বিজ্ঞান

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ পোস্টে সবাইকে স্বাগতম। আজকে আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ উত্তর দেখব। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা ইউটিউব ও গুগল থেকে সার্চ করে তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট গুলো লিখে থাকো। তোমরা নিশ্চয়ই এর আগেও আমাদের সাইটে ভিজিট করেছে। আমরা তোমাদের ২০২১ সাল থেকে সকল অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর প্রদান করে আসছি। এবং সব থেকে ভালো মানের অ্যাসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর আমরা প্রদান করি। তৃতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞান ষষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্টটি খুব সংক্ষেপে লিখে দেওয়ার আমরা চেষ্টা করেছি। সেই চেষ্টার ফল স্বরূপ আজকের এই ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা একটা ভুল করে থাকো সেটা হচ্ছে প্রশ্ন না দেখে তোমরা উত্তর লেখা শুরু করে দাও। এটা নিশ্চয়ই ঠিক না। বরাবরের মতোই তোমাদের অনুরোধ করবো তোমরা প্রশ্ন গুলো ভালো করে পড়বে এবং নমুনা উত্তর গুলো দেখে নিজেরা লেখার চেষ্টা করবে একান্তই যদি না পারো তবে সে ক্ষেত্রে তোমরা অনলাইন থেকে উত্তর কপি করতে পারো। ষষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট তৃতীয় সপ্তাহ বিজ্ঞান প্রশ্ন উপরের প্রশ্ন গুলো দেখে তোমরা কি বুঝতে পারলে তোমরা কি অ্যাসাইনমেন্টটা নিজে নিজে লিখতে পারবে। যদি না লিখতে পারো তবে আজকের নমুনা উত্তরটি দেখে তোমরা নিজেদের মতো করে উত্তরটি লেখ।যদি না লিখতে পারো তবে আজকের নমুনা উত্তরটি দেখে তোমরা নিজেদের মতো করে উত্তরটি লিখতে পারবে। তো চলো ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা তৃতীয় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ষষ্ঠ শ্রেণি দেখে নিই। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান অ্যাসাইনমেন্ট শুরু অ্যাসাইনমেন্ট শেষ আরো পড়ুনঃ সকল শ্রেণির সকল অ্যাসাইনমেন্ট দেখুন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৭ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ষষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৭ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ব্যসসায় ‍উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ব্যসসায় ‍উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ৯ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ ১০ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান এক্সরে : ১৮৯৫ সালে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী উইলহেম রনজেন এক্সরে আবিষ্কার করেন, যা একধরনের তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ। এর সাহায্যে শরীরের ভাঙা হাড়, ক্ষত বা অবাঞ্ছিত বস্তুর উপস্থিতি বোঝা যায় এবং রোগাক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা যায়। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শিল্পক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  এক্সরের ঝুঁকি বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :  অতিরিক্ত এক্সরে জীবকোষ ধ্বংস করে।  শিশুদের প্রজননতন্ত্রে এক্সরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।  গর্ভবতী অবস্থায় (বিশেষত ২-৪ মাস সময়ের মাঝে) এক্সরে মা ও শিশু উভয়ের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।  একই জায়গায় বারবার এক্সরে করার ফলে টিউমার সৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  আলট্রাসনোগ্রাফি : শরীরের অভ্যন্তরের নরম পেশির বা টিস্যুর যদি অভ্যন্তরীণ কোনো ক্ষতি হয় বা তাতে কোনো সমস্যা হলে আলট্রাসনোগ্রাফি করে তা শনাক্ত করা যায়। আলট্রাসনোগ্রাফিতে শব্দের প্রতিধ্বনি কাজে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে শ্রবণোত্তর শব্দ ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে ভ্রæণের বৃদ্ধি, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ, পিত্তথলি ও মূত্রথলির পাথর শনাক্তকরণ ও স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের টিউমার শনাক্ত করার জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহৃত হয়।  আলট্রাসনোগ্রাফির ঝুঁকি : যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) মতে আলট্রাসনোগ্রাফি ক্ষতিকর নয় তবে তারা পরামর্শ দিয়েছেন গর্ভবতী অবস্থায় যতটা সম্ভব কম আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা উত্তম।  সিটিস্ক্যান : সিটিস্ক্যানের পূর্ণরূপ ঈড়সঢ়ঁঃবফ ঞড়সড়মৎধঢ়যু ঝপধহ-এর মাধ্যমে কোনো পেশি বা অস্থির স্থান পরিবর্তন, অস্থি, টিউমার, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা শারীরিক ক্ষতির নিখুঁত অবস্থান জানা যায়। মাথায় আঘাত পেলে মস্তিষ্কের কোনো ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে কিনা তা বোঝার জন্য সিটিস্ক্যান একটি উত্তম উপায়।  সিটিস্ক্যানের ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : সিটিস্ক্যানের ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক কম। এক্ষেত্রে নি¤েœাক্ত সমস্যা হতে পারে  এখানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থাকে যদিও এটি খুব বেশি নয়।  কখনো কখনো সিটিস্ক্যানে “ডাই” ব্যবহার করা হয় যা অনেকের ক্ষেত্রে এলার্জিজনিত সমস্যা তৈরি করে।  এমআরআই : এমআরআই (গধমহবঃরপ জবংড়হধহপব ওসধমরহম) হলো একটি কৌশল, যা শরীরের যেকোনো অঙ্গের বিশেষ করে যেটি নরম বা সংবেদনশীল, তার পরিষ্কার ও বিস্তারিত ছবি তুলতে পারে। এটি শরীরের যেকোনো অঙ্গের জন্য ব্যবহার করা হলেও মস্তিষ্ক, পেশি, যোজক কলা এবং টিউমার শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। এমআরআই-এর মাধ্যমে পায়ের গোড়ালির মচকানো ও পিঠের ব্যথার জখম বা আঘাতের তীব্রতা নির্ণয় করা যায়। এমআরআই (গজও) এ চৌম্বকক্ষেত্রকে কাজে লাগানো হয়। চৌম্বকক্ষেত্র মানব শরীরে যে পানি আছে তাকে বিশেষ পদ্ধতিতে চৌম্বকায়িত করে। শরীরের এই চৌম্বকায়িত অংশ চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন সাধন করে এবং এর ওপর ভিত্তি করে ত্রিমাত্রিক ছবি তুলে আনা হয়।  এমআরআই-এর ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :  অনেক সময় এখানে ডাই (উুব) ব্যবহার করা হয়, যা এলার্জিজনিত প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে।  কখনো কখনো এমআরআই মেশিনের উচ্চ শব্দের কারণে মাথাব্যথা বা ঝিমুনি ভাব আসতে পারে।  ইসিজি : ইসিজি বা ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম (ঊষবপঃৎড়পধৎফরড়মৎধস) হচ্ছে অত্যন্ত সহজ, ব্যথাবিহীন একটি পরীক্ষা যার মাধ্যমে হৃদপিণ্ড সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা, হৃদকম্পন নিয়মিত কিনা, শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গে রক্ত চলাচল সঠিক কিনা তা বোঝা যায়। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি সম্ভাব্য হার্ট এটাক সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য সতর্ক সংকেত দিতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং গবেষকদের মতে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।  এন্ডোস্কোপ : এন্ডোস্কোপ এক ধরনের বাঁকানো টেলিস্কোপ। এন্ডোস্কোপ সাধারণত তখনই ব্যবহার করা যায়, যখন শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা এক্সরে বা সিটি স্ক্যান করে নিশ্চিত হওয়া না যায়। এন্ডোস্কোপি পেটের আলসার নির্ণয়ের একটি অন্যতম উপায়। এন্ডোস্কোপিতে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের সূত্র কাজে লাগানো হয়।  এন্ডোস্কোপির ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :  জ্বর হওয়া  বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া  পায়খানার রং কালচে হয়ে পড়া  পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া।  রেডিওথেরাপি : রেডিওথেরাপি হলো ক্যানসারের আরোগ্য বা নিয়ন্ত্রণের একটি কৌশল। এর মাধ্যমে শরীরের যে অঙ্গে ক্যান্সার হয়েছে সে অঙ্গের আক্রান্ত কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এতে সুস্থ কোষগুলো ক্ষয়পূরণ করতে পারে, কিন্তু ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক রোগীর জন্য এটিই একমাত্র চিকিৎসা। এখানে দুই ধরনের শক্তির মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষের উঘঅ ধ্বংস করা হয়।  রেডিওথেরাপির ঝুঁকি :  চুল পড়া  চামড়া ঝুলে যাওয়া  মুখের ভিতরের অংশ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া  বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা বদহজম  প্রচণ্ড ক্লান্তি ও অবসাদ।  কেমোথেরাপি : কেমোথেরাপি হলো এমন এক ধরনের চিকিৎসা যেখানে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করে শরীরের জন্য ক্ষতিকর দ্রæত বিভাজনরত ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করা হয়। এটি ক্যান্সার চিকিৎসায় একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ওষুধ কোষ বিভাজনের নির্দিষ্ট ধাপে প্রয়োগ করা হয়।  কেমোথেরাপির ঝুঁকি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : কেমোথেরাপির বিশেষ ওষুধ ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্য কোষও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে নিম্নোক্ত ঝুঁকি থাকতে পারে :  চুল পড়ে যাওয়া  হাতের তালু, পায়ের তালু প্রভৃতি অঙ্গের চামড়া পুড়ে যাওয়া  হজমে সমস্যা হওয়া এবং এর কারণে ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, বমি প্রভৃতি সমস্যা হওয়া  লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা ও অণুচক্রিকা উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়া।  এনজিওগ্রাফি : এনজিওগ্রাফি হলো এক ধরনের বিশেষ পরীক্ষা যেখানে এক্সরে-এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন রক্তনালির ছবি তোলা হয়। যদি কোনো কারণে শরীরের কোনো রক্তনালিকা বন্ধ হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় অথবা অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন হয়, তখন বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে। এনজিওগ্রাফি ডাক্তারকে এসব সমস্যার জন্য দায়ী সুনির্দিষ্ট রক্তনালিকার পরীক্ষা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সহায়তা করে।  এনজিওগ্রাফির ঝুঁকি : যদিও হৃদপিণ্ডের অন্যান্য পরীক্ষার তুলনায় এনজিওগ্রাফির ঝুঁকি অনেক কম, তবুও নি¤েœাক্ত বিষয়গুলোর ঝুঁকি উড়িয়ে দেওয়া যায় নাÑ  সাধারণভাবে এতে রক্তপাত, ইনফেকশন অথবা যেখানে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে সেখানে ব্যথা হতে পারে।  যে নরম টিউবের মাধ্যমে ‘ডাই’ প্রবেশ করানো হয় তা রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।  অনেকের দেহে ‘ডাই’-এর ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে।  ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কখনো কখনো এটি কিডনির ক্ষতি করে। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. ক্যান্সারের চিকিৎসায় কোনটি ব্যবহার করা হয়? ক এমআরআই  কেমোথেরাপি গ এনজিওগ্রাফি ঘ আলট্রাসনোগ্রাফি ২. এন্ডোস্কোপিতে প্রয়োগ করা হয়Ñ র. আলোর প্রতিসরণ রর. বৈদ্যুতিক তরঙ্গের নিঃসরণ ররর. আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন নিচের কোনটি সঠিক? ক রর  ররর গ র ও রর ঘ র ও ররর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : রফিক সাহেব বুকে ব্যথা অনুভব করলে তিনি একটি পরীক্ষা করালেন। এই পরীক্ষা করার সময় রফিক সাহেবের রক্তনালিকা দিয়ে এক ধরনের বিশেষ তরল পদার্থ প্রবেশ করানো হয়। ৩. রফিক সাহেব কোন পরীক্ষাটি করালেন? ক এন্ডোস্কোপি  এনজিওগ্রাফি গ কেমোথেরাপি ঘ রেডিওথেরাপি ৪. রফিক সাহেবের রক্ত নালিকায় প্রবেশ করানো পদার্থটি কী?  ‘ডাই’ নামক তরল খ তরল অক্সিজেন গ মলিবডেনাম ঘ টাংস্টেন গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. গ্যাস্ট্রিক আলসার বিকিৎসায় নিচের কোনটি ব্যবহার করা হয়? ক এম আর আই 

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্দশ অধ্যায় জীবন বাঁচাতে বিজ্ঞান Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান ত্রয়োদশ অধ্যায় সবাই কাছাকাছি

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান ত্রয়োদশ অধ্যায় সবাই কাছাকাছি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি যোগাযোগ: যোগাযোগ হলো একস্থান থেকে অন্যস্থানে বা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে বা এক যন্ত্র থেকে আরেক যন্ত্রে কথা-বার্তা, চিন্তাভাবনা বা তথ্যের আদান-প্রদান বা বিনিময় করা।  মাইক্রোফোন: যেকোনো বড় সভা বা অনুষ্ঠানের সময় বক্তা যে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলেন তাকে বলা হয় মাইক্রোফোন। মাইক্রোফোন হলো এমন একটি যন্ত্র যা শব্দ শক্তিকে তড়িৎ সংকেতে পরিবর্তিত করে।  স্পিকার: শ্রোতা যে যন্ত্র থেকে জোরে শব্দ শুনতে পান তা হলো লাউড স্পিকার বা স্পিকার। স্পিকার হলো এমন একটি যন্ত্র যা তড়িৎ সংকেতকে শব্দ শক্তিতে পরিবর্তিত করে।  সংকেত: সংকেত হলো কোনো চিহ্ন বা কার্য বা শব্দ যা নির্দিষ্ট বার্তা বহন করে। যেমন: রেডিওর ক্ষেত্রে সংকেত হলো কোনো ঘাত বা শব্দ তরঙ্গ যা প্রেরণ করা হয়।  এনালগ সংকেত: এনালগ সংকেত হলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ বা কারেন্ট। যেমন: অডিও, ভিডিও, ভোল্টেজ হলো এনালগ সংকেতের উদাহরণ।  ডিজিটাল সংকেত: ডিজিটাল সংকেত বলতে বোঝায় এমন যোগাযোগ সংকেত যাদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে চেনা যায়। এ অবস্থায় বাইনারি কোড অর্থাৎ ০ ও ১-এর সাহায্য নিয়ে যেকোনো তথ্য, সংখ্যা, অক্ষর বিশেষ ইত্যাদি বোঝানো এবং প্রেরিত হয়।  বেতার তরঙ্গ: যখন তড়িৎ তরঙ্গকে বাহক তরঙ্গ নামক এক প্রকার উচ্চ কম্পাঙ্কবিশিষ্ট তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গের সাথে মিশ্রিত করা হয়; তখন ঐ মিশ্রিত তরঙ্গকে বেতার তরঙ্গ বলে।  মোডেম: যে যন্ত্র এনালগ ডেটাকে ডিজিটাল বা ডিজিটাল ডেটাকে এনালগে রূপান্তরিত করে তাকে মোডেম বলে।  টেলিভিশন: টেলিভিশন হলো এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে আমরা দূরবর্তী কোনো স্থান থেকে শব্দ শোনার সঙ্গে বক্তার ছবিও টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পাই।  টেলিভিশনের আবিষ্কারক: স্কটিশ বিজ্ঞানী লজি বেয়ার্ড ১৯২৬ সালে টেলিভিশন আবিষ্কার করেন।  টেলিফোনের আবিষ্কারক: আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল ১৮৭৫ সালে টেলিফোন আবিষ্কার করেন।  মোবাইল ফোন বা সেল ফোন: আজকাল এক ধরনের বহনযোগ্য টেলিফোন সেট দেখা যায়, যা মানুষের হাতে বা পকেটে থাকে। এ ধরনের টেলিফোনের নাম মোবাইল ফোন।  ফ্যাক্স: ফ্যাক্স হলো তার বা রেডিওর সাহায্যে গ্রাফিক্যাল তথ্য (ছবি, চিত্র, ডায়াগ্রাম বা লেখা) বা যেকোনো লিখিত ডকুমেন্ট হুবহু কপি করে প্রেরণ ও গ্রহণের একটি ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা।  ফ্যাক্স এর আবিষ্কারক : স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার বেইন ১৮৪২ সালে ফ্যাক্স আবিষ্কার করেন।  কম্পিউটার: কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণক বা হিসাবকারী। কম্পিউটার হলো এমন একটি ডিভাইস, যা ডেটা বা উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যে রূপান্তর করে।  সিপিইউ (ঈচট): ঈচট এর পূর্ণরূপ হলো- ঈবহঃৎধষ চৎড়পবংংরহম টহরঃ অর্থাৎ কম্পিউটারের যেখানে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা হয় তাকে সিপিইউ বা কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট বলা হয়।  অন্তর্গামী (ওহঢ়ঁঃ): কম্পিউটার যেখানে তথ্য গ্রহণ করে তাকে বলা হয় (ওহঢ়ঁঃ) অন্তর্গামী।  বহির্গামী (ঙঁঃঢ়ঁঃ): যে প্রান্ত থেকে ফলাফল পাওয়া যায় সেটিই হলো বহির্গামী (ঙঁঃঢ়ঁঃ)।  হার্ডওয়্যার: যে সকল ভৌত ডিভাইস দিয়ে কম্পিউটার তৈরি হয় তাদেরকে বলা হয় হার্ডওয়্যার। এগুলো হাত দ্বারা স্পর্শ করা যায়। যেমন: কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার ইত্যাদি।  সফটওয়্যার: সফটওয়্যার হলো একসেট নির্দেশনা, যা কম্পিউটারকে কী কাজ করতে হবে তা নির্দেশনা দেয়। এগুলো হলো বিভিন্ন রকম প্রোগ্রাম। যেমন: উইন্ডোজ ৯৮, উইন্ডোজ ২০০৩ ও ২০০৭ ইত্যাদি।  ই-মেইল: ইলেকট্রনিক মেইলকে সংক্ষেপে বলা হয় ই-মেইল। ই-মেইল হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বা সহকর্মীদের সাথে দ্রæত যোগাযোগের উপায়।  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: তথ্য তৈরি, সংরক্ষণ, আধুনিকীকরণ এবং আদান-প্রদান ও যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার বা প্রয়োগকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি হলোÑ টেলিফোন, ফ্যাক্সমেশিন, রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি।  যোগাযোগের উদ্দেশ্য: যোগাযোগের উদ্দেশ্য হলো তথ্য আদান-প্রদান করা। এর মাধ্যমে মানুষ তার চিন্তা, ধারণা, অনুভব একে অন্যের কাছে প্রকাশ করতে পারে বা পৌঁছে দিতে পারে। পড়ালেখা, গবেষণা, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, রাজনীতি, অর্থনীতি, ক‚টনীতি, পরিবহন ব্যবস্থাপনা, অপরাধী ধরা, অপরাধ দমন ইত্যাদি কাজ সার্থকভাবে ও দ্রæত সম্পাদন করা যায় উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে।  অডিও সংকেত: কোনো বক্তা বা উপস্থাপকের কথা বা কণ্ঠস্বর বা যেকোনো শব্দ তরঙ্গকে মাইক্রোফোনের সাহায্যে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করা হয়। এভাবে উৎপন্ন তড়িৎ সংকেতই হলো অডিও সংকেত। যেমন:  ভিডিও সংকেত: ভিডিও সংকেতের উৎস হলো কোনো ছবি বা দৃশ্য। কোনো দৃশ্যকে টেলিভিশন ক্যামেরা ধারণ করে এবং স্ক্যানিং প্রক্রিয়ায় একে তড়িৎ সংকেতে রূপান্তরিত করা হয়। এই সংকেতের নাম ভিডিও সংকেত। যেমন:  ডিজিটাল সংকেত: ডিজিটাল কথাটি এসেছে ডিজিট শব্দ থেকে। সাধারণত ডিজিট শব্দটির অর্থ হলো সংখ্যা। ডিজিটাল সংকেত বলতে বোঝায় সেই যোগাযোগ সংকেত যাদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে চেনা যায়। এই ব্যবস্থায় বাইনারি কোড অর্থাৎ ০ ও ১ এর সাহায্য নিয়ে যেকোনো তথ্য, সংকেত, অক্ষর, বিশেষ সংকেত ইত্যাদি বোঝানো হয়। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. সকল নেটওয়ার্কের জননী কোনটি? ক ই-মেইল  ইন্টারনেট গ মোবাইল ঘ টেলিফোন ২. কম্পিউটারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্যÑ র. কম্পিউটার ভুল করে না ভুল শনাক্ত করতে পারে রর. কম্পিউটার নিজে ভুল সংশোধন করতে পারে ররর. কম্পিউটার অক্লান্ত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের চিত্রগুলো থেকে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. আবহাওয়ার সংবাদ শুনতে কোনটি কার্যকর? ক চ খ ছ গ জ  ঝ ৪. ‘চ’ যন্ত্রটির অধিক ব্যবহারÑ র. মাথা ব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে রর. খিঁচুনি ও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে ররর. ভালো ঘুম হতে পারে নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে ব্যবহৃত হয় নিচের কোনটি? ক ই-মেইল খ ইন্টারনেট গ ফ্যাক্স  কম্পিউটার ৬. রেডিওতে শব্দ প্রেরণ করা হয় কীভাবে? ক তড়িৎ তরঙ্গকে শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত করে খ আলোক তরঙ্গরূপে  শব্দ তরঙ্গকে তড়িৎ তরঙ্গে রূপান্তরিত করে ঘ আলোক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে ৭. রঙিন টেলিভিশনে ব্যবহৃত রং কোনগুলো? ক লাল, হলুদ, সবুজ  লাল, আসমানী, সবুজ গ লাল, কমলা, সবুজ ঘ লাল, সাদা, সবুজ ৮. কোনটির সাহায্যে এনালগ ডেটাকে ডিজিটাল ডেটায় রূপান্তর করা যায়? ক টেলিফোন খ কম্পিউটার  মডেম ঘ রেডিও ৯. কোনটি কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য? ক মানুষের তুলনায় ধীর গতিতে কাজ করে  উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে গ কম্পিউটার ভুল শনাক্ত করতে পারে না ঘ কম্পিউটার নিজেকে নিজে সংশোধন করতে পারে ১০. বার্তা কথা কোড ছবি ডাটা ইত্যাদি প্রেরক যন্ত্রযোগাযোগ চ্যানেল বা মাধ্যম  গ্রাহক যন্ত্র মানুষ দ্বারা গ্রহণ উদ্দীপকটি কী নির্দেশ করে? ক অডিও সংকেত খ ভিডিও সংকেত গ যোগাযোগ প্রক্রিয়া  ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মূল ধাপ ১১. কত সালে ফ্যাক্স আবিষ্কৃত হয়? ক ১৮৭৫ খ ১৮৫০  ১৮৪২ ঘ ১৯০৭ ১২. মডেম এর কাজ কোনটি? ক শব্দ প্রেরণ করা খ গণনা

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান ত্রয়োদশ অধ্যায় সবাই কাছাকাছি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দ্বাদশ অধ্যায় প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান দ্বাদশ অধ্যায় প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি তড়িৎ যন্ত্রাংশ : তড়িৎ বর্তনী সম্পূর্ণ করতে এতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয়। এ যন্ত্রাংশগুলো হলো- কোষ, ব্যাটারি, পরিবাহী তার, সংযুক্ত তার, সংযোগবিহীন তার, চাবি বা সুইচ, রোধ বা রোধক বা রোধ বাক্স, পরিবর্তনশীল রোধ বা রিওস্টেট, গ্যালভানোমিটার, অ্যামিটার, ভোল্টমিটার ইত্যাদি।  ব্যাটারির কার্যক্রম : ব্যাটারি হলো একাধিক তড়িৎ কোষের সমন্বয়। একটি ব্যাটারিতে সাধারণত তিনটি অংশ থাকে। একটি অ্যানোড, একটি ক্যাথোড ও তড়িৎ বিশ্লেষ্য (ইলেকট্রোলাইট)। এই অ্যানোড ও ক্যাথোডকে একটি পরিবাহী তার দ্বারা সংযুক্ত করলে তড়িৎ বিভব পার্থক্য তৈরি হয়। এতে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয়।  বাড়িতে তড়িৎ বর্তনীর নকশা বা হাউজ ওয়ারিং : বাড়িতে তড়িৎ সংযোগ দেওয়ার পূর্বে একটি নকশা আঁকতে হয়। ছোট ধরনের সংযোগের ক্ষেত্রে নকশা আঁকা না হলেও একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী অবশ্যই এর সংযোগ দেওয়া হয়। সাধারণত বাড়িতে তড়িৎ সংযোগের জন্য সিরিজ বর্তনী উপযোগী নয়। কারণ, এতে মূল সমস্যা হলো সুইচ অন করলে একই সাথে সংযুক্ত সব বাল্ব জ্বলে উঠবে, ফ্যান চলতে থাকবে। আবার অফ করলে সবগুলো একই সাথে অফ হয়ে যাবে। মূলত বাড়িতে তড়িৎ সংযোগ সমান্তরাল সংযোগ ব্যবস্থা মেনে করা হয়। বর্তনীর সাথে ফিউজ, মেইন সুইচ, প্লাগ-সকেট, ডিস্ট্রিবিউশন বক্স এবং প্রয়োজনীয় বাতি বা পাখার সংযোগ দেওয়া হয়।  তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া : কোনো দ্রবণের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহিত করে এর অণুগুলোকে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। তড়িৎ প্রবাহের দ্বারা দ্রবণের যে দ্রবটিকে দুই ভাগে বিভক্ত বা বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তড়িৎ দ্রব বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলে। তড়িৎ দ্রবণের মধ্যে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ চলে। সকল এসিড, ক্ষার, কয়েকটি নিরপেক্ষ লবণ, এসিড মেশানো পানি ইত্যাদি তড়িৎ দ্রব বা তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ। যেমনÑ ঐ২ঝঙ৪, ঐঘঙ৩, ঈঁঝঙ৪, অমঘঙ৩, ঘধঙঐ ইত্যাদি।  আয়ন : কোনো অণু, পরমাণু বা যৌগমূলকে যদি স্বাভাবিক সংখ্যার ইলেকট্রনের চেয়ে কম বা বেশি ইলেকট্রন থাকে তাকে আয়ন বলে। ইলেকট্রনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে তাকে ধনাত্মক আয়ন বলে। আর যদি ইলেকট্রনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে তাকে ঋণাত্মক আয়ন বলে।  তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ : কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করতে হলে পদার্থটিকে গলিত বা পানিতে দ্রবীভ‚ত অবস্থায় একটি পাত্রের মধ্যে নেয়া হয়। সাধারণভাবে এ ধরনের পাত্রকে তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ বা ভোল্টমিটার বলা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষ বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে।  প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ বিশ্লেষণের গুরুত্ব : ১. তড়িৎ প্রলেপন (ঊষবপঃৎড়ঢ়ষধঃরহম) : তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কোনো ধাতুর ওপর সুবিধামতো অন্য কোনো ধাতুর প্রলেপ দেওয়াকে তড়িৎ প্রলেপন বলে। সাধারণত কোনো নিকৃষ্ট ধাতু যেমন- তামা, লোহা, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি জিনিসকে জলবায়ু থেকে রক্ষা করার এবং সুন্দর দেখানোর জন্য এদের ওপর সোনা, রুপা, নিকেল ইত্যাদি মূল্যবান ধাতুর প্রলেপ দেওয়া হয়। ২. তড়িৎ মুদ্রণ (ঊষবপঃৎড়ঃুঢ়রহম) : তড়িৎ প্রলেপনের একটি বিশেষ পদ্ধতিকে ইলেকট্রোটাইপিং বা তড়িৎ মুদ্রণ বলে। তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রণালিতে হরফ, বøক, মডেল ইত্যাদি তৈরি করাকে তড়িৎ মুদ্রণ বলে। ৩. ধাতু নিষ্কাশন ও শোধন : খনি থেকে সাধারণত কোনো ধাতু বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে নানা ধাতুর মিশ্রণ থাকে যাকে আকরিক বলে। তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে আকরিক থেকে সহজে ধাতু নিষ্কাশন ও তা শোধন করা যায়। ৪. কোনো বর্তনীর মেরু নির্ণয় : কোনো ডিসি মেইন লাইনের দুটি তারের কোনটি ধনাত্মক তা তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে নির্ণয় করা যায়। ৫. তড়িৎ রিপেয়ারিং বা মেরামত : তড়িৎ রিপেয়ারিং বা মেরামত কৌশল অবলম্বন করে কোনো যন্ত্রাংশ মেরামত করা হয়। এই ক্ষেত্রে ভঙ্গুর বা নষ্ট যন্ত্রাংশের ওপর সমস্ত অংশকে ওয়েব দ্বারা আবৃত করা হয়। এর জন্য একে তড়িৎ বিশ্লেষ্যে ডুবানো হয় এবং একে ক্যাথোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে একে অন্য আকৃতিতেও পরিণত করা হয়।  তড়িৎ ক্ষমতা : কাজ করার হার অর্থাৎ একক সময়ে সম্পন্নকৃত কাজকে ক্ষমতা বলে। কোনো তড়িৎ যন্ত্র প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি ব্যয় করে বা অন্য শক্তিতে (তাপ, আলো, যান্ত্রিক ইত্যাদি) রূপান্তরিত করে তাকে তড়িৎ ক্ষমতা বলে।  ওয়াট : কোনো পরিবাহক বা তড়িৎ যন্ত্রের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এক ভোল্ট হলে যদি এর মধ্য দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয় তবে ঐ যন্ত্রের ক্ষমতা এক ওয়াট। এক ওয়াট = ১ ভোল্ট  ১ অ্যাম্পিয়ার  কিলোওয়াট : তড়িৎ ক্ষমতাকে কিলোওয়াট বা মেগাওয়াটে প্রকাশ করা যায়। ১ কিলোওয়াট = ১০০০ ওয়াট বা ১০৩ ওয়াট এবং ১ মেগা ওয়াট = ১০৬ ওয়াট  ওয়াট-ঘণ্টা : এক ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো তড়িৎ যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এক ঘণ্টা ধরে তড়িৎ প্রবাহিত হলে যে পরিমাণ তড়িৎ শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হয় তাকে এক ওয়াট-ঘণ্টা বলে। ১ ওয়াট-ঘণ্টা = ১ ওয়াট  ১ ঘণ্টা বা, ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা = ১,০০০ ওয়াট  ৩৬০০ সেকেন্ড = ৩৬০০০০০ ওয়াট-সেকেন্ড = ৩৬০০০০০ জুল। আন্তর্জাতিকভাবে তড়িৎ সরবরাহকে কিলোওয়াট-ঘণ্টা এককে পরিমাপ করা হয়। এই একককে বোর্ড অব ট্রেড ইউনিট (ইঙঞ) বা সংক্ষেপে ইউনিট বলে। আমরা যে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করি তা এই এককেই হিসাব করা হয়।  ২২০ঠ – ৬০ড এর অর্থ : কোনো বাল্বের গায়ে ২২০ঠ – ৬০ড লেখা থাকার অর্থ এটি ২২০ঠ বিভব পার্থক্যে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বলভাবে জ্বলবে এবং প্রতি সেকেন্ডে ৬০ জুল বৈদ্যুতিক শক্তি আলো ও তাপশক্তিতে রূপান্তরিত করবে।  এনার্জি সেভিং বাল্বের সুবিধা : ১. এই বাল্বে সাধারণ বাল্বের তুলনায় তড়িৎ বিল কম আসে। ফলে খরচ সাশ্রয় হয়। ২. এই বাল্বে কম শক্তি লাগে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি পরিবারে যদি ১টি করে সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করে তবে যে পরিমাণ শক্তি বাঁচে তা দিয়ে প্রতি বছরে ৩০ লাখ পরিবারে তড়িৎ সংযোগ দেয়া সম্ভব। ৩. জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমে যায়। এতে পরিবেশের ওপর কম বিরূপ প্রভাব পড়ে। ৪. এই বাল্ব বেশি দিন টেকে বলে কম পরিত্যক্ত হয়। এতে ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনায়ও সুবিধা হয়।  আইপিএস : এর পূর্ণনাম ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই যা তড়িৎপ্রবাহে বিঘœ ঘটার পরও তাৎক্ষণিকভাবে তড়িৎপ্রবাহ পাওয়ার আদর্শ সমাধান। এটি মূলত ডিসি প্রবাহ। আইপিএসকে গৃহে ব্যবহৃত তড়িতের ইনপুটের সাথে সংযুক্ত করা হয়।  ইউপিএস : এর পূর্ণনাম আনইন্টারাপটিবল পাওয়ার সাপ্লাই, যা তড়িৎ উৎস ও কম্পিউটারের মাঝে লাগানো থাকে। তড়িৎ প্রবাহে বিঘœ ঘটার পরেও এর মাধ্যমে কম্পিউটার চলতে থাকে এবং কম্পিউটারের তথ্যের কোনো ক্ষতি হয় না।  সিস্টেম লস : তড়িৎ উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যপথে বিদ্যুতের অপচয়কেই সিস্টেম লস বলা হয়। ত্রæটিপূর্ণ সরবরাহ পদ্ধতি, অবৈধ সংযোগ, দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা ইত্যাদি কারণে সিস্টেম লসের সৃষ্টি হয়।  লোডশেডিং : চাহিদার তুলনায় তড়িতের উৎপাদন কম হলে সব জায়গায় একই সাথে তড়িৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। তখন কোনো এলাকার তড়িৎ সরবরাহ বন্ধ করে উৎপাদিত তড়িৎ অন্যান্য এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। তড়িতের উৎপাদন যদি বেশ কম হয় তবে

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দ্বাদশ অধ্যায় প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় জীব প্রযুক্তি

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় জীব প্রযুক্তি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় স্থানান্তরের কৌশল : বংশগত ধারা পরিবহনে ক্রোমোজোম, ডিএনএ ও আরএনএ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান ডিএনএ। ডিএনএ-ই জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত ধারক, যাকে জিন বলা হয়। আরএনএ জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করতে ডিএনএ-কে সাহায্য করে। ক্রোমোজোম ডিএনএ ও আরএনএ-কে ধারণ করে বাহক হিসেবে। ক্রোমোজোম ডিএনএ ও আরএনএ-কে সরাসরি বহন করে পিতামাতা থেকে তাদের পরবর্তী বংশধরে নিয়ে যায়। কোষ বিভাজনের মায়োটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বংশগতির এ ধারা অব্যাহত থাকে। ডিএনএ : একটি ডিএনএ অণু দ্বিসূত্র বিশিষ্ট লম্বা শৃঙ্খলার পলিনিউক্লিওটাইড। কারণ এটি অনেকগুলো নিউক্লিওটাইড নিয়ে গঠিত। ডিএনএ অণুতে চার ধরনের ক্ষারক থাকে যথা : এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন। এগুলোর মধ্যে এডিনিন থাইমিনের সাথে এবং সাইটোসিন গুয়ানিনের সাথে জোড় বেঁধে সিঁড়ির ধাপগুলো তৈরি করে।  ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজনীয়তা : সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে, বা কেউ যদি অন্যের সন্তানকে তার নিজের সন্তান হিসেবে দাবি করে, তখন ডিএনএ টেস্ট দ্বারা এ ধরনের বিবাদ বর্তমানে নিষ্পত্তি করা যায়। বর্তমানে অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ টেস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  জেনেটিক বিঘœতার কারণ ও ফলাফল : জেনেটিক বিঘœতা ঘটে যেসব কারণে তা হলো- ১. পয়েন্ট মিউটেশন বা জিনের ভেতর পরিবর্তনের জন্য, ২. ক্রোমোজোম সংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধির জন্য, ৩. ক্রোমোজোমের কোনো অংশের হ্রাস বা বৃদ্ধির জন্য, ৪. মায়োসিস কোষ বিভাজনের সময় হোমোলগাস ক্রোমোজোমের বিচ্ছিন্নকরণ না ঘটার জন্য। এসব বিঘœতার ফলে মানুষের বংশগত কতগুলো রোগ হয়। এ রোগগুলো হলোÑ ১. সিকিল সেল রোগ, ২. হানটিংটন’স রোগ, ৩. ডাউন’স সিনড্রোম রোগ, ৪. ক্লিনিফেলটার’স সিনড্রোম রোগ, ৫. টার্নার’স সিনড্রোম রোগ ইত্যাদি।  জীব প্রযুক্তি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং : জীব প্রযুক্তি বলতে বোঝায় মানবকল্যাণের উদ্দেশ্যে জীবজ প্রতিনিধিদের, যেমন : অণুজীব বা জীবকোষের কোষীয় উপাদানের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। দই, সিরকা, পাউরুটি, মদ, পনির ইত্যাদি উৎপাদন জীব প্রযুক্তির ফসল। এসব জীব প্রযুক্তিকে পুরনো জীব প্রযুক্তি বলে আখ্যায়িত করা হয়। স¤প্রতি আণবিক জীববিজ্ঞানের গবেষণার দ্বারা জীব প্রযুক্তির যে প্রসার ঘটেছে, তাকে বলা হয় নতুন জীব প্রযুক্তি। বাস্তবিক অর্থে, আধুনিক জীব প্রযুক্তি তিনটি বিষয়ের সমন্বয়। যথা : ১. অণুজীব বিজ্ঞান, ২. টিস্যু কালচার ও ৩. জিন প্রকৌশল। বর্ণিত এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা জীববিজ্ঞানের অত্যাধুনিক এই শাখাটি মানবসভ্যতার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। একটি জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী ডিএনএ খণ্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল বলে। এই জিন যে কৌশলগুলোর মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয় তাদের একত্রে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কৌশল বলে। রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ কৌশল অবলম্বন করে একটি ডিএনএ অণুর কাক্সিক্ষত অংশ কেটে আলাদা করে অন্য একটি ডিএনএ অণুতে প্রতিস্থাপনের ফলে যে নতুন ডিএনএ অণুর সৃষ্টি হয়, তাকে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ বলে। রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ তৈরির প্রক্রিয়াকে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রযুক্তি বা জিন ক্লোনিং বলা হয়।  প্রাণী ও উদ্ভিদে ক্লোনিং : একটি কোষ বা একগুচ্ছ কোষ যখন একটিমাত্র কোষ থেকে উৎপত্তি হয় এবং সেগুলোর প্রকৃতি মাতৃকোষের মতো হয় তখন তাকে ক্লোন বলে। প্রাণী ক্লোনিং উদ্ভব হয় একই প্রাণীর দেহকোষ থেকে সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াস বের করে সেই প্রাণীর নিষেককৃত ডিম্বাণুতে ইনজেক্ট করে নিউক্লিয়াস স্থাপন করা হয়। ডিম্বাণুতে দেহকোষের নিউক্লিয়াস স্থাপন করার পূর্বে নিষেককৃত ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসকে অপসারণ করা হয়। এই ডিম্বাণু থেকে যে প্রাণী সৃষ্টি হয় তা হুবহু তার মাতার মতো হয়। আর উদ্ভিদ ক্লোনিং উদ্ভব ঘটে অযৌন অঙ্গজ জননের দ্বারা। এগুলোর আকৃতি হয় একদম মাতৃজীবের মতো।  ক্লোনিং-এর সামাজিক প্রভাব : উদ্ভিদ বা প্রাণীর ক্লোনিং নিয়ে তেমন কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু মানুষের ক্লোনিং বিষয়ে এর নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত মানুষ বা মানবগোষ্ঠীর সফল ক্লোনিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। ক্লোনিং জাত শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ হবে, এমনটি বলা যাচ্ছে না। বরং প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মানব ক্লোনিং হবে প্রকৃতির ওপর এক বড় ধরনের হস্তক্ষেপ। সাধারণ মানুষের একাংশের মতে, ধর্ম আর বিজ্ঞান এক নয়। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত।  জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজির ব্যবহার : ১. এ পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঙ্গসমূহ থেকে অসংখ্য অণুচারা উৎপন্ন হয়। অল্প জায়গায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বাণিজ্যিকভাবে লাখ লাখ কাক্সিক্ষত চারা করা সম্ভব হচ্ছে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ২. এর ফলে জিনের গঠন বা বিন্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে উন্নত জাতের উদ্ভিদ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। এভাবে ধান, গম, তেলবীজসহ অনেক শস্যের অধিক ফলনশীল উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। ৩. জীব প্রযুক্তি প্রয়োগ করে প্রাণী ও উদ্ভিদজাত দ্রব্যাদির গঠন, বর্ণ, পুষ্টিগুণ, স্বাদ ইত্যাদির উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। ৪. জীব প্রযুক্তির দ্বারা শাকসবজি, ফল ও শুঁটকির ক্ষতিকর পতঙ্গ, মশা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক উদ্ভাবন করে পতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ৫. জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে সুইডেনের বিজ্ঞানীরা সুপার রাইস বা গোল্ডেন রাইস নামক এক ধরনের ধান উদ্ভাবন করেছেন। এটি ভিটামিন অ সমৃদ্ধ। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা কতটি? ক ১টি  ২টি গ ২২টি ঘ ৪৪টি ২. ক্রোমোজোমে যে মৌলিক পদার্থ থাকে তা হলোÑ র. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রর. লৌহ ও ম্যাগনেসিয়াম ররর. ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ রর ও ররর গ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের চিত্রটি থেকে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. ওপরের চিত্রটি কিসের? ক উঘঅ খ জঘঅ  ক্রোমোজোম ঘ নিউক্লিওলাস ৪. চিত্রের কোন অংশটি সেন্ট্রোমিয়ার? ক অ খ ই  ঈ ঘ উ গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. চিত্রে অ অংশটির নাম নিচের কোনটি?  ফসফেট খ নাইট্রোজেন গ সালফেট ঘ কার্বনেট ৬. চিত্রের অ চি‎িহ্নত অংশটির নাম কী? ক ক্রোমাটিন খ নিউক্লিয়াস  নিউক্লিওলাস ঘ নিউক্লিওপ্লাজম ৭. মানবদেহের প্রতিটি দেহকোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত? ক ৪০টি খ ৪২টি গ ৪৪টি  ৪৬টি ৮. মানবদেহের রক্তকণিকায় কোন রোগটি পয়েন্ট মিউটেশনের জন্য হয়ে থাকে? ক হানটিংটন’স রোগ  সিকিলসেল রোগ গ ডাউন’স সিনড্রোম ঘ টার্নার’স সিনড্রোম ৯. ক্লোনিং কত প্রকার? ক পাঁচ খ চার  তিন ঘ দুই ১০. পনির তৈরিতে নিচের কোনটি ব্যবহৃত হয়? ক ভাইরাস খ শৈবাল  ছত্রাক ঘ মিউকর ১১. ট্রান্সজেনিক টমেটোর বৈশিষ্ট্য কোনটি? ক করোনারী থ্রম্বোসিস প্রতিরোধ  শর্করার পরিমাণ বেশি গ এন্টিবডি তৈরিতে সক্ষম ঘ বারোমাসী ফসল ১২. ক্রোমোজোমের প্রধান উপাদান কোনটি? ক আর.এন.এ  ডি.এন.এ গ জিন ঘ সেন্ট্রোমিয়ার ১৩. কোন সমস্যার কারণে ১০ বছর বয়সের শিশুর চলন শক্তি লোপ পায়? ক জুভেনাইল গøুকোমা খ অপটিক অ্যাট্রিফি  মাসকুলার ডিসট্রপি ঘ হোয়াইট ফোরলক ১৪. সন্তানের পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি হয় কোনটির মাধ্যমে? ক মূত্র পরীক্ষা  উঘঅ টেস্ট গ মল পরীক্ষা ঘ বøাড পরীক্ষা ১৫. ক্রোমোজোমে কয় ধরনের প্রোটিন থাকে?  দুই খ তিন গ চার ঘ পাঁচ ১৬. পুরুষ দেহের সেক্স ক্রোমোজোম হলো- র. ঢঢ রর. ণণ

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান একাদশ অধ্যায় জীব প্রযুক্তি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দশম অধ্যায় এসো বলকে জানি

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান দশম অধ্যায় এসো বলকে জানি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বস্তুর জড়তা : বস্তু যে অবস্থায় আছে চিরকাল সেই অবস্থায় থাকতে চাওয়ার যে প্রবণতা বা সেই অবস্থা বজায় রাখতে চাওয়ার যে ধর্ম, তাই জড়তা। জড়তা দুই প্রকার : ১. স্থিতি জড়তা : স্থিতিশীল বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়ার প্রবণতা বা ধর্মকে স্থিতি জড়তা বলে। স্থিতি জড়তার কারণে থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে যাত্রীরা পেছনের দিকে হেলে পড়ে। ২. গতি জড়তা : গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে গতিশীল থাকতে চাওয়ার প্রবণতা বা ধর্মকে গতি জড়তা বলে। গতি জড়তার কারণে চলন্ত বাস হঠাৎ ব্রেক কষলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।  বলের গুণগত ধারণা নিউটনের গতির প্রথম সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা : নিউটনের প্রথম সূত্র হলো, “বাহ্যিক কোনো বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থিরই থাকবে এবং গতিশীল বস্তু সুষম দ্রæতিতে সরলপথে চলতে থাকবে।” ধাক্কা, টানা বা বাধা দেয়া যা বস্তুর স্থিতি বা গতির অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় তাকে বল বলে। নিউটনের গতির প্রথম সূত্র থেকে দেখা যায়, কোনো বস্তু নিজে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। বস্তু স্থির থাকলে চিরকাল স্থির থাকতে চায় আর গতিশীল থাকলে চিরকাল সুষম দ্রæতিতে সরলপথে চলতে চায়। তাই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর জন্য বাইরে থেকে যা প্রয়োগ করতে হয় তাই বল।  জড়তার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা : আমরা প্রাত্যহিক অনেক কাজেই জড়তার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অনুভব করি। যেমন : ১. থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলতে শুরু করলে যাত্রীরা পিছনের দিকে হেলে পড়ে। এ ঘটনা স্থিতি জড়তার উদাহরণ। আবার চলন্ত বাস থেকে হঠাৎ নামতে গেলে যাত্রী সামনের দিকে ঝুঁকে না নামলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা গতি জড়তার উদাহরণ। ২. একটি গøাসের উপর একটি কার্ড বা শক্ত কাগজ রেখে তার উপর একটি পাঁচ টাকার কয়েন রেখে হঠাৎ কার্ডটিকে জোরে টোকা দিলে দেখা যায় কয়েনটি গøাসের মধ্যে পড়ে যায়। স্থিতি জড়তার কারণে কয়েনটি তার নিজস্ব স্থির অবস্থান বজায় রাখতে চায়। জোরে টোকা দিলে কার্ডটি গতিশীল হলেও কয়েনটি নিজের অবস্থান বজায় রাখতে গিয়ে গøাসের মধ্যে পড়ে যায়। ৩. গাড়ি চালানোর সময় চালককে জড়তার কারণে সিটবেল্ট পরিধান করতে হয়। সিটবেল্ট ছাড়া চলমান গাড়ির চালক যদি হঠাৎ ব্রেক প্রয়োগ করেন, তবে গতি জড়তার কারণে তিনি সামনে ঝুঁকে পড়বেন এবং স্টিয়ারিং ও উইন্ড স্ক্রিনে আঘাত পাবেন। ৪. শহরের ট্রাফিক সিগন্যালবাতিতে সবুজ-হলুদ-লাল বাতি ব্যবহার করা হয়। সবুজবাতি সামনে এগিয়ে যাওয়া, হলুদবাতি ধীরে যাওয়া এবং লালবাতি থামা নির্দেশ করে। হলুদবাতির ব্যবহার এখানে প্রয়োজন না হলেও স্থিতি বা গতিজড়তার ঝামেলা এড়াতে হলুদবাতি ব্যবহার করা হয়। দ্রæতগামী গাড়ির গতি জড়তা এড়াতে এবং থেমে থাকা গাড়ির স্থিতি জড়তা এড়াতে হলুদ বাতি ব্যবহার করা হয়। তা না হলে চালক এবং আরোহীদের আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকত। ৫. যদি কোনো বাস বা গাড়ি হঠাৎ বাঁক নেয় তাহলে মনে হয় আরোহীদের কেউ একপাশে ধাক্কা দিচ্ছে। এর কারণ বাস বা গাড়ির গতির দিকে আরোহীও গতিশীল ছিলেন, বাস বা গাড়ি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করলেও জড়তার কারণে আরোহীর মূল দিক বজায় রাখতে চাওয়ার ফলে এক পাশে সরে যান।  বিভিন্ন প্রকার বলের প্রকৃতি : সাধারণত স্পর্শের ওপর ভিত্তি করে বলের প্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে বল দুই প্রকার : স্পর্শ বল ও অস্পর্শ বল। যে বল কেবল দুটি বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে এসে পরস্পরের ওপর ক্রিয়া করে তাকে স্পর্শ বল বলে। পেশিজ বল ও ঘর্ষণ বল স্পর্শ বলের অন্তর্গত। দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একে অপরের ওপর দিয়ে চলতে চেষ্টা করে অথবা চলতে থাকে তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এ গতির বিরুদ্ধে একটি বাধার উৎপত্তি হয়, এ বাধাকে ঘর্ষণ বলে। কিছু বল আছে যা বস্তুর ভৌত সংস্পর্শে না এসেও বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে। এ ধরনের বলকে অস্পর্শ বল বলে। এ ধরনের বল হলোÑ মাধ্যাকর্ষণ বল, চৌম্বক বল, তাড়িতচৌম্বক বল, দুর্বল নিউক্লিয় বল ও শক্তিশালী নিউক্লিয় বল। এ মহাবিশ্বের সকল বস্তু পরস্পরের ওপর বল প্রয়োগ করে বা একে অপরকে নিজের দিকে টানে। এই বলকে বলা হয় মাধ্যাকর্ষণ বল। দুটি চুম্বককে কাছাকাছি আনলে এরা পরস্পরের প্রতি যে বল প্রয়োগ করে এবং কোনো চুম্বক অন্য কোনো চৌম্বক পদার্থে লোহা, নিকেল, কোবাল্ট, স্টিল ইত্যাদিতে যে বল প্রয়োগ করে তাকে চৌম্বক বল বলে। দুটি আহিত (চার্জযুক্ত) কণিকার মধ্যে যে বল ক্রিয়াশীল তাকে তাড়িত চৌম্বক বল বলে। তাড়িত চৌম্বক বলের চেয়ে ১০১০ গুণ দুর্বল বলকে দুর্বল নিউক্লিয় বল বলে। যে শক্তিশালী আকর্ষণ বল নিউক্লিয়নগুলোর মধ্যে কাজ করে এবং নিউক্লিয়াসকে আটকে বা ধরে রাখে তাকে শক্তিশালী নিউক্লিয় বল বলে।  ব্যবহারিক জীবনে ঘর্ষণের সুবিধা : আমাদের ব্যবহারিক জীবনে ঘর্ষণের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমরা নানাভাবে উপকৃত হচ্ছি। ১. ঘর্ষণ না থাকলে আমরা রাস্তায় হাঁটতে পারতাম না পিছলে পড়ে যেতাম। ২. কাঠে পেরেক বা স্ক্রু আটকানো যেত না। সম্ভব হতো না দড়িতে কোনো গিরো দেওয়া। আমরা হাত দিয়ে খাতা, কলম, বইসহ যাবতীয় জিনিস ধরতে পারতাম না। ৩. গাড়ি বা সাইকেলের টায়ার ও ব্রেকের ঘর্ষণের ওপর আমাদের জীবন নির্ভরশীল। ৪. বাতাসের ঘর্ষণ আছে বলেই প্যারাসুট ব্যবহার করে কেউ বিমান থেকে নিরাপদে নামতে পারে। ৫. দেয়াশলাই থেকে আগুন পাওয়া, সেতারার মধুর সুর সবই অসম্ভব হতো ঘর্ষণ না থাকলে। ৬. দেয়ালে ঠেস দিয়ে মই রাখার ব্যাপারটিও অকল্পনীয় হতো যদি ঘর্ষণ না থাকত।  স্থিতি ও গতির ওপর বলের প্রভাব : প্রত্যেক বস্তু যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় থাকতে চায় অর্থাৎ বস্তু স্থির থাকলে স্থির আর গতিশীল থাকলে গতিশীল থাকতে চায়। বস্তুর এ স্থিতিশীল বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হলে বল প্রয়োগ করতে হয়।  নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র ব্যবহার করে বলের পরিমাপ নির্ণয় : নিউটনের দ্বিতীয় সূত্রটি হলো, বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। এই সূত্র থেকে আমরা বলের পরিমাপ নির্ণয় করতে পারি। বস্তুর ভরবেগ হলো, ভর  বেগ। ভরবেগের পরিবর্তনের হার = ভর  বেগের পরিবর্তনের হার = ভর  ত্বরণ। কারণ, বেগের পরিবর্তনের হার হলো ত্বরণ। সুতরাং নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে আমরা পাই, বল = ভর  ত্বরণ পদার্থবিজ্ঞানে বলকে ঋ, ভরকে স এবং ত্বরণকে ধ দিয়ে নির্দেশ করা হয়। সুতরাং, ঋ = সধ …………..(র) এই (র)নং সূত্র ব্যবহার করে বলের পরিমাপ নির্ণয় করা যায়।  নিউটনের তৃতীয় সূত্রের সাহায্যে সংঘটিত কয়েকটি জনপ্রিয় ঘটনা : নিউটনের গতি বিষয়ক তৃতীয় সূত্রটি হলো, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।” ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া বল সব সময়ই দুটি ভিন্ন বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে-কখনই একই বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে না। প্রতিক্রিয়া বলটি ততক্ষণই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রিয়া বলটি থাকবে। ক্রিয়া থেমে গেলে প্রতিক্রিয়াও থেমে যাবে। যেমন : ১. ক্রিকেটার যখন ব্যাট দিয়ে বলকে আঘাত করেন, তখন ব্যাটটি ক্রিকেট বলের ওপর একটি বল প্রয়োগ করে। এটি ক্রিয়া। ক্রিকেট বলটিও ব্যাটের ওপর একটি বিপরীতমুখী বল প্রয়োগ করে। এটি প্রতিক্রিয়া। ২. কোনো বইকে টেবিলের ওপর রাখা

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দশম অধ্যায় এসো বলকে জানি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান নবম অধ্যায় দুর্যোগের সাথে বসবাস

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান নবম অধ্যায় দুর্যোগের সাথে বসবাস পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব : বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যে লক্ষণীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। যেমনÑ ১. ঋতুর পরিবর্তন : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঋতুচক্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হতে দেখা যাচ্ছে। শীতকাল সংকুচিত হয়ে পড়ছে এবং তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালে অনেক বেশি গরম পড়ছে এবং তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে ৪৫Ñ৪৮ সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠছে। ২. বন্যা : জলবায়ুুজনিত পরিবর্তনের ফলে ঘন ঘন ও অসময়ে প্রলয়ংকরী বন্যা লক্ষ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের যে সকল অঞ্চল বন্যা প্রবণ নয়, যেমন যশোর, ঢাকা সে সকল অঞ্চলও এখন বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। ৩. নদীভাঙন : সা¤প্রতিককালে নদীভাঙন অনেক বেড়ে গেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বিগত তিন দশকে প্রায় ১,৮০,০০০ হেক্টর জমি শুধু পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা এই তিন নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। ৪. খরা : জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় বৃষ্টিপাতের উপর প্রচণ্ড প্রভাব ফেলছে। এ কারণে বাংলাদেশে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ৫. পানির লবণাক্ততা : জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মূল ভ‚খণ্ডে ঢুকে নদনদী ও ভ‚গর্ভস্থ পানি ও আবাদি জমি লবণাক্ত হয়ে পড়ছে। ৬. সামুদ্রিক প্রবাল ঝুঁকি : জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামুদ্রিক প্রবালের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। ১৯৬০ সালে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যে পরিমাণ প্রবাল ছিল, ২০১০ সালে তার প্রায় ৭০% বিলীন হয়ে গেছে। ৭. বনাঞ্চল : লবণাক্ত পানির প্রভাব, সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে বনাঞ্চল দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। ৮. মৎস্য সম্পদ : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মাছের বাসস্থান, খাদ্য সংগ্রহ এবং জৈবিক নানা প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। ৯. স্বাস্থ্যঝুঁকি : জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের ফলে ঘন ঘন প্রলয়ংকরী বন্যায় পানিদূষণ ও পানিবাহিত রোগ, বিশেষ করে কলেরা, ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। ১০. জীববৈচিত্র্য : জলবায়ুজনিত পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে ৩০% জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়ছে। ১১. সাইক্লোন : সাইক্লোনের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক আকার ধারণ করছে।  পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টির কারণ : বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি স্থান এখন নানারকম পরিবেশগত সমস্যায় জর্জরিত। পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি। বর্তমানে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে করে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১০ বিলিয়ন। এর কারণে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ইত্যাদি সব রকমের চাহিদা বেড়ে যাবে ও কর্মসংস্থানের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। পরিবেশগত গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সমস্যা হলো নগরায়ন। এটিও মূলত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সম্পৃক্ত। পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টির জন্য বর্তমান সময়ে দায়ী করা হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে। এর মূল কারণ হলো কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ ওজোন, মিথেন, সিএফসি, নাইট্রাস অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প এই গ্যাসগুলোর বায়ুমণ্ডলে বেড়ে যাওয়া। এর ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে গাছপালার দ্বারা কার্বন ডাইঅক্সাইডের শোষণ কমে যাচ্ছে। যার ফলে বায়ুমণ্ডলে এর পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বনশূন্য করা আরেকটি মারাত্মক পরিবেশগত সমস্যা। এর জন্যও দায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধি।  দুর্যোগ সৃষ্টির কারণ, প্রতিরোধ, মোকাবিলার কৌশল এবং তাৎক্ষণিক করণীয় : মানুষের অবিবেচনাসুলভ বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্যোগ সৃষ্টি করছে। এসব দুর্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি দুর্যোগের বর্ণনা নিচে উল্লেখ করা হলোÑ ১. বন্যা : নদনদী ভরাট হয়ে যাওয়া, ভারী বর্ষণ বা উজানে অববাহিকা থেকে পানি আসা, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ইত্যাদি কারণে প্রায় প্রতিবছরই দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে বন্যা প্রলয়ংকরী আকার ধারণ করছে। বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে নদনদী খনন করে এদের পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। দরকারি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিতে হবে। এছাড়া নদীর পাড়ে গাছ লাগানো, পানি প্রবাহের জন্য ¯øুইস গেট নির্মাণ ইত্যাদিও বন্যা প্রতিরোধ ও মোকাবিলার কৌশল হতে পারে। ২. খরা : খরার জন্য দায়ী কারণগুলো হলো বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া, ভ‚গর্ভস্থ পানির যথেচ্ছ উত্তোলন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, উজান থেকে পানি প্রত্যাহার, পানি সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার অভাব, ওজোন স্তরের ক্ষয় ইত্যাদি। খরা মোকাবিলার জন্য করণীয় হলোÑ জলাশয়ের পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা; মাটিতে পানি কম থাকলেও জন্মাতে পারে যেমনÑ গম, পিঁয়াজ, কাউন ইত্যাদি চাষ করা। চাষাবাদে অনেক বেশি পানি লাগে এমন ফসল চাষে নিরুৎসাহিত করা যেমনÑ ইরি ধান; বৃক্ষরোপণ অভিযান সফল করা ইত্যাদি। ৩. সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় : সাইক্লোন সৃষ্টির মূল কারণ হলো নিম্নচাপ ও উচ্চতাপমাত্রার প্রভাব। দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায় ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস প্রক্রিয়া জোরদার করে; উপক‚লীয় এলাকায় বাঁধ তৈরি করে; মজবুত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও প্রচুর গাছপালা রোপণ করে। ৪. সুনামি : সমুদ্র তলদেশে ভ‚মিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভ‚মিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টির কারণ। পূর্বাভাস প্রক্রিয়া জোরদার করে এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঠেকানোর মাধ্যমে সুনামি মোকাবিলা করা যায়। ৫. এসিড বৃষ্টি : এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির জন্য প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণ জড়িত। প্রাকৃতিক কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, দাবানল, বজ্রপাত, গাছপালার পচন ইত্যাদি। মনুষ্যসৃষ্ট কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে সালফার ডাইঅক্সাইড ও নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাসসমূহের নিঃসরণ। কয়লা পরিশোধন দ্বারা ও বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার করে এসিড বৃষ্টি মোকাবিলা করা যায়। ৬. টর্নেডো বা কালবৈশাখী : টর্নেডো বা কালবৈশাখীর জন্য লঘু বা নিম্নচাপ সৃষ্টি প্রধান কারণ। দুর্গত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহ ও পুনর্বাসন কাজ করাই হলো এ দুর্যোগের সমাধান। ৭. ভ‚মিকম্প : ভ‚গর্ভের টেকটনিক প্লেট এর স্থান পরিবর্তনের ফলেই ভ‚মিকম্প সৃষ্টি হয়। ভ‚মিকম্প সহনশীল ঘরবাড়ি নির্মাণ করে এবং পূর্বাভাস প্রক্রিয়া জোরদার দ্বারা ভ‚মিকম্প মোকাবিলা করা যায়।  সুস্থ জীবনযাপনে মানসম্মত ও উন্নত পরিবেশের গুরুত্ব : বিশুদ্ধ বাতাস ও নিরাপদ পানি আমাদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। নির্মল বাতাস ও সুপেয় পানির অভাবে জীবজগৎ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ে ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। বাতাস ও পানির মতো পরিবেশের প্রতিটি উপাদানই আমাদের জীবনধারণের জন্য আবশ্যক। এই পরিবেশ যদি মানসম্মত ও উন্নত না হয় তা সকল জীব বৈচিত্র্যের জন্য বড় রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে ও আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন করে তুলতে হবে।  প্রকৃতি সংরক্ষণশীলতার তাৎপর্য : প্রকৃতি সংরক্ষণশীলতা হলো আমাদের প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা। আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ হলো পানি, বাতাস, মাটি, খনিজ সম্পদ, গাছপালা, প্রাণিজ সম্পদ, তেল, গ্যাস ইত্যাদি। আমাদের জীবনধারণের জন্য প্রতিটি সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আমাদের প্রকৃতি সংরক্ষণে কার্যকর ভ‚মিকা না নিই, গাছপালা বনজ সম্পদ নিধন বন্ধ না করি, বাতাস, পানি ইত্যাদির দূষণ বন্ধ না করি, তাহলে আমাদের এই প্রকৃতি আর বাসযোগ্য থাকবে না এবং আমাদের কোনো অস্তিত্বও থাকবে না।  প্রকৃতি সংরক্ষণশীলতার বিভিন্ন কৌশল : প্রকৃতি সংক্ষণশীলতার বেশ কয়েকটি কৌশল আছে। এগুলো হলোÑ১. সম্পদের ব্যবহার কমানো, ২. দূষণ থেকে সম্পদ রক্ষা করা, ৩ একই জিনিস সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বারবার ব্যবহার করা, ৪. ব্যবহৃত জিনিস ফেলে না দিয়ে তা থেকে নতুন জিনিস তৈরি করা, ৫. প্রাকৃতিক সম্পদ পুরোপুরি রক্ষা করা। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোন দুর্যোগটি শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়? ক কালবৈশাখী খ ভ‚মিকম্প  সুনামি ঘ বন্যা ২. গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণÑ র. যানবাহন

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান নবম অধ্যায় দুর্যোগের সাথে বসবাস Read More »

Scroll to Top