নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ৯ সম্পদ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলি

নবম অধ্যায়
 সম্পদ ও অর্থনৈতিক কার্যাবলি

ছবি সংক্রান্ত তথ্য শিখনফল
 সম্পদের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে এবং সম্পদের শ্রেণিবিন্যাস করতে পারবে।
 সম্পদ সংরক্ষণের উপায় ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 সম্পদ সংরক্ষণে যতœবান হবে এবং অন্যকে সম্পদ সংরক্ষণ করতে উৎসাহিত করবে।
 অর্থনৈতিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 অনুন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 শিল্প গড়ে ওঠার নিয়ামক ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস ও অবস্থানগত কারণ বিশ্লেষণ করতে পারবে ।
 আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 বাণিজ্যিক ভারসাম্য ও উন্নয়নের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি
 সম্পদ : বস্তুর কার্যকারিতাই সম্পদ। যা কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থায় ব্যবহার করা যায় তাই সম্পদ।
 সম্পদের শ্রেণিবিন্যাস : সম্পদকে প্রাথমিকভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায় ১. প্রাকৃতিক সম্পদ, ২. মানব সম্পদ ও ৩. অর্থনৈতিক সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদকে আবার নবায়নযোগ্য, অনবায়নযোগ্য ও অন্যান্য এ তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
 সম্পদ সংরক্ষণ : সম্পদ সংরক্ষণের অর্থ প্রাকৃতিক সম্পদের এমন ব্যবহার, যাতে ওই সম্পদ যথাসম্ভব অধিকসংখ্যক লোকের দীর্ঘ সময়ব্যাপী সর্বাধিক মঙ্গল নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়। সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সম্পদ ব্যবহারের উত্তম ব্যবস্থাপনা জরুরি।
 অর্থনৈতিক কার্যাবলি : পণ্য সামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় এবং ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো মানবীয় আচরণের প্রকাশই অর্থনৈতিক কার্যাবলি। অর্থনৈতিক কার্যাবলি তিনভাগে বিভক্ত। যথা : প্রথম পর্যায়, দ্বিতীয় পর্যায় ও তৃতীয় পর্যায়।
 অনুন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলি : সমগ্র পৃথিবীকে অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে ওপর উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত এই তিনভাগে ভাগ করা যায়। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, চীন, ইতালি, জার্মান, ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের শতকরা ৮০ ভাগের উপরে মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। অপরদিকে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশসমূহের শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভুটান, নেপাল, কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, জাম্বিয়া ইত্যাদি দেশ এ পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত। এসব দেশে শিক্ষার হার, জীবনযাত্রার মান ও মাথা পিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় অনেক কম।
 শিল্প গড়ে ওঠার নিয়ামক : প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে শিল্প গড়ে ওঠে। প্রাকৃতিক নিয়ামকগুলো হলো ১. জলবায়ু, ২. শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য ও ৩. কাঁচামালের সান্নিধ্য। অর্থনৈতিক নিয়ামকগুলো হলো ১. মূলধন, ২. শ্রমিক সরবরাহ, ৩. বাজারের সান্নিধ্য, ৪. সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, ৫. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ৬. সরকারি বিনিয়োগ নীতি, ৭. স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি।
 শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস : খনিজ, কৃষিজ, প্রাণিজ ও বনজ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির ওপর ভিত্তি করে শিল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১. ক্ষুদ্র শিল্প, ২. মাঝারি শিল্প ও ৩. বৃহৎ শিল্প।
 আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য : পৃথিবীর কোনো দেশই সকল সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রটোকল মেনে তাদের জনগণের চাহিদা অনুসারে পণ্য আমদানি এবং উদ্বৃত্ত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। এটিকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বলে। যেমন : জাপান লৌহ ও ইস্পাতের তৈরি ভারী যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, মোটরগাড়ি, জাহাজ ও বিভিন্ন শিল্পদ্রব্য রপ্তানি করে থাকে এবং এদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে আকরিক লোহা ও কয়লা আমদানি করে থাকে।
 বাণিজ্যিক ভারসাম্য ও উন্নয়নের সম্পর্ক : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য সমান নয়। অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। বিশ্বের যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে ওপর আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য এবং সেই সঙ্গে উন্নয়ন সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর দেশের সাথে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিরাজ করে। তবে উন্নয়ন সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে অসম বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যবধান কমতে পারে।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য কোনটি?
ক ভোজ্যতেল  পোশাক
গ পেট্রোলিয়াম পদার্থ ঘ ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি
২. কীভাবে নবায়নযোগ্য সম্পদ বৃদ্ধি করা যায়?
 উত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে
খ সংরক্ষণের মাধ্যমে
গ কর্তব্যপরায়ণ হয়ে
ঘ জীবনাচরণের মাধ্যমে
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
তুহিন যে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে তার বিপুল শ্রমিকের সংখ্যা, বিশাল মূলধন ও ব্যাপক অবকাঠামো রয়েছে।
৩. তুহিন কোন শিল্পকারখানায় কাজ করে?
ক সাইকেল খ রেডিও কারখানা
গ টেলিভিশন কারখানা  মোটরগাড়ি
৪. এই ধরনের শিল্পের অবস্থান হয়ে থাকে-
র. শহরের পাশে
রর. শহরের কাছাকাছি
ররর. শহরের ভিতর
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস ও প্রাকৃতিক নিয়ামক

ঢাকার অদূরে ডেমরা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ইপিজেড, জুটমিলস্, কটনমিলস্ উল্লেখযোগ্য।
ক. কৃষিকাজ কোন ধরনের কর্মকাণ্ড?
খ. বাণিজ্য ঘাটতি বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পগুলো কোন শ্রেণির ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উক্ত অঞ্চলে শিল্প গড়ে ওঠার প্রাকৃতিক কারণ বিশ্লেষণ কর।

ক কৃষিকাজ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
খ একটি দেশের রপ্তানি অপেক্ষা আমদানি ব্যয় বেশি হলে, তাকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে। যেমন বাংলাদেশ ২০১১-১২ অর্থবছরে আমদানি করে ৩৪.৮১ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য। আর রপ্তানি করে ২৪.৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য। রপ্তানি অপেক্ষা আমদানি ব্যয় বেশি ছিল ১০.৫১ মিলিয়ন ইউএস ডলার। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের এ অবস্থানকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে।
গ উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পগুলো হলো ইপিজেড, জুটমিলস্ ও কটনমিলস্। এই শিল্পগুলো বৃহৎ শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। কারণ বৃহৎ শিল্প গড়ে ওঠার জন্য ব্যাপক অবকাঠামো প্রয়োজন হয় এবং এখানে এ ধরনের অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আলোচ্য শিল্পগুলো ডেমরা থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। আলোচ্য শিল্পগুলোতে রপ্তানিজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ, বস্ত্র, পাট ও পাটজাত দ্রব্য তৈরি, উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করা হয় যার জন্য প্রচুর শ্রমিক ও বিশাল মূলধনের প্রয়োজন হয়। বৃহৎ শিল্প শহরের কাছাকাছি গড়ে ওঠে এবং আলোচ্য শিল্পগুলোও ঢাকার অদূরে গড়ে উঠেছে। সুতরাং বৈশিষ্ট্যের নিরিখে উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পগুলো বৃহৎ শিল্প।
ঘ ঢাকার অদূরে ডেমরা থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ অঞ্চলে শিল্প গড়ে ওঠার প্রাকৃতিক কারণসমূহ হলো :
জলবায়ু : শিল্প স্থাপনে জলবায়ুর প্রভাব বলতে তাপ, বৃষ্টিপাত, জলীয় বাষ্প ও আর্দ্রতা ইত্যাদির প্রভাবকে বোঝানো হয়। উক্ত অঞ্চলের জলবায়ু শিল্প গড়ে ওঠার অনুক‚লে। ওই অঞ্চলটি শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে হওয়ায় জলবায়ু সমভাবাপন্ন থাকে। শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করতে পারে। আবার জুটমিলস ও কটনমিলস স্থাপনের জন্য আর্দ্র জলবায়ু প্রয়োজন হয়, যা এ অঞ্চলে প্রায় সারাবছর বিরাজ করে।
শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য : শক্তি সম্পদের ওপর শিল্পের অবস্থান নির্ভরশীল। কারণ শিল্প কারখানা চালানোর জন্য শক্তির প্রয়োজন। উক্ত অঞ্চলের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঘোড়াশালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। পর্যাপ্ত শক্তি সম্পদের সরবরাহ থাকায় এ অঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠেছে।
কাঁচামালের সান্নিধ্য : শিল্প কারখানার জন্য কাঁচামালের প্রয়োজন। উক্ত অঞ্চলে পাট, তুলা প্রভৃতি কাঁচামালের সহজলভ্যতার জন্য সেখানে এসব শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, প্রাকৃতিক নিয়ামকের আনুক‚ল্যেই নারায়ণগঞ্জে শিল্প গড়ে উঠেছে।

প্রশ্ন- ২  প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি

আবেদ এবং শাহেদ দুই বন্ধু। আবেদ বেড়িবাঁধ এলাকায় ৮০টি বিদেশি গরু নিয়ে একটি দুগ্ধ খামার তৈরি করেছে। অপরদিকে শাহেদ আশুলিয়ায় একটি পোশাক শিল্পকারখানা তৈরি করে, যার পোশাকের বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ক. অর্থনৈতিক কার্যাবলি কত প্রকার?
খ. বাণিজ্যিক ভারসাম্যতা বলতে কী বোঝায়?
গ. আবেদের খামারটি কোন ধরনের কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শাহেদের শিল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে কিরূপ ভ‚মিকা পালন করে উত্তরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

ক অর্থনৈতিক কার্যাবলি তিন প্রকার।
খ পণ্যদ্রব্যের আদান-প্রদান হলো বাণিজ্য। এ আদান-প্রদান দেশের ভিতর বা বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই হতে পারে। সাধারণত দেশের বাইরের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ভারসাম্যতা প্রত্যয়টি ব্যবহৃত হয়। দেশের চাহিদা মেটাতে অন্য দেশ থেকে পণ্য সামগ্রী আনা হলে তাকে আমদানি বাণিজ্য বলে। আর নিজ দেশের পণ্য যখন অন্য দেশে পাঠানো হয়, তাকে রপ্তানি বাণিজ্য বলে। আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ যখন প্রায় সমান হয় তাকে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য প্রায়ই সমান থাকে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান থাকে।
গ আবেদের খামারটি প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। জীবনধারণের জন্য মানুষ সরাসরি প্রকৃতির সাথে যেসব কাজে লিপ্ত হয় সেগুলোকে প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বলে। কৃষিকাজ, পশুপালন, খনিজ উত্তোলন, মৎস্য শিকার, কাঠ চেরাই, কৃষিকাজ ইত্যাদি প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অনুন্নত দেশে এ কর্মকাণ্ডের পরিমাণ বেশি। উদ্দীপকে আবেদ বেড়িবাঁধ এলাকায় ৮০টি বিদেশি গরু নিয়ে খামার গড়ে তোলে, এটি সরাসরি প্রকৃতির সাথে জড়িত। আবেদের খামার থেকে মূলত কৃষিপণ্য সংগ্রহ বা উৎপাদন করা হয়। তার খামারের মূল ভিত্তি হচ্ছে ভ‚মি, গরু ও শ্রম। আবেদের খামারটি মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করছে। তাই আবেদের খামারটি প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ শাহেদের স্থাপিত শিল্পটি হচ্ছে পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের ভ‚মিকা অপরিসীম। বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১২ সালের জানুয়ারির প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পোশাক পণ্য রপ্তানি করে মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ আসে। উদ্দীপকে দেখা যায়, শাহেদের স্থাপিত পোশাক শিল্পটিও রপ্তানিমুখী এবং তার পোশাকের বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৫০ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত। সস্তা শ্রম বাজার এবং সহজলভ্য শ্রমিক বিদ্যমান থাকায় বাংলাদেশে পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে যা দেশের অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে যা দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে সহায়তা করে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে পোশাক শিল্পের ভ‚মিকা অপরিসীম। শাহেদের স্থাপিত পোশাক শিল্পটিও অনুরূপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছে।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২ ও ৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আনিছ একটি শিল্পকারখানা গড়ে তোলেন। তার শিল্প কারখানাটি স্বল্প মূলধন, ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতির সাহায্যে গড়ে ওঠে। [স. বো.’১৬]
১. আনিছের কারখানাটি হলো
ক বেকারি খ সাইকেল
গ বস্ত্র ঘ রেডিও
২. এ ধরনের কারখানা হয়ে থাকে
র. গ্রামে
রর. শহরে
ররর. শহরের কাছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মিনার একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান আছে। তার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কুটিরশিল্প তৈরি হয়। পরিবারের সহায়তা নিয়ে মিনা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলে। [স. বো. ’১৬]
৩. মিনার প্রতিষ্ঠানে তৈরি জিনিসগুলো কোন ধরনের শিল্প?
ক বৃহৎশি খ মাঝারি শিল্প
গ লৌহ ও ইস্পাত শিল্প ঘ ক্ষুদ্রশিল্প
৪. মিনার শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি সহজে পরিচালনা করতে ভ‚মিকা রাখে
র. কম শ্রমিক রর. কম মূলধন
ররর. স্বল্পমূল্যের কাঁচামাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫. সূর্যকিরণ সম্পদ নয় কেন? [স. বো. ’১৫]
ক বিনিময় মূল্য আছে  বিনিময় মূল্য নেই
গ উপযোগ নেই ঘ যোগান সীমিত
৬. কোন সম্পদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হতে পারে? [স. বো. ’১৫]
˜ তেল খ বায়ু
গ পানি ঘ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
৭. বাংলাদেশ কোন দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানি করে?
[স. বো. ’১৫]
˜ চীন খ ভারত
গ জাপান ঘ রাশিয়ায়
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭ ও ৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আয়ান যে দেশে প্রবাসী জীবন-যাপন করে সে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু আয়ানের নিজের দেশের মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে জড়িত।
[স. বো. ’১৫]
৮. অনুচ্ছেদে আয়ান কোন দেশে প্রবাসী জীবন-যাপন করছে?
ক কম্পোডিয়া খ জাম্বিয়া
˜ নিউজিল্যান্ড ঘ কেনিয়া
৯. আয়ানের নিজ দেশের মানুষের পেশা কী?
র. কাঠ চেরাই
রর. পশুপালন
ররর. খনিজ উত্তোলন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
১০. সৌরশক্তি কী প্রকারের সম্পদ? [ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
ক যান্ত্রিক  নবায়নযোগ্য
গ আণবিক ঘ রাসায়নিক
১১. অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস কোনটি? [মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পানি খ শব্দ  কয়লা ঘ বায়ু
১২. সংরক্ষণ ধারণার অপর নাম কী? [গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃ উচ্চ বিদ্যালয়]
 জীবনাচরণ খ সত্যাচরণ
গ সত্যানুসন্ধান ঘ শিক্ষা
১৩. কীভাবে নবায়নযোগ্য সম্পদ বৃদ্ধি করা যায়?
[মোহাম্মদপুর উচ্চ বিালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
 উত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খ সংরক্ষণের মাধ্যমে
গ কর্তব্যপরায়ণ হয়ে ঘ জীবনচারণের মাধ্যমে
১৪. মজিদ সাহেব তার কারখানা চালাতে যে শক্তি ব্যবহার করেন তা নবায়নযোগ্য। মজিদ সাহেব যে শক্তি ব্যবহার করেন তা কী?
[বর্ণমালা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা]
 পানি শক্তি খ কয়লা
গ পেট্রোলিয়াম ঘ প্রাকৃতিক গ্যাস
১৫. রিসাইক্লিং করলে কী ঘটে? [নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক নবায়নযোগ্য সম্পদ বৃদ্ধি পায় খ নবায়নযোগ্য সম্পদ ধ্বংস হয়
গ সম্পদের অপচয় বন্ধ হয়  সম্পদের অপচয় কম হয়
১৬. মৃত্তিকা সংরক্ষণ পদ্ধতি কেন ব্যবহার করা হয়?
[নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক সম্পদ বৃদ্ধির জন্য খ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য
গ সার ব্যবহারের জন্য  কৃষি মৃত্তিকা রক্ষার জন্য
১৭. সোপন চাষ কোনটির অন্তর্ভুক্ত? [নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ক্লোজ সিস্টেম খ রিসাইক্লিং পদ্ধতি
গ জৈবিক সার  মৃত্তিকা সংরক্ষণ পদ্ধতি
১৮. উন্নত বিশ্বের শতকরা কত ভাগ মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত? [মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ৫০% খ ৬০%
গ ৭০%  ৮০%
১৯. বস্ত্রশিল্প স্থাপনের জন্য কেমন জলবায়ু প্রয়োজন?
[গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃ উচ্চ বিদ্যালয়]
 আর্দ্র খ উষ্ণ
গ শীতল ঘ উষ্ণ ও শীতল
২০. কোথায় নিউজপ্রিন্ট কারখানা আছে? [চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বগুড়া খ কুমিল্লা
গ বরগুনা  খুলনা
২১. কোনটি শিল্প গড়ে ওঠার প্রাকৃতিক নিয়ামক?
[সবুজ কানন স্কুল এন্ড কলেজ, সিরাজগঞ্জ]
ক জলবায়ু খ শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য
 কাঁচামালের সান্নিধ্য ঘ বাজারের সান্নিধ্য
২২. বাংলাদেশে পোশাক শিল্প গড়ে ওঠার প্রধান কারণ কোনটি?
[ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ]
ক বাজারে সান্নিধ্য  সস্তা শ্রমিক
গ শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য ঘ প্রযুক্তিগত কারণে
২৩. শিল্পের আকার অনুসারে শিল্প কত প্রকার?
[রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়]
ক দুই  তিন গ চার ঘ পাঁচ
২৪. কোনটি বৃহৎ শিল্প? [চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক বেকারি কারখানা খ ডেইরি কারখানা
গ সাইকেল কারখানা  জাহাজ শিল্প
২৫. বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য কোনটি? [কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক ভোজ্যতেল  পাট ও পাটজাত দ্রব্য
গ পেট্রোলিয়াম পদার্থ ঘ ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি
২৬. রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হলে তাকে কী বলে?
[আরসিসিআই পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক বাণিজ্যিক ভারসাম্য  বাণিজ্য ঘাটতি
গ বাণিজ্য নীতি ঘ বাণিজ্য উদ্বৃত্ত
২৭. বৃহৎ শিল্পের অন্তর্গত [খিলগাঁও গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
র. লৌহ ও ইস্পাত শিল্প
রর. বস্ত্র শিল্প
ররর. টেলিভিশন কারখানা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 সম্পদের ধারণা;  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা-১২১
¡ যা কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থায় ব্যবহার করা যায় তাই সম্পদ।
¡ সম্পদকে ভাগ করা যায়- প্রাকৃতিক সম্পদ, মানব সম্পদ ও অর্থনৈতিক সম্পদে।
¡ অনবায়নযোগ্য সম্পদ- খুব ধীর গতিতে সৃষ্টি হয়।
¡ নবায়নযোগ্য সম্পদ- পুনঃসংগঠনশীল কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তনশীল।
¡ সংরক্ষণ ধারণার অপর নাম-জীবনাচরণ।
¡ অর্থনীতিবিদদের মতে, সম্পদ অসীম নয়- সসীম।
¡ কৃষি মৃত্তিকা রক্ষা করার জন্য সোপান চাষ, শস্য আবর্তন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
¡ বনায়নের মাধ্যমে মৃত্তিকাকে সংরক্ষণ করা যায়- অকৃষি অঞ্চলে-
¡ পানি শক্তিকে- জলবিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়।
¡ সম্পদ সংরক্ষণের জন্য জরুরি সম্পদের ব্যবহার হ্রাস, সম্পদের পুনব্যবহার ও সম্পদের পুননবায়ন।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৮. যা কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থায় ব্যবহার করা যায় তাকে বলে  (অনুধাবন)
ক বিনিয়োগ  সম্পদ
গ অর্থনৈতিক কাজ ঘ উন্নয়ন
২৯. নিচের কোনটি ব্যবহার ও উত্তোলন জানার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে পরিণত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক পানি শক্তি  পেট্রোলিয়াম
গ সৌরশক্তি ঘ বায়ুশক্তি
৩০. কী কারণে দুটি স্থানের ভ‚মির মূল্য কম বেশি হয়? (অনুধাবন)
 অবস্থানগত খ বৈচিত্র্যগত
গ দূরত্ব ঘ বস্তুগত
৩১. সম্পদ কী? (অনুধাবন)
 বস্তুর কার্যকারিতা খ বস্তুর বিনিময় মূল্য
গ মানুষের চাহিদা পূরণ ঘ অর্থনৈতিক আয়
৩২. প্রাকৃতিক সম্পদকে প্রধানত কত ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন
গ চার ঘ পাঁচ
৩৩. যে সম্পদ খুব ধীরগতিতে সৃষ্টি হয় এবং সরবরাহের পরিমাণ সীমাবদ্ধ, তাকে কী প্রকারের সম্পদ বলে? (জ্ঞান)
ক নবায়নযোগ্য  অনবায়নযোগ্য
গ মানব ঘ অর্থনৈতিক
৩৪. সময়ের উত্তরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এমন সম্পদ কোনটি? (অনুধাবন)
ক খনিজ তেল খ কয়লা
 প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ আকরিক ধাতু
৩৫. নবায়নযোগ্য সম্পদ কোন ধরনের? (অনুধাবন)
 পুনঃসংগঠনশীল খ সীমিত
গ অপরিবর্তনশীল ঘ সসীম
৩৬. জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করা যায় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক সম্পদের জোগান বাড়িয়ে
খ নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য সম্পদ আহরণের দ্বারা
গ সমাজের কুসংস্কার ও কুপ্রথা দূর করে
 উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে
৩৭. কোনটি অনবায়নযোগ্য শক্তি? (জ্ঞান)
ক বায়ুশক্তি খ পানিশক্তি
গ জোয়ারভাটা  জ্বালানি কাঠ
৩৮. সম্পদ সংরক্ষণের জন্য কী প্রয়োজন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 প্রাকৃতিক সম্পদের দীর্ঘ সময়ব্যাপী সর্বোত্তম ব্যবহার
খ রেডিও, টিভি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রাখা
গ ব্যক্তিগত সম্পদ যথেষ্ট ব্যবহার করা
ঘ যন্ত্রপাতি ব্যবহারে যতœশীল হওয়া
৩৯. শিক্ষা, মানবিক বৃত্তি, সত্যাচরণ, ন্যায়বিধান, সত্যানুসন্ধান, কর্তব্যপরায়ণতা বা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার অপর নাম কী? (জ্ঞান)
 সংরক্ষণ খ সীমাবদ্ধতা
গ সৃজনশীলতা ঘ সহনশীলতা
৪০. উত্তম ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক সর্বোচ্চ উৎপাদন খ পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা
গ অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি  সম্পদের উপযোগ সৃষ্টি
৪১. কোন নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকে? (অনুধাবন)
 সৌরশক্তি খ খনিজ তেল
গ প্রাকৃতিক গ্যাস ঘ জ্বালানি কাঠ
৪২. প্রাকৃতিক গ্যাস অপচয় করা উচিত নয় কেন? (অনুধাবন)
ক যোগান অফুরন্ত খ যোগান সীমিত
গ এটি নবায়নযোগ্য  এটি অনবায়নযোগ্য
৪৩. বিভিন্ন ব্যবহৃত বস্তুকে রিসাইক্লিং করা গেলে সম্পদের অপচয় কম হয়। এর উদাহরণ কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ঘানিতে তেল উৎপাদন খ পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন
 আবর্জনা থেকে তেল উৎপাদন ঘ গ্যাস থেকে তেল উৎপাদন
৪৪. মাটি সংরক্ষণের অন্যতম কৌশল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কলকারখানা উঁচু স্থানে স্থাপন করা
খ ময়লা আবর্জনা মাটিতে না ফেলা
 বেশি করে গাছ লাগানো
ঘ মাটিতে সিমেন্টের ঢালাই দেয়া
৪৫. মৃত্তিকা সংরক্ষণের কার্যকর পদক্ষেপ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কৃষি অঞ্চলে বনায়ন  অকৃষি অঞ্চলে বনায়ন
গ বাড়ির আশপাশে বনায়ন ঘ টবে গাছ লাগানো
৪৬. ভ‚মি, পানি ও খনিজ সম্পদের অপচয় রোধ করা গেলে কী হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সম্পদের স্থায়িত্ব কমবে  সম্পদের স্থায়িত্ব বাড়বে
গ সম্পদের উপযোগিতা বাড়বে ঘ সম্পদের উপযোগিতা কমবে
৪৭. ৩জ কী? (অনুধাবন)
ক জবফঁংব, জবঢ়ৎড়ফঁপঃরড়রহ, জবপুপষব
 জবফঁংব, জবঁংব, জবপুপষব
গ জবধৎৎধহমব, জবফঁংব, জবপুপষব
ঘ জবফঁংব, জবঁংব, জবসড়ঃব
৪৮. সম্পদ সংরক্ষণে কয়টি পদ্ধতির ব্যবহার জরুরি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ১ খ ২
 ৩ ঘ ৪
৪৯. সম্পদের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে, এর কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক অর্থনৈতিক ক্ষেত্র বাড়ছে
খ নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা বাড়ছে
গ অনবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা বাড়ছে
 ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা বাড়ছে
৫০. পণ্যসামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় এবং ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যেকোনো মানবীয় আচরণের প্রকাশকে কী বলে? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক উন্নয়ন খ মানব সম্পদ
গ কৃত্রিম সম্পদ  অর্থনৈতিক কার্যাবলি
৫১. অর্থনৈতিক কার্যাবলি কয় ভাগে বিভক্ত? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন
গ চার ঘ পাঁচ
৫২. কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি কাজ করে? (জ্ঞান)
 প্রথম খ তৃতীয়
গ দ্বিতীয় ঘ চতুর্থ
৫৩. বাদশা মিয়া একটি কাঠ চেরাই কারখানায় কাজ করেন। তার কাজটি কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি? (প্রয়োগ)
 প্রথম খ দ্বিতীয়
গ তৃতীয় ঘ প্রথম ও দ্বিতীয়
৫৪. নিচের কোনটি প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত? (অনুধাবন)
 কাঠ আহরণ খ কারখানার শ্রমিক
গ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ঘ জনসেবা
৫৫. খনিজ উত্তোলন কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি? (অনুধাবন)
 প্রথম খ দ্বিতীয়
গ তৃতীয় ঘ দ্বিতীয় ও তৃতীয়
৫৬. নিচের কোনটি প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড? (অনুধাবন)
 কৃষিকার্য ও মৎস্য শিকার খ শিক্ষকতা ও গবেষণা
গ চিকিৎসা ও ব্যাংকিং ঘ রান্নাবান্না ও ব্যবসা
৫৭. বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত? (জ্ঞান)
 প্রথম খ দ্বিতীয়
গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
৫৮. মাটির তলদেশ থেকে লোহা উত্তোলন করে তা থেকে লোহা শলাকা, পেরেক, টিন, ইস্পাত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে পরিণত করা হয়। এটি কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি? (প্রয়োগ)
ক প্রথম  দ্বিতীয়
গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
৫৯. রহিমা পোশাক কারখানায় কাজ করে। সে কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত? (প্রয়োগ)
ক প্রথম  দ্বিতীয় গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
৬০. তুমি কার কাজকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি বলবে? (প্রয়োগ)
ক দোকানদার খ ব্যবসায়ী
 কামার ঘ কৃষক
৬১. জননী বলপেন কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট লুৎফর রহমান। তার অর্থনৈতিক কার্যাবলি কোন পর্যায়ের? (প্রয়োগ)
ক প্রথম খ দ্বিতীয়
 তৃতীয় ঘ চতুর্থ
৬২. জেসমিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিং পেশায় জড়িত আছেন। তিনি কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত? (প্রয়োগ)
ক প্রথম খ দ্বিতীয়  তৃতীয় ঘ চতুর্থ
৬৩. রিকশা চালিয়ে কোনোমতে সংসার চালান আবুল ফজল। তার কাজটি কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি? (প্রয়োগ)
ক প্রথম খ দ্বিতীয়
 তৃতীয় ঘ দ্বিতীয় ও তৃতীয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৪. খুব ধীরগতিতে সৃষ্টি হয় এবং সরবরাহের পরিমাণ সীমাবদ্ধ এমন সম্পদ (প্রয়োগ)
র. খনিজ তেল
রর. প্রাকৃতিক গ্যাস
ররর. কয়লা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৫. সময়ের উত্তরণে প্রভাবিত হয় না, এমন সম্পদ (প্রয়োগ)
র. প্রাকৃতিক গ্যাস
রর. কয়লা
ররর. আকরিক ধাতু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
 রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. সম্পদ ব্যবহারের উত্তম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি  (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্পদ অসীম নয়, সসীম বলে
রর. নবায়নযোগ্য সম্পদ বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে
ররর. জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে পরিণত করা যায় বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, জ্বালানি কাঠ এগুলো (অনুধাবন)
র. অনবায়নযোগ্য শক্তি
রর. প্রাকৃতিক সম্পদ
ররর. বায়ুমণ্ডলের উপাদান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর
গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. মৃত্তিকা সংরক্ষণ পদ্ধতির উদাহরণ (অনুধাবন)
র. সোপান চাষ
রর. শস্য আবর্তন
ররর. জুম চাষ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
 র ও রর ঘ রর ও ররর
৬৯. প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড (অনুধাবন)
র. পশু ও মৎস্য শিকার
রর. কাঠ চেরাই ও পশুপালন
ররর. খনিজ উত্তোলন ও কৃষিকার্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের ছকটি দেখে ৫১ ও ৫২নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৭০. অ ধরনের সম্পদের উদাহরণ কোনগুলো? (প্রয়োগ)
 পানিশক্তি ও বায়ুশক্তি খ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস
গ কয়লা ও জ্বালানি কাঠ ঘ ডিজেল ও অকটেন
৭১. ই ধরনের সম্পদ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. খুব ধীরগতিতে সৃষ্টি হয়
রর. সরবরাহের পরিমাণ সীমাবদ্ধ
ররর. সময়ের উত্তরণে প্রভাবিত হতে পারে আবার নাও হতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর
গ র ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫৩ ও ৫৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দুবলারচরের মোর্শেদ মিঞার বসতভিটা ছাড়া এক বিঘা কৃষি জমি আছে। বসতভিটায় সে দুটি গাভী পালন করে। সে গাভীর গোবর জমিতে ফেলে। ওই জমিতে ফলন ভালো হয়।
৭২. মোর্শেদ মিঞার জমিতে গোবর ব্যবহার কিসের গুরুত্ব বহন করে? (প্রয়োগ)
 মৃত্তিকা সংরক্ষণ খ মাটির উর্বরতা
গ ভ‚মিক্ষয় ঘ পুষ্টি উপাদান
৭৩. মোর্শেদ মিঞার জমিতে উর্বরা শক্তি বজায় থাকে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গোবর সার ব্যবহারে
রর. জৈব সার ব্যবহারে
ররর. রাসায়নিক সার ব্যবহারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও রর ঘ রর ও ররর
নিচের ছকটি দেখে ৫৫ ও ৫৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি মৎস্য শিকার ও পশুপালন
দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি ক
তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি খ
৭৪. ক চি‎িহ্নত স্থানের উপযুক্ত কোনটি? (প্রয়োগ)
ক চিকিৎসকের কাজ
 যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকরণ কাজ
গ আইনজীবীর কাজ
ঘ খুচরা ক্রেতার নিকট পণ্য বিক্রি
৭৫. খ চি‎ি‎হ্নত স্থানের বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রথম পর্যায়ের উৎপাদিত বস্তুর উপযোগিতা বাড়ানো
রর. সেবাকার্য সম্পাদন করা
ররর. প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি কাজ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর
 র ও রর ঘ র, রর ও ররর
 অনুন্নত, উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলি  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১২৩
¡ অর্থনৈতিক সামর্থের উপর বিশ্বকে তিনভাগে ভাগ করা যায় যথা -উন্নত, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল।
¡ অর্থনৈতিক কার্যাবলি তিন ভাগে বিভক্ত- প্রথম পর্যায়, দ্বিতীয় পর্যায় ও তৃতীয় পর্যায়।
¡ পশু শিকার, মৎস্য শিকার, কাঠ চেরাই, পশুপালন, খনিজ উত্তোলন এবং কৃষিকার্য – প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি।
¡ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশসমূহের শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ- প্রথম পর্যায়ের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
¡ উন্নত বিশ্বের শতকরা ৮০ ভাগের উপরে মানুষ- দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
¡ প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে- শিল্প।
¡ খুলনার নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে ওঠেছে- সুন্দরবনের সুন্দরী কাঠের উপর নির্ভর করে।
¡ শিল্পস্থাপনে- মূলধনের প্রভাব বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
¡ পোশাক শিল্প ও পাট শিল্পের জন্য প্রয়োজন- সুদক্ষ অথচ সস্তা শ্রমিকের।
¡ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হচ্ছে- দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম নিয়ামক।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে ওপর বিশ্বকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
ক দুই  তিন গ চার ঘ পাঁচ
৭৭. অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের শতকরা কত ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত? (জ্ঞান)
ক ৩০ থেকে ৫০ খ ৪০ থেকে ৬০
 ৫০ থেকে ৮০ ঘ ৭০ থেকে ৯০
৭৮. দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোন দেশ? (অনুধাবন)
ক কম্বোডিয়া ও কেনিয়া  চীন ও নিউজিল্যান্ড
গ মায়ানমার ও নেপাল ঘ ইথিওপিয়া ও জাম্বিয়া
৭৯. শিল্প গড়ে ওঠার প্রাকৃতিক নিয়ামক কোনটি? (জ্ঞান)
 জলবায়ু খ মূলধন
গ শ্রমিক সরবরাহ ঘ বিনিয়োগ নীতি
৮০. উষ্ণমণ্ডলীয় দেশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দ্বারা কলকারখানার পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। এটি শিল্প গড়ে ওঠার কোন নিয়ামকের অন্তর্ভুক্ত? (প্রয়োগ)
ক সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা  জলবায়ু
গ বাজারের সান্নিধ্য ঘ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার
৮১. কারখানার শ্রমিকরা অল্প শ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়েন কেন? (অনুধাবন)
 ভারী কাজ করার জন্য খ কঠিন ও জটিল কাজ করার জন্য
গ অধিক তাপের জন্য ঘ তীব্র শীতের জন্য
৮২. নাতিশীতোষ্ণমণ্ডলীয় ও শীতপ্রধান দেশের কলকারখানার শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করতে পারে কেন? (অনুধাবন)
ক উত্তম ব্যবস্থাপনার কারণে
খ শক্তি, সামর্থ্য ও ধৈর্য বেশি বলে
গ জীবনযাত্রার মান উঁচু বলে
 জলবায়ুর প্রভাবে শ্রমিকরা প্রভাবিত হয় না বলে
৮৩. রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় বাঁশ ও বেত প্রচুর জšে§। সেখানে কোন শিল্প গড়ে উঠেছে? (প্রয়োগ)
ক বেত খ কুটির
গ তাঁত  কাগজ
৮৪. দেশে কাগজ শিল্প গড়ে উঠতে প্রাকৃতিক কোন নিয়ামক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে? (জ্ঞান)
ক জলবায়ু খ শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য
 কাঁচামালের সান্নিধ্য ঘ স্থানীয় ব্যাপক চাহিদা
৮৫. শিল্প গড়ে ওঠার অর্থনৈতিক নিয়ামকের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ কোনটি?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক শ্রমিক সরবরাহ  কাঁচামালের সান্নিধ্য
গ মূলধন ঘ যোগাযোগ ব্যবস্থা
৮৬. ঘনবসতিপূর্ণ দেশে অধিক শিল্প গড়ে ওঠে কেন? (অনুধাবন)
 প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায় বলে
খ প্রচুর কাঁচামাল পাওয়া যায় বলে
গ প্রচুর মূলধনের সরবরাহ থাকে বলে
ঘ সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে ওঠে বলে
৮৭. বাংলাদেশে বহু পাটকল গড়ে উঠেছে কেন? (অনুধাবন)
ক উন্নয়নশীল দেশ বলে  সুদক্ষ শ্রমিক আছে বলে
গ গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ বলে ঘ শীতকাল সংক্ষিপ্ত বলে
৮৮. শিল্প উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য কী প্রয়োজন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কাঁচামাল খ শক্তি
গ মূলধন  বাজারের সান্নিধ্য
৮৯. শিল্প সাধারণত কোথায় গড়ে ওঠে? (অনুধাবন)
ক নগরের জনবহুল এলাকায় খ গ্রামীণ বসতির নিকটে
 বাজারের সন্নিকটে ঘ আবাসিক এলাকা থেকে দূরে
৯০. বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে অধিক শিল্প গড়ে উঠেছে কেন? (অনুধাবন)
ক বিভাগীয় শহর এখানে অবস্থিত বলে
খ সরকারি বিনিয়োগ নীতি এখানে কার্যকর বলে
 সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে
ঘ নদীর তীরে শহরদ্বয় গড়ে উঠেছে বলে
৯১. শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যতীত একটি দেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। এর উদাহরণ কোন দেশ?
(উচ্চতর দক্ষতা)
ক চীন  বাংলাদেশ
গ জাপান ঘ কোরিয়া
৯২. জাপানের পণ্যের বিশ্বব্যাপী চাহিদা কেন? (অনুধাবন)
ক হালকা বলে খ অধিক টেকসই বলে
গ মূল্য কম বলে  আধুনিক প্রযুক্তির জন্য
৯৩. স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা শিল্প গড়ে ওঠার কোন নিয়ামকের অন্তর্ভুক্ত? (জ্ঞান)
ক প্রাকৃতিক খ সামাজিক
 অর্থনৈতিক ঘ সাংস্কৃতিক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৪. শিল্প গড়ে ওঠার প্রাকৃতিক নিয়ামক হলো (অনুধাবন)
র. শক্তি সম্পদ
রর. সরকারি নীতিমালা
ররর. কাঁচামালের সান্নিধ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫. উন্নয়নশীল দেশসমূহের বৈশিষ্ট্য হলো (অনুধাবন)
র. উন্নত জীবনযাত্রা
রর. প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কাজ
ররর. শ্রমের সহজলভ্যতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
 রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৬. অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলির বৈশিষ্ট্য (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জীবনযাত্রার মান নিচু
রর. মাথাপিছু আয় বেশি
ররর. শিক্ষার হার কম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৭. শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহ হলো (অনুধাবন)
র. মূলধন ও শ্রমিক সরবরাহ
রর. বাজারের সান্নিধ্য ও সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা
ররর. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও সরকারি বিনিয়োগ নীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯৮. পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শিল্প গড়ে ওঠার অর্থনৈতিক নিয়ামক বলার কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠে
রর. পণ্যসামগ্রী বিভিন্ন স্থানে সহজে সরবরাহ করা যায়
ররর. মূলধন বিনিয়োগের সাথে সংশ্লিষ্ট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
 রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৯. খুলনার নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে ওঠার কারণ (অনুধাবন)
র. অনুক‚ল জলবায়ু
রর. সুন্দরবনের সুন্দরী কাঠ
ররর. সুলভ শ্রমিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮২ ও ৮৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইতালির কারখানার শ্রমিকরা বাংলাদেশের শ্রমিকদের তুলনায় দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করতে পারে।
১০০. উভয় দেশের শ্রমিকদের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিতে নিচের কোন নিয়ামকটির ভ‚মিকা সর্বাধিক? (অনুধাবন)
 জলবায়ু খ মূলধন
গ আধুনিক প্রযুক্তি ঘ বিনিয়োগ নীতি
১০১. বাংলাদেশের শ্রমিকদের শ্রমবিমুখ হওয়ার কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আর্দ্র জলবায়ু
রর. তাপমাত্রার তীব্রতা
ররর. অধিক বৃষ্টিপাত
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি দেখে ৮৪ ও ৮৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

১০২. ‘ক’ চি‎িহ্নত স্থানে নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে ওঠার কারণ কী? (প্রয়োগ)
ক উন্নত পরিবহন  কাঁচামালের প্রাপ্যতা
গ সুলভ শ্রমিক ঘ স্থানীয় চাহিদা
১০৩. ‘খ’ চি‎িহ্নত স্থানে নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে তোলা হলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে
রর. সম্পদের সদ্ব্যবহার ঘটবে
ররর. পণ্য পরিবহনে অসুবিধা হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ১২৪
¡ প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে- শিল্প।
¡ শিল্পের আকার অনুসারে একে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়- ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প।
¡ ক্ষুদ্র শিল্পের- কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধন প্রয়োজন।
¡ বৃহৎ শিল্পে- ব্যাপক অবকাঠামো, প্রচুর শ্রমিক ও বিশাল মূলধন প্রয়োজন।
¡ বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি নির্ভর একটি দেশ।
¡ মোট রপ্তানি আয়ের শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ আসে- পোশাক রপ্তানি থেকে-
¡ প্রধান আমদানি অংশীদার হচ্ছে চীন এবং মোট আমদানির শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ।
¡ চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অসম বাণিজ্যক সম্পর্ক বিদ্যমান।
¡ বাংলাদেশ রপ্তানি করে- চা, চামড়া, জুতা, হিমায়িত খাদ্য, কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্য।
¡ বাংলাদেশের অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান চীন ও ভারতের সঙ্গে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৪. কোন অনুষঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট? (প্রয়োগ)
ক কারিগরি জ্ঞান  স্বল্প মূলধন
গ স্বল্প দক্ষতা ঘ অল্প যন্ত্রপাতি
১০৫. বাংলাদেশে ক্ষুদ্র শিল্প কিরূপ মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে? (অনুধাবন)
ক সরকারি খ যৌথ মালিকানাধীনে
গ করপোরেশনের অধীনে  ব্যক্তি মালিকানাধীনে
১০৬. নিয়ামতপুরে জনাব আবদুর রকিব একটি বেকারি কারখানা গড়ে তুললেন। তার কারখানাটি কোন শিল্পের অন্তর্গত? (প্রয়োগ)
ক বৃহৎ খ মাঝারি
 ক্ষুদ্র ঘ ভারী
১০৭. কোন শিল্প দেশের সর্বত্র স্থাপন করা যায়? (জ্ঞান)
 ক্ষুদ্র খ মাঝারি
গ বৃহৎ ঘ ক্ষুদ্র ও মাঝারি
১০৮. কম কাঁচামালে স্বল্প উৎপাদন করে অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় কোন শিল্পে? (প্রয়োগ)
 ক্ষুদ্র শিল্পে খ মাঝারি শিল্পে
গ বৃহৎ শিল্পে ঘ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে
১০৯. মাঝারি শিল্প কমপক্ষে কত শ্রমিকের সমন্বয়ে গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক ৬০ জন খ ৫০ জন
 ১০০ জন ঘ ২০০ জন
১১০. ‘চামড়া শিল্প’ কোন শিল্পের অন্তর্গত? (অনুধাবন)
ক ক্ষুদ্র শিল্প খ কুটির শিল্প
 মাঝারি শিল্প ঘ বৃহৎ শিল্প
১১১. ‘তৈরি পোশাক শিল্প’ কোন ধরনের শিল্প? (অনুধাবন)
ক ক্ষুদ্র শিল্প  মাঝারি শিল্প
গ কুটির শিল্প ঘ বৃহৎ শিল্প
১১২. লোহা ও ইস্পাত শিল্প কোন শিল্পের অন্তর্গত? (অনুধাবন)
ক ক্ষুদ্র শিল্প খ কুটির শিল্প
গ মাঝারি শিল্প  বৃহৎ শিল্প
১১৩. বস্ত্র শিল্প কোন শিল্পের অন্তর্গত? (অনুধাবন)
ক মাঝারি শিল্প খ কুটির শিল্প
গ ক্ষুদ্র শিল্প  বৃহৎ শিল্প
১১৪. ‘মোটরগাড়ি’ কোন ধরনের শিল্প? (অনুধাবন)
ক ক্ষুদ্র শিল্প খ মাঝারি শিল্প
গ কুটির শিল্প  বৃহৎ শিল্প
১১৫. বৃহৎ শিল্পের প্রভাব কোনটি? (অনুধাবন)
ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায়
খ বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়
 অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়
ঘ বাণিজ্যিক ভারসাম্য বজায় থাকে
১১৬. কোন শিল্প সাধারণত শহরের কাছাকাছি স্থানে গড়ে ওঠে? (জ্ঞান)
ক ক্ষুদ্র শিল্প খ মাঝারি শিল্প
 বৃহৎ শিল্প ঘ কুটির শিল্প
১১৭. এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পণ্যদ্রব্যের আদান-প্রদান প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
 আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য খ আমদানি বাণিজ্য
গ রপ্তানি বাণিজ্য ঘ অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য
১১৮. আমদানি ও রপ্তানি কোন ধরনের বাণিজ্য? (জ্ঞান)
ক স্থানীয় বাণিজ্য খ আঞ্চলিক বাণিজ্য
গ অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য  আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
১১৯. দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে পণ্যসামগ্রী আনা হয় তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক রপ্তানি বাণিজ্য খ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
গ অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য  আমদানি বাণিজ্য
১২০. জাপান নিচের কোন পণ্য আমদানি করে? (অনুধাবন)
ক কৃষিজাত পণ্য ও চামড়া খ হিমায়িত খাদ্য ও পাটজাত পণ্য
গ যন্ত্রপাতি ও তুলা  লোহা ও কয়লা
১২১. বাংলাদেশের আমদানি দ্রব্য কোনটি? (অনুধাবন)
ক চাল  যন্ত্রপাতি
গ চা ঘ চামড়া
১২২. বাংলাদেশের প্রধান আমদানি দ্রব্য কোনটি? (অনুধাবন)
 পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ, যন্ত্রাংশ ও ভোজ্যতেল
খ তৈরি পোশাক, পাটজাত দ্রব্য ও হিমায়িত খাদ্য
গ বস্ত্র, সুতা, সার ও রাসায়নিক দ্রব্যাদি
ঘ সিমেন্ট, যানবাহন ও শিল্পজাত দ্রব্যাদি
১২৩. বাংলাদেশ কোন পণ্য দুইটি রপ্তানি করে? (অনুধাবন)
ক সুতা ও জুতা খ তেল ও লোহা
 চা ও জুতা ঘ চাল ও গম
১২৪. বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য কোনটি? (অনুধাবন)
ক পাটজাত দ্রব্য ও চা খ পেট্রোলিয়াম ও ভোজ্যতেল
 তৈরি পোশাক ও কৃষিজাত পণ্য ঘ চামড়া ও যন্ত্রাংশ
১২৫. বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? (অনুধাবন)
 কাঁচামাল রপ্তানি ও শিল্পজাত দ্রব্য আমদানি
খ শিল্পজাত দ্রব্য রপ্তানি ও কাঁচামাল আমদানি
গ বিলাস দ্রব্য রপ্তানি ও কাঁচামাল আমদানি
ঘ বাণিজ্যের ওপর দেশীয় শিল্পের প্রাধান্য
১২৬. অগ্রসর দেশের সঙ্গে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য কেমন থাকে? (অনুধাবন)
ক অনুক‚লে  প্রতিক‚লে
গ সুষম ঘ সংগতিপূর্ণ
১২৭. বাংলাদেশের সাথে চীন ও ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন? (অনুধাবন)
ক উদ্বৃত্ত সম্পর্ক  অসম বাণিজ্য
গ সুষম বাণিজ্য ঘ একচেটিয়া বাণিজ্য
১২৮. বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর একটি দেশ। সুতরাং বাংলাদেশকে কী বলা যায়! (প্রয়োগ)
 বাণিজ্য ঘাটতির দেশ
খ বাণিজ্য উদ্বৃত্তের দেশ
গ সংগতিপূর্ণ বাণিজ্যিক সম্পর্কের দেশ
ঘ সুষম বাণিজ্যিক সম্পর্কের দেশ
১২৯. বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রকৃতি কেমন? (অনুধাবন)
ক সুষম খ সংগতিপূর্ণ
গ প্রতিক‚লে  অনুক‚লে
১৩০. বাংলাদেশ রপ্তানি খাতে যা আয় করে আমদানি খাতে তার চেয়ে বেশি ব্যয় করে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভারসাম্য কেমন? (প্রয়োগ)
ক অনুক‚লে খ সুষম
 প্রতিকুলে ঘ সংগতিপূর্ণ
১৩১. একটি দেশের আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি হলে এটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
 বাণিজ্য উদ্বৃত্ত খ বাণিজ্যিক ভারসাম্য
গ বাণিজ্যিক উন্নয়ন ঘ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য
১৩২. ২০১১-১২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কত মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে? (জ্ঞান)
ক ২১.৪৪ খ ৩৩.৬০
 ৩৪.৮১ ঘ ৩৫.৫২
১৩৩. ২০১১-১২ অর্থবছরে বাংলাদেশ কত মিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে? (জ্ঞান)
 ২৪.৩০ খ ২৭.৪৬
গ ১০.৫১ ঘ ১৩.৬০

বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  ========

জনাব আকমল পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার ছেলে ফয়সাল ব্যাংকার এবং মেয়ে লাবনী চিকিৎসক। [স. বো. ’১৬]
ক. অর্থনৈতিক কার্যাবলি কাকে বলে? ১
খ. আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব আকমলের কার্যাবলিটি কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জনাব আকমলের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং ফয়সাল, লাবনীর কার্যাবলি কি একই পর্যায়ভুক্ত? তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পণ্যসামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় এবং ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো মানবীয় আচরণের প্রকাশই অর্থনৈতিক কার্যাবলি।
খ রপ্তানি ও আমদানি হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। স্বদেশের কোনো পণ্য যখন অন্য কোনো দেশে পাঠানো হয় তখন তাকে বলে রপ্তানি আর দেশের চাহিদা মিটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোনো পণ্য সামগ্রী আনা হয় তখন তাকে বলে আমদানি। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পণ্যের এরূপ আদান-প্রদানকে বলা হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
গ উদ্দীপকে জনাব আকমলের পশুপালন প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। জীবন ধারণের জন্য মানুূষ সরাসরি প্রকৃতির সাথে যেসব কাজে লিপ্ত হয় সেগুলোকে প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বলে। কৃষিকাজ, পশুপালন, খনিজ উত্তোলন, মৎস্য শিকার, কাঠ চেরাই, কৃষিকাজ ইত্যাদি প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অনুন্নত দেশে এ কর্মকাণ্ডের পরিমাণ বেশি। উদ্দীপকে জনাব আকমল পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে যা সরাসরি প্রকৃতির সাথে জড়িত। তাই তার পশুপালন প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকের জনাব আকমলের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং ফয়সাল, লাবনীর কার্যাবলি আলাদা আলাদা পর্যায়ভুক্ত। জনাব আকমলের পশুপালন প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে ফয়সাল ও লাবনীর তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। তৃতীয় পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ উৎপাদন কার্য ব্যতীত অন্যান্য উপায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহের উপযোগিতা বৃদ্ধি করে এবং সেবাকার্য সম্পাদন করে। উদ্দীপকের ফয়সাল ও লাবনী সেবাকার্যের সাথে জড়িত। তারা পণ্য উৎপাদন বা রূপান্তরকরণ কার্যের সাথে জড়িত নয়। বরং ফয়সাল ব্যাংকার এবং লাবনী চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সেবাকার্য করছে যা তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং জনাব আকমল এবং ফয়সাল ও লাবনীর অর্থনৈতিক কার্যাবলি ভিন্ন ভিন্ন।

প্রশ্ন- ২  আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য

নিচের তালিকাটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমদানি বাণিজ্য রপ্তানি বাণিজ্য
খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, পেট্রোলিয়াম, সুতা, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি। তৈরি পোশাক, চিংড়ি, চামড়া, পাটজাতদ্রব্য ও চা।
ব্যয় : ৩৪.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১১-১২) আয় : ২৪.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১১-১২)
[আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার]

ক. বাণিজ্য ঘাটতি কী? ১
খ. ক্ষুদ্র শিল্প বলতে কী বোঝ? ২
গ. উপরের ছকের ভারসাম্য রক্ষার সম্ভাব্য উপায়গুলো কী? ৩
ঘ. বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রকৃতি ছকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম হলে তাকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে।
খ যে শিল্পে কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয় তাই ক্ষুদ্র শিল্প। এ শিল্পে শ্রমিক ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি ও উপকরণের সাহায্যে কাজ সম্পন্ন করে থাকে। কম কাঁচামালে স্বল্প উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের শিল্পগুলো গ্রাম ও শহর এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠে, যেমনÑ তাঁত শিল্প, বেকারি কারখানা, ডেইরি ফার্ম প্রভৃতি।
গ উপরে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি। আমাদের দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয় কম। আর আমদানি হয় বেশি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ভারসাম্য রক্ষায় উপায় গ্রহণ করা যেতে পারে। শিল্পায়নের মাধ্যমে আমদানির পরিমাণ কমাতে হবে। যেসব দ্রব্য আমরা আমদানি করি তার মধ্যে বেশ কয়েকটি পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদন সম্ভব। এসব পণ্য উৎপাদন করে আমদানির পরিমাণ কমানো যেতে পারে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যশস্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে আমাদের খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে না এবং এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আমাদের দেশের শিল্পগুলো কৃষিনির্ভর। তাই কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। শিল্পোৎপাদন বাড়ানো গেলে আমদানি কমে যাবে। আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো গেলে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাণিজ্যিক ভারসাম্য তৈরি হবে। উক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হলে আমাদের অসম বাণিজ্যিক ভারসাম্য কমে ধীরে ধীরে সাম্যাবস্থার দিকে আসবে।
ঘ বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রোটোকল মেনে তাদের জনগণের চাহিদা অনুসারে পণ্য আমদানি এবং উদ্বৃত্ত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। আর এটিকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বলে। আমাদের দেশ রপ্তানির তুলনায় আমদানি করে বেশি। এ কারণে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বিরাজ করছে। আমাদের বাণিজ্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আমাদের বাণিজ্য আমদানিনির্ভর। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির অনুপাতের ভিত্তিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান। (সারণি ১ দ্রষ্টব্য)।
সারণি-১: বাংলাদেশের বিগত বছরগুলোর বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা :
বছর আমদানি (মিলিয়ন ইউএস ডলার) রপ্তানি (মিলিয়ন ইউএস ডলার) রপ্তানি অপেক্ষা আমদানি ব্যয় বেশি
২০০৭-০৮ ২০.৩৭ ১৪.১১ ৬.২৬
২০০৮-০৯ ২১.৪৪ ১৫.৫৭ ৫.৮৭
২০০৯-১০ ৩৩.৬৬ ১৬.২০ ৭.৪৬
২০০১০-১১ ৩৫.৫২ ২২.৯২ ১৩.৬০
২০১১-১২ ৩৪.৮১ ২৪.৩০ ১০.৫১
উৎস : ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতি বছর আমাদের বিশাল অঙ্কের অর্থের পণ্য অতিরিক্ত আমদানি করতে হচ্ছে। আমরা যেসব পণ্য আমদানি করি তার অধিকাংশই শিল্পজাত। অথচ কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ এখন কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতেও সক্ষম নয়। আমাদের কৃষিপণ্যের রপ্তানির পরিমাণ বর্তমানে কমে গেছে। অন্যদিকে শিল্পজাত পণ্যের আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বলা যায়, আমাদের বাণিজ্য পুরোপুরি আমদানিনির্ভর।

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৩  সম্পদ সংরক্ষণের উপায়

রফিক সাহেব তার ছোট ছেলেকে বললেন আমরা নানা কাজে অকাজে সম্পদ অপচয় করি। ‘শোনো, বিনা প্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবে না। অযথা বৈদ্যুতিক পাখা চালাবে না। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার হলে অপচয় রোধ এবং সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।’
ক. সম্পদ সংরক্ষণের অর্থ কী? ১
খ. সম্পদ ব্যবহারের উত্তম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি কেন? ২
গ. ছেলেকে দেওয়া রফিক সাহেবের উপদেশ সম্পদের অপচয় কীভাবে রোধ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কৃষি জমির ক্ষেত্রে রফিক সাহেবের নির্দেশনা কীরূপ হতো বলে তুমি মনে কর। মতামত দাও। ৪

ক সম্পদ সংরক্ষণের অর্থ প্রাকৃতিক সম্পদের এমন ব্যবহার যাতে ওই সম্পদ যথাসম্ভব অধিকসংখ্যক লোকের দীর্ঘ সময়ব্যাপী সর্বাধিক মঙ্গল নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।
খ সম্পদ ব্যবহারের উত্তম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। উত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য সম্পদের বৃদ্ধি সম্ভবপর। অনবায়নযোগ্য সম্পদের স্থলে নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করা যায়। ফলে অনবায়নযোগ্য সম্পদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের হাত থেকে আমরা এগুলো রক্ষা করতে পারি। নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। এছাড়া উত্তম ব্যবস্থাপনার দ্বারা বিভিন্ন ব্যবহৃত বস্তুকে রিসাইক্লিং করে পুনরায় সম্পদরূপে ব্যবহার করা যায়। এতে সম্পদের অপচয় কম হয়।
গ সম্পদ অপচয় রোধ করতে রফিক সাহেব ছেলেকে উপদেশ দেন, গ্যাসের চুলা অপ্রয়োজনে না জ্বালাতে এবং বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখতে। অর্থাৎ তিনি অনবায়নযোগ্য শক্তিকে কম ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করার দিকে লক্ষ রাখেন। কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস করে আমাদেরও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম যেমন বাতি, পাখা, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যবহার করার সময় ছাড়া অন্য সময় এগুলো ‘অফ’ করে রাখতে উপদেশ দেন। দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধ করার জন্য রান্নার সময় ছাড়া বাকি সময় চুলা বন্ধ রাখতে বলেন। দিয়াশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য চুলা জ্বালিয়ে রাখ নিষেধ করেন। এভাবে রফিক সাহেবের উপদেশ সম্পদ অপচয় রোধে সহায়ক।
ঘ উদ্দীপকে রফিক সাহেব সম্পদের অপচয় রোধ ও সঠিক ব্যবহারের নির্দেশনা দেন। সুতরাং কৃষি জমির ক্ষেত্রেও তার নির্দেশনা হবে জ্ঞানমূলক। যেমনÑ অকৃষি অঞ্চলে বনায়নের মাধ্যমে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা যায়; কৃষি জমিতে পর্যাপ্ত জৈব সার যোগ করে মাটির সংযুতির উন্নয়ন করা যায়; কৃষি মৃত্তিকা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন রকমের মৃত্তিকা সংরক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন সোপান চাষ, শস্য আবর্তন; কৃষি জমিতে অজৈব সারের প্রয়োগ সীমিত রাখতে হবে। এগুলোর ব্যবহারে প্রাথমিকভাবে ফলন বাড়লেও পরবর্তীতে অধিক সারের প্রয়োগে জমির ক্ষতি সাধিত হয়। তাই আমাদের ভ‚মি রক্ষায় সচেতন হতে হবে এবং এতে ভ‚মি ক্ষয় রোধ সম্ভব হবে। উদ্দীপকের রফিক সাহেবও এরূপ নির্দেশনাই দেবেন।

প্রশ্ন- ৪  শিল্প গড়ে উঠার নিয়ামক

নিচের মানচিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহের শতকরা কত ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত? ১
খ. কী কী নিয়ামকের উপর ভিত্তি করে শিল্প গড়ে ওঠে? ২
গ. ক অঞ্চলে নিউজপ্রিন্ট কারখানা যেসব প্রাকৃতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩ ৩
ঘ. খ অঞ্চলে পোশাক কারখানা গড়ে ওঠার অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহের শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
খ শিল্প প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। প্রাকৃতিক নিয়ামকগুলো হলো : ১. জলবায়ু, ২. শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য, ৩. কাঁচামালের সান্নিধ্য এবং অর্থনৈতিক নিয়ামকগুলো হলো ৪. মূলধন, ৫. শ্রমিক সরবরাহ, ৬. বাজারের সান্নিধ্য, ৭. সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, ৮. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ৯. সরকারি বিনিয়োগ নীতি, ১০. স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি।
গ ক অঞ্চলের নিউজপ্রিন্ট কারখানা অনুক‚ল জলবায়ু, কাঁচামালের সান্নিধ্য ও শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য এই প্রাকৃতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়ামক অনুক‚লে বলেই ক স্থানে নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। অনুক‚ল জলবায়ুর ওপর শিল্পের অবস্থান নির্ভরশীল। খুলনার নিউজপ্রিন্ট কারখানা সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ জন্মানোর মতো অনুক‚ল জলবায়ু থাকায় গড়ে উঠেছে। শিল্পকারখানার জন্য কাঁচামালের প্রয়োজন। তাই যে স্থানে কাঁচামাল পাওয়া যায়, সেই স্থানে বা এর নিকটে শিল্প গড়ে ওঠে। সুন্দরবনে সুন্দরী কাঠ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলে খুলনায় নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়ামক অনুক‚লে বলেই ক স্থানে নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে।
ঘ খ অঞ্চলটি ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলকে চি‎িহ্নত করছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে। পোশাক শিল্প শ্রমঘন শিল্প। কাজ করার জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। ঢাকায় প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায় বলে এখানে পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে। পোশাকশিল্প স্থাপনে মূলধনের প্রভাব বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ঢাকায় মূলধন সংগ্রহের যথেষ্ট ব্যবস্থা থাকায় এখানে এ শিল্প গড়ে উঠেছে। শিল্পের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য উপযুক্ত চাহিদাসম্পন্ন বাজারের প্রয়োজন হয়। পোশাক শিল্পের জন্য উপযুক্ত রপ্তানিমুখী বাজার সৃষ্টি করা গেছে যা সরাসরি ঢাকার সাথে যোগাযোগ রক্ষায় সুবিধাজনক। শিল্প স্থাপনের জন্য ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা প্রয়োজন। বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। পোশাক শিল্পের জন্য ঢাকাতে আধুনিক প্রযুক্তির সংস্থান করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার পোশাক শিল্পের জন্য কিছু প্রণোদনামূলক নীতি গ্রহণ করছে যা ঢাকাতে পোশাক শিল্প বিকাশে ভ‚মিকা রেখেছে। এভাবে উপর্যুক্ত অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহের জন্য ঢাকায় পোশাক কারখানা বিস্তার লাভ করেছে।

প্রশ্ন- ৫  শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস

ডেইরি ফার্ম, চামড়া শিল্প, বেকারি কারখানা, তৈরি পোশাক শিল্প, কাগজ শিল্প, লোহা ও ইস্পাত শিল্প বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এসব শিল্পের অবদান অপরিসীম।
ক. উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ কী কী অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত আছে? ১
খ. আমাদের দেশের শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে কেন? ২
গ. শিল্পের আকার অনুসারে উদ্দীপকের শিল্পগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উন্নত বিশ্বের জীবনযাত্রার মান উচ্চ হওয়ার কারণ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকার্য, মৎস্য শিকার, পশুপালন, কাঠ আহরণ ইত্যাদি প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত আছে।
খ আমাদের দেশে তাপমাত্রার তীব্রতার কারণে শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আমাদের দেশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের অন্তর্ভুক্ত। গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করে। তাপমাত্রা অনেক সময় ৩৮ সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে। এ অধিক তাপমাত্রার কারণে আমাদের দেশে কলকারখানা গড়ে তোলা কঠিন। কারখানার শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
গ শিল্পের আকার অনুসারে শিল্পকে- ১. ক্ষুদ্র শিল্প, ২. মাঝারি শিল্প ও ৩. বৃহৎ শিল্প এ তিন ভাগে ভাগ করা যায়। উদ্দীপকের শিল্পগুলোর মধ্যে ডেইরি ফার্ম ও বেকারি কারখানা ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্গত। এ ধরনের শিল্পগুলো গ্রাম ও শহর এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠে। এসব শিল্পে কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয়। কম কাঁচামালে স্বল্প উৎপাদন এসব শিল্পের বৈশিষ্ট্য। চামড়া শিল্প ও তৈরি পোশাক শিল্প মাঝারি শিল্পের অন্তর্গত। এসব শিল্প সাধারণত শতাধিক শ্রমিকের সমন্বয়ে গঠিত হয়। কাগজ শিল্প এবং লোহা ও ইস্পাত শিল্প বৃহৎ শিল্পের অন্তর্গত। এসব শিল্পের জন্য ব্যাপক অবকাঠামো, প্রচুর শ্রমিক ও বিশাল মূলধনের প্রয়োজন হয়। শহরের কাছাকাছি স্থানে সাধারণত এ ধরনের শিল্প গড়ে ওঠে।
ঘ উদ্দীপকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পের উল্লেখ করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার এসব শিল্পের অবদান অপরিসীম বলা হয়েছে। বস্তুত আমরা এখনও শিল্পে তেমন উন্নত নই তবে অগ্রগতি আশার সঞ্চার করে। উদ্দীপকের এ ইঙ্গিতে সহজেই বোঝা যায় এবং বাস্তবতাও এই যে উন্নত দেশগুলো শিল্পে উন্নত বলেই তাদের জীবনযাত্রার মান উচ্চ। মূলত উন্নত দেশে মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প গড়ে ওঠায় তাদের জীবনযাত্রার মান অনুন্নত দেশের তুলনায় উন্নত। এসব শিল্প স্থাপনের ফলে উন্নত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে, বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় এবং হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এসব শিল্প ক্ষুদ্র শিল্পে উৎপাদিত পণ্যেরও উপযোগিতা বৃদ্ধি করে। তারা উৎপাদিত পণ্যের উদ্বৃত্তাংশ অনুন্নত দেশে প্রেরণ করে ওই বস্তুর উপযোগিতা বাড়িয়ে তোলে এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে। উন্নত দেশের অধিকাংশ লোক কারখানার শ্রমিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স, ব্যবসা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, রাজনীতি, গবেষণা ও জনসেবায় নিয়োজিত থাকে। সুতরাং মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কারণে উন্নত বিশ্বের জীবনযাত্রার মান অনুন্নত দেশের তুলনায় উন্নত।

প্রশ্ন- ৬  অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহ

জনাব আরমান একজন শিল্পোদ্যক্তা। তিনি কৃষিনির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। বাংলাদেশের জন্য তিনি এ ধরনের শিল্পকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি মূলধন, বিনিয়োগ নীতি ও আধুনিক প্রযুক্তির আনুক‚ল্যকে অবশ্য প্রয়োজনীয় মনে করেন। তিনি তার গ্রামে ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়ন ঘটানোতেও তৎপর। তার এ কাজটিও দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তিনি বিবেচনা করেন।
ক. বস্ত্র শিল্প কোন ধরনের শিল্প? ১
খ. আমাদের দেশে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় কেন? ২
গ. জনাব আরমান কৃষিনির্ভর শিল্প বিকাশে কী কী অর্থনৈতিক নিয়ামকের ভ‚মিকা জরুরি মনে করেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নিজ গ্রামে জনাব আরমানের তৎপরতার গুরুত্ব সম্পর্কে উদ্দীপকের বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪

ক বস্ত্র শিল্প বৃহৎ আকারের শিল্প।
খ উষ্ণমণ্ডলীয় জলবায়ুর কারণে আমাদের দেশে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। অধিক তাপমাত্রার কারণে উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলোতে কলকারখানা গড়ে তোলা কঠিন। কারণ কারখানার শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এতে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
গ উদ্দীপকের জনাব আরমান একজন শিল্পোদ্যক্তা হিসেবে কৃষিনির্ভর শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে মূলধন, বিনিয়োগ নীতি ও প্রযুক্তির আনুক‚ল্যকে অবশ্য প্রয়োজনীয় মনে করেন।
মূলধন : কৃষিনির্ভর শিল্প স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত মূলধন অপরিহার্য। শিল্প উদ্যোক্তাগণ যাতে সহজশর্তে ঋণ লাভে সক্ষম হয় সেজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা থাকা দরকার।
বিনিয়োগ নীতি : সহায়ক বিনিয়োগ নীতি দ্বারা কৃষিভিত্তিক শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করা যায়। কোনো দেশের ঘোষিত বিনিয়োগ নীতি বিনিয়োগকারীদের যত অনুক‚ল হয়, শিল্প স্থাপনের সংখ্যাও তত বৃদ্ধি পায়।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার : বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর শিল্প কারখানার জন্য উপযুক্ত ও উন্নত প্রযুক্তি একান্ত অপরিহার্য। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে।
সুনির্দিষ্ট শিল্পনীতি ও শিল্পোন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় উপরিউক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে বাংলাদেশে কৃষিনির্ভর শিল্পোন্নয়নের পথ সুগম হবে। জনাব আরমান এমনটিই মনে করেন।
ঘ নিজ গ্রামে ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে জনাব আরমান তৎপর। বস্ত্তু বাংলাদেশে কৃষি জমি সীমিত এবং বৃহৎ শিল্প অনুন্নত। তাই দেশের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র শিল্পের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। যেমনÑ
বেকার সমস্যা লাঘব : বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শ্রমশক্তি বেকার। এই অবস্থায় ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়ন ঘটলে শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিতদের জন্য স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে।
কৃষিতে চাপ হ্রাস : ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানো হলে কৃষির ওপর যে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ রয়েছে তা এসব শিল্পে স্থানান্তরিত হবে।
দেশীয় কাঁচামালের সদ্ব্যবহার : বাংলাদেশে পাট, চা, চামড়া, বাঁশ, বেত, কাঠ এবং অন্যান্য বহুবিধ কাঁচামাল পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র শিল্পে এসবের সদ্ব্যবহার হলে দেশের উৎপাদন ও আয় বাড়বে।
মূলধনের সমস্যা লাঘব : বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ও সঞ্চয় বেশ কম। ফলে এদেশের বৃহৎ শিল্পে মূলধনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই এখানে স্বল্প মূলধন নির্ভর ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নই বেশি সুবিধাজনক।
সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন : বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পগুলো শহরাঞ্চলে স্থাপিত হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রধানত শহরকেন্দ্রিক। দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসার ঘটাতে হবে।
সুতরাং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে জনাব আরমানের তৎপরতার গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক।

প্রশ্ন- ৭  বাণিজ্যিক ভারসাম্য ও উন্নয়নের সম্পর্ক

বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থবছরে রপ্তানি আয় এবং আমদানি ব্যয়ের চিত্র নিচের সারণিতে দেখানো হলো :
মিলিয়ন ইউএস ডলার
অর্থ বছর রপ্তানি আয় আমদানি ব্যয়
২০০৯-১০ ১৬.২০ ৩৩.৬৬
২০১০-১১ ২২.৯২ ৩৫.৫২
২০১১-১২ ২৪.৩০ ৩৪.৮১
উৎস : ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক।

ক. চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কী ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান? ১
খ. রপ্তানি ও আমদানি কোন ধরনের বাণিজ্য? ২
গ. সারণিতে প্রদত্ত তথ্য স্তম্ভ লেখচিত্রে রূপ দাও। ৩
ঘ. বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের এরূপ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ কর। ৪

ক চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান।
খ রপ্তানি ও আমদানি হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। স্বদেশের কোনো পণ্য যখন অন্য কোনো দেশে পাঠানো হয় তখন তাকে বলে রপ্তানি আর দেশের চাহিদা মিটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোনো পণ্য সামগ্রী আনা হয় তখন তাকে বলে আমদানি। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পণ্যের এরূপ আদান-প্রদানকে বলা হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
গ সারণিতে প্রদত্ত তথ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয় দেখানো হয়েছে। স্তম্ভ লেখচিত্রে নিচে তা দেখানো হলো:

স্তম্ভচিত্র : বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়।
ঘ সারণি থেকে দেখা যাচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয়ের সঙ্গে আমদানি ব্যয়ে ঘাটতি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রপ্তানি আয়ের এরূপ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত
শিল্পজাত দ্রব্য উৎপাদন বৃদ্ধি : রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে কৃষিজাত এবং শিল্পজাত দ্রব্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
খাদ্যশস্য আমদানি হ্রাস : উচ্চ ফলনশীল ধান ও গমের প্রবর্তন, কৃষিতে বিনিয়োগ, উৎপাদন বৃদ্ধি, পতিত জমি কৃষির অন্তর্গতকরণ, একই জমিতে বছরে অধিক ফসল উৎপাদন প্রভৃতি প্রচেষ্টার মাধ্যমে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং আমদানি হ্রাসের প্রবণতা কমাতে হবে।
রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ : বর্তমানে প্রচলিত পণ্য রপ্তানির সাথে অপ্রচলিত পণ্য সংযোজনের মাধ্যমে রপ্তানিকৃত পণ্যের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
বাণিজ্যিক এলাকার বিস্তৃতি : নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বাণিজ্যিক এলাকার স¤প্রসারণ ঘটাতে হবে।
পণ্যের মান উন্নয়ন : আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মান উন্নত করলে বিশ্ববাজারে আমাদের পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।
উৎপাদন ব্যয় হ্রাস : উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস করা যায়। উৎপাদন ব্যয় হ্রাস হলে কম মূল্যে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করা যায়। ফলে বিদেশে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং বাজার স¤প্রসারণ হবে।
রপ্তানিই আনে সমৃদ্ধি। বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ নিলে আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয়ের ঘাটতি অনেকটাই হ্রাস করতে সক্ষম হবে।

প্রশ্ন- ৮  বাণিজ্যিক ভারসাম্য

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির অনুপাতের ভিত্তিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান।
ক. বাণিজ্যিক ভারসাম্য কী? ১
খ. বাণিজ্যিক ভারসাম্য কেন ঘটে? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশটিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান কেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অনুন্নত দেশসমূহে উদ্দীপকে উল্লিখিত বাণিজ্য পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে এ বক্ত্যব্যের সাথে তুমি একমত কিনা? মতামত দাও। ৪

ক কোনো দেশে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে যখন ভারসাম্য বিদ্যমান থাকে তখন তাকে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বলে।
খ আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান থাকলে তাকে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান। যখন কোনো দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হয়ে থাকে, তখন বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা ঘটে। আবার অর্থনৈতিক সংকটের কারণেও বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা ঘটে থাকে। এছাড়াও সম্পদের স্বল্পতার কারণে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
গ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যও সমান নয়। অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান তথা দেশটিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান। তবে এ ঋণাত্মক ভারসাম্য সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিবেচ্য। উদাহরণস্বরূপ চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। কারণ এসব দেশ থেকে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে থাকে। এটাকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে। অন্যদিকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সাথেও বাণিজ্যে উদ্বৃত অবস্থানে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির অনুপাতের ভিত্তিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান।
ঘ উদ্দীপকে ঋণাত্মক বাণিজ্য পরিস্থিতি বর্ণিত হয়েছে যা অনুন্নত দেশসমূহের বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীর কোনো দেশই সকল সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রোটোকল মেনে তাদের জনগণের চাহিদা অনুসারে পণ্য আমদানি এবং উদ্বৃত্ত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। এটাকে আমরা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বলে থাকি। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য সমান নয়। যখন রপ্তানির তুলনায় কোনো দেশে পণ্য আমদানি বেশি হয় তখনই বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। আর এ বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা মূলত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লক্ষ করা যায়। মূলত অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর দেশের সাথে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। বিশেষ করে অনুন্নত দেশগুলোতে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা প্রকট হয়ে ওঠে। কারণ, সেসব দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বলে শিল্প স্থাপনের জন্য মূলধন জোগাড় করতে পারে না। অনুন্নত দেশগুলোতে সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ নীতি ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজমান থাকে না। এছাড়া বিরূপ আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সম্পদের অভাবও রয়েছে। সর্বোপরি প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহের অভাব লক্ষ করা যায়। উন্নত দেশসমূহে এসব সমস্যা থাকে না, কিন্তু অনুন্নত দেশসমূহে উপরিউক্ত কারণে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান থাকে।
 অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৯  সম্পদের শ্রেণিবিন্যাস

নিচের তালিকাটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জ্বালানি কাঠ কাচ লবণ
লোহা তামা পানি
বেল চিনি চাল
ডাল সূর্যের আলো বায়ু
ছাগল ভেড়া গরু
মানুষ কয়লা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

ক. সময়ের উত্তরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এমন একটি সম্পদের উদাহরণ দাও। ১
খ. প্রাকৃতিক গ্যাসকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলা হয় কেন? ২
গ. তালিকার সম্পদগুলো নিয়ে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে একটি শ্রেণিবিন্যাস তৈরি কর। ৩
ঘ. তোমার কৃত শ্রেণিবিন্যাসে প্রাকৃতিক সম্পদের আরও বিভাজন করে থাকলে তার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সময়ের উত্তরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এমন একটি সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।
খ খনি থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণ করে নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা হয়। খনি থেকে একবার উত্তোলনের পর সেখানে আর প্রাকৃতিক গ্যাস সৃষ্টি হয় না। অথচ প্রতিটি উৎপাদন কাজে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়ছে। একদিকে এর চাহিদা বাড়ছে কিন্তু যোগান বাড়ছে না। দিন দিন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে যা আর নতুন করে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এজন্য প্রাকৃতিক গ্যাসকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলা হয়।
গ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে সম্পদকে প্রাথমিকভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- ১. প্রাকৃতিক সম্পদ, ২. মানব সম্পদ ও ৩. অর্থনৈতিক সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তালিকার সম্পদগুলো নিয়ে এ আলোকে সম্পদের একটি শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করা হলো :

ঘ আমার করা সম্পদের শ্রেণিবিন্যাসে প্রাকৃতিক সম্পদকে আরও তিনভাগে ভাগ করেছি। মূলত প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সব প্রাকৃতিক সম্পদ সৃষ্টি ও ব্যবহারের দিক দিয়ে একরূপ নয়। তাই এর শ্রেণিবিভাজন করাই সমীচীন। প্রকৃতি থেকে আমরা যা কিছু পাই সেগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ। উদ্দীপকের তালিকার নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য সম্পদগুলো প্রকৃতিতে বিদ্যমান। এগুলো সবই আমাদের জীবনে নানা কাজে লাগে। এগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু সৃষ্টি ও ব্যবহারগত ভিন্নতায় এদের পার্থক্য বিস্তর। আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পদ হিসেবে খুবই মূল্যবান। বিশেষ করে বর্তমানে পর্যটন শিল্পে; কিন্তু তা সৃষ্টির দিক দিয়ে চিরকালীন। তাই একে অন্যান্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর বুকে প্রাণী জীবন রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। নবায়নযোগ্য সম্পদ বলতে বোঝায় সেই জাতীয় সম্পদ, যা মূলত পুনঃসংগঠনশীল, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তারা বিশেষভাবে পরিবর্তনশীল। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো উদ্দীপকের নবায়নযোগ্য সম্পদগুলো তথা সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও পানিশক্তি। অনবায়নযোগ্য সম্পদ খুব ধীরগতিতে সৃষ্টি হয় এবং তাদের সরবরাহের পরিমাণ সীমাবদ্ধ। উদ্দীপকের অনবায়নযোগ্য সম্পদগুলোও প্রকৃতির দান। যেমন : জ্বালানি কাঠ, কয়লা, লোহা, তামা। সুতরাং তালিকার নবায়নযোগ্য, অনবায়নযোগ্য ও অন্যান্য সম্পদ হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদের শ্রেণিবিভাগ যুক্তিযুক্ত।

প্রশ্ন- ১০  অর্থনৈতিক কার্যাবলি

দোকানদার, কামার, শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী, নার্স সবাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এসব জনসমষ্টির কার্যাবলি অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।
ক. অর্থনৈতিক কার্যাবলি কী? ১
খ. প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় পর্যায়ে জড়িত জনসমষ্টির কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত তৃতীয় পর্যায়ে জড়িত জনসমষ্টির বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পণ্যসামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় এবং ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো মানবীয় আচরণের প্রকাশই অর্থনৈতিক কার্যাবলি।
খ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি কাজ করে। যেমন : কৃষিকার্যের ক্ষেত্রে মানুষ বীজ বপন করে, প্রকৃতি এই বীজকে অঙ্কুরিত করে শস্যে পরিণত করে। প্রকৃতির এই অবদান মানুষ পুরস্কারস্বরূপ গ্রহণ করে। পশু শিকার, মৎস্য শিকার, কাঠ চেরাই, পশুপালন, খনিজ উত্তোলন এবং কৃষিকার্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
গ উদ্দীপকে দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে জড়িত জনসমষ্টি হলো কামার শ্রেণির মানুষ। দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ তার প্রথম পর্যায়ের কার্যাবলি দ্বারা উৎপাদিত সামগ্রীকে গঠন করে, আকার পরিবর্তন করে এবং উপযোগিতা বৃদ্ধি করে। কামার পেশাগতভাবে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার্য লৌহজাত সামগ্রী তৈরি করেন। এক্ষেত্রে প্রকৃতির মধ্যে লৌহ খনিজ উত্তোলনে যারা জড়িত আছেন তাদের উৎপাদিত লৌহ তারা ব্যবহার করেন। এজন্য তাদের কার্যাবলি দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্গত। কামার স¤প্রদায়ের মানুষ কাঁচা লোহা কিনে এনে এর আকার পরিবর্তন করে উপযোগিতা বৃদ্ধি করে। কামারদের প্রস্তুতকৃত সামগ্রীর মধ্যে দা, কোদাল, কুড়াল, শাবল, বঁটি, পেরেক, ছুরি, চিমটি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সুতরাং কামার শ্রেণির মানুষদের কার্যাবলি দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি।
ঘ উদ্দীপকে তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে জড়িত জনসমষ্টি হলো দোকানদার, নার্স, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী স¤প্রদায়ের মানুষ। তৃতীয় পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহের উপযোগিতা বৃদ্ধি করে এবং সেবাকার্য সম্পাদন করেন। দোকানদার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহ কিনে আনেন এবং বিক্রি করেন। নার্স ও শিক্ষক সেবাকার্য সম্পাদন করেন। এক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে অর্জিত জ্ঞান তারা বিতরণ করেন। ব্যবসায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহের উপযোগিতা বৃদ্ধি করেন। কোনো অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যের উদ্বৃত্তাংশ ঘাটতি অঞ্চলে প্রেরণ করে ওই বস্তুর উপযোগিতা বাড়িয়ে তোলেন। সুতরাং দোকানদার, নার্স, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীর বৈশিষ্ট্যাবলি তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  ========

জনাব আকমল পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার ছেলে ফয়সাল ব্যাংকার এবং মেয়ে লাবনী চিকিৎসক। [স. বো. ’১৬]
ক. অর্থনৈতিক কার্যাবলি কাকে বলে? ১
খ. আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব আকমলের কার্যাবলিটি কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জনাব আকমলের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং ফয়সাল, লাবনীর কার্যাবলি কি একই পর্যায়ভুক্ত? তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পণ্যসামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় এবং ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো মানবীয় আচরণের প্রকাশই অর্থনৈতিক কার্যাবলি।
খ রপ্তানি ও আমদানি হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। স্বদেশের কোনো পণ্য যখন অন্য কোনো দেশে পাঠানো হয় তখন তাকে বলে রপ্তানি আর দেশের চাহিদা মিটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোনো পণ্য সামগ্রী আনা হয় তখন তাকে বলে আমদানি। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পণ্যের এরূপ আদান-প্রদানকে বলা হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
গ উদ্দীপকে জনাব আকমলের পশুপালন প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। জীবন ধারণের জন্য মানুূষ সরাসরি প্রকৃতির সাথে যেসব কাজে লিপ্ত হয় সেগুলোকে প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বলে। কৃষিকাজ, পশুপালন, খনিজ উত্তোলন, মৎস্য শিকার, কাঠ চেরাই, কৃষিকাজ ইত্যাদি প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অনুন্নত দেশে এ কর্মকাণ্ডের পরিমাণ বেশি। উদ্দীপকে জনাব আকমল পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে যা সরাসরি প্রকৃতির সাথে জড়িত। তাই তার পশুপালন প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকের জনাব আকমলের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং ফয়সাল, লাবনীর কার্যাবলি আলাদা আলাদা পর্যায়ভুক্ত। জনাব আকমলের পশুপালন প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে ফয়সাল ও লাবনীর তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। তৃতীয় পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ উৎপাদন কার্য ব্যতীত অন্যান্য উপায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহের উপযোগিতা বৃদ্ধি করে এবং সেবাকার্য সম্পাদন করে। উদ্দীপকের ফয়সাল ও লাবনী সেবাকার্যের সাথে জড়িত। তারা পণ্য উৎপাদন বা রূপান্তরকরণ কার্যের সাথে জড়িত নয়। বরং ফয়সাল ব্যাংকার এবং লাবনী চিকিৎসক হিসেবে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সেবাকার্য করছে যা তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং জনাব আকমল এবং ফয়সাল ও লাবনীর অর্থনৈতিক কার্যাবলি ভিন্ন ভিন্ন।

প্রশ্ন- ২  আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য

নিচের তালিকাটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমদানি বাণিজ্য রপ্তানি বাণিজ্য
খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, পেট্রোলিয়াম, সুতা, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি। তৈরি পোশাক, চিংড়ি, চামড়া, পাটজাতদ্রব্য ও চা।
ব্যয় : ৩৪.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১১-১২) আয় : ২৪.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১১-১২)
[আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার]

ক. বাণিজ্য ঘাটতি কী? ১
খ. ক্ষুদ্র শিল্প বলতে কী বোঝ? ২
গ. উপরের ছকের ভারসাম্য রক্ষার সম্ভাব্য উপায়গুলো কী? ৩
ঘ. বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রকৃতি ছকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম হলে তাকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে।
খ যে শিল্পে কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয় তাই ক্ষুদ্র শিল্প। এ শিল্পে শ্রমিক ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি ও উপকরণের সাহায্যে কাজ সম্পন্ন করে থাকে। কম কাঁচামালে স্বল্প উৎপাদন করা হয়। এই ধরনের শিল্পগুলো গ্রাম ও শহর এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠে, যেমনÑ তাঁত শিল্প, বেকারি কারখানা, ডেইরি ফার্ম প্রভৃতি।
গ উপরে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি। আমাদের দেশ থেকে পণ্য রপ্তানি হয় কম। আর আমদানি হয় বেশি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ভারসাম্য রক্ষায় উপায় গ্রহণ করা যেতে পারে। শিল্পায়নের মাধ্যমে আমদানির পরিমাণ কমাতে হবে। যেসব দ্রব্য আমরা আমদানি করি তার মধ্যে বেশ কয়েকটি পণ্য আমাদের দেশে উৎপাদন সম্ভব। এসব পণ্য উৎপাদন করে আমদানির পরিমাণ কমানো যেতে পারে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যশস্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে আমাদের খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে না এবং এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। আমাদের দেশের শিল্পগুলো কৃষিনির্ভর। তাই কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। শিল্পোৎপাদন বাড়ানো গেলে আমদানি কমে যাবে। আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো গেলে রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বাণিজ্যিক ভারসাম্য তৈরি হবে। উক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হলে আমাদের অসম বাণিজ্যিক ভারসাম্য কমে ধীরে ধীরে সাম্যাবস্থার দিকে আসবে।
ঘ বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রোটোকল মেনে তাদের জনগণের চাহিদা অনুসারে পণ্য আমদানি এবং উদ্বৃত্ত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। আর এটিকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বলে। আমাদের দেশ রপ্তানির তুলনায় আমদানি করে বেশি। এ কারণে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বিরাজ করছে। আমাদের বাণিজ্যের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আমাদের বাণিজ্য আমদানিনির্ভর। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির অনুপাতের ভিত্তিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান। (সারণি ১ দ্রষ্টব্য)।
সারণি-১: বাংলাদেশের বিগত বছরগুলোর বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা :
বছর আমদানি (মিলিয়ন ইউএস ডলার) রপ্তানি (মিলিয়ন ইউএস ডলার) রপ্তানি অপেক্ষা আমদানি ব্যয় বেশি
২০০৭-০৮ ২০.৩৭ ১৪.১১ ৬.২৬
২০০৮-০৯ ২১.৪৪ ১৫.৫৭ ৫.৮৭
২০০৯-১০ ৩৩.৬৬ ১৬.২০ ৭.৪৬
২০০১০-১১ ৩৫.৫২ ২২.৯২ ১৩.৬০
২০১১-১২ ৩৪.৮১ ২৪.৩০ ১০.৫১
উৎস : ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতি বছর আমাদের বিশাল অঙ্কের অর্থের পণ্য অতিরিক্ত আমদানি করতে হচ্ছে। আমরা যেসব পণ্য আমদানি করি তার অধিকাংশই শিল্পজাত। অথচ কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ এখন কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতেও সক্ষম নয়। আমাদের কৃষিপণ্যের রপ্তানির পরিমাণ বর্তমানে কমে গেছে। অন্যদিকে শিল্পজাত পণ্যের আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বলা যায়, আমাদের বাণিজ্য পুরোপুরি আমদানিনির্ভর।

 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৩  সম্পদ সংরক্ষণের উপায়

রফিক সাহেব তার ছোট ছেলেকে বললেন আমরা নানা কাজে অকাজে সম্পদ অপচয় করি। ‘শোনো, বিনা প্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবে না। অযথা বৈদ্যুতিক পাখা চালাবে না। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার হলে অপচয় রোধ এবং সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।’
ক. সম্পদ সংরক্ষণের অর্থ কী? ১
খ. সম্পদ ব্যবহারের উত্তম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি কেন? ২
গ. ছেলেকে দেওয়া রফিক সাহেবের উপদেশ সম্পদের অপচয় কীভাবে রোধ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কৃষি জমির ক্ষেত্রে রফিক সাহেবের নির্দেশনা কীরূপ হতো বলে তুমি মনে কর। মতামত দাও। ৪

ক সম্পদ সংরক্ষণের অর্থ প্রাকৃতিক সম্পদের এমন ব্যবহার যাতে ওই সম্পদ যথাসম্ভব অধিকসংখ্যক লোকের দীর্ঘ সময়ব্যাপী সর্বাধিক মঙ্গল নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।
খ সম্পদ ব্যবহারের উত্তম ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি। উত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য সম্পদের বৃদ্ধি সম্ভবপর। অনবায়নযোগ্য সম্পদের স্থলে নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করা যায়। ফলে অনবায়নযোগ্য সম্পদের সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের হাত থেকে আমরা এগুলো রক্ষা করতে পারি। নবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। এছাড়া উত্তম ব্যবস্থাপনার দ্বারা বিভিন্ন ব্যবহৃত বস্তুকে রিসাইক্লিং করে পুনরায় সম্পদরূপে ব্যবহার করা যায়। এতে সম্পদের অপচয় কম হয়।
গ সম্পদ অপচয় রোধ করতে রফিক সাহেব ছেলেকে উপদেশ দেন, গ্যাসের চুলা অপ্রয়োজনে না জ্বালাতে এবং বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখতে। অর্থাৎ তিনি অনবায়নযোগ্য শক্তিকে কম ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করার দিকে লক্ষ রাখেন। কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস করে আমাদেরও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম যেমন বাতি, পাখা, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি ব্যবহার করার সময় ছাড়া অন্য সময় এগুলো ‘অফ’ করে রাখতে উপদেশ দেন। দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধ করার জন্য রান্নার সময় ছাড়া বাকি সময় চুলা বন্ধ রাখতে বলেন। দিয়াশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য চুলা জ্বালিয়ে রাখ নিষেধ করেন। এভাবে রফিক সাহেবের উপদেশ সম্পদ অপচয় রোধে সহায়ক।
ঘ উদ্দীপকে রফিক সাহেব সম্পদের অপচয় রোধ ও সঠিক ব্যবহারের নির্দেশনা দেন। সুতরাং কৃষি জমির ক্ষেত্রেও তার নির্দেশনা হবে জ্ঞানমূলক। যেমনÑ অকৃষি অঞ্চলে বনায়নের মাধ্যমে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা যায়; কৃষি জমিতে পর্যাপ্ত জৈব সার যোগ করে মাটির সংযুতির উন্নয়ন করা যায়; কৃষি মৃত্তিকা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন রকমের মৃত্তিকা সংরক্ষণ পদ্ধতির ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন সোপান চাষ, শস্য আবর্তন; কৃষি জমিতে অজৈব সারের প্রয়োগ সীমিত রাখতে হবে। এগুলোর ব্যবহারে প্রাথমিকভাবে ফলন বাড়লেও পরবর্তীতে অধিক সারের প্রয়োগে জমির ক্ষতি সাধিত হয়। তাই আমাদের ভ‚মি রক্ষায় সচেতন হতে হবে এবং এতে ভ‚মি ক্ষয় রোধ সম্ভব হবে। উদ্দীপকের রফিক সাহেবও এরূপ নির্দেশনাই দেবেন।

প্রশ্ন- ৪  শিল্প গড়ে উঠার নিয়ামক

নিচের মানচিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহের শতকরা কত ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত? ১
খ. কী কী নিয়ামকের উপর ভিত্তি করে শিল্প গড়ে ওঠে? ২
গ. ক অঞ্চলে নিউজপ্রিন্ট কারখানা যেসব প্রাকৃতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩ ৩
ঘ. খ অঞ্চলে পোশাক কারখানা গড়ে ওঠার অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশসমূহের শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
খ শিল্প প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। প্রাকৃতিক নিয়ামকগুলো হলো : ১. জলবায়ু, ২. শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য, ৩. কাঁচামালের সান্নিধ্য এবং অর্থনৈতিক নিয়ামকগুলো হলো ৪. মূলধন, ৫. শ্রমিক সরবরাহ, ৬. বাজারের সান্নিধ্য, ৭. সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, ৮. আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, ৯. সরকারি বিনিয়োগ নীতি, ১০. স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি।
গ ক অঞ্চলের নিউজপ্রিন্ট কারখানা অনুক‚ল জলবায়ু, কাঁচামালের সান্নিধ্য ও শক্তি সম্পদের সান্নিধ্য এই প্রাকৃতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়ামক অনুক‚লে বলেই ক স্থানে নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। অনুক‚ল জলবায়ুর ওপর শিল্পের অবস্থান নির্ভরশীল। খুলনার নিউজপ্রিন্ট কারখানা সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ জন্মানোর মতো অনুক‚ল জলবায়ু থাকায় গড়ে উঠেছে। শিল্পকারখানার জন্য কাঁচামালের প্রয়োজন। তাই যে স্থানে কাঁচামাল পাওয়া যায়, সেই স্থানে বা এর নিকটে শিল্প গড়ে ওঠে। সুন্দরবনে সুন্দরী কাঠ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বলে খুলনায় নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে। অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিয়ামক অনুক‚লে বলেই ক স্থানে নিউজপ্রিন্ট কারখানা গড়ে উঠেছে।
ঘ খ অঞ্চলটি ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলকে চি‎িহ্নত করছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে। পোশাক শিল্প শ্রমঘন শিল্প। কাজ করার জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। ঢাকায় প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায় বলে এখানে পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে। পোশাকশিল্প স্থাপনে মূলধনের প্রভাব বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ঢাকায় মূলধন সংগ্রহের যথেষ্ট ব্যবস্থা থাকায় এখানে এ শিল্প গড়ে উঠেছে। শিল্পের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য উপযুক্ত চাহিদাসম্পন্ন বাজারের প্রয়োজন হয়। পোশাক শিল্পের জন্য উপযুক্ত রপ্তানিমুখী বাজার সৃষ্টি করা গেছে যা সরাসরি ঢাকার সাথে যোগাযোগ রক্ষায় সুবিধাজনক। শিল্প স্থাপনের জন্য ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা প্রয়োজন। বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। পোশাক শিল্পের জন্য ঢাকাতে আধুনিক প্রযুক্তির সংস্থান করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার পোশাক শিল্পের জন্য কিছু প্রণোদনামূলক নীতি গ্রহণ করছে যা ঢাকাতে পোশাক শিল্প বিকাশে ভ‚মিকা রেখেছে। এভাবে উপর্যুক্ত অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহের জন্য ঢাকায় পোশাক কারখানা বিস্তার লাভ করেছে।

প্রশ্ন- ৫  শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস

ডেইরি ফার্ম, চামড়া শিল্প, বেকারি কারখানা, তৈরি পোশাক শিল্প, কাগজ শিল্প, লোহা ও ইস্পাত শিল্প বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এসব শিল্পের অবদান অপরিসীম।
ক. উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ কী কী অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত আছে? ১
খ. আমাদের দেশের শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে কেন? ২
গ. শিল্পের আকার অনুসারে উদ্দীপকের শিল্পগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উন্নত বিশ্বের জীবনযাত্রার মান উচ্চ হওয়ার কারণ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকার্য, মৎস্য শিকার, পশুপালন, কাঠ আহরণ ইত্যাদি প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত আছে।
খ আমাদের দেশে তাপমাত্রার তীব্রতার কারণে শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আমাদের দেশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশের অন্তর্ভুক্ত। গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজ করে। তাপমাত্রা অনেক সময় ৩৮ সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে। এ অধিক তাপমাত্রার কারণে আমাদের দেশে কলকারখানা গড়ে তোলা কঠিন। কারখানার শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
গ শিল্পের আকার অনুসারে শিল্পকে- ১. ক্ষুদ্র শিল্প, ২. মাঝারি শিল্প ও ৩. বৃহৎ শিল্প এ তিন ভাগে ভাগ করা যায়। উদ্দীপকের শিল্পগুলোর মধ্যে ডেইরি ফার্ম ও বেকারি কারখানা ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্গত। এ ধরনের শিল্পগুলো গ্রাম ও শহর এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠে। এসব শিল্পে কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয়। কম কাঁচামালে স্বল্প উৎপাদন এসব শিল্পের বৈশিষ্ট্য। চামড়া শিল্প ও তৈরি পোশাক শিল্প মাঝারি শিল্পের অন্তর্গত। এসব শিল্প সাধারণত শতাধিক শ্রমিকের সমন্বয়ে গঠিত হয়। কাগজ শিল্প এবং লোহা ও ইস্পাত শিল্প বৃহৎ শিল্পের অন্তর্গত। এসব শিল্পের জন্য ব্যাপক অবকাঠামো, প্রচুর শ্রমিক ও বিশাল মূলধনের প্রয়োজন হয়। শহরের কাছাকাছি স্থানে সাধারণত এ ধরনের শিল্প গড়ে ওঠে।
ঘ উদ্দীপকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পের উল্লেখ করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার এসব শিল্পের অবদান অপরিসীম বলা হয়েছে। বস্তুত আমরা এখনও শিল্পে তেমন উন্নত নই তবে অগ্রগতি আশার সঞ্চার করে। উদ্দীপকের এ ইঙ্গিতে সহজেই বোঝা যায় এবং বাস্তবতাও এই যে উন্নত দেশগুলো শিল্পে উন্নত বলেই তাদের জীবনযাত্রার মান উচ্চ। মূলত উন্নত দেশে মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প গড়ে ওঠায় তাদের জীবনযাত্রার মান অনুন্নত দেশের তুলনায় উন্নত। এসব শিল্প স্থাপনের ফলে উন্নত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটে, বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয় এবং হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এসব শিল্প ক্ষুদ্র শিল্পে উৎপাদিত পণ্যেরও উপযোগিতা বৃদ্ধি করে। তারা উৎপাদিত পণ্যের উদ্বৃত্তাংশ অনুন্নত দেশে প্রেরণ করে ওই বস্তুর উপযোগিতা বাড়িয়ে তোলে এবং বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে। উন্নত দেশের অধিকাংশ লোক কারখানার শ্রমিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স, ব্যবসা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, রাজনীতি, গবেষণা ও জনসেবায় নিয়োজিত থাকে। সুতরাং মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কারণে উন্নত বিশ্বের জীবনযাত্রার মান অনুন্নত দেশের তুলনায় উন্নত।

প্রশ্ন- ৬  অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহ

জনাব আরমান একজন শিল্পোদ্যক্তা। তিনি কৃষিনির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। বাংলাদেশের জন্য তিনি এ ধরনের শিল্পকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি মূলধন, বিনিয়োগ নীতি ও আধুনিক প্রযুক্তির আনুক‚ল্যকে অবশ্য প্রয়োজনীয় মনে করেন। তিনি তার গ্রামে ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়ন ঘটানোতেও তৎপর। তার এ কাজটিও দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তিনি বিবেচনা করেন।
ক. বস্ত্র শিল্প কোন ধরনের শিল্প? ১
খ. আমাদের দেশে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় কেন? ২
গ. জনাব আরমান কৃষিনির্ভর শিল্প বিকাশে কী কী অর্থনৈতিক নিয়ামকের ভ‚মিকা জরুরি মনে করেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নিজ গ্রামে জনাব আরমানের তৎপরতার গুরুত্ব সম্পর্কে উদ্দীপকের বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪

ক বস্ত্র শিল্প বৃহৎ আকারের শিল্প।
খ উষ্ণমণ্ডলীয় জলবায়ুর কারণে আমাদের দেশে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। অধিক তাপমাত্রার কারণে উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলোতে কলকারখানা গড়ে তোলা কঠিন। কারণ কারখানার শ্রমিকরা অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এতে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
গ উদ্দীপকের জনাব আরমান একজন শিল্পোদ্যক্তা হিসেবে কৃষিনির্ভর শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে মূলধন, বিনিয়োগ নীতি ও প্রযুক্তির আনুক‚ল্যকে অবশ্য প্রয়োজনীয় মনে করেন।
মূলধন : কৃষিনির্ভর শিল্প স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত মূলধন অপরিহার্য। শিল্প উদ্যোক্তাগণ যাতে সহজশর্তে ঋণ লাভে সক্ষম হয় সেজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা থাকা দরকার।
বিনিয়োগ নীতি : সহায়ক বিনিয়োগ নীতি দ্বারা কৃষিভিত্তিক শিল্পায়ন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করা যায়। কোনো দেশের ঘোষিত বিনিয়োগ নীতি বিনিয়োগকারীদের যত অনুক‚ল হয়, শিল্প স্থাপনের সংখ্যাও তত বৃদ্ধি পায়।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার : বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর শিল্প কারখানার জন্য উপযুক্ত ও উন্নত প্রযুক্তি একান্ত অপরিহার্য। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাবে।
সুনির্দিষ্ট শিল্পনীতি ও শিল্পোন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় উপরিউক্ত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে বাংলাদেশে কৃষিনির্ভর শিল্পোন্নয়নের পথ সুগম হবে। জনাব আরমান এমনটিই মনে করেন।
ঘ নিজ গ্রামে ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে জনাব আরমান তৎপর। বস্ত্তু বাংলাদেশে কৃষি জমি সীমিত এবং বৃহৎ শিল্প অনুন্নত। তাই দেশের উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র শিল্পের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। যেমনÑ
বেকার সমস্যা লাঘব : বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শ্রমশক্তি বেকার। এই অবস্থায় ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়ন ঘটলে শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিতদের জন্য স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে।
কৃষিতে চাপ হ্রাস : ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানো হলে কৃষির ওপর যে অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ রয়েছে তা এসব শিল্পে স্থানান্তরিত হবে।
দেশীয় কাঁচামালের সদ্ব্যবহার : বাংলাদেশে পাট, চা, চামড়া, বাঁশ, বেত, কাঠ এবং অন্যান্য বহুবিধ কাঁচামাল পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র শিল্পে এসবের সদ্ব্যবহার হলে দেশের উৎপাদন ও আয় বাড়বে।
মূলধনের সমস্যা লাঘব : বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ও সঞ্চয় বেশ কম। ফলে এদেশের বৃহৎ শিল্পে মূলধনের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই এখানে স্বল্প মূলধন নির্ভর ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নই বেশি সুবিধাজনক।
সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন : বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পগুলো শহরাঞ্চলে স্থাপিত হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রধানত শহরকেন্দ্রিক। দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গ্রামাঞ্চলে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসার ঘটাতে হবে।
সুতরাং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে জনাব আরমানের তৎপরতার গুরুত্ব অত্যন্ত ব্যাপক।

প্রশ্ন- ৭  বাণিজ্যিক ভারসাম্য ও উন্নয়নের সম্পর্ক

বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থবছরে রপ্তানি আয় এবং আমদানি ব্যয়ের চিত্র নিচের সারণিতে দেখানো হলো :
মিলিয়ন ইউএস ডলার
অর্থ বছর রপ্তানি আয় আমদানি ব্যয়
২০০৯-১০ ১৬.২০ ৩৩.৬৬
২০১০-১১ ২২.৯২ ৩৫.৫২
২০১১-১২ ২৪.৩০ ৩৪.৮১
উৎস : ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংক।

ক. চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কী ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান? ১
খ. রপ্তানি ও আমদানি কোন ধরনের বাণিজ্য? ২
গ. সারণিতে প্রদত্ত তথ্য স্তম্ভ লেখচিত্রে রূপ দাও। ৩
ঘ. বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের এরূপ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ কর। ৪

ক চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান।
খ রপ্তানি ও আমদানি হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। স্বদেশের কোনো পণ্য যখন অন্য কোনো দেশে পাঠানো হয় তখন তাকে বলে রপ্তানি আর দেশের চাহিদা মিটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোনো পণ্য সামগ্রী আনা হয় তখন তাকে বলে আমদানি। এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পণ্যের এরূপ আদান-প্রদানকে বলা হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
গ সারণিতে প্রদত্ত তথ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয় দেখানো হয়েছে। স্তম্ভ লেখচিত্রে নিচে তা দেখানো হলো:

স্তম্ভচিত্র : বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়।
ঘ সারণি থেকে দেখা যাচ্ছে আমাদের রপ্তানি আয়ের সঙ্গে আমদানি ব্যয়ে ঘাটতি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রপ্তানি আয়ের এরূপ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত
শিল্পজাত দ্রব্য উৎপাদন বৃদ্ধি : রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে কৃষিজাত এবং শিল্পজাত দ্রব্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
খাদ্যশস্য আমদানি হ্রাস : উচ্চ ফলনশীল ধান ও গমের প্রবর্তন, কৃষিতে বিনিয়োগ, উৎপাদন বৃদ্ধি, পতিত জমি কৃষির অন্তর্গতকরণ, একই জমিতে বছরে অধিক ফসল উৎপাদন প্রভৃতি প্রচেষ্টার মাধ্যমে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং আমদানি হ্রাসের প্রবণতা কমাতে হবে।
রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ : বর্তমানে প্রচলিত পণ্য রপ্তানির সাথে অপ্রচলিত পণ্য সংযোজনের মাধ্যমে রপ্তানিকৃত পণ্যের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
বাণিজ্যিক এলাকার বিস্তৃতি : নতুন নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে বাণিজ্যিক এলাকার স¤প্রসারণ ঘটাতে হবে।
পণ্যের মান উন্নয়ন : আমাদের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মান উন্নত করলে বিশ্ববাজারে আমাদের পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।
উৎপাদন ব্যয় হ্রাস : উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস করা যায়। উৎপাদন ব্যয় হ্রাস হলে কম মূল্যে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করা যায়। ফলে বিদেশে পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং বাজার স¤প্রসারণ হবে।
রপ্তানিই আনে সমৃদ্ধি। বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ নিলে আমদানি ব্যয় ও রপ্তানি আয়ের ঘাটতি অনেকটাই হ্রাস করতে সক্ষম হবে।

প্রশ্ন- ৮  বাণিজ্যিক ভারসাম্য

সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির অনুপাতের ভিত্তিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান।
ক. বাণিজ্যিক ভারসাম্য কী? ১
খ. বাণিজ্যিক ভারসাম্য কেন ঘটে? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দেশটিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান কেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অনুন্নত দেশসমূহে উদ্দীপকে উল্লিখিত বাণিজ্য পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে এ বক্ত্যব্যের সাথে তুমি একমত কিনা? মতামত দাও। ৪

ক কোনো দেশে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে যখন ভারসাম্য বিদ্যমান থাকে তখন তাকে বাণিজ্যিক ভারসাম্য বলে।
খ আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান থাকলে তাকে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান। যখন কোনো দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হয়ে থাকে, তখন বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা ঘটে। আবার অর্থনৈতিক সংকটের কারণেও বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা ঘটে থাকে। এছাড়াও সম্পদের স্বল্পতার কারণে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
গ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতো উদ্দীপকে উল্লিখিত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যও সমান নয়। অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান তথা দেশটিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান। তবে এ ঋণাত্মক ভারসাম্য সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিবেচ্য। উদাহরণস্বরূপ চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। কারণ এসব দেশ থেকে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে থাকে। এটাকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে। অন্যদিকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রপ্তানি বাণিজ্যে এগিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সাথেও বাণিজ্যে উদ্বৃত অবস্থানে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানির অনুপাতের ভিত্তিতে ঋণাত্মক বাণিজ্যিক ভারসাম্য বিদ্যমান।
ঘ উদ্দীপকে ঋণাত্মক বাণিজ্য পরিস্থিতি বর্ণিত হয়েছে যা অনুন্নত দেশসমূহের বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীর কোনো দেশই সকল সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রোটোকল মেনে তাদের জনগণের চাহিদা অনুসারে পণ্য আমদানি এবং উদ্বৃত্ত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। এটাকে আমরা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বলে থাকি। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্য সমান নয়। যখন রপ্তানির তুলনায় কোনো দেশে পণ্য আমদানি বেশি হয় তখনই বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। আর এ বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা মূলত অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে লক্ষ করা যায়। মূলত অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর দেশের সাথে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসম বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। বিশেষ করে অনুন্নত দেশগুলোতে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা প্রকট হয়ে ওঠে। কারণ, সেসব দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বলে শিল্প স্থাপনের জন্য মূলধন জোগাড় করতে পারে না। অনুন্নত দেশগুলোতে সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি বিনিয়োগ নীতি ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজমান থাকে না। এছাড়া বিরূপ আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত সম্পদের অভাবও রয়েছে। সর্বোপরি প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহের অভাব লক্ষ করা যায়। উন্নত দেশসমূহে এসব সমস্যা থাকে না, কিন্তু অনুন্নত দেশসমূহে উপরিউক্ত কারণে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান থাকে।
 অনুশীলনমূলক কাজের আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৯  সম্পদের শ্রেণিবিন্যাস

নিচের তালিকাটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জ্বালানি কাঠ কাচ লবণ
লোহা তামা পানি
বেল চিনি চাল
ডাল সূর্যের আলো বায়ু
ছাগল ভেড়া গরু
মানুষ কয়লা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

ক. সময়ের উত্তরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এমন একটি সম্পদের উদাহরণ দাও। ১
খ. প্রাকৃতিক গ্যাসকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলা হয় কেন? ২
গ. তালিকার সম্পদগুলো নিয়ে পাঠ্যপুস্তকের আলোকে একটি শ্রেণিবিন্যাস তৈরি কর। ৩
ঘ. তোমার কৃত শ্রেণিবিন্যাসে প্রাকৃতিক সম্পদের আরও বিভাজন করে থাকলে তার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সময়ের উত্তরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এমন একটি সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।
খ খনি থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আহরণ করে নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা হয়। খনি থেকে একবার উত্তোলনের পর সেখানে আর প্রাকৃতিক গ্যাস সৃষ্টি হয় না। অথচ প্রতিটি উৎপাদন কাজে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে পড়ছে। একদিকে এর চাহিদা বাড়ছে কিন্তু যোগান বাড়ছে না। দিন দিন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে যা আর নতুন করে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এজন্য প্রাকৃতিক গ্যাসকে অনবায়নযোগ্য সম্পদ বলা হয়।
গ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে সম্পদকে প্রাথমিকভাবে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- ১. প্রাকৃতিক সম্পদ, ২. মানব সম্পদ ও ৩. অর্থনৈতিক সম্পদ। প্রাকৃতিক সম্পদকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তালিকার সম্পদগুলো নিয়ে এ আলোকে সম্পদের একটি শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করা হলো :

ঘ আমার করা সম্পদের শ্রেণিবিন্যাসে প্রাকৃতিক সম্পদকে আরও তিনভাগে ভাগ করেছি। মূলত প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সব প্রাকৃতিক সম্পদ সৃষ্টি ও ব্যবহারের দিক দিয়ে একরূপ নয়। তাই এর শ্রেণিবিভাজন করাই সমীচীন। প্রকৃতি থেকে আমরা যা কিছু পাই সেগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ। উদ্দীপকের তালিকার নবায়নযোগ্য ও অনবায়নযোগ্য সম্পদগুলো প্রকৃতিতে বিদ্যমান। এগুলো সবই আমাদের জীবনে নানা কাজে লাগে। এগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু সৃষ্টি ও ব্যবহারগত ভিন্নতায় এদের পার্থক্য বিস্তর। আবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পদ হিসেবে খুবই মূল্যবান। বিশেষ করে বর্তমানে পর্যটন শিল্পে; কিন্তু তা সৃষ্টির দিক দিয়ে চিরকালীন। তাই একে অন্যান্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর বুকে প্রাণী জীবন রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। নবায়নযোগ্য সম্পদ বলতে বোঝায় সেই জাতীয় সম্পদ, যা মূলত পুনঃসংগঠনশীল, কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তারা বিশেষভাবে পরিবর্তনশীল। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো উদ্দীপকের নবায়নযোগ্য সম্পদগুলো তথা সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও পানিশক্তি। অনবায়নযোগ্য সম্পদ খুব ধীরগতিতে সৃষ্টি হয় এবং তাদের সরবরাহের পরিমাণ সীমাবদ্ধ। উদ্দীপকের অনবায়নযোগ্য সম্পদগুলোও প্রকৃতির দান। যেমন : জ্বালানি কাঠ, কয়লা, লোহা, তামা। সুতরাং তালিকার নবায়নযোগ্য, অনবায়নযোগ্য ও অন্যান্য সম্পদ হিসেবে প্রাকৃতিক সম্পদের শ্রেণিবিভাগ যুক্তিযুক্ত।

প্রশ্ন- ১০  অর্থনৈতিক কার্যাবলি

দোকানদার, কামার, শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ী, নার্স সবাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এসব জনসমষ্টির কার্যাবলি অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।
ক. অর্থনৈতিক কার্যাবলি কী? ১
খ. প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় পর্যায়ে জড়িত জনসমষ্টির কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত তৃতীয় পর্যায়ে জড়িত জনসমষ্টির বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পণ্যসামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় এবং ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো মানবীয় আচরণের প্রকাশই অর্থনৈতিক কার্যাবলি।
খ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলিতে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি কাজ করে। যেমন : কৃষিকার্যের ক্ষেত্রে মানুষ বীজ বপন করে, প্রকৃতি এই বীজকে অঙ্কুরিত করে শস্যে পরিণত করে। প্রকৃতির এই অবদান মানুষ পুরস্কারস্বরূপ গ্রহণ করে। পশু শিকার, মৎস্য শিকার, কাঠ চেরাই, পশুপালন, খনিজ উত্তোলন এবং কৃষিকার্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
গ উদ্দীপকে দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে জড়িত জনসমষ্টি হলো কামার শ্রেণির মানুষ। দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ তার প্রথম পর্যায়ের কার্যাবলি দ্বারা উৎপাদিত সামগ্রীকে গঠন করে, আকার পরিবর্তন করে এবং উপযোগিতা বৃদ্ধি করে। কামার পেশাগতভাবে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহার্য লৌহজাত সামগ্রী তৈরি করেন। এক্ষেত্রে প্রকৃতির মধ্যে লৌহ খনিজ উত্তোলনে যারা জড়িত আছেন তাদের উৎপাদিত লৌহ তারা ব্যবহার করেন। এজন্য তাদের কার্যাবলি দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্গত। কামার স¤প্রদায়ের মানুষ কাঁচা লোহা কিনে এনে এর আকার পরিবর্তন করে উপযোগিতা বৃদ্ধি করে। কামারদের প্রস্তুতকৃত সামগ্রীর মধ্যে দা, কোদাল, কুড়াল, শাবল, বঁটি, পেরেক, ছুরি, চিমটি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সুতরাং কামার শ্রেণির মানুষদের কার্যাবলি দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি।
ঘ উদ্দীপকে তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির সাথে জড়িত জনসমষ্টি হলো দোকানদার, নার্স, শিক্ষক ও ব্যবসায়ী স¤প্রদায়ের মানুষ। তৃতীয় পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহের উপযোগিতা বৃদ্ধি করে এবং সেবাকার্য সম্পাদন করেন। দোকানদার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহ কিনে আনেন এবং বিক্রি করেন। নার্স ও শিক্ষক সেবাকার্য সম্পাদন করেন। এক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে অর্জিত জ্ঞান তারা বিতরণ করেন। ব্যবসায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি থেকে উৎপাদিত বস্তুসমূহের উপযোগিতা বৃদ্ধি করেন। কোনো অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্যের উদ্বৃত্তাংশ ঘাটতি অঞ্চলে প্রেরণ করে ওই বস্তুর উপযোগিতা বাড়িয়ে তোলেন। সুতরাং দোকানদার, নার্স, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীর বৈশিষ্ট্যাবলি তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ সম্পদ কী?
উত্তর : যা কিছু নির্দিষ্ট প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং সামাজিক অবস্থায় ব্যবহার করা যায় তাই সম্পদ।
প্রশ্ন \ ২ \ নবায়নযোগ্য সম্পদের নাম লেখ।
উত্তর : নবায়নযোগ্য সম্পদের নাম সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও পানিশক্তি প্রভৃতি।
প্রশ্ন \ ৩ \ সম্পদ সংরক্ষণ ধারণার অপর নাম কী?
উত্তর : সম্পদ সংরক্ষণ ধারণার অপর নাম জীবনাচরণ।
প্রশ্ন \ ৪ \ সংরক্ষণ কাকে বলে?
উত্তর : শিক্ষা, মানবিক বৃত্তি, সত্যাচরণ, ন্যায়বিধান, সত্যানুসন্ধান, কর্তব্যপরায়ণতা বা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার অপর নাম সংরক্ষণ।
প্রশ্ন \ ৫ \ জলবিদ্যুৎ কোন ধরনের সম্পদ?
উত্তর : জলবিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ।
প্রশ্ন \ ৬ \ অকৃষি অঞ্চলে কিসের মাধ্যমে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা যায়?
উত্তর : অকৃষি অঞ্চলে বনায়নের মাধ্যমে মৃত্তিকা সংরক্ষণ করা যায়।
প্রশ্ন \ ৭ \ মৃত্তিকা সংরক্ষণ পদ্ধতির মধ্যে কী কী উল্লেখযোগ্য?
উত্তর : মৃত্তিকা সংরক্ষণ পদ্ধতির মধ্যে সোপান চাষ, শস্য আবর্তন উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কোন পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত?
উত্তর : বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
প্রশ্ন \ ৯ \ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কাজের উদাহরণ দাও?
উত্তর : পশু শিকার, মৎস্য শিকার, কাঠ চেরাই, পশু পালন, খনিজ উত্তোলন এবং কৃষিকার্য প্রভৃতি প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কাজ।
প্রশ্ন \ ১০ \ কোন পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি কাজ করে?
উত্তর : প্রথম পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে সরাসরি কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ উন্নত বিশ্বের শতকরা কত ভাগ মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত?
উত্তর : উন্নত বিশ্বের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
প্রশ্ন \ ১২ \ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশসমূহের শতকরা কত ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত?
উত্তর : অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশসমূহের শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ শিল্প কোন কোন নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে?
উত্তর : প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে শিল্প গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বাংলাদেশের জলবায়ুতে কোনটি ভালো জন্মে?
উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ুতে পাট ভালো জন্মে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ কোন জলবায়ুর দেশগুলোতে কলকারখানার শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করতে পারে?
উত্তর : নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলীয় ও শীতপ্রধান দেশগুলোতে কলকারখানার শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করতে পারে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বাংলাদেশের কোথায় প্রচুর পরিমাণে বাঁশ ও বেত পাওয়া যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় প্রচুর পরিমাণে বাঁশ ও বেত পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় কোন শিল্প গড়ে উঠেছে?
উত্তর : রাঙামাটির চন্দ্রঘোনায় কাগজ শিল্প গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ কোথায় প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায়?
উত্তর : ঘনবসতিপূর্ণ দেশে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ শিল্পের আকার অনুসারে শিল্পকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : শিল্পের আকার অনুসারে শিল্পকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প।
প্রশ্ন \ ২০ \ কোন শিল্প শহরের কাছাকাছি স্থানে গড়ে ওঠে?
উত্তর : বৃহৎ শিল্প শহরের কাছাকাছি স্থানে গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ২১ \ ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে?
উত্তর : যে শিল্পে কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয় তাকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
প্রশ্ন \ ২২ \ কয়েকটি বৃহৎ শিল্পের উদাহরণ দাও।
উত্তর : লৌহ ও ইস্পাত শিল্প, বস্ত্র শিল্প, মোটরগাড়ি, জাহাজ ও বিমান প্রভৃতি হচ্ছে বৃহৎ শিল্প।
প্রশ্ন \ ২৩ \ বস্ত্রশিল্প স্থাপনের জন্য কোন ধরনের জলবায়ুর প্রয়োজন হয়?
উত্তর : বস্ত্রশিল্প স্থাপনের জন্য আর্দ্র জলবায়ুর প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন \ ২৪ \ কোন দেশের পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী?
উত্তর : জাপানের পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কিসের ওপর ভিত্তি করে অসম বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যবধান কমতে পারে?
উত্তর : উন্নয়ন সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে অসম বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যবধান কমতে পারে।
প্রশ্ন \ ২৬ \ কোন কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে থাকে?
উত্তর : চীন ও ভারত থেকে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে থাকে।
প্রশ্ন \ ২৭ \ বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত পণ্য কোনগুলো?
উত্তর : বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত পণ্যগুলো হলো পোশাক, চিংড়ি, চামড়া, পাটজাত দ্রব্য ও চা।
প্রশ্ন \ ২৮ \ বাংলাদেশ কী কী জিনিস আমদানি করে?
উত্তর : বাংলাদেশ চাল, গম, ভোজ্যতেল, সুতা, পেট্রোলিয়াম শিল্পসামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি আমদানি করে

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ সম্পদ সংরক্ষণের উপায় কী?
উত্তর : সম্পদ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। উত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য সম্পদের বৃদ্ধি সম্ভবপর। অনবায়নযোগ্য সম্পদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হতে পারে যেমন : তেল পোড়ানো। কিন্তু নবায়নযোগ্য সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সৌরবিদ্যুৎ এবং পানি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবহৃত বস্তুকে রিসাইক্লিং করে পুনরায় সম্পদরূপে ব্যবহার করা যায়, এতে সম্পদের অপচয় কম হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ সম্পদ সংরক্ষণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সংরক্ষণ ধারণার অপর নাম জীবনাচরণ। শিক্ষা, মানবিক বৃত্তি, সত্যাচরণ, ন্যায় বিধান, সত্যানুসন্ধান, কর্তব্যপরায়ণতা বা প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার অপর নাম সংরক্ষণ। মানুষের প্রাত্যহিক চাহিদা মেটানোর জন্য সম্পদ প্রয়োজন। সম্পদ সংরক্ষণের অর্থ হলো প্রাকৃতিক সম্পদের এমন ব্যবহার যাতে ওই সম্পদ যথাসম্ভব অধিক সংখ্যক লোকের দীর্ঘ সময়ব্যাপী সর্বাধিক মঙ্গল নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ অর্থনৈতিক কার্যাবলি কী ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য নানা কাজকর্ম করে থাকে। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যেসব কর্মকাণ্ড সম্পাদন করে তার সামগ্রিক রূপকে অর্থনৈতিক কার্যাবলি বলে। অর্থনীতির সংজ্ঞায়, পণ্যসামগ্রী ও সেবাকার্যের উৎপাদন, বিনিময় ও ব্যবহারের সাথে সম্পর্কযুক্ত যে কোনো মানবীয় আচরণের প্রকাশই অর্থনৈতিক কার্যাবলি। অর্থনৈতিক কার্যাবলিকে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা : ১. প্রথম পর্যায় ২. দ্বিতীয় পর্যায় এবং ৩. তৃতীয় পর্যায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : তৃতীয় পর্যায়ের কার্যাবলিতে মানুষ উৎপাদন কার্য ব্যতীত অন্যান্য উপায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যাবলি হতে উৎপাদিত বস্তুসমূহের উপযোগিতা বৃদ্ধি করে এবং সেবাকার্য সম্পাদন করে। কোনো দেশের উৎপাদিত পণ্যের উদ্বৃত্তাংশ ঘাটতি অঞ্চলসমূহ প্রেরণ করলে ওই বস্তুর উপযোগিতা অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এটা সম্ভবপর হতে পারে ব্যবসা, বাণিজ্য, পরিবহন ইত্যাদির মাধ্যমে। পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা, পরিবেশক, এজেন্ট, ব্যাংকার, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, আইনজীবী, ধোপা, রিকশাচালক ও ঠেলাগাড়িওয়ালা প্রভৃতি অসংখ্য প্রকার জনসমষ্টির কার্যাবলি তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কার্যাবলির অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন \ ৫ \ জলবায়ুর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে কোন কোন শিল্প গড়ে উঠেছে?
উত্তর : জলবায়ুর ওপর অনেক ক্ষেত্রে শিল্পের অবস্থান নির্ভরশীল। বিভিন্ন প্রকার জলবায়ুতে নানা ধরনের কাঁচামাল জন্মে থাকে। যেমন : বাংলাদেশের জলবায়ুতে পাট ভালো জন্মে বলে বহু পাটকল গড়ে উঠেছে। খুলনার নিউজপ্রিন্ট কাগজের কল সুন্দরবনের সুন্দরী কাঠের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। উত্তরবঙ্গে জলবায়ুগত সুবিধার জন্য যেখানে প্রচুর ইক্ষু উৎপাদিত হয় এবং সে কারণে অধিকাংশ চিনি শিল্প উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ৬ \ শিল্প স্থাপনে প্রাকৃতিক নিয়ামকের মধ্যে শক্তি সম্পদের প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শক্তি সম্পদের উপর শিল্পের অবস্থান অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল। কারণ, কারখানা চালানোর জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়। বড় বড় কারখানা চালানোর জন্য কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, জলবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তি ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে। সস্তায় শক্তি সম্পদ ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন। যেসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি সম্পদ সরবরাহের ব্যবস্থা আছে সেখানেই সাধারণত বিভিন্ন প্রকার শিল্প কেন্দ্রীভ‚ত হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ শিল্প স্থাপনের জন্য কী ধরনের অনুক‚ল পরিবেশ থাকা দরকার?
উত্তর : প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক উপাদানের অনুক‚ল পরিবেশের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশে শিল্প ও কলকারখানা গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের শিল্পের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ শক্তি ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ থাকা প্রয়োজন। সেই সাথে স্থিতিশীল উৎপাদন পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকা দরকার। দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মূলত এসব ব্যবস্থার নিশ্চয়তা চায়।
প্রশ্ন \ ৮ \ শিল্প গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মূলধনের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে মূলধনের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভূমি ও কারখানার যন্ত্রপাতি ক্রয়, শ্রমিকের বেতন এবং পরিবহন ব্যবস্থা প্রভৃতির জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। যেসব স্থানে মূলধন সংগ্রহের ব্যবস্থা আছে সেখানেই শিল্প গড়ে ওঠে। কোনো দেশে মূলধনের অভাব হলে শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ শিল্প স্থাপনের জন্য সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা কেন দরকার?
উত্তর : শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক নিয়ামকসমূহের মধ্যে সুষ্ঠু যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা অন্যতম। অর্থাৎ শিল্প স্থাপনের জন্য ভালো যাতায়াত ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থা অপরিহার্য। যে দেশে সড়কপথ, রেলপথ, নৌপথ ও বিমানপথ যত উন্নত, সেদেশে অধিক সংখ্যক শিল্প
গড়ে উঠেছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের সাথে সড়ক ও নৌ যাতায়াত এবং পরিবহন ব্যবস্থা ভালো বলেই বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় এখানে বিভিন্ন শিল্প গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ১০ \ শিল্পে কেন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার দরকার হয়?
উত্তর : শিল্প স্থাপনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ, শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যতীত কোনো দেশের মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী। এ জন্য জাপানের পণ্যের চাহিদা বিশ্বব্যাপী।
প্রশ্ন \ ১১ \ বাজারের সান্নিধ্য শিল্প স্থাপনের উপযোগী কেন?
উত্তর : শিল্পের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য উপযুক্ত চাহিদাসম্পন্ন বাজারের প্রয়োজন হয়। কারণ, উপযুক্ত বাজার পাওয়া না গেলে শিল্পের টিকে থাকা দুরূহ হয়ে পড়ে। এ জন্য বাজারের নিকটবর্তী স্থানে সাধারণত শিল্প গড়ে ওঠে। যে অঞ্চলে জনবসতি ঘন, সেই অঞ্চলে শিল্পজাত দ্রব্যের চাহিদা বেশি।
প্রশ্ন \ ১২ \ ঘনবসতিপূর্ণ দেশে কেন অধিক শিল্প গড়ে ওঠে?
উত্তর : শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে কারখানায় কাজ করার জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ দেশে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায় বলে ওই সকল দেশে অধিক শিল্প গড়ে ওঠে। কোনো কোনো শিল্পের জন্য প্রচুর সুদক্ষ অথচ সস্তায় শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ও পাটশিল্প এই জাতীয় শিল্প।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ক্ষুদ্র শিল্পের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ।
উত্তর : ক্ষুদ্র শিল্পের বৈশিষ্ট্য হলো :
১. এ শিল্পে কম শ্রমিক ও স্বল্প মূলধনের প্রয়োজন হয়।
২. এ শিল্পে শ্রমিক ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি ও উপকরণের সাহায্যে কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
৩. ক্ষুদ্র শিল্পে কম কাঁচামালে স্বল্প উৎপাদন করা হয়।
৪. এই ধরনের শিল্পগুলো গ্রাম ও শহর এলাকায় ব্যক্তি মালিকানায় গড়ে ওঠে। যেমন : তাঁত শিল্প, বেকারি কারখানা, ডেইরি ফার্ম প্রভৃতি।
প্রশ্ন \ ১৪ \ বাংলাদেশ কী কী পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করে থাকে?
উত্তর : পৃথিবীর কোনো দেশই সকল সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিভিন্ন দেশ বাণিজ্য প্রটোকল মেনে তাদের জনগণের চাহিদা অনুসারে পণ্য আমদানি এবং উদ্বৃত্ত পণ্য অন্য দেশে রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশ থেকে কিছু পণ্য আমদানি ও নিজ দেশ থেকে কিছু পণ্য রপ্তানি করে থাকে। বাংলাদেশ চাল, গম, ভোজ্যতেল, সুতা, পেট্রোলিয়াম, শিল্প সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি আমদানি এবং তৈরি পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, চা, চামড়া, সিরামিক সামগ্রী, জুতা, প্রকৌশল সামগ্রী, হিমায়িত খাদ্য, কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে থাকে।

 

 

Leave a Reply