নবম দশম শ্রেণির রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম দশম/এসএসসি রসায়ন নবম অধ্যায় এসিড-ক্ষার সমতা এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -1 : নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

NH4Cl

ক. NO2 গ্যাসের বর্ণ কী?
খ. চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি না কম হবে? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘ঢ’ গ্যাসটির জলীয় দ্রবণের একটি রাসায়নিক ধর্ম ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আয়রন লবণের জলীয় দ্রবণের মধ্যে ‘ঢ’ গ্যাস চালনা করলে কী ঘটবে? সমীকরণসহ লিখ।
⇔ 1নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. NO2 গ্যাসের বর্ণ বাদামি।
খ. চুনের পানির pH এর মান 7 থেকে কম নয় বেশি হবে।
যেসব দ্রবণ অম্লীয় তাদের pH-এর মান 7 অপেক্ষা কম এবং যেসব দ্রবণ ক্ষারীয় তাদের pH-এর মান 7 অপেক্ষা বেশি। চুন তথা ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সাথে পানি মেশালে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড উৎপন্ন হয়।
CaO(s) + H2O(l) → Ca(OH)2(aq)
যেহেতু ধাতুর হাইড্রক্সাইডসমূহ ক্ষার, সুতরাং চুনের পানি ক্ষারীয় হবে। তাই চুনের পানির pH-এর মান 7 থেকে বেশি হবে।
গ. ঢ গ্যাসটির জলীয় দ্রবণ ক্ষারীয়।
উদ্দীপক হতে দেখা যায় যে, NH4Cl এবং CaO এর বিক্রিয়ায় ঢ গ্যাসটি উৎপন্ন হয়। NH4Cl এবং CaO এর বিক্রিয়ার সমীকরণটি নিম্নরূপ :
2NH4Cl(aq) + CaO(s) → CaCl2(aq) + NH3(g) + H2O(l)
সুতরাং, ঢ দ্বারা NH3 গ্যাসকে বোঝানো হয়েছে।
NH3 পানিতে সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভ‚ত হয়। অর্থাৎ, এ গ্যাসের জলীয় দ্রবণ একটি ক্ষার। NH3 গ্যাসের জলীয় দ্রবণে ঘH+4 আয়ন এবং OH– আয়ন বিদ্যমান। NH3 গ্যাসের জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী হওয়ায় অম্লের সাথে বিক্রিয়া করে এটি লবণ (NH4Cl) এবং (H2O) উৎপন্ন করে। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপে দেখানো যেতে পারে :
ঘH+4(aq) + OH–(aq) + HCl(aq) → NH4Cl(aq) + H2O(l)
ঘ. ‘গ’ থেকে জানা যায় ঢ দ্বারা NH3 গ্যাসকে প্রকাশ করা হয়েছে এবং NH3 গ্যাসটি একটি ক্ষারীয় গ্যাস। আয়রন লবণ যেমন : FeCl3 এর জলীয় দ্রবণ ঢ গ্যাসে তথা অ্যামোনিয়া গ্যাস (NH3) এর সাথে বিক্রিয়া করে, NH4Cl লবণ ও Fe(OH)2 এর লালচে বাদামি অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে। কেননা জলীয় দ্রবণের সংস্পর্শে অ্যামোনিয়া গ্যাস অ্যামোনিয়াম আয়ন (ঘH+4) এবং OH– আয়ন তৈরি করে। লঘু ক্ষারের সাথে ধাতব আয়নের বিক্রিয়ায় অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। অতিরিক্ত ক্ষার দ্রবণ যোগ করলে উক্ত অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নোক্ত সমীকরণের সাহায্যে দেখানো যেতে পারে :
FeCl3 + NH3(g) + জলীয় দ্রবণ (H+ + OH–) → NH4Cl(aq) + Fe(OH)3(s)
লালচে বাদামি অধঃক্ষেপ।

প্রশ্ন -2 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্প, রং ও সালফিউরিক এসিডযুক্ত বর্জ্য সরাসরি নিকটস্থ জলাশয়ে ফেলছে। ফলে ঐ সকল জলাশয় জলজ প্রাণীর বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে।
ক. তেঁতুলে কোন এসিড থাকে?
খ. উদ্দীপকের জলাশয়ের pH মান সম্পর্কে তোমার ধারণা ব্যক্ত কর।
গ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে যৌক্তিক পরামর্শ দাও।
ঘ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশে এসিডবৃষ্টির সম্ভাবনা বিক্রিয়াসহ বিশ্লেষণ কর।
⇔ 2নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. তেঁতুলে টারটারিক এসিড থাকে।
খ. উদ্দীপকে উলি­খিত জলাশয়ের pH মান 7 থেকে কম হবে। কোনো জলাশয়ের pH-এর মান নির্ভর করে এতে দ্রবীভূত এসিড বা ক্ষারের পরিমাণের ওপর। দ্রবীভূত এসিডের পরিমাণ বেশি হলে উক্ত জলাশয়ের পানি অম্লীয় হয়। ফলে এর pH- মান 7 অপেক্ষা কম হয়। উদ্দীপকের জলাশয়ে যেহেতু টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্প হতে রং ও সালফিউরিক এসিডমিশ্রিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, তাই এর pH- মান 7 অপেক্ষা কম হবে।
গ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন জনসচেতনতা এবং সামগ্রিকভাবে প্রশাসনিক উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা।
টেক্সটাইল ও ডায়িং শিল্প হতে যেসব বর্জ্য ও রং সরাসরি জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে তা মূলত H2SO4 মিশ্রিত। এই এসিড দ্বারা সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের পানি দূষণ একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নিচে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরা হলো :
1. প্রতিটি টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের জন্য নিজস্ব বর্জ্য শোধনাগার তৈরি করতে হবে।
2. প্রক্রিয়াকরণ ও পরিবেশ উপযোগী না করে শিল্প বর্জ্যসমূহ সরাসরি জলাশয়ে ফেলা বন্ধ করতে হবে।
3. প্রত্যেক শিল্প-কারখানার জন্য বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
4. এসিড দূষণ সম্পর্কে সংগঠিত জনসচেতনতা ও সংঘবদ্ধ জনমত গড়ে তুলতে হবে।
অতএব, টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্টের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে এসিড দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ঘ. টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশে এসিডবৃষ্টির সম্ভাবনা অনেক বেশি।টেক্সটাইল মিল ও ডায়িং শিল্পের আশপাশের বায়ুতে সালফার ডাইঅক্সাইড বা নাইট্রিক অক্সাইড বিমুক্ত হয়। বিমুক্ত অক্সাইডসমূহ এসিডবৃষ্টির জন্য দায়ী। সালফার ডাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন ও ওজোনের সাথে বিক্রিয়া করে সালফার ট্রাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে। সালফার ট্রাইঅক্সাইড বায়ুমণ্ডলের পানির সাথে বিক্রিয়ায় সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে।
SO2(g) + H2O(l) → H2SO3(aq)
SO3(g) + H2O(l) → H2SO4(aq)
আবার, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড বাতাসে উপস্থিত পানির সাথে বিক্রিয়ায় নাইট্রাস এসিড ও নাইট্রিক এসিড উৎপন্ন করে।
2NO2(g) + H2O(l) → HNO2 + HNO3(aq)
উৎপন্ন HNO2 অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এটি বাতাসের অক্সিজেনের দ্বারা জারিত হয়ে HNO3-তে পরিণত হয়। উপরিউক্ত এসিডগুলো (H2SO4 ও NHO3) বৃষ্টির পানির সাথে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। ফলে এসিডবৃষ্টির সৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্ন-3  পর্যায় সারণির গ্রæপ-16 এর একটি মৌলকে বায়ুতে পোড়ালে একটি অক্সাইড অ পাওয়া যায়। অক্সাইডটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস। লা-শাতেলীয়ে নীতি প্রয়োগ করে শিল্পক্ষেত্রে অ থেকে একটি এসিড ই তৈরি করা যায়।
ক. আকরিক কাকে বলে? 1
খ. অ অক্সাইডটি অম্লধর্মী- ব্যাখ্যা কর। 2
গ. উদ্দীপকের নীতিতে ই এসিডটি তৈরি করার প্রক্রিয়া বর্ণনা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের ই এসিডটির গাঢ়ত্বের উপর জারণ ধর্ম নির্ভর করে- যুক্তি দ্বারা প্রমাণ কর। 4
⇔ 3নং প্রশ্নের সমাধান ⇔
ক যেসকল খনিজ থেকে লাভজনকভাবে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদেরকে আকরিক বলে।
খ. উদ্দীপকের অ অক্সাইডটি হলো সালফার ডাইঅক্সাইড। সালফার ডাইঅক্সাইড অত্যন্ত সুস্থিত যৌগ, যেটি ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস। সালফার ডাইঅক্সাইড পানির সাথে যুক্ত হয়ে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে। সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস এসিড বৃষ্টির অন্যতম কারণ। এটি একটি প্রধান বায়ু দূষক পদার্থ। পানির সংস্পর্শে এসে সালফিউরাস এসিড উৎপন্ন করে বিধায় সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) তথা উদ্দীপকের অ-এর অক্সাইডটিকে অম্লধর্মী বলা হয়। সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
SO2(g) + H2O(l) → H2SO3(aq)
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ই এসিডটি হলো সালফিউরিক এসিড। সালফিউরিক এসিড সকল রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হয়।
সাধারণ অবস্থায় SO2, বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয় না। স্পর্শ চেম্বারে 400-4500C তাপমাত্রায় প্লাটিনাম চ‚র্ণ প্রভাবকের উপস্থিতিতে অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে সালফার ট্রাইঅক্সাইড উৎপন্ন করে। সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ-
2SO2(g) + O2(g) (440 – 5000C Pt/V2O5)→ 2SO3(g) ;
ΔH = – 197 kJ mol-1
বিক্রিয়াটি উভমুখী প্রকৃতির। লা শাতেলিয়ার নীতি ব্যবহার করে এই বিক্রিয়ার সাম্যাবস্থায় SO3 এর পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায়। সম্মুখমুখী বিক্রিয়াটি তাপোৎপাদী। সুতরাং, বিক্রিয়া তাপ বেশি হলে উৎপাদ বেশি হবে। এখানে, 4500C তাপমাত্রাকে অত্যানুক‚ল তাপমাত্রা ধরা হয়েছে। এ তাপমাত্রায় অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক পরিমাণে SO3 উৎপন্ন হয়।
আবার, বিক্রিয়াটিতে বাম থেকে ডানদিকে অণুর সংখ্যা কম। উচ্চচাপ এই বিক্রিয়ার জন্য অনুক‚ল হলেও বিক্রিয়াটি স্বাভাবিক

বায়ুচাপে সংঘটিত করা হয়। সম্মুখাভিমুখী বিক্রিয়ায় উৎপন্ন তাপ বিক্রিয়ক গ্যাসকে উত্তপ্ত করে। এতে তাপশক্তি অর্থাৎ অর্থের সাশ্রয় হয়।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত ই এসিডটি হরো সালফিউরিক এসিড। সালফিউরিক এসিড সকল রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদন ও ব্যবহৃত হয়। একটি দেশে সালফিউরিক এসিড উৎপাদন ও ব্যবহারের পরিমাণকে ঐ দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বা শিল্পায়নের মানদণ্ড হিসেবে বিবেPbা করা হয়। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কয়েক মিলিয়ন টন সালফিউরিক এসিড উৎপাদন করা হয়। এই এসিড রসায়ন শিল্পে বহু দ্রব্য উৎপাদনে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত যেসকল পদার্থ জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় বিজারক থেকে ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হয়, তাদেরকে জারক পদার্থ বলে। অথবা, যেসকল পদার্থ অন্য কোনো পদার্থকে জারিত করে, তারাই জারণ ধর্ম প্রদর্শন করে। অক্সিজেন হলো সর্বাধিক প্রচলিত জারক পদার্থ।
গাঢ় H2SO4 একটি অন্যতম জারক পদার্থ। কেননা, এটি জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন গ্রহণ করে অন্য পদার্থকে জারিত করে এবং নিজে বিজারিত হয়। আর, গাঢ় H2SO4-এর এই জারণ ধর্ম এসিডটির ঘনত্ব বা গাঢ়ত্বের মান বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। সুতরাং, বলা যায় যে, সালফিউরিক এসিডের গাঢ়ত্বের উপর তার জারণ ধর্ম নির্ভরশীল।

প্রশ্ন -4 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তুহিন সাহেবের পেটে প্রায়ই বিভিন্ন সমস্যা হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি কিছু পরীক্ষা করাতে বলেন। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেল, পাকস্থলীতে pH 1.6 এবং ধমনির রক্তে 7.5। রিপোর্ট নিয়ে বাসায় ফেরার সময় সে তার দুই মাসের বাচ্চার জন্য একটি লোশন কিনতে চাইল যার pH 5.5। কিন্তু দোকানি তাকে বাচ্চার জন্য অন্যটি নিতে বললেন।
ক. অ্যামোনিয়াম সালফেটের সংকেত লেখ। 1
খ. ভিনেগারকে কেন দুর্বল এসিড বলা হয়? 2
গ. দোকানি লোশনটি নিতে নিষেধ করলেন কেন? ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. তুহিন সাহেবের পাকস্থলীতে এবং রক্তে এসিড ও ক্ষারের পরিমাণ যথাযথ আছে কি? না থাকলে কীভাবে সমাধান করতে হবে মতামত দাও। 4
⇔ 4নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. অ্যামোনিয়াম সালফেটের সংকেত হলো (NH4)2SO4।
খ. ভিনেগার জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় বলে তাকে দুর্বল এসিড বলা হয়।
ভিনেগার একটি জৈব এসিড। এটি মূলত 4 থেকে 5% অ্যাসিটিক এসিড (CH3COOH) এর জলীয় দ্রবণ। এটি পানিতে পুরোপুরি বিয়োজিত না হয়ে আংশিকভাবে বিয়োজিত হয়। ফলে এতে যতগুলো এসিডের অণু আছে তার সবগুলো হাইড্রোজেন আয়ন (H+) তৈরি করে না। তাই ভিনেগারকে দুর্বল এসিড বলা হয়।
গ. তুহিন সাহেব তার দুই মাসের বাচ্চার জন্য যে লোশন কিনতে চাইলেন তা ছিল বড়দের। এজন্য দোকানি তাকে লোশনটি নিতে নিষেধ করলেন।
বড়দের ত্বক সাধারণত এসিডিক হয় এবং এর pH 5.5-6.5 এর মধ্যে থাকে। তবে জাতক শিশুদের ত্বকের pH 7-এর কাছাকাছি থাকে। তাই বড়দের জন্য যেসব প্রসাধনী ব্যবহৃত হয়, তা শিশুদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তুহিন সাহেব যে লোশন কিনতে চাইলেন তার pH ছিল 5.5। এটি তার বাচ্চার ত্বকে ব্যবহার করা হলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য দ্রব্যসামগ্রীতে pH এর মান জানা ও নিয়ন্ত্রণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে বড় ধরনের অসুবিধা তৈরি হয়। এজন্য দোকানি তাকে লোশনটি নিতে নিষেধ করলেন।
ঘ. তুহিন সাহেবের পাকস্থলীতে এবং রক্তে এসিডের পরিমাণ যথার্থ নেই।
পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করার জন্য দরকারি pH হলো 2 আর রক্তের pH হলো প্রায় 7.4। এর সামান্য হেরফের হলে (0.4) মারাত্মক বিপর্যয়, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
তুহিন সাহেবের পাকস্থলীর pH 1.6 এবং ধমনির রক্তের pH হলো 7.5। অর্থাৎ তার পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা এবং রক্তে ক্ষারের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। pH-এর এরূপ মানের জন্যই তুহিন সাহেবের পেটে প্রায়ই বিভিন্ন সমস্যা হয়।
তুহিন সাহেবের pH-এর মান নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরি। এজন্য তিনি উপযুক্ত খাদ্য নির্বাPb করে এবং সেগুলো আহারে এসিডিটির হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। যেসব খাদ্যদ্রব্য বা পানীয়ের কারণে এসিডিটি হয়, তুহিন সাহেবের সেগুলো অতিরিক্ত গ্রহণ না করে পরিমিত হারে গ্রহণ করতে হবে এবং সাময়িকভাবে ওই সব খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রশ্ন -5 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢাকা থেকে আসা একদল শিক্ষার্থী ধলপুর গ্রামের একমাত্র পানির উৎস খালটিতে পরীক্ষা চালিয়ে জানায়, এ খালের পানি আংশিক দূষিত। তারা গ্রামবাসীকে নিরাপদ পানি ব্যবহারে বেশ কিছু পরামর্শ দেয়।
ক. 5 ppm কী? 1
খ. উত্তাপে ফুটালে পানির অস্থায়ী খরতা দূর হয় কেন? 2
গ. কোন কোন পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খালের পানির দূষণের অস্তিত্ব যাচাই করেছে তা বর্ণনা কর। 3
ঘ. শিক্ষার্থীদের পরামর্শমতো গ্রামবাসীরা কী কী উদ্যোগ নিতে পারে? আলোPbা কর। 4
⇔ 5নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. 5ppm হলো প্রতি লিটার দ্রবণে 5 মিলিগ্রাম দ্রব।
খ. পানির অস্থায়ী খরতার জন্য দায়ী ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন ধাতুর বাইকার্বনেট লবণ যেগুলো পানিতে দ্রবীভূত থাকে। তাপ দিলে বাইকার্বনেট লবণগুলো ভেঙে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ধাতুগুলোর অদ্রবণীয় কার্বনেট এবং পানি উৎপন্ন হয়। যেমন :
Ca(HCO3)2 -→ CaCO3¯ + CO2 + H2O
ধাতব আয়নটি কার্বনেট লবণের অধঃক্ষেপ হিসেবে দ্রবণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পানির খরতা দূর হয়ে যায়।
গ. শিক্ষার্থীরা খালের পানিতে দূষণের অস্তিত্ব যাচাই করতে নিচের তিনটি পরীক্ষা করেছে –
বর্ণ ও গন্ধ পর্যবেক্ষণ : শিক্ষার্থীরা খালের পানির বর্ণ ও গন্ধ পর্যবেক্ষণ করে তাতে দুর্গন্ধ পায় ও ঘোলা বর্ণ দেখতে পায়। কিন্তু বিশুদ্ধ পানি বর্ণ, গন্ধহীন স্বচ্ছ তরল পদার্থ। এতে সামান্য পরিমাণ খনিজ লবণ দ্রবীভূত থাকে। কোনো খনিজ লবণ অধিকমাত্রায় দ্রবীভূত থাকলে পানি দূষিত বলা যায়। সাধারণ পর্যবেক্ষণে পানিতে গন্ধ পাওয়া গেলে বা ঘোলাটে ভাব দেখা গেলে অথবা ফিল্টার পেপারে ছাঁকা হলে তলানি বা অবশেষ পাওয়া গেলে পানি দূষিত।
পানির pH মান : পানির pH মান 4.5 থেকে কম এবং 9.4 অপেক্ষা বেশি হলে তা জীবের জন্য প্রাণনাশক। pH পেপার বা pH মিটার ব্যবহার করে pH মান নির্ণয় করা যায়।শিক্ষার্থীরা খালের পানির pH পরীক্ষা করেছে যা পানির দূষণ নির্দেশ করে।
বিওডি : কোনো পানিতে বিওডি মান বেশি হলে ওই পানি দূষিত। শিক্ষার্থীরা জলাশয়ের পানিতে কী পরিমাণ অক্সিজেন আছে তা মেপে নিল। অতঃপর 100 মিলি আয়তনের একটি বোতল ওই জলাশয়ের পানি দিয়ে এমনভাবে পূর্ণ করে বোতলের মুখ বন্ধ করল যাতে বোতলে কোনো বায়ু না থাকে। বোতলটিকে 20ক্ক সে. তাপমাত্রায় 24 ঘণ্টা রেখে দিয়ে এর অক্সিজেন পরিমাপ করে। এই দুই মানের পার্থক্য থেকে বিওডি মান জানতে পারে। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খালের পানির দূষণের অস্তিত্ব যাচাই করেছে।
ঘ. শিক্ষার্থীদের পরামর্শমতো গ্রামবাসীরা পানি বিশুদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিচের যে কোনো একটি প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করে নিতে পারে-
ক্লোরিনেশন : পানিকে জীবাণুমুক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ক্লোরিনেশন। পানিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বি¬চিং পাউডার যোগ করলে উৎপন্ন ক্লোরিন জীবাণুকে জারিত করে মেরে ফেলে।
Ca(ঙCl)Cl(s) + H2O জ্জ® Ca(OH)2 + 2[Cl]
জীবাণু + 2[Cl] জ্জ® জারিত জীবাণু
কাজেই খালের পানিতে বিø¬চিং পাউডার যোগ করার পর ছেঁকে নিলে গ্রামবাসী নিরাপদ পানি পাবে।
ফুটানো : পানিকে অনেকক্ষণ (15 – 20 মিনিট) ধরে ফুটালে জীবাণুমুক্ত হয়। উলে¬খ্য, আর্সেনিকযুক্ত পানিকে ফুটালে তা আরও ক্ষতিকর হবে। তবে খালের পানিতে আর্সেনিক নেই বলে গ্রামবাসী পানি ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করতে পারবে।
থিতানো : এক বালতি পানিতে 1 চামচ ফিটকিরি [K2SO4. Al2(SO4)3.24H2O] গুঁড়া যোগ করে আধাঘণ্টা রেখে দিলে পানির সকল অপদ্রব্য থিতিয়ে বালতির তলায় জমা হয়। এভাবে পানি থেকে অদ্রবণীয় দূষক দূর করা যায়।
ছাঁকন : বর্তমানে বাজারে জীবাণু, আর্সেনিক ও অন্যান্য দূষণ মুক্ত করতে সক্ষম ফিল্টার পাওয়া যায়। এই ফিল্টার দিয়ে ছেঁকে নিয়েও গ্রামবাসী পানযোগ্য বিশুদ্ধ পানি পেতে পারে।

এসএসসি রসায়ন নবম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন -6 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
অন্তু সবসময় মাংস, তৈলাক্ত খাবার ও চকোলেট খায়। একদিন অন্তু বিরিয়ানি খাওয়ার পর তার বদহজম হয়। তার মা তাকে কোমল পানীয় খাওয়ালে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে তার বোন শৈলী সয়াদুধ, সয়ামাখন এবং ফলমূল বেশি পছন্দ করে।
ক. আচার সংরক্ষণে কোন এসিড ব্যবহার করা হয়? 1
খ. দুর্বল এসিড বলতে কী বোঝায়? 2
গ. অন্তু কীভাবে সুস্থ হলো? ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. অন্তু ও শৈলীর খাবারের মধ্যে কোনটি এসিডিটির কারণ? বিশ্লেষণ কর। 4
⇔ 6নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. আচার সংরক্ষণে অ্যাসিটিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
খ. যে এসিড জলীয় দ্রবণে আংশিক আয়নিত হয় তাকে দুর্বল এসিড বলে।
জলীয় দ্রবণে যে এসিডের অণুগুলোর মধ্যে খুব কমসংখ্যক অণু আয়নে বিযোজিত হয় এবং দ্রবণে কমসংখ্যক H+ আয়ন দেয়, তারা দুর্বল এসিড। প্রায় সকল জৈব এসিডই দুর্বল এসিড। আমরা খাবার হিসেবে দুর্বল এসিডই গ্রহণ করে থাকি। যেমন : কার্বনিক এসিড (H2CO3), অ্যাসেটিক এসিড (CH3COOH) ইত্যাদি।
গ. কোমল পানীয়তে থাকা দ্রবীভূত বেকিং সোডার কারণে অন্তু সুস্থ হলো।
সাধারণত মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি খাবার খাওয়ার পর পেপসি, ¯প্রাইট বা কোকাকোলা জাতীয় কোমল পানীয় পান করা হলে আমাদের উপকার হয়।
খাবার হজম করার জন্য পাকস্থলীতে নির্দিষ্ট মাত্রায় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের প্রয়োজন। এই মাত্রার হেরফের হলে বদহজম হয় বা খাবার হজমে অসুবিধা হয়। কারণ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় কোমল পানীয় পান করলে এতে দ্রবীভ‚ত সোডিয়াম বাইকার্বনেট (NaHCO3) অতিরিক্ত এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে। ফলে পাকস্থলীতে এসিডের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বদহজম হয় না। উলে­খ্য, বেকিং সোডাও কিন্তু একটি এসিড। কিন্তু HCl অনেক শক্তিশালী এসিড বলে এদের মধ্যে বিক্রিয়া হয়।
NaHCO3 + HCl → NaCl + H2O + CO2
কোমল পানীয় খাওয়ার পর বদহজমের কারণে অন্তুর পাকস্থলিতে যে এসিডিটি তৈরি হয়েছিল তা প্রশমিত হয়ে যায়। এজন্য সে সুস্থ হয়ে ওঠে।
ঘ. অন্তু ও শৈলীর খাবারের মধ্যে অন্তুর খাবার এসিডিটির কারণ।
পাকস্থলীতে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো খাদ্যদ্রব্য। ভাজা, পোড়া, তেলযুক্ত ও চর্বিজাতীয় খাবার পাকস্থলীতে এসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। পিঁয়াজ, রসুন, মরিচ ও অন্যান্য অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, চকোলেট এগুলো এসিডিটি তৈরির কারণ।
আবার, কিছু কিছু খাদ্য আছে যারা এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। সয়াদুধ, সয়ামাখন এবং ফলমূল এসিডিটি কমাতে ভূমিকা রাখে।
অন্তু পছন্দ করে মাংস, তৈলাক্ত খাবার ও চকোলেট। আর তার বোন পছন্দ করে সয়াদুধ, সয়ামাখন এবং ফলমূল। অন্তুর খাবারগুলো এসিডিটির কারণ হলেও শৈলীর খাবারগুলো বরং এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন -7 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মেহেদী একটি বিকারে 25 সি.সি. NaOH নিয়ে কয়েক ফোঁটা ফেনফথ্যালিন মিশালো। এবার এ দ্রবণে হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশাতেই দ্রবণটি বর্ণহীন হয়ে গেল। আরেকটি বিকারে 25 সি.সি. NaOH নিয়ে তাতে সমপরিমাণ HCl এসিড মিশালো। এরপর বর্ণহীন দ্রবণটি তাপ দিয়ে আস্তে আস্তে বাষ্পায়িত করে দেখল বিকারের তলায় সাদা রঙের তলানি পড়ে আছে।
ক. লাল লিটমাস পেপার কোনটির সংস্পর্শে নীল বর্ণ ধারণ করে? 1
খ. KOH ফেনফথ্যালিন দ্রবণে গোলাপি বর্ণ ধারণ করে কেন? 2
গ. সংঘটিত রাসায়নিক বিক্রিয়াসহ উৎপাদিত তলানি প্রোডাক্টের প্রকৃতি নির্ণয় কর। 3
ঘ. বিকারের তলায় প্রাপ্ত তলানি যে একটি লবণ তার যৌক্তিকতা প্রমাণ কর। 4
⇔ 7নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. লাল লিটমাস পেপার ক্ষারকের সংস্পর্শে নীল বর্ণ ধারণ করে।
খ. পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের (KOH) দ্রবণ একটি ক্ষারীয় দ্রবণ। এই দ্রবণে যখন ফেনফথ্যালিন যোগ করা হয় তখন এর বর্ণ গোলাপি হয়, কারণ ফেনফথ্যালিন ক্ষারীয় দ্রবণে গোলাপি বর্ণ ধারণ করে।
গ. সংগঠিত বিক্রিয়াটি হচ্ছে-
NaOH + HCl → NaCl + H2O
ক্ষার এসিড লবণ পানি
এখানে ক্ষার সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
উত্তাপে পানি বাষ্পীভ‚ত হওয়ার পর তলানি হিসেবে খাবার লবণ, NaCl উৎপন্ন হয়; যেখানে লবণটি নির্দেশক নিরপেক্ষ একটি যৌগ। অর্থাৎ, এটি নির্দেশকের রঙের কোনো পরিবর্তন করে না।
ঘ. বিকারের তলায় নিমজ্জিত তলানি (NaCl) একটি লবণ। এর যৌক্তিক প্রমাণ-
1. লবণের মতো এর মধ্যে ধাতব মূলক [ সোডিয়াম (Na+)] ও অধাতু মূলক [ক্লোরাইড (Cl-)] রয়েছে।
2. এটি এসিড (HCl) ও ক্ষারকের (NaOH) বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়েছে।
3. হাইড্রোক্লোরিক এসিডের সাথে প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেনকে ধাতু দ্বারা প্রতিস্থাপিত করে এটি গঠিত হয়। অধিকাংশ লবণ এভাবে এসিডের হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপন করে তৈরি করে।
4. এটি একটি পূর্ণ লবণ বা নিরপেক্ষ যৌগ। কারণ এর জলীয় দ্রবণে লাল বা নীল লিটমাস পেপার ডুবালে বর্ণের কোনো পরিবর্তন হয় না।

প্রশ্ন -8 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
2টি বিকারে দ্রবণ আছে। 1ম বিকারের দ্রবণের স্বাদ টক। এটি ইস্পাত তৈরির কারখানায় ব্যবহৃত হয়। 2য় বিকারের দ্রবণের স্বাদ কটু, যা সাবান তৈরির মূল উপাদান। দ্রবণ দুইটি একত্রে মিশালে স্বাদ ভিন্ন ধরনের হবে।
ক. নাইট্রিক এসিডের সংকেত লেখ। 1
খ. HCl ও KOH এর দ্রবণ দুইটির মধ্যে 2টি পার্থক্য নিরূপণ কর। 2
গ. প্রথম বিকারের দ্রবণটির সাথে 3টি ধাতুর রাসায়নিক সমীকরণ ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. দ্রবণ দুইটি একত্রে মিশ্রণের ফলে স্বাদের তারতম্যের কারণ বিশ্লেষণ কর। 4
⇔ 8নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. নাইট্রিক এসিডের সংকেত HNO3।
খ. HCl এসিড এবং KOH হলো ক্ষার। এদের মধ্যে পার্থক্যগুলো নিম্নরূপ :
এসিড (HCl) ক্ষার (KOH)
1. দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দেয়। 1. দ্রবণে হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH-) দেয়।
2. নীল লিটমাসকে লাল করে। 2. লাল লিটমাসকে নীল করে।
গ. উদ্দীপকে প্রথম বিকারের দ্রবণটি ছিল এসিড। আবার হাইড্রোক্লোরিক এসিড ইস্পাত তৈরির কারখানায় ব্যবহৃত হয়। ধাতুর সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় ধাতব লবণ ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
সুতরাং, প্রদত্ত এসিডের সাথেও একইভাবে ধাতুর রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হবে। এসিডটির সাথে 3টি ধাতুর অনুরূপ রাসায়নিক সমীকরণ নিম্নরূপ :
i. 2Na + 2HCl → 2NaCl + H2
ii. 2K + 2HCl → 2KCl + H2
iii. 2Fe + 6HCl → 2FeCl3 + 3H2
ঘ. উদ্দীপকে প্রদত্ত দ্রবণ দুইটি ছিল এসিড ও ক্ষার। এসিডটি ছিল HCl। কেননা, HCl ইস্পাত তৈরির কারখানায় ব্যবহৃত হয়। ক্ষারটি NaOH। কেননা সাবান তৈরির মূল উপাদান NaOH । NaOH এর সাথে HCl এর সংগঠিত বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
NaOH + HCl → NaCl + H2O
প্রদত্ত বিক্রিয়াটিতে দেখা যায় বিক্রিয়ার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়েছে। লবণের ধর্ম অম্লধর্মী বা ক্ষারধর্মী কোনোটিই নয়। এর স্বাদ টক বা কটু স্বাদও নয়। এটি একটি নিরপেক্ষ যৌগিক পদার্থ। আবার, পানিও একটি নিরপেক্ষ যৌগিক পদার্থ যার কটু বা তিক্ত স্বাদ নেই। সুতরাং, উদ্দীপকের দ্রবণ দুইটি একত্রে মিশ্রণের ফলে ভিন্ন স্বাদযুক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন -9 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শিক্ষক ক্লাসে দুটি বিকার ‘ক’ ও ‘খ’-এ দুটি যৌগের পাতলা দ্রবণ তৈরি করে রাখলেন। বিকারে ফেনফথ্যালিন যোগ করায় ‘ক’ দ্রবণের বর্ণের কোনো পরিবর্তন হলো না। কিন্তু ‘খ’ বিকারের দ্রবণ গোলাপি বর্ণ ধারণ করলো।‘ক’ ও ‘খ’ বিকারের দ্রবণ দুইটি একত্রে মিশ্রিত করে অন্য একটি বিকার ‘গ’-এ ঢালা হলো।
ক. নির্দেশক কাকে বলে? 1
খ. KOH যৌগটির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ। 2
গ. ‘ক’ ও ‘খ’ বিকারের দ্রবণ দুটি একত্রে যোগ করলে কী ঘটবে? তা বিক্রিয়াসহ ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. ‘গ’ বিকারের দ্রবণটির প্রকৃতি ‘ক’ ও ‘খ’ এর দ্রবণ থেকে ভিন্ন হবে কিনা যুক্তি দাও। 4
⇔ 9নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. যেসব রাসায়নিক পদার্থ নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে কোনো দ্রবণের এসিডীয়, ক্ষারকীয় বা নিরপেক্ষ প্রকৃতি নির্দেশ করে তাদেরকে নির্দেশক বলে।
খ. KOH যৌগটি একটি ক্ষার। এর দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
1. এটি পানিতে দ্রবণীয়।
2. এটি জলীয় দ্রবণে হাইড্রক্সিল (OH-) আয়ন দেয়।
গ. ‘ক’ ও ‘খ’ বিকারে ফেনফথ্যালিন নির্দেশক যোগ করায় যথাক্রমে বর্ণহীন ও গোলাপি বর্ণ ধারণ করে।সুতরাং, ‘ক’ ও ‘খ’ বিকারদ্বয়ে যথাক্রমে এসিড ও ক্ষার বিদ্যমান।
এসিড ও ক্ষারের দ্রবণ একত্রে যোগ করলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
এসিড + ক্ষার = লবণ + পানি।
[ক বিকারের যৌগ] [খ বিকারের যৌগ]
ঘ. ‘গ’ বিকারের দ্রবণের প্রকৃতি অন্য বিকারের দ্রবণের প্রকৃতি থেকে ভিন্ন হবে। কেননা, ‘গ’ দ্রবণটি লবণ। ‘ক’ দ্রবণ এসিড ও ‘খ’ দ্রবণ ক্ষার। এরা পরস্পরের সাথে প্রশমন ক্রিয়ায় নিরপেক্ষ যৌগ লবণ উৎপন্ন করেছে। ‘গ’-এর দ্রবণটি লিটমাস পেপারের সংস্পর্শে কোনো বর্ণ পরিবর্তন করবে না। তাছাড়া কোনো ধরনের নির্দেশকেরই বর্ণ পরিবর্তন করবে না। ‘ক’ এর দ্রবণ এসিডের মতো দ্রবণে H+ এবং ‘খ’ এর দ্রবণ ক্ষারের মতো দ্রবণে OH- উৎপন্ন করে। ‘গ’ এর দ্রবণে এ ধরনের কোনো আয়ন জলীয় দ্রবণে উৎপন্ন করবে না। ‘ক’ এর দ্রবণ স্বাদ টকযুক্ত এবং ‘খ’ এর দ্রবণের স্বাদ কটু। কিন্তু ‘গ’ এর দ্রবণ স্বাদ নিরপেক্ষ।
সুতরাং, ‘গ’ বিকারের দ্রবণটির প্রকৃতি ‘ক’ ও ‘খ’ এবং দ্রবণ থেকে ভিন্ন হবে।

প্রশ্ন -10 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সরকারি ল্যাবরেটরি স্কুলের রসায়ন পরীক্ষাগারে তিনটি বোতলে তিনটি নমুনা রাখা আছে ধাতুর সক্রিয়তা সিরিজের। প্রথমটিতে ধাতু সক্রিয়তা সিরিজের ঐ এর ঠিক নিচের ক্লোরাইড, দ্বিতীয়টিতে Pb এর উপরের ক্লোরাইড এবং তৃতীয়টিতে অজানা নমুনা ঢ রাখা আছে। অজানা নমুনাটি কটু গন্ধযুক্ত এবং পিচ্ছিল প্রকৃতির।
ক. ক্ষার কী? 1
খ. লঘু ক্ষারের লিটমাস পরীক্ষা বলতে কী বোঝ? 2
গ. উদ্দীপকের দ্বিতীয় যৌগের সাথে অজানা নমুনার উৎপন্ন পদার্থের দ্রাব্যতা সম্পর্কে লিখ। 3
ঘ. ল্যাবরেটরিতে প্রদত্ত নমুনা হতে গাঢ় নীল রঙের দ্রবণ প্রস্তুত করা কী সম্ভব? উত্তরের স্বপক্ষে যু্িক্ত দাও। 4
⇔ 10নং প্রশ্নের উত্তর ⇔
ক. পানিতে দ্রবণীয় ক্ষারককে ক্ষার বলা হয়।
খ. লঘু ক্ষারের লিটমাস পরীক্ষা বলতে বোঝায় লঘু ক্ষারে লাল লিটমাস পেপার ডুবালে সেটি নীল রং ধারণ করে।
লঘু ক্ষার NaOH এর ভিতরে দ্রবণের ভ্রাম্যমাণ OH¯ আয়ন বিদ্যমান থাকায়, এতে লাল লিটমাস পেপার ডুবালে সেটি নীল হয়ে যায়।
গ. অজানা নমুনাটি কটু গন্ধযুক্ত এবং পিচ্ছিল প্রকৃতির। সুতরাং, অজানা নমুনাটি একটি ক্ষার। সক্রিয়তা সিরিজে Pb এর উপরের মৌল Fe। Fe এর ক্লোরাইড হলো FeCl2।
ফেরাস ক্লোরাইডের সাথে লঘু ক্ষার সোডিয়াম হাইড্রক্সাইডের বিক্রিয়ায় ফেরাস হাইড্রক্সাইডের সবুজ অধঃক্ষেপ পড়ে।
FeCl2 (aq) + 2NaOH(aq) → Fe(OH)2(s) + NaCl
(সবুজ বর্ণ)
সুতরাং, উৎপন্ন পদার্থটি হলো ফেরাস হাইড্রক্সাইড যা একটি ক্ষারক, ক্ষার নয়। ক্ষারক পানিতে অদ্রবণীয়।
সুতরাং, ফেরাস ক্লোরাইডের সাথে অজানা নমুনার বিক্রিয়ায় উৎপন্ন পদার্থটি পানিতে অদ্রবণীয়।
ঘ. তিনটি বোতলের নমুনাত্রয় যথাক্রমে কিউপ্রিক ক্লোরাইড, ফেরাস ক্লোরাইড এবং তৃতীয় নমুনাটি কটু গন্ধযুক্ত এবং পিচ্ছিল প্রকৃতির হওয়ায় নমুনাটি একটি ক্ষার।
ক্ষারসমূহ পানিতে দ্রবণীয় এবং তা পানিতে OH- আয়ন প্রদান করে। অপরদিকে, ক্ষারকসমূহ পানিতে অদ্রবণীয় বিধায় তা পানিতে OH- আয়ন প্রদান করে না। তাই Al –সহ মধ্যম সক্রিয় ধাতু এবং Cu এর লবণ NaOH কিংবা ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন বর্ণের ক্ষারক উৎপন্ন করে।
কিউপ্রিক ক্লোরাইড লঘু ক্ষার সোডিয়াম হাইড্রক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে হালকা নীল রঙের কিউপ্রিক হাইড্রক্সাইড এর অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
CuCl2(aq) + 2NaOH (aq) → Cu(OH)2(s) + NaCl(s)
হালকা নীল অধঃক্ষেপ
পরে কিউপ্রিক হাইড্রক্সাইডের হালকা নীল অধঃক্ষেপের ভিতরে অধিক পরিমাণ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড যোগ করলে গাঢ় নীল দ্রবণ সৃষ্টি হয়। বিক্রিয়াটি নিম্নরূপ :
অধিক NaOH
Cu(OH)2 → Cu (OH)2
হালকা নীল অধঃক্ষেপ গাঢ় নীল দ্রবণ
সুতরাং, ল্যাবরেটরিতে প্রদত্ত নমুনা হতে গাঢ় নীল রঙের দ্রবণ প্রস্তুত করা সম্ভব।

এসএসসি রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নব্যাংক

প্রশ্ন -11 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রসায়ন পরীক্ষাগারে শফিউর রহমান স্যার, রফিককে একটি নমুনা-ঢ দিয়ে এটিতে লাল ও নীল লিটমাস পেপার ডুবিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে বললেন। রফিক স্যারের নির্দেশমতো নমুনাটিতে লিটমাস পেপার ডুবিয়ে পর্যবেক্ষণ করল। অতঃপর সে কৌতূহলবশত সক্রিয়তা সিরিজে হাইড্রোজেন এর উপরস্থ ও নিম্নস্থ কয়েকটি ধাতুর সাথে নমুনাটিকে বিক্রিয়া করানো শুরু করল। রফিক অপর একটি নমুনা ণ নিয়ে মোটামুটি একই রকম ফলাফল লক্ষ করল।ণ যৌগটি ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয় এবং ঢ যৌগটি মানুষের পাকস্থলী হতে নিঃসৃত হয়। উভয় যৌগই বর্ণহীন তরল পদার্থ।
ক. এসিড কী? 1
খ. লঘু এসিডের লিটমাস পরীক্ষা বলতে কী বোঝ? 2
গ. লিটমাস পেপারের অনুপস্থিতিতে ঢ এবং ণ এর ধর্ম সম্পর্কে কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. কপার ঢ এর সাথে বিক্রিয়া করে না অথচ ণ-সাথে বিক্রিয়া করে যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -12 : নিচের বিক্রিয়াগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ঢ(g) + H2O(l) → H2CO3(aq)
2NO2(g) + H2O(l) → ণ(aq) + ত(aq)
অ(g) + H2O(l) → H2SO3(aq)
SO3(g) + H2O(l) → ই(aq)
ক. খর পানি কী? 1
খ. পানির অস্থায়ী খরতা কীভাবে দূর করা যায়? 2
গ. বিক্রিয়কে উপস্থিত ঢ, অ অন্যান্য গ্যাসগুলোর বায়ুমণ্ডলে আসার কারণ ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. ‘ণ, ত এবং ই এর উপস্থিতি জলাশয় ও মাটির pH কমিয়ে দেয়’ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -13 : নিচের বিক্রিয়াগুলো লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
Na2CO3(ং বা aq) + ঢ(aq) → Na2SO4(aq) + H2O(l) + ত(g)
ণ + HCl(aq) → CaCl2(aq) + H2O(l) + CO2(g)
ক. এসিডের অত্যাবশ্যকীয় আয়ন কোনটি? 1
খ. লঘু HNO3 এর সাথে CaO এর বিক্রিয়ায় কী উৎপন্ন হয় বিক্রিয়াসহ লিখ। 2
গ. ত-এর উপস্থিতি দেখে ঢ-এর কোন ধর্মটি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়? 3
ঘ. ঢ-এর সাথে ণ এর বিক্রিয়ায় কী পরিলক্ষিত হয়? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -14 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শুষ্ক চুনে পানি যোগ করায় একটি নতুন যৌগ উৎপন্ন হলো। উৎপন্ন যৌগের সাথে ফেনফথ্যালিন দ্রবণ যোগ করায় দ্রবণটি গোলাপি বর্ণ ধারণ করল। এরপর এতে H2SO4 যোগ করা হলো।
ক. এসিড কোন ভিটামিনের চাহিদা মেটায়? 1
খ. রক্তের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। 2
গ. উৎপন্ন যৌগের সাথে ঐ¬2SO4 এর যে বিক্রিয়া হবে তা সমীকরণসহ লেখ। 3
ঘ. H2SO4 এসিডের সাথে বিক্রিয়ায় উৎপন্ন যৌগসমূহ বিক্রিয়ক যৌগ দুটি থেকে ভিন্নধর্মী- ব্যাখ্যা কর। 4

প্রশ্ন -15 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নাসিমা স্কুল ছুটির দিনে টিউবওয়েলের পানিতে সাবান দিয়ে কাপড় ধোয়ার সময় দেখল সহজে ফেনা হচ্ছে না কিন্তু পিচ্ছিল পদার্থ তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া ধোয়া কাপড়গুলোও ভালোভাবে পরিষ্কার হয়নি।
ক. টিউবওয়েলের পানি কোন ধরনের বৈশিষ্ট্য বহন করে? 1
খ. খর পানিতে কাপড় ধোয়ার সময় ফেনা উৎপন্ন না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর। 2
গ. কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নাসিমার পক্ষে কাপড় ভালোভাবে পরিষ্কার করা সম্ভব হবে? 3
ঘ. নাসিমা বৃষ্টির পানিতে কাপড় কাচলে সাবানের অপচয় হবে কি না- মতামত দাও। 4

প্রশ্ন -16 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কোনো যৌগের Ag্লত্ব বা ক্ষারকত্ব সম্পর্কে ধারণা প্রকাশের জন্য একটি বিশেষ স্কেল ব্যবহার করা হয়। স্কেল অনুসারে প্রত্যেক বস্তুর জন্য এ স্কেলের 0 থেকে 14 পর্যন্ত যে কোনো একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে।
ক. ক্ষারক কী? 1
খ. ইউনিভার্সাল ইন্ডিকেটর কীভাবে কাজ করে? 2
গ. স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যরক্ষায় উদ্দীপকের স্কেলটির মানের গুরুত্ব তুলে ধর। 3
ঘ. প্রশমন বিক্রিয়ার ফলাফল অনুমানে উল্লিখিত স্কেলটির ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন -17 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একটি টেস্টটিউবে আয়রন (ওওও) হাইড্রক্সাইড ও সালফিউরিক এসিড নেওয়া হলো। অপর একটি টেস্টটিউবে কস্টিক পটাশের সাথে ইথানয়িক এসিড নেওয়া হলো।
ক. দেহত্বকের জন্য আদর্শ pH মান কত? 1
খ. রংধনু পরীক্ষা কীভাবে করা হয়? 2
গ. দৈনন্দিন জীবনের তিনটি ক্ষেত্রে উদ্দীপকে সংঘটিত বিক্রিয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের বিক্রিয়াগুলোর ফলাফল থেকে প্রশম লবণ উৎপন্ন করা যাবে কিনা তোমার মতামত দাও। 4

প্রশ্ন -18 : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একজন পর্যটক কক্সবাজারে এসে এক বালতি সমুদ্রের পানিতে সাবান দিয়ে কাপড় ধুতে গিয়ে লক্ষ করেন, জামা পরিষ্কার হয় তবে অনেক দেরিতে। স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে তিনি বৃষ্টির পানি ব্যবহার করে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পান। তাই তিনি মন্তব্য করলেন, বৃষ্টির পানি সবসময়ই উপকারী। কিন্তু স্থানীয় ব্যক্তিটি এর বিরোধিতা করেন।
ক. BOD মানে কী? 1
খ. দেশের বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েলের মুখে লাল রং করা হয়েছে কেন? 2
গ. পর্যটকের সমুদ্রের পানিতে কাপড় ধুতে দেরি হলো কিন্তু বৃষ্টির পানিতে অল্প সময়ে কাপড় পরিষ্কার হলো কেন ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. পর্যটক ও স্থানীয় ব্যক্তির মধ্যে তুমি কাকে সমর্থন করবে? কারণসহ বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-29 : বাংলাদেশের নদী, খাল, বিল, পুকুর জলাশয়ের পানি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। গৃহস্থালীর বর্জ্য ও মলমূত্র বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে এসব জলাশয়ে পড়ছে। হাসপাতালের বর্জ্য ও রোগীর কাপড় ধোয়া পানি দূষিত করছে। ত্রæটিপূর্ণ নৌযানের তেল চুইয়ে পানি দূষিত হচ্ছে। এই দূষিত পানি বিভিন্ন উপায়ে বিশুদ্ধ করে পান করতে হয় অন্যথায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক. এসিড কী? 1
খ. এসিড বৃষ্টি কীভাবে হয় ব্যাখ্যা কর। 2
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পানি কীভাবে বিশুদ্ধ করা যায়? 3
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতি থেকে উৎপন্ন সমস্যাগুলো থেকে বাঁচার উপায় কী? আলোPbা কর। 4
প্রশ্ন-30 :
1. ঢCl3 + NaOH → ঢ(OH)3↓ + NaCl
2. ঢ(OH)3 + HCl → ঢCl3 + H2¬ঙ
ক. অম্ল কী? 1
খ. (র) নং বিক্রিয়াতে অতিরিক্ত NaOH যোগ করলে কী ঘটবে? 2
গ. উদ্দীপকের (রর) নং বিক্রিয়াটি কোন ধরনের বিক্রিয়া তা বর্ণনা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের (র) নং (রর) নং বিক্রিয়ার মধ্যে একটি দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ – বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-31 : রহিম একজন সবজি চাষি। সবজির ফলন বাড়াতে সে বাজার থেকে কিছু সার কিনে আনে। সার প্রয়োগের কারণে মাটি লাল হয়ে কিছু গাছ মরে যায়। স্থানীয় কৃষিবিদ মোক্তার হোসেনকে জানালে তিনি বলেন, সারের অপরিমিত ব্যবহার এবং pH বৃদ্ধির কারণে এমনটি হয়েছে।
ক. এন্টাসিড কোনধর্মী পদার্থ? 1
খ. দাঁত কীভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়? 2
গ. মোক্তার হোসেন সাহেবের উক্তিটি ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের মাটিকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে- মতামত দাও। 4

প্রশ্ন-32 : নিচের রাসায়নিক সমীকরণটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
2NH4Cl + Ca(OH)2 → অ + CaCl2 + ই
ক. জিপসামের রাসায়নিক সংকেত কী? 1
খ. পানির বিশুদ্ধতা কীভাবে পরীক্ষা করা হয়? 2
গ. অ যৌগটির রাসায়নিক ধর্ম বর্ণনা কর। 3
ঘ. সাবানের সাথে ই যৌগটির ক্রিয়াকৌশল বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-33  নিচের বিক্রিয়াগুলো পর্যবেক্ষণ কর :
(ধ) Zn + Cl2 → ZnCl2
(ন) NH3 + HCl → NH4Cl
ক. বন্ধন শক্তি কী? 1
খ. অ্যামোনিয়া গ্যাসের জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী কেন? 2
গ. উদ্দীপকের (র) নং বিক্রিয়ার ধাতুটিকে কীভাবে লাভজনকভাবে নিষ্কাশন করা যায়? ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের (র) ও (রর)নং বিক্রিয়ার পদার্থসমূহকে ব্যবহার করে কোষের গঠন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-34  ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার বৃষ্টির পানি কিছুটা এসিডিক এর pH মান 5.6 তবে বিভিন্ন মনুষ্যসৃষ্ট কারণে pH-এর মান অনেক সময় কিছুটা হ্রাস পায়।
ক. pH মিটার কী? 1
খ. BOD বলতে কী বোঝ? 2
গ. উদ্দীপকের এলাকার pH এর মান অনেক সময় হ্রাস পাওয়ার কারণসমূহ ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের pH মানের থেকে বৃষ্টির পানি pH কমে গেলে প্রভ‚ত ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ প্রতিকারের উপায় বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-35  আশিক তার বাবার সাথে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন আহসান মঞ্জিল দেখতে রিক্সাতে চড়ে বুড়িগঙ্গা নদীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে খেয়াল করল, নদীর পানি এতটাই দূষিত যে দুর্গন্ধে নদীর পাশ দিয়ে যাওয়াই যায় না।
ক. মৃদু পানি কী? 1
খ. বৃষ্টির পানি অম্লীয় প্রকৃতির হয় কেন? 2
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত পানির একগøাস নমুনা দেওয়া হলে তুমি কীভাবে পরীক্ষা করবে? ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের নদীর পানি বিশুদ্ধকরণে তুমি কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পার? বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-36  নিচের ছকটি পর্যবেক্ষণ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
যৌগ সংকেত
অ H2SO4
ই HNO3
ঈ HCl
ক. নিরুদক কী? 1
খ. জৈব এসিড ও খনিজ এসিডের মধ্যে দুইটি পার্থক্য লিখ। 2
গ. উদ্দীপকের যৌগগুলোর সাথে ম্যাগনেসিয়াম ধাতুর সংঘটিত বিক্রিয়াগুলো সমীকরণসহ লিখ। 3
ঘ. প্রাত্যহিক জীবনে উদ্দীপকের যৌগগুলোর সাথে ক্ষারকের উল্লেখ ব্যবহার কর। 4

প্রশ্ন-37  পরীক্ষাগারে কাজ করার সময় হঠাৎ ববির হাতে লঘু H2SO4 লেগে যায়। সে তার পাশে থাকা NaOH ও H2O-এর পাত্রের মধ্যে দ্বিতীয়াটিতে তৎক্ষণাৎ হাতে প্রবেশ করায়।
ক. ক্ষার কী? 1
খ. CO2 গ্যাস চুনের পানিকে ঘোলা করে কেন? 2
গ. উদ্দীপকের প্রথমোক্ত যৌগদ্বয়ের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্যগুলো লিখ। [শিক্ষকের সহায়তা নিজে চেষ্টা কর] 3
ঘ. উদ্দীপকের ববির সিদ্ধান্তটি যথার্থ কিনা বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-38  পরীক্ষাগারে বাদামী বর্ণের বোতল থেকে একটি যৌগ নিয়ে তাতে Mg ধাতুর রিবন যোগ করায় H2 গ্যাস উৎপন্ন হলো।
ক. সাবান কী? 1
খ. ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য লিখ। 2
গ. উদ্দীপকের যৌগটির বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের যৌগটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ কিনা বিশ্লেষণ কর। 4

নবম দশম রসায়ন ৯ম অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রশ্ন-39  গৃহস্থলির বর্জ্য, আবর্জনা, মলমূত্র প্রভৃতি বৃষ্টির পানিতে ভেসে জলাশয়ের পানিকে দূষিত করে। তবে, বিভিন্ন বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে জলাশয়ের পানিকে ব্যবহারোপোযোগী করে তোলা হয়।
ক. জিপসাপের পানিতে দ্রাব্যতা কীরূপ? 1
খ. পানিচক্র বলতে কী বোঝায়? 2
গ. উদ্দীপকের পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায়সমূহ আলোPbা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের দূষিত পানির বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াসমূহ বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-40  নিচের বিক্রিয়াটি লক্ষ কর-
চ(s) + Cl2(g) 400C→ ছ(s)
(Clৎ দ্রবণীয়)
ক. সবল এসিড কী? 1
খ. ক্লোরিনকে বিজারক বলা হয় কেন? 2
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত চ যৌগের ব্যবহার লিখ। 3
ঘ. উদ্দীপক ছ যৌগটি কীভাবে বিরঞ্জক ও জীবাণুনাশক রূপে ক্রিয়া করে? বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-41  রুদ্রনীলের দাদু পানের সাথে চুন খান। কিন্তু তার নাতি দুষ্টুমি করে এতে ঘরে থাকা সিরকা ঢেলে দেওয়ায় তিনি এটি খেতে পারছেন না।
ক. ক্যালসিয়াম কী ধরনের ধাতু? 1
খ. পাতিত পানি কীভাবে শনাক্ত করা যায়? 2
গ. উদ্দীপকের ঘটনায় সংঘটিত বিক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের যৌগটির সাথে Fe(OH)2 এর যথেষ্ট মিল থাকলে ও সূ² পার্থক্য বিদ্যমান বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-42  2H2(g) + O2(g) → ঢ
CaO(s) + CO2(g) → ণ
ক. মোলার আয়তন কী? 1
খ. এক মোল CO2 বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর। 2
গ. (র) নং বিক্রিয়ার উৎপাদে কতটি অক্সিজেন পরমাণু বিদ্যমান? 3
ঘ. মাটির এসিড-ক্ষার সমতায় ণ যৌগের ভ‚মিকা বিশ্লেষণ কর। 4

প্রশ্ন-43 
মৌল সালফার অক্সিজেন 
যৌগ যৌগ-(1) যৌগ-(1) + পানি = যৌগ-(2) যৌগ-(1) + অক্সিজেন = যৌগ-(3)
বৈশিষ্ট্য অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস। এসিড বৃষ্টির কারণ। এসিড প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।

ক. আকরিক কাকে বলে? 1
খ. ধাতু নিষ্কাশন একটি বিজারণ প্রক্রিয়াব্যাখ্যা কর। 2
গ. প্রমাণ অবস্থায় যৌগ -(2) এর 50মস এর আয়তন নির্ণয় কর। 3
ঘ. উদ্দীপকের যৌগ-(3) থেকে উৎপন্ন এসিডটি একটি শক্তিশালী নিরুদক-সমীকরণসহ বিশ্লেষণ কর। 4

Leave a Reply