি অধিক বায়ুস্তর ভেদ করে বলে
 পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার বলে
১৬. শনির উপগ্রহ কয়টি?
ক ২টি খ ৫টি গ ১৬টি  ২২টি
১৭. ১ দ্রাঘিমান্তরে কত মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়?
ক ৩ খ ৪ গ ৫ ঘ ৬
১৮. ওজোনস্তরের আনুমানিক গভীরতা কত?
ক ৮১০ কিমি  ১২১৬ কিমি
গ ৫৬ কিমি ঘ ২৩ কিমি
১৯. সৌরজগতের চিত্র

‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি সূর্যের চারিদিকে পরিক্রমণ করতে কত দিন সময় লাগে?
ক ৭২ দিন  ৮৮ দিন গ ৯২ দিন ঘ ১০২ দিন
২০. টাইটান কোন গ্রহের উপগ্রহ?
 শনি খ বৃহস্পতি গ নেপচুন ঘ ইউরেনাস
২১. কোন গ্রহের কোনো উপগ্রহ নেই?
 শুক্র খ শনি গ মঙ্গল ঘ নেপচুন
২২. বায়ুমণ্ডলের যে স্তর দিয়ে বিমান চলাচল করে সেটি কোন স্তর নামে পরিচিত?
ক স্ট্র্যাটোমণ্ডল খ গুরুমণ্ডল  ট্রপোপস ঘ ওজোন স্তর
২৩. জনাব ‘ক’ সকাল ঠিক ১০টার সময় ঢাকায় অবস্থান করছে। তাঁর ১ ডিগ্রি পশ্চিমে অবস্থান করছে জনাব ‘খ’। জনাব ‘খ’ এর অবস্থিত স্থানের সময় কত হবে?
ক ৯টা ২৪ মিনিট  ৯টা ৫৬ মিনিট
গ ১০টা ৪ মিনিট ঘ ১০টা ২৪ মিনিট
২৪. ডিমোস ও ফেবোস কোন গ্রহের উপগ্রহ?
 মঙ্গল খ বৃহস্পতি গ শনি ঘ নেপচুন
২৫. গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি?
 ০ ডিগ্রি খ ৬০ ডিগ্রি পূর্ব
গ ৯০ ডিগ্রি পূর্ব ঘ ১৮০ ডিগ্রি পশ্চিম
২৬. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
ক বুধ  শুক্র গ মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
২৭. ১২৩০ দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য কত?
ক ৩৯ মিনিট খ ৪৫ মিনিট
 ৫০ মিনিট ঘ ৫৪ মিনিট
২৮. সূর্য থেকে শুক্রের এবং পৃথিবী থেকে শুক্রের দূরত্বের পার্থক্য কত কোটি কিলোমিটার?
ক ৪.৩ খ ৫.৮  ৬.৫ ঘ ৭.৮
২৯. ‘নিফে’ স্তরটি কোন মণ্ডলে অবস্থিত?
ক ট্রপোমণ্ডলে খ গুরুমণ্ডলে
গ অশ্বমণ্ডলে  কেন্দ্রমণ্ডলে
৩০. একটি স্থানের দ্রাঘিমা ৯০ পূর্ব এবং অপর একটি স্থানের দ্রাঘিমা ৭০ পূর্ব, স্থান দুটির মধ্যেকার সময়ের পার্থক্য কত?
ক ১ ঘণ্টা  ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট
গ ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ঘ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
৩১. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো প্রচুর সৌরশক্তি পায় কোন অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়ার কারণে?
 ০-৩০ খ ৩০-৬০ গ ৬০-৯০ ঘ ৮০-৯০
৩২. কোন সময়ে উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে?
ক জানুয়ারি-মার্চ  ফেব্রæয়ারি-এপ্রিল
গ মার্চ-মে ঘ এপ্রিল-জুন
৩৩. ‘ডিমোস’ ও ‘ফেবোস’ কোন গ্রহের উপগ্রহ?
ক শনি খ পৃথিবী  মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৩৪. বৃহস্পতির উপগ্রহ কোনটি?
ক ক্যাপিটাস খ এরিয়েল গ নেরাইড  গ্যানিমেড
৩৫. শনির বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসগুলোর মিশ্রণ রয়েছে?
ক নাইট্রোজেন ও হিলিয়াম
 হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম
গ কার্বন ডাই অক্সাইড ও হিলিয়াম
ঘ অক্সিজেন ও হিলিয়াম
৩৬. সূর্যে কোন গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
ক হিলিয়াম খ নাইট্রোজেন
 হাইড্রোজেন ঘ সালফার
৩৭. সন্ধ্যায় পশ্চিমাকাশে কোনটি দেখা যায়?
ক মঙ্গল  শুক্র গ শনি ঘ বৃহস্পতি
৩৮. আহ্নিক গতির ফলে কী হয়?
ক দিনরাত্রির হ্রাসবৃদ্ধি  দিন ও রাত
গ ঋতু পরিবর্তন ঘ জলবায়ুর পরিবর্তন
৩৯. কোনো স্থানে যখন বেলা ১২টা তখন সে স্থান থেকে ১০ ডিগ্রি পশ্চিমে অবস্থিত স্থানের সময় কত হবে?
 ১১.২০ ঘণ্টা খ ১২.২০ ঘণ্টা
গ ১২.৪০ ঘণ্টা ঘ ১২.৫০ ঘণ্টা
৪০. সূর্য কী?
 একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র খ উপগ্রহ
গ একটি উল্কাপিণ্ড ঘ একটি উজ্জ্বল নীহারিকা

৪১. ‘অ’ চিহ্নিত রেখাটির নাম কী?
ক নিরক্ষরেখা  কর্কটক্রান্তি
গ মূল মধ্যরেখা ঘ মকরক্রান্তি
৪২. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি?
ক মঙ্গল খ বুধ গ বৃহস্পতি  শুক্র
৪৩. পৃথিবীই জীবনধারণের জন্য আদর্শ গ্রহ। কথাটির তাৎপর্য কী?
ক পৃথিবী সূর্যের চারদিকে সুশৃঙ্খলভাবে ঘোরে বলে
 জীবনধারণের প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে
গ যথেষ্ট মহাকর্ষ বল আছে
ঘ জীবের বংশ বিস্তার সহজ হয়
৪৪. কোনটি ভ‚-অভ্যন্তরের একটি স্তর?
ক তাপমণ্ডল  কেন্দ্রমণ্ডল গ ট্রপোমণ্ডল ঘ মেসোমণ্ডল
৪৫. নিরক্ষরেখার বৈশিষ্ট্য কোনটি?
 নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে
খ নিরক্ষরেখা দ্বারা জলবায়ু প্রভাবিত হয়
গ নিরক্ষরেখা দ্বারা সময় নিরূপণ করা যায়
ঘ নিরক্ষরেখা দ্বারা তারিখ নিরূপণ করা যায়
৪৬. এক স্থানের দ্রাঘিমা পূর্ব হলে এর প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা কোন দিকে হবে?
ক উত্তরে খ দক্ষিণে  পশ্চিমে ঘ পূর্বে
৪৭. গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি?
 ০০ খ ৩০০ গ ৬০০ ঘ ৯০০
৪৮. নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ ০ কেন?
ক পৃথিবী উপবৃত্তাকার বলে খ পৃথিবী গোলাকার বলে
 পৃথিবীর মাঝখানে বলে ঘ পৃথিবী সমান্তরাল বলে
৪৯. ১৮০ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমারেখাটি কী নামে পরিচিত?
ক মূল মধ্যরেখা খ অক্ষরেখা
গ প্রতিপাদ স্থান  আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা
৫০. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা সাইবেরিয়ার উত্তর-পূর্বে কীসের ওপর দিয়ে গিয়েছে?
ক পাহাড়ের খ পর্বতের
 দ্বীপপুঞ্জের ঘ সমুদ্রের
৫১. পৃথিবী নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে পরিভ্রমণ করছে। এ কথাটি বিশ্লেষণ করলে কী দেখা যায়?
 পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে
খ সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে
গ পৃথিবী সূর্যের অক্ষ কেন্দ্র করে ঘুরছে
ঘ পৃথিবী সূর্যের কক্ষপথে অবিরত ঘুরছে
৫২. পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর একদিনে আবর্তন করাকে বলে আ‎ি‎হ্নক গতি একবছরে সূর্যকে পরিক্রমণ করাকে কী বলে?
 বার্ষিক গতি খ ঘূর্ণন গতি
গ দোলন গতি ঘ রৈখিক গতি
৫৩. ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়; এর ফলে কীসের প্রতিফলন ঘটে?
ক উত্তর গোলার্ধে এ সময় তাপমাত্রা বেশি হয়
খ এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল
 এ সময় পৃথিবীর তাপমাত্রা সহনশীল হয়
ঘ এ সময় উত্তর গোলার্ধে ঝড় বৃষ্টি হয়
৫৪. ২০ জুন অপু স্যার ক্লাসে বললেন কাল কিন্তু সূর্য পূর্ব দিকে উঠবে না। তাহলে ঐ দিন সূর্য কোন দিকে উঠবে?
 উত্তর-পূর্ব কোণে খ পশ্চিম দিকে
গ দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ঘ দক্ষিণ দিকে
৫৫. বছরের কোনো সময় দিনের দৈর্ঘ্য বেশি আবার কোনো সময় রাতের দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ার কারণ কী?
ক পৃথিবীপৃষ্ঠের অভিকর্ষ বল খ চন্দ্র দ্বারা পৃথিবীর আকর্ষণ
 পৃথিবী দ্বারা সূর্যকে প্রদক্ষিণ ঘ পৃথিবীর আবর্তন গতি
৫৬. সূর্যের উন্নতি পরিমাপক যন্ত্রের নাম কী?
ক ব্যারোমিটার ˜ সেক্সট্যান্ট যন্ত্র
গ ¯øাইড ক্যালিপার্স ঘ স্ক্রুগজ
৫৭. পৃথিবী ছাড়া কোন গ্রহে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি দেখা যায়?
ক বৃহস্পতি খ নেপচুন  মঙ্গল ঘ ইউরেনাস
৫৮. কোন অক্ষাংশকে মকরক্রান্তি বলে?
ক ২৩১২ উত্তর খ ৬৬১২ দক্ষিণ গ ০  ২৩১২ দক্ষিণ
৫৯. কখন চাঁদ ও সূর্য উভয়ের আকর্ষণে জোয়ার অত্যন্ত প্রবল হয়?
ক দুটি ভিন্ন রেখায় অবস্থিত
˜ একই সরল রেখায় অবস্থিত
গ দুটি বিপরীত দিক থেকে আকর্ষণ
ঘ উত্তর ও দক্ষিণে একই সরলরেখায় অবস্থিত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬০. কোনটি মঙ্গলের উপগ্রহ?
র. ডিমোস
রর. ক্যারন
ররর. ফেবোস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র, ররর
৬১. ভ‚ত্বক সৃষ্টির মূল কারণ হলো
র. পৃথিবীর অবিরাম গতি
রর. শিলাবৃষ্টি
ররর. উত্তপ্ত পদার্থ শীতল হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. পৃথিবী সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ থেকে ভিন্ন হবার কারণ হলো
র. সৌরজগতে এর অবস্থান সুবিধাজনক স্থানে
রর. জীবনধারণের আদর্শ পরিবেশ
ররর. ভৌগোলিক পরিবেশের বৈচিত্র্য
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. ‘শনি’ সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ যেটি
র. সূর্য থেকে ১৪৩ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত
রর. পৃথিবী থেকে বড়
ররর. উজ্জ্বল নক্ষত্র নামে পরিচিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র, রর ও ররর খ রর ও ররর  র ও রর ঘ র ও ররর
৬৪. জোয়ার-ভাটার প্রভাবেÑ
র. নদীখাত গভীর হয়
রর. নদী নোংরা হয়
ররর. নদী মোহনায় পলি জমা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. রুমার বাবা সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে একটি উজ্জ্বল তারা দেখিয়ে বললেন, এটি সন্ধ্যাতারা। রুমার দেখা তারাটি মূলতÑ
র. একটি নক্ষত্র
রর. একটি জ্যোতিষ্ক
ররর. একটি গ্রহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. আহ্নিক গতির ফলে
র. দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি হয়
রর. দিন ও রাত হয়
ররর. জোয়ার ও ভাটা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. কোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে হলে হাফিজকে যে বিষয়গুলো জানা দরকার¬Ñ
র. ঐ স্থানের দ্রাঘিমাংশ
রর. ঐ স্থানের স্থানীয় সময়
ররর. গ্রিনিচ স্থানীয় সময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. সূর্যের ক্ষেত্রে যে বৈশিষ্ট্যটি যৌক্তিক
র. সূর্যের কোনো কঠিন বা তরল পদার্থ নেই
রর. সূর্যের নিজ অক্ষের ওপর আবর্তন ক্ষমতা নেই
ররর. গ্যালাক্সির চারদিকে পরিক্রমণ করে ২০ কোটি বছরের ব্যবধানের বেশি সময় লাগে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৯. গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশের শিলা
র. কঠিন ও ভঙ্গুর
রর. প্রায় ১০০ কিলোমিটার গভীর
ররর. উত্তপ্ত ও গলিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭০. মুরাদ কোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করবেÑ
র. স্থানীয় সময়
রর. গ্রিনিচ সময়
ররর. আন্তর্জাতিক সময়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭১. আদনান বিজ্ঞান ম্যাগাজিনে জানতে পারে পৃথিবী নিজ অক্ষে আবর্তনের পাশাপাশি সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করছে। এই পরিক্রমণের ফলে
র. দিবা রাতের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটছে
রর. ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে
ররর. দিন ও রাত সংঘটিত হচ্ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. অশ্মমণ্ডলে দেখা যায়
র. কর্দমাক্ত শিলাস্তর
রর. কঠিন ও ভঙ্গুর শিলা
ররর. অক্সিজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৩. দিন-রাত্রি সমান হয়
র. ২১ মার্চ
রর. ২৩ সেপ্টেম্বর
ররর. ২১ জুন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও রর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ৭৪ ও ৭৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৭৪. কতদিনে একবার ‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি সূর্যের চারপাশে ঘুরে?
ক ৭২  ৮৮ গ ৯২ ঘ ১০২
৭৫. ‘ই’ চিহ্নিত গ্রহটি পরিক্রমণের ফলেÑ
র. বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব ঘটে
রর. একদিনে দুইবার সূর্য উঠে
ররর. দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর  র ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের চিত্রটি থেকে ৭৬-৭৮ প্রশ্নের উত্তর দাও :

৭৬. এই চিত্রটি
র. পৃথিবী
রর. মহাকাশ
ররর. সৌরজগৎ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ রর ও ররর
৭৭. কোন গ্রহটি সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারা রূপে এবং ভোরে পূর্ব আকাশে শুকতারা রূপে দেখতে পাই?
 শুক্র খ শনি গ বুধ ঘ বৃহস্পতি
৭৮. কেবল তখনই মঙ্গলে বসবাস সম্ভব
ক গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে
খ গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের সমান
গ গড় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ওপরে
 গড় তাপমাত্রা ও অক্সিজেন দুয়ের মধ্যে সঙ্গতি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রাতুল ও প্রতীক কক্সবাজার বেড়াতে গেল। পরিবেশ অনেক শান্ত থাকার কারণে তারা ঘুরে ঘুরে সমুদ্র দেখছিল। হঠাৎ তারা দেখতে পেল যে, সমুদ্রের পানি ফুলে উঠছে।
৭৯. অনুচ্ছেদে সমুদ্রের পানি ফুলে উঠাকে বলেÑ
 জোয়ার খ ভাটা গ বৃষ্টিপাত ঘ জোয়ার ভাটা
৮০. অনুচ্ছেদে সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠার কারণ-
র. কেন্দ্রাভিগ শক্তি রর. আহ্নিক গতি
ররর. বার্ষিক গতি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি দেখে ৮১ও ৮২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৮১. উপরের চিত্রটি দ্বারা কী নির্দেশ করা হচ্ছে?
 মরা কটাল খ পূর্ণিমা
গ মুখ্য জোয়ার ঘ অমাবস্যা
৮২. উপরের ঘটনাটি কোথায় বেশি দেখা যায়?
ক ভ‚মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে খ মেরু অঞ্চলে
গ উত্তর গোলার্ধে  উপক‚লবর্তী অঞ্চলে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাজমা প্রতিদিন খুব ভোরে পড়তে বসে। একদিন সে লক্ষ করে, পূর্বদিকের আকাশে ভোরবেলাতেও একটি তারা দেখা যাচ্ছে। নাজমা বুঝতে পারে যে সে একটি গ্রহ দেখেছে।
৮৩. নাজমার দেখা গ্রহটির নাম কী?
 শুক্র খ শনি গ মঙ্গল ঘ নেপচুন
৮৪. পৃথিবীর সাথে উক্ত গ্রহের কোন বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হবে?
ক গ্রহটি নীলাভ বর্ণের
 গ্রহটির উপগ্রহ নেই
গ গ্রহটির চারিদিকে বলয় আছে
ঘ গ্রহটিতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে
নিচের চিত্রের আলোকে ৮৫ ও ৮৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৮৫. ক ও খ রেখাটি কী রেখা?
ক নিরক্ষ  দ্রাঘিমা গ বিষুব ঘ সমাক্ষ
৮৬. চ ও ছ বিন্দু পরস্পরের কী?
ক বিম্ব খ সম্পাত বিন্দু
গ সমাক্ষ স্থান  প্রতিপাদ স্থান
চিত্র থেকে ৮৭ ও ৮৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৮৭. চিত্রে উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহ উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে বেঁকে যায়; এ নিয়মটি কী নামে পরিচিত?
 ফেরেলের সূত্র খ কোপার্নিকাসের সূত্র
গ ফুকোর সূত্র ঘ টলেমির সূত্র
৮৮. বায়ুপ্রবাহের এই বেঁকে যাওয়া প্রমাণ করে যেÑ
র. বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে যায়
রর. আ‎িহ্নক গতিতে পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে
ররর. পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন ও রাত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের প্রদত্ত সারণিটি লক্ষ করে ৮৯ ও ৯০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গ্রহসমূহ সূর্যকে প্রদক্ষিণকাল
শুক্র ২২৫ দিন
পৃথিবী ৩৬৫ দিন
মঙ্গল ৬৮৭ দিন
বৃহস্পতি ৪,৩ ৮০ দিন
৮৯. সারণির কোন গ্রহটি আকৃতিতে ক্ষুদ্র?
ক বুধ খ পৃথিবী গ মঙ্গল  শুক্র
৯০. সারণির ক্ষুদ্র ও বৃহত্তম গ্রহের জন্য প্রযোজ্য
র. আবর্তনকালের পার্থক্য ৪১৫৫ দিন
রর. উপগ্রহ নেই
ররর. জীবের অস্তিত্ব নেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 ভ‚মিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. কোনটি পৃথিবীর চারদিকে বিস্তৃত আছে? (জ্ঞান)
 মহাকাশ খ গ্রহ গ ছায়াপথ ঘ উপগ্রহ
৯২. মহাকাশের অসংখ্য জ্যোতিষ্ক নিয়ে কোনটি সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)
ক মহাকাশ  বিশ্বজগৎ
গ সৌরজগৎ ঘ জ্যোতিষ্কমণ্ডল
৯৩. সৌরজগতের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
 সৌর পরিবার খ সৌর পৃথিবী
গ সৌর মণ্ডলী ঘ সৌর কলঙ্ক
৯৪. সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক কোনটি? (অনুধাবন)
ক পৃথিবী  সূর্য গ উল্কা ঘ ধূমকেতু
৯৫. কোন শক্তির মাধ্যমে গ্রহ ও উপগ্রহসমূহ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে? (জ্ঞান)
ক অভিকর্ষণ খ আণবিক
 মহাকর্ষণ ঘ সৌরশক্তি
 পরিচ্ছেদ-৪.১ : সৌরজগৎ
 সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উল্কা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয় সৌরজগত।
 সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা বড় ১৩ লক্ষ গুণ।
 সূর্যের উপরিভাগের উচ্চতা- ৫৭,০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
 সূর্য নিজ অক্ষের ওপর একবার আবর্তন করে প্রায় ২৫ দিনে।
 সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে বলে সৌরকলঙ্ক।
 সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধ।
 পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
 পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করেছে ওজোন স্তর।
 পৃথিবীর ব্যাসার্ধ আনুমানিক ৬,৪০০ কিলোমিটার।
 পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ১৬ ভাগ কেন্দ্রমন্ডল।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৬. সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু ও উল্কা নিয়ে কী গঠিত?
(অনুধাবন)
ক বিশ্বজগৎ খ জ্যোতিষ্কমণ্ডলী
 সৌরজগৎ ঘ নক্ষত্রমণ্ডলী
৯৭. নিচের কোনটিকে সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র বলে? (জ্ঞান)
ক গ্রহ খ উল্কা গ উপগ্রহ  সূর্য
৯৮. সৌরজগতে কয়টি উপগ্রহ রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ১৯  ৪৯ গ ৩৯ ঘ ৫৯
৯৯. সূর্যকে সৌরজগতের প্রাণ বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক সকল গ্রহ, উপগ্রহের চারদিকে আবর্তন করছে
˜ সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্য নিয়ন্ত্রণ করে
গ সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
ঘ সকল উপগ্রহ গ্রহের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
১০০. নিচের কোনটি সৌরজগতের নিয়ন্ত্রক? (জ্ঞান)
ক মহাকাশ  সূর্য গ আহ্নিক গতি ঘ নক্ষত্র
১০১. পৃথিবী সূর্য অপেক্ষা কতগুণ ছোট? (জ্ঞান)
ক ১০ লক্ষ খ ১১ লক্ষ গ ১২ লক্ষ  ১৩ লক্ষ
১০২. পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক প্রায় ১৫ কোটি বর্গমাইল খ ১৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার প্রায়
 প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ প্রায় ১৩ লক্ষ বর্গমাইল
১০৩. সূর্যের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১১,৪২,০০০ কিলোমিটার  ১৩,৮৪,০০০ কিলোমিটার
গ ১৫,১৩,০০০ কিলোমিটার ঘ ১৭,৩৫,০০০ কিলোমিটার
১০৪. সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা কত? (জ্ঞান)
 ৫৭,০০০০ সে. খ ৫৮,০০০০ ফা.
গ ৬৭,০০০০ সে. ঘ ৬৭,০০০০ ফা.
১০৫. সূর্যে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের অনুপাত কত? (অনুধাবন)
 ৫ : ৪ খ ৭ : ১০ গ ১০ : ৭ ঘ ১১ : ৪
১০৬. সূর্যে হিলিয়ামের পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক শতকরা ৩৫ ভাগ  শতকরা ৪৪ ভাগ
গ শতকরা ৫৫ ভাগ ঘ শতকরা ৬৫ ভাগ
১০৭. সূর্যের মাঝে যে কালো দাগ দেখা যায় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সৌরচিহ্ন খ সৌরদাগ গ উল্কা  সৌরকলঙ্ক
১০৮. সৌরকলঙ্কের উত্তাপ কেমন? (অনুধাবন)
ক সূর্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি খ পৃথিবীর চেয়ে বেশি
 সূর্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে কম ঘ অন্যান্য গ্রহের চেয়ে বেশি
১০৯. সূর্যে কীভাবে শক্তি তৈরি হচ্ছে? (অনুধাবন)
 আণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় খ ভৌত প্রক্রিয়ায়
গ পারমাণবিক শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় ঘ জৈব প্রক্রিয়ায়
১১০. সূর্যের হিলিয়াম থেকে কী তৈরি হচ্ছে? (জ্ঞান)
ক হাইড্রোজেন খ নাইট্রোজেন
গ আরগন  শক্তি
১১১. নিজ অক্ষের ওপর আবর্তন করতে সূর্যের কতদিন লাগে? (জ্ঞান)
ক প্রায় ২২৫ দিন খ প্রায় ৩০০ দিন
গ প্রায় ৮৮ দিন  প্রায় ২৫ দিন
১১২. আপন গ্যালাক্সির চারদিকে পরিভ্রমণ করতে সূর্যের কত বছর সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক প্রায় ১০ কোটি খ প্রায় ১২ কোটি
গ প্রায় ১৫ কোটি  প্রায় ২০ কোটি
১১৩. কোনটি মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করছে? (জ্ঞান)
ক উপগ্রহ  গ্রহ গ উল্কা ঘ ধূমকেতু
১১৪. ঠবহঁং অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ মঙ্গল গ শনি  শুক্র
১১৫. সূর্য থেকে পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব যথাক্রমে ১৫ কোটি এবং ২২.৮ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছতে ৮ মিনিট সময় লাগলে মঙ্গল গ্রহে কত সময় লাগবে? (প্রয়োগ)
ক ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড খ ১১ মিনিট ১২ সেকেন্ড
˜ ১২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড ঘ ১৩ মিনিট ১২ সেকেন্ড
১১৬. নিচের কোনটি সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ? (জ্ঞান)
 বৃহস্পতি খ শুক্র গ শনি ঘ মঙ্গল
১১৭. সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক পৃথিবী  বুধ গ বৃহস্পতি ঘ শনি
১১৮. কোনটি সূর্যের নিকটতম গ্রহ? (জ্ঞান)
ক পৃথিবী খ মঙ্গল  বুধ ঘ শনি
১১৯. বুধ গ্রহের তাপমাত্রা অত্যধিক কেন? (অনুধাবন)
ক বুধ গ্রহ আয়তনে সবচেয়ে ছোট বলে
খ বুধ গ্রহের নিজস্ব আলো নেই বলে
গ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে কম সময় লাগে বলে
˜ বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে
১২০. বুধ গ্রহের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১২,৭৫২ কিলোমিটার খ ৪৮৫০ মাইল
গ ১২,৭৫২ মাইল  ৪,৮৫০ কিলোমিটার
১২১. বুধ গ্রহের ওজন পৃথিবীর কত ভাগের সমান? (জ্ঞান)
ক ৪০ ভাগের ৩ ভাগ খ ৪৫ ভাগের ২ ভাগ
 ৫০ ভাগের ৩ ভাগ ঘ ৬০ ভাগের ৩ ভাগ
১২২. সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে বুধের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৮৭ দিন  ৮৮ দিন
গ ৮৯ দিন ঘ ৯০ দিন
১২৩. সূর্য থেকে বুধের গড় দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
 ৫.৮ কোটি কিমি খ ১০.৮ কোটি কিমি
গ ১১.৩ কোটি কিমি ঘ ১২.৮ কোটি কিমি
১২৪. কোন গ্রহের উপগ্রহ নেই? (জ্ঞান)
ক মঙ্গল  বুধ গ শনি ঘ নেপচুন
১২৫. বুধ গ্রহে সীসা ও দস্তার মতো ধাতু গলে বাষ্প হয়ে যায়, এর দ্বারা কী প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বুধে পানি বেশি হওয়ায় জলীয় বাষ্প বেশি
খ সীসা ও দস্তার গলনাঙ্ক বুধের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি
গ সীসা ও দস্তার স্ফুটনাঙ্ক বুধের চেয়ে কম
 বুধ সূর্যের নিকটতম হওয়ায় এর তাপ অত্যধিক
১২৬. কোন গ্রহের তাপমাত্রা অত্যধিক? (জ্ঞান)
ক শুক্র  বুধ গ শনি ঘ মঙ্গল
১২৭. সূর্য থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
 ১০.৮ কোটি খ ১২.৮ কোটি গ ১৩.৮ কোটি ঘ ১৫.৮ কোটি
১২৮. পৃথিবী থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৫ কোটি কিলোমিটার খ ৫.৮ কোটি কিলোমিটার
গ ১০.৫ কোটি কিলোমিটার  ৪.৩ কোটি কিলোমিটার
১২৯. শুক্রকে পশ্চিম আকাশে আমরা কীরূপে দেখতে পাই? (জ্ঞান)
ক শুকতারা খ ধ্রুবতারা  সন্ধ্যাতারা ঘ রংধনু
১৩০. শুক্রকে কখন আমরা শুকতারা রূপে দেখতে পাই? (জ্ঞান)
ক সকালে খ রাতে  ভোরে ঘ সন্ধ্যায়
১৩১. শুক্র কর্তৃক সূর্যের পরিভ্রমণ কাল কত? (জ্ঞান)
ক ২৯ দিন খ ৮৮ দিন  ২২৫ দিন ঘ ৩৬৫ দিন
১৩২. শুক্রের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কত? (অনুধাবন)
 ০ ভাগ খ ১০ ভাগ গ ৫৫ ভাগ ঘ ৯০ ভাগ
১৩৩. শুক্রের আকাশে বছরে ২ বার সূর্য ওঠে এবং অস্ত যায় কেন? (অনুধাবন)
 শুক্র গ্রহ খুবই ধীর গতিতে আবর্তন করে বলে
খ শুক্র গ্রহ খুবই দ্রæত গতিতে আবর্তন করে বলে
গ শুক্র গ্রহ খুবই ধীর গতিতে পরিভ্রমণ করে বলে
ঘ শুক্র গ্রহ খুবই দ্রæত গতিতে পরিভ্রমণ করে বলে
১৩৪. কোন গ্রহের উপরিভাগ থেকে সূর্যকে কখনই দেখা যায় না? (জ্ঞান)
ক বুধ  শুক্র গ শনি ঘ বৃহস্পতি
১৩৫. শুক্র গ্রহের গড় তাপমাত্রা মানুষের সহনীয় পর্যায়ে হলেও মানুষ জীবনধারণ করতে পারবে না কেন? (অনুধাবন)
ক অতিরিক্ত হাইড্রোজেনের জন্য
খ সমতল ভ‚মি নেই বলে
 অতিরিক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইডের জন্য
ঘ পর্বতময় অবস্থার জন্য
১৩৬. কোনটির কারণে শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে? (অনুধাবন)
ক অক্সিজেন খ হিলিয়াম
গ হাইড্রোজেন  কার্বন ডাইঅক্সাইড
১৩৭. শুক্রের পৃষ্ঠে পৃথিবীর তুলনায় কত গুণ বেশি বাতাসের চাপ রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৬০  ৯০ গ ১২০ ঘ ১৮০
১৩৮. পৃথিবীতে কোনো স্থানের বায়ুর চাপ ৫ সেন্টিমিটার হলে শুক্র গ্রহে ঐ বায়ুর চাপ কত হবে? (প্রয়োগ)
ক ৩০০ সেন্টিমিটার  ৪৫০ সেন্টিমিটার
গ ২৫০ সেন্টিমিটার ঘ ৪০০ সেন্টিমিটার
১৩৯. সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
 পৃথিবী খ শুক্র গ বুধ ঘ বৃহস্পতি
১৪০. পৃথিবীর আয়তন কত? (জ্ঞান)
 ৫১০,১০০,৪২২ বর্গকিলোমিটার খ ১৫,৭০৯ বর্গকিলোমিটার
গ ৫১০,১০০,৪২২ কিলোমিটার ঘ ১৫,৭০৯ কিলোমিটার
১৪১. পূর্ব-পশ্চিমে পৃথিবীর ব্যাস কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১২,৭০৯ খ ৪৯,০০০  ১২,৭৫২ ঘ ২৪,০০০
১৪২. কোন দিকে পৃথিবীর ব্যাস ১২,৭০৯ কিলোমিটার? (জ্ঞান)
 উত্তর-দক্ষিণে খ পূর্ব-পশ্চিমে
গ দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘ দক্ষিণ-পূর্বে
১৪৩. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৩৫৬ দিন ৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড
খ ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড
 ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড
ঘ ৩৬৫ দিন ৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড
১৪৪. পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ইউরোপা  চাঁদ গ ডিমোস ঘ ফেবোস
১৪৫. পৃথিবী থেকে চন্দ্রের গড় দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১,২৪,৮০০  ৩,৮১,৫০০
গ ৫,৮১,৪২২ ঘ ৭,১০০,৫০০
১৪৬. পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের ক্রমাগত সংকুচিত হওয়ার ফলে কোনটি সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)
 পর্বত খ মালভ‚মি
গ মরুভ‚মি ঘ সমভ‚মি
১৪৭. সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৩.৮ কোটি খ ৭.৮ কোটি
গ ২০.৮ কোটি  ২২.৮ কোটি
১৪৮. কোন গ্রহের ওজন পৃথিবীর দশ ভাগের এক ভাগ? (জ্ঞান)
ক প্লুটো খ বুধ  মঙ্গল ঘ শনি
১৪৯. সূর্যকে পরিভ্রমণ করতে মঙ্গলের সময় লাগে কত দিন? (জ্ঞান)
ক ৩৬৫ খ ৪৬৫  ৬৮৭ ঘ ৭৬৫
১৫০. নিজ অক্ষে আবর্তন করতে মঙ্গল গ্রহের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ২১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট খ ২২ ঘণ্টা ২৯ মিনিট
গ ২৩ ঘণ্টা ১২ মিনিট  ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট
১৫১. মঙ্গলের উপগ্রহের সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
 ২টি ক ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি
১৫২. মঙ্গল গ্রহে অক্সিজেন ও পানির পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অত্যধিক, এর থেকে কী বলা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
 এ গ্রহ জীবের বসবাসের অনুপযোগী
খ এ গ্রহে উদ্ভিদের বৃদ্ধি দ্রæত ঘটে
গ এ গ্রহে শুধু উদ্ভিদের জন্ম হয়
ঘ মানুষ ছাড়া অন্যান্য জীব বেড়ে উঠতে পারে
১৫৩. মঙ্গলে জীবনধারণ করা অসম্ভব। এর যথাযথ কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 এখানে পানি খুব কম এবং ঠাণ্ডা অত্যধিক
খ এ গ্রহের উপরিভাগে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি অত্যধিক
গ এখানে যেমন পানির পরিমাণ বেশি তেমন অত্যধিক ঠাণ্ডা
ঘ এখানে পানির পরিমাণ বেশি হলেও উত্তাপ অত্যধিক
১৫৪. মঙ্গল গ্রহ কীভাবে লালচে বর্ণ ধারণ করেছে? (অনুধাবন)
ক উচ্চতাপে অগ্নি স্ফুলিঙ্গ নির্গত করার মাধ্যমে
খ সূর্যের লাল বর্ণ শোষণ করার মাধ্যমে
 এ গ্রহের পাথরে মরচে পড়ার মধ্য দিয়ে
ঘ অ¤øীয় মাটির মতো লাল মাটি গঠনের মাধ্যমে
১৫৫. জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মহাকাশে ৫৫০ কিলোমিটার ব্যাসসম্পন্ন একটি জ্যোতিষ্ক আবিষ্কার করে। প্রকৃতিগত দিক থেকে এটি কী ধরনের? (প্রয়োগ)
ক গ্রহ খ নীহারিকা  গ্রহাণু ঘ ধূমকেতু
১৫৬. বৃহস্পতির আয়তন পৃথিবীর কতগুণ? (জ্ঞান)
ক ১,১০০ খ ১,২০০  ১,৩০০ ঘ ১,৪০০
১৫৭. বৃহস্পতির ব্যাস কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১,৩২,৮০০  ১,৪২,৮০০
গ ১,৫২,৮০০ ঘ ১,৬২,৮০০
১৫৮. সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৭২.৮ কোটি খ ৭৩.৮ কোটি গ ৭৫.৮ কোটি  ৭৭.৮ কোটি
১৫৯. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ১০ বছর  ১২ বছর
গ ২০ বছর ঘ ২৫ বছর
১৬০. সৌরজগতের কোন গ্রহের উপর দিকের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি? (জ্ঞান)
ক শনি খ বুধ গ ইউরেনাস  বৃহস্পতি
১৬১. বৃহস্পতি’র কয়টি উপগ্রহ আছে? জ্ঞান)
ক ১৪ খ ১৫  ১৬ ঘ ১৭
১৬২. সূর্য থেকে শনির দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১২৫ কোটি খ ১৩০ কোটি
 ১৪৩ কোটি ঘ ১৪৪ কোটি
১৬৩. শনি গ্রহ কত সময়ে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে? (জ্ঞান)
 ২৯ বছর ৫ মাসে খ ৩০ বছর ৫ মাস
গ ৩২ বছর ৫ মাসে ঘ ৩৫ বছর ৮ মাসে
১৬৪. শনি গ্রহ কত সময়ে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে? (জ্ঞান)
ক ৯ ঘণ্টা ৫০ মিনিট  ১০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
গ ১২ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ঘ ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট
১৬৫. শনি গ্রহটি পৃথিবী থেকে কতগুণ বড়? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৭  প্রায় ৯ গ প্রায় ১১ ঘ প্রায় ১৩
১৬৬. কোন গ্রহটি খালি চোখে দেখা যায়? (জ্ঞান)
 শনি খ বৃহস্পতি গ বুধ ঘ শুক্র
১৬৭. কয়টি উজ্জ্বল বলয় শনিকে বেষ্টন করে আছে? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২  ৩ ঘ ৪
১৬৮. শনি গ্রহ সুন্দর দেখায় কেন? (অনুধাবন
 উজ্জ্বল বলয়ের জন্য খ অধিক বলয়ের জন্য
গ গতিশীল বলয়ের জন্য ঘ অনুজ্জ্বল বলয়ের জন্য
১৬৯. শনির উপগ্রহের সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ২৫টি  ২২টি গ ১৫টি ঘ ১০টি
১৭০. সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শনি ˜ ইউরেনাস ঘ নেপচুন
১৭১. সূর্য থেকে ইউরেনাসের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
 ২৮৭ কোটি কিলোমিটার খ ১৪৩ কোটি কিলোমিটার
গ ২২২ কোটি কিলোমিটার ঘ ১২২ কোটি কিলোমিটার
১৭২. ইউরেনাসের আবহমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ অধিক? (জ্ঞান)
 মিথেন খ হাইড্রোজেন গ আরগন ঘ অক্সিজেন
১৭৩. ইউরেনাসের কয়টি উপগ্রহ রয়েছে? (জ্ঞান)
 ৫ খ ৭ গ ১০ ঘ ১৫
১৭৪. এভারেস্টের চ‚ড়ায় উঠে মুসা ইব্রাহিম সেখানে বায়ুমণ্ডলের কোন অবস্থা দেখেছেন? (প্রয়োগ)
ক অধিক বায়ুর চাপ  বায়ুর ঘনত্ব খুবই কম
গ ঘনত্ব খুবই বেশি ঘ অতিমাত্রায় অক্সিজেন
১৭৫. সূর্য থেকে নেপচুনের দূরত্ব কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১৫০ কোটি খ ২৫০ কোটি
 ৪৫০ কোটি ঘ ৫৬০ কোটি
১৭৬. কোন গ্রহটি শীতল? (জ্ঞান)
ক ইউরেনাস  নেপচুন গ শনি ঘ বুধ
১৭৭. নেপচুন গ্রহটির বর্ণ কী? (জ্ঞান)
ক হলæদ খ লালচে  নীলাভ ঘ বাদামি
১৭৮. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে নেপচুনের কত বছর সময় লাগে? (জ্ঞান)
 ১৬৫ খ ২২৫ গ ৬৮৭ ঘ ৭৬৭
১৭৯. নেপচুনের উপগ্রহ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ১  ২ গ ৩ ঘ ৫
১৮০. কীসের প্রভাবে বায়ুমণ্ডল ভ‚পৃষ্ঠের সঙ্গে লেপ্টে আছে? (অনুধাবন)
ক তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির প্রভাবে খ চুম্বকীয় বলের প্রভাবে
গ অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবে  মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে
১৮১. পৃথিবীর কোথায় বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
ক পাহাড়ে  সমুদ্রপৃষ্ঠে
গ সমতল ভ‚মিতে ঘ বনভ‚মিতে
১৮২. প্রাণীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই বায়ুমণ্ডলকে বিশুদ্ধ রাখা দরকার। উক্তিটি কী প্রমাণ করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 বায়ুমণ্ডল সকল জৈবিক ক্রিয়া সম্পাদনে সাহায্য করে
খ বায়ুমণ্ডল গ্রহগুলোর মধ্যে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়
গ বায়ুমণ্ডলের কাজ প্রাণীর বংশবিস্তার ঘটানো
ঘ বায়ুমণ্ডলের কাজ প্রাণীকে ক্রিয়াশীল করা
১৮৩. ট্রপোমণ্ডলের গভীরতা কত? (জ্ঞান)
 ১৩ কিলোমিটার প্রায় খ ১৩.৯০ কিলোমিটার প্রায়
গ ১৩ বর্গমাইল প্রায় ঘ ১৩.৫ বর্গমাইল প্রায়
১৮৪. মানুষের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্তর কোনটি? (জ্ঞান)
ক স্ট্রাটোমণ্ডল খ ট্রপোসীমা
গ ওজোনস্তর  ট্রপোমণ্ডল
১৮৫. পৃথিবীর কোন স্তরে আর্দ্রতা, কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি লক্ষ করা যায়? (অনুধাবন)
 ট্রপোমণ্ডল খ ওজোনস্তর
গ বায়ুমণ্ডল ঘ স্ট্রাটোমণ্ডল
১৮৬. আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার কাজ বেশির ভাগ বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ঘটে থাকে? (জ্ঞান)
 ট্রপোমণ্ডল খ মেসোমণ্ডল
গ স্ট্রাটোমণ্ডল ঘ তাপমণ্ডল
১৮৭. ট্রপোমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ট্রপোসীমা  ট্রপোপস গ মেটাপথ ঘ ট্রপোডেস্ক
১৮৮. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটি পৃথিবীকে প্রাণিজগতের বাস উপযোগী করছে? (জ্ঞান)
ক ট্রপোস্ফিয়ার  ওজোনস্তর
গ ট্রপোমণ্ডল ঘ ট্রপোপস
১৮৯. ওজোন স্তরের গড় গভীরতা কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৭-১৬ খ প্রায় ৮-১৯ গ প্রায় ১০-১২  প্রায় ১২-১৬
১৯০. ওজোন স্তরের তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
ক ৩৬০ সেলসিয়াস  ৭৬০ সেলসিয়াস
গ ৮৩০ সেলসিয়াস ঘ ৯৩০ সেলসিয়াস
১৯১. কোন মণ্ডলটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে প্রাণীকুলের রক্ষা করে থাকে? (জ্ঞান)
ক অশ্মমণ্ডল খ কেন্দ্রমণ্ডল
 বায়ুমণ্ডল ঘ বারিমণ্ডল
১৯২. বাষ্পীয় অবস্থা থেকে পৃথিবী কীভাবে শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়েছে? (অনুধাবন)
 তাপ বিকিরণের মাধ্যমে খ তাপ শোষণের মাধ্যমে
গ তাপ পরিচালনার মাধ্যমে ঘ সংকুচিত হওয়ার মাধ্যমে
১৯৩. কোনটি বায়ুমণ্ডলের গঠন ও উপাদানে পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে? (জ্ঞান)
ক বন্যপ্রাণীর কর্মকাণ্ড খ সমুদ্রের পানি
গ নাইট্রোজেন গ্যাস  মানুষের কর্মকাণ্ড
১৯৪. পৃথিবীতে পানি আছে বলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে-এ থেকে আমরা কী ধারণা পাই? (উচ্চতর দক্ষতা)
 জীবের বিকাশের জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
খ পৃথিবী পানি থেকে তৈরি হয়েছে
গ পানি গ্রহের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
ঘ মঙ্গল গ্রহে পানির উপস্থিতি জীবনের বিকাশ ঘটাবে
১৯৫. পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
ক ১৩.৯০০ ফা. খ ১২.১৫০ সে.  ১৩.৯০০ সে. ঘ ১২.১৬০ ফা.
১৯৬. পৃথিবীর ব্যাসার্ধ আনুমানিক কত? (জ্ঞান)
 ৬,৪০০ কিলোমিটার খ ৬,৭৮৭ কিলোমিটার
গ ১২,৭০৯ কিলোমিটার ঘ ১২,৭৫২ কিলোমিটার
১৯৭. ভ‚অভ্যন্তরের গভীরে সরাসরি পর্যবেক্ষণের সুযোগ না থাকার যৌক্তিক কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ভ‚অভ্যন্তরে অতিরিক্ত চাপ বিরাজ করে থাকে
খ সূর্যরশ্মি প্রবেশ করে না বলে ভ‚অভ্যন্তর খুব অন্ধকার
গ ভ‚অভ্যন্তরে মহাকর্ষ বলের আকর্ষণ যথেষ্ট থাকে না
 ভ‚পৃষ্ঠের কঠিন বহিরাবরণ এবং গভীর ভ‚অভ্যন্তর
১৯৮. কোনটি দ্বারা ভ‚অভ্যন্তর গঠিত? (অনুধাবন)
ক ভ‚ত্বক  শিলামণ্ডল
গ গুরুমণ্ডল ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
১৯৯. পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে এর কেন্দ্র পর্যন্ত কয়টি স্তরে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২  ৩ গ ৪ ঘ ৫
২০০. সৃষ্টি হবার সময় পৃথিবী কী অবস্থায় ছিল? (জ্ঞান)
ক কঠিন খ শিলারূপ গ তরল  বাষ্পীয়
২০১. পৃথিবীর ওপরিভাগের কঠিন আবরণকে কী বলে? (জ্ঞান)
 ভ‚ত্বক খ বায়ুমণ্ডল গ ভ‚পৃষ্ঠ ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
২০২. নিচের কোনটি গুরুমণ্ডল নির্দেশ করে? (জ্ঞান)
ক ভ‚ত্বকের ওপরের স্তর খ ভ‚ত্বকের সামনের স্তর
 ভ‚ত্বকের নিচের স্তর ঘ ভ‚ত্বকের মধ্যের স্তর
২০৩. গুরুমণ্ডলের স্তরটির পুরুত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৮৬৭ কি.মি. খ ১৯৯৫ কি.মি.
গ ২৭৭৫ কি.মি.  ২৮৮৫ কি.মি.
২০৪. ভ‚-অভ্যন্তরের গঠনগত দিক দিয়ে ভ‚ত্বকের নিচে কোন স্তরটি অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক অন্তঃকেন্দ্র খ স্ট্রাটোমণ্ডল  গুরুমণ্ডল ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
২০৫. গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্বাংশে অবস্থিত স্তরের নাম কী? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রমণ্ডল  অশ্মমণ্ডল গ ট্রপোমণ্ডল ঘ গুরুমণ্ডল
২০৬. শিলামণ্ডলের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক কেন্দ্রমণ্ডল খ গুরুমণ্ডল গ ভ‚ত্বক  অশ্মমণ্ডল
২০৭. ভ‚ত্বকের উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর অভ্যন্তরে কত কিমি পর্যন্ত অশ্মমণ্ডল? (জ্ঞান)
ক ৪০ খ ৫০  ৬০ ঘ ৭০
২০৮. গুরুমণ্ডল কর্দমাক্ত থাকার পেছনে কোন কারণটি বিদ্যমান? (অনুধাবন)
ক প্রচণ্ড ঘর্ষণ  প্রচণ্ড চাপ গ প্রচণ্ড তাপ ঘ প্রচণ্ড বর্ষণ
২০৯. কেন্দ্রমণ্ডলের পুরুত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ২,২১৬ মাইল  ৩,৪৮৬ কিলোমিটার
গ ৪,৭৭৯ মাইল ঘ ৫,৭৭৯ কিলোমিটার
২১০. কেন্দ্রমণ্ডল পৃথিবীর মোট আয়তনের কত ভাগ? (জ্ঞান)
ক ১২ খ ১৪  ১৬ ঘ ১৮
২১১. পৃথিবীর মোট ওজনের এক-তৃতীয়াংশ ওজন কোন অংশটির? (জ্ঞান)
ক গুরুমণ্ডলের  কেন্দ্রমণ্ডলের
গ পর্বতের ঘ ভ‚ত্বকের
২১২. কেন্দ্রমণ্ডলের তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
 প্রায় ৩০০০-৫০০০০ সেল. খ প্রায় ৩০০০-৬০০০০ সেল.
গ প্রায় ৩০০০-৭০০০০ সেল. ঘ প্রায় ৩০০০-৮০০০০ সেল.
২১৩. কেন্দ্রমণ্ডলে তরল বহিরাবরণটির পুরুত্ব কত? (জ্ঞান)
 ১,২১৬ কিলোমিটার খ ২,৮৮৫ কিলোমিটার
গ ৩,৪০৬ কিলোমিটার ঘ ৪,৮৮৬ কিলোমিটার

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  সৌরজগৎ

সৌরজগতের আংশিক চিত্র
ক. সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব কত কিলোমিটার? ১
খ. প্রমাণ সময় ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ই’ চিহ্নিত গ্রহটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘অ’ ও ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহ দুটির বৈশিষ্ট্যগুলো তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার।
খ দ্রাঘিমা রেখার ওপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনায় বিভ্রাট হয়। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রত্যেকটি দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে।
গ চিত্রের ‘ই’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো পৃথিবী। এটি সৌর পরিবারের একটি সদস্য হলেও এর সাথে সৌর পরিবারের অন্যান্য গ্রহের ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। পৃথিবীর বৈশিষ্ট্য হলো : ১. পৃথিবীর হলো একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা আছে। ২. পৃথিবীতে জীবের বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি। ৩. পৃথিবীর ভ‚ভাগে পর্যাপ্ত পানি থাকার জন্য এবং বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতির কারণে বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে পৃথিবীতে কৃষিকাজ সহজ হয় এবং উদ্ভিদ জন্মে। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বাতাস হতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ৪. সৌরজগতের সকল গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতে চাষাবাদ ও উদ্ভিদ জন্মানো সহায়ক মাটির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। ফলে এখানে জীবের বসবাস সম্ভব হয়েছে।
ঘ চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বুধ এবং ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বৃহস্পতি। এরা সৌর পরিবারের সদস্য হলেও একটি অপরটির সাথে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বুধের সাথে বৃহস্পতি গ্রহের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য হলো : ১. বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ। অপরদিকে বৃহস্পতি সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ। ২. বুধের ব্যাস ৪,৮৫০ কিলোমিটার। কিন্তু বৃহস্পতির ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। ৩. বুধের আয়তন পৃথিবীর ৫০ ভাগের ৩ ভাগের সমান। অপরদিকে বৃহস্পতির আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। ৪. বুধ সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৫.৮ কোটি কিলোমিটার। আর বৃহস্পতি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। ৫. বুধের কোনো উপগ্রহ নেই। অপরদিকে বৃহস্পতির ১৬টি উপগ্রহ রয়েছে। ৬. বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে এর তাপমাত্রা অত্যধিক এবং এর ভ‚ত্বকে অসংখ্য গর্ত ও পাহাড় লক্ষ করা যায়। অপরদিকে বৃহস্পতির উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক।
প্রশ্ন- ২  জোয়ার ভাটা

কামাল তার বাবা-মায়ের সাথে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে সন্ধ্যাবেলায় পানির অপরূপ শান্ত প্রকৃতি দেখে খুবই মুগ্ধ হয়। কিছুক্ষণ পর তারা দেখে সাগরের পানি ক্রমশ ফুলে উঠছে। পানির ঢেউ তীরে এসে ভীষণভাবে গর্জন করছে। মা তাকে ভীত হতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, “এটা সমুদ্রের একটি স্বাভাবিক ঘটনা, কিছুক্ষণ পরই আবার দেখবে পানি নেমে যাবে।”
ক. অক্ষরেখা কী? ১
খ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কামাল ও তার মা-বাবা সমুদ্রের পানিতে সন্ধ্যাবেলা যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছিল তা কীসের ইঙ্গিত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত বিষয়টি আমাদের জীবনে কোন ধরনের প্রভাব ফেলে তা তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক নিরক্ষরেখার সমান্তরাল পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টনকারী পূর্ণবৃত্ত রেখাগুলোই অক্ষরেখা।
খ কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে দীর্ঘপথ ভ্রমণ করার সময় স্থানীয় সময়ের পার্থক্যের সঙ্গে সঙ্গে সপ্তাহের দিন বা বার নিয়েও গরমিল হয়। কোনো নির্দিষ্ট স্থান থেকে পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করলে সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখাকে অবলম্বন করে সম্পূর্ণভাবে জলভাগের উপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত একটি রেখা কল্পনা করা হয়। এ কল্পিত রেখাটিকে ‘আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা’ বলে।
গ উদ্দীপকে কামাল ও তার মা-বাবা সমুদ্রের পানিতে সন্ধ্যাবেলা জোয়ার-ভাটার প্রতিক্রিয়া লক্ষ করেছিল। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর ওপর চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়। পৃথিবীর সকল পদার্থের আকর্ষণ আছে এবং একটি অপরটিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষণ শক্তি বলে। এই মহাকর্ষণের ফলে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। যে যত বড় তার আকর্ষণ শক্তি তত বেশি। কিন্তু দূরত্ব বৃদ্ধি পেলে আকর্ষণ শক্তি কমে যায়। সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২.৬০ কোটি গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্ব থেকে অনেক বেশি বলে পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ। তাই চন্দ্রের আকর্ষণেই জোয়ার-ভাটা হয়। এছাড়া পৃথিবীর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাবে জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষিপ্ত হয় এবং তরল জলরাশির কঠিন ভ‚ভাগ হতে বিচ্ছিন্ন হতে চায়। এমনিভাবে কেন্দ্রাতিগ শক্তি জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে সহায়তা করে। তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় উদ্দীকের কামাল সমুদ্রের পানিতে যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেছিল তা জোয়ারভাটার ইঙ্গিতই বহন করে।
ঘ মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর কামালের দেখা ঘটনা তথা জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। পৃথিবী তথা স্থলভাগ, পানিরাশি ও মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। দৈনিক দু’বার করে জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে নদীর আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে পানি নির্মল হয় এবং নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়, ফলে নদীর মুখ বন্ধ হতে পারে না। জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীখাত গভীর হয়। অনেক নদীর পাশে খাল খনন করে জোয়ারের পানি আটকে জমিতে সেচ দেয়া হয়। পৃথিবীর বহু নদীতে ভাটার স্রোতকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। যেমন : ফ্রান্সের লার‌্যান্স বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ভারতের বান্ডালা বন্দরেও এরূপ একটি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। জোয়ার-ভাটায় সমুদ্রের লবণাক্ত পানি দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার ফলে শীতপ্রধান দেশে নদীর পানি চলাচল অনুক‚লে থাকে। জোয়ারের সময় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রগামী বড় বড় জাহাজ অনায়াসেই নদীতে প্রবেশ করে, আবার ভাটার টানে সমুদ্রে চলে আসে। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়।
জোয়ারের প্রবল বানে কখনো কখনো নেতিবাচক প্রভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিঘিœত করে। অসাবধানতাবশত কখনো কখনো এই বানে নৌকা, স্টিমার, জাহাজসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর জোয়ার-ভাটার প্রভাব ব্যাপক।
প্রশ্ন- ৩  অক্ষরেখা, নিরক্ষরেখা, সমাক্ষরেখা, দ্রাঘিমা রেখা, মূলমধ্যরেখা

স্থান অক্ষাংশ দ্রাঘিমা তারিখ সময়
ক ২০৩৪ উঃ ৯২৪৫ পঃ ২৫ জুন অপরাহ্ন ১টা ৩০ মি.
খ ২৩৩০ দঃ ৬০১৫ পঃ ২৫ জুন 

ক. পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি? ১
খ. পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ার তীব্র হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সাহায্যে ‘খ’ স্থানের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। ৩
ঘ. একই সময়ে উদ্দীপকের ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানে ভিন্ন ঋতু পরিলক্ষিত হয়বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।
খ পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবীর এক পার্শ্বে চাঁদ ও অপর পার্শ্বে সূর্য অবস্থান করে। ফলে এ তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য সমসূত্রে থাকে এবং উভয়ের মিলিত আকর্ষণে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয় অর্থাৎ জোয়ারের তীব্রতা গড়ে।
গ ‘ক’ এর দ্রাঘিমা ৯২৪৫ পশ্চিম। ‘খ’ এর দ্রাঘিমা ৬০১৫ পশ্চিম। ‘ক’ ও ‘খ’ এর দ্রাঘিমার পার্থক্য ৯২৪৫  ৬০১৫ বা ৩২৩০।
১ দ্রাঘিমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
 ৩২ দ্রাীঘমার পার্থক্যের কারণে সময়ের পার্থক্য (৩২  ৪) মিনিট বা, ১২৮ মিনিট।
আবার, ৩০ দ্রাঘিমার পার্থক্যে জন্য সময়ের পার্থক্য (৩০  ৪) সেকেন্ড বা ১২০ সেকেন্ড বা ২ মিনিট।
অতএব, ৩২৩০ দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য (২ ঘণ্টা ৮ মিনিট + ২ মিনিট) বা ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
‘খ’ স্থানটি ‘ক’ স্থানের পূর্বে। ফলে ‘খ’ স্থানের স্থানীয় সময় অগ্রবর্তী।
সুতরাং, ‘খ’ চিহ্নিত স্থানে স্থানীয় সময় হবে (অপরাহ্ন ১ টা ৩০ মিনিট + ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট) বা, ৩টা ৪০ মিনিট (অপরাহ্ন)।
ঘ উদ্দীপকের ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানে ভিন্ন ঋতু পরিলক্ষিত হয়। ২১ জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত হয়। এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে উত্তর গোলার্ধে তিন মাস উত্তাপ বেশি থাকে। এ সময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বিপরীত কারণে শীতকাল থাকে। সুতরাং ২৫ জুন উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল আর দক্ষিণ গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা অর্থাৎ শীতকাল বিরাজ করবে। উদ্দীপকে দেখা যায় ‘ক’ স্থানটি ২০৩৪ উত্তর অক্ষাংশ তথা উত্তর গোলার্ধে এবং ‘খ’ স্থানটি ২০৩০ দক্ষিণ অক্ষাংশ তথা দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত। অর্থাৎ ২৫ জুন ‘ক’ স্থানে যখন গ্রীষ্মকাল, ‘খ’ স্থানে তখন শীতকাল। সুতরাং উদ্দীপকের ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানে ভিন্ন ঋতু পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন- ৪  সৌরজগৎ

চিত্র : সৌরজগৎ
ক. কোন গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়? ১
খ. প্রমাণ সময় কী? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. চিত্রের কোন গ্রহটিতে তুমি বসবাস করছ? তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. চিত্রের অ ও ঊ চিহ্নিত গ্রহ দুটির বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক শুক্র গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়।
খ দ্রাঘিমারেখার ওপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনায় বিভ্রাট হয়। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। প্রত্যেকটি দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে।
গ চিত্রের ‘ঈ’ চিহ্নিত তথা পৃথিবী গ্রহে আমি বসবাস করি। পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। পৃথিবীর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২ বর্গ কিলোমিটার। পূর্ব-পশ্চিমে এর ব্যাস ১২,৭৫২ কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ১২,৭০৯ কিলোমিটার। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবী ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৭ সেকেণ্ডে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এ গ্রহে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন রয়েছে। পৃথিবীপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা ১৩.৯০ সেলসিয়াস। ভ‚ত্বকে প্রয়োজনীয় পানি রয়েছে। গ্রহগুলোর মধ্যে একমাত্র পৃথিবীই জীবজন্তু ও উদ্ভিদের জীবন ধারণের জন্য আদর্শ গ্রহ। চন্দ্র পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবী থেকে চন্দ্রের গড় দূরত্ব ৩,৮১,৫০০ কিলোমিটার। এটি ২৯ দিন ১২ ঘণ্টায় পৃথিবীকে একবার পরিক্রমণ করে। চাঁদের পৃষ্ঠদেশে গর্ত, পাহাড়, পর্বত লক্ষ করা গিয়েছে।
ঘ চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বুধ এবং ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বৃহস্পতি। এরা সৌর পরিবারের সদস্য হলেও একটি অপরটির সাথে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বুধের সাথে বৃহস্পতি গ্রহের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য হলো : ১. বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং সূর্যের নিকটতম গ্রহ। অপরদিকে বৃহস্পতি সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ। ২. বুধের ব্যাস ৪,৮৫০ কিলোমিটার। কিন্তু বৃহস্পতির ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। ৩. বুধের আয়তন পৃথিবীর ৫০ ভাগের ৩ ভাগের সমান। অপরদিকে বৃহস্পতির আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০ গুণ। ৪. বুধ সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ৫.৮ কোটি কিলোমিটার। আর বৃহস্পতি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরে। ৫. বুধের কোনো উপগ্রহ নেই। অপরদিকে বৃহস্পতির ১৬টি উপগ্রহ রয়েছে। ৬. বুধ সূর্যের নিকটতম গ্রহ বলে এর তাপমাত্রা অত্যধিক এবং এর ভ‚ত্বকে অসংখ্য গর্ত ও পাহাড় লক্ষ করা যায়। অপরদিকে বৃহস্পতির উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক।
প্রশ্ন- ৫  ঋতু পরিবর্তন

ক. মেরুরেখা কাকে বলে? ১
খ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘অ’ চিহ্নিত অবস্থানে উত্তর গোলার্ধে কোন ঋতু বিরাজ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উত্তর গোলার্ধে ‘অ’ ও ‘ই’ চিহ্নিত অবস্থানে ঋতুগত ভিন্নতা দেখা যায়”Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরু রেখা বলে।
খ নির্দিষ্ট সময় ও বার ঠিক করার জন্য আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা ব্যাপক প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হলো ১৮০ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা। কিন্তু এ দুইটি দ্রাঘিমা রেখা মূলত একই। ফলে মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে সময় বিবেচনা করলে এ দ্রঘিমারেখার একই স্থানে কোথাও রোববার কোথাও সোমবার। কিন্তু একই দ্রাঘিমারেখায় একই সঙ্গে রবিবার রাত ১০টা ও সোমবার রাত ১০টা হতে পারে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরের জলভাগের উপর মানচিত্রে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। আর এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
গ চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত অবস্থানে উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করে।
সূর্যকে পরিক্রমণকালে ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। সেজন্য এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মোট তিন মাস উত্তাপ মধ্যম ধরনের হয়ে থাকে। এ সময়টি উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল তথা- আগস্টের ৯ তারিখ থেকে নভেম্বর ৬ তারিখ পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করে। চিত্রে যেহেতু ‘অ’ চিত্রিত স্থানটি ২৬ অক্টোবর সেহেতু উক্ত সময়ে উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করবে।
ঘ চিত্রে চিহ্নিত ‘অ’ শরৎকাল উত্তর গোলার্ধে এবং ‘ই’ চিহ্নিত উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল। বার্ষিক গতির জন্য সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও তির্যকভাবে পতিত হয় এবং দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে ভ‚পৃষ্ঠের সর্বত্র তাপের তারতম্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তন ঘটে। পৃথিবীতে সময়ভেদে তাপমাত্রার পার্থক্য বা পরিবর্তনকে ঋতু পরিবর্তন বলে। ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। সেজন্য এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মোট তিন মাস উত্তাপ মধ্যম ধরনের হয়ে থাকে। এ সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল। ২১ মার্চ তারিখে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। এই দিন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়। ২১ মার্চের দেড়মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল।
প্রশ্ন- ৬  জোয়ার ভাটার শ্রেণিবিভাগ

গত সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ণিমার সময় ৩/৪ দিন রুমানাদের শহরের বাসার আশপাশে ও রাস্তায় জোয়ারের পানিতে ভরে যায়। রুমানা লক্ষ করল প্রথম দিন যে সময় জোয়ারের পানি আসা শুরু করে দ্বিতীয় দিন তার অনেক পর পানি উঠতে শুরু করে। এভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ দিনও জোয়ার আসার সময়ের ভিন্নতা দেখা যায়। এ বিষয়ে রুমানা তার ভ‚গোল শিক্ষককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং চাঁদের গতির কারণে এরূপ ঘটে।”
ক. অনুসূর কী? ১
খ. কেন্দ্রাতিগ শক্তি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. রুমানার দেখা জোয়ার কোন শ্রেণিভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রুমানার শিক্ষকের বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪

ক জানুয়ারির ১ থেকে ৩ তারিখে সূর্য পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে থাকে বলে একে অনুসূর বলে।
খ পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর থেকে চারিদিকে দ্রæত বেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চতুর্দিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। একেই কেন্দ্রাতিগ শক্তি (ঈবহঃৎরভঁমধষ ঋড়ৎপব) বলে। পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভ‚পৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির ওপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব অধিক হয়।
গ রুমানার দেখা জোয়ার তেজকটাল বা ভরাকটালের শ্রেণিভুক্ত। জোয়ার-ভাটা কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন : মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার, ভরাকটাল, মরাকটাল। চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। চাঁদের এই আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটবর্তী হয় সেখানে চাঁদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। যেমনভাবে অমাবস্যা তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই পার্শ্বে এবং পূর্ণিমা তিথিতে পৃথিবীর এক পার্শ্বে চাঁদ ও অপর পার্শ্বে সূর্য অবস্থান করে। ফলে এ দুই তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য সমসূত্রে থাকে এবং উভয়ের মিলিত আকর্ষণে যে প্রবল জোয়ারের সৃষ্টি হয় তাকে তেজকটাল বা ভরাকটাল বলে। তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায় উদ্দীপকে রোমানার দেখা জোয়ারভাটা তেজকটাল বা ভরকাটালের শ্রেণিভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকে রুমানার শিক্ষকের বক্তব্যটি যথার্থ। কেননা পৃথিবীর আহ্নিক গতি এবং চাঁদের গতির কারণে জোয়ার-ভাটা হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ছাড়াও পানিরশ্মীর নিজস্ব গতি আছে। এর ফলে প্রতিদিনই কিছু সময় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে, আবার কিছু সময়ের জন্য তা নেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে নিয়মিতভাবে ফুলে উঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
প্রাচীনকালে জোয়ার-ভাটার কারণ সম্পর্কে নানা ধরনের অবাস্তব কল্পনা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ মনে করেন যে, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর উপর চন্দ্র-সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়।
উদ্দীপকে রুমানার দেখা বিষয়টি হলো জোয়ার-ভাটা যা পৃথিবীর আহ্নিকগতি এবং চাঁদের গতির কারণে ঘটে থাকে। সুতরাং আমরা বলতে পারি উদ্দীপকে রুমানার শিক্ষকের বক্তব্যটি সত্য ও বাস্তব।

প্রশ্ন- ৭  মুখ্য জোয়ার ও গৌন জোয়ার

ক. সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন কত তারিখ? ১
খ. মঙ্গল গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় কেন? ২
গ. ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে কোন ধরনের জোয়ার হয় বা হতে পারে? তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “‘ই’ চিহ্নিত স্থানে ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের মতো জোয়ার অসম্ভব” উক্তিটিতে তোমার মতামত দাও। ৪

ক ২১ শে জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন।
খ মঙ্গল গ্রহে জীবন ধারণ অসম্ভব। কেননা এখানে বায়ুমণ্ডলে শতকরা ৩ ভাগ নাইট্রোজেন ও শতকরা ২ ভাগ আরগন গ্যাস আছে। পানির পরিমাণ খুবই কম। পৃথিবীর তুলনায় অনেক ঠাণ্ডা, গড় উত্তাপ হিমাঙ্কের অনেক নিচে। মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এ গ্রহের পাথরগুলোতে মরচে পড়েছে, ফলে গ্রহটি লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, মঙ্গল গ্রহে প্রাণ ধারণের উপযোগী বৈশিষ্ট্য তথা ভূপ্রকৃতি ও বায়ুমণ্ডল তথা জলবায়ু অনুপস্থিত। স্বাভাবিকভাবে মঙ্গল গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়।
গ ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার হয় বা হতে পারে।জোয়ার-ভাটা কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার, ভরা কটাল, মরা কটাল। চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। চাঁদের এই আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের নিকটবর্তী হয় সেখানে চাঁদের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি। ফালে পার্শ্ববর্তী স্থান হতে পানি এসে ঠিক চন্দ্রের নিচে ফুলে উঠে এবং জোয়ার হয়। একে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলে। চিত্রে ‘অ” চিহ্নিত স্থান চাঁদের নিকটবর্তী স্থানকে নির্দেশ করে। সুতরাং ‘অ’ স্থানে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার হয় বা হবে।
ঘ “ই’ চিহ্নিত স্থানে ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের মতো জোয়ার অসম্ভব’ উক্তিটির সাথে আমি পুরোপুরি একমত। চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত অবস্থান চাঁদের নিকটবর্তী অবস্থান হওয়ার এখানে মুখ্য জোয়ার হয়। অন্যদিকে ‘ই’ অবস্থান হচ্ছে এর ঠিক বিপরীত অবস্থান। মুখ্য জোয়ারের বিপরীত দিকে পানির নিচের স্থলভাগ পৃথিবীর কেন্দ্রের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ। ফলে তার উপর চাঁদের আকর্ষণ পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের আকর্ষণের সমান থাকে। এতে বিপরীত দিকের পানিরাশি অপেক্ষা স্থলভাগ চাঁদের দিকে বেশি আকৃষ্ট হয়। এতে কেন্দ্রাতিগ শক্তির সৃষ্টি হয়। দুইদিকের পানি সে স্থনে প্রবাহিত হয়ে যে জোয়ারের সৃষ্টি করে, তাকে গৌণ জোয়ার বা পরোক্ষ জোয়ার বলে। এভাবে পৃথিবীর একপাশে মুখ্য জোয়ার ও অন্যপাশে গৌণ জোয়ার হয়। সুতরাং ‘অ’ ও ‘ই’ পরপর বিপরীত অবস্থানে হওয়ার ‘ই’ চিহ্নিত স্থানে কখনোই ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের মতো জোয়ার সম্ভব নয়।
প্রশ্ন- ৮  জোয়ার ভাটার কারণ

রুমি গ্রীষ্মের ছুটিতে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেড়াতে যায়। রুমি যে বাড়িতে ওঠে তার পাশ দিয়েই একটি নদী বয়ে গেছে। সে লক্ষ করে, একসময় নদীটি পানিতে কানায় কানায় ভরে যায় আবার নির্দিষ্ট সময় পরে পানি অনেক নিচে নেয়ে যায়।
ক. অক্ষাংশ কাকে বলে? ১
খ. প্রতিপাদ স্থান ধারণার ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. রুমির দেখা ঘটনাটির কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের ওপর উক্ত ঘটনার প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়।
খ ভূ-পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে। প্রতিপাদ স্থান সম্পূর্ণভাবে একে অন্যের বিপরীত দিকে থাকে। প্রতিপাদ স্থান নির্ণয় করার জন্য ভূপৃষ্ঠের কোনো বিন্দু থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে একটি কল্পিত রেখা পৃথিবীর ঠিক বিপরীত দিকে টানা হয়। ঐ কল্পিত রেখা যে বিন্দুতে ভূপৃষ্ঠের বিপরীতে পাশে এসে পৌঁছায় সেই বিন্দুই পূর্ব বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান।
গ রুমির দেখা ঘটনাটি জোয়ার-ভাটা। সে নদীতে নির্দিষ্ট সময় পরপর পানির ভরে যাওয়া ও নেমে যাওয়া দেখতে পায়। বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ মনে করেন যে, পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রতিগ শক্তি এবং পৃথিবীর উপর চন্দ্র সূর্যের আকর্ষণে জোয়ার-ভাটা হয়।
র. পৃথিবীর সকল পদার্থের আকর্ষণ আছে এবং একটি অপরটিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষণ শক্তি বলে। এই মহাকর্ষণের ফলে পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে এবং চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা ২.৬০ কোটি গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চন্দ্রের দূরত্ব থেকে অনেক বেশি বলে পৃথিবীর উপর চন্দ্রের আকর্ষণ শক্তি সূর্য অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ। তাই চন্দ্রের আকর্ষণেই জোয়ার-ভাটা হয়।
রর. পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভূ-পৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির উপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব আিধক হয়। এর ফলেই জলরাশি সর্বদা বাইরে নিক্ষিপ্ত হয় এবং তরল জলরাশির কঠিন ভূ-ভাগ হতে বিছিন্ন হতে চায়। এমনিভাবে কেন্দ্রাভিগ শক্তিও জোয়ার-ভাটা সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
ঘ বাংলাদেশে উক্ত ঘটনা তথা জোয়ার-ভাটার ব্যাপক এবং নানামুখী প্রভাব রয়েছে।নদীমাতৃক বাংলাদেশে দৈনিক দুইবার করে জোয়ার-ভাটা হওয়ার ফলে নদীর আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে পানি নির্মল হয় এবং নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়, ফলে নদীর মুখ বন্ধ হতে পারে না। জোয়ার-ভাটার স্রোতে নদীখাত গভীর হয়। জোয়ারের সময় নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রগামী বড় বড় জাহাজ অনায়াসেই নদীতে প্রবেশ করে, আবার ভাটার টানে সমুদ্রে চলে আসে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে জোয়ারের সময় নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পেলে বড় বড় জাহাজ প্রবেশ করে অথবা বন্দর ছেড়ে যায়। বন্দরে প্রবেশের পূর্বে জোয়ারের অপেক্ষায় জাহাজগুলো নদীর মোহনায় নোঙর করে থাকে। বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি পদ্মা নদীতে গোয়ালন্দের কাছে এবং মেঘনা নদীতে ভৈরব বাজারের কাছাকাছি পৌঁছায়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের পানিকে আবদ্ধ করে শুকিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। ভরাকটালের অনেক সময় সমুদ্রের পানি প্রবল তরঙ্গে নদীর মোহনা দিয়ে স্থলভাগের মধ্যে প্রবেশ করে বানের (ঞরফধষ নড়ৎব) সৃষ্টি করে। বানের পানির উচ্চতা ৩ – ৪ ফুট হতে প্রায় ৪০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। যে নদীর মোহনা সংকীর্ণ বা সম্মুখে বালির বাঁধ থাকে, সেসব নদীতে প্রবল বান হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও বর্ষাকালে অমাবস্যায় জোয়ারে প্রবল বান হতে দেখা যায়। তবে স্থলভাগে প্রবেশের পর এর বেগ কমে যায়। মেঘনা নদীতে প্রবল বান দেয়া যায়। অসাবধানতাবশত কখনো কখনো এই বানে নৌকা, স্টিমার জাহাজসহ জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

প্রশ্ন- ৯  ঋতু পরিবর্তন

ক. পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ কত? ১
খ. জোয়ার-ভাটা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. পৃথিবীর ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের অবস্থানের ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পৃথিবীর ‘ই’ চিহ্নিত অবস্থানের বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনে কী প্রভাব পড়বে? তোমার মতামত দাও। ৪

ক পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ ৩৬০ক্ক।
খ পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর মহাসাগরে সমুদ্রস্রোত ছাড়াও পানিরাশির নিজস্ব গতি আছে। এর ফলে প্রতিদিনই কিছু সময় সমুদ্রের পানি ফুলে উঠে, (উচ্চতা বৃদ্ধি পায়) আবার কিছু সময়ের জন্য তা নেমে যায়। সমুদ্রের পানি এভাবে নিয়মিতভাবে ফুলে উঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। পৃথিবীর নিজের গতি এবং তার উপর চন্দ্র ও সূর্যের প্রভাবেই মূলত জোয়ার ভাটা সংগঠিত হয়।
গ চিত্রের ‘অ’ চিহ্নিত স্থানের অবস্থান হচ্ছে ২২ ডিসেম্বর পৃথিবীর উত্তর অয়নান্ত অবস্থান। ২৩ সেপ্টেম্বরের পর উত্তর মেরু সূর্য থেকে আরও দূরে সরতে থাকে এবং দক্ষিণ মেরু অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী হয়। ফলে উত্তর গোলার্ধে দিনের পরিমাণ কমতে থাকে এবং রাতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এভাবে ২২ ডিসেম্বর পৃথিবী এমন এক অবস্থানে পৌঁছে যখন দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি (২৩.৫ক্ক) হেলে থাকে। এই দিন সূর্যকিরণ মকরক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে (৯০ক্ক কোণে) পতিত হয়। এই তারিখে দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত সবচেয়ে ছোট হয়।
ঘ পৃথিবীর ‘ই’ চিহ্নিত অবস্থানে বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে বসন্তকাল বিরাজ করে। চিত্রে ‘ই’ অবস্থানটি মূলত ২১শে মার্চের অবস্থান। অর্থাৎ বাসন্ত বিষুব। উত্তর গোলার্ধে পৃথিবীর এ অবস্থানে বসন্তকাল বিরাজ করে। ২১ মার্চ তারিখে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। এই দিন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়। ২১ মার্চের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল। বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধের একটি দেশ হওয়ার চিত্রের ‘অ’ অবস্থানে বাংলাদেশেও ঋতু পরিবর্তনের পালায় বসন্তকাল বিরাজ করে।

প্রশ্ন- ১০  বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের ভ‚মিকা

ক. মেরুরেখা কাকে বলে? ১
খ. ভূত্বক বলতে কী বোঝায়? ২
গ. বায়ুমণ্ডলের ‘অ’ স্তরটির ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে বায়ুমণ্ডলের ‘ঈ’ স্তরের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ (অীরং) বা মেরু রেখা বলে।
খ ভূত্বক হচ্ছে পৃথিবীর কঠিন বহিরাবরণ। অশ্মমণ্ডল বা শিলামন্ডলের উপরিভাগকে ভ‚ত্বক বলে। অর্থাৎ ভ‚অভ্যন্তরের গঠন বিন্যাসে ভ‚ত্বক হচ্ছে সর্ব উপরের আবরণ। এর গভীরতা ৩ কি. মি. (সমুদ্রের তলদেশ) হতে ৪০ কি. মি. (পর্বতের তলদেশ)। তবে গড় গভীরতা ১৭ কি. মি.। উল্লেখ্য অশ্মমণ্ডলের নিম্নভাগকে ভ‚ত্বকের নিম্নাংশ বলে।
গ ‘অ’ স্তরটি হচ্ছে বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর ট্রপোমণ্ডল যা ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন অবস্থায় চিত্রে দেখা যাচ্ছে। ট্রপোমণ্ডল ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর বা বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। এ স্তরটির গড় গভীরতা প্রায় ১৩ কি. মি.। এটি মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্তর। কেননা, আর্দ্রতা, কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি এই স্তরে লক্ষ করা যায়। উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে এ স্তরে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়, বায়ু উপরে নিচে উঠা-নামা করে। আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার বেশির ভাগ বায়ুমণ্ডলের এ স্তরে ঘটে থাকে। ট্রপোমণ্ডলের ঊর্ধ্বসীমাকে ট্রপোপস বলে। ট্রপোপাসের গভীরতা সরু, এখানে বায়ু স্থির এবং ঝড় বৃষ্টির প্রাদুর্ভাব না থাকায় বিমান এ স্তর দিয়ে নির্বিঘেœ চলাচল করে।
ঘ চিত্রের বিন্যাস অনুযায়ী ‘ঈ’ স্তরকে ওজোন স্তর হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পাঠ্যপুস্তকে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন ট্রপোমণ্ডল, তার উপর ট্রপোমণ্ডলের সরু গভীরতার শেষ সীমা ট্রপোপসের উল্লেখ রয়েছে। চিত্রে এ দুইটি স্তর ‘অ’ ও ‘ই” দ্বারা চিহ্নিত ধরে নিলে ‘ঈ’ স্তরটি ওজোন স্তরকেই নির্দেশ করে। পাঠ্যপুস্তকের বর্ণনা এরূপই। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে বায়ুমণ্ডলের ‘ওজোন স্তর’ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের স্তরটি ওজোন স্তর নামে পরিচিত। এর গভীরতা প্রায় ১২-১৬ কি.মি.। সূর্যরশ্মির অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করায় এর তাপমাত্রা প্রায় ৭৬ক্ক সেলসিয়াস। অতিবেগুনি রশ্মি প্রাণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টি, নিম্ন বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা বাড়িয়ে অতিবেগুনি রশ্মি সমগ্র প্রাণিজগতকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সুতরাং অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নিয়ে ওজোন স্তরটি পৃথিবীকে প্রাণীজগতের বাস উপযোগী করেছে।

প্রশ্ন- ১১  বিষুবরেখা ও মূল মধ্যরেখা

ক. আহ্নিক গতি কাকে বলে? ১
খ. আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘গ’ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় মধ্যাহ্ন এবং চ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা। চ স্থানের দ্রাঘ্রিমা ৮০ পূর্ব হলে, গ স্থানের দ্রাঘিমা কত? ৩
ঘ. “কোনো স্থানের অবস্থান এবং সময় নির্ণয় করতে চিত্রে অঙ্কিত রেখাগুলোর জ্ঞান প্রয়োজনীয়”Ñ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক নিজ মেরুরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তনকে আহ্নিক গতি বলে।
খ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হলো ১৮০ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা। কিন্তু এ দুইটি দ্রাঘিমা রেখা মূলত একই। ফলে মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও পশ্চিমে সময় বিবেচনা করলে এ দ্রঘিমারেখার একই স্থানে কোথাও রোববার কোথাও সোমবার। কিন্তু একই দ্রাঘিমারেখায় একই সঙ্গে রবিবার রাত ১০টা ও সোমবার রাত ১০টা হতে পারে না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরের জলভাগের উপর মানচিত্রে ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। আর এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
গ চিত্রে ‘গ’ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় মধ্যাহ্ন অর্থাৎ দুপুর ১২টা। ‘চ’ চিহ্নিত স্থানের স্থানীয় সময় সকাল ১১টা।
অতএব, ‘গ’ ও ‘চ’ স্থানের স্থানীয় সময়ের পার্থক্য (১২-১১) বা ১ ঘণ্টা।
আমরা জানি ১ ঘণ্টা সময়ের পার্থক্য হয় ১৫ক্ক দ্রাঘিমান্তরে।
[১ক্ক তে ৪ মিনিট সময়ের ব্যবধান হয়]
সুতরাং ‘চ’ ও ‘গ’ চিহ্নিত স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য ১৫ক্ক এবং চিত্রে ‘গ’ স্থানটি ‘চ’ স্থানের পূর্বে বলে তার দ্রাঘিমার মান বেশি হবে।
সুতরাং ‘চ’ স্থানের দ্রাঘিমা ৮০ক্ক পূর্ব হলে ‘গ’ স্থানের দ্রার্ঘিমা হবে (৮০ + ১৫)ক্ক পূর্ব বা ৯৫ক্ক পূর্ব।
অর্থাৎ ‘গ’ স্থানের দ্রাঘিমা ৯৫ক্ক পূর্ব।
ঘ চিত্রে বিষুবরেখা ও মূল মধ্যরেখা অঙ্কিত হয়েছে। কোনো স্থানের অবস্থান ও সময় নির্ণয় করতে রেখাগুলোর জ্ঞান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণে সমান দুই ভাগে ভাগ করেছে। নিরক্ষরেখার সাহায্যে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্ব স্থির করা হয়। নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়। কোনো স্থানের অবস্থান জানার জন্য স্থানটি নিরক্ষরেখার কত উত্তরে বা দক্ষিণে এবং মূল মধ্যরেখার কত পূর্বে বা পশ্চিমে তা জানা থাকা প্রয়োজন। একই অক্ষরেখায় অবস্থিত সকল স্থানের অক্ষাংশ এক। যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ (এৎববহরিপয) মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্য রেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে। এই রেখার মান ০ ডিগ্রি ধরা হয়েছে। মূল মধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণের সাহায্যে অপরাপর দ্রাঘিমারেখাগুলো অঙ্কন করা যায়। গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে ৪৫ ডিগ্রি পূর্বে যে মধ্যরেখা বা দ্রাঘিমারেখা তার উপর সকল স্থানের দ্রাঘিমা ৪৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্ব বা পশ্চিমে যে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলা হয়। এভাবে বিষুব রেখা ও মূল মধ্যরেখা কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয়ে ভূমিকা রাখে। আবার মূল মধ্যরেখা তথা গ্রিনিচের দ্রাঘিমা শূন্য (০) ডিগ্রি। গ্রিনিচের সঠিক সময় ক্রনোমিটার ঘড়ি থেকে জানা যায়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে যে স্থানের দ্রাঘিমা বের করতে হবে ঐ স্থানের আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান দেখে এ সময় এ স্থানের দুপুর ১২টা ধরা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে গ্রিনিচের সময়ও ঐ স্থানের সময় পার্থক্য থেকে ঐস্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়। কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বে হলে তার স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে বেশি হবে এবং পশ্চিমে হলে স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে কম হবে। আর এর নিরিখে প্রতি ডিগ্রি দ্রাঘিমান্তরে ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য হিসেবে মূল মধ্যরেখা থেকে যেকোনো স্থানের সময় নির্ণয় করা হয়। পরিশেষে বলা যায় কোনো স্থানের অবস্থান ও সময় নির্ণয়ে বিষুবরেখা ও মূল মধ্যরেখার জ্ঞান অপরিহার্য।

 

Leave a Reply