ত্রয়োদশ অধ্যায়
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও পরিবেশের ভারসাম্য
ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
পরিবেশের ভারসাম্য এবং ভারসাম্যহীনতা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যাসহ বাংলাদেশের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বর্ণনা করতে পারবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদনের সময় কীভাবে পরিবেশ দূষণ ও ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে তা ব্যাখ্যা কর।
পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পরিণতি বিশ্লেষণ করতে পারবে।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে তা বিশ্লেষণ করতে পারবে।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদনের সময় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপায় ব্যাখ্যা করতে পারবে।
পরিবেশ ভারসাম্যহীনতার পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হবে এবং অন্যকে সচেতন করবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশের ভারসাম্য : চাহিদার সাথে মিল রেখে কোনো কিছুর উযোগিতা বৃদ্ধির জন্য যে পরিবর্তন করা হয়, তাকে বলে উন্নয়ন। একটি দেশের জন্য উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষ ও দেশ চায় উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে। এজন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু উন্নয়ন সাধন করতে হয়। পরিবেশ সমন্বিত করে এসব উন্নয়ন করা উচিত। আমরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এমনভাবে পরিচালনা করব যেন তা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করে।
কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন : বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নের জন্য সার প্রয়োগ, একই জমি অধিকবার ব্যবহার, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কীটনাশক ব্যবহার, ভ‚নি¤œস্থ পানি সেচের ব্যবহার ইত্যাদি কার্যসম্পাদন করা হচ্ছে।
শিল্পক্ষেত্র উন্নয়ন : সামাজিক অগ্রগতির জন্য দ্রæত শিল্প উন্নয়ন অপরিহার্য। খনিজ সম্পদ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য জ্বালানি শিল্প, পর্যটন ও সেবাশিল্প, কৃষিজ ও বনজ শিল্প, নির্মাণ শিল্প, তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প ইত্যাদি শিল্পখাতে উন্নয়ন করা হচ্ছে।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন : দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। যেমন : উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক ব্রিজ ও কালভার্ট উন্নয়নের ক্ষেত্রে নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ ও পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়ক, সেতু, ফেরিঘাট নির্মাণ ও ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণ প্রভৃতির মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।
বাসস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন : বাসস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন দেশের অন্যান্য উন্নয়নের ওপর কিছুটা নির্ভর করে। খাওয়ার পানির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থার জন্য উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়নের সমন্বিত রূপ হচ্ছে বাসস্থানের উন্নয়ন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশ দূষণ : উন্নয়ন সকল দেশের কাম্য। টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন হলে তা দেশের জন্য মঙ্গল। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীব থেকে শুরু করে সকল প্রকার জীব ও মানুষের বিচরণ এই পরিবেশে। পরিবেশের কোনো অংশই আজ দূষণমুক্ত নয়। মানুষ শুধু তার নিজের পরিবেশকেই দূষিত করছে না। সকল জীব ও তার পরিবেশও এই দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে মানুষসহ সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনধারণে বিঘœ ঘটছে। কিছু ক্ষতিকারক উপাদান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের পরিবেশকে দূষিত করছে, যাকে আমরা দূষক বলি। বিভিন্ন কারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিমনি এবং যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া, জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক, রাসায়নিক সার, বিভিন্ন আবর্জনা, পলিথিন, প্লাস্টিক ইত্যাদি হলো দূষকের উদাহরণ। এসব দূষক ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানকে দূষিত করছে।
পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পরিণতি : সম্পদের অধিক ব্যবহারের ফলে আমাদের জলজ, বনজ ও স্থলজ বাস্তুসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। জলজ বাস্তুসংস্থান নষ্ট হওয়ার কারণে অনেক জলজ প্রাণী ও মাছ বিলুপ্ত হয়েছে, অনেক বনজ প্রাণী ধ্বংস হয়েছে। বনজঙ্গল কেটে ফেলার ফলে অনেক প্রাণীর বাসস্থান নষ্ট হয়েছে যা খাদ্যশৃঙ্খলকে ভেঙে দিয়েছে। এর ফলে প্রাণীর বাস্তুসংস্থানের ওপর তথা মানবসমাজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপায় : আমরা পরিবেশ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করি। এই প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার যথাযথ হলে পরিবেশ টিকে থাকবে। তাই সম্পদের তথা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তৎপর হতে হবে। আমাদের উচিত হবে উৎপাদনের প্রতি যতœশীল হওয়া, সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা এবং ক্ষয়ক্ষতি যা হবে তা পূরণ করা। জ্বালানি ব্যবস্থাকে অধিকতর দক্ষ করে তুলতে হবে। সৌর, বায়ু, পানি, বায়োগ্যাস, সমুদ্র, পশু এবং মানব শক্তিকে ব্যবহার করে নতুন ও পুনঃব্যবহারযোগ্য জ্বালানি উদ্ভাবন করতে হবে। তাহলে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যাবে।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ : জীববৈচিত্র্য পরিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার এক অমূল্য সম্পদ। মানুষ তার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানসহ নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদার জন্য পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। বাস্তুসংকোচন, মাত্রাতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের ফলে জমির ওপর চাপ সৃষ্টি, পরিবেশ দূষণ প্রভৃতির ফলে আমাদের জীববৈচিত্র্য বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সংকুচিত হয়ে আসছে প্রাণীর আবাসস্থল, তাদের শিকারের ক্ষেত্র। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন জরুরিভিত্তিক দৃঢ় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশের কোন জেলা জলমগ্ন হবে?
নোয়াখালী খ দিনাজপুর
গ রংপুর ঘ বগুড়া
২. পরিবেশের অবক্ষয় রোধের জন্য প্রয়োজন Ñ
র. সমন্বিত নীতি
রর. সাংগঠনিক কাঠামোর উন্নয়ন
ররর. পরিবেশসম্মত টেকসই পদ্ধতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুমি শীতের ছুটিতে খুলনায় মামার বাসায় বেড়াতে যায়। একদিন মামার সঙ্গে সুন্দরবন দেখতে গেলে সে বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু ও বৃক্ষাদি দেখতে পায়। সে মামার কাছে জানতে পারে অতীতে এ বনে আরও বেশি জীবজন্তু ও গাছপালা ছিল।
৩. সুমির দেখা বনভ‚মিতে পাওয়া যায়-
ক কড়ই, গজারি গরান, গোলপাতা
গ চাপালিশ, তেলসুর ঘ শাল, সেগুন
৪. উক্ত বনভ‚মি ধ্বংস হলে-
র. ভ‚গর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা বাড়বে
রর. উদ্ভিদ জন্মানোর পরিবেশ নষ্ট হবে
ররর. জলোচ্ছ¡াসে ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ পরিবেশ দূষণ
একদল শিক্ষার্থী শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌভ্রমণে যায়। সেখানে তারা নদীর পানির স্বাভাবিক রং না দেখে রীতিমতো বিস্মিত হয়।
ক. জলজ ক্ষুদ্র প্রাণীর নাম কী?
খ. মাটি দূষিত হয় কীভাবে? ব্যাখ্যা কর।
গ. শিক্ষার্থীদের দেখা নদীটির পানির রং স্বাভাবিক নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত নদীর পানির রং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন? তোমার মতামত দাও।
ক জলজ ক্ষুদ্র প্রাণীর নাম প্ল্যাংকটন।
খ আমাদের জীবনধারণের জন্য মাটি অত্যাবশ্যক। মাটিতে বিভিন্ন ফসল ফলে, যা আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। কিন্তু এই মাটি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। প্লাস্টিক, কাচ, পলিথিন ইত্যাদি দ্বারা মাটি দূষিত হয়। কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, কীটনাশক, গৃহস্থালি ও শিল্প-কারখানার বর্জ্য মাটিকে দূষিত করছে।
গ শিক্ষার্থীদের দেখা শীতলক্ষ্যা নদীর পানির রং স্বাভাবিক না থাকার কারণ মূলত নদীদূষণ। বাংলাদেশের অন্যান্য নদীর মতো শীতলক্ষ্যা নদীর আশপাশে অসংখ্য ছোট-বড় কলকারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কলকারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক দ্রব্য, শিল্প আবর্জনা, রং, গ্রিজ, উষ্ণ পানি ইত্যাদি নদীর পানির সাথে মিশছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীপথে প্রতিদিন অসংখ্য নৌযান চলাচল করছে। এসব নৌযান থেকে নিঃসৃত তেল ক্রমাগতভাবে নদীর পানি দূষিত করছে। কৃষিজমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক ও সার মিশ্রিত পানি, অব্যাহতভাবে শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে পতিত হচ্ছে। যার ফলে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এসব কারণে নদীর পানির রং স্বাভাবিক না থেকে পরিবর্তিত হয়েছে।
ঘ উক্ত নদী তথা শীতলক্ষ্যা নদীর পানির রং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বিবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন শিল্প-কারখানার বর্জ্যপদার্থ পরিশোধিত করে নদীর পানিতে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। রং, গ্রিজ, উষ্ণ পানি যাতে ফেলা না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করে তুলতে হবে। নৌযান নিঃসৃত তেল যাতে নদীতে না পড়ে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মিশ্রিত আবাদি জমির পানি যাতে নদীর পানির সাথে না মেশে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জীবজন্তুর মৃতদেহ যাতে নদীতে না ফেলা হয় সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় পাশ অবৈধ দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। নদীর সংস্কার সাধন করে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শীতলক্ষ্যা নদীর পানির রং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন- ২ বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশ দূষণ
কনক ও কাকন সাভার যাওয়ার পথে আমিন বাজার পার হওয়ার পরেই চোখে জ্বালাপোড়া অনুভব করে। তারা দেখতে পেল রাস্তার উভয় পাশে অনেক ইটের ভাটা।
ক. বায়ুদূষণ কী?
খ. পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. কনক ও কাকনের চোখ জ্বালাপোড়া করার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পরিবেশ উদ্ভিদকুলের উপর কিরূপ প্রভাব ফেলবে বিশ্লেষণ কর।
ক বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান বায়ুতে মিশ্রিত হয়ে বায়ুর স্বাভাবিক অবস্থা বিনষ্ট করে ক্ষতিকর প্রভাব ফেললে তাকে বায়ুদূষণ বলে।
খ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকার জন্য যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ দরকার, তার কম হলেই পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, আর তখনই পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। অতিমাত্রায় প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ফলে আমাদের পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। এ অবস্থাকে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা বলে।
গ কনক ও কাকনের চোখ জ্বালাপোড়া করার কারণ হলো আমিন বাজার এলাকার দূষিত বায়ু। উদ্দীপকে দেখা যায়, এ এলাকায় অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। ইটভাটায় কাঠ, কয়লা ইত্যাদি পোড়ানোর ফলে তা থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। কালো ধোঁয়াতে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ঈঋঈ ইত্যাদি ক্ষতিকর গ্যাস মিশ্রিত থাকে। এসব গ্যাস আমাদের শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালাপোড়া ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাছাড়া এসব গ্যাস বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। এসব গ্যাস ও ধূলিকণা যখন আমাদের চোখে প্রবেশ করে তখন আমাদের চোখ জ্বালাপোড়া করে। উদ্দীপকে কনক ও কাকনের সাভার যাওয়ার পথে এসব কারণে চোখ জ্বালাপোড়া করছিল।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত দূষিত পরিবেশে অনেক স্থান উদ্ভিদহীন হয়ে পড়বে। ঘরবাড়ি, শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে মানুষ বনভ‚মি উজাড় করে ফেলছে। বসতবাড়ি ও কলকারখানা নির্মাণের জন্য ইটের ভাটার প্রয়োজন পড়ছে। এসব ভাটায় বনজঙ্গলের কাঠ অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ইটের ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। ইটের ভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করায় বনভ‚মির ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে দিন দিন বনভ‚মির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। বনজঙ্গলে বাস করা প্রাণী তাদের আশ্রয়স্থল হারাচ্ছে, যার কারণে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে উক্ত এলাকার তাপমাত্রা বাড়ছে। পরোক্ষভাবে বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে। মাটি অধিক তাপমাত্রা গ্রহণ করছে। ফলে অনেক স্থান উদ্ভিদহীন হয়ে পড়ছে।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোনটি ক্লোরোফ্লোরোকার্বনের সংকেত? [স. বো.’১৬]
ক ঋবঙ খ ঈঙ২ গ ঐ২ঈঙ৩ ঘ ঈঋঈ
২. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশের কোন জেলাটি জলমগ্ন হবে?
[স. বো.’১৬]
ক সাতক্ষীরা খ দিনাজপুর গ রংপুর ঘ চাঁদপুর
৫. যে কোনো দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি? (স. বো. ’১৫)
ক সমাজ খ সংস্কৃতি
গ ইতিহাস উন্নয়ন
৬. ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরোক্ষ ফল কোনটি?
(স. বো. ’১৫)
ক বন্যা বেশি বৃষ্টিপাত কম
গ খরা বেশি ঘ জলোচ্ছ¡াস কম
৭. উন্নয়ন কিসের ওপর নির্ভর করে? [বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খ সামাজিক মূল্যবোধ
গ প্রাকৃতিক ভারসা অর্থনৈতিক কার্যাবলি
৮. জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন কোনটি?
[খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক সম্পদের ব্যবহার খ চাহিদা পূরণ
গ পরিবেশের ভারসাম্য অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন
৯. উন্নয়ন কী? [মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর]
ঘ নতুন কিছু সৃষ্টি খ অভাব পূরণ
গ জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি উপযোগিতা বৃদ্ধি
১০. যোগাযোগের উন্নয়ন কোনটির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে?
[বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক কৃষির খ শিল্পের
গ বাসস্থানের কৃষি ও শিল্পের
১১. বাসস্থানের উন্নয়ন কী ধরনের উন্নয়ন? [বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ক সংগঠিত অবকাঠামোগত
গ বিচ্ছিন্ন ঘ ব্যক্তিগত
১২. কোনো এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেয়ার সময় লক্ষ রাখতে হয়Ñ
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্ত. উচ্চ বিদ্যালয়]
র. ভৌগোলিক অবস্থান
রর. জলবায়ু
ররর. পরিবেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩. মাটি অধিক তাপমাত্রা গ্রহণের ফলে কী সমস্যা হচ্ছে?
[শহীদ নাজমুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী]
ক মাটি উত্তপ্ত খ বৃষ্টিপাত কম
গ গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়া অনেক স্থান উদ্ভিদহীন
১৪. বাংলাদেশে কত জাতের স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে?
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃউচ্চ বিদ্যালয়]
ক ১১৭ খ ১১৮ ১১৯ ঘ ১২০
১৫. বাংলাদেশে কত জাতের পাখি আছে? [বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ৫০৫ খ ৫৫০ ৫৭৮ ঘ ৫৯৬
১৬. বাংলাদেশে কত জাতের উভচর আছে? [লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
১৯ খ ১১৯ গ ১২৪ ঘ ৪৭৮
১৭. উনিশ শতকে কতটি প্রজাতির বন্যপ্রাণী বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে?
[লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক ১৮ ১৯ গ ২০ ঘ ২১
১৮. পরিবেশ সংরক্ষণ করা যায়- [নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. পরিবেশের উপাদানের প্রতি যতœশীল হয়ে
রর. সতর্কতার সাথে ব্যবহার করে
ররর. ক্ষয়ক্ষতি পূরণের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৯৭ ও ৯৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯. দেশটির উন্নয়ন কীভাবে করা উচিত? [নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
পরিবেশ সমন্বয় করে খ কৃষিকাজ ব্যবহার করে
গ পরিবেশ পরিবর্তন করে ঘ ঘরবাড়ি বৃদ্ধি করে
২০. দেশটিকে উন্নত করতে হলে প্রয়োজন Ñ
র. কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন
রর. শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়ন
ররর. যোগাযোগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০০
১.
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১. উন্নয়ন কিসের ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান))
ক অর্থনৈতিক কার্যাবলি রাজনৈতিক কার্যাবলি
গ উন্নয়নমূলক কার্যাবলি ঘ পরিবেশবান্ধব কার্যাবলি
২২. আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিবেশের ভারাসাম্য রক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন? (অনুধাবন))
ক উন্নয়ন ব্যক্তিগত উদ্যোগের ওপর নির্ভরশীল বলে
উন্নয়ন প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল বলে
গ উন্নয়ন সামাজিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল বলে
ঘ উন্নয়ন জাতীয় উদ্যেগের ওপর নির্ভরলশীল বলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩. পরিবেশ একটি সহনশীল অবস্থায় বাস করে Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উদ্ভিদ ও প্রাণী
রর. ক্ষুদ্রজীব
ররর. মানুষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশের ভারসাম্য বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৭৪
¡ প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিটি উপাদান- একটি অপরটির উপর নির্ভরশীল।
¡ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সবকিছুই করতে হবে- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
¡ মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুর উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ হচ্ছে- উন্নয়ন।
¡ অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভরশীল- কৃষিখাতের উন্নয়নের উপর।
¡ বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য- কৃষির অগ্রগতি প্রয়োজন।
¡ কৃষি এবং শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে- যোগাযোগ।
¡ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য চাহিদা বেড়ে যাওয়ার ফলে -ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে।
¡ প্রতিটি মানুষ ও দেশ চায়- উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে।
¡ বাংলাদেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে ক্রমশ ঢালুর ফলে- পুর্ব- পশ্চিমগামী স্থল যোগাযোগ অধিক সেতু নির্মাণ জরুরি।
¡ আজ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
¡ বাসস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলো- অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৪. প্রতিটি মানুষ ও দেশ জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে কী চায়? (অনুধাবন)
উন্নয়ন খ অগ্রগতি গ চাহিদা পূরণ ঘ শিক্ষা অর্জন
২৫. একটি দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কীসের সাথে সমন্বয় করে পরিচালনা করা উচিত? (অনুধাবন)
ক চাহিদা পরিবেশ গ প্রয়োজন ঘ জনপ্রত্যাশা
২৬. তোমার প্রতিবেশী টিনের বাড়ি পরিবর্তন করে ইটের দালান নির্মাণ করছে, এটি কী? (প্রয়োগ)
ক সুষম উন্নয়ন খ দরকারে সমন্বয় সাধন
গ সার্বিক উন্নয়ন উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ
২৭. বাংলাদেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে ভ‚মি কী প্রকৃতির? (জ্ঞান)
ক ক্রমশ উঁচু ক্রমশ ঢালু গ সমতল ঘ উঁচু-নিচু
২৮. আমাদের পূর্ব-পশ্চিমগামী স্থল যোগাযোগে অধিক সেতু নির্মাণ জরুরি কেন? (জ্ঞান)
উত্তর থেকে দক্ষিণ ক্রমশ ঢালু বলে
খ পূর্ব-পশ্চিমগামী নদীর সংখ্যা বেশি বলে
গ বিস্তীর্ণ সমভ‚মি বলে
ঘ দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অবস্থান বলে
২৯. শিল্প বর্জ্য কোন নদীকে দূষিত করে ফেলেছে? (জ্ঞান)
ক শীতলক্ষ্যা খ ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গা ঘ গড়াই
৩০. মানুষের প্রয়োজন মেটাতে চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুর উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণকে কী বলে? (অনুধাবন)
উন্নয়ন খ ভারসাম্য
গ সংরক্ষণ ঘ কর্মকাণ্ড
৩১. রাতের অন্ধকার দূর করতে এখন হ্যারিকেনের বদলে বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার হয়। সময়ের সাথে এই পরিবর্তনকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক উপযোগিতা উন্নয়ন গ প্রযুক্তি ঘ বিজ্ঞান
৩২. কৃষির অগ্রগতি প্রয়োজন কেন? (অনুধাবন)
ক সুষম খাদ্য পাওয়ার জন্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্য
গ অপুষ্টি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ঘ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার জন্য
৩৩. কৃষিক্ষেত্রে বাড়তি ফসল উৎপাদনের জন্য কোনটির ব্যবহার বাড়ছে? (অনুধাবন)
ক চাষযোগ্য জমি খ খনিজ সম্পদ আহরণ
রাসায়নিক সার ঘ শিল্প স¤প্রসারণ
৩৪. আমাদের দেশে দ্রæত শিল্প উন্নয়ন অপরিহার্য হয়ে পড়ছে কেন? (অনুধাবন)
ক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য খ ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের জন্য
গ আয় রোজগার বাড়ানোর জন্য সামাজিক অগ্রগতির জন্য
৩৫. কৃষি এবং শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কোনটি ভ‚মিকা রাখে? (অনুধাবন)
যোগাযোগ খ সেবা গ খনিজ সম্পদ ঘ জ্বালানি
৩৬. খাওয়ার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, বর্জ্যরে জন্য উন্নত ড্রেনেজ ইত্যাদি উন্নয়নের সমন্বিত রূপ কোনটি? (অনুধাবন)
ক শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়ন খ যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন
বাসস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘ কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৭. উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা উচিত (অনুধাবন)
র. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করে
রর. চাহিদার সঙ্গে উপযোগিতার সমন্বয় করে
ররর. সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. কৃষির উন্নয়নে আমরা করছি (প্রয়োগ)
র. একই জমি বার বার ব্যবহার
রর. ভ‚নিম্নস্থ পানিসেচের ব্যবহার
ররর. সার ও কীটনাশকের ব্যবহার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩৯. আমাদের দেশে শিল্পখাতে উন্নয়ন করা হয় (অনুধাবন)
র. উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে
রর. কৃষিজ ও বনজ সম্পদ আহরণ খাতে
ররর. তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক খাতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪০. যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে (প্রয়োগ)
র. মহাসড়ক নির্মাণের মাধ্যমে
রর. ফেরিঘাট নির্মাণের মাধ্যমে
ররর. ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৭ ও ২৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মানুষের অব্যাহত গতিতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিঘিœত হচ্ছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ধীরে ধীরে কলুষিত হয়ে উঠছে।
৪১. উক্ত প্রসঙ্গটির স্বাভাবিক নিয়মকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ভারসাম্য অবস্থা খ প্রাকৃতিক সম্পর্ক
গ প্রাকৃতিক জগৎ ঘ নির্ভরশীলতা
৪২. উল্লিখিত পরিবেশ ধীরে ধীরে কলুষিত হয়ে উঠছে (প্রয়োগ)
র. মানুষের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে
রর. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার কারণে
ররর. সমন্বয়হীনভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৯ ও ৩০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জুন্নুন মিয়া একজন কৃষক। তিনি তার জমিতে উৎপাদন বাড়াতে চান। তিনি এজন্য পরিবেশের ক্ষতিকে মোটেও গ্রাহ্য করেন না।
৪৩. জুন্নুন মিয়া উন্নয়নের জন্য কী ব্যবহার করছে? (প্রয়োগ)
কীটনাশক খ লাঙল
গ আলোর ফাঁদ ঘ জোয়াল
৪৪. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে জুন্নুন মিয়ার কর্মকাণ্ড (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অপরিণামদর্শী
রর. ব্যক্তি পর্যায়ে ক্ষতিকর
ররর. দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব বিস্তার করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশ দূষণ বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৭৫
¡ টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন- দেশের জন্য মঙ্গল।
¡ পরিবেশের প্রধান উপাদান হচ্ছে- জমি বা ভ‚মি, পানি, বায়ু এবং বনজসম্পদ।
¡ ইটভাটা, পরিবহন ও শিল্প কাখানার ধোঁয়ার মাধ্যমে বায়ুর ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাস এর পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
¡ পানিতে যোগাযোগের যানবাহন থেকে তেল বর্জ্য সংযুক্ত হয়ে পানি দূষিত হচ্ছে ফলে- জলজ প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে।
¡ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে- উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
¡ জলজ বাস্তুসংস্থান নষ্ট হওয়ার ফলে জলজ প্রাণি ও মাছ বিলুপ্ত হয়।
¡ অতিরিক্ত মাত্রায় সম্পদ ব্যবহারের ফলে- পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
¡ জলাধার ভরাট করে বসতি ও শিল্পকারখানা সৃষ্টির ফলে- পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
¡ পুকুরের চারপাশ ধ্বংস করে উন্নয়ন করলে- দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ আহরণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. একটি দেশের জন্য কী ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মঙ্গলজনক? (জ্ঞান)
ক টেকসই খ পরিবেশবান্ধব
টেকসই ও পরিবেশবান্ধব ঘ স্বাস্থ্যসম্মত
৪৬. পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী কে? (জ্ঞান)
ক পশুপাখি মানুষ গ জীবজন্তু ঘ অণুজীব
৪৭. একই জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন করায় ভ‚মির উর্বরতা হ্রাস পায়। এর ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
মাটির জৈব উপাদান কমে যায়
খ মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়
গ মাটির ক্ষুদ্রজীব চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়
ঘ মাটির বায়ুধারণ ক্ষমতা কমে যায়
৪৮. কৃষিজমিতে অধিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কী দূষণ ঘটায়? (জ্ঞান)
ক পানি খ বায়ু গ শব্দ মাটি
৪৯. পরিবেশে অণুজীব ও ক্ষুদ্রজীব চলাচলে বাধাগ্রস্ত হলে এর ফলাফল হিসেবে কী দেখা দেয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পানিদূষণ খ বায়ুদূষণ
ভ‚মিদূষণ ঘ শব্দদূষণ
৫০. মানুষের অযাচিত কর্মকাণ্ডে মাটি দূষিত হলে উদ্ভিদ জন্মাতে পারে না। এর ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ভ‚মি জৈব উপাদান হ্রাস পায় ভ‚মি মরুকরণ হয়
গ ভ‚মির উর্বরতা হ্রাস পায় ঘ ভ‚মিতে অক্সিজেন কমে যায়
৫১. পরিবহনের ধোঁয়ায় কী দূষণ হয়? (অনুধাবন)
ক পানি খ ভ‚মি বায়ু ঘ শব্দ
৫২. নিচের কোনটি বায়ু দূষণ ঘটায়? (অনুধাবন)
ইটভাটার ধোঁয়া খ আবাসস্থলের বর্জ্য
গ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার ঘ পাহাড় কাটা
৫৩. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী কোনটি? (অনুধাবন)
ক নাইট্রোজেন ঈঋঈ গ্যাস গ আর্গন ঘ অক্সিজেন
৫৪. বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া ঘটে? (জ্ঞান)
ক ঙ২ খ ঐ২ ঈঋঈ ঘ ঝঙ২
৫৫. শিল্প গৃহস্থালি পরিবহন ও ইটভাটার কালো ধোঁয়া থেকে কী গ্যাস নির্গত হয়? (জ্ঞান)
ঈঙ২ ও ঈঋঈ খ ঈঙ ও ঝঙ২
গ ঘঐ৩ ও ঝঙ২ ঘ ঐ২ ও ঘ২
৫৬. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে কী হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমে যায় খ বায়ুমণ্ডল ভারসাম্যহীন হয়
গ বায়ুর আর্দ্রতা হ্রাস পায় বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়
৫৭. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার পরোক্ষ ফলাফলে কী হতে পারে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কৃষি উৎপাদন কমবে বৃষ্টিপাত কমে যাবে
গ জনসংখ্যা বাড়বে ঘ ঋতু পরিবর্তন হবে না
৫৮. বাংলাদেশে বনভ‚মির পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক ৯% খ ১৩% ১৭% ঘ ১৯%
৫৯. পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পরিণতি হিসেবে কোন অঞ্চলের উত্তপ্ততা এবং শৈত্যপ্রবাহ বাড়ছে? (অনুধাবন)
ক দক্ষিণাঞ্চল খ পশ্চিমাঞ্চল
উত্তরাঞ্চল ঘ পূর্বাঞ্চল
৬০. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের ফলে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বাড়ছে? (জ্ঞান)
ক কালবৈশাখী খ টর্নেডো
ঘূর্ণিঝড় ঘ ভ‚মিকম্প
৬১. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশের কোন এলাকা জলমগ্ন হবে? (অনুধাবন)
সাতক্ষীরা ও নোয়াখালী খ কুমিল্লা ও চাঁদপুর
গ রাজবাড়ি ও মাদারিপুর ঘ রংপুর ও দিনাজপুর
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. ভ‚মি দূষণের কারণ (অনুধাবন)
র. বন কেটে আবাদি জমি প্রস্তুতকরণ
রর. একই জমি অধিকবার ব্যবহার
ররর. গৃহস্থালির ধোঁয়া নিঃসরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৩. পানি দূষণের কারণ (অনুধাবন)
র. কলকারখানা ও আবাসস্থলের বর্জ্য
রর. নৌযান থেকে তেল নিঃসরণ
ররর. ইটভাটার ধোঁয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. মাটি ও পানি দূষিত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে
রর. আবাসস্থল ও শিল্প ক্ষেত্রের বর্জ্যে
ররর. পরিবহন ও ইটভাটার ধোঁয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. পানি দূষিত হলে এর ফলাফল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জলজ উদ্ভিদ জন্মাতে বিঘœ সৃষ্টি হয়
রর. জলজ প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হয়
ররর. ছোট ও বড় মাছের খাদ্যের অভাব হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৬. বনজঙ্গল কেটে ফেলায় খাদ্যশৃঙ্খল ভেঙে পড়েছে Ñ (অনুধাবন)
র. শৃগালের
রর. খরগোশের
ররর. বনবিড়ালের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৭. মাটির ক্ষয় রোধ করা যায় (অনুধাবন)
র. বেশি করে গাছ লাগিয়ে
রর. তৃণভ‚মি সৃষ্টি করে
ররর. কৃষিজ উৎপাদন বাড়িয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি দেখে ৫৪ ও ৫৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৬৮. (?) চিিহ্নত স্থানে কী বসবে? (প্রয়োগ)
ক ভ‚মি খ পানি বায়ু ঘ শব্দ
৬৯. চিত্রের দূষণের পরিণতি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সংক্রমণ রোগের প্রাদুর্ভাব
রর. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া
ররর. পরিবেশে ভারসাম্যহীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৬ ও ৫৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শীতপ্রধান দেশে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচানোর জন্য কাচের ঘরের ভেতরে গাছপালা লাগানো হয়। একে গ্রিন হাউস বলে।
৭০. বায়ুমণ্ডল, অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ঘর হলে দায়ী গ্যাস কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ঙ২ ঈঙ২ গ ঙ৩ ঘ ঘ২
৭১. উক্ত ইঙ্গিতকৃত প্রতিক্রিয়ার ফলে Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বাড়ছে
রর. বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে
ররর. মাটি উদ্ভিদহীন হয়ে পড়ছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপায় বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১৭৭
¡ প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হলে- পরিবেশ টিকে থাকবে।
¡ সৌর, পানি, বায়োগ্যাস এবং মানবশক্তিকে ব্যবহার করে- নতুন ও পুনঃব্যবহারযোগ্য জ্বালানি উদ্ভাবন করতে হবে।
¡ বিভিন্ন প্রকার কঠিন বর্জ্য কাজে লাগিয়ে- বিদ্যুৎ ও জৈব সার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
¡ টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশগত অবক্ষয় রোধের জন্য প্রয়োজন- সমন্বিত নীতি, সাংগঠনিক কাঠামোর উন্নয়ন।
¡ জীববৈচিত্র্য- পরিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার মূল উপাদান।
¡ মাটি দূষণ, বায়ু দূষণ প্রভৃতি রোধ করলে পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব।
¡ মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে- পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য।
¡ ঊনিশ শতকেই বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে-১৯টি প্রজাতি।
¡ খাদ্যপরিধেয়, বাসস্থান, ঔষধ, বিনোদন ইত্যাদির জন্য মানুষ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল।
¡ ঊনিশ শতকের শুরুতে হাতির দেখা মিলত- ভাওয়াল ও মধুপুরের গড় অঞ্চলে।
¡ সরকার ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭২. আমরা পরিবেশ থেকে কোন সম্পদ ব্যবহার করি? (অনুধাবন)
ক মানব খ জলজ প্রাকৃতিক ঘ বনজ
৭৩. আমাদের পরিবেশ টিকে থাকবে কোন পদক্ষেপ সফল হলে? (অনুধাবন)
প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার যথাযথ হলে
খ পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে
গ জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা করা গেলে
ঘ অধিক গাছপালা লাগানো হলে
৭৪. পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব কাদের নিতে হবে? (প্রয়োগ)
ক সরকারের খ এনজিওর
গ উন্নয়ন সহযোগীদের সবার
৭৫. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার মূল উপাদান কোনটি? (জ্ঞান)
ক বনজ সম্পদ খ মৎস্যসম্পদ
জীববৈচিত্র্য ঘ প্রাণিসম্পদ
৭৬. পৃথিবী থেকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে কেন? (অনুধাবন)
ক বাস্তুসংস্থান নষ্টের ফলে
মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে
গ পরিবেশের ভারসাম্য স্থিতিশীল বলে
ঘ বনজ সম্পদ কমে যাওয়ার ফলে
৭৭. বর্তমান হারে মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে কত সালের মধ্যে পৃথিবী থেকে ২০-২৫% প্রাণী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে? (জ্ঞান)
ক ২০২০ ২০২৫ গ ২০৩০ ঘ ২০৩৫
৭৮. ২০২৫ সালের মধ্যে কত শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে? (জ্ঞান)
ক ১০-১৫ খ ১৫-২০ ২০-২৫ ঘ ২৫-৩০
৭৯. জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাণীদের সরাসরি কী ক্ষতি হচ্ছে? (অনুধাবন)
আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে খ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে
গ শিকারের ক্ষেত্র হারাচ্ছে ঘ বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে
৮০. রয়েল বেঙ্গল টাইগার কোথায় দেখা যায়? (জ্ঞান)
ক ভাওয়ালের গড়ে খ মধুপুর অঞ্চলে
সুন্দরবনে ঘ জাতীয় উদ্যানে
৮১. বাংলাদেশে কত জাতের সরীসৃপ আছে? (জ্ঞান)
ক ১৯ খ ১১৯ ১২৪ ঘ ১৯০
৮২. ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার কর্তৃক প্রকাশিত রেড ডাটা বুক-এ বাংলাদেশের কতটি প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক ২১ খ ২২ ২৩ ঘ ২৪
৮৩. বাংলাদেশের কত প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন? (জ্ঞান)
ক ১৯ খ ২৩ ২৭ ঘ ৩৯
৮৪. বাংলাদেশে কত জাতের প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন? (জ্ঞান)
ক ১৯ খ ২৩ ৩৯ ঘ ২৪
৮৫. উনিশ শতকে কোনটি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়? (অনুধাবন)
কালো হাঁস খ বন মোরগ
গ ডোরাকাটা বাঘ ঘ মায়া হরিণ
৮৬. কোন সংস্থা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে? (জ্ঞান)
ক ইউনিএইড খ ইউনেস্কো
জাতিসংঘ ঘ জাতিপুঞ্জ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৭. বন সংরক্ষণের জন্য গৃহীত ব্যবস্থা হচ্ছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পাহাড় ও খাস জমিতে বনের পরিমাণ বাড়ানো
রর. সড়ক, রেলপথ ও বাঁধের পাশে বনায়ন
ররর. কাঠভিত্তিক শিল্প-কারখানা স্থাপন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. বিভিন্ন পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থার সদস্য বাংলাদেশ। যেমন (অনুধাবন)
র. ইউনিসেফ
রর. সাকেপ
ররর. আঙ্কটাড
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন (অনুধাবন)
র. জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ
রর. সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ
ররর. কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯০. ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীর মধ্যে আছে (অনুধাবন)
র. নীল গাই
রর. রাজশকুন
ররর. ঘড়িয়াল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯১. অস্তিত্ব হুমকির তালিকায় রয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও চিতাবাঘ
রর. হাতি ও অজগর
ররর. কুমির ও ঘড়িয়াল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯২. বনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য রক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
রর. চাঁদপাই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
ররর. তাংমারি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭৯ ও ৮০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আলম সাহেব গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছেন বেড়াতে। তিনি দেখলেন রাস্তার আশপাশে যেখানে সেখানে ময়লার স্তূপ পড়ে আছে। কিন্তু এগুলো অপসারণ করা হচ্ছে না।
৯৩. অনুচ্ছেদের ঘটনাটির ফলে কী হয়? (প্রয়োগ)
ক বাস্তুসংস্থান নষ্ট খ প্রাকৃতিক বিপর্যয়
গ মানুষের ভাগ্য বিপর্যয় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট
৯৪. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত স্তূপ ব্যবহার করা যায় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জ্বালানি তৈরিতে
রর. বিদ্যুৎ তৈরিতে
ররর. জৈব সার তৈরিতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮১ ও ৮২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রুহুল সাতক্ষীরায় তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সুন্দরবনে গিয়ে সে বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু ও গাছপালা দেখতে পায় যা ধীরে ধীরে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
৯৫. রুহুলের দেখা বনভ‚মিতে কী গাছ পাওয়া যায়? (অনুধাবন)
ক কড়ই খ শাল গোলপাতা ঘ সেগুন
৯৬. এ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রয়োজন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাতীয় পর্যায়ে সমীক্ষা
রর. অভয়ারণ্য সৃষ্টি
ররর. গবেষণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় দেখা যাচ্ছে নানারকম বিপর্যয়।
৯৭. উক্ত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণ কী? (অনুধাবন)
ক সম্পদের অধিক ব্যবহার খ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
পরিবেশ দূষণ ঘ ভ‚মি ধস
৯৮. উক্ত ভারসাম্য নষ্টের ফলাফল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াস
রর. জলাবদ্ধতা
ররর. উত্তপ্ততা ও শৈত্যপ্রবাহ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ র ও ররর র, রর ও ররর
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ========
ফাইজা যে এলাকায় বসবাস করে তার নিকটেই সুন্দরি, গোলপাতা, গরান প্রভৃতি বৃক্ষের বিশাল বনভ‚মি রয়েছে। ফাইজা বাবা-মায়ের সাথে প্রায়ই বনভ‚মিটিতে বেড়াতে যায়। ফাইজার বাবা বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনভ‚মি খুবই গুরুত্বপূর্ণ”।
[স. বো. ’১৬]
ক. বনজ সম্পদ কাকে বলে? ১
খ. শস্য বহুমুখীকরণ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ফাইজা কোন বনভ‚মিতে বেড়াতে গিয়েছে? বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. ফাইজার বাবার বক্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক বনভ‚মি থেকে যে সম্পদ পাওয়া যায় তাকে বনজ সম্পদ বলে।
খ বিভিন্ন অঞ্চলে বা একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের শস্য চাষ করাকে শস্যবহুমুখীকরণ বলে। বহু ধরনের শস্য চাষ উচ্চ মূল্য প্রাপ্তিতে কৃষককে উপকৃত করে। বিভিন্ন শস্য গাছের অংশ নানা ধরনের জৈব মাটিতে যোগ করে মাটির পুষ্টির ঘাটতি রোধ করে। ফলে অত্যধিক সার ব্যবহার করতে হয় না। এভাবে কৃষকের নিজের উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি শস্যবহুমুখীকরণ পরিবেশকে উপকৃত করে।
গ উদ্দীপকের ফাইজা সুন্দরবন বা স্রোতজ বনভ‚মি বেড়াতে গিয়েছিল। উত্তরে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলা; দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে হরিণঘাটা নদী, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলা এবং পশ্চিমে রাইমঙ্গল, হাড়িয়াভাঙ্গা নদী ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আংশিক প্রান্ত সীমা পর্যন্ত এ বনভ‚মি বিস্তৃত। এটি খুলনা বিভাগের ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা ও লোনা পানি এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের জন্য এ অঞ্চল বৃক্ষ সমৃদ্ধ। সুন্দরবনে সুন্দরি, গরান, গেওয়া, ধন্দল, কেওড়া ও গোলপাতা প্রভৃতি বৃক্ষ দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত স্রোতময় মিঠা ও লোনা পানির সংযোগস্থলে এসব উদ্ভিদ জন্মে। উদ্দীপকে দেখা যায় ফাইজা যে এলাকায় বসবাস করে তার নিকটেই সুন্দরি, গোলপাতা, গরান প্রভৃতি বৃক্ষের বিশাল বনভ‚মি রয়েছে। ফাইজা বাবা-মায়ের সাথে প্রায়ই বনভ‚মিটিতে বেড়াতে যায়। সুতরাং ফাইজা সুন্দরবন বনভ‚মিতে বেড়াতে গিয়েছিল।
ঘ উদ্দীপকের ফাইজার বাবার বক্তব্যটি যথার্থ। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনভ‚মি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনভ‚মির গুরুত্ব অপরিসীম। জীববৈচিত্র্য রক্ষা, মাটি বা ভ‚মিক্ষয় রোধ, ভ‚মিধস রক্ষা, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি, আবহাওয়া আর্দ্র রাখা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে বনভ‚মি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় স্থান। এর জীববৈচিত্র্য পর্যবেক্ষকদের আকর্ষণ করে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে। মানুষ তার দৈনন্দিন প্রয়োজনে কাঠ, বাঁশ, বেত, মধু, মোম প্রভৃতি বন থেকে সংগ্রহ করে থাকে। মানুষ বনভ‚মি থেকে তার ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র নির্মাণের জন্য কাঠ, বাঁশ, বেত ইত্যাদি যাবতীয় উপকরণ সংগ্রহ করে। কাগজ, রেয়ন, দিয়াশলাই, ফাইবার বোর্ড, খেলনার সরঞ্জাম প্রভৃতির উৎপাদন কাজে বনজ সম্পদ ব্যবহৃত হয়। উপক‚লীয় অঞ্চলের বনভ‚মি সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াসের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে। বনভ‚মি দেশের আবহাওয়াকে আর্দ্র রাখে। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে যা কৃষি উন্নয়নে সহায়ক। সুতরাং দেখা যাচ্ছে বনজ সম্পদের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম এবং আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার তাগিদে বনজ জীববৈচিত্র্যের প্রতি যতœশীল ও রক্ষণশীল হতে হবে।
প্রশ্ন- ২ পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পরিণতি
‘পরিবেশ দূষণ ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে ড. মিজানুর রহমান বললেন, ‘সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে মানুষ পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাটি, পানি ও বায়ুকে দূষিত করে চলেছে। অতিরিক্ত সম্পদ ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হওয়ায় মানুষ ও উদ্ভিদসহ অন্যান্য প্রাণীর জীবন চরম হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।’ তিনি তার বক্তব্যে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধে করণীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করেন।
ক. পরিবেশ দূষণ কাকে বলে? ১
খ. বায়ুদূষণ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ড. মিজানুর রহমানের বক্তব্যের আলোকে আমাদের দেশে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পরিণতি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ড. মিজানুর রহমান পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধে যে বিষয়গুলো চিহ্নিত করেন তা পাঠ্যপুস্তকের আলোকে তুলে ধর। ৪
[বিণাপানি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ]
ক পরিবেশের যে অবস্থায় মানবজীবনের স্বাভাবিক বিকাশ বিঘিœত হয় এবং প্রাণিকুল বিপন্ন বোধ করে তাকেই পরিবেশ দূষণ বলে।
খ আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম হলো বায়ু। সেই বায়ুদূষণ আজ বিশ্বজুড়ে। শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য, পরিবহন ও গৃহস্থালির ধোঁয়া, নির্মাণ সামগ্রী তথা ইটভাটার ধোঁয়া ইত্যাদির ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও সিএফসিসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বায়ুদূষিত হচ্ছে। অর্থাৎ বায়ুর উপাদানগুলোর ভারসাম্যহীন অবস্থাই হচ্ছে বায়ুদূষণ।
গ ড. মিজানুর রহমান পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার মারাত্মক পরিণতির কারণ হিসেবে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ ব্যবহারের কথা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। আমরা দেখি, অতিরিক্ত মাত্রায় সম্পদ ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে উত্তরাঞ্চলে উত্তপ্ততা এবং শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ¡াসের প্রবণতা বাড়ছে। গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে আমাদের দেশের সমুদ্র উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে সাতক্ষীরা, নড়াইল, বরিশাল, নোয়াখালি জেলার অনেক অংশ সমুদ্রে জলমগ্ন হয়ে পড়বে। এছাড়া ভ‚নি¤œস্থ পানিতে লোনা পানি প্রবেশ করছে। ফলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ জন্মানোর পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। পাহাড় ও ভ‚মিধস বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। পরোক্ষভাবে বাড়ছে মানুষের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, পেটের পীড়া। এভাবে চলতে থাকলে পুরো পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। দেখা দেবে নানা বিপর্যয়। ড. মিজানুর রহমানের বক্তব্যে এর কথাই বলা হয়েছে।
ঘ উদ্দীপকে ড. মিজানুর রহমান পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধে করণীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করেন। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বলা যায়, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ বা করণীয় Ñ
১. পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার রোধ করা।
২. শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহে উপযুক্ত শোধন ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৩. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।
৪. সামাজিক বনায়ন গড়ে তোলা।
৫. বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ।
৬. নদী বাঁচাও কর্মসূচি।
৭. ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ।
৮. জ্বালানি ব্যবস্থা অধিকতর দক্ষ করে তোলা।
উপরিউক্ত পদক্ষেপ যথাযথ বাস্তবায়িত হলে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ সম্ভব।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৩ পরিবেশ দূষণ
আব্দুল মান্নান একই জমিতে বছরে কমপক্ষে তিনবার ফসল ফলান। কিছুদিন আগে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। কয়েকদিন পর দেখলেন জমিতে অনেক উপকারী কীটপতঙ্গ মরে রয়েছে।
ক. উন্নয়ন কী? ১
খ. বাসস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন বলতে কী বোঝ? ২
গ. কৃষি উন্নয়নে আব্দুল মান্নানের কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিবেশ দূষণে ভ‚মিকা রাখছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আব্দুল মান্নানের কৃষিজমিতে উপকারী কীটপতঙ্গ মরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৪
ক মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুর উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ হচ্ছে উন্নয়ন।
খ মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা হলো বাসস্থান। বাসস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন দেশের অন্যান্য উন্নয়নের ওপর কিছুটা নির্ভর করে। এটা অবকাঠামোগত উন্নয়ন। বাসস্থানের উন্নয়নের জন্য খাওয়ার পানির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থার জন্য উন্নত ড্রেনেজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়নের সমন্বিত রূপ হচ্ছে বাসস্থানের উন্নয়ন।
গ ভালো ফলনের আশায় আব্দুল মান্নান জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়ছে। জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাটিদূষণ বাড়ছে। আর মাটি দূষিত হওয়ার কারণে উপকারী কীটপতঙ্গ মারা যাচ্ছে। উদ্দীপকে আব্দুল মান্নান সাহেবের জমিতেও এরূপ ঘটেছে। খাদ্যচক্র বিঘিœত হচ্ছে এবং নানা ধরনের রোগবালাই মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছে। আবার একই জমিতে সারাবছর ফসল উৎপাদনের ফলে মৃত্তিকার উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে। মাটির জৈব উপাদান কমে গিয়ে জমির উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। উপরন্তু আব্দুল মান্নান সাহেবের জমির মতো উপকারী পোকামাকড় নিধন হওয়ায় ফসল ফলানোর হার ও গুণগত মান তথা পুষ্টিমান কমে যাচ্ছে। কীটনাশক জমির পানির সাথে মিশে আশপাশের জলাশয়ে গিয়ে পড়ছে। এতে পানি দূষিত হয়ে জলজ প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। এভাবে পরিবেশ সমন্বিত না হওয়ার কারণে কৃষি উন্নয়নে আব্দুল মান্নানের কর্মকাণ্ড সার্বিকভাবে পরিবেশ দূষণে ভ‚মিকা রাখছে।
ঘ কীটনাশক প্রয়োগে শুধু অপকারী নয় উপকারী কীটপতঙ্গও মারা পড়ে। এছাড়া সার্বিক পরিবেশ দূষণও উপকারী কীটপতঙ্গ মরার কারণ। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষিখাতের উন্নয়নের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কৃষির অগ্রগতি প্রয়োজন। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে আমাদের দেশে আব্দুল মান্নানের মতো কৃষকরা জমিতে অধিকহারে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করছে। এতে মাটি দূষিত হয়ে পড়ছে। মাটি ক্রমেই উর্বরা শক্তি হারিয়ে ফেলছে। মাটির জৈব উপাদান কমে যাচ্ছে। অধিক রাসায়নিক সার ও কীটনাশক পানিতে ধুয়ে জলাশয়ে গিয়ে পড়ছে। এতে পানি দূষিত হয়ে জলজ প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাবে ভ‚মির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। এ কারণে আব্দুল মান্নান সাহেব লক্ষ করলেন জমিতে অনেক উপকারী কীটপতঙ্গ মরে আছে।
প্রশ্ন- ৪ বাংলাদেশের কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
রাসেল ও টিপু অনেকদিন পর শহর থেকে প্রতাপপুর গ্রামে গেল। বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ার সুবাদে মাত্র কয়েক বছর আগের দেখা সেই গ্রামে এখন অনেক পাকা বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। দু-একটি ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পও তাদের চোখে পড়ল।
ক. কোন সম্পদ জাতীয় অর্থনীতিতে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখছে? ১
খ. আমরা প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল কেন? ২
গ. রাসেল ও টিপুর দেখা গ্রামটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনকে আমরা কীভাবে উন্নয়নের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা করব? ৩
ঘ. প্রতাপপুর গ্রামে কাঁচা রাস্তা পাকা হওয়াকে আমরা কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করতে পারি? মতামত দাও। ৪
ক বনজ সম্পদ জাতীয় অর্থনীতিতে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখছে।
খ মানুষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবার উৎস হচ্ছে প্রকৃতির নানা উপাদান যেমন মাটি, পানি, বায়ু, বনজ সম্পদ ইত্যাদি। বেঁচে থাকার তাগিদে অর্থাৎ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, বিনোদন ইত্যাদি মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য আমরা প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। কারণ আমরা এসব মৌলিক চাহিদাগুলো বনাঞ্চল, নদীনালা, অন্যান্য জলাশয় ও সমুদ্র থেকে আহরণ করি।
গ রাসেল ও টিপুর কয়েক বছর আগের দেখা প্রতাপপুর গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ফলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে। এ নানাভাবে নিম্নোক্তভাবে ধরনের কর্মকাণ্ডকে আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের মানুষ কাঁচা বাড়ি বা টিনের বাড়ির পরিবর্তে ইটের দালানের বাড়ি নির্মাণ করছে। এটা হলো চাহিদার সাথে কোনোকিছুর উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ। গ্রামের উন্নয়ন বলতে সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নকে বোঝায়। বর্তমানে দেশে ব্যাপকভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এ উন্নয়ন হলো কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, বাসস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নয়ন। আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই পরিবেশ। এই পরিবেশের প্রধান অংশ প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এই প্রাকৃতিক পরিবেশকে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও প্রভাবিত করে মানবিক পরিবেশ। মানবিক কর্মকাণ্ডের ফলে অর্থাৎ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাকৃতিক পরিবেশেরও পরিবর্তন ঘটছে। সুতরাং প্রতাপপুর গ্রামের পরিবর্তনকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়।
ঘ প্রতাপপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা হওয়াকে আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন বলে অভিহিত করতে পারি। বর্তমানে দেশের প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন এমনকি উপজেলা পর্যায়ে সড়কপথের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। কৃষি এবং শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে যোগাযোগ। তাই যোগাযোগের উন্নয়নের ওপর দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভর করে। যুগোপযোগী, সুসংগঠিত ও আধুনিক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের জন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতাপপুর গ্রামের মতো দেশের প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়ক, সেতু ফেরিঘাট, ফ্লাইওভার, ব্রিজ প্রভৃতি নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। সুতরাং প্রতাপপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা হওয়াও যোগাযোগ ক্ষেত্রের উন্নয়নই ঘটে।
প্রশ্ন- ৫ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেমের ভারসাম্য
দৃশ্য-১ : জমিতে লাঙলের পরিবর্তে ট্রাক্টর ব্যবহার।
দৃশ্য-২ : গরুর গাড়ির পরিবর্তে বাস ও ট্রেনে যাতায়াত।
দৃশ্য-৩ : টিন ও কাঠের ঘরের স্থানে ইটের দালান তৈরি।
ক. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে কী প্রসার লাভ করেছে? ১
খ. একটি পুকুরের চারপাশের গাছপালা ধ্বংস করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করলে কী ক্ষতিগ্রস্ত হবে? ২
গ. দৃশ্য-১, ২ ও ৩ এ যেসব পরিবর্তনের কথা বলা আছে তা কোন ধরনের উন্নয়ন? চিিহ্নত কর। ৩
ঘ. দৃশ্যগুলোর মধ্যে কোনটির উপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভরশীল তোমার মতামতসহ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, টিভি, রেডিও ইত্যাদি প্রযুক্তি দ্রæত প্রসার লাভ করেছে।
খ একটি পুকুরের চারপাশের গাছপালা ধ্বংস করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করলে, পুকুরে প্রথমে ক্ষুদ্র উদ্ভিদ ও প্রাণী, পরে মৎস্য ধ্বংস হয়ে যাবে। এভাবে পুকুরটি মজা পুকুরে পরিণত হবে ও দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ আহরণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গ বর্ধিত চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কোনো বস্তুর উপযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই উন্নয়ন সম্ভব। একটি দেশের জন্য উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকের দৃশ্যগুলোতে এরূপ কিছু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উল্লিখিত হয়েছে।
দৃশ্য-১ -এ জমিতে লাঙলের পরিবর্তে ট্রাক্টর ব্যবহার করার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই একে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন হিসেবে চিিহ্নত করা যায়।
দৃশ্য-২ -এ গরুর গাড়ির পরিবর্তে বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত অনেক বেশি আরামদায়ক ও দ্রæততর হয়। এটি যোগাযোগ ক্ষেত্রের উন্নয়ন বলা যায়।
দৃশ্য-৩ -এ টিন ও কাঠের ঘরের পরিবর্তে দালান তৈরি বাসস্থানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন বলে চিিহ্নত করা যায়।
ঘ দৃশ্যগুলোর মধ্যে দৃশ্য-১ -এ যে উন্নয়নের উদাহরণ দেয়া আছে তার উপরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশে নির্ভরশীল। দৃশ্য-১ -এ কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা বলা আছে। বাংলাদেশ একটি কৃষিভিত্তিক দেশ। এখানকার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি করা না গেলে আমাদের খাদ্য চাহিদা পূরণ আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে, এটি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি বাঁধা। তাই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন আবশ্যক। এর মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নও নিশ্চিত করা যাবে।
প্রশ্ন- ৬ পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পরিণতি
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ধারায় পৃথিবীর অনেক দেশের আবহাওয়া পরিবর্তিত হয়ে যাবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হবে। আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে। না হলে এ সুন্দর পৃথিবী এক সময় প্রাণহীন হয়ে যাবে।
ক. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া কী? ১
খ. বাংলাদেশের জন্য গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া মারাত্মক কেন? ২
গ. কোন প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে উদ্দীপকে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্টের ইংগিত রয়েছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উক্ত প্রতিক্রিয়ার প্রভাব নিয়ন্ত্রণে করণীয় পদক্ষেপগুলো পাঠ্যপুস্তকের আলোকে শনাক্ত কর। ৪
ক বায়ুমণ্ডলে ঈঙ২ ও ঈঋঈ প্রভৃতি গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া বলে।
খ গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া যত বেশি হবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ তত বৃদ্ধি পাবে। বায়ুমণ্ডলে উত্তাপ বৃদ্ধি পেলে মেরু অঞ্চলে বরফ গলতে শুরু করবে। ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। ভ‚পৃষ্ঠের অনেক নিচু জায়গা যা বর্তমানে শুকনো রয়েছে সেসব জায়গা পানিতে ডুবে যাবে। গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে আমাদের দেশের সাতক্ষীরা, নড়াইল, বরিশাল, নোয়াখালি জেলার অনেক অংশ সমুদ্রে জলামগ্ন হয়ে পড়বে। সুতরাং গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনবে।
গ উক্ত গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে বিশ্বের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। এর ফলে
১. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
২. অনেক মহাদেশের অভ্যন্তর ভাগ শুষ্ক হয়ে যাবে।
৩. মেরু অঞ্চলে হিমশৈল বিগলিত হবে।
৪. কৃষিকাজে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিবে।
৫. উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের বনভ‚মি ধ্বংস হবে।
সুতরাং গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ায় সভ্যতা ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে।
ঘ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে উক্ত গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে, এ পদক্ষেপ হতে পারে বনাঞ্চল সংরক্ষণ ও নিয়মিত বনায়নের মাধ্যমে নতুন বন সৃষ্টি করা; কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি করা; ঈঙ২ উৎপন্নকারী জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করা; নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌর, পানি, বায়ু ও পারমাণবিক শক্তিকে ব্যবহার করা; ঈঋঈ ব্যবহার বন্ধ করা; গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে গবেষণা এবং প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা; অপ্রয়োজনে কাঠ, বন পোড়ানো বন্ধ করা; গণমাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে গ্রিনহাউস প্রভাবের কুফল সম্পর্কে জনসচেতনতা গড়ে তোলা; স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া। অতএব, দেখা যাচ্ছে গ্রিনহাউসের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তি বা জাতীয় পর্যায়ে উদ্যোগ যথেষ্ট নয় এবং তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও গৃহীত হতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপায়
ইসতিয়াক ও চপল ভ‚গোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। বাসে তারা রংপুর যাচ্ছে। ইসতিয়াক বলল, ‘দেখ, রাস্তার ধারে ইট ভাটা থেকে ধোঁয়া উদগীরণ হচ্ছে।’ উত্তরে চপল বলল, ‘আর এর ফলে পরিবেশ তথা জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে পরিবেশ তথা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ জরুরি।’
ক. বাংলাদেশে জাতিসংঘের কোন সংস্থা পরিবেশ কর্মসূচি পরিচালনা করে? ১
খ. উন্নয়ন কী? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চপলের বক্তব্য থেকে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে তুমি মনে কর। ৩
ঘ. ইসতিয়াক ও চপলের দেখা ইটভাটায় ধোঁয়া রোধ করা কীভাবে সম্ভব? মতামত দাও। ৪
ক ‘ইউনিসেফ’ বাংলাদেশে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি পরিচালনা করে।
খ মানুষের প্রয়োজন মিটানোর জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুর উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ হচ্ছে উন্নয়ন। যেমন একসময় তেল সরাসরি ব্যবহার করে প্রদীপ জ্বালানো হতো। এখন তেল, গ্যাস বা কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, যা দ্বারা বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। যার আলোক শক্তি অনেক বেশি। এই পরিবর্তন হচ্ছে উন্নয়ন।
গ চপলের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে দৃঢ় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, এনজিও, বেসরকারি খাত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তুলে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে জীববৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য জাতীয় পর্যায়ে সমীক্ষা গ্রহণ; জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের জন্য জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করে জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের সাথে তা সম্পৃক্তকরণ; ভোগ্যপণ্য ও অন্যান্য পরিবেশগত সুবিধা প্রদানকারী প্রতিবেশ-ব্যবস্থায় জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ; জীববৈচিত্র্যের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য জনগণকে উৎসাহিত ও সম্পৃক্তকরণ; সংরক্ষিত এলাকা চিহ্নিত করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ নিশ্চিত করা। উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, বিশ্বের প্রতিটি দেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এক হয়ে কাজ করলে তবেই পরিবেশ সংক্রান্ত বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
ঘ ইসতিয়াক ও চপলের দেখা ইটভাটায় ধোঁয়া উদগীরণ একটি নিয়মিত ঘটনা। আইন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এর ফলে বায়ুদূষণ ঘটছে। তাই আমি মনে করি ইটভাটার ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ এবং বায়ুদূষণ রোধে উপর্যুক্ত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা জরুরি ইটের ভাটা লোকালয় থেকে অনেক দূরে স্থাপন করা; ইটভাটার চিমনিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা; কালো ধোঁয়া উৎপাদন করে এমন ভাটার ইট বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করা; ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ করা। সর্বোপরি সনাতন পদ্ধতির ইটভাটার পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে ইট পোড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব।
প্রশ্ন- ৮ বন উন্নয়ন ও সংরক্ষণ
বাংলাদেশ বন অধিদফতর আয়োজিত ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে লুবনা ও তার বন্ধুরা স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশগ্রহণ করে। র্যালিতে বন সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়।
ক. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার মূল উপাদান কী? ১
খ. জলজ প্রাণীর উপর পানি দূষণের ফলাফল কী? ২
গ. জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্দীপকে উল্লিখিত অধিদফতরের কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে নির্দেশিত বন সংরক্ষণের লক্ষ্যে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ আলোচনা কর। ৪
ক জীববৈচিত্র্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার মূল উপাদান।
খ পানি দূষিত হলে জলজ প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হয়। জলজ ক্ষুদ্র উদ্ভিদ প্ল্যাংকটন, কচুরিপানা, শেওলা জন্মাতে পারে না। এদের ভক্ষণ করে যেসব ক্ষুদ্র মাছ, তাদের খাদ্যের অভাব হয়, বড় মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলাদেশ বন অধিদফতর বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ইকোসিস্টেমের উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ; আন্তঃদেশীয় সীমানায় অবৈধ বন্যপ্রাণী ব্যবসা বন্ধ এবং বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনার জন্য প্রকল্প গ্রহণ; বনের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে অতিস¤প্রতি সোনারচর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, চাঁদপাই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, দুদমুখী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং তাংমারী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। বাংলাদেশ বন অধিদফতরের গৃহীত উপরিউক্ত কার্যক্রম বাস্তবিক খুবই ফলপ্রসূ।
ঘ উদ্দীপকে লুবনা ও তার বন্ধুদের অংশগ্রহণ করা র্যালি থেকে আমরা বুঝতে পারি, সরকার বন সংরক্ষণের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নিঃশেষিত পাহাড় এবং খাস জমিতে বনের বিস্তার ঘটানো; গ্রামীণ এলাকায় পতিত ও প্রান্তিক জমিতে বৃক্ষরোপণ; সড়ক, রেলপথ ও সকল প্রকার বাঁধের পাশে বনায়ন; বনায়ন ও বনজ সম্পদ সংরক্ষণে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি; জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন। উপর্যুক্ত কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন বন সংরক্ষণে খুবই কার্যকর হতে পারে।
প্রশ্ন- ৯ বন উন্নয়ন ও সংরক্ষণ
অধ্যাপক আব্দুর রশিদ তার ছাত্রদের নিয়ে শিক্ষাসফরে মধুপুরে এসেছেন। এর আগেও তিনি বহুবার এখানে এসেছেন। তিনি লক্ষ করলেন দিন যতই যাচ্ছে এখানকার বনের পরিধি কমে যাচ্ছে।
ক. সাকেপ কী? ১
খ. আমরা কীভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করব? ২
গ. অধ্যাপক আব্দুর রশিদ যা লক্ষ করেন তার কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে সম্পদ সংরক্ষণে আমরা কী করতে পারি আলোচনা কর। ৪
ক ‘সাকেপ’ হলো দক্ষিণ এশিয়া পরিবেশ সহযোগিতা সংস্থা।
খ একটি দেশের জন্য উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি মানুষ এবং দেশ চায় উন্নয়ন আর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে। এ জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু উন্নয়ন সাধন করতে হয়। পরিবেশের সমন্বয় করে এসব উন্নয়ন করা উচিত। আমরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এমনভাবে করব যেন তা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করে।
গ অধ্যাপক আব্দুর রশিদ লক্ষ করেন দিন দিন মধুপুরে বিস্তৃত বনভ‚মির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করা হলো মানুষ বর্ধিত জনসংখ্যার আবাসন যোগাতে গাছপালা কেটে বাসস্থান নির্মাণ করছে। খাদ্য চাহিদা মেটানোর উদ্দেশে আবাদি জমির পরিমাণ বাড়াতে গাছপালা কেটে উজাড় করছে। বস্ত্র ও অন্যান্য চাহিদা মেটানোর জন্য শিল্প কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব নির্মাণ করতে গিয়ে গাছপালা নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে। পারিবারিক ও শিল্পকারখানার জ্বালানি সরবরাহ করতে গিয়ে গাছপালা কেটে উজাড় করা হচ্ছে। এছাড়া মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও নানা যন্ত্রাদি তৈরি করার জন্য গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। মধুপুরে বিস্তৃত বনভ‚মির পরিমাণ ও অনুরূপ কারণে দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ঘ উদ্দীপকে বনজ সম্পদের পরিমাণ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। মধুপুর বনের সংকুচিত হয়ে যাওয়া তাই নির্দেশ করে। এ প্রেক্ষিতে বনজ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আমরা যা করতে পারি তা হলো জনসংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে; কৃষিজমি নষ্ট করা যাবে না; কৃষি উৎপাদনে জীববৈচিত্র্য রক্ষার নীতি অনুসরণ করতে হবে; অপ্রয়োজনে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না; স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না; জলাধার নির্মাণ ও সংরক্ষণ করতে হবে; রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারে নিয়ম মেনে চলতে হবে; খনিজ পদার্থ ব্যবহারে প্রাকৃতিক নিয়ম মানতে হবে; বনজসম্পদ বাড়াতে হবে এবং দেশে আরও বন সৃষ্টি করতে হবে; জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। বনজ সম্পদ সংরক্ষণ দেশের উন্নয়নের জন্য অতীব জরুরি। তাই আমাদের সবারই এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়া উচিত।
প্রশ্ন- ১০ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
জনাব ইকবাল কবীর সম্প্রতি কানাডা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি একদল ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে সুন্দরবনে গেলেন। লঞ্চের ডেকে বসে তিনি জীববৈচিত্র্য নিয়ে আলোচনা করেন। তার আলোচনায় এদেশের জীববৈচিত্র্য কতটুকু হুমকির সম্মুখীন তা জানা গেল।
ক. আমাদের দেশে বনভ‚মির পরিমাণ কত? ১
খ. আমাদের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে কেন? ২
গ. জনাব ইকবাল কবীর লঞ্চের ডেকে কী আলোচনা করেন? নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ইকবাল কবীর উল্লিখিত জীববৈচিত্র্য কতটুকু হুমকির সম্মুখীন? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে আলোচনা কর। ৪
ক আমাদের দেশে বনভ‚মির পরিমাণ শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ।
খ আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই নিয়েই আমাদের পরিবেশ। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুস্থ ও টেকসই পরিবেশ একান্ত দরকার। কিন্তু সম্পদের অধিক ব্যবহার, অল্প শিক্ষা, পরিবেশ সম্পর্কে কম জানা এবং অধিক লাভের আশায় আমাদের অপরিণামদর্শী কমকাণ্ডের কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
গ উদ্দীপকে জনাব ইকবাল কবীর লঞ্চের ডেকে বসে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। জীববৈচিত্র্য বলতে সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট ভ‚খণ্ডে বিরাজমান জীবসমূহ ও তাদের বৈচিত্র্যকে বোঝায়। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক বিষয়ে আমরা জীববৈচিত্র্যের ওপর নির্ভরশীল। জীববৈচিত্র্য পরিবেশ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার মূল উপাদান। মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবার উৎস হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। খাদ্য, পরিধেয়, বাসস্থান, ওষুধ, বিনোদন ইত্যাদির জন্য মানুষ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। এসব সম্পদ বনাঞ্চল, নদীনালা, অন্যান্য জলাশয় ও সমুদ্র থেকে আহরণ করা হয়। মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড অবাধে চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০-২৫ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। বাস্তুসংকোচন, মাত্রাতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের ফলে জমির ওপর চাপ সৃষ্টি, পরিবেশ দূষণ প্রভৃতির ফলে আমাদের জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে।
ঘ বর্তমানে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির সম্মুখীন। উদ্দীপকে ইকবাল কবীরের আলোচনায় তা উঠে এসেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সংকুচিত হচ্ছে প্রাণীর আবাসস্থল। তারা হারিয়েছে তাদের শিকারের ক্ষেত্র। এককালে বাংলাদেশের অনেক এলাকাজুড়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা ডোরাকাটা বাঘ দেখা যেত। এখন তাদের কেবল সুন্দরবনেই খুঁজে পাওয়া যায়। উনিশ শতকের শুরুতে ভাওয়াল ও মধুপুর গড় অঞ্চলে হাতির দেখা মিলেছে। কিন্তু দিনে দিনে তারা অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ময়মনসিংহের পাহাড়েই হাতি দেখা যায়। বাংলাদেশে ১১৯ জাতের স্তন্যপায়ী, ৫৭৮ জাতের পাখি, ১২৪ জাতের সরীসৃপ ও ১৯ জাতের উভচরকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার কর্তৃক প্রকাশিত রেডডাটা বুক-এ বাংলাদেশের ২৩ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে- রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতাবাঘ, হাতি, অজগর, কুমির ও ঘড়িয়াল ইত্যাদি। কারও মতে বাংলাদেশে ২৭টি বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব বিপন্ন ও আরও ৩৯টি প্রজাতি হুমকির সম্মুখীন। উনিশ শতকেই ১৯টি প্রজাতি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এর মধ্যে আছে তিন ধরনের গরু, বুনো মহিষ, এক ধরনের কালো হাঁস, নীল গাই, কয়েক ধরনের হরিণ, রাজশকুন ও মিঠা পানির কুমির ইত্যাদি।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ উন্নয়ন কাকে বলে?
উত্তর : মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী কোনো কিছুর উপযোগিতা বৃদ্ধিকরণ হচ্ছে উন্নয়ন।
প্রশ্ন \ ২ \ কোনটি কৃষি এবং শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে?
উত্তর : যোগাযোগ কৃষি এবং শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ভারসাম্য অবস্থা কাকে বলে?
উত্তর : পরিবেশে যেখানে বাস্তুসংস্থানগুলো স্বাভাবিক নিয়মে চলে তাকে ভারসাম্য অবস্থা বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ বাস্তুসংস্থান কী?
উত্তর : পরিবেশের প্রতিটি উপাদান একটি শৃঙ্খলের মধ্যে বসবাস করে, তাকে বাস্তুসংস্থান বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোন খাতের উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল?
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষিকাজের উন্নয়নের ওপর বহুলাংশে নির্ভরশীল।
প্রশ্ন \ ৬ \ যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয় কি কি নির্মাণের মাধ্যমে?
উত্তর : যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয় মহাসড়ক, সেতু, ফেরিঘাট নির্মাণ ও ফ্লাইওভার ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে।
প্রশ্ন \ ৭ \ সামাজিক অগ্রগতির জন্য কী অপরিহার্য?
উত্তর : সামাজিক অগ্রগতির জন্য দ্রæত শিল্প উন্নয়ন অপরিহার্য।
প্রশ্ন \ ৮ \ কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে কোনটি?
উত্তর : যোগাযোগ ব্যবস্থা কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে।
প্রশ্ন \ ৯ \ আমাদের দেশের বনভ‚মির পরিমাণ কত?
উত্তর : আমাদের দেশের বনভূমির পরিমাণ ১৭%।
প্রশ্ন \ ১০ \ কী রোধ করে পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়?
উত্তর : মাটিদূষণ, বায়ুদূষণ, পানিদূষণ প্রভৃতি রোধের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ পরিবেশের প্রধান উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর : পরিবেশের প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে ভ‚মি, পানি, বায়ু এবং বনজ সম্পদ।
প্রশ্ন \ ১২ \ মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে কোনটি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে?
উত্তর : মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বনজঙ্গল বেশি কেটে ফেলার ফলে কোন প্রাণীর বাসস্থান নষ্ট হয়েছে?
উত্তর : বনজঙ্গল বেশি কেটে ফেলার ফলে শৃগাল, বনবিড়াল, খরগোশ প্রভৃতির বাসস্থান নষ্ট হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বন ও পাহাড় কাটার ফলে কী ক্ষতি হয়?
উত্তর : বন ও পাহাড় কাটার ফলে মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের কোন জেলাগুলো সমুদ্রে জলমগ্ন হয়ে পড়বে?
উত্তর : সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের বরিশাল, নোয়াখালি, সাতক্ষীরা, নড়াইল প্রভৃতি উপক‚লীয় জেলাগুলো সমুদ্রে জলমগ্ন হয়ে পড়বে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে কোন অঞ্চলে উত্তপ্ততা ও শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে?
উত্তর : পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে উত্তর অঞ্চলে উত্তপ্ততা ও শৈত্যপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ পরিবেশ দূষণের ফলে কী ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে?
উত্তর : পরিবেশ দূষণের ফলে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন : শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, পেটের পীড়া ইত্যাদি ধরনের রোগ দেখা দিচ্ছে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ পরিবেশ দূষণের ফলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে?
উত্তর : পরিবেশ দূষণের ফলে ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করার মাধ্যমে কী সংরক্ষণ করা যাবে?
উত্তর : পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যাবে।
প্রশ্ন \ ২০ \ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কী সংকুচিত হচ্ছে?
উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ২১ \ বাংলাদেশে কোন প্রাণীগুলোর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন?
উত্তর : বাংলাদেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতাবাঘ, হাতি, অজগর, কুমির ও ঘড়িয়াল ইত্যাদি প্রাণীগুলোর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
প্রশ্ন \ ২২ \ পুকুরে মাছ কমে গেলে এর ফলাফল কী হবে?
উত্তর : পুকুরে মাছ কমে গেলে এর ফলাফলে মানুষের খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে?
উত্তর : ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ ২০২৫ সালের মধ্যে কত শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে?
উত্তর : ২০২৫ সালের মধ্যে ২০-২৫ শতাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন \ ২৫ \ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার কর্র্তৃক প্রকাশিত রেড ডাটা বুক-এ বাংলাদেশের কতটি প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর : ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার কর্র্তৃক প্রকাশিত রেড ডাটা বুক-এ বাংলাদেশের ২৩ প্রাণীর অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ উনিশ শতকে কতটি প্রজাতি বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে?
উত্তর : উনিশ শতকে বাংলাদেশ থেকে ১৯টি প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
প্রশ্ন \ ২৭ \ বাংলাদেশে কত জাতের পাখি বিদ্যমান?
উত্তর : বাংলাদেশে ৫৭৮ জাতের পাখি বিদ্যমান।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ আমরা কেমনভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব?
উত্তর : প্রতিটি মানুষ ও দেশ চায় উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে। এজন্য মানুষ নিরন্তর কাজ করে চলেছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, পার্ক, কলকারখানা নির্মাণ করে চলেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন করতে গেলে পরিবেশের সমন্বয় করে উন্নয়ন করা উচিত। আমরা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এমনভাবে পরিচালনা করব যেন তা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না করে।
প্রশ্ন \ ২ \ কৃষির উন্নয়নে আমরা কী করছি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা সার প্রয়োগ করছি। একই জমি অধিকবার ব্যবহারের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করছি। এছাড়াও ভ‚নিম্নস্থ পানিসেচের ব্যবহার অব্যাহত হারে বাড়িয়ে চলেছি।
প্রশ্ন \ ৩ \ ভ‚মির ব্যবহার কিভাবে পরিবেশকে দূষিত করছে?
উত্তর : ভ‚মিতে অধিক ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে আমরা অধিক সার ব্যবহার করছি। এছাড়া ভ‚মিতে কীটনাশক প্রয়োগ করার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। মাটির জৈব উপাদান কমে যাচ্ছে। বন, পাহাড় কেটে
আবাদি জমি সৃষ্টি করায় জমি উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে। মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটিতে যেসব অণুজীব, ক্ষুদ্রজীব বাস করে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বন্য ক্ষুদ্র প্রাণিগুলোর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। দূষিত মাটিতে উদ্ভিদ জন্মাতে না পারায় মরুকরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ পানি কীভাবে দূষিত হচ্ছে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কৃষিক্ষেত্রে অধিক কীটনাশক ব্যবহার, যোগাযোগের যানবাহন থেকে তেলবর্জ্য, শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত রং, গ্রিজ, রাসায়নিক দ্রব্য, উষ্ণ পানি, আবাসস্থলের বর্জ্য ইত্যাদি নানাভাবে পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে তুলছে। এছাড়া নদীর পাড় দখল, নদীর প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় পানি দূষিত হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বায়ু দূষণের কারণ ও ফলাফল উল্লেখ কর।
উত্তর : শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য, পরিবহনের ধোঁয়া, গৃহস্থালির ধোঁয়া, নির্মাণসামগ্রী তথা ইটভাটার ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করে তুলছে। বায়ু দূষণের ফলে বায়ু ঈঙ২ ও ঈঋঈ গ্যাস এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিক তাপমাত্রাকে বৃদ্ধি করছে। পরোক্ষ ফল হিসেবে বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় কীভাবে?
উত্তর : কৃষি উৎপাদন নানাভাবে বৃদ্ধি করা যায়। একই জমি অধিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। জমিতে সার প্রয়োগ করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। ফসল ফলানোর জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ভ‚নিম্নস্থ পানি সেচের কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ ভ‚মি দূষণের ফলে কী প্রভাব পড়ে?
উত্তর : ভ‚মি দূষণের ফলে মাটিতে যেসব অণুজীব, ক্ষুদ্রজীব বাস করে, তা বাধাগ্রস্ত হয়। বন্য, ক্ষুদ্র প্রাণীগুলোর আবাসস্থল নষ্ট হয়। দূষিত মাটিতে উদ্ভিদ জন্মাতে পারে না। ফলে ভ‚মি মরুকরণ হতে পারে।
প্রশ্ন \ ৮ \ পানি দূষণের ফলাফল কী?
উত্তর : পানি দূষণের ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দূষিত পানির কারণে জলজ ক্ষুদ্র উদ্ভিদ, প্লাংকটন, কচুরিপানা, শেওলা জন্মাতে পারছে না। এদের ভক্ষণ করে যেসব ক্ষুদ্র মাছ, তাদের খাদ্যের অভাব হচ্ছে। ফলে বড় মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পানি দূষিত হয়ে জলজ প্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ কীভাবে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়?
উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিটি উপাদান একটি অপরটির ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ, ক্ষুদ্রজীব, প্রাণী, মানুষ প্রত্যেকে পরিবেশের একটি সহনশীল অবস্থায় বসবাস করতে চায়। আর পরিবেশের সহনশীল অবস্থার পরিবর্তন হলে এ নির্ভরশীলতা ব্যাহত হয়। ফলে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ পরিবেশ সংরক্ষণের উপায় কী?
উত্তর : পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হলে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর তলদেশ ভরাট হলে তা খনন করতে হবে। নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে হবে। সর্বোপরি পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বায়ু, পানি, মাটি দূষণ না করে সতর্কতার সাথে এগুলোর ব্যবহার করতে হবে।