নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি অধ্যায় ৯ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ

নবম অধ্যায়
 বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ

একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারমূল্যের সমষ্টির বৃদ্ধির হারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলা হয়। সাধারণত জিডিপি বৃদ্ধির বার্ষিক হারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার দ্বারাও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করা যায়। শিখনফল
 অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্পর্ক
 উন্নত, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য
 বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্তর
 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতাসমূহের তালিকা
 বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্ব
 জাতীয় উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্ব
 বাংলাদেশে দারিদ্র্যের প্রকৃতি, কারণ এবং প্রতিকারের উপায়
 বাংলাদেশের বেকারত্বের প্রকৃতি এবং এর নিরসনের উপায়
 মানবসম্পদের ধারণা
 জনসংখ্যা কীভাবে দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

 অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি : একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারমূল্যের সমষ্টির বৃদ্ধির হারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলা হয়। সাধারণত জিডিপি বৃদ্ধির বার্ষিক হারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার দ্বারাও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়।
 অর্থনৈতিক উন্নয়ন : অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে এমন একটি চলমান গতিধারাকে বোঝায় যা কতগুলো শক্তির সংযোগ, যার ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়। শক্তিসমূহ হচ্ছে, উৎপাদন, জাতীয় আয়, ভোগ, বিনিয়োগ, নিয়োগ, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি প্রভৃতি।
 উন্নত দেশ : অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে এবং এই উন্নয়ন দীর্ঘমেয়াদে অব্যাহত আছে, এমন দেশকে উন্নত দেশ বলে। এসব দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত।
 অনুন্নত দেশ : অধ্যাপক র‌্যাগনার নার্কস বলেন, অনুন্নত দেশ হচ্ছে সেসব দেশ যেগুলোতে জনসংযোগ ও প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় মূলধন বা পুঁজি কম। এসব দেশে জনসাধারণ নিম্নমানের জীবনযাপন করে।
 উন্নয়নশীল দেশ : যেসব দেশের মাথাপিছু প্রকৃত আয় উন্নত দেশের তুলনায় কম কিন্তু উন্নয়নের সূচকগুলোর ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে তাকে উন্নয়নশীল দেশ বলে। এসব দেশের মাথাপিছু আয় বর্ধনশীল এবং জীবনযাত্রার মান ক্রমেই বাড়ছে।
 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায়সমূহ : বিভিন্ন আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। যথা : ১. কৃষির ওপর নির্ভরশীলতা; ২. অনুন্নত কৃষি ব্যবস্থা; ৩. মূলধনের অভাব; ৪. উদ্যোক্তার অভাব; ৫. অধিক জনসংখ্যা; ৬. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র; ৭. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা; ৮. বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরশীলতা; ৯. বাজার দুর্বলতা; ১০. প্রযুক্তি প্রয়োগে বাধা।
 বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম : বেসরকারি সংস্থাসমূহ মূলত বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য কাজ করে থাকে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এদের কার্যক্রম আরও ব্যাপ্তি ও গতি লাভ করে। বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে বিভিন্ন বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট এনজিও কাজ করছে। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রধান এনজিও হচ্ছে ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা, শক্তি ফাউন্ডেশন, স্বনির্ভর বাংলাদেশ, টিএমএসএস, কারিতাস, সোসাইটি ফর সোস্যাল সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যুরো।
 দারিদ্র্য ধারণা : দারিদ্র্যের সংজ্ঞা এক কথায় বলা কঠিন। তবে কতিপয় শর্তসাপেক্ষে দারিদ্র্যের ধারণা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যে দেশের জনগণ পরিবর্তিত পার্শ্বপরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য বিধানে সক্ষম নয়, প্রতিক‚ল প্রকৃতি যেমন বন্যা, খরা, সম্পদের অপ্রতুলতা এবং সম্পদের অসম বণ্টন ও অসম উপার্জনের সুযোগ-সুবিধা রাখে, এ অবস্থাকে দারিদ্র্য বলে। বাংলাদেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি (এনজিও) পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। বাংলাদেশে সরকার দারিদ্র্য নিরসনের আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
 বেকারত্ব : কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তি প্রচলিত মজুরিতে কাজ করতে ইচ্ছুক, কিন্তু কাজ পায় না এ অবস্থাকেই বেকারত্ব বলে।
বাংলাদেশে বেকারত্বের সমস্যা প্রকট। এছাড়া দেশের গ্রামীণ সমাজ ব্যবস্থায় কৃষিকাজ ব্যতীত অন্য কাজ কম থাকা মৌসুমি বেকারত্ব, প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব ও সাময়িক বেকারত্বও দেখা যায়। এদেশে বেকার সমস্যা সমাধান করতে কৃষি ও অকৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রয়োজন। কৃষিক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি, বহু ফসলি চাষাবাদ এবং কৃষিভিত্তিক নানা কাজকর্ম যেমন : গবাদি পশু পালন, বনসৃজন, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে নতুন নতুন কর্ম সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অকৃষিক্ষেত্রে গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণ, গ্রামীণ গৃহনির্মাণ, পুকুর সংস্কার, খাল সংস্কার, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ, ছোট-খাটো ব্যবসায়-বাণিজ্য প্রভৃতি কাজের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
 মানবসম্পদ : জনসংখ্যার যে অংশ যখন শিক্ষা ও দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমশক্তিতে পরিণত হয় তখন তাদেরকে মানবসম্পদ বলে। অর্থাৎ কোনো দেশের ভ‚মি ও মূলধনকে বস্তুগত সম্পদ এবং শিক্ষায় দক্ষ ও কর্মক্ষম শ্রমশক্তিকে মানবসম্পদ বলে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মানবসম্পদের গুরুত্ব খুব বেশি। উন্নয়ন ও প্রযুক্তির প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন মানবসম্পদের। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি। কাজেই উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশের জন্য উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব রয়েছে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে দক্ষ মানবশক্তির যোগান থাকা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বস্তুগত সম্পদ ও মানবসম্পদ এ দুটি-ই জরুরি। উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে মানবসম্পদ উন্নয়ন বলে। দক্ষ মানবসম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. উন্নয়ন কী?
ক প্রবৃদ্ধির একটি অংশ
খ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি
গ জাতীয় আয় বৃদ্ধি
 প্রবৃদ্ধির সাথে অন্যান্য বিষয়ের সুফল
২. কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্থিতিশীলতার ফলেÑ
র. কৃষক উৎপাদনে অনীহা প্রকাশ করে
রর. প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়
ররর. জীবন নির্বাহী ক্ষুদ্র খামারের প্রসার ঘটে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
করিম একটি ভাড়া করা স্কুটার চালান। তিনি এর মাধ্যমে যা আয় করেন তাতে তাঁর সংসার চালিয়ে কোনো অর্থ জমা থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে একটি স্কুটার কিনতে অর্থ সঞ্চয়ে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। অবশেষে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে তিনি নিজের জন্য নতুন একটি স্কুটার ক্রয় করেন।
৩. করিমের অবস্থাটি অর্থনীতির কোন ধারণার সাথে সম্পর্কিত?
ক দারিদ্র্যের গতিধারা  দারিদ্র্য বিমোচন
গ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ঘ দারিদ্র্য হ্রাস
৪. নতুন স্কুটার ক্রয়ের মাধ্যমে করিমেরÑ
র. বেকারত্ব দূর হবে রর. মূলধন গঠিত হবে
ররর. ভোগ বৃদ্ধি পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  রর ও ররর ঘ র ও ররর

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য

ক. মানবসম্পদ কাকে বলে?
খ. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. লেখচিত্রে কোন অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. লেখচিত্রে প্রদর্শিত অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য কোন নিয়ামক শক্তির অবদান সবচেয়ে বেশি বলে তুমি মনে কর? বিশ্লেষণ কর।

ক জনসংখ্যার যে অংশ যখন শিক্ষা ও দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমশক্তিতে পরিণত হয় তখন তাদেরকে মানবসম্পদ বলে।
খ অনুন্নত দেশে কম উৎপাদনের ফলে আয় কম হয়। আয় কম হলে সঞ্চয় কম হয়। সঞ্চয় কম হওয়ায় বিনিয়োগও কম হয়। মূলধনও কম হয়। ফলে উৎপাদনও কম হয়। অনুন্নত দেশের অর্থনীতির এ অবস্থাকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলে। অনুন্নত দেশে এই চক্র বিরাজমান থাকায় উন্নয়নের গতি মন্থর থাকে।

দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র
গ উদ্দীপকে প্রদত্ত লেখচিত্রে উন্নয়নশীল অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশ পেয়েছে। যেসব দেশ পরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নয়নের পথে ক্রমশ অগ্রসর হচ্ছে এবং কিছু মাত্রায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করেছে সেসব দেশই সাধারণভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত। এসব দেশে উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধা ও জাতীয় সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের জন্য আর্থসামাজিক ভিত্তি রচনা করা হয়েছে। এসব দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান, উত্তোলন ও তার সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে জনসাধারণের দারিদ্র্য বিমোচন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অব্যাহত প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। উদ্দীপকে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। লেখচিত্রটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশটির মাথাপিছু আয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় যেখানে ৫৫০ ডলার ছিল, ২০১১-১২ অর্থ বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৯০০ ডলার। মাথাপিছু আয়ের এ ক্রমোন্নতি দেখে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উদ্দীপকে একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ লেখচিত্রে প্রদর্শিত অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য মূলধনের যোগান বৃদ্ধি ও উপযুক্ত ক্ষেত্রসমূহে তার সুষ্ঠু বিনিয়োগ শক্তিশালী নিয়ামক হিসেবে ভ‚মিকা রেখেছে বলে আমি মনে করি। একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেসব উপাদান জরুরি তার মধ্যে মূলধনের যোগান বৃদ্ধি এবং তা উৎপাদনশীল খাতে সদ্ব্যবহার অন্যতম। মূলধনের যোগান এবং এর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে বিনিয়োগ এবং উৎপাদন বাড়ে। ফলে জাতীয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়। ধীরে ধীরে দেশটি উন্নয়নের পথে ধাবিত হয়। উদ্দীপকে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখানো হয়েছে তা মূলধনের ব্যবহারেরই ফসল। বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নিম্ন উৎপাদন ও আয়, দারিদ্র, বেকারত্ব, কৃষির ওপর নির্ভরশীলতা, দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ইত্যাদি। এর ফলস্বরূপ মানুষের মাথাপিছু আয়ও তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে মূলধন গঠন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মূলধন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার, অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি ও শিল্পোন্নয়নে ব্যয় করা হচ্ছে। ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মসংস্থান ও জাতীয় উৎপাদন উর্ধ্বগামী হয়েছে। ফলে জনগণের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে যা উদ্দীপকের ছকে লক্ষ করা যায়। পরিশেষে বলা যায়, লেখচিত্রে প্রদর্শিত উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য মূলধনের যোগান বৃদ্ধি ও সুষ্ঠুভাবে তা বিনিয়োগের অবদান সর্বাধিক।

প্রশ্ন- ২  বেকারত্বের প্রকৃতি ও বেকারত্ব নিরসন

তামান্না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছে। তার এখনও কোনো চাকরি হয়নি। ইদানীং সে তার মায়ের পরিচালিত হস্তশিল্পে তার মাকে কাজে সাহায্য করে। মায়ের কাছ থেকে তার সময় ভালো কাটে কিন্তু তাদের হস্তশিল্পের উৎপাদন বা আয় পূর্বের অবস্থায় রয়েছে।
ক. বেকারত্ব কাকে বলে?
খ. কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির ব্যাখ্যা কর।
গ. অর্থনীতিতে তামান্নার কাজের ধরন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা’ তামান্নাকে উক্ত অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারেÑ মূল্যায়ন কর।

ক কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তি প্রচলিত মজুরিতে কাজ করতে ইচ্ছুক, কিন্তু কাজ পায় না এ অবস্থাকে বেকারত্ব বলে।
খ বাংলাদেশ সরকার দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি চালু করেছে। এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি কোনো কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লোক নিয়োগ করা হয় এবং সেই লোকদের কাজ করলে তার বিনিময়ে খাদ্যশস্য যেমন : চাল, ডাল ও গম দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে কোনো লোককে সরাসরি সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হতো না। তাদের সাথে চুক্তিতে কাজ দেওয়া হয়। যেমন একদিন কাজ করলে একদিনের খাবার পাবে। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ কর্মসূচি পালিত হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে এ কর্মসূচির জন্য ৩.৭১ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়।
গ অর্থনীতিতে তামান্নার কাজের ধরনকে প্রচ্ছন্ন বা ছদ্মবেশী বেকারত্ব বলা হয়। প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্যবিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্রচ্ছন্ন বেকার যা ছদ্মবেশী বেকার বলা হয়। আপাতদৃষ্টিতে এ শ্রেণির লোকদের বেকার বলে মনে হয় না। কিন্তু সে কাজ করলে উৎপাদনের পরিমাণ পূর্বের সমানই থাকে। যেমন একজন কৃষকের দুই ছেলে তার সাথে জমিতে চাষাবাদ করলেও উৎপাদনের পরিমাণ স্থির থাকে। এর কারণ হলো তিনজন লোক একজনের কাজকে ভাগ করে নিচ্ছে। এক্ষেত্রে কৃষকের দুই ছেলে ছদ্মবেশী বেকার। উদ্দীপকের তামান্নাও এমনই ছদ্মবেশী বেকার। তামান্না উচ্চশিক্ষা শেষ করে চাকরি পায়নি। এজন্য সে তার মায়ের সাথে হস্তশিল্পের কাজে যোগ দেয়। কিন্তু তাদের হস্তশিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়নি। অর্থাৎ তার মা আগে যা উৎপাদন করত এখনো সে পরিমাণই উৎপাদিত হচ্ছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে সে কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষে সে বেকার। তার মতো এ ধরনের বেকারদের অর্থনীতির ভাষায় ছদ্মবেশী বা প্রচ্ছন্ন বেকার বলা হয়।
ঘ বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করে নিজের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে তামান্না উক্ত অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারে। বাস্তব শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের কর্মদক্ষতা বাড়ে। তামান্না যদিও এমএ পাস করেছে তবুও তার হস্তশিল্পে কাজের দক্ষতা কম। কারণ সে নিজেকে এভাবে গড়ে তোলেনি। এছাড়াও তামান্নার হস্তশিল্পে কাজের দক্ষতা না থাকায় সে শুধু তার মাকে সাহায্যই করছে। নতুন কিছু করতে পারছে না। ফলে তাদের আয় বা উৎপাদন কোনোটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তামান্না যদি হস্তশিল্পের ওপর বাস্তবমুখী শিক্ষা নিত, তাহলে সে তার মায়ের কাজে উন্নতি আনতে পারত এবং নতুন ডিজাইনের পণ্য উৎপাদন করে আয় বৃদ্ধি করতে পারত। আমরা বলতে পারি, বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা তামান্নাকে তার প্রচ্ছন্ন বেকারত্বের অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়াও দেখা যায়, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর উন্নতির মূলে রয়েছে তাদের বাস্তবভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা। যে দেশের বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা যত বেশি উন্নত সেদেশের অর্থনীতি তত বেশি সমৃদ্ধ। উন্নত দেশের মানুষ বাস্তব জ্ঞান এবং দক্ষতা দ্বারা তাদের প্রয়োজনীয় সব সুযোগ গ্রহণ করছে। কাজেই বাস্তব শিক্ষাই তামান্নাকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে আমি মনে করি।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোন মহাদেশের অধিকাংশ দেশ অনুন্নত? [স. বো. ’১৬]
ক এশিয়া খ আফ্রিকা
গ ল্যাটিন আমেরিকা  সবগুলো
২. “স্বনির্ভর বাংলাদেশ” কত সালে আত্মপ্রকাশ করে? [স. বো. ’১৬]
ক ১৯৭২ খ ১৯৭৩ গ ১৯৭৪  ১৯৭৫
৩. “শক্তি ফাউন্ডেশন” কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? [স. বো. ’১৫]
ক ১৯৮২  ১৯৯২ গ ১৯৯৪ ঘ ১৯৯৭
৪. নিচের কোনটি উন্নয়নের জন্য অপ্রয়োজনীয় শর্ত? [স. বো. ’১৫]
ক দক্ষ প্রশাসন  অধিক জনসংখ্যা
গ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ঘ অধিক মূলধন
৫. অনুন্নত দেশে বিনিয়োগ ও উৎপাদন কম হওয়ার কারণ কী?
[অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, রাজশাহী]
ক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বেকারত্ব খ বেকারত্ব
গ জনসংখ্যাধিক্য ˜ স্বল্প মাথাপিছু আয়
৬. বাংলাদেশে দ্রæত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ বিনিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না কেন? [আলহেরা একাডেমি, পাবনা]
ক অধিক জনসংখ্যার জন্য খ প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞান না থাকার জন্য
গ বৈদেশিক নির্ভরশীলতার জন্য ˜ মূলধনের গঠনের হার কম হওয়ার জন্য
৭. ইজঅঈ-এর পূর্ণরূপ কী? [খুলনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
˜ ইধহমষধফবংয জঁৎধষ অফাধহপবসবহঃ ঈড়সসরঃু
খ ইধহমষধফবংয জঁৎবষ অফারপব ঈড়সসরঃু
গ ইধহমষধফবংয জঁৎধষ অফাধহপবসবহঃ ঈড়সসঁহরঃু
ঘ ইধহমষধফবংয জঁৎধষ অফাধহপবসবহঃ ঝবৎারপব
৮. ব্র্যাকের লক্ষ্য কী? [করোনেশন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক নারীর ক্ষমতায়ন করা
খ বস্তি সমস্যা সমাধান করা
গ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিঃস্বদের সাহায্য করা
 দারিদ্র্যদের ক্ষমতায়ন করা
৯. কোন সংস্থাটি প্রথম দিকে কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের সাথে একটি সংযুক্ত সেল হিসেবে কাজ করেছে? [নাটোর জিলা স্কুল]
ক ব্র্যাক খ গ্রামীণ ব্যাংক
˜ স্বনির্ভর বাংলাদেশ ঘ প্রশিকা
১০. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে বিত্তহীনদের ঋণ বিতরণ করে কোন সংস্থা?
[দিনাজপুর জিলা স্কুল]
˜ স্বনির্ভর বাংলাদেশ খ ব্যুরো বাংলাদেশ
গ প্রশিকা ঘ শক্তি ফাউন্ডেশন
১১. বাংলাদেশে নারীর উন্নয়নের বড় সংগঠন কোনটি? [রংপুর ক্যান্টনমেন্ট স্কুল]
ক শক্তি ফাউন্ডেশন ˜ ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ
গ সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিসেস ঘ ব্যুরো বাংলাদেশ
১২. প্রাকৃতিক কারণে কোন বেকারত্ব দেখা যায়? [চুয়াডাঙ্গা সরকারি স্কুল]
ক স্থায়ী খ ছদ্মবেশী ˜ মৌসুমি ঘ নারী
১৩. কৃষিখাতে কোন ধরনের লোকদের প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্য? [রংপুর জিলা স্কুল]
ক স্থায়ী বেকার খ মৌসুমি বেকার
˜ ছদ্মবেশী বেকার ঘ আধা-বেকার
১৪. বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এনজিও কোনটি? [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল]
ক গ্রামীণ ব্যাংক ˜ ব্র্যাক
গ স্বনির্ভর বাংলাদেশ ঘ আশা
১৫. উন্নত দেশের মূলধন গঠনের জন্য করণীয় কী? [রাজবাড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক আয় বৃদ্ধি করা খ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা
গ ব্যয় বৃদ্ধি করা ˜ সঞ্চয় বৃদ্ধি করা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬. দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়ার জন্য কোনো দেশ মূলধন বাড়ালে, তখন দেশটির [স. বো. ’১৫]
র. উৎপাদন বাড়বে
রর. চাহিদা বাড়বে
ররর. সঞ্চয় বাড়বে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর  র, রর ও ররর
১৭. বাংলাদেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হলে, প্রয়োজন [স. বো. ’১৫]
র. দক্ষ করে গড়ে তোলা
রর. কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করা
ররর. জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮. অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজনÑ [রাজশাহী ক্যান্টমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়]
র. মূলধন গঠন করা
রর. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা
ররর. দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৯. সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণের কারণ হলোÑ
[বিএএফ শাহীন স্কুল, চট্টগ্রাম]
র. দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করা
রর. দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি করা
ররর. নগরায়নের বিস্তার করা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্নথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২০ ও ২১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
করিম ও রহিম জমিতে বীজ বপন ও ফসল কাটার সময় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু বছরের অন্য সময় তাদের কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু তারা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়। [স. বো. ’১৫]
২০. কৃষিক্ষেত্রে করিম ও রহিমের মতো লোকদের কী বলে?
ক স্থায়ী বেকার  মৌসুমি বেকার
গ প্রচ্ছন্ন বেকার ঘ ছদ্মবেশি বেকার
২১. উক্ত বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য যা প্রয়োজন তা হলো
র. শিল্পখাতে শ্রমিকের স্থানান্তর রর. বছরে একটি ফসল উৎপাদন
ররর. কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 ৯.১ : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন
 বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১০১
 একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো দেশে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারমূল্যের সমষ্টির বৃদ্ধির হারকে বলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
 মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হারকেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলা হয়।
 অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া।
 শুধুমাত্র প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয় না।
 অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধিই যথেষ্ট।
 অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সম্পর্ক মাথাপিছু আয়ের।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২. কোনো দেশের দ্রব্য ও সেবাবাজার মূল্যের সমষ্টির বৃদ্ধির হারকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ভোগ বৃদ্ধি  প্রবৃদ্ধি গ আয়বৃদ্ধি ঘ মানবৃদ্ধি
২৩. কোনটি দ্বারা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়? (জ্ঞান)
˜ মাথাপিছু আয় খ জাতীয় ব্যয়
গ জাতীয় বিনিয়োগ ঘ জনগণের জীবনযাত্রার মান
২৪. জিডিপি বৃদ্ধির হারকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অর্থনৈতিক উন্নয়ন  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
গ জাতীয় ভোগ বৃদ্ধি ঘ জাতীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি
২৫. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্বারা দ্রব্য ও সেবার কোন দিককে নির্দেশ করা হয়? (অনুধাবন)
ক অবকাঠামোগত দিক খ মানগত দিক
˜ পরিমাণগত দিক ঘ মূল্যগত দিক
২৬. কতগুলো শক্তির সংযোগে চলমান গতিধারাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি  অর্থনৈতিক উন্নয়ন
গ সামগ্রিক যোগান ঘ সামগ্রিক চাহিদা
২৭. অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তিসমূহের ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
˜ জনগণের মাথাপিছু আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি
খ দ্রব্যের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি
গ বাজার মূল্যে ক্রমাগত বৃদ্ধি
ঘ দ্রব্যের গুণগত মান পরিবর্তন
২৮. কোনটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তি? (অনুধাবন)
 জাতীয় আয় খ বিমা গ কারখানা ঘ ব্যাংক
২৯. নিচের কোনটি অর্থনৈতিক শক্তি? (জ্ঞান)
˜ বিনিয়োগ খ চাহিদা গ বাজার ঘ যোগান
৩০. নিচের কোনটি অর্থনৈতিক শক্তি? (জ্ঞান)
ক চাহিদা  জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি
গ দ্রব্য ঘ সেবা
৩১. অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পেতে হলে কোন বিষয়টি বুঝতে হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি  অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
গ অর্থনৈতিক কাঠামো ঘ অর্থনীতির ভিত্তি
৩২. প্রবৃদ্ধি কী? (জ্ঞান)
ক জাতীয় শ্রমশক্তির বৃদ্ধি
খ মোট দেশজ ভোগের অব্যাহত বৃদ্ধি
˜ মোট জাতীয় আয়ের অব্যাহত বৃদ্ধি
ঘ জাতীয় মাথাপিছু আয়ের ক্রমাগত বৃদ্ধি
৩৩. মোজাম্বিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কম। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য কোনটির ওপর জোর দিতে হবে? (প্রয়োগ)
ক জাতীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির
˜ জাতীয় আয় বৃদ্ধির
গ জাতীয় ব্যয় বৃদ্ধির
ঘ অর্থনৈতিক অবস্থার গুণগত পরিবর্তনের
৩৪. অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছাড়া আর কোনটি জড়িত? (অনুধাবন)
ক জাতীয় মাথাপিছু আয় খ জাতীয় ব্যয়
˜ অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন ঘ আর্থসামাজিক পরিবর্তন
৩৫. নিচের কোনটি সঠিক? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক উন্নয়ন = অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি  অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন
খ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি = অর্থনৈতিক উন্নয়ন + অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন
˜ অর্থনৈতিক উন্নয়ন = অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি + অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন
ঘ অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন = অর্থনৈতিক উন্নয়ন + অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
৩৬. প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক উন্নয়ন + অন্যান্য বিষয়ের সুফল
খ প্রবৃদ্ধি = উন্নয়ন
 প্রবৃদ্ধি < উন্নয়ন
ঘ প্রবৃদ্ধি > উন্নয়ন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৭. একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. দ্রব্য উৎপাদনের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে
রর. দ্রব্য বিনিয়োগের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে
ররর. সেবা উৎপাদনের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. উন্নয়ন বলতে বোঝায়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থনৈতিক অবস্থার গুণগত পরিবর্তন
রর. প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধি
ররর. সার্বিক মানোন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৩৯. কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে বলা যাবে যদিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শিক্ষার হার বেড়ে যায়
রর. প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে যায়
ররর. দ্রব্যমূল্যস্তর ঊর্ধ্বমুখী হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. যে খাতে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির হার বেশিÑ (অনুধাবন)
র. শিল্প
রর. আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সেবা
ররর. শিক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪১. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের জন্য প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা
রর. অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন সাধন করা
ররর. জাতীয় ব্যয় বৃদ্ধি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪২. অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তিসমূহ (অনুধাবন)
র. উৎপাদন, ভোগ
রর. চাহিদা, যোগান
ররর. জাতীয় আয়, নিয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৩. একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বলতে বোঝায় (অনুধাবন)
র. দ্রব্য উৎপাদনের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে
রর. দ্রব্য বিনিয়োগের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে
ররর. সেবা উৎপাদনের পরিমাণগত বৃদ্ধিকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৪. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের জন্য প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা
রর. অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তন সাধন করা
ররর. জাতীয় ব্যয় বৃদ্ধি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৫. অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তিসমূহ (অনুধাবন)
র. উৎপাদন, ভোগ
রর. চাহিদা, যোগান
ররর. জাতীয় আয়, নিয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৬ ও ৪৭ নং প্রশ্নোত্তর দাও :
‘ক’ দেশের ‘খ’ সরকার তার কর্মকাণ্ডের দ্বারা ধনাত্মক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতির অনুক‚ল গুণগত পরিবর্তন করলেন।
৪৬. ‘ক’ সরকার ‘খ’ দেশের কী ঘটালেন? (প্রয়োগ)
 অর্থনৈতিক উন্নয়ন খ অউন্নয়ন
গ সুষম উন্নয়ন ঘ অগ্রগতি
৪৭. ‘খ’ দেশের জনগণের ক্ষেত্রে কী লক্ষ করা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাতীয় আয় কমবে
রর. আয় কমবে
ররর. জীবনযাত্রার মান বাড়ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 ৯.২ : উন্নত, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য
 বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১০১
 উন্নয়ন স্তরের ভিত্তিতে দেশগুলোকে  ৩ ভাগে ভাগ করা যায়।
 অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত মূলধন গঠন।
 উন্নত দেশের জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস শিল্প।
 বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয় উন্নয়নশীল দেশের।
 অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে মিল হলো কৃষি ও অনুন্নত যোগাযোগ।
 দক্ষ জনশক্তি ও কারিগরি জ্ঞান উন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৮. উন্নত দেশসমূহ কোন সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে? (অনুধাবন)
˜ ভ‚মি ও প্রাকৃতিক সম্পদ খ অদক্ষ জনগোষ্ঠী
গ বনজ সম্পদ ঘ খনিজ সম্পদ
৪৯. কোনটি উন্নত দেশ? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশ খ মালদ্বীপ গ ভারত ˜ জাপান
৫০. পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও কোনটির অভাবে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়? (জ্ঞান)
ক মূলধন ˜ দক্ষ জনশক্তি
গ দক্ষ প্রশাসন ঘ কাঁচামাল
৫১. উন্নত দেশ কোনটি গঠনে বিশেষ নজর দেয়? (অনুধাবন)
ক উন্নত অবকাঠামো খ উন্নত প্রযুক্তি
˜ দক্ষ জনগোষ্ঠী ঘ উন্নত পরিবহন
৫২. উন্নত দেশের শ্রমিকদের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হয় কেন? (অনুধাবন)
ক শারীরিক গঠনের কারণে খ উন্নত খাবারের কারণে
গ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর কারণে ˜ উন্নত কারিগরি জ্ঞানের কারণে
৫৩. উন্নত দেশ কোনটির কল্যাণে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে? (জ্ঞান)
ক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ˜ কারিগরি জ্ঞান
গ পর্যাপ্ত মূলধন ঘ উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা
৫৪. যুক্তরাষ্ট্র আটলান্টিক মহাসাগরের জলরাশিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। এ সফলতার জন্য কোনটির অবদান বেশি? (প্রয়োগ)
ক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খ দক্ষ প্রশাসন
˜ কারিগরি জ্ঞান ঘ উদ্যোক্তার উপস্থিতি
৫৫. কীভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয়? (অনুধাবন)
 উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে খ রাজনীতির মাধ্যমে
গ জনসংখ্যাম বিদেশে পাঠিয়ে ঘ বেকারত্ব হ্রাস করে
৫৬. জার্মানিতে প্রতিবছর হাজার হাজার উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করে। এর কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক স্বল্প জনসংখ্যা খ উর্বর ভ‚মি
গ উপযুক্ত জলবায়ু ˜ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
৫৭. কোনটি উন্নত আর্থসামাজিক অবস্থার বৈশিষ্ট্য? (অনুধাবন)
ক প্রাথমিক পণ্য উৎপাদনকারী দেশ
খ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি
 উন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
ঘ ঔপনিবেশিক ধরনের বাণিজ্য
৫৮. উন্নয়নশীল দেশে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে কোনটি? (জ্ঞান)
ক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা খ ঔপনিবেশিক ধরনের বাণিজ্য
গ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র  কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্থিতিশীলতা
৫৯. কোন মহাদেশের অধিকাংশ দেশ অনুন্নত? (জ্ঞান)
ক ইউরোপ খ ওশেনিয়া ˜ এশিয়া ঘ এন্টার্কটিকা
৬০. আফ্রিকার দেশগুলোতে কোন ধরনের অর্থনীতি বিরাজমান? (জ্ঞান)
ক উন্নত ˜ অনুন্নত গ শিল্পোন্নত ঘ উন্নয়নশীল
৬১. অনুন্নত দেশের অধিকাংশ মানুষ কোথায় বসবাস করে? (জ্ঞান)
˜ গ্রামে খ শহরে গ বস্তিতে ঘ জঙ্গলে
৬২. অনুন্নত দেশের অধিকাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিসের সাথে জড়িত? (জ্ঞান)
ক কুটিরশিল্পের খ বাণিজ্যের গ শিল্পের ˜ কৃষির
৬৩. নিচের কোনটি অনুন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য? (অনুধাবন)
 কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি খ দক্ষ জনশক্তি
গ কৃষির ওপর অনির্ভরশীল ঘ মূলধনের গঠন
৬৪. তাসিফের দেশ কৃষিপ্রধান হলেও কৃষিব্যবস্থা এখনও সনাতন। তার দেশটিতে কোন ধরনের অর্থনীতি বিরাজমান? (প্রয়োগ)
ক উন্নত  অনুন্নত গ উন্নয়নশীল ঘ স্বল্পোন্নত
৬৫. কোন ধরনের অর্থনীতিতে ছদ্মবেশী বেকারত্ব দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক উন্নত খ উন্নয়নশীল ˜ অনুন্নত ঘ শিল্পোন্নত
৬৬. কম আয়  কম সঞ্চয়  কম বিনিয়োগ  কম উৎপাদন  কম আয়  চক্রের ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পায়
˜ উন্নয়নের গতি মন্থর থাকে
গ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়
ঘ দেশের অর্থনীতি কৃষি থেকে শিল্পমুখী হয়
৬৭. কোন দেশে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র সক্রিয়? (জ্ঞান)
˜ অনুন্নত খ উন্নয়নশীল গ উন্নত ঘ শিল্পোন্নত
৬৮. অনুন্নত দেশে উন্নয়নের গতি মন্থর হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক জনসংখ্যাধিক্য ˜ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র
গ অদক্ষ প্রশাসন ঘ অনুন্নত পরিবহন ব্যবস্থা
৬৯. অনুন্নত দেশের মানুষের মৌলিক অধিকারের অবস্থা সন্তোষজনক নয় কেন? (অনুধাবন)
ক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ˜ জনসংখ্যাধিক্যের কারণে
গ কৃষি নির্ভরতার কারণে ঘ অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে
৭০. অনুন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি কিসের ওপর নির্ভরশীল? (জ্ঞান)
ক শিল্প ˜ কৃষি
গ বাণিজ্য ঘ প্রাকৃতিক সম্পদ
৭১. চ দেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা সনাতনী। নিচের কোন চ মন্তব্যটি দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? (প্রয়োগ)
ক এটি উন্নয়নশীল দেশ খ এটি উন্নত দেশ
গ এটি স্বল্পোন্নত দেশ  এটি অনুন্নত দেশ
৭২. অনুন্নত দেশের উদ্যোক্তাগণ বিনিয়োগে উৎসাহী না হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকায়
খ প্রচুর মূলধন পাওয়া যায় বলে
˜ পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায়
ঘ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন শ্রমিক থাকায়
৭৩. প্রাথমিক পণ্য ও কাঁচামাল রপ্তানি করে কোন দেশ? (জ্ঞান)
ক উন্নত ˜ অনুন্নত
গ উন্নয়নশীল ঘ শিল্পোন্নত
৭৪. অনুন্নত দেশ কী ধরনের পণ্য আমদানি করে? (জ্ঞান)
ক প্রাথমিক খ কৃষিজাত
গ কাঁচামাল জাতীয় ˜ শিল্পজাত
৭৫. অনুন্নত দেশে আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে কোন তথ্যটি সঠিক? (প্রয়োগ)
 আমদানি  রপ্তানি খ আমদানি  রপ্তানি
গ আমদানি = রপ্তানি ঘ আমদানি ে রপ্তানি
৭৬. অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার পদ্মাসেতু করতে চাইলেও মূলধনের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতির কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক কম বিনিয়োগ খ কম উৎপাদন
˜ কম সঞ্চয় ঘ কম আয়
৭৭. উন্নয়নশীল দেশে কোনটি উৎপাদন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করে? (উচ্চতর দক্ষতা
 কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্থিতিশীলতা খ মাথাপিছু আয়
গ অধিক জনসংখ্যা ঘ উদ্যোক্তা শ্রেণি
৭৮. উন্নয়নশীল দেশে মূলধন গঠনের অন্তরায় কোনটি? (অনুধাবন)
ক নিম্ন মাথাপিছু আয় ˜ কম সঞ্চয়
গ কম বিনিয়োগ ঘ কম মূলধন
৭৯. উন্নয়নশীল দেশ কী ধরনের পণ্য উৎপাদন করে? (জ্ঞান)
ক কাঁচামাল ˜ প্রাথমিক গ শিল্পজাত ঘ মূলধনী
৮০. উন্নয়নশীল দেশে উৎপাদনব্যবস্থায় কী ধরনের উৎপাদন কৌশল ব্যবহার করা হয়? (অনুধাবন)
˜ শ্রম নিবিড় খ প্রকৃতি নির্ভর গ ভূমি নির্ভর ঘ যন্ত্র নির্ভর
৮১. উন্নয়নশীল দেশে বেশির ভাগ পণ্যসামগ্রী কোন উৎস হতে পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
˜ কৃষি খ বাণিজ্য গ শিল্প ঘ পর্যটন
৮২. কোন ধরনের পণ্যের মূল্যের উত্থান-পতন বেশি হয়? (জ্ঞান)
ক বিলাসজাত ˜ কৃষি গ শিল্প ঘ প্রযুক্তি
৮৩. উন্নয়নশীল দেশে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ কেন? (অনুধাবন)
ক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য
খ অনুন্নত অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য
˜ পণ্যের মূল্যের উত্থান-পতনের জন্য
ঘ জনসংখ্যাধিক্যের জন্য
৮৪. ‘ক’ দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ক্রমশ উন্নতি করলেও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এখনও বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। উক্ত দেশটিতে কী ধরনের অর্থনীতি বিরাজমান? (প্রয়োগ)
˜ উন্নয়নশীল খ উন্নত গ স্বল্পোন্নত ঘ অনুন্নত
৮৫. উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কিসের ওপর নির্ভরশীল? (জ্ঞান)
ক কৃষির খ শিল্প উৎপাদনের
গ বৈদেশিক বাণিজ্যের  বৈদেশিক সাহায্যের
৮৬. কোন ধরনের দেশে প্রতি বছর বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়? (জ্ঞান)
ক উন্নত খ পুঁজিবাদী  উন্নয়নশীল ঘ স্বল্পোন্নত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৭. দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার উপায় হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অধিক অর্থ ব্যয় করা
রর. প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা
ররর. গবেষণার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কারিগরি জ্ঞান জরুরি। কারণ এটিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শ্রমিকদের কারিগরি জ্ঞান বৃদ্ধি করে
রর. প্রকৃতিকে বশে আনতে সাহায্য করে
ররর. প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৮৯. পরিবহনব্যবস্থা উন্নত করার সুবিধা হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়
রর. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব হয়
ররর. উৎপাদন বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯০. অনুন্নত দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি মন্থর হওয়ার কারণ হলোÑ (অনুধাবন)
র. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের কার্যকারিতা
রর. অনুন্নত অবকাঠামো
ররর. কৃষির ওপর অতি নির্ভরশীলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৯১. অনুন্নত দেশে পরিবহন ও যোগাযোগব্যবস্থা অনুন্নত থাকার ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মালামাল স্থানান্তরে বিঘœ ঘটে
রর. অনুন্নত শিল্প কাঠামো
ররর. উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯২. প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্তে¡ও অনেক দেশ অনুন্নত থেকে যায়। কারণÑ (অনুধাবন)
র. পর্যাপ্ত মূলধনের অভাব
রর. প্রাকৃতিক সম্পদের অপূর্ণ ব্যবহার
ররর. দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৯৩. অনুন্নত দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্যে প্রতিক‚ল অবস্থার কারণ হলোÑ (অনুধাবন)
র. কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্য স্বল্পমূল্যে রপ্তানি করা
রর. শিল্পজাত পণ্য অধিকমূল্যে আমদানি করা
ররর. বিলাসবহুল পণ্য আমদানি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৪. অনুন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য হলো (প্রয়োগ)
র. সনাতন কৃষিব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীলতা
রর. প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের অভাব
ররর. অনুন্নত শিল্প কাঠামো বিদ্যমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৯৫. উন্নয়নশীল দেশের সমস্যা হলো (প্রয়োগ)
র. কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্থিতিশীলতা
রর. বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি
ররর. অনুন্নত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৯৬. মোজাম্বিক অনুন্নত এবং বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। উভয় দেশের মধ্যে সাদৃশ্য হলোÑ (প্রয়োগ)
র. অনুন্নত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা
রর. জাতীয় আয়ে কৃষির বৃহৎ অবদান
ররর. কৃষিনির্ভর অর্থনীতি শিল্পনির্ভর অর্থনীতি হতে ধাবমান
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৭. উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য হলো (প্রয়োগ)
র. বৈদেশিক বাণিজ্যে ঘাটতি
রর. অবকাঠামোগত উন্নয়নের বৈদেশিক নির্ভরশীলতা
ররর. কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্থিতিশীলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৯৮. উন্নত অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যÑ (অনুধাবন)
র. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
রর. জনসংখ্যা উচ্চ বৃদ্ধির হার
ররর. মূলধন এর পর্যাপ্ততা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৯. উন্নত দেশের উদ্যোক্তাগণ বিনিয়োগ ও উৎপাদনে এগিয়ে আসার কারণ হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অধিক সস্তা শ্রমিক
রর. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবেশ
ররর. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০০. যে মহাদেশের অধিকাংশ দেশ অনুন্নতÑ (অনুধাবন)
র. ইউরোপ
রর. আফ্রিকা
ররর. এশিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০১. অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে মিল হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান
রর. অনুন্নত যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা
ররর. শিল্পে বিনিয়োগ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০২ ও ১০৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জার্মানির বার্ষিক জিডিপির পরিমাণ ২৭,৪১,৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটিতে শিল্পায়নের ফলে বেকারত্বের হার কম এবং মাথাপিছু আয়ও বেশি।
১০২. অনুচ্ছেদে দেশটির অর্থনীতি কী ধরনের? (প্রয়োগ)
ক অনুন্নত খ উন্নয়নশীল
গ স্বল্পোন্নত ˜ উন্নত
১০৩. উক্ত দেশটিতে বিদ্যমান আছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা
রর. উন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
ররর. কারিগরি জ্ঞান সমৃদ্ধ দক্ষ জনগোষ্ঠী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০৪ ও ১০৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইগলুসির দেশের মাথাপিছু আয় কম। ফলে তাদের দেশের মানুষের সঞ্চয় কম এবং মূলধন গঠন করতে না পারায় বিনিয়োগের হারও কম। ফলশ্রæতিতে উৎপাদনও কম।
১০৪. ইগলুসির দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিকে অর্থনীতির ভাষায় কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক দারিদ্র্যের রাশিচক্র ˜ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র
গ উৎপাদনের দুষ্টচক্র ঘ অর্থনীতির দুষ্টচক্র
১০৫. উক্ত পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করা
রর. পরিবহনসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন করা
ররর. দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০৬ ও ১০৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নাবিলের দেশে পণ্য বিশেষ করে কৃষি পণ্যের দাম নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব কঠিন। কারণে অকারণে এসব পণ্যের মূল্য উঠানামা করে।
১০৬. বৈশিষ্ট্য বিচারে নাবিলের দেশটি কী ধরনের দেশ? (প্রয়োগ)
ক উন্নত খ অনুন্নত ˜ উন্নয়নশীল ঘ শিল্পোন্নত
১০৭. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত পরিস্থিতির ফলাফল হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উৎপাদন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়
রর. উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে
ররর. উন্নয়নের বিভিন্ন স্তর তৈরি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 ৯.৩ : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায়সমূহ  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১০৪
 বাংলাদেশের কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সীমিত।
 বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কম হওয়ায় সঞ্চয় ও মূলধন গঠনের হার তুলনামূলক কম।
 অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু উদ্যোক্তা।
 বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বড় বাধা অতিরিক্ত জনসংখ্যা।
 অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায় দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র।
 রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়।
 বাংলাদেশের অর্থনীতি বৈদেশিক বাণিজ্য ও সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৮. বাংলাদেশ কী ধরনের দেশ? (জ্ঞান)
ক অনুন্নত  উন্নয়নশীল গ স্বল্পোন্নত ঘ উন্নত
১০৯. বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনটির ওপর নির্ভরশীল? (জ্ঞান)
 কৃষি খ বাণিজ্য গ পর্যটন ঘ শিল্প
১১০. বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থা কেমন? (জ্ঞান)
ক উন্নত  অনুন্নত গ পরিকল্পিত ঘ অপরিকল্পিত
১১১. বাংলাদেশে কোন পণ্যের মূল্য অস্থিতিশীল? (জ্ঞান)
ক শিল্পজাত পণ্য  কৃষিপণ্য
গ ভোগ্য পণ্য ঘ আমদানিকৃত পণ্য
১১২. বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের মূল্য কিরূপ? (অনুধাবন)
˜ অস্থিতিশীল খ ঊর্ধ্বগামী গ নিম্নগামী ঘ স্থির
১১৩. বাংলাদেশে মূলধন গঠনের পথে অন্তরায় কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কম বিনিয়োগ খ কম ভোগ ˜ কম সঞ্চয় ঘ কর্ম প্রবৃদ্ধি
১১৪. অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে কোনটি? (জ্ঞান)
ক ভ‚মি খ শ্রম ˜ উদ্যোক্তা ঘ মূলধন
১১৫. বাংলাদেশে প্রাপ্ত মূলধন উৎপাদন খাতে কম ব্যবহার হচ্ছে কেন? (অনুধাবন)
ক শিল্পে অনগ্রসরতার কারণে
˜ দক্ষ ও অভিজ্ঞ উদ্যোক্তার অভাবের কারণে
গ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে
ঘ বাজার দুর্বলতার কারণে
১১৬. বাংলাদেশে উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে চায় না কেন? (অনুধাবন)
ক প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ না থাকার কারণে
খ দক্ষ শ্রমিক না থাকার কারণে
গ প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সহজলভ্য না হওয়ার কারণে
˜ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকার কারণে
১১৭. বাংলাদেশে উদ্যোক্তা শ্রেণি এগিয়ে না আসার কারণ কী? (অনুধাবন)
˜ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের অভাব খ প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাব
গ দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাব ঘ উন্নত প্রযুক্তির অভাব
১১৮. বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম বাধা কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দুর্নীতি খ প্রযুক্তি নির্ভরতা
গ উন্নত প্রশিক্ষণ  দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র
১১৯. ‘একটি দেশ গরিব কারণ সে দেশ দরিদ্র’ উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
ক অ্যাডাম স্মিথ খ আলফ্রেড মার্শাল
গ রিকার্ডো ˜ নার্কস
১২০. বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত হয় কেন? (অনুধাবন)
ক দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের জন্য খ অধিক জনসংখ্যার জন্য
গ মূলধন না থাকার জন্য ˜ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য
১২১. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অধিকতর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য কী? (জ্ঞান)
 প্রতিক‚ল খ অনুকূল গ আশাব্যঞ্জক ঘ সুবিধাজনক
১২২. বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সর্বত্র কোনটি বিরাজমান? (অনুধাবন)
ক বাণিজ্য  দুর্বল বাজার কাঠামো
গ নির্ভরশীলতা ঘ দক্ষ জনশক্তি
১২৩. কী কারণে উৎপাদকের কাছে বাজার দাম অলাভজনক হয়? (অনুধাবন)
 সচেতনতার অভাবে খ তথ্য প্রযুক্তির প্রসারে
গ বৈদেশিক সাহায্যের অভাবে ঘ বিক্রেতার সাহায্যের অভাবে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৪. বাংলাদেশে কৃষির বৈশিষ্ট্য হলো (প্রয়োগ)
র. আধুনিক প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার
রর. কৃষিপণ্যের অস্থিতিশীল মূল্য
ররর. উন্নয়নের গতি মন্থর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৫. বাংলাদেশের বাজার দাম উৎপাদনের জন্য লাভজনক না হওয়ার কারণ হলো (অনুধাবন)
র. সচেতনতার অভাব
রর. যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার দুর্বলতা
ররর. অর্থায়নের অভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৬. বাংলাদেশে উৎপাদন ব্যবস্থায় উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করা যায় না। কারণ (প্রয়োগ)
র. আমদানিকৃত প্রযুক্তি ব্যয়বহুল
রর. প্রযুক্তির ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ
ররর. সরকারি বিধি-নিষেধ
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৭. বাংলাদেশ উন্নতি লাভ করতে না পারার কারণ হলোÑ (অনুধাবন)
র. কৃষির ওপর অতি নির্ভরশীলতা
রর. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
ররর. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের কার্যকারিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৮. বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ফলাফল হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা ব্যাহত
রর. কৃষির উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি
ররর. উদ্যোক্তাদের অনুৎসাহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৯. দারিদ্রের দুষ্টচক্রে (অনুধাবন)
র. উৎপাদন কম
রর. আয় কম
ররর. বিনিয়োগ কম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩০. বাংলাদেশে যে ধরনের উদ্যোক্তার অভাব রয়েছে (অনুধাবন)
র. দক্ষ ও অভিজ্ঞ
রর. ঝুঁকিবহনে আগ্রহী ও সক্ষম
ররর. কারিগরি জ্ঞানে অনাগ্রহী
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩১ ও ১৩২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকাতে ব্যবসায় করছেন নাটোরের ছেলে আরিফ। ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি সেখানে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এক আত্মীয় তাকে দেশে ফিরে কোনো উদ্যোগ নিতে বলে। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে সাহস পান না।
১৩১. অনুচ্ছেদের আরিফ সাহেবের ভয় পাওয়ার কারণ হলো (প্রয়োগ)
র. বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের অস্থিতিশীল মূল্য
রর. অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা
ররর. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রের উপস্থিতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩২. আরিফ সাহেবের মতো ব্যক্তিরা অবদান রাখতে পারে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দেশের মূলধনকে উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করতে
রর. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন করতে
ররর. দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 ৯.৪ : বেসরকারি সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম
 বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১০৫
 ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণদানকারী সংস্থা হলো ব্র্যাক।
 ঘএঙ-এর পূর্ণরূপ ঘড়হ-এড়াবৎহসবহঃ ঙৎমধহরুধঃরড়হ.
 স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালে।
 ১৯৭৫ সালে ঢাকা ও কুমিল্লা জেলায় কাজ শুরু করে প্রশিকা।
 আশা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে।
 বাংলাদেশে নারী উন্নয়নের বড় সংগঠন ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএ)।
 বড় বড় শহরের বস্তির দুস্থ মহিলাদের ঋণ দেয় ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত শক্তি ফাউন্ডেশন।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩৩. কোন সংস্থার মাধ্যমে সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে? (অনুধাবন)
ক স্বনির্ভর বাংলাদেশ  পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন
গ ব্যুরো বাংলাদেশ ঘ শক্তি ফাউন্ডেশন
১৩৪. ঘএঙ-এর পূর্ণরূপ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ঘবি এড়াবৎহসবহঃ ঙৎমধহরুধঃরড়হ
˜ ঘড়হ এড়াবৎহসবহঃ ঙৎমধহরুধঃরড়হ
গ ঘবঃ এড়াবৎহসবহঃ ঙৎমধহরুধঃরড়হ
ঘ ঘধঃরড়হধষ এড়াবৎহসবহঃ ঙৎমধহরুধঃরড়হ
১৩৫. কখন বেসরকারি সংস্থাসমূহের কার্যক্রম আরও ব্যাপ্তি ও গতি লাভ করে? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধের সময় ˜ প্রাকৃতিক দুযোর্গের সময়
গ উন্নয়নের সময় ঘ অর্থনৈতিক মন্দার সময়
১৩৬. বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণে এনজিওসমূহ কী করে? (প্রয়োগ)
ক খাদ্য বিতরণ করে খ কাবিখা প্রকল্প পরিচালনা করে
˜ ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করে ঘ অর্থ সাহায্য করে
১৩৭. বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এনজিও কোনটি? (জ্ঞান)
ক গ্রামীণ ব্যাংক ˜ ব্র্যাক
গ স্বনির্ভর বাংলাদেশ ঘ আশা
১৩৮. ব্র্যাক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১ ˜ ১৯৭২ গ ১৯৮৩ ঘ ১৯৮০
১৩৯. ব্র্যাকের টার্গেট গ্রæপ কারা? (জ্ঞান)
ক বস্তিবাসীরা খ পঙ্গুরা ˜ মহিলারা ঘ বেকার যুবকরা
১৪০. ব্র্যাক কতটি গ্রামে কাজ করে? (জ্ঞান)
ক ৫০ হাজার খ ৫৫ হাজার  ৭০ হাজার ঘ ৭৫ হাজার
১৪১. ব্র্যাক কতটি বস্তিতে কাজ করে? (জ্ঞান)
ক ১০০০ ˜ ২০০০ গ ৩০০০ ঘ ৪০০০
১৪২. স্বনির্ভর বাংলাদেশ কত সালে আত্মপ্রকাশ করে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭২ ˜ ১৯৭৫ গ ১৯৮৩ ঘ ১৯৮৬
১৪৩. কত সাল হতে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বেসরকারি সমাজ উন্নয়নমূলক সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫ খ ১৯৮০ ˜ ১৯৮৫ ঘ ১৯৯০
১৪৪. স্বনির্ভর বাংলাদেশের ১৬৮৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের উদ্দেশ্য কী?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা ˜ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা
গ মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা ঘ শিক্ষার হার বৃদ্ধি করা
১৪৫. প্রশিকা কত সালে কাজ শুরু করে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১ খ ১৯৭৩  ১৯৭৫ ঘ ১৯৮০
১৪৬. প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও কুমিল্লা জেলায় কাজ শুরু করে কোন সংস্থা? (জ্ঞান)
ক ব্র্যাক খ গ্রামীণ ব্যাংক ˜ প্রশিকা ঘ আশা
১৪৭. টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে কোন সংস্থা? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আশা খ টিএমএসএস গ ব্র্যাক ˜ প্রশিকা

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১  ছদ্মবেশী বেকারত্ব ও মানবসম্পদ উন্নয়ন

শাহী তার কৃষি জমিতে বছরে প্রায় ২৫ মন ধান উৎপাদন করতে পারে। তার বড় ছেলে জাফর অন্য কোনো কাজ না পেয়ে তার সাথেই ধান উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত হয়। কিন্তু তাতে উৎপাদনের পরিমাণ একই থেকে যায়। তাই জাফর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি গরুর খামার স্থাপন করে। সে খামারে আরও পাঁচ জন লোক নিয়োগ দেয়। [স. বো. ’১৫]
ক. অর্থনৈতিক উন্নয়ন কী? ১
খ. মৌসুমি বেকারত্ব বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জাফরের প্রথম দিকের বেকারত্বের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জাফরের পরবর্তী কার্যক্রমটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে সক্ষমÑ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে এমন একটি চলমান গতিধারাকে বোঝায় যা কতগুলো শক্তির সংযোগ (যেমন : উৎপাদন, জাতীয় আয়, ভোগ, বিনিয়োগ, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি প্রভৃতি), যার ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়।
খ প্রাকৃতিক কারণে বছরের কোনো বিশেষ বিশেষ সময়ে মৌসুমি বেকারত্ব হয়। যেমন : ফসল বপন ও কর্তনের সময় ব্যতীত অন্যান্য সময়ে গ্রামীণ শ্রমিকের কোনো কাজ থাকে না। অর্থাৎ বছরের যে সময় কৃষি শ্রমিক বা গ্রামীণ শ্রমিক কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় সে সময়ের জন্য ঐ শ্রমিককে মৌসুমি বেকার বলে। আর তার বেকারত্বের প্রকৃতি হচ্ছে মৌসুমি বেকারত্ব।
গ জাফরের প্রথম দিকের বেকারত্ব প্রকৃতির দিক থেকে ছদ্মবেশী বা প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব। প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব হলো সেই অবস্থা যেখানে শ্রমিক আপাত দৃষ্টিতে কাজ করছে বলে মনে হয়, কিন্তু তার প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্য। কৃষিখাতে আপাত দৃষ্টিতে অনেক লোক কাজ করছে বলে মনে হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কৃষিকাজে নিযুক্ত ঐসব লোকের মধ্যে অনেকেরই প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্য। প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্য বিশিষ্ট লোককে প্রচ্ছন্ন বেকার বা ছদ্মবেশী বেকার বলে। যেমন : উদ্দীপকের শাহী তার কৃষি জমিতে বছরে প্রায় ২৫ মন ধান উৎপাদন করতে পারে। তার বড় ছেলে জাফর অন্য কোনো কাজ না পেয়ে তার সাথেই ধান উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত হয়। কিন্তু তাতে উৎপাদনের পরিমাণ একই থেকে যায়। অতএব দেখা যাচ্ছে জাফরের প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্য। এর কারণ হলো দুইজন লোক একজনের কাজকে ভাগ করে নিচ্ছে। সুতরাং জাফরকে প্রচ্ছন্ন বেকার বলে অভিহিত করা যায়। আর তার এই বেকারত্বের প্রকৃতিকে অর্থনীতিতে ছদ্মবেশী বা প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব বলা হয়।
ঘ জাফরের পরবর্তী কার্যক্রমটি দেশের মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটিয়ে, বেকারত্ব দূর করে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য মানবসম্পদের গুরুত্ব খুব বেশি। উন্নয়ন ও প্রযুক্তির প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োজন মানবসম্পদের। দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি। কাজেই উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশের জন্য উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব রয়েছে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে দক্ষ মানব শক্তির যোগান থাকা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বস্তুগত সম্পদ ও মানবসম্পদ এ দুটিই জরুরি। উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, মানুষের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে মানবসম্পদে উন্নয়ন ঘটায়। দক্ষ মানবসম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রশিক্ষিত দেশের জনবল অধিক উৎপাদন সক্ষম। প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষিত মানুষের গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি। প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তিকে অধিক প্রযুক্তিগত কর্মে প্রয়োগ করলে তা থেকে প্রাপ্তি অনেক বেশি হয়। তাছাড়া প্রশিক্ষিত লোক কোনো কাজের ক্ষেত্রে দ্রæত ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো ফলাফল দিতে পারে। যেমন উদ্দীপকে জাফর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি গরুর খামার স্থাপন করেছে। ফলে সে নিজের ছদ্মবেশী বেকারত্ব দূর করেছে। উপরন্তু কৃষিভিত্তিক খামার তথা গরুর খামার স্থাপন করে দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়েছে। আবার তার খামারে পাঁচজন লোক নিয়োগ দিয়েছে, তথা জাফর কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি করেছে। এভাবে সে আমাদের দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছে। আলোচনা থেকে আমরা এ সিদ্ধান্তে আসতে পারি উদ্দীপকের জাফরের পরবর্তী কার্যক্রম তথা মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং কৃষিভিত্তিক খামার স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরণ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম।
 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২  উন্নত ও অনুন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য

সোমালিয়ার অধিবাসী তাকতাদির। তার দেশে সবসময় গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকে। পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে তা কাজে লাগানো যায় না। অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। তার বাবা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তাকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয়। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ আমেরিকার জনগণ কঠোর পরিশ্রমী। সেখানে তার দেশের মতো অস্থিরতা বিরাজ করে না বরং সবকিছু কেমন যেন উন্নয়নবান্ধব।
ক. অনুন্নত দেশের জাতীয় আয়ের প্রধান খাত কী? ১
খ. বাংলাদেশে উদ্যোক্তার অভাব পরিলক্ষিত হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের তাকতাদিরের দেশটি কী ধরনের দেশ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তাকতাদিরের দেশটিকে তার বর্তমানে বসবাসরত দেশটির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য করণীয় নির্দেশ কর। ৪

ক উন্নত দেশের জাতীয় আয়ের প্রধান খাত হলো কৃষি।
খ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার জন্য বাংলাদেশে উদ্যোক্তার অভাব পরিলক্ষিত হয়। তৃতীয় দেশের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করে। ফলে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করলে বিরাট ঝুঁকি থেকেই যায়। তাছাড়া কৃষিপণ্যের মূল্যের অস্থিরতা উদ্যোক্তাদের ক্ষতির হুমকিস্বরূপ। সর্বোপরি বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না থাকায় উদ্যোক্তাশ্রেণি এগিয়ে আসে না।
গ উদ্দীপকের তাকতাদিরের দেশটি একটি অনুন্নত দেশ। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশকে অনুন্নত দেশ বলা হয়। এ ধরনের দেশ সাধারণত কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র এসব দেশে ক্রিয়াশীল থাকে। দক্ষ জনশক্তি ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে এসব দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ অব্যবহৃত থাকে। উদ্দীপকে তাকতাদিরের মাতৃভ‚মি সোমালিয়া এমনই একটি অনুন্নত দেশ। তাকতাদিরের দেশ সোমালিয়া অন্যান্য অনুন্নত দেশের মতো কৃষির ওপর নির্ভরশীল। প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ ও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে দেশটি তার প্রাকৃতিক সম্পদকে সদ্ব্যবহার করতে পারছে না। আবার দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতাও রয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটিতে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হয়। ফলে উৎপাদন, জনগণের মাথাপিছু আয়, সঞ্চয় কম। এক কথায় সোমালিয়াতে একটি অনুন্নত দেশের সকল বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান আছে। তাই সার্বিক বৈশিষ্ট্য বিচারে বলা যায়, তাকতাদিরের দেশটি একটি অনুন্নত দেশ।
ঘ তাকতাদিরের দেশ সোমালিয়াকে তারা বর্তমানে বসবাসরত আমেরিকার মতো উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এবং দক্ষ জনশক্তি গঠন করা প্রয়োজন। একটি অনুন্নত দেশ উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথকে প্রশস্ত করতে হয়। এজন্য দেশটির জনসংখ্যা জনসম্পদে পরিণত করতে হয়। এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। উদ্দীপকের সোমালিয়ার ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য। তাকাতাদির বর্তমানে উন্নত দেশ আমেরিকায় বসবাস করছে। তার মাতৃভ‚মি সোমালিয়াকে উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য তার দেশের সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থাসহ অবকাঠামা উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে হবে। গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে হবে। ফলে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে এবং উদ্যোক্তা বিনিয়োগে উৎসাহী হবে। কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে জনসংখ্যাকে জনসম্পদের পরিণত করতে হবে। তাহলে তারা দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবে। ফলে সোমালিয়াও একসময় আমেরিকার মতো উন্নত দেশ হয়ে উঠবে। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের সোমালিয়াকে উন্নত দেশ করার জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া আবশ্যক।

প্রশ্ন- ৩  উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের বৈশিষ্ট্য

মালয়েশিয়া এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হচ্ছে। মাত্র ৫০ বছর আগেও দেশটি অনুন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় দেশটিতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শিল্পনির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠেছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলধন গঠন হচ্ছে এবং উদ্যোক্তাশ্রেণি প্রচুর বিনিয়োগ করছে। বর্তমানে তাদের আমদানির চেয়ে রপ্তানি অনেক বেশি।
ক. অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত কী? ১
খ. দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের দেশটির অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈসাদৃশ্য ব্যখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের দেশ বাংলাদেশের জন্য আদর্শ মডেল- বিশ্লেষণ কর। ৪

ক অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত হলো মূলধন গঠন।
খ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলতে একটি অনুন্নত দেশের দারিদ্র্যের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়াকে বোঝায়। অনুন্নত দেশে কম উৎপাদনের ফলে আয় কম হয়। আয় কম হলে সঞ্চয় কম হয়। সঞ্চয় কম হলে মূলধন গঠন ও বিনিয়োগও কম হয়। ফলে উৎপাদন কম হয়। এভাবে অনুন্নত দেশ ক্রমাগত দরিদ্র থাকে। আর অনুন্নত দেশের বিরাজমান এ চক্রকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলা হয়।
গ উদ্দীপকের মালয়েশিয়া একটি উন্নত দেশ আর বাংলাদেশ হলো একটি উন্নয়নশীল দেশ। তাই উভয়ের অর্থনীতির মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য আছে। উন্নত দেশের বৈশিষ্ট্য হলো ভ‚মি ও প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার, উচ্চ মূলধন গঠনের হার, দক্ষ জনশক্তি, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং পক্ষান্তরে উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে কৃষির উপর নির্ভরশীলতা, মাথাপিছু আয় স্বল্পতা, প্রাকৃতিক সম্পদের অপূর্ণ ব্যবহার, বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। উদ্দীপকের মালয়েশিয়ার অর্থনীতি শিল্পের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি কম উৎপাদনশীল কৃষিখাতের ওপর নির্ভরশীল। মালয়েশিয়াতে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র পরিলক্ষিত হয়নি। সেখানে জনগণের আয়, সঞ্চয়, মূলধন গঠন ও বিনিয়োগ অনেক বেশি। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে জনগণের আয়, সঞ্চয়, মূলধন গঠনের হার কম হওয়ায় দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বিদ্যমান। মালয়েশিয়াতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় উদ্যোক্তাশ্রেণি বিনিয়োগে উৎসাহী হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার জন্য উদ্যোক্তাশ্রেণি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায় না। সুতরাং মালয়েশিয়ার উন্নত অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ অতি অল্পসময়ের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারে। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশটির অর্থনীতি পুরোপুরি কৃষির উপর নির্ভরশীল। দেশটিতে বেকারত্বে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র, জনসংখ্যাধিক্য প্রাকৃতিক সম্পদের অপ্রতুল ব্যবহার, অনুন্নত পরিবহন ও যোগাযোগের ব্যবস্থা, বাণিজ্য ঘাটতি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায় দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্দীপকের মালয়েশিয়ার গৃহীত পদক্ষেপগুলো কার্যকর হতে পারে। বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি মালয়েশিয়া ৫০ বছর আগেও বাংলাদেশের মতো অনুন্নত ছিল। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে তারা আজ উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশ যদি তাদের অনুসরণ করে পরিকল্পনা করে তবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। মালয়েশিয়ার মতো বাংলাদেশ শিল্পনির্ভর হলে অর্থনীতি চাকা সচল হবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য বাংলাদেশকে মালয়েশিয়ার মতো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে হবে, তবে বিনিয়োগ যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি মাথাপিছু আয়, সঞ্চয় ও মূলধন গঠনও বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হবে। একসময় বাংলাদেশও মালয়েশিয়ার মত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আলোচনা থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের উচিত মালয়েশিয়ার মতো দেশকে অনুসরণ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া।

প্রশ্ন- ৪  দারিদ্রতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম

মোহনপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র। বছরের একটি বড় সময় তারা বেকার থাকে বলে অতি কষ্টে তাদের দিনাতিপাত করতে হয়। দারিদ্র্যকে সাথে নিয়েই এ গ্রামবাসী বংশপরম্পরায় জীবনযাপন করছে। প্রতিবছর বন্যার সময় এদের অবস্থা আরো করুণ হয়ে যায়। বিশেষ করে বয়স্ক দরিদ্র্য, দুস্থ মহিলা, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তাদের কষ্টের সীমা থাকে না।
ক. ব্র্যাকের পূর্ণরূপ কী? ১
খ. ঔপনিবেশিক ধরনের বাণিজ্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের গ্রামবাসীর দারিদ্র্য বিমোচনে কোন এনজিও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের অসহায় মানুষগুলোর জন্য বাংলাদেশ সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেÑ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ব্র্যাকের পূর্ণরূপ হলোÑ ইধহমষধফবংয জঁৎধষ অফাধহপবসবহঃ ঈড়সসরঃঃবব (ইজঅঈ)।
খ ঔপনিবেশিক ধরনের বাণিজ্য বলতে অনুন্নত দেশসমূহের প্রতিক‚ল ভারসাম্যের বাণিজ্যকে বোঝায়। অনুন্নত দেশসমূহ শিল্পে উন্নত না থাকায় কৃষিজাত পণ্য, কাঁচামাল, প্রাথমিক পণ্য রপ্তানি করে এবং শিল্পজাত পণ্য আমদানি করে। যেসব কৃষিপণ্য উপকরণ হিসেবে তারা কম দামে রপ্তানি করে সেই কৃষিপণ্য শিল্পপণ্যে রূপান্তরিত হয়ে অধিক মূল্যে এসব দেশে আমদানি করা হয়। ফলে এসব দেশের বাণিজ্যে প্রতিকূল অবস্থা বিরাজ করে। আর অনুন্নত দেশসমূহে বাণিজ্যের এ অবস্থাকে ঔপনিবেশিক ধরনের বাণিজ্য বলা হয়।
গ উদ্দীপকের মোহনপুর গ্রামবাসীর দারিদ্র্যবিমোচনে ‘প্রশিকা’ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় ৩১.৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এসব মানুষের দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য যেসব এনজিও কাজ করছে তাদের মধ্যে প্রশিকা অন্যতম। প্রশিকা সমিতির সদস্যদের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় কৃষি, সেচ, পশুপালন, মৌমাছি পালন, মৎস্য চাষ, বসতবাড়িতে বাগান, বীজ উৎপাদন, ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি খাতে মানুষের জন্য আয় ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। উদ্দীপকের গ্রামবাসীর জন্য এনজিওটি ভ‚মিকা রাখতে পারে। উদ্দীপকের গ্রামবাসী চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। অধিকাংশ সময় বেকার থাকায় তাদের জীবনে দারিদ্র্যের কষাঘাত নেমে আসে। এমতাবস্থায় প্রশিকা যদি তাদের উল্লিখিত খাতে ক্ষুদ্রঋণ দেয় তবে তারা আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। এতে আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং ‘প্রশিকা’ উদ্দীপকের গ্রামবাসীর দারিদ্র্যদূরীকরণে ভ‚মিকা রাখতে পারে।
ঘ উদ্দীপকের দরিদ্র, দুস্থ মহিলা, বয়স্ক দরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর নানা কর্মসূচি হাতে নেয়। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করে। এসব দরিদ্র ও অসহায়দের বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। উদ্দীপকের গ্রামবাসীর হাতে কাজ না থাকায় তারা কষ্টে আছে। এদের জন্য সরকার কাজের বিনিময়ে খাদ্য, ভিজিডি, ভিজিএফ ইত্যাদি খাদ্য সাহায্য কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পশুসম্পদ খাতে, মৎস্য খাতে বাংলাদেশ সরকার অর্থ সাহায্য করে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে। এতে উক্ত গ্রামবাসীর বেকারত্ব দূর হতে পারে। তাছাড়া উদ্দীপকের গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য মাসিক ৩০০ টাকা প্রদান করা হয়। বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাদের জন্য মাসিক ৩০০ টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা আছে। উদ্দীপকের গ্রামবাসীকে যদি বাংলাদেশ সরকারের এসব কর্মসূচির আওতায় আনা হয় তবে তাদের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হবে। আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকের অসহায় দরিদ্রদের জন্য বাংলাদেশ সরকার নানা ধরনের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

প্রশ্ন- ৫  বেকারত্বের প্রকৃতি ও বেকারত্ব নিরসন

মহব্বত মিয়ার ৩ বিঘা জমি আছে। তিনি একাই এ জমিতে চাষাবাদ করে তিন ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে দিনাতিপাত করেন। তিন ছেলেরাও এখন বড় হয়েছে। তারা লেখাপড়া শেষ না করায় কোনো কাজ পায় না। তারা এখন বাবার সাথে মাঠে কাজ করে।
ক. বেকার কে? ১
খ. মানবসম্পদ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের মহব্বত মিয়ার তিন ছেলেদের মধ্যে কোন ধরনের বেকারত্ব রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শিল্পায়নের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিদের বেকারত্ব দূর করা সম্ভবÑ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক যে ব্যক্তি প্রচলিত মজুরিতে কাজ করতে ইচ্ছুক হওয়া সত্তে¡ও কাজ পায় না, সে-ই বেকার।
খ মানবসম্পদ বলতে জনসংখ্যার সেই অংশকে বোঝায় যে অংশ শিক্ষা ও দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমশক্তিতে পরিণত হয়। একটি দেশের মোট জনসংখ্যার সবাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। একটি অংশ উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসম্মত, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা ইত্যাদি মাধ্যমে দক্ষ ও কর্মঠ হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলে এবং জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখে। জনসংখ্যার এ দক্ষ ও শিক্ষিত শ্রমশক্তিকে মানবসম্পদ বলা হয়।
গ উদ্দীপকের মহব্বত মিয়ার তিন ছেলের মধ্যে ছদ্মবেশী বেকারত্ব রয়েছে। প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্যবিশিষ্ট লোকদের অবস্থাকে ছদ্মবেশী বেকারত্ব বলা হয়। কৃষিখাতে এ ধরনের বেকারত্ব দেখা যায়। যেমনÑ একজন চাষি যে কাজ করতে পারে তা যদি দুইজনে মিলে করে তবে পরবর্তী ব্যক্তি ছদ্মবেশী বেকার হিসেবে পরিগণিত হয়। উদ্দীপকের মহব্বত মিয়ার তিন ছেলে এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মহব্বত মিয়ার ছেলে তার সাথে মাঠে চাষাবাদ করে। কিন্তু তারা চারজনে যে কাজ করছে তা আগে মহব্বত মিয়া একাই করত। এখন কাজ করার লোক বাড়লেও উৎপাদন বাড়েনি। অর্থাৎ মহব্বত মিয়া আগে যে ফসল উৎপাদন করতেন, এখন তিন ছেলেকে সাথে নিয়ে একই পরিমাণ ফসল উৎপাদন করছেন। এক্ষেত্রে তার ছেলেদের প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা শূন্য। তাই মহব্বত মিয়ার ছেলেদের ছদ্মবেশী বেকার হিসেবে অভিহিত করা যায়।
ঘ শিল্পায়নের মাধ্যমে উদ্দীপকের মহব্বত মিয়ার তিন ছেলেদের মতো ছদ্মবেশী বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। শিল্পের প্রসার ঘটাকে শিল্পায়ন বলা হয়। শিল্পায়নের ফলে দেশে প্রচুর কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব কারখানায় প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয় এবং বেতনও কৃষিশ্রমিকের চেয়ে বেশি হয়। ফলে কৃষিক্ষেত্রে নিয়োজিত উদ্বৃত্ত শ্রমিক শিল্প কারখানায় যোগ দেয়। এভাবে কৃষি ক্ষেত্রের ছদ্মবেশী বেকারত্বের সমস্যা সমাধান করা যায়। বাংলাদেশের মতো অনুন্নত দেশের কৃষিতে ছদ্মবেশী বেকারত্ব বিদ্যমান। উদ্দীপকের মহব্বত মিয়ার ছেলেরা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এ সমস্যা সমাধানের জন্য দেশে শিল্পায়ন ঘটানো জরুরি। শিল্প কারখানায় প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। আবার কৃষির তুলনায় বেতনও বেশি হয়।ফলে মহব্বত মিয়ার তিন ছেলের মতো প্রচ্ছন বা ছদ্মবেশী বেকাররা বেশি বেতনের জন্য শিল্প কারখানায় যোগ দেবে। ফলে কৃষিখাত থেকে উদ্বৃত্ত শ্রমিক শিল্পখাতে স্থানান্তর হবে। উপরিউক্ত আলোচনায় বলা যায়, বাংলাদেশের কৃষিখাতের ছদ্মবেশী বেকারত্বের সমস্যা সমাধান করার জন্য শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

প্রশ্ন- ৬  বেকারত্বের প্রকৃতি ও বেকারত্ব নিরসন

প্রায় প্রতিদিনই রইমুদ্দিন ও কলিমুদ্দিনকে একসাথে বসে গল্প করতে দেখা যায়। এখন তাদের অবসর। ক’দিন আগে তারা জমি থেকে চৈতালি ফসল ঘরে তুলেছে। ক’দিন পর আবার জমিতে ধান লাগানো লাগবে। মধ্যের দুই মাস তারা সুখ-দুঃখের গল্প করে কাটিয়ে দেয়।
ক. এসএসএস কী? ১
খ. বাংলাদেশে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো দরকার কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ব্যক্তিদ্বয় কী ধরনের বেকার? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তাদের বেকারত্ব কীভাবে দূর করা সম্ভব বলে তুমি মনে কর? মতামত দাও। ৪

ক এসএসএস হলো একটি এনজিও।
খ বাংলাদেশের বৃহৎ জনসংখ্যাকে বৃহৎ মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো দরকার। বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি কিন্তু দক্ষ জনশক্তির অভাবে প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যাশামাফিক হচ্ছে না। এমতাবস্থায় কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটলে মানুষ দক্ষ হয়ে উঠবে এবং উন্নয়ন সহজতর হবে। তাই কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন জরুরি।
গ উদ্দীপকের ব্যক্তিদ্বয় মৌসুমি বেকার। যারা সারা বছরের জন্য বেকার না হয়ে অল্প কিছু সময়ের জন্য বেকার হয় তাদের মৌসুমি বেকার বলা হয়। অর্থাৎ বছরের যে সময় কৃষি শ্রমিক কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় সে সময়ের জন্য ঐ শ্রমিককে মৌসুমি বেকার বলা হয়। উদ্দীপকের রইমুদ্দিন ও কলিমুদ্দিন এরকমই মৌসুমি বেকার। উদ্দীপকের রইমুদ্দিন ও কলিমুদ্দিনের হাতে সবসময় কাজ থাকে না। বছরের একটি বড় অংশ তাদের অবসর সময় কাটাতে হয়। যেমন চৈতালি ফসল ঘরে তোলার পর তাদের হাতে দুই মাস কোনো কাজ থাকে না। এ সময় তারা গল্প করে কাটিয়ে দেয়। পরবর্তী ফসলের মৌসুম না আসা পর্যন্ত তারা বেকার। সুতরাং সার্বিক বৈশিষ্ট্য বিচারে বলা যায় উদ্দীপকের রইমুদ্দিন ও কলিমুদ্দিন মৌসুমি বেকারত্বের শিকার।
ঘ উদ্দীপকের রইমুদ্দিন ও কলিমুদ্দিনের মতো মৌসুমি বেকারদের বেকারত্ব দূর করার জন্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ, জমিতে বহু ফসল উৎপাদন ব্যবস্থা চালু এবং ফসল বহিভর্‚ত চাষাবাদ প্রবর্তন ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। মৌসুমি বেকাররা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় কাজ ছাড়া থাকে। বিশেষ করে ফসল বপন ও কর্তন ব্যতীত অন্যান্য সময়ে তাদের কোনো কাজ থাকে না। তাই তাদের এ খণ্ডকালীন বেকারত্ব দূর করার জন্য সহযোগী পেশার ব্যবস্থা করতে হবে। কলিমুদ্দিন ও রইমুদ্দিনের মতো বেকারদের সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপন একটি সমাধান হতে পারে। এক্ষেত্রে বছরের যে সময় তাদের হাতে কাজ থাকে না তখন তারা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে কর্মরত থাকতে পারে। আবার বাংলাদেশের সমগ্র এলাকায় মৌসুমি ফসল ব্যতীত মাঝখানে অন্য ফসল উৎপাদন বা কৃষি জমিতে একটি ফসল উত্তোলনের পর অন্য ফসল করার উদ্যোগ নিলে তারা বেকার থাকবে না। তাছাড়া তারা ফসল বহিভর্‚ত চাষাবাদ যেমন মৎস্য চাষ, হাস-মুরগির পালন ইত্যাদি উদ্যোগ নিতে পারে। এতে তাদের সহযোগী পেশার সৃষ্টি হবে এবং তাদের মৌসুমি বেকারত্ব দূর হবে। পরিশেষে বলা যায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপন, জমিতে বহু ফসল উৎপাদন কিংবা ফসল বহিভর্‚ত চাষাবাদের মাধ্যমে রইমুদ্দিন ও কলিমদ্দিনের মতো বেকারদের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

প্রশ্ন- ৭  মৌসুমি বেকার ও মানবসম্পদ উন্নয়ন

অষ্টম শ্রেণি পাস সোহান মণ্ডল রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। বর্ষার মৌসুমে কাজ না থাকায় তাকে বিপদে পড়তে হয়। এ বছর তিনি অবসর সময়ে বাড়ির নিকটবর্তী লালপুর সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রনিক্সের কাজের ওপর একটি প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। এখন তিনি রাজমিস্ত্রির কাজের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে ইলেকট্রিক কাজ করেন। তার মতো অনেকেই এই ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন।
ক. ব্র্যাক কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১
খ. উদ্যোক্তাকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয় কেন? ২
গ. সোহান মণ্ডল পূর্বে কী ধরনের বেকার ছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মানবসম্পদ উন্নয়নে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছেÑ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ব্র্যাক ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
খ অর্থনৈতিক উন্নয়নে উদ্যোক্তাশ্রেণি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে তাদেরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়। যারা নতুন নতুন ধারণা নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করে তাদের উদ্যোক্তা বলা হয়। তারাই নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠা করে ঝুঁকি নেয়। তাদের সফলতার মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে। তারা বৃহৎ মূলধন বিনিয়োগ করে দেশের অর্থনীতিকে সচল করে। তাই তাদেরকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয়।
গ সোহান মণ্ডল পূর্বে মৌসুমি বেকার ছিল। যারা বছরের কিছু সময় কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় তাদের মৌসুমি বেকার বলা হয়। এ ধরনের বেকাররা কোনো কোনো পেশায় নিয়োজিত থাকে। কিন্তু বছরের একটি সময় ঐ কাজ আর থাকে না। তখন তারা ঐ সময়ের জন্য মৌসুমি বেকার হিসেবে জীবনযাপন করে। উদ্দীপকের সোহান মণ্ডল পূর্বে এ ধরনের মৌসুমি বেকার ছিল। সোহান মণ্ডল পূর্বে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। একাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে তার হাতে কাজ থাকত না। ফলে তাকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। অর্থাৎ এ সময় তার সারা বছর কাজ করার সুযোগ থাকত। বছরের একটা সময় তাকে বাধ্য হয়ে বেকার থাকতে হয়েছে। আর তার মতো এ ধরনের বেকারদের মৌসুমি বেকার বলে অভিহিত করা হয়। তাই সোহান মণ্ডল পূর্বে মৌসুমি বেকার ছিল।
ঘ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে জনসংখ্যাকে শ্রমশক্তিতে পরিণত করার মধ্য দিয়ে উদ্দীপকে লালপুর সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মানসবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে বলে আমি মনে করি। জনসংখ্যার একটি অংশ যখন শিক্ষা ও দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমশক্তিতে পরিণত হয় তখন তাদেরকে মানবসম্পদ বলা হয়। আর উপর্যুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের কর্মদক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে মানবসম্পদ উন্নয়ন বলা যায়। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিতদের প্রশিক্ষণ দান করে মানবসম্পদের উন্নয়নে কৃতিত্ব রাখে। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান। উদ্দীপকের সরকারি প্রতিষ্ঠান লালপুর সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। সোহান মণ্ডলের মতো বেকাররা এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে। তারা তাদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হচ্ছে। সোহান মণ্ডলের মতো বেকাররা নিজেদের বেকারত্ব দূর করে নতুন জীবনের আশা দেখতে পেয়েছে। এককথায় প্রতিষ্ঠানটি অদক্ষ বেকারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করছে। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের লালপুর সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বেকার যুবকদের দক্ষতা ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে মানবসম্পদের উন্নয়ন করছে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে।

প্রশ্ন- ৮  উন্নতও উন্নয়নশীল অর্থনীতি

উদ্দীপক-১ : ‘অ’ একটি নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশ। দেশটির অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল। পর্যাপ্ত মূলধন, দক্ষ জনশক্তি, অপরিমিত বিনিয়োগ ও বিদ্যমান রাজনৈতিক দ্ব›েদ্বর কারণে দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারছে না।
উদ্দীপকÑ২ : ‘ই’ একটি শিল্পসমৃদ্ধ দেশ। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ থাকায় দেশটিতে বিনিয়োগ বেশি হয় এবং উৎপাদনও বেশি। উন্নত অবকাঠামোর কারণে অন্যান্য দেশের ধনীরা এখানে এসে বিনিয়োগ করতে এবং বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
ক. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কী? ১
খ. বেসরকারি সংস্থাসমূহ কীভাবে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে? ২
গ. উদ্দীপক-১-এর ‘অ’ দেশটির সাথে বাংলাদেশের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের দেশদ্বয়ের মধ্যে কোন দেশকে তুমি উন্নত দেশ মনে কর? সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলো একটি দেশের দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনের পরিমাণগত বৃদ্ধি।
খ বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ক্ষুদ্রঋণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচনে কাজ করে। বেসরকারি সংস্থাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্র্যবিমোচন করা। তারা সমাজের দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ, অধিকারবঞ্চিত নারী-পুরুষ-শিশুদের ক্ষমতায়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-নিশ্চিতকরণ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে। এক্ষেত্রে এনজিওগুলো তাদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে। সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠী তাদের অবস্থার পরিবর্তন করে।
গ উন্নয়নের গতিশীলতা ও প্রতিবন্ধকতা দিক থেকে উদ্দীপক-১-এর ‘অ’ দেশটির সাথে বাংলাদেশের সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ। এদেশের অর্থনীতি এখনও অনুন্নত কৃষি ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনুন্নত পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানে বিনিয়োগ অনেক কম। ফলে বেকারত্ব, কম আয়, কম মূলধন গঠন, কম উৎপাদনের মতো অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা যায়। অধিক জনসংখ্যা, অদক্ষ জনগোষ্ঠী এবং অদক্ষ প্রশাসনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আজও অনুন্নত। বাংলাদেশের অর্থনীতির ন্যায় সমস্যা জর্জরিত অর্থনীতির দেশ হলো উদ্দীপকের ‘অ’ দেশটি। উদ্দীপক-১-এর ‘অ’ দেশটিও বাংলাদেশের মতো দুর্বল অর্থনীতির দেশ। দেশটিও কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বিদ্যমান। তাইতো দেশটিতে কম আয়, কম সঞ্চয়, কম মূলধন গঠন, কম বিনিয়োগ ও কম উৎপাদন বিদ্যমান। দক্ষ জনগোষ্ঠী ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে দেশটি উন্নয়নের মুখ দেখতে পারছে না। তাই বলা যায়, অনুন্নত অর্থনীতির দিক থেকে বাংলাদেশ ও উদ্দীপকের ‘অ’ দেশটি অভিন্ন সূত্রেগাঁথা।
ঘ সার্বিক বৈশিষ্ট্য বিচারে উদ্দীপকে ‘অ’ ও ‘ই’ দেশ দুটির মধ্যে ‘ই’ দেশটিকে আমি উন্নত দেশ বলে মনে করি। উন্নত দেশ বলতে সেসব দেশকে বোঝায়, যারা অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের চরম শিখরে অবস্থান করছে। আর এসব উন্নত রাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রধান ভ‚মিকা পালন করছে প্রাকৃতিক সম্পদ, মূলধন ও দক্ষ জনশক্তি। উন্নত দেশের অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য হলো প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার, মূলধন গঠন, দক্ষ জনশক্তি, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নত অবকাঠামো ইত্যাদি। আর এসব বৈশিষ্ট্য বিচার উদ্দীপকের দেশদ্বয়ের মধ্যে ‘ই’ দেশটিকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে প্রতীয়মান হয়। উদ্দীপকের ‘অ’ দেশটি একটি অনুন্নত অর্থনীতির দেশ। কেননা দেশটিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া নেই। বরং কৃষিনির্ভর অর্থনীতি, স্বল্প মাথাপিছু আয়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং উন্নত অবকাঠামোর অভাবে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে। ‘ই’ দেশটি একটি শিল্পসমৃদ্ধ প্রগতিশীল দেশ। এখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, উন্নত অবকাঠামো লক্ষণীয়। ফলে দেশটিতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হয় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা সচল হয়। আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকের দেশদ্বয়ের মধ্যে ‘ই’ দেশটিই উন্নত দেশ বলে আমি মনে করি।

প্রশ্ন- ৯  বেকারত্ব দূরীকরণে পদক্ষেপসমূহ

জয়নাল মুদি দোকানদার বাবার একমাত্র ছেলে। তার অসুস্থ বাবা যা উপার্জন করে তা দিয়েই কোনোমতে তাদের দিন অতিবাহিত হচ্ছিল। জয়নাল এসএসসি পাস করে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার দোকানে বসা শুরু করে। তার সহযোগিতায় তার বাবা কিছু টাকা জমিয়ে ব্যবসা স¤প্রসারণ করে। আর এদিকে জয়নালও বিবিএ-এমবিএ শেষ করে বড় একটা চাকরি পায়। এখন সে তার বাবা-মাকে নিয়ে সুখেই দিন কাটাচ্ছে।
ক. মূলধন গঠনের উপায় কী? ১
খ. বাংলাদেশে জনসংখ্যাকে একটি সমস্যা হিসেবে চি‎ি‎হ্নত করা হয় কেন? ২
গ. জয়নালের পরিবার কীভাবে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভেঙেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জয়নালের মতো প্রতিভাবানদের শিক্ষার সুযোগ দানের মাধ্যমে জাতি দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে পারবে।Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মূলধন গঠনের উপায় হলো আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধি করা।
খ বাংলাদেশে অধিক জনসংখ্যাকে উৎপাদন ও কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জনসংখ্যাকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চি‎িহ্নত করা হয়েছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৫ কোটি। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। ফলে জনসংখ্যাকে উৎপাদনশীল নিয়োজিত করা সম্ভব হচ্ছে না। বরং জাতীয় সঞ্চয়ের একটা বড় অংশ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয় হয়। এর ফলে উন্নয়নে বাধা তৈরি হচ্ছে। তাই জনসংখ্যা একটি সমস্যা হিসেবে চি‎িহ্নত করা হয়।
গ সঞ্চয় বৃদ্ধি ও উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে জয়নালের পরিবার দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভাঙতে পেরেছে। ক্রমাগত দারিদ্র্যের মধ্যে নিমজ্জিত থাকার পরিস্থিতিকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলা হয়। কম উৎপাদনের ফলে আয় কম হয়। আয় কম হলে সঞ্চয় ও মূলধন গঠনও কম হয়। মূলধন কম হওয়ায় বিনিয়োগ কম হয়। ফলে উৎপাদন কম হয়। এ অবস্থাকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বলা হয়। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভাঙার জন্য আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধি করে বিনিয়োগ ও উৎপাদন বাড়াতে হয়। আর এজন্য প্রয়োজন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি। উদ্দীপকের জয়নালের পরিবার এ পন্থাই অবলম্বন করেছে। জয়নালের অসুস্থ বাবা বেশি আয় করতে না পারায় তাদের সঞ্চয়, মূলধন ও ব্যবসায় কম বিনিয়োগ ছিল। ফলে তাদের পরিবারের আয়ও কম ছিল। কিন্তু জয়নালের সাহায্যে তার বাবার আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়। ফলে মূলধন গঠন করে তার বাবা ব্যবসা স¤প্রসারণ করে আয় আরও বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি জয়নাল উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বড় চাকরি পায়। আর এভাবে জয়নালের পরিবার দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভাঙতে সক্ষম হয়েছে।
ঘ জয়নালের মতো প্রতিভাবান তরুণদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দানের মাধ্যমে জাতিকে দারিদ্র্যের দুষ্ট থেকে উদ্ধার করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ। কৃষির উপর অতি নির্ভরশীলতা, উদ্যোক্তার অভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বাজার দুর্বলতা, দক্ষ জনশক্তির অভাবে এদেশে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বিদ্যমান। আর দারিদ্র্যের এ বেড়াজাল ভাঙার জন্য প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য জয়নালের মতো তরুণদের শিক্ষার সুযোগ দানের কোনো বিকল্প নেই। জয়নালের মতো প্রতিভাবানদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তথা দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে। এ মানবসম্পদ তাদের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি করবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে জাতীয় সঞ্চয় ও মূলধন গঠন বৃদ্ধি পাবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ফলে জাতি দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেড়িয়ে এসে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে ধাবিত হবে। আলোচনা থেকে বলা যায়, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে উচ্চশিক্ষা দানের মাধ্যমে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র হতে বের হওয়া সম্ভব।

প্রশ্ন- ১০  মানব সম্পদ উন্নয়ন পদ্ধতি

‘ক’ রাষ্ট্রটির জনসংখ্যা আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি। এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দিন দিন দেশটিতে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান হচ্ছে নিম্নমুখী। কিন্তু দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।
ক. শক্তি ফাউন্ডেশন কাদের নিয়ে কাজ করে? ১
খ. অনুন্নত দেশে মূলধনের অভাব দেখা দেয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের দেশটির জনসংখ্যাকে কীভাবে মানবসম্পদে পরিণত করা যায়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব-বিশ্লেষণ কর। ৪

ক শক্তি ফাউন্ডেশন শহরের দুস্থ মহিলাদের নিয়ে কাজ করে।
খ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ক্রিয়াশীল থাকায় অনুন্নত দেশে মূলধনের অভাব দেখা দেয়। অনুন্নত দেশে কম উৎপাদনের জন্য মাথাপিছু আয় ও সঞ্চয় অনেক কম হয়। ফলে মূলধন গঠনের হারও কম। এ চক্র অনবরত চলতে থাকে। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন অনুন্নত দেশের থাকে না।
গ মানবসম্পদ উন্নয়নের পদ্ধতিসমূহ অবলম্বনের মাধ্যমে উদ্দীপকের ‘ক’ দেশটির বৃহৎ জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করা যায়। শিক্ষিত ও দক্ষ জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ বলা হয়। উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদির মাধ্যমে জনসংখ্যার কর্মদক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে মানবসম্পদ উন্নয়ন ঘটানো যায়। এই প্রক্রিয়ায় উদ্দীপকের দেশটির জনসংখ্যা মানবসম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব। উদ্দীপকের দেশটিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। কেননা শিক্ষা ব্যক্তি জীবন এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। তাই দেশটি কর্মমুখী, পেশাগত ও কারিগরি শিক্ষার প্রবর্তন রাখতে হবে। আর অশিক্ষিত বা অর্ধ-শিক্ষিতদের প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা করে তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশির জনসংখ্যার জন্য উপযুক্ত খাদ্য ও পুষ্টি, বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য জনগণ ও সরকারকে একত্রে পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে হবে। এভাবে দেশটি তার বর্তমানে বোঝাস্বরূপ জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে পারবে।
ঘ প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং জনসংখ্যাকে উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্দীপকের ‘ক’ দেশটির সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সেদেশের জনসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু কোনো দেশ পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও দক্ষ জনশক্তির অভাব তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভবপর হয় না। উদ্দীপকের দেশটিকেও তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারের প্রতি জোর দিতে হবে। উদ্দীপকের দেশটির বৃহৎ জনসংখ্যা যেমন আছে তেমনি আছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ। এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে প্রথমে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে বিদ্যমান বেকারত্ব সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। আর এ দক্ষ জনগোষ্ঠীর পক্ষে তখন দেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চত করা সহজ হবে। ফলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। এভাবে দেশটির জনসংখ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকাকে সচল করা সম্ভব। আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, প্রাকৃতিক সম্পদ ও জনসংখ্যাকে যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই উদ্দীপকের দেশটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

প্রশ্ন- ১১  উন্নত দেশের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য ও উদ্যোক্তা

নোমান সাহেব প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দুর্বল অবকাঠামোর জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহ পান না। সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিনি ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার শর্তে নাগরিকত্বসহ কানাডাতে পাড়ি জমান। কানাডায় গিয়ে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তার কারখানায় প্রায় ২০০ জন শ্রমিক কাজ করে।
ক. এসএসএস কত সালে আত্মপ্রকাশ করে? ১
খ. ছদ্মবেশী বেকারত্ব বলতে কী বোঝায়? ২
গ. কানাডার কোন কোন বৈশিষ্ট্য নোমান সাহেবকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নোমান সাহেবের মতো ব্যক্তিদের দেশে রাখতে না পারলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব-বিশ্লেষণ কর। ৪

ক এসএসএস ১৯৮৬ সালে আত্মপ্রকাশ করে।
খ ছদ্মবেশী বেকারত্ব বলতে কোনো ব্যক্তির শূন্য প্রান্তিক উৎপাদনশীলতার পরিস্থিতিকে বোঝায়। কখনো কখনো কাজ করা সত্তে¡ও উৎপাদনের পরিমাণ স্থির থাকে। যেমন : একটি জমিতে একজন লোক কাজ করে ১০ মণ ধান উৎপাদন করে। ঐ ব্যক্তির সাথে যদি আরও দুজন লোক কাজ করে তবু উৎপাদনের পরিমাণ স্থির থাকবে। কাজ করা সত্তে¡ও ঐ দুই ব্যক্তির উৎপাদনশীলতা শূন্য। তাদের এহেন পরিস্থিতিকে ছদ্মবেশী বেকারত্ব বলা যায়।
গ উন্নত দেশের অর্থনীতির যেসব বৈশিষ্ট্য থাকে তাই নোমান সাহেবকে কানাডায় বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট করেছে। উন্নত দেশের পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে এ সম্পদকে কাজে লাগানোর মতো দক্ষ জনগোষ্ঠী ও মূলধন। এসব দেশে সর্বদা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে এবং অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হয়। আর এ বিষয়গুলোই নোমান সাহেবকে কানাডাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেছে। প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক নোমান সাহেব রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্বল অবকাঠামোর জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু উন্নত অর্থনীতির দেশ কানাডাতে তিনি বিনিয়োগ করেছেন। কানাডায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নত অবকাঠামো ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। এর ফলে নোমান সাহেব বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে তার ঝুঁকি অনেক কম। তাই তিনি কানাডায় বিনিয়োগ করেছেন।
ঘ নোমান সাহেবের মতো উদ্যোক্তারা যদি যথাযথ পরিবেশের অভাবে বিদেশে পাড়ি জমান তবে দেশে মূলধন ও উদ্যোগের অভাবে কাক্সিক্ষত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হলো উদ্যোক্তা শ্রেণি। উদ্যোক্তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতাই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বেগবান করে। কিন্তু কোনো দেশে যদি ঝুঁকি বহনে আগ্রহী ও সক্ষম উদ্যোক্তা না থাকে তবে প্রাপ্ত সঞ্চয় ও মূলধনের সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয় না। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ। এখানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নত অবকাঠামোর অভাবে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে উৎসাহ পায় না। উদ্দীপকের নোমান সাহেব এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু তার মতো উদ্যোক্তাদের মূলধনসহ অন্য দেশে চলে যাওয়া আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। এর ফলে দেশের বিনিয়োগ কম হবে। আর বিনিয়োগ কম হলো উৎপাদন, আয়, সঞ্চয় কম হবে। ফলশ্রæতিতে দেশ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে আবর্তিত হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের নিশ্চয়তা দিতে না পারলে উদ্যোক্তাশ্রেণি বিনিয়োগে উৎসাহী হবে না বরং তারা নোমান সাহেবের মতো বিকল্প খুঁজবে যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই নোমান সাহেবের মতো ব্যক্তিদের দেশে উদ্যোগ নিতে উৎসাহী করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ আশা কত সাল থেকে কাজ করছে?
উত্তর : আশা ১৯৯২ সাল থেকে কাজ করছে।
প্রশ্ন \ ২ \ অর্থনৈতিক উন্নয়ন কী?
উত্তর : অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতির গুণগত পরিবর্তনের সমষ্টি।
প্রশ্ন \ ৩ \ ব্যুরো বাংলাদেশ কতটি জেলায় কাজ করে।
উত্তর : ব্যুরো বাংলাদেশ ৪২টি জেলায় কাজ করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ভিজিডি কী?
উত্তর : ভিজিডি হলো মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি।
প্রশ্ন \ ৫ \ এসএসএস-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : এসএসএস-এর পূর্ণরূপ হলো সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিসেস।
প্রশ্ন \ ৬ \ প্রশিকা প্রাথমিকভাবে কয়টি জেলায় কাজ শুরু করে?
উত্তর : প্রশিকা প্রাথমিকভাবে ২টি জেলায় কাজ শুরু করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ইজঅঈ-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : ইজঅঈ-এর পূর্ণরূপ ইধহমষধফবংয জঁৎধষ অফাধহপবসবহঃ পড়সসরঃঃবব
প্রশ্ন \ ৮ \ ২০১০ বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার কত ছিল?
উত্তর : ২০১০ বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার ছিল ৩১.৫%।
প্রশ্ন \ ৯ \ দারিদ্র্য দূরীকরণের সবচেয়ে ভালো উপায় কী?
উত্তর : দারিদ্র্য দূরীকরণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা।
প্রশ্ন \ ১০ \ অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত কোনটি?
উত্তর : অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রাথমিক শর্ত হলো মূলধন গঠন।
প্রশ্ন \ ১১ \ একটি দেশে দক্ষ জনশক্তি কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর : উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে।
প্রশ্ন \ ১২ \ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত কোনটি?
উত্তর : দক্ষ প্রশাসন হলো অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ মানবসম্পদ উন্নয়ন কাকে বলে?
উত্তর : উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান, চিকিৎসাসেবা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে মানবসম্পদ উন্নয়ন বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কর্মসংস্থান ব্যাংকের ক্রমপুঞ্জীভ‚ত ঋণ আদায়ের হার কত?
উত্তর : কর্মসংস্থান ব্যাংকের ক্রমপুঞ্জীভ‚ত ঋণ আদায়ের হার ৯২%।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশকে দারিদ্র্যের দেশ বলা হয় কেন?
উত্তর : দারিদ্র্যের হার অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশকে দারিদ্র্যের দেশ বলা যায়। বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। বাংলাদেশ ব্যুরোর সর্বশেষ ২০১০ সালের সীমানা অনুযায়ী বাংলাদেশের দারিদ্র্য দাঁড়িয়েছে ৩১.৫ শতাংশ যা ২০০৫ সালে ৪০ শতাংশ ছিল। জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ দরিদ্র হওয়ায় বাংলাদেশকে দারিদ্র্যের দেশ বলা যায়।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রযুক্তি ও দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাবে অনুন্নত দেশ প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে পারে না কেন?
উত্তর : প্রযুক্তি ও দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাবে অনুন্নত দেশ প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে পারে না। অনেক অনুন্নত দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। কিন্তু এসব দেশে শিক্ষাব্যবস্থা অনুন্নত। প্রযুক্তি গঠনের অভাবে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হয় না। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানোর মতো প্রেক্ষাপট তৈরি হয় না তাই অনুন্নত দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ অব্যবহৃতই থেকে যায়।
প্রশ্ন \ ৩ \ অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : মানবসম্পদের উন্নয়ন করে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা একজন ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ শক্তির বিকাশ ঘটায়। ফলে একজন ব্যক্তির দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। এতে দেশের মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য উপাদান। তাই শিক্ষা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ৪ \ নারী ক্ষমতায়ন কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে?
উত্তর : নারীর ক্ষমতায়ন মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য জনসংখ্যাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগানো জরুরি। একটি দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক হয় নারী তাই এ নারীকে ঘরে রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব।

নারীর ক্ষমতায়ন হলে তারা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত হতে পারে। জাতীয় অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারে। এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন জাতীয় উন্নয়নের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
প্রশ্ন \ ৫ \ ফসল বহিভর্‚ত চাষাবাদ কীভাবে বেকারত্ব দূর করে?
উত্তর : সারা বছর কাজ করার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ফসল বহিভর্‚ত চাষাবাদ বেকারত্ব দূর করে। বাংলাদেশের কৃষিজীবী মানুষ বছরের অধিকাংশ সময় ছদ্মবেশি মৌসুমী বেকার থাকে। এসময় তারা ফসল বহিভর্‚ত চাষাবাদ যেমন মাছ চাষ, মৎস্য চাষ ইত্যাদি করলে তাদের সাময়িক বেকারত্ব দূর হয়। এমনকি স্থায়ী বেকারও এর মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে এভাবে ফসল বহিভর্‚ত চাষাবাদ বেকারত্ব দূর করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলাদেশের উদ্যোক্তার অভাব দেখা দেয় কেন?
উত্তর : রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশে উদ্যোক্তার অভাব দেখা দেয়। উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন করা। এজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতাপূর্ণ দেশে বিনিয়োগ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাংলাদেশ ও বিনিয়োগ স্বনির্ভর পদক্ষেপ নেই। তাইতো উদ্যোক্তার অভাব পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বিরাজমান থাকলে উন্নয়নের গতি মন্থর হয় কেন?
উত্তর : উৎপাদন কম হয় বলে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বিরাজমান থাকলে উন্নয়নের গতি মন্থর হয়। যেসব দেশে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র বিদ্যমান সেখানে জনগণের আয় কম হয়। আর আয় কম হলে সঞ্চয় কম হয়। সঞ্চয় কম হওয়ায় মূলধন গঠন ও বিনিয়োগও কম হয়। ফলে সার্বিকভাবে উৎপাদন কম হয়। আর এজন্য উৎপাদনের গতিও থেমে যায়।
প্রশ্ন \ ৮ \ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয় কেন?
উত্তর : রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি করায় অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয়। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এজন্য কম দামে কাঁচামাল রপ্তানি করে। কিন্তু শিল্প ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকায় তারা শিল্পজাত পণ্য উচ্চদামে আমদানি করে। ফলে সহজেই এসব দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ৯ \ দারিদ্র্য দূরীকরণের সবচেয়ে ভালো উপায় কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দারিদ্র্য দূরীকরণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। খাদ্য কর্মসূচি বা আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। কিন্তু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে তারা নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের চাকাকে ঘুরাতে পারে। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি পালনের প্রশিক্ষণ প্রদান ও ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে সহায়তা করলে আত্মকর্মসংস্থান করে দারিদ্র্য দূর করতে পারে।

 

 

Leave a Reply