নবম-দশম ইসলাম চতুর্থ অধ্যায় আখলাক

চতুর্থ অধ্যায় আখলাক
অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংক্ষেপে জেনে রাখি

 আখলাকে হামিদাহ : আখলাক অর্থ চরিত্র, স্বভাব। আর হামিদাহ অর্থ প্রশংসনীয়। সুতরাং আখলাকে হামিদাহ অর্থ প্রশংসনীয় চরিত্র, সচ্চরিত্র। ইসলামি পরিভাষায়, যেসব স্বভাব বা চরিত্র সমাজে প্রশংসনীয় ও সমাদৃত, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (স)-এর নিকট প্রিয় সেসব স্বভাব বা চরিত্রকে আখলাকে হামিদাহ বলা হয়।
 তাকওয়া : তাকওয়া শব্দের অর্থ বিরত থাকা, বেঁচে থাকা, ভয় করা, নিজেকে রক্ষা করা। ব্যবহারিক অর্থে পরহেজগারি, খোদাভীতি, আত্মশুদ্ধি ইত্যাদি বোঝায়। ইসলামি পরিভাষায়, আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলা হয়।
 ওয়াদা পালন : ইসলামি পরিভাষায় কারও সাথে কোনোরূপ প্রতিশ্রæতি দিলে, অঙ্গীকার করলে বা কাউকে কোনো কথা দিলে তা যথাযথভাবে রক্ষা করাকে ওয়াদা পালন বলে।
 সত্যবাদিতা : সত্যবাদিতার আরবি প্রতিশব্দ আস-সিদ্ক। সাধারণভাবে সত্য কথা বলার অভ্যাসকে সত্যবাদিতা বলা হয়। অন্যকথায়, বাস্তব ও প্রকৃত ঘটনা বা বিষয় প্রকাশ করাকে সিদ্ক বলা হয়। যে ব্যক্তি সত্যবাদী তাকে বলা সাদিক। আর মহাসত্যবাদীকে সিদ্দিক বলে।
 শালীনতা : শালীনতা অর্থ মার্জিত, সুন্দর ও শোভন হওয়া। কথা-বার্তা, আচার-আচরণ ও চলাফেরায় ভদ্র, সভ্য ও মার্জিত হওয়াকে শালীনতা বলা হয়। গর্ব-অহঙ্কার, ঔদ্ধত্য ও অশ্লীলতা ত্যাগ করে জীবনাচরণের সকল ক্ষেত্রে ইসলামি নীতি-আদর্শের অনুসারী হওয়ার দ্বারা শালীনতা অর্জন করা যায়।
 আমানত : আমানত আরবি শব্দ। এর অর্থ গচ্ছিত রাখা, নিরাপদ রাখা। সাধারণত কারও নিকট কোনো অর্থ-সম্পদ, কথা গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলা হয়। তবে ব্যাপকার্থে শুধু ধন-সম্পদ নয় বরং যেকোনো জিনিস গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলে। একজনের জান, মাল, সম্মান, কথা-প্রতিজ্ঞা সবকিছুই অন্যের নিকট আমানত স্বরূপ।
 মানবসেবা : মানবসেবা বলতে মানুষের সেবা করা, পরিচর্যা করা, যতœ নেওয়া, সাহায্য-সহযোগিতা করা ইত্যাদি বোঝায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবা করা মানবসেবার আওতাভুক্ত।
 ভ্রাতৃত্ববোধ ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি : ভ্রাতৃত্ববোধ হলো ভ্রাতৃত্বসুলভ অনুভ‚তি প্রকাশ। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির অপর ব্যক্তিকে ভাইয়ের ন্যায় মনে করা, ভ্রাতৃত্বসুলভ আচার-আচরণ করা। সহোদর ভাইয়ের সাথে আমরা ভালো ব্যবহার করি, সবসময় তাদের কল্যাণ কামনা করি, তাদের জন্য নিজেদের নানা স্বার্থ ত্যাগ করি, তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসি। তেমনিভাবে দুনিয়ার সকল মানুষের প্রতি এরূপ মনোভাব পোষণ ও নিজ কর্মের মাধ্যমে এর প্রমাণ উপস্থাপনই হলো ভ্রাতৃত্ববোধ।
 নারীর প্রতি সম্মানবোধ : নারীর প্রতি সম্মানবোধ আখলাকে হামিদাহ-র অন্যতম। এটি একটি মহৎগুণ। নারীর প্রতি সম্মানবোধ ব্যাপক অর্থবোধক। সাধারণ অর্থে এটি নারীকে সম্মান প্রদর্শনের অনুভ‚তি বা মনোভাবকে বুঝিয়ে থাকে। আর ব্যাপকার্থে নারীর প্রতি সম্মানবোধ হলো নারী জাতির প্রতি সম্মানজনক মনোভাব।
 স্বদেশপ্রেম : স্বদেশ হলো নিজ দেশ বা নিজ মাতৃভূমি। যে দেশে মানুষ জন্মগ্রহণ করে, যে স্থানের আলো-বাতাসে প্রতিপালিত হয় এবং বড় হয়ে উঠে সে স্থানকেই তার স্বদেশ বলা হয়। স্বদেশের প্রতি মায়া-মমতা, আকর্ষণই হলো স্বদেশপ্রেম।
 কর্তব্যপরায়ণতা : আখলাকে হামিদাহ এর অন্যতম হলো কর্তব্যপরায়ণতা। মানুষ হিসেবে আমাদের ওপর নানাবিধ দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। এসব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সতর্ক ও সচেতন থাকা, সময়মতো সুন্দর ও সুচারুভাবে এগুলো পালন করা এবং এ ক্ষেত্রে কোনোরূপ অবহেলা বা উদাসীনতা প্রদর্শন না করাকেই কর্তব্যপরায়ণতা বলা হয়।
 পরিচ্ছন্নতা : পরিষ্কার, সুন্দর ও পরিপাটি অবস্থাকে পরিচ্ছন্নতা বলে। শরীর, মন ও অন্যান্য ব্যবহার্য বস্তু সুন্দর ও পবিত্র রাখা, ময়লা- আবর্জনা ও বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে মুক্ত রাখাকে পরিচ্ছন্নতা বলা হয়। দুর্নীতিমুক্ত, ভেজালমুক্ত ও ঝামেলামুক্ত অবস্থাও পরিচ্ছন্নতার অন্যতম রূপ।
 মিতব্যয়িতা : মিতব্যয়িতা আখলাকে হামিদাহ-র অন্যতম দিক। মিতব্যয়িতা হলো প্রয়োজন অনুসারে ব্যয় করা, পরিমিতিবোধ, কথা-বার্তা, কাজ-কর্মে যথার্থতা, মাল-সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ইত্যাদি। সাধারণত ধন-সম্পদের যথাযথ ও প্রয়োজন মাফিক ব্যবহারকে মিতব্যয়িতা বলা হয়।
 আত্মশুদ্ধি : আত্মশুদ্ধি অর্থ হলো নিজের সংশোধন, নিজেকে খাঁটি করা, পরিশুদ্ধ করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় সর্বপ্রকার অনৈসলামিক কথা ও কাজ থেকে নিজ অন্তরকে মুক্ত ও নির্মল রাখাকে আত্মশুদ্ধি বলা হয়। আল্লাহ তায়ালার স্মরণ, আনুগত্য ও ইবাদত ব্যতীত অন্য সমস্ত কিছু থেকে অন্তরকে পবিত্র রাখাকেও আত্মশুদ্ধি বলা হয়।
 আখলাকে যামিমাহ : আখলাকে যামিমাহ অর্থ নিন্দনীয় স্বভাব। মানুষের সব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই ভালো নয়। বরং মানব চরিত্রে এমন কিছু দিক রয়েছে যা অপছন্দনীয় ও নিন্দীয়। মানব চরিত্রের এসব নিন্দনীয় স্বভাবগুলোকে আখলাকে যামিমাহ বলা হয়।

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

 বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর 
১. আমানতের খিয়ানত করা কার চিহ্ন?
ক ফাসিকের খ কাফিরের  মুনাফিকের ঘ মিথ্যাবাদীর
২. ‘যে প্রতারণা করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়’ Ñ বাণীটি কার?
 মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর খ হযরত আবু বকর (রা)-এর
গ হযরত উমর (রা)-এর ঘ হযরত আলি (রা)-এর
৩. স্বদেশপ্রেম প্রকাশ করতে হয়Ñ
র. নিজের কাজ দ্বারা রর. মুখের কথা দ্বারা
ররর. সেবা দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ ররর  র ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
রফিক সাহেব ও শফিক সাহেব একই অফিসে চাকরি করেন। রফিক সাহেব প্রায়ই শফিক সাহেবের আত্মসম্মানে আঘাত করে কথা বলেন।
৪. রফিক সাহেবের আচরণে কিসের অভাব পরিলক্ষিত হয়?
 ভ্রাতৃত্ববোধের খ স¤প্রীতির
গ সম্মানবোধের ঘ আমানতের
৫. রফিক সাহেবের আচরণের ফলেÑ
র. পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হবে
রর. অফিসের কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে
ররর. মনোমালিন্য লেগে থাকবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ র ও রর  র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন- ১  কর্মবিমুখতা ও ঘুষ

জনাব ‘ক’ সরকারি চাকরি করেন। তিনি তার কর্মস্থলে জনসাধারণের কাজ করে দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে খুব আয়েশি জীবনযাপন করেন। তার ছেলে জনাব ‘খ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে কর্মহীন জীবনযাপন করছেন। কেউ তাকে চাকরি খোঁজা বা কোনো কর্মে নিযুক্ত হওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, কাজ করতে আমার ভালো লাগে না।
ক. আখলাকে হামিদাহ অর্থ কী?
খ. দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না কেন?
গ. জনাব ‘খ’ এর কাজটি ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “জনাব ‘ক’ এর কাজের পরিণতি ভয়াবহ”Ñমতামত দাও।

ক আখলাকে হামিদাহ অর্থ প্রশংসনীয় চরিত্র, সচ্চরিত্র।
খ দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ পশুর চেয়েও অধম। তার মধ্যে নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিন্দুমাত্রও পাওয়া যায় না। নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য মানবিক আদর্শসমূহকে বিসর্জন দিয়ে সে অন্যায়, অত্যাচার ও অশালীন কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে শান্তি, নিরাপত্তা, সামাজিক ঐক্য, সংহতি, সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট হয় এবং সমাজে অরাজকতা ও অশান্তি বিরাজ করে। এজন্যই মহানবি (স) বলেছেন, দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
গ জনাব ‘খ’ এর কাজটি কর্মবিমুখতার শামিল। আমরা জানি, কর্মবিমুখতা বলতে কাজ না করার ইচ্ছাকে বোঝায়। সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও কোনো কাজ না করে অলস বা বেকার বসে থাকাকে কর্মবিমুখতা বলা হয়। যেমনটি আমরা দেখি উদ্দীপকে বর্ণিত জনাব ‘খ’-এর চরিত্রে। জনাব ‘খ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে কর্মহীন জীবনযাপন করছেন। কেউ তাকে চাকরি খোঁজা বা কোনো কর্মে নিযুক্ত হওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, কাজ করতে আমার ভালো লাগে না। তাই বলা যায়, জনাব ‘খ’ একজন কর্মবিমুখ মানুষ। বস্তুত কর্মবিমুখতা মানবজীবনে অভিশাপস্বরূপ। এটি মানুষের মধ্যে অলসতা সৃষ্টি করে। এতে মানুষ অকর্মণ্য হয়ে পড়ে। মানুষের কর্মস্পৃহা, কর্মক্ষমতা লোপ পায়। এজন্যই বলা হয় ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’। কর্মবিমুখতার ফলে মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কর্মবিমুখতার এতসব কুফল থাকার কারণে ইসলামে এর কোনো স্থান নেই। মহানবি (স) বলেছেনÑ হালাল উপায়ে জীবিকা অšে¦ষণ করা ফরজের পর আরও একটি ফরজ কাজ। পরিশেষে বলা যায়, জনাব ‘খ’-এর কর্মবিমুখতা ইসলাম সমর্থন করে না। সুতরাং তাকে সামর্থ্যানুযায়ী কাজ করতে হবে।
ঘ জনাব ‘ক’ এর কাজটিকে ইসলামে ঘুষ বলা হয়, যার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। উদ্দীপকের জনাব ‘ক’-এর জন্য সরকার কর্তৃক বেতন নির্ধারিত থাকা সত্তে¡ও কাজ করে দিয়ে তিনি অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করেন, যা ইসলামে ঘুষের নামান্তর। আর এ কাজের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। ইসলামে ঘুষকে স্পষ্টভাবে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঘুষখোরদের পরিণতি প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স) বলেন-

অর্থ : ঘুষদাতা ও ঘুষখোর উভয়ই জাহান্নামি। (তাবারানি)
অন্য হাদিসে মহানবি (স) বলেছেন, “ঘুষ প্রদানকারী ও ঘুষ গ্রহণকারী উভয়ের ওপরই আল্লাহর অভিশাপ।” ঘুষখোরদের অভিনব শাস্তির বিষয় বুখারি ও মুসলিম শরিফের একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবি (স) বলেছেন, ‘আল্লাহর শপথ! তোমাদের কোনো ব্যক্তি অনধিকারে বা অবৈধভাবে কোনো কিছু গ্রহণ করলে কিয়ামতের দিন সে তা বহন করতে করতে আল্লাহর সামনে হাজির হবে।’ প্রকৃতপক্ষে ঘুষ মানব সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি ডেকে আনে। এটি এক ধরনের জুলুম। তাই সমাজকে সুস্থ, সুন্দর ও কল্যাণময় করার জন্য শরিয়তের নিষেধাজ্ঞা মেনে ঘুষ প্রদান ও গ্রহণ থেকে বিরত থাকা আমাদের সবার কর্তব্য।
প্রশ্ন- ২  গিবত ও প্রতারণা

জনাব ‘ক’ তার বন্ধুদের সাথে গল্প করছিল। এর মধ্যে ‘খ’ বলল, জনাব ‘ঘ’-কে তো দেখছি না। তৎক্ষণাৎ জনাব ‘গ’ বলল, আরে ওতো দুশ্চরিত্রের লোক। তাদেরই আরেকজন বলল, ওতো ৫০ কেজি চালের মূল্য নিয়ে আমাকে ৪৫ কেজি চাল দিয়েছে।
ক. আখলাকে ‘যামিমাহ’ অর্থ কী?
খ. ঘুষ গ্রহণকারীর সাথে ঘুষদাতা শাস্তিপ্রাপ্ত হবে কেন?
গ. জনাব ‘গ’ এর কাজটি কীরূপ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জনাব ‘ঘ’ তার কাজের জন্য অবশ্যই শাস্তিপ্রাপ্ত হবেÑ মূল্যায়ন কর।

ক আখলাকে যামিমাহ অর্থ নিন্দনীয় স্বভাব, মন্দ চরিত্র বা দুশ্চরিত্র।
খ ঘুষ গ্রহণকারীর সাথে ঘুষদাতাও শাস্তিপ্রাপ্ত হবে। কারণ উভয়ই ইসলামি শরিয়তের বিধান অমান্য করে। ইসলামে ঘুষ গ্রহণ ও প্রদান উভয়ই হারাম বা অবৈধ। মহানবি (স) বলেছেন, ‘ঘুষদাতা ও ঘুষখোর উভয়ই জাহান্নামি।’ বাস্তব ক্ষেত্রে ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয়ই তাদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অন্যায় ও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকে। তাই উভয়কেই শাস্তি পেতে হবে।
গ জনাব ‘গ’ এর কাজটি গিবত হয়েছে। কেননা জনাব ‘ঘ’ এর অনুপস্থিতিতে জনাব ‘গ’ তার সমালোচনা করেছে যা গিবতের শামিল। কারো অনুপস্থিতিতে অন্যের নিকট এমন কোনো কথা বলা যা শুনলে সে মনে কষ্ট পায় তাকে গিবত বলে। একদা সাহাবিদের উদ্দেশ্যে মহানবি (স) বললেন, তোমরা কি জান গিবত কী? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। রাসুল (স) বললেন, গিবত হলো তুমি তোমার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে এমন আলোচনা করবে যা শুনলে সে মনে কষ্ট পায়। অতঃপর মহানবি (স) কে বলা হলো, আমি যা বলব তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রেও কি তা গিবত হবে? উত্তরে রাসুলুল্লাহ (স) বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে থাকে তবে তা গিবত হবে। আর যদি তা তার মধ্যে না পাওয়া যায় তবে তা হবে অপবাদ।’ ইসলামের দৃষ্টিতে গিবত বা পরনিন্দা করা অবৈধ এবং অপছন্দনীয় কাজ। আল্লাহ বলেছেন,

অর্থ: “আর তোমরা একে অন্যের গিবত কর না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে ভালোবাসবে? বস্তুত তোমরা নিজেরাই তা অপছন্দ করে থাক।” (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত : ১২)
সুতরাং বলা যায় যে, জনাব ‘গ’ জনাব ‘ঘ’ এর অগোচরে গিবত করে মহা অন্যায়ের কাজ করেছেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
ঘ জনাব ‘ঘ’ তার কাজের জন্য অবশ্যই শাস্তিপ্রাপ্ত হবেন। কারণ তিনি প্রতারণা করেছেন। প্রকৃত অবস্থা গোপন রেখে ফাঁকি বা ধোঁকার আশ্রয় নিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করাকে প্রতারণা বলা হয়। প্রতারণা নানাভাবে হতে পারে। ওজনে কম দেওয়া প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত। তাই উদ্দীপকের জনাব ‘ঘ’ এর কাজ প্রতারণার শামিল। কারণ তিনি ৫০ কেজি চালের মূল্য নিয়ে ক্রেতাকে ৪৫ কেজি চাল দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি ক্রেতাকে ৫ কেজি চাল কম দিয়েছেন। এভাবে ওজনে কম দিয়ে ক্রেতাকে ঠকানোর মাধ্যমে জনাব ‘ঘ’ যে প্রতারণা করেছেন সেজন্য তার শাস্তি অবধারিত। দুনিয়াতে প্রতারণাকারী ঘৃণিত, লজ্জিত ও অপদস্থ হয়। আর আখিরাতে তার জন্য রয়েছে দুর্ভোগ ও ধ্বংস। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “ধ্বংস তাদের জন্য যারা মাপে কম দেয়। যারা লোকের নিকট থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে এবং যখন তারা মেপে বা ওজন করে দেয় তখন কম দেয়।” বস্তুত প্রতারণা মিথ্যাচারের একটি বিশেষ রূপ। এর মাধ্যমে অন্যকে ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হয়। এটি অত্যন্ত গর্হিত ও ঘৃণিত কাজ এবং সমাজদ্রোহী অপরাধ। এর দ্বারা পরস্পরের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হয়। সমাজে শত্রæতার জন্ম হয়। আর এ কারণে ইসলামি শরিয়তে প্রতারণা করা, ধোঁকা দেওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। সুতরাং বলা যায়, জনাব ‘ঘ’ প্রতারণা করার কারণে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
 সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ‘তাযকিয়াতুন নাফস’ কাকে বলে?
উত্তর : ‘তাযকিয়াতুন নাফস’ একটি আরবি পরিভাষা। এর অর্থ আত্মশুদ্ধি, নিজের সংশোধন, নিজকে খাঁটি করা, পরিশুদ্ধ করা, পাপমুক্ত করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় সর্বপ্রকার অনৈসলামিক কথা ও কাজ থেকে অন্তরকে মুক্ত ও নির্মল রাখাকে তাযকিয়াতুন নাফস বা আত্মশুদ্ধি বলা হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ সংক্ষেপে সুদের অপকারিতা বর্ণনা কর।
উত্তর : সুদ অত্যন্ত জঘন্য অর্থনৈতিক অপরাধ। এর কুফল ও অপকারিতা অত্যন্ত ভয়াবহ। সুদ মানবসমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্ম দেয়। ধনী আরও ধনী হয়; গরিব আরও গরিব হয়। ফলে সমাজের মধ্যে শ্রেণিভেদ গড়ে ওঠে। পারস্পরিক মায়া-মমতা, ভালোবাসা ও সহযোগিতার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। সুদের কারণে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যাহত হয়। লোকেরা বিনিয়োগে উৎসাহী হয় না। বরং সম্পদ অনুৎপাদনশীলভাবে সুদি কারবারে লাগায়। ফলে দেশের বিনিয়োগ কমে যায়, জাতীয় উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ গিবতের স্বরূপ বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : কারও অনুপস্থিতিতে অন্যের নিকট এমন কোনো কথা বলা যা শুনলে সে মনে কষ্ট পায় তাকে গিবত বলে। আমরা অনেক সময় অলস বসে থাকি। হাতে কোনো কাজ থাকে না। বন্ধু-বান্ধব মিলে গল্প করি। এ সময় কথায় কথায় অন্যের সমালোচনা করি। সহপাঠী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের দোষ খুঁজে বেড়াই। তাদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ করি। বস্তুত এসবই গিবত। যেমন লেখনীর মাধ্যমে, ইশারা-ইঙ্গিতে বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কারও সমালোচনা করা। কারও কোনো অভ্যাস নিয়ে চিত্র, লেখা বা কার্টুনের মাধ্যমেও গিবত করা যায়। কারও কোনো দোষ আলোচনা করা গিবতের সবচেয়ে পরিচিত রূপ।
 বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ হিংসা কাকে বলে? হিংসার কুফল বর্ণনা কর।
উত্তর : হিংসা আখলাকে যামিমাহর অন্যতম নিকৃষ্টতম দিক। হিংসা-বিদ্বেষ মানে অন্যের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করা, নিজেকে বড় মনে করা, অন্যকে ঘৃণা করা, শত্রæতাবশত অন্যের ক্ষতি কামনা করা, অন্যের উন্নতি, সুখ সহ্য করতে না পারা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় অন্যের সুখ-সম্পদ, শান্তি-সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে তার ধ্বংস কামনা করা এবং নিজে এর মালিক হওয়ার কামনাকে হিংসা বলা হয়। আরবি ভাষায় হিংসার প্রতিশব্দ হলো হাসাদ।
হিংসার কুফল : হিংসার কুফল অত্যন্ত মারাত্মক থাকায় এটা ইসলামি শরিয়তে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। নিচে হিংসার কুফল বর্ণনা করা হলো :
ক. চরিত্রকে ধ্বংস করে : হিংসা-বিদ্বেষ মানব চরিত্রের অত্যন্ত নিন্দনীয় অভ্যাস। এটি মানব চরিত্রকে ধ্বংস করে দেয়।

খ. সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করে : মানুষ শান্তি-শৃঙ্খলার সাথে সামাজিকভাবে বসবাস করতে চায়। আর সামাজিক শান্তির জন্য প্রয়োজন সাম্য, মৈত্রী, ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা। কিন্তু হিংসা এসব সৎগুণ ধ্বংস করে দেয়।
গ. জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয় : হিংসা-বিদ্বেষ জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও উন্নতির পথে অন্তরায়। এর ফলে জাতির মধ্যে বিভেদ- বৈষম্য দেখা দেয়। শত্রæতা বৃদ্ধি পায়। ।
ঘ. নেক আমল ধ্বংস করে : হিংসা মানুষের সকল নেক আমলকে ধ্বংস করে দেয়। মহানবি (স) বলেছেন, ‘তোমরা হিংসা থেকে বেঁচে থাক। কেননা আগুন যেমন কাঠকে খেয়ে ফেলে (পুড়িয়ে দেয়), হিংসাও তেমনি মানুষের সৎকর্মগুলোকে খেয়ে ফেলে (নষ্ট করে দেয়)।

কমন উপযোগী জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ আখলাক অর্থ কী?
উত্তর : আখলাক অর্থ : স্বভাব, চরিত্র।
প্রশ্ন \ ২ \ আখলাকে হামিদাহ কী ?
উত্তর : যেসব চরিত্র সমাজে প্রশংসনীয় ও সমাদৃত, আল্লাহ ও রাসুল (স) এর নিকট প্রিয়, সেসব চরিত্রই আখলাকে হামিদাহ।
প্রশ্ন \ ৩ \ সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী কে?
উত্তর : মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।
প্রশ্ন \ ৪ \ মানবজীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব কতটুকু?
উত্তর : মানবজীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন \ ৫ \ সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি কারা?
উত্তর : ইসলামি জীবনদর্শনে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি হলেন মুত্তাকিগণ।
প্রশ্ন \ ৬ \ আল্লাহ কাদের ভালোবাসেন?
উত্তর : মহান আল্লাহ তাকওয়াবান ব্যক্তিদের ভালোবাসেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ মুত্তাকিদের জন্য কী রয়েছে?
উত্তর : মুত্তাকিদের জন্য রয়েছে সফলতা।
প্রশ্ন \ ৮ \ তাকওয়া শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : তাকওয়া শব্দের অর্থ বিরত থাকা, বেঁচে থাকা, ভয় করা, নিজেকে রক্ষা করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৯ \ কাউকে ওয়াদা দিলে কী করতে হয়?
উত্তর : কাউকে ওয়াদা দিলে তা পালন করতে হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ হাশরের ময়দানে কী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে?
উত্তর : হাশরের ময়দানে প্রতিশ্রæতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।
প্রশ্ন \ ১১ \ ওয়াদা দিলে মহানবি (স) কী করতেন?
উত্তর : মহানবি (স) কারও সাথে ওয়াদা দিলে তা পালন করতেন।
প্রশ্ন \ ১২ \ সত্যবাদিতা অবলম্বন করলে কী হয়?
উত্তর : সত্যবাদিতা অবলম্বন করলে মানুষ দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা লাভ করতে পারে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সত্য ও সঠিক কথা বলার ব্যাপারে কুরআনে কী আছে?
উত্তর : সত্য ও সঠিক কথা বলার ব্যাপারে কুরআনের বাণী! ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও সঠিক কথা বল।’
প্রশ্ন \ ১৪ \ আমাদের মহানবি (স) সত্যের ব্যাপারে কেমন ছিলেন?
উত্তর : আমাদের প্রিয় নবি (স) ছিলেন সত্যবাদিতার মূর্তপ্রতীক।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ইসলামি সমাজব্যবস্থার মূলভিত্তি কী?
উত্তর : শালীনতাই হলো ইসলামি সমাজব্যবস্থার মূলভিত্তি।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ইসলাম মানুষকে কী নির্দেশ করে?
উত্তর : ইসলাম সকল মানুষকে নম্র, ভদ্র ও শালীন হওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ শালীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডকে ইসলামে কী করা হয়েছে?
উত্তর : শালীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডকে ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ আমানত কাকে বলে?
উত্তর : সাধারণত কারও নিকট কোনো অর্থসম্পদ গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ আমানত সম্পর্কে মহানবি (স)-এর বাণীটি কী?
উত্তর : আমানত সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “যার মধ্যে আমানতদারি নেই, তার ইমান নেই।”
প্রশ্ন \ ২০ \ আমানতের খিয়ানতকারী কী?
উত্তর : আমানতের খিয়ানতকারী মুনাফিক।
প্রশ্ন \ ২১ \ আমানত শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : আমানত শব্দের অর্থ গচ্ছিত রাখা, নিরাপদ রাখা।
প্রশ্ন \ ২২ \ জাতি উন্নতি করতে পারে না কোন কারণে?
উত্তর : ভ্রাতৃত্ববোধ ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি না থাকলে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না।
প্রশ্ন \ ২৩ \ কোন ধর্মে নারীদের সর্বাধিক সম্মান দেওয়া হয়েছে?
উত্তর : ইসলাম ধর্মে নারীদের সর্বাধিক সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২৪ \ নারীর প্রতি সম্মানবোধ কী?
উত্তর : নারীর প্রতি সম্মানবোধ আখলাকে হামিদাহর একটি মহৎ গুণ।
প্রশ্ন \ ২৫ \ মহানবি (স)-এর আবির্ভাবের পূর্বে নারীদের অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর : মহানবি (স)-এর আবির্ভাবের পূর্বে নারীদের কোনো মানমর্যাদা ছিল না। তারা ছিল অবহেলিত ও লাঞ্ছিত।
প্রশ্ন \ ২৬ \ স্বদেশ কাকে বলে?
উত্তর : স্বদেশ হলো নিজ দেশ বা নিজ মাতৃভ‚মি।
প্রশ্ন \ ২৭ \ স্বদেশপ্রেম কাকে বলে?
উত্তর : স্বদেশের প্রতি মায়া-মমতা, আকর্ষণই হলো স্বদেশপ্রেম।
প্রশ্ন \ ২৮ \ স্বদেশপ্রেমের পরিচায়ক কী?
উত্তর : দেশের মানুষকে ভালোবাসা, মানুষের জন্য কাজ করা স্বদেশপ্রেমের পরিচায়ক।
প্রশ্ন \ ২৯ \ কর্তব্যপরায়ণতা কী?
উত্তর : কর্তব্যপরায়ণতা হলো যথাযথভাবে কর্তব্য আদায় করা, দায়িত্ব পালন করা।
প্রশ্ন \ ৩০ \ নিজ কর্মের জন্য দায়ী কে?
উত্তর : প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মের জন্য দায়ী এবং কেউ অন্য কারও ভার গ্রহণ করবে না।
প্রশ্ন \ ৩১ \ তাহারাত কাকে বলে?
উত্তর : ইসলামি শরিয়তের নির্দেশিত পদ্ধতিতে দেহ, মন, পোশাক, খাদ্য, বাসস্থান, পরিবেশ পরিষ্কার ও নির্মল রাখাকে তাহারাত বলে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ অপবিত্রতা ও অপরিচ্ছন্নতা কীভাবে দূর হয়?
উত্তর : দৈনিক পাঁচবার সালাতের পূর্বে ওযু করার দ্বারা মানুষের সকল অপবিত্রতা ও অপরিচ্ছন্নতা দূরীভ‚ত হয়।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ মিতব্যয়িতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কে?
উত্তর : আমাদের মহানবি (স) মিতব্যয়িতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ কী?
উত্তর : ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তার লক্ষণ।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ মহানবি (স) নাহি আনিল মুনকার সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) হাত, মুখ ও অন্তর দ্বারা নাহি আনিল মুনকার বা খারাপ কাজ প্রতিরোধ করার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ কোন কাজ মানুষকে ধ্বংস থেকে বিরত রাখে?
উত্তর : সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ মানুষকে ধ্বংস থেকে বিরত রাখে।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ তাযকিয়াহর উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : স্বীয় আত্মাকে সব ধরনের পাপ-পঙ্কিলতা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত রাখাই তাযকিয়াহর উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ আত্মশুদ্ধির প্রধান উপায় কী?
উত্তর : আত্মশুদ্ধির প্রধান উপায় হলো খারাপ কাজ ত্যাগ করা এবং কুচিন্তা ও কুঅভ্যাস বর্জন করা।
প্রশ্ন \ ৩৯ \ আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কেন?
উত্তর : আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য।
প্রশ্ন \ ৪০ \ কে পশুর চেয়েও অধম?
উত্তর : অসৎ চরিত্র বা চরিত্রহীন ব্যক্তি পশুর চেয়েও অধম।
প্রশ্ন \ ৪১ \ চরিত্রহীন ব্যক্তি কী বিসর্জন দেয়?
উত্তর : চরিত্রহীন ব্যক্তি নিজস্বার্থ রক্ষার জন্য মানবিক আদর্শসমূহকে বিসর্জন দেয়।
প্রশ্ন \ ৪২ \ কাকে কেউ সাহায্য করে না?
উত্তর : চরিত্রহীন ব্যক্তিকে কেউ সাহায্য করে না।
প্রশ্ন \ ৪৩ \ প্রতারণা সম্পর্কে মহানবি (স)-এর বাণী কী?
উত্তর : মহানবি (স) বলেছেন, “যে প্রতারণা করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
প্রশ্ন \ ৪৪ \ ইসলামি শরিয়তে প্রতারণা কী?
উত্তর : ইসলামি শরিয়তে প্রতারণা হারাম।
প্রশ্ন \ ৪৫ \ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রতারণার কুফল কী?
উত্তর : আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে প্রতারণার কুফল অত্যন্ত ভয়াবহ।
প্রশ্ন \ ৪৬ \ গিবত কাকে বলে?
উত্তর : কারো অনুপস্থিতিতে অন্যের নিকট এমন কোনো কথা বলা যা শুনলে সে মনে কষ্ট পায় তাকে গিবত বলে।
প্রশ্ন \ ৪৭ \ গিবতের প্রচলিত সংজ্ঞা কী?
উত্তর : প্রচলিত অর্থে অসাক্ষাতে কারও দোষ বলাকে গিবত বলে।
প্রশ্ন \ ৪৮ \ গিবতের সবচেয়ে পরিচিত রূপ কী?
উত্তর : কারও কোনো দোষ আলোচনা করা গিবতের সবচেয়ে পরিচিত রূপ।
প্রশ্ন \ ৪৯ \ হিংসা কাকে বলে?
উত্তর : অন্যের সুখ, সম্পদ, শান্তি, সাফল্য ধ্বংস হওয়া ও নিজে এর মালিক হওয়ার কামনাকে হিংসা বলে।
প্রশ্ন \ ৫০ \ কার গুনাহ মাফ হয় না?
উত্তর : অন্যের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীর গুনাহ মাফ হয় না।
প্রশ্ন \ ৫১ \ কে হিংসুক হতে পারে না?
উত্তর : প্রকৃত মুমিন ব্যক্তি কখনোই হিংসুক হতে পারে না।
প্রশ্ন \ ৫২ \ ইসলামের দৃষ্টিতে কোন বিষয় হত্যার চেয়েও জঘন্য?
উত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে ফিতনা হত্যার চেয়েও জঘন্য।
প্রশ্ন \ ৫৩ \ কী কারণে সমাজ উন্নতি করতে পারে না?
উত্তর : সমাজ ফিতনা-ফাসাদে আচ্ছন্ন থাকলে উন্নতি করতে পারে না।
প্রশ্ন \ ৫৪ \ মানবজীবনে ফিতনা-ফাসাদের পরিণতি কী?
উত্তর : মানবজীবনে ফিতনা-ফাসাদের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।
প্রশ্ন \ ৫৫ \ ঘুষ সম্পর্কে মহানবি (স)-এর বাণী কী?
উত্তর : মহানবি (স) বলেছেন, ‘ঘুষ প্রদানকারী ও ঘুষ গ্রহণকারী উভয়ের উপরই আল্লাহর অভিসম্পাত।’
প্রশ্ন \ ৫৬ \ ঘুষদাতা ও ঘুষখোরের পরিণতি কী হবে?
উত্তর : ঘুষদাতা ও ঘুষখোর উভয়ই জাহান্নামি হবে।
প্রশ্ন \ ৫৭ \ সুদ ও ঘুষের লেনদেন কেমন?
উত্তর : সুদ ও ঘুষের লেনদেন অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
প্রশ্ন \ ৫৮ \ কাকে কোনো মানুষ ভালোবাসে না?
উত্তর : কর্মবিমুখ বেকারকে কোনো মানুষ ভালোবাসে না।
প্রশ্ন \ ৫৯ \ জাতির জন্য দুর্ভাগ্য কী?
উত্তর : কর্মবিমুখতা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য, কলংকস্বরূপ।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন \ ১ \ ইসলামে আখলাকে হামিদাহ অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে কেন?
উত্তর : বস্তুত আখলাকে হামিদাহ বা সচ্চরিত্র আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। দুনিয়ায় আগত সকল নবি-রাসুলই উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। মানবিকতা ও নৈতিকতার আদর্শ আখলাকে হামিদাহ বা সচ্চরিত্রের মাধ্যমেই পরিপূর্ণতা লাভ করে। আখলাকে হামিদাহ বা সচ্চরিত্রের মাধ্যমে ইসলামের যাবতীয় সৌন্দর্য ফুটে ওঠে বলে ইসলামে এটির বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ২ \ নৈতিকজীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : নৈতিক জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। তাকওয়া মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং সচ্চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলে। ফলে মুত্তাকিগণ সৎ ও সুন্দর গুণ অনুশীলনে অনুপ্রাণিত হয়। অন্যদিকে যার মধ্যে তাকওয়া নেই, সে নিষ্ঠাবান ও সৎকর্মশীল হতে পারে না। সে নানা অন্যায়-অত্যাচারে লিপ্ত থাকে। নৈতিক ও মানবিক আদর্শের পরোয়া করে না। ফলে তার দ্বারা সমাজে অনৈতিকতা ও অপরাধের প্রসার ঘটে।
প্রশ্ন \ ৩ \ কারও সাথে ওয়াদা দিলে কী করতে হবে? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : কাউকে কোনো কথা দিলে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে, প্রতিশ্রæতি দিলে তা রক্ষা করতে হবে। প্রতিজ্ঞা করলে বা চুক্তি সম্পাদন করলে তা পূর্ণ করতে হবে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হবেন। দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি-সফলতা লাভ করা যাবে।
প্রশ্ন \ ৪ \ মানবজীবনে সত্যবাদিতার প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : মানবজীবনে সত্যবাদিতার প্রভাব সীমাহীন। সত্যবাদিতা মানুষকে নৈতিক চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। পাপ ও অশালীন কাজ থেকে রক্ষা করে। সত্যবাদী ব্যক্তি কোনোরূপ অন্যায় ও অত্যাচার করতে পারে না।
প্রশ্ন \ ৫ \ শালীনতার গুরুত্ব সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : শালীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। পোশাক-পরিচ্ছদ ও চলাফেরায় শালীনতার অভাব অনেক সময় সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটায়। ইভটিজিং, ব্যভিচার ইত্যাদির জন্ম দেয়। এজন্য ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়কে পর্দা রক্ষা ও শালীনতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আর তোমরা (নারীরা) নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলি যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ (সূরা আল-আহযাব, আয়াত ৩৩)
প্রশ্ন \ ৬ \ মহানবি (স)-এর আমানতদারিতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের প্রিয়নবি (স) ছিলেন আমানতদারির মূর্তপ্রতীক। ঘোর শত্রæরাও তাঁকে আমানতদার হিসেবে জানত। তাঁর নিকট তাদের মূল্যবান ধন-সম্পদ আমানত রাখত। তাঁকে তারা আল-আমিন বা বিশ্বাসী তথা আমানতদার নামে ডাকত। রাসুলুল্লাহ (স) সারাজীবন আমানত রক্ষা করে গেছেন। এমনকি হিজরতের সময় মক্কার কাফিররা যখন তাঁকে হত্যা করতে বের হয় তখনও তিনি আমানতের কথা ভোলেননি। তিনি তাদের গচ্ছিত সম্পদ প্রকৃত মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি মানুষকে কী শিখায়?
উত্তর : সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। মানুষ একে অন্যকে শ্রদ্ধা করতে শিখে। বিভিন্ন ধর্মের, জাতির ও স¤প্রদায়ের মানুষ একত্রে বসবাসের ফলে দেশীয় সভ্যতাও উন্নততর হয়। সকলের প্রচেষ্টায় দেশ ও জাতি উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করে। পক্ষান্তরে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি না থাকলে দেশে মারামারি-হানাহানির সূত্রপাত ঘটে। অনেক সময় গৃহযুদ্ধও শুরু হয়। নিজ স¤প্রদায়ের স্বার্থের জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতেও মানুষ কুণ্ঠিত হয় না। বস্তুত দেশের শান্তি ও উন্নতির জন্য ভ্রাতৃত্ববোধ ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি অপরিহার্য উপাদান।
প্রশ্ন \ ৮ \ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয় কেন?
উত্তর : ভ্রাতৃত্ববোধ ও সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির অনুপস্থিতিতে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, জাতির উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়, এমনকি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ স্বদেশপ্রেমের উপায় লেখ।
উত্তর : স্বদেশপ্রেম বা দেশের প্রতি ভালোবাসা অনুভ‚তির বিষয়। এটি দেখা যায় না। নিজের কাজ ও সেবার দ্বারা এ ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয়। দেশের স্বার্থে কাজ করার দ্বারা দেশপ্রেম প্রমাণিত হয়। দেশের স্বাধীনতা রক্ষার কাজ করা, জাতীয় উন্নতিতে অবদান রাখা, দেশের স্বার্থবিরোধী কাজে কাউকে সাহায্য না করা, দেশের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করা, দেশের স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করা ইত্যাদি দ্বারা দেশকে ভালোবাসা যায়। দেশের মঙ্গলের জন্য জীবন উৎসর্গ করা দেশপ্রেমের সর্বোৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
প্রশ্ন \ ১০ \ মুমিন ব্যক্তি কীভাবে তার কর্তব্য পালন করেন?
উত্তর : মুমিন ব্যক্তি তার সকল কর্তব্য সম্পাদন করেন। আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করার পাশাপাশি তিনি বাস্তবজীবনের সব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর একনিষ্ঠ বান্দাদের পরিচয় দিয়ে বলেছেন, ‘তারা কর্তব্য পালন করে এবং সে দিনের ভয় করে যে দিনের অনিষ্ট হবে ব্যাপক।’ (সূরা আদ-দাহর, আয়াত ৭)
প্রশ্ন \ ১১ \ পানি ও বায়ু পরিষ্কার রাখার উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর : পানি ও বায়ু পরিবেশের অন্যতম উপাদান। এ দুটো মানবজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই পানি ও বায়ু সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। পানিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। পানিতে মলমূত্র ত্যাগ করা ঠিক নয়। আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় মলত্যাগ করব। এতে আমাদের বায়ুও দুর্গন্ধযুক্ত হবে না।
প্রশ্ন \ ১২ \ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধের ফযিল লেখ।
উত্তর : সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎকাজে নিষেধ করা অত্যন্ত মহৎ কাজ। এ মহৎ কাজ যারা সম্পাদন করবেন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা দান করবেন। পবিত্র কুরআনে সৎকাজের আদেশদানকারী এবং অসৎকাজে নিষেধকারীকে মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম বলা হয়েছে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর।
উত্তর : আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। দেহ ও অন্তরের সমন্বয়ে মানুষ গঠিত। মানুষের অন্তর যেরূপ নির্দেশনা প্রদান করে দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তদ্রƒপই কাজ করে থাকে। সুতরাং মানুষের কাজকর্মের শুদ্ধতার জন্য প্রথমেই কালবের সংশোধন প্রয়োজন। আর কালবের সংশোধনই হলো আত্মশুদ্ধি। কালব যদি সৎ ও ভালো কাজের নির্দেশ দেয় তবে দেহও ভালো কাজ করে। একটি হাদিসে মহানবি (স) সুন্দরভাবে এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, জেনে রেখ! শরীরের মধ্যে একটি গোশতপিণ্ড রয়েছে, যদি তা সংশোধিত হয়ে যায়, তবে গোটা শরীরই সংশোধিত হয়। আর যদি তা কলুষিত হয়, তবে গোটা শরীরই কলুষিত হয়ে যায়। মনে রেখ তা হলো কালব বা অন্তর। (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং বলা যায়, আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
প্রশ্ন \ ১৪ \ মন্দ স্বভাবের মানুষের পরিণতি উল্লেখ কর।
উত্তর : মন্দ চরিত্রের মানুষ সমাজে ঘৃণার পাত্র। কেউ তাকে ভালোবাসে না, বিশ্বাস করে না। সকলেই তাকে ঘৃণা করে, এড়িয়ে চলে। তার বিপদাপদেও কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। তাছাড়া মন্দ স্বভাব মানুষকে পরকালীন জীবনে শোচনীয় পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। চরিত্রহীন ব্যক্তি সকল প্রকার পাপাচারে লিপ্ত থাকে। সে আল্লাহ তায়ালার অবাধ্য হয়। তাই আল্লাহ তায়ালা তাকে ভালোবাসেন না। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা এরূপ ব্যক্তিকে কঠিন শাস্তি প্রদান করবেন।
প্রশ্ন \ ১৫ \ প্রতারণার পরিচয় দাও।
উত্তর : প্রতারণা অর্থ ঠকানো, ফাঁকি দেওয়া, ধোঁকা দেওয়া, বিশ্বাস ভঙ্গ করা। এটি মিথ্যাচারের একটি বিশেষ রূপ। ইসলামি পরিভাষায়, প্রকৃত অবস্থা গোপন রেখে ফাঁকি বা ধোঁকার ওপর ভিত্তি করে নিজ স্বার্থ হাসিল করাকে প্রতারণা বলা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে অন্যকে ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ মহানবি (স) গিবত সম্পর্কে কী বলেছেন? বর্ণনা কর।
উত্তর : একটি হাদিসে মহানবি (স) সুন্দরভাবে গিবতের পরিচয় বর্ণনা করেছেন। একদা নবি (স) বললেন, তোমরা কি জান গিবত কি? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভালো জানেন। রাসুল (স) বললেন, গিবত হলো-তুমি তোমার ভাইয়ের এমনভাবে আলোচনা করবে যা শুনলে সে মনে কষ্ট পায়। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (স)-কে বলা হলো, আমি যা বলব তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রেও কি তা গিবত হবে? উত্তরে রাসুলুল্লাহ (স) বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে থাকে তবে তা গিবত হবে। আর যদি তা তার মধ্যে না পাওয়া যায় তবে তা হবে অপবাদ। (মুসলিম)
প্রশ্ন \ ১৭ \ হিংসার কুফল বর্ণনা কর।
উত্তর : হিংসা-বিদ্বেষ জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও উন্নতির পথে অন্তরায়। এর ফলে জাতির মধ্যে বিভেদ-বৈষম্য দেখা দেয়, শত্রæতা বৃদ্ধি পায়। এতে মুসলিম জাতির ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব নষ্ট হয়। রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের মুণ্ডনকারী (ধ্বংসকারী) রোগ-ঘৃণা ও হিংসা তোমাদের দিকে হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে আসছে। আমি চুল মুণ্ডনের কথা বলছি না, বরং তা হলো দীনের মুণ্ডনকারী। (তিরমিযি)
প্রশ্ন \ ১৮ \ সমাজে ফিতনা-ফাসাদের কুফল বর্ণনা কর।
উত্তর : যে সমাজে ফিতনা-ফাসাদ প্রসার লাভ করে সে সমাজ কখনো উন্নতি করতে পারে না। সমাজের ঐক্য-সংহতি বিনষ্ট হয়। এরূপ সমাজে মানুষের জীবন, সম্পদ ও সম্ভ্রমের কোনো নিরাপাত্তা থাকে না। মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে না। শিক্ষাদীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, লেনদেন ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় না। ফিতনা-ফাসাদ সমাজে ভয়ভীতি ও আতঙ্কের জন্ম দেয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ে। এককথায়, ফিতনা-ফাসাদের ফলে সমাজে ও দেশে অরাজকতা দেখা দেয়। শান্তি ও উন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ১৯ \ সুদ ও ঘুষের লেনদেনকারীর পরিণতি উল্লেখ কর।
উত্তর : পরকালে সুদ ও ঘুষের লেনদেনকারীর স্থান হবে জাহান্নাম। কিয়ামতের দিন তারা মহাশাস্তির সম্মুখীন হবে। সুদখোরদের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা সুদ খায় তারা সে ব্যক্তির ন্যায় দণ্ডায়মান হবে যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এজন্য যে তারা বলে, ‘বেচাকেনা তো সুদের মতোই’। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৫)
ঘুষখোরদের পরিণতি প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স) বলেন,

অর্থ : ঘুষদাতা ও ঘুষখোর উভয়ই জাহান্নামি। (তাবারানি)
প্রশ্ন \ ২০ \ কর্মবিমুখতার কুফল বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কর্মবিমুখতার ফলে মানুষের মেধা, শক্তি ও সময়ের অপচয় হয়। কর্মবিমুখ বেকারকে কেউ ভালোবাসে না। কেউ তার সাথে বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তার সম্পর্ক করতে চায় না। কর্মবিমুখ মানুষের আত্মসম্মানবোধ লোপ পায়। অন্যের অর্থে জীবনযাপন করার মানসিকতা তৈরি হয়। এতে মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- ১  সুদ ও কর্মবিমুখতা

আমিন সাহেব একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি এলাকার মানুষকে ঋণ দিয়ে মূল পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকেন। কিন্তু তাঁর ভাই লেখাপড়া শেষ করেও কর্মহীন জীবনযাপন করছে। কেউ তাকে কোনো কাজে নিযুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিলে সে উত্তরে বলে- কোনো কাজই আমার ভালো লাগে না। [স. বো. ’১৬]
ক. ওয়াদা পালন কোন আখলাকের অন্যতম গুণ? ১
খ. ফিতনা ফাসাদ বলতে কী ঝুঝায়? ২
গ. আমিন সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিচয় পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে আমিন সাহেবের ভাই এর কাজের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ মতামত দাও। ৪

ক ওয়াদা পালন আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুণ।
খ ফিতনা-ফাসাদ বলতে বিশৃঙ্খলা-বিপর্যয় সৃষ্টি বোঝায়। অর্থাৎ সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ অবস্থার বিপরীত অরাজক পরিস্থিতিই ফিতনা-ফাসাদ। মানবসমাজে ভয়ভীতি, অত্যাচার, অনাচার ইত্যাদির মাধ্যমে নানা বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। এরূপ অস্থিতিশীল পরিস্থিতিই ফিতনা-ফাসাদ। সন্ত্রাস, ছিনতাই, রাহাজানি, গুম, খুন, অপহরণ, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ফিতনা-ফাসাদের অন্তর্ভুক্ত।
গ আমিন সাহেবের কর্মকাণ্ড সুদের অন্তর্ভুক্ত। কাউকে প্রদত্ত ঋণের মূল পরিমাণের উপর অতিরিক্ত আদায় করাকে সুদ বলে। সুদের সংজ্ঞা দিয়ে রাসুলুল্লাহ (স) বলেন, “যে ঋণ কোনো লাভ নিয়ে আসে তা-ই রিবা (সুদ)।” (জামি সগির)
ঋণদাতা কর্তৃক ঋণগ্রহীতা থেকে মূলধনের অতিরিক্ত কোনো লাভ নেওয়াই হলো সুদ। যেমন কোনো ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে একশত টাকা এ শর্তে ঋণ দিল যে গ্রহীতা একশত দশ টাকা পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে একশত টাকার অতিরিক্ত দশ টাকা হলো সুদ। কেননা এর কোনো বিনিময় মূল্য নেই। উদ্দীপকে আমিন সাহেব ঋণ দিয়ে এরূপ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। উল্লেখ্য পাঠ্যপুস্তকে বলা হয়েছে, শুধু টাকা-পয়সা বা মাল-সম্পদ বিনিময়েই সুদ সীমাবদ্ধ নয়। বরং একই শ্রেণিভুক্ত পণ্যদ্রব্যের লেনদেনে কম-বেশি করা হলেও তা সুদের আওতাভুক্ত হবে। সুতরাং আমিন সাহেবের অতিরিক্ত অর্থ আদায় সুদের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ উদ্দীপকে আমিন সাহেবের ভাইয়ের কাজ তথা কর্মবিমুখতার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। আমিন সাহেবের ভাই লেখাপড়া শেষ করেছে। তার কোনো কাজ ভালো লাগে না, এ অজুহাতে কর্মহীন রয়েছে। তার এ কর্মবিমুখতার পরিণাম অত্যন্ত জঘন্য। যে ব্যক্তি বা জাতি কর্মবিমুখ সে ব্যক্তি বা জাতি কখনো উন্নতি করতে পারে না। কর্মবিমুখতা একটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্য, কলঙ্ক স্বরূপ। কর্মবিমুখতা মানুষের মধ্যে অলসতা সৃষ্টি করে। এতে মানুষ অকর্মণ্য হয়ে পড়ে। মানুষের কর্মস্পৃহা, কর্মক্ষমতা লোপ পায়। বলা হয়, ‘অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা’। অলস ব্যক্তিরা নানা অসৎ ও অনৈতিক চিন্তা ও কর্মে ব্যাপৃত থাকে। অনেক সময় সন্ত্রাস সৃষ্টি, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি অসৎ ও পাপকাজে জড়িয়ে পড়ে। ফলে সামাজিক অবক্ষয় দেখা দেয়। কর্মবিমুখতা মানুষের আত্মসম্মানবোধ লোপ করে। অন্যের অর্থে জীবনযাপন করার মানসিকতা তৈরি হয়। এতে মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। সুতরাং আলোচনার প্রেক্ষিতে স্পষ্ট যে, আমিন সাহেবের ভাইয়ের কাজের পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ।
প্রশ্ন- ২  প্রতারণা ও গিবত

জামি একজন ব্যবসায়ী। সে মালে ভেজাল দিয়ে বিক্রি করে। ওজনে কম দেয়। পক্ষান্তরে তার ভাই সামী কথায় কথায় অন্যের অনুপস্থিতিতে সমালোচনা করে। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের দোষ খুঁজে বেড়ায়।
[স. বো. ’১৬]
ক. ইমানের বিপরীত কী? ১
খ. ইমান ও ইসলামের সম্পর্ক বুঝিয়ে লিখ। ২
গ. ইসলামের দৃষ্টিতে জামি কী ধরনের লোক? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সামীর কার্যাবলি মূল্যায়ন কর। ৪

ক ইমানের বিপরীত কুফর।
খ ইমান হলো ইসলামি শরিয়তের যাবতীয় বিধিবিধান অন্তরে বিশ্বাস করে মুখে স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী আমল করা। আর ইসলাম অর্থ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা ইত্যাদি। আল্লাহ তায়ালার প্রতি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর কাছে পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করা, তাঁর যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং হযরত মুহাম্মদ (স)-এর দেখানো পথ অনুসারে জীবনযাপন করাই হলো ইসলাম।
গ ইসলামের দৃষ্টিতে জামি একজন প্রতারক। ইসলামি পরিভাষায়, প্রকৃত অবস্থা গোপন রেখে ফাঁকি বা ধোঁকার ওপর ভিত্তি করে নিজ স্বার্থ হাসিল করাকে প্রতারণা বলা হয়। প্রতারণা নানাভাবে হতে পারে। সাধারণত আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতারণার দৃষ্টান্ত বেশি পরিলক্ষিত হয়। যেমন : ওজনে কম দেওয়া, জাল মুদ্রা চালিয়ে দেওয়া, পণ্যদ্রব্যের দোষ গোপন করা, ভালো জিনিস দেখিয়ে বিক্রির সময় খারাপ জিনিস দিয়ে দেওয়া, বেশি দামের দ্রব্যের সাথে কম দামের দ্রব্য মিশিয়ে বিক্রি করা, ভেজাল মেশানো, ফল ও মাছে রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়া, পণ্যদ্রব্যের মিথ্যা প্রচারণা চালানো ইত্যাদি। উদ্দীপকের জামি ভেজাল দিয়ে মাল বিক্রি করে এবং ওজনে কম দেয়। সুতরাং ইসলামের দৃষ্টিতে জামি একজন প্রতারক।
ঘ উদ্দীপকে সামীর কার্যাবলি ইসলামি পরিভাষায় আখলাকে যামিমাহর অন্যতম দিক গিবতের অন্তর্ভুক্ত। গিবত আরবি শব্দ, এর অর্থ পরনিন্দা, পরচর্চা, অসাক্ষাতে দুর্নাম করা, সমালোচনা করা, অপরের দোষ প্রকাশ করা, কুৎসা রটনা করা ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় কারও অনুপস্থিতিতে অন্যের নিকট এমন কোনো কথা বলা যা শুনলে সে মনে কষ্ট পায় তাকে গিবত বলে। উদ্দীপকে সামী কথায় কথায় অন্যের অনুপস্থিতিতে সমালোচনা করে। বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনের দোষ খুঁজে বেড়ায়। তার এই গিবত করাকে আল-কুরআনে নিজ মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
পবিত্র হাদিসে মহানবি (স) আমাদের গিবতের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, “গিবত ব্যভিচারের চাইতেও মারাত্মক। সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! গিবত কীভাবে ব্যভিচারের চাইতেও মারাত্মক অপরাধ হয়? রাসুল (স) বললেন, কোনো ব্যক্তি ব্যভিচার করার পর তওবা করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু গিবতকারীকে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ মাফ করবেন না, যতক্ষণ না যার গিবত করা হয়েছে সে ব্যক্তি মাফ করবে।” (বায়হাকি) সুতরাং উদ্দীপকের সামীর কার্যাবলি ইসলামি শরিয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। এ কাজ তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
প্রশ্ন- ৩  সত্যবাদিতা ও প্রতারণা

জনাব রফিক ও জনাব শফিক দুই ব্যবসায়ী। রফিক বেশি লাভের আশায় পণ্যসামগ্রী গুদামজাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে জাল মুদ্রা চালিয়ে দেওয়া, অন্যের হক নষ্ট করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে জনাব শফিক কথাবার্তা, কাজকর্ম ও আচার-আচরণে সততা অবলম্বন করেন।
[স. বো. ’১৫]
ক. সুদ-এর আরবি প্রতিশব্দ কী? ১
খ. আমানত রক্ষা করতে হবে কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব রফিকের মধ্যে আখলাকে যামীমাহ এর কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জনাব শফিকের এরূপ কাজের প্রভাব ও সুফল বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সুদ এর আরবি প্রতিশব্দ হলো রিবা।
খ আমানত রক্ষা করা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হওয়ায় তা রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ আমানত রক্ষা করা আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার মালিকের নিকট পত্যর্পণ করতে। এটা মুমিনের লক্ষণ। কারণ মহানবি (স) এর হাদিসে আছে যার মধ্যে আমানতদারি নেই তার ইমান নেই। ইসলামি জীবন দর্শনে আমানত রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুমিন হতে হলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমানত রক্ষা করতে হবে।
গ জনাব রফিকের মধ্যে আখলাকে যামিমাহ এর অন্যতম দিক প্রতারণা প্রকাশ পেয়েছে। আমরা জানি, প্রকৃত অবস্থা গোপন রেখে ফাঁকি বা ধোঁকার ওপর ভিত্তি করে নিজ স্বার্থ হাসিল করাকে প্রতারণা বলা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে অন্যকে ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হয়।
প্রতারণা নানাভাবে হতে পারে। সাধারণত আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসায়-বাণিজ্যে প্রতারণার দৃষ্টান্ত বেশি পরিলক্ষিত হয়। যেমন- ওজনে কম দেওয়া, জাল মুদ্রা চালিয়ে দেওয়া, পণ্যদ্রব্যের দোষ গোপন করা, ভালো জিনিস দেখিয়ে বিক্রির সময় খারাপ জিনিস দিয়ে দেওয়া, বেশি দামের পণ্যের সাথে কম দামের দ্রব্য মিশিয়ে বিক্রি করা, ভেজাল মেশানো, ফলে ও মাছে রাসায়নিক দ্রব্য দেওয়া, পণ্যদ্রব্যের মিথ্যা প্রচারণা চালানো ইত্যাদি। এছাড়াও মানবজীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রতারণা হতে পারে। যেমন, পরীক্ষায় নকল করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে অন্যের হক নষ্ট করা, বিশ্বাস ভঙ্গ করা, ভুল ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া, পথচারীকে ভুল রাস্তা বলে দেওয়া, সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রণ, এমনকি নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করাও প্রতারণার শামিল। যেমনটি আমরা উদ্দীপকের রফিকের চরিত্রে দেখতে পাই। রফিক অধিক মুনাফার আশায় নির্দিষ্ট সময়ে পণ্যদ্রব্য বিক্রি না করে গুদামে জমা করে রাখে। তাছাড়া জাল মুদ্রা চালিয়ে দেওয়া, অন্যের হক নষ্ট করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়াসহ আখলাকে যামিমাহর যাবতীয় বদস্বভাব তার মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তার এ সমস্ত কর্মকাণ্ড নির্দ্বিধায় প্রতারণার শামিল।
ঘ জনাব শফিকের সততার প্রভাব ও সুফল অপরিসীম। সত্যবাদিতার আরবি প্রতিশব্দ আস-সিদ্ক। সাধারণভাবে সত্য কথা বলার অভ্যাসকে সত্যবাদিতা বলা হয়। মহান আল্লাহতে বিশ্বাসী মুমিনগণের একটি অন্যতম নিদর্শন হলো তাঁরা সত্যবাদী। জীবনের সর্বাবস্থায় তাঁরা সততা ও সত্যবাদিতার চর্চা করেন। মানবজীবনে সত্যবাতিদার প্রভাব সীমাহীন। সত্যবাদিতা মানুষকে নৈতিক চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। পাপ ও অশালীন কাজ থেকে রক্ষা করে। উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, জনাব শফিক কথাবার্তা, কর্মকাণ্ড ও আচার আচরণে সততা অবলম্বন করেন। তার যত সমস্যাই আসুক না কেন জীবনের সবক্ষেত্রে তিনি সততা অবলম্বন করে চলেন। এর প্রভাব তার জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে। বস্তুত সত্যবাদী ব্যক্তি কোনোরূপ অন্যায় ও অত্যাচার করতে পারে না। একটি হাদিসে আমরা এর প্রমাণ পাই। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একদা জনৈক ব্যক্তি মহানবি (স)-এর নিকট এসে বলল, ‘আমি চুরি করি, মিথ্যা বলি এবং আরও অনেক খারাপ কাজ করি। সবগুলো খারাপ কাজ একসঙ্গে ত্যাগ করা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। আপনি আমাকে যেকোনো একটি খারাপ কাজ ত্যাগ করতে নির্দেশ দিন।’ মহানবি (স) বললেন, ‘তুমি মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।’ লোকটি বলল, এ তো খুব সহজ কাজ। মহানবি (স)-এর কথামতো লোকটি মিথ্যা বলা ছেড়ে দিল। পরে দেখা গেল যে, মিথ্যা বলা তাগ করায় তার পক্ষে আর কোনো খারাপ কাজ করা সম্ভব হলো না। এভাবে শুধু মিথ্যা ত্যাগ করায় লোকটি সকল খারাপ কাজ থেকে মুক্তি পেল। সত্যবাদিতা এভাবেই মানুষকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে সাহায্য করে। সত্যবাদিতা নৈতিক গুণাবলির অন্যতম প্রধান গুণ। এটি মানুষকে প্রভ‚ত কল্যাণ ও সফলতা দান করে। সুতরাং আমাদের সকলেরই সত্যবাদী ও সত্যাশ্রয়ী হওয়া একান্ত কর্তব্য।
প্রশ্ন- ৪  মানবসেবা ও নারীর প্রতি সম্মানবোধ

জনাব শরীফ উদার ও উন্নত চরিত্রের একজন মানুষ। মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির প্রতি তার অসীম দরদ। তিনি ক্ষুধার্তকে যেমন অন্নদান করেন, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান করেন তেমনি অসহায়কে আশ্রয় দান করেন এবং রোগীর সেবা করেন। অন্যদিকে জনাব আনিস নারীদের যেমন শ্রদ্ধা করেন তেমনি তাদের প্রতি সদয় আচরণ করেন। [স. বো. ’১৫]
ক. আখলাক শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ওয়াদা পালন করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জনাব শরীফের এরূপ কার্যাবলি আখলাকে হামিদার কোন গুণের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “জনাব আনিসের চরিত্র মহানবি (স)-এর চারিত্রিক গুণাবলি অনুসরণের প্রতিফল।” বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আখলাক শব্দের অর্থ চরিত্র, স্বভাব।
খ ওয়াদা পালন আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুণ এবং ওয়াদা পালন করা ছাড়া পূর্ণাঙ্গ মুমিন হওয়া যায় না বিধায় একজন মুমিন অবশ্যই ওয়াদা পালন করবে। কারও সাথে কোনোরূপ প্রতিশ্রæতি দিলে, অঙ্গীকার করলে বা কাউকে কোনো কথা দিলে তা যথাযথভাবে রক্ষা করাকে ওয়াদা পালন বলে। মানবজীবনে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এর কারণে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়। যে ব্যক্তি ওয়াদা পালন করে তাকে সবাই ভালোবাসে। তার প্রতি সকলের আস্থা ও বিশ্বাস থাকে। সমাজে সে শ্রদ্ধা ও মর্যাদা লাভ করে। ইসলামি জীবন দর্শনে ওয়াদা পালন করা আবশ্যক। আর এ প্রেক্ষিতে ওয়াদা পালন করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য।
গ জনাব শরীফের কার্যাবলি আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুণ মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত। মানবসেবা বলতে মানুষের সেবা করা, পরিচর্যা করা, যতœ নেওয়া, সাহায্য-সহযোগিতা করা ইত্যাদি বোঝায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবা করা মানবসেবার আওতাভুক্ত। মানবসেবা করা মুমিনের গুণ। মুমিন ব্যক্তি সর্বদাই অন্য মানুষর খেদমতে নিয়োজিত থাকেন। মহানবি (স) এ সম্পর্কে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রুগ্ণ ব্যক্তির সেবা কর, বন্দীকে মুক্ত কর এবং ঋণগ্রস্তকে ঋণমুক্ত কর।” (বুখারি)
নানাভাবে মানুষের সেবা করা যায়। ক্ষুধার্তকে অন্নদান, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান, অসহায়কে আশ্রয় দান, রোগীর সেবা করা, নিঃস্ব-দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য করার মাধ্যমে মানবসেবা করা যায়। ছোট ও বৃদ্ধদের সাহায্য করা, দয়া-মায়া-মমতা প্রদর্শন করা, তাদের প্রতি ভালোবাসা দেখানো মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত। উদ্দীপকের জনাব শরীফের কর্মকাণ্ডেও আমরা ঠিক তা-ই দেখতে পাই যে, মানুষ ও অন্যান্য সৃষ্টির প্রতি তার অসীম দরদ। তিনি ক্ষুধার্তকে যেমন খাদ্যা দান করেন, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করেন তেমনি অসহায়কে আশ্রয় দান করেন এবং রোগীর সেবা করেন। অর্থাৎ তার এসব কর্মকাণ্ড আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুণ মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত।
ঘ জনাব আনিসের চরিত্র মহানবি (স) এর চারিত্রিক গুণাবলির অনুসরণের প্রতিফল উক্তিটি যথার্থ। নারীর প্রতি সম্মানবোধ আখলাকে হামিদাহর অন্যতম। এটি একটি মহৎগুণ। নারীর প্রতি সম্মানবোধ ব্যাপক অর্থবোধক। সাধারণ অর্থে এটি নারীকে সম্মান প্রদর্শনের অনুভ‚তি বা মনোভাবকে বুঝিয়ে থাকে। আর ব্যাপক অর্থে নারীর প্রতি সম্মানবোধ হলো নারী জাতির প্রতি সম্মানজনক মনোভাব। যেমন, সৃষ্টির বিচারে নর ও নারীর সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রদান, নারী বলে কাউকে ছোট না করা, নারী হিসেবে কাউকে ঠাট্টা-বিদ্রƒপ না করা। বরং যথাযথভাবে তাদের প্রাপ্য অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করা, তাদের কাজ করার সুযোগ প্রদান করা, তাদের মাল-সম্পদ, ইজ্জত, সম্মানের সংরক্ষণ করা ইত্যাদি নারীর প্রতি সম্মানবোধের প্রকৃত উদাহরণ। উদ্দীপকের জনাব আনিসের চরিত্রের মধ্যেও আমরা দেখতে পাই যে, তিনি নারীজাতিকে শ্রদ্ধা করেন। নারীদের প্রতি সদয় আচরণ করেন মূলত তার এ চরিত্র মহানবি (স) এর অনুসরণ।
রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন,

অর্থ : “তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে আল্লাহকে অবশ্যই ভয় করে চলবে।” (মুসলিম)। অর্থাৎ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করবে না, যথাযথভাবে তাদের হক আদায় করবে। বিদায় হজের ভাষণেও মহানবি (স) নারী জাতির অধিকার ও মার্যাদা রক্ষার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। বস্তুত নারীদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করা মুমিনের নিদর্শন। নারীর প্রতি সম্মানবোধ না থাকলে ইমান পূর্ণ হয় না। আমাদের প্রিয়নবি (স) নারীদের শ্রদ্ধা করতেন, সম্মান করতেন এবং স্ত্রী ও মেয়েদের ভালোবাসতেন। উপরিউক্ত আলোচনার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, জনাব আনিসের চরিত্র মহানবি (স) এর চারিত্রিক গুণাবলি অনুসরণের প্রতিফলিত।
প্রশ্ন- ৫  তাকওয়া

শেফালী বেগম তার কিশোরী মেয়ে সালেহাকে নিয়ে দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভাব অনটনের সংসারে একটু লাভের আশায় তিনি তার মেয়েকে দুধের সাথে পানি মেশাতে বললে মেয়ে মাকে সতর্ক করে দিয়ে বলল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানতে পারলে শাস্তি পেতে হবে। লোকজনের অগোচরে পানি মেশাতে মা মেয়েকে বলামাত্রই মেয়ে বলল, কেউ না দেখলেও আল্লাহ তায়ালা সবকিছুই দেখেন।
[শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা]
ক. সত্যবাদিতার আরবি প্রতিশব্দ কী? ১
খ. আমানত রক্ষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সালেহার জীবনে আখলাকে হামিদাহর কোন গুণটির প্রভাব বিদ্যমান? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. সালেহার মধ্যে প্রতিফলিত হওয়া গুণটির গুরুত্ব কুরআন ও হাদিসের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪

ক সত্যবাদিতার আরবি প্রতিশব্দ আস-সিদ্ক।
খ আমানত রক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করতে।’ আমানত রক্ষা করা মুমিনের জন্য আবশ্যক। মহানবি (স) বলেছেন, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই, তার ইমান নেই।’ সুতরাং ইসলামি জীবনদর্শনে আমানত রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গ সালেহার জীবনে তাকওয়ার প্রভাব বিদ্যমান। আর তাকওয়া আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুণ। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলা হয়। আর যিনি তাকওয়া অবলম্বন করেন তাকে বলা হয় মুত্তাকি। এ হিসেবে উদ্দীপকের সালেহা একজন মুত্তাকি ব্যক্তি। কেননা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ভয়ে সে দুধে পানি মেশায়নি। সে জানে, দুধে পানি মেশানো প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত, যা মারাত্মক অপরাধ। শুধু তাই নয়, সালেহার মধ্যে তাকওয়ার প্রভাব বিদ্যমান থাকায় তার মা দুধে পানি মেশাতে বললে সে বলে, কেউ না দেখলেও আল্লাহ তায়ালা সবকিছুই দেখেন। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার নিকট জবাবদিহিতার ভয়ে সালেহা দুধে পানি মেশানোর মতো অপরাধ করতে রাজি হয়নি। সুতরাং বলা যায়, সালেহার মধ্যে আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুণ তাকওয়া বিদ্যমান রয়েছে, যার প্রভাবে সকল প্রকার অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে সে বিরত থাকে।
ঘ সালেহার মধ্যে যে গুণটির প্রতিফলন ঘটেছে তা হলো তাকওয়া। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকাজ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলা হয়। এটি আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুণ। যার প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকের সালেহার চরিত্রে। বস্তুত তাকওয়া একটি মহৎ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। মানবজীবনে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাকওয়া মানুষকে ইহ-পরকালীন জীবনে সম্মান-মর্যাদা ও সফলতা দান করে। সূরা আল-হুজুরাতের ১৩নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে সম্মানিত সেই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়াবান।” যার মধ্যে তাকওয়ার প্রভাব বিদ্যমান থাকে সে কোনোরূপ অন্যায় ও অনৈতিক কাজ করতে পারে না। কোনোরূপ অশ্লীল ও অশালীন কথা, কাজ ও চিন্তাভাবনা করতে পারে না। কেননা সে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, পাপ যত গোপনেই করা হোক না কেন, আল্লাহ তায়ালা তা দেখেন ও জানেন। পার্থিব জীবনে মুত্তাকিগণ আল্লাহ তায়ালার বহু নিয়ামত লাভ করে থাকেন। আল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের সর্বদা সাহায্য করেন। বিপদাপদ থেকে উদ্ধার করেন ও বরকতময় রিযিক দান করেন। পরকালেও তাকওয়াবানদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। আল্লাহ তায়ালা শেষ বিচারের দিন মুত্তাকিদের সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন এবং মহাসফলতা দান করবেন। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই মুত্তাকিদের জন্য রয়েছে সফলতা। সুতরাং বলা যায়, তাকওয়া মানব চরিত্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্বভাব। কেননা এর মাধ্যমে মানুষ সম্মান, মর্যাদা ও সফলতা লাভ করে।
প্রশ্ন- ৬  শালীনতা

শফিক তার বন্ধু আসাদের কাছে জানতে চাইল শালীনতা কী? আসাদ বলল, শালীনতা হলো ইসলামি সমাজের মূলভিত্তি। ইসলাম মানুষকে মার্জিত রুচিশীল, ভদ্র ও শালীন হওয়ার শিক্ষা দেয়। মূলত শালীনতা একটি সুস্থ, সুন্দর সমাজব্যবস্থার নিয়ামক। এটি সুন্দর সমাজ গঠনে শালীনতাপূর্ণ মার্জিত বেশভ‚ষা, চালচলনের গুরুত্ব অপরিসীম।
[শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক. আখলাকে যামিমাহ অর্থ কী? ১
খ. শালীনতা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শফিকের ব্যবহারিক জীবনে শালীনতার প্রভাব ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘শালীনতা সুস্থ, সুন্দর সমাজব্যবস্থার নিয়ামক’ আসাদের বক্তব্যের যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪

ক আখলাকে যামিমাহ অর্থ নিন্দনীয় স্বভাব।
খ শালীনতা অর্থ মার্জিত, সুন্দর ও শোভন হওয়া। কথা-বার্তা, আচার-আচরণ ও চলাফেরায় ভদ্র, সভ্য ও মার্জিত হওয়াকেই শালীনতা বলা হয়। শালীনতা বহু নৈতিক গুণের সমষ্টি। ভদ্রতা, নম্রতা, সৌন্দর্য, সুরুচি, লজ্জাশীলতা ইত্যাদি গুণাবলির সমন্বিত রূপের মাধ্যমে শালীনতা প্রকাশ পায়।
গ শফিকের ব্যবহারিক জীবনে শালীনতার প্রভাব অপরিসীম। কেননা, শালীনতা সুস্থ, সুন্দর ও সুরুচিপূর্ণ জীবনযাপনে ভ‚মিকা রাখে। ভদ্রতা, নম্রতা, সৌন্দর্য, সুরুচি, লজ্জাশীলতা ইত্যাদি গুণাবলির সমন্বিত রূপের মাধ্যমে শালীনতা প্রকাশ পায়। পোশাক-পরিচ্ছদ ও চলাফেরায় শালীনতার অভাব মানুষ অশ্লীল ও কুকর্মে জড়িয়ে পড়ে। আর অশ্লীলতা মানুষের মানবিকতা ও নৈতিক মূল্যবোধ বিনষ্ট করে দেয়। মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুত্বের অভ্যাস গ্রহণ করে। ফলে সমাজে অনাচার, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়ে। শালীনতার অন্যতম বিষয় হলো লজ্জাশীলতা। লজ্জাশীলতা মানুষকে মার্জিত ও ভদ্র হতে সাহায্য করে। মহানবি (স) বলেছেন, “অশ্লীলতা যেকোনো জিনিসকে খারাপ করে এবং লজ্জাশীলতা যেকোনো জিনিসকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে।” উপরিউক্ত আলোচনায় বোঝা যায়, শফিকের ব্যবহারিক জীবনে শালীনতার প্রভাব অপরিসীম। সুতরাং শফিককে চলাফেরা, পোশাক-পরিচ্ছদ, কথাবার্তা, আচার-আচরণে অশ্লীলতা পরিহার করে শালীন হতে হবে।
ঘ শালীনতা সুস্থ, সুন্দর সমাজব্যবস্থার নিয়ামকÑ উদ্দীপকে আসাদের এ বক্তব্য যথার্থ। কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও চলাফেরায় ভদ্র, সভ্য ও মার্জিত হওয়াকেই শালীনতা বলা হয়। শালীনতা ইসলামি সমাজ ব্যবস্থার মূলভিত্তি। আর ইসলাম সৌন্দর্যের ধর্ম। ইসলাম সুন্দর, সুষ্ঠু ও সুরুচিপূর্ণ জীবনযাপনে উৎসাহিত করে। মার্জিত, নম্র, ভদ্র ও পূত পবিত্র হিসেবে মানুষকে গড়ে তোলা ইসলামি শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। আর এ লক্ষ্যে শালীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। সঙ্গত কারণে উদ্দীপকের শফিক তার বন্ধু আসাদের কাছে শালীনতা সম্পর্কে জানতে চাইলে আসাদ শালীনতা প্রসঙ্গে একপর্যায়ে বলে, শালীনতা সুস্থ, সুন্দর সমাজব্যবস্থার নিয়ামক। প্রকৃতপক্ষে আসাদের এ বক্তব্যটি সঠিক ও যথার্থ হওয়ায় আমি তার সাথে সম্পূর্ণ একমত। কেননা অশ্লীল ও অশালীন কাজকর্ম মানুষের মানবিকতা ও নৈতিক মূল্যবোধ বিনষ্ট করে দেয়। ফলে সমাজে অনাচার, ব্যভিচার, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে শালীনতা সুস্থ, সুন্দর, সুরুচিপূর্ণ ব্যক্তি গড়ে তোলার মাধ্যমে সমাজকে সুন্দর করে; মানুষের পাশবিক বৃত্তি রোধ করে তাকে সামাজিক মানুষ করে তোলে। ফলে গোটা সমাজব্যবস্থা হয় সুন্দর। সুতরাং বলা যায়, শালীনতা সুস্থ, সুন্দর সমাজব্যবস্থার নিয়ামক।
প্রশ্ন- ৭  প্রতারণা

“মৃত স্বামীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭২ কোটি টাকা জমা রয়েছে। এ টাকা তুলতে হলে ট্যাক্স, সুপার ট্যাক্স এবং উকিলের ফি’র জন্য কোটি টাকা প্রয়োজন। যে টাকা ধার দেবে, তাকে দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে”Ñ এমন কথা বলে এবং ব্যাংকের কাগজপত্র দেখিয়ে আনোয়ারা বেগম বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দেননি। [খুলনা জিলা স্কুল]
ক. ‘সুন্দর ব্যবহারই পুণ্য’ একথা কে বলেছেন? ১
খ. আখলাকে যামিমাহ বলতে কী বোঝ? ২
গ. আনোয়ারা বেগমের কাজটি ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আনেয়ারা বেগম কর্তৃক সংঘটিত কাজটির ফলাফল মূল্যায়ন কর। ৪

ক ‘সুন্দর ব্যবহারই পুণ্য’ এ কথা বলেছেন মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)।
খ আখলাকে যামিমাহ অর্থ নিন্দনীয় স্বভাব। মানবচরিত্রের নিন্দনীয় স্বভাবগুলোকে আখলাকে যামিমাহ বলা হয়। মিথ্যা, প্রতারণা, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ, বিশ্বাসঘাতকতা, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, পরনিন্দা, পরচর্চা, অপচয়, কৃপণতা, ক্রোধ, গর্ব-অহংকার ইত্যাদি মন্দ স্বভাব আখলাকে যামিমাহর অন্তর্ভুক্ত।
গ আনোয়ারা বেগমের কাজটি প্রতারণার শামিল। কেননা তিনি ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। প্রতারণা অর্থ ঠকানো, ফাঁকি দেওয়া, ধোঁকা দেওয়া, বিশ্বাস ভঙ্গ করা। এটি মিথ্যাচারের একটি বিশেষ রূপ। ইসলামি পরিভাষায় প্রকৃত অবস্থা গোপন রেখে ফাঁকি বা ধোঁকার ওপর ভিত্তি করে নিজ স্বার্থ হাসিল করাকে প্রতারণা বলা হয়। প্রতারণার মাধ্যমে অন্যকে ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হয়। উদ্দীপকের আনোয়ারা বেগমের কর্মকাণ্ডে আমরা এর সাদৃশ্য খুঁজে পাই। তিনি মৃত স্বামীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৭২ কোটি টাকা জমা রয়েছে এমন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। আনোয়ারা বেগমের এরূপ কর্মকাণ্ড প্রতারণার শামিল। কেননা তিনি মানুষকে ধোঁকা দিয়েছেন। ভুল বুঝিয়ে ঠকিয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, আনোয়ারা বেগমের কাজটি প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত।
ঘ আনোয়ারা বেগমের কাজটি প্রতারণার অন্তর্ভুক্ত। প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ঠকানো হয়। যেমনটি করেছেন উদ্দীপকের আনোয়ারা বেগম। তিনি তার মৃত স্বামীর একাউন্টে ৭২ কোটি টাকা থাকার মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে মানুষকে ঠকিয়েছেন, যা প্রতারণার শামিল। ইসলামি শরিয়তে প্রতারণা করা সম্পূর্ণ হারাম বিধায় এরূপ কাজের ফলে আনোয়ারা বেগম মুসলিম দলভুক্ত থাকতে পারবেন না। কেননা ইমান ও প্রতারণা এক ব্যক্তির মধ্যে একত্রে থাকতে পারে না। মহানবি (স) বলেছেন, ‘যে প্রতারণা করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ মহানবি (স) অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘যে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে আমার সে উম্মত নয়। আর যে কারও সাথে প্রতারণা করে সে মুসলিম দলভুক্ত নয়।’ প্রতারণা একটি সমাজদ্রোহী অপরাধ। এর দ্বারা পরস্পরের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হয়। সমাজে শত্রæতার জন্ম হয়। প্রতারণাকারীকে কেউ পছন্দ করে না। সে যেমন মানবসমাজে ঘৃণিত, তেমনি আল্লাহ তায়ালার নিকটও ঘৃণিত। উপরিউক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকের আনোয়ারা বেগম প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে দুনিয়াতে ঘৃণিত, লজ্জিত ও অপদস্থ হবে। আর আখিরাতে তার জন্য রয়েছে দুর্ভোগ ও ধ্বংস। সুতরাং আমাদেরকে সকল কথা ও কাজে প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
প্রশ্ন- ৮  আখলাকে হামিদাহ ও আখলাকে যামিমাহ

ইমরান সাহেব একজন ব্যবসায়ী। তিনি অধিক মুনাফার জন্য ব্যবসায় প্রতারণা করেন। তার প্রতিবেশী মামুন সাহেব সৎভাবে ব্যবসা করেন। কারণ তিনি সকল কাজে আল্লাহকে ভয় করেন। [ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. কিয়ামত দিবসে মুমিনের পাল্লায় কোন জিনিসটি বেশি ভারী হবে? ১
খ. আখলাকে হামিদাহ জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ইমরান সাহেবের ব্যবসায়িক আচরণে কী বিষয় প্রকাশ পেয়েছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. মামুন সাহেব আল্লাহকে ভয় করার কারণে জীবনে কীভাবে উপকৃত হবেন? বিশ্লেষণ কর। ৪

ক প্রশংসনীয় আচরণ ও স্বভাব কিয়ামত দিবসে মুমিনের পাল্লাকে ভারী করবে।
খ আখলাকে হামিদাহ হলো মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মানুষ তার মনুষ্যত্বের সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হতে পারে তার মানবীয় মৌলিক গুণাবলি, উত্তম মানবকিতা, নৈতিকতার আদর্শের কারণে। সৎ চরিত্রবান ব্যক্তি যেমন সমাজের চোখে ভালো, তেমনি মহান আল্লাহর কাছেও প্রিয়। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স) বলেন ‘আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই লোকগুলোই অধিক প্রিয়, চরিত্রের বিচারে যে উত্তম।’ (ইবনে হিব্বান) অতএব, উত্তম চরিত্রবান ব্যক্তি আল্লাহর কাছে উত্তম হওয়ার কারণে মানুষের জীবনে আখলাকে হামিদাহ শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
গ উদ্দীপকে ইমরান সাহেবের আচরণে আখলাকে যামিমাহ বা নিন্দনীয় স্বভাব প্রকাশ পেয়েছে। আখলাকে যামিমাহ অর্থ : হলো অসচ্চরিত্র, মন্দ স্বভাব ইত্যাদি। মানব চরিত্রে বহু নিন্দনীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন : মিথ্যা, প্রতারণা, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ, বিশ্বাসঘাতকতা, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, পরনিন্দা, পরচর্চা, অপব্যয়-কৃপণতা, ক্রোধ, গর্ব-অহংকার ইত্যাদি এসব স্বভাব আখলাকে যামিমাহ-র অন্তর্ভুক্ত। আমরা দেখি, উদ্দীপকের ইমরান সাহেব ব্যবসায়ে অধিক মুনাফার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নেন। সুতরাং ইমরান সাহেবের ব্যবসায়িক আচরণে অসচ্চরিত্র ও নিন্দনীয় স্বভাব প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ মানুষের মাঝে আল্লাহভীতি থাকলেই তিনি ইহজীবন ও পরজীবনে কামিয়াব হবেন। মামুন সাহেব একজন সৎ ব্যবসায়ী। আল্লাহকে ভয় করার কারণে তার আচরণে আখলাকে হামিদাহ বা সচ্চরিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। আখলাকে হামিদাহ মানবীয় মৌলিক গুণ ও জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এর দ্বারাই মানুষ পূর্ণমাত্রায় মনুষ্যত্বের স্তরে উপনীত হয়। মানবিকতা ও নৈতিকতার আদর্শ আখলাকে হামিদাহর মাধ্যমেই পরিপূর্ণতা লাভ করে। মানুষের ইহ ও পরকালীন সুখ, শান্তি উত্তম আখলাকের ওপরই নির্ভরশীল। সচ্চরিত্রবান ব্যক্তিকে সবাই ভালোবাসে। ছোট, বড় সবাই তাকে ভালো মানুষ হিসেবে মান্য করে। তিনি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হেয়প্রতিপন্ন না হয়ে বরং সম্মানের অধিকারী হন। ফলে তিনি মানসিকভাবে সুখে ও শান্তিতে থাকেন। মহান আল্লাহকে ভয় করে মামুন সাহেব সচ্চরিত্রের অধিকারী হওয়ায় মহান আল্লাহ এবং তার রাসুলের কাছেও প্রিয় ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হন। উত্তম আচার-আচরণ মানুষকে পুণ্য বা সাওয়াব দান করে। কিয়ামতের দিন মুমিনের পাল্লায় সবচেয়ে ভারী বস্তু হবে সুন্দর চরিত্র। ফলে মামুন সাহেব পরকালের কঠিন আযাব থেকে মুক্তি পেয়ে চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভ করবেন। মামুন সাহেব আল্লাহকে ভয় করার কারণে ইহকাল ও পরকালে সাফল্য লাভ করবেন।
প্রশ্ন- ৯  আমানত

এসএসসি পরীক্ষার পর কামাল তার বন্ধু হাসানের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কামাল টাকা-পয়সা ও কাগজপত্র হাসানের নিকট আমানত রাখে। আসার সময় কামাল মালামাল চাইলে হাসান তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নানারকম টালবাহানা করে। বিষয়টি হাসানের বাবার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বললেন, ‘আমানত রক্ষা করা মুমিনদের জন্য আবশ্যক।’
[গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা]
ক. আমানতের বিপরীত কোনটি? ১
খ. মানবসেবা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. হাসানের কাজটি শরিয়তের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. হাসানের বাবার উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক আমানতের বিপরীত হলো খিয়ানত।
খ মানবসেবা বলতে মানুষের সেবা করা, পরিচর্যা করা, যতœ নেওয়া ও সাহায্য-সহযোগিতা করা ইত্যাদিকে বোঝায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সেবা করা, ভালোবাসা, সাহায্য-সহযোগিতা করা মানবসেবার অন্তর্ভুক্ত। মানবসেবা হলো হাক্কুল ইবাদতের অন্যতম দিক।
গ হাসানের কাজটি শরিয়তের দৃষ্টিতে আমানতের খিয়ানত হয়েছে। সাধারণত কারও কাছে কোনো অর্থ-সম্পদ, গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলা হয়। তবে ব্যাপক অর্থে শুধু ধনসম্পদ নয় বরং যেকোনো জিনিসই গচ্ছিত রাখাকে আমানত বলে। আমানত রক্ষা করা আখলাকে হামিদাহর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমানত রক্ষা করা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন আমানতসমূহ তার মালিকের কাছে প্রত্যর্পণ করতে। (সূরা আন-নিসা : ৫৮)
উদ্দীপকের কামাল তার বন্ধু হাসানের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে টাকা-পয়সা ও কাগজপত্র হাসানের কাছে আমানত রাখে। কিন্তু আসার সময় কামাল মালামাল ফেরত চাইলে হাসান তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নানারকম টালবাহানা করে। সুতরাং হাসানের কাজটি শরিয়তের দৃষ্টিতে আমানতের খিয়ানত।
ঘ হাসানের বাবার উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমানত রক্ষা করা আখলাকে হামিদাহ-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। উদ্দীপকে কামাল তার বন্ধু হাসানের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে টাকা-পয়সা ও কাগজপত্র হাসানের কাছে আমানত রাখে। পরবর্তীতে সেই মাল ফেরত চাইলে হাসান তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সে আমানতের খিয়ানত করে। বিষয়টি হাসানের বাবার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বলেন আমানত রক্ষা করা মুমিনদের জন্য আবশ্যক। আর প্রকৃত মুমিন ব্যক্তি কোনো অবস্থাতেই আমানতের খিয়ানত করেন না। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স) বলেছেন, যার মধ্যে আমানতদারি নেই, তার ইমান নেই। (মুসনাদে আহমাদ) আমানত রক্ষা করা ইমানের অঙ্গস্বরূপ। আমানতের খিয়ানত করা ইমানদারের বৈশিষ্ট্য নয়। আমাদের প্রিয় নবি (স) ছিলেন আমানতদারির মূর্ত প্রতীক। ঘোর শত্রæরাও তার কাছে তাদের মূল্যবান ধন-সম্পদ আমানত রাখত। ইসলামি জীবন দর্শনে আমানত রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমানতের খিয়ানত করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ, হারাম। মহানবি (স)-এর হাদিসে এসেছে খিয়ানত করা মুনাফিকদের অন্যতম নিদর্শন। আল্লাহ তায়ালা খিয়ানতকারীর প্রতি অসন্তুষ্ট হন। সুতরাং মুমিন ব্যক্তি খিয়ানত করতে পারে না বরং হাসানের বাবার উক্তি অনুযায়ী ‘আমানত রক্ষা করা মুমিনের জন্য আবশ্যক।’
প্রশ্ন- ১০  শালীনতা

শালীনতা বিবর্জিত সমাজ চিত্রের অবক্ষয় প্রত্যক্ষ করে মামুন তার মামাকে জিজ্ঞেস করল, মামা এ থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কী? উত্তরে মামা বললেন, আমাদের নারী সমাজ কুরআন ও হাদিস মেনে চললে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে। [ময়মনসিংহ জিলা স্কুল]
ক. শালীনতা কাকে বলে? ১
খ. ‘লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়’ হাদিসটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. শালীনতাপূর্ণ সমাজ গঠনে আমাদের সামাজিক দায়িত্ব উদ্দীপকের আলোকে বর্ণনা কর। ৩
ঘ. মামার মন্তব্য যথার্থ কি না তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও। ৪

ক কথা-বার্তা, আচার-আচরণ ও চলাফেরায় ভদ্র, সভ্য ও মার্জিত হওয়াকেই শালীনতা বলা হয়।
খ পবিত্রতা ও শালীনতার অন্যতম শর্ত হলো লজ্জাশীলতা। লজ্জাশীলতা মানুষকে শালীন হতে সাহায্য করে। লজ্জাশীল মানুষ পরকালে সাফল্য লাভ করবে। মহানবি (স) বলেন ‘লজ্জাশীলতার পুরোটাই কল্যাণময়।’ (মুসলিম) লজ্জাশীলতা যেকোনো খারাপ আচরণ ও কর্মকাণ্ড থেকে মানুষকে রক্ষা করে, জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচায়। ইহকালে যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করে।
গ শালীনতাপূর্ণ সমাজ গঠনে আমাদের সামাজিক দায়িত্বের গুরুত্ব বর্ণনাতীত। কেননা, শালীনতাপূর্ণ সমাজ আল্লাহর কাছে পছন্দনীয়। শালীনতাপূর্ণ সমাজে শান্তি বিরাজ করে। শালীনতাপূর্ণ সমাজে গঠনে আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হতে হবে। শালীনতাপূর্ণ সমাজ গঠনে আমাদের কতকগুলো সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। উদ্দীপকের মামুন শালীনতা বিবর্জিত সমাজচিত্রের অবক্ষয় প্রত্যক্ষ করে তার মামাকে জিজ্ঞাসা করলে মামা এটাই বললেন যে, একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও সুরুচিপূর্ণ জীবনযাপনে সবাইকে ধর্মীয়ভাবে সচেতন হতে হবে। সমাজের সবাইকে নম্র, ভদ্র ও শালীন হতে উৎসাহিত করতে হবে। শালীনতাবিরোধী কাজকে সমাজে নিষিদ্ধ করতে হবে। মানুষের কুপ্রবৃত্তি এবং কামনা-বাসনাপূর্ণ জীবনকে পরিহার করতে হবে। পোশাক-পরিচ্ছদ ও চলাফেরায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। নারী-পুরুষ সবাইকে পর্দা রক্ষা ও শালীনতা বজায় রাখার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বিনা প্রয়োজনে নারীদের বাইরে ঘুরে বেড়ানোকে নিষেধ করতে হবে।
ঘ উদ্দীপকের মামুনের মামা যে মন্তব্য করেছেন তা যথার্থই করেছেন। কারণ- সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ আদর্শ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই শালীনতা বজায় রেখে চলতে হবে। কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনা করতে পারলেই পরিবার ও সমাজে শালীনতা বজায় থাকবে। উদ্দীপকে মামুনের মামা এই বিষয়টির প্রতিই ইঙ্গিত করেছেন যে, নারী সমাজ যদি তাদের পোশাক, চলাফেরা ও জীবনযাপনে কুরআন-হাদিস তথা শরিয়ত মতে চলাফেরা করে তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে। কুরআন ও হাদিসে নারীর শালীনতার বিষয়ে অনেক কথাই আছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘আর তোমরা (নারীরা) নিজ গৃহে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলি যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’ (সূরা আল-আযহাব : ৩৩)
বিনা প্রয়োজনে অশালীনভাবে নারীর বাইরে ঘুরে বেড়ানো উচিত নয়। কারণ ইসলামে শালীনতাবিরোধী কাজকর্ম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা অশ্লীল ও অশালীন কাজকর্ম মানুষের মানবিকতা ও নৈতিকতার মূল্যবোধ বিনষ্ট করে দেয়। এর ফলে সমাজের সর্বত্র অরাজকতা বিরাজ করে এবং বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ সমাজ থেকে দূর করতে হলে সমাজে কুরআন ও হাদিসের বিধানাবলি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং তা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বোর্ড ও সেরা স্কুলের বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. মিজান খোদাভীরু হতে চায়। সেজন্য সর্বাগ্রে তাকে চর্চা করতে হবে [স. বো. ’১৬]
ক সত্যবাদিতার  তাকওয়ার গ মানবসেবার ঘ শালীনতার
২. “সুন্দর চরিত্রই পুণ্য”কে বলেছেন? [স. বো. ’১৬]
ক আল্লাহ তা’লা খ আরবি প্রবাদ  মহানবি (স) ঘ মুসলিম মনীষী
৩. আত্মশুদ্ধির আরবি প্রতিশব্দ হলো [স. বো. ’১৬]
ক তাসমিয়াহ খ তাযরিয়াহ গ তালবিয়াহ  তাযকিয়াহ
৪. ‘আদর্শ’কে আরবিতে কী বলে? [স. বো. ’১৬]
ক اِمَانَةٌ (আমানত) খ نَظَافَةٌ (নাজাফাত)
গ فِطْنَةٌ (ফিতনা)  اُسْوَةٌ (উছওয়া)
৫. “নিশ্চয়ই আপনি (নবি স) সুমহান চরিত্রের ধারক।”Ñ আয়াতখানা কোন সূরা থেকে নেওয়া হয়েছে? [স. বো. ’১৫]
ক আত্ তাওবাহ  আল কলম গ আল-বুরুজ ঘ আল-কাদর
৬. ‘নাহি আনিল মুনকার’ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোনগুলোর প্রয়োজনীয়তা সর্বাধিক? [স. বো. ’১৫]
ক সম্মান, ক্ষমতা ও ক্ষমা খ অর্থ, খ্যাতি ও উদারতা
 হাত, মুখ ও অন্তর ঘ আকিদা, ইলম ও ফযিলত
৭. ‘হিংসা শব্দের আরবি প্রতিশব্দ কোনটি? [স. বো. ’১৫]
ক اَلْـفِـتْـنَـةُ (আল-ফিতনাতু) খ اَلْـغَـشُّ (আল-গাসসু)
 اَلْـحَـسَـدُ (আল হাসাদু) ঘ اَلـرِّبـوا (আর-রিবা)
৮. জীবিকা অর্জন না করে বসে থাকা ইসলামের কোন বিধানের লঙ্ঘন? [স. বো. ’১৫]
 ফরজ খ ওয়াজিব গ সুন্নত ঘ নফল
৯. হযরত দাউদ (আ) পেশায় কী ছিলেন? [স. বো. ’১৫]
 কামার খ কৃষক গ রাখাল ঘ মিস্ত্রী
১০. জান্নাতবাসীদের চিহ্ন কী? [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
 সত্য কথা বলা খ শালীনতা রক্ষা করা
গ ওয়াদা পালন করা ঘ ইলম চর্চা করা
১১. ‘আল বিররু হুসনুল খুলুক’ অর্থ কোনটি?
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক ব্যবহারই পুণ্য খ ওয়াদা হলো ঋণ
গ সুন্দর চরিত্র অতুলনীয়  সুন্দর ব্যবহারই পুণ্য
১২. আরবরা জাহিলি যুগেই বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছিল কী কারণে?
[আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক সাহিত্যের প্রতি অনুরাগের কারণে  কবিতা রচনার কারণে
গ বাগ্মিতার কারণে ঘ দায়িত্বশীলতার কারণে
১৩. আখলাক কোন শব্দের বহুবচন? [গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
ক খালাকুন খ খালিকুন  খুলুকুন ঘ খালকুন
১৪. মানবীয় মৌলিক গুণ ও জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ কোনটি? [খুলনা জিলা স্কুল]
ক ইবাদত খ আনুগত্য
 আখলাকে হামিদাহ ঘ হাসানাহ
১৫. ‘সুদ’ শব্দটির আরবি প্রতিশব্দ কী? [খুলনা জিলা স্কুল]
 রিবা খ হাসাদ গ ফিতনা ঘ গিবত
১৬. তাকওয়া শব্দের ব্যবহারিক অর্থ কী? [খুলনা জিলা স্কুল]
 আত্মশুদ্ধি খ বিরত থাকা
গ ভয় করা ঘ নিজেকে রক্ষা করা
১৭. অন্তর পরিষ্কারের যন্ত্র কী? [বরিশাল জিলা স্কুল]
ক তাওবা  যিকির গ তিলাওয়াত ঘ নামায
১৮. “আমাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে।”Ñ এটা কার বাণী?
[বরিশাল জিলা স্কুল]
ক আল্লাহর  মহানবি (স)
গ হযরত আবু বকর (রা) ঘ হযরত আলি (রা)
১৯. উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন [পাবনা জিলা স্কুল]
ক হযরত ইবরাহিম (আ) খ হযরত নূহ (আ)
গ হযরত মুহাম্মদ (স)  সকল নবি-রাসুলগণ
২০. আখলাকে হামিদাহ কী অনুসারে পরিশুদ্ধ হতে পারে? [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক ইবাদত খ সমাজ চরিত্র  শরিয়ত ঘ মারেফাত
২১. প্রকৃতপক্ষে যা নয় তা প্রকাশ বা প্রমাণ করাকে কী বলে? [বগুড়া জিলা স্কুল]
ক সততা খ অবাস্তব গ শঠতা  মিথ্যা
২২. ‘নিশ্চয়ই আল­াহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন।’ এটা কোন সূরার অংশ।
[নওগাঁ জিলা স্কুল]
 সূরা আত-তাওবা খ সূরা আল-হুজরাত
গ সূরা মায়িদা ঘ সূরা আন-নাবা
২৩. মানবচরিত্রের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্বভাব কোনটি? [নওগাঁ জিলা স্কুল]
ক সত্যবাদিতা খ আমানতদারী
গ সঠিক ওজন প্রদান  তাকওয়া
২৪. আমানতের খিয়ানত করা কার চিহ্ন?
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
ক ফাসিক খ কাফির  মুনাফিক ঘ মিথ্যাবাদী
২৫. ইসলামি শরিয়তে গীবত করা কোন ধরনের অপরাধ?
[সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা]
ক হালাল খ বৈধ  হারাম ঘ জায়েয
২৬. রাসুল (স) একজন অধীনস্ত কর্মচারীকে দৈনিক কতবার ক্ষমার কথা বলেছেন? [দাউদ পাবলিক স্কুল, যশোর, সেনানিবাস]
ক ৩০ খ ৫০  ৭০ ঘ ১০০
২৭. ‘নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের ধারক’Ñ কাকে বলা হয়েছে?
[ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক হযরত আদম (আ) কে খ হযরত নূহ (আ) কে
 হযরত মুহাম্মদ (স) কে ঘ হযরত মূসা (আ) কে
২৮. হিংসার আরবি প্রতিশব্দ কোনটি? [পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
ক ফাসাদ  হাসাদ গ ফিৎনা ঘ হাদিয়া
২৯. হাদিসের ভাষ্যমতে মানুষকে আল­াহর সবচেয়ে মূল্যবান দান কোনটি?
[পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর]
ক অর্থ খ সৌন্দর্য গ সুস্থতা  সুন্দর চরিত্র
৩০. তাকে (শ্রমিককে) তার সাধ্য ও সামর্থ্যরে বাইরে কোনো কাজ দেওয়া যাবে নাÑ কোন হাদিসের বাণী? [পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর]
ক বুখারি  মুসলিম গ তিরমিজি ঘ আবু দাউদ
৩১. ‘সৎ কাজের আদেশ’-এর আরবি প্রতিশব্দ কী?
[পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর]
ক আমর বিল এবাদত খ নাহি আনিল মুনকার
 আমর বিল মারুফ ঘ আমর বিল হক
৩২. হাদিসে ‘নাহি আনিল মুনকারের’ কয়টি স্তর বর্ণনা করা হয়েছে?
[পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশোর]
ক ৫টি খ ২টি গ ৭টি  ৩টি
৩৩. ব্যবসায়ী লিটন সর্বদা সরিষার তেলের সাথে সয়াবিন তেল বিক্রি করে। শরীয়তের দৃষ্টিতে তার এ কাজটি হবে- [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক মুজতদারি খ মুনাফাখোরি  প্রতারণা ঘ কালোবাজারি
৩৪. আমানত বলতে বোঝায়? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
 সম্পদ নিরাপদে গচ্ছিত রাখা খ অন্যকে ধার দেওয়া
গ ত্র“টিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে দেওয়া ঘ নিজে ব্যবহার করে ফিরিয়ে দেওয়া
৩৫. ‘হুব্বুল ওয়াতন’ অর্থ কী? [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
ক প্রকৃতি প্রেম  স্বদেশ প্রেম গ পরিচ্ছন্নতা ঘ মানবপ্রেম
৩৬. মানুষের চরম শত্রæ কারা? [বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনা]
ক আত্মীয়স্বজনরা খ প্রতিবেশীরা
গ সহপাঠীরা  ইবলিস ও কুপ্রবৃত্তি
৩৭. কীসের দ্বারা অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করা যায়?
[বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, খুলনা]
ক সালাত খ সাওম  আল্লাহর যিকির ঘ হজ
৩৮. সুদকে হালাল মনে করে গ্রহণ করলে কী হবে? [সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক কবীরা গুনাহ খ শিরক  কুফর ঘ জঘন্য গুনাহ
৩৯. কীসের সন্তুষ্টিতে সার্বিক কল্যাণ? [ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
ক ব্যবসায় খ মানব কল্যাণ
গ ইবাদত  পিতামাতার সন্তুষ্টিতে
৪০. গীবত কিসের চেয়ে জঘন্য? [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হেলেনাবাদ, রাজশাহী]
ক হারামের  ব্যভিচারের গ হিংসার ঘ মিথ্যার
৪১. ফিতনা অর্থ কী? [সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হেলেনাবাদ, রাজশাহী]
ক শৃঙ্খল খ গুম গ সন্ত্রাস  অরাজকতা
৪২. শালীনতা রক্ষা করে চলাফেরা করা কী?
[নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল­া]
ক সামাজিক নিয়ম  ফরজ গ ওয়াজিব ঘ বংশের ঐতিহ্য
৪৩. তোমরা আল­াহর রাস্তায় জিহাদ কর যেভাবে জিহাদ করা উচিত। এ বাণীটি কোন সূরার অংশ? [নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল­া]
ক আল হুজুরাত  আল হাজ্জ গ আল কামার ঘ আস্ শামস
৪৪. অধিকারের দিক দিয়ে প্রতিবেশী কত প্রকার? [ব−ু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
 তিন খ চার গ পাঁচ ঘ ছয়
৪৫. আম বিক্রেতা রাসেল প্রায়ই ওজনে কম দেয়। রাসেলের এ আচরণে প্রকাশ পেয়েছেÑ [ব−ু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক মুনাফিকী খ কুফরি  প্রতারণা ঘ চতুরতা
৪৬. প্রতারণা ত্যাগ করতে হবে। কারণ এটিÑ [ব−ু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রণ  অল্প পরিশ্রমে অধিক উপার্জনের উপায়
গ বেশি লাভবান হওয়ার সূ² কৌশল ঘ অধিক মুনাফা অর্জনের সহজ চেষ্টা
৪৭. ‘ন্যায় বিচার’ -এর আরবি প্রতিশব্দ কোনটি? [ব−ু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজ, সিলেট]
ক আখলাক খ আমানত  আদল ঘ তাকওয়া
৪৮. কী গঠনে তাকওয়া দুর্গস্বরূপ? [চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
ক দেহ খ দল  চরিত্র ঘ দল
৪৯. “ফিতনা-ফাসাদ হত্যার চেয়েও জঘন্য”Ñকোন সূরার আয়াত?
[চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
 সূরা আল-বাকারা খ সূরা আন-নুর
গ সূরা আল-হাশর ঘ সূরা আল- মায়িদাহ
৫০. সত্য পরিচালিত করে-
ক জান্নাতের পথে খ ন্যায়ের পথে
 পুণ্যের পথে ঘ সঠিক পথে
৫১. ইসলামে কর্মবিমুখতার কোনো সুযোগ নেই। এখানে কোনটি উৎসাহিত করা হয়েছে? [নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
ক যে কোনো উপার্জন  যে কোনো বৈধ উপার্জন
গ ব্যবসার মাধ্যমে উপার্জন ঘ চাকরির মাধ্যমে উপার্জন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫২. যারা দেশকে ভালোবাসে না তারা [স. বো. ’১৬]
র. দেশদ্রোহী রর. অকৃতজ্ঞ
ররর. অধার্মিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৩. ‘তাযকিয়াতুন নাফস’ অর্জন করার মাধ্যমÑ [স. বো. ’১৫)
র. তাওবা ও ইসতিগফার রর. তাওয়াক্কুল ও যুহদ
ররর. শোকর ও সালাত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র, রর ও ররর
৫৪. নৈতিকতা বলতে বুঝায়Ñ [স. বো. ’১৫)
র. সততা ও ন্যায়- অন্যায়বোধ রর. সৌজন্যমূলক ও সুন্দর স্বভাব
ররর. সুমধুর বচন ও উন্নত চরিত্র
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ র ও রর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. যে সমাজে ঘুষ লেনদেন প্রসার লাভ করে সে সমাজে সৃষ্টি হয়Ñ
[রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
র. ভীতি রর. সন্ত্রাস
ররর. দারিদ্র্য
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৬. হিংসা মানুষেরÑ [বরিশাল জিলা স্কুল]
র. নেক আমল নষ্ট করে রর. সচ্চরিত্র নষ্ট করে
ররর. ঐক্য নষ্ট করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৭. শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতা বিদ্যমান থাকলে তার ফলাফল হতে পারেÑ [বরিশাল জিলা স্কুল]
র. মালিক- শ্রমিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে
রর. লভ্যাংশ হ্রাস হতে পারে
ররর. আন্তরিকতা পূর্ণ পরিবেশ তৈরি হতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৮. ‘গিবত’ শব্দের অর্থ কী? [পাবনা জিলা স্কুল]
র. অসাক্ষাতে দুর্নাম করা রর. সমালোচনা করা
ররর. অপরের দোষ প্রকাশ করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৯. সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা মারাত্মকভাবে বিনষ্ট ও ধ্বংস করেÑ [বগুড়া জিলা স্কুল]
র. কর্মবিমুখতা রর. মিথ্যা কথা
ররর. পরচর্চা করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  ররর
৬০. মুসলিম হিসেবে আমাদের কর্তব্য রয়েছেÑ [বগুড়া জিলা স্কুল]
র. পিতামাতার প্রতি রর. আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি
ররর. গরিব-দুঃখীদের প্রতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬১. যারা সীমান্ত পাহারা দেয় ইসলামে তাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ তারা [ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. জানমালের নিরাপত্তা বিধান করে
রর. বিনিদ্র রাত্রি যাপন করে
ররর. দেশপ্রেমী হিসেবে কর্তব্য পালন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬২. ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে’ এ উক্তির দ্বারা বোঝানো হয়েছে- [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
র. নিফাক অত্যন্ত গুরুতর পাপ
রর. নিফাক ক্ষমার অযোগ্য পাপ
ররর. নিফাক অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  র ও ররর ঘ রর ও ররর
৬৩. সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি হলোÑ [সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়]
র. নানা ধর্মের মানুষের সাথে ঐক্য রাখা
রর. নানা ভাষা ও জাতির লোকদের সাথে পরস্পর সংহতি রাখা
ররর. নানা পেশার মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৪. পার্থিব জীবনে আল্লাহ তায়ালার বহু নিয়ামত লাভ করেনÑ
[বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. মুত্তাকিরা
রর. মুসলমানরা
ররর. ওয়াদা পালনকারীরা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ রর গ র ও রর ঘ র ও ররর
৬৫. স্বদেশপ্রেম প্রকাশ করতে হয়Ñ [ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
র. নিজের কাজ করা
রর. মুখের কথা দ্বারা
ররর. সেবা দ্বারা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ ররর  র ও ররর ঘ রর ও ররর
৬৬. উত্তম উপার্জন হচ্ছে- [নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম]
র. নিজ শ্রমের উপার্জন
রর. সৎ ব্যবসালব্ধ মুনাফা
ররর. ব্যাংকের লভ্যাংশ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে ৬৭ ও ৬৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আসলাম ও তার সঙ্গীরা তাদের পাড়ায় একটি সমিতি গড়ে তোলে। সেখান থেকে মানুষকে টাকা ঋণ দিয়ে কিছু টাকা বেশি নেয়। সেই সমিতিতে মাওলানা দৌলতপুরী হিসাবরক্ষক পদে চাকরি করেন। [স. বো. ’১৫]
৬৭. আসলামদের এরূপ উদ্যোগ কিসের অন্তর্ভুক্ত?
ক ব্যবসায়ের  সুদের গ সহযোগিতা ঘ ঘুষের
৬৮. মাওলানা দৌলতপুরীর ইবাদত আল্লাহর নিকটÑ
র. গৃহিত রর. বর্জনীয় ররর. প্রশংসনীয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  রর গ র ও রর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৯ ও ৭০ নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাব্বির সর্বদা যিকিরে মশগুল থাকে। সে করিমকে বলে, যিকিরের ফলে মানুষের অন্তর পবিত্র হয়। তুমি যিকিরে মশগুল থাক। [সেন্ট জোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা]
৬৯. সাব্বিরের কাজটি কিসের জন্য করা হয়?
 সাওয়াবের খ নিয়মতান্ত্রিক
গ ভালো হওয়া ঘ আল­াহ তায়ালা ভাল বলবে
৭০. এর ফলে সাব্বিরের কী পরিবর্তন দেখা যাবে?
র. আত্মশুদ্ধি হবে রর. সৎমানুষ হবে
ররর. প্রিয় বান্দা হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর গ ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৭১ ও ৭২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আমিনা একজন শিক্ষিকা। কথাবার্তা ও চালচলনে তাকে ভদ্র বলে সবাই জানে। [ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
৭১. আমিনা বেগমের মধ্যে নিচের কোনটির পরিচয় মিলে?
[ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
ক আদল খ আহদ  শালীনতা ঘ নেতৃত্ব
৭২. আমিনা যদি অতিরিক্ত সৌন্দর্য প্রদর্শন করতেন তাহলেÑ
[ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, রংপুর]
র. নানা ধরনের পাপকর্ম সংঘটিত হতো
রর. পারিবারিক শান্তি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হতো
ররর. রাষ্ট্রীয় উন্নতি বাধাগ্রস্ত হতো
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ রর গ ররর ঘ র, রর ও ররর
 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
 পাঠ-১ : আখলাকে হামিদাহ  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১১২
 উত্তম আচার-আচরণ মানুষকে- সাওয়াব দান করে।
 দুনিয়ার জীবনেও আখলাকে হামিদাহ- গুরুত্বপূর্ণ।
 আখলাক শব্দের অর্থ- চরিত্র।
 হামিদাহ শব্দের অর্থ- প্রশংসনীয়।
 মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ- আখলাকে হামিদাহ।
 আখলাকে মাহিদাহর অপর নাম- আখলাকে হাসনাহ।
 রাসুল (স) মানবজাতিকে শিক্ষা দিয়েছেন- সচ্চরিত্র গঠনের।
 কিয়ামতের দিন মুমিনের পাল্লা ভারী করবে- প্রশংসনীয় আচরণ ও স্বভাব।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭৩. আখলাক শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 স্বভাব খ একনিষ্ঠতা
গ সততা ঘ মানবিকতা
৭৪. হামিদাহ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক গুণ  প্রশংসনীয় গ সমাদৃত ঘ চরিত্র
৭৫. আলাল সাহেবকে অফিসের সবাই ভালো মানুষ হিসেবে সম্মান করে এবং বিশ্বাস করে। সবাই বলে তিনি আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তিনি নিচের কোনটির অধিকারী? (প্রয়োগ)
ক অর্থসম্পদের  আখলাকে হামিদাহর
গ আখলাকে যামিমাহর ঘ গভীর জ্ঞানের
৭৬. মানব চরিত্রের সুন্দর, নির্মল ও মার্জিত গুণাবলিকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক আখলাকে যায়িদাহ খ আখলাকে সায়্যিআহ
গ আখলাকে যামিমাহ  আখলাকে হামিদাহ
৭৭. মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ কোনটি? (জ্ঞান)
 আখলাকে হামিদাহ খ আখলাকে যামিমাহ
গ আখলাকে যায়িদাহ ঘ আখলাকে সায়্যিআহ
৭৮. কোনটি দ্বারা মানুষ পূর্ণমাত্রায় মনুষ্যত্বের স্তরে অবস্থান করে? (অনুধাবন)
ক কঠোর পরিশ্রম  উত্তম চরিত্র
গ তাকওয়া ঘ দয়া ও অনুগ্রহ
৭৯. মহানবি (স) কে প্রেরণ করা হয়েছে কেন? (অনুধাবন)
 উত্তম চারিত্রিক গুণাবলিকে পূর্ণতা দানের জন্য
খ রাজত্ব করার জন্য
গ মিতব্যয়িতা শিক্ষা দেওয়ার জন্য
ঘ মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার জন্য
৮০. জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য কী প্রয়োজন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ধন সম্পদ খ সুন্দর বন  উত্তম চরিত্র ঘ যাকাত আদায়
৮১. রিফাত সাহেব উত্তম চরিত্রের অধিকারী। রাসুল (স)-এর আদর্শ অনুযায়ী তিনি নিচের কোনটি করবেন? (প্রয়োগ)
 মানবজাতিকে সচ্চরিত্র গঠনের শিক্ষা দেবেন
খ সবসময় নিজের জীবন নিয়ে চিন্তা করবেন
গ সবসময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন
ঘ পরিবার-পরিজন থেকে আলাদা থাকবেন
৮২. ইসলামে আখলাকে হামিদাহ অর্জনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সচ্চরিত্র ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে
খ সচ্চরিত্রবান ব্যক্তি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হন
গ সচ্চরিত্রবান ব্যক্তি যুদ্ধে জয়ী হতে পারেন
ঘ সচ্চরিত্রবানরা সমাজের নেতৃত্বে থাকেন
৮৩. সচ্চরিত্রের কারণে পরকালীন জীবনে কী পাওয়া যাবে? (জ্ঞান)
ক করুণা খ অনুগ্রহ  মুক্তি ঘ সুপারিশ
৮৪. ‘সুন্দর চরিত্রই পুণ্য’-কে বলেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক আল্লাহ  মহানবি (স)
গ হযরত আলি (রা) ঘ হযরত উসমান (রা)
৮৫. কিয়ামতের দিন মুমিনের পাল্লা ভারি হবে কোনটি দ্বারা? (জ্ঞান)
 সুন্দর চরিত্র খ সালাত গ হজ ঘ যাকাত
৮৬. জলিল সাহেবকে সমাজের সবাই ভালোবাসে, বিশ্বাস করে। তিনি কোন আখলাকের অধিকারী? (প্রয়োগ)
ক আখলাকে যামিমাহ  আখলাকে হামিদাহ
গ আখলাকে যায়িদাহ ঘ আখলাকে সায়্যিআহ
৮৭. আরমান সাহেব ব্যক্তিগত জীবনে নৈতিক স্বভাব অনুশীলন করেন। এর ফলে তিনি কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক প্রচুর ধন-সম্পদ খ রাজনৈতিক নেতৃত্ব
গ মহানবির (স) শাফাআত  সম্মান ও ভালোবাসা
৮৮. হাদিসের ভাষ্যমতে মানুষকে আল্লাহর সবচেয়ে মূল্যবান দান কোনটি? (জ্ঞান)
ক অর্থ খ সৌন্দর্য গ সুস্থতা  সুন্দর চরিত্র
৮৯. ইসলামের যাবতীয় সৌন্দর্য ফুটে ওঠে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক সালাতের মাধ্যমে খ যাকাতের মাধ্যমে
গ হজের মাধ্যমে  সচ্চরিত্রের মাধ্যমে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯০. উত্তম আচার-আচরণ মানুষকেÑ (অনুধাবন)
র. পুণ্য দান করে
রর. সাওয়াব দান করে
ররর. রোজগারের ব্যবস্থা করে
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯১. সচ্চরিত্রবান ব্যক্তিকে সমাজের সবাইÑ (অনুধাবন)
র. ভালোবাসে রর. টাকা দেয়
ররর. বিশ্বাস করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯২. আব্দুল হাই সাহেব একজন সচ্চরিত্রবান ব্যক্তি। তিনিÑ (প্রয়োগ)
র. সমাজের চোখে ভালো রর. আল্লাহর নিকট প্রিয়
ররর. মানুষের মধ্যে উত্তম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯৩. সচ্চরিত্র আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। এর ফলেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পরকালে কল্যাণ লাভ করা যায় রর. পুণ্য বা সাওয়াব অর্জন করা যায়
ররর. পরকালে কঠিন শাস্তি পাওয়া যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৪. আখলাকে হামিদাহর মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করে (অনুধাবন)
র. মানবিকতা রর. সাহসিকতা
ররর. নৈতিকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯৫. উত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিরা কাজের মাধ্যমে (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমাজে মর্যাদার আসনে অধিষ্টিত হবেন
রর. মানবিক ও নৈতিকতার আদর্শ গড়ে তুলবেন
ররর. সমাজের সকল অন্যায় প্রতিহত করতে সক্ষম হবেন
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৬ ও ৯৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
শরাফত সাহেব একজন ধার্মিক ব্যক্তি। তিনি জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততা, সত্যবাদিতা, ওয়াদা পালন, মানবসেবাসহ বিভিন্ন নৈতিক গুণাবলি ও উত্তম স্বভাবের অনুশীলন করেন। তাঁর চরিত্রমাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে সমাজের সবাই তাঁকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে, সম্মান দেখায়।
৯৬. শরাফত সাহেব কোনটির অধিকারী? (প্রয়োগ)
ক আখলাকে যামিমাহ  আখলাকে হামিদাহ
গ আখলাকে যায়িদাহ ঘ আখলাকে সায়্যিআহ
৯৭. এরূপ কাজের ফলে শরাফত সাহেব লাভ করবেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. পরকালীন কল্যাণ রর পুণ্য বা সাওয়াব
ররর. ধন-সম্পদ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 পাঠ-২ : তাকওয়া  বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ১১৪
 তাকওয়া শব্দের অর্থ- বিরত থাকা।
 যিনি তাকওয়া অবলম্বন করেন তাকে বলা হয়- মুত্তাকি।
 ইসলামি নৈতিকতার মূলভিত্তি- তাকওয়া।
 পরকালে তাকওয়াবান ব্যক্তির জন্য আছে- মহাপুরষ্কার।
 কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনাই- তাকওয়া।
 মানুষকে মানবিক ও নৈতিক গুণাবলিতে উদ্বুদ্ধ করে- তাকওয়া।
 সৎ ও সুন্দর গুণ অনুশীলনে অনুপ্রাণিত হন- মুত্তাকিগণ।
 মহৎ চারিত্রিক গুন হলো- তাকওয়া।
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৮. তাকওয়া শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 বেঁচে থাকা খ ন্যায়পরায়ণতা
গ নিরাপদ রাখা ঘ অস্বীকার করা
৯৯. আল্লাহর ভয়ে পাপকাজ থেকে বিরত থাকাকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক সালাত খ সাওম গ সাদকা  তাকওয়া
১০০. যিনি সবরকম অন্যায়, অনাচার, পাপাচার বর্জন করে কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করেন তাকে কী বলা হয়? (অনুধাবন)
ক মুহসিন  মুত্তাকি গ মুফতি ঘ মুহাদ্দিস
১০১. আব্দুল বাতেন আল্লাহকে ভয় করে প্রতিদিন রাতে সালাত আদায় করেন। তাকে কী বলা হবে? (প্রয়োগ)
ক সত্যবাদী খ মুমিন  মুত্তাকি ঘ মাসবুক
১০২. কোনটির ক্ষেত্র অত্যন্ত ব্যাপক? (অনুধাবন)
ক আদল খ আমানত গ প্রতিশ্রæতি  তাকওয়া
১০৩. মুত্তাকিগণ পাপকাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখেন কেন? (অনুধাবন)
ক আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসার কারণে
খ রাসুল (স)-কে ভালোবাসার কারণে
 আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয়ে
ঘ সমাজের লোকদের ভয়ে
১০৪. জনাব জামান আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যাবতীয় অন্যায়, অত্যাচার ও পাপকাজ থেকে বিরত থেকে কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করেন। তাকে কী বলা হবে? (প্রয়োগ)
ক মুমিন খ মুহসিন  মুত্তাকি ঘ মুহাদ্দিস
১০৫. সকল পাপকাজ থেকে সহজেই বেঁচে থাকা যায় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক আল্লাহর যিকির করলে খ নবি (স)-এর প্রতি দরুদ পড়লে
 আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করলে ঘ বেশি বেশি দান করলে
১০৬. জান্নাত লাভের পূর্বশর্ত কোনটি? (প্রয়োগ)
ক ওয়াদা পালন না করা খ মিথ্যা বলা
গ আমানত রক্ষা না করা  মুত্তাকি হওয়া
১০৭. মানুষের মর্যাদা নিরূপিত হয় কীসের মাধ্যমে? (অনুধাবন)
 তাকওয়া খ দীন পালন
গ আত্মশুদ্ধি ঘ মিতব্যয়িতা
১০৮. ইসলামি জীবনদর্শনে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি কারা? (জ্ঞান)
ক আলেমগণ খ হাজিগণ গ মুমিনগণ  মুত্তাকিগণ
১০৯. আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি কে? (জ্ঞান)
ক আলেম খ হাজি গ মুমিন  মুত্তাকি
১১০. আল্লাহর কাছে কোনটি সর্বাধিক মূল্যবান? (জ্ঞান)
ক সালাত  তাকওয়া গ হজ ঘ যাকাত
১১১. আল্লাহ মুত্তাকিদের ভালোবাসেন কেন? (অনুধাবন)
ক মুত্তাকি সালাত আদায় করেন বলে
খ মুত্তাকি দান করেন বলে
 মুত্তাকি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকেন বলে
ঘ মুত্তাকি তাহাজ্জুদ পড়েন বলে
১১২. জনাব আকতার নিজেকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে আল্লাহর ইবাদত করে। তাকে আমরা কী বলব? (প্রয়োগ)
 তাকওয়াবান খ সত্যবাদী গ মুসল্লি ঘ ক্ষমাশীল
১১৩. জনাব কাশেম আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যাবতীয় পাপাচার থেকে দূরে থাকেন। এর ফলে তিনি পরকালে কী লাভ করবেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক ধন-সম্পদ খ নেতৃত্ব  মহাপুরস্কার ঘ কর্তৃত্ব
১১৪. শেষ বিচারের দিন আল্লাহ মুত্তাকিদের মহাসফলতা দান করবেন-এর কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
 আল্লাহর ভয়ে ভীত ছিলেন বলে খ গভীর রাতে ইবাদত করতেন বলে
গ অভাবীদের সাহায্য করতেন বলে ঘ বাবা-মাকে সম্মান করতেন বলে
১১৫. শাহেদ আলি তাকওয়াবান ব্যক্তি। পরকালে তার জন্য কী রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মহাশাস্তি  মহাপুরস্কার
গ সুস্বাদু খাবার ঘ বাগ-বাগিচা
১১৬. নিচের কোন বিষয়টি মানুষের চরিত্র গঠনে সহায়ক? (জ্ঞান)
ক সাদকাহ  তাকওয়া গ ইনসাফ ঘ যাকাত
১১৭. জোহরা হোসাইন হারাম বর্জন করে হালাল ও সৎভাবে জীবনযাপন করেন। তার চরিত্রে কোনটি প্রকাশ পেয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মানবতা খ চারিত্রিকতা  তাকওয়া ঘ বিনয়
১১৮. সত্যিকারভাবে সদগুণাবলির অধিকারী হতে হলে অন্তরে কী থাকা প্রয়োজন? (অনুধাবন)
ক ভালোবাসা খ আখলাক  তাকওয়া ঘ আহদ
১১৯. তাকওয়াবান ব্যক্তি সকল কাজেই নীতি-নৈতিকতা অবলম্বন করে অনৈতিকতা ও অশ্লীলতা পরিহার করে চলেন। সমাজে এর কী ধরনের প্রভাব পড়বে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সমাজ ঠিক থাকবে খ সমাজ পরিবর্তন হবে
গ সমাজ কলুষিত হবে  সমাজ নীতি-নৈতিকতামণ্ডিত হবে
১২০. সকল সদগুণের মূল কোনটি? (জ্ঞান)
 তাকওয়া খ সত্যবাদিতা গ আমানত রক্ষা ঘ শালীনতা
১২১. তাকওয়া সকল সৎ ও সুন্দর গুণ অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে। এর কারণ কী? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সারা রাত ইবাদত-বন্দেগি করেন
 নিষ্ঠাবান ও সৎকর্মশীল হয়ে ওঠেন
গ অর্থসম্পদ লাভে উৎসাহী হয়ে ওঠেন
ঘ তাবলিগ জামাআতে নিজেদের উৎসর্গ করেন
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২২. যিনি তাকওয়া অবলম্বন করেন তিনিইÑ (অনুধাবন)
র. মুমিন রর. তাকওয়াবান
ররর. মুত্তাকি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৩. গণি সাহেব আল্লাহর ভয়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকেন। এর ফলে তিনি লাভ করবেনÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্মান রর. মর্যাদা
ররর. সফলতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১২৪. জনাব আজাদ একজন মুত্তাকি। তিনি নিজেকে বিরত রাখেন (প্রয়োগ)
র. অশালীন কথা বলা থেকে রর. হালাল উপার্জন থেকে
ররর. সুদ, ঘুষ নেওয়া থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৫ ও ১২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিয়াদ ও হাকিম উভয়ই একটি সরকারি অফিসে চাকরি করেন। হাকিম সুদ, ঘুষসহ বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে অল্প দিনেই বিশাল ধন-সম্পদের মালিক হয়ে যান। পক্ষান্তরে রিয়াদ আল্লাহর ভয়ে সুদ, ঘুষ, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বেঁচে থাকেন।
১২৫. রিয়াদ সাহেবের চরিত্রে কোনটির প্রতিফলন ঘটেছে? (প্রয়োগ)
ক আদল  তাকওয়া গ আহদ ঘ আমানত
১২৬. হাকিমের কাজের পরকালীন পরিণতি হবেÑ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্মান-মর্যাদা রর. জান্নাত
ররর. জাহান্নাম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র খ রর  ররর ঘ র, রর ও ররর

Scroll to Top