রসায়ন

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. আধুনিক পর্যায় সারণির মূল ভিত্তি কী? ক পারমাণবিক সংখ্যা খ পারমাণবিক ভর গ আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর √ ইলেকট্রন বিন্যাস ২. A = 1s22s22p63s23p63d34s2; ; মৌলটি পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত? ক Group-2                             ˜ Group-5 গ Group-11                    ঘ Group-13 নিচের সারণি থেকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : পর্যায় সারণির কোনো একটি গ্রুপের খণ্ডিত অংশ 19K X Y Z [এখানে X, Y এবং Z প্রতীকী অর্থে; প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়] ৩. ‘ঢ’ মৌলটি পর্যায় সারণির কোন পর্যায়ের? ক ৩য় খ ৪র্থ √ ৫ম ঘ ৬ষ্ঠ ৪. উল্লিখিত মৌলগুলোর- i. সর্বশেষ স্তরে ১টি ইলেকট্রন আছে ii. পারমাণবিক আকার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পায় iii সক্রিয়তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ ii ও iii √ i ও iii ঘ i, ii ও iii চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি আরো কিছু বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৫. পর্যায় সারণিতে সালফারের অবস্থান কোথায়? ক ২য় পর্যায়ের ১২ গ্রুপে খ ৩য় পর্যায়ের ৬ গ্রুপে গ ৪র্থ পর্যায়ের ৪ গ্রুপে √ ৩য় পর্যায়ের ১৬ গ্রুপে ৬. Al্টক তত্তে¡র প্রবর্তক কে? ক ডোবেরাইনার √ Rb নিউল্যান্ড গ ল্যাভয়সিয়ে ঘ ম্যান্ডেলিফ ৭. ২০১২ সাল পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলের মধ্যে কতটি মৌলকে প্রাথমিক মৌল বলা হয়? √ ১১৮টি খ ১১৪টি গ ৯৮টি ঘ ৮৪টি ৮. একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস ২, ৮, ৮, ১ হলে পর্যায় সারণিতে তার অবস্থান কোথায়? ক ১ম পর্যায়ে ১ গ্রুপে √ ৪র্থ পর্যায়ে ১ গ্রুপে গ ৩য় পর্যায়ের ১ গ্রুপে ঘ ৬ষ্ঠ পর্যায়ের ১ গ্রুপে ৯. নিচের কোনটির যোRbী ২? ক Na খ F √ Ca ঘ K ১০. ম্যাগনেসিয়াম পর্যায় সারণির কোন পর্যায়ে অবস্থিত? ক ১ম খ ২য় √ ৩য় ঘ ৪র্থ ১১. মনে কর একটি মৌলের সুস্থিত আয়ন A2+, এর ইলেকট্রন বিন্যাস 1s2, 2s2, 2p6, 3s2, 3p6 মৌলটির গ্রুপ কোনটি? √ ২ খ ৬ গ ৮ ঘ ১০ ১২. Ca-এর অবস্থান পর্যায় সারণির কোন পর্যায়ে ও কোন গ্রুপে? ক ২, ২ √ ৪, ২ গ ২, ৪ ঘ ২, ৩ ১৩. আয়রন পর্যায় সারণির কোন পর্যায়ে অবস্থিত? ক ২য় খ ৩য় √ ৪র্থ ঘ ৫ম ১৪. কোনটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধ সর্বোচ্চ? √ Mg খ Si গ Al ঘ S ১৫. কোন মৌলটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধ বেশী? ক K খ Si গ Na ঘ Al ১৬. কোনটি নিষ্ক্রিয় ধাতু? ক Na খ Cu গ Sn √ Au ১৭. নিচের কোন মৌলটি মুদ্রা ধাতু? ক Ar √ Ag গ Cd ঘ At ১৮. নিচের কোনটি মুদ্রা ধাতু? √ Au খ Hg গ Na ঘ Zn ১৯. নিচের কোন গ্রুপে অবস্থান্তর মৌল বিদ্যমান? ক গ্রুপ – ১ খ গ্রুপ – ২ √ গ্রুপ – ৩ ঘ গ্রুপ – ১৬ নিচের উদ্দীপকের আলোকে ২০ ও ২১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : পর্যায় গ্রুপ – ১ গ্রুপ – ১৭ 1 2 A 3 D 4 E এখানে A, D ও E কোনো প্রচলিত মৌলের প্রতীক নয়, প্রতীকী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ২০. উদ্দীপকের A, D ও E মৌলের – i. আয়নিকরণ বিভব ii. পারমাণবিক আকারের ক্রম E > D > A iii তড়িৎ ঋণাত্মকতা D > E নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ ii ও iii √ i ও iii ঘ i, ii ও iii ২১. ঊউ যৌগটি নিচের কোন দ্রাবকে দ্রবণীয়? √ পানি খ অ্যালকোহল গ কেরোসিন ঘ কার্বন টেট্রাক্লোরাইড চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি সমন্মিত কিছু বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২৮৮. অবস্থাান্তর মৌলসমূহ পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত? ক গ্রুপ-১ থেকে গ্রুপ-৭ √ গ্রুপ-৩ থেকে গ্রুপ-১১ গ গ্রুপ-৮ থেকে গ্রুপ-১৭ ঘ গ্রুপ-৫ থেকে গ্রুপ-১১ ২৮৯. কে পারমাণবিক সংখ্যা আবিষ্কার করেন? ক রাদারফোর্ড খ ডাল্টন গ বোর √ মোসলে ২৯০. কোনটি উপধাতু? √ B খ Na গ Al ঘ P ২৯১. নিচের কোনটির আয়নিকরণ শক্তি সবচেয়ে কম? ক Be √B গ C ঘ V ২৯২. কঠিন অবস্থায় থাকে- ক O2 √ চ গ Br ঘ Cl ২৯৩. হ্যালোজেন মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধির কোন ক্রমটি সঠিক? √ F > Cl > Br > I খ F > Br > Cl > I গ Cl > F > Br > I ঘ Cl > F > Br > I ২৯৪. পর্যায় সারণিতে আর্সেনিকের অবস্থান কোন গ্রুপে? ক গ্রুপ ১৩ খ গ্রুপ ১৪ √ গ্রুপ ১৫ ঘ গ্রুপ ১৬ ২৯৫. পর্যায় সারণির ২নং গ্রুপের মৌলসমূহের জারণ সংখ্যা কত? ক ০ খ -১ গ +১ √ +২ ২৯৬. একটি মৌলের তৃতীয় শক্তিস্তরে ৩টি ইলেকট্রন আছে। এর গ্রুপ কত? √ III খ VII গ IV ঘ XIII ২৯৭. ২০১২ সাল পর্যন্ত সর্বমোট শনাক্তকৃত মৌলের সংখ্যা কতটি? ক ৯৮ খ ১১২ গ ১১৪ √ ১১৮ ২৯৮. ১০৯ পারমাণবিক সংখ্যার মৌল কোনটি? ক Sg √ Mt গ Bh ঘ Hs ২৯৯. আর্গনের পারমাণবিক ভর কত? ক ৩৮ খ ৩৯ √ ৪০ ঘ ৪৩ ৩০০. কোনটির ব্যাসার্ধ সবচেয়ে কম? ক Na+ √ Mg২+ গ Cl ঘ Ar ৩০১. চুনাপাথরের ধনাত্মক মৌলটি কোন পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত? ক ২য় খ ৩য় √ ৪র্থ ঘ ১ম ৩০২. কোনটির গলনাঙ্ক সবচেয়ে কম? ক Na খ K গ Rb √ Cs ৩০৩. পর্যায় সারণির ৬ষ্ঠ পর্যায়ে কয়টি মৌল আছে? √ ১১ খ ১২ গ ১৩ ঘ ১৪ ৩০৪. লেড (চন) পর্যায়ে সারণির কোন গ্রুপের মৌল? ক ৮ খ ১৮ √ ৩২ ঘ ৩৩ ৩০৫. মুদ্রা ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত? √ ১১ খ ১২ গ ১৩ ঘ ১৪ ৩০৬. ল্যাভয়সিয়ে কত সালে প্রথম মৌলসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করে? ক ১৭৭৯ খ ১৭৯৯ √ ১৭৮৯ ঘ ১৮৭৯ ৩০৭. ব্যতিক্রমী পর্যায় কোনগুলো? √ ৬ ও ৭ খ ৭ ও ৮ গ ৩ ও ৪ ঘ ৫ ও ৬ ৩০৮. ডোবেরাইনারের ত্রয়ী সূত্র প্রকাশিত হয় কত সালে? ক ১৮১৯ খ ১৮৩৯ √ ১৮২৯ ঘ ১৯২৯ ৩০৯. পর্যায় সারণির Rbক কে? ক ডাল্টন খ ডোবেরাইনার √ মেন্ডেলিফ ঘ মেয়ার ৩১০. অপধাতু কোনটি? ক Mg খ Na √ Si ঘ Al ৩১১. কোন মৌলের পারমাণবিক ব্যাসার্ধ সবচেয়ে কম? [ঢা. বো. ’১৫] ক Na √ S গ Rb ঘ Mg ৩১২. পর্যায় সারণির বাম দিকের মৌলগুলো কী? √ ধাতু খ অধাতু গ অপধাতু ঘ নিষ্ক্রিয় মৌল ৩১৩. পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে একই গ্রুপে আকার কেমন হবে? ক কমে যাবে √ বাড়বে গ অপরিবর্তিত থাকে ঘ পারমাণবিক সংখ্যার সাথে সম্পৃক্ত নয় ৩১৪. কোন মৌলটি সবচেয়ে কম সক্রিয়? ক

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি – পর্যায় সারণি : বিভিন্ন মৌলের ক্রমপরিবর্তন দেখানোর প্রয়াসে মৌলসমূহকে যে সারণিতে সাজানো হয়, তাকে পর্যায় সারণি বলা হয়। ১৭৮৯ সালে বিজ্ঞানী ল্যাভয়শিয়ে ভৌত অবস্থার উপর ভিত্তি করে, ১৮৬৪ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী Rb নিউল্যান্ড মৌলসমূহের ভর অনুযায়ী, ১৮৬৯ সালে রুশ বিজ্ঞানী ডিমিট্রি ম্যান্ডেলিফ পারমাণবিক ভর অনুসারে ও ১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী হেনরি মোসলে পারমাণবিক সংখ্যার উপর ভিত্তি করে পর্যায় সারণি প্রস্তাব করেছেন যা নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান পর্যায় সারণির রূপ লাভ করেছে। – পর্যায় : পর্যায় সারণির আনুভ‚মিক সারিগুলোকে পর্যায় বা Period বলে। বর্তমান পর্যায় সারণিতে মোট ৭টি পর্যায় আছে। প্রতিটি পর্যায়ের মৌলগুলোর ধর্ম অভিন্ন তবে ক্রমপরিবর্তনশীল হয়। যেমন একই পর্যায়ে যতই ডানদিক যাওয়া যায়, ততই মৌলসমূহের মধ্যে ধাতুধর্ম হ্রাস পায় ও পরমাণুর আকার ছোট হয়। – শ্রেণি বা গ্রুপ : পর্যায় সারণির লম্ব স্তম্ভগুলোকে বা উল্লম্ব সারিগুলোকে শ্রেণি বা Group বলে। সদৃশ ধর্মের মৌলগুলো একটি শ্রেণিতে স্থান পায়। বর্তমান পর্যায় সারণিতে মোট ১৮টি গ্রুপ আছে। আগে পর্যায় সারণির এ ১৮টি গ্রুপকে রোমান হরফের সংখ্যা ও I  থেকে VIII দ্বারা প্রকাশ করা হতো। সপ্তম শ্রেণির পরের শ্রেণিকে শূন্য শ্রেণি বলা হতো। পূর্বের এ শ্রেণিকরণকে সর্বশেষ পর্যায় সারণির সংস্করণে ১৮টি গ্রুপে ভাগ করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে যা IUPAC কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। – ডোবেরাইনারের ত্রয়ীসূত্র : রাসায়নিক ধর্মের সাদৃশ্য আছে এরকম তিনটি মৌলের মধ্যবর্তী মৌলটির পারমাণবিক ভর, অন্য দুটি মৌলের পারমাণবিক ভরের গড় মানের সমান হয়। যেমন Li, Na এবং K মৌল তিনটির মধ্যে রাসায়নিক ধর্মের মিল আছে। Li এবং K-এর পারমাণবিক ভর যথাক্রমে ৭ এবং ৩৯। অতএব Na-এর পারমাণবিক ভর (৭ + ৩৯)÷ ২ = ৪৬÷২ = ২৩। কিন্তু সূত্রটি খুব কমসংখ্যক মৌলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ায় বিশেষ গুরুত্ব লাভ করতে পারেনি। এরপর ১৮৬৪ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী Rb নিউল্যান্ড তার বিখ্যাত অষ্টক তত্ত¡ প্রকাশ করেন। – নিউল্যান্ডের অষ্টক তত্ত¡ : মৌলগুলোকে ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজালে কোনো একটি মৌলের ধর্মের সাথে পরবর্তী অষ্টম মৌলের ধর্মের সাদৃশ্য দেখা যাবে। এটি অষ্টক তত্ত¡ নামে পরিচিত। যেমন : Li(7) Be (9.02) B (10.8) C(12) N(14) O(16) F(19) Na(23) Mg(24)| । এক্ষেত্রে Li থেকে শুরু করে অষ্টম মৌল Na-এর ধর্মের এবং Be থেকে শুরু করে অষ্টম মৌল Mg-এর ধর্মের সাদৃশ্য রয়েছে। এভাবে প্রথম দিকের কতগুলো মৌলের ক্ষেত্রে এ সূত্র প্রযোজ্য হলেও ঈধ(২০) -পরবর্তী মৌলগুলোর ক্ষেত্রে এ সূত্র খাটে না। – ম্যান্ডেলিফের পর্যায় সূত্র : ১৮৬৯ সালে রাশিয়ান রসায়নবিদ ডিমিট্রি ম্যান্ডেলিফ আবষ্কিৃত মৌলসমূহের পারমাণবিক ভরকে ভিত্তি ধরে পর্যায় সারণিতে উচ্চক্রমানুসারে সাজিয়ে দেখেন একই ধর্মবিশিষ্ট মৌলসমূহ একই কলামে স্থান পায়। তাই তিনি এভাবে সন্নিবেশিত মৌলসমূহের ক্ষেত্রে একটি সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সূত্রটি ছিল “যদি মৌলসমূহকে ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজানো হয়, তবে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।” ১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী হেনরি মোসলে পারমাণবিক সংখ্যা আবিষ্কারের পর ম্যান্ডেলিফ তার পর্যায় সূত্র সংশোধন করেন। ম্যান্ডেলিফের সংশোধিত পর্যায় সূত্র হলো, “মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।” এই পর্যায় সূত্রটিই আধুনিক পর্যায় সারণির ভিত্তি। এ কারণে ম্যান্ডেলিফকে পর্যায় সারণির Rbক বলা হয়। – পর্যায় সারণির ভিত্তি : পর্যায় সারণি সৃষ্টির সময় মৌলসমূহের পারমাণবিক ভরকে ভিত্তি ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে পারমাণবিক সংখ্যাকে ভিত্তি ধরা হয়। বর্তমানে একথা স্বীকৃত যে পর্যায় সারণির সত্যিকার ভিত্তি হচ্ছে মৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস। প্রতিনিধিত্বমূলক মৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ স্তরে যতটি ইলেকট্রন বিদ্যমান, তা থেকে পর্যায় সারণিতে মৌলটির অবস্থান কত নম্বর গ্রুপে তা হিসাব করা যায়। আর ইলেকট্রন বিন্যাসে যতটি স্তর আছে মৌলটির অবস্থান তত নম্বর পর্যায়ে। – পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে পর্যায় সারণিতে কয়েকটি মৌলের অবস্থান নির্ণয় : সাধারণভাবে কোনো মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ শক্তিস্তরে যে কয়টি ইলেকট্রন থাকে, মৌলটির অবস্থান তত নম্বর গ্রুপে হয়। তবে দুইটি ও তিনটি শক্তিস্তরে বিন্যস্ত যে সকল মৌলের সর্বশেষ কক্ষপথে দুটির বেশি ইলেকট্রন থাকে তাদের ক্ষেত্রে সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে উপস্থিত ইলেকট্রন সংখ্যার সাথে দশ (১০) যোগ করে গ্রুপ সংখ্যা নির্ণয় করা হয়। আবার, সবশেষ কক্ষপথে ৮টি ইলেকট্রন থাকলে সেই মৌল গ্রুপ-১৮ তে স্থান পায়। নিচে একটি ছকের মাধ্যমে কিছু উদাহরণ দেখানো হলো : মৌল ইলেকট্রন বিন্যাস শক্তিস্তরের সংখ্যা (ঢ) সবচেয়ে বাইরের কক্ষে মোট ইলেকট্রন সংখ্যা (ণ) পর্যায় সারণিতে পর্যায় (ঢ) অবস্থান মৌল  ইলেকট্রন বিন্যাস শক্তিস্তরের সংখ্যা (X) সবচেয়ে বাইরের কক্ষে মোট ইলেকট্রন সংখ্যা (Y) পর্যায় সারণিতে পর্যায় (X) অবস্থান (Y + 10) 1H K-1 1 1 1 1 😯 K-2, L-6 2 6 2 16 11Na K-2, L-8, M-1 3 1 3 1 15P K-2, L-8, M-5 3 5 3 15 17Cl K-2, L-8, M-7 3 7 3 17 18Ar K-2, L-8, M-8 3 8 3 18 20Ca K-2, L-8, M-8, N-2 4 2 4 2 – ভৌত ধর্মের সাদৃশ্য : পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন মৌলের ঘনত্ব, গলনাঙ্K স্ফুটনাঙ্K তাপ ও তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা ইত্যাদি ভৌত ধর্মগুলোর পর্যায়বৃত্তি দেখা যায়। পর্যায় সারণির একই পর্যায়ে কঠিন মৌলগুলোর ঘনত্ব পারমাণবিক ভর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তারপর আবার কমতে থাকে। একই পর্যায়ে বামদিক থেকে ডানদিকে গেলে ধাতব গুণ কমতে থাকে, ফলে তড়িৎ পরিবাহিতা ক্রমশ হ্রাস পায়। অপরদিকে একই গ্রুপে যত উপর থেকে নিচে যাওয়া যায়, মৌলসমূহের ধাতু ধর্ম তত বৃদ্ধি পায়। – রাসায়নিক ধর্মে সাদৃশ্য : পর্যায় সারণির একই শ্রেণির মৌলগুলোর রাসায়নিক ধর্ম একরকম হয়। যেমন : ১ গ্রুপের Li, Na, K Rb এবং Cs এর রাসায়নিক ধর্মে অনেক মিল দেখা যায়। আবার, ১৭ গ্রুপের F, Cl, Br এবংI  এর মধ্যে রাসায়নিক ধর্মে খুবই সাদৃশ্য আছে। সাধারণভাবে দেখা যায় একই শ্রেণির উপর থেকে যত নিচের দিকে যাওয়া যায়, মৌলগুলোর রাসায়নিক ধর্ম নিয়মিতভাবে তত বাড়ে বা কমে। – ক্ষার ধাতু : পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-১এ অবস্থিত মৌলসমূহ যেমন : Li, Na, K Rb, Cs এবং Fr কে ক্ষার ধাতু (alkali metal) বলা হয়। এরা প্রত্যেকেই পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার দ্রবণ তৈরি করে। এরা সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে অবস্থিত একমাত্র ইলেকট্রনটি প্রদান করে আয়নিক যৌগ (লবণ) তৈরি করে। – মৃৎক্ষার ধাতু : গ্রুপ-২-এ অবস্থিত Be থেকে শুরু করে Ra পর্যন্ত মৌলসমূহকে মৃৎক্ষার ধাতু বলা (alkaline earth metal) হয়। এদের ধর্ম অনেকটা ক্ষার ধাতুর মতোই। এদের অক্সাইডসমূহ পানিতে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরি করে। এরাও সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরের ২টি ইলেকট্রন প্রদান করে আয়নিক যৌগ (লবণ) তৈরি করে। এই মৌলসমূহ বিভিন্ন যৌগ হিসেবে মাটিতে থাকে। – অবস্থান্তর মৌল : পর্যায় সারণিতে গ্রুপ-৩ থেকে গ্রুপ-১১ পর্যন্ত গ্রুপে অবস্থিত মৌলসমূহ অবস্থান্তর মৌল (transition metal) হিসেবে পরিচিত। অবস্থান্তর মৌলসমূহের নিজস্ব বর্ণ রয়েছে। এরা

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন চতুর্থ অধ্যায় পর্যায় সারণি Read More »

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন এর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন অধ্যায় ৩ পদার্থের গঠন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : একটি মৌলের পরমাণুর মডেল আঁকার জন্য বলা হলে নবম শ্রেণির ছাত্র ফরিদ নিচের চিত্রটি অঙ্কন করল। ক. পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে? খ. এবং পরমাণু দুইটির নিউক্লিয়ন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্নÑ ব্যাখ্যা কর। গ. ফরিদের আঁকা মডেলটি যে পরমাণু মডেলকে নির্দেশ করে তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. অঙ্কিত মডেল অনুসারে পরমাণুর স্থায়িত্ব সম্পর্কে যৌক্তিক মতামত দাও।  ১নং প্রশ্নের উত্তর  ক. কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বা কেন্দ্রে যত সংখ্যক প্রোটন থাকে, সেই সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে। খ. নিউক্লিয়ন সংখ্যা হচ্ছে প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল। সুতরাং নিউট্রন সংখ্যা = নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা ভরসংখ্যা (অ)  প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা (ত) এর নিউট্রন সংখ্যা = ৬৪ -২৯ = ৩৫ এর নিউট্রন সংখ্যা = ৬৪ – ৩০ = ৩৪ এখানে, এবং মৌল দুটির প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে ২৯, ৩০ এবং নিউক্লিয়ন সংখ্যা বা ভরসংখ্যা যথাক্রমে ৬৪, ৬৪; অর্থাৎ, মৌল দুটির পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন। তাই নিউক্লিয়ন সংখ্যা সমান হলেও, নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন হবে। গ. ফরিদের আঁকা মডেলটি রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলকে সমর্থন করে। নিম্নে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। নিচে মডেলটি ব্যাখ্যা করা হলো : ১. পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট ভারি বস্তু বিদ্যমান। এই ভারি বস্তুকে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস বলা হয়। পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াসের আয়তন অতি নগণ্য। নিউক্লিয়াসে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক চার্জ ও প্রায় সমস্ত ভর কেন্দ্রীভ‚ত। ২. পরমাণু বিদ্যুৎনিরপেক্ষ। অতএব নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রোটন সংখ্যার সমান সংখ্যক ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে পরিবেষ্টন করে রাখে। ৩. সৌরজগতের সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহসমূহের মতো পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের চারদিকে অবিরাম ঘুরছে। ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রনসমূহের পারস্পরিক স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণজনিত কেন্দ্রমুখী বল এবং ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান। ঘ. উদ্দীপকে বিদ্যমান অঙ্কিত মডেল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইলেকট্রনগুলো সর্পিলাকারে ঘুরতে ঘুরতে নিউক্লিয়াসে পতিত হচ্ছে, তাই অঙ্কিত মডেলটি একটি অস্থায়ী পরমাণু মডেল। ‘গ’ থেকে জানা যায়, অঙ্কিত মডেলটি রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলকে সমর্থন করে। এই মডেলের ৩য় স্বীকার্য অনুযায়ী ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘোরে। এ সময় ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রনসমূহের পারস্পরিক স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণজনিত কেন্দ্রমুখী বল এবং ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান থাকে। তাই এটি স্থায়িত্ব লাভ করবে। কিন্তু, ম্যাক্সওয়েলের মতবাদ অনুসারে এই পরমাণু মডেলটির স্থায়ীত্ব লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ, কোনো চার্জযুক্ত বস্তু বা কণা কোনো বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকলে তা ক্রমাগত শক্তি বিকিরণ করবে এবং আবর্তন চক্রও ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। যেহেতু ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জযুক্ত, তাই ইলেকট্রনসমূহ ক্রমশ শক্তি হারাতে হারাতে নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ, অঙ্কিত পরমাণু মডেল অনুসারে পরমাণু সম্পূর্ণভাবে একটি অস্থায়ী অবস্থাপ্রাপ্ত হবে। প্রশ্ন -২ : নিচের ছকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : 4W 12X 20Y 29Z [এখানে W, X, Y এবং Z প্রতীকী অর্থে; প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়] ক. ভরসংখ্যা কী? খ. 3Li ও 11Na এর যোজনী একই কেন ব্যাখ্যা কর। গ. উদ্দীপকের কোন কোন মৌলের সর্বশেষ স্তরে সমানসংখ্যক ইলেকট্রন বিদ্যমান? ঘ. উপরের একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস স্বাভাবিক নিয়মে করা যায় না  যুক্তিসহ উপস্থাপন কর।  ২নং প্রশ্নের উত্তর  ক. ভরসংখ্যা হলো কোনো মৌলের পরমাণুর প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যা। খ. যোজনী হলো কোনো মৌলের সর্ববহিস্থ শক্তিস্তরে বিদ্যমান ইলেকট্রন সংখ্যা। 3Li ও 11Na এর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপ : 3Li®1s22s1 11Na®1s2 2s2 2p6 3s1 যেহেতু লিথিয়াম (খর) ও সোডিয়াম (ঘধ) উভয় মৌলের সর্ববহিস্থ স্তরে একটি করে ইলেকট্রন বিদ্যমান। তাই, এদের যোজনী একই এবং তা হলো ১। গ. উদ্দীপকে প্রদত্ত মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাস নিম্নরূপ : মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস সর্বশেষ কক্ষপথে ইলেকট্রনের সংখ্যা মৌলের প্রতীক মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস সর্বশেষ কক্ষপথে ইলেকট্রনের সংখ্যা 4W 1s2 2s2 2 12X 1s2 2s2 2p6 3s2 2 20Y 1s2 2s2 2p6 3s23p6 4s2 2 29Z 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 3d104s1 1 দেখা যাচ্ছে যে, প্রদত্ত মৌলগুলোর মধ্যে 29Z বাদে বাকি তিনটির অর্থাৎ 4W, 12X, 20Y মৌলসমূহের সর্বশেষ স্তরে সমান সংখ্যক ইলেকট্রন বিদ্যমান। ঘ. উদ্দীপকের একটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস স্বাভাবিক নিয়মে করা যায় না এবং সেটি হলো 29Z। সাধারণ নিয়ম অনুসারে পরমাণুতে ইলেকট্রন শক্তির ক্রমানুসারে নিম্ন থেকে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অরবিটালে প্রবেশ করে। সাধারণ নিয়ম অনুসারে নিম্ন শক্তিস্তর বা উপশক্তিস্তর ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ হলে পরবর্তী শক্তিস্তরে বা উপশক্তিস্তরে ইলেকট্রন প্রবেশ করে। অর্থাৎs পূর্ণ হলে p, d পূর্ণ হলে ফ এভাবে বিভিন্ন কক্ষপথে ইলেকট্রন বণ্টিত হয়। কাজেই, 29Z এর ইলেকট্রন বিন্যাস হওয়া উচিত ছিল : 1s22s22p63s23p63d94s2  প্রকৃতপক্ষে 29Zএর ইলেকট্রন বিন্যাস: 1s2 2s22p63s23p63d104s1 ইলেকট্রন বিন্যাসের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী Z এর 4s অরবিটালে ২টি এবং 3d অরবিটালে ৯টি ইলেকট্রন থাকার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রে 3d অরবিটাল ১টি মাত্র ইলেকট্রনের অভাবে অপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু সমশক্তি সম্পন্ন অরবিটালসমূহ অর্ধপূর্ণ বা সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হলে সেই ইলেকট্রন বিন্যাস অধিকতর সুস্থিতি অর্জন করে। কাজেই d9 কাঠামোর চেয়ে d10 কাঠামো অনেক বেশি সুস্থিত। ফলে d9s2 এর চেয়ে d10s1 ইলেকট্রনবিশিষ্ট মৌল অধিকতর স্থায়ী হয়। তাই ত এর ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য 4s থেকে ১টি ইলেকট্রন 3d তে গিয়ে একটি সুস্থিত কাঠামোর সৃষ্টি হয়। অতএব যৌক্তিক কারণেই 29Z মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাস স্বাভাবিক নিয়মে করা যায় না। প্রশ্ন -৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : 26A, 29B [এখানে A ও B প্রতীকী অর্থে, প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়।] ক. সমাণু কী? ১ খ. উদাহরণসহ আইসোটোপের সংজ্ঞা দাও। ২ গ. উদ্দীপকে দ্বিতীয় মৌলটির ইলেকট্রনবিন্যাস ব্যতিক্রমÑব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ. প্রথম মৌলটির ইলেকট্রনবিন্যাস লিখে এর যোজনীর ব্যাখ্যা দাও। ৪  ৩নং প্রশ্নের উত্তর  ক. একই আণবিক সংকেতবিশিষ্ট দুটি যৌগের ধর্ম ভিন্ন হলে তাদেরকে পরস্পরের সমাণু (ওংড়সবৎ) বলে। খ. বিভিন্ন ভরসংখ্যাবিশিষ্ট একই মৌলের পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে। যেমনÑ ক্লোরিনের দুটি আইসোটোপ হলো যথাক্রমে 35/17 Cl এবং 37/17 Cl । নিউট্রন সংখ্যার ভিন্নতার কারণে আইসোটোপ তৈরি হয়। কারণ একই মৌলের পরমাণুর প্রোটন বা ইলেকট্রনের সংখ্যা কখনো পরিবর্তন হয় না। গ. উদ্দীপকের ২য় মৌলটি হলো 29B। এটি মূলত ২৯ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌল কপার (Cu)। বোরের পরমাণু মডেল থেকে আমরা জানি যে, পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ তাদের নিজ নিজ শক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন শক্তিস্তরে অবস্থান করে। ইলেকট্রন বিন্যাসের সময় নিম্ন শক্তিস্তর ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ হলে পরবর্তী শক্তিস্তরে ইলেকট্রন প্রবেশ করে। প্রতিটি প্রধান শক্তিস্তর (ড়ৎনরঃ) আবার এক বা একাধিক উপশক্তি স্তর (ড়ৎনরঃধষ) নিয়ে গঠিত। এ উপস্তরগুলোকে s, p, d f ইত্যাদি নামে আখ্যায়িত করা হয়।s উপশক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রন ধারণক্ষমতা ২, pউপস্তরের ৬,

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন ৩য় অধ্যায় পদার্থের গঠন বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. নিচের কোন আইসোটোপটি চিকিৎসা ও কৃষি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়? ক 131I                                        খ 125I ˜ 32P                              গ 153Sm ২. Z একটি মৌল যার প্রোটন সংখ্যা ১১১ এবং নিউট্রন সংখ্যা ১৪১। কোনটি দ্বারা পরমাণুটিকে প্রকাশ করা যায়? ক ১১১Z     খ ১৪১ Z √ ২৫২Z    ঘ ১৪১Z ৩. ‘ঢ’ মৌলটির আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত? আইসোটোপ পর্যাপ্ততার শতকরা পরিমাণ ১৪৬ঢ ২৫ ১৫৪ঢ ৭৫ [এখানে ঢ প্রতীকী অর্থে; প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়] ক ১৪৮ খ ১৫০ √ ১৫২ ঘ ১৫৩ ৪.   উদ্দীপক মৌলটির- i. একাধিক যোজনী বিদ্যমান ii. প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন iii. ইলেকট্রন বিন্যাস স্বাভাবিক নিয়মের নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ৫. নাইট্রিক এসিডের আপেক্ষিক আণবিক ভর কত? ক ৪৪ খ ৫২ √ ৬৩ ঘ ৯৮ ৬. Ca2+ আয়নে ইলেকট্রন সংখ্যা কতটি? ক ২২ খ ২০ √ ১৮ ঘ ১৬ ৭. হার্টে পেইসমেকার বসাতে কোনটি ব্যবহৃত হয়? ক ৩২p খ ৬০co √ প্লুটোনিয়াম ২৩৮ ঘ ১০৬Ru ৮. Cu এর সর্বশেষ স্তরের ইলেকট্রন বিন্যাস – ক 3s2 √ 4s1 গ 4so ঘ 3d10 ৯. অক্সিজেনের আপেক্ষিক আণবিক ভর কত? ক ৮ খ ১৬ √ ৩২ ঘ ৬৪ ১০. N শেলে (অরবিট) কয়টি উপশক্তিস্তর থাকে? ক ১ খ ২ গ ৩ √ ৪ ১১. H+ আয়নে কতটি নিউট্রন আছে? √ ০ খ ২ গ ৩ ঘ ১ ১২. পটাশিয়ামের পারমাণবিক সংখ্যা কত? ক ১৫ খ ১৭ √ ১৯ ঘ ২১ ১৩. ক্রিপ্টনের পারমাণবিক সংখ্যা কত? ক ৮৬ খ ৫৪ √ ৩৬ ঘ ১৮ ১৪. CuSO4 এর আপেক্ষিক আণবিক ভর কত? ক ১১১.৫ খ ১২৫.০ গ ১৪৩.৫ √ ১৫৯.৫ ১৫. 35/17Cl মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত? ক ১৭ √ ১৮ গ ৩৫ ঘ ৪২ ১৬. নিচের কোনটির আয়নিকরণ শক্তি বেশি? ক Na খ Mg গ Al √ Si নিচের উদ্দীপকের আলোকে ১৭ ও ১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : আইসোটোপ -পর্যাপ্ততার শতকরা পরিমাণ 35/17X       – 75 35/17X       – 25 [X প্রতীকী অর্থে; প্রচলিত কোনো মৌলের প্রতীক নয়] ১৭. X মৌলটির আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত? ] ক ৩৪.৫ √ ৩৫.৫ গ ৩৬.০৫ ঘ ৩৭.৪৫ ১৮. উদ্দীপক মৌলটির – i. L শেলে ৭টি ইলেকট্রন বিদ্যমান ii. প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন iii. একটি পরমাণুর ভর ৫.৮৯ × ১০–২৩ গ্রাম নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii √ ii ও iii ঘ i, ii ও iii নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১৯ ও ২০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ১৯. A মৌলটির কয়টি আইসোটোপ আছে? ক ২টি √ ৩টি গ ৪টি ঘ ৫টি ২০. অ মৌলটি – i. B এর সাথে অক্সাইড গঠন করে ii. C এর সাথে সমযোজী বন্ধন গঠন করে iii. AB পানির সাথে এসিড উৎপন্ন করে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii √ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ২১. নিচের কোন প্রতীকটি ল্যাটিন নাম থেকে নেওয়া হয়েছে? (অনুধাবন) ক B খ C √ Cu ঘ Cl ২২. মৌলের পুরো নামের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে? (জ্ঞান) ক সংকেত খ যোজনী √ প্রতীক ঘ যোজ্যতা ২৩. কোন বাক্যটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা) ক সোডিয়ামের প্রতীক SO √ কপারে প্রতীক Cu গ আয়রনের প্রতীক I ঘ পটাসিয়ামের প্রতীক P ২৪. সোডিয়ামের একটি পরমাণুর পরিবর্তে কী লেখা হয়? (জ্ঞান) ক N খ Sa গ Sd √ Na ২৫. লেডের ল্যাটিন নাম কী? (জ্ঞান) ক Argentum খ Stannum গ Hydrargyrum √ Plumbum ২৬. প্রতীক দ্বারা কোনটি জানা যায়? (অনুধাবন) √ কোনো মৌলের সংক্ষিপ্ত নাম খ কোনো যৌগের নাম গ কোনো নতুন অণুর নাম ঘ কোনো পরমাণুর সংখ্যা ২৭. নিচের কোন প্রতীকটি সঠিক? (উচ্চতর দক্ষতা) ক সিলভারের প্রতীক Hg √ সোডিয়ামের প্রতীক Na গ পটাসিয়ামের প্রতীক P ঘ সোনার প্রতীক G ২৮. নিচের কোন মৌলের প্রতীক ইংরেজি নাম থেকে না নিয়ে ল্যাটিন নাম থেকে নেওয়া হয়েছে? (অনুধাবন √ K খ Mn গ Br ঘ Al ২৯. নিচের কোন মৌলের প্রতীকে ইংরেজি নামের প্রথম বর্ণ ব্যবহার হয়েছে? (অনুধাবন) ক Zinc খ Nickel √ Boron ঘ Manganese ৩০. নিচের কোন মৌলের প্রতীকে ইংরেজি নামের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণ ব্যবহার হয়েছে? (অনুধাবন) ক Nickel খ Aluminium গ Ununseptium √ Chromium ৩১. ক সারির সাথে খ সারির মিল কর : (উচ্চতর দক্ষতা) ক সারি খ সারি ১. ইংরেজি নামের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণের প্রতীক i. Br ২. ইংরেজি নামের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণের প্রতীক ii. Cl ৩. মৌলের ল্যাটিন নামের প্রতীক iii. Cu ৪. Manganese মৌলের প্রতীক রা. Mn নিচের কোনটি সঠিক? √ ১-(i), ২-(ii), ৩. -(iii), ৪. – (রা) খ ১-(ii), ২-(i), ৩. -(iii), ৪. – (রা) গ ১-(iii), ২-(i), ৩. -(ii), ৪. – (রা) ঘ ১-(iii), ২-(ii), ৩. -(i), ৪. – (রা) – বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৩২. মৌলের প্রতীক- (উচ্চতর দক্ষতা) i. একটি পরমাণু নির্দেশ করে ii. পারমাণবিক ভর প্রকাশ করে iii. এতে কেবল একটি মৌলের পরমাণু থাকে নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii √ i, ii ও iii ৩৩. ইংরেজি নামের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণের প্রতীক- (অনুধাবন) i. Cl ও Zn ii. Al ও Co iii. Br ও Ni নিচের কোনটি সঠিক? ক i ও ii খ i ও iii √ ii ও iii ঘ i, ii ও iii ৩৪. ইংরেজি নামের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণের প্রতীক- (অনুধাবন) i. Cl ও Zn ii.Cr ও Mn iii. Br ও Ni নিচের কোনটি সঠিক? √ i ও ii খ i ও iii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii ৩৫. মৌলের ল্যাটিন নাম থেকে নেওয়া হয়েছে- (অনুধাবন) i. Na ও Cu ii. ক ও চন iii. Mn ও Ni নিচের কোনটি সঠিক? ক র √ i ও ii গ ii ও iii ঘ i, ii ও iii – অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩৬ ও ৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : শ্রেণিকক্ষে বøাকবোর্ডে সাজিদকে মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম ও তৃতীয় বর্ণের একটি প্রতীক লিখতে বলায় সে Al লিখে। ৩৬. সাজিদের লেখা প্রতীকটি ছিল- (অনুধাবন) ক সঠিক √ ভুল গ ল্যাটিন নামের ঘ আরবি নামের ৩৭. তাকে মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণের প্রতীক

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন এর পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি,জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি য পদার্থকে বিশ্লেষণ করলে ঐ পদার্থ থেকে মূল পদার্থ ছাড়া পৃথক ধর্মবিশিষ্ট অন্য কোনো নতুন পদার্থ পাওয়া যায় না, তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস, কার্বন, অক্সিজেন, হিলিয়াম, ক্যালসিয়াম, আর্গন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফার প্রভৃতি মৌলিক পদার্থ। → প্রতীক : কোনো মৌলের নাম যা দ্বারা সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয়, তাকে প্রতীক বলে। যেমন : ব্রোমিন (Bromine) এর প্রতীক Br বোরন (Boron) এর প্রতীক B ইত্যাদি। → মৌলিক কণিকা : যেসব সুক্ষ কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়। এরা হচ্ছে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। এ তিনটি কণিকা বিভিন্ন সংখ্যায় একত্রিত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পরমাণু সৃষ্টি করে। → ইলেকট্রন : সব পদার্থের পরমাণুর সাধারণ উপাদান হলো ইলেকট্রন। ইলেকট্রন পরমাণুর সবচেয়ে হালকা কণিকা। ইলেকট্রনসমূহ নিজস্ব শক্তি অনুযায়ী নিউক্লিয়াসের বাইরে চারদিকে বিভিন্ন কক্ষপথে ঘূর্ণায়মানভাবে অবস্থান করে। এটি ঋণাত্মক আধানযুক্ত এবং এর আপেক্ষিক আধানকে -১ ধরা হয়। ইলেকট্রনকে ব দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একটি ইলেকট্রনের ভর 9.11 × 10-28 গ্রাম; আধান বা চার্জ -1.60 ×10-19 কুলম্ব; একটি ইলেকট্রনের ভর একটি প্রোটন বা একটি নিউট্রনের ভরের ১/১৮৪০ গুণ। → প্রোটন : পরমাণুর আর একটি মূল উপাদান প্রোটন। প্রোটনের ভর ইলেকট্রনের চেয়ে প্রায় ১৮৪০ গুণ বেশি। প্রোটন পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে। এটি ধনাত্মক আধানযুক্ত এবং এর আপেক্ষিক আধানকে +১ ধরা হয়। প্রোটনকে p চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একটি প্রোটনের ভর 1.67 ×10-24 গ্রাম; আধান বা চার্জ +1.60 ×10-19 কুলম্ব; → নিউট্রন : নিউট্রন পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াসে থাকে। প্রোটন ও নিউট্রনের আপেক্ষিক ভর সমান। এটি চার্জ নিরপেক্ষ এবং আপেক্ষিক ভর ১ ধরা হয়। নিউট্রনকে n চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়। নিউট্রনের ভর 1.675 ×10-24 গ্রাম। একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণুর মধ্যে নিউট্রনের সংখ্যার বিভিন্নতার কারণে আইসোটোপ সৃষ্টি হয়। → পারমাণবিক সংখ্যা : কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রে যতসংখ্যক প্রোটন থাকে, সেই সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে। এটি একটি পরমাণুর নিজস্ব সত্তা বা তার পরিচয়। সাধারণত মৌলের প্রতীকের বামপাশে নিচের দিকে প্রোটন সংখ্যা তথা পারমাণবিক সংখ্যা লেখা হয়। একে Z দ্বারা প্রকাশ করা হয়। হিলিয়ামে ২টি প্রোটন আছে। সুতরাং এর পারমাণবিক সংখ্যা ২। তাই হিলিয়ামকে 2He লিখে প্রকাশ করা হয়। → ভর সংখ্যা : পরমাণুর নিউক্লিয়ন সংখ্যাই তার ভর সংখ্যা। কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে প্রোটন এবং নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ঐ মৌল বা পরমাণুর ভর সংখ্যা বলে। অর্থাৎ ভর সংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা। একে অ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এটিকে মৌলের প্রতীকের বামপাশে ওপর দিকে লিখা হয়। যেমন, ইউরেনিয়ামের ভর সংখ্যা ২৩৮। সুতরাং, একে 238U লিখে প্রকাশ করা হয়। → আইসোটোপ : একই মৌলের বিভিন্ন পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা একই, কিন্তু ভর সংখ্যা বিভিন্ন হয়, তাদের আইসোটোপ বলে। নিউট্রন সংখ্যার ভিন্নতার কারণে এমন হয়। যেমন : প্রকৃতিতে হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ আছে। এদের নাম হাইড্রোজেন, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম। এদের ভর সংখ্যা যথাক্রমে ১, ২ ও ৩। এদের প্রত্যেকের নিউক্লিয়াসে ১টি করে প্রোটন বর্তমান অর্থাৎ প্রত্যেকের পারমাণবিক সংখ্যা ১। কিন্তু, এদের নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা প্রথমটিতে নেই, দ্বিতীয়টিতে ১ এবং তৃতীয়টিতে ২। এজন্য তিন রকম হাইড্রোজেন পরমাণু পাওয়া যায়। → আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর : কোনো মৌলের আইসোটোপগুলোর শতকরা পর্যাপ্ততার পরিমাণকে গড় করলে যে ভর পাওয়া যায় তাকে ঐ মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বলে। সাধারণ অবস্থায় মৌলের আইসোটোপগুলো এমন অনুপাতে থাকে যে, এগুলোর ভরের গড় হিসেবে পারমাণবিক ভর পূর্ণসংখ্যার না হয়ে ভগ্নাংশ হয়। যেমন- ক্লোরিনের দুটি আইসোটোপ হলো এবং । এদের প্রত্যেকের ভর পূর্ণসংখ্যার হয়। কিন্তু পর্যাপ্ততার দিক থেকে এদের শতকরা পরিমাণ যথাক্রমে ৭৫% এবং ২৫%। তাই ক্লোরিনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ৩৫.৫। → আপেক্ষিক আণবিক ভর : কোনো পদার্থের অণুতে বিদ্যমান পরমাণুসমূহের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের সমষ্টিকে আপেক্ষিক আণবিক ভর বলা হয়। যেমন : অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর ১৬। একটি অক্সিজেন অণু অক্সিজেনের ২টি পরমাণু নিয়ে গঠিত। সুতরাং অক্সিজেনের আপেক্ষিক আণবিক ভর হবে ১৬ × ২ = ৩২। → পরমাণু পরিচিতি : কোনো পরমাণুর প্রতীকের বাম পাশে উপরের দিকে তার ভর সংখ্যা এবং বাম পাশে নিচের দিকে তার পারমাণবিক সংখ্যা লেখা হয়। যেমন:   এর অর্থ অ্যালুমিনিয়ামের একটি পরমাণুর ভর সংখ্যা ২৭ ও পারমাণবিক সংখ্যা ১৩। সুতরাং এর নিউট্রন সংখ্যা = ২৭-১৩ = ১৪। → তেজস্ক্রিয়তা : কিছু কিছু পদার্থ আছে যা থেকে আপনা-আপনি কিছু রশ্মি যেমন α (আলফা), β (বিটা), γ (গামা) অনবরত নির্গত হয়। এ ধরনের বিশেষ গুণবিশিষ্ট রশ্মিকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি এবং যেসব পদার্থ থেকে এসব রশ্মি বের হয়, তাদের তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। আর, তেজস্ক্রিয় পদার্থের এ ধরনের রশ্মি বিকিরণের বৈশিষ্ট্যকে তেজস্ক্রিয়তা বলে। → তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ : প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সুস্থিত ও অস্থিত আইসোটোপগুলোর মধ্যে অস্থিত আইসোটোপগুলো স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে বিভিন্ন ধরনের রশ্মি বিকিরণ করে অন্য মৌলের আইসোটোপে পরিণত হয়। এই ধরনের আইসোটোপগুলোকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলা হয়। প্রকৃতপক্ষে এসব মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে পরিবর্তন ঘটে। → পরমাণুর মডেল : ১৯১১ সালে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড ও ১৯১৩ সালে বিজ্ঞানী নীলস বোর পরমাণুর গঠন বর্ণনা করার জন্য পরমাণু, মডেল প্রদান করেন। → রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল : বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড ১৯১১ সালে আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে পরমাণুর গঠনকে একটি ক্ষুদ্র সৌরজগতের সঙ্গে তুলনা করেন। এ কারণে তাঁর প্রস্তাবিত পরমাণু মডেলকে পরমাণুর সৌর মডেলও বলা হয়। এর মূল বক্তব্য হলোÑ ১. পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট ভারী বস্তু বিদ্যমান। এই ভারী বস্তুকে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস বলা হয়। পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াসের আয়তন অতি নগণ্য। নিউক্লিয়াসে পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক চার্জ ও প্রায় সমস্ত ভর কেন্দ্রীভ‚ত। ২. পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। অতএব, নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রোটন সংখ্যার সমান সংখ্যক ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসকে পরিবেষ্টন করে রাখে। ৩. সৌরজগতের সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহসমূহের মতো পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের চারদিকে অবিরাম ঘুরছে। ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট নিউক্লিয়াস ও ঋণাত্মক চার্জ বিশিষ্ট ইলেকট্রনসমূহের মধ্যে পারস্পরিক স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণজনিত কেন্দ্রমুখী বল এবং ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের কেন্দ্রবহির্মুখী বল পরস্পর সমান। → বোর-এর পরমাণু মডেল : ১৯১৩ সালে নীলস বোর তাঁর বিখ্যাত পরমাণু মডেল প্রকাশ করেন। এ মডেলের স্বীকার্যসমূহ হলো : ১. নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকার পথে ইলেকট্রনসমূহ ঘুরতে থাকে। ২. নিউক্লিয়াসের চারদিকে বৃত্তাকার কতগুলো স্থির কক্ষপথ আছে যাতে অবস্থান নিয়ে ইলেকট্রনসমূহ ঘুরতে থাকে। এগুলোকে শক্তিস্তর বা অরবিট বলা হয়। শক্তিস্তরসমূহকে কল্পিত সংখ্যা হ-এর মান অনুসারে K, L, M, N দ্বারা প্রকাশ করা হয়। প্রথম শক্তিস্তরকে n = 1 (K শক্তিস্তর) ২য় শক্তিস্তরকে : n = 2 (L শক্তিস্তর) এভাবে n-এর মান 3, 4, 5 ইত্যাদি

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন তৃতীয় অধ্যায় পদার্থের গঠন Read More »

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা এর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন -১  নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. ব্যাপন কাকে বলে? খ. বডি ¯েপ্রতে ব্যাপন বা নিঃসরণের কোনটি আগে ঘটে? গ. তাপমাত্রা বাড়াতে থাকলে উদ্দীপকের কোন পদার্থটি সবার আগে বাষ্পীভ‚ত হবে? কারণ ব্যাখ্যা কর। ঘ. ক-পাত্রের উপাদান ও খ-পাত্রের উপাদানগুলোকে পৃথকীকরণে একই পদ্ধতির ব্যবহার সম্ভব কি না-যুক্তিসহ ব্যাখ্যা কর।  ১নং প্রশ্নের উত্তর  ক. কোনো মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফ‚র্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। খ. বডি ¯েপ্রতে নিঃসরণ আগে ঘটে। বডি ¯েপ্রতে বিদ্যমান উপাদানগুলোর চাপ ভেতর ও বাইরে সমান নয়। বডি ¯েপ্রর ভেতরে চাপ বেশি থাকে। চাপ দিলে সরু ছিদ্রপথে যখন গ্যাসের অণুসমূহ উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বেরিয়ে আসে, তখন নিঃসরণ ঘটে। এরপর এর মধ্যে থাকা উপাদান চারপাশে স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ পরে ব্যাপন হয়। গ. উদ্দীপকের ক-পাত্রে আয়োডিন মিশ্রিত খাদ্য লবণ এবং খ-পাত্রে বালি ও গøুকোজের মিশ্রণ বিদ্যমান। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে উদ্দীপকে বিদ্যমান উপাদানগুলোর মধ্যে আয়োডিন সবার আগে বাষ্পীভ‚ত হবে। যদি কোনো কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে এবং ঠাণ্ডা করলে তরলে রূপান্তরিত না হয়ে সরাসরি কঠিন পদার্থে পরিণত হয়, তাকে ঊর্ধ্বপাতন বলে। উপাদানগুলোর মধ্যে খাদ্য লবণ, বালি ও গøুকোজকে তাপ দিলে সেগুলো প্রথমে তরলে পরিণত হবে। আরও তাপ দিলে বাষ্পে পরিণত হবে। কিন্তু আয়োডিনকে তাপ দিলে তা সরাসরি বাষ্পে রূপান্তরিত হয়। কারণ আয়োডিনের ঊর্ধ্বপাতন ঘটে। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায়, লবণ, বালি ও গøুকোজকে তাপ দিলে সেগুলো সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় না। কিন্তু আয়োডিনের ঊর্ধ্বপাতন ঘটে বলে তা সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। তাই বলা যায় তাপ বাড়াতে থাকলে সবার আগে বাষ্পীভ‚ত হবে আয়োডিন। ঘ. কÑপাত্রের উপাদান ও খÑপাত্রের উপাদানগুলোকে একই পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথক করা সম্ভব নয়। কÑপাত্রে আয়োডিন ও খাদ্য লবণের মিশ্রণকে ঊর্ধ্বপাতন পদ্ধতিতে এবং খ-পাত্রের বালি ও গøুকোজের মিশ্রণকে পরিস্রাবণ ও বাষ্পীভবন পদ্ধতিতে পৃথক করতে হবেফলে ক-পাত্রে তাপ দিলে আয়োডিন ঊর্ধ্বপাতিত হয়। এভাবে আয়োডিন ও খাদ্য লবণের মিশ্রণকে ঊর্ধ্বপাতন পদ্ধতিতে পৃথক করা হয়। ঊর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়া- উদ্দীপকে খ-পাত্রে গøুকোজ ও বালির মিশ্রণ আছে। যাদের কোনোটাই উদ্বায়ী নয়। তাই ক-পাত্রের উপাদানগুলোর মতো ঊর্দ্ধপাতন পদ্ধতিতে বালি ও গøুকোজ পৃথক করা যায় না। এই মিশ্রণকে পরিস্রাবণ ও বাষ্পীভবন পদ্ধতিতে পৃথক করা হয়। বালি পানিতে অদ্রবণীয়। তাই গøুকোজ ও বালির মিশ্রণকে বিকারে নিয়ে পানি মিশ্রিত করে গøাস রড দিয়ে নেড়ে বালির সাথে মিশ্রিত গøুকোজকে সম্পূর্ণরূপে পানিতে দ্রবীভ‚ত করা হয়। অতঃপর, অপর একটি বিকারে ফিল্টারপেপার সজ্জিত ফানেলে গøুকোজ ও বালির মিশ্রণকে পৃথক করা হয়। ফিল্টার পেপারে থাকা বালি আলাদা করে নেওয়া হয়। পরিস্রুত দ্রবণকে বাষ্পীভবন করা হলে পানি বাষ্পাকারে উড়ে যায় এবং পরিস্রুতরূপে পাত্রে কঠিন গøুকোজের কেলাস অবশেষরূপে পাওয়া যায়। এভাবে পরিস্রাবণ ও বাষ্পীভবন পদ্ধতিতে গøুকোজ ও বালির মিশ্রণকে পৃথক করা হয়। এ ক্ষেত্রে অতএব ক-পাত্রের উপাদানগুলো ও খ-পাত্রের উপাদানগুলো পৃথিকীকরণে পৃথক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। একই পদ্ধতি ব্যবহার সম্ভব নয়। প্রশ্ন -২ : নিচের চিত্র দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : ক. নিঃসরণ কী? খ. একই পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ভিন্ন কেন? গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি কোন ধরনের পরিবর্তন- ব্যাখ্যা কর। ঘ. উৎপন্ন্ সাদা ধোঁয়া অ প্রান্তের কাছাকাছি উৎপন্ন হওয়ার যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা কর।  ২নং প্রশ্নের উত্তর  ক. সরু ছিদ্রপথে কোনো গ্যাসের অণুসমূহের উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে। খ. তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে একই পদার্থের গলনাংক ও স্ফুটনাংক ভিন্ন হয়। যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়, তাকে ঐ পদার্থটির গলনাংক বলে। আর, যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়, তাকে ঐ পদার্থটির স্ফুটনাংক বলে। তাপ প্রয়োগে কঠিন পদার্থ প্রথমে তরলে পরিণত হয়, আরও তাপ প্রয়োগে গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয়। যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় সে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ গ্যাসীয় পদার্থে পরিণত হয় না। আরও বেশি তাপমাত্রা প্রয়োজন। গ. উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। যে পরিবর্তনে পদার্থের অণুসমূহের উপাদান ও অণুর গঠনে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে এবং পদার্থসমূহ নিজেদের ধর্ম হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট অন্য পদার্থে পরিণত হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। প্রতিটি রাসায়নিক বিক্রিয়াতেই রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়। উদ্দীপকে এসিড (HCl), ক্ষারক (NH3)-এর সাথে বিক্রিয়া করে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের (NH4Cl) সাদা ধোঁয়া সৃষ্টি করেছে। NH3 + HCl = NH4Cl (সাদা ধোঁয়া) এখানে NH3 ও HCl অণুসমূহ নিজেদের ধর্ম হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট NH4Cl যৌগে পরিণত হয়েছে। তাই উক্ত বিক্রিয়ায় যে পরিবর্তন হয়েছে, তা একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। ঘ. উৎপন্ন সাদা ধোঁয়া A প্রান্তের কাছাকাছি উৎপন্ন হয়েছে। এর যৌক্তিক কারণ ব্যাপনের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়। ব্যাপনের হার বস্তুর ভর ও ঘনত্বের উপর নির্ভরশীল। যে বস্তুর ভর ও ঘনত্ব যত বেশি তার ব্যাপনের হার তত কম। HCl এর আণবিক ভর = 1+ 35.5 = 36.5 NH3 এর আণবিক ভর = 14+1×3 =17 যেহেতু HCl এর আণবিক ভর NH3 এর চেয়ে বেশি, তাই HCl এর ব্যাপনের হার কম হবে। HCl এর ব্যাপন NH3 এর চেয়ে কম হওয়ায় HCl কম দূরত্ব অতিক্রম করেছে। অপরদিকে, NH3 এর ব্যাপন বেশি হওয়ায় বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে। তাই কঠিন সাদা বলয় HCl এর কাছে, কিন্তু NH3 থেকে দূরে উৎপন্ন হয়েছে। প্রশ্ন -৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও : (i) মোম + + O2(g) → A + B + শক্তি (ii) H2(g) + O2(g) → B + শক্তি ক. স্ফুটনাঙ্ক কী? ১ খ. আয়োডিনকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় কেন? ২ গ. 0C তাপমাত্রায় ই যৌগের ভৌত অবস্থার কিরূপ পরিবর্তন ঘটে ব্যাখ্যা কর। ৩ ঘ. (i) নং-এ ভৌত ও রাসায়নিক কিন্তু (ii) নং-এ শুধু রাসায়নিক পরিবর্তন হয়Ñবিশ্লেষণ কর। ৪ :ল্প ৩নং প্রশ্নের উত্তর :ল্প ক. স্বাভাবিক চাপে (১ধঃস) যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয় সেই তাপমাত্রাকে সেই পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে। খ. আয়োডিন একটি ঊর্ধ্বপাতনযোগ্য পদার্থ হওয়ায় এটিকে তাপ দিলে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। যে সকল কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় এবং শীতল করলে সরাসরি কঠিন হয় তাদেরকে উদ্বায়ী পদার্থ বলে। আয়োডিন এমনই একটি উদ্বায়ী পদার্থ। এজন্য আয়োডিনকে তাপ দিলে এটি কঠিন থেকে সরাসরি গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয় এবং শীতলীকরণে গ্যাসীয় অবস্থা থেকে কঠিনে পরিণত হয়। গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত ই যোগটি হলো পানি যেটি সাধারণত তরল অবস্থায় থাকে। 0C তাপমাত্রায় পানি বরফে অর্থাৎ কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয়। তাপ কমানো হলে পদার্থের অণুগুলোর গতিশক্তি হ্রাস পায়, ফলে অণুগুলোর মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পায়। এর ফলে আন্তঃকনা আকর্ষণশক্তি বৃদ্ধি পায়। পদার্থ যে সকল ছোট ছোট কণার সমন্বয়ে গঠিত। তারা যেকোনো তাপমাত্রায়

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Read More »

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

নবম-দশম/এসএসসি রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা এর গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচে দেওয়া হলো। এসএসসি রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর গুরুত্বপূর্ণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১. কাপে গরম চা রাখলে নিচের কোন প্রক্রিয়াটি ঘটে? ✅ বাষ্পীভবন খ ঊর্ধ্বপাতন গ ব্যাপন ঘ নিঃসরণ ২. জলীয়বাষ্পকে যখন ঘনীভবন করা হয়, তখন কণাসমূহের ক্ষেত্রে কী ঘটবে? ক আকার সংকুচিত হবে খ চলাচল করতে থাকবে গ একই অবস্থানে থেকে কাঁপতে থাকবে ✅ পরিপার্শ্বে শক্তি নির্গত করবে ৩. নিচের কোন চিত্রটি ঊর্ধ্বপাতনের জন্য প্রযোজ্য? ৪. অজানা কঠিন বস্তু ত-এর তাপীয় বক্ররেখা চিত্র হতে বোঝা যায়- র. z বস্তুটির গলনাংক 54°C রর. z বস্তুটি উদ্বায়ী ররর. a-b ও c-d রেখা বস্তুটির গলনাংক ও স্ফুটনাংক বোঝায় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ রর ও ররর ✅ র ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৫. কোন পদার্থটিকে তাপ দিলে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয়? ✅ ন্যাপথালিন খ চুনাপাথর গ চিনি ঘ বরফ ৬. কোন মৌলিক গ্যাসটির ব্যাপনের হার বেশি? ✅ H2             O2 M N2          N Cl2 ৭. কোনটির আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি? ক সালফিউরিক এসিড ✅ সোডিয়াম ক্লোরাইড গ কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘ পানি ৮. কোনটির আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি? K H2O                                  L CO2 M NH3                           ✅ KCl ৯. নিচের কোনটি ঊর্ধ্বপাতনযোগ্য পদার্থ? ক ফ্লোরিন খ ক্লোরিন গ ব্রোমিন ✅ আয়োডিন ১০. নিচের কোন যৌগটির ব্যাপনের হার অপেক্ষাকৃত বেশি হবে? ✅ NH3                                  L NO2 M H2S                           N SO2 ১১. কোনটির ব্যাপনের হার বেশি? K CO2                                  L NH3 M HCl                           ✅ H2 ১২. মোম কোন ধরনের পদার্থ? ক হাইড্রোকার্বন খ কার্বোহাইড্রেট গ উদ্বায়ী ঘ মৌলিক ১৩. মোমে কার্বনের সাথে কোন মৌলটি থাকে? ক অক্সিজেন খ হাইড্রোজেন গ নাইট্রোজেন ঘ সালফার ১৪. কোনটির ব্যাপনের হার সবচেয়ে বেশি? K N2O3                                 L N2O M C2H6                          ✅ C2H4 ১৫. নিচের কোন পদার্থটির ঊর্ধ্বপাতন ঘটে? ✅ আয়োডিন খ ব্রোমিন গ ক্লোরিন ঘ ফ্লোরিন ১৬. সরু ছিদ্রপথে উচ্চচাপের কোনো গ্যাসের অণুসমূহের নিম্নচাপ অঞ্চলে বের হয়ে আসার প্রক্রিয়াকে কী বলে? ক ব্যাপন খ বাষ্পীভবন গ উর্ধ্বপাতন ✅ নিঃসরণ নিচের উদ্দীপকের আলোকে ১৭ ও ১৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও : চিত্র : জলীয় বাষ্পের শীতলীকরণের বক্ররেখা ১৭. উদ্দীপকের পদার্থটির ১৮ গ্রামের মধ্যে কতটি অণু উপস্থিত থাকে? ক 1.67 ´ 1023টি                       খ 0.857 ´ 1023টি  গ 0.167 ´ 1022টি                 ঘ 6.023 ´ 1023টি  ১৮. উপরের চিত্র হতে আমরা বুঝতে পারি যে, র. পদার্থটির হিমাংকের তাপমাত্রা 0°C রর. E-F রেখা পদার্থটির কঠিন অবস্থা ররর. 5°C তাপমাত্রায় পদার্থটি গ্যাসীয় নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ২.১ পদার্থ ও পদার্থের অবস্থা ¥ জেনে রাখ :  যার ভর আছে, জায়গা দখল করে এবং জড়তা আছে তাই পদার্থ।  পদার্থ সাধারণত তিন অবস্থায় থাকে-কঠিন, তরল এবং বায়বীয়।  পদার্থের আকৃতি, আয়তন, সংকোচনশীলতা, ঘনত্ব, সহজপ্রবাহ, প্রসারণশীলতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য আছে।  সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ১৯. কোনো বস্তুর ভেতরের পদার্থের পরিমাণকে কী বলা হয়? (জ্ঞান) ক ওজন ✅ ভর গ মৌল ঘ যৌগ ২০. সকল পদার্থ সাধারণত কয় অবস্থায় বিরাজ করে? (জ্ঞান) ক ২ ✅ ৩ গ ৪ ঘ ৫ ২১. সাধারণ তাপমাত্রায় কোনটি তরল পদার্থ? (অনুধাবন) ক বরফ খ জলীয়বাষ্প ✅ পানি ঘ লবণ ২২. ইনজেকশনের সিরিঞ্জে পানি ও বাতাস ভরে সুচ খুলে মুখ বন্ধ করে চাপ দিলে নিচের কোনটির পরিবর্তন ঘটে? (অনুধাবন) ক আকার খ আকৃতি ✅ আয়তন ঘ ভর ২৩. পদার্থের কী কী আছে? (অনুধাবন) ✅ ভর ও আয়তন খ বর্ণ ও গন্ধ গ স্বাদ ও ওজন ঘ সংকোচন ও প্রসারণ ২৪. সাধারণ অবস্থায় পানি, লবণ ও নাইট্রোজেন কেমন? (উচ্চতর দক্ষতা) ✅ তরল, কঠিন, গ্যাস খ তরল, গ্যাস, কঠিন গ কঠিন, তরল, গ্যাস ঘ সবই তরল ২৫. কোনটি পদার্থ নয়? (অনুধাবন) ক বায়ু খ মাটি ✅ শব্দ ঘ পানি ২৬. জলীয় বাষ্পকে ঠাণ্ডা করলে কিসে পরিণত হয়? (জ্ঞান) ক বরফে খ বাষ্পে গ কঠিন পদার্থে ✅ পানিতে ২৭. কোনটির সংকোচনশীলতা সবচেয়ে বেশি? (অনুধাবন) ক লবণ খ পানি গ দুধ ✅ হাইড্রোজেন ২৮. কোনটির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি? (অনুধাবন) ক লুব্রিকেটিং তেল খ সয়াবিন তেল গ দুধ ✅ খাবার লবণ ২৯. জলীয়বাষ্পকে ঠাণ্ডা করলে পানিতে এবং আরও ঠাণ্ডা করলে কিসে পরিণত হবে? (উচ্চতর দক্ষতা) ✅ বরফে খ পানি ঊর্ধ্বপাতিত হবে গ জলীয়বাষ্পে ঘ জলীয়বাষ্প ঊর্ধŸপাতিত হবে ৩০. কোনটি পদার্থ? (অনুধাবন) ✅ বায়ু খ তাপ গ আলো ঘ বিদ্যুৎ ৩১. পদার্থ সাধারণত কোন অবস্থায় সিলিন্ডারে ভর্তি করে রাখা হয়? (প্রয়োগ) ক কঠিন খ তরল ✅ বায়বীয় ঘ প্লাজমা ৩২. কোন পদার্থটি তরল প্রকৃতির? (অনুধাবন) ক চিনি খ হিলিয়াম গ অক্সিজেন ✅ লুব্রিকেটিং ৩৩. কোনটি চাপ প্রয়োগে সংকুচিত হয় না? (জ্ঞান) ক সয়াবিন তেল ✅ চুনাপাথর গ পারদ ঘ হিলিয়াম ৩৪. কোনটির সহজপ্রবাহ সর্বাধিক? (অনুধাবন) ক লুব্রিকেটিং খ সয়াবিন তেল ✅ পানি ঘ দুধ ৩৫. পারদ কোন অবস্থায় থাকে? (জ্ঞান) ক কঠিন ✅ তরল গ বায়বীয় ঘ তরল স্ফটিক ৩৬. কোনটির আকার, আকৃতি ও আয়তন নির্দিষ্ট থাকে? (প্রয়োগ) ক ঈঙ২ ভর্তি গ্যাসজার খ পারদ গ দুধ ✅ মার্বেল পাথর ৩৭. তাপে পদার্থের কোনটির পরিবর্তন ঘটে না? (জ্ঞান) ক আকার খ আকৃতি ✅ অণুর গঠন ঘ ভৌত অবস্থা  বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর ৩৮. পদার্থের বৈশিষ্ট্য (অনুধাবন) র. জড়তা আছে রর. স্থান দখল করে ররর. ভর আছে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ✅ র, রর ও ররর ৩৯. সয়াবিন তেল একটি তরল পদার্থ, কারণÑ (উচ্চতর দক্ষতা) র. নির্দিষ্ট উষ্ণতা ও চাপে এর আয়তন স্থির থাকে রর. এটি তার ধারকপাত্রের আকার গ্রহণ করে ররর. এর নির্দিষ্ট ঘনত্ব আছে নিচের কোনটি সঠিক? ক র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ✅ র, রর ও ররর ৪০. চাপ প্রয়োগে সংকোচনশীলÑ (অনুধাবন) র. পানি রর. পারদ ররর. কাঠের টুকরা নিচের কোনটি সঠিক? ✅ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর ৪১. চাপ প্রয়োগে আকৃতি ও আয়তন অপরিবর্তিত থাকে- (অনুধাবন) র. পেন্সিল ও পাথরের রর. কাঠ ও ইটের ররর. পানি ও দুধের নিচের কোনটি সঠিক? ✅ র ও রর খ র ও ররর গ রর ও ররর ঘ র, রর ও ররর  অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৪২ ও ৪৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪২. উদ্দীপকের ক্ষেত্রে- (উচ্চতর দক্ষতা) র. x অপেক্ষা z এর সংকোচনশীলতা বেশি

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর Read More »

Scroll to Top