বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা কপি

You are currently viewing বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা কপি

সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কোনো বাসা মালিককে তার বাড়ি ভাড়া দেওয়ার জন্য “বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র” তৈরি করতে হবে। অনেকেই জানেন না এই বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র কেমন করে লিখতে হয়। তাদের জন্য আমাদের আজকের এই বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা কপি।

বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র

কে. জি আজম, পিতা- কাজী আঃ করিম, সাং- ৩২/২, উত্তর মাদারটেক পোঃ- বাসাবো, থানা- সবুজবাগ, জিলা- ঢাকা- ১২১৪।

১ম পক্ষ মালিক।

………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………….

২য় পক্ষ ভাড়াটিয়া।

নিম্ন লিখিত শর্তে ৩২/২, মাদারটেক, ঢাকা- ১২১৪ হোল্ডিং এ নির্মিত বাড়ীর ১ম পক্ষ এবং এবং দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক এই চুক্তিপত্র সম্পাদিত হইল। 

প্রদেয় অগ্রীম টাকা ঃ………………………………………….কথায়ঃ……………………………………………………………….।

মাসিক ভাড়া …………………………………………………….. টাকায় পানি, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল ব্যতিরেকে ভাড়া দেওয়া হইল।

-ঃ শর্তসমূহঃ-

১। বাড়ী ভাড়ার মেয়াদ এক বৎসর যাহার তারিখ…………………………………. ইং হইতে ……………………… ইং পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে। মেয়াদান্তে উভয় পক্ষ ইচ্ছা করিলে পুনরায় ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক এই চুক্তির মেয়াদ বাড়াইতে পারিবেন অন্যথা দ্বিতীয় পক্ষ বাড়ী ছাড়িয়া দিবেন।
২। ভাড়াকৃত বাড়ী শুধু পারিবারিক বাসস্থান হিসাবে ব্যাবহার করা যাইবে। ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে কোন সাবলেট দিতে পারিবেন না। পাড়া-পড়শী অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের বিরক্তিকর কোন কাজ কর্ম বা অসদাচরণ করা যাইবে না। এছাড়া মাদক দ্রব্য সেবন, জুয়াখেলা ও কোন সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে করিতে পারিবেন না। এমন কোন কাজ করিবেন না যাতে বাসার নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। বারান্দার জানালা দিয়ে ময়লা, আবর্জনা, কফ এবং যে কোন কিছু নিচে ফেলা যাবে না।
৩। ভাড়াকৃত বাড়ী দ্বিতীয় পক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবেন এবং সকল প্রকার ফিটিংস যতœ সহকারে ব্যবহার করিবেন এবং ইহার মেরামতের প্রয়োজন হইলে দ্বিতীয় পক্ষ নিজ খরচে করিবেন।
৪। প্রতি মাসের ৫ (পাঁচ) তারিখের মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ সেই মাসের বাড়ী ভাড়া প্রথম পক্ষের নিকট পৌছাইয়া দিবেন এবং রশিদ গ্রহন করিবেন। রশিদের নিচের লাইনে কোনো নোটিশ আছে কিনা দেখে নিবেন। বাসা সংক্রান্ত কোন অনুরোধ কোন বিষয় নোটিশ দেওয়া থাকিলে তা গুরুত্ব সহকারে পড়বেন এবং মেনে চলবেন।
৫। মালিক অথবা তাহার প্রতিনিধি কর্তৃক ভাড়াকৃত বাড়ীর কোন অংশ পরিদর্শনের দরকার হলে দ্বিতীয় পক্ষ পরিদর্শনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করিবেন। 
৬। কোন সময়ে যে কোন কারণে ২য় পক্ষের ভাড়াকৃত বাড়ী ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হইলে বা ১ম পক্ষের নিজস্ব প্রয়োজনে ৩০ দিন পূর্বে লিখিতভাবে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে নোটিশ প্রদান করিবেন। কোন পক্ষের কোন ওজর আপত্তি চলিবে না। এবং নোটিশ কালীন সময়ে নতুন ভাড়াটিয়াকে বাড়ী প্রদর্শনের দ্বিতীয় পক্ষ সকল প্রকার সহযোগিতা করবেন।
৭। দ্বিতীয় পক্ষ শুধু মাত্র ডাবল গ্যাস বার্নার ব্যাবহার করিতে পারিবেন।
৮। প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখের (বিলের) ৫ দিন পূর্বে দ্বিতীয় পক্ষ পরিশোধ করিতে বাধ্য থকিবেন। সব ফ্লাটে বিদ্যুৎ মিটার আলাদা, বিল ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় এবং বিলের ফটোকপিও দ্বিতীয় পক্ষকে দেওয়া হয়। সুতরাং অহেতুক বিল নিয়ে নিশ্চিত না হয়ে কোন রকম মন্তব্য না করাই ভাল। প্রয়োজনে ২/১ মাস আমাদের সাথে একযুগে কাজ করে যাচাই বাছাই করে নিতে পারেন।

চলমান পাতা-২

(পাতা-২)

৯। (ক) নরমালী রাত ১১ টার পর শীত কালীন ১০-৩০ মিনিটের পর মেইন গেইট ভিতর থেকে হেজবোল্ড  এবং ক্লাবসিবল গেইট বড় তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। কারন দেখাগেছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্ম ঘটেছে। তালা খোলা থাকলে চুরি ডাকাতির ঝুকি বেশী থাকে, কিছুটা চিন্তা মুক্ত ভাবে ফ্লাটের সবাই সাউন্ড ¯িøপ ঘুমাতে পারেন। অনেক সময় অধিক রাতে গেইট বন্ধ করে দিলে কেউ যদি খোলে তার আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলে টেনশনে হয়তো উঠে যেয়ে দেখতে হয়। এই যে টেনশন হয়তো ঐ রাতে ঘুমটা বলতে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। পরের দিনটা কিভাবে যেতে পারে বলুন? আবার সকালে নামায পরে একটু ঘুমালে গেইট পিটা পিটি শুরু হয়। মেহেমান, আপনার কাজের বুয়া আপনার/আপনি নাক টেনে ঘুমাবেন। আর আমরা ঘুম ভেঙ্গে চার তলা থেকে নেমে খুলবো এটাতো হয়না। তাই রাত ১১ টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত গেইট বন্ধ। অবাধে চলাফেরা নিষেধ। তাই বিশেষ বিশেষ ইমারজেন্সী মানবিক কারনে কেউ যদি বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন তবে ১১ টার পূর্বে আমাদের থেকে চাবি নিয়ে অথবা আপনাদের কাছে থাকলে আমাদের নলেজে দিয়ে ব্যাবহার করুন এবং আপনাদের কাছে চাবি থাকলেও অহরহ আসা যাওয়া, রাতে বারবার ব্যাবহার করা চলবেনা। আমাদের নলেজে দিতে হবে নইলে বাসা ছেড়ে দিতে হবে অথবা চাবি নিয়ে নেয়া হবে। আমার ছোট্ট ভাঙ্গাচুরা বাসা যাই থাক আপনাকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। মানুষের জন্যই নিয়ম এবং মুসলমানের ভাতরুমে ঢুকলেও নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। বাহির হওয়ারও একটা নিয়ম আছে। আপনি না শুধু আপনার মেহমানদেরও সাবধান করবেন। চিল্লা ফাল্লা গেইট খূলে রাখা এই গুলো চলবেনা। আমি ভাল লোক কিনা যানি না। ভাল লোক ভাড়া দিতে চেষ্টা করি এবং তাদের সম্মান করার চেষ্টা ও স্বার্থ রক্ষা আমার দ্বায়িত্ব। 
(খ) যদি কোন ভাড়াটিয়াকে দুইয়ের অধিক অরিজিনাল চাবি দেওয়া হয় তাহলে আপনি অনুগ্রহ করে ডুবলিকেট চাবি বানাবেন না। এতে গেইটের তালা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তিতে তালা খোলার সমস্যা হয়।
১০। সরকারী, প্রাকৃতি কারণে পানি, বিদ্যুত এবং গ্যাস সমস্যা দেখা দিলে তার জন্য প্রথম পক্ষকে কোন রকম দোষারোপ করা যাবে না, তাছাড়া অতিরিক্ত পানি খরচ করবেন ন্ াইহাতে অন্য কোন ফ্ল্যাটের পানির অভাব হতে পারে।
১১। দ্বিতীয় পক্ষ বাড়ী ছাড়িয়া যাওয়ার সময় বাড়ী এবং ইহার যাবতীয় জিনিসপত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং অক্ষত অবস্থায় প্রথম পক্ষের নিকট বুঝাইয়া দিবেন। 
১২। দিনে মেইন গেইট সব সময় বন্ধ রাখবেন। কারণ যে কোন সময় আপত্তিকর ঘটনা ঘটতে পারে। দরজাটি বন্ধ থাকলে অন্তত একটা বাজে লোক সরাসরি ঢুকতে একটু চিন্তা-ভাবনা করবে। তাছাড়া আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন কুকুর-বিড়াল ঢুকে ভিতরের পরিবেশ নষ্ট করে। সুতরাং গেইটটি খোলা থাকলেই বন্ধ করে রাখবেন এবং নিয়মিত যাতায়াতকারী মেহমানদেরকেও এই বিষয়টি জানিয়ে দেয়া আপনারই দায়িত্ব।
১৩। সরকারী যাবতীয় ট্যাক্স বা বিল, যেমন- বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল ইত্যাদি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইলে দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়াকে সেই অনুপাতে বর্ধিত ভাড়া প্রদান করিতে হইবে।
১৪। আমাদের বাসায় যাহারা আছেন তাদের মাসিক মাসিক কম পক্ষে ২০,০০০/- টাকার উপর অন্তত খরচ হয়। মনে রাখতে হবে আমাদের বাসা ভাড়া বিল বাদেও আপনাদের প্রতি মাসে অন্তত ২০০/১০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। যেমন ঝাড়ুদাড়, ময়লা ফেলা, ছোট খাটো ফিটিংস ভাংতে পারে, লাইন জাম হতে পারে, সিড়ির কোটার হয়তো লাইটের লাইনটা আপনার সাথে থাকতে পারে, ২/১টি বাল্ব কিনতে হতে পারে আপনার থেকে। সুতরাং এই সমস্ত ব্যাপারে কেহ কারপন্যতা এবং মুখ কালো না করাই ভালো। এখন থেকে এই সব খরচ হলে হাসি মুখে দেওয়ার মানষীকতা থাকতে হবে। কারণ আমাদের অনেক বাড়তি আনুসাঙ্গীক খরচ হয় যেমন ঈরঃু ঞধী,  ওঞ ঞধী উকিলের চার্জ, লোনের ইন্টাররেসট বর্তমানে ১৩% থেকে ১৬% বসিয়েছে। বর্তমানে ১টি লেবার ৪০০ টাকা। বৎসরে বাড়ীর আনুসাঙ্গীক মেইনটেনেন্স বিভিন্ন বিলের অনুসাঙ্গীক, বখশিশ খরচ আছে। তারপরও তুলনা মূলকভাবে আমাদের এই এলাকায় ভাড়া কম। এই গুলো বলার উদ্দেশ্য এসব নিয়ে উভয় উভয়ের মধ্যে চিন্তা করলে উভয়ের মধ্যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে।
১৫। মূলত স্থায়ীভাবে যাহারা থাকার জন্য বাসা ভাড়া নিয়েছেন তাদের নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিবেন।

নামঃ-, ঠিকানা, ফোন নাম্বার,  

চলমান পাতা-৩

(পাতা-৩)

১৬। অস্থায়ী হলেও যারা সচরাচর যাহারা অবস্থান করবেন প্রয়োজনে তাদের নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার দিতে হবে।

নামঃ-, ঠিকানা, ফোন নাম্বার, 

 

 

১৭। প্রয়োজনে মালিক পক্ষ / পুরাতন ভাড়াটিয়াদের জন্য নবায়নের পূর্বে অভিযোগ থাকলে তাহার বর্ননা

 

 

উপরোক্ত শর্তসমূহ অথবা ইহার কোন অংশ ২য় পক্ষ ভাড়টিয়া ভঙ্গ করলে এই চুক্তিপত্র বাতিল বলিয়া গণ্য হবে এবং ২য় পক্ষ ভাড়াটিয়া বাড়ী ছাড়িয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন। এতদ্বার্থে আমরা উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায় এবং সু-স্বাস্থ্য শরীরে এই চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করিলাম। এই চুক্তিপত্র ২ (দুই) পাতায় সম্পাদিত।

নবায়ন সংক্রান্ত বিবরণ 

মেয়াদকালঃ

বর্তমান ভাড়ার পরিমানঃ-  টাকাঃ……………………………. কথায়ঃ………………………………………………

মেয়াদকালঃ

 

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ                                              প্রথম পক্ষ
১।
 

২।
                                                                           দ্বিতীয় পক্ষ

৩।
 

 

—————————x—————————–

উপরের বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা কপি pdf বা word file এ পেতে নিচে কমেন্ট করুন।

আরো পড়ুনঃ

Share to help others:

This Post Has 3 Comments

  1. Mr. Rana

    It’s really nice thank you so much

  2. Rahat

    I need a word file copy of this house rent agreement

  3. Salman

    I need a copy

Leave a Reply