দ্বিতীয় অধ্যায়
মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী
ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
মহাবিশ্বের জ্যোতিষ্কমণ্ডলে সৌরজগৎ, পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহের অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবে।
পৃথিবীর আকার-আকৃতি ও উপগ্রহ সম্বন্ধে বর্ণনা করতে পারবে।
অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাসহ গুরুত্বপূর্ণ রেখাসমূহ ব্যাখ্যা এবং এদের গুরুত্ব বর্ণনা করতে পারবে।
অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা ব্যবহার করে মানচিত্রে বিভিন্ন স্থান শনাক্ত করতে পারবে।
আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি ব্যাখ্যা করতে পারবে।
দিবারাত্রি সংঘটন ও হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ এবং প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
ঋতু পরিবর্তনের কারণ ও প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
মহাকাশ ও মহাবিশ্ব : পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে অসীম আকাশ। এই আকাশের শুরু ও শেষ নেই। আদি-অন্তহীন এ আকাশকে মহাকাশ বলে। মহাকাশে অসংখ্য জ্যোতিষ্ক রয়েছে। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, উল্কা, নীহারিকা, পালসার, কৃষ্ণবামন, কৃষ্ণগহŸর প্রভৃতি সবকিছুকেই জ্যোতিষ্ক বলে। এদের সবাইকে নিয়ে গঠিত হয়েছে মহাবিশ্ব।
নক্ষত্র : রাতের আকাশে অনেক আলোক বিন্দু মিট মিট করে জ্বলতে দেখা যায়। আলো দেওয়া এসব জ্যোতিষ্ক হলো নক্ষত্র। মহাকাশে অসংখ্য নক্ষত্র রয়েছে। খালি চোখে আমরা মাত্র কয়েক হাজার নক্ষত্র দেখতে পাই। এদের সকলের নিজের আলো ও উত্তাপ আছে। সূর্য এমন একটি নক্ষত্র।
আলোক বর্ষ : নক্ষত্র থেকে নক্ষত্র এবং পৃথিবী থেকে নক্ষত্রের দূরত্ব মাপতে যে একক ব্যবহার করা হয় তাকে আলোক বর্ষ বলে। আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। আলো এই বেগে ১ বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ১ আলোক বর্ষ বলে।
প্রক্সিমা সেন্টোরাই : প্রক্সিমা সেন্টোরাই (চৎড়ীরসধ ঈবহঃধঁৎর) হলো সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪.২ আলোক বর্ষ, যা প্রায় ৮ লক্ষ কোটি কিলোমিটারের সমান।
গ্যালাক্সি : মহাকাশে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূলিকণা, ধূমকেতু বাষ্পকুণ্ডের বিশাল সমাবেশকে গ্যালাক্সি বা নক্ষত্র জগৎ বলে। মহাকাশে একশত বিলিয়ন গ্যালাক্সি রয়েছে। এদের অধিকাংশই সর্পিলাকার বা উপবৃত্তাকার।
নীহারিকা : মহাকাশে স্বল্পালোকিত তারকারাজির আস্তরণকে নীহারিকা বলে। নীহারিকাসমূহ গ্যাসীয় পদার্থে পূর্ণ।
ছায়াপথ : কোনো একটি গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বা আকাশ গঙ্গা বলে। ছায়াপথ লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি।
উল্কা : রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় মনে হয় যেন নক্ষত্র ছুটে চলেছে বা কোনো নক্ষত্র যেন এই মাত্র খসে পড়ল। এই ঘটনাকে নক্ষত্রপতন বলে। এরা কিন্তু আসলে কোনো নক্ষত্র নয়। এগুলোকে উল্কা বলে।
ধূমকেতু : মহাকাশে মাঝে মাঝে এক প্রকার জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব ঘটে। এদের একটি মাথা ও একটি লেজ আছে। এসব জ্যোতিষ্ককে ধূমকেতু বলে।
গ্রহ : সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে আটটি গ্রহ। সূর্য থেকে গ্রহগুলো দূরত্ব অনুযায়ী পরপর যেভাবে রয়েছে তা হলো বুধ (গবৎপঁৎু), শুক্র (ঠবহঁং), পৃথিবী (ঊধৎঃয), মঙ্গল (গধৎং), বৃহস্পতি (ঔঁঢ়রঃবৎ), শনি (ঝধঃঁৎহ), ইউরেনাস (টৎধহঁং) এবং নেপচুন (ঘবঢ়ঃঁহব)।
উপগ্রহ : কিছু কিছু জ্যোতিষ্ক গ্রহকে ঘিরে আবর্তিত হয়, এদের উপগ্রহ বা চাঁদ বলে। মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এরা গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এদের নিজস্ব আলো বা তাপ নেই। এরা সূর্য বা নক্ষত্র থেকে আলো বা তাপ পায়। চাঁদ পৃথিবী গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ।
সৌরজগৎ : সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, অসংখ্য ধূমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। সৌরজগতের যাবতীয় গ্রহ উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য।
অক্ষাংশ : পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ (অীরং) বা মেরুরেখা বলে। দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এ রেখাকে বলা হয় নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে।
বিষুবলম্ব : সূর্য যেদিন যে অক্ষাংশের উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় সেটাই সেদিনের সূর্যের বিষুবলম্ব।
দ্রাঘিমারেখা : নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমারেখা বলে। দ্রাঘিমারেখাকে মধ্যরেখাও বলা হয়।
মূল মধ্যরেখা : যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে।
স্থানীয় সময় : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনো স্থানে সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন ঐ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং ঐ স্থানের ঘড়িতে তখন দুপুর ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ঐ স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়।
প্রমাণ সময় : প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোনো স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলে।
প্রতিপাদ স্থান : ভ‚পৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর ঠিক বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা : জলভাগের উপর মানচিত্রে ১৮০ দ্রাঘিমারেখাকে অবলম্বন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। এটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা।
আিহ্নক গতি : পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে। নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আিহ্নক গতির বেগ সবচেয়ে বেশি। এখানে পৃথিবীর আিহ্নক গতি ঘণ্টায় ১,৬১০ কিলোমিটারেরও বেশি।
বার্ষিক গতি : পৃথিবী সৌরজগতের অন্যতম গ্রহ বলে পৃথিবীও প্রতিনিয়ত উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এ পরিভ্রমণকে পরিক্রমণ গতি বা বার্ষিক গতি বলে।
দিবা-রাত্রি হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ : পৃথিবীর দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ- ক. পৃথিবীর অভিগত গোলাকৃতি; খ. পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ; গ. পৃথিবীর অবিরাম আবর্তন ও পরিক্রমণ গতি; ঘ. পৃথিবীর মেরুরেখার সর্বদা একই মুখে অবস্থান; ঙ. পৃথিবীর কক্ষপথে কৌণিক অবস্থান।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোন গ্রহের ২২টি উপগ্রহ আছে?
ক মঙ্গল খ বৃহস্পতি শনি ঘ ইউরেনাস
২. আহ্নিক গতির ফলে
র. পৃথিবীতে দিবারাত্রি সংঘটিত হয়
রর. ঋতু পরিবর্তন হয়
ররর. তাপমাত্রার তারতম্য সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র,রর ও ররর
নিচের চিত্র থেকে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩. উপরের চিত্রে উলম্বভাবে আঁকা রেখাগুলোর মধ্যে ০০ দ্বারা চিহ্নিত রেখা কোনটি?
ক নিরক্ষরেখা খ মেরুরেখা
মূল মধ্যরেখা ঘ কর্কটক্রান্তি রেখা
৪. উক্ত রেখাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এদের সাহায্যেÑ
র. কোনো স্থানের স্থানীয় সময় ও প্রমাণ সময় নির্ণয় করা যায়
রর. কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান জানা যায়
ররর. সমুদ্রগামী জাহাজের অবস্থান নির্ণয় করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ পৃথিবী, শনি ও বৃহস্পতি গ্রহ
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. চন্দ্র কী?
খ. মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্য লেখ।
গ. ‘চ’ চিহ্নিত গ্রহটি জীবের জন্য বসবাস উপযোগী কেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ছ’ ও ‘জ’ চিহ্নিত গ্রহ দুটির বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।
ক চন্দ্র পৃথিবী গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ যা মহাকর্ষ বলের প্রভাবে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
খ মঙ্গল গ্রহের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
১. এ গ্রহে অক্সিজেন ও পানির পরিমাণ খুবই কম কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অত্যন্ত বেশিÑ শতকরা ৯৯ ভাগ।
২. এর উপরিভাগে রয়েছে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি।
৩. খালি চোখে এ গ্রহকে লালচে দেখায়।
৪. দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান।
গ ‘চ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো পৃথিবী। পৃথিবী আমাদের বাসভ‚মি। পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান যেমনÑ আলো, তাপ, বায়ু, পানি ও খাদ্যবস্তুর ব্যবস্থা আছে। একমাত্র পৃথিবী ব্যতীত সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তাপমাত্রায় জীব বেঁচে থাকতে পারে না। এখন পর্যন্ত জানা মতে একমাত্র পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে। সূর্যের তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণের ওপর পৃথিবীতে জীবনের প্রবাহ নির্ভরশীল। সৌরশক্তির প্রধান উপাদান তাপ ও আলো। এই শক্তি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ ঘটায়, যা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জীবজগতের খাদ্যের চাহিদা মেটায়। আর পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা রয়েছে, যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এছাড়া সূর্যের তাপে হ্রদ, নদী ও সমুদ্রের পানি বাষ্পে পরিণত হয়। এ পানি বৃষ্টি অথবা বরফরূপে ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে। আমরা বিশুদ্ধ পানি পাই। তাই ‘চ’ চিহ্নিত গ্রহটি সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে জীবের জন্য বসবাস উপযোগী।
ঘ ‘ছ’ এবং ‘জ’ চিহ্নিত গ্রহ দুটি হলো যথাক্রমে শনি ও বৃহস্পতি। শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলোমিটার। বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। একে গ্রহরাজ বলে। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। শনির ব্যাস প্রায় ১,২০,০০০ কিলোমিটার। আর বৃহস্পতির ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শনির সময় লাগে পৃথিবীর প্রায় ২৯.৫ বছরের সমান। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির সময় লাগে ৪,৩৩১ দিন। শনির বায়ুমণ্ডলে আছে হাইড্রোজনে ও হিলিয়ামের মিশ্রণ, মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস। বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা গঠিত। শনির ২২টি উপগ্রহ আছে। আর বৃহস্পতির উপগ্রহ সংখ্যা ৬৭টি।
প্রশ্ন- ২ ঋতু পরিবর্তন
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. উত্তর গোলার্ধে বড় দিন কোনটি?
খ. অধিবর্ষ বলতে কী বোঝায়?
গ. ‘ড’ অবস্থানে দিনরাত্রির কী ধরনের পরিবর্তন হবে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. পৃথিবীর পরিক্রমণকালে ‘ড’ এবং ‘ঢ’ অবস্থানে কি একই ধরনের ঋতু পরিলক্ষিত হয়? বিশ্লেষণ কর।
ক ২১শে জুন উত্তর গোলার্ধে বড় দিন।
খ যে বছর ফেব্রæয়ারি মাস ২৯ দিন অর্থাৎ ৩৬৬ দিনে ১ বছর হয় সেই বছরকে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার বলা হয়। পৃথিবী তার উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে পূর্ণ পরিক্রমণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একে সৌরবছর বলে। কিন্তু আমরা ৩৬৫ দিনকে এক বছর ধরি। এতে প্রতি বছর প্রায় ৬ ঘণ্টা অতিরিক্ত থেকে যায়। এ অতিরিক্ত সময়ের সামঞ্জস্য আনার জন্য প্রতি ৪ বছর অন্তর ফেব্রæয়ারি মাসে ২৪ ঘণ্টা বা ১ দিন বাড়িয়ে সময়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখা হয়।
গ ‘ড’ অবস্থানে সূর্য যেখানে অবস্থান করছে সে দিন ১২ই জুলাই। পৃথিবী ৬৬.৫ কোণ করে চলার কারণে ২১শে মার্চ সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এরপর ধীরে ধীরে সূর্যের কিরণ উত্তর গোলার্ধের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। সূর্যকে পরিক্রমণ করতে করতে ২১শে জুন পৃথিবী এমন এক জায়গায় আসে যে তখন সূর্যের রশ্মি ভ‚পৃষ্ঠের ২৩.৫ উত্তর অক্ষাংশে অর্থাৎ কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে পড়ে। এ সময় উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে থাকে। সে কারণে উত্তর গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য ও তাপমাত্রাও বেশি থাকে। ২১শে জুন থেকে উত্তর গোলার্ধে দিনের পরিমাণ কমতে থাকে অর্থাৎ তার পরের দিন থেকে সূর্য পুনরায় দক্ষিণ দিক থেকে আসতে থাকে। দিন বড় হওয়ার ফলে ২১শে জুনের দেড় মাস পূর্ব থেকেই গ্রীষ্মকাল শুরু হয় এবং পরের দেড়মাস গ্রীষ্মকাল স্থায়ী হয়। ২২শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সূর্য উত্তর গোলার্ধে বেশি কিরণ দেয়। ফলে উত্তর গোলার্ধে ১২ই জুলাই দিনের দৈর্ঘ্য বেশি এবং রাত্রির পরিমাণ কম থাকে। তাই ‘ড’ অবস্থানে সূর্য যেখানে অবস্থান করছে অর্থাৎ ১২ই জুলাই সূর্য উত্তর গোলার্ধে বেশি ঝুঁকে কিরণ দেয় বলে এ স্থানে দিন বড় এবং রাত ছোট হবে। এ স্থানে এ সময় গ্রীষ্মকাল বিরাজ করবে।
ঘ ‘ড’-এ সূর্যের অবস্থানের তারিখ ১২ই জুলাই এবং ‘ঢ’-এ সূর্যের অবস্থানের তারিখ ৩রা জানুয়ারি। তাই উভয় অবস্থানে একই ধরনের ঋতু পরিলক্ষিত হয় না। ‘ড’ অবস্থানে : পৃথিবী সূর্যকে পরিক্রমণকালে ২১শে জুন তারিখে সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে। ২১শে জুনের দেড়মাস পর পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল বিরাজ করে। কাজেই ‘ড’ অবস্থানে ১২ই জুলাই উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল পরিলক্ষিত হয়। ‘ঢ’ অবস্থানে : পৃথিবী তার কক্ষপথে চলতে চলতে ২২শে ডিসেম্বরের পর থেকে ২১শে মার্চ পর্যন্ত এমন স্থানে ফিরে আসে যখন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ২২শে ডিসেম্বরের দেড়মাস পূর্বেই উত্তর গোলার্ধে শীতকাল এবং পরের দেড়মাস পর্যন্ত তা বিরাজ করে। ফলে ‘ঢ’ অবস্থানে বা ৩রা জানুয়ারি উত্তর গোলার্ধে শীতকাল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল পরিলক্ষিত হয়।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোন গ্রহের ৬৭টি উপগ্রহ আছে? [স. বো.’১৬]
ক মঙ্গল খ বৃহস্পতি গ শনি ঘ ইউরেনাস
২. মূল মধ্যরেখা থেকে ৫ পূর্ব দিকে সরে গেলে সময়ের ব্যবধান কত হবে?
[স. বো.’১৬]
ক ১৬ মিনিট খ ২০ মিনিট
গ ২৪ মিটার ঘ ২৮ মিনিট
৫. হ্যালির ধূমকেতু সর্বশেষ কোন সালে দেখা গিয়েছিল? [স. বো. ’১৫]
ক ১৭৫৯ খ ১৮৩৫ গ ১৯১০ ১৯৮৬
৬. দিন ও রাতের আলোর বিশেষ তারতম্য থাকে না কোন গ্রহের? [স. বো. ’১৫]
ক শনি শুক্র গ পৃথিবী ঘ মঙ্গল
৭. পৃথিবী বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ কত ডিগ্রী? [স. বো. ’১৫]
৩৬০ খ ৯০ গ ৫ ঘ ০
৮. ভ‚-পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর ঠিক বিপরীত বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর কী বলে? [স. বা. ’১৫]
ক বিপরীত স্থান প্রতিপাদ স্থান
গ কৌণিক স্থান ঘ সমাক্ষ স্থান
৯. পৃথিবীর গতি কত প্রকার? [স. বো. ’১৫]
ক এক দুই গ তিন ঘ চার
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০০
১.
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০. পৃথিবীর চারদিকে কী ঘিরে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক বিস্তৃত বায়ুমণ্ডল অসীম মহাকাশ
গ সুনীল আকাশ ঘ অবারিত সমুদ্র
১১. সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক চন্দ্র খ পৃথিবী সূর্য ঘ উল্কা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২. মহাকাশে রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. বহু নক্ষত্র রর. উল্কা
ররর. নীহারিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩. মহাবিশ্ব গঠিত হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. ক্ষুদ্র পোকামাকড় ও ধূলিকণা নিয়ে
রর. দূর-দূরান্তের সকল জ্যোতিষ্ক নিয়ে
ররর. দেখা না দেখা সবকিছু নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
মহাকাশ ও মহাবিশ্ব বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৮
¡ আদি-অন্তহীন এ আকাশকে বলা হয়- মহাকাশ
¡ চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু প্রভৃতি জ্যোতিষ্ক রয়েছে- মহাকাশে।
¡ দূর-দূরান্তের সকল জ্যোতিষ্ক নিয়ে গঠিত -মহাবিশ্ব।
¡ নক্ষত্রগুলো তৈরি-হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে।
¡ আলো ১ বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বলে-১ আলোকবর্ষ।
¡ দেখতে ভাল্লুক কিংবা শিকারির মতো- নক্ষত্রমণ্ডলী।
¡ মহাকাশে গ্যালাক্সি আছে- একশত বিলিয়ন।
¡ মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকার আস্তরণ হলো- নীহারিকা।
¡ লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি ছায়াপথ।
¡ সূর্যের চারিদিকে অনেক দূর দিয়ে অতিক্রম করে- ধূমকেতু।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪. অসীম মহাকাশের দিকে তাকালে দিনে সূর্য এবং রাতে চাঁদসহ যে অসংখ্য আলোক বিন্দু চোখে পড়ে এগুলোর নাম কী? (অনুধাবন)
ক নক্ষত্র জ্যোতিষ্ক গ নীহারিকা ঘ গ্যালাক্সি
১৫. মহাবিশ্ব কী নিয়ে গঠিত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক নক্ষত্রমণ্ডলী খ নীহারিকা জ্যোতিষ্কমণ্ডলী ঘ ছায়াপথ
১৬. চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, উল্কা, নীহারিকা ইত্যাদি জ্যোতিষ্ক নিয়ে কী গঠিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক অসীম আকাশ খ মহাকাশ মহাবিশ্ব ঘ উপগ্রহ
১৭. যাদের নিজস্ব আলো আছে তাদের কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ধূমকেতু খ গ্রহ গ নীহারিকা নক্ষত্র
১৮. কোন ধরনের জ্যোতিষ্ককে নক্ষত্র বলা হয়? (অনুধাবন)
ক অত্যন্ত ক্ষুদ্র খ যারা আলো দেয় না
যারা আলো দেয় ঘ অত্যন্ত বৃহৎ
১৯. মহাকাশের নক্ষত্রগুলো কী অবস্থায় আছে? (অনুধাবন)
ক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড
গ শীতল গ্যাসপিণ্ড ঘ বাষ্পীয় উল্কাপিণ্ড
২০. নক্ষত্র কী দ্বারা তৈরি? (জ্ঞান)
হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম খ হিলিয়াম ও নাইট্রোজেন
গ হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন ঘ মিথেন ও অ্যামোনিয়া
২১. নক্ষত্রগুলো কত তাপমাত্রায় জ্বলছে? (জ্ঞান)
ক প্রায় ২০০০ সেলসিয়াস খ প্রায় ৪০০০ সেলসিয়াস
প্রায় ৬০০০ সেলসিয়াস ঘ প্রায় ৮০০০ সেলসিয়াস
২২. সোমা ‘বিজ্ঞান বার্তায়’ পড়েছে, মহাবিশ্বে এমন কিছু জ্যোতিষ্ক আছে যাদের নিজস্ব আলো ও তাপ রয়েছে। সোমা কোন জ্যোতিষ্কের পরিচয় জেনেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
নক্ষত্র খ ধূমকেতু গ গ্রহ ঘ উপগ্রহ
২৩. পৃথিবী ও নক্ষত্রের মধ্যকার দূরত্ব কোন এককে মাপা হয়? (জ্ঞান)
ক মাইল খ কিলোমিটার গ অধিবর্ষ আলোকবর্ষ
২৪. আলো এক সেকেন্ডে কত পথ অতিক্রম করে? (জ্ঞান)
ক এক লক্ষ কিলোমিটার খ দুই লক্ষ কিলোমিটার
তিন লক্ষ কিলোমিটার ঘ চার লক্ষ কিলোমিটার
২৫. পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র কোনটি? (জ্ঞান)
সূর্য খ প্রক্সিমা সেন্টারাই গ বুধ ঘ চাঁদ
২৬. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ড ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড
গ ৮ মিনিট ২৯ সেকেন্ড ঘ ৮ মিনিট ৫০ সেকেন্ড
২৭. পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৫ কোটি কিলোমিটার খ প্রায় ১০ কোটি কিলোমিটার
প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ প্রায় ২০ কোটি কিলোমিটার
২৮. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম কী? (জ্ঞান)
ক লঘুসপ্তর্ষি খ কুক্কুরমণ্ডল গ কালপুরুষ প্রক্সিমা সেন্টারাই
২৯. মেঘযুক্ত অন্ধকার রাতে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কয়েকটি নক্ষত্র মিলে জোট বেঁধেছে। এদের কী বলে? (প্রয়োগ)
ক ছায়াপথ খ উল্কা গ ধূমকেতু নক্ষত্রমণ্ডলী
৩০. কালপুরুষ কী? (অনুধাবন)
নক্ষত্রমণ্ডলী খ নক্ষত্র গ উপগ্রহ ঘ ধূমকেতু
৩১. মহাকাশে কোটি কোটি নক্ষত্র, ধূলিকণা এবং বিশাল বাষ্পকুণ্ড নিয়ে জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর যে দল সৃষ্টি হয়েছে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধূমকেতু গ্যালাক্সি গ মহাকাশ ঘ উল্কাপিণ্ড
৩২. মহাকাশে গ্যালাক্সির সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক পঞ্চাশ মিলিয়ন খ একশত পঞ্চাশ মিলিয়ন
গ দুইশত মিলিয়ন একশত বিলিয়ন
৩৩. গ্যালাক্সির আকার কেমন? (অনুধাবন)
ক গোলাকার খ ত্রিকোণাকার উপবৃত্তাকার ঘ চতুর্ভুজাকার
৩৪. ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা কাকে বলে? (জ্ঞান)
গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে খ উল্কার ক্ষুদ্র অংশকে
গ নীহারিকার ক্ষুদ্র অংশকে ঘ ধূমকেতুর ক্ষুদ্র অংশকে
৩৫. নীহারিকা কী? (অনুধাবন)
মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকারাজির আস্তরণ
খ মহাকাশে দীর্ঘাকৃতির তারকার আস্তরণ
গ মহাকাশে অসংখ্য উজ্জ্বল তারকার আস্তরণ
ঘ মহাকাশে হাতে গোনা কিছু তারকার আস্তরণ
৩৬. নীহারিকাসমূহ কী ধরনের পদার্থ দ্বারা পূর্ণ? (জ্ঞান)
গ্যাসীয় খ কঠিন গ তরল ঘ পাথুরে
৩৭. ‘ছায়াপথ’ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি? (জ্ঞান)
ক এধষধীু খ ঘবনঁষধ গ ঙৎরড়হ গরষশু ধিু
৩৮. ছায়াপথের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক কালপুরুষ খ ক্যাসিওপিয়া আকাশ গঙ্গা ঘ পালসার
৩৯. শীতকালে রাতের পরিষ্কার আকাশে উত্তর-দক্ষিণে তেজোদীপ্ত স্বচ্ছ যে দীর্ঘ আলোর রেখা দেখা যায় এটি কী? (প্রয়োগ)
ক লঘু সপ্তর্ষি খ ধূমকেতু গ নীহারিকা ছায়াপথ
৪০. ছায়াপথ কী? (অনুধাবন)
ক উজ্জ্বল নক্ষত্র খ তেজোদীপ্ত আগুনের গোলা
তেজোদীপ্ত স্বচ্ছ দীর্ঘ আলোর রেখা ঘ গ্রহাণুপুঞ্জ
৪১. রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় মনে হয় যেন নক্ষত্র ছুটে যাচ্ছে বা কোনো নক্ষত্র এই মাত্র খসে পড়ল। এ ঘটনাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক উল্কা পতন খ আকাশ গঙ্গা নক্ষত্র পতন ঘ গ্যালাক্সি পতন
৪২. উল্কা প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের আকর্ষণে খ গ্রহের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে
গ মহাকাশে খালি জায়গা থাকায় ঘ জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড দিয়ে তৈরি বলে
৪৩. উল্কা কখন জ্বলে ওঠে? (অনুধাবন)
ক পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের সংস্পর্শে এলে
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে
গ পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের সংস্পর্শে এলে
ঘ পৃথিবীর মেঘপুঞ্জের সংস্পর্শে এলে
৪৪. উল্কাকে ছুটন্ত তারা মনে হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এরা মূলত উজ্জ্বল তারার খণ্ডিতাংশ
বায়ুর সংস্পর্শে আসলে এরা জ্বলে ওঠে
গ তারার আলোতে আলোকিত হয়ে এরা বেগবান হয়
ঘ এরা তারার চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করে
৪৫. মহাকাশে এক ধরনের জ্যোতিষ্কের একটি মাথা ও একটি লেজ আছে। এসব জ্যোতিষ্ককে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক নীহারিকা খ ছায়াপথ গ উল্কা ধূমকেতু
৪৬. মহাকাশের অতি বিস্ময়কর জ্যোতিষ্ক কোনটি? (অনুধাবন)
ধূমকেতু খ উল্কা গ নীহারিকা ঘ ছায়াপথ
৪৭. যে জ্যোতিষ্ক কিছুদিনের জন্য উদয় হয়ে আবার অদৃশ্য হয়ে যায় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ছায়াপথ খ উল্কা গ কালপুরুষ ধূমকেতু
৪৮. ধূমকেতু অনেক বছর পরপর মহাকাশে আবিভর্‚ত হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এদের অভ্যন্তরে দীর্ঘ দিন বিরতিতে দিন-রাত সংঘটিত হয় বলে
এরা অনেক দীর্ঘ কক্ষপথে সূর্যকে পরিক্রমণ করে বলে
গ এরা সর্পিলাকার ও উপবৃত্তাকার পথে কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে বলে
ঘ এরা সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে পরিক্রমণ করে বলে
৪৯. কোন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হ্যালির ধূমকেতু আবিষ্কার করেন? (জ্ঞান)
ক আলফ্রেড হ্যালি এডমন্ড হ্যালি
গ উইলিয়াম হ্যালি ঘ জর্জ হ্যালি
৫০. হ্যালির ধূমকেতু কবে থেকে দেখা যায়? (অনুধাবন)
ক ৫৫৮ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দ থেকে ২৪০ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দ থেকে
গ ২৪৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ঘ ১০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে
৫১. হ্যালির ধূমকেতু আবার কবে দেখা যাবে? (প্রয়োগ)
ক ১৯৬১সালে খ ১৯৬৩ সালে ২০৬২ সালে ঘ ১৯৬৪ সালে
৫২. মহাকাশে কতগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যকে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে। এদের কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
গ্রহ খ উপগ্রহ গ ধূমকেতু ঘ নীহারিকা
৫৩. গ্রহ ও উপগ্রহ সূর্যকে নিজ নিজ কক্ষপথে পরিক্রমণ করে কোন শক্তির বলে? (জ্ঞান)
ক অভিকর্ষ শক্তি মহাকর্ষ শক্তি
গ পারমাণবিক শক্তি ঘ আণবিক শক্তি
৫৪. সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৬টি খ ৭টি ৮টি ঘ ৯টি
৫৫. চাঁদ কী? (জ্ঞান)
ক গ্রহ খ গ্যালাক্সি উপগ্রহ ঘ ধূমকেতু
৫৬. চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার পেছনে সহায়ক শক্তি হিসেবে কোনটি কাজ করে? (অনুধাবন)
ক অভিকর্ষ বল মহাকর্ষ বল
গ আন্তঃআণবিক বল ঘ পারমাণবিক শক্তি
৫৭. কোন গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
বৃহস্পতি খ মঙ্গল গ ইউরেনাস ঘ শনি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৮. নক্ষত্রমণ্ডলীর উদাহরণÑ (অনুধাবন)
র. সপ্তর্ষিমণ্ডল ও ক্যাসিওপিয়া
রর. পালসার ও কৃষ্ণবামন
ররর. লঘুসপ্তর্ষি ও বৃহৎ কুক্কুরমণ্ডল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. মহাকাশের বৈশিষ্ট্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শুরু ও শেষ নেই
রর. অসংখ্য জ্যোতিষ্কের সমাহার
ররর. আকার ও আকৃতি আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. গ্যালাক্সির বৈশিষ্ট্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিভিন্ন আকার ও আকৃতি আছে
রর. পরস্পর ব্যাপক ব্যবধানে অবস্থিত
ররর. কোনো একটি ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬১. সৌরজগতের গ্রহগুলোÑ (অনুধাবন)
র. সূর্যকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে
রর. সূর্যের তাপে উত্তপ্ত হয়
ররর. মিটমিট করে জ্বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিহাব রাতে বাড়ির ছাদে বসে মেঘমুক্ত আকাশে তারা দেখছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল একটি তারা তার দিকে ছুটে এসে জ্বলে উঠল।
৬২. শিহাবের দিকে ছুটে আসা তারাটিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক ধূমকেতু উল্কা গ নক্ষত্র ঘ পালসার
৬৩. শিহাবের দেখা তারাটি জ্বলে ওঠার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষ
রর. বায়ুর সংস্পর্শ
ররর. ক্ষিপ্র গতি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৌরজগৎ বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১১
¡ সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, অসংখ্য ধূমকেতু ও উল্কা নিয়ে গঠিত- সৌরজগত।
¡ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে- আটটি গ্রহ।
¡ সূর্যের নিকটতম গ্রহ- বুধ।
¡ সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ- শুক্র।
¡ পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।
¡ মঙ্গলের উপরিভাগে রয়েছে- আগ্নেয়গিরি ও গিরিখাত।
¡ বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে রয়েছে- হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস।
¡ তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ ইউরেনাসের উপগ্রহ রয়েছে- ২৭টি।
¡ নেপচুন গ্রহ আয়তনে- ৭২টি পৃথিবীর সমান।
¡ দূরবীক্ষণ ছাড়া দেখা যায় না- ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. কোন গ্রহের উপরিভাগ থেকে সূর্যকে কখনই দেখা যায় না? (জ্ঞান)
ক বুধ শুক্র গ শনি ঘ বৃহস্পতি
৬৫. কোন গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ শতকরা ৯৯ ভাগ? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র গ পৃথিবী মঙ্গল
৬৬. সূর্যকে সৌরজগতের প্রাণ বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক সকল গ্রহ, উপগ্রহের চারদিকে আবর্তন করছে
সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্য নিয়ন্ত্রণ করে
গ সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
ঘ সকল উপগ্রহ গ্রহের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
৬৭. নিচের কোন গ্রহটি বরফে ঢাকা এবং একে ঘিরে রয়েছে অজস্র বলয়? (অনুধাবন)
ক বৃহস্পতি খ মঙ্গল শনি ঘ ইউরেনাস
৬৮. সূর্য কী? (অনুধাবন)
নক্ষত্র খ গ্রহ গ নীহারিকা ঘ উল্কা
৬৯. সূর্যের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১১ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার
গ ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার কিলোমিটার ঘ ৮৪ লক্ষ ১৩ হাজার কিলোমিটার
৭০. সূর্যের ভর কত? (জ্ঞান)
ক ০.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম ১.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম
গ ২.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম ঘ ৩.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম
৭১. সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু ও উল্কা নিয়ে কী গঠিত? (অনুধাবন)
ক বিশ্বজগৎ খ জ্যোতিষ্কমণ্ডলী সৌরজগৎ ঘ নক্ষত্রমণ্ডলী
৭২. সূর্যকে কেন্দ্র করে কতটি গ্রহ ঘুরছে? (জ্ঞান)
ক ৪টি খ ৬টি ৮টি ঘ ১০টি
৭৩. গ্রহ ও উপগ্রহের তাপ ও আলোর উৎস কী? (জ্ঞান)
ক নীহারিকা খ ছায়াপথ গ নক্ষত্র সূর্য
৭৪. সূর্যের নিকটতম গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বৃহস্পতি বুধ গ পৃথিবী ঘ মঙ্গল
৭৫. সূর্য থেকে বুধের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ৩.৪ কোটি কিলোমিটার খ ৪.৮ কোটি কিলোমিটার
৫.৮ কোটি কিলোমিটার ঘ ৬.৪ কোটি কিলোমিটার
৭৬. সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শনি ইউরেনাস ঘ নেপচুন
৭৭. পৃথিবীতে পানি আছে বলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে-এ থেকে আমরা কী ধারণা পাই? (উচ্চতর দক্ষতা)
জীবের বিকাশের জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
খ পৃথিবী পানি থেকে তৈরি হয়েছে
গ পানি গ্রহের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
ঘ মঙ্গল গ্রহে পানির উপস্থিতি জীবনের বিকাশ ঘটাবে
৭৮. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে বুধের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৪৪ দিন খ ৬৮ দিন গ ৭৪ দিন ৮৮দিন
৭৯. বুধ গ্রহে কত দিনে বছর হয় ? (জ্ঞান)
ক ৫৬ দিনে ৮৮ দিনে গ ৩৬৫ দিনে ঘ ৬৮৭ দিনে
৮০. কত সালে মার্কিন মহাশূন্যযান মেরিনার-১০ বুধের ছবি পাঠায়? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৯ ১৯৭৪ গ ১৯৮০ ঘ ১৯৮৯
৮১. কোন গ্রহের দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৮২. কোন গ্রহে বায়ুমণ্ডল নেই? (জ্ঞান)
ক মঙ্গল বুধ গ শনি ঘ নেপচুন
৮৩. শুক্রের মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কী দ্বারা তৈরি? (জ্ঞান)
কার্বন ডাইঅক্সাইড খ নাইট্রোজেন
গ আরগন ঘ হিলিয়াম
৮৪. সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কোনটি? (প্রয়োগ)
বুধ খ শুক্র গ পৃথিবী ঘ মঙ্গল
৮৫. সূর্য থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ৫.৪ কোটি কিলোমিটার ১০.৮ কোটি কিলোমিটার
গ ১২.৭ কোটি কিলোমিটার ঘ ১৫.৫ কোটি কিলোমিটার
৮৬. শুক্রের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ৪,৮৫০ কিলোমিটার গ ৬,৭৮৭ কিলোমিটার
১২,১০৪ কিলোমিটার ঘ ১৪,৯০০ কিলোমিটার
৮৭. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শুক্রের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৮৮ দিন ২২৫ দিন গ ৩৬৫ দিন ঘ ৬৮৭ দিন
৮৮. শুক্রে কত দিনে এক বছর হয়? (জ্ঞান)
ক ৮৮ দিনে ২২৫ দিনে গ ৩৬৫ দিনে ঘ ৬৮৭ দিনে
৮৯. সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
শুক্র খ বুধ গ মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৯০. শুক্র গ্রহ কোন দিক থেকে কোন দিকে আবর্তন করে? (প্রয়োগ)
ক উত্তর থেকে দক্ষিণে পূর্ব থেকে পশ্চিমে
গ দক্ষিণ থেকে উত্তরে ঘ পশ্চিম থেকে পূর্বে
৯১. সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৩ কোটি কিলোমিটার খ ১৪ কোটি কিলোমিটার
১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ ১৬ কোটি কিলোমিটার
৯২. পৃথিবীর ব্যাস কত? (জ্ঞান)
১২,৬৬৭ কিলোমিটার খ ১৩, ৫২৮ কিলোমিটার
গ ১৪,৮৭৬ কিলোমিটার ঘ ১৫,৭৪৩ কিলোমিটার
৯৩. পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক টাইটান চাঁদ গ ইউরোপা ঘ ডিমোস
৯৪. সূর্য থেকে পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব যথাক্রমে ১৫ কোটি এবং ২২.৮ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছতে ৮ মিনিট সময় লাগলে মঙ্গল গ্রহে কত সময় লাগবে? (প্রয়োগ)
ক ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড খ ১১ মিনিট ১২ সেকেন্ড
১২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড ঘ ১৩ মিনিট ১২ সেকেন্ড
৯৫. কোন গ্রহের দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৯৬. সৌরজগতের কেন্দ্র কোনটি? (জ্ঞান)
ক বৃহস্পতি খ পৃথিবী সূর্য ঘ চাঁদ
৯৭. নিচের কোনটি শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হবার কারণ? (উচ্চতর দক্ষতা)
কার্বন ডাইঅক্সাইডের ঘন মেঘ
খ বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ
গ অধিক মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস
ঘ নাইট্রোজেন গ্যাসের আধিক্য
৯৮. বুধ গ্রহে সিসা ও দস্তার মতো ধাতু গলে বাষ্প হয়ে যায়, এর দ্বারা কী প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বুধে পানি বেশি হওয়ায় জলীয় বাষ্প বেশি
খ সীসা ও দস্তার গলনাঙ্ক বুধের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি
গ সীসা ও দস্তার স্ফুটনাঙ্ক বুধের চেয়ে কম
বুধ সূর্যের নিকটতম হওয়ায় এর তাপ অত্যধিক
৯৯. কিসের প্রভাবে গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়? (অনুধাবন)
মহাকর্ষ বলের প্রভাবে খ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে
গ ঘূর্ণন শক্তির প্রভাবে ঘ আণবিক শক্তির প্রভাবে
১০০. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বুধ খ পৃথিবী বৃহস্পতি ঘ নেপচুন
১০১. বৃহস্পতিকে কী নামে অভিহিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক নক্ষত্ররাজ গ্রহরাজ গ তারকারাজ ঘ বিশ্বরাজ
১০২. বৃহস্পতির ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ৪,৮৫০ কিলোমিটার খ ১২,৬৬৭ কিলোমিটার
গ ১,২০,০০০ কিলোমিটার ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার
১০৩. সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৩ কোটি কিলোমিটার খ ১৪ কোটি কিলোমিটার
১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ ১৬ কোটি কিলোমিটার
১০৪. সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ৫.৮ কোটি কিলোমিটার খ ১০.৮ কোটি কিলোমিটার
গ ১৫ কোটি কিলোমিটার ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার
১০৫. কোনটি সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র পৃথিবী ঘ মঙ্গল
১০৬. বৃহস্পতি গ্রহের বায়ুমণ্ডল কী গ্যাস দিয়ে তৈরি? (জ্ঞান)
ক অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম
গ মিথেন ও অ্যামোনিয়া ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প
১০৭. বৃহস্পতির অভ্যন্তরের তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
ক ১০, ০০০ সেলসিয়াস খ ২০,০০০ সেলসিয়াস
৩০,০০০ সেলসিয়াস ঘ ৪০,০০০ সেলসিয়াস
১০৮. সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৩৬৫ দিন খ ৬৮৭ দিন ৪,৩৩১ দিন ঘ ৮৪ বছর
১০৯. সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বুধ খ পৃথিবী শনি ঘ ইউরেনাস
১১০. শনির ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১,০০,০০০ কিলোমিটার ১,২০,০০০ কিলোমিটার
গ ১,৪৫,০০০ কিলোমিটার ঘ ২,০০,০০০ কিলোমিটার
১১১. শনির ভ‚ত্বক কেমন? (অনুধাবন)
বরফে ঢাকা খ জলে ঢাকা গ মেঘে ঢাকা ঘ তুষারে ঢাকা
১১২. কোনটি উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত গ্রহ? (অনুধাবন)
শনি খ ইউরেনাস গ বৃহস্পতি ঘ নেপচুন
১১৩. নিচের কোন গ্রহটি বরফে ঢাকা এবং একে ঘিরে রয়েছে অজস্র বলয়? (অনুধাবন)
ক বৃহস্পতি খ মঙ্গল শনি ঘ ইউরেনাস
১১৪. শনি গ্রহ সুন্দর দেখায় কেন? (অনুধাবন
উজ্জ্বল বলয়ের জন্য খ অধিক বলয়ের জন্য
গ গতিশীল বলয়ের জন্য ঘ অনুজ্জ্বল বলয়ের জন্য
১১৫. সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শনি ইউরেনাস ঘ নেপচুন
১১৬. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ইউরেনাসের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৩৬৫ দিন খ ৬৮৭ দিন ৮৪ বছর ঘ ১০০ বছর
১১৭. ইউরেনাসের গড় ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ৩৯,০০০ কিলোমিটার ৪৯,০০০ কিলোমিটার
গ ৬৯,০০০ কিলোমিটার ঘ ৮৪,০০০কিলোমিটার
১১৮. ইউরেনাস গ্রহটি হালকা পদার্থ দিয়ে গঠিত, এ থেকে কী বলা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গ্রহটি শূন্যে ভাসে গ্রহটির ওজন কম
গ এটির আবর্তনকাল বেশি ঘ এর উপগ্রহের সংখ্যা কম
১১৯. কোন গ্রহের আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক? (জ্ঞান)
ক নেপচুন ইউরেনাস গ শনি ঘ বৃহস্পতি
১২০. নেপচুন আয়তনে কতটি পৃথিবীর সমান? (জ্ঞান)
প্রায় ৭২টি খ প্রায় ৭৫টি গ প্রায় ৭৮টি ঘ প্রায় ৮০টি
১২১. নেপচুনের ভর কতটি পৃথিবীর ভরের সমান? (জ্ঞান)
ক ১৩টি খ ১৫টি ১৭টি ঘ ১৯টি
১২২. নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি? (জ্ঞান)
মিথেন ও অ্যামোনিয়া খ হিলিয়াম ও অ্যামোনিয়া
গ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অ্যামোনিয়া
১২৩. নেপচুনের কয়টি উপগ্রহ আছে? (জ্ঞান)
১৪টি খ ২২টি গ ২৭টি ঘ ৬৭টি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৪. বুধ গ্রহের উপরিভাগে দেখা যায়Ñ (অনুধাবন)
র. অসংখ্য গর্ত ও পাহাড়
রর. পাহাড় ও সমতলভ‚মি
ররর. লালচে আকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৫. একমাত্র পৃথিবীই উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী কেননা Ñ (অনুধাবন)
র. বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন আছে
রর. বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের তুলনায় অক্সিজেন বেশি
ররর. বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৬. আমাদের বাসভ‚মি পৃথিবীতে আছেÑ (প্রয়োগ)
র. উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী বায়ুমণ্ডল
রর. জীবনধারণের উপযোগী তাপমাত্রা
ররর. অসংখ্য বলয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১২৭. মঙ্গল গ্রহে আছেÑ (প্রয়োগ)
র. অক্সিজেন ও পানি
রর. কার্বন ডাইঅক্সাইড
ররর. নাইট্রোজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৮. সৌরজগতে বলয় দ্বারা বেষ্টিত গ্রহÑ (অনুধাবন)
র. শনি
রর. ইউরেনাস
ররর. নেপচুন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩১ ও ১৩২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অসীম একদিন ভোরের আকাশে অবাক হয়ে লক্ষ্য করল একটি তারা দেখা যাচ্ছে। তার দাদু তাকে বললেন এটি তারা নয়, সৌরজগতের একটি গ্রহ। অতঃপর দাদু অসীমকে সৌরজগৎ সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন।
১২৯. অসীমের দেখা তারা কোনটি? (প্রয়োগ)
ক শনি খ বুধ শুক্র ঘ বৃহস্পতি
১৩০. দাদুর কথায় অসীম জানতে পারবে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সূর্যকে ভিত্তি করে সকল গ্রহের কাজকর্ম চলে
রর. সূর্যের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিকটতম গ্রহ যথাক্রমে বুধ, শুক্র ও পৃথিবী
ররর. শনির ২২টি ও ইউরেনাসের ২৭টি উপগ্রহ আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের সারণি থেকে ১৩৩ ও ১৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গ্রহের নাম উপগ্রহের সংখ্যা বায়ুমণ্ডলের উপাদান
পৃথিবী ০১ অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
মঙ্গল ০২ কার্বন ডাইঅক্সাইড, অক্সিজেন
শনি ২২ হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, মিথেন, অ্যামোনিয়া
ইউরেনাস ২৭ মিথেন
১৩১. উপরের তথ্য অনুসারে জীবজগতের বসবাসের উপযোগী গ্রহ কোনটি? (প্রয়োগ)
পৃথিবী খ মঙ্গল গ শনি ঘ ইউরেনাস
১৩২. সারণি থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় যে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মঙ্গলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অক্সিজেনের থেকে এত বেশি যে প্রাণীর অস্তিত্ব অসম্ভব
রর. উপাদানগুলোর উপস্থিতির কারণে শনির ভ‚ত্বক বরফে ঢাকা
ররর. ইউরেনাসে মিথেন গ্যাসের কারণে জীবাশ্ম খনিজ প্রাপ্তির সম্ভাবনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৫ ও ১৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সৌমিক একদিন ভোরের আকাশে একটি তারা দেখতে পেল। তারাটি তার মনে কৌতূহল জাগালো।
১৩৩. সৌমিক ভোরের আকাশে কোন জ্যোতিষ্কটি দেখেছিল? (অনুধাবন)
ক উল্কা খ গ্যানিমেড উপগ্রহ গ ধূমকেতু শুক্র গ্রহ
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোন গ্রহের ৬৭টি উপগ্রহ আছে? [স. বো.’১৬]
ক মঙ্গল খ বৃহস্পতি গ শনি ঘ ইউরেনাস
২. মূল মধ্যরেখা থেকে ৫ পূর্ব দিকে সরে গেলে সময়ের ব্যবধান কত হবে?
[স. বো.’১৬]
ক ১৬ মিনিট খ ২০ মিনিট
গ ২৪ মিটার ঘ ২৮ মিনিট
৫. হ্যালির ধূমকেতু সর্বশেষ কোন সালে দেখা গিয়েছিল? [স. বো. ’১৫]
ক ১৭৫৯ খ ১৮৩৫ গ ১৯১০ ১৯৮৬
৬. দিন ও রাতের আলোর বিশেষ তারতম্য থাকে না কোন গ্রহের? [স. বো. ’১৫]
ক শনি শুক্র গ পৃথিবী ঘ মঙ্গল
৭. পৃথিবী বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ কত ডিগ্রী? [স. বো. ’১৫]
৩৬০ খ ৯০ গ ৫ ঘ ০
৮. ভ‚-পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনো বিন্দুর ঠিক বিপরীত বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর কী বলে? [স. বা. ’১৫]
ক বিপরীত স্থান প্রতিপাদ স্থান
গ কৌণিক স্থান ঘ সমাক্ষ স্থান
৯. পৃথিবীর গতি কত প্রকার? [স. বো. ’১৫]
ক এক দুই গ তিন ঘ চার
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০০
১.
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০. পৃথিবীর চারদিকে কী ঘিরে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক বিস্তৃত বায়ুমণ্ডল অসীম মহাকাশ
গ সুনীল আকাশ ঘ অবারিত সমুদ্র
১১. সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে? (জ্ঞান)
ক চন্দ্র খ পৃথিবী সূর্য ঘ উল্কা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২. মহাকাশে রয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. বহু নক্ষত্র রর. উল্কা
ররর. নীহারিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩. মহাবিশ্ব গঠিত হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. ক্ষুদ্র পোকামাকড় ও ধূলিকণা নিয়ে
রর. দূর-দূরান্তের সকল জ্যোতিষ্ক নিয়ে
ররর. দেখা না দেখা সবকিছু নিয়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
মহাকাশ ও মহাবিশ্ব বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৮
¡ আদি-অন্তহীন এ আকাশকে বলা হয়- মহাকাশ
¡ চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু প্রভৃতি জ্যোতিষ্ক রয়েছে- মহাকাশে।
¡ দূর-দূরান্তের সকল জ্যোতিষ্ক নিয়ে গঠিত -মহাবিশ্ব।
¡ নক্ষত্রগুলো তৈরি-হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে।
¡ আলো ১ বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বলে-১ আলোকবর্ষ।
¡ দেখতে ভাল্লুক কিংবা শিকারির মতো- নক্ষত্রমণ্ডলী।
¡ মহাকাশে গ্যালাক্সি আছে- একশত বিলিয়ন।
¡ মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকার আস্তরণ হলো- নীহারিকা।
¡ লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি ছায়াপথ।
¡ সূর্যের চারিদিকে অনেক দূর দিয়ে অতিক্রম করে- ধূমকেতু।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪. অসীম মহাকাশের দিকে তাকালে দিনে সূর্য এবং রাতে চাঁদসহ যে অসংখ্য আলোক বিন্দু চোখে পড়ে এগুলোর নাম কী? (অনুধাবন)
ক নক্ষত্র জ্যোতিষ্ক গ নীহারিকা ঘ গ্যালাক্সি
১৫. মহাবিশ্ব কী নিয়ে গঠিত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক নক্ষত্রমণ্ডলী খ নীহারিকা জ্যোতিষ্কমণ্ডলী ঘ ছায়াপথ
১৬. চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, ধূমকেতু, উল্কা, নীহারিকা ইত্যাদি জ্যোতিষ্ক নিয়ে কী গঠিত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক অসীম আকাশ খ মহাকাশ মহাবিশ্ব ঘ উপগ্রহ
১৭. যাদের নিজস্ব আলো আছে তাদের কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক ধূমকেতু খ গ্রহ গ নীহারিকা নক্ষত্র
১৮. কোন ধরনের জ্যোতিষ্ককে নক্ষত্র বলা হয়? (অনুধাবন)
ক অত্যন্ত ক্ষুদ্র খ যারা আলো দেয় না
যারা আলো দেয় ঘ অত্যন্ত বৃহৎ
১৯. মহাকাশের নক্ষত্রগুলো কী অবস্থায় আছে? (অনুধাবন)
ক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড
গ শীতল গ্যাসপিণ্ড ঘ বাষ্পীয় উল্কাপিণ্ড
২০. নক্ষত্র কী দ্বারা তৈরি? (জ্ঞান)
হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম খ হিলিয়াম ও নাইট্রোজেন
গ হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন ঘ মিথেন ও অ্যামোনিয়া
২১. নক্ষত্রগুলো কত তাপমাত্রায় জ্বলছে? (জ্ঞান)
ক প্রায় ২০০০ সেলসিয়াস খ প্রায় ৪০০০ সেলসিয়াস
প্রায় ৬০০০ সেলসিয়াস ঘ প্রায় ৮০০০ সেলসিয়াস
২২. সোমা ‘বিজ্ঞান বার্তায়’ পড়েছে, মহাবিশ্বে এমন কিছু জ্যোতিষ্ক আছে যাদের নিজস্ব আলো ও তাপ রয়েছে। সোমা কোন জ্যোতিষ্কের পরিচয় জেনেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
নক্ষত্র খ ধূমকেতু গ গ্রহ ঘ উপগ্রহ
২৩. পৃথিবী ও নক্ষত্রের মধ্যকার দূরত্ব কোন এককে মাপা হয়? (জ্ঞান)
ক মাইল খ কিলোমিটার গ অধিবর্ষ আলোকবর্ষ
২৪. আলো এক সেকেন্ডে কত পথ অতিক্রম করে? (জ্ঞান)
ক এক লক্ষ কিলোমিটার খ দুই লক্ষ কিলোমিটার
তিন লক্ষ কিলোমিটার ঘ চার লক্ষ কিলোমিটার
২৫. পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র কোনটি? (জ্ঞান)
সূর্য খ প্রক্সিমা সেন্টারাই গ বুধ ঘ চাঁদ
২৬. সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ড ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড
গ ৮ মিনিট ২৯ সেকেন্ড ঘ ৮ মিনিট ৫০ সেকেন্ড
২৭. পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যবর্তী দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৫ কোটি কিলোমিটার খ প্রায় ১০ কোটি কিলোমিটার
প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ প্রায় ২০ কোটি কিলোমিটার
২৮. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম কী? (জ্ঞান)
ক লঘুসপ্তর্ষি খ কুক্কুরমণ্ডল গ কালপুরুষ প্রক্সিমা সেন্টারাই
২৯. মেঘযুক্ত অন্ধকার রাতে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কয়েকটি নক্ষত্র মিলে জোট বেঁধেছে। এদের কী বলে? (প্রয়োগ)
ক ছায়াপথ খ উল্কা গ ধূমকেতু নক্ষত্রমণ্ডলী
৩০. কালপুরুষ কী? (অনুধাবন)
নক্ষত্রমণ্ডলী খ নক্ষত্র গ উপগ্রহ ঘ ধূমকেতু
৩১. মহাকাশে কোটি কোটি নক্ষত্র, ধূলিকণা এবং বিশাল বাষ্পকুণ্ড নিয়ে জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর যে দল সৃষ্টি হয়েছে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ধূমকেতু গ্যালাক্সি গ মহাকাশ ঘ উল্কাপিণ্ড
৩২. মহাকাশে গ্যালাক্সির সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক পঞ্চাশ মিলিয়ন খ একশত পঞ্চাশ মিলিয়ন
গ দুইশত মিলিয়ন একশত বিলিয়ন
৩৩. গ্যালাক্সির আকার কেমন? (অনুধাবন)
ক গোলাকার খ ত্রিকোণাকার উপবৃত্তাকার ঘ চতুর্ভুজাকার
৩৪. ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা কাকে বলে? (জ্ঞান)
গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে খ উল্কার ক্ষুদ্র অংশকে
গ নীহারিকার ক্ষুদ্র অংশকে ঘ ধূমকেতুর ক্ষুদ্র অংশকে
৩৫. নীহারিকা কী? (অনুধাবন)
মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকারাজির আস্তরণ
খ মহাকাশে দীর্ঘাকৃতির তারকার আস্তরণ
গ মহাকাশে অসংখ্য উজ্জ্বল তারকার আস্তরণ
ঘ মহাকাশে হাতে গোনা কিছু তারকার আস্তরণ
৩৬. নীহারিকাসমূহ কী ধরনের পদার্থ দ্বারা পূর্ণ? (জ্ঞান)
গ্যাসীয় খ কঠিন গ তরল ঘ পাথুরে
৩৭. ‘ছায়াপথ’ এর ইংরেজি প্রতিশব্দ কোনটি? (জ্ঞান)
ক এধষধীু খ ঘবনঁষধ গ ঙৎরড়হ গরষশু ধিু
৩৮. ছায়াপথের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ক কালপুরুষ খ ক্যাসিওপিয়া আকাশ গঙ্গা ঘ পালসার
৩৯. শীতকালে রাতের পরিষ্কার আকাশে উত্তর-দক্ষিণে তেজোদীপ্ত স্বচ্ছ যে দীর্ঘ আলোর রেখা দেখা যায় এটি কী? (প্রয়োগ)
ক লঘু সপ্তর্ষি খ ধূমকেতু গ নীহারিকা ছায়াপথ
৪০. ছায়াপথ কী? (অনুধাবন)
ক উজ্জ্বল নক্ষত্র খ তেজোদীপ্ত আগুনের গোলা
তেজোদীপ্ত স্বচ্ছ দীর্ঘ আলোর রেখা ঘ গ্রহাণুপুঞ্জ
৪১. রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় মনে হয় যেন নক্ষত্র ছুটে যাচ্ছে বা কোনো নক্ষত্র এই মাত্র খসে পড়ল। এ ঘটনাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক উল্কা পতন খ আকাশ গঙ্গা নক্ষত্র পতন ঘ গ্যালাক্সি পতন
৪২. উল্কা প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের আকর্ষণে খ গ্রহের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে
গ মহাকাশে খালি জায়গা থাকায় ঘ জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড দিয়ে তৈরি বলে
৪৩. উল্কা কখন জ্বলে ওঠে? (অনুধাবন)
ক পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের সংস্পর্শে এলে
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে এলে
গ পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের সংস্পর্শে এলে
ঘ পৃথিবীর মেঘপুঞ্জের সংস্পর্শে এলে
৪৪. উল্কাকে ছুটন্ত তারা মনে হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এরা মূলত উজ্জ্বল তারার খণ্ডিতাংশ
বায়ুর সংস্পর্শে আসলে এরা জ্বলে ওঠে
গ তারার আলোতে আলোকিত হয়ে এরা বেগবান হয়
ঘ এরা তারার চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করে
৪৫. মহাকাশে এক ধরনের জ্যোতিষ্কের একটি মাথা ও একটি লেজ আছে। এসব জ্যোতিষ্ককে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক নীহারিকা খ ছায়াপথ গ উল্কা ধূমকেতু
৪৬. মহাকাশের অতি বিস্ময়কর জ্যোতিষ্ক কোনটি? (অনুধাবন)
ধূমকেতু খ উল্কা গ নীহারিকা ঘ ছায়াপথ
৪৭. যে জ্যোতিষ্ক কিছুদিনের জন্য উদয় হয়ে আবার অদৃশ্য হয়ে যায় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ছায়াপথ খ উল্কা গ কালপুরুষ ধূমকেতু
৪৮. ধূমকেতু অনেক বছর পরপর মহাকাশে আবিভর্‚ত হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক এদের অভ্যন্তরে দীর্ঘ দিন বিরতিতে দিন-রাত সংঘটিত হয় বলে
এরা অনেক দীর্ঘ কক্ষপথে সূর্যকে পরিক্রমণ করে বলে
গ এরা সর্পিলাকার ও উপবৃত্তাকার পথে কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে বলে
ঘ এরা সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে পরিক্রমণ করে বলে
৪৯. কোন জ্যোতির্বিজ্ঞানী হ্যালির ধূমকেতু আবিষ্কার করেন? (জ্ঞান)
ক আলফ্রেড হ্যালি এডমন্ড হ্যালি
গ উইলিয়াম হ্যালি ঘ জর্জ হ্যালি
৫০. হ্যালির ধূমকেতু কবে থেকে দেখা যায়? (অনুধাবন)
ক ৫৫৮ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দ থেকে ২৪০ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দ থেকে
গ ২৪৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ঘ ১০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে
৫১. হ্যালির ধূমকেতু আবার কবে দেখা যাবে? (প্রয়োগ)
ক ১৯৬১সালে খ ১৯৬৩ সালে ২০৬২ সালে ঘ ১৯৬৪ সালে
৫২. মহাকাশে কতগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যকে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে। এদের কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
গ্রহ খ উপগ্রহ গ ধূমকেতু ঘ নীহারিকা
৫৩. গ্রহ ও উপগ্রহ সূর্যকে নিজ নিজ কক্ষপথে পরিক্রমণ করে কোন শক্তির বলে? (জ্ঞান)
ক অভিকর্ষ শক্তি মহাকর্ষ শক্তি
গ পারমাণবিক শক্তি ঘ আণবিক শক্তি
৫৪. সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৬টি খ ৭টি ৮টি ঘ ৯টি
৫৫. চাঁদ কী? (জ্ঞান)
ক গ্রহ খ গ্যালাক্সি উপগ্রহ ঘ ধূমকেতু
৫৬. চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার পেছনে সহায়ক শক্তি হিসেবে কোনটি কাজ করে? (অনুধাবন)
ক অভিকর্ষ বল মহাকর্ষ বল
গ আন্তঃআণবিক বল ঘ পারমাণবিক শক্তি
৫৭. কোন গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি? (জ্ঞান)
বৃহস্পতি খ মঙ্গল গ ইউরেনাস ঘ শনি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৮. নক্ষত্রমণ্ডলীর উদাহরণÑ (অনুধাবন)
র. সপ্তর্ষিমণ্ডল ও ক্যাসিওপিয়া
রর. পালসার ও কৃষ্ণবামন
ররর. লঘুসপ্তর্ষি ও বৃহৎ কুক্কুরমণ্ডল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৯. মহাকাশের বৈশিষ্ট্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শুরু ও শেষ নেই
রর. অসংখ্য জ্যোতিষ্কের সমাহার
ররর. আকার ও আকৃতি আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬০. গ্যালাক্সির বৈশিষ্ট্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বিভিন্ন আকার ও আকৃতি আছে
রর. পরস্পর ব্যাপক ব্যবধানে অবস্থিত
ররর. কোনো একটি ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬১. সৌরজগতের গ্রহগুলোÑ (অনুধাবন)
র. সূর্যকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে
রর. সূর্যের তাপে উত্তপ্ত হয়
ররর. মিটমিট করে জ্বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬২ ও ৬৩ প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিহাব রাতে বাড়ির ছাদে বসে মেঘমুক্ত আকাশে তারা দেখছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল একটি তারা তার দিকে ছুটে এসে জ্বলে উঠল।
৬২. শিহাবের দিকে ছুটে আসা তারাটিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক ধূমকেতু উল্কা গ নক্ষত্র ঘ পালসার
৬৩. শিহাবের দেখা তারাটি জ্বলে ওঠার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বায়ুমণ্ডলের সাথে সংঘর্ষ
রর. বায়ুর সংস্পর্শ
ররর. ক্ষিপ্র গতি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৌরজগৎ বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১১
¡ সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, অসংখ্য ধূমকেতু ও উল্কা নিয়ে গঠিত- সৌরজগত।
¡ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে- আটটি গ্রহ।
¡ সূর্যের নিকটতম গ্রহ- বুধ।
¡ সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ- শুক্র।
¡ পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।
¡ মঙ্গলের উপরিভাগে রয়েছে- আগ্নেয়গিরি ও গিরিখাত।
¡ বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলে রয়েছে- হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস।
¡ তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ ইউরেনাসের উপগ্রহ রয়েছে- ২৭টি।
¡ নেপচুন গ্রহ আয়তনে- ৭২টি পৃথিবীর সমান।
¡ দূরবীক্ষণ ছাড়া দেখা যায় না- ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহ।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. কোন গ্রহের উপরিভাগ থেকে সূর্যকে কখনই দেখা যায় না? (জ্ঞান)
ক বুধ শুক্র গ শনি ঘ বৃহস্পতি
৬৫. কোন গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ শতকরা ৯৯ ভাগ? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র গ পৃথিবী মঙ্গল
৬৬. সূর্যকে সৌরজগতের প্রাণ বলা হয় কেন? (অনুধাবন)
ক সকল গ্রহ, উপগ্রহের চারদিকে আবর্তন করছে
সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্য নিয়ন্ত্রণ করে
গ সকল গ্রহ, উপগ্রহ সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
ঘ সকল উপগ্রহ গ্রহের চারদিকে পরিক্রমণ করছে
৬৭. নিচের কোন গ্রহটি বরফে ঢাকা এবং একে ঘিরে রয়েছে অজস্র বলয়? (অনুধাবন)
ক বৃহস্পতি খ মঙ্গল শনি ঘ ইউরেনাস
৬৮. সূর্য কী? (অনুধাবন)
নক্ষত্র খ গ্রহ গ নীহারিকা ঘ উল্কা
৬৯. সূর্যের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১১ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার
গ ২৩ লক্ষ ৫৫ হাজার কিলোমিটার ঘ ৮৪ লক্ষ ১৩ হাজার কিলোমিটার
৭০. সূর্যের ভর কত? (জ্ঞান)
ক ০.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম ১.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম
গ ২.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম ঘ ৩.৯৯ ১০১৩ কিলোগ্রাম
৭১. সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু ও উল্কা নিয়ে কী গঠিত? (অনুধাবন)
ক বিশ্বজগৎ খ জ্যোতিষ্কমণ্ডলী সৌরজগৎ ঘ নক্ষত্রমণ্ডলী
৭২. সূর্যকে কেন্দ্র করে কতটি গ্রহ ঘুরছে? (জ্ঞান)
ক ৪টি খ ৬টি ৮টি ঘ ১০টি
৭৩. গ্রহ ও উপগ্রহের তাপ ও আলোর উৎস কী? (জ্ঞান)
ক নীহারিকা খ ছায়াপথ গ নক্ষত্র সূর্য
৭৪. সূর্যের নিকটতম গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বৃহস্পতি বুধ গ পৃথিবী ঘ মঙ্গল
৭৫. সূর্য থেকে বুধের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ৩.৪ কোটি কিলোমিটার খ ৪.৮ কোটি কিলোমিটার
৫.৮ কোটি কিলোমিটার ঘ ৬.৪ কোটি কিলোমিটার
৭৬. সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শনি ইউরেনাস ঘ নেপচুন
৭৭. পৃথিবীতে পানি আছে বলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে-এ থেকে আমরা কী ধারণা পাই? (উচ্চতর দক্ষতা)
জীবের বিকাশের জন্য পানি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
খ পৃথিবী পানি থেকে তৈরি হয়েছে
গ পানি গ্রহের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান
ঘ মঙ্গল গ্রহে পানির উপস্থিতি জীবনের বিকাশ ঘটাবে
৭৮. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে বুধের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৪৪ দিন খ ৬৮ দিন গ ৭৪ দিন ৮৮দিন
৭৯. বুধ গ্রহে কত দিনে বছর হয় ? (জ্ঞান)
ক ৫৬ দিনে ৮৮ দিনে গ ৩৬৫ দিনে ঘ ৬৮৭ দিনে
৮০. কত সালে মার্কিন মহাশূন্যযান মেরিনার-১০ বুধের ছবি পাঠায়? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৯ ১৯৭৪ গ ১৯৮০ ঘ ১৯৮৯
৮১. কোন গ্রহের দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৮২. কোন গ্রহে বায়ুমণ্ডল নেই? (জ্ঞান)
ক মঙ্গল বুধ গ শনি ঘ নেপচুন
৮৩. শুক্রের মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কী দ্বারা তৈরি? (জ্ঞান)
কার্বন ডাইঅক্সাইড খ নাইট্রোজেন
গ আরগন ঘ হিলিয়াম
৮৪. সৌরজগতের গ্রহদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট কোনটি? (প্রয়োগ)
বুধ খ শুক্র গ পৃথিবী ঘ মঙ্গল
৮৫. সূর্য থেকে শুক্র গ্রহের দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ৫.৪ কোটি কিলোমিটার ১০.৮ কোটি কিলোমিটার
গ ১২.৭ কোটি কিলোমিটার ঘ ১৫.৫ কোটি কিলোমিটার
৮৬. শুক্রের ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ৪,৮৫০ কিলোমিটার গ ৬,৭৮৭ কিলোমিটার
১২,১০৪ কিলোমিটার ঘ ১৪,৯০০ কিলোমিটার
৮৭. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শুক্রের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৮৮ দিন ২২৫ দিন গ ৩৬৫ দিন ঘ ৬৮৭ দিন
৮৮. শুক্রে কত দিনে এক বছর হয়? (জ্ঞান)
ক ৮৮ দিনে ২২৫ দিনে গ ৩৬৫ দিনে ঘ ৬৮৭ দিনে
৮৯. সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
শুক্র খ বুধ গ মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৯০. শুক্র গ্রহ কোন দিক থেকে কোন দিকে আবর্তন করে? (প্রয়োগ)
ক উত্তর থেকে দক্ষিণে পূর্ব থেকে পশ্চিমে
গ দক্ষিণ থেকে উত্তরে ঘ পশ্চিম থেকে পূর্বে
৯১. সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৩ কোটি কিলোমিটার খ ১৪ কোটি কিলোমিটার
১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ ১৬ কোটি কিলোমিটার
৯২. পৃথিবীর ব্যাস কত? (জ্ঞান)
১২,৬৬৭ কিলোমিটার খ ১৩, ৫২৮ কিলোমিটার
গ ১৪,৮৭৬ কিলোমিটার ঘ ১৫,৭৪৩ কিলোমিটার
৯৩. পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক টাইটান চাঁদ গ ইউরোপা ঘ ডিমোস
৯৪. সূর্য থেকে পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের গড় দূরত্ব যথাক্রমে ১৫ কোটি এবং ২২.৮ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীতে সূর্যের আলো পৌঁছতে ৮ মিনিট সময় লাগলে মঙ্গল গ্রহে কত সময় লাগবে? (প্রয়োগ)
ক ১০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড খ ১১ মিনিট ১২ সেকেন্ড
১২ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড ঘ ১৩ মিনিট ১২ সেকেন্ড
৯৫. কোন গ্রহের দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র মঙ্গল ঘ বৃহস্পতি
৯৬. সৌরজগতের কেন্দ্র কোনটি? (জ্ঞান)
ক বৃহস্পতি খ পৃথিবী সূর্য ঘ চাঁদ
৯৭. নিচের কোনটি শুক্র গ্রহে এসিড বৃষ্টি হবার কারণ? (উচ্চতর দক্ষতা)
কার্বন ডাইঅক্সাইডের ঘন মেঘ
খ বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ
গ অধিক মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস
ঘ নাইট্রোজেন গ্যাসের আধিক্য
৯৮. বুধ গ্রহে সিসা ও দস্তার মতো ধাতু গলে বাষ্প হয়ে যায়, এর দ্বারা কী প্রকাশ পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বুধে পানি বেশি হওয়ায় জলীয় বাষ্প বেশি
খ সীসা ও দস্তার গলনাঙ্ক বুধের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি
গ সীসা ও দস্তার স্ফুটনাঙ্ক বুধের চেয়ে কম
বুধ সূর্যের নিকটতম হওয়ায় এর তাপ অত্যধিক
৯৯. কিসের প্রভাবে গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়? (অনুধাবন)
মহাকর্ষ বলের প্রভাবে খ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে
গ ঘূর্ণন শক্তির প্রভাবে ঘ আণবিক শক্তির প্রভাবে
১০০. সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বুধ খ পৃথিবী বৃহস্পতি ঘ নেপচুন
১০১. বৃহস্পতিকে কী নামে অভিহিত করা হয়? (জ্ঞান)
ক নক্ষত্ররাজ গ্রহরাজ গ তারকারাজ ঘ বিশ্বরাজ
১০২. বৃহস্পতির ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ৪,৮৫০ কিলোমিটার খ ১২,৬৬৭ কিলোমিটার
গ ১,২০,০০০ কিলোমিটার ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার
১০৩. সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ১৩ কোটি কিলোমিটার খ ১৪ কোটি কিলোমিটার
১৫ কোটি কিলোমিটার ঘ ১৬ কোটি কিলোমিটার
১০৪. সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ৫.৮ কোটি কিলোমিটার খ ১০.৮ কোটি কিলোমিটার
গ ১৫ কোটি কিলোমিটার ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার
১০৫. কোনটি সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শুক্র পৃথিবী ঘ মঙ্গল
১০৬. বৃহস্পতি গ্রহের বায়ুমণ্ডল কী গ্যাস দিয়ে তৈরি? (জ্ঞান)
ক অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম
গ মিথেন ও অ্যামোনিয়া ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প
১০৭. বৃহস্পতির অভ্যন্তরের তাপমাত্রা কত? (জ্ঞান)
ক ১০, ০০০ সেলসিয়াস খ ২০,০০০ সেলসিয়াস
৩০,০০০ সেলসিয়াস ঘ ৪০,০০০ সেলসিয়াস
১০৮. সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৩৬৫ দিন খ ৬৮৭ দিন ৪,৩৩১ দিন ঘ ৮৪ বছর
১০৯. সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক বুধ খ পৃথিবী শনি ঘ ইউরেনাস
১১০. শনির ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ১,০০,০০০ কিলোমিটার ১,২০,০০০ কিলোমিটার
গ ১,৪৫,০০০ কিলোমিটার ঘ ২,০০,০০০ কিলোমিটার
১১১. শনির ভ‚ত্বক কেমন? (অনুধাবন)
বরফে ঢাকা খ জলে ঢাকা গ মেঘে ঢাকা ঘ তুষারে ঢাকা
১১২. কোনটি উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত গ্রহ? (অনুধাবন)
শনি খ ইউরেনাস গ বৃহস্পতি ঘ নেপচুন
১১৩. নিচের কোন গ্রহটি বরফে ঢাকা এবং একে ঘিরে রয়েছে অজস্র বলয়? (অনুধাবন)
ক বৃহস্পতি খ মঙ্গল শনি ঘ ইউরেনাস
১১৪. শনি গ্রহ সুন্দর দেখায় কেন? (অনুধাবন
উজ্জ্বল বলয়ের জন্য খ অধিক বলয়ের জন্য
গ গতিশীল বলয়ের জন্য ঘ অনুজ্জ্বল বলয়ের জন্য
১১৫. সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম কী? (জ্ঞান)
ক বুধ খ শনি ইউরেনাস ঘ নেপচুন
১১৬. সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ইউরেনাসের কত সময় লাগে? (জ্ঞান)
ক ৩৬৫ দিন খ ৬৮৭ দিন ৮৪ বছর ঘ ১০০ বছর
১১৭. ইউরেনাসের গড় ব্যাস কত? (জ্ঞান)
ক ৩৯,০০০ কিলোমিটার ৪৯,০০০ কিলোমিটার
গ ৬৯,০০০ কিলোমিটার ঘ ৮৪,০০০কিলোমিটার
১১৮. ইউরেনাস গ্রহটি হালকা পদার্থ দিয়ে গঠিত, এ থেকে কী বলা যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গ্রহটি শূন্যে ভাসে গ্রহটির ওজন কম
গ এটির আবর্তনকাল বেশি ঘ এর উপগ্রহের সংখ্যা কম
১১৯. কোন গ্রহের আবহমণ্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক? (জ্ঞান)
ক নেপচুন ইউরেনাস গ শনি ঘ বৃহস্পতি
১২০. নেপচুন আয়তনে কতটি পৃথিবীর সমান? (জ্ঞান)
প্রায় ৭২টি খ প্রায় ৭৫টি গ প্রায় ৭৮টি ঘ প্রায় ৮০টি
১২১. নেপচুনের ভর কতটি পৃথিবীর ভরের সমান? (জ্ঞান)
ক ১৩টি খ ১৫টি ১৭টি ঘ ১৯টি
১২২. নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি? (জ্ঞান)
মিথেন ও অ্যামোনিয়া খ হিলিয়াম ও অ্যামোনিয়া
গ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অ্যামোনিয়া
১২৩. নেপচুনের কয়টি উপগ্রহ আছে? (জ্ঞান)
১৪টি খ ২২টি গ ২৭টি ঘ ৬৭টি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৪. বুধ গ্রহের উপরিভাগে দেখা যায়Ñ (অনুধাবন)
র. অসংখ্য গর্ত ও পাহাড়
রর. পাহাড় ও সমতলভ‚মি
ররর. লালচে আকাশ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৫. একমাত্র পৃথিবীই উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী কেননা Ñ (অনুধাবন)
র. বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন আছে
রর. বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের তুলনায় অক্সিজেন বেশি
ররর. বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৬. আমাদের বাসভ‚মি পৃথিবীতে আছেÑ (প্রয়োগ)
র. উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী বায়ুমণ্ডল
রর. জীবনধারণের উপযোগী তাপমাত্রা
ররর. অসংখ্য বলয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১২৭. মঙ্গল গ্রহে আছেÑ (প্রয়োগ)
র. অক্সিজেন ও পানি
রর. কার্বন ডাইঅক্সাইড
ররর. নাইট্রোজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৮. সৌরজগতে বলয় দ্বারা বেষ্টিত গ্রহÑ (অনুধাবন)
র. শনি
রর. ইউরেনাস
ররর. নেপচুন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩১ ও ১৩২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অসীম একদিন ভোরের আকাশে অবাক হয়ে লক্ষ্য করল একটি তারা দেখা যাচ্ছে। তার দাদু তাকে বললেন এটি তারা নয়, সৌরজগতের একটি গ্রহ। অতঃপর দাদু অসীমকে সৌরজগৎ সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন।
১২৯. অসীমের দেখা তারা কোনটি? (প্রয়োগ)
ক শনি খ বুধ শুক্র ঘ বৃহস্পতি
১৩০. দাদুর কথায় অসীম জানতে পারবে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সূর্যকে ভিত্তি করে সকল গ্রহের কাজকর্ম চলে
রর. সূর্যের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নিকটতম গ্রহ যথাক্রমে বুধ, শুক্র ও পৃথিবী
ররর. শনির ২২টি ও ইউরেনাসের ২৭টি উপগ্রহ আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের সারণি থেকে ১৩৩ ও ১৩৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গ্রহের নাম উপগ্রহের সংখ্যা বায়ুমণ্ডলের উপাদান
পৃথিবী ০১ অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
মঙ্গল ০২ কার্বন ডাইঅক্সাইড, অক্সিজেন
শনি ২২ হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, মিথেন, অ্যামোনিয়া
ইউরেনাস ২৭ মিথেন
১৩১. উপরের তথ্য অনুসারে জীবজগতের বসবাসের উপযোগী গ্রহ কোনটি? (প্রয়োগ)
পৃথিবী খ মঙ্গল গ শনি ঘ ইউরেনাস
১৩২. সারণি থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায় যে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মঙ্গলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অক্সিজেনের থেকে এত বেশি যে প্রাণীর অস্তিত্ব অসম্ভব
রর. উপাদানগুলোর উপস্থিতির কারণে শনির ভ‚ত্বক বরফে ঢাকা
ররর. ইউরেনাসে মিথেন গ্যাসের কারণে জীবাশ্ম খনিজ প্রাপ্তির সম্ভাবনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩৫ ও ১৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সৌমিক একদিন ভোরের আকাশে একটি তারা দেখতে পেল। তারাটি তার মনে কৌতূহল জাগালো।
১৩৩. সৌমিক ভোরের আকাশে কোন জ্যোতিষ্কটি দেখেছিল? (অনুধাবন)
ক উল্কা খ গ্যানিমেড উপগ্রহ গ ধূমকেতু শুক্র গ্রহ
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ========
চিত্র : সৌরজগতের অংশবিশেষ
[স. বো. ’১৬]
ক. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম কী? ১
খ. নিহারীকা কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রে প্রদর্শিত ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহটির বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. চিত্রের ‘উ’ ও ‘ঋ’ চিহ্নিত গ্রহ দুটির মধ্যে কোনটিতে জীবনধারণ সম্ভব?বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটোরাই।
খ নীহারিকা হলো মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকার আস্তরণ। এদের আকার বিচিত্র। কিছু নীহারিকার দেহ গ্যাসীয় পদার্থে পূর্ণ। এদেরকে গ্যাসীয় নীহারিকা বলে। এক একটি নীহারিকার মধ্যবর্তী দূরত্ব ব্যাপক। এক একটি নীহারিকার মাঝে কোটি কোটি নক্ষত্র থাকতে পারে। এরা যেহেতু পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোক বর্ষ দূরে রয়েছে, তাই এদের মাঝে যেসব নক্ষত্র রয়েছে তাদের পৃথকভাবে শনাক্ত করা যায় না।
গ চিত্রে প্রদর্শিত ‘ঈ’ চিহ্নিত গ্রহটি হচ্ছে মঙ্গল গ্রহ। মঙ্গল পৃথিবীর নিকটতম প্রতিবেশী। বছরের অধিকাংশ সময় একে দেখা যায়। খালি চোখে মঙ্গল গ্রহকে লালচে দেখায়। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলোমিটার। এর ব্যাস ৬,৭৮৭ কিলোমিটার, পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় অর্ধেক। এই গ্রহে দিনরাত্রির পরিমাণ পৃথিবীর প্রায় সমান। সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে মঙ্গলের সময় লাগে ৬৮৭ দিন। মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগে রয়েছে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি। এ গ্রহে অক্সিজেন ও পানির পরিমাণ খুবই কম এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ এত বেশি (শতকরা ৯৯ ভাগ) যে প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়। মঙ্গলের ফোবস ও ডিমোস নামে দুটি উপগ্রহ রয়েছে।
ঘ চিত্রের ‘উ’ চিহ্নিত গ্রহে জীবনধারণ সম্ভব। কেননা ‘উ’ চিহ্নিত গ্রহটি পৃথিবী। অপর দিকে ‘ঋ’ চিহ্নিত গ্রহটি হলো বুধ যেখানে জীবনধারণ করা অসম্ভব। পৃথিবী আমাদের বাসভ‚মি। পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান যেমন : আলো, বায়ু, পানি ও খাদ্যবস্তুর ব্যবস্থা আছে। একমাত্র পৃথিবী ব্যতীত সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তাপমাত্রায় জীব বেঁচে থাকতে পারে না। একমাত্র পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব ঘটেছে। সূর্যের তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণের ওপর পৃথিবীতে জীবনের প্রবাহ নির্ভরশীল। সৌরশক্তির প্রধান উপাদান তাপ ও আলো। এই শক্তি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ ঘটায়, যা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জীবজগতের খাদ্যের চাহিদা মেটায়। আর পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা রয়েছে, যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অপরদিকে ‘ঋ’ চিহ্নিত তথা বুধ গ্রহে জীবনধারণ করা অসম্ভব। কেননা সেখানে মেঘ, বৃষ্টি, বাতাস ও পানি কিছুই নেই। সুতরাং প্রাণীর অস্তিত্ব নেই।
প্রশ্ন- ২ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা
[স. বো. ’১৫]
ক. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র কোনটি? ১
খ. বাসন্ত বিষুব (ঠবৎহধষ বয়ঁরহড়ী) কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রের ‘ঢ’ চিিহ্নত রেখাগুলো নির্ণয়ের সাথে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্রের ‘ণ’ চিিহ্নত রেখাগুলোর গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
ক সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটোরাই।
খ ২১শে মার্চ : ২২শে ডিসেম্বরের পর থেকে পৃথিবী কক্ষপথে যতই অগ্রসর হয় উত্তর গোলার্ধ ততই সূর্যের কাছাকাছি আসতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ধীরে ধীরে দিন বড় ও রাত ছোট এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ছোট ও রাত বড় হয়। অবশেষে ২১শে মার্চ তারিখে পৃথিবী কক্ষপথের এমন একস্থানে আসে যখন সূর্য উত্তর ও দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে। এই সময় ২৩শে সেপ্টেম্বরের মতো পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়। এই দিনকে বাসন্তবিষুব বলে।
গ চিত্রের ‘ঢ’ চিিহ্নত রেখাগুলো তথা অক্ষরেখা নির্ণয়ে সেক্সট্যান্ট যন্ত্র বিশ্বের যেকোনো স্থানে কার্যকর ভ‚মিকা রাখে। অক্ষরেখা নির্ণয় অর্থাৎ অক্ষরেখার মান বা অক্ষাংশ নির্ণয়ে যেসব পদ্ধতি রয়েছে তার একটি হচ্ছে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে নির্ণয়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে যে স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করতে হবে সে স্থানের বিষুবলম্ব নির্ণয় করতে হয়। বিষুবলম্ব হলো সূর্য যেদিন যে অক্ষাংশে লম্বভাবে কিরণ দেয় সে অক্ষাংশের মান। যেমন কোনো একদিন দক্ষিণ গোলার্ধে মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি ৫০ এবং বিষুবলম্ব ১২ দক্ষিণ হলে ঐ স্থানের অক্ষাংশ হবেÑ অক্ষাংশ = ৯০ (মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি Ñ বিষুবলম্ব) = ৯০ Ñ (৫০ Ñ ১২) = ৯০ ৩৮ = ৫২ দক্ষিণ স্থানটি যদি উত্তর গোলার্ধে হয় তবে উত্তরবাচক বিষুবলম্ব যোগ করতে হবে। আর দক্ষিণ গোলার্ধে হয় তবে দক্ষিণবাচক বিষুবলম্ব বিয়োগ করতে হবে। উল্লেখ্য দক্ষিণ গোলার্ধে ধ্রæবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় সম্ভব নয়। তাই পৃথিবীব্যাপী অক্ষাংশ নির্ণয়ে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।
ঘ চিত্রের ‘ণ’ চিিহ্নত রেখাগুলো হচ্ছে দ্রাঘিমারেখা। দ্রাঘিমারেখাগুলোর মানবজীবনে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দ্রাঘিমারেখা ও অক্ষরেখার সাহায্যে কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান জানা যায়। জাহাজ ও বিমান চলাচলে এ রেখাগুলোর গুরুত্ব অত্যধিক। দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে কোনো স্থানের স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়। এছাড়া বিশ্বব্যাপী প্রমাণ সময় দেশ ভেদে বিভিন্ন দ্রাঘিমারেখার অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। আবার আমরা হিসাব কষে দ্রাঘিমার পার্থক্য থেকে দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্য বের করতে পারি। উপরন্তু একই দ্রাঘিমায় পৃথিবীর সকল স্থানে একই সময়ে মধ্যাহ্ন হয়। ফলে বিশ্বব্যাপী দ্রাঘিমারেখা সাপেক্ষেই সময় স্থির করা হয়। উপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, পৃথিবীর কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান ও সময় নির্ণয়ে দ্রাঘিমারেখাগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন- ৩ সৌরজগত
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
[বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক. উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত গ্রহটির নাম কী? ১
খ. ছায়াপথ সম্পর্কে কী জান? ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রের অনুরূপ চিত্র অঙ্কন করে গ্রহগুলো চিহ্নিত কর। ৩
ঘ. ‘চিত্রে নির্দেশিত জগতের প্রাণ সূর্য ’Ñ ব্যাখ্যা কর। ৪
ক উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত গ্রহটির নাম শনি।
খ গ্যালাক্সির একটি ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বা আকাশ গঙ্গা বলে। অন্ধকার আকাশে এদের উজ্জ্বল দীপ্তি দীর্ঘপথের মতো দেখায়। একটি ছায়াপথ লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি। শীতকালে রাত্রিবেলা পরিষ্কার আকাশে লক্ষ করলে উত্তর-দক্ষিণে বেশ বড় পরিসরযুক্ত তেজোদ্দীপ্ত স্বচ্ছ দীর্ঘ আলোর রেখা দেখা যায়; তারকাখচিত এই আলোর পথই হলো ছায়াপথ। বিজ্ঞানীরা একে বিরাট চক্রাকার মণ্ডল বলে অনুমান করেন। সৌরজগৎ এরকম একটি ছায়াপথের অন্তর্গত।
গ উদ্দীপকে সৌরজগৎ চিত্রিত হয়েছে। সৌরজগতের চিত্র অঙ্কন করে গ্রহগুলো চিহ্নিত করা হলো।
চিত্র : সৌরজগৎ
ঘ চিত্রে নির্দেশিত সৌরজগতের প্রাণ সূর্য। সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, অসংখ্য ধূমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। সূর্য একটি নক্ষত্র। সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। সৌরজগতের যাবতীয় গ্রহ-উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য। সূর্যকে ভিত্তি করে সৌরজগতের যাবতীয় কাজকর্ম চলে। এটি একটি মাঝারি আকারের হলুদ বর্ণের নক্ষত্র। এটি সৌরজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষ্ক। সূর্য একটি নির্দিষ্ট পথে নির্দিষ্ট নিয়মে পরিক্রমণ করছে। সূর্যকে কেন্দ্র করে সকল গ্রহ, উপগ্রহসহ সৌর পরিবারের সকল সদস্য নিজের পারস্পরিক মহাকর্ষ শক্তির দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। সূর্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অতি ঘনিষ্ঠ। পৃথিবী, অন্যান্য গ্রহ, উপগ্রহের তাপ ও আলোর মূল উৎস সূর্য। সূর্যের আলো ছাড়া পৃথিবী চির অন্ধকারে থাকত এবং পৃথিবীতে জীবজগৎ ও উদ্ভিদজগতের কিছুই বাঁচত না। সূর্য পৃথিবীকে তাপ দিয়ে উষ্ণ রাখছে। ফলে পৃথিবী প্রাণীর বসবাসের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। পৃথিবী সূর্য থেকে প্রাপ্ত তাপ সঞ্চয় করে রাখে এবং বায়ুমণ্ডলে তা ছেড়ে দেয়। ফলে বায়ু উষ্ণ ও হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং সৃষ্টি হয় বায়ুশূন্যতার। চারদিক থেকে বায়ু দ্রæত বেগে ছুটে এসে বায়ুশূন্যতা পূরণ করে। এভাবে সৌরশক্তির প্রভাবে পৃথিবীতে বায়ু প্রবাহের সৃষ্টি হয়। সুতরাং সূর্য সকল শক্তির উৎস। তাই ‘সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্য’- এই উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৪ দিবারাত্রি সংঘটন
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
[শহীদ নাজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, রাজশাহী]
ক. নিরক্ষরেখায় আিহ্নক গতির বেগ কত? ১
খ. পৃথিবীর আবর্তন গতি থাকা সত্তে¡ও আমরা পৃথিবী থেকে ছিটকে পড়ি না কেন? ২
গ. চিত্রের ‘অ’ অংশে রাত এবং ‘ই’ অংশে দিন হওয়ার কারণ কী? একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ কর। ৩
ঘ. ‘অ’ এবং ‘ই’ অংশে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করায় পৃথিবীতে যে ধরনের পরিবর্তন ঘটে তা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক নিরক্ষরেখার পৃথিবীর আিহ্নক গতির বেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার।
খ পৃথিবীর আবর্তন গতি থাকা সত্তে¡ও নিম্নলিখিত কারণে আমরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ছিটকে পড়ি না বা তা অনুভব করি নাÑ
১. ভ‚পৃষ্ঠে অবস্থান করার কারণে মানুষ, জীবজন্তু, বায়ুমণ্ডল প্রভৃতি পৃথিবীর সঙ্গে একই গতিতে আবর্তন করছে, তাই আমরা পৃথিবীর আবর্তন গতি অনুভব করতে পারি না।
২. ভ‚পৃষ্ঠে অবস্থিত সকল বস্তুকে পৃথিবী অভিকর্ষ বল দ্বারা নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করছে, তাই আমরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ছিটকে পড়ি না।
৩. পৃথিবীর প্রতিটি স্থানের আবর্তন গতি সুনির্দিষ্ট তাই আমরা গতি অনুভব করি না।
৪. পৃথিবীর সামনে স্থির বা সমান কোনো বস্তু নেই যার সাপেক্ষে আমরা পৃথিবীর আবর্তন গতি বুঝতে পারি।
গ চিত্রের ‘অ’ অংশে রাত এবং ‘ই’ অংশে দিন হওয়ার কারণ নিচে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করা হলো : আহ্নিক গতির ফলে ভ‚পৃষ্ঠে দিন-রাত্রি সংঘটিত হচ্ছে। আমরা জানি পৃথিবী গোল এবং এর নিজের কোনো আলো নেই। সূর্যের আলোতে পৃথিবী আলোকিত হয়। আবর্তন গতির জন্য পৃথিবীর যেদিক সূর্যের সামনে আসে, সেদিক সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। তখন ঐ আলোকিত স্থানসমূহে দিন। আলোকিত স্থানের উল্টা দিকে অর্থাৎ পৃথিবীর যেদিকটি সূর্যের বিপরীত দিকে, সেখানে সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেদিকটা অন্ধকার থাকে। এসব অন্ধকার স্থানে তখন রাত্রি।
চিত্র : দিবারাত্রি সংঘটনের পরীক্ষা
অন্ধকার ঘরের মধ্যে একটি টেবিলের উপরে জ্বলন্ত মোমবাতি রেখে তার সামনে ভ‚গোলক ঘুরিয়ে দিনরাত্রি হওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজে বোঝা যায়। আলোক রশ্মি ভ‚গোলকের সামনের দিকে অর্থাৎ যে দিকে আলো আছে সে দিকটাকে আলোকিত করেছে। ভ‚গোলকের উল্টা দিকে তখন অন্ধকার। সূর্য ও পৃথিবীর ক্ষেত্রে ঠিক এমনই ঘটনা ঘটে থাকে। পৃথিবীর পর্যায়ক্রমিক আবর্তনের ফলে আলোকিত দিকটি অন্ধকারে আর অন্ধকারের দিকটি সূর্যের দিকে বা আলোকে চলে আসে। ফলে দিনরাত্রি পাল্টে যায়। অন্ধকার স্থানগুলো আলোকিত হওয়ার ফলে এসব স্থানে দিন হয়। আর আলোকিত স্থান অন্ধকার হয়ে যাওয়ার ফলে ঐসব স্থানে রাত হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে দিনরাত্রি সংঘটিত হতে থাকে।
ঘ ‘অ’ এবং ‘ই’ অংশে বিপরীত অবস্থা বিরাজ করায় পৃথিবীতে যে ধরনের পরিবর্তন ঘটে তা হলো :
১. দিবারাত্রি সংঘটন : গোলাকার পৃথিবীর নিজস্ব কোনো আলো নেই। সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়। আবর্তন গতির ফলে পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের সামনে আসে সে স্থানে দিন এবং বিপরীত স্থানে অন্ধকার বা রাত্রি হয়।
২. উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎ সৃষ্টি : পৃথিবীর আবর্তনের কারণেই পৃথিবীর সব জায়গায় পর্যায়ক্রমে সূর্যালোক পড়ে এবং দিনরাত্রি হয়। উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য সূর্যালোকই বেশি প্রয়োজন। দিনের বেলায় সূর্যালোক থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এবং রাতে ঐ শক্তি নিজেদের শারীরবৃত্তীয় কাজে লাগায়। কোনো প্রাণী দিনে আবার কোনো প্রাণী রাতে খাদ্য সংগ্রহ করে। পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে দিনরাত্রি সংঘটিত হয় আর তার উপরই উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের নিয়মশৃঙ্খলা অনেকখানি নির্ভর করে।
প্রশ্ন- ৫ পৃথিবীর পরিক্রমন দিবারাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তন
নিচের চিত্রটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
[চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. উপরের চিত্রটি কিসের? ১
খ. ২২শে ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন কেন? ২
গ. প্রদত্ত চিত্রের ২৩শে সেপ্টেম্বর ও ২১শে মার্চ এ অবস্থান থেকে বার্ষিক গতির প্রমাণ দাও। ৩
ঘ. চিত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন অবস্থান হেতু যে পরিবর্তন নির্দেশিত হয় তার কারণ আলোচনা কর। ৪
ক উপরের চিত্রটি দিন-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তন সংঘটন সংক্রান্ত পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির।
খ সূর্যের চারদিকে ভ্রমণকালে ২২শে ডিসেম্বর পৃথিবী কক্ষপথের এমন এক অবস্থানে এসে পৌঁছে যখন দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকে পড়ে। এদিন দুপুরে সূর্য মকরক্রান্তির ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে ২২শে ডিসেম্বর তারিখে দিন সবচেয়ে বড় এবং রাত্রি সবচেয়ে ছোট হয়। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে এর বিপরীত অবস্থা বিরাজ করে।
গ ২৩শে সেপ্টেম্বর ও ২১শে মার্চ চিত্রে প্রদর্শিত এ দুই অবস্থান থেকে বার্ষিক গতির প্রমাণ পাওয়া যায় Ñ ২৩শে সেপ্টেম্বর : ২১শে জুনের পর উত্তর গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আসতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ক্রমেই দিন ছোট ও রাত বড় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড় ও রাত ছোট হতে থাকে। এভাবে ২৩শে সেপ্টেম্বর পৃথিবী তার কক্ষপথে এমন এক স্থানে আসে, যখন উভয় মেরু সূর্য হতে সমান দূরে অবস্থান করে। ঐদিন পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত সমান হয়। এ কারণে ২৩শে সেপ্টেম্বরকে শারদ বিষুব বলা হয়। ২১শে মার্চ : ২২শে ডিসেম্বরের পর থেকে পৃথিবী কক্ষপথে যতই অগ্রসর হয় উত্তর গোলার্ধ ততই সূর্যের কাছাকাছি আসতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ধীরে ধীরে দিন বড় ও রাত ছোট এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ছোট ও রাত বড় হয়। অবশেষে ২১শে মার্চ তারিখে পৃথিবী কক্ষপথের এমন একস্থানে আসে যখন সূর্য উত্তর ও দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে। এই সময় ২৩শে সেপ্টেম্বরের মতো পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়। এই দিনকে বাসন্তবিষুব বলে। এভাবে বার্ষিক গতির ফলে দিন ও রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। অর্থাৎ চিত্রের অবস্থান দুটি বার্ষিক গতি প্রমাণ করে।
ঘ চিত্রে বছরের বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের মাধ্যমে ঋতু পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। ঋতু পরিবর্তন সংঘটনের কারণসমূহ হলো : ১. পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দিবারাত্রির তারতম্যের জন্য উত্তাপের হ্রাস-বৃদ্ধি : পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সূর্য পৃথিবীর যে গোলার্ধের নিকট অবস্থান করে তখন সেই গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট। তার বিপরীত গোলার্ধে রাত বড়, দিন ছোট। ২. পৃথিবীর গোলাকার আকৃতি : পৃথিবী গোল, তাই পৃথিবীর কোথাও সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে আবার কোথাও তির্যকভাবে পড়ে। ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয়। ৩. পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ : পৃথিবীর আবর্তন পথ উপবৃত্তাকার। তাই বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কমবেশি হয়। এতে তাপমাত্রার পার্থক্য হয়, তাই ঋতু পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ চিত্রের অবস্থান দুটি বার্ষিক গতি প্রমাণ করে। ৪. বার্ষিক গতি : পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য সূর্যকিরণ বিভিন্ন স্থানে কম বেশি পড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে জলবায়ুর বিভিন্নতা হয়। এতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৬ নক্ষত্র ও ছায়াপথ
শরতের মেঘমুক্ত রাতের আকাশে সানজিদ বাসার ছাদে বসে আকাশে বিভিন্ন আলোর খেলা দেখছিল। সে লক্ষ করল কতগুলো আলোক বিন্দু মিটমিট করে জ্বলছে। কোনোটি আবার স্থির হয়ে জ্বলজ্বল করছে। এতে সানজিদের কৌত‚হল বেড়ে গেল। সে লক্ষ করল মহাকাশের উত্তর-দক্ষিণ বরাবর সাদা আলোর দীর্ঘ একটি রাস্তা দেখা যায়। হঠাৎ তার মনে হলো যেন একটি তারা তার দিকে ছুটে আসছে।
ক. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম কী? ১
খ. কৃত্রিম উপগ্রহ বলতে কী বুঝ? ২
গ. সানজিদের দেখা মিটমিট করে জ্বলতে থাকা আলোগুলো আসলে কী? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সানজিদের দেখা সাদা আলোর দীর্ঘ পথ ও ছুটন্ত তারার ঘটনাদ্বয়ের মধ্যে একটি সম্পর্ক স্থাপন কর। ৪
ক সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটোরাই।
খ মানুষের তৈরি বিভিন্ন উপগ্রহ আছে যেগুলো পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। এদের কৃত্রিম উপগ্রহ বলে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, তথ্য আদান-প্রদান, গোয়েন্দা নজরদারি, খনিজ সম্পদের সন্ধান, পরিবেশ দূষণ নির্ণয় ইত্যাদি কাজে এসব কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়।
গ সানজিদের দেখা মিটমিট করে জ্বলতে থাকা আলোগুলো হলো নক্ষত্র। নক্ষত্রের নিজের আলো আছে বলে এদের আকাশে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। মহাকাশে অসংখ্য নক্ষত্র রয়েছে। নক্ষত্রগুলো হলো জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড, এরা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি। এই গ্যাস অতি উচ্চ প্রায় ৬০০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জ্বলছে। এদের আলো ও উত্তাপ আছে। সূর্য এমন একটি নক্ষত্র। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব অন্য সব নক্ষত্রের চেয়ে অনেক কম বলে একে এত বড় দেখায়। সূর্যের প্রখর আলোর জন্য দিনের বেলায় অন্যান্য নক্ষত্র দেখা যায় না। পৃথিবী থেকে দেখলে মনে হয় নক্ষত্রগুলো যেন একই সমতলে অবস্থান করছে। কিন্তু পৃথিবী থেকে এরা বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থান করছে। নক্ষত্রের আকার, আকৃতি, ঘনত্ব ও মহাকর্ষ বল বিভিন্ন হয়। কোনো কোনো নক্ষত্রের আকার গোল, কোনোটি সর্পিল, আবার কোনোটি অবয়বহীন। কোনোটির ঘনত্ব ও মহাকর্ষ বল অত্যধিক। সানজিদ এরূপ বিভিন্ন নক্ষত্র দেখছিল।
ঘ সানজিদের দেখা সাদা আলোর দীর্ঘ পথ হলো ছায়াপথ। আর ছুটন্ত তারা হলো উল্কা। উভয়টি মহাকাশের জ্যোতিষ্ক। শীতকালে রাত্রিবেলা পরিষ্কার আকাশে লক্ষ করলে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর সাদা আলোর দীর্ঘপথ লক্ষ করা যায়। তারকাখচিত এই আলোর পথই হলো ছায়াপথ। বিজ্ঞানীরা একে বিরাট চক্রাকার মণ্ডল বলে অনুমান করেন। সৌরজগৎ এ রকম একটি ছায়াপথের অন্তর্গত। কোনো একটি গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বলে। একটি ছায়াপথ লক্ষ কোটি নক্ষত্রের সমষ্টি। রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় মনে হয় যেন নক্ষত্র ছুটে যাচ্ছে বা মনে হয় কোনো নক্ষত্র যেন এই মাত্র খসে পড়ল। এই ঘটনাকে নক্ষত্রপতন বা তারা খসা বলে। এরা কিন্তু আসলে কোনো নক্ষত্র নয়, এদের নাম উল্কা। মহাশূন্যে অজস্র জড়পিণ্ড ভেসে বেড়ায়। এই জড়পিণ্ডগুলো অভিকর্ষ বলের আকর্ষণে প্রচণ্ড গতিতে (সেকেন্ডে প্রায় ৩ কিলোমিটার) পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। বায়ুর সংস্পর্শে এসে বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে এরা জ্বলে ওঠে। ফলে এদের ছুটন্ত তারা বলে মনে হয়। সুতরাং সানজিদের দেখা মহাকাশে সাদা আলোর দীর্ঘপথ হলো নক্ষত্রের সমাবেশ আর ছুটন্ত তারা হলো উল্কাপিণ্ড। উভয় মহাকাশ ও মহাবিশ্বের অংশ।
প্রশ্ন- ৭ জ্যোতিষ্ক
জ্যোতিষ্ক নং ১ : তারা খসে পড়ছে।
জ্যোতিষ্ক নং ২ : মাথা ও লেজ রয়েছে।
জ্যোতিষ্ক নং ৩ : নিজে নিজে জ্বলছে।
ক. শুক্র গ্রহটি সন্ধ্যাবেলায় কী নামে পরিচিত? ১
খ. নক্ষত্রমণ্ডলী কী? ব্যাখা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ১ ও ২নং জ্যোতিষ্কের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. মানবজীবনে উদ্দীপকে সর্বশেষ উল্লিখিত জ্যোতিষ্কটির প্রভাব আলোচনা কর। ৪
ক শুক্র গ্রহটি সন্ধ্যাবেলায় ‘সন্ধ্যাতারা’ নামে পরিচিত।
খ মেঘমুক্ত অন্ধকার রাতে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কয়েকটি নক্ষত্র বিশেষ আকৃতিতে মিলে জোট বেঁধেছে। এরূপ আকৃতির নক্ষত্রদলকে নক্ষত্রমণ্ডলী বলে। প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এক একটি নক্ষত্রদলকে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করে বিভিন্ন আকৃতি কল্পনা করে বিভিন্ন নাম দিয়েছেন।
গ উদ্দীপকের ১ ও ২নং জ্যোতিষ্ক হলো যথাক্রমে উল্কা ও ধূমকেতু। নিচে এদের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হলো :
১. রাতের মেঘমুক্ত আকাশে অনেক সময় দেখা যায় আকস্মিক কিছু জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ড যেন মহাশূন্যে ছুটে যাচ্ছে কিংবা স্থানচ্যুত নক্ষত্রের মত নিচের দিকে নেমে আসছে। এই ঘটনাকে নক্ষত্রপতন বা তারাখসা বলে যা ১নং জ্যোতিষ্কে বর্ণিত হয়েছে। এগুলো আসলে কোনো নক্ষত্র নয়, এদের নাম উল্কা। মহাকাশে মাঝে মাঝে একপ্রকার জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব ঘটে। এদের একটি মাথা ও একটি লেজ আছে। উদ্দীপকে ২নং জ্যোতিষ্ক হিসেবে উল্লিখিত এসব জ্যোতিষ্ককে ধূমকেতু বলে।
২. উল্কা অভিকর্ষ বলের আকর্ষণে প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে চলে। মহাকাশে ধূমকেতু অভিকর্ষের নিয়ম মেনে চলে।
৩. উল্কার কোনো নির্দিষ্ট কক্ষপথ নেই। উল্কা বিচ্ছিন্নভাবে মহাকাশে পরিক্রমণ করে। অন্যদিকে ধূমকেতু অনেক দীর্ঘ কক্ষপথে সূর্যকে পরিক্রমণ করে বলে অনেক বছর পরপর এরা আবিভর্‚ত হয়।
ঘ উদ্দীপকে সর্বশেষ উল্লিখিত জ্যোতিষ্কটি হলো নক্ষত্র। মানব জীবনে নক্ষত্রের প্রভাব প্রবল। যেসব জ্যোতিষ্কের নিজের আলো ও উত্তাপ অছে, মিট মিট করে জ্বলে এবং প্রত্যেকে এক একটি বিশাল অগ্নিপিণ্ড, এদেরকে নক্ষত্র বলে। খালি চোখে আমরা মাত্র কয়েক হাজার নক্ষত্র দেখতে পাই। এদের কয়েকটি পৃথিবী থেকে শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়। নক্ষত্রগুলো হলো জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড। এরা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি। এই গ্যাস অতি উচ্চ (প্রায় ৬০০০ সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় জ্বলছে। এদের নিজের আলো ও উত্তাপ আছে। সূর্য এমন একটি নক্ষত্র। সূর্যের মতো মহাকাশে অনেক নক্ষত্র ও নক্ষত্রমণ্ডল রয়েছে। এসব নক্ষত্রমণ্ডল আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। যেমন : দিক-নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আমরা নক্ষত্রের অবস্থান ব্যবহার করি। এর ফলে রাতের বেলায় সমুদ্রে জাহাজ চলাচল সহজ হয়। আবার নক্ষত্রের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের অবস্থান ও অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়। যেমন : ধ্রæবতারার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়। কাজেই, আমাদের জীবনে নক্ষত্রের প্রভাব প্রবল যা আমাদের অস্তিত্বের সাথে জড়িত।
প্রশ্ন- ৮ পৃথিবী ও সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের সম্পর্ক
ঢ সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। বাইরে থেকে এটি দেখতে একটা বিশাল বলের মতো। এটি আসলে শিলার তৈরি একটি বল। ণ, ঢ গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ। ঢ ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নেই।
ক. গ্যালাক্সি কাকে বলে? ১
খ. নীহারিকা কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ণ উপগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয় Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ঢ গ্রহের সাথে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মহাকাশে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূলিকণা, ধূমকেতু বাষ্পকুণ্ডের এক বিশাল সমাবেশকে গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রজগৎ বলে।
খ নীহারিকা হলো মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকার আস্তরণ। এদের আকার বিচিত্র। কিছু নীহারিকার দেহ গ্যাসীয় পদার্থে পূর্ণ। এদেরকে গ্যাসীয় নীহারিকা বলে। এক একটি নীহারিকার মধ্যবর্তী দূরত্ব ব্যাপক। এক একটি নীহারিকার মাঝে কোটি কোটি নক্ষত্র থাকতে পারে। এরা যেহেতু পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোক বর্ষ দূরে রয়েছে, তাই এদের মাঝে যেসব নক্ষত্র রয়েছে তাদের পৃথকভাবে শনাক্ত করা যায় না।
গ উদ্দীপকের ণ উপগ্রহটি হলো চাঁদ। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। মহাকাশে অবস্থিত যেসব জ্যোতিষ্ক গ্রহের আকর্ষণে তাদের চারদিকে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে তাদেরকে উপগ্রহ বলে। গ্রহ থেকে উপগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। চাঁদ ধূলিময় শিলার তৈরি একটি বিরাটাকৃতির গোলক। উদ্দীপকে ‘ণ’ উপগ্রহের বৈশিষ্ট্য হিসেবে এর উল্লেখ রয়েছে। এটি মহাশূন্যে আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। দিনের বেলায় চাঁদে অস্বাভাবিক গরম এবং রাতের বেলায় বরফের মতো ঠাণ্ডা অবস্থা বিরাজ করে। এটি সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়। পৃথিবী থেকে চাঁদের সৃষ্টি হলেও চাঁদে বাতাস, পানি, আবহাওয়া স্তর এসব কিছুই নেই। প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এসব আবশ্যকীয় উপাদান চাঁদে অনুপস্থিত থাকায় চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব নেই।
ঘ উদ্দীপকের ঢ গ্রহটি হলো পৃথিবী। এটি সৌর পরিবারের একটি সদস্য হলেও এর সাথে সৌর পরিবারের অন্যান্য গ্রহের ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। পৃথিবীর সাথে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য তুলে ধরা হলো।
১. পৃথিবী হলো একমাত্র গ্রহ যেখানে জীবের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা আছে। সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের তাপমাত্রা এত বেশি বা কম যে জীবের জন্য বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।
২. পৃথিবীতে জীবের বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি। সৌরজগতের অন্যান্য সকল গ্রহে এসব অপরিহার্য উপাদানের অভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ নেই।
৩. পৃথিবীর ভ‚ভাগে পর্যাপ্ত পানি থাকার জন্য এবং বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতির কারণে বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে পৃথিবীতে কৃষিকাজ সহজ হয় এবং উদ্ভিদ জন্মে। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বাতাসে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বাতাস হতে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু অন্য গ্রহে বৃষ্টিপাত হয় না। বৃষ্টিপাত কিংবা পানির উপস্থিতি না থাকায় অন্য গ্রহে উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাস করা অসম্ভব।
প্রশ্ন- ৯ শুক্র ও বৃহস্পতি গ্রহ
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. সৌরজগৎ কী? ১
খ. গ্রহকে নক্ষত্র বলা যায় না কেন? ২
গ. ‘অ’ গ্রহে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ঈ’ গ্রহটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ‘ই’ গ্রহটির অনুরূপ কী? তোমার মতামত দাও। ৪
ক সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, অসংখ্য ধূমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে যে জগৎ গঠিত তাকে সৌরজগৎ বা সৌরপরিবার বলে।
খ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতগুলো জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে, তাদের গ্রহ বলে। এদের নিজেদের কোনো আলো ও তাপ নেই। এরা সূর্য থেকে আলো ও তাপ পায়। এই তাপেই উত্তপ্ত হয়। এরা মিটমিট করে জ্বলে না। অপরদিকে নক্ষত্র প্রকৃতপক্ষে জ্বলন্ত বাষ্পপিণ্ড। নক্ষত্রের নিজস্ব আলো ও তাপ আছে। সুতরাং গ্রহ ও নক্ষত্র মহাকাশের আলাদা জ্যোতিষ্ক। গ্রহকে নক্ষত্র বলা যায় না।
গ ‘অ’ গ্রহটি হচ্ছে শুক্র। এ গ্রহটি ঘন মেঘের আড়ালে ঢাকা। এ গ্রহে দিন ও রাতের মধ্যে আলোর বিশেষ কোনো তারতম্য হয় না। শুক্রের ঘন মেঘ প্রধানত কার্বন ডাইঅক্সাইডের মেঘ। এখানে এসিড বৃষ্টি হয়। এটি সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ। এখানে জীবনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান যেমনÑ আলো, তাপ, বায়ু, পানি ও খাদ্যবস্তুর ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা না থাকায় ‘অ’ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়।
ঘ ‘ঈ’ গ্রহটি হচ্ছে বৃহস্পতি এবং ‘ই’ গ্রহটি হচ্ছে পৃথিবী। বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলোমিটার। আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১,৩০০ গুণ বড়। বৃহস্পতির বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে এই গ্রহের সময় লাগে ৪,৩৩১ দিন। এর বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি। বৃহস্পতির উপগ্রহের সংখ্যা ৬৭টি। অপরদিকে পৃথিবী সূর্যের তৃতীয় নিকটতম গ্রহ। সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। এর ব্যাস প্রায় ১২,৬৬৭ কিলোমিটার। পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তন করতে সময় লাগে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড। পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা রয়েছে, যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী। সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব আছে। সুতরাং ‘ঈ’ গ্রহটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে ‘ই’ গ্রহটির অনুরূপ নয়।
প্রশ্ন- ১০ অক্ষাংশ
নিচের চিত্রটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. অক্ষরেখা কী? ১
খ. অক্ষাংশ নির্ণয় করা প্রয়োজন কেন? ২
গ. চিত্রে নির্দেশিত গুরুত্বপূর্ণ রেখাগুলো বর্ণনা কর। ৩
ঘ. কখন পৃথিবী তার কক্ষপথে চিত্রের অবস্থানে আসে ব্যাখ্যা কর। ৪
ক পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরুরেখা বলে।
খ অক্ষাংশ নির্ণয় করা প্রয়োজন, কারণ :
১. অক্ষাংশের সাহায্যে ভ‚পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান সঠিকভাবে জানা যায়।
২. অক্ষাংশ জেনে কোনো স্থানের আবহাওয়া সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
৩. দুটি স্থানের অক্ষাংশের পার্থক্য জেনে স্থান দুটির তাপমাত্রার পার্থক্য জানা যায়।
৪. কোনো অক্ষরেখার ওপর অবস্থিত সব স্থানের অক্ষাংশ সমান।
গ চিত্রে পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অক্ষরেখাসমূহ দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর ঠিক মাঝখান দিয়ে যে রেখাটি পূর্ব-পশ্চিমে পুরো পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে নিরক্ষরেখা বলে। নিরক্ষরেখার অক্ষাংশ ০। নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০। এ কোণকে ডিগ্রি ও মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমাক্ষরেখা বলে। কয়েকটি সমাক্ষরেখা বা অক্ষরেখা বিখ্যাত। এদের একটি ২৩.৫ উত্তর অক্ষাংশ, একে বলা হয় কর্কটক্রান্তি। অপরটি ২৩.৫ দক্ষিণ অক্ষাংশ, একে বলা হয় মকরক্রান্তি। ৬৬.৫ উত্তর অক্ষাংশকে বলা হয় সুমেরুবৃত্ত এবং ৬৬.৫ দক্ষিণ অক্ষাংশকে বলা হয় কুমেরুবৃত্ত।
ঘ ২২শে ডিসেম্বর পৃথিবী তার কক্ষপথে চিত্রের অবস্থানে আসে। ২৩শে সেপ্টেম্বরের পর দক্ষিণ গোলার্ধ ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসতে থাকে। উত্তর গোলার্ধ দূরে সরতে থাকে। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য লম্বভাবে এবং উত্তর গোলার্ধে কোণ করে কিরণ দিতে থাকে। এতে উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট ও দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট হতে থাকে। এর মধ্যে ২২শে ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। সেই দিন উত্তর গোলার্ধে ছোট দিন ও বড় রাত হওয়াতে শীতকাল। ঐ দিনই সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ এবং তার পরের দিন থেকে পুনরায় সূর্য উত্তর দিকে আসতে থাকে। ২২শে ডিসেম্বরের দেড় মাস পূর্বেই উত্তর গোলার্ধে শীতকাল শুরু হয় এবং পরের দেড় মাস পর্যন্ত বিরাজ করে। এ সময়টাতে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।
প্রশ্ন- ১১ অক্ষরেখা
নিচের চিত্রটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. পৃথিবীর যেকোনো দুটি স্থানের কৌণিক দূরত্ব কী? ১
খ. গ্রিনিচের দ্রাঘিমারেখা সময় নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. চিত্রের রেখাগুলোর কৌণিক মান কীভাবে নির্ধারিত হয়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. বাস্তবক্ষেত্রে চিত্রের রেখাগুলোর মান নির্ণয়ে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ভ‚পৃষ্ঠের যেকোনো দুটি স্থান থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত অঙ্কিত ব্যাসার্ধের অন্তর্গত কোণকে ঐ দুই স্থানের কৌণিক দূরত্ব বলে।
খ গ্রিনিচের দ্রাঘিমা শূন্য ডিগ্রি (০) ধরা হয়। এখন আমরা যদি গ্রিনিচের সময় এবং অন্য কোনো স্থানের দ্রাঘিমা জানতে পারি তাহলে দুই স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য অনুসারে প্রতি ১ দ্রাঘিমার পার্থক্যে ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্য ধরে ঐ স্থানের সময় নির্ণয় করতে পারি। এজন্য গ্রিনিচের দ্রাঘিমা রেখা সময় নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
গ উদ্দীপকের চিত্র সমাক্ষরেখা বা অক্ষরেখা নির্দেশ করে। নিরক্ষরেখার সমান্তরালে যে রেখাগুলো কল্পনা করা হয় সেগুলো হলো সমাক্ষরেখা বা অক্ষরেখা। সমাক্ষরেখাগুলো পূর্ণ বৃত্তাকার। নিরক্ষরেখা থেকে যতই উত্তরে বা দক্ষিণে যাওয়া যায় সমাক্ষরেখাগুলো ততই কম ব্যাসার্ধের বৃত্তে পরিণত হয়। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলে। নিরক্ষরেখার অক্ষাংশকে ০ ধরে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়। উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানের অক্ষাংশকে উত্তর অক্ষাংশ এবং দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো স্থানের অক্ষাংশকে দক্ষিণ অক্ষাংশ বলে। প্রতি ডিগ্রি অক্ষাংশকে আবার মিনিট (র্ ) ও সেকেন্ড (র্র্ র্ ) ভাগ করা হয়।
ঘ চিত্রে অক্ষরেখা দেখানো হয়েছে। বাস্তব পৃথিবীতে অক্ষরেখার মান তথা কোনো স্থানের অক্ষাংশ ১. সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে ও ২. ধ্রæবতারার সাহায্যে নির্ণয় করা যায়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে যে স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করতে হবে সে স্থানের বিষুবলম্ব নির্ণয় করতে হয়। বিষুবলম্ব হলো সূর্য যেদিন যে অক্ষাংশে লম্বভাবে কিরণ দেয় সে অক্ষাংশের মান। যেমন কোনো একদিন দক্ষিণ গোলার্ধে মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি ৫০ এবং বিষুবলম্ব ১২ দক্ষিণ হলে ঐ স্থানের অক্ষাংশ হবেÑ
অক্ষাংশ = ৯০ (মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি Ñ বিষুবলম্ব) = ৯০ Ñ (৫০ Ñ ১২) = ৯০ ৩৮ = ৫২ দক্ষিণ
স্থানটি যদি উত্তর গোলার্ধে হয় তবে উত্তরবাচক বিষুবলম্ব যোগ করতে হবে। আর দক্ষিণ গোলার্ধে হয় তবে দক্ষিণবাচক বিষুবলম্ব বিয়োগ করতে হবে। উল্লেখ্য দক্ষিণ গোলার্ধে ধ্রæবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় সম্ভব নয়। তাই পৃথিবীব্যাপী অক্ষাংশ নির্ণয়ে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন- ১২ অক্ষাংশ নির্ণয় পদ্ধতি
ভ‚গোল বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মিতু তার একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী রোজীর কাছে জানতে চায়, একটি স্থানের অক্ষাংশ ৪০ উত্তর ও দ্রাঘিমা ৫৫ পূর্ব। উক্ত স্থানের প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা কীভাবে নির্ণয় করব? গাণিতিক সমস্যাটির সমাধান করে রোজী মিতুকে অক্ষাংশ নির্ণয়ের পদ্ধতিসমূহ বর্ণনা করল।
ক. স্থানীয় সময় কাকে বলে? ১
খ. বিষুবলম্ব কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের গাণিতিক সমস্যাটির সমাধান কর। ৩
ঘ. মিতু রোজীর কাছ থেকে কী জেনেছিল? বিশ্লেষণ কর। ৪
ক আকাশে সূর্যের অবস্থান থেকে একটি স্থানের যে সময় স্থির করা হয় তাকে স্থানীয় সময় বলে।
খ সূর্য যেদিন যে অক্ষাংশের উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় সেটাই সেদিনের সূর্যের বিষুবলম্ব। বিষুবলম্ব অক্ষাংশ নির্ণয়ে সাহায্য করে। অক্ষাংশ = ৯০- (মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি + বিষুবলম্ব)
গ উদ্দীপকের গাণিতিক সমস্যাটি হলো :
একটি স্থানের অক্ষাংশ ৪০ উত্তর এবং দ্রাঘিমা ৫৫ পূর্ব।
উক্ত স্থানের প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে হবে।
কোনো প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ হয় ঐ স্থানের সমান, কিন্তু বিপরীত গোলার্ধে।
স্থানটির অক্ষাংশ ৪০।
এর প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ হবে ৪০ দক্ষিণ।
স্থানটির দ্রাঘিমা ৫৫ পূর্ব।
প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা =১৮০- ঐ স্থানের দ্রাঘিমা
= ১৮০- ৫৫
= ১২৫
সুতরাং প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা হবে ১২৫ পশ্চিম।
স্থানটির প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ হবে ৪০ দক্ষিণ এবং দ্রাঘিমা ১২৫ পশ্চিম।
ঘ মিতু রোজীর কাছ থেকে অক্ষাংশ নির্ণয়ের পদ্ধতিসমূহ জেনেছিল। আক্ষাংশ নির্ণয়ে দুইটি পদ্ধতি রয়েছে। যেমনÑ
১. সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে : যে যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের উন্নতি পরিমাপ করা যায় তাকে সেক্সট্যান্ট যন্ত্র বলে। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের উন্নতি কোণ নির্ণয় করে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়। কোনো স্থানের অক্ষাংশ = ৯০ – (মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি + বিষুবলম্ব)। এ যন্ত্রে একটি দুরবিন লাগানো থাকে। যন্ত্রটিকে প্রথমে উত্তরমুখী করে ভ‚মিতলের সাথে আনুভ‚মিক করে এটিকে ধীরগতিতে উপরমুখী তোলা হয়, যেন এই যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ধ্রæবতারাকে দেখা যায়।
২. ধ্রæবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় : ধ্রæবতারার উন্নতি জেনে কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়। এর সাহায্যে শুধু উত্তর গোলার্ধের কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়। নিরক্ষরেখায় ধ্রæবতারার উন্নতি ০ এবং উত্তর মেরুতে ঠিক মাথার উপর ধ্রæবতারার উন্নতি ৯০ হয়। সুতরাং উত্তর গোলার্ধে কোনো স্থানের অক্ষাংশ ধ্রæবতারার উন্নতির সমান।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ জ্যোতিষ্ক কাকে বলে?
উত্তর : মহাকাশের অসংখ্য নক্ষত্র এবং এদের গ্রহ ও উপগ্রহকে বলে জ্যোতিষ্ক।
প্রশ্ন \ ২ \ আলোর গতিবেগ কত?
উত্তর : আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ১ আলোকবর্ষ কাকে বলে?
উত্তর : আলো প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। এই বেগে ১ বছরে যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ১ আলোকবর্ষ বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র কোনটি?
উত্তর : পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র সূর্য।
প্রশ্ন \ ৫ \ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে?
উত্তর : সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড সময় লাগে।
প্রশ্ন \ ৬ \ সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম কী?
উত্তর : সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম প্রক্সিমা সেন্টোরাই।
প্রশ্ন \ ৭ \ পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেনটোরাই-এর দূরত্ব কত?
উত্তর : পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেনটোরাইর দূরত্ব প্রায় ৪.২ আলোকবর্ষ, যা প্রায় ৮ লক্ষ কোটি কিলোমিটারের সমান।
প্রশ্ন \ ৮ \ গ্যালাক্সি কাকে বলে?
উত্তর : মহাকাশে গ্রহ, নক্ষত্র, ধূলিকণা, ধূমকেতু, বাষ্পকুণ্ডের এক বিশাল সমাবেশকে গ্যালাক্সি বা নক্ষত্র জগৎ বলে।
প্রশ্ন \ ৯ \ নীহারিকা কী?
উত্তর : নীহারিকা হলো মহাকাশে অসংখ্য স্বল্পালোকিত তারকার আস্তরণ।
প্রশ্ন \ ১০ \ কত সালে মার্কিন মহাশূন্যযান মেরিনার-১০ বুধের ছবি পাঠায়?
উত্তর : ১৯৭৪ সালে মার্কিন মহাশূন্যযান মেরিনার-১০ বুধের ছবি পাঠায়।
প্রশ্ন \ ১১ \ শুক্রের মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কী দ্বারা তৈরি?
উত্তর : শুক্রের মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কার্বন ডাইঅক্সাইডের তৈরি।
প্রশ্ন \ ১২ \ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শুক্রের কত সময় লাগে?
উত্তর : সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শুক্রের ২২৫ দিন লাগে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম কী?
উত্তর : সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহের নাম ইউরেনাস।
প্রশ্ন \ ১৪ \ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ইউরেনাসের কত সময় লাগে?
উত্তর : সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে ইউরেনাসের সময় লাগে ৮৪ বছর।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ইউরি গ্যাগারিন কত সালে স্পুটনিকে চড়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন?
উত্তর : ইউরি গ্যাগারিন ১৯৬১ সালের ১২ই এপ্রিল স্পুটনিকে চড়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন।
প্রশ্ন \ ১৬ \ নক্ষত্র কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর : নক্ষত্র হলো জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড। এরা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি।
প্রশ্ন \ ১৭ \ পৃথিবী থেকে নক্ষত্রের দূরত্ব কোন এককে মাপা হয়?
উত্তর : পৃথিবী থেকে নক্ষত্রের দূরত্ব আলোকবর্ষ এককে মাপা হয় ।
প্রশ্ন \ ১৮ \ মহাকাশে কোন জ্যোতিষ্কের মহাকর্ষ বল অত্যন্ত বেশি?
উত্তর : মহাকাশে কৃষ্ণগহŸর ও কৃষ্ণবামনের মহাকর্ষ বল অত্যন্ত বেশি। এদের ঘনত্ব খুব বেশি বলে মহাকর্ষ বল অত্যন্ত বেশি।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ছায়াপথ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটি গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশকে ছায়াপথ বলে।
প্রশ্ন \ ২০ \ সৌরজগৎ কাকে বলে?
উত্তর : সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান জ্যোতিষ্কমণ্ডলীকে সৌরজগৎ বলে।
প্রশ্ন \ ২১ \ বুধের উপরিতল যে একদম চাঁদের মতো এটি কোন মহাশূন্যযানের প্রেরিত ছবি থেকে জানা যায়?
উত্তর : ১৯৭৪ সালে মার্কিন মহাশূন্যযান মেরিনার-১০ বুধের যে ছবি পাঠায় তা থেকে দেখা যায় যে, বুধের উপরিতল একদম চাঁদের মতো।
প্রশ্ন \ ২২ \ শনির বায়ুমণ্ডল কী গ্যাস দ্বারা পূর্ণ?
উত্তর : শনির বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের মিশ্রণ, মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস দ্বারা পূর্ণ।
প্রশ্ন \ ২৩ \ নেপচুনের বায়ুমণ্ডল কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর : নেপচুনের বায়ুমণ্ডল মিথেন ও অ্যামোনিয়া গ্যাস দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন \ ২৪ \ সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে কী নির্ণয় করা যায়?
উত্তর : সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যের উন্নতি কোণ নির্ণয় করে অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন \ ২৫ \ নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবীর দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে, একে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ অক্ষরেখা কী?
উত্তর : নিরক্ষরেখার সমান্তরালে যে রেখাগুলো রয়েছে সেগুলো হলো অক্ষরেখা।
প্রশ্ন \ ২৭ \ অক্ষ বা মেরুরেখা কী?
উত্তর : পৃথিবীর গোলাকৃতি কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরুরেখা বলে।
প্রশ্ন \ ২৮ \ সুমেরু ও কুমেরু কী?
উত্তর : মেরুরেখার উত্তর প্রান্তবিন্দুকে উত্তর মেরু বা সুমেরু এবং দক্ষিণ প্রান্তবিন্দুকে দক্ষিণ মেরু বা কুমেরু বলে।
প্রশ্ন \ ২৯ \ উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ গোলার্ধ কাকে বলে?
উত্তর : নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ দিকের অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ বলে।
প্রশ্ন \ ৩০ \ মহাবৃত্ত কী?
উত্তর : বিষুবরেখাকে মহাবৃত্ত বা গুরুবৃত্ত বলে।
প্রশ্ন \ ৩১ \ বাংলাদেশের উপর দিয়ে কোন রেখা অতিক্রম করেছে?
উত্তর : বাংলাদেশের উপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণের পরিমাণ কত?
উত্তর : পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণের পরিমাণ ৩৬০।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ উত্তর মেরুতে ঠিক মাথার উপরে ধ্রæবতারার উন্নতি কত?
উত্তর : উত্তর মেরুতে ঠিক মাথার উপরে ধ্রæবতারার উন্নতি ৯০।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ ১৮০ দ্রাঘিমা রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হিসেবে কত সালে কোথায় স্থির করা হয়?
উত্তর : ১৮৮৪ সালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ‘দ্রাঘিমা ও সময়’ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ১৮০ দ্রাঘিমা রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হিসেবে স্থির করা হয়।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করার সূত্রটি কী?
উত্তর : আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অতিক্রম করার সূত্রটি হলো : ‘পশ্চিমগামী যানের জন্য একদিন যোগ করতে হবে এবং পূর্বগামী যানের ক্ষেত্রে একদিন বিয়োগ করতে হবে।’
প্রশ্ন \ ৩৬ \ মূল মধ্যরেখা কাকে বলে?
উত্তর : যুক্তরাজ্যের লণ্ডন শহরের কাছে গ্রিনিচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ দুটি প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত হয়?
উত্তর : দুটি প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য ১২ ঘণ্টা।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ প্রতিপাদ স্থান কাকে বলে?
উত্তর : ভ‚পৃষ্ঠের কোনো বিন্দু থেকে পৃথিবীর কোনো কল্পিত ব্যাস ভ‚কেন্দ্র ভেদ করে অপরদিকে ভ‚পৃষ্ঠকে যে বিন্দুতে স্পর্শ করে সেই বিন্দুকে প্রথম বিন্দুটির প্রতিপাদ স্থান বলে।
প্রশ্ন \ ৩৯ \ দ্রাঘিমারেখার অবস্থান থেকে কী জানা যায়?
উত্তর : দ্রাঘিমারেখার অবস্থান থেকে কোনো স্থানের সময় জানা যায়।
প্রশ্ন \ ৪০ \ আহ্নিক গতি কী?
উত্তর : পৃথিবী তার নিজ মেরুদণ্ডের বা অক্ষের চারদিকে দিনে একবার নির্দিষ্ট গতিতে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে, পৃথিবীর এই আবর্তন গতিকে দৈনিক গতি বা আহ্নিক গতি বলে।
প্রশ্ন \ ৪১ \ সৌরদিন কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবী তার নিজের মেরুদণ্ডের উপর একবার পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করতে সময় নেয় ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ একদিন, একে সৌরদিন বলে।
প্রশ্ন \ ৪২ \ ফেরেলের সূত্রটি কী?
উত্তর : সমুদ্রস্রোত এবং বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। এই বেঁকে যাওয়াটা ফেরেলের সূত্র নামে পরিচিত।
প্রশ্ন \ ৪৩ \ দিন ও রাত্রির সীমারেখাকে কী বলে?
উত্তর : দিন ও রাত্রির সীমারেখাকে ছায়াবৃত্ত বলে।
প্রশ্ন \ ৪৪ \ পৃথিবীর কোন গতির কারণে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হয়?
উত্তর : পৃথিবীর আিহ্নক গতির কারণে জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি হয় ।
প্রশ্ন \ ৪৫ \ সুমেরুবৃত্ত ও কুমেরুবৃত্ত কাকে বলে?
উত্তর : উত্তর গোলার্ধে ৬৬.৫ উত্তর অক্ষরেখাকে সুমেরুবৃত্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ৬৬.৫ দক্ষিণ অক্ষরেখাকে কুমেরুবৃত্ত বলে।
প্রশ্ন \ ৪৬ \ ঋতু কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ঋতু চারটি। যথা- গ্রীষ্মকাল, শরৎকাল, শীতকাল ও বসন্তকাল।
প্রশ্ন \ ৪৭ \ বাসন্ত বিষুব কাকে বলে?
উত্তর : ২১শে মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয় এবং ঐ দিনটিকে বাসন্ত বিষুব বা মহাবিষুব বলে।
প্রশ্ন \ ৪৮ \ কর্কটসংক্রান্তি কাকে বলে?
উত্তর : ২১শে জুন সূর্য উত্তরায়নের শেষ সীমায় পৌঁছয়, একে কর্কটক্রান্তি বলে।
প্রশ্ন \ ৪৯ \ মকরসংক্রান্তি কাকে বলে?
উত্তর : ২২শে ডিসেম্বর সূর্য দক্ষিণায়নের শেষ সীমায় পৌঁছয়। একে মকরসংক্রান্তি বলে।
প্রশ্ন \ ৫০ \ অনুসূর কী?
উত্তর : উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে পরিক্রমণ করতে করতে জানুয়ারি ১-৩ তারিখে পৃথিবী সূর্য হতে কম দূরত্বে অবস্থান করে। পৃথিবীর এ অবস্থানকে অনুসূর বলে।
প্রশ্ন \ ৫১ \ অপসূর কী?
উত্তর : জুলাই মাসের ১-৪ তারিখে পৃথিবী সূর্য থেকে সর্বাপেক্ষা বেশি দূরে অবস্থান করে। এ অবস্থানকে অপসূর বলে।
প্রশ্ন \ ৫২ \ বিষুব কী?
উত্তর : ২১শে মার্চ এবং ২৩শে সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সর্বত্র দিবারাত্রি সমান হয়। এই দু’দিনকে বিষুব বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ সৌরজগৎ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সূর্য এবং তার গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, অসংখ্য ধূমকেতু ও অগণিত উল্কা নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত। সূর্য সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। গ্রহগুলো মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। সৌরজগতের যাবতীয় গ্রহ-উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলো সূর্য। সূর্যকে ভিত্তি করে সৌরজগতের যাবতীয় কাজকর্ম চলে। এই মহাবিশ্বের বিশালতার মধ্যে সৌরজগৎ নিতান্তই ছোট।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রক্সিমা সেন্টোরাই কী?
উত্তর : প্রক্সিমা সেনটোরাই হলো একটি নক্ষত্র। এটি সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪.২ আলোকবষর্, যা প্রায় ৮ লক্ষ কোটি কিলোমিটারের সমান।
প্রশ্ন \ ৩ \ পৃথিবী থেকে নক্ষত্রকে জ্বলতে দেখা যায় কেন?
উত্তর : মহাকাশে অসংখ্য জ্যোতিষ্ক রয়েছে। রাতের আকাশে নক্ষত্রগুলোকে মিটমিট করে জ্বলতে দেখা যায়। কারণ নক্ষত্রগুলো হলো জ্বলন্ত গ্যাসপিণ্ড। এরা হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস দিয়ে তৈরি। এই গ্যাস অতি উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বলছে, প্রায় ৬০০০ সেলসিয়াস। তাই এগুলোকে পৃথিবী থেকে জ্বলতে দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ নক্ষত্রমণ্ডলী বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মেঘমুক্ত অন্ধকার রাতে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় কয়েকটি নক্ষত্র বিশেষ প্যাটার্নে বা আকৃতিতে জোট বেঁধেছে। এভাবে আমাদের পরিচিত প্যাটার্ন বা আকৃতিতে নক্ষত্রদলকে বলা হয় নক্ষত্রমণ্ডলী।
প্রশ্ন \ ৫ \ উল্কাকে কেন ছুটন্ত তারা বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মহাশূন্যে অজস্র উল্কা বা জড়পিণ্ড ভেসে বেড়ায়। এই জড়পিণ্ডগুলো অভিকর্ষ বলের আকর্ষণে প্রচণ্ড গতিতে, সেকেন্ডে প্রায় ৩ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে। বায়ুর সংস্পর্শে এসে বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে এরা জ্বলে ওঠে বলে উল্কাকে ছুটন্ত তারা বলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ মহাকাশের ধূমকেতু অতি বিস্ময়কর জ্যোতিষ্ক কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মহাকাশে মাঝে মাঝে এক অতি বিস্ময়কর জ্যোতিষ্কের আবির্ভাব ঘটে। এদের একটি মাথা ও একটি লেজ আছে। এসব জ্যোতিষ্ককে ধূমকেতু বলা হয়। এরা কিছুদিনের জন্য উদয় হয়ে আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। সূর্যের যত কাছাকাছি আসতে থাকে ধূমকেতুর লেজ তত লম্বা হতে থাকে।
প্রশ্ন\ ৭\ সৌরজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নক্ষত্রটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সূর্য সৌরজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নক্ষত্র। সূর্য একটি মাঝারি আকারের হলুদ বর্ণের নক্ষত্র। সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। পৃথিবীর ও অন্যান্য গ্রহ ও উপগ্রহের তাপ ও আলোর মূল উৎস হওয়ায় এটিকে সৌরজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতিষ্ক বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মঙ্গল সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ। এ গ্রহের উপরিভাগে রয়েছে গিরিখাত ও আগ্নেয়গিরি। এ গ্রহে অক্সিজেন ও পানির উপস্থিতি আছে কিন্তু এর পরিমাণ খুবই কম এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অনেক বেশি, শতকরা ৯৯ ভাগ। তাই এ গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ বৃহস্পতি গ্রহকে গ্রহরাজ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে ভারী গ্রহ। এর ব্যাস ১৪২৮০০ কিলোমিটার। এটি আয়তনে পৃথিবীর চেয়ে ১৩০০ গুণ বড়। বৃহস্পতির ওজন সৌরজগতের অন্যসব গ্রহের দ্বিগুণ হওয়ায় একে সৌরজগতের গ্রহরাজ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ শুকতারার বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : শুকতারা হলো শুক্রগ্রহ। এ গ্রহের বৈশিষ্ট্য হলো :
১. শুক্র গ্রহ ঘন মেঘে ঢাকা থাকে। এর উপরিভাগ থেকে সূর্যকে কখনই দেখা যায় না। শুক্রের মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কার্বন ডাইঅক্সাইডের তৈরি।
২. সকল গ্রহ এদের নিজ অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্বে পাক খেলেও একমাত্র শুক্র গ্রহ পূর্ব থেকে পশ্চিমে পাক খায়। এটি সৌরজগতের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত গ্রহ। এখানে এসিড বৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ মহাবিশ্ব ও সৌরজগতের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : মহাবিশ্ব ও সৌরজগতের মধ্যে পার্থক্য :
মহাবিশ্ব সৌরজগৎ
ক. মহাকাশের অসংখ্য ছায়াপথ নীহারিকা, এদের অন্তর্গত অগণিত নক্ষত্র ও তাদের গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু ও উল্কা ইত্যাদি নিয়ে মহাবিশ্ব গঠিত। ক. সূর্য ও তার গ্রহ, উপগ্রহ ও ধূমকেতু নিয়ে সৌরজগৎ গঠিত।
খ. মহাবিশ্ব সৌরজগতের অংশ নয়। খ. সৌরজগৎ মহাবিশ্বের একটি অংশ বা সদস্য মাত্র।
গ. মহাবিশ্ব অনেক বিশাল। গ. সৌরজগৎ মহাবিশ্বের অন্তর্গত।
ঘ. মহাবিশ্ব সৌরজগতের অন্তর্গত নয়। ঘ. সৌরজগৎ মহাবিশ্বের অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ১২ \ গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ :
গ্রহ উপগ্রহ
ক. যেসব জ্যোতিষ্ক নক্ষত্রের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিভ্রমণ করে তাদের গ্রহ বলে। ক. যেসব জ্যোতিষ্ক গ্রহের আকর্ষণে তার চারদিকে নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে তাদের উপগ্রহ বলে।
খ. গ্রহ উপগ্রহ থেকে অনেক বড় হয়। খ. উপগ্রহ গ্রহ থেকে অনেক ছোট হয়।
গ. গ্রহ নক্ষত্র থেকে সৃষ্টি হয়। যেমন আমাদের পৃথিবী সূর্য নামক নক্ষত্র থেকে সৃষ্ট। গ. উপগ্রহ গ্রহ থেকে সৃষ্টি হয়। যেমন ফোবস ও ডিমোস নামক ২টি উপগ্রহ মঙ্গল গ্রহ থেকে সৃষ্ট।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সমাক্ষরেখা ও অক্ষাংশ কী ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিরক্ষরেখার উত্তর-দক্ষিণে পৃথিবীকে সমান দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ দিকের অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ বলে। এই নিরক্ষরেখাকে ০ ধরে উত্তর দিকে ও দক্ষিণ দিকে দুই মেরু পর্যন্ত ৯০ বা এক সমকোণ ধরা হয়। পৃথিবীর গোলীয় আকৃতির জন্য নিরক্ষরেখা বৃত্তাকার, তাই এ রেখাকে নিরক্ষবৃত্তও বলে। নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যে রেখাগুলো রয়েছে সেগুলো হলো অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখাগুলো আসলে কল্পনা করা হয়েছে। এদের সমাক্ষরেখা বলে। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ দ্রাঘিমারেখা বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গ্রিনিচ মূল মধ্যরেখা হতে পূর্ব বা পশ্চিমে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে দ্রাঘিমা বা দ্রাঘিমাংশ বলে। নিরক্ষরেখার উপর এ কৌণিক দূরত্বের মাপ নেয়া হয়। পূর্ব দিকের কৌণিক দূরত্বকে পূর্ব দ্রাঘিমা এবং পশ্চিম দিকের কৌণিক দূরত্বকে পশ্চিম দ্রাঘিমা বলে। গ্রিনিচের মূল মধ্যরেখার দ্রাঘিমা শূন্য ধরা হয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কেন ১৮০ দ্রাঘিমারেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে?
উত্তর : গ্রিনিচে ১৬ই ডিসেম্বর সকাল ৬টা হলে আমরা যদি পূর্ব দিকের সময় হিসাব করি তাহলে যখন ১৮০ পূর্ব দ্রাঘিমায় আসব তখন সেখানে সময় হবে ১৬ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা। ঠিক উল্টো দিকে পশ্চিমে ১৮০তে এলে সেখানে ১৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা হবে। কারণ পূর্ব দিকে সময় বাড়ে আর পশ্চিম দিকে সময় কমে। আমরা জানি ১৮০ পূর্ব ও ১৮০ পশ্চিম একই স্থান। তবে এখানে সময়ের পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে ২৪ ঘণ্টা এবং তারিখও হয়ে যাচ্ছে দুই রকম। এই অসুবিধা দূর করার জন্য পৃথিবীর মানচিত্রে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে ১৮০ দ্রাঘিমা অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা প্রবর্তন করা হয়েছে। ১৮০ দ্রাঘিমারেখা পৃথিবীর পশ্চিম বা পূর্ব গোলার্ধের তারিখ বিভাজিকার কাজ করে। এজন্যই ১৮০ দ্রাঘিমারেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বলে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ নিরক্ষরেখা বলতে কী বুঝ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। একে বলা হয়, নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। নিরক্ষরেখার মান ধরা হয় ০। নিরক্ষরেখার উত্তর দিকের পৃথিবীর অর্ধেককে উত্তর গোলার্ধ ও দক্ষিণ দিকের অর্ধেককে দক্ষিণ গোলার্ধ বলে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ বিজ্ঞানী ফুকোর পরীক্ষাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৮৫১ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী ফুকো প্যারিসের একটি গির্জার উপর থেকে একটা লম্বা ও সরু তারের মাথায় একটা গোলক দুলিয়ে গোলকের তলায় একটা পিন আটকে দিয়ে গোলকটিকে এমনভাবে দোলান, যাতে গোলক উত্তর-দক্ষিণে দোলার সময় মাটির উপর দাগ কাটতে থাকে। এরপর তিনি পর্যবেক্ষণ করেন মাটির উপর আলপিনের দাগগুলো ধীরে ধীরে পূর্বদিকে সরে যাচ্ছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, আিহ্নক গতির ফলে পৃথিবী সর্বদা পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে এগিয়ে যায়। এটিই ফুকোর পরীক্ষা।
প্রশ্ন \ ১৮ \ মহাবিষুব কীভাবে সংঘটিত হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ২১শে মার্চ সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে ঐদিন পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়। এই সময় উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল বলে ঐ দিনটিকে বসন্তকালীন বিষুব বা মহাবিষুব বলে। সুতরাং ২১শে মার্চ মহাবিষুব সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ পৃথিবী তার অক্ষের চারদিকে একবার এবং সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে কত সময় লাগে? এ দুই ধরনের গতির নাম কী?
উত্তর : মহাশূন্যে অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহের ন্যায় পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে অবিরত ঘুরছে। শুধু তাই নয়, পৃথিবী তার নিজ অক্ষের ওপর আবর্তন করে।
নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরতে প্রয়োজনীয় সময় : পৃথিবী তার নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরে আসতে সময় লাগে প্রায় ২৪ ঘণ্টা প্রকৃতপক্ষে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড।) এ ২৪ ঘণ্টা সময়কে বলা হয় একদিন এবং পৃথিবীর এ দৈনিক গতির নাম আিহ্নক গতি।
সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর একবার ঘুরতে প্রয়োজনীয় সময় : আবার সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা (প্রকৃতপক্ষে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড)। এ সময়কে এক বছর ধরা হয় এবং পৃথিবীর এ গতি বার্ষিক গতি নামে পরিচিত।
প্রশ্ন \ ২০ \ সুমেরু ও কুমেরুবৃত্ত কী? চিত্র দাও।
উত্তর : উত্তর গোলার্ধে ৬৬.৫ উত্তর অক্ষরেখাকে সুমেরুবৃত্ত এবং ৬৬.৫ দক্ষিণ অক্ষরেখাকে কুমেরুবৃত্ত বলে।
চিত্র : সুমেরু ও কুমেরুবৃত্ত
প্রশ্ন \ ২১ \ উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎকাল তখন দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ২১শে জুন থেকে দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। উত্তর গোলার্ধের অংশগুলো কম কিরণ পেতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের অংশগুলো বেশি সূর্যকিরণ পেতে থাকে। এভাবে ২৩শে সেপ্টেম্বর সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। তাই এ সময় পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়। দিনের বেলায় যে তাপ আসে রাত সমান হওয়ায় একই পরিমাণ তাপ বিকিরিত হওয়ার সুযোগ পায়। ফলে আবহাওয়াতে ঠাণ্ডা ও গরমের পরিমাণ সমান থাকে। এই সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে। ২৩শে সেপ্টেম্বরের দেড় মাস আগে উত্তর গোলার্ধে শরৎকালের সূচনা হয় এবং দেড় মাস পর পর্যন্ত এই শরৎকাল স্থায়ী থাকে।
প্রশ্ন \ ২২ \ উত্তর গোলার্ধে যখন শরৎকাল তখন দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ২১শে জুন থেকে দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। উত্তর গোলার্ধের অংশগুলো কম কিরণ পেতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের অংশগুলো বেশি সূর্যকিরণ পেতে থাকে। এভাবে ২৩শে সেপ্টেম্বর সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। তাই এ সময় পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়। দিনের বেলায় যে তাপ আসে রাত সমান হওয়ায় একই পরিমাণ তাপ বিকিরিত হওয়ার সুযোগ পায়। ফলে আবহাওয়াতে ঠাণ্ডা ও গরমের পরিমাণ সমান থাকে। এই সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে। ২৩শে সেপ্টেম্বরের দেড় মাস আগে উত্তর গোলার্ধে শরৎকালের সূচনা হয় এবং দেড় মাস পর পর্যন্ত এই শরৎকাল স্থায়ী থাকে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ উত্তর গোলার্ধে যখন শীতকাল তখন দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল কেন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ২৩শে সেপ্টেম্বরের পর দক্ষিণ গোলার্ধ ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসতে থাকে। উত্তর গোলার্ধ দূরে সরতে থাকে। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য লম্বভাবে এবং উত্তর গোলার্ধে কোণ করে কিরণ দিতে থাকে। এতে উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট ও দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট হতে থাকে। এর মধ্যে ২২শে ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। সেই দিন উত্তর গোলার্ধে ছোট দিন ও বড় রাত হওয়াতে শীতকাল। ঐ দিনই সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ এবং তার পরের দিন থেকে পুনরায় সূর্য উত্তর দিকে আসতে থাকে। ২২শে ডিসেম্বরের দেড় মাস পূর্বেই উত্তর গোলার্ধে শীতকাল শুরু হয় এবং পরের দেড় মাস পর্যন্ত বিরাজ করে। এই সময়টাতে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।
প্রশ্ন \ ২৪ \ ঋতু পরিবর্তনের কারণ কী?
উত্তর : মূলত তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে ঋতু পরিবর্তিত হয়। এ প্রেক্ষিতে ঋতু পরিবর্তনের কারণগুলো হলো :
১. পৃথিবীর কোথাও সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে আবার কোথাও তির্যকভাবে পড়ে। ফলে তাপমাত্রায় পার্থক্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয়।
২. পৃথিবী গতিশীল। নিজ অক্ষ বা মেরুরেখার ওপর পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে। এই ঘোরার কারণে বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বে কমবেশি হয়। এতে তাপমাত্রার পার্থক্য হয়, তাই ঋতু পরিবর্তিত হয়।
৩. নিজ অক্ষে ২৪ ঘণ্টায় একবার আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট পথে বছরে একবার সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসে। একে বার্ষিক গতি বলে। এতে বছরে একবার পৃথিবী উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু সূর্যের নিকটবর্তী হয়। যে মেরু যখন সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে তার তাপমাত্রা তখন বেশি হয় এবং দূরে গেলে তাপমাত্রা কম হয়। ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।