প্রার্থী
সুকান্ত ভট্টাচার্য
কবি-পরিচিতি
নাম সুকান্ত ভট্টাচার্য।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ (৩০শে শ্রাবণ, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ); জন্মস্থান : কলকাতার মাতুলালয়। পৈতৃক নিবাস : কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
পিতৃ-মাতৃ পরিচয় পিতা : নিবারণ চন্দ্র ভট্টাচার্য; মাতা : সুনীতি দেবী।
শিক্ষাজীবন মাধ্যমিক : ম্যাট্রিক (১৯৪৫) অকৃতকার্য, বেলেঘাটা দেশবন্ধু হাইস্কুল।
কর্মজীবন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এছাড়াও দৈনিক পত্রিকা, স্বাধীনতার কিশোর সভা অংশের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সম্পাদক ছিলেন।
সাহিত্য সাধনা ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল, গীতিগুচ্ছ প্রভৃতি। ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘের পক্ষে ‘আকাল’ (১৯৪৪) নামক কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা।
বিশেষ কৃতিত্ব তার কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ পাঠকদের সচকিত করে তোলে। গণমানুষের প্রতি গভীর মমতার প্রকাশ ঘটেছে তার কবিতায়।
জীবনাবসান মৃত্যু তারিখ : ১৩ই মে, ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দ, (২৯শে বৈশাখ ১৩৫৪ বঙ্গাব্দ)।
উৎস নির্দেশ ‘প্রার্থী’ কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কত বছর বয়সে মারা যান?
২১ খ ২২ গ ২৩ ঘ ২৫
২. সকালের এক টুকরো রোদকে কার সাথে তুলনা করা হয়েছে?
ক কৃষকের চঞ্চল চোখ এক টুকরো সোনা
গ এক টুকরো গরম কাপড় ঘ এক জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ
৩. সূর্যের কাছে রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটার জন্য উত্তাপ চাওয়ার মধ্যে কবির যে অনুভ‚তি প্রকাশ পেয়েছে তা হলোÑ
র. সহযোগিতা রর. সহমর্মিতা ররর. সহনশীলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ ররর রর ঘ র, রর ও ররর
উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অর্থাভাবে বিনাচিকিৎসায় মারা যায় লিয়াকতের বাবা। সেই থেকে সে প্রচÐ শোক বুকে নিয়ে ঢাকা শহরে রিকশা চালিয়ে তিল তিল করে সঞ্চয় করে কিছু টাকা। আর সে টাকা দিয়ে তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে গড়ে তোলে একটি হাসপাতাল; যাতে কোনো অসহায়, দুঃস্থ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।
৪. লিয়াকতের কার্যক্রমে ‘প্রার্থী’ কবিতায় যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা হলোÑ
র. মহানুভবতা রর. মানবতা ররর. মানসিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ ররর গ রর র, রর ও ররর
৫. ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি সুকান্তের জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ হওয়া আর উদ্দীপকে লিয়াকতের শোকগ্রস্ত হওয়া আসলেÑ
র. আর্তমানবতার কল্যাণ করা
রর. কল্যাণের লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হওয়া
ররর. মানুষ মানুষের জন্য-এ সত্যে উদ্বুদ্ধ হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬. মাঘ মাসের এক সকালে বাসার গেটের পাশে ছেঁড়া কাপড় পরা এক বৃদ্ধ ভিখারিকে শীতে ঠকঠক করে কাঁপতে দেখে সুমন তার মা’র কাছে ভিখারিটার জন্য একটা চাদর চায়Ñ
‘প্রার্থী’ কবিতার কবির যে মনোভাব সুমনের মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে তা হলোÑ
র. অসুস্থ মানুষের সেবা করার রর. রোগগ্রস্ত মানুষের জন্য বেদনাবোধ
ররর. বঞ্চিত মানুষের জন্য মমত্ববোধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ র, রর ও ররর
৭. ‘চকোর চায় চন্দ্রমায়’ চরণে ‘চন্দ্রমা’ ‘প্রার্থী’ কবিতার কোনটির সাথে তুলনীয়?
সকালের রোদ খ পথশিশু
গ শীতের রাত ঘ স্যাঁতসেঁতে ঘর
৮. রাস্তার ধারের ছেলেটিকে কবি কেমন ছেলে বলে উল্লেখ করেছেন?
ক শীতার্ত খ অসহায় গ দরিদ্র উলঙ্গ
৯. ‘বামপন্থি বিপ্লবী’ কবি বলা হয় কাকে?
ক কামিনী রায় সুকান্ত ভট্টাচার্য গ বুদ্ধদেব বসু ঘ সুফিয়া কামাল
১০. কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন কেন?
ক মানসিক অস্থিরতা দূর করতে
খ বৈষম্য দূর করতে
গ পীড়িতদের সাহায্য করতে
নিচুতলার মানুষের প্রতি গভীর মমতা থেকে
১১. ‘প্রার্থী’ কবিতা পাঠ করলে
ক মানুষের প্রতি মমত্ব জাগবে
খ দীন-দরিদ্রের প্রতি প্রেম জাগবে
গ বঞ্চিত ও অবহেলিতের প্রতি প্রীতি জাগবে
অবহেলিত, বঞ্চিত ও দরিদ্রের প্রতি মমতা জাগবে
১২. ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি সূর্যের মতো জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ হতে চেয়েছেন কেন?
ক অধিকার পেতে খ অজ্ঞতা রুখতে
সাহসী হতে ঘ সমব্যথী হতে
১৩. কবি সূর্যের অবদান থেকে কী নিতে চান?
ক তেজ খ শক্তি গ আলো প্রেরণা
১৪. ‘প্রার্থী’ শব্দটি দিয়ে কবি বুঝিয়েছেন
ক প্রার্থনা করা খ উত্তাপ দেয়া
প্রার্থনাকারী ঘ জড়তা কাটানো
১৫. ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবির যে মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছেÑ
র. শীতার্তদের রক্ষা করা রর. গরিবদের প্রতি মমত্ববোধ
ররর. বঞ্চিতদের ভাগ্য উন্নয়ন ঘটানো
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৬ ও ১৭নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
উমর ফারুক (রা) একজন খলিফা হয়েও নিজের পিঠে বোঝা বয়ে দুঃখিনী মায়ের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছিলেন।
১৬. ‘প্রার্থী’ কবিতায় কার সাথে উমরের কীর্তির সাদৃশ্য রয়েছে?
কবির খ প্রার্থীর গ ছেলেটির ঘ সূর্যের
১৭. উক্ত সাদৃশ্যধারীর কাছ থেকে আমরা যা লাভ করতে পারি তা হলো
র. শীতের কষ্ট থেকে বাঁচার উপায়
রর. মানুষের কল্যাণ সাধনের প্রেরণা
ররর. মহৎ কাজে আড়ষ্টতা পরিহারের শিক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
কবি-পরিচিতি
১৮. সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯১৬ ১৯২৬ গ ১৯২৮ ঘ ১৯৩০
১৯. সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈতৃক নিবাস কোথায়? (জ্ঞান)
ক গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে খ যশোরের সাগরদাঁড়িতে
গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ঘ কুমারখালির শিলাইদহে
২০. সুকান্ত ভট্টাচার্য কোন পত্রিকার কিশোর সভা অংশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন? (জ্ঞান)
দৈনিক স্বাধীনতা খ দৈনিক আজাদ
গ দৈনিক ভোরের কাগজ ঘ দৈনিক ইনকিলাব
২১. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ক্যান্সারে খ য²ায় গ ম্যালেরিয়ায় ঘ নিউমোনিয়ায়
২২. কত খ্রিষ্টাব্দে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৩৭ ১৯৪৭ গ ১৯৫৭ ঘ ১৯৬৭
২৩. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বামপন্থি-বিপ্লবী কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন কেন? (অনুধাবন)
ক বঞ্চিত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য
শোষিত নিপীড়িতের মুক্তির আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য
গ কর্মী মানুষ হিসেবে সমাজে পরিচিত হওয়ার জন্য
ঘ দুর্বল ও শোষিতের মুক্তির লড়াই করার জন্য
২৪. আসলাম নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়েও সে অল্প বয়সেই সমাজের অসহায় ও নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে চলছে। আসলামের কার্যাবলির সঙ্গে কোন কবির কার্যাবলি সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক জসীমউদ্দীনের খ কাজী নজরুল ইসলামের
সুকান্ত ভট্টাচার্যের ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
২৫. সুকান্ত ভট্টাচার্য কেমন পরিবারের সন্তান ছিলেন? (অনুধাবন)
ক নিম্নবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত গ উচ্চবিত্ত ঘ উচ্চ মধ্যবিত্ত
২৬. কোন বয়সে সুকান্ত নিজেকে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড় করিয়েছেন? (জ্ঞান)
ক যুবক বয়সে কিশোর বয়সে গ শিশু বয়সে ঘ প্রৌঢ় বয়সে
২৭. ‘ঘুম নেই’ গ্রন্থটি কার লেখা? (জ্ঞান)
ক শামসুর রাহমানের সুকান্ত ভট্টাচার্যের
গ কাজী নজরুল ইসলামের ঘ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
মূলপাঠ
২৮. শীতার্ত মানুষ কীভাবে শীতের রাত কাটায়? (জ্ঞান)
ক কম্বল গায়ে দিয়ে খ স্ট্রিটল্যাম্পের নিচে বসে
খড়কুটো জ্বালিয়ে ঘ চাদর গায়ে দিয়ে
২৯. কবি সূর্যের অবদান থেকে প্রেরণা নিতে চান কেন? (অনুধাবন)
শোষকদের প্রতি ঘৃণাবোধ থেকে খ নতুন গাছপালা সৃষ্টি করবেন বলে
গ শীতার্ত মানুষকে কাপড় দেবেন বলে ঘ সব কিছুকে পোড়াবেন বলে
৩০. ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি কেমন রাতের কথা বলেছেন? (জ্ঞান)
ক প্রচÐ গরমে অতিষ্ঠ রাত খ ক্লান্তিকর সুদীর্ঘ রাত
হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত ঘ সুখকর সুদীর্ঘ রাত
৩১. এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে শীত পাড়ি দেয় কারা? (জ্ঞান)
ক সন্ন্যাসীরা খ বিত্তবানরা বস্ত্রহীনরা ঘ কৃপাপ্রার্থীরা
৩২. ‘প্রার্থী’ কবিতার প্রথমে কবি কাকে সম্বোধন করেছেন? (জ্ঞান)
ক জোছনাকে খ বৃষ্টিকে সূর্যকে ঘ চন্দ্রকে
৩৩. কোন সময়ের এক টুকরো রোদ্দুর এক টুকরো সোনার চেয়ে দামি বলে মনে হয়? (জ্ঞান)
শীতের সকালের খ শীতের দুপুরের
গ শীতের বিকেলের ঘ শীতের সন্ধ্যার
৩৪. ‘প্রার্থী’ কবিতায় ‘জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ’ বলা হয়েছে কাকে? (জ্ঞান)
ক আগ্নেয়গিরিকে সূর্যকে
গ নক্ষত্রসমূহকে ঘ চাঁদকে
৩৫. সূর্যের কাছে উত্তাপ পেয়ে আমরা একদিন কীসে পরিণত হব? (জ্ঞান)
জ্বলন্ত অগ্নিপিÐে খ জ্বলন্ত স্বর্ণখÐে
গ আলোকিত হীরকখÐে ঘ জ্বলন্ত কয়লাখÐে
৩৬. সূর্যের উত্তাপে আমাদের কী পুড়বে? (জ্ঞান)
ক দীনতা জড়তা গ সংকীর্ণতা ঘ দুঃখ
৩৭. ‘প্রার্থী’ কবিতার মূল বিষয় কী? (অনুধাবন)
ক সূর্যের বন্দনা গরিবের প্রতি মমত্ববোধ
গ শীতের বন্দনা ঘ মানবের জয়গান
৩৮. কবি সুকান্ত হিমশীতল সুদীর্ঘ রাতে কেন সূর্যের প্রতীক্ষায় থাকেন? (অনুধাবন)
ক কৃষকের চঞ্চল চোখ দেখার জন্য
শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য
গ ধানকাটার রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখার জন্য
ঘ শীতার্ত মানুষের কষ্ট উপলব্ধির জন্য
৩৯. অসহায় নিপীড়িত মানুষ সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে রাখে কেন? (অনুধাবন)
শীত মোকাবিলা করার জন্য খ পোকামাকড় থেকে বাঁচার জন্য
গ নিজেদের বাঁচানোর জন্য ঘ অন্ধকার দূর করার জন্য
৪০. শীতের সকালের এক টুকরো রোদ সোনার চেয়ে দামি মনে হয় কেন? (অনুধাবন)
ক বহু উপকারী ও প্রয়োজনীয় বলে
খ বহু অপেক্ষার ফল ও প্রয়োজনীয় বলে
গ বহু দামি ও কাক্সিক্ষত বলে
বহু প্রতীক্ষিত ও কাক্সিক্ষত বলে
৪১. বাবু, সাবু, রাবুদের শীতের কাপড় নেই। তাই তারা ভোরবেলা থেকে সূর্যের আলোর প্রতীক্ষায় থাকে। এখানে বাবু, সাবু, রাবু ‘প্রার্থী’ কবিতার কীসের প্রতীক? (প্রয়োগ)
উলঙ্গ শিশুদের খ জলন্ত অগ্নিপিÐের
গ সূর্যের আলোর ঘ কৃষকের চোখে
৪২. ‘প্রার্থী’ কবিতায় ‘হে সূর্য’ কথাটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে? (জ্ঞান)
ক দুই খ তিন চার ঘ পাঁচ
৪৩. ঘর ছেড়ে এদিক-ওদিক যাওয়া হয় কেন? (জ্ঞান)
ক পোশাকের জন্য রোদের জন্য
গ খাবারের জন্য ঘ লেখাপড়ার জন্য
৪৪. ‘যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকের চঞ্চল চোখ; ধানকাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলির জন্য’ এখানে কী ব্যবহৃত হয়েছে? (অনুধাবন)
ক চিত্রকল্প খ উৎপ্রেক্ষা উপমা ঘ রূপক
৪৫. ‘প্রার্থী’ কবিতায় কৃষকের ধান কাটার দিনগুলোকে কবি কী বলেছেন? (জ্ঞান)
ক আনন্দের খ উৎসবের রোমাঞ্চকর ঘ প্রতীক্ষার
৪৬. ‘কৃষকের চঞ্চল চোখ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক দুঃখের তীব্রতা অধীর প্রতীক্ষা
গ অতীতের স্মৃতি ঘ সীমাহীন লোভ
৪৭. পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া এই সুন্দর পৃথিবীর অস্তিত্ব কল্পনাহীনÑ এখানে পানির সঙ্গে ‘প্রার্থী’ কবিতার কোনটির সাদৃশ্য করা যায়? (প্রয়োগ)
ক চাঁদ খ বাতাস গ কাপড় সূর্য
৪৮. ‘একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিÐে পরিণত হব’ চরণটিতে ইঙ্গিত করা যায়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
বঞ্চিত মানুষের বিদ্রোহী হয়ে ওঠা
খ শীতার্ত মানুষের অবস্থা
গ পথশিশুদের দুরবস্থা দূরীকরণের প্রচেষ্টা
ঘ মানুষের অবস্থা অবলোকনের চেষ্টা
৪৯. ‘প্রার্থী’ কবিতায় উলঙ্গ ছেলে কাদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ভবঘুরে মানুষদের খ অত্যাচারী জমিদারদের
গ কোটিপতিদের হাজারো সহায় সম্বলহীন মানুষের
৫০. ‘জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ’Ñকথাটি দ্বারা কবি কোন বিষয়টিকে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
মানুষের ভেতরকার বোধ জাগ্রত করা
খ মানুষের জড়তা ভাঙা
গ মানুষের বস্ত্রহীনতার অভাব পূরণ করা
ঘ মানুষের মধ্যে শীত দূর করা
৫১. কবি সুকান্তের কবিতায় বলিষ্ঠভাবে কোনটি উচ্চারিত হয়েছে?
[ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আন্তঃবিদ্যালয়]
ক মজুরের জয়গান খ মুক্তির জয়গান
গ শ্রমিকের জয়গান মানবমুক্তির জয়গান
৫২. সুকান্তের কবিতায় কেমন মানুষের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে?
[ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
বঞ্চনাকাতর খ ভবঘুরে গ বিত্তবান ঘ হতদরিদ্র
৫৩. ‘আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব’ এখানে আমাদের বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছেন? [ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক নিপীড়িতদের খ অত্যাচারিতদের
দরিদ্রদের ঘ শ্রমজীবীদের
৫৪. ‘প্রার্থী’ কবিতায় প্রার্থী কে? [খুলনা জিলা স্কুল]
কবি খ বস্ত্রহীন মানুষ গ কৃষক ঘ উলঙ্গ ছেলেটা
৫৫. শীতের দিনে গরিবরা এক টুকরো কাপড়ে কী ঢাকে?
[ভি. জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা]
কান খ হাত গ চোখ ঘ দেহ
৫৬. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
[মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক পূর্বাভাস ছাড়পত্র গ অভিযান ঘ ঘুম নেই
শব্দার্থ ও টীকা
৫৭. ‘হিমশীতল’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঠাÐা খ জলের মতো ঠাÐা
গ শীতের মতো ঠাÐা তুষারের মতো ঠাÐা
৫৮. রিপাদের ঘরের মেঝে বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে থাকে। অনুচ্ছেদের স্যাঁতসেঁতে শব্দটি ‘প্রার্থী’ কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ভিজে ভিজে ভাবযুক্ত খ পানিতে ভরপুর
গ পানি মুক্ত ঘ শুকনো ভাবযুক্ত
৫৯. ‘জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ’ শব্দটির অর্থ কী? (অনুধাবন)
ক গরম দÐ আগুনের গোলা
গ হতাশার ছায়া ঘ একান্ত আকুতি
পাঠ-পরিচিতি
৬০. ‘প্রার্থী’ কবিতাটির কবি কে? (জ্ঞান)
ক জসীমউদ্দীন খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুকান্ত ভট্টাচার্য ঘ সুফিয়া কামাল
৬১. সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন কে? (জ্ঞান)
ক কবি রবীন্দ্রনাথ খ কবি জসীমউদ্দীন
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ঘ কবি সুফিয়া কামাল
৬২. এই পৃথিবীর শক্তির মূল উৎস কী? (অনুধাবন)
ক চন্দ্র খ গ্রহ সূর্য ঘ নক্ষত্র
৬৩. ‘প্রার্থী’ কবিতা পাঠের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর কোন ধরনের অনুভ‚তির সৃষ্টি হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
দরিদ্র মানুষের প্রতি মমত্ববোধ খ অসুস্থদের প্রতি দায়িত্ববোধ
গ প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি কর্তব্যবোধ ঘ অশিক্ষিত মানুষের প্রতি সহানুভ‚তি
৬৪. উদ্ভিদ, জীবজন্তু ও মানুষ কীসের সাহায্যে জীবনধারণ করে? (জ্ঞান)
ক চন্দ্রের আলোর সাহায্যে খ নক্ষত্রের শক্তির সাহায্যে
সূর্যের তাপের সাহায্যে ঘ গ্রহের শক্তির সাহায্যে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
কবি-পরিচিতি //
৬৫. সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত কাব্যগ্রন্থ হলো (অনুধাবন)
র. ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস
রর. অভিযান, হরতাল, গীতিগুচ্ছ
ররর. সোনার তরী, নকশীকাঁথার মাঠ, মাটির কান্না
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৬. সুকান্ত বামপন্থি কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। কারণ তিনি
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. কবিতার মাধ্যমে বিদ্রোহ ও প্রতিবাদের সুর উচ্চারণ করেছেন
রর. বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কবিতা লিখতেন
ররর. প্রকৃতি প্রেমের বিষয় নিয়ে কবিতা লিখতেন
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৭. সুকান্ত ভট্টাচার্যের আন্দোলন ও লেখনীর গুরুত্ব হলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অসহায়ের প্রতি মানুষের সদয় হওয়া
রর. বঞ্চিতদের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ সৃষ্টি করা
ররর. ধনীর জয়গান করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য যে সমাজের প্রত্যাশা করেছেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সাম্যবাদী রর. শোষণহীন
ররর. ধর্মনিরপেক্ষ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মূলপাঠ
৬৯. ‘প্রার্থী’ কবিতায় মানুষের ঘর ছেড়ে বাইরে যাওয়ার কারণÑ (অনুধাবন)
র. এক টুকরো রোদ্দুরের জন্য রর. একটু উত্তাপের জন্য
ররর. একটু বৃষ্টির জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭০. সূর্যের কাছে কবি উত্তাপ চেয়েছেনÑ (অনুধাবন)
র. জ্বলন্ত অগ্নিপিÐে পরিণত হওয়ার জন্য
রর. শীতার্ত মানুষকে সাহায্য করার জন্য
ররর. চারদিক আলোকিত করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭১. হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত সূর্যের প্রতীক্ষায় থাকার কারণ হলো (অনুধাবন)
র. অন্ধকার দূর করার জন্য
রর. গরম কাপড়ের অভাবের জন্য
ররর. উষ্ণ রোদের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭২. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রাস্তার ধারে বস্ত্রহীন শীতার্ত ছেলেটির জন্য সূর্যের কাছে উত্তাপ চেয়েছেন। তার এ আচরণ দ্বারা বহিঃপ্রকাশ ঘটেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তার হৃদয়ে অসহায়দের জন্য সহানুভ‚তির
রর. তার হৃদয়ে নিপীড়িতের জন্য সহানুভ‚তির
ররর. তার হৃদয়ে দরিদ্রের জন্য দয়াশীলতার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৩. মাহমুদ সাহেব অফিসে যাওয়ার সময় তার গাড়ির কাচের ভিতর হাত দিয়ে এক অসহায় দরিদ্র ব্যক্তি সাহায্য চায়। তিনি বিরক্ত হয়ে লোকটিকে বকা দেন। তার বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ‘প্রার্থী’ কবিতার যে দিকটির বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় (প্রয়োগ)
র. দরিদ্রের প্রতি সহানুভ‚তিশীলতা
রর. অসহায়ের প্রতি উদারতা
ররর. মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহŸান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৪. শীতার্ত মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য দরকারÑ (অনুধাবন)
র. নতুন সমাজ গড়া
রর. সূর্য থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া
ররর. সবাইকে কর্মক্ষম করে তোলা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টীকা
৭৫. ‘জড়তা’ শব্দের সমার্থক হলো (অনুধাবন)
র. স্থূলতা রর. আড়ষ্টতা
ররর. জড়তার ভাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৬. ‘অকৃপণ’ শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে (অনুধাবন)
র. উদার রর. কৃপণ নয় এমন ররর. বিশাল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-পরিচিতি
৭৭. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি পাঠের তাৎপর্য হলোÑ (অনুধাবন)
র. এর মাধ্যমে অন্নহীন মানুষের প্রতি সহানুভ‚তি সৃষ্টি হবে
রর. এর মাধ্যমে বঞ্চিত মানুষের প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টি হবে
ররর. এর মাধ্যমে আশ্রয়হীন মানুষের প্রতি মমতা সৃষ্টি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৭৮. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি পাঠ করে শিক্ষার্থীদের ভেতরে মমতা সৃষ্টি হবে
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. সুবিধা বঞ্চিত মানুষের প্রতি
রর. অবহেলিত মানুষের প্রতি
ররর. বয়স্ক মানুষের প্রতি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৯. সূর্যের তাপ বিকিরণ ভ‚পৃষ্ঠের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে কারণেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এটি ভ‚পৃষ্ঠের উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর জীবনধারণে সহায়তা করে
রর. এটি ভ‚পৃষ্ঠের মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনধারণে সহায়তা করে
ররর. এটি ভ‚পৃষ্ঠের মাটির ক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮০ ও ৮১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাবলু তার এলাকার শীতার্ত অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের জন্য বিভিন্ন আন্দোলন করে থাকেন। তাই তিনি তার লেখনীতে উচ্চারণ করেন প্রতিবাদ ও বিদ্রোহের সুর।
৮০. বাবলু যে অনুভ‚তি থেকে উক্ত কাজ করে সে অনুভ‚তির সাথে বাংলা সাহিত্যের কোন কবির অনুভ‚তির সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়? (প্রয়োগ)
সুকান্ত ভট্টাচার্যের খ জীবনানন্দ দাশের
গ জসীমউদ্দীনের ঘ কায়কোবাদের
৮১. উক্ত কবির মতো বাবলু শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের জন্য বিভিন্ন আন্দোলন করেন কেন? (অনুধাবন)
তাদের জীবনযন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য
খ তাদের বস্ত্র প্রদান করার জন্য
গ তাদের খাদ্য প্রদান করার জন্য
ঘ তাদের স্বাবলম্বী করার জন্য
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮২ ও ৮৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাঈদ ও তার বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যেসব ভবঘুরে ও অসহায় পথশিশু আছে, তাদের জন্য একটি বিদ্যালয় খুলবে। যেখানে পথশিশুরা সাক্ষরজ্ঞান লাভ করবে।
৮২. উদ্দীপকের ভাবনা তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতার সাথে সংগতিপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক নারী খ জাগো তবে অরণ্য কন্যারা
গ একুশের গান প্রার্থী
৮৩. উক্ত কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. অসহায় মানুষকে সাহায্য করা
রর. সমাজের বিশৃঙ্খলারোধ করা
ররর. দরিদ্র মানুষের দুঃখ দূর করা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৮৪ ও ৮৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
শীতের প্রকোপ বাড়লে অসহায়, দরিদ্র মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। তারা রাতে যেমন খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে তেমনি সকালের সূর্যের উত্তাপের প্রতীক্ষায় থাকে।
৮৪. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে কোন কবিতার বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
ক বঙ্গভ‚মির প্রতি খ মানবধর্ম
গ একুশের গান প্রার্থী
৮৫. উক্ত কবিতায় আলোকে উদ্দীপকে উল্লিখিত পরিস্থিতিতে মানুষের করণীয়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মানুষের জন্য দোয়া করা রর. মানুষের প্রতি সহানুভ‚তি দেখানো
ররর. অসহায়দের সাহায্য করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন -১ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দামি গাড়ি হাঁকিয়ে বারিধারা অফিসে যাবার পথে বিজয় সরণি সিগন্যালে জীর্ণ-শীর্ণ এক ভিক্ষুক নাদিম সাহেবের গাড়ির জানালার পাশে ভিক্ষার থালা বাড়িয়ে দিলে তিনি জানালার কালো গøাস তুলে দেন। আর ভীষণ বিরক্তি প্রকাশ করে বলেনÑ রাবিশ, ভিক্ষুকে দেশটা ভরে গেছে। কথা শুনে ড্রাইভার আবদুল বলেÑ স্যার, গরিব মানুষ, কী করবে বলেন? এই ভিক্ষার আয় রোজগার দিয়েই তো ওরা সংসায় চালায়।
ক. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?
খ. কবি সূর্যকে জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের নাদিম সাহেবের আচরণ ‘প্রার্থী’ কবিতার কোন ভাবের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ বর্ণনা কর।
ঘ.ড্রাইভার আবদুলের অভিব্যক্তিতে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূল চেতনা প্রকাশ পেলেও কবি সুকান্তের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
খ. সূর্যের অফুরন্ত উত্তাপের প্রখরতা বোঝাতেই কবি সূর্যকে জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ বলেছেন।
এ পৃথিবীর যাবতীয় শক্তির উৎস সূর্য। সূর্য যে তাপ বিকিরণ করে তার সাহায্যেই ভ‚পৃষ্ঠে উদ্ভিদ, জীবজন্তু ও মানুষ জীবনধারণ করে। বিশেষ করে শীতকালে অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের প্রধান সহায় এ সূর্যের উত্তাপ। তাই তিনি সূর্যের তেজের প্রখরতা বোঝাতে একে জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ বলেছেন।
গ. উদ্দীপকের নাদিম সাহেবের আচরণ ‘প্রার্থী’ কবিতায় প্রকাশিত সমাজের অসহায় মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
‘প্রার্থী’ কবিতায় অন্ন-বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের প্রতি কবির অসীম মমতা ফুটে উঠেছে। কারণ শীতের রাতে রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটি সূর্যের একটু উত্তাপ পাওয়ার আশায় প্রহর গোনে। কবি ওই ছেলেটির পাশে দাঁড়িয়ে গভীর মমতায় তার দুঃখ দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এতে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার দিকটি গভীর সমবেদনায় প্রকাশিত হয়েছে।
উদ্দীপকের নাদিম সাহেবের আচরণে ‘প্রার্থী’ কবিতার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র প্রকাশিত। তিনি দরিদ্র ভিক্ষুককে সহায়তা না করে বরং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। উঁচুতলার মানুষ নাদিম সাহেব সমাজের অসহায় মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার বদলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন। কবির মতো সমাজের অসহায়ের প্রতি মমত্বের বিপরীতে তার কর্মকাÐে ফুটে উঠেছে বিরক্তি এবং নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা। এভাবেই উদ্দীপকের নাদিম সাহেবের আচরণ ‘প্রার্থী’ কবিতায় প্রকাশিত সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত ও দীন-দরিদ্র মানুষের প্রতি কবির গভীর মমত্ববোধের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ. ড্রাইভার আবদুলের অভিব্যক্তিতে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূল চেতনা প্রকাশ পেলেও কবি সুকান্তের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি। মন্তব্যটি যথার্থ।
‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি এমন সমাজ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ যেখানে বস্ত্রহীন মানুষের কোনো দুঃখ থাকবে না। অবহেলিত ও বঞ্চিত শিশুদের প্রতি কবির অসীম মমতা, আর এ মমত্ববোধ থেকেই তিনি এমন সমাজ গড়তে চান যাতে শীতার্ত, বস্ত্রহীন মানুষের জীবন থেকে সব দুঃখ চিরতরে ঘুচে যায়। কিন্তু উদ্দীপকে নাদিম সাহেবের ড্রাইভার আবদুল রাস্তার ভিক্ষুকের প্রতি সহানুভ‚তিশীল হলেও এদের জন্য নতুন সমাজ গড়ার মতো কোনো ভাবনা উঠে আসেনি।
উদ্দীপকের ড্রাইভার আবদুলের প্রচেষ্টার মধ্যে ‘প্রার্থী’ কবিতার কবির মতোই অসহায় মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে। ড্রাইভার ভিক্ষুকদের দুর্দশা দেখে ব্যথিত ঠিকই তবে সে এর প্রতিকার প্রত্যাশী নয়। তার অভিব্যক্তিতে দুর্বল মনোভাবের প্রতিফলন দেখা যায়। তাই তাকে অসহায় ভিক্ষুকটির সাহায্যার্থে নাদিম সাহেবের কাছে কোনো আবেদন করতে দেখা যায়নি।
সুতরাং বলা যায় যে, ড্রাইভার আবদুলের অভিব্যক্তিতে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূল চেতনা প্রকাশ পেলেও কবি সুকান্তের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেনি মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন -২ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দেখিনু সেদিন রেলে
কুলি বলে এক বাবু সাব
তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে।
চোখ ফেটে এল জল
এমনি করিয়া কী জগৎ জুড়িয়া
মার খাবে দুর্বল?
ক. সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম সাল কত? ১
খ. ‘আমরা প্রত্যেকেই এক একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিÐে পরিণত হব’-বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. কবিতাংশের প্রথম তিন চরণে ‘প্রার্থী’ কবিতার যে দিকটির সাথে বৈসাদৃশ্য রয়েছে তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.ভাবের উক্ত বৈসাদৃশ্যকে সাদৃশ্যপূর্ণ করতে ‘প্রার্থী’ কবিতায় সুকান্ত ভট্টাচার্যের অভিমত বিশ্লেষণ কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সুকান্ত ভট্টাচার্য ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
খ. আর্তমানবতার কল্যাণে সব মানুষ অনুপ্রাণিত হবে উক্তিটিতে কবি একথাটিই বোঝাতে চেয়েছেন।
সূর্যের আলো ও তাপ ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই সমানভাবে উপভোগ করতে পারে। দরিদ্র মানুষদের জন্য সূর্যের তাপ শীতকালে আশীর্বাদ হয়ে আসে। কবির আশা, সূর্যের এ পরোপকারী মনোভাব আমাদের মাঝে সঞ্চালিত হবে আমরা সবাই সূর্যের মতো অন্যের কল্যাণে নিবেদিত এক-একটি জ্বলন্ত অগ্নিপিÐে পরিণত হব।
গ. কবিতাংশের প্রথম তিন চরণে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠলেও এসব মানুষের মুক্তির সংকল্পের কথা প্রকাশ পায়নি, যা কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে। এখানেই কবিতাংশের প্রথম তিন চরণের সঙ্গে ‘প্রার্থী’ কবিতার বৈসাদৃশ্য।
‘প্রার্থী’ কবিতায় সমাজের অসহায় মানুষের প্রতি কবির প্রগাঢ় মমত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ‘সূর্য’ নামক রূপকের অন্তরালে কবি এমনিই এক শক্তিময় চেতনার কামনা করেছেন, যা আমাদের সবার মধ্যে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে। তার শক্তিতে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা জড়তা মুক্ত হব এবং পৃথিবী থেকে দূর করব সব শোষণ, বঞ্চনা আর অভাব-অনটন।
কিন্তু উদ্দীপকের কবিতাংশের প্রথম তিন চরণে ‘প্রার্থী’ কবিতার বিপরীতমুখী ভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এখানে জনৈক বাবু সাবকে কুলি বলে এক দরিদ্র মানুষকে নিচে ঠেলে ফেলে দিতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে অসহায় মানুষের প্রতি মমত্ববোধের পরিবর্তে, অত্যাচার-নির্যাতন ও মিথ্যা অহমিকার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অর্থাৎ কবিতায় কবি যাদেরকে উদাত্ত আহŸান জানিয়েছেন দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদ্দীপকে দেখা যায় সেসব মানুষই অসহায়দেরকে নির্যাতন করছে। অর্থাৎ কবিতাংশের প্রথম তিন চরণের সাথে ‘প্রার্থী’ কবিতার অসহায়ের প্রতি মমত্ববোধের দিকটির বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে যে অমানবিকবোধের প্রকাশ ঘটেছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘প্রার্থী’ কবিতায় তা দূর করার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
উদ্দীপকের কবি কুলির অসহায় অবস্থায় কষ্ট পেয়েছেন। তিনি যদি এর প্রতিকারের ভাবনাও প্রকাশ করতেন, তাহলে কবি সুকান্তের অভিমতের সঙ্গে চমৎকার এক সাদৃশ্য গড়ে উঠত। অভাবী ও দুঃখী মানুষদের জন্য সূর্যের অফুরন্ত তাপের প্রত্যাশা করেছেন কবি। কারণ তিনি তাদের কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন। উদ্দীপকের কবিও তেমনি কুলির দুর্দশায় চোখের জল ফেলেছেন। এদিক থেকে তাদের অনুভ‚তির আংশিক সাদৃশ রয়েছে।
উদ্দীপকের কবিতায় অসহায়ের জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ পেলেও আমাদেরকে সেখানেই থেমে থাকলে চলবে না। তাদের দুঃখ দূর করার দৃঢ় সংকল্পে নিজেকে তৈরি করার কথা কবি সুকান্ত তার ‘প্রার্থী’ কবিতায় ব্যক্ত করেছেন।
তাই আমাদের সকলকে অমানবিকতা ত্যাগ করে হৃদয়ে সূর্যের মতো অকৃপণ মানব সত্তা গড়ে তুলতে হবে। গভীর মমতা নিয়ে সমাজে সকলের বিপদে এগিয়ে আসতে হবে। এমন হলেই উদ্দীপকের বৈসাদৃশ্যপূর্ণ ভাবকে দূর করা যাবে।
প্রশ্ন -৩ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঈদে যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে ২৭ জন নিহত হবার খবর জেনে উপল মর্মাহত হলো। সে যাকাতের টাকা দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিল। সে দেখেছে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অনাহারে, অর্থাভাবে কষ্টে থাকে। এসব নিঃস্ব পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করার জন্য সে সেলাই মেশিন, ভ্যান, গরু ও ছাগল কিনে দিল। উপলের এই উদ্যোগের খবর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে।
ক. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত? ১
খ. কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ চেয়েছেন কেন? ২
গ. উদ্দীপকের নিঃস্ব মানুষগুলো ‘প্রার্থী’ কবিতার সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত?Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের উপলের উদ্যোগ যেন ‘প্রার্থী’ কবিতার কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন।”Ñমন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘প্রার্থী’ কবিতাটি ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
খ. কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন, কারণ নিপীড়িত মানুষরা সবসময়ই শীতার্ত।
শীতের নিদারুণ কনকনে আঘাত শোচিতদের হাড়ে বাজে। শীত নিবারণের মতো যথেষ্ট কাপড়-চোপড় তাদের নেই। সারারাত খড়কুটো জ্বালিয়ে অথবা এক টুকরা কাপড়ে কান ঢেকে আমরা শীত নিবারণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাই। আমাদের এই কষ্ট দেখে কবি সূর্যের কাছে মিনতি জানিয়েছেন, যেন সূর্য আমাদের উত্তাপ দেয়।
গ. উদ্দীপকের নিঃস্ব মানুষগুলো ‘প্রার্থী’ কবিতায় বঞ্চিত, অবহেলিত, অসহায় মানুষের প্রতি সমবেদনার দিক থেকে সম্পর্কযুক্ত।
‘প্রার্থী’ কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি হচ্ছে অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভ‚তি প্রদর্শন। কবি বস্ত্রহীন, অসহায় মানুষের শীত নিবারণের জন্য সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন। অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি কবির মমত্ববোধ অসীম। তিনি এমন সমাজ গড়তে চান যাতে বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের জীবন থেকে সব দুঃখ চিরতরে ঘুচে যায়।
উদ্দীপকের উপল যাকাতের টাকা দিয়ে গ্রামের অসহায়, বুভুক্ষু, নিঃস্ব মানুষগুলোকে সাহায্য করে। অসহায় মানুষগুলোকে স্বাবলম্বী করার জন্য সেলাই মেশিন, ভ্যান, গরু ও ছাগল, কিনে দিল। সুতরাং ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবির সহানুর্ভূতিশীল মনোভাবটি উদ্দীপকের আলোকে ফুটে উঠেছে।
ঘ. “উদ্দীপকের উপলের উদ্যোগ যেন ‘প্রার্থী কবিতার কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন”মন্তব্যটি সম্পূর্ণ যথাযথ।
উদ্দীপকের উপল ও ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবির মধ্যে পরোপকার ও মানুষের সেবা করার মানসিকতার মিল রয়েছে। উপলের এ মানসিকতা জেগে উঠেছে যাকাতের কাপড়-এর জন্য পৃষ্ট মানুষের আর্তনাদ দেখে। আর কবির এ অনুভ‚তি এসেছে বঞ্চিত মানুষের অবস্থা দেখে। দুঃখী মানুষের দুর্দশা লাঘবের ক্ষেত্রে উপল ও কবির চেতনাগত মিল রয়েছে।
উদ্দীপকের উপল যাকাতের টাকা দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নিঃস্ব পরিবারগুলোকে স্বাবলম্বী করার জন্য সেলাই মেশিন, ভ্যান, গরু, ছাগল কিনে দেয়। অন্যদিকে ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি অভাবী ও দুঃখী মানুষের জন্য সূর্যের অফুরন্ত তাপের প্রত্যাশা করেছেন। তাদের কষ্টকে তিনি হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন।
সামগ্রিক আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উদ্দীপকের উপলের উদ্যোগ আর ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবির প্রত্যাশা যেন একই সুতোয় গাঁথা।
প্রশ্ন -৪ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রচÐ শীতের রাত্র কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেল কিছু অসহায় ছিন্নমূল শিশু প্লাটফর্মের উপরে জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে। ছিন্ন বস্ত্র গায়ে দিয়ে তারা শীত নিবারণের বৃথা চেষ্টা করছে।
ক. সকালের এক টুকরো রোদ্দুর কীসের চেয়ে দামি? ১
খ. ‘প্রার্থী’ কবিতায় ‘রোদ্দুরের তৃষ্ণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকটিতে বর্ণিত দিকটি ‘প্রার্থী’ কবিতার যে দিকের সাথে সংগতিপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপক ও ‘প্রার্থী’ কবিতায় বর্ণিত শ্রেণির ভাগ্য উন্নয়নই ছিল সুকান্ত ভট্টাচার্যের উদ্দেশ্য”Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সকালের এক টুকরো রোদ্দুর সোনার চেয়ে দামি।
খ. ‘প্রার্থী’ কবিতায় ‘রোদ্দুরের তৃষ্ণা’ বলতে শীতের সকালে রোদের প্রতি মানুষের আকাক্সক্ষাকে বোঝানো হয়েছে।
শীতের সকালের রোদ অনেক প্রতীক্ষিত। আমাদের সমাজে অনেক দরিদ্র মানুষ বাস করে। এদের বস্ত্র ও আশ্রয়ের অভাব। বিশেষ করে যাদের গরম কাপড়ের খুব অভাব তারা রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে এক টুকরো কাপড় দিয়ে কান ঢেকে বহু কষ্টে শীত আটকায়। তাই শীতার্ত মানুষ এক টুকরো রোদ প্রত্যাশা করে যা তাকে একটু উষ্ণতা দেবে।
গ. উদ্দীপটিতে বর্ণিত দিকটি ‘প্রার্থী’ কবিতার দরিদ্র-অসহায় মানুষের শীত নিবারণের চেষ্টার সাথে সংগতিপূর্ণ।
‘প্রার্থী’ কবিতায় দরিদ্র, অসহায়, বঞ্চিত, অবহেলিত মানুষের কথা বর্ণিত হয়েছে; যারা দীন-দরিদ্র মানুষ। সামান্য শীত নিবারণের জন্য যারা নানা চেষ্টা করে। শেষে সব আশা ছেড়ে সূর্যের উত্তাপ প্রার্থনা করে। এ অসহায় মানুষগুলো অন্নহীন, বস্ত্রহীন, আশ্রয়হীন।
উদ্দীপকেও একই বিষয়বস্তুর প্রতিফলন ঘটেছে। এসব মানুষ দীন-দরিদ্র বলে আশ্রয় নিয়েছে কমলাপুর রেলস্টেশনে। ছিন্নমূল এ মানুষগুলো প্লাটফর্মে জড়সড় হয়ে বসে আছে। ছিন্নবস্ত্র গায়ে দিয়ে শীত নিবারণের বৃথা চেষ্টা করছে। অর্থাৎ শীতে কষ্ট ভোগের দিক দিয়ে উদ্দীপকের বিষয়টি ‘প্রার্থী’ কবিতায় শীত বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের প্রতিচ্ছবি।
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘প্রার্থী’ কবিতায় বর্ণিত শ্রেণির ভাগ্য উন্নয়নই ছিল সুকান্ত ভট্টাচার্যের উদ্দেশ্যই” এ মন্তব্যটি সঠিক।
‘প্রার্থী’ কবিতায়, কবির অসহায়, দরিদ্র মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব প্রকাশ পেয়েছে। আমাদের সমাজের এমন কিছু মানুষ আছে, যারা আশ্রয়হীন ও বস্ত্রহীন। এ মানুষগুলো চির অবহেলিত। আমাদের সমাজে তারা শোষিত, যা কবির হৃদয়কে দারুণভাবে ব্যথিত করে তিনি এ বৈষম্য দূর করতে চান। সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়তে চান। যেখানে এ মানুষগুলো পাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার।
উদ্দীপকে অসহায়-দরিদ্র মানুষের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ মানুষগুলো আশ্রয়হীন। তাই তারা থাকে কমলাপুর রেলস্টেশনে। শীত নিবারণের সামান্য বস্ত্রও তাদের নেই। তারাও আমাদের সমাজের মানুষ। তাই তাদের এমন হীন অবস্থা কখনই কাম্য নয়।
উদ্দীপকে যেসব অসহায় মানুষের কথা বলা হয়েছে, কবিতায় তাদের প্রতি গভীর মমত্ব প্রকাশ পেয়েছে। কবি এদের নিয়ে সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়তে চান।
প্রশ্ন -৫ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গত বছর কয়লা কুড়ানির দলে রাতুল নিজের নাম লিখিয়েছে। সারারাত স্টেশনে কয়লার চালান আসে। মাল খালাসের পর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে কয়লার টুকরো। সেসব কুড়িয়ে রাতুল অন্যদের মতো হাটে বিক্রি করে। সারাবছরই রাত জাগতে হয় রাতুলদের। তেমন কষ্ট হয় না। শুধু শীতের সময় ছাড়া। শীতের রাতে শরীর কুঁকড়ে যায়। রক্ত চলাচল স্তিমিত হয়ে যায়। নাক দিয়ে কুয়াশা চলাচল করে। সে কুয়াশা একেবারে কলিজা পর্যন্ত ঠাÐা করে দেয়। এ শীতে মাত্র একটা জামা আছে রাতুলের। প্রচÐ শীতের রাতে সে স্টেশনে কুÐলী পাকিয়ে ঘুমায়।
ক. শীত নিবারণের জন্য সাধারণত কী জ্বালানো হয়? ১
খ. “কত কষ্টে আমরা শীত আটকাই!”Ñচরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে। ২
গ. উদ্দীপকে ‘প্রার্থী’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“ ‘প্রার্থী’ কবিতার সমগ্রভাব উদ্দীপক ধারণ করেনি।” মন্তব্যটির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. শীত নিবারণের জন্য সারারাত খড়কুটো জ্বালানো হয়।
খ. “কত কষ্টে আমরা শীত অটিকাই!”এ চরণটি দ্বারা অসহায়ের আর্তনাদকে বোঝানো হয়েছে।
দরিদ্রনিপীড়িত শীতার্ত মানুষগুলোর প্রচÐ শীতকে নিবারণ করার মতো সামান্য শীতবস্ত্রও নেই। সামান্য কাপড়ে কান ঢেকে এবং খড়কুটো জ্বালিয়ে রাত কাটায়। প্রচÐ শীতে সূর্যের উত্তাপের জন্য অপেক্ষা করে অসহায় মানুষগুলো। প্রশ্নোক্ত চরণটি দ্বারা তাদের এ অসহায় আর্তনাদকে বোঝানো হয়েছে।
গ. উদ্দীপকে ‘প্রার্থী’ কবিতায় শীতের রাতে কষ্ট পাওয়া বস্ত্রহীন বালকটির কষ্টের চিত্র ফুটে উঠেছে।
‘প্রার্থী’ কবিতায় অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি কবির সহানুভ‚তি প্রকাশ পেয়েছে। প্রচÐ শীতে সূর্যের উত্তাপের জন্য সারারাত অপেক্ষা করা বস্ত্রহীন, আশ্রয়হীন শীতার্ত মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্ট-যন্ত্রণা থেকে কবি মুক্তি দিতে চেয়েছেন। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এ চাওয়া মূলত উদ্দীপক ও ‘প্রার্থী’ কবিতায় বর্ণিত শ্রেণির ভাগ্য উন্নয়নে কবির প্রত্যাশা ও উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে।
উদ্দীপকের রাতুল অত্যন্ত গরিব, পেটের ক্ষুধা মেটাতে তাকে কয়লা কুড়াতে হয়। এ জন্য প্রায় সারা বছরই রাতুলকে রাত জাগতে হয়। রাতুলের এসবে বিশেষ কষ্ট হয় না; শুধু শীতের রাত বাদে। শীতকালে তার নাক দিয়ে কুয়াশা চলাচল করে। সে ঠাÐা রাতুলের কলিজা হিম করে দেয়। বস্তুত শীত নিবারণের মতো কাপড় রাতুলের নেই, প্রচÐ শীতে তাই স্টেশনে সে কুÐলী হয়ে ঘুমায়। তাই কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন। কারণ সূর্য ছাড়া পৃথিবীর কেউ তাকে উত্তাপ দিতে পারবে না। ‘প্রার্থী’ কবিতার এ ভাবটিই উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘প্রার্থী’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করতে পারেনি।
‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি দৈন্য মানুষের শীতে কষ্ট পাওয়ার চিত্র ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি আমাদের বিবেককে জাগ্রত করতে চেয়েছেন দারুণভাবে। আমাদের সমাজের অনেক দরিদ্র ও অসহায় মানুষ শীতে কষ্ট পায়। কিন্তু যাদের অনেক আছে, তাদের বিবেক ঘুমিয়ে আছে। কবির মতে, সূর্যের অসীম তেজে অর্থাৎ জ্বলন্ত অগ্নিপিÐে যখন আমাদের সব জড়তা পুড়ে যাবে, তখন বিবেক জাগ্রত হয়ে উঠবে। আর আমাদের বিবেক জাগ্রত হলে রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটির বস্ত্রের অভাব ঘুচে যাবে।
উদ্দীপকের রাতুলও পেটের খাবার জোগাতে শিশু বয়সেই তাকে পরিশ্রমের পথে নামতে হয়েছে কয়লা কুড়ানোর জন্য। প্রায় সারা বছরই রাতুলকে রাত জাগতে হয়। এতে তার তেমন সমস্যা হয় না, কিন্তু শীতকালে রাতুলের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে। প্রচÐ শীতে রাতুল স্টেশনের বারান্দায় কুÐলী হয়ে শুয়ে থাকে। কারণ শীত আটকানোর মতো যথেষ্ট জামাকাপড় তার নেই। এখানে, রাতুলের দৈন্যদশা তথা দুর্ভোগের চিত্রটিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এ সমস্যা প্রতিকারের কোনো ভাব উদ্দীপকে ব্যক্ত হয়নি।
‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি শীতের সময় যন্ত্রণার কথা প্রকাশের মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণির শীতার্ত মানুষের বিবেককেও জাগ্রত করতে চেয়েছেন। আর উদ্দীপকে শুধু রাতুলের দুর্ভোগের কথা প্রকাশ পেয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘প্রার্থী’ কবিতার সমগ্র ভাব ধারণ করেনি।
প্রশ্ন -৬ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের আলো অপরিহার্য। শুধু মানুষ নয়, পৃথিবীর সব উদ্ভিদ ও প্রাণী সূর্যের মুখাপেক্ষী। কিন্তু সূর্য কৃপণ নয়। অকৃপণভাবে সবার কাছে সমান উত্তাপ পৌঁছে দেয়। সূর্য থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাজ গড়তে হবে। সমাজে যারা সম্পদশালী আছে, তাদের মধ্যে মানবতার ঘাটতি থাকে। মানবতার এ ঘাটতি পূরণ করে আমরা যদি সূর্যের মতো সবার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। তবে সমাজের কেউ আর শীতের মতো কঠিন কষ্টে ভুগবে না।
ক. কীসের উত্তাপে আমাদের জড়তা পুড়ে যাবে? ১
খ. শীতার্ত মানুষেরা সূর্যের জন্য অপেক্ষা করে কেন? ২
গ. বিবেক জাগানোর মাধ্যম হিসেবে উদ্দীপকের উপমার সাথে ‘প্রার্থী’ কবিতার কোন দিকটির মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূলভাবের স্ফুরণ ঘটেছে” Ñ বিশ্লেষণ কর। ৪
৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সূর্যের উত্তাপে আমাদের জড়তা পুড়ে যাবে।
খ. প্রচÐ হিমশীতে শরীরটাকে একটু উষ্ণ করার জন্য মানুষেরা সূর্যের জন্য অপেক্ষা করে।
আমাদের দেশের দরিদ্র নিপীড়িত মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো সামান্য উষ্ণ কাপড়ও নেই। এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে তারা শীত আটকায়। এজন্য তারা সকালের সূর্যের উত্তাপের জন্য হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত অপেক্ষা করে।
গ. বিবেক জাগানোর মাধ্যম হিসেবে উদ্দীপকের সূর্যের অফুরন্ত অবদানের সাথে ‘প্রার্থী’ কবিতার সূর্যের মতো জ্বলন্ত অগ্নিপিÐের উপমার দিকটির মিল রয়েছে।
‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি সূর্যের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যেন সূর্য আমাদের আর রাস্তার উলঙ্গ ছেলেটাকে শীত নিবারণের জন্য উত্তাপ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। কারণ সূর্যের কোনো জড়তা নেই। সবার জন্য সে সমান মমতা সরবরাহ করে। কবি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যদি সূর্যের প্রচÐ প্রভাবে আমাদের বিবেকের জড়তা পুড়ে যায়, তবে আমরা শীতার্তের কষ্টে এগিয়ে আসব।
উদ্দীপকে বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের প্রয়োজনীয়তা ও সূর্যের মহানুভবতার দিকটিই ফুটে উঠেছে। কোনো বিশেষ প্রাণী বা জাতির প্রতি সূর্য বিশেষ দরদ বা হিংসা প্রদর্শন করে না, জগতের প্রত্যেককে সূর্য সমানভাবে আলো বিতরণ করে। আমাদের সমাজে যারা বিত্তবান, তাদের সূর্যের অনুসারী হওয়া উচিত। কারণ সূর্যের মতো আমরা যদি সর্বজনীন বিবেকের ধারক হতে পারি, তবে শীতের মতো কঠিন কষ্টে কাউকে ভুগতে হবে না। অর্থাৎ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘প্রার্থী’ কবিতার সূর্যের আলোর নিঃস্বার্থ প্রয়োগ করার দিকটিরই মিল রয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূলভাবের স্ফুরণ ঘটেছে।
‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি আমাদের দৈন্যের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন, শীতের রাতে কবি বা আমাদের কষ্ট পাওয়ার একমাত্র কারণ হলো শীত আটকানোর মতো বিশেষ কাপড় বা সরঞ্জাম আমাদের নেই। কবি সূর্যকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, সূর্য একটা জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ। যেদিন সূর্যের প্রখর উত্তাপে আমাদের বিবেকের জড়তা পুড়ে যাবে, সেদিন রাস্তার উলঙ্গ ছেলেটাকে শীতে কষ্ট পোহাতে হবে না।
বিবেকের জাগরণ ঘটানোর উপায় হিসেবে উদ্দীপকে আদর্শ হিসেবে সূর্যকে ধরা হয়েছে। জীবনধারণের ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রাণীই প্রত্যক্ষভাবে সূর্যের মুখাপেক্ষী। কিন্তু সূর্য কৃপণ নয়, জগতের সব কিছুতে সে সমান আলো প্রদান করে। আমাদের সমাজে যারা অঢেল বিত্তবান, তারা যদি সূর্যের আদর্শে বলীয়ান হয়ে আর্তের সাহায্যে এগিয়ে আসে, তবে সুশীল সমাজের প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমরা এটা করতে পারি না। কারণ আমাদের বিবেক জড়তার কঠিন নিগড়ে বন্দি। যেদিন আমাদের মানবিক জড়তা দূরীভ‚ত হবে, সেদিন মানুষ আর শীতের মতো দুঃসহ কষ্টে ভুগবে না।
পরিশেষে বলা যায় যে, উদ্দীপকে ‘প্রার্থী’ কবিতার মূলভাবের স্ফুরণ ঘটেছে।
প্রশ্ন -৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রায়হান ৫ বছর দেশের বাইরে রয়েছে। এ বছর ঈদ করার জন্য দেশে ফেরার পথে দেখল রাস্তার পাশে অসংখ্য মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। এ দৃশ্যটি তার বিদেশে ফিরে যাওয়ার উৎসাহকে দমিয়ে ফেলল। সে তার পরিকল্পনা বদলে তথ্যচিত্র বানানোর উদ্যোগ নিল। রায়হানের এ উদ্যোগকে সকলে সাধুবাদ জানাল।
ক. কে জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ? ১
খ. শীতের সূর্য বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকের রায়হানের-এর দেখা দৃশ্যের সাথে ‘প্রার্থী’ কবিতাটি কীভাবে সম্পর্কিত? তুলনামূলক আলোচনা কর। ৩
ঘ.কবির চিন্তা উদ্দীপকের রায়হানের পরিবর্তিত পরিকল্পনা ও লক্ষ্যের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে বিশ্লেষণ কর। ৪
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সূর্য জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ।
খ. শীতের সূর্য হলো শীতকালের সকালের সূর্য। যে সূর্য আমাদের সমাজের বস্ত্রহীন ও আশ্রয়হীন শীতার্ত মানুষের জীবন থেকে শীতের কষ্ট দূর করে থাকে তাকে শীতের সূর্য বলে।
হিমশীতল সুদীর্ঘ রাতে শীতের সূর্যের জন্য আমরা প্রতীক্ষা করে থাকি। এছাড়া প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকের চঞ্চল চোখ ধান কাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলোর জন্য। এমনকি আমাদের স্যাঁত সেঁতে ভিজে ঘরে উত্তাপ আর আলো দেয়, উত্তাপ দেয় রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেকে। সুতরাং শীতের সূর্য অসহায় মানুষ ও শিশুদের জন্য কল্যাণকর।
গ. ‘প্রার্থী’ কবিতার শীতার্ত মানুষের কষ্টের যে চিত্র প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্দীপকের রায়হানের দেখা দৃশ্যের সাথে মিলে যায়।
সমাজের নিচুতলার মানুষদের শীতের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য যথেষ্ট শীতবস্ত্র থাকে না। ফলে তীব্র শীতে তাদের খুব কষ্ট পেতে হয়। এ বিষয়টিই উদ্দীপকের রায়হানের চোখে ধরা পড়েছে, যা ‘প্রার্থী’ কবিতায়ও প্রকাশ পেয়েছে।
সুকান্ত ভট্টাচার্য রচিত ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি প্রচÐ শীতে জর্জরিত দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করেছেন। উদ্দীপকের রায়হানও রাস্তার পাশের শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ দেখে ব্যাথিত হয়েছে। শীতের কারণে সহায় সম্বলহীন মানুষদের অসহায়ত্ব দেখে সমব্যথী হওয়ায় চিত্রটিই প্রকাশিত হয়েছে উদ্দীপক এবং ‘প্রার্থী’ কবিতায়।
ঘ. উদ্দীপকের রায়হানের পরিবর্তিত পরিকল্পনা ও লক্ষ্যই ‘প্রার্থী’ কবিতায় প্রকাশিত যা কবির মূল চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
উদ্দীপকের রায়হান বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় রাস্তার পাশে দরিদ্র মানুষদের তীব্র শীতে কাতরাতে দেখে। তাদের দুর্ভোগ রায়হানের মনোজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং রায়হান এই মানুষদের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করে তার পরিকল্পনার পরিবর্তন ঘটায়। ‘প্রার্থী’ কবিতার কবিও দরিদ্র মানুষের শীতের কষ্টে অনুভ‚তিপ্রবণ হয়েছেন। অবহেলিত এ মানুষদের দুঃখ যেন চিরতরে ঘুচে যায় এ তার বাসনা।
কবিতায় কবি অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষদের প্রতি শীতের উত্তাপ ও আলো প্রার্থনা করেছেন। তার এ অনুভ‚তি নিচু তলার মানুষদের প্রতি তাঁর গভীর মমতারই আভাস দেয়। উদ্দীপকের রায়হান দরিদ্র শীতার্ত মানুষের কষ্ট নিয়ে তথ্যচিত্র বানানোর পরিকল্পনা করে। ঈদ শেষে বিদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাতিল করে। এ পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে গরিব মানুষদের প্রতি রায়হানের সহানুভ‚তি প্রকাশেরই প্রমাণ পাওয়া যায়। রায়হানের তথ্য চিত্রের লক্ষ্য দরিদ্র মানুষের কষ্ট বিমোচন, যা ‘প্রার্থী’ কবিতায় প্রকাশিত কবির চেতনার অনুরূপ।
অতএব, আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, কবির চিন্তা উদ্দীপকের রায়হানের পরিবর্তিত পরিকল্পনা ও লক্ষ্যের মধ্য আত্মপ্রকাশ করেছে।
প্রশ্ন -৮ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
টেলিভিশনে বন্যার্ত মানুষের দুর্দশা দেখে সৈকত মর্মাহত। এসব মানুষের জন্য কী করা যায় রাত জেগে সে চিন্তাই করেছে সৈকত। সকালে রাহাতকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুই বন্ধু নিজেদের এবং পাশের বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বুঝিয়ে তাদের থেকে জামাকাপড়, টাকাপয়সা, শুকনো খাবার সংগ্রহ করে বন্যার্তদের সাহায্য করবে।
ক. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কত বছর বয়সে মারা যান? ১
খ. ধান কাটার দিনগুলো রোমাঞ্চকর হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সৈকতের পদক্ষেপে ‘প্রার্থী’ কবিতায় ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের সৈকত ও ‘প্রার্থী’ কবিতার কবির মধ্যে মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন”মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
৮নং প্রশ্নের উত্তর
ক. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মাত্র একুশ বছর বয়সে মারা যান।
খ. ধান কাটার দিনগুলো রোমাঞ্চকর হওয়ার কারণ হলো নিজের পরিশ্রমের প্রতীক্ষিত ফসল কৃষক তার ঘরে তোলার পর্বটি শুরু করে।
বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের বেশির ভাগ মানুষই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। কৃষক সারাবছর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসলের মাঠে কাজ করে। হাল দেওয়া, জমি পরিষ্কার করা, বীজ বোনা, ফসলকে অনিষ্টের হাত থেকে রক্ষা করা ইত্যাদি কাজ পরম নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করে সারা বছর কৃষকের পরম ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো ফসলের আনন্দ। এ কারণেই ধান কাটার দিনগুলো রোমাঞ্চকর।
গ. ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি যে উত্তাপের প্রত্যাশা করেছেন সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে উদ্দীপকের সৈকতের পদক্ষেপে।
‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি বলেছেন যে, এ পৃথিবীকে শক্তির মূল উৎস সূর্য। সূর্য যে তাপ বিকিরণ করে তার সাহায্যেই ভ‚পৃষ্ঠে উদ্ভিদ, জীবজন্তু ও মানুষ জীবনধারণ করে। কবি এখানে সূর্য বলতে মূলত সমাজের বিত্তবান মানুষদের বুঝিয়েছেন। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা অন্ন, বস্ত্র ও আশ্রয়হীন। কবি এ সকল মানুষের জন্য সমাজের সে বিত্তবানদের কাছ থেকে সাহায্য ও সহানুভ‚তির প্রত্যাশা করেছেন।
উদ্দীপকের সৈকত টেলিভিশনে বন্যার্ত মানুষের দুর্দশা দেখে মর্মাহত। এসব মানুষের জন্য কিছু করার চিন্তায় সে সারাবাত জেগে ছিল। অবশেষে বন্ধু রাহাতকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিজেদের এবং পাশের স্কুলের ছাত্রদের কাছ থেকে জামা, কাপড়, টাকা-পয়সা, শুকনো খাবার সংগ্রহ করে তাদের সাহায্য করার। রাহাতের এ সিদ্ধান্ত থেকে অসহায়, বঞ্চিত মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা ও সহানুভ‚তির পরিচয় পাই। ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবি এটিই প্রত্যাশা করেছেন। কবি চেয়েছেন অসহায় দরিদ্র মানুষে জীবন থেকে সব দুঃখ যেন ঘুচে যায়।
ঘ. “উদ্দীপকের সৈকত ও ‘প্রার্থী’ কবিতার কবির মধ্যে মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন” এ মন্তব্যটি যথার্থ।
কারণ উদ্দীপকের সৈকত বন্যার্ত মানুষের সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সে তাদের দুঃখ-দুর্দশা অনুভব করে নিজের দিক থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছে। এজন্য সে নিজের স্কুল ও পাশের স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে জামা-কাপড়, টাকা-পয়সা, শুকনো খাবার সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। সৈকত যথার্থভাবেই এদের প্রতি সহানুভ‚তিশীল। সৈকত যেন ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবির প্রত্যাশিত সূর্য। এই সূর্যের উত্তাপে সমাজের অসহায় মানুষদের দুঃখ দূর হবে।
উদ্দীপকের সৈকত ও ‘প্রার্থী’ কবিতায় কবির মধ্যে মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন। কারণ উদ্দীপকের সৈকত বন্যার্ত মানুষের দুর্দশা দেখে মর্মাহত। অপরদিকে প্রার্থী কবিতার কবি শীতার্ত মানুষের দুর্দশা দেখে মর্মাহত।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকের সৈকত এবং প্রার্থী কবিতায় কবির মধ্যে মিল থাকলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক
প্রশ্ন-৯ বিত্তশালী রায়হান সাহেব একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বললেন, ‘শিক্ষা গ্রহণ আমাদের মৌলিক অধিকার। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সবার জন্য শিক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করা। আমি কথা দিচ্ছি, শিক্ষা গ্রহণের মহৎ কাজে আমার দরজা সবার জন্য খোলা।’ এতে আশাবাদী হয়ে রহিম শেখ তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য এক হাজার টাকা সাহায্য চাইতে তার বাড়ি গেলে তিনি তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, ‘ইডিয়ট। এটা কি দান-খয়রাতের ঘর?’ পেছনে দাঁড়ানো রায়হান সাহেবের ছোট ছেলে অপু বলে, ‘বাবা, তোমার তো অনেক আছে, তোমরা না দিলে ওদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করবে কী করে?’
ক. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন? ১
খ. কবি রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটার জন্য উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন কেন? ২
গ. রায়হান সাহেবের শেষোক্ত আচরণে ‘প্রার্থী’ কবিতার ভাবার্থের বিপরীত চিত্র বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের সামগ্রিক বক্তব্য কি ‘প্রার্থী’ কবিতার বক্তব্যের অনুরূপ? যুক্তিসহ আলোচনা কর। ৪
প্রশ্ন-১০ রাত প্রায় সাড়ে তিনটা। একটা ছেঁড়া কাঁথায় হাত-পা গুঁজে শুয়ে আছে তিন ভাইবোন। তাদের মাথার উপরে খড়ের ছাউনি। ছাউনির ফাঁক দিয়ে কুয়াশা ঢুকছে ঘরের ভেতর। সবচেয়ে ছোট ভাইটি শীতে ঠকঠক করে কাঁপে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। হাত-পা নিঃসাড়। চোখের পানিও যেন ঠাÐা বরফ। মেজটা ধীরে ধীরে হাত ঘষে, গাল ঘষে। দু-এক ফোঁটা উত্তাপ বেরুলে ক্ষতি কী? বড় বোন প্রবোধ দেয়Ñ “আর কাঁদিসনে। একটু পরই আলো ফুটবে। সূর্য উঠবে। শীত পালাবে লেজ গুটিয়ে।” কিন্তু ছোটটি কাঁদতেই থাকে। তার চোখে এখন শুধুই বরফ শীতল কুয়াশার বসবাস।
ক. আমরা কার প্রতীক্ষায় থাকি? ১
খ. ধান কাটার দিনগুলো রোমাঞ্চকর হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘প্রার্থী’ কবিতার সাদৃশ্যের দিকটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে অসহায় মানুষের কষ্ট প্রকাশিত হলেও ‘প্রার্থী’ কবিতায় ইঙ্গিতকৃত অসহায়ত্ব থেকে মুক্তির পরিপূর্ণ সমাধান এখানে অনুপস্থিতমন্তব্যটি মূল্যায়ন কর। ৪
অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন \ ১ \ হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত কার অপেক্ষায় থাকে?
উত্তর : হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত সূর্যের অপেক্ষায় থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ শীতের রাতে আমরা কার অপেক্ষায় থাকি?
উত্তর : শীতের রাতে আমরা সূর্যের অপেক্ষায় থাকি।
প্রশ্ন \ ৩ \ কৃষকের চঞ্চল চোখ কীসের প্রতীক্ষায় থাকে?
উত্তর : কৃষকের চঞ্চল চোখ ধান কাটার রোমাঞ্চকর দিনের অপেক্ষায় থাকে।
প্রশ্ন \ ৪ \ আমাদের গরম কাপড়ের অভাবের কথা কে জানে?
উত্তর : আমাদের গরম কাপড়ের অভাবের কথা সূর্য জানে।
প্রশ্ন \ ৫ \ আমরা খড়কুটো জ্বালাই কখন?
উত্তর : আমরা খড়কুটো জ্বালাই শীতের রাতে।
প্রশ্ন \ ৬ \ এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে আমরা কী আটকাই?
উত্তর : এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে আমরা শীত আটকাই।
প্রশ্ন \ ৭ \ সকালের এক টুকরো রোদকে কীসের চেয়ে দামি মনে হয়?
উত্তর : সকালের এক টুকরো রোদকে সোনার চেয়ে দামি মনে হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ ঘর ছেড়ে আমরা এদিক-ওদিকে যাই কেন?
উত্তর : ঘর ছেড়ে আমরা এদিক-ওদিক যাই এক টুকরো রোদের আশায়।
প্রশ্ন \ ৯ \ আমাদের স্যাঁতসেঁতে ঘরের জন্য কবি সূর্যের কাছে কী প্রার্থনা করেছেন?
উত্তর : আমাদের স্যাঁতসেঁতে ঘরের জন্য কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ আর আলো প্রার্থনা করেছেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ রাস্তার উলঙ্গ ছেলের জন্য কবি সূর্যের কাছে কী চেয়েছেন?
উত্তর : রাস্তার উলঙ্গ ছেলের জন্য কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ চেয়েছেন।
প্রশ্ন \ ১১ \ কবি সূর্য সম্পর্কে কী শুনেছেন?
উত্তর : কবি শুনেছেন সূর্য এক জ্বলন্ত অগ্নিপিÐ।
প্রশ্ন \ ১২ \ সূর্যের আলো পেয়ে হয়তো একদিন আমরা কীসে পরিণত হব?
উত্তর : সূর্যের আলো পেয়ে হয়তো একদিন আমরা জ্বলন্ত অগ্নিপিÐে পরিণত হব।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘হরতাল’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : ‘হরতাল’ কাব্যগ্রন্থটির সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা।
প্রশ্ন \ ১৪ \ সুকান্ত ভট্টাচার্যের পিতৃনিবাস কোথায়?
উত্তর : সুকান্ত ভট্টাচার্যের পিতৃনিবাস গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতায় কীসের জয়গান বলিষ্ঠভাবে ধ্বনিত হয়েছে?
উত্তর : সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতায় বলিষ্ঠভাবে মানবমুক্তির জয়গান ধ্বনিত হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ পৃথিবীতে শক্তির মূল উৎস কী?
উত্তর : পৃথিবীতে শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ‘প্রার্থী’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘প্রার্থী’ শব্দটির অর্থ হলো প্রার্থনাকারী।
প্রশ্ন \ ১৮ \ হিমশীতল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : হিমশীতল শব্দের অর্থ হলো তুষারের মতো ঠাÐা।
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন \ ১ \ কবি সূর্যের কাছ থেকে প্রেরণা নিতে চান কেন?
উত্তর : কবি শিশুদের কল্যাণের জন্য সূর্যের কাছ থেকে প্রেরণা নিতে চান। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছিল অবহেলিত শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ। কবি এই শিশুদের কল্যাণে সূর্যের অবদান থেকে প্রেরণা নিতে চান। তিনি নিজেকে সূর্যের ন্যায় অগ্নিপিÐে পরিণত করতে চান যেন ভবিষ্যতে তিনি ঐ পথের ধারের উলঙ্গ শিশুটাকে উত্তাপ দিতে পারেন।
প্রশ্ন \ ২ \ কবি কীভাবে বস্ত্রহীন শীতার্ত মানুষের দুঃখ দূর করতে চান?
উত্তর : সমাজে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কবি অসহায় মানুষের দুঃখ দূর করতে চান।
আমাদের সমাজে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আছে। দরিদ্র মানুষ সবসময় তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। বস্ত্রহীন, শীতার্ত, আশ্রয়হীন মানুষ সারারাত অপেক্ষা করে সূর্যের উত্তাপের জন্য। এদের প্রতি মমতা থেকে কবি সূর্যের কাছে উত্তাপ চেয়েছেন। সূর্যের কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে কবি এমন সমাজ গড়তে চান যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। আর এভাবেই শীতার্ত, বস্ত্রহীন মানুষের দুঃখ কবি দূর করতে প্রত্যাশী।
প্রশ্ন \ ৩ \ কৃষকের চঞ্চল চোখ কীসের প্রতীক্ষায় থাকার কারণ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ফসল তোলার দিনের জন্যই কৃষকের চঞ্চল চোখ প্রতীক্ষা করে। কৃষকের কাজ ফসল উৎপাদন করা। তাই সে সারা বছর মাঠে কঠোর পরিশ্রম করে।
কৃষক সারা বছর ঘরে ফসল তুলতে পারে না। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সে জমি চাষ করে। ফসলের বীজ বোনে আর গাছ পরিচর্যা করে, কঠোর এ পরিশ্রম স্বীকার করার একমাত্র কারণ হলো ফসল তোলার আনন্দ উপভোগ করে। ধান কাটার রোমাঞ্চকর দিনের অপেক্ষাতেই কৃষক সারা বছর কাজ করে।
প্রশ্ন \ ৪ \ ‘আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব’ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের দেশের দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষগুলোর যে সামান্য শীতবস্ত্রও নেই, সে কথাই বুঝিয়েছেন কবি আলোচ্য উদ্ধৃতিতে।
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের একটা বিরাট অংশ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। প্রতিদিন তিনবেলা খাদ্যের জোগাড় যেমন তারা করতে পারে না, তেমনি প্রচÐ শীত থেকে বাঁচার মতো সামান্য শীত বস্ত্রও নেই তাদের। এসব দরিদ্র মানুষের সঙ্গে একত্মবোধ করে কবি সূর্যকে তাই বলেছেন ‘তুমি তো জানো, আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব’।
প্রশ্ন \ ৫ \ সকালের এক টুকরো রোদ সোনার চেয়ে দামি মনে হয় কেন?
উত্তর : প্রচÐ শীতে সারা রাত ভোগার পর যখন সকালের এক টুকরো রোদ দরিদ্র মানুষগুলোকে উষ্ণতা দেয়, তখন সেই এক টুকরো রোদ মনে হয় সোনার চেয়ে দামি। দারিদ্র্যপীড়িত শীতার্ত মানুষগুলোর প্রচÐ শীতকে নিবারণ করার মতো সামান্য শীতবস্ত্র নেই। সামান্য কাপড়ে কান ঢেকে এবং খড়কুটো জ্বালিয়ে তারা শীত কাটায়। সকালের এক টুকরো সোনারোদের প্রতীক্ষায় থাকে সারারাত, তাই এ রোদ তাদের কাছে এত মূল্যবান মনে হয়।