নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ১০ বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ

দশম অধ্যায়
 বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবরণ

ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
 বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান এবং ভ‚প্রকৃতি বর্ণনা করতে পারবে।
 বাংলাদেশের প্রধান নদনদী, উপনদী এবং শাখানদী সম্পর্কে বর্ণনা দিতে পারবে।
 বাংলাদেশের নদী ও জলাশয় ভরাটের মানবসৃষ্ট কারণ, প্রভাব ও প্রতিরোধের উপায় বর্ণনা করতে পারবে।
 বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য, ঋতুভিত্তিক তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে।
 মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য এবং কালবৈশাখী সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে।
 কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতের ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করতে এবং অন্য কেউ এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
 বাংলাদেশের অবস্থান : বাংলাদেশ ২০৩র্৪ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬৩র্৮ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮০১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯২৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত।
 আয়তন : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার। বনাঞ্চলের আয়তন ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার।
 সীমা : বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম রাজ্য; পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য ও মায়ানমার; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত।
 বাংলাদেশের প্রধান নদনদী : বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা প্রায় ৭০০। পদ্মা, ব্র‏হ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা ও কর্ণফুলী বাংলাদেশের প্রধান নদনদী।
ক্স পদ্মা : বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম নদী পদ্মা। এটি হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের দক্ষিণে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ক্স ব্র‏হ্মপুত্র : এ নদ হিমালয় পর্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ক্স যমুনা : এ নদী ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্র‏হ্মপুত্রের শাখা নদী নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে দৌলতদিয়ার কাছে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে।
ক্স মেঘনা : আসামের বরাক নদী নাগা-মণিপুর অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে সিলেট জেলায় প্রবেশ করেছে।
ক্স কর্ণফুলী : আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলী নদী রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
 নদী ও জলাশয় ভরাটের কারণ, প্রভাব ও প্রতিরোধ : বাংলাদেশের বহুবিধ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণে নদী ও জলাশয় ভরে যাচ্ছে যার ফলে দ্রæত নদী ও জলাশয়গুলো মরে যাচ্ছে। বন্যা দেখা যাচ্ছে, শুষ্ক মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা ও মাছ চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা প্রতিরোধের জন্য নদী ও জলাশয়গুলো ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। দখলীয় নদী ও জলাশয় উদ্ধার করতে হবে।
 মৌসুমি বায়ু : মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। জুন মাসের প্রারম্ভে বঙ্গোপসাগর থেকে আগত উষ্ণ ও আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের পূর্ব ও উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বাধাপ্রাপ্ত হলে বৃষ্টিপাত হয়।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. লালমাই পাহাড় কোন জেলায় অবস্থিত?
ক গাজীপুর খ টাঙ্গাইল
গ ময়মনসিংহ  কুমিল্লা
২. বাংলাদেশে নদী ভরাটের কারণÑ
র. পানিতে মিশ্রিত মাটির অবক্ষেপণ
রর. নদীর উজানে বনভ‚মি ধ্বংস
ররর. নদীর ধারে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের সারণি অবলম্বনে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
অঞ্চল গড় উচ্চতা (মিটার) উদ্ভিদ
চ ২৪৪ তেলসুর, বাঁশ
ছ ৩০ গজারি, কড়াই
জ ২১ শাল, হিজল
৩. সারণিতে প্রদর্শিত ‘চ’ অঞ্চলটি বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত?
ক টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহে  মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জে
গ রংপুর-দিনাজপুরে ঘ নোয়াখালি-কুমিল্লায়
৪. সারণিতে প্রদর্শিত ‘ছ’ ও ‘জ’ অঞ্চলের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছেÑ
র. মৃত্তিকার রর. উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যের
ররর. অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমার
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫. বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা একত্রে কোথায় মিলিত হয়েছে?
ক দৌলতদিয়া  চাঁদপুর
গ যশোর ঘ কুষ্টিয়া
৬. বাংলাদেশের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস?
 ২৬.০১  ২৬.০৯
গ ২৭.০১ ঘ ২৮.০৯
৭. বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস কোনটি?
ক জুলাই খ জুন
 এপ্রিল ঘ মার্চ

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  স্রোতজ বনভ‚মি, বরেন্দ্রভ‚মি ও টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম কী?
খ. মধুপুর গড়ের বর্ণনা দাও।
গ. মানচিত্রে ‘চ’ চিহ্নিত স্থানের ভ‚প্রকৃতি বর্ণনা কর।
ঘ. ‘ছ’ ও ‘জ’ চিহ্নিত স্থান দুটির মধ্যে কোনো সাদৃশ্য আছে কি? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

ক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম তাজিনডং (বিজয়)।
খ মধুুপুর গড় বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের সোপানের অন্তর্গত। আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বে এ সোপান গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় এ গড় বিস্তৃত। এর আয়তন ভাওয়ালের গড়সহ প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার। সমভ‚মি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার। মাটির রং লালচে ও ধূসর।
গ মানচিত্রের চ চি‎িহ্নত স্থানটি সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট ও বরগুনা জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত স্রোতজ সমভ‚মি। বাংলাদেশ নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি। অসংখ্য ছোট-বড় নদী সর্বত্র জালের মতো ছড়িয়ে আছে। নদীসমূহের উৎসস্থল ভারত বা নেপালে আর শেষাংশ বাংলাদেশে। ভ‚মির ঢাল ক্রম অবনতি। অববাহিকা অঞ্চল থেকে পানিপ্রবাহ সাগরের দিকে এগিয়ে যায়। সমতলভ‚মির ওপর দিয়ে এ নদীগুলো প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয়। বন্যার সঙ্গে পলিবাহিত মাটি, শিলাচ‚র্ণ, বালি, কাদা প্রভৃতি তলানিরূপে সঞ্চিত হয়ে এ অঞ্চলে স্রোতজ সমভ‚মির সৃষ্টি করেছে। এ স্রোতজ সমভ‚মির দুই পার্শ্ব দিয়ে নদী প্রবাহিত হওয়ায় মোহনাস্থিত ভ‚খণ্ডটির দুই পার্শ্ব ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বদ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে। উদ্দীপকের ‘চ’ স্থান বা স্রোতজ সমভ‚মি প্রায় সমুদ্র সমতলে অবস্থিত। এ অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে অসংখ্য জলাভ‚মি ও নিম্নভ‚মি এবং কিছুসংখ্যক অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ ছড়িয়ে রয়েছে।
ঘ ‘ছ’ চিহ্নিত স্থানটি হলো দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভ‚মি অঞ্চল আর ‘জ’ চিহ্নিত স্থানটি হলো দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের টারশিয়ারি যুগের পাহাড়ি অঞ্চল। স্থান দুটির মধ্যে সাদৃশ্য হলো উভয় উচ্চভ‚মির অন্তর্গত। বরেন্দ্রভ‚মি প্লাইস্টোসিনকালের সোপানের অন্তর্ভুক্ত। প্লাইস্টোসিনকালে এসব সোপান গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বরেন্দ্রভ‚মি বিস্তৃত। প্লাবন সমভ‚মি হতে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার। অপরদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহের মধ্যে ‘জ’ চিহ্নিত অঞ্চল হলো মৌলভীবাজার জেলার পাহাড়সমূহ। এ পাহাড়সমূহ স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত। এগুলোর উচ্চতা প্রায় ৩০ থেকে ৯০ মিটার। সুতরাং ‘ছ’ ও ‘জ’ চিহ্নিত স্থান দুটির মধ্যে সাদৃশ্য হলো উভয় স্থানই উচ্চভ‚মির অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন- ২  কর্ণফুলী নদী

একদল শিক্ষার্থী দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শিক্ষা ভ্রমণে যায়। সেখানে তারা দেখতে পায় একটি নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়ে এক ধরনের শক্তি উৎপন্ন করা হচ্ছে।
ক. ধলেশ্বরী কোন নদীর শাখানদী?
খ. কালবৈশাখী ঝড় কীভাবে সংঘটিত হয়?
গ. শিক্ষার্থীদের দেখা নদীটির গতিপথ বর্ণনা কর।
ঘ. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উক্ত নদীটির অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

ক ধলেশ্বরী যমুনা নদীর শাখানদী।
খ কালবৈশাখী ঝড় গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এ সময় সূর্য বঙ্গোপসাগরের ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সূর্যতাপে জলভাগের উপরের বায়ু সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। বিকেলের দিকে তখন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। এ সময় দেশের উত্তর-পশ্চিম বা হিমালয়ের দিকে বায়ুর চাপ থাকে বেশি। তাই উচ্চচাপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বায়ু প্রবল বেগে দক্ষিণের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধাবিত হলে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হয়।
গ শিক্ষার্থীদের দেখা নদীটি হলো কর্ণফুলী নদী। বাংলাদেশে কর্ণফুলী নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়েই কেবল বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয়। আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলী নদী রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এটি চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির প্রধান নদী। কর্ণফুলীর প্রধান উপনদী কাসালাং, হালদা এবং বোয়ালখালী।

চিত্র : কর্ণফুলী নদীর গতিপথ
ঘ কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বৃহত্তম নদী কর্ণফুলি। এ নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার এবং অববাহিকার আয়তন ১৪,২৪৫ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হলো কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র। উদ্দীপকে শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যুৎ শক্তির উৎপাদনই দেখতে পায়। ১৯৬২ সালের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়। এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট। পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও এ বাঁধের সাহায্যে বন্যা প্রতিরোধ, নৌচলাচল ও প্রায় ১০ লাখ একর জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। কর্ণফুলী নদীপথে জাহাজযোগে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির সিংহভাগ সম্পাদিত হয়ে থাকে। কর্ণফুলী নদীর তীরে চন্দ্রঘোনায় গড়ে ওঠা দেশের বৃহত্তম কাগজ মিলে যে বাঁশ ব্যবহৃত হয় তা মূলত কর্ণফুলী নদীপথে আনা হয় এবং উৎপাদিত কাগজ কর্ণফুলী নদীপথে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কর্ণফুলী নদী বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদ একটি উত্তম মৎস্যচারণ ক্ষেত্র। এর হালদা উপনদী প্রাকৃতিক মৎস্যচারণ হিসেবে গড়ে উঠেছে। এ নদীকে কেন্দ্র করে শহর, গঞ্জ, হাট-বাজার গড়ে উঠেছে এবং বহু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কর্ণফুলী নদীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস কোনটি? [স. বো. ’১৬]
ক জুলাই খ জুন
গ এপ্রিল ঘ মার্চ
২. বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীসমূহ কোথায় মিলিত হয়েছে? [স. বো. ’১৬]
ক যশোর খ কুষ্টিয়া
গ দৌলতদিয়া ঘ চাঁদপুর
৮. বাংলাদেশের দক্ষিণে কোনটি রয়েছে? [স. বো. ’১৫]
ক আসাম খ মায়ানমার
˜ বঙ্গোপসাগর ঘ পশ্চিমবঙ্গ
৯. গঙ্গা নদী কোন জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে? [স. বো. ’১৫]
ক রাজশাহী ˜ কুষ্টিয়া
গ পাবনা ঘ নাটোর
১০. বাংলাদেশের জলবায়ু সমভাবাপন্ন হওয়ার কারণ কী? [স. বো. ’১৫]
˜ মৌসুমী বায়ূর প্রভাব খ উষ্ণ বায়ুর প্রভাব
গ শীতল বায়ুর প্রভাব ঘ সমুদ্র বায়ুর প্রভাব
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১ ও ১২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আধিয়ান বৈশাখ মাসের বিকেলে মাঠে কাজ করছিল। হঠাৎ উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবল বেগে ঝড় বজ্রবিদ্যুৎসহ সংঘটিত হলো। [স. বো. ’১৫]
১১. অনুচ্ছেদে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে?
˜ কালবৈশাখী খ টর্নেডো
গ টাইফুন ঘ হারিকেন
১২. ঐ সময় সূর্য কোথায় অবস্থান করে?
˜ কর্কট ক্রান্তিতে খ মকর ক্রান্তিতে
গ সুমেরু বৃত্তে ঘ কুমেরু বৃত্তে
১৩. বাংলাদেশ কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত?
(ভিকারুন নিসা নূন স্কুল ও কলেজ, ঢাকা)
ক ২০৩৪র্  ২৬৩৮র্ খ ২০৩৪র্  ২৪৩৮র্
 ৮৮০১র্  ৯২৪১র্ ঘ ৮৮০৫র্  ৯২৪৫র্
১৪. বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল সমুদ্রসীমা কত নটিক্যাল মাইল?
[ভিকারুন নিসা নূর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ৮ খ ৯ গ ১১  ১২
১৫. বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল কত নটিক্যাল মাইল?
[বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ক ১৫০ খ ১৭৫  ২০০ ঘ ২২৫
১৬. বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃ উচ্চ বিদ্যালয়]
ক গডউইন অস্টিন খ কিওক্রাডং
 তাজিনডং ঘ লুসাই
১৭. বরেন্দ্রভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় কোন যুগে গঠিত হয়েছিল?
[ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
 প্লাইস্টোসিনকালে খ টারশিয়ারি
গ মাইওসিন ঘ সা¤প্রতিককালে
১৮. খুলনা ও পাটুয়াখালি অঞ্চল এবং বরগুনা জেলার কিয়দংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে কোন ভ‚মি? [ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক পাদদেশীয় সমভ‚মি খ বদ্বীপ সমভ‚মি
গ বরেন্দ্রভ‚মি  স্রোতজ সমভ‚মি
১৯. লালমাই পাহাড় কোন জেলায় অবস্থিত? [মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
 কুমিল্লা খ রংপুর
গ বগুড়া ঘ নোয়াখালী
২০. খুলনা ও পাটুয়াখালি অঞ্চল এবং বরগুনা জেলার কিয়দংশ নিয়ে গঠিত হয়েছে কোন ভ‚মি? [ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ, ঢাকা]
ক পাদদেশীয় সমভ‚মি খ বদ্বীপ সমভ‚মি
গ বরেন্দ্রভ‚মি  স্রোতজ সমভ‚মি
২১. পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
 হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ খ পার্বত্য ত্রিপুরা
গ তিব্বতের মানস সরোবর ঘ আরাকান পাহাড়
২২. পদ্মা কোন স্থানে মেঘনার কাছে মিলিত হয়েছে?
[বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা]
ক ভৈরববাজার  চাঁদপুর
গ দৌলতদিয়া ঘ দেওয়ানগঞ্জ
২৩. কুমার, মাথাভাঙা, ভৈরব, গড়াই, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ কোন নদীর শাখানদী? [ভিকারুন নিসা নূল স্কুল ও কলেজ, ঢাকা]
ক মেঘনা খ যমুনা  পদ্মা ঘ ব্র‏হ্মপুত্র
২৪. যমুনার শাখানদী কোনটি? [বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ক বুড়িগঙ্গা  ধলেশ্বরী গ শীতলক্ষ্যা ঘ বংশী
২৫. পদ্মা ও মেঘনার সংযোগস্থলে কোন স্থানটি অবস্থিত?
[খিলগাও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক সিরাজগঞ্জ খ ভৈরব  চাঁদপুর ঘ গোয়ালন্দ
২৬. তিতাস কোন নদীর উপনদী? [বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ক যমুনা খ পদ্মা  মেঘনা ঘ কর্ণফুলী
২৭. কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? [অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 আসামের লুসাই পাহাড়ে খ পার্বত্য ত্রিপুরায়
গ আসামের বরাক নদীতে ঘ আরাকান পাহাড়ে
২৮. বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি? [অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক উষ্ণ ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং আর্দ্র শীতকাল
 উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং শুষ্ক শীতকাল
গ উষ্ণ ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল
ঘ উষ্ণ ও আর্দ্র শীতকাল
২৯. বাংলাদেশে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা কত?
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃ উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ২২.০১ সেলসিয়াস খ ২৪.০১ সেলসিয়াস
 ২৬.০১ সেলসিয়াস ঘ ২৭.০১ সেলসিয়াস
৩০. বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস কোনটি? [বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা]
 এপ্রিল খ মে গ জুন ঘ জুলাই
৩১. কালবৈশাখী ঝড় কখন হয়? [বিএএফ শাহীন কলেজচ, ঢাকা]
ক মার্চ-মে  মার্চ-এপ্রিল
গ এপ্রিল-জুন ঘ মে-জুন
৩২. বাংলাদেশের নদী ভরাটের কারণ [বিএএফ শাহিন কলেজ, ঢাকা]
র. পানিতে মিশ্রিত মাটির অবক্ষেপণ
রর. নদীর তীরে গৃহ নির্মাণ
ররর. নদীর তীরে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 বাংলাদেশের অবস্থান, আয়তন ও সীমা  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১২৯
¡ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র- বাংলাদেশ।
¡ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এ দেশের মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে- কর্কটক্রান্তি রেখা।
¡ বাংলাদেশ- ২০৩৪র্ থেকে ২৬৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে অবস্থিত।
¡ বাংলাদেশ- ৮৮০১র্ থেকে ৯২৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত।
¡ বাংলাদেশে বৈচিত্র্যতা আনয়ন করেছে- ভ‚প্রকৃতি, নদনদী ও বঙ্গোপসাগরের অবস্থান।
¡ ১ নটিক্যাল মাইল – ১.৮৫২ কিলোমিটার।
¡ বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল সমুদ্রসীমা- ১২ নটিক্যাল মাইল।
¡ বাংলাদেশের উপক‚লীয় ভ‚খণ্ড- সমুদ্রে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে যার ভৌগোলিক নাম মহীসোপান।
¡ ১৪ই মার্চ ২০১২ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমার মামলার রায়ের ফলে বাংলাদেশ এক লক্ষ বর্গ কি মি-এর বেশি জলসীমা পায়।
¡ বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৩. বাংলাদেশে অক্ষরেখার বিস্তৃতি কত? (জ্ঞান)
 ২০৩৪র্ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখা
খ ২০৩৪র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা থেকে ২৬৩৮র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা
গ ২৪৩৪র্ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ৩০৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখা
ঘ ২৪৩৪র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা থেকে ৩০৩৮র্ দক্ষিণ অক্ষরেখা
৩৪. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে? (জ্ঞান)
ক উত্তরাঞ্চল খ দক্ষিণাঞ্চল
 মধ্যাঞ্চল ঘ পূর্বাঞ্চল
৩৫. কোন রেখা বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে অতিক্রম করেছে? (জ্ঞান)
ক মকরক্রান্তি রেখা  কর্কটক্রান্তি রেখা
গ বিষুবরেখা ঘ নিরক্ষরেখা
৩৬. বাংলাদেশের আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ১,৩৩,০০০ বর্গকিলোমিটার  ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার
গ ১,৫৫,৪৭০ বর্গকিলোমিটার ঘ ১,৮৮,৫৬০ বর্গকিলোমিটার
৩৭. বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ৭,৫৪৩ বর্গকিলোমিটার  ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার
গ ১১,৯৮৭ বর্গকিলোমিটার ঘ ১৩,৪৩২ বর্গকিলোমিটার
৩৮. বাংলাদেশের বনাঞ্চলের আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ১৭,৬৫৪ বর্গকিলোমিটার খ ১৯,৮৭৬ বর্গকিলোমিটার
 ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার ঘ ২৩,৯৮৭ বর্গকিলোমিটার
৩৯. ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোন অংশের প্রসার ঘটলে আয়তন আরো বৃদ্ধি পাবে? (জ্ঞান)
ক উত্তর  দক্ষিণ গ পূর্বে ঘ পশ্চিম
৪০. নদী ও বনাঞ্চল বাদে বাংলাদেশের আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার খ ১,১৫,৬০৬ বর্গকিলোমিটার
 ১,১৬,৫০৮ বর্গকিলোমিটার ঘ ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার
৪১. বাংলাদেশ কত সালে জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আদালতে ভারতের বিপক্ষে মামলা করে? (জ্ঞান)
ক ১০ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে খ ৫ই জুন, ২০০৯ সালে
 ১৪ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে ঘ ৮ই অক্টোবর, ২০১০ সালে
৪২. বাংলাদেশ ২০০৯ সালে বঙ্গোপসাগরের জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোন আদালতে মায়ানমারের বিপক্ষে মামলা করে? (জ্ঞান)
ক নেদারল্যান্ডসের হেগ  জার্মানির হামবুর্গ
গ সুইজারল্যান্ডের জেনেভা ঘ অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা
৪৩. সালিস ট্রাইব্যুনাল কোথায় অবস্থিত? (প্রয়োগ)
 নেদারল্যান্ডসের হেগে খ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়
গ অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ঘ স্পেনের মাদ্রিদে
৪৪. বঙ্গোপসাগরের জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে কোথায় মামলা দায়ের করে? (প্রয়োগ)
ক সমুদ্র আইনবিষয়ক ট্রাইব্যুনালে  সালিস ট্রাইব্যুনালে
গ মানবাধিকার কমিশনে ঘ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে
৪৫. কোন তারিখে বাংলাদেশ জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জার্মানির হামবুর্গ আদালত মায়ানমারের বিপক্ষে দায়েরকৃত মামলার রায় প্রদান করে? (জ্ঞান)
ক ১৫ই জুন, ২০০৯ সালে খ ২৪শে নভেম্বর, ২০১০ সালে
গ ২০শে অক্টোবর, ২০১০ সালে  ১৪ই মার্চ, ২০১২ সালে
৪৬. বঙ্গোপসাগরের জলসীমা নির্ধারণ লক্ষ্যে ২০১২ সালের আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক ঐতিহাসিক রায়ে বাংলাদেশ কত আয়তনের জলসীমা লাভ করে? (জ্ঞান)
ক পঞ্চাশ হাজার বর্গকিলোমিটার  এক লক্ষ বর্গকিলোমিটার
গ দেড় লক্ষ বর্গকিলোমিটার ঘ দুই লক্ষ বর্গকিলোমিটার
৪৭. বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয় রায়ে কোন দ্বীপকে উপক‚লীয় বেজলাইন ধরা হয়? (জ্ঞান)
 সেন্টমার্টিন দ্বীপ খ ছেঁড়া দ্বীপ
গ হাতিয়া দ্বীপ ঘ মনপুরা দ্বীপ
৪৮. মায়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা মামলার রায়ে বাংলাদেশ কত নটিক্যাল মাইল রাষ্ট্রাধীন সমুদ্র এলাকা লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ৭ নটিক্যাল মাইল খ ১০ নটিক্যাল মাইল
গ ১১ নটিক্যাল মাইল  ১২ নটিক্যাল মাইল
৪৯. মায়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা মামলার রায়ে বাংলাদেশ কত নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল বা একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ১৫০ খ ১৭৫
 ২০০ ঘ ২২৫
৫০. উপক‚ল থেকে কত নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সাগরের তলদেশে বাংলাদেশের মহীসোপান রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ২০০ খ ২৫০
গ ৩০০  ৩৫০
৫১. ১ নটিক্যাল মাইল সমান কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ১.০৪৫ খ ১.৪০৯  ১.৮৫২ ঘ ২.২০৫
৫২. বাংলাদেশের মহীসোপানের বিস্তার কত? (অনুধাবন)
ক উপক‚ল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত
খ মোহনা থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত
গ মোহনা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত
 উপক‚ল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত
৫৩. বাংলাদেশের উপক‚লীয় ভ‚খণ্ড ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ভৌগোলিক নাম কী? (প্রয়োগ)
ক গিরিখাত খ ক্যারিয়ন
গ মহীঢাল  মহীসোপান
৫৪. বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের কোন রাজ্য? (অনুধাবন)
ক ত্রিপুরা খ মিজোরাম
গ গুজরাট  মেঘালয়
৫৫. বাংলাদেশের পূর্বে ভারতের কোন অঙ্গরাজ্যটি অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক রাজস্থান  ত্রিপুরা
গ পশ্চিমবঙ্গ ঘ মেঘালয়
৫৬. মায়ানমার বাংলাদেশের কোন দিকে অবস্থিত? (জ্ঞান)
 পূর্বে খ উত্তরে
গ পশ্চিমে ঘ দক্ষিণ-পশ্চিমে
৫৭. বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখার দৈর্ঘ্য কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৩,৭১৫ খ ৩,৭১৭
 ৪,৭১১ ঘ ৪,৭১২
৫৮. ভারত-বাংলাদেশের সীমারেখার দৈর্ঘ্য কত? (জ্ঞান)
ক ২,৩৩৮ বর্গকিলোমিটার খ ৩,৪১৭ বর্গকিলোমিটার
গ ৩,৫৫৪ বর্গকিলোমিটার  ৩,৭১৫ বর্গকিলোমিটার
৫৯. বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারেখার দৈর্ঘ্য কত? (জ্ঞান)
ক ২৫০ কিলোমিটার  ২৮০ কিলোমিটার
গ ৩০০ কিলোমিটার ঘ ৩৩০ কিলোমিটার
৬০. বঙ্গোপসাগরের তটরেখার দৈর্ঘ্য কত? (জ্ঞান)
ক ৬৫৪ কিলোমিটার  ৭১৬ কিলোমিটার
গ ৭৬০ কিলোমিটার ঘ ৮১০ কিলোমিটার
৬১. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের কোন নদী ভারত সীমানায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
 হারিয়াভাঙা খ নাফ
গ নাগর ঘ বাউলাই
৬২. ভারত ও মিয়ানমারের সীমানার নাফ নদী বাংলাদেশের কোন দিকে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক দক্ষিণ-পশ্চিম  দক্ষিণ-পূর্ব
গ দক্ষিণ-উত্তর ঘ পূর্ব-পশ্চিম
৬৩. বাংলাদেশের তিনদিক দিয়ে কোন দেশটি বেষ্টিত? (জ্ঞান)
ক শ্রীলঙ্কা খ মায়ানমার
গ পাকিস্তান  ভারত
৬৪. কোন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমারেখা সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
 ভারত খ মায়ানমার
গ তিব্বত ঘ ভুটান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৫. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের (অনুধাবন)
র. নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার
রর. বনাঞ্চলের আয়তন ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার
ররর. নদী ও বনাঞ্চল বাদে বাংলাদেশের আয়তন ১,১৬,৫০৮ বর্গকিলোমিটার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৬. আন্তর্জাতিক আদালত কর্তৃক সমুদ্র বিজয়ের ঐতিহাসিক রায়ে
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাংলাদেশের উপক‚লীয় ভ‚খণ্ড ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত
রর. বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান এলাকার সকল সম্পদ আমাদের অধিকার আসে
ররর. তালপট্টি দ্বীপসহ অনেক দ্বীপ আমাদের অধিকারভুক্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
 র ও রর ঘ রর ও ররর
৬৭. বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের (অনুধাবন)
র. পশ্চিমবঙ্গ
রর. মেঘালয়
ররর. মিজোরাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৮ ও ৪৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ দেশটি বিশ্ব মানচিত্রে ২০৩৪র্ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬৩৮র্ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮০১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯২৪১র্ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত।
৬৮. কোনটি ‘ক’ দেশ? (অনুধাবন)
 বাংলাদেশ খ নেপাল
গ শ্রীলঙ্কা ঘ মালদ্বীপ
৬৯. ‘ক’ দেশটির জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শীতকাল প্রায় বৃষ্টিহীন
রর. তাপমাত্রার গড় বছরের অধিকাংশ সময় প্রায় একই থাকে
ররর. গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের একদিকে সাগর দ্বারা এবং অপর তিন দিক ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত।
৭০. এশিয়ার কোন অংশে দেশটির অবস্থান? (প্রয়োগ)
 দক্ষিণাংশে খ উত্তরাংশে
গ পশ্চিমাংশে ঘ পূর্বাংশে
৭১. দেশটির সীমানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম
রর. পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম
ররর. পশ্চিমে মণিপুর ও নাগাল্যান্ড
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতি  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৩০
¡ দেশের কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে- ভ‚প্রকৃতি।
¡ টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হয়েছে যা- বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত।
¡ উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়- প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহের অন্তর্গত।
¡ টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ছাড়া- সমগ্র বাংলাদেশ নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি।
¡ বছরের পর বছর বন্যার সঙ্গে পলিবাহিত মাটি সঞ্চিত হয়ে- সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মি গঠিত হয়েছে।
¡ বাংলাদেশ- পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ।
¡ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাজিনডং যার উচ্চতা- ১,২৩১ মিটার।
¡ বাংলাদেশের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন প্রায়- ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
¡ খুলনা ও পটুয়াখালী অঞ্চল এবং বরগুনা জেলার কিয়দাংশ নিয়ে গঠিত- সমভ‚মি।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭২. বাংলাদেশে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ কোন ভ‚মি গড়ে উঠেছে? (অনুধাবন)
ক পাদদেশীয় সমভ‚মি খ প্লাবন সমভ‚মি
 বদ্বীপ সমভ‚মি ঘ উপক‚লীয় সমভ‚মি
৭৩. বাংলাদেশের প্রায় সমগ্র অঞ্চল হলো (অনুধাবন)
ক জলাভ‚মি  সমভ‚মি
গ পাহাড়ি ভ‚মি ঘ বনভ‚মি
৭৪. ভ‚প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন গ চার ঘ পাঁচ
৭৫. হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় কোন ধরনের ভ‚মির সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
ক লালমাই পাহাড় খ বরেন্দ্র ভ‚মি
 টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ঘ কুমিল্লার পাহাড়
৭৬. বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহের সমগোত্রীয় পাহাড় কোনটি? (অনুধাবন)
ক দাক্ষিণাত্যের পশ্চিমঘাট খ পামীর গ্রন্থির হিন্দুকুশ
গ পাকিস্তানের কেটু  আসামের লুসাই
৭৭. বাংলাদেশের টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
 ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৭৮. বাংলাদেশে টারশিয়ারি যুগে কোনটি গঠিত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক ঢাকা খ নারায়ণগঞ্জ
 চট্টগ্রাম ঘ খুলনা
৭৯. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বের পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ৯০ মিটার খ ২৪৪ মিটার
 ৬১০ মিটার ঘ ৭১৬ মিটার
৮০. কিওক্রাডং এর উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ৯৮০ মিটার খ ১,১০০ মিটার
 ১,২৩০ মিটার ঘ ১,৪৫৩ মিটার
৮১. বাংলাদেশের কিওক্রাডং পর্বত শৃঙ্গ কোন দিকে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক পূর্ব খ উত্তর-পশ্চিম
 দক্ষিণ-পূর্ব ঘ উত্তর
৮২. তাজিনডং পাহাড় কোন জেলায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
 বান্দরবান খ রাঙামাটি
গ চট্টগ্রাম ঘ খাগড়াছড়ি
৮৩. বাংলাদেশের পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী? (জ্ঞান)
 বিজয় খ কিওক্রাডং
গ মুকুন্দলাল ঘ লালমাই
৮৪. মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণের পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ৩০ মিটার খ ৯০ মিটার
 ২৪৪ মিটার ঘ ৬১০ মিটার
৮৫. বাংলাদেশের উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক পাহাড়  টিলা
গ উপত্যকা ঘ মালভ‚মি
৮৬. বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের গড় উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ২০ থেকে ৪০ মিটার  ৩০ থেকে ৯০ মিটার
গ ৪০ থেকে ১১০ মিটার ঘ ৫০ থেকে ১২০ মিটার
৮৭. আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে কী বলে? (জ্ঞান)
ক টারশিয়ারিকাল  প্লাইস্টোসিনকাল
গ মাইওসীন কাল ঘ প্রাচীনকাল
৮৮. বরেন্দ্রভ‚মি দেশের কোন দিকে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক দক্ষিণ-পূর্বে  উত্তর-পশ্চিমে
গ দক্ষিণ-পূর্বে ঘ পূর্ব-উত্তরে
৮৯. প্লাবন সমভ‚মি থেকে বরেন্দ্রভ‚মির উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
 ৬ থেকে ১২ মিটার খ ১০ থেকে ১৬ মিটার
গ ১২ থেকে ১৮ মিটার ঘ ১৫ থেকে ২১ মিটার
৯০. বরেন্দ্র ভ‚মির মাটির রঙ কেমন? (জ্ঞান)
ক ধূসর খ কালো
গ লাল ও কালো  ধূসর ও লাল
৯১. ভাওয়ালের গড় কোন জেলায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক টাঙ্গাইল খ ময়মনসিংহ
 গাজীপুর ঘ জামালপুর
৯২. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়ের আয়তন কত বর্গকিলোমিটার? (জ্ঞান)
 প্রায় ৪,১০৩ খ প্রায় ৬,১৩০
গ প্রায় ৮,৩২০ ঘ প্রায় ৯,৩২০
৯৩. সমভ‚মি থেকে মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়ের উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৬ মিটার খ প্রায় ১২ মিটার
গ প্রায় ২১ মিটার  প্রায় ৩০ মিটার
৯৪. লালমাই পাহাড় বাংলাদেশের কোন প্রাকৃতিক অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত? (অনুধাবন)
ক টারশিয়ারি যুগের পাহাড় খ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়
গ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়  প্লাইস্টোসিনকালের সোপান
৯৫. জনাব মনির বাংলাদেশের একটি বিশেষ ভ‚প্রাকৃতিক অঞ্চলে বেড়াতে গেছেন। সেখানকার মাটির রং লালচে। এই ভ‚মিরূপটির গড় উচ্চতা ২১ মিটার। জনাব মনির কোন এলাকায় বেড়াতে গেছেন? (প্রয়োগ)
 কুমিল্লা খ টাঙ্গাইল
গ রাজশাহী ঘ সিলেট
৯৬. লালমাই পাহাড়ের আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ২৯ বর্গকিলোমিটার খ ৩১ বর্গকিলোমিটার
 ৩৪ বর্গকিলোমিটার ঘ ৩৭ বর্গকিলোমিটার
৯৭. লালমাই পাহাড়ের গড় উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ১৭ মিটার  ২১ মিটার
গ ২৫ মিটার ঘ ২৮ মিটার
৯৮. বরেন্দ্রভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়ের মৃত্তিকার বৈশিষ্ট্য কী? (অনুধাবন)
ক নদীবাহিত পলি দ্বারা গঠিত খ উপক‚লীয় সমভ‚মি
 মৃত্তিকা ধূসর ও লালবর্ণের ঘ গ্রানাইট শিলা দ্বারা গঠিত
৯৯. বাংলাদেশে নদীবিধৌত প্লাবন সমভ‚মি গঠিত হয়েছে কিসের দ্বারা? (অনুধাবন)
ক বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা
খ সূ² বালিকণা জমাট বেঁধে
গ কর্দম মাটি পলি মাটিতে রূপান্তরিত হয়ে
 বন্যার সঙ্গে পরিবাহিত মাটি সঞ্চিত হয়ে
১০০. বাংলাদেশের সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মি কী দ্বারা গঠিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
 নদীবিধৌত পলি খ বেলে পাথর
গ কর্দম মাটি ঘ দোআঁশ মাটি
১০১. সা¤প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন কত? (জ্ঞান)
ক ১,২০,৫৭০ বর্গকিলোমিটার  ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার
গ ১,৫৪,১৭০ বর্গকিলোমিটার ঘ ১,৭১,৫৫৬ বর্গকিলোমিটার
১০২. বাংলাদেশের নদীবিধৌত বিস্তীর্ণ সমভ‚মি কোন দিকে ক্রমনি¤œ? (অনুধাবন)
 উত্তর অংশ থেকে উপক‚লের দিকে খ উপক‚ল থেকে উত্তরের দিকে
গ পূর্ব অংশ থেকে পশ্চিমের দিকে ঘ পশ্চিম অংশ থেকে পূর্ব দিকে
১০৩. বাংলাদেশের কোন অঞ্চল প্রায় সমুদ্র সমতলে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক বরেন্দ্র  সুন্দরবন
গ মধুপুর ঘ ভাওয়াল
১০৪. সমুদ্র সমতল থেকে দিনাজপুরের উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ২৩.৭৫ মিটার খ ২৯.৫০ মিটার
গ ৩০.৭৫ মিটার  ৩৭.৫০ মিটার
১০৫. সমুদ্র সমতল থেকে বগুড়ার উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ১৭ মিটার  ২০ মিটার
গ ২২ মিটার ঘ ২৫ মিটার
১০৬. সমুদ্র সমতল থেকে ময়মনসিংহের উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ১৫ মিটার  ১৮ মিটার
গ ২০ মিটার ঘ ২২ মিটার
১০৭. সমুদ্র সমতল থেকে নারায়ণগঞ্জের উচ্চতা কত? (জ্ঞান)
ক ৬ মিটার  ৮ মিটার
গ ১০ মিটার ঘ ১২ মিটার
১০৮. পরিত্যক্ত অশ্বখুরাকৃতি নদীখাতকে স্থানীয়ভাবে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক জলাভ‚মি ও নিম্নভ‚মি  বিল, ঝিল ও হাওর
গ উপনদী ও শাখানদী ঘ মহীসোপান ও মহীঢাল
১০৯. কোন কোন জেলা পাদদেশীয় সমভ‚মির অন্তর্গত? (অনুধাবন)
 রংপুর ও দিনাজপুর খ ঢাকা ও কুমিল্লা
গ বরিশাল ও খুলনা ঘ ফরিদপুর ও মাদারীপুর
১১০. বাংলাদেশের উত্তরের জেলা রংপুর ও দিনাজপুর কোন সমভ‚মির অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান)
ক বদ্বীপ খ স্রোতজ
 পাদদেশীয় ঘ উপক‚লীয়
১১১. কোন কোন অঞ্চল নিয়ে বদ্বীপ সমভ‚মি গঠিত? (অনুধাবন)
ক সিলেট ও মৌলভীবাজার অঞ্চল
খ রাজশাহী, নাটোর ও বগুড়া অঞ্চল
 ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ঢাকা অঞ্চলের অংশবিশেষ
ঘ সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চল
১১২. ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ঢাকা অঞ্চলের অংশবিশেষ বদ্বীপ সমভ‚মি হওয়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 নদীবিধৌত পলি সঞ্চয়ন খ মাটির স্তর অগভীর
গ ভ‚মি অনুর্বর ঘ মাটির রং লালচে
১১৩. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমতল ভ‚মি কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক প্লাবন সমভ‚মি  বদ্বীপ সমভ‚মি
গ পাদদেশীয় সমভ‚মি ঘ উপক‚লীয় সমভ‚মি
১১৪. খুলনা, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায় কিয়দংশকে স্রোতজ সমভ‚মি বলার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নদীবহুল এলাকা বলে
খ ম্যানগ্রোভ বনভ‚মির কারণে
গ নদীতে স্রোতের বেগ তীব্র বলে
 সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা প্রভাবিত বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৫. বাংলাদেশে বদ্বীপ সৃষ্টির কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নদীর উভয় ক‚ল সংলগ্ন পলি অবক্ষেপণ
রর. নদী পরিবাহিত তলানি নদীর মোহনায় সঞ্চয়ন
ররর. নদীর শেষ গতিতে সাগরে পতিত হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
 রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. টারশিয়ারি যুগেÑ (অনুধাবন)
র. মহাসাগরগুলো সৃষ্টি হয়
রর. দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ সৃষ্টি হয়
ররর. হিমালয় পর্বত উত্থিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৭. ৩০ মিটার থেকে ৯০ মিটার উচ্চতার পাহাড় দেখা যায় (অনুধাবন)
র. খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে
রর. ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনায়
ররর. মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
 রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৮. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ হলো (অনুধাবন)
র. বরেন্দ্রভ‚মি
রর. ভাওয়ালের গড়
ররর. লালমাই পাহাড়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৯. মধুপুর গড় অবস্থিত (অনুধাবন)
র. টাঙ্গাইল জেলায়
রর. ময়মনসিংহ জেলায়
ররর. গাজীপুর জেলায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২০. প্লাবন সমভ‚মির অন্তর্গত (অনুধাবন)
র. ঢাকা ও টাঙ্গাইল
রর. ময়মনসিংহ ও জামালপুর
ররর. কুমিল্লা ও নোয়াখালী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ১০১ ও ১০২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১২১. অ অঞ্চলের অধিকাংশ ভ‚মিরূপ কিরূপ? (প্রয়োগ)
 পাহাড় খ মালভ‚মি
গ প্রায় সমভ‚মি ঘ নিম্ন সমতল
১২২. উক্ত ভ‚মিরূপের বৈশিষ্ট্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত
রর. টারশিয়ারি যুগে গঠিত
ররর. মাটি ধূসর ও লালবর্ণের
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১০৩ ও ১০৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিমি মামাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষে গাজীপুর থেকে বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়িতে এসেছে। সে লক্ষ করল এখানকার মাটির রং লালচে ও ধূসর। তার জেলার মাটির সাথে এখানকার মাটির মিল রয়েছে।
১২৩. রিমি যে এলাকায় এসেছে সেখানকার ভ‚মি কী নামে পরিচিত? (প্রয়োগ)
ক স্রোত সমভ‚মি খ বদ্বীপ সমভ‚মি
গ প্লাবন সমভ‚মি  বরেন্দ্র ভ‚মি
১২৪. রিমির এলাকার বিস্তৃতি  (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গাজীপুরে
রর. টাঙ্গাইলে
ররর. ময়মনসিংহে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  বর্ষা, গ্রীষ্ম ও শীত ঋতু

ঋতু সময় তাপমাত্রার গড়
অ ফাল্গুন-জ্যৈষ্ঠ ২৮ সেঃ
ই জ্যৈষ্ঠ-কার্তিক ২৭ সেঃ
ঈ কার্তিকফাল্গুন ১৭.৭ সেঃ
[স. বো. ’১৫]
ক. ‘ধরলা’ কোন নদীর উপনদী? ১
খ. বাংলাদেশের নদীগুলোর নাব্য হ্রাসের প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ই’ ঋতুতে বাংলাদেশে অধিক তাপমাত্রা অনুভ‚ত হয় না কেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘অ’ এবং ‘ঈ’ ঋতুর তুলনামূলক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘ধরলা’ ব্র‏হ্মপুত্র নদীর উপনদী।
খ বাংলাদেশে নদীগুলোর নাব্য হ্রাসের প্রভাব সামগ্রিক পরিবেশকে বিপর্যস্ত করছে। বাংলাদেশে নদী ও জলাশয়গুলো ভরাটের কারণে তথ্য নাব্য হারানোর কারণে বর্ষাকালে পানির প্রবাহধারা বাধাগ্রস্ত হয় এবং দুক‚ল উপচিয়ে বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। আর শুষ্ক মৌসুমে ঐগুলোতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় নৌচলাচল, সেচ ব্যবস্থা ও মাছচাষ ব্যাহত হচ্ছে। প্রাকৃতিক পানির জলাধারের সংরক্ষণ ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হওয়ায় শহরগুলোতে পানির সরবরাহ কমে যাচ্ছে ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। এভাবে এদেশে নদীগুলোর নাব্য হ্রাস সামগ্রিক পরিবেশ ও জীবনের জন্য বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
গ ‘ই’ ঋতুতে অর্থাৎ বর্ষা ঋতুতে মেঘলা আকাশ এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের জন্য বাংলাদেশে অধিক তাপমাত্রা অনুভব হয় না। উদ্দীপকের ছকে উল্লিখিত হয়েছে ‘ই’ ঋতু জ্যৈষ্ঠ Ñ কার্তিক মাসে বিস্তৃত এবং গড় তাপমাত্রা ২৭ সেলসিয়াস। বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর মাস (জ্যৈষ্ঠ কার্তিক) পর্যন্ত বর্ষাকাল। অর্থাৎ গ্রীষ্ম ও শীতের মাঝামাঝি বৃষ্টিবহুল সময়কে বর্ষাকাল বা বর্ষা ঋতু বলে। জুন মাসের প্রথম দিকে মৌসুমি বায়ুর তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে বর্ষাকাল শুরু হয়ে যায়। বর্ষা ঋতুর গড় তাপমাত্রা ২৭ সেলসিয়াস। এতদসত্তে¡ও বর্ষাকালে এদেশে তেমন তাপমাত্রা অনুভ‚ত হয় না। বর্ষাকালে সূর্য বাংলাদেশে প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আকাশে মেঘ থাকে এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, ফলে এ সময় অধিক তাপমাত্রা অনুভ‚ত হয় না।
ঘ বাংলাদেশে ‘অ’ ও ‘ঈ’ ঋতু হচ্ছে যথাক্রমে গ্রীষ্মকাল ও শীতকাল। তাপমাত্রা বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহগত বৈশিষ্ট্যে এ দুটি ঋতু সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। বাংলাদেশের সবচেয়ে উষ্ণ ঋতু হলো গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ সেলসিয়াস। গড় হিসেবে এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ সেলসিয়াস পরিলক্ষিত হয়। এপ্রিল উষ্ণতম মাস, এ সময় সমুদ্র উপক‚ল থেকে দেশের অভ্যন্তরভাগে তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। অপরদিকে আমাদের দেশে শীতকালে তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ সেলসিয়াস। জনুয়ারি শীতলতম মাস এবং এ মাসের গড় তাপমাত্রা ১৭৭ সেলসিয়াস। শীতকালে দেশের উপক‚ল ভাগ থেকে উত্তর দিকে তাপমাত্রা কম থাকে। গ্রীষ্মকালে উত্তর গোলার্ধে সূর্যের উত্তরায়ণের জন্য বায়ুচাপের পরিবর্তন ঘটে। এ সময় বাংলাদেশে দক্ষিণ দিক থেকে আগত উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ুপ্রবাহ অধিক উত্তাপের প্রভাবে ও উপরে উঠে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত শীতল ও শুষ্ক বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে সংঘর্ষে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হয়। অন্যদিকে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আগত শীতল মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে। বাংলাদেশে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের শতকরা প্রায় ২০ ভাগ গ্রীষ্মকালে হয়। এ অপরদিকে শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না বললেই চলে। উপরের আলোচনা থেকে তাই বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে গ্রীষ্ম ও শীত খুব সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী।

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ২  বাংলাদেশের মানচিত্র অবস্থান ও সীমা

দেশটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেশটির অবস্থান। দেশটি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর আর তিন দিক ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত।
ক. বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিমে অবস্থান লিখ। ১
খ. বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা ৪,৭১১ কিলোমিটার। ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের দেশটির একটি পূর্ণপৃষ্ঠা মানচিত্র অঙ্কন করে তিনটি প্রধান নদী, দক্ষিণ-পশ্চিমের বন ও দুটি সামুদ্রিক বন্দর দেখাও। ৩
ঘ. দেশটির অবস্থান, সীমা সম্পর্কে আলোচনা কর। ৪

ক বাংলাদেশের পূর্ব-পশ্চিমের অবস্থান ৮৮০র্১ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯২৪র্১ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে।
খ বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা ৪,৭১১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের সীমারেখার দৈর্ঘ্য ৩,৭১৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারেখার দৈর্ঘ্য ২৮০ কিলোমিটার। এছাড়া বাংলাদেশের উপক‚ল রেখা বা তটরেখার দৈর্ঘ্য ৭১৬ কিলোমিটার।
গ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসম্বর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা দেশটি আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। নিচে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র অঙ্কন করে তিনটি প্রধান নদী, দক্ষিণ-পশ্চিমের সুন্দরবন ও দুটি সামুদ্রিক বন্দর দেখানো হলো :

চিত্র : বাংলাদেশ
ঘ উক্ত দেশ তথা বাংলাদেশের অবস্থান, সীমা সম্পর্কে ভৌগোলিক বিবরণ তুলে ধরা হলো :
অবস্থান : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাংশে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এদেশ ২০৩র্৪ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬৩র্৮ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮০র্১ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯২৪র্১ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
সীমা : বাংলাদেশের একদিকে বঙ্গোপসাগর এবং অপর প্রায় তিনদিকেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্য দ্বারা বেষ্টিত। বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম রাজ্য; পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য ও মিয়ানমার; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।

প্রশ্ন- ৩  পাদশেীয়, বদ্বীপ ও উপক‚লীয় সমভ‚মি

সমভ‚মির নাম জেলা
অ রংপুর ও দিনাজপুর।
ই ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর।
ঈ নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার।

ক. বাংলাদেশের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন কত? ১
খ. বাংলাদেশে কীভাবে প্লাবন সমভ‚মি গঠিত হয়েছে? ২
গ. অ, ই ও ঈ নির্দেশিত জেলায় গঠিত সমভ‚মি চিত্রের সাহায্যে দেখাও। ৩
ঘ. বাংলাদেশের কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরগুনা, জামালপুর জেলাগুলো অ, ই কিংবা ঈ দ্বারা নির্দেশিত সমভ‚মির ধরনের অন্তর্ভুক্ত কী? যুক্তিসহ যাচাই কর। ৪

ক বাংলাদেশের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
খ সমগ্র বাংলাদেশ নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভ‚মি। অসংখ্য ছোটবড় নদী বাংলাদেশের সর্বত্র জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে। সমতল ভ‚মির ওপর দিয়ে এ নদীগুলো প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এভাবে বন্যার সঙ্গে পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে এ প্লাবন সমভ‚মি গঠিত হয়েছে।
গ অ, ই ও ঈ জেলায় তথা রংপুর ও দিনাজপুর; ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর এবং নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজারে গঠিত সমভ‚মি যথাক্রমে পাদদেশীয় সমভ‚মি, বদ্বীপ সমভ‚মি ও উপক‚লীয় সমভ‚মি। নিচে এসব সমভ‚মি মানচিত্র দেখানো হলো :

ঘ বাংলাদেশের কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, বরগুনা, জামালপুর জেলা অ দ্বারা নির্দেশিত সমভ‚মি তথা পাদদেশীয় সমভ‚মির অন্তর্ভুক্ত নয়। কিন্তু ই দ্বারা নির্দেশিত বদ্বীপ সমভ‚মি বরগুনায় এবং চট্টগ্রামে ঈ দ্বারা নির্দেশিত উপক‚লীয় সমভ‚মি দেখা যায়। এ প্রেক্ষিতে প্রশ্নে উল্লিখিত জেলাগুলোর ভ‚মিরূপ আলোচনায় আমরা দেখিÑ
কুমিল্লা : প্লাবন সমভ‚মির অন্তর্গত। নদীবাহিত পলি, বালি, কাঁকর প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে এ সমভ‚মি গঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম : উপক‚লীয় সমভ‚মির অন্তর্গত। সমুদ্র তীরের প্রান্তভাগে উপক‚লীয় সমভ‚মি গঠিত হয় বলে চট্টগ্রাম উপক‚লীয় সমভ‚মির অংশ।
বরগুনা : এ জেলার কিয়দংশ স্রোতজ সমভ‚মির অন্তর্গত। স্রোতের টানে যে অংশ গঠিত হয়েছে তা স্রোতজ সমভ‚মির অংশ। আবার এ জেলাটি বদ্বীপ সমভ‚মিরও অন্তর্গত।
জামালপুর : প্লাবন সমভ‚মির অন্তর্গত। নদীবাহিত পলি দ্বারা জামালপুর গঠিত হয়েছে বলে এ জেলাকে এ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে সুতরাং উল্লিখিত জেলাগুলোর মধ্যে অ চিহ্নিত সমভ‚মি না থাকলেও ই ও ঈ নির্দেশিত সমভ‚মি দেখা যায়।

প্রশ্ন- ৪  বাংলাদেশের ভ‚প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ‚গোল বিভাগের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা ভ‚মি জরিপের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। তারা জরিপ করে দেখে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়ের ভ‚প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য একই রকম।
ক. কত বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়? ১
খ. বাংলাদেশের সীমা লিখ। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অঞ্চলসমূহ বাংলাদেশের একটি মানচিত্রে উপস্থাপন কর। ৩
ঘ. শিক্ষার্থীদের তিনটি ভিন্ন অঞ্চলে একইরূপ ভ‚প্রকৃতি দেখার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
খ বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম রাজ্য; পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য ও মায়ানমার; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা ৪,৭১১ কিলোমিটার।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত অঞ্চলসমূহ হলো প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ। নিচে প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ মানচিত্রে উপস্থাপন করা হলো :

চিত্র : বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
ঘ শিক্ষার্থীরা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বরেন্দ্র ভ‚মি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং লালমাই পাহাড়ের ভ‚প্রকৃতির একইরূপ বৈশিষ্ট্য দেখতে পায়। বর্ণিত অঞ্চলসমূহের ভ‚প্র্রকৃতি হলো প্লাইস্টোসিনকালের সোপান। আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়। প্লাইস্টোসিনকালে এসব সোপান গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয় এবং গঠন প্রক্রিয়া একই রকম ছিল। তাই এদের ভ‚প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য একই। যেমন, এদের বৈশিষ্ট্য আলোচনায় আমরা দেখিÑ
১. বরেন্দ্রভ‚মি : দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বরেন্দ্রভ‚মি বিস্তৃত। প্লাবন সমভ‚মি হতে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার। এ স্থানের মাটি ধূসর ও লাল বর্ণের।
২. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় : টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় মধুপুর এবং গাজীপুর জেলায় ভাওয়ালের গড় অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার। সমভ‚মি থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার। মাটির রং লালচে ও ধূসর।
৩. লালমাই পাহাড় : কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত এ পাহাড়টি বিস্তৃত। এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
সুতরাং গঠন বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনটি ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত হলেও বাংলাদেশের উচ্চভ‚মির ভ‚প্রকৃতি সমরূপ বৈশিষ্ট্যের।

প্রশ্ন- ৫  বাংলাদেশের মানচিত্রে নদীর গতিপথে ও বদ্বীপ সমভ‚মি

নিচের মানচিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. মানচিত্রে প্রদর্শিত প্রধান নদীগুলো একত্রিত হয়ে কোন নামে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে? ১
খ. বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর গতিপথ দক্ষিণমুখী কেন? ২
গ. চিত্রের মানচিত্রের একটি প্রতিরূপ মানচিত্র অঙ্কন করে পদ্মা নদীর গতিপথ চি‎িহ্নত কর। ৩
ঘ. মানচিত্রে ছায়াপাতকৃত ভ‚মিরূপ গঠনে নদীর ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মানচিত্রে প্রদর্শিত প্রধান নদনদী পদ্মা, ব্র‏হ্মপুত্র, যমুনা ও মেঘনা একত্রিত হয়ে মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
খ বাংলাদেশে প্রবাহিত নদীগুলোর উৎপত্তি হিমালয়ের পার্বত্য এলাকায়। পর্বত শিখরের হিমবাহ গলিত প্রচুর পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীগুলো পার্বত্য এলাকায় উৎপত্তি লাভ করে ক্রমান্বয়ে ঢালু এলাকার দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। হিমালয়ের পার্বত্য এলাকার দক্ষিণ দিকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। এ সমতলভ‚মির ঢাল দক্ষিণ দিকে আবার ক্রমান্বয়ে নিচু। এ কারণে বাংলাদেশের প্রধান নদনদীগুলোর গতিপথ দক্ষিণমুখী।
গ প্রশ্নের মানচিত্রের একটি প্রতিরূপ মানচিত্র অঙ্কন করে পদ্মা নদীর গতিপথ চি‎িহ্নত করা হলো :

চিত্র: পদ্মা নদীর গতিপথ

ঘ মানচিত্রে ছায়াপাতকৃত ভ‚মিরূপ হলো বদ্বীপ সমভ‚মি। বদ্বীপ প্রবাহে নদীর একমাত্র কাজ সঞ্চয়। এই অঞ্চলে নদীপথের ঢাল থাকে খুবই কম, তাই জলস্রোতের বেগ একেবারে থাকে না বললেই চলে। ফলে নদীর যাবতীয় ভাসমান এবং দ্রবীভ‚ত শিলা, খনিজ, পলি ইত্যাদি মোহনার নিকটে অগভীর সমুদ্র বক্ষে সঞ্চিত হয়। কারণ নদীবাহিত মিষ্টি পানির প্রবাহ দ্বারা পরিবাহিত বস্তুসমূহ সমুদ্রের লবণাক্ত পানির সংস্পর্শে সহজেই জোটবদ্ধ হয়ে ভ‚মিগঠন ত্বরান্বিত করে। ফলে এখানে মাত্রাহীন বাংলা ব-অক্ষরের মতো আকৃতিবিশিষ্ট ভ‚ভাগ গড়ে ওঠে। একেই বলা হয় বদ্বীপ। বদ্বীপ গঠিত হলে নদীর পানি বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। পৃথিবীর অধিকাংশ নদীর মোহনায় বদ্বীপ দেখা যায়। গঙ্গা ও ব্র‏হ্মপুত্র নদীর সম্মিলিত বদ্বীপ পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম। উদ্দীপকের মানচিত্রে ছায়াপাতকৃত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ বদ্বীপ গাঙ্গেয় বদ্বীপ নামে পরিচিত।

প্রশ্ন- ৬  বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে নদনদীর ভ‚মিকা

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। মানুষের জীবনযাত্রার ওপর নদীর প্রভাব লক্ষণীয়। পদ্মা, মেঘনা, ব্র‏‏হ্মপুত্র, যমুনা, কর্ণফুলী বাংলাদেশের প্রধান নদী। এ নদীগুলোর অসংখ্য উপনদী ও শাখা নদী রয়েছে। বাংলাদেশের নদীসমূহের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২২,১৫৫ কিলোমিটার। প্রায় সব নদীই হিমালয় ও এর সমগোত্রীয় পর্বতশ্রেণি থেকে উৎপন্ন হয়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
ক. বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদীগুলোর নাম লিখ। ১
খ. পদ্মা নদীর গতিপথের বর্ণনা কর। ২
গ. মানচিত্রে উদ্দীপকের নদীব্যবস্থা প্রদর্শন কর। ৩
ঘ. অর্থনীতিতে উদ্দীপকের প্রধান নদনদীর ভ‚মিকা মূল্যায়ন কর। ৪

ক বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলো হচ্ছে পদ্মা, ব্র‏হ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা ও কর্ণফুলী।
খ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম নদী পদ্মা যা ভারতে গঙ্গা নামে পরিচিত। গঙ্গা নদী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। গঙ্গা নদীর মূল প্রবাহ রাজশাহী অঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পদ্মা নামে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ সীমানা বরাবর এসে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর দৌলতদিয়ার নিকট যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরের কাছে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
গ উদ্দীপকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত নদনদী তথা এদেশের নদী ব্যবস্থা উল্লিখিত হয়েছে। নিচে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কন করে নদী ব্যবস্থাটি দেখানো হলো :

ঘ বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রধান নদী তথা পদ্মা, মেঘনা, ব্র‏হ্মপুত্র, যমুনা ও কর্ণফুলী নদীর প্রভাব ব্যাপক। এই প্রভাব ইতিবাচক তবে কখনো। কখনো নেতিবাচক। যথা :
র. অনুক‚ল প্রভাব :
কৃষিকাজের প্রসার : বর্ষাকালে নদীবাহিত পলি পার্শ্ববর্তী নিচু আবাদি অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। আবাদি জমিতে পানি সেচ দেয়ার জন্য নদীর পানি ব্যবহার করা হয়। ধান, গম, পাট, আখ, তুলা, তামাক, ডাল, তেলবীজ, সবজি প্রভৃতি বাংলাদেশের কৃষিজ পণ্য। কৃষিভিত্তিক শিল্প এদেশের অর্থনীতির অন্যতম শক্তিশালী খাত।
মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র : নদী ও এর সাথে সংযুক্ত বিভিন্ন জলাশয় এদেশের গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যচারণ ও প্রজনন ক্ষেত্র। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ মৎস্যের প্রায় ৬০% এসব অঞ্চল থেকে আহরিত হয়।
ভ‚গর্ভে পানি সঞ্চয়ন : নদীর পানি ভ‚গর্ভস্থ জলাধারকে পরিপুষ্ট করে যা মানুষ খাবার, চাষের জন্য ব্যবহার করে। বাংলাদেশের নগর ও শহরে নদীর পানি পরিশোধন করে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করা হয়।
নৌপরিবহন সুবিধা : বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে নদীপথ একটি উল্লেখযোগ্য পরিবহন পথ। বাংলাদেশের অধিকাংশ বড় শহর, নগর, শিল্প, ব্যবসা কেন্দ্র নদী তীরে অবস্থিত। যেমন : ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী যা বুড়িগঙ্গা নদী তীরে অবস্থিত।
রর. প্রতিক‚ল প্রভাব :
বন্যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি : বর্ষাকালে নদী প্রবাহ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা সৃষ্টি হয় যা এদেশের শত শত কোটি টাকার ফসল এবং সম্পদ বিনষ্ট হয়ে থাকে। প্রধান বড় বন্যা হয়- ১৯৭০, ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০১, ২০০৭ সালে।
নদীভাঙন এবং জনবিচ্যুতি : নদীভাঙন এদেশের মারাত্মক সমস্যা। যমুনার তীরে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ এবং মেঘনার তীরে অবস্থিত চাঁদপুর এ দুটি প্রসিদ্ধ শহর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এভাবে নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ নদনদীর প্রভাবে মাঝে মাঝে প্রতিক‚ল অবস্থার সম্মুখীন হয়।

প্রশ্ন- ৭  নদী ও জলাশয়ের ভরাটের কারণ ও প্রতিকার

নোমানের দেশের বাড়ি বরগুনা জেলায়। সে ঢাকার একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। ছুটিতে সে সবসময় নদীপথে যাতায়াত করে। বাড়ি যাওয়ার পথে সে লক্ষ্য করে অনেক ছোট ছোট নদী, খাল ভরাট হয়ে গেছে। সে চিন্তা করে সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন ব্যর্থ হচ্ছে।
ক. বাংলাদেশের মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের বিস্তৃতি কত? ১
খ. প্লাবন সমভ‚মি কীভাবে গঠিত হয়েছে? ২
গ. নোমানের দেখা বিষয়টির কারণ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের উক্ত বিষয়টি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়? বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশের মেঘনা বিধৌত অঞ্চল হচ্ছে ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
খ অসংখ্য ছোট-বড় নদী বাংলাদেশের সর্বত্র জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে। সমতলভ‚মির উপর দিয়ে এ নদীগুলো প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এভাবে বন্যার সঙ্গে পরিবাহিত মাটি সঞ্চিত হয়ে প্লাবন সমভ‚মি গঠিত হয়েছে।
গ নোমানের দেখা নদী ও জলাশয় ভরাটের পিছনে বহুবিধ প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারণ জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশ প্রায় সমগ্র ভ‚পৃষ্ঠ পলিমাটি দ্বারা গঠিত। পলিমাটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পানির সংস্পর্শে এটি সহজে দ্রবণে পরিণত হয়। বর্ষাকালে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে এবং এর উজানে প্রতিবেশী দেশ চীন, নেপাল, মায়ানমার ও ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে অপেক্ষাকৃত অধিক বৃষ্টি হয়। বর্ষাকালে উজান থেকে আসা খরস্রোত নদীগুলো পাহাড়ি পলি বয়ে নিয়ে আসে এবং নদী তীরে ভাঙনের সৃষ্টি করে। ভাটিতে নদীগুলোর স্রোতের গতি কমে যায়। তখন নদীগুলোর তলদেশে পলি সঞ্চিত হয়ে ভরাট ও নাব্য হারায়। দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন নদীর দুধারে অপরিকল্পিত বাঁধ, সড়ক, কলকারখানা, আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ ও পয়ঃনিষ্কাশনের নির্গমন এবং নদী অপদখল ও ভরাটকরণের ফলে দ্রæত নদী মরে যাচ্ছে, জলাশয় ভরাট হচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক নদীগুলো নিয়ে বিরোধ ও ওইগুলো থেকে পানি প্রত্যাহারের ফলে পানির খরস্রোত ধারা কমে যাওয়ায় নদী মোহনায় পলি সঞ্চিত হয়ে চর জেগে উঠছে।
ঘ বাংলাদেশের নদীগুলো প্রতিনিয়ত নাব্য হারিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। দ্রæত এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এদেশের নদীগুলো ভরাটের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে :
১. বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে নিয়মিত নদীগুলো ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করে এদের নাব্য রক্ষা করা।
২. পরিকল্পিত ও পরিবেশ উপযোগী বাঁধ এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা।
৩. অপদখলীয় নদী উদ্ধার, পাহাড়কাটা বন্ধকরণ, কলকারখানার সাথে বাধ্যতামূলকভাবে বর্জ্য পরিশোধন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণের ব্যবস্থা করা।
৪. ভারত, নেপাল ও চীনের সাথে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নদী গঙ্গা, তিস্তা, ব্র‏হ্মপুত্র ও ফেনীসহ অন্য নদীগুলোর নাব্যের ভিত্তিতে পানির হিস্যা নিশ্চিত করা।
৫. বিদ্যমান পরিবেশ আইন যুগোপযোগী ও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
সুতরাং উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে উদ্দীপকের উক্ত বিষয় তথা নদী ভরাট প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

প্রশ্ন- ৮  বাংলাদেশে বর্ষা ঋতুর গড় বৃষ্টিপাত

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর মাসে বৃষ্টিপাত হয়। বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২০৩ সেন্টিমিটার।
ক. বাংলাদেশে কোন ধরনের জলবায়ু দেখা যায়? ১
খ. কোন ঋতুতে কালবৈশাখী ঝড় হয় এবং কেন? ২
গ. একটি মানচিত্রে উদ্দীপকের দেশটিতে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের বণ্টন দেখাও। ৩
ঘ. উদ্দীপকে যে ঋতুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয় তার বৈশিষ্ট্যসমূহ চি‎িহ্নত কর। ৪

ক বাংলাদেশের জলবায়ু মোটামুটি সমভাবাপন্ন। এ ধরনের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু নামে পরিচিত।
খ কালবৈশাখী এক ধরনের স্বল্পস্থায়ী ঝড়, যা কোনো জায়গায় স্বল্প পরিসরে অল্প সময়ব্যাপী বজ্রবিদ্যুৎসহ সংঘটিত হয়। বাংলাদেশে সাধারণত বৈশাখ মাসে সংঘটিত হয় এবং তা মানুষের ব্যাপক ক্ষতি করে বলে একে ‘কালবৈশাখী’ বলা হয়। সাধারণত সন্ধ্যার পূর্বে বা অব্যবহতি পরে এ ঝড় শুরু হয় এবং ঘণ্টাখানেক স্থায়ী হয়। গ্রীষ্মকালে দিবাভাগের কোনো কোনো অঞ্চলে বেশি উত্তপ্ত হওয়ায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। তখন পূর্ব-পশ্চিম দিক থেকে প্রবল ঝড়ো বায়ু প্রবাহিত হয়, যা কালবৈশাখী নামে পরিচিত।
গ মানচিত্রে উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলাদেশের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাতের বণ্টন দেখানো হলো :

চিত্র : বাংলাদেশের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত
ঘ উদ্দীপকে বর্ষা ঋতুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর মাস (জ্যৈষ্ঠ-কার্তিক) পর্যন্ত বর্ষাকাল, উদ্দীপকে যা উল্লিখিত হয়েছে। শীত-গ্রীষ্মের মাঝামাঝি বৃষ্টিবহুল সময়কে বর্ষাকাল বলে। বর্ষাকালীন জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
১. তাপমাত্রা : বর্ষাকালে সূর্য বাংলাদেশে লম্বভাবে কিরণ দেয়ায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তবে অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে এ সময় অধিক তাপমাত্রা অনুভ‚ত হয় না। এ সময়কার গড় তাপমাত্রা ২৭ সেলসিয়াস।
২. বায়ুপ্রবাহ : জুন মাসে বাংলাদেশের ওপর সূর্যের অবস্থানের কারণে বায়ুচাপের পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে আগত দক্ষিণ-পশ্চিম অয়ন বায়ু প্রবাহিত হতে শুরু করলে বর্ষাকাল আরম্ভ হয়। দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করার সময় ফেরেলের সূত্রানুসারে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়।
৩. বৃষ্টিপাত : এ সময় বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতে মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে আসার সময় প্রচুর জলীয়বাষ্প সঙ্গে নিয়ে আসে। ফলে শৈলোৎক্ষেপ পদ্ধতিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। বছরের মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় ৮০ ভাগ এ সময় হয়।

প্রশ্ন- ৯  বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের কারণ ও ধরণ

দৃশ্যকল্প-১ : অনেক দিন বৃষ্টিহীন। হঠাৎ একদিন বিকালে ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটা। প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাত হলো এবং এর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ২ ঘণ্টা। এই বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম হলো না।
দৃশ্যকল্প-২ : কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশে ঘন কালো মেঘের ঘটা। এভাবে প্রায় ৩/৪ মাস থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে।
ক. বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়? ১
খ. বাংলাদেশে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণ কী? ২
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ নির্দেশিত বৃষ্টিপাতের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দৃশ্যকল্প-১ এবং দৃশ্যকল্প-২ এ জলবায়ুগত যে বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় তার তুলনামূলক বিবরণ দাও। ৪

ক বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
খ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল খাসিয়া ও জৈন্তিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে আগত জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘালয় পাহাড়ে বাধা পেয়ে ওপরে ওঠে এবং ঠাণ্ডা হয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হয়ে থাকে।
গ দৃশ্যকল্প-১ এ নির্দেশিত বৃষ্টিপাত হলো কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে সংঘটিত বৃষ্টি। গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয়ে থাকে। এ ঝড় ও বৃষ্টি গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা। এর পূর্বে শীতে অনেকদিন এ দেশটি বৃষ্টিহীন থাকে। উদ্দীপকে যা উল্লিখিত হয়েছে। গ্রীষ্মকালে সমুদ্র উপক‚ল থেকে দেশের অভ্যন্তর ভাগে তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন বাংলাদেশের দক্ষিণ দিক থেকে আগত উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু অধিক উত্তাপের প্রভাবে হালকা হয়ে ওপরে ওঠে যায়। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত শীতল ও শুষ্ক বায়ুর সাথে এ বায়ুর সংঘর্ষের কারণে দৃশ্যকল্প-১ এ নির্দেশিত বৃষ্টিপাতটি সংঘটিত হয়ে থাকে। প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি পাত ঘটে, যা সাধারণত বিকেলের দিকে হয় এবং খুব বেশি সময় স্থায়ী হয় না। উদ্দীপকে যেমন ২ ঘণ্টার উল্লেখ আছে। তবে উদ্দীপকের তথ্য অনুযায়ী মাঝে মাঝে এ বৃষ্টিপাত ও ঝড় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়।
ঘ দৃশ্যকল্প-১ এ বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন কালবৈশাখী ঝড়ের বর্ণনা দেয়া হয়েছে এবং দৃশ্যকল্প-২ এ বাংলাদেশের বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাতের ধরন উল্লেখ আছে। বাংলাদেশে মার্চ থেকে মে মাস গ্রীষ্মকাল ও জুন থেকে অক্টোবর মাস বর্ষাকাল। সাধারণত তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাতের ধরনের ওপর নির্ভর করে এই দুই ঋতুর মধ্যে প্রভেদ দেখা দেয়।
তাপমাত্রা : গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এ সময় তাপমাত্রা ২১ সেলসিয়াস থেকে ৩৪ সেলসিয়াস হয় এবং গড় তাপমাত্রা ২৮ সেলসিয়াস। অন্যদিকে বর্ষাকাল তুলনামূলকভাবে কম উষ্ণ থাকে। এ সময় গড় তাপমাত্রা ২৭ সেলসিয়াস।
বৃষ্টিপাত : গ্রীষ্মকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হলেও তা বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ২০ ভাগ। মূলত কালবৈশাখী ঝড়ের কারণেই এ সময় বৃষ্টিপাত হয়। এ সময়ের গড় বৃষ্টিপাত ৫১ সেন্টিমিটার। বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়, যা মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় ৮০ ভাগ।
বায়ুপ্রবাহ : গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে দক্ষিণ দিক থেকে আগত উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু প্রবাহ অধিক উত্তাপের প্রভাবে উপরে উঠে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আগত শীতল ও শুষ্ক বায়ু প্রবাহের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফলে এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষাকালে বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম অয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়। এই বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করলে ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হয়।
বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কম অনুভ‚ত হয়। আবার গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বায়ুর কারণে তাপমাত্রা সমভাবাপন্ন থাকে।

প্রশ্ন- ১০  মৌসুমি বায়ু

মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে এর দিক পরিবর্তন হয়। এ বায়ুর কারণে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে আমাদের দেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় আর শীতকাল শুষ্ক থাকে।
ক. মৌসুমি বায়ু কাকে বলে? ১
খ. শীতকালে বৃষ্টিপাত হয় না কেন? ২
গ. শীত ও গ্রীষ্মকালে উদ্দীপকের বায়ুপ্রবাহ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপক বায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো চি‎িহ্নত কর। ৪

ক ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুর দিক পরিবর্তিত হয় তাকে মৌসুমি বায়ু বলে।
খ শীতকালে এশিয়ার অভ্যন্তর ভাগ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকে এবং উচ্চ চাপের সৃষ্টি হয়। স্থলভাগের এ উচ্চচাপ কেন্দ্র থেকে শীতল বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে মহাসাগরের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হয়। স্থলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ বায়ুতে জলীয়বাষ্প থাকে না। এ কারণে শীতকাল বৃষ্টিহীন থাকে।
গ উদ্দীপকে মৌসুমি বায়ু প্রবাহের কথা বলা হয়েছে। শীত ও গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো :
শীতকালীন মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ : এ সময় মকরক্রান্তি অঞ্চলে সূর্য খাড়াভাবে পতিত হওয়ায় সে অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এ সময় উত্তর গোলার্ধে সৌরতাপ কম থাকায় শীতল হয়ে মধ্য অক্ষাংশে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে এ উচ্চ চাপ এলাকার বায়ু অপেক্ষাকৃত উষ্ণ সাগরের দিকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ : গ্রীষ্মকালে সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়ায় সেখানে নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এ নিম্নচাপ কেন্দ্রে চাপ অত্যন্ত কম থাকায় দক্ষিণ গোলার্ধের দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু ওই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে ফেরেলের সূত্রানুযায়ী ডান দিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
ঘ উদ্দীপকের মৌসুমি বায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো চি‎িহ্নত করা হলো :
১. মৌসুমি বায়ু এক প্রকার সাময়িক বায়ু। বছরের কোনো নির্দিষ্ট সময়ে এটি বিশেষ দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
২. ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এই বায়ুর দিক পরিবর্তিত হয়।
৩. গ্রীষ্মকালে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ুতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে বিধায় এ সময় বায়ু প্রবাহিত পার্শ্ববর্তী স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যেমন : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত হয়।
৪. শীতকালে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ুতে প্রচুর জলীয়বাষ্প না থাকায় এ সময় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম।
৫. মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অত্যধিক হয়ে থাকে। এর প্রভাবে শীত ও গ্রীষ্মে তাপের তারতম্য পরিলক্ষিত হয় না।
৬. গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু প্রবাহের ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষিকাজে উন্নতি সাধিত হয়েছে। ফলে মৌসুমি বায়ু প্রভাবিত অঞ্চল ঘনবসতি এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছে।
৭. শীত ও গ্রীষ্মকালে বায়ুপ্রবাহ বিপরীতমুখী হয়।
৮. শীতকালীন মৌসুমি বায়ু জলীয়বাষ্প বহন করে না, কিন্তু গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু প্রচুর জলীয়বাষ্প বহন করে।
উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যসমূহ মৌসুমি বায়ুকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে কোন রেখা অতিক্রম করেছে?
উত্তর : বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন কত?
উত্তর : বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৩ \ বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল সমুদ্রসীমা কত নটিক্যাল মাইল?
উত্তর : বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল।
প্রশ্ন \ ৪ \ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক একান্ত অঞ্চল কত নটিক্যাল মাইল?
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক একান্ত অঞ্চল ২০০ নটিক্যাল মাইল।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশ ২০০৯ সালে কোথায় জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মায়ানমারের বিপক্ষে মামলা করে?
উত্তর : বাংলাদেশ ২০০৯ সালে জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জার্মানির হামবুর্গ আদালতে মায়ানমারের বিপক্ষে মামলা করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বাংলাদেশ কত সালে জলসীমা অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আদালতে ভারতের বিপক্ষে মামলা করে?
উত্তর : বাংলাদেশ ১৪ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আদালতে মায়ানমারের বিপক্ষে মামলা করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ কোন তারিখে বাংলাদেশের জলসীমা অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জার্মানির হামবুর্গ আদালত মায়ানমারের বিপক্ষে দায়েরকৃত মামলার রায় প্রদান করে?
উত্তর : ১৪ই মার্চ, ২০১২ সালে জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জার্মানির হামবুর্গ আদালত মায়ানমারের বিপক্ষে বাংলাদেশের দায়েরকৃত মামলার রায় প্রদান করে।
প্রশ্ন \ ৮ \ মায়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা মামলার রায়ে বাংলাদেশ কত নটিক্যাল মাইল রাষ্ট্রাধীন সমুদ্র এলাকা লাভ করে?
উত্তর : মায়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা মামলার রায়ে বাংলাদেশ ১২ নটিক্যাল মাইল রাষ্ট্রাধীন সমুদ্র এলাকা লাভ করে।
প্রশ্ন \ ৯ \ মায়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা মামলার রায়ে বাংলাদেশ কত নটিক্যাল মাইল একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল লাভ করে?
উত্তর : মায়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা মামলার রায়ে বাংলাদেশ ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল বা একান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল লাভ করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ উপক‚ল থেকে কত নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সাগরের তলদেশে বাংলাদেশের মহীসোপান রয়েছে?
উত্তর : উপক‚ল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সাগরের তলদেশে বাংলাদেশের মহীসোপান রয়েছে।
প্রশ্ন \ ১১ \ ভারত-বাংলাদেশের সীমারেখার দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর : ভারত-বাংলাদেশের সীমারেখার দৈর্ঘ্য ৩,৭১৫ কিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ১২ \ বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমারেখার দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর : বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমারেখার দৈর্ঘ্য ২৮০ কিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বঙ্গোপসাগরের তটরেখার দৈর্ঘ্য কত?
উত্তর : বঙ্গোপসাগরের তটরেখার দৈর্ঘ্য ৭১৬ কিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ভ‚প্রকৃতির ভিন্নতার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : ভ‚প্রকৃতির ভিন্নতার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা : ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ; ২. প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ও ৩. সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
প্রশ্ন \ ১৫ \ টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমুহকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমুহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা : ক. দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এবং খ. উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কিওক্রাডং পাহাড়ের উচ্চতা কত?
উত্তর : কিওক্রাডং পাহাড়ের উচ্চতা ১,২৩০ মিটার।
প্রশ্ন \ ১৭ \ তাজিনডং (বিজয়) পাহাড়ের উচ্চতা কত?
উত্তর : তাজিনডং (বিজয়) পাহাড়ের উচ্চতা ১,২৩১ মিটার।
প্রশ্ন \ ১৮ \ তাজিনডং পাহাড় কোন জেলায় অবস্থিত?
উত্তর : তাজিনডং পাহাড় বান্দরবান জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ১৯ \ বাংলাদেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের উচ্চতা কত?
উত্তর : বাংলাদেশে উত্তর-উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
প্রশ্ন \ ২০ \ ভাওয়ালের গড় কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : ভাওয়ালের গড় টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় মধুপুর এবং গাজীপুর জেলায় অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ২১ \ সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন কত?
উত্তর : সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভ‚মির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ২২ \ সমুদ্র সমতল থেকে ময়মনসিংহের উচ্চতা কত?
উত্তর : সমুদ্র সমতল থেকে ময়মনসিংহের উচ্চতা ১৮ মিটার।
প্রশ্ন \ ২৩ \ সমুদ্র সমতল থেকে নারায়ণগঞ্জের উচ্চতা কত?
উত্তর : সমুদ্র সমতল থেকে নারায়ণগঞ্জের উচ্চতা ৮ মিটার।
প্রশ্ন \ ২৪ \ কোন কোন জেলা নিয়ে স্রোতজ সমভ‚মি গঠিত?
উত্তর : খুলনা ও পটুয়াখালি অঞ্চল এবং বরগুনা জেলার কিয়দংশ নিয়ে স্রোতজ সমভ‚মি গঠিত।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কোন কোন অঞ্চল নিয়ে বদ্বীপ সমভ‚মি গঠিত?
উত্তর : ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ঢাকা অঞ্চলের অংশবিশেষ নিয়ে বদ্বীপ সমভ‚মি গঠিত।
প্রশ্ন \ ২৬ \ কোন কোন অঞ্চল বন্যা প্লাবন সমভূমির অন্তর্গত?
উত্তর : ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, পাবনা, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও সিলেট বন্যা প্লাবন সমভ‚মির অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ২৭ \ কোন কোন জেলা পাদদেশীয় সমভূমির অন্তর্গত?
উত্তর : রংপুর ও দিনাজপুর পাদদেশীয় সমভ‚মির অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ২৮ \ গঙ্গা ও যমুনার মিলিত ধারা কোথায় মিলিত হয়েছে?
উত্তর : গঙ্গা ও যমুনার মিলিত ধারা চাঁদপুরের কাছে মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৯ \ বাংলাদেশে গঙ্গা-পদ্মা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন কত?
উত্তর : বাংলাদেশে গঙ্গা-পদ্মা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন ৩৪,১৮৮ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৩০ \ মহানন্দা নদীর উপনদীগুলোর নাম লেখ।
উত্তর : পুনর্ভবা, নাগর, পাগলা, কুলিক ও ট্যাংগন মহানন্দার উপনদী।
প্রশ্ন \ ৩১ \ ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উত্তর : ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবরে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ যমুনা নদীর প্রধান উপনদীর নাম লেখ।
উত্তর : যমুনা নদীর প্রধান উপনদী হলো করতোয়া ও আত্রাই।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন কত?
উত্তর : বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে কখন বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তর : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কত?
উত্তর : বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ সেলসিয়াস।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের আয়তন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ১৯৯৬-৯৭ সালের তথ্য অনুসারে দেখা যায়, বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের আয়তন ৯,৪০৫ বর্গকিলোমিটার। বনাঞ্চলের আয়তন ২১,৬৫৭ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশে উপক‚ল অঞ্চলে বিশাল এলাকা ক্রমান্বয়ে জেগে উঠেছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ অংশে প্রসার ঘটলে বাংলাদেশের আয়তন আরও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল, অর্থনৈতিক একান্ত অঞ্চল ২০০ নটিক্যাল মাইল।
প্রশ্ন \ ২ \ স্রোতজ সমভ‚মি কী?
উত্তর : বাংলাদেশের বদ্বীপ অঞ্চলের দক্ষিণভাগের যে অংশে জোয়ার-ভাটার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তাকে স্রোতজ সমভ‚মি বলে। এ অঞ্চলের উপর দিয়ে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হয়েছে। এ অঞ্চলের প্রায় পুরোটাই ম্যানগ্রোভ বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদিত।
প্রশ্ন \ ৩ \ পদ্মা নদীর গতিপথ সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম নদী পদ্মা। গঙ্গা নদী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করে। গঙ্গা নদীর মূল প্রবাহ ভারতের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে পদ্মা নামে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা বরাবর এসে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর দৌলতদিয়ার নিকট যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। গঙ্গা ও যমুনার মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরের কাছে মেঘনার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এই তিন নদীর মিলিত প্রবাহ মেঘনা নামে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ অশ্বখুরাকৃতি নদীখাত কী?
উত্তর : অনেক সময় নদী আঁকাবাঁকা পথে চলতে চলতে নদীর বাঁকের দুই বাহুর সংকীর্ণ স্থান ক্ষয়প্রাপ্ত হলে নদী তার পুরাতন বাঁকা পথ পরিত্যাগ করে নতুন সোজা পথে প্রবাহিত হয় ও পুরাতন খাতটি পরিত্যক্ত অশ্বখুরাকৃতি নদীখাতে পরিণত হয়। এটির আকৃতি অশ্বের খুরের ন্যায় দেখায় বলে একে অশ্বখুরাকৃতির নদীখাত বলে। বাংলাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত জলাভ‚মি ও নিম্নভ‚মিই অশ্বখুরাকৃতি নদীখাত।
প্রশ্ন \ ৫ \ ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ লেখ।
উত্তর : ব্রহ্মপুত্র নদ হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রথমে তিব্বতের উপর দিয়ে পূর্ব দিকে ও পরে আসামের ভিতর দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছে। অতঃপর ব্রহ্মপুত্র কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এরপর দেওয়ানগঞ্জের কাছে দক্ষিণ-পূর্বে বাঁক নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় পতিত হয়েছে। ধরলা ও তিস্তা ব্রহ্মপুত্রের প্রধান উপনদী এবং বংশী ও শীতলক্ষ্যা প্রধান শাখানদী।
প্রশ্ন \ ৬ \ যমুনা নদীর গতিপথ লেখ।
উত্তর : ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্রের শাখা যমুনা নদী নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে দৌলতদিয়ার কাছে পদ্মার সাথে মিলিত হয়েছে। করতোয়া ও আত্রাই যমুনার প্রধান উপনদী। ধলেশ্বরী এর শাখানদী এবং ধলেশ্বরীর শাখানদী বুড়িগঙ্গা।
প্রশ্ন \ ৭ \ কর্ণফুলী নদীর গতিপথ লেখ।
উত্তর : আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলী নদী রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এটি চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির প্রধান নদী। কর্ণফুলীর প্রধান উপনদী কাসালাং, হালদা এবং বোয়ালখালি।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের প্লাবন সমভ‚মি উর্বর কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশে প্রায় ৭০০ নদী সর্বত্র জালের মতো ছড়িয়ে আছে। এই নদীগুলোর উৎপত্তি কোনো না কোনো পাহাড় থেকে। অধিকাংশ নদী ভারত থেকে আসে। এই নদীগুলো প্রতিবছর লাখ লাখ টন পলি বহন করে, যা বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এই নদীগুলো জালের মতো বিস্তৃত হওয়ায় যখন বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় তখন নদীর দু’ক‚ল ছাপিয়ে প্লাবনের সৃষ্টি করে। এ প্লাবনের সাথে পলি আসে এবং পার্শ¦ভূমিতে সঞ্চিত হয়। বন্যার পানিবাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। কারণ পলি হচ্ছে মৃত্তিকার পুষ্টি। তাই বাংলাদেশের প্লাবন সমভ‚মি খুব উর্বর।
প্রশ্ন \ ৯ \ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ওপর নদনদীর প্রভাব লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উপর নদনদীর প্রভাব অপরিসীম। সেচের পানি, শিল্পে ব্যবহৃত পানি ও বিদ্যুৎ শক্তির উৎস হচ্ছে নদী। মাছের উৎসও নদী। নদীকে কেন্দ্র করে এদেশের লাখ লাখ লোক জীবিকা নির্বাহ করছে। নদী জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। বাংলাদেশের নদীগুলো পরিবহন ও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ শীত ও গ্রীষ্মকালের মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : ঋতুভেদে বায়ুর তারতম্যের কারণে মৌসুমি বায়ুর উৎপত্তি ও দিক ভিন্ন হয়। গ্রীষ্মকালে উত্তর গোলার্ধে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে নি¤œচাপের সৃষ্টি হয় এবং এ সময়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে দক্ষিণ ও পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। অপরদিকে শীতকালে দক্ষিণ গোলার্ধে তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে এ সময় এ অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে বাংলাদেশের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। স্থলভাগের উপর দিয়ে এ বায়ু প্রবাহিত হয় বলে এ বায়ু শুষ্ক থাকে।

 

 

Leave a Reply