পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায় ৪ আমাদের অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প

অধ্যায় ৪ আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প

 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান

 অল্পকথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন-১ : আমাদের দেশের পাঁচটি শস্যের নাম লেখ।
উত্তর : আমাদের প্রধান পাঁচটি শস্যের নাম হলো : ১. ধান, ২. গম, ৩. সরিষা, ৪. ডাল ও ৫. আলু।
প্রশ্ন-২ : বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ শিল্প হলো :
১. পাট শিল্প, বস্ত্র শিল্প ও কাগজ শিল্প।
প্রশ্ন-৩ : বাংলাদেশের তিনটি কুটির শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের তিনটি কুটির শিল্প হলো : ১. তাঁত শিল্প, ২. রেশম শিল্প ও ৩. মৃৎ শিল্প।
 প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
প্রশ্ন-১ : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে?
উত্তর : কৃষিখাত জনবহুল বাংলাদেশের খাদ্য সরবরাহের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। তদুপরি এদেশের রপ্তানি আয়ের একটি প্রধান অংশ আসে কৃষিপণ্য থেকে। বর্তমানে অর্থাৎ ২০১১-২০১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ২০% হচ্ছে কৃষির অবদান। বাংলাদেশে দু’ধরনের কৃষিজাত পণ্য রয়েছে। যথা: খাদ্য জাতীয় কৃষিদ্রব্য এবং অর্থকরী কৃষিদ্রব্য। অর্থকরী কৃষিদ্রব্যের মধ্যে হিমায়িত খাদ্য, পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, চা ইত্যাদি অর্থকরী কৃষিদ্রব্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। অর্থাৎ বলা যায় যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন-২ : আমাদের পোশাক শিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা কর।
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। নিচে পোশাক শিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা করা হলো :
ক. এসব কারখানায় পোশাক তৈরি করে দেশের ষোলো কোটি মানুষের বস্ত্র চাহিদা মেটায়।
খ. বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে।
গ. দেশের বেকারত্ব দূর করে এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
ঘ. পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুর্দ্রা অর্জন করে।
প্রশ্ন-৩ : বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য :
বৃহৎ শিল্প ক্ষুদ্র শিল্প
বিপুল পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হয় অল্প পরিমাণ পণ্য উৎপাদিত হয়
প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন অল্প শ্রমিকের প্রয়োজন।
প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল প্রয়োজন। স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপকরণ ব্যাহত হয়।
উৎপাদিত পণ্য দেশে বিদেশে বাজারজাত করা হয়। উৎপাদিত পণ্য বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা হয়।
পুঁজি ও বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি। পুঁজি ও বিনিয়োগের পরিমাণ অল্প।

 বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
১. বর্তমানে বাংলাদেশে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে কেন?
ক. তামাক চাষ ব্যয়বহুল
খ. তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
গ. বিদেশে তামাকের চাহিদা কমেছে
ঘ. তামাক চাষের ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়
২. বাংলাদেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের সর্বোত্তম উপায় কোনটি?
ক. শিল্প উন্নয়নে বিনিয়োগ করে
খ. দরিদ্র জনগণকে বিলিয়ে দিয়ে
গ. সমগ্র জনগণকে বিলিয়ে দিয়ে
ঘ. পরিশ্রমী পরিবারকে বিলিয়ে দিয়ে
৩. তোমাদের এলাকার কৃষিজমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তুমি কার পরামর্শ নেবে?
ক. মৎস্য কর্মকর্তার খ. শিক্ষা কর্মকর্তার
গ. কৃষি কর্মকর্তার ঘ. বন কর্মকর্তার
৪. বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে নিচের কোনটি প্রয়োজন?
ক. রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো
খ. আমদানির পরিমাণ বাড়ানো
গ. রপ্তানির পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখা
ঘ. আমদানির পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখা
৫. বাংলাদেশকে ‘কৃষিপ্রধান দেশ’ বলার কারণ কী?
ক. এদেশের অধিকাংশ লোকের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল
খ. বাংলাদেশ কেবল কৃষিজাত দ্রব্যই উৎপাদন করে
গ. এদেশের অর্থনাীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে
ঘ. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস হলো কৃষি সামগ্রী
৬. মনে কর তুমি একজন কৃষক এবং তোমার জমি দিন দিন উর্বরতা হারাচ্ছে। এখন তুমি কী করবে?
ক. আখ ফলানো
খ. ফসল ফলাবো না
গ. সার ব্যবহার করবো
ঘ. জমি বিক্রি করে দেব
৭. ধর তুমি পাহাড়ি এলাকায় বসবাস কর। তুমি নিচের কোন ফসলটি ফলাবে?
ক. চা খ. গম গ. ধান ঘ. পাট
৮. বাংলাদেশের জন্য কৃষি খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাই অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের কী করা উচিত?
ক. অধিক জমি চাষ
খ. অধিক সারের ব্যবহার
গ. উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার
ঘ. বিভিন্ন প্রকার শস্যের চাষ
৯. শিল্পকারখানা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটাÑ
ক. কৃষির চেয়ে ভালো খ. কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে
গ. কৃষির চেয়ে নোংরা ঘ. কৃষির চেয়ে লাভজনক
১০. বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান খুবই নিম্ন আমরা তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে পারিÑ
ক. বেতন বাড়িয়ে খ. ভালো খাবার দিয়ে
গ. উপদেশ দিয়ে ঘ. ভালো কাপড় দিয়ে
১১. লাকী বেগম মাটি ও পোড়ামাটি দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে বাজারে বিক্রয় করে অনেক টাকা উপার্জন করেন, তার এই কাজটি কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত?
ক. বৃহৎ শিল্প খ. মাঝারি শিল্প
গ. তাঁত শিল্প ঘ. কুটির শিল্প
১২. রানা গাজীপুরে চটের তৈরি বস্তা ও নানারকম ব্যাগের ব্যবসা করে। রানার ব্যবসায় উৎপাদিত পণ্যগুলো কোন শিল্পের?
ক. পাট শিল্পের খ. বস্ত্র শিল্পের
গ. কুটির শিল্পের ঘ. তাঁত শিল্পের
১৩. দেশের চন্দ্রঘোনা, খুলনা ও পাকশীর কলে উৎপাদিত শিল্পপণ্য দেশের চাহিদা অনেকখানি পূর্ণ করে। এখানে কোন শিল্পের কথা বলা হয়েছে?
ক. পাট শিল্প খ. সিমেন্ট শিল্প গ. কাগজ শিল্প ঘ. চিনি শিল্প
১৪. দেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোতে গম চাষ ছাড়া আর কোনটির চাষ ভালো হয়?
ক. ডাল খ. ধান গ. আলু ঘ. পাট
১৫. বাংলাদেশের কোন শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী শ্রমিকের কাজের সংস্থান হয়েছে?
ক. কুটির শিল্পে খ. ক্ষুদ্র শিল্পে
গ. ওষুধ শিল্পে ঘ. পোশাক শিল্পে
১৬. বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র ধান উৎপাদন হয়। এর কারণ হিসেবে নিচের কোন তথ্যটি তুমি সমর্থন কর?
ক. বাংলাদেশের জলবায়ু খ. উন্নত কৃষি প্রযুক্তি
গ. কৃষকদের প্রশিক্ষণ ঘ. কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থা
১৭. নিচের কোন শিল্পটি জনপ্রিয় সিল্ক শাড়ির চাহিদা মেটায়?
ক. তাঁত শিল্প খ. রেশম শিল্প
গ. সাবান শিল্প ঘ. চামড়া শিল্প
১৮. এদেশের মাটিতে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য কৃষিদ্রব্যÑ
ক. গম খ. আলু গ. তেলবীজ ঘ. মসলা
১৯. শিল্পায়নের ফলে বাংলাদেশ যে সুবিধাটি পাচ্ছে তা হলোÑ
ক. বেকারত্ব কমেছে
খ. শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ছে
গ. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে
ঘ. জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে
২০. কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত একটি স্থানে তুমি বেড়াতে গেলে। স্থানটি কোথায়?
ক. রাজশাহী জেলার চারঘাট
খ. কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর
গ. রংপুর জেলার কাউনিয়া
ঘ. জামালপুর জেলার ইসলামপুর
২১. বাংলাদেশকেÑ নির্ভর দেশ বলা হয়।
ক. শিল্প খ. কৃষি গ. বৈদেশিক ঘ. সবগুলো
২২. জমির শেখ অর্থকরী কৃষিদ্রব্য উৎপাদন করেন। তিনি কোন ফসলটি চাষ করবেন? [খিলগাঁও গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা]
ক. তৈলবীজ খ. ডাল গ. পাট ঘ. গম
২৩. চন্দ্রঘোনা, পাকশি ও খুলনায় একটি অভিন্ন শিল্প রয়েছে। সেটি কী?
ক. চিনি খ. সার গ. কাগজ ঘ. সিমেন্ট
২৪. আসলাম পাট শিল্পের সাথে জড়িত। সে বাংলাদেশের কোন জেলার বাসিন্দা?
ক. চাঁদপুর খ. কুমিল্লা
গ. দিনাজপুর ঘ. চট্টগ্রাম
২৫. জামি প্রায়ই ভাতের সাথে মরিচ খায়। মরিচ কী হিসেবে উৎপাদন করা হয়?
ক. খাদ্যশস্য খ. অর্থকরী ফসল
গ. মসলা ঘ. বীজ
২৬. চন্দ্রঘোনা কী জন্য বিখ্যাত?
ক. তাঁত শিল্পের জন্য খ. কাগজ কলের জন্য
গ. রেশম শিল্পের জন্য ঘ. কাঁসা শিল্পের জন্য
২৭. মিনু প্রতিদিন কুটির শিল্পের উৎপন্ন একটি পণ্য ব্যবহার করে। পণ্যটি কী?
ক. চেয়ার খ. টেলিভিশন
গ. ওষুধ ঘ. কাগজ
২৮. রমজান আলী বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্পের সাথে জড়িত। তিনি কী দিয়ে কাজ করেন?
ক. কাঠ খ. রেশম গ. তাঁত ঘ. পোশাক
২৯. কোনটি আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য?
ক. শিল্পের কাঁচামাল খ. পাটজাত পণ্য
গ. তৈরি পোশাক ঘ. চামড়াজাত পণ্য
৩০. আমানদের জমিতে তিসি, সরিষা, বাদাম উৎপাদিত হয়। এগুলো কোন জাতীয় খাদ্য শস্য?
ক. মসলা খ. শর্করা গ. তৈলবীজ ঘ. আমিষ
৩১. চা চাষের জন্য উপযোগী এলাকার সঙ্গে অমিল প্রকাশ করে কোনটি?
ক. সিলেট খ. চট্টগ্রাম
গ. পঞ্চগড় ঘ. ময়মনসিংহ
৩২. মাজেদদের কৃষি জমিটি দোআঁশ মাটির। জমিটি কী চাষের জন্য উপযোগী?
ক. মরিচ খ. আলু গ. মসুর ঘ. ভুট্টা
৩৩. রাশেদের জেলায় কাঁসার তৈরি জিনিস বেশি তৈরি হয়। সে কোন জেলার বাসিন্দা?
ক. বরিশাল খ. খুলনা গ. জামালপুর ঘ. চট্টগ্রাম
৩৪. আমজাদ মিয়া একজন গম চাষি। তিনি কখন চাষ করেন?
ক. গ্রীষ্মকালে খ. হেমন্তকালে
গ. বসন্তকালে ঘ. শীতকালে
৩৫. ‘অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালস’ নামটি পত্রিকার বিজ্ঞাপন থেকে মাসুদ প্রথম জেনেছে। সে কোন শিল্পের সঙ্গে পরিচিত হলো?
ক. সাবান খ. সিমেন্ট গ. রেশম ঘ. ওষুধ
৩৬. কোনটি খাদ্যজাতীয় কৃষিদ্রব্য?
ক. পাট খ. চা গ. আলু ঘ. তামাক
৩৭. কোন কৃষিদ্রব্যকে সোনালি আঁশ বলা হয়?
ক. ধান খ. চা গ. পাট ঘ. তামাক
৩৮. ঢাকা জেলার ধামরাই কী জন্য বিখ্যাত?
ক. তাঁত শিল্প খ. মৃৎশিল্প
গ. কাঠ শিল্প ঘ. কাঁসা শিল্প
৩৯. বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ে প্রায় ২০% আসে
ক. কৃষি থেকে খ. শিল্প থেকে
গ. পোশাক থেকে ঘ. তাঁত শিল্প থেকে
৪০. বাংলাদেশের শতকরা কত ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল?
ক. ৮৫% খ. ৭৫% গ. ৮০% ঘ. ৭০%
৪১. অর্থের বিনিময়ে বিদেশ থেকে এদেশে কোনো পণ্য আনাকে কী বলা হয়?
ক. ক্রয় খ. বিক্রয় গ. আমদানি ঘ. রপ্তানি
৪২. গম চাষ করা হয় কোন ঋতুতে?
ক. বর্ষা খ. শীত
গ. শরৎ ঘ. হেমন্ত
৪৩. মৃৎ শিল্পের কাঁচামাল কী?
ক. বালু খ. মাটি
গ. সিমেন্ট ঘ. কাঠ
৪৪. বাংলাদেশে প্রতি বছর কী পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয়?
ক. ৩.৩০ লক্ষ মেট্রিক টন খ. ৩.৪০ লক্ষ মেট্রিক টন
গ. ৩.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ঘ. ৩.৮০ লক্ষ মেট্রিক টন
৪৫. জামদানি শাড়ি কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত?
ক. রেশম শিল্প খ. তাঁত শিল্প
গ. পোশাক শিল্প ঘ. বয়ন শিল্প
৪৬. বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষÑ
ক. রেশম শিল্পের সাথে জড়িত
খ. কৃষির সাথে যুক্ত
গ. পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত
ঘ. কুটির শিল্পের সাথে জড়িত
৪৭. বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান শতকরা কত ভাগ?
ক. ২০% খ. ২৫% গ. ৩০% ঘ. ৩৫%
 সাধারণ
৪৮. পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পাট উৎপাদন হয় কোন দেশে?
ক. ভারত খ. চীন গ. বাংলাদেশ ঘ. নেপাল
৪৯. বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল কোনটি?
ক. তামাক খ. আখ গ. পাট ঘ. চা
৫০. কোনটি রপ্তানি করে প্রতি বছর বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে?
ক. চা খ. তামাক গ. চিনি ঘ. পোশাক
৫১. বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যজাতীয় ফসল কোনটি?
ক. ধান খ. গম গ. ভুট্টা ঘ. আলু
৫২. শিল্পায়নের ফলে বাংলাদেশ যে প্রধান সুবিধাটি পাচ্ছে তা হলোÑ
ক. বেকারত্ব কমেছে খ. শ্রমিকের দক্ষতা বাড়ছে
গ. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে ঘ. জীবন যাত্রার মান উন্নত হচ্ছে
৫৩. ২০১১-১২ অর্থবছরের বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ে কৃষির অবদান শতকরা কত ভাগ?
ক. ২০ ভাগ খ. ২৫ ভাগ গ. ৩০ ভাগ ঘ. ৩৫ ভাগ
৫৪. বাংলাদেশে প্রতি বছর কত গম উৎপন্ন হয়?
ক. ২ লক্ষ মেট্রিক টন খ. ১০ লক্ষ মেট্রিক টন
গ. ২০ লক্ষ মেট্রিক টন ঘ. ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন

 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন \ ১ \ রিতাদের বাড়ি বাংলাদেশের পশ্চিম অঞ্চলে। তাদের অঞ্চলে শীতকালে কোন ফসল বেশি উৎপাদিত হয়?
উত্তর : রিতাদের অঞ্চলে গম বেশি উৎপাদিত হয়।
প্রশ্ন \ ২ \ রফিক তার জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। এই সরিষার বীজ থেকে তিনি কী পাবেন?
উত্তর : সরিষার বীজ থেকে রফিক তেল পাবেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ তাসমিয়া খাবারকে সুস্বাদু করতে চায়। এক্ষেত্রে তাকে কোনটির ব্যবহার করতে হবে?
উত্তর : এক্ষেত্রে তাসমিয়াকে মসলার ব্যবহার করতে হবে।
প্রশ্ন \ ৪ \ আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রচুর পেঁয়াজ, রসুন উৎপাদন করা হয়। এগুলো কীসের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : এগুলো মসলার অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন \ ৫ \ রনিদের কারখানায় রশি, বস্তা, কার্পেট তৈরি করা হয়। এগুলো তৈরি করতে কোনটি প্রয়োজন হয়?
উত্তর : এগুলো তৈরি করতে পাটের প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ বিদেশে সিলেটে উৎপাদিত একটি দ্রব্যের বিশেষ সুনাম রয়েছে। দ্রব্যটির নাম কী?
উত্তর : দ্রব্যটির নাম হলো চা।
প্রশ্ন \ ৭ \ তাহমিনা একটি বস্ত্রমেলায় গিয়ে সিল্ক, জামদানি শাড়ি কিনল। শাড়িগুলো কোন শিল্পের অন্তর্গত?
উত্তর : শাড়িগুলো তাঁত শিল্পের অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ৮ \ ইলিয়াসের বাবা স্টার জুট মিলে চাকরি করেন। এটি কোন শিল্পের অন্তর্গত?
উত্তর : এটি বৃহৎশিল্পের অন্তর্গত।
প্রশ্ন \ ৯ \ সাথীদের বাড়ির পাশে একটি সার কারখানা রয়েছে। সার কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : সার বৃহৎশিল্পের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন \ ১০ \ সাকিবের মা-বাবা বাঁশ ও বেত দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেন। তাদের কাজটিকে কী বলা হয়?
উত্তর : তাদের কাজটিকে কুটির শিল্প বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ মারিয়া দোয়েল চত্বরে গিয়ে মাটির তৈরি শিল্পকর্ম দেখতে পেল। এসকল জিনিস কোন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : এ সকল জিনিস কুটিরশিল্পের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন \ ১২ \ বাংলাদেশের জন্য কৃষি খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাই অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের কী করা উচিত?
উত্তর : অধিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য আমাদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ তোমার এলাকার কৃষি জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তুমি কার পরামর্শ নেবে?
উত্তর : এক্ষেত্রে আমি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নেব।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। ধান, গম, ভুট্টা, আলু ইত্যাদি কোন জাতীয় কৃষিদ্রব্য?
উত্তর : ধান, গম, ভুট্টা, আলু ইত্যাদি খাদ্য জাতীয় কৃষিদ্রব্য।
প্রশ্ন \ ১৫ \ আলু একটি প্রয়োজনীয় খাদ্য। এটি চাষের উপযোগী মাটি কোনটি?
উত্তর : আলু চাষের উপযোগী মাটি হলো উর্বর দোআঁশ ও বেলে।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ধর, তুমি পাহাড়ি এলাকায় বসবাস কর। তুমি নিচের কোন ফসলটি ফলাবে?
উত্তর : পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী হিসেবে আমি চা ফলাব।
 সাধারণ
প্রশ্ন-১৭ : বাংলাদেশের একটি প্রধান কৃষিদ্রব্যের নাম লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের একটি প্রধান কৃষিদ্রব্যের নাম ধান।
প্রশ্ন-১৮ : বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা কতভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল?
উত্তর : বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন-১৯ : কোনটি বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্য?
উত্তর : পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্য।
প্রশ্ন-২০ : বাংলাদেশে প্রধান দুটি কৃষিজাত দ্রব্যের নাম লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান দুটি কৃষিজাত দ্রব্য হলো- ধান ও পাট।
প্রশ্ন-২১ : বাংলাদেশের কয়েকটি প্রধান শিল্পের নাম লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান শিল্পগুলো হচ্ছে : পাট শিল্প, বস্ত্র শিল্প, চিনি শিল্প, ওষুধ শিল্প, সার শিল্প, কাগজ শিল্প এবং চামড়া শিল্প।
প্রশ্ন-২২ : বাংলাদেশের কয়েকটি রপ্তানি দ্রব্যের নাম লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশের কয়েকটি রপ্তানি দ্রব্যের নাম হলো হিমায়িত খাদ্য, তৈরি পোশাক, কাঁচা পাট, চামড়া, চা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-২৩ : পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয় কেন?
উত্তর : পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এজন্য পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়।
প্রশ্ন-২৪ : বাংলাদেশের খাদ্য জাতীয় পাঁচটি কৃষি দ্রব্যের নাম লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের খাদ্য জাতীয় পাঁচটি কৃষি দ্রব্য হচ্ছে ধান, গম, ডাল, আলু ও মরিচ।
প্রশ্ন-২৫ : বাংলাদেশের কোন কৃষিজাত দ্রব্যকে “সোনালী আঁশ” বলা হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের পাটকে “সোনালী আঁশ” বলা হয়।
প্রশ্ন-২৬ : রেশম সুতা দিয়ে তৈরিকৃত দুটি বস্তুর নাম লেখ।
উত্তর : রেশম সুতা দিয়ে তৈরিকৃত দুটি বস্তু হলো শাড়ি এবং কাপড়।
প্রশ্ন-২৭ : পোশাক শিল্পের একটি গুরুত্ব লেখ।
উত্তর : পোশাক শিল্পের একটি গুরুত্ব হলো বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন।
প্রশ্ন-২৮ : বাংলাদেশের প্রধান দুটি অর্থকরী কৃষিদ্রব্যের নাম লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান দুটি কৃষিদ্রব্যের নাম হলো: পাট ও চা।
প্রশ্ন-২৯ : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ১টি গুরুত্ব লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের বেশির ভাগ পোশাক বিদেশে রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
প্রশ্ন-৩০ : বাংলাদেশে কোন খাদ্যশস্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে?
উত্তর : বাংলাদেশে গমের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
প্রশ্ন-৩১ : পোশাক শিল্প দ্বারা আমরা কীভাবে উপকৃত হচ্ছি?
উত্তর : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করে। পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
প্রশ্ন-৩২ : বাংলাদেশের কয়েকটি কুটির শিল্পের উল্লেখ কর।
উত্তর : বাংলাদেশে বেশ কয়েক ধরনের কুটির শিল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মৃৎ শিল্প, কাঁসা শিল্প, কাঠ শিল্প ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন-৩৩ : বাংলাদেশের সর্বত্র ধান উৎপন্ন হয় কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু ধান চাষের জন্য বিশেষ সহায়ক। এজন্য দেশের প্রায় সর্বত্র ধান উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন-৩৪ : বাংলাদেশে গম চাষের প্রসার কেন ঘটছে?
উত্তর : বাংলাদেশের গমের আটায় তৈরি খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফলে গম চাষের প্রসার ঘটছে।
প্রশ্ন-৩৫ : বাংলাদেশে কী কী ধরনের ডালের চাষ হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে ছোলা, মসুর, মটর, মুগ, মাসকলাই, খেসারি, অড়হর ইত্যাদি ডালের চাষ করা হয়।
প্রশ্ন-৩৬ : বাংলাদেশের কোথায় সবচেয়ে বেশি তামাক উৎপন্ন হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের রংপুর জেলায় বেশি তামাক উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন-৩৭ : বাংলাদেশের কোথায় কাগজের কল স্থাপিত হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের চন্দ্রঘোনা, খুলনা ও পাকশীতে কাগজের কল স্থাপিত হয়েছে।
প্রশ্ন-৩৮ : বাংলাদেশে সাধারণত কয় ধরনের ধান চাষ করা হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে সাধারণত তিন ধরনের ধান চাষ করা হয়।
প্রশ্ন-৩৯ : কোন ধরনের মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী?
উত্তর : উর্বর দোআঁশ এবং বেলে মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।
প্রশ্ন-৪০ : বাংলাদেশে কোন কোন জেলাগুলোতে চা উৎপন্ন হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের সিলেট, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায় চা উৎপান্ন হয়।
প্রশ্ন-৪১ : বাংলাদেশের খাদ্যজাতীয় প্রধান কৃষিদ্রব্য কী কী?
উত্তর : ধান, গম, ভুট্টা, আলু, তৈলবীজ, মসলা বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যজাতীয় কৃষিদ্রব্য।
প্রশ্ন-৪২ : কাঁসা শিল্পের জন্য কোন কোন জেলা বিখ্যাত?
উত্তর : জামালপুর জেলার ইসলামপুর, টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি ও ঢাকা জেলার ধামরাই কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

 কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 যোগ্যতাভিত্তিক
প্রশ্ন-১ : পাট কী? পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয় কেন? পাটের তিনটি ব্যবহার লেখ।
উত্তর : পাট : পাট হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল।
পাটকে সোনালি আঁশ বলার কারণ : পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এজন্য পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়।
পাটের ব্যবহার : পাটের তিনটি ব্যবহার হলো :
১. পাট দিয়ে চটের বস্তা ও নানা রকম ব্যাগ তৈরি করা হয়।
২. পাট দিয়ে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হয়।
৩. পাট দিয়ে কার্পেট তৈরি হয়।
প্রশ্ন-২ : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে মোট জনসংখ্যার শতকরা আশি ভাগ মানুষ কৃষির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এবং কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ২০% হচ্ছে কৃষির অবদান। বাংলাদেশে দু’ধরনের কৃষিজাত পণ্য রয়েছে। যথা: খাদ্য জাতীয় কৃষিদ্রব্য, এটা জনবহুল দেশের মানুষের খাবারের চাহিদা মেটায়। অপরটি হচ্ছে অর্থকরী কৃষিদ্রব্য। অর্থকরী কৃষিদ্রব্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়। অর্থাৎ বলা যায় যে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন-৩ : বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্যের নাম লেখ। পাঁচটি বাক্যে সোনালী আঁশের বর্ণনা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিদ্রব্যগুলো হচ্ছেÑ পাট, চা ও তামাক। এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশে তুলা, সুপারি, রেশম, রাবার ইত্যাদি অর্থকরী কৃষিদ্রব্য উৎপন্ন হয়।
সোনালি আঁশের বর্ণনা : পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এজন্য বাংলাদেশে পাটকে ‘সোনালি আঁশ’ বলা হয়। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এদেশের সব এলাকাতে পাটের চাষ হয়। তবে বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর ও নওগাঁ জেলায় বেশি পাট উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন-৪ : বাংলাদেশের প্রধান দুটি শিল্পের নাম উল্লেখ কর। এ সম্পর্কে বর্ণনা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান দুটি শিল্প হচ্ছে পাট ও বস্ত্রশিল্প।
পাট শিল্প : বাংলাদেশে অনেক পাটের কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলো প্রধানত নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, খুলনা, দৌলতপুরসহ নদী তীরবর্তী শহর অঞ্চলে অবস্থিত। এসব শিল্প-কারখানায় পাট দিয়ে নানা রকম পণ্য তৈরি হয়। এগুলোর মধ্যে চট, চটের তৈরি বস্তা ও নানারকম ব্যাগ বিশেষ উলে­খযোগ্য। পাট দিয়ে কার্পেট তৈরি হয়। এসব পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। এর ফলে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
বস্ত্র শিল্প : ষোল কোটি মানুষের বস্ত্র চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বস্ত্র কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলাতে অধিকাংশ বস্ত্রকল রয়েছে। বাংলাদেশের বস্ত্র শিল্প দেশের বস্ত্র চাহিদা সম্পূর্ণ মেটাতে পারে না। এজন্য বিদেশ থেকে বস্ত্র আমদানি করতে হয়।

 সাধারণ
প্রশ্ন-৫ : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের গুরুত্ব পাঁচটি বাক্যে লেখ
উত্তর : বাংলাদেশে জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে। এ শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদের ও কর্মসংস্থান দেশের বেকারত্ব লাঘবে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখছে। মোট কথা পোশাক শিল্প বাংলাদেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্ন-৬ : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্পের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশের অর্থনীতিতে মোট জাতীয় আয়ের মধ্যে শিল্পের অবদান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের প্রধান শিল্পগুলো হচ্ছে পাট শিল্প, বস্ত্র শিল্প, তাঁত শিল্প, চিনি শিল্প, ওষুধ শিল্প, সার শিল্প, কাগজ শিল্প, কুটির শিল্প ইত্যাদি। এসব শিল্পের মাধ্যমে দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। উৎপাদিত পণ্যসমূহ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
প্রশ্ন-৭ : অর্থকরী ফসল তামাক গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির চাষ কেন নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে?
উত্তর : অর্থকরী ফসল তামাক গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এটির ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে চাষের জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে তামাক চাষ হয়। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রতিবছর বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। তবে তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তামাক সাধারণত সিগারেট, বিড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ কারণে এটি চাষে নিরুৎসাহিত করা হয়।
প্রশ্ন-৮ : পাঁচটি বাক্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্ণনা দাও।
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হলো পোশাক শিল্প। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় পোশাক তৈরি করা হয় যেসব পোশাকের বেশিরভাগ বিদেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কয়েক লক্ষ নারী ও পুরুষ কাজ করে। পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।

 

 

Leave a Reply