নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ৫ বায়ুমণ্ডল

পঞ্চম অধ্যায়
বায়ুমণ্ডল

ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
 বায়ুর উপাদান বর্ণনা করতে পারবে।
 বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস; বৈশিষ্ট্য এবং গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান এবং তার নিয়ামক বর্ণনা করতে পারবে ।
 বায়ুপ্রবাহ ও তার প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
 পানিচক্র ও বিভিন্ন প্রকারের বৃষ্টিপাত সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে।
 বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সম্ভাব্য যে প্রভাব পড়বে তা বিশ্লেষণ করতে পারবে।
 বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
 বায়ুমণ্ডল : পৃথিবীর চারদিক নানা প্রকার গ্যাসীয় উপাদান দ্বারা বেষ্টিত। অদৃশ্য এই গ্যাসীয় আবরণ যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাই বায়ুমণ্ডল। ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
 বায়ুর উপাদান : বায়ু কতকগুলো গ্যাসের মিশ্রণ। এ গ্যাসগুলোর মধ্যে প্রধান হলো নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন। এছাড়া বায়ুর মধ্যে কার্বন ডাইঅক্সাইড, জলীয়বাষ্প, খুব সামান্য পরিমাণে আরগন, নিয়ন, হিলিয়াম, ক্রিপটন, জেনন, ওজোন, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড বর্তমান আছে।
 বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস : বায়ুমণ্ডল যে সমস্ত উপাদানে গঠিত তাদের প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও উষ্ণতার পার্থক্য অনুসারে ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে বায়ুমণ্ডলকে পর্যায়ক্রমে ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল ও এক্সোমণ্ডল এ পাঁচটি স্তরে ভাগ করা হয়।
 আবহাওয়া : কোনো নির্দিষ্ট স্থানের কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা, বায়ুপ্রবাহ, জলীয়বাষ্প ও বৃষ্টিপাতের একত্রিত অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।
 জলবায়ু : কোনো বৃহৎ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অন্ততপক্ষে ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে।
 জলবায়ুর নিয়ামক : পৃথিবীর সব অঞ্চলের জলবায়ু একই রকম নয়। কিছু ভৌগোলিক পার্থক্যের কারণে স্থানভেদে জলবায়ুর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিষয়গুলোকে জলবায়ুর নিয়ামক বলে।
 পানিচক্র : সূর্যের তাপে সাগর-মহাসাগর, নদীনালা, পুকুর-জলাশয় ইত্যাদির পানি বাষ্প হয়ে বাতাসে মিশে যায়। ঐ পানি বৃষ্টি হয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে। একে পানি চক্র বলে।
 বাষ্পীভবন : বাষ্পীভবনের দ্বারা জলীয়বাষ্পের সৃষ্টি হয়। সমুদ্র জলীয়বাষ্পের প্রধান উৎস। এছাড়া উদ্ভিদ জগৎ, নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পানি সূর্যের তাপে ক্রমাগত বাষ্পে পরিণত হয়ে ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। একে বাষ্পীভবন বলে।
 ঘনীভবন : কোনো কারণে পরিপৃক্ত বায়ু শীতল হতে থাকলে পূর্বের মতো বেশি জলীয়বাষ্প ধরে রাখতে পারে না। তখন জলীয়বাষ্পের কিছুটা পানিতে পরিণত হয়। একে ঘনীভবন বলে।
 বায়ুর আর্দ্রতা : বায়ুতে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
 বৃষ্টিপাত : জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু উপরে উঠে শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়ে মেঘে পরিণত হয় এবং তা ঊর্ধ্বাকাশে ভাসতে থাকে। মেঘের মধ্যে থাকা অসংখ্য পানির কণা পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে বৃষ্টির আকারে ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হয়। এরূপ একসাথে অসংখ্য জলকণা ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হওয়াকে বৃষ্টিপাত বলে।
 পরিচলন বৃষ্টি : দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ওই জলীয়বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে।
 শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি : জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি গমনপথে কোনো উঁচু পর্বত শ্রেণিতে বাধা পায় তাহলে ওই বায়ু উপরের দিকে উঠে যায়। তখন জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ক্রমশ প্রসারিত হয় এবং পর্বতের উঁচু অংশে শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়ে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি বলে।
 বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি : শীতল ও উষ্ণ বায়ু মুখোমুখি উপস্থিত হলে উষ্ণ বায়ু এবং শীতল বায়ু একে অপরের সঙ্গে মিশে না গিয়ে তাদের মধ্যবর্তী এলাকায় অদৃশ্য বায়ু প্রাচীরের সৃষ্টি করে। এ বায়ু প্রাচীরের সংযোগস্থলে যে বৃষ্টিপাত হয়, তাকে বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি বলে।
 ঘূর্ণি বৃষ্টি : ঘূর্ণিবাত কেন্দ্রের বায়ু উপরে উঠে যাওয়ায় এর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতল হয়। এ সময় বায়ুর অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প ঘনীভ‚ত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে ঘূর্ণি বৃষ্টি বলে।
 বায়ুপ্রবাহ : বায়ুর তাপ ও চাপের পার্থক্যের জন্য বায়ু এক জায়গায় নিশ্চল থাকে না। সর্বদা এক স্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয়। একে বায়ুপ্রবাহ বলে।
 নিয়ত বায়ুপ্রবাহ : যে বায়ু পৃথিবীর চাপ বলয়গুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সারাবছর নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
 অয়ন বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ (২৫ হতে ৩৫) বলয় হতে দুটি বায়ুপ্রবাহ নিরক্ষীয় নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে সবসময় প্রবাহিত হয়। অয়ন বায়ু পৃথিবীর আবর্তনের জন্য ফেরেলের সূত্র অনুসারে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ুকে বাণিজ্য বায়ুও বলা হয়।
 প্রত্যয়ন বা পশ্চিমা বায়ু : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় হতে আরও দুটি বায়ুপ্রবাহ সুমেরু ও কুমেরুবৃত্তীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর মেরুর দিকে আসতে আসতে পৃথিবীর আবর্তনের জন্য ডানদিকে বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ুপ্রবাহ এবং দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরুবৃত্তের নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হওয়ার সময় বাম দিকে বেঁকে উত্তর-পশ্চিম বায়ুপ্রবাহে পরিণত হয়। এগুলোকে যথাক্রমে দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম প্রত্যয়ন বায়ু বা পশ্চিমা বায়ু বলে।
 মেরু বায়ু : সুমেরু ও কুমেরু উচ্চচাপ বলয় হতে নিয়মিতভাবে আরও দুটি বায়ুপ্রবাহ মেরুবৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। একে উত্তর-পূর্ব মেরু বায়ু বা সুমেরু বায়ু এবং দক্ষিণ-পূর্ব মেরু বায়ু বা কুমেরু বায়ু বলে।
 সাময়িক বায়ু : দিনের বিভিন্ন সময়ে ও বছরের বিভিন্ন ঋতুতে জল ও স্থলভাগের তাপ গ্রহণ, সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়ে অসমতার জন্য যে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে সাময়িক বায়ু বলে।
 সমুদ্র বায়ু : জল ও স্থলভাগের তাপ গ্রহণ ও সংরক্ষণ ক্ষমতা এক নয়। স্থলভাগ দ্রæত উত্তপ্ত ও শীতল হয়। জলভাগ দীর্ঘ সময়ে শীতল ও উত্তপ্ত হয়। দিনের বেলায় সূর্যকিরণে তীরবর্তী স্থলভাগ সমুদ্রের পানি অপেক্ষা অধিক উত্তপ্ত হয় এবং সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এই সময় বায়ুর চাপের সমতা রক্ষার জন্য সমুদ্র থেকে শীতল ও উচ্চচাপ বিশিষ্ট বায়ু স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুই সমুদ্র বায়ু।
 স্থলবায়ু : রাতে স্থলভাগ দ্রæত তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে পড়ে, কিন্তু জলভাগ অধিকক্ষণ তাপ সংরক্ষণ করে বলে ধীরে ধীরে শীতল হয়। ফলে স্থলভাগের শীতল বায়ু সমুদ্রে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। একে স্থলবায়ু বলে।
 মৌসুমি বায়ু : আরবি ‘মওসুম’ শব্দের অর্থ ঋতু। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যে বায়ুর দিক পরিবর্তন হয় তাকে মৌসুমি বায়ু বলে।
 স্থানীয় বায়ু : স্থানীয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য কিংবা তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে ভ‚পৃষ্ঠের স্থানে স্থানে স্থানীয় বায়ুর উৎপত্তি হয়। রকি পর্বতের চিনুক, ভারতীয় উপমহাদেশের লু স্থানীয় বায়ুর উদাহরণ।
 বিশ্ব উষ্ণায়ন : বিশ্ব উষ্ণায়ন হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্ব উষ্ণতা বাড়ছে এবং জলবায়ুতে নানাবিধ পরিবর্তন দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. আরগন গ্যাসটি বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে থাকে?
ক স্ট্রাটোমণ্ডল খ ট্রপোমণ্ডল  এক্সোমণ্ডল ঘ তাপমণ্ডল
২. স্ট্রাটোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য হলো, এটিÑ
র. আর্দ্র বায়ুযুক্ত
রর. বিমান চলাচলের উপযোগী
ররর. অতিবেগুনি রশ্মি শোষণে সক্ষম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
অনন্য তার বাবার সঙ্গে সিলেট বেড়াতে যায়। সেখান থেকে তারা জয়ন্তিয়া পাহাড় দেখতে গেল। দূর থেকে দেখল পাহাড়ের একটি ঢালে বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু বিপরীত ঢালে বৃষ্টি হচ্ছে না।
৩. অনন্য কোন ধরনের বৃষ্টিপাত দেখেছিল?
ক পরিচলন  শৈলোৎক্ষেপ গ ঘূর্ণি ঘ বায়ু প্রাচীরজনিত
৪. পাহাড়ের অপর ঢালে বৃষ্টি না হওয়ার কারণÑ
র. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের অভাব
রর. বায়ুর উষ্ণ ও শুষ্ক হাওয়া
ররর. বায়ুতে জলীয়বাষ্প বৃদ্ধি হওয়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫. বায়ু সর্বদা একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয় কেন? (জ্ঞান)
ক বায়ুর গতিপথে পর্বতের অবস্থানের জন্য
˜ তাপ ও চাপের পার্থক্যের জন্য
গ চাপ বলয়ের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য
ঘ নিরক্ষীয় নি¤œ ও উচ্চচাপ বলয়ের জন্য
৬. বাংলাদেশে সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ু নিয়মিত প্রবাহিত হয় কেন? (জ্ঞান)
ক স্থলভাগের পরিমাণ বেশি হওয়ায়
খ উত্তরে হিমালয় পর্বত থাকায়
˜ দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থান করায়
ঘ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায়
৭. মৌসুমি বায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- (জ্ঞান)
র. এটি একটি আঞ্চলিক বায়ু
রর. ঋতু আশ্রয়ী বায়ু
ররর. শীত ও গ্রীষ্ম ঋতুভেদে এ বায়ুর দিক পরিবর্তন হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮. নিম্নের কোন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ঝুঁকির অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান)
ক কৃষিক্ষেত্রে নিশ্চয়তা খ ভ‚মিকম্প
 তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘ মরুকরণ

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  বায়ুমণ্ডল

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. বায়ুমণ্ডল কী?
খ. বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন গ্যাস বেশি পরিমাণে থাকার সুবিধা কী বর্ণনা কর।
গ. ‘ছ’ স্তরটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘জ’ এবং ‘ঝ’ স্তরের মধ্যে কোনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

ক যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে বলে বায়ুমণ্ডল।
খ বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন গ্যাসে বেশি পরিমাণে থাকার সুবিধা হলো :
১. বাতাসের নাইট্রোজেন মাটিতে শোষিত হয় এবং উদ্ভিদ মাটি থেকে প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন গ্রহণ করে।
২. বাতাসে নাইট্রোজেন বেশি থাকায় তা বাতাসের অন্যান্য উপাদানগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
গ ‘ছ’ স্তরটি হলো স্ট্রাটোমণ্ডল। ট্রপোবিরতির উপরের দিকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্ট্রাটোমণ্ডল। স্ট্রাটোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য :
১. এই স্তরেই ওজোন (ঙ৩) গ্যাসের স্তর বেশি পরিমাণে আছে। এ ওজোন স্তর সূর্যের আলোর বেশিরভাগ অতিবেগুনি রশ্মি (টষঃৎধারড়ষধঃব ৎধুং) শুষে নেয়। এ স্তরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা ৪ সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
২. এই স্তরের বায়ুতে অতি সূ² ধূলিকণা ছাড়া কোনোরকম জলীয়বাষ্প থাকে না। ফলে আবহাওয়া থাকে শান্ত ও শুষ্ক। ঝড়-বৃষ্টি থাকে না বলেই এই স্তরের মধ্য দিয়ে সাধারণত জেট বিমানগুলো চলাচল করে।
৩. স্ট্রাটোমণ্ডল ও মেসোমণ্ডলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রার স্থিতাবস্থাকে স্ট্রাটোবিরতি বলে।
৪. বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় তাপমাত্রা পুনরায় হ্রাস পেতে শুরু করে। এটি স্ট্রাটোমণ্ডলের শেষ প্রান্ত নির্ধারণ করে।
ঘ ‘জ’ স্তরটি হলো মেসোমণ্ডল এবং ‘ঝ’ স্তরটি হলো তাপমণ্ডল। এই দুটি স্তরের মধ্যে ‘ঝ’ স্তরটি বা তাপমণ্ডল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলোর অধিকাংশ মেসোমণ্ডলে এসে পুড়ে যায়। এদিক থেকে মেসোমণ্ডলও গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু উল্কা এর পূর্বে বা পরেও পুড়ে শেষ হতে পারে। এর জন্য মেসোমণ্ডল আবশ্যক নয়। অন্যদিকে ‘ঝ’ চিহ্নিত তাপমণ্ডলের স্তরটি যোগাযোগ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। এ স্তরের আয়নমণ্ডলে বেতারতরঙ্গ বাধা পেয়ে ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে। মেসোবিরতির উপরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে তাপমণ্ডল বলে। এই মণ্ডলে বায়ুস্তর অত্যন্ত হালকা ও চাপ ক্ষীণ। তাপমণ্ডলের নিম্ন অংশকে আয়নমণ্ডল বলে। আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় ‘জ’ চিহ্নিত মেসোমণ্ডলের চেয়ে ‘ঝ’ চিহ্নিত তাপমণ্ডল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন- ২  অয়ন বায়ু ও পশ্চিমা বায়ু

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. খামসিন কী?
খ. ফেরেলের সূত্রটি লেখ।
গ. মানচিত্রে ‘ঊঋএঐ’ স্থানে বিরাজমান বায়ুপ্রবাহ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ওঔকখ’ এবং ‘চছজঝ’ স্থানের বায়ুর বেগ কী একই রকম? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।

ক মিশরের ভ‚প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে স্থানীয়ভাবে যে বায়ুর উৎপত্তি হয়, তাকে খামসিন বলে।
খ ফেরেলের সূত্রটি হলো পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তনশীল এবং নিরক্ষরেখা থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে আবর্তনের কারণে গতিবেগ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়। এ উভয় কারণে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীপৃষ্ঠে গতিশীল পদার্থ (যেমন-বায়ুপ্রবাহ ও জলস্রোত) সরাসরি উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডান দিক এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়।
গ চিত্রে ‘ঊঋএঐ’ স্থানটি ২৩১২ দক্ষিণ অক্ষরেখার চারপাশে অবস্থিত যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ুপ্রবাহ বিরাজমান। নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় থেকে উষ্ণ ও হালকা বায়ু উপরে ওঠে গেলে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে শীতল ও ভারি বায়ু নিরক্ষীয় বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। একে অয়ন বায়ু বলে, অয়ন বায়ুকে বাণিজ্য বায়ুও বলা হয়। ফেরেলের সূত্রানুযায়ী অয়ন বায়ু উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়। দক্ষিণ গোলার্ধে অয়ন বায়ু দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নামে পরিচিত। মানচিত্রে ‘ঊঋএঐ’ দক্ষিণ গোলার্ধের মকরক্রান্তীয় স্থানে নির্দেশিত হয়েছে। সুতরাং মানচিত্রে প্রদর্শিত স্থানটি ‘ঊঋএঐ’ দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু প্রবাহের অন্তর্গত এবং এই বায়ুর বেগ ঘণ্টায় প্রায় ২২.৫৪ কিলোমিটার।
ঘ চিত্রে প্রদর্শিত ‘ওঔকখ’ এবং ‘চছজঝ’ স্থান দুটি পশ্চিমা বায়ুর অন্তর্গত হলেও ‘চছজঝ’ স্থানে বায়ুর বেগ বেশি। পশ্চিমা বায়ু কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে উৎপন্ন হয়ে মেরুবৃত্ত নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। উত্তর গোলার্ধে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়। চিত্রে প্রদর্শিক ‘ওঔকখ’ স্থান উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুর অন্তর্গত। উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগের পরিমাণ বেশি হওয়ায় স্থানীয় কারণে পশ্চিমা বায়ুর সাময়িক বিরতি ঘটে। সুতরাং দেখা যায় ‘ওঔকখ’ স্থানে বায়ুর বেগ কম। অপরপক্ষে ‘চছজঝ’ স্থানটি দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর-পশ্চিম পশ্চিমা বায়ুর অন্তর্গত। দক্ষিণ গোলার্ধে জলভাগের পরিমাণ বেশি বলে এ অঞ্চলে পশ্চিমা বায়ু প্রবলবেগে প্রবাহিত হয় বলে এই বায়ুপ্রবাহকে প্রবল পশ্চিমা বায়ু বলে। ৪০-৪৭ দক্ষিণ অক্ষাংশে পশ্চিমা বায়ুর বেগ সর্বাধিক এ জন্য এ অঞ্চলকে গর্জনশীল চল্লিশ বা জড়ধৎরহম ঋড়ৎঃঃরবং বলে। সুতরাং বলা যায় ‘চছজঝ’ স্থানে বায়ুর বেগ বেশি।

বার্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শোভন তার বাবার সাথে সিলেট বেড়াতে গেল। তারা সিলেটের জয়ন্তিয়া পাহাড় দেখতে গেল। দূর থেকে তারা দেখল যে পাহাড়ের একদিকে বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু বিপরীত দিকে বৃষ্টি হচ্ছে না। [স. বো. ’১৬]
১. শোভন কোন ধরনের বৃষ্টিপাত দেখতে পেল?
ক পরিচলন খ শৈলোৎক্ষেপ
গ ঘূর্ণি ঘ বায়ু প্রাচীরজনিত
২. পাহাড়ের বিপরীত দিকে বৃষ্টি না হওয়ার কারণ
র. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের অভাব
রর. বায়ু উষ্ণ ও শুষ্ক
ররর. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে জেট বিমান চলাচল করে? (স. বো. ’১৫)
ক ট্রপোমণ্ডল খ মেসোমণ্ডল
 স্ট্রাটোমণ্ডল ঘ এক্সোমণ্ডল
১০. বায়ু সর্বদা একস্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় (সা. বো. ’১৫)
র. তাপের তারতম্যের জন্য
রর. গতির পার্থক্যের জন্য
ররর. চাপের পার্থক্যের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছদটি পড়ে এবং ১১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বুশরার মামা বাড়ি কুয়াকাটায়। তার মামা একজন জেলে। তিনি বুশরাকে জানান শীতের রাতে বাড়িতে যতটা ঠাণ্ডা লাগে মাছ ধরতে গেলে তত ঠাণ্ডা লাগে না। (স. বো. ’১৫)
১১. বুশরার মামা বাড়ির এলাকায় সকালবেলা কীরূপ বায়ু প্রবাহিত হয়?
ক স্থল বায়ু খ মৌসুমী বায়ু
গ স্থানীয় বায়ু  সমুদ্র বায়ু

১২. বায়ুমণ্ডলে কোন শক্তির দ্বারা ভ‚পৃষ্ঠের চারদিকে জড়িয়ে থেকে অনবরত আবর্তন করছে? [চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক চৌম্বক শক্তি খ আন্তঃআণবিক শক্তি
গ তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি  মাধ্যাকর্ষণ শক্তি
১৩. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ]
ক ট্রপোমণ্ডলে  স্ট্রাটোমণ্ডলে
গ মেসোমণ্ডলে ঘ তাপমণ্ডলে
১৪. আরগন গ্যাসটি বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে থাকে? [হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক স্ট্রাটোমণ্ডল ˜ এক্সোমণ্ডল
গ ট্রপোমণ্ডল ঘ মেসোমণ্ডল
১৫. আবহাওয়া ও জলবায়ু যাবতীয় প্রক্রিয়া কোন স্তরে ঘটে?
[ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
˜ ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল
গ মেসোমণ্ডল ঘ তাপমণ্ডল
১৬. জেট বিমান স্ট্রাটোমণ্ডল দিয়ে চলাচল করে কেন?
[মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ওজোন গ্যাসের স্তর বেশি আছে বলে
 ঝড়-বৃষ্টি থাকে না বলে
গ জলীয়বাষ্প বেশি থাকে বলে
ঘ বাতাসের গতিবেগ থাকে না বলে
১৭. অধিকাংশ উল্কা বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে এসে পুড়ে যায়?
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
ক ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল
˜ মেসোমণ্ডল ঘ তাপমণ্ডল
১৮. জলবায়ুর নিয়ামক কোনটি? [শরীয়তপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়]
 অক্ষাংশ খ বাড়িঘর গ দ্রাঘিমাংশ ঘ বৃষ্টিপাত
১৯. বায়ু যে উষ্ণতায় ঘনীভ‚ত হয় তাকে কী বলে?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক হিমাঙ্ক ˜ শিশিরাঙ্ক
গ জলীয়বাষ্প ঘ পরিপৃক্ত
২০. বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ করাকে কী বলে? [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
˜ আর্দ্রতা খ কুয়াশা
গ বারিপাত ঘ শিশির
২১. নিরক্ষীয় অঞ্চলে কী ধরনের বৃষ্টিপাত হয়?
[কদমতলা পূর্ব বাসাবো কলেজ, ঢাকা]
ক ঘূর্ণি খ বায়ু প্রাচীরজনিত
গ শৈলোৎক্ষেপ  পরিচলন
২২. বাংলাদেশে কখন পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়? [নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 গ্রীষ্মকালে খ বর্ষাকালে
গ বসন্তকালে ঘ শীতকালে
২৩. মধ্য ইউরোপে শীতকালে কোন বৃষ্টিপাত হয়?
[শরীয়তপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পরিচলন খ শৈলোৎক্ষেপ
গ বায়ু প্রাচীরজনিত ˜ ঘূর্ণি
২৪. ফেরেলের সূত্রানুযায়ী বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে কোন দিকে বেঁকে যায়?
[বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা]
 ডানদিকে খ বাম দিকে
গ পূর্ব দিকে ঘ পশ্চিম দিকে
২৫. কোন গোলার্ধে পশ্চিমা বায়ু প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়?
[অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক পূর্ব খ পশ্চিম গ উত্তর ˜ দক্ষিণ
২৬. একশত বছর পূর্বের পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার তুলনায় বর্তমানে কত সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে? [রাজবাড়ি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ০.২০ সেলসিয়াস খ ০.০৪ সেলসিয়াস
 ০.৬০ সেলসিয়াস ঘ ০.০৮ সেলসিয়াস
২৭. গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার প্রত্যক্ষ ফল কোনটি? [ভিকারুন নিসা স্কুল ও কলেজ, ঢাকা]
 তাপমাত্রা বৃদ্ধি খ বৃষ্টিপাত হ্রাস
গ মৃত্তিকার দূষণ ঘ প্রাকৃতিক বিপর্যয়
২৮. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৩ ফুট বেড়ে গেলে বাংলাদেশের কত শতাংশ ভ‚মি পানির নিচে তলিয়ে যাবে? [যাত্রাবাড়ি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 ১৭% খ ২৫% গ ৩১% ঘ ৩৯%
২৯. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের কোন উন্নয়নশীল দেশ সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে? [খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ভারত  বাংলাদেশ গ পাকিস্তান ঘ চীন
৩০. আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলো হলো
[নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. বায়ুর তাপ ও বায়ুর চাপ
রর. বায়ুর আর্দ্রতা ও বারিপাত
ররর. অক্ষাংশ ও উচ্চতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৭৩ ও ২৭৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শীতের সকালে তমালকে বাবা হাঁটতে যেতে ডাকলে তমাল বাবাকে বলল, বইরে প্রচুর ধোঁয়া। আজ বাইরে যাওয়া অসম্ভব।
[আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
৩১. তমালের উদ্ধৃত ধোঁয়া মূলতÑ
ক শিশির গ তুষার
 কুয়াশা ঘ বারিপাত
৩২. অনুচ্ছেদ আলোকে নিচের যে বাক্যটি যথার্থÑ
ক তাপ বিকিরণের ফলে বরফ কণা ভাসছে
 বাষ্প কম ঘনীভ‚ত হওয়ায় ধোঁয়ার মতো ভাসছে
গ ভ‚পৃষ্ঠ শীতল হয়ে শিশির বায়ুমন্ডলে ভাসছে
ঘ তাপ বিকিরণে বৃষ্টির আলামত তৈরি হয়েছে
নিচের চিত্র দেখে ২৭৫ ও ২৭৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

[অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
৩৩. চিত্রটি কোন ধরনের বৃষ্টিপাতের?
ক পরিচলন বৃষ্টি খ বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি
গ ঘূর্ণি বৃষ্টি  শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি
৩৪. চিত্রে প্রদর্শিত বৃষ্টিপাত সাধারণত ঘটে থাকে বাংলাদেশেরÑ
র. সিলেটে
রর. কুমিল্লায়
ররর. বান্দরবানে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 বায়ুর উপাদান  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬২
¡ জীবনধারণের জন্য পৃথিবীর জীবকুলের অপরিহার্য- বায়ুমণ্ডল।
¡ পৃথিবীকে বেষ্টনকারী গ্যাসীয় আবরণ- বায়ুমণ্ডল।
¡ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে ভ‚পৃষ্ঠের চারিদিকে জড়িয়ে আছে- বায়ুমণ্ডল।
¡ বর্ণ, গন্ধ, আকার নেই- বায়ুমণ্ডলের।
¡ ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে বায়ুমণ্ডলের বিস্তৃতি থেকে প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার।
¡ বায়ুমণ্ডলের শতকরা ৯৭ ভাগ উপাদান ভ‚পৃষ্ঠ থেকে- ৩০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ।
¡ বায়ুমণ্ডলের প্রধান তিন প্রকার উপাদান হলো- বিভিন্ন প্রকার গ্যাস, জলীয়বাষ্প এবং ধূলিকণা ও কণিকা। বায়ুমন্ডলের প্রধান উপাদান- নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
¡ সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে- ওজোনস্তর।
¡ বায়মণ্ডলের উপাদানগুলোকে পাঁচটি স্তরে ভাগ করা যায় যথা- ট্রপোমন্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল ও এক্সেমণ্ডল।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৫. পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ঊর্ধ্বদিকে যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে থাকে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক বারিমণ্ডল ˜ বায়ুমণ্ডল
গ স্থলভাগ ঘ অশ্মমণ্ডল
৩৬. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণে সক্ষম? (জ্ঞান)
ক ট্রপোমণ্ডল  স্ট্রাটোমণ্ডল
গ মেসোমণ্ডল ঘ তাপমণ্ডল
৩৭. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে কত কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত? (জ্ঞান)
ক ৬,০০০ খ ৮,০০০
˜ ১০,০০০ ঘ ১২,০০০
৩৮. পৃথিবীর কত ভাগ উপাদান ভ‚পৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ? (জ্ঞান)
ক ৯০ খ ৯৫ ˜ ৯৭ ঘ ৯৯
৩৯. বায়ুমণ্ডল প্রধানত কত প্রকার উপাদান দ্বারা গঠিত? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন গ চার ঘ পাঁচ
৪০. পৃথিবী প্রাণিজগতের বাস উপযোগী হয়েছে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বায়ুর তাপ ও চাপ থাকায়
 ওজোনস্তর দ্বারা অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেওয়ায়
গ বায়ুতে জলীয়বাষ্প থাকায়
ঘ বায়ু উপরে নিচে ওঠানামা করায়
৪১. আয়তন হিসেবে বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ শতকরা কত ভাগ? (জ্ঞান)
ক ০.৮০ খ ০.৪১  ০.০৩ ঘ ০.০২
৪২. বায়ুর প্রধান উপাদান কী কী? (অনুধাবন)
˜ নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন খ নাইট্রোজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড
গ অ্যামোনিয়া ও মিথেন ঘ অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড
৪৩. বায়ুমণ্ডলে আয়তনের দিক দিয়ে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের শতকরা পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
ক ৭৫.৭৮ ভাগ খ ৮৮.৫০ ভাগ ˜ ৯৮.৭৩ ভাগ ঘ ৯৯.০৫ ভাগ
৪৪. কোন দুটি উপাদান গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে জীবজগৎ বেঁচে আছে? (অনুধাবন)
˜ অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড খ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন
গ কার্বন ডাইঅক্সাইড ও নাইট্রোজেন ঘ অ্যামোনিয়া ও হিলিয়াম
৪৫. বায়ুমণ্ডলকে ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে কয়টি স্তরে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই খ চার ˜ পাঁচ ঘ আট
৪৬. বায়ুমণ্ডলের প্রথম তিনটি স্তরকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
˜ সমমণ্ডল খ বিষমমণ্ডল
গ অশ্বমণ্ডল ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
৪৭. বায়ুমণ্ডলের শেষের দুটি স্তরকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
 বিষমমণ্ডল খ সমমণ্ডল
গ অশ্বমণ্ডল ঘ কেন্দ্রমণ্ডল
৪৮. ট্রপোবিরতির উপরের দিকে প্রায় কত কিলোমিটার পর্যন্ত স্ট্রাটোমণ্ডল? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ৩০ গ ৪০ ˜ ৫০
৪৯. মেঘ, বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, ঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক ঘটনা বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে ঘটে থাকে? (প্রয়োগ)
ক স্ট্রাটোমণ্ডল খ মেসোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল  ট্রপোমণ্ডল
৫০. বায়ুমণ্ডলের প্রথম স্তর কোনটি? (জ্ঞান)
ক স্ট্রাটোমণ্ডল ˜ ট্রপোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল ঘ চৌম্বক মণ্ডল
৫১. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে ট্রপোমণ্ডলের বিস্তৃতি কত? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৮-৯ কিলোমিটার খ প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার
গ প্রায় ১৩-১৫ কিলোমিটার ˜ প্রায় ১৬-১৯ কিলোমিটার
৫২. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে মেরু অঞ্চলে ট্রপোমণ্ডলের বিস্তৃতি কত? (জ্ঞান)
ক প্রায় ৫ কিলোমিটার খ প্রায় ৭ কিলোমিটার
˜ প্রায় ৮ কিলোমিটার ঘ প্রায় ১০ কিলোমিটার
৫৩. বায়ুমণ্ডলের চাপ কোথায় সবচেয়ে বেশি? (অনুধাবন)
ক স্ট্রাটোমণ্ডলে  ট্রপোমণ্ডলে গ মেসোমণ্ডলে ঘ তাপমণ্ডলে
৫৪. যে উচ্চতায় তাপমাত্রা হ্রাস বন্ধ হয়ে যায় তাকে কী বলে? (প্রয়োগ)
 ট্রপোবিরতি খ স্ট্রাটোবিরতি
গ মেসোবিরতি ঘ এক্সোবিরতি
৫৫. বরফ, মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা, শিশির ইত্যাদি কোন মণ্ডলে সৃষ্টি হয়? (অনুধাবন)
ক তাপমণ্ডলে খ আয়নমণ্ডলে গ এক্সোমণ্ডলে  ট্রপোমণ্ডলে
৫৬. বায়ুমণ্ডলের ট্রপোবিরতি অঞ্চলে তাপমাত্রা কত হতে পারে? (প্রয়োগ)
ক  ৯০ সেলসিয়াস  ৫৪ সেলসিয়াস
গ ০ সেলসিয়াম ঘ ৬ সেলসিয়াস
৫৭. ট্রপোমণ্ডলে প্রতি ১,০০০ মিটার উচ্চতায় কত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়? (জ্ঞান)
ক ৪ খ ৫ ˜ ৬ ঘ ৭
৫৮. স্ট্রাটোমণ্ডল ও মেসোমণ্ডলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রার স্থিতাবস্থাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক মেসোবিরতি খ তাপবিরতি
গ ট্রপোবিরতি  স্ট্রাটোবিরতি
৫৯. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে আবহাওয়া সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
˜ ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল
গ এক্সোমণ্ডল ঘ চৌম্বকমণ্ডল
৬০. বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তর কোনটি? (অনুধাবন)
˜ ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল ঘ মেসোমণ্ডল
৬১. বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ শতকরা কত ভাগ? (জ্ঞান)
ক ০.০৩  ০.৪১ গ ০.৮০ ঘ ০.০২
৬২. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে জীবজগৎকে রক্ষা করতে বিশেষভাবে সহায়ক কোন স্তর? (অনুধাবন)
 ওজোন গ্যাসের স্তর খ ঈঙ২ গ্যাসের স্তর
গ অক্সিজেনের স্তর ঘ হিলিয়াম স্তর
৬৩. সমমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর? (অনুধাবন)
ক প্রথম দিন খ দ্বিতীয় দিন  মধ্যম চার ঘ শেষ পাঁচ
৬৪. স্ট্রাটোমণ্ডলের কোথায় শেষ প্রান্ত নির্ধারণ করা হয়? (অনুধাবন)
 যেখানে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করে
খ যেখানে তাপমাত্রা বাড়াতে শুরু করে
গ যেখানে জলীয়বাষ্প একেবারেই থাকে না
ঘ যেখানে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়
৬৫. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে বায়ুমণ্ডলের তৃতীয় স্তর কোনটি? (অনুধাবন)
ক স্ট্রাটোমণ্ডল খ তাপমণ্ডল গ এক্সোমণ্ডল  মেসোমণ্ডল
৬৬. স্ট্রাটোবিরতির উপরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল  মেসোমণ্ডল
৬৭. বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে শীতলতম তাপমাত্রা কোন স্তর ধারণ করে? (জ্ঞান)
ক ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল  মেসোমণ্ডল
৬৮. বায়ুমণ্ডলের ওজনের শতকরা কত ভাগ ট্রপোমণ্ডল বহন করে? (জ্ঞান)
ক ৬০ খ ৬৫  ৭৫ ঘ ৮০
৬৯. কোথায় বায়ুস্তর অত্যন্ত হালকা ও চাপ ক্ষীণ? (অনুধাবন)
ক স্ট্রাটোমণ্ডলে খ মেসোমণ্ডলে  তাপমণ্ডলে ঘ এক্সোমণ্ডলে
৭০. তাপমণ্ডলের নিম্ন অংশকে কী বলে? (অনুধাবন)
 আয়নমণ্ডল খ ইন্টারপ্লানেটারি স্তর
গ মেসোমণ্ডল ঘ এক্সোমণ্ডলে
৭১. আয়নমণ্ডলে বায়ু আয়নমুক্ত হয় কীভাবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মাধ্যাকর্ষণ ও চৌম্বকীয় শক্তির সংঘাতে
 রঞ্জন রশ্মি ও অতিবেগুনি রশ্মির সংঘাতে
গ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন জারিত হয় বলে
ঘ জলীয়বাষ্প আয়নিত হয় যায় বলে
৭২. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বেতারতরঙ্গ প্রতিফলিত হয়? (জ্ঞান)
ক ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল ˜ তাপমণ্ডল ঘ এক্সোমণ্ডল
৭৩. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো বেতার তরঙ্গ পুনরায় ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসার অন্যতম কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক স্ট্রাটোমণ্ডলের তাপ হ্রাস খ ট্রপোমণ্ডলের তাপ বৃদ্ধি
 আয়নমণ্ডলে বাধা ঘ মেসোমণ্ডলের আকর্ষণ
৭৪. তাপমণ্ডলের উপরে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত যে বায়ুস্তর আছে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক ট্রপোমণ্ডল ˜ এক্সোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল ঘ চৌম্বক মণ্ডল
৭৫. খুব সামান্য পরিমাণ গ্যাস ধারণ করে বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর? (অনুধাবন)
ক স্ট্রাটোমণ্ডল খ মেসোমণ্ডল গ তাপমণ্ডল  এক্সোমণ্ডল
৭৬. গ্যাস অণু এক্সোমণ্ডলের পর সহজে মহাকাশে ছড়িয়ে যায়
কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 মাধ্যাকর্ষণের ঘাটতির কারণে খ জলীয়বাষ্পের অভাবে
গ বায়ুচাপের ঘাটতির কারণে ঘ বেতার তরঙ্গের প্রভাবে
৭৭. কোনটি ছাড়া শব্দ তরঙ্গ স্থানান্তরিত হয় না? (অনুধাবন)
ক অশ্মমণ্ডল খ মেসোমণ্ডল
গ তাপমণ্ডল  বায়ুমণ্ডল
৭৮. বরফ, মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা, শিশির ইত্যাদি কোন মণ্ডলে সৃষ্টি হয়? (অনুধাবন)
ক তাপমণ্ডলে খ আয়নমণ্ডলে
গ এক্সোমণ্ডলে  ট্রপোমণ্ডলে
৭৯. পৃথিবী প্রাণিজগতের বাস উপযোগী হয়েছে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বায়ুর তাপ ও চাপ থাকায়
 ওজোনস্তর দ্বারা অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেওয়ায়
গ বায়ুতে জলীয়বাষ্প থাকায়
ঘ বায়ু উপরে নিচে ওঠানামা করায়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮০. বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে বলা যায় (প্রয়োগ)
র. এর বর্ণ, গন্ধ, আকার আছে
রর. খালি চোখে দেখা যায় না, কেবল অনুভব করা যায়
ররর. মানুষ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর বেঁচে থাকার আবশ্যক উপাদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮১. বায়ুর উপাদান সম্পর্কে নিচের তথ্যগুলো লক্ষ কর (অনুধাবন)
র. নাইট্রোজেন-৭৮.০২%
রর. অক্সিজেন-২০.৭১%
ররর. ধূলিকণা ও কণিকা-০.০১%
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৮২. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে (প্রয়োগ)
র. বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে
রর. বায়ুর উষ্ণতা বাড়তে থাকে
ররর. জলীয়বাষ্প কমতে থাকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৩. উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমতে থাকে (অনুধাবন)
র. ট্রপোমণ্ডলে
রর. স্ট্রাটোমণ্ডলে
ররর. মেসোমণ্ডলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি লক্ষ করে ৬১ ও ৬২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
উপাদান শতকরা হার
অ ৭৮.০২
ই ২০.৭১
আরগন ঈ
৮৪. ‘ঈ’ এর মান কত? (প্রয়োগ)
 ০.৮০ খ ০.৪১
গ ০.০৩ ঘ ১.০২
৮৫. অ ও ই সম্পর্কে প্রযোজ্যÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বায়ুমণ্ডলের প্রধান দুটি উপাদান
রর. নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন
ররর. স্ট্রাটোমণ্ডলে অধিক বিদ্যমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৩ ও ৬৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০২%, অক্সিজেন ২০.৭১%, আরগন ০.৮০%, কার্বন ডাইঅক্সাইড ০.০৩%, জলীয়বাষ্প (?)।
৮৬. (?) চি‎ি‎হ্নত স্থানে কোনটি সঠিক উত্তর? (প্রয়োগ)
 ০.৪১% খ ০.০১%
গ ০.০২% ঘ ০.৫২%
৮৭. অনুচ্ছেদে পরিমাণে কম গ্যাসটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সূর্য রশ্মিকে পৃথিবীতে আসতে সহায়তা করে
রর. পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত করে
ররর. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৫ ও ৬৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশের মুসা ইব্রাহিম ৮,৮৮৪ মিটার উঁচু এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণ করেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান শেষে ৫,১৮০ মিটার উঁচুতে বেসক্যাম্পে নেমে আসেন।
৮৮. মুসা ইব্রাহিমের অবস্থান বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের অন্তর্গত? (অনুধাবন)
ক তাপমণ্ডল খ মেসোমণ্ডল
গ স্ট্রাটোমণ্ডল  ট্রপোমণ্ডল
৮৯. মুসা ইব্রাহীম পর্বত চ‚ড়া থেকে বেসক্যাম্পে আসার পর যে ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করেন তা ছিলÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি
রর. জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি
ররর. তাপমাত্রা বৃদ্ধি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি লক্ষ করে ৬৭ ও ৬৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৯০. চিত্রের স্তরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর কোনটি? (প্রয়োগ)
 ট্রপোমণ্ডল খ স্ট্রাটোমণ্ডল
গ মেসোমণ্ডল ঘ তাপমণ্ডল
৯১. উক্ত স্তরগুলোর মধ্যে Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. স্ট্রাটোমণ্ডল অতি বেগুনি রশ্মি শুষে নেয়
রর. উল্কাপিণ্ড মেসোমণ্ডলে বিধ্বস্ত হয়
ররর. বেতারতরঙ্গ তাপমণ্ডলে বাধা পেয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬৫
¡ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে প্রভাব বিস্তার করে- আবহাওয়া।
¡ কোনো স্থানের বায়ুর চাপ, তাপ, আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতের দৈনন্দিন অবস্থাকে বলে- আবহাওয়া।
¡ কোনো অঞ্চলের অনেক দিনের বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরের সামগ্রিক অবস্থাকে বলে জলবায়ু।
¡ আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান হলো – বায়ুর তাপ, চাপ, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা ও বারিপাত।
¡ পৃথিবীর সব অঞ্চলের জলবায়ু- একই রকম নয়।
¡ নিরক্ষরেখার উপর সূর্য – লম্বভাবে কিরণ দেয়।
¡ উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে- বায়ুমন্ডলীয় তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
¡ কোনো এলাকার জল বায়ুকে মৃদুভাবাপন্ন করে- জলভাগের অবস্থান।
¡ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
¡ সূর্যতাপ সংরক্ষণে বিশেষ ভ‚মিকা রাখে- মৃত্তিকার গঠন।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯২. কোনো স্থানের বায়ুমণ্ডলের দৈনন্দিন অবস্থাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 আবহাওয়া খ জলবায়ু গ বায়ুর আর্দ্রতা ঘ বারিপাত
৯৩. কত বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থাকে জলবায়ু বলে? (জ্ঞান)
ক ১০-২০ খ ২০-৩০ ˜ ৩০-৪০ ঘ ৪০-৫০
৯৪. আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান কয়টি? (জ্ঞান)
ক ৩ খ ৪  ৫ ঘ ৬
৯৫. পৃথিবীতে অঞ্চলভেদে জলবায়ুর বৈচিত্র্যের কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মানুষের কাজকর্মের ভিন্নতা খ মানুষের চাহিদার ভিন্নতা
 ভৌগোলিক ভিন্নতা ঘ চাষাবাদের ভিন্নতা
৯৬. কিছু ভৌগোলিক বিষয়ের পার্থক্যের কারণে স্থানভেদে জলবায়ুর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিষয়গুলোকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক জলবায়ুর উপাদান  জলবায়ুর নিয়ামক
গ জলবায়ুর গঠন ঘ জলবায়ুর অবস্থান
৯৭. বায়ুমণ্ডল কিসের প্রভাবে উত্তপ্ত হয়? (অনুধাবন)
ক জলবায়ু  সূর্যের তাপ গ পৃথিবীর আবর্তন ঘ সমুদ্র স্রোত
৯৮. সূর্য সারা বছর কোথায় লম্বভাবে কিরণ দেয়? (জ্ঞান)
 নিরক্ষরেখায় খ দ্রাঘিমা রেখায়
গ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখায় ঘ সমাক্ষরেখায়
৯৯. নিরক্ষরেখা থেকে মেরুর দিকে তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে থাকে কেন?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে
খ সূর্য ক্রমশ মেরুর দিকে যায় বলে
 সূর্য ক্রমশ তির্যকভাবে কিরণ দিতে থাকে বলে
ঘ সূর্য সমাক্ষরেখার দিকে যায় বলে
১০০. প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় কত তাপমাত্রা হ্রাস পায়? (জ্ঞান)
ক ১ সেলসিয়াস খ ৪ সেলসিয়াস
 ৬ সেলসিয়াস ঘ ১০ সেলসিয়াস
১০১. দিনাজপুর ও শিলং একই অক্ষাংশে অবস্থিত হলেও দিনাজপুরের চেয়ে শিলংয়ের তাপমাত্রা কম থাকে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
˜ সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতার পার্থক্য খ বনভ‚মির অবস্থান
গ মৃত্তিকার পার্থক্য ঘ সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থান
১০২. পটুয়াখালি সমুদ্র উপক‚লে অবস্থিত। রাজশাহী সমুদ্র থেকে অনেক দূরে। পটুয়াখালির জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য কমন হবে? (প্রয়োগ)
ক মৃদুভাবাপন্ন খ চরম ভাবাপন্ন
 সমভাবাপন্ন ঘ মৃদু ও চরমভাবাপন্ন
১০৩. কোন এলাকায় শীত, গ্রীষ্ম এবং দিনরাত্রির তাপমাত্রার তেমন পার্থক্য হয় না? (জ্ঞান)
 সমুদ্র নিকটবর্তী এলাকায় খ পাহাড়ি এলাকায়
গ সমতল এলাকায় ঘ মালভ‚মি এলাকায়
১০৪. সমুদ্র নিকটবর্তী এলাকার জলবায়ু কেমন? (অনুধাবন)
 সমভাবাপন্ন খ চরমভাবাপন্ন গ মৃদুভাবাপন্ন ঘ হিমবাহতা
১০৫. কক্সবাজারের জলবায়ু রাজশাহীর তুলনায় সমভাবাপন্ন হওয়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক দক্ষিণে অবস্থান  সমুদ্র উপক‚লে অবস্থান
গ জোয়ারভাটার প্রভাব ঘ বায়ুর চাপের প্রভাব
১০৬. কক্সবাজার সমুদ্র উপক‚লে অবস্থিত এবং দিনাজপুর সমুদ্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। এক্ষেত্রে দিনাজপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যে কোনটি লক্ষণীয়? (প্রয়োগ)
ক সমভাবাপন্নতা  চরমভাবাপন্নতা
গ মৃদুভাবাপন্নতা ঘ হিমবাহতা
১০৭. চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর আরেক নাম কী? (জ্ঞান)
ক তুন্দ্রা জলবায়ু খ মরু জলবায়ু
গ নিরক্ষীয় জলবায়ু  মহাদেশীয় জলবায়ু
১০৮. বাংলাদেশে শীতকালে কোন বায়ু প্রবাহিত হয়? (প্রয়োগ)
 শুষ্ক মহাদেশীয় খ শুষ্ক মৌসুমি
গ আর্দ্র মহাদেশীয় ঘ আর্দ্র মৌসুমি
১০৯. শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত হয় না কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক শুষ্ক মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় বলে
 শুষ্ক মহাদেশীয় বায়ু প্রবাহিত হয় বলে
গ আর্দ্র মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয় বলে
ঘ আর্দ্র মহাদেশীয় বায়ু প্রবাহিত হয় বলে
১১০. সমুদ্র উপক‚লবর্তী এলাকার বায়ু ঠাণ্ডা বা উষ্ণ হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে
খ শীতল ল্যাব্রাডর স্রোতের প্রভাবে
 শীতল বা উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে
ঘ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে
১১১. ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু ইউরোপের মতো শীতল না হওয়ার পেছনে কী ভ‚মিকা রাখে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মহাসাগরের অবস্থান খ নদনদীর বাহুল্য
 উঁচু পার্বত্য এলাকা ঘ নদীবাহিত সমভ‚মি
১১২. কিছু ভৌগোলিক বিষয়ের পার্থক্যের কারণে স্থানভেদে জলবায়ুর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিষয়গুলোকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক জলবায়ুর উপাদান  জলবায়ুর নিয়ামক
গ জলবায়ুর গঠন ঘ জলবায়ুর অবস্থান
১১৩. জলবায়ুর নিয়ামকগুলোর সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ কোনগুলো? (উচ্চতর দক্ষতা)
 আর্দ্রতা, বারিপাত খ অক্ষাংশ, উচ্চতা
গ বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত ঘ পর্বত, বনভ‚মি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৪. একটি স্থানের আবহাওয়া হলো (অনুধাবন)
র. ওই স্থানের বায়ুমণ্ডলের ক্ষণস্থায়ী রূপ
রর. নিত্য পরিবর্তনশীল
ররর. বায়ুমণ্ডলের সামগ্রিক অবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
 র ও রর ঘ র, রর ও ররর
১১৫. একটি নির্দিষ্ট স্থানের জলবায়ু হলো (অনুধাবন)
র. ওই স্থানের বায়ুমণ্ডলের দীর্ঘস্থায়ী রূপ
রর. নিত্য পরিবর্তনশীল
ররর. বায়ুমণ্ডলের সামগ্রিক অবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৬. জলবায়ুর নিয়ামক হলো (অনুধাবন)
র. অক্ষাংশ, উচ্চতা, সমুদ্র থেকে দূরত্ব
রর. বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত, পর্বতের অবস্থান
ররর. ভ‚মির ঢাল, মৃত্তিকার গঠন, বনভ‚মির অবস্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১১৭. মহাদেশীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম অনুভ‚ত হয়
রর. শীতকালে প্রচণ্ড শীত অনুভ‚ত হয়
ররর. সারাবছর বৃষ্টিপাত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৫ ও ৯৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘দিনটি কেমন যাবে’ এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রচারিত হয় Ñ আজ সোমবার সকালের দিকে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। বিকেলের দিকে হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দিনের তাপমাত্রা ২৪ সেলসিয়াস থেকে ২৬ সেলসিয়াস বিরাজ করবে।
১১৮. বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রচারিত তথ্য ও উপাত্ত কী নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
 আবহাওয়া খ জলবায়ু গ জলীয়বাষ্প ঘ বারিপাত
১১৯. দিনের তাপমাত্রা ২৪ সেলসিয়াস থেকে ২৬ সেলসিয়াস নির্দেশ করে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বায়ুর তাপমাত্রা
রর. সমভাবাপন্ন আবহাওয়া
ররর. বায়ুর তাপীয় অবস্থা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৭ ও ৯৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মাজেদ ইউরোপের একটি দেশে অধ্যয়ন করছে। সে লক্ষ করে দেশটিতে গ্রীষ্মকাল অত্যন্ত উত্তপ্ত থাকে, আবার শীতকালে প্রচণ্ড শীত পড়ে।
১২০. মাজেদের অবস্থানরত দেশটি কোন জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত? (অনুধাবন)
ক ভ‚মধ্যসাগরীয় খ নাতিশীতোষ্ণ
 মহাদেশীয় ঘ তুন্দ্রা
১২১. মাজেদের বসবাসরত দেশে গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা বেশি থাকার কারণ (অনুধাবন)
র. দেশটির অবস্থান সমুদ্র উপক‚ল থেকে অনেক দূরে
রর. চরমভাবাপন্ন জলবায়ু বিদ্যমান
ররর. সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৯ ও ১০০নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ক’ স্থান থেকে শুভ্র ‘খ’ স্থানে গেল। ‘ক’ স্থান সমুদ্রের নিকটবর্তী ও ‘খ’ স্থান সমুদ্র থেকে অনেকটা দূরে। সে লক্ষ করে দুই স্থানের জলবায়ুর মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।
১২২. ‘ক’ স্থানে জলবায়ু কীরূপ? (প্রয়োগ)
 সমভাবাপন্ন খ মৃদুভাবাপন্ন গ চরমভাবাপন্ন ঘ আর্দ্র ও শুষ্ক
১২৩. দুই স্থানের জলবায়ুর মধ্যে ভিন্নতার কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমুদ্র থেকে দূরত্ব
রর. বায়ুতে জলীয়বাষ্পের ভিন্নতা
ররর. মৃত্তিকার গঠনের তারতম্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 পানিচক্র  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ৬৭
¡ পানি তিন অবস্থায় থাকতে পারে যথা- বাষ্পীয়, তরল ও কঠিন।
¡ সমগ্র বিশ্বের পানি সরবরাহের সর্ববৃহৎ ও স্থায়ী আধার- সমুদ্র।
¡ বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্প বায়ু শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়ে- শিশির, কুয়াশা, তুষার, বরফ প্রভৃতিতে পরিণত হয়।
¡ জলীয় বাষ্পের প্রধান উৎস হচ্ছে- সমুদ্র।
¡ বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ করাকে- বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
¡ শিশিরাঙ্ক হচ্ছে- বায়ু যে উষ্ণতায় (জলীয় বাষ্পরূপে) ঘনীভ‚ত হয়।
¡ বায়ুর আর্দ্রতা দুই ভাবে পরিমাপ করা যায়- পরম আর্দ্রতা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা।
¡ প্রকৃতি অনুযায়ী বারিপাত হলো- তুষার, তুহিন, বৃষ্টিপাত।
¡ সকল প্রকার বারিপাত- জলীয়বাষ্পের উপর নির্ভরশীল।
¡ পানি প্রবাহকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় যথা- পৃষ্ঠপ্রবাহ, অন্তঃপ্রবাহ, চুয়ানো, পরিস্রবণ।

সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৪. পানি কয়টি অবস্থায় থাকতে পারে? (জ্ঞান)
ক ২ ˜ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১২৫. উদ্ভিদের দেহের অপ্রয়োজনীয় পানি কী প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে যুক্ত হয়? (জ্ঞান)
ক অভিস্রবণ  প্রস্বেদন গ বাষ্পীভবন ঘ ঘনীভবন
১২৬. জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হয় কিসের দ্বারা? (অনুধাবন)
ক ঘনীভবন খ ধূলিকণা গ শিশিরাঙ্ক  বাষ্পীভবন
১২৭. পানির আবর্তন এবং অবস্থার পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক কার্বনচক্র খ অক্সিজেনচক্র
 পানিচক্র ঘ আবর্তনচক্র
১২৮. একটি পাত্রে পানি নিয়ে উন্মুক্ত জায়গায় রেখে দিলে ধীরে ধীরে পানিশূন্য হয় কী পদ্ধতিতে? (প্রয়োগ)
 বাষ্পীভবন খ ঘনীভবন গ বারিপাত ঘ আর্দ্রতা
১২৯. পানিচক্রের জন্য নিচের কোনটি দরকার? (অনুধাবন)
ক সালোকসংশ্লেষণ ও শ্বসন  সূর্যের আলো ও তাপ
গ পানি ও বায়ু ঘ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন
১৩০. বায়ুর বাষ্পধারণ করার ক্ষমতা কীসের ওপর নির্ভর করে? (অনুধাবন)
ক বায়ুর আর্দ্রতা  বায়ুর উষ্ণতা গ বাষ্পীভবন ঘ ঘনীভবন
১৩১. পরিপৃক্ত বায়ুর জলীয়বাষ্প উষ্ণ থেকে শীতল হতে থাকলে কিছু জলীয়বাষ্প পানিতে পরিণত হয়, একে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক বাষ্পীভবন  ঘনীভবন গ অভিস্রবণ ঘ প্রস্বেদন
১৩২. কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতার বায়ু যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে সেই পরিমাণ জলীয়বাষ্প বিদ্যমান থাকলে সেই বায়ুকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক বায়ুর আর্দ্রতা খ আপেক্ষিক আর্দ্রতা গ তুষার  পরিপৃক্ত বায়ু
১৩৩. যে তাপমাত্রায় বায়ু পরিপৃক্ত হয় এবং ঘনীভবন আরম্ভ হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক শিশির খ হিমকণা  শিশিরাঙ্ক ঘ কুয়াশা
১৩৪. তাপমাত্রা ০ সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে জলীয়বাষ্প কীসে পরিণত হয়? (প্রয়োগ)
 তুষারে খ শিশিরে গ কুশায়ায় ঘ বৃষ্টিপাত
১৩৫. আর্দ্রতা সাধারণত কোনটির ওপর নির্ভর করে? (জ্ঞান)
ক বায়ুপ্রবাহ ˜ জলীয় বাষ্প গ বৃষ্টিপাত ঘ নদনদী
১৩৬. বায়ুর জলীয়বাষ্পের অভাবকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সম্পৃক্ত বায়ু খ পরিপৃক্ত বায়ু ˜ শুষ্ক বায়ু ঘ আর্দ্র বায়ু
১৩৭. যে বায়ুতে জলীয়বাষ্প বেশি থাকে, তাকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক সম্পৃক্ত বায়ু খ পরিপৃক্ত বায়ু গ শুষ্ক বায়ু ˜ আর্দ্র বায়ু
১৩৮. আর্দ্র বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ শতকরা কত থাকে? (জ্ঞান)
 প্রায় ২ থেকে ৫ ভাগ খ প্রায় ১ ভাগ
গ প্রায় ০.৫ থেকে ২ ভাগ ঘ প্রায় ৩ ভাগ
১৩৯. কী যন্ত্র দ্বারা বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়? (জ্ঞান)
ক ব্যারোমিটার ˜ হাইগ্রোমিটার গ থার্মোমিটার ঘ ল্যাক্টোমিটার
১৪০. বায়ুর আর্দ্রতা কয়ভাবে প্রকাশ করা হয়? (জ্ঞান)
˜ দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
১৪১. বায়ুর আর্দ্রতা রক্ষার্থে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে? (অনুধাবন)
 পানি খ জলবায়ু গ মাটি ঘ গাছপালা
১৪২. কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক আপেক্ষিক আর্দ্রতা  পরম আর্দ্রতা
গ পরিপৃক্ত বায়ু ঘ শিশিরাঙ্ক
১৪৩. অনুপাত দ্বারা নিচের কোনটিকে প্রকাশ করা হয়? (অনুধাবন)
ক বাষ্পীভবন খ ঘনীভবন
গ আর্দ্রতা  আপেক্ষিক আর্দ্রতা
১৪৪. কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণ আর ওই বায়ুতে একই উষ্ণতায় পরিপৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্পের প্রয়োজন এ দুটির অনুপাতকে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক বায়ুর আর্দ্রতা  আপেক্ষিক আর্দ্রতা
গ পরম আর্দ্রতা ঘ ঘনীভবন
১৪৫. ঊর্ধ্বাকাশে মেঘের জলকণা ও তুষারকণা কিসের টানে ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হয়? (জ্ঞান)
 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি খ আন্তঃআণবিক শক্তি
গ বায়ুমণ্ডল ঘ অতিবেগুনি রশ্মি
১৪৬. বারিপাত নিচের কোনটির উপর নির্ভর করে? (অনুধাবন)
ক তুষার খ শিশির  জলীয়বাষ্প ঘ প্রস্বেদন
১৪৭. জলীয়বাষ্প ক্ষুদ্র জলবিন্দুরূপে ভ‚পৃষ্ঠে সঞ্চিত হলে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
 শিশির খ কুয়াশা গ বারিপাত ঘ ঘূর্ণি
১৪৮. জলীয়বাষ্প বায়ুমণ্ডলের ধূলিকণাকে আশ্রয় করে অল্প ঘনীভ‚ত হয়ে ধোঁয়ার আকারে ভ‚পৃষ্ঠের উপরে ভাসতে থাকে একে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক শিশির খ তুষার গ তুহিন  কুয়াশা
১৪৯. শীতপ্রধান এলাকায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেলে জলীয়পাষ্প ঘনীভ‚ত হয়ে পেঁজা তুষারের ন্যায় ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হলে, একে কী বলে? (জ্ঞান)
ক শিশির খ কুয়াশা  তুষারপাত ঘ বারিপাত
১৫০. বারিপাতের মাধ্যমে ভ‚পৃষ্ঠে আগত পানি কোন প্রক্রিয়ায় নদী, হ্রদ ও সমুদ্রে পতিত হয়? (জ্ঞান)
 পৃষ্ঠপ্রবাহ খ অন্তঃপ্রবাহ গ চুয়ানো ঘ পরিস্রবণ
১৫১. ভ‚অভ্যন্তরস্থ পানি কী প্রবাহরূপে নদী ও সমুদ্রে জমা হয়? (জ্ঞান)
ক পৃষ্ঠ প্রবাহ  অন্তঃপ্রবাহ গ চুয়ানো ঘ পরিস্রাবণ
১৫২. পানিপ্রবাহকে কতভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক দুই খ তিন  চার ঘ পাঁচ
১৫৩. কোনটি পানিচক্রের ধাপ? (অনুধাবন)
ক নদী  বৃষ্টি  বাষ্প  সমুদ্র  মেঘ
খ সমুদ্র  মেঘ  বাষ্প  বৃষ্টি  পানি
গ পানি  নদী  মেঘ  বৃষ্টি  বাষ্প  সমুদ্র
 পানি  বাষ্প  মেঘ  বৃষ্টি  নদী  সমুদ্র

১৫৪. উপরের চিত্রটি কী নির্দেশ করে? (প্রয়োগ)
 পানিচক্র খ বাষ্প ও মেঘের সম্পর্ক
গ বাষ্প ও বৃষ্টির সম্পর্ক ঘ মেঘ ও বৃষ্টির সম্পর্ক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৫. পানিচক্র আবর্তিত হয় (অনুধাবন)
র. জলাশয়ের পানি জলীয়বাষ্পে পরিণত হয়ে যখন মেঘে রূপ নেয়
রর. মেঘ থেকে বৃষ্টিরূপে ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে
ররর. বাষ্পীভবন ও ঘনীভবন এক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৫৬. পানিচক্রের সাহায্যে (অনুধাবন)
র. বায়ুর আর্দ্রতা বজায় থাকে
রর. পরিবেশে ভারসাম্য বিরাজ করে
ররর. ভ‚পৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫৭. বায়ুর আর্দ্রতার ফলে (প্রয়োগ)
র. তাপমাত্রা তীব্র হতে পারে না
রর. বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়
ররর. বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়ে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  ========

শাবাব বিকালবেলা দাদর সাথে বারান্দায় বসে গল্প করছিল। শাবাব দাদুকে বলল, দাদু এখন তো শীতকাল তারপরও গরম লাগছে। দাদু বললেন, বায়ুমণ্ডলে এখন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্যাসের বৃদ্ধির ফলে একটি প্রতিক্রিয়া ঘটছে এবং এর সামগ্রিক প্রভাব পৃথিবীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। [স. বো. ’১৬]
ক. ডেনমার্কের রাজধানীর নাম কী? ১
খ. “গর্জনশীল চল্লিশ” কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. দাদু বায়ুমণ্ডলে ঘটা কোন প্রতিক্রিয়াটির কথা বলেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পৃথিবীর সামগ্রিক পরিবেশের ওপর উক্ত প্রতিক্রিয়াটির প্রভাব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ডেনমার্কের রাজধানীর নাম কোপেনহেগেন।
খ দক্ষিণ গোলার্ধের ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪৭ ডিগ্রি অক্ষাংশ পর্যন্ত এলাকায় প্রবাহিত শক্তিশালী পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহকে গর্জনশীল চল্লিশ বলে। সমুদ্রভাগের অবস্থান হেতু কোনো প্রতিবন্ধক না থাকার সারা বছর ধরে এ অঞ্চলে পশ্চিম দিক থেকে প্রবল বায়ু প্রবাহিত হয়। এ অঞ্চলে পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ সর্বাপেক্ষা বেশি।
গ উদ্দীপকে দাদু বায়ুমণ্ডলের গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়াটির কথা বলেছেন। বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে বড় ভ‚মিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডল হলো গ্রিনহাউসের বা কাচ ঘরের কাচের দেয়াল বা ছাদের মতো। সূর্যের আলো পৃথিবীর সমস্ত তাপ ও শক্তির মূল উৎস। পৃথিবীতে আসা সূর্যালোক ভ‚পৃষ্ঠ শোষণ করে ও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত করে। মানুষের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ যেমন কাঠ কয়লা পোড়ানো, গাছ কাটা, কলকারখানার ধোয়া ইত্যাদি কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ইত্যাদির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এ গ্যাসগুলোকে বলা হয় গ্রিনহাউস গ্যাস। এভাবে বায়ুমণ্ডলে সৃষ্টি হচ্ছে ক্রমশ পুরু একটি গ্রিনহাউস গ্যাসের স্তর বা চাদর। এর ফরে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ছেড়ে দেওয়া তাপ পুনরায় ফেরত যায় না। তাপ শোষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ক্রমশ উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। উষ্ণতা বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়াই হলো গ্রিনহাউস প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া।
ঘ পৃথিবীর সামগ্রিক পরিবেশের উপর গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়াটির প্রভাব বিপর্যয়সৃষ্টিকারী। বিশ্বের আবহাওয়া ও তার ধরন দিন দিন বদলে যাচ্ছে। কোনো ঋতুতেই আমরা প্রকৃতির কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ পাচ্ছি না। বৃষ্টির সময়ে অনাবৃষ্টি, খরার সময়ে বৃষ্টি, গরমের সময়ে উত্তরে হাওয়া, শীতের সময়ে তপ্ত হাওয়া কেমন যেন এলোমেলো আবহাওয়া লক্ষ করা যায়। এর পেছনে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়াকেই দায়ী করা হয়।
গিনহাউস প্রতিক্রিয়ার কারণে উত্তর মেরুবৃত্তীয় অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ একর জমি বরফমুক্ত হয়ে চাষাবাদ ও বসবাসযোগ্য হয়ে উঠবে। অন্যদিকে দুর্ভোগ বাড়বে পৃথিবীর প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকার দরিদ্র অধিবাসীদের। কারণ গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উপক‚লীয় এলাকার এক বিরাট অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে পৃথিবীর উষ্ণায়নের ফলে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠ ফুলে উঠলে আবহাওয়ার প্রকৃতিই বদলে যাবে। সময়ে অসময়ে জলোচ্ছ¡াসের শিকার হয়ে ফসল ডুবে যাবে, দূষিত হবে সুপের পানি, লোনা পানি প্রবেশের ঝুঁকি বাড়বে, বনাঞ্চল ধ্বংস হবে, বন্য জীবজন্তুর সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং একই দেশের মানুষ অন্য অঞ্চলে হবে জলবায়ু শরণার্থী।
সুতরাং গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে পৃথিবীর সামগ্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়ে যাবে।

প্রশ্ন- ২  বৃষ্টিপাত

ক. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়? ১
খ. ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু ইউরোপের মতো শীতল হয় না কেন? ২
গ. ‘চিত্র-১’ এ প্রদর্শিত বৃষ্টিপাত নিরক্ষীয় অঞ্চলে কেন বেশি সংঘটিত হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘চিত্র-১’ ও ‘চিত্র-২’ এর বৃষ্টিপাতের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বায়ুমণ্ডলের অক্সোমণ্ডল স্তরে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য রয়েছে।
খ পর্বতের অবস্থানের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু ইউরোপের মতো শীতল হয় না। উচ্চ পার্বত্যময় এলাকা বায়ুপ্রবাহের পথে বাধা হলে এর প্রভাব জলবায়ুর ওপর পরিলক্ষিত হয়। যেমনÑ মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত হিমালয় পর্বতে বাধা পাওয়ায় বাংলাদেশ ভারত ও নেপালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। অপরদিকে শীতকালে মধ্য এশিয়ার শীতল বায়ু হিমালয় অতিক্রম করতে পারে না। তাই ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু ইউরোপের মতো তত শীতল হয় না।
গ চিত্র-১ এ প্রদর্শিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে পরিচলন বৃষ্টিপাত। দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঐ জলীয় বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে (ঊয়ঁধঃড়ৎরধষ ৎবমরড়হ) স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের বিস্তৃতি বেশি এবং এখানে সূর্যকিরণ সারাবছর লম্বভাবে পড়ে। এ দুটি কারণে এখানকার বায়ুমণ্ডলে সারাবছর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। জলীয়বাষ্প হালকা বলে সহজেই তা উপরে উঠে গিয়ে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিচলন বৃষ্টিরূপে ঝড়ে পড়ে। তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর প্রতিদিনই বিকেল অথবা সন্ধ্যার সময় এরূপ বৃষ্টিপাত হয়।
ঘ ‘চিত্র-১’ ও ‘চিত্র-২’ এর বৃষ্টিপাত হচ্ছে যথাক্রমে পরিচলন বৃষ্টিপাত ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত। বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি অনুসারে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতকে প্রধানত চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে পরিচলন বৃষ্টি ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি অন্যতম। দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঐ জলীয়বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে। অন্যদিকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি গমনপথে কোনো উঁচু পর্বতশ্রেণিতে বাধা পায় তাহলে ঐ বায়ু উপরের দিকে উঠে যায়। তখন জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ক্রমশ প্রসারিত হয় এবং পর্বতের উঁচু অংশে শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়ে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে (ডরহফধিৎফ ংষড়ঢ়ব) বৃষ্টিপাত ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি বলে। সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে আমরা পরিচালন ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের একটি তুলনামূলক চিত্র পাই।

প্রশ্ন- ৩  বায়ুমণ্ডল

বাড়ির ছাদ থেকে মনিরা ও রুবিনা আকাশে বিমান ওড়ে যেতে দেখে বড় ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন করে, শূন্যে কীভাবে বিমান ওড়ে? বড় ভাই ভ‚গোলের ছাত্র শিহাব বিমান উড়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করে বায়ুমণ্ডলের একটি বিশেষ স্তর আমাদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। [নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. বায়ুমণ্ডলকে কী কী স্তরে ভাগ করা হয়? ১
খ. বারিপাত কেন ভ‚পৃষ্ঠে নেমে আসে? ২
গ. শিহাব বিশেষ কোন স্তরের কথা বলেছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মণ্ডলের স্তরবিন্যাসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বায়ুমণ্ডলকে ভ‚পৃষ্ঠে থেকে উপরের দিকে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি স্তরে ট্রপোমণ্ডল, স্ট্রাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল ও এক্সোমণ্ডলে ভাগ করা হয়।
খ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু বায়ুমণ্ডলের ট্রপোমণ্ডলের উপরের দিকে অতিরিক্ত শীতলতার সংস্পর্শে এলে ঘনীভ‚ত হয় এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানিকণা ও তুষারকণায় পরিণত হয়। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানিকণা ও তুষারকণা ধূলিকণা বা বাতাসে ভেসে বেড়ানো সূ² কণাকে আশ্রয় করে ক্রমশ বড় হলে আকাশে ভেসে বেড়াতে পারে না। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে নিচে নেমে আসে। এভাবে বারিপাত ভ‚পৃষ্ঠে নেমে আসে।
গ শিহাব বায়ুমণ্ডলের যে বিশেষ স্তরের কথা বলেছিল সেটি হলো ট্রপোমণ্ডল। কারণ ট্রপোমণ্ডল জীবজগতের জন্য অপরিহার্য। ট্রপোমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর। ট্রপোমণ্ডল ভ‚পৃষ্ঠের সাথে লেগে আছে। আমরা ট্রপোমণ্ডলে বাস করি। প্রাণিজগতের জন্ম, বৃদ্ধি, বিকাশ, মৃত্যু, বিয়োজন সবকিছুই এ স্তরে সংঘটিত হয়। বায়ুমণ্ডলের এ স্তরেই প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা আছে যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী। মেঘ, বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, তুষারপাত, শিশির, কুয়াশা সবকিছুই এই স্তরে সৃষ্টি হয়। এই স্তর ভ‚পৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৬-১৮ কিলোমিটার এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রাণিজগতের গঠন উপযোগী সকল উপাদান প্রাণিজগৎ এ স্তর থেকেই গ্রহণ করে থাকে। এ স্তরেই বিভিন্ন জৈব ভ‚রাসায়নিক চক্র যেমন পানি, কার্বন ও অক্সিজেন চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে এবং জীবনধারণের জন্য ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে। সুতরাং বায়ুমণ্ডলের ট্রপোমণ্ডল স্তরটি জীবজগতের জন্য অপরিহার্য।
ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত মণ্ডলটি হলো বায়ুমণ্ডল। বৈশিষ্ট্য, প্রকৃতি, উষ্ণতার নিরিখে বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস করা হয়। কিন্তু এই স্তরবিন্যাস অত্যন্ত তাৎপর্যময়। কেননা বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর নানাভাবে জীবজগৎকে পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রেখেছে। বস্তুত বায়ুমণ্ডল আছে বলেই পৃথিবীতে উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল টিকে আছে। বায়ুমণ্ডলের স্তরভেদে তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় Ñ
১. ট্রপোমণ্ডল ছাড়া কোনো আবহাওয়ারও সৃষ্টি হতো না; বরফ জমতো না; মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা, শিশির, তুষার, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদির সৃষ্টি হতো না। শস্য ও বনভ‚মির জন্য প্রয়োজনীয় বৃষ্টি হতো না।
২. বায়ুমণ্ডল ছাড়া যেমন কোনো শব্দ তরঙ্গ স্থানান্তরিত হয় না, তেমনি ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো বেতার তরঙ্গ আয়নস্তরে বাধা পেয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
৩. পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডলীয় স্তর তথা মেসোমণ্ডল থাকায় এর দিকে আগত উল্কাপিণ্ড অধিক পরিমাণে বিধ্বস্ত হয়। ওজোনস্তর না থাকলে সূর্য থেকে মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে প্রাণিকুল বিনষ্ট করত। সুতরাং পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে বায়ুমণ্ডলীয় স্তরগুলো অপরিহার্য।

প্রশ্ন- ৪  পরিচলন বৃষ্টি

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

[পল্লি উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, বগুড়া]
ক. বৃষ্টিপাত কাকে বলে? ১ ১
খ. বৃষ্টিপাতের শ্রেণিবিভাগ কর। ২
গ. উপরের চিত্রে প্রদর্শিত বৃষ্টিপাতের পর্যায়গুলো বর্ণনা কর। ৩
ঘ. পৃথিবীর কোন অঞ্চলগুলো উক্তরূপ বৃষ্টিপাতের জন্য খ্যাত- বিশ্লেষণ কর। ৪

ক স্বাভাবিকভাবে ভাসমান মেঘ ঘনীভ‚ত হয়ে পানির ফোঁটা আকারে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে বৃষ্টিপাত বলে।
খ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু যে কারণে উপরে উঠে ঘনীভ‚ত হয়ে বৃষ্টিপাতে পরিণত হয় সেই অনুসারে বৃষ্টিপাতের শ্রেণিবিভাজন করা হয়ে থাকে। বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি অনুসারে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতকে প্রধানত চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা : ১. পরিচলন বৃষ্টি, ২. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি, ৩. বায়ুপ্রাচীরজনিত বৃষ্টি ও ৪. ঘূর্ণিবৃষ্টি।
গ উপরের চিত্রে পরিচলন বৃষ্টিপাতের দৃশ্য প্রদর্শিত হয়েছে। পরিচলন বৃষ্টি নি¤œলিখিত পর্যায় অনুসরণ করে ঘটে থাকে :
১ প্রচণ্ড সূর্যকিরণে ভ‚পৃষ্ঠ দ্রæত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
২ ভ‚পৃষ্ঠের উপরস্থ বায়ু উষ্ণ এবং হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে পরিচলনের সৃষ্টি করে।
৩ উর্ধ্বমুখী বায়ু শুষ্ক রুদ্ধ তাপ হ্রাস হারে শীতল হতে থাকে এবং বায়ুতে যথেষ্ট পরিমাণ জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে ঘনীভবন হয়।
৪ ঘনীভবনের ফলে মেঘ উপরের দিকে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে ঝড়োপুঞ্জ মেঘের সৃষ্টি করে। এ ধরনের মেঘ থেকে ঝড়সহ মুষলধারে বৃষ্টি এবং কখনো কখনো শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়ে থাকে।
ঘ পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল পরিচলন বৃষ্টির জন্য খ্যাত। এছাড়া নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলেও উক্তরূপ বৃষ্টি দেখা যায়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের বিস্তৃতি বেশি এবং এখানে সূর্যকিরণ সারাবছর লম্বভাবে পড়ে। এ দুটি কারণে এখানকার বায়ুমণ্ডলে সারাবছর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। জলীয়বাষ্প হালকা বলে সহজেই তা উপরে উঠে গিয়ে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিচলন বৃষ্টিরূপে ঝরে পড়ে। তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর প্রতিদিনই বিকেল অথবা সন্ধ্যার সময় এরূপ বৃষ্টিপাত হয়। নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলে গ্রীষ্মকালের শুরুতে পরিচলন বৃষ্টি হয়ে থাকে। এ সময়ে এই অঞ্চলের ভ‚পৃষ্ঠ যথেষ্ট উত্তপ্ত হলেও উপরের বায়ুমণ্ডল বেশ শীতল থাকে। ফলে ভ‚পৃষ্ঠের জলাশয়গুলো থেকে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিচলন বৃষ্টিরূপে পতিত হয়।

প্রশ্ন- ৫  মৌসুমি বায়ু

মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাব বাংলাদেশের জলবায়ুর উপর অধিক হওয়ায় বাংলাদেশের জলবায়ুকে মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলা হয়। এ জলবায়ুর কারণে এদেশের ঋতু পরিবর্তন ঘটে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত হয়। শীতকালে বৃষ্টিপাত হয় না। [মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ]
ক. ‘লু’ কী? ১
খ. ভ‚মধ্যসাগরীয় বায়ুকে ঋতু আশ্রয়ী বায়ু বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের দেশটিতে নির্দেশিত বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ কর। ৩
ঘ. দেশটিতে উক্ত বায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা কর। ৪

ক ‘লু’ ভারতীয় উপমহাদেশের স্থানীয় বায়ুর উদাহরণ।
খ ভ‚মধ্যসাগরীয় বায়ু ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে দিক পরিবর্তন করে। এজন্য ভ‚মধ্যসাগরীয় বায়ুকে ঋতু আশ্রয়ী বায়ু বলা হয়। সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের ফলে শীত-গ্রীষ্ম ঋতুভেদে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপের তারতম্য ঘটে। সেজন্য ঋতু আশ্রয়ী বায়ুর সৃষ্টি হয়। ভ‚মধ্যসাগরীয় বায়ু তার অন্যতম উদাহরণ।
গ উদ্দীপকে মৌসুমি জলবায়ুর দেশ বলে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ু নির্দেশিত হয়েছে যা ঋতুভেদে উষ্ণতার পার্থক্যের কারণে দিক পরিবর্তন করে। বাংলাদেশ উত্তর গোলার্ধের অন্তর্গত একটি দেশ। উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকালে সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। এর ফলে কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের অন্তর্গত বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিশয় উত্তপ্ত হয়। ফলে বায়ুর চাপ কমে যায় এবং একটি সুবৃহৎ নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে ছুটে যায়। নিরক্ষরেখা অতিক্রম করলে ফেরেলের সূত্র অনুসারে দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ুর গতি বেঁকে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। এ জন্য গ্রীষ্মের এ বায়ুকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বলে। শীতকালে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে মকরক্রান্তির নিকট অবস্থান করায় সেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থলভাগ অত্যন্ত শীতল হওয়ায় সেখানে উচ্চচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে স্থলভাগের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু দক্ষিণের নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে আসে বলে একে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলে। এভাবে শীত ও গ্রীষ্মে বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তন করে।
ঘ বাংলাদেশের উক্ত বায়ু তথা মৌসুমি বায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ :
১. ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এই বায়ুর দিক পরিবর্তিত হয়।
২. গ্রীষ্মকালে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ুতে প্রচুর জলীয়বাষ্প থাকে বিধায় এ সময় বায়ু প্রবাহিত পার্শ্ববর্তী স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
৩. শীতকালে প্রবাহিত মৌসুমি বায়ুতে প্রচুর জলীয়বাষ্প না থাকায় এ সময় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম।
৪. মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অত্যধিক হয়ে থাকে। মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবের ফলে নিম্ন অক্ষাংশে শীত ও গ্রীষ্মে তাপের তারতম্য পরিলক্ষিত হয় না।
৫. গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু প্রবাহের ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষিকাজে প্রভ‚ত উন্নতি সাধিত হয়েছে। ফলে দেশটি ঘনবসতি এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছে।
৬. শীত ও গ্রীষ্মকালে বায়ুপ্রবাহ বিপরীতমুখী হয়।
৭. শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ুর গুণাবলি ভিন্ন। কারণ, শীতকালীন মৌসুমি বায়ু জলীয়বাষ্প বহন করে না, কিন্তু গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু প্রচুর জলীয়বাষ্প বহন করে।
মৌসুমি বায়ু ঋতু পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হওয়ায় এর বেশ কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। উপরে আলোচিত বৈশিষ্ট্যসমূহ বাংলাদেশের মৌসুমি জলবায়ুকে স্বাতন্ত্র্য দান করেছে।

প্রশ্ন- ৬  বায়ুমণ্ডল ও ট্রপোমণ্ডল

শিল্পী দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার পিতা শফিক বইমেলা থেকে একটি বই কিনে আনল। বইটি শিল্পীকে পড়তে দিল। বইটিতে লেখা রয়েছে, পৃথিবীর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর ও স্তরের গুরুত্ব। কোন স্তরে মেঘ, বৃষ্টিপাত, কুয়াশা, ঝড়, শিশির, তুষারপাত এবং মানুষ ও প্রাণীর বসবাসের জন্য উপযোগী, তার বিস্তারিত বর্ণনা। এছাড়া শিল্পীর পিতা শিল্পীকে বলল, বায়ুমণ্ডলের সাথে বারিমণ্ডলের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। [মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল]
ক. অউই-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. ওচঈঈ-এর তথ্য অনুসারে ২০৩০ সালের পর এশিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মণ্ডলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত মণ্ডলের যে স্তরের কথা বলা হয়েছে, তার বৈশিষ্ট্য নিরূপণ কর। ৪

ক অউই-এর পূর্ণরূপ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
খ ওচঈঈ অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের তথ্য অনুসারে ২০৩০ সালের পর নদীর প্রবাহ নাটকীয়ভাবে কমে যাবে। ফলে এশিয়ায় পানির স্বল্পতা দেখা দেবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে ঘন ঘন বন্যা, ঝড়, অনাবৃষ্টি এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। যা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে অনুভ‚ত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত মণ্ডলটি হলো বায়ুমণ্ডল। নিচে বায়ুমণ্ডলের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হলো :
১. বায়ুমণ্ডল ছাড়া যেমন কোনো শব্দতরঙ্গ স্থানান্তরিত হয় না, তেমনি ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো বেতারতরঙ্গ আয়নমণ্ডলে বাধা পেয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
২. ট্রপোমণ্ডল ছাড়া কোনো আবহাওয়ারও সৃষ্টি হতো না, বরফ জমত না; মেঘ, বৃষ্টি, কুয়াশা, শিশির, তুষার, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদির সৃষ্টি হতো না।
৩. ওজোনস্তর না থাকলে সূর্য থেকে মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে প্রাণিকুল বিনষ্ট করত।
৪. বায়ুমণ্ডলের স্তর না থাকলে পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব থাকত না।
ঘ উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত মণ্ডলটির নাম হলো ট্রপোমণ্ডল। নিচে ট্রপোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলো নিরূপণ করা হলো :
১. ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে, সাথে সাথে কমতে থাকে উষ্ণতা। প্রতি ১,০০০ মিটার উচ্চতায় ৬ সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
২. উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়।
৩. নিচের দিকে বাতাসের জলীয়বাষ্প বেশি থাকে।
৪. ধূলিকণার অবস্থানের ফলে সমগ্র বায়ুমণ্ডলের ওজনের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ এই স্তর বহন করে।
৫. যে উচ্চতায় তাপমাত্রা বন্ধ হয়ে যায় তাকে ট্রপো বিরতি বলে। এখানে তাপমাত্রা ৫৪ সেলসিয়াসের নিচে হতে পারে।

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৭  বায়ুমণ্ডলের স্তরবিন্যাস

নিচের ছকটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
স্তর বৈশিষ্ট্য
অ ভ‚পৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৬-১৮ কিলোমিটার এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিলোমিটার
ই ওজোন গ্যাসের স্তর বেশি পরিমাণে আছে
ঈ সবচেয়ে শীতলতম তাপমাত্রা ধারণ করে।
উ এই অংশের বায়ু আয়নযুক্ত হয়।

ক. আয়নমণ্ডল কাকে বলে? ১
খ. বায়ুমণ্ডল কী কী উপাদান দ্বারা গঠিত? ২
গ. ই স্তরটি কীভাবে অতিবেগুনি রশ্মি, জেটবিমান এর সাথে জড়িত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ঈ ও উ স্তরের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

ক তাপমণ্ডলের নিম্ন অংশকে আয়নমণ্ডল বলে।
খ বায়ুমণ্ডল প্রধানত তিন প্রকার উপাদান দ্বারা গঠিত। যেমন : বিভিন্ন প্রকার গ্যাস, জলীয়বাষ্প এবং ধূলিকণা ও কণিকা। বায়ুমণ্ডলের নানা প্রকার গ্যাসের মধ্যে আছে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, আরগন, কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অন্যান্য গ্যাস (নিয়ন, হিলিয়াম, ক্রিপটন, জেনন, ওজোন ও নাইট্রাস অক্সাইড)। বায়ুমণ্ডলে আয়তনের দিক থেকে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন এ দুটি গ্যাস একত্রে শতকরা ৯৮.৭৩ ভাগ এবং বাকি সবগুলো শতকরা ১.২৭ ভাগ।
গ অতিবেগুনি রশ্মি, জেট বিমানের সাথে ‘ই’ স্তর তথা স্ট্রাটোমণ্ডল জড়িত। স্ট্রাটোমণ্ডল অর্থাৎ ই এর সাথে অতিবেগুনি রশ্মির সম্পৃক্ততা আছে। এই স্তরেই ওজোন গ্যাসের স্তর বেশি পরিমাণে আছে। যা উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে। এ ওজোনস্তর সূর্যের আলোর বেশিরভাগ অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয়। এ স্তরটি না থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে প্রাণিকুল ধ্বংস হয়ে যেত। স্ট্রাটোমণ্ডল অর্থাৎ ই এর সাথে জেট বিমানের সম্পৃক্ততা আছে। এই স্তরের বায়ুতে অতি সূ² ধূলিকণা ছাড়া কোনোরকম জলীয়বাষ্প থাকে না। ফলে আবহাওয়া থাকে শান্ত। ঝড়-বৃষ্টি থাকে না বলেই এই স্তরের মধ্য দিয়ে সাধারণত জেট বিমানগুলো চলাচল করে। ঈ স্তরে ট্রপোমণ্ডলের মতোই উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের মাপমাত্রা কমতে থাকে। যা -৮৩ সেলসিয়াস পর্যন্ত নিচে নেমে যায়। মেসোমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে শীতলতম তাপমাত্রা ধারণ করে। উদ্দীপকে এ তথ্যটি সন্নিবেশিত হয়েছে।
ঘ ‘ঈ’ স্তরটি হচ্ছে মেসোমণ্ডল এবং ‘উ’ স্তরটি আয়নমণ্ডল। এদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে স্তর দুইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাপমণ্ডলের নিম্ন অংশ আয়নমণ্ডল অর্থাৎ উ-তে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা দ্রæত হারে বাড়তে থাকে। ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো বিভিন্ন বেতার তরঙ্গ আয়নমণ্ডলের বিভিন্ন আয়নে বাধা পেয়ে পুনরায় ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে। মেসোমণ্ডল অর্থাৎ ঈ এর সাথে উল্কা পতনের সম্পৃক্ততা আছে। মহাকাশ থেকে যেসব উল্কা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে সেগুলোর অধিকাংশ মেসোমণ্ডল স্তরের মধ্যে এসে পুড়ে যায়।

প্রশ্ন- ৮  ট্রগোমণ্ডল ও স্ট্রাটোমণ্ডল

নিচের চিত্রের আলোকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. মৌসুমি বায়ু কাকে বলে? ১
খ. বায়ুমণ্ডলে চাপমণ্ডলের সৃষ্টি হয় কেন? ২
গ. প্রাণিজগতের জন্য অ স্তরটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কেন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ই স্তরের ক্ষতিই পৃথিবীর তাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে মৌসুমি বায়ু বলে।
খ ভ‚পৃষ্ঠের বিভিন্ন অক্ষাংশের তাপের পার্থক্য এবং গোলাকার পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন চাপমণ্ডলের সৃষ্টি হয়। এরকম কয়েকটি চাপমণ্ডল হলো : ১. নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়; ২. ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয়; ৩. উপমেরুবৃত্তের নিম্নচাপ বলয়; ৪. মেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয়।
গ বায়ুমণ্ডলের অ স্তরটি হলো ট্রপোমণ্ডল। প্রাণিজগতের জন্য চিত্রে বর্ণিত স্তরগুলোর মধ্যে ট্রপোমণ্ডলই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণিজগতের জন্ম, বৃদ্ধি, বিকাশ, মৃত্যু, বিয়োজন সবকিছুই এ স্তরে সংঘটিত হয়। বায়ুমণ্ডলের এ স্তরেই প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও তাপমাত্রা আছে যা উদ্ভিদ ও জীবজন্তু বসবাসের উপযোগী। সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতা হিসেবে এর বিস্তৃত মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং নিরক্ষীয় এলাকায় ১৬ থেকে ১৯ কিলোমিটার। এ স্তরেই বায়ু উপরে নিচে ওঠানামা করে বায়ুপ্রবাহ সংঘটিত হয়। মেঘ, বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, বায়ুপ্রবাহ, ঝড়, তুষারপাত, শিশির, কুয়াশা প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা এ স্তরেই ঘটে থাকে। এ স্তরেই বিভিন্ন জৈব ভ‚রাসায়নিক চক্র যেমন পানি, কার্বন ও অক্সিজেন চক্র চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে এবং জীবন ধারণের জন্য ভারসাম্য বজায় রেখে চলেছে। সুতরাং প্রাণিজগতের জন্য ট্রপোমণ্ডলই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এ স্তরের উপাদান ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণিজগতের টিকে থাকা অসম্ভব হতো।
ঘ ই হলো বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোমণ্ডল। এ স্তরের ক্ষতিই পৃথিবীর তাপবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ট্রপোবিরতির পর বায়ুমণ্ডলের পরবর্তী স্তর স্ট্রাটোমণ্ডল। যা উপরের দিকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলীয় ওজোন (ঙ৩) গ্যাসের বেশির ভাগ এ স্তরেই আছে। এ ওজোন স্তর সূর্যের আলোর বেশির ভাগ অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নেয়। ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলে একটি চাদরের মতো কাজ করে। এ স্তর ভ‚পৃষ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসা তাপ বিকিরণ শোষণ করে আবার পৃথিবীর দিকে পুনর্বিকিরিত করে দেয়। ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল উষ্ণ থাকে এবং জীবের পক্ষে বাসযোগ্য হয়। তা না হলে পৃথিবী এত ঠাণ্ডা হয়ে যেত যে কোনো জীব বেঁচে থাকত না। আমরা নানাভাবে এ ওজোনস্তর ক্ষতি করে চলেছি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপন, জনসংখ্যা আধিক্যের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ও জ্বালানি কাঠের যথেচ্ছ ব্যবহার, ব্যাপক হারে বনভ‚মি নিধন ইত্যাদি কারণে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। বায়ুমণ্ডলে যতই এ গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে ততই উষ্ণতা বাড়ছে। এ উষ্ণতা বৃদ্ধি ওজোন স্তরের ভারসাম্য নষ্ঠ করছে। সেখানে অক্সিজেন অণুর আধিক্য ঘটছে। ফলে অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসছে এবং তাপ বৃদ্ধি করছে। সুতরাং ই অর্থাৎ স্ট্রাটোমণ্ডলের ক্ষতিই পৃথিবীর তাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

প্রশ্ন- ৯  আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান

হিমালয় পর্বতের উচ্চতা প্রায় ৭ কিলোমিটার। পর্বতের চ‚ড়া বরফে আবৃত। এপ্রিল-মে মাসে যখন হিমালয়ের পাদদেশে তাপমাত্রা ১৮ সেলসিয়াস তখন একদল পর্বতারোহী হিমালয়ে আরোহণ শুরু করলেন।
ক. বায়ুর আর্দ্রতা কিসের উপাদান? ১
খ. পরিপৃক্ত বায়ু বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পর্বতের সর্বোচ্চ চ‚ড়ার তাপমাত্রা নির্ণয় কর। ৩
ঘ. আরোহণের সময় পর্বতারোহীরা কী ধরনের বায়ুচাপ অনুভব করবে এবং কেন ব্যাখ্যা কর। ৪

ক বায়ুর আর্দ্রতা আবহাওয়া ও জলবায়ুর অন্যতম উপাদান।
খ বায়ু নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে। কিন্তু বায়ুর উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার জলীয়বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় বায়ু যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে, সেই পরিমাণ জলীয়বাষ্প বায়ুতে থাকলে বায়ু আর অধিক জলীয়বাষ্প গ্রহণ করতে পারে না। তখন তাকে পরিপৃক্ত বা সম্পৃক্ত বায়ু বলে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত হিমালয় পর্বত বায়ুমণ্ডলের ট্রপোমণ্ডলে অবস্থিত। কেননা ট্রপোমণ্ডল ভ‚পৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৬-১৯ কিলোমিটার বিস্তৃত। অন্যদিকে উদ্দীপকে বলা হয়েছে হিমালয় পর্বতের উচ্চতা প্রায় ৭ কিলোমিটার। ট্রপোমণ্ডলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে, সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে উষ্ণতা। সাধারণভাবে প্রতি ১,০০০ মিটার উচ্চতায় ৬ সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়। এ বৈশিষ্ট্য থেকে আমরা হিমালয়ের চ‚ড়ার তাপমাত্রা নির্ণয় করতে পারি।
হিমালয়ের পাদদেশের তাপমাত্রা = ১৮ সেলসিয়াস
হিমালয়ের উচ্চতা = ৭ কিলোমিটার = ৭  ১,০০০ মিটার
= ৭,০০০ মিটার
প্রতি ১,০০০ মিটার উচ্চতায় তাপমাত্রা হ্রাস পায় = ৬ সেলসিয়াস
অতএব ৭,০০০ মিটার উচ্চতায় তাপমাত্রা হ্রাস পায় = (৬  ৭) বা ৪২ সেলসিয়াস
সুতরাং হিমালয়ের চ‚ড়ার তাপমাত্রা = (১৮ ৪২) সেলসিয়াস
=  ২৪ সেলসিয়াস
অর্থাৎ হিমালয়ের সর্বোচ্চ চ‚ড়ার তাপমাত্রা  ২৪ সেলসিয়াস।
ঘ আরোহণের সময় পর্বতারোহীরা অপেক্ষাকৃত কম বায়ুচাপ অনুভব করবে। নিজের কিছু ওজন থাকলে তবেই কোনো বস্তু চাপ দেয়। বায়ুর নিজস্ব ওজন আছে। ওজনের জন্য বায়ু নিচের দিকে বল প্রয়োগ করে। এতে চাপের সৃষ্টি হয়। বায়ুমণ্ডল তার সংলগ্ন যেকোনো তলে যে চাপ দেয় তাই বায়ুচাপ। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য বায়ুমণ্ডল ভ‚পৃষ্ঠের সাথে লেগে আছে। তাই ভ‚পৃষ্ঠে বায়ুমণ্ডলের চাপ সবচেয়ে বেশি। ভ‚পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায় বায়ুচাপ তত কমতে থাকে, কারণ উপরে বায়ুর পরিমাণ কম। তাই আরোহীরা হিমালয় পর্বতের যত উপরে আরোহণ করতে থাকবে বায়ুচাপ তত কম অনুভব করবে। এ জন্য আরোহণকালে অক্সিজেন গ্যাস সিলিন্ডার সাথে নিতে হয়। যদি সাথে না নেয় তাহলে চোখ, কান, নাক প্রভৃতি থেকে রক্তপাত হতে পারে।

প্রশ্ন- ১০  জলবায়ু নিয়ামক

বিগত গ্রীষ্মে নাহিদ রাজশাহী থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে যায়। নাহিদ লক্ষ করল, কক্সবাজারের তাপমাত্রা রাজশাহী থেকে কম। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতের আরামদায়ক হাওয়া রাজশাহী থেকে ভিন্ন। এ ব্যাপারে ফোনে বাবাকে জানালে তিনি নাহিদকে এর ভৌগোলিক কারণটি ব্যাখ্যা করেন।
ক. ল্যাব্রাডর স্রোত উত্তর আমেরিকার কোন উপক‚লকে শীতল রাখে? ১
খ. জলবায়ুর নিয়ামক বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত জেলা দুটির তাপমাত্রার পার্থক্যের পেছনে ভৌগোলিক কোন নিয়ামকটি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়টির সাথে সমুদ্রস্রোতের সম্পর্ক বর্ণনা কর। ৪

ক ল্যাব্রাডর স্রোত উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপক‚লকে শীতল রাখে।
খ পৃথিবীর সব অঞ্চলের জলবায়ু একই রকম নয়। এর কোনো অঞ্চল উষ্ণ এবং কোনো অঞ্চল শীতল। আবার কোনো স্থান বৃষ্টিবহুল এবং কোনো স্থান বৃষ্টিহীন। কিছু ভৌগোলিক বিষয়ের পার্থক্যের কারণে স্থানভেদে জলবায়ুর এ রকম পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এই বিষয়গুলোকে জলবায়ুর নিয়ামক বলে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত জেলা দুটির তথা রাজশাহী ও কক্সবাজারের মধ্যে তাপমাত্রার যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তার পেছনে সমুদ্র থেকে দূরত্ব এই ভৌগোলিক নিয়ামকটি কাজ করেছে। কারণ জলভাগের অবস্থান কোনো এলাকার জলবায়ুকে মৃদুভাবাপন্ন করে। সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকায় শীত-গ্রীষ্ম এবং দিনরাত্রির তেমন পার্থক্য হয় না। সামুদ্রিক আবহাওয়ার প্রভাবে উপক‚লবর্তী স্থানে তাপের প্রখরতা কমে যায়। আবার শীতের প্রকোপকেও কমিয়ে দেয়। কারণ সমুদ্র থেকে প্রবাহিত আর্দ্র বায়ু গ্রীষ্মের তাপমাত্রা হ্রাস করে। এই কারণেই গ্রীষ্মকালে রাজশাহী থেকে কক্সবাজারে তাপমাত্রা কম যা নাহিদ কক্সবাজারে বেড়াতে এসে লক্ষ করে। কক্সবাজার যেহেতু সমুদ্রের নিকটবর্তী তাই এখানকার তাপমাত্রা সমুদ্র থেকে দূরবর্তী রাজশাহী থেকে কম।
ঘ উদ্দীপকে দুটি ভিন্ন জেলায় বা অঞ্চলে তাপমাত্রার পার্থক্যের বিষয়টি উল্লিখিত হয়েছে। কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সমুদ্র স্রোতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমরা জানি সমুদ্রস্রোত দুই ধরনের। যথা : শীতল ও উষ্ণ সমুদ্র স্রোত। এই শীতল বা উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে উপক‚ল সংলগ্ন এলাকার বায়ু ঠাণ্ডা বা উষ্ণ হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব-উপক‚লবর্তী এলাকার উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। আবার শীতল ল্যাব্রাডর স্রোত উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপক‚লকে শীতল রাখে। শীতল স্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু শীতল এবং উষ্ণ স্রোতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বায়ু উষ্ণ হয়। আবার উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে ইউরোপের পশ্চিম উপক‚লে বৃষ্টিপাত হয়। তেমনি শীতল স্রোতের জন্য ল্যাব্রাডর উপক‚ল কয়েক মাস বরফাচ্ছন্ন থাকে। সুতরাং আমরা বলতে পারি উদ্দীপকে উল্লিখিত তাপমাত্রার হ্রাস বৃদ্ধির সাথে সমুদ্র স্রোতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

প্রশ্ন- ১১  পানিচক্র

ক. পানি কী কী অবস্থায় থাকতে পারে? ১
খ. আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্রে সংঘটিত প্রক্রিয়াগুলো আলোচনা কর। ৪

ক পানি বাষ্পীয়, তরল ও কঠিন এ তিন অবস্থায় থাকতে পারে।
খ কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয়বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণ আর একই আয়তনের বায়ুকে একই উষ্ণতায় পরিপৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্পের প্রয়োজন এ দুটির অনুপাতকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে।
গ উদ্দীপকে প্রদত্ত চিত্রটি হলো পানিচক্রের। সাধারণভাবে পানি কোথাও স্থির অবস্থায় থাকে না, সর্বদা আবর্তিত হচ্ছে এবং রূপের পরিবর্তন ঘটছে। বাষ্পীভবনের মাধ্যমে সমুদ্রের পানি উত্তপ্ত ও হালকা হয়ে বাষ্পাকারে উপরে উঠে এবং বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। এছাড়া ভ‚পৃষ্ঠের উদ্ভিদরাজি থেকে প্রস্বেদনের মাধ্যমে জলীয় অংশ বায়ুমণ্ডলে সম্পৃক্ত হয়। জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়ে মেঘ, বৃষ্টি, শিশির, কুয়াশা, তুষার, বরফ প্রভৃতিতে পরিণত হয় এবং মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হয়। বিভিন্ন উপায়ে ভ‚পৃষ্ঠে পতিত পানির কিছু অংশ বাষ্পীভবনের মাধ্যমে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে মিশে যায় এবং কিছু অংশ নদী দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্রে পতিত হয়, কিছু অংশ উদ্ভিদ অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে এবং অবশিষ্টাংশ ভ‚পৃষ্ঠের শিলাস্তরের মধ্যে চুয়ে প্রবেশ করে। এইভাবে প্রকৃতিতে পানিচক্র চলতে থাকে।
ঘ চিত্রে সংঘটিত পানিচক্রের প্রক্রিয়াগুলো বর্ণনা করা হলো।
বাষ্পীভবন : সূর্যের তাপে সমুদ্র, নদী, হ্রদ প্রভৃতি থেকে পানি ক্রমাগতভাবে বাষ্পে পরিণত হচ্ছে এবং তা অপেক্ষাকৃত হালকা বলে উপরে উঠে বায়ুমণ্ডলে মিশে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। একে বাষ্পীভবন বলে। সমুদ্রই জলীয়বাষ্পের প্রধান উৎস। উদ্ভিদজগৎ, নদনদী এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলাশয় থেকেও বায়ু জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে।
ঘনীভবন : পরিপৃক্ত বায়ু উষ্ণতর হলে তখন এটি আরও বেশি জলীয়বাষ্প ধারণ করতে পারে। আবার বায়ু শীতল হতে থাকলে পূর্বের মতো বেশি জলীয়বাষ্প ধারণ করে রাখতে পারে না। তখন জলীয়বাষ্পের কিছু অংশ পানিতে পরিণত হয় তাকে ঘনীভবন বলে।
বারিপাত : জলীয়বাষ্প উপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঘনীভ‚ত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষার কণায় পরিণত হয়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হয়। একে বারিপাত বলে।
পানিপ্রবাহ : বারিপাতের মাধ্যমে ভ‚পৃষ্ঠে আগত পানি পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে নদী, হ্রদ ও সমুদ্রে পতিত হয়। আবার ভ‚অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অন্তঃপ্রবাহরূপে নদী ও সমুদ্রে জমা হয়।

প্রশ্ন- ১২  পানিচক্র ও বাষ্পীভবন

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. পানিচক্র কাকে বলে? ১
খ. বৃষ্টিপাত না হলে পানিচক্রে কী প্রভাব পড়বে? ২
গ. চিত্রের চক্রটি পাঠ্যপুস্তকের আলোকে প্রবাহচিত্রের সাহায্যে দেখাও। ৩
ঘ. ক ও খ চি‎িহ্নত স্থানে কী ঘটনা ঘটে? ব্যাখ্যা কর। ৪

ক বায়ুমণ্ডল থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠ এবং পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে পানির বারবার ঘুরে আসাকে পানিচক্র বলে।
খ বৃষ্টিপাত পানিচক্রের চক্রাকার আবর্তন সম্পন্ন করে। শুকনো মৌসুমে নদীনালা, খালবিলের পানি শুকিয়ে গেলে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতের ফলে তা পূরণ হয়। তাই বৃষ্টিপাত না হলে পানিচক্র অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এবং মরুভ‚মি হয়ে জীবক‚ল ধ্বংস হয়ে যাবে।
গ চিত্রে পানিচক্র দেখানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে নিচে প্রবাহচিত্রের সাহায্যে পানিচক্র দেখানো হলো :

প্রবাহচিত্র : পানিচক্র
ঘ ক চি‎িহ্নত স্থানে বাষ্পীভবন এবং খ চি‎ি‎হ্নত স্থানে বারিপাতের ঘটনা ঘটে। ক চি‎িহ্নত স্থানে সূর্যের তাপে সমুদ্র, নদী, হ্রদ প্রভৃতি থেকে পানি ক্রমাগত বাষ্পে পরিণত হচ্ছে এবং তা অপেক্ষাকৃত হালকা বলে উপরে উঠে বায়ুমণ্ডলে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। একে বাষ্পীভবন বলে।
খ চি‎িহ্নত স্থানে জলীয়বাষ্প উপরে উঠে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঘনীভ‚ত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা ও তুষারকণায় পরিণত হয়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ভ‚পৃষ্ঠে পতিত হয়। একে বারিপাত বলে। সকল প্রকার বারিপাত এই জলীয়বাষ্পের ওপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন- ১৩  ========

ক. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়? ১
খ. ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু ইউরোপের মতো শীতল হয় না কেন? ২
গ. ‘চিত্র-১’ এ প্রদর্শিত বৃষ্টিপাত নিরক্ষীয় অঞ্চলে কেন বেশি সংঘটিত হয়? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘চিত্র-১’ ও ‘চিত্র-২’ এর বৃষ্টিপাতের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বায়ুমণ্ডলের অক্সোমণ্ডল স্তরে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের প্রাধান্য রয়েছে।
খ পর্বতের অবস্থানের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু ইউরোপের মতো শীতল হয় না। উচ্চ পার্বত্যময় এলাকা বায়ুপ্রবাহের পথে বাধা হলে এর প্রভাব জলবায়ুর ওপর পরিলক্ষিত হয়। যেমনÑ মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত হিমালয় পর্বতে বাধা পাওয়ায় বাংলাদেশ ভারত ও নেপালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। অপরদিকে শীতকালে মধ্য এশিয়ার শীতল বায়ু হিমালয় অতিক্রম করতে পারে না। তাই ভারতীয় উপমহাদেশের জলবায়ু ইউরোপের মতো তত শীতল হয় না।
গ চিত্র-১ এ প্রদর্শিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে পরিচলন বৃষ্টিপাত। দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঐ জলীয় বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে (ঊয়ঁধঃড়ৎরধষ ৎবমরড়হ) স্থলভাগের চেয়ে জলভাগের বিস্তৃতি বেশি এবং এখানে সূর্যকিরণ সারাবছর লম্বভাবে পড়ে। এ দুটি কারণে এখানকার বায়ুমণ্ডলে সারাবছর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। জলীয়বাষ্প হালকা বলে সহজেই তা উপরে উঠে গিয়ে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিচলন বৃষ্টিরূপে ঝড়ে পড়ে। তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর প্রতিদিনই বিকেল অথবা সন্ধ্যার সময় এরূপ বৃষ্টিপাত হয়।
ঘ ‘চিত্র-১’ ও ‘চিত্র-২’ এর বৃষ্টিপাত হচ্ছে যথাক্রমে পরিচলন বৃষ্টিপাত ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত। বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি অনুসারে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতকে প্রধানত চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে পরিচলন বৃষ্টি ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি অন্যতম। দিনের বেলায় সূর্যের কিরণে পানি বাষ্পে পরিণত হয়ে সোজা উপরে উঠে যায় এবং শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঐ জলীয়বাষ্প প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে সোজাসুজি নিচে নেমে আসে। এরূপ বৃষ্টিপাতকে পরিচলন বৃষ্টি বলে। অন্যদিকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় যদি গমনপথে কোনো উঁচু পর্বতশ্রেণিতে বাধা পায় তাহলে ঐ বায়ু উপরের দিকে উঠে যায়। তখন জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু ক্রমশ প্রসারিত হয় এবং পর্বতের উঁচু অংশে শীতল ও ঘনীভ‚ত হয়ে পর্বতের প্রতিবাত ঢালে (ডরহফধিৎফ ংষড়ঢ়ব) বৃষ্টিপাত ঘটায়। এরূপ বৃষ্টিপাতকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি বলে। পরিচলন বৃষ্টি কতগুলো পর্যায় অনুসরণ করে ঘটে থাকে। যেমন : প্রচণ্ড সূর্যকিরণে ভ‚পৃষ্ঠ দ্রæত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভ‚পৃষ্ঠের উপরস্থ বায়ু উষ্ণ এবং হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে পরিচলনের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বত অতিক্রম করে। যখন পর্বতের অপর পার্শ্বে অর্থাৎ অনুবাত ঢালে (খববধিৎফ ংষড়ঢ়ব) এসে পৌঁছায় তখন জলীয়বাষ্প কমে যায়। এছাড়া নিচে নামার ফলে ঐ বায়ু উষ্ণ ও আরও শুষ্ক হয়। এ দুটো কারণে এখানে বৃষ্টি বিশেষ হয় না। এরূপ প্রায় বৃষ্টিহীন স্থানকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল (জধরহ ংযধফড়ি ৎবমরড়হ) বলে। পরিচলন বৃষ্টিপাতে এরূপ বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অঞ্চল দেখা যায় না। সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে আমরা পরিচালন ও শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের একটি তুলনামূলক চিত্র পাই।

প্রশ্ন- ১৪  নিয়ত বায়ু

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. নিয়ত বায়ু কাকে বলে? ১
খ. বায়ুপ্রবাহ কী কী বিশেষ নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়? ২
গ. ই ও ঈ কোন বায়ুপ্রবাহ নির্দেশ করে? এগুলো নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় কেন? ৩
ঘ. অ ও উ বায়ুপ্রবাহের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। ৪

ক পৃথিবীর চাপ বলয়গুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যে বায়ুপ্রবাহ বছরের সব সময় একই দিকে প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে।
খ বায়ুপ্রবাহ সাধারণত দুইটি বিশেষ নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয় :
১. নিম্নচাপমণ্ডলের উত্তপ্ত ও হালকা বায়ু ঊর্ধ্বে উত্থিত হলে বায়ুমণ্ডলে চাপের অসমতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে উচ্চচাপমণ্ডল থেকে শীতল ও ভারী বায়ু সর্বদা নিম্নচাপমণ্ডলের দিকে প্রবাহিত হয়।
২. পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তনশীল এবং নিরক্ষরেখা থেকে মেরু অঞ্চলের দিকে আবর্তনের কারণে গতিবেগ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায়। এ উভয় কারণে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীপৃষ্ঠে গতিশীল পদার্থ (যেমন : বায়ুপ্রবাহ ও জলস্রোত) সরাসরি উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। ফেরেলের সূত্র অনুসারে ভ‚পৃষ্ঠে বায়ুপ্রবাহের দিক নিয়ন্ত্রিত হয়।
গ ই উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু এবং ঈ দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নির্দেশ করে। ফেরেলের সূত্র অনুসারে ই বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এবং ঈ বায়ুপ্রবাহ দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে পরিচালিত বাণিজ্য জাহাজগুলো এ বায়ুপ্রবাহের দিক অনুসরণে যাতায়াত করত বলে এগুলোকে অয়ন বায়ু বা বাণিজ্য বায়ু বলে। উত্তর গোলার্ধে (ই) এটি উত্তর-পূর্ব অয়ন বায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে (ঈ) এটি দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নামে পরিচিত। অর্থাৎ নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় থেকে উষ্ণ ও হালকা বায়ু উপরে উঠে গেলে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে শীতল ও ভারী ই ও ঈ বায়ু তথা উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব অয়ন নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয়।
ঘ অ ও উ যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধের পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহ নির্দেশ করছে। এ বায়ুপ্রবাহের বৈশিষ্ট্য হলো :
১. এটি নিয়ত বায়ুপ্রবাহ। বছরের সকল সময় একই দিকে প্রবাহিত হয়।
২. কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে এ বায়ুপ্রবাহ মেরুবৃত্ত নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
৩. উত্তর গোলার্ধে (অ) এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে (উ) উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়।
৪. উত্তর গোলার্ধে (অ) স্থলভাগের পরিমাণ অধিক বলে স্থানীয় কারণে পশ্চিমা বায়ুর সাময়িক বিরতি ঘটে। কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে (উ) জলভাগের পরিমাণ বেশি বলে পশ্চিমা বায়ু প্রবলবেগে এ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। এজন্য এই বায়ুপ্রবাহকে প্রবল পশ্চিমা বায়ু বলে। ৪০ থেকে ৪৭ দক্ষিণ পর্যন্ত পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ সর্বাপেক্ষা বেশি। এ অঞ্চলকে গর্জনশীল চল্লিশ বলে।
৫. এখানে দুটি শান্ত বলয়ের সৃষ্টি হয়। ৩০ থেকে ৩৫ উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে এ শান্ত বলয় দুটি অবস্থিত।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর : পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে যে গ্যাসীয় আবরণ সমগ্র পৃথিবীকে বেষ্টন করে থাকে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ বায়ুর প্রধান উপাদান কী কী?
উত্তর : বায়ুর প্রধান উপাদান নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ বায়ুমণ্ডলে আয়তনের দিক দিয়ে নাইট্রোজন ও অক্সিজেনের শতকরা পরিমাণ কত?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলে আয়তনের দিক দিয়ে নাইট্রোজন ও অক্সিজেনের শতকরা পরিমাণ ৯৮.৭৩ ভাগ।
প্রশ্ন \ ৪ \ কোন দুটি উপাদান গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে জীবজগৎ বেঁচে আছে?
উত্তর : অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ ও ত্যাগের মাধ্যমে জীবজগৎ বেঁচে আছে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে কত কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত?
উত্তর : ভ‚পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
প্রশ্ন \ ৬ \ বায়ুমণ্ডলের প্রথম তিনটি স্তরকে কী বলা হয়?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের প্রথম তিনটি স্তরকে সমমণ্ডল বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ বায়ুমণ্ডলের শেষের দুটি স্তরকে কী বলা হয়?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের শেষের দুটি স্তরকে বিষমমণ্ডল বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ বায়ুমণ্ডলের প্রথম স্তর কোনটি?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের প্রথম স্তর হলো ট্রপোমণ্ডল।
প্রশ্ন \ ৯ \ ট্রপোমণ্ডলের শেষ প্রান্তের অংশের নাম কী?
উত্তর : ট্রপোমণ্ডলের শেষ প্রান্তের অংশের নাম ট্রপোবিরতি।
প্রশ্ন \ ১০ \ ট্রপোমণ্ডলের বিস্তৃতি কত?
উত্তর : ট্রপোমণ্ডল ভ‚পৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৬-১৮ কিলোমিটার এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিলোমিটার বিস্তৃত।
প্রশ্ন \ ১১ \ ট্রপোমণ্ডলে নিচের দিকে বাতাসে কিসের পরিমাণ বেশি থাকে?
উত্তর : ট্রপোমণ্ডলে নিচের দিকে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে।
প্রশ্ন \ ১২ \ আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার বেশিরভাগ কোন স্তরে ঘটে থাকে?
উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার বেশিরভাগ ট্রপোমণ্ডলে ঘটে থাকে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বায়ুমণ্ডলের ওজনের শতকরা কত ভাগ ট্রপোমণ্ডল বহন করে?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের ওজনের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ ট্রপোমণ্ডল বহন করে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ মেসোমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর : স্ট্রাটোবিরতির উপরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে মেসোমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ তাপমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর : মেসোবিরতির উপরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তরকে তাপমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বেতারতরঙ্গ প্রতিফলিত হয়?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের তাপমণ্ডলে বেতারতরঙ্গ প্রতিফলিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ এক্সোমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর : তাপমণ্ডলের উপরে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যে বায়ুস্তর আছে তাকে এক্সোমণ্ডল বলে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ এক্সোমণ্ডলে কোন গ্যাসের প্রাধান্য বেশি?
উত্তর : এক্সোমণ্ডলে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য বেশি।
প্রশ্ন \ ১৯ \ জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যক মণ্ডল কোনটি?
উত্তর : জীবনধারণের জন্য বায়ুমণ্ডল অত্যাবশ্যক।
প্রশ্ন \ ২০ \ বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে আবহাওয়া সৃষ্টি হয়?
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের ট্রপোমণ্ডলে আবহাওয়া সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ২১ \ কোন স্তরে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি?
উত্তর : স্ট্রাটোমণ্ডলে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেশি।
প্রশ্ন \ ২২ \ আবহাওয়া কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের বায়ুর তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, মেঘাচ্ছন্নতা, বৃষ্টিপাত ও বায়ুপ্রবাহের দৈনন্দিন সামগ্রিক অবস্থাকে সেই দিনের আবহাওয়া বলে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ জলবায়ু কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটি অঞ্চলের সাধারণত ৩০-৪০ বছরের গড় আবহাওয়ার অবস্থাকে জলবায়ু বলে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান কী কী?
উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলো হলো বায়ুমণ্ডলের তাপ, বায়ুর চাপ, বায়ুপ্রবাহ, বায়ুর আর্দ্রতা, মেঘ ও বারিপাত বা অধঃক্ষেপণ প্রভৃতি।
প্রশ্ন \ ২৫ \ সমভাবাপন্ন জলবায়ু কাকে বলে?
উত্তর : সমুদ্রের নিকটবর্তী এলাকার তাপমাত্রায় শীত-গ্রীষ্মের তেমন পার্থক্য হয় না বলে এ ধরনের জলবায়ুকে সমভাবাপন্ন জলবায়ু বলে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ বাংলাদেশে বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : প্রচুর জলীয়বাষ্পপূর্ণ মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন \ ২৭ \ শীতকালে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : শীতকালে বাংলাদেশের উপর দিয়ে শুষ্ক মহাদেশীয় বায়ু প্রবাহিত হওয়ার কারণে বৃষ্টিপাত তেমন হয় না।
প্রশ্ন \ ২৮ \ বাষ্পীভবন কাকে বলে?
উত্তর : সূর্যের তাপে সমুদ্র, নদী, হ্রদ প্রভৃতি থেকে পানি ক্রমাগত বাষ্পে পরিণত হয় এবং তা অপেক্ষাকৃত হালকা বলে উপরে উঠে বায়ুমণ্ডলে মিশে অদৃশ্য হয়ে যায়, একে বাষ্পীভবন বলে।
প্রশ্ন \ ২৯ \ শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর : বায়ু যে উষ্ণতায় ঘনীভ‚ত হয় তাকে শিশিরাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন \ ৩০ \ বায়ুর আর্দ্রতা কাকে বলে?
উত্তর : বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতাকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
প্রশ্ন \ ৩১ \ শুষ্ক বায়ু কাকে বলে?
উত্তর : বায়ুতে জলীয়বাষ্প যখন একদম থাকে না, তখন তাকে শুষ্ক বায়ু বলে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ আর্দ্র বায়ু কাকে বলে?
উত্তর : যে বায়ুতে জলীয়বাষ্প থাকে তাকে আর্দ্র বায়ু বলে।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ কোনো যন্ত্র দ্বারা বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়?
উত্তর : হাইগ্রোমিটার যন্ত্র দ্বারা বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ কুয়াশা কাকে বলে?
উত্তর : কখনো কখনো বায়ুমণ্ডলের ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলীয়বাষ্প রাত্রিবেলায় অল্প ঘনীভ‚ত হয়ে ধোঁয়ার আকারে ভ‚পৃষ্ঠের কিছু উপরে ভাসতে তাকে, একে কুয়াশা বলে।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ মধ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শীতকালে কোন ধরনের বৃষ্টিপাত দেখা যায়?
উত্তর : মধ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শীতকালে ঘূর্ণি বৃষ্টিপাত দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ বাংলাদেশে কী কারণে সমুদ্র ও স্থলবায়ু নিয়মিত প্রবাহিত হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অবস্থানের কারণে সমুদ্র ও স্থলবায়ু নিয়মিত প্রবাহিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ আরবি ভাষায় ‘মওসুম’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : আরবি ভাষায় ‘মওসুম’ শব্দের অর্থ ঋতু।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ চিনুক কী?
উত্তর : উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতে প্রবাহিত বায়ুকে চিনুক বলে।
প্রশ্ন \ ৩৯ \ পাম্পেরু কী?
উত্তর : আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের পম্পাস অঞ্চলের উত্তরে প্রবাহিত বায়ুকে পাম্পেরু বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৪০ \ সিরক্কো কী?
উত্তর : উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ ইতালিতে প্রবাহিত বায়ুকে সিরক্কো বলে।
প্রশ্ন \ ৪১ \ সাইমুম কী?
উত্তর : আরব মালভ‚মির বায়ুকে স্থানীয়ভাবে সাইমুম বলে।
প্রশ্ন \ ৪২ \ লু কী?
উত্তর : ভারতীয় উপমহাদেশের অত্যন্ত গরম বায়ুকে লু বলে।
প্রশ্ন \ ৪৩ \ বিশ্ব উষ্ণায়ন পৃথিবীতে কী ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছে?
উত্তর : বিশ্ব উষ্ণায়ন পৃথিবীতে পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
প্রশ্ন \ ৪৪ \ বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ কী?
উত্তর : বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ হলো মানুষের কর্মকাণ্ডের ফলে বায়ুমণ্ডলে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট গ্রিন হাউস গ্যাসসমূহের উপস্থিতির মাত্রার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি।
প্রশ্ন \ ৪৫ \ বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্যাসগুলো কী?
উত্তর : বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য দায়ী গ্যাসগুলো হলো কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরোকার্বন ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৪৬ \ ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য কয়টি ঝুঁকিপূর্ণ দিক চিহ্নিত করেছে?
উত্তর : ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ দিক চিহ্নিত করেছে।
প্রশ্ন \ ৪৭ \ ২০০৯ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে কয়টি দেশ অংশগ্রহণ করে?
উত্তর : ২০০৯ সালে জাতিসংঘের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ১৯৩টি দেশ অংশগ্রহণ করে।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ বায়ুমণ্ডল বলতে কী বোঝ লেখ।
উত্তর : যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে। বায়ুমণ্ডল মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে পৃথিবীর গায়ে জড়িয়ে পৃথিবীর সাথে আবর্তন করছে। বায়ুমণ্ডলের বর্ণ, গন্ধ, আকার কিছুই নেই। বায়ুমণ্ডল চোখে দেখা যায় না, তবে অনুভব করা যায়। জীবনধারণের জন্য পৃথিবীর জীবকুলের কাছে যেসব জিনিস অপরিহার্য বায়ুমণ্ডল তাদের মধ্যে অন্যতম।
প্রশ্ন \ ২ \ ট্রপোমণ্ডল বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ভ‚পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমণ্ডলের সর্বপ্রথম স্তরকে ট্রপোমণ্ডল বলে। ট্রপোমণ্ডল ভ‚পৃষ্ঠের সাথে লেগে আছে। জীবজগতের জন্য এ স্তর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়ার বেশিরভাগ এ স্তরে ঘটে থাকে। এই স্তর ভ‚পৃষ্ঠ থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রায় ১৬-১৮ কিলোমিটার এবং মেরু অঞ্চলে প্রায় ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রশ্ন \ ৩ \ স্ট্রাটোমণ্ডল সম্পর্কে লেখ।
উত্তর : ট্রপোমণ্ডলের উপরে বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তরকে স্ট্রাটোমণ্ডল বলে। এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের ওজোন গ্যাসের বেশির ভাগই এ স্তরে আছে। এখানে জলীয়বাষ্প নেই। এ স্তরের উপরেই অবস্থান করে স্ট্রাটোবিরতি। এ স্তরে বায়ুর ঘনত্ব ও চাপ উভয়ই অনেক কম এবং উষ্ণতা তেমন পরিবর্তন হয় না।
প্রশ্ন \ ৪ \ মেসোমণ্ডল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও।
উত্তর : স্ট্রাটোবিরতির উপরের স্তর হতে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে মেসোমণ্ডল বলে। এই স্তরের উপরে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়া থেমে যায়। মেসোমণ্ডলে বায়ুর চাপ অত্যন্ত ক্ষীণ। মেসোমণ্ডলের উপরের শেষ প্রান্তের নাম মেসোবিরতি।
প্রশ্ন \ ৫ \ তাপমণ্ডল বলতে কী বোঝ লেখ।
উত্তর : মেসোবিরতি থেকে ঊর্ধ্বে এ স্তর অবস্থিত। এখানে বায়ুর উষ্ণতা দ্রæত হারে বৃদ্ধি পায় বলে একে তাপমণ্ডল বলে। তীব্র সৌর বিকিরণে রঞ্জন রশ্মি ও অতিবেগুনি রশ্মির সংঘাতে এই অংশের বায়ু আয়নযুক্ত হয়। তাই এই স্তরকে আয়নমণ্ডল বলে। ভ‚পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো বিভিন্ন বেতার তরঙ্গ আয়নমণ্ডলের বিভিন্ন আয়নে বাধা পেয়ে পুনরায় ভ‚পৃষ্ঠে ফিরে আসে।
প্রশ্ন \ ৬ \ বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি কী?
উত্তর : শীতল বায়ু ও উষ্ণবায়ু মুখোমুখি উপস্থিত হলে উষ্ণবায়ুর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শিশিরাঙ্কের সৃষ্টি হয়। ফলে উভয় বায়ুর সংযোগস্থলে বৃষ্টিপাত ঘটে। একে বায়ু প্রাচীরজনিত বৃষ্টি বলে। এ প্রকার বৃষ্টিপাত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে দেখা যায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ অয়ন বা বাণিজ্য বায়ু কী?
উত্তর : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় দুটি থেকে সারাবছর নিয়মিতভাবে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে অয়ন বায়ু প্রবাহিত হয়। পূর্বে এ বায়ুর সাহায্যে পালের জাহাজ চলত বলে এ বায়ুকে বাণিজ্য বায়ুও বলা হয়। উত্তর গোলার্ধে এ বায়ুকে উত্তর-পূর্ব অয়নবায়ু এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু বলে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘গর্জনশীল চল্লিশা’ কী?
উত্তর : পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ অপেক্ষা দক্ষিণ গোলার্ধে স্থলভাগ অনেক কম। দক্ষিণ গোলার্ধের ৪০ থেকে ৬০ সমাক্ষরেখার মধ্যে স্থলভাগ নেই বললেই চলে। তাই পশ্চিমা বায়ুপ্রবাহ সারা বছরই প্রবলবেগে এবং অপ্রতিহতভাবে প্রবাহিত হয়। এই বায়ুপ্রবাহকে প্রবল পশ্চিমা বায়ু বলে। প্রবল পশ্চিমা বায়ু বিভিন্ন সমাক্ষরেখায় বিভিন্ন প্রকার শব্দ করে প্রবাহিত হয় বলে সমাক্ষরেখাগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত। ৪০ দক্ষিণ থেকে ৪৭ দক্ষিণ পর্যন্ত পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ সর্বাপেক্ষা বেশি। এ অঞ্চলকে বা সমাক্ষরেখাগুলোকে ‘গর্জনশীল চল্লিশা’ বলে।
প্রশ্ন \ ৯ \ প্রত্যয়ন বা পশ্চিমা বায়ু বলতে কী বোঝ লেখ।
উত্তর : কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে অয়ন বায়ু ব্যতীত আরও দুটি বায়ুপ্রবাহ মেরুবৃত্তীয় নিম্নচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হয়। উত্তর গোলার্ধে এটি দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়। এ বায়ুপ্রবাহকে পশ্চিমা বায়ু বলে।
প্রশ্ন \ ১০ \ দক্ষিণ এশিয়ায় মৌসুমি জলবায়ুর গুরুত্ব লিখ।
উত্তর : দক্ষিণ এশিয়ার মৌসুমি জলবায়ু কৃষির দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব অঞ্চলের শস্য মৌসুমি জলবায়ুর দ্বারা বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন : বাংলাদেশে মৌসুমি জলবায়ু সময়মতো এবং পরিমাণমতো না হলে ফসল খরায় আক্রান্ত হয়। এমনকি চাষাবাদও করা যায় না। তাছাড়া বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকার চাষাবাদও এ মৌসুমি বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর দেশের কৃষি নির্ভরশীল হওয়ায় তা দেশের অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। দক্ষিণ এশিয়ায় কৃষি প্রধান এলাকাগুলোর পিছনে মৌসুমি জলবায়ুর ভ‚মিকা অগ্রগণ্য ও অপরিসীম।
প্রশ্ন \ ১১ \ গ্রিন হাউস বলতে কী বোঝ?
উত্তর : শীত প্রধান দেশে (যেখানে পরিবেশের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি থাকে) উদ্ভিদ প্রতিপালনের জন্য বাগানে স্বচ্ছ কাচের ছাউনিযুক্ত ঘর তৈরি করা হয়। আর এ ঘরকে গ্রিন হাউস বা সবুজ ঘর বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বাংলাদেশ কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংক বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ দিক চিহ্নিত করেছে। এগুলো হলো মরুকরণ, বন্যা, ঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং কৃষিক্ষেত্রে অধিকতর অনিশ্চয়তা। এগুলোর প্রতিটিতে শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি দেশের তালিকা করেছে। সেই তালিকার ৫টি ভাগের একটিতে শীর্ষ ঝুঁকিপূর্ণসহ ৩টিতে নাম আছে বাংলাদেশের। তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বাংলাদেশ।

 

 

Leave a Reply