অধ্যায়-৫: হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল
গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
মমমপ্রশ্ন১ মি. কামাল ‘রূপসা ব্যাংকে’ চাকরি করেন। ঈদ সেলামি হিসেবে তিনি তার মেয়ে ঐশীকে কিছু ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নতুন নোট উপহার দিলেন। ঐশী জানতে চাইল, এই নতুন টাকাগুলো ‘রূপসা ব্যাংক’ ছাপায় কিনা? মি. কামাল বললেন যে, কিছু টাকা সরকার ও কিছু টাকা ‘গড়াই ব্যাংক’ ছাপায় কিন্তু ‘রূপসা ব্যাংক’ কোনো টাকা ছাপাতে পারে না। [ঢা. বো. ১৭]
অ ক. অঙ্গীকারপত্র কী? ১
অ খ. হস্তান্তরযোগ্য ঋণ দলিল বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে উলিখিত নোটগুলো কী ধরনের নোট ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘গড়াই ব্যাংকে’র পক্ষে বাংলাদেশের প্রচলিত ১ টাকা ও ২ টাকার নোট প্রচলন করা কী সম্ভব? ৪
১ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক অঙ্গীকারপত্র বা প্রমিসরি নোট বলতে এমন কোনো পত্র বা দলিলকে বোঝায় যাতে কোনো ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নির্দিষ্ট সময় পর প্রদানের অঙ্গীকার প্রদান করে।
খ হস্তান্তরের মাধ্যমে যে দলিলের মালিকানার পরিবর্তন ঘটে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে।
যথানিয়মে একহাত থেকে অন্যহাতে হস্তান্তরের মাধ্যমে এ দলিলের হস্তান্তরগ্রহীতা এর বৈধ মালিকানা অর্জন করে। আমাদের দেশে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন অনুসারে অঙ্গীকারপত্র, বিনিময় বিল ও চেক হস্তান্তরযোগ্য দলিল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গ উদ্দীপকে উলেখ্য ৫ টাকা হলো সরকারি নোট এবং ১০ টাকা ও ২০ টাকা হলো ব্যাংক নোট।
সরকারি নোট মূলত দেশের সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইস্যু করে থাকে। অন্যদিকে, ব্যাংক নোট সরকারের অনুমতিক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইস্যু করে থাকে।
উদ্দীপকের প্রদত্ত তথ্যে ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোটের উলেখ রয়েছে। এক্ষেত্রে উলিখিত নোটগুলোর মধ্যে ৫ টাকার নোট সাধারণত সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত। অর্থাৎ এ নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে, যা সরবারি নোটের পরিচয় বহন করছে। বাংলাদেশের সরকার ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ইস্যু করে থাকে। উক্ত তিনটি নোট ব্যতীত সকল নোটই ব্যাংক নোট। তাই উলেখ্য ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোটকে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংক নোট বলা যায়।
ঘ উদ্দীপকের ‘গড়াই ব্যাংক’ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হওয়ায় ব্যাংকটির পক্ষে বাংলাদেশের প্রচলিত ১ ও ২ টাকার সরকারি নোট প্রচলন করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাধারণত সরকারি নোট ছাপা হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের পক্ষে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এরূপ নোট প্রচলনের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
উদ্দীপকের ঐশী কৌতুহলের বশে জানতে চাইলো ৫ টাকা, ১০ টাকা ও ২০ টাকার নোট তার বাবা অর্থাৎ মি. কামালের ব্যাংকটি ছাপায় কিনা। মি. কামাল তাকে বললেন, কিছু টাকা সরকার ও কিছু টাকা ‘গড়াই ব্যাংক’ ছাপায়। এক্ষেত্রে উদ্দীপকে উলিখিত ৫ টাকার নোট সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত। আর বাকি দু’টি নোট কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ‘গড়াই ব্যাংক’ ইস্যু করে।
উদ্দীপকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে গড়াই ব্যাংকের পক্ষে কেবল ব্যাংক নোটগুলো ইস্যু করা সম্ভব। অর্থাৎ সরকারি নোট হিসেবে চিহ্নিত ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট ‘গড়াই ব্যাংক’ ইস্যু করে না, যা শুধু সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রচলন করা হয়।
মমমপ্রশ্ন২ রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ঢাকার চকবাজারের মনু মোলাকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। মনু মোলা সেটি তার হিসাবে জমা দেন। তবে ১ জানুয়ারি তারিখে ইস্যুকৃত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে জমা দেন। [চ. বো. ১৬]
অ ক. প্রত্যয়পত্র কী? ১
অ খ. লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চেকটি কোন ধরনের? এ চেকের সুবিধা বর্ণনা করো। ৩
অ ঘ. মনু মোলা কীভাবে তার প্রাপ্য টাকা আদায় করতে পারবেন? বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংক আমদানিকারকের পক্ষে রপ্তানিকারকের অনুক‚লে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে তাকে প্রত্যয়পত্র বলে।
খ লভ্যাংশ ঘোষণার পর তা ব্যাংক হতে সংগ্রহের জন্য কোম্পানি শেয়ার মালিকদের যে প্রমাণপত্র প্রদান করে তাকে লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বলে।
লভ্যাংশ ওয়ারেন্টে প্রাপ্ত মোট লভ্যাংশের পরিমাণ উলেখ থাকে। এটি ব্যাংকে জমা দিয়ে শেয়ার মালিক অর্থ সংগ্রহ করে নিতে পারে। এরূপ ওয়ারেন্ট দাগকাটা না হলে যথানিয়মে অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। এর দ্বারা হস্তান্তরগ্রহীতা এর অর্থ সংগ্রহের অধিকারী হয়।
গ উদ্দীপকে মনু মোলা কর্তৃক প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক। বাহক চেক বা হুকুম চেকের উপরিভাগের বাম প্রান্তে কিছু লিখে বা না লিখে দু’টি আড়াআড়ি দাগ টানলে তাকে দাগকাটা চেক বলে। দাগকাটা চেকের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়।
উদ্দীপকে রাজশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি চেক ঢাকার মনু মোলাকে প্রদান করে। মনু মোলা চেকটি তার হিসাবে জমা দেন। অর্থাৎ তিনি চেকের অর্থ তার হিসাবের মাধ্যমে গ্রহণ করেন, যা কেবল দাগকাটার চেকের একক বৈশিষ্ট্য। দাগকাটা চেকের টাকা নগদায়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তি মূলত ব্যাংক কাউন্টার থেকে নগদে অর্থ গ্রহণ করতে পারে না। তা ব্যক্তির হিসাবে জমাদান পূর্বক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয়। এক্ষেত্রে মনু মোলা তার প্রাপ্ত চেকের অর্থ উত্তোলনের জন্য দাগকাটা চেকের অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি অনুসরণ করায় বলা যায় তার প্রাপ্ত চেকটি একটি দাগকাটা চেক।
ঘ উদ্দীপকের মনু মোলার চেকটি বাসি হওয়ায় তার প্রাপ্য টাকা আদায়ে তিনি বাসি চেকের অর্থ প্রাপ্তির পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
প্রস্তুতের তারিখের পর থেকে চেক ভাঙানোর আইনানুগ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চেক ভাঙানো না হলে উক্ত চেককে বাসি চেক বলে। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস উত্তীর্ণ হলে চেকটি বাসি চেকে পরিণত হয়।
উদ্দীপকে রাশাহীর রানু দাস ব্যবসায়িক লেনদেন হিসেবে ঢাকার মনু মোলাকে একটি ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার চেক ইস্যু করে। রানু দাস চেকটি জানুয়ারির ১ তারিখে ইস্যু করলেও মনু মোলা উক্ত চেকটি ৮ জুলাই তারিখে ব্যাংকে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ চেকটি ইস্যু তারিখ থেকে ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই এটি বাসি চেকে রূপান্তরিত হয়েছে।
মনু মোলা বাসি চেকের অর্থপ্রাপ্তিতে তা পুনরায় নবায়ন করে এর অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। অর্থাৎ মনু মোলা রানু দাসের কাছে পুনরায় বাসি চেকটি উপস্থাপন করবে। এরপর রানু দাস চেকের তারিখ পরিবর্তনের পর উক্ত স্থানে স্বাক্ষর সংযুক্ত করে চেকটিকে পুনরায় নবায়ন করবে। নবায়নকৃত চেকটি ব্যাংকে জমাদানের মাধ্যমে মনু মোলা বাসি চেকের অর্থ আদায়ে সক্ষম হবেন।
মমমপ্রশ্ন৩ ফাতেমাকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখল এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহৃত হয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। সে বাসে যেতে তার ব্যাগ থেকে একটা নোট বের করল যার ওপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা এবং অর্থসচিব এতে স্বাক্ষর করেছেন। [ব. বো. ১৬]
অ ক. পে-অর্ডার কী? ১
অ খ. ব্যাংক ড্রাফট বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. ফাতেমা পরবর্তীতে যে নোট ব্যাগ থেকে বের করেছে তা কোন ধরনের নোট? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. ‘বড় ধরনের লেনদেনে বাবা প্রদত্ত নোট ফাতেমার নিকট থাকা নোট অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ’- বক্তব্যের সত্যতা মূল্যায়ন করো। ৪
৩ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে দলিলের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো একটি শাখা এর প্রাপককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চিত প্রতিশ্র“তি প্রদান করে তাকে পে-অর্ডার বলে।
খ চাহিবামাত্র প্রাপককে অর্থ পরিশোধের জন্য ব্যাংকের এক শাখা কর্তৃক অন্য শাখা বা প্রতিনিধি ব্যাংককে যে লিখিত নির্দেশ দেয়া হয় তাকে ব্যাংক ড্রাফট বলে।
এটি ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণের দলিল। এর মাধ্যমে একস্থান হতে অন্যস্থানে নিরাপদে কম খরচে যেকোনো অঙ্কের অর্থ স্থানান্তর করা যায়। আমাদের দেশে ব্যাংক ড্রাফট-এ শুধু প্রাপককে অর্থ প্রদানের নির্দেশ থাকে।
গ ফাতেমা পরবর্তীতে যে নোট ব্যাগ থেকে বের করেছে তা সরকারি নোট।
একটি দেশের সরকার নিজ কর্তৃক ও নিজ দায়িত্বে বিহিত মুদ্রা হিসেবে যে নোটের প্রচলন করে তাকে সরকারি নোট বলে। বাংলাদেশে এ নোট বাংলাদেশ ব্যাংক ইস্যু করে।
উদ্দীপকে ফাতেমা তার ব্যাগ থেকে যে নোটটি বের করল তার উপর ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ লেখা আছে এবং এতে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর আছে। বাংলাদেশে এক টাকা ও দুই টাকার কাগজি নোট সরকারি নোট। বাংলাদেশে কাগজী নোটে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’/‘বাংলাদেশ সরকার’ ইত্যাদি শব্দসমূহ লেখা থাকে। এছাড়াও এর ওপর সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতীক এবং সরকারের পক্ষে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে, যা উদ্দীপকে ফাতেমার নোটের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়। তাই বলা যায়, ফাতেমা পরবর্তীতে যে নোট ব্যাগ থেকে বের করেছে তা সরকারি নোট।
ঘ বড় ধরনের লেনদেনে বাবা প্রদত্ত নোট ফাতেমার নিকট থাকা নোট অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণÑ বক্তব্যটি সত্য।
সরকারের অনুমতিক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজি মুদ্রা বা নোটকে ব্যাংক নোট বলে। এ নোটে ব্যাংকের গভর্নর-এর স্বাক্ষর থাকে।
উদ্দীপকে ফাতেমাকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখল এতে ব্যাংকের লেগো আছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে যা ব্যাংক নোট। কিন্তু ফাতেমা ব্যাগ থেকে একটি নোট বের করে দেখল তাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা এবং অর্থ সচিব-এর স্বাক্ষর রয়েছে, যা সরকারি নোট।
বাংলাদেশে এক টাকা ও দুই টাকার কাগজি নোট ব্যতীত বাকি সব নোট ব্যাংক নোট। অর্থাৎ ৫, ১০, ২০ ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটগুলো ব্যাংক নোট। যে কোনো দেশে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যাংক নোটের ব্যবহার সর্বাধিক। ১ টাকা ও ২ টাকার সরকারি নোট ব্যবহার করে বড় লেনদেন করা সম্ভব নয়। যেমন- ১০ টাকার বিনিময়ের জন্য যেখানে ১টি ১০ টাকার নোটই যথেষ্ট সেখানে ২ টাকার নোট প্রয়োজন হবে ৫টি, যা ঝামেলাদায়ক। এছাড়া যখন লেনদেন লক্ষ বা কোটিতে করা হয় তখন তা সরকারি নোটে করা অসম্ভব। তাই ব্যাংক নোটই লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
মমমপ্রশ্ন৪ জনাব ইকবাল তার দেনাদার মি. আবদাল বরাবর ২০,০০০ টাকার একটা দলিল তৈরি করতে গিয়ে লিখলেন- অদ্য থেকে ২ মাস পরে আপনার কাছে বিক্রীত পণ্যের মূল্য বাবদ জনাব জাভেদকে অথবা তার আদেশানুসারে ২০,০০০ টাকা মাত্র প্রদান করুন। তৈরির পর তিনি মি. আবদালের নিকট দলিলটি পাঠিয়ে তাতে স্বীকৃতিসূচক স্বাক্ষর সংগ্রহ করলেন এবং জনাব জাভেদকে দিলেন। জনাব জাভেদ যথারীতি পিছনে স্বাক্ষর করে তা জনাব হাবীবকে প্রদান করলেন। জনাব হাবীব তা তার ব্যাংক থেকে বাট্টাকরণ করতে চাইছে। [ব. বো. ১৬]
অ ক. বাহক চেক কী? ১
অ খ. বিনিময় বিল বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. উদ্দীপকে জনাব জাভেদ হস্তান্তরযোগ্য দলিলের কোন পক্ষ ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. জনাব হাবীবের নাম দলিলের উপরিভাগে না থাকার পরও ব্যাংক কী দলিলটি বাট্টাকরণ করবে? যুক্তি প্রদর্শন করো। ৪
৪ নং প্রশ্নের উত্তর অ
ক যে চেকে প্রাপকের নামের স্থানের পর ‘কে অথবা বাহক কে’ শব্দসমূহ লেখা থাকে তাকে বাহক চেক বলে।
খ বিনিময় বিল হলো এক প্রকার হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল যেখানে একজন ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ দেয়।
বিনিময় বিল প্রস্তুতকারক কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি ঋণের দলিল, যার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যের দেনা-পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়। বিনিময় বিল ব্যাংক থেকে বাট্টা করে আগাম অর্থ সংগ্রহ করা যায়।
গ উদ্দীপকে জনাব জাভেদ হস্তান্তরযোগ্য দলিলের প্রাপক।
বিনিময় বিলের অর্থ যাকে প্রদান করার জন্য আদিষ্টকে নির্দেশ প্রদান করা হয় তাকেই বিলের প্রাপক বলে।
উদ্দীপকে জনাব ইকবাল তার দেনাদার মি. আবদাল বরাবর ২০,০০০ টাকার একটি দলিল বা বিনিময় বিল তৈরি করতে গিয়ে লিখলেন- ‘অদ্য থেকে ২ মাস পরে আপনার কাছে বিক্রীত পণ্যের মূল্য বাবদ জনাব জাভেদ অথবা তার আদেশানুসারে ২০,০০০ টাকা মাত্র প্রদান করুন।’ বিলটি তৈরির পর তিনি আবদালের নিকট পাঠিয়ে দিলেন এবং তাতে স্বীকৃতিসূচক স্বাক্ষর গ্রহণ করলেন। পরবর্তীতে জনাব জাভেদকে তিনি বিলটি প্রদান করলেন। যেহেতু এখানে প্রস্তুতকারক জনাব ইকবাল মি. আবদালকে আদেশ প্রদান করেন ২ মাস পর জনাব জাভেদকে টাকা দিতে, তাই জনাব জাভেদ এখানে প্রাপক।
ঘ উদ্দীপকে জনাব জাভেদ বিলের পিছনে স্বাক্ষর করে জনাব হাবীবকে প্রদান করেন, তাই হাবিবের দলিলটি বা বিলটি ব্যাংক বাট্টাকরণ করবে।
বিনিময় বিলের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহ করাকেই বিলের বাট্টাকরণ বলে।
উদ্দীপকে জনাব ইকবাল তার দেনাদার মি. আবদাল বরাবর ২০,০০০ টাকার একটি বিনিময় বিল প্রস্তুত করেন এবং তাতে উলেখ করেন মি. আবদালকে ২ মাস পর জনাব জাভেদকে ২০,০০০ টাকা প্রদান করতে হবে । জনাব জাভেদ বিলটি পাওয়ার পর পিছনে স্বাক্ষর করে তা জনাব হাবীবকে প্রদান করেন। এক্ষেত্রে জাভেদ স্বাক্ষর করে হাবীবকে (পরবর্তী প্রাপক) জানালেন, তিনি চাইলে ব্যাংকে বাট্টাকরণ করতে পারবেন।
বিনিময় বিল অর্থসংস্থানের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেখানে প্রাপক বা বিলের ধারক ব্যাংকে বিল বাট্টাকরণের মাধ্যমে নগদ অর্থ পেয়ে থাকেন। যেহেতু জনাব জাভেদ স্বাক্ষর প্রদান করে হাবীবকে অনুমোদন বলে প্রাপক করেন তাই হাবীব সহজেই ব্যাংকে বিলটি বাট্টাকরণ করতে পারবেন; কারণ বিনিময় বিল প্রাপককে এ অধিকার প্রদান করে। সুতরাং বলা যায়, দলিলটি বিনিময় বিল হওয়ায় জনাব হাবীবের নাম দলিলের উপরিভাগে না থাকার পরও ব্যাংক দলিলটি বাট্টাকরণ করবে।
মমমপ্রশ্ন৫
স্ট্যাম্প ঢণত কম্পিউটার তারিখ ১১/০৪/২০১৭
বাংলা বাজার, ঢাকা
১০০০০ টাকা
অদ্য ২২০৭-২০১৭ তারিখে মি. হাসানকে বা তার আদেশ অনুসারে প্রাপ্ত মূল্যের বিনিময়ে দশ হাজার টাকা প্রদান করুন।
মি. মামুন
অ [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা]
অ ক. হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল কী? ১
অ খ. ব্যাংক ড্রাফট পে-অর্ডার হতে ভিন্ন কীভাবে? ২
অ গ. উদ্দীপকে জনাব হাসান কোন পক্ষ? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত দলিলটি কোন ধরনের দলিল? এর সাথে জড়িত পক্ষগুলো ব্যাখ্যা করো। ৪
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
মক যে ঋণের দলিল হস্তান্তরের মাধ্যমে দলিলের মালিক-এর মালিকানা অন্যকে হস্তান্তর করে তাকে হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল বলে। অ
মখ ব্যাংক ড্রাফট ও পে-অর্ডারের ভিন্নতার স্বরূপ নিæে দেওয়া হলো অ
ক্রমিক নং ব্যাংক ড্রাফট পে-অর্ডার
১ ব্যাংক ড্রাফট হস্তান্তরযোগ্য ঋণের একটি দলিল। পে-অর্ডার হস্তান্তর অযোগ্য ঋণের দলিল।
২ দেশে-বিদেশে সর্বএই ব্যাংক ড্রাফট ব্যবহার করা যায়। কেবল দেশে এবং একই নিকাশ ঘরের অধীনে বিদ্যমান ব্যাংকগুলোতে পে-অর্ডার ব্যবহার করা যায়।
৩ ব্যাংক ড্রাফটের ওপর সাধারণ বেশি হারে কমিশন ধার্য করা হয়। পে-অর্ডারে অপেক্ষাকৃত কম হারে কমিশন ধার্য করা হয়।
৪ ব্যাংক ড্রাফটে ৩টি পক্ষ থাকে। যথা: প্রস্তুতকারক, প্রাপক ও প্রদানকারী পে-অর্ডারে দু’টি পক্ষ থাকে। যথা: প্রস্তুতকারী ও প্রাপক।
মগ উদ্দীপকে জনাব হাসান প্রাপক হিসেবে বিবেচিত। অ
হস্তান্তরযোগ্য দলিলে যাকে অর্থ প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় তিনি হচ্ছেন প্রাপক। অর্থাৎ দলিলে যার নাম উলেখ করে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয় তিনিই প্রাপক।
উদ্দীপকে একটি দলিলের চিত্র দেওয়া রয়েছে। চিত্রের দলিলটিতে লেখা আছে, মি. হাসানকে বা তার আদেশানুসারে প্রাপ্ত মূল্যের বিনিময়ে দশ হাজার টাকা প্রদান করুন। অর্থাৎ এ দলিলটি হলো বিনিময় বিল। এখানে, বিনিময় বিলটিতে মি. মামুন তার বিক্রীত পণ্যের মূল্য পরিশোধের জন্য ক্রেতাকে নির্দেশ প্রদান করেন। বিলটিতে এ মূল্য গ্রহণের অধিকার দেওয়া হয় মি. হাসানকে বা তার আদেশানুসারে অন্য কোনো ব্যক্তিকে। এভাবে জনাব হাসানকে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়ায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, জনাব হাসান দলিলটির প্রাপক।
মঘ উদ্দীপকে প্রদর্শিত দলিলটি হলো বিনিময় বিল এবং এর সাথে জড়িত পক্ষগুলো হলো আদেষ্টা, অদিষ্ট ও প্রাপক। অ
বিনিময় বিল হলো এমন একটি দলিল, যেখানে বিক্রেতা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধের আদেশ প্রদান করে। এ দলিল বিক্রেতা প্রস্তুত করে এবং ক্রেতা এতে স্বাক্ষর দিয়ে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উদ্দীপকে প্রদর্শিত দলিলটিতে মি. মামুন প্রাপ্ত মূল্যের বিনিময়ে অর্থ প্রদানের আদেশ প্রদান করেন। অর্থাৎ মি. মামুন তার ক্রেতাকে বিক্রীত পণ্যের মূল্য পরিশোধের আদেশ প্রদান করেন। এ বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বলা যায়, এটি নিঃসন্দেহে বিনিময় বিল।
চিত্রে প্রদর্শিত বিনিময় বিল দলিলটিতে তিনটি পক্ষ রয়েছে। এখানে দলিলটি প্রস্তুত করেছেন মি. মামুন এবং তিনি হলেন এ দলিলের আদেষ্টা। আবার, মি. মামুন মি. হাসানকে অর্থ প্রদান করার জন্য তার ক্রেতাকে নির্দেশ প্রদান করেন। তাই এখানে মি. হাসান হলো প্রাপক। এখানে আদিষ্ট ও প্রাপক দু’জন একই ব্যক্তি। অর্থাৎ ক্রেতা মি. হাসান হলো আদিষ্ট।
মমমপ্রশ্ন৬ জনাব আবিদ তার দেনাদার মি. কাশেম বরাবর ২০,০০০ টাকার একটি দলিল তৈরি করতে গিয়ে লিখলেন- অদ্য থেকে ২ মাস পরে আপনার কাছে বিক্রীত পণ্যের মূল্যে বাবদ জনাব তাহেরকে অথবা তার আদেশানুসারে ২০,০০০ টাকা মাত্র প্রদান করুন। তৈরির পর তিনি মি. কাশেমের নিকট দলিলটি পাঠিয়ে তাতে স্বীকৃতি সূচক স্বাক্ষর সংগ্রহ করলেন এবং জনাব তাহেরকে দিলেন। জনাব তাহের যথারীতি পিছনে স্বাক্ষর করে তা জনাব রহিমকে প্রদান করলেন। জনাব রহিম তা তার ব্যাংক হতে বাট্টাকরণ করতে চাইছেন। অ
[ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ; ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা]
অ ক. বিনিময় বিল কী? ১
অ খ. চেকের অনুমোদন বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. উদ্দীপকে জনাব তাহের হস্তান্তরযোগ্য দলিলের কোন পক্ষ তা ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. উদ্দীপকে রহিমের নাম দলিলের উপরিভাগে না থাকার পরও ব্যাংক কী দলিলটি বাট্টাকরণ করবে? যুক্তি দেখাও। ৪
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
মক বিনিময় বিল হলো এমন এক প্রকার হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল, যাতে কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য শর্তহীন নির্দেশ প্রদান করে। অ
মখ হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে চেকের আদেষ্টা বা প্রাপক কর্তৃক চেকের উল্টো পিঠে কিছু লিখে বা না লিখে স্বাক্ষর করাকে চেকের অনুমোদন বলে। অ
চেক অনুমোদনের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো চেকটি হস্তান্তর করা। অর্থাৎ চেকের অধিকারী কর্তৃক অন্যকে চেকের স্বত্ব বা মালিকানা দান করা। হস্তান্তরের জন্য বাহক চেকে অনুমোদন প্রয়োজন হয় না। তবে হুকুম চেকে এরূপ অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
মগ উদ্দীপকে জনাব তাহের হস্তান্তরযোগ্য দলিলের প্রাপক হিসেবে বিবেচিত। অ
হস্তান্তরযোগ্য দলিলে যাকে অর্থ প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয় তিনিই হচ্ছেন প্রাপক। অর্থাৎ দলিলে যার নাম উলেখ করে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয় তিনি প্রাপক।
উদ্দীপকে জনাব আবিদ তার দেনাদার মি. কাশিম বরাবর ২০,০০০ টাকার একটি দলিল তৈরি করেন। মূলত বিক্রীত পণ্যেল মূল্য আদায়ের জন্য তিনি মি. কশিম বরাবর দলিলটি প্রস্তুত করেন। দলিলটিতে তিনি উলেখ করেন যে, তাহেরকে অথবা আদেশানুসারে ২০,০০০ টাকা প্রদান করুন। অর্থাৎ এখানে অর্থ গ্রহণের দাবিদার তাহের অথবা তার অনুমোদনে অন্য কোন ব্যক্তি। এভাবে তাহেরকে অর্থ প্রদানের নির্দেশ দেওয়ায় নিশ্চিতভাবে বলা যায়, তাহের হলো এ দলিলের প্রাপক পক্ষ।
মঘ উদ্দীপকে রহিমের নাম দলিলের উপরিভাগে না থাকার পরও ব্যাংক দলিলটি বাট্টাকরণ করবে। অ
হস্তান্তরযোগ্য দলিলের বাট্টাকরণ বলতে মেয়াদপূর্তির পূর্বেই ব্যাংক হতে কম মূল্যে বিক্রয় করে নগদ অর্থ সংগ্রহ করাকে বোঝায়। অর্থাৎ বাট্টাকরণ করা হলে দলিলে লিখিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে নগদ অর্থ গ্রহণ করতে হয়।
উদ্দীপকে জনাব আবিদ বিক্রীত পণ্যের মূল্য আদায়ের জন্য দেনাদার মি. কাশিম বরাবর একটি দলিল তৈরি করেন। অর্থাৎ জনাব আবিদ বিনিময় বিল প্রস্তুত করলেন। দলিলটিতে তিনি উলেখ করেন জনাব তাহেরকে অথবা তাহেরের আদেশানুসারে অর্থ প্রদান করুন। পরবর্তীতে মি. কাশিম স্বীকৃতি সূচক স্বাক্ষর করে তা তাহেরকে দেন এবং তাহের যথারীতি পিছনে স্বাক্ষর করে তা রহিমকে প্রদান করেন।
অর্থাৎ রহিম এখানে অনুমোদন বলে প্রাপক। তাই দলিলের মূল্য গ্রহণ করার আইনগত অধিকার রহিমের রয়েছে। এ অধিকারের বলেই তিনি এ দলিলটি ব্যাংক হতে বাট্টা করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই বলা যায়, দলিলে রহিমের নাম না থাকলেও তিনি তা বাট্টাকরণ করতে পারবেন।
মমমপ্রশ্ন৭ সামি ৫০,০০০ টাকার মাল বিক্রয় করেছেন। ক্রেতা রাফি ১ মাস পর টাকা দিতে চায়। সামি বললেন, আপনি স্ট্যাম্পযুক্ত একটি কাগজে ১ মাস পর আমাকে টাকা দেবেন এটি লিখে দিন। অন্যদিকে সামি, রাসেল থেকে নিজেই ৭০,০০০ টাকার মাল কিনেছেন। এক মাস পর টাকা দিতে চাইলে রাসেল বললেন, আমি স্ট্যাম্পযুক্ত সাদা কাগজে একটি দলিল তৈরি করে দেই। আপনি তাতে স্বীকৃতি লিখে স্বাক্ষর করবেন। সামি স্বাক্ষর কেন করতে হবে-এ নিয়ে ভাবছেন। অ
[বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সাভার; ঢাকা সিটি কলেজ]
অ ক. চেক স্ত‚প পরিষ্কারকরণ কী? ১
অ খ. মোবাইল ব্যাংকিং হোম ব্যাংকিং অপেক্ষা উত্তম কেন? ২
অ গ. রাফি প্রদত্ত দলিলটি কোন ধরনের হস্তাস্তরযোগ্য দলিল? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. রাসেল-এর লিখিত দলিলে সামির স্বাক্ষরের আবশ্যকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
মক চেক স্ত‚প পরিষ্কারকরণ বলতে জমাকৃত চেক অমকর্যাদাকৃত হলে তা গ্রাহককে জানানোর উদ্দেশ্যে ফেরত দেওয়াকে বোঝায়। অ
মখ মোবাইল ব্যাংকিং-এ জটিলতা তুলনামূলক কম হওয়ায় এটি হোম ব্যাংকিং, অপেক্ষা উত্তম। অ
হোম ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ঘরে বসেই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। যেমন: টেলিফোনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ, কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ব্যাংকের সাথে লেনদেন ইত্যাদি। অন্যদিকে, মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করা হয় মোবাইল ব্যাংকিং এ। যেমন: বিকাশ ও রকেট সেবা মোবাইল ব্যাংকিং-এ গ্রাহক যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় অর্থ জমাদান ও উত্তোলন করতে পারে। এমনকি গ্রাহকের নিজের মোবাইল না থাকলেও ব্যাংকের এজেন্টের মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারে। এরূপ সহজ সিস্টেম হওয়ার কারণেই এটি অধিক উত্তম।
মগ উদ্দীপকে রাফি প্রদত্ত দলিলটি হলো অঙ্গীকারপত্র। অ
অঙ্গীকারপত্র বলতে এমন দলিলকে বোঝায়। যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময় পর অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি প্রদান করে। এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল।
উদ্দীপকে সামি রাফির নিকট ৫০,০০০ টাকার মাল বিক্রয় করেছেন। ক্রেতা রাফি ১ মাস পর এ টাকা দিতে চায়। তাই সামি বলেন, আপনি স্ট্যামপযুক্ত কাগজে ১ মাস পর টাকা দেবেন তা লিখে দেন। অর্থাৎ সামি এরূপ দলিল চাচ্ছেন যেখানে তাকে ১ মাস পর অর্থ প্রদানের প্রতিশ্র“তি দিতে হবে। এখানে দলিলটি রাফি নিজেই তৈরি করবে এবং প্রতিশ্র“তি প্রদানপূর্বক নিজেই স্বাক্ষর প্রদান করবে। এ সকল বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনায় বলা যায়, রাফি প্রদত্ত দলিলটি হলো অঙ্গীকারপত্র। কেননা, অঙ্গীকারপত্রেই এরূপ প্রতিশ্র“তি দেওয়া হয়।
মঘ উদ্দীপকে রাসেল কর্তৃক প্রস্তুতকৃত দলিলটি বিনিময় বিল হওয়ায় সামিরের স্বাক্ষরের আবশ্যকতা রয়েছে। অ
বিনিময় বিল হলো এমন একটি দলিল, যেখানে বিক্রেতা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য পরিশোধের আদেশ প্রদান করে। এ দলিল বিক্রেতা প্রস্তুত করে এবং ক্রেতা তা স্বাক্ষর দিয়ে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উদ্দীপকে সামি রাসেল থেকে ৭০,০০০ টাকার পণ্য কিনেছেন। তবে সামি একমাস পর এ মূল্য দিতে চাইলে রাসেল একটি দলিলের কথা উলেখ করেন। যেখানে দলিলটি রাসেল প্রস্তুত করবে এবং সামি তাতে স্বাক্ষর প্রদান করবে।
এখানে সামি হলো ক্রেতা এবং রাসেল হলো বিক্রেতা। দলিলটিতে বিক্রেতা রাসেল ক্রেতা সামিকে অর্থ প্রদানের আদেশ দিবে। অর্থাৎ এ দলিলটি হলো বিনিময় বিল। বিনিময় বিলে ক্রেতা হিসেবে সামি স্বাক্ষর না দিলে এটি আইনগতভাবে বৈধ হবে না। তাই এক্ষেত্রে সামির স্বাক্ষরের আবশ্যকতা রয়েছে।
মমমপ্রশ্ন৮ হায়দারকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখল এতে ব্যাংকের লোগো ব্যবহৃত হয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নারের স্বাক্ষর রয়েছে। আবার সে খেয়াল করে ১ টাকার নোটে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা হয়েছে এবং অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে। অ
[নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী]
অ ক. পে-অর্ডার কী? ১
অ খ. সরকারি নোট কাকে বলে? ২
অ গ. ৫ টাকা ও ১০ টাকার নোট কোন ধরনের নোট? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সরকারি নোট ও ব্যাংকের নোটের মূল্যায়ন করো। ৪
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
মক যে পত্রের মাধ্যমে ব্যাংকের কোনো শাখা তার প্রাপককে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয় তাকে পে-অর্ডার বলে। অ
মখ সরকারের নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটকে সরকারি নোট বলে। অ
সরকারি নোটে সাধারণত অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে। এ মুদ্রাকে বিহিত মুদ্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিহিত মুদ্রা হওয়ার কারণে এ নোটের আইনগত বৈধতা নিয়ে কখনো প্রশ্ন ওঠে না। বাংলাদেশে ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার নোটগুলো হলো সরকারি নোট।
মগ উদ্দীপকে ৫ টাকার নোটটি হলো সরকারি নোট এবং ১০ টাকার নোটটি হলো ব্যাংক নোট। অ
সরকারি নোট বলতে সরকারের নিয়ন্ত্রণে অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো নোটকে বোঝায়। অপরদিকে, ব্যাংক নোট বলতে সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো নোটকে বোঝায়।
উদ্দীপকে হায়দারকে তার বাবা কলেজে আসার সময় ৫ টাকা ও ১০ টাকার কয়েকটি নোট দিলেন। সে দেখলো ৫ টাকার নোটে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লেখা হয়েছে এবং অর্থ সচিবের স্বাক্ষর রয়েছে। অর্থাৎ ৫ টাকার নোটটি সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো হয়েছে বিধায় এটি সরকারি নোট। অপরদিকে, ১০ টাকার নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহৃত হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর রয়েছে। অর্থাৎ ১০ টাকার নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ছাপানো হয়েছে বিধায় এটি ব্যাংক নোট।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৫ টাকার নোটটি অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক ছাপানো হয় এবং এতে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকে।
মঘ উদ্দীপকে বিনময়ের মাধ্যম হিসেবে সরকারি নোট বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত এবং ব্যাংক নোট বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত নয়। অ
সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে সরকারি নোট ছাপানো হয় বিধায় এটি সবসময় বিহিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত। তবে ব্যাংক নোট বিহিত মুদ্রা না হলেও সরকার এই নোটের দায়িত্ব নেওয়ায় জনগণ এ নোট গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় না।
উদ্দীপকে হায়দার তার বাবার কাছ থেকে দুই ধরনের নোট পেয়েছে। একটি নোটে অর্থ সচিবের স্বাক্ষর থাকায় এটি নিঃসন্দেহে সরকারি নোট। অন্যটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর থাকায় এটি নিঃসন্দেহে ব্যাংক নোট।
এখানে হায়দারের গৃহীত সরকারি নোটটি গ্রহণে জনগণ সবসময় বাধ্য থাকে। অর্থাৎ এ নোট অচল হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, ব্যাংক নোট আইনসঙ্গতভাবে বিহিত মুদ্রা নয়, এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিজ্ঞাপত্র হিসেবে বিবেচিত। তবে এ নোট কোনো কারণে অচল করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সমপরিমাণ মূল্য প্রদানে বাধ্য থাকে। তাই এ নোট গ্রহণে জনগণ বাধ্য না থাকলেও অস্বীকৃতি জানায় না। তাছাড়া সরকারি নোটের মূল্যমান ব্যাংক নোটের চেয়ে কম। ছোট খাট লেনদেনে সরকারি নোট আর বড় লেনদেনে ব্যাংক নোট ব্যবহার করা হয়।
মমমপ্রশ্ন৯
ঢণত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
…………… শাখা
অ/ঈ ৩৪২২৪৫৮৫
নাজমুল কে অথবা বাহককে
টাকা ত্রিশ হাজার টাকা মাত্র প্রদান করুন।
টাকা: ৩০০০০/-
আলম
স্বাক্ষর
অ [কুমিলা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ]
অ ক. হুকুম চেক কী? ১
অ খ. ব্যাংক নোট বলতে কী বোঝ? ২
অ গ. প্রদর্শিত চিত্রটি কোন ধরনের চেক? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. এরূপ চেকের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশ্লেষণ করো। ৪
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
মক যে চেকে প্রাপকের নামের শেষে ‘অথবা আদেশানুসারে’ শব্দদ্বয় লেখা থাকে তাকে হুকুম চেক বলে। অ
মখ সরকারের অনুমতিক্রমে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজী মুদ্রাকে ব্যাংক নোট বলে। অ
সরকারের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ নোটে স্বাক্ষর করে থাকেন। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিজ্ঞাপত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আইন সঙ্গত বিহিত মুদ্রা নয়। তবে যেহেতু এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিহ্নিত মুদ্রা প্রদানে বাধ্য থাকে তাই জনগণ এ নোট গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় না। এ নোটগুলো সাধারণত উচ্চ মূল্যমানের হয়। যেমন: দশ টাকা, পঞ্চাশ টাকা, একশত টাকা ইত্যাদি।
মগ উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্রটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেক। অ
দাগকাটা চেকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো চেকের উপরিভাগে আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দু’টি রেখা অঙ্কিত থাকে। এক্ষেত্রে রেখা দুটির মাঝে কিছু লেখা থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।
উদ্দীপকে একটি চেকের চিত্র দেওয়া রয়েছে। চেকটির বামকোণে উপরিভাগে আড়াআড়িভাবে দু’টি সমান্তরাল রেখা টানা হয়েছে। রেখা দু’টির মাঝে লেখা আছে ‘অইঈ ইধহশ খঃফ’ অর্থাৎ এ চেকের অর্থ অইঈ ব্যাংক হতে উত্তোলন করতে হবে। এভাবে আড়াআড়িভাবে রেখা টানা এবং রেখার মাঝে ব্যাংকের নাম উলেখ আছে বিধায় নিঃসন্দেহে বলা যায়, এটি একটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
মঘ উদ্দীপকে চিত্রে প্রদর্শিত দাগকাটা চেকটি লেনদেনের ক্ষেত্রে অধিক নিরাপদ। অ
দাগকাটা চেক বলতে চেকের উপরিভাগে আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দু’টি রেখাযুক্ত চেককে বোঝায়। এ চেকের অর্থ প্রাপককে তার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয়।
উদ্দীপকে একটি দাগকাটা চেকের চিত্র প্রদর্শিত রয়েছে। চেকটিতে লেখা আছে নাজমুলকে অথবা বাহককে ত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করুন। অর্থাৎ এ চেকটির প্রাপক হলো নামজুল।
চেকটি দাগকাটা হওয়ার কারণে ব্যাংক এ চেকের অর্থ নগদে প্রদান করবে না। তাই প্রাপক নাজমুলকে চেকটি উলিখিত অইঈ ব্যাংকে তার হিসাবে জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে তার হিসাবে এ অর্থ জমা হবে। এভাবে প্রাপকের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে চেকের অর্থ জমা হয় বিধায় অন্য কেউ এ চেকের অর্থ উত্তোলন করতে পারবে না। তাই চেকটি হারিয়ে বা চুরি বা ছিনতাই হয়ে গেলেও কোনো ঝুঁকি নেই। তাই বলা যায়, দৈনন্দিন লেনদেনে এ চেকের ব্যবহার নিরাপদ।
মমমপ্রশ্ন১০
শাপলা ব্যাংক লি.
…………… শাখা
অই: ০৯৮৭৬৫৪৩
হাসান কে অথবা বাহককে
টাকা বিশ হাজার টাকা মাত্র প্রদান করুন।
টাকা: ২০০০০/-
হানিফ
স্বাক্ষর
অ [চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আন্তঃকলেজ]
অ ক. বিনিময় বিল কী? ১
অ খ. উপহার চেক বলতে কী বোঝায়? ২
অ গ. প্রদর্শিত চিত্রটি কোন ধরনের চেক? ব্যাখ্যা করো। ৩
অ ঘ. এরূপ চেক পাওয়ার পর প্রাপক হিসেবে তোমার করণীয় কী ব্যাখ্যা করো। ৪
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
মক বিনিময় বিল হলো একটি হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল যার মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের শর্তহীন নির্দেশ দেয়। অ
মখ আপনজনদেরকে উপহার দেয়ার ক্ষেত্রে যে চেক ব্যবহৃত হয় তাকে উপহার চেক বলে। অ
এ চেক প্রাইজবন্ডের অনুরূপ। এ চেক ইস্যুকারী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় ভাঙানো যায়। এতে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সুদ পাওয়া যায়। এমনকি মাঝে মাঝে অনুষ্ঠিত ড্রতে পুরষ্কার পাওয়ার সম্ভাবনাও এ চেকে রয়েছে।
মগ উদ্দীপকে প্রদর্শিত চিত্রটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেকের। অ
কোনো চেকের উপরিভাগে বামকোণে আড়াআড়িভাবে সমান্তরাল দুটি দাগটানা থাকলে সেটি দাগকাটা চেক হিসেবে বিবেচিত। বাহক বা হুকুম চেক এরূপ দাগটানার মাধ্যমে দাগকাটা চেকে রূপান্তর করা যায়।
উদ্দীপকে একটি চেকের চিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। চেকটিতে বলা হয়েছে হাসানকে বা বাহককে বিশ হাজার টাকা প্রদান করুন। এছাড়া চেকের উপরিভাগে বামকোণায় দুটি দাগটানা রয়েছে। দুটি দাগের মাঝে ‘অই ইধহশ খঃফ’ লেখা রয়েছে। আড়াআড়ি রেখার মাঝে ব্যাংকের নাম উলেখ থাকায় এটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক। এরূপ দাগটানার কারণে এ চেকের অর্থ ব্যাংক নগদে পরিশোধ করবে না। এ চেকের অর্থ ব্যাংক শুধু প্রাপক অর্থাৎ, হাসানের হিসাবেই জমা করবে। এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বলা যায়, প্রদর্শিত চেকটি হলো বিশেষভাবে দাগকাটা চেক।
মঘ এরূপ দাগকাটা চেক পাওয়ার পর প্রাপক হিসেবে আমার করণীয় হলো চেকটি উলিখিত ব্যাংক হিসাবে জমা দেয়া। অ
দাগকাটা চেকের ক্ষেত্রে চেকের উপরিভাগে বামকোণে সমান্তরালভাবে দুটি দাগটানা থাকে। এই দুই দাগের মাঝে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাংকের নাম লিখা থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
উদ্দীপকে একটি দাগকাটা চেকের চিত্র রয়েছে। এ চেকের সমান্তরাল দুটি দাগের মাঝখানে ‘অই ইধহশ খঃফ.’ কথাটি লিখা রয়েছে। তাই এটি একটি বিশেষভাবে দাগকাটা চেক। এ চেকটির অর্থ অবশ্যই ‘অই ইধহশ খঃফ.’ এর হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রাপক হিসেবে আমাকে অবশ্যই চেকটি অই ব্যাংকে আমার ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে। যদি অই ব্যাংকে আমার কোনো হিসাব না থাকে তাহলে প্রথমেই ঐ ব্যাংকে আমার হিসাব খুলতে হবে। হিসাব খোলার পর ঐ ব্যাংকে আমার হিসাবে চেকটি জমা দিতে হবে। কেননা, দাগদ্বয়ের মাঝে ঐ ব্যাংকের নাম থাকায় ঐ ব্যাংক ব্যতীত এ চেকের অর্থ আদায় সম্ভব নয়। অথবা চেকের প্রস্তুতকারী কর্তৃক দাগ অপসারণ করিয়ে এ চেকের অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব।