চতুর্থ অধ্যায়
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন
ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক গঠন বর্ণনা করতে পারবে।
ভ‚পৃষ্ঠের পরিবর্তন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ভ‚পৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
ভ‚মিকম্প, সুনামি ও অগ্ন্যুৎপাতের কারণ এবং ফলাফল বিশ্লেষণ করতে পারবে।
ভ‚পৃষ্ঠের ধীর পরিবর্তনের কারণ ও ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারবে।
নদীর কাজ, গতিপথ ও নদী দ্বারা সৃষ্ট ভ‚মিরূপ বর্ণনা করতে পারবে।
পৃথিবীর প্রধান ভ‚মিরূপের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
ভ‚ত্বক : ভ‚পৃষ্ঠে যে শিলার কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভ‚ত্বক। ভ‚ত্বক অশ্বমণ্ডলের উপরিভাগ। ভ‚ত্বকের পুরুত্ব গড়ে ২০ কিলোমিটার। ভ‚ত্বক বিভিন্ন প্রকার শিলা ও খনিজ উপাদানে গঠিত।
অশ্মমণ্ডল : সাধারণভাবে ভ‚পৃষ্ঠের উপরিভাগ থেকে ভ‚অভ্যন্তরের দিকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লঘু ধাতুর সংমিশ্রণে গঠিত মণ্ডলটিকে অশ্মমণ্ডল বলে।
গুরুমণ্ডল : অশ্মমণ্ডলের নিচে প্রায় ২,৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মূলত ব্যাসল্ট শিলা দিয়ে গঠিত পুরুমণ্ডলকে গুরুমণ্ডল বলে।
কেন্দ্রমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের নিচ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত মণ্ডলটিকে কেন্দ্রমণ্ডল বলে। এ স্তর প্রায় ৩,৪৮৬ কিলোমিটার পুরু।
শিলা : ভ‚ত্বক নানা জাতীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত। এদের মধ্যে পাথর, নুড়ি, কাঁকর, বালি, কাদা প্রধান। ভ‚ত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত তাদের সাধারণ নাম শিলা।
খনিজ : কতকগুলো মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাই খনিজ। খনিজ হলো প্রাকৃতিক অজৈব পদার্থ, যার সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন এবং ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম রয়েছে।
আগ্নেয় শিলা : পৃথিবীর আদিম অবস্থা থেকে যে শিলা শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়ে কঠিন আকার ধারণ করেছে তাদের আগ্নেয় শিলা বলে। যেমন : গ্রানাইট, ব্যাসল্ট ইত্যাদি।
পাললিক শিলা : পলি সঞ্চিত হয়ে যে শিলা গঠিত হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। এ শিলায় পলি সাধারণত স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। বেলেপাথর, কয়লা, চুনাপাথর, কাদাপাথর, কেওলিন পাললিক শিলার উদাহরণ।
রূপান্তরিত শিলা : আগ্নেয় ও পাললিক শিলা যখন প্রচণ্ড চাপ, উত্তাপ এবং রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে রূপ পরিবর্তন করে নতুন রূপ ধারণ করে তাকে রূপান্তরিত শিলা বলে।
ভ‚পৃষ্ঠের পরিবর্তন : ভ‚পৃষ্ঠ বিভিন্ন শিলা দ্বারা গঠিত, যা পরিবর্তনশীল। ভ‚গর্ভ যতই ঠাণ্ডা হচ্ছে সেখানকার পদার্থের আয়তন ততই হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে ভ‚গর্ভে সবসময় একটা আলোড়ন চলছে। এই আলোড়নের ফলে সবসময় ভ‚পৃষ্ঠের পরিবর্তন হচ্ছে।
ভ‚মিকম্প : প্রাকৃতিক কারণবশত পৃথিবীর কঠিন ভ‚ত্বকের কোনো কোনো অংশ সময়ে সময়ে ক্ষণিকের জন্য কেঁপে ওঠে। এই কম্পনকে ভ‚মিকম্প বলে।
আগ্নেয়গিরি : ভ‚পৃষ্ঠের দুর্বল ফাটল বা সুড়ঙ্গ দিয়ে ভ‚গর্ভস্থ ধূম, গ্যাস, লাভা, ধূলি, ভস্ম, উত্তপ্ত পাথর খণ্ড, কাদা এবং বিবিধ তরল বা কঠিন ধাতব পদার্থ নির্গত হয়ে ফাটল বা ছিদ্র মুখের চারদিকে জমাট বেঁধে উঁচু মোচাকৃতি যে পর্বতের সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়গিরি বলে।
সুনামি : ‘সুনামি’ জাপানি শব্দ, যার অর্থ ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। কখনো কখনো সমুদ্রতলে ভ‚মিকম্প অনুভ‚ত হলে সমুদ্রের উপরের পানিতলে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এই প্রচণ্ড ঢেউগুলো উপক‚লে পৌঁছে ব্যাপক জানমালের ক্ষতিসাধন করে। এই জাতীয় সামুদ্রিক ঢেউকে সুনামি বলে।
বিচ‚র্ণীভবন ও ক্ষয়ীভবন : শিলারাশির চ‚র্ণবিচ‚র্ণ ও বিশ্লিষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াকে বিচ‚র্ণীভবন বলে। সাধারণত প্রাকৃতিক কারণে শিলা চ‚র্ণবিচ‚র্ণ হয়, অপসারিত হয় না। বায়ুপ্রবাহ, নদীস্রোত ও হিমবাহ দ্বারা চ‚র্ণবিচ‚র্ণ শিলা অন্য স্থানে বাহিত হয়। এ প্রণালিকে ক্ষয়ীভবন বলে।
নগ্নীভবন : বিচ‚র্ণীভবনের সময় শিলা চ‚র্ণবিচ‚র্ণ হয়। পরে ক্ষয়ীভবন দ্বারা ঐ শিলা অপসারিত হলে নিচে অবিকৃত শিলাগুলো নগ্ন হয়ে পড়ে। এরূপ কার্যকে নগ্নীভবন বলে।
অবক্ষেপণ : বায়ুপ্রবাহ, নদীস্রোত, হিমবাহ প্রভৃতি শক্তির প্রভাবে নানা স্থান থেকে ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাগুলো যে প্রক্রিয়ায় কোনো এক স্থানে এসে জমা হয়ে নতুন ভ‚মিরূপের সৃষ্টি করে তাকে অবক্ষেপণ বা সঞ্চয় বলে।
নদী : উঁচু পর্বত, মালভ‚মি বা উঁচু কোনো স্থান থেকে বৃষ্টি, প্রস্রবণ, হিমবাহ বা বরফ গলা পানির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্রোতধারার মিলিত প্রবাহ যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে নির্দিষ্ট খাতে প্রবাহিত হয়ে সমভ‚মি বা নিম্নভ‚মির উপর দিয়ে কোনো বিশাল জলাশায় বা হ্রদ অথবা সমুদ্রের সঙ্গে মিলিত হয়, তাকে নদী বলে।
দোয়াব : প্রবহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভ‚মিকে দোয়াব বলে।
নদীসঙ্গম : দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে নদীসঙ্গম বলে।
উপনদী : পর্বত বা হ্রদ থেকে যেসব ছোট নদী উৎপন্ন হয়ে কোনো বড় নদীতে পতিত হয় তাকে সেই বড় নদীর উপনদী বলে। বাংলাদেশের তিস্তা ও করতোয়া হলো যমুনা নদীর উপনদী।
শাখানদী : মূল নদী থেকে যেসব নদী বের হয় তাকে শাখানদী বলে। বাংলাদেশের কুমার ও গড়াই হলো পদ্মা নদীর শাখানদী।
নদী উপত্যকা : যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সে খাতকে উক্ত নদীর উপত্যকা বলে।
নদীগর্ভ : নদী উপত্যকার তলদেশকে নদীগর্ভ বলে।
নদী অববাহিকা : উৎপত্তি স্থান থেকে শাখাপ্রশাখার মাধ্যমে যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে সমুদ্র বা হ্রদে পতিত হয় সেই সমগ্র অঞ্চলই নদীর অববাহিকা।
পর্বত : ভ‚পৃষ্ঠের অতিউচ্চ, সুবিস্তৃত এবং খাড়া ঢালবিশিষ্ট শিলাস্তূপকে পর্বত বলে। উৎপত্তিগত বৈশিষ্ট্য ও গঠনপ্রকৃতির ভিত্তিতে পর্বত প্রধানত চার প্রকার। যথা : ১. ভঙ্গিল পর্বত; ২. আগ্নেয় পর্বত; ৩. চ্যুতি-স্ত‚প পর্বত ও ৪. ল্যাকোলিথ পর্বত।
মালভ‚মি : পর্বত থেকে নিচু কিন্তু সমভ‚মি থেকে উঁচু খাড়া ঢালযুক্ত ঢেউ খেলানো বিস্তীর্ণ সমতল ভ‚মিকে মালভ‚মি বলে। অবস্থানের ভিত্তিতে মালভ‚মি তিন ধরনের। যথা : ১. পর্বতমধ্যবর্তী মালভ‚মি; ২. পাদদেশীয় মালভ‚মি এবং ৩. মহাদেশীয় মালভ‚মি।
সমভ‚মি : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু মৃদু ঢালবিশিষ্ট সুবিস্তৃত ভ‚মিকে সমভ‚মি বলে। উৎপত্তির ধরনের ভিত্তিতে সমভ‚মিকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ক্ষয়জাত সমভ‚মি ও সঞ্চয়জাত সমভ‚মি।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোনটি থেকে গ্রাফাইট উৎপন্ন হয়?
ক চুনাপাথর কয়লা গ বেলেপাথর ঘ গ্রানাইট
২. নিম্নগতিতে নদীর-
র. স্রোতের গতি বেড়ে যায় রর. গভীরতা কমে যায়
ররর. পার্শ্বক্ষয় হ্রাস পায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
চিত্র দুটি পর্যবেক্ষণ করে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩. চিত্র ১-এর ভ‚মিরূপ বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
ক দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে
গ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে
ঘ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে
৪. চিত্র ১ ও চিত্র ২ উভয়ের ভ‚মি গঠিত হয়-
র. পলি সঞ্চয়ের মাধ্যমে
রর. নদীর মোহনায়
ররর. ক্ষয়কার্যের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ আগ্নেয় পর্বত, ভাঙ্গল পর্বত ও বদ্বীপ সমভ‚মি
বিধান ও হিমেল কর্মসংস্থানের উদ্দেশে ইতালি গেলেন। একদিন বিকেলে তারা ঘুরতে গিয়ে দেখতে পান একটি স্থানের ভ‚মি খাড়া ঢালবিশিষ্ট এবং দেখতে অনেকটা মোচাকৃতির। কথা প্রসঙ্গে তারা জানতে পারেন বিধানের বাড়ি বাংলাদেশের বান্দরবানে এবং হিমেলের বাড়ি খুলনায়।
ক. নদী উপত্যকা কাকে বলে?
খ. ঊর্ধ্বগতিতে নদী উপত্যকা ‘ভি’ আকৃতির হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. বিধান ও হিমেলের দেখা ভ‚মিরূপটির ভ‚প্রাকৃতিক গঠন বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তাদের উভয়ের বাড়ি যে অঞ্চলে অবস্থিত সেই অঞ্চল দুটির ভ‚মির গঠন বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর।
ক যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সে খাতকে উক্ত নদীর উপত্যকা বলে।
খ ঊর্ধ্বগতিতে সর্বদা ক্ষয়সাধন কাজ চলে বলে নদী উপত্যকা ‘ভি’ আকৃতির হয়। ঊর্ধ্বগতি অবস্থায় নদীর স্রোতের বেগ প্রবল হওয়ার কারণে নদী বড় বড় শিলাখণ্ডকে বহন করে নিচের দিকে অগ্রসর হয়। পর্বতগুলো কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত হলেও মাঝে মাঝে নরম শিলাও থাকে। নদীখাতে পার্শ্ব অপেক্ষা নিম্নদিকের শিলা বেশি কোমল বলে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয়। এভাবে ক্রমশ ক্ষয়ের ফলে নদী উপত্যকা অনেকটা ইংরেজি ‘ঠ’ আকৃতির হয়। তাই একে ‘ভি’ আকৃতির উপত্যকা বলে।
গ বিধান ও হিমেলের দেখা ভ‚মিরূপটি হলো আগ্নেয় বা সঞ্চয়জাত পর্বত। ভ‚ত্বকের ফাটল বা ছিদ্রপথের মাধ্যমে ভ‚অভ্যন্তরে গলিত লাভা, ধূম্র, ভস্ম ইত্যাদি প্রবলবেগে ভ‚পৃষ্ঠে এসে উপনীত হয় এবং ফাটল বা ছিদ্রপথের চরিদিকে সঞ্চিত হয়ে পর্বতের ন্যায় অবস্থান করে। একে সঞ্চয়জাত পর্বত বলে। এ ধরনের পর্বত সাধারণত মোচাকৃতির হয়ে থাকে। উদ্দীপকের বিধান ও হিমেল ঘুরতে গিয়ে এরূপ মোচাকৃতির পর্বত দেখে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে এ পর্বতের সৃষ্টি হয় বলে একে আগ্নেয় পর্বত বলে। ইতালির ভিসুভিয়াস, কেনিয়ার কিলিমানজারো, জাপানের ফুজিয়ামা এবং ফিলিপাইনের পিনাটুবো এ জাতীয় পর্বত।
ঘ বিধানের বাড়ি বান্দরবানে এবং হিমেলের বাড়ি খুলনায়। বান্দরবানের ভ‚মির গঠন বৈশিষ্ট্যের সাথে খুলনা অঞ্চলের ভ‚মির গঠন বৈশিষ্ট্যের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বিধানের বাড়ি বাংলাদেশের বান্দরবানে, যা হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় সৃষ্টি হয়েছে বলে ভঙ্গিল পর্বতের অন্তর্ভুক্ত। কোমল শিলায় ভাঁজ পড়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়। এ পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভাঁজ, সমুদ্র তলদেশের বিস্তারিত অবনমিত স্থানে দীর্ঘকাল ধরে বিপুল পরিমাণ পলি জমা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে ভ‚আলোড়ন বা ভ‚মিকম্পের ফলে এবং পার্শ্ববর্তী সুদৃঢ় ভ‚মিখণ্ডের প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে ঊর্ধ্ব ও অধঃভাঁজের সৃষ্টির মাধ্যমে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়। এভাবে বান্দরবান জেলাও গঠিত হয়েছে। হিমেলের বাড়ি খুলনায় যা বদ্বীপ সমভ‚মির অন্তর্গত। বদ্বীপ সমভ‚মি নদী সঞ্চয়ের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় বলে এটিকে সঞ্চয়জাত সমভ‚মিও বলা যায়। নদী মোহনার কাছাকাছি এলে স্রোতের বেগ একেবারেই কমে যায়। এতে বালি ও কাদা তলানিরূপে সঞ্চিত হয়। নদীর স্রোতের টান যদি কোনো সাগরে এসে পতিত হয় তাহলে ঐ সমস্ত বালি, কাদা নদীর মুখে জমে নদীমুখ প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে এর স্তর সাগরের পানির উচ্চতার উপরে উঠে যায়। তখন নদী বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে এই চরাভ‚মিকে বেষ্টন করে সাগরে পতিত হয়। আর এই ত্রিকোণাকার নতুন সমতলভ‚মিতে বদ্বীপ সমভ‚মির সৃষ্টি হয়। সুতরাং, বিধান ও হিমেলের বাড়ি তথা বান্দরবান ও খুলনার ভ‚মির গঠন বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র।
প্রশ্ন- ২ গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল
নিচের চিত্রটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. খনিজ কী?
খ. পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উপরের চিত্রে ‘অ’ চিহ্নিত স্তরের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উপরের চিত্রে ‘ই’ ও ‘ঈ’ স্তরের গঠন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা আছে কি? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
ক কতগুলো মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাকে খনিজ বলা হয়।
খ পলি সঞ্চিত হয়ে যে শিলা গঠন করে তা পাললিক শিলা। এ শিলায় পলি সাধারণত স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রে কোনো কোনো সময় উদ্ভিদ ও পানিতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণীর দেহাবশেষ জৈব পলি হিসেবে জমা হয় এবং শেষে তা জমাটবদ্ধ হয়ে জৈবিক পাললিক শিলায় পরিণত হয়। এজন্য পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়।
গ চিত্রের ‘অ’ চিিহ্নত স্তরটি হচ্ছে ঊর্ধ্বগুরুমণ্ডল। গুরুমণ্ডল ২,৮৮৫ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং দুটি ভাগে বিভক্ত। ঊর্ধ্বগুরুমণ্ডল হচ্ছে গুরুমণ্ডলের উপরিভাগ, যা ভ‚ত্বকের নিচে অবস্থিত। উর্ধ্বগুরুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
র. ঊর্ধ্বগুরুমণ্ডল ৭০০ কিলোমিটার বিস্তৃত।
রর. এই মণ্ডল প্রধানত লোহা ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ সিলিকেট খনিজ দ্বারা গঠিত।
ঘ চিত্রে ‘ই’ ও ‘ঈ’ স্তর যথাক্রমে নি¤œ গুরুমণ্ডল ও বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল। স্তর দুটির গঠন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা আছে। গুরুমণ্ডল ভ‚ত্বকের নিচ থেকে ২,৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি মূলত ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত। এ অংশে রয়েছে সিলিকা, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কার্বন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ। গুরুমণ্ডলের উপরিভাগ লোহা ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ সিলিকেট খনিজ দ্বারা গঠিত কিন্তু ‘ই’ চিিহ্নত নিম্নভাগ আয়রন অক্সাইড, ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড এবং সিলিকন ডাইঅক্সাইড সমৃদ্ধ খনিজ দ্বারা গঠিত। নি¤œ গুরুমণ্ডলের ঠিক পরেই ‘ঈ’ চিিহ্নত বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল বিস্তৃত। ভ‚কম্পন তরঙ্গের সাহায্যে জানা গেছে বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল তরল অবস্থায় আছে। এই বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল ২,২৭০ কিলোমিটার পুরু। বিজ্ঞানীদের মতে কেন্দ্রমণ্ডলের উপাদান লোহা, নিকেল, পারদ ও সিসা হলেও প্রধান উপাদান নিকেল ও লোহা। উপরিউক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, ‘ই’ ও ‘ঈ’ স্তর তথা নি¤œ গুরুমণ্ডল ও বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল গঠন বৈশিষ্ট্যে ভিন্ন।
বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে কী বলে? [স. বো.’১৬]
ক দোয়ার খ নদীগর্ভ
গ নদী সঙ্গম ঘ উপনদী
২. জাপানের ফুজিয়ামা কোন ধরনের আগ্নেয়গিরি? [স. বো.’১৬]
ক মৃত খ সক্রিয়
গ শিল্ড ঘ সুপ্ত
৩. স¤প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে নেপালে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নেপালে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছে? [স. বো.’১৬]
ক দুর্ভিক্ষ খ ভ‚মিকম্প
গ বন্যা ঘ ঝড়
৫. কোন খনিজ দ্বারা গুরুমণ্ডল গঠিত? [স.বো.১৫]
ক কার্বন ডাইঅক্সাইড সিলিকন ডাইঅক্সাইড
গ লোহা ঘ নিকেল
৬. নিচের কোনটি আগ্নেয় পর্বত? [স.বো.’১৫]
ক হেনরি খ সাতপুরা গ বিন্ধ্যা পিনাটুবো
৭. মুনিফ ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেলে দেখতে পেল ১৯৩৫ সালে বিহারে ভয়াবহ ভ‚মিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এই ভ‚মিকম্পটি কি কারণে সংঘটিত হয়েছিল? [স.বো.’১৫]
ক ভ‚গর্ভস্থ বাষ্প শিলাচ্যুতি গ তাপ বিকিরণ ঘ হিমবাহ
নিচের চিত্রটি দুটি দেখে ২৩২ ও ২৩৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৮. ১নং চিত্রের উদাহরণÑ (জ্ঞান)
ক ভারতের বিন্ধ্যা পর্বত যুক্তরাষ্ট্রের হেনরী পর্বত
গ ইতালির ভিসুভিয়াস পর্বত ঘ ফিলিপাইনের পিনাটুবো পর্বত
৯. ২নং চিত্রটি- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পর্বতমধ্যবর্তী মালভ‚মি
রর. দুই পর্বতশৃঙ্গের মাঝে উচ্চভ‚মি বিদ্যমান
ররর. এশিয়ার মঙ্গোলিয়া ও তারিম এ ধরনের মালভ‚মির উদাহরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১০. অশ্মমণ্ডলের বাইরের আবরণ কোনটি? [বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা]
ক ভ‚পৃষ্ঠ ভ‚ত্বক গ নমনীয় মণ্ডল ঘ সিমাস্তর
১১. গুরুমণ্ডল মূলত কী শিলা দ্বারা গঠিত?
[আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনা]
ক চুনাপাথর খ ক্যালসাইট ব্যাসল্ট ঘ কেওলিন
১২. কেন্দ্রমণ্ডলের কঠিন অন্তঃভাগের পুরুত্ব কত?
[খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ৭০০ কিলোমিটার ১,২১৬ কিলোমিটার
গ ১,২৭০ কিলোমিটার ঘ ২,৮৮৫ কিলোমিটার
১৩. কেন্দ্রমণ্ডলের প্রধান গঠন উপাদান কী? [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
ক সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম
খ সিলিকা ও ম্যাগনেসিয়াম
লোহা ও নিকেল
ঘ আয়রন অক্সাইড ও সিলিকন ডাইঅক্সাইড
১৪. এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয় কোনটি?
[অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
খনিজ খ শিলা গ হীরা ঘ জিপসাম
১৫. একটি মাত্র মৌল দ্বারা গঠিত খনিজ কোনটি?
[ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কেলজ]
ক দস্তা খ লোহা তামা ঘ ক্যালসাইট
১৬. অশ্মমণ্ডলে দেখা যায় [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
র. ব্যাসল্ট
রর. সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম
ররর. সিলিকন ও অক্সিজেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭. বেলেপাথর রূপান্তরিত হয়ে কী শিলায় পরিণত হয়?
[শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক মার্বেল কোয়ার্টজাইট গ ¯েøট ঘ শেল
১৮. কোনটি থেকে গ্রাফাইট উৎপন্ন হয়?
[মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
ক চুনাপাথর কয়লা গ বেলেপাথর ঘ গ্রানাইট
১৯. পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য হলো
[এ.ভি.জে.এম. সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সিগঞ্জ]
র. স্তরীভ‚ত, নরম ও হালকা
রর. জীবাশ্ম দেখা যায় না
ররর. সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২০. ভ‚পৃষ্ঠের ধীর পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়?
[আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোনা]
২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
২১. কোনটিতে আকস্মিক পরিবর্তন ঘটে? [বিএএফ শাহীন কলেজ, চট্টগ্রাম]
ভ‚মিকম্প খ বিচ‚র্ণীভবন
গ নগ্নীভবন ঘ ক্ষয়ীভবন
২২. ১৯৩৫ সালে বিহারে সংঘটিত ভ‚মিকম্পের কারণ কী ছিল ছিল?
[বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক ভ‚গর্ভস্থ বাষ্প খ হিমবাহের প্রভাব
গ তাপ বিকিরণ শিলাচ্যুতি
২৩. ১৯৫০ সালে আসামে ভ‚মিকম্প সংঘটনে কোনটি দায়ী ছিল?
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
শিলাতে ভাঁজের সৃষ্টি খ তাপ বিকিরণ
গ হিমবাহের প্রভাব ঘ পাহাড় কাটা
২৪. হিমালয় পর্বত উত্থিত হয়েছে কোনটির ফলে?
[জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ভ‚মিকম্প খ সুনামি গ আগ্নেয়গিরি ঘ তাপ
২৫. ১৯৫০ সালে আসামের ভ‚মিকম্পে কোন নদীর গতি পরিবর্তিত হয়ে যায়? [ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক যমুনা দিবং গ হুগলি ঘ আত্রাই
২৬. জাপানি ভাষায় ‘সুনামি’ শব্দের অর্থ কী?
[কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক সমুদ্রের গর্জন খ নীল পানি
গ চোখের জল পোতাশ্রয়ের ঢেউ
২৭. সুনামি সৃষ্টি হয় কেন? [যাত্রাবাড়ি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের জন্য খ হিমবাহের কারণে
গ শিলাচ্যুতির কারণে ঘ বাষ্পপ্রবাহের কারণে
২৮. ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামি কতটি দেশে আঘাত হানে?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ৯ খ ১২ ১৪ ঘ ২১
২৯. বিচ‚র্ণীভবন কী? [বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
ক গলিত ম্যাগমা বের হওয়ার প্রক্রিয়া
শিলারাশির চ‚র্ণ-বিচ‚র্ণ ও বিশ্লিষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়া
গ জ্বালামুখ থেকে লাভা নিঃসরণ প্রক্রিয়া
ঘ পর্বতের ঢাল বেয়ে পানিস্রোত পড়ার প্রক্রিয়া
৩০. কোন শক্তির প্রভাবে নদী প্রবাহিত হয়?
[মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
মাধ্যাকর্ষণ শক্তি খ অভিকর্ষ
গ আগ্নেয়গিরি ঘ ভ‚মিকম্প
৩১. নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে কী বলে?
[মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, ঢাকা]
খাড়ি খ দোয়াব গ নদী সঙ্গম ঘ মোহনা
৩২. প্রবহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভ‚মিকে কী বলে?
[খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক নদীগর্ভ খ খাড়ি গ উপত্যকা দোয়াব
৩৩. দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে কী বলে?
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
নদী সঙ্গম খ শাখা গ নদীগর্ভ ঘ দোয়াব
৩৪. ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী?
[শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পরিবহন খ সঞ্চয় ক্ষয়সাধন ঘ অপসারণ
৩৫. নদীর খুব গভীর ও সংকীর্ণ গিরিখাতকে কী বলা হয়?
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
ক্যানিয়ন খ উপত্যকা গ জলপ্রপাত ঘ নদীগর্ভ
৩৬. নদীর নিম্নগতি অবস্থায়- [শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. স্রোত কমে যায়
রর. নদী উপত্যকা সরু ও গভীর হয়
ররর. পানিবাহিত বালুকণা ও কাদা নদীগর্ভে সঞ্চিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. রকি কোন ধরনের পর্বত? [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা]
ভঙ্গিল পর্বত খ আগ্নেয় পর্বত গ স্তূপ পর্বত ঘ ক্ষয়জাত পর্বত
৩৮. জার্মানির বø্যাক ফরেস্ট কোন ধরনের পর্বত?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ভঙ্গিল পর্বত স্তূপ পর্বত গ ল্যাকোলিথ পর্বত ঘ আগ্নেয় পর্বত
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ভ‚মিকা বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ০০
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৯. ভ‚ত্বক মূলত কী? (জ্ঞান)
একটি শীতল আস্তরণ খ একটি উত্তপ্ত আস্তরণ
গ একটি গ্যাসীয় আস্তরণ ঘ একটি নরম আস্তরণ
৪০. ভ‚গর্ভের কয়টি স্তর রয়েছে? (জ্ঞান)
ক ৪ ৩ গ ২ ঘ ১
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪১. ভ‚পৃষ্ঠ- (জ্ঞান)
র. সর্বদা পরিবর্তনশীল
রর. দুই রকমে পরিবর্তিত হয়
ররর. বিভিন্ন প্রকার শিলা দ্বারা গঠিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পৃথিবী অভ্যন্তরীণ গঠন বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৪৩
¡ সৃষ্টির সময় পৃথিবী ছিল- উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড।
¡ পৃথিবীর ভারী উপাদানগুলো- কেন্দ্রের দিকে জমা হয়।
¡ পৃথিবীর হালকা উপাদানগুলো ভরের তারতম্য অনুসারে নিচের থেকে উপরের স্তরে জমা হয়।
¡ অশ্মমণ্ডলের উপরের অংশ হলো- ভ‚ত্বক।
¡ ভ‚গর্ভের তিনটি স্তর হলো – অশ্মমণ্ডল, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল।
¡ ভ‚ত্বকের পুরুত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।
¡ গুরুমণ্ডল মূলত- ব্যাস শিলায় গঠিত-
¡ সমুদ্র তলদেশে ভ‚ত্বকের গভীরতা প্রায়- ৫ কিলোমিটার।
¡ মহাদেশীয় ভ‚ত্বকের স্তরকে সিয়াল বলে, যা গঠিত- সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে।
¡ কেন্দ্রমন্ডলের প্রধান উপাদান হলো- নিকেল ও লোহা।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪২. সৃষ্টির সময় পৃথিবী কীরূপ ছিল? (জ্ঞান)
ক স্থিতিস্থাপক উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড
গ প্রচণ্ড কঠিনাবস্থা ঘ তরলাবস্থা
৪৩. পৃথিবীর উপরের আবরণ কঠিন হওয়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কেন্দ্রমণ্ডলের উপস্থিতি খ সূর্য হতে সৃষ্টি বলে
গ বায়ুমণ্ডলের কারণে তাপ বিকিরণ করে শীতল হওয়া
৪৪. পৃথিবী গঠনের সময় ভারী উপাদানগুলো কেন্দ্রের দিকে জমা হয় কেন?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক কেন্দ্র উত্তপ্ত অবস্থায় বিরাজ করার কারণে
খ কেন্দ্রের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি শূন্য বলে
পৃথিবী শীতল হওয়ার সময় ভরের তারতম্যের কারণে
ঘ কেন্দ্র সকল কিছু নিজের দিকে টানে বলে
৪৫. পৃথিবীর উপরের স্তরকে কী বলে? (জ্ঞান)
অশ্মমণ্ডল খ গুরুমণ্ডল গ কেন্দ্রমণ্ডল ঘ লঘুমণ্ডল
৪৬. পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে এর কেন্দ্র পর্যন্ত কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৪৭. ভ‚পৃষ্ঠের কঠিন বহিরাবরণকে কী বলে? (জ্ঞান)
ভ‚ত্বক খ গুরুমণ্ডল গ কেন্দ্রমণ্ডল ঘ অশ্মমণ্ডল
৪৮. ভ‚ত্বকের পুরুত্ব গড়ে কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ১০ ২০ ঘ ৩৫
৪৯. ভ‚ত্বকের পুরুত্ব মহাদেশের তলদেশে গড়ে কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ১০ গ ২০ ৩৫
৫০. ভ‚ত্বকের পুরুত্ব সমুদ্র তলদেশে গড়ে কত কিলোমিটার? (জ্ঞান)
৫ খ ২০ গ ৩৫ ঘ ৪৫
৫১. ‘সিয়াল’ কী? (জ্ঞান)
ক এক প্রকার বায়ুপ্রবাহ খ ভ‚কম্পন দ্বারা সৃষ্ট সমুদ্র ঢেউ
মহাদেশীয় ভ‚ত্বকের স্তর ঘ এক প্রকার শিলা
৫২. মহাদেশীয় ভ‚ত্বক কোন পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি? (জ্ঞান)
ক সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম
গ সিলিকন ও লোহা ঘ সিলিকন ও অক্সিজেন
৫৩. ভ‚ত্বকের ভারী শিলাস্তর কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
ক সিয়াল সিমা গ নিফে ঘ অন্তঃকেন্দ্র
৫৪. বঙ্গোপসাগরের তলদেশ কী উপাদান দিয়ে তৈরি? (প্রয়োগ)
সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম খ সিলিকন ও অ্যালুমিনিয়াম
গ ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম ঘ লোহা ও নিকেল
৫৫. ভ‚ত্বকের সিমা স্তর কী উপাদান দিয়ে গঠিত? (প্রয়োগ)
ক সিলিকন ও লোহা খ সিলিকন ও নিকেল
সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম ঘ সিলিকন ও অক্সিজেন
৫৬. ‘সিমা’ কী? (জ্ঞান)
ক এক প্রকার জলবায়ু খ এক প্রকার বায়ুপ্রবাহ
সমুদ্র তলদেশের শিলাস্তর ঘ মহাদেশীয় ভ‚ত্বকের স্তর
৫৭. ভ‚ত্বকের নিচে কতদূর পর্যন্ত গুরুমণ্ডলের বিস্তৃতি? (জ্ঞান)
ক ৭০০ কিলোমিটার খ ২,২৭০ কিলোমিটার
২,৮৮৫ কিলোমিটার ঘ ৩,৪৮৬ কিলোমিটার
৫৮. ভ‚ত্বকের নিচের স্তরকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অশ্মমণ্ডল খ পাতাল গ নমনীয়মণ্ডল গুরুমণ্ডল
৫৯. গুরুমণ্ডলের উপাদানগুলো কী কী? (জ্ঞান)
সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কার্বন
খ অক্সিজেন, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা
গ ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বোরন, জিঙ্ক
ঘ সোডিয়াম, পটাসিয়াম, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন
৬০. গুরুমণ্ডল কত ভাগে বিভক্ত? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৬১. ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডল কত কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত? (জ্ঞান)
ক ১০০ খ ২০০ গ ৫০০ ৭০০
৬২. ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডল কী দ্বারা গঠিত? (জ্ঞান)
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ সিলিকেট খ আয়রন অক্সাইড
গ ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ঘ সিলিকন ডাইঅক্সাইড
৬৩. কেন্দ্রমণ্ডলের আগের স্তর কোনটি? (জ্ঞান)
ক ভ‚ত্বক গুরুমণ্ডল গ অশ্মমণ্ডল ঘ সমমণ্ডল
৬৪. গুরুমণ্ডলের নিম্নভাগ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অশ্মমণ্ডল খ গুরুমণ্ডল গ লঘুমণ্ডল কেন্দ্রমণ্ডল
৬৫. কেন্দ্রমণ্ডল কত কিলোমিটার পুরু? (জ্ঞান)
ক ২,২৭০ খ ২,৮৮৫ ৩,৪৮৬ ঘ ৪,১০০
৬৬. কেন্দ্রমণ্ডলের তরল বহিরাবরণটির পুরুত্ব কত? (জ্ঞান)
ক ৭০০ কিলোমিটার খ ১,২১৬ কিলোমিটার
২,২৭০ কিলোমিটার ঘ ২,৮৮৫ কিলোমিটার
৬৭. নিচের কোনটি কেন্দ্রমণ্ডলের উপাদান? (জ্ঞান)
নিকেল খ কার্বন গ ম্যাগনেসিয়াম ঘ সিলিকা
৬৮. নিচের কোনটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ভ‚ত্বক → কেন্দ্রমণ্ডল → অশ্মমণ্ডল → গুরুমণ্ডল
খ কেন্দ্রমণ্ডল →ভ‚ত্বক → গুরুমণ্ডল→ অশ্মমণ্ডল
ভ‚ত্বক → অশ্মমণ্ডল → গুরুমণ্ডল → কেন্দ্রমণ্ডল
ঘ গুরুমণ্ডল → কেন্দ্রমণ্ডল→ অশ্মমণ্ডল → ভ‚ত্বক
৬৯. ভ‚ত্বক কী দ্বারা গঠিত? (জ্ঞান)
শিলা খ খনিজ গ মাটি ঘ বালি
৭০. শিলা কী দ্বারা গঠিত? (জ্ঞান)
ক মাটি খনিজ গ আকরিক ঘ খনিজমল
৭১. ভ‚পৃষ্ঠে কয়েকটি মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে কী গঠন করে? (প্রয়োগ)
ক শিলা খ লাভা গ ম্যাগমা খনিজ
৭২. চুনাপাথর কোন খনিজের উদাহরণ? (জ্ঞান)
ক্যালসাইট খ ম্যাগনেসাইট গ হেমাটাইট ঘ কোরান্ডাম
৭৩. শিলা কী জাতীয় পদার্থ? (জ্ঞান)
ক সমসত্ত¡ পদার্থ অসমসত্ত¡ পদার্থ গ জৈব পদার্থ ঘ সংকর ধাতু
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৪. সিমা হলো (জ্ঞান)
র. ভ‚ত্বকের নিচের স্তর
রর. সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে তৈরি
ররর. সমুদ্র তলদেশের শিলাস্তর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৫. গুরুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কেন্দ্রমণ্ডলের উপরের স্তর
রর. সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়ামের প্রাধান্য
ররর. অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় বিদ্যমান থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে (জ্ঞান)
র. কেন্দ্রমণ্ডল
রর. লোহা ও নিকেল
ররর. প্রচণ্ড উত্তাপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৭. লোহা, নিকেল, পারদ ও সিসা দিয়ে তৈরি (জ্ঞান)
র. কেন্দ্রমন্ডল
রর. গুরুমন্ডল
ররর. সমুদ্র তলদেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৮. কেন্দ্রমণ্ডলের উপাদান হলো (জ্ঞান)
র. লোহা ও নিকেল
রর. পারদ ও সিসা
ররর. কার্বন ও ম্যাগনেসিয়াম
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের চিত্রটি দেখে ৪৯, ৫০ ও ৫১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৭৯. চিত্রের ই স্তরকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক অশ্মমণ্ডল গুরুমণ্ডল গ কেন্দ্রমণ্ডল ঘ বায়ুমণ্ডল
৮০. চিত্রের গঠন কাঠামো কোথায় সিয়াল ও সিমা স্তরে ভাগ হয়েছে? (প্রয়োগ)
অ খ ই গ অ ও ই ঘ ই ও ঈ
৮১. চিত্রের ঈ স্তরটি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত
রর. নিকেল ও লোহা গঠিত
ররর. পৃথিবীর বাহ্যিক গঠন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
শিলা ও এর শ্রেণিবিভাগ বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৪৪
¡ ভ‚ত্বক গঠিত- শিলা দ্বারা।
¡ গঠনপ্রণালি অনুসারে শিলা তিন প্রকার যথা- আগ্নেয়শিলা, পাললিকশিলা, রূপান্তরিত শিলা।
¡ আগ্নেয়শিলার অপর নাম- অস্তরীভ‚ত শিলা, যাতে কোনো স্তর নেই।
¡ আগ্নেয়শিলা দ্ইু ভাগে বিভক্ত যথা- বহি:জ আগ্নেয় শিলা ও অন্তঃজ আগ্নেয়শিলা।
¡ পাললিক শিলা ভ‚পৃষ্ঠের মোট আয়তনের শতকরা – ৫ ভাগ।
¡ পাললিক শিলা গঠিত হয়- জৈবিক ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়।
¡ পাললিক শিলা দেখা যায়- উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর জীবাশ্মে।
¡ রূপান্তরিতি শিলা হলো- প্রচণ্ড চাপ, উত্তাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে আগ্নেয় ও পাললিক শিলার রূপান্তরিত রূপ।
¡ চুনাপাথর, বেলেপাথর রূপান্তরিত হয়ে যথাক্রমে- মার্বেল কোয়ার্টজাইটে পরিণত হয়।
¡ রূপান্তরিত শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায় না।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮২. গঠনপ্রণালি অনুসারে শিলাকে কয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়? (জ্ঞান)
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৮৩. পৃথিবীর গলিত অবস্থা ঘনীভ‚ত বা কঠিন হয়ে কোন শিলা গঠিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
আগ্নেয় শিলা খ পাললিক শিলা গ রূপান্তরিত শিলা ঘ স্তরীভ‚ত শিলা
৮৪. আগ্নেয় শিলাকে প্রাথমিক শিলা বলা হয় কেন? (জ্ঞান)
ক আগুন থেকে উৎপত্তি বলে
খ এর দ্বারা পৃথিবী উৎপত্তি হয়েছে বলে
গ পৃথিবীর বিকাশের সাথে জড়িত বলে
পৃথিবীর প্রথম পর্যায়ে সৃষ্টি হয়েছে বলে
৮৫. আগ্নেয় শিলাকে অস্তরীভ‚ত শিলা বলা হয় কেন? (জ্ঞান)
ক শিলায় স্তর আছে বলে শিলায় স্তর নেই বলে
গ শিলা অপেক্ষাকৃত ভারী বলে ঘ শিলা স্ফটিকার বলে
৮৬. আগ্নেয়গিরি বা ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚ত্বকের দুর্বল ফাটল দিয়ে গলিত লাভা নির্গত হয়ে কী ধরনের শিলার সৃষ্টি করে? (জ্ঞান)
ক পাললিক খ রূপান্তরিত আগ্নেয় ঘ স্তরীভ‚ত
৮৭. আগ্নেয় শিলাকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৮৮. ম্যাগমা ঠাণ্ডা হয়ে কোন শিলায় পরিণত হয়? (জ্ঞান)
ক পাললিক খ অপত্রায়ন গ রূপান্তরিত আগ্নেয়
৮৯. ম্যাগমা কঠিনাকার ধারণ করে নিচের কোন শিলায় পরিণত হয়? (জ্ঞান)
ক জিপসাম খ ডায়াটম গ ডোলোমাইট রায়োলাইট
৯০. বহিঃজ আগ্নেয় শিলার উদাহরণ কোনটি? (জ্ঞান)
ক গ্রানাইট ও গ্যাব্রো খ ডলোরাইট ও ল্যাকোলিথ
গ ব্যাথোলিথ ও অ্যান্ডসাইট ব্যাসল্ট ও রায়োলাইট
৯১. কোন দুটি আগ্নেয় শিলা? (জ্ঞান)
ক গ্রানাইট ও স্লেট ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট
গ কাঁকর ও কাদা ঘ কেওলিন ও কয়লা
৯২. কোনটি অন্তঃজ আগ্নেয় শিলা? (জ্ঞান)
ক ব্যাসল্ট খ রায়োলাইট গ্যাব্রো ঘ অ্যান্ডিসাইট
৯৩. ভ‚গর্ভের উত্তপ্ত ম্যাগমা ভ‚পৃষ্ঠের বাইরে না এসে ভ‚গর্ভে জমাট বেঁধে তৈরি হয় এমন শিলার উদাহরণ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ব্যাসল্ট ল্যাকোলিথ গ রায়োলাইট ঘ অ্যান্ডিসাইট
৯৪. ডাইক ও সিল কোন ধরনের শিলার উদাহরণ? (জ্ঞান)
ক বহিঃজ আগ্নেয় অন্তঃজ আগ্নেয়
গ পাললিক ঘ রূপান্তরিত
৯৫. পাললিক শিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বাক্য কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
সাগরের তলদেশে জমাট বেঁধে সৃষ্টি হয়
খ ভ‚ত্বকের অল্প গভীরে জমাট বেঁধে সৃষ্টি হয়
গ অধিক তাপ ও চাপে সৃষ্টি হয়
ঘ অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভ‚ত্বক জমাট বেঁধে সৃষ্টি হয়
৯৬. পাললিক শিলা ভ‚পৃষ্ঠের মোট আয়তনের শতকরা কত ভাগ দখল করে আছে? (জ্ঞান)
৫ খ ১৫ গ ৫০ ঘ ৭৫
৯৭. মহাদেশীয় ভ‚ত্বকের আবরণের শতকরা কত ভাগ পাললিক শিলা? (জ্ঞান)
ক ৩০ খ ৫০ ৭৫ ঘ ৯০
৯৮. পাললিক শিলার গঠনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কোন প্রক্রিয়া? (উচ্চতর দক্ষতা)
পলি জমাট বেঁধে সৃষ্টি হয়
খ অধিক তাপ বা চাপে সৃষ্টি হয়
গ প্রচণ্ড উত্তাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়া ঘটে
ঘ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্টি হয়
৯৯. পাললিক শিলার আর এক নাম কী? (জ্ঞান)
স্তরীভ‚ত শিলা খ প্রাথমিক শিলা গ রূপান্তরিত শিলা ঘ অন্তঃজ শিলা
১০০. চুনাপাথর কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে? (জ্ঞান)
ক অত্যধিক চাপে খ অত্যধিক তাপে
গ জৈবিক উপায়ে স্তরে স্তরে জমা হয়ে
১০১. জীবদেহ থেকে উৎপন্ন পাললিক শিলা কোনটি? (জ্ঞান)
কয়লা ও খনিজ তেল খ কর্দম ও বেলে পাথর
গ কাদাপাথর ও কেওলিন ঘ চুনাপাথর ও নিকেল
১০২. উদ্ভিদজাত পদার্থ থেকে গঠিত শিলা কোনটি? (জ্ঞান)
ক খনিজ তেল খ চুনাপাথর গ বেলেপাথর কয়লা
১০৩. জীবাশ্মের উপস্থিতি নিচের কোনটিতে দেখা যায়? (জ্ঞান)
কয়লা খ ব্যাসল্ট গ কোয়ার্টজ ঘ ডোলোমাইট
১০৪. ¯েøট কোন ধরনের শিলা? (জ্ঞান)
ক আগ্নেয় খ পাললিক রূপান্তরিত ঘ কাদা
১০৫. ‘মার্বেল’ ও ‘¯েøট’ কীভাবে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক পলি সঞ্চয়নের মাধ্যমে খ ম্যাগমা নিঃশব্দে উপচে পড়ে
গ গলিত পদার্থ উৎক্ষিপ্ত হয়ে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে
১০৬. কোন দুটি রূপান্তরিত শিলা? (জ্ঞান)
ক চুনাপাথর ও নিস খ কয়লা ও গ্রাবো
গ কোয়ার্টজ ও কেওলিন ¯েøট ও গ্রাফাইট
১০৭. কয়লা রূপান্তরিত হয়ে কোন শিলায় পরিণত হয়? (জ্ঞান)
ক গ্রানাইটে গ্রাফাইটে গ কোয়ার্টজাইটে ঘ মার্বেলে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৮. শিলার বৈশিষ্ট্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া শিলা গঠনের ব্যাপারে ভ‚মিকা রাখে
রর. শিলার অভ্যন্তরে তাপ ও চাপের ফলে পরিবর্তন ঘটে
ররর. রূপান্তরিত শিলা খুব কঠিন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১০৯. আগ্নেয় শিলার অপর নাম (জ্ঞান)
র. প্রাথমিক শিলা
রর. অস্তরীভ‚ত শিলা
ররর. ভ‚গর্ভস্থ শিলা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর র ও রর ঘ র ও ররর
১১০. আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অস্তরীভ‚ত ও স্ফটিকাকার
রর. কঠিন ও কম ভঙ্গুর
ররর. জীবাশ্ম দেখা যায় না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১১১. শিলায় রূপান্তর সাধনে ভ‚মিকা রাখে (প্রয়োগ)
র. তাপ
রর. চাপ
ররর. সক্রিয় তরল পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৩ ও ৮৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শামীম কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে এক বিশেষ ধরনের পাথর দেখতে পেল। সে লক্ষ করল পাথরগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর দেহাবশেষ জমাটবদ্ধ হয়ে আছে।
১১২. শামীমের দেখা পাথরগুলো কোন শিলার অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক আগ্নেয় পাললিক গ রূপান্তরিত ঘ আগ্নেয় পাললিক
১১৩. শামীমের দেখা শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে খ ম্যাগমা ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হয়ে
পলি সঞ্চয়ের মাধ্যমে ঘ ভ‚অভ্যন্তরে ম্যাগমা জমাট হয়ে
ভ‚পৃষ্ঠের পরিবর্তন প্রক্রিয়া বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৪৬
¡ ভ‚প্রক্রিয়া হলো- প্রাকৃতিকভাবে ভ‚মিরূপের সাধিত পরিবর্তন।
¡ ভ‚পৃষ্ঠের ধীর পরিবর্তন ২টি প্রকৃয়ার সম্পন্ন হয় যথা- নগ্নীভবন ও অবক্ষেপণ।
¡ ভ‚পৃষ্ঠের বেশির ভাগ পরিবর্তন হয়ে থাকে- ভ‚আলোড়নের মাধ্যমে
¡ ভ‚মিকম্প হলো- ভ‚ত্বকের তাপে বিকিরণের ফলে ভ‚ত্বক সংকুচিত হয়ে ফাটল ও ভাঁজ সৃষ্টির ফলাফল।
¡ সাধারণত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় ভ‚কম্পন।
¡ পামীর মালভ‚মিতে বিশাল ভ‚পাত হওয়ার ফলে তুরস্কে ভ‚মিকম্প হয়েছিল-১৯১১ সালে।
¡ সাধারণত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় ভ‚কম্পন।
¡ ১৭৮৭ সালে আসামে ভূমিকম্পের ফলে- ব্রহ্মপুত্র নদ তার গতিপথ পরিবর্তন করে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়।
¡ সুনামি একটি জাপানি শব্দ যার অর্থ হলো- পোতাশ্রয়ের ঢেউ।
¡ ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সুনামি ফলে ১৪টি দেশে মারাত্মক দুর্যোগ তৈরি হয়।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. নিচের কোনটি ভ‚পৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তন ঘটায় না? (জ্ঞান)
ক ভ‚মিকম্প খ ভ‚আলোড়ন
গ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত নগ্নীভবন
১১৫. ভ‚পৃষ্ঠে আকস্মিক পরিবর্তন আনে কোনটি? (জ্ঞান)
ক নগ্নীভবন খ ক্ষয়ীভবন গ অপসারণ ভ‚মিকম্প
১১৬. ভ‚পৃষ্ঠে হঠাৎ পরিবর্তন সাধিত হলে তাকে কী বলা যেতে পারে? (জ্ঞান)
ক হঠাৎ পরিবর্তন খ ধীর পরিবর্তন
আকস্মিক পরিবর্তন ঘ তাৎক্ষণিক পরিবর্তন
১১৭. ভ‚পৃষ্ঠে ধীর পরিবর্তনে কোনটি ভ‚মিকা রাখে? (জ্ঞান)
ক ভ‚মিকম্প খ সুনামি গ আগ্নেয়গিরি বৃষ্টিপাত
১১৮. পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের উত্তপ্ত ও গলিত বস্তুর তাপ ও চাপের পার্থক্যে ভ‚ত্বকে যে আলোড়ন ঘটে তাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ভ‚আলোড়ন খ ভ‚কম্পন গ অগ্ন্যুৎপাত ঘ নগ্নীভবন
১১৯. রাতে বাবা-মা’র চিৎকারে সিনথিয়া ঘুম থেকে জেগে ওঠে লক্ষ করে জিনিসপত্রসহ সারা ঘর কাঁপছে। এ ঘটনা কী ইঙ্গিত করে? (প্রয়োগ)
ক বাবা-মা’র ঝগড়া খ অগ্ন্যুৎপাতের
ভ‚মিকম্পের ঘ বৃষ্টিপাতের
১২০. গত ১২ই ফেব্রæয়ারি চট্টগ্রামে ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এক কম্পনে হামজারবাগে একটি দোতলা দালানে ফাটল ধরে। এ কম্পনকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক অগ্ন্যুৎপাত ভ‚মিকম্প
গ আকস্মিক পরিবর্তন ঘ ধীর পরিবর্তন
১২১. ভ‚ত্বক তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হলে ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক চাপের বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটে বলে ফাটল ও ভাঁজের সৃষ্টি হয় বলে
গ ভ‚গর্ভস্থ তাপের সংকোচন হয় বলে ঘ এতে প্রবলবেগে বাষ্প বের হয় বলে
১২২. পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পাল্টে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার জন্য কোন কারণটিকে দায়ী মনে করা হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ভ‚ত্বকের ফাটল বা ধস খ ভ‚গর্ভস্থ বাষ্প
গ হিমবাহের প্রভাব ঘ বনভ‚মি ধ্বংস
১২৩. পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে কবে থেকে? (জ্ঞান)
ক ১৭৯১ ১৭৮৭ গ ১৮৯১ ঘ ১৮৮৯
১২৪. ভ‚মিকম্পের ফলে বাংলাদেশের কোন নদীর গতিপথ পাল্টে যায়? (জ্ঞান)
ক কর্ণফুলি খ মেঘনা ব্রহ্মপুত্র ঘ পদ্মা
১২৫. কত সালে ভারতের কচ্ছ উপসাগরের উপক‚লে প্রায় ৫,০০০ বর্গকিলোমিটার স্থান সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হয়? (জ্ঞান)
১৮৯৯ খ ১৯১১ গ ১৯৫০ ঘ ১৯৬৯
১২৬. ভ‚মিকম্পের ফলে স্থলভাগ সমুদ্রতলে ডুবে যায়। এমন উদাহরণ কোনটি? (প্রয়োগ)
ক বঙ্গোপসাগরের উপক‚ল খ আরব সাগরের উপক‚ল
কচ্ছ উপসাগরের উপক‚ল ঘ লোহিত সাগরের উপক‚ল
১২৭. সুনামি শব্দটি কোন ভাষা থেকে উদ্ভূত? (জ্ঞান)
ক ফ্রেঞ্চ খ রাশিয়ান জাপানি ঘ ল্যাটিন
১২৮. সুনামির পানির ঢেউ একের পর এক উঁচু হয়ে আসতে থাকে। একে কী বলে? (প্রয়োগ)
ঢেউয়ের রেলগাড়ি খ পোতাশ্রয়ের ঢেউ
গ জলোচ্ছ¡াসের ঢেউ ঘ মারাত্মক ঢেউ
১২৯. সমুদ্রের তলদেশে ভ‚কম্পনের ফলে যে বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
সুনামি খ জলোচ্ছ¡াস গ অগ্ন্যুৎপাত ঘ ভ‚আলোড়ন
১৩০. সুনামি কী? (জ্ঞান)
ক প্রণালি খ ঘূর্ণিঝড় সমুদ্র ঢেউ ঘ পর্বত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩১. ভ‚পৃষ্ঠের ধীর পরিবর্তন সংঘটনে ভ‚মিকা রাখেÑ (জ্ঞান)
র. আগ্নেয়গিরি
রর. হিমবাহ
ররর. বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩২. ভ‚পৃষ্ঠে আকস্মিক কম্পনের ফলেÑ (জ্ঞান)
র. ধসের সৃষ্টি হতে পারে
রর. নদীর গতিপথ পাল্টে যেতে পারে
ররর. অভিকর্ষ বল কমে যেতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৩৩. ভ‚মিকম্প সংঘটিত হয় (জ্ঞান)
র. ভ‚পাতের কারণে
রর. তাপ বিকিরণ
ররর. শিলাচ্যুতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৪. ভ‚মিকম্পের প্রভাবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শিলাতে ভাঁজের সৃষ্টি হয়
রর. নদীর গতিপথ পাল্টে যায়
ররর. বিশাল সামুদ্রিক ঢেউ বা সুনামির সৃষ্টি হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৫. ভ‚মিকম্পের ফলে ঘটতে পারেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নদীর গতিপথের পরিবর্তন
রর. উপক‚লীয় এলাকায় জলোচ্ছ¡াস
ররর. পাহাড়-পর্বত দ্বীপের সৃষ্টি ও পরিবর্তন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৩৬. চিত্রে ‘অ’ চিিহ্নত স্থানে একটি শক্তিশালী ভ‚মিকম্প হলেÑ (প্রয়োগ)
র. ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে
রর. ভ‚মিধস হবে
ররর. সুনামি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১ ========
সামিন টেলিভিশনে শিক্ষামূলক একটি অনুষ্ঠান দেখছিল। সেখানে দেখাচ্ছিল ভ‚পৃষ্ঠের একটি স্থানে ফাটল দিয়ে গলিত পদার্থ, ভস্ম বের হচ্ছে। সামিনের বাবা তাকে বললেন, এটি একটি আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া এবং এর ফলে ভ‚পৃষ্ঠের বেশিরভাগ পরিবর্তন হয়।
[স. বো. ’১৬]
ক. শিলা কাকে বলে? ১
খ. খনিজ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সামিনের দেখা আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়ার ফলাফল বিশ্লেষণ কর। ৩
ঘ. ভ‚পৃষ্ঠের উপর উক্ত আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়ার ফলাফল বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ভ‚ত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত তাদের সাধারণ নাম শিলা।
খ দুই বা ততোধিক মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাই খনিজ। খনিজ হলো একটি প্রাকৃতিক অজৈব পদার্থ, যার সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন এবং ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম রয়েছে। খনিজ দুই বা ততোধিক মৌলের সমম্বয়ে গঠিত হলেও কিছু কিছু খনিজ একটিমাত্র মৌল দ্বারাও গঠিত হতে পারে। যেমন : হীরা, সোনা, তামা, রুপা, পারদ ও গন্ধক। খনিজ সমসত্ত¡ অজৈব পদার্থ, কঠিন ও স্ফটিকাকার হয়। এর নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংকেত আছে।
গ সামিনের দেখা আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়াটি হচ্ছে অগ্ন্যুৎপাত। অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে ভ‚পৃষ্ঠের দুর্বল অংশের ফাটল বা সুড়ঙ্গ দিয়ে ভ‚গর্ভের উষ্ণ বায়ু, গলিত শিলা, ধাতু, ভস্ম, জলীয়বাষ্প, উত্তপ্ত পাথরখণ্ড, কাদা, ছাই প্রভৃতি প্রবলবেগে ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হয়। সামিন টেলিভিশনে তাই দেখছিল। অগ্ন্যুৎপাত নানা কারণে ঘটে থাকে। যেমন : ১. ভ‚ত্বকের দুর্বল স্থান বা ফাটল দিয়ে ভ‚অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা, ভস্ম, ধাতু প্রবলবেগে বের হয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। ২. যখন ভ‚পৃষ্ঠের চাপ কমে যায় তখন ভ‚গর্ভের শিলাসমূহ স্থিতিস্থাপক অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হয়। এতে শিলার আয়তন বৃদ্ধি পায়। ফলে তরল পদার্থ দুর্বল স্থান ভেদ করে প্রবল বেগে উৎক্ষিপ্ত হয়ে অগ্ন্যুৎপাতের সৃষ্টি করে। ৩. কখনো কখনো ভ‚ত্বকের ফাটল দিয়ে নদীনালা, খালবিল এবং সমুদ্রের পানি ভ‚গর্ভে প্রবেশ করলে প্রচণ্ড উত্তাপে বাষ্পীভ‚ত হয়। ফলে আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে ভ‚ত্বক ফাটিয়ে দেয়। তখন ওই ফাটলের ভিতর দিয়ে পানি, বাষ্প, তপ্ত শিলা প্রভৃতি নির্গত হয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। ৪. ভ‚গর্ভে নানা রাসায়নিক ক্রিয়া ও বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রভাবে প্রচুর তাপ বৃদ্ধি পেয়ে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এতে ভ‚অভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। ৫. ভ‚আন্দোলনের সময় পার্শ্বচাপে ভ‚ত্বকের দুর্বল অংশ ভেদ করে এ উত্তপ্ত তরল লাভা উপরে উত্থিত হয়। এভাবে ভ‚আন্দোলনের ফলেও অগ্ন্যুৎপাত হয়।
ঘ ভ‚পৃষ্ঠের উপর উক্ত আকস্মিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া তথা অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাব ব্যাপক। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভ‚পৃষ্ঠের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়। যেমন : ১. অনেক সময় আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পদার্থ চারদিকে সঞ্চিত হয়ে মালভ‚মির সৃষ্টি করে। ২. সমুদ্র তলদেশেও অনেক আগ্নেয়গিরি আছে। এ থেকে নির্গত লাভা সঞ্চিত হয়ে দ্বীপের সৃষ্টি হয়। ৩. আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভ‚পৃষ্ঠের কোনো অংশ ধসে গভীর গহŸরের সৃষ্টি হয়। ৪. মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে পানি জমে আগ্নেয় হ্রদের সৃষ্টি হয়। ৫. আগ্নেয়গিরির নির্গত লাভা, শিলা দ্রব্য প্রভৃতি দীর্ঘকাল ধরে একটা স্থানে সঞ্চিত হয়ে পর্বতের সৃষ্টি করে। এ ধরনের পর্বতকে আগ্নেয় পর্বত বলে। ৬. অনেক সময় আগ্নেয়গিরির লাভা সঞ্চিত হতে হতে বিস্তৃত এলাকা নিম্ন সমভ‚মিতে পরিণত হয়।
প্রশ্ন- ২ নদী ও জলপ্রপাত
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
[স.বো. ’১৫]
ক. নদী উপত্যকার তলদেশকে কী বলে? ১
খ. রংপুর, দিনাজপুর জেলার সমভ‚মি কীভাবে গঠিত হয়েছে?- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রের ‘অ’ চিিহ্নত অবস্থা নদীর কোন গতিপথকে ইঙ্গিত করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “‘ক’ চিত্রটি নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য বহন করে” উক্তিটির সত্যতা যাচাই কর। ৪
ক নদী উপত্যকার তলদেশকে নদীগর্ভ বলে।
খ অনেক সময় পাহাড়িয়া নদী পাদদেশে পলি সঞ্চয় করতে করতে একটা সময় পাহাড়ের পাদদেশে নতুন বিশাল সমভ‚মি গড়ে তোলে। এ ধরনের সমভ‚মিকে পাদদেশীয় পলল সমভ‚মি বলে। বাংলাদেশের তিস্তা, আত্রাই, করতোয়া সংলগ্ন রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ স্থানই পলল সমভ‚মি নামে পরিচিত। এসব নদী উত্তরের হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে সহজেই পাহাড় থেকে পলল বহন করে এ অঞ্চলে সঞ্চয় করে পললভ‚মি গঠন করেছে।
গ চিত্রের ‘অ’ চিিহ্নত অবস্থা নদীর ঊর্ধ্বগতিপথকে নির্দেশ করছে।
উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর গতিপথের আয়তন, গভীরতা, ঢাল, স্রোতের বেগ প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে নদী গতিপথকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাÑ (ক) ঊর্ধ্বগতি; (খ) মধ্যগতি ও (গ) নিম্নগতি। ঊর্ধ্বগতি হলো নদীর প্রাথমিক অবস্থা। পর্বতের যে স্থান থেকে নদীর উৎপত্তি হয়েছে সেখান থেকে সমভ‚মিতে পৌঁছানো পর্যন্ত অংশকে নদীর ঊর্ধ্বগতি বলে। ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ হলো ক্ষয়সাধন। ঊর্ধ্বগতি অবস্থায় নদী স্থলভাগকে ক্ষয় করে এবং তা পরিবহন করে। এ অবস্থায় নদী যেসব ভ‚মিরূপ গঠন করে যেমনÑ জধঢ়রফং ও ঋধষষং (জলপ্রপাত) তাও চিত্রের ‘অ’ চিিহ্নত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। সুতরাং চিত্রের ‘অ’ চিিহ্নত অবস্থা নদীর প্রাথমিক অবস্থা যা নদীর ঊর্ধ্বগতিপথকে ইঙ্গিত করেছে।
ঘ ‘ক’ চিত্রটি নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য বহন করে। নদীর ঊর্ধ্বগতি অবস্থায় নদীর পানি যদি পর্যায়ক্রমে কঠিন শিলা ও নরম শিলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাহলে কোমল শিলাস্তরটিকে বেশি পরিমাণে ক্ষয় করে ফেলে। এর ফলে নরম শিলাস্তরের তুলনায় কঠিন শিলাস্তর অনেক উপরে অবস্থান করে এবং পানি খাড়াভাবে নিচের দিকে পড়তে থাকে। এরূপ পানির পতনকে জলপ্রপাত বলে। উদ্দীপকের ‘ক’ চিত্রে দেখা যাচ্ছে নদীর প্রাথমিক অবস্থায় জধঢ়রফং এবং ঋধষষং সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে কঠিন শিলা ও নরম শিলার উপস্থিতি চিত্রে ক্ষয়কার্যের ধরন দেখে স্পষ্ট লক্ষ করা যায়। উত্তর আমেরিকার সেন্ট লরেন্স নদীর বিখ্যাত নায়াগ্রা জলপ্রপাত এরূপে গঠিত হয়েছে। সুতরাং ‘ক’ চিত্রটি নায়াগ্রা জলপ্রপাতের বৈশিষ্ট্য বহন করে। উক্তিটি যথার্থই সত্য।
প্রশ্ন- ৩ পৃথিবীর ভ‚মিরূপ
সুবর্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক জনাব মো. আব্দুল করিম। তিনি বললেন, ‘বিচিত্র এই পৃথিবীর ভ‚মিরূপও বিচিত্র। কোথাও সমভ‚মি, কোথাও মালভ‚মি আবার কোথাও পর্বত। বাংলাদেশ হলো পলির দেশ।’ [কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. খাঁড়ি কাকে বলে? ১
খ. পাদদেশীয় মালভ‚মি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শিক্ষকের উল্লিখিত বিচিত্র ভ‚মিরূপ সৃষ্টির পেছনে কী কারণ নিহিত আছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশ সম্পর্কে শিক্ষকের উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে খাঁড়ি বলে।
খ উচ্চ পর্বত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এর পাদদেশে তলানি জমে যে মালভ‚মি সৃষ্টি হয় তাকে পাদদেশীয় মালভ‚মি বলে। পর্বতের গা হতে বৃষ্টি, হিমবাহ কিংবা নদী দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত তলানি পর্বতের পাদদেশে এই মালভ‚মি সৃষ্টি করে। উত্তর আমেরিকার কলোরাডো এবং দক্ষিণ আমেরিকার পাতাগোনিয়া পাদদেশীয় মালভ‚মি।
গ পৃথিবীর ভ‚মিরূপ বিচিত্র। এ বৈচিত্র্যময়তা মূলত তিনটি প্রধান ভ‚মিরূপের সৃষ্টি। তা হলো পর্বত, মালভ‚মি এবং সমভ‚মি। শিক্ষক উদ্দীপকে এরূপই উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন ভ‚মিরূপ গঠনকারী শক্তির প্রভাবে ভ‚গর্ভে সর্বদা নানারূপ পরিবর্তন হচ্ছে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভ‚কম্পন, পৃথিবীর অভ্যন্তরের সংকোচন, ভ‚গর্ভের তাপ ও অন্যান্য প্রচণ্ড শক্তির ফলে ভ‚পৃষ্ঠে হঠাৎ এরূপ ভ‚মিরূপের পরিবর্তন ঘটে। এসব হঠাৎ সৃষ্ট ভ‚মিরূপ আবার বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সূর্যতাপ, বায়ু, বৃষ্টি, নদী প্রভৃতি দ্বারা খুব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ভ‚মিরূপে পরিণত হয়। এতে সূর্যতাপ, বায়ু, বৃষ্টি, নদী প্রভৃতি শক্তি খুব ধীরে ধীরে ভ‚ত্বকের ক্ষয়সাধন করে থাকে। ফলে ভ‚ত্বকের উপরিস্থিত শিলা ভেঙে চ‚র্ণবিচ‚র্ণ হয়। এই শিলা অপসারিত হয়, আবার নতুন করে শিলা চ‚র্ণবিচ‚র্ণ হয়। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভ‚মি ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে।
সুতরাং শিক্ষকের উল্লিখিত পৃথিবীর বিচিত্র ভ‚মিরূপ সৃষ্টির পেছনে আকস্মিক পরিবর্তন ও ধীর পরিবর্তন ভ‚মিকা রাখে।
ঘ ‘বাংলাদেশ পলির দেশ’ শিক্ষকের এ উক্তির যথার্থতা বিশ্লেষণে বাংলাদেশের পলল দ্বারা গঠিত ভ‚মির বিবরণ প্রদান করা হলো।
পাদদেশীয় পলল সমভ‚মি : অনেক সময় পাহাড়িয়া নদী পাদদেশে পলি সঞ্চয় করতে করতে একটা সময় পাহাড়ের পাদদেশে নতুন বিশাল সমভ‚মি গড়ে তোলে। এ ধরনের সমভ‚মিকে পাদদেশীয় পলল সমভ‚মি বলে। বাংলাদেশের তিস্তা, আত্রাই, করতোয়া সংলগ্ন রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ স্থানই পলল সমভ‚মি নামে পরিচিত। এসব নদী উত্তরের হিমালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে সহজেই পাহাড় থেকে পলল বহন করে এ অঞ্চলে সঞ্চয় করে পললভ‚মি গঠন করেছে।
চিত্র : পাদদেশীয় পলল সমভ‚মি
প্লাবন সমভ‚মি : বর্ষাকালে বিশেষ করে পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর উভয়ক‚ল প্লাবিত হলে তখন তাকে প্লাবন বা বন্যা বলা হয়। বন্যা শেষে নদীর দু’পাশের ভ‚মিতে খুব পুরু স্তর কাদা, পলি দেখতে পাওয়া যায়। এভাবে অনেকদিন পলি জমতে জমতে যে বিস্তৃত সমভ‚মির সৃষ্টি হয় তাকে প্লাবন সমভ‚মি বলে। সমভ‚মি বলা হলেও এর কোথাও কোথাও সামান্য উঁচু নিচু দেখা যায়।
চিত্র : প্লাবন সমভ‚মি
কয়েকটি জেলা ব্যতীত মোটামুটি সমগ্র বাংলাদেশই পদ্মা, মেঘনা, যমুনা প্রভৃতি নদী বিধৌত প্লাবন সমভ‚মি।
সুতরাং ‘বাংলাদেশ পলির দেশ’ শিক্ষকের এ উক্তিটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ৪ পর্বত
নিমু চাকমা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় বাস করে। উচ্চ শিক্ষার জন্য সে যুক্তরাষ্ট্রে আসে। সেখানকার পার্বত্য অঞ্চলে বেড়াতে গিয়ে সে এমন একটি পর্বত দেখে যেটি মোচাকৃতি। যেটির গঠন তার এলাকার পর্বত থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। [আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ, চাঁদপুর]
ক. মালভ‚মি কাকে বলে? ১
খ. পলল পাখা কীভাবে সৃষ্টি হয়? ২
গ. নিমু চাকমার দেখা দুই স্থানের পর্বতগুলোর গঠনগত যে পার্থক্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নিমু চাকমার এলাকার পর্বতটি যে জাতীয় শিলা দ্বারা গঠিত তার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ক পর্বত থেকে নিচু কিন্তু সমভ‚মি থেকে উঁচু বিস্তীর্ণ সমতল ভ‚মিকে মালভ‚মি বলে।
খ পলল পাখা এক ধরনের সঞ্চয়জাত সমভ‚মি। পার্বত্য প্রবাহে খাড়া ঢালবিশিষ্ট অঞ্চল হতে নদী যখন হঠাৎ সমভ‚মিতে পতিত হয়, তখন পাহাড়ের পাদদেশে পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে কোণ বা হাত পাখার ন্যায় নতুন ভ‚খণ্ডের সৃষ্টি হয়। এরূপ পললভ‚মিকে পলল পাখা বলা হয়।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত বর্ণনা অনুযায়ী নিমু চাকমার দেখা পর্বত হলো যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সেন্ট হেলেনস, যা আগ্নেয় পর্বত শ্রেণির এবং তার এলাকায় অবস্থিত পর্বত হলো বান্দরবানের তাজিওডং যা ভঙ্গিল পর্বত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এ দুটি স্থানের পর্বতগুলোর মধ্যকার গঠনগত পার্থক্য ব্যাখ্যা করা হলো :
১. সাধারণত ভাঁজ খেয়ে যে পর্বত গঠিত হয় তাকে ভঙ্গিল পর্বত বলে। অন্যদিকে আগ্নেয় পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে পর্বত গঠিত হয় তাকে আগ্নেয় পর্বত বলে।
২. ভঙ্গিল পর্বতের শিলাগুলো স্তরে স্তরে সজ্জিত থাকে কিন্তু আগ্নেয় পর্বতে অবস্থিত শিলাসমূহে এরূপ কোনো স্তর লক্ষ করা যায়।
৩. ভঙ্গিল পর্বতের মধ্যে সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবাশ্ম দেখা যায় অন্যদিকে আগ্নেয় পর্বত ভ‚গর্ভস্থ উত্তপ্ত লাভা, ছাই, ধাতু প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়।
৪. দীর্ঘ চ্যুতিরেখা ভঙ্গিল পর্বতে লক্ষ করা যায় তবে আগ্নেয় পর্বতে এরূপ চ্যুতিরেখা চোখে পড়ে না।
৫. ভঙ্গিল পর্বতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ভাঁজ অন্যদিকে আগ্নেয় পর্বতসমূহ সাধারণত মোচাকৃতির হয়ে থাকে।
ঘ নিমু চাকমার বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায়। সেখানে অবস্থিত পর্বতটি তাজিওডং যা ভঙ্গিল পর্বতের অন্তর্ভুক্ত এবং তা হিমালয় সৃষ্টির সময় উত্থিত। সুতরাং নিমু চাকমার এলাকার পর্বতটি পাললিক শিলাদ্বারা গঠিত। পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য হিসেবে প্রথমেই উল্লেখ্য যে, এ শিলা স্তরীভ‚ত তথা স্তরে স্তরে পলি জমে পাললিক শিলা গঠিত হয়। পাললিক শিলা বিচ‚র্ণীত কাঁকর, কাদা, বালি, ধুলায় গঠিত বলে তা নরম ও হালকা হয় এবং সহজেই বিভিন্ন ভ‚প্রক্রিয়ার দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আবার অনেক পাললিক শিলার মধ্যে নানাপ্রকার উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর দেহাবশেষ বা জীবাশ্ম দেখা যায়। এছাড়া এ শিলায় ছিদ্র দেখা যায়।
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৫ অশ্মমণ্ডল ও গুরুমণ্ডল
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত কয়টি মণ্ডলে ভাগ করা হয়েছে? ১
খ. কেন্দ্রমণ্ডল বলতে কী বোঝ? ২
গ. উপরের চিত্র থেকে ই স্তরের বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. চিত্রের ঈ স্তরটি আলোচনা কর। ৪
ক ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত অশ্মমণ্ডল, গুরুমণ্ডল এবং কেন্দ্রমণ্ডল এই তিনটি মণ্ডলে ভাগ করা হয়েছে।
খ গুরুমণ্ডলের ঠিক পরের মণ্ডলকে বলা হয় কেন্দ্রমণ্ডল। এ স্তর প্রায় ৩,৪৮৬ কিলোমিটার পুরু। গুরুমণ্ডলের নিচ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত এই মণ্ডল বিস্তৃত। বিজ্ঞানীগণ বিশ্বাস করেন যে, কেন্দ্রমণ্ডলের উপাদানগুলোর মধ্যে লোহা, নিকেল, পারদ ও সিসা রয়েছে। তবে প্রধান উপাদান হলো নিকেল ও লোহা। ভ‚কম্পন তরঙ্গের সাহায্যে জানা গেছে যে, কেন্দ্রমণ্ডলের একটি তরল বহিরাবরণ আছে, যা প্রায় ২,২৭০ কিলোমিটার পুরু এবং একটি কঠিন অন্তঃভাগ আছে যা ১,২১৬ কিলোমিটার পুরু।
গ চিত্রের ই স্তরটি হলো অশ্মমণ্ডল। অশ্মমণ্ডলের উপরের অংশ ভ‚ত্বক নামে পরিচিত। ভ‚পৃষ্ঠে শিলার যে কঠিন বহিরাবরণ দেখা যায় তাই ভ‚ত্বক। ভ‚অভ্যন্তরের অন্যান্য স্তরের তুলনায় ভ‚ত্বকের পুরুত্ব সবচেয়ে কম; গড়ে ২০ কিলোমিটার। ভ‚ত্বক মহাদেশের তলদেশে গড়ে ৩৫ কিলোমিটার এবং সমুদ্র তলদেশে তা গড়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পুরু। ভ‚ত্বকের শিলাস্তরগুলোকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে- সিয়াল বা হালকা শিলাস্তর এবং সিমা বা ভারী শিলাস্তর। সিয়াল সিলিকা ও অ্যালুমিনিয়াম গঠিত। তাই এর নাম সিয়াল। মহাদেশীয় ভ‚ত্বক এ স্তর দিয়ে গঠিত। সিমা হলো ভ‚ত্বকের নিচের অংশ। এটা সিলিকা ও ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে তৈরি। তাই এর নাম সিমা। এই শিলাস্তর ভারী। সমুদ্র তলদেশ এই শিলাস্তর দিয়ে তৈরি। অশ্মমণ্ডলের উপরের ভাগে ভ‚ত্বকে পৃথিবীর বাহ্যিক অবয়বগুলো দেখা যায়। যেমনÑ পর্বত, মালভ‚মি, সমভ‚মি ইত্যাদি। ভ‚ত্বকের নিচের দিকে প্রতি কিলোমিটারে ৩০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ে।
ঘ চিত্রের ঈ স্তরটি হলো গুরুমণ্ডল। ভ‚ত্বকের নিচে প্রায় ২,৮৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পুরু মণ্ডলকে গুরুমণ্ডল বলে। গুরুমণ্ডল মূলত ব্যাসল্ট শিলা দ্বারা গঠিত। এ অংশে রয়েছে সিলিকা, ম্যাগনেসিয়াম, লোহা, কার্বন ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ। গুরুমণ্ডল দুইভাগে বিভক্ত। যথা : ক. ঊর্ধ্বগুরুমণ্ডল যা ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই মণ্ডল প্রধানত লোহা ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ সিলিকেট খনিজ দ্বারা গঠিত। খ. নিম্নগুরুমণ্ডল যা প্রধানত আয়রন অক্সাইড, ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড এবং সিলিকন ডাইঅক্সাইড সমৃদ্ধ খনিজ দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন- ৬ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন কাঠামো
পৃথিবীর সৃষ্টি সূর্য থেকে। সূর্যের একটি বিচ্ছিন্ন অংশ কালক্রম তাপ বিকিরণ করে বর্তমান পৃথিবীর আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীর ভ‚অভ্যন্তর ভাগের তাপমাত্রা এখন পর্যন্ত সূর্যের তাপমাত্রার কাছাকাছি রয়েছে। কিন্তু এর বহিরাবরণ কালক্রমে শীতল ও কঠিন আকার ধারণ করেছে। ফলে ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত গঠনগত ও উপাদানগুলোর মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
ক. সিয়াল কাকে বলে? ১
খ. ম্যাগমা ও লাভা বলতে কী বুঝ? ২
গ. উদ্দীপকে নির্দেশিত পৃথিবীর গঠন কাঠামোর আড়াআড়ি চিত্র অঙ্কন কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের পৃথিবী সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় উপাদানগুলোর ভিন্নতার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মহাদেশীয় ভ‚ত্বকের হালকা স্তরকে সিয়াল বলে যা লিসিকন (ঝর) ও অ্যালুমিনিয়াম (অষ) দ্বারা গঠিত।
খ ভ‚অভ্যন্তরের উত্তপ্ত গলিত পদার্থকে ম্যাগমা বলে। এ ম্যাগমা থেকে শিলার যাত্রা শুরু হয়ে তা আগ্নেয় শিলা, পলল, পাললিক শিলার মাধ্যমে রূপান্তরিত শিলায় পৌঁছে এবং আবার ম্যাগমায় পরিণত হয়। আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণের ফলে অপেক্ষাকৃত ভারী গলিত পদার্থগুলো যখন জ্বালামুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ভ‚পৃষ্ঠের ওপর নির্গত হয় এবং দ্রæত শীতল হয়ে কঠিন আকার ধারণ করে, তাকে লাভা বলে।
গ উদ্দীপকের ঘটনায় পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন কাঠামোর কথা বলা হয়েছে। এর আড়াআড়ি চিত্র অঙ্কন করে নিচে দেখানো হলো :
ঘ উদ্দীপকের পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে বর্তমান কাঠামোর কথা বলা হয়েছে। সৃষ্টির সময় পৃথিবী ছিল একটি উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড। উত্তপ্ত অবস্থা থেকে এটি শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়। এই সময় পৃথিবীর বাইরের ভারী উপাদানগুলো এর কেন্দ্রের দিকে জমা হয়। আর হালকা উপাদানগুলো ভরের তারতম্য অনুসারে নিচ থেকে উপরে স্তরে স্তরে জমা হয়। ফলে পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত উপাদানগুলো ভিন্ন এবং মোটামুটি তিনটি স্তরে সজ্জিত। যথা : ভ‚ত্বক, গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডল। ভ‚অভ্যন্তরে সংঘটিত ভ‚কম্পন, তরঙ্গের গতি প্রকৃতি, মাধ্যাকর্ষণ ইত্যাদি দ্বারা জানা যায় পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের উপাদানগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়। সৃষ্টির পর থেকে ভারী থেকে হালকা উপাদানগুলো স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়েছে বলেই উপাদানগুলোতে ভিন্নতা রয়েছে।
প্রশ্ন- ৭ শিলা ও খনিজ
সংকেত ভ‚ত্বক গঠনকারী উপাদান
ক শিলা
খ খনিজ
ক. সুনামি কী? ১
খ. ভ‚মিরূপের পরিবর্তনে হিমবাহের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘ক’ ও ‘খ’-এর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ. ‘ক’-এর যে ভাগটি পৃথিবীর প্রথম পর্যায়ে সৃষ্ট তার বর্ণনা দাও। ৪
ক সুনামি হলো পানির এক মারাত্মক ঢেউ, যা সমুদ্রের মধ্যে বা বিশাল হ্রদে ভ‚মিকম্প বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সৃষ্টি হয়ে থাকে।
খ হিমবাহের দ্বারা ভ‚পৃষ্ঠের কোনো কোনো অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষয় হয়ে থাকে। হিমবাহের নিচে নামার সময় এর নিচের প্রস্তরখণ্ড পর্বতগাত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অনেক দূরে গিয়ে পতিত হয়। পর্বতগাত্রের মধ্যে যদি ছিদ্র থাকে তাহলে তার ভিতর পানি প্রবেশ করে বরফে পরিণত হয়ে প্রস্তরগুলোকে আলগা করে দেয়। ফলে হিমবাহের চাপে এটি পর্বতগাত্র থেকে সহজেই পৃথক হয়ে যায়। এই হিমবাহ অনেকদিন ধরে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয় বলে এটি ভ‚পৃষ্ঠের ধীর পরিবর্তনের একটি উদাহরণ।
গ ‘ক’ হলো শিলা ও ‘খ’ হলো খনিজ। নিচে শিলা ও খনিজের পার্থক্য নির্ণয় করা হলো :
শিলা খনিজ
১. শিলা এক বা একাধিক খনিজ পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত। ১. খনিজ এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত।
২. শিলা অসমসত্ত¡ পদার্থ। ২. খনিজ সমসত্ত¡ অজৈব পদার্থ।
৩. শিলা কঠিন হলেও স্ফটিকাকার হয় না। ৩. খনিজ কঠিন ও স্ফটিকাকার হয়।
৪. শিলার কোনো রাসায়নিক সংকেত নেই। ৪. খনিজের নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংকেত আছে।
৫. শিলার ধর্ম এর গঠনকারী খনিজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ৫. খনিজের ধর্ম এর গঠনকারী মৌলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
ঘ ‘ক’ হলো শিলা। গঠনপ্রণালি অনুসারে শিলা তিন ভাগে বিভক্ত। যথা : আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা। এর মধ্যে আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম পর্যায়ে সৃষ্ট। নিচে আগ্নেয় শিলার বর্ণনা প্রদান করা হলো :
জন্মের প্রথমে পৃথিবী একটি উত্তপ্ত গ্যাসপিণ্ড ছিল। এই গ্যাসপিণ্ড ক্রমান্বয়ে তাপ বিকিরণ করে তরল হয়। পরে আরও তাপ বিকিরণ করে এর উপরিভাগ শীতল ও কঠিন আকার ধারণ করে। এভাবে গলিত অবস্থা থেকে ঘনীভ‚ত বা কঠিন হয়ে যে শিলা গঠিত হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বলে। আগ্নেয় শিলা পৃথিবীর প্রথম পর্যায়ে সৃষ্টি হয়। তাই এই শিলাকে প্রাথমিক শিলাও বলা হয়।
প্রশ্ন- ৮ পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলা
নওশীন তার খালাতো বোন আনিলাকে সঙ্গে নিয়ে রূপসা ব্রিজ দেখতে এসে প্রশ্ন করে, ‘আচ্ছা বলতো রূপসা ব্রিজ কী দিয়ে তৈরি? ‘উত্তরে আনিলা বলল’, ‘সিমেন্ট দিয়ে তৈরি’। পাল্টা প্রশ্নে নওশীন বলল, ‘সিমেন্ট কী দিয়ে তৈরি’? উত্তরে আনিলা বলল’, চুনাপাথর থেকে তৈরি এবং এটি এক প্রকার শিলা।
ক. চুনাপাথর কোন ধরনের শিলা? ১
খ. ধীর পরিবর্তন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. আনিলার উল্লিখিত শিলার সঙ্গে রূপান্তরিত শিলার পার্থক্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. উক্ত শিলার গঠন প্রক্রিয়া ভ‚পষ্ঠে সর্বদা চলমান-এর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
ক চুনাপাথর জৈবিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা।
খ প্রাকৃতিক শক্তি যেমন সূর্যতাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ প্রভৃতির দ্বারা ভ‚পৃষ্ঠের যে পরিবর্তন ধীরে ধীরে সংঘটিত হয় তাকে ধীর পরিবর্তন বলে। ধীর পরিবর্তন বিশাল এলাকাজুড়ে হতে থাকে। ধীর পরিবর্তনের ফলে ভ‚ত্বকের উপরিস্থিত শিলা ভেঙে বিচ‚র্ণ হয়। এই শিলা অপসারিত হয়, আবার নতুন করে শিলা চ‚র্ণবিচ‚র্ণ হয়। নগ্নীভবন ও অবক্ষেপণ প্রক্রিয়ায় ধীর পরিবর্তন ক্রমাগত চলতে থাকে।
গ সিমেন্ট কারখানাতে কাঁচামাল হিসেবে চুনাপাথর ব্যবহৃত হয়। উদ্দীপকে আনিলা চুনাপাথরের উল্লেখ করে। এটি আসলে জৈবিক উপায়ে গঠিত পাললিক শিলা। জৈবিক পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হলো :
পার্থক্যের ভিত্তি জৈবিক পাললিক শিলা রূপান্তরিত শিলা
উৎপত্তি এ ধরনের শিলা জৈব পলি থেকে উৎপন্ন হয়। এ শিলা আগ্নেয় ও পাললিক শিলা থেকে উৎপন্ন হয়।
গঠন প্রক্রিয়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভ‚গর্ভের উত্তাপে ও উপরের শিলাস্তরের চাপে জমাট বেঁধে স্তরে স্তরে এ শিলা গঠিত হয়। এটি ভ‚গর্ভস্থ উত্তাপ এবং চাপ ও রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে পরিবির্তিত হয়ে শিলায় পরিণত হয়।
জীবাশ্ম এ শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়। এ শিলার মধ্যে জীবাশ্ম দেখা যায় না।
স্ফটিক এ শিলা অস্ফটিক, নরম ও হালকা, সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এ শিলা স্ফটিকযুক্ত, খুব কঠিন হয়।
ঘ উদ্দীপকের আনিলার উল্লিখিত শিলাটি হলো চুনাপাথর। এটি পলল বা তলানি থেকে তৈরি হয়। তাই এটি পাললিক শিলা। ভ‚পৃষ্ঠে প্রতিনিয়ত পাললিক শিলার গঠন প্রক্রিয়া বিদ্যমান। আমরা জানি, ভ‚পৃষ্ঠ পরিবর্তনশীল এবং ধীর পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে নগ্নীভবন। যেখানে প্রতিনিয়ত ক্ষয়ীভবন এবং অপসারণ চলতে থাকে। এ অপসারণের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক ও যান্ত্রিক বিচ‚র্ণীভবন প্রক্রিয়ায় বিচ‚র্ণীভ‚ত পলিসমূহ কোনো জলাশয়, সাগর, হ্রদ কিংবা নিম্নভ‚মিতে সঞ্চিত হয়। সঞ্চিত পলিসমূহ উপরের স্তরের চাপে জমাট বেধে পাললিক শিলা গঠন করে। ভ‚পৃষ্ঠে এ ধরনের কার্য প্রতিনিয়ত ক্রিয়াশীল। তাই পাললিক শিলার গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলতে থাকে। এভাবে ভ‚পৃষ্ঠে চুনাপাথর গঠিত হয়েছে এবং পাললিক শিলার গঠন সর্বদা চলমান।
প্রশ্ন- ৯ ভ‚মিকম্পের কারণ ও ফলাফল
মৃদুল ও তার বাবা মা গতরাতে আতঙ্কে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। তারা দেখে তাদের বাসার সবকিছু কাঁপছে। মৃদুল লক্ষ্য করে তাদের আশপাশে সবাই জেগে উঠেছে এবং ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরের উন্মুক্ত প্রান্তরের দিকে যাচ্ছে।
ক. সুনামি শব্দটি কোন ভাষা থেকে উদ্ভূত? ১
খ. আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উক্ত ঘটনার অপ্রধান কারণগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত ঘটনা ফলাফল বিশ্লেষণ কর। ৪
ক ‘সুনামি’ শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে উদ্ভূত।
খ পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে উত্তপ্ত গলিত লাভা নির্গত হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। এই শিলার বৈশিষ্ট্য হলো : ১. স্ফটিকার, ২. অস্তরীভ‚ত, ৩. কঠিন ও কমভঙ্গুর, ৪. জীবাশ্ম দেখা যায় না এবং ৫. অপেক্ষাকৃত ভারী।
গ উদ্দীপকে মৃদুলদের বাসা কাঁপছিল এবং আশপাশে সবাই ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে চলে আসে। সুতরাং উক্ত ঘটনাটি হলো ভ‚মিকম্প। বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত ভ‚মিকম্পের যেসব অপ্রধান কারণ নির্ণয় করেছেন তা হলো :
১. শিলাচ্যুতি বা শিলাতে ভাঁজের সৃষ্টি : কোনো কারণে ভ‚পৃষ্ঠের অভ্যন্তরে বড় ধরনের শিলাচ্যুতি ঘটলে বা শিলাতে ভাঁজের সৃষ্টি হলে ভ‚মিকম্প হয়।
২. তাপবিকিরণ : ভ‚ত্বক তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হলে ফাটল ও ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে ভ‚মিকম্প হয়।
৩. ভ‚গর্ভস্থ বাষ্প : পৃথিবীর অভ্যন্তরে অত্যধিক তাপের কারণে বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্প ভ‚ত্বকের নিম্নভাগে ধাক্কা দেয়ার ফলে প্রচণ্ড ভ‚কম্পন অনুভ‚ত হয়।
৪. ভ‚গর্ভস্থ চাপের বৃদ্ধি বা হ্রাস : অনেক সময় ভ‚গর্ভে হঠাৎ চাপের হ্রাস বা বৃদ্ধি হলে তার প্রভাবে ভ‚মিকম্প হয়।
৫. হিমবাহের প্রভাব : হঠাৎ করে হিমবাহ পর্বত গাত্র থেকে নিচে পতিত হলে ভ‚পৃষ্ঠ কেঁপে ওঠে এবং ভ‚মিকম্প হয়।
ঘ উক্ত ঘটনা তথা ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚পৃষ্ঠের অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে এবং ধ্বংসলীলা সাধিত হয়। ঘরবাড়ি, সহায়সম্পদ ও যাতায়াত ব্যবস্থা ধ্বংস হয়। যেমনÑ
১. ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚ত্বকের মধ্যে অসংখ্য ভাঁজ, ফাটল বা ধসের সৃষ্টি হয়। নদীর গতিপথ পাল্টে যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১৭৮৭ সালে আসামে যে ভ‚মিকম্প হয় তাতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উঁচু হয়ে যায়। ফলে নদীটি তার গতিপথ পাল্টে বর্তমানে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
২. ভ‚মিকম্পের ফলে অনেক সময় সমুদ্রতল উপরে উত্থিত হয়, পাহাড়-পর্বত বা দ্বীপের সৃষ্টি করে। আবার কোথাও স্থলভাগের অনেক স্থান সমুদ্রতলে ডুবে যায়। ১৮৯৯ সালে ভারতের কচ্ছ উপসাগরের উপক‚লে প্রায় ৫,০০০ বর্গকিলোমিটার স্থান সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হয়।
৩. ভ‚মিকম্পের ফলে অনেক সময় নদীর গতি পরিবর্তিত হয় বা কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যায়। কখনো কখনো নদী শুকিয়ে যায়। আবার সময় সময় উচ্চভ‚মি অবনমিত হয়ে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। ১৯৫০ সালে আসামের ভ‚মিকম্পে দিবং নদীর গতি পরিবর্তিত হয়ে যায়।
৪. ভ‚মিকম্পের ফলে হঠাৎ করে সমুদ্র উপক‚ল সংলগ্ন এলাকা জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হয়।
সুতরাং ভ‚পৃষ্ঠের আকস্মিক রদবদল করে ভ‚মিকম্প সুদূরপ্রসারী ফলাফল বয়ে আনে।
প্রশ্ন- ১০ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. চিত্রে (?) চিহ্নিত স্থানটি কী? ১
খ. শিলার ক্ষয়সাধনে বায়ু কী ভ‚মিকা রাখে? ২
গ. চিত্রের ঘটনাটির পেছনে যেসব কারণ দায়ী সেগুলো চিহ্নিত কর। ৩
ঘ. ‘চিত্রের ঘটনা মানবসম্প্রদায়ের জন্য কল্যাণকর’Ñ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ৪
ক চিত্রে (?) চিহ্নিত স্থানটি হচ্ছে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ।
খ বায়ুতে থাকা অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয়বাষ্প রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় শিলার বিচ্ছেদ ও ক্ষয়সাধন করে। বায়ুর ক্ষয়কার্য মরুভ‚মিতে অধিক দেখা যায়। মরু এলাকায় গাছপালা কম থাকার কারণে মৃত্তিকা দৃঢ় সংবদ্ধ হয় না। এছাড়া দিনের বেলায় সূর্যের তাপে এবং রাতের শীতলতায় শিলার সংকোচন ও প্রসারণের ফলেও সংবদ্ধতা শিথিল হয়ে যায়। এরপর বায়ুপ্রবাহের আঘাতে এ অঞ্চলের শিলা সহজেই বাহিত হয় এবং ধীর পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষয়সাধন করে।
গ চিত্রের ঘটনাটি হলো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পিছনে যেসব কারণ দায়ী সেগুলো চিহ্নিত করা হলো :
১. ভ‚ত্বকের দুর্বল স্থান বা ফাটল দিয়ে ভ‚অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা, ভস্ম, ধাতু প্রবলবেগে বের হয়ে অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
২. যখন ভ‚পৃষ্ঠের চাপ কমে যায় তখন ভ‚গর্ভের শিলাসমূহ স্থিতিস্থাপক অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিণত হয়। এতে শিলার আয়তন বৃদ্ধি পায়। ফলে তরল পদার্থ দুর্বল স্থান ভেদ করে প্রবল বেগে উৎক্ষিপ্ত হয়ে অগ্ন্যুৎপাতের সৃষ্টি করে।
৩. ভ‚গর্ভে নানা রাসায়নিক ক্রিয়া ও বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের প্রভাবে প্রচুর তাপ বৃদ্ধি পেয়ে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এতে ভ‚অভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
৪. ভ‚আন্দোলনের সময় পার্শ্বচাপে ভ‚ত্বকের দুর্বল অংশ ভেদ করে এ উত্তপ্ত তরল লাভা উপরে উত্থিত হয়। এভাবে ভ‚আন্দোলনের ফলেও অগ্ন্যুৎপাত হয়।
ঘ চিত্রের ঘটনাটি হলো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে জানমালের ক্ষতি সাধিত হলেও এর উপকারী দিকও রয়েছে। যেমন
১. উর্বরতা বৃদ্ধি : আগ্নেয়গিরির লাভা, ছাই ও ভস্ম বিচূর্ণীভ‚ত হয়ে অত্যন্ত উর্বর মৃত্তিকা গঠন করে। যেমন : ভারতের দাক্ষিণাত্যের লাভা গঠিত কৃষ্ণমৃত্তিকা কার্পাস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।
২. মূল্যবান খনিজ প্রাপ্তি : লাভা থেকে সোনা, নিকেল, তামা ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ পদার্থ আহরিত হয়।
৩. নতুন ভ‚মিরূপের সৃষ্টি : অনেক সময় আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পদার্থ চারদিকে সঞ্চিত হয়ে মালভ‚মির সৃষ্টি করে। ভারতের দাক্ষিণাত্যের কৃষ্ণমৃত্তিকাময় মালভ‚মি এরূপ নির্গত লাভা দিয়ে গঠিত যা অত্যন্ত উর্বর।
৪. দ্বীপ সৃষ্টি : সমুদ্র তলদেশের আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভা সঞ্চিত হয়ে দ্বীপের সৃষ্টি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এভাবে সৃষ্ট একটি আগ্নেয় দ্বীপ।
৫. বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন : ভ‚তাপীয় শক্তির উৎস ম্যাগমা বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
৬. চিত্তবিনোদন ও পর্যটন : আগ্নেয় ভ‚মিরূপ পর্যটনের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। যেমন : যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন রাজ্যের ক্রেটার হ্রদ।
কাজেই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত মানব সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে সুফলও বয়ে আনে।
প্রশ্ন- ১১ ভ‚মিকম্প
ভ‚মিকম্পের ফলে ভ‚পৃষ্ঠের অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে এবং বহু ধ্বংসলীলা সাধিত হয়। এতে জীবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। ভ‚মিকম্পের ফলে অতীতে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে তা যমুনা নদীতে রূপ নিয়েছে।
ক. নদী উপত্যকা কী? ১
খ. ক্ষয়জাত সমভ‚মি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনা ঢাকা মহানগরীতে ঘটলে পরিবেশের কী পরিবর্তন ঘটবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত নদীর গতিপথ পরিবর্তনে নদী তীরবর্তী এলাকার জনজীবনে কী প্রভাব পড়ে চিহ্নিত কর। ৪
ক যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সে খাতকে উক্ত নদীর উপত্যকা বলে।
খ বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি যেমনÑ নদীপ্রবাহ, বায়ুপ্রবাহ এবং হিমবাহের ক্ষয়ক্রিয়ার ফলে কোনো উচ্চভ‚মি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্ষয়জাত সমভ‚মির সৃষ্টি হয়। অ্যাপালেশিয়ান পাদদেশীয় সমভ‚মি, ইউরোপের ফিনল্যান্ড ও সাইবেরিয়া সমভ‚মি এ ধরনের ক্ষয়জাত সমভ‚মি। বাংলাদেশের মধুপুরের চত্বর ও বরেন্দ্রভ‚মি দুটি ক্ষয়জাত সমভ‚মির উদাহরণ।
গ উদ্দীপকে ভ‚মিকম্পের কথা বলা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে ভ‚মিকম্প হলে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে ঢাকার ভ‚পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হতে পারে। কোনো কোনো স্থানে শিলাচ্যুতির ফলে বড় বড় দালান মাটির নিচে দেবে যেতে পারে। ঢাকার নিকটবর্তী ও গুরুত্বপূর্ণ নদী বুড়িগঙ্গার গতিপথ পরিবর্তিত বা গতিপথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সমভ‚মি অঞ্চল দেবে গিয়ে সেখানে পানি জমা হয়ে হ্রদের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ঢাকা শহরের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, রেলপথ, সেতু প্রভৃতি ধ্বংস হবে এবং ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বেঁচে থাকা মানুষদের সহযোগিতা করা কষ্টসাধ্য হবে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কল কারখানার প্রায় সবই ঢাকায় অবস্থিত। এগুলো ভ‚মিকম্পে ধ্বংস হয়ে পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি বাতাসের মাধ্যমে পরিবেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
ঘ উক্ত নদীটি হলো ব্রহ্মপুত্র। ১৭৮৭ সালে ভ‚মিকম্পে আসামের পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ কিছুটা উঁচু হয়ে যায়। ফলে নদীটি বাংলাদেশের অংশে গতিপথ পাল্টে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদীতীরবর্তী এলাকায় জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ পরিবর্তনে নদী তীরবর্তী অগণিত মানুষ, জীবজন্তু মৃত্যুমুখে পতিত হয়। ঘরবাড়ি, ধনসম্পদ ও যাতায়াত ব্যবস্থা বিনষ্ট হয়। যেসব মানুষের জীবিকা নদীকেন্দ্রিক ছিল তা বন্ধ হয়ে যায়। মৎস্য সম্পদে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। আশপাশের পরিবেশে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ভ‚ত্বকের বাহ্যিক অবয়বে কী দেখা যায়?
উত্তর : ভ‚ত্বকে পৃথিবীর বাহ্যিক অবয়ব যেমন : সমভ‚মি, মালভ‚মি, পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ২ \ কেন্দ্রমণ্ডল কী কী উপাদান দ্বারা গঠিত?
উত্তর : কেন্দ্রমণ্ডল লোহা, নিকেল, পারদ, সিসা ইত্যাদি উপাদান দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন \ ৩ \ ঊর্ধ্বগুরুমণ্ডল কী খনিজ দ্বারা গঠিত?
উত্তর : ঊর্ধ্বগুরুমণ্ডল প্রধানত লোহা ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ সিলিকেট খনিজ দ্বারা গঠিত।
প্রশ্ন \ ৪ \ শিলা কী?
উত্তর : ভ‚ত্বক যেসব উপাদান দ্বারা গঠিত তাদের শিলা বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ একটি মৌলিক উপাদানে গঠিত এমন একটি খনিজের নাম লেখ?
উত্তর : একটি মৌলিক উপাদানে গঠিত এমন একটি খনিজের নাম হীরা।
প্রশ্ন \ ৬ \ চুনাপাথর কোন খনিজ থেকে সৃষ্ট?
উত্তর : চুনাপাথর ক্যালসাইট নামের খনিজ থেকে সৃষ্ট।
প্রশ্ন \ ৭ \ বহিঃজ আগ্নেয় শিলা কী করে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : ভ‚গর্ভের উত্তপ্ত তরল পদার্থ ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা অন্য কোনো কারণে বেরিয়ে এসে শীতল হয়ে জমাট বেঁধে বহিঃজ আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ অন্তঃজ আগ্নেয় শিলার উদাহরণ দাও।
উত্তর : অন্তঃজ আগ্নেয় শিলার উদাহরণ গ্রানাইট, গ্যাব্রো, ডলোরাইট।
প্রশ্ন \ ৯ \ পাললিক শিলা কী প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়?
উত্তর : পাললিক শিলা যৌগিক, জৈবনিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ কাদা ও শেল রূপান্তরিত হয়ে কিসে পরিণত হয়?
উত্তর : কাদা ও শেল রূপান্তরিত হয়ে ¯েøটে পরিণত হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ কোন শিলায় ছিদ্র দেখা যায়?
উত্তর : পাললিক শিলায় ছিদ্র দেখা যায় ।
প্রশ্ন \ ১২ \ ভ‚পৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তন কী?
উত্তর : ভ‚পৃৃষ্ঠে হঠাৎ করে অল্প সময়ে এবং অল্প স্থানে যে পরিবর্তন সাধিত হয় তাকে আকস্মিক পরিবর্তন বলে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ভ‚পৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তন কী দ্বারা সংঘটিত হয়?
উত্তর : ভ‚পৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তন সংঘটিত হয় প্রধানত ভ‚মিকম্প, সুনামি ও আগ্নেয়গিরি দ্বারা।
প্রশ্ন \ ১৪ \ ভ‚মিকম্প কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবীর কঠিন ভ‚ত্বকের কোনো কোনো অংশ প্রাকৃতিক কোনো কারণে কখনো কখনো অল্প সময়ের জন্য হঠাৎ কেঁপে ওঠে। ভ‚ত্বকের এরূপ আকস্মিক কম্পনকে ভ‚মিকম্প বলে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ‘সুনামি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘সুনামি’ জাপানি শব্দ। এর অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’।
প্রশ্ন \ ১৬ \ আগ্নেয়গিরি কী?
উত্তর : ভ‚পৃষ্ঠের দুর্বল অংশের ফাটল দিয়ে ভ‚গর্ভের গলিত পদার্থ প্রবলবেগে ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হয়ে ক্রমশ জমাট বেঁধে যে উঁচু মোচাকৃতি পর্বত সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়গিরি বলে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ভিসুভিয়াস কী?
উত্তর : ভিসুভিয়াস ইতালির একটি আগ্নেয় পর্বত।
প্রশ্ন \ ১৮ \ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কাকে বলে?
উত্তর : যেসব আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এখনও বন্ধ হয়নি তাদের সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বলে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে কোন দুটি নগর ধ্বংস হয়ে যায়?
উত্তর : ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে হারকিউলেনিয়াম ও পাম্পই নগর ধ্বংস হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ২০ \ বিচ‚র্ণীভবন কী?
উত্তর : শিলারাশির চ‚র্ণবিচ‚র্ণ ও বিশ্লিষ্ট হওয়ার প্রক্রিয়াকে বিচ‚র্ণীভবন বলে।
প্রশ্ন \ ২১ \ চ্যুতি কী?
উত্তর : ভ‚আলোড়নের সময় ভ‚পৃষ্ঠের শিলাস্তরে প্রসারণ এবং সংকোচনে ভ‚ত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ ফাটল বরাবর ভ‚ত্বকের স্থানচ্যুত হওয়াকে চ্যুতি বলে।
প্রশ্ন \ ২২ \ নদীর উৎস কাকে বলে?
উত্তর : যেখান থেকে নদীর উৎপত্তি হয় তাকে নদীর উৎস বলে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ নদীর মোহনা কাকে বলে?
উত্তর : নদী যখন কোনো হ্রদ বা সাগরে এসে পতিত হয়, তখন সেই পতিত স্থানকে মোহনা বলে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ নদীর খাড়ি কাকে বলে?
উত্তর : নদীর অধিক বিস্তৃত মোহনাকে খাড়ি বলে।
প্রশ্ন \ ২৫ \ দোয়াব কাকে বলে?
উত্তর : প্রবহমান দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভ‚মিকে দোয়াব বলে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ নদী সঙ্গম কাকে বলে?
উত্তর : দুই বা ততোধিক নদীর মিলনস্থলকে নদী সঙ্গম বলে।
প্রশ্ন \ ২৭ \ উপনদী কাকে বলে?
উত্তর : পর্বত বা হ্রদ হতে যেসব ছোট নদী উৎপন্ন হয়ে কোনো বড় নদীতে পতিত হয় তাকে সেই বড় নদীর উপনদী বলে। বাংলাদেশের তিস্তা ও করতোয়া হলো যমুনা নদীর উপনদী।
প্রশ্ন \ ২৮ \ শাখা নদী কাকে বলে?
উত্তর : মূল নদী থেকে যেসব নদী বের হয় তাকে শাখা নদী বলে। বাংলাদেশের কুমার ও গড়াই হলো পদ্মা নদীর শাখা নদী।
প্রশ্ন \ ২৯ \ নদী উপত্যকা কাকে বলে?
উত্তর : যে খাতের মধ্য দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় সে খাতকে উক্ত নদীর উপত্যকা বলে।
প্রশ্ন \ ৩০ \ নদীগর্ভ কাকে বলে?
উত্তর : নদীর উপত্যকার তলদেশকে নদীগর্ভ বলে।
প্রশ্ন \ ৩১ \ ভৌগোলিক বিচারে সমগ্র পৃথিবীর ভ‚মিরূপকে কী কী ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তর : ভৌগোলিক বিচারে পৃথিবীর সমগ্র ভ‚মিরূপকে ১. পর্বত ২. মালভ‚মি ৩. সমভ‚মি এ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ কী কী কারণে পর্বত গঠিত হয়?
উত্তর : ভ‚আলোড়ন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভ‚ত্বকের ক্ষয়কার্য ও সঞ্চয়কার্য এসব কারণে পর্বত গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ কী?
উত্তর : ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ হলো ক্ষয়সাধন।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ ঊর্ধ্বগতিতে নদীর কী কী ক্ষয়জাত ভ‚মিরূপ পাওয়া যায়?
উত্তর : নদীর ঊর্ধ্বগতি অবস্থায় ‘ভি’ আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত ও ক্যানিয়ন, জলপ্রপাত ইত্যাদি ক্ষয়জাত ভ‚মিরূপ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ গ্যান্ড ক্যানিয়ন কী?
উত্তর : গ্যান্ড ক্যানিয়ন হলো উত্তর আমেরিকার কলোরাডো নদীর বিখ্যাত গিরিখাত।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ পর্বত কাকে বলে?
উত্তর : সমুদ্রতল থেকে অন্তত ১০০০ মিটারের অধিক উঁচু সুবিস্তৃত ও খাড়া ঢালবিশিষ্ট শিলাস্তূপকে পর্বত বলে।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ পাহাড় কাকে বলে?
উত্তর : সাধারণত ৬০০ থেকে ১০০০ মিটার উঁচু স্বল্প বিস্তৃত শিলাস্তূপকে পাহাড় বলে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ শিলা ও খনিজ কী ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভ‚ত্বক শিলা দ্বারা গঠিত। শিলা গঠিত হয় বিভিন্ন খনিজের সংমিশ্রণে। কতকগুলো মৌলিক উপাদান প্রাকৃতিক উপায়ে মিলিত হয়ে যে যৌগ গঠন করে তাই খনিজ। খনিজ হলো একটি প্রাকৃতিক অজৈব, পদার্থ যার সুনির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন এবং ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম রয়েছে। খনিজ দুই বা ততোধিক মৌলের সমন্বয়ে গঠিত হলেও কিছু কিছু খনিজ একটি মাত্র মৌল দ্বারা গঠিত হতে পারে। যেমন, হীরা, সোনা, তামা, পারদ ও গন্ধক। শিলা গঠনকারী প্রতিটি খনিজের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। যদিও বেশিরভাগ শিলাই একাধিক খনিজ দ্বারা গঠিত হয়। সেক্ষেত্রে খনিজ এবং শিলা একই পদার্থ।
প্রশ্ন \ ২ \ ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভ‚পৃষ্ঠের আকস্মিক পরিবর্তন তথা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা ভ‚মিকম্পের ফলে অনেক সময় ভ‚ত্বকের দুর্বল অংশে ফাটলের সৃষ্টি হয়। তখন পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে উত্তপ্ত গলিত লাভা নির্গত হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট শিলা এভাবে সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ কয়লা ও খনিজ তেলকে জৈব শিলা বলা হয় কেন?
উত্তর : পাললিক শিলা যৌগিক, জৈবনিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় গঠিত হতে পারে। বেলে পাথর, কয়লা, শেল, চুনাপাথর ইত্যাদি পাললিক শিলার উদাহরণ। জীবদেহ থেকে উৎপন্ন হয় বলে কয়লা ও খনিজ তেলকে জৈব শিলাও বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ আগ্নেয়শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : আগ্নেয়শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো :
১. আগ্নেয় শিলা কেলাসিত হয়। এর স্ফটিকগুলোর গঠন পরস্পরের সাথে সংযোজিত। ফলে এটি খুব শক্ত ও ভারী হয়।
২. এ শিলায় কোনো জীবাশ্ম থাকে না। কারণ উত্তপ্ত গলিত পদার্থ হতে এ শিলার উৎপত্তি হয় বলে এর মধ্যে জীবজন্তু ও বৃক্ষ লতার অস্তিত্ব থাকতে পারে না।
প্রশ্ন \ ৫ \ পাললিক শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : পাললিক শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো :
১. পাললিক শিলায় স্তর দেখা যায়। কারণ এ শিলা পলল বা তলানিরূপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়।
২. এ শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়। কারণ এ শিলা পললরূপে সঞ্চিত হবার সময় এর মধ্যে নানাবিধ সামুদ্রিক জীবজন্তুর কঙ্কাল ও উদ্ভিদের দেহাবশেষ প্রস্তরীভ‚ত অবস্থায় থাকে।
প্রশ্ন \ ৬ \ রূপান্তরিত শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : রূপান্তরিত শিলার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো :
১. রূপান্তরিত শিলা কেলাসিত বা স্ফটিকাকার।
২. এ শিলায় খনিজ দ্রব্যগুলো সমান্তরাল থাকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ভ‚পৃষ্ঠের পরিবর্তন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ভ‚পৃষ্ঠ সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে, কখনো ধীরে, কখনো আকস্মিকভাবে। ভ‚ত্ত¡বিদদের মতে বর্তমানে পৃথিবী যে অবস্থায় আছে কোটি কোটি বছর আগে এ অবস্থায় ছিল না। পৃথিবী সৃষ্টির পর ভ‚পৃষ্ঠের অনেক রদবদল হয়েছে। পাহাড়-পর্বত নিমজ্জিত হয়েছে সমুদ্রগর্ভে, সমুদ্রগর্ভ উত্থিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি। পর্বত ও মালভ‚মি পরিণত হয়েছে সমভ‚মিতে। ভ‚পৃষ্ঠের পরিবর্তন প্রক্রিয়া দুইটি। যথা : আকস্মিক পরিবর্তন ও ধীর পরিবর্তন।
প্রশ্ন \ ৮ \ ভ‚পৃষ্ঠের বেশিরভাগ পরিবর্তন কীভাবে ঘটে?
উত্তর : পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগ এখনও উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় রয়েছে। এসব উত্তপ্ত বস্তুর মধ্যে তাপ ও চাপের পার্থক্য হলে ভ‚ত্বকে যে আলোড়ন ঘটে তাকে ভ‚আলোড়ন বলে। এ ভ‚আলোড়নের ফলেই ভ‚পৃষ্ঠের বেশিরভাগ পরিবর্তন হয়ে থাকে।
প্রশ্ন \ ৯ \ আগ্নেয়গিরির কুফল কী হতে পারে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে লাভা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম, নগর, কৃষিক্ষেত্র সব ধ্বংস করে। ১৮৭৯ সালে ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হারকিউলোনিয়াম ও পাম্পেই নামের দুটি নগর উত্তপ্ত লাভা ও ভস্মরাশির মধ্যে ডুবে গিয়েছিল।
প্রশ্ন \ ১০ \ নদীর সঞ্চয়কার্য বলতে কী বোঝ লেখ।
উত্তর : নদীর গতির সব পর্যায়ে কম বেশি সঞ্চয়কার্য দেখা গেলেও নদীর জীবনচক্রের শেষ পর্যায়ে নদীর সঞ্চয়কার্য বেশি হয়। সমুদ্রের নিকটবর্তী অঞ্চল হলো নদীর শেষ অবস্থা এবং এ পর্যায়ে নদীর নিম্নগতি থাকে। এতে নদী উপত্যকা সর্বাপেক্ষা অধিক প্রশস্ত হয় এবং গভীরতা একেবারে কমে আসে। ফলে নদীবাহিত শিলাচ‚র্ণ, পলিমাটি, সূ² বালুকণা প্রভৃতি নদীর ¯্রােতের সাথে বাহিত হয়ে এ পর্যায়ে এসে নদীগর্ভে ও নদীর উভয় পার্শ্বে জমা হয়। নদীর সঞ্চয় কার্যের ফলে বিভিন্ন ভ‚মিরূপের সৃষ্টি হয়। যেমন : পলল কেন ও পলল পাখা, পাদদেশীয় পলল সমভ‚মি, প্লাবন সমভ‚মি ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১১ \ নদী কীভাবে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যখন নদী সমভ‚মিতে আসে তখন নদী ক্ষয় এবং সঞ্চয় দুটোই করে। নদীর চলার পথে যেখানে নরম শিলা পায় নদী ঠিক সেদিক দিয়ে অগ্রসর হয়। এভাবে নদী ক্ষয় ও সঞ্চয় করতে করতে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
প্রশ্ন \ ১২ \ বদ্বীপ কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : নদীর মোহনায় বদ্বীপ সৃষ্টি হয়। নদীর পানিতে পলিমাটি মিশ্রিত থাকে। এ পলিমাটি নদীর মোহনায় এসে জমতে থাকে। বছরের পর বছর এভাবে জমতে থাকা পলি আস্তে আস্তে ‘ব’ আকৃতির হতে থাকে এবং একসময় সমভ‚মির সৃষ্টি করে। এভাবে নদীর মোহনায় বদ্বীপ সমভ‚মির সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বদ্বীপ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নদী যখন মোহনার কাছাকাছি আসে তখন তার স্রোত একেবারেই কমে যায়। এতে বালি ও কাদা তলানিরূপে সঞ্চিত হয়। নদীর স্রোত যদি কোনো সাগরে এসে পতিত হয় তাহলে ঐ সমস্ত বালি, কাদা নদীর মুখে জমে নদীমুখ প্রায় বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে এর স্তর সাগরের পানির উচ্চতার উপরে উঠে যায়। তখন নদী বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে এই চরাভ‚মিকে বেষ্টন করে সাগরে পতিত হয়। ত্রিকোণাকার এই নতুন ভ‚মিকে বদ্বীপ বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ পলল পাখা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : পার্বত্য কোনো অঞ্চল থেকে হঠাৎ করে কোনো নদী যখন সমভ‚মিতে পতিত হয় তখন শিলাচ‚র্ণ, পলিমাটি প্রভৃতি পাহাড়ের পাদদেশে সমভ‚মিতে সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণ ও হাতপাখার ন্যায় ভ‚খণ্ডের সৃষ্টি করে। এরূপ পলল ভ‚মিকে পলল কোণ বা পলল পাখা বলে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ল্যাকোলিথ পর্বত কাকে বলে ?
উত্তর : পৃথিবীর অভ্যন্তরে অনেক গ্যাস ও গলিত শিলা আছে। অনেক সময় পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে এসব গলিত শিলা বা ম্যাগমা বিভিন্ন ফাটল পথে স্থানান্তরিত হয়ে ভ‚পৃষ্ঠে বের হয়ে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু অনেক সময় বাধা পেয়ে এগুলো ভ‚পৃষ্ঠের উপরে না এসে ভ‚ত্বকের নিচে একস্থানে জমাট বাঁধে। ঊর্ধ্বমুখী চাপের কারণে স্ফীত হয়ে ভ‚ত্ব¡কের অংশবিশেষ গম্বুজ আকার ধারণ করে। এভাবে সৃষ্ট পর্বতকে ল্যাকোলিথ পর্বত বলে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ সমভ‚মি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু মৃদু ঢাল বিশিষ্ট সুবিস্তৃত ভ‚মিকে সমভ‚মি বলে। সমভ‚মি অঞ্চল মোটামুটি সমতল; এর বিভিন্ন স্থানে উচ্চতার সামান্য পরিবর্তন দেখা যায়। অর্থাৎ সমভ‚মি বলতে কম বন্ধুরতা সম্পন্ন ভ‚মিকে বোঝানো হয়। বিভিন্ন ভ‚প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেমন : নদী, হিমবাহ ও বায়ুর ক্ষয় ও সঞ্চয় ক্রিয়ার ফলে সমভ‚মির সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ স্তূপ পর্বত সৃষ্টির কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভ‚আলোড়নের সময় ভ‚পৃষ্ঠের শিলাস্তরে প্রসারণ এবং সংকোচনের সৃষ্টি হয়। এই প্রসারণ এবং সংকোচনের জন্য ভ‚ত্বকে ফাটলের সৃষ্টি হয়। কালক্রমে এ ফাটল বরাবর ভ‚ত্বক ক্রমে স্থানচ্যুত হয়। একে চ্যুতি বলে। ভ‚ত্বকের এ স্থানচ্যুতি কোথাও উপরের দিকে হয়, আবার কোথাও নিচের দিকে হয়। চ্যুতির ফলে উঁচু হওয়া অংশকে স্তূপ পর্বত বলে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ সমভ‚মিতে ঘনবসতি গড়ে উঠেছে কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু মৃদু ঢালবিশিষ্ট সুবিস্তৃত ভ‚মিকে সমভ‚মি বলে। বিভিন্ন ভ‚প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেমন- নদী, হিমবাহ ও বায়ুর ক্ষয় ও সঞ্চয় ক্রিয়ার ফলে সমভ‚মির সৃষ্টি হয়। মৃদু ঢালু ও স্বল্প বন্ধুরতার জন্য সমভ‚মি কৃষিকাজ, বসবাস, রাস্তাঘাট নির্মাণের জন্য খুবই উপযোগী। তাই সমভ‚মিতে সবচেয়ে ঘন জনবসতি গড়ে উঠেছে।