অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

একাদশ অধ্যায়
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
বিষয়-সংক্ষেপ

বাংলাদেশে বৃহত্তর নৃগোষ্ঠী বাঙালিদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষ বাস করে। এসব ক্ষুদ্র জাতিসত্তার রয়েছে নিজস্ব জীবনাচার ও সংস্কৃতি। বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির অধিকারী বাংলাদেশের এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হলো চাকমা। চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তার তুলনায় বেশ শিক্ষিত। বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে গারোরা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ। গারোদের সমাজ মাতৃসূত্রীয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে একটি প্রধান নৃগোষ্ঠী হলো সাঁওতাল। সাঁওতালদের মধ্যে শিক্ষিতের হার খুব কম। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে মারমারা জনসংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে। মারমারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। রাখাইনরা বাংলাদেশের আর এক উল্লেখযোগ্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। পটুয়াখালি, বরগুনা ও কক্সবাজার জেলায় তাদের বসবাস। এভাবে সারা বাংলাদেশে অনেকগুলো ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আবাস রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশি। বিচিত্র সংস্কৃতি নিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এসব মানুষেরা বাংলাদেশের জীবন ও সংস্কৃতিকে বর্ণিল করেছে।
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি

বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভৌগোলিক অবস্থান : বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি, উত্তর-পূর্বাংশে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও বৃহত্তর সিলেট, উত্তর-পশ্চিমাংশের দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, এছাড়াও কক্সবাজার, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অবস্থান।
ক্ষুদ্র জাতিসত্তা : বাংলাদেশে বৃহত্তর নৃ-গোষ্ঠী বাঙালিদের পাশাপাশি বহুভাষাভাষী মানুষ সুদীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছে। যেমন : চাকমা, গারো, মাহালি, খাসিয়া, সাঁওতাল, মারমা, রাখাইন ইত্যাদি। এরাই হলো ক্ষুদ্র জাতিসত্তা।
চাকমা : বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হলো চাকমা। নৃ-তাত্তি¡ক বিচারে চাকমারা মঙ্গোলিয় নৃ-গোষ্ঠীর লোক। তাদের মুখমণ্ডল গোলাকার, নাক চ্যাপটা, চুল সোজা এবং কালো, গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে। বাংলাদেশের বাইরেও চাকমারা ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও অরুণাচলে বসবাস করে।
গারো : বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে গারোরা হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ। এ জাতিগোষ্ঠীর আদি বাসস্থান ছিল তিব্বত। গারোরা সাধারণত ‘মান্দি’ নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পছন্দ করে। গারোরা মঙ্গোলিয় নৃ-গোষ্ঠীর লোক।
সাঁওতাল : বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে একটি প্রধান নৃগোষ্ঠী হলো সাঁওতাল। তারা রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলায় বাস করে। সাঁওতালরা অস্ট্রালয়েড নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত লোক। তাদের দেহের রং কালো, উচ্চতা মাঝারি ধরনের এবং চুল কালো ও ঈষৎ ঢেউ খেলানো।
মারমা : বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে মারমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। মারমা নৃগোষ্ঠীর অধিকাংশই রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বাস করে। ‘মারমা’ শব্দটি ‘ম্রাইমা’ শব্দ থেকে উদ্ভুত।
রাখাইন : ‘রাখাইন’ শব্দটির উৎপত্তি পালি ভাষার ‘রাখাইন’ থেকে। এর অর্থ হচ্ছে রক্ষণশীল জাতি। বাংলাদেশের পটুয়াখালী, বরগুনা ও কক্সবাজার জেলায় রাখাইনরা বাস করে। রাখাইনরা মঙ্গোলিয় নৃ-গোষ্ঠীর লোক। তাদের মুখমণ্ডল গোলাকার, দেহের রং ফরসা ও চুলগুলো সোজা।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. বাংলাদেশের কোন জাতিসত্তার ভাষার নাম-‘আচিক খুসিক’?
ক চাকমা  গারো গ মারমা ঘ সাঁওতাল
২. মারমা নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-
র. নদী তীরবর্তী সমতল স্থানে বসতি স্থাপন
রর. মাতৃপ্রধান পরিবার
ররর. হস্তশিল্পে পারদর্শিতা
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
বার্ষিক পরীক্ষা শেষে সুমাইয়া বাবা-মায়ের সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছে। এখানে বেড়াতে বের হয়ে সে দেখতে পেল এক বিশেষ নৃগোষ্ঠীর মানুষ মাচা পেতে ঘর তৈরি করে বাস করছে। তাদের মুখের আকৃতি গোল, দেহের রং ফরসা।
৩. সুমাইয়ার দেখা জনগোষ্ঠীর নাম কী?
ক চাকমা খ মারমা
গ সাঁওতাল  রাখাইন
৪. সুমাইয়ার দেখা নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-
র. পরিবারের প্রধান হলেন বাবা
রর. প্রধান জীবিকা কৃষি
ররর. ঘরবাড়ি বাঁশ ও ছনের তৈরি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র  র ও রর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

৫. বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নাম কী?
ক রাখাইন খ চাকমা  গারো ঘ মারমা
৬. চাকমাদের সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থায় দেখা যায়Ñ
ক তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ‘গান্দো’
 ইদানিং তারা শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি, পরিধান করে
গ তাদের জনপ্রিয় খাদ্য ‘মিউয়া’
ঘ তারা মাথায় পাগড়ি পরে
৭. নিচের কোন নৃগোষ্ঠী ধর্মীয় ও লোকজ অনুষ্ঠানে মাথায় পাগড়ি পরে?
ক সাঁওতাল খ গারো গ মারমা  রাখাইন
৮. মাথায় ‘গমবং’ পরে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পুরুষেরা?
ক গারো  মারমা গ রাখাইন ঘ সাঁওতাল
৯. মাঘী পূর্ণিমার রাতে কিয়াং এর প্রাঙ্গণে ফানুস উড়ায় কোন নৃগোষ্ঠী?
ক মারমা  চাকমা গ গারো ঘ সাঁওতাল
১০. গারো ‘হাজং’ কোচ উপজাতীয়রা কোথায় বাস করে?
ক সিলেট খ বান্দরবান গ চিটাগাং  ময়মনসিংহ
১১. গারোদের আদিম ধর্ম কী নামে পরিচিত ছিল?
ক কিয়াং  সাংসারেক গ বৈষ্ণব ঘ জৈন
১২. ‘সাংসারেক’ কাদের আদি ধর্ম?
ক চাকমাদের খ মারমাদের গ রাখাইনদের  গারোদের
১৩. ‘সাংগ্রাই’ উৎসব পালন করা হয় কখন?
 চৈত্র সংক্রান্তিতে খ পৌষ পার্বণে
গ বিয়ের অনুষ্ঠানে ঘ দীক্ষা লাভের অনুষ্ঠানে
১৪. হাজং নৃগোষ্ঠি বাংলাদেশের কোন অংশে বসবাস করে?
ক উত্তর-পশ্চিমাংশে  উত্তর-পূর্বাংশে
গ দক্ষিণ-পূর্বাংশে ঘ দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে
১৫. সাজিদ ভারতের অরুণাচলে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশের বসবাসরত কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকের দেখা পেতে পারে?
ক ম্রো  চাকমা গ ত্রিপুরা ঘ সাঁওতাল
১৬. আঞ্জি কী?
 পোশাক খ উৎসব গ খাদ্য ঘ বাসা
১৭. চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসবের নাম কী?
ক বৈশাখী উৎসব খ মাঘি পূর্ণিতা
গ বড় দিনের উৎসব  বিজু
১৮. বাংলাদেশের বৃহৎ ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তারগুলোর মধ্যে কারা সংখ্যাগরিষ্ঠ?
ক চাকমা  গারো গ সাঁওতাল ঘ মুণ্ডা
১৯. কোনটি নিয়ে মৌজা গঠিত হয়?
ক পাড়া  গ্রাম পঞ্চায়েত
গ চাকমা সার্কেল ঘ মারমাঞ্চল
২০. কোন সমাজে মৃতদেহ দাহ করা হয়?
ক রাখাইন  চাকমা গ খাসিয়া ঘ সাঁওতাল
২১. ‘সাংসারেক’ কাদের আদি ধর্মের নাম?
ক চাকমা  গারো গ সনাতন ঘ বৌদ্ধ
২২. ‘দকমান্দা’ হচ্ছে গারো মহিলাদের নিজের তৈরি Ñ
ক সকালের নাস্তা খ রাতের খাবার গ পানীয়  পোশাক
২৩. বাংলাদেশের গারো মহিলাদের পোশাকের নাম কী?
ক বিনোন খ আঞ্জি  দকমান্দা ঘ লুঙ্গি বøাউজ
২৪. ‘গান্দো’ কাদের পোশাকের নাম?
 গারো ছেলেদের খ গারো মেয়েদের
গ চাকমা মেয়েদের ঘ সাঁওতাল ছেলেদের
২৫. গারোদের সামাজিক উৎসবগুলো কী কেন্দ্রিক?
 কৃষি খ গোত্র গ ভাষা ঘ বিবাহ
২৬. কারা ‘অস্ট্রালয়েড’?
ক চাকমা খ গারো  সাঁওতাল ঘ রাখাইন
২৭. ধর্মগুরু হিসেবে সাঁওতালরা কাকে গণ্য করে?
ক মাঝি হারাণ খ পরাণিক গ গোডেৎ  নায়েক
২৮. সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক জীবনের অংশ কোনটি?
ক পানি খেলা খ সান্দ্রে উৎসব  ঝুমুর নাচ ঘ ওয়ান গালা
২৯. ঝুমুর নাচ কাদের অনুষ্ঠান?
ক মারমা খ গারো গ চাকমা  সাঁওতাল
৩০. মারমারা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কী নামে আখ্যায়িত করে?
 ভান্তে খ কিয়ং গ রোয়াজা ঘ চিৎমরম
৩১. মারমারা তাদের গ্রামের প্রধানকে কী বলে?
ক পঞ্চায়েত খ পরাণিক গ হেডম্যান  রোয়াজা
৩২. কাপড় বোনার কাজে কোন সমাজের নারীরা দক্ষ?
ক গারো  মারমা গ রাখাইন ঘ সাঁওতাল
৩৩. কিয়াং কী?
 বোদ্ধদের ধর্মচর্চা কেন্দ্র খ গারোদের পোশাক
গ সাঁওতালদের খাদ্য ঘ মারমাদের পাগড়ি
৩৪. রিয়া তার বাবার সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে যায়। সেখানে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। মেয়েটির পরনে লুঙ্গি, লুঙ্গির উপরে বøাউজ এবং তার মুূখমণ্ডল গোলাকার, চুলগুলো সোজা। মেয়েটি কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর।
 রাখাইন খ চাকমা গ মারমা ঘ সাঁওতাল
৩৫. গারো মহিলাদের নিজেদের তৈরি পোশাকের নাম হলোÑ
র. দকমান্দা রর. দকশাড়ি ররর. আঞ্জি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৬. চাকমাদের সাংস্কৃতিক জীবনের বৈশিষ্ট্য হলো Ñ
র. বিজু উৎসব পালন করে রর. তুলনামূলকভাবে কম শিক্ষিত
ররর. প্রিয় খাবার বাঁশ কোড়ল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
৩৭. গারোরা বাস করেÑ
র. ময়মনসিংহ জেলায় রর. শেরপুর জেলায়
ররর. গাজীপুর জেলায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৮ ও ৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুজন বগুড়া বেড়াতে গেলে একটি নৃগোষ্ঠী পরিবারের সাথে তার পরিচয় হয়। তাদের গোষ্ঠীতে দুটি ধর্মের অনুসারী মানুষ রয়েছে।
৩৮. সুজন কোন নৃগোষ্ঠীর সাথে পরিচিত হয়েছিল?
ক রাখাইন খ সাঁওতাল গ চাকমা ঘ মারমা
৩৯. উল্লিখিত নৃগোষ্ঠী কোন অঞ্চল থেকে এসেছে?
র. পশ্চিমবঙ্গ রর. বিহার ররর. আসাম
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের চিত্রটি দেখে ৪০ ও ৪১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

৪০. ‘?’ স্থানে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে নির্দেশ করছে?
ক চাকমা  মারমা গ গারো ঘ রাখাইন
৪১. উক্ত নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছেÑ
র. সাংগ্রাই উৎসব রর. গোলপাতার ছাউনি
ররর. বসন্ত উৎসব
নিচের কোনটি সঠিক?
 র খ র ও রর গ রর ও ররর ঘ রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪২ ও ৪৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
সুমন কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বালকের সাথে পরিচিত হয় যারা ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মধ্যে রক্ষণশীল জাতি। তারা মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠী এবং মেয়েদেরকে শ্রদ্ধা করে। নদরি পাড়ে ও সমভ‚মিতে তাদের বসবাস।
৪২. অনুচ্ছেদে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
ক চাকমা খ মারমা  রাখাইন ঘ ত্রিপুরা
৪৩. উক্ত গোষ্ঠীর সামাজিক জীবনÑ
র. পিতৃসূত্রীয়
রর. পিতাই পরিবারের প্রধান
ররর. পারিবারিক সিদ্ধান্তে মেয়েদের গুরুত্ব বেশি
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৪ ও ৪৫নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
রোদেলা গত বছর রাঙ্গামাটি বেড়াতে যায়। সেখানে সে একজন মহিলার সাথে কথা বলে। মহিলাটির নাম নীলাঞ্জনা। সে বলল, তারা গোয়েরা পূজা করে। তাদের প্রিয় খাবার ‘মিউয়া’।
৪৪. অনুচ্ছেদে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে?
ক চাকমা  গারো গ মারমা ঘ সাঁওতাল
৪৫. নিচের কোন উপজাতিগুলো খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী?
র. চাকমা রর. গারো
ররর. সাঁওতাল
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদে পড়ে ৪৬ ও ৪৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
গ্রীষ্মের ছুটিতে সুমিত তার মামার কর্মস্থল রংপুরে বেড়াতে যায়। সে একদিন মামীর সাথে ওখানকার এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দেখা পায়।
৪৬. সুমিতের দেখা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীটির নাম কী?
ক রাখাইন  সাঁওতাল গ গারো ঘ মারমা
৪৭. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নৃগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য উৎসবের নাম কী?
ক দোন খ পানিখেলা  সোহরাই ঘ ঘিলাখারা
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪৮ ও ৪৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে একটি গোষ্ঠী নিজেদের ‘মান্দি’ হিসেবে পরিচয় দেয়। তারা সাধারণত সমতলের বাসিন্দা। তাদের আদি বাসস্থান ছিল তিব্বত।
৪৮. অনুচ্ছেদ কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উল্লেখ করা হয়েছে
ক খাসিয়া খ চাকমা ˜ গারো ঘ মারমা
৪৯. এই গোষ্ঠীর সামাজিক জীবন Ñ (জ্ঞান)
র. মাতৃতান্ত্রিক
রর. সর্বকনিষ্ঠ কন্যা সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী
ররর. সাধারণত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫০ ও ৫১নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মেঘা কক্সবাজার জেলার সমতল ভ‚মিতে মাঁচা পেতে ঘর তৈরি করে বসবাস করে। মেঘাদের ঘর টিনের তৈরি ও তালপাতার ছাউনি।
৫০. অনুচ্ছেদে কোন জনগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে?
ক চাকমা খ মারমা  রাখাইন ঘ সাঁওতাল
৫১. উক্ত জনগোষ্ঠী সম্পর্কে বলা যায় Ñ
র. নিজেরা তাঁত দিয়ে পোশাক তৈরি করে
রর. মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর লোক
ররর. রক্ষণশীল জাতী
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৫২ ও ৫৩নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হাস্যময়ী মেয়ে সুস্মিতা। তার স¤প্রদায়ের জনসমষ্টি বরগুনা, পটুয়াখালী এবং কক্সবাজারে বসবাস করে। তারা মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর লোক।
৫২. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সুস্মিতা কোন নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত?
 রাখাইন খ সাঁওতাল
গ মারমা ঘ চাকমা
৫৩. উক্ত জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থা হলো Ñ
র. চৈত্র-সংক্রান্তিতে সাংগ্রাই উৎসব পালন
রর. মেয়ে ও পুরুষ উভয়ের বুকে ও বাহুতে উল্কি চি‎হ্ন‎ ব্যবহারকরণ
ররর. গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী পালন
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

পাঠ-১ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভৌগোলিক অবস্থান
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৫৪. দেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে বাস করে কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী? (জ্ঞান)
ক রাজবংশী খ সাঁওতাল  মারমা ঘ মণিপুরি
৫৫. বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কোন জনগোষ্ঠীর লোক? [উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়]
ক ইরানীয় খ ভারতীয় গ ফরাসি  মঙ্গোলীয়
৫৬. কক্সবাজার, পুটয়াখালি ও বরগুনা জেলায় কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বাস করে? (জ্ঞান)
ক চাকমা  রাখাইন গ মারমা ঘ সাঁওতাল
৫৭. খাসিয়া ও মণিপুরি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নৃগোষ্ঠীর লোক কোথায় বাস করে? (জ্ঞান)
ক বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলায় খ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায়
 বৃহত্তর সিলেট জেলায় ঘ বৃহত্তর নাটোর জেলায়
৫৮. গারো, হাজং ও কোচ কোন অঞ্চলে বাস করে? (জ্ঞান)
ক বৃহত্তর সিলেটে  বৃহত্তর ময়মনসিংহে
গ বৃহত্তর চট্টগ্রামে ঘ বৃহত্তর যশোরে
৫৯. বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী কোনটি? (জ্ঞান)
ক পিগমি খ মাওরি ˜ রাজবংশী ঘ কুর্দী
৬০. বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস করে কোনটি? (জ্ঞান)
ক চাকমা খ খাসিয়া  হাজং ঘ মণিপুরি
৬১. দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া ও পাবনা বাংলাদেশের কোন অংশে অবস্থিত? (জ্ঞান)
 উত্তর-পশ্চিমাংশে খ উত্তর-পূর্বাংশে
গ দক্ষিণ-পূর্বাংশে ঘ দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে
৬২. হদি, রাজবংশী, মাহাতো, কোল কিসের নাম? (জ্ঞান)
ক বিভিন্ন জাতিসত্তার  বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর
গ বিভিন্ন দেশের নাগরিকের ঘ বিভিন্ন দলের
৬৩. সাঁওতাল, ওরাঁও, মাহালি, মাল পহাড়ি, মালো ইত্যাদি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোক বাংলাদেশের কোন স্থানে বাস করে? (অনুধাবন)
 রাজশাহী অঞ্চলে খ ঢাকা অঞ্চলে
গ সিলেট অঞ্চলে ঘ খুলনা অঞ্চলে
৬৪. বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের মতো উত্তর-পূর্বাংশেও কোন নৃগোষ্ঠীর লোক রয়েছে? (জ্ঞান)
ক আমেরিকান নৃগোষ্ঠী খ অস্ট্রালয়েড নৃগোষ্ঠী
 মঙ্গোলিয় নৃগোষ্ঠী ঘ আফ্রিকান নৃগোষ্ঠী
৬৫. উত্তরা বেড়াতে বরগুনাতে যায়। এই জেলায় সে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক দেখতে পারবে? (প্রয়োগ)
ক মারমা খ চাকমা গ মণিপুরি ˜ রাখাইন
৬৬. আমাদের দেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মধ্যে কোন দিকটি দেখতে পাওয়া যায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক পিতৃতান্ত্রিক  বহু ভাষাভাষী গ মাল পহাড়ি ঘ মাতৃতান্ত্রিক
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৬৭. ময়মনসিংহ অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে একটি মেলা হচ্ছিল। এখানে যাদের অনেক স্টল থাকতে পারে তারা হলোÑ (প্রয়োগ)
র. গারো রর. কোচ
ররর. হাজং
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
অনুচ্ছেদটি পড়ে ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশের একটি অঞ্চলজুড়ে বাস করে একটি জাতির লোকেরা। রক্তবর্ণের বিচারে এরা মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর লোক। এদের রয়েছে নিজস্ব জীবনব্যবস্থা ও সংস্কৃতি। এদের আলাদা আলাদা নৃতাত্তি¡ক পরিচয় রয়েছে।
৬৮. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত জাতি কী নামে পরিচিত Ñ (অনুধাবন)
 ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী খ মুসলিম গ হিন্দু ঘ বর্মী
৬৯. বাংলাদেশে এদের বসবাস হলো Ñ (অনুধাবন)
র. রাঙামাটি রর. খাগড়াছড়ি ররর. বান্দরবান
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৭০. এ জাতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তথ্য হলো Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা
রর. সামাজিক রীতিনীতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
ররর. সার্বিক বিষয় বাঙালি সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত
নিচের কোনটি সঠিক?
˜ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-২ : চাকমা
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৭১. বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বাস করে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক? (জ্ঞান)
 চাকমা খ মণিপুরি গ সাঁওতাল ঘ গারো
৭২. নৃ-তাত্তি¡ক বিচারে চাকমারা কোন নৃগোষ্ঠীর লোক? (জ্ঞান)
ক দ্রাবিড় খ আর্য গ অনার্য  মঙ্গোলীয়
৭৩. চাকমাদের গায়ের রং কেমন? (জ্ঞান)
ক ঈষৎ ফর্সা খ ঈষৎ কালো গ ঈষৎ শ্যামলা  ঈষৎ হলদেটে
৭৪. বাংলাদেশের বাইরে চাকমারা কোন দেশে বাস করে? (জ্ঞান)
ক শ্রীলংকা  ভারত গ থাইল্যান্ড ঘ নেপাল
৭৫. চাকমা পাড়ার প্রধানকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
ক হেডমাস্টার  হেডম্যান গ হেডস্যার ঘ হেডকিং
৭৬. কয়েকটি মৌজা মিলে কী গঠিত হয়? (জ্ঞান)
ক চাকমা থানা খ চাকমা আদাম
 চাকমা সার্কেল ঘ চাকমা জেলা
৭৭. চাকমা সমাজে রাজার পদটি কেমন? (জ্ঞান)
ক নির্বাচিত খ মনোনীত  বংশানুক্রমিক ঘ যোগ্যতাভিত্তিক
৭৮. চাকমাদের চাষ পদ্ধতির নাম কী? (জ্ঞান)
 জুম খ হালচাষ গ জুনম ঘ নার্সারি
৭৯. চাকমারা কোন ধর্মের অনুসারী? (জ্ঞান)
ক ইসলাম  বৌদ্ধ গ হিন্দু ঘ খ্রিষ্ট
৮০. চাকমাদের তৈরি কাপড়ের নাম কী? (জ্ঞান)
 পিনোন খ মিউয়া গ গমবং ঘ আঞ্জি
৮১. চাকমাদের প্রিয় খাবার কোনটি? (জ্ঞান)
ক কাঁচা ঘাস  বাঁশ কোড়ল গ নরম কাঠ ঘ শুকনো ছন
৮২. চাকমারা খেলতে ভালোবাসে কোন খেলাটি? (জ্ঞান)
ক ফুটবল খ ক্রিকেট  ঘিলাখারা ঘ লবণদাড়ি
৮৩. বাংলাবর্ষের শেষ দু’দিন ও প্রথম দিন চাকমারা কোন উৎসব পালন করে? (জ্ঞান)
 বিজু খ সাংগ্রাই গ ওয়ানগালা ঘ বৈসাবি
৮৪. চাকমারা বাঁশ ও বেত দিয়ে কোনটি তৈরি করে?
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 বাদ্যযন্ত্র খ পিনোন গ হাদি ঘ ফুলগাদি
৮৫. চাকামাদের বৌদ্ধমন্দিরকে কী বলে? (জ্ঞান)
ক সিমবাহান  কিয়াং গ কাইরক ঘ গির্জা
৮৬. চাকমারা সাড়ম্বরে বৈশাখী পূর্ণিমা পালন করে কেন? (অনুধাবন)
ক দিনটি পুণ্যময় বলে
 দিনটি বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির বলে
গ দিনটিতে অনেক আনন্দ-উল্লাস হয় বলে
ঘ দিবসটি সবাই পালন করে বলে
৮৭. চাকমা সার্কেল গঠিত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক কয়েকটি মানুষ নিয়ে খ কয়েকটি পরিবার নিয়ে
গ কয়েকটি পাড়া নিয়ে  কয়েকটি মৌজা নিয়ে
৮৮. মাঘী পূর্ণিমার রাতে প্যাগোডার প্রাঙ্গণে ফানুস উড়ায় কেন? (অনুধাবন)
ক পাড়ার প্রধানের সম্মানে খ চাকমা রাজার সম্মানে
 গৌতম বুদ্ধের সম্মানে ঘ জ্যেষ্ঠপুত্রের সম্মানে
৮৯. ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী পিতাংচু অন্যান্য ছাত্রীর চেয়ে চেহারা ও গায়ের রঙে ভিন্ন। তার মুূখমণ্ডল গোলাকার, নাক চ্যাপ্টা ও গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে। সে কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক? (প্রয়োগ)
ক মারমা খ মণিপুরি ˜ চাকমা ঘ রাখাইন
৯০. মিজু চাকমার পিতামহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। মৃতদেহ নিয়ে তার পরিবার কী করবে? (প্রয়োগ)
ক ভাসাবে  পোড়াবে গ ফেলে দেবে ঘ দাফন করবে
৯১. সুভাদ্রা চাকমা ও লুসি গারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী। লুসির পরিবারের প্রধান তার মা হলে সুভাদ্রার পরিবারের প্রধান কে? (প্রয়োগ)
ক মা  বাবা গ ভাই ঘ চাচা
৯২. মিতুল চাকমা সমাজে রাজার পদটি পান। তার এই পদটিকে কী বলা যায়? (প্রয়োগ)
ক নির্বাচিত খ মনোনীত গ গৌতম বুদ্ধ প্রদত্ত  বংশানুক্রমিক
৯৩. সময়ের আবর্তনে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করলেও সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক মারমা  চাকমা গ রাখাইন ঘ গারো
৯৪. চাকমারা কীভাবে তাদের পোশাক তৈরি করে? (অনুধাবন)
ক নিজেদের কারখানার  নিজেদের তাঁত দিয়ে
গ অন্যের কারখানায় ঘ অন্যের তাঁত দিয়ে
৯৫. বর্তমান চাকমা সার্কেলের রাজা হচ্ছেন দেবাশিষ রায় চৌধুরী। তার বাবার নাম ছিল ত্রিদিভ রায়। চাকমা রাজা সম্পর্কে নিচের কোন বক্তব্যটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক চাকমাদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন
 তার বাবা ত্রিদিভ রায় চাকমা রাজা ছিলেন
গ তার মা চাকমা সার্কেলের সর্দার ছিলেন
ঘ তার বাবা চাকমাদের ধর্মীয় গুরু ছিলেন
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
৯৬. মানু চাকমা তার শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে পারে চাকমারা বাংলাদেশ ও ভারতে বাস করে। ভারতে এই নৃগোষ্ঠীর লোক রয়েছেÑ (প্রয়োগ)
র. ত্রিপুরায় রর. অরুণাচলে ররর. মিজোরামে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯৭. চাকমাদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মুখমণ্ডল গোলাকার, নাক চ্যাপ্টা রর. চুল সোজা এবং কালো
ররর. গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
৯৮. চাকমা মেয়েদের পোশাক হলো- (অনুধাবন)
র. পিনোন রর. আঞ্জি ররর. হাদি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক রও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৯৯, ১০০ ও ১০১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর রহিম কিছু ছাত্রছাত্রী দেখে বেশ বিস্মিত হলো। এদের মুখমণ্ডল গোলাকার, নাক চ্যাপ্টা, গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে। পরে জানতে পারল এরা পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ।
৯৯. রহিমের দেখা ছাত্রছাত্রীরা কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইঙ্গিত বহন করে? (প্রয়োগ)
ক গারো  চাকমা গ মারমা ঘ রাখাইন
১০০. অনুচ্ছেদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা মাঘী পূর্ণিমায় কী করে? (প্রয়োগ)
ক জলোৎসবে মেতে ওঠে খ পশু বলি দেয়
 ফানুস ওড়ায় ঘ মৃতদেহ পোড়ায়
১০১. অনুচ্ছেদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রিয় খাবার কী? (অনুধাবন)
 বাঁশ কোড়ল খ মধু গ পান-সুপারি ঘ নারকেল
পাঠ-৩ : গারো
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১০২. গারোরা নিজেদের পরিচয় দেয় কী নামে? (জ্ঞান)
ক রাখাইন  মান্দি গ গারু ঘ গেরুয়া
১০৩. গারো সমাজের মূলে রয়েছে কোনটি? (জ্ঞান)
ক সাংসারেক  মাহারি গ চাৎচি ঘ সাংমা
১০৪. গারোদের কৃষি পদ্ধতি কেমন? (জ্ঞান)
 হালচাষ খ জুম গ নার্সারি ঘ জুনম
১০৫. অতীতে গারোদের প্রধান দেবতার নাম কী ছিল? (জ্ঞান)
ক তাতারা খ রাবুকা গ তাতারুকা  তাতারা রাবুকা
১০৬. গারোদের বিশেষ খাদ্য কচি র্বাঁশগাছের গুঁড়ির জনপ্রিয় নাম কী? (জ্ঞান)
ক নলিতা  মিউয়া গ ঘাসুয়া ঘ দোন
১০৭. গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসবের নাম কী? (জ্ঞান)
ক সাংগ্রাই খ বিঝু  ওয়ানগালা ঘ বৈসাবি
১০৮. সালজং বা সূর্য, ছোছুম বা চন্দ্র, গোয়েরা বা বজ্র, মেন বা মাটি কী? (জ্ঞান)
ক চাকমা দেবদেবী  গারো দেবদেবী
গ মারমা দেবদেবী ঘ রাখাইন দেবদেবী
১০৯. গারো পরিবারে কে সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে?
[জেভিগভ. গার্লস হাইস্কুল, কিশোরগঞ্জ]
ক বয়োজ্যেষ্ঠ কন্যা  সর্বকনিষ্ঠ কন্যা
গ বয়োজ্যেষ্ঠ পুত্র ঘ সর্বকনিষ্ঠ পুত্র
১১০. কোন সমাজে একই মাহারির পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। (জ্ঞান)
ক চাকমা  গারো গ সাঁওতাল ঘ রাখাইন
১১১. গারো মহিলাদের তৈরি পোশাকের নাম কী? (জ্ঞান)
ক পিনোন ও হাদি  দকমান্দা ও দকশাড়ি
গ শাড়ি ও লুঙ্গি ঘ পমবৎ ও আঞ্জি
১১২. গারো পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম কী? (জ্ঞান) [নোয়াখালী জিলা স্কুল]
ক গাউন  গান্দো গ হাদি ঘ পিনোন
১১৩. হাসু তার পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। তার মা পরিবারের প্রধান এবং হাসু সর্বকনিষ্ঠ হওয়াতে সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী সে হয়েছে। হাসুর পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাদৃশ্য রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক ম্রো খ মারমা  গারো ঘ চাকমা
১১৪. মোমিন সাহেব তার ছেলেকে বলেন আমরা নিজস্ব ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারলেও আমাদের দেশে বসবাসরত একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন নিজেদের ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারে না। মোমিন সাহেবের বর্ণিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোনটি? (প্রয়োগ)
ক মারমা খ রাখাইন গ চাকমা  গারো
১১৫. গারোদের আদি বাসস্থান কোথায়?
 তিব্বতে খ ঝাড়খণ্ডে গ ত্রিপুরায় ঘ ছত্তিশগড়ে
১১৬. মেহেদি তার বন্ধু কমলেশের বাড়িতে ‘মিউয়া’ দেখতে পায় মেহেদি কী দেখে? (প্রয়োগ)
 এক প্রকার খাবার খ এক ধরনের বিড়াল
গ এক প্রকার গাছ ঘ এক ধরনের ঘর
১১৭. গারো সন্তানরা কার উপাধি ধারণ করে? (জ্ঞান)
 মায়ের খ পিতার গ বোনের ঘ জ্যেষ্ঠ সন্তানের
১১৮. গারো পরিবারে কে সংসারে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে? (জ্ঞান)
ক কন্যা  পিতা গ বোন ঘ জ্যেষ্ঠ সন্তান
১১৯. গারোরা জীবিকা নির্বাহ করে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক মাছ ধরে খ পোশাক তৈরি করে
 কৃষিকাজ করে ঘ ব্যবসা করে
১২০. বর্তমানে গারোরা মাটিকে কী বলে? (প্রয়োগ)
 মেন খ মালজং গ ছোছুম ঘ গোফায়া
১২১. গারোরা কোন ধর্মের অনুসারী? (প্রয়োগ)
ক বৌদ্ধ  খ্রিষ্ট গ ইসলাম ঘ হিন্দু
১২২. অতীতে গারোরা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করত কীভাবে? (অনুধাবন)
ক নামাজ ও রোজার মাধ্যমে খ পূজা আর্চনার মাধ্যমে
গ জলোৎসব ও ভক্তির মাধ্যমে  নাচ-গান ও পশু বলিদানের মাধ্যমে
১২৩. গারোরা আচিক খুসিক ভাষায় কথা বললেও লিখতে পারে না কেন? (অনুধাবন)
ক বর্ণমালা লেখা কঠিন খ বর্মী ভাষা গোষ্ঠীর হওয়ায়
গ শিক্ষকের অভাব  নিজস্ব বর্ণমালা নেই
১২৪. ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গারোদের কিছু সংখ্যক সিলেটে বাস করলেও অধিকাংশই বাস করে কোন বিভাগে? (উচ্চতর দক্ষতা)
˜ ময়মনসিংহ খ খুলনা গ বরিশাল ঘ রংপুর
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১২৫. গারো মেয়েদের পোশাক হলো- (অনুধাবন)
র. পিনোন রর. দকমান্দা
ররর. দকশাড়ি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর গ র, রর ও ররর
১২৬. রিফাতদের সমাজের মূলে রয়েছে পিতার পরিচয়। কিন্তু অরবিন্দ গারোদের সমাজের মূলে রয়েছে মাতৃগোত্র। অরবিন্দের সমাজে মাহারি ভ‚মিকা রাখে Ñ (প্রয়োগ)
র. ধর্মপালনে রর. সম্পত্তির ভোগদখলে
ররর.বিয়েতে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৭. গারো সমাজের দল হলো  (অনুধাবন)
র. সাংমা রর. মারাক
ররর.স্কাউট
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১২৮. গারোরা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করতÑ (অনুধাবন)
র. নাচ গানের মাধ্যমে রর. কালো ব্যাজ ধারণ করে
ররর.পশু বলিদানের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২৯, ১৩০ ও ১৩১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী আচিক খুসিক ভাষায় নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেয় এবং আরও কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের মঙ্গোলিয় বলে দাবি করে। তারা বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক।
১২৯. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত শিক্ষার্থীরা কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর? (প্রয়োগ)
ক চাকমা খ মারমা  গারো ঘ খাসিয়া
১৩০. উক্ত দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক জীবনব্যবস্থা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা
রর. কন্যা সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে
ররর. প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৩১. এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ধর্মীয় জীবনব্যবস্থা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সকলে ইসলাম ধর্মের অনুসারী রর. পিতৃসূত্রীয় সমাজব্যবস্থা
ররর. অতীতে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৪ : সাঁওতাল
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৩২. বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে প্রধান নৃগোষ্ঠী কোনটি? (জ্ঞান)
ক গারো  সাঁওতাল গ ম্রো ঘ মালো
১৩৩. সাঁওতাল সমাজে কার সূত্র ধরে সন্তানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয়? (জ্ঞান)
 পিতার খ মাতার গ দাদার ঘ মামার
১৩৪. সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি কী? (জ্ঞান)
ক গ্রাম সার্কেল  গ্রাম পঞ্চায়েত গ গ্রাম সরকার ঘ গ্রাম সরকার
১৩৫. সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী প্রধানত কয়টি ধর্মের অনুসারী? (জ্ঞান)
ক ১  ২ গ ৩ ঘ ৪
১৩৬. সাঁওতালদের প্রধান জীবিকা কী? (জ্ঞান)
 কৃষি খ ব্যবসা গ চাকরি ঘ পোশাক তৈরি
১৩৭. সাঁওতাল বিবাহে অনুষ্ঠিত ‘দোন ও ঝিকা’ কী? [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক গান  নাচ গ গল্প ঘ ছড়া
১৩৮. সাঁওতাল পুরুষের মতো মেয়েরাও হাতে ও বুকে কী ব্যবহার করে? (জ্ঞান)
ক বালা  উল্কি গ মালা ঘ অলংকার
১৩৯. র্সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয় কখন? (জ্ঞান)
ক আটার শতকের প্রথম ভাগে খ উনিশ শতকের প্রথম ভাগে
 বিশ শতকের প্রথম ভাগে ঘ একুশ শতকের প্রথম ভাগে
১৪০. সাঁওতাল সমাজে সন্তানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক মাতার সূত্র ধরে  পিতার সূত্র ধরে গ দাদার সূত্র ধরে ঘ নানার সূত্র ধরে
১৪১. র্সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালিত হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক পাঁচজন মোড়ল দ্বারা খ পাঁচজন সাংসদ দ্বারা
গ পাঁচজন ধর্মগুরু দ্বারা  পাঁচজন মাঝি পরাণিক দ্বারা
১৪২. সাঁওতাল নৃ-গোষ্ঠীর মেয়ে মালতি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক চর্চায় অভ্যস্ত। সে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে? (প্রয়োগ)
ক ওয়ানগালা  বউচি নাচ গ মণিপুরি ঘ ঝুমুর নাচ
১৪৩. আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকের সাথে সাঁওতালদের সাদৃশ্য আছে কোন ক্ষেত্রে? (উচ্চতর দক্ষতা)
 প্রধান জীবিকা কৃষি খ প্রধান ধর্ম ইসলাম
গ প্রধান খাদ্য মাছ ঘ প্রধান গয়না কাঁসার
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৪. সাঁওতালদের গ্রাম পঞ্চায়েত হলো- (প্রয়োগ)
র. মাঝিহারাম, জগমাঝি রর. পরাণিক
ররর. গোডেৎ, নায়েক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৪৫. সাঁওতাল নাচ হলো- (অনুধাবন)
র. ঝুমুর রর. দোন
ররর. ঝিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৪৬ ও ১৪৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মেহনাজ একদিন টিভিতে কিছু উপজাতি মেয়ের নাচ দেখল। নৃত্য পরিবেশন শেষে উপস্থাপিকা বললেন, এইমাত্র পরিবেশিত হলো ঝুমুর নৃত্য।
১৪৬. অনুচ্ছেদের বর্ণিত উপজাতি বলতে কাদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে? (প্রয়োগ)
ক মারমা খ চাকমা  সাঁওতাল ঘ রাখাইন
১৪৭. অনুচ্ছেদে বর্ণিত উপজাতিদের সংস্কৃতির অংশ হলো- (উচ্চতর দক্ষতা)
র. ঝুমুর নাচ রর. দোন নাচ
ররর. ঝিকা নাচ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
পাঠ-৫ : মারমা
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৪৮. বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে মারমাদের অবস্থান কত? (জ্ঞান)
ক প্রথম  দ্বিতীয় গ তৃতীয় ঘ চতুর্থ
১৪৯. মারমা শব্দটি কোন শব্দ থেকে উদ্ভ‚ত? (জ্ঞান)
ক মারমান খ মিয়ানমার  ম্রাইমা ঘ ম্রিমা
১৫০. পার্বত্য অঞ্চলে বোমাং সার্কেলে মারমা সমাজের প্রধান কে? (জ্ঞান)
 বোমাং চীফ খ মারমা রাজা গ ম্রাইমা চীফ ঘ মাইমা চীফ
১৫১. মারমারা গ্রামকে তাদের ভাষায় কী বলে? (জ্ঞান)
ক রোয়াজা খ সার্কেল গ মৌজা  রোয়া
১৫২. মারমা সমাজে পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কাদের মতামত বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়? (জ্ঞান)
ক ছেলেদের  মেয়েদের গ শিশুদের ঘ বৃদ্ধদের
১৫৩. চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার কোন নদীর তীরে অবস্থিত? (জ্ঞান)
ক সুরমা  কর্ণফুলী গ নাফ ঘ যমুনা
১৫৪. মারমা পুরুষরা যে পাগড়ি পরে তার নাম কী? (জ্ঞান)
ক থামি খ আঞ্জি গ হাদি  গমবং
১৫৫. মারমা মহিলাদের ব্যবহৃত ব্লাউজের নাম কী? (জ্ঞান)
ক থামি  আঞ্জি গ হাদি ঘ গমবং
১৫৬. মারমারা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নব বর্ষবরণ উপলক্ষে যে উৎসব পালন করে তার নাম কী? (জ্ঞান)
ক বিজু  সাংগ্রাই গ বৈসাবি ঘ কার্নিভাল
১৫৭. বান্দরবান ও রাঙামাটিতে কোন মাসের মাঝামাঝি সময়ে পানিখেলা উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে? (জ্ঞান)
 এপ্রিল খ জুন গ সেপ্টম্বর ঘ ডিসেম্বর
১৫৮. চিৎমরম বৌদ্ধবিহারে প্রতি বছর বৌদ্ধরা যায় কেন? (অনুধাবন)
ক বুদ্ধকে দেখতে খ আনন্দ করতে
গ মন্দিরকে সম্মান করতে  বুদ্ধকে প্রণাম করতে
১৫৯. মারমারা জীবিকা নির্বাহ করে কীভাবে? (অনুধাবন)
ক মুরগি পালন করে খ ব্যবসা করে গ মৎস্য চাষ করে  কৃষি কাজ করে
১৬০. মারমারা তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে কীভাবে?
ক লতা ও পাতা দ্বারা খ ইট ও বালু দ্বারা
গ কাট ও বাঁশ দ্বারা  বাঁশ ও ছন দ্বারা
১৬১. অর্জুনের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। সে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার কৃষি কাজের পদ্ধতিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
 জুম চাষ খ হাল চাষ গ নীল চাষ ঘ রোয়া চাষ
১৬২. মারমাদের ‘পানিখেলা’ এ মেতে ওঠার পেছনে যথার্থ কারণ কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক সান্দ্রে উৎসব উদযাপন  সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন
গ বসন্ত উৎসব উদযাপন ঘ বৈশাখী পূর্ণিমা উদযাপন
১৬৩. সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন করতে মারমারা মেতে ওঠে (উচ্চতর দক্ষতা)
 জলোৎসবে খ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায়
গ হা-ডু-ডু খেলায় ঘ নাচগানে
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৬৪. মারমারা সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন করে – (অনুধাবন)
র. পুরাতন বর্ষকে বিদায় উপলক্ষে রর. বসন্ত উদযাপন উপলক্ষে
ররর. নববর্ষবরণ উপলক্ষে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৫. আবিদা সুলতানা বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে মারমা এলাকায় যেয়ে দেখে সেখানকার মহিলাদের সাথে তার পোশাকের পার্থক্য আছে। এ নৃগোষ্ঠীর মহিলারা পরে (প্রয়োগ)
র. আঞ্জি রর. গমবং ররর. থামি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৬. মারমারা বৌদ্ধ মন্দিরে ফুল দিয়ে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের পূজা করে (অনুধাবন)
র. বৈশাখী পূর্ণিমায় রর. কার্তিকী পূর্ণিমায়
ররর. আশ্বিনী পূর্ণিমায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
 অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৬৭, ১৬৮ ও ১৬৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ইমন ও শুভ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নিয়ে আলোচনা করছিল। ইমন বলল, একটি নৃগোষ্ঠী ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এরা অধিকাংশই রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাস করে।
১৬৭. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীটির নাম কী? (প্রয়োগ)
ক খাসিয়া খ চাকমা গ গারো  মারমা
১৬৮. উক্ত নৃগোষ্ঠীটির সামাজিক জীবনব্যবস্থা হলো Ñ (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সমাজ প্রধান বোমাং চীফ বা বোমাং রাজা
রর. মেয়েদের মতামতে গুরুত্ব প্রদান
ররর. খালাতো ভাইবোনদের মধ্যে বিবাহব্যবস্থা চালু
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৬৯. এ নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থা হলো Ñ (অনুধাবন)
র. পুরুষরা মাথায় গমবং পরে রর. প্রধান খেলা ক্রিকেট
ররর. সাংগ্রাই প্রধান উৎসব
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
পাঠ-৬ : রাখাইন
 সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৭০. রাখাইনদের সবচেয়ে বৃহৎ ও সর্বজনীন আনন্দ উৎসব কোনটি? (জ্ঞান)
ক সান্দ্রে খ বিজু  সাংগ্রাই ঘ বৈসাবি
১৭১. রাখাইনদের ঐতিহ্যের প্রতীক কোনটি? (জ্ঞান)
ক ফতুয়া  পাগড়ি গ থামি ঘ লুঙ্গি
১৭২. রাখাইন শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে? (জ্ঞান)
ক আরবি খ ফারসি  পালি ঘ ওলন্দাজ
১৭৩. কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মেরেরা লুঙ্গি পরে? (জ্ঞান)
 রাখাইন খ মারমা গ সাঁওতাল ঘ গারো
১৭৪. রাক্ষাইন শব্দের অর্থ কী? (জ্ঞান)
ক পিতৃতান্ত্রিক সমাজ  রক্ষণশীল জাতি
গ ঐতিহ্যবাহী জাতি ঘ উন্নত জাতি
১৭৫. রাখাইনরা কোন ধর্মের অনুসারী? (জ্ঞান)
ক হিন্দু খ খ্রিষ্ট গ সনাতন  বৌদ্ধ
১৭৬. বর্তমানে মায়ানমারের কোন অঞ্চলে রাখাইনদের আদিবাস?
[নোয়াখালী জিলা স্কুল; নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 আরাকান খ ত্রিপুরা গ মিজোরাম ঘ আসাম
১৭৭. মাচা পেতে ঘর তৈরি করে কারা? [যশোর জিলা স্কুল, যশোর]
ক চাকমারা খ সাঁওতালরা গ গারোরা  রাখাইনরা
১৭৮. রাখাইন শিশু-কিশোরদের ধর্মীয় শিষ্টাচারে দীক্ষিত করা হয় কীভাবে? (অনুধাবন)
ক পিতা দ্বারা খ মাতা দ্বারা গ শিক্ষক দ্বারা  বৌদ্ধ ভিক্ষু দ্বারা
১৭৯. লুসি বরগুনা জেলায় একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীতে বাস করে। তার মুখমণ্ডল গোলাকার, দেহের রং ফরসা ও চুলগুলো সোজা। চৈত্র সংক্রান্তিতে সে কোন উৎসেবে অংশগ্রহণ করে? (প্রয়োগ)
ক বসন্ত উৎসব খ বৈশাখী পূর্ণিমা  সাংগ্রাই উৎসব ঘ মাঘী পূর্ণিমা
১৮০. রাখাইনরা একসময় এদেশে এসেছিল কোন দেশ থেকে? (উচ্চতর দক্ষতা)
ক নেপাল খ ভুটান গ ভারত  মায়ানমার
১৮১. আফজালদের বাড়ি কক্সবাজারে। তাদের এলাকায় কোন ক্ষুদ্র নৃ-জাতি গোষ্ঠীর বসিত রয়েছে? (প্রয়োগ)
ক চাকমা খ মারমা গ গারো  রাখাইন
 বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর
১৮২. রাখাইন নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে  [ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
র. সাংগ্রাই উৎসব বৃহৎ আনন্দ উৎসব
রর. সমুদ্র উপক‚লের সমতল ভ‚মিতে বাস
ররর. তারা পটুয়াখালী, বরগুনা জেলায় বাস করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও রর
১৮৩. সামিয়া বাংলাভিশনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রাখাইন মেয়েদের পোশাক সম্পর্কে একটি বিশেষ প্রতিবেদন দেখল। তাদের পোশাক হলোÑ (প্রয়োগ)
র. লুঙ্গি রর. শাড়ি ররর. বøাউজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৪. রাখাইনদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য হলো (অনুধাবন)
র. মুখমণ্ডল গোলাকার রর. দেহের রং ফরসা
ররর. চুল কোকড়ানো
নিচের কোনটি সঠিক?
 র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৮৫. বাংলাদেশের রাখাইনদের বসবাস হলো (অনুধাবন)
র. পটুয়াখালি রর. বরগুনা
ররর. কক্সবাজার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৮৬. চাকমারা বাঁশ ও বেত দিয়ে কোনটি তৈরি করে?
[ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
 বাদ্যযন্ত্র খ পিনোন গ হাদি ঘ ফুলগাদি
১৮৭. গারো পরিবারে কে সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে?
[জেভিগভ. গার্লস হাইস্কুল, কিশোরগঞ্জ]
ক বয়োজ্যেষ্ঠ কন্যা  সর্বকনিষ্ঠ কন্যা
গ বয়োজ্যেষ্ঠ পুত্র ঘ সর্বকনিষ্ঠ পুত্র
১৮৮. গারো পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম কী? (জ্ঞান) [নোয়াখালী জিলা স্কুল]
ক গাউন  গান্দো গ হাদি ঘ পিনোন
১৮৯. সাঁওতাল বিবাহে অনুষ্ঠিত ‘দোন ও ঝিকা’ কী? [আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]
ক গান  নাচ গ গল্প ঘ ছড়া
১৯০. বর্তমানে মায়ানমারের কোন অঞ্চলে রাখাইনদের আদিবাস?
[নোয়াখালী জিলা স্কুল; নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়]
 আরাকান খ ত্রিপুরা গ মিজোরাম ঘ আসাম
১৯১. মাচা পেতে ঘর তৈরি করে কারা? [যশোর জিলা স্কুল, যশোর]
ক চাকমারা খ সাঁওতালরা গ গারোরা  রাখাইনরা
১৯২. রাখাইন নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে  [ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়]
র. সাংগ্রাই উৎসব বৃহৎ আনন্দ উৎসব
রর. সমুদ্র উপক‚লের সমতল ভ‚মিতে বাস
ররর. তারা পটুয়াখালী, বরগুনা জেলায় বাস করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও রর

১৯৩. রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বাস করে (অনুধাবন)
র. চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা রর. সাঁওতাল, মুণ্ডা, মালো
ররর. তঞ্চঙ্গ্যা, খুমি, লুসেই
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৪. সাঁওতাল, ওরাঁও, মাহালি প্রভৃতি জনগোষ্ঠী বাস করে (অনুধাবন)
র. রাজশাহী, রংপুর
রর. রাঙামাটি, বান্দরবান
ররর. দিনাজপুর, বগুড়া, পাবনা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর ˜ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর
১৯৫. লিমা তার বাবা মায়ের সঙ্গে বান্দরবান বেড়াতে গিয়েছিল। সে যেসব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর লোকদের দেখতে পায়, তারা হলোÑ (প্রয়োগ)
র. মারমা রর. বম
ররর. চাক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯৬, ১৯৭ ও ১৯৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী আচিক খুসিক ভাষায় নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেয় এবং আরও কিছু শিক্ষার্থী নিজেদের মঙ্গোলিয় বলে দাবি করে। তারা বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক।
১৯৬. অনুচ্ছেদে উল্লিখিত শিক্ষার্থীরা কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর? (প্রয়োগ)
ক চাকমা খ মারমা  গারো ঘ খাসিয়া
১৯৭. উক্ত দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক জীবনব্যবস্থা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা
রর. কন্যা সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে
ররর. প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর
১৯৮. এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ধর্মীয় জীবনব্যবস্থা হলো (উচ্চতর দক্ষতা)
র. সকলে ইসলাম ধর্মের অনুসারী রর. পিতৃসূত্রীয় সমাজব্যবস্থা
ররর. অতীতে বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করত
নিচের কোনটি সঠিক?
ক র ও রর খ র ও ররর  রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -১  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মাথিন চাকমা তার বান্ধবী শুভ্রার নানাবাড়ি ময়মনসিংহে বেড়াতে গেল। সেখানে সে লক্ষ করল সব ব্যাপারে শুভ্রার মায়ের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাতে সে একটু অবাকই হলো। বেড়াতে এসে মাথিন শুভ্রাদের ধর্মীয় আচার-আচরণ, জীবিকা-নির্বাহ ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেল।
ক. ‘মারমা’ শব্দটি কোন শব্দ থেকে উদ্ভূত?
খ. ‘সাংগ্রাই’ উৎসবটি বুঝিয়ে লেখ।
গ. মাথিনের অবাক হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ.মাথিন ও শুভ্রাদের অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার তুলনা কর।
ল্ফল্প ১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. ‘মারমা’ শব্দটি ‘ম্রাইমা’ শব্দ থেকে উদ্ভূত।
খ. মারমাদের নববর্ষ উৎসবের নাম সাংগ্রাই। মারমারা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষবরণ উপলক্ষে সাংগ্রাই উৎসব উদ্যাপন করে। এ সময় তারা পানিখেলা বা জলোৎসবে মেতে ওঠে। এ উৎসবে পানিখেলার নির্দিষ্ট স্থানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রাখা হয়। সাধারণত বান্দরবান ও রাঙামাটিতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে মারমারা এ উৎসব পালন করে থাকে।
গ. মাথিনের অবাক হওয়ার কারণ গারোদের মাতৃতান্ত্রিক পারিবারিক বৈশিষ্ট্য।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মধ্যে গারোরাই প্রধান। মাতৃসূত্রীয় গারো সমাজে মাতা হলেন পরিবারের প্রধান। সেখানে সন্তানরা মায়ের উপাধি ধারণ করে। গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি বা মাতৃগোত্র পরিচয়। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তি ভোগ দখল ইত্যাদিতে এ মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম।
উদ্দীপকের মাথিন তার বান্ধবী শুভ্রার নানাবাড়ি ময়মনসিংহে বেড়াতে গিয়ে সেখানে সে সব বিষয়ে শুভ্রার মায়ের পারিবারিক ক্ষমতা দেখে অবাক হয়। শুভ্রা গারো পরিবারের সন্তান। এদিকে চাকমা সমাজ পিতৃতান্ত্রিক হওয়ায় সেখানে পারিবারের সকল বিষয়ে পিতার ভূমিকাই প্রধান। তাই মাথিন চাকমা শুভ্রাদের গারো পরিবারের মাতৃতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে অবাক হয়েছিল।
ঘ. উদ্দীপকের মাথিন ও শুভ্রাদের অর্থনৈতিক জীবন যথাক্রমে জুম ও হালচাষ পদ্ধতি ভিত্তিক কৃষির উপর নির্ভরশীল।
চাকমাদের জীবিকার প্রধান উপায় হচ্ছে জুমচাষের মাধ্যমে কৃষিকাজ। তবে বর্তমান সময়ে তারা কিছুটা হালচাষেও অভ্যস্ত হয়েছে। তাছাড়া তারা ‘ফুলগাদি’ নামক কাপড় ও নানা ধরনের ওড়না, বাঁশ ও বেতের তৈরি সুন্দর সুন্দর ঝুড়ি, পাখা, চিরুনি, বাঁশি এবং বাদ্যযন্ত্র তৈরি ও বিক্রি করে।
গারোরা হালচাষের সাহায্যে প্রধানত ধান ও নানা জাতের সবজি ও আনারস উৎপাদন করে।
উদ্দীপকের মাথিন হলো চাকমা সমাজের আর তার বান্ধবী শুভ্রা গারো সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। কাজেই মাথিন ও শুভ্রাদের অর্থনৈতিক জীবনযাত্রায় কৃষি নির্ভরশীলতার প্রভাব সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও কৃষি উৎপাদন পদ্ধতি বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
সার্বিক বিচারে বলা যায়, মাথিন ও শুভ্রাদের অর্থনৈতিক জীবন যথাক্রমে জুম ও হালচাষ পদ্ধতিভিত্তিক কৃষির উপর নির্ভরশীল।
প্রশ্ন -২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ টেলিভিশনে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবনযাত্রার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখছিল। এর প্রথম অংশে এক নৃগোষ্ঠীর পরিচয় দেওয়া হলো যারা নদীতীরের সমতলে গ্রাম তৈরি করে বাস করে। এদের সমাজের প্রধান হলেন ‘বোমাং রাজা’। প্রামাণ্যচিত্রটির দ্বিতীয় অংশে আরেক নৃগোষ্ঠীর পরিচয় দেওয়া হলো, যাদের নারী-পুরুষ উভয়ই জমিতে কাজ করেন। এরা অস্ট্রালয়েড শ্রেণিভুক্ত।
ক. চাকমাদের জীবিকার প্রধান উপায় কী?
খ. মাহারি কী? বুঝিয়ে লেখ।
গ. সাজিদের দেখা প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম অংশে কোন নৃগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে? বর্ণনা কর।
ঘ.সাজিদের দেখা নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের তুলনামূলক আলোচনা কর।
ল্ফল্প ২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. চাকমাদের জীবিকার প্রধান উপায় হচ্ছে কৃষিকাজ।
খ. গারো সমাজের মাতৃগোত্রভিত্তিক পরিচয়ই হচ্ছে মাহারি।
গারো সমাজের মূলে রয়েছে এ মাহারি বা মাতৃগোত্র পরিচয়। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগদখল ইত্যাদিতে মায়ের প্রাধান্য বা ভূমিকা অপরিসীম এবং অপরিহার্য। মাতার বংশ ধরেই তাদের গোত্র এবং মাতৃগোত্র বা মাহারি নির্ণয় করা হয়।
গ. সাজিদের দেখা প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম অংশে মারমা জনগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে মারমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। পার্বত্য অঞ্চলে বোমাং সার্কেলে মারমা সমাজের প্রধান হলেন বোমাং চীফ বা বোমাং রাজা। প্রমাণ্য চিত্রে সাজিদ এই তথ্য পায়। আবার মারমাদের জীবন সংস্কৃতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তারা নদীর তীরে সমতল স্থানে তাদের গ্রামগুলো নির্মাণ করে।
উদ্দীপকেও দেখা যায় যে, ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ টেলিভিশনে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবনযাত্রার উপর নির্মিত যে প্রামাণ্যচিত্র দেখছিল, তার প্রথম অংশের নৃ-গোষ্ঠী উপরের মারমাদের মতো নদীর তীরে সমতল স্থানে তাদের গ্রামগুলো তৈরি করে বাস করে।
সামগ্রিক বিশ্লেষণে সন্দেহাতীতভাবে প্রতীয়মান হয় যে, সাজিদের দেখা প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম অংশে মারমা জনগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকে সাজিদ প্রামাণ্য চিত্রের প্রথম অংশে মারমাদের দেখতে পায়। দ্বিতীয় অংশে সে সাঁওতাল নৃ-গোষ্ঠীর পরিচয় পায় যা অস্ট্রালয়েড শ্রেণিভুক্ত এবং এদের নারী-পুরুষ উভয়ই জমিতে কাজ করে। সাজিদের দেখা মারমা ও সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যে কিছু সাদৃশ্য থাকলেও বৈসাদৃশ্যই তুলনামূলক বেশি পরিলক্ষিত হয়। মারমারা নদীর তীরে সমতল স্থানে তাদের গ্রামগুলো নির্মাণ করে। তাদের ঘরবাড়িগুলো বাঁশ ও ছনের তৈরি। তারা ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস ও নানা ধরনের সবজি খায়। পক্ষান্তরে সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য ভাত। এদের ঘরবাড়িগুলো মাটি ও ছনের তৈরি। সোহরাই ও ফাগুয়া এদের উলে­খযোগ্য সাংস্কৃতিক উৎসব। এদের সংস্কৃতির উলে­খযোগ্য বৈশিষ্ট্য ঝুমুর নাচ। তাছাড়া বিবাহ অনুষ্ঠানে আয়োজিত হয় ‘দোন’ ও ‘ঝিকা’ নাচ। অন্যদিকে মারমারা প্রতিবছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নববর্ষবরণ উপলক্ষে তারা সাংগ্রাই উৎসবে পানিখেলা বা জলোৎসবে মেতে ওঠে।
সামগ্রিক আলোচনায় আমরা দেখতে পাই, প্রধান খাদ্য ভাত এবং ঘর তৈরির একটি উপকরণ হিসেবে ছনের ব্যবহার ব্যতীত সাজিদের দেখা মারমা ও সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য পুরোপুরিই বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

প্রশ্ন -৩ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. ‘পানিখোলা’ কাদের প্রিয় উৎসব? ১
খ. রাখাইনদের ধর্মীয় জীবন- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্রে ‘ক’ চিহ্নিত অঞ্চলে যে প্রধান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাস, তাদের সাংস্কৃতিক জীবনের পরিচয় দাও৩ ৩
ঘ.মানচিত্রে ‘ক’ ও ‘খ’ স্থানে অবস্থানরত প্রধান দুটি ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সামাজিক জীবন ব্যবস্থার একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধর। ৪
 ৩নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ‘পানখেলা’ মারমাদের প্রিয় উৎসব।
খ. বাংলাদেশের রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। রাখাইন শিশু কিশোরদের বৌদ্ধ মন্দিরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হাতে ধর্মীয় শিষ্টাচারে দীক্ষিত করা হয়। তারা বৌদ্ধধর্মীয় উৎসবগুলো সাড়ম্বরে পালন করে।
গ. চিত্রের ‘ক’ অঞ্চল তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহে গারো নৃ- গোষ্ঠীর বাস।
বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী জাতি সত্তাগুলোর মধ্যে গারোরা হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ।
গারোদের সাংস্কৃতিক জীবনের পরিচয় গারো মহিলাদের নিজেদের তৈরি পোশাকের নাম ‘দকমান্দা’ ও ‘দকশাড়ি’। পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ‘গান্দো’।
গারোরা ভাতের সাথে মাছ ও শাকসবজি খেয়ে থাকে। তাদের একটি বিশেষ খাদ্য হচ্ছে কচি বাঁশগাছের গুঁড়ি। এর জনপ্রিয় নাম ‘মিউয়া’। এছাড়াও তারা কলাপাতা মোড়ানো পিঠা, মেরাপিঠা এবং তেলের পিঠা খেতে পছন্দ করে।
গারোরা খুব আমোদ-প্রমোদপ্রিয়। তাদের সামাজিক উৎসবগুলো কৃষিকেন্দ্রিক। তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
বাংলাদেশের গারোদের ভাষা ‘আচিক খুসিক’ এ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই। গারো ভাষা তিব্বতীয় বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
গারোরা মাটির উপর গাছ, বাঁশ ও ছন দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করে। তবে অনেকে ছনের পরিবর্তে টিনের ও মাটির তৈরি ঘরেও বাস করে।
ঘ. মানচিত্রে ‘ক’ তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ, ‘খ’ তথা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর দুটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো গারো ও সাঁওতাল। এ দুটি নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক জীবনে পার্থক্য রয়েছে।
গারোদের সমাজ মাতৃসূত্রীয়। তাদের সমাজে মাতা হলেন পরিবারের প্রধান। সন্তানেরা মায়ের উপাধি ধারণ করে। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ কন্যা পরিবারের সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে। গারো পরিবারে পিতা সংসার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি বা মাতৃগোত্র পরিচয়। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগ-দখল ইত্যাদিতে এ মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম। মাতার বংশ ধরেই গারোদের চাৎচি (গোত্র) ও মাহারি (মাতৃগোত্র) নির্ণয় করা হয়। গারো সমাজে একই মাহারির পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। বর ও কনেকে ভিন্ন ভিন্ন মাহারির অন্তর্ভুক্ত হতে হয়।
অন্যদিকে সাঁওতাল সমাজ হলো পিতৃসুত্রীয়। তাদের সমাজে পিতার সুত্র ধরে সন্তানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয়। সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম-পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য পাঁচজন ‘মাঝি পরাণিক’ থাকে। এরা হলো মাঝিহারাম, জগমাঝি, পরাণিক, গোডেৎ ও নায়েক। নায়েককে তারা পঞ্চায়েত সদস্য নয়, বরং ধর্মগুরু হিসেবে গণ্য করে।
প্রশ্ন -৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
‘ক’ বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুটি নাচের দল অংশগ্রহণ করে। প্রথম দল তাদের নিজস্ব পোশাক ‘দকমান্দা’ পোশাক পরে নৃত্য পরিবেশন করে। দ্বিতীয় দলটি নৃত্যের মাধ্যমে তাদের ‘পানি খেলা’ উৎসবটি তুলে ধরে।
ক. চাকমা সমাজে পাড়ার প্রধানকে কী বলে? ১
খ. সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত। ব্যাখ্যা কর। ২
গ. অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রথম দলটির সামাজিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের দুটি দলের সাংস্কৃতিক জীবনের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধর। ৪
 ৪নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. চাকমা সমাজে পাড়ার প্রধানকে হেডম্যান বলে।
খ. সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম-পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য সাতজন ‘মাঝি পরাণিক’ থাকে। এরা হলো মাঝিহারাম, জগমাঝি, পরাণিক, গোডেৎ ও নায়েক। নায়েককে তারা পঞ্চায়েত সদস্য নয়, বরং ধর্মগুরু হিসেবে গণ্য করে।
গ. অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রথম দলটি হলো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গারো স¤প্রদায়। গারোদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম দকমান্দা।
উদ্দীপকের প্রথম দল এ পোশাক পরেই নৃত্য পরিবেশন করে। গারোদের সমাজ মাতৃসূত্রীয়। তাদের সমাজে মাতা হলেন পরিবারের প্রধান। সন্তানেরা মায়ের উপাধি ধারণ করে। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠা কন্যা পরিবারের সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে। গারো পরিবারে পিতা সংসার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগ-দখল ইত্যাদিতে এই মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম। মাতার বংশ ধরেই গারোদের চাৎচি (গোত্র) ও মাহারি (মাতৃগোত্র) নির্ণয় করা হয়। গারো সমাজে একই মাহারির পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। বর ও কনেকে ভিন্ন ভিন্ন মাহারির অন্তর্ভুক্ত হতে হয়।
গারো সমাজে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। এরকম প্রধান পাঁচটি দল হচ্ছে : সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং।
ঘ. উদ্দীপকের ‘ক’ বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাচের প্রথম দলটি গারো স¤প্রদায়ের এবং দ্বিতীয় দলটি মারমা স¤প্রদায়ের যাদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘পানি খেলা’। গারো ও মারমা নৃ-গোষ্ঠীর ‘সাংস্কৃতিক জীবনে বেশকিছু পার্থক্য রয়েছে। যথা :
গারো মহিলাদের নিজেদের তৈরি পোশাকের নাম দকমান্দা ও দকশাড়ি। পুরুষের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম গান্দো। অন্যদিকে মহিলারা আঞ্জি নামক বøাউজ ও থামি পরে। পুরুষরা মাথায় গমবং, গায়ে জামা ও লুঙ্গি পরে। খাদ্য হিসেবে গারোরা খায় ভাত, মাছ ও শাকসবজি। বিশেষ খাদ্য কচি বাঁশগাছের গুঁড়ি। এছাড়া কলাপাতা মোড়ানো পিঠা, মেরা পিঠা ও তেলের পিঠা পছন্দ। অন্যদিকে ভাত, মাছ, মাংস ও শাক-সবজি মারমাদের পছন্দের খাবার। গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসব ওয়ানগালা। আর মারমাদের উৎসব-সংগ্রাই এবং পানি খেলা।
প্রশ্ন -৫ ল্ফ নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. গারোদের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল? ১
খ. ‘গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি’-ব্যাখ্যা কর। ২
গ. “ই” চিহ্নিত স্থানে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.”অ” ও “ই” স্থানে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদ্বয়ের ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থায় ভিন্নতা আছে”- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
 ৫নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. গারোদের আদি বাসস্থান ছিল তিব্বত।
খ. গারো সমাজে মাতৃগোত্র পরিচয় মাহারি নামে পরিচিত। গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি বা মৃতগোত্র পরিচয়। গারোদের সামাজিক জীবন বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তি ভোগ-দখল ইত্যাদিতে এই মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম। মাতার বংশ ধরেই গারোদের চাৎচি (গোত্র) ও মাহারি নির্ণয় করা হয়।
গ. “ই” চিহ্নিত স্থানে অর্থাৎ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো সাঁওতাল। তারা রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলায় বাস করে।
সাঁওতাল সমাজ হলো পিতৃসূত্রীর। তাদের সমাজে পিতার সূত্র ধরে সন্তানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয়। সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম-পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য পাঁচজন ‘মাঝি পরাণিক’ থাকে। এরা হলো মাঝিহারাম, জগমাঝি, পরাণিক, গোডেৎ ও নায়েক। নায়েককে তারা পঞ্চায়েত সদস্য নয়, বরং ধর্মগুরু হিসাবে গণ্য করে।
ঘ. উদ্দীপকের মানচিত্রে অ চিহ্নিত স্থানটি বাংলাদেশের পটুয়াখালী, বরগুনা ও কক্সবাজার জেলার কিছু অংশে অবস্থিত। এ স্থানগুলোতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো রাখাইন। অন্যদিকে ই চিহ্নিত স্থানটি বাংলাদেশের রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়ায় অবস্থিত যেখানে সাঁওতালদের বাস। রাখাইনদের ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থা ও সাঁওতালদের ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থায় ভিন্নতা রয়েছে।
রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। রাখাইন শিশু-কিশোরদের বৌদ্ধ মন্দিরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হাতে ধর্মীয় শিষ্টাচারে দীক্ষিত করা হয়। অন্যদিকে সাঁওতাল নৃ-গোষ্ঠী প্রধানত দুটি ধর্মের অনুসারী। তাদের এক অংশ সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করে এবং এই ধর্মের আচার অনুষ্ঠান পালন করে। অপর অংশ খ্রিস্টান ধর্মগ্রহণ করছে এবং তারা খ্রিস্টান ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। উপরের আলোচনার দ্বারা প্রমাণিত হয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনদের সাথে সাঁওতালদের ধর্মীয় জীবন ব্যবস্থায় ভিন্নতা আছে।
প্রশ্ন -৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঈশিতা পয়লা বৈশাখে রাঙামাটিতে একটি নৃ-গোষ্ঠীর ‘বিজু’ উৎসব দেখতে গিয়েছিল। সে দেখল একই অঞ্চলে বসবাস করলেও প্রত্যেক নৃ-গোষ্ঠীর রয়েছে আলাদা ভাষা, সমাজ ও সংস্কৃতি।
ক. ‘ওয়ানগালা’ কী? ১
খ. সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ঈশিতার দেখা নৃ-গোষ্ঠীর ধর্মীয় জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত গোষ্ঠীর সাথে মারমা স¤প্রদায়ের সামাজিক জীবন ব্যবস্থার তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪
 ৬নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. ‘ওয়ানগালা’ গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসব।
খ. সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য ভাত। তারা মাটির ঘরে বসবাস করে। সোহরাই ও ফাগুয়া তাদের বিশেষ উৎসব। তাদের সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান হলো ‘ঝুমুর নাচ। সাঁওতাল মেয়েরা শাড়ি ও ছেলেরা লুঙ্গি পরিধান করে। ছেলেমেয়েরা বুকে ও হাতে উল্কি চিহ্ন ব্যবহার করে।
গ. ঈশিতার দেখা নৃ-গোষ্ঠীটি হলো চাকমা। উদ্দীপকে ঈশিতা ‘বিজু’ উৎসব পালন করতে দেখে যা চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। রাঙামাটিতে বসবাসরত চাকমা নৃ-গোষ্ঠীরা ‘বিজুু’ উৎসব পালন করে।
চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের অধিকাংশ গ্রামে কিয়া বা বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিনকে ভক্তি সহকারে পালন করে। এর মধ্যে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির দিনটি তারা সাড়ম্বরে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ হিসেবে পালন করে। তাছাড়া মাঘ পূর্ণিমার রাতে কিয়াং বা প্যাগোডার প্রাঙ্গণে গৌতম বুদ্ধের সম্মানে ফানুস উড়ায়। চাকমা সমাজে মৃতদেহ দাহ করা অর্থাৎ পোড়ানো হয়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত গোষ্ঠীটি হলো চাকমা। চাকমা ও মারমা স¤প্রদায়ের সামাজিক জীবন ব্যবস্থায় ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়, যদিও উভয় সমাজ পিতৃসূত্রীয়। চাকমা পরিবারে পিতাই প্রধান। তারপর মা ও জ্যেষ্ঠপুত্রের স্থান। অন্যদিকে মারমা পরিবারে পিতার স্থান সর্বোচ্চ হলেও পারিবারিক কাজকর্মে মাতা উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করে। মারমা সমাজে পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মেয়েদের মতামত বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
চাকমা সমাজে মূল অংশ পরিবার। কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় ‘আদাম’ বা ‘পাড়া’। কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা। পাড়ার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান। হেডম্যান মৌজার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করেন। কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয় এবং এর প্রধান হলেন চাকমা রাজা। চাকমা সমাজে রাজার পদটি বংশানুক্রমিক। অন্যদিকে মারমাদের প্রত্যেক মৌজায় কতগুলো গ্রাম রয়েছে। গ্রামবাসী গ্রামের প্রধান মনোনীত করে। মারমারা গ্রামকে তাদের ভাষায় ‘রোয়া’ এবং গ্রামের প্রধানকে ‘রোয়াজা’ বলে। পার্বত্য অঞ্চলে বোমাং সার্কেলে মারমা সমাজের প্রধান হলেন বোমাংচীফ বা বোমাং রাজা।
প্রশ্ন -৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
গত গ্রীষ্মের ছুটিতে মিলন ময়মনসিংহ গিয়েছিল একটি নৃ-গোষ্ঠীর জীবন জীবিকা দেখতে। নৃ-গোষ্ঠীটিকে দেখার পর সে রংপুরে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীটিকে ঐটির সাথে তুলনা করতে গিয়ে আশ্চর্য হলো।
ক. চাকমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম কী? ১
খ. মারমাদের ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে লিখ। ২
গ. মিলনের দেখা ঐ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত নৃ-গোষ্ঠী দুটির সামাজিক জীবনের মধ্যে তুলনা কর। ৪
 ৭নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. চাকমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম ‘বিজু’।
খ. মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। প্রায় প্রতিটি মারমা গ্রামে বৌদ্ধবিহার ‘কিয়াং’ এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু ভান্তেদের দেখা যায়। মারমারা বৈশাখী পূর্ণিমা, আাশ্বিনী পূর্ণিমা, কার্তিকী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা ইত্যাদি দিনগুলোতে বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে ফুল দিয়ে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের পূজা করে।
গ. মিলনের দেখা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি হলো গারো নৃ-গোষ্ঠী।
উদ্দীপকের মিলন ময়মনসিংহ গিয়েছিল একটি নৃ-গোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা দেখতে। বাংলাদেশের এ বৃহত্তর জেলায় বসবাস করে গারো নৃ-গোষ্ঠীরা। গারোরা ভাতের সাথে মাছ ও শাক-সবজি খেয়ে থাকে। তাদের একটি বিশেষ খাদ্য হচ্ছে কচি বাঁশগাছে। গুঁড়ি। এর জনপ্রিয় নাম ‘মিউয়া’। গারোরা খুব আমোদ-প্রমোদপ্রিয়। তাদের সামাজিক উৎসবগুলো কৃষিকেন্দ্রিক। তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’। গারোদের ভাষা ‘আচিক খুসিক’। এ ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই। তারা মাটির ওপর গাছ, বাঁশ ও ছন দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করে। তবে অনেকে ছনের পরিবর্তে টিনের ও মাটির তৈরি ঘরেও বাস করে।
ঘ. উদ্দীপকে মিলনের ময়মনসিংহে দেখা নৃ-গোষ্ঠীটি হলো গারো এবং রংপুরে বসবাসরত নৃ-গোষ্ঠীটি হলো সাঁওতাল। গারোদের সামাজিক জীবনের সাথে সাঁওতালদের সামাজিক জীবনের বেশ অমিল রয়েছে।
গারোদের সমাজ মাতৃসূত্রীয়। তাদের সমাজে মাতা হলেন পরিবারের প্রধান। সন্তানেরা মায়ের উপাধি ধারণ করে। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ কন্যা পরিবারের সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে। গারো পরিবারে পিতা সংসার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগ-দখল ইত্যাদিতে এ মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম। গারো সমাজে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। এ রকম প্রধান পাঁচটি দল হচ্ছে : সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং। অন্যদিকে সাঁওতাল সমাজ হলো পিতৃসূত্রীয়। তাদের সমাজে পিতার সূত্র ধরে সন্তানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয়। সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম-পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য পাঁচজন ‘মাঝি পরাণিক’ থাকে। এরা হলো মাঝিহারাম, জগমাঝি, পরাণিক, গোডেৎ ও নায়েক। নায়েককে তারা পঞ্চায়েত সদস্য নয়, বরং ধর্মগুরু হিসেবে গণ্য করে।
প্রশ্ন -৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আবাসস্থল পেশা
ক রংপুর, বগুড়া কৃষক, ক্ষুদ্রশিল্প
খ বরগুনা, কক্সবাজার কৃষক, তাঁত শিল্প
ছক : দু’টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পরিচয়।
ক. গারোদের আদি ধর্মের নাম কী? ১
খ. সাংগ্রাই উৎসব কী? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ছকের ‘ক’ চিহ্নিত স্থানে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.তুমি কি মনে কর ‘খ’ এ উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন ‘ক’ এ উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে ভিন্ন? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
 ৮নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. গারোদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক।
খ. মারমাদের পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করে নেয়ার জন্য পালিত উৎসবটিই হলো সাংগ্রাই উৎসব। এটি তাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বান্দরবান ও রাঙামাটিতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ উৎসব বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদযাপিত হয়।
গ. ছকের ‘ক’ চিহ্নিত স্থানে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি হলো সাঁওতাল। বাংলাদেশের রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া জেলায় সাঁওতালদের বসবাস। তাদের প্রধান জীবিকা হলো কৃষি। তাছাড়া ক্ষুদ্র শিল্প তথা বাঁশ, বেত, শালপাতা প্রভৃতি দ্বারা নানা প্রকার মাদুর ঝাড়– প্রভৃতি তৈরি করে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে। উদ্দীপকের ‘ক’ ছকে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর এসব তথ্যই সন্নিবেশিত।
সাঁওতাল সমাজ হলো পিতৃসূত্রীয়। তাদের সমাজে পিতার সূত্র ধরে সন্তানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয়। সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম-পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য পাঁচজন ‘মাঝি পরাণিক’ থাকে। এরা হলো মাঝিহারাম, জগমাঝি, পরাণিক, গোডেৎ ও নায়েক। নায়েককে তারা পঞ্চায়েত সদস্য নয়, বরং ধর্মগুরু হিসেবে গণ্য করে।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ এ উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি হলো সাঁওতাল। ‘খ’ এ উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি হলো রাখাইন যারা বরগুনা, কক্সবাজারে বসবাস করে এবং পেশায় কৃষক ও তাঁতশিল্পের সাথে জড়িত। উদ্দীপকে তা উল্লিখিত আছে। রাখাইনর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন সাঁওতাল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে ভিন্ন বলে আমি মনে করি।
নদীর পাড় ও সমুদ্র উপক‚লের সমতল ভ‚মিতে রাখাইনদের গ্রামগুলো অবস্থিত। তারা মাচা পেতে ঘর তৈরি করে। রাখাইন পুরুষেরা লুঙ্গি ও ফতুয়া পরে। মন্দিরে প্রার্থনাকালীন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও লোকজ অনুষ্ঠানে তারা মাথায় পাগড়ি পরে। পাগড়ি তাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। রাখাইন মেয়েরা লুঙ্গি পরে। লুঙ্গির ওপর বøাউজ পরে। রাখাইনরা নানা পালাপার্বণে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। এর মধ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশেষ করে গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী, বৈশাখী পূর্ণিমা, বসন্ত উৎসব প্রধান। অপরদিকে সাঁওতালরা মাটির ঘরে বাস করে। এদের প্রধান খাদ্য ভাত। সাঁওতাল মেয়েরা শাড়ি পরে। পুরুষরা লুঙ্গি পরে। সাঁওতালরা অলঙ্কারপ্রিয়। মেয়েরা হাতে ও গলায় পিতলের বা কাঁসার গয়না পরে। অনেক পুরুষ সাঁওতালও অলঙ্কার ব্যবহার করে। সাঁওতালদের নিজস্ব উৎসবাদির মধ্যে সোহরাই এবং ফাগুয়া উল্লেখযোগ্য। তাদের সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান হলো ‘ঝুমুর নাচ’। সাঁওতালদের বিবাহ অনুষ্ঠানে আয়োজিত হয় ‘দোন’ ও ‘ঝিকা’। সুতরাং রাখাইন ও সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক জীবনে রয়েছে ভিন্নতা।
প্রশ্ন -৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. সাঁওতালরা কোন জাতিগোষ্ঠীর লোক? ১
খ. মিউয়া বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ছবি-১ এর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের ১ নং ও ২ নং ছবির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪
 ৯নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. সাঁওতালরা অস্ট্রালয়েড নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত লোক।
খ. মিউয়া একটি বিশেষ ধরনের খাদ্যের নাম। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অন্যতম গারোদের একটি বিশেষ খাদ্য হচ্ছে কচি বাঁশগাছের গুঁড়ি। এর জনপ্রিয় নাম মিউয়া।
গ. ছবি-১ এর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি হলো চাকমা। বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় এদের বসবাস।
চাকমা সমাজ পিতৃসূত্রীয়। চাকমা পরিবারে পিতাই প্রধান। তারপরে মা ও জ্যেষ্ঠপুত্রের স্থান। এদের সমাজে মূল অংশ পরিবার। কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় ‘আদাম’ বা ‘পাড়া’। কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা। পাড়ার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান। হেডম্যান মৌজার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করেন। কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয় এবং এর প্রধান হলেন চাকমা রাজা। চাকমা সমাজে রাজার পদটি বংশানুক্রমিক।
ঘ. উদ্দীপকের ১ নং ছবির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি হলো চাকমা এবং ২ নং ছবির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি হলো গারো। চাকমা ও গারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের বেশ অমিল রয়েছে।
চাকমারা নিজেদের তাঁত দিয়ে পোশাক তৈরি করে। চাকমা মেয়েদের পরনের কাপড়ের নাম ‘পিনোন’ এবং ‘হাদি’। পূর্বে চাকমা পুরুষেরা এক রকম মোটা সূতার জামা, ধূতি ও গামছা পরতো এবং মাথায় এক রকম পাগড়ি বাঁধতো। ইদানিং তারা শার্ট, প্যান্ট ও লুঙ্গি পরিধান করে। অন্যদিকে গারো মহিলাদের নিজেদের তৈরি পোশাকের নাম ‘দকমান্দা’ ও ‘দকশাড়ি’। পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ‘গান্দো’। চাকমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। তারা ভাতের সাথে মাছ, মাংস এবং শাক-সবজি খেতে ভালোবাসে। তাদের প্রিয় খাদ্য বাঁশ কোড়ল। বাঁশ কোড়ল দিয়ে চাকমা মেয়েরা বেশ কয়েক ধরনের রান্না ও ভাজি করে। অন্যদিকে গারোরা ভাতের সাথে মাছ ও শাক-সবজি খেয়ে থাকে। তাদের একটি বিশেষ খাদ্য হচ্ছে কচি বাঁশগাছের গুঁড়ি। এর জনপ্রিয় নাম ‘মিউয়া’। এছাড়াও তারা কলাপাতা মোড়ানো পিঠা, মেরা পিঠা এবং তেলের পিঠা খেতে পছন্দ করে।
চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘বিজু’। বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন ও নববর্ষের প্রথম দিনে চাকমারা বিজু উৎসব পালন করে। অন্যদিকে গারোরা খুব আমোদ-প্রমোদপ্রিয়। তাদের সামাজিক উৎসবগুলো কৃষিকেন্দ্রিক। তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
পরিশেষে বলা যায় যে, ভিন্নতা সত্তে¡ও চাকমা ও গারো উভয় জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময়।
প্রশ্ন -১০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাতিগোষ্ঠী হিসেবে মং একজন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্গত। মং এর চুল সোজা এবং কালো, মুখমণ্ডল গোলাকার এবং গায়ের বর্ণ ঈষৎ হলদেটে। মং-এর গোষ্ঠী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের অধিকাংশ গ্রামে ‘কিয়াং’ বা বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘বিজু’।
ক. সাঁওতার সমাজ কিরূপ? ১
খ. গারোদের অর্থনৈতিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নৃ-গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উল্লিখিত নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের সাথে গারোদের সাংস্কৃতিক জীবনের তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪
 ১০নং প্রশ্নের উত্তর 
ক. সাঁওতাল সমাজ হলো পিতৃসূত্রীয়।
খ. বাংলাদেশের গারোরা সাধারণত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। পূর্বে গারোরা জুম চাষে অভ্যস্ত ছিল। বর্তমানে সমতলের গারোদের মধ্যে জুম চাষের প্রচলন নেই। তারা হালচাষের সাহায্যে প্রধানত ধান, নানা জাতের সবজি ও আনারস উৎপাদন করে।
গ. উদ্দীপকে নৃগোষ্ঠীটি হলো চাকমা। উদ্দীপকে মং এর দৈহিক বৈশিষ্ট্য তাই প্রমাণ করে। এছাড়া চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব ‘বিজু’ যা উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে।
চাকমাদের জীবিকার প্রধান উপায় হচ্ছে কৃষি কাজ। যে পদ্ধতিতে তারা চাষ করে তাকে বলা হয় ‘জুম’। তবে বর্তমান সময়ে তারা হালচাষেও অত্যস্ত হয়েছে।
চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের অধিকাংশ গ্রামে ‘কিয়াং’ বা বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে।
চাকমারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিনকে ভক্তি সহকারে পালন করে। এর মধ্যে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির দিনটি তারা সাড়ম্বরে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ হিসেবে পালন করে। তাছাড়া মাঘী পূর্ণিমার রাতে কিয়াং বা প্যাগোডার প্রাঙ্গণে গৌতম বুদ্ধের সম্মানে ফানুস উড়ায়। চাকমা সমাজে মৃতদেহ দাহ করা অর্থাৎ পোড়ানো হয়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নৃ-গোষ্ঠীটি হলো চামকা। চাকমা ও গারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
চাকমারা নিজেদের তাঁত দিয়ে পোশাক তৈরি করে। চাকমা মেয়েদের কাপড়ের নাম ‘পিনোন’ এবং ‘হাদি’। অন্যদিকে গারো মহিলাদে নিজেদের তৈরি পোশাকের নাম ‘দকমান্দা’ ও ‘দকশাড়ি’। পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ‘গান্দো’। চাকমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। তারা ভাতের সাথে মাছ, মাংস এবং শাকসবজি খেতে ভালোবাসে। তাদের প্রিয় খাদ্য বাঁশ কোড়ল। অন্যদিকে গারোরা ভাতের সাথে মাছ ও শাকসবজি খেয়ে থাকে। তাদের একটি বিশেষ খাদ্য হচ্ছে কচি বাঁশগাছের গুঁড়ি। এর জনপ্রিয় নাম ‘মিউয়া’। এছাড়াও তারা কলাপাতা মোড়ানো পিঠা এবং তেলের পিঠা খেতে পছন্দ করে।
চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘বিজু’। অন্যদিকে গারোরা খুব আমোদ প্রমোদপ্রিয়। তাদের সামাজিক উৎসবগুলো কৃষিকেন্দ্রিক। তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘ওয়ানগালা’।
পরিশেষে বলা যায় যে, ভিন্নতা সত্তে¡ও চাকমা ও গারো উভয় জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময়।
প্রশ্ন -১১  নিচের মানচিত্রটি লক্ষ করে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. সাঁওতালরা কোন জনগোষ্ঠীভুক্ত লোক? ১
খ. চাকমারা কীভাবে ধর্মীয় উৎসব পালন করে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘অ’ চিহ্নিত স্থানে বসবাসকারী প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ধর্মীয় জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘অ’ ও ‘ই’ অঞ্চলের প্রধান ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদ্বয়ের সামাজিক জীবনব্যবস্থায় ভিন্নতা আছে কি? বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. সাঁওতালরা অস্ট্রালয়েড নৃগোষ্ঠীভুক্ত লোক।
খ. চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তারা ভক্তি সহকারে এ ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো পালন করে। তাঁরা সাড়ম্বরে বৈশাখী পূর্ণিমা পালন করে। এছাড়া মাঘী পূর্ণিমার রাতে প্যাগোডা প্রাঙ্গণে ফানুস উড়ায়।
গ. ‘অ’ চি‎িহ্নত স্থানে বসবাসকারী প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হচ্ছে চাকমা। ‘অ’ চি‎িহ্নত স্থানে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকাকে নির্দেশ করে। বাংলাদেশের পার্বত্য রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাসকারী প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হলো চাকমা।
চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের অধিকাংশ গ্রামে ‘কিয়াং’ বা বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। চাকমারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিনকে ভক্তি সহকারে পালন করে। এর মধ্যে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির দিনটি তারা সাড়ম্বরে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ হিসাবে পালন করে। তাছাড়া মাঘী পূর্ণিমার রাতে কিয়াং বা প্যাগোডার প্রাঙ্গণে গৌতম বুদ্ধের সম্মানে ফানুস উড়ায়। চাকমা সমাজে মৃতদেহ দাহ করা অর্থাৎ পোড়ানো হয়।
ঘ. ‘অ’ অঞ্চলের প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তা চাকমা। আর ‘ই’ অঞ্চল তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রধান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হচ্ছে গারো। চাকমা ও গারোদের সামাজিক জীবন ব্যবস্থায় ব্যাপক ভিন্নতা রয়েছে।
চাকমা সমাজে মূল অংশ পরিবার। কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় ‘আদাম’ বা ‘পাড়া’। কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা। পাড়ার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান। হেডম্যান মৌজার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয় এবং এর প্রধান হলেন চাকমা রাজা। চাকমা সমাজে রাজার পদটি বংশানুক্রমিক। অন্যদিকে গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি বা মাতৃগোত্র পরিচয়। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগদখল ইত্যাদিতে এই মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম। মাতার বংশ ধরেই গারোদের চাৎচি ও মাহারির নির্ণয় করা হয়। গারো সমাজে একই মাহারির পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। বর ও কনেকে ভিন্ন ভিন্ন মাহারির অন্তর্ভুক্ত হতে হয়।
চাকমা সমাজ পিতৃসূত্রীয়।
অন্যদিকে গারোদের সমাজ মাতৃসূত্রীয়। সন্তানেরা মায়ের উপাধি ধারণ করে। গারো পরিবারে পিতা সংসার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, অ ও ই অঞ্চলের প্রধান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তথা চাকমা ও গারোদের সামাজিক জীবন ব্যবস্থায় রয়েছে ব্যাপক ভিন্নতা।
প্রশ্ন -১২  নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিরার এক বান্ধবী এমন এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক, যারা অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষিত এবং রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাস করে।
ক. গারোদের আদিধর্মের নাম কী? ১
খ. রাখাইনরা নিজেদের রাক্ষাইন নামে পরিচয় দিতে ভালো বাসে কেন? ২
গ. উদ্দীপকে যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে তার ধর্মীয় জীবনের বৈশিষ্ট্য বাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকে উলি­খিত নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের সাথে সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক জীবনের তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. গারোদের আদি ধর্মের নাম ‘সাংসারেক’।
খ. ‘রাখাইন’ শব্দটির উৎপত্তি পালি ভাষার ‘রাক্ষাইন’ শব্দ থেকে। এর অর্থ হচ্ছে রক্ষণশীল জাতি। বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর রাাখাইনরা নিজেদের সমাজ ও সংস্কৃতিকে লালন করে ও ভালোবাসে। বর্তমান মায়ানমারের আরাকান অঞ্চল রাখাইনদের আদিবাস। একসময় সেখান থেকে তারা এদেশে এসেছিল। কিন্তু নিজেদের জীবনাচার তাদের খুবই প্রিয়। তারা তাই নিজেদের রাক্ষাইন নামে পরিচয় দিতে ভালোবাসে।
গ. উদ্দীপকে চাকমা নৃগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে, যারা অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষিত এবং রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাস করে।
চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাদের অধিকাংশ গ্রামে ‘কিয়াং’ বা বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। চাকমারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিনকে ভক্তি সহকারে পালন করে। এর মধ্যে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির দিনটি তারা সাড়ম্বরে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ হিসাবে পালন করে। তাছাড়া মাঘী পূর্ণিমার রাতে কিয়াং বা প্যাগোডার প্রাঙ্গণে গৌতম বুদ্ধের সম্মানে ফানুস উড়ায়। চাকমা সমাজে মৃতদেহ দাহ করা অর্থাৎ পোড়ানো হয়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত নৃগোষ্ঠী চাকমাদের সাংস্কৃতিক জীবনের সাথে সাঁওতালদের সংস্কৃতিক জীবনের বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য রয়েছে।
চাকমারা পূর্বে নিজেদের তাঁত দিয়ে তৈরি করে। শাড়ি, ফুলগাদি ওড়না মোটা সুতার জামা, ধুতি ও গামছা পরত এবং মাথায় এক রকম পাগড়ি বাঁধত। ইদানীং তারা শার্ট, প্যান্ট ও লুঙ্গি পরিধান করে। সাঁওতাল পুরুষেরা লুঙ্গি পরে। এছাড়া তারা অলঙ্কারপ্রিয়। মেয়েরা হাতে ও গলায় পিতলের বা র্কাঁসার গয়না পরে। পুরুষদের অনেকেও অলঙ্কার ব্যবহার করে। মেয়ে ও পুরুষ উভয়ে বুকে ও হাতে উল্কি চিহ্ন ব্যবহার করে।
চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব ‘বিজু’। বাংলা বর্ষের শেষ দু’দিন ও নববর্ষের প্রথম দিনে চাকমারা বিজু উৎসব পালন করে। সাঁওতালদের নিজস্ব উৎসবাদির মধ্যে সোহরাই এবং ফাগুয়া উল্লেখযোগ্য। তাদের সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান ‘ঝুমুর নাচ’ । বিবাহ অনুষ্ঠানে আয়োজিত হয় ‘দোন’ ও ‘ঝিকা’ নাচ।
চাকমারা অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষিত। উদ্দীপকে চাকমাদের এ সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য উল্লিখিত ও হয়েছে। অন্যদিকে সাঁওতালদের মধ্যে শিক্ষিতের হার খুব কম হলেও বর্তমানে তারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।
প্রশ্ন -১৩ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাহিদ বন্ধুদের সাথে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণে গিয়ে ঐ অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের সাথে আলাপ হয়। তাদের গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে। মুখমণ্ডল গোলাকার, নাক চ্যাপ্টা, চুল সোজা এবং কালো। পরিবারের পিতা সংসার ব্যবস্থাপনা করেন। এসব দেখে জাহিদের দিনাজপুরের বন্ধু বলল, ‘আমাদের অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সামাজিক জীবন সম্পূর্ণভাবে এদের মতো।’
ক. গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসবের নাম কী? ১
খ. মারমাদের ধর্মীয় জীবন ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে উলি­খিত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.জাহিদের দিনাজপুরের বন্ধুর বক্তব্যের যথার্থতা মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ১৩নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসবের নাম ওয়ানগালা।
খ. মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তারা এ ধর্মেরই অনুষ্ঠানাদি উদ্যাপন করে। প্রায় প্রত্যেকটি মারমা গ্রামে বৌদ্ধবিহার ‘কিয়াং’ এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু ‘ভান্তে’দের দেখা যায়। মারমারা বৈশাখী পূর্ণিমা, আশ্বিনী পূর্ণিমা, কার্তিকী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা ইত্যাদি দিনগুলোতে বৌদ্ধমন্দিরে গিয়ে ফুল দিয়ে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের পূজা করে। কাপ্তাইয়ের অনতিদূরে চন্দ্রঘোনার কাছে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ‘চিৎমরম বৌদ্ধবিহার’ মারমাদের নির্মিত একটি খুবই সুন্দর বৌদ্ধবিহার। প্রতি বছর বহু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সেখানে বুদ্ধ প্রণাম ও পূজা করতে যায়।
গ. চাকমাদের সাংস্কৃতিক জীবন বেশ বর্ণিল।
চাকমারা নিজেদের তাঁত দিয়ে পোশাক তৈরি করে। চাকমা মেয়েদের পরনের কাপড়ের নাম ‘পিনোন’ এবং ‘হাদি’। পূর্বে চাকমা পুরুষেরা এক রকম মোটা সুতার জামা, ধুতি ও গামছা পরতো এবং মাথায় এক রকম পাগড়ি বাঁধতো। ইদানীং তারা শার্ট, প্যান্ট ও লুঙ্গি পরিধান করে। উদ্দীপকের জাহিদ চাকমাদের এলাকায় গিয়ে এসবই জানতে পায় যে, চাকমা মহিলাদের তৈরি বিভিন্ন কাপড়ের মধ্যে ‘ফুলগাদি’ ও নানা ধরনের ওড়না দেশি ও বিদেশি সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাকমারা বাঁশ ও বেত দিয়ে সুন্দর সুন্দর ঝুড়ি, পাখা, চিরুনি, বাঁশি এবং বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে।
চাকমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। তারা ভাতের সাথে মাছ, মাংস এবং শাকসবজি খেতে ভালোবাসে। তাদের প্রিয় খাদ্য বাঁশ কোড়ল। চাকমারা হা-ডু-ডু, কুস্তি এবং ‘ঘিলাখারা’ খেলতে ভালোবাসে। ছোট ছোট মেয়েরা ‘বউচি’ খেলে। চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘বিজু’। বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন ও নববর্ষের প্রথম দিনে চাকমারা বিজু উৎসব পালন করে। অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তার তুলনায় চামকারা তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষিত।
ঘ. জাহিদের দিনাজপুরের বন্ধুর বক্তব্য হচ্ছে যে, তাদের অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী তথা সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীর সাথে তাদের ভ্রমণকৃত অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী চাকমাদের সামাজিক জীবন সম্পূর্ণভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ।
সাঁওতাল সমাজ হলো পিতৃসূত্রীয়। চাকমা সমাজ ও পিতৃসূত্রীয়। চাকমা পরিবারে পিতাই প্রধান। যেমন সাঁওতাল সমাজে পিতার সূত্র ধরে সন্ধানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয়। সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য পাঁচজন ‘মাঝি পরাণিক’ থাকে। এরা হলো মাঝিহারাম, জগমাঝি, পরাণিক, গোডেৎ ও নায়েক। অনুরূপভাবে চাকমা সমাজে মূল অংশ পরিবার হলেও পাড়ার প্রধান হেডম্যান মৌজার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। সেখানে কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় ‘আদাম’ বা পাড়া আর কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা। আবার কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয় যার প্রধান চাকমা রাজা। এ রাজার পদটি বংশানুক্রমিক এবং চাকমাদের মাঝে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে আসীন। গারোরাও দেখা যায় পঞ্চায়েতের নায়েককে পঞ্চায়েত সদস্য নয় বরং ধর্মগুরু হিসাবে গণ্য করে।
সুতরাং বলা যায়, জাহিদের দিনাজপুরের বন্ধুর বক্তব্য যথার্থ অর্থাৎ সাঁওতালদের সামাজিক জীবন চাকমাদের মত।
প্রশ্ন -১৪ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অর্না ও অর্চি দুই বান্ধবী। তাদের অধ্যায়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে অন্যদের সাথে পরিচিত হয়। আমোদ প্রিয় অর্না নিজেকে ‘মান্দি’ নামে পরিচয় দেয়। অলংকারপ্রিয় অর্চি নিজ সংস্কৃতির ‘ঝুমুর’ নাচে অভ্যস্ত হওয়ায় সবাইকে চমৎকারভাবে নাচ প্রদর্শন করল।
ক. রাখাইনদের ঐতিহ্যের প্রতীক কী? ১
খ. ‘জুম’ চাষ বলতে কী বোঝায়? ২
গ. অর্নার নিজ গোষ্ঠীর সামাজিক জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.অর্চির গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন বৈচিত্র্যময়বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৪নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. রাখাইনদের ঐতিহ্যের প্রতীক পাগড়ি।
খ. জুম চাষ হচ্ছে চাকমাদের চাষ পদ্ধতি। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংখ্যায় সর্ববৃহৎ চাকমাদের জীবিকার প্রধান উপায় হচ্ছে কৃষি কাজ। পহাড়ি জমিতে ধাপে ধাপে তারা যে পদ্ধতিতে চাষ করে তাকেই বলে ‘জুম’ চাষ। পার্বত্য অঞ্চলের মারমারাও জুম চাষ করে থাকে।
গ. অর্না গারো নৃগোষ্ঠীর লোক। উদ্দীপকে দেখা যায় সে নিজেকে ‘মান্দি’ নামে পরিচয় দেয়। গারো নৃগোষ্ঠীর লোকেরাই ‘মান্দি’ নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পছন্দ করে। তাদের সামাজিক জীবনও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
গারোদের সমাজ মাতৃসূত্রীয়। তাদের সমাজে মাতা হলেন পরিবারের প্রধান। সন্তানরা মায়ের উপাধি ধারণ করে। পরিবারের সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে। গারো পরিবারে পিতা সংসার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে।
গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি বা মাতৃগোত্র পরিচয়। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগদখল ইত্যাদিতে এই মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম। মাতার বংশ ধরেই গারোদের চাৎচি (গোত্র) ও মাহারি (মোতৃগোত্র) নির্ণয় করা হয়। গারো সমাজে একই মাহারির পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। বর ও কনেকে ভিন্ন ভিন্ন মাহারির অন্তর্ভুক্ত হতে হয়।
গারো সমাজে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। এরকম প্রধান পাঁচটি দল হচ্ছে : সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং।
ঘ. অর্চির গোষ্ঠী হচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল। সাঁওতালদের সংস্কৃতিক জীবন বৈচিত্র্যময়।
সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য ভাত। সাধারণত সাঁওতালরা মাটির ঘরে বাস করে। তাদের বাড়ির দেয়ার মাটির তৈরি এবং তাতে খড়ের ছাউনি থাকে। সাঁওতালরা তাদের ঘরবাড়ি খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে।
সাঁওতালদের নিজস্ব উৎসবাদির মধ্যে সোহরাই এবং ফাগুয়া উল্লেখযোগ্য। তাদের সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান হলো ‘ঝুমুর নাচ’। উদ্দীপকে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অর্চি সবাইকে চমৎকারভাবে ঝুমুর নাচ প্রদর্শন করে এবং সে এই নাচে অভ্যস্ত। এছাড়া সাঁওতালদের বিবাহ অনুষ্ঠানে আয়োজিত হয় ‘দোন’ ও ‘ঝিকা’ নাচ।
সাঁওতাল মেয়েরা শাড়ি পরে। পুরুষরা লুঙ্গি পরে। সাঁওতালরা অলঙ্কারপ্রিয়। অনেক পুরুষ সাঁওতালও অলঙ্কার ব্যবহার করে। মেয়ে ও পুরুষ উভয়ে বুকে ও হাতে উল্কি চি‎‎হ্ন ব্যবহার করে।
সুতরাং, নিঃসন্দেহে বলা যায়, অর্চির গোষ্ঠী তথা সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন বৈচিত্র্যময়।
প্রশ্ন -১৫ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢএরা মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর লোক, পিতৃসূত্রীয়, ফানুস ওড়ায় ও ‘বিজু’ উৎসব পালন করে।
ণএরাও মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর লোক, পিতৃসূত্রীয়, ‘সান্দ্রে’ উৎসব পালন করে।
ক. ‘বিজু’ কী? ১
খ. ‘মাহারি’ বলতে কী বোঝ? ২
গ. ঢ কোন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোক? এদরে সামাজিক জীবন বর্ণনা কর। ৩
ঘ.ঢ ও ণ -এর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এদের জাতি সত্ত¡াকে ধারণ করেছেবিশ্লেষণ কর। ৪ ১৫নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাবর্ষের শেষ দু’দিন ও নববর্ষের প্রথম দিন পালিত চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব বিজু।
খ. গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি বা মাতৃগোত্র পরিচয়। তাদের সামাজিক জীবনে বিশেষত বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগদখল ইত্যাদিতে এই মাহারির গুরুত্ব অপরিসীম। মাতার বংশ
ধরেই গারোদের চাৎচি (গোত্র) ও মাহারি (মাতৃগোত্র) নির্ণয় করা হয়। গারো সমাজে একই মাহারির পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। বর ও কনেকে ভিন্ন ভিন্ন মাহারির অন্তর্ভুক্ত হতে হয়।
গ. ঢ চাকমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোক। উদ্দীপকে ঢ-এরা মঙ্গোলিয় জনগোষ্ঠীর লোক। পিতৃসূত্রীয়, ফানুস ওড়ায় ও ‘বিজু’ উৎসব পালন করে। অর্থাৎ ঢ-এরা চাকমা নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
চাকমা সমাজে মূল অংশ পরিবার। কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় ‘আদাম’ বা ‘পাড়া’। কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা। পাড়ার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান। হেডম্যান মৌজার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয় এবং এর প্রধান হলেন চাকমা রাজা। চাকমা সমাজে রাজার পদটি বংশানুক্রমিক।
চাকমা সমাজ পিতৃসূত্রীয়। উদ্দীপকে ঢ তথা চাকমা নৃগোষ্ঠীর এ বৈশিষ্ট্যটি উল্লিখিত হয়েছে। চাকমা পরিবারে পিতাই প্রধান। তারপরে মা ও জ্যেষ্ঠপুত্রের স্থান।
ঘ. উদ্দীপকের ঢ ও ণ-এর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তথা চাকমা ও মারমা নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এদের জাতিসত্তাকে ধারণ করেছে। তাদের জীবনযাপনে বেশ মিল থাকলেও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যে এর ভিন্ন। যেমন, চাকমারা নিজেদের তাঁত দিয়ে পোশাক তৈরি করে। চাকমা মেয়েদের পরনের কাপড়ের নাম ‘পিনোন’ এবং ‘হাদি’। চাকমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। তারা ভাতের সাথে মাছ, মাংস এবং শাকসবজি খেতে ভালোবাসে। চাকমারা হা-ডু-ডু, কুস্তি এবং ‘ঘিলাখারা’ খেলতে ভালোবাসে। ছোট ছোট মেয়েরা ‘বউচি’ খেলে। চাকামাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো ‘বিজু’। মারমা পুরুষেরা মাথায় ‘গমবং’, গায়ে জামা ও লুঙ্গি পরে। তাদের মহিলারা গায়ে যে বøাউজ পরে তার নাম ‘আঞ্জি’, এছাড়া তারা ‘থামি’ পরে। কাপড় বোনার কাজে মারমা নারীরা দক্ষ। মারমারা ভাতের সাথে মাছ-মাংস ও নানা ধরনের শাকসবজি খায়। এক্ষেত্রে অবশ্য চাকমাদের সাথে তাদের মিল রয়েছে।
মারমারা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষবরণ উপলক্ষে সাংগ্রাই উৎসব উদ্যাপন করে। এ সময় তারা ‘পানিখেলা’ বা ‘জলোৎসব’-এ মেতে ওঠে।
এভাবে দেখা যায়, ঢ ও ণ তথা চাকমা ও মারমাদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এদের জাতি সত্তাকে ধারণ করেছে।

প্রশ্ন -১৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

জীবনযাপনের ক্ষেত্র বর্ণনা
সামাজিক পিতৃতান্ত্রিক
অর্থনৈতিক প্রধানত কৃষিনির্ভর
ধর্মীয় হিন্দুধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম
সাংস্কৃতিক সাধারণত মাটির ঘরে বসবাস করে, অলঙ্কার প্রিয়।
[কু. বো. ’১৪]
ক. গারোদের প্রধান উৎসবের নাম কী? ১
খ. ‘মিউয়া’ বলতে কী বোঝ? ২
গ. ছকে উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় জীবন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘উক্ত নৃগোষ্ঠীর সামাজিক জীবনের সাথে চাকমাদের সামাজিক জীবনের মিল রয়েছে’-বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ১৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. গারোদের প্রধান উৎসবের নাম ওয়ানগালা।
খ. ‘মিউয়া’ একটি বিশেষ ধরনের খাদ্যের নাম। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অন্যতম গারোদের একটি বিশেষ খাদ্য হচ্ছে কচি বাঁশগাছের গুঁড়ি। এর জনপ্রিয় নাম ‘মিউয়া’।
গ. ছকে উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হচ্ছে সাঁওতাল।
অর্থনৈতিক জীবন : সাঁওতালদের প্রধান জীবিকা হলো কৃষি। উদ্দীপকে এ তথ্যই উল্লিখিত হয়েছে যে, সাঁওতালরা প্রধানত কৃষি নির্ভর। বৃহত্তর রাজশাহী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় তারা মূলত কৃষিশ্রমিক হিসাবে কাজ করে। নারী ও পুরুষ উভয়ই ক্ষেতে কাজ করে। তারা ধান, সরিষা, তামাক, মরিচ, তিল, ইক্ষু প্রভৃতি ফসলের চাষ করে। তাছাড়া বাঁশ, বেত, শালপাতা প্রভৃতি দ্বারা নানা প্রকার মাদুর, ঝাড়– প্রভৃতি তৈরি করে নিজেদের প্রয়োজন মিটায় ও হাটে বিক্রি করে।
ধর্মীয় জীবন : সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী প্রধানত দুটি ধর্মের অনুসারী। উদ্দীপকে এ বিষয়েই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ধর্মীয় জীবনযাপনের ক্ষেত্রে সাঁওতালরা হিন্দুধর্ম ও খ্রিষ্টধর্ম পালন করে। তাদের এক অংশ সনাতন হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করে এবং এই ধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। অপর অংশ খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছে এবং তারা খ্রিষ্টধর্মের আচার-অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।
ঘ. উক্ত নৃগোষ্ঠী তথা সাঁওতালদের সাথে চাকমাদের সামাজিক জীবনের মিল রয়েছে।
সাঁওতাল সমাজ হলো পিতৃসূত্রীয়, যা ছকেও উল্লিখিত হয়েছে। চাকমা সমাজও পিতৃসূত্রীয়। চাকমা পরিবারে পিতাই প্রধান। যেমন সাঁওতাল সমাজে পিতার সূত্র ধরে সন্ধানের দল ও গোত্র পরিচয় নির্ণয় করা হয়। সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হচ্ছে গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য পাঁচজন ‘মাঝি পরাণিক’ থাকে। এরা হলো মাঝিহারাম, জগমাঝি, পরাণিক, গোডেৎ ও নায়েক। অনুরূপভাবে চাকমা সমাজে মূল অংশ পরিবার হলেও পাড়ার প্রধান হেডম্যান মৌজার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। সেখানে কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় ‘আদাম’ বা পাড়া আর কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা। আবার কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয় যার প্রধান চাকমা রাজা। এ রাজার পদটি বংশানুক্রমিক এবং চাকমাদের মাঝে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার আসনে আসীন। গারোরাও দেখা যায় পঞ্চায়েতের নায়েককে পঞ্চায়েত সদস্য নয় বরং ধর্মগুরু হিসাবে গণ্য করে।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটিই প্রমাণিত হয় যে, সাঁওতালদের সাথে চাকমাদের সামাজিক জীবনের মিল রয়েছে।
প্রশ্ন -১৭ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রনি, জনি ও বনি তিন বন্ধু মিলে বেড়াতে গেল পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে বান্দরবানে তারা একটি উপজাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে দু’দিন অতিবাহিত করল। তাদের জীবনধারা সম্পর্কে পরিচত হলো। এদের মুখমণ্ডল চ্যাপ্টা, চুল সোজা ও কালো, গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে।
ক. চাকমারা কোন ধর্মাবলম্বী? ১
খ. চাকমাদের পোশাক সম্পর্কে বর্ণনা দাও? ২
গ. উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠীর ধর্মীয় জীবন কেমন? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে আধুনিকÑ মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ১৭নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
খ. চাকমারা নিজেদের তাঁত দিয়ে পোশাক তৈরি করে। চাকমা মেয়েদের পরনের কাপড়ের নাম ‘পিনোন’ এবং হাদি। পূর্বে চাকমা পুরুষেরা এক রকম মোটা সুতার জামা, ধুতি ও গামছা পরতো এবং মাথায় এক রকম পাগড়ি বাঁধতো। ইদানীং তারা শার্ট, প্যান্ট ও লুঙ্গি পরিধান করে। চাকমা মহিলাদের তৈরি বিভিন্ন কাপড়ের মধ্যে ‘ফুলগাদি’ ও নানা ধরনের ওড়না দেশি ও বিদেশি সবার কাছে জনপ্রিয়।
গ. উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠী চাকমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।
উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠীর মানুষের শারীরিক গঠন কাঠামোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের চাকমাদের সঙ্গে তাঁদের অভিন্ন সাদৃশ্য খুঁজে পাই। কেননা, চাকমাদের মতোই এদেরও মুখমণ্ডল গোলাকার, চুল সোজা এবং কালো, গায়ের রং ঈষৎ হলদেটে। তাছাড়া এদেরও বাস পার্বত্য চট্টগ্রামে। সুতরাং উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠী নিঃসন্দেহে চাকমা। চাকমাদের অধিকাংশ গ্রামে কিয়াং বা বৌদ্ধমন্দির রয়েছে। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির দিনটি তারা সাড়ম্বরে ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ হিসেবে পালন করে। তাছাড়া মাঘী পূর্ণিমার রাতে কিয়াং বা প্যাগোডার প্রাঙ্গণে গৌতম বুদ্ধের সম্মানে তারা ফানুস ওড়ায়। তারা মৃতদেহ পোড়ায়।
ঘ. উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠী চাকমারা ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে আধুনিক।
চাকমারা নিজেদের তাঁত দিয়ে পোশাক তৈরি করে। চাকমা মেয়েদের পরনের কাপড়ের নাম পিনোন ও হাদি। পূর্বে চাকমা পুরুষরা এক রকম মোটা সুতার জামা, ধুতি ও গামছা পরত এবং মাথায় এক রকম পাগড়ি বাঁধত। ইদানীং তারা শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি ইত্যাদি আধুনিক পোশাক ব্যবহার করে। যা অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মধ্যে সচরাচর দেখা যায় না। তাদের বানানো ফুলগাদি ও ওড়না দেশি-বিদেশি সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে এরা তুলনামূলকভাবে বেশি শিক্ষিত।
সামগ্রিক আলোচনায় আমরা দেখতে পাই, চাকমারা অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অপেক্ষা অগ্রগামী। কেননা তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ ও শিক্ষাদীক্ষার তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষণ করলে চাকমাদের অগ্রসরতা খুব সহজেই পরিস্ফুট হয়।
সুতরাং উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে আধুনিকÑ মন্তব্যটি সম্পূর্ণরূপে যথার্থ বলে প্রতীয়মান হয়।

প্রশ্ন -১৮ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কিছুদিন পূর্বে নাহিদ বেড়াতে গিয়েছিল তার নানাবাড়ি ময়মনসিংহে। ময়মনসিংহে অবস্থানকালে একদিন তার নানি আঞ্জুমান খানম তাকে বললেন যে, মান্দিরের মেলা থেকে ঘুরে আস। আমার জন্য ‘দকমান্দা’ ও ‘মিউয়া’ নিয়ে আসিস। এসব শুনে নাহিদের আক্কেল গুড়–ম হয়ে গেল। সে তার নানির কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারল না।
ক. গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসবের নাম কী? ১
খ. বর্তমানে গারোদের মধ্যে জুম চাষের প্রচলন নেই কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের নাহিদের নানির বর্ণনায় কোন নৃগোষ্ঠীর পরিচয় ফুটে ওঠে? তাদের ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠীর জীবন সহজ, সরল ও সাবলীল-মূল্যায়ন কর। ৪
ল্ফল্প ১৮নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসবের নাম ওয়ানগালা।
খ. গারোরা সাধারণত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। পূর্বে গারোরা জুম চাষে অভ্যস্ত ছিল। বর্তমানে অধিকাংশ গারোরা সমতলে বসতি স্থাপন করায় তাদের মধ্যে জুম চাষের প্রচলন নেই। বর্তমানে তারা হালচাষের সাহায্যে প্রধানত ধান, নানা জাতের সবজি ও আনারস উৎপাদন করে।
গ. উদ্দীপকের নাহিদের নানির বর্ণনায় গারোদের পরিচয় ফুটে ওঠে। গারোরা নিজেদের মান্দি বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। আর তার নানি তাকে মান্দিদের মেলায় যেতে বলেছিল। তাছাড়া গারো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম দকমান্দা ও দকশাড়ি, যা তার নানির বর্ণনায় উলি­খিত হয়েছে। সর্বোপরি গারোদের মতো এদেরও বাস ময়মনসিংহে। কেননা উদ্দীপকের ঘটনাবলি ময়মনসিংহ কেন্দ্রিক।
সুতরাং উদ্দীপকের নাহিদের নানির বর্ণনায় গারো নৃগোষ্ঠীর পরিচয় ফুটে ওঠে।
ঘ. উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠী গারোদের জীবন সহজ, সরল ও সাবলীল।
গারো মহিলারা পরিবারের পোশাক নিজেরা তৈরি করে।
তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম নারীদের ‘দকমান্দা’ ও দকশাড়ি এবং পুরুষের ‘গান্দো’। তারা ভাতের সঙ্গে মাছ ও শাকসবজি খায়। তাদের একটি বিশেষ খাদ্য কচি বাঁশগাছের গুঁড়ি। এর নাম মিউয়া। উদ্দীপকে নাহিদের নানির বর্ণনায় ‘দকমান্দা’ ও ‘মিউয়া’র কথা পাওয়া যায়। এছাড়া গারোরা কলাপাতা মোড়ানো পিঠা, মেরা পিঠা এবং তেলের পিঠা খেতে পছন্দ করে। তাদের সামাজিক উৎসবগুলো কৃষিকেন্দ্রিক, শ্রেষ্ঠ উৎসব ওয়ানগালা। তাদের ভাষার নাম আচিক খুসিক, যার কোনো বর্ণমালা নেই। তারা মাটির ওপর বাঁশ, গাছ ও ছন দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করে। তবে অনেকের বাড়ি টিন ও মাটির তৈরি।
সামগ্রিক আলোচনায় আমরা দেখতে পাই, গারো নৃগোষ্ঠীর লোকেরা সামাজিক জীবনযাপনে খুবই সহজ-সরল। তাদের পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, ঘরবাড়ি সবকিছুর মধ্যেই এ জীবনযাপনের একটি সহজ প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়।
প্রশ্ন -১৯ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
৮ম শ্রেণির ছাত্র রায়হানের বান্ধবী পার্বতীর বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। তার কাছ থেকে রায়হান জানতে পারে পার্বতীদের সমাজ জীবন বাঙালিদের মতো নয়। তাদের সমাজের প্রধান বোমাং চীফ বা বোমাং রাজা এবং সমাজজীবন বৈচিত্র্যপূর্ণ।
ক. মারমাদের গ্রামপ্রধানকে কী বলে? ১
খ. চাকমাদের সামাজিক জীবন ব্যবস্থার বর্ণনা দাও। ২
গ. উদ্দীপকের পার্বতীদের ধর্মীয় জীবন কেমন? বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে পার্বতীদের সমাজ জীবন আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ১৯নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. মারমাদের গ্রামপ্রধানকে বলে রোয়াজা।
খ. চাকমা সমাজে মূল অংশ পরিবার। কয়েকটি চাকমা পরিবার নিয়ে গঠিত হয় ‘আদাম’ বা ‘পাড়া’। কয়েকটি পাড়া নিয়ে গঠিত হয় মৌজা। পাড়ার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান। হেডম্যান মৌজার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করেন। কয়েকটি মৌজা মিলে চাকমা সার্কেল গঠিত হয় এবং এর প্রধান হলেন চাকমা রাজা। চাকমা সমাজে রাজার পদটি বংশানুক্রমিক।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত উদ্দীপকে ৮ম শ্রেণির ছাত্র রায়হানের বান্ধবী পার্বতী মারমা নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। কেননা মারমা সমাজের মতো পার্বতীদের সমাজ প্রধানও বোমাং রাজা। তাছাড়া মারমাদের মতো তারও বাড়ি খাগড়াছড়ি অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায়। সুতরাং, উদ্দীপকের পার্বতীদের নৃগোষ্ঠীগত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নির্দ্বিধায় বলা যায়, উদ্দীপকের পার্বতীদের নৃগোষ্ঠীর ধর্মীয় জীবন মারমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ। আমরা জানি, মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মারমাদের প্রত্যেকটি গ্রামে বৌদ্ধবিহার ‘কিয়াং’ এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু ‘ভান্তে’দের দেখা যায়। তারা বৈশাখী পূর্ণিমা, আশ্বিনী পূর্ণিমা, কার্তিকী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা ইত্যাদি দিনগুলোতে ফুল দিয়ে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের পূজা করে। কর্ণফুলী নদীর তীরে নির্মিত চিৎমরম বৌদ্ধবিহার তাদের নির্মিত একটি অতি সুন্দর বৌদ্ধবিহার। প্রতিবছর বহু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সেখানে বুদ্ধ প্রণাম ও পূজা করতে যায়।
ঘ. উদ্দীপকের পার্বতী মারমা নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত মারমাদের বোমাং রাজানির্ভর সমাজজীবন বৈচিত্র্যপূর্ণ। উদ্দীপকে এ তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। মূলত মারমাদের প্রত্যেক মৌজায় কতগুলো গ্রাম আছে। গ্রামকে তারা ‘রোয়া’ ও গ্রামপ্রধানকে বলে ‘রোয়াজা’। মারমা পরিবারে পিতার স্থান সর্বোচ্চ হলেও পারিবারিক কাজকর্মে মাতা উলে­খযোগ্য ভূমিকা পালন করে। মারমা সমাজে পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মেয়েদের মতামতকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
মারমা সমাজের একজন প্রধান কর্তাব্যক্তি থাকেন। পার্বত্য অঞ্চলে বোমাং সার্কেলে তিনি মারমা সমাজের প্রধান। তাঁকে বলা হয় বোমাং চীফ বা বোমাং রাজা। সুতরাং সামগ্রিক আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, উদ্দীপকের পার্বতীদের তথা মারমাদের বোমাং রাজানির্ভর সমাজজীবন বৈচিত্র্যপূর্ণ।
প্রশ্ন -২০ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে পটুয়াখালি গিয়েছিল রাজন ও তার বন্ধুরা। সেখানে তারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী কিছু উপজাতির সঙ্গে পরিচিত হলো। তাদের গায়ের রং ফর্সা, মুখমণ্ডল গোলাকার এবং চুলগুলো সোজা।
ক. চৈত্র সংক্রান্তিতে রাখাইনরা যে উৎসব পালন করে তার নাম কী? ১
খ. রাক্ষাইন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন কেমন? ৩
ঘ. উদ্দীপকের নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে সাঁওতালদের ধর্মীয় বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর। ৪
ল্ফল্প ২০নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. চৈত্র সংক্রান্তিতে রাখাইনরা যে উৎসব পালন করে তার নাম সাংগ্রাই
খ. রাক্ষাইন পালি ভাষার শব্দ, যার অর্থ রক্ষণশীল জাতি। এ রাক্ষাইন থেকে রাখাইন নামের উৎপত্তি। বর্তমান মায়ানমারের আরাকান অঞ্চল রাখাইনদের আদিবাস। তারা নিজেদের রাক্ষাইন পরিচয় দিতে ভালোবাসে।
গ. উদ্দীপকের রাখাইন নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবন বৈচিত্র্যপূর্ণ।
রাখাইনরা নদীর পাড় ও সমুদ্র উপক‚লের সমতল ভূমিতে তাদের গ্রামগুলো গড়ে তোলে। গোলপাতা বা টিন দিয়ে তারা মাচা পেতে ঘর তৈরি করে। রাখাইনরা নানা পালা পর্বনে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। এর মধ্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশেষ করে গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী, বৈশাখী পূর্ণিমা, বসন্ত উৎসব প্রধান। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে উদ্দীপকের রাজন ও তার বন্ধুরা ধর্মের অনুসারী এই রাখাইনদের দেখেছিল। তাছাড়া চৈত্র সংক্রান্তিতে তারা তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাই পালন করে। রাখাইন পুরুষরা ফতোয়ার ওপর লুঙ্গি আর মেয়েরা লুঙ্গির ওপর ব্লাউজ পরে। নানা অনুষ্ঠানে পুরুষের পরিহিত পাগড়ি রাখাইনদের ঐতিহ্যের প্রতীক।
ঘ. উদ্দীপকের রাখাইন নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে সাঁওতালদের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী প্রধানত দুই ধর্মের অনুসারী। তাদের এক অংশ সনাতন হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করে এবং অপর অংশ খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছে। এরা হিন্দু ও খ্রিষ্টধর্মের চিরাচরিত আচার-অনুষ্ঠানগুলো পালন করে। পক্ষান্তরে উদ্দীপকের রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাঁদের শিশু-কিশোরদের বৌদ্ধমন্দিরে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হাতে ধর্মীয় শিষ্টাচারে দীক্ষিত করা হয়। তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশেষ করে বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী, বৈশাখী পূর্ণিমা, বসন্ত উৎসব ইত্যাদি পালন করে।
সুতরাং উদ্দীপকের রাখাইন এবং সাঁওতাল উপজাতিদের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদের ধর্ম ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ পৃথক। একদিকে রাখাইনরা বৌদ্ধ আর অন্যদিকে সাঁওতালরা প্রাচীন হিন্দু ও খ্রিষ্টান মতাবলম্বী। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, উদ্দীপকের রাখাইন নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে সাঁওতালদের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
প্রশ্ন -২১ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতিসত্তার মধ্যে তাদের অবস্থান উলে­খযোগ্য। এ নৃগোষ্ঠীর লোক নিজেদেরকে মান্দি বলে থাকে। তাদের পরিবারে ‘কন্যা’ উত্তরাধিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তাদের একটি নিজস্ব জীবন ব্যবস্থা রয়েছে।
ক. রাখাইনদের আদিবাস কোথায়? ১
খ. চাকমাদের অর্থনৈতিক জীবন ব্যবস্থা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন নৃগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশে তাদের অবস্থান বর্ণনা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের উলি­খিত নৃগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনÑ বিশ্লেষণ পূর্বক মতামত দাও। ৪
ল্ফল্প ২১নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বর্তমান মায়ানমারের আরাকান অঞ্চল রাখাইনদের আদিবাস।
খ. চাকমাদের জীবিকার প্রধান উপায় হচ্ছে কৃষি কাজ।
যে পদ্ধতিতে তারা চাষ করে তাকে বলা হয় ‘জুম’। তবে বর্তমান সময়ে তারা হালচাষেও অভ্যস্ত হয়েছে। চাকমারা বাঁশ ও বেত দিয়ে সুন্দর সুন্দর ঝুড়ি, পাখা, চিরনি, বাঁশি এবং বাদ্যযন্ত্র তৈরি করে। এগুলো কেনাবেচা করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে।
গ. উদ্দীপকে গারো নৃগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে। এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা নিজেদের ‘মান্দি’ নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। তাদের পরিবারে ‘কন্যা’ উত্তরাধিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। গারোরা মঙ্গোলিয় নৃগোষ্ঠীর লোক। উদ্দীপকে এ তথ্যগুলো সন্নিবেশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলায় বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তাগুলোর মধ্যে গারোরা হলো সংখ্যাগরিষ্ঠ। গারোরা ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইলের মধুপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও গাজীপুরের শ্রীপুরে বাস করে। বৃহত্তর সিলেট জেলায়ও কিছু সংখ্যক গারো রয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে ভারতের মেঘালয় ও অন্যান্য রাজ্যেও গারোরা বাস করে। বাংলাদেশের গারোরা সাধারণত সমতলের বাসিন্দা।
ঘ. উদ্দীপকে গারো নৃগোষ্ঠীর কথা বলা হয়েছে। এদের অর্থনৈতিক জীবন কৃষিভিত্তিক এবং সামাজিক জীবন বিচিত্র।
গারো সমাজ মাতৃসূত্রীয়। সন্তানরা মায়ের উপাধি ধারণ করে। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ কন্যা পরিবারের সমুদয় সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে থাকে। উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে। পরিবারে পিতা সংসার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। গারো সমাজের মূলে রয়েছে মাহারি বা মাতৃগোত্র পরিচয়। একই মাহারির পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। গারো সমাজ সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং প্রভৃতি দলে বিভক্ত।
গারোরা প্রধানত কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। পূর্বে জুম চাষে অভ্যস্ত হলেও বর্তমানে এরা হালচাষের মাধ্যমে প্রধানত ধান, নানা জাতের সবজি ও আনারস প্রভৃতি উৎপাদন করে।
সুতরাং আলোচনা সূত্রে বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গারোদের অর্থনৈতিক জীবন খুবই সরল এবং কৃষিভিত্তিক আর সমাজ জীবন বেশ ব্যতিক্রমী ও বিচিত্র।

প্রশ্ন -২২ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
লারচু একটি সংস্থায় ছয় মাস হলো কাজ করছে। এরই মধ্যে তার মিশুক স্বভাব অফিসের সবার বিশেষ দৃষ্টি কেড়েছে। মারমা উপজাতির সদস্য হলেও লারচু বৈশাখী পূর্ণিমাসহ তাদের অন্যান্য অনুষ্ঠানে নিঃসংকোচে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে।
ক. বাংলাদেশে বাঙালিদের পাশাপাশি কারা সুদীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছে। ১
খ. মারমাদের সামাজিক জীবনব্যবস্থা বাখ্যা কর। ২
গ. লারচু তার সমাজব্যবস্থায় কীভাবে ধর্মীয় প্রথাসমূহ পালন করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.‘লারচু নিজস্ব সংস্কৃতি প্রভাবেই হাসিখুশি ও উৎসবপ্রিয়’ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২২নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. বাংলাদেশে বাঙালিদের পাশাপাশি বহু ভাষাভাষী মানুষ সুদীর্ঘকাল ধরে বসবাস করে আসছে।
খ. পার্বত্য অঞ্চলে বোমাং সার্কেলে মারমা সমাজের প্রধান হলেন বোমাং চীফ বা বোমাং রাজা। প্রত্যেক মৌজায় কতকগুলো গ্রাম রয়েছে। গ্রামবাসী গ্রামের প্রধানকে মনোনীত করে। মারমারা গ্রামকে তাদের ভাষায় ‘রোয়া’ এবং গ্রামের প্রধানকে রোয়াজা’ বলে। মারমা পরিবারে পিতার স্থান সর্বোচ্চ হলেও পারিবারিক কাজকর্মে মাতা উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করে। মারমা সমাজে পারিবারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মেয়েদের মতামতকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
গ. লারচু তার সমাজব্যবস্থায় সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী ধর্মীয় প্রথাসমূহ পালন করে থাকে। একজন মারমা অন্যান্য মারমাদের মতোই লারচু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। নিষ্ঠার সাথে সে বিভিন্ন বৌদ্ধ অনুষ্ঠানাদি উদযাপন করে। তার গ্রামে বৌদ্ধবিহার ‘কিয়াং’ এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু ‘ভান্তে’দের দেখা যায়। অন্যদের মতো লারচুও সুযোগ
পেলে বৈশাখী পূর্ণিমা, আশ্বিনী পূর্ণিমা, কার্তিকী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা ইত্যাদি বিভিন্ন পূর্ণিমা দিবসগুলোতে বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে ফুল দিয়ে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধের পূজা করে। এছাড়া সে এসব অনুষ্ঠানে সবাইকে আমন্ত্রণ করে। উদ্দীপকে তা উল্লিখিত হয়েছে। এছাড়া ধর্মীয় প্রথা হিসেবে আত্মীয়স্বজন কেউ মারা গেলে মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে তিন স্তর লাকড়ি এবং স্ত্রীলোক হলে চার স্তর লাকড়ি দিয়ে দাহ করা হয় এবং এ কাজে লারচু অংশগ্রহণ করে।
ঘ. নিজস্ব সাংস্কৃতিক প্রভাবেই লারচু হাসিখুশি ও উৎসবপ্রিয়। লারচু জাতিগতভাবে মারমা। আর মারমারা সাধারণত ফুর্তিবাজ, সরল এবং হাসিখুশি প্রকৃতির মানুষ। তারা সৌন্দর্যপ্রিয় এবং পরিপাটি থাকতে পছন্দ করে। এরা বেশ কৌতুকপ্রিয়। যেকোনো অতিথি মারমাদের বাড়িতে গেলে তারা পান-সুপারি ইত্যাদি দিয়ে তাকে আপ্যায়ন করে। তারা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষবরণ উপলক্ষে ‘সাংগ্রাই’ উৎসব উদযাপনকালে ‘পানিখেলা’ বা ‘জলোৎসব’ করে থাকে সানন্দে। এ উৎসবে নির্দিষ্ট পানিখেলার স্থানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রাখা হয়। এ উৎসব বেশ আনন্দ উদ্দীপনার সাথে উদযাপিত হয়। মারমা ছেলেমেয়েরা নানারকম খেলা খেলতে পছন্দ করে। ভাতের সাথে মাছ-মাংস, নানা ধরনের শাকসবজি, শুঁটকি মাছের গুঁড়া প্রভৃতি খাবার তাদের প্রিয়। বিভিন্ন ধরনের উৎসবমুখর দিনে পাগড়ি, জামা, লুঙ্গি পরিধান করে মারমা ছেলেরা। লারচুও এগুলোর ব্যতিক্রম কিছু করে না। তাই মারমা সংস্কৃতির প্রভাবেই সে তার অফিসে হয়ে উঠেছে হাসিখুশি ও উৎসবপ্রিয় একজন কর্মী।

সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন-২৩  নামিরা তার বাবার সাথে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছিল। বাংলাদেশের এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবনধারা বাঙালিদের চেয়ে বেশ আলাদা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। নামিরা শুনে অবাক হয়, এ সকল জাতিসত্তারা এদেশে সুদীর্ঘকাল বসবাস করছে।
ক. রাখাইন জনগোষ্ঠীর মানুষ কোথায় বসবাস করে? ১
খ. ‘মাঝি পরাণিক’ বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে বিচিত্র সাংস্কৃতিক জীবন বর্ণনা কর। ৩
ঘ. নমিরাকে অবাক করা বিষয়টি ব্যাখ্যা কর। ৪
প্রশ্ন-২৪  ভ্রমণ পিপাসু ফাহাদ এক স্থানে ভ্রমণে গিয়ে দেখল এখানকার লোকজন ভাতের সাথে মাছ খেয়ে থাকে। তারা মেরাপিঠা এবং তেলের পিঠা খেতে পছন্দ করে। পশু বলিদানের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শুরু করে। ফাহাদ বগুড়া জেলায় তার বন্ধু বাঁধনের গ্রামে গিয়ে দেখতে পেল তাদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এখানকার কিছু লোকের হাতে উল্কির চিহ্ন। ফাহাদ বাঁধনের গ্রামের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচ দেখে মুগ্ধ হয়।
ক. গারোদের শ্রেষ্ঠ উৎসব কোনটি? ১
খ. রাখাইন জনগোষ্ঠীর পরিচয় তুলে ধর। ২
গ. ফাহাদ ভ্রমণে গিয়ে যে নৃগোষ্ঠীর ধর্মীয় উৎসব দেখতে পেল তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘ফাহাদের দেখা প্রথম নৃগোষ্ঠীর সাথে দ্বিতীয় দেখা নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক জীবনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছেÑ বিশ্লেষণ কর। ৪
প্রশ্ন-২৫  শিক্ষক ক্লাসে তার ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেন, বাংলাদেশে বৃহত্তম জনগোষ্ঠী বাঙালিদের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোক বসবাস করে আসছে সুদীর্ঘকাল ধরে। এদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে এক ধরনের জাতিসত্তার লোক বাস করে যাদের দেহের রং কালো, উচ্চতা মাঝারি এবং চুলগুলো কালো ও ঈষৎ ঢেউ খেলানো। শিক্ষক বলেন, ‘তাদের মধ্যে শিক্ষিতের হার অতি নগণ্য হলেও রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থা।’
ক. সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য কী? ১
খ. সাঁওতালদের জনগোষ্ঠীতে দুই ধর্মের অনুসারী বিদ্যমান- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. শিক্ষকের বর্ণনার সাথে কোন জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে- বর্ণনা কর। ৩
ঘ. ‘তাদের মধ্যে শিক্ষিতের হার অতি নগণ্য হলেও তাদের রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থা’। – এ বক্তব্যের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর। ৪

প্রশ্ন -২৬ ল্ফ নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ড. সন্তুলাহারি একটি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের সভাপতির ভাষণে বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বৃহৎ জাতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে দেশের উন্নয়নে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এজন্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাম ও নৃতাত্তি¡ক পরিচয় চিহ্নিত করে তাদের আবাস স্থলে বিদ্যালয় স্থাপন করা জরুরি।
ক. পানিখেলা কাদের অনুষ্ঠান? ১
খ. মারমাদের সাংস্কৃতিক জীবনের বর্ণনা দাও। ২
গ. উদ্দীপকের জনগোষ্ঠীর নৃতাত্তি¡ক পরিচয় উল্লেখ কর। ৩
ঘ.শিক্ষাবিস্তারে ড. সন্তুলাহারির পরামর্শ বিশ্লেষণ কর। ৪
ল্ফল্প ২৬নং প্রশ্নের উত্তর ল্ফল্প
ক. পানিখেলা মারমাদের অনুষ্ঠান।
খ. মারমা পুরুষরা মাথায় পাগড়ি, গায়ে জামা ও লুঙ্গি পরে। মহিলারা পরে বøাউজ। কাপড় বোনার কাজে মারমা নারীরা দক্ষ। তাদের মধ্যে হস্তচালিত ও কোমর উভয় ধরনের তাঁতের ব্যবহার রয়েছে। মারমারা সাধারণত মাছ-মাংস ও নানা ধরনের শাকসবজি খেয়ে থাকে। তারা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষবরণ উপলক্ষে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে। এ সময় তারা পানিখেলা উৎসবে মেতে ওঠে।
গ. উদ্দীপকের জনগোষ্ঠী তথা বাংলাদেশের প্রধান প্রধান ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নাম, আবাসস্থল ও নৃতাত্তি¡ক পরিচয় উলে­খ করা হলো :
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, তঞ্চঙ্গ্য, বম, পাংখুয়া, চাক, খ্যাং, খুমি, লুসাই : মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর লোক।
গারো, হাজং, কোচ ধ মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর লোক।
খাসিয়া, মণিপুরি : মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর লোক।
সাঁওতাল, মাহালি, ওরাঁও, মুণ্ডা, মাল পাহাড়ি, মালো প্রভৃতি : অস্ট্রালয়েড।
রাখাইন : মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীভুক্ত।
ঘ. শিক্ষাবিস্তারে ড. সন্তুলাহারির পরামর্শ অত্যন্ত যুক্তিপূর্ণ। কারণ শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার। যদিও আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ নানা কারণে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। শিক্ষার অভাবে তারা অসচেতন ও অদক্ষ। এর ফলে শুধু যে তারা নিজের ও পরিবারের উন্নতি করতে পারছে না তাই নয় সমাজ ও দেশের উন্নয়নেও সঠিক ভ‚মিকা রাখতে পারছে না।
উদ্দীপকের ড. সন্তুলাহারির পরামর্শেও একই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে যে, ক্ষুদ্র নৃজাতিগোষ্ঠীর লোকেরা শিক্ষার অভাবে দেশের উন্নয়নে সঠিক ভ‚মিকা রাখতে পারছে না। এসব মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধাগুলো যাতে দেশের প্রতিটি নাগরিক গ্রহণ করতে পারে প্রথমেই তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশে আরও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষি, মেডিকেল ও প্রকৌশল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারী ও অন্যান্য পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর শিক্ষার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা ও উপবৃত্তির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

অনুশীলনের জন্য দক্ষতাস্তরের প্রশ্ন ও উত্তর

 জ্ঞানমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ গারো, হাজং ও কোচ কোথায় বাস করে?
উত্তর : গারো, হাজং ও কোচরা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বাস করে।
প্রশ্ন \ ২ \ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর খাসিয়ারা কোথায় বাস করে?
উত্তর : ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী খাসিয়ারা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বাস করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ চাকমা সমাজে মূল অংশ কোনটি?
উত্তর : চাকমা সমাজে মূল অংশ হলো পরিবার।
প্রশ্ন \ ৪ \ চাকমা পাড়ার প্রধানকে কী বলা হয়?
উত্তর : চাকমা পাড়ার প্রধানকে বলা হয় হেডম্যান।
প্রশ্ন \ ৫ \ গারোরা কোন নৃগোষ্ঠীর?
উত্তর : গারোরা মঙ্গোলিয় নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন \ ৬ \ গারো সন্তানরা কার উপাধি ধারণ করে থাকে?
উত্তর : গারো সন্তানরা মায়ের উপাধি ধারণ করে থাকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ সাঁওতালরা ধর্মগুরু হিসেবে গণ্য করে কাকে?
উত্তর : সাঁওতালরা ধর্মগুরু হিসেবে গণ্য করে নায়েককে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ঝুমুর নাচ কোন জনগোষ্ঠীর উৎসব?
উত্তর : ঝুমুর নাচ সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর উৎসব।
প্রশ্ন \ ৯ \ মারমাদের গ্রাম প্রধানকে কী বলা হয়?
উত্তর : মারমাদের গ্রাম প্রধানকে রোয়াজা বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ রাখাইনরা কোন জনগোষ্ঠীর লোক?
উত্তর : রাখাইনরা মঙ্গোলিয় জনগোষ্ঠীর লোক।
প্রশ্ন \ ১১ \ রাখাইনদের আদিবাস কোথায়?
উত্তর : রাখাইনদের আদিবাস হলো বর্তমান মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চল।
 অনুধাবনমূলক //
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা প্রভৃতি এলাকায় নানা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোক বসবাস করে। এরা হলোÑ সাঁওতাল, ওরাঁও, মাহালি, মুণ্ডা, উল্লেখযোগ্য। তাদের দেহের রং কালো, উচ্চতা মাঝারি ধরনের এবং চুলগুলো কালো ও ঈষৎ ঢেউ খেলানো।
প্রশ্ন \ ২ \ সাঁওতালদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা কোনটি? বর্ণনা দাও?
উত্তর : সাঁওতাল বিদ্রোহ সাঁওতালদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা।
বিশ শতকের প্রথম ভাগে সংঘটিত সাঁওতাল বিদ্রোহ উপমহাদেশে তথা সাঁওতালদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ বিদ্রোহের নায়ক দুই ভাই সিধু ও কানুকে সাঁওতালরা বীর হিসেবে ভক্তি করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ মারমাদের অর্থনৈতিক জীবন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মারমাদের জীবিকার প্রধান উপায় হচ্ছে কৃষিকাজ। তাদের কৃষি পদ্ধতিকে জুম চাষ বলা হয়। চাকমাদের মতো মারমারাও এখন হালকৃষিতে অভ্যস্ত হয়েছে। এ সমাজে নারী-পুুরুষ সকলেই কৃষিকাজে অংশগ্রহণ করে। মারমা মেয়েরা কৃষিকাজ ও তাঁতের কাজে দক্ষ। ।
প্রশ্ন \ ৪ \ মারমাদের সাংস্কৃতিক জীবনের বর্ণনা দাও।
উত্তর : মারমা পুরুষরা মাথায় পাগড়ি, গায়ে জামা ও লুঙ্গি পরে। মহিলারা পরে বøাউজ। কাপড় বোনার কাজে মারমা নারীরা দক্ষ। তাদের মধ্যে হস্তচালিত ও কোমর উভয় ধরনের তাঁতের ব্যবহার রয়েছে। মারমারা সাধারণত মাছ-মাংস ও নানা ধরনের শাকসবজি খেয়ে থাকে। তারা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নববর্ষবরণ উপলক্ষে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে। এ সময় তারা পানিখেলা উৎসবে মেতে ওঠে।

 

Leave a Reply