চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১ জীব ও পরিবেশ

You are currently viewing চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১ জীব ও পরিবেশ

৪র্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১ জীব ও পরিবেশ

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১. শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) —- হলো এমন একটি জায়গা যেখানে প্রাণী নিরাপদে থাকে।
২) জীব তার প্রয়োজনীয় সকল বস্তু —- থেকে পেয়ে থাকে।
৩) উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে —-, পানি এবং বায়ু প্রয়োজন।
৪) মানুষ —- আহরণ করতে পরিবেশের পরিবর্তন করছে।
উত্তর : (১) আশ্রয়স্থল, (২) পরিবেশ, (৩) সূর্যের আলো, (৪) প্রাকৃতিক সম্পদ।

২. সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন (√) দাও।
১) খাদ্য তৈরি করার সময় উদ্ভিদ বাতাসে কী ত্যাগ করে?
√ক. অক্সিজেন খ. জলীয় বাষ্প
গ. কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘ. নাইট্রোজেন
২) বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি মানুষ কোথা থেকে পায়?
ক. বায়ু খ. পানি
গ. মাটি √ঘ. খাদ্য

৩. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
১) কোন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিবেশের পরিবর্তন ঘটাতে পারে?
উত্তর : বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিবেশের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। যেমন- খরা, বন্যা, ঝড়, ভ‚মিকম্প, ভ‚মিধ্বস ইত্যাদি।
২) জীবের বেঁচে থাকার জন্য কী কী প্রয়োজন?
উত্তর : জীবের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, আবাসস্থল, আশ্রয়স্থল, পানি এবং বায়ু প্রয়োজন।
৩) উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে কী কী প্রয়োজন?
উত্তর : উদ্ভিদের খাদ্য তৈরিতে সূর্যের আলো, বায়ুস্থ কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং মাটিস্থ পানি প্রয়োজন।

৪. বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
১) মানুষ কীভাবে পরিবেশের পরিবর্তন করছে?
উত্তর : মানুষ নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশের পরিবর্তন করছে।
মানুষ পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভরশীল। তার বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন খাদ্য, আবাসস্থল, পানি এবং বায়ু। এই সবকিছুই মানুষ পরিবেশ থেকে আহরণ করে। তারা খাদ্যশস্য উৎপাদন, খামার তৈরি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও কলকারখানা তৈরিতে গাছপালা কেটে বনভ‚মি ধ্বংস করছে। প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও আসবাবপত্র তৈরির জন্য অনবরত গাছ কাটছে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতেও মানুষ পরিবেশের পরিবর্তন করছে।

২) একটি ইট সবুজ ঘাসের উপর কয়েক দিন রেখে দিলে চাপা পড়া ঘাসের কী ঘটবে? কেন ঘটবে?
উত্তর : একটি ইট সবুজ ঘাসের উপর কয়েক দিন রেখে দিলে চাপা পড়া ঘাসের সবুজ বর্ণ পরিবর্তিত হয়ে সাদা বা ফ্যাকাসে হয়ে যাবে। এর মূল কারণ সূর্যের আলোর অনুপস্থিতি।
সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মাটিস্থ পানি ও বায়ুস্থ কার্বন ডাইঅক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। সূর্যালোকের উপস্থিতিতেই উদ্ভিদ সবুজ থাকে এবং খাদ্য তৈরি করে। সূর্যালোক না থাকলে সবুজ রঙের জন্য দায়ী বর্ণ কণিকা পরিবর্তিত হয়ে বর্ণহীন হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করতে পারে না। এই জন্যই সবুজ ঘাসের উপর একটি ইট কয়েক দিন রেখে দিলে চাপা পড়া ঘাস বর্ণহীন বা ফ্যাকাসে হয়ে যায়।

৩) পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে জীব কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর : পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় বলে জীব ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে রয়েছে বায়ুর তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি। মানুষের অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের কারণে পরিবেশে বিপর্যয় দেখা দেয়। ফলে আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়। পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, খরা, ঝড়, ভ‚মিধ্বস দেখা দেয় এবং জীবের জীবন ও বাসস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৪) আবাসস্থল ও আশ্রয়স্থলের মাঝে পার্থক্য কী?
উত্তর : জীবের বেঁচে থাকার জন্য আবাসস্থল ও আশ্রয়স্থল প্রয়োজন। এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
ক. উদ্ভিদ যে জায়গায় জন্মে এবং প্রাণী যে জায়গায় বাস করে তা-ই তার আবাসস্থল। যেমন- জলজ পরিবেশে অনেক উদ্ভিদ জন্মে এবং মাছ, কাঁকড়া ইত্যাদি প্রাণী বাস করে। তাই জলাশয় হলো এদের আবাসস্থল। অন্যদিকে আশ্রয়স্থল হলো প্রাণীর জন্য একটি নিরাপদ স্থান, যা তাকে আক্রমণকারী প্রাণী বা বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে। যেমন- পাখি আশ্রয়ের জন্য গাছে বাসা তৈরি করে। তাই গাছ হলো পাখির আশ্রয়স্থল।
খ. আবাসস্থল উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের জন্যই প্রয়োজন। অন্যদিকে আশ্রয়স্থল কেবল প্রাণীর জন্য প্রয়োজন।

৫. খাদ্যের মাধ্যমে শক্তি কীভাবে সূর্য থেকে মানুষে আসে তা নিচে লেখা শব্দগুলো ব্যবহার করে বর্ণনা কর। তীর চিহ্ন ব্যবহার করে শক্তির প্রবাহ দেখাও।

উত্তর : খাদ্যের মাধ্যমে শক্তি সূর্য থেকে উদ্ভিদ এবং উদ্ভিদ থেকে মানুষ আসে। এই বিষয়টিকে নিচে শক্তি প্রবাহের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়-
সূর্য উদ্ভিদ প্রাণী

মানুষ
পৃথিবীর সকল শক্তির উৎস সূর্য এবং বেঁচে থাকা ও বৃদ্ধির জন্য সকল জীবের শক্তি প্রয়োজন। জীব জগতের মধ্যে একমাত্র সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক, পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে। এক্ষেত্রে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তি হিসেবে খাদ্যে সঞ্চিত থাকে। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। তাই খাদ্যের জন্য মানুষ উদ্ভিদের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। মানুষ অন্য প্রাণীকেও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে মানুষ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণিদেহে সঞ্চিত শক্তিকেই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, যা আসে মূলত সৌরশক্তি থেকে। এভাবেই পরিবেশে খাদ্যের মাধ্যমে সূর্য থেকে উদ্ভিদে এবং উদ্ভিদ থেকে মানুষে শক্তি প্রবাহিত হয়।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১ অতিরিক্ত প্রশ্ন ও উত্তর

⇒ শূন্যস্থান পূরণ কর।
১) উদ্ভিদ খাদ্য তৈরিতে বায়ু থেকে —- গ্রহণ করে এবং —- ত্যাগ করে।
২) প্রাণী বায়ু থেকে —- গ্রহণ করে এবং —- ত্যাগ করে।
৩) আশ্রয়স্থল হলো —- জন্য একটি নিরাপদ স্থান।
৪) সূর্যের আলো ও —- ছাড়া উদ্ভিদ বাঁচতে পারে না।
৫) উদ্ভিদের বেঁচে থাকা ও বৃদ্ধির জন্য —- প্রয়োজন।
৬) মানুষ বিভিন্ন ধরনের —- ও —- খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
৭) সূর্য থেকে —- এবং উদ্ভিদ থেকে —- শক্তি প্রবাহিত হয়।
৮) —- এবং মানুষের —- কারণে পরিবেশের পরিবর্তন হয়।
৯) পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে —- এবং —- পরিবর্তন ঘটে।
১০) —- নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না।
উত্তর :
১) কার্বন ডাইঅক্সাইড, অক্সিজেন; ২) অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড; ৩) প্রাণীর; ৪) পানি; ৫) শক্তি; ৬) উদ্ভিদ, প্রাণী; ৭) উদ্ভিদে, প্রাণীতে; ৮) প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কর্মকাণ্ডের; ৯) বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রার; ১০) প্রাণী।

⇒ বাম পাশের অংশের সাথে ডান পাশের অংশ মিল কর।
পুষ্টি উপাদান ও শক্তি শক্তির প্রবাহ
জীবের প্রয়োজন কার্বন ডাইঅক্সাইড
প্রাণীর বেঁচে থাকা আবাসস্থল
উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি অক্সিজেন
খাদ্যের মাধ্যমে খাদ্য

উত্তর : পুষ্টি উপাদান ও শক্তি —- খাদ্য।
জীবের প্রয়োজন —- আবাসস্থল।
প্রাণীর বেঁচে থাকা —- অক্সিজেন।
উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি —- কার্বন ডাইঅক্সাইড।
খাদ্যের মাধ্যমে —- শক্তির প্রবাহ।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. কে নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে?
উত্তর : উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।
২. আবাসস্থল কী?
উত্তর : উদ্ভিদ যে জায়গায় জন্মে এবং প্রাণী যে বিশেষ জায়গায় বাস করে তাই তার আবাসস্থল।
৩. আশ্রয়স্থল কী?
উত্তর : আশ্রয়স্থল হলো প্রাণীর জন্য একটি নিরাপদ স্থান যা তাকে আক্রমণকারী প্রাণী বা বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে।
৪. মানুষ খাদ্যের জন্য কাদের উপর নির্ভরশীল?
উত্তর : মানুষ খাদ্যের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
৫. সূর্য থেকে শক্তি কীভাবে প্রবাহিত হয়?
উত্তর : পরিবেশে খাদ্যের মাধ্যমে সূর্য থেকে উদ্ভিদে এবং উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহিত হয়।
৬. পরিবেশ পরিবর্তনের কারণ কী?
উত্তর : পরিবেশ পরিবর্তনের কারণ হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানুষের নানা কর্মকাণ্ড।
৭. জীব খাদ্য গ্রহণ করে কেন?
উত্তর : বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও শক্তি পেতে জীব খাদ্য গ্রহণ করে।
৮. বায়ুর কোন উপাদান উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : বায়ুর কার্বন ডাইঅক্সাইড উদ্ভিদের খাদ্য তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৯. বায়ুর কোন উপাদান প্রাণীর জন্য অপরিহার্য?
উত্তর : বায়ুর অক্সিজেন প্রাণীর জন্য অপরিহার্য।
১০. উদ্ভিদ কোন উপাদান ছাড়া বাঁচতে পারে না?
উত্তর : উদ্ভিদ সূর্যের আলো, বায়ু ও পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না।
১১. কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের উদাহরণ দাও।
উত্তর : কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলো – বন্যা, খরা, ঝড়, জলোচ্ছ¡াস, ভ‚মিকম্প, ভ‚মিধ্বস ইত্যাদি।
১২. পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর : পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে।
১৩. কী কারণে মানুষের জীবন ও বাসস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
উত্তর : প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষের জীবন ও বাসস্থান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৪. বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তনে কোন কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে পারে?
উত্তর : বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তনে বন্যা, খরা, ঝড় ও ভ‚মিধ্বসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে পারে।
১৫. কয়েকটি উদ্ভিজ্জ খাদ্যের উদাহরণ দাও।
উত্তর : কয়েকটি উদ্ভিজ্জ খাদ্য হলো- ভাত, রুটি, ডাল, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি।
১৬. কয়েকটি প্রাণিজ খাদ্যের নাম লেখ।
উত্তর : কয়েকটি প্রাণিজ খাদ্য হলো – মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি।

চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় ১ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 সাধারণ
১. উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য বায়ু গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : বায়ুতে থাকা কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেন উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য অপরিহার্য বলে এদের বেঁচে থাকার জন্য বায়ু গুরুত্বপূর্ণ।
জীবের জন্য বায়ু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুর বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেন। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির সময় বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। প্রাণী বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে। তাই এদের বেঁচে থাকার জন্য বায়ু গুরুত্বপূর্ণ।
২. জীবের জন্য পানি অপরিহার্য কেন?
উত্তর : পানি ছাড়া কোনো জীবই বাঁচতে পারে না বলে জীবের জন্য পানি অপরিহার্য।
পানির অপর নাম জীবন। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরিতে মাটিস্থ পানি ব্যবহার করে। অন্যদিকে প্রাণী তার খাদ্য পরিপাকের জন্য পানি পান করে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের বড় একটি অংশ জুড়ে আছে পানি। আবার অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী পানিতেই বাস করে। তাই বলা যায়, জীবের জন্য পানি অপরিহার্য।
৩. খাদ্যের মাধ্যমে শক্তির প্রবাহ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : পরিবেশে শক্তি খাদ্যের মাধ্যমে সূর্য থেকে উদ্ভিদ এবং উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে প্রবাহিত হয়। এটাই খাদ্যের মাধ্যমে শক্তির প্রবাহ।
পৃথিবীর সকল শক্তির উৎস সূর্য এবং বেঁচে থাকা ও বৃদ্ধির জন্য সকল জীবের শক্তি প্রয়োজন। জীব জগতের মধ্যে একমাত্র সবুজ উদ্ভিদ সূর্যালোক, পানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে। এক্ষেত্রে সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তি হিসেবে খাদ্যে সঞ্চিত থাকে। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। তাই খাদ্যের জন্য মানুষ উদ্ভিদের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। মানুষ অন্য প্রাণীকেও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে মানুষ উদ্ভিদ ও অন্যান্য প্রাণিদেহে সঞ্চিত শক্তিকেই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, যা মূলত সৌরশক্তি থেকে আসে। এভাবেই পরিবেশে খাদ্যের মাধ্যমে সূর্য থেকে উদ্ভিদে এবং উদ্ভিদ থেকে মানুষে শক্তি প্রবাহিত হয়।
 যোগ্যতাভিত্তিক
৪. খাদ্যের জন্য তুমি কার কার উপর নির্ভরশীল? কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমি নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারি না বলে খাদ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
বেঁচে থাকার জন্য মানুষের খাদ্য প্রয়োজন। একমাত্র উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে। প্রাণী খাদ্যের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। আমার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে ভাত, রুটি, শাকসবজি, ডাল ইত্যাদি, যা সরাসরি উদ্ভিদ থেকে আসে। তাছাড়া প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে প্রয়োজন মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি, যা প্রাণিজ উৎস থেকে আসে। এই প্রাণীরা আবার উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে থকে। অর্থাৎ প্রাণিজ খাদ্যের জন্যও আমাকে উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতে হয়। তাই বলা যায়, খাদ্যের জন্য আমি যেমন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।
৫. পরিবেশ কী? পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয় কেন? তোমার চারদিকে কীভাবে পরিবেশ পরিবর্তিত হচ্ছে?
উত্তর : আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, সব নিয়েই আমাদের পরিবেশ।
পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা হয়। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এ কারণেও বন্যা হয়। আবার অধিক তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে খরা দেখা দেয়। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিবর্তনে ঝড়, জলোচ্ছ¡াস, ভ‚মিধ্বস ইত্যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগও দেখা দেয়।
আমার চারপাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে পরিবেশ পরিবর্তিত হচ্ছে। যেমন-
১) প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, খরা, ঝড়, ভ‚মিকম্প ইত্যাদি কারণে পরিবেশের পরিবর্তন ঘটছে।
২) মানুষ তার প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও গৃহনির্মাণ সামগ্রীর জন্য অনবরত গাছ কেটে চলেছে।
৩) শস্য উৎপাদন, খামার তৈরি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও কলকারখানা তৈরিতে বনভ‚মি ধ্বংস করা হচ্ছে।
৪) বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতেও মানুষ পরিবেশের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

 


 

🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞান সকল অধ্যায়

🔶🔶 চতুর্থ শ্রেণির সকল বিষয়

Share to help others:

This Post Has 2 Comments

  1. Bipul Roy

    খুব ভালো।

  2. Bipul Roy

    Excellent.

Leave a Reply