নবম দশম রসায়ন পঞ্চম অধ্যায় রাসায়নিক বন্ধন জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক, সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন পঞ্চম অধ্যায় রাসায়নিক বন্ধন এর জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর, অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

এসএসসি রসায়ন পঞ্চম অধ্যায় রাসায়নিক বন্ধন

পঞ্চম অধ্যায় রাসায়নিক বন্ধন জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন \ ১ \ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি পদার্থের নাম বল যার একটি সমযোজী এবং অপরটি তড়িৎযোজী যৌগ।
উত্তর : দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় এমন একটি সমযোজী যৌগ পানি (H2O) এবং তড়িৎযোজী যৌগ খাবার লবণ (NaCl)।
প্রশ্ন \ ২ \ P পরমাণুর যোজনী ইলেকট্রন কত?
উত্তর : P পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস হলো ২, ৮, ৫ অর্থাৎ এর সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথে ৫টি ইলেকট্রন আছে। P মৌলের যোজনী ইলেকট্রন ৫।
প্রশ্ন \ ৩ \ অ্যামোনিয়া অণুর গঠনে কী জাতীয় বন্ধন দেখা যায়?
উত্তর : অ্যামোনিয়া অণুর গঠনে সমযোজী বন্ধন দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ Na এবং F পরস্পর যুক্ত হয়ে কী জাতীয় যৌগ উৎপন্ন করে?
উত্তর : Na+ এবং F- আয়ন তড়িৎ আকর্ষণ দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তড়িৎযোজী NaF অণু গঠন করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ আয়ন না পরমাণু?
উত্তর : নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পরমাণু, আয়ন নয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ নিষ্ক্রিয় শ্রেণির মৌলসমূহের যোজনী কত?
উত্তর : নিষ্ক্রিয় শ্রেণির মৌলসমূহের যোজনী শূন্য।
প্রশ্ন \ ৭ \ কোনো মৌলের উপরে ডানদিকে * চি‎হ্ন দ্বারা কী প্রকাশ করা হয়?
উত্তর : কোনো মৌলের উপরে ডানদিকে * চি‎হ্ন দ্বারা ঐ মৌলের উত্তেজিত অবস্থা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ যৌCaূলকের যোজ্যতা আসলে কী?
উত্তর : যৌCaূলকের আধানই তাদের যোজ্যতা।
প্রশ্ন \ ৯ \ যৌগের মোট আধান কত?
উত্তর : যৌগের মোট আধান শূন্য।
প্রশ্ন \ ১০ \ নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পর্যায় সারণির কোন গ্রæপে অবস্থান করে?
উত্তর : নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ পর্যায় সারণির ১৮ গ্রæপে অবস্থান করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ কোনো মৌলের কোন ইলেকট্রন বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে?
উত্তর : কোনো মৌলের শেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে।
প্রশ্ন \ ১২ \ ক্যাটায়ন কাকে বলে?
উত্তর : ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণুকে ক্যাটায়ন বলে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ দুটি ভিন্নধর্মী পরমাণুর মাধ্যমে কী গঠিত হয়?
উত্তর : দুটি ভিন্নধর্মী পরমাণুর মাধ্যমে আয়নিক বন্ধন গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ পর্যায় সারণির কোন মৌলসমূহ duplet , Octet অনুসরণ করে?
উত্তর : পর্যায় সারণির ১ থেকে ২০ পর্যন্ত পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌলসমূহ duplet , Octet অনুসরণ করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ যৌCaূলকের যোজ্যতা কী?
উত্তর : যৌCaূলকসমূহের আধান সংখ্যাই তাদের যোজ্যতা।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কোন মৌল পরিবর্তনশীল যোজ্যতা প্রদর্শন করে?
উত্তর : উচ্চ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট ধাতব মৌল পরিবর্তনশীল যোজ্যতা প্রদর্শন করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ যোজ্যতা থেকে কীভাবে সংকেত লেখা হয়?
উত্তর : একটি মৌলের যোজ্যতাকে অপর মৌলের সংখ্যা হিসেবে ধরে পরমাণু সংখ্যার অনুপাত থেকে সংকেত লেখা হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ প্রতিটি পরমাণুর লক্ষ্য কোনটি?
উত্তর : প্রতিটি পরমাণুরই লক্ষ্য থাকে ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জনের মাধ্যমে নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করা।
প্রশ্ন \ ১৯ \ মুক্ত জোড় ইলেকট্রন কী?
উত্তর : কোনো পরমাণুর যোজ্যতাস্তরের ইলেকট্রন জোড় যাহা বন্ধন গঠনে অংশগ্রহণ করে না, তাদের মুক্ত জোড় ইলেকট্রন বলে।
প্রশ্ন \ ২০ \ আয়নিক যৌগের আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি কেন?
উত্তর : আয়নিক যৌগের অণুতে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক প্রান্ত থাকায় এদের আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি হয়।
প্রশ্ন \ ২১ \ তড়িৎ ঋণাত্মকতা কী?
উত্তর : সমযোজী বন্ধনে শেয়ারকৃত ইলেকট্রনকে আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
প্রশ্ন \ ২২ \ পোলারিটি কী?
উত্তর : সমযোজী যৌগের অনুতে আংশিক ঋণাত্মক প্রান্তের এবং আংশিক ধনাত্মক প্রান্তের সৃষ্টি হওয়াকে পোলারিটি বলে।

পঞ্চম অধ্যায় রাসায়নিক বন্ধন অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন \ ১ \ নিম্নলিখিত যৌগগুলোর মধ্যে কোনটি তড়িৎযোজী যৌগ, ব্যাখ্যা কর।
CaCl2, NH3, MgO, CO2
উত্তর : যৌগগুলোর মধ্যে CaCl2 ও MgO তড়িৎযোজী এবং NH3 ও CO2 সমযোজী যৌগ। CaCl2 যৌগে Ca++ এবং Cl- আয়ন এবং MgO যৌগে Mg++ এবং O– – আয়ন তড়িৎ আকর্ষণের সাহায্যে পরস্পর যুক্ত হয়ে CaCl2 ও MgO অণু গঠন করে। তাই এগুলো তড়িৎযোজী যৌগ।
প্রশ্ন \ ২ \ কী কী উপায়ে একটি পরমাণু সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করতে পারে?
উত্তর : একটি পরমাণু সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস দুটি উপায়ে অর্জন করতে পারে-
১. একটি পরমাণু এর সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন বা ইলেকট্রন গ্রহণ করে এর সর্বশেষ কক্ষপথে ইলেকট্রন সংখ্যা ২ বা ৮ বিন্যাস লাভ করতে পারে।
২. দুটি একই বা ভিন্ন মৌলের পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষপথ থেকে সমসংখ্যক ইলেকট্রন এসে এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় সৃষ্টি করে উভয় পরমাণু সমভাবে এ ইলেকট্রন জোড়কে ব্যবহার করে সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে পারে।
প্রশ্ন \ ৩ \ CH4 যৌগে কার্বনের যোজনী কত হবে?
উত্তর : CH4 যৌগে কার্বনের যোজনী ৪। কার্বন পরমাণুর (২, ৪) বাইরের স্তরে ৪টি ইলেকট্রন আছে। C এর এ ৪টি ইলেকট্রন ৪টি H পরমাণুর সঙ্গে ৪টি ইলেকট্রন জোড় সৃষ্টি করে। একটি C পরমাণু ৪টি ইলেকট্রন জোড় গঠন করার জন্য C এর যোজনী ৪ হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ নিষ্ক্রিয় মৌলগুলো যৌগ গঠন করে না কেন?
উত্তর : হিলিয়াম ছাড়া অন্যান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাসের পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষে ৮টি ইলেকট্রন আছে। কোনো মৌলের পরমাণুর সবচেয়ে বাইরের কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা যখন ৮ হয় তখনই পরমাণুটি সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে। সুস্থিত ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে বলে নিষ্ক্রিয় মৌলগুলো যৌগ গঠন করে না।
প্রশ্ন \ ৫ \ তড়িৎযোজী যৌগের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর : তড়িৎযোজী যৌগের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
১. তড়িৎযোজী যৌগের অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ তীব্র হওয়ায় এদের গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক বেশি হয় এবং যৌগগুলো অনুদ্বায়ী হয়।
২. তড়িৎযোজী যৌগের অণুগুলো পোলার অর্থাৎ এ জাতীয় যৌগের অণুগুলোর প্রত্যেকটি ছোট ছোট চুম্বকের মতো আচরণ করে, ফলে অণু-অণুর মধ্যে আকর্ষণ খুব বেশি হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ সমযোজী যৌগের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : সমযোজী যৌগের দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
১. সমযোজী যৌগের অণুগুলোর মধ্যে আকর্ষণ কম হওয়ায় এদের গলনাঙ্ক এবং স্ফুটনাঙ্ক অনেক কম হয়।
২. সমযোজী যৌগ তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ। এরা গলিত বা দ্রবীভ‚ত অবস্থায় বিয়োজিত হয়ে আয়নে পরিণত হয় না, ফলে তড়িৎ পরিবহন করে না।
প্রশ্ন \ ৭ \ কার্বন আয়নিক যৌগ গঠন করে না-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কার্বন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৬ হওয়ায় এর ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৪। অর্থাৎ, কার্বনের সবচেয়ে বাইরের স্তরে ৪টি ইলেকট্রন আছে। আয়নিক বন্ধন গঠনের জন্য এর ৪টি করে ইলেকট্রন বর্জন ও গ্রহণ করতে হয়। এর জন্য এর অধিক মাত্রায় শক্তি অর্জনের দরকার হয়। এ কারণে কার্বন আয়নিক যৌগ গঠন করে না।
প্রশ্ন \ ৮ \ দুটি মৌল A এবং B পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ২০ এবং ১৭। এ মৌল দুটি রাসায়নিকভাবে যুক্ত হলে তাদের মধ্যে সমযোজী না তড়িৎযোজী বন্ধনী রচিত হবে?
উত্তর : A মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ২০। সুতরাং A মৌলটি Ca। ই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ১৭। সুতরাং ই মৌলটি Cl। Ca++ এবং Cl- আয়ন তড়িৎ আকর্ষণের সাহায্যে পরস্পর যুক্ত হয়ে CaCl2 অণু গঠন করে। তাই CaCl2 একটি তড়িৎযোজী যৌগ।
ক্যালসিয়াম পরমাণু এর শেষ কক্ষপথের ২টি ইলেকট্রন বর্জন করে আর্গনের কাঠামো লাভ করে Ca++ আয়নে পরিণত হয়। অন্যদিকে, ২টি ক্লোরিন পরমাণুর প্রত্যেকে ১টি করে ঐ বর্জিত ইলেকট্রন গ্রহণ করে Cl- আয়নে পরিণত হয় এবং প্রতিটি Cl পরমাণু আর্গনের কাঠামো লাভ করে। এভাবে উৎপন্ন একটি Ca++ আয়ন এবং দুটি Cl- আয়ন তড়িৎ আকর্ষণে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে CaCl2 অণু গঠন করে।

প্রশ্ন \ ৯ \ X এবং Y মৌল দুটির পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ৯ এবং ২০। মৌল দুটি দ্বারা গঠিত যৌগের সংকেত কী?
উত্তর : ঢ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ৯। সুতরাং X মৌলটির নাম F। Y মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ২০। সুতরাং Y মৌলটির নাম Ca। ক্যালসিয়াম পরমাণু এর বাইরের শক্তিস্তরের ২টি ইলেকট্রন বর্জন করে আর্গনের কাঠামো লাভ করে Ca++ আয়নে পরিণত হয়। অন্যদিকে ২টি ফ্লোরিন পরমাণুর প্রত্যেকে ১টি করে ঐ বর্জিত ইলেকট্রন গ্রহণ করে F- আয়নে পরিণত হয় এবং প্রতিটি F পরমাণু নিয়নের কাঠামো লাভ করে। এভাবে উৎপন্ন একটি Ca++ আয়ন এবং দুটি F- আয়ন তড়িৎ আকর্ষণে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে CaF২ অণু গঠন করে।

প্রশ্ন \ ১০ \ একটি পরমাণুর L কক্ষে ৮টি এবং M কক্ষে ৩টি ইলেকট্রন আছে। অন্য একটি পরমাণুর শেষ কক্ষে ৬টি ইলেকট্রন আছে। পরমাণু দুটি যুক্ত হলে কী জাতীয় যৌগ উৎপন্ন হবে?
উত্তর : একটি পরমাণুর খ কক্ষে ৮টি এবং M কক্ষে ৩টি ইলেকট্রন আছে। সুতরাং মৌলটির (২, ৮, ৩) নাম অ্যালুমিনিয়াম। অন্য একটি পরমাণুর শেষ কক্ষে ৬টি ইলেকট্রন আছে। সুতরাং মৌলটির (২, ৬) নাম অক্সিজেন। দুটি Al পরমাণুর প্রত্যেকে নিজের বাইরের কক্ষের ৩টি ইলেকট্রন বর্জন করে নিয়নের কাঠামো লাভ করে Al+++ আয়নে পরিণত হয়। ঙ পরমাণু ওই ৩টি বর্জিত ইলেকট্রন সর্বশেষ কক্ষে গ্রহণ করে Cl- আয়নে পরিণত হয় এবং নিয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করে। Al+++ এবং Cl- আয়ন পরস্পর যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ Al2O3 গঠন করে।

প্রশ্ন \ ১১ \ NaCl এবং CCl4 যৌগের প্রধান পার্থক্য ছক আকারে সাজিয়ে বর্ণনা কর।
উত্তর : NaCl একটি তড়িৎযোজী যৌগ। CCl4 একটি সমযোজী যৌগ। এ যৌগদ্বয়ের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ :

NaCl CCl4
NaCl তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। পানিতে দ্রবীভ‚ত বা গলিত অবস্থায় বিয়োজিত হয়ে আয়ন উৎপন্ন করে এবং তড়িৎ পরিবহন করে।
NaCl = Na+ + Cl-
CCl4 তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ। কোনো অবস্থায় আয়ন উৎপন্ন করে না। ফলে তড়িৎ পরিবহন করে না।
গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক বেশি। গলনাঙ্ক ৮০১ 0C ও স্ফুটনাঙ্ক ১৪৬৫ 0C। গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অনেক কম। গলনাঙ্ক -২৮ 0C ও স্ফুটনাঙ্ক ৭৭ 0C।
NaCl পানিতে দ্রাব্য কিন্তু বেনজিন, পেট্রোল, হেক্সেন ইত্যাদি জৈব দ্রাবকে অদ্রাব্য। CCl4 পানিতে অদ্রাব্য CCl4 পানিতে অদ্রাব্য কিন্তু বেনজিন, হেক্সেন ইত্যাদি জৈব দ্রাবকে দ্রাব্য।

প্রশ্ন \ ১২ \ আয়নিক যৌগের কেলাস আকৃতির কারণ কী?
উত্তর : আয়নিক যৌগে এককভাবে কোনো অণুর অস্তিত্ব নেই। সকল আয়নিক যৌগ কঠিন অবস্থায় অসংখ্য আয়ন একত্রিত হয়ে বিশেষ ধরনের জালিকা তৈরি করে। এক্ষেত্রে আয়নিক যৌগসমূহে বিপরীতধর্মী আয়ন যথাসম্ভব পরস্পরের নিকটে এবং সমধর্মী আয়ন যথাসম্ভব পরস্পর হতে দূরে অবস্থান করে। এসব যৌগ একটি নিয়মিত জ্যামিতিক আকৃতির কাঠামো গঠন করে। তাই আয়নিক যৌগ দানাদার বা কেলাসাকার হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের যোজ্যতা শূন্য ধরা হয় কেন?
উত্তর : নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহ সাধারণত অন্য কোনো মৌলের সাথে যুক্ত হয় না বলে এদের যোজ্যতা শূন্য ধরা হয়।
সাধারণত যেসব মৌলের পরমাণুর সর্ববহিস্থ শক্তিস্তরে দ্বৈত বা অষ্টকপূর্ণ থাকে না, তারাই স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য অন্য মৌলের সাথে যুক্ত হয়ে নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রনবিন্যাস লাভ করতে চায়। অর্থাৎ যোজ্যতা প্রদর্শন করে। কিন্তু নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহের সর্ববহিস্থ কক্ষপথে অষ্টকপূর্ণ থাকে বলে তারা স্থিতিশীল। কাজেই তাদের অন্য কোনো মৌলের সাথে যুক্ত হতে হয় না। এ কারণেই নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহ যোজ্যতা প্রদর্শন করে না। তাই তাদের যোজ্যতা শূন্য ধরা হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ অধাতুসমূহ নিজেদের মধ্যে ইলেকট্রন শেয়ার করে কেন?
উত্তর : বন্ধন গঠনের জন্য ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি নেই বলেই অধাতুসমূহ ইলেকট্রন শেয়ার করে।
সমযোজী অণু গঠনকারী প্রতিটি পরমাণুই অধাতু। হাইড্রোজেন ছাড়া সব অধাতু মৌলেরই শেষ শক্তিস্তরে তিনের অধিক ইলেকট্রন রয়েছে। দুই-এর ও অষ্টক নিয়ম অনুসারে যৌগ গঠন করার জন্য ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণের জন্য যতটা প্রয়োজন তা তাদের নেই। ফলে নিজেদের মধ্যে তারা ইলেকট্রন শেয়ার করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কিছু কিছু সমযোজী যৌগ গ্যাসীয় অবস্থায় একক অণু হিসেবে ঘুরে বেড়ায় কেন?
উত্তর : কিছু কিছু সমযোজী যৌগের অণুসমূহের মধ্যে ভ্যানডার ওয়ালস শক্তি প্রায় নেই বলে তারা একক অণু হিসেবে গ্যাসীয় অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়।
সমযোজী যৌগ গঠনকারী মৌলসমূহ প্রতিটিই অধাতু। বন্ধন গঠনের সময় ইলেকট্রন আদান-প্রদান হয় না বলে এদের মধ্যে শক্তিশালী তড়িৎযোজী বন্ধন থাকে না। বরং নিরপেক্ষ অবস্থায় ইলেকট্রন শেয়ার করে বলে এদের অণুসমূহের মধ্যে দুর্বল ভ্যানডার ওয়ালস্ আকর্ষণশক্তি বিদ্যমান থাকে। এ শক্তি কম তাপমাত্রাতেই ভেঙে যায়। যেমন : তরল H2O, C2H5OH, , কঠিন S8, I2 ইত্যাদি। উপরন্তু CO2, NH3, CH4 ইত্যাদি যৌগের অণুসমূহের মধ্যে ভ্যানডার ওয়ালস্ শক্তি নেই বললেই চলে। যার ফলে তারা গ্যাসীয় অবস্থায় একক অণু হিসেবে ঘুরে বেড়ায়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ নিষ্ক্রিয় গ্যাসকে অভিজাত গ্যাস বলা হয় কেন?
উত্তর : নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহ অন্য কোনো মৌলের সাথে এমনকি নিজেদের মধ্যেও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না বিধায় এদেরকে অভিজাত গ্যাস বলে।
পর্যায় সারণির ১৮নং গ্রæপের ছয়টি মৌল অন্য কোনো মৌল বা মূলকের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না, কক্ষ তাপমাত্রা ও চাপে এরা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে এবং রাসায়নিক ধর্ম অন্যান্য মৌল থেকে পৃথক হওয়ায় এদেরকে অভিজাত গ্যাস বলে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ সমযোজী যৌগ পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় না কেন?
উত্তর : সমযোজী যৌগসমূহ অপোলার হওয়ায় এরা পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় না।
সমযোজী যৌগসমূহ পানিতে সাধারণত দ্রবীভ‚ত হয় না। কেননা, পানির পোলার প্রান্তসমূহকে যথেষ্ট শক্তভাবে আকর্ষণ করার মতো আয়ন সমযোজী যৌগে থাকে না। তবে, সমযোজী যৌগ যদি পোলার হয় তখন তা পানির অণুকে আকর্ষণ করে এবং পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ রাসায়নিক বন্ধন কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : রাসায়নিক বন্ধন মূলত দুটি পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রনের আদান-প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে গঠিত হয়।
বন্ধনে অংশগ্রহণকারী পরমাণুদ্বয়ের তড়িৎ ঋণাত্মকতার ব্যাপক পার্থক্য থাকলে আয়নিক বন্ধন এবং তুলনামূলক কম পার্থক্য থাকলে সমযোজী বন্ধন গঠিত হয়।

নবম দশম রসায়ন ৫ম অধ্যায় রাসায়নিক বন্ধন সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রশ্ন -১ : নিচের ছকটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

মৌল পর্যায় শ্রেণি
A 2 15
B 3 15

[এখানে A , B প্রতীকী অর্থে; প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়]
ক. যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে?
খ. CaCl2 বিদ্যুৎ পরিবহন করে কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. অ এর ক্লোরাইড-এ কতটি বন্ধন-জোড় ইলেকট্রন বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. BCl5 যৌগের স্থিতিশীলতা ব্যাখ্যায় অষ্টক নিয়ম প্রযোজ্য নয়- যুক্তি দাও।

প্রশ্ন -২ : নিচের চিত্র দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

[এখানে X এবং Y প্রতীকী অর্থে; প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়]
ক. সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
খ. Na এবং Na+ আয়নের আকারের ভিন্নতা দেখা যায় কেন?
গ. উদ্দীপকের XY যৌগে কোন ধরনের বন্ধন বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. X আয়নিক ও সমযোজী উভয় ধরনের যৌগ গঠন করলেও Y কখনও সমযোজী বন্ধন গঠন করে না-যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।

প্রশ্ন-৩ :

মৌল A D E R
পারমাণবিক সংখ্যা 1 6 19 17

A, D , R প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়।
ক. ব্যাপন কী? ১
খ. R মৌলের যোজনী ও যোজ্যতা ইলেকট্রন ভিন্ন- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. A ও R মৌল দুটির মধ্যে বন্ধন গঠন প্রক্রিয়া চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. DR এবং ER যৌগ দুটির মধ্যে কোনটির তড়িৎ বিশ্লেষণ সম্ভব? বিশ্লেষণ কর। ৪

প্রশ্ন-৪ : নিম্নের ডায়াগ্রামগুলো লক্ষ কর :

ক. উভমুখী বিক্রিয়া কাকে বলে? ১
খ. কার্বনিক এসিডকে দুর্বল এসিড বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘Y’ মৌলটির দ্বিপরমাণুক অণু গঠনে রাসায়নিক বন্ধন প্রক্রিয়া বর্ণনা কর। ৩
ঘ. Yও Z মৌল দ্বারা গঠিত যৌগ অষ্টক নিয়ম মেনে চলে কিন্তু X ও Y দ্বারা গঠিত যৌগ অষ্টক নিয়ম মেনে চলে না- বিশ্লেষণ কর। ৪

প্রশ্ন -৫ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

মৌল  পারমাণবিক সংখ্যা
X 8
Y 15
Z 17

 

ক. ভরসংখ্যা কাকে বলে? ১
খ. ব্যাপন বলতে কী বুঝায়? ২
গ. X2 অণুর গঠন প্রক্রিয়া চিত্রসহ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের একটি মৌলের একাধিক যোজনী বিদ্যমান-বিশ্লেষণ কর। ৪

প্রশ্ন -৬ : নিচে দুটি পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস দেখানো হলো :

ক. ক্যাটায়ন কী? ১
খ. আয়নিক যৌগের গলনাংক ও স্ফুটনাংক বেশি কেন? ২
গ. ইলেকট্রন বিন্যাসের মাধ্যমে X ও Y পরমাণুদ্বয়ের যৌগ গঠন প্রক্রিয়া দেখাও। ৩
ঘ. Y পরমাণুর সর্বশেষ কক্ষপথে একটি ইলেকট্রন বেশি থাকলে তা X পরমাণুর সাথে কোন বন্ধনে আবদ্ধ হতো? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪

প্রশ্ন -৭ : নিচের যৌগগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
H2O, NH3, CO2
ক. যৌগমূলক কী? ১
খ. সমযোজী যৌগের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? ২
গ. চিত্রের যৌগগুলোর বন্ধন জোড় ইলেকট্রন গঠন করে দেখাও। ৩
ঘ. প্রদত্ত যৌগগুলোতে মৌলগুলোর যোজনী কীভাবে নির্ধারণ করবে? ৪

প্রশ্ন -৮ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কপার, অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার, ক্লোরিন, অ্যামোনিয়াম, ফসফেট, হাইড্রোক্সাইড ইত্যাদি মৌল এবং যৌCaূলকের নাম।
ক. ক্যারামেল কাকে বলে? ১
খ. পানি একটি সমযোজী যৌগ হলেও আয়নিক যৌগসমূহ এতে দ্রবীভ‚ত হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মৌলগুলোর মধ্যে কোনটি ধনাত্মক যৌCaূলকের সাথে যৌগ গঠন করবে তার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ১ম, ২য়, ৪র্থ ও ৫ম মৌল বা যৌCaূলকের সমন্বয়ে গঠিত যৌগসমূহের সংকেত থেকে ঋণাত্মক বা ধনাত্মক মৌল বা মূলকের অবস্থান যৌগের কোন পাশে হবে তা পর্যালোচনা কর। ৪

প্রশ্ন -৯ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিফাত রসায়ন পড়ার সময় H2O ও H2O২ সংকেত দেখে চিন্তা করল, একই পরমাণু দিয়ে গঠিত যৌগে কীভাবে দু’রকমের সংযুক্তি হতে পারে? H2O২ এর ক্ষেত্রে রিফাতের যোজনী বুঝতে বেশ অসুবিধা হলো।
ক. যোজ্যতা ইলেকট্রন কী? ১
খ. নিষ্ক্রিয় গ্যাসের যোজনী শূন্য কেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম যৌগটি কীভাবে গঠিত হয়? ইলেকট্রন বিন্যাসের সাহায্যে দেখাও। ৩
ঘ. রিফাত শেষ পর্যন্ত H2O২ এর বন্ধন ও যোজনী কীভাবে সমাধান করে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

প্রশ্ন -১০ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
A, B এবং C তিনটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে Z – ২, Z ও Z + ১। ই একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস। এটি পর্যায় সারণির দ্বিতীয় পর্যায়ের মৌল।
ক. বন্ধন কাকে বলে? ১
খ. অষ্টক নিয়ম কী? ২
গ. A এবং Cএর মধ্যে কী ধরনের বন্ধন হবে এবং গঠিত যৌগের সংকেত কী? ৩
ঘ. রাসায়নিক বন্ধন ব্যাখ্যায় ই এর ভ‚মিকা আলোচনা কর। ৪

প্রশ্ন -১১ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
চিত্রে একটি যৌগের বন্ধন গঠন প্রক্রিয়া দেখানো হলো :

ক. যোজ্যতা কী? ১
খ. আয়নিক যৌগ গঠনের শর্ত কী? ২
গ. চিত্রের যৌগে যে বন্ধন গঠিত হয়েছে তা কী প্রকারে গঠিত হয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্রের যৌগের অনুরূপ একটি যৌগের বন্ধন গঠন প্রক্রিয়া মূল্যায়ন কর। ৪

প্রশ্ন -১৪ : রসায়ন পরীক্ষাগারে শিক্ষার্থীরা একটি পাত্রে বরফকে তাপ দিলে নি¤œরূপ উপাত্ত পেল :
তাপমাত্রা ( 0C) – ১০ ০ ০ ০ ২৫ ৫০ ৭৫ ১০০ ১০০ ১২০
সময় (মিনিট) ০ ২ ৪ ৬ ৮ ১০ ১২ ১৪ ১৬ ১৮

ক. নিঃসরণ কী? ১
খ. মরিচা সৃষ্টি কী ধরনের পরিবর্তন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ছক কাগজে প্রদত্ত উপাত্তের একটি চিত্র অঙ্কন করে ২-৬ মিনিট এবং ১৪-১৬ মিনিট তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বন্ধন জোড় ও মুক্ত জোড় ইলেকট্রন উল্লেখ করে উদ্দীপকের যৌগটির চিত্র অঙ্কন কর এবং মুক্ত জোড় ইলেকট্রনের ভর নির্ণয় কর। ৪

প্রশ্ন -১৫ : A, B, C ,D চারটি মৌল যাদের পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ৬, ৯, ১৭, ২০।
ক. সমযোজী বন্ধন কাকে বলে? ১
খ. মৌলের পরমাণু সংখ্যার অনুপাত থেকে কীভাবে সংকেত লেখা হয়? ২
গ. B ও D মৌলদ্বয়ের মধ্যে বন্ধন গঠন প্রক্রিয়া বর্ণনা কর। ৩
ঘ. B ও D এর সমন্বয়ে গঠিত যৌগ পানিতে দ্রবণীয় হলেও A ও C মৌলদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ পানিতে অদ্রবণীয়-ব্যাখ্যা কর। ৪

প্রশ্ন -১৭ : পর্যায় সারণির তৃতীয় পর্যায়ের মৌলগুলো লক্ষ কর :
মৌল Na Ca Al Si P S Cl Ar

ক. পোলার যৌগ কাদের বলা হয়? ১
খ. বন্ধন জোড় ও মুক্ত জোড় ইলেকট্রন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে প্রদত্ত পর্যায়টির প্রথম ও সপ্তম মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস লিখে বন্ধন কীভাবে গঠিত হয় দেখাও। ৩
ঘ. ‘গ’ তে গঠিত যৌগটির গলনাংক, দ্রবণীয়তা ও পানিতে দ্রবীভ‚ত হলে তড়িৎ পরিবহন বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৪

প্রশ্ন -২০ : নিচের যৌগগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

যৌগ গলনাঙ্ক স্ফুটনাঙ্ক
H2 -129°C -253°C
H2O 0°C 100°C
NaCl 801°C 1465°C

 

ক. সমযোজী যৌগ কাকে বলে? ১
খ. সমযোজী যৌগের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কের কম কেন? ২
গ. ছকের যৌগসমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কের তারতম্যের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ছকের কোন পদার্থটি কার মধ্যে দ্রবীভ‚ত হয় এবং কোনটি হয় না, ব্যাখ্যা কর। ৪

প্রশ্ন -২৫ : (i) Na + Cl2 ® NaCl; (ii) N2 + 3H2 ® 2NH3
ক. অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন কাকে বলে? ১
খ. মোল কাকে বলে? ২০ গ্রাম অক্সিজেনে কতটি পরমাণু আছে নির্ণয় কর। ২
গ. উদ্দীপকের (ii) নং বিক্রিয়ার উৎপাদ যে বন্ধন দ্বারা গঠিত তার গঠন প্রক্রিয়া আলোচনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের (i) নং বিক্রিয়ার ১ম বিক্রিয়ক এবং উৎপাদ এর কোনটি কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং কোনটি করে না কেন? ৪

প্রশ্ন -৩৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

A=2,8,1      B=2,8,7

ক. আয়নিক বন্ধন কাকে বলে? ১
খ. সমযোজী যৌগ অপোলার হয় কেন? ২
গ. ‘A’ মৌলটির ১০টি পরমাণুর ভর নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘A’ এবং ‘B’ যুক্ত হয়ে কোনো যৌগ গঠন করলে তাতে কী ধরনের বন্ধন বিদ্যমান থাকবে? ব্যাখ্যা কর। ৪

 

এসএসসি রসায়ন পঞ্চম অধ্যায় রাসায়নিক বন্ধন MCQ, সংক্ষিপ্ত ও সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।

Download

Leave a Reply