সপ্তম শ্রেণির বাংলা সবার আমি ছাত্র

সবার আমি ছাত্র
সুনির্মল বসু
লেখক ও রচনা সম্পর্কিত তথ্য

নাম সুনির্মল বসু।
জন্ম পরিচয় জন্ম : ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে। জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের বিহার। পৈতৃক নিবাস : বৃহত্তর ঢাকার বিক্রমপুর।
শিক্ষাজীবন ১৯২০ সালে পাটনা থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস। কলকাতায় সেন্ট পলস কলেজে অধ্যয়নকালীন সময়ে মহাত্মা গান্ধির অসহযোগে আন্দোলনে যোগদান পরবর্তী সময় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত আর্ট কলেজে কিছুকাল পড়াশোনা করেন।
কর্মজীবন/পেশা শিশু পাক্ষিক ‘কিশোর এশিয়া’র পরিচালক, বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের শিশু সাহিত্য শাখায় সভাপতিত্ব করেন।
সাহিত্য সাধনা গ্রন্থ : ছানাবড়া, বেড়ে মজা, হৈচৈ, হুলস্থূল, কথা শেখা, পাততাড়ি, মরণের ডাক, ছন্দের টুংটাং, আনন্দ লডু, শহুরে মামা, কিপটে ঠাকুর্দা, বীর শিকারি, কবিতা শেখা, ছন্দের গোপন কথা, আমার ছড়া, পাহাড়ে জঙ্গলে, জীবন খাতার কয়েক পাতা।
পুরস্কার ও সম্মাননা ১৯৫৬ সালে ভুবনেশ্বরী পদক লাভ করেন।
জীবনাবসান ১৯৫৭ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি।

 সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
১. উদ্দীপক ১ম অংশ : মক্কার পথে প্রান্তরে পৌত্তলিকের প্রস্তরঘায়ে মহানবি আহত হইয়াছেন, ব্যঙ্গ বিদ্রƒপে বারবার উপহাসিত হইয়াছেন; কিন্তু তাহার অন্তর ভেদিয়া একটি মাত্র প্রার্থনার বাণী জাগিয়াছে;- ‘এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর’।
২. উদ্দীপক ২য় অংশ : মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) সবার আদর্শ ও অনুকরণীয়ও বটে। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও মিষ্টভাষী মহানবি সবার কাছে ‘মাটির মানুষ’। তাঁর সান্নিধ্যে সবাই যেমন কাজে গতি পেত, তেমনি সবাই তার কাছ থেকে শিখেছিল সুন্দর সুন্দর চিন্তা করতে। আর প্রয়োজনে কঠিন হতেও তিনি পিছপা হতেন না।
ক. কোনটি আমাদেরকে ‘দিল খোলা’ হওয়ার শিক্ষা দেয়?
খ. ‘সবার আমি ছাত্র’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার কোন অংশের পরিচয় রয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ.মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) এর জীবনাদর্শ যেন মানুষের জন্য ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’র মতোই- উদ্দীপক ও কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর।

ক খোলা মাঠের উপদেশ আমাদেরকে ‘দিল খোলা’ হওয়ার শিক্ষা দেয়।
খ ‘সবার আমি ছাত্র’ বলতে পৃথিবীর সকল বস্তু বা ব্যক্তির কাছ থেকে শিক্ষা লাভের কথা বলা হয়েছে।
মানুষ মানুষের কাছে শিক্ষা লাভ করে এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এই মানুষ প্রকৃতির কাছেও কীভাবে শিক্ষা লাভ করে তাই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায়। কারণ আকাশ, পাহাড়, বায়ু, খোলা মাঠ, চাঁদ, সূর্য, নদী, মাটি, ঝরনা, বনানী প্রভৃতির কাছে মানব চরিত্রের সকল গুণের শিক্ষা লাভ করা যায়।
গ উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় উল্লিখিত সহিষ্ণুতার শিক্ষা অংশের পরিচয় রয়েছে।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি সুনির্মল বসু এক অপূর্ব ছন্দে প্রকৃতির কাছ থেকে সকলকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন আমরা প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির কাছে তাই অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। আকাশের কাছে উদার হবার দীক্ষা নিতে পারি। মাটির কাছে শিক্ষা নিতে পারি সহিষ্ণুতার।কারণ মাটি তার উপর সংঘটিত সবকিছু সহ্য করে নেয়। মাটির উপর যতই আঘাত আসুক না কেন সে থাকে স্থির নিশ্চুপ। কবি তাই আমাদের মাটির মতো সহিষ্ণু হতে বলেছেন। কারণ সহিষ্ণুতা মানুষের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ মানবীয় গুণ।
উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে মহানবি (স.) পৌত্তলিকদের পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাদের ব্যঙ্গ বিদ্রæপে বারবার উপহাসিত হয়েছেন। অকথ্য নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু মহানবি তাদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন, এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর। সহিষ্ণুতায় এমন নজির পৃথিবীতে বিরল। উদ্দীপকে কবি মাটির কাছে সহিষ্ণুতা শিক্ষা লাভ করতে বলেছেন। তাই উদ্দীপকের ১ম অংশে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় সহিষ্ণুতা লাভের পরিচয় রয়েছে।
ঘ “মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) এর জীবনাদর্শ যেন মানুষের জন্য বিশ্বজোড়া পাঠশালায় মতোই”- উক্তিটি যথার্থ।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি জীবনের এক চরম সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন শুধু বিদ্যালয় নয়, প্রকৃতি থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। কবির মতে, আমরা আকাশের কাছে উদারতা, পাহাড়ের কাছে মৌন-মহান এবং মাটির কাছে সহিষ্ণুতা ইত্যাদি শিখতে পারি। শিখতে পারি চাঁদ, সূর্য, নদী, ঝরনা, বনানীর কাছ থেকেও। তাই শিক্ষাগুণেই পরিপূর্ণ মানুষ হতে সহায়তা করবে।
উদ্দীপকে মহানবি (স.)কে একজন পরিপূর্ণ মহামানব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মক্কার পথে প্রান্তরে পৌত্তলিকদের পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত ও জর্জরিত হয়েও তিনি তাদের প্রতি কোনো প্রতিশোধ নেননি। প্রতিশোধ গ্রহণ না করে সহিষ্ণুতায় চরম উদাহরণ পেশ করেছেন। আবার তিনি মাটির মানুষ হিসেবে কোমল ব্যবহার দিয়ে সকলের মনও জয় করেছেন। তাঁর কাছে সবাই নতুন পথের দিশা পেয়েছে। তাঁর নিকট থেকে সবাই সুন্দর সুন্দর চিন্তা করতে শিখেছে। অন্যায়ের প্রতি তিনি আবার কঠোর হয়ে সুবিচার নিশ্চিত করেছেন।
উদ্দীপকে আমরা মহানবি (স.) একজন মানবীয় গুণসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ রূপে পাই। তার কাছে আমরা সকল সৎ গুণাবলির শিক্ষা নিতে পারি। আবার ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় উল্লিখিত প্রকৃতির কাছে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে দীক্ষা নিতে পারি। যা আমাদেরকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাবে। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) -এর জীবনাদর্শ যেন মানুষের জন্য বিশ্বজোড়া পাঠশালার মতোই।
প্রশ্ন- ১ ল্ফল্ফ
রানাদের ক্লাসে বাংলা স্যার পড়াচ্ছেন তিনি বললেন, তোমরা উদার হও, পৃথিবীর কাছে শিক্ষা নাও। মানুষের কাছে শিক্ষা নাও। রানা বাংলা স্যারকে জিজ্ঞাসা করল, স্যার, পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা শিক্ষা নিব কীভাবে? স্যার বললেন, পৃথিবীর সমস্ত কিছু নিদিষ্ট নিয়মে চলে। এই নিয়মনিষ্ঠা জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করলে জীবন সার্থক হবে।
ক. ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কে উদার হতে শিক্ষা দেয়? ১
খ. ‘সূর্য আপন তেজে জ্বলতে মন্ত্রণা দেয়’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের বাংলা স্যারের বক্তব্যের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের রানার প্রশ্নটির উত্তর প্রকাশিত হয়েছে সবার আমি ছাত্র কবিতায় কথাটি সবার আমি ছাত্র ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর? ৪

ক ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় উদার হতে শিক্ষা দেয় আকাশ।
খ কবি প্রশ্নোক্ত চরণটিতে সূর্যের দীপ্ততার কথা প্রকাশ করেছেন।
প্রকৃতি আমাদের শিক্ষক। সূর্য প্রকৃতির সবচাইতে বড় শক্তিদাতা। সূর্যের আলো ও তাপে প্রকৃতি প্রাণ ফিরে পায়। আমরা মানুষ সূর্যের কাছে যদি দীপ্ততার শিক্ষা নেই। তাহলে সততার বলে বলীয়ান হয়ে বেঁচে থাকতে পারব। আর সেই মন্ত্রণাই হয়তো সূর্য মানুষকে দেয়। এ কথাই এই চরণটিতে প্রকাশিত।
গ উদ্দীপকটির মধ্যে প্রকাশিত বাংলা স্যারের বক্তব্য ও মতামতের সাথে কবি সুনির্মল বসু রচিত কবিতা ‘সবার আমি ছাত্র’ এর বক্তব্যগত সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখতে পাই। কবি প্রকৃতির আকাশ, বাতাস, নদী, মাটি, সমুদ্র, ঝরনা, সবুজ শ্যামলিমা এসব কিছুর কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। কারণ কবি মনে করেন, প্রকৃতি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। আমরা যেমন মায়ের কাছে প্রথম কথা বলতে শিখি, মায়ের ভাষায়। তেমনি প্রকৃতি আমাদের মা। প্রকৃতির মাঝেই সব শিখতে হবে।
অন্যদিকে উদ্দীপকে আমরা দেখি বাংলা স্যার তার ক্লাসের ছাত্রদের বলছেন, উদার হতে, পৃথিবী ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের কাছে শিক্ষা নিতে। পৃথিবীর নিয়ম নিষ্ঠার কাছে পাঠ নিয়ে নিজের জীবন সার্থক করতে। স্যার যথার্থই বলেছেন। পৃথিবীই যথার্থ শিক্ষক। পৃথিবীর ব্যাপ্তি ও দান মানুষের কাছে শিক্ষার বিষয়। সুতরাং এভাবে দেখা যায় উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় বক্তব্য সাদৃশ্য রয়েছে।
ঘ প্রশ্নের উদ্দীপকে রানা তার বাংলা স্যারকে প্রশ্ন করেছে- পৃথিবীর কাছ থেকে তারা কীভাবে শিক্ষা নেবে। এই প্রশ্নের উত্তর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার বিষয়বস্তুর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি, কবি সুনির্মল বসু মানুষকে প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। প্রকৃতির উপাদান, মাটি, পানি, সূর্য, বাতাস, নদী, ঝরনা, চাঁদ, আকাশ, এসবের কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। মাটির সহিষ্ণুতা, সূর্যের দীপ্ততা, চাঁদের মিষ্টতা, নদীর ক্ষিপ্রতা, বায়ুর কর্মনিপুণতা ইত্যাদি শিক্ষা নিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হতে বলেছেন কবি। কারণ, প্রকৃতি মানুষের কাছে মায়ের মতন।
আবার উদ্দীপকে আমরা দেখি রানার বাংলা স্যার ক্লাসে একই ধরনের কথা বলেছেন। স্যারের কথার প্রেক্ষিতে রানা প্রশ্ন করেছিল, সে কীভাবে প্রকৃতির কাছে শিখবে। রানার প্রশ্নের জবাব আমরা যেমন তার স্যারের কথায় পাই। তেমনি সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাই ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায়। রানার প্রশ্নের জবাব, সমগ্র কবিতায় বিষয় ও ভাবের মধ্যে প্রকাশিত। কারণ এই কবিতায় প্রকৃতির মাঝে শিক্ষা নেওয়ার ইঙ্গিত যেমন প্রকাশিত হয়েছে তেমনি এর স্বরূপও প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ২ ল্ফল্ফ
(র)

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে
উছলে পড়ে আলো
ও রজনীগন্ধা তোমার
গন্ধ শুধা ঢালো।

(রর)
নদীর মতো পেতাম যদি
চলতে সারা দিন।
জীবন আমার পূর্ণ হতো
তাক ধিনা ধিন ধিন।
ক. মাটির কাছে কী শিক্ষা পাওয়া যায়? ১
খ. ‘অন্তর হোক রতœ-আকর’ কথাটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের প্রথম অংশ ও দ্বিতীয় অংশের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের দুটি অংশ ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার পরিপূর্ণ ভাব ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।” কথাটি বিশ্লেষণ কর। ৪

ক মাটির কাছে সহিষ্ণুতার শিক্ষা পাওয়া যায়।
খ কবি সাগরের ন্যায় অন্তরকে রত্ম-আকর দ্বারা সমৃদ্ধ করতে বলেছেন।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি, কবি সাগরের কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন, সাগরের মতো মানব হৃদয়কে রতœ-আকর হিসাবে তৈরি করার জন্য। রতœ-আকর হচ্ছে রতœ ভাণ্ডার। সমুদ্র বিশাল রতœ ভাণ্ডার। মানুষও যদি নিজের হৃদয়ের সমস্ত কালিমা দূর করে জ্ঞানে প্রজ্ঞায় নিজেকে সমৃদ্ধ করে তা হলে তার হৃদয়ে পরিপূর্ণ হবে।এই কথাটিকেই কবি অন্তরকে রতœ আকর হবার কথা বলেছেন।
গ উদ্দীপকটির প্রথম অংশের ও দ্বিতীয় অংশের সাথে সুনির্মল বসু রচিত ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। ভাব সম্পদে দুটি বিশেষ দিকে কবিতা ও উদ্দীপক সাদৃশ্যপূর্ণ।
উদ্দীপকের প্রথম অংশে আমরা দেখি চাঁদের সৌন্দর্য প্রকাশের সাথে প্রকৃতি জেগে ওঠার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ চাঁদ অনুসরণীয় একটি উপসর্গ হিসেবে প্রকাশিত। আবার উদ্দীপকের দ্বিতীয় অংশে আমরা দেখি নদীর মাহাত্ম্য ও প্রকাশিত নদীর গতিময়তার কথা সেখানে প্রকাশিত হয়েছে।
সুনির্মল বসুর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা অনেক বিষয়ের প্রকাশ দেখি। সেখানে চাঁদ ও নদীর বিষয়েও বলা হয়েছে। কবি সেখানে চাঁদের কাছে স্নেহ ও মধুরতা এবং নদীর কাছে বেগে চলার শিক্ষা নিতে বলেছেন।
অর্থাৎ চাঁদ ও নদী উভয়ই মানুষের কাছে শিক্ষণীয় ও অনুসরণীয়।এভাবে উদ্দীপক ও আলোচ্য ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার মধ্যে ভাবগত ও বিষয়গত সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
ঘ উদ্দীপকটির দুটি অংশ আলোচ্য ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার পরিপূর্ণ ভাব ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি এই কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
আমরা উদ্দীপকে দেখি, প্রথম অংশে চাঁদের সৌন্দর্য ও অনুকরণীয়তা প্রকাশ পেয়েছে। আবার দ্বিতীয় অংশে নদীর মাহাত্ম্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে নদীর গতিময়তা অনুসরণ করে জীবন সার্থক করার আকাক্সক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ উদ্দীপকে দুটি বিষয়ের উল্লেখযোগ্য প্রকাশ আমরা দেখতে পাই।
অন্যদিকে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি কবি, চাঁদ, সূর্য, মাটি, বাতাস, নদী, ঝরনা সবার কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। অর্থাৎ প্রকৃতির প্রতিটি অনুসঙ্গের থেকে গুণ শিক্ষা নিয়ে তা নিজের মধ্যে ধারণ করতে বলেছেন। ফলে কবিতাটিতে সমগ্র প্রকৃতির রূপ মাধুর্য প্রকাশিত হয়েছে- যা উদ্দীপকে হয়নি।
উদ্দীপকটিতে প্রকাশিত দুটি বিষয় ভাবের দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও সমগ্র কবিতার ভাবসম্পদ ধারণ করতে পারেনি। অর্থাৎ এখানে উদ্দীপকটি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার ভাবের অংশ বিশেষ মাত্র।
প্রশ্ন- ৩ ল্ফল্ফ
কবির স্কুলের মাঠে বসে আছে। তার সামনে বিশাল ফাঁকা মাঠ। মাথার উপর নীল আকাশ। আকাশের কোথাও কোথাও সাদা মেঘ। মাঠে বসে থেকে তার মনে অনুভব হলো মাঠের ও আকাশের মধ্যে একটা মিল আছে। আকাশটাও শান্ত নিথর মাঠটাও স্তব্ধ। দুটোই তার মনে শূন্যতার উপলব্ধি তৈরি করে। তারপর কবি ভাবেন মাঠ আর আকাশের মতো বিশাল হতে হবে।
ক. বায়ুর কাছে কী হওয়ার মন্ত্র পাওয়া যায়? ১
খ. পাহাড়ের মতো মৌন-মহান হওয়া বলতে বুঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার কোন অংশের সাথে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায় তা নির্ণয় কর? ৩
ঘ.“মাঠ আর আকাশের মতো বিশাল হতে হবে, কবিরের এই ভাবনাটিই ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার মূল সুর।” কথাটি সত্যতা যাচাই কর। ৪

ক বায়ুর কাছে কর্মী হওয়ার মন্ত্র পাওয়া যায়।
খ পাহাড়ের মতো মৌন-মহান হওয়ার কথাটি দ্বারা পাহাড়ের নিস্তব্ধতার বিষয়টিকে প্রকাশ করা হয়েছে।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি কবি প্রকৃতির প্রত্যেকটি উপাদানের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। পাহাড় প্রকৃতির বিরাট অনুষঙ্গ। পাহাড় তার বিশালতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অবিচল, অটল পাহাড় মানুষের মনে নিস্তব্ধতার অনুভ‚তি জাগায়। ফলে মানুষ হয়ে উঠে মৌন। এই মৌনতা মানুষকে মহান মানুষে পরিণত করতে পারে। পাহাড়ের মতো মৌন মহান হওয়া বলতে মূলত এ কথাই বোঝানো হয়েছে।
গ উদ্দীপকের মধ্যে প্রকাশিত ভাব ও বিষয়ের সাথে সুনির্মল বসুর ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় প্রথমাংশের বিশেষ সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার প্রথমাংশে আমরা দেখতে পাই কবি আকাশ, বাতাস, পাহাড়, খোলা মাঠের কাছে জীবনের শিক্ষা নিতে বলেছেন। মানবিকতার মূল পাঠ নিতে বলেছেন। পাহাড়ের বিশালতায় মৌনতা, আকাশের কাছে উদারতা, খোলা মুক্ত মাঠের কাছে প্রসারিত অন্তর সৃষ্টির প্রেরণা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, কবির স্কুল মাঠে বসে খোলা আকাশ, আর বিস্তৃত মাঠের শূন্যতার উপলব্ধি অনুভব করে। সে শান্ত, নিথর মাঠ ও আকাশ দেখে ভাবে এসবের মতো বিশাল হতে। আর কবিরের ন্যায় উপলব্ধি ও আগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার প্রথম অংশ। অতএব, কবিতার প্রথম অংশ ও উদ্দীপকের বিষয়ের মধ্যে প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। আর এখানেই দুক্ষেত্রে বিষয় ও ভাবগত সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
ঘ উদ্দীপকে কবিরের বা ইচ্ছা হলো, মাঠ আর আকাশের মতো বিশাল হতে হবে, তার এই ইচ্ছা ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার মূল ভাবনার সমার্থক।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি সুনির্মল বসু বলেছেন, প্রকৃতির মাঠে জীবনের পাঠ নিতে। অর্থাৎ, প্রকৃতি আমাদের জীবনবোধের শিক্ষা দেবে। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান থেকে আমরা বিশালতা, উদারতা শিক্ষা নিব।
উদ্দীপকে আমরা দেখি, কবির স্কুল মাঠে বসে বিশাল মাঠ ও মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে অসীম শূন্যতা অনুভব করে। এই অনুভব তার অন্তরে একটি নতুন ইচ্ছা জাগ্রত করে। সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়, মাঠ ও আকাশের মতো বিশাল হবে। গঠনগত দিক থেকে মানুষ এতো বড় হয় না। তবে মননে ও কর্মে সেটা সম্ভব।
এভাবে দেখা যায় ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার মূল কথাটি উদ্দীপকের মন্তব্যের তথা ইচ্ছার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন- ৪ ল্ফল্ফ
শিক্ষা সফরে বান্দরবানে গেল রাহাত। বন্ধুরা ছাড়াও তাদের সাথে আছে চারজন শিক্ষক। তারা দেখল পাহাড়গুলো গাছপালায় ভর্তি। দূর থেকে তাকালে মনে হয় যেন সবুজের একটা গম্বুজ চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। সেই দৃশ্যটা বড়ই শান্ত। বনের সবুজ গাছপালার সংস্পর্শে এসে তাদের মন প্রাণ সজীবতায় ভরে উঠল। পাহাড়ের সাথে একটা ঝরনা দেখল তারা। ঝরনার শব্দ তাদের কানে গানের মতো বাজতে লাগল। ঝরনা ও পাহাড় সব কিছুই রাহাতকে নতুন জ্ঞান দিল।
ক. মন্ত্রণা শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘পাষাণ আপন কাজে কঠোর হতে শেখায়।’ চরণটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তু ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার কোন তিনটি বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা দেখাও। ৩
ঘ.ঝরনা ও পাহাড় সব কিছুই রাহাতকে নতুন জ্ঞান দিলো। কথাটি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৪

ক মন্ত্রণা শব্দের অর্থ হচ্ছে উপদেশ বা প্রেরণা।
খ ‘পাষাণ আপন কাজে কঠোর হতে শেখায়’- চরণটি দ্বারা ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার পাথরের কাছে দৃঢ়তা শেখার কথা বলা হয়েছে।
পাষাণ অর্থাৎ পাথর পৃথিবীর কঠিনতম একটি বস্তু। আমরা মানুষ নিজের জীবনে আমাদের সফল হতে হলে নিজের চিন্তায় ও কর্মে কঠোর হতে হবে। দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে সমস্ত কাজ করতে হবে। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা সেই সত্যের অনুরণন দেখি। কবি পাষাণের মতো কঠোর মনোভাবসম্পন্ন হতে বলেছেন। তাই বলা হয়েছে পাষাণ আপন কাজে কঠোর হতে শেখায়।
গ উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর মধ্যে প্রকাশিত ভাব ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার পাহাড়, ঝরনা ও সবুজ শ্যামলিমার কাছে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়গুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি কবি প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গ থেকে মানুষ সমগ্র মানবীয় গুণসমূহের পাঠ নিতে পারে। নদী, পাহাড়, আকাশ, বাতাস এসব কিছুর মধ্যে- একটি সুনির্দিষ্ট নীতি ও জীবনবোধ প্রকাশিত হয়। এই বোধ অন্তরে ধারণ করতে পারলে মানুষ বড় মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রাহাত তার স্যারদের সাথে শিক্ষা সফরে গিয়ে পাহাড়, ঝরনা ও বনের শ্যামলিমা দেখে মুগ্ধ হয়। এসব প্রাকৃতিক উপাদান তার মনে একটি নতুন ভাবনার জন্ম দেয়। যেটি মানবীয় শিক্ষার পর্যায়ে পড়ে। ঝরনার শব্দ, পাহাড়ের নিস্তব্ধতা ও বনানীর সবুজ সজীবতা রাহাতের মধ্যে নতুন জ্ঞানের বিকাশ ঘটায়।সুতরাং উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় বিষয়ের সাথে একটি যোগসূত্র আমরা খুঁজে পাই। এই যোগসূত্র তিনটি বিষরে স্পষ্ট সাদৃশ্য তৈরি করেছে।
ঘ উদ্দীপকের রাহাত ঝরনা ও পাহাড়ের কাছে নতুন জ্ঞানের সন্ধান পেয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার ভাববস্তুর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রাহাত তার বন্ধু ও স্যারদের সাথে বান্দরবান বেড়াতে যায়। সেখানে পাহাড়, ঝরনা, সবুজ বন দেখে মুগ্ধ হয়। তার মধ্যে এসব প্রাকৃতিক উপাদান এক নতুন চেতনার জন্ম দেয়। নতুন জ্ঞান ও চিন্তার সন্ধান পায় সে।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায়ও আমরা দেখি কবি সুনির্মল বসু প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। মানুষ আমরা প্রকৃতির সন্তান। সবসময় প্রকৃতির কাছে জ্ঞান আহরণ করে আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার আমরা পূর্ণ করতে পারি। আমাদের চিন্তার জগতকে সমৃদ্ধ করতে পারি। প্রকৃতির জ্ঞান মানুষকে মহৎ মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
এভাবে দেখা যায় উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় একইভাবে মানুষের মহৎ হয়ে উঠার উপর ও প্রয়োজনীয় জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন- ৫ ল্ফল্ফ
পৃথিবীর যেখানেই যাই
সবই আমার চেনা মনে হয়।
সাগর পাহাড় নদী অথবা বৃক্ষ
সবাই আমার শিক্ষাগুরু।
আদমের কাল থেকে আমি
শিক্ষা নিয়ে চলেছি।
ক. সহিষ্ণুতা অর্থ কী? ১
খ. ‘নদীর কাছে শিক্ষা পেলাম আপন বেগে চলতে’- চরণটি তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের কবিতাংশের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র কবিতার সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ.‘পৃথিবী যেনো একটা বিরাট খাতা। এর পাতায় পাতায় আমাদের জন্য পাঠ্য ছড়িয়ে আছে। কথাটি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক সহিষ্ণুতা অর্থ হচ্ছে সহ্য করার ক্ষমতা।
খ ‘নদীর কাছে শিক্ষা আপন পেলাম বেগে চলতে’- চরণটি দ্বারা কবি নদীর কাছ থেকে গতির শিক্ষা মানব জীবনে প্রতিফলনের বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন।
নদী বহমান সে কখনো থামে না। ঋতুর পরিবর্তন তাকে থামাতে পারে না। শীতের শীর্ণ নদী বর্ষায় আবার পূর্ণ যৌবন লাভ করে। এভাবে সে আপন বেগে চলতে থাকে। কবি এই নদীর কাছে এমন না থামার উদ্দীপনা শিক্ষা নিতে বলেছেন। অর্থাৎ নদীর মতো মানবজীবন যেন হয় বহমান। কোনো বাঁধাই যেন তাকে থামিয়ে দিতে না পারে।
গ উদ্দীপকে কবিতাংশের সাথে সুনির্মল বসু রচিত ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকের কবিতাংশে আমরা দেখি কবি পৃথিবীর সব কিছুর কাছে নিজের পরিচয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি সবার কাছে নিজেকে ছাত্র ভেবেছেন এবং সর্বত্র যা কিছু আছে সবই তার বড় আপন ও চেনা। আর বহমান সময়ের সাথে সাথে সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ প্রকৃতি থেকে শিখছে সে কথাও প্রকাশিত হয়েছে উদ্দীপকটিতে।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি কবি সুনির্মল বসু প্রকৃতির কাছে মানুষের ছাত্র হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মানুষ প্রকৃতির ছাত্র। প্রকৃতির উপাদান থেকে শিক্ষা নিতে পারলে প্রকৃতির উপাদানগুলোর মতোই মানুষ সমৃদ্ধ হবে। এতে মানবীয় মূল্যবোধে সমৃদ্ধ প্রকৃত মহৎ মানুষ তৈরি হবে। আর এখানেই ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার সাথে উদ্দীপকের কবিতাংশের সাদৃশ্য।
ঘ পৃথিবী যেন একটা খাতা। এর পাতায় পাতায় আমাদের জন্য পাঠ্য ছড়িয়ে আছে। কথাটির ভাব ‘সবার আমি ছাত্র’ ও উদ্দীপকের কবিতাংশের মধ্যে প্রকাশিত।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি কবি সুনির্মল বসু প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। প্রকৃতির সমস্ত উপাদানের কাছে শিক্ষা নিয়ে মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে বলেছেন। সেখানে প্রকৃতির সমস্ত উপাদান মাটি, পানি, সূর্য, বাতাস, নদী, ঝরনা সবই মানুষের শিক্ষক। অথবা মানুষ প্রকৃতি সমস্ত উপাদানের কাছে ছাত্র।
উদ্দীপকেও আমরা দেখি উদ্ধৃত কবিতাংশে প্রকৃতিকে শিক্ষাগুরু হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে। উদ্দীপকে প্রাচীন কাল থেকে প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এই পৃথিবীর যেখানেই যাওয়া হয় প্রকৃত ছাত্ররূপী মানুষের কাছে সব কিছুই চেনা মনে হয়। এখানেই উদ্দীপকের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার বিষয়বস্তু মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
অর্থাৎ পৃথিবী একটা খাতার মতো। এর প্রতিটি পাতায় বর্ণিত জ্ঞান আমাদের কাছে অর্জনের বিষয়। আমাদের কাছে অবশ্যই পাঠ্য।
প্রশ্ন- ৬ ল্ফল্ফ
রঞ্জু তার বাবার কাছে শুনেছে আকাশ, বাতাস, সাগর নদী, সবুজ মাঠ এসব আমাদের মনের প্রসার ঘটাব। মন খারাপ হলে প্রকৃতি মন ভালো করে দেয়। রঞ্জুর একদিন খুব মন খারাপ। সে বাড়ির বাইরে বের হয়ে মাঠে গেল। বিশাল মাঠ। সে তাকালো চারদিকে। তার মনে হলো আকাশটা বড় একা। তার মতোই দুঃখিত। ঐ যে দূরে আকাশ মাটির সাথে মিশেছে। বহুদূরে দাঁড়িয়ে আছে একটা তালগাছ গাছটাও একা । রঞ্জুর মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল।
ক. চাঁদ কী শেখায়? ১
খ. ‘শ্যাম বনানী সরসতা ভিক্ষা দিল। বলতে কী বোঝানো হয়েছে- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় কর। ৩
ঘ.পৃথিবীর সকল বস্তু বা ব্যক্তির কাছে শিক্ষা নিয়েই আমাদের পথ চলতে হবে। কথাটি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক চাঁদ মধুর কথা বলতে শেখায়।
খ শ্যাম বনানী সরসতা ভিক্ষা দিল চরণটি দ্বারা কবি সবুজ বনের শ্যামলিমা থেকে সৃষ্ট সৌন্দর্যবোধ মানুষের মধ্যে প্রবাহিত হওয়ার কথা বলেছেন।
প্রকৃতি বিশাল। তার ব্যাপ্তি অনেক। প্রকৃতির শ্যামলিমা মানুষকে সরস করে তোলে। মানুষের অন্তরে নতুন উপলব্ধি জাগায়। মানুষ প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে নতুন কিছু শেখে। ফলে সবুজ প্রকৃতি মানুষের প্রকৃত মানবীয় মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। সবুজ বনানীর এই শ্যামল সরসতা আমরা খুব স্বাভাবিক ভাবেই পাই। কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া। তাই, কবি বনের শ্যামলিমা থেকে প্রাপ্ত সরসতাকে ভিক্ষা পাওয়া হিসাবে অভিহিত করেছেন।
গ উদ্দীপকের সাথে আলোচ্য ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় বিষয় গত সাদৃশ্য স্পষ্ট দেখা যায়। তবে ভাবগত বৈসাদৃশ্যও আছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রঞ্জু তার বাবর কাছে শুনেছে- প্রকৃতি মনের প্রসারতা ঘটায়। প্রকৃতির কাছে সরসতা ভিক্ষা পাওয়া যায়। তাই সে মন খারাপ হলে খোলা মাঠে গিয়ে দাঁড়ায়। মাঠের বিস্তৃতি, আকাশের শূন্যতা প্রকৃতির বিষণœতা তাকে আচ্ছন্ন করে। তার খারাপ মনটা আরো খারাপ হয়ে যায়।
‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি কবি প্রকৃতির কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন। প্রকৃতির মতো হতে বলেছেন। যেটা উদ্দীপকে বিষয়ের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। প্রকৃতিতে স্পর্শ করা মানুষেরা প্রকৃতির মতোই হবে। এমনটাই আশা করেছেন কবি। উদ্দীপকের রঞ্জুর সাথেও তাই ঘটেছে। মন খারাপ করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়ে সেদিনের বিষণœ প্রকৃতি তাকে আবিষ্ট করতে পেরেছে। তার মনটা আরো খারাপ হয়ে গেছে। বিষয়টি কবিতার সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। এভাবে দেখা যায়, বিষয়গতভাবে সাদৃশ্য ও ভাবগতভাবে বৈসাদৃশ্য প্রকাশিত হয়েছে- আলোচ্য কবিতা ও উদ্দীপকের মধ্যে।
ঘ পৃথিবীর সকল বন্ধু ও ব্যক্তির কাছে শিক্ষা নিয়েই আমাদের পথ চলতে হবে। কথাটি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার মূলভাবকে স্পর্শ করেছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখি রঞ্জু তার বাবার কথা মতো মন খারাপ হলে মুক্ত প্রকৃতির সান্œিধ্যে গিয়ে দাঁড়ায়। মাঠ, আকাশ ও নিসর্গ বৃক্ষ তাকে মোহাবিষ্ট করে। তাকে পুরোপুরি আচ্ছন্ন করে ফেলে। ফলে তার খারাপ মন আরো খারাপ হয়ে যায়। এটাই প্রকৃতির আশ্চর্য খেলা। আর এটাই প্রকৃতির শিক্ষা। ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় আমরা দেখি কবি মানুষকে প্রকৃতির ছাত্র হিসাবে উল্লেখ করেছেন। মানুষ প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতি তাকে লালন পালন করে। সুতরাং সেই প্রকৃতিই তাকে শিক্ষা দেবে এমনটাই কবির ধারণা। তাই তিনি আকাশ, বাতাস, নদী, সাগর, পাহাড়, সব কিছুর কাছে শিক্ষা নিতে বলেছেন।
অতএব বলা যায়, পৃথিবীর সকল বস্তু বা ব্যক্তির কাছে শিক্ষা নিয়েই আমাদের পথ চলতে হবে। যাতে আমরা প্রকৃতির মতো মহৎ হয়ে উঠতে পারি।
 অনুশীলনের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক (উত্তরসংকেতসহ)
প্রশ্ন- ৭ ল্ফল্ফ
মদিনার স্কুলের স্যার একটি ক্লাসে বললেন, আমরা প্রকৃতির সন্তান। প্রকতির কাছে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বায়ু, পাহাড়, আকাশ, সমুদ্র, সব কিছুতে জীবনের ছন্দ লুকিয়ে আছে। যারা বড় মানুষ হতে চাও, তারা পৃথিবীটাকে স্কুল মনে কর।
ক. পাহাড় কী হওয়ার শিক্ষা দেয়? ১
খ. মাটির কাছ থেকে সহিষ্ণুতার শিক্ষা আমরা জীবনে কীভাবে কাজে লাগাতে পারি- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে সবার ‘আমি ছাত্র কবিতার’ ভাবার্থের সাদৃশ্য দেখাও। ৩
ঘ. “আমরা প্রকৃতির সন্তান।”- কথাটি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র কবিতার’ আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক পাহাড় তার সমান উঁচু হওয়ার শিক্ষা দেয়।
খ সবকিছু সহ্য করলে আমরা জীবনের সফলতার মসৃণ পথে হাঁটতে পারব।
মূলত সহিষ্ণুতা বলতে বোঝায় সহ্যকরার। প্রকৃতপক্ষে অপরকে ক্ষমা করার মধ্য দিয়েই চরিত্রের মাধুর্য ফুটে উঠে। ক্ষোভ, রাগ, দ্বেষের পথ ভুলে আমরা যদি সহিষ্ণুহই তাহলে আমরা অবশ্যই সফল হব। আর মাটির কাছ থেকেই আমরা সহিষ্ণুতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় প্রকৃতির সকল কিছু থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের মদিনার শিক্ষকও প্রকৃতির সকল উপাদান থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়টি আলোচনা কর।
ঘ প্রকৃতির ¯েœহের ক্রোড়ে লালিত-পালিত হয়ে আমরা বেড়ে উঠি -তাই আমরা সকলে প্রকৃতির সন্তান। এ বিষয়টি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার আলোকে আলোচনা কর।
প্রশ্ন- ৮ ল্ফল্ফ
রাহুল তার বাবার সাথে মাঠে গেল বাবা জমিতে চাষ দেবে। রাহুল দেখল, ট্রাক্টরের ফলার আঘাতে অল্প সময়ের মধ্যে সমতল জমিটা অন্যরকম হয়ে গেল। তার বাবা বললেন, শোন রাহুল, এই মাটি হচ্ছে মায়ের মতো। এই মাটি আমাদের সব অত্যাচার সহ্য করে শস্য দিয়ে আমাদের বাঁচায়। জীবনে বড় হতে হলে মাটির মানুষ হতে হবে।
ক. ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতাটির করচয়িতা কে? ১
খ. ‘চাঁদ শিখালো হাসতে মিঠে/মধুর কথা বলতে’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার শিক্ষণীয় দিকটির তুলনা কর। ৩
ঘ. “জীবনে বড় হতে হলে মাটির মানুষ হতে হবে।”- কথাটি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪

ক ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার রচয়িতা সুনির্মল বসু।
খ চাঁদ আমাদের মধুর কথা বলতে ও হাসতে শিক্ষা দেয়- এ বিষয়টি আলোচ্য চরণে তুলে ধরা হয়েছে।
পৃথিবীর সব মানুষ যদি গোমড়া হতো, সবাই যদি কর্কশ কথা বলত; তাহলে আমাদের চারপাশ বিষন্নতায় ভরে যেত। প্রকৃতির এমন পরিস্থিতি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় কল্পনা করা দুষ্কর। চাঁদ আমাদের ¯িœগ্ধ আলোয় সাথে সাথে ¯িœগ্ধ হাসি উপহার দেয়। আমাদের মন ভালো হয়ে যায়। আমরা হাসতে শিখি। এতে আমাদের চারপাশের সকল লোকের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। তাই বলা যায় গোলগাল ঠান্ডা ¯িœগ্ধ চাঁদ আমাদেরকে হাসতে এ মধুর কথা বলতে শেখায়।
ঢপষঁংরাব লিংক : প্রয়োগ (গ) ও উচ্চতর দক্ষতার (ঘ) প্রশ্নের উত্তরের জন্য অনুরূপ যে প্রশ্নের উত্তর জানা থাকতে হবে-
গ মাটি যে আমাদের সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয় এ বিষয়টি উদ্দীপক ও ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার আলোকে আলোচনা কর।
ঘ মাটির মতো ক্ষমাশীল, দয়াশীল ও দানশীল হলে জীবনে সব সফলতা করায়ত্ত হবে। প্রকৃত মানুষ হতে হলে মাটির কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এ বিষয়টি আলোচনা কর।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ কে আপন তেজে জ্বলে ওঠার মন্ত্রণা দেয়?
উত্তর : সূর্য আপন তেজে জ্বলে ওঠার মন্ত্রণা দেয়।
প্রশ্ন \ ২ \ কে মিষ্টি করে হাসতে পারার শিক্ষা দেয়?
উত্তর : চাঁদ মিষ্টি করে হাসতে পারার শিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন \ ৩ \ আমাদের অন্তর রতœ-আকর হোক ও আশাবাদ কার?
উত্তর : আমাদের অন্তর রতœ আকর হোক ও আশাবাদ সাগরের।
প্রশ্ন \ ৪ \ কে আপন বেগে নিরবধি চলার শিক্ষা দেয়?
উত্তর : নদী আপন বেগে নিরবধি চলার শিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ আমার সহিষ্ণুতার শিক্ষা কার কাছ থেকে লাভ করতে পারি?
উত্তর : আমরা সহিঞ্চুতার শিক্ষা মাটির কাছ থেকে লাভ করতে পারি।
প্রশ্ন \ ৬ \ পাষাণ কী শিক্ষা দেয়?
উত্তর : আপন কাজে কঠোর হতে পাষাণ শিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ কে আমাদের প্রাণে ছন্দের মূর্ছনা তৈরি করে?
উত্তর : ঝরনা আমাদের প্রানে ছন্দের মূর্ছনা তৈরি করে ।
প্রশ্ন \ ৮ \ কে আমাদের সরসতা ভিক্ষা দেয়?
উত্তর : শ্যাম-বনানী আমাদের সরসতা ভিক্ষা দেয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ আমরা দিবা রাত্র কী শিখেছি?
উত্তর : আমরা দিবারাত্র নানান ভাবের নতুন জিনিস শিখেছি।
প্রশ্ন \ ১০ \ আমরা পৃথিবী পাঠশালার সব জিনিস কী করণে শিখেছি?
উত্তর : আমরা পৃথিবী পাঠশালার সকল জিনিস কৌত‚হলের করণে শিখেছি।
প্রশ্ন \ ১১ \ সুনির্মল বসু জন্মগ্রহণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে?
উত্তর : সুনির্মল বসু জন্মগ্রহণ করেন ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন \ ১২ \ সুনির্মল বসু মূলত কী ধরনের সাহিত্যিক হিসেবে সমধিক পরিচিত?
উত্তর : সুনির্মল বসু মূলত শিশুসাহিত্যিক হিসেবে সমধিক পরিচিত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ ‘ছাত্রাবড়া’ ও ‘হৈচৈ’ গ্রন্থদ্বয়ের রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘ছাত্রবড়া ও ‘হৈচৈ’ গ্রন্থদ্বয়ের রচয়িতা সুনির্মল বসু।
প্রশ্ন \ ১৪\ সুনির্মল বসু কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : সুনির্মল বসু ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করে।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ শিখেছি সে সব কৌত‚হলে-সন্দেহ নেই মাত্র’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পৃথিবীর বিস্তৃত মঞ্চে আমরা যে শিক্ষার্থীর দীনতায় কৌত‚হলে সকল কিছু শিখেছি সে বিষয়টি বলা হয়েছে।
প্রকৃতির থেকে বড় কোনো শিক্ষক নেই। আর প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে পারলেই তা প্রকৃত শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় কবি প্রকৃতির কাছে সহজ দীনতার নিজের শিক্ষাগ্রহণের বিষয়টি অকপটে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি প্রকৃতিকে জানিয়ে দিয়েছেন সকল শিক্ষাই। তিনি কৌত‚হলে গ্রহণ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।
প্রশ্ন \ ২ \ কবি পৃথিবীর বিশাল খাতায় পাতায় পাতায় পাঠ্য বলেছেন কেন?
উত্তর : প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানের ভিতর কোনো না কোনো শিক্ষা লুকিয়ে আছে । তাই কবি পৃথিবীর বিরাট খাতায় নানা প্রকার পাঠ্যের উল্লেখ করেছেন।
প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুতে কোনো না কোনো শিক্ষা লুকিয়ে আছে। শুধু প্রয়োজন কৌত‚হলী মন নিয়ে সে শিক্ষাটি গ্রহণ করা। তাই প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশবশত কবি উল্লেখ করেছেন পৃথিবীর বিরাট খাতায় অনেক শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে-মনুষ্যের উচিত কৌতূহলী মন নিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষাগ্রহণ করা।
প্রশ্ন \ ৩ \ ঝরনা আমাদের প্রাণে কীভাবে গান জাগায়?
উত্তর : ঝরনা তার সহজ সুরে আমাদের প্রানে সুরের মূর্ছনা জাগিয়ে তোলে।
সকল বাধার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ঝরনা আপন ছন্দে পাহাড় হতে নিচে নেমে আসে। এ নিচে নামার মধ্যে এক প্রকার ছন্দ আছে। যে ছন্দ এক নরম সুরের ¯িœগ্ধতা চারপাশে ছড়িয়ে দেয়। আর এ সুর শুনলে সবার প্রাণে গান জেগে ওঠে। মানুষ তার অবচেতনে মনে গেয়ে ওঠে নাম না জানা সুরের স্বরলিপি। তাই বলা চলে ঝরণা সহজ সুরে আমাদের প্রাণে গান জাগিয়ে তোলে।
প্রশ্ন \ ৪ \ আকাশ আমাদের উদার হওয়ার শিক্ষা দেয় কেন?
উত্তর : উদার না হলে পৃথিবীর সমস্ত কুটিলতা আমাদের গ্রাস করবে। তাই আকাশ সকলকে উদার হওয়া শিক্ষা দেয়।
মাথার উপরে সীমাহীন বিস্তৃত আকাশ। কোথায় গিয়ে যে তার শেষ হয়েছে তার কোনো হদিস নেই। কিন্তু এত বড় বিশালতা নিয়েও আকাশের কোনো অহংকার নেই। সে উদারতার এক বিশাল প্রতিমূর্তি। সাধারণ মানুষ যেন সকল কুটিলতা পরিহার করে উদার হয়ে সম্প্রীতির সমাজ গড়তে পারে আকাশ সে শিক্ষা দেয়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

 বিষয়ক্রম অনুযায়ী বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
ন্ধ কবি পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১. সুনির্মল বসুর জন্ম কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
 ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে খ ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে
গ ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে
২. সুনির্মল বসু জন্মগ্রহণ করেন কোথায়? (জ্ঞান)
ক পশ্চিমবঙ্গের আসানশোলে  পশ্চিমবঙ্গের বিহারে
গ বাংলাদেশের নওগাঁ ঘ বাংলাদেশের গাইবান্ধায়
৩. সুনির্মল বসুর পৈতৃক নিবাস কোথায় ছিল? (জ্ঞান)
ক রাজশাহীর পুঠিয়া খ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী
 ঢাকার বিক্রমপুর ঘ চট্টগ্রামের হাটহাজারী
৪. সুনির্মল বসু মূলত কী ছিলেন? (জ্ঞান)
ক কবি ও উপন্যাসিক খ কবিও নাট্যকার
গ কবি ও গল্পকার  কবি ও শিশু সাহিত্যিক
৫. ‘ছানাবড়া’ কার রচিত গ্রন্থ? (জ্ঞান)
ক জসীমউদ্দীন  সুনির্মল বসু
গ কাজী নজরুল ইসলাম ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬. ‘কথা শেখা’ কার কাব্যগ্রন্থ? (জ্ঞান)
 সুনির্মল বসুর খ বুদ্ধদেব বসুর গ জ্যোতি বসুর ঘ নারায়ণ বসুর
৭. সুনির্মল বসু মৃত্যুবরণ করেন কত খ্রিষ্টাব্দে? (জ্ঞান)
ক ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে খ ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে
 ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘ ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৮. কবি সুনির্মল বসু যে বিষয়ে শিশু কিশোর উপযোগী সাহিত্য রচনা করেন- (অনুধাবন)
র. নাটক রর. গল্প কাহিনি
ররর. ভ্রমণ কাহিনি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৯. সুনির্মল বসুর গ্রন্থ হলো- (অনুধাবন)
র. বেড়ে মজা রর. হৈচৈ
ররর. পাততাড়ি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
ন্ধ মূলপাঠ
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০. ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার রচয়িতা কে? (জ্ঞান)
 সুনির্মল বসু খ জসীমউদ্দীন
গ কাজী নজরুল ইসলাম ঘ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১১. উদার হওয়ার শিক্ষা কে দেয়? (জ্ঞান)
ক মাটি খ পানি  আকাশ ঘ বাতাস
১২. কর্মী হবার মন্ত্র দেয় কে? (জ্ঞান)
ক পানি  বায়ু গ আকাশ ঘ মাটি
১৩. পাহাড় কী হওয়ার শিক্ষা দেয়? (অনুধাবন)
ক বড় হতে  মৌন-মহান হতে
গ বিশাল হতে ঘ ভয়ঙ্কর হতে
১৪. মৌন-মহান হতে বলে কে? (জ্ঞান)
ক নদী খ মাঠ  পাহাড় ঘ সাগর
১৫. দিল খোলা হয় কীসে? (অনুধাবন)
ক বাতাসের উপদেশে খ নদীর স্রোতের কাছে
গ আকাশের উদারতায়  খোলা মাঠের উপদেশে
১৬. সূর্য কীরূপ মন্ত্রণা দেয়? (অনুধাবন)
 আপন তেজে জ্বলতে খ ঠান্ডা হতে
গ সকালে উঠতে ঘ রাতে ঘুমাতে
১৭. কে জ্বলতে মন্ত্রণা দেয়? (জ্ঞান)
ক চাঁদ খ তারা  সূর্য ঘ লাইট
১৮. চাঁদ কীসের করার শিক্ষা দেয়? (অনুধাবন)
ক মধুর হাসি দিতে খ মধুর কান্না করতে
গ মধুর গান গাইতে  মধুর কথা বলতে
১৯. মধুর কথা বলতে শেখায় কে? (জ্ঞান)
ক সূর্য  চাঁদ গ নদী ঘ ঝরণা
২০. মিঠে করে হাসতে শেখায় কে? (জ্ঞান)
 চাঁদ খ নদী গ ঝরনা ঘ দিঘী
২১. নদী কী করার শিক্ষা দেয়? (জ্ঞান)
ক দৌড়াতে  আপন বেগে চলতে
গ থেমে থাকতে ঘ বসে থাকতে
২২. বেগে চলতে শিক্ষা দেয় কে? (জ্ঞান)
ক সাগর খ গাড়ি গ ঝরনা  নদী
২৩. মাটি কী শিক্ষা দেয়? (জ্ঞান)
ক আনন্দ খ বেদনা গ অসহিষ্ণুতা  সহিষ্ণুতা
২৪. নিজের কাজে কঠোর হতে শেখায় কে? (জ্ঞান)
ক মাটি খ পানি  পাষাণ ঘ বায়ু
২৫. কবির প্রাণে কে গান জাগায়? (জ্ঞান)
ক নদী  ঝরনা গ সমুদ্র ঘ পাহাড়
২৬. সরসতা শিক্ষা দেয় কে? (জ্ঞান)
 শ্যাম বনানী খ ঝরনা গ মাটি ঘ পাহাড়
২৭. বিশ্ব জোড়া কী? (জ্ঞান)
ক ঘর  পাঠশালা গ বাড়ি ঘ গ্রাম
২৮. দিনরাত কবি কী শেখার কথা বলেছেন? (জ্ঞান)
 নতুন জিনিস খ ভাব-ভাষা গ গান ঘ কবিতা
২৯. এই পৃথিবীকে কবি কী বলেছেন?
ক বিরাট মঞ্চ খ বিরাট ঘর গ বিরাট হাট  বিরাট খাতা
৩০. কবি ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতায় ‘বিশ্ব জোড়া পাঠশালা’ চরণে সন্দেহ না থাকার কারণ হিসাবে কী উল্লেখ করেছেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
 সব কিছু শেখার কৌত‚হলকে খ সব কিছু ভুলে যাওয়ার ইচ্ছাকে
গ সব কিছু কিনে নেওয়ার ইচ্ছাকে ঘ সব কিছু দেখার কৌত‚হলকে
৩১. কবি নিজেকে সবার কী মনে করেছেন? (অনুধাবন)
ক ভাই খ শিক্ষক  ছাত্র ঘ সহপাঠ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৩২. এই পৃথিবী বিরাট খাতা বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. পৃথিবীর বিশালতা রর. পৃথিবী একটা খাতার মতো
ররর. পৃথিবী পরতে পরতে শিক্ষণীয় বিষয় আছে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৩. ঝরনার সহজ গান বলতে বোঝায় – (অনুধাবন)
র. ঝরনার মিষ্টি গান রর. ঝরনার কণ্ঠের গান
ররর. ঝরনার রিমঝিম গান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৪. শ্যাম বনানীর সরসতা বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. বনের সবুজ গাছগাছালি রর. বনের পশুপাখি
ররর. বনের গাছপালার স্বাভাবিক নিরবতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৫. মাটির সহিষ্ণুতা বলতে বোঝানো হয়েছে- (অনুধাবন)
র. মাটি সবকিছু সহ্য করে
রর. মাটি মায়ের মতো আমাদের খাদ্য দেয়
ররর. মাটিতে আমরা সব কিছু করি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৬. অন্তর হোক রতœ-আকর অর্থ-
র. অন্তর ভরে উঠুক শুভ চেতনায় রর. অন্তর হিংসায় ভরে যাক
ররর. জ্ঞান চিন্তায়, বিবেচনায় অন্তর পূর্ণ হোক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. পাহাড়ের মতো মৌন-মহান হওয়ার অর্থ- (অনুধাবন)
র. অচঞ্চল হওয়া রর. শান্ত হওয়া
ররর. স্থির হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৩৮. বায়ুর কাছে কর্মী হওয়ার মন্ত্রণা পাওয়া বলতে বোঝায়- (অনুধাবন)
র. বায়ুর বেগে দৌড়ানো রর. বায়ুর বেগে কাজ করা
ররর. বায়ুর মতো সবার সাহায্য করা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৯ ও ৪০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের উপকরণ। এগুলো প্রকৃতির সম্পদ। এসব দিয়ে আমরা নিজেদের প্রয়োজন মেটাই। প্রয়োজন মেটানোর সাথে সাথে এগুলোর মধ্যে যে চিরন্তন নিয়ম প্রচলিত তা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
৩৯. অনুচ্ছেদের ভাবার্থ কোন কবিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? (প্রয়োগ)
 সবার আমি ছাত্র খ সাম্য
গ শ্রাবণে ঘ আমার বাড়ি
৪০. অনুচ্ছেদটিতে উক্ত কবিতার যে দিক প্রতিফলিত হয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. আমাদের ভোগের সামগ্রী রর. আমাদের শিক্ষার সামগ্রী
ররর. আমাদের অনুসরণীয় উপকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪১ ও ৪২নং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রনি পাহাড় দেখতে গেল। সে আগে কখনো পাহাড় দেখেনি। জীবনে প্রথম পাহাড় দেখে সে অভিভ‚ত হয়ে গেলো। কী স্তব্ধ হয়ে পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। সবুজের সমারহ তার শরীর জুড়ে। রনির মনে হলো, পাহাড় ও সবুজ শ্যামলীমার কাছে শেখার অনেক কিছু আছে।
৪১. রনির চিন্তার সাথে কোন কবির কবিতার সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়? (প্রয়োগ)
 সুনির্মল বসু খ কাজী নজরুল ইসলাম
গ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ জসীমউদ্দীন
৪২. অনুচ্ছেদের রনির চিন্তার মধ্যে ‘সবার আমি ছাত্র’ কবিতার যে দিক প্রকাশ পেয়েছে- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. প্রকৃতি প্রেম রর. শিক্ষা নেওয়ার আগ্রহ
ররর. অনিহা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৩ ও ৪৪নং পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তি নিকেতনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চাইতেন মানুষ প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা নিক। প্রকৃতির কাছে মানুষ শিখুক। তাই তিনি শান্তি নিকেতনে গাছতলায় বসে পাঠদান করতেন।
৪৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তার মধ্যে নিচের কোন চরণটির ভাবের সাদৃশ্য আছে? (প্রয়োগ)
 বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর খ মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম
গ নদীল ঘাটের কাছে ঘ ধরনীর আশাভয় ধরনীর সুখদুখ
৪৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষা দিতে চেয়েছেন- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঘরে বসে রর. প্রকৃতির কোলে বসে
ররর. নিসর্গের সংস্পর্শে এসে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ শব্দার্থ ও টিকা º বোর্ড বই, পৃষ্ঠা ৭৬
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৪৫. ‘পাষাণ’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক তুলা খ শক্ত  পাথর ঘ নদী
৪৬. শ্যাম বনানী হচ্ছে- (অনুধাবন)
 সবুজ বন খ সাদা বন গ মৃত বন ঘ কালো বন
৪৭. সহিষ্ণুতা বলতে কী বোঝায়? (জ্ঞান)
ক সহ্য করার অক্ষমতা
 সহ্য করার ক্ষমতা
গ সহ্য করার ত্যাগ করার ধারণা
ঘ ত্যাগ না করার ধারণা
৪৮. ‘দীক্ষা’ অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক কিছু দেওয়া
খ কিছু চাওয়া
 কিছু শিক্ষা দিয়ে অনুপ্রাণিত করা
ঘ কিছু নেওয়া
৪৯. ‘কৌতূহল’ শব্দের অর্থ কোনটি? (জ্ঞান)
ক ভুলে যাওয়া খ কৌতুক করা
গ জেনে যাওয়া  জানার আগ্রহ
৫০. ‘রতœ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে- (জ্ঞান)
 ধনসম্পদ খ বইপত্র গ গাছগাছালি ঘ নদনদী
৫১. ‘উদার’ শব্দটি দ্বারা বোঝায়- (অনুধাবন)
ক সবাইকে ছোট করা  সবাইকে সমান ভাবা
গ সবাইকে বড় ভাবা ঘ সবাইকে ঘৃণা করা
৫২. ‘মন্ত্রণা’ শব্দটির অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক গভীরভাবে বুঝানো খ মন্ত্র পাঠ
 যুক্তি-পরামর্শ ঘ মন্ত্র দেওয়া
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৩. ‘দিল খোলা’ যে অর্থ প্রকাশ করে- (অনুধাবন)
র. হাত খোলা রর. মন খোলা
ররর. মুক্ত মন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৫৪. ‘মন্ত্রণা’ অর্থ – (অনুধাবন)
র. উপদেশ রর. যুক্তি পরামর্শ
ররর. প্রেরণা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৫৫. মৌন-মহান অর্থ প্রকাশ করে- (অনুধাবন)
র. ধৈর্যে-পাহাড়ের মতো নীরব হওয়া
রর. গুণে পাহাড়ের মতো উচ্চ হওয়া
ররর. গাছগাছালিতে পাহাড়ের মতো
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ পাঠ পরিচিতি
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৬. মানুষ জন্মগতভাবে বেঁচে থাকতে কার উপর নির্ভরশীল? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মাটি খ মানুষ গ মা  প্রকৃতি
৫৭. কী শিক্ষা লাভে প্রকৃতি সবচেয়ে বড় সহায়ক? (অনুধাবন)
 মানবিকতা ও নৈতিকতা খ দৌড় ও খেলা
গ নাচ ও গান ঘ আবৃত্তি ও ছড়া পাঠ
৫৮. আমাদের কর্মের উৎস কী? (জ্ঞান)
ক নরস্তর জল¯্রােত খ নিরন্তর কথা
 নিরন্তর বায়ু প্রবাহ ঘ নিরন্তর সূর্য
৫৯. ঝরনা মনকে কী রাখতে সাহায্য করে? (জ্ঞান)
ক বাহির থেকে চলমান  ভেতর থেকে চলমান
গ আটকে রাখতে ঘ দৌড়ে বেড়াতে
৬০. সবুজ বন মনকে কী করে? (জ্ঞান)
ক কোমল খ কঠিন  সজীব ঘ ক্লান্ত
৬১. কে সব কিছু সহ্য করে? (জ্ঞান)
ক বাতাস খ সাগর গ পাহাড়  মাটি
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬২. পৃথিবীতে যাদের কাছে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পথ চলতে হবে- (অনুধাবন)
র. নদী রর. পাহাড়
ররর. প্রকৃতির সকল বস্তু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৬৩. যে ধরনের শিক্ষা লাভে প্রকৃতি বড় সহায়ক শক্তি- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মানবিক রর. প্রাতিষ্ঠানিক
ররর. নৈতিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৪. শিক্ষা নিতে হবে- (অনুধাবন)
র. শুধু শিক্ষকের কাছে রর. প্রকৃতির কাছে
ররর. চারপাশের সবকিছু থেকে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৬৫. সাগর মানব কল্যাণ করে- (অনুধাবন)
র. নিজের মধ্যে রতœ জমে রেখে রর. নিজের বিশালতা দিয়ে
ররর. পানি দিয়ে পৃথিবীর মাটি শীতল করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

 

Leave a Reply