নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হলো।

এসএসসি রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্ন

রসায়ন অষ্টম অধ্যায় উত্তর সহ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রশ্ন -1 : নিচের বিক্রিয়াসমূহ দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
i. পেট্রোলিয়াম + O2 → CO2 + H2O + শক্তি
ii. 238U + On1 → 56Ba + 36Kr + 3On1 + শক্তি
iii. Zn + CuCl2 → ZnCl2 + Cu + শক্তি
ক. ইলেকট্রোপ্লেটিং কী?
খ. তড়িৎরাসায়নিক কোষে লবণসেতু ব্যবহার করা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শক্তি উৎপাদনে (র) ও (ররর) এর বিক্রিয়া তুলনা কর।
⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. তড়িৎবিশ্লেষণের সাহায্যে কোনো সক্রিয় ধাতুর তৈরি জিনিসপত্রের উপর অন্য একটি কম সক্রিয় ধাতুর প্রলেপ সৃষ্টি করাকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে।
খ. তড়িৎ রাসায়নিক কোষে প্রধানত দুটি কারণে লবণ সেতু ব্যবহার করা হয়।
i. অর্ধকোষদ্বয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করার জন্য।
ii. দুই পাত্রের মধ্যে আয়নের সমতা বজায় রাখার জন্য।
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় বিক্রিয়ায় নতুন মৌল সৃষ্টি হয় বলে এটি নিউক্লিয়ার শিকল বিক্রিয়া, রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়।
রর নং বিক্রিয়ায় ইউরেনিয়াম-238 কে উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে ফিসন বিক্রিয়ার ফলে 56Ba ও 36Kr তৈরি হয় ও তিনটি উচ্চশক্তিসম্পন্ন নিউট্রন নির্গত হয়। উৎপন্ন নিউট্রন তিনটি নতুন করে ইউরেনিয়াম-238 বা 56Ba ও 36Kr কে আঘাত করে অনুরূপভাবে নতুন পরমাণু ও নিউট্রন তৈরি করে। এভাবে শিকলের ন্যায় নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া চলতে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙে ছোট পরমাণু হওয়ার মতো পরমাণু অবশিষ্ট থাকে। একে নিউক্লিয়ার শিকল বিক্রিয়া বলে।
রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো নতুন পরমাণু গঠিত হয় না। পরমাণুগুলো সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ইলেকট্রনের পরিবর্তনের মাধ্যম সংযুক্ত হয়ে যৌগ গঠন করে। রর নং বিক্রিয়ায় দেখা যায় এতে ইলেকট্রনের বিষয়টি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এখানে বিক্রিয়ার ফলে নতুন মৌলের সৃষ্টি হয়। সুতরাং, দ্বিতীয় বিক্রিয়াটি নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া। এটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়।
ঘ. উদ্দীপকের র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পুড়িয়ে ও ররর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎরাসায়নিক কোষের সাহায্যে শক্তি উৎপাদন করা হয়।
র নং ও ররর নং উভয় তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পোড়ালে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস, পানি ও তাপ উৎপন্ন হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎ রাসায়নিক কোষের মাধ্যমে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। এতে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন হয়।
র নং ও ররর নং উভয় বিক্রিয়াতে রাসায়নিক শক্তিকে তাপশক্তিতে পরিণত করা হয়। র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম দহনের ফলে উৎপন্ন পদার্থের অভ্যন্তরীণ শক্তি জ্বালানির অণুর মধ্যে স্থিত রাসায়নিক শক্তির তুলনায় কম। ফলে অতিরিক্ত শক্তি তড়িৎ-চুম্বকীয় রশ্মি হিসেবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রর নং বিক্রিয়ায় তড়িৎ রাসায়নিক কোষে ইলেকট্রন আদান প্রদানের দ্বারা তাপশক্তি উৎপাদন করা হয়।
র নং বিক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম পোড়ানোর ফলে উদ্ভূত তাপশক্তিকে ব্যবহার করে তাপ ইঞ্জিনের টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় সরাসরি রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে নিম্নোক্ত জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া সংঘটিত হয় :
অ্যানোড বিক্রিয়া : Zn(ঝ) → Zn2+(aq) + 2e¯
ক্যাথোড বিক্রিয়া : Cu2+(aq) + 2e¯→ Cu(s) Zn(s) + Cu2+(aq) → Zn2+(aq)+Cu(s)
র নং বিক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের সাথে সাথে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়। ররর নং বিক্রিয়ায় শুধু বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন হয়। সুতরাং, শক্তি উৎপাদনে র নং ও ররর নং উভয় ভ‚মিকা রাখলেও দুটি বিক্রিয়ায় তুলনামূলক কিছু পার্থক্য রয়েছে।

প্রশ্ন -2 : নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি বহুনির্বাচনী MCQ

ক. ধাতব পরিবাহী কী?
খ. এসিড মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উপরের কোষে অ্যানোডে সংঘটিত বিক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে সংঘটিত বিক্রিয়ায় তড়িৎপ্রবাহের প্রয়োজনীয়তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাও।
⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. যে সকল পরিবাহী ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে তাদেরকে ধাতব বা ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে।
খ. এসিড মিশ্রিত পানি হাইড্রোজেন আয়ন পরিবহনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে বলে একে তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে।
বিদ্যুৎ প্রবাহ যদি পরিবাহীর আয়ন দ্বারা সাধিত হয় তাহলে ওইসব পরিবাহীকে তড়িৎবিশ্লেষ্য পরিবাহী বলে। যেমন : গলিত লবণ, এসিড, ক্ষার ও লবণের দ্রবণে ধাতব প্লাটিনাম (Pt) পাতের অ্যানোড ও ক্যাথোড ব্যবহার করে এসিড মিশ্রিত পানির মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে তা বিশ্লেষিত হয়ে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
গ. বিগলিত MgCl2 আয়নিত অবস্থায় থাকে এবং তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। বিগলিত MgCl2, Mg2+ ও Cl¯ আয়ন উৎপন্ন করে যা নিম্নরূপে দেখানো যায়-
MgCl2(aq) → Mg2+(aq) + 2Cl¯(aq)
অ্যানোড ও ক্যাথোডের সাথে ব্যাটারির দুই প্রান্ত সংযুক্ত করা হলে অ্যানোডে জারণ সংঘটিত হয় এবং ক্লোরাইড আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্লোরিন পরমাণুতে পরিণত হয়। এরূপ দুটি ক্লোরিন পরমাণু একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে।
অ্যানোড বিক্রিয়া : 2Cl-(aq) – 2e- →2Cl (জারণ)
2Cl→Cl2(g)
অ্যানোডে দান করা ইলেকট্রনগুলো ক্যাথোডে যায় এবং ম্যাগনেসিয়াম আয়নকে বিজারিত করে ম্যাগনেসিয়াম ধাতু উৎপন্ন করে।
ক্যাথোড বিক্রিয়া : Mg2+ + 2e- → Mg (বিজারণ)
ঘ. উপরের কোষটি একটি তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষ। এই কোষে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে নিম্নোক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
অ্যানোড বিক্রিয়া : 2Cl–2e- → Cl2
ক্যাথোড বিক্রিয়া : Mg2+ + 2e- → Mg
বিগলিত MgCl2 থেকে ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ধাতু নিষ্কাশন করতে তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষের প্রয়োজন হয়। আর তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষের অন্যতম শর্ত হলো তড়িৎ প্রবাহ। কারণ তড়িৎ প্রবাহের ফলে ক্যাথোড ঋণাত্মক (-াব) চার্জে ও অ্যানোড ধনাত্মক (+াব) চার্জে চার্জিত হয়। ফলে বিগলিত MgCl2 থেকে আয়ন Mg2+ ক্যাথোডে ইলেকট্রন গ্রহণ করে জমা হয় অপরদিকে অ্যানোডে ক্লোরাইড (Cl-) আয়ন ক্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন করে। যদি বিদ্যুৎ প্রবাহ না দেয়া হতো তাহলে কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হতো না। অর্থাৎ বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাক্সিক্ষত Mg ও Cl2 পাওয়ার জন্যই বিদ্যুৎ প্রবাহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

প্রশ্ন-3 :

লবণ সেতু

ক. COD কী? 1
খ. ক্ষার মিশ্রিত পানিকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয় কেন? 2
গ. উক্ত কোষ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো যায়- ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. চিত্রে NH4+ ও NO3-এর গতির দিক বিপরীত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর। 4
⇔ 3নং প্রশ্নের সমাধান ⇔
ক COD বলতে রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদাকে বোঝায় যেটি পানিতে মোট কতটুকু রাসায়নিক দ্রব্য আছে তা বুঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
খ. ক্ষার মিশ্রিত পানিতে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে তা বিভিন্ন আয়নে বিশ্লিষ্ট হয় বলে একে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয়।
ক্ষারের জলীয় দ্রবণে হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH-) উপস্থিত থাকে। কঠিন অবস্থায় ক্ষারের আয়ন মুক্ত অবস্থায় থাকে না। এদের দ্রবীভ‚ত করার সাথে সাথেই সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়ে মুক্ত হাইড্রক্সাইড আয়ন (OH-) উৎপন্ন করে। অর্থাৎ তড়িৎ চালনা করলে ক্ষার মিশ্রিত পানি নিম্নরূপে বিশ্লেষিত হয়।
KOH(s) + H2O → ক+ + OH-
NaOH(s) + H2O → Na+ + OH-
অতএব, হাইড্রক্সাইড আয়নের জন্যই ক্ষারমিশ্রিত পানি বিদ্যুৎ পরিবহন করে। তাই একে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয়।
গ. উদ্দীপকের চিত্রের শেষে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত হয়। এ ধরনের কোষে তড়িৎদ্বার বিক্রিয়া স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ঘটে। শেষে উৎপন্ন বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক বাল্ব জানানো যায়।
চিত্রটিতে ক্যাথোড হিসেবে Pb দণ্ড PbSO4-এর জলীয় দ্রবণে ডুবানো থাকে। অন্য পাত্রে অ্যানোড হিসেবে Fe দণ্ড FeSO4-এর জলীয় দ্রবণে ডুবানো থাকে। পাত্রদ্বয়ের দ্রবণের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য নিষ্ক্রিয় তড়িৎবিশ্লেষ্য (NH4NO3) দ্রবণপূর্ণ উল্টো ট-আকৃতির টিউব দ্রবণদ্বয়ের মধ্যে ডুবানো হয়। Fe অ্যানোড নিজে ইলেকট্রন ছেড়ে বিযোজিত হয়ে দ্রবণে Fe2+ আয়ন হিসেবে দ্রবীভ‚ত হয়। অপরদিকে, দ্রবণ থেকে Pb2+(aq) আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে ধাতব লেড (Pb) হিসেবে ক্যাথোডে জমা হয়। প্রকৃতপক্ষে, অ্যানোডে উৎপন্ন ইলেকট্রন তারের মাধ্যমে ক্যাথোডে পৌঁছে ইলেকট্রনের সমতা রক্ষা করে। তারের মাধ্যমে তড়িৎদ্বার দুটিকে সংযুক্ত করলেই অ্যানোড থেকে ক্যাথোডের দিকে ইলেকট্রন প্রবাহ তথা বিদ্যুৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়। এভাবে, উদ্দীপকের কোষ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো সম্ভব।
ঘ. তড়িৎবিশ্লেষ্য (NH4NO3)-এর আয়নদ্বয় বিপরীতধর্মী হওয়ায় এরা পরস্পর বিপরীত দিকে Mgন করে। আমরা জানি যে, কোনো একটি বিশেষ আয়ন (ধনাত্মক বা ঋণাত্মক) একা থাকতে পারে না। এজন্য, উদ্দীপকের চিত্রে NH4+ এবং NO3-এর গতির দিক বিপরীত।
কোনো ধনাত্মক আয়ন একটি ঋণাত্মক আয়নের উপস্থিতি ছাড়া তৈরি হয় না। উদ্দীপকের চিত্রে অ্যানোড পাত্রে উৎপন্ন Fe2+(aq) আয়নের সমতুল্য পরমাণ ঋণাত্মক আয়নের (NH4+) প্রয়োজন হয়। এজন্য, অ্যামোনিয়াম (NH4+) আয়নটি অ্যানোডের দিকে ধাবিত হয়।
অপরদিকে, ক্যাথোড পাত্রের দ্রবণ থেকে Pb2+(aq) আয়ন Pb হিসেবে জমা হওয়ার ফলে সমতুল্য পরিমাণ ঋণাত্মক আয়ন (SO42-) সালফেট মুক্ত হবে। ফলে, একদিকে অ্যানোড পাত্রে ধনাত্মক আয়ন Fe2+(aq), অপরদিকে ক্যাথোড পাত্রে ঋণাত্মক আয়নের (সালফেট) আধিক্য ঘটবে। প্রকৃতপক্ষে, দুই পাত্রের মধ্যে আয়নের সমতা বজায় না থাকলে বিক্রিয়া ঘটবে না। ক্যাথোড ও অ্যানোডের পাত্রে উল্লেখিত আয়নদ্বয়ের সমতা রক্ষার জন্য চিত্রে NH4+ এবং NO3- আয়নদ্বয় পরস্পর বিপরীত দিকে Mgন করে।

প্রশ্ন -4 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

BOD

ক. আকরিক কাকে বলে? 1
খ. ‘BOD’ বলতে কী বোঝায়? 2
গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়ায় কীভাবে লোহার উপরে ক্রোমিয়ামের প্রলেপ দেয়া হয়? ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়ার সাথে গ্যালভানিক কোষের তুলনা কর। 4
⇔ 4নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. যে সকল খনিজ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদেরকে আকরিক বলে।
খ. BOD বলতে ইরড়ষড়মরপধষ ঙীুমবহ উবসধহফ বা জৈব রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদাকে বোঝায়।
বায়ুর উপস্থিতিতে পানিতে বিদ্যমান সকল জৈব বস্তুকে ভাঙতে বা জারিত করতে যে পরিমাণ অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় তাই BOD। কোনো পানিতে BOD মান বেশি হলে ঐ পানি দূষিত হয়।
গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়ার সাহায্যে নিম্নলিখিত উপায়ে লোহার উপর ক্রোমিয়ামের প্রলেপ দেওয়া হয় :
i. লোহার দণ্ডকে প্রথমে লঘু কস্টিক সোডা (NaOH) ও পরে লঘু সালফিউরিক এসিডে (H2SO4) ধুয়ে নিয়ে এর পৃষ্ঠতলকে পরিষ্কার করা হয়।
ii. কাচের পাত্রে Cr2 (SO4)3 এর দ্রবণ নিয়ে ক্রোমিয়াম ধাতুর দণ্ডকে অ্যানোডরূপে এবং লোহার দণ্ডকে ক্যাথোডরূপে ঐ দ্রবণে নিমজ্জিত রাখা হয়। দ্রবণে ক্রোমিয়াম (Cr3+) আয়নের পরিমাণ যেন হ্রাস না পায় সেজন্য ক্রোমিয়ামের তৈরি অ্যানোড ব্যবহার করা হয়।
iii. ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ চালনা করলে ক্যাথোডরূপী লোহার দণ্ডের উপর ক্রোমিয়াম ধাতুর প্রলেপ পড়ে। অ্যানোড ও ক্যাথোডে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ :
তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বিয়োজন : Cr2(SO4)3(aq) → Cr3+(aq) + SO42-(aq)
অ্যানোড জারণ : Crং → Cr3+(aq) + 3e-
ক্যাথোডে বিজারণ : Fe2+(aq) + 2e- → Fe(s)
ঘ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষের একটি উদাহরণ। তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ এবং গ্যালভানিক কোষের মধ্যে তুলনামূলক বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো :
তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষ গ্যালভানিক কোষ
(র) যে কোষে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ বলা হয়। (র) গ্যালভানিক কোষ এক ধরনের তড়িৎ রাসায়নিক কোষ যার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎশক্তি তৈরি করা যায়।
(রর) বিদ্যুৎশক্তি, রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। (রর) রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। তাই রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
(ররর) তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন আয়নসমূহ বিদ্যুতের প্রবাহে সহায়তা করে। (ররর) তড়িৎ রাসায়নিক কোষে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে ইলেকট্রনের প্রবাহ করা হয়।
(রা) বিদ্যুতের প্রবাহ, অ্যানায়নের প্রবাহের দিকে হয়। (রা) বিদ্যুতের প্রবাহের বিপরীত দিকে ইলেকট্রনের প্রবাহ হয়।
(া) কিছু পদার্থের শিল্প উৎপাদনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। (া) এটি শক্তির এক প্রকার উৎস।

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল

প্রশ্ন-5 :

ক. ইলেকট্রোপ্লেটিং কাকে বলে? 1
খ. ধাতব পরিবাহীকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলা হয় কেন? 2
গ. উপরের কোষে সংঘটিত বিক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের কোষটিতে CaF2 এর পরিবর্তে তড়িৎ বিশ্লেষ্য হিসাবে ব্রাইন এবং অ্যানোড মারকারী হলে অ্যানোড ও ক্যাথোডে সংঘটিত বিক্রিয়াগুলো আলোPbা কর। 4
⇔ 5নং প্রশ্নের সমাধান ⇔
ক তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে কোনো ধাতুর উপর অন্য ধাতুর প্রলেপ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ইলেকট্রোপ্লেটিং (বষবপঃৎড়ঢ়ষধঃরহম) বলা হয়।
খ. ধাতব পরিবাহীতে মুক্ত ইলেকট্রনের উপস্থিতির কারণে এদেরকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলা হয়।
সাধারণত যেসকল পরিবাহী ইলেকট্রন প্রবাহের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে তাদেরকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে। সকল ধাতুতেই পর্যাপ্ত পরিমাণে মুক্ত ইলেকট্রন উপস্থিত থাকে। এজন্য, ধাতব পরিবাহীকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহী বলে।
গ. উপরের কোষটি একটি তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ। এতে সংঘটিত বিক্রিয়া নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
চিত্রের কোষে বিগলিত CaF2 আয়নিত অবস্থায় আছে এবং তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। কারণ CaF2 একটি আয়নিক যৌগ। বিগলিত অবস্থায় CaF2, Ca2+ ও ঋ- আয়ন উৎপন্ন করে যা নিম্নরূপে দেখানো যায়।
CaF2 → Ca2+(aq) + 2F-(aq)
অ্যানোড ও ক্যাথোডের সাথে ব্যাটারির দুই প্রান্ত সংযুক্ত করা হলে অ্যানোডে জারণ সংঘটিত হয় এবং ফ্লোরাইড আয়ন ইলেকট্রন ত্যাগ করে ফ্লোরিন (ঋ) পরমাণুতে পরিণত হয়। এরূপ দুটি ফ্লোরিন পরমাণু একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে ফ্লোরিন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
অ্যানোড বিক্রিয়া :
2F-(aq) – 2e- → 2F(জারণ)
2F → F2(aq)
অ্যানোডে দান করা ইলেকট্রনগুলো ক্যাথোডে যায় এবং ক্যালসিয়াম আয়নকে বিজারিত করে ক্যালসিয়াম ধাতু উৎপন্ন করে।
ক্যাথোডে বিক্রিয়া : Ca2+ + 2e- → Ca (বিজারণ)
ঘ. উদ্দীপকের কোষটিতে CaF2 এর পরিবর্তে ব্রাইন দ্রবণ ব্যবহার করা হলে তড়িৎবিশ্লেষণে তড়িৎদ্বারে কী পদার্থ উৎপন্ন হবে তা নির্ভর করে তড়িৎদ্বারের প্রকৃতি এবং দ্রবণের ঘনমাত্রার উপর।
তড়িৎবিশ্লেষ্য হিসেবে ব্রাইন এবং অ্যানোড হিসেবে মারকারি ব্যবহৃত হল বিদ্যুৎ প্রবাহের সময় ঋণাত্মক সোডিয়াম ও হাইড্রোজেন আয়ন ক্যাথোডের দিকে আকৃষ্ট হয়। মারকারি তড়িৎদ্বারে হাইড্রোজেন আয়নের তুলনায় সোডিয়াম আয়নের বিজারিত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। তাই, ক্যাথোডে Na+ আয়ন বিজারিত হয় এবং উৎপাদ সোডিয়াম মারকারিতে দ্রবীভ‚ত হয়।
ক্যাথোডে বিক্রিয়া : Na++e- → Na
Na + Hg → Na-Hg দ্রবণ
Na – Hg দ্রবণ অন্য একটি পাত্রে পানি যোগ করলে নিম্নোক্ত বিক্রিয়ায় সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ-
Na – Hg + H2O → NaOH + Hg + H2

প্রশ্ন-6 : অ্যালকেনের 1ম সদস্য ‘অ’ এর অপূর্ণ দহনে বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়।
ক. মোলারিটি কাকে বলে? 1
খ. তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় তাপমাত্রা পরিবর্তনের প্রভাব ব্যাখ্যা কর। 2
গ. C-H, O = O , H-O বন্ধন শক্তি যথাক্রমে 414, 498, 464 কঔ/mole এবং উদ্দীপকের বিক্রিয়াটিতে 89০ কঔ তাপশক্তি উৎপন্ন হলে, C = O বন্ধন শক্তি নির্ণয় কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর- বিশ্লেষণ কর। 4
⇔ 6নং প্রশ্নের সমাধান ⇔
ক নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবীভ‚ত দ্রবের মোলসংখ্যাকে দ্রবণের মোলারিটি বলে।
খ. তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থা বাম দিকে অগ্রসর হয় এবং বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় তাপমাত্রা হ্রাস করলে সাম্যাবস্থা ডান দিকে অগ্রসর হবে। যে সকল উভমুখী বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন হয় সে সকল বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থার উপর তাপের প্রভাব থাকে। সুতরাং তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার উপর তাপমাত্রার পরিবর্তনের প্রভাব রয়েছে।
গ. উদ্দীপকে অ্যালকেনের 1ম সদস্য অ তথা মিথেনের অপূর্ণ দহনে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ-
CH4(g) + 2O2(g) → CO2(g) + 2H2O(g) ; ΔH = – 89০ kJ /mole
বিক্রিয়ায় এক মোল C-H এবং দুই মোল O = O বন্ধন ভাঙে। এজন্য, প্রয়োজনীয় শক্তি = 414 + (2  498) = 141০ kJ/mole ……….(র)
আবার, বিক্রিয়ায় এক মোল C = O এবং দুই মোল ঙ-ঐ বন্ধন সৃষ্টি হয়।
এতে উৎপাদিত শক্তি = [(C = O ) + 2 (464)] kJ /mole
= [928 + (C = O )] kJ /mole……….. (রর)
আমরা জানি, বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন, ΔH = (পুরাতন বন্ধন ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি-নতুন বন্ধন গঠিত হওয়ায় উৎপাদিত শক্তি)
বা, 89০ = 141০ – [928 + (C = O )
বা, 89০ – 141০ + 928 = (C = O )
∴ (C = O ) = 4০8 kJ /mole
সুতরাং, উদ্দীপকের বিক্রিয়াটিতে C = O বন্ধনশক্তি 4০8 kJ/mole।
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটিতে উৎপাদ গ্যাস হলো CO2 যা স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। CO2 গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-
কার্বন ডাইঅক্সাইডকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলা হয়। সালোকসংশ্লেষণ বিক্রিয়ায় বায়ুতে মিশে যাওয়া CO2 গ্যাস ব্যবহৃত হয় বটে, কিন্তু, আমরা উদ্ভিদকুলের নিধন করে আমাদের অত্যাধুনিক জীবন ব্যবস্থার চাহিদা মেটানোর জন্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করছি। এতে করে বায়ুমণ্ডলে CO2-এর পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। যদিও CO2 বায়ুর অন্য উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে না। তবে, CO2 গ্যাসের তাপ ধারণ-ক্ষমতা বেশি, অর্থাৎ CO2 তাপ শোষণ করে তা ধরে রাখতে পারে।
আবার, CO2 গ্যাস ওজনে ভারী হওয়ায় ভ‚পৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থান করে। যার দরুণ দিনে দিনে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, যাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা হয়। CO2 গ্যাসের এ ধরনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনা ‘গ্রিন হাউস প্রভাব’ বলে পরিচিত। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে পানিতে পরিণত হয়ে অনাকাক্সিক্ষত বন্যার সৃষ্টি করছে। তাছাড়া, CO2 গ্যাস, বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য নষ্ট করে এসিডবৃষ্টি ও ফটোকেমিক্যাল ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে। ফটোকেমিক্যাল ধোঁয়ার উপাদানসমূহ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
সুতরাং, বলা যায় যে, উদ্দীপকের মিথেনের দহন বিক্রিয়াটি স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।

প্রশ্ন -7 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন অণু গ্যাসীয় অবস্থায় বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস উৎপন্ন করে। H – H , Cl – Cl ও ঈ – Cl এর বন্ধন শক্তিসমূহ যথাক্রমে 435 kJ, 244 kJ ও 431 kJ।
ক. kJ কী? 1
খ. তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH এর মান ঋণাত্মক হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 2
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ার 3০০ kJ তাপ উৎপন্ন করতে কত গ্রাম ক্লোরিনের প্রয়োজন হবে তা নির্ণয় কর। 3
ঘ. ‘উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি একটি তপোৎপাদী বিক্রিয়া’- উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর এবং তাপ রাসায়নিক সমীকরণের আলোকে সমীকরণটির তাৎপর্য লেখ। 4
⇔ 7নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. kJ হলো আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে তাপ বা শক্তি বা কাজের একক।
খ. তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের বন্ধন ভাঙার প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদের বন্ধন সৃষ্টিতে নির্গত শক্তি অপেক্ষা বেশি হয়। বিক্রিয়ায় তাপ নির্গত হলে স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদের শক্তি বিক্রিয়কের শক্তির চেয়ে কম হয়ে যায়। অতএব, এক্ষেত্রে ΔH-এর মান অবশ্যই ‘-’ হয়। এ কারণেই তাপোৎপাদী বিক্রিয়ায় ΔH-এর মান ঋণাত্মক।
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন ও ক্লোরিন অণু গ্যাসীয় অবস্থায় বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস উৎপন্ন করে।
H – H + Cl – Cl → 2H – Cl
দেখা যায়, বিক্রিয়ায় এক মোল H-H এবং এক মোল Cl-Cl বন্ধন ভাঙে। এজন্য, প্রয়োজনীয় শক্তি = (435 + 244)kJ
= 679 kJ.
আবার, এ বিক্রিয়া দুই মোল H-Cl বন্ধন সৃষ্টি হতে নির্গত শক্তি = (431  2) kJ. = 862 kJ.
এক্ষেত্রে উৎপন্ন তাপ = (862 – 679) kJ = 183 kJ
এখন, 183kJ তাপ উৎপন্ন করতে ক্লোরিনের প্রয়োজন = 71ম
 3০০ kJ ৃ ৃ ৃ ৃ ৃ = 71  3০০183
= 116.39ম
অর্থাৎ, উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় 3০০ kJ তাপ উৎপন্ন করতে 116.39ম ক্লোরিনের প্রয়োজন।
ঘ. আমরা গ নং প্রশ্নের উত্তর থেকে পাই, বন্ধন ভাঙতে প্রয়োজনীয় শক্তি = 679 kJ এবং বন্ধন সৃষ্টিতে নির্গত শক্তি = 862 kJ। দেখা যায় যে, বন্ধন ভাঙার শক্তি < নতুন বন্ধন সৃষ্টিতে নির্গত শক্তি।
উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি একটি তাপোৎপাদী বিক্রিয়া। তাপোৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH এর মান সর্বদা ঋণাত্মক হয়ে থাকে।
এই বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ΔH = (679 – 862)kJ = – 183 kJ. যেহেতু ΔH এর মান ঋণাত্মক তাই বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী। বিক্রিয়াটি হলো-
H2(g) + Cl2(g) → 2HCl(g) ; ΔH = -183 kJ
তাপ রাসায়নিক সমীকরণের আলোকে এ সমীকরণের তাৎপর্য হচ্ছে-
1 mole (= 2ম) হাইড্রোজেন গ্যাস 1 mole (= 71ম) ক্লোরিন গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে 2 mole (= 73ম) হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গ্যাস উৎপন্ন করে। এ সময় 183kJ তাপ নির্গত হয়। এখানে তাপমাত্রার পরিবর্তন ΔH ঋণাত্মক বিধায় তাপ উদগীরণ বোঝায়।

প্রশ্ন -8 : নিচে একটি তাপ রাসায়নিক সমীকরণ দেওয়া হলো :
H2 + 12 O2 → H2O
এখানে H-H , ঙ=ঙ এবং ঙ-ঐ এর বন্ধন শক্তির মান যথাক্রমে 435, 498 এবং 464kJ/mole.
ক. লবণ সেতু কী? 1
খ. ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের উদ্দেশ্য লিখ। 2
গ. উদ্দীপকে উৎপন্ন পদার্থটির তড়িৎবিশ্লেষণের ক্রিয়াকৌশল দেখাও। 3
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত মানগুলো থেকে বিক্রিয়াটির ΔH এর মান হিসাব করে দেখাও। 4
⇔ 8নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. দুটি তড়িৎবিশ্লেষ্য দ্রবণকে দুটি ভিন্ন পাত্রে নিয়ে পাত্রদ্বয়ের দ্রবণকে কCl এর সম্পৃক্ত দ্রবণপূর্ণ একটি বাঁকানো নল দ্বারা পরোক্ষভাবে সংযোগ করে দিলে তরল সংযোগ বিভব ন্যূনতম মানে হ্রাস পায়। এ যন্ত্রসজ্জাকে লবণ সেতু বলে।
খ. ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের উদ্দেশ্য নিম্নরূপ :
i. জলবায়ু ও অক্সিজেনের বিক্রিয়া থেকে লোহা, পিতল ইত্যাদি ধাতু বা ধাতু সংকরের তৈরি জিনিসকে রক্ষা করা।
ii. ধাতব পদার্থের স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা।
গ. উদ্দীপকে উৎপন্ন পদার্থ হলো পানি যাকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষের মাধ্যমে ভাঙা যায়।
পানির বিশ্লেষণের জন্য যে তড়িৎ রাসায়নিক কোষ ব্যবহৃত হয়, তাতে রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় ধাতুর অ্যানোড ও ক্যাথোড ব্যবহার করা হয়। সাধারণত ধাতব প্লাটিনামের (Pt) পাত অ্যানোড ও ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সালফিউরিক এসিড দ্বারা সামান্য অ¤øীয় পানির দ্রবণ তৈরি করে ততে প্লাটিনাম অ্যানোড ও ক্যাথোডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে নিম্নোক্ত অর্ধকোষ বিক্রিয়া সংঘটিত হয়।
অ্যানোড বিক্রিয়া : 2H2O(1) → O2(g) + 4H+(aq) + 4e-
অ্যানোড বিক্রিয়া : 4H+(aq) + 4e-→2H2(g) 2H2O(1) → 2H2(g) + O2(g)
অ্যানোডে পানির অণু জারিত হয়ে অক্সিজেন গ্যাস, হাইড্রোজেন আয়ন (প্রোটন) ও ইলেকট্রন তৈরি করে। অন্যদিকে, ক্যাথোডে হাইড্রোজেন আয়ন বিজারিত হয়ে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। প্রকৃতপক্ষে, অ্যানোডে উৎপন্ন হাইড্রোজেন আয়ন দ্রবণের মধ্য দিয়ে ও ইলেকট্রন তারের মাধ্যমে ক্যাথোডে পৌঁছায়। এখানে উল্লেখ্য যে, বিক্রিয়ায় সালফিউরিক এসিডের কোনো পরিবর্তন হয় না। H2SO4 শুধু দ্রবণের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কাজ করে।
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত মানগুলো থেকে বিক্রিয়াটির ΔH এর মান হিসাব করা যায়।
H2 + 12O2 → H2O বিক্রিয়াটিকে নিম্নরূপে প্রকাশ করা যায়।
H-H + 12 (O = O ) → H-O-ঐ
বিক্রিয়া থেকে দেখা যায় 1 mole H-H বন্ধন ও 12 mole O = O বন্ধন ভেঙে 2 mole ঙ-ঐ বন্ধন গঠিত হয়।
1 mole H-H বন্ধন ভাঙনে শোষিত শক্তি = 435 kJ
12 mole O = O বন্ধন ভাঙনে শোষিত শক্তি = 4982 kJ = 249 kJ
বন্ধন ভাঙনে মোট শোষিত শক্তি = (435 + 249)kJ = 684 kJ
2টি ঙ-ঐ বন্ধন গঠনে (464  2) kJ = 928 kJ শক্তি নির্গত হয়।
দেখা যায় যে, বন্ধন ভাঙনে শোষিত শক্তি < বন্ধন গঠনে নির্গত শক্তি যেহেতু বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী। অর্থাৎ ΔH ঋণাত্মক।
 ΔH = (684 – 928) kJ
 ΔH = – 244 kJ
সুতরাং, বিক্রিয়াটির ΔH এর নির্ণেয় মান- 244 kJ।

প্রশ্ন -9 : নিচের বিক্রিয়াটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
CH3Cl + Cl2 = CH2Cl2 + HCl এ বিক্রিয়ায় C-H,
ঈ-Cl, Cl-Cl এবং H-Cl এর বন্ধন শক্তি যথাক্রমে 415, 327, 244 এবং 431 kJ/mole।
ক. বিক্রিয়া তাপ কী? 1
খ. গ্যালভানিক কোষ বলতে কী বুঝ? 2
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটির ΔH এর মান নির্ণয় কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ার আলোকে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপশক্তির পরিবর্তনের কারণ আলোPbা কর। 4
⇔ 9নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরিবর্তিত তাপকে বিক্রিয়া তাপ বলে।
খ. যে তড়িৎ রাসায়নিক কোষে তড়িৎদ্বারে বিক্রিয়া স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ঘটে, অর্থাৎ বিক্রিয়া সংঘটনের জন্য বাইরের থেকে শক্তির দরকার হয় না এবং রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে পরিণত হয়, তাকে গ্যালভানিক কোষ বলে।
ড্যানিয়াল কোষ একটি গ্যালভানিক কোষ। ড্যানিয়াল কোষে ক্যাথোড হিসেবে Cu/Cu2+(aq) ধাতু/ধাতব আয়ন তড়িৎদ্বার ও অ্যানোড হিসেবে Zn/Zn2+(aq) ধাতু/ধাতব আয়ন তড়িৎদ্বার নিয়ে গঠিত।
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি হলো :
CH3Cl + Cl2 = CH2Cl2 + HCl
বন্ধন দেখিয়ে বিক্রিয়াটিকে নিম্নরূপে দেখানো যায় :

এই বিক্রিয়ায় এক মোল C-H বন্ধন এবং এক মোল Cl-Cl বন্ধন ভাঙে। আবার, একই সাথে এক মোল ঈ-Cl এবং এক মোল H-Cl বন্ধন গঠিত হয়। এক মোল C-H বন্ধন এবং এক মোল Cl-Cl বন্ধন ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় মোটশক্তি = (415 + 244) কিলোজুল = 659 কিলোজুল। এক মোল ঈ-Cl ও এক মোল H-Cl নতুন বন্ধন গঠিত হওয়ায় নির্গত মোট শক্তি = (327 + 431) কিলোজুল = 758 কিলোজুল।
অতএব, বিক্রিয়ায় তাপের পরিবর্তন, ΔH = পুরাতন বন্ধন ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় মোট শক্তি  নতুন বন্ধন গঠিত হওয়ায় নির্গত মোট শক্তি = (659 – 758) কিলোজুল = – 99 কিলোজুল।
অর্থাৎ বিক্রিয়ায় ΔH এর মান 99 কিলোজুল
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি তাপউৎপাদী। কারণ তাপ উৎপাদী বিক্রিয়ায় ΔH এর মান ঋণাত্মক হয়।
সুতরাং, উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক CH3Cl ও Cl2 এর মধ্যে মোট স্থিত রাসায়নিক শক্তি উৎপাদিত যৌগ CH2Cl2 ও HCl এর মধ্যস্থিত রাসায়নিক শক্তির চেয়ে বেশি। অর্থাৎ বিক্রিয়কের মধ্যে স্থিত মোট রাসায়নিক শক্তি নতুন যৌগ গঠনে ব্যয় হওয়ার পর অতিরিক্ত অংশ তাপ হিসেবে বের হয়।
 নির্গত তাপশক্তি = উৎপাদ যৌগসমূহের মোট শক্তি (ঊ2) –
বিক্রিয়ক যৌগসমূহের মোট শক্তি (ঊ1)
সুতরাং, বিক্রিয়া সংগঠিত হওয়ার সময় বিক্রিয়কের শক্তি থেকে উৎপাদ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ব্যয় হওয়ার পর অতিরিক্ত শক্তি তাপশক্তি রূপে বের হয়।

প্রশ্ন -1০ : নিচের চিত্র লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. 1 mole মিথেন পোড়ালে কত শক্তি পাওয়া যায়? 1
খ. বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কী? 2
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ার শক্তিচিত্র ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. চিত্র-1 চিত্র-2 এর চেয়ে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ঘটে- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 4
⇔ 1০নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. 1 mole মিথেন গ্যাস পোড়ালে 891০০০ জুল শক্তি পাওয়া যায়।
খ. জীবাশ্ম জ্বালানি অব্যাহত হারে পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে CO2 গ্যাস বাড়ছে। CO2 গ্যাসের তাপ ধারণক্ষমতা বেশি বলে বায়ুমণ্ডলে CO2 তাপ শোষণ করে তা ধরে রাখছে। CO2 গ্যাস ওজনে ভারী হওয়ায় পৃথিবী পৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থান করে। এতে দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, যাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র-1 তাপোৎপাদী এবং চিত্র-2 তাপহারী বিক্রিয়া।
তাপউৎপাদী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিক্রিয়কের মোটশক্তি (ঊ1) উৎপাদের মোট শক্তি (ঊ2) অপেক্ষা বেশি হয়, অর্থাৎ ঊ1 > ঊ2। বিক্রিয়া সংগঠিত হওয়ার সময় বিক্রিয়কের শক্তি থেকে উৎপাদ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি ব্যয় হওয়ার পর অতিরিক্ত শক্তি তাপশক্তি রূপে বের হয়।
অন্যদিকে, তাপহারী বিক্রিয়ার শক্তিচিত্র তাপউৎপাদী বিক্রিয়ার উল্টো। তাপহারী বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিক্রিয়কের মোট শক্তি (ঊ1) উৎপাদের মোট শক্তি (ঊ2) অপেক্ষা কম হয়, অর্থাৎ ঊ1 < ঊ2। এক্ষেত্রে বিক্রিয়কের মোট শক্তি উৎপাদের শক্তির তুলনায় কম থাকায় বিক্রিয়া সংগঠিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পরিবেশ থেকে শোষণ করে। সে কারণে তাপহারী বিক্রিয়া ঘটলে বিক্রিয়া মিশ্রণের তাপমাত্রা কমতে দেখা যায় অথবা বিক্রিয়া সংগঠিত করার জন্য তাপ দিতে হয়। তাই, চিত্র-1 তাপোৎপাদী বিক্রিয়া এবং চিত্র-2 হলো তাপহারী বিক্রিয়া।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্র-1 এ বিক্রিয়া স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ঘটে।
যে বিক্রিয়ায় তাপশক্তি উৎপন্ন হয় এবং বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাকে তাপোৎপাদী বিক্রিয়া বলে। এ ধরনের বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কসমূহ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি ছেড়ে দিয়ে উৎপাদে পরিণত হয়। এতে বিক্রিয়ক অপেক্ষা উৎপাদের তাপ ধারণ ক্ষমতা কমে যায় এবং উৎপাদের স্থিতিশীলতা বেড়ে যায়। বিক্রিয়ক অপেক্ষা উৎপাদের তাপ ধারণ ক্ষমতা কমে গেলে বিক্রিয়াটি স্বতঃস্ফ‚র্ত হয়।
চিত্র-2 ধরনের বিক্রিয়ায় তাপশক্তির শোষণ ঘটে বলে বিক্রিয়া অঞ্চলের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। বিক্রিয়ায় ΔH এর মান ধনাত্মক হয় এবং বিক্রিয়া সংঘটনের জন্য বাইরের থেকে তাপ সরবরাহ করতে হয়। তাই তাপহারী বিক্রিয়া স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ঘটে না।
যে বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের অভ্যন্তরীণ শক্তি উৎপাদের চেয়ে বেশি হয়, সে বিক্রিয়াটি স্বতঃস্ফ‚র্ত হবে। তাই, চিত্র-1 স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ঘটে।

নবম দশম রসায়ন ৮ম অধ্যায় রসায়ন ও শক্তি সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন -11 : নিচের বিক্রিয়াদ্বয় লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
i. ঈ(s)+O2(s) → CO2(g) +393.5kJ সড়ষ−1
ii. N2 (g) + O2(g) → 2NO(g) -18০.6kJ সড়ষ−1
ক. তাপের পরিবর্তন কী? 1
খ. কীভাবে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়? 2
গ. উদ্দীপকের প্রথম বিক্রিয়ায় বিক্রিয়কের প্রতিগ্রাম দহনে কত কিলোজুল তাপশক্তি পাওয়া যায়? 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াদ্বয়ের ভৌত ধর্মের তুলনামূলক আলোPbা কর। 4

প্রশ্ন -12 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
দিনে দিনে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। যাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা হয়। এর জন্য ফটোক্যামিক্যাল ধোঁয়াকে প্রধানত দায়ী করা হয়।
ক. এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি হয় কোন গ্যাসের কারণে? 1
খ. এসিড বৃষ্টি আমাদের জন্য ক্ষতিকর কেন? 2
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি বর্ণনা কর। 3
ঘ. উক্ত ধোঁয়া থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে তুমি মনে কর। 4

প্রশ্ন -13 : নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. ফসিল ফুয়েল কী? 1
খ. নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ? 2
গ. উদ্দীপকের বিগলিত পদার্থ কি তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ? ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. ‘উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় তড়িৎশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়’-উক্তিটির যথার্থতা প্রমাণ কর। 4

প্রশ্ন -14 : নিচের বিক্রিয়া দুটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঈ(s) + O2(g) → অ + তাপ
অল্প পরিমাণ
ঈ(s) + O2(g) → ই + তাপ
অতিরিক্ত
ক. পেট্রোলিয়াম কী? 1
খ. জ্বালানিতে ঘ এবং ঝ মৌল থাকলে কী সমস্যা হয়? ব্যাখ্যা কর। 2
গ. ই কীভাবে এষড়নধষ ডধৎসরহম-এ ভ‚মিকা রাখে? 3
ঘ. ‘উদ্দীপকের ই গ্যাস জীবন বাঁচাতে এবং অ গ্যাস জীবন ধ্বংসে সহায়তা করে’-উক্তিটির যথার্থতা প্রমাণ কর। 4

প্রশ্ন -15 : নিচের বিক্রিয়াটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শ্বেতসার গাঁজন→ ঢ + CO2
ক. পৃথিবীর সকল শক্তির উৎস কী? 1
খ. মোম পোড়ালে কী ঘটে? 2
গ. উদ্দীপকের ঢ থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ শক্তি পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর। 3 3
ঘ. ‘উদ্দীপকের গ্যাস থেকে পুনরায় বিক্রিয়ক উৎপাদন জীবের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’-উক্তিটির যথার্থতা প্রমাণ কর। 4

প্রশ্ন -16 : নিচের তড়িৎদ্বারদ্বয় লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গ/গ2+(aq) এবং N2 +(aq)/ঘ
গ এর সক্রিয়তা ঘ অপেক্ষা বেশি।
ক. কোন জ্বালানি আমাদের চাহিদার সিংহভাগ যোগান দেয়? 1
খ. চুলোয় মিথেন গ্যাস পোড়ানো হলে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে? 2
গ. উদ্দীপকের তড়িৎদ্বারের বিক্রিয়াগুলো লেখ। 3
ঘ. উদ্দীপকের তড়িৎদ্বারের সমন্বয়ে গঠিত কোষে তড়িৎ উৎপাদন সম্ভব কিনা-বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -17 : নিচের বিক্রিয়াদ্বয় লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
i. ট-235 + নিউট্রন → ঝৎ-9০ + ঢe-143 + নিউট্রন (3টি); ΔH1 = 2  1০13 ঔ সড়ষ−1
ii. H2(g) + 12 O2(g) →H2O(l) ; ΔH2= -28585০ ঔ সড়ষ−1
ক. বিদ্যুৎ পরিবাহী কী? 1
খ. নিউক্লিয়ার ফিসন বলতে কী বোঝ? 2
গ. প্রথম বিক্রিয়ায় দ্বিতীয় বিক্রিয়ার তাপ পেতে কত মোল H2 লাগবে? হিসাব করে দেখাও। 3
ঘ. উদ্দীপকে প্রথম বিক্রিয়ার সাহায্যে কি দ্বিতীয় বিক্রিয়ার জ্বালানি পাওয়া সম্ভব? তোমার উত্তর পক্ষে যুক্তি দাও। 4

প্রশ্ন -18 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শিক্ষার্থীরা খাবার লবণের জলীয় দ্রবণ ও এসিড মিশ্রিত পানির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চালনায় কী ঘটে তা পরীক্ষা করে দেখল।
ক. তড়িৎদ্বার কী? 1
খ. তড়িৎবিশ্লেষ্য পদার্থসমূহ জলীয় দ্রবণে তড়িৎ পরিবহন করে, কিন্তু কঠিন অবস্থায় করে না কেন? 2
গ. প্রথম ক্ষেত্রে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে অ্যানোড ও ক্যাথোডে কী বিক্রিয়া সংঘটিত হয়- ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চালনায় কী ঘটে তা বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -19 : চিত্রের আলোকে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. তড়িৎবিশ্লেষ্য কাকে বলে? 1
খ. চিত্রে কোন ইলেকট্রোডটিকে ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং কেন? 2
গ. চিত্রে ই তড়িৎদ্বারে সংঘটিত বিক্রিয়াসমূহ বর্ণনা কর। 3
ঘ. তাপ বন্ধ করলে উদ্দীপকের কোষে বিক্রিয়ার সম্ভাব্য পরিবর্তন যুক্তিসহ ব্যাখ্যা দাও। উল্লেখ্য সাধারণ তাপমাত্রায় লেড ব্রোমাইড কঠিন অবস্থায় থাকে। 4

প্রশ্ন -2০ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সিরাজুল ইসলাম একটি চামচ তৈরির কারখানার মালিক। তিনি তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে লোহার চামচের উপর রুপার প্রলেপ কীভাবে দিতে হয় তা কর্মচারীদের কাছে ব্যাখ্যা করলেন।
ক. ড্রাইসেলে কী ধরনের শক্তির রূপান্তর হয়? 1
খ. স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর ব্যাটারির প্রভাব কী? 2
গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটির নাম, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার লিখ। 3
ঘ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়ার সাহায্যে কীভাবে লোহার চামচের উপর রুপার প্রলেপ দেওয়া যায়? বিক্রিয়াসহ ব্যাখ্যা কর। 4

প্রশ্ন -32 : শিল্পক্ষেত্রে খাদ্য লবণের গাঢ় জলীয় দ্রবণ থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে এক সাথে ক্লোরিন ও ক্ষার উৎপাদন করা হয়। প্রধানত ক্লোরিন গ্যাসের বাণিজ্যিক উৎপাদন এই প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।
ক. তড়িৎবিশ্লেষণ বলতে কী বোঝ? 1
খ. তাপোৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 2
গ. সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. সোডিয়াম ক্লোরাইডের তড়িৎবিশ্লেষণে পারদের ক্যাথোড ব্যবহার করা হলে কী ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন হবে, তা বিক্রিয়াসহ ব্যাখ্যা কর। 4

প্রশ্ন -33 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বন্ধন বন্ধনশক্তি kJ/mole বন্ধন বন্ধন শক্তি kJ/mole
C – H 414 Cl- Cl 244
ঈ – Cl 326 H – Cl 431

ক. বন্ধন শক্তি বলতে কী বুঝ? 1
খ. তাপোৎপাদী ও তাপহারী বিক্রিয়ার পার্থক্য লেখ। 2
গ. CH4 + Cl2 → CH2Cl2(g) + 2HCl বিক্রিয়াটির ΔH এর মান বের কর। 3
ঘ. NaCl দ্রবণের তড়িৎবিশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। 4

প্রশ্ন -34 : অ যৌগের 1.6ম এ ঈ আছে 1.2ম এবং ঐ আছে ০.4ম। যৌগটির বাষ্প ঘনত্ব 8।
ক. মোলারিটি কাকে বলে? 1
খ. 2ম MgO তৈরিতে কত গ্রাম Mg প্রয়োজন হবে? 2
গ. অ যৌগের শতকরা সংযুতি বের করে আণবিক সংকেত নির্ণয় কর। 3
ঘ. 235ট এর 1 মোল দহনে যে পরিমাণ তাপশক্তি নির্গত হয়, সেই পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন করতে কত মোল অ যৌগের প্রয়োজন হবে বলে তুমি মনে কর? (C – H , O = O , C = O ও ঙ – ঐ এ বন্ধন শক্তি মোল প্রতি যথাক্রমে 414, 498, 843 ও
প্রশ্ন -35 :

ক. আকরিক কী? 1
খ. Fe2+ আয়নটি জারিত ও বিজারিত হতে পারে- ব্যাখ্যা কর। 2
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত তড়িৎবিশ্লেষণ কোষটির অ্যানোড ও ক্যাথোড বিক্রিয়া-ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. Pt এর পরিবর্তে মারকারি তড়িৎদ্বার ক্যাথোড হিসেবে এবং গাঢ় NaCl এর দ্রবণ নিলে একই বিক্রিয়া ঘটবে কিনা যুক্তি দাও। 4

প্রশ্ন -36 : (র) CH4 + 2O2 → CO2 + H2O; ΔH = – 89০ kJ
যেখানে C = O , C – H , O = O এর বন্ধন শক্তি যথাক্রমে 843 kJ/mole, 414 kJ/mole এবং 498 kJ/mole.
(রর) N2 + 3H2 → 2NH3; ΔH = – 92 kJ
ক. আয়নিক বন্ধন কাকে বলে? 1
খ. ফসফরাসের যোজনী 3 এবং 5 ইলেকট্রন বিন্যাসের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর। 2
গ. (র) নং বিক্রিয়াটি থেকে ঙ-ঐ এর বন্ধনশক্তি নির্ণয় কর। 3
ঘ. (র) নং বিক্রিয়ার আংশিক উৎপাদ এবং (রর)নং বিক্রিয়ার উৎপাদ হতে যে রাসায়নিক সার তৈরি করা হয় তা কীভাবে কাজে লাগে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তি দাও। 4

প্রশ্ন -37 : নিচের চিত্রটি থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. তড়িৎবিশ্লেষণ কী? 1
খ. চিত্রের কোষে সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো লিখ। 2
গ. চিত্রের কোষটিতে কীভাবে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা যায়-বর্ণনা কর। 3
ঘ. চিত্রের অ্যানোড ও ক্যাথোড পাত্রে উল্লিখিত আয়নের সমতা দূর করতে অ অংশের ভ‚মিকা আলোPbা কর। 4

প্রশ্ন-38 :

ক. ড্রাইসেলের তড়িৎ বিভব কত? 1
খ. ফিউসন বিক্রিয়া কী? উদাহরণ দাও। 2
গ. উদ্দীপকের (র)নং চিত্রে NaCl এর পরিবর্তে CaCl ব্যবহার করা হলে আনোড ও ক্যাথোডে যে বিক্রিয়া সংঘটিত হয়, তা ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের কোষ দুটির ক্রিয়া কৌশলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। 4
প্রশ্ন-39 : CO2(g) + H2O(l) সূর্যালোকক্লোরোফিল→ ঢ + ণ– তাপশক্তি বিক্রিয়াটি উদ্ভিদকোষে সংঘটিত হয় এবং ঢ-এর আণবিক ভর ণ অপেক্ষা অনেক বেশি।
ক. পৃথিবীর সকল শক্তির উৎস কী? 1
খ. শক্তির অপচয় কীভাবে হয়? ব্যাখ্যা কর। 2
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অপরিহার্য-ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন ঢ যৌগে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত রয়েছে’- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 4
প্রশ্ন-4০ : শ্রাবণী দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। রসায়নের প্রতি প্রবল ঝোঁক থাকায় তার বাবা কিছু যন্ত্রপাতি ও দ্রবণ কিনে দিয়েছে। একদিন শ্রাবণী ড্যানিয়াল কোষ তৈরি করে বাল্ব জ্বালিয়ে বাবাকে দেখালো। এতে বাবা খুশি হলেন এবং তাকে গ্যালভানিক কোষ এবং তড়িৎবিশ্লেষ্য কোষের পার্থক্য ভালোমতো বুঝিয়ে দিলেন।
ক. তড়িৎ রাসায়নিক কোষ কী? 1
খ. ড্যানিয়াল কোষে কোন বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়? ব্যাখ্যা কর। 2
গ. বাবা শ্রাবণীকে যে দুটি কোষের পার্থক্য বুঝিয়েছিল তা লেখ। 3
ঘ. শ্রাবণীর তৈরিকৃত সেলের গঠন ও কার্যপ্রণালি বর্ণনা কর। 4
প্রশ্ন-41 : শিক্ষক ক্লাসে 2টি কাচের পাত্রে পানি নিয়ে একটিতে চুন ও অপরটিতে নিশাদল নিয়ে দ্রবণ তৈরি করলেন। এখন একজন ছাত্রকে গøাস দুটি ধরতে বললেন। সে দেখল একটি পাত্র গরম ও অপরটি ঠাণ্ডা হয়েছে।
ক. তাপ কী? 1
খ. কোন পাত্রের তাপ শোষণ ও কোনটিতে তাপ উৎপন্ন হয়েছে? 2
গ. তথ্যে উল্লেখিত বিক্রিয়ার আলোকে ΔH কখন ধনাত্মক ও ঋণাত্মক হয় ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. রাসায়নিক বিক্রিয়ার তাপের উদ্ভব বা শোষণ হয় উপরের তথ্যের আলোকে বিশ্লেষণ কর। 4
প্রশ্ন-42 : 29 ও 3০ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌলদ্বয় হলো চ ও ছ। চ মৌলের সালফেট লবণের জলীয় দ্রবণে চ এবং ছ মৌলের সালফেট লবণের জলীয় দ্রবণে ছ নিমজ্জিত করে মৌলদ্বয়কে পরিবাহী তার দ্বারা এবং লবণ দুটির জলীয় দ্রবণকে লবণ সেতু দ্বারা সংযোগ করা হলো।
ক. ফ্রুক্টোজের আণবিক সংকেত লিখ। 1
খ. বিøচিং পাউডার কীভাবে ময়লা কাপড়ের দাগ পরিষ্কার করে? 2
গ. উদ্দীপকের তথ্য অনুসারে কোষের চিত্র অঙ্কন কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়া থেকে ব্যাখ্যা কর যে, জারণ-বিজারণ যুগপৎ ঘটে। 4
প্রশ্ন-43 :
i. 238U ঋরংংরড়হ→ ী
ii. 235ট ঋরংংরড়হ→ 9০চ + 143জ
iii. চড় ঋরংংরড়হ→ ু
ক. তড়িৎ বিশ্লেষণ কী? 1
খ. সাম্যাবস্থা গতিশীল হয় কেন? 2
গ. উদ্দীপকের ু উৎপাদনের বিশুদ্ধকরণ পদ্ধতি আলোPbা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের ী ও ু দ্বারা একটি গ্যালভানিক কোষ তৈরির প্রক্রিয়া কৌশলসহ বর্ণনা কর। 4
প্রশ্ন-44 : ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় পরিমাণ H2 এবং এক মোল O2 এর সংযোগে পানি ও তাপ উৎপন্ন হয়।
ক. কাঠের প্রধান উপাদান কী? 1
খ. ফরমালিন দ্বারা খাদ্য সংকরণ অনুচিত কেন? 2
গ. যদি H – H , O = O এবং ঙ – ঐ এর বন্ধন শক্তি যথাক্রমে 435, 498 এবং 464 kJ/mole হয় তবে উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি ΔH-এর মান নির্ণয় কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়া ও এর বিপরীতধর্মী বিক্রিয়ার তুলনামূলক শক্তিচিত্র বিশ্লেষণ কর। 4
প্রশ্ন-45 : ইলেকট্রোপ্লেটিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে প্রলেপ সৃষ্টি করা হয় এবং গ্যালভানিক কোষের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
ক. যোজ্যতা ইলেকট্রন কী? 1
খ. বিশুদ্ধ H2SO4 বিদ্যুৎ পরিবহন করে না কেন? 2
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত কোষটির অ্যানোড ও ক্যাথোডের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম পদ্ধতির মাধ্যমে বাধুর বিশোধন ক্রিয়া ব্যাখ্যা কর। 4
প্রশ্ন-46 :
Zn (s) + Cu2+ (aq) → Zn2+(aq) + Cu(s)
ক. বিজারণ কী? 1
খ. লবণ সেতুর গুরুত্ব লিখ। 2
গ. উদ্দীপকের ধাতুদ্বয়ের তুলনামূলক সক্রিয়তা ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটিতে কীভাবে রাসায়নিক শক্তি বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে বিশ্লেষণ কর। 4
প্রশ্ন-47 : সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদকোষে সংঘটিত হয় এবং এতে গ্লুকোজ উৎপন্ন হয়।
ক. তরল খনিজ কী? 1
খ. গ্রিন হাউজ প্রভাব বলতে কী বোঝ? 2
গ. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটির গুরুত্ব উল্লেখ কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াদ্বয় উৎপন্ন যৌগটিতে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে- বিশ্লেষণ কর। 4
প্রশ্ন-48 :
Ag(s) + অঁ3+(aq) → অ (Mnনা)
ক. উড়োজাহাজে কোন ধাতুটি ব্যবহৃত হয়? 1
খ. কCl কে তড়িৎবিশ্লেষ্য বলা হয় কেন? 2
গ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটিতে শক্তির কীরূপ পরিবর্তন হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াটির উদ্দেশ্য বিশ্লেষণ কর। 4
প্রশ্ন-49 : শ্বেতসার থেকে গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইথানল ও CO2 গ্যাস উৎপন্ন হয়।
ক. তাপের পরিবর্তন কী? 1
খ. মানবদেহে কীভাবে সূর্যশক্তি সঞ্চালিত হয়? 2
গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়ায় কীভাবে ইথানল উৎপাদন করা সম্ভe- ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের উৎপন্ন গ্যাসটি থেকে বিক্রিয়ক উৎপাদনের বিক্রিয়াটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -5০ :
2ঢO2(g) + O2(g) খ 2ঢO3(g) ; ΔH = -197 kJ.সড়ষ-1
ঢ মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা = 16
ক. ম্যান্ডেলিফের সংশোধিত পর্যায় সূত্রটি লেখ। 1
খ. MgCl2 এর গলনাঙ্ক বেশি হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 2
গ. উল্লিখিত বিক্রিয়াটির সাম্যাবস্থায় তাপের প্রভাব ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. ঢO2 গ্যাসটি জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন করে- বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -51 : নিচের সংকেতদ্বয় থেকে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
(র) CH4(g) + Cl2(g) → CH3Cl(g) + HCl(g)
(রর) N2 (g) + O2(g) → 2NO(g) , ΔH = 18০.6কঔ
ক. ভিনেগার কী? 1
খ. “উভমুখী বিক্রিয়াকে একমুখী করা যায়”- ব্যাখ্যা কর। 2
গ. 2০মস উৎপাদ তৈরি করতে কী পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন? উদ্দীপকের (রর) নং বিক্রিয়ার আলোকে নির্ণয় কর। 3
ঘ. C – H , ঈ – Cl, Cl – Cl ও H – Cl বন্ধনশক্তিসমূহ যথাক্রমে 414, 326, 244, 431 kJ/mole হলে, (র) নং বিক্রিয়াটির ক্ষেত্রে ΔH এর মান নির্ণয় করে উভয় বিক্রিয়ার শক্তিচিত্র বিশ্লেষণ কর। 4

Share to help others:

Leave a Reply