You are currently viewing ৪র্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

৪র্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান

৪র্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ পোস্টে সকলকে স্বাগতম। এখানে তোমরা তোমাদের ষষ্ঠ শ্রেণির বা ও বি ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ এর উত্তর পেয়ে যাবে।

৪র্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট

৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যারা এখনো তোমাদের ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২০২২ এর প্রশ্নগুলো দেখোনি তারা নিচের প্রশ্নের ছবি থেকে পড়ে নিতে পারো।

আাজ আমরা তোমদের যে ৪র্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান প্রদন করবো তা অনেক ছোট হবে। তোমরা অনলাইনে অনেক বড় বড় উত্তর দেখতে পাবে। আসলে তারা বই থেকে কপি পেস্ট করে লিখেছে। কিন্তু সেটা তোমরা লিখলে তোমদের এসাইনমেন্ট উত্তর খুব একটা ভালো হবেনা।

তাই চলো আমরা প্রথমে ৪র্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্নগুলো দখে নিই।

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন

৪র্থ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট নম্বরঃ ০২

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ ‘ সিন্ধু সভ্যতা ওয়ারী বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো উন্নতমানের প্রাচীন এঁতিহ্যকে প্রদান করে ‘।

 

অ্যাসাইনমেন্ট শুরু

ক) সিন্ধু সভ্যতাঃ সিন্ধু সভ্যতা ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম নগর সভ্যতা | এ সভ্যতাটি খ্রিষ্টপূর্ব ২৭০০ অব্দে সিন্ধু, স্বরস্বতী, হাকরা ইত্যাদি নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল ।

 সিন্ধু সভ্যতার বৈশিষ্ট্যঃ সিন্ধু সভ্যতার রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য। নিচে তেমন কিছু বৈশিষ্ট্য লেখা হলো-

পরিকক্সিত নগরায়নঃ সিন্ধু সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো পরিকল্পিত নগরায়ন। কেননা সেখানকার একতলা ও দোতালা বাড়িগুলো ছিল খুব পরিকল্পিত । যেখানে চলাফেরা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ছিল পরিকল্পিত

বাণিজ্যকতাঃ সিন্ধু সভ্যতায় নিজেদের মধ্যে এবং বিদেশের সাথে বাণিজ্যের ব্যবস্থা ছিল।

উন্নত সড়ক ব্যবস্থাঃ একটি উন্নত সড়ক ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন উপাদান প্রয়োজন। যেমন ড্রেন, সড়কবাতি, রাস্তার পাশের ডাস্টবিন ইত্যাদি । আর এসবই ছিল সিন্ধু সভ্যতার বৈশিষ্ট্য।

আধুনিক কৃষিব্যবস্থাঃ কৃষকরা যেন তাদের শস্য ঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে বা বিপদের সময় শস্যের ঘাটতি না হয় সেজন্য সিন্ধু সভ্যতায় ছিল বিশাল শস্যাগার।

খ) উন্নত নগর পরিকল্পনার সাথে সিন্ধু সভ্যতার সদুশ্যঃ উন্নত নগর পরিকল্পনার সাথে সিন্ধু সভ্যতার যেসব সদৃশ্যতা আছে নিচে লেখা হলো-

  • বর্তমান নগর পরিকল্পনায় যেমন সর্বত্র গোসল করার জন্য সুইমিংপুলের ব্যবস্থা আছে তেমনি সিন্ধু সভ্যতায় ছিল বিশাল আকারের গোসলখানা।
  • বর্তমান নগর পরিকল্পনায় যেমন ময়লা ফেলার জন্য কিছুদূর পরপর ডাস্টবিন থাকে তেমনি তখনও ডাস্টবিন ছিল।
  • বর্তমান নগর পরিকল্পনায় রাস্তার মানুষ যেন ঠিকভাবে ও নিরাপদে চলাচল করতে পারে সেজন্য সড়ক বাতি থাকে তেমনি সিন্ধু সভ্যতায় রাস্তার পাশে সড়ক বাতি ছিল।
  • গৃহস্থালি পানি এবং বর্ষার পানি বাড়ি ও রাস্তা হতে যেন সহজেই নেমে যেতে পারে সেজন্য বর্তমান সময়ের মত সিন্ধু সভ্যতায় উন্নত ড্রেনের ব্যবস্থা ছিল।

গ) উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো উন্নত এঁতিহ্যের প্রমাণঃ উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড় বাংলাদেশের প্রাচীন নগর সভ্যতা। ফলে এ দুটি স্থান হতে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো আমাদের এঁতিহ্যকে তুলে ধরে । এ দুটি জায়গায় প্রাপ্ত নিদর্শনগুলোর মধ্যে আছে মূল্যবান পাথর, মুদ্রা, শিল্পকর্ম, ইট নির্মিত স্থাপত্য, দুর্গ ইত্যাদি যা সেসময়ে সব জায়গায় সমানভাবে সমাদৃত হত । এমনি এসব নির্দশন দেখতে অনেক মানুষ সেসব জায়গায় যায় । আর মানুষ তখনই কোন কিছু দেখতে বা জ্ঞান আহোরণ করতে যায় যা ব্যক্তির নিকট অর্থবহ হয় । তাই অবশ্যই বলা যায় যে, উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো উন্নত এঁতিহ্যের প্রমাণ করে।

অ্যাসাইনমেন্ট শেষ

আরো পড়ুনঃ 

 

Leave a Reply