তৃতীয় অধ্যায়
কুরআন ও হাদিস শিক্ষা
কুরআন ও হাদিস ইসলামি শরিয়তের প্রধান দুটি উৎস। ইসলামি শরিয়তের সকল বিধি-বিধান ও নিয়ম-পদ্ধতি মূলত এ উৎসদ্বয় থেকেই গৃহীত। কুরআন মজিদ ও হাদিস শরিফে মানব জীবনের সকল সমস্যার মৌলিক নীতিমালা আলোচনা করা হয়েছে। এসব মূলনীতির আলোকেই ইসলামের সকল বিধি-বিধান প্রণীত হয়েছে। কুরআন ও হাদিসের নীতিমালার বাইরে কোনো কিছু ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হলে কুরআন মজিদ ও হাদিস শরিফ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা জরুরি। কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে পাঠ করতে হবে। এজন্য তাজবিদ শিখতে হবে। প্রতিদিনের একটি নির্দিষ্ট সময় নাযিরা তিলাওয়াত করা প্রয়োজন। যেমন : সূরা কাদর, সূরা যিলযাল, সূরা ফিল, সূরা কুরাইশ, সূরা নাস্র ইত্যাদি। তারপর সকাল-সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসি এবং সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত এবং হাদিস শরিফ পাঠ করে মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে। এতে সামাজিক ও নৈতিক জীবনযাপনে অনেক উপকার সাধিত হবে।
তাজবিদ : কুরআন মজিদ তিলওয়াতে অনেক সাওয়াব পাওয়া যায়। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত। আল-কুরআন তিলয়াতের ফজিলত লাভের জন্য সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন পাঠের রীতিকে তাজবিদ বলে।
নুন সাকিন : জযমযুক্ত নুনকে নুন সাকিন বলা হয়। অর্থাৎ যে নুনের ওপর জযম (’) থাকে তাকে নুন সাকিন বলে।
ইদগাম : ইদগাম শব্দের অর্থ মিলিয়ে পড়া। এক জিনিসকে অন্য জিনিসের সাথে মেলানো। তাজবিদের পরিভাষায় নুন সাকিন বা তানবিনের পর ইদগামের ছয়টি হরফ থেকে কোন একটি হরফ থাকলে মুন সাকিন বা তানবিনের সাথে ঐ হরফকে সন্ধি করে মিলিয়ে পড়াকে ইদগাম বলে।
মীম সাকিন : জযমযুক্ত মীমকে মীম সাকিন বলে। অর্থাৎ মীম হরফের ওপর জযম (’) থাকলে তাকে মীম সাকিন বলা হয়।
ইযহার : ইযহার অর্থ স্পষ্ট করে পড়া। মীম সাকিনের পর ‘ب’ (বা) এবং ‘م’ (মীম) ছাড়া অন্য যে কোনো হরফ আসলে ঐ মীম সাকিনকে স্পষ্ট করে গুন্নাহ ব্যতীত নিজ মাখরাজ থেকে পড়াকে মীম সাকিনের ইযহার বলা হয়।
নাযিরা তিলাওয়াত : নাযিরা তিলাওয়াত হলো দেখে দেখে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা। নাযিরা তিলাওয়াতের ফজিলত অনেক।
সূরা আল-কাদর : সূরা আল-কাদর আল-কুরআনের অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন সূরা। এটি মক্কা নগরীতে অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা পাঁচটি। সূরা আল-কাদর কুরআন মজিদের ৯৭তম সূরা। এ সূরায় ‘লাইলাতুল কাদর’-এর ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে।
সূরা আল-যিলযাল : আল-কুরআনের ৯৯তম সূরা আল-যিলযাল। এ সূরায় কিয়ামতের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত যিলযাল শব্দ থেকে এর নাম রাখা হয়েছে সূরা আল-যিলযাল। এটি মদিনা নগরীতে অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা আটটি।
সূরা আল-ফিল : সূরা ফিল আল-কুরআনের ১০৫তম সূরা। এটি মক্কা নগরীতে অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা পাঁচটি। ফিল অর্থ হাতি। এ সূরায় শাস্তিস্বরূপ হস্তি বাহিনীর করুন পরিণতির কথা বর্ণনা করা হয়েছে বিধায় এ সূরার নাম রাখা হয়েছে সূরা ফিল।
সূরা কুরাইশ : সূরা কুরাইশ হলো মক্কি সূরা। এর আয়াত সংখ্যা চারটি। এটি আল-কুরআনের ১০৬তম সূরা। এ সূরায় মক্কা নগরীর কুরাইশদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এজন্য এর নাম রাখা হয়েছে সূরা কুরাইশ।
সূরা আন-নাস্র : সূরা আন-নাস্র পবিত্র কুরআনের একটি সূরা। এই সূরা মক্কায় বিদায় হজের সময় অবতীর্ণ হয়েছিল। এর আয়াত সংখ্যা তিন। সূরা আন-নাস্র পবিত্র কুরআনের ১১০তম সূরা। এ সূরার ‘নাস্র’ শব্দ থেকে সূরাটির নাম রাখা হয়েছে আন-নাস্র।
আয়াতুল কুরসি : এটি পবিত্র কুরআনের সূরা আল-বাকারার ২৫৫নং আয়াত। এটি আল-কুরআনের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালার পরিচয়, ক্ষমতা, মহিমা ও গৌরবের কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ জন্য এ আয়াতকে আয়াতুল কুরসি বলা হয়।
আল-কুরআন ও নৈতিক শিক্ষা : আল-কুরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এটি জ্ঞান বিজ্ঞানের মূল উৎস। নৈতিক ও মানবিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও এ কিতাব বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে। পবিত্র কুরআনে নানাভাবে নৈতিকতার শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।
হাদিসের আলোকে নৈতিক শিক্ষা : মানুষের জীবন ও সমাজকে সুন্দর করতে হলে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ চরিত্রের অনুসরণ অপরিহার্য। উত্তম চরিত্র, নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ ব্যতীত কোন ব্যক্তি, সমাজ ও জাতির উন্নতি হতে পারে না। আর এই নীতি-নৈতিকতা এবং আদর্শ চরিত্রের বিবরণ হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
শূন্যস্থান পূরণ কর //
১. ইদগাম মোট প্রকার।
২. আরবের ইয়ামান প্রদেশের শাসনকর্তার নাম ছিল ।
৩. আয়াতুল কুরসি অত্যন্ত আয়াত।
৪. তো তাঁর (রাসুলের) চরিত্র।
৫. যার আমানতদারি নেই তার নেই।
উত্তর : ১. দুই, ২. আবরাহা, ৩. বরকতময়, ৪. আল- কুরআনই, ৫. ইমান।
বাম পাশ থেকে শব্দ বা বাক্যাংশ নিয়ে ডান পাশের সাথে মিল কর //
বাম পাশ ডান পাশ
১. যে ব্যক্তি প্রতারণা করে
২. সূরা আল-হাশর পবিত্র কুরআনের
৩. সূরা কুরাইশ আল-কুরআনের
৪. সূরা আল-ফিলের আয়াত সংখ্যা
৫. সূরা আল-যিলযালের আয়াত সংখ্যা ১০৬তম সূরা
পাঁচটি
৫৯তম সূরা
আটটি
সে আমার উম্মত নয়
উত্তর :
১. যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার উম্মত নয়।
২. সূরা আল-হাশর পবিত্র কুরআনের ৫৯তম সূরা।
৩. সূরা কুরাইশ আল-কুরআনের ১০৬তম সূরা।
৪. সূরা আল-ফিলের আয়াত সংখ্যা পাঁচটি।
৫. সূরা আল-যিলযালের আয়াত সংখ্যা আটটি।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন //
প্রশ্ন \ ১ \ নুন সাকিন ও তানবিনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর : নুন সাকিন : জযমযুক্ত নুনকে নুন সাকিন বলা হয়। অর্থাৎ যে নুনের ওপর জযম ( ) থাকে তাকে নুন সাকিন বলে। যেমন :
তানবিন : দুই যবর ( ), দুই যের ( ), দুই পেশকে(” )কে তানবিন বলে। তানবিনের মধ্যে একটি জযমযুক্ত নুন উহ্য অবস্থায় থাকে। উচ্চারণের সময় তা প্রকাশ পায়। যেমন : এর উচ্চারণ হবে -এর মতো।
প্রশ্ন \ ২ \ সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াতের প্রথম আয়াতটির অর্থ লিখ।
উত্তর : সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াতের প্রথম আয়াতের অর্থ নিম্নরূপ:
তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই। তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি দয়াময়, পরম দয়ালু।
প্রশ্ন \ ৩ \ মোনাজাতমূলক তিনটি হাদিসের যেকোনো একটির অর্থসহ ব্যাখ্যা লিখ।
উত্তর : মোনাজাতমূলক হাদিস :
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সুস্থতা, পবিত্রতা, উত্তম চরিত্র এবং তাকদিরের ওপর সন্তুষ্ট থাকার মন মানসিকতা কামনা করি।
ব্যাখ্যা : আল্লাহর নিকট সর্বদা সুস্থ থাকার জন্য দোয়া করতে হবে। কেননা সুস্থতা আল্লাহর বড় নিয়ামত। তাছাড়া পবিত্র থাকার জন্য আল্লাহর সাহায্য চাওয়া উচিত। কেননা আল্লাহ যেমন পবিত্র তেমনি তিনি পবিত্রতাকে ভালোবাসেন। উত্তম চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। উত্তম চরিত্রের জন্যও আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। সর্বোপরি তাকদিরের উপর বিশ্বাস করে নেক আমল করা জরুরি।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর //
প্রশ্ন \ ১\ নৈতিক ও আদর্শ জীবন গঠনে কুরআনের ভ‚মিকা বর্ণনা কর।
উত্তর : আল-কুরআন মানবজাতির হিদায়াতের প্রধান উৎস। কোন পথে চললে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করবে আল-কুরআন তা আমাদের দেখিয়ে দেয়। পাপ-পুণ্য, ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ ইত্যাদির পরিচয় দান করে। আল-কুরআনের নির্দেশনামতো চলে আমরা কল্যাণ লাভ করতে পারি। আখিরাতে আল-কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। দুনিয়াতে যে ব্যক্তি আল-কুরআনের নির্দেশ মেনে চলবে সে হবে মহাসৌভাগ্যশালী। সে পাবে চিরশান্তির জান্নাত। আর যে কুরআন মজিদের আদেশ-নিষেধ মানবে না তার স্থান হবে যন্ত্রণাদায়ক জাহান্নামে।
আল-কুরআন আমাদের নৈতিক ও মানবিক আদর্শ শিক্ষা দেয়। আল-কুরআন অনুসরণ করে আমরা উত্তম চরিত্রবান ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারি। ফলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতি ইত্যাদি দূরীভ‚ত হবে।
সুতরাং বলতে পারি যে, নৈতিক ও আদর্শ জীবন গঠনে কুরআন উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্ন \ ২ \ নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে হাদিসের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : মহানবি (স)-এর হাদিসে নৈতিকতা অর্জন সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। কী কী নৈতিক গুণ অর্জন করলে মানবজীবন সুন্দর ও সফল হবে মহানবি (স)-এর পবিত্র হাদিসে যেমন তার বিবরণ রয়েছে তেমনি অনৈতিক কার্যাবলি বর্জনেরও জোর তাগিদ রয়েছে।
সততা, সত্যবাদিতা, শালীনতাবোধ, সৃষ্টির সেবা, আমানত রক্ষা, ক্ষমা, দয়া, পারোপকারিতা, ধৈর্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, সমাজসেবা, দেশপ্রেম, পরমতসহিষ্ণুতা, পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনের প্রতি কর্তব্য শিক্ষক ও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা, ছোটদের প্রতি স্নেহ, সহপাঠীদের প্রতি সুন্দর আচরণ ইত্যাদি নৈতিক গুণের বিবরণ হাদিস শরিফে রয়েছে। মহানবি (স) নিজ জীবনে এসব নৈতিক গুণ বাস্তবায়ন করে নিজেকে বিশ্ব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নৈতিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
অন্যদিকে মহানবি (স) অনৈতিক আচার-আচরণ যেমন : মিথ্যাচার, পরনিন্দা, গালি দেওয়া, হিংসা, ক্রোধ, লোভ, প্রতারণা, পিতামাতার অবাধ্যতা, অহংকার, অশ্লীলতা, পরশ্রীকাতরতা, ঘৃণা, চৌর্যবৃত্তি, সন্ত্রাস ইত্যাদি বর্জন করার জোর তাগিদ দিয়েছেন এবং এসবের কুফল ও ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তিনি তাঁর হাদিসে মূল্যবান দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে হাদিসের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন \ ৩ \ সূরা আল-কাদরের অর্থ ও শিক্ষা বর্ণনা কর।
উত্তর : সূরা আল-কাদরের অর্থ :
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে।
১. নিশ্চয়ই আমি এটি (আল-কুরআন) অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে।
২. আর আপনি কি জানেন এ মহিমান্বিত রাতটি কী?
৩. মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।
৪. সে রাতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রুহ (জিবরাইল ফেরেশতা) তাঁদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে অবতীর্ণ হয়।
৫. সে রাতের ঊষা উদয় হওয়া পর্যন্ত শান্তিই শান্তি (বিরাজ করে)।
শিক্ষা : এ সূরা থেকে আমরা নিম্নোক্ত শিক্ষা পাই
লাইলাতুল কাদর অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত।
এ রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম।
এ রাতে ফেরেশতাগণ শান্তি ও কল্যাণ নিয়ে দুনিয়ায় নেমে আসেন।
এ রাতে সারাক্ষণ শান্তি ও রহমত বর্ষিত হয়।
১. ইদগামের হরফ কয়টি?
ক দুই খ চার ছয় ঘ পনেরো
২. পাপ ও অনৈতিক কাজের জন্য ধ্বংস করা হয়েছিলÑ
র. আদ জাতিকে
রর. ছামুদ জাতিকে
ররর. বনি ইসরাইলকে
কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ৩, ৪ ও ৫নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
সাদী প্রথম রমযানের দিনে কুরআন তিলাওয়াতের সময় নুন সাকিন বা তানবিনের পর হরফ আসলে ঐ নুন সাকিন বা তানবিনকে মীম ( ﻡ ) দ্বারা পরিবর্তন করে এক আলিফ গুন্নাহসহ পড়েন। আর দ্বিতীয় রমযানে তিলাওয়াতের সময় মীম সাকিনের পর বা (ﺏ) আসলে ঐ মীম সাকিনকে চার আলিফ গুন্নাহসহ পড়েন।
৩. সাদীর প্রথম রমযানের তিলাওয়াতকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়?
ক ইযহার খ ইদগাম গ ইখফা ইকলাব
৪. সাদীর দ্বিতীয় রমযানের তিলাওয়াতে চার আলিফ গুন্নাহর স্থলে কত আলিফ পরিমাণ গুন্নাহসহ পড়া উচিত ছিল?
এক খ দুই গ তিন ঘ পাঁচ
৫. সাদীর প্রথম রমযানের তিলাওয়াতের জন্য পরকালে পাবেÑ
র. শান্তি রর. স্বস্তি ররর. মুক্তি
কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬. পবিত্র কুরআন মজিদে সিজদার আয়াত রয়েছেÑ
ক ১৩টি ১৪টি গ ১৫টি ঘ ১৬টি
৭. আল-কুরআনের সবচেয়ে উত্তম আয়াত কোনটি?
ক সূরা হাশরের শেষ আয়াত আয়াতুল কুরসি
গ আয়াতুশ শিফা ঘ সূরা বাকারার শেষ আয়াত
৮. আল্লাহ তায়ালার শক্তির মোকাবিলায় সমস্ত শক্তির ব্যর্থতার ঘোষণা রয়েছেÑ
ক সূরা আল কদরে সূরা আল ফিলে
গ সূরা আন নসরে ঘ সূরা আল যিলযালে
৯. হযরত মুহাম্মদ (স) এর নবুয়তি দায়িত্বের সমাপ্তি ঘোষণার ইঙ্গিত রয়েছেÑ
সূরা আন নসরে খ সূরা আল কুরাইশে
গ সূরা আল যিলযালে ঘ সূরা আল কদরে
১০. পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পঠিত গ্রন্থ কোনটি?
ক বাইবেল খ বুখারি শরিফ আল কুরআন ঘ মুসলিম শরিফ
১১. সূর আল কদর কুরআনের কততম সূরা?
৯৭ খ ৯৮ গ ৯৯ ঘ ১০০
১২. মুসলমানদের পরিপূর্ণ জীবনবিধান কোনটি?
আল কুরআন খ সহিহ বুখারি শরিফ
গ মুসনাদে আহমদ ঘ মিশকাত শরিফ
১৩. ইযহার পালন করার পদ্ধতি কোনটি?
ক গোপন করে পড়া স্পষ্ট করে পড়া গ বাদ দিয়ে পড়া ঘ মিলিয়ে পড়া
১৪. সমগ্র আরবে কুরাইশগণ সম্মান পেতÑ
ক সাবলিল নেতৃত্বের জন্য খ বংশ মর্যাদার জন্য
কাবাগৃহের জন্য ঘ হযরত মুহাম্মদ (স) এর জন্য
১৫. “এটি সেই কিতাব, যাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।” এখানে কোন কিতাব সম্পর্কে বলা হয়েছে?
ক সাহিত্য খ ইতিহাস কুরআন ঘ মানতিক
১৬. ইকলাবের হরফ কয়টি?
১টি খ ২টি গ ৩টি ঘ ৪টি
১৭. নিচের কোনটি কুরআন তিলাওয়াতের আদব নয়?
ক পাক পবিত্র স্থানে বসে পড়া খ নামাজের অবস্থায় বসে পড়া
মাযারে বসে তিলাওয়াত করা ঘ সুন্দর সুরে তিলাওয়াত করা
১৮. ফেরেশতাগণের শান্তি ও কল্যাণ নিয়ে দুনিয়ায় নেমে আসার বর্ণনা রয়েছে কোন সূরায়?
সূরা আল-কাদর খ সূরা আল-বায়্যিনাহ
গ সূরা আল-যিলযাল ঘ সূরা কুরাইশ
১৯. ‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপ বা পুণ্য কোনো কিছুই আমলনামা থেকে বাদ পড়বে না’Ñএটি কোন সূরার শিক্ষা?
সূরা আল-যিলযাল খ সূরা আল-কাদর
গ সূরা আল-বায়্যিনাহ ঘ সূরা কুরাইশ
২০. ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণের বর্ণনা রয়েছে কোন সূরায়?
ক সূরা কুরাইশে সূরা আল- ফিল
গ সূরা আল-বায়্যিনাহ ঘ সূরা আল-যিলযাল
২১. আয়াতুল কুরসিতে কয়টি আয়াত রয়েছে?
ক ১ খ ২ গ ৩ ৪
২২. মহানবি (স) কে মানবতার শিক্ষক বলা হয়Ñ
র. কারণ তিনি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী
রর. কারণ তিনি আরবের শ্রেষ্ঠ গোত্রের অধিকারী
ররর. তিনি নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষাদানকারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৩ ও ২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আবরার সাহেব অশুদ্ধ ও ভুল উচ্চারণের মাধ্যমে মাগরিবের সালাত আদায় করছিলেন। তা শুনে তার বন্ধু তাকে সহি-শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করার পরামর্শ দেন।
২৩. আবরার সাহেবের মধ্যে কিসের অভাব রয়েছে?
ক কুরআন খ হাদিস তাজবিদ ঘ তাফসির
২৪. এ রকম ভুল তিলাওয়াতের ফলে আবরার সাহেবেরÑ
সালাত শুদ্ধ হবে না খ ইমান শুদ্ধ হবে না
গ সালাত শুদ্ধ হবে ঘ আমল শুদ্ধ হবে না
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৫ ও ২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মাহফুজ একজন দ্বীনদার মুমিন। তিনি সর্বদা কুরআন অনুসরণ করতে চেষ্টা করেন। কুরআন মজিদের সূরা আশশামসের একটি আয়াত পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি নিজেকে পবিত্র ও কলুষমুক্ত রাখার চেষ্টা করেন।
২৫. মাহফুজ কোন ধরনের আয়াত দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন?
নৈতিক শিক্ষামূলক খ জ্ঞানমূলক
গ বিশ্বাসমূলক ঘ বিধি বিধানমূলক
২৬. নিজেকে পবিত্র ও কলুষমুক্ত রাখার ফলে মাহফুজÑ
র. দুনিয়াতে সফল হবে রর. আখিরাতে সফল হবে
ররর. সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ-১ : কুরআন মজিদ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭. আল কুরআনের মাধ্যমে হালাল-হারামের রহস্য উদ্ভাসিত হয়, তাই একে বলা হয়Ñ [রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর]
ক আর রাহমাহ খ আয-যিকর আন-নুর ঘ আল কিতাব
২৮. কোন মূল শব্দ থেকে কুরআন শব্দটি এসেছে? [পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
কারউন খ ক্বিরাতুন গ কারআন ঘ কুরউন
২৯. হযরত মুহাম্মদ (স) কোন গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন? (জ্ঞান)
ক সাওর হেরা গ উহুদ ঘ তুর
৩০. মানুষের হিদায়াতের জন্য চারটি বড় আসমানি কিতাব অবতীর্ণ হয়। এর মধ্যে আমরা কোনটির অনুসরণ করব? (প্রয়োগ)
ক তাওরাত খ যাবুর গ ইনজিল কুরআন
৩১. ইসলামি শরিয়তের প্রধান দু’টি উৎস কী? (অনুধাবন)
ক ইজমা ও কিয়াস খ হাদিস ও ফিকাহ
গ কুরআন ও ফিকাহ কুরআন ও হাদিস
৩২. কুরআন মজিদে সূরার সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১১৩ ১১৪ গ ১১৫ ঘ. ১১৬
৩৩. সর্বপ্রথম ওহি অবতীর্ণ হয় কোথায়? (জ্ঞান)
ক রাসুল (স)-এর গৃহে খ মসজিদে নববিতে
হেরা পর্বতের গুহায় ঘ মক্কা শরিফে
৩৪. নবুয়তপ্রাপ্তির সময় রাসুলের (স) বয়স কত ছিল? (জ্ঞান)
ক ত্রিশ বছর চল্লিশ বছর গ পঞ্চাশ বছর ঘ বায়ান্ন বছর
৩৫. মক্কি সূরার সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৭৬ ৮৬ গ ৬৬ ঘ ৯৬
৩৬. কুরআন মজিদের আয়াতের সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৬৬৬৫ ৬২৩৬ গ ৬৬৭৮ ঘ ৬৬৫৬
৩৭. কালিমা, সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ ইসলাম ধর্মের কী স্বরূপ? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নীতি বুনিয়াদ গ দলিল ঘ মূল
৩৮. মহাগ্রন্থ আল-কুরআন কার বাণী? (জ্ঞান)
ক মহানবি (স) মহান আল্লাহর
গ জিবরাইল (আ) ঘ ইবরাহিম (আ)
৩৯. কুরআন মজিদ মানুষকে কোন পথে পরিচালিত করে? (জ্ঞান)
শান্তির পথে খ অশান্তির পথে গ অন্ধকার পথে ঘ ভুল পথে
৪০. রাসুলুল্লাহ (স)-এর নিকট নাজিল হওয়া প্রথম সূরা কোনটি? (জ্ঞান)
ক ফাতিহা খ ফালাক আলাক ঘ নসর
৪১. পবিত্র কুরআনে কতটি মনজিল আছে? (জ্ঞান)
ক ৫ খ ৬ ৭ ঘ ৮
৪২. সমস্ত কুরআন কতটি রুকুতে বিভক্ত? (জ্ঞান)
৫৫৮ খ ৫৫৫ গ ৫৫৬ ঘ ৫৫৭
৪৩. পবিত্র কুরআনের সূরাগুলো কয় ভাগে বিভক্ত? (জ্ঞান)
দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৪৪. পবিত্র কুরআন শরিফ কত বছর ধরে নাজিল হয়? (জ্ঞান)
ক ২০ খ ২১ গ ২২ ২৩
৪৫. হিজরতের পূর্বের সূরাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক মাদানি মক্কি গ হিজরতের ঘ হজের
৪৬. কুরআন লাওহে মাহফুয থেকে সর্বপ্রথম কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
ক পৃথিবীতে খ সপ্তম আসমানে
দুনিয়ার নিকটতম আসমানে ঘ চতুর্থ আকাশে
৪৭. মাদানি সূরার সংখ্যা কয়টি? (জ্ঞান)
ক ২৪ ২৮ গ ৩২ ঘ ৩৬
৪৮. কুরআন মানবজাতির জন্য কী? (জ্ঞান)
দিশারী খ জান্নাত গ আনন্দমেলা ঘ আশীর্বাদ
৪৯. কুরআন মজিদ কাদের জন্য পথ নির্দেশক? (জ্ঞান)
মুত্তাকিদের খ জিহাদকারীদের গ নামাযিদের ঘ মক্কাবাসীদের
৫০. নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি? (জ্ঞান)
ক নামায কুরআন তিলাওয়াত গ রোযা ঘ পিতামাতার সেবা
৫১. আল- ফুরকান শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক হিদায়াত পার্থক্যকারী গ উপদেশ ঘ জ্যোতি
৫২. আল-হুদা শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পার্থক্যকারী পথপ্রদর্শন গ উপদেশ ঘ আলোচনা
৫৩. আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদ নাজিল করছেন কেন? (অনুধাবন)
ক মানুষকে শিক্ষা দেয়ার জন্য খ রাসুলকে শিক্ষা দেয়ার জন্য
মানবজাতির হিদায়াতের জন্য ঘ বিশেষ মানবগোষ্ঠীর জন্য
৫৪. আল-কুরআন সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কেন? (অনুধাবন)
কুরআনে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই
খ মানবজাতির পথপ্রদর্শক
গ আসমানি গ্রন্থ
ঘ শরিয়তের উৎস
৫৫. ইসলামের নীতি ও কানুন সংক্রান্ত যেকোনো আলোচনার চূড়ান্ত দলিল কোনটি? (অনুধাবন)
কুরআন খ হাদিস গ ইজমা ঘ কিয়াস
৫৬. মানুষ কোন পথে চললে দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হবে এ সম্পর্কে কোন গ্রন্থে জানা যায়? (অনুধাবন)
ক ফিকহ খ হাদিস কুরআন ঘ কিতাব
৫৭. আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নিয়ামত কোনটি? (অনুধাবন)
ক বাকশক্তি খ দৃষ্টিশক্তি গ বোধশক্তি কুরআনুল কারিম
৫৮. রহিমা লাইলাতুল কাদরের রাতের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারল। সে কী জানতে পারল? (অনুধাবন)
ক এ রাতে রহমতের দরজা খুলে যায় খ এ রাতে তাওবা কবুল হয়
এ রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে ঘ এটি নফল ইবাদতের রাত
৫৯. রহমত আলী শরিয়ত পালন সম্পর্কে কুরআন থেকে জ্ঞান অর্জন কতে চায়। এ সম্পর্কে তার জ্ঞান অর্জন করা কী? (প্রয়োগ)
ক ওয়াজিব ফরজ গ সুন্নত ঘ মুস্তাহাব
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬০. মাদানি সূরার আলোচ্য বিষয়Ñ [পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর]
র. তাওহিদ ও রিসালাত
রর. ইবাদত, হালাল-হারাম
ররর. সমরনীতি, পররাষ্ট্রনীতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬১. ইসলামি চিন্তাবিদ শাহ ওয়ালিউল্লাহ (র)-এর মতে আল কুরআনে রয়েছে
র. ইলমুল আহকাম
রর. ইলমুল লাদুনি
ররর. ইলমুল মুখাসামা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬২. আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদ অবতীর্ণ করেছেনÑ (প্রয়োগ)
র. মুখস্থ করে রাখার জন্য
রর. বান্দাকে সঠিক পথ দেখাতে
ররর. জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের মাধ্যম হিসেবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর রর ও ররর
৬৩. মহাগ্রন্থ আল-কুরআনÑ (অনুধাবন)
র. ঐতিহাসিক গ্রন্থ রর. আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ
ররর. আল্লাহর বাণীর সমষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. মাদানি সূরাসমূহে আলোচিত হয়েছে সাধারণত- (প্রয়োগ)
র. রিসালাত ও কিয়ামতের কথা রর. সালাত ও সাওমের কথা
ররর. হালাল ও হারামের কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. আলাহ তায়ালা তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি মুহাম্মদ (স)-এর ওপর পবিত্র কুরআন নাজিল করেন। সুতরাং আমরা বুঝতে পারি কুরআন Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সর্বশেষ আসমানি কিতাব রর. সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব
ররর. সমগ্র মানবজাতির জীবনবিধান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৬. কুরআন মজিদের বৈশিষ্ট্য (অনুধাবন)
র. সকল প্রকার জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস
রর. সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী
ররর. মুসলিম জাতির দিশারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৭-৬৯ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হযরত মুহাম্মদ (স) নবি হওয়ার পূর্বে সত্যের সন্ধানে একটি গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। এ অবস্থায় এক শুভ মুহূর্তে সুমহান এক ফেরেশতা আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর নিকট একটি সূরার পাঁচটি আয়াত নিয়ে আসেন।
৬৭. অনুচ্ছেদের গুহার নাম কী? (প্রয়োগ)
হেরা খ সূর ঘ কাহাফ ঘ রহমত
৬৮. অনুচ্ছেদের কোন ফেরেশতার কথা বলা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক হযরত মিকাইল (আ) খ হযরত ইসরাফিল (আ)
হযরত জিবরাইল (আ) ঘ হযরত আজরাইল (আ)
৬৯. অনুচ্ছেদে নির্দেশিত আয়াতগুলো (অনুধাবন)
র. সর্বপ্রথম অবতীর্ণ আয়াত
রর. সূরা মুদাসসিরের প্রথম পাঁচ আয়াত
ররর. সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭০ ও ৭১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রতিদিন সকালে নাজমিন একটি পবিত্র কিতাব পাঠ করে। তার মনটা এতে এক শান্তিময় অনুভূতিতে ভরে যায়। নাজমিনের মতো সবারই প্রতিদিন এ কিতাব তিলাওয়াত করা উচিত। এতে অনেক সাওয়াব পাওয়া যায়।
৭০. নাজমিনের পাঠকৃত কিতাব কোনটি? (প্রয়োগ)
কুরআন খ হাদিস গ ইতিহাস ঘ বিজ্ঞান
৭১. নাজমিনের তিলাওয়াতে ফলাফলÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আনন্দ দেবে
রর. সাওয়াব অর্জনে সহায়তা করবে
ররর. চরিত্র গঠনে ভূমিকা রাখবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ-২ : তাজবিদ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭২. বিশুদ্ধভাবে ধীরে ধীরে পড়াকে কী বলে? [মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক তানযিল খ তাকদির তারতিল ঘ তাজবিদ
৭৩. সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত কোনটি? [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর]
ক নফল রোযা খ উমরাহ হজ কুরআন তিলাওয়াত ঘ নফল কাজ
৭৪. কুরআন তিলাওয়াত কোন ধরনের ইবাদত।
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
ক ফরজ খ ওয়াজিব গ মুস্তাহাব নফল
৭৫. তাজবিদ অনুসারে কুরআন তিলাওয়াত করা কী? (জ্ঞান)
ফরজ খ ওয়াজিব গ সুন্নত ঘ নফল
৭৬. নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি? (জ্ঞান)
ক মাতাপিতার সেবা করা কুরআন তিলাওয়াত করা
গ তাহাজ্জুদ নামায পড়া ঘ জিহাদ করা
৭৭. সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন পাঠের রীতিকে কী বলে? (অনুধাবন)
ক তারতিল তাজবিদ গ তাওহিদ ঘ তিলাওয়াত
৭৮. কুরআন তিলাওয়াত করে তুমি অধিক নেকি পেতে চাও! তুমি কীভাবে এটি তিলাওয়াত করবে? (প্রয়োগ)
ক দেখে দেখে খ মুখস্থ করে
তারতিল সহকারে ঘ জোরে জোরে
৭৯. নাঈম নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করে। কিন্তু তার তিলাওয়াত স্পষ্ট ও শুদ্ধ হয় না। এ অবস্থায় নাঈমের কী করণীয়? (প্রয়োগ)
ক তিলাওয়াত বন্ধ করে দিবে
খ অশুদ্ধভাবে পড়ে যাবে
ভালো কোনো কারির কাছে গিয়ে শুদ্ধ করবে
ঘ কাঁদতে থাকবে
৮০. তুমি ইসলামের আবশ্যকীয় বিধানাবলী পালনের পাশাপাশি সর্বোত্তম নফল ইবাদত করতে চাও। কীভাবে সর্বোত্তম ইবাদত করবে? (প্রয়োগ)
কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে খ নফল নামাযের মাধ্যমে
গ তাসবিহ পাঠের মাধ্যমে ঘ শিরক পরিহারের মাধ্যমে
৮১. কুরআন তিলাওয়াতকারীর পিতামাতাকে কিয়ামতের দিন মুকুট পরানো হবে। তার আলো কেমন হবে? (প্রয়োগ)
ক চাঁদের আলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল খ তারার আলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল
গ বিদ্যুতের আলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল সূর্যের আলোর চেয়ে বেশি উজ্জ্বল
৮২. ‘আল-কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে’ এর মর্মার্থ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
তাজবিদ খ মাখরাজ গ মাদ্দ ঘ তিলাওয়াত
৮৩. তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর। এর ফলাফল কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
রাসুল (স)-এর শাফাআত লাভ খ আলাহর ক্রোধ
গ হযরত ওমর (রা)-এর প্রশংসা ঘ আবু বকরের (রা) গুণাবলি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮৪. কুরআন মজিদ তিলাওয়াত হলো (অনুধাবন)
র. সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত রর ফরজ ইবাদত
ররর নফল ইবাদত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৫. পবিত্র কুরআন হলো সব জ্ঞানের উৎস। এর আয়াতগুলোÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. যুগোপযোগী ও যুক্তিসংগত রর. সর্বপ্রকার জ্ঞানের উৎস
ররর. মানবজাতির দিশারী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৬. কুরআন মজিদ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করার জন্য আমরা Ñ (প্রয়োগ)
র. তাজবিদ শিক্ষা করব রর. তারতিল শিক্ষা করব
ররর. শিক্ষকের নিকটে যাব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৮৭. এরূপ তিলাওয়াতের ফলে সুমাইয়ার (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গুনাহ হবে
রর. অর্থের পরিবর্তন হবে
ররর. খুশি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৮৮. রোকেয়া ধীরে ধীরে কুরআন তিলাওয়াত করে। সে কার নির্দেশ অনুসরণ করেছে? [সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
র. আল্লাহর
রর. মহানবি (স)-এর
ররর. তাজবিদের
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র ও রর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুচ্ছেদটি পড়ে ৮৯ ও ৯০ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সুমাইয়া প্রতিদিন সকালে নিয়মিত একটি কিতাব পাঠ করে। এতে সে মনে খুব শান্তি পায়। কিন্তু তার পড়া শুদ্ধ হয় না।
৮৯. সুমাইয়া কোন কিতাবটি পাঠ করে? (প্রয়োগ)
ক হাদিস কুরআন গ কবিতা ঘ ইবাদত
৯০. সুমাইয়ার তিলাওয়াত শুদ্ধ না হওয়ার কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সাওয়াব অর্জনের নিয়ত না করা তাজবিদ না জানা
গ ওযু না করা ঘ নিয়মিত তিলাওয়াত না করা
পাঠ-৩ : নুন সাকিন ও তানবিনের বর্ণনা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯১. নুন সাকিন বা তানবিনের পরে (ﺐ) “বা” হরফ আসলে ঐ নুন সাকিন বা তানবিনকে মীম দ্বারা পরিবর্তন করে পড়তে হয়। একে কী বলে? [যশোর জিলা স্কুল]
ইখফা খ ইযহার গ ইকলাব ঘ ইদগাম
৯২. “ইদগাম” শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান) [যশোর জিলা স্কুল]
মিলিয়ে পড়া খ থেমে পড়া গ তারতিলের সাথে পড়া ঘ জোরে পড়া
৯৩. ইদগামের হরফ কয়টি? [বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়;
পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর;সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
৬ খ ৭ গ ৮ ঘ ৯
৯৪. ইখফা অর্থ কী? (জ্ঞান)
গোপন করে পড়া খ মিলিয়ে পড়া গ স্পষ্ট করে পড়া ঘ প্রকাশ্যে পড়া
৯৫. নিচের কোনগুলো ইখফার হরফ? (অনুধাবন)
ইয়া, র খ হা, খা গ হামজা, হা ঘ তোয়া, জোয়া
৯৬. ইযহার অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পরিবর্তন করে পড়া স্পষ্ট করে পড়া
গ মিলিয়ে পড়া ঘ গোপন করে পড়া
৯৭. ইদগাম অর্থ কী? (জ্ঞান)
মিলিয়ে পড়া খ গোপন করা গ প্রকাশ করা ঘ স্পষ্ট করা
৯৮. ইখফার হরফ মোট কয়টি? (জ্ঞান)
ক ১৩ ১৫ গ ১৭ ঘ ১৯
৯৯. হরফে হালকি মোট কতটি? (জ্ঞান)
ক পাঁচ খ সাত ছয় ঘ আট
১০০. নুন সাকিন ও তানবিনকে কয় নিয়মে পড়তে হয়? (জ্ঞান)
৪ খ ২ গ ৬ ঘ ৫
১০১. ইদগাম কত প্রকার? (জ্ঞান)
ক ১ ২ গ ৩ ঘ ৪
১০২. তানবিন কাকে বলে? (অনুধাবন)
দুই যবর, ‘দুই যের’, দুই পেশকে খ এক যবরকে
গ এক যেরকে ঘ এক পেশকে
১০৩. তানবিনের মধ্যে উহ্য থাকে কোনটি? (জ্ঞান)
জযমযুক্ত নুন খ গোল তা
গ তানবিনযুক্ত নুন ঘ যেরযুক্ত নুন
১০৪. কোন কারণে নুন সাকিন ও তানবিনের পরবর্তী হরফটি তাশদিদ যুক্ত হয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ইযহারের ইদগামের গ ইকলাবের ঘ ইখফার
১০৫. গুন্নাহসহ ইদগামের অপর নাম কী? (জ্ঞান)
ইদগামে নাকিস খ ইদগামে সগীর
গ ইদগামে কাবীর ঘ ইদগামে মোতলাক
১০৬. রাজীবের তিলাওয়াতকালে নুন সাকিনের পরে ইয়া আসল। এক্ষেত্রে সে পড়বে কীভাবে? (প্রয়োগ)
মিলিয়ে খ স্পষ্টভাবে গ গোপন করে ঘ পরিবর্তন করে
১০৭. রাকিবের কুরআন পাঠকালে ﻣﻥﺭﺑﻚ শব্দটি আসল। রাকিব এটি কোন রীতিতে পড়বে? (প্রয়োগ)
ক ইযহার খ ইকলাব ইদগাম ঘ ইখফা
১০৮. নুন সাকিন ও তানবিনের পরে হরফে হালকির যেকোনো একটি হরফ আসল। এক্ষেত্রে এটিকে তুমি কীভাবে পড়বে? (প্রয়োগ)
ক গুন্নাহ সহ খ ইখফা করে
গ ইকলাবের নিয়মানুযায়ী গুন্নাহ ব্যতীত স্পষ্ট করে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৯. ইদগামের উদাহরণ Ñ (অনুধাবন)
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১১০. ইখফা করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ করতে হয়Ñ (প্রয়োগ)
র. এক আলিফ
রর. দুই আলিফ
ররর. তিন আলিফ
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১১১ ও ১১২ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জোহরা ফজরের নামাযের পর কুরআন শরিফ তিলাওয়াত করতে বসে। তার তিলাওয়াত অশুদ্ধ।
১১১. জোহরার তিলাওয়াতে কোনটির অভাব রয়েছে? (প্রয়োগ)
তাজবিদ খ গুন্নাহ গ ইদগাম ঘ মাদ্দ
১১২. তার এরূপ তিলাওয়াতের ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গুনাহ হবে
রর. গুন্নাহ হবে
ররর. অর্থে পরিবর্তন হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৪ : মীম সাকিনের বর্ণনা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৩. ইদগাম কাকে বলে? [মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
হরফের সাথে হরফের মিলন কে খ দুই আলিফ পরিমাণ টেনে পড়াকে
গ তিন আলিফ পরিমাণ টেনে পড়াকে ঘ চার আলিফ পরিমাণ টেনে পড়াকে
১১৪. মীম সাকিন পড়ার নিয়ম কয়টি? (জ্ঞান)
তিন খ চার গ পাঁচ ঘ দুই
১১৫. মীম হরফের ওপর জযম থাকলে জযমযুক্ত মীমকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক নুন সাকিন খ নুন সাকিন ও তানবিন
মীম সাকিন ঘ মীম সাকিন ও তানবিন
১১৬. মীম সাকিনের পর ﺏ (বা) আসলে ঐ মীম সাকিনকে এক আলিফ সময় পরিমাণ গুন্নাহ করে পড়তে হয়। একে কী বলে? (প্রয়োগ)
ক ইদগাম ইখফা গ ইযহার ঘ ইকলাব
১১৭. নাজনীনকে ইযহারের উদাহরণ দিতে বলায় সে বলল । নাজনীন মূলত কিসের উদাহরণ দিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ইকলাব ইদগাম গ ইযহার ঘ ইখফা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১৮. মীম সাকিনের ইদগামের উদাহরণ Ñ (অনুধাবন)
র.
রর.
ররর.
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
১১৯. উদাহরণ হলোÑ (অনুধাবন)
র. মীম সাকিনের ইযহার রর. নুন সাকিনের ইযহার
ররর. মীম সাকিনের ইদগাম
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২০ ও ১২১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সানি ফজরের নামাযের পর মসজিদে বসে কুরআন তিলাওয়াত করছিল। সে তিলাওয়াতের সময় তিন আলিফ পরিমাণ গুন্নাহ করে পড়ে। তার তিলাওয়াত শুনে ইমাম সাহেব বললেন, তোমার তিলাওয়াত শুদ্ধ হয়নি ।
১২০. সানির তিলাওয়াত তাজবিদের কোন বিধানের পরিপন্থী? (প্রয়োগ)
ক মীম সাকিনের ইদগামের মীম সাকিনের ইযহারের
গ মীম সাকিনের ইখফার ঘ নুন সাকিনের ইযহারের
১২১. এ ধরনের অশুদ্ধ তিলাওয়াতের ফলে সানিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. গুনাহগার হবে রর. সাওয়াব পাবে
ররর. অভিশপ্ত হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৫ নাযিরা তিলাওয়াত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২২. নাযিরা তিলাওয়াত কী? (জ্ঞান)
দেখে দেখে তিলাওয়াত খ না দেখে তিলাওয়াত
গ ঘুমিয়ে তিলাওয়াত ঘ বিনা ওযুতে তিলাওয়াত
১২৩. সুন্দর সুরে কুরআন তিলাওয়াত করা কী? (জ্ঞান)
আদব খ আখলাক গ বিনয় ঘ রীতি
১২৪. কুরআন তিলাওয়াতের সময় কোনোরূপ কথাবার্তা, হাসি-ঠাট্টা করা যায় না কেন? (অনুধাবন)
ক আখলাক আদব গ রীতি-নীতি ঘ বিনয়
১২৫. মানবজাতির জন্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত কী? (জ্ঞান)
কুরআন মজিদ খ মহাবিশ্ব গ হাদিস শরিফ ঘ বিশাল পৃথিবী
১২৬. নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি? (জ্ঞান)
ক জিহাদ করা খ পিতামাতার সেবা করা
কুরআন তিলাওয়াত করা ঘ সত্য কথা বলা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৭. মীম সাকিন পড়ার হুকুম হলোÑ [ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর]
র. ইযহার রর. ইদগাম
ররর. ইখফা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১২৮. করিম কুরআন তিলাওয়াতের পূর্বে (প্রয়োগ)
র. ওযু করবে
রর. গোসল করবে
ররর. পবিত্র হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৯. নাযিরা তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য হলোÑ (অনুধাবন)
র. নির্ভুল কুরআন তিলাওয়াত
রর. আলাহর অনুগ্রহ লাভ
ররর. ফেরেশতার অনুগ্রহ লাভ
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৩০ ও১৩১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রেবেকা প্রতিদিন সকালে দেখে দেখে কুরআন তিলাওয়াত করে। কুরআনের আদবের বিষয়ে সে খুবই সচেতন।
১৩০. রেবেকার তিলাওয়াতকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
নাযিরা খ সিজদায়ে তিলাওয়াত
গ তিলাওয়াত ঘ হিফজুল কুরআন
১৩১. রেবেকার কুরআন পড়ার সময় আদবের যেসব প্রকাশ পায়Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কেবলামুখি হয়ে বসা
রর. নামাযের ন্যায় বসা
ররর. কুরআনের অর্থ বুঝে পড়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ-৬ : সূরা আল-কাদর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩২. সূরা আল-কাদরে লাইলাতুল কাদর শব্দটি মোট কতবার এসেছে?
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
ক ২ ৩ গ ৪ ঘ ৫
১৩৩. লাইলাতুল কাদরে কখন পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করে? (জ্ঞান)
উষা উদয় হওয়া পর্যন্ত খ শেষরাত পর্যন্ত
গ রাত দ্বিপ্রহর পর্যন্ত ঘ পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত
১৩৪. আল-কাদর শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ওজন করা খ দাঁড়িপাল্লা মহিমা ঘ পরিমাপ
১৩৫. সূরা আল-কাদর কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
মক্কায় খ মদিনায় গ সিরিয়ায় ঘ লিবিয়ায়
১৩৬. সূরা আল-কাদর কুরআনের কততম সূরা? (জ্ঞান)
ক ৯৪ খ ৯৫ গ ৯৬ ৯৭
১৩৭. লাইলাতুল কাদর কতমাস অপেক্ষা উত্তম? (জ্ঞান)
ক ৫০০ খ ৭০০ গ ৮০০ ১০০০
১৩৮. ﻟﻳﻟﺔ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক দিন রাত গ সকাল ঘ বিকেল
১৩৯. শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক নবিগণ খ রাসুলগণ ফেরেশতগণ ঘ ওলিগণ
১৪০. মুহাম্মদ (স)-এর উম্মতদেরকে লাইলাতুল কাদরের রাত্রি দান করার উদ্দেশ্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক গুনাহগার বলে খ নেককার বলে আয়ু কম বলে ঘ দুর্বল বলে
১৪১. কাদরের রাতের এত মর্যাদা হওয়ার কারণ কী? (জ্ঞান)
ক এ রাতে রহমতের দরজা খুলে দেয়া হয় না
খ এ রাতে তাওবা কবুল হয় না
গ এ রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়না
এ রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়
১৪২. নাফিস এক রাতে হাজার মাসের সমপরিমাণ ইবাদত করতে চায়। সে কোন রাতকে প্রাধান্য দেবে? (প্রয়োগ)
কাদরের রাত খ ঈদের রাত গ জন্মের রাত ঘ রমযানের রাত
১৪৩. কিয়ামতের দিন মৃত ব্যক্তিদের কী অবস্থা হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কোনো শাস্তি হবে না জীবিত হয়ে দাঁড়াবে
গ ক্ষমা করা হবে ঘ কোনো বিচার হবে না
১৪৪. নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি? (জ্ঞান)
ক মাতাপিতার সেবা করা কুরআন তিলাওয়াত করা
গ তাহাজ্জুদ নামায পড়া ঘ জিহাদ করা
১৪৫. লাইলাতুল কাদর মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহর বড় নিয়ামত। এর প্রকৃত কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মহানবি (স)-এর সম্মান বাড়িয়েছেন
খ রোযার মাসের সম্মান বাড়িয়েছেন
গ কুরআনের সম্মান বাড়িয়েছেন
উম্মতের সম্মান বাড়িয়েছেন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৬. ‘নিশ্চয়’ আমি কুরআনকে এক মহিমান্বিত রাতে নাজিল করেছি। এটি বর্ণিত হয়েছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সূরা আল-কাদরে রর. সূরা আল-ফিলে
ররর. সূরা আল-যিলযালে
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র,রর ও ররর
১৪৭. ‘সে রাতে প্রভাত হওয়া পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করে’। এখানে সে রাত বলতে বুঝানো হয়েছেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. শবে কাদর রর. শবে বরাত
ররর. শবে মিরাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
১৪৮. লাইলাতুল কাদর অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ রাতেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কুরআন নাজিল হয়
রর. ফেরেশতা অবতরণ করে
ররর. তাওবা কবুল হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
১৪৯. সূরা কাদর-এ রুহ বলা হয়েছেÑ (অনুধাবন)
র. মিকাইল (আ) কে
রর. জিবরাইল (আ) কে
ররর. ইসরাফিল (আ) কে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ ররর ঘ র ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৫০ ও ১৫১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শরীফ প্রতিবছর কাদরের রাতে সারারাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করে। কিন্তু ফজরের নামায না পড়েই ঘুমিয়ে যায়।
১৫০. শরীফের রাত জেগে ইবাদত (উচ্চতর দক্ষতা)
র. কবুল হবে।
রর. কাজে আসবে না।
ররর. ফরজ ইবাদতে মনোযোগী হলে নফল ইবাদত ফলপ্রসূ হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৫১. উলিখিত অবস্থায় শরীফের কী করা উচিত? (প্রয়োগ)
ক কখনো নফল ইবাদত না করা
খ নিয়মিত ফরজ ইবাদতগুলো আদায় করা
তাওবা করে নিয়মিত ফরজ ইবাদত পালন করা
ঘ কাদরের রাতে ইবাদত-বন্দেগি না করে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা
পাঠ-৭ : সূরা আল-যিলযাল
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫২. কারও অনু পরিমাণ অন্যায় থাকলে কী হবে? [সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক শাস্তি হবে না শাস্তি পাবে গ ক্ষমা করা হবে ঘ জান্নাতে যাবে
১৫৩. সূরা আল-যিলযাল কুরআনের কততম সূরা? [পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর]
ক ৯৭ খ ৯৮ ৯৯ ঘ ১০৫
১৫৪. আসসাইফু শব্দের অর্থ কী? [মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
গ্রীষ্মকাল খ বর্ষাকাল গ শীতকাল ঘ শরৎকাল
১৫৫. ‘মিসকালুন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
পরিমাণ খ বিন্দু গ অণু ঘ সংবাদ
১৫৬. মহা প্রলয়ের বর্ণনা অতি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে নিচের কোন সূরায়? (অনুধাবন)
ক সূরা ফিল খ সূরা কুরাইশ গ সূরা মাউন সূরা-যিলযাল
১৫৭. সূরা আল-যিলযাল অবতীর্ণ হয় কোথায়? (জ্ঞান)
মদিনায় খ মক্কায় গ হেরা গুহায় ঘ আরাফায়
১৫৮. যিলযাল শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক কিয়ামত খ সুনামি গ কম্পিত ভ‚কম্পন
১৫৯. র্যারাতুন শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সৎ কাজ খ অসৎ কাজ ক্ষুদ্রতম ঘ ছোট
১৬০. সূরা যিলযালের আয়াত সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ৬ খ ৭ ৮ ঘ ১০
১৬১. কিসের শব্দে পৃথিবীর সমস্ত নিয়ম-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে যাবে? (অনুধাবন)
শিঙ্গার খ বোমার গ জাহাজের ঘ রকেটের
১৬২. কোন সূরায় কিয়ামতের বিভীষিকাময় ঘটনাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে? (জ্ঞান)
ক সূরা আততীন খ সূরা আল-বায়্যিনাহ
গ সূরা আত-তাকাসুর সূরা যিলযাল
১৬৩. ইসরাফিল (আ) হস্তে কী ধারণ করে আলাহর হুকুমের অপেক্ষা করছেন? (জ্ঞান)
ক শিকল খ কামান শিঙ্গা ঘ বোমা
১৬৪. পৃথিবী ধ্বংস হবার আগে ইসরাফিল (আ) কী করবেন? (জ্ঞান)
ক পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকবেন শিঙ্গায় ফুঁক দিবেন
গ গর্জন করবেন ঘ বসে দেখবেন
১৬৫. ক্ষণস্থায়ী জগতের ধনদৌলত এবং অর্থসম্পদের লোভ-লালসা ত্যাগ করে ন্যায়নিষ্ঠ জীবনযাপনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে কোন সূরা অবতীর্ণ হয়? (প্রয়োগ)
ক সূরা আন-নাস খ সূরা আল-বায়্যিনাহ
সূরা যিলযাল ঘ সূরা আল-কাদর
১৬৬. হাশরের ময়দানে মানুষ কী দেখতে পাবে? (জ্ঞান)
নিজ নিজ আমলনামা খ জান্নাত গ জাহান্নাম ঘ বারযাখ
১৬৭. অণু পরিমাণ অন্যায় থাকলে কী হবে? (জ্ঞান)
ক শাস্তি হবে না শাস্তি পাবে গ ক্ষমা করা হবে ঘ জান্নাতে যাবে
১৬৮. কিয়ামতের দিন মৃতদের কী অবস্থা হবে? (জ্ঞান)
ক জাহান্নামে চলে যাবে জীবিত হয়ে বেরিয়ে আসবে
গ জান্নাতে চলে যাবে ঘ দুনিয়ায় ফিরে আসবে
১৬৯. সূরা যিলযালের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় কী? (উচ্চতর দক্ষতামূলক)
কিয়ামতের আলামত খ পরকালের বিচার ব্যবস্থা
গ সকল পাপপুণ্যের প্রদর্শন ঘ আখিরাতে বিশ্বাস
১৭০. সূরা যিলযালের শিক্ষানুযায়ী আমাদের কোনটি করা উচিত? (উচ্চতর দক্ষতামূলক)
পুণ্য খ ব্যবসা গ লেখাপড়া ঘ চাকরি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭১. সূরা আল-যিলযাল থেকে আমরা শিক্ষা পাইÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ছগিরা গুনাহকে নগণ্য মনে না করা
রর. সামান্য ভালো কাজকে বড় মনে করা
ররর. আল্লাহর হক যথাযথভাবে আদায় করা
নিচের কোনোটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
১৭২. একদিন আলাহ তায়ালা পৃথিবীÑ (অনুধাবন)
র. পরিষ্কার করে দেবেন
রর. ধ্বংস করে দেবেন
ররর. বন্যায় ডুবিয়ে দেবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ ররর ঘ র ও ররর
১৭৩. কিয়ামতের দিন ইসরাফিল (আ)-এর শিঙ্গার আওয়াজে ধ্বংস হবেÑ (প্রয়োগ)
র. পাহাড়-পর্বত
রর. গাছ-পালা
ররর. দালান-কোঠা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৭৪ ও ১৭৫ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পলাশ কুরআনের ব্যাখ্যা পড়ে। সে এমন একটি সূরা পড়ে যাতে কিয়ামতের কথা বলা হয়েছে। [ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
১৭৪. পলাশ কোন সূরা পড়েছে?
ক সূরা আলাক খ সূরা ফালাক গ সূরা নাস সূরা যিলযাল
১৭৫. পলাশ তার পঠিত সূরা থেকে শিক্ষা নিয়েÑ
র. ছোট নেক কাজগুলোকে অবহেলা করবে
রর. ছোট-বড় সকল নেককাজ করবে
ররর. ছোট-বড় সকল পাপ থেকে দূরে থাকবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৭৬ ও ১৭৭ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কিয়ামতের দিন মানুষের খুব খারাপ অবস্থা হবে তার বর্ণনা আছে কুরআনে। সেখানে মানুষ তার কৃতকর্মের প্রতিফল দেখতে পাবে। কেউ অণুপরিমাণ সৎকর্ম করলেও তা দেখতে পাবে। আবার কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তাও দেখতে পাবে।
১৭৬. অনুচ্ছেদে নির্দেশিত সময়ে মানুষের কৃতকর্মের ফল দেখানো হবে কেন? (প্রয়োগ)
সঠিক বিচারের জন্য খ পক্ষপাতিত্ব করার জন্য
গ পাপীকে রক্ষা করার জন্য ঘ লজ্জা দেয়ার জন্য
১৭৭. উদ্দীপকের সূরার শিক্ষাÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ক্ষুদ্র পাপ থেকে বিরত থাকা
রর. ক্ষুদ্র পাপকে গুরুত্বহীন ভাবার
ররর. সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৮ : সূরা আল-ফিল
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭৮. কাবা ঘর ধ্বংস করার জন্য আবরাহা কতটি হাতি সংগ্রহ করেছিল? (জ্ঞান)
ক ১১ খ ১২ ১৩ ঘ ১৪
১৭৯. আবরাহা কত খ্রিষ্টাব্দে কাবা গৃহ ধ্বংসের জন্য মক্কা নগরীতে আসে? (অনুধাবন)
৫৭০ খ ৫৮০
গ খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সালে ঘ খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ সালে
১৮০. সূরা আল-ফিলের আয়াত সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
পাঁচ খ ছয় গ সাত ঘ আট
১৮১. আল-ফিল শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক ঘোড়া খ গাধা হাতি ঘ মহিষ
১৮২. আবরাহা কোন দেশের শাসনকর্তা ছিল? (জ্ঞান)
ক সিরিয়ার খ মিসরের গ আবিসিনিয়ার ইয়ামানের
১৮৩. কাবাগৃহ ধ্বংসে অংশগ্রহণকারী হাতির সংখ্যা কত ছিল? (জ্ঞান)
ক দশ খ এগারো গ বারো তেরো
১৮৪. সিজ্জীল শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পাথর কংকর গ তৃণ ঘ পাখি
১৮৫. আবরাহা কাবাগৃহ ধ্বংস করতে এসেছিল রাসুল (স)-এর জন্মের কত দিন পূর্বে? (জ্ঞান)
ক ৪০ ৫০ গ ৭০ ঘ ৮০
১৮৬. কংকর দ্বারা কে আঘাতপ্রাপ্ত হলেন? (জ্ঞান)
আবরাহা খ আব্দুল মুত্তালিব গ আবু বকর (রা) ঘ আবু তালিব
১৮৭. আবরাহা কোন ধর্মের লোক ছিল? (জ্ঞান)
ক ইহুদি খ্রিষ্টান গ মুশরিক ঘ অগ্নিপূজক
১৮৮. প্রত্যেকটি পাখির পায়ে কয়টি করে কংকর ছিল? (জ্ঞান)
দুটি খ তিনটি গ চারটি ঘ ছয়টি
১৮৯. হিজারাতুন অর্থ (জ্ঞান)
ক পাখি পাথর গ হাতি ঘ কংকর
১৯০. ত্বয়রান শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পাথর পাখি গ হাতি ঘ কৌশল
১৯১. আবাবিল শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
এক প্রকার ছোট পাখি খ পাথর গ হাতি ঘ তৃণ
১৯২. কাবাঘর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল কাদের ওপর? (অনুধাবন)
কুরাইশ খ ইসরাইলি গ ইবরাহিম (আ) ঘ মক্কাবাসী
১৯৩. কুরাইশরা কোন সম্মানে সম্মানিত? (অনুধাবন)
ক ধনসম্পদের খ বিশ্বাসের
কাবা শরিফের ঘ আনুগত্যের
১৯৪. সূরা আল-ফিল থেকে আমাদের কী শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সব কাজ আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেয়া খ মানুষের ওপরে আস্থা রাখা
কখনো অহংকার না করা ঘ আল্লাহর হুকুম অমান্য করা
১৯৫. আবরাহার দলকে ধ্বংসের মাধ্যমে কী প্রমাণিত হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আল্লাহর মাহাত্ম্য খ কাবার সম্মান
গ মহানবি (স) এর বংশের সম্মান কাবা রক্ষাকারীদের সম্মান
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৯৬. সূরা ফিলের শিক্ষা [সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
র. আল্লাহদ্রোহীদের আল্লাহ তায়ালা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন
রর. তিনি তাদের সমস্ত কলাকৌশল ব্যর্থ করে দেন
ররর. তিনি তাদের চর্বিত ঘাসের মতো করে দেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
১৯৭. আব্দুল মুত্তালিব কাবাঘর রক্ষা না করে উট ফেরত চাইলেন, কারণÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তিনি আবরাহাকে ভয় পেয়েছিলেন
রর. নিজের স্বার্থ দেখেছিলেন
ররর. আলাহর প্রতি তার অটল বিশ্বাস ছিল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর ররর ঘ রর ও ররর
১৯৮. আবরাহাকে ধ্বংসের জন্য ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি এসেছিলÑ (প্রয়োগ)
র. সমুদ্রের দিক থেকে
রর. চারিদিক থেকে
ররর. পশ্চিম দিক থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯৯ ও ২০০ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পবিত্র কাবাঘর ধ্বংসের জন্য অভিযানকারী আবরাহা তার দলবলসহ দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। কাবার মালিক স্বয়ং আলাহ তাঁর ঘর হিফাযত করেন। যুগে যুগে কাবার বিরোধিতাকারীরা আবরাহার ধ্বংসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে পারে।
১৯৯. অনুচ্ছেদের ঘটনা দ্বারা কী প্রমাণিত হলো? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কাবাঘরের সম্মান খ কুরাইশ জাতির সম্মান
আলাহর মাহাত্ম্য ঘ মুসলমানদের সম্মান
২০০. অনুচ্ছেদের ঘটনাটিÑ (অনুধাবন)
র. সূরা ফিলের
রর. কুরআনে পাকের ১০৫ তম সূরায় বর্ণিত
ররর. মহান আল্লাহর ক্ষমতা প্রকাশ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ-৯ : সূরা কুরাইশ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২০১. সূরা করাইশ এ কাদের ব্যাপারে বর্ণনা করা হয়েছে? (জ্ঞান)
মক্কা নগরীর কুরাইশদের কথা খ মক্কার কাফির মুশরিকদের কথা
গ সমগ্র আরববাসির কথা ঘ বিশ্ব মুসলিমদের কথা
২০২. শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
আসক্তি খ ভয়ভীতি গ ক্ষুধা ঘ ভ্রমণ
২০৩. কুরাইশরা বাণিজ্য করতে কোথায় যেত? (জ্ঞান)
ক ইরাকে খ ইরানে সিরিয়ায় ঘ মিশরে
২০৪. মহাগ্রন্থ আল-কুরআন কার বাণী? (জ্ঞান)
ক হযরত আলি (রা)-এর খ মহানবি (স)-এর
গ হযরত উসমান (রা)-এর আলাহর
২০৫. খওফুন অর্থ কী? (জ্ঞান)
ভয়ভীতি খ অকৃতজ্ঞতা গ নিরাপদ করা ঘ আসক্তি
২০৬. আস-সিতাউ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক গ্রীষ্মকাল খ বর্ষাকাল শীতকাল ঘ বসন্তকাল
২০৭. রিহলাতুন অর্থ কী? (জ্ঞান)
সফর খ অনুরাগ গ আসক্তি ঘ ক্ষুধা
২০৮. কুরাইশ বংশের প্রতি আলাহ প্রদত্ত অনুগ্রহ কোনটি? (জ্ঞান)
ক দীর্ঘায়ু দান কাবা ঘর রক্ষণাবেক্ষণ
গ সমাজের নেতৃত্ব দান ঘ আর্থিক সচ্ছলতা প্রদান
২০৯. কুরাইশগণ কোন কারণে নিরাপদে দেশে-বিদেশে বাণিজ্য করে বেড়াত ও সম্মানিত ছিল? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক বংশীয় মর্যাদার কারণে
খ অর্থের প্রতিপত্তির কারণে
গ শৌর্যবীর্যের কারণে
কাবা ঘরের তত্ত¡াবধায়ক হওয়ার কারণে
২১০. আলাহ তায়ালা কুরাইশ বংশের লোকদেরকে কী দিয়ে সম্মানিত করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রচুর তেল সম্পদ দিয়ে
খ প্রচুর স্বর্ণের খনি দিয়ে
গ সমগ্র বিশ্বের শাসন ক্ষমতা দিয়ে
কাবাগৃহ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়ে
২১১. সূরা কুরাইশ আমাদের কী শিক্ষা দেয়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পাপ করলে শাস্তি ভোগ করতে হবেই
আল্লাহ সকল নিয়ামতের মালিক
গ আল্লাহ পাপীদের কঠিন শাস্তি দিবেন
ঘ আল্লাহ নেক বান্দাদের অফুরন্ত পুরস্কার দিবেন
২১২. কুরাইশরা কিসের সম্মানে সম্মানিত? (জ্ঞান)
ক ধনসম্পদের খ বিশ্বাসের
কাবা শরিফের ঘ আনুগত্যের
২১৩. কুরাইশদের ব্যাপারে নিচের কোন তথ্যটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পবিত্র কাবা ঘর কুফায় অবস্থিত
খ হজ উপলক্ষে অনেক লোক মদিনায় যায়
গ সূরা কুরাইশ মদিনায় নাজিল হয়
কুরাইশগণ অনেক সুযোগ-সুবিধা লাভ করত
২১৪. “অতএব, তারা এ ঘরের মালিকের ইবাদত করুক।” এর মমার্থ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আবরাহার মহাত্ম্য আল্লাহর ইবাদত
গ ব্যবসা ঘ কাবার যিয়ারত
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৫. সূরা কুরাইশ অবতীর্ণ হওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে (অনুধাবন)
র. আলাহর ঘরের প্রভুর সম্মান দেখানোর জন্য
রর. আলাহর ঘরের ইবাদত করার জন্য
ররর. আলাহর ইবাদত ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২১৬. কুরাইশরা অবিশ্বাস করতÑ (অনুধাবন)
র. আলাহকে রর. আখিরাতকে
ররর. রিসালাতকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২১৭ ও ২১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
কুরাইশদের জঘন্য ও অনৈতিক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে আলাহ তায়ালা তাদের সতর্ক করে একটি সূরা নাজিল করেন।
২১৭. অনুচ্ছেদে কোন সূরার ইঙ্গিত রয়েছে? (অনুধাবন)
ক কুরাইশ ফিল গ লাহাব ঘ মাউন
২১৮. উক্ত সূরায় কুরাইশদের সতর্ক করার কারণÑ (অনুধাবন)
র. তারা আল্লাহর ইবাদত কর না রর. তারা মারামারি করত
ররর. তারা মূর্তি পূজা করত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ-১০ : সূরা আন-নাসর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২১৯. সূরা আন-নাস্র পবিত্র কুরআনের কী? (জ্ঞান)
সরা খ আয়াত গ মনজিল ঘ রুকন
২২০. সূরা আন-নাস্র কোথায় অবতীর্ণ হয়? (জ্ঞান)
ক কাবায় মক্কায় গ আরাফায় ঘ মদিনায়
২২১. সূরা আন-নাস্র এর আয়াত সংখ্যা কত? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২ ৩ ঘ ৪
২২২. সূরা আন-নাস্র পবিত্র কুরআনের কততম সূরা? (জ্ঞান)
ক ১০৭ খ ১০৮ গ ১০৯ ১১০
২২৩. সূরা আন-নাস্র -এর নাম নাসর রাখা হয়েছে কেন? (অনুধাবন)
এটি সূরায় আছে খ এটি সূরায় নাই
গ এটি সুন্দর ঘ এটি সূরার গুরুত্বপূর্ণ অংশ
২২৪. সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা কোনটি? (জ্ঞান)
ক ইখলাস নাস্র গ নাস ঘ ফিল
২২৫. সূরা আন-নাসর নাজিল করে ইসলামের বিজয় ঘোষণা করা হয়। এর মর্মার্থ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ইসলামের বিজয় খ দলে দলে লোক ইসলামে আসা
মহানবি (স)-এর নযুয়তের পরিসমাপ্তি ঘ বিদায় হজ
২২৬. তাহমিদ ক্লাসে শিক্ষকের নিকট জানতে পারল যে আল্লাহ একটি সূরা নাজিল করেছেন যে সূরায় দলে দলে লোক ইসলামে প্রবেশ করার কথা বলা হয়েছে। সেটি কোন সূরা? (প্রয়োগ)
ক ইখলাস খ ফালাক গ ফিল নাস্র
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২২৭. সূরা আন-নাসর নাজিল হওয়ার ফলে সাহাবিগণ বুঝতে পারলেন (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ইসলামের বিজয় হয়েছে
রর. মহানবি (স)-এর নবয়তী দায়িত্বের পরিসমাপ্তি
ররর. মহানবি (স)-এর ইন্তিকাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২২৮ ও ২২৯ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মহানবি (স) বিদায় হজ করার পর আরাফাতের ময়দানে যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন একটি সূরা নাজিল হয়। এ সূরায় একটি উদ্দেশ্যের প্রতিও ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
২২৮. উদ্দীপকে কোন সূরাটির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক সূরা মায়িদা খ সূরা লাহাব
সূরা নাসর ঘ সূরা ইখলাস
২২৯. উক্ত সূরায় যে উদ্দেশ্যের প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মহানবি (স)-এর ইন্তিকাল
রর. ইসলামের বিজয়
ররর. মহানবি (স)-এর প্রতি ওহি নাজিল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১১ : আয়াতুল কুরসি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৩০. কুরআনের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সূরা হাশরের শেষ আয়াত খ সূরা ফাতিহার ৫ম আয়াত
আয়াতুল কুরসি ঘ সূরা ইখলাসের শেষ আয়াত
২৩১. আয়াতুল কুরসির আলোচ্য বিষয় কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জান্নাত আল্লাহর ক্ষমতা ও গুণাবলি
গ জাহান্নাম ঘ কবরের আযাব
২৩২. ‘ছিনাতুন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক নিদ্রা তন্দ্রা গ ক্লান্তি ঘ শ্রেষ্ঠ
২৩৩. আয়াতুল কুরসি কোন সূরার অন্তর্গত? (জ্ঞান)
আল-বাকারাহ খ আল-ইমরান গ আল-মায়িদা ঘ আন-নিসা
২৩৪. ‘নাওমুন’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক তন্দ্রা নিদ্রা গ চিরস্থায়ী ঘ শ্রেষ্ঠ
২৩৫. ‘কুরসি’ শব্দের ধাতুগত অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক সাম্রাজ্য খ মহিমা
গ জ্ঞান এক বস্তুর সাথে অন্য বস্তু মিলিত হওয়া
২৩৬. কাকে নিদ্রা স্পর্শ করে না? (জ্ঞান)
আলাহকে খ আত্মাকে গ নবিকে ঘ মানুষকে
২৩৭. আয়াতুল কুরসিতে মোট কয়টি আয়াত রয়েছে? (জ্ঞান)
ক চার খ তিন গ দুই এক
২৩৮. আয়াতুল কুরসির তাৎপর্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
আলাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা খ আলাহর নিদ্রাহীনতার বর্ণনা
গ আলাহর জ্ঞানের বর্ণনা ঘ আলাহর সাম্রাজ্যের বর্ণনা
২৩৯. ‘কাইয়্যুম’ শব্দের অর্থ কী? (অনুধাবন)
ক বিজয়ী খ ক্ষণস্থায়ী চিরস্থায়ী ঘ অসীম
২৪০. সমগ্র বিশ্বের একচ্ছত্র অধিকারী কে? (অনুধাবন)
ক প্রাণিকুল আলাহ গ মানবজাতি ঘ ফেরেশতাগণ
২৪১. মহিমা দুনিয়ার বিপদাপদ থেকে রক্ষা পেতে চায়। এক্ষেত্রে সে কী পাঠ করবে? (প্রয়োগ)
আয়াতুল কুরসি খ তাহাজ্জুদ নামায
গ ৫ ওয়াক্ত নামায ঘ সূরা হাশর
২৪২. আয়াতুল কুরসিকে এ নামে নামকরণের কারণ কী? (জ্ঞান)
এতে আল্লাহর স্বরূপ ও ক্ষমতা বর্ণিত হয়েছে
খ এটি একটি বড় আয়াত
গ এ আয়াতের ফজিলত বেশি
ঘ আয়াতে কুরসি শব্দ আছে
২৪৩. আয়াতুল কুরসির ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা কী হবে? (জ্ঞান)
উহার মর্ম বুঝে প্রত্যেহ পাঠ করব খ নিজে শিখব ও অপরকে শেখাব
গ উহার ফজিলত জানব ঘ উহার ফজিলত অন্যকে জানাব
২৪৪. আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। এ সম্পর্কিত ঘোষণা কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী
খ তিনি অনাদি ও অনন্ত
গ তিনি সর্বশক্তিমান
নিশ্চয়ই, তোমাদের মাবুদ একক সত্তা
২৪৫. সকালে ও সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত কী? (জ্ঞান)
বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া খ রিযিকের ব্যবস্থা হওয়া
গ অতি চমৎকারভাবে চলাফেরা ঘ জানমালের নিরাপত্তা বিধান
২৪৬. ফরজ নামাযান্তে প্রতিদিন আয়াতুল কুরসি পাঠের ফজিলত কী? (জ্ঞান)
ক জাহান্নাম তার জন্য হারাম খ সম্মান পাওয়া যায়
বেহেস্তে প্রবেশের পথ সুগম হয় ঘ ধন-সম্পদ বৃদ্ধি
২৪৭. “যে ব্যক্তি প্রভাতে ও শয়নকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আলাহ তায়ালা তাকে বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন।”Ñ এটি কোন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক বুখারি খ আবু দাউদ তিরমিযি ঘ ইবনে মাজাহ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৪৮. নওশীন নিয়মিত সালাত আদায়ের পর আয়াতুল কুরসি তিলাওয়াত করে। এর ফলে সে [বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. বিপদাপদ থেকে মুক্ত থাকবে
রর. জান্নাতের পথ সুগম হবে
ররর. মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৪৯. আয়াতুল কুরসিতে যে বিষয়ের বর্ণনা এসেছেÑ (অনুধাবন)
র. আল্লাহ চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী
রর. তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই
ররর. তিনি তাদের প্রতি ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করেন।
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৫০ ও ২৫১ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব আব্দুস সালাম প্রত্যহ একটি আয়াত পাঠ করেন। তিনি এটি মুখস্থ করে ফেলেছেন। তিনি তার পরিবারের সবাইকেই মুখস্থ করতে উৎসাহ দিচ্ছেন। কারণ এটি পবিত্র কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ আয়াত। এটি পাঠে জান্নাতের পথ সুগম হয়।
২৫০. অনুচ্ছেদে কীসের প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ইসলাম খ ফাতিহা গ সূরা হাশর আয়াতুল কুরসি
২৫১. জনাব আব্দুস সালাম অনুচ্ছেদের আয়াতটি পাঠ করার ফলে লাভ করবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ফজিলত
রর. জান্নাত
ররর. বিপদ থেকে রক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ-১২ : সূরা আল-হাশরের শেষ তিন আয়াত
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৫২. আল-মালিকু’ শব্দের অর্থ কোনটি? (জ্ঞান)
ক পবিত্র খ শান্তি অধিপতি ঘ জ্ঞানী
২৫৩. ‘আল-খালিকু’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক লালনকর্তা খ পালনকর্তা সৃষ্টিকর্তা ঘ অধিকর্তা
২৫৪. ‘আল-মুহাইমিনু’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
রক্ষক খ ভক্ষক গ উদ্ভাবক ঘ সৃজক
২৫৫. সূরা হাশর পবিত্র কুরআনের কততম সূরা? (জ্ঞান)
৫৯ খ ৬০ গ ৬১ ঘ ৬২
২৫৬. সূরা হাশর সকালে কত বার পাঠ করতে হয়? (জ্ঞান)
১ খ ২ গ ৩ ঘ ৪
২৫৭. “আল-গাইবু” শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক মঙ্গল খ আকাশ অদৃশ্য ঘ মাটি
২৫৮. সূরা হাশরের তিন আয়াত পাঠ করলে পাঠকের জন্য আলাহ তায়ালা কতজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেবেন? (জ্ঞান)
ক ষাট হাজার সত্তর হাজার গ আশি হাজার ঘ নব্বই হাজার
২৫৯. আলাহর গুণবাচক নাম দ্বারা কী প্রকাশ পায়? (জ্ঞান)
ক মমতা খ রূপ বৈশিষ্ট্য ঘ মর্ম
২৬০. আলাহ তায়ালা যা ইচ্ছে করেন তাই কী হয়? (জ্ঞান)
সম্পন্ন খ ব্যর্থ গ ধ্বংস ঘ প্রলয়
২৬১. নিচের কোনটি পাঠ করলে আলাহ তায়ালা তাকে শহিদের মৃত্যু দেবেন? (জ্ঞান)
সূরা হাশর খ সূরা যিলযাল
গ আয়াতুল কুরসি ঘ সূরা কুরাইশ
২৬২. বিশেষ ফজিলত পাওয়ার জন্য সুমন সূরা হাশরের কোন আয়াতগুলো পাঠ করবে? (প্রয়োগ)
২২, ২৩, ২৪ খ ২৪, ২৫, ২৬ গ ১৯, ২০, ২১ ঘ ৩১, ৩২, ৩৩
২৬৩. সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতে কীভাবে মহান আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করা হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দ্বারা খ আল্লাহর গুণাবলির বর্ণনা দ্বারা
আল্লাহর গুণবাচক নামের দ্বারা ঘ আল্লাহর মহান গুণাবলির দ্বারা
২৬৪. সূরা হাশরের ফজিলত সম্পর্কে কোন গ্রন্থে উলেখ আছে? (জ্ঞান)
ক বুখারি তিরমিযি গ বায়হাকি ঘ মুয়াত্তা
২৬৫. “আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।”Ñ অংশটুকু সূরা হাশরের কোন আয়াতের অংশ বিশেষ? (প্রয়োগ)
ক প্রথম খ চতুর্থ শেষ ঘ দ্বিতীয়
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৬৬. আসমান জমিনের সবাই ঘোষণা করেÑ (অনুধাবন)
র. আলাহর পবিত্রতা
রর. আলাহর মহিমা
ররর. ফেরেশতার মহিমা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬৭. সূরা হাশরের ফজিলত হিসেবে ফেরেশতারা রহমতের জন্য দোয়া করেন (প্রয়োগ)
র. সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত
রর. সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
ররর. সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৬৮ ও ২৬৯ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আজিমের পিতা মাওলানা কাফি একজন পরহেজগার ব্যক্তি। তিনি একদা ফজরের সালাতের পর ছেলেকে একটি সূরার ৩টি আয়াত পাঠ করে শোনান এবং বলেন, এ তিন আয়াতের ফজিলত অত্যন্ত বেশি।
২৬৮. অনুচ্ছেদে মাওলানা কাফি কর্তৃক পঠিত আয়াত তিনটি কোন সূরার? (প্রয়োগ)
ক সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াত সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত
গ সূরা হাশরের প্রথম তিন আয়াত ঘ সূরা বাকারার প্রথম তিন আয়াত
২৬৯. অনুচ্ছেদে আলোচিত সূরার তিনটি আয়াত তিলাওয়াতের ফলে- (উচ্চতর দক্ষতা)
রর. সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করবে
রর. মারা গেলে শহীদী মৃত্যু
ররর. সর্বপ্রকার বিপদাপদ দূর হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১৩ : আল-কুরআন ও নৈতিক শিক্ষা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৭০. জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস কী? (জ্ঞান)
কুরআন খ হাদিস গ ইনজিল ঘ বাইবেল
২৭১. কুরআন মজিদ কিসের আধার? (জ্ঞান)
ক আদলের নৈতিকতার গ সত্যের ঘ মিথ্যা
২৭২. কুরআন মজিদ কার বাণী? (জ্ঞান)
আলাহর খ নবির গ রাসুলের ঘ ফেরেশতার
২৭৩. ক্ষমা কার গুণ? (জ্ঞান)
ক ওলিদের খ মানুষের আলাহর ঘ ওলামাদের
২৭৪. আলাহর পরিচয়ের বর্ণনা পাওয়া যায় কোন গ্রন্থে? (জ্ঞান)
ক হাদিসে কুরআনে গ বাইবেলে ঘ ইঞ্জিলে
২৭৫. কী দ্বারা মানুষের চরিত্র সুন্দর হয়? (অনুধাবন)
ক হাদিস নীতি-নৈতিকতা গ কথাবার্তা ঘ ব্যবসা-বাণিজ্য
২৭৬. কারা নিষ্পাপ ছিলেন? (জ্ঞান)
নবি-রাসুল খ ফেরেশতা গ ওলামা ঘ জিন
২৭৭. নাজমা সফলতা লাভ করতে চায়। এক্ষেত্রে সে কার অনুসরণ করবে? (প্রয়োগ)
নবি-রাসুল খ পীর গ ইবলিস ঘ ইমাম
২৭৮. রাসুল (স) কেমন চরিত্রের অধিকারী ছিলেন? (প্রয়োগ)
সর্বোত্তম খ প্রকৃতি গ আসল ঘ সত্য
২৭৯. জামিল আসমানি কিতাব পাঠ করে নৈতিক শিক্ষা অর্জন করতে চায়। এক্ষেত্রে সে কোন কিতাবটি পাঠ করবে? (প্রয়োগ)
কুরআন মজিদ খ তাওরাত গ যাবুর ঘ ইনজিল
২৮০. জামিল উক্ত কিতাব পাঠ করে জানতে পারল মহান আল্লাহ কুরুণাময়, অসীম দয়ালু, ক্ষমাশীল ও ন্যায়পরায়ন। এসব গুণাবলি দ্বারা জামিল কী শিক্ষা নিতে পারে? (উচ্চতর দক্ষতা)
নিজের চরিত্রে এসব গুণের সমাবেশ ঘটানো
খ নিজের চরিত্রে এসব গুণের সমাবেশ না ঘটানো
গ নিজের চরিত্রকে ঢেলে সাজানো
ঘ নিজের চরিত্রের ব্যাপারে উদাসীন থাকা
২৮১. আব্দুর রাজ্জাক শীতের সকালে একটি পথশিশুকে গায়ের জামাটি খুলে দেয়। এটা কিসের শিক্ষার প্রভাব? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক তাওরাত কুরআন গ হাদিস ঘ ইজমা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৮২. মানুষ বিপথগামী হওয়ার জন্য দায়ীÑ (অনুধাবন)
র. শয়তানের প্ররোচনা
রর. মানুষের বিবেক
ররর. নফসের কুপ্রবৃত্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
২৮৩. কুরআন মজিদে দেওয়া হয়েছে (অনুধাবন)
র. আদ জাতি
রর. বাঙালি জাতি
ররর. ছামুদ জাতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৮৪ ও ২৮৫ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আলাহ তায়ালা পূর্ববর্তী একটি বাহিনীকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন। এরকমভাবে তিনি আদ, ছামুদসহ বিভিন্ন জাতিকে ধ্বংস করেছেন।
২৮৪. অনুচ্ছেদে কোন বাহিনীকে আল্লাহ তায়ালা পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন? (প্রয়োগ)
ফিরআউন খ সামুদ গ নমরূদ ঘ হামান
২৮৫. অনুচ্ছেদের বাহিনীগুলো ধ্বংসের কারণ হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পাপ ও অনৈতিকতা
রর. মূর্তিপূজা
ররর. পারষ্পরিক কোন্দল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ-১৪ : মোনাজাতমূলক তিনটি হাদিস
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৮৬. হাদিস শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
বাণী খ ব্যাখ্যা গ মর্ম ঘ মন্তব্য
২৮৭. মহানবি (স)-এর মৌনসম্মতিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক শরিয়ত খ ইসলামি বিধান হাদিস ঘ কওলি হাদিস
২৮৮. কীভাবে সালাত কায়েম করতে হবে, কীভাবে যাকাত দিতে হবে এসবের বিস্তারিত সঠিক বিবরণ আমরা জানতে পারি। কোথায় জানতে পারি? (জ্ঞান)
ক কুরআনে হাদিসে
গ তাফসিরে ঘ ইসলাম শিক্ষা বইয়ে
২৮৯. মানবতার মহান শিক্ষক কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক হযরত আবু বকর (রা) খ হযরত ওমর (রা)
গ হযরত আলি (রা) হযরত মুহাম্মদ (স)
২৯০. সর্বদাই মানুষের কল্যাণ কামনা করতেন কে? (জ্ঞান)
ক হযরত উসমান (রা) খ হযরত ফাতিমা (রা)
হযরত মুহাম্মদ (সা) ঘ ইমাম আবু হানিফা (রা)
২৯১. আমরা সার্বিক কল্যাণ লাভ করতে পারি কীভাবে? (অনুধাবন)
ক ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে
আল্লাহর নিকট মোনাজাতের মাধ্যমে
গ প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে
ঘ পিতা-মাতার সেবার মাধ্যমে
২৯২. মহানবি (সা) আমাদের মোনাজাত শিক্ষা দিয়েছেন কেন? (অনুধাবন)
ক দুনিয়ায় সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার জন্য
দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের জন্য
গ দুনিয়ায় ধন-সম্পদ অর্জন করার জন্য
ঘ দুনিয়ায় বিজয় লাভ করার জন্য
২৯৩. ‘হে অন্তরসমূহ ফিরানোর মালিক।’ এখানে কার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মহানবি (সা)-এর খ ফেরেশতাদের
আল্লাহ তায়ালার ঘ জিবরাইল (আ)-এর
২৯৪. “হে আল্লাহ! হে অন্তরসমূহ ফিরানোর মালিক। তুমি আমাদের অন্তরসমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।” অনূদিত হাদিসটিতে কী ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
মোনাজাত খ সালাত গ কান্না ঘ জামাআত
২৯৫. “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সুস্থতা, পবিত্রতা, উত্তম চরিত্র এবং তাকদিরের ওপর সন্তুষ্ট থাকার মন মানসিকতা কামনা করি।” উক্ত দোয়াটি কে করেছেন? (প্রয়োগ)
ক আল্লাহ তায়ালা মহানবি (স)
গ আবু বকর (রা) ঘ হযরত ওমর (রা)
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৯৬. আলাহর নিকট মোনাজাত করতে হয়, কারণÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুনিয়া ও আখিরাতের ভালো-মন্দ আলাহর হাতে
রর. মোনাজাত সালাতের একটি অংশ
ররর. এতে আলাহর সন্তুষ্টি হাসিল ও গুনাহ মাফ হয়
নিচের কোনটি সঠিক ?
ক র ও রর খ রর ও ররর র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৯৭ ও ২৯৮ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইশার সালাতের পর মারূফ আল্লাহর নিকট বলে, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সুস্থতা, পবিত্রতা, উত্তম চরিত্র এবং তাকদিরের ওপর সন্তুষ্ট থাকার মন মানসিকতা কামনা করি।’
২৯৭. মারূফের আল্লাহর নিকট প্রার্থনাকে কী হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়? (প্রয়োগ
ক সালাত খ যিকর মোনাজাত ঘ ধ্যান
২৯৮. এ কাজের ফলে মারূফ লাভ করবে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুনিয়ার কল্যাণ
রর. ধন-সম্পদ
ররর. আখিরাতের কল্যাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-১৫ : হাদিসের আলোকে নৈতিক শিক্ষা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
২৯৯. কোন কিতাবের কার্যকারিতা বহাল আছে? (জ্ঞান)
ক তাওরাত খ যাবুর গ ইঞ্জিল কুরআন
৩০০. মহানবি (স)-এর আদেশ কার আদেশের মতো পালনীয়? (জ্ঞান)
ক হযরত উমর (রা) আল্লাহর গ সাহাবিদের ঘ আলিমদের
৩০১. হাদিস শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
বাণী খ ব্যাখ্যা গ মর্ম ঘ মন্তব্য
৩০২. মহানবি (স)-এর মৌনসম্মতিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক শরিয়ত খ ইসলামি বিধান হাদিস ঘ কওলি হাদিস
৩০৩. মহানবি (স) এর জীবদ্দশায় কুরআন বিভিন্ন ফলকে সাহাবিগণ লিখে রাখতেন। কিন্তু হাদিস লেখা বন্ধ ছিল। এর প্রকৃত কারণ কী? (উচ্চদর দক্ষতা)
ক কাগজ না থাকার জন্য
খ শিক্ষিত লোক না থাকার জন্য
গ লেখক না থাকার জন্য
কুরআনের আয়াত ও হাদিস সংমিশ্রণের ভয়ে
৩০৪. মহানবির (স) উম্মত নয় কে?
প্রতারণাকারী খ ব্যবসায়ী গ হিজরতকারী ঘ শ্রমিক
৩০৫. আহমাদ মানুষ, পশু-পাখি প্রভৃতির প্রতি দয়া পদর্শন করে। সে এরূপ করে কেন? (প্রয়োগ)
আল্লাহর দয়া পাওয়ার আশায় খ মহানবি (স)-এর দয়া পাওয়ার আশায়
গ আল্লাহর ক্রোধ পাওয়ার আশায় ঘ সুনাম অর্জনের আশায়
৩০৬. লাকি তার পিতা-মাতা, প্রতিবেশী ও বান্ধবীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। তার গলার আওয়াজে সবাই কষ্ট পায়। তার চরিত্রকে কী বলা যায়? (প্রয়োগ)
ক সুনাগরিক দুশ্চরিত্র গ ব্যবহার ঘ প্রতিবাদী
৩০৭. হাশেমের জিহŸা ও হাত থেকে মানুষ নিরাপদ থাকে। সে কাউকে হাত ও জিহŸা দ্বারা কষ্ট দেয় না। তাকে কী বলা যায়? (প্রয়োগ)
ক মানুষ খ আওলিয়া গ জালিম মুসলমান
৩০৮. মালিয়া মানুষকে হিংসা করে। বেপর্দাভাবে ছেলেদের সাথে ঘোরাফেরা করে। তার চরিত্রে নৈতিক শিক্ষার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার পরকালীন পরিণতি কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
জাহান্নাম খ জান্নাত গ আরাফ ঘ আরামদায়ক
৩০৯. সালমা সদাসত্য কথা বলে। পরোপকার, আমানত রক্ষা ও দয়া তার নৈতিক গুণ। তার পরকালীন পরিণতি কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক জাহান্নাম জান্নাত গ আরাফ ঘ আরামদায়ক
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩১০. মানুষের জীবন ও সমাজকে সুন্দর করতে হলে অপরিহার্যÑ (অনুধাবন)
র. নীতি-নৈতিকতার অনুসরণ রর. গণতন্ত্রের অনুসরণ
ররর. আদর্শ চরিত্রের অনুসরণ
নিচের কোনটি সঠিক ?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩১১- ৩১৩ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শাহেদ এক অফিসের অফিস সহকারী। জনাব হাফিজ তাড়াতাড়ি কাজ সমাধা করার জন্য শাহেদকে কিছু টাকা দিতে গেলে শাহেদ বলে, মহানবি (স) বলেছেন, ‘‘দুনিয়াবাসীদের প্রতি সদয় হও, তাহলে আসমানের প্রভু তোমাদের প্রতি সদয় থাকবেন।’’ সুতরাং টাকার প্রয়োজন নেই। এমনিতেই কাজ হয়ে যাবে।
৩১১. অনুচ্ছেদে সাহেদের চরিত্রে কোনটি ফুটে উঠেছে? (প্রয়োগ)
নৈতিক চরিত্র খ অসহায় গ ভয় ঘ দুর্নীতি
৩১২. সাহেদের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করলে তা কী হিসেবে পরিগণিত হতো? (প্রয়োগ)
ক মজুরি ঘুষ গ অর্থ ঘ সম্পদ
৩১৩. সাহেদের পরকালীন পরিণতিÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. জাহান্নাম রর. জান্নাত
ররর. আল্লাহর সন্তুষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৪. কুরআন তিলাওয়াতের সময় জামির লক্ষ রাখা উচিত Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তাজবিদের নিয়ম কানুন রর. কুরআনের মাহাত্ত¡্য
ররর. অর্থের দিকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩১৫. জমিলা কুরআন শরিফের সূরা কদর তিলাওয়াতের সময় হঠাৎ ভ‚মিকম্প শুরু হলো। জমিলার তিলাওয়াতের সময় ভ‚মিকম্প Ñ (অনুধাবন)
র. সূরা কদরের প্রভাব রর. সূরা যিলযালের আলোচিত বিষয়
ররর. লাইলাতুল কাদরের শিক্ষা
নিচের কোনটি সঠিক?
রর খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩১৬. রাবেয়া হস্তি বাহিনী, কুরাইশ বংশ ও আল্লাহর বিজয় সম্পর্কে জানতে চায়। এজন্য সে তিলাওয়াত করবে Ñ (প্রয়োগ)
র. সূরা ফিল রর. সূরা কুরাইশ ররর. সূরা নাসর
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩১৭. নাহিদের সকাল ও সন্ধ্যায় পাঠ করা উচিত Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আরবি সাহিতের ইতিহাস রর. আয়াতুল কুরসি
ররর. সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৩১৮. সায়মা মুনাজাতে হাদিস পাঠ করার মাধ্যমে লাভ করবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সুস্বাস্থ্য
রর. দুনিয়া-আখিরাতের প্রভ‚ত কল্যাণ
ররর. নৈতিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩১৯ ও ৩২০ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মারুফা নবি-রাসুলদের পূর্ববর্তী বহুজাতি ও মানুষের কথা জানার জন্য একটি গ্রন্থ প্রতিদিন পাঠ করে। এজন্য তার মধ্যে কিছু আকর্ষণীয় গুণাবলি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
৩১৯. মারুফার পাঠকৃত গ্রন্থটি কী? (প্রয়োগ)
ক তাওরাত খ যাবুর গ ইনজিল কুরআন
৩২০. উক্ত গ্রন্থটি পাঠ করার ফলে মারুফার অর্জিত হয়েছে Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ক্ষমাশীলতা
রর. ন্যায়পরায়ণতা
ররর. আর্থিক সচ্ছলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর র ও রর
প্রশ্ন -১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তাসিন ও তাসনিম দুই বন্ধু। তারা উভয়েই রমযান মাসের শেষ বিশ দিন ইবাদতে ব্রতী হওয়ার সংকল্প করেন। ফলে তাসিন রমযানের বিশ তারিখ হতে নিকটবর্তী মসজিদে ইতিকাফের মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকেন। অপরপক্ষে তাসনিম ইতিকাফে যোগদান না করলেও কুরআন খতম করার মানসিকতা নিয়ে প্রতি রাতে তাড়াতাড়ি ও অস্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত করেন।
ক. আন্-নুর শব্দের অর্থ কী?
খ. “আযিযুন আলাইহি” বাক্যটি ইযহারের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা কর।
গ. তাসনিমের কুরআন তিলাওয়াতে শরিয়তের কোন বিধানটি লঙ্ঘিত হয়েছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তাসিন রমযানের শেষ দশ দিনের বিশেষ পদ্ধতিতে ইবাদত করার মূল রহস্য সূরা আল-কাদরের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. আন্-নুর শব্দের অর্থ হলো আলো।
খ. ﻋﺯﻳﺯﻋﻟﻳﮫ শব্দটি ইযহার (ﺍﻇﻬﺎﺭ) তথা স্পষ্ট করে পড়া হয়। তাজবিদের পরিভাষায় নুন সাকিন বা তানবিনের পর ইযহারের কোনো হরফ আসলে ঐ নুন সাকিন ও তানবিনকে গুন্নাহ না করে স্পষ্টভাবে নিজ মাখরাজ থেকে পড়াকে ইযহার বলে। আলোচ্য ﻋﺯﻳﺯﻋﻟﻳﮫ বাক্যে তানবিনের পর ইযহারের ﻉ হরফটি আসায় তাকে স্পষ্ট করে পড়া হয়েছে।
গ. তাসনিমের কুরআন তিলাওয়াতে শরিয়তের তাজবিদের বিধান লঙ্ঘিত হয়েছে।
সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন পাঠের রীতিকে তাজবিদ বলে। আল-কুরআন তিলাওয়াতের ফযিলত লাভের জন্য সহিহ শুদ্ধভাবে পাঠ করা জরুরি। তাজবিদ অনুসারে কুরআন না পড়লে পাঠকারী গুনাহগার হবে এবং তার নামায শুদ্ধ হবে না। উদ্দীপকে তাসনিম তাড়াতাড়ি ও অস্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত করেছে। এর ফলে তার কুরআন তিলাওয়াতে ভুলের সম্ভাবনা রয়েছে। সে দ্রুত কুরআন খতম দেওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি ও অস্পষ্টভাবে তিলাওয়াত করেছে যা তাজবিদের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
উপরিউক্ত আলোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, তাসনিমের কুরআন তিলাওয়াতে তাজবিদের বিধান লঙ্ঘিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের তাসিন রমযানের শেষ দশ দিনের বিশেষ পদ্ধতিতে ইবাদত তথা ইতিকাফে অবস্থানের মূল উদ্দেশ্য হলো মহামহিমান্বিত লাইলাতুল কাদরের রাত্রি অন্বেষণ করা।
লাইলাতুল কাদর বা কাদরের রাত অত্যন্ত মর্যাদাবান ও মহিমান্বিত রাত। আল্লাহ তায়ালা এ রাতেই কুরআন নাজিল করেন। এ রাতের ইবাদত হাজার মাস একাধারে ইবাদত করার চাইতে উত্তম।
রমযানের শেষ দশ দিনের মধ্যে বিশেষ ফযিলত আছে। ছাব্বিশ তারিখ দিবাগত রাতে শবে কাদর। শবে কাদরে ইবাদত করা সহজ হয় বিশ তারিখ থেকে ইতিকাফে বসলে। তাছাড়া পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে এ রাতে। এ রাতের ইবাদত হাজার মাস একাধারে ইবাদত করার চাইতে উত্তম। এ রাতে ইবাদত করলে আমাদের নেকির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এ রাত অত্যন্ত মহিমান্বিত রাত। এ রাতে ফেরেশতা জিবরাইল (আ) তার দল নিয়ে পৃথিবীতে আসেন এবং আল্লাহর খাস রহমত নাজিল হয়। এ রাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুখ-শান্তি ও রহমত বিরাজ করতে থাকে।
উদ্দীপকের তাসিন খুবই আল্লাহভীরু ব্যক্তি। সে জানে যে রমযানের শেষ দশদিনের যেকোনো বিজোড় রাতে লাইলাতুল কাদর আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন। তাই তার আশা সে যেন লাইলাতুল কাদর পায়। এজন্য সে রমযানের বিশ তারিখ হতে নিকটবর্তী মসজিদে ইতিকাফের মাধ্যমে ইবাদত বন্দেগিতে রত থাকেন। এটাই তার ইবাদত করার মূল রহস্য।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আলম ও সালাম দুই ভাই। আলম সাহেব নিয়মিত নামায আদায় করেন না। তবে তিনি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার মানসে বিভিন্ন মসজিদে নামায আদায়ের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। অপরপক্ষে সালাম সাহেব নিয়মিত নামায আদায়ের পাশাপাশি ছোট ছোট পাপ থেকেও বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
ক. ইসলামি শরিয়তের প্রধান উৎস কয়টি?
খ. ‘গাফুরুর রাহিমুন’ বাক্যটি ইদগামের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা কর।
গ. আলম সাহেবের বিভিন্ন মসজিদে নামায আদায়ের মাধ্যমে কী প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সালাম সাহেবের প্রচেষ্টাটি সূরা আল-যিলযালের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
ল্ফল্প ২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইসলামি শরিয়তের প্রধান উৎস দুইটি।
খ. ﻏﻓﻭﺭﺭﺣﻳﻡ শব্দটি ইদগাম করে পড়া হয়েছে।
আমরা জানি, ইদগাম অর্থ মিলিয়ে পড়া। নুন সাকিন বা তানবিনের পর ﻞ এবং ﺭ এ দুটি হরফের কোনো একটি হরফ এলে ঐ নুন সাকিন বা তানবিনকে গুন্নাহ না করে ঐ হরফের সাথে মিলিয়ে পড়তে হয়। এরূপ পড়াকে ইদগাম বলে। আলোচ্য শব্দে তানবিনের পরে ‘ﺮ’ আসায় শব্দটিকে ইদগাম করে পড়া হয়েছে।
গ. আলম সাহেবের বিভিন্ন মসজিদে নামায আদায়ের মাধ্যমে লোক দেখানো ইবাদত প্রকাশ পেয়েছে।
নামায একটি ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের ওপর নামায ফরজ করে দিয়েছেন। এই ইবাদত যদি অন্যকে দেখানোর জন্য করা হয় তাহলে ইবাদত কোনো কাজে আসবে না।
আলম সাহেব এমনিতে নামায আদায় করেন না। তিনি নামাযকে আল্লাহর ফরজ ইবাদত ইবাদত হিসেবে পালন করেন না। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন বলে বিভিন্ন মসজিদে নামায আদায় করা শুরু করেছেন। যাতে এলাকার লোকজন তাকে ভালো মানুষ ভেবে নির্বাচিত করে। তার এমন উদ্দেশ্য সামনে রেখে নামায আদায়ের কারণে নামাযের মূল মাহাত্ম্য অর্জিত হবে না।
ঘ. আলোচ্য উদ্দীপকের সালাম সাহেবের প্রচেষ্টাটি সূরা যিলযালের শিক্ষার বাস্তবায়ন।
সূরা যিলযালে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন “কেউ অণু পরিমাণ সৎকাজ করলে তা সে দেখবে। আর যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে, তাও সে দেখতে পাবে।
উদ্দীপকের সালাম সাহেব নিয়মিত সালাত আদায়ের পাশাপাশি ছোট ছোট পাপ থেকেও বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তার কাজটি অবশ্যই ইমানের পরিচায়ক ও প্রশংসার দাবিদার। তার প্রচেষ্টা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম করবে। সমস্ত জবাবদিহিতা থেকে মুক্ত হয়ে তিনি আল্লাহর রহমত লাভ করবেন।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজকর্মের হিসাব মহান আলাহর কাছে থাকবে। পাপ ছোট হলেও সেটি অপরাধ। পাপ যতই ছোট হোক না কেন কিয়ামতে তার জন্য আলাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের সূরা যিলযালে আলাহ বলেনÑ
অর্থ : কেউ অণু পরিমাণ সৎ কাজ করলে তা সে দেখবে। আর যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে তাও সে দেখতে পাবে। মন্দ কাজ ছোট হলেও সেগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কেননা এগুলোর জন্যও আলাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং বলা যায় যে, উদ্দীপকের সালাম সাহেবের প্রচেষ্টাটি যথাযথ হয়েছে। তার এ কাজের ফলে পরকালে তাকে পুণ্য দান করা হবে।
প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সোহান বাল্যকালে পবিত্র কুরআন পড়া শিখেছিল। স¤প্রতি তাদের পাড়ায় একজন শিক্ষক কুরআন শিখাচ্ছেন। তাঁর পড়া শুনে সোহান বুঝতে পারল যে, এতদিন সে ভুল নিয়মে কুরআন পড়েছে। ঐ শিক্ষকের মতে, তাজবিদসহ কুরআন পড়া আবশ্যক। তিনি আরও বলেন,“কুরআন তিলাওয়াতকারীর পিতামাতাকে সূর্যের আলো অপেক্ষাও উত্তম মুকুট পরানো হবে”। তারপর তিনি পবিত্র কুরআনের সূরাসমূহের প্রকারভেদসমূহ ব্যাখ্যা করেন।
ক. ‘তাজবিদ’ অর্থ কী? ১
খ. মাক্কি ও মাদানি সূরা বলতে কী বুঝ? ২
গ. শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে হলে সোহানকে কী করতে হবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের বিষয়ে সোহানের উপলব্ধি মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. তাজবিদ অর্থ সুন্দর করা, বিন্যাস করা ইত্যাদি।
খ. মহানবি (স) যখন মক্কায় ছিলেন তখন কিছু সূরা নাযিল হয়েছিল। মক্কায় নাযিল হওয়া সূরাগুলোর নাম মাক্কি সূরা। মহানবির (স) মদিনা হিজরতের পরও কিছু সূরা নাযিল হয়। মদিনায় অবতীর্ণ এই সূরাগুলোকে বলা হয় মাদানি সূরা।
গ. শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে হলে সোহানকে তাজবিদ শিখতে হবে। পবিত্র কুরআনের প্রতিটি হরফের মাখরাজ ও সিফত জানা, মাদ্দ ও গুনাহ আদায় করার নিয়ম এবং ওয়াকফ বা থামার নিয়ম জানাকে তাজবিদ বলে।
উদ্দীপকের সোহান তাদের পাড়ায় কুরআন শিক্ষকের পড়া শুনে বুঝল এতদিন সে ভুল নিয়মে কুরআন পড়েছে কারণ তার তাজবিদের জ্ঞান ছিল না। শিক্ষকের মতে, তাজবিদসহ কুরআন পড়া আবশ্যক। তাই শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে হলে সোহানকে প্রথম তাজবিদ শিখতে হবে। তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন না পড়লে তার অর্থ বিগড়ে গিয়ে পাঠককে গুনাহগার হতে হবে। এ কারণেই রাসুল (স) বলেছেন, কোনো কোনো লোক এমন রয়েছে যারা কুরআন পড়ে আর কুরআন তাদের অভিশাপ দেয়।
ঘ. পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের বিষয়ে সোহানের উপলব্ধি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। উদ্দীপকে সোহান তার ভুল বুঝতে পেরে উপলব্ধি করে যে, শুদ্ধভাবে কুরআন শরিফ তিলাওয়াত করা উচিত।
আল-কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত লাভের জন্য সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে হবে। আর এ জন্য তাজবিদের জ্ঞান অর্জন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাজবিদ অনুসারে কুরআন না পড়লে পাঠকারী গুণাহগার হবে এবং তার নামায শুদ্ধ হবে না। তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন পড়া সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
অর্থ : ‘আপনি ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত করুন।” একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, “ইলমে কুরআনে পারদর্শী ব্যক্তি ঐসব ফেরেশতার দলভুক্ত, যারা নেককার ও আল্লাহর হুকুমে লেখার কাজে ব্যস্ত। আর যে ব্যক্তিকষ্টকর হওয়া সত্তে¡ও বারবার চেষ্টা করে কুরআন তিলাওয়াত করে, সে দ্বিগুণ সওয়াব লাভ করবে।”
পরিশেষে বলা যায় যে, উদ্দীপকের সোহানের পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত বিষয়ে যে উপলব্ধি হয়েছে তার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি কুরআন মজিদ ব্যাখ্যাসহ নিয়মিত অধ্যয়ন করে ও সহপাঠীদেরকে কুরআন মজিদ অধ্যয়ন করতে উদ্বুদ্ধ করে। তার পরামর্শে তারই সহপাঠী মাসুম কুরআন মজিদের কয়েকটি ছোট ছোট সূরা অধ্যয়ন করে শফিককে বলল, আমি কুরআন মজিদের বেশ কয়েকটি সূরা অর্থসহ পড়েছি কিন্তু ঐগুলোতে হজ, যাকাত, হালাল-হারাম ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিধি-বিধান পেলাম না। উত্তরে শফিক বলল, তুমি আরো অধ্যয়ন কর তাহলে ঐ সকল বিষয় দেখতে পাবে।
ক. ‘আল ফুরকান’ অর্থ কী? ১
খ. আল-কুরআনকে আননুর বলা হয় কেন? ২
গ. মাসুম আল-কুরআনের কোন প্রকারের সূরাগুলো অধ্যয়ন করেছিল? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. শফিকের উক্ত জবাবের যথার্থতা পাঠ্যবইয়ের আলোকে নিরূপণ কর। ৪
ল্ফল্প ৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ‘আল ফুরকান’ অর্থ পার্থক্যকারী।
খ. পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে হালাল-হারামের রহস্য উদ্ভাসিত হয়, তাই একে আননুর বলা হয়।
আল-কুরআন মানবজাতির হিদায়াতের প্রধান উৎস। কোন পথে চললে মানুষ দুনিয়া ও আখিলাতে কল্যাণ লাভ করবে আল কুরআন তা আমাদের দেখিয়ে দেয়। পাপ-পুণ্য, ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ ইত্যাদির পরিচয় দান করে। তাছাড়া কুরআন শরিফ মানবজাতির হিদায়াতের আলোর দিশারী। তাই একে আননুর তথা আলো বলা হয়।
গ. মাসুম পবিত্র কুরআনের মক্কি সূরাগুলো অধ্যয়ন করেছিল।
মহানবি (স) আল্লাহর নির্দেশে নবুয়তের ত্রয়োদশ বর্ষে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। নবি করিম (স)-এর এ হিজরতের পূর্বে নাজিল হওয়া সূরাসমূহ মক্কি সূরা হিসেবে পরিচিত। এ সূরাসমূহে সাধারণত আকাইদ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন : তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত, বেহেশত-দোযখ, কিয়ামত ইত্যাদি হলো মক্কি সূরাগুলোর বিষয়বস্তু।
উদ্দীপকের মাসুম এই মক্কি সূরাসমূহই পড়েছে। সে মাদানি সূরাসমূহ পড়েনি। মহানবি (স) মদিনায় হিজরতের পরে যে সূরাগুলো নাজিল হয়েছে সেগুলোতে হজ, যাকাত, হালাল-হারাম ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিধিবিধান বর্ণিত হয়েছে। মাসুম মাদানি সূরাসমূহ ঠিকমতো পড়লেই উপরোক্ত বিষয়সমূহ পেয়ে যেত। সুতরাং বলা যায় যে, মাসুম আল-কুরআনের মক্কি সূরাগুলো অধ্যয়ন করেছিল।
ঘ. কুরআন মজিদ অধ্যয়নের ব্যাপারে মাসুমকে উদ্দেশ্য করে শফিকের জবাব যথাযথ। কারণ আল-কুরআন ইসলামি শরিয়াহ’র প্রধান উৎস। মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক জীবন কেমন হবে তা এ কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। মানুষ কীভাবে ইবাদত করবে, কীভাবে চরিত্র গঠন করবে তাও এ কিতাবে উল্লেখ আছে। এ কিতাব যথাযথভাবে, সম্পূর্ণরূপে, ধীরস্থির মস্তিষ্কে ও অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। পুরাপুরি অধ্যয়ন না করে আংশিক অধ্যয়নের দ্বারা কুরআনের জ্ঞানের মহাসমুদ্রের কিছুমাত্র পরিচয় পাওয়া যাবে না।
উদ্দীপকের মাসুমের কথার জবাবে শফিকের কথায় উপর্যুক্ত দিকটিই প্রস্ফুটিত হয়েছে। মাসুম কুরআন শরিফের এমন কতিপয় সূরা অধ্যয়ন করেছে যা মূলত মক্কি সূরা। এগুলোতে হজ, যাকাত, হালাল-হারাম ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিধি-বিধান আলোচিত হয় নি। এসব বিধি-বিধান জানতে তার উচিত ছিল মাদানি সূরাসমূহ তিলাওয়াত করা। আর এজন্যই শফিক মাসুমকে যথাযথ জ্ঞান লাভ করার জন্য পবিত্র কুরআন আরও বেশি অধ্যয়ন করতে বলেছে।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হেলাল ও বেলাল দুই ভাই। হেলাল নিজের জমিতে কাজ করার জন্য শ্রমিকদের নিয়োগ করে থাকেন অথচ কাজ শেষে তাদেরকে পারিশ্রমিক দিতে গড়িমড়ি করে থাকেন। অপরদিকে তার ভাই বেলাল ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি সামাজিক বিচারকার্য ন্যায়পরায়ণতার সাথে করেন। তার সুন্দর আচরণে লোকেরা মুগ্ধ।
ক. ‘ইকলাব’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. কুরআন মজিদের নাম ‘আল-কুরআন’ রাখা হয়েছে কেন? ২
গ. হেলালের কর্মকাণ্ড নৈতিক শিক্ষামূলক কোন হাদিসের শিক্ষার অভাব রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চেয়ারম্যান বেলালের কর্মকাণ্ড নৈতিক শিক্ষামূলক আয়াতের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ‘ইকলাব’ শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে পড়া।
খ. পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পঠিত হয় বিধায় কুরআন মজিদের নাম ‘আল-কুরআন’ রাখা হয়েছে।
কুরআন শব্দের অর্থ হলো পঠিত। আল-কুরআন পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পাঠ করা হয়। প্রত্যেক দিনই লক্ষ-কোটি মুসলমান এ গ্রন্থ তিলাওয়াত করে থাকে। আমরা পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এ গ্রন্থ থেকে বিভিন্ন সূরা ও আয়াত পাঠ করে থাকি। এজন্য এ কিতাবের নাম রাখা হয়েছে আল-কুরআন।
গ. হেলালের কর্মকাণ্ডে নৈতিকশিক্ষামূলক “শ্রমিকের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও” হাদিসের শিক্ষার অভাব রয়েছে।
মানুষের জীবন ও সমাজকে সুন্দর করতে হলে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শ চরিত্রের অনুসরণ অপরিহার্য। নৈতিক শিক্ষামূলক হাদিস থেকে আমরা উত্তম চরিত্রের শিক্ষা পাই।
উদ্দীপকের হেলাল নিজের জমিতে কাজ করার জন্য শ্রমিকদের নিয়োগ করে থাকেন অথচ কাজ শেষ করে তাদের মজুরি দিতে গড়িমসি করেন। এটা নীতি-নৈতিকতার সম্পূর্ণ বিপরীত একটি কাজ। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়। এগুলো মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাই বলা যায় হেলালের কর্মকাণ্ডে নৈতিক শিক্ষামূলক “শ্রমিকের ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বে তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও” হাদিসের শিক্ষার অভাব রয়েছে।
ঘ. চেয়ারম্যান বেলালের কর্মকাণ্ড নৈতিক শিক্ষামূলক “নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচারের নির্দেশ করেন” এ আয়াতের আলোকে যথার্থ।
ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচার পবিত্র কুরআন অনুযায়ী একটি নৈতিক গুণ। এ ব্যাপারে কুরআনে বহু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল-কুরআন সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস। নৈতিক ও মানবিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও এ কিতাব বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে। এটি নৈতিকতারও আধার।
উদ্দীপকের বেলাল চেয়ারম্যান এরকমই একজন মানুষ যিনি পবিত্র কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী চলেন। যিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। উদ্দীপকে উল্লেখ রয়েছে তিনি সামাজিক বিচারকার্য অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণতার সাথে করেন। তার এ আচরণের কারণে এলাকার সব মানুষ মুগ্ধ। প্রকৃতপক্ষে বেলাল চেয়ারম্যান পবিত্র কুরআনের নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। এ শিক্ষার কারণেই তিনি মানুষের প্রতি দয়াবান। যা নবি-রাসুল ও সৎ মানুষের বৈশিষ্ট্যাবলি।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জালাল ও আলাল দুই বন্ধু। একদিন তারা দুইজনে বসে কুরআন শরিফের সূরা নিয়ে আলোচনা করছিল। জালাল বলল সূরা ফিলে আল্লাহ তায়ালা অহংকারী বাদশাহর অহংকার চ‚র্ণ করে দিয়ে পৃথিবীবাসীকে শিক্ষা দিলেন যে, অহংকারের ধ্বংস অনিবার্য। আলাল বলল, তুমি কি সূরা ফিল নাজিল হওয়ার পটভ‚মি জান?
ক. সূরা কুরাইশের আয়াত সংখ্যা কত? ১
খ. হাদিস শিক্ষার গুরুত্ব কী? ২
গ. উদ্দীপকের জালাল ও আলালের আলোচিত সূরার পটভ‚মি বর্ণনা কর। ৩
ঘ. পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্ত সূরার শিক্ষা উদাহরণসহ বর্ণনা কর। ৪
ল্ফল্প ৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. সূরা কুরাইশের আয়াত সংখ্যা ৪।
খ. হাদিস ইসলামি বিধানের দ্বিতীয় উৎস। পবিত্র কুরআনের পরেই এর স্থান। হাদিস কুরআন মজিদের ব্যাখ্যা। কুরআন মজিদে অনেক বিষয়ে সংক্ষেপে বলা হয়েছে। হাদিসে এর বিস্তারিত বিবরণ আছে। যেমন সালাত ও যাকাত সম্পর্কে বলা হয়েছে : “সালাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও।” কিন্তু কীভাবে সালাত কায়েম করতে হবে, যাকাত দিতে হবে এর বিস্তারিত বিবরণ আমরা হাদিস থেকে পাই। এ কারণে আমাদের জীবনে হাদিস শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
গ. উদ্দীপকের জালাল ও আলালের আলোচিত সূরা ফিলের পটভ‚মি :
আরবের ইয়ামান প্রদেশের শাসনকর্তার নাম ছিল আবরাহা। সে ছিল খ্র্রিষ্টান। সে সানআ নামক স্থানে একটি সুন্দর ও বহু মণিমুক্তা খচিত গির্জা তৈরি করে। সে চাইল মানুষ যেন মক্কা শরিফে অবস্থিত কাবাগৃহ ছেড়ে তার গির্জায় উপাসনা করে। মানুষ তার আহŸানে সাড়া না দেয়ায় আবরাহা ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে কাবাঘর ধ্বংসের জন্য মক্কা নগরীতে যাত্রা করে। এমন সময় আলাহ তায়ালা সমুদ্রের দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি প্রেরণ করলেন। এরা দু’পায়ে দুটি এবং ঠোঁটে একটি পাথর নিয়ে আসল। অতঃপর এগুলো আবরাহা বাহিনীর ওপর নিক্ষেপ করল। ফলে আবরাহা বাহিনী ধ্বংস হয়ে গেল। আর আবরাহা আহত অবস্থায় পালিয়ে গেল। পরবর্তীতে তার ক্ষত স্থান পচন ধরে এবং ভয়ংকর কষ্টে সে মারা যায়। এভাবে আলাহ তায়ালা তার ঘরকে শত্র“র আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। এ বিশেষ ঘটনা সকলকে জানানোর জন্য আল্লাহ তায়ালা এ সূরা নাজিল করেন।
ঘ. মানবজীবনের জন্য সূরা ফিলের শিক্ষা অপরিসীম।
আল্লাহদ্রোহীদের আল্লাহ তায়ালা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন। তিনি তাদের সকল কলা-কৌশল ব্যর্থ করে দেন। যেমন : ইয়ামানের বাদশাহ আবরাহা ছিল অনেক ধনসম্পদ ও সৈন্য-সামন্তের অধিকারী। তার ছিল বিশাল হস্তিবাহিনী। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার কুদরতের তুলনায় এসব ধনসম্পদ, ক্ষমতা কিছুই না। বরং আল্লাহ তায়ালা যা চান তা-ই হয়। তিনি যাকে যেভাবে ইচ্ছা লাঞ্ছিত, অপমানিত করতে পারেন। উদ্দীপকে এ বিষয়টিই নির্দেশিত হয়েছে যে, আবরাহা গর্ব ও অহংকারবশত আল্লাহ তায়ালার সাথে শত্রæতা করে। ফলে সে ধ্বংস হয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা ছোট ছোট পাখির সাহায্যে তার বিশাল বাহিনী ধ্বংস করে দেন। বস্তুত এটা ছিল আল্লাহর কুদরত মাত্র। আল্লাহর সাথে শত্রæতা ও বিরোধিতাকারীদের তিনি এভাবেই ধ্বংস করে থাকেন।
প্রশ্ন -৭ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কুরআন মজিদে তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় ৮ বছরের ফাহিম প্রথম হলে, আজমল সাহেব তার একমাত্র ছেলে রিফাতকে কুরআন মজিদ শিখিয়ে বড় আলিম বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। এতে রিফাতের নানা খুশি হয়ে আজমলকে নিচের হাদিসটি শুনিয়ে দেন ‘কুরআন তিলাওয়াত শ্রেষ্ঠ ইবাদত, তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর কেননা কিয়ামতের দিন তা স্বীয় পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে’। (মুসলিম) (পাঠ-১)
ক. ‘নূন সাকিন ও তানবিনকে’ কয়টি নিয়মে পড়তে হয়? ১
খ. ‘তাজবিদ’ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. আজমল সাহেবের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোন বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রিফাতের নানা খুশি হওয়ার কারণ উদ্দীপকে বর্ণিত হাদিসটির আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. নূন, সাকিন ও তানবিনকে চারটি নিয়মে পড়তে হয়।
খ. কুরআন মজিদের প্রতিটি হরফের মাখরাজ বা উচ্চারণ সিফাত জানা এবং মাদ্দ ও গুন্নাহ আদায়ের নিয়মকানুন অবগত হওয়ার নাম তাজবিদ। ইখফা, ইযহার, কালব, মীম সাকিনের বর্ণনা সবই তাজবিদের অন্তর্ভুক্ত।
গ. আজমল সাহেবের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কুরআনের গুরুত্বের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।
আল-কুরআন আল্লাহ তায়ালার পরিচয় দান করে। সৃষ্টি তাঁর ক্ষমতা ও গুণাবলি সম্পর্কে জানত না। এ কুরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালা মহানবি (স)-এর ওপর নাজিল করে তিনি তাঁর পরিচয় দান করেন। কী কাজ করলে তিনি খুশি হন আর কোনটি করলে অখুশি হন তা কুরআনের মাধ্যমেই জানা যায়।
উদ্দীপকের আজমল সাহেব আট বছরের ছোট শিশু ফাহিমের কুরআন তিলাওয়াত শুনে কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করেই তার ছেলে রিফাতকে কুরআন শিক্ষা দিয়ে আলেম বানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত হাদিসের আলোকে রিফাতের নানা খুশি হওয়ার কারণ আখিরাতে মুক্তি।
কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আল-কুরআন আমাদের নৈতিক ও মানবিক আদর্শ শিক্ষা দেয়। আল-কুরআন অনুসরণ করে আমরা উত্তর চরিত্রবান ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারি। সর্বোপরি তা কিয়ামতের দিন পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে।
উদ্দীপকের আজমলের সিদ্ধান্তের প্রতি খুশি হয়ে রিফাতের নানা হাদিসের অবতারণা করেন। তার ইচ্ছা রিফাতও আলিম হয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে এবং সুপারিশ করে তাদের সবাইকে জান্নাতে নিবেন। আল্লাহ বলেনÑ
এ কিতাব আমি নাজিল করেছি যা কল্যাণময়। সুতরাং তোমরা এর অনুসরণ করো এবং সাবধান হও, তাহলে তোমাদের প্রতি দয়া দেখানো হবে (সূরা আনআম : আয়াত:১১৫)। কুরআন তার তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। সুতরাং রিফাত আলেম হলে তার পিতা আজমল সাহেবসহ পরিবারে অন্যদেরও বেহেশতে নিয়ে যেতে পারবে। কুরআন শিক্ষার এমন সুফল হৃদয়ঙ্গম করেই রিফাতের নানা আন্তরিকভাবে খুশি হয়েছিলেন। সুতরাং কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সবাই তার পরিবারকে রক্ষা করতে পারবে।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাজিয়ার বয়স ১০ বছর। বাবা তাকে কুরআন শরিফ শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের নিয়মগুলো শিক্ষা দিয়েছেন। বাবার কাছে সে প্রতি সকালে কুরআন তিলাওয়াত করে। যে শোনে সেই তার তিলাওয়াতে মুগ্ধ হয়। সাজিয়ার বান্ধবী রাজিয়া এই নিয়মগুলো জানে না। কিন্তু সে কুরআন তিলাওয়াত করে। সাজিয়া একদিন তার তিলাওয়াত শুনে বলে তোমার তিলাওয়াত তো হবে না। তুমি তাড়াতাড়ি কুরআন তিলাওয়াতের নিয়মগুলো শিখে নাও। (পাঠ-২)
ক. সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত কী? ১
খ. আল কুরআনকে ‘আল-হুদা’ বলা হয় কেন? ২
গ. সাজিয়ার বাবা তাকে কী শিখিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সাজিয়া ও রাজিয়ার তিলাওয়াতের ফলাফল বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত হলো কুরআন তিলাওয়াত করা।
খ. কুরআন মজিদ পৃথিবীর সব মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা হওয়ায় একে আল-হুদা বলা হয়। আল-হুদা শব্দের অর্থ হলো হিদায়াত, পথপ্রদর্শন। কুরআন মজিদের মাধ্যমে ন্যায় ও সত্যের দিকে পথ প্রদর্শন করা হয় বলে একে আল-হুদা নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
গ. সাজিয়ার বাবা তাকে তাজবিদ শিখিয়েছেন।
কুরআন মজিদ তিলাওয়াত হলো সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত। কুরআন তিলাওয়াত করলে প্রতি হরফে নেকি লাভ করা যায়। অবশ্য কুরআন মজিদের সঠিক নিয়ম অনুসারে তিলাওয়াত করতে হয়। আল-কুরআন তিলাওয়াতের সঠিক নিয়ম-পদ্ধতিই হলো তাজবিদ।
উদ্দীপকে সাজিয়ার বাবা জানেন যে, তাজবিদ শিক্ষা ছাড়া কুরআন পাঠ বৃথা। তাই তিনি সাজিয়াকে তাজবিদ শিক্ষা দেন। এটি ছাড়া কুরআনের অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায় যা গুনাহের কারণ ও সালাত ভঙ্গকারী। সাজিয়ার তাজবিদ অনুযায়ী তিলাওয়াতের কারণে সবাই মুগ্ধ হয়। তাই বলা যায় সাজিয়ার বাবা তাকে তাজবিদ শিখিয়েছেন।
ঘ. সাজিয়ার তাজবিদ অনুযায়ী তিলাওয়াতের ফলে সাওয়াবের অধিকারী হবে এবং রাজিয়া অশুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের ফলে গুনাহগার হবে।
কুরআন তিলাওয়াত সর্বশ্রেষ্ঠ নফল ইবাদত। তবে কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত করতে হবে তাজবিদ অনুসারে। তাজবিদ হলো কুরআন তিলাওয়াতের নিয়ম। তাজবিদ অনুসারে কুরআন তিলাওয়াত করলে সাওয়াব হবে। আর তাজবিদ অনুসারে তিলাওয়াত না করলে গুনাহ হবে। তাজবিদ অনুসারে কুরআন তিলাওয়াত করা ওয়াজিব। তাজবিদ অনুসারে না পড়লে পাঠকারী গুনাহগার হবে এবং তার নামায শুদ্ধ হবে না। তাই নামায শুদ্ধভাবে পড়ার জন্য এ তাজবিদের শিক্ষা জরুরি। তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন পড়া সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আপনি ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত করুন।’
উদ্দীপকের সাজিয়া তাজবিদ জানে। সে তাজবিদ অনুসারে কুরআন তিলাওয়াত করে। অপরদিকে তার বান্ধবী রাজিয়া তাজবিদ জানে না। তাজবিদ অনুসারে তাই সে তিলাওয়াত করতে পারে না। যে কারণে তার তিলাওয়াতে ভুল হয়। কুরআনের অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়। সাওয়াবের পরিবর্তে রাজিয়া গুনাহের ভাগীদার হয়। তার নামাজও হয় না।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আসাদ কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী তার জীবনকে গড়ে তুলতে চায়। এজন্য সে প্রথমে তার মায়ের কাছ থেকে শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিখে। তার মা তাকে নুন সাকিন ও তানবিনের নিয়ম শিখান। সাথে সাথে মায়ের পরামর্শে আসাদ অর্থ বুঝে কুরআন মজিদের জ্ঞান অর্জনে তৎপর হয়। (পাঠ-৩)
ক. ‘লাইলাতুল কাদর’ এর অর্থ কী? ১
খ. তাজবিদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে কেন? ২
গ. আসাদ মায়ের কাছ থেকে তাজবিদের যে নিয়মগুলো শিখেছে তার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আসাদ জ্ঞান অর্জনে তৎপর হওয়ায় তার ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা আসবে বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ‘লাইলাতুল কাদর’-এর অর্থ হচ্ছে মহিমান্বিত রাত।
খ. সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন পাঠের জন্য তাজবিদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
মূলত আল কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত লাভের জন্য সহিহ-শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে হবে। আর এজন্য তাজবিদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাজবিদ অনুসারে কুরআন তিলাওয়াত করা ওয়াজিব। তাজবিদ অনুসারে কুরআন না পড়লে পাঠকারী গুনাহগার হবে এবং তার নামায শুদ্ধ হবে না। এজন্যই তাজবিদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
গ. উদ্দীপকে আসাদ মায়ের কাছ থেকে কুরআন পড়ার যে নিয়ম তথা তাজবিদের নুন সাকিন ও তানবিন শিখেছে তা কুরআন তিলাওয়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মূলত নুন সাকিন ও তানবিন তাজবিদ শাস্ত্রের অন্যতম আলোচিত বিষয়। সহিহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াতের জন্য তাজবিদের শিক্ষা অতীব প্রয়োজনীয়।
এ প্রয়োজনীয়তার কথা অনুভব করেই উদ্দীপকের আসাদ তার মায়ের নিকট শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিখে। তার মা তাকে তাজবিদের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন শিখান। তার মা বুঝতে পারেন নুন সাকিন ও তানবিনের নিয়ম জানা ছাড়া কুরআন পাঠ শুদ্ধ হবে না। অশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত অর্থের পরিবর্তন ঘটায়। এতে গুনাহগার হতে হয়। আর এসব নিয়ম শিক্ষা করাই হলো তাজবিদ যার গুরুত্ব সর্বাধিক।
ঘ. উদ্দীপকে আসাদ কুরআন মজিদের জ্ঞান অর্জনে তৎপর হওয়ায় সে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সফলতা লাভ করবে।
মূলত মহাগ্রন্থ আল-কুরআন হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে তাঁর বান্দাদের জন্য এক বিরাট নিয়ামত। এটি সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
উদ্দীপকের আসাদের মা তাকে কুরআন শুদ্ধভাবে পড়ানোর তাগিদ দিয়ে এ কিতাব সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের পরামর্শ দেন। কারণ কুরআন মজিদ জ্ঞানের মহাসমুদ্র। এ মহাসমুদ্র থেকে আসাদকে সম্ভবমতো জ্ঞান অর্জন করে ইহ ও পারলৌকিক মুক্তির পথ পরিষ্কার করতে হবে। আসাদও পবিত্র কুরআনের জ্ঞান অর্জনে তৎপর হয়।
কুরআন মজিদ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে বান্দা বিরাট সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হয়। শুধু কুরআনের জ্ঞান অর্জনকারী বা তিলাওয়াতকারীই নয় বরং তিলাওয়াতকারীর মাতাপিতাও এতে সম্মানিত হয়। এছাড়া কুরআনের জ্ঞান যে ব্যক্তি অর্জন করে দুনিয়াতে সকলে তাকে সম্মান করে। দুনিয়াতেও সে এক শান্তিময় জীবনের অধিকারী হন। সমাজেও তিনি বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়ে থাকেন। আর পরকালে তার জন্য রয়েছে জান্নাত। সুতরাং বলা যায় পবিত্র কুরআনের জ্ঞান অর্জনে তৎপর হওয়ার কারণেই আসাদ সার্বিক সফলতা লাভ করবে।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইমাম সাহেবের কাছে মুসলিগণ কুরআন তিলাওয়াত শেখেন। মুসলিদের মধ্যে আনিস ও আলতাফ তুলনামূলকভাবে নবীন শিক্ষার্থী। ইমাম সাহেব তাদের আলাদাভাবে মীম সাকিনের ইখফা শিক্ষা দিলেন। ইমাম সাহেবের প্রচেষ্টা হলো শিক্ষার্থীদের নাযিরা তিলাওয়াত শিক্ষা দেওয়া।
(পাঠ-৪ ও ৫)
ক. মীম সাকিন কাকে বলে? ১
খ. ইদগাম বলতে কী বুঝ? ২
গ. উদ্দীপকের আনিস ও আলতাফকে ইমাম সাহেব আলাদাভাবে যা শেখালেন তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ইমাম সাহেবের প্রচেষ্টার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. জযমযুক্ত মীমকে মীম সাকিন বলে।
খ. তাজবিদের পরিভাষায় নুন সাকিন বা তানবিনের পর ইদগামের ছয়টি হরফ থেকে কোনো একটি হরফ থাকলে নুন সাকিন বা তানবিনের সাথে ঐ হরফকে সন্দি করে মিলিয়ে পড়াকে ইদগাম বলে।
ইদগামের ফলে উভয় হরফ একই সময়ে উচ্চারিত হয়। উদগামের ফলে নুন সাকিন বা তানবিনের পরবর্তী হরফটি তাশদিদ যুক্ত হয়। যেমন
গ. উদ্দীপকের আনিস ও আলতাফকে ইমাম সাহেব মীম সাকিনের নিয়ম ইখফা আলাদাভাবে শেখালেন।
তাজবিদ শিক্ষার ক্ষেত্রে মীম সাকিনের নিয়ম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জযমযুক্ত মীমকে মীম সাকিন বলে। মীম সাকিন শুদ্ধ করে পড়তে হলে মীম সাকিনের তিনটি নিয়ম যথা : ইযহার, ইদগাম ও ইখফা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।
উদ্দীপকের নবীন শিক্ষার্থী আনিস ও আলতাফের শুদ্ধ করে কুরআন শিক্ষার ব্যাপারে ইমাম সাহেব দুর্বলতা লক্ষ করে মীম সাকিনের ইখফা শিক্ষা দিলেন।
ইখফা অর্থ গোপন করে পড়া। মীম সাকিনের পর ﺏ (বা) আসলে ঐ মীম সাকিনকে এক আলিফ পরিমাণ গুন্নাহ করে পড়তে হয়। একে মীম সাকিনের ইখফা বলে। যথা
ঘ. উদ্দীপকে ইমাম সাহেবের প্রচেষ্টা হলো নাজিরা তিলাওয়াত শিক্ষা দেওয়া। মানবজীবনে নাযিরা তিলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম।
নাযিরা তিলাওয়াত হলো দেখে দেখে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করা। নাযিরা তিলাওয়াতে তাজবিদ সহকারে পড়তে হয়। অন্যথায় অর্থের পরিবর্তন হয়ে গুনাহগার হয়।
উদ্দীপকের ইমাম সাহেব নাযিরা তিলাওয়াতের বিশুদ্ধতার জন্য আনিস ও আলতাফের সাথে অন্য শিক্ষার্থীদের মীম সাকিনসহ তাজবিদের সকল নিয়ম শিক্ষা দেন। যা নাযিরা তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দেখে দেখে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই দেখে শুদ্ধভাবে কুরআন পড়া উচিত। আল-কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত লাভের জন্য সহিহ-শুদ্ধভাবে কুরআন পাঠ করা জরুরি। শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা ওয়াজিব। অশুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করলে পাঠকারী গুনাহগার হবে। তাই ফজিলত লাভের জন্য এবং সওয়াবের অধিকারী হতে ও গুনাহ থেকে বাঁচতে নাযিরা তিলাওয়াত শুদ্ধভাবে করা সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর ইমাম সাহেবের প্রচেষ্টার গুরুত্ব এখানেই।
প্রশ্ন -১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আজ ২৬শে রমযানের দিবাগত রাত। নাসিম তার দাদুর সঙ্গে মসজিদে যাচ্ছে। তারা সারারাত ইবাদত বন্দেগি করবে। নাসিম তার দাদুকে জিজ্ঞাসা করল, দাদু এ রাতে এত ইবাদত করা হয় কেন? দাদু বলল, এ রাতের ইবাদত হাজার মাস ইবাদত করার সমান। এ রাতেই কুরআন নাজিল হয়। এ রাতে শান্তি বর্ষিত হয়। তারপর তিনি নাসিমকে এই আয়াতটি শুনালেন, “মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।” (পাঠ-৬)
ক. ‘আল-কাদর’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. সূরা আল-কাদর নাজিল হয়েছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকে কোন রাতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে দাদুর উল্লিখিত আয়াতের আলোকে লাইলাতুল কাদরের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. আল-কাদর শব্দের অর্থ : ভাগ্য, পরিমাণ মর্যাদা, মহিমা।
খ. সাহাবিগণের আফসোসের পরিপ্রেক্ষিতে সূরা আল-কাদর নাজিল হয়েছে।
মহানবি (স) বনি ইসরাইলের এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে আলোচনা করলেন যিনি এক হাজার বছর দিনের বেলা জিহাদ করতেন আর সারারাত ইবাদতে লিপ্ত থাকতেন। সাহাবিগণ ভাবলেন পূর্ববর্তীগণ বহুবছর বেঁচে থেকে বেশি ইবাদতের সুযোগ পেতেন। আমাদের আয়ু কম। আমরা ইবাদতে কখনো তাদের সমান হতে পারব না। তাদের আফসোসের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা এ সূরা নাজিল করেন।
গ. উদ্দীপকে লাইলাতুল কাদর তথা কাদর রাতের ইঙ্গিত করা হয়েছে।
যে রাতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাজিল করেন তাই লাইলাতুল কাদর। লাইলাতুল কাদর বা কাদরের রাত অত্যন্ত মর্যাদাবান ও মহিমান্বিত।
উদ্দীপকের নাসিমের দাদু এ মহিমান্বিত রাতের ফজিলতের কথা চিন্তা করেই নাসিমকে নিয়ে ইবাদতের উদ্দেশ্যে মসজিদে গিয়েছেন। নাসিম এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে জানে না বিধায় দাদুর নিকট জিজ্ঞাসা করেছে। দাদু তাকে বলেন, এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে কুরআন নাজিল হওয়ার কারণে মহিমান্বিত ও বরকতময়। এতে স্পষ্ট হয় যে, উদ্দীপকে লাইলাতুল কাদর তথা কাদর রাতের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
ঘ. ‘মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম’Ñউদ্দীপকে দাদুর উল্লিখিত আয়াতটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল কারিমের সূরা আল- কাদরে এই রাতের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরেছেন। সে রাতটি রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করলে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে বেশী সাওয়াব হবে। উদ্দীপকে নাসিমের দাদু তাকে এ রাতের কথাই বলেছেন। এ রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের সাওয়াব পাওয়া যাবে।
কাদর রাতের মর্যাদা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এই মহিমান্বিত রাতে আলাহর ইবাদত করলে হাজার মাসের অধিক কালের ইবাদতের সাওয়াব পাওয়া যাবে। এ বরকতময় রাতে ফেরেশতাগণ ও জিবরাইল (আ) পৃথিবীতে নেমে আসেন। তাঁরা বান্দাদের জন্য সালাম বয়ে আনেন। আলাহ তায়ালা এ রাতে রহমতের দরজা খুলে দেন। এ সময় তাওবা কবুল হয়। তাই বলা হয়েছে, কাদরের রাত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ। এ রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। আর বান্দার ইবাদত ও সওয়াব লাভের সুযোগে এ রাতটি অত্যন্ত তাৎপর্যময়।
প্রশ্ন -১২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
২০১০ সালে জাপানে ভয়াবহ ভ‚মিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে। ফলে জাপনের ফুকুশিমা নগরটি মুহ‚র্তের মধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সাগরের পানি শহরে প্রবেশ করে শহরের ঘরবাড়ি ও গাড়ি নিমিষেই বিলীন করে দেয়। এ দৃশ্য টিভিতে দেখে মাওলানা মাসউদের পবিত্র কুরআনের একটি সূরার কথা মনে পড়ে। তার ছেলে সাদি বলল, বাবা এ সূরায় মানবজীবন পরিসমাপ্তির পর হিসাব-নিকাশের কথাও জোরালোভাবে বলা হয়েছে। (পাঠ-৭])
ক. কুরআন মজিদ এক সাথে কোথায় নাজিল হয়? ১
খ. কুরআনকে আল ফুরকানও বলা হয় কেন? ২
গ. উল্লিখিত দৃশ্য দেখে মাওলানা মাসউদ কোন সূরার কথা স্মরণ করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সাদির কথার যৌক্তিকতা সংশ্লিষ্ট সূরার আলোকে পর্যালোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ১২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. কুরআন মজিদ এক সাথে প্রথম আসমানের ‘বায়তুল ইযযা’ নামক স্থানে নাজিল হয়।
খ. কুরআন সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী হওয়ায় কুরআনকে আল-ফুরকান বলা হয়।
ফুরকান শব্দের অর্থ হচ্ছে পার্থক্যকারী। আল-কুরআন সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী। এছাড়াও আল-কুরআন ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য নির্ণয় -করে। এজন্য একে আল-ফুরকান বলা হয়ে থাকে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত দৃশ্য দেখে মাওলানা মাসউদ সূরা যিলযালের কথা স্মরণ করেছেন।
সূরা যিলযালে কিয়ামত বা মহাপ্রলয়ের বর্ণনা চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মহান আল্লাহ এক সময় গোটা দুনিয়া ধ্বংস করে দেবেন। তিনি হযরত ইসরাফিল (আ)কে শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেওয়ার আদেশ দেবেন। হযরত ইসরাফিল (আ) তখন শিঙ্গায় ফুঁক দেবেন। তাঁর শিঙ্গার শব্দে সারা পৃথিবীর সমস্ত নিয়ম-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে যাবে।
উদ্দীপকেও সেরকম একটি মহা প্রলয়ের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ২০১০ সালের জাপানে সংঘটিত ভ‚মিকম্পের দৃশ্য দেখে মাওলানা সাহেব এ সূরার কথা মনে করেন।
জাপানে ভয়াবহ ভ‚মিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে। ফলে মুহ‚র্তের মধ্যেই ফুকুশিমা নগরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। সাগরের পানি শহরে প্রবেশ করে ঘরবাড়ি সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এ যেন যিলযাল বা মহা কিয়ামত। সুতরাং বলা যায় এ অবস্থা দেখে মাওলানা মাসউদ সূরা যিলযালের কথাই স্মরণ করেছেন।
ঘ. উদ্দীপকে সাদীর কথা সূরা যিলযালের আলোকে অত্যন্ত যৌক্তিক। দুনিয়ার সীমিত আয়ু শেষ হওয়ার পর মানুষ ইন্তিকাল করে আলমে বারযাখ তথা কবরে অবস্থান করে। সেখান থেকে মানুষকে হিসাব-নিকাশের জন্য হাশরে উপস্থিত করা হবে।
উদ্দীপকে সূরা যিলযালের মধ্যেও একই কথা বলা হয়েছে যে, কিয়ামত এবং কিয়ামতের পর হিসাব-নিকাশ কর্ম অনুযায়ী ডান ও বাম হাতে আমলনামা দেওয়া হবে। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে ভালো কাজ করবে, ন্যায়ের পথ অনুসরণ করবে, পরের হিতার্থে জীবন বিলিয়ে দিবে, বিপদে-আপদে মানুষকে সাহায্য করবে। হাশরের দিন তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে। অতঃপর তাকে চিরশান্তিময় স্থান জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। আর যে দুনিয়াতে খারাপ কাজ করবে, অপরের সম্পদ আত্মসাৎ করবে, ফিতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে হাশরের দিন তারও হিসাব-নিকাশ করে আমলনামা বাম হাতে দেওয়া হবে। অতঃপর তাকে দোযখের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। সুতরাং মানবজীবন পরিসমাপ্তির পর হিসাব-নিকাশের কথা সম্পর্কে সাদির কথা সূরা আল যিলযালের আলোকে যৌক্তিক। আমরাও সর্বদা হাশরের ময়দানের হিসাব-নিকাশের কথা স্মরণ করব।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাজিব খুবই অহংকারী ছেলে। তার ব্যবহারে সহপাঠীরা খুবই ব্যথিত। সে বড়দের সম্মান করে না। একদিন তার বন্ধু হাসিব তাকে শিক্ষকের নিকট নিয়ে গেল এবং তার অহংকারপূর্ণ আচরণের কথা বলল। শিক্ষক তখন রাজিবকে কুরআন শরিফে বর্ণিত আবরাহার কাহিনী শোনালেন এবং বললেন, অহংকারের পরিণতি খুবই শোচনীয়। কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করবে না। তোমার উচিত কাবাঘরের প্রভুর ইবাদত করা। (পাঠ-৮, ৯)
ক. ফিল অর্থ কী? ১
খ. সূরা ফিল নাজিল করা হয়েছে কেন? ২
গ. উদ্দীপকে কোন সূরার বর্ণিত কাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘তোমার উচিত কাবাঘরের প্রভুর ইবাদত করা’ শিক্ষকের এ উপদেশ সূরা কুরাইশের তাৎপর্য বহন করে- বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ফিল অর্থ হাতি।
খ. বাদশাহ আবরাহার ধৃষ্টতার পরিণতি জানানোর জন্য সূরা ফিল নাজিল হয়।
আরবের ইয়ামান প্রদেশের খ্রিষ্টান শাসনকর্তা আবরাহার ইয়ামানের ‘সানআ’ নামক স্থানে একটি সুদৃশ্য গির্জা তৈরি করে মানুষকে তার গির্জায় উপাসনার আহŸান জানালে কেউ সাড়া দিল না। এতে আবরাহা অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়ে কাবাঘর ধ্বংস করতে এলে আল্লাহ পাক তাকেসহ তার দলকে আবাবিল পাখি দ্বারা কংকর নিক্ষেপ করে ধ্বংস করে দেন। এ বিশেষ ঘটনা সকলকে জানানোর জন্য মহান আল্লাহ সূরা ফিল নাজিল করেন।
গ. উদ্দীপকে সূরা ফিলের বর্ণিত কাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
কাবা ঘরের সম্মান দেখে ইয়ামেনের শাসনকর্তা আবরাহা হিংসার আগুনে জ্বলে উঠে। তার হিংসাকে চরিতার্থ করার জন্য কাবাঘর ধ্বংসের পরিকল্পনা নেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ অহংকারী রাজা তেরোটি বিশালাকার হাতি নিয়ে মক্কার দিকে অগ্রসর হলে আল্লাহ তাদের আবাবিল পাখি দ্বারা ধ্বংস করে দেন।
উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যে, অহংকারী রাজিব কাউকে সম্মান করে না। তাকে নিয়ে সহপাঠী হাসিব শিক্ষকের নিকট গেলে শিক্ষক রাজিবকে আবরাহার পরিণতির কথা জানিয়ে তাকে সতর্ক করেন। সুতরাং উদ্দীপকে সূরা ফিলের বর্ণিত কাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে।
ঘ. ‘তোমরা উচিত কাবা ঘরের প্রভুর ইবাদত করা’ উদ্দীপকে রাজীবের প্রতি শিক্ষকের এ উপদেশ মূলত সূরা কুরাইশের তাৎপর্য বহন করে।
মক্কার কুরাইশ বংশ কাবা শরিফের সম্মানে তারা দেশে-বিদেশে সম্মানিত ছিল। কিন্তু তারা মহান আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসী ছিল। তারা মূর্তিপূজা, লুটতরাজ, অন্যায়-অপরাধ প্রভৃতি করে তাদের সম্মান মøান করেছিল।
আলাহ তায়ালা কুরাইশ বংশের লোকদের বিশেষ সম্মান ও সুবিধা দিয়েছিলেন। তাদের প্রতি আলাহর প্রধান অনুগ্রহ ছিল তাদের ওপর কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণ ও সেবার দায়িত্ব অর্পণ। এ সম্মানজনক দায়িত্ব প্রাপ্তির ফলে তারা দেশ-বিদেশে বিপুল সম্মানের অধিকারী ছিল। তারা নির্বিঘেœ ব্যবসায়-বাণিজ্যে প্রচুর অর্থ-সম্পদ অর্জন করত। চোর-ডাকাত পর্যন্ত তাদের সম্মান দেখাত। এ সুযোগে তারা সিরিয়া ও ইয়ামানের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে বাণিজ্য করত। যে কাবাগৃহের বদৌলতে তারা এত সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত সেই কাবার প্রভুর প্রতি তাদের উচিত ছিল কৃতজ্ঞ থাকা ও তাঁর ইবাদত করা। কিন্তু তারা তা করেনি। বরং তারা মূর্তি পূজা করত এবং আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করত না। তাদের এ জঘন্য ও অনৈতিক আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে এ সূরার মাধ্যমে আলাহ কুরাইশদের এ ধরনের অন্যায় থেকে বিরত থেকে তার ইবাদত করার নির্দেশ দেন।
সুতরাং উদ্দীপকের শিক্ষক রাজিবকে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ত্যাগ করে যখন বলেন, তোমার ঘরের প্রভুর ইবাদত করা উচিত। তাতে সূরা কুরাইশের তাৎপর্যই ধরা পরে।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শাহাদাত মাহফিলে গিয়ে দেখতে পেল একজন বক্তা ওয়াজ করছেন। ওয়াজের এক পর্যায়ে বক্তা বললেন মহানবি (স)-এর ওপর এমন একটি সূরা অবতীর্ণ হয় যেটি কুরআনের সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা। এ সূরায় দলে দলে মানুষকে ইসলামে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। মহানবি (স)-এর নবুয়তি দায়িত্বের পরিপূর্ণতার কথাও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এ সূরায়। পরিশেষে বক্তা এ সূরার শিক্ষা বর্ণনা করে তার আলোচনা শেষ করেন।
[পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর]
ক. সূরা আন-নাসর পবিত্র কুরআনের কততম সূরা? ১
খ. আমরা আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইব কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বক্তা কোন সূরার আলোচনা করেছেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. পাঠ্যপুস্তকের আলোকে উক্ত সূরার শিক্ষা বর্ণনা কর। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. আন-নাসর পবিত্র কুরআনের ১১০তম সূরা।
খ. জীবনের যাবতীয় কার্যাবলি সুস্থভাবে সমাধানের জন্য আমরা আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইব অর্থাৎ সকল সাওয়াবের কাজ করতে ও পাপকাজ থেকে বাঁচতে আমরা আল্লাহর সাহায্য চাইব। যখন আমাদের সফলতা আসবে তখন আমরা আল্লাহর প্রশংসা করব। আর যদি কোনো ত্রæটি হয়ে যায়, এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব।
গ. উদ্দীপকে বক্তা সূরা আন-নাসরের আলাচনা করেছেন।
সূরা আন-নাসর পবিত্র কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এই সূরা মক্কায় বিদায় হজের সময় অবতীর্ণ হয়। এর আয়াত সংখ্যা তিন। এ সূরায় দলে দলে ইসলামে মানুষের প্রবেশের কথা অর্থাৎ ইসলামের বিজয় ঘোষণা করা হয়েছে। এটি পবিত্র কুরআনের সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা।
উদ্দীপকের বক্তার আলোচিত সূরায় মহানবি (স)-এর নবুয়তের পরিসমাপ্তির ইঙ্গিত করা হয়েছে। দলে দলে মানুষের ইসলামে প্রবেশের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং নিঃসন্দেহে উদ্দীপকের বক্তার আলোচিত সূরাটি ছিল সূরা আন-নাসর।
ঘ. সূরা আন-নাসরের শিক্ষা মানবজীবনে অপরিসীম। সূরায় বর্ণিত হয়েছে যে, কোনো ব্যাপারে যখন আল্লাহ সাহায্য করেন তখন অনেক অসাধ্য কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। তখন আল্লাহর প্রশংসা করা আবশ্যক। আমাদের যাবতীয় কাজে আল্লাহর সাহায্য প্রয়োজন। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সফলতা লাভ করা যায় না। কোনো কাজে সফলতা আসলে আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করা উচিত। যাবতীয় ত্রæটি, অপরাধ বা পাপ কাজের জন্য তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফাহিম অন্ধকার রাতে পথ চলতে ভয় পায়। মাঝে মাঝে ঘুমের মধ্যে ভয় পেয়ে আঁতকে ওঠে। সে একদিন ইমাম সাহেবের কাছে গিয়ে তার ভয়ের কথা বলল। ইমাম সাহেব তাকে কুরআন মজিদের কিছু বরকতময় ও আল্লাহর গুণবাচক আয়াতের কথা বললেন যেগুলো পাঠ করলে ফাহিম নিরাপদে থাকবে। (পাঠ-১১ ও ১২)
ক. কুরসি শব্দের অর্থ কী? ১
খ. আয়াতুল কুরসির নামকরণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের ফাহিমকে ইমাম সাহেব কোন আয়াত পাঠের কথা বললেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত আয়াতের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. কুরসি অর্থ সাম্রাজ্য, মহিমা ও জ্ঞান।
খ. কুরসি শব্দের অর্থ সাম্রাজ্য, মিলানো চেয়ার মহিমা ও জ্ঞান। এ আয়াতে আলাহ তায়ালার পরিচয়, ক্ষমতা, গৌরব ও মহিমার কথা অত্যন্ত স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ কারণেই এ আয়াতটি আয়াতুল কুরসি নামে খ্যাত।
গ. উদ্দীপকের ফাহিমকে ইমাম সাহেব আয়াতুল কুরসি পাঠের কথা বললেন।
আয়াতুল কুরসি অত্যন্ত বরকতময় আয়াত। মহানবি (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রভাতে ও শয়নকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সর্বপ্রকার বিপদাপদ থেকে রক্ষা করবেন।
উদ্দীপকের ফাহিম অন্ধকার রাতে পথ চলতে ভয় পায়। মাঝে মাঝে ঘুমের ঘোরে ভয় পেয়ে জেগে ওঠে। ফাহিম এসব ভয়ভীতি ও বিপদাপদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য প্রভাতে ও শয়নকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করতে পারে। সে নিয়মিত সালাত আদায় করে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে এবং আলাহর নিকট সব বিপদাপদ থেকে সাহায্য প্রার্থনা করবে। এতে সে নিরাপদ থাকবে। এ প্রেক্ষিতে স্পষ্ট যে, ইমান সাহেব ফাহিমকে আয়াতুল কুরসি পাঠের কথা বলেন।
ঘ. কুরআন শরিফের সূরা বাকারার আয়াত ‘আয়াতুল কুরসি’ যেমন ফজিলতপূর্ণ তেমনি তাৎপর্যময়। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার গুণাবলি ও ক্ষমতা এ আয়াতে স্পষ্টরূপে ফুটে উঠেছে।
আয়াতের প্রথমেই বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র ইলাহ, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। সকল ইবাদত ও প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য নির্ধারিত। তিনি অনাদি অনন্ত। তিনি চিরকাল ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তাঁর জ্ঞান অসীম, সকল কিছুই তাঁর জ্ঞানের আওতাধীন। তিনি মহান সত্তা। আসমান জমিনের বিশালতা তাঁর কাছে কিছুই না। তিনি ক্লান্তি, নিদ্রা, তন্দ্রা ইত্যাদির ঊর্ধ্বে। এককথায় তিনিই সর্বশক্তিমান, সকল শক্তির আধার, মহান, সর্বশ্রেষ্ঠ।
প্রশ্ন -১৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রহিম স্যার ইসলাম শিক্ষা ক্লাসে বলেন, মহানবি (স)-এর ওপর নাজিলকৃত কিতাবই আমাদের সর্বশেষ আসমানি কিতাব। পৃথিবী সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত বর্ণনা আছে এ কিতাবে। আরও আছে পূববর্তী বহু জাতির ধ্বংসের বর্ণনা। আরও আছে চরিত্র ভালো করার বিভিন্ন গুণাবলির কথা। দয়া, সততা, পরমতসহিষ্ণুতা ইত্যাদি গুণের সমাবেশ ঘটে এ গ্রন্থ পাঠের দ্বারা। (পাঠ-১৩)
ক. জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস কী? ১
খ. নবিÑরাসুলের পরিচয় দাও। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে পূর্ববর্তী বহু জাতির ধ্বংসের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. নৈতিক শিক্ষায় রহিম স্যারের উল্লিখিত কিতাবের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস হলো আল-কুরআন।
খ. আলাহ তায়ালা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য পৃথিবীতে যাদের রিসালাতের মহান দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তাঁদেরকেই নবি-রাসুল বলা হয়। নবি-রাসুলগণ মানুষদেরকে সর্বদা আলাহর পথে ডাকতেন। ভালো কথা শুনাতেন। তাঁরা ছিলেন মানবজাতির জন্য আদর্শ।
গ. উদ্দীপকের বর্ণনায় আমরা বুঝতে পারি মহান আলাহ বিভিন্ন নবির উম্মতকে বিভিন্ন সময় ধ্বংস করেছেন। এ ধ্বংসের মূল কারণ হলোÑ আলাহর নির্দেশের অবাধ্যতা। অনেক জাতিকে তাদের পাপ ও অনৈতিক কাজের জন্য আল্লাহতায়ালা ধ্বংস করে দিয়েছেন। যেমন হযরত নুহ (আ)-এর কাউমকে বন্যার পানি দিয়ে ধ্বংস করেছেন। হযরত মুসা (আ)-এর কাউমকে তাদের অবাধ্যতার জন্য নদীতে ডুবিয়ে মারেন। হযরত দাউদ (আ)-এর উম্মতকে বানরে পরিণত করে ধ্বংস করেন। এভাবে আলাহ তায়ালা বহু জাতিকে তাদের পাপ কাজের জন্য ধ্বংস করেছেন। আর এসব ঘটনা পবিত্র কুরআনে সতর্কতাস্বরূপ বর্ণিত হয়েছে। উদ্দীপকেও রহিম স্যার পবিত্র কুরআনের বিষয়বস্তুর বর্ণনা দিতে গিয়ে পূর্ববর্তী বহু জাতিসমূহের ধ্বংসের কথা উল্লেখ করেন।
ঘ. নৈতিক শিক্ষায় রহিম স্যারের উল্লিখিত কিতাব তথা পবিত্র-কুরআনের ভ‚মিকা অপরিসীম।
সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব মহাগ্রন্থ আল-কুরআন নৈতিকতার আধার। নীতি- নৈতিকতার সকল দিকই এ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। নৈতিক ও মানবিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এ কিতাব বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে।
উদ্দীপকের রহিম স্যারও ইসলাম শিক্ষার ক্লাসে এ আলোচনা করেন। তিনি কুরআনের বিষয়বস্তু বর্ণনা করার পর কুরআনের আলোকে নৈতিক শিক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি চরিত্র ভালো করার বিভিন্ন গুণাবলির কথা বলেন। যেমন দয়া, সততা, পরমতসহিঞ্চুতা ইত্যাদি।
আল-কুরআনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার নানা গুণের পরিচয় পাই। যেমন : তিনি করূণাময়, অসীম দয়ালু, ক্ষমাশীল, ন্যায়পরায়ণ ইত্যাদি। এসব গুণের চর্চা দ্বারা আমরা নৈতিক চরিত্র সুন্দর করতে পারি। নবি-রাসুলগণের পরিচয়, তাঁদের স্বভাব-চরিত্র ইত্যাদির বিবরণ রয়েছে আল-কুরআনে। আমাদের প্রিয় নবি (স) ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁর চরিত্র ও নৈতিকতার কথা কুরআন মজিদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে পবিত্র-কুরআনের শিক্ষা অনুশীলন করে আমরা মহানবি (স)-এর উত্তম চরিত্র ও নৈতিকতার অনুসরণ করতে পারি। অর্থাৎ নৈতিক গুণ অর্জনে পবিত্র কুরআনই আমাদের অবলম্বন।
প্রশ্ন -১৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাসিরউদ্দিন একজন চাল ব্যবসায়ী। মসজিদের ইমাম সাহেব তার থেকে একদিন চাল কিনতে গেলেন। ইমাম সাহেব তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, নিচের চাল ভালো কিনা? সে বলল, হ্যাঁ চাল একই রকম। ইমাম সাহেব চালের স্তূপের নিচে হাত দিয়ে দেখলেন নিম্নমানের চাল। তখন ইমাম সাহেব তাকে মহানবি (স)-এর এ হাদিসটি শুনালেন। ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার উম্মত নয়।’ (পাঠ-১৫)
ক. প্রতারণা মানে কী? ১
খ. ইসলামে প্রতারণা গর্হিত কেন? ২
গ. উদ্দীপকের চাল ব্যবসায়ীর কর্মকাণ্ডে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ইমাম সাহেবের বর্ণিত হাদিসের আলোকে প্রতারণার পরিণতি আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ১৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. প্রতারণা মানে ধোঁকা দেয়া, ঠকানো বা ফাঁকি দেয়া, বিশ্বাস ভঙ্গ করা ইত্যাদি।
খ. প্রতারণার ক্ষতি মারাত্মক হওয়ার কারণে ইসলামে প্রতারণা গর্হিত কাজ।
প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি নিন্দনীয় আচরণ। এটি সামাজিক শান্তিশৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা, ঐক্য ও সংহতিকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। প্রতারণা অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি করে। প্রতারণা করা মুনাফিকের স্বভাব। এটি মিথ্যারই নামান্তর। প্রতারকের ওপর আলাহ ও ফেরেশতাগণ অভিশাপ করেন। কাজেই ইসলামে প্রতারণা একটি গর্হিত কাজ।
গ. উদ্দীপকের চাল ব্যবসায়ীর কর্মকাণ্ডে প্রতারণা প্রকাশ পেয়েছে। প্রকৃত ঘটনা গোপন রেখে মানুষকে ঠকানোর উদ্দেশ্যে অন্য ঘটনা বা কাজ করার নামই প্রতারণা। প্রতারক খাঁটি মুমিন হতে পারে না। একজন পরিপূর্ণ ইমানদার বা মুমিন হওয়ার জন্য সর্বাবস্থায় প্রতারণাকে বর্জন করতে হবে। প্রকৃত মুমিন হওয়ার জন্য প্রতারণাকে পরিত্যাগ করতে হবে।
উদ্দীপকের নাসিরউদ্দীন একজন চাল ব্যবসায়ী। তিনি বিক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য খারাপ ও নিম্নমানের চালের ওপর ভালো চাল দেখিয়ে বিক্রি করেন। নিঃসন্দেহে তার এ কাজটি প্রতারণার শামিল।
ঘ. প্রতারণার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যেমন উদ্দীপকে ইমাম সাহেবের বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ হয়েছে- ‘যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার উম্মত নয়।’
প্রতারণা একটি মানবতাবিরোধী গর্হিত কাজ। এটি একটি সামাজিক অপরাধ। এর ফলে সমাজের মানুষ দুঃখ-কষ্ট ভোগ করে। সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়। মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এ জন্য মহানবি (স) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতারণা করে সে আমার উম্মত নয়।” প্রতারণা মুনাফিকের কাজ। আর মুনাফিকের শাস্তি বড়ই কঠোর।
উদ্দীপকেও দেখা যায় নাসিরউদ্দিন পণ্যের দোষ গোপন করে প্রতারণা করেছেন। আর পণ্যের দোষ গোপন করা সম্বন্ধে রাসুল (স) বলেছেন, ‘যে দোষযুক্ত পণ্য বিক্রি করে, ক্রেতাকে দোষের কথা জানায় না, এমন ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহর রোষের মধ্যে থাকবে এবং ফেরেশতারা সর্বদা তাকে অভিশাপ দিতে থাকবে।’ প্রকৃতপক্ষে প্রতারণা দ্বারা অর্জিত জীবিকা হারাম। আর যে দেহ হারাম রুজি দ্বারা পরিপুষ্ট হয় তার স্থান জাহান্নাম।
পরিশেষে বলা যায়, প্রতারণা তাকওয়াপূর্ণ ইসলামি জীবনযাপনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং তার শেষ পরিণতি জাহান্নাম। সুতরাং প্রতারণা পরিহার করে চলা আমাদের সকলের কর্তব্য।
প্রশ্ন -১৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
উত্তম চরিত্র ব্যক্তিকে সুন্দর ও উন্নত করে। যার চরিত্র যত উন্নত ধর্মের দিক থেকে সে তত অগ্রসর। উত্তম চরিত্র অর্জন করতে কী করতে হবে তা পবিত্র কালামুল্লাহ শরিফে বর্ণিত হয়েছে। এজন্যই বলা হয়-‘উত্তম চরিত্র অর্জনে পবিত্র কুরআনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।’ [১ম ও ৩য় অধ্যায়]
ক. ইদগাম অর্থ কী? ১
খ. লাইলাতুল কদর মর্যাদাপূর্ণ কেন? ২
গ. ব্যক্তিকে সুন্দর ও উন্নত করতে কী প্রয়োজন? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত বিষয়টি অর্জনে পবিত্র কুরআনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।-বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইদগাম অর্থ মিলিয়ে পড়া, এক জিনিসককে অন্য জিনিসের সাথে মেলানো।
খ. কারণ আল্লাহ তায়ালা এ রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল করেন। এ রাতের ইবাদত হাজার মাস একাধারে ইবাদত করার চেয়ে উত্তম। লাইলাতুল কদরে ইবাদত করলে আমাদের নেকির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাকে রহমত, বরকত ও শান্তির সওগাত দিয়ে প্রেরণ করেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুখ-শান্তি ও রহমত বিরাজ করতে থাকে বিধায় এ লাইলাতুল কাদর মর্যাদাপূর্ণ।
গ. উদ্দীপকে বলা হয়েছে উত্তম চরিত্র ব্যক্তিকে সুন্দর ও উন্নত করে। বস্তুত ব্যক্তির চরিত্র ও সুন্দর করতে উত্তম আখলাকের বিকল্প নেই।
মানবজীবনে উত্তম আখলাকের গুরুত্ব সীমাহীন। উত্তম আখলাকই উন্নত জাতির জীবনী শক্তি। সমাজের সকল মানুষ চরিত্রবান ব্যক্তিকে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। অপরদিকে চরিত্রহীন ব্যক্তি সকলের নিকট ঘৃণিত ও নিন্দনীয়। যার চরিত্র যত উন্নত ধর্মের দিক থেকে সে তত অগ্রসর। তাইতো বলা হয় চরিত্র মানুষের ভ‚ষণ। চরিত্র বলেই মানুষ সর্বত্র সমাদৃত হয়। ভালো চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি অধিকতর ইমানদার হয়। মহানবি (স) বলেন –
“চরিত্রের বিচারে যে লোক উত্তম, মুমিনদের মধ্যে সেই পূর্ণতম ইমানের অধিকারী।” (আবু দাউদ ও দারিমি)
ঘ. উক্ত বিষয় তথা উত্তম চরিত্র অর্জনে পবিত্র কুরআনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার পরিচয় লাভ করি। তার আদেশ-নিষেধ জানতে পারি। কী কাজ করলে তিনি খুশি হন আর কোন কাজে তিনি অখুশি হন তাও জানতে পারি এ পবিত্র কিতাবের মাধ্যমে। আর মহান আল্লাহ উক্ত আখলাকের অধিকারী ব্যক্তির উপরই খুশি হন।
পবিত্র কুরআন মানব জাতির হিদায়াতের প্রধান উৎস। কোন পথে চললে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করবে আল-কুরআন তা আমাদের দেখিয়ে দেয়। পাপ-পুণ্য, ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ ইত্যাদির পরিচয় দান করে। অতএব বোঝা গেল যে, মানব জীবনে উত্তম চরিত্র অর্জনে আল-কুরআনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
প্রশ্ন -১৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাবেয়া তার মাকে জিজ্ঞেস করে কুরবানি প্রথা কীভাবে হয়েছে? তার মা তাকে বলেন তুমি কুরআন পড় জানতে পারবে। রাবেয়া বলে তাহলে কুরআনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক। তখন মা তাকে বলেন কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের হিদায়াতের মশাল পবিত্র কুরআন।
[২য় ও ৩য় অধ্যায়]
ক. ইহরাম অর্থ কী? ১
খ. যাকাত কাকে বলে? ২
গ. উদ্দীপকে রাবেয়ার প্রশ্নের জবাব নিজের ভাষায় বর্ণনা কর। ৩
ঘ. পবিত্র কুরআন সম্পর্কে রাবেয়ার মায়ের ধারণাটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ইহরাম অর্থ নিষিদ্ধ।
খ. যাকাত আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াকে যাকাত বলে।
গ. উদ্দীপকে রাবেয়ার প্রশ্ন ছিলকুরবানির প্রথা কীভাবে হয়েছে? প্রকৃতপক্ষে, হযরত ইবরাহিম (আ)-এর স্বপ্নে দেখার ঘটনা বাস্তবে পরিণত করার মাধ্যমেই কুরবানি প্রথা চালু হয়েছে।
হযরত ইব্রাহিম (আ) এক রাতে স্বপ্নে দেখলেন, পুত্র ইসমাঈলকে কুরবানি করতে আল্লাহ তাঁকে আদেশ করছেন। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে তিনি শেষ সিদ্ধান্তে পৌছালেন, আল্লাহ যাতে খুশি হন তাই তিনি করবেন। তখন তিনি পুত্র ইসমাঈলকে একথা জানালে হযরত ইসমাঈল (আ) বললেন, “আপনাকে যা নির্দেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন।” ছেলের এ সাহসিকতাপূর্ণ উত্তর পেয়ে নবি ইব্রাহিম (আ) খুশি হলেন। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিনি পুত্র ইসমাঈলের গলায় তরবারি চালালেন।
আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে গেলেন এবং বেহেশত থেকে একটি দুম্বা ইসমাঈলের জায়গায় তরবারির নিচে শুইয়ে দিলেন। হযরত ইসমাঈল (আ) এর পরিবর্তে দুম্বা কুরবানি হয়ে গেল। এ অপূর্ভ ত্যাগের ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য তখন হতেই কুরবানি প্রথা চালু হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে রাবেয়ার মায়ের ধারণা “কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের হিদায়াতের মশাল পবিত্র কুরআন।”-ধারণাটি যথার্থ।
আল-কুরআন মানব জাতির হিদায়াতের প্রধান উৎস। আল-কুরআন আমাদের আল্লাহর পরিচয় দান করে। উদ্দীপকে রাবেয়ার প্রশ্নের উত্তরে তার মা পবিত্র কুরআনকে হিদায়াতের মশাল বলেছেন। আমরা আল্লাহকে চিনতাম না। তার ক্ষমতা ও গুণাবলি সম্পর্কে জানতাম না। কুরআনের মাধ্যমে তার আদেশ নিষেধ জানতে পারি। কী কাজ করলে তিনি খুশি হন আর কোন কাজ করলে তিনি অসন্তুষ্ট হন তা-ও জানতে পারি। কোন পথে চললে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভ করবে আল কুরআন তা আমাদের দেখিয়ে দেয়। পাপ-পূণ্য, ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ ইত্যাদির পরিচয় দান করেন। আল-কুরআনের নির্দেশন মতো চলে আমরা কল্যাণ লাভ করতে পারি।
এসব কারণেই কুরআনকে হিদায়াতের মশাল বলা হয়েছে যা অত্যন্ত যথার্থ।
প্রশ্ন-২০ ল্ফ হাসিব একজন ফল ব্যবসায়ী। সে ফল নষ্ট হওয়া রোধে ফলে ফরমালিন নামক এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে। ফরমালিন যে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। এরূপ কর্মকাণ্ড নৈতিকতাবিরোধী। এ ব্যাপারে ইমাম সাহেবের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হাসিব সাহেবের এ কাজ অত্যন্ত গর্হিত। তিনি এ ব্যাপারে একটি হাদিস পড়ে শোনান, “যে ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নেয় সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
ক. উলিখিত হাদিসটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে? ১
খ. হাসিব সাহেবের কর্মকাণ্ড কেন প্রতারণার শামিল? ২
গ. উলিখিত হাদিসটি হাসিব সাহেবের বাস্তব জীবনে কীরূপ প্রভাব ফেলবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. প্রতারণা প্রতিরোধ উলিখিত হাদিসটির ভূমিকা মূল্যায়ন করা। ৪
প্রশ্ন-২১ ল্ফ আবু সাঈদ ও আনোয়ার চিড়িয়খানায় বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে তারা হাতির পিঠে চড়েছে। বাসায় ফিরে তারা বিভিন্ন জীবজন্তু নিয়ে আলোচনা করছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে আনোয়ার আবু সাঈদকে বলল, ইয়ামানের এক শাসনকর্তা হাতিতে চড়ে কাবাঘর ধ্বংস করতে গিয়ে নিজেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি সূরা নাজিল হয়।
ক. কাবাঘর আক্রমণ করতে আসা ইয়ামানের খ্রিষ্টান শাসনকর্তার নাম কী? ১
খ. খ্রিষ্টান শাসনকর্তা কাবাঘর ধ্বংস করতে এসেছিল কেন? ২
গ. আবু সাঈদ ও আনোয়ার তাদের আলোচিত সূরা থেকে কী শিক্ষা লাভ করতে পারে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ইয়ামানের শাসনকর্তার পরিণতি সম্পর্কে তোমার মতামত ব্যক্ত কর। ৪
প্রশ্ন-২২ ল্ফ আসাদ কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী তার জীবনকে গড়ে তুলতে চায়। এজন্য সে প্রথমে তার মায়ের কাছ থেকে শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিখে। তার মা তাকে নুন সাকিন ও তানবিনের নিয়ম শিখান। সাথে সাথে আসাদ অর্থ বুঝে কুরআন মাজিদের জ্ঞান অর্জনে তৎপর হয়।
ক. ‘লাইাতুল কদর’ এর অর্থ কী? ১
খ. তাজভীদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে কেন? ২
গ. আসাদ মায়ের কাছ থেকে যে নিয়মগুলো শিখেছে, এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. তুমি কী মনে কর আসাদ হিদায়াতের রাস্তা পাবে? যুক্তি দাও। ৪
জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ কুরআন কী?
উত্তর : মহাগ্রন্থ আল কুরআন মহান আলাহ তায়ালার বাণী।
প্রশ্ন \ ২ \ হযরত মুহাম্মদ (স) কোথায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স) হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ সর্বপ্রথম কোন সূরা নাজিল হয়?
উত্তর : সর্বপ্রথম সূরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত নাজিল হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ কুরআন কত বছরে নাজিল হয়?
উত্তর : কুরআন ২৩ বছরে নাজিল হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ মক্কি সূরা কাকে বলে?
উত্তর : হিজরতের পূর্বে যে সূরাগুলো নাজিল হয়েছে সে সূরাগুলোকে মক্কি সূরা বলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি উত্তম?
উত্তর : আমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ ইদগাম অর্থ কী?
উত্তর : ইদগাম অর্থ মিলিয়ে পড়া।
প্রশ্ন \ ৮ \ ইখফা অর্থ কী?
উত্তর : ইখফা অর্থ গোপন করে পড়া।
প্রশ্ন \ ৯ \ ইযহার অর্থ কী
উত্তর : ইযহার অর্থ স্পষ্ট করে পড়া।
প্রশ্ন \ ১০ \ কালব অর্থ কী?
উত্তর : কালব অর্থ পরিবর্তন করে পড়া।
প্রশ্ন \ ১১ \ সূরা কাদর কোথায় অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : সূরা কাদর মক্কায় অবতীর্ণ হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ সূরা যিলযাল কোথায় অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : সূরা যিলযাল মদিনায় অবতীর্ণ হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ আবরাহা কে ছিলেন?
উত্তর : আরবের ইয়ামান প্রদেশের খ্রিষ্টান শাসনকর্তার নাম ছিল আবরাহা।
প্রশ্ন \ ১৪ \ আবরাহা কাবা ধ্বংসের জন্য কতটি হাতি এনেছিল?
উত্তর : আবরাহা বাদশাহ কাবা ধ্বংসের জন্য ১৩টি হাতি এনেছিল।
প্রশ্ন \ ১৫ \ সূরা কুরাইশে কাদের আলোচনা এসেছে?
উত্তর : সূরা কুরাইশে কুরাইশ বংশের লোকদের কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবিকা নির্বাহের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ সূরা কুরাইশ কোথায় অবতীর্ণ হয়?
উত্তর : সূরা কুরাইশ মক্কায় অবতীর্ণ হয়।
প্রশ্ন \ ১৭ \ আয়াতুল কুরসি সূরা বাকারার কততম আয়াত?
উত্তর : আয়াতুল কুরসি সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত।
প্রশ্ন \ ১৮ \ কুরসি অর্থ কী?
উত্তর : কুরসি অর্থ এক বস্তুর সাথে অন্য বস্তুর মেলানো।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ﺍﻟﻗﻳﻭﻡ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ﺍﻟﻗﻳﻭﻡ শব্দের অর্থ চীরস্থায়ী।
প্রশ্ন \ ২০ \ আল-মুহাইমিনু শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : আল-মুহাইমিনু শব্দের অর্থ ‘রক্ষক’।
প্রশ্ন \ ২১ \ জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রধান উৎস কী?
উত্তর : জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রধান উৎস কুরআন।
প্রশ্ন \ ২২ \ আমরা কিসের মাধ্যমে আলাহর কাছে মঙ্গল প্রার্থনা করি।
উত্তর : মুনাজাতের মাধ্যমে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ হাদিস কী?
উত্তর : মহানবি (স)-এর কথা, কাজ এবং অনুমোদন বা মৌন সম্মতিকে হাদিস বলে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ এর অর্থ কী?
উত্তর : যার আমানতদারী নেই তার ইমান নেই।
অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ মক্কি সূরাগুলোতে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তর : মক্কি সূরাগুলোতে সাধারণত তাওহিদ, রিসালাত, কিয়ামত, আখিরাত, হিসাব-নিকাশ, বেহেশত-দোযখ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২ \ মাদানি সূরাগুলোতে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তর : মাদানি সূরাসমূহে সাধারণত ইবাদত, হালাল, হারাম, সালাত, সাওম, হজ, যাকাত, সমরনীতি, রাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কুরআন কেন নাজিল করা হয়েছে? বর্ণনা কর।
উত্তর : আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য কুরআন মজিদ নাজিল করেছেন। মানুষ কোন পথে চললে শান্তি পাবে, জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে এবং জান্নাতের পরম সুখ-শান্তি লাভ করতে পারবে তা এ কুরআন থেকেই জানা যায়।
প্রশ্ন \ ৪ \ মীম সাকিনের ইখফা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ইখফা অর্থ গোপন করে পড়া। মীম সাকিনের পর ‘বা’ আসলে ঐ মীম সাকিনকে এক আলিফ সমপরিমাণ গুন্নাহ করে পড়তে হয়। একে মীম সাকিনের ইখফা বলা হয়। যথা :
প্রশ্ন \ ৫ \ মীম সাকিনের ইযহার কাকে বলে?
উত্তর : ইযহার অর্থ স্পষ্ট করে পড়া। মীম সাকিনের পরে ‘বা এবং ‘মীম’ ব্যতীত অন্য যে কোনো হরফ এলে মীম সাকিনকে স্পষ্ট করে পড়াকে মীম সাকিনে ইযহার বলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ কুরআন তিলাওয়াতের কয়েকটি আদব লিখ।
উত্তর :
ক. কেবলামুখী হয়ে নামাযের অবস্থার ন্যায় বসা।
খ. তিলাওয়াতের পূর্বে কয়েক বার দরুদ শরিফ পড়া।
গ. আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ বলে তিলাওয়াত শুরু করা।
ঘ. সুন্দর সুরে তিলাওয়াত করা।
প্রশ্ন \ ৭ \ সূরা আল-কাদরের শানে নুযুল কী?
উত্তর : পূর্ববর্তী নবি ও তাঁদের উম্মাতগণ দীর্ঘকাল বেঁচে থাকতেন। তাঁরা বহুবছর আলাহর ইবাদত করার সুযোগ পেতেন। মহানবি (স)-এর উম্মতের আয়ু অনেক কম। কাজেই তাঁদের পক্ষে আলাহর ইবাদত করে পূর্ববর্তী উম্মতদের সমকক্ষ হওয়া সম্ভব নয় বলে অনেকের ধারণা ছিল। একবার সাহাবিগণ হুজুর (স) কে প্রশ্ন করলেন যে, তাহলে আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা পুণ্যে পূর্ববর্তী উম্মতদের সমকক্ষ হতে পারব না। তখন এ সূরাটি নাজিল হয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ সূরা যিলযালের শানে নুযুল আলোচনা কর।
উত্তর : একদা জনৈক ব্যক্তি একজন কাফিরকে অতি অল্প পরিমাণ খাদ্য দান করে বলল যে, এ সামান্য দানে কি সাওয়াব হবে? অপর এক ব্যক্তি ছোট ছোট গুনাহ করত। এগুলো থেকে বিরত থাকত না। বরং সে এগুলোকে অবহেলা করত। আর এগুলোর কোনো গুরুত্ব দিত না। এ দু’অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা এ সূরা নাজিল করেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ আবরাহা বাহিনীকে কীভাবে ধ্বংস করা হলো?
উত্তর : সমুদ্রের দিক হতে ঝাঁকে ঝাঁকে আবাবিল পাখি উড়ে এলো। এদের প্রত্যেকটির ঠোঁটে একটি করে এবং পায়ে দুইটি করে কংকর ছিল। পাখিগুলো আবরাহা ও তার দলকে আক্রমণ করল। কংকর নিক্ষেপ করে তাদেরকে খেয়ে ফেলা ঘাসের ন্যায় করে দিল।এভাবে আবরাহার বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ আয়াতুল কুরসির তাৎপর্য বর্ণনা কর।
উত্তর : আয়াতুল কুরসি পবিত্র কুরআনের সূরা আল-বাকারার ২৫৫নং আয়াত। আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালার পরিচয় অতি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
আয়াতের প্রথমেই বলা হয়েছে আল্লাহ তায়ালাই একমাত্র ইলাহ, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই। সকল ইবাদত ও প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য নির্ধারিত। তিনি অনাদি, অনন্ত। তিনি চিরকাল ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তাঁর জ্ঞান অসীম, সকল কিছুই তাঁর জ্ঞানের আওতাধীন। তিনি মহান সত্তা।
প্রশ্ন \ ১১ \ মহানবি (স) আমাদের মোনাজাত শিক্ষা দিয়েছেন কেন?
উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) ছিলেন মানবতার মহান শিক্ষক। তিনি সর্বদাই মানুষের কল্যাণ কামনা করতেন। কিসে মানুষের ভালো হবে, কী কাজ করলে মানুষ সফলতা লাভ করবে, তা তিনি দেখিয়ে দিতেন। তিনি জানতেন আল্লাহ তায়ালার নিকট মোনাজাত করার মাধ্যমে আমরা সার্বিক কল্যাণ লাভ করতে পারি। তাই দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের জন্য তিনি আমাদের মোনাজাত শিক্ষা দিয়েছেন।
প্রশ্ন \ ১২ \ হাদিস শিক্ষার গুরুত্ব কী?
উত্তর : হাদিস ইসলামি বিধানের দ্বিতীয় উৎস। পবিত্র কুরআনের পরেই এর স্থান। হাদিস কুরআন মজিদের ব্যাখ্যা। কুরআন মজিদে অনেক বিষয়ে সংক্ষেপে বলা হয়েছে। হাদিসে এর বিস্তারিত বিবরণ আছে। যেমন সালাত ও যাকাত সম্পর্কে বলা হয়েছে : “সালাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও।” কিন্তু কীভাবে সালাত কায়েম করতে হবে, যাকাত দিতে হবে এর বিস্তারিত বিবরণ আমরা হাদিস থেকে পাই। এ কারণে আমাদের জীবনে হাদিস শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।