এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
শেখ মুজিবুর রহমান
লেখক-পরিচিতি
নাম শেখ মুজিবুর রহমান।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৭ই মার্চ, ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ; জন্মস্থান : টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় পিতার নাম : শেখ লুৎফর রহমান; মাতার নাম : সায়েরা খাতুন।
শিক্ষাজীবন ম্যাট্রিক (১৯৪২), গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল। আইএ (১৯৪৪), কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ। বিএ (১৯৪৬), কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ল’ ক্লাসে ভর্তি (অসমাপ্ত) ১৯৪৭।
পেশা/ কর্মজীবন রাজনীতিবিদ : ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় কৃষি, বন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান দ্বিতীয় গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও দুর্নীতি দমন দফতরের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি পেশ করেন এবং ২০শে মার্চ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল তাঁর অবর্তমানে তাঁকে রাষ্ট্রপতি করে মুজিবনগর সরকার গঠন। ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁকে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফেরেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার মহান দায়িত্বে ব্রতী হন। ১৯৭২ সালের ১২ই জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন এবং তাঁর সরকারই বাংলাদেশ সংবিধান রচনা করে। ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়ে বাংলাকে বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে অনন্য ভ‚মিকা পালন করায় এবং এর ভিত্তিতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি ‘জাতির পিতা’ হিসেবে স্বীকৃত হন। ১৯৬৯ সালের ২৩শে ফেব্রæয়ারি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভ‚ষিত হন। বিশ্বশান্তি পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত ‘জুলি ও কুরী’ পদক লাভ।
জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ : ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দ।
অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কত তারিখে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন?
ক ১৯৬৯-এর ৭ই মার্চ খ ১৯৭১-এর ৩রা মার্চ
১৯৭১-এর ৭ই মার্চ ঘ ১৯৭৪-এর ৩রা মার্চ
২. রেসকোর্স ময়দানের ভাষণই বাংলাদেশের স্বাধীনতার আহŸান। কেননা এই ভাষণÑ
ক আজও স্বাধীনতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়
খ সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার অঙ্গীকার
গ অ্যাসেম্বলিতে না বসার আহŸান
বাঙালির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে সংগ্রামের আহŸান
৩. আইয়ুব খানের পতনের পর কে দেশে গণতন্ত্রের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন?
ক শেখ মুজিবুর রহমান ইয়াহিয়া খান
গ মওলানা ভাসানী ঘ জুলফিকার আলী ভুট্টো
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জেল, জুলুম, নির্যাতনের শিকার হন। নির্বাসিত জীবনযাপন করেন। ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তাঁর জীবন থেকে কেড়ে নেয় ২৭টি বছর। কিন্তু তিনি কখনও মাথা নত করেন নি। অবশেষে জয় হয় মানবতার, অবসান ঘটে বর্ণবাদের।
৪. বঙ্গবন্ধু ও নেলসন ম্যান্ডেলাÑ উভয়ের মধ্যে কোন গুণের মিল খুঁজে পাওয়া যায়?
র. সহনশীলতা রর. দেশপ্রেম
ররর. আপসহীনতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৫. বঙ্গবন্ধুর এই বিশেষ গুণ আমাদের উপহার দিয়েছেÑ
ক গভীর দেশপ্রেম খ বাঙালি সংস্কৃতি
স্বাধীন রাষ্ট্র ঘ বৈষম্য থেকে মুক্তি
নির্বাচিত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬. বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে কার ঐতিহাসিক ভাষণের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
ক জর্জ ওয়াশিংটন খ জর্জ বুশ
গ রোনাল্ড রিগান আব্রাহাম লিংকন
৭. ‘একবার মরে ভুলে গেছে আজ মৃত্যুর ভয় তারা’Ñ উদ্দীপকের কবিতাংশের ভাবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ উক্তিÑ
ক আমরা ভাতে মারব, পানিতে মারব
খ সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না
রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব
ঘ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
৮. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কত সালে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভ‚ষিত করা হয়?
ক ১৯৬৬ ১৯৬৯ গ ১৯৭০ ঘ ১৯৭১
৯. কত সালে শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভ‚ষিত হন?
ক ১৯৬৬ খ ১৯৬৭ গ ১৯৬৮ ১৯৬৯
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১০ ও ১১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
“তিতুমীর, সূর্যসেন, নেতাজী সন্তান এই বাংলাদেশের বাংলার কথা বলতে গিয়ে বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিল কার সে কণ্ঠস্বর।”
১০. উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি কোন রচনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ?
ক বাঙালির বাংলা এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
গ বঙ্গভ‚মির প্রতি ঘ একুশের গান
১১. উল্লিখিত ভাবটির সাদৃশ্যপূর্ণ চরণ হলোÑ
সাতকোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না
খ আমি কি ভুলিতে পারি
গ এই পবিত্র বাংলাদেশের বাঙালির
ঘ মনের মন্দিরে সদা সেবে সর্বজন
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২ ও ১৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গণঅভ্যুত্থানে সাফল্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। আয়োজন করা হয় এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। সেখানে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটে।
১২. এখানে যে আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে, সেটি কবে সংঘটিত?
ক ১৯৫২ সালে খ ১৯৬৬ সালে
১৯৬৯ সালে ঘ ১৯৯০ সালে
১৩. উদ্দীপকে বর্ণিত শেষ বাক্যটি কোন ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়?
ক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
খ ’৫২-র ভাষা আন্দোলন
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ
ঘ ’৬৬-এর ছয়দফা আন্দোলন
১৪. ছয় দফা আন্দোলন কত সালে হয়?
১৯৬৬ খ ১৯৬৭ গ ১৯৬৮ ঘ ১৯৬৯
১৫. বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস কত বছরের?
ক ২২ ২৩ গ ২৪ ঘ ২৫
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে
চায় হে কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্ব শৃঙ্খল বল, কে পরিবে পায় হে?
কে পরিবে পায়?
১৬. উদ্দীপকের মূলভাবের সাথে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণের যে দিকের ইঙ্গিত বহন করেÑ
র. শোষণের রর. স্বাধীনচেতা মনোভাব
ররর. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর রর ও ররর ঘ র ও রর
১৭. বাঙালি ২৩ বছরের ইতিহাস মূলত কীসের ইতিহাস?
ক সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাস খ সামরিক শাসনের ইতিহাস
গ বিজয়ের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস
১৮. তোমরা আমার ভাই’Ñবঙ্গবন্ধুর একথা কাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন?
ক পাকিস্তানি শাসক খ সেনা সদস্য
গ সরকারি কর্মচারী সকল বাঙালি
১৯. ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের কত তারিখে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডেকেছিলেন?
ক ১লা মার্চ ৩রা মার্চ গ ৭ই মার্চ ঘ ২৫শে মার্চ
২০. কত সালে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় বক্তৃতা করেন?
১৯৭৪ খ ১৯৭৩ গ ১৯৭২ ঘ ১৯৭১
২১. কত তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করা হয়েছিল?
ক ১৯ খ ২৩ ২৫ ঘ ২৭
২২. “পদ্মা-মেঘনা-যমুনা তোমার আমার ঠিকানা” এ ¯েøাগানটি বাংলার কোন আন্দোলনের সাথে সম্পর্কিত?
ক রাষ্ট্রভাষা অসহযোগ গ ছয়-দফা ঘ গণঅভ্যুত্থান
২৩. অত্যাচারী সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে কত সালে?
ক ১৯৫৮ খ ১৯৬২ গ ১৯৬৬ ১৯৬৯
অতিরিক্ত বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক-পরিচিতি
২৪. শেখ মুজিবুর রহমান কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
১৭ই মার্চ, ১৯২০ খ ২৭শে মার্চ, ১৯২০
গ ৭ই মার্চ, ১৯২০ ঘ ১০ই মার্চ, ১৯২০
২৫. শেখ মুজিবুর রহমান কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯১৮ ১৯২০ গ ১৯২৭ ঘ ১৯৩১
২৬. টুঙ্গিপাড়া গ্রামটি কোন জেলায় অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক মুন্সিগঞ্জ খ বিক্রমপুর গোপালগঞ্জ ঘ মানিকগঞ্জ
২৭. শেখ মুজিবুর রহমানের পিতার নাম কী? (জ্ঞান)
ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম শেখ লুৎফর রহমান
গ শেখ রশিদ মিঞা ঘ শেখ খলিলুর রহমান
২৮. বঙ্গবন্ধু কত সালে সপরিবারে নিহত হন? (জ্ঞান)
ক ১৯৭১ খ ১৯৭২ ১৯৭৫ ঘ ১৯৭৬
২৯. বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম কী? (জ্ঞান)
ক জামিলা খাতুন খ রহিমা খাতুন
সায়েরা খাতুন ঘ হালিমা খাতুন
৩০. ২৬শে মার্চ কখন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? (জ্ঞান)
রাতের প্রথম প্রহরে খ দুপুরে
গ সকালে ঘ বিকালে
৩১. শেখ মুজিবের সরকারই স্বল্প সময়ে কী রচনা করেন? (জ্ঞান)
ক সাহিত্য সংবিধান
গ কবিতা ঘ উপন্যাস
মূলপাঠ
৩২. স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ বপন হয়েছিল কোন আন্দোলনের মধ্যে বলে তোমার মনে হয়?
ক ১৯৪৭-এর দেশবিভাগ
খ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
১৯৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন
ঘ ১৯৬৯-এর গণআন্দোলন
৩৩. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’ এ উক্তিটিতে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে?
অন্যায় প্রতিরোধের তাগিদ
খ ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
গ যুদ্ধজয়ের বাসনা
ঘ অন্যায় আচরণ
৩৪. বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে কী নিয়ে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেন?
ক বন্দুক নিয়ে খ মনোবল নিয়ে
গ সময় নিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে
৩৫. ৭ই মার্চের ভাষণটি কত মিনিটের ভাষণ ছিল?
ক ১২ খ ১৭ ১৮ ঘ ২০
৩৬. অস্থায়ী সরকারের কোন পদে শেখ মুজিবকে রাখা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি গ অর্থমন্ত্রী ঘ যোগাযোগমন্ত্রী
৩৭. কত খ্রিষ্টাব্দে গণঅভ্যুত্থান হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৮ ১৯৬৯ গ ১৯৭০ ঘ ১৯৭১
৩৮. আইয়ুব খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্ট হন কে? (জ্ঞান)
ইয়াহিয়া খান খ শেখ মুজিবুর রহমান
গ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘ তাজউদ্দিন আহমেদ
৩৯. ক্ষমতায় এসে ইয়াহিয়া খান কোন নির্বাচন দিতে বাধ্য হন? (জ্ঞান)
ক প্রাদেশিক খ কেন্দ্রীয় গ মধ্যবর্তী সাধারণ
৪০. ১৯৬৯-এর নির্বাচনে কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে? (জ্ঞান)
ক বিএনপি আওয়ামী লীগ
গ জাতীয় পার্টি ঘ কমিউনিস্ট পার্টি
৪১. পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায়নি? (জ্ঞান)
ক জাপানিদের খ ভারতীয়দের
বাঙালিদের ঘ আমেরিকানদের
৪২. প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১-এর ৩রা মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের কততম অধিবেশন আহŸান করেন? (জ্ঞান)
প্রথম খ দ্বিতীয় গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
৪৩. ১৯৭১-এর ৩রা মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের যে অধিবেশন ডাকা হয় তা কবে পুনরায় স্থগিত করা হয়? (জ্ঞান)
১৯৭১ এর ১লা মার্চ খ ১৯৭১ এর ২রা মার্চ
গ ১৯৭১ এর ৩রা মার্চ ঘ ১৯৭১ এর ৪ঠা মার্চ
৪৪. ষড়যন্ত্রমূলক ঘোষণা শুনে কোথায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে? (জ্ঞান)
পূর্ব পাকিস্তানে খ পশ্চিম পাকিস্তানে
গ ভারত ঘ চীনে
৪৫. আব্রাহাম লিংকন কোন দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন? (জ্ঞান)
ক রাশিয়া খ থাইল্যান্ড গ জাপান আমেরিকা
৪৬. আব্রাহাম লিংকন ঐতিহাসিক ভাষণ দেন কোথায়? (জ্ঞান)
ক নিউইয়র্কে খ কায়রোয়
গেটিসবার্গে ঘ লন্ডনে
৪৭. বঙ্গবন্ধু কাদের রক্তের ওপর পাড়া দিতে চাননি? (জ্ঞান)
ক মা-বাবার খ ভাই-বোনের
গ ছেলেমেয়ের শহিদদের
৪৮. বঙ্গবন্ধু কোন বাহিনীর লোকদের ব্যারাকে ফেরত যেতে বলেন? (জ্ঞান)
সামরিক খ বিমান গ প্রতিরক্ষা ঘ পুলিশ
৪৯. এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু অনির্দিষ্টকালের জন্য কীসের ডাক দেন? (জ্ঞান)
হরতালের খ যুদ্ধের গ মিছিলের ঘ অনশনের
৫০. বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বাঙালিদের জন্য কী চেয়েছেন? (জ্ঞান)
ক খাদ্য খ অস্ত্র গ বাসস্থান অধিকার
৫১. বঙ্গবন্ধু সরকারি কর্মচারীদের দেশের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কী বন্ধ রাখার কথা বলেন? (জ্ঞান)
খাজনা ট্যাক্স খ ওয়াপদা
গ অফিস-আদালত ঘ রাস্তাঘাট
৫২. ৬ দফা আন্দোলনের মুখ্য প্রবক্তা কে? (জ্ঞান)
শেখ মুজিবুর রহমান খ তাজউদ্দীন আহমেদ
গ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ঘ আতাউল গণি ওসমানী
৫৩. জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু কোন ভাষায় ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
বাংলা খ হিন্দি গ ইংরেজি ঘ ফরাসি
৫৪. বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন কোথা থেকে? (জ্ঞান)
নিজ বাসভবন খ যুদ্ধের ময়দান
গ অফিস ঘ রাস্তা
৫৫. পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান ক্ষমতাচ্যুত হন কেন? (অনুধাবন)
ক ভাষা আন্দোলনের ফলে
গণঅভ্যুত্থানের ফলে
গ গÐগোলের ভয়ে
ঘ মারধর খেয়ে
৫৬. ইয়াহিয়া খানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসার পেছনে কারণ কী? (অনুধাবন)
ক আইয়ুব খানের মৃত্যু
খ আইয়ুব খানের পদত্যাগ
আইয়ুব খানের ক্ষমতাচ্যুতি
ঘ আইয়ুব খানের অসুস্থতা
৫৭. শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের আহŸান জানান কেন? (অনুধাবন)
ক ভারতের মুক্তির জন্য বাঙালির মুক্তির জন্য
গ পাকিস্তানের মুক্তির জন্য ঘ ইয়াহিয়া খানকে পদচ্যুত করার জন্য
৫৮. বঙ্গবন্ধু অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতাল ঘোষণা করেন কেন? (অনুধাবন)
বাঙালির অধিকার আদায়ে খ বাঙালির খাদ্য জোগাতে
গ বাঙালির কর্মসংস্থান করতে ঘ বাঙালির অর্থ জোগাতে
৫৯. বঙ্গবন্ধু কী কারণে হরতাল ডেকেও রিকশা, গরুর গাড়ি, রেল ও লঞ্চ চলার অনুমতি দেন? (অনুধাবন)
ক ধনীদের কথা বিবেচনা করে খ যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে
গরিবদের কথা বিবেচনা করে ঘ মধ্যবিত্তের কথা বিবেচনা করে
৬০. বঙ্গবন্ধু ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন কেন? (অনুধাবন)
ক যুদ্ধ করতে শত্রæর মোকাবিলা করতে
গ আন্দোলন করতে ঘ বিদ্রোহ করতে
৬১. ‘পাকিস্তানের সামরিক একনায়ক জেনারেল’Ñ অভিধাটি কার ছিল? (জ্ঞান)
ক খাজা নাজিমউদ্দীনের খ নূরুল আমিন সরকারের
আইয়ুব খানের ঘ ইয়াহিয়া খানের
৬২. ৭০-এর নির্বাচনে গণতন্ত্রের ধারা অনুসারে পাকিস্তানের শাসনভার পাওয়ার কথা ছিল কার? (জ্ঞান)
ক মহাত্মা গান্ধীর খ ইয়াহিয়া খানের
গ আইয়ুব খানের শেখ মুজিবুর রহমানের
৬৩. ‘চে গুয়েভারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার আদায়ে বিপ্লব করেছেন’ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় কোন চরিত্রটির সঙ্গে তার সাদৃশ্য পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
ক আইয়ুব খান খ ইয়াহিয়া খান
শেখ মুজিবুর রহমান ঘ জুলফিকার আলী ভুট্টো
৬৪. ‘পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ¯েøাগানে ¯েøাগানে শহর-বন্দর আন্দোলিত করে’Ñ এর মাঝে ফুটে উঠেছে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের কোন রূপটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ধৈর্যশীলতা সংগ্রামী
গ পরোপকারিতা ঘ পরিশ্রমী
৬৫. ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটি পড়ে পাঠক উদ্বুদ্ধ হবে কোন চেতনায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
দেশপ্রেমের খ শৃঙ্খলাবোধের
গ পরোপকারিতার ঘ রাজনীতির
শব্দার্থ ও টীকা
৬৬. ‘ডরঃযফৎধ’ি শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
প্রত্যাহার খ বর্জন গ উচ্চ আদালত ঘ পরিষদ
৬৭. ‘হাইকোর্ট’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক নিম্ন আদালত উচ্চ আদালত
গ জেলা আদালত ঘ থানা আদালত
৬৮. ‘সুপ্রিমকোর্ট’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক উচ্চ আদালত খ নিম্ন আদালত
সর্বোচ্চ আদালত ঘ বিভাগীয় আদালত
৬৯. ‘সেমি-গভর্নমেন্ট’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
আধাসরকারি খ সম্পূর্ণ সরকারি
গ এক-চতুর্থাংশ সরকারি ঘ দুই-চতুর্থাংশ সরকারি
৭০. ‘ব্যারাক’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
সেনা ছাউনি খ পুলিশদের ছাউনি
গ ইপিআরদের ছাউনি ঘ মুক্তিযোদ্ধাদের ছাউনি
৭১. ‘মার্শাল-ল’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক বেসামরিক আইন সামরিক আইন
গ আধা সামরিক আইন ঘ দেশের আইন
৭২. ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক আন্তর্জাতিক পরিষদ জাতীয় পরিষদ
গ ভারতীয় সভা ঘ সাধারণ পরিষদ
৭৩. ‘ওয়াপদা’ বলতে কী বোঝায়? (অনুধাবন)
ক পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ঘ ওয়ার্ড উন্নয়ন বোর্ড
পাঠ-পরিচিতি
৭৪. ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ শেখ মুজিব কোথায় ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
ক পল্টন ময়দানে রেসকোর্স ময়দানে
গ শিশু পার্কে ঘ প্রেসক্লাবে
৭৫. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী? (জ্ঞান)
ক বোটানিক্যাল গার্ডেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
গ বলধা গার্ডেন ঘ বাহাদুর শাহ পার্ক
৭৬. বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে কত লোক উপস্থিত ছিল? (জ্ঞান)
প্রায় ১০ লক্ষ খ প্রায় ১২ লক্ষ
গ প্রায় ১৮ লক্ষ ঘ প্রায় ২০ লক্ষ
৭৭. কত সালে ছয়দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৭ খ ১৯৬০ ১৯৬৬ ঘ ১৯৭১
৭৮. পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৯ ১৯৭০ গ ১৯৭১ ঘ ১৯৭২
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক-পরিচিতি
৭৯. বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের জাতির জনক বলা হয়, কারণ (অনুধাবন)
র. বাংলাদেশের স্থপতি
রর. স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি
ররর. জাতিসত্তা বিকাশের পুরোধা বলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮০. ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু জড়িত ছিলেন (অনুধাবন)
র. রাজনীতিতে রর. দেশ গড়ার কাজে
ররর. পাকিস্তানিদের সাথে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মূলপাঠ
৮১. মুজিবনগর সরকারের অভ্যন্তরীণ প্রশাসন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এ সরকারের হাতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল দায়িত্ব ছিল
রর. এ সরকারের ফলশ্রæতিতে বাংলাদেশ স্বল্প সময়ে স্বাধীনতা লাভ করে
ররর. এ সরকার পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮২. ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আইয়ুব খানের ক্ষমতাচ্যুতি
রর. ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা লাভ
ররর. সাধারণ নির্বাচন দিতে সরকারের বাধ্য হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৩. জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের মাঝে ঝড় ওঠা বলতে বোঝানো হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. প্রতিবাদের
রর. বিক্ষোভের
ররর. দেশপ্রেমের
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৪. পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ফুটে উঠেছে যে ¯েøাগানে (অনুধাবন)
র. জয় বাংলা
রর. জাগো জাগো বাঙালি জাগো
ররর. বীর বাঙালি অস্ত্রধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৫. শেখ মুজিবুর রহমান ভাই বলে যাদের সম্বোধন করেছেনÑ (অনুধাবন)
র. হিন্দু-মুসলমানদের রর. বাঙালিদের
ররর. অবাঙালিদের
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৬. বঙ্গবন্ধুর কারাবরণ করার পেছনে যে আন্দোলন ক্রিয়াশীল ছিল (অনুধাবন)
র. ভাষা আন্দোলন রর. গণতান্ত্রিক আন্দোলন
ররর. ছয় দফা দাবি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৭. পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসক ছিলেন (অনুধাবন)
র. ইয়াহিয়া খান রর. আইয়ুব খান
ররর. জুলফিকার আলী ভুট্টো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৮. জেনারেল আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে মার্শাল-‘ল’ জারি করেন। এ আইন জারির উদ্দেশ্য ছিল (উচ্চতর দক্ষতা)
র. বাঙালিদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করা
রর. দেশের মানুষকে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া
ররর. নিজেদের হাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৯. বাঙালির ২৩ বছরের ইতিহাস মূলত
র. মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস
রর. ২৩ বছরের করুণ ইতিহাস
ররর. বাংলার মানুষের অত্যাচারের ইতিহাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টীকা
৯০. ‘শাসনতন্ত্র’ হলো রাষ্ট্র পরিচালনার (অনুধাবন)
র. অনুশাসন রর. বিধানসমূহ
ররর. সংবিধান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৯১. ১৯৭০ সালে বাংলায় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়Ñ (অনুধাবন)
র. পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচন
রর. পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন
ররর. কর্ম পরিষদের নির্বাচন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-পরিচিতি
৯২. বাঙালিদের হাতে পাকিস্তানিদের ক্ষমতা হস্তান্তর না করার সিদ্ধান্ত ছিল (অনুধাবন)
র. অন্যায্য রর. অগণতান্ত্রিক
ররর. অপরিহার্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৩. বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭ই মার্চের ভাষণটি (উচ্চতর দক্ষতা)
র. একটি ঐতিহাসিক ভাষণ রর. বাঙালির মুক্তি প্রেরণার উৎস
ররর. মুক্তিযুদ্ধের দিকনির্দেশনার স্মারক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯৪ ও ৯৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মেহেরপুর গ্রামের প্রভাবশালী নেতা আকবর এলাকার অন্য নেতা খায়রুল বাশারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এলাকার উন্নয়নে তারা অবদান না রেখে সরকারি টাকা ভাগাভাগি করে নিজেদের সম্পদ বাড়িয়ে চলছেন ক্রমাগত।
৯৪. উদ্দীপকে উল্লিখিত আকবর চরিত্রের সাথে সাদৃশ্য আছে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার কোন চরিত্রের? (প্রয়োগ)
ক শেখ মুজিব জুলফিকার আলী ভুট্টো
গ ইয়াহিয়া খান ঘ আইয়ুব খান
৯৫. উভয় চরিত্রের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. স্বার্থপরতা রর. সুযোগসন্ধানী
ররর. দয়ালু
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৯৬ ও ৯৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
দেশে পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এদেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা নাকাল। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিনিয়ত সচেতন সমাজের মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। একদল মজুদদার শ্রেণি কৌশলে দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয় যার বিরুদ্ধে সচেতন মানুষ প্রতিবাদী অবস্থান নেয়।
৯৬. উদ্দীপকে সচেতন সমাজের মানুষের মতো ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়Ñ (প্রয়োগ)
ক পাকিস্তান সরকার বাঙালিরা
গ আইয়ুব খান ঘ ইয়াহিয়া খান
৯৭. উদ্দীপকের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বাঙালিদের যে বৈশিষ্ট্যটির প্রতিফলন ঘটেছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
রর. গণতন্ত্রের মুক্তি
ররর. মজুদদারদের শাস্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গণতন্ত্র যা অহিংসার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে সবারই সমান স্বাধীনতা থাকে। যেখানে প্রত্যেকেই হবে তার জগৎ-নিয়ন্তা। এটাই সেই গণতন্ত্র যাতে আপনাদের আজ অংশগ্রহণ করতে আহŸান জানাচ্ছি। একদিন আপনারা বুঝতে পারবেন, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে পার্থক্য ভুলে যাওয়া এবং আপনারা আপনাদের শুধু মানুষ মনে করবেন এবং সবাই একত্র হয়ে স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্রতী হবেন।
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম কত তারিখে?
খ. ‘বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস’Ñ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কোন দিকটি ফুটে উঠেছেÑ ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণভাব ধারণ করে মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ।
খ. আলোচ্য অংশে বাঙালির রক্তের বিনিময়ে অধিকার আদায়ের বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলার জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানিদের দ্বারা নানাভাবে শোষিত ও নির্যাতিত হয়ে আসছিল। এদেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয় রাজপথে। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে ধাপে ধাপে বাঙালি আদায় করে তার ন্যায্য অধিকার। তাই বাংলার ইতিহাসকে রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস বলা হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের জাতীয়তাবোধের চেতনা ও স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহŸানের দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় দেখা যায় বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ভাষণ দেন। তাঁর এ ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির দিকনির্দেশনামূলক। এ ভাষণে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ও স্বাধিকার চেতনার প্রেরণার দিকটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণেও সবার এক সঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। তিনিও ধর্মের বিভেদ ভুলে সবাইকে শুধু মানুষ পরিচয়ে দেশ স্বাধীন করার আন্দোলনে ব্রতী হওয়ার কথা বলেছেন। যেকোনো দেশকে শত্রæমুক্ত করতে হলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। তাই মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণে সবাইকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের আহŸান করা হয়েছে। জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সবার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের যে আহŸান জানান তা উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণেও ফুটে উঠেছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণ ভাব ধারণ করে’ মন্তব্যটি যথার্থ নয়।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশপ্রেমের চেতনার কথা ফুটে উঠেছে এ ভাষণ ছিল বাঙালির দাবি আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করার মূলমন্ত্র। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে, শত্রæপক্ষকে পরাজিত করতে এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। ভাষণটিতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রাম বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর নিরবচ্ছিন্ন সাধনার কথা স্থান পেয়েছে।
উদ্দীপকে শুধু মহাত্মা গান্ধীর স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকে মহাত্মা গান্ধীর ভাষণে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ ভুলে স্বাধীনতার আন্দোলনে ব্রতী হওয়ার আহŸান জানানো হয়েছে। স্বাধীন বাঙালি জাতি ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর উচ্চারণ ছিল দিকনির্দেশনাপূর্ণ যা মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্যের চেয়েও সুস্পষ্ট। উদ্দীপকে জাতীয়তাবোধের ব্যাপারটি আলোচ্য ভাষণটিতে প্রকাশ পেলেও অন্যান্য বিষয় এখানে অনুপস্থিত।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির সম্পূর্ণভাব ধারণ করে না।
নির্বাচিত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ নূপুরের বাবা মনোযোগের সাথে শুনছিলেন। এদিকে নূপুরের মা ব্যস্ত হয়ে উঠছিলেন হিন্দি সিরিয়ালের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে বলে। বাবা তখন সবার সামনে ভাষণটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করলেন। বললেন, পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার শিকল ভাঙার মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল ঐ ভাষণে। আজকের বাংলাদেশ ঐ ভাষণের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ক. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে কোন দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে? ১
খ. “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে যে ভাষণের কথা বলা হয়েছে “এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ভাষণ সম্পর্কে নূপুরের বাবার মন্তব্য কতটা সমর্থনযোগ্য? “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” -এ উক্তির আলোকে তা মূল্যায়ন কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
খ. সাতই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করে।
বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, সশস্ত্র যুদ্ধ ছাড়া বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে বঙ্গবন্ধু সেই আসন্ন মুক্তিযুদ্ধের আভাস দিয়ে দিলেন, যাতে প্রত্যেক বাঙালি সশস্ত্র লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
গ. উদ্দীপকে যে ভাষণের কথা বলা হয়েছে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ -এ সে ভাষণটিই পরিপূর্ণ তুলে ধরা হয়েছে।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল একটি ঐতিহাসিক সংগ্রামী ভাষণ। এ ভাষণটি ছিল সাত কোটি বাঙালির প্রাণের বহিঃপ্রকাশ। আবেগে, বক্তব্যে, দিকনিদের্শনায় এটি একটি অনবদ্য এক ভাষণে। প্রায় দশ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ ভাষণ মুহ‚র্তের মধ্যে সমস্ত বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ ভাষণের প্রভাব ছিল ব্যাপক ও বিস্তৃত।
উদ্দীপকে নূপুরের বাবা তার স্ত্রীকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব বুঝিয়ে বললেন। কারণ সে ভাষণ ছিল বাঙালির জেগে ওঠার অগ্নিমন্ত্র। পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার শিকল ভাঙার মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল এ ভাষণে। আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী ভাষণের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের ভাষণ সম্পর্কে নূপুরের বাবার মন্তব্য আমি পূর্ণ সমর্থন করি।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য বাঙালি জাতিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের আহŸান জানিয়েছেন। পাকিস্তানিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে, নিজের যা কিছু আছে তাই নিয়ে অত্যাচারী শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেন।
বাঙালি জাতির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ হতে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এই ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু জনগণের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তাঁর বজ্রকণ্ঠের সেই আহŸান মুক্তিপাগল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর আহŸানে বাংলার মানুষ মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
উল্লিখিত আলোচনা শেষে বলা যায়, একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের সূচনা ঘটেছিল ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাই উদ্দীপকের নূপুরের বাবার উক্তি “আজকের বাংলাদেশ ওই ভাষণের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে” এটি একটুও অত্যুক্তি বলে আমি মনে করি না।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন
… … …
সকল দুয়ার খোলা, কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার
অমর কবিতাখানি।
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক. ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে কত লোক উপস্থিত হয়েছিল? ১
খ. ‘আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।’ Ñ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথাটি কেন বলেছিলেন? ২
গ. উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের কতটুকু ফুটে উঠেছে? Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের অনেকাংশ অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। Ñ উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লক্ষ লোক উপস্থিত হয়েছিল।
খ. সারাদেশে গণহত্যায় দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বক্তব্যের শুরুতে উক্ত কথাটি বলেছিলেন।
নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা গণহত্যা চালিয়ে সারাদেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়। দেশের সর্বত্র ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে। এ পরিস্থিতে বাঙালির প্রিয় নেতার মন ভালো নেই বলে তিনি অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত ও ব্যথিত।
গ. উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের আংশিক ভাব ফুটে উঠেছে।
বাঙালি জাতির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ২রা মার্চ হতে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। এই ধারাবাহিকতায় ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু জনগণের উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তাঁর বজ্রকণ্ঠের সেই আহŸান মুক্তিপাগল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তাঁর আহŸানে বাংলার মানুষ মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
উদ্দীপকের কবি একটি দৃশ্যকল্প রচনা করেছেন সেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত কবির মতো একজন সংগ্রামী মানুষের আপেক্ষিক তুলনা করা হয়েছে। সেই অধিকার সচেতন মুক্তিকামী মানুষটিকেও এক কবি রূপেই কল্পনা করা হয়েছে। তিনি দৃপ্ত পায়ে মঞ্চে উপবিষ্ট হয়ে তার বিখ্যাত কবিতা বজ্রকণ্ঠে উচ্চারণ করেন। এবারের সংগ্রাম ……… স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই রূপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। উদ্দীপকে আলোচ্য প্রবন্ধের বঙ্গবন্ধু কর্তৃক মঞ্চে যে জ্বালাময়ী ভাষণ দেওয়া হয়েছিল শুধু সে বিষয়টি আংশিক ফুটে উঠেছে।
ঘ. “উদ্দীপকে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের অনেকাংশ অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।”Ñ উক্তিটি যথাযথ।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য বাঙালি জাতিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের আহŸান জানিয়েছেন। ৭ই মার্চের সেই ভাষণ ছিল একটি ঐতিহাসিক সংগ্রামী ভাষণ। এটি ছিল সাত কোটি বাঙালির প্রাণের আবেদন। আবেগে, বক্তব্যে এবং নির্দেশনায় অনবদ্য এ ভাষণে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রেরণা পেয়েছিল।
উদ্দীপকে একজন রূপকধর্মী মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যিনি রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পদক্ষেপে হেঁটে জনতার সামনে উপস্থিত হয়েছেন। জনতা মঞ্চ কাঁপিয়ে দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারিত বাণী মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছে। তার অমর কবিতাটি ছিল সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান।
উদ্দীপকটিতে ৭ই মার্চের ভাষণের পটভ‚মি আলোচিত হয়েছে যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কবিরূপে কল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু মূল গল্পটিতে ৭ই মার্চের ভাষণ আলোচিত হলেও এর পেছনে বাঙালির ২৩ বছরের শাসন, শোষণ, আত্মত্যাগ সবকিছুই ফুটে উঠেছে। যার ফলশ্রæতিতে এগিয়ে আসছিল স্বাধীনতার সংগ্রাম, এই বিষয়গুলো উদ্দীপকে অনুপস্থিত, তাই বলা যায় যে উদ্দীপকে “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” প্রবন্ধের অনেকাংশই প্রকাশিত হয়নি।
প্রশ্ন -৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে;
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
* * * *
কে রোধে তাঁর বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি;
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক. কত সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল? ১
খ. ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’ এ আহŸান করা হয়েছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটির সাথে কিভাবে সম্পর্কিত বিশ্লেষণ কর। ৩
ঘ.‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই মূলত স্বাধীনতার আহŸান’ উদ্দীপক ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি মূল্যায়ন কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।
খ. পাকিস্তানিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বলেছিলেন।
দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার বাঙালিরা নিজেদের অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক করতে চেয়েছিলেন, যাতে সম্মিলিতভাবে পাক শাসকদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যায়। তাই বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহŸান জানান।
গ. বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখানোর বিষয়টিতে উদ্দীপক ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটি সম্পর্কিত।
বঙ্গবন্ধুর অগ্নিমন্ত্রে নিহিত ছিল পরাধীন জাতির সার্বিক মুক্তির লক্ষ্য। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক এবং প্রবন্ধ উভয়টিতেই বাঙালির স্বাধীনতার বীজমন্ত্র উচ্চারিত হয়েছে। ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে রচিত। ৭ই মার্চ তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির পথ দেখানোর ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁর বজ্রকণ্ঠ শুনে সমগ্র জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল মাতৃভ‚মি রক্ষার্থে।
উদ্দীপকেও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর বজ্রকণ্ঠ শোনার জন্য সেদিন অধীর আগ্রহে বসেছিল সমগ্র জাতি। লাখ লাখ মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তিনি জনতার মঞ্চে এসে বাঙালির দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণটি প্রদান করেন। তার দেখানো পথে বাঙালি সেদিন হেঁটেছিল বলেই ছিনিয়ে আনতে পেরেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তাই বলা যায়, উদ্দীপক ও প্রবন্ধটি বাঙালি জাতির মুক্তির দিকনির্দেশিকার বিষয়টিতে সম্পর্কিত।
ঘ. ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই মূলত স্বাধীনতার আহŸান’ উদ্দীপক ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি যথার্থ।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধটি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপটে রচিত। এ ভাষণটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা বঙ্গবন্ধুর এই ৭ই মার্চের ভাষণের ভিতরই নিহিত ছিল এদেশের স্বাধীনতার বীজমন্ত্র। দেশ ভাগের পর থেকেই পাকিস্তানিরা বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করে আসছিল। তাদের শোষণ-বঞ্চনা-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতিকে সোচ্চার করে তোলেন।
উদ্দীপকেও বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মূলত এই ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করেই এদেশের স্বাধীনতার পথ সুগম হয়। বঙ্গবন্ধু খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন পাক শোষকদের রুখতে যুদ্ধের বিকল্প নেই। এ কারণেই তিনি ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা যুদ্ধের আহŸান করেছিলেন। দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মুক্তির অমর কবিতাখানি শুনিয়েছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই এদেশের স্বাধীনতার মূল আহŸান। বঙ্গবন্ধুর এই অসামান্য অবদান ও কৃতিত্বের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন ও মুক্ত; যা উদ্দীপক ও আলোচ্য প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে।
তাই সংগত কারণেই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।
প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা সারাজীবনই সংগ্রাম করেছেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে। এ কারণে তিনি জেল, জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হন। সাতাশটি বছর তিনি ছিলেন কারা অভ্যন্তরে। কিন্তু, শেষাবধি তিনি বিজয়ী হন। মানবতা ও স্বাধীনতার কেতন উড়িয়ে দেন স্বদেশের আকাশে।
ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম কী? ১
খ. ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়েছে কেন? ২
গ. নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে বঙ্গবন্ধুর কোন কোন গুণের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়, তা উদ্দীপকটির ভাব অনুসারে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘মানবতা ও স্বাধীনতার কেতন উড়িয়ে দেয় স্বদেশের আকাশে’ এ বাক্যটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ভাষণটির আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. রেসকোর্স ময়দানের বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
খ. ৭ই মার্চের ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূলমন্ত্র নিহিত ছিল বলেই এ ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। বাঙালিদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে তারা জোর করে হরণ করে। তারই প্রেক্ষিতে ৭ই মার্চের ভাষণ অনিবার্য হয়ে ওঠে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক ও স্বাধীনতার চেতনায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের দিক-নির্দেশনা। তাই এর ইতিহাস ভিত্তিক গুরুত্বের কারণেই একে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।
গ. জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় উদ্দীপকের ম্যান্ডেলা চরিত্রের অনমনীয় গুণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ প্রবন্ধে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুর নিরবচ্ছিন্ন সাধনার কথা স্থান পেয়েছে। সারাজীবন জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করে তিনি সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন, কিন্তু অন্যায়ের কাছে নতিস্বীকার করেননি। এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির অবিসংবাদী নেতা।
উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলাও ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। কিন্তু অন্যায়ের কাছে তিনি কখনই মাথানত করেননি। শত নির্যাতন সহ্য করেই তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সারাজীবন নিয়োজিত থেকেছেন। তাঁর আন্দোলনেই এক সময় বর্ণবাদের অবসান ঘটে। শেষ পর্যন্ত জয় হয় মানবতার। প্রবন্ধ এবং উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু ও নেলসন ম্যান্ডেলার নানাবিধ গুণের কথা উল্লিখিত হয়েছে। উভয় নেতার মধ্যেই ন্যায়ের পক্ষে আপসহীনতার বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। উদ্দীপকে ম্যান্ডেলা চরিত্রের উক্ত গুণটিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
ঘ. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও নেলসন ম্যান্ডেলা দুজনেই তাদের স্বদেশের বুকে উড়িয়েছেন মানবতা আর স্বাধীনতার বিজয় কেতনÑ বাক্যটি প্রবন্ধ ও উদ্দীপকের আলোকে যথার্থ।
বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির বুকে চালিয়েছিল অত্যাচারের স্টিম রোলার। বাঙালি জাতিকে পরিণত করতে চেয়েছিল চিরদাসে। ঠিক এ সময় বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর অসামান্য নেতৃত্ব গুণে বাঙালি অর্জন করেছিল প্রিয় স্বাধীনতা।
অপরদিকে উদ্দীপকেও দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তিনি সারাজীবন স্বাধীনতার পক্ষে মানবতার পক্ষে কাজ করেছেন। এর জন্য তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগও করেছেন, কিন্তু কখনো দমে যাননি। তিনি তার অদম্য চেতনা আর দৃঢ় নেতৃত্ব গুণে তার দেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন মানবতা আর স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধু ও ম্যান্ডেলা উভয় নেতাই জনগণের অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা এবং মানবতার জয় ঘোষণাই ছিল তাদের চেতনার মূলমন্ত্র। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু আর দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা; যাদের দৃঢ় নেতৃত্বে দুটি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীনতা।
প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদ সবার উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা ভাষণে বলেন, আমার একার পক্ষে এ ইউনিয়নের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে কেউ আমাদের উন্নয়ন রুখতে পারবে না। তাঁর এ ভাষণে ইউনিয়নের মানুষগুলো একটি আদর্শ ইউনিয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
ক. ৭ই মার্চের ভাষণটির স্থান কোথায় ছিল? ১
খ. ৭ই মার্চের ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলার কারণ কী? ২
গ. উদ্দীপকে চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদের ভাষণের সাথে ৭ই মার্চের ভাষণের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’ চেয়ারম্যান সাহেবের উক্তিটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ৭ই মার্চের ভাষণটির স্থান ছিল ঢাকার রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
খ. ৭ই মার্চের ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূলমন্ত্র নিহিত ছিল বলেই এ ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।
পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানিদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। বাঙালিদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে তারা জোর করে হরণ করে। তারই প্রেক্ষিতে ৭ই মার্চের ভাষণ অনিবার্য হয়ে ওঠে। প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক ও স্বাধীনতার চেতনায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের দিকনির্দেশনা। বাঙালির জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভাষণটির গুরুত্বপূর্ণ অবদানে অর্থাৎ এর ইতিহাস ভিত্তিক গুরুত্বের কারণেই ভাষণটিকে ঐতিহাসিক ভাষণ বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে চেয়ারম্যান অতুল প্রসাদের ভাষণের সাথে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের সাদৃশ্য রয়েছে।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় স্বাধীনতার জন্য বাঙালির সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শোষকগোষ্ঠী বাঙালিদের অধিকার জোরপূর্বক হরণ করে আসছিল। তাই বাঙালি জাতি পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তির জন্য বায়ান্ন, ঊনসত্তরে সংগ্রাম করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর ডাকেই দেশের সবাই একত্রিত হয়ে দেশকে শত্রæমুক্ত করে।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, অতুল প্রসাদ চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য জনগণের সামনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন যে, তার একার পক্ষে উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। অর্থাৎ দেশ বা ইউনিয়ন যেটাই হোক না কেন কোনো মানুষের একার পক্ষে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। ৭ই মার্চের ভাষণে জাতির বা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার সার্বিক অংশগ্রহণের বিষয়টির সাথে উদ্দীপকে চেয়ারম্যানের ভাষণে ইউনিয়নের উন্নয়নে সমগ্র এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করার বিষয়টির সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. ‘যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’ চেয়ারম্যান সাহেবের উক্তিটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বিষয়বস্তুর আলোকে তাৎপর্যবহ।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধু দেশকে বহিঃশত্রæর হাত থেকে রক্ষা করতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। কেননা পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শোষকগোষ্ঠী
বাঙালিদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছিল। তাই জাতির অধিকার ফিরে পেতেই বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালিকে উজ্জীবিত করেন। সেখানেই তিনি বলেন, শত্রæর মোকাবিলা করার জন্য যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা একার পক্ষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব নয়। দেশকে শত্রæমুক্ত করতে হলে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একাত্মতা ঘোষণা করতে হবে, সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবেই জাতির সার্বিক কল্যাণ সম্ভব।
উদ্দীপকেও দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়ে অতুল প্রসাদ এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ইউনিয়নের উন্নয়ন তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। যার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই অংশগ্রহণ করলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না। জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া প্রতিরোধ বা উন্নয়ন কোনোটিই সম্ভব নয় উদ্দীপকের চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা ভাষণে এবং ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার মূল বিষয় একই।
প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সবার অংশগ্রহণেই যে মানুষের সার্বিক মুক্তি সম্ভব এ বিষয়টিই উদ্দীপকে এবং বঙ্গবন্ধুর ভাষণে প্রকাশিত হয়েছে।
অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিশ্বের ইতিহাসে অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করতে হয়। সহ্য করতে হয় সীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু মাথানত করেননি তিনি। ক্রমান্বয়ে তার আদর্শে উজ্জীবিত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক সময় অবসান ঘটে বর্ণবাদের, জয় হয় মানবতার।
ক. কে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন? ১
খ. তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকে ম্যান্ডেলার চরিত্রের কোন গুণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়? বুঝিয়ে লেখ। ৩
ঘ. ‘নেলসন ম্যান্ডেলা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়ই চিরন্তন প্রেরণার আদর্শ’Ñ উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ইয়াহিয়া খান অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন।
খ. তেইশ বছরের করুণ ইতিহাস বলতে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাঙালির শোষিত হওয়ার ইতিহাসকে বোঝানো হয়েছে।
এই তেইশ বছর নানা ভাবে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করেছে। তারা বারবার বাঙালিদেরকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র নির্বাচন, ’৫৮-র মার্শাল-ল, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৯-র গণঅভুত্থ্যান এবং ’৭০-র নির্বাচন বাঙালির অত্যাচারিত হওয়ার করুণ ইতিহাসকেই তুলে ধরে।
গ. উদ্দীপকের নেলসন ম্যান্ডেলার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানের গুণটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে লক্ষণীয়।
মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন। ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম রচনাটিতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সরকারের অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহŸান জানান। শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে সংগ্রামের ডাক দেওয়ায় তাকে বহুবার কারাভোগ করতে হয়েছে। তবুও তার এ বজ্রকণ্ঠের আহŸানের মধ্য দিয়ে বাঙালির মনে নবচেতনার উন্মেষ ঘটে এবং জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
উদ্দীপকে দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। দীর্ঘকাল আফ্রিকার কালো মানুষদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তাকে অনেক কষ্ট, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে সীমাহীন নির্যাতন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সফল হয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, ম্যান্ডেলার অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামশীল দৃঢ়চিত্তের মানসিকতা বঙ্গবন্ধুর মধ্যে লক্ষণীয়।
ঘ. ‘নেলসন ম্যান্ডেলা আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উভয়েই চিরন্তন প্রেরণার আদর্শ’ উক্তিটিÑ যথার্থ।
শেখ মুজিবুর রহমান একজন অবিসংবাদিত নেতা। তিনি এদেশের মানুষকে পাকিস্তানি শোষকচক্রের নির্যাতন থেকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার অনুপ্রেরণায় বাঙালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। পাকিস্তান সরকারের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সচেতনভাবে প্রতিবাদ জানানোর আহŸান করেন। তার ডাকেই বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা দীর্ঘদিন বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করেছেন, সহ্য করেছেন সীমাহীন নির্যাতন। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। তার আন্দোলনের ফলে এক সময় বর্ণবাদের পরাজয় ঘটে আর জয় হয় মানবতার।
নেলসন ম্যান্ডেলা এবং শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণেই আজ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বর্ণবাদ মুছে গেছে আর বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়, অত্যাচার ও পরাধীনতার নাগপাশ থেকে রক্ষা পেয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এই প্রেরণায় যুগে যুগে মানুষ উৎসাহিত হবে। উপর্যুক্ত আলোচনা হতে বলা যায়, প্রশ্নোল্লিখিত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন -৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রতিরাতে অস্ত্রধারী কিছু ডাকাত সোনাতলা গ্রামের মানুষের অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের মুরব্বি মোবারক মাস্টার সবাইকে একটি মাঠে জমায়েত হওয়ার আহŸান জানান। তিনি সবাইকে লক্ষ করে বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি, কিন্তু আর না। আসুন আমরা একতাবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলি।’ তার এ সংক্ষিপ্ত ভাষণে সবার মনোবল সুদৃঢ় হয়। যেন রক্তে আগুন ধরিয়ে দেয় শত্রæর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।
ক. ‘ব্যারাক’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়েছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ভাষণটির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটির সাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ.‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে মোবারক মাস্টারের ভাষণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘ব্যারাক’ শব্দের অর্থ সেনাছাউনি।
খ. বাঙালির জাতির অধিকার রক্ষার সংগ্রামের অধিনায়ক হিসেবেই শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভ‚ষিত করা হয়।
বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করার দাবিতে শেখ মুুজিবুর রহমান ছিলেন এক জ্বলন্ত অগ্নিশিখা। পাকিস্তানি সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একমাত্র বলিষ্ঠ কিংবদন্তি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সংসদ পরিষদের ভিপি তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভ‚ষিত করেন।
গ. বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সঙ্গে উদ্দীপকের ভাষণটির সাদৃশ্য রয়েছে।
পাকিস্তানিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। আর উদ্দীপকে গ্রামের মানুষের শান্তি ফিরিয়ে আনতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হতে আহŸান জানান মাস্টার।
পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র থেকে বাঙালির অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হতে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ দেন। তার এ ভাষণ ছিল বাঙালির স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। তিনি প্রতিটি বাঙালিকে স্ব স্ব স্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহŸান জানান এবং এক পর্যায়ে তিনি ঘোষণা দেন যে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তার এ ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিটি বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উদ্দীপকের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্যের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। কারণ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদমুখর ভাষণ মানুষকে প্ররোচিত করেছিল। মানুষ পেয়েছিল অন্যায়কে প্রতিহত করার প্রেরণা। এসব দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, উভয় অংশের মধ্যে বেশ সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ. উদ্দীপকের মোবারক মাস্টারের ভাষণ ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের ডাক। এদিন তিনি লাখ লাখ মানুষকে একটি ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিপ্রেরণায় উদ্দীপিত করেছিলেন। তিনি যখন বলেন, ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’Ñ তখন কেউ ঘরে বসে থাকতে পারেনি। বাংলার জনগণের ধমনিতে প্রবাহিত রক্তের শান্ত ধারা অশান্ত হয়ে টগবগ করে ফুটে উঠল Ñ যেন কেউ তাদের রক্তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ বাঙালিদের শত্রæর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে উদ্দীপ্ত করেছিল।
উদ্দীপকের সোনাতলা গ্রামের মানুষও মোবারক মাস্টারের কথায় উদ্দীপ্ত হয়েছিল। মোবারক মাস্টার সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে বলেন। তার এ কথায় গ্রামের সবার মনোবল সুদৃঢ় হয় এবং শত্রæর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা জোগায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোর আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু এবং মোবারক মাস্টারের ভাষণ ছিল অনুপ্রেরণাসম।
সুতরাং বলা যায়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা হিসেবে মোবারক মাস্টার ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন -৯ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিদেশি সেনার কামানেবুলেটে বিদ্ধ
নারী শিশু আর যুবক-জোয়ান বৃদ্ধ
শত্রæ সেনারা হত্যার অভিযানে
মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ উত্থানে।
ক. বঙ্গবন্ধু কত সালে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন? ১
খ. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাঙালিরা কোন প্রেরণা পেয়েছিল? ২
গ. উদ্দীপকটির বিষয় তোমার পাঠ্য কোন রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকটি প্রতিফলিত রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করে কি? মতের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
৯নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন।
খ. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে বাঙালিরা মুক্তির প্রেরণা পেয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিকে নতুনভাবে বাঁচার অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এ ভাষণের অসাধারণ প্রাণশক্তি মুহ‚র্তের মধ্যে সমস্ত বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিল। এ যুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।
গ. উদ্দীপকটির বিষয় আমার পাঠ্য ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটিতে প্রতিফলিত হয়েছে।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতায় সংগ্রাম’ রচনায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটিকে তুলে ধরা হয়েছে। ভাষণে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নির্বিচারে হত্যা, পাশবিক নির্যাতন, ক্ষমতার ষড়যন্ত্র প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেছেন। আর এসব অন্যায়ের প্রতিবাদেই বঙ্গবন্ধু সবাইকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহŸান জানান এবং শেষ পর্যন্ত বাঙালি সফল হয়েছে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বিদেশি সেনাদের কামানের বুলেটে বিদ্ধ হলো শিশু যুবক জোয়ান বৃদ্ধরা। শত্রæসেনারা এদেশের মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে অভিযানে বের হয়েছে। বাংলার মুক্তিবাহিনীও এই অন্যায় মেনে নিয়ে চুপ করে থাকেনি। তারাও প্রতিরোধে সোচ্চার হয়েছে। সুতরাং দেখা যায়, উদ্দীপকের বর্ণিত বাংলার মানুষের ওপর নির্যাতন ও এর প্রতিবাদের বিষয়টি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকটির বিষয় ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনাটিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ২৩ বছরের অবহেলিত বাঙালি জাতির অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি প্রভৃতি যখন ধ্বংসের সম্মুখীন তখনই বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে বেজে ওঠে বাংলা রক্ষার আহŸান। বঞ্চিত পূর্ব পাকিস্তানের নেতারা ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেও ক্ষমতায় বসতে পারে না। উপরন্তু তাদের লোকজনের ওপর নানা অত্যাচার, নির্যাতন ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এরই প্রতিবাদে বঞ্চিত বাঙালি জাতির মুক্তির আহŸান হিসেবে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন তা আলোচ্য রচনায় উপস্থাপিত হয়েছে।
অপরপক্ষে, উদ্দীপকে আলোচ্য রচনার মধ্যে বর্ণিত বিদেশি সেনাদের অত্যাচার এবং বাঙালিদের এই অন্যায় না মেনে নেওয়ার সংগ্রামী দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এ রচনার বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও অন্যান্য বিষয় উদ্দীপকে অনুপস্থিত।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার সমগ্র ভাব ধারণ করে না।
প্রশ্ন -১০ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি :
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’ উক্তিটি কার? ১
খ. বঙ্গবন্ধু কেন প্রধানমন্ত্রিত্ব চাননি সংক্ষেপে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের কবি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বর্ণিত কোন ব্যক্তিকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
১০নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল’ উক্তিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
খ. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে চেয়েছিলেন; তাই তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাননি।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন চেয়েছিলেন, কিন্তু ইয়াহিয়া সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করে সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি চালায়। আবার অধিবেশন বসলে শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাসেম্বলি প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব চান না; তিনি চান সাধারণ মানুষের মুক্তি।
গ. উদ্দীপকের কবি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ইঙ্গিত করে।
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনায় বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করা সত্তে¡ও তৎকালীন সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করার সূত্র ধরে বঙ্গবন্ধু বাঙালির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ প্রদান করেন। সেদিন প্রায় ১০ লাখ লোক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের জন্য অপেক্ষা করেন। আবেগময়ী বক্তব্যে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের দিক-নির্দেশনায় ওই ভাষণটি ছিল অনবদ্য।
উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এই ভাষণের কথা বলা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে জনতার মঞ্চে এসে বাঙালির দিকনির্দেশনামূলক ভাষণটি প্রদান করেন। দেশমাতৃকাকে রক্ষার্থে দেশের জনগণের মনে সংগ্রামী চেতনা জাগ্রত করতে এ ভাষণ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। আবেগের বক্তব্যে, দিক-নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি ছিল অনবদ্য। তার এ ভাষণকে কবিতা এবং তাকে কবি বলা হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটি ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার আলোকে তাৎপর্যপূর্ণ।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। উক্ত ভাষণের একেবারে শেষে তিনি বলেন “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” উক্তিটি বাংলার গণমানুষের হৃদয়ের উক্তিতে পরিণত হয়েছিল। উক্তিটির ভিতর দিয়ে স্বাধীনতার বীজ বপন করা হয়েছিল। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। ভাষণে তিনি পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের ইতিহাসের সারকথা সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন। এই ২৩ বছরের ইতিহাস অত্যন্ত করুণ, হৃদয়বিদারক, অত্যাচার আর রক্তের ইতিহাস। কিন্তু এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। আর মুক্তির জন্য চাই স্বাধীনতা। তাই স্বাধীনতার আসল ডাক দিয়েছিলেন উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটির মধ্যদিয়ে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর আগমনে হাজার জনতার হৃদয়ে দোলা লাগে, জোয়ার ওঠে। কবির কবিতা শোনার অপেক্ষা শেষ হয়, দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মুক্তির অমর কবিতার মধ্য দিয়ে এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। উদ্দীপকে উল্লিখিত শেষ চরণ দুটি বঙ্গবন্ধুরই ভাষণের অংশ বিশেষ। চরণ দুটির মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের বীজমন্ত্র।
সুতরাং বলা যায়, প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপকের শেষোক্ত চরণ দুটি এবং প্রবন্ধ উভয়ই বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যার তাৎপর্য বাঙালি জাতির জীবনে অপরিসীম।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-১১ দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতাকামী নেতা অর্থাৎ স্বাধীনতার অগ্রদূত বলা হয় জন গেরাংকে। তিনি উত্তর সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে পৃথক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন, দক্ষিণ সুদানবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে তার অনুপ্রেরণায় অবশেষে দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই দক্ষিণ সুদানবাসী কোনোদিন তাকে ভুলতে পারবে না।
ক. গণঅভ্যুত্থান কবে হয়? ১
খ. ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’ কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ‘জন গেরাং’-এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বৈসাদৃশ্য কোথায়? নির্ণয় কর। ৩
ঘ. কিছু বৈসাদৃশ্য থাকলেও জন গেরাং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই প্রতিচ্ছবিÑ মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
প্রশ্ন-১২ একনায়ক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে মিসরের মানুষ। তাঁরা তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়ে মোবারকবিরোধী ¯েøাগান দেয়। ব্যাংক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট সবকিছু বন্ধ রাখে জনগণ। সরকারের নির্যাতন সয়ে, মৃত্যুকে বরণ করতেও তাঁরা পিছপা হয়নি। অবশেষে তাঁরা মোবারক সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়।
ক. প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে অ্যাসেম্বলি ডেকেছিলেন? ১
খ. “আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।” বাক্যটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের মিসরবাসীর আচরণ ও ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ রচনার বাঙালিদের আচরণের সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের মিসরবাসী যেভাবে সরকারের পতন ঘটিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানও তার ভাষণে সেভাবেই স্বৈরাচারী পাকিস্তানি সরকারের পতন ঘটানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।” উক্তিটির পক্ষে মতামত দাও। ৪
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন \ ১ \ ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে পাকিস্তানের কোন সামরিক শাসক ক্ষমতাচ্যুত হন?
উত্তর : ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান ক্ষমতাচ্যুত হন।
প্রশ্ন \ ২ \ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল কী হয়?
উত্তর : পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন কে ডেকেছিলেন?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ঢাকায় পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন ডেকেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।
প্রশ্ন \ ৪ \ কবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি উপলক্ষে কতজন মানুষ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ঢাকায় এসেছিলেন?
উত্তর : ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি উপলক্ষে ৩৫ সদস্যের একটি দল পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ঢাকায় এসেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি করেছেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দাবি করেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের কত লোককে দাবায়ে রাখতে পারবে না?
উত্তর : পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের ৭ কোটি লোককে দাবায়ে রাখতে পারবে না।
প্রশ্ন \ ৮ \ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় কী গড়ে তোলার আহŸান করেছিলেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার আহŸান করেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের কোন ভাষণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে তুলনা করা হয়?
উত্তর : আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ ভাষণের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে তুলনা করা হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ বঙ্গবন্ধু কাদের হাতে নিহত হন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু সামরিক বাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন।
প্রশ্ন \ ১১ \ ১৯৭১ সালের কত তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করা হয়েছিল?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৫ তারিখে অ্যাসেম্বলি কল করা হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ১২ \ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সর্বপ্রথম বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন কোন ব্যক্তি?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলা ভাষায় ভাষণ প্রদান করেন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন কে?
উত্তর : ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন \ ১ \ আমরা যখন মরতে শিখেছি তখন, কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না বাক্যটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : আলোচ্য বাক্যটির মাধ্যমে সংকল্পবদ্ধ বাঙালির অপ্রতিরোধ্যতার স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে।
পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বর্বরতায় বাঙালি জাতি যখন নির্যাতিত, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত ঠিক সেই মুহ‚র্তে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এর সাথে তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন গুলি চালিয়ে অপ্রতিরোধ্য বাঙালিকে দাবানো যাবে না। কারণ বাঙালি অধিকার আদায়ের দাবিতে বুকের রক্ত দিয়েই অর্জন করবে অধিকার। আলোচ্য অংশে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন \ ২ \ বঙ্গবন্ধু সবাইকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন কেন?
উত্তর : শত্রæকে মোকাবিলার জন্য বঙ্গবন্ধু সবাইকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গোপনে ষড়যন্ত্র শুরু করে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহŸান করেও কোনো কারণ ছাড়াই অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। বাঙালি সহজেই এর কারণ অনুধাবন করতে পারে। তাই পাকিস্তান সরকারকে অচল করে দেয়ার জন্য এবং যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বঙ্গবন্ধু সবাইকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার আহŸান করেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ “বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়”Ñ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : “বাংলার মানুষ মুক্তি চায় বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়”Ñ কথাটি শেখ মুজিবুর রহমান দুঃখ করে বলেছেন। কারণ পাকিস্তানিদের বর্বরতায় সারা বাংলাদেশ রক্তে রঞ্জিত হয়ে গিয়েছিল।
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু তাকে ক্ষমতায় যেতে দিল না পাকিস্তানি শাসকরা। যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ক্ষমতায় যেতে চাইলেন তখন পাকিস্তানিরা শুরু করল এদেশের মানুষের ওপর অকথ্য নির্যাতন। এই অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে যে বাংলার মানুষ বাঁচতে চায় নিজেদের জীবনের স্বাধীনতা চায় সে কথাটি দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে ব্যক্ত করেছেন বঙ্গবন্ধু।
প্রশ্ন \ ৪ \ “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব”Ñ কথাটি দ্বারা তুমি কী বুঝতে পার? ব্যাখ্যা করে লেখ।
উত্তর : “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব”Ñ কথাটি দ্বারা বঙ্গবন্ধু সাত কোটি বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।
পাকিস্তানের জন্ম থেকে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ বিনাবিচারে পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষের হাতে শোষিত হচ্ছিল। এই শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাঙালিকে আহŸান করেছিলেন রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চ জ্বালাময়ী এই ভাষণের মাধ্যমে। তাঁর দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে মুক্তির এই বাণীই বাঙালিকে অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সব অন্যায়কে প্রতিহত করতে।
প্রশ্ন \ ৫ \ ১৯৫২ সালে বাঙালির রক্ত দেয়ার কারণ কী?
উত্তর : ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বাঙালিকে রক্ত দিতে হয়েছিল।
পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। অথচ পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকরা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। পাকিস্তানের জনগণ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারিতে ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। ক্ষমতাসীন সরকারের নির্দেশে পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিতে ঢলে পড়ে অনেক তাজা প্রাণ। বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয় বাংলার রাজপথ। ভাষার দাবিতে রক্তদানের ইতিহাস বাঙালিকে পৃথিবীর বুকে অবিস্মরণীয় করে রাখবে।
Thanks