মরু-ভাস্কর
হবীবুল্লাহ্ বাহার
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য
লেখক পরিচিতি
নাম হবীবুল্লাহ্ বাহার
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : ফেনী।
পিতৃ পরিচয় পিতার নাম : মোহাম্মদ নুরুল্লাহ চৌধুরী।
শিক্ষাজীবন এসএসসি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুল (১৯২২); আইএসসি চট্টগ্রাম কলেজ (১৯২৪); বিএ কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (১৯২৮)।
কর্মজীবন/পেশা সাংবাদিকতা, সম্পাদক সাহিত্য পত্র : বুলবুল। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ফেনীর পরশুরাম নির্বাচনি এলাকা থেকে বঙ্গীয় আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করেন।
সাহিত্য সাধনা গদ্য : পাকিস্তান, ওমর ফারুক, আমীর আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
রচনার বৈশিষ্ট্য গদ্য রচনা।
জীবনাবসান ১৫ এপ্রিল ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ।
সৃজনশীলপ্রশ্নওউত্তর
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
হযরত মুহাম্মদ (স.) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের কোনো অহমিকা তাঁর ছিল না। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। সকলের প্রতি তাঁর আচরণ ছিল হাসিমাখা। ছোট ছোট শিশুদের তিনি খুব বেশি স্নেহ করতেন। তাঁর বালক-বন্ধুর সাথে দেখা হলে তিনি বন্ধুর বুলবুলি পাখির খবর নিতেও ভুলে যেতেন না।
ক. হযরত মুহাম্মদ (স.) কোন ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন?
খ. মানুষের প্রতি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আচরণ কীরূপ ছিল উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
গ. সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নে রাসুল (স.) এর আদর্শ কতটুকু ফলদায়ক যুক্তিসহ উপস্থাপন কর।
ঘ.বালক-বন্ধুর কাছে তিনি বুলবুলির খবর জানতে চাইলেন, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁর চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায় বিশ্লেষণ কর।
ক হযরত মুহাম্মদ (স.) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক ছিলেন।
খ মানুষের প্রতি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আচরণ ছিল কুসুমের মতো কোমল। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। ছোট শিশুদের তিনি খুব বেশি স্নেহ করতেন। শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার তাঁর ছিল না। কাউকে তিনি কড়া কথা বলেননি। কাউকে অভিসম্পাত দেননি। নিজে নির্যাতিত হয়েও প্রতিদানে তিনি ক্ষমা করেছেন।
গ সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নে রাসুল (স.) এর আদর্শ এক বিস্ময়কর অবদান রাখে।
‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে আমরা পাই- রাসুল (স.) ছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। অত্যন্ত সহজ সরল জীবনযাপন করেছেন তিনি। তাঁর ঘরে ছিল একখানা খেজুর পাতার বিছানা আর একটি পানির সুরাই। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছেন তিনি। জীবনে কাউকে কড়া কথা বলেননি। মক্কা ও তায়েফে যারা তাঁকে অত্যাচারে জর্জরিত করেছে তাদের অভিসম্পতি দেননি- বলেছেন, এদের জ্ঞান দাও প্রভু এদের ক্ষমা কর। দাসত্বপ্রথা দূর করা, নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা তার চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেছেন, কুসংস্কার দূর করেছেন।
হযরত মুহাম্মদ (স.) শ্রেষ্ঠ মহামানব ছিলেন কিন্তু তাঁর সে শ্রেষ্ঠত্বের অহমিকা ছিল না। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। ছোট শিশুদের তিনি অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তাঁর বালক বন্ধুদের পোষা পাখির খবর নিতেও তিনি ভুলতেন না। তাঁর এই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত আদর্শ সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা আনয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। অন্য ধর্মের প্রতি তিনি ছিলেন উদার ও সহিষ্ণু। তাঁর চরিত্র মাধুর্য মানুষে মানুষে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিল। ফলে সমাজ থেকে মারামারি হানাহানি হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভ‚ত হয়ে শান্তি স্থাপিত হয়েছিল।
ঘ বালক বন্ধুর কাছে তিনি বুলবুলির খবর জানতে চাইতেন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ছোট শিশুদের অধিক স্নেহ করার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।
হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন কুসুমের মতো কোমল হৃদয়ের অধিকারী। শিশুর মন নিয়ে তিনি মিশতেন শিশুদের সাথে। পথে দেখা হলে বালক-বন্ধুকে তার বুলবুলির খবর নিতে তিনি ভুলতেন না। শিশুদের কান্না তিনি সহ্য করতে পারতেন না। শিশুদের মাথায় প্রায়ই হাত বুলিয়ে দিতেন, আদর করতেন। মহানবি (স.) এভাবেই শিশুদের হাসিখুশি রাখতে চেষ্টা করতেন। তিনি মনে করতেন এ শিশুই একদিন বড় হবে। সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তার মানসিক বিকাশ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বড়দের নির্দেশ দিয়েছেন ছোটদের স্নেহ করতে। সামাজিক ভারসাম্যের জন্য এটি জরুরি । মহানবির চরিত্রে সকল সগুণাবলির সমাবেশ ঘটেছিল। শিশুর প্রতি স্নেহশীলতার আচরণ তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শিক্ষক হাসানুজ্জামান শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা যদি আদর্শ মানুষ হতে চাও তাহলে একজন আদর্শ মানুষ খুঁজে নাও। যিনি বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো। মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা যাঁর চলার একমাত্র পাথেয়। যাঁর মনে রয়েছে প্রেম ও অসীম দয়া। যাঁর সাধনা ও ত্যাগ কেবল মানুষের কল্যাণকে ঘিরেই।
ক. হযরত মোস্তফা (স.) মানবতার কী ছিলেন? ১
খ. মক্কা বিজয়ের পর ভয়ে কাঁপতে থাকা এক ব্যক্তিকে মহানবি কীভাবে আশ্বস্ত করলেন? ২
গ. উদ্দীপকের আদর্শ মানুষ-এর চরিত্র মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের কোন চরিত্রের অনুরূপ-ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“যিনি বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো”-উক্তিটি ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক হযরত মোস্তফা (স.) মানবতার গৌরব ছিলেন।
খ মক্কা বিজয়ের পর সাফা পর্বতের পাদদেশে বসে হযরত মুহাম্মদ (স.) বক্তৃতা করছিলেন। একজন লোক তাঁর সামনে এসে ভয়ে কাঁপতে লাগল। হযরত অভয় দিয়ে বললেন, ভয় করছ কেন? আমি রাজা নই, কারও মুনিবও নই- এমন মায়ের সন্তান আমি শুষ্ক খাদ্যই যার আহার্য।
গ উদ্দীপকের আদর্শ মানুষ এর চরিত্র ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চরিত্রের অনুরূপ।
‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর অতুলনীয় চরিত্র মাধুর্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন মানবপ্রেমে, জীবপ্রেমে মহীয়ান। সবসময় তিনি সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করেছেন। আত্মীয়স্বজন সবার সঙ্গে ব্যক্তিগত আচরণে তিনি ছিলেন কুসুমের মতো কোমল। জীবনে কাউকে তিনি কড়া কথা বলেননি। কাউকে অভিসম্পাত দেননি। নিজে নির্যাতিত হয়েও প্রতিদানে তিনি ক্ষমা করেছেন। ক্রীতদাস প্রথার বিলোপ, নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, অমুসলিমদের অধিকারসহ মানবতার কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রাখেন।
উদ্দীপকে শিক্ষক হাসানুজ্জামান শিক্ষার্থীদের এমন একজন আদর্শ মানুষকে অনুসরণ করতে বলেন, যিনি বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো। যিনি লাভ করেছিলেন মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। তাঁর প্রেম, অসীম দয়া, সাধনা, ত্যাগ কেবল মানুষের কল্যাণকেই ঘিরে। উদ্দীপকের আদর্শ মানুষের বৈশিষ্ট্য কেবলমাত্র মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মাঝেই পাওয়া যায়। উদ্দীপকে উল্লিখিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে মহানবি (স.) এর সাথেই কেবল মিল পাওয়া যায়।
ঘ যিনি বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো- মহানবি (স.) এর ক্ষেত্রে উক্তিটি যথার্থ।
‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে উল্লিখিত মহানবি (স.) সত্যিই ‘মরু-ভাস্কর’ বা মরুর সূর্য ছিলেন। কারণ তিনি তাঁর আলোকে পৃথিবী আলোকিত করেছিলেন। আল্লাহর নবি হওয়া সত্তে¡ও তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষই মনে করতেন। সাধারণ জীবনযাপন করতেন। এক এতিম শিশু হলেন আরবের অবিসংবাদিত নেতা। হযরত মুহাম্মদ (স.) যখন মদিনার অধিনায়ক, তখন তাঁর ঘরের আসবাব ছিল একখানা খেজুর পাতার বিছানা আর একটি পানির সুরাই। অনাহারে থাকতে হতো তাঁকে এবং অনেক সময় উননে আগুন জ্বলত না।
উদ্দীপকে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা এমন একজন আদর্শ মানুষ খুঁজে নাও যিনি বিপুল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার অধিকারী হয়েও ছিলেন সাধারণ মানুষের মতো। বংশ গৌরব কিংবা মিথ্যা অহংকার তাঁর ছিল না। তিনি কাজ করে গেছেন শুধু মানুষের কল্যাণে। তাঁর সাধনা ও ত্যাগ ছিল শুধু মানুষের কল্যাণে।
উদ্দীপক ও ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে পর্যালোচনা করলে আমরা একই সত্যের প্রতিধ্বনি লক্ষ করি। মহানবি ছিলেন মানব দরদি, ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দের কথা তিনি কখনই ভাবেননি। রাষ্ট্রক্ষমতা, প্রভাব প্রতিপত্তি সবই তাঁর ছিল কিন্তু ক্ষমতার কোনো মোহ তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। প্রাচুর্য-ঐশ্বর্য থাকার পর সাধারণ জীবনযাপন করা সহজ কথা নয়। সকল মানবিক দুর্বলতাকে জয় করে তিনি মানবতার পরম বন্ধু হয়েছিলেন।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
ধর্মীয় শিক্ষক গোলাম রব্বানী শিক্ষার্থীদের জানালেন- এক বুড়ি প্রতিদিন মহানবি (স.) এর যাওয়ার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখতেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন কাঁটা না দেখতে পেয়ে মহানবি (স.) তার বাড়িতে গিয়ে দেখেন বুড়ি অসুস্থ। তাকে সেবাযতœ করে সারিয়ে তোলেন মহানবি।
ক. মরু-ভাস্কর অর্থ কী? ১
খ. মুখস্থ না করে কোনো কিছু লিখে রাখা আরবরা লজ্জার কথা বলে মনে করত কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ধর্মীয় শিক্ষকের বক্তব্যে মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের কোন বিষয়টি চিত্রিত হয়েছে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘হযরত মোস্তফা (স.) মানবতার গৌরব’ উদ্দীপকের আলোকে মতামতটি প্রতিষ্ঠিত কর। ৪
ক মরু-ভাস্কর অর্থ মরুর সূর্য।
খ মুখস্থ না করে কোনো কিছু লিখে রাখা আরবরা লজ্জার কথা বলে মনে করত। আরবদের স্মৃতিশক্তি ছিল অসাধারণ। বিরাট বিরাট কাব্যগ্রন্থ সহজেই তাঁরা মুখস্থ করে ফেলত। আরবি সাহিত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়। মুখস্থ না করে লিখে রাখাটা তারা লজ্জার মনে করত।
গ উদ্দীপকের ধর্মীয় শিক্ষকের বক্তব্যে মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের মহানবির ক্ষমা ও মানবপ্রেমের আদর্শ চিত্রিত হয়েছে। ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করি মহানবির মন ছিল কুসুমের চেয়েও কোমল। বন্ধু বিয়োগে তাঁর চক্ষু অশ্রæসিক্ত হতো। কেউ তাঁকে দেখে ভয় পেলে তার ভয় দূর করে দিতেন। কাউকে কড়া কথা বলেননি। মক্কা বা তায়েফে অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও তিনি অভিসম্পাতের বাণী উচ্চারণ করেননি। বরং তিনি বলেছেন, এদের জ্ঞান দাও প্রভু – এদের ক্ষমা কর।
উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে মহানবির ক্ষমাশীলতা ও মানবপ্রেমের আদর্শ। যে মহিলা চরম শত্রæতাবশত মহানবির পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখত মহানবি তার অসুস্থতায় তাকে দেখতে গেলেন। ওই মহিলাকে সেবাশুশ্রƒষা করে সারিয়ে তোলেন। মানবিকতা, ক্ষমাশীলতা, ধৈর্যের এমন উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে দুর্লভ বৈকি! মরু-ভাস্কর প্রবন্ধে আমরা দেখি আনাস নামের এক ভৃত্য দশ বছর হযরতের চাকরি করার পর বলেছেন-এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে হযরতের মুখে তিনি কড়া কথা শোনেননি। তাই দেখা যায়, উদ্দীপকে মরু-ভাস্কর প্রবন্ধে উল্লিখিত ক্ষমাশীলতা ও মানবপ্রেমের দিকটি চিত্রিত হয়েছে।
ঘ মহানবি হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) ছিলেন মানবতার গৌরব। ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধ ও উদ্দীপকে তার প্রমাণ মেলে।
‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘হযরত মোস্তফা (স.) মানবতার গৌরব’। কারণ তাঁর আগমনে পৃথিবী ধন্য হয়েছে। তিনি মদিনার অধিনায়ক হয়েও সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। মানুষের ব্যথায় তিনি ব্যথিত হতেন। অসহায় মানুষকে সান্ত¦না দিতেন। ক্রীতদাস প্রথা দূর করেন। নারীকে যথাযথ মর্যাদা দেন। সমাজ থেকে কুসংস্কার, হিংসা বিদ্বেষ দূর করেন। সাম্যমৈত্রী প্রতিষ্ঠা করে তিনি মানুষকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন। উদ্দীপকে বুড়ির প্রতি মহানবি (স.) যে আচরণ করেছেন তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। যে বুড়ি পথে কাঁটা বিছিয়ে দেয়ার মতো শত্রæতা পোষণ করত মহানবি তার অসুস্থতায় তার বাড়িতে গেলেন। পরম মমতায় সেবাশুশ্রƒষা করে তাকে সুস্থ করে তুললেন।
মরু-ভাস্কর প্রবন্ধ অধ্যয়ন করলে পাই মহানবী (স.) কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তাঁর কীর্তি চিন্তাচেতনা তাঁকে মহামানবে এমনকি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানবে পরিণত করেছে। তিনি মানবতার কল্যাণে করণীয় সবকিছু করেছেন। যারা তাঁকে আঘাত করেছে, রক্তাক্ত করেছে তাদেরও তিনি অকাতরে ক্ষমা করে দিয়েছেন। উদ্দীপকে বুড়ির প্রতিও তাঁর কোনো ক্ষোভ ছিল না। তিনি তাঁর প্রতি মহত্ত¡ দেখিয়েছেন। মন্দের জবাব তিনি মন্দ দিয়ে দেননি- ভালো দিয়ে দিয়েছেন। তাই এই মহামানবকে বলা হয়েছে মানবতার গৌরব।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
একদা মহানবি (স.) সাহাবিদের নিয়ে বসে আছেন। এমন সময় এক ইয়াতিম বালক মহানবি (স.) এর কাছে এলো। গায়ে তার জামাকাপড় নেই। দুঃখকষ্ট সইতে সইতে তার বুকের হাড়গুলো বের হয়ে গেছে। বালকটি কাঁদতে কাঁদতে মহানবি (স.) কে এর বলল, আমার আব্বু নাই। আবু জেহেল আমাদের সম্পদ কেড়ে নিয়েছে। তার কাছে সম্পদের কিছু চাইলে সে আমাকে মারধর করে, অত্যাচার করে, তাড়িয়ে দেয়। বালকটির কথা শুনে মহানবি (স.) এর মনে দয়া হলো। তাঁর চোখে পানি এলো। তিনি বালকটিকে নিয়ে আবু জেহেলের কাছে গেলেন। বালকটির সব পাওনা আবু জেহেলের কাছ থেকে আদায় করে দিলেন। ইয়াতিম বালকটি খুব খুশি হলো।
ক. কোন হাবশি গোলামকে মুয়াযযিন নিযুক্ত করা হয়েছিল? ১
খ. ‘বেহেশত মায়ের পায়ের নিচে’- আলোচনা কর। ২
গ. মহানবি (স.) মানবতার গৌরব হলেও উদ্দীপকের আবু জেহেল ছিল মানবতায় শত্রæ- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.মহানবি (স.) যে অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন উদ্দীপকের ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছেÑ যুক্তি দাও। ৪
ক হযরত বেলাল নামক হাবশি গোলামকে মুয়াযযিন নিযুক্ত করা হয়েছিল।
খ ‘বেহেশত মায়ের পায়ের নিচে’-কথাটি মহানবি (স.) এর বাণী। এই উক্তির মধ্যদিয়ে একদিকে যেমন গর্ভধারিণী মায়ের প্রতি সম্মান জানানো হয়েছে অন্যদিকে নারী জাতিকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। অপাংক্তেয়, অবহেলিত নারীর অবস্থার পরিবর্তন এনেছেন মহানবি (স.)।
গ মহানবি (স.) মানবতার গৌরব হলেও উদ্দীপকের আবু জেহেল ছিল মানবতার শত্রæ।
‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে মহানবি (স.) এর চরিত্র মাধুর্য ও গুণাবলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি আল্লাহর নবি হলেও নিজেকে সাধারণ মানুষ মনে করতেন। একখানা খেজুর পাতার বিছানায় তিনি ঘুমাতেন। তিনি মদিনার অধিনায়ক হয়ে সারাদেশে শান্তি স্থাপন করেছিলেন। মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। সবার সাথে কোমল ব্যবহারে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। দাসপ্রথা দূর করেন। প্রতিষ্ঠা করেন নারীর অধিকার ও মর্যাদা। তার চরিত্রে সকল সৎ গুণাবলির সমাবেশ ঘটেছিল বলে তাঁকে বলা হয় মানবতার গৌরব।
উদ্দীপকের আবু জেহেল ছিলেন মানুষের সম্পদ লুণ্ঠনকারী। সে এক এতিম বালকের সম্পদ কেড়ে নিয়েছিল। সম্পদ চাইতে গেলে মারধর ও অত্যাচার করে তাড়িয়ে দিত। একটি এতিম বালকের দুঃখকষ্ট ও আহাজারিতে তার হৃদয়ে এতটুকু মায়া সৃষ্টি হয়নি। অভাবের তাড়নায় বালকটির বুকের হাড় বেরিয়ে গেছে। গায়েও কোনো জামাকাপড় নেই। এমন একটি বালকের সাথে নির্দয় ব্যবহার করেছে আবু জেহেল। অন্যদিকে মরু-ভাস্কর প্রবন্ধে মহানবির কাছে দশ বছর চাকরি করলেও আনাস (রা.) তাঁর কাছে একটি কটু কথাও শোনেননি।
ঘ মহানবি ছিলেন তৎকালীন বিশ্বের এক অবিসংবাদিত নেতা।
মরু-ভাস্কর প্রবন্ধে বলা হয়েছে মহানবি ছিলেন এতিম অথচ তিনি হয়েছিলেন আরব ভ‚মির অবিসংবাদিত নেতা। তাঁর দেশপ্রেম মানুষের প্রতি ভালোবাসা মমত্ববোধ, ধৈর্য প্রজ্ঞা ইত্যাদি ও মানুষ তাকে অবিসংবাদিত নেতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। মানুষে মানুষ তিনি সামান্য মৈত্রী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অন্যদিকে আবু জেহেল ছিল তাঁর বিপরীত চরিত্রের।
উদ্দীপকের আবু জেহেল পরের সম্পত্তি লুণ্ঠনকারী এক অত্যাচারী মানুষ। বালকের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পথে বসিয়েছে। তার সহায় সম্বল বলতে কিছইু নেই। শত অনুনয় বিনয় করেও সে সম্পত্তি ফিরে পায়নি। এতে আবু জেহেলের নিষ্ঠুরতা ও অসততা প্রমাণিত। মরু-ভাস্কর গল্পে মহানবি (স.) এর মানবিক গুণসম্পন্ন চরিত্রের পরিচয় পাই। তিনি মহামানব। তিনি মানবতার বন্ধু। তাই তাঁকে বলা হয়েছে মানবতার গৌরব। আর আবু জেহেলের চরিত্র ঘৃণ্য, সে মানুষের ওপর জুলুমকারী। তার কর্মকাণ্ড ন্যায় বিচারের পরিপন্থি। তাই সে মানবতার শত্রæ।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
যে মক্কাবাসী একদিন মহানবি (স.) ও মুসলমানদের নির্মম নির্যাতন করেছিল। মহানবি (স.) কে হত্যা করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। তাঁকে জন্মভ‚মি মক্কা ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। মদিনায়ও তাঁকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। সেই মক্কায় আজ তিনি বিজয়ীর বেশে। আর মক্কাবাসী তাঁর সামনে অপরাধীর বেশে দণ্ডায়মান। রাসুল (স.) বললেন, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, যাও তোমরা মুক্ত স্বাধীন।
ক. কোন ভৃত্য দশ বছর হযরতের চাকরি করেছিলেন? ১
খ. জ্ঞান অর্জনের বিষয়ে মহানবি কীভাবে জোর দিয়েছেন সংক্ষেপে বল। ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনা মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের কোন ঘটনাকে নির্দেশ করে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘প্রতিশোধ নয় ক্ষমাই উত্তম’ উদ্দীপক ও মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর। ৪
ক আনাস নামের এক ভৃত্য দশ বছর হযরতের চাকরি করেন।
খ হযরত জ্ঞানের ওপর জোর দিয়েছেন সব সময়। জ্ঞান যেন হারানো উটের মতো- তাকে তিনি খুঁজে বের করতে বলেছেন যেখান থেকেই হোক। এছাড়া তিনি বলেছেন, জ্ঞান সাধকের দোয়াতের কালি শহিদের রক্তের চেয়ে পবিত্র।
গ উদ্দীপকের ঘটনা মরু-ভাস্কর প্রবন্ধে মহানবি (স.) এর ক্ষমাশীলতার আদর্শকেই নির্দেশ করে।
মহানবি (স.) সভ্যতার ইতিহাসের একজন কিংবদন্তি মহামানব। তাঁর ধৈর্য, সহনশীলতা ক্ষমার আদর্শ অতুলনীয়। মহান চরিত্রের অধিকারী হলেও কায়েমি স্বার্থবাদীরা তাঁর ঘোর বিরোধিতা করেছে। হত্যার পরিকল্পনা করেছে, অত্যাচার, নির্যাতন করেছে। সারা শরীর রক্তাক্ত করে দিয়েছে। মক্কা ও তায়েফে তিনি সীমাহীন নির্যাতনের সম্মুখীন হন। অবর্ণনীয় অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও তিনি বদদোয়া কিংবা অভিসম্পাত করেননি। উল্টো তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছেন। এদের জ্ঞান দাও প্রভু -এদের ক্ষমা কর।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে মক্কাবাসী একদিন মহানবি ও মুসলমানদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল। তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল, দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছিল। মহানবি বিজয়ীর বেশে তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে মক্কায় এলেন। মক্কাবাসী সেদিন অপরাধীর মতো তাঁর সামনে দন্ডায়মান। তিনি তখন চরম প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারতেন। অথচ রাসুল (স.) বললেন, তোমাদের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তোমরা মুক্ত, স্বাধীন। তাই উদ্দীপক ও মরু-ভাস্কর প্রবন্ধ উভয় স্থানে আমরা লক্ষ করি মহানবির ক্ষমাশীলতার অত্যুজ্জ্বল আদর্শ।
ঘ ‘প্রতিশোধ না ক্ষমতাই উত্তম।’ এ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধ উভয় স্থানেই সত্য হয়ে উঠেছে।
‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে আমরা লক্ষ করি মহানবি ছিলেন অত্যন্ত কোমল মনের অধিকারী। কারো সাথে শত্রæতা পোষণ করা তা দূরের কথা কাউকে কটু কথাও বলেননি। এমনি দরদি হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন তিনি। মহানবি (স.) মক্কা ও তায়েফে তিনি সীমাহীন অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও কোনো অভিযোগ কিংবা অভিসম্পাত করেননি। উম্মতের মঙ্গল কামনা ছাড়া তাঁর আর কোনো অভিপ্রায় ছিল না।
উদ্দীপকেও বর্ণিত হয়েছে রাসুলের ক্ষমার আদর্শ। রাসুলের (স.) মক্কা বিজয়ের পর তিনি তাঁর বিরোধিতাকারীদের ওপর চরম প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
মহানবি (স.) হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন যে, প্রতিহিংসা শুধু প্রতি হিংসায়ই জন্ম দেয়। আর প্রতিশোধস্পৃহা শুধু ধ্বংসই ডেকে আনে। কিন্তু ক্ষমার আদর্শ শান্তি স্থাপন করে। ক্ষমা মানুষের সাথে মানবিক আদর্শকে জাগ্রত করে। মহানবি (স.) যাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তারা তাদের ভুল বুঝে অনুতপ্ত হয়েছে। পরবর্তীতে সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে। তাই বলা হয়েছে প্রতিশোধ নয়, ক্ষমাই উত্তম।
অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
হযরত মুহাম্মদ (স.) একবার তায়েফে গেলেন ইসলাম প্রচারের জন্য। তায়েফের মানুষ তার কথা বিশ্বাস করল না। তাঁরা তাঁকে নির্মম নির্যাতন করল। তাঁকে পাগল মনে করে পিছন থেকে ঢিল ছুঁড়তে লাগল। পাথরের আঘাতে তাঁর শরীর রক্তাক্ত হয়ে গেল। তবুও তিনি তায়েফের মানুষের জন্য কোনো অভিশাপ দিলেন না। তিনি প্রার্থনা করলেন, “এদের জ্ঞান দাও প্রভু- এদের ক্ষমা কর।”
ক. কোন পর্বতের পাদদেশে হযরত বক্তৃতা করছিলেন? ১
খ. কুসংস্কারকে হযরত কোনোদিনই প্রশ্রয় দেননি- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটিতে নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চরিত্রের কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে- উপস্থাপন কর। ৩
ঘ. “এদের জ্ঞান দাও প্রভু এদের ক্ষমা কর”- কথাটির মধ্যে যে মানবীয় সত্য প্রকাশিত হয়েছে, তা বিশ্লেষণ কর। ৪
ক কুসংস্কারকে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) কোনোদিনই প্রশ্রয় দেননি- এ কথাটি প্রবন্ধে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
খ কুসংস্কারকে হযরত কোনো দিনই প্রশ্রয় দেননি। একবার হযরতের পুত্রের মৃত্যুদিন সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। লোকে বলাবলি করতে থাকে- বুঝি হযরতের বিপদে প্রকৃতি শোকাবেশ পরিধান করেছে। তখনি সভা ডেকে হযরত এই বাস্তবতাবিরোধী কথার প্রতিবাদ করলেন; বললেন, “আল্লাহ্র বহু নিদর্শনের মধ্যে দুটি- চন্দ্র ও সূর্য। কারুর জন্ম বা মৃত্যুতে চন্দ্র -সূর্যে গ্রহণ লাগতে পারে না।”
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চরিত্রের মাহাত্ম্য আলোচনা করতে হবে।
ঘ মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন ক্ষমার মূর্ত প্রতীক। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
একজন পীর সাহেব তার দরগায় বসেন। তার কাছে আসা মানুষদেরকে ধর্মীয় উপদেশ দেন। পীর সাহেবের কিছু অন্ধ ভক্ত ছিল। তারা পীর সাহেবকে মানুষের চেয়ে বেশি কিছু ভাবতে লাগল। একদিন পূর্ণিমার রাতে তার এক ভক্ত হঠাৎ করে বলল, তিনি পীর সাহেবকে চাঁদের মধ্যে দেখতে পেয়েছেন। এ ভক্তের কথা দ্রæত ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। পীর সাহেব সবাইকে ডাকলেন। বললেন, এটা অসম্ভব। কোনো মানুষের চেহারা চাঁদে দেখতে পাওয়া যাবে না। চাঁদ আল্লাহর নিদর্শন।
ক. মহানবি (স.) -এর দুধ মায়ের নাম কী? ১
খ. ‘তিনি রাসুল, কিন্তু তিনি মানুষ’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের কোন ঘটনাটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “যুক্তিহীন অন্ধ ভক্তদের বাড়াবাড়ি কখনো কখনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে”- কথাটি উদ্দীপক ও মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের আলোকে বিচার কর। ৪
ক মহানবি (স.) এর দুধ মায়ের নাম হালিমা।
খ তিনি রাসুল, কিন্তু তিনি মানুষ বলতে মহানবি (স.)-কে বোঝানো হয়েছে।
মহানবি (স.) ছিলেন মহান ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক। তিনি মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর শোকাচ্ছন্ন জনতা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। তাঁদের অনেকের ধারণা ছিল, মহানবি (স.) মরতে পারেন না। তাঁদের বোঝাতে হযরত আবুবকর (রা.) ঘোষণা দিলেন মহানবি (স.) একজন মানুষ এবং আল্লাহর রাসুল।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের ঘটনাটির সাথে মরুভাস্কর প্রবন্ধের মহানবি (স.) এর পুত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সূর্যগ্রহণের ঘটনাটির সাদৃশ্য আলোচনা কর।
ঘ উদ্দীপকে চাঁদে চেহারা দেখা ও মরু-ভাস্কার প্রবন্ধে সূর্যগ্রহণের মতো বহু বানোয়াট ঘটনা সমাজে বিড়ম্বরনা ও অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দেয় তার বিশ্লেষণ কর।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
বিনা বাধায় মহানবি (স.) মক্কা জয় করেন। স্বীয় জীবন ও ইসলাম রক্ষার জন্য মহানবি (স.)-কে একদিন মক্কা ছেড়ে মদিনায় আশ্রয় নিতে হয়েছিল, সেদিন তিনি বিজয়ী মহাবিরের বেশে মক্কায় প্রবেশ করলেন। তিনি হলেন মক্কার একচ্ছত্র অধিপতি। যে মক্কার অধিবাসীরা একদিন মহানবি (স.)-এর জীবননাশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল, সেদিন তারাই তাঁর সামনে অপরাধীর বেশে উপস্থিত হয়েছে। তখন তিনি উদারতার পরিচয় দিলেন।
ক. মদিনায় কী ঘনিয়ে এলো? ১
খ. “সত্যে তিনি বজ্রের মতো কঠিন, পর্বতের মতো অটল হলেও করুণায় তিনি ছিলেন কুসুমকোমল”- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য তুলে ধর। ৩
ঘ. ‘বিরোধীদের সঙ্গে মুহম্মদ (স.) যে উদারতার পরিচয় দিলেন, তা তাঁর বিরাট মনুষ্যত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল’- মন্তব্যটি ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধ অনুসরণে বিশ্লেষণ কর। ৪
ক মদিনার অন্ধকার ঘনিয়ে এলো।
খ সত্যে তিনি বজ্রের মতো কঠিন। পর্বতের মতো অটল হলেও করুণায় মহানবি (স.) ছিলেন কুসুমকোমল।
মহানবি (স.) সারাজীবন শুধু মানুষের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন। তিনি প্রয়োজনে কঠোর হাতেন কিন্তু কঠোরতা তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নয় ।মক্কা বিজয়ের পর সাফা পর্বতের পাদাদশে মহানবি (স.) বক্তৃতা কালে এক ব্যক্তি ভয়ে কাঁপছিলেন। তিনি তাকে অভয় দিলেন এবং আশ্বস্ত করলেন। কারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তাঁর জীবনের ব্রত।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের সঙ্গে মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের ভয় কাঁপতে থাকা লোকটির সাদৃশ্য তুলে ধর।
ঘ মরু ভাস্কর প্রবন্ধটি পড়ে সেই আলোকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি – প্রতিষ্ঠিত কর।
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ যেসব মহাপুরুষের আবির্ভাবে পৃথিবী ধন্য হয়েছে তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কে?
উত্তর : যেসব মহাপুরুষের আবির্ভাবে পৃথিবী ধন্য হয়েছে তাঁদের মধ্যে হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) সর্বশ্রেষ্ঠ।
প্রশ্ন \ ২ \ আরবের লোকের স্মৃতিশক্তি কেমন ছিল?
উত্তর : আরবের লোকের স্মৃতিশক্তি ছিল অসাধারণ।
প্রশ্ন \ ৩ \ কারা হাজার হাজার হাদিস মুখস্থ করে রাখতেন?
উত্তর : সাহাবি এবং হাদিসজ্ঞরা অনেকেই হাজার হাজার হাদিস মুখস্থ করে রাখতেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ সারা আরবভ‚মির অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন কে?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন আরবভ‚মির অবিসংবাদিত নেতা।
প্রশ্ন \ ৫ \ হযরত মুহাম্মদ (স.) ছেলেপিলেদের সাথে কিভাবে মিশতেন?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স.) সবসময় ছেলেপিলেদের সাথে মিশতেন একেবারে শিশুর মন নিয়ে।
প্রশ্ন \ ৬ \ কাকে দেখে মুহাম্মদ (স.) আমার মা, আমার মা, বলে আকুল হয়ে ওঠেন?
উত্তর : দাই-মা হালিমাকে দেখে হযরত মুহাম্মদ (স.) আমার মা, আমার মা বলে আকুল হয়ে ওঠেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ কে জীবনে কাউকে কড়া কথা ও অভিসম্পাত দেননি?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স.) জীবনে কাউকে কড়া কথা এবং কাউকে অভিসম্পাত দেননি।
প্রশ্ন \ ৮ \ আনাস নামক এক ভৃত্য কত বছর হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চাকরি করেছেন?
উত্তর : আনাস নামক এক ভৃত্য দশ বছর হযরত মুহাম্মদ (স.) এর চাকরি করেছেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু -এদের ক্ষমা কর’- এ কথা বলেছেন কে?
উত্তর : এদের জ্ঞান দাও প্রভু এদের ক্ষমা কর- একথা হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ জগতে সাম্যের প্রতিষ্ঠা কার চরিত্রের অন্যতম বিশেষত্ব?
উত্তর : জগতে সাম্যের প্রতিষ্ঠা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) এর চরিত্রের অন্যতম বিশেষত্ব।
প্রশ্ন \ ১১ \ হযরত মুহাম্মদ (স.) কোথায় অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছিলেন?
উত্তর : তায়েফে হযরত মুহাম্মদ (স.) অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছিলেন।
প্রশ্ন \ ১২ \ তায়েফ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : তায়েফ মক্কায় অবস্থিত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ মানুষকে সালাতের আহŸান করার জন্য কে নিযুক্ত ছিলেন?
উত্তর : মানুষকে সালাতের আহŸান করার জন্য হাবশি গোলাম হযরত বেলাল নিযুক্ত ছিলেন।
প্রশ্ন \ ১৪ \ নারীর অবস্থার পরিবর্তন এনেছেন কে?
উত্তর : নারীর অবস্থার পরিবর্তন এনেছেন হযরত মুহাম্মদ (স.)।
প্রশ্ন \ ১৫ \ হযরত ফাতেমা (রা.) কার কন্যা ছিলেন?
উত্তর : হযরত ফাতেমা (রা.) হযরত মুহাম্মদ (স.) এর কন্যা ছিলেন।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কাকে কেন্দ্র করে সে যুগে নারীত্বের আদর্শ গড়ে ওঠে?
উত্তর : হযরত ফাতেমা (রা.)-কে কেন্দ্র করে সে যুগে নারীত্বের আদর্শ গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ ‘বেহেশত মায়ের পায়ের নিচে’ একথা কে ঘোষণা করেছেন?
উত্তর : ‘বেহেশত মায়ের পায়ের নিচে’ -একথা হযরত মুহাম্মদ (স.) ঘোষণা করেছেন।
প্রশ্ন \ ১৮ \ হযরত মুহাম্মদ (স.) কোনটির ওপর সবসময় জোর দিয়েছেন?
উত্তর : হযরত মুহাম্মদ (স.) সব সময় জ্ঞানের ওপর জোর দিয়েছেন।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ‘সত্যে ও সংগ্রামে তিনি বজ্রের মতো কঠিন, পর্বতের মতো অটল তাঁকে আবার দেখতে পাই কুসুমের চেয়ে কোমল।’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সত্য প্রতিষ্ঠায় হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন কঠিন, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল তাঁর অন্তরজুড়ে, সে কথাই ব্যক্ত করা হয়েছে।
সত্যের নিবিড় সাধনায় মহানবি (স.)-এর চরিত্র মধুময় হয়ে উঠেছিল। শত্রæর নিষ্ঠুরতম নির্যাতনে তিনি বারবার মৃত্যুর মুখে পড়েছেন। কিন্তু সত্য প্রচারে, সত্য গ্রহণে কখনই পিছপা হননি। সত্য প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন বজ্রের মতোই কঠিন, কিন্তু মানুষকে ভালোবাসায় তিনি ফুলের মতো কোমল ছিলেন।
প্রশ্ন \ ২ \ ‘আল্লাহর মহান নবি হওয়া সত্তে¡ও তিনি সাধারণ মানুষ’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘আল্লাহর মহান নবি হওয়া সত্তে¡ও তিনি সাধারণ মানুষ’ বলতে মহানবি (স.)-কে বোঝানো হয়েছে।
মহানবি (স.) ছিলেন মহান ত্যাগ ও আদর্শের প্রতীক। তিনি মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর শোকাচ্ছন্ন জনতা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। তাঁদের অনেকের ধারণা ছিল, মহানবি (স.) মরতে পারেন না। তাঁদের বোঝাতে হযরত আবুবকর (রা.) ঘোষণা দিলেন মহানবি (স.) একজন মানুষ এবং আল্লাহর রাসুল।
প্রশ্ন \ ৩ \ মহানবি (স.) ভীষণ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন কেন?
উত্তর : সত্য প্রচার করতে গিয়ে অজ্ঞ, জ্ঞানহীন মানুষের অত্যাচারের মুখে পড়েছিলেন মহানবি (স.), যা ছিল তাঁর নিকট ভীষণ পরীক্ষার মতো।
তায়েফে সত্য প্রচার করতে গিয়ে তাঁর জীবনে নেমে আসে নিষ্ঠুর অত্যাচার। তাদের পাথরের আঘাত তাঁকে রক্তাক্ত করেছিল। চৈতন্য হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তারাই আবার মহানবি (স.)-কে তুলে দিয়েছে এবং পুনরায় পাথর নিক্ষেপ করেছে। তায়েফে সত্য প্রচার করতে যাওয়া মহানবি (স.)-এর কাছে ছিল ভীষণ পরীক্ষার।
প্রশ্ন \ ৪ \ “আমি রাজা নই, কারও মুনিবও নই”- কথাটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মক্কা বিজয়ের পর সাফা পর্বতের পাদদেশে মহানবি বক্তৃতা করার পর এক লোক ভয়ে কাঁপছিল তখন তিনি বলেন- “আমি রাজা নই, কারও মুনিবও নই- উক্তির মধ্য দিয়ে মহানবি (স.) এর নিরহংকার মনের পরিচয় ফুটে উঠেছে।
হবীবুল্লাহ্ বাহার প্রবন্ধে মহানবি (স.)-এর জীবনের নানা মানবীয় গুণ আলোচিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনি ছিলেন নিরহংকারী। হযরত মুহাম্মদ (স.) বিপুল ঐশ্বর্য, ক্ষমতা ও মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মধ্যে থেকেই একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করে গেছেন। তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষের মতোই মনে করতেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ “এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর”- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যারা সত্য ও ন্যায়ের পথে না গিয়ে মহানবি (স.)-এর প্রতি অত্যাচার করেছে, তাদের উদ্দেশ্যে মহানবি (স.) এ কথা বলেছেন।
পৌত্তলিকতায় বিশ্বাসী মক্কাবাসী পাপ ও অজ্ঞতার অন্ধকারে নিজেদের মনুষ্যত্ববোধ বিসর্জন দিয়েছিল। তাই মহানবি তাদের সত্যের বাণী প্রচার করতে গিয়ে আঘাতে জর্জরিত হন। মহানবি (স.) মনেপ্রাণে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে এরা বিবেকবোধ বর্জিত, তাদের চিন্তাচেতনা অজ্ঞানতার অন্ধকারে ঢাকা। সে কারণে তিনি আলোচ্য উক্তির মাধ্যমে তাদের জন্য আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে জ্ঞান ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
লেখক পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. হবীবুল্লাহ্ বাহার কোন কবির ভক্ত ছিলেন? (জ্ঞান)
কাজী নজরুল ইসলামের
খ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
গ জসীমউদ্দীনের
ঘ সুকুমার রায়ের
২. হবীবুল্লাহ বাহার মূলত কী ছিলেন? (জ্ঞান)
ক গল্পকার প্রবন্ধকার গ কবি ঘ ঔপন্যাসিক
৩. হবীবুল্লাহ বাহার কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯০৪ খ ১৯০৫ ১৯০৬ ঘ ১৯০৭
৪. হাবীবুল্লাহ্ বাহার কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৫ ১৯৬৬ গ ১৯৭০ ঘ ১৯৭২
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫. হবীবুল্লাহ্ বাহার ছিলেন- (অনুধাবন)
র. চিন্তায় মানবতাবাদী রর. কর্মে মানবতাবাদী
ররর. রাজনীতিতে মানবতাবাদী
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬. হবীবুল্লাহ্ বাহারের উল্লেখযোগ্য জীবনীগ্রন্থ হলো- (অনুধাবন)
র. ওমর ফারুক রর. আমীর আলী
ররর. অসমাপ্ত আত্মজীবনী
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭. যেসব মহাপুরুষদের আবির্ভাবে পৃথিবী ধন্য হয়েছে তাঁদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক হযরত ওমর (রা.) হযরত মুহাম্মদ (স.)
গ হযরত আবুবকর (রা.) ঘ হযরত আলী (রা.)
৮. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন আলোচনা করতে গেলে প্রথমে চোখে পড়ে কোনটি? (অনুধাবন)
ঐতিহাসিকতা খ ভৌতিকতা গ মানবতা ঘ সহিষ্ণুতা
৯. আরবের লোকদের স্মৃতিশক্তি কেমন ছিল? (জ্ঞান)
অসাধারণ খ সাধারণ গ বিচক্ষণ ঘ কম
১০. আরবের লোকেরা সহজেই মুখস্থ করে ফেলত কী? (জ্ঞান)
কাব্যগ্রন্থ খ কবিতা গ উপন্যাস ঘ প্রবন্ধ গ্রন্থ
১১. সাহিত্যের ইতিহাসে মুখস্থ না করে লিখে রাখাকে কারা লজ্জার কথা বলে মনে করত? (জ্ঞান)
আরবরা খ আর্যরা গ পাদ্রিরা ঘ মিশররা
১২. সাহাবিরা হাজার হাজার কী মুখস্থ করে রাখত? (জ্ঞান)
হাদিস খ গজল গ কলেমা ঘ গল্প
১৩. হযরত মুহাম্মদ (স.) নিজেকে কী মনে করতেন? (জ্ঞান)
ক জ্ঞানী খ নবি গ রাসুল সাধারণ মানুষ
১৪. আরব ভ‚মিতে অবিসংবাদিত নেতা কে ছিলেন? (জ্ঞান)
ক হযরত ওমর (রা.) খ হযরত আলী (রা.)
গ হযরত আবুবকর (রা.) হযরত মুহাম্মদ (স.)
১৫. কার মুখে সবসময় হাসি থাকত? (জ্ঞান)
ক হযরত আলী (রা.) খ হযরত আয়েশা (রা.)
হযরত মুহাম্মদ (স.) ঘ হজরত খাদিজা (রা.)
১৬. ছেলেপিলের সঙ্গে হযরত মুহাম্মদ (স.) কীভাবে মিশতেন? (জ্ঞান)
ক সহিষ্ণুতা নিয়ে শিশুর মন নিয়ে
গ বৃদ্ধদের মন নিয়ে ঘ অসহায়দের মন নিয়ে
১৭. পথে দেখা হলে বালক-বন্ধুকে কী জিজ্ঞেস করতে হযরত মুহাম্মদের ভুল হয় না? (জ্ঞান)
বুলবুলির কথা খ টুনটুনির কথা
গ টুকটুকির কথা ঘ তুলতুলির কথা
১৮. বহুদিন পর মা হালিমাকে দেখে হযরত মুহাম্মদ (স.) কেমন হয়ে পড়েন? (জ্ঞান)
ক ব্যথিত খ আত্মহারা আকুল ঘ উদগ্রীব
১৯. মক্কা বিজয়ের পর কোন পর্বতের পাদদেশে বসে হযরত মুহাম্মদ বক্তৃতা করছিলেন? (জ্ঞান)
সাফা খ হেরা গ উহুদ ঘ আলপস
২০. একজন লোক হযরত মুহম্মদ (স.)-এর সামনে এসে কাঁপতে লাগল কেন? (জ্ঞান)
ক ক্ষুধায় খ আঘাতে ভয়ে ঘ জ্বরে
২১. শুষ্ক খাদ্য কার আহার্য ছিল?
ক আবু হানিফা এর
খ আবুবকর (রা.) এর
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর
ঘ খাদিজা (রা.) এর
২২. ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধে কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর উদারতা
খ হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মানবীয় গুণাবলি
গ হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মামার দৃষ্টান্ত
ঘ হযরত মুহাম্মদ (স.) এর ধর্ম প্রচার
২৩. কোন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সাদাসিধা জীবন যাপনের চিত্র ফুটে উঠেছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক একজন রসুল বৈ আর কিছুনন
আমি রাজা নই, কারও মুনিবও নই
গ মা আমার, মা আমার
ঘ বেহেশত মায়ের পায়ের নিচে
২৪. হযরত মুহাম্মদ (স.) কার পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশতের কথা বলেছে? (জ্ঞান)
ক পিতার খ মায়ের গ স্বামীর ঘ শ্বশুরের
২৫. মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের সাথে নিচের কোনটির সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
মরু-ভাস্কর খ মাল্যদান গ সেই ছেলেটি ঘ লখার একুশে
২৬. ‘জ্ঞান যেন হারানো উটের মতো’ এ উক্তিটি করেছেন কে? (অনুধাবন)
ক হযরত আলী (রা.) খ হযরত খাদিজা
হযরত মুহাম্মদ (স.) ঘ হযরত আয়েশা
২৭. প্রচলিত সমাজব্যবস্থা ও দাস-ব্যবসায়ের অত্যাচার জর্জরিত হয়ে মানবতা যখন গুমরে মরছিল, তখন রাসুলুল্লাহ্ (স.) কীসের বাণী প্রকার করেন? (অনুধাবন)
ক ইসলামের সাম্যের গ মানবতার ঘ উদারতার
২৮. আনাস নামক ভৃত্য কত বছর হযরতের চাকরি করার পরও কড়া কথা শোনেননি? (জ্ঞান)
ক পাঁচ খ ছয় গ সাত দশ
২৯. হযরত (স.) এর কন্যা ফাতেমা (রা.)-কে কেন্দ্র করে সে যুগে কী গড়ে উঠেছে? (অনুধাবন)
নারীর আদর্শ খ শান্তির আদর্শ
গ ন্যায়ের আদর্শ ঘ শিষ্টাচারের আদর্শ
৩০. মানুষকে সালাতে আহŸান করার জন্য হযরত মুহাম্মদ (স.) কাকে মুয়াযযিন নিযুক্ত করেছিলে? (জ্ঞান)
হযরত বেলালকে খ হযরত হেলালকে
গ হযরত ওমরকে ঘ হযরত আলীকে
৩১. হযরত মুহাম্মদ (স.) কোনোদিনই কী প্রশ্রয় দেননি? (অনুধাবন)
ক মানবতা কুসংস্কার গ ভীতু ঘ দুর্বলতা
৩২. ‘জ্ঞান সাধকের দোয়াতের কালি শহিদের লহুর চাইতেও পবিত্র’ -এ উক্তিটি কে করেছেন? (অনুধাবন)
ক মা হালিমা খ হযরত মা ফাতেমা
হযরত মুহাম্মদ (স.) ঘ হযরত ওমর (রা.)
৩৩. জ্ঞানের আলোয় মানুষের হৃদয় উজ্জ্বল করার প্রেরণা দিয়েছেন কে?
(অনুধাবন)
হযরত মুহাম্মদ (স.) খ মা হালিমা
গ হযরত আলী (রা.) ঘ হযরত খাদিজা (রা.)
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩৪. হযরত যখন মদিনার অধিনায়ক, তখন তাঁর ঘরের আসবাবপত্র ছিল-
(অনুধাবন)
র. একখানা খেজুর পাতার বিছানা রর. একটি পানির সুরাহি
ররর. একটি মশারি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৫. হযরত মুহাম্মদ (স.) বিশ্বাসে ছিলেন- (অনুধাবন)
র. অজেয় রর. অকুতোভয়
ররর. নির্ভীক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬. হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর সামনে একজন লোক ভয়ে কাঁপতে লাগলে, তখন তিনি অভয় দিয়ে বললেন- (প্রয়োগ)
র. ভয় করছ কেন? রর. কী করেছ তুমি?
ররর. আমি রাজ নই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. হযরত মুহাম্মদ (স.) জীবনে কাউকে – (অনুধাবন)
র. কড়া কথা বলেননি রর. অভিসম্পাত দেননি
ররর. মানবতা দেখাননি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৮. “এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।”- এ বক্তব্যের মধ্যে ফুটে উঠেছে, হযরত মুহাম্মদ (স.) এর – (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মহানুভবতা রর. সহিষ্ণুতা
ররর. করুণা
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৯. মহানবি (স.) এর পূর্বে আরো অনেক রসুল মারা গেছেন। তাই তিনি-
(উচ্চতর দক্ষতা)
র. পরলোক গমন করতে পারেন, অবিনশ্বর হতে পারেন
রর. ইন্তেকাল করতে পারেন, নিহত হতে পারেন
ররর. মরতে পারেন, নিহত হতে পারেন না
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৪০. যে কথায় হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর সাধারণ জীবনযাপন ফুটে উঠেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর
রর. আমি এমন এক মায়ের সন্তান, শুষ্ক খাদ্যই ছিল যাঁর আহার্য
ররর. আমি কারো রাজা নই, কারো মুনিবও নই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪১ ও ৪২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
একটি মাত্র পিরান কাচিয়া শুকায়নি বলে,
রৌদ্রে ধরিয়া বসিয়া আছেগো খলিফা আঙিনা তলে।
৪১. অনুচ্ছেদের উক্ত পঙ্ক্তিটিতে মরু-ভাস্কর প্রবন্ধের কোন বিষয়ের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আড়ম্বরপূর্ণ জীবন
খ হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর তুচ্ছ বোধের পরিচয়
হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর সাদাসিধা জীবনযাপন
ঘ হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর কষ্টের জীবনযাপন
৪২. উক্ত দিকটি বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মহানবির (স.) এর দারিদ্র্যের মুকুট মাথায় পরিধানে
রর. গৃহে প্রদীপ জ্বালাবার তেল না থাকার মাধ্যমে
ররর. মহানবির আত্মপরিচয় সবার কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৩ ও ৪৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রেজাউল করিম মানব দরদি মানুষ। কাউকে কোনো দিন কটূকথা বা অভিসম্পাত দেননি। তিনি কুসংস্কারকে কখনো প্রশ্রয় দেননি। তার ন্ত্রীর গর্ভে সন্তান থাকা অবস্থায় সূর্যগ্রহণ লেগেছিল। তখন তার স্ত্রী মাছ কেটেছিল। পুত্র হবার পর তার একটি কান কাটা হয়। তখন পাড়াপ্রতিবেশী মহিলারা বলাবলি করছিল, বাচ্চা গর্ভে থাকার সময় তার স্ত্রী মাছ কেটেছিল তাই পুত্রের কান কাটা হয়েছে। রেজাউল করিম মহিলাদের ডেকে বললেন, আপনাদের এ কুসংস্কার ধারণা ত্যাগ করুন।
৪৩. অনুচ্ছেদে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন প্রবন্ধের সাথে সাদৃশ্য রয়েছে?
ক রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন খ সেই ছেলেটি
মরু-ভাস্কর ঘ মাল্যদান
৪৪. অনুচ্ছেদে উক্ত প্রবন্ধের যে বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে-
র. মানবতা রর. মহানুভবতা
ররর. সহিষ্ণুতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
শব্দার্থ ও টিকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. ‘মরু-ভাস্কর’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক মরুভ‚মির চন্দ্র মরুভ‚মির সূর্য
গ মরুভ‚মির বালি ঘ মরুভ‚মির মূর্তি
৪৬. ‘সৌষ্ঠব’ শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (অনুধাবন)
ক সুন্দর সুগঠন গ সৌন্দর্য ঘ সৌরভ
৪৭. ‘লহু’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক লৌহ খ রক্ত গ বালু ঘ কাঁচ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৮. ‘সুরাহি’ শব্দটির অর্থ- (অনুধাবন)
র. পানির একরকম পাত্র রর. জলের কুঁজো
ররর. সোরাই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৪৯. ‘অকুতোভয়’ শব্দটির অর্থ- (অনুধাবন)
র. সাহসী রর. নির্ভীক
ররর. ভয়হীন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫০. ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধের লেখক কে? (জ্ঞান)
ক মামুনুর রশীদ খ হুমায়ুন আজাদ
হবীল্লাহ্ বাহার ঘ আবুবকর সিদ্দিক
৫১. হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবনের যত তথ্য পাওয়া যায় সবই কী হিসেবে স্বীকৃত? (অনুধাবন)
ঐতিহাসিক সত্য খ জীবপ্রেমের আংশিক সত্য
গ কাল্পনিক সত্য ঘ ভৌতিক সত্য
৫২. হযরত মুহাম্মদ (স.) কীসের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতেন? (অনুধাবন)
ক পরহিতে জ্ঞান চর্চায়
গ উদারতায় ঘ মানবতায়
৫৩. ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধটি কোন দিকটি উজ্জীবিত হয়েছে? (উচ্চতর দক্ষতা)
মুসলিম সমাজে জ্ঞান চর্চায় এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা
খ মুসলিম সমাজে নারীর ক্ষমতা
গ মুসলিম সমাজে ধর্মচর্চায় এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণ
ঘ মুসলিম সমাজে
৫৪. হযরত মুহাম্মদ (স.) কত বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন? (জ্ঞান)
ক ৬১ খ ৬২ ৬৩ ঘ ৬৪
৫৫. নিজে নির্যাতিত হয়েও প্রতিদানে ক্ষমা করেছেন কে? (জ্ঞান)
ক আবু জেহেল হযরত মুহাম্মদ (স.)
গ আবু লাহাব ঘ হযরত বেলাল (রা.)
৫৬. শত্রæর প্রতি ক্ষমাশীলতার মহৎ দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন কে? (জ্ঞান)
ক গীদ্য মোপসাঁ খ হযরত আলী (রা.)
গ হযরত আলী (রা.) হযরত মুহাম্মদ (স.)
৫৭. ব্যক্তিগত আচরণে কার হৃদয় ছিল কুসুমের মতো কোমল? (জ্ঞান)
ক হযরত মুহাম্মদ (স.) খ হযরত ওসমান (রা.)
গ হযরত আবু বকর (রা.) ঘ হযরত আলী (রা.)
৫৮. জীবনে কাউকে কড়া কথা বলেননি- কে? (জ্ঞান)
ক আবু হানিফা (রা.) খ হযরত আবুবকর
হযরত মুহাম্মদ (স.) ঘ হযরত খাদিজা (রা.)
৫৯. হযরত মুহাম্মদ (স.) মানুষে মানুষে ভেদাভেদের পরিবর্তে কীসের বাণী প্রচার করে গেছেন? (জ্ঞান)
সাম্যের খ মানবতার গ সহিষ্ণুতার ঘ উদারতার
৬০. শহিদ হওয়ার চেয়ে কে বেশি জ্ঞান সাধনাকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছেন? (জ্ঞান)
ক হযরত আয়েশা (রা.) খ হযরত খাদিজা (রা.)
হযরত মুহাম্মদ (স.) ঘ হযরত ওমর (রা.)
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬১. ‘মরু-ভাস্কর’ প্রবন্ধটিতে ফুটে উঠেছে- (অনুধাবন)
র. ধর্মীয় চেতনা রর. নৈতিক বিকাশ
ররর. মহামানবদের প্রতি শ্রদ্ধা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬২. হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন- (অনুধাবন)
র. চরিত্রবান রর. জীবপ্রেমে মহীয়ান
ররর. মানবপ্রেমিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর র, রর ও ররর
৬৩. হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন- (অনুধাবন)
র. বিপদে ধৈর্যশীল রর. দারিদ্র্যে চঞ্চলতা
ররর. শত্রæর প্রতি ক্ষমাশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. সত্যের জন্য সংগ্রামে হযরত মুহাম্মদ (স.) ছিলেন- (অনুধাবন)
র. বজ্রের মতো কঠোর রর. পর্বতের মতো অটল
ররর. অপূর্ব ক্ষমাশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. হযরত মুহাম্মদ (স.) অন্য ধর্মের প্রতি ছিলেন- (অনুধাবন)
র. উদার রর. সহিষ্ণু
ররর. অনুরাগি
নিচের কোনটি সঠিক?
র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
মাস্টার ট্রেইনার প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর