পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব

অধ্যায় ১০ গণতান্ত্রিক মনোভাব
 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

 অল্পকথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ বিদ্যালয়ে এমন দুইটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা হয়, এমন দুইটি কাজ হলো :
শ্রেণিকক্ষ সাজানোর ব্যাপারে : শ্রেণির বিভিন্ন কাজ যেমন : চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ গোছানো ইত্যাদি সম্পর্কে সব সহপাঠীর সাথে আলোচনা করে করব।
বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বনভোজন ইত্যাদির ব্যাপারেও আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন \ ২ \ বাড়িতে এমন দুইটি কাজের কথা উল্লেখ কর যেখানে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উত্তর : বাড়িতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের মতামত শোনা প্রয়োজন। বাড়িতে গণতান্ত্রিক চর্চা হয় এমন দুইটি কাজ হলো :
১. কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে : কোনো জায়গা বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে একে অপরের মতামত নিতে পারি।
২. ঘরের বা বাড়ির কোনো জিনিস কেনার ব্যাপারে : বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র লাগে। তবে কোনটি বেশি প্রয়োজন তা সকলের মতামত নিয়ে যেটি সিদ্ধান্ত হবে সেটি কিনতে হবে।
প্রশ্ন \ ৩ \ বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ উল্লেখ কর।
উত্তর : বিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের চারটি ধাপ হলো :
১. সবার মতামত নেওয়া।
২. প্রত্যেকের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া ও শ্রদ্ধা করা।
৩. অধিকাংশের মতামতকে বিবেচনা করা।
৪. চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
 প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্ন \ ১ \ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় কীভাবে অর্জিত হয়েছিল?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধ আমাদের স্বাধীন একটি দেশ উপহার দিয়েছে, সেই সাথে দিয়েছে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ। ’৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘন্টা বাজিয়ে দেয় পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। এ প্রেক্ষাপটে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জনপ্রতিনিধিরাই স্বাধীন সরকার গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু সরকারও সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ২ \ কর্মক্ষেত্রে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়?
উত্তর : আমরা বিভিন্ন ধরনের কর্মের সাথে জড়িত। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র চর্চার জন্য সর্বস্তরের সহকর্মীদের সাথে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা উচিত। এর ফলে সকলেই সকলের গুরুত্ব বুঝতে পারবে ও নিজেদের মত প্রকাশে উৎসাহিত হবে। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের সেবা আরও ভালোভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারবে। এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি জনগণও উপকৃত হবে।
প্রশ্ন \ ৩ \ তোমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : মানুষ সামাজিক জীব। তাই মানুষ একে অপরের সাথে মিলেমিলে বসবাস করে। পাড়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে। তখন সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান করতে হয়। যেমন: এলাকায় একটি নতুন রাস্তা তৈরি করা হবে। কিন্তু প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা জায়গায় রাস্তা চায়। এমন অবস্থায় গণতান্ত্রিক উপায়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
১. পরিবার গণতন্ত্র চর্চার উৎকৃষ্ট স্থান। আমরা পরিবারে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারিÑ
ক. পরিবারের কথা না শুনে
খ. নিজের মতামত চাপিয়ে দিয়ে
গ. সবার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে চ
ঘ. পরিবারের সাথে ঝগড়া না করে
২. দেশের উন্নয়নে কী ধরনের নাগরিক প্রয়োজন?
ক. শিক্ষিত চ খ. নিরক্ষর
গ. ব্যবসায়ী ঘ. রাজনৈতিক নেতা
৩. নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষ পরিস্কার রাখার কাজে সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করবে। কারণÑ
ক. সকলেই একই ক্লাসে পড়ে বলে
খ. সকলে সমান বেতন ও ফি পরিশোধ করে বলে
গ. শ্রেণিশিক্ষক সকলকেই সমান চোখে দেখেন বলে
ঘ. সকলেই এর সুফল ভোগ করবে বলে চ
৪. তোমাদের শ্রেণিতে দলনেতা নির্বাচন করতে চাও। এক্ষেত্রে কার মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিবে?
ক. ধনী খ. মেয়েদের গ. শিক্ষকের ঘ. সকলের চ
৫. প্রকৃত গণতন্ত্র দেশের জন্য খুবই কল্যাণকর। আমরা দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিÑ
ক. মানুষের কুৎসা রটিয়ে
খ. মত প্রকাশের সুযোগ দিয়ে চ
গ. রাজনীতিতে অংশ নিয়ে
ঘ. সরকারের সমালোচনা করে
৬. জাতীয় নির্বাচনে আমাদের কেমন পার্থী নির্বাচিত করা উচিত?
ক. ধনী খ. গরিব গ. সৎ চ ঘ. ব্যবসায়ী
৭. কালমেঘা এলাকার জনগণ শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে আগ্রহী। এ উদ্দেশ্যে তাদের কেমন মনোভাব সম্পন্ন হতে হবে?
ক. গণতান্ত্রিক চ খ. একনায়কতান্ত্রিক
গ. রাজতান্ত্রিক ঘ. স্বৈরতান্ত্রিক
৮. আমরা স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগত কাজে কোন ধরনের কাজ করলে সঠিক লাভবান হব?
ক. একক কাজ খ. দলগত কাজ চ
গ. যৌথ কাজ ঘ. সবগুলো
৯. রাকিব ও রিয়া এবার ছুটিতে কোথায় বেড়াতে যাবে তা নিয়ে বাবা-মার সাথে আলোচনা করেছে। তাদের ঐ আচরণের সাথে মিল রয়েছেÑ
ক. স্কুলে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা
খ. বাড়িতে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা চ
গ. সমাজে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা
ঘ. রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা
১০. কোনো কাজ করতে গেলে তুমি নিচের কোনটিকে অধিক কার্যকর মনে কর?
ক. শিক্ষকের সিদ্ধান্ত খ. নিজের সিদ্ধান্ত
গ. প্রিয় বন্ধুর সিদ্ধান্ত ঘ. দলগত সিদ্ধান্ত চ
১১. পঞ্চম শ্রেণিতে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে কোন পদ্ধতিটি তুমি সমর্থন করবে?
ক. শিক্ষকের মতে নির্বাচন খ. একজনের মতে নির্বাচন
গ. গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনচ ঘ. ইচ্ছেমত নির্বাচন
১২. তোমার শ্রেণিতে নেতা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত বেশি উপযোগী বলে মনে কর?
ক. অধিকাংশের মতামত চ খ. শিক্ষকের নিজস্ব পছন্দ
গ. মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়া ঘ. দুষ্ট শিক্ষার্থী হওয়া চ
১৩. আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কোনটি?
ক. সংবিধানচ খ. গণতন্ত্র গ. সমাজতন্ত্র ঘ. রাজতন্ত্র
১৪. আমরা গণতান্ত্রিক আচরণ করব কেন?
ক. নিজের স্বার্থের জন্য খ. কোনো উদ্দেশ্যে নয়
গ. স্বৈরাচারী শাসনের জন্য ঘ. গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য চ
১৫. আমরা বাড়িতে যেকোনো কাজে কী রকম মনোভাব দেখাব?
ক. গণতান্ত্রিক মনোভাব চ খ. একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব
গ. তাচ্ছিল্যের মনোভাব ঘ. কোনোটিই নয়
১৬. আমরা বিভিন্ন কাজের সিদ্ধান্ত কীসের ভিত্তিতে গ্রহণ করব?
ক. নিজস্ব মতের ভিত্তিতে খ. বন্ধুদের মতের ভিত্তিতে
গ. আত্মীয়স্বজনের মতের ভিত্তিতে ঘ. অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে চ
১৭. শ্রেণিনেতাকে আমরা বিভিন্ন কাজে সহায়তা করব কেন?
ক. আমাদের সহপাঠী খ. আমাদের নির্বাচিত নেতা চ
গ. লেখাপড়ায় ভালো ঘ. শিক্ষক পছন্দ করেন
১৮. তোমাদের শ্রেণিতে লায়লা দলনেতা নির্বাচিত হয়েছে, এ ক্ষেত্রেÑ
ক. অধিকাংশ শিক্ষার্থী লায়লাকে দলনেতা বানাতে চেয়েছে চ
খ. অন্য কেউ দলনেতা হতে চায়নি
গ. শিক্ষক লায়লাকে বেশি পছন্দ করেন
ঘ. লায়লা জোর করে দলনেতা হয়েছে
১৯. সবার মতকে সম্মান করা এবং অধিকাংশের মত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া কীসের মূলকথা?
ক. রাজতন্ত্রের খ. নিয়মতন্ত্রের
গ. সমাজতন্ত্রের ঘ. গণতন্ত্রের চ
২০. স¤প্রতি তোমার ক্লাসে শ্রেণিনেতা নির্বাচন হয়েছে। শ্রেণিনেতা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট যে পেয়েছে তাকে কী করা হলো?
ক. প্রধান শ্রেণিনেতা চ খ. দ্বিতীয় শ্রেণিনেতা
গ. অবহেলা করা ঘ. এড়িয়ে চলা
২১. ঝিনুর, মা, বাবা ও ভাইয়া সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল, আগামী শীতকালীন ছুটিতে তারা কক্সবাজার বেড়াতে যাবে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনটিকে সমর্থন করছে?
ক. তাদের বাড়িতে গণতন্ত্রের চর্চা হয় চ
খ. গণতন্ত্র সমর্থন করে না
গ. সবাই নিজের মত করে চলে
ঘ. সবাই স্বাধীনভাবে চলে
২২. আমাদের সকলকে গণতান্ত্রিক মনোভাব অর্জন ও চর্চা করতে হবে কেন?
ক. সমাজকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য চ
খ. পরিবারকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য
গ. দলকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য
ঘ. ব্যবসা সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য
২৩. তোমার সমাজকে সুন্দর করতে তুমি কোনটি সমর্থন করবে?
ক. দুর্নীতি খ. ঘুষ লেনদেন
গ. গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চ ঘ. স্বৈরাচারী শাসন
২৪. অধিকাংশ মতামতের প্রতি আমাদের কী করা উচিত?
ক. ঘৃণা প্রদর্শন করা খ. শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা চ
গ. অবহেলা করা ঘ. এড়িয়ে চলা
২৫. শ্রেণিনেতা নির্বাচনে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছালাম। এক্ষেত্রে ঐকমত্য বলতে যা বোঝায়Ñ
ক. দু-চার জনের অভিন্ন মত
খ. একশ জনের অভিন্ন মত
গ. অর্ধেক মানুষের অভিন্ন মত
ঘ. অধিকাংশের অভিন্ন মত চ
২৬. কোন রাজনীতি আমাদের পরমতহিষ্ণুতা এবং সহনশীলতা শিক্ষা দেয়?
ক. স্বৈরতন্ত্র খ. সমাজতন্ত্র গ. গণতন্ত্র চ ঘ. রাজতন্ত্র
২৭. জামাল পরমতসহিষ্ণু। সে কী করবে?
ক. নিজের মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
খ. অন্যের মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন চ
গ. পিতার মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
ঘ. মাতার মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন
২৮. শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য অপরিহার্য কী?
ক. গণতান্ত্রিক মনোভাব চ খ. সা¤প্রদায়িকত মনোভাব
গ. অগণতান্ত্রিক মনোভাব ঘ. শৈল্পিক মনোভাব
২৯. এদেশের জনগণ দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে কেন?
ক. স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খ. সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য
গ. গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চ ঘ. আমলাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য
৩০. আমরা শ্রেণিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনটি নির্বাচন করি? [উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. শিক্ষক খ. শিক্ষিকা গ. ছাত্র ঘ. দলনেতা চ
৩১. শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের অপরিহার্য শর্ত কী?
ক. রাজনৈতিক ঐক্য খ. সামাজিক ঐক্য
গ. গণতান্ত্রিক মনোভাব চ ঘ. অর্থনৈতিক মুক্তি
৩২. কোনো বিষয়ে একমত হওয়ার জন্য কোনটি প্রয়োজন?
ক. বল পয়োগ খ. সহনশীলতা চ
গ. স্বচ্ছতা ঘ. প্রাধান্য রক্ষা
৩৩. আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা দরকার। সর্বাগ্রে এজন্য কী করতে হবে?
ক. স্বাধীন মতামত প্রকাশ খ. সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
গ. সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা চঘ. সর্বক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা
৩৪. গণতন্ত্র প্রচলিত থাকলে সমাজের সদস্যরা কীসের সুযোগ পায়?
ক. রাজতন্ত্রের খ. রাস্তা ব্যবহারের
গ. সম্পদ ভোগের ঘ. মত প্রকাশের চ
৩৫. ক্লাসে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ গোছানো, শ্রেণিকক্ষ সাজানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে কার মতকে অবলম্বন করা উচিত?
ক. শ্রেণিনেতার খ. শিক্ষকের গ. সকলের চ ঘ. বন্ধুদের
৩৬. আমাদের সমাজটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কোনটি প্রয়োজন?
ক. সমাজতন্ত্রের চর্চা খ. গণতন্ত্রের চর্চা চ
গ. রাজতন্ত্রের চর্চা ঘ. স্বৈরতান্ত্রিক চর্চা
৩৭. সমাজের মানুষ পরমতসহিষ্ণু না হলে সমাজে কী ঘটবে?
ক. শৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে খ. অশান্তি বিরাজ করবে চ
গ. স¤প্রীতি বিরাজ করবে ঘ. মানুষের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হবে
৩৮. আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এ ব্যবস্থা দেশের মানুষদের কীসের সুযোগ করে দেয়?
ক. মত প্রকাশের চ খ. শৃঙ্খলা বজায় রাখার
গ. খাদ্য খাবারের ঘ. উপযুক্ত বাসস্থানের
 সাধারণ
৩৯. গণতন্ত্রের অর্থ কী?
ক. পরিবারের শাসন খ. ব্যক্তির শাসন
গ. রাজনৈতিক দলের শাসন ঘ. জনগণের শাসন চ
৪০. গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়?
ক. একজনের মত খ. দলনেতার মত
গ. ২ বা ৩ জনের মত ঘ. অধিকাংশের মত চ
৪১. বাংলাদেশ কী ধরনের রাষ্ট্র?
ক. গণতান্ত্রিক চ খ. একনায়কতান্ত্রিক
গ. সমাজতান্ত্রিক ঘ. স্বৈরতান্ত্রিক
৪২. আমাদের কোথায় গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করা উচিত?
ক. বাড়ি খ. সকল ক্ষেত্রে চ
গ. বিদ্যালয় ঘ. শ্রেণিকক্ষে
৪৩. স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাদের অংশগ্রহণ করা উচিত?
ক. শুধু মেয়েদের খ. যাদের হাতের লেখা সুন্দর
গ. সবার চ ঘ. যারা মেধাবী তথা বুদ্ধিমান
৪৪. সিন্ধান্ত গ্রহণের সময় কী আসতে পারে?
ক. বাধা খ. বিভিন্ন রকম মত চ
গ. সমস্যা ঘ. অসহযোগিতা
৪৫. দলে কাজ করতে হলে কী করতে হয়?
ক. দলনেতা নির্বাচন করতে হয় চ
খ. নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে হয়
গ. অন্যের সাথে পরামর্শ করে
ঘ. অন্যের সুবিধানুযায়ী কাজ করতে হয়
৪৬. কোন শাসনব্যবস্থায় জনগণ সকল ক্ষমতার অধিকারী?
ক. গণতান্ত্রিক চ খ. রাজতান্ত্রিক
গ. সমাজতান্ত্রিক ঘ. একনায়কতান্ত্রিক
৪৭. কীসের অর্থ জনণের শাসন?
ক. মানবিকতার খ. প্রতিদিনের অভাব
গ. গণতন্ত্রের চ ঘ. শান্তির
৪৮. অন্যের দেওয়া মতামতকে আমরা কী করব?
ক. বিনা বাক্যে গ্রহণ করব খ. গ্রহণ করা যাবে না
গ. খণ্ডন করতে হবে ঘ. সম্মান করতে হবে চ
৪৯. কারও একার মতে সিদ্ধান্ত নিলে কী হয়?
ক. সর্বদা সঠিক হয় খ. ভুল হতে পারে চ
গ. কাজ দ্রæত হয় ঘ. কাজ ধীরে হয়
৫০. কার নেতৃত্বে দলের কাজ করা হয়?
ক. দলনেতার চ খ. ছাত্রনেতার
গ. যুবনেতার ঘ. শ্রমিক নেতার
৫১. অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিলে সমাজে কী প্রতিষ্ঠিত হয়?
ক. শান্তি চ খ. অশান্তি
গ. রীতিনীতি ঘ. দায়িত্ব ও কর্তব্য
৫২. গণতান্ত্রিক মনোভাব হলো Ñ
ক. ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণ চ খ. ব্যক্তিহীন অসামাজিক গুণ
গ. আর্থিক ও পারিপাশ্বিক ঘ. ধর্মীয় ও নৈতিক গুণ
৫৩. শ্রেণিনেতা হবে কতজন?
ক. ১ জন খ. ২ জনচ গ. ৩ জন ঘ. ৪ জন
৫৪. কোন রাষ্ট্রে গণতন্ত্র নেই?
ক. ভারত খ. আমেরিকা গ. বাংলাদেশ ঘ. কিউবা চ
৫৫. নিচের কোনটি এশিয়ার গণতান্ত্রিক দেশ?
ক. কিউবা খ. রাশিয়া গ. বাংলাদেশচ ঘ. জার্মানি
৫৬. শ্রেণি ও বিদ্যালয়ের কাজে আমরা কী ধরনের আচরণ করব?
ক. স্বৈরাচারী আচরণ খ. কঠোর আচরণ
গ. গণতান্ত্রিক আচরণ চ ঘ. কোনোটিই নয়
৫৭. দলনেতা নির্বাচনের সময় আমাদের মনোভাব কেমন হবে?
ক. স্বৈরাচারী মনোভাব খ. একনায়কতন্ত্র মনোভাব
গ. গণতান্ত্রিক মনোভাব চ ঘ. শান্ত মনোভাব
৫৮. অধিকাংশের মত বলতে বোঝায়Ñ
ক. অর্ধেক মানুষের মত
খ. অর্ধেকের কম মানুষের মত
গ. সকল মানুষের মত
ঘ. অর্ধেকের বেশি মানুষের মত চ
৫৯. গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পূর্বশর্ত কোনটি?
ক. স্বাধীন মতামত প্রকাশ খ. সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
গ. সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা ঘ. সর্বক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা চ
৬০. গণতন্ত্রে কীসের প্রভাব বেশি?
ক. আবেগের খ. জনমতের চ
গ. নির্বাচনের ঘ. শাসকের
৬১. গণতান্ত্রিক মনোভাব কী?
ক. সকলের মতামত মানা
খ. নিজ মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া
গ. অধিকাংশের মতামত মানা চ
ঘ. অধিকাংশের মতামত গ্রহণ না করা
৬২. শ্রেণিনেতা নির্বাচন করা যায় কীভাবে?
ক. ভোটদানের মাধ্যমে চ খ. যে সবচেয়ে দেখতে সুন্দর
গ. যে ক্লাসে প্রথম ঘ. শ্রেণিশিক্ষকের ইচ্ছা অনুযায়ী
৬৩. বাংলাদেশ কী ধরনের রাষ্ট্র?
ক. গণতান্ত্রিক চ খ. স্বৈরতান্ত্রিক
গ. সমাজতন্ত্র ঘ. রাজতন্ত্র
৬৪. পরিবারে কোনো সমস্যা দেখা দিলে কার মতামত নিলে ভালো হয়?
ক. শুধু পিতার খ. মা-বাবার
গ. বড় ভাই ও বাবার ঘ. পরিবারের সকল সদস্যের চ

 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : স্কুলের প্রধান শিক্ষক যেকোনো কাজে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। শিক্ষকের আচরণে কোনটি প্রকাশ পায়?
উত্তর : শিক্ষকের আচরণে গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ পায়।
প্রশ্ন-২ : সুমন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। তার ক্লাসে কীভাবে শ্রেণিনেতা নির্বাচিত হবে?
উত্তর : তার ক্লাসে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে শ্রেণিনেতা নির্বাচিত হবে।
প্রশ্ন-৩ : ‘ক’ দেশে জনগণের শাসন বিদ্যমান। ‘ক’ দেশে কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান?
উত্তর : ‘ক’ দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান।
প্রশ্ন-৪ : শ্রেণিশিক্ষক সকলের ভোটে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করেন। এতে কোনটি প্রকাশ পায়?
উত্তর : এতে গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ পায়।
প্রশ্ন-৫ : শিক্ষক আহাদ শ্রেণিনেতাকে শ্রেণিকক্ষ সাজানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেন। শ্রেণিনেতা কাজটি কীভাবে করবে?
উত্তর : শ্রেণিনেতা সকলের মতের ভিত্তিতে কাজটি করবে।
প্রশ্ন-৬ : সিফাতদের বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে সিফাতরা কীভাবে কাজ করবে?
উত্তর : সিফাতরা সকলের মতের ভিত্তিতে কাজ করবে।
প্রশ্ন-৭ : মিসেস হাবিবা বাড়ির সকল সিদ্ধান্ত নিজেই গ্রহণ করেন। তার আচরণে কীসের অভাব রয়েছে?
উত্তর : তার আচরণে গণতান্ত্রিক মনেভাবের অভাব রয়েছে।
প্রশ্ন-৮ : ঝুমার মা প্রতিদিন সবার পছন্দের খাবার তৈরি করে দেন। এখানে কোন বৈশিষ্ট্যটি ফুটে উঠেছে?
উত্তর : এখানে গণতান্ত্রিক মনোভাব বৈশিষ্ট্যটি ফুটে উঠেছে।
প্রশ্ন-৯ : শফিকুল ইসলাম তার প্রতিষ্ঠানের সেবার মান উন্নত করতে চান। এক্ষেত্রে তার কী করা উচিত?
উত্তর : এক্ষেত্রে তার অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করা উচিত।
প্রশ্ন-১০ : রিয়াজ সাহেব তার প্রতিষ্ঠানের সকল কর্র্মীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। ফলে কর্মীদের মধ্যে কোনটি ঘটবে?
উত্তর : সকল কর্মীরা নিজেদের মত প্রকাশে উৎসাহী হবে।
প্রশ্ন-১১ : আমাদের দেশের শাসনব্যবস্থায় জনগণের শাসন বিদ্যমান। আমাদের দেশে কোন শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান?
উত্তর : আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান।
প্রশ্ন-১২ : তোমাদের শ্রেণিতে দলনেতা নির্বাচন করতে চাও। এক্ষেত্রে কার মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিবে?
উত্তর : এক্ষেত্রে সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিব।
প্রশ্ন-১৩ : তোমার একজন বন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় তোমার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। তুমি কী করবে?
উত্তর : আমি তাকে অভিনন্দন জানাব।
প্রশ্ন-১৪ : প্রকৃত গণতন্ত্র দেশের জন্য খুবই কল্যাণকর। আমরা দেশে কীভাবে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি?
উত্তর : সবাইকে মত প্রকাশের সুযোগ দিয়ে আমরা দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
প্রশ্ন-১৫ : আমাদের দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আমাদের কেমন প্রার্থী নির্বাচিত করা উচিত?
উত্তর : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সৎ প্রার্থী নির্বাচিত করা উচিৎ।
প্রশ্ন-১৬ : এদেশের জনগণ দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে। এ সংগ্রামের কারণ কী?
উত্তর : এদেশের জনগণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে।
প্রশ্ন-১৭ : পরমতসহিষ্ণুতা একটি সামাজিক গুণ। এটি কী?
উত্তর : পরমতসিহষ্ণুতা হলো অন্যের মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
 সাধারণ
প্রশ্ন-১৮ : গণতান্ত্রিক মনোভাব কী?
উত্তর : অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সম্মান করাকে বলে গণতান্ত্রিক মনোভাব।
প্রশ্ন-১৯ : গণতান্ত্রিক মনোভাব কোন ধরনের গুণ?
উত্তর : গণতান্ত্রিক মনোভাব একটি ভালো গুণ
প্রশ্ন-২০ : শ্রেণিকক্ষে গণতন্ত্র চর্চার ১টি উপায় লেখ।
উত্তর : শ্রেণিকক্ষে গণতন্ত্র চর্চার ১টি উপায় হলো, সবার মতামত নিয়ে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করা।
প্রশ্ন-২১ : কোনটি প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের জনগণ দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে?
উত্তর : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের জনগণ দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছে।
প্রশ্ন-২২ : আমরা কোথায় কোথায় গণতান্ত্রিক আচরণ করব?
উত্তর : আমরা পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে এককথায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক আচরণ করব।
প্রশ্ন-২৩ : গণতন্ত্র কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : গণতন্ত্র কথাটির অর্থ জনগণের শাসন।
প্রশ্ন-২৪ : নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রের প্রয়োজন কেন?
উত্তর : গণতন্ত্র মানুষকে মত প্রকাশের সুযোগ দেয় তাই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রের প্রয়োজন।
প্রশ্ন-২৫ : গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?
উত্তর : গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অধিকাংশের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশ্ন-২৬ : গণতন্ত্র আমাদের কী শোখায়?
উত্তর : গণতন্ত্র আমাদেরকে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে এবং সকল কাজ ঐক্যমতের ভিত্তিতে করতে, এক কথায় সকল কাজে শৃঙ্খলাবোধ শিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন-২৭ : দেশকে উত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার উপায় লিখ।
উত্তর : জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে দেশকে উত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা যাবে।
প্রশ্ন-২৮ : গণতন্ত্রের রীতিনীতি কোথায় চর্চা করা উচিত?
উত্তর : আমাদের বাড়ি, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ ইত্যাদি সব জায়গায় গণতন্ত্রের রীতিনীতি চর্চা করা উচিত।
প্রশ্ন-২৯ : কোন রাষ্ট্রতন্ত্র মানুষকে মত প্রকাশের সুযোগ দেয়?
উত্তর : গণতন্ত্র মানুষকে মত প্রকাশের সুযোগ দেয়।
প্রশ্ন-৩০ : কোনো বিষয়ে বিভিন্ন মত থাকলে কীভাবে একমতে পৌঁছানো যায়?
উত্তর : কোনো বিষয়ে বিভিন্ন মত থাকলে সবাই মিলে আলাপ আলোচনা করে একমতে পৌঁছাতে হবে।
প্রশ্ন-৩১ : গণতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তর : গণতন্ত্র এমন এক শাসনব্যবস্থা যেখানে ক্ষমতা একজনের হাতে না থেকে সমাজের সকলের হাতে ন্যস্ত থাকে।
প্রশ্ন-৩২ : গণতন্ত্রের মূলকথা কী?
উত্তর : গণতন্ত্রের মূলকথা হলো সবার মতকে সম্মান করা এবং অধিকাংশের মত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেয়া।
প্রশ্ন-৩৩ : আমরা কীভাবে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করব?
উত্তর : আমরা শ্রেণির সবার মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করব।
প্রশ্ন-৩৪ : বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কী?
উত্তর : আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি গণতন্ত্র ।
প্রশ্ন-৩৫ : বাড়িতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কাদের মতামত শোনা প্রয়োজন?
উত্তর : বাড়িতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একে অপরের মতামত শোনা প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৩৬ : বাংলাদেশ একটি কীরূপ রাষ্ট্র?
উত্তর : বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।

 কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : গণতান্ত্রিক মনোভাব কাকে বলে? তোমার বাড়িতে ও বিদ্যালয়ে গণতন্ত্র চর্চার দুইটি করে উপায় লেখ।
উত্তর : অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সম্মান করাকে গণতান্ত্রিক মনোভাব বলে।
আমাদের বাড়িতে গণতন্ত্র চর্চার দুটি উপায় হলো :
১. কোনো জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা একে অপরের মতামত নিই এবং অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে জায়গাটি নির্দিষ্ট করি।
২. কী রান্না হবে? এ ব্যাপারে আমরা পরিবারের সবার মতামত নিই এবং অধিকাংশের পছন্দের খাবার রান্না করি।
আমাদের বিদ্যালয়ে গণতন্ত্র চর্চার দুটি উপায় হলো :
১. ক্লাসের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা সকলের মতামত নিই এবং অধিকাংশ যার প্রতি সমর্থন দেয়, তাকে ক্লাস প্রতিনিধি নির্বাচন করি।
২. বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমরা সকল সহপাঠীরা মতামত দিই এবং অধিকাংশের মতকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি ।
প্রশ্ন-২ : পরিবার ও বিদ্যালয়ে আমরা কীভাবে গণতন্ত্র চর্চা করি?
উত্তর : পরিবার ও বিদ্যালয়ে গণতন্ত্র চর্চার প্রক্রিয়াসমূহ হলো :
পরিবার : আমরা পরিবারের বিভিন্ন কাজে গণতান্ত্রিক মনোভাব দেখাতে পারি। যেমন : কোথায় ও কীভাবে বেড়াতে যাব, ঘরের কী জিনিস কিনব, কীভাবে ঘর সাজাব, উৎসব অনুষ্ঠানে কী করব এসব কাজসহ পরিবারের বিভিন্ন কাজে মা-বাবা, ভাই-বোন অন্য সকলে মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
বিদ্যালয় : বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজ অধিকাংশের মত অনুযায়ী করব। শ্রেণির বিভিন্ন কাজ যেমন : চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ গোছানো ইত্যাদি সম্পর্কে সব সহপাঠীর সাথে আলোচনা করে করব। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন : সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বনভোজন ইত্যাদির ব্যাপারেও আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন-৩ : আমরা কীভাবে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে পারি? একটি উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : আমরা যেভাবে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারি : আমরা বাড়িতে বিভিন্ন কাজে গণতান্ত্রিক মনোভাব দেখাব। পরিবারের বিভিন্ন কাজ যেমন : কোথায় ও কীভাবে বেড়াতে যাব, ঘরের কী জিনিস কিনব, কীভাবে ঘর সাজাব, উৎসব অনুষ্ঠানে কী করব, কী রান্না হবে এ কাজগুলো বাবা-মা, ভাইবোন সকলে মিলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আর এভাবেই আমরা পরিবারে গণতন্ত্র চর্চা করতে পারি।
প্রশ্ন-৪ : কীভাবে আমাদের দেশটা উত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে?
উত্তর : গণতন্ত্র শব্দের অর্থ জনগণের শাসন, সবার মতকে সম্মান দেওয়া, অধিকাংশের মতকে গুরুত্ব দেওয়া। কাউকে কোনো কাজে জোর না করা। পরমতসহিষ্ণু ও সহনশীল হওয়া। মানুষকে মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা। এ প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের দেশটা উত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।
প্রশ্ন-৫ : তোমাদের পরিবার দাদা-দাদি, ভাইবোন ও মা-বাবাসহ মোট ৭ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। কীভাবে বাড়িতে গণতান্ত্রিক মনোভাবের চর্চা করবে তার একটি বর্ণনা পাঁচ বাক্যে লিখ।
উত্তর : আমি আমাদের বাড়িতে পরিবারের সবার সাথে বিভিন্নভাবে গণতান্ত্রিক মনোভাবে চর্চা করতে পারি। যেমন :
১. বাড়ির দৈনন্দিন কাজ সমাধান করার ক্ষেত্রে কার কী দায়িত্ব তা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা।
২. ছুটির সময় কোথায়, কীভাবে বেড়াতে যাব তা ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঠিক করা।
৩. সবার মতের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করা।
৪. বিভিন্ন উৎসবে পরিবারের সদস্যের ভ‚মিকা নির্ধারণ করা।
৫. পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া।
প্রশ্ন-৬ : গণতান্ত্রিক মনোভাব কী ধরনের গুণ? গণতান্ত্রিক মনোভাব সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : গণতান্ত্রিক মনোভাব একটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক গুণ। গণতান্ত্রিক মনোভাব সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো :
১. গণতান্ত্রিক মনোভাব হচ্ছে অধিকাংশ লোকের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
২. সে সিদ্ধান্তকে সম্মান করা।
৩. গণতান্ত্রিক মনোভাবের জন্য প্রয়োজন ঐকমত্য।
৪. সমাজের সব সদস্যের এ গুণটি থাকা উচিত।
প্রশ্ন-৭ : গণতন্ত্রের মূলকথা কী? গণতন্ত্র সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ। গণতন্ত্রের দুইটি উপকারিতা লেখ।
উত্তর : গণতন্ত্রের মূলকথা হলো সবার মতকে সম্মান করা এবং অধিকাংশের মত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
গণতন্ত্র সম্পর্কে দুইটি বাক্য হলো :
১. গণতন্ত্রে সবার মতামতকে গ্রহণ করা হয়।
২. গণতন্ত্রে কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা হয় না।
গণতন্ত্রের দুটি উপকারিতা হলো : গণতন্ত্র মানুষকে মিলেমিশে চলতে শেখায় যা সমাজে শান্তি ও স¤প্রীতি নিয়ে আসে। রাষ্ট্রের উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো গণতন্ত্র।
 সাধারণ
প্রশ্ন-৮ : আমরা কীভাবে শ্রেণিনেতা নির্বাচন করব তা সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : শিক্ষক প্রথমে কারা শ্রেণিনেতা হতে ইচ্ছুক এমন পাঁচজনের নাম বোর্ডে লিখবেন। তারপর সাধারণ ছাত্রদের সেখান থেকে দুজন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য সবার হাতে দুটি কাগজ দেবেন। সবার মত দেওয়া হলে শিক্ষক কাগজগুলো খুলে গণনা করে কার পক্ষে কতজন মত দিয়েছেন তা বোর্ডের লেখা নামগুলোর পাশে লিখবেন। যে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে তাকে প্রথম শ্রেণিনেতা ও যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাবে তাকে দ্বিতীয় শ্রেণিনেতা নির্বাচন করবেন। এভাবেই আমরা শ্রেণিনেতা নির্বাচন করব।
প্রশ্ন-৯ : কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা অপরের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে থাকি?
উত্তর : রাষ্ট্র আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। সমাজের বিভিন্ন বিরোধ আমরা সবাই মিলে সালিশের মাধ্যমে সমাধান করি। সালিসের মধ্যে বিভিন্নজন বিভিন্ন মতামত দেন। গণ্যমান্য ব্যক্তি মিলে এসব মতামতের মধ্যে যৌক্তিক মতামতের ভিত্তিতে বিরোধের সমাধান করেন। পারিবারিক জীবনেও আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবারের সকলের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিশেষ করে, বড়দের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে থাকি। তাই সকল ক্ষেত্রে তথা পরিবার, বিদ্যালয় ও দেশের মানুষের সকল যৌক্তিক মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করি।

 

Leave a Reply