এইচএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং অষ্টম অধ্যায় বৈদেশিক বিনিময় ও বৈদেশিক মুদ্রা সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

অধ্যায়-৮: বৈদেশিক বিনিময় ও বৈদেশিক মুদ্রা

গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

মমমপ্রশ্ন১ জনাব সোহেল খুলনায় ‘সোহেল এ্যাপারেলস লি.’ নামে একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একাটি অর্ডারের বিপরীতে তিনি ছয় লাখ ডলারের একটি ড্রাফট (জবপবরঢ়ঃ) পেয়েছেন। অন্যদিকে স্বীকৃতি (খবঃঃবৎ ড়ভ পৎবফরঃ) দিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত সাত লাখ টাকার কাপড়ের মূল্য তাকে দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। [রা. বো. ১৭]
অ ক. বৈদেশিক বিনিময় কী? ১
অ খ. আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. রপ্তানির বিপরীতে গৃহীত ড্রাফটের অর্থ জনাব সোহেল কীভাবে সংগ্রহ করবেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধে সোহেল কোন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন বলে তুমি মনে করো? যুক্তি দাও। ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়।
খ আমদানি রপ্তানি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য বিনিময় হার নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
দুটি দেশের মুদ্রার মূল্যের তুলনা করে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা আছে। তাই সাধারণত এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশে ব্যবহার করা যায় না। এজন্য বৈদেশিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
গ উদ্দীপকে রপ্তানির বিপরীতে গৃহীত ড্রাফটি ব্যাংকে ভাঙ্গিয়ে জনাব সোহেল অর্থ সংগ্রহ করবেন।
ব্যাংক ড্রাফট হলো একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল, যা চাহিবামাত্র হস্তান্তর করা যায়। প্রাপক ব্যাংক ড্রাফটের অর্থ সরাসরি ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
উদ্দীপকে জনাব সোহেল “সোহেল এ্যাপারেলস লি.” নামে একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি অর্ডারের বিপরীতে তিনি ছয় লাখ ডলারের একটি ড্রাফট পেয়েছেন। অর্থাৎ উক্ত অর্ডারের বিপরীতে তিনি ব্যাংক ড্রাফট গ্রহণ করেছেন। আমদানিকারক যখন ব্যাংক ড্রাফট পাঠিয়েছেন তখন তাকে কমিশনসহ সম্পূর্ণ অর্থ ব্যাংকে জমা দিতে হয়েছে। তাই জনাব সোহেল ব্যাংক ড্রাফটি ব্যাংকে জমা দিয়ে তার পাওনা অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন।
ঘ যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধে জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিল (ইরষষ ড়ভ বীপযধহমব) ব্যবহার করতে পারেন।
এরূপ বিলের মাধ্যমে, পাওনাদার অর্থ পরিশোধের জন্য বিদেশি দেনাদারের ওপর একটি শর্তহীন লিখিত নির্দেশ প্রদান করতে পারেন। আমদানিকারক বিলে স্বীকৃতি দিলে তা বৈধ বিলে পরিণত হয়। ফলে রপ্তানিকারক তা ব্যাংকে জমা দিয়ে অথবা আগাম বাট্টা বা বিক্রয় করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।
উদ্দীপকে জনাব সোহেল খুলনায় একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করছেন। ব্যবসায়ের প্রয়োজনে তাকে যুক্তরাজ্য হতে কাপড় আমদানি করতে হয়েছে। তাই আমদানিকৃত কাপড়ের সাত লক্ষ টাকা মূল্য তাকে দ্রুত পরিশোধ করতে হবে।
জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিলের মাধ্যমে কাপড়ের মূল্য দ্রুত পরিশোধ করতে পারবেন। তিনি বিলে স্বীকৃতি দিলে তা বৈধ বিলে পরিণত হবে। ফলে রপ্তানিকারক বিলটি ব্যাংকে বাট্টাকরণ (উরংপড়ঁহঃরহম) করে মেয়াদপূর্তির পূর্বেই অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। সুতরাং, জনাব সোহেল বৈদেশিক বিনিময় বিলে স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত পণ্য মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
বাট্টাকরণ : রপ্তানিকারক কর্তৃক বিনিময় বিলের মূল্যের কিছু কম মূল্যে অর্থ সংগ্রহ করাকে বাট্টাকরণ বলে।

মমমপ্রশ্ন২ মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজ একটি পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের ৫ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মি. খানের ধারণা প্রতি প্যান্ট থেকে তিনি ৮০ টাকা করে মুনাফা করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর মুনাফার পরিমাণ হবে ৪ কোটি টাকা। কিন্তু ব্যবসায় শেষে দেখা গেল মুনাফার পরিমাণ তার ধারণার চেয়ে বেশ কিছু বেশি হয়েছে। [দি. বো. ১৭]
অ ক. ফ্যাক্টরিং কী? ১
অ খ. প্রত্যয়পত্র বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের যে চুক্তিটি হয় তা কোন প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়? এ প্রক্রিয়ার তিনটি নিয়ম উলে­খ করো। ৩
অ ঘ. মি. খাঁনের ধারণার চেয়ে মুনাফা বৃদ্ধির কারণ কী? ব্যাখ্যা করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বাট্টায় প্রাপ্য বিল বিক্রি করলে তাকে ফ্যাক্টরিং বলে।
খ আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের অনুক‚লে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে ব্যাংক যে পত্র ইস্যু করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যকার দূরত্বে মুদ্রার মানের ভিন্নতাসহ বিভিন্ন বাধার সৃষ্টি হয়। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যে মূল্য পরিশোধ বিষয়ে জটিলতা ও সন্দেহের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর এসব সমস্যা দূর করার জন্য মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাংক প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে।
গ উদ্দীপকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজের যে চুক্তিটি হয় তা বিনিময় হার নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়।
এ হার নির্ধারণে দেশীয় মুদ্রা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় করা হয়। অর্থাৎ কোনো দেশের এক একক মুদ্রা অন্য আরেকটি দেশের যে পরিমাণ মুদ্রা ক্রয় করতে সক্ষম তা-ই মূলত বৈদেশিক বিনিময় হার।
উদ্দীপকে মেসার্স খাঁন এন্টারপ্রাইজ পোশাক রপ্তানিকারক। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের পাঁচ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। এ রপ্তানি চুক্তির মূল্য পরিশোধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় দুটি দেশের মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা দ্বারা রপ্তানি মূল্য পরিশোধিত হবে। এছাড়াও এ হার নির্ধারণে স্বর্ণমান ব্যবস্থা এবং মুদ্রার চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ঘ উদ্দীপকে দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস পাওয়ায় মি. খানের ধারণার চেয়ে মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস বলতে দেশের অপেক্ষাকৃত বেশি মুদ্রায় বিদেশের কম মুদ্রা গ্রহণকে বোঝায়। মূলত দুটি দেশের মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের তারতম্যের কারণে বিনিময় হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
উদ্দীপকে মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠনের সাথে তাদের পাঁচ লক্ষ পিস জিন্সের প্যান্ট রপ্তানির চুক্তি হয়। মি. খান প্রত্যাশা করেন প্রতি প্যান্ট থেকে তিনি ৮০ টাকা করে মুনাফা করবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সর্বমোট প্রত্যাশিত মুনাফার পরিমাণ চার কোটি টাকা। কিন্তু ব্যবসা শেষে দেখা গেল মুনাফার পরিমাণ প্রত্যাশার তুলনায় অধিক হয়েছে।
এ রপ্তানি চুক্তিতে দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস পাওয়ায় মি. খান অধিক মুনাফা করেছেন। অর্থাৎ দেশে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় টাকার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এ পর্যায়ে মি. খান রপ্তানি মূল্য হিসেবে দেশে ডলারের যোগান দেয়ায় তিনি পূর্বের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশি টাকা পেয়েছেন। যার ফলে তার মুনাফার পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে।
দেশীয় মুদ্রায় বিনিময় হার হ্রাস : দেশের অপেক্ষাকৃত বেশি মুদ্রায় বিদেশের কম মুদ্রা পাওয়া গেলে বিনিময় হার হ্রাস পেয়েছে বলা যায়। ধরা যাক, বাংলাদেশের ৭০ টাকায় ১ ডলার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে টাকার সাথে ডলারের বিনিময় হার ১৭০ ভাগ। কিন্তু ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ৮০ টাকা দিয়ে ১ ডলার পাওয়া গেলে বিনিময় হার কমে দাঁড়ায় ১৮০ ডলার।

মমমপ্রশ্ন৩ আমাদের দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণে রপ্তানি আয় আমাদের মুদ্রাকে শক্তিশালী করছে না। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের দেশ থেকে অনেক শ্রমিক এখন বিদেশে যাচ্ছে এবং তাদের পাঠানো অর্থ আমাদের বৈদেশিক বিনিময় সামর্থ্যকে ধরে রাখছে। কিন্তু আমাদের পাঠানো অধিকাংশ শ্রমিক অদক্ষ বলে তাদের পারিশ্রমিক অনেক কম। যদি দক্ষ শ্রমিক পাঠানো যায়, তবে এই অবস্থার আরো উন্নতি হবে। [কু. বো. ১৭]
অ ক. বৈদেশিক বিনিময় কী? ১
অ খ. বৈদেশিক বিনিময়ের আধুনিক তত্ত¡ কোনটি এবং কেন? ২
অ গ. উদ্দীপকে আমাদের মুদ্রামান কম হওয়ার পিছনে কোন সমস্যাকে বড় বলে দেখানো হয়েছে? ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে মুদ্রার মান উন্নয়নে কোন খাতের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়।
খ বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ হলো চাহিদা ও যোগান তত্ত¡।
দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। এক্ষেত্রে মনে করা হয় যে, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে কোনো কিছুর দাম যেমনি নির্ধারিত হয় তেমনি অর্থের বিনিময় মূল্যও বৈদেশিক বাজারে এর চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে চাহিদার বিষয়টি দেশগুলোর মধ্যকার লেনদেনের ওপর নির্ভরশীল।
গ উদ্দীপকে আমাদের মুদ্রামান কম হওয়ার পিছনে ঋণাÍক বাণিজ্যের ভারসাম্য (ঘবমধঃরাব নধষধহপব ড়ভ ঃৎধফব) সমস্যাকে বড় বলে দেখানো হয়েছে।
ঋণাÍক বাণিজ্যের ভারসাম্য (ঘবমধঃরাব নধষধহপব ড়ভ ঃৎধফব) বলতে আমদানি বেশি কিন্তু রপ্তানি কম এরূপ অবস্থাকে বোঝানো হয়। এ অবস্থায় বৈদেশিক বাজারে দেশীয় মুদ্রার যোগান বাড়ে। ফলে দেশীয় মুদ্রার মান কমে।
উদ্দীপকে আমাদের দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ কারণে আমাদের দেশের মুদ্রার মান শক্তিশালী হতে পারছে না। কেননা, কোনো দেশে রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেশি হলে বাণিজ্যের ভারসাম্য ঋণাÍক হয়। এতে বিদেশের বাজারে আমাদের দেশীয় মুদ্রার যোগান বাড়ে এবং চাহিদা কমে। যার কারণে অধিক পরিমাণ দেশীয় মুদ্রা দিয়ে কম পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রতিক‚ল লেনদেন ব্যালেন্সের কারণেই দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হার হ্রাস পায়।
ঘ উদ্দীপকে মুদ্রার মান উন্নয়নে রেমিটেন্স খাতের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
রেমিটেন্স বলতে বিদেশে কর্মরত কর্মীদের কর্তৃক নিজ দেশে অর্থ প্রেরণকে বোঝায়। প্রতিটি দেশেই রেমিটেন্স জাতীয় আয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
উদ্দীপকে রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণে দেশীয় মুদ্রার মান কম হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ মুদ্রার মান শক্তিশালী হতে পারে।
প্রবাসী কর্তৃক পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স এদেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি করে। ফলে এ রেমিটেন্সের কারণে মাথাপিছু আয় এবং রাষ্ট্রীয় সামর্থ্যও বৃদ্ধি পায়। আবার, প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় বিধায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বৃদ্ধি পায়। যার ফলশ্র“তিতে বিনিময় হার দেশের অনুক‚লে আসে। এছাড়া এ রেমিটেন্সের অর্থ দেশের অভ্যন্তরে মূলধন গঠনে সাহায্য করে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে। ফলে দেশের বেকার সমস্যা হ্রাস পায় এবং উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মমমপ্রশ্ন৪ করিম বাংলাদেশের গ্রামের মহিলাদের তৈরি হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নাদিয়া, করিমকে ৬ মাসের মধ্যে পণ্য রপ্তানির জন্য একটি প্রত্যয়পত্র প্রেরণ করেন এবং তিনি করিমকে জানান যে, এই ৬ মাসের মধ্যে নাদিয়া হঠাৎ কোনো কারণে মৃত্যুবরণ করলেও নাদিয়ার ব্যাংক করিমের বিল পরিশোধ করবে। পণ্য রপ্তানির পূর্বে ডলার-এর মূল্য বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। করিম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলার-এর চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, এতে করিম আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হন। [য. বো. ১৭]
অ ক. বৈদেশিক বিনিময় কী? ১
অ খ. ফ্যাক্টরিং-এর চেয়ে ফোরফেইটিং কার্য ব্যাপকতর কেন? ২
অ গ. উদ্দীপকে করিম নাদিয়ার নিকট থেকে কোন ধরনের প্রত্যয়পত্র পেয়েছিলেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ লেখ। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক বৈদেশিক বিনিময় বলতে সাধারণত এক দেশের সাথে অন্য দেশের লেনদেন বা বিনিময়কে বোঝায়।
খ ফোরফেইটিং (ঋড়ৎভধরঃরহম) -এ আমদানি-রপ্তানির সমগ্র লেনদেন বিবেচিত হয় বিধায় এটি ফ্যাক্টরিং (ঋধপঃড়ৎরহম) এর চেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
ফ্যাক্টরিং (ঋধপঃড়ৎরহম) এ শুধু বিল ক্রয়, হিসাব সংরক্ষণ, বিলের অর্থ আদায় ইত্যাদি ম“খ্য। কিন্তু ফোরফেটিং (ঋড়ৎভধরঃরহম) এর ক্ষেত্রে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যকার প্রস্তাবিত পুরো লেনদেনই বিবেচিত হয় বিধায় এর ব্যাপকতা বেশি।
গ উদ্দীপকে করিম নাদিয়ার নিকট থেকে নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র (খবঃঃবৎ ড়ভ পৎবফরঃ) পেয়েছিলেন।
নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র মূলত নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য খোলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের কথাও উলে­খ থাকে। এরূপ প্রত্যয়পত্র মেয়াদান্তে বা অর্থ পরিশোধিত হলে বাতিল বলে গণ্য হয়। এ প্রত্যয়পত্রকে স্থায়ী প্রত্যয়পত্রও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে জনাব করিম হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নাদিয়া ৬ মাসের মধ্যে পণ্য রপ্তানির জন্য একটি প্রত্যয় পত্র করিমকে প্রেরণ করেন। এই ৬ মাসের মধ্যে কোনো কারণে তিনি মারা গেলেও নাদিয়ার ব্যাংক করিমের বিল পরিশোধ করবে। এরূপ নির্দিষ্ট মেয়াদ অর্থাৎ ৬ মাসের জন্য প্রত্যয়পত্রটি ইস্যু করায় এটি নির্দ্বিধায় নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র। সুতরাং, করিমের গৃহীত প্রত্যয়পত্রটি ছিলো নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র।
ঘ উদ্দীপকে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ অনুযায়ী বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে।
চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ অনুযায়ী দুদেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। এ তত্ত¡কে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ও বলা হয়ে থাকে।
উদ্দীপকে করিম বাংলাদেশ হতে হস্তশিল্পজাত পণ্য রপ্তানি করেন। তিনি দেখেন, পণ্য রপ্তানির পূর্বে ডলারের মূল্য বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পেয়েছে। তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হন।
অর্থাৎ এখানে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ওপর ভিত্তি করে বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে। বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের অন্যান্য পদ্ধতিগুলো হলো ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত¡ ও স্বর্ণমান ব্যবস্থায় বিনিময় হার নির্ধারণ। অন্যান্য পদ্ধতিগুলোর নানাবিধ অসুবিধার কারণে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡টি বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। সুতরাং উদ্দীপকে নির্দেশিত বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে চাহিদা ও যোগান পদ্ধতিটি যৌক্তিক।

মমমপ্রশ্ন৫ মামুন সাহেব বাংলাদেশে ৩ কেজি গম কিনতে ৭৮ টাকা খরচ করেন। ঠিক একই মানের ৩ কেজি গম কিনতে যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রবাসী ভাই খরচ করেন ১ ডলার। এক্ষেত্রে টাকা ও ডলারের বিনিময় হার ৭৮ ঃ ১। অপরদিকে নিচের চিত্রের মাধ্যমও বিনিময় হার নির্ধারণ দেখানো যায়।

 

 

[রা. বো. ১৬]
অ ক. ফোরফেটিং কী? ১
অ খ. রেমিটেন্স বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকের চিত্রে বিনিময় হার নির্ধারণের কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে বর্ণিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে কোনটি বেশি কার্যকর বলে তুমি মনে করো? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমদানি ও রপ্তানিকারককে প্রাপ্য বিলের বিপরীতে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি অর্থায়নের আধুনিক ব্যবস্থাকেই ফোরফেটিং বলে।
খ বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিরা অর্থাৎ প্রবাসীরা দেশে যে অর্থ পাঠান তাকে রেমিটেন্স বলা হয়।
সাধারণত এক দেশ থেকে অন্য দেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে রেমিটেন্স শব্দটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ কোনো দেশে কর্মরত বিদেশি কোনো কর্মী যদি তার উপার্জিত অর্থ তার নিজের দেশে প্রেরণ করেন, তাহলে তার দেশের জন্য এ অর্থ হলো রেমিটেন্স। কোনো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অনেকাংশেই এই রেমিটেন্সের অর্থাৎ বিদেশ থেকে আগত টাকার ওপর নির্ভর করে।
গ উদ্দীপকের চিত্রে বিনিময় হার নির্ধারণ চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ ব্যবহৃত হচ্ছে।
দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলা হয়। এ তত্তে¡ মনে করা হয়, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে যেমন কোনো দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, ঠিক একইভাবে মুদ্রার মূল্যও এর চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। রেখাচিত্রের মাধ্যমে এই তত্ত¡টিকে বর্ণনা করা হয়।
উদ্দীপকের চিত্রে ঢ অক্ষ বরাবর দেখানো হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ এবং ণ অক্ষ বরাবর দেখানো হচ্ছে বিনিময়ের হার। ঝঝ১ রেখাটি মুদ্রার যোগান এবং উউ১ রেখাটি মুদ্রার চাহিদা নির্দেশ করছে। চাহিদা ও যোগান রেখাদ্বয় যেখানে মিলিত হয়েছে সেখানেই মুদ্রার হার নির্ধারিত হয়েছে। অর্থাৎ মুদ্রার চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী এর মূল্য বা বিনিময় হার নির্ধারিত হচ্ছে। সুতরাং বলা যায়, চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বা আধুনিক তত্তে¡র মাধ্যমে বিনিময় হার নির্ধারিত হচ্ছে।
ঘ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে উদ্দীপকে বর্ণিত পদ্ধতি দুটি ক্রয়ক্ষমতা সমতা তত্ত¡ এবং চাহিদা যোগান তত্তে¡র মধ্যে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡টি বেশি কার্যকর বলে আমি মনে করি।
ক্রয়ক্ষমতা তত্তে¡ দুই দেশের মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিনিময় হার নির্ধারিত হয়ে থাকে। অপরপক্ষে, চাহিদা ও যোগান তত্তে¡ দুই দেশের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী বিনিময় হার নির্ধারিত হয়।
উদ্দীপকের প্রথম অংশে দেখা যায়, মামুন সাহেব বাংলাদেশে ৩ কেজি গম কিনতে ৭৮ টাকা খরচ করেন। ঠিক একই মানের ৩ কেজি গম কিনতে যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রবাসী ভাই খরচ করেন ১ ডলার। এর মাধ্যমে টাকা ও ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করা যায় ৭৮ : ১। এটি ক্রয় ক্ষমতা সমতা তত্ত¡। আবার উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশে দেখা যাচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে।
ক্রয়ক্ষমতা তত্তে¡ বিভিন্ন দেশের পণ্যের মূল্যস্তর নির্ধারণ যেমন কার্যত অসম্ভব তেমনি মূল্যস্তর প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হওয়ায় বিনিময় হার নির্ধারণ করা কঠিন। তাছাড়া কোন কোন পণ্য হিসাবে নেয়া হবে কিংবা মূল্যস্তর নির্ধারণে ভিত্তি বছর কী হবে, তা নির্ধারণ করাও যথেষ্ট জটিল। চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ অনুসারে বিনিময় হার নির্ধারণে এসব জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না বিধায় বর্তমানে এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে স্বীকৃত। তাই বলা যায়, ক্রয়ক্ষমতা তত্তে¡র চেয়ে চাহিদা যোগান তত্ত¡ অধিক কার্যকর।

মমমপ্রশ্ন৬

 

 

 

 

[কু. বো. ১৬]
অ ক. ভাসমান মুদ্রা কী? ১
অ খ. বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ কোনটি এবং কেন? ২
অ গ. উপরোক্ত চিত্রের ঊ বিন্দুতে কী নির্ধারিত হয়? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. চিত্রে উলি­খিত পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ কতটুকু যৌক্তিক? তোমার যৌক্তিক মতামত দাও। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান বা বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রিত হলে তাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡টি হচ্ছে চাহিদা ও যোগান তত্ত¡।
দু’দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡ই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡। এক্ষেত্রে মনে করা হয়, চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দুতে যেমন কোনো কিছুর দাম নির্ধারিত হয় তেমনি বৈদেশিক বাজারে অর্থের বিনিময় মূল্যও চাহিদা ও যোগান দ্বারা নির্ধারিত হয়। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ এ তত্ত¡ সমর্থন করেন বিধায় একে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ বলা হয়।
গ চিত্রের ঊ বিন্দুতে ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারিত হয়।
বৈদেশিক বিনিময়ের সময় দেশীয় মুদ্রা দ্বারা বিদেশি মুদ্রার যে পরিমাণ ক্রয় করতে সক্ষম হয় তাকে বৈদেশিক বিনিময় হার বলে। আর দেশীয় ও বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান যে বিন্দুতে মিলিত হয় তা-ই ভারসাম্য বিন্দু।
উদ্দীপকের চিত্রে ঙঢ দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার মোট চাহিদা ও যোগানকে এবং ঙণ দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার সাথে দেশীয় মুদ্রার বিনিময় হারকে বোঝানো হয়েছে। আবার, উউ১ রেখা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার হ্রাস-বৃদ্ধি এবং ঝঝ১ রেখা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার যোগানের হ্রাস-বৃদ্ধি বোঝাচ্ছে। উউ১ ও ঝঝ১ রেখাদ্বয় পরস্পর ঊ বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। ফলে এই বিন্দুতে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার ফলে ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে। অর্থাৎ ঙচ পরিমাণ দেশীয় মুদ্রার বিনিময়ে ঙছ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ঊ বিন্দুতে ভারসাম্য বিনিময় হার নির্ধারিত হয়েছে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান।
ঘ উদ্দীপকে উলি­খিত চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ যথেষ্ট যৌক্তিক হয়েছে।
দু’দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ এরূপ তত্ত¡ সম্পূর্ণ সমর্থন করেন।
উদ্দীপকে উলি­খিত চিত্রে ঝঝ১ যোগান রেখা ও উউ১ চাহিদা রেখা পরস্পর ঊ বিন্দুতে ছেদ করে যা চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বিন্দু। এ ভারসাম্য বিন্দুতে বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়।
চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিতে চাহিদা ও যোগানের ওপর ভিত্তি করে বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয়। কিছু অসুবিধা থাকা সত্তে¡ও বিভিন্ন সুবিধার কারণে এ তত্ত¡ অধিক জনপ্রিয়। এক্ষেত্রে পণ্যের আমদানি-রপ্তানিকে বিবেচনা করা হয়। এ পদ্ধতিতে পরস্পর আলাপ-আলোচনা করার ব্যবস্থা থাকে। ফলে বিচার-বিশ্লেষণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণে এ তত্ত¡টি বর্তমানে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত। সারা বিশ্বেই বিনিময় হার নির্ধারণের বিষয়টি এ তত্তে¡র ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাই চিত্রে উলি­খিত চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিতে বিনিময় হার নির্ধারণ সম্পূর্ণ যৌক্তিক হয়েছে বলে আমি মনে করি।

মমমপ্রশ্ন৭
জঈ-০০১৭১০২৩৫৬
উইঈ ব্যাংক লি.
মতিঝিল শাখা, ঢাকা
$ ১০০০০০০০
ঞড়,
সার্ক এন্ড কোং
নিউইয়র্ক, আমেরিকা
প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বাবদ আপনাদের পাওনা দশ মিলিয়ন ডলার ২২ জুলাই ২০১৫ তারিখের মধ্যে সার্ক এন্ড কোং দিতে ব্যর্থ হলে আমাদের ওপর একটি বিল প্রস্তুত করুন।

ব্যাংক সিল স্বাক্ষর
ম্যানেজার
[য. বো. ১৬]
অ ক. ভাসমান মুদ্রা কী? ১
অ খ. প্রত্যয়পত্র ছাড়া কি বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকে অঙ্কিত দলিলটি কোন ধরনের ঋণের দলিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকের আলোকে সার্ক এন্ড কোং কীভাবে ১০,০০০,০০০ ডলার সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে, তা ব্যাখ্যা করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান বা বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রিত হলে তাকে ভাসমান মুদ্রা বলে।
খ প্রত্যয়পত্র ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব নয়।
সাধারণত বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় অঙ্কের লেনদেন সংঘটিত হয়ে থাকে। তাছাড়া এ লেনদেনগুলো বাকিতে বা ধারে সংঘটিত হয়। এ কারণে রপ্তানিকারক সর্বদা অর্থপ্রাপ্তির অনিশ্চয়তাজনিত ঝুঁকি অনুভব করে। তার এ অনিশ্চয়তাজনিত ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে লেনদেন মধ্যস্থতাকারী ব্যাংক প্রত্যয়পত্র ইস্যু করে। প্রত্যয়পত্র ব্যাংক কর্তৃক রপ্তানিকারককে অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তাপত্র, যা বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা করে। তাই প্রত্যয়পত্র ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য সম্ভব নয়।
গ উদ্দীপকে উলি­খিত দলিলটি একটি প্রত্যয়পত্র।
যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক তার আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারককে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দেয় এবং আমদানিকারকের অপারগতায় নিজে পরিশোধ করবে বলে প্রতিশ্রুিত দেয় তাকে প্রত্যয়পত্র বলে। প্রত্যয়পত্র এক ধরনের ঋণের দলিল। এতে তিনটি পক্ষ থাকে, যথা: আমদানিকারক বা ক্রেতা, রপ্তানিকারক বা বিক্রেতা ও ব্যাংক।
উদ্দীপকে একটি ঋণের দলিলের চিত্র রয়েছে। এতে তিনটি পক্ষ উলে­খ রয়েছে উইঈ ব্যাংক লি., আমেরিকার সার্ক এন্ড কোং ও দেশীয় আমদানিকারক। এতে বলা হয়েছে, আমদানিকারক যদি ২২ জুলাই ২০১৫ এর মধ্যে সার্ক এন্ড কোং-এর রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বাবদ তাদের পাওনা ১০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে উইঈ ব্যাংক লি. এ অর্থ প্রদান করবে। অর্থাৎ এটি একটি প্রত্যয়পত্র। কেননা এর মাধ্যমে আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারক সার্ক এন্ড কোং-এর অনুক‚লে উইঈ ব্যাংক মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
ঘ উদ্দীপকের সার্ক এন্ড কোং সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা ফোরফেটিং এর মাধ্যমে ১০ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করতে পারবে।
প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের দেনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে আমদানিকারক বিলের টাকা দিতে অসমর্থ হলে ব্যাংক রপ্তানিকারককে টাকা দিতে বাধ্য থাকে। কেননা ব্যাংক প্রচুর জমা টাকা ও জামানতের বিনিময়ে আমদানিকারককে প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করে। এছাড়া মেয়াদপূর্তির পূর্বে ফোরফেটিং-এর মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।
উদ্দীপকে একটি প্রত্যয়পত্রের চিত্র রয়েছে। সার্ক এন্ড কোং আমেরিকার একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। আর উইঈ ব্যাংক লি. সার্ক এন্ড কোং এর প্রতি প্রত্যয়পত্র ইস্যু করেছে।
রপ্তানিকারক তার রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তার জন্যই প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করে। তাই সার্ক এন্ড কোং তাদের রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য বাবদ ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থ উইঈ ব্যাংক থেকেই সংগ্রহ করতে পারবে। কিন্তু এর জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে প্রত্যয়পত্রের মেয়াদপূর্তির দিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যদি এ সময়ের আগেই অর্থ সংগ্রহ করতে চায় তাহলে প্রতিষ্ঠানটিকে ফোরফেটিং-এর আশ্রয় নিতে হবে। ফোরফেটিং বলতে রপ্তানিকারকের প্রাপ্য বিলের বাট্টাকৃত মূল্যকে নগদ পরিশোধ মূল্যে রূপান্তর করাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে ফোরফেটার আমদানিকারকের ব্যাংকের নিশ্চয়তা সাপেক্ষে রপ্তানিকারকের সাথে চুক্তি করে। চুক্তির শর্তানুযায়ী আমদানিকারককে একটি নির্দিষ্ট তারিখে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এর মাধ্যমে রপ্তানিকারক প্রাপ্য বিলের বিপরীতে ঋণের অর্থ সরবরাহ করে।
মমমপ্রশ্ন৮ জনাব সালেক ও জনাব মালেক দুজনই বৈদেশিক ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত। প্রথমজন ভোজ্যতেল আমদানিকারক আর অপরজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যাংক জনাব সালেকের পক্ষে এক ধরনের পত্র ইস্যু করে না পাঠালে বিদেশি রপ্তানিকারক পণ্য পাঠায় না। প্রতিনিয়ত এরূপ পত্র সংগ্রহের ঝামেলা থেকে পরিত্রাণের জন্য জনাব সালেক এক ধরনের পত্র সংগ্রহ করেছেন। অন্যদিকে জনাব মালেক তার অনুক‚লে ইস্যুকৃত বিদেশি আমদানিকারক প্রেরিত পত্র ব্যাংকে বন্ধক রেখে তার বিপক্ষে প্রয়োজনীয় কাপড় ও অন্যান্য পণ্য আমদানির জন্য নতুন পত্র সংগ্রহ করেন। [ব. বো. ১৬]
অ ক. বৈদেশিক বিনিময় হার কী? ১
অ খ. ফ্যাক্টরিং বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. জনাব সালেক কর্তৃক সংগৃহীত প্রত্যয়পত্র কোন ধরনের? তা ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘জনাব মালেকের সংগৃহীত প্রত্যয়পত্র তার ব্যবসায়ের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ’- এ বক্তব্যের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে হারে মুদ্রাবাজারে দেশীয় মুদ্রা দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় বা বিক্রয় করা হয় তাকে বৈদেশিক বিনিময় হার বলে।
খ কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কোনো ফ্যাক্টর বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বাট্টায় প্রাপ্য বিল বিক্রি করলে তাকে ফ্যাক্টরিং বলে।
ফ্যাক্টরিং-এর মাধ্যমে দেনাসমূহ ফেরত না পাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। সাধারণত বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত প্রাপ্য বিলসমূহের ফ্যাক্টরিং করা হয়। সাধারণত ফ্যাক্টরিং-এর সময়কাল হলো ১৮০ দিন এবং এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের ওপর হয়ে থাকে।
গ উদ্দীপকের উলি­খিত জনাব সালেক কর্তৃক সংগৃহীত প্রত্যয়পত্রটি হলো ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র।
যে প্রত্যয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থের পরিমাণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণপূর্বক খোলা হয় এবং উক্ত সীমা পর্যন্ত বারবার ব্যবহার করা যায় তাকে ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র বলে।
উদ্দীপকে জনাব সালেক একজন ভোজ্যতেল আমদানিকারক। প্রতিবার প্রত্যয়পত্র সংগ্রহের ঝামেলা থেকে মুক্তির জন্য তিনি এক বিশেষ ধরনের পত্র সংগ্রহ করেন। এ পত্রের মাধ্যমে উপস্থাপিত বিলের অর্থ পরিশোধ হলে পুনরায় সে অর্থের জন্য মেয়াদ থাকাকালীন বিনিময় বিল তৈরি করা যায়। এ প্রত্যয়পত্র জনাব সালেক একই অঙ্কের টাকার জন্য বারবার ব্যবহার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে একই সময়ে অনেকগুলো লেনদেন মিটানো যায় এবং বারবার প্রত্যয়পত্র খুলতে হয় না। সুতরাং বলা যায়, মি. সালেক ঘূর্ণায়মান প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
ঘ উদ্দীপকে জনাব মালেকের সংগৃহীত ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র তার ব্যবসায়ের প্রকৃতির সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
যেক্ষেত্রে কোনো হস্তান্তর অযোগ্য প্রত্যয়পত্রের গ্রহীতার বিপক্ষে বা জামানতের ভিত্তিতে অন্যের অনুক‚লে ব্যাংক থেকে কোনো নতুন প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করে তাকে ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র বলে।
উদ্দীপকে জনাব মালেক বৈদেশিক বাণিজ্যের সাথে জড়িত। তাই ব্যবসায়িক কারণেই তার অনুক‚লে ইস্যুকৃত বিদেশি আমদানিকারক প্রেরিত পত্র ব্যাংকে বন্ধক রেখে নতুন প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেন। অর্থাৎ তিনি ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করেন।
একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে জনাব মালেককে প্রায়ই প্রয়োজনীয় কাপড় ও অন্যান্য কাঁচামাল জাতীয় পণ্য আমদানি করতে হয়। ফলে পণ্য আমদানির জন্য তাকে অবশ্যই প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। আবার গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানিকারক হিসেবে তিনি প্রত্যয়পত্র গ্রহণ করেন। তাই তার গ্রহণকৃত প্রত্যয়পত্র জামানত রেখেই তিনি ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্র সংগ্রহ করতে পারেন। ফলে তা তিনি আমদানি ব্যবসায়ে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন এবং নতুন করে প্রত্যয়পত্র খোলার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। সুতরাং জনাব মালেকের সংগৃহীত ব্যাক টু ব্যাক প্রত্যয়পত্রটি তার ব্যবসায়ের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
মমমপ্রশ্ন৯ জনাব রায়হান তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মি. জন কে ১০ লক্ষ টাকার তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন। এর জন্য তিনি গোল্ডম্যান ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা স্বরূপ প্রত্যয়পত্র গ্রহণ করেছেন। পোশাক রপ্তানির পূর্বে ডলার-এর মূল্য বেশি থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। জনাব রায়হান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে, এতে জনাব রায়হান আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
অ ক. ভাসমান মুদ্রা কী? ১
অ খ. মেয়াদপূর্তির পূর্বেই প্রাপ্ত বিল বিক্রয় করাকে কী বলে? ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. উদ্দীপকেকে জনাব রায়হান কোন ধরনের প্রত্যয়পত্র পেয়েছিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি কতটুকু যৌক্তিক বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
মক মুদ্রার মান সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা ও যোগান বা বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে। অ
মখ মেয়াপূর্তির পূর্বেই প্রাপ্ত বিল বিক্রয় করাকে ফ্যাক্টরিং বলে। অ
প্রাপ্য বিল ফ্যাক্টরিং করার সময় কম দামে বিক্রয় করা হয় এবং মেয়াদপূর্তিতে ফ্যাক্টর দেনাদারের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে নেয়। মেয়াদপূর্তিতে যদি দেনাদার অর্থ পরিশোধ না করে তাহলে সে দায় সাধারণত ফ্যাক্টরই বহন করে। প্রাপ্য বিলের মেয়াদপূর্তির পূর্বেই টাকায় প্রয়োজন হলে পাওনাদার প্রাপ্য বিল ফ্যাক্টরিং করে।
মগ উদ্দীপকে জনাব রায়হান নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র পেয়েছিলেন। অ
যে প্রত্যয়পত্র নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার জন্য খোলা হয় তাকে নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র বলে। মেয়াদান্তে বা অর্থ পরিশোধ হয়ে গেলে এই প্রত্যয়পত্র বাতিল বলে গণ্য হয়।
উদ্দীপকে জনাব রায়হান তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মি. জনের কাছে ১০ লক্ষ টাকার তৈরি পণ্য রপ্তানি করেছেন। মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা স্বরূপ তিনি গোল্ডম্যান ব্যাংকের মাধ্যমে প্রত্যয়পত্র গ্রহণ করেছেন। তার গৃহীত প্রত্যয়পত্রটি একটি নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র যা ডলারের মূল্য কমে যাওয়ার ফলে জনাব রায়হানের আর্থিক ক্ষতির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি। কারণ নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র অর্থের পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকায় তিনি যে পরিমাণ ডলার পেয়েছেন তা দেশে নিয়ে এসে ভাঙানোর ফলে তিনি ১০ লক্ষ টাকার কম টাকা পেয়েছেন। ফলে তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, জনাব রায়হান নির্দিষ্ট প্রত্যয়পত্র পেয়েছিলেন।
মঘ উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণের চাহিদা-যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিটি যৌক্তিক। অ
দুই দেশের বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পারিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারণ সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা যোগান তত্ত¡ বলে। এই পদ্ধতিটিকে বিনিময় হার নির্ধারণের আধুনিক তত্ত¡ও বলা হয়।
উদ্দীপকে জনাব রায়হান তৈরি পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে নিশ্চয়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মি. জনের কাছে পোশাক রপ্তানি করেন। কিন্তু পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, আমদানি কমে যাওয়ায় দেশে ডলারের চাহিদা কমে গেছে। ফলে ডলারের মূল্য হ্রাস পায় এবং জনাব রায়হান আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় হার চাহিদা-যোগান তত্ত¡ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে।
চাহিদা-যোগন তত্ত¡টি বিনিময় হার নির্ধারণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কোনো দেশের মুদ্রার মান সে দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে উপর ভিত্তি পরে নির্ধারিত হয়। দেশের আমদানি কমে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমে। পক্ষান্তরে, আমদানি বেড়ে গেলে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বাড়ে। ফলে যথাক্রমে বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য কমে এবং বাড়ে। অর্থাৎ বিনিময় হারের উপর নির্দিষ্ট কারো কোনো হাতে থাকে না বরং বাজারই বিনিময় হার নির্ধারণ করে নেয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। সুতরাং বলা যায়, চাহিদা-যোগান তত্ত¡ পদ্ধতিটি বিনিময় হার নির্ধারণের সবচেয়ে কার্যকর ও যৌক্তিক পদ্ধতি।
মমমপ্রশ্ন১০ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় বিশ্বজুড়ে বড় ব্যবসায়। বাংলাদেশের ২০০৩ সালের মে মাসের পূর্ব পর্যন্ত বৈদেশিক বিভিন্ন মুদ্রার সাথে টাকার বিনিময় হার সরকার নির্ধারণ করে দিত। এতে দেশের মুদ্রার প্রকৃত মান নিয়ে সর্বমহলে সংশয় বিরাজ করত। এরপর এ পদ্ধতির অবসান ঘটে। এখন আমাদের টাকার মূল্যমান বিদেশি মুদ্রার সাথে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্ণীত হয়। এমতাবস্থায় দুটি দেশের নানান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবসায়ীরা চুটিয়ে ব্যবসা করেন।
[আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
অ ক. ভাসমান মুদ্রা কী? ১
অ খ. বিদেশে অর্থ প্রেরণ অঞগ কার্ডের ব্যবহার লেখ। ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণনা অনুযায়ী বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুদ্রা কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. মুদ্রা ব্যবাসয়ীরা চুটিয়ে ব্যবসা করতে পারবে এর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
মক কোনো দেশের মুদ্রার মান সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ না করে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা যোগান বা বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে। অ
মখ অঞগ কার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ প্রেরণ করা যায় অ
মানুষবিহীন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত এ লেনদেন ব্যবস্থা সংক্ষেপে অঞগ নামে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক অঞগ কার্ড যেমন ঠওঝঅ, গঅঝঞঊজ ঈঅজউ এগুলোর মাধ্যমে বিদেশে টাকা প্রেরণ করা যায় বা প্রাপক বিদেশ থেকেই অর্থ উত্তোলন করতে পারে।
মগ উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মুদ্রা ভাসমান মুদ্রা। অ
বাজারে মুদ্রার মান সরকার নিজেই নির্ধারণ করে না দিয়ে বাজারের চাহিদা ও যোগান বা সার্বিক বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দিলে ঐ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা বলে। কোনো মুদ্রা ভাসমান হলে বাজারের চাহিদা ও যোগান পূর্বানুমান করে মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায় করা সম্ভব।
উদ্দীপকে বাংলাদেশের মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করার আগে ও পরের অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রার বিনিময় হার আগে সরকার থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হত। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীরা সব সময় এক ধরনের ভয়ে থাকত। কিন্তু ২০০৩ সালের মে মাসের পরে সেই ভয়ের অবসান ঘটে। এর কারণ হচ্ছে ৩১ মে ২০০৩ সালে বাংলাদেশের মুদ্রাকে বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করা হয়। মুদ্রা ভাসমান হবার কারণেই এখন মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বাজার বিশ্লেষণ করে তাদের ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারেন। সুতরাং বলা যায় বাংলাদেশের মুদ্রা ভাসমান মুদ্রা।
মঘ মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করায় মুদ্রা ব্যবসায়ীরা চুটিয়ে ব্যবসা করতে পারবে। অ
কোনো দেশের মুদ্রার মান উক্ত দেশের সরকার নির্ধারণ করে দিতে পারে। আবার বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বা চাহিদা-যোগানের উপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নির্ধারণ হতে পারে। চাহিদা যোগান তত্ত¡টি বিনিময় হার নির্ধারণের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হওয়ায় সব দেশের সরকারই এখন তাদের মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা ঘোষণা করছে।
উদ্দীপকে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ব্যবসায় এবং বাংলাদেশের মুদ্রার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রার বিনিময় হার ২০০৩ সালের আগে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হত। ফলে দেশের মুদ্রার প্রকৃত মান নিয়ে সর্বমহলে এক ধরনের সংশয় বিরাজ করত। কিন্তু এই পদ্ধতির অবসান ঘটে এবং মুদ্রার মান নিয়ে সংশয় দূর হয় ৩১ মে ২০০৩ সালে মুদ্রাকে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করার পর।
ভাসমান মুদ্রার মান নির্ধারিত হয় বাজারের চাহিদা ও যোগান পরিস্থিতির উপর। এখানে মুদ্রার মানের উপর কারো কোনো হাত থাকে না বরং সার্বিক বাজার পরিস্থিতির উপর তা নির্ভর করে। ফলে ব্যবসায়ীরা বাজার এর চাহিদা- যোগান, আমদানি-রপ্তানি, বাণিজ্য ঘাটতি ইত্যাদি বিবেচনা করে মুদ্রার বিনিময় হার পূর্বানুমান করে চুটিয়ে মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসায় করতে পারবে।

মমমপ্রশ্ন১১ মিস জয়ন্তিকা গ্রামের মহিলাদেরকে নিয়ে হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদন প্রতিষ্টান গঠন করেন। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি দেশীয় চাহিদা পূরণ করে যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড এন্ড সন্স লি.-এর নিকট ৫০,০০০ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির অর্ডার পান। রিচার্ড এন্ড সন্স লি. ব্যাংকের মাধ্যমে মিস জয়ন্তিকাকে ৫ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের একটি নিশ্চয়তাপত্র প্রদান করে। পণ্য রপ্তানির ফরমায়েশপত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারিত থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। যার ফলে মিস জয়ন্তিকা আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। [নটর ডেম কলেজ, ঢাকা]
অ ক. ফোরফেইটিং কী? ১
অ খ. আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রেমিটেন্সের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা করো। ২
অ গ. মিস জয়ন্তিকা রিচার্ড এন্ড সন্স লি.-এর নিকট থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা কী বলে তুমি মনে কর? বৈদেশিক বাণিজ্যে এ ধরনের নিশ্চয়তার গুরুত্ব মূল্যায়ন করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার কোন তত্তে¡র উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে? তত্ত¡টির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
১১ নং প্রশ্নের উত্তর
মক বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানিকারক ও রপ্তানিকাককে প্রাপ্য বিলের বিপক্ষে স্বল্প ও মধ্যম মেয়াদি অর্থায়ন করার আধুনিক ব্যবস্থাই হলো ফোরফেটিং। অ
মখ বিদেশে কর্মরত জনশক্তি বা প্রবাসীরা বাংলাদেশে যে অর্থ পাঠায় তাই রেমিটেন্স। অ
রেমিটেন্সের প্রধান ভ‚মিকা হলো এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায়। এছাড়াও রেমিটেন্স জাতীয় ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। রেমিটেন্স দেশের মুদ্রার মান বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধান, ভোগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে।
মগ মিস জয়ন্তিকা রিচার্ড এন্ড সন্স লি.-এর থেকে রপ্তানিকৃত পণ্যের মূল্যের নিশ্চয়তাস্বরূপ প্রত্যয়পত্র পেয়েছে বলে আমি মনে করি। অ
যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারককের পক্ষে রপ্তানিকারকে পণ্য মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে। প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমেই ব্যাংক আমাদানিকারক ও রপ্তানিকারকের মধ্যে মধ্যস্থতা করে বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা করে।
উদ্দীপকে মিস জয়ন্তিকা গ্রামের মহিলাদেরকে নিয়ে হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদনের একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় চাহিদা পূরণ করার পর সম্প্রতি যুক্তাষ্ট্রের রিচার্ড এন্ড সন্সের নিকট থেকে ৫০,০০০ ডলার পণ্য রপ্তানি করার একটি অর্ডার পায়। রিচার্ড এন্ড সন্স ৫ মাসের মধ্যে মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে একটি নিশ্চয়তাপত্র মিস জয়ন্তিকাকে পাঠায়। এই নিশ্চয়তা পত্রটিই প্রত্যয়পত্র যা বৈদেশিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। যেমন এই নিশ্চয়তপত্রটি পাবার পর মিস জয়ন্তিকা নির্ভয়ে পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। কারণ তিনি প্রত্যয়পত্রের মাধ্যমে তার পণ্যের মূল্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা পেয়েছেন। প্রত্যয়পত্র এখানে রপ্তানি বাণিজ্যিকে সহজ ও নিরাপদ করেছে। এছাড়াও প্রত্যয়পত্র বৈদেশিক বাণিজ্যেকে পরিমাণ বৃদ্ধি করে। সুতরাং বলা যায়, মিস জয়ন্তিকার প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি হচ্ছে একটি প্রত্যয়পত্র।
মঘ উদ্দীপকে নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার চাহিদা যোগান তত্তে¡র উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে। অ
দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় হার তাদের মুদ্রার পারস্পরিক চাহিদা ও যোগান অনুযায়ী নির্ধারিত হওয়া সংক্রান্ত তত্ত¡কেই চাহিদা ও যোগান তত্ত¡ বলে। এই তত্ত¡ সবার কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হওয়ায় এটি বৈদেশিক বিনিময় হারের আধুনিক তত্ত¡ নামেও পরিচিত।
উদ্দীপকে মিস জয়ন্তিকা গ্রামের মহিলাদের নিয়ে হস্তশিল্পজাত পণ্য উৎপাদন করেন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ড এন্ড সন্সের কাছ থেকে একটি রপ্তানি অর্ডার পান। রিচার্ড এন্ড সন্স একটি প্রত্যয়পত্র প্রেরণ করে মিস জয়ন্তিকাকে। কিন্তু ফরমায়েশ পত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারিত থাকলেও পরবর্তীতে তা হ্রাস পায়। ফলে মিস জয়ন্তিকা কিছুটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এখানে ডলার এবং টাকা উভয়ই ভাসমান মুদ্রা হওয়ায় চাহিদা ও যোগান তত্তে¡র উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে।
ভাসমান মুদ্রাকে বাজার পরিস্থিতির উপর ছেড়ে দেয়া হয়। বাজারে চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে মুদ্রার বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। মিস জয়ন্তিকার ফরমায়েশপত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া থাকলেও পরবর্তীতে তা কমে যায়, যার সম্ভাব্য কারণ হলো বাংলাদেশে ডলারের চাহিদা কমে যাওয়া। অথবা আমদানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ডলারের যোগান বেড়ে যাওয়া। চাহিদা-যোগান তত্ত¡ অনুযায়ী যৌক্তিকভাবেই চাহিদা কমে গেলে বা যোগান বেড়ে গেলে বিনিময় হার কমে যায়। আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে বিনিময় হার বাড়ে বা কমে বলে এই তত্ত¡টি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং যৌক্তিক। সর্বোপরি বলা যায়, উদ্দীপকের নির্দেশিত বৈদেশিক বিনিময় হার চাহিদা-যোগান তত্ত¡ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছে।

 

Leave a Reply