এসএসসি পদার্থবিজ্ঞান ১ম অধ্যায় ভৌত রাশি ও পরিমাপ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নউত্তর

এখানে এসএসসি বা নবম/দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান ১ম অধ্যায় ভৌত রাশি ও পরিমাপ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নউত্তর দেওয়া হলো যেগুলো শিক্ষার্থীরা অনুশীলন করলে পরীক্ষায় কমন আসবে বলা আশা করছি।

পদার্থবিজ্ঞান ১ম অধ্যায় ভৌত রাশি ও পরিমাপ জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নউত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন \ ১ \ সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য বিখ্যাত কে?
উত্তর : থেলিস সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য বিখ্যাত।
প্রশ্ন \ ২ \ প্রকৃতির ইতিহাস সম্পর্কে একটি এনসাইক্লোপিডিয়া লেখেন কে?
উত্তর : প্রকৃতির ইতিহাস সম্পর্কে একটি এনসাইক্লোপিডিয়া লেখেন আল-মাসুদী।
প্রশ্ন \ ৩ \ ক্যালকুলাস নামক গণিত ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : ক্যালকুলাস নামক গণিত ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন স্যার আইজ্যাক নিউটন।
প্রশ্ন \ ৪ \ পরমাণু যে ফিশনযোগ্য এটি প্রথম আবিষ্কার করেন কে বা কারা?
উত্তর : পরমাণু ফিশনযোগ্য এটি প্রথম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ওটো হান ও স্ট্রেসম্যান।
প্রশ্ন \ ৫ \ আলোর বেগ প্রথম কে নির্ণয় করেন?
উত্তর : ১৬৭৫ সালে ডেনমার্কের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওলফ রোমার সর্বপ্রথম আলোর বেগ নির্ণয় করেন।
প্রশ্ন \ ৬ \ শিল্প বিপ্লব কী?
উত্তর : অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ হতে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ব্রিটেনের শিল্পক্ষেত্রে বহু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সংঘটিত হয়। এ অভ‚তপূর্ব পরিবর্তনকে শিল্প বিপ্লব নামে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ লব্ধ একক কী?
উত্তর : যেসব রাশির একক মৌলিক রাশির এককের ওপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশির একক থেকে লাভ করা যায় তাদের লব্ধ একক বলে। ঘনত্বের একক লব্ধ একক।
প্রশ্ন \ ৮ \ মৌলিক একক কী?
উত্তর : যেসব রাশির একক একে অন্যের ওপর নির্ভর করে না বরং ঐসব রাশির এককের সাহায্যে অন্যান্য রাশির একক গঠন করা যায় সেসব রাশির একককে মৌলিক একক বলে।
প্রশ্ন \ ৯ \ পদার্থবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ বিশ্লেষণের আলোকে বস্তু ও শক্তির রূপান্তর ও সম্পর্ক উদঘাটন এবং পরিমাণগতভাবে তা প্রকাশ করা।
প্রশ্ন \ ১০ \ নিউটনের স্থান কালের ধারণায় মহাবিশ্ব কী নিয়ে গঠিত?
উত্তর : নিউটনের স্থান কালের ধারণায় মহাবিশ্ব ত্রিমাত্রিক স্থান ও একমাত্রিক সময় নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ১১ \ এসআই পদ্ধতিতে দৈর্ঘ্যরে একক নির্ধারণে আদর্শ হিসেবে কী ধরা হয়?
উত্তর : শূন্যস্থানে আলো ১/২৯৯৭৯২৪৫৮ সেকেন্ডে যে দূরত্ব অতিক্রম করে সেই দূরত্বকে দৈর্ঘ্যরে একক নির্ধারণে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
প্রশ্ন \ ১২ \ আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে সময়ের একক নির্ধারণে আদর্শ হিসেবে কী ধরা হয়?
উত্তর : একটি সিজিয়াম -১৩৩ পরমাণুর ৯১৯২৬৩১৭৭০টি স্পন্দন সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে সেই সময়কে সময়ের একক নির্ধারণে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে তাপমাত্রার একক কেলভিন নির্ধারণে কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : পানির ত্রৈধবিন্দুর তাপমাত্রার ১/২৭৩.১৬ ভাগকে তাপমাত্রার একক কেলভিন নির্ধারণে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ এক অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?
উত্তর : শূন্যস্থানের ১ মিটার দূরত্বে অবস্থিত অসীম দৈর্ঘ্যরে এবং উপেক্ষণীয় বৃত্তাকার প্রস্থচ্ছেদের দুটি সমান্তরাল সরল পরিবাহকের প্রত্যেকটিতে যে পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহ চললে পরস্পরের মধ্যে প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে ২ × ১০-৭N বল উৎপন্ন হয় তাকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ এক ক্যান্ডেলা কাকে বলে?
উত্তর : এক ক্যান্ডেলা হচ্ছে সেই পরিমাণ দীপন তীব্রতা যা কোনো আলোক উৎস একটি নির্দিষ্ট দিকে ৫৪০ × ১০১২ হার্জ কম্পাঙ্কের এক বর্ণী বিকিরণ নিঃসরণ করে এবং ঐ নির্দিষ্ট দিকে তার বিকিরণ তীব্রতা হচ্ছে প্রতি স্টেরেডিয়ান ঘনকোণে ১/৬৮৩ ওয়াট।
প্রশ্ন \ ১৬ \ এক মোল কাকে বলে?
উত্তর : যে পরিমাণ পদার্থে ০.০১২ কিলোগ্রাম কার্বন-১২ এ অবস্থিত পরমাণুর সমান সংখ্যক প্রাথমিক ইউনিট (যেমন : পরমাণু, অণু, আয়ন, ইলেকট্রন ইত্যাদি বা এগুলোর নির্দিষ্ট কোনো গ্র“প) থাকে তাকে এক মোল বলে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ মিটার স্কেল কী?
উত্তর : পরীক্ষাগারে দৈর্ঘ্য পরিমাপের সবচেয়ে সরল যন্ত্র হলো মিটার স্কেল। এর দৈর্ঘ্য ১ মিটার বা ১০০ সেন্টিমিটার।
প্রশ্ন \ ১৮ \ দৈব ত্র“টি কাকে বলে?
উত্তর : কোনো একটি ধ্র“ব রাশি কয়েকবার পরিমাপ করলে যে ত্র“টির কারণে পরিমাপকৃত মানে অসামঞ্জস্য দেখা যায় তাকে দৈব ত্র“টি বলে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ যান্ত্রিক ত্র“টি কাকে বলে?
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানে পরীক্ষণের জন্য তথা মাপ-জোখের জন্য আমাদের যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। সেই যন্ত্রে যদি ত্র“টি থাকে তাকে যান্ত্রিক ত্র“টি বলে।
প্রশ্ন \ ২০ \ ব্যক্তিগত ত্র“টি কী?
উত্তর : পর্যবেক্ষকের নিজের কারণে পাঠে যে ত্র“টি আসে তাকে ব্যক্তিগত ত্র“টি বলে।
প্রশ্ন \ ২১ \ মাত্রা কী?
উত্তর : কোনো ভৌত রাশিতে উপস্থিত মৌলিক রাশিগুলোর সূচককে রাশিটির মাত্রা বলে।

 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন \ ১ \ মৌলিক রাশি ও লব্ধ রাশির পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যেসব রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ এবং যেগুলো অন্য রাশির ওপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের ওপর নির্ভর করে তাদের মৌলিক রাশি বলে। অপরদিকে, যেসব রাশি মৌলিক রাশির ওপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায় তাদের লব্ধ রাশি বলে।
মৌলিক রাশি মাত্র সাতটি, যেখানে লব্ধ রাশির সংখ্যা অগণিত। মৌলিক রাশির মাত্রা প্রকাশে একটিমাত্র চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, অপরদিকে লব্ধ রাশির মাত্রা প্রকাশে একাধিক চিহ্নের ব্যবহার প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ লব্ধ রাশি বলতে কী বোঝÑ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যেসব রাশি মৌলিক রাশির ওপর নির্ভর করে বা মৌলিক রাশি থেকে লাভ করা যায় তাদেরকে লব্ধ রাশি বলে।
যেমন : ত্বরণ = বেগসময় = দূরত্বসময়২।
ত্বরণ রাশিটি দূরত্ব ও সময় এই দুটি মৌলিক একক থেকে লাভ করা যায়। তাই ত্বরণ একটি লব্ধ রাশি।

প্রশ্ন \ ৩ \ এককের গুণিতক ও উপগুণিতক কেন ব্যবহার করা হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানের বহুসংখ্যক শূন্যযুক্ত মানসমূহ সাধারণভাবে লেখার সময় আমাদের সাবধান থাকতে হবে প্রতিক্ষেত্রে শূন্যের সংখ্যা ঠিকমতো উলে­খ করা হয়েছে কিনা। কিন্তু এই সংখ্যাটিকেই যদি আমরা এককের উপসর্গ ব্যবহার করে লিখি, তাহলে অনেক সুবিধাজনক, সংক্ষিপ্ত ও নির্ভুলভাবে লেখা সম্ভব হয়।
যেমন : ০.০০০০১m রাশিটিকে লেখা যেতে পারে ১০μm।

প্রশ্ন \ ৪ \ বলের মাত্রা MLT-2   ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বলের মাত্রা = MLT-2 = ML/T2= (ভরের মাত্রা × দৈর্ঘ্যরে মাত্রা)/(সময়ের মাত্রা)২
সুতরাং বল রাশিটি ভর, দৈর্ঘ্য এবং সময়-এ তিনটি মৌলিক রাশির ওপর নির্ভর করে বলে এটি লব্ধ রাশি এবং এর একক নিউটন =
= kgm/s2

প্রশ্ন \ ৫ \ একই রাশির একাধিকবার পরিমাপকৃত মানে অসামঞ্জস্যতা এড়াতে কী করতে হবে?
উত্তর : কোনো একটি ধ্র“ব রাশি কয়েকবার পরিমাপ করলে যে ত্র“টির কারণে পরিমাপকৃত মানে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় তা হলো দৈব ত্র“টি। সুতরাং দৈব ত্র“টিকে কমিয়ে আনতে হলে তথা একাধিকবার পরিমাপকৃত মানে অসামঞ্জস্যতা এড়াতে পরিমাপটি বার বার নিয়ে এদের গড় নিতে হয়।

প্রশ্ন \ ৬ \ নিউটন লব্ধ একক কেন?
উত্তর : আমরা জানি, বলের একক = ভরের একক × দূরত্বের একক(সময়ের একক)২
বা, ১ নিউটন =(১ কিলোগ্রাম × ১ মিটার)/সেকেন্ড২
এখানে, বল একটি লব্ধ রাশি যা তিনটি মৌলিক রাশি ভর, দূরত্ব এবং সময়ের সাথে সম্পর্কিত। ভর, দূরত্ব এবং সময়ের একক (মৌলিক একক) থেকে বলের একক নির্ণয় করা যায়। তাই বলের একক নিউটন একটি লব্ধ একক।

প্রশ্ন \ ৭ \ মাত্রা সমীকরণের প্রয়োজনীয়তা উলে­খ কর।
উত্তর : পদার্থবিজ্ঞানে মাত্রা সমীকরণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যেসব কারণে মাত্রা সমীকরণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে নিচে তা উলে­খ করা হলো :
১. যেকোনো ভৌত রাশির একক নির্ণয় করা যায়।
২. একককে এক পদ্ধতি থেকে অন্য পদ্ধতিতে রূপান্তর করা যায়।
৩. বিভিন্ন রাশির সমীকরণ গঠন করা যায়।
৪. যেকোনো ভৌত রাশির সমীকরণের নির্ভুলতা বা সতর্কতা যাচাই করা যায়।
৫. কোনো ভৌত সমস্যা সমাধান করা যায়।

প্রশ্ন \ ৮ \ এসআই (SI) একক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : এসআই এককের পুরো নাম International system of units| । বাংলায় বলা হয় এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি। এ International system বা আন্তর্জাতিক পদ্ধতিকে সংক্ষেপে বোঝাতে SI (এসআই) ব্যবহার করা হয়।
দৈনন্দিন কাজকর্ম ও ব্যবসা বাণিজ্যের কারণে প্রাচীনকাল থেকেই মাপ-জোখের প্রচলন ছিল। এ মাপ-জোখের জন্য বিভিন্ন রাশির স্থানীয় বা এলাকাভিত্তিক বহু এককের প্রচলন ছিল। বৈজ্ঞানিক তথ্যের আদান-প্রদান ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারের জন্য সারাবিশ্বে মাপÐজোখের একই রকম আদর্শের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ তাগিদে ১৯৬০ সাল থেকে দুনিয়া জোড়া বিভিন্ন রাশির একই রকম একক চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। এককের এ পদ্ধতিকে বলা হয় এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বা সংক্ষেপে এসআই (SI)।

প্রশ্ন \ ৯ \ স্ক্রু গজের ত্র“টি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্ক্রুর মাথা যখন স্থায়ী কীলক বা সমতল প্রান্ত স্পর্শ করে তখন বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগ রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগের সাথে মিলে যাওয়া উচিত। যদি না মিলে তাহলে বুঝতে হবে যান্ত্রিক ত্র“টি রয়েছে। বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগ যদি রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগের নিচে থাকে তাহলে যান্ত্রিক ত্র“টি হবে ধনাত্মক (+e) আর যদি বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগ রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগের উপরে থাকে তাহলে যান্ত্রিক ত্র“টি হবে ঋণাত্মক (-e)।

প্রশ্ন \ ১০ \ যান্ত্রিক ত্র“টি বলতে কী বোঝ?
উত্তর : স্লাইড কালিপার্সের ক্ষেত্রে, মূল স্কেলের চোয়াল ও ভার্নিয়ার স্কেলের চোয়াল যখন লেগে থাকে তখন সাধারণত ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগ প্রধান স্কেলের শূন্য দাগের সাথে মিলে যায়। যদি ভার্নিয়ার স্কেলের এ মূল স্কেলের শূন্য দাগ না মিলে তবে ঐ যন্ত্রে যান্ত্রিক ত্র“টি রয়েছে বলে মনে করা হয়। আবার স্ক্রু গজের ক্ষেত্রে, বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগ যখন রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগের সাথে না মিলে তবে ধরে নিতে হবে যন্ত্রে ত্র“টি রয়েছে। এ ত্র“টিকেই যান্ত্রিক ত্র“টি বলা হয়।

প্রশ্ন \ ১১ \ লঘিষ্ঠ গণন বলতে কী বোঝ?
উত্তর : স্ক্রু গজের বৃত্তাকার স্কেলের মাত্র একভাগ ঘুরালে স্ক্রুটি যতটুকু সরে আসে তাকে বলা হয় যন্ত্রের লঘিষ্ঠ গণন বা লঘিষ্ঠমান।
স্ক্রু গজের সাহায্যে পাঠ নেওয়ার আগে লঘিষ্ঠ মান নির্ণয় করতে হয়। বৃত্তাকার স্কেলের শূন্য দাগের সাথে রৈখিক স্কেলের শূন্য দাগ মিলিয়ে নিতে হয়। বৃত্তাকার স্কেলটিকে একবার ঘুরালে এর যতটুকু সরণ ঘটে এবং রৈখিক স্কেল বরাবর যে দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে তাকে ঐ যন্ত্রের দৌড় বা পিচ বলে। যন্ত্রের পিচকে বৃত্তাকার স্কেলের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে লঘিষ্ঠ মান পাওয়া যায়।

প্রশ্ন \ ১২ \ কোনো স্ক্রু গজের লঘিষ্ঠ গণন ০.০১ মিমি বলতে কী বোঝায়Ñ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কোনো স্ক্রু গজের লঘিষ্ঠ গণন ০০১ মিমি বলতে বোঝায় বৃত্তাকার স্কেলের মাত্র এক ভাগ ঘুরালে এর প্রান্ত বা স্ক্রুটি ০.০১ মিমি পরিমাণ সরে আসে। এক্ষেত্রে যন্ত্রটির পিচ এবং বৃত্তাকার স্কেলের ভাগসংখ্যার অনুপাতের মান ০০১ মিমির সমান।
সুতরাং বৃত্তাকার স্কেলের ভাগসংখ্যা ১০০ হলে পিচের মান = ১০০ × ০০১ মিমি = ১ মিমি।

প্রশ্ন \ ১৩ \ ভার্নিয়ার ধ্র“বক বলতে কী বোঝÑ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্লাইড ক্যালিপার্সে প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম এক ভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলের এক ভাগ যতটুকু ছোট তার পরিমাণকে ভার্নিয়ার ধ্র“বক বলে।
যেমন : ভার্নিয়ারের ১০ ভাগ প্রধান স্কেলের ৯ ক্ষুদ্রতম ভাগের সমান হলে ভার্নিয়ার প্রতিটি ভাগের দৈর্ঘ্য = ০৯ মিমি এবং এক্ষেত্রে ভার্নিয়ার ধ্র“বক, ঠঈ = ১১০ মিমি = ০১ মিমি = ০০১ সেমি।

 

Leave a Reply