সপ্তম শ্রেণির বাংলা শোন একটি মুজিবরের থেকে

শোন একটি মুজিবরের থেকে
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার

 কবি পরিচিতি
নাম গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ। জন্মস্থান : পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে।
শিক্ষাজীবন শৈশবে কলকাতা গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার পাবনায় ফিরে আসেন। সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ১৯৫১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাস করেন। পরে আবার বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
পেশা/কর্মজীবন প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় তার গান রেকর্ড করে প্রচার করা হলে গীতিকার হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। পরবর্তী সময় চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখার জন্য পুরোপুরিভাবে আত্মনিয়োগ করেন।
সাহিত্য সাধনা তার রচিত বিখ্যাত সংগীত- শোন একটি মুজিবরের থেকে, আমরা সবাই বাঙালি, মাগো ভাবনা কেন, পথের ক্লান্তি ভুলে, কফি হাউসের সেই আড্ডাটা, ও নদীরে, নিশিরাত বাঁকা চাঁদ, মঙ্গল দীপ জ্বেলে, যদি হিমালয়-আল্পসের, ও পলাশ ও শিমুল, আকাশ কেন ডাকে সহ অসংখ্য গানের রচয়িতা।
পুরস্কার ও সম্মাননা মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা-২০১২ প্রদান করা হয়।
জীবনাবসান প্রায় দশ বছর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

 


সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
মুজিবুর রহমান
ওই নামে যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বাণ।
বঙ্গদেশের এ প্রান্ত হতে সকল প্রান্ত ছেয়ে
জ্বালায় জ্বলিছে মহাকালানল ঝঞ্ঝা অশনি বেয়ে।
মায়ের বুকের ভায়ের বুকের বোনের বুকের জ্বালা,
তব সম্মুখে পথে পথে আজ দেখায়ে চলিছে আলা।
ক. কোন কবির চোখে বাংলাদেশ ‘রূপসী বাংলা’?
খ. ‘অন্ধকারে পুব আকাশে উঠবে আবার দিনমণি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ২য় চরণে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকটি ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব বহন করে কি? স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

ক জীবনানন্দের চোখে বাংলাদেশ ‘রূপসী বাংলা’।
খ অন্ধকার পুর আকাশে উঠবে আবার দিনমণি- বলতে দুঃসময় কাটিয়ে সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালির ওপর ১৯৭১-এ ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালালে জাতির সামনে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সে সময় আশার বাণী শুনিয়ে বলা হয় পুব আকাশে সূর্য উঠবেই, তখন অন্ধকার কেটে যাবে।
গ উদ্দীপকের ২য় চরণে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি আকাশে-বাতাসে বেজে ওঠার দিকটি ফুটে উঠেছে।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে গর্জে উঠেছিলেন তা লক্ষ জনতার মধ্যেও প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। সেদিন বাঙালি বিদ্রোহী চেতনায় জেগে উঠেছিল বলেই আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এক মুজিবুর থেকে লক্ষ মুজিব সেদিন সোচ্চার হয়েছিল কণ্ঠে কণ্ঠে মিলিয়ে।
উদ্দীপকের ২য় চরণে প্রকাশিত হয়েছে বিসুভিয়াস নামক আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা উদ্গীরণের কথা। মুজিবুর রহমান মানেই যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি-উগারী বাণ। কারণ তাঁর জন্য সেদিন আগ্নেয়গিরির মতোই জ্বলে উঠেছিল বীর বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর সেদিনের বজ্রবণ্ঠ অগ্নি-উগারী বাণ হয়ে শত্রæদের ওপর নিক্ষিপ্ত হয়েছিল। যে বাণ তাদের ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিল। উদ্দীপকের ২য় চরণে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বরের ধ্বনি লক্ষ জনতার কণ্ঠ হয়ে তা বাণের মতোই শত্রæকে পরাজিত করছিল সেদিকটি উদ্দীপকেও ফুটে উঠেছে।
ঘ ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সকল দিক উদ্দীপকে ফুটে ওঠেনি তাই তা কবিতার সম্পূর্ণ ভাব বহন করে না।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতা মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন একটি বিখ্যাত গান। যেখানে বলা হয় একটি মুজিবর থেকে লক্ষ মুজিবের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সবুজ-শ্যামল অপরূপ এই বাংলাকে আবার ফিরে পাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে। এটি সেই বাংলাদেশ যার রূপের কোনো শেষ নেই। এ বাংলাকে বিশ্বকবির সোনার বাংলা নজরুলের বাংলাদেশ ও জীবনানন্দের ‘রূপসী বাংলা’ বলেছেন কবি। হারানো বাংলাকে ফিরে পেতে জয়বাংলা শ্লোগান তুলে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে অন্ধকারময় পুব আকাশে আবার সূর্য উঠবে।
উদ্দীপকে বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ‚মিকার কথা বলা হয়েছে। তার নামটিই যেন আগ্নেয়গিরি অগ্নি-উগারী বাণ। যা দেশের এ প্রান্ত থেকে সকল প্রান্তে ছেয়ে গেছে। সেদিনের মায়ের, ভায়ের ও বোনের বুকের জ্বালা আজ আলো হয়ে আমাদের সম্মুখে চলার পথ দেখাচ্ছে।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় শত্রæদের মোকাবিলায় দুর্র্জয় প্রতিরোধ, বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাংলার রূপ, বাঙালির চেতনা ও আগামীর সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে। কিন্তু উদ্দীপকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও আন্দোলনের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। তাই ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় সমগ্র ভাব উদ্দীপকে বহন করে না। বরং আংশিকভাব বহন করে মাত্র।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
শত বছরে সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁর বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি :
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
[স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো- নির্মলেন্দু গুণ]
ক. কে ‘বাংলাদেশ’ নামে কবিতা লেখেন? ১
খ. একটি মুজিবর বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে শোন একটি মুজিবরের থেকে কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ – কথাটির মধ্যে উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার মূলসুর নিহিত আছে- কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘বাংলাদেশ’ নামে কবিতা লেখেন।
খ একটি মুজিবর বলতে একজন মুজিবকে বোঝানো হয়েছে।
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির আশা-ভরসার একক আশ্রয়স্থল। তার অনলবর্ষী ভাষণ শুনেই বাঙালিরা মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কারণ তিনি একমাত্র বাঙালি, যার বজ্রকণ্ঠ বীর বাঙালির রক্তে জাগিয়ে তুলেছিল স্বাধীনতার নেশা। তাই কবি তাঁকে একটি মুজিবর বলে অভিহিত করেছেন।
গ স্বাধীনতার উত্তাল দিনে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল। সেদিক দিয়ে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য বিদ্যমান।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বাঙালির স্বপ্নকে মুজিবুর রহমানের উদ্দীপনাময় কণ্ঠস্বর ধ্বনির কথা বলা হয়েছে। যে কণ্ঠস্বর জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিল, উদ্দীপিত করেছিল। তার কণ্ঠ লক্ষ কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। শত্রæর হাত থেকে সুজলা-সুফলা বাংলাকে আবার ফিরে পেতে তার সাহসী উচ্চারণ মন্ত্রের মতো কাজ করেছিল। বাঙালির ভাগ্যাকাশে তাই আবার নতুন সূর্য ওঠে।
উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের কথা বলা হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেয়ার জন্য রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে মঞ্চে ওঠেন। মঞ্চ কাঁপিয়ে তিনি সেদিন জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন- যাকে অমর কবিতা শোনানোর কথা বলা হয়েছে। তার সেই বিদ্রোহের বাণী, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর দৃপ্ত উচ্চারণে সকলের মধ্যে স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা জাগিয়ে তোলার কথাই বলা হয়েছে। সেদিক থেকে উদ্দীপক ও কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য বিদ্যমান।
ঘ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ কথাটির মধ্যে উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার মূল সূর নিহিত আছে- কথাটি যথার্থ।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙা বক্তৃতার কথা বলা হয়েছে। যা ছিল স্বাধীনতার মূলমন্ত্র। তার কণ্ঠস্বরে জেগে ওঠার মধ্যদিয়ে পরাধীন বাংলাকে আবার স্বাধীনরূপে ফিরে পাওয়া সম্ভব। ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিকে কণ্ঠে ধারণ করেই হারানো বাংলাকে ফিরে পাওয়া যাবে। আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকলে অন্ধকার পুব আকাশে আবার মুক্তির লাল সূর্য উদিত হবে।
উদ্দীপকে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর গৌরবোজ্জ্বল ভ‚মিকার কথা বলা হয়েছে। তিনি জাতির দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য সেদিন জনতার মঞ্চে দৃপ্ত পায়ে হেঁটে উঠেছিলেন এবং মঞ্চ কাঁপিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেদিন হানাদার বাহিনীকে মোকাবিলার বজ্রকঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সংগ্রামী জনতা। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম বলে তিনি মুক্তিকামী জনতাকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহŸান জানিয়েছিলেন।
উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতা মূল্যায়ন করে আমরা পাই উভয় স্থানে বঙ্গবন্ধু তাঁর বজ্রকণ্ঠের মাধ্যমে পুরো জাতিকে উজ্জীবিত করেছেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সর্বাত্মক সংগ্রামের প্রস্তুতির আহŸান জানান তিনি বীর বাঙালিকে। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ

ক. ‘সোনার বাংলা’ কে লিখেছেন? ১
খ. ‘লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি’ -বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতাটির কোন দিকটি নির্দেশ করে- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘উদ্দীপকের চিত্রটি ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে কবিতার সামগ্রিক ভাব ধারণ করতে পারেনি’- কথাটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘সোনার বাংলা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন।
খ ‘লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি’- বলতে সকলের মাঝে আন্দোলনের দাবানল ছাড়িয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে।
বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে মুক্তিসংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন। তার সেই কণ্ঠস্বর লক্ষ মানুষের কণ্ঠে সেদিন ধ্বনিত প্রতিধ্বনি হয়েছিল। অর্থাৎ, সারাদেশের মানুষের মাঝে তা সঞ্চারিত হয়েছিল। এভাবে কোটি কোটি মানুষের মিলিত কণ্ঠস্বর স্বাধীনতার জন্য গর্জে উঠেছিল।
গ উদ্দীপকের ছবিটি ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় উল্লিখিত বাঙালির দিকনির্দেশনা প্রদানকারী বঙ্গবন্ধুর জাগরণমূলক বক্তৃতার বিষয়টি নির্দেশ করে।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কীভাবে একটি মুক্তিসংগ্রামের জন্য বীর বাঙালিকে প্রস্তুত করেছিলেন তার প্রকাশ লক্ষ করা যায়। হারানো বাংলাকে কীভাবে আবার ফিরে পাওয়া যায়। বিশ্বকবি, নজরুল ও জীবনানন্দের এই বাংলা কীভাবে শত্রæমুক্ত করা যায় সেটাই ছিল সেদিনের বড় প্রশ্ন।
উদ্দীপকের চিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতিকে মুক্ত করার জন্য ৭ মার্চ জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েছিলেন এবং হানাদার বাহিনীকে মোকাবিলায় যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতাও একই কথা প্রকাশিত হয়েছে। তাই বলা যায় উদ্দীপকটি কবিতায় উল্লিখিত বাঙালির দিকনির্দেশনা প্রদানকারী বঙ্গবন্ধুর জাগরণমূলক বক্তৃতার বিষয়টি নির্দেশ করে।
ঘ বঙ্গবন্ধু কণ্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হওয়ার ছাড়াও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় অন্যান্য বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি কবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে না।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক সংগ্রামী ভাষণ, সবুজ বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য, বাংলাদেশ নিয়ে কবি-সাহিত্যিকদের ভাবনা, হারানো বাংলাকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যয় ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।
উদ্দীপকে বাঙালির কিংবদন্তি নেতা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেদিন বাঙালির প্রাণে এক নতুন জাগরণ ঘটেছিল। তিনি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলন সংগ্রাম ভিন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতা পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় উদ্দীপকে একটিমাত্র বিষয় আলোচিত হয়েছে। কিন্তু কবিতায় নানা বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ

ক. আকাশে বাতাসে কী রণিত হয়? ১
খ. হারানো বাংলাকে ফিরে পাওয়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি শোন একটি মুজিবরের থেকে কবিতার কোন অংশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ- দেখাও। ৩
ঘ. “ ‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের সমস্ত সংগ্রাম ও আন্দোলনের- জীবন্ত ¯েøাগান”- কথাটি উদ্দীপক ও শোন একটি মুজিবরের থেকে কবিতার আলোকে বিচার কর। ৪

ক লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে রণিত হয়।
খ হারানো বাংলা ফিরে পাওয়া বলতে- স্বাধীন বাংলাকে আবার ফিরে পাওয়ার প্রত্যয়কে বোঝানো হয়েছে।
একসময় এই বাংলা ছিল স্বাধীন জনপদ। ব্রিটিশদের কাছে একবার স্বাধীনতা হারানোর পর পুনরায় পাকিস্তানের ২৩ বছরের দুঃশাসন বাঙালির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। বাঙালি তার সব অধিকার হারায়। তাই আলোচ্য পঙ্ক্তিতে মুক্তি সংগ্রামের মধ্যদিয়ে হারানো বাংলাকে ফিরে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গ উদ্দীপকের চিত্রটি ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় উল্লিখিত জয়বাংলা শ্লোগানে উজ্জীবিত হওয়ার দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় কবি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, ‘জয় বাংলা’ বলতে কেন তোমরা ভাব। হারানো বাংলাকে ফিরে পেতে এই শ্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তবেই অন্ধকার পুব আকাশে আবার স্বাধীনতার সোনালি সূর্য উঠবে।
উদ্দীপকের ছবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র হাতে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগান দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা চিত্রিত হয়েছে। জয়বাংলা ধ্বনিই ছিল তখন বিজয়ের মূলমন্ত্র। যে ধ্বনি বা ¯েøাগানের কথা ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় উল্লিখিত হয়েছে। সেদিক থেকে উদ্দীপকের সাথে কবিতাটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
ঘ “‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের সমস্ত সংগ্রাম আন্দোলনেরজীবন্ত শ্লোগান”- কথাটি যথার্থ।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান উচ্চারণের জন্য কবি সবার প্রতি উদাত্ত আহŸান জানিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে এই জয়সূচক ধ্বনি ‘জয় বাংলা’ বলতেন। পাকিস্তান বিরোধী সকল সংগ্রাম- আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানেই প্রকাশিত হতো সারা দেশ। জয় সুনিশ্চিত ও অবশ্যম্ভাবী জেনে দ্বিধাহীন চিত্তে এই একটি শ্লোগানেই সংযুক্ত হয়েছিল সমগ্র বাঙালি জাতি।
উদ্দীপকে মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগানকে তারা তাদের কণ্ঠে ধারণ করেছে। লড়াই সংগ্রাম করে যুদ্ধ জয়ের ঘোষণা দিচ্ছে। তারা অকুতোভয়, ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান তাদের সাহস-হিম্মত আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতা ও উদ্দীপক উভয় স্থানে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনির কথা গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়েছে। সঠিক বিচারে প্রশ্নোক্ত বিষয়টির সত্যতা সার্থকভাবে প্রমাণিত।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
(র) “যতকাল রবে পদ্মা-যমুনা
গৌরী মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।”
(রর) “জয় বাংলা বাংলার জয়
জয় হবে হবে নিশ্চয়।
কোটি প্রাণ এক সাথে
জেগেছে অন্ধ রাতে
নতুন সূর্য ওঠার এইতো সময়।”
ক. গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি কোথায়? ১
খ. ‘শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায়রে এমন সোনার খনি’- কথাটির অন্তস্ত অর্থটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে ২য় কবিতাংশের শেষ চরণে ‘শোন একটি মুজিবুরের থেকে’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের ১ম ও ২য় অংশ ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সমগ্র ভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে”- কথাটি যুক্তি দিয়ে বিচার কর। ৪

ক গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি পাবনা জেলায়।
খ শিল্পে কাব্যে কোথায় আছে হায়রে এমন সোনার খনি বলতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে বোঝানো হয়েছে।
সুজলা-সুফলা বাংলাদেশ। এদেশের মাটিতে সোনা ফলে। এদেশকে বলা হয় সোনার খনি। শিল্পে কাব্যে কোথাও এমন সোনার খনি বাংলাদেশ ছাড়া পাওয়া যাবে না।
গ উদ্দীপকের ২য় কবিতাংশের শেষ চরণে ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতাংশের চরণে একই সম্ভাবনার কথা ব্যক্ত হয়েছে।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় একদিকে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে যেমন হারানো বাংলাকে আবার ফিরে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে তেমনি অন্ধকারে পুব আকাশে উঠবে আবার দিনমণি এমন সম্ভাবনার কথাও উচ্চারণ করা হয়েছে। কারণ আঁধার যত ঘনিয়ে আসে প্রভাতও ততই নিকটবর্তী হয়।
উদ্দীপকে দ্বিতীয় অংশে বাংলার জয় হবেই, তা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে। কোটি প্রাণ একসাথে জেগে উঠেছে এবং নতুন সূর্য ওঠার সময় এসে গেছে। নতুন দিনের স্বাধীনতার সূর্য উঠবে এবং তা চারিদিক আলোকিত করবে। বাঙালি জনগণের জয় তাই সুনিশ্চিত। তাই উদ্দীপক ও কবিতায় নতুন সূর্য বা দিনমণি ওঠার কথাই মূর্ত হয়ে উঠেছে।
ঘ উদ্দীপকের ১ম ও ২য় অংশ ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে কবিতাংশ সমগ্র ভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে- কথাটি যুক্তিযুক্ত।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, লক্ষ কণ্ঠে তা প্রতিধ্বনিত হওয়া, সবুজ-শ্যামল বাংলার প্রকৃতি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, কবি-সাহিত্যকদের চোখ এই বাংলা, জয় বাংলা শ্লোগান ও জয়ের সম্ভাবনা ও নতুন দিনের আগমন ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
উদ্দীপকের ১ম অংশে বঙ্গবন্ধুর কীর্তি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বহমান নদীর উপস্থিতি যতদিন থাকবে ততদিন শেখ মুজিবুর কীর্তি থাকবে। বিশালাকার এসকল নদী বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি থাকবে। তাই বলা যায় শেখ রহমানের কীর্তি কখনো ¤øান হবে না। উদ্দীপকের ২য় কবিতায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণে বারংবার উচ্চারণ করা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি বীর বাঙালিকে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে। আর এ ‘জয় বাংলা’ ধ্বনির মধ্য দিয়েই বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার নতুন সূর্যকে স্বাগত জানাতে পেরেছে।
তাই উদ্দীপকের ১ম ও ২য় অংশ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় উদ্দীপকে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সমগ্রভাব প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
রণন স্বাধীনতা দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধে গেল। সেখানে লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছে। সবার হাতে জাতীয় পতাকা ফুল। মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে রণনের মনে হলো আজকের এই দিনটি আমরা পেয়েছি একজন মহা মানবের জন্য। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে রাস্তায় এসে শুনতে পেল- মাইকে গান বাজছে-
“যদি রাত পোহালে শোনা যেত
বঙ্গবন্ধু মরে নাই। তবে বিশ্ব পেত এক
মহান নেতা। আমরা পেতাম ফিরে
জাতির পিতা।”
আবেগে চোখ ছল্ছল্ হয়ে উঠল তার।
ক. শোন একটি মুজিবরের থেকে গানটি প্রথম কে গেয়েছিলেন? ১
খ. “ ‘জয় বাংলা’ বলতে মনরে আমরা এখনো কেন ভাব” কথাটি দিয়ে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের রণনের চিন্তার সাথে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালি জাতির পিতা; তেমনি তিনি বিশ্বের মহান নেতা- কথাটি উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ গানটি প্রথম গেয়েছিলেন বিখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী অংশুমান রায়।
খ “‘জয় বাংলা’ বলতে মনরে আমার এখনো কেন ভাব” কথাটি দিয়ে দ্বিধাহীনচিত্তে এই ¯েøাগানকে কণ্ঠে ধারণ করতে বলা হয়েছে।
পাকিস্তান বিরাধী সকল সংগ্রাম আন্দোলনে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানেই প্রকম্পিত হতো সারাদেশ। জয় সুনিশ্চিত ও অবশ্যম্ভাবী জেনে দ্বিধাহীনচিত্তে এই একটি ¯েøাগানেই সংযুক্ত হয়েছিল সমগ্র বাঙালি জাতি।
গ উদ্দীপকের রণনের চিন্তায় বঙ্গবন্ধুকে আবার ফিরে পাওয়ার সাথে কবিতায় হারানো বাংলাকে ফিরে পাওয়ার বিষয়টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার কবি সেই সবুজের বুক চেরা মেঠোপথে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি মনে করে, হারানো বাংলাকে সত্যি সত্যিই সোনার খনি যা শিল্পে-কাব্যে খুঁজে বেড়াবে।
উদ্দীপকের রণন স্মতৃতিসৌধ থেকে বাইরে আসতেই মাইকে শুনতে পেল- ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই। তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, আমরা পেতাম জাতির পিতা।’ আবেগে তার চোখ ছলছল করে উঠল। কারণ বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা এখনো প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুকে আবার ফিরে পাওয়ার এই আবেগের সাথে হারানো বাংলাকে ফিরে পাওয়ার বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ এই বাংলার জন্য বঙ্গবন্ধু তার জীবন বাজি রেখেছিলেন। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় উদ্দীপকের রণনের চিন্তার সাথে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ ‘বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালি জাতির পিতা তেমনি তিনি বিশ্বের মহান নেতা’- কথাটি যথার্থ অনলবর্ষী বক্তৃতা ও দিকনির্দেশনায়।
‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বাঙালি জাতির কিংবদন্তি নেতা বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কথা বলা হয়েছে। তার এ জাতি জেগে উঠেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তার কণ্ঠই প্রতিটি বাঙালির কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। তিনি জাতির পিতা। স্বাধীনতার স্থপতি।
উদ্দীপকে যে গানটি তুলে ধরা হয়েছে তাতে ছিল, ‘বিশ্ব পেত এক মহান নেতা, আমরা পেতাম জাতির পিতা।’ কারণ তিনি তাঁর কীর্তির চেয়েও মহান। তিনি না হলে হয়তো এ জাতি স্বাধীনতার সুফল কোনোদিন পেত না। তাই গানে-কবিতায় তিনি বিরাট স্থান দখল করে আছেন। তিনি আছেন আমাদের হৃদয় মন্দিরে।
উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতা বিবেচনা করলে একটি বিষয়ই আমরা দারুণভাবে উপলব্ধি করি বঙ্গবন্ধু যেমন বাঙালি জাতির পিতা, তেমনি তিনি বিশ্বের মহান নেতা।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
মতিন টিভি দেখছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রচারিত হচ্ছে। তথ্যচিত্রটি দেখে মতিন বিস্মিত হলো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য কত নির্যাতন সহ্য করেছেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান শাসন আমলের নিরন্তর শোষণের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছেন। অবশ্য পরবর্তী সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই এদেশে স্বাধীনতার সূর্য উঠেছে। তথ্যচিত্রটি দেখতে দেখতে আবেগে চোখে পানি চলে এলো তার। সে বলে উঠল- ‘জয় বাংলা’।
ক. ‘রূপসী বাংলা’ কোন ধরনের রচনা? ১
খ. ‘জয় বাংলা’ বলতে চিত্তে ভাব জাগে কেন? ২
গ. উদ্দীপকের সাথে শোন একটি মুজিবরের থেকে কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় প্রকাশিত চেতনা উদ্দীপকের মতিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।- কথাটি কবিতা ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘রূপসী বাংলা’ জীবনানন্দ দাশ রচিত কবিতাগ্রন্থ।
খ ‘জয় বাংলা’ বলতে চিত্তে ভাব জাগে কারণ ‘জয় বাংলা’ শব্দটিই যুদ্ধ জয়ের বীজমন্ত্র ছিল।
পাকিস্তান বিরোধী সকল সংগ্রাম-আন্দোলন ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানেই প্রকম্পিত হতো সারা দেশ। জয় সুনিশ্চিত ও অবশ্যম্ভাবী জেনে দ্বিধাহীন চিত্তে এই একটি শ্লোগানেই সংযুক্ত হয়েছিল সমগ্র বাঙালি জাতি।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ উদ্দীপকের সাথে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার সাথে তুলনামূলক আলোচনা করতে হবে।
ঘ কবিতার মমার্থ আলোচনা করতে হবে।
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
তরুণের দাদু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তরুণ তার দাদুর কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনে। তার দাদু বলেন, তিনি নাকি শুধু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেই মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তারা যখন থাকতেন তখন ‘জয় বাংলা’ বলে শাসকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেন। তার ধারণা ‘জয় বাংলা’। এই কথাটির মধ্যে একটি শক্তি আছে। এটা একটা দেশকে শোষণ ও পরাধীনতা থেকে মুক্ত করেছে।
ক. হারানো বাংলাকে আবার ফিরে পাওয়া যাবে কোন আকাশে? ১
খ. নজরুলের বাংলাদেশ বুঝিয়ে বল। ২
গ. উদ্দীপকের তরুণের দাদার চিন্তার সাথে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় প্রকাশিত ভাবের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “‘জয় বাংলা’ কথাটির মধ্যে একটি শক্তি আছে।”- বাক্যটি উদ্দীপক ও ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪

ক হারানো বাংলাকে আবার ফিরে পাওয়া যাবে পুব আকাশে।
খ ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রথম কবিতাটি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা।
কাজী নজরুল রচিত কবিতা, সংগীত ও প্রবন্ধে বাংলা ও বাঙালির মুক্তির কথা উচ্চারিত হয়েছে বারবার। মহান মুক্তিযুদ্ধে নজরুলের উদ্দীপনামূলক লেখাগুলো ছিল আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ বঙ্গবন্ধুর বজ্রদীপ্ত কণ্ঠস্বর সারা বাংলায় প্রতিধ্বনিত হতো এবং মানুষকে মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্দীপ্ত করতো। উদ্দীপকের তরুণের দাদু ঠিক তেমনভাবে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি শুনে উদ্দীপ্ত হয়েছিল। এ বিষয়টি আলোচনা করতে হবে সাদৃশ্যের বিষয় হিসেবে।
ঘ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কণ্ঠ নিঃসৃত ‘জয় বাংলা’ ধ্বনির মধ্যে এক আশ্চর্য শক্তি আছে। এ শক্তি বলেই বীর বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করতে পেরেছিল। এ বিষয়টি সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করতে হবে।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ আধুনিক বাংলা গানের স্বর্ণযুগের কিংবদন্তি গীতিকারের নাম কী?
উত্তর : আধুনিক বাংলা গানের স্বর্ণযুগের কিংবদন্তি গীতিকারের নাম গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
প্রশ্ন \ ২\ ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার কবির নাম কী?
উত্তর : ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার কবির নাম গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
প্রশ্ন \ ৩ \ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের পৈতৃক নিবাস কোন জেলায়?
উত্তর : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলায়।
প্রশ্ন \ ৫ \ ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা’ গানের গীতিকারের নাম কী?
উত্তর : ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা’ গানের গীতিকারের নাম গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
প্রশ্ন \ ৬ \ কার লেখা অসংখ্য গান আমাদের সংগীত জগতের চিরায়ত সম্পদ বলে ইতিহাসে স্থান নিয়েছে?
উত্তর : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা অসংখ্য গান আমাদের সংগীত জগতের চিরায়ত সম্পদ বলে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
প্রশ্ন \ ৭ \ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে অন্তহীন প্রেরণা জুগিয়েছিল কোন গীতিকার?
উত্তর : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে অন্তহীন প্রেরণা জুগিয়েছিল গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
প্রশ্ন \ ৮ \ ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে কাকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ জানানো হয়?
উত্তর : ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ জানানো হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন \ ১০ \ ‘শোন একটি মুজিবুরের থেকে’ গানটির সুরকারের নাম কী?
উত্তর : ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ গানটির সুরকারের নাম হচ্ছে বিখ্যাত লোকসংগিত শিল্পী অংশুমান রায়।
প্রশ্ন \ ১১ \ ১৯৭১ সালের কোন রাতে এই দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে বাঙালি জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাতে এই দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে বাঙালি জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়।
প্রশ্ন \ ১২ \ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন তারিখের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ২৬শে মার্চ কাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়?
উত্তর : ২৬শে মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রশ্ন \ ১৪ \ কার আহŸানে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের আহŸানে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন কে?
উত্তর : ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রশ্ন \ ১৬ \ ১৯৭১ সালে কয় মাস মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তর : ১৯৭১ সালে নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ১৭ \ আকাশে বাতাসে কোন ধ্বনি রনিত হয়?
উত্তর : আকাশে বাতাসে ‘বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ’ ধ্বনি রণিত হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ লক্ষ মুজিবের কণ্ঠস্বর কী হয়েছিল?
উত্তর : লক্ষ মুজিবের কণ্ঠস্বর ধ্বনি-প্রতিধ্বনি হয়েছিল।
প্রশ্ন \ ১৯ \ হারানো বাংলা আবার ফিরে পাব কোথায়?
উত্তর : হারানো বাংলা আবার ফিরে পাব সবুজের বুক চিরে মেঠোপথে।
প্রশ্ন \ ২০ \ সোনার বাংলা কার?
উত্তর : সোনার বাংলা বিশ্ব কবির।
প্রশ্ন \ ২১ \ বাংলাদেশ কার?
উত্তর : বাংলাদেশ নজরুলের।
প্রশ্ন \ ২২ \ রূপসী বাংলা কার?
উত্তর : রূপসী বাংলা জীবনানন্দের।
প্রশ্ন \ ২৩ \ রূপের যে তার নেইকো শেষ কার?
উত্তর : রূপে যে তার নেই শেষ বাংলাদেশের।
প্রশ্ন \ ২৪ \ নিসর্গের কবি কে?
উত্তর : নিসর্গের কবি জীবনানন্দ দাশ।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ ‘আকাশে বাতাসে ওঠে রণি’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘আকাশে বাতাসে ওঠে রণি’ বলতে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরে ধ্বনি আকাশ-বাতাসে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতা আহŸানের মধ্যদিয়ে যেন লক্ষ বাঙালির মিলিত কণ্ঠস্বর স্বাধীনতার জন্য গর্জে উঠেছিল। সেই গর্জন ছাপান্ন হাজার বর্গ মাইলে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদ্দীপ্ত স্বর বাংলার আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে বীর বাঙালিকে শিকল ভাঙার অনুপ্রেরণা দেয়।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশকে কবি ‘আমার বাংলাদেশ’ বলেছেন কেন?
উত্তর : বাংলাদেশ নামের এই ভ‚খণ্ডকে বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে। তাই বাংলাদেশকে কবি ‘আমার বাংলাদেশ’ বলেছেন।
অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্যদিয়ে আমরা দেশটিকে স্বাধীন করতে পেরেছি বলে দেশটি আপনার দেশ অর্থাৎ আমার দেশ। দেশকে হৃদয় থেকে ভালোবাসতে না পারলে ‘আমার দেশ’ শব্দটি উচ্চারণ করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বীর বাঙালি দেশপ্রেমের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত ছিল। তাই তারা শ্যামল বাংলাকে আমার দেশ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রশ্ন \ ৩ \ বিশ্ব কবির সোনার বাংলা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত একটি দেশাত্মবোধক গানে এই দেশকে ‘সোনার বাংলা’ বলে অভিহিত করেছেন- যা আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃত।
এ বাংলা কবি সাহিত্যিকদের চিত্তভ‚মি। তারা এ শ্যামল বাংলাকে নানা রূপে আবিষ্কার করেছেন এবং নানা অভিধায় অভিহিত করেছেন। তাই গীতিকার বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
প্রশ্ন \ ৪ \ জীবনানন্দের রূপসী বাংলা কেন বলা হয়েছে?
উত্তর : নিসর্গের কবি জীবনানন্দ দাশ বাংলার প্রকৃতির অনিন্দ্য রূপ সৌন্দর্য চিরায়ত মহিমায় উপস্থাপন করেছেন তাঁর ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থে। তাই বাংলাকে জীবনানন্দের রূপসী বাংলা বলা হয়েছে।
‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় স্বদেশের অনুপম সৌন্দর্যকে ভিন্ন মাত্রায় তুলে ধরা হয়েছে। তাই নিগর্গের কবি জীবনানন্দকে জীবিকার বাংলার অপরূপ রূপ বর্ণনায় উপমা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রশ্ন \ ৫ \ এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ভ‚মিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই ছিল বাংলার মানুষের মূল প্রেরণা।
জেল-জুলুম-অত্যাচার ফাঁসির দণ্ডাদেশ সবকিছু উপেক্ষা করে তিনি বীর সৈনিকের মতো নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগিয়েছিল।
প্রশ্ন \ ৬ \ বঙ্গবন্ধু এদেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন কেন?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে মনে প্রাণে ভালোবাসতেন বলে এদেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য সংগ্রাম করেছেন।
আমাদের এদেশ দীর্ঘদিন পাকিস্তানিদের নির্মম শাসন শোষণে জর্জরিত ছিল। এদেশের মানুষেরা অধিকার বঞ্চিত। এদেশের মানুষের অধিকারের জন্য এবং পাকিস্তানের হাত থেকে সোনার বাংলাকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম করেছেন।
প্রশ্ন \ ৭ \ ‘সেই সবুজের বুক চেরা মেঠোপথে’ -এ চরণটি দ্বারা কী নির্দেশিত হয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘সেই সবুজের বুক চেরা মেঠোপথে’ -এ চরণটি দ্বারা বাংলার সবুজ শ্যামল সুন্দর প্রকৃতিকে নির্দেশ করা হয়েছে।
বাংলার প্রকৃতি অনিন্দ্য সুন্দর, এখানে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের ফসলের মেঠোপথ, স্থানে স্থানে সবুজে ঘেরা অরণ্য। উক্ত চরণটি দ্বারা সবুজ শ্যামল সুন্দর প্রকৃতিকে নির্দেশ করা হয়েছে।

 

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্ম গ্রহণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে?
ক ১৯৯২২  ১৯২৪ গ ১৯২৬ ঘ ১৯২৮
২. গৌরপ্রসন্ন মজুমদারের পৈতৃক নিবাস কোথায়? (জ্ঞান)
ক ঢাকায় খ যশোর গ পশ্চিম বাংলায়  পাবনায়
৩. ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা’ – গানটি কে লিখেছেন? (জ্ঞান)
 গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার খ মান্না দে
গ কবির সুমন ঘ শ্রীকান্ত আচার্য
৪. ‘ও পলাশ ও শিমুল’ গানটি কে লিখেছেন? (জ্ঞান)
ক সাবিনা ইয়াসমিন খ হৈমন্তি শুকলা
 গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ঘ মান্না দে
৫. ‘মাগো ভাবনা কেন’ – গানটির গীতিকার কে? (জ্ঞান)
 গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার খ গাজী মাজহারুল আনোয়ার
গ মনিরুজ্জামান ঘ রফিকুল ইসলাম
৬. ‘পথের ক্লান্তি ভুলে’ – গানটির রচয়িতা কে? (অনুধাবন)
ক সুবল রায় খ আলম খান
গ রিটন অধিকারী রিন্টু  গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
৭. কত খ্রিষ্টাব্দে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার বাংলাদেশে এসেছিলেন? (জ্ঞান)
 ১৯৭২ খ ১৯৭৪ গ ১৯৭৬ ঘ ১৯৭৮
৮. কার আমন্ত্রণে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার বাংলাদেশে এসেছিলেন? (জ্ঞান)
ক এদেশের মানুষের  বঙ্গবন্ধুর
গ শেখ হাসিনার ঘ এরশাদের
৯. কত খ্রিষ্টাব্দে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারকে মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়? (জ্ঞান)
ক ২০১১  ২০১২ গ ২০১৩ ঘ ২০১৪
১০. গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারকে কেন মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা দেওয়া হয়? (অনুধাবন)
ক তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন
 মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য
গ তিনি শহিদ হয়েছিলেন
ঘ তিনি দেশ ত্যাগ করেছিলেন
১১. গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৮২ খ ১৯৮৪  ১৯৮৬ ঘ ১৯৮৮
বহুপদী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২. গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচিত যে গানগুলো স্বাধীনতায় অবদান রাখে- (অনুধাবন)
র. আমরা সবাই বাঙালি রর. পথের ক্লান্তি ভুলে
ররর. মাগো ভাবনা কেন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩. গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের রচিত গান হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. মঙ্গল দীপ জ্বেলে রর. ও পলাশ ও শিমুল
ররর. নিশিরাত বাঁকা চাঁদ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪. ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কী ধরনের রচনা? (জ্ঞান)
ক গল্প  গান গ প্রবন্ধ ঘ নাটক
১৫. ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতাটির রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
ক জসীমউদ্দীন
খ কাজী নজরুল ইসলাম
গ জীবনানন্দ দাশ
 গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার
১৬. আকাশে বাতাসে কী রণিত হয়? (জ্ঞান)
 বাংলাদেশ খ পাকিস্তান
গ জয়বাংলা ঘ জিন্দাবাদ
১৭. ‘আকাশে বাতাসে ওঠে রণি’ – বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
 সর্বত্র একই কথা
খ আকাশ বাতাস কাঁপা
গ আকাশে বাতাসে ভাসা
ঘ চারপাশে প্রতিধ্বনি হওয়া
১৮. সবুজের বুক চেরা মেঠো পথ হচ্ছে- (অনুধাবন)
ক বাংলাদেশের পাকা রাস্তা
খ বাংলাদেশের নদীপথ
 বাংলাদেশের গ্রামের কাঁচা রাস্তা
ঘ শহরের রাস্তাঘাট
১৯. কবি আবার কোথায় ফিরে যেতে চেয়েছেন? (অনুধাবন)
ক পাকা সড়ক ধরে খ নদীপথ ধরে
গ আকাশ পথ ধরে  মেঠোপথ ধরে
২০. কবি কাকে আবার ফিরে পাওয়ার কথা বলেছেন? (জ্ঞান)
 হারানো বাংলাকে খ পরাধীন বাংলাদেশ
গ পাকিস্তানকে ঘ ভারতকে
২১. বিশ্বকবি কে? (জ্ঞান)
ক কাজী নজরুল ইসলাম খ জসীমউদ্দীন
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ জীবনানন্দ দাশ
২২. বিশ্বকবি সোনার বাংলা কী? (জ্ঞান)
 আমাদের জাতীয় সংগীত খ সোনার অক্ষর
গ সোনা দিয়ে গড়া পতাকা ঘ সোনার খনি
২৩. নজরুলের বাংলাদেশ হচ্ছে- (অনুধাবন)
ক নজরুলের লেখা নাটক খ নজরুলের লেখা গান
 নজরুলের লেখা কবিতা ঘ নজরুলের লেখা উপন্যাস
২৪. জীবনানন্দের ‘রূপসী বাংলা’- হচ্ছে- (জ্ঞান)
ক কবির নাটক খ কবির গান
গ কবির উপন্যাস  কবির কাব্য
২৫. কার রূপের শেষ নেই? (জ্ঞান)
ক পাকিস্তানের  বাংলাদেশের গ ভারতের ঘ আসামের
২৬. কবি নিদ্বিধায় কোনটি বলতে বলেছেন? (অনুধাবন)
 জয় বাংলা খ জিন্দাবাদ
গ বাংলাদেশ ঘ সোনার বাংলা
২৭. অন্ধকারের পুব আকাশ হচ্ছে- (অনুধাবন)
 পরাধীন বাংলাদেশ খ স্বাধীন বাংলাদেশ
গ রাতের পুব আকাশ ঘ মেঘে ঢাকা দিনের আকাশ
২৮. উঠবে আবার দিনমণি- বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
 স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয়
খ সকাল হওয়া
গ সূর্য ওঠা
ঘ সূর্য অস্ত যাওয়া
২৯. নজরুলের কী? (জ্ঞান)
ক ভারত  বাংলাদেশ
গ পাকিস্তান ঘ নেপাল
৩০. জীবনানন্দের কী? (জ্ঞান)
 রূপসী বাংলা খ বাংলাদেশ
গ জয় বাংলা ঘ লোক বাংলা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩১. ‘একটি মুজিবর’ বলতে বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. একজন মুজিব রর. একজন জনক
ররর. এক স্বাধীনতাকামী সত্তা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩২. ‘লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি’ বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহŸানে জেগে ওঠা জনতা
রর. স্বাধীনতার জন্য বাঙালির সমন্বিত কণ্ঠ
ররর. পাকিস্তানিদের কণ্ঠস্বর
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৩. ‘আবার যে যাব ফিরে’- বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. স্বাধীনতায় ফিরে যাওয়া রর. ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়া
ররর. পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪. ‘সোনার খনি’ -বলতে বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. সমৃদ্ধ দেশ রর. সোনা রুপার খনি আছে এদেশে
ররর. শিল্প, সাহিত্যে, পরিপূর্ণ দেশ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৫. হারানো বাংলাকে ফিরে পাওয়া বলতে বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. পুনরায় স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া
রর. দুঃশাসন থেকে মুক্তি
ররর. অধিকার ফিরে পাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৬. ‘জয় বাংলা’ হচ্ছে- (অনুধাবন)
র. একটি শ্লোগান রর. একটি ব্যর্থতার আহŸান
ররর. একটি সম্ভাবনার উচ্চারণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
জসিম রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। তার কানে ভেসে এলো মাইকের শব্দ। মাইকে বাজছে- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। জসিম এটুকু শুনেই বুঝল এটি বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। এই ভাষণ শুনলেই তার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়। সে শিহরিত হয়।
৩৭. অনুচ্ছেদের ঘটনা কোন কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
 শোন একটি মুজিবরের থেকে
খ শ্রাবণে
গ সাম্য
ঘ আমার বাড়ি
৩৮. জসিম বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে শিহরিত হয়। কারণ- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. তার ভাষণে প্রতিটি বাঙালির প্রাণের কথা আছে
রর. এই ভাষণ শ্রæতিমধুর
ররর. এই ভাষণ মানুষের চেতনা জাগিয়ে তোলে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৯ ও ৪০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রায়হান তার বইয়ে পড়েছে- বাংলাদেশ ১৭৫৭ সালে পরাধীন হয়। ইংরেজরা এদেশ দখল করে। ১৯৪৭ সালে আবার দেশ বিভক্ত হয়। তখন এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেন। স্বাধীনতা এসেছে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্যই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
৩৯. অনুচ্ছেদে কার লেখা গানের ছাপ লক্ষ করা যায়? (প্রয়োগ)
ক জীবনানন্দের
খ সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
 গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের
ঘ বিষ্ণুদের
৪০. “স্বাধীনতা এসেছে ত্যাগের বিনিময়ে”- কাদের ত্যাগে? (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুক্তিযোদ্ধার রর. এদেশের মানুষের
ররর. শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক সবার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪০ ও ৪১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রহিম তার বন্ধুদের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তুলল। সংগঠনের সবাই একত্রিত হয়ে তারা একে অপরের হাতে হাত ধরে দাঁড়ায়। এতে তাদের মধ্যে একটি শক্তি কাজ করে। তারা মনে মনে একটি নতুন চেতনা লাভ করে। যেটা তাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। তার বন্ধুরা ঠিক করেছে হাতে হাত রেখেই তারা একদিন সমাজ বদলে দেবে।
৪১. হাতে হাত রাখা কোন ¯েøাগানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
ক জিন্দাবাদ  জয় বাংলা
গ জয় পাকিস্তান ঘ মানি না, মানব না
৪২. ‘পাশাপাশি হাত ধরে দাঁড়ালে মনে শক্তি আসে’ এই কথা দিয়ে প্রকাশিত হয়- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সম্মিলিত প্রয়াস রর. চেতনার মন্ত্র
ররর. স্বাধীনতার কথা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টীকা
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৩. ‘রণি’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
 বেজে ওঠা খ গাওয়া গ ভরা ঘ পূর্ণ
৪৪. ‘লক্ষ মুজিব’ অর্থ হলো- (জ্ঞান)
ক অনেক মুজিব খ মুজিবরের অনেক রূপ
 বঙ্গবন্ধুর লক্ষ অনুসারী ঘ দেশের মানুষ
৪৫. ‘দিনমণি’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক তারা খ চাঁদ  সূর্য ঘ গ্রহ
৪৬. ‘রূপসী’ শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক রূপহীন খ অরূপ  রূপপূর্ণ ঘ রূপহারা
৪৭. ‘বজ্রকণ্ঠ’ দ্বারা বোঝায় – (জ্ঞান)
ক বজ্রের ডাক খ ছোট ডাক
 বজ্রের মতো কণ্ঠ ঘ বড় হাঁক
৪৮. এক সময় বাংলা কেমন জনপদ ছিল? (জ্ঞান)
ক পরাধীন খ ক্ষুদ্র গ গরিব  স্বাধীন
৪৯. কত সালে ব্রিটিশদের কাছে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা হারায়? (জ্ঞান)
ক ১৯৪৩ খ ১৯৪৫  ১৭৫৭ ঘ ১৯৪৯
৫০. পাকিস্তান কত বছর এদেশ শাসন করেছে? (জ্ঞান)
ক ২১  ২৩ গ ২৫ ঘ ২৭
৫১. স্বীকৃতি অর্থ হচ্ছে- (জ্ঞান)
 অনুমতি দেওয়া খ অনুগ্রহ দেওয়া
গ দান করা ঘ দয়া করা
৫২. নজরুলের কোন ধরনের লেখাগুলো আমাদের প্রেরণার উৎস ছিল? (অনুধাবন)
 উদ্দীপনামূলক খ প্রেমমূলক
গ ভক্তিমূলক ঘ শ্যামা সংগীত গুণে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৩. রূপসী বাংলা কাব্যে প্রকাশিত হয়েছে- (অনুধাবন)
র. বাংলার রূপ রর. বাংলার প্রকৃতি
ররর. বাংলার যুদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. জয়বাংলা শ্লোগানে বাঙালি একত্রিত হয়েছিল, কারণ- (অনুধাবন)
র. জয় সুনিশ্চিত জেনে রর. পাকিস্তান চেয়ে
ররর. দেশকে ভালোবেসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৫. কাজী নজরুল ইসলামের লেখায় বাঙালি পেয়েছে- (অনুধাবন)
র. পরাধীনতার কথা রর. স্বাধীনতার উদ্দীপনা
ররর. অন্তহীন প্রেরণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৭১
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৬. ১৯৭১ সালের শুরুতেই কোন গানটি বাজানো হতো? (জ্ঞান)
 শোন একটি মুজিবরের থেকে খ চল চল ঊর্ধ্ব গগনে
গ পদ্মা মেঘনা যমুনা ঘ জয় বাংলা বাংলার জয়
৫৭. ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ গানটি প্রথম কোথায় বাজানো হয়? (জ্ঞান)
ক কলকাতার আকাশ গণীতে  স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে
গ রেডিও পাকিস্তানে ঘ রেডিও চীনে
৫৮. কত সালে এদেশে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালি জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়? (জ্ঞান)
ক ১৯৬৯  ১৯৭১ গ ১৯৭৫ ঘ ১৯৮১
৫৯. ১৯৭১ সালে মার্চের কত তারিখে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দেন? (জ্ঞান)
ক ৫ই মার্চ  ৭ই মার্চ গ ৯ই মার্চ ঘ ২৫শে মার্চ
৬০. মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু কত মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন? (জ্ঞান)
ক ৩ মাস খ ৫ মাস গ ৭ মাস  ৯ মাস
৬১. কার আহŸানে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে? (জ্ঞান)
ক আতাউল গণি ওসমানির  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
গ কাদের সিদ্দিকির ঘ জগজিত সিং অরোরার
৬২. একটি মুজিবরের থেকে গানটি প্রথম কে গেয়েছেন? (জ্ঞান)
ক সুজিত রায় খ রুনা লায়লা
 অংশুমান রায় ঘ সাবিনা ইয়াসমিন
৬৩. একটি মুজিবরের থেকে গানটি ইংরেজিতে গেয়েছেন- ? (অনুধাবন)
ক কবির সুমন  কবরী নাথ
গ করবী ঘোষ ঘ সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়
৬৪. বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কখন প্রচার করা হতো? (অনুধাবন)
 পাকিস্তান বিরোধী সংগ্রামে খ নির্বাচনি প্রচারে
গ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ঘ পাকিস্তানের পক্ষে
৬৫. বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক কী হয়ে চারদিকে বেজেছে? (অনুধাবন)
ক ব্যর্থতার কথা খ পরাধীনতার সুর
 স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা ঘ যুদ্ধের বিরোধিতা
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৬. ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে- (অনুধাবন)
র. বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন
রর. গ্রেফতার হন
ররর. তাকে পাকিস্তান কারাগারে পাঠানো হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৭. ‘শোন একটি মুজিবর’ কবিতাটি পাঠের প্রধান উদ্দেশ্য- (অনুধাবন)
র. শেখ মুজিবের কীর্তি সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া
রর. নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উদ্বুদ্ধ করা
ররর. হানাদার বাহিনীর অত্যাচার সম্পর্কে জানা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৮. ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে শেখ মুজিব বলেছিরেন- (অনুধাবন)
র. এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংসংগ্রাম
রর. এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
ররর. জয় বাংলঅ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর

 

 

Leave a Reply