বিজ্ঞান

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় আমাদের সম্পদ

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় আমাদের সম্পদ পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি মাটি : মাটি হলো নানারকম জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ। সাধারণত মাটিতে বিদ্যমান পদার্থসমূহকে চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এরা হলো খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থ, বায়বীয় পদার্থ ও পানি। মাটিতে বিদ্যমান খনিজ পদার্থসমূহ মিলে অজৈব যৌগ গঠিত হয়।  হিউমাস : মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ হিউমাস (ঐঁসঁং) নামে পরিচিত। হিউমাস আসলে অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, চিনি, অ্যালকোহল, চর্বি, তেল, লিগনিন, ট্যানিন ও অন্যান্য অ্যারোমেটিক যৌগের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ জটিল পদার্থ। এটি দেখতে অনেকটা কালচে রঙের হয়। হিউমাস তৈরি হয় মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে।  বায়বায়ন : মাটিতে থাকা গ্যাসের সাথে বায়ুমণ্ডলে থাকা বাতাসের গ্যাসের বিনিময় হয় অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের গ্যাস মাটিতে যায় এবং মাটিতে থাকা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে চলে আসে। এই প্রক্রিয়াকে মাটির বায়বায়ন (ঝড়রষ অবৎধঃরড়হ) বলে।  অণুজীব : মাটি, পানি, বায়ু সর্বত্র এমন অনেক সূ² জীব আছে যাদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না। এ সূ² জীবদেরকে অণুজীব (গরপৎড়-ঙৎমধহরংস) বলা হয়। অণুজীবের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, ভাইরাস, রিকেটসিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।  মাটির গঠন : মাটির গঠন পরীক্ষা করে দেখা যায় যে মাটি ৪টি সমান্তরাল স্তরে বিভক্ত। প্রতিটি স্তরকে দিগবলয় বা হরাইজোন (ঐড়ৎরুড়হ) বলে। সবার উপরে যে স্তরটি থাকে তাকে বলে হরাইজোন অ (ঐড়ৎরুড়হ অ) বা টপ সয়েল (ঞড়ঢ় ংড়রষ)। মাটির দ্বিতীয় স্তরটিকে সাবসয়েল (ঝঁন ঝড়রষ) বা হরাইজোন ই (ঐড়ৎরুড়হ ই) বলে। মাটির তৃতীয় স্তরটিকে হরাইজোন ঈ (ঐড়ৎরুড়হ ঈ) বলে। এই স্তরের নিচে থাকে মূল শিলা যা খুবই শক্ত।  মাটির প্রকারভেদ : মাটির গঠন, বর্ণ, পানি ধারণক্ষমতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মাটিকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এরা হলো বালু মাটি, পলি মাটি, কাদামাটি এবং দোআঁশ মাটি।  বালু মাটি : বালু মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য পানি ধারণক্ষমতা খুবই কম। এতে বিদ্যমান মাটির কণার আকার সবচেয়ে বড় থাকে, কণাগুলোর মাঝে ফাঁকা জায়গা বেশি থাকে, ফলে বায়বায়ন অনেক বেশি হয়। এ মাটিতে অতি ক্ষুদ্র শিলা ও খনিজ পদার্থ থাকে। হিউমাস থাকলে এটি চাষাবাদের জন্য সহজসাধ্য, তবে যেহেতু এই মাটির পানি ধারণক্ষমতা কম, তাই পানি দিলে তা দ্রæত নিষ্কাশিত হয় এবং গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে উদ্ভিদে পানির স্বল্পতা দেখা যায়। তাই যে সকল ফসলাদিতে অনেক বেশি পানি লাগে সেগুলো বালু মাটিতে ভালো হয় না।  পলি মাটি : পলি মাটির পানি ধারণক্ষমতা বালু মাটির চেয়ে বেশি। পলি মাটি খুবই উর্বর হয় আর মাটির কণাগুলো বালু মাটির কণার তুলনায় আকারেও ছোট হয়। পলি মাটির কণাগুলো ছোট হওয়ায় এরা পানিতে ভাসমান আকারে থাকে এবং একপর্যায়ে পানির নিচে থাকা জমিতে পলির আকারে জমা পড়ে। পলি মাটিতে জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ (যেমনÑ কোয়ার্টজ) থাকে। বালু মাটির মতো পলি মাটির কণাগুলোও দানাদার হয় এবং এতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে।  কাদা মাটি : এই মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি প্রচুর পানি ধারণ করতে পারে। এটি অনেকটা আঠালো এবং হাত দিয়ে ধরলে হাতে লেগে থাকে। এই মাটির কণাগুলো খুব সূ² হয়, ফলে কণাগুলোর মধ্যকার রন্ধ্র খুব ছোট ও সরু। এই মাটিতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশি।  দোআঁশ মাটি : এই মাটি বালু, পলি ও কাদা মাটির সমন্বয়েই তৈরি হয়। দোআঁশ মাটির একদিকে যেমন পানি ধারণক্ষমতা ভালো আবার প্রয়োজনের সময় পানি দ্রæত নিষ্কাশনও ঘটে। তাই চাষাবাদের জন্য দোআঁশ মাটি খুবই উপযোগী।  মাটির ঢ়ঐ : মাটির গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড ঢ়ঐ। ঢ়ঐ মান জানা থাকলে মাটি এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা বোঝা যায়। বেশির ভাগ ফসলের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ উৎপাদন পাওয়া যায় মাটির ঢ়ঐ নিরপেক্ষ হলে অর্থাৎ এর মান ৭ বা তার খুব কাছাকাছি হলে। তবে কিছু কিছু ফসল আছে, যেমনÑ আলু এবং গম মাটির ঢ়ঐ ৫-৬ হলে সর্বোচ্চ উৎপাদন দেয়। অন্যদিকে কিছু ফসল যেমনÑ যব ভালো উৎপাদন হয় মাটির ঢ়ঐ ৮ হলে ।  মাটি দূষণের কারণ ও ফলাফল : ১. শিল্প-কারখানা ও শহরাঞ্চলের গৃহস্থালির বর্জ্যে থাকা প্রোটিন বা অ্যামিনো এসিড ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস, সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও ফসফরাসের অক্সাইড উৎপন্ন করে, যার কারণে মাটি দূষিত হয়ে পড়ে। এ ধরনের দূষণের ফলে ক্ষতিকর পদার্থ মাটি থেকে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদেহে প্রবেশ করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। ২. পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বা অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে দুর্ঘটনা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে নিঃসৃত রেডন (জহ), রেডিয়াম (জধ), থোরিয়াম (ঞয), সিজিয়াম (ঈং), ইউরেনিয়াম (ট) ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ শুধু যে মাটির উর্বরতাই নষ্ট করে তা নয়, এরা প্রাণিদেহেও ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এরাও খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করে। ৩. নদীভাঙনের ফলে নদীর পাড় ভাঙা, মাটি বা অন্য যেকোনোভাবে সৃষ্ট মাটি বা পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ পানির দ্বারা প্রবাহিত হয়ে এক পর্যায়ে গিয়ে কোথাও না কোথাও তলানি আকারে পড়ে। এই জাতীয় তলানি ফসলি জমির ওপর পড়লে তা জমির উপরিভাগ যা ফসল উৎপাদনে মূল ভ‚মিকা পালন করে, তার ওপর আস্তরণ সৃষ্টি করে। ৪. খনি থেকে জ্বালানি খনিজ পদার্থ বা তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের সময় প্রচুর মাটি খনন করে সরিয়ে ফেলতে হয়। এতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলহানি যেমন ঘটে তেমনি মাটি দূষণের ফলে মাটির উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়।  মাটি সংরক্ষণের কৌশল : মাটি সংরক্ষণের অন্যতম কৌশল হলো মাটিতে বেশি করে গাছ লাগানো। মাটিতে তৃণগুল্ম ও দূর্বা বা অন্য যেকোনো ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ও অন্যান্য গাছপালা থাকলে ভারী বৃষ্টিপাতও মাটির ক্ষয়সাধন করতে পারে না। ঘাস মাটি থেকে তুললে তা মাটির ক্ষয়সাধন করে। তাই ঘাস কাটার সময় একেবারে মাটি ঘেঁষে কাটা উচিত নয়। বনের গাছ কাটার ফলে অনেক সময় বিস্তীর্ণ এলাকা গাছশূন্য ও অনাচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। কাজেই নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা না করে কোনোমতোই বনের গাছ কাটা যাবে না। রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার উত্তম, কারণ জৈব সারে থাকা উপাদান ও হিউমাস পানি শোষণ করতে পারে। রাসায়নিক সার মাটিতে বসবাসকারী উপকারী পোকামাকড় অণুজীব ধ্বংস করে, ফলে উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়। একই জমিতে বারবার একই ফসল চাষ করলে উর্বরতা নষ্ট হয়। তাই একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা উচিত।  মাটিতে অবস্থিত সাধারণ খনিজ : খনিজ লবণ, পেন্সিলের সিস, ট্যালকম পাউডার, চীনা মাটির থালা-বাসন ইত্যাদি হাজারো রকম জিনিস মাটি ও শিলা থেকে প্রাপ্ত খনিজ পদার্থ। বেশির ভাগ খনিজ পদার্থই কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি থাকে। ধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে অন্যতম হলো লৌহ (ঋব), তামা (ঈঁ) বা কপার, সোনা (অঁ) ও রুপা (অম)। অধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে কোয়ার্টজ (ছঁধৎঃু), মাইকা (গরপধ), খনিজ লবণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। কয়লা, গ্যাস, পেট্রোল ইত্যাদি এগুলো জৈব খনিজ পদার্থ।  খনিজ পদার্থের ভৌত ধর্ম : খনিজ পদার্থসমূহ সাধারণত দানাদার বা কেলাসাকার হয়। এক একটি খনিজের কঠিনতা একেক রকম। কঠিনতা অনুযায়ী

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় আমাদের সম্পদ Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় অম­, ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় অম­, ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি অ¤ø বা এসিড : হাইড্রোজেন যুক্ত যেসব যৌগ পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (ঐ+) উৎপন্ন করে সেগুলোকে এসিড বলে। যেমন : ঐঈষ, ঐঘঙ৩, ঐ২ঝঙ৪ পানিতে দ্রবীভ‚ত হয়ে ঐ+ দেয়, তাই এগুলো এসিড।  অজৈব ও জৈব এসিড : এসিডকে অজৈব এসিড ও জৈব এসিডে ভাগ করা হয়। কার্বনবিহীন এসিডকে অজৈব এসিড এবং কার্বনযুক্ত এসিডকে জৈব এসিড বলা হয়। অজৈব এসিড শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত হয়। জৈব এসিডকে আমরা অনেক সময় খাবার হিসেবে গ্রহণ করি।  শক্তিশালী ও দুর্বল এসিড : অজৈব বা খনিজ এসিডসমূহ পানিতে পুরোপুরি বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (ঐ+) তৈরি করে। এদেরকে শক্তিশালী এসিড বলে। যেমন : ঐ২ঝঙ৪, ঐঘঙ৩, ঐঈষ। জৈব এসিডসমূহ পানিতে পুরোপুরিভাবে বিয়োজিত না হয়ে আংশিকভাবে বিয়োজিত হয়, এদেরকে দুর্বল এসিড বলে। যেমন : ঈঐ৩ঈঙঙঐ, ঐঙঙঈঈঙঙঐ ইত্যাদি।  নির্দেশক : এসিড-ক্ষারক টাইট্রেশনের সময় এর শেষ বিন্দু নির্ধারণের জন্য কতিপয় যৌগ ব্যবহার করা হয়। এসব যৌগ এসিড মাধ্যমে এক ধরনের বর্ণ দেখায় এবং ক্ষারীয় মাধ্যমে অন্য ধরনের বর্ণ দেখায়। যেসব যৌগ তার নিজস্ব বর্ণ পরিবর্তন দ্বারা একটি দ্রবণ এসিডীয় না ক্ষারকীয় না প্রশমন তা নির্দেশ করে অথবা কোনো বিক্রিয়ার শেষ বিন্দু নির্ধারণ করে তাকে নির্দেশক বলে। এসিড ও ক্ষারকের তীব্রতার উপর নির্ভর করে এসিড-ক্ষারক টাইট্রেশনে বিভিন্ন রকম নির্দেশক ব্যবহার করা হয়। যেমন : তীব্র এসিড-তীব্র ক্ষারকের ক্ষেত্রে ফেনোলফথ্যালিন ব্যবহার করা হয় এবং তীব্র এসিড-মৃদু ক্ষারকের ক্ষেত্রে মিথাইল অরেঞ্জ বা মিথাইল রেড ব্যবহার করা হয়।  লিটমাস কাগজ : একটি দ্রবণ অ¤øীয় না ক্ষারকীয় তা প্রমাণের জন্য লিটমাস কাগজ ব্যবহৃত হয়। এসিডে লিটমাস কাগজের রং নীল থেকে লাল হয়ে যায়। আর ক্ষারকে লিটমাস কাগজের রং লাল থেকে নীল হয়ে যায়।  এসিডের ধর্ম : এসিড নির্দেশকের বর্ণ পরিবর্তন করে। এসিডের জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে। এসিড সক্রিয় ধাতু যেমন- গম, তহ, ঋব, অষ প্রভৃতির সাথে বিক্রিয়া করে লবণ গঠন করে এবং হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত হয়। ধাতব হাইড্রোজেন কার্বনেটের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়। ক্ষার বা ক্ষারকের সাথে অর্থাৎ ধাতব অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইডের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ এবং পানি উৎপন্ন হয়।  ঢ়ঐ : আভিধানিক অর্থে ঢ়ঐ মানে হলো হাইড্রোজেনের ক্ষমতা। কোনো দ্রবণে ঢ়ঐ মান ০ থেকে ১৪ এর মধ্যে হবে। কোনো দ্রবণের ঢ়ঐ মান ৭ এর কম হলে দ্রবণটি অ¤øীয় আবার ৭-এর বেশি হলে দ্রবণটি ক্ষারীয়। কোনো দ্রবণের ঢ়ঐ মান ৭ হলে দ্রবণটি প্রশমন।  ঢ়ঐ এর গুরুত্ব : কোনো কিছুর মানদণ্ড নির্ভর করে ঢ়ঐ এর ওপর। নির্ভেজাল, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও তেজস্ক্রিয়তামুক্ত একটি পদার্থের ঢ়ঐ এর মান ৬৮ এর মধ্যে থাকতে হয়। একটি পদার্থের ঢ়ঐ এর মান এর থেকে যদি খুব বেশি বেড়ে যায় বা কমে যায় তা প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়। এজন্য ঢ়ঐ এর আদর্শ মান জানা অত্যন্ত জরুরি।  ক্ষারক : ক্ষারক হলো সেই সকল রাসায়নিক বস্তু যাদের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং যারা পানিতে হাইড্রক্সিল আয়ন (ঙঐ) হাইড্রোক্সাইড তৈরি করে। যেমন : ঘধঙঐ, কঙঐ, ঘঐ৪ঙঐ ইত্যাদি। কিছু রাসায়নিক পদার্থ আছে যাদের মধ্যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন দুই ধরনের পরমাণু নেই, কিন্তু পানিতে ঙঐ তৈরি করে, এদেরকেও ক্ষারক বলা হয়। যেমন : ঈধঙ, ঘঐ৩ ইত্যাদি।  ক্ষার : যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভ‚ত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে । ঘধঙঐ, কঙঐ, ঈধ(ঙঐ)২, ঘঐ৪ঙঐ এরা সবাই ক্ষার।  ক্ষারের ধর্ম : ক্ষারের জলীয় দ্রবণ স্পর্শ করলে সাবানের মতো পিচ্ছিল মনে হয়। ক্ষারের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে। ক্ষার সাধারণত ধাতব লবণের সাথে বিক্রিয়া করে ধাতব হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন করে। ক্ষার এসিডের সাথে তীব্রভাবে বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে। অ্যামোনিয়া যৌগের সাথে ক্ষারের বিক্রিয়ায় অ্যামোনিয়া গ্যাস বিমুক্ত হয়।  এন্টাসিড : আমাদের পাকস্থলীতে এসিডিটি হলে যে ওষুধ সেবন করি তা এন্টাসিড নামে পরিচিত। এন্টাসিড হলো মূলত ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [গম(ঙঐ)২] যা সাসপেনশান ও ট্যাবলেট দুভাবেই পাওয়া যায়। হাইড্রোক্সিল (ঙঐ)২ এর সাসপেনশান মিল্ক অব ম্যাগনেসিয়া নামেই অধিক পরিচিত। কখনও কখনও এন্টাসিডে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইডও [অষ(ঙঐ)৩] থাকে।  প্রশমন বিক্রিয়া : এসিড ও ক্ষারের মধ্যে যে বিক্রিয়ার ফলে এসিড বা ক্ষারের ধর্ম সম্পূর্ণভাবে লোপ পেয়ে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয় সেই বিক্রিয়াকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে। এ বিক্রিয়ায় এসিড থেকে উৎপন্ন ঐ+ আয়ন ক্ষার থেকে উৎপন্ন ঙঐ আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে অবিয়োজিত পানির অণু গঠন করে, তাকে প্রশমন বলে।  প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব : ঢ়ঐ মান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশমন বিক্রিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কোনো পদার্থের ঢ়ঐ মান ৬৮ এর থেকে কমে বা বেড়ে গেলে তা এ সীমার মধ্যে রাখার জন্য প্রশমন বিক্রিয়া পরিচালনা করা হয়। পরিপাক প্রক্রিয়ায়, দাঁতের যতেœ, কেক তৈরিতে, কৃষিক্ষেত্রে মাটি পরিচর্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রশমন বিক্রিয়ার সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  লবণ : এসিডের সকল প্রতিস্থাপনযোগ্য হাইড্রোজেন পরমাণু ধাতু বা ধাতুধর্মীমূলক দ্বারা প্রতিস্থাপন হয়ে যে লবণ উৎপন্ন করে তাকে সাধারণভাবে লবণ বলে। যেমনÑ ঘধঈষ, ঘধ২ঝঙ৪, ঈধঝঙ৪ ইত্যাদি। অ¤ø ও ক্ষারের প্রশমন বিক্রিয়া দ্বারা কোনো ঈপ্সিত লবণ তৈরি করা যায়।  লবণের ব্যবহার : সোডিয়াম ক্লোরাইড (ঘধঈষ) যা সাধারণ লবণ বা টেবিল লবণ নামেও পরিচিত। তরিতরকারি ছাড়াও আরও অনেক খাবার যেমনÑ পাউরুটি, আচার, চানাচুর ইত্যাদিতে খাবার লবণ ব্যবহার করা হয়। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য সোডিয়াম গøুটামেট ব্যবহার করা হয় যা টেস্টিং সল্ট নামে পরিচিত। আমরা কাপড় কাচার যে সাবান ব্যবহার করি তা হলো সোডিয়াম স্টিয়ারেট (ঈ১৭ঐ৩৫ঈঙঙঘধ)। কাপড় কাচার সোডা হিসেবে আমরা যে সোডিয়াম কার্বনেট (ঘধ২ঈঙ৩.১০ঐ২ঙ) ব্যবহার করি তাও একটি লবণ। জীবাণুনাশক হিসেবে যে তুঁতে বা ফিটকিরি ব্যবহৃত হয় সেগুলোও লবণ। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোনটি দুর্বল এসিড? ক ঐঈষ খ ঐঘঙ৩  ঐ২ঈঙ৩ ঘ ঐ২ঝঙ৪ ২. একটি বর্ণহীন দ্রবণে ঘধঙঐ মিশালে দ্রবণটি গোলাপি হয়ে গেল। দ্রবণটি কী? ক মিথাইল রেড খ মিথাইল অরেঞ্জ  ফেনফথ্যালিন ঘ লিটমাস দ্রবণ নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : রাজির পায়ে পিঁপড়া কামড় দেয়ায় পায়ে যন্ত্রণা হয় এবং ফুলে যায়। তার মা পায়ে একটু কেরামিন লোশন লাগিয়ে দেন। এতে রাজির পায়ের জ্বালা কমে যায়। ৩. রাজির পা ফুলে যাওয়ার কারণ কোনটি?  ফরমিক এসিড খ অক্সালিক এসিড গ এসিটিক এসিড ঘ সাইট্রিক এসিড ৪. পায়ে লাগানো লোশনটিÑ র. এসিডকে প্রশমিত করে রর. জিঙ্ক কার্বনেট জাতীয় লবণ ররর. মেলিটিন ও অ্যাপারিন নামক এসিডিক পদার্থ নিচের কোনটি সঠিক?  র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. মৌমাছি হুল ফুটালে ব্যবহার করা হয় নিচের কোনটি? ক ঈধঈঙ৩ খ ঘধ২ঈঙ৩  তহঈঙ৩ ঘ ঘ২ঈঙ৩ ৬. নিচের কোন এসিডটি শক্তিশালী? ক ঈঐ৩ঈঙঙঙঐ  ঐ২ঝঙ৪ গ ঐ২ঈঙ৩ ঘ ঐঙঙঈঈঙঙঐ ৭. ধমনীর রক্তের ঢ়ঐ

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় অম­, ক্ষারক ও লবণের ব্যবহার Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় পলিমার

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় পলিমার পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি পলিমার : পলিমার (চড়ষুসবৎ) শব্দটি এসেছে দুটি গ্রিক শব্দ পলি (চড়ষু) ও মেরোস (গবৎড়ং) থেকে, যার অর্থ হলো অনেক (গধহু) ও অংশ (চধৎঃ)। অর্থাৎ অনেকগুলো একই রকম ছোট ছোট অংশ একের পর এক জোড়া লেগে যে একটি বড় জিনিস উৎপন্ন হয় তাকে পলিমার বলে।  মনোমার : যে ছোট অণু থেকে পলিমার তৈরি হয়, তাদেরকে বলে মনোমার। যেমন : পলিথিন ব্যাগ ইথিলিন নামক ছোট ছোট মনোমার থেকে তৈরি হয় ।  প্রাকৃতিক পলিমার : যে সকল পলিমার প্রকৃতিতে পাওয়া যায়, তাদেরকে প্রাকৃতিক পলিমার বলে। যেমন : পাট, সিল্ক, রাবার ইত্যাদি।  কৃত্রিম পলিমার : যে সকল পলিমার প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না, শিল্প কারখানায় কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়, তাদেরকে কৃত্রিম পলিমার বলে। যেমন : মেলামাইন, রেজিন, বাকেলাইট ইত্যাদি।  পলিমারকরণ প্রক্রিয়া : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অসংখ্য মনোমারকে সংযুক্ত করে পলিমার তৈরি করা হয়, তাকে বলে পলিমারকরণ প্রক্রিয়া। সাধারণত পলিমারকরণে উচ্চ চাপ ও তাপের প্রয়োজন হয়।  পলিথিন প্রস্তুতি : ইথিলিন গ্যাসকে ১০০০-১২০০ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে ২০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে পলিথিন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পলিমারকরণ দ্রæত করার জন্য প্রভাবক হিসেবে অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। হ(ঈঐ২ = ঈঐ২)(ইথিলিন) (উচ্চ তাপ ও চাপ)ঙ২ প্রভাবক ( ঈঐ২  ঈঐ২ )হ(পলিথিন)  তন্তু : বস্ত্র শিল্পে বুনন ও বয়নের কাজে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম আঁশ জাতীয় পদার্থকে তন্তু বলে।  সুতা : সব বস্ত্র তৈরি হয় সুতা থেকে। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম আঁশ জাতীয় পদার্থ অর্থাৎ তন্তু থেকে সুতা তৈরি করা হয়।  তন্তুর প্রকারভেদ : উৎস অনুযায়ী তন্তু দুই রকমের। যথা : প্রাকৃতিক তন্তু ও কৃত্রিম তন্তু। প্রাকৃতিক তন্তুসমূহকে তাদের উৎপত্তি অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা : উদ্ভিজ তন্তু, প্রাণিজ তন্তু ও খনিজ তন্তু। আর কৃত্রিম তন্তুসমূহ আবার দুই রকমের। যথা : সেলুলোজিক ও নন-সেলুলোজিক তন্তু।  প্রাকৃতিক তন্তু : যেসব তন্তু প্রকৃতি থেকে পাওয়া যায়, তাদের প্রাকৃতিক তন্তু বলে। যেমন : তুলা, পাট, রেশম, পশম, উল, সিল্ক, ধাতব তন্তু ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে তুলা, পাট ইত্যাদি উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায় বলে এগুলো উদ্ভিজ তন্তু। রেশম, পশম, উল ইত্যাদি প্রাণী থেকে পাওয়া বলে এগুলো প্রাণিজ তন্তু। আবার ধাতব তন্তু প্রাকৃতিক খনিতে পাওয়া যায় বলে এগুলো খনিজ তন্তু।  কৃত্রিম তন্তু : রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম উপায়ে যেসব তন্তু প্রস্তুত হয় সেগুলোকে কৃত্রিম তন্তু বলে। যেমন : রেয়ন, পলিস্টার, ডেক্রন, নাইলন ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে রেয়ন (এসিটেট রেয়ন, ভিসকোস রেয়ন, কিউপ্রা অ্যামোনিয়াম রেয়ন) উদ্ভিজ্জ সেলুলোজ থেকে কৃত্রিম উপায়ে নানাভাবে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় বলে এগুলো সেলুলোজিক তন্তু। আর পলিস্টার, ডেক্রন, নাইলন ইত্যাদি সেলুলোজ থেকে তৈরি না করে অন্য পদার্থের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে তৈরি করা হয় বলে এগুলো নন-সেলুলোজিক তন্তু।  জিনিং : বীজ থেকে তুলা আলাদা করার প্রক্রিয়াকে জিনিং বলে। জিনিং প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত তন্তুকে কটন লিন্ট বলে।  স্পিনিং : স্পিনিং বলতে বুঝায় তন্তুসমূহের কয়েকটি সুতাকে একত্রিতভাবে আটকিয়ে যে পাক বা মোচড় দিতে হয়। পাক দেওয়ার জন্য তন্তুসমূহকে পাশাপাশি সমান্তরালভাবে স্থাপন করে এক মাথা স্থির রেখে অন্য মাথা মুড়িয়ে দিতে হয়।  বেøন্ডিং এবং মিক্সিং : সুতা উৎপাদনে বেøন্ডিং-এর উদ্দেশ্য হলো আকাক্সিক্ষত ও উঁচু মানের শক্তিশালী সুতা তৈরি করা। মিক্সিং প্রক্রিয়ায় যেসব তন্তুর দৈর্ঘ্য, সূ²তা, পরিপক্বতা ইত্যাদি গুণগত দিক থেকে প্রায় একই রকম তাদের মিশ্রণকে বুঝায়।  কার্ডিং এবং কম্বিং : কার্ডিং করে তন্তুসমূহের জালাকৃতির গঠন দূর করা হয়। কম্বিং প্রক্রিয়ায় আঁচড়িয়ে তন্তুসমূহের সম্পূর্ণ ময়লা দূর করা হয়।  হেলকিং : লিনেন তন্তুর জন্য বিশেষ ধরনের কম্বিং করা হয়, যা হেলকিং নামে পরিচিত।  ¯øাইভার : কার্ডিং এবং কম্বিং করার পর তন্তুসমূহ একটি পাতলা আস্তরের মতো হয় এবং এটিকে ¯øাইভার বলা হয়।  রোডিং : ¯øাইভারকে টেনে সরু করার প্রক্রিয়াকে রোডিং বলা হয়।  টুইস্টিং : ¯øাইভারকে মোচড় বা পাক দেওয়ার প্রক্রিয়াকে টুইস্টিং বলে।  থার্মোপ্লাস্টিকস : যেসব প্লাস্টিকে যতবারই তাপ দেওয়া হলে নরম হয় এবং ঠাণ্ডা করলে শক্ত হয়, তাদের থার্মোপ্লাস্টিকস বলে। পলিথিন, পিভিসি পাইপ, পলিস্টার কাপড় এসব দ্রব্য থার্মোপ্লাস্টিকস ধরনের।  থার্মোসেটিং প্লাস্টিকস : যেসব প্লাস্টিকসে তাপ দিলে নরম না হয়ে পুড়ে শক্ত হয়ে যায় তাদের থার্মোসেটিং প্লাস্টিকস বলে। মেলামাইন, বাকেলাইট ইত্যাদি দ্রব্য থার্মোসেটিং ধরনের প্লাস্টিকস। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোন ধরনের তন্তুর জন্য হেলকিং করা প্রয়োজন? ক পাট খ পশম গ রেশম  লিনেন ২. ওপরের চিত্রে উৎপাদিত তন্তুটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিÑ র. বেশ মিহি রর. খুব সস্তা ররর. দ্রæত গরম হয় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর  র, রর ও ররর নিচের রেখাচিত্রটি থেকে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. ই চিত্রে উৎপাদিত দ্রব্যটি কী? ক রেজিন  পলিথিন গ মেলামাইন ঘ অ্যাসবেস্টস ৪. ই চিত্রে উৎপাদিত দ্রব্যটির সাথে কোনটির সাদৃশ্য রয়েছে? ক সিল্কের খ পশমের গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. নিচের কোনটি প্রাকৃতিক পলিমার?  সিল্ক খ মেলামাইন গ পিভিসি ঘ রেজিন ৬. আলপাকা কী? ক রেয়ন খ নাইলন গ রেশম  পশম ৭. কোনটি প্রাকৃতিক পলিমার?  রাবার খ রেজিন গ পলিথিন ঘ বাকেলাইট ৮. রেয়নের বৈশিষ্ট্য কোনটি?  উদ্ভিজ্জ সেলুলোজ থেকে তৈরি খ নন-সেলুলোজ থেকে তৈরি গ কোকুন থেকে তৈরি ঘ ফাইবারগুলোর মধ্যে অসংখ্য ফাঁকা স্থান থাকে ৯. প্রাকৃতিক রাবার কোনটির সাথে বিক্রিয়া করে?  ঙ৩ খ ঈঙ গ ঈঙ২ ঘ ঐ২ঙ ১০. কোন পদ্ধতিতে তুলা সংগ্রহ করা হয়? ক স্পিনিং খ ব্যাচিং  জিনিং ঘ বেøন্ডিং ১১. পলু পোকার গুটি থেকে আহরিত হয়Ñ  রেশম খ পশম গ নাইলন ঘ সুতি কাপড় ১২. সুতা অত্যন্ত ক্ষুদ্র ও মিহি করা হয় কোন পদ্ধতিতে? ক কার্ডিং খ স্পিনিং গ টুইস্টিং  হেলকিং ১৩. কোনটি প্রাকৃতিক তন্তু? ক রেয়ন খ পলিস্টার গ নাইলন  রেশম ১৪. সুতি বস্ত্রের বৈশিষ্ট্য কোনটি?  রং পাকা ও টেকসই হয় খ খুব হালকা ও শক্ত হয় গ ধাতব লবণে সহজে বিক্রিয়া করে ঘ হালকা ও অধিকতর উষ্ণ ১৫. নিচের কোনটি কৃত্রিম তন্তু? ক উল খ সিল্ক  রেয়ন ঘ অ্যাসবেস্টস ১৬. নিচের কোনটি পরিবেশ বান্ধব? ক পলিথিন ব্যাগ  পাটের বস্তা গ প্লাস্টিক পাইপ ঘ নাইলনের দড়ি ১৭. তন্তু থেকে সুতা কাটার দ্বিতীয় ধাপকে কী বলে?  কার্ডিং খ বেøন্ডিং গ টুইস্টিং ঘ মিক্সিং ১৮. কোনটি প্রাকৃতিক পলিমার?  পাট খ রেজিন গ পিভিসি ঘ পলিথিন ১৯. মৃত মেষ থেকে তৈরিকৃত পশমকে বলেÑ ক ফ্লিস উল  পুল্ড উল গ কটন ঘ নাইলন ২০. নিচের কোনটি প্রথম উৎপাদিত কৃত্রিম তন্তু? ক নাইলন  রেয়ন গ রেমেট ঘ লিনেন ২১. সুতা কাটার দ্বিতীয় ধাপ কোনটি?  কার্ডিং ও কম্বিং খ বেøন্ডিং ও মিক্সিং গ

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান ষষ্ঠ অধ্যায় পলিমার Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি দর্পণ : যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে। চকচকে ধাতব পাত, পলিশ করা টেবিল ইত্যাদি দর্পণ হিসেবে কাজ করে।  গোলীয় দর্পণ : যে দর্পণের প্রতিফলক পৃষ্ঠ কোনো গোলকের অংশবিশেষ তাকে গোলীয় দর্পণ বলে।  আলোর প্রতিসরণ : আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদতলে তীর্যকভাবে আপতিত আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।  আলোর প্রতিসরণের সূত্র : আলোর প্রতিসরণ দুটি সূত্র মেনে চলে প্রথম সূত্র : আপতিত রশ্মি, প্রতিসরিত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে। দ্বিতীয় সূত্র : একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রæবক। এ ধ্রæবককে সাধারণত  দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ, যদি আপতন কোণ = র এবং প্রতিসরণ কোণ = ৎ হয় তবে,  = ংরহ রংরহ ৎ  প্রতিসরাঙ্ক : আলোকরশ্মি যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে প্রবেশ করে তখন নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত যে ধ্রæব সংখ্যা হয় তাকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বা আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলে।  লেন্স : দুটি গোলীয় পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে। লেন্স প্রধানত দুই রকমের হয়। যথা : উত্তল বা অভিসারী লেন্স এবং অবতল বা অপসারী লেন্স।  উত্তল বা অভিসারী লেন্স : যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও প্রান্ত সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে। এ লেন্সে আলোকরশ্মি উত্তল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে একে উত্তল লেন্স বলে। এ লেন্স সাধারণত এক গুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে অভিসারী করে থাকে বলে একে অভিসারী লেন্সও বলা হয়।  অবতল বা অপসারী লেন্স : যে লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও প্রান্তের দিকে মোটা তাকে অবতল লেন্স বলে। এ লেন্সে আলোকরশ্মি অবতল পৃষ্ঠে আপতিত হয় বলে একে অবতল লেন্স বলে। এ লেন্স সাধারণত একগুচ্ছ আলোকরশ্মিকে অপসারী করে থাকে বলে একে অপসারী লেন্সও বলে।  বক্রতার কেন্দ্র : সাধারণত লেন্সের পৃষ্ঠসমূহ যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্রতার কেন্দ্র বলে। লেন্সের দুই পৃষ্ঠের জন্য বক্রতার কেন্দ্র দুইটি।  প্রধান অক্ষ : লেন্সের উভয় পৃষ্ঠের বক্রতার কেন্দ্র দুটির মধ্য দিয়ে গমনকারী সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলে।  লেন্সের প্রধান ফোকাস : লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল এবং নিকটবর্তী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের ওপর যে বিন্দুতে মিলিত হয় (উত্তল লেন্সে) বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় (অবতল লেন্সে) সেই বিন্দুকে লেন্সের প্রধান ফোকাস বলে।  ফোকাস দূরত্ব : লেন্সের আলোক বিন্দু থেকে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বকে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বলে।  লেন্সের ক্ষমতা : একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মিকে কোনো লেন্সের অভিসারী (উত্তল লেন্সে) গুচ্ছে বা অপসারী (অবতল লেন্সে) গুচ্ছে পরিণত করার প্রবণতাকে ঐ লেন্সের ক্ষমতা বলে।  ডায়অপ্টার : লেন্সের ক্ষমতার প্রচলিত একক হলো ডায়অপ্টার। এক মিটার ফোকাস দূরত্বের কোনো লেন্সের ক্ষমতাকে এক ডায়অপ্টার বলে। কোনো লেন্সের ফোকাস দূরত্ব ƒ মিটার এবং ক্ষমতা চ ডায়অপ্টার হলে, চ = ১ƒ।  চোখের নিকট বিন্দু ও দূরবিন্দু : সুস্থ ও স্বাভাবিক চোখ যে নিকটতম বিন্দু পর্যন্ত বিনা শ্রান্তিতে স্পষ্ট দেখতে পায় তাকে চোখের নিকট বিন্দু প্রায় ২৫ সে.মি. বলে। সবচেয়ে দূরে অবস্থিত যে বিন্দু পর্যন্ত স্বাভাবিক চোখ স্পষ্ট দেখতে পায় তাকে চোখের দূরবিন্দু (সাধারণত অসীম) বলে।  স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম দূরত্ব ২৫ সেমি-এর অর্থ : কোনো ব্যক্তির স্পষ্ট দর্শনের নিকটতম বিন্দু ২৫ সে.মি. বলতে বোঝায় কোনো বস্তু ২৫ সে.মি. দূরে থাকলে একজন ব্যক্তির চোখ বিনা বাধায় তা স্পষ্ট দেখতে পায়।  চোখের ত্রæটি : স্বাভাবিক চোখের দৃষ্টির পাল্লা ২৫ পস থেকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত অর্থাৎ স্বাভাবিক চোখ ২৫ সে.মি. থেকে অসীম দূরত্বের মধ্যে যে কোনো বস্তু স্পষ্ট দেখতে পায়। যদি কোনো চোখ এই পাল্লার মধ্যে কোনো বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে না পায় তাহলে সেই চোখ ত্রæটিপূর্ণ বলে ধরা হয়। চোখে মোট চার ধরনের ত্রæটি দেখা যায় (ক) হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া, (খ) দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া, (গ) বার্ধক্য দৃষ্টি বা চালশে ও (ঘ) বিষম দৃষ্টি বা নকুলান্ধতা। এদের মধ্যে হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া ও দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া এই দুটিকে দৃষ্টির প্রধান ত্রæটি বলা হয়।  হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া : এই ত্রæটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস ভালোভাবে দেখতে পায় না কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায়। এমনকি এই চোখের নিকট বিন্দু ২৫ সে.মি. এরও কম হতে পারে। কারণ : অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বেড়ে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব কমে গেলে অর্থাৎ অভিসারী ক্ষমতা বেড়ে গেলে এই ত্রæটি দেখা যায়।  দীর্ঘ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া : এই ত্রæটিগ্রস্ত চোখ দূরের জিনিস দেখতে পায় কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায় না। কারণ : অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ কমে গেলে বা চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব বেড়ে গেলে অর্থাৎ অভিসারী ক্ষমতা কমে গেলে চোখে এই ধরনের ত্রæটি দেখা দেয়। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. স্বাভাবিক চোখে স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত? ক ৫ সেমি খ ১০ সেমি  ২৫ সেমি ঘ ৫০ সেমি ২. উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলোÑ র. এটির ক্ষমতা ধনাত্মক রর. লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও মোটা ররর. সমান্তরাল রশ্মিগুলোকে একটি বিন্দুতে মিলিত করে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর  র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. উদ্দীপকে উল্লিখিত চোখের ত্রæটিকে কী বলা হয়?  হ্রস্বদৃষ্টি খ দীর্ঘদৃষ্টি গ বার্ধক্য দৃষ্টি ঘ বিষম দৃষ্টি ৪. উল্লিখিত ত্রæটি দূর করতে হলে কোন ধরনের লেন্স ব্যবহার করতে হবে? ক উত্তল লেন্স  অবতল লেন্স গ উত্তলাবতল লেন্স ঘ সমতলাবতল লেন্স গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. কাছের বস্তুকে দেখার জন্য ব্যবহার করা হয় নিচের কোন লেন্স? ক অবতল লেন্স খ সমতলাবতল লেন্স  উত্তল লেন্স ঘ উত্তলাবতল লেন্স ৬. শিশুর চোখের স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত? ক ৫০ সে.মি. খ ২৫ সে.মি. গ ১০ সে.মি.  ৫ সে.মি. ৭. চোখের অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ হ্রাস পেলে কোন ত্রæটি হয়? ক বার্ধক্য দৃষ্টি খ বিষম দৃষ্টি গ হ্রস্বদৃষ্টি  দূর দৃষ্টি ৮. কোনটি দীর্ঘদৃষ্টির কারণ?  চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা হ্রাস পেলে খ চোখের লেন্সের অভিসারী ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে গ কোনো কারণে অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেলে ঘ চোখের লেন্সের ফোকাস দূরত্ব হ্রাস পেলে ৯. আবছা আলোয় সংবেদনশীল হয় কোনটি? ক কোন  রড গ রেটিনা ঘ চোখের লেন্স ১০. অক্ষিগোলকের ব্যাসার্ধ বৃদ্ধি পেলে কোন ত্রæটি হয়?  ক্ষীণদৃষ্টি খ দূর দৃষ্টি গ চালশে ঘ নকুলান্ধতা ১১. চিত্রের ক্ষেত্রে প্রতিসরাঙ্ক কত? ২ খ ১২ গ ৩২ ঘ ১২ ১২. লেন্সের ক্ষমতার

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় নবজীবনের সূচনা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় নবজীবনের সূচনা পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি বয়ঃসন্ধিকাল : দশ বছর বয়স থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত এই সময়কালে একটি মেয়েকে কিশোরী এবং একটি ছেলেকে কিশোর বলা হয়। মানুষের জীবনের এই সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এই সময়কালে বালক ও বালিকার শরীর যথাক্রমে পুরুষের এবং নারীর শরীরে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় আট থেকে তের বছর বয়সের মধ্যে। ছেলেদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকাল শুরুর বয়স দশ থেকে পনেরো বছর। বয়ঃসন্ধিকাল হলো বাল্যাবস্থা ও যৌবনকালের মধ্যবর্তী সময়।  বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের কারণ : বয়ঃসন্ধিকালে শরীরে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তনগুলো ঘটে। ছেলে ও মেয়েদের শরীরে এ হরমোন এক রকম নয়। এ কারণে এদের শরীরে যে পরিবর্তন হয় তা ভিন্ন। মেয়েদের শরীরে প্রধানত দুটি হরমোন যথা : ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটায়। এসব হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের দ্রæত দৈহিক বৃদ্ধি হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আকারের বৃদ্ধি ঘটে। এসব হরমোনের প্রভাবে ঋতুস্রাব শুরু হয়। ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ হরমোনের প্রভাবে ছেলেদের গলার স্বর ভারী হয়। মুখে দাড়ি ও গোঁফ গজায়। দ্রæত দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে এবং শুক্রাণু তৈরি হয়।  বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তনে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর উপায় : বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক ও আচরণিক পরিবর্তনগুলোর সাথে ছেলেমেয়েদের খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। এ সময় পরিবর্তনগুলো যে স্বাভাবিক, এ বিষয়টি খুব স্পষ্ট করে বুঝতে হবে। এটি বুঝতে পারলে অস্বস্তি বা ভয় কমে যাবে। এ সময়ের পরিবর্তনগুলো নিয়ে খোলা মনে মা-বাবা বা বড় ভাই-বোনের সাথে আলোচনা করলে সংকোচ অনেকটা কেটে যায়। এতে একা থাকা বা লোকজন এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এছাড়া ভালো গল্পের বই পড়া, সাথীদের সাথে খেলাধুলা করলে মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকে।  বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশল : বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষার কৌশলগুলো হলোÑ ১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং নিয়মিত গোসল করা। ২. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং বেশি পরিমাণে পানি পান করা। ৩. এ সময় দেহকোষ ও জননকোষের ভাঙাগড়া সর্বাধিক হয় বলে মাছ, মাংস, সবজি এবং ফলমূল বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। ৪. সাধারণত বেশি বিশ্রাম নেওয়া দরকার। ৫. সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করা ও মানসিক প্রফুল্লতা বজায় রাখা।  বয়ঃসন্ধিকালীন বিবাহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং এর প্রভাব : বয়ঃসন্ধিকালীন বিবাহে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। এ বয়সে গর্ভধারণ করলে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি আসা, খুব বেশি ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটে থাকে। তাছাড়া মা ও সন্তানের মৃত্যু ঝুঁকিও বেশি থাকে। এর প্রভাবে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন সম্পূর্ণ হয় না। শারীরিক ও মানসিকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লেখাপড়ার অনীহা আসে। অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এতে পরিবার এবং সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  টেস্টটিউব বেবি : কৃত্রিম উপায়ে দেহের বাইরে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে প্রাথমিক ভ্রƒণ সৃষ্টি করে তাকে স্ত্রীলোকের জরায়ুতে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে শিশুর জš§ হলে তাকে টেস্টটিউব বেবি বলা হয়। পর্যায়ক্রমে কতগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন ঘটিয়ে টেস্টটিউব বেবির জš§ দেওয়া হয়।  লিঙ্গ নির্ধারণের কৌশল : লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোসোমগুলোকে আখ্যায়িত করা হয় ঢ এবং ণ ক্রোমোসোম নামে। মানুষের ক্ষেত্রে মহিলাদের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢঢ সেক্স ক্রোমোসোম থাকে এবং পুরুষের দেহকোষে ডিপ্লয়েড অবস্থায় ঢণ ক্রোমোসোম থাকে। গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ঢ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে কন্যা সন্তান হবে, কারণ তখন ঢঢ এক সাথে হবে। আর গর্ভধারণকালে ডিম্বাণুর মিলন যদি ণ ক্রোমোসোমবিশিষ্ট শুক্রাণুর সাথে হয়, তাহলে যে সন্তান হবে সেটি ছেলে সন্তান হবে, কারণ তখন ঢণ একসাথে হবে।  পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি এবং জীবজগতে বিবর্তনের ধারণা : ধারণা করা হয় প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড সহযোগে সৃষ্টি হয় নিউক্লিওপ্রোটিন। এই নিউক্লিওপ্রোটিন থেকেই সৃষ্টি হয় প্রোটোভাইরাস এবং তা থেকে সৃষ্টি হয় ভাইরাস। এরপর সম্ভবত উদ্ভব হয় ব্যাকটেরিয়া এবং আরও পরে সৃষ্টি হয় প্রোটোজোয়া। পরে প্রোটোজোয়ানদের দেহে দেখা গেল সুগঠিত নিউক্লিয়াস। কিছু এককোষী জীবদেহে সৃষ্টি হলো ক্লোরোফিল। ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সংশ্লেষ সম্ভব হলো তেমনি পরিবেশে অক্সিজেনের সৃষ্টি হলো। তখন সবাত শ্বসনকারী জীবদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকল। উদ্ভব হলো এককোষী থেকে বহুকোষী জীব। জীবনের উৎপত্তির মূলে রয়েছে বিবর্তন। যে ধীর, অবিরাম ও গতিশীল পরিবর্তন দ্বারা কোনো সরলতর উদবংশীয় জীবের পরিবর্তন দ্বারা জটিল ও উন্নততর নতুন প্রজাতির বা জীবের উদ্ভব ঘটে তাকে বিবর্তন বলে। সময়ের সাথে কোনো জীবের পরিবর্তনের ফলে যখন নতুন কোনো প্রজাতি সৃষ্টি হয় তখন তাকে বলা হয় জৈব বিবর্তন।  পৃথিবীতে নতুন প্রজাতির উৎপত্তির ধারণা : ল্যামার্কের তত্ত¡ অনুযায়ী, অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরণের কারণে এবং প্রতিটি প্রজšে§ নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য অর্জিত হওয়ায় ধীরে ধীরে একটি প্রজাতি থেকে অপর একটি নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়। আধুনিক যুগের বিজ্ঞানীরা ল্যামার্কের এ মতবাদ গ্রহণ করতে পারেননি। কারণ বাস্তবে অর্জিত বৈশিষ্ট্য যে পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চালিত হয় এর সপক্ষে বর্তমান বংশগতিবিদগণ কোনো প্রমাণ পাননি। ডারউইনের মতবাদ অনুসারে সুবিধাজনক প্রকরণযুক্ত প্রাণী ও উদ্ভিদ পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং অযোগ্যদের তুলনায় বেশি হারে বংশবিস্তার করতে পারে। এদের বংশধরদের মধ্যে প্রকরণগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে যায়। এই বংশধরদের মধ্যে যাদের সুবিধাজনক প্রকরণ বেশি থাকে, প্রকৃতি আবার তাদের নির্বাচন করে। এভাবে যুগ যুগান্তর ধরে নির্বাচিত করে প্রকৃতি প্রাণী ও উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করে। বর্তমানে বংশগতিবিদ, কোষতত্ত¡বিদ ও শ্রেণিবিদগণ নতুন প্রজাতির উৎপত্তির বিষয়ে মেন্ডেলের বংশগতি মতবাদের এবং ডারউইনের বিবর্তন মতবাদের ভিত্তিতে বলেন, ধীর গতিতে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হতে পারে। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কোন পানিতে সর্বপ্রথম জীবের উৎপত্তি হয়েছিল? ক নদীর খ ঝরনার  সমুদ্রের ঘ পুকুরের ২. প্রোটোভাইরাস সৃষ্টির আগে বায়ুমণ্ডলে যে গ্যাসটি ছিল তা হলোÑ i, অক্সিজেন ii, হাইড্রোজেন iii. নাইট্রোজেন নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও ii খ র ও iii  ii ও iii ঘ র, ii ও iii নিচের গ্রাফটি থেকে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩. গ্রাফের অ অবস্থানে কোন প্রাণীটি থাকবে? ক মাছ  ব্যাঙ গ সাপ ঘ কচ্ছপ ৪. প্লাটিপাসের অবস্থান গ্রাফের কোথায়? ক অ ও ই খ ই ও ঈ  ই ও উ ঘ ঈ ও উ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  প্রশ্ন \ ১ \ প্রকরণ কাকে বলে? উত্তর : প্রতিটি জীবের প্রজাতির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্থক্য দেখা যায় তাদের প্রকরণ বা ভেরিয়েশন বলে। প্রশ্ন \ ২ \ আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম কাকে বলে? উত্তর : বিভিন্ন প্রজাতির অন্তর্গত বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে আশ্রয়, খাদ্য, জনন ইত্যাদির জন্য যে সংগ্রাম ঘটে তাকে আন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বলে। প্রশ্ন \ ৩ \ অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম কী? উত্তর : একটি প্রজাতির অন্তর্গত বিভিন্ন প্রাণী বা উদ্ভিদের মধ্যে আশ্রয়, খাদ্য, প্রজনন ইত্যাদির জন্য যে সংগ্রাম ঘটে তাকে অন্তঃপ্রজাতি সংগ্রাম বলে। প্রশ্ন \ ৪ \ গর্ভধারণ কী? উত্তর : পুরুষের শুক্রাণু যখন মেয়েদের ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় নবজীবনের সূচনা Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি রক্ত : রক্ত একটি ক্ষারধর্মী তরল জটিল টিস্যু। হিমোগেøাবিনের উপস্থিতির জন্য রক্ত লাল হয়। হিমোগেøাবিন অক্সি হিমোগেøাবিন হিসেবে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে।  রক্তের উপাদান : রক্তের প্রধান উপাদানগুলো হলো- রক্তরস বা প্লাজমা এবং রক্তকণিকা। রক্তের ৫৫% রক্তরস এবং বাকি ৪৫% রক্তকণিকা। রক্তকণিকাগুলো প্রধানত তিন রকমের। যথা : লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা।  রক্তকণিকার কাজ : র. লোহিত কণিকার প্রধান কাজ হলো দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা। রর. শ্বেতকণিকার প্রধান কাজ হলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করা। ররর. অণুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত তঞ্চন করতে সাহায্য করা।  রক্তের কাজ : র. শ্বাসকার্য : রক্ত অক্সিজেনকে ফুসফুস থেকে টিস্যু কোষে এবং টিস্যু কোষ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে ফুসফুসে পরিবহন করে। লোহিত কণিকা ও রক্তরস প্রধানত এ কাজটি করে। রর. হরমোন পরিবহন : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে। ররর. খাদ্যসার পরিবহন : দেহের সঞ্চয় ভাণ্ডার থেকে এবং পরিপাককৃত খাদ্যসার দেহের টিস্যু কোষগুলোতে বহন করে। রা. বর্জ্য পরিবহন : নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থগুলোকে বৃক্কে পরিবহন করে। া. উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ : দেহে তাপের বিস্তৃতি ঘটিয়ে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ার. রোগ প্রতিরোধ : দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে মনোসাইট ও নিউট্রোফিল শ্বেত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেত কণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহের ভেতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং বাইরের থেকে জীবাণু দ্বারা আক্রমণ প্রতিহত করে।  রক্তের গ্রæপের বৈশিষ্ট্য : অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাসকে রক্তের গ্রæপ বলে। অ্যান্টিজেন অ ও ই এই দুই ধরনের হয়। যে মানুষের রক্তকোষে অ অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রæপ অ, যে মানুষের রক্তকোষে ই অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রæপ ই, যে মানুষের রক্তে অ ও ই উভয় অ্যান্টিজেন থাকে তাকে অই গ্রæপ এবং যার মধ্যে অ ও ই অ্যান্টিজেনের কোনোটিই থাকে না, তাকে গ্রæপ ঙ বলে আখ্যায়িত করা হয়।  নিচে অ, ই, ঙ ও অই রক্ত গ্রæপের সম্পর্ক এবং রক্তদাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক দেখানো হলো : রক্তের গ্রæপ লোহিত কণিকায় অ্যান্টিজেন রক্তরসে অ্যান্টিবডি যে গ্রæপকে রক্ত দিতে পারবে যে গ্রæপের রক্ত গ্রহণ করতে পারবে অ অ ধহঃর-ই অ ও অই অ ও ঙ ই ই ধহঃর-অ ই ও অই ই ও ঙ অই অ, ই কোনো অ্যান্টিবডি নেই অই অ, ই, অই ও ঙ ঙ কোনো অ্যান্টিজেন নেই ধহঃর-ই, ধহঃর-অ উভয় আছে অ, ই, অই ও ঙ ঙ  রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা : এক ব্যক্তির দেহ থেকে রক্ত অন্য ব্যক্তির দেহে প্রদান করতে হলে উভয় ব্যক্তির রক্ত সমবিভাগের হতে হয়। সমবিভাগের না হলে ভিন্ন গ্রæপের রক্ত গ্রহিতার রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে প্রাণহানির কারণ হতে পারে। মাদকসেবী, জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।  জয ফ্যাক্টর : জয ফ্যাক্টর রেসাস (জযবংঁং) নামক বানরের সাথে রক্তকণিকায় অবস্থিত এক ধরনের অ্যাগøুটিনোজেন। জয ফ্যাক্টরের গুরুত্ব : সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে জয ফ্যাক্টর খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন জয (জয নেগেটিভ) মহিলার সঙ্গে জয+ (জয পজেটিভ) পুরুষের বিয়ে হলে তাদের প্রথম সন্তান হবে জয+, কারণ জয+ একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য। ভ্রƒণ অবস্থায় সন্তানের জয+ ফ্যাক্টরযুক্ত লোহিত কণিকা অমরার মাধ্যমে রক্তে এসে পৌঁছাবে। ফলে মায়ের রক্ত জয হওয়ায় তার রক্তরসে অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর (অ্যান্টিবডি) উৎপন্ন হবে। অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর মায়ের রক্ত থেকে অমরার মাধ্যমে ভ্রƒণের রক্তে প্রবেশ করে ভ্রƒণের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে। ফলে ভ্রƒণও বিনষ্ট হয় এবং গর্ভপাত ঘটে। এ অবস্থায় শিশু জীবিত থাকলেও তার দেহে প্রচণ্ড রক্তস্বল্পতা এবং জন্মের পর জন্ডিস রোগ দেখা দেয়। যেহেতু জয বিরোধী অ্যান্টিবডি মাতৃদেহে খুব ধীরে ধীরে উৎপন্ন হয়, তাই প্রথম সন্তানের কোনো ক্ষতি হয় না এবং সুস্থ জন্মায়। কিন্তু পরবর্তী গর্ভাধারণ থেকে জটিলতা শুরু হয় এবং ভ্রƒণ এতে মারা যায়। তাই বিয়ের আগে হবু বর-কনের রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত এবং একই জয ফ্যাক্টরযুক্ত (হয় জয+ নয়তো, জয) দম্পতি হওয়া উচিত।  রক্ত সঞ্চালন : মানুষের রক্তসংবহনতন্ত্র হৃৎপিণ্ড, ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা নিয়ে গঠিত। মানুষের হৃৎপিণ্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি ও শিরার মাধ্যমে রক্ত সংবহন করে। হৃৎপিণ্ডের স্বতঃস্ফ‚র্ত সংকোচনকে সিস্টোল এবং স্বতঃস্ফ‚র্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে। অলিন্দে যখন সিস্টোল হয় নিলয় তখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। এভাবে হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমে সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মাধ্যমে মানুষের দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয়।  আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক : হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহকালে ধমনি প্রাচীরে যে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলে। স্বাভাবিক রক্তচাপকে ১৪০/৯০ (সসঐম) আকারে প্রকাশ করা হয়। একটি সিস্টোল ও একটি ডায়াস্টোলের সমন্বয়ে একটি হৃদস্পন্দন হয়। সময় লাগে প্রায় ০.৮ সেকেন্ড। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ বার হয়। এটিকে হার্টবিট বলে। হৃদস্পন্দন বা হার্টবিটকে যখন প্রতি মিনিটে হাতের কবজিতে গণনা করা হয়, তখন তাকে পালসরেট বলে। আমাদের হাতের কবজির রেডিয়াল ধমনিতে হার্টবিটের স্পন্দন গণনা করা যায়। আবার বুকের বাম দিকে নির্দিষ্ট স্থানে স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসিয়ে এবং স্টেথোস্কোপের নলের শেষ প্রান্ত দুটি কান লাগিয়েও এ শব্দ অনুভব করা যায়।  রক্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল : শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকে, তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। রক্তের চাপ যদি কম থাকে তা হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। হাইপারটেনশন হওয়ার প্রকৃত কারণ আজও জানা যায়নি। তবে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিস, অস্থিরচিত্ত ও মানসিক চাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে রয়েছেÑ স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ও ফেইলিউর, বৃক্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত প্রভৃতি। নি¤œ রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপের মতো মারাত্মক নয়। তবে রক্তচাপ যথেষ্ট কমে গেলে নানা রকম অসুবিধা সৃষ্টি হয়। রক্তচাপজনিত সমস্যা প্রতিরোধে যেসব কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে তা হলো- ১. ডায়াবেটিস যদি থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করা, ২. দেহের ওজন বৃদ্ধি না করা, ৩. চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন করা, ৪. মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা, ৫. নিয়মিত ব্যায়াম করা, ৬.৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো ইত্যাদি। অনুশীলনীর বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. জমাট বাঁধানো কোনটির কাজ? ক লোহিত কণিকা  অণুচক্রিকা গ শ্বেত কণিকা ঘ লসিকা কোষ ২. অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করেÑ ক ধমনি ও পালমোনারি ধমনি খ শিরা ও পালমোনারি শিরা  ধমনি ও পালমোনারি শিরা ঘ শিরা ও ধমনি গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও : অভিষেক ঢাকা হতে মানিকগঞ্জ যাবার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে তার বন্ধুর মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। ফলে রক্তের প্রয়োজন। বন্ধুর রক্ত পরীক্ষা ছাড়াই অভিষেক বলল আমি

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় হৃদযন্ত্রের যত কথা Read More »

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি

এসএসসি সাধারণ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি পানির ধর্ম : বরফের গলনাঙ্ক ০ সেলসিয়াস। পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০ সেলসিয়াস। ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ। বিশুদ্ধ পানি তড়িৎ পরিবহন করে না তবে তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবীভ‚ত থাকলে তড়িৎ পরিবহন করে। পানি একটি উভধর্মী পদার্থ হিসেবে কাজ করে। বিশুদ্ধ পানি পুরোপুরি নিরপেক্ষ অর্থাৎ এর ঢ়ঐ ৭।  পানির গঠন : পানি দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে গঠিত। ঐ২ঙ হলো পানির রাসায়নিক সংকেত। আমরা যে পানি দেখি সেখানে অনেক পানির অণু ক্লাস্টার আকারে থাকে।  পানির উৎস : পানির সবচেয়ে বড় উৎস হলো সাগর, মহাসাগর বা সমুদ্র। পানির আরেকটি অন্যতম উৎস হলো হিমবাহ ও তুষার স্রোত যেখানে পানি মূলত বরফ আকারে থাকে। ব্যবহার উপযোগী উৎস হলো নদনদী, খালবিল, হ্রদ, পুকুর ও ভ‚গর্ভস্থ পানি।  জলজ উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা : পানি না থাকলে বেশির ভাগ জলজ উদ্ভিদ জš§াতই না, অথবা কিছু কিছু জš§ালেও বেড়ে উঠতে পারত না। জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী বাঁচতে পারত না।  পানির মানদণ্ড : পানির নির্দিষ্ট মান যদি বজায় না থাকে তাহলে এটি জীববৈচিত্র্য বা পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকর হবে, তেমনি অন্যান্য কাজে এর ব্যবহার ব্যাহত হবে। পানির মানদণ্ড কেমন হওয়া উচিত তা নির্ভর করে এর বর্ণ ও স্বাদ, ঘোলাটে ভাব, তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি, ময়লা-আবর্জনার উপস্থিতি, দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের পরিমাণ, তাপমাত্রা, ঢ়ঐ, লবণাক্ততা ইত্যাদির ওপর। সাধারণত ব্যবহারের ধরনের ওপর ভিত্তি করে পানির মানদণ্ড ঠিক করা হয়।  ঢ়ঐ : ঢ়ঐ হলো এমন একটি রাশি, যার দ্বারা বোঝা যায় পানি বা জলীয় দ্রবণ এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষ হলে ঢ়ঐ হয় ৭, এসিডিক হলে মান হয় ৭ এর কম আর ক্ষারীয় হলে মান হয় ৭ এর বেশি। এসিডের পরিমাণ যত বাড়বে ঢ়ঐ এর মান তত কমবে; অন্যদিকে ক্ষারের পরিমাণ যত বাড়বে ঢ়ঐ এর মান তত বাড়বে।  পরিবেশ সংরক্ষণে পানির পুনঃআবর্তনের ধাপসমূহ : দিনের বেলা সূর্যের তাপে ভ‚পৃষ্ঠের পানি বাষ্পীভ‚ত হয়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বাষ্প ঘনীভ‚ত হলে প্রথমে মেঘ ও পরে বৃষ্টির আকারে ফিরে আসে। এই বৃষ্টির পানির বড় একটি অংশ নদনদী, খালবিল ও সমুদ্রে গিয়ে পড়ে এবং আবার বাষ্পীভ‚ত হয় ও বৃষ্টি আকারে ফিরে আসে।  মানসম্মত পানির প্রয়োজনীয়তা : পানি যদি মানসম্মত না হয় তাহলে প্রতিটি কাজেই বিঘœ ঘটবে। খাওয়ার পানি যদি মানসম্মত না হয়, বিশেষ করে এতে যদি রোগজীবাণু থাকে তাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটাতে পারে। সমুদ্রের পানিতে প্রচুর লবণ থাকে যা শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ক্ষয় সাধন করে ও নষ্ট করে ফেলে। একইভাবে আমাদের বেশিরভাগ ফসলাদিই লবণ পানিতে জš§াতে পারে না। শিল্প কারখানা থেকে শুরু করে কৃষিকাজ ও দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজেই মানসম্মত পানি অত্যাবশ্যকীয়।  পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া : যে সমস্ত প্রক্রিয়ায় সাধারণত পানি বিশুদ্ধকরণ করা হয় সেগুলো হলো পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন, পাতন ইত্যাদি। ১. পরিস্রাবণ : পরিস্রাবণ হলো তরল ও কঠিন পদার্থের মিশ্রণ থেকে কঠিন পদার্থকে আলাদা করার একটি প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে বালির স্তরের মধ্য দিয়ে পানিকে প্রবাহিত করা হয়। এতে করে পানিতে অদ্রবণীয় ময়লার কণাগুলো বালির স্তরে আটকা পড়ে যায়। বালির স্তর ছাড়াও খুব সূ²ভাবে তৈরি কাপড় ব্যবহার করেও পরিস্রাবণ করা যায়। ২. ক্লোরিনেশন : পানিতে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু দূর করা হয় জীবাণুনাশক ব্যবহার করে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ক্লোরিন গ্যাস (ঈষ২)। এছাড়া বিøচিং পাউডার [ঈধ(ঙঈষ)ঈষ এবং আরও কিছু পদার্থ যার মধ্যে ক্লোরিন আছে এবং যা জীবাণু ধ্বংস করতে পারে তা ব্যবহার করা হয়। ক্লোরিন ছাড়াও ওজোন (ঙ৩) গ্যাস দিয়ে অথবা অতি বেগুনি রশ্মি দিয়েও পানিতে থাকা রোগ জীবাণু ধ্বংস করা যায়। ৩. স্ফুটন : পানিকে খুব ভালোভাবে ফুটালে এতে উপস্থিত জীবাণু মরে যায়। স্ফুটন শুরু হওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট ধরে ফুটালে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। ৪. পাতন : এই প্রক্রিয়ায় একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাপ দিয়ে বাষ্পে পরিণত করা হয়। পরে ওই বাষ্পকে আবার ঘনীভ‚ত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়।  বাংলাদেশের পানির উৎসে দূষণের কারণ : বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত বর্জ্যপানির বড় একটি অংশ নর্দমার মাধ্যমে নদনদীতে নিয়ে ফেলা হয় এবং তা পানিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে। পঁচা বর্জ্য যেখানে রোগজীবাণুসহ নানারকম রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে, তা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নদনদী, খাল বিল বা লেকের পানিকে দূষিত করে। বৃষ্টি হলে অথবা বন্যার সময় কৃষিজমি প্লাবিত হলে কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও জৈবসার ও কীটনাশক পানিতে মিশে পানিকে দূষিত করে। চামড়ার কারখানা থেকে প্রচুর বর্জ্য নদীতে গিয়ে পড়ার ফলে পানি দূষিত হচ্ছে। স্টিমার ও জাহাজ থেকে ফেলা মলমূত্রে ও তেল জাতীয় পদার্থের মাধ্যমে নদনদী ও সমুদ্রের পানি দূষিত হয়।  পানি দূষণের প্রভাব : নদনদী, পুকুর, খালবিল ও ভ‚গর্ভস্থ প্রভৃতি উৎসের পানি দূষিত হলে তা উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের ওপর নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এমনকি কখনোও কখনোও তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। টাইফয়েড, জ্বর, কলেরা, আমাশয়, সংক্রামক হেপাটাইটিস বি এসবই পানিবাহিত রোগ। পানিতে ফসফেট ও নাইট্রোজেন খুব বেড়ে গেলে তা প্রচুর শ্যাওলা জš§াতে সাহায্য করে। এই শ্যাওলাগুলো যখন মরে যায় তখন পানিতে থাকা দ্রবীভ‚ত অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। এর ফলে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয় এবং তার ফলে মাছসহ সকল প্রাণী মারা যায়। অজৈব পদার্থসমূহ (যেমন : এসিড, ক্ষার, লবণ) পানিতে বসবাসকারী উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য খুবই ক্ষতিকর। পানিতে যদি ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ (যেমন : পারদ, সিসা, আর্সেনিক ইত্যাদি) থাকে ওই পানি পান করলে তা মানুষের দেহে নানাবিধ রোগের কারণ হতে পারে। নিচে পারদ, সিসা ও আর্সেনিকের প্রভাব উল্লেখ করা হলো : ১. পারদ : মস্তিষ্কের বিকল হওয়া, ত্বকের ক্যান্সার, বিকলাঙ্গ হওয়া। ২. সিসা : বিতৃষ্ণাবোধ বা খিটখিটে মেজাজ, শরীর জ্বালাপোড়া, রক্তশূন্যতা, কিডনি বিকল হওয়া, পরিমাণে খুব বেশি হলে মস্তিষ্ক বিকল হওয়া। ৩. আর্সেনিক : আর্সেনিকোসিস, ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার, পাকস্থলীর রোগ। তেজস্ক্রিয় পদার্থ যেমন : ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, সিজিয়াম, রেডন প্রভৃতি দ্বারা পানি দূষিত হলে তা জীবদেহে ক্যান্সার ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ সৃষ্টি করে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানার বর্জ্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে সৃষ্ট বর্জ্যরে দ্বারা পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়েও পানি দূষিত হয়।  বাংলাদেশের মিঠা পানিতে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব : বৈশ্বিক উষ্ণতা হলো বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। তাপমাত্রার সামান্য বৃদ্ধিতেই মেরু অঞ্চলসহ অন্যান্য জায়গায় সঞ্চিত বরফ গলতে শুরু করে। এর ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাবে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি নদনদী, খালবিল, পুকুর, ভ‚গর্ভস্থ ও হ্রদের পানিতে মিশে যাবে। ফলে পানির সকল উৎসই লবণাক্ত হয়ে পড়বে। মিঠা পানিতে বসবাসকারী জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে এবং এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পড়বে।  বাংলাদেশে পানি দূষণের প্রতিরোধের কৌশল এবং নাগরিকের দায়িত্ব : ১. জলাভ‚মি রক্ষা : জলাভ‚মি, বনভ‚মি এগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থা

নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি Read More »

Scroll to Top