অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান রাসায়নিক বিক্রিয়া

অষ্টম অধ্যায়
রাসায়নিক বিক্রিয়া

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

 প্রতীক : মৌলের পুরো নামের সংক্ষিপ্ত রূপকে প্রতীক বলে। যেমন : হাইড্রোজেন (ঐ), অক্সিজেন (ঙ), ক্যালসিয়াম (ঈধ) ইত্যাদি।
 সংকেত : কোনো মৌল বা যৌগের অণুর সংক্ষিপ্ত রূপকে সংকেত বলে। যেমন : হাইড্রোজেন (ঐ২), হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (ঐঈষ)।
 যোজনী : কোনো মৌলের একটি পরমাণু কয়টি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয় তার সংখ্যাকে ঐ মৌলের যোজনী বলে। যেমন : অক্সিজেন (ঙ২) এর যোজনী ২, নাইট্রোজেন এর যোজনী ৩, ক্লোরিনের যোজনী ১.
 র‌্যাডিকেল বা যৌগমূলক : যেসব পরমাণুগুচ্ছ স্বাধীনভাবে থাকে না কিন্তু মৌলিক পদার্থের মতো যৌগ গঠনে অংশ নেয় তাদের র‌্যাডিকেল বা যৌগমূলক বলে। যেমন : সালফেট ঝঙ৪২ , অ্যামোনিয়াম (ঘঐ৪+) ইত্যাদি।
 রাসায়নিক সমীকরণ : কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়কদ্রব্য এবং উৎপন্ন দ্রব্যকে প্রতীক, সংকেত ও কতগুলো চিহ্নের (+,  বা = ) সাহায্যে সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে রাসায়নিক সমীকরণ বলে। যেমন :
তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
(জিংক) (সালফিউরিক এসিড) (জিঙ্ক সালফেট) (হাইড্রোজেন)
 বিক্রিয়ক : রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনের পূর্বে যেসব পদার্থ বিক্রিয়াস্থলে উপস্থিত থাকে এবং বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের বিক্রিয়ক বলে। এরা তীর চিহ্নের () বা সমান চিহ্নের (= ) আগে বসে।
 উৎপাদ : রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটনের পরে যেসব পদার্থ উৎপন্ন হয় তাদের উৎপাদ বলে। এরা তীর চিহ্নের ( ) বা সমান চিহ্নের পরে বসে।
 সংযোজন বিক্রিয়া : যে রাসায়নিক পরিবর্তনে একের অধিক পদার্থ একত্রিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন একটি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। যেমন :
ঋব + ঝ  ঋবঝ
(আয়রন) (সালফার) (আয়রন সালফাইড)
 দহন বিক্রিয়া : যে রাসায়নিক পরিবর্তনে কোনো বস্তু অক্সিজেনের সাহায্যে বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রজ্জ্বলিত শিখা, ছাই ও অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে তাকে দহন বিক্রিয়া বলে। যেমন :
২গম + ঙ২  ২গমঙ
(ম্যাগনেসিয়াম) (অক্সিজেন) (ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড)
 প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ তৈরি করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। যেমন :
ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ
(আয়রন) (কপার সালফেট) (আয়রন সালফেট) (কপার)
 রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শক্তির রূপান্তর : যেকোনো দহন বিক্রিয়ায় বস্তুতে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তি ও আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
 প্রশমন বিক্রিয়া : যে বিক্রিয়ায় বিপরীতধর্মী পদার্থ একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে নিরপেক্ষ পদার্থ তৈরি করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া (ঘবঁঃৎধষরুধঃরড়হ জবধপঃরড়হ) বলে। যেমন :
চুন + এসিটিক এসিড  ক্যালসিয়াম এসিটেট + পানি
(ক্ষারীয় পদার্থ) (অ¤øীয় পদার্থ) (নিরপেক্ষ পদার্থ)
 শুষ্ক কোষ : টর্চ লাইট, রিমোট কন্ট্রোল, বিভিন্ন রকম খেলনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় তাকে ড্রাই সেল বা শুষ্ক কোষ বলে।
 তড়িৎ বিশ্লেষ্য : যে সকল পদার্থ তড়িৎ প্রবাহের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে অন্য পদার্থে পরিণত হয় তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে।
 তড়িৎ বিশ্লেষণ : তড়িৎ পরিবহনের ফলে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তন ও অন্য পদার্থে পরিণত হওয়াকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে।
 তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ : যে সমস্ত পদার্থ দ্রবীভ‚ত বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না, ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়াও করে না, তাদেরকে তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। যেমন : চিনি, গøুকোজ ইত্যাদি।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কোনটি কুইক লাইম? [কু. বো. ’১৫; স. বো. ’১৪]
ক ঈধঙ খ ঈধঈঙ৩ গ ঈধঈষ২  ঈধ(ঙঐ)২
২. একজন ডুবুরি নিচের কোন যৌগটির বিয়োজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন পায়?
ক ঈধঈঙ৩ খ ঈঁঈঙ৩
 কঈষঙ৩ ঘ ঘঐ৪ঈষ
নিচের অনুচ্ছেদটির আলোকে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও
স্বপ্না ল্যাবরেটরিতে একটি বিকারে কিছু চুন নিল। অতঃপর এর মধ্যে ড্রপার দিয়ে ভিনেগার যোগ করল। কিছুক্ষণ পর সে বিকারটি হাত দিয়ে স্পর্শ করে তাপমাত্রার পরিবর্তন লক্ষ করল।
৩. বিকারে উলি­খিত যৌগের মধ্যে কোন ধরনের বিক্রিয়া ঘটবে?
ক দহন তাপ  প্রশমন তাপ
গ সংযোজন তাপ ঘ প্রতিস্থাপন তাপ
৪. উদ্দীপকের উলি­খিত যৌগের মধ্যে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হবেÑ
র. ক্যালসিয়াম এসিটেট রর. ক্যালসিয়াম কার্বনেট
ররর. পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৫. ২ঘধ + ঈষ২ = ২ঘধঈষ সমীকরণে উৎপাদ কোনটি?
ক ঘধ খ ঈষ  ২ঘধঈষ ঘ সবকটি
৬. কপার সালফেট এর সংকেত কোনটি?
 ঈঁঝঙ৪ খ ঈঁঙ গ ঈঁঈঙ৩ ঘ ঈঁঙ৩
৭. ঈঁঈঙ৩ ঈঁঙ + ঈঙ২, বিক্রিয়াটি কোন ধরনের?
ক সংযোজন  বিয়োজন গ প্রতিস্থাপন ঘ দহন
৮. চুনের পানিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড চালনা করলে কী উৎপন্ন হয়? যার ফলে চুনের পানি ঘোলা হয়?
ক ঈধ(ঙঐ)২ খ ঈধঙ  ঈধঈঙ৩ ঘ ঙ২
৯. ঐ২ + ঙ২  ঐ২ঙ বিক্রিয়াটি কোন ধরনের?
 সংযোজন খ দহন গ প্রতিস্থাপন ঘ বিয়োজন
১০. মোমে কী ধরনের শক্তি সঞ্চিত থাকে?
 রাসায়নিক খ তাপ গ আলোক ঘ শব্দ
১১. শিল্পক্ষেত্রে নিচের কোন এসিডটি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়?
ক ঐ২ঝঙ৪ খ ঐঈষ  ঐঘঙ৩ ঘ ঐ৩চঙ৪
১২. ঘঐ৩ + ঐঈষ  ঘঐ৪ঈষ বিক্রিয়াটি কোন ধরনের?
ক দহন  সংযোজন গ বিয়োজন ঘ প্রতিস্থাপন
১৩. সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড বিক্রিয়া করে কোন লবণটি তৈরি হয়?
 সোডিয়াম ক্লোরাইড খ সোডিয়াম কার্বনেট
গ সোডিয়াম নাইট্রেট ঘ সোডিয়াম সালফেট
১৪. ফসফেট মূলকের যোজনী কত?
ক ৪  ৩ গ ২ ঘ ১
১৫. নিচের কোনটি বিয়োজন বিক্রিয়া?
ক ঝ + ঙ২  ঝঙ২ খ গম + ঐ২ঝঙ৪  গমঝঙ৪ + ঐ২
 ঘঐ৪ঈষ ঘঐ৩ + ঐঈষ ঘ তহঙ + ঐঈষ  তহঈষ২ + ঐ২ঙ
১৬. নাইট্রিক এসিডের একটি অণুতে কয়টি প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু বিদ্যমান?
 ১ খ ২ গ ৩ ঘ ৪
১৭. এন্টাসিড ঔষধে কোন উপাদানটি থাকে?
 গম(ঙঐ)২ খ গমঝঙ৪ গ গমঈষ২ ঘ গমঈঙ৩
১৮. শুষ্ক কোষ তৈরিতে কোন ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়?
ক ঘধঈষ খ ঐ২ঝঙ৪  ঘঐ৪ঈষ ঘ ঈধঈঙ৩
১৯. শিহাব একটি বীকারে কিছু চুন নিয়ে তাতে ড্রপার দিয়ে ভিনেগার যোগ করে বীকারে কী ধরনের বিক্রিয়া ঘটবে?
ক দহন  প্রশমন গ সংযোজন ঘ প্রতিস্থাপন
২০. কোন মৌলটি অধাতু?
ক সোডিয়াম খ আয়রন গ সিলভার  আয়োডিন
২১. অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের সংকেত কোনটি?
ক ঘঐ৪ঈষ৩ খ (ঘঐ৪)২ঈষ  ঘঐ৪ঈষ ঘ (ঘঐ৩)২ঈষ
২২. গাঢ় ধূসর বর্ণের পদার্থ কোনটি?
ক ঋবঝঙ৪  ঋবঝ গ গমঙ ঘ ঘঐ৪ঈষ
২৩. কোন বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয়?
 বিয়োজন খ সংযোজন গ প্রশমন ঘ প্রতিস্থাপন
২৪. ঘধঐঈঙ৩ + ঐঈষ  ঢ + ঐ২ঙ + ঈঙ২; ঢ চিহ্নিত যৌগটির নাম কী?
ক এসিড  লবণ গ ক্ষার ঘ ক্ষারক
২৫. কপার সালফেটের সংকেত কোনটি?
ক ঈধঈঙ৩ খ কঈষঙ৩ গ ঋবঝঙ  ঈঁঝঙ৪
২৬. নিচের কোন বিক্রিয়াটি সঠিক?
ক ২ঝ + ঙ২  ২ঝঙ খ ঝ২ + ২ঙ২ ২ঝঙ২
 ঝ + ঙ২  ঝঙ২ ঘ ঝ + ২ঙ  ঝঙ২
২৭. ঘঐ৪ঈষ কে উত্তপ্ত করলে, কী উৎপন্ন হয়?
ক ঘ২ খ ঈঙ২ গ ঈঙ২  ঘঐ৩
২৮. ঘঐ৪ঈষ তাপ + ঘঐ৩ + ক এ বিক্রিয়াটির উৎপন্ন ‘ক’ এসিডটি ব্যবহৃত হয়Ñ যৌগটির নাম কী?
ক ডিটারজেন্ট প্রস্তুতিতে খ ইউরিয়া সার উৎপাদনে
গ খনি থেকে ধাতু আহরণে  ঔষধ উৎপাদনে
২৯. চুনের পানির রাসায়নিক সংকেত কোনটি?
ক ঈধঙ খ ঈঙ২ গ ঈধঈঙ৩  ঈধ(ঙঐ)২
৩০. শুষ্ক কোষে (উৎু ঈবষষ) ঋণাত্মক তড়িৎ দ্বার হিসেবে কাজ করে কোনটি?
 দস্তার চোঙ খ কার্বন দণ্ড
গ কয়লার গুড়া ঘ ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড
৩১. পানির অণুর সংকেত কোনটি?
ক ঐঙ খ ঐঙ২ গঙঐ  ঐ২ঙ
৩২. সালফারের বর্ণ কেমন?
ক সাদা খ কমলা  হলুদ ঘ নীল
৩৩. প্রশমন বিক্রিয়ায় কী উৎপন্ন হয়?
ক এসিড ও ক্ষারক খ ক্ষার ও ক্ষারক
গ এসিড ও ক্ষার  লবণ ও পানি
৩৪. ঘঐ৪ঙঐ তাপ ঢ + ঐ২ঙ বিক্রিয়ায় ঢ যৌগটির রাসায়নিক সংকেত কোনটি?
 ঘঐ৩ খ ঘঙ২ গ ঘ২ ঘ ঐ২
৩৫. ঈধঈঙ২ ঐঈষ, ঐঘ৪ঙঐ, ঐ২ঝঙ৪, ঈধ(ঙঐ)২ ও ঐ৩চঙ৪ যৌগগুলো দিয়ে নিচের কোন বিক্রিয়াটি সঠিক?
ক ঈধঈঙ৩ + ২ঐঈষ  ঈধঈষ২+ ঈঙ
খ ২ঘঐ৪ঙঐ + ঐ২ঝঙ৪  (ঘঐ৪)ঝঙ৪ + ঐঈষ
গ ঘধ২ঈঙ২ + ২ঐঈষ  ২ঘধঈষ + ঐ২ঙ + ঈঙ
 ৩ঈধ(ঙঐ)২ +২ঐ৩চঙ৩  ঈধ৩(চঙ৪)২ + ৩ঐ২ঙ
৩৬. কোনটি চুন?
 ঈধঙ খ ঈধ(ঙঐ)২ গ ঈধঈঙ৩ ঘ ঈঙ২
৩৭. নিচের কোনটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া?
 ঈধঙ + ঈঙ২ঈধঈঙ৩ খ ঘঐ২ঈষ তাপ +ঘঐ৩ + ঐঈষ
গ ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ ঘ গম + ঙ২ গমঙ
৩৮. ইথিলিন হরমোনটি কোন ধরনের পদার্থ?
ক কঠিন  গ্যাসীয় গ তরল ঘ জেলি
৩৯. তহ + ঝ  তহঝ বিক্রিয়াটি কোন ধরনের?
 সংযোজন খ দহন গ প্রতিস্থাপন ঘ বিয়োজন
৪০. তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২ বিক্রিয়াটি কোন ধরনের?
ক বিনিময় বিক্রিয়া খ প্রশমন বিক্রিয়া
গ বিশ্লেষণ বিক্রিয়া  প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
৪১. চুনাপাথরের রাসায়নিক সংকেত কোনটি?
ক ঈধ খ ঈধঙ গ ঈধ(ঙঐ)২  ঈধঈঙ৩
৪২. সোডিয়াম কার্বনেটের সাথে ঐঈষ এর বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়
র. ঘধঙঐ রর. ঘধঈষ ররর. ঈঙ২
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪৩. গম + ঙ২ গমঙ বিক্রিয়াটি 
র. প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া রর. দহন বিক্রিয়া
ররর. বিয়োজন বিক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  রর গ ররর ঘ রর ও ররর
৪৪. তড়িৎ বিশ্লেষণ পদার্থ হচ্ছেÑ
র. ঘধঈষ রর. কঈষ ররর. ঈধঈষ২
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের সমীকরণটি লক্ষ কর এবং ৪৫ ও ৪৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
২গম + ঙ২ = অ
৪৫. সমীকরণটিতে অ চিহ্নিত স্থানে কী হবে?
ক গম২ঙ২ খ গমঙ২ গ ঙ২গম  ২গমঙ
৪৬. বিক্রিয়াটি কোন ধরনের?
ক প্রতিস্থাপন  দহন গ বিয়োজন ঘ প্রশমন

পাঠ ১ ও ২ : প্রতীক, সংকেত ও যোজনী
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৭. পৃথিবীতে কয়টি মৌল আছে? (জ্ঞান)
ক ৯২ খ ১০৮ ˜ ১১৮ ঘ ১৩২
৪৮. রসায়নবিদগণ গঠন অনুসারে পৃথিবীর সকল পদার্থকে কয় শ্রেণিতে ভাগ করেছেন? (জ্ঞান)
 দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৪৯. মৌলের নামের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সংকেত খ অণু ˜ প্রতীক ঘ পরমাণু
৫০. নিচের কোন মৌলের প্রতীকে ইংরেজি নামের প্রথম দুটি অক্ষর ব্যবহার হয়েছে? (অনুধাবন)
ক ঐুফৎড়মবহ খ ঈধৎনড়হ ˜ ঈধষপরঁস ঘ ঙীুমবহ
৫১. অণুর সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক প্রতীক ˜ সংকেত গ পরমাণু ঘ কণা
৫২. একটি অণুতে কী কী পরমাণু আছে তা কী থেকে জানা যায়? (জ্ঞান)
˜ সংকেত খ প্রতীক গ বিক্রিয়া ঘ চি‎হ্ন
৫৩. মৌলের প্রতীক নিচের কোনটি প্রকাশ করে? (অনুধাবন)
˜ মৌলের একটি পরমাণু খ মৌলের একটি অণু
গ মৌলের নামের প্রথম অক্ষর ঘ মৌলের ল্যাটিন নাম
৫৪. অ্যালুমিনিয়ামের যোজনী কত? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২ ˜ ৩ ঘ ৪
৫৫. অষ২(ঝঙ৪)৩ যৌগে অষ এর যোজনী কত? (প্রয়োগ)
ক ১ খ ২ ˜ ৩ ঘ ৪
৫৬. কোনটি ধনাত্মক যৌগমূলক? (অনুধাবন)
˜ ঘঐ৪ খ ঝঙ৪ গ চঙ৪ ঘ ঈঙ৩
৫৭. কোনো মৌলের যোজনী নিরূপণের সময় কোন পরমাণুর যোজনীকে একক ধরা হয়? (জ্ঞান)
ক ক্লোরিন খ অক্সিজেন গ নাইট্রোজেন ˜ হাইড্রোজেন
৫৮. সবচেয়ে কম যোজনী কোনটির? (অনুধাবন)
ক ঙ ˜ ঐ গ ঈধ ঘ ঋব
৫৯. ঘঐ৩ যৌগে নাইট্রোজেনের যোজনী কত? (প্রয়োগ)
ক ১ খ ২ ˜ ৩ ঘ ৪
৬০. তহঝঙ৪ যৌগে ঝঙ৪ এর যোজনী কত? (প্রয়োগ)
ক ১ ˜ ২ গ ৩ ঘ ৪
৬১. ঈঙ৩ এর যোজনী কত? (জ্ঞান)
ক ১ ˜ ২ গ ৩ ঘ ৪
৬২. নিচের কোনটি যৌগমূলক? (অনুধাবন)
ক ঋব খ ঈঁ গ ইৎ ˜ ঐঈঙ৩
৬৩. অঁ এর যোজনী কত? (জ্ঞান)
ক ১,২ ˜ ১, ৩ গ ২, ৩ ঘ ২, ৪
৬৪. আয়রনের কয়টি যোজনী আছে? (জ্ঞান)
˜ দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ
৬৫. সালফেট যৌগমূলকের যোজনী কত? (জ্ঞান)
˜ ২ খ ৩ গ ৪ ঘ ৫
৬৬. একাধিক যোজনী প্রদর্শন করে কোন মৌলটি? (অনুধাবন)
ক ঘধ ˜ ঋব গ ঐ ঘ ক
৬৭. ঋবঈষ৩ এ ঋব এর যোজনী কত? (প্রয়োগ)
ক ১ খ ২ ˜ ৩ ঘ ৪
৬৮. কার্বন ৪ ও সালফার ২ এর সমন্বয়ে যৌগের সংকেত কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ঈঝ খ ঈ২ঝ২ ˜ ঈঝ২ ঘ ঈঝ৩
৬৯. কোনো মৌলের একটি পরমাণু যে কয়টি হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে যুক্ত হয় তার সংখ্যাকে কী বলে? (অনুধাবন)
ক প্রতীক খ সংকেত ˜ যোজনী ঘ যৌগমূলক
৭০. আয়রন (ররর) কার্বনেটের ঠিক সংকেত কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ঋব৩(ঈঙ৩)২ খ ঋবঈঙ৩  ঋব২(ঈঙ৩)৩ ঘ ঋব২(ঈঙ৩)২
৭১. লেড (ইক) এর যোজনী কত? (জ্ঞান)
ক ১ খ ২ গ ৩ ˜ ৪
৭২. কোনটি ত্রিযোজী যৌগমূলক? (অনুধাবন)
ক ঘঐ৪ খ ঘঙ৩ গ ঝঙ৪  চঙ৪
৭৩. লেডের প্রতীক কোনটি? (জ্ঞান)
ক চ ˜ চন গ চঃ ঘ খব
৭৪. ঋব২(ঝঙ৪)৩ যৌগে ঋব ও ঝঙ৪ এর যোজনী কত? (প্রয়োগ)
ক ২, ৩ খ ২, ৪ গ ৩, ৪  ৩, ২
৭৫. ঘঐ৪ঈষ + অমঘঙ৩ = ঘঐ৪ঘঙ৩ + অমঈষ বিক্রিয়াতে ঋণাত্মক যৌগমূলক কোনটি? (প্রয়োগ)
 ঘঙ৩ খ ঘঐ৪ গ অম ঘ ঈষ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৬. সংকেত থেকে জানা যায়Ñ (অনুধাবন)
র. মোট পরমাণুর সংখ্যা
রর. মৌল বা যৌগ যে যে পরমাণু দিয়ে তৈরি
ররর. পরমাণু যে অনুপাতে বিন্যস্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৭৭. একাধিক যোজনী দেখায়Ñ (প্রয়োগ)
র. ঝহ ও চন রর. ঈঁ ও ঋব
ররর. গম ও অষ
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৭৮. ঙ=ঈ=ঙ সংকেতে (প্রয়োগ)
র. কার্বনের যোজনী ৪ এবং অক্সিজেনের যোজনী ২
রর. কার্বন পরমাণু দ্বিযোজী অক্সিজেন পরমাণুকে সংযুক্ত করেছে
ররর. কেন্দ্রীয় পরমাণু কার্বন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ৭৯ ও ৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অ মৌলের যোজনী ী এবং ই মৌলের যোজনী ু।
৭৯. অ ও ই মৌল দ্বারা গঠিত যৌগের সংকেত কোনটি? (প্রয়োগ)
ক অীইু ˜ অুইী গ অইীু ঘ ীুঅই
৮০. অ = ঘধ, ই = ঈঙ২৩ এবং অ ও ই এর যোজনী যথাক্রমে ১ ও ২ হলে কোন যৌগটি উৎপন্ন হবে? (উচ্চতর দক্ষতা)
˜ ঘধ২ঈঙ৩ খ ঘধঈঙ৩ গ ঘধ(ঈঙ৩)২ ঘ ঘধঈঙ৬

পাঠ ৩ ও ৪ : রাসায়নিক সমীকরণ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮১. ঝ + ঙ২  ঝঙ২; বিক্রিয়াটি হলোÑ [ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা]
 দহন খ প্রশমন গ সংযোজন ঘ প্রতিস্থাপন
৮২. একটি রাসায়নিক বিক্রিয়াকে কয়টি অংশে ভাগ করা যায়? (জ্ঞান)
˜ দুটি খ তিনটি গ চারটি ঘ পাঁচটি
৮৩. যেসব পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের কী বলে? (জ্ঞান)
ক বিক্রিয়াজাত পদার্থ খ উৎপাদ
গ বিক্রিয়া ˜ বিক্রিয়ক
৮৪. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যেসব পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাদের কী বলে? (জ্ঞান)
˜ বিক্রিয়াজাত পদার্থ খ উৎপাদ
গ বিক্রিয়া ঘ বিক্রিয়ক
৮৫. রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় পরমাণুসমূহের কী ঘটে? (জ্ঞান)
ক পুনউৎপাদন  পুনর্বিন্যাস গ পরমাণু বিন্যাস ঘ পরমাণুকরণ
৮৬. ২ঐ২ঙ এবং ঐ২ঙ এর মধ্যে পার্থক্য কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ২ঐ২ঙ পানির দুটি বিচ্ছিন্ন অণু এবং ঐ২ঙ পানির একটি অণু
 ২ঐ২ঙ পানির দুটি অণু এবং ঐ২ঙ পানির একটি অণু
গ ২ঐ২ঙ মৌলিক পদার্থ এবং ঐ২ঙ একটি যৌগিক পদার্থ
ঘ ২ঐ২ঙ ভারী পানি এবং ঐ২ঙ হালকা পানি
৮৭. ২ঐ২ + ঙ২ = ২ঐ২ঙ সমীকরণটির বিক্রিয়ক ও বিক্রিয়াজাত পদার্থে মোট পরমাণুর সংখ্যা কত? (অনুধাবন)
ক ৬ খ ৮ গ ১০ ˜ ১২
৮৮. ঐ২ঝঙ৪ এর অণুতে মোট পরমাণু সংখ্যা কত? (অনুধাবন)
ক ৩ খ ৫ ˜ ৭ ঘ ৯
৮৯. ২ঐ২ঙ তে পরমাণুর সংখ্যা কত? (অনুধাবন)
ক ৫ ˜ ৬ গ ৭ ঘ ৮
৯০. জিঙ্কের সাথে সালফিউরিক এসিডের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোন গ্যাস উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
˜ হাইড্রোজেন খ অক্সিজেন
গ সালফার ডাইঅক্সাইড ঘ কার্বন ডাইঅক্সাইড
৯১. রাসায়নিক সমীকরণের তীর বা সমান চি‎েহ্নর বাম দিকে কী লিখতে হয়? (জ্ঞান)
ক বিক্রিয়াজাত পদার্থ ˜ বিক্রিয়ক
গ উৎপাদ ঘ পরমাণুবিন্যাস
৯২. যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থ পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিণত হয় সে প্রক্রিয়াকে কী বলে? (অনুধাবন)
ক বিক্রিয়ক খ উৎপাদ
˜ রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘ পরিবর্তন
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৩. বিক্রিয়াজাত পদার্থÑ (প্রয়োগ)
র. বিক্রিয়া সংঘটনের পরবর্তী অবস্থা রর. একাধিক হলে যোগ চি‎হ্ন দেওয়া হয়
ররর. ডান দিকে লেখা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
৯৪. বিক্রিয়ক পদার্থÑ (প্রয়োগ)
র. বিক্রিয়া সংঘটনের পূর্বাবস্থা রর. ডান দিকে লেখা হয়
ররর. স্ব স্ব প্রতীক বা সংকেতে প্রকাশ করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর ˜ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের সমীকরণগুলো লক্ষ কর এবং ৯৫ ও ৯৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
১. ঝ + ঙ২  ঝঙ২
২. তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
৯৫. ১নং বিক্রিয়ার বিক্রিয়াজাত পদার্থের সাধারণ নাম কী? (অনুধাবন)
ক সালফার খ অক্সিজেন
˜ সালফার ডাইঅক্সাইড ঘ সালফার অক্সাইড
৯৬. উদ্দীপক থেকে বলা যায় (উচ্চতর দক্ষতা)
র. উভয় বিক্রিয়ায় প্রতীক, সংকেত ও চি‎হ্ন ব্যবহার হয়েছে
রর. ২নং বিক্রিয়ায় যৌগমূলকটি পরমাণুর ন্যায় যৌগ গঠনে অংশ নেয়
ররর. ১নং বিক্রিয়ার প্রথম বিক্রিয়কের যোজনী ২
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
পাঠ ৫ : রাসায়নিক বিক্রিয়া : সংযোজন
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৭. নিচের কোনটি নিশাদলের সংকেত? [মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 ঘঐ৪ঈষ খ ঈঁঝঙ৪ গ ঈঁঝঙ৩ ঘ (ঘঐ৪)ঝঙ৪
৯৮. আয়রন ও সালফারের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কী বর্ণের আয়রন সালফাইড উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
ক হালকা ধূসর  গাঢ় ধূসর গ লাল ঘ সবুজ
৯৯. তহ ও ঝ থেকে তহঝ তৈরির বিক্রিয়া কী ধরনের? (জ্ঞান)
ক সংশ্লেষণ খ প্রতিস্থাপন গ দহন  সংযোজন
১০০. স্পিরিট ল্যাম্প বা বার্নার দিয়ে কী করা হয়? (জ্ঞান)
ক গুড়া করা হয় খ মাপা হয় গ ওজন করা হয়  তাপ দেওয়া হয়
১০১. ঋব + ঝ  ঋবঝ কোন ধরনের বিক্রিয়া? (অনুধাবন)
ক প্রশমন  সংযোজন গ প্রতিস্থাপন ঘ দহন
১০২. ঘঐ৪ঈষ কী? (অনুধাবন)
ক মৌল  যৌগ গ আয়ন ঘ পরমাণু
১০৩. আয়রন সালফাইড তৈরিতে যে আয়রন লাগে তা কোন যন্ত্রের সাহায্যে গুড়া করা হয়? (প্রয়োগ)
 মর্টার খ টেস্টটিউব গ বিকার ঘ ব্যুরেট
১০৪. ঘঐ৩ + জ্জ = ঘঐ৪ঈষ এ বিক্রিয়ায় শূন্যস্থানে কী বসবে? (প্রয়োগ)
ক ঘ২  ঐঈষ গ ঈষ২ ঘ ঈষ
১০৫. অ্যামোনিয়ার সাথে হাইড্রোজেন ক্লোরাইডের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন হয়। এটি কী ধরনের বিক্রিয়া? (প্রয়োগ)
ক বিযোজন খ দহন গ প্রশমন  সংযোজন
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০৬. সংযোজন বিক্রিয়ায় (অনুধাবন)
র. মৌলের সংযোগে যৌগ গঠন রর. যৌগের সংযোগে যৌগ গঠন
ররর. মৌল বা যৌগের বিয়োজনে যৌগ গঠন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১০৭. তহ + ঝ  তহঝ একটি সংযোজন বিক্রিয়া কারণÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. দুটি মৌলিক পদার্থ মিলে একটি যৌগ উৎপাদিত হয়েছে
রর. সালফারের উপস্থিতিতে বিক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে
ররর. দুটি মৌলিক পদার্থের সংশ্লেষণ ঘটেছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর  র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের বিক্রিয়াটি লক্ষ করে এবং ১০৮ ও ১০৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অ + ঈঙ২  চুনাপাথর [ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
১০৮. বিক্রিয়াটি কোন ধরনের?
 সংযোজন খ দহন গ প্রশমন ঘ বিশ্লেষণ
১০৯. বিক্রিয়াটিতে Ñ
র. উৎপাদ তাপে বিয়োজিত হয়
রর. অ এবং উৎপাদনে ধর্ম একই
ররর. বিক্রিয়ক একাধিক মৌল গঠিত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ ৬ ও ৭ : দহন বিক্রিয়া
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১১০. কোনটির গন্ধ ঝাঁঝালো? [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক ঈঙ২  ঝঙ২ গ ঘঙ২ ঘ ঈধঙ
১১১. দহন বিক্রিয়ার সময় কী উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
 তাপ খ বিদ্যুৎ গ চাপ ঘ শব্দ
১১২. দহন চামচে সালফারকে উত্তপ্ত করলে কোন বর্ণের শিখা পাওয়া যায়? (জ্ঞান)
 নীল খ লাল গ সবুজ ঘ হালকা নীল
১১৩. কোন ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য অক্সিজেন অত্যাবশ্যক? (জ্ঞান)
ক সংযোজন খ প্রশমন  দহন ঘ বিনিময়
১১৪. স্বাভাবিক তাপ ও চাপে সালফার কী অবস্থায় থাকে? (অনুধাবন)
 কঠিন খ তরল গ গ্যাসীয় ঘ বাষ্পীয়
১১৫. ২গম + ঙ২  ২গমঙ এটি কোন ধরনের বিক্রিয়া? (অনুধাবন)
ক বিযোজন খ সংযোজন গ প্রতিস্থাপন  দহন
১১৬. সালফারে তাপ দিলে কোন যৌগের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যায়? (অনুধাবন)
 ঝঙ২ খ ঝঙ৪ গ ঝ ঘ ঝ ধোঁয়ার
১১৭. ঝ + ঙ২  (অনুধাবন)
 ঝঙ২ খ ঝঙ৪ গ ২ঝ২ঙ২ ঘ ২ঝঙ২
১১৮. ১ অণু সালফার ও ১ অণু অক্সিজেন মিলে কত অণু ঝঙ২ তৈরি করে? (প্রয়োগ)
 ১ খ ২ গ ১ বা ২ ঘ ৩
১১৯. একটি মৌলের অক্সাইড তৈরিতে কোনটি অবশ্যই দরকার? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক কার্বন ডাইঅক্সাইড  অক্সিজেন
গ সালফার ঘ ম্যাগনেসিয়াম
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২০. মোমের দহনে উৎপন্ন শক্তি কোন প্রকৃতির? [মতিঝিল বালক বিদ্যালয়]
র. তাপশক্তি রর. আলোকশক্তি ররর. রাসায়নিক শক্তি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২১. দহন বিক্রিয়ায় দরকার হয় (অনুধাবন)
র. অক্সিজেন রর. তাপ ররর. আলো
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ র ও রর গ র ও ররর ঘ রর ও ররর
১২২. দহনে উৎপন্ন হয়Ñ (প্রয়োগ)
র. গ্যাস রর. আলো ও তাপ ররর. শব্দ ও স্ফুলিঙ্গ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি লক্ষ কর এবং ১২৩ ও ১২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
নীলা পরীক্ষাগারে ম্যাগনেশিয়ামের রিবনে একটি টুকরা চিমটা দিয়ে ধরে বুনসেন বার্নারের শিখার উপর ধরে বিক্রিয়া লক্ষ করল। [মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা ]
১২৩. উদ্দীপকের আলোকে নিচের কোনটি বিক্রিয়াটি সঠিক?
ক গম + ঈষ  গমঈষ খ গম + ঙ২ ২গমঙ
গ গমঙ + ঐ২  গম + ঐ২ঙ  গহ + ঙ২  গহঙ২
১২৪. বিক্রিয়াটি কোন ধরনের বিক্রিয়া?
ক প্রতিস্থাপন খ বিয়োজন  দহন ঘ সংযোজন
পাঠ ৮ ও ৯ : প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৫. তুঁতের সংকেত কোনটি? [মতিঝিল আইডিয়্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ,ঢাকা]
 ঈঁঝঙ৪.৫ঐ২ঙ খ ঋবঝঙ৪ গ ঈঁঈঙ৩ ঘ তহঝঙ৪
১২৬. চুনের পানিতে ঈঙ২ চালনা করলে কী উৎপন্ন হয়? যার ফলে চুনের পানি ঘোলা হয়। [গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল, রাজশাহী]
ক ঈধ(ঙঐ)২  ঈধঈঙ৩ গ ঈধঙ ঘ ঙ২
১২৭. ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ বিক্রিয়াটি কোন ধরনের? [হলিক্রস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক সংযোজন খ বিয়োজন  প্রতিস্থাপন ঘ দহন
১২৮. তুঁত কী রঙের পদার্থ? (জ্ঞান)
ক হালকা নীল  নীল গ সবুজ ঘ নীলাভ
১২৯. আয়রন সালফেট কী বর্ণের পদার্থ? (জ্ঞান)
ক সবুজ  হালকা সবুজ গ গাঢ় সবুজ ঘ নীলাভ
১৩০. লোহার গুঁড়া ও তুঁতের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কী যৌগ উৎপন্ন হয়? (জ্ঞান)
 আয়রন সালফেট খ কপার সালফেট
গ লোহা ঘ কপার
১৩১. ঈধঈঙ৩ কে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
 চুনাপাথর খ চুনের পানি গ চুন ঘ ক্যালসিয়াম
১৩২. চুনাপাথর কার প্রভাবে ভেঙে ঈঙ২ তৈরি করে? (জ্ঞান)
ক চাপ খ জলীয় বাষ্প  তাপ ঘ অক্সিজেন
১৩৩. তুঁতে স্বাভাবিক অবস্থায় কী প্রকৃতির হয়? (জ্ঞান)
 কঠিন খ তরল গ গ্যাসীয় ঘ বাষ্পীয়
১৩৪. তুঁতের নীল দ্রবণে কিছু লোহার গুঁড়া যোগ করা হলে তলানিরূপে কী জমা হয়? (অনুধাবন)
 আয়রন সালফেট খ দস্তা
গ ম্যাগনেসিয়াম ঘ লোহার গুঁড়া
১৩৫. ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ এটি কোন ধরনের বিক্রিয়া? (অনুধাবন)
ক বিনিময় খ প্রশমন গ বিশ্লেষণ  প্রতিস্থাপন
১৩৬. কার্বন ডাইঅক্সাইড চুনের পানির সাথে বিক্রিয়া করে কী উৎপন্ন করে? (অনুধাবন)
ক চুন খ ক্যালসিয়াম  চুনাপাথর ঘ তুঁতে
১৩৭. পটাসিয়াম ক্লোরেটকে তাপে বিযোজিত করা হলে কী গ্যাস উৎপন্ন হয়? (অনুধাবন)
 অক্সিজেন খ ক্লোরিন গ হাইড্রোজেন ঘ অ্যামোনিয়া
১৩৮. তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২ বিক্রিয়ায় দস্তা সালফিউরিক এসিড থেকে কী প্রতিস্থাপন করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 হাইড্রোজেন খ সালফার গ অক্সিজেন ঘ জিঙ্ক
১৩৯. ঈধ(ঙঐ)২ কিসের সাথে বিক্রিয়ায় ঈধঈঙ৩ তৈরি করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ঐ২ঙ খ ঙ২  ঈঙ২ ঘ ঈধঙ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪০. বিযোজন বিক্রিয়ার উদাহরণÑ (অনুধাবন)
র. ঈধঈঙ৩  ঈধঙ + ঈঙ২ রর. ঈঁঈঙ৩  ঈঁঙ + ঈঙ২
ররর. ২কঈষঙ৩  ২কঈষ + ৩ঙ২
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি লক্ষ কর এবং ১৪১ ও ১৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
লিজা ল্যাবরেটরিতে একটি বিকারে কিছু চুন নিল। অতঃপর এর মধ্যে ড্রপার দিয়ে ভিনেগার যোগ করল। কিছুক্ষণ পর সে বিকারটি হাত দিয়ে স্পর্শ করে তাপমাত্রা পরিবর্তন লক্ষ করল। [বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ বগুড়া]
১৪১. বিকারে উল্লেখিত যৌগের মধ্যে কোন ধরনের বিক্রিয়া ঘটবে?
 প্রশমন খ বিয়োজন গ দহন ঘ সংযোজন
১৪২. উদ্দীপকে উল্লেখিত যৌগের মধ্যে বিক্রিয়ার উৎপন্ন হবেÑ
র. ক্যালসিয়াম এসিটেট রর. ক্যালসিয়াম কার্বনেট
ররর. পানি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ ১০ ও ১১ : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির রূপান্তর
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৩. চুনে ভিনেগার যোগ করলে কী বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
[মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়, ঢাকা]
ক সংশ্লেষণ খ প্রতিস্থাপন গ বিয়োজন  প্রশমন
১৪৪. কোনটি খাবার সোডার সংকেত?
[মতিঝিল আইডিয়্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ,ঢাকা; রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক ঘধ২ঈঙ৩ খ ঘধঙঐ  ঘধঐঈঙ৩ ঘ ঘধঈষ
১৪৫. ভিনেগার চুন যোগ করলে কোনটি উৎপন্ন হয়? [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
ক ঈধ(ঙঐ)২ খ ঈধঈঙ৩
গ ঈধ(ঐঈঙ৩)২  ঈধ(ঈঐ৩ঈঙঙ)২
১৪৬. লাইম ওয়াটার কী? (জ্ঞান)
ক চুন  চুনের পানি গ চুনাপাথর ঘ সাইট্রিক এসিড
১৪৭. খাবার সোডার অন্য নাম কী? (জ্ঞান)
 বেকিং সোডা খ ভিনেগার গ বেকিং সস ঘ সোডিয়াম গ্লুটামেট
১৪৮. লেবুর রস ও বেকিং সোডা বিক্রিয়া করে কোন গ্যাসের বুদবুদ তৈরি হয়? (জ্ঞান)
ক অক্সিজেন খ নাইট্রোজেন
গ কার্বন মনোক্সাইড  কার্বন ডাইঅক্সাইড
১৪৯. ভিনেগার কী জাতীয় পদার্থ? (জ্ঞান)
ক ক্ষার খ ক্ষারক গ লবণ  অম্ল
১৫০. চুন কী জাতীয় পদার্থ? (জ্ঞান)
ক অম্লীয়  ক্ষারীয় গ নিরপেক্ষ ঘ লবণ
১৫১. ক্যালসিয়াম এসিটেট কী জাতীয় পদার্থ? (জ্ঞান)
ক অম্লীয় খ ক্ষারীয়  নিরপেক্ষ ঘ লবণ
১৫২. সাইট্রিক এসিড কী ধরনের এসিড? (অনুধাবন)
 জৈব খ খনিজ গ অজৈব ঘ তীব্র
১৫৩. চুন + এসিটিক এসিড  ক্যালসিয়াম এসিটেট + পানি এই বিক্রিয়াকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
ক বিযোজন  প্রশমন গ সংযোজন ঘ প্রতিস্থাপন
১৫৪. ঈধঙ + ঐ২ঙ  ঈধ(ঙঐ)২ এ বিক্রিয়ায় কী উৎপন্ন হয়? (প্রয়োগ)
ক পানি  তাপ গ ধোঁয়া ঘ শব্দ
১৫৫. নিচের কোনটি অম্লধর্মী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 লেবুর রস খ চুন গ চুনের পানি ঘ বেকিং সোডা
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৬. ক্ষারধর্মী পদার্থÑ (অনুধাবন)
র. বেকিং সোডা রর. চুনের পানি ররর. ভিনেগার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদ পড় এবং ১৫৭ ও ১৫৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
চুনের সাথে ভিনেগারের বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম এসিটেট ও পানি উৎপন্ন হয়।
১৫৭. বিক্রিয়াটি কী ধরনের? (অনুধাবন)
ক দহন খ প্রতিস্থাপন গ বিয়োজন ˜ প্রশমন
১৫৮. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায়Ñ (প্রয়োগ)
র. চুন ক্ষারীয় পদার্থ রর. ভিনেগার অ¤øধর্মী পদার্থ
ররর. ক্যালসিয়াম এসিটেট নিরপেক্ষ পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ˜ র, রর ও ররর
পাঠ ১২-১৪ : শুষ্ককোষ
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৫৯. কোনটি শুষ্ক কোষে অ্যানোড হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ]
ক ঈঁ  তহ গ ঈ ঘ ঘঐ৪ঈষ
১৬০. টর্চ লাইটের ব্যাটারিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক কোষ  শুষ্ককোষ গ টর্চ ব্যাটারি ঘ সাধারণ কোষ
১৬১. বিদ্যুৎ উৎসের ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত তড়িৎদ্বারকে কী বলে? (জ্ঞান)
 ক্যাথোড খ অ্যানায়ান গ অ্যানোড ঘ ক্যাটায়ন
১৬২. যেসব যৌগ দ্রবণে বা বিগলিত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে না তাদের কী বলে? (জ্ঞান)
ক তড়িৎ বিশ্লেষ্য  তড়িৎ অবিশ্লেষ্য গ তড়িৎ বিশ্লেষণ ঘ তড়িৎদ্বার
১৬৩. যে তড়িৎদ্বার ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে তাকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক অ্যানোড খ সংযোগকারী তারগ তড়িৎদ্বার  ক্যাথোড
১৬৪. ব্যাটারির মধ্যে শক্তি কিরূপে সঞ্চিত থাকে? (জ্ঞান)
 রাসায়নিক শক্তি খ গতিশক্তি গ সঞ্চিত শক্তি ঘ তাপশক্তি
১৬৫. ঘধঈষ কে কী বলে? (জ্ঞান)
 খাবার লবণ খ শরবত গ লবণ ঘ তড়িৎ অবিশ্লেষ্য
১৬৬. ঘধঈষ-এর তড়িৎ বিশ্লেষণে ক্লোরিন কোথায় জমা হয়? (জ্ঞান)
 অ্যানোডে খ ক্যাথোডে গ ডায়োডে ঘ তরলে
১৬৭. শুষ্ককোষে যে ঘন দ্রবণ ব্যবহার হয় এটি কী? (অনুধাবন)
 ঘঐ৪ঈষ খ ঘধঙঐ গ ঐ২ঝঙ৪ ঘ ঐঈষ
১৬৮. নিচের কোনটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য? (অনুধাবন)
ক গ্লুকোজ খ অকটেন
গ পেট্রল  এসিড মিশ্রিত পানি
১৬৯. শুষ্ককোষে ধনাত্মক দণ্ড হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়? (অনুধাবন)
ক তামা খ দস্তা  কার্বন দণ্ড ঘ লোহা
১৭০. চিনি কী ধরনের পদার্থ? (অনুধাবন)
 তড়িৎ অবিশ্লেষ্য খ তড়িৎ বিশ্লেষ্য
গ তড়িৎ সুপরিবাহী ঘ তড়িৎ কুপরিবাহী
১৭১. সোডিয়াম ক্লোরাইডের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে ঋণাত্মক তড়িৎদ্বারে কী সৃষ্টি হয়? (প্রয়োগ)
ক পানি  সোডিয়াম ধাতু গ ক্লোরিন ঘ ঘধঈষ
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭২. ঘধঈষ-এর জলীয় দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় উৎপন্ন হয়Ñ (প্রয়োগ)
র. ঘধঙঐ রর. ঈষ২ ররর. ঐ২
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৭৩. শুষ্ক কোষ তৈরিতে প্রয়োজন হয়Ñ (প্রয়োগ)
র. ঘঐ৪ঈষ রর. ঐ২ঝঙ৪ ররর. গহঙ২
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৭৪ ও ১৭৫ প্রশ্নের উত্তর দাও :
একটি বিকারে পানি নিয়ে ঘধঈষ যোগ করে নাড়ানো হলো। দ্রবণে দুটি কার্বন দণ্ড ডুবিয়ে তামার তার দিয়ে ব্যাটারির সাথে সংযোগ দেয়া হলো।
১৭৪. গ্যাসের বুদবুদ দেখা গেল কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 ঈষ২ গ্যাস খ ঐ২ গ্যাস গ ধাতব সোডিয়াম ঘ ঈষ পরমাণু
১৭৫. উদ্দীপকে সংঘটিত বিক্রিয়া- (অনুধাবন)
র. ঈষ + ঈষঈষ২ রর. অ্যানোডে, ঈষ  ব  ঈষ
ররর. ক্যাথোডে, ঘধ+ + ব  ঘধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭৬. তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২ এÑ (অনুধাবন)
র. তহঝঙ৪ ও ঐ২ বিক্রিয়াজাত পদার্থ
রর. দহন বিক্রিয়া ঘটেছে
ররর. তহঝঙ৪ নিরপেক্ষ পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৭. মোমের দহনÑ (অনুধাবন)
র. তাপ ও আলো উৎপাদন করে রর. কার্বন যৌগের দহন
ররর. প্রশমন বিক্রিয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৭৮. তাপ উৎপন্ন হয়Ñ (অনুধাবন)
র. ঈধঙ + ঐ২ঙ  ঈধ(ঙঐ)২ রর. ঈধঈঙ৩  ঈধঙ + ঈঙ২
ররর. ঝ + ঙ২  ঝঙ২
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের রাসায়নিক সমীকরণ থেকে ১৭৯ ও ১৮০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
২ঐ২ + ঙ২ = ২ঐ২ঙ
১৭৯. প্রদত্ত বিক্রিয়ায় বিক্রিয়াজাত পদার্থটি কেমন? (অনুধাবন)
ক গ্যাসীয় খ ঝাঁঝালো
 তরল ঘ অ¤øীয়
১৮০. প্রদত্ত রাসায়নিক বিক্রিয়ায়Ñ (প্রয়োগ)
র. প্রতিস্থাপন ঘটেছে
রর. সংযোজন ঘটেছে
ররর. বিক্রিয়ক ও উৎপাদন পরমাণু সংখ্যা সমান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১ ল্ফ ফাহাদ ও ফারহান কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটালো, বিক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ :
র. কার্বন + অক্সিজেন তাপ
রর. চুনাপাথর তাপ
ররর. হাইড্রোজেন + অক্সিজেন 
রা. জিঙ্ক + সালফিউরিক এসিড 
ক. খাবার সোডার সংকেত কী?
খ. রর নং বিক্রিয়াটি কী ধরনের বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের যে বিক্রিয়ায় মৌলিক গ্যাস উৎপন্ন হয় সেটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ.র ও ররর নং বিক্রিয়া দুটি সংযোজন হলেও এদের মধ্যে ভিন্নতা আছে বিশ্লেষণ কর।
 ১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. খাবার সোডার সংকেত হলো ঘধঐঈঙ৩।
খ. রর নং বিক্রিয়াটি হলো বিযোজন বিক্রিয়া।
উক্ত বিক্রিয়ায় তাপ প্রয়োগের ফলে চুনাপাথর ভেঙে গিয়ে দুটি নতুন যৌগ ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়।
ঈধঈঙ৩  ঈধঙ + ঈঙ২
(চুনাপাথর) (ক্যালসিয়াম অক্সাইড) (কার্বন ডাইঅক্সাইড)
গ. উদ্দীপকের রা নং বিক্রিয়ায় মৌলিক গ্যাস উৎপন্ন হয়।
বিক্রিয়টি হলো-
তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
(জিঙ্ক) (সালফিউরিক (জিঙ্ক (হাইড্রোজেন)
এসিড) সালফেট)
এ বিক্রিয়ায় তহ ধাতু ঐ২ঝঙ৪ এর সাথে বিক্রিয়া করে তহঝঙ৪ ও ঐ২ গ্যাস উৎপন্ন করে। ঐ২ একটি মৌলিক গ্যাস। কেননা এর সংকেতে হাইড্রোজেন ভিন্ন অন্য কোনো পরমাণু নেই।
এ বিক্রিয়াটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
রা নং বিক্রিয়া থেকে দেখা যায় যে তহ সালফিউরিক এসিডের হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে তহঝঙ৪ উৎপন্ন করে। যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে প্রতিস্থাপন করে বা সরিয়ে নিজে জায়গা দখল করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। অতএব রা নং বিক্রিয়াটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া এবং এ বিক্রিয়াটি থেকেই মৌলিক গ্যাস উৎপন্ন হয়।
ঘ. র নং ও ররর নং বিক্রিয়া দুটি একই ধরনের অর্থাৎ সংযোজন বিক্রিয়া হলেও বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্যের কারণে এদের মধ্যে ভিন্নতা আছে। যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ পরস্পর বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ উৎপন্ন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। র নং ও ররর নং বিক্রিয়ায় শুধু মৌলিক পদার্থ যুক্ত হয়ে একটি যৌগ গঠন করায় এ দুটি বিক্রিয়াকে (সংযোজন) বিক্রিয়া বলা হয়। যেমন :
র. নং বিক্রিয়াটি : ঈ + ঙ২ তাপ জ্জ ঈঙ২কার্বন ডাইঅক্সাইড
ররর. নং বিক্রিয়াটি : ২ঐ২ + ঙ২ জ্জ ২ঐ২ঙপানি
র ও ররর নং বিক্রিয়া থেকে দেখা যায় যে,
১. র নং বিক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় আর ররর নং বিক্রিয়ায় পানি উৎপন্ন হয়।
২. র নং বিক্রিয়া তাপের প্রভাবে সংঘটিত হয় আর ররর নং বিক্রিয়া বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রভাবে সংগঠিত হয়।
অতএব, বলা যায় যে, র নং ও ররর নং বিক্রিয়া সংযোজন হলেও এদের মধ্যে ভিন্নতা আছে।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিতা তার পুতুলে ব্যাটারির সংযোগ দিয়ে পুতুল নাচ দেখছিল। এমন সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ওর ছোট বোন ঐশ্বরী একটি মোম জ্বালিয়ে আনল।
ক. প্রশমন বিক্রিয়া কী?
খ. লাইম ওয়াটার বলতে কী বুঝায়?
গ. রিতার পুতুলে ব্যবহৃত ব্যাটারির গঠন ব্যাখ্যা কর।
ঘ.পুতুল ও মোমবাতিতে শক্তির কী ধরনের রূপান্তর ঘটে? বিশ্লেষণ কর।
 ২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. প্রশমন বিক্রিয়া হলো সেই বিক্রিয়া যেখানে বিপরীতধর্মী পদার্থ একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে নিরপেক্ষ পদার্থ তৈরি করে।
খ. লাইম ওয়াটার বলতে পানিতে ঈধ(ঙঐ)২ এর সম্পৃক্ত দ্রবণ বা চুনের পানি বোঝায়। চুনের সাথে বেশি পরিমাণ পানি মিশিয়ে ঝাঁকিয়ে ছেঁকে নিলে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের যে স্বচ্ছ জলীয় দ্রবণ পাওয়া যায়, তাকেই লাইম ওয়াটার বলা হয়।
ঈধঙ + ঐ২ঙ  ঈধ(ঙঐ)২
(চুন) (পানি) (লাইম ওয়াটার)
গ. রিতা পুতুলে যে ব্যাটারি ব্যবহার করে নাচ দেখছিল তা ছিল একটি
ড্রাইসেল বা শুষ্ককোষ। এ ব্যাটারি নিম্নরূপে গঠিত হয়। প্রথমে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (ঘঐ৪ঈষ), কয়লার গুঁড়া এবং ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (গহঙ২) ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ পানি যোগ করে একটি পেস্ট বা লেই তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণটি সিলিন্ডার আকৃতির দস্তার চোঙে নিয়ে তার মধ্যে একটি কার্বন দণ্ড বসানো হয় এমনভাবে যাতে দণ্ডটি দস্তার চোঙকে স্পর্শ না করে। কার্বন দণ্ডের মাথায় একটি ধাতব টুপি পরানো থাকে। শুষ্ককোষের উপরের অংশ কার্বন দণ্ডটির চারপাশ পিচের আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। দস্তার চোঙটিকে একটি শক্ত কাগজ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এখানে দস্তার চোঙ ঋণাত্মক তড়িৎদ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে আর ধাতব টুপি দিয়ে ঢাকা কার্বন দণ্ডের উপরিভাগ ধনাত্মক তড়িৎদ্বার বা ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে। এভাবেই রিতার পুতুলে ব্যবহৃত ব্যাটারি গঠিত হয়।
ঘ. পুতুলে ব্যবহৃত ব্যাটারিতে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আর মোমবাতিতে সঞ্চিত শক্তি তাপ ও আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
পুতুলে ব্যবহৃত ব্যাটারিতে বর্তনী তৈরি হওয়ার ফলে পুতুলটি নাচছে। এই শক্তি আসছে ব্যাটারি থেকে। আর ব্যাটারির শক্তির উৎস হলো এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ অর্থাৎ দস্তা, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া ও গহঙ২। রাসায়নিক পদার্থের সঞ্চিত শক্তিই রূপান্তরিত হয়ে যান্ত্রিক শক্তি উৎপন্ন করছে। অর্থাৎ এখানে রাসায়নিক শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
মোমবাতির উপাদান হলো কার্বন এবং হাইড্রোজেন। একে বাতাসে পোড়ালে কার্বন এবং হাইড্রোজেন বাতাসের অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে ঈঙ২ এবং জলীয় বাষ্প উৎপন্ন করে। এ সময় তাপ এবং আলো উৎপন্ন হয় এবং উৎপন্ন তাপে কিছু পরিমাণ মোম গলে তরল হয়। সুতরাং মোমবাতিতে সঞ্চিত শক্তি তাপ ও আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অর্ক বাবার সাথে বেড়াতে গেলেই খেলনা গাড়ি কেনে। এগুলো ব্যাটারি ছাড়া চলেই না। কয়েক দিন ব্যবহার না করলে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে দামি খেলনাটাই অকেজো হয়ে যায়।
ক. তুঁতের সংকেত কী? ১
খ. চুনে পানি যোগ করলে কী ঘটে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের খেলনা গাড়ি চালাতে যে বস্তুটির প্রয়োজন তার গঠনপ্রণালি বর্ণনা কর। ৩
ঘ.খেলনা গাড়ির মতো টর্চলাইট জ্বালানোর সময় বস্তুটিতে কী ধরনের শক্তির রূপান্তর ঘটে? বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. তুঁতের সংকেত ঈঁঝঙ৪. ৫ঐ২ঙ
খ. চুনে পানি যোগ করায় চুন ও পানির মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়াম-হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন হয়।
ঈধঙ + ঐ২ঙ  ঈধ(ঙঐ)২ + তাপ
এই বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপে পানি ফুটতে থাকে। এজন্য চুন রাখার পাত্র গরম হয়।
গ. উদ্দীপকের অর্কের খেলনা গাড়ি চালাতে যে বস্তুটির প্রয়োজন তা হলো ব্যাটারি বা শুষ্ক কোষ।
আমরা টর্চ লাইট, বিভিন্ন রকম রিমোট কন্ট্রোলার, নানারকম খেলনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে ব্যাটারি ব্যবহার করি সেগুলোকে ড্রাইসেল বা শুষ্ক কোষ বলে।
নিচে এর গঠনপ্রণালি আলোচনা করা হলো।
প্রথমে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (ঘঐ৪ঈষ), কয়লার গুঁড়া এবং ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইড (গহঙ২) ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ পানি যোগ করে একটি পেস্ট বা লেই তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণটি সিলিন্ডার আকৃতির দস্তার চোঙে নিয়ে তার মধ্যে একটি কার্বন দণ্ড বসানো হয় এমনভাবে যাতে দণ্ডটি দস্তার চোঙকে স্পর্শ না করে। কার্বন দণ্ডের মাথায় একটি ধাতব টুপি পরানো থাকে। শুষ্ক কোষের উপরের অংশ কার্বন দণ্ডটির চারপাশ পিচের আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। দস্তার চোঙটিকে একটি শক্ত কাগজ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এখানে দস্তার চোঙ ঋণাত্মক তড়িৎদ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে আর ধাতব টুপি দিয়ে ঢাকা কার্বন দণ্ডের উপরিভাগ ধনাত্মক তড়িৎদ্বার বা ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে।
ঘ. অর্কের খেলনা গাড়িতে বস্তুটিতে শক্তির রূপান্তর ঘটে। এতে ব্যাটারির রাসায়নিক শক্তি রূপান্তরিত হয়ে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিণত হয়। এই যান্ত্রিক শক্তিকে কাজে লাগিয়েই খেলনা গাড়ি চলে।
ব্যাটারির এই শক্তির রূপান্তর টর্চলাইট জ্বালানোর সময়ও ঘটে। তবে এক্ষেত্রে শক্তির রূপান্তর প্রক্রিয়াটি একটু ভিন্ন। টর্চলাইটে ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় আলো জ্বালানোর জন্য। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ব্যাটারির রাসায়নিক শক্তি রূপান্তরিত হয়ে আলোকশক্তিতে পরিণত হয়। নিচে শক্তির এ রূপান্তর প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হলো:
টর্চলাইটে ১টি তামার তারের এক প্রান্ত শুষ্ক কোষের অ্যানোড ও অপর তামার তারটি ক্যাথোডের সাথে যুক্ত থাকে। বৈদ্যুতিক বাল্বের সাথে তার দুটির সংযোগ থাকে। সুইচ অন করলেই বাল্বটি জ্বলে ওঠে। কারণ এখানে তামার তারের মাধ্যমে বাল্ব ও ব্যাটারির মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি হয়।
বর্তনী তৈরি হওয়ার ফলে বাল্ব জ্বলে এবং তা আলোকশক্তি দেয়। এই আলোকশক্তি আসে ব্যাটারি থেকে। আর ব্যাটারির শক্তির উৎস হলো এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ অর্থাৎ দস্তা, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া ও ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইড। তাহলে বলা যায় যে, ঐ সকল রাসায়নিক পদার্থের সঞ্চিত শক্তিই রূপান্তরিত হয়ে আলোকশক্তি উৎপন্ন করছে। অর্থাৎ এখানে রাসায়নিক শক্তি আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।

প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
র. ঐ২ + ঈষ২ = ২ঐঈষ
রর. ২ঐ২ঙ = ২ঐ২ + ঙ২
ররর. তহ + ঐ২ঝঙ৪ = তহঝঙ৪ + ঐ২
ক. তুঁতের সংকেত কী? ১
খ. চুনের পানিতে ঈঙ২ চালালে ঘোলাটে হয় কেন? ২
গ. (ররর) নং বিক্রিয়াটি কোন ধরনের তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের (র) ও (রর) নং বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. তুঁতের সংকেত ঈঁঝঙ৪. ৫ঐ২ঙ
খ. চুনের পানিতে ঈঙ২ চালালে চুনের পানি ঈধ(ঙঐ)২ ও ঈঙ২ বিক্রিয়া করে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (ঈধঈঙ৩) তৈরি হয় বলে তা ঘোলাটে হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
ঈধ(ঙঐ)২ + ঈঙ২  ঈধঈঙ৩+ ঐ২ঙ
উৎপন্ন ঈধঈঙ৩ পানিতে অদ্রবণীয়। এটি পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় না বলে তা দ্রবণের নিচে তলানিরূপে জমা হয়ে থাকে। ফলে চুনের পানি ঘোলাটে হয়ে যায়।
গ. (ররর) নং বিক্রিয়াটি হলো প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
যে বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ তৈরি করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
উদ্দীপকের (ররর) নং বিক্রিয়াতে এমনটাই ঘটেছে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
তহ + ঐ২ঝঙ৪ = তহঝঙ৪ + ঐ২
এখানে জিঙ্ক (তহ), সালফিউরিক এসিড ঐ২ঝঙ৪ থেকে হাইড্রোজেনকে (ঐ২) সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে জিঙ্ক সালফেট (তহঝঙ৪) তৈরি করেছে। অতএব এটি নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, (ররর) নং বিক্রিয়াটি নিশ্চিতরূপেই একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
ঘ. উদ্দীপকের (র) নং বিক্রিয়াটি হলো সংযোজন বিক্রিয়া ও (রর) নং বিক্রিয়াটি হলো বিয়োজন বিক্রিয়া।
নিচে এ দুই বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ করা হলো।
যে বিক্রিয়ায় একের অধিক পদার্থ একত্রিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন একটি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।
উদ্দীপকের (র) নং বিক্রিয়াতে দেখা যায়-
ঐ২ + ঈষ২ = ২ঐঈষ
(হাইড্রোজেন) (ক্লোরিন) (হাইড্রোজেন ক্লোরাইড)
এখানে হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন একত্রিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন একটি রাসায়নিক পদার্থ হাইড্রোজেন ক্লোরাইড তৈরি করেছে।
কাজেই এটি একটি সংযোজন বিক্রিয়া।
যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক মৌল বা যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
উদ্দীপকের (রর) নং বিক্রিয়াতেও দেখা যায়,
২ঐ২ঙ = ২ঐ২ + ঙ২
(পানি) (হাইড্রোজেন) (অক্সিজেন)
এখানে, পানি ভেঙে একাধিক মৌল ঐ২ ও ঙ২ উৎপন্ন হয়েছে। কাজেই এটি একটি বিয়োজন বিক্রিয়া।

প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(র) কাপড় কাঁচা সোডা + হাইড্রোক্লোরিক এসিড  সাধারণ লবণ + পানি + ……….?
(রর) লাইম স্টোন  ক্ষারক + গ্যাস।
ক. যৌগমূলক কী? ১
খ. রাসায়নিক সমীকরণ বলতে কী বুঝায়? ২
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি সমীকরণের সাহায্যে সম্পন্ন কর। ৩
ঘ.(রর) নং বিক্রিয়ার উৎপন্ন গ্যাসটিকে চুনের পানির ভেতর দিয়ে চালনা করলে কী ঘটে সমীকরণসহ লেখ। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. যৌগমূলক হলো পরমাণুগুচ্ছ যা স্বাধীনভাবে থাকে না বরং মৌলিক পদার্থের পরমাণুর ন্যায় যৌগ গঠনে অংশ নেয়।
খ. রাসায়নিক সমীকরণ বলতে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়কদ্রব্য এবং উৎপন্ন দ্রব্যকে প্রতীক, সংকেত ও কতগুলো চিহ্নের (+, , বা, = ) সাহায্যে সংক্ষেপে প্রকাশ করাকে বোঝায়। যেমন : তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি হলো-
কাপড় কাচা সোডা + হাইড্রোক্লোরিক এসিড  সাধারণ লবণ + পানি + ……….?
এটি একটি অসম্পূর্ণ বিক্রিয়া। এর বিক্রিয়ক ও উৎপাদসমূহের রাসায়নিক সংকেত উল্লেখ করে বিক্রিয়াটি নিম্নরূপে সম্পন্ন করা যায়।
ঘধ২ঈঙ৩ + ২ঐঈষ  ২ঘধঈষ + ঐ২ঙ + ঈঙ২
কাপড় কাচা সোডা + হ্ইাড্রোক্লোরিক এসিড  সাধারণ লবণ + পানি + কার্বন ডাইঅক্সাইড
সম্পন্ন করা বিক্রিয়াটিকে নিম্নরূপে বর্ণনা করা যায়।
হাইড্রোক্লোরিক এসিড কাপড় কাচা সোডার সাথে বিক্রিয়া করে সাধারণ লবণ ও পানি উৎপাদন করে। সাথে সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসও নির্গত হয়।
ঘ. (রর) নং বিক্রিয়াটি হলো
লাইম স্টোন  ক্ষারক + গ্যাস।
বিক্রিয়াটিতে বিক্রিয়ক ও উৎপাদসমূহের রাসায়নিক সংকেত উল্লেখ করে বিক্রিয়াটিকে নিম্নরূপে সম্পন্ন করা যায়।
ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২
(ক্যালসিয়াম কার্বোনেট)  ক্যালসিয়াম অক্সাইড + কার্বন ডাইঅক্সাইড
দেখা যাচ্ছে যে, (রর) নং বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাসটি হলো কার্বন ডাইঅক্সাইড। এ গ্যাসটিকে চুনের পানি বা ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ঈধ(ঙঐ)২ এর ভেতর দিয়ে চালনা করলে নিম্নরূপ রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটবে।
ঈঙ২ + ঈধ(ঙঐ)২ — ঈধঈঙ৩ + ঐ২ঙ
কার্বন ডাইঅক্সাইড (চুনের পানি) (ক্যালসিয়াম কার্বনেট) (পানি)
এ বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট (ঈধঈঙ৩)। এটি একটি লবণ যা পানিতে অদ্রবণীয়। পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় না বলে চুনের পানি ঘোলা হয়ে যায়।
অতএব, সামগ্রিকভাবে বলা যায়, (রর) নং বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাসটি হলো কার্বন ডাইঅক্সাইড (ঈঙ২) যাকে চুনের পানির [(ঈধ(ঙঐ)২] ভেতর দিয়ে চালনা করলে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঈধঈঙ৩ উৎপন্ন হওয়ার কারণে চুনের পানি ঘোলা হয়ে যায়।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
র. ঐ২ + ঈষ২ = ২ঐঈষ
রর. ২ঐ২ঙ = ২ঐ২ + ঙ২
ররর. তহ + ঐ২ঝঙ৪ = তহঝঙ৪ + ঐ২
ক. তুঁতের সংকেত কী? ১
খ. চুনের পানিতে ঈঙ২ চালালে ঘোলাটে হয় কেন? ২
গ. ররর নং বিক্রিয়াটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের র ও রর নং বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
সৃজনশীল ৪ নং উত্তর দেখ।

প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(র) গমঈঙ৩  গমঙ + ঈঙ২
(রর) তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
ক. ভিনেগারের সংকেত কী? ১
খ. লাইম ওয়াটার বলতে কী বুঝায়? ২
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি কোন প্রকারের? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.(রর) নং বিক্রিয়াটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া  বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ভিনেগারের সংকেত হলো ঈঐ৩ ঈঙঙঐ।
খ. সৃজনশীল ২(খ) নং উত্তর দেখ।
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি একটি বিয়োজন বিক্রিয়া।
যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক মৌল বা যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে। যেমন : চুনাপাথরকে তাপ দিলে এটি বিয়োজিত হয়ে বা ভেঙে ক্যালসিয়াম অক্সাইড (ঈধঙ) ও কার্বন ডাইঅক্সাইড (ঈঙ২) গ্যাস উৎপন্ন হয়। যেমন-
ঈধঈঙ৩ —— ঈধঙ + ঈঙ২
উদ্দীপকের (র) নং সমীকরণেও দেখা যাচ্ছে,
গমঈঙ৩ ——— গমঙ + ঈঙ২
(ম্যাগনেসিয়াম (ম্যাগনেসিয়াম (কার্বন ডাইঅক্সাইড)
কার্বনেট) অক্সাইড)
এখানে, ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট (গমঈঙ৩) বিয়োজিত হয়ে ম্যানেসিয়াম অক্সাইড (গমঙ) ও কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস (গমঙ) ও (ঈঙ২) উৎপন্ন করে।
অতএব, (র) নং বিক্রিয়াটি একটি বিয়োজন বিক্রিয়া।
ঘ. (রর) নং বিক্রিয়াটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
যে বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ তৈরি করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। যেমন :
ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ
(লোহা) (কপার সালফেট) (আয়রন সালফেট) (কপার)
এখানে, লোহা কপার সালফেট থেকে কপারকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে আয়রন সালফেট তৈরি করেছে।
উদ্দীপকের (ররর) নং বিক্রিয়াতেও এমনটাই ঘটেছে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
তহ + ঐ২ঝঙ৪ = তহঝঙ৪ + ঐ২
এখানে জিঙ্ক (তহ) সালফিউরিক এসিড (ঐ২ঝঙ৪) থেকে হাইড্রোজেনকে (ঐ২) সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে জিঙ্ক সালফেট (তহঝঙ৪) তৈরি করেছে। অতএব এটি বলা যায় যে, রর নং বিক্রিয়াটি নিশ্চিতরূপেই একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ
(র) ঈধঙ + ঈঙ২ ——— চ
(রর) গম + ঙ২ ———— গমঙ
ক. রাসায়নিক সমীকরণ কী? ১
খ. যৌগমূলক বলতে কী বোঝায়? ২
গ. (রর) নং বিক্রিয়াটির সমতাকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.চ যৌগটিকে বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহার করলে কী ধরনের বিক্রিয়া ঘটবে? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। ৪ ৪
 ৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. রাসায়নিক সমীকরণ হলো কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী বিক্রিয়ক দ্রব্য এবং উৎপন্ন দ্রব্যকে প্রতীক, সংকেত ও কতগুলো চিহ্নের (+,  বা = ) সাহায্যে প্রকাশ করার প্রক্রিয়া।
খ. যৌগমূলক বলতে এমন পরমাণুগুচ্ছকে বোঝায় যা স্বাধীনভাবে থাকে না এবং মৌলিক পদার্থের একটি পদার্থের ন্যায় যৌগ গঠনে অংশ নেয়।
যখন একাধিক পরমাণু পরস্পরের কাছে এসে নিজেদের মধ্যে বিক্রিয়া না করে পাশাপাশি গুচ্ছ আকারে অবস্থান করে তখন তাদের যৌগমূলক বলে। সম্পূর্ণ গুচ্ছটি একটি একক পরমাণুর ন্যায় আচরণ করে এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ায়ও অংশগ্রহণ করে। যেমন  ঝঙ২৪, ঈঙ২৩, ঘঙ৩, ঘঐ+৪ ইত্যাদি।
গ. (রর) নং বিক্রিয়াটি হলো : গম + ঙ২ —— গমঙ
বিক্রিয়াটিতে সমতা সাধন করা হয়নি। নিচে সমীকরণটির সমতাকরণ ব্যাখ্যা করা হলো।
বিক্রিয়ার আগে যত সংখ্যাক গম এবং ঙ পরমাণু থাকে বিক্রিয়ার পরেও বিক্রিয়াজাত পদার্থে ততসংখ্যক গম ও ঙ পরমাণু থাকা উচিত। তাই বিক্রিয়ার সমতা স্থাপনের জন্য গম, ঙ২ ও গমঙ অণুর সংখ্যা এবং সমীকরণ হবে নিম্নরূপ
২গম + ঙ২ = ২গমঙ
এই সমীকরণ থেকে বিক্রিয়ার পূর্বে এবং পরে বিক্রিয়কসমূহের মোট পরমাণুর সংখ্যা গণনা করা যায়। বোঝার সুবিধার্থে সমীকরণটি নিম্নরূপে উপস্থাপন করা হলো।
২গম + ঙ২ = ২গমঙ
বা, (২  ১) + (১  ২) = ২  (১ + ১)
বা, ২ + ২ = ২  ২
বা, ৪ = ৪
এভাবে উপরিউক্ত পদ্ধতিকে (রর) নং বিক্রিয়াটির সমতাকরণ করা যায়।
ঘ. চ যৌগটি হলো (র) নং বিক্রিয়ার উৎপাদ।
বিক্রিয়াটি হলো : ঈধঙ + ঈঙ২ —— ঈধঈঙ৩
এখানে, চ হলো ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ঈধঈঙ৩। এ যৌগটিকে বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহার করলে নিম্নরূপ বিক্রিয়া ঘটবে :
ঈধঈঙ৩ —— ঈধঙ + ঈঙ২
এটি একটি বিয়োজন বিক্রিয়া। যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক মৌল বা যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
উপরিউক্ত বিক্রিয়ায় ঈধঈঙ৩ কে বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহার করে তাপ দিলে তা ভেঙে ঈধঙ ও ঈঙ২ উৎপন্ন হয়।
অতএব উপরিউক্ত যুক্তিসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, চ যৌগ বা ঈধঈঙ৩ কে বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহার করলে বিয়োজন বিক্রিয়া ঘটবে।

প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের বিক্রিয়াসমূহ লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
র. ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + অ
রর. অ + ই  ঈধঈঙ৩ + ঐ২ঙ
ররর. ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ
ক. কুইক লাইম কী? ১
খ. দহন বিক্রিয়া বলতে কী বুঝায়? ২
গ. (রর) নং বিক্রিয়ায় অ ও ই চিহ্নিত করে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.(র) ও (ররর) নং বিক্রিয়ার মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৯নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. চুন ও পানির মধ্যে বিক্রিয়ায় যে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন হয় তাই কুইক লাইম।
খ. বাতাসের অক্সিজেনের সাহায্যে কোনো পদার্থ পুড়ে তাপশক্তি ও আলোক শক্তি উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে দহন বিক্রিয়া বলে। যেমন: সালফারকে বাতাসের অক্সিজেনের মধ্যে পোড়ালে সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়। এটি একটি দহন বিক্রিয়া।
ঝ + ঙ২ তাপ ঝঙ২
সালফার অক্সিজেন সালফার ডাইঅক্সাইড
গ. (রর) নং বিক্রিয়ায় অ ও ই যথাক্রমে ঈঙ২ ও ঈধ(ঙঐ)২
(র) নং বিক্রিয়া চুনাপাথরের বিযোজন বিক্রিয়া। এতে তাপ দিলে চুনাপাথর বিযোজিত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস (অ) ও ক্যালসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২(অ)
চুনাপাথর ক্যালসিয়াম অক্সাইড কার্বন ডাইঅক্সাইড
উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসটিকে চুনের পানির মধ্যে চালনা করলে আবার চুনাপাথর বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট ও পানি উৎপন্ন হয়। সুতরাং অ ও ই হলো ঈঙ২ ও ঈধ(ঙঐ)২
কাজেই (রর) নং বিক্রিয়াটিকে নিম্নরূপে লেখা যায়।
ঈঙ২ + ঈধ(ঙঐ)২  ঈধঈঙ৩ + ঐ২ঙ
ঘ. (র)নং বিক্রিয়া বিযোজন এবং (ররর) নং বিক্রিয়া প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। র ও ররর নং উভয়ই রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ। (র) নং বিক্রিয়ায় ঈধঈঙ৩ যৌগ ভেঙে ঈধঙ ও ঈঙ২ দুটি নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয়েছে। সুতরাং এটি বিযোজন বিক্রিয়া। আর (ররর) নং বিক্রিয়ায় ঋব মৌল ঈঁঝঙ৪ যৌগ থেকে ঈঁ কে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ ঋবঝঙ৪ উৎপন্ন করেছে। সুতরাং এটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
(র) নং বিক্রিয়ায় তাপের প্রভাব অবশ্যই দরকার। কিন্তু (ররর) নং বিক্রিয়ায় তার দরকার নেই।

প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক ক্লাসে একটি টেস্টটিউবে ৫ গ্রাম চুনাপাথর নিয়ে ছিপিসহ নির্গম নল দ্বারা টিউবের খোলা মুখ বন্ধ করা হলো। নির্গম নলের অপর প্রান্ত ১Ñ২ মিলিলিটার চুনের পানিবিশিষ্ট অন্য একটি টেস্টটিউবে প্রবেশ করানো হয়। অতঃপর প্রথম টেস্টটিউবে তাপ দেওয়া হল।
ক. জিংক ও সালফারের বিক্রিয়ায় কোন যৌগ উৎপন্ন হয়? ১
খ. প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলতে কী বুঝ? ২
গ. প্রথম টেস্টটিউবে কী ঘটবে? সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.পরীক্ষণ শেষে চুনের পানির কি কোনো পরিবর্তন ঘটবে? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
 ১০নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. জিংক ও সালফারের বিক্রিয়ায় জিংক সালফাইড যৌগ উৎপন্ন হয়।
খ. যে বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ তৈরি করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে। যেমন : লোহা ও কপার সালফেটের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় লোহা কপার সালফেট থেকে কপারকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে আয়রন সালফেট তৈরি করে।
ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ
লোহা কপার সালফেট আয়রন সালফেট কপার
গ. প্রথম টেস্টটিউবে কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হবে। টেস্টটিউবে নেওয়া চুনাপাথর তাপ দেওয়ার ফলে বিযোজিত হয়ে বা ভেঙে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও ক্যালসিয়াম অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২
চুনাপাথর ক্যালসিয়াম অক্সাইড কার্বন ডাইঅক্সাইড
ঘ. পরীক্ষণ শেষে চুনের পানির পরিবর্তন ঘটেছে এবং তা হলো স্বচ্ছ চুনের পানি ঘোলা হয়ে যাবে।
নির্গম নলের অপর প্রান্ত ১-২ মিলিমিটার চুনের পানিবিশিষ্ট অন্য একটি টেস্টটিউবে প্রবেশ করালে চুনের পানি ঘোলা হয়ে যাবে। প্রথম টেস্টটিউবে উৎপন্ন কার্বন ডাইঅক্সাইড দ্বিতীয় টেস্টটিউবে (নির্গমন নলের মাধ্যমে) যাওয়ার ফলে সেখানে চুনের পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইড বিক্রিয়া করে। আবার পানিতে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট তৈরি হওয়ায় চুনের পানি ঘোলা হয়ে যাবে।
ঈঙ২ + ঈধ(ঙঐ)২  ঈধঈঙ৩ + ঐ২ঙ
কার্বন ডাইঅক্সাইড চুনের পানি ক্যালসিয়াম কার্বনেট পানি
প্রশ্ন-১১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢ + ঘধঙঐ  খাবার লবণ + পানি
ক. তুঁতের সংকেত কী? ১
খ. ঘঐ৩ ক্ষারধর্মী কেন? ২
গ. বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করে ব্যাখ্যা দাও। ৩
ঘ.ঢ কী ধরনের যৌগ, উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
 ১১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. তুঁতের সংকেত ঈঁঝঙ৪.৫ঐ২ঙ।
খ. ঘঐ৩ পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়ে ঘঐ৪ঙঐ ক্ষার উৎপন্ন করে বলে এটি ক্ষারধর্মী। যে সকল রাসায়নিক পদার্থ ক্ষার উৎপন্ন করে তাদেরকে ক্ষারক বা ক্ষারধর্মী পদার্থ বলে। এজন্য ঘঐ৩ কে ক্ষারধর্মী পদার্থ বলে।
গ. বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ : ঢ + ঘধঙঐ খাবার লবণ + পানি
ধরি, ঢ যৌগটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড।
 বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ : ঐঈষ + ঘধঙঐ  ঘধঈষ + ঐ২ঙ
এখানে, ঐঈষ একটি এসিড ও ঘধঙঐ  একটি ক্ষার। ঐঈষ দ্রবণ ঐ+ আয়ন দান করে এবং ঘধঙঐ দ্রবণে আয়ন দান করে। ঐ+ ও ঙঐ আয়ন মিলে পানি উৎপন্ন হয়।
এছাড়া ঘধ+ ও ঈষ আয়ন মিলে ঘধঈষ লবণ উৎপন্ন হয়। এটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
ঘ. ঢ অ¤øধর্মী ধরনের যৌগ। বিক্রিয়াটিতে ঢ একটি এসিড। কারণ ঢ যৌগটি জলীয় দ্রবণে ঐ+ আয়ন প্রদান করে। নীল লিটমাসকে লাল করে এবং ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে নিরপেক্ষ লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। ঢ যৌগটি যদি ঐঈষ হয়।
ঐঈষ  ঐ+ +ঈষ
ঐঈষ + ঘধঙঐ  ঘধঈষ + ঐ২ঙ
প্রশ্ন-১২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
র. ২ঘধ + ঐ২ঝঙ৪  ঘধ২ঝঙ৪ + ঐ২
রর. ঈ + ঙ২  ঈঙ২
ক. ভিনেগারের রাসায়নিক সংকেত লেখ। ১
খ. বিয়োজন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? ২
গ. (রর) নং বিক্রিয়াটি কোন ধরনের ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.(র) নং বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগটি অন্য কোনোভাবে উৎপন্ন করা যায় কি? বিশ্লেষণ কর। ৪
 ১২নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ভিনেগারের রাসায়নিক সংকেত ঈঐ৩ঈঙঙঐ।
খ. যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক মৌল বা যৌগ উৎপন্ন হয় তাদেরকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে। যেমন :
২কঈষঙ৩ তাপ ২কঈষ + ৩ঙ২
পটাসিয়াম ক্লোরেট কে তাপ দিলে তা বিয়োজিত হয়ে পটাসিয়াম ক্লোরাইড ও অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
গ. (রর) নং বিক্রিয়াটি দহন বিক্রিয়া।
যে বিক্রিয়ায় কোনো মৌলকে বাতাসে অক্সিজেনের সাহায্যে দহন করা হয় তাকে দহন বিক্রিয়া বলা হয়।
ঈ + ঙ২  ঈঙ২
উপরের বিক্রিয়াটিতে কার্বন গুড়াকে বাতাসের অক্সিজেনের সাহায্যে দহন করা হয়েছে এবং এতে কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়।
ঘ. (র) নং বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগটির নাম সোডিয়াম সালফেট। সাধারণত সালফিউরিক এসিডের সাথে কিংবা সোডিয়ামের চেয়ে কম সক্রিয় ধাতুর লবণের সাথে সোডিয়াম ধাতুর বিক্রিয়ায় সোডিয়াম সালফেট উৎপন্ন হয়।
২ঘধ + ঐ২ঝঙ৪  ঘধ২ঝঙ৪ + ঐ২
এখানে, ঘধ ধাতু ও ঐ২ঝঙ৪ মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে।
আরেকটি বিক্রিয়া লক্ষ করি :
২ঘধঙঐ + ঐ২ঝঙ৪  ঘধ২ঝঙ৪ + ২ঐ২ঙ
এটা একটি প্রশমন বিক্রিয়া। এখানে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও সালফিউরিক এসিড বিক্রিয়া করে সোডিয়াম সালফেট ও পানি উৎপন্ন করে। অতএব (র) নং বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগটি অন্যভাবেও উৎপন্ন করা যায়।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঈধ(ঙঐ)২ + অ  ঈধঝঙ৪ + ২ঐ২ঙ
ক. এসিটিক এসিডের সংকেত কী? ১
খ. চুনাপাথরে ঐঈষ যোগ করলে বুদবুদ তৈরি হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়াটি কোন ধরনের যৌগ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্দীপকের অ যৌগটির ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. এসিটিক এসিডের সংকেত ঈঐ৩ঈঙঙঐ।
খ. চুনাপাথর হলো ক্যালসিয়াম কার্বনেট (ঈধঈঙ৩)। এর সাথে ঐঈষ যোগ করলে ক্যাসিয়াম ক্লোরাইড এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। কার্বন ডাইাক্সাইড নির্গত হওয়ার সময় বিক্রিয়ার পাত্রে বুদবুদের সৃষ্টি করে।
ঈধঈঙ৩ + ২ঐঈষ  ঈধঈষ২ + ঐ২ঙ + ঈঙ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়াটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া। কারণ এতে এসিড ও ক্ষার বিক্রিয়া করে প্রশম যৌগ উৎপন্ন করেছে। অ যৌগটি ঐ২ঝঙ৪। কারণ ঈধ এর লবণ ঈধঝঙ৪ উৎপন্ন হয়েছে।
ঈধ(ঙঐ)২ + ঐ২ঝঙ৪  ঈধঝঙ৪ + ঐ২ঙ
এ বিক্রিয়ার চুনের পানি ঈধ(ঙঐ)২ ক্ষারধর্মী এবং সালফিউরিক এসিড (ঐ২ঝঙ৪) অ¤øধর্মী এদের বিক্রিয়ায় প্রশম যৌগ ক্যালসিয়াম সালফেট (ঈধঝঙ৪) ও পানি (ঐ২ঙ) উৎপন্ন হয়। সুতরাং উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়াটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
ঘ. অ যৌগটির নাম সালফিউরিক এসিড। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অ যৌগটি নানা ভ‚মিকা পালন করে। সালফিউরিক এসিড প্রকৃতিতে প্রাপ্ত নানা রকম খনিজ পদার্থ থেকে তৈরি করা হয় বলে একে খনিজ এসিড বলে। এটি খাওয়ার উপযোগী নয়। বরং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এটি ত্বকে লাগলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
দৈনন্দিন জীবনে এবং শিল্প কারখানায় এসিডের ব্যবহার অনস্বীকার্য। আইপিএস, গাড়ি মাইক বাজানোর সময়, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ইত্যাদি কাজে যে ব্যাটারি ব্যবহৃত হয় তাতে সালফিউরিক এসিড ব্যবহৃত হয়। সার কারখানায় একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো সালফিউরিক এসিড। এছাড়া ডিটারজেন্ট থেকে শুরু করে নানা রকম রং, ঔষধপত্র, কীটনাশকসহ পেইন্ট, কাগজ, বিস্ফোরক ও রিবন তৈরিতে প্রচুর ঐ২ঝঙ৪ ব্যবহৃত হয়।
একটি দেশ কতটা শিল্পোন্নত তা বিচার করা হয় ঐ দেশ কতটুকু ঐ২ঝঙ৪ ব্যবহার করে তার ওপর ভিত্তি করে।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. লেবুর রসে কোন এসিড থাকে? ১
খ. সংযোজন বিক্রিয়া বলতে কী বুঝায়? ২
গ. অ চিহ্নিত কোষটির কাজ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে শক্তির কী ধরনের রূপান্তর ঘটেÑবিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. লেবুর রসে সাইট্রিক এসিড থাকে।
খ. যে বিক্রিয়ায় একের অধিক পদার্থ একত্রিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী নতুন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। যেমন : ঋব + ঝ  ঋবঝ
এখানে, হালকা হলুদ রঙের সালফার ও লোহার গুড়া মিলে নতুন পদার্থ আয়রন সালফাইড তৈরি হয়েছে। এটি একটি সংযোজন বিক্রিয়া।
গ. অ চিহ্নিত কোষটি হলো ড্রাইসেল বা শুষ্ক কোষ। নিচে এর কাজ ব্যাখ্যা করা হলো :
টর্চলাইট, বিভিন্ন রকম রিমোট কন্ট্রোলার নানা রকম খেলনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ড্রাইসেল ব্যবহার করা হয়। বর্তনীতে ড্রাইসেল যোগ করলে বাল্ব জ্বলে ওঠে। শুষ্ক কোষ বা ড্রাইসেল ঘড়িতে ব্যবহার করা হয়। শুষ্ক কোষ তড়িৎ বিশ্লেষণে অ্যানোড ও ক্যাথোডের সাথে যুক্ত করে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করে ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন ধাতু নিষ্কাশন করা যায়।
ঘ. উদ্দীপকে রাসায়নিক শক্তির আলোক শক্তিতে রূপান্তর ঘটে, বর্তনী তৈরি হওয়ার ফলে বাল্ব জ্বলছে এবং তা আলোকশক্তি দিচ্ছে, এই আলোকশক্তি আসছে ব্যাটারি থেকে। আর ব্যাটারির শক্তির উৎস হলো ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ অর্থাৎ দস্তা, অ্যামোনিয়াম, ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড। ঐ সকল রাসায়নিক পদার্থের সঞ্চিত শক্তিই রূপান্তরিত হয়ে আলোকশক্তি উৎপন্ন হয়। এখানে রাসায়নিক শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

চিত্র : অ
ক. পরমাণুর কেন্দ্রকে কী বলে? ১
খ. ক্যাটায়ন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. চিত্র -অএর গঠন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.অ তে সঞ্চিত শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব কিনা? বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পরমাণুর কেন্দ্রকে নিউক্লিয়াস বলে।
খ. যে সকল ধনাত্মক আয়ন তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় ক্যাথোডে গিয়ে ইলেকট্রন গ্রহণ করে ধাতুতে পরিণত হয় তাদের ক্যাটায়ন বলে। যেমন : ঘধঈষ এর দ্রবণে তড়িৎ বিশ্লেষণ করলে ঘধ+ আয়ন ক্যাথোডে গিয়ে ইলেকট্রন ত্যাগ করে ঘধ ধাতুতে পরিণত হয়। এ জন্য ঘধ+ ক্যাটায়ন।
গ. চিত্রে অ হলো একটি শুষ্ক কোষ।
প্রথমে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (ঘঐ৪ঈষ), কয়লার গুঁড়া এবং ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড (গহঙ২) ভালোভাবে মিশিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ পানি যোগ করে একটি পেস্ট বা নিই তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণটি সিলিন্ডার আকৃতির দস্তার চোঙে নিয়ে তার মধ্যে একটি কার্বন দণ্ড বসানো হয় এমনভাবে যাতে দণ্ডটি দস্তার চোঙকে স্পর্শ না করে। কার্বন দণ্ডের মাথায় একটি ধাতব টুপি পরানো থাকে। শুষ্ক কোষের উপরের অংশ কার্বন দণ্ডটির চারপাশে পিচের আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। দস্তার চোঙটিকে একটি শক্ত কাগজ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এখানে দস্তার চোঙ ঋণাত্মক তড়িৎদ্বার বা অ্যানোড হিসেবে কাজ করে আর ধাতব টুপি দিয়ে ঢাকা কার্বন দণ্ডের উপরিভাগ ধনাত্মক তড়িৎদ্বার বা ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে।
ঘ. অ তে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
এ জন্য একটি তামার তারের একপ্রান্ত শুষ্ক কোষের অ্যানোড ও অপর তামার তারটি ক্যাথোডের সাথে যুক্ত করতে হবে। এবার তার দুটির অপর প্রান্ত একটি বাল্বের সাথে চিত্রের ন্যায় সংযুক্ত করতে হবে।

এতে বাতি জ্বলবে। এই আলোক শক্তি আসবে ব্যাটারি থেকে। ব্যাটারির শক্তির উৎস হলো এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ। ঐ সকল রাসায়নিক পদার্থের সঞ্চিত শক্তিই রূপান্তরিত হয়ে আলোক শক্তি উৎপন্ন করবে।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা করে দেখা যায়, অ তে সঞ্চিত শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
প্রশ্ন-১৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(র) ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২;
(রর) তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
ক. ভরসংখ্যা কাকে বলে? ১
খ. তড়িৎ বিশ্লেষণ কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি কোন প্রকারের? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.(রর) নং বিক্রিয়াটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়াÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ১৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. কোনো পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা ও নিউট্রনসংখ্যার যোগফলকে তার পারমাণবিক ভরসংখ্যা বলা হয়।
খ. যে বিক্রিয়ায় কোনো বিগলিত বা দ্রবীভ‚ত দ্রবণের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত করা হয় এবং তড়িৎ প্রবাহের ফলে দ্রবণের রাসায়নিক পরিবর্তন সাধিত হয়, সে বিক্রিয়াকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। যেমন : বিগলিত ঘধঈষ দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত করলে ঘধ ধাতু ও ঈষ২ গ্যাস উৎপন্ন হয়। এ পরিবর্তনই তড়িৎ বিশ্লেষণ।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত (র) নং বিক্রিয়াটি বিয়োজন বিক্রিয়া। যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে।
উদ্দীপকে (র) নং বিক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম কার্বনেট (ঈধঈঙ৩) তাপের প্রভাবে ভেঙে ক্যালসিয়াম অক্সাইড (ঈধঙ) এবং কার্বন ডাই অক্সাইড (ঈঙ২) গ্যাসে পরিণত হয়। তাই (র) নং বিক্রিয়াটি বিয়োজন বিক্রিয়া।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত (রর)নং বিক্রিয়াটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
যে বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ তৈরি করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
(রর) নং বিক্রিয়ায় জিংক (তহ) সালফিউরিক এসিড (ঐ২ঝঙ৪) অণু থেকে হাইড্রোজেনকে (ঐ২) সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে এবং নতুন যৌগ জিংক সালফেট (তহঝঙ৪) উৎপন্ন করে।
তাই, (রর) নং বিক্রিয়াটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।

প্রশ্ন -১৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নিচের বিক্রিয়া দুটি পর্যবেক্ষণ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. ২ঐ২ + ঙ২ = ২ঐ২ঙ
২. ঘ২ + ৩ঐ২ = ২ঘঐ৩
ক. বিক্রিয়ক কী? ১
খ. যোজনী ও সংকেতের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ। ২
গ. ১নং বিক্রিয়ার তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.২নং বিক্রিয়া লেখার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছেÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ১৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী পদার্থগুলো হলো বিক্রিয়ক।
খ. যোজনী ও সংকেতের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো :
যোজনী সংকেত
১. হাইড্রোজেনের সাথে একটি মৌলের যুক্ত হওয়ার সামর্থ্যকে ঐ মৌলের যোজনী বলে। ১. মৌলিক অথবা যৌগিক পদার্থের অণুকে প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করাকে সংকেত বলে।
২. কোনো যৌগের অণুতে পরমাণু বা যৌগমূলকের অনুপাত এদের যোজনীর বিপরীত অনুপাতে হয়। ২. সংকেত পদার্থের অণু কী কী মৌল দ্বারা গঠিত এবং তাদের পরমাণু সংখ্যা কত তা প্রকাশ করে।
গ. ১নং বিক্রিয়ায় পানি উৎপাদিত হয়। এ বিক্রিয়ার তাৎপর্য নিম্নরূপ :
১. হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে পানি উৎপন্ন হয়।
২. হাইড্রোজেনের দুটি অণু অক্সিজেনের একটি অণুর সাথে বিক্রিয়া করে দুই অণু পানি উৎপন্ন করে।
৩. ১নং বিক্রিয়ার পরমাণুর সংখ্যা গণনা করলে দেখা যায় :
২ঐ২ + ১ঙ ২ = ২ঐ২ঙ১
(২  ২) + (১  ২) = ২  (২ + ১)
বা, ৪ + ২ = (২  ৩)
বা, ৬ = ৬
সুতরাং, বিক্রিয়ার আগে বিক্রিয়ক পরমাণুগুলোর মোট সংখ্যা বিক্রিয়ার পরে উৎপাদ পরমাণুগুলোর মোট সংখ্যা পরস্পর সমান।
ঘ. ২নং বিক্রিয়া লেখার ক্ষেত্রে এসব নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে সেগুলো হলো :
১. বিক্রিয়ক পদার্থগুলোর সংকেত দুটি বামদিকে এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলোর সংকেত ডানদিকে লিখে মাঝে তীর () চি‎‎হ্ন দেওয়া হয়।
২. উৎপাদ পদার্থ একটি হলেও বিক্রিয়ক পদার্থ একাধিক বলে তাদের সংকেতের মধ্যে যোগ চি‎হ্ন (+) দেওয়া হয়েছে।
৩. বিক্রিয়ক এবং বিক্রিয়াজাত পদার্থগুলোর পরমাণু সমতা আছে বলে তীর () চি‎ে‎হ্নর পরিবর্তে সমান (=) চি‎‎হ্ন বসানো হয়েছে।
ঘ২ + ৩ঐ২ = ২ঘঐ৩
৪. বিক্রিয়ার আগে বিক্রিয়ক পদার্থের অণুর মধ্যে যত সংখ্যক উপাদান মৌলের পরমাণু থাকে, বিক্রিয়ার পরেও গঠিত নতুন অণুগুলোর মধ্যে ঠিক তত সংখ্যক উপাদান পরমাণু আছে :
১ঘ২ + ৩ঐ২ = ২ঘঐ৩
বা, ১  ২ + ৩  ২ = ২(১ + ৩)
বা, ২ + ৬ = ২  ৪
বা, ৮ = ৮
প্রশ্ন -১৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পরীক্ষাগারে কঠিন সালফারকে লম্বা হাতলযুক্ত দহন চামচে নিয়ে পোড়ালে ঝঙ২ গ্যাস পাওয়া যায়। আবার ম্যাগনেসিয়ামের রিবন সরাসরি আগুনে পোড়ালে গমঙ গ্যাস উৎপন্ন হয়।
ক. দহন বিক্রিয়া কাকে বলে? ১
খ. দহনে কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটে? ২
গ. উদ্দীপকের মৌলের সাথে যুক্ত মৌল কোথা থেকে আসে এবং অত্যাবশ্যক কেন? ৩
ঘ.উদ্দীপকের বিক্রিয়াদ্বয়ে রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ১৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. বাতাসের অক্সিজেনের মধ্যে কোনো মৌল বা যৌগ পোড়ালে যে বিক্রিয়া হয় তাকে দহন বিক্রিয়া বলে।
খ. দহনে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। গম কে বাতাসে পোড়ালে গমঙ উৎপন্ন হয়। এ গমঙ বিক্রিয়ক গম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সেই সঙ্গে প্রচর তাপ ও আলোকশক্তি উৎপন্ন হয়।
গ. উদ্দীপকের মৌল দুটি হলো সালফার (ঝ) ও ম্যাগনেসিয়াম (গম)। এদের সাথে যুক্ত মৌলটি হলো অক্সিজেন (ঙ২) যা বাতাস থেকে আসে।
দহন শব্দের অর্থ পোড়ানো। দহন বিক্রিয়ায় মৌলের সাথে অক্সিজেন যুক্ত হয়। দহন বিক্রিয়ায় অক্সিজেন লাগবেই, কারণ আগুন জ্বলার জন্য অক্সিজেন আবশ্যক।
উদ্দীপকে সালফার ও ম্যাগনেসিয়াম মৌলদ্বয় পোড়ালে ঝঙ২ ও গমঙ গ্যাস উৎপন্ন হয়। এখানে মৌলদ্বয়ের সাথে অক্সিজেন যুক্ত হয়েছে। দহন বিক্রিয়ার দ্বারা এরা যুক্ত হয়েছে। এ অক্সিজেন আসে বাতাস থেকে।
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াদ্বয়ে রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হওয়ার কারণ দহন বিক্রিয়া পরিবর্তন।
যখন কোনো পরিবর্তনে বিক্রিয়ক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পদার্থ উৎপন্ন হয়, তা রাসায়নিক পরিবর্তন। উদ্দীপকে যে বিক্রিয়াদ্বয় সংঘটিত হয় তা হলো
১. ঝ + ঙ২ তাপ ঝঙ২ ২. ২গম + ঙ২  ২গমঙ
১নং বিক্রিয়ায় তাপ দেয়ার ফলে সালফার বাতাসের অক্সিজেনের সাথে দহন বিক্রিয়ার দ্বারা ঝঙ২ গ্যাস তৈরি করে যা বিক্রিয়ক পদার্থ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
২নং বিক্রিয়ায় ম্যাগনেসিয়াম বাতাসের অক্সিজেনে দহন বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুড়তে থাকে এবং গমঙ উৎপাদিত হয় যা বিক্রিয়ক উপাদান থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
উভয়ক্ষেত্রেই বিক্রিয়াজাত পদার্থের বৈশিষ্ট্য বিক্রিয়ক পদার্থের বৈশিষ্ট্য থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুতরাং, উভয় ক্ষেত্রেই রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন -১৯ ল্ফ নিচের বিক্রিয়াগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
র. ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ
রর. ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২
ররর. ২কঈষঙ৩ তাপ ২কঈষ + ৩ঙ২
ক. রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে? ১
খ. রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী? ২
গ. র নং ও রর নং বিক্রিয়াদ্বয় কোন শ্রেণির ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ররর নং বিক্রিয়াকে সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত বিক্রিয়া বলার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
 ১৯নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. যে প্রক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে নতুন এক বা একাধিক পদার্থের সৃষ্টি হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
খ. রাসায়নিক বিক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
১. রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন বস্তুর ধর্মাবলি বিক্রিয়ক পদার্থসমূহের ধর্ম থেকে ভিন্ন হয়।
২. তাপের উদ্ভব বা শোষণ ঘটে।
৩. বিক্রিয়াজাত বস্তুকে বিক্রিয়ার পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না।
৪. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পদার্থের মূল গঠনের পরিবর্তন ঘটে।
গ. র নং বিক্রিয়াটি হলো : ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ
এটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। এ বিক্রিয়ায় ঋব কপার সালফেট থেকে ঈঁ কে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে ঋবঝঙ৪ তৈরি করেছে। সুতরাং রনং বিক্রিয়া হলো প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া।
আবার রর নং বিক্রিয়া হলো : ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২
এটি একটি বিয়োজন বিক্রিয়া। এ বিক্রিয়ায় ঈধঈঙ৩ বিয়োজিত হয়ে দুটি যৌগ ঈধঙ ও ঈঙ২ উৎপন্ন করেছে। সুতরাং রর নং বিক্রিয়া হলো বিযোজন বিক্রিয়া।
ঘ. (ররর) নং বিক্রিয়া হলো বিয়োজন বিক্রিয়া যা সংযোজনের বিপরীত।
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগ পরস্পর বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ উৎপন্ন করে, তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। আর যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক মৌল বা যৌগ উৎপন্ন করে তাকে বিয়োজন বিক্রিয়া বলে। সুতরাং বিয়োজন বিক্রিয়াকে সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত বিক্রিয়া বলা হয়।
উদ্দীপকের ররর নং বিক্রিয়ায় কঈষঙ৩ বিয়োজিত হয়ে দুটি যৌগ কঈষ ও ঙ২ উৎপন্ন করেছে। এ বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙেই দুটি যৌগ উৎপন্ন হয়েছে। সুতরাং ররর নং বিক্রিয়া হলো বিয়োজন বিক্রিয়া যাকে সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত বিক্রিয়া বলা যায়।
প্রশ্ন -২০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আমরা টর্চ, রেডিও, খেলনা গাড়ি ইত্যাদিতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করি। এতে কোনো রাসায়নিক তরল পদার্থ ব্যবহার হয় না বলে ড্রাইসেল বা শুষ্ক বিদ্যুৎকোষ বলে। আজকাল নানা কাজে প্রচুর ড্রাইসেল ব্যবহৃত হচ্ছে।
ক. অ্যানোড কী? ১
খ. ড্রাইসেলকে শুষ্ক কোষ বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের কোষটি এঁকে চিহ্নিত কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের কোষটির গঠন প্রণালী বর্ণনা কর। ৪
 ২০নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষের ধনাত্মক তড়িৎদ্বারকে অ্যানোড বলে।
খ. ড্রাইসেলে কোনো তরল পদার্থ ব্যবহার না হওয়ায় একে শুষ্ক কোষ বলা হয়। ড্রাইসেল এক প্রকার তড়িৎ কোষ, যাতে তরল অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের (ঘঐ৪ঈষ)-এর পরিবর্তে ঘঐ৪ঈষ-এর ঘন পেস্ট (কাঠ কয়লার গুঁড়ো) ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ম্যাঙ্গানিজ ড্রাইঅক্সাইড (গহঙ২) ব্যবহার করা হয় যা একটি শুষ্ক পদার্থ। এসব কারণেই একে শুষ্ক কোষ বলে।
গ. উদ্দীপকের বিদ্যুৎ কোষটি হলো ড্রাইসেল বা শুষ্ক বিদ্যুৎকোষ। নিচে একটি ড্রাইসেল এঁকে এর বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করা হলোÑ

ঘ. উদ্দীপকের বিদ্যুৎ কোষটি হলো ড্রাইসেল বা শুষ্ক বিদ্যুৎকোষ। গঠন প্রণালি নিচে বর্ণনা করা হলো :
ড্রাইসেল কোষে একটি দস্তার চোঙের মধ্যস্থলে একটি কার্বন দণ্ড বসানো থাকে। কার্বন দণ্ডটি কোষের ধনাত্মক পাত ও দস্তার চোঙ ঋণাত্মক পাত হিসেবে কাজ করে। কার্বন দণ্ডের উপরে একটি পিতলের টুপি থাকে। কার্বন দণ্ডের চারদিকে ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইড ও কাঠ কয়লা গুঁড়ার মিশ্রণ রাখা হয়। মিশ্রণসহ কার্বন দণ্ডটিকে দস্তার চোঙের মধ্যে স্থাপন করে চোঙের ফাঁকা অংশ অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের ঘন পেস্ট দ্বারা পূর্ণ করা হয়। পেস্ট যাতে শুকিয়ে না যায়, সেজন্য দস্তার চোঙের ওপরের মুখ পিচ, গালা, কাঠের গুঁড়ো ইত্যাদি দ্বারা বন্ধ থাকে। গ্যাস বের হওয়ার জন্য পিচের মধ্যে একটি ছোট ছিদ্র থাকে। অতঃপর পুরো জিনিসকে কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়। এভাবে একটি ড্রাইসেল বা শুষ্ক বিদ্যুৎকোষ গঠিত হয়।

প্রশ্ন -২১ ল্ফ নিচের সমীকরণগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
১. ২ঘধ + ঈষ২  ২ঘধঈষ
২. গম + ঙ২ তাপ গমঙ
৩. তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
৪. ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২
ক. চুনাপাথর কী কী মৌল নিয়ে গঠিত? ১
খ. গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বালালে কী ধরনের শক্তির রূপান্তর ঘটে? ২
গ. উদ্দীপকের ২নং, ৩নং ও ৪নং বিক্রিয়ার শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের ১নং বিক্রিয়ার দ্রবণে তড়িৎ প্রবাহের ফলে কী ঘটবে? ব্যাখ্যাসহ লিখ। ৪
 ২১নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. চুনাপাথর ক্যালসিয়াম (ঈধ), কার্বন (ঈ) ও অক্সিজেন (ঙ) নিয়ে গঠিত।
খ. গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বালালে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তি ও আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বালালে মিথেনের দহন ঘটে।
ঈঐ৪ + ঙ২  ঈঙ২ + ঐ২ঙ + তাপশক্তি + আলোক শক্তি।
গ্যাসে সঞ্চিত শক্তি রাসায়নিক শক্তি হিসেবে থাকে। গ্যাস জ্বালালে সঞ্চিত শক্তি পরিবর্তিত হয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস, জলীয়বাষ্প এবং প্রচুর তাপশক্তি ও আলোক শক্তি উৎপন্ন করে।
গ. উদ্দীপকের ২নং বিক্রিয়াটি একটি দহন বিক্রিয়া। বাতাসের অক্সিজেনের মধ্যে কোনো মৌল বা যৌগ পোড়ালে যে বিক্রিয়া হয় তাকে দহন বিক্রিয়া বলে। এখানে ম্যাগনেসিয়াম অক্সিজেনের উপাস্থিতিতে পুড়ে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড গঠন করেছে।
গম + ঙ২ তাপ গমঙ
উদ্দীপকের ৩নং বিক্রিয়াটি একটি প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া। এ বিক্রিয়ায় জিংক সালফিউরিক এসিড থেকে হাইড্রোজেনকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ তৈরি করেছে।
তহ + ঐ২ঝঙ৪  তহঝঙ৪ + ঐ২
উদ্দীপকের ৪নং বিক্রিয়াটি একটি বিযোজন বিক্রিয়া। এ বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক যৌগ উৎপন্ন করেছে। যেমন : ক্যালসিয়াম কার্বনেট ভেঙে ঈধঙ ও ঈঙ২ উৎপন্ন করেছে।
ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২
ঘ. দ্রবণে তড়িৎ প্রবাহের ফলে ক্লোরিন গ্যাস ও ধাতব সোডিয়াম উৎপন্ন হয়, একে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে।
উদ্দীপকের ১নং বিক্রিয়ায় ঘধঈষ উৎপন্ন হয়। এর দ্রবণের মধ্যে ব্যাটারির সাহায্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করলে দেখা যাবে ক্লোরাইড আয়ন (ঈষ–) ব্যাটারির অ্যানোডে গিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে (ঈষ২) ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করবে। অন্য দিকে সোডিয়াম আয়ন (ঘধ+) বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে ক্যাথোডে গিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার দ্বারা ধাতব সোডিয়াম (ঘধ) উৎপন্ন করবে। ফলে ক্যাথোডে ধূসর প্রলেপ দেখা দিবে। বিক্রিয়াটি নিম্নলিখিতভাবে দেখানো হলোÑ
ঘধ+ + ব–  ঘধঈষ– + ব–  ঈষঈষ + ঈষ  ঈষ২
প্রশ্ন -২২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র লিটন বিগলিত শইৎ এর মধ্যে দুটি কার্বন দণ্ড স্থাপন করে তড়িৎ প্রবাহিত করল। অপর একজন ছাত্র রুবেল প্রয়োজনীয় উপকরণ হতে টর্চলাইটের ব্যাটারি প্রস্তুত করল।

ক. সোডিয়াম সাইট্রেটের সংকেত লিখ। ১
খ. চুনে ভিনেগার যোগ করলে কী ঘটে সমীকরণসহ লেখ। ২
গ. রুবেলের ব্যাটারি তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপকরণসহ ব্যাটারির গঠন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তড়িৎ প্রবাহের ফলে লিটন কী পরিবর্তন লক্ষ করবে? কারণসহ বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. সোডিয়াম সাইট্রেটের সংকেত হলো ঘধ৩ঈ৬ঐ৫ঙ৭
খ. চুন (ঈধঙ) হলো ক্ষার এবং ভিনেগার (ঈঐ২ঈঙঙঐ) হলে এসিড। চুনে ভিনেগার যোগ করলে প্রশমন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম এসিটেট তথা লবণ উৎপন্ন হয়। সমকরণটি হলো :
ঈধঙ + ২ঈঐ৩ঈঙঙঐ  ঈধ(ঈঐ৩ঈঙঙ)২ + ঐ২ঙ
গ. সৃজনশীল ১৫ (গ) নং উত্তরের অনুরূপ।
ঘ. তড়িৎ প্রবাহের ফলে রুবেল নিম্নোক্ত পরিবর্তন লক্ষ করবেÑ
কঠিন অবস্থায় শইৎ আয়নসমূহ পরস্পরের সাথে দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে। এ অবস্থায় আয়নসমূহ স্বাধীনভাবে বিরাজ করে। তরলের দুটি তড়িৎদ্বার প্রবেশ করিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাটারির সাহায্যে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়। ক্যাথোডে ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট হওয়ায় তা ধনাত্মক পটাসিয়াম আয়নকে আকর্ষণ করে। পটাসিয়াম আয়নসমূহ ক্যাথোডে পৌঁছামাত্র ক্যাথোডে তাদের ইলেকট্রন দান করে ফলে পটাসিয়াম পরমাণু সৃষ্টি করে। পটাসিয়াম পরমাণুসমূহ একত্রিত হয়। পটাসিয়াম ধাতুরূপে দেখা দেয়। ক্যাথোডে বিক্রিয়াÑ
ক+ + ব = ক
অন্যদিকে, অ্যানোড ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট হওয়ায় তা ঋণাত্মক ব্রোমাইড আয়নসমূহকে আকর্ষণ করে এবং এ আয়নসমূহ অ্যানোডে পৌছামাত্র তাতে ইলেকট্রন ছেড়ে দিয়ে ব্রোমিন পরমাণুর সৃষ্টি হয়। দুটি ব্রোমিন পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ব্রোমিন গ্যাসের সৃষ্টি করে। অ্যানোডে বিক্রিয়া :
ইৎ  ব = ইৎ
অথবা, ইৎ = ইৎ + ব
২ইৎ = ইৎ২
প্রশ্ন -২৩ ল্ফ নিচের চিত্রটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষে ঘধঈষ এর গলিত দ্রবণ
ক. লাইম ওয়াটার কী? ১
খ. চুনাপাথরে তাপ দিলে কী উৎপন্ন হয়? রাসায়নিক বিক্রিয়া লিখে দেখাও। ২
গ. উপরিউক্ত কোষটির গঠন বর্ণনা কর এবং অ্যানোড ও ক্যাথোডের সংজ্ঞা দাও। ৩
ঘ.যৌগটি থেকে কীভাবে মৌলগুলো আলাদা করে পাওয়া যায়? যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পানিতে ঈধ(ঙঐ)২ এর সম্পৃক্ত দ্রবণই চুনের পানি বা লাইম ওয়াটার।
খ. চুনাপাথরকে তাপ দিলে ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। এটি একটি বিয়োজন বিক্রিয়া। এ সময় নিম্নোক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
ঈধঈঙ৩ তাপ ঈধঙ + ঈঙ২
গ. উপরিউক্ত কোষটির গঠন থেকে দেখা যায় যে, এটি একটি তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ। এখানে ঘধঈষ এর তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। উপরিউক্ত কোষে একটি ব্যাটারি থেকে দুটি তামার তার অ্যানোড ও ক্যাথোডের সাথে সংযুক্ত আছে। ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্ত অ্যানোডের সাথে এবং ঋণাত্মক প্রান্ত ক্যাথোডের সাথে যুক্ত আছে।
যে তড়িৎদ্বার বাইরের বিদ্যুৎ উৎসের ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে তাকে অ্যানোড এবং যে তড়িৎদ্বার ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে তাকে ক্যাথোড বলে।
ঘ. যৌগটি থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মৌলগুলো আলাদা করে পাওয়া যায়।
যৌগটি হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। কঠিন অবস্থায় এর আয়নসমূহ পরস্পরের সাথে দৃড়ভাবে আটকে থাকে। বিগলিত অবস্থায় তরলে দুটি তড়িৎদ্বার প্রবেশ করিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাটারির সাহায্যে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়। ক্যাথোডে ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট হওয়ায় তা ঋণাত্মক সোডিয়াম আয়নকে আকর্ষণ করে। সোডিয়াম আয়নসমূহ একত্রিত হয়ে সোডিয়াম ধাতুরূপে দেখা যায়Ñ
ঘধ+ + ব (ক্যাথোড) = ঘধ
অন্যদিকে অ্যানোড ধনাত্মক আধান যুক্ত হওয়ায় তা ঋণাত্মক ক্লোরাইড আয়নসমূহকে আকর্ষণ করে এবং এ আয়নসমূহ অ্যানোডে পৌছামাত্র তাতে ইলেকট্রন ছেড়ে দিলে ক্লোরিন পরমাণু সৃষ্টি হয়। দুটি ক্লোরিন পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে ক্লোরিন গ্যাসের সৃষ্টি করে। অ্যানোডে বিক্রিয়া :
ঈষ  ব = ঈষ
অথবা, ঈষ = ঈষ + ব
২ঈষ = ঈষ২
এভাবে ঘধঈষ যৌগটি থেকে মৌলগুলো আলাদা করা যায়।
প্রশ্ন -২৪ ল্ফ নিচের সমীকরণগুলো দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(র) ঋব + ঈঁঝঙ৪  ঋবঝঙ৪ + ঈঁ
(রর) ২কঈষ + ৩ঙ২  ২কঈষঙ৩ [মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. রাসায়নিক বিক্রিয়া কাকে বলে? ১
খ. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির রূপান্তর ব্যাখ্যা কর। ২
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি কোন প্রকারের? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. (রর) নং বিক্রিয়াটি সংযোজন বিক্রিয়াÑ ব্যাখ্যা কর। ৪
ল্ফল্প ২৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. যে প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক পদার্থ নিজ নিজ ধর্ম হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট এক বা একাধিক পদার্থে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে।
খ. রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির রূপান্তর ঘটে। যেমন: গ্যাসের চুলায় গ্যাস জ্বালালে গ্যাসে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি পরিবর্তিত হয়ে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন করে।
ঈঐ৪ + ২ঙ২  ঈঙ২ + ২ঐ২ঙ + তাপ
গ. সৃজনশীল ১৯(গ) নং উত্তর দেখ।
ঘ. উদ্দীপকের (রর) নং বিক্রিয়াটি হচ্ছে Ñ
২কঈষ + ৩ঙ৩ ২কঈষঙ৩
(রর) নং বিক্রিয়াটি সংযোজন বিক্রিয়া। নিচে সংযোজন বিক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো Ñ
যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ পরস্পর বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ উৎপন্ন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে। উদ্দীপকের (রর) নং বিক্রিয়ায় যৌগিক পদার্থ পটাসিয়াম ক্লোরাইড ও মৌলিক পদার্থ অক্সিজেন বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ পটাসিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন করে।
সুতরাং, উদ্দীপকের (রর) নং বিক্রিয়াটি সংযোজন বিক্রিয়া।
প্রশ্ন -২৫ ল্ফ নিচের সমীকরণগুলো দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(র) তহ + ঐ২ঝঙ৪  (রর) অষ + ঙ২ 
ক. খাবার সোডার সংকেত কী? ১
খ. পটাসিয়ামের ক্লোরেটকে তাপ প্রদান করলে কী ঘটবে? ২
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করে এটি কোন শ্রেণির Ñ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.(রর) নং বিক্রিয়াটি দহন না সংযোজন Ñ যুক্তি প্রদর্শন কর। ৪
ল্ফল্প ২৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. খাবার সোডার সংকেত হলো : ঘধঐঈঙ৩
খ. পটাশিয়াম ক্লোরেটকে তাপ দিলে পটাশিয়াম ক্লোরাইড ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে নিম্নরূপ বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
২কঈষঙ৩ তাপ ২কঈষ + ৩ঙ২
গ. সৃজনশীল ৪(গ) নং উত্তর দেখ।
ঘ. (রর) নং বিক্রিয়াটি একটি দহন বিক্রিয়া। বিক্রিয়াটিকে সম্পন্ন করে পাই, ৪অষ + ৩ঙ২ ২অষ২ঙ৩
যে নিষ্ক্রিয় রাসায়নিক বিক্রিয়া বায়ু বা অক্সিজেনের উপস্থিতিতে কোনো পদার্থে অগ্নিসংযোগ করলে তা ভিন্ন কোনো পদার্থে পরিণত হয় তাকে দহন বিক্রিয়া বলে। বাতাসের সংস্পর্শে এর উপরিভাগে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের প্রলেপ পড়ে, যা একে বাতাসের ক্রমাগত আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এ কারণে সাধারণ তাপমাত্রায় অ্যালুমিনিয়াম বাতাসের সাহায্যে বিক্রিয়া করে না। কিন্তু খুব উত্তপ্ত করলে, বিশেষ করে পাত আকার হলে এটি জ্বলে ওঠে এবং অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডে পরিণত হয়। তাই (রর) নং বিক্রিয়াটি একটি দহন বিক্রিয়া।

সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন -২৬ ল্ফ একটি টেস্টটিউবে লোহার গুঁড়া ও সালফার নিয়ে স্পিরিট ল্যাম্পের সাহায্যে তাপ দেওয়া হলো। গাঢ় ধূসর বর্ণের পদার্থ পাওয়া গেল। অপরদিকে ম্যাগনেশিয়াম রিবনের একটি ছোট টুকরা চিমটা দিয়ে ধরে বুনসেন বার্নারের শিখায় ধরা হলো। ছাই এর মতো অবশেষ পাওয়া গেল।
ক. মৌলের যোজনী কী? ১
খ. কঈষঙ৩ এ তাপ দিলে কী ধরনের বিক্রিয়া সংঘটিত হবে? ২
গ. প্রথম ঘটনায় কেন গাঢ় ধূসর বর্ণের পদার্থ পাওয়া গেল? ৩
ঘ. দ্বিতীয় ঘটনায় ছাইয়ের মতো অবশেষ পাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন -২৭ ল্ফ
(অ) + ঈঙ২  ঈধঈঙ৩ ঈধঙ + ঈঙ২
ক. প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কাকে বলে? ১
খ. আয়রনের যোজনী ২ ও ৩ হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকের অ তে লেবুর রস যোগ করলে কী ধরনের বিক্রিয়া ঘটবে? ৩
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় সংযোজন ও বিয়োজন ঘটেছে। উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২৮ ১. ঈধঙ + ঐ২ঙ  ঈধ(ঙঐ)২
২. ঈঙ২ + ঈধ(ঙঐ)২  ঈধঈঙ৩ + ঐ২ঙ
ক. চুন কী? ১
খ. তড়িৎ বিশ্লেষণে তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয় কেন? ২
গ. ১নং সমীকরণের বিক্রিয়াজাত পদার্থে ভিনেগার যোগ করা হলে কী ধরনের বিক্রিয়া সংঘটিত হবে? ৩
ঘ. ২নং বিক্রিয়ায় কী পরিবর্তন লক্ষ করবে? বিক্রিয়াটি অনেকক্ষণ চালালে কী ঘটবে? ৪
প্রশ্ন-২৯ অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান শিক্ষক মনসুর হোসেন শিক্ষার্থীদের রাসায়নিক বিক্রিয়া অধ্যায়টি পড়াচ্ছিলেন। এ সময় তিনি চুন ও ভিনেগারের বিক্রিয়ার কথা বললেন, যেখানে প্রচুর তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। সবশেষে, তিনি শিক্ষার্থীদের বললেন, “রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির রূপান্তর ঘটে।”
ক. ভিনেগার কী? ১
খ. প্রশমন বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? ২
গ. ভিনেগারের পরিবর্তে লেবুর রস নিলে, কী ধরনের পরিবর্তন ঘটত? ৩
ঘ. মনসুর স্যার সবশেষে যা বললেন, তার যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪

¤ সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন //

প্রশ্ন \ ১ \ দহন বিক্রিয়া বলতে কী বুঝ? উদাহরণ দাও।
উত্তর : সৃজনশীল ৯(খ) নং উত্তর দেখ।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রশমন বিক্রিয়া কী তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে বিক্রিয়ায় বিপরীতধর্মী পদার্থ একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে নিরপেক্ষ পদার্থ তৈরি করে তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। যেমন :
চুন + এসিটিক এসিড  ক্যালসিয়াম এসিটেট + পানি
এখানে, চুন হলো ক্ষারীয় পদার্থ ও এসিটিক এসিড হলো অ¤øীয় পদার্থ আর উৎপাদিত ক্যালসিয়াম এসিটেট হলো নিরপেক্ষ পদার্থ। কাজেই এ বিক্রিয়াটি একটি প্রশমন বিক্রিয়া।
প্রশ্ন \ ৩ \ চুনে পানি যোগ করলে কী ঘটে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সৃজনশীল ৩(খ) নং উত্তর দেখ।
প্রশ্ন \ ৪ \ শুষ্ক কোষের গঠন সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা কর।
উত্তর : সৃজনশীল ১৫(গ) নং উত্তর দেখ।
প্রশ্ন \ ৫ \ তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মূল পার্থক্য উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নিচে তড়িৎ বিশ্লেষ্য ও তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে মূল পার্থক্য উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা হলো :
তড়িৎ বিশ্লেষ্য তড়িৎ অবিশ্লেষ্য
১. যেসব পদার্থ দ্রবীভ‚ত বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহনের ফলে রাসায়নিক ১. যেসব পদার্থ দ্রবীভ‚ত বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না ফলে

বিক্রিয়া করে অন্য পদার্থে পরিণত হয়, তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। যেমন : ঘধঈষ বা খাবার লবণ বিগলিত বা দ্রবীভ‚ত অবস্থায় তড়িৎ প্রবাহের ফলে ধনাত্মক আয়ন ঘধ+ ও ঋণাত্মক আয়ন ঈষ এ বিশ্লিষ্ট হয়ে যায় নি¤œরূপে-
ঘধঈষ  ঘধ+ + ঈষ
২ঘধ+ + ২ব  ২ঘধ
২ঈষ ২ব  ঈষ২ রাসায়নিক বিক্রিয়াও করে না তাদের তড়িৎ অবিশ্লেষ্য পদার্থ বলে। যেমন : গøুকোজ, চিনি ইত্যাদি। এরা দ্রবণে বা বিগলিত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে না।

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ প্রতীক কী?
উত্তর : প্রতীক হলো মৌলের পুরো নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।
প্রশ্ন \ ২ \ সংকেত কী?
উত্তর : কোনো মৌল বা যৌগের অণুর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো সংকেত। যেমন হাইড্রোজেন অণুর সংকেত ঐ২।
প্রশ্ন \ ৩ \ সংযোজন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ পরস্পর বিক্রিয়া করে একটিমাত্র যৌগ উৎপন্ন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : যে বিক্রিয়ায় একটি মৌল কোনো যৌগ থেকে অপর একটি মৌলকে সরিয়ে নিজে ঐ স্থান দখল করে নতুন যৌগ তৈরি করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন \ ৫ \ বিযোজন বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ ভেঙে একাধিক যৌগ উৎপন্ন হয়, তাকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন \ ৬ \ শক্তির রূপান্তর কাকে বলে?
উত্তর : শক্তির এক রূপ থেকে আরেক রূপে পরিবর্তনকে শক্তির রূপান্তর বলে।
প্রশ্ন \ ৭ \ শুষ্ক কোষ কাকে বলে?
উত্তর : তরল তড়িৎ বিশ্লেষ্যের পরিবর্তে পেস্ট ব্যবহার করে যে কোষ গঠন করা হয় তাকে শুষ্ক কোষ বলে।
প্রশ্ন \ ৮ \ শুষ্ক কোষে শক্তির উৎস কী?
উত্তর : শুষ্ক কোষে শক্তির উৎস হলো এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ অর্থাৎ দস্তা, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, কয়লার গুঁড়া ও গহঙ২।
 অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ ঐ ও ঐ২ বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : ঐ দ্বারা হাইড্রোজেন মৌলের প্রতীক বুঝায়। এটি হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুকে নির্দেশ করে।
ঐ২ দ্বারা হাইড্রোজেনের একটি অণুকে প্রকাশ করে, যা দুটি পরমাণু নিয়ে গঠিত। এটি হাইড্রোজেনের সংকেতও নির্দেশ করে।

প্রশ্ন \ ২ \ দহনের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর : দহনের বৈশিষ্ট্যগুলো হলোÑ
ক. দহনে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।
খ. দহনের সময় প্রচুর তাপশক্তি ও আলোক শক্তি উৎপন্ন হয়।
গ. দহন দ্রুত রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
প্রশ্ন \ ৩ \ মোমবাতি জ্বালালে কোন ধরনের পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর : মোমবাতি জ্বালালে একই সাথে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়।
মোমবাতিকে জ্বালালে উত্তাপে মোমের কিছু অংশ গলে যায়। এ গলা মোম আবার ঠাণ্ডা হয়ে কঠিন মোমে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে ভৌত পরিবর্তন ঘটে। একই সাথে মোম বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড, জলীয় বাষ্প, তাপ ও আলোক শক্তি তৈরি করে। এক্ষেত্রে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।
প্রশ্ন \ ৪ \ রান্নায় শক্তির কী ধরনের পরিবর্তন হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রান্নার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শক্তির দুই ধরনের পরিবর্তন হয়। রান্না করার জন্য প্রথমে চুলা জ্বালানো হয়। চুলায় গ্যাস জ্বালিয়ে তাপ উৎপন্ন করা হয়। আমরা জানি চুলায় আগুন জ্বালাতে যেসব উপকরণ লাগে তার মধ্যে শক্তি রাসায়নিক শক্তিরূপে জমা থাকে। তাপ উৎপাদনের কারণে রাসায়নিক শক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। আবার তাপের কারণে রান্না হয়। অর্থাৎ রান্নার মধ্যে তাপশক্তি পুনরায় রাসায়নিক শক্তিরূপে জমা হয়। সুতরাং রান্নার দ্বারা শক্তি এক রূপ থেকে আরেক রূপে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ তড়িৎ বিশ্লেষণে তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয় কেন?
উত্তর : তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থে তড়িৎ পরিবহন করতে হলে দ্রবণের
মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক বর্তনী সম্পূর্ণ করতে হয়। দ্রবণের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করতে হলে দুটি ধাতব পাতের দরকার হয়। যার একটি দিয়ে বিদ্যুৎ কোষে প্রবেশ করে এবং অন্যটি দিয়ে বের হয়ে যায়। এ তড়িৎ বিশ্লেষণে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করতে অবশ্যই তড়িৎদ্বার লাগবে।
প্রশ্ন \ ৬ \ গলিত ঘধঈষ এ তড়িৎ বিশ্লেষণ চালনা করলে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর : গলিত ঘধঈষ-এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ বিশ্লেষণ চালনা করলে অ্যানোডে বা ধনাত্মক তড়িৎদ্বারে ক্লোরিন গ্যাস এবং ক্যাথোডে বা ঋণাত্মক তড়িৎদ্বারে সোডিয়াম ধাতু উৎপন্ন হয়।

 

Share to help others:

Leave a Reply