চরু
হাসান আজিজুল হক
গল্পটি পড়ে জানতে পারব
অবলা প্রাণীর প্রতি মানুষের নিষ্ঠুরতার পরিচয়
প্রাণীদের প্রতি মানুষের মমত্ববোধের পরিচয়
লেখক পরিচিতি
নাম হাসান আজিজুল হক।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ২রা ফেব্রæয়ারি, ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : যবগ্রাম, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ।
কর্মজীবন/পেশা অধ্যাপনা।
সাহিত্য সাধনা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : আত্মজা ও একটি করবী গাছ, জীবন ঘষে আগুন, নামহীন গোত্রহীন, পাতালে হাসপাতালে ইত্যাদি।
শিশু-কিশোরগ্রন্থ : ফুটবল থেকে সাবধান, লালঘোড়া আমি।
পুরস্কার ও সম্মাননা বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদকসহ বহু পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে চরু কিসের পোড়া গন্ধ পেল? ছ
ক. পাতা খ. বারুদ
গ. ঘাস ঘ. রক্ত
২. হরিণ ছানাটির প্রতি কিশোর বালকটির ভালোবাসার মধ্য দিয়ে গল্পের যে মূল ভাবটি ফুটে উঠেছে তা হলোÑ চ
ক. মনুষ্যত্ববোধ খ. সখ্য
গ. প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব ঘ. প্রতিবন্ধিত্বের আবেগ
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
বাড়ির জমি চাষাবাদ করার জন্য বিকাশ বাজার থেকে একজোড়া গরু কেনেন। চার বছর ধরে এ দুটি দিয়ে তিনি হাল চাষ করেন। তাঁর স্ত্রী এ দুটিকে লালী ও কালী বলে ডাকেন। লালীর পেটে বাচ্চা আসায় বিকাশ এটিকে দিয়ে হালচাষ করতে না পারায় ঈদের বাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তে তাঁর স্ত্রী বাদ সাধলে তিনি ক্রুদ্ধ হন। কিছুদিন পর লালী বাচ্চা প্রসব করলে এটির আধা কেজির বেশি দুধ হচ্ছে না দেখে বিকাশ এবার বাচ্চাসহ গফুর কসাইয়ের নিকট বিক্রি করে দিল। কসাই পরিপুষ্ট গাভীটি কেটে সের দরে মাংস বিক্রি করল এবং বাচ্চাটি বড়সর হলে এটি দিয়েও ভালো ব্যবসা করবে ভাবল। কসাইয়ের প্রতিবন্ধী কন্যা পরম যতেœ এটিকে পরিপুষ্ট ও বড় করে তুলল। একদিন কসাই এটির মাংসও কেটে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে তাঁর কন্যা প্রতিবাদী হয়ে উঠল এবং ইঙ্গিতে পালনের সিদ্ধান্ত জানাল।
ক. ‘চরু’ গল্পে চরু নামটি মূলত কিসের? ১
খ. চরু তার আশপাশে তার মাকে দেখতে পেল না কেন? ২
গ. ‘চরু’ গল্পের মূল শিক্ষাটি উদ্দীপকের কোন চরিত্রে এবং কীভাবে ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. অবোধ প্রাণীর প্রতি ‘চরু’ গল্পের কিশোর বালক ও বিকাশের স্ত্রীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪
১ এর ক নং প্র. উ.
ক্ষ ‘চরু’ গল্পে চরু নামটি মূলত এক হরিণ শাবকের।
১ এর খ নং প্র. উ.
ক্ষ শিকারিরা গুলি করে হত্যা করেছিল বলে হরিণ শাবক চরু তার মাকে আশপাশে দেখতে পেল না।
‘চরু’ গল্পে বনের এক ধারে আপন মনে ঘাস খাচ্ছিল চরু। হঠাৎ বিকট একটা শব্দে চমকে উঠে সে মুখ তুলে দেখল বনের একটু উঁচুতে ঝোপের পাশ দিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। আশপাশে মা নেই। পরে সে বুঝতে পারল যে, লোভী মানুষের বন্দুকের গুলিতে কিছুটা দূরে তার মা মারা গেছে। যে কারণে আশপাশে সে তার মাকে দেখতে পাচ্ছিল না।
১ এর গ নং প্র. উ.
‘চরু’ গল্পের মূল শিক্ষাÑ প্রাণীর প্রতি লোভী মানুষের হিংস্রতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভ‚মিকা গ্রহণ, যা উদ্দীপকের কসাইয়ের কন্যা চরিত্রে ফুটে উঠেছে।
‘চরু’ গল্পে আমরা দেখতে পাই, লোভী মানুষের বন্দুকের গুলিতে নিহত হয় এক মা-হরিণ। লোভী মানুষেরা নিহত হরিণ ও হরিণছানাকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়। অতঃপর মা হরিণের মাংস বিক্রি করে দেয়। খাওয়ার উপযুক্ত হয়নি বলে হরিণছানা রক্ষা পায় এবং লোভী মানুষদের আদর-যতেœ বড় হতে থাকে। একসময় বাচ্চা হরিণটি বড় হলে তারা জবাই করে মাংস বিক্রি করতে চাইলে তাদের হিংস্রতার বিরুদ্ধে দাঁড়ায় বোবা-কালা এক কিশোর। সে হরিণটিকে মুক্ত করে দেয়।
উদ্দীপকের বিকাশ তাঁর কেনা গরু লালীকে দিয়ে চার বছর হালচাষ করেন। একসময় লালীর পেটে বাচ্চা এলে হাল চাষ করতে সমস্যা হওয়ায় বিকাশ লালীকে গফুর কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে দেন। যদিও বিকাশের স্ত্রী এর প্রতিবাদ করেছে। কসাই গাভীটি জবাই করে সের দরে মাংস বিক্রি করল। পরবর্তীতে বাচ্চাটি বড় হলে কসাই তাকেও জবাই করতে চাইলে কসাইয়ের কন্যা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে এবং বাচ্চাটিকে রক্ষা করে। পরিশেষে বলা যায়, গল্পের কিশোর হিংস্রতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হরিণের বাচ্চাটির প্রাণ বাঁচিয়েছে। অপরদিকে, উদ্দীপকের কসাইয়ের কন্যা একই উপায়ে প্রাণ বাঁচিয়েছে গরুর বাচ্চাটির। আর এদিক বিবেচনায়ই বলা যায়, ‘চরু’ গল্পের মূল শিক্ষা অর্থাৎ অবোধ প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধের বিষয়টি উদ্দীপকের কসাইয়ের কন্যা চরিত্রে যথার্থভাবে ফুটে উঠেছে।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
তুলনামূলক বিশ্লেষণে বলা যায়, অবোধ প্রাণীর প্রতি মমতা প্রকাশে ‘চরু’ গল্পের কিশোর বালক ও বিকাশের স্ত্রীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।
‘চরু’ গল্পে লোভী মানুষেরা মা-হরিণকে গুলি করে ধরে নিয়ে গিয়ে মাংস বিক্রি করে দেয়। আর হরিণ ছানাটিকে আদর-যতেœ বড় করে তোলে। একসময় লোভী মানুষগুলো বড় হওয়া হরিণছানাটিকে জবাই করে মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাদ সাধে বোবা-কালা এক কিশোর। সে হরিণটিকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে বনে ছেড়ে দেয়।
উদ্দীপকের বিকাশ বাজার থেকে একজোড়া গরু কেনেন। তার একটির নাম লালী। চার বছর হাল-চাষের পর লালীর পেটে বাচ্চা আসায় বিকাশ ঈদের বাজারে তাকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তে তাঁর স্ত্রী বাদ সাধলে তিনি ক্রুদ্ধ হন। কিছুদিন পর লালীর বাচ্চা হলে, দুধ কম দিচ্ছে এই অজুহাতে বাচ্চাসহ লালীকে গফুর কসাইয়ের নিকট বিক্রি করে দেন। কসাই পরিপুষ্ট গাভীটি কেটে সের দরে মাংস বিক্রি করে। অর্থাৎ বিকাশের স্ত্রী লালীকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হন।
‘চরু’ গল্পের কিশোর বালক ও বিকাশের স্ত্রীর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে যে বিষয়টি সুস্পষ্ট তা হলো পশুর প্রতি মমতায় উভয়ে প্রতিবাদী হয়েছে। কিন্তু সাফল্য বিবেচনায় দুজনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। গল্পের কিশোর হরিণছানা চরুকে প্রাণে রক্ষা করতে পারলেও বিকাশের স্ত্রী লালীকে চূড়ান্তভাবে বাঁচাতে পারেননি মানুষের খাদ্যে পরিণত হওয়া থেকে।
তেরো বছর বয়সী মৌমিতা অনেক দিন থেকেই বাবার কাছে একটি টিয়া পাখির বায়না ধরেছে। বাবা নানা ব্যস্ততার কারণে এনে দিতে পারেননি। সেদিন অফিস আগেই ছুটি হয়ে গেলে বাবা টিয়া পাখি কিনে আনলেন। টিয়া পাখি পেয়ে মৌমিতা তো আনন্দে আত্মহারা। কিন্তু দুদিন পরে খাঁচাবন্দী টিয়াপাখির ছটফটানি দেখে মৌমিতা একটু দমে গেল। মৌমিতা বুঝতে পারল বনের পাখি বনেই সুন্দর। তাই কাউকে না জানিয়েই সে পাখিটাকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিল।
ক. ‘চ’রু গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্র কি? ১
খ. চরুকে কেন গরুর দুধ দেওয়া হয়েছিল? ২
গ. ‘চরু’ গল্পের চরু এবং উদ্দীপকে টিয়া পাখির মিল কোথায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. একই কারণে চরু এবং টিয়া পাখিটির আনন্দময় পরিণতি ঘটে- বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্র. উ.
ক. ‘চরু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র একটি হরিণ ছানা।
খ. জবাই করার উপযোগী করে তুলতেই চরুকে আপাত পরিচর্যার অংশ হিসেবে দুধ দেওয়া হয়েছিল।
চরু নামের হরিণটি কিছু খেতে চাইত না। নরম কচি ঘাস, কেওড়ার পাতা এনে দেওয়া হলেও তার কিছুই ভালো লাগে না। কেননা সে মায়ের দুধ খেতে অভ্যস্ত ছিল। এভাবে চরু দিন দিন আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। চরুর অবস্থা এমন হলো যে, সে চোখেও দেখে না, কানেও শুনতে পায় না। বাড়ির লোকেরা দেখল এরকম হলে হরিণছানার মৃত্যু ঘটবে। তাই চরুকে সুস্থ করার লক্ষ্যে গরুর দুধ দেওয়া হলো।
গ. ‘চরু’ গল্পের চরু এবং উদ্দীপকের টিয়াপাখি সহানুভ‚তিশীল মানুষের সদিচ্ছার কারণে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছে।
‘চরু’ গল্পের চরুকে বন থেকে ধরে এনেছিল শিকারিরা। সে বড় হলে তার মাংস বিক্রি করার মতলবে ছিল তারা। তাদের এ দুরভিসন্ধির কথা বোঝার ক্ষমতা নেই চরুর। এমতাবস্থায় চরুর ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত বাড়ির বোবা-কালা ছেলেটা। চরুকে বের করে নিয়ে এলো বন্দীদশা থেকে, ছেড়ে দিল চরুর কাক্সিক্ষত অরণ্যে।
উদ্দীপকে তেরো বছর বয়সী মৌমিতা শখের বশে টিয়া পালতে শুরু করেছিল, কিন্তু বন্দী টিয়াপাখির অসহায়ত্ব তার মনকে নাড়া দেয়। কিশোরী মৌমিতা টিয়াপাখিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাখিটাকে ছেড়ে দিল, কাউকে না জানিয়েই। এদিক থেকেই টিয়াপাখি এবং চরুর সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। কারণ উভয় ক্ষেত্রে তাদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার কারণেই প্রাণী দুটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল।
ঘ. মানুষের ভালোবাসাই টিয়াপাখি এবং চরুর আনন্দময় পরিণতির কারণ।
গৃহস্থের বাড়িতে বন্দি ছিল ‘চরু’ গল্পের হরিণছানা চরু। সে বাড়ির নিষ্ঠুর লোকদের আশা ছিল চরুর মাংস বাজারে বিক্রি করে অনেক টাকা পাবে। কিন্তু চরুর প্রতি বাড়ির বোবা-কালা ছেলেটির ছিল অকৃত্রিম টান। সেই মমতা থেকেই সে নিজের কথা না ভেবে চরুকে বনে ছেড়ে দিয়ে আসে।
উদ্দীপকের মৌমিতা শখ করে একটি টিয়া পাখি পালতে শুরু করে। টিয়ার ছটফটানি তার কোমল হৃদয়ে দাগ কাটে। সে কাউকে না জানিয়ে পাখিটাকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়। আর এখানেই উদ্দীপক ও গল্পের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
আসলে বন্যেরা বনে সুন্দর- এ চিরন্তন কথাটির প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকে ও গল্পে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই যদি এ বোধটি জাগরুক থাকে তাহলেই চরু ও টিয়াপাখির মতো আনন্দময় পরিণতি হবে সকল বন্দী প্রাণীর। পরিশেষে বলা যায়, প্রাণীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা প্রদর্শন প্রত্যেক প্রাণীর জন্য আনন্দময় পরিণতির কারণ হতে পারে।
পরীক্ষায় কমন উপযোগী জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. দড়ির জাল এসে কার ওপর পড়ল?
উত্তর : দড়ির জাল এসে চরুর ওপর পড়ল।
২. ‘চরু’ কিসের নাম?
উত্তর : চরু হরিণছানার নাম।
৩. চরুর বয়স কত?
উত্তর : চরুর বয়স দুই মাসের চেয়ে কম।
৪. চরু কোথায় ঘাস খাচ্ছিল?
উত্তর : চরু বনে ঘাস খাচ্ছিল।
৫. হরিণছানার খেলার সাথি হয় কে?
উত্তর : হরিণছানার খেলার সাথি হয় বোবা-কালা শিশুটি।
৬. ‘দঙ্গল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘দঙ্গল’ শব্দের অর্থ দল।
পরীক্ষায় কমন উপযোগী অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর
১. চরুর মা মারা গেল কীভাবে?
উত্তর : চরুর মা শিকারির গুলিতে মারা গেল।
চরু তার মায়ের সাথে বনে যাচ্ছিল। একসময় সে মায়ের কাছ থেকে একটু দূরে যায়। এমন সময় শিকারিরা চরুর মাকে গুলি করে। এতে চরুর মা মারা যায়।
২. সবাই চিৎকার করে ছেলেটাকে ডাকছিল কেন?
উত্তর : চরুকে নিজেদের হাতে পাওয়ার উদ্দেশ্যে সবাই ছেলেটাকে ডাকছিল।
চরু বড় হয়েছে। তাকে জবাই করে মাংস বিক্রয়ের জন্য জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সকলে। কিন্তু বাড়ির বোবা-ফরসা ছেলেটা চরুকে বনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চরুকে নিয়ে পালিয়ে যায়। তাই বাড়ির সবাই চিৎকার করে ছেলেটাকে ডাকছিল যেন সে চরুকে না ছাড়ে।
৩. চরু প্রথম দুদিন কিছু খায় নি কেন?
উত্তর : মায়ের দুধ না পাওয়ার কারণে চরু প্রথম দুদিন কিছুই খায়নি।
‘চরু’ হলো হরিণ শাবক। মা মারা যাওয়ার পর গেরস্ত বাড়ির লোকরা তাকে ধরে এনে কচি ঘাস এবং কেওড়ার পাতা খেতে দিল। কিন্তু সে তা খায় না, কারণ সে মায়ের দুধ খেতে অভ্যস্ত ছিল। তাই সে গৃহস্থ বাড়িতে প্রথম দুদিন কিছুই খায়নি।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
সাধারণ
১. হাসান আজিজুল হকের পরিচিতি কী হিসেবে? ছ
ক কবি হিসেবে খ গল্পকার হিসেবে
গ সাংবাদিক হিসেবে ঘ নাট্যকার হিসেবে
২. হাসান আজিজুল হক কোন বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন? ছ
ক বাংলা খ দর্শন
গ অর্থনীতি ঘ রাষ্ট্রবিজ্ঞান
৩. নিচের কোনটি হাসান আজিজুল হকের গল্পগ্রন্থ? ঝ
ক অচিন যাদুকর খ যাচ্ছেতাই
গ আমার ছড়া ঘ জীবন ঘসে আগুন
৪. নিচের কোনটি শিশুতোষ রচনা? জ
ক জীবন ঘষে আগুন
খ নামহীন গোত্রহীন
গ লাল ঘোড়া আমি
ঘ আত্মজা ও একটি কবরী গাছ
৫. সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক কোন পুরস্কারে ভ‚ষিত হন? ছ
ক নোবেল পুরস্কার খ বাংলা একাডেমি পুরস্কার
গ ম্যাগসেইসে পুরস্কার ঘ জগত্তারিণী পুরস্কার
৬. হাসান আজিজুল হকের জন্ম কত সালে? ছ
ক ১৯২৯ খ ১৯৩৯
গ ১৯৪৯ ঘ ১৯৫২
৭. চরু কিসের নাম? জ
ক মানুষের নাম খ ছাগলছানার নাম
গ হরিণছানার নাম ঘ টিয়াপাখির নাম
৮. চরুর বয়স সম্পর্কে কী বলা হয়েছে? ছ
ক বয়স এক মাসও হয়নি খ বয়স দু মাসও হয়নি
গ বয়স তিন মাসও হয়নি ঘ বয়স চার মাসও হয়নি
৯. বনের মধ্যে হালুম বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? চ
ক বাঘ খ হাতি
গ ঘোড়া ঘ শেয়াল
১০. চরুর প্রধান খাদ্য কী? জ
ক গাছের পাতা খ কীটপতঙ্গ
গ ঘাস ঘ মাছ
১১. চরুর মায়ের কী হয়েছিল? ছ
ক হারিয়ে গিয়েছিল খ মারা গিয়েছিল
গ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ঘ পালিয়ে গিয়েছিল
১২. চরুর মা মারা গিয়েছিল কীভাবে? চ
ক গুলি খেয়ে খ অসুখে
গ পানিতে ডুবে ঘ ছুরিকাঘাতে
১৩. মায়ের মৃত্যুর পরপরই চরুর ভাগ্যে কী ঘটেছিল? ছ
ক মৃত্যু হয়েছিল খ বন্দী হয়েছিল
গ পালিয়ে গিয়েছিল ঘ অজ্ঞান হয়েছিল
১৪. বন্দী হয়ে চরুর জায়গা হয়েছিল কোন বাড়িতে? ছ
ক জমিদার বাড়িতে খ গেরস্ত বাড়িতে
গ চৌধুরী বাড়িতে ঘ কসাই বাড়িতে
১৫. চরুর মায়ের মাংস কী করা হলো? ছ
ক রান্নার জন্য নেওয়া হলো
খ বিক্রির জন্য নেওয়া হলো
গ বিতরণ করার জন্য নেওয়া হলো
ঘ সংরক্ষণ করার জন্য নেওয়া হলো
১৬. বন্দী চরু কয়দিন অভুক্ত ছিল? চ
ক দুইদিন খ তিনদিন
গ চারদিন ঘ পাঁচদিন
১৭. চরুকে সুস্থ করে তোলার জন্য কী আনা হলো? ঝ
ক কচি ঘাস খ ডাক্তার
গ ওষুধ ঘ গরুর দুধ
১৮. গেরস্ত বাড়ির ফরসা ছেলেটার ঘুনসিতে কী বাঁধা ছিল? ছ
ক তাবিজ খ ঘুঙুর
গ টাকা ঘ বাঁশি
১৯. বয়স বাড়ার সাথে সাথে চরুর গায়ের ফ্যাকাশে সাদা রং কেমন হলো? জ
ক ঘন হলুদ খ ঘন খয়েরি
গ ঘন বাদামি ঘ ঘন সাদা
২০. চরুর সামনে যে হরিণটার মাংসে ঝুড়ি ভর্তি করা হয়, তার আনুমানিক পরিমাণ কত ছিল? ঝ
ক বিশ সের খ ত্রিশ সের
গ পয়ঁত্রিশ সের ঘ চল্লিশ সের
২১. বেড়া ভেঙে কে চরুকে নিয়ে পালিয়ে গেল? ছ
ক চরুর মা খ বোবা-কালা ছেলেটা
গ বাড়ির কর্তা ঘ চিমসে লোকটা
২২. বোবা কালা ছেলেটা খালের ধারে এসে কী নিয়ে নিল? চ
ক নৌকা খ স্পীডবোট
গ লঞ্চ ঘ ভেলা
২৩. চরুকে মুক্তিদানকারী ছেলেটার মুখে কী পড়ল? ছ
ক অন্ধকার খ আলো
গ বৃষ্টির ছটা ঘ বিষাদের ছায়া
২৪. বড় বড় লাফ দিয়ে চরু কোথায় চলে গেল? চ
ক জঙ্গলের আড়ালে খ পাহাড়ের আড়ালে
গ ঘরের আড়ালে ঘ ধানক্ষেতের আড়ালে
বহুপদী সমাপ্তিসূচক
২৫. ‘চরু’ গল্পে প্রকাশ পেয়েছে বনের পশুর প্রতিÑ
র. মানুষের নির্মমতা রর. মানুষের হিংস্রতা
ররর. মানুষের মমতা
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
২৬. চরুকে জবাই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে যুক্তিতে-
র. চরুর শিং ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া
রর. বসিয়ে খাওয়ানোতে খরচ বৃদ্ধি
ররর. চরু হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক? ঝ
ক র ও রর খ র ও ররর
গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
ন্ধ অভিন্ন তথ্যভিত্তিক
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ২৭ ও ২৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সেলিনার বাবা বাজার থেকে খাওয়ার জন্য একজোড়া কবুতর কিনে এনেছেন। ওদের দেখে সেলিনার খুব মায়া হলো। সবার অজান্তে সে কবুতরগুলোকে আকাশে উড়িয়ে দিল।
২৭. ‘চরু’ গল্পের কোন চরিত্রটির সাথে উদ্দীপকের সেলিনার মিল পাওয়া যায়? জ
ক বাবরি চুলের লোক খ রোগা চিমসে লোক
গ বোবা-কালা ছেলে ঘ চরু
২৮. উক্ত মিলÑ
র. জীবপ্রেমে রর. মানবপ্রেমে
ররর. জীবের সুরক্ষায়
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
কর ও রর খর ও ররর
গরর ও ররর ঘর, রর ও ররর