নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস অধ্যায় ১৫ সামরিক শাসন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ (১৯৭৫-১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ)

পঞ্চদশ অধ্যায়
 সামরিক শাসন ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ (১৯৭৫-১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ)

১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খোন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন। প্রায় তিন মাসের মতো ক্ষমতায় ছিলেন মোশতাক। দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনীতিও করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসভাজনদের অন্যতম ছিলেন মোশতাক। তিনিই বঙ্গবন্ধুর সাথে জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। তিনি এদেশের ইতিহাসে জন্ম দিয়েছেন কলঙ্কিত অধ্যায়। সামরিক বাহিনীর কিছুসংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত ও বরখাস্তকৃত নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ের অফিসারের ষড়যন্ত্রকে মোশতাক পুরো সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থান হিসেবে বর্ণনার চেষ্টা করেন। আর এই নিষ্ঠুর বর্বর হত্যাকাণ্ডকে তিনি সম্ভাবনার স্বর্ণদ্বার বলে অভিহিত করেন। শিখনফল
 সামরিক শাসনের সূত্রপাত এবং পরবর্তী রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করতে পারবে।
 প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসন আমলের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো বর্ণনা করতে পারবে।
 ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের সামরিক শাসন এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে পারবে।
 এরশাদ সরকারের প্রশাসনিক সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের গণঅভ্যুত্থানের পটভ‚মি এবং ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারবে।
 বাংলাদেশে গণতন্ত্রের তাৎপর্য এবং এর প্রয়োগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে।
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান : মোশতাক ও জিয়াকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে এবং বঙ্গভবনকে খুনিচক্রের কবল থেকে মুক্ত করে খালেদ মোশাররফ রাষ্ট্রক্ষমতায় তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। সাহসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেনাবাহিনীতে খালেদ মোশাররফের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল। মুক্তিযুদ্ধে ‘কে’ ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে বহুবার সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ৩-৬ নভেম্বর, মাত্র চারদিনের জন্য তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় তাঁর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ৭ নভেম্বর কর্নেল (অব) আবু তাহেরের পাল্টা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন খালেদ মোশাররফ। পরে খালেদ মোশাররফ ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের হত্যা করা হয়।
বিচারপতি সায়েমের সরকার : সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলে ৬ নভেম্বর, ১৯৭৫ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে বিচারপতি সায়েম থাকলেও, প্রকৃত ক্ষমতা ছিল সেনানিবাসে; সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়ার হাতে। যে কারণে বিচারপতি সায়েম তাঁর সময়ে কোনো সিদ্ধান্তই স্বাধীনভাবে গ্রহণ করতে পারেননি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা রক্ষা করতে পারেননি। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল জিয়াউর রহমান বলপূর্বক তাকে সরিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে নেন।
জিয়াউর রহমানের শাসনামল : জিয়াউর রহমান তার শাসনকালে নিজ ক্ষমতা সংহতকরণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। সেনাবাহিনীতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পূর্বক তিনি বিচারপতি সায়েমের কাছ থেকে বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করে ২৩ এপ্রিল, ১৯৭৭ সামরিক ফরমান জারি করে বাহাত্তরের সংবিধানের আমূল পরিবর্তন করেন। এর মাধ্যমে পাকিস্তানি চেতনাকে ফিরিয়ে এনে তিনি ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে চেয়েছেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জুলাই ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ জারি করে ঘরোয়া রাজনীতি চালু করেন। নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে তিনি ক্ষমতাকে গণতান্ত্রিক ধারায় সুসংহত ও বৈধ করার প্রয়াস পান। ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল তিনি ১৯ দফা নীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বস্তুত এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেন। দমন-পীড়ন আর ভয়ভীতির কারণে বিরোধী দল তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনও গড়ে তুলতে পারেনি। অবশেষে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জিয়ার শাসনামলের অবসান ঘটে এবং তিনি নিহত হন।
বিচারপতি সাত্তারের সরকার : প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর সংবিধান অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ উপস্থিত থেকে ৭৮ বছর বয়স্ক সাত্তারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। কিন্তু অচিরেই সেনাপ্রধান এরশাদ বলপূর্বক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মার্চ থেকে সামরিক আইন জারি করে বলেন ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখার লক্ষ্যে এবং সামরিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংকট হতে জনসাধারণকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের শাসনভার গ্রহণ করতে হয়েছে।’
সামরিক অভ্যুত্থান : জেনারেল এরশাদের সরকার : লে: জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা দখল করে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আর ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি। এরশাদ অল্প সময়ের জন্য বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে (২৭ মার্চ, ১৯৮২ থেকে ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৩) রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত রাখেন। সুবিধাজনক সময়ে তাঁকেও অপসারণ করতে দ্বিধা করেননি। একই সাথে এরশাদ জাতীয় সংসদ বাতিল করেন।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও এরশাদের পতন : দীর্ঘ নয় বছরের প্রায় পুরো সময়টাই জনগণ জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশে পুলিশের গুলিতে ডা. শামসুল আমল খান মিলন নিহত হলে এরশাদবিরোধী আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ ধারণ করে। ২৭ নভেম্বর সরকার জরুরি অবস্থা ও কারফিউ জারি করে। ২৭ নভেম্বর সাংবাদিকরা সংবাদপত্র বন্ধ করে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকগণ মিছিল বের করে কারফিউ ও জরুরি আইন অমান্য করেন। রাজপথ চলে যায় জনতার দখলে। ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের শহরে। এমতাবস্থায় বিরোধী রাজনৈতিক ৩ জোটের রূপরেখা অনুযায়ী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন। ছাত্র-জনতার এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতনের ফলে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. কে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ, ১৯৭৫’ জারি করেন?
 খোন্দকার মোশতাক আহমদ খ জেনারেল জিয়াউর রহমান
গ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ঘ বিচারপতি সায়েম
২. ক্ষমতা সুসংহতকরণে জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিশেষ কৌশলের মধ্যে ছিল-
র. সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করা
রর. অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করা
ররর. ‘সার্ক’ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অগণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে তার সমভাবাপন্ন ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা, অসাংবিধানিক ক্ষমতা দখল ইত্যাদি অবৈধ কাজের নিরাপত্তা ও বৈধতা দেয় এবং একই সাথে তাদের অপরাধের বিচারের পথ রুদ্ধ করে সংসদে একটি আইনও পাশ করে।
৩. উদ্দীপকের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সংবিধানের কোন সংশোধনীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
ক প্রথম খ দ্বিতীয় গ চতুর্থ  পঞ্চম
৪. এই সংশোধনীর মাধ্যমে
র. আইনের শাসন রুদ্ধ হয়
রর. বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়
ররর. সামাজিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন- ১  নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থান ও এরশাদের পতন

একটি চলচ্চিত্রে সামরিক শাসনবিরোধী এক গণঅভ্যুত্থানে মানুষের জোয়ার দেখে এলিন বিস্মিত হয়েছিল। সামরিক শাসনের নিপীড়নে মানুষ ছিল নির্যাতিত ও অবরুদ্ধ। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ, কৃষক, শ্রমিক, আইনজীবী, ডাক্তার, সাংস্কৃতিক জোট বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদের মুখে ছিল গণতন্ত্রের মুক্তির ¯েøাগান। পুলিশের বাধা-গুলি কোনো কিছুই তাদেরকে দমাতে পারছিল না। উপরন্তু এসব বাধা-বিপত্তি জনগণকে আরও ক্ষিপ্ত করে তোলে, চারিদিকে শুধু মিছিল আর মিছিল।
ক. উপজেলা ব্যবস্থা কার সময় প্রবর্তিত হয়?
খ. ‘ইনডেমনিটি আইন’ বলতে কী বুঝায়?
গ. উদ্দীপকে স্বাধীনতা পরবর্তী কোন অভ্যুত্থানের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছেÑ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘এই আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পায়’Ñ মূল্যায়ন কর।

ক উপজেলা ব্যবস্থা জেনারেল এরশাদ সরকারের সময় প্রবর্তিত হয়।
খ ইনডেমনিটি মানে হচ্ছে কাউকে নিরাপদ করা বা নিরাপত্তা দেওয়া। জাতির পিতা, তার পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতার হত্যার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এই মর্মে যে নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছিল মূলত সেটিই ইনডেমনিটি আইন। এটি ছিল একটি মানবতাবিরোধী আইন।
গ উদ্দীপকে স্বাধীনতা পরবর্তী জেনারেল এরশাদ বিরোধী অভ্যুত্থানের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। এইচ এম এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা দখল করে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন। তিনি ক্ষমতায় এসে বেসামরিক প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তার স্বৈরাচারী শাসনে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ, কৃষক-শ্রমিক, আইনজীবী, ডাক্তার, সাংস্কৃতিক জোট বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদের মুখে ছিল গণতন্ত্রের মুক্তির স্লোগান। আন্দোলন দমনে এরশাদ দমন, পীড়ন, অত্যাচার ও হত্যার পথ বেছে নেন। ছাত্র জনতার মিছিলে পুলিশের ট্রাক তুলে দেওয়া হয়, গুলি করা হয়। কিন্তু এসব বাধা তাদের দমাতে পারেনি। এরশাদবিরোধী আন্দোলন বেগবান হয়ে ওঠে যখন ২২টি ছাত্র সংগঠন মিলে গঠিত হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। এর ফলে চারদিকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয়। উদ্দীপকে বর্ণিত এলিনও চলচ্চিত্রে সামরিক শাসনবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে এরূপ চিত্রই দেখতে পায়।
ঘ জেনারেল এইচ এম এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা দখল করে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন। সেনাপ্রধান এরশাদ বলপূর্বক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এরশাদ দেশে সামরিক আইন জারির মাধ্যমে সামরিক শাসন শুরু করেন। তিনি দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেন। তাই গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ, কৃষক-শ্রমিক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক জোট বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আন্দোলন দমনে এরশাদ দমন, পীড়ন, অত্যাচার ও হত্যার পথ বেছে নেন। ছাত্র আন্দোলন দমনে এরশাদের নতুন বাংলা ছাত্রসমাজ সন্ত্রাসের পথ অবলম্বন করে। বাংলাদেশের নির্যাতিত জনগণের আন্দোলনে পুলিশ গুলি করে। কিন্তু কোনো কিছুই তাদের দমাতে পারেনি। উপরন্তু এসব বাধাবিপত্তি জনগণকে আরও ক্ষিপ্ত করে তোলে। চারদিকে শুধু মিছিল আর মিছিল। তাদের মুখে ছিল গণতন্ত্রের মুক্তির স্লোগান। ছাত্র জনতার এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতনের ফলে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। সুতরাং বলা যায় যে, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পায়।

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. থানার পরিবর্তে উপজেলা নামকরণ করা হয় কখন? [স. বো. ’১৬]
ক ১১ মার্চ ১৯৮৩ খ ১২ মার্চ ১৯৮৩
গ ১৩ মার্চ ১৯৮৩  ১৪ মার্চ ১৯৮৩
২. সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেন কে? [স. বো. ’১৫]
ক শেখ মুজিবুর রহমান খ জিয়াউর রহমান
 হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ঘ বেগম খালেদা জিয়া
৩. খোন্দকার মোশতাক কত দিন ক্ষমতায় ছিলেন?
[সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক প্রায় এক মাস খ প্রায় দুই মাস  প্রায় তিন মাস ঘ প্রায় চার মাস
৪. খোন্দকার মোশতাক আহমেদ কাদের সহায়তায় রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন? [ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল, যশোর]
ক সেনাবাহিনীর খ নৌবাহিনীর গ বিমান বাহিনীর  খুনিচক্রের
৫. মোশতাক সরকারকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম রাষ্ট্র কোনটি?
[দি বাডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
ক ভারত খ নেপাল  পাকিস্তান ঘ ভুটান
৬. জিয়াউর রহমান কাদের হাতে নিহত হন?
[দি বাডস রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, শ্রীমঙ্গল]
 সেনা সদস্য খ পুলিশ বাহিনী
গ রাজনৈতিক কর্মী ঘ সাধারণ আমলা
৭. এরশাদ বাংলাদেশকে কয়টি জেলায় ভাগ করেন?
[পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ৬১ খ ৬২ গ ৬৩  ৬৪
৮. সার্কের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
[এ. ভি. জে এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক নয়াদিল্লিতে  ঢাকায় গ ইসলামাবাদে ঘ কাঠমুন্ডুতে
৯. নূর হোসেন কখন নিহত হন? [এ. ভি. জে. এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 ১০ নভেম্বর ১৯৮৭ খ ১১ নভেম্বর ১৯৮৭
গ ১২ নভেম্বর ১৯৮৭ ঘ ১৩ নভেম্বর ১৯৮৭
১০. এরশাদ কত খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য হন?
[মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮ খ ১১ ডিসেম্বর, ১৯৮৯
 ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০ ঘ ৭ ডিসেম্বর ১৯৯২
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১. ১৯৮৩ সালের ১৮ দফা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল [স. বো. ’১৬]
র. অন্ন রর. বস্ত্র ররর. কর্মসংস্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 খোন্দকার মোশতাক : ইতিহাসের কলঙ্ক জনক অধ্যায়  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ২০৬
 বঙ্গবন্ধুর সাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
 বঙ্গবন্ধুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে খন্দকার মোশতাক।
 প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী গ্রেফতার হন ১৭ আগস্ট।
 ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয় জাতির ৪ নেতাকে।
 খোন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় থাকেন ৩ মাস।
 ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ১৯৭৫ জারি হয় ২০ আগস্ট ১৯৭৫।
 মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান নিয়োগ দেয় খন্দকার মোশতাক।
 এইচ.এম. এরশাদকে নিয়োগ দেয়া হয় সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে।
 চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৬ আগস্ট ১৯৭৫।
 খোন্দকার মোশতাক সরকারের পতন হয় ৩ নভেম্বর ১৯৭৫।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২. খোন্দকার মোশতাক পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কোনটি দখল করেন? (জ্ঞান)
 রাষ্ট্র ক্ষমতা খ সেনাপ্রধানের ক্ষমতা
গ বিচারপতির আসন ঘ প্রধানমন্ত্রীর আসন
১৩. ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন কে? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ খালেদ মোশাররফ
 খোন্দকার মোশতাক ঘ আবু সায়েম
১৪. খোন্দকার মোশতাক দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন কার সাথে? (জ্ঞান)
ক আইয়ুব খান খ এরশাদ
 বঙ্গবন্ধু ঘ জিয়াউর রহমান
১৫. বঙ্গবন্ধুর সাথে জঘন্য বিশ্বাসঘাতকতা করেন কে? (জ্ঞান)
ক এইচ এম এরশাদ খ জিয়াউর রহমান
 খোন্দকার মোশতাক ঘ আবু তাহের
১৬. কে বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছেন? (জ্ঞান)
 খোন্দকার মোশতাক খ আবু তাহের
গ জিয়াউর রহমান ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
১৭. ক্ষমতা দখলের কত দিনের মাথায় মোশতাক বাংলাদেশে সামরিক আইন জারি করেন? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ১০ গ ৭  ৫
১৮. বাংলাদেশে প্রথম সামরিক আইন জারি করেন কে? (জ্ঞান)
ক জেনারেল এরশাদ খ জিয়াউর রহমান
 খোন্দকার মোশতাক ঘ আইয়ুব খান
১৯. খোন্দকার মোশতাক আগস্টের কত তারিখে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
ক ২৫ খ ১৮
গ ১৭  ১৫
২০. খোন্দকার মোশতাক ১৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণ কী বলে শুরু করেন? (জ্ঞান)
ক জয় বাংলা খ বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
গ জয় বাংলাদেশ  বিসমিল­াহির রাহমানির রহিম
২১. খোন্দকার মোশতাক ১৫ আগস্টের ভাষণ কী বলে শেষ করেন? (জ্ঞান)
ক জয় বাংলাদেশ  বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
গ পাকিস্তান জিন্দাবাদ ঘ জয় বাংলা
২২. খোন্দকার মোশতাক কার হত্যাকাণ্ডকে ঐতিহাসিক প্রয়োজন বলে আখ্যায়িত করেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘ মনসুর আলী
২৩. ‘দেশবাসী এক শাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে অব্যক্ত বেদনায় তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিল।…. সশস্ত্র বাহিনী পরম নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে সামনে সম্ভাবনার এক স্বর্ণদ্বার উন্মোচন করেছে।”- উক্তিটি কার? (জ্ঞান)
˜ খোন্দকার মোশতাকের খ খালেদ মোশাররফের
গ কামরুজ্জামানের ঘ আবু তাহেরের
২৪. জাতীয় চার নেতাকে কেন হত্যা করা হয়েছিল? (অনুধাবন)
ক ভারতের সাহায্য গ্রহণে প্রস্তুত ছিলেন না বলে
খ চীনের স্বীকৃতি আদায়ে ব্যর্থ ছিলেন বলে
 মোশতাকের নেতৃত্ব মানতে রাজি ছিলেন না বলে
ঘ আমেরিকার কর্তৃত্ব মানতে রাজি ছিলেন না বলে
২৫. সামরিক বাহিনীর বর্বরতাকে মোশতাক কী বলে অভিহিত করেছেন? (জ্ঞান)
ক স্বাধীনতার যুগ খ শোষণের যুগ
 সম্ভাবনার স্বর্ণদ্বার ঘ রাজনৈতিক সংকট
২৬. ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলী গ্রেফতার হন? (জ্ঞান)
ক ১৫ আগস্ট খ ১৬ আগস্ট  ১৭ আগস্ট ঘ ১৮ আগস্ট
২৭. তাজউদ্দিন আহমদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে গ্রেফতার হন? (জ্ঞান)
ক ১৬ আগস্ট খ ১৭ আগস্ট  ২২ আগস্ট ঘ ২৩ আগস্ট
২৮. ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ আগস্ট কতজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৫  ২০ গ ২৫ ঘ ৩০
২৯. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সপরিবারে নিহত হলে রিফাত সাহেব ক্ষমতা দখল করে। রিফাত সাহেবের সাথে বাংলাদেশের কোন শাসকের মিল রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক খালেদ মোশাররফ ˜ খোন্দকার মোশতাক
গ জিয়াউর রহমান ঘ জেনারেল এরশাদ
৩০. ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ আগস্ট কতজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৫  ২০ গ ২৫ ঘ ৩০
৩১. মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি বাতিল করেন কে? (জ্ঞান)
ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খ সৈয়দ নজরুল ইসলাম
 খোন্দকার মোশতাক ঘ জিয়াউর রহমান
৩২. ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ এর অনুকরণে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান কে চালু করেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান  খোন্দকার মোশতাক
গ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘ তাজউদ্দিন আহমেদ
৩৩. খোন্দকার মোশতাক কোনটির অনুকরণে ‘রেডিও বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন? (জ্ঞান)
ক রেডিও আমার খ রেডিও ফুর্তি
 রেডিও পাকিস্তান ঘ রেডিও বাংলা
৩৪. মোশতাকের সবচেয়ে নিন্দনীয় কাজ কোনটি? (জ্ঞান)
 ২০ আগস্ট একটি আদেশ জারি খ ১৯ আগস্ট একটি আদেশ জারি
গ ১৮ আগস্ট একটি আদেশ জারি ঘ ১৭ আগস্ট একটি আদেশ জারি
৩৫. ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক ২৫ সেপ্টেম্বর  ২৬ সেপ্টেম্বর
গ ২৭ সেপ্টেম্বর ঘ ২৯ সেপ্টেম্বর
৩৬. ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ কোথায় প্রকাশিত হয়? (জ্ঞান)
ক দৈনিক ইত্তেফাকে  বাংলাদেশ গেজেটে
গ বাংলাদেশ সংবাদপত্রে ঘ বাংলাদেশ স্মারকলিপিতে
৩৭. মোশতাকের সময়ে সেনাবাহিনীর প্রধান কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক মনসুর আলী  কে এম শফিউল­াহ
গ জিয়াউর রহমান ঘ তাজউদ্দিন আহমদ
৩৮. মোশতাক সরকার কেএম শফিউল্লাহর চাকরি কোন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করেন? (জ্ঞান)
ক স্বরাষ্ট্র  পররাষ্ট্র গ বাণিজ্য ঘ ধর্ম
৩৯. মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
 ২৫ আগস্ট খ ২৬ আগস্ট গ ২৭ আগস্ট ঘ ২৮ আগস্ট
৪০. বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্রকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন কে? (জ্ঞান)
ক এরশাদ  ভুট্টো গ জিয়া ঘ মোশতাক
৪১. চীন ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? (জ্ঞান)
ক ১৫ আগস্ট  ১৬ আগস্ট গ ১৭ আগস্ট ঘ ১৮ আগস্ট
৪২. সৌদি আরব ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের কত তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়? (জ্ঞান)
ক ২৮ আগস্ট ঘ ২৯ আগস্ট গ ৩০ আগস্ট  ৩১ আগস্ট
৪৩. মোশতাক সরকারের পতন হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ অক্টোবর খ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর
 ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর ঘ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৫ নভেম্বর
৪৪. খোন্দকার মোশতাক ক্ষমতা গ্রহণ করেন কীভাবে? (অনুধাবন)
ক গণভোটের মাধ্যমে খ নির্বাচনের মাধ্যমে
˜ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ঘ পাকিস্তানের সহযোগিতায়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. খোন্দকার মোশতাকের সময়ে যে সকল প্রতিক্রিয়াশীল উদ্যোগ নেওয়া হয় তা হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. রেডিও বাংলাদেশ
রর. বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
ররর. বাংলাদেশ গেজেট
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৬. বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পরবর্তী সময়ে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেয়
রর. মুক্তিযুদ্ধের অর্জন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়
ররর. পাকিস্তানের ভাবধারার পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরু হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৪৭. ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে জেলে হত্যা করা হয়Ñ (অনুধাবন)
র. সৈয়দ নজরুল ইসলামকে
রর. মনসুর আলীকে
ররর. আবু তাহেরকে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৮ ও ৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নবাব সিরাজউদ্দৌলার অন্যতম বিশ্বস্ত সেনাপতি ছিলেন মীরজাফর। তার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পলাশীর যুদ্ধে নবাব ইংরেজদের নিকট পরাজয় বরণ করেন এবং নিহত হন।
৪৮. অনুচ্ছেদের মীরজাফরের সাথে নিচের কার তুলনা করা যায়? (প্রয়োগ)
ক খালেদ মোশাররফ  খোন্দকার মোশতাক
গ কর্নেল তাহের ঘ এম এ জি ওসমানী
৪৯. উক্ত ব্যক্তির বিশ্বাস ঘাতকতার ফলে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন
রর. জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হন
ররর. সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড ভেঙে যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ২০৭
 ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতে দেখা দেয় নৈরাজ্যকর অবস্থা।
 সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব সংকট নিরসনে উদ্যোগী হন খালেদ মোশাররফ।
 সামরিক অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন সাফায়াত জামিল।
 জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করা হয় ৩ নভেম্বর।
 বিচারপতি আবু সায়েম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন ৬ নভেম্বর।
 খালেদ মোশাররফ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ‘কে’ ফোসের কমান্ডার।
 খালেদ মোশাররফ ক্ষমতাচ্যুত হন কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের পাল্টা অভ্যুত্থানে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. মোশতাকের পক্ষে কোনটি মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না? (জ্ঞান)
ক সেনাবাহিনী খ গণসন্তোষ
 নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ঘ খুনি চক্র
৫১. ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক বাহিনীতে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ে কেন? (অনুধাবন)
ক অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের কারণে
খ বঙ্গবন্ধু হত্যার কারণে
গ উচ্ছৃঙ্খল সামরিক বাহিনীর কারণে
 খুনিচক্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা লাভ করলে
৫২. সামরিক অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন কে? (জ্ঞান)
 কর্নেল সাফায়াত জামিল খ খালেদ মোশাররফ
গ মনসুর আলী ঘ জিয়াউর রহমান
৫৩. খালেদ মোশাররফ বিশ্বস্ত কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হন কখন? (জ্ঞান)
 ১ নভেম্বর, ১৯৭৫ খ ২ নভেম্বর, ১৯৭৫
গ ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫ ঘ ৪ নভেম্বর, ১৯৭৫
৫৪. জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয় কখন? (জ্ঞান)
ক মধ্যরাতে খ সন্ধ্যায়  ভোররাতে ঘ দুপুরে
৫৫. ১৫ আগস্টের খুনিচক্র কার পরামর্শে ঢাকা ছাড়ে? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান খ এইচ এম এরশাদ
 জেনারেল ওসমানী ঘ খোন্দকার মোশতাক
৫৬. জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় কখন? (জ্ঞান)
 ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫ খ ৫ নভেম্বর, ১৯৭৫
গ ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ ঘ ৮ নভেম্বর, ১৯৭৫
৫৭. কার অনুমতি নিয়ে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়? (জ্ঞান)
ক নজরুল ইসলাম খ জিয়াউর রহমান
গ এইচ এম এরশাদ  খোন্দকার মোশতাক
৫৮. কখন খালেদ মোশাররফ জেল হত্যার কথা জানতে পারেন? (জ্ঞান)
ক ৩ নভেম্বর, ১৯৭৫  ৪ নভেম্বর, ১৯৭৫
গ ৫ নভেম্বর, ১৯৭৫ ঘ ৬ নভেম্বর, ১৯৭৫
৫৯. মোশতাক কখন ক্ষমতা থেকে সরে যান? (জ্ঞান)
ক ৪ নভেম্বর, ১৯৭৫  ৫ নভেম্বর, ১৯৭৫
গ ৬ নভেম্বর, ১৯৭৫ ঘ ৭ নভেম্বর, ১৯৭৬
৬০. বিচারপতি সায়েম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন কবে? (জ্ঞান)
 ৬ নভেম্বর, ১৯৭৫ খ ৫ নভেম্বর, ১৯৭৫
গ ৪ নভেম্বর, ১৯৭৬ ঘ ৩ নভেম্বর, ১৯৭৬
৬১. সেনাবাহিনীতে খালেদ মোশাররফের জনপ্রিয়তা গ্রহণযোগ্য ছিল কেন? (অনুধাবন)
ক বিদ্রোহী সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন বলে
 সাহসী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে
গ সাহসী সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন বলে
ঘ বিদ্রোহী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে
৬২. মুক্তিযুদ্ধে ‘কে’ ফোর্সের কমান্ডার কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক জিয়াউর রহমান  খালেদ মোশাররফ
গ সফিউর রহমান ঘ মোশতাক আহমদ
৬৩. কর্নেল (অব) আবু তাহের কখন খালেদ মোশাররফকে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করেন? (জ্ঞান)
ক ৩ নভেম্বর খ ৫ নভেম্বর গ ৬ নভেম্বর  ৭ নভেম্বর
৬৪. খালেদ মোশাররফ কার পাল্টা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন? (জ্ঞান)
 কর্নেল (অব) আবু তাহের খ জিয়াউর রহমান
গ নজরুল ইসলাম ঘ মোশতাক আহমদ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৫. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ার কারণÑ (অনুধাবন)
র. ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থান
রর. ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান ররর. ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৬ ও ৬৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘ঢ’ দেশে এক সামরিক অভ্যুত্থানে সেদেশের সামরিক বাহিনীর প্রধানকে গৃহবন্দি করা হয়। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে পাল্টা আরেক অভ্যুত্থানে উক্ত সেনাবাহিনীর প্রধানকে মুক্ত করা হয়।
৬৬. অনুচ্ছেদের ঘটনা বাংলাদেশের কোন সেনাপ্রধানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়? (প্রয়োগ)
ক খোন্দকার মোশতাক খ খালেদ মোশাররফ
˜ জিয়াউর রহমান ঘ জেনারেল এরশাদ
৬৭. উক্ত সেনাপ্রধান পরবর্তীতে বাংলাদেশে (অনুধাবন)
র. রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হন
রর. থানাকে উপজেলায় পরিণত করেন
ররর. খাল খনন কর্মসূচি চালু করেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 বিচারপতি সায়েমের সরকার  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ২০৯
 বিচারপতি আবু সায়েমের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর অভ্যুত্থান ঘটে ৭৯ নম্বর।
 জিয়াউর রহমান তাকে মুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান কর্নেল তাহেরকে।
 কোনো বাধা ছাড়াই সেনাবাহিনীর প্রধান ঘোষণা করা হয় জেনারেল জিয়াকে।
 জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন ২১ এপ্রিল ১৯৭৭।
 বিচারপতি সাত্তারকে নিয়োগ দেন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৮. বিচারপতি সায়েম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের কত দিন পর পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটে? (জ্ঞান)
 এক খ দুই গ তিন ঘ পাঁচ
৬৯. জিয়াউর রহমান তাকে মুক্ত করার জন্য কাকে অনুরোধ করেন? (জ্ঞান)
ক বিচারপতি সায়েমকে খ এইচ এম এরশাদকে
 কর্নেল তাহেরকে ঘ মোশতাক আহমদকে
৭০. বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের কিসের আঘাতে পা হারান? (জ্ঞান)
ক গাড়ির আঘাতে খ গুলির আঘাতে
গ অস্ত্রের আঘাতে  বোমার আঘাতে
৭১. বাম রাজনীতির অনেক সমর্থক ছিল কার? (জ্ঞান)
 কর্নেল তাহেরের খ মোশতাক আহমদের
গ বিচারপতি সায়েমের ঘ জিয়াউর রহমানের
৭২. মেজর জিয়া প্রাণ বাঁচানোর জন্য কাকে ধন্যবাদ জানান? (জ্ঞান)
˜ কর্নেল তাহেরকে খ খালেদ মোশাররফকে
গ বিচারপতি সায়েমকে ঘ খন্দকার মোশতাককে
৭৩. জিয়াউর রহমান কত খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে নেন? (জ্ঞান)
 ১৯৭৭ খ ১৯৭৮ গ ১৯৭৯ ঘ ১৯৮০
৭৪. ক্ষমতা দখলে জিয়াকে ইন্ধন জোগায় কে? (জ্ঞান)
 বিচারপতি সাত্তার খ মোশতাক আহমদ
গ খালেদ মোশাররফ ঘ আবু তাহের
৭৫. জেনারেল জিয়া কাকে উপরাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ দেন? (জ্ঞান)
ক বিচারপতি সায়েমকে ˜ বিচারপতি সাত্তারকে
গ বিচারপতি সাহবুদ্দিনকে ঘ বিচারপতি নায়েমকে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. সাত্তারকে প্রতিদান দিতে জিয়া কার্পণ্য করেনি, কারণÑ
র. জিয়াকে ইন্ধন দিয়েছেন (অনুধাবন)
রর. নির্বাচন আয়োজনে আগ্রহী ছিলেন না
ররর. পাকিস্তানি ভাবাদর্শের কারণে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা সংহতকরণের নানা পদক্ষেপ  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা- ২০৯
 মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু জিয়াকে দেন বীর উত্তম উপাধি।
 কর্নেল তাহেরের ফাঁসি কার্যকর হয় ২১ জুলাই ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে।
 একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সেনাবাহিনীতে জনপ্রিয় ছিলেন মেজর জিয়া।
 বাংলাদেশে প্রথম গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ৩০ মে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে।
 রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৩ জুন ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে।
 বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠিত হয় ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে।
 জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপি পায় ২০৭টি আসন।
 ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে দেয়া সকল সামরিক আইন বৈধতা দেয়া হয় পঞ্চম সংশোধনীতে।
 প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য হলো খাল খনন করা।
 আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক গঠন করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
 প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয় ৩০ মে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৭. জিয়াউর রহমান সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে কেমন ছিলেন? (জ্ঞান)
 উচ্চাভিলাষী খ সাদামাটা গ মিতব্যয়ী ঘ বেহিসেবি
৭৮. জিয়াকে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত করে কে? (জ্ঞান)
ক খালেদ মোশাররফ  বঙ্গবন্ধু সরকার
গ মোশতাক ঘ সমাজতান্ত্রিক দল
৭৯. জিয়াকে কত খ্রিষ্টাব্দে সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১  ১৯৭২ গ ১৯৭৪ ঘ ১৯৭৫
৮০. মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য জিয়াকে কী উপাধি প্রদান করা হয়? (জ্ঞান)
ক সেনাপ্রধান  বীর উত্তম গ বীর প্রতীক ঘ বীর বিক্রম
৮১. কত বছর বয়সে জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন? (জ্ঞান)
 ৪০ খ ৩৮ গ ৩৭ ঘ ৩৬
৮২. কত খ্রিষ্টাব্দে কর্নেল আবু তাহেরকে গ্রেফতার করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৪  ১৯৭৫ গ ১৯৭৭ ঘ ১৯৭৮
৮৩. কর্নেল তাহেরের বিচার শুরু হয় কোথায়? (জ্ঞান)
ক উচ্চ আদালতে খ নিম্ন আদালতে
 কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘ আন্তর্জাতিক আদালতে
৮৪. কর্নেল তাহেরের বিচার শুরু হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫  ১৯৭৬ গ ১৯৭৭ ঘ ১৯৭৮
৮৫. কর্নেল তাহেরের বিচার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান কে ছিলেন? (জ্ঞান)
 কর্নেল ইউসুফ হায়দার খ মোশতাক আহমদ
গ খালেদ মোশাররফ ঘ বিচারপতি আবু সাদাত সায়েম
৮৬. কর্নেল তাহেরের বিচারে কী শাস্তি দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক যাবজ্জীবন খ মুক্তি
গ ৭ বছর কারাদণ্ড মৃত্যুদণ্ডাদেশ
৮৭. কর্নেল তাহেরের ফাঁসি কার্যকর হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
 ২১ জুলাই খ ২২ জুলাই গ ২৩ জুলাই ঘ ২৪ জুলাই
৮৮. কর্নেল তাহেরের ফাঁসির পর কে পদোন্নতি পেয়ে ব্রিগেডিয়ার হন? (জ্ঞান)
 কর্নেল ইউসুফ হায়দার খ খালেদ মোশাররফ
গ এইচ এম এরশাদ ঘ জিয়াউর রহমান
৮৯. কর্নেল আবু তাহেরকে ফাঁসি দেয়া হয় কেন? (অনুধাবন)
ক ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অপরাধে
খ ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানের অপরাধে
 ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানের অপরাধে
ঘ ৩ নভেম্বর চার নেতা হত্যার অপরাধে
৯০. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ‘ক’ নামক একজন কর্নেল ছিলেন, যাকে অভ্যুত্থানের অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি কে? (প্রয়োগ)
ক কর্নেল ওসমানী খ কর্নেল ওলি
 কর্নেল আবু তাহের ঘ কর্নেল জসিম
৯১. কর্নেল তাহের কার জীবন বাঁচিয়েছিলেন? (জ্ঞান)
ক বঙ্গবন্ধুর  জিয়াউর রহমানের
গ মোশতাক আহমদের ঘ খালেদ মোশাররফের
৯২. জিয়ার ক্ষমতার উৎস কী ছিল? (জ্ঞান)
ক মুজিবনগর সরকার খ মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান
 সেনাবাহিনী ঘ কমিউনিস্ট পার্টি
৯৩. জিয়া সামরিক ফরমান জারি করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭০ খ ১৯৭৬  ১৯৭৭ ঘ ১৯৮০
৯৪. বঙ্গবন্ধুর আমলে বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিচয় কী ছিল? (জ্ঞান)
ক বাংলাদেশি ˜ বাঙালি গ মুক্তিযোদ্ধা ঘ বীরাঙ্গনা
৯৫. সংবিধানের শুরুতে প্রস্তাবনার পূর্বে কী লেখা ছিল? (জ্ঞান)
ক আলহামদুলিল্লাহ খ আউযুবিল্লাহ
˜ বিসমিল্লাহ ঘ ইন্নালিল্লাহ
৯৬. জিয়াউর রহমানের সরকার ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ জারি করে কেন? (অনুধাবন)
ক সামরিক বাহিনীর অসন্তোষ হ্রাসের জন্য
˜ রাজনৈতিক অসন্তোষ হ্রাসের জন্য
গ অর্থনৈতিক অসন্তোষ হ্রাসের জন্য
ঘ সামাজিক অসন্তোষ হ্রাসের জন্য
৯৭. ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ জারি করা হয় কখন? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে  ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে
৯৮. ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর অনুমতি পায় কতটি দল? (জ্ঞান)
 ২৩ খ ২২ গ ২১ ঘ ২০
৯৯. ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে জিয়াউর রহমান গণভোটের আয়োজন করেন কেন? (অনুধাবন)
ক জরুরি অবস্থান মোকাবিলায়
˜ তার ক্ষমতাকে বৈধতা প্রদানের জন্য
গ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য
ঘ রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার জন্য
১০০. প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কত তারিখে গণভোটের আয়োজনের ঘোষণা দেন? (জ্ঞান)
ক ২৭ মে, ১৯৭৬ খ ৩০ মে, ১৯৭৬
গ ২৫ মে, ১৯৭৭  ৩০ মে, ১৯৭৭
১০১. জিয়াউর রহমানের গণভোটে শতকরা কত ভাগ ভোটদাতা ভোট প্রদান করেন? (জ্ঞান)
ক ৮৮ খ ৮৮.৩  ৮৮.৫ ঘ ৮৮.৯
১০২. সামরিক শাসনের অধীনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৭  ১৯৭৮ গ ১৯৭৯ ঘ ১৯৮০
১০৩. ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন কত জন? (জ্ঞান)
ক ১  ২ গ ৩ ঘ ৪
১০৪. ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান কত ভাগ ভোট পায়? (জ্ঞান)
ক ৭০.২০ খ ৭১.৭১ গ ৭২.৭২  ৭৬.৬৩
১০৫. ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ওসমানীর ভোট দেখানো হয়েছিল কত? (জ্ঞান)
 ২১.৭০ খ ২২.৭০ গ ২৩.৭০ ঘ ৩০.০০
১০৬. জিয়াউর রহমানের আমলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
 ১৯৭৯ খ ১৯৮১ গ ১৯৮৫ ঘ ১৯৮৭
১০৭. ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি কতটি আসন লাভ করে? (জ্ঞান)
ক ২০০ খ ২০৫  ২০৭ ঘ ২১০
১০৮. ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতটি আসন পায়? (জ্ঞান)
ক ৪০  ৩৯ গ ৩৮ ঘ ৩৭
১০৯. কত খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৮০  ১৯৭৯ গ ১৯৭৮ ঘ ১৯৭৭
১১০. পঞ্চম সংশোধনী জাতীয় সংসদে আনা হয় কত তারিখে? (জ্ঞান)
ক ৬ এপ্রিল খ ৭ এপ্রিল  ৫ এপ্রিল ঘ ৩ এপ্রিল
১১১. কোন সংশোধনীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের হত্যা বৈধতা দেয়া হয়? (জ্ঞান)
ক অষ্টম সংশোধনী  পঞ্চম সংশোধনী
গ চতুর্থ সংশোধনী ঘ তৃতীয় সংশোধনী
১১২. সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
 ১৯৭৯ খ ১৯৮০ গ ১৯৮১ ঘ ১৯৮২
১১৩. ইনডেমনিটি অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল  কাউকে নিরাপদ করা
গ সংবিধান সংশোধনী ঘ সামরিক সরকার
১১৪. জেনারেল জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের কারণ কী? (প্রয়োগ)
 এদেশকে বিশ্বে মুসলিম পরিচয়ে তুলে ধরা
খ সংবিধান সংশোধন
গ বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন
ঘ খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক
১১৫. ইনডেমনিটি আইনের প্রবর্তক কে? (জ্ঞান)
ক আবদুস সাত্তার খ মোশতাক আহমদ
 জিয়াউর রহমান ঘ খালেদ মোশাররফ
১১৬. ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে কে? (জ্ঞান)
ক খালেদা জিয়ার সরকার  শেখ হাসিনার সরকার
গ এরশাদ সরকার ঘ সামরিক সরকার
১১৭. জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৯৫  ১৯৯৬ গ ১৯৯৭ ঘ ১৯৯৮
১১৮. ১৯ দফা নীতি কত খ্রিষ্টাব্দে করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৭৬  ১৯৭৭ গ ১৯৭৮ ঘ ১৯৮০
১১৯. কোন কর্মসূচি জিয়ার আমলে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল? (জ্ঞান)
 খাল খনন কর্মসূচি খ গণশিক্ষা
গ মাধ্যমিক শিক্ষা ঘ শ্রমিকদের উন্নতি
১২০. ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে কোন জেলায় খালকাটা কর্মসূচির সূচনা হয়? (জ্ঞান)
ক ফেনী  যশোর গ গাইবান্ধা ঘ বগুড়া
১২১. কত খ্রিষ্টাব্দে প্রথম গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়? (জ্ঞান)
 ১৯৮০ খ ১৯৮১ গ ১৯৮২ ঘ ১৯৮৩
১২২. কোথায় প্রথম গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়? (জ্ঞান)
 সাভারের জিরাবোতে খ সাভারের আশুলিয়া
গ সাভারের আমিন বাজারে ঘ সাভারের নবীনগরে
১২৩. জিয়ার সরকার কত খ্রিষ্টাব্দে গণশিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
 ১৯৮০ খ ১৯৮১ গ ১৯৮২ ঘ ১৯৮৩
১২৪. কে শিল্পখাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেন? (জ্ঞান)
ক মোশতাক আহমদ  জিয়াউর রহমান
গ খালেদ মোশাররফ ঘ বঙ্গবন্ধু
১২৫. ইনডেমনিটি কেন বাতিল করা হয়? (অনুধাবন)
ক জিয়া প্রবর্তন করেছেন তাই খ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের জন্য
 মানবতাবিরোধী আইন বলে ঘ নিরাপত্তা বিধানের জন্য
১২৬. জিয়াউর রহমান কার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন? (জ্ঞান)
ক আন্তর্জাতিক দেশসমূহের সাথে  মুসলিম দেশগুলোর সাথে
গ ভারতের সাথে ঘ মুসলিম দলগুলোর সাথে
১২৭. জেনারেল জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের কারণ কী? (অনুধাবন)
 এদেশকে বিশ্বে মুসলিম পরিচয়ে তুলে ধরা
খ সংবিধান সংশোধন
গ বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন
ঘ খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক
১২৮. স্বাধীনতার কিছু কাল পরই কার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বৈরি ও তিক্ত হয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক পাকিস্তান  ভারত গ ভুটান ঘ নেপাল
১২৯. স্বাধীনতার পর কোনটি বাংলাদেশের রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে? (জ্ঞান)
 ফারাক্কা বাঁধ ও সীমান্তে সংঘর্ষ খ ভুটানের সাথে সম্পর্ক
গ মায়ানমারের সাথে সম্পর্ক ঘ চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি
১৩০. জিয়াউর রহমান ফারাক্কা বাঁধের বিষয় উত্থাপন করেন কোথায়? (জ্ঞান)
ক সার্কে  জাতিসংঘে
গ আসিয়ানে ঘ আরব লীগে

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  খোন্দকার মোশতাক : ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায়

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ককে হত্যা করে যারা দেশের রাজনীতিকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছিল তাদের বিচারের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল দেশের এক সময়কার রাষ্ট্রপ্রধান। স্বল্পকালের এ রাষ্ট্র প্রধান পাকিস্তান জিন্দাবাদ এর অনুকরণে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ শ্লোগান চালু করেছিল। [পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর]
ক. চীন বাংলাদেশকে কত খ্রিষ্টাব্দে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল? ১
খ. ইনডেমনিটি আইনের ব্যাখ্যা দাও। ২
গ. উদ্দীপকে যে রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তার শাসনকাল ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত রাষ্ট্রপ্রধান এ সময় নানা প্রতিক্রিয়াশীল উদ্যোগ গ্রহণ করেন মতামত দাও। ৪

ক চীন বাংলাদেশকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল।
খ ইনডেমনিটি মানে হচ্ছে কাউকে নিরাপদ করা বা নিরাপত্তা দেওয়া। জাতির পিতা, তার পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতার হত্যার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। এই মর্মে যে নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছিল মূলত সেটিই ইনডেমনিটি আইন। এটি ছিল একটি মানবতাবিরোধী আইন।
গ উদ্দীপকে যে রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তিনি হলেন খোন্দকার মোশতাক। উদ্দীপকে বর্ণিত রাষ্ট্রপ্রধান স্বল্পকাল রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তান জিন্দাবাদের অনুকরণে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ¯েøাগান চালু করেছিলেন যা খোন্দকার মোশতাককে নির্দেশ করে। খোন্দকার মোশতাকের স্বল্পকালীন শাসনকাল বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় বয়ে আনে। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয় এবং পাকিস্তানের ভাবধারার পুনঃপ্রতিষ্ঠা শুরু হয়। ক্ষমতা দখল করে পাঁচ দিনের মাথায় মোশতাক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সামরিক আইন জারি করেন। মোশতাক নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেন। কেউ কেউ উৎসাহী ছিলেন না, এমন নয়। তবে, জীবনের ভয় দেখিয়েও মোশতাক জাতীয় চার নেতাসহ অনেককে বশীভ‚ত করতে পারেননি। যেসব নেতা মোশতাকের নেতৃত্ব মানতে রাজি হননি তাদের গ্রেফতার করা হয়। মোশতাকের ঘৃণ্য ও অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, কামরুজ্জামান ও মনসুর আলীকে ৩ নভেম্বর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে জাতীয় চার নেতাকে যারা হত্যা করল তাদের গ্রেফতার করা হলো না; কোনো বিচার হলো না। বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায় যুক্ত হলো।
ঘ উক্ত রাষ্ট্র প্রধান হলেন খোন্দকার মোশতাক। খোন্দকার মোশতাক এ সময় নানা প্রতিক্রিয়াশীল উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার এ উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কোনোভাবে মেলে না। যেমন : মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’ বাতিল করে দেন। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ এর অনুসরণে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ ¯েøাগান চালু করেন। রেডিও পাকিস্তানের ন্যায় করেন ‘রেডিও বাংলাদেশ’।
মোশতাকের সবচেয়ে নিন্দনীয় জঘন্য কাজ হলো ১৯৭৫-এর ২০ আগস্ট একটি আদেশ জারি। এই আদেশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না। কোনো সভ্য সমাজে এই ধরনের আইন হতে পারে না যে হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না। মানবতাবিরোধী এই কালো আইন ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ, ১৯৭৫’ নামে ১৯৭৫-এর ২৬ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ গেজেট’ এ প্রকাশিত হয়। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশে বলা হয়, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের জন্য যেসব পরিকল্পনা বা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে এবং যারা এর সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি বিধানের জন্য কোনোরূপ আইনের আশ্রয় নেওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, খোন্দকার মোশতাক ১৫ আগস্টের খুনিচক্রকে দেশে-বিদেশে উচ্চপদ ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুরস্কৃতও করেন। আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর মোশতাক ও তার সহযোগীরা ক্ষমতাকে স্থায়ী ও নিরাপদ করার জন্য সেনাবাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।

প্রশ্ন- ২  জেনারেল এরশাদের সরকার

প্রশাসনিক সংস্কার-
১. উপজেলা ব্যবস্থা চালুকরণ;
২. মহকুমাকে জেলা ঘোষণা ও
৩. বিচার ব্যবস্থার সংস্কার। [কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী কবে সংসদে গৃহীত হয়? ১
খ. জিয়াউর রহমানের বৈদেশিক নীতি কেমন ছিল? ২
গ. উদ্দীপকের প্রশাসনিক সংস্কারগুলো বাংলাদেশের কোন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত সরকার এছাড়াও কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ এপ্রিল সংসদে গৃহীত হয়।
খ অভ্যন্তরীণ নীতির সঙ্গে মিল রেখেই প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়া বৈদেশিক নীতি বা পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি মুসলিম দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের যৌক্তিকতা হিসেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুসলিম পরিচয়কে বড় করে তোলা হয়। যে কারণে জেনারেল জিয়া শুরু থেকেই রুশ-ভারতবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন।
গ উদ্দীপকে প্রশাসনিক সংস্কারগুলো বাংলাদেশের জেনারেল এরশাদ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম। এরশাদ ক্ষমতায় এসে বেসামরিক প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ এপ্রিল প্রশাসনিক পুনর্গঠন কমিটি গঠন করেন। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তিনি প্রশাসনিক কাঠামোতে কিছু পরিবর্তন করেন। উপজেলা ব্যবস্থা : থানা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। উপজেলায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির অধীনে সরকারি আমলাদের মাধ্যমে প্রশাসন পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মহকুমাকে জেলা ঘোষণা : প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণের জন্য মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে মোট ৬৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। বিচারব্যবস্থার সংস্কার : বিচারব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। উপজেলায় পৃথক ম্যাজিস্ট্রেট ও মুন্সেফ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া রংপুর, যশোর, বরিশাল, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেটে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টের রায়ের কারণে ঢাকার বাইরের বেঞ্চগুলো বাতিল করা হয়। অনুরূপভাবে উদ্দীপকেও প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে উপজেলা ব্যবস্থা চালুকরণ, মহকুমাকে জেলা ঘোষণা এবং বিচারব্যবস্থার সংস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘ উক্ত সরকার হলেন জেনারেল এরশাদের সরকার। এ সরকার প্রশাসনিক সংস্কার ছাড়াও কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।
এরশাদ নানাভাবে একজন জনদরদি নেতা হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছেন। সভা-সমাবেশ ও সরকারি প্রচার মাধ্যমে বলা হয়েছে এরশাদের উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্য গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ তিনি জনগণের সার্বিক কল্যাণে ১৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জাতীয় সংহতি থেকে শুরু করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, কর্মসংস্থানসহ পররাষ্ট্রনীতি পর্যন্ত সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। সরকারি টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্রে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রচারণা চালানো হলেও সামগ্রিকভাবে তার আমলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই সন্তোষজনক ছিল না। প্রকৃত উন্নয়ন না হওয়ার প্রধান কারণ দুর্নীতি আর সীমাহীন লুটপাট। এরশাদের সময়ে বৈদেশিক সাহায্য নির্ভরতা হতাশাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৮০-৮১ খ্রিষ্টাব্দে উন্নয়ন বাজেটের ৬৫ শতাংশ ছিল বিদেশি সাহায্যনির্ভর, ১৯৮৮-৮৯ খ্রিষ্টাব্দে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১২৬.৩ শতাংশ। ঋণখেলাপি সংস্কৃতিতে সামরিক-বেসামরিক আমলা ও দলছুট রাজনীতিবিদরা লাভবান হয়েছেন। খাদ্য উৎপাদন, জিডিপি, গড় প্রবৃদ্ধি সব ছিল নিম্নগামী। তবে সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ নিজের ক্ষমতার ভিত শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপকভাবে সামরিক বাহিনীর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছিলেন।
 মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ৩  খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থান

বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে বাবা তার ছেলের কৌতুহল নিবৃত্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেনারা অভ্যুত্থান ঘটায়’ বাবা অতঃপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘কিন্তু এই অভ্যুত্থান বেশি দিন স্থায়ী হয়নি’।
ক. খালেদ মোশাররফ কবে অভ্যুত্থান ঘটান? ১
খ. গণভোট হ্যাঁ বা না ভোট নামে পরিচিত-ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ছেলের কৌতুহল নিবৃত্ত করতে বাবার বক্তব্যে বাংলাদেশের কোন ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাবার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক খালেদ মোশাররফ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর অভ্যুত্থান ঘটান।
খ তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই সামরিক শাসকরা অবৈধ ক্ষমতা দখলের পর গণভোটের আয়োজন করে। উদ্দেশ্য ক্ষমতা দখলকে একপ্রকার বৈধতা প্রদান করা। বিচারপতি সায়েমের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পরের দিন ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২২ এপ্রিল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান ৩০ মে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। যা হ্যাঁ/না ভোট নামেও পরিচিত।
গ উদ্দীপকে ছেলের কৌতুহল নিবৃত্ত করতে বাবার বক্তব্য ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেনারা অভ্যুত্থান ঘটায়। এ বক্তব্যে খালেদ মোশাররফ কর্তৃক ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বরের পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশে চরম রাজনৈতিক শূন্যতার পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে দেখা দেয় নৈরাজ্যকর অবস্থা। মোশতাকের পক্ষে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল না। কারণ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই মোশতাক ক্ষমতা দখল করেছেন। তদুপরি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের দাবির মুখেও নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়া সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ নেননি। কারণ ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সহায়তায় জিয়া সেনাপ্রধানের পদ লাভ করেছেন। এমনি পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ সেনাবাহিনীর মধ্যে নেতৃত্বের সংকট নিরসনে উদ্যোগী হন। তিনি উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করলেন। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলেন সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়া চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বিশ্বস্ত কয়েকজন অফিসারের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হন। পাল্টা অভ্যুত্থানের চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ নভেম্বর রাতে বঙ্গভবন থেকে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা সেনানিবাসে ফিরে যাবার মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থান শুরু হয়। ৩ নভেম্বর ভোর রাতে জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয়।
ঘ বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্রের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থান ঘটে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি বিধায় উদ্দীপকে বর্ণিত বাবা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। বাবার বক্তব্যে উঠে আসা ৩ নভেম্বর যে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছিল তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ৩ নভেম্বর ক্ষমতা দখলের পর ৪ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ এক ঘোষণায় জানালেন যে, জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। মোশতাকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন তাকে পদোন্নতিসহ সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য। শেষ পর্যন্ত ৫ নভেম্বর মাঝ রাতে মোশতাক ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে খালেদ মোশাররফ ও অভ্যুত্থানকারী অফিসাররা তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণে অনুরোধ করেন। ৬ নভেম্বর বিচারপতি সায়েম বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মোশতাক ও জিয়াকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে এবং বঙ্গভবনকে খুনিচক্রদের কবল থেকে মুক্ত করে খালেদ মোশাররফ রাষ্ট্রক্ষমতায় তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ৩-৬ নভেম্বর, মাত্র চারদিনের জন্য তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ৭ নভেম্বর কর্নেল (অব) আবু তাহেরের পাল্টা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন খালেদ মোশাররফ। খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান স্থায়ী হলে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র হয়তো এদেশে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারত না। এ চিন্তা থেকেই বাবা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।

প্রশ্ন- ৪  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৮

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমরা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন দেখেছি। এ নির্বাচনগুলোর মধ্যে এমন একটি নির্বাচন হয় যেখানে প্রধান দুটি জোটের প্রধান ছিলেন দুইজন জেনারেল।
ক. বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী কবে সংসদে গৃহীত হয়? ১
খ. ‘পঞ্চম সংশোধনী আইন ১৯৭৯’ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের কোন নির্বাচনের ইঙ্গিত রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত নির্বাচনের ফলাফলে ডানপন্থিদের রাজনীতি করার পথ উন্মুক্ত হয়Ñ কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ এপ্রিল জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।
খ ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। এই সংশোধনীতে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গকে হত্যার পর থেকে ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত অসাংবিধানিক সরকারগুলো যে সমস্ত সামরিক আইনসহ বিভিন্ন আদেশ, অধ্যাদেশ, প্রবিধান জারি করে, তার সবকিছুকেই আইনগত বৈধতা দেওয়া হয়।
গ উদ্দীপকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৯৭৮-এর ইঙ্গিত রয়েছে। বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন হয় যেখানে প্রধান দুটি জোটের প্রধান ছিলেন দুইজন জেনারেল যা ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং জেনারেল ওসমানী। সামরিক শাসনের অধীনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা হয়। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি জোট গড়ে ওঠে। জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন জিয়াউর রহমান অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ঐক্য জোটের প্রার্থী ছিলেন ওসমানী। জিয়ার সঙ্গে অসম প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ওসমানী যে পেরে উঠবেন না এ নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। জিয়া ও তার সমর্থকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে কীভাবে গ্রহণযোগ্য করা যায়। জিয়া কারচুপির মাধ্যমে প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৭৬.৬৩ ভাগ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ওসমানীকে দেখানো হয়েছিল মাত্র ২১.৭০ ভাগ ভোট। এই নির্বাচনের পরেও সামরিক শাসন থাকায় জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পায়নি।
ঘ উক্ত নির্বাচন হলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ১৯৭৮। এ নির্বাচনের ফলাফলে ডানপন্থিদের রাজনীতি করার পথ উন্মুক্ত হয়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হবার পর অন্যান্য সামরিক শাসকদের ন্যায় জেনারেল জিয়াও রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তা করেন।
আওয়ামী লীগ বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক সমর্থন নিয়ে জিয়ার যাত্রা শুরু। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানপন্থি জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, মুসলিম লীগসহ ধর্মীয় দলগুলোর বাংলাদেশ বিরোধী ভ‚মিকার কারণে স্বাধীনতার পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠনের সাংবিধানিক অন্তরায় দূর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। জিয়া ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, (বিএনপি) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি নিজেই এই দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। স্বাধীনতাবিরোধী, বামপন্থি, ডানপন্থি বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি বিএনপিতে যোগ দেয়। মূলত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আশায় জিয়ার আশপাশে অনেক রাজনীতিবিদ ভিড় করেছিলেন। জিয়া তাদেরকে পদ-পদবি দিয়ে নানাভাবে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়ার আমলে উপদেষ্টা/মন্ত্রীর একটা বড় অংশ আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। আবার অনেকে স্বাধীনতার বিরোধী ভ‚মিকায় ছিলেন। জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। এভাবে উক্ত নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে ডানপন্থি রাজনীতির পথ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন- ৫  মেজর জিয়াউর রহমান এবং আবু তাহেরের বিচার

দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান জনাব ‘ঢ’ রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতা সংহতকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ইতোপূর্বে জনাব ‘ণ’ এ শাসকের জীবন বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানের কারণে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ক. মোশতাক আহমদের সামরিক সরকারের পতন হয় কত খ্রিষ্টাব্দে? ১
খ. ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার উদ্দেশ্য কী ছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের জনাব ‘ঢ’ বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রপতির প্রতিচ্ছবি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ‘ণ’ এর পরিণতি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মোশতাক আহমদের সামরিক সরকারের পতন হয় ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে।
খ জেনারেল এরশাদ সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বলে ঘোষণা করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তিনি ইসলামপন্থি দলগুলোর সমর্থন লাভের চেষ্টা করেন। মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এরশাদ এই সংশোধনী আনেন। বলার অপেক্ষা রাখে না ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
গ উদ্দীপকে ‘ঢ’ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি।
১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা সংহতকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপকে গ্রহণ করেন, যা জনাব ‘ঢ’ এর কর্মকাণ্ডের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মাত্র ৪০ বছর বয়সে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে জিয়া দ্রæততম সময়ের মধ্যে তার ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্যাপকভাবে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতার জন্ম দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে প্রথমেই সেনাবাহিনীতে নিয়ন্ত্রণ ও আস্থা পুনপ্রতিষ্ঠা করেন। জিয়াউর রহমান দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং দেশ-বিদেশে নিজের অবস্থান ও পরিচিতি তুলে ধরতে সংবিধানে সংশোধনী আনয়ন করেন। একদলীয় ও সামরিক শাসনকে বাদ দিয়ে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশে ঘরোয়া রাজনীতি চালু করেন। ৫৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৩টিকে ঘরোয়া রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। গণভোট প্রদানের মাধ্যমে তিনি নিজের শাসন ব্যবস্থাকে বৈধতায় রূপ দেন। জিয়াউর রহমান জাতীয় ও বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নির্বাচন দেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে জিয়াউর রহমান নিজেই দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। স্বাধীনতাবিরোধী, বামপন্থী, ডানপন্থী বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি বিএনপিতে যোগ দেয়।
ঘ উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব ‘ণ’ হচ্ছেন কর্নেল (অব) আবু তাহের। আর আবু তাহেরই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের জীবন বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানের কারণেই আবু তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ৭ নভেম্বর সেনাবিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ নভেম্বর কর্নেল (অব) আবু তাহেরকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেফতার শুরু হয়। কারণ ওই সময়ে তাহের বা তাহের সমর্থিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাসদই কেবল জিয়ার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারত। ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাহেরের বিচার শুরু হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুন। বিশেষ সামরিক ট্রাইব্যুনালে গোপন বিচারকাজ শেষ হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জুলাই। এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ছিলেন পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল ইউসুফ হায়দার। ট্রাইব্যুনাল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করে। প্রহসনের বিচারের রায় অনুযায়ী তাহেরের ফাঁসি কার্যকর হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জুলাই। বিচার চলাকালীন প্রায়ই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান কর্নেল ইউসুফ হায়দার বঙ্গভবনে জেনারেল জিয়ার সঙ্গে দেখা করতেন। অনেক সময় ধরে দু’জনে শলাপরামর্শ করতেন। এতে করে কর্নেল তাহেরের শাস্তি হবে ভাবলেও ফাঁসি হবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানের অপরাধে তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হলো। অথচ এই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিলেন জিয়া নিজে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কর্নেল তাহের জিয়ার জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন অথচ তথাকথিত বিচারের নামে তার হাতেই তাহেরের জীবনাবসান হয়।

প্রশ্ন- ৬  মেজর জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপ

আরিশা এশিয়া মহাদেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশের নাগরিক। তার দেশের একজন রাষ্ট্রপতি অভ্যন্তরীণ নীতির সঙ্গে মিল রেখেই দেশটির পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেছিলেন। তিনি মুসলিম দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তনের যৌক্তিকতা হিসেবে দেশটির মুসলিম পরিচয়কে বড় করে তোলার ব্যবস্থা করেন।
ক. নূর হোসেন নিহত হন কবে? ১
খ. জেল হত্যার মূল কারণ কী ছিল? ২
গ. আরিশার দেশের রাষ্ট্রপতির পররাষ্ট্রনীতির সাথে বাংলাদেশের যে রাষ্ট্রপতির পররাষ্ট্রনীতির মিল রয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. বাংলাদেশের অনুরূপ একজন রাষ্ট্রপতির উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যাপক প্রচার লাভ করেছিল মতামত দাও। ৪

ক নূর হোসেন ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ১০ নভেম্বর নিহত হন।
খ খোন্দাকার মোশতাক নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েও জাতীয় চার নেতাকে তার সরকারের মন্ত্রী পদ গ্রহণে সম্মত করাতে পারেননি। যে কারণে খুনি চক্র কারাগারের ভেতরে ঢুকে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ড ছিল ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত, স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার বাস্তবায়ন।
গ আরিশার দেশের রাষ্ট্রপতির পররাষ্ট্রনীতির সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মিল রয়েছে। আরিশার দেশের রাষ্ট্রপতি মুসলিম দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তনের যৌক্তিকতা হিসেবে দেশটির মুসলিম পরিচয়কে বড় করে তোলার ব্যবস্থা করেন, যা জিয়াউর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
অভ্যন্তরীণ নীতির সঙ্গে মিল রেখেই প্রেসিডেন্ট জিয়া পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি মুসলমান দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের যৌক্তিকতা হিসেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মুসলিম পরিচয়কে বড় করে তোলা হয়। সে কারণে জেনারেল জিয়া শুরু থেকেই রুশ-ভারতবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেন। এ সময় ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে দেশে-বিদেশে ভারতবিরোধী প্রচারণাও ব্যাপক আকার ধারণ করে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জিয়া বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে দু’দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এছাড়া জিয়া সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেন।
ঘ বাংলাদেশের অনুরূপ একজন রাষ্ট্রপতি অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যাপক প্রচার লাভ করেছিল। নিচে এ বিষয়ে আমার মতামত উপস্থাপন করা হলো। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল ১৯ দফা নীতি ও উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জিয়ার কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কৃষি উন্নয়নসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, নারীর মর্যাদা, সকলের জন্য চিকিৎসা, শ্রমিকদের উন্নতি, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকারসহ বেশকিছু জনপ্রিয় কর্মসূচি ছিল। এছাড়া জিয়ার আমলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে খাল খনন কর্মসূচি বা খাল কাটা বিপ্লব নিয়ে। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর যশোরের উলশী যদুনাথপুরে খালকাটা কর্মসূচির সূচনা হয়। এছাড়া ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল সাভারের জিরাবোতে প্রথম গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তাছাড়া ৫৭ লক্ষ শিক্ষার্থীকে পঠন-পাঠনের উপযোগী করার লক্ষ্য নিয়ে জিয়া সরকার ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রæয়ারি গণশিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করে। জিয়া শিল্পখাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেন। এভাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলে ও প্রচার লাভ করে।
প্রশ্ন- ৭  বৈদেশিক সম্পর্ক

নবম শ্রেণির ছাত্র তৌহিদ ও তন্ময় জিয়াউর রহমানের শাসনকাল সম্পর্কে আলোচনা করছিল। তৌহিদ বলে, একটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের মধ্যদিয়ে জিয়া বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তন্ময় বলে স্বাধীনতার কিছুকাল পরেই প্রতিবেশী আর একটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ শীতল, বৈরী ও তিক্ত হয়ে পড়লে জিয়া দেশের স্বার্থে উক্ত দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেন।
ক. খালকাটা কর্মসূচির প্রবর্তক কে? ১
খ. জেনারেল জিয়া গ্রাম সরকার গঠন করেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকে তন্ময় কোন দেশের ইঙ্গিত করেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে তৌহিদ যে দেশটির কথা বলেছেন তার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে জিয়া বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেনÑ বিশ্লেষণ কর। ৪

ক খালকাটা কর্মসূচির প্রবর্তক হলেন জিয়াউর রহমান।
খ স্থানীয় সমস্যার সমাধান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, গণশিক্ষাসহ গ্রামের উন্নয়নে সহায়তা করতে জেনারেল জিয়া গ্রাম সরকার গঠন করেন। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল সাভারের জিরাবোতে প্রথম গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
গ উদ্দীপকে তন্ময় যে দেশটির ইঙ্গিত করেছে সেই দেশটি হচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বিশেষ সহযোগিতা থাকলেও কিছুকাল পার না হতেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বেশ শীতল, বৈরী ও তিক্ত হয়ে পড়ে। পারস্পরিক সন্দেহ, অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার কারণে দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। বিশেষভাবে ফারাক্কা বাঁধ ও সীমান্তে সংঘর্ষ বাংলাদেশের রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তোলে। ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে দেশে-বিদেশে ভারতবিরোধী প্রচারণা ব্যাপক আকার ধারণ করে। জেনারেল জিয়া জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় ফারাক্কা বাঁধের বিষয় উত্থাপন করেন। ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের পরিবর্তনের পর মোরারজী দেশাই ক্ষমতায় এলে জিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। জিয়াউর রহমান এ সময় দেশের স্বার্থে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেন। যা উদ্দীপকে তন্ময় তার বর্ণনায় ব্যক্ত করেছে। এতে উভয় দেশের মধ্যকার বৈরীভাব দূর হয়ে আবারও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ঘ উদ্দীপকে তৌহিদ পাকিস্তানের কথা বলেছেন। কারণ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জিয়া বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে দু’দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। উদ্দীপকে তৌহিদ এমনই একটি তথ্য উপস্থাপন করেছে। সে বলেছে, একটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের মধ্য দিয়ে জিয়া বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর আমলে পাকিস্তানের কাছে দাবিকৃত সম্পদের হিস্যা ও অবাঙালি পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত নেবার বিষয় অমীমাংসিত থেকে যায়। জিয়ার অতিমাত্রায় পাকিস্তান প্রীতির কারণে স্বল্প সময়ে দুদেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ, বিমান ও নৌ যোগাযোগ, বাণিজ্য চুক্তি ও উচ্চপর্যায়ের শুভেচ্ছা সফর সম্পন্ন হয়। পাকিস্তান সরকার ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের দাবি তোলে। তারা জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা পরিবর্তনসহ ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের পক্ষে প্রচারণা চালায়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বাধীনতা প্রিয় বাঙালির দৃঢ় মনোভাবের কারণে জেনারেল জিয়া এসব বিষয়ে অগ্রসর হননি।
প্রশ্ন- ৮  বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সরকার

শ্রীমান হর্ষ ভার্মা তার দেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশটির সেনা প্রধানের আনুগত্য লাভে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তিনি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধাসহ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। ঐ নির্বাচনে তিনি ৬৫.৮০ ভাগ ভোট পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। অবশ্য বিরোধী দল নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল।
ক. কাকে প্রধান করে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করা হয়? ১
খ. জেনারেল জিয়ার উন্নয়ন কর্মসূচি কী ছিল? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের যে সরকারের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ. “শ্রীমান হর্ষ ভার্মার মতো রাষ্ট্রপতিকে বলপূর্বক সরিয়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিল” বিশ্লেষণ কর। ৪

ক শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে প্রধান করে তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করা হয়।
খ ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল জেনারেল জিয়া ১৯ দফা নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এতে কৃষি উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা, নারীর মর্যাদা, সকলের জন্য চিকিৎসা, শ্রমিকদের উন্নতি, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকারসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় কর্মসূচি ছিল। তাছাড়া খাল খনন, গ্রাম সরকার, যুব স¤প্রদায় কেন্দ্র, গণশিক্ষা কার্যক্রমও কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গ উদ্দীপকে বাংলাদেশের বিচারপতি সাত্তার সরকারের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতি আবদুস সাত্তার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদ উপস্থিত থেকে তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। উদ্দীপকের শ্রীমান হর্ষ ভার্মাও তদ্রæপ সেনাপ্রধানের আনুগত্য লাভ করেছিলেন। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির শূন্য পদে ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে পদটি পূরণ করতে হয়। এই অবস্থায় সাত্তার নির্বাচনে দাঁড়ান এবং তিনি ৬৫.৮০ ভাগ ভোট লাভ করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। যেমন উদ্দীপকের শ্রীমান হর্ষ ভার্মা নির্বাচিত হয়েছিলেন। উদ্দীপকের মতো এই ভোটের ফলাফলের বিরুদ্ধে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে কারচুপির অভিযোগও ওঠে। সুতরাং উদ্দীপকে শ্রীমান হর্ষ ভার্মার ঘটনাবলির সাথে উল্লিখিত বিচারপতি সাত্তার সরকারের মিল পাওয়া যায়।
ঘ উদ্দীপকে শ্রীমান হর্ষ ভার্মার ক্ষমতায় আরোহনের যে পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে এর সাথে বিচারপতি সাত্তার সরকারের ক্ষমতা লাভ পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই শাসন ব্যবস্থা থেকে তাকে জোরপূর্বক সরিয়েই জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসেছিলেন। নির্বাচিত হয়ে সাত্তার ২৮ নভেম্বর, ১৯৮১ বিয়াল্লিশ সদস্যের বিশাল মন্ত্রিসভা গঠন করেন। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারণ করে। এর সঙ্গে অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে সাত্তারের জন্য প্রশাসন চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সাত্তার মাত্র সাড়ে তিন মাসের মন্ত্রিসভা বাতিল করেন। এসব করেও সাত্তার শেষ রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। সেনাপ্রধান এরশাদ বলপূর্বক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। জেনারেল এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মার্চ থেকে সামরিক আইন জারি করে বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখার লক্ষ্যে এবং সামরিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট হতে জনসাধারণকে মুক্ত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের শাসনভার গ্রহণ করতে হয়েছে।’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এরশাদ ১৯৮২-১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শাসনকালে জনসাধারণকে সঙ্কটমুক্ত করার পরিবর্তে নতুন নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন। উল্লিখিত সময়ে এরশাদ জাতীয় সংসদ বাতিল করেছিলেন। এভাবে এরশাদ সাত্তার সরকারকে হাটিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন।

প্রশ্ন- ৯  জেনারেল এরশাদের সরকার

ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নয় বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে একজন রাষ্ট্রপতি ইসলাম ধর্মকে একটি সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম বলে ঘোষণা করেন। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা ছিল তার দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। বলপূর্বক ক্ষমতা দখলকারী ক্ষমতার বৈধতা পাওয়ার জন্য গণভোটের আয়োজন করেছিলেন।
ক. জেনারেল জিয়া সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন কবে? ১
খ. সেনাবাহিনীতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় জেনারেল জিয়াউর রহমান কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন? ২
গ. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের একজন রাষ্ট্রপতির রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনার মতো প্রহসনমূলক এক নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়েছিল বিশ্লেষণ কর। ৪

ক জেনারেল জিয়া সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল।
খ সেনাবাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য জেনারেল জিয়া সেনাবাহিনীকে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে খুশি রাখার চেষ্টা করেন। সিপাহিদের মানসম্মত পোশাক, খাবার, অস্ত্র ও সাজসরঞ্জামের ব্যবস্থা করেন। অফিসারদের মান মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর সরকারের তুলনায় বহুগণে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করে দেন। ১৯৭৬-৭৭ খ্রিষ্টাব্দে এ খরচের পরিমাণ ছিল ২১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
গ উদ্দীপকের রাষ্ট্রপতির কর্মকাণ্ডের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এরশাদের কর্মকাণ্ডের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছিলেন। নিচে এরশাদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো। ক্ষমতা দখলকে পাকাপোক্ত করার জন্য এরশাদ একটি রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে ‘জনদল’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। এই দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে গড়ে উঠে নতুন বাংলা ছাত্রসমাজ, নতুন বাংলা যুব সংহতি, নতুন বাংলা শ্রমিক ফেডারেশন ইত্যাদি। সুবিধাবাদী, দলছুট বিভিন্ন নেতাকর্মী নিয়ে জনদল গঠিত হয়। এরপর তিনি ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় ফ্রন্ট। জনসমর্থনহীন কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতা ফ্রন্টে যোগ দেন। ১৯৮৬ দলছুট বিভিন্ন নেতাকর্মী নিয়ে জনদল গঠিত হয়। এরপর তিনি ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি জেনারেল এরশাদের রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় পাটি’র যাত্রা শুরু হয়।
ঘ উদ্দীপকের রাষ্ট্রপতির কর্মকাণ্ডের সাথে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল এরশাদের মিল পাওয়া যায়।
রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর জেনারেল এরশাদ তার শাসনকে বৈধতা দিতে চাইলেন। ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। এজন্য তিনি তার ইচ্ছা পূরণের জন্য নির্বাচনেরও আয়োজন করেন। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এরশাদের জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৮ দলীয় জোট এবং জামায়াতে ইসলামীসহ মোট ২৮টি দল অংশগ্রহণ করে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোট নির্বাচন বর্জন করে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মোট ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসন পেয়ে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ এককভাবে ৭৬টি আসন লাভ করে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় আসন গ্রহণ করে। পর্যবেক্ষকগণও আওয়ামী লীগের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগের যথার্থতাকে সমর্থন করেন। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিরোধীদলগুলো নির্বাচন বয়কট করে। প্রহসনমূলক এ নির্বাচনে এরশাদকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ কখন বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন?
উত্তর : ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন।
প্রশ্ন \ ২ \ জেনারেল জিয়া নিহত হওয়ার পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন কে?
উত্তর : জেনারেল জিয়া নিহত হওয়ার পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার।
প্রশ্ন \ ৩ \ ‘জনদল’ গঠন করেন কে?
উত্তর : জনদল গঠন করেন জেনারেল এরশাদ।
প্রশ্ন \ ৪ \ কত খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় পার্টি আত্মপ্রকাশ করে?
উত্তর : ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় পার্টি আত্মপ্রকাশ করে।
প্রশ্ন \ ৫ \ স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সামরিক আইন জারি করেন কে?
উত্তর : স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সামরিক আইন জারি করেন খোন্দকার মোশতাক আহমদ।
প্রশ্ন \ ৬ \ ‘ইনডেমনিটি’ অর্থ কী?
উত্তর : ইনডেমনিটির আভিধানিক অর্থ নিরাপত্তা প্রদান করা।
প্রশ্ন \ ৭ \ মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান কী উপাধি লাভ করেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমান ‘বীর উত্তম’ উপাধি লাভ করেন।
প্রশ্ন \ ৮ \ সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল­াহির রাহমানির রহিম’ যুক্ত করেন কে?
উত্তর : জিয়াউর রহমান সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল­াহির রাহমানির রহিম’ যুক্ত করেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ ‘রাজনৈতিক দল বিধি’ জারি করেন কে?
উত্তর : জেনারেল জিয়াউর রহমান ‘রাজনৈতিক দলবিধি’ জারি করেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ জিয়ার খালকাটা কর্মসূচির সূচনা হয় কোথায়?
উত্তর : জিয়ার খালকাটা কর্মসূচির সূচনা হয় যশোরের উলশী যদুনাথপুরে।
প্রশ্ন \ ১১ \ প্রথম গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয় কোথায়?
উত্তর : প্রথম গ্রাম সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয় সাভারের জিরাবোতে।
প্রশ্ন \ ১২ \ গ্রাম সরকার প্রবর্তন করা হয় কত খ্রিষ্টাব্দে?
উত্তর : গ্রাম সরকার প্রবর্তন করা হয় ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে কবে?
উত্তর : চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ আগস্ট।
প্রশ্ন \ ১৪ \ জেনারেল জিয়া নিহত হন কত খ্রিষ্টাব্দে?
উত্তর : জেনারেল জিয়া নিহত হন ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ জেনারেল এরশাদ কত খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন?
উত্তর : জেনারেল এরশাদ ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে কাকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়?
উত্তর : ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে শাহাবুদ্দীন আহমদকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট কোন রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যা করা হয়?
উত্তর : ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এম মনসুর আলী।
প্রশ্ন \ ১৯ \ মোশতাক সরকারকে কোন দেশ প্রথম স্বীকৃতি দেয়?
উত্তর : মোশতাক সরকারকে পাকিস্তান প্রথম স্বীকৃতি দেয়।
প্রশ্ন \ ২০ \ কখন মোশতাক সরকারের পতন হয়?
উত্তর : ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন হয়।
প্রশ্ন \ ২১ \ মোশতাক সরকারের সেনাপ্রধান কে ছিলেন?
উত্তর : মোশতাক সরকারের সেনাপ্রধান ছিলেন জিয়াউর রহমান।
প্রশ্ন \ ২২ \ বঙ্গবন্ধু জিয়াউর রহমানকে কী উপাধি প্রদান করেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু জিয়াউর রহমানকে ‘বীর উত্তম’ উপাধি প্রদান করেন।
প্রশ্ন \ ২৩ \ আবু তাহেরের ফাঁসি দেওয়া হয় কত খ্রিষ্টাব্দে?
উত্তর : আবু তাহেরের ফাঁসি দেওয়া হয় ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কতজন প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন?
উত্তর : ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ২ জন প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন।
প্রশ্ন \ ২৫ \ জিয়া কাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন?
উত্তর : জিয়া শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন।
প্রশ্ন \ ২৬ \ জিয়াকে হত্যা করে কে?
উত্তর : জিয়াকে হত্যা করে কতিপয় সেনাসদস্য।
প্রশ্ন \ ২৭ \ কোথায় জিয়াকে হত্যা করা হয়?
উত্তর : চট্টগ্রামে জিয়াকে হত্যা করা হয়।
প্রশ্ন \ ২৮ \ কখন থানার পরিবর্তে উপজেলা নামকরণ করা হয়?
উত্তর : ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে থানার পরিবর্তে উপজেলা নামকরণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ২৯ \ এরশাদ কখন পদত্যাগ করেন?
উত্তর : এরশাদ ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন।
প্রশ্ন \ ৩০ \ বাংলাদেশে কে স্বৈরাচারী শাসক ছিলেন?
উত্তর : বাংলাদেশে এরশাদ স্বৈরাচারী শাসক ছিলেন।
প্রশ্ন \ ৩১ \ এরশাদ কত খ্রিষ্টাব্দে সামরিক শাসন জারি করেন?
উত্তর : এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে সামরিক শাসন জারি করেন।
প্রশ্ন \ ৩২ \ কয়টি দেশ নিয়ে সার্ক গঠিত হয়?
উত্তর : আটটি দেশ নিয়ে সার্ক গঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ কোথায় সার্কের প্রথম সম্মেলন হয়?
উত্তর : ঢাকায় সার্কের প্রথম সম্মেলন হয়।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর উভয় হত্যাকাণ্ডই বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্গজনক ঘটনা। এ উভয় হত্যাকাণ্ড একই স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত হয়। বাংলার মাটিতে উভয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল এদেশের স্বাধীনতা ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ধ্বংস করে দেশকে নেতৃত্ব শূন্য ও পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা।
প্রশ্ন \ ২ \ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে মোশতাক কীভাবে উপস্থাপন করেছিলেন?
উত্তর : ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে খোন্দকার মোশতাক সম্ভাবনার স্বর্ণদ্বার বলে অভিহিত করেন। তার মতে, ‘দেশ এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থতিতে অব্যক্ত বেদনায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছিল। দেশের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন সকল মহলের কাম্য হলেও তা সম্ভব না হওয়ায় সামরিক বাহিনীকে এগিয়ে আসতে হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী পরম নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে সামনে সম্ভাবনার এক স্বর্ণদ্বার উন্মোচন করেছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ জেনারেল এরশাদ কীভাবে ক্ষমতায় আসেন?
উত্তর : নির্বাচিত আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় আসেন। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হলে আবদুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। কিন্তু অস্থিতিশীলতা ও অস্থিরতার অজুহাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব-স্টাফ জেনারেল এরশাদ সামরিক আইন জারি করে সংবিধান স্থগিত করেন এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। নিজে সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হন। পরে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর আহসান উদ্দিনকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে কীভাবে?
উত্তর : গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে। এরশাদের শাসনামলের দীর্ঘ ৯ বছর হলো প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও দুর্বার আন্দোলনের ইতিহাস। ছাত্ররা এ আন্দোলনের সূত্রপাত করে। রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী চেতনা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। হরতাল, অবরোধ প্রশাসনে স্থবিরতা দেখা দেয়। নূর হোসেন এবং ডা. মিলন নিহত হলে এ আন্দোলন বিস্ফোরণে রূপ নেয়। অবশেষে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে।
প্রশ্ন \ ৫ \ জেনারেল এরশাদ কেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলে ঘোষণা করেন?
উত্তর : রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জেনারেল এরশাদ সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম বলে ঘোষণা করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে তিনি ইসলামপন্থি দলগুলোর সমর্থন লাভের চেষ্টা করেন। মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এরশাদ এই সংশোধনী আনেন। বলার অপেক্ষা রাখে না ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।
প্রশ্ন \ ৬ \ জিয়াউর রহমানের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জিয়া বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে দু’দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আমলে পাকিস্তানের কাছে দাবিকৃত সম্পদের হিস্যা ও অবাঙালি পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত নেবার বিষয় অমীমাংসিত থেকে যায়। জিয়ার অতিমাত্রায় পাকিস্তান প্রীতির কারণে স্বল্পসময়ে দু’দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ, বিমান ও নৌ যোগাযোগ, বাণিজ্য চুক্তি ও উচ্চপর্যায়ের শুভেচ্ছা সফর সম্পন্ন হয়।

প্রশ্ন \ ৭ \ জিয়াকে কীভাবে হত্যা করা হয়?
উত্তর : দমন-পীড়ন আর ভয়ভীতির কারণে বিরোধী দল তার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। তবে সামরিক বাহিনীর মধ্যে জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে প্রায় সতেরোটি অভ্যুত্থান হয়। প্রতিবারই তিনি বিদ্রোহী অফিসারদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারপরও সেনাবাহিনীর ভেতর থেকেই তার জীবনের ওপর আক্রমণ এসেছে। রাজধানী থেকে প্রায় ১৭০ মাইল দূরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ মে সার্কিট হাউসে এক অভ্যুত্থানে কতিপয় সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে।
প্রশ্ন \ ৮ \ জেনারেল এরশাদ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে ক্ষমতা দখল করে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আর ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি। এরশাদ অল্প সময়ের জন্য বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে (২৭ মার্চ, ১৯৮২ থেকে ১০ ডিসেম্বর, ১৯৮৩) রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত রাখেন। সুবিধাজনক সময়ে তাঁকেও অপসারণ করতে দ্বিধা করেননি।
প্রশ্ন \ ৯ \ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৯ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমানের ঘোষণা অনুযায়ী খ্রিষ্টাব্দের ১৮ ফেব্রæয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ২০৭টি আসন লাভ করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (মালেক) ৩৯টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনি প্রচারণায় নানারকম বাধা হুমকির মুখে পড়ে। প্রকৃতপক্ষে সামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি।
প্রশ্ন \ ১০ \ খাল খনন কর্মসূচি সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : জিয়ার আমলে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে খাল খনন কর্মসূচি বা খাল কাটা বিপ্লব। ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর যশোরের উলশী যদুনাথপুরে খাল কাটা কর্মসূচির সূচনা হয়। তবে খাল খনন কর্মসূচি কৃষির উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে অনেকাংশে ব্যর্থ হয়।

 

 

Share to help others:

Leave a Reply